বাংলাদেশের বর্ডার, মাইল হিসিবে ভারত এবং মায়ানমারের সাথেঃ

পশ্চিমবঙ্গের সাথে ১,৩৮০
আসামের সাথে ১৭২
মেঘালয়ের সাথে ২৬৬
এিপুরার সাথে ৫৬০
মিজোরামের সাথে ১৯০
ভারতের সাথে বাংলাদেশের মোট বর্ডার ২,৫৬৮(দুই হাজার পাঁচশত আষট্টি) মাইল
মায়ানমারের সাথে ১৬২ মাইল
সমুদ্র সীমা ৪৪৫ মাইল
বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মায়ানমার (সমুদ্র সীমাসহ) বর্ডার ৩,১৭৫ মাইল
সূএ ঃ ভূমি জরিপ অধিদপ্তর।

 

ভারত এবং মায়ানমার(বার্মার) সাথে বাংলাদেশের ৩২টি জেলার বর্ডার আছে। এরমধ্যে ভারতের সাথে ৩০টি জেলার এবং মায়ানমার(বার্মার) সাথে ৩টি জেলার বর্ডার আছে। নিম্নে জেলাগুলির নাম দেয়া হলো ঃ
সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নওয়াবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও,পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভী বাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাম্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, পার্বত্য খাগড়াছড়ি, পার্বত্য রাঙ্গামাটি এ ৩০(ত্রিশ)টি জেলার বর্ডার ভারতের সাথে।

পার্বত্য রাঙ্গামাটি, পার্বত্য বান্দরবন ও কক্সবাজার এ ৩(তিন)টি জেলার বর্ডার আছে মায়ানমার(বার্মার) সাথে।

একমাত্র পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার সাথে ২(দুই)টি রাষ্ট্রের বর্ডার আছে, ভারত এবং বার্মার

ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নির্বাচন ঃ

১৯৩৭ সালে প্রথম প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বাংলার  প্রধানমন্ত্র¿ী নির্বাচিত হন শের-ই-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক (১৯৩৭-১৯৪১ পর্যন্ত)। দ্বিতীয়বারেও তিনি  প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন (১৯৪১-১৯৪৩ পর্যন্ত)। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শের-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক সরকারি চাকরির ৫০ ভাগ মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণ করেন। পরবর্তীতে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁরই মন্ত্রীসভার সদস্য খাজা নাজিমউদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন ১৯৪৩-১৯৪৫ পর্যন্ত। ১৯৪৬ সালে ভারতবর্ষের সাধারণ নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু। অর্থমন্ত্রী নির্বাচিত হন লিয়াকত আলী খান। এ নির্বাচনে জাতীয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
১৯৩৭ সালে বাঞ্ছারামপুর থানার প্রতিনিধি ছিলেন ঢাকার প্রখ্যাত খাজা পরিবারের মরহুম নওয়াবজাদা খাজা নছরউল্লা। ১৯৪৬ সালে এ থানার প্রতিনিধি  ছিলেন নবীনগর থানার নাছিরাবাদ গ্রামের মরহুম আলী আহাম্মদ খাঁন। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ পৃথক হয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত  হওয়ার পর ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে এ থানার প্রথম নির্বাচিত  প্রতিনিধি দরিকান্দি গ্রামের মরহুম এডভোকেট এ. কে. এম. জহিরুল হক (লিল মিয়া)। পরে যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রীসভায় তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালের নির্বাচনে এ থানার প্রতিনিধি হয়েছিলেন মুরাদনগর থানার কামারচর গ্রামের মরহুম এডভোকেট মোঃ আজিজুর রহমান। তিনি পরপর দু’বার এম.