১৯৫৪ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে পূর্ব-পাকিস্তানে যুক্তফ্রন্ট।
১৯৬০ সালে সামরিক প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খানকে হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে তাঁর পক্ষে রায়।
১৯৬২ সালে “মৌলিক গণতন্ত্র” নামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় (আইয়ূব খানের অধীনে), মুসলিম লীগ সরকার গঠন করে।
১৯৬৪ সালে পুনরায় “মৌলিক গণতন্ত্র” নামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় (আইয়ূব খানের অধীনে),
মুসলিম লীগ সরকার গঠন করে। ১৯৬৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে
পাকিস্তানের জাতির পিতা মরহুম কায়েদে-আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ এর ছোট বোন
ফাতেমা জিন্নাহ্কে পরাজিত করে ফিল্ড মার্শাল মোঃ আইয়ূব খান দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা-৩১৩টি। পূর্ব-পাকিস্তানে-১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন লাভ করে, পিডিপি-১টি ও স্বতন্ত্র-১টি আসন লাভ করে এবং পশ্চিম-পাকিস্তানে-১৪৪টি আসনের মধ্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টি-৮১টি আসন লাভ করে, জামাতে ইসলামী-৪টি আসন লাভ করে, স্বতন্ত্র-১৩টি ও অন্যান্য ৬টি দল-৩৯টি আসন লাভ করে। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করায় পাকিস্তানে সকরার গঠন করার অধিকার একমাত্র আওয়ামী লীগের। কিন্তু পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টোর ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের যোগসাজসে ১ মার্চ ১৯৭১ সালে জাতীয় সংসদের সভা বাতিল ঘোষণা করে। ঘোষণার পরপরই সাধারণ জনগন পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসন লাভ করে আওয়ামী লীগ।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি বলেন-সরকারী কর্মচারিরা ২৮ মার্চ তারিখে বেতন নিয়ে আসবেন। ১৬ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ সকাল পর্যন্ত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আলোচনার নামে প্রহসন চালিয়ে অতঃপর ২৫ মার্চ রাত ৮-০০ টায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টো সামরিক বিমানে পাকিস্তান চলে যাওয়ার পূর্বে পূর্ব-পাকিস্তানে সামরিক অভিযান পরিচালনার হুকুম দিয়ে যায়। তখনই রাত ১১টার সময় শুরু হয় বাঙ্গালীর উপর নির্যাতন।
Category: Books
বৃটিশ-ভারতে পৌরসভা গঠনের ইতিবৃত্ত ঃ
মুগল, ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের কথা ঃ
১০,০০০ হাজার বছর আগে নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার উয়ারী বটেশ্বরে বাংলাদেশের প্রথম মানুষের বসতি গড়ে উঠে। ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) বছর আগের দুর্গনগরীর সন্ধান মিলেছে উয়ারী বটেশ্বরে।
৩৫০০-৪০০০ খৃষ্টপূর্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানব বসতির প্রমাণ পাওয়া গেল। শাহীনূজ্জামানের এ আবিস্কারের ফলে নব্য প্রস্তর যুগে (৩৫০০-৪০০০ বছর আগে)। চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক যুগেও মানুষ ছিল।
২৫০০ খৃষ্টপূর্বে জয়পুরহাট জেলার মহাস্থান গড়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বসতি গড়ে উঠেছিল।
১৫০০ খৃষ্টপূর্ব কুমিল্লার লালমাই পাহাড় থেকে প্রতœতাত্তিকের আবিস্কৃত প্রাগৈতিহাসিক মানুষের ব্যবহার করা হাতকুঠার, ছুরি, ছাঁচুনী, বাটালী প্রভৃতি প্রমাণ করে যে, এ অঞ্চলে মানুষের আগমন ঘটেছিল।
১২০০ খৃষ্টপূর্ব মহাস্থানগড়ে ফটক পাওয়া গেছে। মানে ১২০০ খৃষ্টপূর্ব আগে মহাস্থানগড়ে প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া গেছে (১০-০২-২০১০ তারিখ প্রথম আলো)। প্রতœতাত্তি¡করা ধারণা করছেন, ২০০৯ সালে এ মহাস্থানগড় খননে যে বৌদ্ধমন্দিরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে।
৬৪৮ সালে বা ৬৯ হিজরী সনে লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামে সাড়ে তেরো শ বছর আগের মসজিদ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ভুখন্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলজুড়ে যে প্রাচীন সভ্যতা খ্রিষ্টপূর্ব সময় থেকে গড়ে উঠেছিল, তার সঙ্গে প্রাচীন রোমান ও আরব-সভ্যতার সম্পর্ককে ইতিহাসের স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখেন টিম স্টিল। টিম স্টিল ওয়েলসের অধিবাসী। বাংলাদেশ টাইগার ট্যুরিজম নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনাচক্রে তিনি লালমনিরহাটের ৬৯ হিজরি সনের হারানো মসজিদ আবিস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে যান। নানা বইপত্র ঘেঁটে, যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রতœতত্ত¡ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি নিশ্চিত হন মসজিদটি ৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দের বা ৬৯ হিজরি সনে। বাংলাদেশের ওই হারানো মসজিদের ওপর আরও গবেষণা হওয়া উচিত এই আকুতি রেখে টিম স্টিল বলেন, ওই মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস খুঁজে পেলে হয়তো বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্ব সভ্যতার সম্পর্কের আরেক ইতিহাস জানার পথ খুলে যাবে। রোমান, চৈনিক, আরব আর বাংলা-এই চার অঞ্চলের প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্ক জানা গেলে হয়তো পৃথিবীর ইতিহাস অন্যভাবে লিখতে হবে। টিম স্টিলের গবেষণায় প্রতীয়মান হচ্ছে, এটি এক হাজার তিন শ চৌষট্টি বছর আগের মসজিদ। যার সূত্র ধরে পাল্টে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের আগমণের ইতিহাস। ইটের গায়ে লেখা আরবিতে হিজরি সন উল্লেখিত শিলালিপি। (১৯-১১-২০১২ তারিখ)। এ আবিস্কার সঠিক কিনা বলা যাবেনা এখনও।
১০৪০ সালের সেই দিন থেকে হিমালয়ের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক। পন্ডিত শান্তিরক্ষিতের বোন মন্দরবা তাঁর স্বামী পদ্মসম্ভবার সঙ্গে তিব্বতের সাইথউলে গিয়ে হিমালয় গমনকারী প্রথম নারীতে পরিণত হন। আধুনিক সময়ে ১৮৫০ সাল থেকে বাঙালিদের হিমালয়ে যাওয়া শুরু। ১৮৫২ সালের একদিন ৩৯ বছর বয়সী বাঙালি জরিপকর্মী রাধানাথ সিকদার আবিস্কার করলেন ম্যাপে ‘পিক-১৫’ নামে পরিচিত পর্বত চুড়াটিই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ। ১৮৫৬ সালে এর নামকরণ করা হয় মাইন্ট এভারেষ্ট। ১৯০৪ সালে এভারেষ্ট অঞ্চলে অভিযাত্রীদের আগমন ঘটে। ১৯১৩ সালে ক্যাপ্টেন নোয়েল এভারেষ্টে অভিযান চালানোর ব্যাপারে রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটিতে প্রতিবেদন জমা দেন। ১৯২১ সালে শুরু হয় অভিযান। চূড়ান্ত সাফল্য আসে ১৯৫৩ সালের ২৯ মে সকালে।
১২৮২ সালে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ-দীন ঢাকার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলার রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন।
১৩০৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর, হযরত শাহ জালাল(রহ.) ছিলেন ইয়েমেনী। তাঁর সিলেট আগমনের সাতশ’ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৭-১২-২০০৩ তারিখ থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচী ঃ হযরত শাহ জালাল(রহ.) সুরমা নদীর যে ঘাট দিয়ে সিলেট শহরে প্রবেশ করেছিলেন সেই ঐতিহ্যবাহী স্থান শেখঘাট মসজিদ থেকে দরগাহ পর্যন্ত শোভাযাত্রা হয়। হযরত শাহ জালাল (রহ.) মাত্র ৩২ বছর বয়সে ৩৬০(তিনশত ষাট) জন সঙ্গী নিয়ে সিলেটে আগমন করেন। কিন্তু ১৩৩৩ সালে ৬২ বছর বয়সে মারা গেছেন।
১৩০৫ সালের দিকে তৈরী হয় কুমিল্লার মাঝিগাছায় নন্দীর মসজিদটি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
১৩৩৮-১৩৪৯ সালে সোনারগাঁয়ের স্বাধীন সুলতান ফকরুদ্দীন মোবারক শাহের রাজত্বকালে বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে মুসলিম আধিপত্য দৃঢ় হয়েছিল।
১৪৭৯ সালে শিবগঞ্জ, রাজশাহীর দরসবাড়ী মসজিদটি নির্মিত হয় ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতান শামস উদ্দীন ইউসুফ শাহের শাসন আমলে।
১৪৮০ সালে রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা কংশ নারায়ন রায় ৯(নয়) লক্ষ টাকা ব্যয় করে একটি মন্দির তৈরী করেন। এ মন্দির ১৯৭৮ সাল থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে।
১৪৮৩ সালে মালিক কাফুর নির্মিত বাবা আদম শহীদের মসজিদ নির্মিত হয়। এ মসজিদ মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রথম মসজিদ। মালিক কাফুর ছিলেন ঐ সময়ে এ এলাকার শাসনকর্তা।
১৪৯৩ থেকে ১৫১৯ সালের মধ্যে ণির্মিত হয় দিনাজপুর ঘোড়াঘাট ঐতিহ্যবাহী সুরা মসজিদ। অযতœ-অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে এ মসজিদের অস্তিত্ব।
১৪৯৩ সাল থেকে ১৫৩৯ সাল পর্যন্ত আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে নান্দাইলের মোয়াজ্জমপুর মসজিদটি নির্মিত।
১৫১৪-১৬০৫ সালের মধ্যে পাবনার জোড়বাংলো নির্মাণ করা হয়।
১৫১২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৫শ’ বছরের মং রাজ পরিবারের ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তির পথে।
১৫১৭ সালে পর্তুগীজরা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলারোপা-বান্দুরাতে প্রথম বসতি স্থাপন করে।
১৫২৩ সালে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী বাঘা মসজিদটি গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন নুসরৎশাহ নির্মাণ করেন।
১৫২৬ সালে সুলতান হোসেন শাহের পুত্র নুশরাত শাহ কর্তৃক বৃহত্তর রাজশাহীতে বড় সোনা মসজিদ তৈরী করে।
১৫৫৫ সালে প্রাচীন বাংলার মসনদে আলা ঈসা খাঁর রাজধানীর খোঁজে যেতে হয় সোনারগাঁয়ে।
১৫৫৫ সালে শেরপুরে প্রায় ৪৫০ বছর আগে নবাব মীর্জা মুরাদ খানের সহযোগিতায় খেরুয়া মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ তথ্য মসজিদের শিলালিপি থেকে জানা যায়। এছাড়া বগুরা জেলার শেরপুর উপজেলা ইতিহাসে আরো একটি কারণে বিশেষ স্থান লাভ করে আছে। তাহলেও এ ছোট্ট শহরে ৩৬০ জন ওলী আওলিয়ার আগমন ঘটেছিল। ১৫৯৫ সালে রচিত আইন এ আকবরীতে এ স্থানের উল্লেখ আছে। আকবরনামাতে বহুবার ‘শেরপুর মুর্চ্ছা’ নামে এ স্থানের উল্লেখ আছে।
১৫৬৯ সালে রিকাবী বাজারের টেঙ্গর শাহী মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ মসজিদটি মুন্সীগঞ্জ জেলার দ্বিতীয় মসজিদ।
১৫৭৬ সালের ১২ জুলাই, হোসেন কুলি খান বাংলার শাসক নিযুক্ত হন।
১৫৮০ সালে (বা ৯৮৬ হিজরী সনে) মাছুম খাঁন কাবুলী পবিত্র কদমরসুল স্থাপন করলেও বহু শত বছর পূর্বে-এর সংগ্রাহক হাজী নূর মোহাম্মদ নামক এক তাপস ও সাধক পুরুষ পবিত্র পদচিহ্ন একজন আরবদেশীয় বণিকের কাছ থেকে কয়েক হাজার স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে লাভ করে নিয়ে আসেন এ গ্রামে। শীতলক্ষা নদীর পূর্ব তীরে বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকায় পবিত্র কদমরসূল দরগাহ’র অবস্থান।
১৫৮২ সালে (হিজরী-৯৮৯) কোন এক সোমবার দিন শেরপুরের ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়।
১৫৮৪ সালে বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলে হারিকেনের রুদ্র তান্ডবে ঝরে যায় প্রায় ২ লাখ তাজা প্রাণ। এরমধ্যে মানুষ, গবাদিপশু এবং অন্যান্য সব রকমের প্রাণী। এ ঝড়ের কথা আইন-ই-আকবরী ও রিয়াজ-উস-সালাতিনে পাওয়া যায় এ ঝড়টি খুলনা-বরিশাল উপকুলে প্রলঙ্করী ধবংশলীলা ঘটিয়েছিল। ১৭৯৭ সালে ঘুর্ণিঝড় চট্টগ্রাম অঞ্চলে সবকিছু মিশিয়ে দিয়ে যায় মাটির সাথে। চট্টগ্রাম বন্দরে ২টি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। ১৮২২ সালের মে মাসে বরিশাল, হাতিয়া ও নোয়াখালী জেলার ওপর বয়ে গেল ভয়ঙ্কর এক ঘুর্ণিঝড়। কালেক্টরেট রের্কড থেকে জানা যায়, ৪০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল। ১ লাখ গবাদিপশু স্রোতে ভেসে গিয়েছিল। ১৮৭৬ সালের সেই ঝড়ে ২ লাখ মানুষের জীবনদীপ নিভে যায়। ১৯৫০ সালে আবার দেখা মেলে ২০ ফুট জলোচ্ছ¡াসের। আঘাতস্থল চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালী, প্রাণহানি ১০ হাজার। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান ঘুর্ণিঝড়ে ২ বার লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় উপকলীয় এলাকা। কেড়ে নেয় ১৯,২৭৯টি তাজা প্রাণ। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, স্মরণকালের বৃহত্তম ঘুর্ণিঝড় কেড়ে নিয়েছিল ১০ লাখ লোক বা তারও বেশী মানুষের জীবন। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২২২ কিলোমিটার। ১৯৮৫ সালে ঘুর্ণিঝড়ে কেড়ে নিয়েছিল ১১,০৫৯ জন। ১৯৮৮ সালের ঘুর্ণিঝড়ে কেড়ে নিয়েছিল ৫,৭০৮ জন। ১৯৯১ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথমবারের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার অব্যাবহিত পরই ২৯ এপ্রিল রাতে ভয়াল ঘুর্ণিঝড় গোটা দক্ষিণাঞ্চল লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়। দেড় লাখ মানুষের প্রাণ জীবনপ্রদীপ নিভে যায় এক ফুৎকারে। তারপর ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৭, ১৯৯৮ এরপর এবার ২০০৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর, ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উপকুলীয় জেলাগুলো। এত অনেক মানুষের মৃত্যু হয় এবং বাড়ি-ঘর, জমির ফসল, গবাদিপশু ও চাষের মাছ-এর ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২২ লাখ মানুষকে টানা তিন মান ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ। গত চারশ’ বছরে ছোট বড় ৫০টির বেশী ঘুর্ণিঝড় হয়েছে।
১৯৮৫ সালের ১৮ জুনের, তথ্যমতে গত ২০০(দুইশত) বছরে (১৭৮৫ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত) বাংলাদেশে ৬৭ বার ঝড় ও জলোচ্ছাস হয়েছে।
সাইক্লোন, হারিকেন, টাইফুন বাংলাদেশে কখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মারা গেছে তার বর্ণনা ঃ
সন লোকসংখ্যা
১৮৭৬ ২,০০,০০০
১৮৮২ ৪০,০০০
১৮৯৭ ১,৭৫,০০০
১৯৬০ ৫,১৯৬
১৯৬১ ১১,৪৬৮
১৯৬৩ ১১,৫২০
১৯৬৫ ১৯,২৭৯
১৯৭০ ২০,০০,০০০(১২ নভেম্বর)
১৯৫৪ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে প্রলংকারী বন্যাসহ বিগত ৫০ বছরে ছোটবড় মিলে ২৯টি বন্যা বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঃ
এরমধ্যে ১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৬২, ১৯৬৮, ১৯৭০, ১৯৭৪, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৭, ১৯৮৮,১৯৯৮ এবং চলতি ২০০৪ সালের বন্যা এ তেরটি বন্যা প্রলয়ংকরী।
এসব বন্যার মধ্যে ১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৮৮, ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালের বন্যাকে মহাপ্লাবন আখ্যা দেয়া হয়েছে।
১৯৮৮ সালের মহাপ্লাবনের ফলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির যে মহাপ্রলয় ঘটেছিল সেটাকে ইতিহাসবিদ এবং ধর্মবেত্তারা হযরত নুহ(আ.)-এর মহাপ্লাবনের সাথে তুলনা করেছেন।
তারপর ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালের মহাপ্লাবন। এসব বন্যাকে এখন তুলনা করা হচ্ছে স্মরণকালের পৃথিবীতে কয়েকটি ভয়াবহ বন্যার সাথে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মিসরের দুঃখ’ বলে পরিচিতি নীলনদের ওপর আসোয়ান বাঁধ নির্মাণের আগের বন্যা। ১৬৫৮ এবং ১৯১০ সালে প্যারিসের মহাপ্লাবন, ১৮৬১ এবং ১৯৬১-তে ওয়ারসোর মহাপ্লাবন, ১৫৩০ এবং ১৫৫৭ সালের রোমের মহাপ্লাবন, ১৭৮৮ সালে পর্তুগালের লিসবনের মহাপ্লাবন এবং ১৯২৪ সালে হাওয়াই-এর মহাপ্লাবন।
২০০৪ সালের ২৪ জুলাই, শনিবার রাত পর্যন্ত যেভাবে পানি বেড়েছে, যদি পানি বৃদ্ধির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে ১৯৮৮, ১৯৯৮ এবং চলতি ২০০৪ সালের বন্যাকে গণচীনের ‘হোয়াংহো নদীর বন্যা’ রুপে আখ্যায়িত করা যাবে।
এমন একটি পরিস্থিতিতে পথ রয়েছে ৪টি। এগুলো হল ঃ (১) বাহাদুরাবাদে ব্রহ্মপুত্র বাঁধ। (২) হার্ডিজ ব্রিজে গঙ্গা বাঁধ। (৩) ভৈরব বাজারে মেঘনা বাঁধ ও (৪) নেপালে ৭টি জলাধার। এগুলোর মধ্যে নেপালে জলাধার নির্মাণের প্রস্তাব ভারত নাচক করে দিয়েছে। ফলে অবশিষ্ট রইল ৩টি বাঁধ নির্মাণ।
অব্যাহত ভাঙ্গনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত মারাত্মকভাবে বিপন্ন।
১৯৬৩ সালের ২৯ মে, ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকায় ২২ সহস্রাধিক লোক মারা যায়।
১৯৬৫ সালের ১২ মে, বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়ে ১৭ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৬৫ সালের ২ জুন, বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়ে ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, দেশে ১৩৭ মাইল বেগে সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচছাস হয়েছিল। তাতে ১০ লক্ষাধিক লোক মারা গিয়েছিল।
১৯৮৮ সালের ৫ আগষ্টের সংবাদ ঃ বাংলাদেশে বছরে নদীভাঙ্গনে প্রতিবছর ১০ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
১৯৮৮ সালের ২১ নভেম্বর (রয়টার) ঃ সিডনীর ভাষ্যানুযায়ী-বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের শতকরা ২৭ ভাগ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে যাবে।
১৯৮৮ সালের ২১ নভেম্বর (রয়টার) ঃ সিডনী’র ভাষ্যানুযায়ী-২০৩০ সালের মধ্যে প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের ছোট দ্বীপগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
১৯৮৮ সালের ২৯ নভেম্বর, এ দিনে প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় ও তীব্র জলোচ্ছাসে বিধ্বস্থ হয়েছিল দক্ষিণের জনপদ এবং দক্ষিণাঞ্চালের কয়েক লাখ মানুষের দুঃসহ স্মৃতি আর দুঃস্বপ্নের দিন।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার), দিন সংঘটিত প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় ও সর্বনাশা গোর্কির ছোবলে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও ভোলার সমুদ্র উপকুল, চর ও দ্বীপাঞ্চলে জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। প্রায় ২ লাখ নর-নারী-শিশু-বৃদ্ধ উপকুলবাসী অসহায়ভাবে মারা যায়। রাত ১১টা থেকে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় বইতে থাকে।
১৯৯৬ সালের ১৩ নভেম্বরের হিসেব-১৫৮৪ সাল হ’তে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ভোলা জেলায় ঝড় ও জলোচ্ছাসে প্রায় ৬(ছয়) লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।
১৯৯৮ সালের ৬ নভেম্বরের তথ্য-ষ্টিয়ারিং কমিটির অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠক ঃ প্রায় ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা সমন্বিত বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের কাজ চল্তি মওসুমে শুরু হবে। এ কাজ ০১-১১-২০০৮ সালেও হয়নি। এ কাজ ১১-১০-২০১১ সালেও শুরু হয়নি।
১৯৯৮ সালের ১৭ নভেম্বর, ইউ.এন.ডি.পি.’র মূল্যায়ন-বণ্যায় ক্ষতির পরিমাণ ১০(দশ) হাজার কোটি টাকা;প্রাপ্ত সাহায্য পাওয়ার পরও ঘাটতির পরিমাণ ২(দুই) হাজার কোটি টাকা।
২০০০ সালের হিসেবমতে-বাংলাদেশে ২৩০টি নদী ও ১৩ লক্ষ ১ হাজার পুকুর আছে ।
২৮-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে ২৪(চব্বিশ) হাজার কিলোমিটার নদী পথ আছে, এরমধ্যে ৬(ছয়) হাজার কিলোমিটার নদী পথ ব্যবহার হয়।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল, প্রলয়ঙ্কুরী ঘুর্নিঝড় ও জলোচ্ছাসে দেশের দক্ষিণের অনেক লোক মারা গেছেন।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ নদীভাঙ্গনে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১০ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ২০০৩ সালের রির্পোটঃ এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১(এক) কোটি লোক নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
২০০৩ সালের ৯ মার্চের খবর ঃ বাংলাদেশে ২৩০টি নদী আছে। এরমধ্যে ৮০টি নদীর মরণদশা, কারণ নদীর পলি খননের পরিকল্পনা বারবার ফাইলবন্দী হচ্ছে। (১) রাজশাহী বিভাগে-৩০টি নদী, (২) খুলনা বিভাগে-২০টি নদী, (৩) ঢাকা বিভাগে-২০টি নদী এবং (৪) সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে-১০টি নদী, মোট ৮০টি নদ-নদীর মৃত্যু দশায় পড়ে বিলুপ্ত হতে চলেছে। বাংলাদেশের ২৩০টি নদীর সাথে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী মিলেছে।
২০০৪ সালের ৩০ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বলেছেন, বাংলাদেশের বন্যায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।
২০০৪ সালের ৩১ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকা-সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ চুক্তি ভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কঠোর অবস্থান নেবে। ভারতের অসহযোগিতায় প্রতি বছর দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীকরণ চুক্তি থাকলেও ভারত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করছে না।
২০০৪ সালের ৩ আগষ্ট, সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত সারাদেশে কমপক্ষে ৭ লাখ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে এফবিসিসিআই নের্তৃবৃন্দ উল্লেখ করেছেন। এরমধ্যে ৫ হাজার শিল্প আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পেরে রুগ্ন হয়ে পড়বে।
২০০৪ সালের ৪ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বন্যায় ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব ৪২ হাজার কোটি টাকা। সরকার-দাতাদের বৈঠক ঃ আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন।
২০০৪ সালের ৮ আগষ্ট, ড. আবদুস সাত্তার সাবেক পূর্ব-পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর একজন পরিচালক ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা নিয়ে তিনি একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার নিবন্ধে তিনি প্রমাণ করেন যে, ১৭৭৩ সালের পর থেকেই বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চলে বন্যার ব্যাপকতা বাড়তে থাকে। মেজর রেনেলের ম্যাপ থেকে তিনি সূত্র গ্রহণ করে প্রমাণ করেন যে, উল্লেখিত সময় পর্যন্ত পদ্মা ও যমুনা সম্পূর্ণ পৃথকভাবে প্রবাহিত হতো। আর এ কারণেই বন্যার কোন সুযোগ ছিল না। একটি ভূমিকম্পের কারণে গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা ও যমুনা মিলে যাওয়ার ফলেই নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হলে গোটা পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়ে যায়।
২০০৪ সালের ১৩ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ইনকিলাব ঃ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র নির্বাহী পরিচালক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন-সিপিডির রিপোর্ট ঃ বন্যায় ক্ষতি ১১,৪১৮ কোটি টাকা। এনজির কার্যক্রম দেরিতে শুরু ঃ বিপর্যয় কাটানোর মত সম্পদ আমাদের আছে। বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসঙ্গের ১,২৬০ কোটি টাকা জরুরী সহায়তার আবেদন-সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়া বন্যা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ১৯৮৫ সাল থেকে গত দু’দশকে বন্যা, টর্নেডো, সাইক্লোন, কালবৈশাখী ঝড়, নদী ভাঙ্গনের মতো আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ১ কোটি মানুষ গৃহহীন। উজানে ভারতের পানি প্রত্যাহারে নতুন হুমকির মুখে বাংলাদেশ।
২০০৭ সালের ২৪ মার্চ, মাসুদুজ্জামান রবিন ঃ ঢাকার চারপাশে ৪ নদী এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাষ্টবিন। বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার তলদেশে ৬ ফুট পলিথিন ময়লা আবর্জনা ঃ এ পানিই পরিশোধন করে খাচ্ছে রাজধানীবাসী।
২০০৭ সালের ২৬ জুলাই, ১৭৬২ সালে এ এলাকায় প্রথম সংঘটিত সুনামিতে অনেক দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যায়। *অশনি সঙ্কেত ঃ উত্তর আন্দামান থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত সিসমিক গ্যাস। *সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আশপাশে ৫শ’র মতো মৃদু ও মাঝারি ভূমিকম্প হয়েছে।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর, ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ উপকুলীয় জেলাগুলো। এতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয় এবং বাড়ি-ঘর, জমির ফসল, গবাদিপশু ও চাষের মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২২ লাখ মানুষকে টানা তিন মাস ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ।
২০০৭ সালের ২৬ নভেম্বর, আরিফুর রহমান, পটুয়াখালী থেকে-দুর্যোগ-ঝুঁকিতে থাকা ৫০ লাখ মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র নেই। প্রয়োজন চার হাজার। আছে দুই হাজার। নতুন ৫০০শত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের।
২০০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালে উপদেষ্টা এম. এ. মতিন ঃ বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ৮৫ লাখ মানুষ ঘুর্ণিঝড় সিডরে আক্তান্ত হয়েছে, মারা গেছে ৩,৩০০ জন এবং ঘুর্ণিঝড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি।
২০০৭ সালের ৪ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ উপকুলে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে লাগবে ৭ হাজার কোটি টাকা। দাতা সংস্থার প্রধান ও কুটনীতিকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি সহযোগিতার আহবান।
২০০৭ সালের ৫ ডিসেম্বর, নিউইয়র্ক প্রতিনিধি ঃ জাতিষংঘের প্রতিবেদন-সিডরের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি প্রাথমিক ধারণাকে ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে ৮৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধবংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আট লাখ ৮৫ হাজার বাড়িঘর। এ ছাড়া ১২ লাখ গবাদিপশু মারা গেছে। বিন্ষ্ট হয়েছে বিশ লাখ একর জমির ফসল।
২০০৮ সালের ১৫ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক-আলোচনা সভায় বক্তাদের অভিমত। বুড়িগঙ্গা বাঁচলে ঢাকা শহর বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে।
২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবর, ঘূর্ণিঝড় ‘রেশমির’র আঘাতে বিপর্যস্থ উপকুল। উপকুলের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, ঘর ও দেয়ালচাপায় মারা গেছে সাতজন, ভেসে গেছে ঘেরের মাছ।
২০০৯ সালের ২৬ মে, প্রথম আলো ঃ “আইলা” মানে ডলফিন। আইলার ছোবলে বিধ্বস্ত উপকুল। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আড়তপট্টি এলাকার লোকজন সরে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে। লোকালয় লন্ডভন্ড, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, নিহত-২০, শতাধিক নিখোঁজ।
২০০৯ সালের ২৭ মে, প্রথম আলোঃ আইলার ভয়াবহতা স্পষ্ট হচ্ছে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৯ জন।
২০১০ সালের ২৭ মে, প্রথম আলো ঃ ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার মানচিত্র থেকে পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে গত ১৫ বছরে হারিয়ে গেছে ৫৬ গ্রাম। ১৯৮৩ সালের ১ আগষ্ট স্থাপিত এ উপজেলার মোট জমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৩২৩ হেক্টর। গত ১৫ বছরে এ উপজেলার চার হাজার ২৫৫ হেক্টর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ৫৬ গ্রামের আট হাজার ২৭২টি পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এখন ছিন্নমূল। তারা আশ্রয় নিয়েছে বেড়িবাঁধ ও পাকা সড়কে।
১৫৮৫ সালের ১০ মার্চ, সম্রাট আকবরের ফরমান জারি। আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলি সন প্রবর্তিত হয়। এই সনই বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন।
১৫৮৫ সালে সামন্ত রাজা নবরঙ্গ রায় এই মন্দিরে প্রথম শুরু করেন রথরাত্রা। কিংবদন্তিতে আছে, উড়িষ্যার জগন্নাথ, বঙ্গের গোপীনাথ। প্রাচীন বাংলার সর্ববৃহৎ রথযাত্রা ছিল গোপীনাথের রথযাত্রা। কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলায় ভোগবেতাল গ্রামে অবস্থিত জেলার অন্যতম প্রতœসম্পদ ঈশা খাঁ ও রাজা নবরঙ্গের ঐতিহাসিক হিন্দু ধর্মীয় তীর্থস্থান শ্রীশ্রী গোপীনাথ মন্দির। প্রতি বছর ২৪ জুন থেকে প্রথম রথযাত্রা এবং ২ জুলাই উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এককালে রথযাত্রা উপলক্ষে বসত ১৫ দিনব্যাপী মেলা। গোপীনাথের রথযাত্রার আদি কথা।
২০০৪ সালের ১৯ জুন, হিন্দু স¤প্রদায়ের ঐতিহাসিক রথযাত্রা শুরু হয় এবং আগামী ২৭ জুন, অনুষ্ঠিত হবে উল্টো রথযাত্রা। প্রতি বছর ১৯ জুন, রথযাত্রা শুরু হয় এবং উল্টো রথযাত্রা শেষ হয় ২৭ জুন।
১৫৯৯ সালে বারো ভূইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁনের ইন্তেকাল। নেতাসহ বারভূঁইয়া সংখ্যায় ছিল ১৩ জন। বাংলার বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ঈশা খাঁন। দেওয়ান আমিন দাদ খাঁ, মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ১৪তম প্রজন্ম এখনো বেঁচে আছে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার জঙ্গলবাড়িতে। দেওয়ান আমিন দাদ খাঁ (৮৫ বছর) এখনো বাস করে জঙ্গলবাড়িতে। তাঁরা যে ঈশা খাঁর বংশধর-যুদ্ধই তো তাদের আমৃত্যু অবলম্বন। জঙ্গলবাড়ি মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে পরিচিত। (প্রথম আলো ১৪-০৬-২০০৯ সালের)।
১৬০১ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে তাদের ব্যবসা চালাতে আসার পর ১৬১৫ সালে কর আদায় ব্যবস্থাপনার গোড়া পত্তন ঘটে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর আদায় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু করে সর্বপ্রথম বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) গোয়া ও চট্টগ্রামে। ১৭৮৭ সালে রেভিনিউ বোর্ড অব ইন্ডিয়ারপ্রথম প্রেসিডেন্ট জন শোয়েবের ছবি। ১৭৮০ সালে তিনি ছিলেন ‘ঢাকার রেভিনিউ কমিশনার। পরে তিনি ১৭৯৩ থেকে ১৭৯৭ সাল পর্যন্ত ভারতের গবর্নর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ৪০০শ বছরের কর আদায়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত অফিস সামগ্রী। (০৫-০৫-২০১৪ তারিখে দেনিক জনকন্ঠ পত্রিকার রির্পোট-চট্টগ্রামে উপমহাদেশের আর্কাইভের যাত্রা শুরু।)
১৬০১ সালে রাজা আর্যাবরের ছেলে রাজা ভগবান (গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নে ঐতিহাসিক মীরের বাগানের স্মৃতি জড়িত ভবনগুলো) যখন বর্ধন কুঠির নিকটবর্তী রামপুরে বাসুদেব মন্দির নির্মাণ করেণ তখন মহারাজা মানসিংহ বাংলার সুবাদার ছিলেন। ১৬০৯ সালে রাজা ভগবানের সময়েই সুবাদার ইসলাম খান মানসিংহের স্থলাভিষিক্ত হন।
১৬০৫-১৬২৭ খ্রিষ্টাব্দ মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে জনৈক নীলাম্বর ‘রাজা’ উপাধি লাভ করার পর সেটি পুঠিয়া রাজবাড়িরূপে পরিচিতি লাভ করে। ১৭৪৪ সালে জমিদারি ভাগ হয়। ১৮২৩ সালে রানি ভুবন মোহিনী দেবী পুঠিয়া রাজবাড়ি এলাকায় ঢোকার মুখেই একটা দিঘির পাড়ে উঁচু বেদির ওপর শিব মন্দিরটি নির্মাণ করেন। রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার পুঠিয়া রাজবাড়িটি ১৮৯৫ সালে রানি হেমন্তকুমারী দেবী তাঁর শাশুড়ি মহারানি শরৎসুন্দরী দেবীর সম্মানে নির্মাণ করেন। পুঠিয়া রাজবাড়িটি একটি দোতালা বিল্ডিং। এ দেশে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা ছিল।
১৬১০ সালের ৩১ জুলাই, ঢাকার নবনিযুক্ত সুবাদার শেখ আলাউদ্দিন ইসলাম খাঁন চিশতি কর্তৃক সোনারগাঁ থেকে বাংলা সুবার রাজধানী বর্তমান ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। এখন থেকে এর নাম হবে জাহাঙ্গীরনগর।
১৬১০ সালে ইসলাম খাঁন কর্তৃক রাজমহল থেকে ঢাকায় মোঘল রাজধানী ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু। শাহবাগ এলাকার গোড়াপত্তন হয় মোঘল শাসনামলে। তখন ঢাকা ছিল সুবা বাণিজ্যের কেন্দ্র। শাহবাগের আদি নাম ছিল বাগ-ই-বাদশাহী। এর অর্থ বাংলা রাজার বাগান। এটি ছিল বাগানবাড়ি। এরপর মোগল আমলের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে এলাকাটিও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে নবাব আবদুল গনি আবারও এই এলাকার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনেন। সেটা ১৮৬৮ সালের কথা। তখন নবাব আবদুল গনি জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব দেন পুত্র খাজা আহসানউল্লাহকে। অন্যদিকে, আবদুল গনি অবসর কাটানোর জন্য একটি বাগানবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেন। ১৮৭০ সালের দিকে তিনি বর্তমান কলাভবন এলাকাটি কেনেন। পরে ১৮৭৬-৭৭ সালে এর উত্তরাংশও কেনা হয়। ১৮৭৩ সালে শাহবাগ বাগানবাড়ির নির্মাণকাজ শুরু হয়। মোগল নাম বাগ-ই-বাদশাহী নামের সঙ্গে মিলিয়ে এবার নামকরণ করা হয় ‘শাহবাগ’। এখানকার ‘ইশরাত মঞ্জিল’ নামে দ্বিতল ভবনটি ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ইশরাত মঞ্জিল পুননির্মাণ করে পরে হোটেল শাহবাগ করা হয়, যা ঢাকার প্রথম প্রধান আন্তর্জাতিক হোটেল। বর্তমানে এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা অধিগৃহীত। শাহবাগে সে সময় একটি চিড়িয়াখানাও নির্মিত হয়েছিল। উনিশ শতকের শেষ ভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগজুড়েই শাহবাগ ছিল ঢাকার উচ্চপর্যায়ের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উৎসভূমি। এখানে ব্রিটিশ শাসকদের সংবর্ধনা দেওয়া হতো। এরপর ১৯১৫ সালে নবাব সলিমুল্লাহর মৃত্যুর পর শাহবাগের জৌলুস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এই এলাকাকে ঘিরে জাতীয় ইতিহাসের অনেক রাজনৈতিক আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে। ১৯০৬ সালে এখানে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক মুসলমান শিক্ষা সমিতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বছরই নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সমিতির অধিবেশনে মুসলিম লিগের জন্ম হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে এই অষ্ণলে আন্দোলন প্রকম্পিত হয়েছিল। শাহবাগের কাছে রমনার ময়দান থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশেকে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। আর এখানেই পাকিস্তানি সেনবাহিনী বাংলাদেশ স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মসর্মপণ করে। তখন থেকেই এই এলাকা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায়ের পর এই শাহবাগেই শুরু হয় এক গণজাগরণ। ¯েøাগানে ¯েøাগানে মুখরিত মুখরিত হয় পুরো শাহবাগ এলাকা। আন্দোলনে অংশ নিতে আসা দেশের সব বয়সী জনগণের কন্ঠে একটাই দাবি, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই। প্রতিবাদের মিছিল শাহবাগেই থেমে থাকেনি, এর স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে দেশের সব জনগণের মধ্যে। ১৯০৪ সালের শাহবাগ ছিল হরিনের বাস এবং ফ্রিটজ কাপের তোলা ছবি। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি থেকে নতুন এই শাহবাগকে এখন অনেকে ডাকছে ‘প্রজন্ম চত্বর’ বলে। অন্য আলো প্রতিবেদক।
১৬২০ সালে মগ রাজাদের বন্ধী করা হয়েছিল। এরা আরাকানী, এদেরই নামানুসারে ঢাকার মগবাজারের নামকরণ করা হয়।
১৬২৮ সালে টাঙ্গাইল এলাকার বিবির মসজিদটি নির্মাণ করেন রাজা বলরামের কন্যা।
১৬৫৩ সালে ডাচরা কাশিমবাজারে ব্যবসা শুরু করে এবং কালক্রমে সারা বাংলায় বিস্তার লাভ করে।
১৬৫৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘরে ১(এক) গম্ভুজ মসজিদ তৈরী হয়। ঐতিহাসিকদের মতে ভাদুঘরের ১(এক) গম্ভুজ মসজিদটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রথম মসজিদ।
১৬৫৯ সালে শাহ সূজা যখন বাংলার সুবেদার ছিলেন, তিনি মাদারী বোরহানা তরিকার ফকীরদের একটি সনদ প্রদান করেন।
১৬৬০ সালে ব্যবসার প্রসারের জন্য ডাচ গভর্নর ম্যাথু ভ্যান ডেন ব্রæক বাংলা ও তৎসংলগ্ন এলাকার মানচিত্র তৈরি করেন। এটি এখনো এ এলাকার অন্যতম প্রচীন মানচিত্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
১৬৬০ সালে বাঙলার ভূমি ও নদনদীর নক্শা দ্বিতীয় বলে খ্যাত তৈরী করেন ফন্ ডেন ব্রোক-কৃত।
১৬৬০ সালে সুবেদার মীর জুমলা ঢাকা নগর রক্ষার জন্য এবং মগ ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের দমন করার জন্য মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর কেল্লা নির্মাণ করেন।
১৬৬১-৬৩ সালে মীর জুমলা বাংলার সুবেদার নিযুক্ত।
১৬৬৩ সালে শায়েস্তা খাঁ বাংলার সুবেদার নিযুক্ত।
১৬৬৪ সালে ফরাসী ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী গঠিত হয় এবং বাংলায় আসে ফরাসীরা ১৬৬৮ সালে।
১৬৬৫ সালের ২৭ জানুয়ারি, শায়েস্তা খানের পুত্র উমেদ খান কর্তৃক চট্টগ্রাম বিজয়। ২(দুই) হাজার মগসেনা বন্দী। চট্টগ্রাম বঙ্গদেশের চুড়ান্ত অন্তর্ভুক্তি।
১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৩১৯টি, ইউনিয়ন-১৯৭টি।
১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খান দখল করেন ‘‘চট্টগ্রাম’’। সায়েস্তা খানের আমলে এক টাকায় আট মন চাল পাওয়া যেত।
১৬৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার হাটখলা ৩(তিন) গম্ভুজ পুরাণ মসজিদ তৈরী করেন। ঐতিহাসিকদের মতে সরাইল উপজেলার হাটখলা ৩(তিন) গম্ভুজ পুরাণ মসজিদটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দ্বিতীয় মসজিদ।
১৬৭৮ সালে ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং মাঝে কাজ বন্ধ ছিল আবার ১৬৮০ সালে নির্মাণ কাজ শুরু।
১৬৮৬ সালে ইংরেজদের প্রথমবারের মত বাংলা আক্রমণ।
১৭০২ সালে শাহী (বড়) মসজিদটি বাদশাহ আওরঙ্গজেবের শাসনামলে স্থানীয় প্রশাসক আবদুল্লাহ কর্তৃক চাঁদপুর জেলার আলীপুরের শাহী আলমগীরি মসজিদ বা জুমা মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
১৭০৪ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, অবিভক্ত বাংলায় পুলিশী ব্যবস্থার প্রচলন হয়।
১৭০৭ সালে মুর্শিদকুলি খান কর্তৃক বাংলাকে স্বাধীন ঘোষণা।
১৭০৭-৮ সালের ১১২২ হিজরী ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চাঁদগাজী ভূঁঞা মসজিদটি ৩০০ বছরের পুরনো।
১৭২৭ সালে মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পর তাঁর জামাতা সুজাউদ্দিন খাঁন বাংলার নবাব মনোনীত।
১৭৪০ সালে সরফরাজ খাঁনকে হত্যা করে আলীবর্দী খান বঙ্গ বিহার ও উড়িষ্যার নবাবী লাভ করেন।
১৭৪৮-৬০ সাল পর্যন্ত বাংলা শমসের গাজী দেশের পূর্বাঞ্চলে ত্রিপুরার রৌশনাবাদ এলাকার স্বাধীন নরপতি ছিলেন।
১৭৫২ সালে আলীবর্দী খাঁন কর্তৃক বাংলার শাসনকার্য চালানোর জন্য সিরাজ-উদ-দৌলাকে উত্তরাধিকারী নিযুক্ত।
১৭৫৬ সালে সিরাজ-উদ-দৌলা ২৯ বছর বয়সে বাংলার মসনদে আরোহণ।
১৭৫৭ সালের ২০ ডিসেম্বর, রবার্ট ক্লাইভ বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হতো-মক্তব, মাদ্রাসা, টোল ও রাজদরবারকে কেন্দ্র করে। মধ্যযুগে মুসলমানদের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ‘‘মক্তব’’। আরবি, ফারসি ও ইসলাম ধর্মের উচ্চতর শিক্ষা হতো ‘‘মাদ্রাসায়’’। ‘‘মুঘল’’ আমলে বাংলা গজল ও সুফি সাহিত্য সৃষ্টি হয়। সরকারি কাজে ফারসি ভাষা চালু করেন ‘‘টোডরমল’’।
১৭৫৮ সালে নাটোর ঃ রাণী-ভবানী কর্তৃক নির্মিত সেতু-এখন কালের সাক্ষী-রাণী-ভবানী জনসাধারণের জন্য যাতায়াতের সুবিধার জন্য নাটোর হতে বগুড়া পর্যন্ত ৩০ মাইল রাস্তা নির্মাণের নির্দেশ দেন। আড়াইশত বছরের প্রাচীন সেতু-এখন কালের সাক্ষী হিসাবে আছে।
১৭৬০ সালে চট্টগ্রাম জেলা ইস্ট-ইন্ডিয়া কো¤পানীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
১৭৬২ সালে এ এলাকায় প্রথম সংঘটিত সুনামিতে অনেক দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যায়।
১৭৬৩ কারা বাকেরগঞ্জে কোম্পানির কুঠি লুট করে একদল ফকির।
১৭৬৩ সালে ফকিররা ঢাকায় কোম্পানির ফ্যাক্টরি আক্রমণ করে।
১৭৬৪ সালের ২২ অক্টোবর, বাংলা ও বিহারে নবাবী আমলের অবসান হয় এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শুরু হয়।
১৭৬৪-৭৬ সালে বাঙলার ভূমি ও নদনদীর নক্শা তৃতীয় বলে খ্যাত তৈরী করেন মেজর রেনেল-কৃত। (জাও দ্য ব্যারোস-কৃত-১৫৫০, ফন্ ডেন ব্রোক-কৃত-১৬৬০ ও মেজর রেনেল-কৃত-১৭৬৪-৭৬ সাল) এ ৩টি মানচিত্রই বাঙলার কিন্তু ভারতবর্ষের প্রথম মানচিত্র এ ৩টিই।
১৭৬৫ সালে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা প্রথম ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে আসে।
১৭৭২ সালে ঢাকা জেলার কার্যক্রম শুরু। গ্রাম-১৮৬৩টি, ইউনিয়ন-৭৭টি।
১৭৭২ সালে রাজশাহী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৮৫৮টি, ইউনিয়ন-৭০টি।
১৭৭২ সালের ৩০ জুন, রংপুরে ফকির বিপ্লব শুরু।
১৭৭৩ সালের পর থেকেই বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চলে বন্যার ব্যাপকতা বাড়তে থাকে।
১৭৭৫ সালে সিলেট জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৩৪৯৭টি, ইউনিয়ন-১০১টি।
১৭৭৭ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার কলারোপা-বান্দুরাতে পর্তুগীজরা একটি গির্জা তৈরী করে।
১৭৮১ সালে যশোর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৮১ সালে মধুপুর জঙ্গলে মজনু শাহ আধিপত্য স্থাপন করেন।
১৭৮২ সালে ঐতিহাসিক তথ্যমতে, পলাশী যুদ্ধের ২৫ বছরের মাথায় ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম শহীদ হাদি-মাহদির চিহ্নিত কবর সংরক্ষণের উদ্যোগ। সৈয়দ হাদি ও সৈয়দ মাহদি। সিলেটে ব্রিটিশবিরোধী প্রথম যুদ্ধে শহীদ হন দুই ভাই। নগরের শাহি ঈদগাহ এলাকায় হয়েছিল সেই যুদ্ধ। আর তারা সমাহিদ হয়েছিল পাশের নয়া সড়ক এলাকায়। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী দিনটি ছিল ১০ মহরম। ইতিহাস গবেষকদের মতে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম শহীদ হিসেবে স্বীকৃত হন সৈয়দ হাদি ও সৈয়দ মাহদি। ওই সময় রবার্ট লিন্ডসে ছিলেন সিলেটের রেসিডেন্ট বা ডিস্ট্রিক কালেক্টর। লিন্ডসের সুসজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন শহরের কুমারপাড়া-সংলগ্ন ঝরনার পারের ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ পরিবারের দুই ভাই সৈয়দ হাদি ও সৈয়দ মাহদি। লিন্ডসেকে আশুরা অনুষ্ঠানের সীমানায় প্রবেশে বাধা দেন তাঁরা। আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে খোলা তরবারি হাতে অসম এক যুদ্ধ বাধে। ইংরেজ বাহিনী ধরাশায়ী হওয়ার উপক্রম হলে একপর্যায়ে তাদের পাল্টা আক্রমণ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এটিই ছিল ভারতবর্ষের স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম যুদ্ধ।
১৭৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে মাটির নবাব নূরুলউদ্দিনের নেতৃত্বে রংপুর বিদ্রোহ প্রকাশ্য রূপ নেয়। যার নায়ক কৃষক নূরুলউদ্দিন।
১৭৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে “রংপুর বিদ্রোহ’’ জোতদার ও রায়তেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৭৮৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-২৭০৯টি, ইউনিয়ন-১৪৬টি।
১৭৮৭ সালে ফকির মজনু শাহ মৃত্যুবরণ করে।
১৭৮৮ সালে তৈরি হওয়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ১৭ একর জমিতে ছিল। এখন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে ১৯৪ একরের বেশি জমিতে তৈরি হয়েছে নতুন কারাগার। এর মধ্যে ৩০ একর জমিতে বন্দীদের জন্য ভরনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। ধারণ ক্ষমতা ৪০০০ হাজার পুরুষ ও ২০০ নারী। তবে ৮ হাজারেরও বেশি পুরুষ বন্দী থাকতে পারবে এবং ২০০ নারী। ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো।
১৭৮৯ সালের ৩ জুন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় লবণ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে।
১৭৯০ সালে ব্রিটিশ ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে ত্রিপুরা জেলা (হেড কোয়াটারের নাম-কুমিল্লা), নামে যে প্রশাসনিক ইউনিট সৃষ্টি করা হয় বৃহত্তর কুমিলা ছিল তারই অংশ। ১৯৬০ সালে কুমিল্লার নামে কুমিল্লা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৩,৬৮৭টি, ইউনিয়ন-১৭৮টি। বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলার সীমানা নিয়ে এ অংশই কুমিল্লা জেলা নামে আত্মপ্রকাশ করে।
১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ, বাংলা ও বিহারে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন।
১৭৯৫ সালের ৩ মার্চ, মাত্র ৪৮৬ জন সৈন্য নিয়ে “রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন’’ পার্বত্য এলাকায় গোড়াপত্তন হয় বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর। সপ্তদশ শতকের শেষভাগে পার্বত্য এলাকা জুড়ে লুসাই বিদ্রোহ দেখা দিলে তাদের দমন করতে ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি এ বাহিনী গঠন করে। নাম পরিবর্তন করে “ফরেন্টিয়ার গার্ডস’’ ১৮৭৯ সালে। ১৮৯১ সালে সর্বপ্রথম ঢাকায় ঘাঁটি স্থাপন করে আবার-এর নামকরণ করা হয় “¯েপশাল রিজার্ভ’ বাহিনী। ১৯০৫ সালে বাংলা বিভক্ত হওয়ার সাথে সাথে এ বাহিনীর পুনঃরায় নামকরণ করা হয় “ঢাকা মিলিটারী পুলিশ বেটেলিয়ান’’। ১৮৯৭ সালে মিল ব্রাক ক্ষতিগ্রস্থ হ’লে কথিত গেরিশনটি পিলখানায় স্থানান্তরিত করা হয়। এটাই রাইফেলস বাহিনীর বর্তমান নিবাস। ১৯১২ সালে এ বাহিনীর নতুন নামকরণ হয় “বেঙ্গল মিলিটারী পুলিশ বেটালিয়ান’’। ১৯২০ সালে ‘ঢাকা মিলিটারী পুলিশ’। আবার ১৯২০ সালে নামকরণ করা হয় “বেঙ্গল বেটালিয়ন অব ইস্টার্ণ ফরেনটিয়ার রাইফেলস’’। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এ বাহিনীর নামকরণ করা হয় “ই. পি. আর’’ (ইস্টার্ণ পাকিস্তান রাইফেলস)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পুণরায় নামকরণ করা হয় ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ, এ বাহিনীর সর্বশেষ নামকরণ “বাংলাদেশ রাইফেলস’’ বা বিডিআর-এর উৎপত্তিস্থল রামগড়। ২১০-বছরে ‘রাইফেলস স্মৃতিস্তম্ভ’ স্থাপিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ৮(আট) হাজার সৈনিকের মধ্যে ৮১৭(আটশত সতের) জন সৈনিক শহীদ হন। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিল, ২০১০ পাস। এখন থেকে বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস)-এর নাম থাকবে না। মূলমন্ত্র ‘সীমান্তে নির্ভীক প্রহরা’। দাপ্তরিক কাজ ও সীমান্তে থাকা সদস্যদের জন্য আলাদা পোশাক।
১৭৯৭ সালে বরিশাল জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১১৭৫টি, ইউনিয়ন-৮৬টি।
১৮০০ সালে ফকিররা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে।
১৮০০ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম প্রোটেস্টান্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়, এর আগে পর্তুগীজ মিশনারীরা বাংলাদেশের নানাস্থানে গির্জা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৮১৬ সালে উপমহাদেশের প্রথম ভুমি জরিপ বিদ্যাপিঠ কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টেনমেন্ট-এর নিকট ময়নামতি সার্ভে স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৪ সালের দিকে স্কুলটি ময়নামতি থেকে সরিয়ে রামমালা প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠা হয়। এখন এটি একটি পুর্ণাঙ্গ জরিপ ইনস্টিটিউটে পরিনত হয়।
১৮২১ সালে নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৯৭৮টি, ইউনিয়ন-৮৩টি।
১৮২৭ সালে পাবনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৫৪০টি, ইউনিয়ন-৭২টি।
১৮২৯ সালে ‘ঢাকা বিভাগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৩৩ সালে ৩,০০০(তিন হাজার) সশস্ত্র পাগলপন্থী ও প্রজা শেরপুর শহর আক্রমণ করে।
১৮৪০ সাল পর্যন্ত পাহাড়টি ছিলো টি গার্ডেন। স্থানীয় জমিদার রায় নিতাইনন্দ বাহাদুরের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে লিজ নিয়ে এখানে গড়ে তোলা হয় ক্লাব ভবন। ১৮৭৮ সালের ২৩ আগষ্ট বৃটিশ টি প্ল্যান্টার ক্যাম্পবল চিটাগং ক্লাব লিঃ প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯০১ সালের ২৭ মার্চ চিটাগং ক্লাব রেজিস্টার্ড ক্লাব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯০৮ সালে এ ক্লাব কোম্পানী হিসেবে রেজিস্টার্ড হয়। ১৯৪৭-৪৮ সালে ক্লাবের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বৃটিশ সদস্য মিস্টার এইচ. কলেয়ার।
১৮৪০ সালে চট্টগ্রামেই সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চা-বাগান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন ঔপনিবেশিক শাসকেরা। ১৮৫৬ সালে সিলেটে তাঁরা আবিস্কার করেন চা-গাছ। ১৮৫৮ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় প্রথম-বাগান প্রতিষ্ঠা করেন ইংরেজ সাহেব হার্ডসন।
১৮৪২ সালের ২ নভেম্বর, মৌলভীবাজারের মাধবপুরেই প্রথম শুরু হয়েছিল রাসমেলা। জানা গেছে, জগৎপতি কৃঞ্চের ১২ ধরনের রস থেকেই এ রাস শব্দের উৎপত্তি। আর এ রাসের সঙ্গে মেলা যুক্ত হয়ে ‘রাসমেলা’। রাসমেলায় গোপিনী সাজের তরুণী ও গোষ্ঠলীলার সাজ।
১৮৪৭ সালে ১ম গণ-লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয় নওগাঁ জেলায় রাজা রামমোহনের নামে।
১৮৫০ সালে বগুড়া জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-২৭০৬টি, ইউনিয়ন-১০৯টি।
১৮৫১ সালে যশোর জেলা পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মুন্সীগঞ্জ মহকুমার সৃষ্টি হয়। ১৮৪৫ সালে মুন্সীগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠত হয়।
১৮৫৪ সালে মি. লয়েল বগুড়ার উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৫ সালে ডাবলু. ডাবলু. হানটার প্রকাশিত বেঙ্গল পরিসংখ্যান থেকে যশোর গণগন্থাগার সম্পর্কে মোটামোটি ধারণা পাওয়া যায়।
১৮৫৪ সালে বরিশালে পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৪ সালে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৪ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্থাপিত হয়েছিল ‘দরিদ্রবান্ধাব লাইব্রেরী’।
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন, (তারা সংগঠিত হতে থাকে এবং ১৮১১, ১৮২০ ও ১৮৩১ সালে সাঁওতালদের অভ্যুত্থান ঘটে। কিন্তু সবচেয়ে ভয়াবহ, সুসংগঠিত ও ব্যাপক বিদ্রোহটি সংঘটিত হয় ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন এবং তা দমন করতে সরকার কয়েক দফা সামরিক অভিযান পরিচালনা করে।) দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও জেলায় ঐতিহাসিক সাঁওতাল-কৃষক বিদ্রোহ হয় সিধ মারমা, কানু, চাঁদ এবং ভৈরবের নেতেৃত্বে আদিবাসী জনপদগুলিতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সৃষ্ট জমিদার, দালাল, মহাজন গোষ্ঠির অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন-মিথ্যা মামলার হয়রানীতে অতিষ্ট হয়ে কৃষকদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এ দিনে ১০ হাজার লোকের সমাবেশ বিদ্রোহ ঘোষণা করা হয় এবং আপোষহীনভাবে ২(দুই) বছর লড়াইয়ে ২৫ হাজার নেতাকর্মী অশাতরে জীবন দান করেছিল। বাংলাদেশে আজও শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।
১৮৫৫ সালের ৭ জুলাই, ব্রিটিশবিরোধী সাঁওতাল বিদ্রোহ ব্যাপকতা ও বিস্তার লাভ করে।
১৮৫৫ সালে দই ও মিষ্টিকে কেন্দ্র করে বগুড়ার শেরপুরে দুধের বাজার গড়ে উঠেছিল।
১৮৫৬ সালে সিলেটে প্রথম চা-গাছ আবিস্কৃত হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫৮টি চা-বাগান আছে এরমধ্যে সিলেটে ১৩৪টি, বাকী ৩৪টি চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাতে। ২০০৮ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, দেশে সর্বমোট ১৫৮টি চা বাগান আছে এরমধ্যে ১৩০টি সিলেটে।
১৮৫৭ সালের ১৮ নভেম্বর, হাবিলদার রজব আলীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে ৩৪-দেশীয় পদাতিক বাহিনীর বিদ্রোহ।
১৮৫৮ সালে চট্টগ্রামে সিপাহীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৮৫৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম নাটক ‘শমিষ্ঠা’ প্রথম অভিনত হয়।
১৮৫৯ সালে জমিদার তারাপ্রসাদ রায় মৃত্যুবরণ করলে তাঁর চিতাস্থলে প্রায় ১৫০ বছর আগে ১২০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট বিক্রমপুরের মাইজপাড়ার মঠটি তৈরি করা হয়।
১৮৬০ সালের আইন দিয়ে সমাজসেভার নামে ব্যবসা বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ। ১৫০ বছরের পুরোনো সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ যুগোপযোগী ও সংশোধন হয়ে নতুন আইন হবে সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাক্ট, ২০১০।
১৮৬০ সালে নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
১৮৬১ সালে উপমহাদেশে লর্ড ক্যানিং কর্তৃক পুলিশ ব্যবস্থা চালু হয়।
১৮৬১ সালের ব্রিটিশ শাসক কর্তৃক প্রণীত পুলিশ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত হচ্ছে।
১৮৬৩ সালে কুস্টিয়া জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৯৭৮টি, ইউনিয়ন-৬৬টি।
১৮৬৪ সালে বাকল্যান্ড বাঁধ দেয়া হয় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর।
১৮৬৫ সালে রাজশাহী কালেকটোরেট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাতে অনেক বড় সংগ্রহশালা ছিল।
১৮৭০ সালে তৎকালীন আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের বৃহত্তম কারখানাটি সৈয়দপুরে গড়ে ওঠে।
১৮৭১ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি থেকে ঢাকার নারিন্দাস্থ মশুরীখোলার শাহ সাহেব শাহ আহসান উল্লাহ (র.)’র ওরশ শরীফ শুরু হয়েছিল (১৬-০২-২০০৬ তারিখ ১৩৬তম ওরশ শরীফ)।
১৮৭১-৭২ সালে বঙ্গদেশে প্রথম লোকগণনা হয় এবং এই লোকগণনার ফলে দেখা যায় বঙ্গদেশের পাঁচটি বিভাগের মধ্যে রাজশাহি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে মুসলমানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বর্ধমান ও পেসিডেন্সি বিভাগে হিন্দুদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্তে¡ও বঙ্গদেশের অধিবাসীদের ৪৮% মুসলমান।
১৮৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি, বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল গঠিত হয়।
১৮৭২ সালে চট্টগ্রামে নির্মিত বেঙ্গল রেলওয়ের কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭২ সালে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতœতাত্তি¡ক স্থানগুলো জরিপ করা শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। সোনারগাঁয়েও চালানো হয় এ জরিপ। এ সময় সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন প্রতœতাত্তি¡ক স্থানের আলোকচিত্রও তোলা হয়। পরে এটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া কালেকশন ঃ ইন্ডিয়া অফিস সিরিজ নামে প্রকাশিত হয়। সোনারগাঁয়ের এ ছবিগুলো বেশির ভাগই তুলেছেন আলোকচিত্রী ডবিøউ ব্রেন্যান্ড।
১৮৭৪ সালে আসামকে বাংলা প্রেসিডেন্সি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
১৮৭৬ সালের ১ অক্টোবর, পাবনা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর, অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন অবশেষে বাতিল ও রহিতকরণ বিল জাতীয় সংসদের ৩১-০১-২০০১ তারিখের সভায় উত্থাপিত হ’লে উহা কন্ঠভোটে পাশ হয়। অর্থাৎ বাতিল করা হয়।
১৮৭৭ সালে রংপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৪৩১টি, ইউনিয়ন-৮৩টি।
১৮৮১ সালে বাংলাদেশে চালু হয় ভুমি হস্তান্তর ও রেজিষ্ট্রেশন প্রথা।
১৮৮১ সালের পূর্বে বঙ্গ-ভারত উপমহাদেশে কোন আইনই ছিল না-সংগঠিত শিল্প আইন।
১৮৮২ সালে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১১০৬টি, ইউনিয়ন-৬৮টি।
১৮৮২ সালে বরিশালে বানারিপাড়া পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে মৃণালিনী দেবীর বিয়ে হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুর বেণীমাধব রায়চৌধুরী দেশভাগের বহু আগে থেকে কলকাতায় বসবাস করতেন। তাঁর একমাত্র ছেলে নগেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী ওরফে ফেলুবাবু জমিদারি দেখার জন্য মাঝেমধ্যে দক্ষিণডিহিতে আসতেন। ফেলুবাবুর ছেলেরা কেউ দক্ষিণডিহি আবার কেউ কলকাতায় বসবাস করতেন। ১৯৪০ সালে এ পরিবারের সবাই কলকাতা চলে যান। এর আগে ফেলুবাবু ও তাঁর স্ত্রী বাড়িসহ আশপাশের ৭ দশমিক ৮ একর জমি বাদে সমুদয় সম্পত্তি দক্ষিণডিহির আরেক জমিদার বিজনকৃঞ্চ দাসকে বন্তোবস্ত দেন। ১৯৬৫ সালে বিজনকৃঞ্চ দাস দেশত্যাগ করেন। বাড়িটি বেদখল হয়ে যায়। প্রশাসন ১৯৯৫ সালে বাড়িটি উদ্ধার করে। খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি গ্রামে রবীন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি। রবীন্দ্র-মৃণালিনীর স্মৃতিধন্য ভবন। (২৭-০১-২০১৫ তারিখ)।
১৮৮৪ সালে গঠিত হয় বন বিভাগ। অতি সামান্য পরিবর্তন সংস্কার করে মূলত ব্রিটিশ শাসনামলে গৃহীত আইনকানুন দ্বারা পরিচালিত হয়।
১৮৮৫ সালে চট্টগ্রামে গণ-লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৫ সালে কুমিল্লা পাবলিক লাইব্রেরি এবং টাউন হল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথটি চালু হয়। এবং ২,৮৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রেলপথ আছে-২০১০ সালের সমীক্ষা। ২০-১১-২০১২ তারিখ পর্যন্ত ৪৮টি ট্রেন চলে বাংলাদেশে।
১৮৮৭ সালে নাটোর ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল, থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপ নেয়। ১৮৮৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল, ইনকিলাব ঃ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের ব্যস্থ পোতাশ্রয়ের একটি দৃশ্য-চট্টগ্রাম সমুদ্র গতিশীল হয়ে উঠছে। আজ ১১৭ বছর পূর্তিতে ব্যাপক উদ্দীপনা। খ্রিষ্টপূর্ব ৪ সালে চট্টগ্রামে নিরাপদ পোতাশ্রয়ের গোড়াপত্তন হলেও কালক্রমে বিশেষ করে ৯শ’ থেকে ১৫শ’ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দুনিয়াজোড়া পরিচিতি পায়।
১৮৮৯ সালে জমিদার রামরতন ব্যানার্জি ৫২ বিঘা জমির উপর শীতলক্ষ্যা পাড়ের শতকক্ষের মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ীটি নির্মাণ করেন। ১৮৯৯ সালে তার বড় ছেলে বিজয় চন্দ্র ব্যানার্জি বাড়ীটির পরিধি আরো বর্ধিত করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯০৯ সালে বিজয় চন্দ্র ব্যানার্জির ছোট ভাই জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জি জমিদারের দায়িত্ব পাবার পর বাড়ীর সীমানা আরো বৃদ্ধি করে ১০০ একরে পরিণত করেন। ১৯৪৭ সালে জমিদার জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জি সপরিবারে কলকাতা চলে গেলে তৎকালীন সরকারের দখলে চলে যায় বাড়ীটি। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন সরকার বাড়ীটিতে হাসপাতাল স্থাপন করে। ১৯৬৬ সালে এখানে হাই স্কুল ও কলেজ স্থাপিত হয়। এ দোতালা জমিদার বাড়ীটিতে রয়েছে ৯৫টি কক্ষ।
১৮৯০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার উজানচর বাজারটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯০ সালে পাবনায় অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরী স্থাপিত হয়।
১৮৯১ সালে নীলফামারি পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬১ সালে আইয়ূব খান পূর্ব-পাকিস্তান সফর করেন; তখন যদিও রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ছিল তবুও ঐ বছরের শেষ দিকে পূর্ব-পাকিস্তানে সর্বপ্রথম সামরিক আইন বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।
১৯৬১ সালের ১৮ আগষ্ট, ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে ৩-কিলোমিটার দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে প্রায় ১২৩০ একর জমি জুড়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে সার কারখানা স্থাপিত হয়।
১৯৬২ সালের ৩১ জানুয়ারি, করাচিতে আকস্মিকভাবে সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৬২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, শেখ মুজিবুর রহমান আগরতলা গিয়েছিলেন এবং আগরতলা একদিন ছিলেন তার পরের দিন ১৯৬২ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আবার কেউ কেউ বলেন ১৯৬৩ সালে আগরতলা গিয়েছিলেন তিনি এবং ১৫ দিন ছিলেন আগরতলা এবং কেউ কেউ বলেন একদিন ছিলেন আগরতলাতে। কোনটি সঠিক তা আমার জানা নেই।
১৯৬২ সালের ১ মার্চ, আইয়ূব খান তাঁর ‘মৌলিক গণতন্ত্র’ পরিকল্পিত শাসনতন্ত্র ঘোষণা করেন। এ শাসনতন্ত্রের লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিল শাসন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টের চিরস্থায়িত্ব।
১৯৬২ সালের ১ এপ্রিল, থেকে তিতাস গ্যাস উত্তোলন শুরু।
১৯৬২ সালের ২৮ এপ্রিল, আইয়ূব খান পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদের নির্বাচন ঘোষণা করেন।
১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প সির্মাণ করা হয়।
১৯৬২ সালের ৮ জুন, আইয়ূব খান নির্বাচনের কিছুদিন পর সামরিক শাসন রহিত ঘোষণা করেন।
১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বর, ছাত্ররা গণমুখী ও বিজ্ঞান ভিত্তিক গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার দাবীতে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, গণবিরোধী হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্র আন্দোলন ও হরতাল পালিত হয়।
১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, পুলিশ গুলি চালালে বাবুল, মোস্তফা, ওয়াজিউল্লাহসহ অনেকে শহীদ হন। শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের নামানুসারে ‘শরিফ কমিশনের’ বিরুদ্ধে আন্দোলনে এরা শহীন হন।
১৯৬২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ২১৫ একর জমির উপর করা হয়, ১৯৭ কোটি টাকা ব্যয়, ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি এবং প্রথম অধিবেশন বসে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ সালে।
১৯৬২ সালে ফুটবলার জহিরুল হকের হাতে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার তুলে দেয়ার মধ্যে দিয়ে যে শুরু সেরাদের স্কীকৃতি দেয়া, তা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি।