এন.এ নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে এম.এন.এ. নির্বাচিত হন নবীনগর থানার বড়িকান্দি গ্রামের এডভোকেট দেওয়ান আবুল আব্বাস (বাচ্চু মিঞা) এবং প্রাদেশিক নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি(এম.পি.এ) মরিচাকান্দি গ্রামের মরহুম গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ (আফতাব মিঞা)। ১৬-১২-১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বিজয় লাভের পর ১৯৭৩ সালের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি দরিকান্দি গ্রামের ড. এ. ডবিøও. এম. আবদুল হক। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি দরিকান্দি গ্রামের মরহুম মোঃ মোজাম্মেল হক (অদু মিঞা)। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি কদমতুলি গ্রামের জনাব সহিদুর রহমান। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ সাধারণ নির্বাচনে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন ডোমরাকান্দি গ্রামের মরহুম এ. টি. এম. ওয়ালি আশরাফ। তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম সাধারণ নির্বাচনেও  প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। সাংসদ থাকাকালীন সময়ে ১৯-১১-১৯৯৪ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। ১৯৯৪ সালের উপ-নির্বাচনে  রূপসদী গ্রামের  মোঃ শাহজাহান হাওলাদার (সুজন) নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারির নির্বাচনের নির্বাচিত হন। তাঁর মৃত্যু হয় ৩ জুলাই, ২০০১ সালে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সপ্তম সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত হন পাড়াতুলি গ্রামের ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলাম(তরু)। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, অষ্টম সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত হন বাড়াইলচর (বাহেরচর) গ্রামের জনাব মোঃ আবদুল খালেক, পি.এস.সি । ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত হন পাড়াতুলি গ্রামের ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলাম (তরু)। ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলাম (তরু)-এডভোকেট এ. কে. এম. জহিরুল হক (লিল মিয়া)’র  ৫৫ বছর বছর পর মন্ত্রী হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির, জাতীয় ১০ম সাধারণ নির্বাচিনে নির্বাচিত হন পাড়াতুলি গ্রামের ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলাম (তরু)।
উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মানিকপুর গ্রামের প্রাক্তন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও ডি.আই.জি.(অবঃ) মরহুম এম.এ.আওয়াল। তিনি ০৭-০৮-১৯৮৫ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮৬ সালের উপজেলা উপ-নির্বাচনে দরিকান্দি গ্রামের ড. এ. ডবিøও. এম. আবদুল হক নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে উপজেলা নির্বাচনে বুধাইরকান্দি গ্রামের জনাব মোঃ দুদ মিয়া(মাস্টার) নির্বাচিত হন। এরপর আর উপজেলা নির্বাচন হয়নি। ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলাম(আওয়ামী লীগ)। উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচনে নির্বাচিত হন ঃ দরিয়াদৌলত গ্রামের ডলি আক্তার (আওয়ামী লীগ) ও জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)। উপজেলা পরিষদে এবারই একজন পুরুষ ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব মোঃ সফিকুল ইসলাম মারা গেছেন ০২-০৮-২০১০ তারিখ। ২০১৪ সালের ২৬ জুনের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম(আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ক্ষমতা পান ০৬-০৮-২০১৪ তারিখ।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংসদের আয়ুকালের হিসেব নিম্নে দেয়া হলো ঃ
১) ১ম সংসদের আয়ুস্কাল ছিল-২ বছর ৬ মাস (১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল)। অধিবেশন বসে-৭ এপ্রিল, ১৯৭৩ থেকে ৬ নভেম্বর, ১৯৭৫ শেষ।
২) ২য় সংসদের আয়ুস্কাল ছিল-২ বছর ১১ মাস (১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল)। অধিবেশন বসে-২ এপ্রিল, ১৯৭৯ থেকে ২৪ মার্চ, ১৯৮২ পর্যন্ত।
৩) ৩য় সংসদের আয়ুস্কাল ছিল-১বছর ৫ মাস (১৯৮৬ সালের ৭ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১০ জুলাই, ১৯৮৬ থেকে ৬, ডিসেম্বর, ১৯৮৭ পর্যন্ত।
৪) ৪র্থ সংসদেরে আয়ুস্কাল ছিল-২ বছর ৭ মাস (১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।) ১৫ এপ্রিল, ১৯৮৮ থেকে ৬, ডিসেম্বর, ১৯৯০ পর্যন্ত।
৫) ৫ম সংসদের আয়ুকাল ছিল-৪ বছর ৮ মাস (১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রƒয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল)। ৫ এপ্রিল, ১৯৯১ থেকে ২৪ নভেম্বর, ১৯৯৫ পর্যন্ত।
৬) ৬ষ্ঠ সংসদের আয়ুস্কাল ছিল-১২দিন (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়)। ১৯ মার্চ, ১৯৯৬ থেকে ৩০ মার্চ, ১৯৯৬ পর্যন্ত।
৭) ৭ম সংসদের আয়ুস্কাল ছিল-৫ বছর(১৯৯৬ সালের ১২ জুন  নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়)। ১৪ জুলাই, ১৯৯৬ থেকে ১৩ জুলাই, ২০০১ পর্যন্ত। ২৩ জুন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং ক্ষমতা ছাড়েন ১৩ জুলাই, ২০০১ সালে।
৮) ৮ম সংসদের আয়ুস্কাল ছিল-৫ বছর(১০ অক্টোবর, ২০০১ সালে বি.এন.পি. জোট ক্ষমতা গহণ করে এবং সংসদের প্রথম অধিবেশন ডাকে ২৮-১০-২০০১ সালে এবং আগামী-২৭-১০-২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবে। ক্ষমতা হস্তান্তর করবে ২৮-১০-২০০৬ তারিখ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের নিকট। ১ অক্টোবর ২০০১ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের আয়ুকাল হয়েছে ৫ বছর ১৭ দিন।
৯) ৯ম জাতীয় সংসদের আয়ুস্কাল আরম্ভ হয়-১৭ মার্চ, ২০০৯ তারিখ থেকে বর্তমান সংসদের স্বাভাবিক মৃত্যু তারিখ ৩০ জানুয়ারি, ২০১৪ সাল। ২৫ জানুয়ারি, ২০০৯ থেকে
১০) ১০ম জাতীয় সংসদের আয়ুকাল আরম্ব হবে-ফেব্রæয়ারি, ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি যাত্রা শুরু হয়েছিল জাতীয় সংসদের।
বাংলাদেশের ১০টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঃ
বাংলাদেশের নির্বাচন
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ ১ম(আওয়ামী লীগ-২৯৩ আসন)
১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি ২য়(২০৭ আসন বিএনপির)
১৯৮৬ সালের ৭ মে ৩য়(১৫৩ আসন জাতীয় পার্টির)
১৯৮৮ সালের ৩ মে ৪র্থ(২৫১ আসন জাতীয় পার্টির)
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি ৫ম(১৪০ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ও ২৮টি মহিলা আসন নিয়ে সরকার গঠন)