১৯৬২ সালের ১৫ ডিসেম্বর, সনদপ্রাপ্ত হিসাব নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান (সিএ ফার্ম) রহমান রহমান হকের জন্ম। ১৯৬২ সালে হিসাববিদ রেজাউর রহমান, সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও তৎকালীন পাকিস্তানের হিসাববিদ তাফসিন আই. হক এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
কিছু কথা ঃ
মহাবিশ্বের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, মহাবিশ্বের বয়স আগে যা ভাবা হতো তারচেয়ে ১০ কোটি বছর বেশি। ২০০৯ সালে মহাকাশে উৎক্ষেপিত একটি স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউরোপের একদল বিজ্ঞানী বৃহস্পতিবার(২১-০৩-২০১৩ তারিখ) এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন পর্যবেক্ষণে মহাবিশ্বের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর বলে জানা গেছে। এই গবেষণার পূর্বে মহাবিশ্বের বয়স ১৩৭০(এক হাজার তিনশত সত্তর) কোটি বছর বয়স ছিল। পৃথিবীর আনুমানিক বয়স কমপক্ষে ৪৬০(চারিশত ষাট) কোটি বছর। সুর্যের আনুমানিক বয়স ৪৬০(চারিশত ষাট) কোটি বছর। পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা তিনশত কোটি বছর আগে। বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিন নেচার-এ প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীদের এ ধারণার কথা প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি প্রায় ২০০(দুইশত) কোটি বছর আগে। জীবের সৃষ্টি প্রায় ৬০(ষাট) কোটি বছর আগে। ৩৭ কোটি বছর আগে পানিতে মাছের বিচরণ শুরু হয়। ২০(কুড়ি) কোটি বছর আগে থেকে পৃথিবীতে ডাইনোসরদের আধিপত্য চলছিল এবং পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশ একসঙ্গে আঁটা ছিল। যাকে বলে প্যানজিয়া কুড়ি কোটি বছর আগে-তার মানে সময়টা ছিল মধ্যজীবীয় অধিযুগের জুরাসিক যুগ। ১৮(আঠারো) কোটি বছর আগে প্যানজিয়ায় ভাঙ্গন ধরে। তারপরে টুকরো টুকরো অংশগুলো আলাদা হয়ে যেতে থাকে। আফ্রিকার একদিক থেকে আলাদা হয়ে যায় দক্ষিণ আমেরিকা, অন্যদিক থেকে কুমেরু। ইউরোপ থেকে আলাদা হয়ে যায় উত্তর আমেরিকা। দুই আমেরিকা আলাদা হয়ে যেতে পিছনে তৈরী হয় আটলান্টিক মহাসাগর। আর ভারতের ভূখন্ড যাত্রা শুরু করে এশিয়ার দিকে-টেথিস মহাসাগর পেরিয়ে। যেতে যেতে সামনের দিকে টেথিস মহাসাগরকে ধ্বংস করে আর পিছনের দিকে তৈরী হয় ভারত মহাসাগর। প্রায় ছয়কোটি বছর আগে ভারতের ভূখন্ড এসে এশিয়ার দক্ষিণ উপকুলে ধাক্কা মারে। তার ফলে প্রচন্ড একটা ঠেলা তৈরী হয়ে যায়। আর তারই ফলে হিমালয় পর্বতমালার সৃষ্টি এবং তার উঁচ্চতা ২৯,০৩৫ ফুট।
১৪.৭০(চৌদ্ধ কোটি সত্তর লাখ) বছর আগে এ পৃথিবীতে ডাইনোসরের মত অতিকায় প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। ডাইনোসরই ছিল পৃথিবীর প্রথম পাখি। হিমালয় হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নবীন পর্বত, ৬(ছয়) কোটি বছরও বয়স হয়নি। ১৯৭৪ সালে যে মানুষের জীবাশ্ম আবিস্কৃত হয়েছিল, ৩০(ত্রিশ) লক্ষ বছর আগে মানুষ এসেছে পৃথিবীতে, এতদিন পর্যন্ত সেটিকেই প্রাচীনতম বলে মনে করা হচ্ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের অনুমান সদ্য ২০০৪ সালে আবিস্কৃত এ প্রজাতির মানুষ দু’পায়ে সোজা হাঁটতে সক্ষম ছিল। ৩০(ত্রিশ) লক্ষ বছর আগের সে মানুষ আসলে পৃথিবীতে ৪০(চলিশ) লক্ষ বছর আগে এসেছে। বিবিসি। জীবাশ্ম বিজ্ঞানীরা ইথিওপিয়ার মনুষ্য প্রজাতির একটি অংশের কিছু হাড়ের যে অংশ আবিস্কার করেছেন তা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ বছরের পুরানো বলে অনুমান করা হচ্ছে। আজকের মানুষ প্রায় ৭৫(পঁচাত্তর) হাজার বছর আগের।
গত ৭০,০০০(সত্তর হাজার) বছর আগে পৃথিবীর জনসংখ্যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুই হাজারে নেমেছিল এবং মানব প্রজাতির অস্তিত্ব প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিল। তবে প্রস্তরযুগের পর তা আবার বাড়তে থাকে। তবে একটি নতুন জেনেটিক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল অব হিউম্যান জেনেটিকস-এ গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। জেনোগ্রাফিক প্রকল্পের পরিচালক স্পেনসার ওয়েলস বলেন, মানব প্রজাতির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো আবিস্কারে জেনেটিকবিদ্যার অসাধারণ ক্ষমতা নতুন এ গবেষণার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আবার জনসংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১২,০০০(বার হাজার) খৃষ্টপূর্বে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-১(এক) কোটি। ১০,০০০ হাজার খৃষ্টপূর্বে পৃথিবীতে কৃষি-কাজের প্রচলন শুরু হয় এবং পৃথিবীর কৃষি নির্র্ভর আদিম জীবনের যুগ অতিবাহিত হয় ১০(দশ) হাজার বছর ধরে। ১০,০০০(দশ হাজার) বছর পূর্বে সোমালিয়া, বেবীলন, ইরাক সভ্যতা আরম্ভ। ১০,০০০ হাজার বছর আগে নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার উয়ারী বটেশ্বর-এ বাংলাদেশে প্রথম মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। ২,৫০০ হাজার বছর আগের দুর্গনগরীর সন্ধান মিলেছে উয়ারী বটেশ্বরে। ৩৫০০-৪০০০ খৃষ্টপূর্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানব বসতির প্রমাণ পাওয়া গেল। শাহীনূজ্জামানের এ আবিস্কারের ফলে নব্য প্রস্তর যুগে (৩৫০০-৪০০০ বছর আগে)। চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক যুগেও মানুষ ছিল। ২৫০০ খৃষ্টপূর্বে জয়পুরহাট জেলার মহাস্থানগড়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বসতি গড়ে উঠেছিল।
৭(সাত) হাজার বছরের ইতিহাস জানি মাত্র আমরা, যখন থেকে মানুষ তার ইতিহাস লেখে। গাছের বয়স ৭(সাত) হাজার বছর। ৫(পাঁচ) হাজার বছর পূর্বে পৃথিবীর সভ্যতা আরম্ভ। মানুষ কিসের জোরে টিকল। হাতিয়ারের জোরে পশুকে বশ করল এবং পরে আগুন আবিস্কার করে মানুষ নিজে এ আবিস্কার করেছে। সভ্যতার দিকে এগিয়ে গেল মানুষ। কাঠের চাকা আবিস্কারের ৬২০০ বছর পরে স্টীম ইঞ্জিন ও সংযুক্তিযানের যুগ শুরু হয়।
১৬৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৫৫(পঁঞ্চান্ন) কোটি, ১৮০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৯০(নব্বই) কোটি, ১৮৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-১১৭(একশত সতের) কোটি, ১৯০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-১৬০ কোটি, ১৯২৭ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-২০০(দুইশত) কোটি, ১৯৬০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৩০০(তিনশত) কোটি, ১৯৭৪ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৪০০(চারিশত) কোটি, ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৫০০(পাঁচশত) কোটি, ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৬০০(ছয়শত) কোটি, ২০০৫ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা-৬৫০(ছয়শত পঁঞ্চাশ) কোটি। ২০০৬ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ৬৫৮(ছয়শত আটান্ন) কোটি। ২০০৭ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ৬৬৫.৮০(ছয়শত পঁয়ষট্টি কোটি আশি লক্ষ)। ২০০৮ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৭৩.৬০(ছয়শত তেহাত্তর কোটি ষাট লক্ষ)। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি, পৃথিবীর লোকসংখ্যা-৬৭৫,১৬,৪৩,৬০০ (ছয়শত পঁচাত্তর কোটি ষোল লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার ছয়শত) এবং ২০০৯ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮০ কোটি। ২০১০ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮৭.৮০ কোটি। ২০১১ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৯৯ কোটি, ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে-৭০৭ কোটি, ২০১২ সালে ৭১৫ কোটি মানুষ, ২০১৪ সালে ৭২৩ কোটি মানুষ এবং ২০১৫ সালে ৭৩১ কোটি মানুষ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হতে পারে প্রায়-৯৩০ কোটি। ২০৮৩ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হতে পারে ১,০০০(এক হাজার) কোটি। এবার বিশ্বে ৮(আট) কোটি লোক বাড়ছে। জনসংখ্যা বাড়লে পৃথিবীর কোন প্রকার সমস্যা হচ্ছে না। বাস্তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি বাংলাদেশের মত কিছু কিছু দেশের এক নম্বর সমস্যা। বিজ্ঞানীদের ধারণা ২১০০ সালের পর পৃথিবীর জনসংখ্যা আর বাড়বে বলে মনে হয় না।
বিশ্বে ২০০৮ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে-২১৬.৪০ কোটি টন, খাদ্যশস্য মজুদ থাকবে ৪০(চল্লিশ) কোটি টন। ২০১১ সালে বিশ্বে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে-২৩২ কোটি টন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, বর্তমান বিশ্বে ১,০০০(এক হাজার) কোটি মানুষের খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। ২০০৯ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮০(ছয়শত আশি কোটি)। ২০১০ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮৭.৮০ (ছয়শত সাতাশি কোটি আশি লাখ)। ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর, বিশ্বের জনসংখ্যা-৭২৫(সাতশত পঁচিশ) কোটি। বিশ্বের ৯০টি দেশে প্রায় ৩৭ কোটি আদিবাসী রয়েছে। বিশ্বের জনসংখ্যার এ হার সাড়ে পাঁচ শতাংশ। গ্রামে বাস করা অতিদরিদ্র ৯০ কোটি মানুষের মধ্যে আদিবাসীদের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশের বেশি। পৃথিবীতে গড়ে প্রতিবর্গ মাইলে বাস করে-১২৬ জন (পৃথিবীর আয়তন ৫,৭০,১৭,০০০ বর্গমাইল) আর বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবর্গ মাইলে বাস করে ২,৯৬৭ জন (বাংলাদেশের আয়তন ৫৭,২৯৫ বর্গমাইল) আর প্রতিবর্গ কিলোমিটারে বাস করে ১,১৫৬ জন (১,৪৭,০০০ বর্গকিলোমিটার)। গড়পড়তা একটি মানুষের খাদ্য দৈনিক ৫০০ গ্রাম ধরা যদি হয়, তাহলে বছরে খাদ্যশস্য লাগে ১৩১,৪০,০০,০০০ (একশত একত্রিশ কোটি চল্লিশ লক্ষ) টন আর বছরে খাদ্য জমা থাকার কথা ৯০,৩০,০০,০০০(নব্বই কোটি ত্রিশ লক্ষ) টন। তাহলে মানুষ না খেয়ে থাকার কথা নয় বা খাদ্য ঘাটতি নেই। উন্নত বিশ্বের জীব-জন্তু ও পশু-পাখিদের গড়পড়তা যা খাবার খাওয়ানো হয়-তৃতীয় বিশ্বের মানুষদের গড়পড়তা তা খাওয়ানো হয়নি। পৃথিবীতে খাদ্যশস্যের ঘাটতি নেই। ধনীদেশগুলো বা ধনীরা ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্যোর ঘাটতি সৃষ্টি করছে অতি মুনাফার জন্য। খাদ্যের সুষম বণ্টনব্যবস্থা করলে খাদ্য ঘাটতি থাকবে না বা কেউ না খেয়ে মরবে না। ধনীরা যেভাবে বিশ্ববাসীকে অনাহারের পথে ঠেলছে, খাদ্য থেকে জৈব জ্বালানি তৈরি করে তাদের গাড়ি চালানোর জ্বালানি জোগাবে। জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার কর্মকর্তার ভাষায় এটা ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, চীন, ব্রাজিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের সড়কে চলা গাড়িগুলো এভাবে জাতিসংঘের দেওয়া তালিকার মধ্যে সবচেয়ে খাদ্যঘাটতিতে পড়া নিম্ন আয়ের ৮২টি দেশের ঘাটতি মেটানোর পুরো শস্যই গাড়ির তেল হিসেবে পুড়িয়ে ফেলবে। দরিদ্রদের অনাহারে রাখার এর থেকে ভালো উপায় আর হয় না।
২০০৮ সালের ৪ জুলাই, বিশ্বব্যাংকের গোপন প্রতিবেদনঃ বিশ্বে খাদ্যোর মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী জৈব জ্বালানি। জৈব জ্বালানির কারণেই বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাংকের একটি গোপন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির এ হার আগে প্রচারিত হারের চেয়ে অনেক বেশি। লন্ডনের বিখ্যাত দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান গতকাল শুক্রবার প্রতিবেদনটি ফাঁস করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে ২০০২ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারির মধ্যে খাদ্যের দাম ১৪০ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিবেদনে হিসাব করে দেখানো হয়েছে, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য জ্বালানি ও সারের মূল্যবৃদ্ধি দায়ী মাত্র ১৫ ভাগ, যেখানে জৈব জ্বালানি দায়ী ৭৫ ভাগ। খাদ্য দিয়ে জৈব জ্বালানি তৈরী বন্ধ না করলে খাদ্যের মূল্য আরো বাড়তে থাকবে।
৩১-১০-২০১৩ তারিখ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ‘বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন-২০১৩’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর, বাংলাদেশের জনসংখ্যা-১৬(ষোল) কোটি। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো প্রবাসীসহ বাংলাদেশের জনসংখ্যা-১৬.৯৩(ষোল কোটি তিরানব্বই লক্ষ) মানুষ জন্মনিবন্ধনের আওতায় এসেছে। ২০৫০ সালে বেড়ে বাংলাদেশে জনসংখ্যা হবে ২০(বিশ) কোটি। কিন্তু আমার মনে ২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে প্রায়-২৪(চব্বিশ) কোটি। তখন বছরে জন্ম ও মৃত্যুর সংখ্যা সমান হবে। বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ শিশু বছরে জন্ম হয় এবং শিশুসহ বছরে মারা যান ১০ লক্ষ মানুষ। বাংলাদেশে বছরে ২০(বিশ) লক্ষ মানুষ বাড়ে। ২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল হবে। পৃথিবীর ৪৪ ভাগের ১ ভাগ লোক বাস করে বাংলাদেশে। প্রতি বছর পৃথিবীতে লোক বাড়ে ৮(আট) কোটি আর বাংলাদেশে বছরে লোক বাড়ে ২০(বিশ) লক্ষ। পৃথিবীর ৪৪ ভাগের ১ ভাগ লোক বাস করে বাংলাদেশে এবং পৃথিবীর হারে লোক বাড়লে বাংলাদেশে লোক বাড়ত বছরে ১৮(আঠার লক্ষ)। পৃথিবীর ২৩৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ১৯৪টি এবং জাতি ২০০টি। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম স্থানে আছে আর অর্থনীতির দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছ থেকে যায়গা পেয়েছে ৯৯৫ ভাগের ১ ভাগ ৫৭,২৯৫ বর্গমাইল আর জনসংখ্যার অনুপাতে যায়গা পাইত ১৩,০০,০০০ লক্ষ বর্গমাইল। বুর্জোয়া বিকাশ হলেও আমাদের অর্থনীতি ৭ম স্থানে থাকার কথা ছিল। আমরা বিশ্ব নাগরিক-কথায় বলা হয় কিন্তু বাস্তবে না। বিশ্ব নাগরিক হলে বিশ্বের যা কিছু আছে-তাঁর সবকিছুরই সমান ভাগ পাওয়া যেত।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভেলানগর বড়বাড়ির মোট জনসংখ্যা হলো-২,০৯২(দুই হাজার বিরানব্বই) জন, এরমধ্যে মারা গেছেন-৬৭৫ জন আর জীবীত লোকসংখ্যা-১,৪১৭ জন (তালাকপ্রাপ্ত-৮১ ও চলে গেছেন-৮ জন স্ত্রী) মোট স্ত্রীর সংখ্যা-৮৯ জন বিয়োগ করিলে=১,৩২৮ জন এবং বিবাহিতা মেয়েরা স্বামীরবাড়িতে বাস করে-২৭৫ জন বিয়োগ করলে=১,০৫৩ জন। ভেলানগর বড়বাড়ির প্রকৃত জনসংখ্যা-১,০৫৩(এক হাজার তিপান্ন) জন। বিদেশ ও শহরে বাস করে ৪৬৭ জন এরমধ্যে বিদেশে বাস করে ১৩৩ জন এবং গ্রামে বাস করে-৫৮৬ জন। ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা-১,০৫৩(এক হাজার তিপান্ন) জন থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা হবে প্রায়-১,৩৫০(্এক হাজার তিনশত পঁঞ্চাশ) জন। ২১০০ সালে ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা বেড়ে হবে প্রায়-১,৪০০(এক হাজার চারিশত) জন। ৩১-০৩-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ভেলানগর গ্রামের জীবিত ও মৃতসহ লোকসংখ্যা-১২,৯৫০ জন, মারা গেছেন-৩,৪৯০ জন, জীবিত লোকসংখ্যা-৯,৪৬০ জন, জীবিত মেয়েরা স্বামীরবাড়িতে থাকে-১,৮৯৮ জন, প্রকৃত জনসংখ্যা-৭,৫৬২(সাত হাজার পাঁচশত বাষট্টি) জন এরমধ্যে বিদেশ ও শহরে বাস করে-৩,০৫০ জন। গ্রামে বাস করে প্রায়-৪,৫১২(চার হাজার পাঁচশত বার) জন। ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা ছিল (গ্রাম, শহর এবং বিদেশে বসবাসকারীসহ) প্রায়-৭,৫৬২(সাত হাজার পাঁচশত বাষট্টি) জন, তা’ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে হবে প্রায়-৯,০৫০ হাজার পঁঞ্চাশ জন এবং ২১০০ সালে ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে হবে-৯,৫০০(নয় হাজার পাঁচশত) জন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বাস করে প্রায়-৩,০০,৯৩০(তিন লক্ষ নয়শত ত্রিশ) জন এবং শহর ও বিদেশে বাস করে-১,৬৯,০২০(এক লক্ষ উনসত্তর হাজার বিশ) জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জনসংখ্যা হলো প্রায়-৩২(বত্রিশ) লক্ষ এরমধ্যে শহর ও বিদেশে বাস করে প্রায়-১১(এগার) লক্ষ জন। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ, বাংলাদেশের জনসংখ্যা হলো ১৬(ষোল) কোটি এরমধ্যে শহর ও বিদেশে বাস করে প্রায়-৪.৫৩(চার কোটি তিপান্ন লক্ষ) জন তারমধ্যে (৩১-০৩-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত) বিদেশে বাস করে-৯০ লক্ষ মানুষ এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ-এর হিসেব অনুযায়ী, ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা হলো-ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা-৭(সাত) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক, ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের ২৮ ভাগের ১ ভাগ লোক ভেলানগর বড়বাড়ির, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জনসংখ্যার-৫৭২(পাঁচশত বাহাত্তর) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জনসংখ্যার-৪,৯০০(চার হাজার নয়শত) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক, বাংলাদেশের জনসংখ্যার-১,৬০,৩৭৭(এক লক্ষ ৬০ হাজার তিনশত সাতাত্তর) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক এবং পৃথিবীর জনসংখ্যার-৬৭.৯২(সাষট্টি লক্ষ বিরানব্বই হাজার) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক হলো ভেলানগর বড়বাড়ির।
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের শতকরা ৩০ ভাগ লোক শহরে বসবাস করে, আগামী ২০৫০ সালে বালাদেশের শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগ লোক শহরে বসবাস করবে। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর, ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা বিদেশসহ শহরে বাস করে ৪২ ভাগ তা’ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে হবে প্রায় ৬৫ ভাগ। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ, ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা বিদেশসহ শহরে বাস করে ৩৫ ভাগ তা’ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে হবে প্রায় ৫৫ ভাগ। ১৯০১ সালের দিকে বিশ্বে শহরবাসীর সংখ্যা ছিল শতকরা ৫ ভাগ, আর ১৯৯৯ সালে বিশ্বে শহরবাসীর সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ। ২০০৮ সালে বিশ্বের ৬৭৫ কোটি লোকের মধ্যে ৪১০ কোটি লোক বা শতকরা ৬১ ভাগ লোক শহরে বাস করে। ২০২৫ সালে (বিশ্বের লোকসংখ্যা হবে-৮০০ কোটি) শহুরে বাসিন্দার সংখ্যা ৫৫০ কোটিতে গিয়ে দাড়াবে বা শতকরা ৬৯ ভাগ লোক শহরে বাস করবে। আগামী ২০৫০ সালের দিকে বিশ্বের লোকসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ শহরবাসী হবে। তখন আমি মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর) এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকবো না।
১৯-০৩-২০১০ তারিখের প্রথম আলোর রিপোর্ট ঃ আম্বানির টাওয়ার। মুকেশ আম্বানির নয়া ভবন ঘিরে কৌতহল বাড়ছে-২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল আর শেষ হয় এ কাজ ২০১০ সালে। ১০০ কোটি ডলার ব্যয়ে এ্যান্টিলিয়া নামের ভবনটি মুকেশ আম্বানি বাড়ি বানাননি, বানিয়েছেন টাওয়ার-আন্তিলা টাওয়ার। ২৭ তলা এই টাওয়ার (প্রচলিত মাপে ৬০ তলা দালানের সমান) তৈরি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের আলতামাউন্ট রোডে চার লাখ স্কয়ার ফুটের এই ভবনটি নকশা করার অনুপ্রেরণা ছিল ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান। ভবনের কোনো এক তলার সঙ্গে আরেক তলার নকশায় মিল নেই। অনুমান করা হয়, এই টাওয়ার তৈরিতে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। সে হিসেবে আন্তিলা টাওয়ারকে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল আবাসিক ভবন বলে মানা হয়। এ ১০০ কোটি ডলার দিয়ে বাংলাদেশের মত দেশে ১,১৮,৩৩৪(এক লক্ষ আঠার হাজার তিনশত চৌত্রিশ)টি পরিবারের স্বাস্থসম্মত বাসস্থান করা যেতো। বর্তমানে মুকেশ আম্বানি পৃথিবীর ৪র্থ সম্পদশালী ধনী। এখন বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি। আল্টামাউন্ট সড়কে নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল এ বাড়িটি। ‘অ্যান্টেলিয়া’ নামে এ বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮(আট) হাজার কোটি রুপি। এ বাড়িতে ২৮-১-২০১০ তারিখ নতুন বাড়িতে পা রাখবেন মুকেশ ও তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি। আর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি মনোরম দ্বীপের নামানুসারে মুকেশ তাঁর নতুন বাড়ির নাম অ্যান্টালিয়া রেখেছেন। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির মালিক ছিলেন ভারতের অপর শিল্পপতি লক্ষী মিত্তাল। ইংলান্ডের লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেনের ওই বাড়িটি তিনি কয়েক বছর আগে ৫৬০ কোটি রুপিতে কিনেছিলেন।
মানুষ রাজনৈতিক জীব। প্রত্যেক মানুষের রাজনীতি করার অধিকার আছে। বর্তমান দুনিয়ায় বিজ্ঞানের আধিপত্য কোথায় নেই। খাদ্য-শস্য, জীবন যাপনের উপকরণ, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কার, বিশ্বাস সব কিছুতেই বিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যা করার প্রবনতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানই নির্ধারণ করে কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা। বিজ্ঞান হয়ে উঠছে সভ্যতার ধারক-বাহক। অথচ যখন দেখা যায় পৃথিবীর ২০০০ সালের হিসেব অনুসারে ২২৫(দুইশত পঁচিশ) জন ধনীতম ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ হলো আয়ের দিক থেকে নিচের দিকের ৩০০(তিনশত)কোটি মানুষের বাৎসরিক আয়ের সমান, তখন প্রশ্ন জাগে বিজ্ঞানের সর্বজনীনতা কতটুকু? ২০০৬ সালের ১১ জুলাই, বিশ্বে ৬৫৮(ছয়শত আটান্ন) কোটি মানুষ বসবাস করে। ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর, পিটিআই ঃ বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ দুই শতাংশ সেরা ধনীর কাছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলসিংকি ভিত্তিক বিশ্ব উন্নয়ন অর্থনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক রিপোর্টে বলা হয়, ২০০০ সালে সেরা ধনীদের এক শতাংশের মালিকানায় বিশ্বের ৪০ শতাংশ সম্পদ ছিল। ব্যক্তিগত সম্পদের উপর ব্যাপক পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, ১০ শতাংশ সেরা ধনীর হাতে বিশ্বের ৮৫ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। তুলনামূলকভাবে বিশ্বের প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার শেষ অর্ধেকের কাছে রয়েছে বিশ্বের সম্পদের মাত্র এক শতাংশ। ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি লোকের কাছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ডলার এবং জাপানে ১ লাখ ৮১ হাজার ডলার ছিল। রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের সেরা ধনীরা বাস করেন উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং ধনী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে। ২০০৭ সালের ১০ মার্চ, ইনকিলাব ডেস্ক ঃ ভারত ও চীনে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ। ২০১৫ সালের ০৩-০৩-২০১৫ তারিখ প্রথম আলো: বিল গেটস এখনো বিশ্বের সেরা ধনী। সূত্র ঃ ফোর্বস, বিবিসি। সম্পদের মোট মূল্য ১০০(একশত) কোটি মার্কিন ডলার বা তার চেয়ে বেশি, এমন ধনীর সংখ্যা এখন ১ হাজার ৮২৬ জন। গত বছর মানে ২০১৪ সালে ছিল-১ হাজার ৬৪৫ জন। এ নিয়ে এ তালিকায় ২১ বারের মধ্যে ১৭ বারই প্রথম হন বিল গেটস। বিল গেটসই বিশ্বের সেরা ধনী। (১) ২০১৬ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিল গেটস তাঁর নিট সম্পদের পরিমাণ হচ্ছে ৭ হাজার ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার। বিল গেটস-এর দৈনিক আয় হচ্ছে-২(দুই) কোটি ডলার। (২) স্পেনের অ্যামানসিও ওর্তেগা-৬,৭০০ কোটি ডলার (৩) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬,০০৮ কোটি ডলার, (৪) মেক্সিকোর কার্লোস ¯িøম হেলু-৫,০০০ কোটি ডলার, (৫) যুক্তরাষ্ট্র জেফ বেজোস-৪,৫২০ কোটি ডলার, (৬) যুক্তরাষ্ট্র মার্ক জাকারবার্গ-এর সম্পদের পরিমাণ দাড়িয়েছে-৪,৪৬০ কোটি ডলার (৭) যুক্তরাষ্ট্র ল্যারি অ্যালিসন-৪,৩৬০ কোটি ডলার, (৮) যুক্তরাষ্ট্র মাইকেল বøুমবার্গ-৪,০০০ কোটি ডলার, (৯) যুক্তরাষ্ট্র চার্লস কোচ-৩,৯৬০ কোটি ডলার ও (১০) যুক্তরাষ্ট্র ডেভিড কোচ-৩,৯৬০ কোটি ডলার। ১৯৮৭ সালে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ছিল-৯৮ জন, তা থেকে বেড়ে ২০০০ সালে ছিল-২২৩ জন এবং ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ-বিশ্বে এখন রেকর্ড সংখ্যক-৯৪৬ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। এটা গত বছরের তুলনায় ১৫০ জন বেশী। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর তালিকায় দেখা গেছে ভারত ও চীনে শত কোটিপতি বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ২০০৮ সালের ৭ মার্চ-বিশ্বে এখন ১,১২৫ জন বিলিয়নিয়ার আছে। গত বছরের তুলনায় ১৫৯ জন বেশী। ২০০৯ সালে বিলিয়নিয়ার ছিলেন ৭৯৩ জন। ২০১০ সালে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা-১০১১ জন। ২০০৮ সালে বিল গেটসকে টপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পল ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের সেরা ধনী এবং তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬২০০ কোটি ডলার। লেবানিজ বংশদ্বূত মেস্কিকোর অভিবাসী কার্লোস ¯িøম হেলু (২য় স্থান) এবং তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬,০০০ কোটি ডলার, বিল গেটস (৩য় স্থান) এবং তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫,৮০০ কোটি ডলার, ৪র্থ স্থান দখলকারী ভারতীয় বংশদ্ভূত ল²ীনিবাস মিত্তালের সম্পদের পরিমাণ ৪,৫০০ কোটি ডলার, ভারতের মুকেশ আম্বানি(৫ম স্থান) তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪,৩০০ কোটি ডলার। ২০০৭ সালে আমেরিকায় ধনেকুবেরের সংখ্যা ছিল-৪১৫ জন এবং ২০০৮ সালে তা থেকে হয়েছে-৪৬৯ জন। দ্রব্য উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা আর ডলারের তুলনামূলক দুর্বলতার কারণে বিলিয়নিয়ার-এর সংখ্যায় এ বৃদ্ধি ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ফোরবস-এর তালিকায় দেখা গেছে ভারত ও চীনে শত কোটিপতি বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ২০০৭ সালে ভারতের ৩৬ জন বিলিয়নিয়ার ছিল, আর ২০০৮-এ ৫৩ জন তালিকাভুক্ত হওয়ায় গত দু’দশকে এ প্রথম এশিয়ার কোন দেশ জাপানকে টপকে গেল। এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন ভারতীয় ল²ী মিত্তাল। ফোর্বস বলেন, ‘‘মানব ইতিহাসে এটা সবচেয়ে ধনাঢ্য তালিকা। এদের হাতে পুঞ্জীভূত সম্পদের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০০৮ সালের ২৭ জুন, সমকাল পত্রিকার রিপোর্টঃ বিশ্বে ১(এক) কোটি ১০(দশ) লক্ষ কোটিপতি আছে-যার সম্পদের পরিমাণ-১(এক) কোটি ডলারের উপরে। এরমধ্যে চীনে-৪(চার) লক্ষ ২২(বাইশ) হাজার, ব্রাজিলে-১(এক) লক্ষ ৩০(ত্রিশ) হাজার ও ভারতে-১(এক) লক্ষ ২৭(সাতাশ) হাজার। ২০১০ সালে বিল গেটসকে টপকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী কার্লোস ¯িøম-এর সম্পদের পরিমাণ ৫,৩৫০ কোটি ডলার। বিল গেটস দ্বিতীয় তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫,৩০০ কোটি ডলার, তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্রের পল ওয়ারেন বাফেটের সম্পদের পরিমাণ ৪,৭০০ কোটি ডলার, ভারতের খনিজ তেল-গ্যাস কোম্পানি ও রিলায়েন্স গ্রæপের মুকেশ আম্বানি (৪র্থ স্থান) তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২,৯০০ কোটি ডলার ও বিশ্বের সবচেয়ে লৌহশিল্পের প্রতিষ্ঠান (৫ম স্থান) দখলকারী ভারতীয় বংশদ্ভূত ল²ীনিবাস মিত্তালের সম্পদের পরিমাণ ২,৮৫০ কোটি ডলার। এ বছর ফোর্বস-এর তালিকায় ৯৭ জন নতুন ধনীর ৬২ জনই এশীয় এবং তাঁরা বেশির ভাগই চীনের নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে এত বেশিসংখ্যক বিলিয়নিয়ারের উত্থান এ বছরই প্রথম। ২০১৩ সালে ফোর্বসের তালিকা প্রকাশ ঃ এবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনী (১) মেক্সিকোর কার্লোস ¯িøম। তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৭৩০০ কোটি ডলার, (২) বিল গেঁটস-তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৬৭০০ কোটি ডলার (৩) আমানিকা-তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৫৭০০ কোটি ডলার ও (৪) ওয়ারেন বাফেট-তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৫৩৫০ কোটি ডলারের মালিক। এবার ১,৪২৬ ব্যক্তি, যাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৩৫০ কোটি মানুষের সমান সম্পদের মালিক ৮৫ ধনী। বিশ্বজুড়ে অসাম্য বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ৮৫ ব্যক্তির কাছে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার সম্পদের সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে। অক্সফাম জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৮৫ জন মানুষের কাছে ১ দশমিক ৭০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। সবচেয়ে বেশি রয়েছে-মেক্সিকোর টেলিকোম ব্যবসায়ী কার্লোস ¯িøম হেলুর কাছে-৭,৩০০ কোটি ডলার, এর পরই রয়েছেন-মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস-৬,৭০০ কোটি ডলার এবং ওয়ারেন বাফেট-৫,৩০০ কোটি ডলার। ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৩৫০ কোটি মানুষের সমান সম্পদের মালিক ৮৫ ধনী। বিশ্বজুড়ে অসাম্য বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ৮৫ ব্যক্তির কাছে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার সম্পদের সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে। অক্সফাম জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৮৫ জন মানুষের কাছে ১ দশমিক ৭০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। ২০১৪ সালের ১১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্বে মোট ঋণের পরিমাণ ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার। এক লক্ষ কোটিতে এক ট্রিলিয়ন। ২০০৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৭০ ট্রিলিয়ন ডলার ছিল। অর্থাৎ মাত্র ছয় বছরে সম্মিলিত বৈশ্বিক ঋণ ৩০ ট্রিলিয়ন বা ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
আবার বিগত ১০০(একশত) বছরে উৎপাদন বেড়েছে ১৭ গুণ। আর গত ১০০(একশত) বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণেরও কম। গত ১৯০১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্তকে বলা হয়েছে। তা’হলে পর্বত চুড়ান্ত উৎপাদন কোথায় যায়? হাতে গোনা কতিপয় মানব সন্তানের কাছেই কি? ওদের দ্বারাই চিরকাল সমস্ত উৎপাদন নিয়ন্ত্রিত হবে? এযাবৎকালের ইতিহাসই শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস? আদিম সাম্যবাদী সমাজ ছাড়া। আদিম সাম্যবাদী সমাজে শোষণ ছিল না। দুনিয়ার সব মানুষের সমৃদ্ধি আর যৌথ আবেগ/প্রেম/স্নেহ/মায়া মমতার সামাজিক বিকাশ কি কোন দিনই হবেনা?
শ্রমজীবী মানুষ বুর্জোয়া সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন করতে পারলেই হবে।
যে বিজ্ঞানের বদৌলতে এ অসহনীয় বৈষম্য তা কতটা বিজ্ঞানসম্মত আর কতটা আধিপত্যবাদ? এ আধিপত্যবাদ অধিকাংশ রাষ্ট্রকে করেছে গ্লোবাল নাচের পুতুল। তা’হলে কি রাষ্ট্র নামক এ কাঠামো ভাঙ্গার প্রয়োজন নেই? এ বিদ্যমান রাষ্ট্রটি, আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত বিকাশের নিশ্চয়তা দেয় কতটুকু?
আবার বলা হচ্ছে বিজ্ঞান হলো বিশেষ জ্ঞান। বিজ্ঞান কাকে বলে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে বিজ্ঞান বলে। আর এ বিশেষ জ্ঞানের অনুশীলন হল সামাজিক গঠনাবলী ও প্রাকৃতিক নিয়মাবলীতে সু-সংগঠিত যুক্তি আর পর্যবেক্ষণের স্বচ্ছ কর্ম দ্বারা। তা’হলে কি সব জ্ঞানই বিজ্ঞান নয়? আমরা কোনটি জ্ঞান আর কোনটি বিশেষ জ্ঞান হিসেবে গ্রহণ করব? সুতরাং স্পষ্ট বলা যায় বিজ্ঞান আর সমাজের সাধারণ মানুষের মাঝে অবস্থান করে না। পাশাপাশি সমাজ আর প্রকৃতি পর্যবেক্ষণলব্ধ যুক্তি চর্চার অধিকারও চলে যায় ঐ বিশেষ মানুষের নিয়ন্ত্রণে। অথচ মানুষের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা জানি-সংগ্রহশীল কিংবা শিকার ভিত্তিক সমাজের যৌথ প্রয়াসের মধ্যে দিয়ে তাদের জীবন-যাপন অগ্রসরতা পেয়েছিল। সম্পূর্ণ বৈষয়িক ও প্রাকৃতিক ব্যবস্থাবলীর উপর গড়ে উঠছে তাদের শ্রমক্ষেত্র ও চিন্তার পদ্ধতি। অরণ্যচারী গুহাবাসী মানুষ তার অর্জিত অভিজ্ঞতাকে ক্রমান্বয়ে সঞ্চারিত করেছে নিরন্তন গোষ্ঠীলব্ধ প্রতিরোধী শক্তির অনন্যতায়। তা’হলে মানব-সমাজ বিকাশের কোন পর্যায়ে অর্জিত সেই গোষ্ঠীবদ্ধ সার্বজনিন জ্ঞান খন্ড খন্ড বিশেষ জ্ঞানে রূপ নিল? ইতিহাসের গতি পথে কখন তা মানুষের চিন্তা জগতে এসেছে? কিংবা মানুষ অর্থনৈতিকভাবে খন্ড খন্ড শ্রেণীতে ভাগ হয়ে যাওয়ার কারণেই কি বিশেষ জ্ঞান হিসেবে বিজ্ঞান বিশেষ শ্রেণীর ক্ষমতার কৌশল উপকরণে পরিণত হয়নি? আজকের পাশ্চাত্য দর্শন কিভাবে কখন আধিপত্যবাদী চরিত্রের হয়ে উঠল? আমাদের বাংলা অঞ্চলে কি কোন বিজ্ঞান দর্শন, জিজ্ঞাসা ছিল না? আমাদের বিজ্ঞান দর্শন আজ কোথায়? জিজ্ঞাসাগুলো কেন হারিয়ে গেল? আসলে আমাদের জিজ্ঞাসাগুলোই বা নিয়ন্ত্রণ করে কারা? আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় বিজ্ঞান ছিল না? বিজ্ঞান কি শুধু গবেষণাগারের ব্যাপার? এটা কি কেবল ধনীদের বিলাসের বস্তু বা অস্তিত্ব? শ্রমজীবী মানুষের কি কোন উপকারে আসে? মানবতার বিকাশে এ বিজ্ঞান কতটুকু সহায়ক?
আসুন এ প্রশ্ন উত্থাপন করি আমাদের শ্রমের মধ্যে, আমাদের চিন্তার মধ্যে। আমাদের যৌথ আর সামাজিক বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ হউক আমার/আপনার বিজ্ঞান চিন্তা। বিকশিত হউক মানবিক সাম্যের এসব দ্বা›িদ্বক প্রশ্নোত্তরের রূপায়ন আমাদের মাঝে বিজ্ঞান চেতনা বাড়িয়ে তোলে। বস্তুর প্রতিনিয়ত বিকাশ হচ্ছে। সমাজের নিয়ম হলো উৎপাদন এবং পুনঃউৎপাদন। চিরন্তন বলে কিছুই নেই। সব কিছুই পরিবর্তনশীল। আমাদের দেশের সম্পদের অপচয়, সমাজের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থা এবং অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে হবে নতুবা ততদিন বাংলাদেশের বেকারত্ব ও দারিদ্র দূর হবে না। বেকারত্ব ও দারিদ্র দূর করতে হলে-সম্পদের অপচয় রোধ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থা ও অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে হবে নতুবা বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রকৃত উন্নয়ন মানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার গ্যারান্টি সবার জন্য করতে হবে। তখনই বাংলাদেশ হবে প্রকৃতপক্ষে ‘‘সোনার বাংলা’’। নতুবা সবই কথার কথা ও ফাঁকাবুলি ছাড়া আর কিছু নয়।
বিশ্ব ও ভারতীয় উপমহাদেশের কিছু স্মরণীয় ঘটনা এবং কিছু মহান ব্যক্তিদের জন্ম-মৃত্যুর কথা ঃ
৪০(চল্লিশ) লক্ষ বছর আগের মানুষ। বিবিসি ঃ জীবাশ্ম বিজ্ঞানীরা ইথিওপিয়ার মনুষ্য প্রজাতির একটি অংশের কিছু হাড়ের যে অংশ আবিস্কার করেছেন তা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ বছরের পুরানো বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর আগে ১৯৭৪ সালে যে মানুষের জীবাশ্ম আবিস্কৃত হয়েছিল এতদিন পর্যন্ত সেটিকেই প্রাচীনতম বলে মনে করা হচ্ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের অনুমান সদ্য আবিস্কৃত এ প্রজাতির মানুষ দু’পায়ে সোজা হাঁটতে সক্ষম ছিল। ৩০(ত্রিশ) লক্ষ বছর আগে মানুষ আসছে পৃথিবীতে এবং আজকের মানুষ প্রায় ৭৫(পঁচাত্তর) হাজার বছর আগে। কেমব্রিজের অ্যাংলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিও জেনেটিকসের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. পিটার ফরস্টার বলেন, পূর্ব আফ্রিকায় এক লাখ ৯৫ হাজার বছর আগে হোমোস্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানবের উদ্ভব ঘটে। আর জায়গাটি ছিল সম্ভবত বর্তমান ইথিওপিয়ার ওমো নদীর তীরবর্তী কোনো অঞ্চল। ৩১,৭০০ বছর আগে পৃথিবীতে কুকুর ছিল ২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল দাবি করেছে। এরা তখন ঘোড়া, হরিণ খেয়ে বেঁচে থাকত। ১০,০০০ হাজার খৃষ্টপূর্বে পৃথিবীতে কৃষি-কাজের প্রচলন শুরু হয়। পৃথিবীর কৃষি নির্র্ভর আদিম জীবনের যুগ অতিবাহিত হয় ১০(দশ) হাজার বছর ধরে। ১০,০০০(দশ হাজার) বছর পূর্বে সোমালিয়া, বেবীলন-ইরাক সভ্যতা আরম্ভ।
বিশ্বের প্রথম ধান কবে কখন কোথায় মানুষ সর্বপ্রথম ধান বা চালের ব্যবহার শুরু করে তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া দায়। ধারণা করা হয়, সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই চালের ব্যবহার শুরু হয়। আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব সাত হাজার বছর আগে উত্তর থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ চীন উপকূলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে প্রথম ধান চাষ হয়-বিভিন্ন গবেষণায় এ রকম তথ্যই পাওয়া যায়। বিশ্বের প্রথম ফুটবল কোথায় সর্বপ্রথম ফুটবল খেলা হয় তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। তবে বলা হয়ে থাকে, ফুটবলের সূতিকাগার হলো প্রাচীন চীন। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে ফুটবল খেলার প্রবর্তন হয়। প্রাচীনকালে মূলত দুই দল লোক একে অন্যকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে ফুটবল খেলত। প্রাচীন ফুটবলে কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন ছিল না। খ্রিষ্টপূর্ব তিন শতাব্দীর কিছু আগে বিনোদন হিসেবে বর্তমান ধারার ফুটবল খেলার সূত্রপাত হয়। ৭(সাত) হাজার বছরের ইতিহাস জানি মাত্র আমরা, যখন থেকে মানুষ তার ইতিহাস লেখে। গাছের বয়স ৭(সাত) হাজার বছর।
খৃষ্টপূর্ব ৫০০০ সালে ইউরোপ মহাদেশের গ্রীসে প্রথম রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাফেরা শুরু করে। ৫(পাঁচ) হাজার বছর পূর্বে পৃথিবীর সভ্যতা আরম্ভ। ৪৬০০-৪৮০০ খৃষ্টপূর্ব প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন লাভ। (সাড়ে ৬ হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন লাভ।) জানাগেছে জার্মানী, অস্ট্রিয়া ও শ্লোভাকিয়ার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নিদর্শনগুলো আবিস্কৃত হয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে ১৫০টির বেশি বিশালায়তনের উপাসনালয়। ধর্মীয় প্রয়োজন থেকে কোন জনগোষ্ঠী উপাসনালয়গুলো নির্মাণ করে থাকবেন, যাদের পেশা ছিল পশুপালন। উপাসনালয়সমূহের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। পূর্ব জার্মানীর লেইপনিং এলাকার আইথরা গ্রামে আবিস্কৃত উপাসনালয়ের চাঁরপাশে অন্ততঃ ২০টি ভবন পাওয়া গেছে। এসব ভবনে ৩শ’ লোক বাস করতো বলে ধারণা করা হয়। সদ্য আবিস্কৃত এ জনপদের এখনও কোন নামকরণ করা হয়নি। টানা ৩-বছর খননকার্য চালিয়ে স¤প্রতি প্রাচীন-এ সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়। বিশ্বের প্রথম দাবা বর্তমান পাকিস্তানের ইন্দাস উপত্যকায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে দাবা খেলার সূত্রপাত হয়। সেকালে দাবাডূরা আজকের মতোই ৬৪ বর্গের ছক কাটা সিরামিক বোর্ডে দাবা খেলতেন। তাতে থাকত হাতি, রাজা, নৌকা ও ঘোড়া। হরপ্পার কিছু প্রতœতাত্তি¡ক ক্ষেত্রে এসবের নমুনা পাওয়া গেছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪২০০ অব্দে প্রায় যতদূর জানা যায়, বিশ্বের প্রথম নগর পারস্য উপকুলে ইরিডু নামক একটি নগর গড়ে ওঠে। সুমেরিয়ান ভাষায় রচিত ইতিহাসে-এর প্রমাণ পাওয়া যায়। যদিও এর আগে কিছু ছোট শহরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়; কিন্তু ইরিডুই সর্বপ্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ নগরের মর্যাদা পায়, যেখান থেকে রাষ্ট্রের অর্থনীতি ও শাসননীতি পরিচালিত হতো। খৃষ্টপূর্ব ৪০০০ হাজার সালে বিশ্বের প্রথম উন্মুক্ত খনন ভূগর্ভস্থ মূল্যবান পাথর অনুসন্ধানের জন্য প্রাচীন মিসর ও মেসোপটেমিয়ায় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনন করা হতো। বেঁচে থাকার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, প্রকৃতির বিশাল ভান্ডার থেকে খুঁজে নিয়েছে তার প্রয়োজনের জিনিসটি। ৪০০০-৩০০০ খৃষ্টপূর্ব মিশরের সভ্যতার উম্মেষ। মানুষ কিসের জোরে টিকল হাতিয়ারের জোরে পশুকে বশ করল এবং পরে আগুন আবিস্কার করে মানুষ নিজে এ জোর আবিস্কার করেছে। সভ্যতার দিকে এগিয়ে গেল মানুষ। কাঠের চাকা আবিস্কারের ৬২০০ বছর পরে স্টীম ইঞ্জিন ও সংযুক্তিযানের যুগ শুরু হয়। বিশ্বের প্রথম চাকা গুহাবাসী মানুষ চাকা তৈরীর পদ্ধতি জানত না। স্বাভাবিক ধারণার চেয়ে অনেক পরে আবিস্কৃত হয়েছে চাকা। প্রতœতাত্তি¡ক গবেষণায় সর্বপ্রথম এর অস্তিত্ব পাওয়া যায় মেসোপটেমিয়ায় (আজকের ইরাক)। তার মানে যানবাহনে চাকার ব্যবহার শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের মাঝামাঝি। আজও আমরা এর কোনো বিকল্প খুঁজে পাইনি।
৩৫০০ খৃষ্টপূর্বে ইতিহাস ঘাটিলে দেখা যায়, মেসোপটেমিয়ায় লাইব্রেরীর প্রচলন ছিল। ৩৫০০ খৃষ্টপূর্বের কাছাকাছি সময়ে এসে পালতোলা নৌকার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। ৩০০০ হাজার খৃষ্টপূর্বের অনেক আগেই গাধাকে পোষ মানানো হয়েছিল। খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ হাজার বছরের কাছাকাছি সময়ের যে সুমেরীয় যুদ্ধরথের ছবি পাওয়া যায় তা দেখে মনে হতে পারে যুদ্ধরথটি টানছে ঘোড়া-কিন্তু এ বিষয়ে যাঁরা বিশেষজ্ঞ তাঁদের ধারণা-ঘোড়া নয় গাধা। বিশ্বের প্রথম নীতিগল্প খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ হাজার সালে সুমেরীয় সাহিত্যে ছোটগল্প খুবই জনপ্রিয় ছিল। নৈতিকথার শিক্ষাদানের লক্ষ্যেই প্রধানত ওই সব গল্প লেখা হতো। ঈশপের গল্পে এ ধরনের নীতিকথার সন্ধান মেলে। কুকুর, শেয়াল, বাঁদর, গরু, হাতি, শূকর প্রভৃতি প্রাণী সেসব গল্পের চরিত্র হিসেবে উঠে আসত। বিশ্বের প্রথম কালি মানবসভ্যতার প্রথমদিককার দিনগুলোয় শক্ত তলে দাগ কেটে কিংবা কাদামাটিকে নানা আকার দিয়ে লেখা হতো। মিসরীয়রা প্যাপিরাস কাগজ আবিস্কারের আগেই ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে কালি তৈরী করে। পরবর্তী কালে প্যাপিরাস উদ্ভাবনের পর কালিই হয়ে ওঠে লেখার জন্য আদর্শ মাধ্যম। তখনকার দিনে মূলত মৃৃত মানুষ ও পশুপাখির হাড় শুকিয়ে-পুড়িয়ে তরল কালি তৈরী করা হতো। বিশ্বের প্রথম প্লাইউড প্রাচীন মিসরে সর্বপ্রথম প্লাইউড আবিস্কৃত হয়। সঠিক দিনক্ষণ জানা না গেলেও প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ সময়ে পালাইউডের প্রচলন ছিল। তখনকার প্লাইউড অবশ্য বর্তমান সময়ের প্লাইউডের মতো মসৃণ ও সুন্দর ছিল না। ভিন্ন ভিন্ন ছয় ধরনের কাঠের সংমিশ্রণে ওই প্লাইউড তৈরী করা হতো।
খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ হাজার বছর আগে মিসর সরকার বিশেষ ধরনের পুলিশ বাহিনী নিয়োগ দেয়। প্রাচীন মিসরে বিশ্বের প্রথম পুলিশ বাহিনীর প্রচলন ছিল-এমন তথ্য জানা গেছে। সমগ্র মিসরের বিভিন্ন অঞ্চল ছিল তাদের কর্মক্ষেত্র। প্রত্যেক জেলা প্রশাসনে একজন করে পুলিশ কমিশনার নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন। বেসামরিক আমলাতন্ত্র এবং কিছু আইনগত দিকও ওই পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। ৩০০০ হাজার খৃষ্টপূর্বের অনেক আগেই প্রতœবিদদের মতে সিরিয়ার বা মেসোপটেমিয়ার রোদে শুকিয়ে নেওয়া মাটির ইটের প্রচলন হয়েছিল। খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ সালে এসে নিশ্চিতভাবে বলা চলে, ভূমধ্যসাগর বা আরবসাগরের ওপর দিয়ে পালতোলা নৌকার রীতিমত যাতায়াত শুরু হয়েছে। ৩০০০ হাজার খৃষ্টপূর্ব প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় কাদা দিয়ে তৈরি আয়তাকার ব্লকে মানচিত্র আঁকা হতো। খ্রিষ্টের জন্মের তিন হাজার বছর আগেকার এমনই একটি মানচিত্র পাওয়া গেছে ইরাকের কিরকুক শহরে। তাতে ১২৭টি আলাদা ভূখন্ড, কিছু পাহাড় এবং একটি নদীর ছবি আছে। এর চারকোণায় আছে কম্পাসের দিকনির্দেশনা, তবে ওপরের দিকে ধরা হয়েছে পূর্ব। কাছাকাছি সময়ের আরেকটি মানচিত্রে নয়টি গ্রাম ও তার মধ্য দিয়ে বয়ে চলা নদী ও রাস্তার ছবি খুব স্পষ্টভাবেই ধরা পড়ে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০(তিন হাজার) শতকে মানুষ দৈনন্দিন প্রক্ষালন-কর্মে ফ্লাশের ব্যবহার করেছে তা ভাবতেও অবাক লাগে। কী ভাবে এল ফ্লাশ টয়লেট ঃ আজ ফ্লাশের ব্যবস্থা ছাড়া আমরা টয়লেট কল্পনাও করতে পারি না। কিন্তু জানেন কি, পৃথিবীতে প্রথম ফ্লাশ টয়লেট ব্যবহৃত হয়েছিল কবে? সিন্ধু সভ্যতা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীনতম সভ্যতা। পাকিস্তানের সিন্ধু নদের তীরে গড়ে ওঠা এই সভ্যতা কিন্তু নিজেদের তুলে নিয়েছিল অন্য এক উচ্চতায়। সেই সিন্ধু সভ্যতার নগরী হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর অধিবাসীরা নিজেদের বাড়িতে ব্যবস্থা করেছিল এই ফ্লাশ টয়লেট।
খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ ভারতবর্ষের মানুষ রাস্তা দিয়ে প্রথম চলাচল শুরু করে। বিশ্বের প্রথম চা প্রাচীন চীনের সমাজ-জীবনে চা একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পানীয় হিসেবেই প্রচলিত ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনের সাহিত্যে-বিশেষ করে কবিতায়-চায়ের গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। টারং রাজবংশের শাসনামলে লু উও ‘দ্য টি ক্লাসিক’ নামে একটি বই রচনা করেন খ্রিষ্টপূর্ব আট শতাব্দীতে। বইটিতে চা-গাছের উৎপাদন, চা তৈরির পদ্ধতি, নানা ধরনের চায়ের স্বাদ ও গন্ধ ইত্যাদির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। ২৮০০ খৃষ্টপূর্ব পৃথিবীতে সম্ভবত বাগান করার কাজে প্রথম পথিকৃৎ চীন সম্রাট শেন নুঙ বিভিন্ন যায়গায় লোক পাঠিয়ে নানারকম গাছ সংগ্রহ করতেন। ২৭০০ খ্রিষ্টপূর্ব আকুপাংচার প্রথম আবিস্কার করেন কিংবদন্তির চীনা সম্রাট সেন নাং। গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ ওষধগুলোর প্রথম তালিকাও প্র¯ত্তত করেন তিনি। ২৫০০ খৃষ্টপূর্ব বছর আগে পৃথিবীর আকার গোল, সকলের জানা মাত্র এ কথাটিও নতুন ও অভিনব শোনাত। ২৫০০ খৃষ্টপূর্ব মিশরে কাঠের লাঙ্গল ব্যবহার। খৃষ্টপূর্ব ২৫০০ বছর আগে প্রাচীন গ্রিসে বিশ্বের প্রথম পেশাজীবী নারীদের আয়মূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। তবে সে সময় পুরুষের মতো পেশাজীবী নারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে সব কাজ করার সুযোগ পেতেন না। বিশেষ করে নারীদের বিচারক পদে কাজ করার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
বিশ্বের প্রথম সুইমিং পুলের ধারণা সর্বপ্রথম মাথায় এসেছিল সিন্ধু নদীর তীরবর্তী মহেঞ্জোদারো সভ্যতার অধিবাসীদের মধ্যে। প্রকৃত দিন-তারিখ জানা না গেলেও ধারণা করা হয় তা খ্রিষ্টের জন্মেরও আড়াই হাজার বছর আগে তৈরী। ১২ মিটার লম্বা এবং ৭ মিটার চওড়া এ সুইমিংপুলের সর্বোচ্চ গভীরতা ৮ ফুট। আজকের পাকিস্তানে এর ধবংসাবশেষ আজও দর্শনার্থীরা ঘুরে দেখতে পারেন। বিশ্বের প্রথম ভিজিটিং কার্ড হান শাসকদের আলমে (খ্রিষ্টপূর্ব ২০০৬ অব্দ থেকে ২২০ খ্রিষ্টাব্দ) চীনে ভিজিটিং কার্ড নতুন ফ্যাশন হিসেবে প্রচলন লাভ করে। সে সময় কাগজের মান যাচ্ছেতাই ছিল। তাই দুই থেকে তিন ইঞ্চি প্রস্থের ফালি করে কাটা কাঠের টুকরোতেই তৈরী হতো কার্ড। সাদা পটভূমিতে তাতে লেখা থাকত কার্ডধারীর নাম, পদবি আর ঠিকানা। ২০০০ খৃষ্টপূর্বের কাছাকাছি সময় চীনে ধানের চাষ শুরু, তা ভারতবর্ষের কাছ থেকেই শেখা। বিশ্বের প্রথম পরিচয়পত্র নির্বাচিত বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির জন্য পরিচয়পত্র প্রবর্তন করে অ্যাসেরিয়ান সরকার। সঠিক দিনক্ষণ জানা না থাকলেও ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের গোড়ার দিকে ওই ব্যবস্থা চালু করা হয়। ওই পরিচয়পত্র ছিল মূলত ছোট মাটির ফলকের ওপর কিলকাকার বর্ণ খোদাই করা। বিশ্বের প্রথম জলঘড়ি সময় মাপার জন্য খ্রিষ্টের জন্মের ২০০০ বছরেরও বেশি আগে জলঘড়ির ব্যবহার শুরু হয়। বিরাট এক পাত্রের গায়ে দাগ কাটা থাকত সময়ের হিসাব। আর পানিপূর্ণ সে পাত্রের ছিদ্র দিয়ে পানি বেরিয়ে এসে সময় নির্দেশ করত। মেসোপটেমিয়ায় এ ধরনের জলঘড়ির নির্মাণ পাওয়া গেলেও ঠিক কবে এর ব্যবহার শুরু হয় বা কে আবিস্কার করেন তা জানা যায়নি। ২০০০ খৃষ্টপূর্বের অনেক আগে থেকেই গৃহপালিত পশু হিসেবে ঘোড়ার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। ২০০০ খৃষ্টপূর্ব পর্যন্ত মিশরের প্রায় সমস্ত প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে কবর থেকে। বিশ্বের প্রথম বক্সিং প্রাচীন মিসরে বক্সিং খেলার প্রচলন ছিল বলে জানা গেছে। মিসরীয় ১৮তম রাজবংশের আনুমানিক খৃষ্টপূর্ব ১৩৫০ সালে বিভিন্ন রাজার সমাধিগাত্রে যেসব চিত্র পাওয়া যায় তাতে দেখা যায়, রাজা তৃতীয় এমেনোফিসের সিংহাসনে আরোহণের সময় বক্সিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সমাধিগাত্রে বক্সিং খেলার বিভিন্ন কৌশলের উল্লেখ রয়েছে।
২০০০ খৃষ্টপূর্বে জুডাইজমের ভিত্তিস্থাপন করা হয়। ১৫০০ খৃষ্টপূর্বে হিন্দুইজমের ভিত্তিস্থাপন করা হয়। ৫২৫ খৃষ্টপূর্বে বুদ্ধইজমের ভিত্তিস্থাপন করা হয়। ১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর, যীশু খৃষ্ট্রের জন্ম, মৃত্যু-৩১ খ্রিষ্টাব্দে। ৬১০ খৃষ্টাব্দে মুহাম্মদ(স.) মুসলিম ধর্মের ভিত্তিস্থাপন করেন। ১৫০০ শতকে গুরু নানক দেব জি, সিকিইজমের ভিত্তিস্থাপন করেন। মিড ১৯ শতকে মির্জা হুসাইন আলী নুরী, বাহা ধর্মের প্রবর্তক। ১৭০০ খ্রিষ্টপূর্ব বিশ্বের প্রথম বর্ণমালা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং সিনাই অঞ্চলের সেমাইট আদিবাসীরা সর্বপ্রথম বর্ণমালার একটি অখন্ড রূপ দেয়। এতে ছিল মোট ৩০টি বর্ণ। মিসরের খনি অঞ্চলে ব্যবহৃত হিরেটিক লিপি থেকে নেওয়া হয়েছিল এ বর্ণমালার অক্ষরগুলো। মজার ব্যাপার এতে কোনো স্বরবর্ণ ছিল না। পাঠক পড়ার সময় নিজেই সুবিধামতো স্বরবর্ণ যোগ করে নিত। ব্যাপারটা অনেকটা এ রকম-‘বলত’ শব্দটিতে স্বরবর্ণ যোগে তাঁদের পড়তে হতো ‘বালতি’। খ্রিষ্টপূর্ব চৌদ্ধ শতকে বিশ্বের প্রথম কফি ওষুধ হিসেবে কফি ব্যবহৃত হতো। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যেই ইয়েমেনবাসী কফিকে কোমল পানীয় হিসেবে পছন্দ করতে শুরু করেন। কফি ফল অনেকটা শিমের মতো। প্রথমদিকে, কফি ফলের খোসা ছাড়িয়ে গরম জলে মিশিয়ে কফি তৈরি করা হতো। পরবর্তী সময়ে পনেরো শতকে কফি ফল তাপে ঝলসিয়ে গরম জলে মিশিয়ে পান করার রীতি চালু হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রচলিত কফি প্রথম তৈরি হয় সিরিয়াতে।
বিশ্বের প্রথম চশমা খ্রিষ্টপূর্ব ১২৮০ সালে ইতালিতে সর্বপ্রথম চশমা আবিস্কৃত হয়। ওই চশমাটি ছিল উত্তল লেন্সের এবং তা দূরের জিনিস দেখতে সাহায্য করত। ফ্লোরেন্সের অ্যালমানডো ডেলা স্পিনাকে এর উদ্ভাবক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও কোনো অপেশাদার ব্যক্তি সেটি তৈরি করেছিলেন-এমন ভিন্ন মতও প্রচলিত রয়েছে। ১৪০০ খৃষ্টপূর্বের আগে পৃথিবীর কোনো অংশেই ব্যাপকভাবে লোহার ব্যবহার শুরু হয়নি। প্রাচীন মিশরে খৃষ্টপূর্ব ১০৫০ অব্দে বেনি হাসানে ১৭নং সমাধিতে একটি ভাস্কর্যে স্টিক হাতে দু’জন খেলোয়াড়ের দাঁড়ানো অবস্থার চিত্র পাওয়া যায়। হকি খেলার ইতিহাস খুব প্রাচীন। খৃষ্টপূর্ব ১০০০ হাজার বছরের আগে এমন কোনো স্পস্ট সাক্ষ্য নেই যা দেখে ঘোড়সওয়ার মানুষের কথা ভাবা যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সালে বিশ্বের প্রথম চিনি উত্তর ভারতে আখের ব্যাপক প্রচলন ছিল বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেই সময়ে আখ-নিস্কাশিত নানা ধরনের মিষ্টিজাত দ্রব্য খুবই জনপ্রিয় ছিল। তখনকার অধিবাসীরা ঘরোয়া পরিবেশে আখ থেকে গুড় তৈরি করতেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা আখ থেকে গুড়ের পাশাপাশি চিনিও তৈরি করেন। তবে বর্তমান সময়ে প্রচলিত দানাদার চিনি যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশের ফল। বিশ্বের প্রথম ক্যালেন্ডার রোমান সম্রাট রোমূলাস খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে ৩৬০ দিনে এক বছর ধরে ১০ মাসের বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার চালূ করেন। পরে রাজা নুমা পমপিলিয়াস খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি নামে দুটি মাস ক্যালেন্ডারের শুরুতে সংযোজন করেন। শাসক অগাষ্টাস ও জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পর সেকটিলিস ও কুইনটিলিস মাসের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে আগষ্ট ও জুলাই করা হয়। বর্তমান যুগের ক্যালেন্ডারে পৌঁছাতে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে।
৭৭৬ খৃষ্টপূর্ব গ্রীসে অলিম্পিক খেলাধুলার প্রর্বতন। ৩৯৩ খৃষ্টপূর্ব রোমান বর্বতার মুখে বন্ধ হওয়ার পর পিয়ের ডি কুবার্তিনের প্রচেষ্টায় ১৮৯৬ সালে আবারও সে গ্রীসেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল আধুনিক অলিম্পিকের প্রথম আসর। এ প্রাচীন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট-১০০ মিটার দৌড়। বিশ্বের প্রথম নারীদের খেলাধুলা ঃ প্রাচীন অলিম্পিক আসরে নারীদের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। তবে সে সময় ‘হেরিণ গেমস’ নামের অন্য একটি খেলায় নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারতেন। প্রতি চার বছর পরপর ‘হেরিণ গেমসের’ আয়োজন করা হতো এবং লোকমুখে তা ‘সিক্সটিন ওমেন’ নামে পরিচিতি লাভ করে। সঠিক সময় না জানা গেলেও ধারণা করা হয়, প্রথম অলিম্পিকের সময় থেকেই ওই গেমস শুরু হয়। প্রত্যেক অবিবাহিত নারী এতে অংশগ্রহণ করতেন। ৭৫৩ খৃষ্টপূর্ব রোমের প্রতিষ্ঠা। খৃষ্টপূর্ব ৬৯৫ সালে অ্যাসিরিয়া সাম্রাজ্যের নিনেভাতে বিশ্বের প্রথম বোটানিক্যাল গার্ডেন স্থাপিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল অ্যাসিরিয়া সাম্রাজ্যোর সমস্ত প্রজাতির গাছপালা এক আঙ্গিনায় রোপন করা। কিন্তু বাস্তবে তা প্রায় অসম্ভম হলেও জোর চেষ্টা চলেছিল সে সময়। কারণ বর্তমানের জর্ডান, ইসরায়েল, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, আরবের উত্তরাঞ্চল, কুয়েত, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও ইরানের পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে অ্যাসিরিয়া গঠিত ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে বিশ্বের প্রথম দেয়াশলাই প্রাচীন চীনে সর্বপ্রথম তৈরী হয়। পাইনগাছের ছোট ছোট কান্ডের ভেতর সালফার ঢুকিয়ে শলাকা বানানো হতো। যা আগুনের সংস্পর্শে এলেই জ্বলে উঠত। ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে নবম শতাব্দী পর্যন্ত অনেক ধরনের দেয়াশলাই তৈরী হয়েছিল কিন্তু কোনোটাই ঘর্ষণে আগুন উৎপন্ন করতে পারত না। ৬০৬ খৃষ্টপূর্ব মিডিস ও চালডিয়া কর্তৃক নিনেভে শহর জয়।
খৃষ্টপূর্ব ৬০৫-৫৬২ সময়ে বিশ্বের প্রথম ব্যাংক ব্যাবিলনীয় এক সম্রাটের আমলে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রম চালু ছিল। কিন্তু খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতকে পারস্য শাসকদের শাসনামলে ওই ব্যাংকের বিলুপ্তি ঘটে। ওই ব্যাংকের প্রায় সব নথিপত্র বিলুপ্ত হলেও বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা গেছে, যা থেকে জানা যায় ওই ব্যাংকে অনেক কেরানি কর্মরত ছিলেন। ৬০০ খৃষ্টপূর্ব বিশ্বের প্রথম ঝুলন্ত উদ্যান রাজা নেবুচাদনেজার দক্ষিণ মেসোপটেমিয়ার ব্যাবিলন নগরে ঝুলন্ত উদ্যান স্থাপন করেন। যা ছিল বিশ্বের বিস্ময়কর স্থাপনার মধ্যে, অন্যতম। রাজা নেবুচাদনেজার ইচ্ছে ছিল উদ্যানটিতে পাহাড়ি অঞ্চলের অবস্থা বিরাজ করবে, যেখানে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যাতে করে সহজাতভাবে গাছপালার বৃদ্ধি ঘটে। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে তবে ধারণা করা হয়, গ্রিক নগরীতে বিশ্বের প্রথম রিলে দৌড় চালু করা হয় ঃ রিলেদৌড় শুরুর সঠিক দিনক্ষণ জানা যায় না। তখনকার রিলেদৌড় বর্তমান রিলেদৌড় থেকে কিছুটা ভিন্নতর ছিল। সে সময়ে দৌড়বিদেরা জ্বলন্ত মশাল বহন করত এবং প্রতিযোগিতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা জ্বালিয়ে রাখত। বিশ্বের প্রথম খাবার মেনু প্রাচীন গ্রিসে খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে বিভিন্ন রাজকীয় অনুষ্ঠানে নৈশভোজের ব্যবস্থা থাকত। নৈশভোজে যোগদানকারী প্রত্যেক সদস্যকে আসন গ্রহণ করার সময় খাবারের মেনু দেওয়া হতো, যেখানে উল্লেখ থাকত কী কী খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখান থেকে যে-কেউ তাঁর পছন্দের খাবারটি বেছে নেওয়ার সুযোগ পেতেন।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩৫ অব্দে বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাথেন্সে অ্যারিস্টোটলের শিক্ষাদান কেন্দ্র লাইসিয়ামই সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩৫ অব্দে অ্যারিস্টোটলসহ কয়েকজন শিক্ষক, একটি গ্রন্থাগার ও বিপুল পরিমাণ ইতিহাসের প্রাকৃতিক নিদর্শন নিয়ে গ্রিক ও ল্যাটিন সাহিত্য এবং বিজ্ঞানসহ নীতিশাস্ত্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা ও গণিত বিষয়ে শিক্ষাদান শুরু করে। ২৭১-২১৩ খ্রিষ্টপূর্ব যতদূর জানা যায়, গ্রিসের সিসায়ন বিশ্বের প্রথম আত্মজীবনী রচয়িতা হচ্ছেন। সিসায়ন দক্ষিণ গ্রিসের অধিবাসী ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, যোদ্ধা ও কূটনীতিক। প্রাণঘাতী বিষে তাঁর মৃত্যুর আগেই তিনি আত্মজীবনী লেখা শেষ করেছিলেন। অনেক অসংগতি সত্তে¡ও এটিই পৃথিবীর প্রথম আত্মজীবনী। তিনি তাঁর লেখায় অপ্রিয় মানুষের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। ২০০ খ্রিষ্টপূর্ব সময়কালে বিশ্বের প্রথম আয়না ব্রোঞ্জের আয়না দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। সেটিতে প্রতিফলনের জন্য টিনের প্রলেপ দেওয়া হতো। কাচের আয়না, সে তুলনায় বেশ নতুনই বলা চলে। ত্রয়োদশ শতকে এক ইতালীয় বিজ্ঞানী কাচের আয়না তৈরী করেন। তিনি কাচের পাতে পারদের (মারকারি) প্রলেপ দিয়ে তৈরি করেন আয়না। এটি সারা বিশ্বে দ্রæত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বের প্রথম কাগজ প্রাচীন চীনে খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রথমভাগে হার্ন রাজবংশের শাসনামলে সর্বপ্রথম কাগজ তৈরি হয়। ওই সময়ের উৎপাদিত কাগজ বর্তমান সময়ে প্রচলিত কাগজের মতো পাতলা ও মসৃণ ছিল না। ওই সময় কাগজ তৈরি হতো এক ধরনের শণ থেকে এবং তা ছিল বেশ পুরু ও অমসৃণ। বিশ্বের প্রথম মাস গণনা গ্রিক জ্যোতির্বিদ হিপার্কাস খৃষ্টপূর্ব ১৯৫-১২৫ সর্বপ্রথম সূ²ভাবে চান্দ্র মাসের ব্যাপ্তি গণনা করেন। তিনি রোডস এবং আলেকজান্দ্রিয়ায় দীর্ঘদিন গবেষণা করেন। তাঁর গণনা থেকে প্রাপ্ত চান্দ্র মাসের দৈর্ঘ্য ও এর প্রকৃত মাপের মধ্যে ব্যবধান মাত্র এক সেকেন্ডের। তিনি ত্রিকোণমিতির পথিকৃৎ হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