১৯৯১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের পক্ষে ৮৪.৪২ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ এবং ১৫.৫৪ শতাংশ ‘না’ ভোট পড়ে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি ৬ষ্ঠ(আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনে ২৭৮ আসন পায় বিএনপি)
১৯৯৬ সালের ১২ জুন ৭ম(১৪৬ আসন জিতে আওয়ামী লীগের সরকার)
২০০১ সালের ১ অক্টোবর ৮ম(১৯৮ আসন জিতে বিএনপির সরকার)
২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ঘোষণা।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম(মহাজোট ২৬২ আসন জিতে সরকার গঠন)।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি, ১০ম জাতীয় সংসদের নির্বাচন(মহাজোট পায় ২৯৭ আসন) আওয়ামী লীগ-২৩৩টি, জাতীয় পার্টি-৩৪টি, স্বতন্ত্র-১৫টি, ওয়ার্কাস পার্টি-৬, জাসদ(ইনু)-৫, তরিকত ফেডারেশন-২,  জেপি-১ ও বিএনএফ-১টি আসন পেল।
ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের নির্বাচন ঃ
১৯৩৭ সালের নির্বাচন সেবার প্রথম হিন্দু-মুসলমানের ভোটে আলাদা আলাদা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।
১৯৪৬ সালের নির্বাচন ১৯৪৬ সালে পাকিস্তান ইস্যুতে ভোট হয়। সেবার জিন্নাহ সাহেব বলেছিলেন, ‘ভোট ফর মুসলিম লীগ ইফ ইট বি এ ল্যাম্পপোষ্ট’।
১৯৫৪ সালের ১০ মার্চ প্রাদেশিক নির্বাচনে ভাসানী, যুক্তফ্রন্টের ২১-দফার জয়।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ৩১৩টি আসনে আওয়ামী লীগ পান ১৬৭টি ও প্রাদেশিক ৩০০শত আসনে আওয়ামী লীগ পান ২৮৮টি আসন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর-এর নির্বাচন ঃ বিভাগওয়ারি ফলাফল ঃ
বিভাগ আসন আওয়ামী লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টি জামায়াত স্বতন্ত্র ও অন্যান্য
রাজশাহী ৭২ ৪৮ ০৮ ১৪ ০০ ০২
খুলনা ৩৬ ৩০ ০২ ০২ ০০ ০২
বরিশাল ২১ ১৬ ০২ ০২ ০০ ০১
ঢাকা ৯৪ ৮৭ ০০ ০৫ ০০ ০২
সিলেট ১৯ ১৭ ০০ ০২ ০০ ০০
চট্টগ্রাম ৫৮ ৩২ ১৮ ০২ ০২ ০৪
সর্বমোট ৩০০ ২৩০ ৩০ ২৭ ০২ ১১
৩৫০২৪৭৪০৩০ অলি-১টি১
জাতীয় নির্বাচনে  প্রদত্ত  ভোটের হার(১৯৭৩ থেকে ২০০৮, ২৯ ডিসেম্বর) বিস্তারিত বিবরণ।
সন প্র্রদত্ত
১৯৭৩ ৫৪.৯০%
১৯৭৯ ৫০.৯৪%
১৯৮৬ ৬১.০৭%
১৯৮৮ ৫৭.৯০%
১৯৯১ ৫৫.৪৫%
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারির এক দলীয় নির্বাচনের হিসেব ২৬.৭৪% ভোট দেয়া হয়।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন ৭৪.৯৬% ভোট পড়ে।
২০০১, ১ অক্টোবর (ইত্তেফাকের রিপোর্ট) ৭৫.৫৯%(প্রদত্ত  ভোটের সংখ্যা-৫,৬১,৮৫,৭০৭ জন।
গুারুত্বপূর্ণ তথ্য-সাধারণ নির্বাচন-২০০১, মোট ভোট দাতা-৭ কোটি ৫০ লক্ষ। এরমধ্যে পুরুষ-৩ মোটি ৮৭ লক্ষ, নারী-৩ কোটি ৬৩ লক্ষ।
মোট প্রার্থীর সংখ্যা-১৯৩৫ জন, নারী প্রার্থী-৩৭ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন-০.৬৭% ভোট। মোট ভোট দিয়েছেন-৫ কোটি ৬০ লক্ষ। ঢাকা বিভাগ-১ কোটি ৭৩ লক্ষ, রাজশাহী বিভাগ-১ কোটি ৫০ লক্ষ, চট্টগ্রাম বিভাগ-০ কোটি ৯৬ লক্ষ, খুলনা বিভাগ-০ কোটি ৭৫ লক্ষ, সিলেট বিভাগ-০ কোটি ৩৪ লক্ষ, বরিশাল বিভাগ-০ কোটি ৩২ লক্ষ।