১৮১৫ সালের ১৭ অক্টোবর, আলিগড়ের প্রখ্যাত মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষার অগ্রদূত, নেতা, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক স্যার সৈয়দ আহমদের জন্ম, মৃত্যু-১৮৯৮ সালে। ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর, যুক্তরাজ্য, লন্ডন, অগাষ্টা আডা বায়রনের (আডা লাভলেস) জন্ম, মৃত্যু-২৭-১১-১৮৫২ তারিখ। পৃথিবীর প্রথম কমপিউটার প্রোগ্রামার। চার্লস ব্যাবেজ উদ্ভাবিত কমপিউটারের জন্য প্রথম প্রোগ্রাম লেখেন। ১৮১৭ সালের ১৫ মে, কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে বাংলা গদ্যের লেখক মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যুঃ ০৫-০১-১৯০৫ তারিখ। ১৮১৮ সালের ৫ মে, জার্মানে সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্কসের জন্ম; ইংল্যান্ডে মৃত্যু-১৪-০৩-১৮৮৩ তারিখ। ১৮৪৮ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, কার্ল-মার্কস কম্যুনিষ্ট মেনিফেষ্টো ঘোষণা করেন। ১৮৪৮ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, কার্ল-মার্কস ও ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস কমিউনিষ্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেন। ১৮১৮ সালে ঢাকার নবাব স্যার নওয়াব খাজা আবদুল গনির জন্ম, মৃত্যু-১৮৭৩ সালে। খাজা আবদুল গনি বংশানুক্রমিক নবাব উপাধি লাভ করেন ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ১৮৬৫ সালে। ১৮২০ সালের ১২ মে, ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে ইংরেজ সেবিকা ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলের জন্ম, ১৩-০৮-১৯১০ তারিখ, এ মানব দরদী মহীয়সী নারীর মৃত্যু। ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও মানবতাবাদী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম; মৃত্যুঃ ২৯-০৭-১৮৯১ তারিখ। ১৮৪০ সালে ঈশ্বরচন্দ্র ‘‘বিদ্যাসাগর’’ উপাধি পান। ১৮৮০ সালে বিদ্যাসাগর সি. আই. ই. উপাধি লাভ করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বাংলা গদ্য সাহিত্যের জনক বলা হয়। ১৮২০ সালের ২৮ নভেম্বর, জার্মানে এঙ্গেলসের জন্ম, ইংল্যান্ডে মৃত্যু-১৮৯৫ সালে। ১৮২০ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মহারাষ্ট্রে সিপাহী বিপ্লবের আপসহীন নেত্রী ঝাঁসীর রানী লক্ষীবাই’র জন্ম, মৃত্যু-১৭-০৬-১৮৫৮ তারিখ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারাণ। ১৮২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর, ফরাসী রসায়নবিদ ও অনুজীব বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৯-১৮৯৫ তারিখ। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোরের সাগর দাঁড়ির দত্ত পরিবারের একমাত্র পুত্র মহাকবি ও সাহিত্যক মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-০৬-১৮৭৩ তারিখ কলকাতার আলীপুর হাসপাতালে।
১৮২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, রাজনৈতিক দাদাভাই নওরোজির জন্ম, মৃত্যু-১৯১৭ সালের ৩০ জুন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম এশীয় সদস্য দাদাভাই নওরোজীর মৃত্যু। ১৮২৬ সালের ২৪ জানুয়ারি, অবিভক্ত ভারতের প্রথম ব্যারিস্টার গণেন্দ্রমোহন ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-০৫-০১-১৮৯০ তারিখ। ১৮২৭ সালের ৫ এপ্রিল, পচনরোধী ওষুধের আবিষ্কারক ইংরেজ চিকিৎসক যোসেফ লিস্টারের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৮২৮ সালের ৮ মে, রেডক্রসের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে এক ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-১৯১০ সালের ৩০ অক্টোবর। ১৮২৮ সালের ২৮ আগষ্ট, মানবতাবাদী লেখক ও রাশিয়ার বিপ্লবী সাহিত্যিক লেভ টলষ্টয়ের জন্ম; মৃত্যু-২০-১১-১৯১০ তারিখ। ১৮২৮ সালের ৩১ অক্টোবর, বৃটিশ রসায়নবিদ ও বিদ্যুৎ বাতির উদ্ভাবক জোসেফ সোয়ানের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৮২৮ সালে নবাব আব্দুল লতিফ ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন; তিনি ১৮৪৮ সালে কলকাতা মাদ্রাসার ইংরেজী ও আরবী বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন, ১৮৬২ সালে নবাব আব্দুল লতিফ মুসলমানদের মধ্যে প্রথমবঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন এবং ১৮৮৪ সালে নবাব আব্দুল লতিফ চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন, মৃত্যুঃ ১০-০৭-১৮৯৩ তারিখ। ১৮৩২ সালে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার চিতওয়া গ্রামে ওবায়দুল্লাহ আল ওবায়দী সোহরাওয়ার্দীর জন্ম, ঢাকায় মৃত্যু-০৯-০২-১৮৮৫ তারিখ।
১৮৩৩ সালের ২০ জুলাই, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কুন্ডুপাড়ার এক দরিদ্র পরিবারে গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৎ উনিশ শতকের সংবাদপত্র গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক কাঙাল হরিণাথ মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০৪-১৮৯৬ তারিখ। ১৮৬৩ সালে কুমারখালী বাংলা পাঠশালার প্রধান শিক্ষক কাঙাল হরিণাথ মজুমদার মাসিক গ্রামবার্তা প্রকাশিকা প্রকাশ করেন। ১৮৩৩ সালের ২১ অক্টোবর, সুইডেনের রাজধানী স্কটহোমে জন্মগ্রহণ করেন আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেল, মৃত্যু-১০-১২-১৮৯৬ তারিখ। তিনি সুইডেনের একজন খ্যাতিমান শিল্পপতি, বিজ্ঞানী, যিনি বিশ্বের সেরা এই পুরস্কারের প্রবর্তক, যা তাঁর নিজ নামে সন্নিহিত তথা নোবেল প্রাইজ রুপে বিশ্ববিশ্রুত। ১৮৬৭ সালে পেটেন্টকৃত আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেলের বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টিকারী আবিস্কার ‘ডিনামাইট’ জগৎ জুড়ে শিল্প উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিস্ময়কর অবদান রেখে আসছে। ১৯০১ সালে প্রথমবার নোবেল প্রাইজ প্রদানের পর থেকে অদ্যাবধি কোন বিশেষ ব্যক্তিকে প্রদান করা হয় তা নোবেল কমিটি কর্তৃক প্রকাশের পূর্বে কেউই নিশ্চিতভাবে জানতে পারে না। পৃথিবীর মধ্যে এ পুরস্কার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। ১৮৩৪ সালের ১৪ মে, নরসিংদীর সদর উপজেলার মেহেরপাড়ায় কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক গিরিশ চন্দ্র সেনের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৫-০৮-১৯১০ তারিখ। তিনি ১৮৮০ থেকে ১৮৮৬ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর কাজ করে কোরআন শরিফের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। ১৮৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার হোমনাবাদ পরগনার পশ্চিমগাঁও-এ নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৯-১৯০৩ তারিখ। ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী কুমিল্লা জেলার প্রথম নবাব উপাধি পান। ১৮৩৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘরের পশ্চিম ঘোষপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন প্রতিথযশা এ আইনবিদ স্যার চন্দ্রমাধব ঘোষ, মৃত্যু-জানা নেই। ১৯০৬ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৮৩৮ সালের ২৬ জুন, বাংলা উপন্যাসিক ও প্রবন্ধ-নিবন্ধ সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম; মৃত্যু-০৮-০৪-১৮৯৪ তারিখ। ১৮৪০ সালের ১১ মার্চ, কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবি, দার্শনিক, গনিতজ্ঞ, বাংলা শর্টহ্যান্ড ও স্বরলিপির উদ্ভাবক, চিত্রশিল্পী ও স্বদেশ প্রেমিক দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যু-১৯-০১-১৯২৬ তারিখ।
১৮৪০ সালে হুগলি জেলা নিবাসি দেলোয়ার হোসেন আহমেদ বা মির্যা দেলোয়ার হোসেনের জন্ম (মুসলমানের মধ্যে প্রথম গ্র্যাজুয়েট হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮৬৩ সালে) মৃত্যু-১৯১৬ সালে। ১৮৪০ সালে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার অমৃতবাজার গ্রামে সংবাদপত্রের জগতের কিংবদন্তি শিশির কুমার ঘোষের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১০-০১-১৯১১ তারিখ। ১৮৬৮ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, প্রকাশ করেন ‘সাপ্তাহিক অমৃতবাজার’ পত্রিকা । ১৮৭১ সালে সপরিবারে কলকাতায় গিয়ে সেখান থেকেই ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’ বের করতে থাকেন। ১৮৯১ সালে পত্রিকা দৈনিক হিসেবে প্রকাশ হতে থাকে। ১৮৪৪ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, নাট্যকার, পরিচালক ও বাংলা নাটকের লেখক গিরিশচন্দ্র ঘোষের জন্ম, মৃত্যু-১০-০১-১৯১১ তারিখ। ১৮৪৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পেয়ারাকান্দি গ্রামের কাজী বাড়িতে নবাব সিরাজুল ইসলামের জন্ম, মৃৃত্যু-১৯২৩ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে নবাব সিরাজুল ইসলাম ১৮৬৮ সালে বি. এ. পাশ করেন (কুমিল্লা জেলার প্রথম গ্রাজুয়েট) এবং কিছুকাল তিনি পোগোজ হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত থাকেন। পরে তিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হন। ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকুরী চলে যাবার পর কলকাতা আইন কলেজ থেকে আইন পাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের ইংরেজী শিক্ষিত প্রথম মুসলমান এডভোকেট ছিলেন। সিরাজুল ইসলাম ১৯০৬ সালে ‘নবাব’ উপাধি পান। ১৮৪৬ সালে ঢাকার নবাব স্যার খাজা আহসান-উল্লাহর জন্ম, মৃত্যু-১৬-১২-১৯০১ তারিখ। ১৮৪৭ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, কানাডার মিলানে মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম এবং মৃত্যু-১৮-১০-১৯৩১ তারিখ। ১৮৪৭ সালের ৩ মার্চ, এডিনবার্গ, স্কটল্যান্ডে, আলেকজান্ডার গ্রাহামবেলের জন্ম, মৃত্যু-০২-০৮-১৯২২ তারিখ। ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর, কুষ্টিয়া জেলার গৌরী নদীর তীরে লাহিনীপাড়া গ্রামে ‘বিষাদসিন্ধু’র রচয়িতা ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেনের জন্ম, মৃত্যুঃ ১০-১২-১৯১২ তারিখ।
১৮৪৯ সালের ৬ এপ্রিল, উড়িষ্যার কটকে বিচারপতি স্যার সৈয়দ আমীর আলীর জন্ম; মৃত্যু-০৩-০৮-১৯২৮ তারিখ লন্ডনে। ১৮৭৩ সালে সৈয়দ আমীর আলী ব্যারিস্টার হন। ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম প্রিভি কাউনসিল হন সৈয়দ আমীর আলী। ১৮৯০ সালের ২ জানুয়ারি, সৈয়দ আমীর আলী কলকাতা হাইকোর্টের মুসলমানের মধ্যে প্রথম বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ১৮৬৮ সালে এম. এ. (ইতিহাস)-এ পাস করেন হুগলি কলেজ থেকে, তিনি বাঙালি মুসলমানের মধ্যে প্রথম এম. এ. পাস এবং প্রথম ব্যারিস্টারও তিনি। ১৮৪৯ সালে বিক্রমপুরের গাড়ডুগা গ্রামে প্রখ্যাত গণিতশাস্ত্রবিদ অধ্যাপক রাজকুমার সেনের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। পদার্থ বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনাসহ জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, সুনামগঞ্জের লক্ষণশ্রী গ্রামের বিখ্যাত জমিদার, বাংলার মরমী কবি ও সাধক হাছন রাজার জন্ম, মৃত্যুঃ ০৭-১২-১৯২২ তারিখ। মরমী কবি হাছন রাজা হলো দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফের নানা। ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই, ইংল্যান্ডের ভুবলিন শহরে নোবেল বিজয়ী কবি ও সাহিত্যিক জর্জ বার্নার্ড শ’র জন্ম, মৃত্যু-০২-১১-১৯৫০ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯২৫ সালে নোবেল পান। ১৮৫৬ সালের ২৫ জানুয়ারি, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার অন্তর্গত বাটোজোর একটি ছোট গ্রামের সচ্ছল কায়স্থ ভূম্যধিকারী পরিবারে জনহিতৈষী ও জাতীয়তাবাদী নেতা এডভোকেট অশিনীকুমার দত্তের জন্ম, মৃত্যু-০৭-১১-১৯২৩ তারিখ। ১৮৫৬ সালে পেনসিলভানিয়ার ক্রেসনে উত্তর মেরুজয়ী মার্কিন অভিযাত্রী রবার্ট পিয়েরির জন্ম, ১৯২০ সালে মারা যান। ১৯১১ সালে রিয়ার এডমিরাল হিসেবে অবসর নেন পিয়েরি। ১৯০৯ সালের ৬ এপ্রিল, বহু দিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী ম্যাথু হ্যানসন ও চারজন দুঃসাহসী এস্কিমো নিয়ে প্রথম পা রাখলেন আর্কটিকের উত্তর মেরুতে রবার্ট পিয়েরি। উত্তর মেরুজয়ের ১০০ বছর পুরো হবে ০৬-০৪-২০০৯ তারিখ। ১৮৫৭ সালের ৮ নভেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের সাদক ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁর জন্ম, মৃত্যু-২৫-০১-১৯৩৩ তারিখ। ১৮৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, যুক্তরাষ্টের ২৬তম প্রেসিডেন্ট থিডোর রুজবেল্টের জন্ম, ১৯১৯ সালের ৬ জানুয়ারি, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের মৃত্যু।
১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর, বিজ্ঞানী স্যার জগদীস চন্দ্র বসু ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন (মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের রাড়িখাঁল গ্রামে বাবার বাড়ি), ২৩-১১-১৯৩৭ তারিখ গিরিডিতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি শিক্ষাজীবন শুরু করেন ফরিদপুরের একটি স্কুলে। তারপর ১১ বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে যান। সেখানে সেন্ট জিভিয়ার্স স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৮৭৫ সালে এন্ট্রান্স পাশ করেন। ১৮৭৯ সালে বিজ্ঞান বিষয়ে বি.এ. পাশ করেন। ১৮৯৬ সালে লন্ডন ভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব সাইন্স’ উপাধি পান। ১৮৫৮ সালে বাঙ্গালী ঐতিহ্য ও হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ইরানী বংশোদ্ভূত বাংলাকাব্যের মহাকবি কায়কোবাদ ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ, মৃত্যুবরণঃ ২১-০৭-১৯৫১ তারিখ। ১৮৫৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বিটঘর গ্রামে মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-১৯৪৩ সালে। মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের আর্থানুকূলে ২৫টির অধিক উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মক্তব পরিচালিত হয়। উনার বাবার নামে কুমিল্লা ইশ্বর পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৮ সালে উপমহাদেশের নন্দিত গণিতসম্রাট যাদবচন্দ্র চক্রবর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার কামারচন্দ্র থানার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২৬-১১-১৯২৩ তারিখ। তিনি ১৮৭৬ সালে এন্ট্রান্স, ১৮৭৮ সালে এফ. এ., ১৮৮০ সালে বি.এ. পাস করেন এবং ১৮৮৬ সালে গণিতে এম. এ. পাস করেন প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে। বি. এ. পাস করার পর ১৮৮১ সালে ছয় বছর মিশন কলেজ ও সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৮৮৭ থেকে একাদিক্রমে ২৮ বছর অধ্যাপনা করেন। ১৯১৫ সালে অবসর নেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৮৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি, ভারতের ভাইসরয় লর্ড জর্জ কার্জন জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২০-০৩-১৯২৫ তারিখ। ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ গোয়েন্দা কাহিনীর লেখক, শার্লক হোমসের রচয়িতা স্যার আর্থার বোনান ডয়েলের জন্ম, মৃত্যু-১৯৩০ সালে। ১৮৫৯ সালের ২৩ অক্টোবর, যশোরের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব রায়বাহাদুর যদুনাথ মজুমদারের জন্ম, মৃত্যু-২৪-১০-১৯৩২ তারিখ। ১৮৮১ সালে এম. এ. পরীক্ষায় ইংরেজীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। দীর্ঘকাল ছিলেন যশোর পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, যশোর জেলা বোর্ডের প্রথম মনোনীত চেয়ারম্যানও।
১৮৬১ সালের ৭ মে, (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বাংলা) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যু-০৭-০৮-১৯৪১ তারিখ। ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে মৃণানিলী দেবীর বিয়ে হয়। তিনি ১৯১৩ সালের ১৫ নভেম্বর, নোবেল পুরস্কার পেয়ে বাঙ্গালীদের মন জয় করেছিলেন। ১৮৬১ সালের ১৮ জুলাই, প্রথম বাঙালি নারী চিকিৎসক কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর জন্ম, (১৮৮৬ সালে প্রথম ভারতীয় ডিগ্রিপ্রাপ্ত নারী চিকিৎসক ছিলেন) মৃত্যুঃ ০৩-১০-১৯২৩ তারিখ। ১৮৬১ সালে ঢাকা জেলার মহেশ্বরদী পরগনার নরসিংদী গ্রামে কবিগুণাকর হরিচরণ আচার্য্যরে জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৫-১৯৪১ তারিখ। ১৮৬২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ভারতের কাশ্মীরে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনীতিবিদ পন্ডিত মতিলাল নেহেরুর জন্ম, মৃত্যুঃ ০৬-০২-১৯৩১ তারিখ। ১৮৬২ সালের ১০ নভেম্বর, ইংল্যান্ডের উম্বারল্যান্ডের হেপসকট শহরে রমনা-নিসর্গের স্থপতি রবার্ট লুইস প্রাউডলকের জন্ম, মৃত্যু-১৯৩৬ সালের পরে হবে, জানা নেই। প্রায় ১০০ বছর আগে তিনি রাজধানী শহর ঢাকাকে উদ্যানের নগর হিসেবে গড়ে তুলতে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, সেই অসামান্য অবদানের জন্য তিনি আমাদের কাছে নমস্য হয়ে থাকবেন। ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, নবীনগর উপজেলার, শিবপুর গ্রামে সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র জন্ম, মৃত্যু-মাইসুর, কলকাতাঃ ০৬-০৯-১৯৭২ তারিখ। ১৮৬৩ সালের ১ জানুয়ারি, আধুনিক ওলিম্পিক ক্রীড়ার ‘জনক’ তিনি হলেন ফ্রান্সের বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী ব্যারন পিয়ের দ্য কুব্যাঁর্ত্যাের জন্ম, মৃত্যু-০২-০৯-১৯৩৭ তারিখ। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি, হিন্দুধর্ম ও সমাজ সংস্কারক স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন, ০২-০৭-১৯০২ তারিখ ৯টা ৫০মিনিটের সময় মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৬৩ সালের ১০ মে, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মাছূয়া গ্রামের রায় পরিবারে উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ২০-১২-১৯১৫ তারিখ। উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী ছিলেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধু। উপেন্দ্র কিশোর রায় ১৮৯৪ সালের দিকে কলকাতায় বইছাপা কারখানা দেন এবং পরে নিজেই পাবলিসারস হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৮৬৩ সালে ফেনী জেলার শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক খান বাহাদুর আবদুল আজীজের জন্ম, মৃত্যু-১৯২৬ সালে। তাঁর পিতা আমজাদ আলী ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারী। আবদুল আজীজ ঢাকা কলেজ থেকে ১৮৮৬ সালে বি.এ. পাস করে। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার প্রথম গ্র্যাজুয়েট ছিলেন। পরিচয় হলোঃ কবি হাবিবুল্ল¬াহ বাহার ও কবি শামসুন নাহারের নানা। ১৮৬৩ সালে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিখ্যাত চিকিৎসক এবং শিক্ষাবিদ ডা. হাকিম আজমল খানের জন্ম, মৃত্যু-১৯২৭ সালে। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জাতীয় কংগ্রেস, মুসলিম লিগ এবং অল ইন্ডিয়া খিলাফত কমিটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৮৬৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর, ধনবাড়ি, টাঙ্গাইল, নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৭-০৪-১৯২৯ তারিখ। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম মন্ত্রী, বিশিষ্ট লেখক, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৬৪ সালের ২৯ জুন, প্রধান বিচারপতি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম হয় কলকাতা মলঙ্গা লেনের এক বাসাবাড়িতে এবং ২৫-০৫-১৯২৪ সালে পাটনায় হঠাৎ-ই পরলোগমন করেন। ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলার বাসন্ডা গ্রামে কবি কামিনী রায়ের জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৯-১৯৩৩ তারিখ। তিনি ১৫ বছর বয়সেই লিখেছেন প্রথম কবিতাগ্রন্থ “আলো ও ছায়া”। ১৮৬৬ সালে নাছিরনগর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামে নবাব স্যার সৈয়দ শামসূল হুদার জন্ম, (সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন) মৃত্যু-১৯২২ সালে। ১৮৬৬ সালে চীনা জাতীয়তাবাদী নেতা সানইয়াৎ সেনের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৩-১৯২৫ তারিখ। ১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর, ওয়রশতে পোলিশ বংশোদ্ভূত ফরাসি রসায়নবিদ ও বিশ্বের প্রথম তেজস্ক্রিয় মৌল পোলোনিয়ামের আবিস্কারক মেরি কুরীর জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৭-১৯৩৪ তারিখ। ১৮৯৮ সালে প্যারিসে খনিজ পিচবেøন্ড থেকে-পোলোনিয়াম নিস্কাশন করেন। পরবর্তী সময় একই বছরেই তিনি রেডিয়াম নামের আরেকটি তেজস্ক্রিয় মৌল আবিস্কার করেন। ১৮৬৭ সালে সিলেট জেলায় গজনফর আলী খানের জন্ম (গজনফর আলী খান ১৮৯৭ সালে অবিভক্ত ভারতের প্রথম বাঙালি মুসলিম আই.সি.এস. অফিসার ছিলেন) মৃত্যু-২৬-০৩-১৯৫৯ তারিখ। ১৮৬৭ সালের ১৬ এপ্রিল, অরবিল রাইট আমেরিকান ইন্ডিয়ানা প্রদেশে জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৫-১৯১২ তারিখ। ১৮৭১ সালে উইলবার রাইট আমেরিকান ইন্ডিয়ানা প্রদেশে জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৫-১৯৪৮ তারিখ। ১৯০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, রাইট ভ্রাতৃদ্বয় তাদের নির্মিত উড়োজাহাজের সফল উড্ডয়ন ঘটান। এরা দুই-ভাই বিমান উৎপাদন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। ১৮৬৭ সালে মানিকগঞ্জ জেলায় বাংলা চলচ্চিত্রের জনক ও প্রবাল পুরুষ হীরালাল সেনের জন্ম, মৃত্যু-২৯-১০-১৯১৭ তারিখ। ১৮৯৮ সালের ৪ এপ্রিল, বাংলা চলচ্চিত্রের জনক হীরালাল সেন প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।
১৮৬৮ সালের ২৮ মার্চ, রাশিয়ায় বিপ্লবী সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির জন্ম, মৃত্যু-১৮-০৬-১৯৩৬ তারিখ। ১৮৬৮ সালের ৭ জুন, পশ্চিম বাংলার উত্তর ২৪(চব্বিশ) পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার হাকিমপুর গ্রামে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ’র জন্ম, ১৯৬৮ সালের ১৮ আগষ্ট, তিনি ঢাকাতে ইন্তেকাল করেন। ১৯০৩ সালে মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। ১৯৩৬ সালে তিনি দৈনিক আজাদ পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৮৬৯ সালের ৩০ এপ্রিল, ভারতের সিনেমা জগতের অগ্রদূত দাদা সাহেব ফালকে’র জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৯১২ সালে ভারতের বোম্বে প্রথম সিনেমা তৈরী করেন দাদা সাহেব ফালকে। ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর, গুজরাটে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম, আততায়ীর গুলিতে নিহতঃ ৩০-০১-১৯৪৮ তারিখ। ১৮৭০ সালের ২২ এপ্রিল, রুশ বিপ্লবের নেতা ও মার্কসবাদের রুপকার ভøাদিমির ইলিচ মহামতি লেনিনের জন্ম, মৃত্যু-২২-০১-১৯২৪ তারিখ। ১৮৭০ সালের ৭ জুন, নবাব স্যার সলিমুল্লাহর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০১-১৯১৫ তারিখ। (রাত আড়াই ঘটিকায় কলকাতায় চৌরঙ্গীস্থ বাসভবনে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। পরদিন ১৭ জানুয়ারি, বিকেলে বিশেষ স্টীমারযোগে নবাবের মরদেহ ঢাকায় আনা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম বাজারস্থ পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হয়। ১৯০৩ সালে দিল্লীর দরবারে সপ্তম অ্যাডওয়ার্ডের মুকুট পরিধান উৎসবে সলিমুল্লাহকে নবাব বাহাদুর উপাধি প্রদান করে ইংরেজ সরকার। ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার তেলিরবাগ গ্রামে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্ম; মৃত্যুঃ ১৬-০৬-১৯২৫ তারিখ।
১৮৭০ সালে ড. স্যার আবদুল্লাহ আল-মামুন সোহরাওয়ার্দীর জন্ম, মৃত্যু-১৯৩৫ সালে কলকাতায়। তিনি ১৯০৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী বাঙালি মুসলমান। ১৮৭১ সালের ৭ আগষ্ট, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে চিত্রশিল্পী ও সাহিত্যিক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৫-১২-১৯৫১ তারিখ। ১৮৭১ সালের ১০ অক্টোবর, চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিশিষ্ট পুঁথি সংগ্রাহক ও লেখক আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ৩০-০৯-১৯৫৩ তারিখ। ১৮৭১ সালের ২০ অক্টোবর, ঢাকায় কবি, গীতিকার ও গায়ক অতুলপ্রসাদ সেনের জন্ম, লক্ষেèৗয়ে মৃত্যুঃ ২৬-০৮-১৯৩৪ তারিখ। ১৮৭২ সালের ৪ এপ্রিল, গুজরাটের বস্ত্র শিল্প অধ্যুষিত সুরাট নগরে আবদুল্লাহ ইউসুফ আলীর জন্ম, (আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী ১৮৯৫ সালে অবিভক্ত ভারতের প্রথম মুসলিম আই. সি. এস. অফিসার ছিলেন) মৃত্যু-১০-১২-১৯৫৩ তারিখ লন্ডনে। ২৩ বছর বয়সে তরুণ ইউসুফ আলী ভারতের নতুন আই. সি. এস. অফিসার হিসেবে, ১৮৯৬ সালে যুক্তপ্রদেশের সাহারানপুরে এ্যাসিসটেন্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদেন। ১৮৭২ সালের ১৮ মে, ইংল্যান্ডের মনমর্ডিথশায়ারের রাভেনস্ক্রফ্ট শহরে নোবেল জয়ী সাহিত্যিক, দার্শনিক ও গণিতজ্ঞ বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম, মৃত্যু-০২-০২-১৯৭০ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৫০ সালে নোবেল পান। ১৮৭২ সালের ১৫ আগষ্ট, কলকাতায় জাতীয়তাবাদী নেতা, আধ্যাত্মিক সাধক ও দার্শনিক অরবিন্দু ঘোষের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৫-১২-১৯৫০ তারিখ। ১৮৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়ক গ্রামে ব্যারিস্টার আবদুর রসুল, বি. সি. এল.-এর জন্ম, লন্ডনে মৃত্যুঃ ৩১-০৭-১৯১৭ তারিখ। তিনি ছিলেন এ উপমহাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা। ১৮৭২ সালের ১৬ অক্টোবর, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার খাসপুর গ্রামে সাহিত্য চর্চা, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিক ও সাংবাদিক আবদুল গফুর সিদ্দিকীর জন্ম, মৃত্যু-১৯৫৯ সালে। ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক বাকেরগঞ্জের সাতুরিয়া গ্রামে তাঁর মামার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন, ঢাকায় মৃত্যু-২৭-০৪-১৯৬২ তারিখ। চাখারে তিনি একটি একতলা ইটের বাংলো বাড়ীতে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি ১৯৩৭ সালে বাংলার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৮৭৪ সালের ৩০ নভেম্বর, ইংল্যান্ডে নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রনায়ক উইনষ্টন চার্চিল জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২৪-০১-১৯৬৫ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ সালে নোবেল পান। ১৮৭৫ সালের ৩০ অক্টোবর, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জাতীয়তাবাদী নেতা বল্লভভাই প্যাটেলের জন্ম, মৃত্যু-১৫-১২-১৯৫০ তারিখ। ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, বিখ্যাত কথাশিল্পী ও সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম, মৃত্যু-১৬-০১-১৯৩৮ তারিখ।