সূত্র ঃ নির্বাচন কমিশন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে-৯০.৩৭ ভাগ, রাজশাহীতে ৯০.৩৬ ভাগ, ঢাকা বিভাগে-৮৪.৪৪ ভাগ, সিলেটে-৮৪.৪১ ভাগ, বরিশাল বিভাগে-৮৪.১৭ ভাগ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে-৮২.৫৮ ভাগ। আওয়ামী লীগ বিএনপির চেয়ে ১ কোটি ৯ লাখ ভোট বেশি পেয়েছে। এবার রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ৮৭.১৬% ভোট পড়েছে এবং বৈধ ভোট পড়েছে ৮৬.২৯% এবং ‘না’ ভোট পড়েছে ৩,৮৩,৬২৫টি। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে মোট ৬ লাখ ২৫ হাজার ১৮৪টি ভোট বাতিল হয়। বৈধ ভোটের সংখ্যা ছয় কোটি ৯৭ লাখ ৩২ হাজার ২৬৫টি। ২৯৯টি আসনে মোট ভোটার ছিলেন ৮ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৬ জন। এরমধ্যে ভোট পড়েছে ৭ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৭টি। প্রদত্ত ভোটের বৈধ ভোটের সংখ্যা ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০টি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৫৫৭, যা মোট প্রদত্ত ভোটের ৪৮.০৬ শতাংশ%। বিএনপি ভোট পেয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪৮, যা প্রদত্ত ভোটের ৩২.৪৫ শতাংশ। জাতীয় পার্টি ভোট পেয়েছে ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫টি, যা প্রদত্ত ভোটের ৭.০৫ শতাংশ। জামায়াতে ইসলামী ভোট পেয়েছে ৩২ লক্ষ ৯ হাজার ২২৬টি যা ৪.৬০ ভাগ।
১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৫ জানুয়ায়ি। এরমধ্যে ১৫৩টি আসন বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয় এবং ১৪৭টি আসনে নির্বাচন ১৪৭ আসনে ভোটের হার ৪০ দশমিক ৫৬ ভাগ আর বিবিসির হিসেবে ভোট পড়েছে-১০ ভাগ।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি ঃ (১) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং বিশ্ব মন্দা মোকাবিলায় সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। (২) আগামী ২০১১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন পাঁচ হাজার মেগাওয়াট, ২০১৩ সালের মধ্যে সাত হাজার মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে। (৩) দেশের উত্তর ও পশ্চিমাষ্ণলে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। (৪) সুশাসন প্রতিষ্ঠা। (৫) সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শক্ত হাতে দমন করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। (৬) দলীয়করণমুক্ত অরাজনৈতিক গণমুখী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। (৭) সরকারি কর্মকর্তা-র্কচারীদের জন্য স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন করা হবে। (৮) রংপুর নতুন বিভাগ গঠন করা হবে। (৯) দারিদ্র্য ঘোচাও বৈষম্য রুখো ঃ বর্তমানে ৬.৫ কোটি দরিদ্রের সংখ্যা ২০১৩ সালে ৪.৫ কোটি এবং ২০২১ সালে হবে ২.২ কোটি। এ লক্ষ পূরণের জন্য অন্যান্য পদক্ষেপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত প্রকল্প ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ আশ্রয়ণ, গৃহায়ণ, আদর্শ গ্রাম, ঘরে ফেরা বাস্তবায়ন করা হবে। (১০) জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৩৩ ভাগে উন্নীত করা হবে।
২০০১ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিভাগ অনুযায়ী ভোট কেন্দ্র ও বুথ কক্ষ ঃ
বিভাগের নাম ভোট কেন্দ্র      বুথ কেন্দ্র
রাজশাহী ৭,৪৮৩ ৩৬,৭১৪
খুলনা ৩,৮৫১ ১৭,৯৭৮
বরিশাল ১,৯৭৫ ১০,৩৫৫
ঢাকা ৯,০১৪ ৪৬,৪৬৩
সিলেট ২,২৮৩ ৯,৩৮৬
চট্টগ্রাম ৫,৩৭০ ২৮,৩৮৬
সর্বমোট ২৯,৯৭৬ ১,৪৯,২৮২
২০০১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্টঃ