১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর, করাচিতে (জিন্নার বাবা-মায়ের নাম ছিল জেনাভাই ঠক্কর এবং মিঠাভাই) জেনাভাই এবং মিঠাভাইয়ের একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। প্রথা অনুসারে জেনাভাই নাম স্থির করেন, মিঠাভাই সম্মতি জানান। মুহম্মদ আলি জেনাভাই। মামলায় সম্পত্তি হারানোর পর ১৮৯৩ সালের জানুয়ারিতে তাঁর সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আদায় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মুহম্মদ আলি জেনাভাই ইংল্যান্ডে জিন্নাহ নাম ধারণ করে। করাচি থেকে ১৮৯৩ সালের জুলাই মাসে বম্বের দুর্গা মহল্লাতে থাকতে শুরু করেন মুহম্মদ আলি জিন্নাহর বাবা ও মা। জায়গাটা বম্বের কেল্লার ঠিক বাইরে। জিন্না খোজা মুসলিম ছিলেন। তিনি শিয়া গোষ্ঠীর ইথনা আশারি স¤প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। হিন্দু লোহানা, জাতি থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন খোজা স¤প্রদায়। যার মধ্যে হিন্দু-মুসলিম দুয়েরই মিশ্রণ। ভারতের গুজরাত প্রদেশে কাথিয়াবাড়ের অবস্থান, কচ্ছের বৃহৎ রানের তলায়। পশ্চিমে আরব সাগর তাকে ঘিরে রয়েছে, প্রসারিত হয়েছে স্থলের দিকে, উর্বর এবং সুজলা ‘একশো রাজত্বের’ ভূমি, ভাল নাম সৌরাষ্ট্র। কাথিয়াবাড় অর্থাৎ কাথিদের ভূমি, যেখানে পাওয়া যায় উত্তম কাথিয়াবাড়ি ঘোড়া, সুন্দরী-কাথি নারী, বিচক্ষণ বণিক এবং বহু ধনী বণিক পরিবার, হিন্দু এবং মুসলিম। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মৃত্যুবরণ করেন-১১-০৯-১৯৪৮ তারিখ করাচিতে। তিনি ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। তবে তদানীন্তন কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর আচরণে তিনি আলাদা রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, এমনকি পাকিস্তানের জন্মের পরও জিন্নাহ ঘোষণা করেছিলেন, পাকিস্তান কোনো ধর্মীয় রাষ্ট্র হবে না এবং এ রাষ্ট্র হবে সকলের জন্য সমান। জিন্নাহ এবং সরোজিনী নাইডু ইংল্যান্ডে একই সময়ে ছিলেন। জিন্না মঞ্চাভিনয় করার চেষ্টা করেছিলেন, হয়তো তা পেশা হিসেবে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। জিন্নাহ ও সরোজিনী নাইডু দুজনেই শিল্পে আগ্রহী ছিলেন, সরোজিনী কবি ও লেখক হিসেবে, জিন্না নাটকে। জিন্না ভারতবর্ষে একমাত্র ব্যক্তি জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের একসাথে প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর, সাতক্ষিরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামে শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক খান বাহাদুর আহ্ছান উল্লাহ’র জন্ম, মৃত্যু-০৯-০২-১৯৬৫ তারিখ। তিনি পরীক্ষায় রোল নম্বর সিস্টেম করেন, এর আগে পরীক্ষায় নাম লেখা থাকত। ১৮৭৭ সালের ৯ মে (বাংলা ১২৮৪ সালের ২৫ বৈশাখ) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার গোমদন্ডী গ্রামে বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবিয়াল রমেশ চন্দ্র শীলের জন্ম, মৃত্যু-০৬-০৪-১৯৬৭ তারিখ। ১৯৪৮ সালে কলকাতায় শ্রদ্ধানন্দ পার্কে কবিগানের আসরে রমেশ চন্দ্র শীলকে ‘বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবিয়াল’ উপাধি দেন উদ্যোক্তারা। ১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর, বিখ্যাত উর্দু মহাকবি ও দার্শনিক আল্লামা ইকবাল পাঞ্জাবের শিয়ালকোর্টে জন্ম এবং মৃত্যু-২১-০৪-১৯৩৮ তারিখ। ১৮৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি (বাংলা-১০ মাঘ, ১২৮৪ বঙ্গাব্দ), বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া গ্রামে সাধক ও কবি মহর্ষি মনোমোহন দত্তের জন্ম, মৃত্যু-০৫-১০-১৯১০ তারিখ (বাংলা-২০ আশ্বিন, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। মহর্ষি মনোমোহন দত্ত বেঁচেছিলেন ৩১ বছর ৮ মাস ১০ দিন। মানবতাবাদী মহর্ষি মনোমোহন দত্ত তাঁর স্বল্প আয়ুতে ২০টিরও বেশি কাব্যগ্রন্থ রচনা করে গেছেন। যার মধ্যে মলয়া (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড) সবচেয়ে আলোচিত ও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। মলয়া কাব্যগ্রন্থে গানের সংখ্যা সর্বমোট ৪২৬টি। এর মধ্যে প্রথম খন্ডে ২৮৭ এবং দ্বিতীয় খন্ডে ১৩৯টি মরমি গান লিপিবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এ মরমিসংগীত মলয়ার প্রতিটি গানের সুরারোপ করেছেন মনোমোহনের আধ্যাত্মিক জীবনের অন্যতম সাথি ও শিষ্য ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁ। এ ছাড়া তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, যোগপ্রণালী, উপাসনা প্রণালী, উপবন, তপোবন, লীলারহস্য, আরাধনা, গিরিজা মালতি, প্রেম পরিজাত, পথিক, পাথেয়, দেববাণী প্রভৃতি। ১৮৭৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, বিক্রমপুরে বানাড়ি গ্রামে চারণ কবি, গায়ক, নাট্যকার, সমাজসেবক, অভিনেতা ও পরিচালক মুকুন্দ দাসের জন্ম এবং কলকাতায় মৃত্যু-১৮-০৫-১৯৩৫ তারিখ। ১৮৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর, সোভিয়েত নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান জোসেফ স্তালিনের জন্ম, মৃত্যু-০৫-০৩-১৯৫৩ তারিখ। ১৮৭৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও, বিক্রমপুরে ভারতের কবি, রাজনীতিবিদ, বাগ্মী, স্বাধীনতা আন্দোলনের নেত্রী ও ‘প্রাচ্যের বুলবুল’ সরোজিনী নাইডুর জন্ম, লক্ষেèৗ গভর্নর হাউসে মৃত্যু-০১-০৩-১৯৪৯ তারিখ। তিনি ১৮৯১ সালে বার বছর বয়সে এন্ট্রান্স পাস। সরোজিনী নাইডু ১৯৪৫ সালে অল-ইন্ডিয়া ওমেন্স কনফারেন্স এ সভাপতি নির্বাচিত হন। উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল নিযুক্ত ১৫ আগষ্ট, ১৯৪৭ সাল থেকে আমৃত্যু এ পদে দায়িত্ব পালন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও। তাঁর পিতার নাম ড. অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন হায়দ্রাবাদ রাজ্যের নিজামের শিক্ষা উপদেষ্টা। ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ, জার্মানে আপেক্ষিকতাবাদের জনক বিখ্যাত জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্ম এবং মৃত্যু-১৮-০৪-১৯৫৫ তারিখ আমেরিকাতে। ১৮৮০ সালের ১৩ জুলাই, সিরাজগঞ্জে মুসলিম জাতীয়তাবাদের রাজনীতিক, কবি ও সাহিত্যিক সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর জন্ম, মৃত্যু-১৭-০৭-১৯৩১ তারিখ। ১৮৮০ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ি উপজেলার রাউথভোগ গ্রামে হতদরিদ্র ঘরে সূর্য কুমার বসুর জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। এ কৃতীপুরুষ পূর্ববঙ্গে সর্বপ্রথম ১৯২২ সালে ‘ঢাকেশ্বরী কটন মিলস’ নামে বস্ত্রকল প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর, রংপুর জেলার পায়রা বন্ধ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে বেগম রোকেয়ার জন্ম এবং মৃত্যু কলকাতায় ভোর রাতে-০৯-১২-১৯৩২ তারিখ। ১৮৯৮ সালে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয় তৎকালীন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর সৈয়দ সাখাওয়াৎ হোসেনের সাথে। ১৯১৬ সালে কলকাতায় ‘আঞ্জুমানে খাদেমুন ইসলাম’ নামে মুসলিম মহিলা সমিতি গঠন করেন। ১৯২৯ সালে তিনি কলকাতায় প্রথম মুসলিম মহিলা ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর, বিশ্বখ্যাত স্পেনীয় চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্ম, মৃত্যু-০৮-০৪-১৯৭৩ তারিখ। ১৮৮১ সালের ১৯ মে, আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা, স্থপতি ও মহান নেতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক পাশার জন্ম, ইন্তেকাল-১০-১১-১৯৩৮ তারিখ। ১৮৮২ সালের ৩০ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্টের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডেলানো রুজভেল্টের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৪-১৯৪৫ তারিখ। ১৮৮২ সােেলর ৯ এপ্রিল, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজার গ্রামে কবি ও সাহিত্যিক শেখ ফজলুল করিমের জন্ম, ইন্তেকাল ২৮-০৯-১৯৩৬ তারিখ। ১৮৮২ সালে ইংরেজী সাহিত্যের এক দিকপাল ভার্জিনিয়া উলফের জন্ম, আত্মহত্যা করেন-২৮-০৩-১৯৪১ তারিখ। ১৮৮৩ সালে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন কেইনসের জন্ম, মৃত্যু-১৯৬৩ সালে। ১৮৮৩ সালে ইতালীর স্বৈরশাসক বেনিত্তো মুসোলিনির জন্ম, (স্ত্রীর নাম ছিল ক্লারেটা) সস্ত্রীক নিহত হন-২৮-০৪-১৯৪৫ সালে। ১৮৮৩ সালে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া জমিদার পরিবারে মুসলিম ঐতিহ্য ঔপন্যাসিক মোহাম্মদ নুরুল হক চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-০৩-০২-১৯৮১ তারিখ। ১৮৮৪ সালের ১২ মার্চ, টাঙ্গাইল জেলার বিল্লাইক গ্রামে আইনজীবী ও সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের জন্ম, মৃত্যু-১২-০২-১৯৬১ তারিখ। ১৮৮৪ সালের ৬ এপ্রিল, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল গ্রামে নরেন্দ্রনাথ দত্তের (ক্যাপ্টেন দত্ত নামে সুপরিচিত) জন্ম, মৃত্যু-২১-০৯-১৯৪৯ তারিখ। তিনি শ্রীকাইল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৪১ সালে। ১৮৮৪ সালের ২০ এপ্রিল, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার মিজিতলা গ্রামে বৌদ্ধ ধর্মগুরু ও সপ্তম সংঘনায়ক অভয়তিষ্য মহাস্থবিরের জন্ম, মৃত্যু-০১-০৭-১৯৭৪ তারিখ। ১৮৮৪ সালের ২৬ এপ্রিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর খাঁ পরিবারে উজ্জল রতœ ও সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ’র জন্ম, মৃত্যুঃ ০২-০৯-১৯৬৭ তারিখ। ১৮৮৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী গ্রামে সাবেক বঙ্গীয় আইন সভার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট এবং বছরখানেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন (১৯৪০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) এবং (১৯৫১ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতায় তদানীন্তন পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন) ও প্রাদেশিক পরিষদের সাবেক স্পীকার (১৯৬২-১৯৬৮) আব্দুল হামিদ চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৯-১৯৬৯ তারিখ। ১৮৮৫ সালের ১৬ এপ্রিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের বাঘবাড়িতে বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৭-০৫-১৯৬৫ তারিখ। ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায় শিক্ষাবিদ, পন্ডিত, বহু ভাষাবিদ ও মনীষী ইমিরিটাস অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ১৩-০৭-১৯৬৯ তারিখ। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে উক্ত সালের জুন মাসে সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগে লেকচারার হিসাবে যোগদান করে ২৩ বছর অধ্যাপনা করে ১৯৪৪ সালে (অব.)। ১৮৮৫ সালের ১২ ডিসেম্বর, পাবনা জেলা সিরাজগঞ্জ শহরের কিছু দূরে এবং যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত ধানগড়া গ্রামে মওলানা আবদুল হামিদ খাঁন ভাসানীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৭-১১-১৯৭৬ তারিখ। ১৯২৪ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ভাসানচরে এক বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন এবং সেখান থেকেই তাঁর নামের সঙ্গে ‘‘ভাসানী’’ শব্দটি যুক্ত হয়।
১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে তিন মাইল উত্তরে রামরাইল গ্রামে আইনজীবী, সমাজকর্মী ও রাজনীতিক শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের জন্ম, ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাক আর্মী কুমিল্লার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং গুলিতে মৃত্যু-১৪-০৪-১৯৭১ তারিখ। উনি একমাত্র ব্যক্তি প্রথম পাকিস্তানের জাতীয় গণ-পরিষদে বলেছিলেন, বাংলা ভাষা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করতে হবে। ১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর, কলকাতা শহরে শিশু সাহিত্যিক ও কবি সুকুমার রায়ের জন্ম, মৃত্যুঃ ১০-০৯-১৯২৩ তারিখ। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও কবি এবং ছড়াকার, শিশুদের জন্য। ১৮৮৭ সালে চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন-লাইয়ের জন্ম, মৃত্যু-০৮-০১-১৯৭৬ তারিখ। ১৮৮৭ সালের ৩১ অক্টোবর, চীনা যোদ্ধা এবং জাতীয়তাবাদী চীনের (বর্তমান তাইওয়ান) প্রেসিডেন্ট চিয়াং কাইশেকের জন্ম, মৃত্যু-০৫-০৪-১৯৭৫ তারিখ। ১৮৮৭ সালের ২২ অক্টোবর, দুনিয়া কাঁপানো দশ দিনের লেখক ও সাংবাদিক জন রীডের জন্ম, মৃত্যু-১৯..? ১৮৮৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার শ্যামগ্রাম গ্রামে রাখাল চন্দ্র রায়ের জন্ম, মৃত্যু-০২-১১-১৯৮৯ তারিখ ১০২(একশত দুই) বছর বয়সে। উনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জিলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৮৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর, ঢাকার ভাগ্যকুলে সংস্কৃত পন্ডিত, গবেষক ও শিক্ষাবিদ অমরেশ্বর ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যু-২৪-০১-১৯৭৯ তারিখ। ১৮৮৮ সালের ১ জানুয়ারি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা গ্রামে রায় সাহেব কামিনীকুমার ঘোষের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে। কলকাতা থেকে ফিরে এসে চাঁচা বঙ্গচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে ১৯১৩ সাল থেকে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। বিয়ের পর ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর ভারত শাসন আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে আইন পেশা ছাড়েন এবং আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে জড়িয়ে পড়েন। ১৮৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি, বিক্রমপুরে রোহিনীকান্তের ঔরসে ও শরৎকামিনী দেবীর গর্ভে নলিনীকান্ত ভট্টশালীর জন্ম, মৃত্যু-০৬-০২-১৯৪৭ তারিখ। ১৫৫৭ সালে মুঘল-পাঠানদের যুদ্ধের সময় কেদার রায়ের রাজ্যে বিক্রমপুর চলে আসেন এবং বসবাস শুরু করেন টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামেই বাস করত বাৎস গোত্রীয় এক ব্রাহ্মণ পরিবার-ভট্টশালীরা। ১৮৮৮ সালের ২০ নভেম্বর, চাঁদপুর জেলার পাইকারদী গ্রামে সাংবাদিক, সাহিত্যিক, ‘সওগাত’ সম্পাদক ও বেগম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের জন্ম, মৃত্যু-২১-০৫-১৯৯৪ তারিখ। ১৯১৭ সালে কলকাতা শহরে ‘সওকাত’ পত্রিকা প্রকাশ করে।
১৮৮৮ সালের ১১ নভেম্বর, মক্কায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম, মৃত্যু-২২-০২-১৯৫৮ তারিখ (১৮৯০ সালে বাবা সপরিবারে কলকাতায় আসেন)। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের পূর্বপুরুষেরা বাবরের আমলে হেরাট থেকে ভারতে আসেন। প্রথমে তাঁরা ডেরা বাধেন আগ্রায়; পরে ওঠে চলে যান দিল্লীতে। আলেমউলেমাদের এই পরিবারের মাওলানা জামালউদ্দিন ছিলেন আকবরের সময়ের একজন নামজাদা ধর্মগুরু। এ পরিবারের অনেকেই উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী হন। শাহজাহানের আমলে মহম্মদ হাদীকে আগ্রার দুর্গাধিপতি করা হয়। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবার মাতামহ ছিলেন মৌলানা মুনাবরউদ্দিন। তিনি ছিলেন মোগল যুগের অন্যতম শেষ রুকন-উল-মুদারসসিন। প্রথম শাহজাহানের সময়ে এ পদটির সৃষ্টি হয়। লেখাপড়া আর বিদ্যাচর্চার প্রসারে রাষ্ট্রীয় কাজকর্মের তদারকি করা ছিল এর উদ্দেশ্য। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবা মৌলানা খয়রুদ্দিন যখন খুবই ছোট তখন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের পিতামহের মৃত্যু হয়। সুতরাং মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবা তাঁর মাতামহের কাছে মানুষ হন। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবার বয়স তখন পঁচিশ। তিনি সোজা মক্কায় চলে গিয়ে সেখানেই থেকে যান। নিজের একটি বাসভবন তৈরি করে শেখ মোহাম্মেদ জাহের বতবির কন্যাকে তিনি বিয়ে করেন। শেখ মোহাম্মেদ জাহের ছিলেন মদিনার একজন বড় তত্ত¡জ্ঞ। আরবদেশের বাইরেও তাঁর নামডাক ছড়িয়ে পড়ে। মিশর থেকে দশ খন্ডের আরবী কেতাব বেরোবার পর ইসলামিক দুনিয়ায় মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবাও খ্যাতিমান হন। তিনি বহুবার বোম্বাইতে এবং একবার কলকাতায় আসেন। দু জায়গাতেই তাঁর বিস্তর ভক্ত আর শারগেদ ছিল। বাবা ইরাক, সিরিয়া আর তুরস্কেও ব্যাপকভাবে ঘুরেছেন।
১৮৮৮ সালের ৪ ডিসেম্বর, ফরিদপুর জেলার খন্দরপাড়ায় শিক্ষাবিদ ও বাঙালি ঐতিহাসিকদের পুরোধা অধ্যাপক রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ১২-০২-১৯৮০ তারিখ ভারতে। ১৮৮৮ সালের ১০ ডিসেম্বর, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার গ্রামে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম এবং ১৯০৮ সালে নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেন। ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল, যুক্তরাজ্যে ইংরেজ অভিনেতা ও চিত্রপরিচালক চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম, আমেরিকায় মৃত্যু-২৫-১২-১৯৭৭ তারিখ। ১৯১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক রিলের নির্বাক ‘‘মেকিং এ লিভিং’’ দিয়ে মহান চলচ্চিত্রশিল্পী চ্যাপলিনের যাত্রা শুরু হয়। ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল, জার্মান ফ্যাসীবাদী একনায়ক এডলফ হিটলারের জন্ম হয় অস্ট্রিয়ায়, ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল, চুড়ান্ত পরাজয়ের পূর্বে ভূ-গর্ভস্থ বাঙ্কারে এডলফ হিটলার আত্মহত্যা করেন। (মৃত্যু-১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল ইংলিশ চ্যানেলের ওপর ব্রিটিশ বৈমানিকের গুলিতে হিটলারকে বহনকারী বিমান ভূপাতিত। হিটলার নিহত হয়েছেন, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে লন্ডনে। ২১ বছর বয়সী হ্যারিকেন জেট ফাইটার প্লেনের বৈমানিকের গুলিতে ফুয়েরারকে জার্মান বিমানটি ভূপাতিত হয় ইংলিশ চ্যানেলের ওপর। ধারনা করা হচ্ছে, জার্মান নেতা দ্বীপরাষ্ট্র ইংল্যান্ড আক্রমণের অগ্রগতি সরেজমিন প্রত্যক্ষ করার অনির্ধারিত অভিযানে ছিলেন।) হিটলারের জার্মান নাগরিত্ব বাতিল করা হয়। হিটলার নিজেই ইহুদি এবং উত্তর আফ্রিকান বংশোদ্ভুত।
১৮৮৯ সালের ৫ আগষ্ট, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি-১৯২০) কমরেড মুজাফফর আহমদের জন্ম নোয়াখালী জেলার স›দ্বীপে, মৃত্যুঃ ১৮-১২-১৯৭২ তারিখ কলকাতায়। ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৫-১৯৬৪ তারিখ। ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনিপুর জেলার হাবিবপুর গ্রামে বিপ্লবী ক্ষুধিরাম বসুর জন্ম, পালাবার সময় ক্ষুধিরাম গ্রেফতার হন এবং ইংরেজ বিরোধী বিপ্লবী ক্ষুধিরামের ফাঁসি কার্যকর হয়-১১-০৮-১৯০৮ তারিখ। ক্ষুধিরাম বড় লাটকে মারতে যেয়ে মেরে ফেলে ভারতবাসীকে। ১৮৮৯ সালে ভারতের জলপাইগুড়িতে শিক্ষাবিদ স্যার আহমদ ফজলুর রহমানের জন্ম, মৃত্যু-১৯৪৫ সালে। উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৮৯০ সালে চারসাদ্দাই তহশিল, জেলা পেশোয়ারে সীমান্ত গান্ধীর নাম, ভারত-রতœ বাদশা খান বা খান আবদুর গফফার খানের জন্ম, ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ মৃত্যু-২০-০১-১৯৮৮ তারিখ। (তাঁর আসল বয়স-এর চাইতে অনেক বেশি বা কেউ মনে করে যে, ১৮৮০ সালে প্রকৃত জন্ম)। তিনি ছিলেন হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের প্রতীক। ১৮৯০ সালের ১৯ মে, ভিয়েতনামের বিপ্লবী জন নেতা হো. চি. মিনের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৯-১৯৬৯ তারিখ। ১৮৯০ সালের ২ অক্টোবর, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্ম, তাসখন্দে মৃত্যুঃ ২৩-০৯-১৯৬৫ তারিখ। ১৮৯০ সালে ফদিপুরে অবিভক্ত বাংলার অন্যতম তেজস্বী মুসলিম লীগ নেতা, প্রথম মুসলমান সরকারী কৌসুলি, ফরিদপুর আইনজীবী সমিতির সুদীর্ঘকালের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একদা প্রবীণতম আইনজ্ঞ খান বাহাদুর মৌলভী মোহাম্মদ ইসমাইলের জন্ম, মৃত্যু-ঢাকায় ০৮-০৫-১৯৮১ তারিখ। ১৮৯০ সালে পাঁচবাগ, গফরগাঁও, ময়মনসিংহে উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম, বাংলার প্রথম স্বাধীনতাকামী রাজবন্দী (জাতীয় সংসদে স্বীকৃত) এবং একাধারে তিন দশক ধরে নির্বাচিত এম.এল.এ. ও এম.এন.এ. হয়রত মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী(রহ.)’র জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৯-১৯৮৮ তারিখ। ১৮৯০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামে নবাব কে. জি. ফারুকীর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৯৮৪ সালে। তিনি ১৯২৯ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলার মন্ত্রী ছিলেন। ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবাংলার মেদেনীপুরে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ০৫-১২-১৯৬৩ তারিখ। ১৮৯২ সালের ২৭ নভেম্বর, বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক ও লেখক স্যার আজিজুল হকের জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৩-১৯৪৭ তারিখ। ১৮৯৩ সালের ৯ এপ্রিল, বিপ্লবী রাহুল সাংকৃত্যায়ণের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৪-০৬-১৯৬৩ তারিখ। ১৮৯৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নূরুল আমীনের জন্ম, পাকিস্তানে মৃত্যুঃ ০২-১০-১৯৭৪ তারিখ। ১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বংশাই নদীর তীরে শেওরাতলী গ্রামে দারিদ্রপীড়িত এক পরিবারে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ মেঘনাথ সাহার জন্ম, মৃত্যু-১৯৫৬ সালে বিখ্যাত এই জ্যোতিঃ পদার্থবিদ মৃত্যুবরণ করেন। দোকানদার বাবার ছেলে হিসেবে সবাই ভেবেছিল ছেলেটিও দোকানি হবে। ১৯০৯ সালে এন্ট্রান্স ও ১৯১১ সালে এফ. এ. পাস করেন। তিনি জগৎ বিখ্যাত পদার্থ ও অংক শাস্ত্রবিদ। ১৯৩৪ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১৮৯৪ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনের জন্ম, রাজনীতিবিদ খাজা নাজিমুদ্দিনের ইন্তেকাল-২২-১০-১৯৬৪ তারিখ। খাজা নাজিমউদ্দিনকে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে উৎখাত করেন গোলাম মোহাম্মদ ও আইয়ূব খানের সহযোগিতায় তখনকার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্যা। মীর জাফরের বংশধর মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্যা। ইরানি বংশদ্ভূত এস. পি. টুনি মির্যার ছেলে হলো মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্যা। ইস্কান্দার মির্যার জন্ম বাংলায় ছিল। সেনাবাহিনীর সহায়তায় ১৯৫৫ সালে ইস্কান্দার মির্যা পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের পদ দখল করেন। আর বরখাস্ত করেন মোহাম্মদ আলীকে। ১৯৫৬ সালে আরেক বাঙালি রাজনীতিক হোসেন শহীদ সোহওয়ার্দীকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। আর নিজেকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষণা দেন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্যা পাকিস্তানে সামরিক আইন জারী করে ১৯৫৮ সালের ৮ অক্টোবর, প্রধান সেনাপতি আইয়ূব খানকে দেশে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধান সামরিক প্রশাসক নিযুক্ত করেন। ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্যাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে নিজে জেনারেল আইয়ূব খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন। আবার ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ, জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খানকে সরিয়ে নিজে ক্ষমতা দখল করেন। সে বছরই সাবেক প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্যা লন্ডনে মারা যান। কিন্তু তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্টকে নিজ দেশে দাফনের অনুমতি দেননি। তাই লন্ডন থেকে ইস্কান্দারের মরদেহ ইরানে নেওয়া হয় এবং পরে তেহরানে তাঁকে দাফন করা হয়। জেনারেল ইয়াহিয়া খান রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। কিন্তু ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান। সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জনগণের সাথে এটি ছিল সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। ১৯৭১ সালের পর পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে বারবার রাজনীতিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে। জেনারেল জিয়াউল হক ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। তারপর আবার ১৯৯৮ সাল থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৬৯ সালে ইস্কান্দার মির্যাকে তেহরানে দাফন করা হলেও তাঁর প্রেতাত্মা এখনো জীবিত। শুধু নাম বদল হয়েছে, কিন্তু চরিত্র বদলায়নি। জেনারেল আইয়ূব খান, জেনারেল ইয়াহিয়া খান, জেনারেল জিয়াউল হক এবং জেনারেল পারভেজ মোশাররফ হোসেন হয়ে বেঁচে ছিলেন।
১৮৯৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর, বিপ্লবী কমিউনিষ্ট নেতা ও কমরেড মাও সে তুং-এর জন্ম, মৃত্যু-০৯-০৯-১৯৭৬ তারিখ। ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ, চট্টগ্রামে মাস্টার দা সূর্যসেনের জন্ম, ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের নায়ক মাষ্টারদা সূর্যসেনের ফাঁসি হয়। ১৮৯৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বিরামদি গ্রামে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিক প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ’র জন্ম, ইন্তেকাল-২৯-০৩-১৯৭৮ তারিখ। ১৮৯৪ সালে রংপুরে সাবেক পূর্ব-পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রি আবু হোসেন সরকারের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৭-০৪-১৯৬৯ তারিখ। ১৮৯৪ সালে নোয়াখালীতে বিট্রিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় কর্মী, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কবি ও সমাজসেবিকা আশালতা সেনের জন্ম, মৃত্যু-দিল্লীতে ০৩-০২-১৯৮৬ তারিখ। ১৮৯৬ সালে পূর্ব পাঞ্জাবের কার্নায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের জন্ম, রাওয়ালপিন্ডিতে জনসভায় বক্তৃতাকালে আততায়ীর গুলিতে নিহতঃ ১৬-১০-১৯৫১ তারিখ। ১৮৯৬ সালের ৪ নভেম্বর, রনদা প্রসাদ সাহার জন্ম, মির্জাপুর (টাংগাইল), যার নাম আরপি সাহা। ১৯৩৮ সালে ৭৫০(সাতশত পঞ্চাশ) শয্যাবিশিষ্ট বিখ্যাত কুমুদিনী হাসপাতাল স্থাপন করেন। ০৭-০৫-১৯৭১ তারিখ, গভীর রাতে পাক বাহিনী রনদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র রবিকে ধরে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে। ১৮৯৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামে বাঙ্গালী মুসলমানের মধ্যে প্রথম ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমানের জন্ম, মৃত্যু-১৫-০৮-১৯৮১ তারিখ। তিনি ১৯২৬ সালে প্রথম বি. সি. এস. লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি, নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসুর জন্ম, নেতাজি মৃত্যুবরণ করেছেনঃ ১৮-০৮-১৯৪৫ তারিখ রাত ১১টা ২০মিনিটের সময় তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায়। ১৮৯৭ সালের ৩০ জুলাই, কুষ্টিয়ার কুুমারখালী উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মাতুলালয়ে বিচিত্র ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, প্রখ্যাত জ্ঞানতাপস, ইমিরিটাস অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেনের জন্ম, মৃত্যুঃ০৯-১০-১৯৮১ তারিখ। তার ছোটবেলা কেটেছে রাজবাড়ী (ফরিদপুর) জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামের পৈত্রিক নিবাসে। ১৮৯৭ সালের ৩ নভেম্বর, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবুল কালাম শামসুদ্দিনের জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৩-১৯৭৮ তারিখ। ১৮৯৭ সালের ১৮ নভেম্বর, বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামে উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, নারীপ্রগতি ও মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম পথিকৃৎ মনোরমা বসুর জন্ম, মৃত্যু-১৯৯০ সালে।
১৮৯৭ সালের ২৩ নভেম্বর, কিশোরগঞ্জ জেলায় “বাঙ্গালী থাকিব না মানুষ হইব’’ বইয়ের লেখক নিরুদ চন্দ্র চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-১৯৯৯ সালে লন্ডন শহরে। ১৮৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার মনোহরপুর গ্রামে কবি গোলাম মোস্তফার জন্ম, মৃত্যুঃ ১৩-১০-১৯৬৪ তারিখ। ১৮৯৮ সালের ১ মে, চট্টগ্রামের ফতেহাবাদ গ্রামে কথাশিল্পী মাহবুব-উল-আলমের জন্ম, ১৯৮১ সালের ৭ আগষ্ট কাজীর দেউড়ীস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। ১৮৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, উপমহাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজ্ঞ ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের জন্ম, ইন্তেকাল-১৮-০৩-১৯৭৯ তারিখ। ১৮৯৮ সালের ২৩ জুলাই, বাংলা সাহিত্যির দিকপাল তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭২ সালে। ১৮৯৮ সালে বরিশালের সন্তান অকুতোভয় পাইলট ইন্দ্রনীল রায়ের জন্ম, মৃত্যু-১৮-০৭-১৯১৮ তারিখ। পাইলট ইন্দ্রনীল রায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ দিয়ে প্রমাণ রাখেন যে-বাঙ্গালীরা বীরের জাতি। ১৯১৬ সালে বিশ্বে প্রথম বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় ‘‘ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীতে ক্যাডেট পাইলট হিসাবে তিনি লাভ করেন কিংস কমিশন’’। ১৮ জুলাই তাঁর জঙ্গী বিমানটি ফের গুলি বিদ্ধ হয়ে ভূপাতিত হয়। বিধবস্ত বিমানের সাথে তিনি প্রাণ হারান। মাত্র ২০(বিশ) বছর আয়ু পেয়েছিলেন। ‘‘পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃসাহসী মানুষের মধ্যে যাঁরা অগ্রগণ্য, তাদের মধ্যে ইন্দ্রনীল রায় একজন…এ অঞ্চলের একমাত্র ফাইটার এইস পাইলট হিসাবে তিনি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।’’ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, বরিশাল জেলায় বাংলা আধুনিক কাব্যবিক জীবনানন্দ দাশের জন্ম, ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর, কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু।