গতবারের তুলনায় এবার আওয়ামীলীগের ভোটের হার বেশী। ৩৬.৫০% থেকে ৪০% ভোটের হার বৃদ্ধি পেলেও তাঁদের আসনসংখ্যা বৃদ্ধি না পেয়ে বরং কমে গিয়েছে। ফলে ৪৭% ভোটে ২২২টি আসন পেয়ে ৪(চার) দলীয় ঐক্যজোট সরকার গঠন করে। আওয়ামীলীগ ৪০% ভোটে ৬৩টি আসন পেয়ে বিরোধীদলীয় আসনে অবস্থান করছে।
তত্ত¡াবধায়ক সরকারের নির্বাচন ঃ
ক্রমিক নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঃ
১. প্রথম ২৭ ফেব্রæয়ারি, ১৯৯১ তারিখ
২. দ্বিতীয় ১২ জুন, ১৯৯৬ তারিখ
৩. তৃতীয় ১ অক্টোবর, ২০০১
৪. চতুর্থ ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮ তারিখ।
বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় জয়ী ঃ
১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদে ১১ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল।
১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদে ১১ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল।
১৯৮৮ সালে চতুর্থ সংসদে ১৮ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল।
১৯৯৬ সালে(১৫ ফেব্রæয়ারি, ৬ষ্ঠ সংসদে) ৪৯ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল।
২০১৪ সালে  দশম সংসদে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছে।
ভোট ছাড়াই বিজয়। আরও ১৪৭টি আসনে ভোট হবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি, দশম সংসদে। ১২৭ জন আওয়ামী লীগ, ১৮ জন জাতীয় পার্টি, ৩ আসনে জাসদ, ২ আসনে ওয়ার্কাস পার্টি ও ১ আসনে জেপির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, ১৩৯ আসনে ইসি থেকে পাওয়া ভোটের হিসাব ধরে ফল বিশ্লেষণ ৪০ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
শহরে ভোট কম, গ্রামে বেশি ঃ মোট আসন-৩০০ ঃ আওয়ামী লীগ-২৩২, জাতীয় পার্টি-৩৩, ওয়ার্কার্স পার্টি-৬, জাসদ-৫, জেপি-১, তরীকত ফেডারেশন-১, বিএনএফ-১, স্বতন্ত্র-১৩ ও স্থগিত-৮টি।
২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো : জাতীয় নির্বাচনে দল ও প্রার্থীর অংশগ্রহণ। ১০টি নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ : ১৯৭৩ সালে-১৪টি রাজনৈতিক পার্টি ও প্রার্থীর সংখ্যা-১২০৯ জন এবং ১১ জন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায়, ১৯৭৯ সালে-২৯টি ও ২৫৪৭ জন এবং বিনা-১১ জন, ১৯৮৬ সালে-২৮টি, ১৯৮৮ সালে-৮টি, প্রার্থীর সংখ্যা-১১৯২ এবং বিনা-১৮ জন, ১৯৯১ সালে-৭৫টি, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি-৪১টি, ১৯৯৬ সালে-৮১টি, প্রার্থীর সংখ্যা-১৪৫০ জন এবং বিনা-৪৯ জন ২০০১ সালে-৫৪টি, ২০০৮ সালে-৩৮টি ও পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর, তফসিল ঘোষণা থেকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পর্যন্ত-১৪২ জন নিহত।  ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি-১২টি রাজনৈতিক দল, প্রার্থীর সংখ্যা-৫৪৩ জন এবং বিনা-১৫৩ জন।
২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিএনপির ৪৯% ও আওয়ামী লীগের ২৫% প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা আছে।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের পেশা ঃ
দল কৃষি ব্যবসা চাকরি আইন পেশা অন্যান্য মোট
বিএনপি ১৮ ১৫৭ ১১ ২০ ৪৭ ২৫৩
আওয়ামী লীগ ২৩ ১৩৬ ৩৫ ৩৬ ৩৯ ২৬৯
জাতীয় পার্টি ২ ৩৬ ৬ ৮ ৯ ৬১