১৮৯৯ সালের ২৫ মে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-০৭-১৯৭৬ তারিখ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা বেজে ১০ মিনিটে। ১৯২১ সালের ১৭ জুন, নজরুলের সঙ্গে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সৈয়দা নার্গিস আসর খানম ওরফে সৈয়দা খাতুনের বিয়ে হয়। অজ্ঞাত কারণে বিয়ের রাতেই শেষ হয়ে যায় এ সম্পর্ক। পরে ১৯২৪ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রমীলাকে বিয়ে করেন নজরুল। ১৯৪২ সালের ১০ জুলাই থেকে কবি আলজাইমার্স ডিজিজে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর পিতার নাম কাজী ফকির আহমদ। মা জাহিদা খাতুন। ১৯১৭ সালে করাচীতে গিয়ে তিনি সৈনিকের খাতায় নাম লেখান। তিনি ১৯২০ সালে সেখান থেকে ফিরে এসে দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজকে উৎসর্গ করেন। কবি-পতœী প্রমীলা নজরুল ইসলাম কলকাতায় ইন্তেকালঃ ৩০-০৬-১৯৬২ তারিখ। কবি-পতœীর ইন্তেকালের প্রায় এক দশক পর কবিকে ঢাকায় আনা হয়েছিল ২৪ মে, ১৯৭২ সালে। ১৮৯৯ সালের ২৮ জুন, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার হুমায়ূনপুর গ্রামে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মোনয়েম খানের জন্ম, মৃত্যু-১৪-১০-১৯৭১ তারিখ। গভর্নর ছিলেন ২৮-১০-১৯৬২ তারিখ থেকে ২৩-০৩-১৯৬৯ তারিখ পর্যন্ত। ১৮৯৯ সালে যশোর জেলার ঝিনাইদহের অধিবাসী বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদের রোমান্সকর ব্যক্তিত্ব বাঘা যতীন দাসের জন্ম, ১৯২৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, ৬৩ দিন অনশনের পর লাহোর কারাগারে মারা যান। ১৯০০ সালের ১৯ মার্চ, নোবেল বিজয়ী ফরাসী পদার্থবিদ ফ্রেদেরিক জুলিও কুরির জন্ম, ১৯৫৬ সালের ১৭ মার্চ, নোবেল বিজয়ী বিখ্যাত ফরাসী পদার্থবিদ জোলিও কুরির মৃত্যু।
১৯০০ সালের ৮ মে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মাড় গ্রামের মাতুলালয়ে স্বনামধন্য বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদার জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ০৩-১১-১৯৭৭ তারিখ। ১৯০০ সালে সিলেটে আদর্শিক বাবা-মায়ের পরিবারে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা, নারীনেত্রী ও দেশব্রতী লীলা রায়ের (নাগ) জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১১-০৬-১৯৭০ তারিখ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী। ১৯০০ সালের ১৭ মে, ইরানের খোমেইন শহরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ও রাজনৈতিক নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনীর (রহ.) জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৬-১৯৮৯ তারিখ। ১৯০০ সালের ২৭ নভেম্বর, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার অন্তর্গত হাটিকুমরুল ইউনিয়নের তারুটিয়া নামক গ্রামের সন্ত্রান্ত মুসলিম পরিবারে কিংবদন্তী পুরুষ মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের জন্ম, মৃত্যুঃ ২০-০৮-১৯৮৬ তারিখ। ১৯০০ সালে দিনাজপুর জেলার সুলতানপুর গ্রামে কৃষকনেতা ও রাজনীতিক হাজী মোহাম্মদ দানেশের জন্ম, মৃত্যু-২৮-০৬-১৯৮৬ তারিখ। ১৯০০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিবপুর গ্রামে বেহালাবাদক, কন্ঠশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত শিক্ষক ওস্তাদ মতিউর রহমানের জন্ম, মৃত্যুঃ ০১-০২-১৯৬৭ তারিখ। ১৯০০ সালে বরিশাল জেলায় বিপ্লবী লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্ম, মৃত্যু-১৯৮৫ সালে। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর তিন খন্ড রচনা সমগ্র প্রকাশিত হয়। পাকিস্তান সরকার ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁর লেখা-লেখি করার ওপর বিধিনিষেধ করেছিলেন। ১৯০০ সালের ৮ ডিসেম্বর, রাজস্থানের উদয়পুরে নৃত্যলোকের রাজপুত্র উদয়শংকরের জন্ম, মৃত্যুঃ২৬-০৯-১৯৭৭ তারিখ। তিনিই প্রথম বাঙালি, যিনি জগৎসভায় নৃত্যকলা প্রদর্শন ও প্রচার করে প্রভূত যশ ও খ্যাতি অর্জন করেন। উদয়শংকরের আদি নিবাস বাংলাদেশের যশোরের কালিয়া গ্রামে। ১৯০১ সালের ৬ জুন, আধুনিক ইন্দোনেশিয়ার স্থপতি ড. আহমদ সুকর্নোর জন্ম, মৃত্যু-২১-০৬-১৯৭০ তারিখ। ১৯০১ সালের ২৮ জুলাই, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি কমরেড মণি সিংহের জন্ম, মৃত্যুঃ ৩১-১২-১৯৯০ তারিখ। মাতৃকুল ছিলেন নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুরের জমিদার। ১৯০১ সালে ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার রামনগর গ্রামে সাংবাদিক ও রাজনীতিক হামিদুল হক চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৮-০১-১৯৯২ তারিখ। ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর, কুচবিহারের বলরামপুর গ্রামে মরমী শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের জন্ম, মৃত্যুঃ ৩০-১২-১৯৫৯ তারিখ। শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের পিতা জাফর আলী আহমেদ তুফানগঞ্জ আদালতের উকিল ছিলেন। ১৯০২ সালের ১৭ জানুয়ারি, তুরস্কের ছোট্ট শহর আলেপ্লোয় এক নিঃসঙ্গ বিপ্লবী ও বিখ্যাত তুর্কি কবি নাজিম হিকমতের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৬-১৯৬৩ তারিখ। ১৯০২ সালের ১ জুলাই, ভারতের পশ্চিম বাংলায় রম্য সাহিত্যিক ও বহু ভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম, ঢাকায় ইন্তেকাল ১১-০২-১৯৭৪ তারিখ।
১৯০২ সালে বর্তমান চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক, পাকিস্তানের প্রথম এফআরসিপি (ইউ. কে.) ও বাঙালী মুসলমানদের চিকিৎসা পেশার অগ্রদুত ডা. নওয়াব আলীর জন্ম এবং ঢাকায় ইন্তেকাল-০৪-০৭-১৯৭৭ তারিখ। ১৯০২ সালে পশ্চিমবাংলায় বাংলা সিনেমা জগতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ও নাঠ্যাভিনেতা ছবি (শচীন্দ্রনাথ) বিশ্বাসের জন্ম, মৃত্যু-১১-০৬-১৯৬২ তারিখ মোটর দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি, পল্লী কবি জসিমউদ্দীনের জন্ম, মৃত্যু ১৪-০৩-১৯৭৬ তারিখ। ১৯০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় শিক্ষক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-৩০-০৮-১৯৭৮ তারিখ। তাঁর সৃষ্টি বাঙালীর ইতিহাস আদি পর্ব। ১৯০৩ সালের ১ জুলাই, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার অন্তর্গত কেওচিয়া গ্রামে শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক মনস্বী আবুল ফজলের জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৫-১৯৮৩ তারিখ। ১৯০৩ সালের ২৯ অক্টোবর, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ইলমদী গ্রামে সাবেক জাতীয় পরিষদের সদস্য (এম.এন.এ.), ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, কবি ও সাংবাদিক বে-নজীর আহমেদের জন্ম, মৃত্যু-১২-০২-১৯৮৩ তারিখ। ১৯০৩ সালে ভারতের হায়দারাবাদ রাজ্যের আওরংগবাদ শহরে মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর জন্ম, আমেরিকায় মৃত্যু-২২-০৯-১৯৭৯ তারিখ পাকিস্তান সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা পৌঁনে ছ’টায়। তিনি ১৯৪১ সালের ২৬ আগষ্ট, লাহোরে ৭৫ জন লোক নিয়ে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে একটি আদর্শবাদী দল গঠন। ১৯০৩ সালের ১ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামে বিপ্লবী (চট্টগ্রাম অস্্রাগার লুন্ঠনের অন্যতম নায়ক এবং রাজনীতিবিদ) অনন্ত সিং-এর জন্ম, মৃত্যুঃ ২৫-০১-১৯৭৯ তারিখ। ১৯০৪ সালের ৩১ জানুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর থানার মুরারিপুর গ্রামে শিক্ষাবিদ ও লোকসংস্কৃতি বিশেযজ্ঞ মুহম্মদ মনসুরউদ্দিনের জন্ম, ঢাকার শান্তিনগরে মৃত্যু-১৯-০৯-১৯৮৭ তারিখ। ১৯০৪ সালের ১৫ মার্চ, অন্নদা শংকর রায়ের জন্ম, মৃত্যু-২৮-১০-২০০২ তারিখ। তিনি ১৯২৯ সালে আই.সি.এস. পাশ করেন। কবি, সাহিত্যক, ছড়াকার এবং ১৯২৯ সালে বিলেত গিয়েছিলেন। ১৯০৪ সালের ১২ জুলাই, চিলির পারলাল শহরে পরিচিত ছিল কমিউনিষ্ট লেখক হিসেবে ও নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক পাবলো নেরুদার জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৯-১৯৭৩ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে নোবেল পান।
১৯০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি, পশ্চিম বাংলায় দার্শনিক-রাজনীতিবিদ আল্লামা আবুল হাশিমের জন্ম, (১৯৫০ সালে পশ্চিম বঙ্গের কলকাতা, বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলী, হাওড়া, মেদিনীপুর প্রভৃতি অঞ্চলে মুসলিমবিরোধী সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় এবং এ কারণে ১৯৫০ সালে আবুল হাশিম দেশ ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসেন) মৃত্যুঃ ০৫-১০-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৫ সালের ৬ মার্চ, ঢাকা জেলার দামরাই উপজেলার বালিয়া গ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের জন্ম, মৃত্যু-০৭-১২-১৯৯১ তারিখ। ১৯০৫ সালের ১৫ এপ্রিল, বরিশালের গৈলা গ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী শহীদ তারকেশ্বর সেনগুপ্তের জন্ম, বন্দিশিবির থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৫-০৯-১৯৩১ তারিখ। ১৯০৫ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গাজীপুর গ্রামে ঐতিহাসিক ও অধ্যাপক আবদুল হালিমের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭২ সালে। ১৯০৫ সালে বিপ্লবী নেতা এবং ঐতিহাসিক নক্সালবাড়ী লড়াইয়ের সূচনাকারী শহীদ কমরেড চারু মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৮-০৭-১৯৭২ তারিখ। ১৯০৬ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, বাংলা সিনেমা জগতের বিখ্যাত মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা পাহাড়ী (নরেন্দ্রনাথ) সান্যালের জন্ম, মৃত্যু-১০-০২-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৬ সালের ১ জুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার আড়াইসিধা গ্রামে কবি আবদুল কাদিরের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৯-১২-১৯৮৪ তারিখ। ১৯০৬ সালে পাকিস্তানের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খাঁনের জন্ম, (আইয়ূব খাঁন ১৯৫১ সালে পাকিস্তান আর্মীর সেনাপ্রধান হন এবং ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে জেনারেল আইয়ূব খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন।) মৃত্যুঃ ২০-০৪-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামে দার্শনিক ও প্রিন্সিপাল সাইদুর রহমানের জন্ম, মৃত্যু-২৮-০৮-১৯৮৭ তারিখ। ১৯০৬ সালের ২৫ অক্টোবর, সুনামগঞ্জের তেঘরিয়া গ্রামস্থ নানা মরমী কবি হাসন রাজার বাড়িতে ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফের জন্ম, মৃত্যু-০১-১১-১৯৯৯ তারিখ। ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর, কুমিল্লার চর্থা গ্রামে উপমহাদেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও সুরকার শচীন দেব বর্মণের জন্ম, বোম্বে শহরে মৃত্যুঃ ৩১-১০-১৯৭৫ তারিখ।
১৯০৭ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, সিলেট জেলার বিয়ানী বাজারের লাউতা গ্রামে অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেবের জন্ম, ঢাকায় শহীদঃ ১৪-১২-১৯৭১ তারিখ। ১৯০৭ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার চানগাঁও গ্রামে তাঁর নানাবাড়িতে খালেকদাদ চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-১৬-১০-১৯৮৫ তারিখ। দুই বাংলাতেই তিনি ছিলেন খ্যাতিমান লেখক। ১৯০৭ সালের ২৫ নভেম্বর, যশোর জেলার আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ গ্রামে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিরল ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক নূরুল মোমেনের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০২-১৯৯০ তারিখ। ১৯০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যালিয়াম সিরিজের ঘুমের বড়ি’র আবিস্কারক লিও স্টার্নবাখের জন্ম, উত্তর ক্যারোলিনার চ্যাপেল হিলে নিজ বাসভবনে ৯৭ বছর বয়সে পরলোগমন-২৮-০৯-২০০৫ তারিখ। ১৯০৮ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার সাতশৈয়া গ্রামে আবদুস সবুর খানের জন্ম, মৃত্যু-২৫-০১-১৯৮২ তারিখ। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় খুলনা অঞ্চলকে জোর করেই হিন্দুস্থানের দখলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেদিন এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে খান এ সবুরের নেতৃত্বেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। যার ফলে তখন খুলনা অঞ্চল ন্যায়সঙ্গতভাবেই পাকিস্তানে রাখা সম্ভব হয়েছিল। ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, ভারতের বিশিষ্ট বাংলা শিশু সাহিত্যিক লীলা মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৬-০৪-২০০৭ তারিখ। ১৯০৮ সালের ১ এপ্রিল, বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা ফরাসি লুসিয়ে লরাঁর জন্ম, মৃত্যু-১১-০৪-২০০৫ তারিখ। ১৯৩০ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল। ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের মোট গোল হয়েছে (২০৬৩)টি।
১৯০৮ সালের ২৯ মে, সাহিত্যক, ঔপন্যাসিক ও কথাশিল্পী মানিক বন্ধ্যোপ্যায়ের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৩-১২-১৯৫৬ তারিখ। মাত্র বেঁচেছিলেন ৪৮ বছর। ১৯৩৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ২০০ শতের মত উপন্যাস লিখেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস মুন্সীগঞ্জের মালপদিয়া গ্রামে। ১৯০৮ সালে হাইড্রোজেন বোমার জনক এডওয়ার্ড টেনলরের জন্ম, মৃত্যু-০৯-০৯-২০০৩ তারিখ। ১৯০৮ সালে তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নড়াইলের বাকলি গ্রামের কৃষক নেত্রী পরিবালা বিশ্বাসের জন্ম, মৃত্যু-২৫-০৫-২০০৭ তারিখ। ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর, কুমিল্লা শহরে বিখ্যাত বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সমালোচক, প্রাবন্ধিক ও সংবাদপত্র সম্পাদক বুদ্ধদেব বসুর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যুঃ ১৮-০৩-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৮ সালে মাদারীপুর জেলার কালকিনী উপজেলার গোপালপুর কাজী পরিবারে কাজী আশরাফ মাহমুদের জন্ম, মৃত্যু-০৩-১২-১৯৮৩ তারিখ। তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট হিন্দী কবি, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ, মহাত্মা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ১৯০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি, মুঘল ঐতিহ্যের কবি কাজী কাদের নওয়াজের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০১-১৯৮৩ তারিখ। ১৯০৯ সালের ২৯ এপ্রিল, (বাংলা ১৩১৬ সনের ১৬ বৈশাখ) শেরপুর অঞ্চলের তৎকালীন জমিদার রমেশ চন্দ্র নিয়োগীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন রবি নিয়োগী, আমৃত্যু পর্যন্ত বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য ছিলেন এবং মৃত্যু-১০-০৫-২০০২ তারিখ। তাঁর ৯৩ বছরের জীবনে ৪৩ বছরই কেটেছে কারাগারে। ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই, কলকাতার সুবিখ্যাত কলেজ স্ট্রিটের পাশে টেমার লেনে কবি বিঞ্চু দের জন্ম, মৃত্যু-০৩-১২-১৯৮২ তারিখ। বিঞ্চু দের এক বড় পরিচয় তিনি সমাজবাদে বিশ্বাসী, সেই সূত্রে সমাজবদলের সম্ভাবনায় অঙ্গীকৃত। তিনি ছিলেন ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সঙ্ঘের সক্রিয় কর্মী, সংগঠক। ১৯০৯ সালের ১৮ আগষ্ট, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সানাইবাদক ওস্তাদ সোনা মিয়ার জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৮-২০১১ তারিখ দিবাগত রাতে ঢাকায়। বরেণ্য এই শিল্পী ভারতবর্ষের স্বনামধন্য সানাইবাদক ওস্তাদ মুন্না খাঁর শিষ্য ছিলেন। ১৯০৯ সারের ১৯ সেপ্টেম্বর, কমিউনিষ্ট পার্টির প্রথম প্রাদেশিক সম্মেলনে গঠিত কমিটিতে নির্বাচিত কমিউনিষ্ট নেতা নেপাল নাগের জন্ম, মৃত্যু-কলকাতায় ০৫-১০-১৯৭৮ তারিখ। ১৯১০ সালের ৭ জানুয়ারি, খ্যাতিসম্পন্ন পানিবিশেষজ্ঞ বি. এম. আব্বাসের জন্ম, ইন্তেকাল-২৭-১২-১৯৯৬ তারিখ।
১৯১০ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলোয়াড় ফ্রান্সিসকো ভারাল্লোর জন্ম। তিনি ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ও ছিলেন এবং আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলে। প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিই একমাত্র জীবিত খেলোয়াড়। তিনি ০৯-০৬-২০০৬ তারিখ বিশ্বকাপ খেলায় উপস্থিত ছিলেন। ০৫-০২-২০১০ সালে শতবর্ষ পার করেন। ১৯১০ সালের ২৩ মার্চ, জাপানের টোকিওর এক সিনেমাভক্ত পরিবারে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাপানি চলচ্চিত্রকার, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র সম্পাদক ও প্রয়োজক আকিরা কুরোশাওয়ারের জন্ম, জাপানের টোকিওতে মৃত্যু-০৬-০৯-১৯৯৮ তারিখ। সুগাতা সানশিরো মুক্তি পায় ১৯৪৩ সালে। প্রথম ছবিতেই পরিচালক হিসেবে আকিরা কুরোশাওয়ার প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায়। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি কর্তৃক নির্বাচিত সর্বকালের সেরা পরিচালকদের মধ্যে আকিরা কুরোশাওয়ার অবস্থান ৬ষ্ঠ। শ্রেষ্ঠ ৫০ জন চলচ্চিত্রকারের মধ্যে তিনি একমাত্র এশীয় ও আমেরিকানদের বাইরে তাঁর অবস্থান সবার ওপরে। ১৯১০ সালের ২৭ আগষ্টে, যুগো¯øাভিয়ার স্কপজেতে মাদার তেরেসার জন্ম, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাতা মাদার তেরেসার মৃত্যু-০৫-০৯-১৯৯৭ তারিখ কলকাতা শহরে। ১৯১০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার বাজালিয়ায় ডা. মনীন্দ্রলাল চক্রবর্তীর জন্ম, মৃত্যু-১৪-০৭-১৯৮৩ তারিখ। স্কুলে থাকতেই তিনি গোপন বিপ্লবী দলে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯১০ সালের ২০ অক্টোবর, নেত্রকোনা জেলার উলুয়াটি গ্রামে সাংবাদিক-সাহিত্যিক মুজীবুর রহমান খাঁ’র জন্ম, মৃত্যু-০৫-১০-১৯৮৪ তারিখ। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের প্রথম গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার উত্তর ভূর্ষি গ্রামে বিপ্লবী বিনোদবিহারী চৌধুরীর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১০-০৪-২০১৩ তারিখ। তাঁর ১৯২৯ সালে মাস্টারদার সঙ্গে পরিচয় হয়। কয়েকবার সাক্ষাতের পর মাস্টারদা বিপ্লবী দলে ঢোকার অনুমতি দেন বিনোদবিহারীকে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ৪০ বছর পর ১৯৭১ সালে বিনোদবিহারী নিজেকে যুক্ত করেন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। ১৯১১ সালের ১১ জানুয়ারি, বিচারপতি সৈয়দ মাহাবুব মোর্শেদ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যুঃ ০৩-০৪-১৯৭৯ তারিখ। ১৯১১ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, পাকিস্তানের পাঞ্জাবের শিয়ালকোর্টে আজন্ম বিপ্লবী কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের জন্ম, ১৯৮৩ সালে অসুস্থ হয়ে নিজের দেশ পাকিস্তানের লাহোরে ফিরে আসেন, এখানেই মৃত্যু-১৯-১০-১৯৮৪ তারিখ। ১৯১১ সালের ১৩ মার্চ, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীনের জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৮-১৯৮৮ তারিখ। ১৯১১ সালের ৫ মে, চট্টগ্রামের ধলঘাটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী বীরকন্যা প্রীতিলতার জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৯-১৯৩২ তারিখ। প্রীতিলতা চট্টগ্রাম বিপ্লবী দলের মেয়ে সদস্য ও ছাত্রীদের নিয়ে চক্র গড়েন। ১৯১১ সালের ৩০ মে, দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, কিংবদন্তির এক নায়ক ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জন্ম, মৃত্যুঃ ০১-০৬-১৯৬৯ তারিখ। ১৯১১ সালের ৬ জুন, লোহাগড়া (নড়াইল) ইতনা গ্রামের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ও সাহিত্যিক ডা. নীহার রঞ্জন রায়ের/গুপ্তের জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৮-১৯৮১ তারিখ। ১৬-বছর বয়সে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘রাজকুমারীম্ব’ প্রকাশিত হয়।
১৯১১ সালের ২০ জুন, বাখেরগঞ্জ জেলার শায়েস্তাবাদ গ্রামে নানাবাড়িতে বেগম সুফিয়া কামালের জন্ম, মৃত্যুঃ ২০-১১-১৯৯৯ তারিখ। তাঁর বাবারবাড়ি ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলার সেন্দুর-সিলাউর গ্রামে। ১৯১১ সালের ৯ জুলাই, ফ্লোরিডার জ্যাকশনভ্যালিতে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের সর্বশেষ সহযোগীদের অন্যতম এবং মার্কিন পদার্থবিদ জন হুইলারের জন্ম, মৃত্যু-১৩-০৪-২০০৮ তারিখ। ‘বø্যাক হোল’ শব্দের প্রবর্তকের মৃত্যু। ১৯১১ সালের ৩১ জুলাই, বরিশালে উপমহাদেশের বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ পন্ডিত পান্নালাল ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২০-০৪-১৯৬০ তারিখ দিলিতে। ১৯১১ সালে মুর্শিদাবাদ জেলায় বারডেম হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জন্ম, মৃত্যু-০৬-০৯-১৯৮৯ তারিখ। ১৯১১ সালে অবিভক্ত বাংলার মুসলমান চিত্রশিল্পীদের পথিকৃৎ প্রথম মুসলমান কার্টুনিস্ট এবং শিশু সাহিত্যিক কাজী আবুল কাসেমের জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৭-২০০৪ তারিখ। ১৯১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, মিশরের রাজধানী কায়রোর জামালিয়া কোয়ার্টারের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী আরব ঔপন্যাসিক নাগিব মাহফুজের জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৮-২০০৬ তারিখ। তিনি ১৯৮৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। নাগিব মাহফুজ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী প্রথম মুসলমান ছিলেন। ১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবর, ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজনানগাঁয়ে অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম নারী ও মানবতাবাদী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজীর জন্ম, মৃত্যুঃ ০৭-১১-২০০৭ তারিখ। তাঁর পৈতৃক নিবাস মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। ১৯১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর, হবিগঞ্জ জেলার মিরাশী গ্রামের এক জমিদার পরিবারে উপমহাদেশের গণসংগীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হেমাঙ্গ বিশ্বাসের জন্ম, মৃত্যু-২২-১১-১৯৮৭ তারিখ কলকাতায়। ১৯৮১ সালে যখন ঢাকায় আসেন, তখন দেখেছি হবিগঞ্জের স্মৃতিঘেরা জন্মভূমিকে দেখার জন্য তাঁর ছটফটানি।
১৯১৩ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, আফ্রো-আমেরিকান আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একটি প্রজন্মের প্রতীক মানবাধিকার নেত্রী রোজা পার্কসের জন্ম, পরলোগমণ ২৪-১০-২০০৫ তারিখ। সবার অধিকার সমান-রোজা পার্কস। আমি গ্রেপ্তার হই ১৯৫৫ সালের ১ ডিসেম্বর। বাসের সামনের দিকে শ্বেতাঙ্গদের জন্য নির্ধারিত বসার স্থান ছেড়ে না দেওয়ার জন্য। ১৯৫৫ সালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন এমন ছিল কৃঞ্চাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গের জন্য বাসে আলাদা বসার ছিট ছিল। ১৯১৩ সালের ১৯ জুলাই, নড়াইলের আফরা গ্রামে এক জোতদার পরিবারে তেভাগার সংগ্রামী কমরেড অমল সেনের জন্ম, মৃত্যু-১৭-০১-২০০৩ তারিখ। তিনি ১৯৩৪ সালে কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে চাকমা রাজগুরু শ্রীমৎ অগ্রবংশ মহাথেরোর জন্ম, মৃত্যু-০৫-০১-২০০৮ তারিখ। ১৯৫৮ সালের জানুয়ারিতে এক ধর্মীয় মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় তাঁকে রাজগুরু পদে বরণ করেন। ১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ কালজয়ী ঔপন্যাসের লেখক (এক দরিদ্র জেলে পরিবারে) অদ্বৈত মল্ল বর্মণের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৬-০৪-১৯৫১ তারিখ। ১৯১৪ সালের ৩ এপ্রিল, ভারতের অমৃতসরে ফিল্ড মার্শাল স্যাম হরমুসজি ফ্রামজি জামশেদজি মানেকশ’র জন্ম। ১৯৩৪ সালে ভারতীয় সামরিক একাডেমির (আইএমএ) প্রথম ব্যাচ থেকে তিনি কমিশন লাভ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৭ জুন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান হন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর প্রধান ছিলেন। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর. বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তাঁকে সম্মানসূচক ফিল্ড মার্শাল উপাধি দেওয়া হয়। স্যাম বাহাদুর নামে পরিচিত মানেকশ চার দশক পর ১৯৭৩ সালের ১৫ জানুয়ারি ভারতের অষ্টম সেনাপ্রধান হিসেবে অবসর নেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধ এবং ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে অংশ নেন। তাঁর মৃত্যু-০১-০৭-২০০৮ তারিখ। ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল, কুমিল্লা শহরের পৈত্রিক বাড়িতে ভাষাসৈনিক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবি (চিরকুমার) অধ্যাপক অজিতকুমার গুহের জন্ম, কুমিল্লায় মৃত্যু-২২-১১-১৯৬৯ তারিখ। ১৯১৪ সালের ১৫ মে, এভারেষ্ট বিজয়ী তেনজিং নোরগের জন্ম, মৃত্যু-মৃত্যু-০৫-০৫-১৯৮৬ তারিখ।
১৯১৪ সালের ৮ জুলাই, কলকাতার হ্যারিসন রোডের (বর্তমান মহাত্মা গান্ধী রোড) একটি বাড়িতে রাজনীতিক ও সাবেক মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জন্ম, মৃত্যু-১৭-০১-২০১০ তারিখ কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় ১১টা ৪৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ১৯৩০-এর দশকে কমিউনিষ্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১৯১৪ সালে কেরানীগঞ্জ থানার কলাতিয়া মিয়াবাড়িতে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের জন্ম, মৃত্যু-২৮-১১-১৯৯৯ তারিখ। ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই, ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরিলীর সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সম্জাকর্মী, পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেলের উদ্ভাবক এবং বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. আখতার হামিদ খানের জন্ম, আমেরিকাতে মৃত্যু-০৯-১০-১৯৯৯ তারিখ। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশভারতের সর্বোচ্চ চাকরি আইসিএস-এ নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৩৭-৪৪ সাল পর্যন্ত আই.সি.এস. অফিসার হিসেবে কুমিল্লা, পশ্চিমবঙ্গের তমলুক, পটুয়াখালী, নওগাঁ ও নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন স্থানে এসডিও এবং অন্যান্য উচ্চপদে কাজ করেন। ১৯৪৭-৫০ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লীতে ড. জাকির হোসেন প্রতিষ্ঠিত জামিয়া মিলিয়াতে মাত্র ১০০ রুপী বেতনে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালের এক ক্রান্তিলগ্নে ড. আখতার হামিদ খান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৯ সালের ২৭ মে কুমিল্লা একাডেমী (বর্তমানের বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বা বার্ড) নামে কোটবাড়িতে জন্মলাভ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে তাঁকে ইসলামাবাদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকালে তাঁকে আর বাংলাদেশে আসতে দেয়া হয়নি। ১৯৭৮-৭৯ সালে মাত্র সাত মাসের জন্য তিনি পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়ার উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। ১৯১৪ সালে বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া গ্রামে পশ্চিমবাংলার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের জন্ম, মৃত্যু-০৬-১১-২০১০ তারিখ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা ৫০ মিনিটে তিনি দক্ষিণ কলকাতার বেলতলা পার্কের নিজ বাসভবনে। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী ছিল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত। ঢাকা শহরের নবদ্বীপ বসাক রোডেও ছিল তাঁদের বাড়ি। তাঁর বাবা সুধীর কুমার রায় ব্যারিস্টার ছিলেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী মায়া রায়ও ব্যারিস্টার ছিলেন। সিদ্ধার্থ শংকর রায় নিঃসন্তান ছিলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন তাঁর নানা। ১৯১৪ সালের ১৫ অক্টোবর, আফগানিস্তানের কাবুলে শেষ আফগান বাদশাহ জহীর শাহের জন্ম, ১৯৩৩ সালে তাঁর পিতা (নাদির শাহ) নিহত হওয়ার পর ১৯ বছর বয়সে জহীর শাহ সিংহাসন লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত ৪০ বছর দেশ শাসন করেন এবং শেষ আফগান বাদশাহ জহীর শাহের মৃত্যু-২৩-০৭-২০০৭ তারিখ। ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর, কিশোরগঞ্জ জেলার কেন্দুয়ায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৮-০৫-১৯৭৬ তারিখ। ১৯১৪ সালে রমেন মিত্র বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের (বর্তমান চাপাইনবাবগঞ্জ) রামচন্দ্রপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৫ সালে ইলা মিত্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর দু’জনে শুরু করেন তেভাগা আন্দোলন। পূর্ববঙ্গে কমিউনিষ্ট আন্দোলন গড়ে তোলার অগ্রসেনানী এবং তেভাগা আন্দোলনের নেতা রমেন মিত্র(৯১) বছর বয়সে ২৮-০৬-২০০৫ তারিখ মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর, রাজশাহীর নাচোলের ‘রানি মা’ ও তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্ম, মৃত্যু-১৩-১০-২০০২ সালে। অধ্যাপনা করেছেন ১৯৬২ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত। চারবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছেন। ১৯টি জেলায় তেভাগা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ইলা মিত্র ছিলেন ক্রীড়াবিদ হিসেবেও তুখোড়। ঢাকায় পুত্র রণেন মিত্র। রণেন মিত্রের জন্ম-১৯৪৮ সালে।