জামায়াতে ইসলামী ৬ ১৫ ১২ ১ ৬ ৪০
২০০১ সনের নির্বাচন বিভাগ ও জেলা অনুযায়ী জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় সংসদের আসনসংখ্যা।
(রাজশাহী বিভাগ-২০০১-এ আসন সংখ্যা-৭২টি ছিল এবং ২০০৮ সালেও ৭২টি)
ক্রমিক নং জেলার নাম আসন সংখ্যা-২০০১ আসন, ভোটার সংখ্যা ও কোন আসনে কত টাকা খরচ করতে পারবেন তার হিসেব-২০০৮
ক্রমিক ২০০৮ ২০১৩
১. পঞ্চগড় ০১ ২,৯১,০৯৫ ৩,২৯,০৯৬
২. পঞ্চগড় ০২ ২,৫৩,৬৫১ ২,৮৬,৮৮৬
৩. ঠাকুরগাঁও ০১ ৩,২৭,৬৭৭ ৩,৬৮,৯০৯
৪. ঠাকুরগাঁও ০২ ০২ ২,১৮,৩৩৮
৫. ঠাকুরগাঁও ০৩ ২,৩৬,৫১২ ২,৬৪,৯৫০
৬. দিনাজপুর ০১ ২,৭১,৯৫৮ ৩,০৪,৫১৫
৭. দিনাজপুর ০২ ০২ ২,৪৬,১৪৩
৮. দিনাজপুর ০৩ ২,৮০,০০৮ ৩,১৪,৮৫৬
৯. দিনাজপুর ০৪ ২,৭৩,০০৮ ৩,০৩,০৫৩
১০. দিনাজপুর ০৫ ৩,২০,৯৯৬ ৩,৫৫,৬৮৫
১১. দিনাজপুর ০৬ ৩,৭৪,১০৭ ৪,১৩,৫৮৪
১২. নীলফামারী ০১ ২,৮৮,৪৭৪ ৩,৩২,৭৮৫
১৩. নীলফামারী ০২ ০২ ২,৪৪,২৭৭
১৪. নীলফামারী ০৩ ২,৩৪,৭৫২ ২,৬১,৫১৯
১৫. নীলফামারী ০৪ ০৪ ২,৪৬,০৯২
১৬. লালমনিরহাট ০১ ২,৪৩,০৬৯ ২,৭৬,৬৩৯
১৭. লালমনিরহাট ০২ ০২ ২,৬৮,৯৪৯
১৮. লালমনিরহাট ০৩ ১,৯৮,২২৮ ২,২৪,৩১৮
১৯. রংপুর ০১ ০১ ২,৪৪,৯৬০
২০. রংপুর ০২ ০২ ২,৫০,৮৩৯
২১. রংপুর ০৩ ৩,৩৩,৫৯৬ ৪,৫৫,৬২০
২২. রংপুর ০৪ ৩,২৭,৩৭১ ৩,৬৯,০৭৬
২৩. রংপুর ০৫ ০৫ ৩,১৪,০৬০
২৪. রংপুর ০৬ ২,৩৬,৮২২ ২,৬২,৭৩৫
২৫. কুড়িগ্রাম ০১ ৩,৬৪,৮৬২ ৪,১০,২২১
২৬. কুড়িগ্রাম ০২ ০২ ৩,৩২,৩৯২
২৭. কুড়িগ্রাম ০৩ ০৩ ২,৯৮,৮৬৩
২৮. কুড়িগ্রাম ০৪ ২,২৮,৫৪৪ ২,০৩,০৩৫
২৯. গাইবান্ধা ০১ ২,৬৭,৯৭০ ৩,০২,৮৫৩
৩০. গাইবান্ধা ০২ ২,৬৪,৩০৩ ২,৯৬,০০১
৩১. গাইবান্ধা ০৩ ৩,২৬,৭৭০ ৩,৬৯,৭৯৭
৩২. গাইবান্ধা ০৪ ৩,১১,৬৩৩ ৩,৫২,৬২৫
৩৩. গাইবান্ধা ০৫ ০৫ ২,৪৯,১৩০
৩৪. জয়পুর হাট ০১ ০১ ৩,২৭,৭৩২
৩৫. জয়পুর হাট ০২ ০২ ২,৫১,২১৬
৩৬. বগুড়া ০১ ০১ ২,৭৬,৮৬১
৩৭. বগুড়া ০২ ০২ ২,৪৩,৪২৯
৩৮. বগুড়া ০৩ ০৩ ২,৩৬,৪৫৮
৩৯. বগুড়া ০৪ ২,৫৪,৭৭৩ ২,৮৩,২৫৩
৪০. বগুড়া ০৫ ০৫ ৩,৫৮,৮৩৯
৪১. বগুড়া ০৬ ০৬ ৩,১২,৪৪৪
৪২. বগুড়া ০৭ ৩,৭১,৪৫২ ৪,২২,০৭২
৪৩. চাঁপাই নবাবগঞ্জ ০১ ০১ ৩,২৯,৭৩৪
৪৪. চাঁপাই নবাবগঞ্জ ০২ ২,৯০,৬৮৯ ৩,৩২,৬০১
৪৫. চাঁপাই নবাবগঞ্জ ০৩ ০৩ ২,৯৭,৭৬১
৪৬. নওগাঁ ০১ ০১ ৩,১৩,৩৩১
৪৭. নওগাঁ ০২ ০২ ২,৬৩,৬৭৩
৪৮. নওগাঁ ০৩ ৩,১৩,১৩৩ ৩,৪৮,৬৩১
৪৯. নওগাঁ ০৪ ২,৩৪,৩৫৭ ২,৬২,৬৭৯
৫০. নওগাঁ ০৫ ২,৫৩,৭৮৭ ২,৮২,৯৭৬
৫১. নওগাঁ ০৬ ০৬ ২,৩৮,১৫১
৫২. রাজশাহী ০১ ০১ ২,৯৭,৩৩৮
৫৩. রাজশাহী ০২ ০২ ২,৫৮,৭৫৯
৫৪. রাজশাহী ০৩ ২,৮৯,৮৩২ ৩,১৯,৭৩৩
৫৫. রাজশাহী ০৪ ০৪ ২,২৯,৬৮০
৫৬. রাজশাহী ০৫ ০৫ ২,৪৭,৪৯১
৫৭. রাজশাহী ২০০১-কম ছিল ২,৪৭,৬৯৮ ২,৭৩,৮০৯
৫৮. নাটোর ০১ ০১ ২,৫১,৪১৯
৫৯. নাটোর ০২ ০২ ২,৭৪,০৯৩
৬০. নাটোর ০৩ ২,২৪,০৭২ ২,৪৭,১৭৭
৬১. নাটোর ০৪ ০৪ ৩,০০,৫৮৬
৬২. সিরাজগঞ্জ ০১ ০১ ২,৫৭,৫০৯
৬৩. সিরাজগঞ্জ ০২ ০২ ৩,০৫,৪৭২
৬৪. সিরাজগঞ্জ ০৩ ০৩ ২,৯৮,৪৫৫
৬৫. সিরাজগঞ্জ ০৪ ০৪ ৩,১৩,৪৮৬
৬৬. সিরাজগঞ্জ ০৫ ২,৭২,০৭১ ৩,০৩,২৭৭
৬৭. সিরাজগঞ্জ ০৬ ০৬ ৩,১৭,৯৬৩
৬৮. পাবনা ০১ ২,৯৫,৫৬৪ ৩,৩১,৮৬৪
৬৯. পাবনা ০২ ০২ ২,৩৪,৯৮১
৭০. পাবনা ০৩ ৩,২১,২২২ ৩,৬০,৬৭৯
৭১. পাবনা ০৪ ০৪ ২,৮৫,১৯৪
৭২. পাবনা ০৫ ০৫ ৩,৪৭,৬০৯
২০০১ সালে খুলনা বিভাগ-এ আসন সংখ্যা ছিল-৩৭ এবং ২০০৮ সালে হলো-৩৬
ক্রমিক নং জেলার নাম আসন সংখ্যা-২০০১ আসন, ভোটার সংখ্যা ও কোন আসনে কত টাকা খরচ করতে পারবেন তার হিসেব-২০০৮
ক্রমিক ২০০৮ ২০১৩
৭৩. মেহেরপুর ০১ ২,২৩,৪২৩ ২,৪৮,৫৭৬
৭৪. মেহেরপুর ০২ ১,৮৪,১০২ ২,০৮,৪৭৩
৭৫. কুষ্টিয়া ০১ ২,৭৩,২৫১ ৩,০৫,৮৪৭