১৯১৫ সালের ২২ আগষ্ট, কলকাতায় ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রের জন্ম, নিবেদিতপ্রাণ নাট্যব্যক্তিত্বের মৃত্যু-১৮-০৫-১৯৯৭ তারিখ কলকাতায়। ১৯১৫ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের জন্ম, মৃত্যু-১৪-০৮-১৯৮০ তারিখ। ১৯১৫ সালে ভারতীয় বাংলা সিনেমার বিখ্যাত নায়িকা ও গায়িকা কানন বালা দেবীর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৭-০৭-১৯৯২ তারিখ। ১৯১৫ সালে লাহোরে জন্মগ্রহণকারী পূর্ব-পাকিস্তানের কমান্ডার লে. জে. এ. এ. কে. নিয়াজী, ইন্তেকাল-০২-০২-২০০৪ তারিখ ৮৯ বছর বয়সে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কমান্ডার লে. জে. এ. এ. কে. নিয়াজী ছিলেন। ১৯৩৯ সালে নিয়াজী ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯১৫ সালে বগুড়াতে প্রখ্যাত সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাকের আসফ-উদ-দৌলা রেজার জন্ম, ঢাকায় মৃত্যু-১৪-০২-১৯৮৩ তারিখ। ১৯১৫ সালের ১ ডিসেম্বর, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামে টাইগার গনি নামে পরিচিতি মেজর গনির জন্ম, এবং ১৯৫৭ সালের ১১ নভেম্বর জার্মানীর ফ্র্যাংকপোর্টে আকস্মিকভাবে মাত্র ৪২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ১৯৪১ সালে বৃটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাইওনিয়ার কোরে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, তারই অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠিত হয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট। পাক-সরকারের বৈরিতায় ১৯৫৩ সালে তিনি সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে নির্বাচিত হন প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য। ১৯৮১ সালে মেজর গনিকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করা হয়। ১৯১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি, টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার নাগবাড়ির এক জমিদার পরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশের (১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ০২-০৮-১৯৮৭ তারিখ।
১৯১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, বর্তমান পাকিস্তানের ঝিলাম জেলায় কালাগুর্জন গ্রামে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা জন্মগ্রহণ করেন এবং ০৩-০৫-২০০৫ তারিখ নয়াদিল্লীর একটি হাসপাতালে সকালে পরলোকগমন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইষ্টার্ন কমান্ডের কমান্ডর ছিলেন। পূর্ব-পাকিস্তানের কমান্ডার লে. জেনারেল এ. এ. কে. নিয়াজী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ঢাকায় লে. জেনারেল অরোরার নিকট আত্মসমর্পণ করেন এবং আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। অরোরা ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় পাঞ্জাব রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নে ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে বাউলসম্রাট ও কবি শাহ আবদুল করিমের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৯-২০০৯ তারিখ। ১৯১৬ সালের ২১ মার্চ, সানাইয়ের কিংবদন্তী ওস্তাদ ও সুর স্রষ্টা বিসমিল্লাহ খাঁ বিহারের ডুমরাও-এ পেশাদার একটি সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যুবরণ করেন-২১-০৮-২০০৬ তারিখ। ১৯৫০ সালে ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লীর ঐতিহাসিক সপ্তদশ শতকের লালকিল্লা থেকে শানাইয়ের ঝঙ্কার তুলে বিখ্যাত হয়ে যান। এ সঙ্গীতজ্ঞ ১৯৯১ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘ভারতরতœ’ খেতাবে ভূষিত হন। ১৯১৬ সালে বিশ্বখ্যাত ডিএনএ বিজ্ঞানী প্রফেসর উইলকিনসের জন্ম, মৃত্যু-০৮-১০-২০০৪ তারিখ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮-বছর। উইলকিনস আমৃত্যু লন্ডনের কিংস কলেজে অধ্যাপনা করছেন। ১৯১৬ সালে পাকিস্তানের আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির প্রতিষ্ঠাতা খান আব্দুল ওয়ালী খানের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৫-০১-২০০৬ তারিখ। ১৯১৬ সালে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে বিশ্বখ্যাত শিকারী আবদুল হামিদ ওরফে পচাব্দী গাজীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১২-১০-১৯৯৭ তারিখ। এ শিকারী সর্বোচ্চ ৫৭টি ভয়ঙ্কর মানুষখেকো রয়েল বেঙ্গল বাঘ শিকার করে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিকারীদের মাঝে নিজের আসন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৬ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের (এ দেশের প্রথম সিনেমা মুখ ও মুখোশ-১৯৫৬ সালের ৩ আগষ্ট মুক্তি পায়) পথিকৃৎ আলহাজ্ব আবদুল জব্বার খান বিক্রোমপুরে জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-১২-১৯৯৩ তারিখ। ১৯১৭ সালের ২৯ মে, যুক্তরাষ্টের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন. এফ. কেনেডির জন্ম, আততায়ীর হাতে মৃত্যু-২২-১১-১৯৬৩ তারিখ। ১৯১৭ সালের ২৭ অক্টোবর, দক্ষিণ আফ্রিকার গান্ধী ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের বিজানা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ক্যান্টেলো গ্রামে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এক উজ্জল নক্ষত্র অলিভার টাম্বোর জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৪-১৯৯৩ তারিখ স্ট্রোকে। ১৯১৭ সালের ১৭ নভেম্বর, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম, মৃত্যুঃ ৩১-১০-১৯৮৪ তারিখ নয়াদিল্লীতে দেহরক্ষীর গুলিতে। ১৯১৮ সালের ১৯ জুন, মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কবি ফররুক আহমদের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৮-১০-১৯৭৪ তারিখ।
১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই, দক্ষিণ আফ্রিকায় মানবতাবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার জন্ম, মারা গেছেন ০৫-১২-২০১৩ তারিখ। ১৯৯০ সালের ১১ ফ্রেব্রæয়ারি তাঁর কারামুক্তির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। জীবনের ২৭ বছর জেলে কেটেছে নেলসন মেন্ডেলার। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বঙ্গবীর ও জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০২-১৯৮৪ তারিখ। ১৯১৮ সালের ১ অক্টোবর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার ভেলানগর গ্রামের বড়বাড়িতে মানে তাঁর নানাবাড়িতে (দরিকান্দি গ্রামে তাঁর বাবারবাড়ি) বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, গবেষক, বিশিষ্ট প্রতœতত্তবিদ, ইতিহাসবিদ ও পুঁথি-সাহিত্য বিশারদ, অনুবাদক সাহিত্যিক, মধ্যযুগের ইতিহাস চিন্তাবিদ, ক্রীড়া সংগঠক-বহুমাত্রিক আবুল কালাম মুহাম্মদ যাকারিয়ার জন্ম, ২৪-০২-২০১৬ তারিখ ১১-৫৫ মিনিটে শমরিতা হাসপাতালে বাধ্যর্কজনিত কারণে মারা গেছেন। ১৯১৮ সালের ১৮ অক্টোবর, ঢাকার জিন্দাবাহার লেনে উপমহাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্ম, ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত জিন্দাবাহারেই ছিলেন তিনি। জিন্দাবাহার নামে তাঁর বিখ্যাত বইও আছে। ১৯৩৭ সালে মাদ্রাজ সরকারি আর্ট কলেজে পড়তে চলে যান। ২২-১০-২০০৮ তারিখ সোয়া সাতটায় কলকাতার বি. এম. বিড়লা হার্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৩৭ সালে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পর ১৯৭২ সালে পরিতোষ সেন স্বাধীন বাংলাদেশে এসেছিলেন। ১৯১৮ সালে ভিয়েনায় সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কুর্টওয়েল্ডহেইমের জন্ম, মৃত্যু-১৪-০৬-২০০৭ তারিখ। তিনি ১৯৭২-৮২ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন। ১৯১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর, রাশিয়ার ককেসাসের কিসলোভোদস্ক শহরে নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আলেকসান্দর সলঝেনিৎসিনের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৮-২০০৮ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে নোবেল পান। ১৯১৯ সালের ১ মে, কলকাতা শহরে আধুনিক বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী মান্না দের জন্ম, ২৪-১০-২০১৩ তারিখ বৃহস্পতিবার দিন ভোর রাত তিনটা ৫০ মিনিটে পরপারে চলে গেলেন প্রবাদপ্রতিম সংগীতশিল্পী মান্না দে। এ ৯০(নব্বই) বছর বয়সেও গান করতে পারছে এবং স¤প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন। মান্না দে গানই আমার জীবন। সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি-সা আমি শুনতে শুনতে নিজেই শিখেছিলাম। ১৯১৯ সালে ২০ জুলাই, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে, পর্বতারোহী ও এভারেষ্ট বিজয়ী স্যার এডমন্ড হিলারির জন্ম, মৃত্যু-১১-০১-২০০৮ তারিখ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকল্যান্ডের একটি হাসপাতালে। তাঁর নামে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ চূড়া এডমুন্ড হিলারির নামে করার প্রস্তাব। ১৯১৯ সালের ১১ অক্টোবর, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের জন্ম, শহীদঃ ২১-০২-১৯৫২ তারিখ। ১৯১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর, লক্ষেèৗ শহরের এক রক্ষণশীল শিয়া মুসলিম পরিবারে নওশাদ আলীর জন্ম, উপমহাদেশের সংগীতের কিংবদন্তি নওশাদ আলীর মৃত্যুঃ ০৫-০৫-২০০৬ তারিখ। ১৯২০ সালের ১৯ জানুয়ারি, বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৯-০১-১৯৯২ তারিখ। ১৯২০ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, উপমহাদেশের সঙ্গীতজ্ঞ, বাংলাদেশের প্রথম সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পন্ডিত বারীণ মজুমদার পাবনা শহরের রাধানগর অঞ্চলের বিখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যুঃ ০৩-১০-২০০১ তারিখ।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৫-০৮-১৯৭৫ তারিখ। ১৯২০ সালের ৭ এপ্রিল, ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতকে যাঁরা বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছেন, তাঁদের মধ্যে রবিশংকর অন্যতম, জগদ্বিখ্যাত সেতারবাদক রবিশংকরের (আসল নাম রবীন্দ্র শঙ্কর চৌধুরী) জন্ম, মৃত্যু-১১-১২-২০১২ তারিখ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৩০ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে আমি আমার বড় ভাই নৃত্যশিল্পী উদয়শংকরের সঙ্গে প্যারিস গিয়েছিলাম। ১৯২০ সালের ১৬ জুন, ফরিদপুর জেলায় বাংলা গানের ভারতীয় বিখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যুঃ ২৬-০৯-১৯৮৯ তারিখ। ১৯২০ সালের ২৮ জুন, চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার ছেদন্দি গ্রামে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের স্থপতি প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের জন্ম, মৃত্যুঃ ১১-০৩-১৯৯১ তারিখ। ১৯২০ সালের ২৬ আগষ্ট, মুন্সীগঞ্জ শহরে এ যুগের সেরা কৌতুকশিল্পী ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম, কলকাতা শহরে মৃত্যু-০৪-০৩-১৯৮৩ তারিখ। ১৯২০ সালে নরসিংদীর বালিয়া গ্রামে ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য সোমেন চন্দের জন্ম, ঢাকার রাজপথে তাকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও পৈশাচিকভাবে খুন করা হয়-০৮-০৩-১৯৪২ তারিখ। ১৯২০ সালে ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল সুহার্তোর জন্ম, মৃত্যু-২৭-০১-২০০৮ তারিখ। তিনি ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৬৫ সাল থেকে ক্ষমতা দখল করে এবং ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জেনারেল সুহার্তো ও তাঁর সেনাবাহিনী ৩২ বছর যাবত একটি লুটপাটের রাজত্ব চালিয়েছে। ১৯২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, যশোর জেলার সদর থানার খড়কিতে কমিউনিষ্ট নেতা আবদুল হকের জন্ম, মৃত্যু-২২-১২-১৯৯৫ তারিখ। ১৯২১ সালের ২ মে, বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিত রায় (মানিক) কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি নির্মাণ করেছিলেন অবিস্মরণীয় চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালি’। ১৯৫৫ সালে নিউইয়র্কে ‘পথের পাঁচালি’ প্রথম প্রদর্শিত হয়। এর কয়েক মাস পর এটি কলকাতায় মুক্তি পায়। ১৯৫৬ সালে সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র ঊৎসবে বেস্ট হিউমেন ডকুমেন্টারীর পুরস্কার পায়। এটা বাংলার সমাজ ও গ্রামীণ জীবনকে খুবই হৃদয়গ্রাহীভাবে ফুটিয়ে তোলেন। ১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর, খ্যাতিমান শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানের জন্ম, মৃত্যুঃ ০২-০২-১৯৮৮ তারিখ। ১৯২২ সালের ২ জানুয়ারি, নোয়াখালী জেলায় রাজনীতিবিদ কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার জন্ম, মৃত্যু-২৯-১১-১৯৮৭ তারিখ। ১৯২২ সালের ১৭ জানুয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে কিংবদন্তি সরোদশিল্পী (আকবর আলী আকবর খাঁ) ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ’র জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৬-২০০৯ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগীত কেন্দ্রে মারা যান। ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল, কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার বর্ধিঞ্চু গ্রাম এলাহাবাদে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের জন্ম। ১৯৬৭ সালে তিনি ন্যাপ সভাপতি হন। ১৯২২ সালের ৭ নভেম্বর, ঢাকা শহরের লক্ষীবাজারস্থ বিখ্যাত দ্বীনি পরিবার শাহ সাহেব বাড়ী মাতুলালয়ে অধ্যাপক গোলাম আযম জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২৩-১০-২০১৪ তারিখ পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার প্রতীক গোলাম আযম। ১৯২২ সালে বিখ্যাত অভিনেতা দীলিপ কুমারের জন্ম। (আসল নাম ইউসুফ খাঁন)। দিলীপ কুমার ১৯৪৪ সালে জোয়ার ভাটা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এ সুপুরুষ নায়কের যাত্রা শুরু। ১৯২৩ সালে কলকাতায় ইহুদি পরিবারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাকব-ফারজ-রাফায়েল জ্যাকবের (জে.এফ.আর.জ্যাকব) জন্ম, ১৩-০১-২০১৬ তারিখ বুধবার সকালে দিল্লির একটি সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। জ্যাকবের পূর্ব পুরুষেরা বাগদাদ থেকে এসেছিলেন কলকাতায়। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ১৯৪২ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লড়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে, মিয়ানমারের পরে সুমাত্রায়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে ভারতীয় বাহিনীর ঢাকা অভিযানের নেতৃত্বে দেন, তাঁর পরিকল্পনাতেই পাকিস্তান সেনবাহিনীকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ সম্ভব হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানটি ছিল কার্যত জ্যাকবের নিজস্ব উদ্ভাবন। জেনারেল জ্যাকব তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতে নিয়াজির আত্মসমর্পণের দলিল থেকেও উদ্ধৃতি দেন। নিয়াজি সেখানে বলেন, জ্যাকবই তাঁকে বø্যাকমেইল করে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের বিষয়ে পাকিস্তানিরা তাঁদের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের গবেষণায় বিষ্ময়করভাবে ভারতীয় বিজয়ের জন্য কৃতিত্ব নির্দিষ্টভাবে ‘‘মেজর জেনারেল জ্যাকব’’কেই দিয়েছে। ৩১ জুলাই ১৯৭৮ সালে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। ইহুদিদের প্রতি পাকিস্তানের কোনো প্রেম নেই। পাকিস্তানিরা জানত, আমি একজন ইহুদি। ১৯২৩ সালের ১৪ মে, বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা শহরে নন্দিত চলচ্চিত্রনির্মাতা মৃণাল সেনের জন্ম। ০২-০২-২০০৫ তারিখ নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিতব্য ভারতের ৫১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এ. পি. জে. আবদুল কালাম মৃণাল সেনের কাছে দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননা হস্তান্তর করেন। ১৯২৩ সালের ২৩ মে, বরিশাল জেলার সিদ্ধকাঠি গ্রামে আজকের দুনিয়ায় ইতিহাস সুষ্টিকারী ইতিহাসবিদ, ইতিহাসের দার্শনিক রণজিৎ গুহের জন্ম। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কারণে তিনি ভারতে চলে যায়। রণজিৎ গুহকে মার্কসবাদী ধারা ইতিহাসবিদ ধরা হয়। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে ফুসফুসে ক্যান্সার নিয়ে হয়তোবা মৃত্যুর দিকেই যাচ্ছেন বাংলার এ কৃতী সন্তান। মরার আগে আরও পাঁচ বছর বাঁচতে চান, যাতে বাংলায় আরও লিখতে পারেন, যাতে একবারের জন্য হলেও তাঁর জন্মভূমি বরিশালের নদীতে কয়েক মাস ঘুরে বেড়াতে পারেন। রণজিৎ গুহকে প্রাচ্যের তত্ত¡বিদ বললে বাড়িয়ে বলা হয় না। তিনি ভারতবর্ষের ইতিহাসকে, ভারতবর্ষ তথা বংলার কৃষককে নূতন আলোয় দেখাতে পেরেছেন। তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় ২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর, ৪৫তম কনভোকেশনে এ ক্ষণজন্মা পন্ডিতকে ‘ডক্টর অব লিটারেচার’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে।
১৯২৩ সালের ১০ আগষ্ট, শিল্পী এস. এম. সুলতান জন্মগ্রহণ করেন নড়াইল জেলার মাছিম দিয়া গ্রামে, বরেণ্য শিল্পী মৃত্যুবরণ করেনঃ ১০-১০-১৯৯৪ তারিখ। ১৯২৪ সালের ৮ মে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শিউড়ী মহকুমার খয়রাদিহি গ্রামে শিল্পী কলিম শরাফীর জন্ম, মৃত্যু-০২-১১-২০১০ তারিখ রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে । ১৯৫০ সালে ঢাকায় চলে এসেছিলেন কলিম শরাফী। ১৯২৪ সালে পাবনা জেলায় ভাষাসৈনিক ও কমরেড আবদুল মতিনের জন্ম। ১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর, পূর্ব পাঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে কোটলা সুলতান সিংয়ে গায়ক সুরকার মোহাম্মদ রফি জন্মগ্রহণ করেন, মুম্বাইয়ে মৃত্যুঃ ৩১-০৭-১৯৮০ তারিখ। তিনি যখন মারা যান মুম্বাইয়ে সর্বকালের সবচেয়ে বড় শোক মিছিল হয়েছিল। ১৯২৫ সালের ৯ জানুয়ারি, ঝালকাঠির ৫ নম্বর কীর্তিপাশা ইউনিয়নের রুনসী গ্রামে প্রবীণ সাংবাদিক, কলামিষ্ট, দৈনিক সংবাদের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য সন্তোষ গুপ্তের জন্ম, ০৬-০৮-২০০৫ তারিখ দিবাগত রাত ২-৩০ মিনিটে বারডেম হাসপাতালে পরলোকগমন। ১৯২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ডে কমপিউটার মাউসের জনক ডগলাস অ্যাঙ্গেলবার্টের জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৭-২০১৩ তারিখ। ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ, যশোরে মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামানের (বীর-উত্তম) জন্ম, মৃত্যু-০৬-০৫-২০১১ তারিখ। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভিতে যোগ দেন। ১৯২৫ সালের ৯ এপ্রিল, কেন্দ্রীয় কচি-কাচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাহিত্যিক-সাংবাদিক রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাইয়ের জন্ম, তিনি মারা যান ০৩-১২-১৯৯৯ তারিখ। ১৯২৫ সালের ৯ জুলাই, ভারতের বেঙ্গালুরুতে সফল চলচ্চিত্র নির্মাতা গুরু দত্তের জন্ম, মৃত্যু-১৯৬৪ সালের ১০ অক্টোবর, মুম্বাইয়ে। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সাবেক অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, কেন্দ্রীয় কারাগারে। ১৯২৫ সালের ২৯ নভেম্বর, ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার মাতুভূঁইয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামে ভাষা শহীদ আবদুস সালামের জন্ম, শহীদঃ ২১-০২-১৯৫২ তারিখ। ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর, এ ঢাকা শহরেই দুটি ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল। তাঁদেরই একজন পরবর্তী জীবনে বাংলার শিল্পনিষ্ঠ ও স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটক, অন্যজন সাত মিনিটের ছোট বোন। অত্যন্ত কৃতী পরিবারের সবচেয়ে অকৃতী অধম সেই যমজ বোনই আমি-প্রতীতি। স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের কলকাতায় মৃত্যু-০৬-০২-১৯৭৬ তারিখ। ঋত্বিক কিন্তু ঢাকাতেই থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু ১৯৪৮ সালে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে মা-বাবাকে নিয়ে দাদারা কলকাতায় চলে যান। ঋত্বিক এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু সবার সঙ্গে পেরে ওঠেনি। ফলে তাকেও যেতে হলো। ঋত্বিক কুমার ঘটকরা নয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার কনিষ্ঠ ঋত্বিক কুমার ঘটক ও প্রতীতি দেবী। প্রতীতি দেবীর স্মৃতিচারণায় ভাই ঋত্বিক ঘটক। প্রতীতি দেবী ঢাকায়ই থাকেন।
১৯২৫ সালে ভারতের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী ও পারমাণবিক কর্মসূচীর জনক রাজা রামান্নার জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৯-২০০৪ তারিখ। ১৯২৫ সালে ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে বিজ্ঞানী রবার্ট এডওয়ার্ডসের জন্ম। ব্রিটিশ অধ্যাপক রবার্ট এডওয়ার্ডসের হাতেই ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই, জন্ম হয় বিশ্বের প্রথম টেস্টটিউব শিশু লুইস ব্রাউনের। তাঁর এ সফলতায় বিশ্বের লাখ লাখ বন্ধ্যা দম্পতি আইডিএফ প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্তান লাভ করছে। ১৯২৫ সালে ভারতের শিলংয়ে স্কটিশ বিজ্ঞানী জন শেফার্ড-ব্যারনের জন্ম, মৃত্যু-১৫-০৫-২০১০ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৪ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যের ইনভারনেস শহরের একটি হাসপাতালে। তিনি এটিএমের উদ্ভাবক জন শেফার্ড-ব্যারন অটোমেটেড টেলর মেশিন (এটিএম)-এর উদ্ভাবক জন শেফার্ড-ব্যারন মারা গেছেন। ব্যাংকিং খাতে টাকা-পয়সা তোলার ক্ষেত্রে এটিএমের ধারণা প্রথম জন শেফার্ড-ব্যারনের ভাবনাতেই আসে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনে প্রথম এটিএম বসানো হয়। জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানে ‘অন দি বাসেস’ থেকে প্রচারের আলোয় আসা অভিনেতা রেগ ভার্নি ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি সেই এটিএম থেকে টাকা তুলেছিলেন। পিটিআই। ১৯২৬ সালের ১৪ জানুয়ারি, বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম ঢাকায়। লেখার পাশাপাশি দলিত ও আদিবাসী জনজাতিগুলোর কাছে গিয়ে তাদের নিয়ে কাজ করে তিনি একজন প্রতিবাদী লড়াকু কণ্ঠস্বর হিসেবে খ্যাতিমান হয়ে উঠেছেন। ১৯২৬ সালে বগুড়া জেলায় আলোর দিশারী বাংলাদেশের মহিলা ক্রীড়াঙ্গনের অগ্রদূত ছিলেন রাবেয়া খাতুন তালুকদারের জন্ম, মৃত্যু-২০০৯ সালে। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা হিসেবে স্থান করে নিয়েছিলেন রাবেয়া খাতুন তালুকদার। ১৯২৬ সালে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টোর জন্ম, তাঁর ফাঁসি হয়-০৪-০৪-১৯৭৯ তারিখ। ১৯২৬ সালে পূর্ববঙ্গের বলিশাল জেলায় ইতিহাসের পন্ডিত অধ্যাপক তপন রায় চৌধুরীর জন্ম। তবে তাঁর মুখ্য কাজের ক্ষেত্র অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। মোগল আমলের ও ব্রিটিশ উপনিবেশের বাংলা তাঁর গবেষণার বিষয়। ১৯৪৬ সালের ১৬ আগষ্ট, কলকাতায় যে কুৎসিত দাঙ্গার ঘটনাটা ঘটল, ‘আমি এখনো দাঙ্গার ব্যাখ্যা খুঁজে বেড়াচ্ছি’।
১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়ক অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় (উত্তম কুমারের) জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৭-১৯৮০ তারিখ। ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, ভারতের আসাম রাজ্যে গণসংগীত শিল্পী ড. ভূপেন হাজারিকার জন্ম, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটা ৩৭ মিনিটে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে এই মানবদরদি শিল্পী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন-০৫-১১-২০১১ তারিখ। ‘যাযাবরের’ চিরপ্রস্থান। তিনি আসামী, বাংলা ও হিন্দি ভাষায় গান করতেন। ১৯২৬ সালের ১৩ আগষ্ট, কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর জন্ম। তিনি ১৯৫৯ সালের ২ জানুয়ারি, কিউবায় কমিউনিষ্ট বিল্পবের মাধ্যমে কিউবার ক্ষমতা দখল করেন। ১৯২৬ সালের ১৬ আগষ্ট, বিপ্লবী কিশোর কবি সুকান্ত কলকাতা শহরে তাঁর নানাবাড়ি জন্মগ্রহণ করেন; মৃত্যু-১৩-০৫-১৯৪৭ তারিখ কলকাতা শহরে। ফরিদপুর জেলায় তাঁর বাবারবাড়ি। ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি, নোয়াখালী জেলার সেনবাগে বইয়ের মানুষ চিত্তরঞ্জন সাহার জন্ম, মৃত্যু-২৬-১২-২০০৭ তারিখ। চিত্তরঞ্জন সাহাই পুথিঘর লাইব্রেরীর মালিক এবং প্রথম বাংলা একাডেমীতে একুশে ফেব্রæয়ারিতে বইয়ের দেকান দেন। ১৯২৭ সালের ১৬ জুন, মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার ভরতপুর থানার বাবলা গ্রামে ভাষাসৈনিক শহীদ আবুল বরকতের জন্ম, মৃত্যু-২১-০২-১৯৫২ তারিখ ঢাকায়। ১৯২৭ সালের ১৮ জুলাই, ভারতের রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলার লুনা গ্রামে এক ঐতিহ্যবাহী সংগীত পরিবারে উপমহাদেশের ধ্রæপদ সংগীত ও গজলের ধ্রæবতারা মেহদি হাসানের জন্ম, পাকিস্তানের করাচিতে মৃত্যু-১৩-০৬-২০১২ তারিখ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পরিবারসহ পাকিস্তানের সহিওয়াল জেলার ছিচা ওয়াতনি এলাকায় থিতু হন তাঁরা। ১৯৫৭ সালে ঠুমরি গায়ক হিসেবে পাকিস্তান বেতারে গাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পর থেকে আর্থিক সংকট কাটতে থাকে মেহদি হাসানের। ১৯২৮ সালের ২০ মার্চ, কুচবিহারে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জন্ম। ১৯২৮ সালের ১৪ জুন, আর্জেন্টিনার রোমারি শহরের স্যান্টাক্লারা এলাকায় লাতিন আমেরিকার বিপ্ললী নেতা ও কিউবা বিপ্লবের অন্যতম নায়ক চে গুয়েভারার জন্ম, ১৯৬৭ সালের ৮ অক্টোবর দুজন সহযোদ্ধাসহ বন্দী হন আহত চে। পরে তাকে ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর, বলিবিয়ার এক সার্জেন্ট মারিয়ো তেরান চে গুয়েভারাকে বলিভিয়ার জঙ্গলে কাছ থেকে গুলী করে হত্যা করেন। ১৯৩৭ সালে স্পেনিশ গণযুদ্ধের সময় চে পড়ছেন প্রাইমারী স্কুলে, থার্ড গ্রেডে। ১৯৪৭ সালে আর্জেন্টিনার কমিউনিষ্ট সংঘের তরুণ কর্মী বারতা গিলদা তিতার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে মার্কসবাদী দর্শনের নানামুখী আলোচনায় ঝুঁকে পড়েন তিনি। ১৯৫৯ সালের ২ জানুয়ারি, ফিদেল-চের নেতৃত্বে বিপ্লব সমপন্ন হয় কিউবায়। ১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার রামকান্তপুর গ্রামে চলচ্চিত্রকার, গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও অভিনেতা খান আতাউর রহমান খানের জন্ম, মৃত্যু-০১-১২-১৯৯৭ তারিখ। তিনি চলচ্চিত্র অঙ্গনের এক ব্যতিক্রমী পুরুষ। ১৯২৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের, শিকাগো শহরে মার্টিন কুপারের জন্ম। হাতে বহনযোগ্য মোবাইল ফোনের উদ্ভাবক। ৩ এপ্রিল ১৯৭৩, তিনি মোবাইল ফোনে প্রথম কলটি করেন।