৭৬. কুষ্টিয়া ০২ ০২ ৩,১৬,৮৯৭
৭৭. কুষ্টিয়া ০৩ ৩,০৩,৪০১ ৩,৩৩,৭১৫
৭৮. কুষ্টিয়া ০৪ ২,৭৭,৮৭৮ ৩,১২,৮৪২
৭৯. চুয়াডাঙ্গা ০১ ৩,৫৫,২৯১ ৩,৯৭,০৩৪
৮০. চুয়াডাঙ্গা ০২ ৩,২৯,৯৬৯ ৩,৬৭,৭৭৮
৮১. ঝিনাইদহ ০১ ২,২২,২৮২ ২,৪৮,৪৬৫
৮২. ঝিনাইদহ ০২ ৩,৪১,১২৬ ৩,৭৭,৯৪০
৮৩. ঝিনাইদহ ০৩ ২,৮১,১৭৩ ৩,১৭,৭৭০
৮৪. ঝিনাইদহ ০৪ ২,২৬,৮৯৬ ২,৫২,৬০৪
৮৫. যশোর ০১ ০১ ১,৯৭,৪১৫
৮৬. যশোর ০২ ৩,১১,৩৭৭ ৩,৫৯,৮৪৮
৮৭. যশোর ০৩ ০৩ ৩,৪৭,৪২৬
৮৮. যশোর ০৪ ২,২৮,৮১৩ ৩,৩৯,০৯০
৮৯. যশোর ০৫ ২,৪৪,২৬০ ২,৮৬,৪৯৬
৯০. যশোর ০৬ ৩,১৮,৩০৮ ১,৭৪,৩৩৫
৯১. মাগুরা ০১ ২,৭৫,৭১২ ৩,০৭,১৭৬
৯২. মাগুরা ০২ ২,৫৮,৪০৩ ২,৯২,৪৪৩
৯৩. নড়াইল ০১ ০১ ১,৮২,৯৭৩
৯৪. নড়াইল ০২ ২,৩৯,৮০৫ ২,৭২,৬২২
৯৫. বাগেরহাট ০১ ০১ ২,৩৪,১৫০
৯৬. বাগেরহাট ০২ ০২ ২,২৯,৯০৮
৯৭. বাগেরহাট ০৩ ০৩ ১,৮৬,৭১৩
৯৮. বাগেরহাট ০৪ ২,২৬,১৯২ ২,৫৯,৬৬৯
৯৯. খুলনা ০১ ২,১৭,৭৩০ ২,৩০,৩২০
১০০. খুলনা ০২ ২,৩৮,৪০২ ২,৬৩,১৬০
১০১. খুলনা ০৩ ১,৮২,৯২৩ ১,৭৮,৪৮৫
১০২. খুলনা ০৪ ০৪ ২,৩২,৮২২
১০৩. খুলনা ০৫ ০৫ ২,৯৭,৭০৪
১০৪. খুলনা ০৬ ০৬ ২,৮১,২৯৭
১০৫. সাতক্ষীরা ০১ ৩,৩৫,৭৮৫ ৩,৮০,২০৮
১০৬. সাতক্ষীরা ০২ ২,৯৭,২৪৮ ৩,১৪,২৭৭
১০৭. সাতক্ষীরা ০৩ ০৩ ৩,০৯,৩১৩
১০৮. সাতক্ষীরা ০৪ ০৪ ৩,০৩,৯০৯
২০০১ সালের বরিশাল বিভাগ-এ আসন সংখ্যা-২৩ এবং ২০০৮ সালে হলো-২১
ক্রমিক নং জেলার নাম আসন সংখ্যা-২০০১ আসন, ভোটার সংখ্যা ও কোন আসনে কত টাকা খরচ করতে পারবেন তার হিসেব-২০০৮
ক্রমিক ২০০৮ ২০১৩
১০৯. বরগুনা ০১ ৩,১৭,৭৭১ ৩,৫৯,৪৫৬
১১০. বরগুনা ০২ ২,০২,৫৮৪ ২,৩১,৫২৪
১১১. পটুয়াখালী ০১ ২,৪৭,৭৫৯ ৩,৩৩,৭৮৬
১১২. পটুয়াখালী ০২ ০২ ২,১৪,৬৮৪
১১৩. পটুয়াখালী ০৩ ২,৩০,৭৭৯ ২,৫১,৭২০
১১৪. পটুয়াখালী ০৪ ০৪ ১,৮৬,৭১০
১১৫. ভোলা ০১ ০১ ২,৩০,৯৬৩
১১৬. ভোলা ০২ ২,২১,২৯১ ২,৫৩,৬১৬
১১৭. ভোলা ০৩ ২,১৫,০০৪ ২,৫৪,৭০২
১১৮. ভোলা ০৪ ০৪ ২,৭৪,১৩৭
১১৯. বরিশাল ০১ ০১ ১,৯৭,৫০৮
১২০. বরিশাল ০২ ২,২৫,৫২৫ ২,৫৮,৮২৪
১২১. বরিশাল ০৩ ১,৬৯,৫৯৭ ২,১৬,৬৭৬
১২২. বরিশাল ০৪ ২,৩৬,২৭০ ২,৭৪,৩৯০
১২৩. বরিশাল ০৫ ০৫ ২,৯৩,৭০৬
১২৪. বরিশাল ০৬ ০৬ ১,৮৩,৪৮১
১২৫. ঝালকাঠী ০১ ১,৩৭,০৯২ ১,৫৪,৫৭৪
১২৬. ঝালকাঠী ০২ ০২ ২,১৯,৬৭২
১২৭. পিরোজপুর ০১ ০১ ২,৩৯,১৫১
১২৮. পিরোজপুর ০২ ০২ ২,৩২,৬৯৫
১২৯. পিরোজপুর ০৩ ১,৬০,৩১৩ ১,৬৯,০৯৭
২০০১ সালে ঢাকা বিভাগে আসন সংখ্যা-৯০ ছিল, আর ২০০৮ সালে হলো-৯৪
ক্রমিক নং জেলার নাম আসন সংখ্যা-২০০১ আসন, ভোটার সংখ্যা ও কোন আসনে কত টাকা খরচ করতে পারবেন তার হিসেব-২০০৮
ক্রমিক ২০০৮ ২০১৩
১৩০. টাঙ্গাইল ০১ ০১ ২,৮৯,০২৩
১৩১. টাঙ্গাইল ০২ ২,৮৩,১২৯ ৩,১১,৯৩৩
১৩২. টাঙ্গাইল ০৩ ০৩ ২,৬০,৪৭৬
১৩৩. টাঙ্গাইল ০৪ ০৪ ২,৫২,০২৬
১৩৪. টাঙ্গাইল ০৫ ৩,০৫,৯৪০ ৩,৪০,১১৫
১৩৫. টাঙ্গাইল ০৬ ৩,১৩,৩৮৮ ৩,৪৭,১৫২
১৩৬. টাঙ্গাইল ০৭ ০৭ ২,৫৭,৭৮৪
১৩৭. টাঙ্গাইল ০৮ ০৮ ২,৭০,৯৮৬
১৩৮. জামালপুর ০১ ২,৭১,১৭৫ ৩,০২,১১৫
১৩৯. জামালপুর ০২ ২,০৩,৮৮৬ ১,৫৫,৫৯৮
১৪০. জামালপুর ০৩ ০৩ ৩,০৮,৫২০
১৪১. জামালপুর ০৪ ২,৩৯,৭০৭ ২,৬৬,৭১৭
১৪২. জামালপুর ০৫ ৩,৩৮,৮২৪ ৩,৭৭,০৮৯
১৪৩. শেরপুর ০১ ২,৮৬,১৬৮ ৩,১৬,৭৫৫
১৪৪. শেরপুর ০২ ২,৬৯,৫৪৩ ৩,০৪,৪৭৫
১৪৫. শেরপুর ০৩ ২,৫৪,২৮৫ ২,৮৬,২৪৩
১৪৬. ময়মনসিংহ ০১ ০১ ২,৮৪,৭৯০
১৪৭. ময়মনসিংহ ০২ ০২ ২,৪৪,৭৭০
১৪৮. ময়মনসিংহ ০৩ ৩,০৮,৫৭৬ ২,০৪,৫৩০
১৪৯. ময়মনসিংহ ০৪ ০৪ ৩,৩৪,০৩২
১৫০. ময়মনসিংহ ০৫ ০৫ ২,৩৯,৭২৬
১৫১. ময়মনসিংহ ০৬ ২,৫৬,৬৩০ ২,৯১,৯০২
১৫২. ময়মনসিংহ ০৭ ২,৪১,১৩৫ ২,৭৩,৩২১
১৫৩. ময়মনসিংহ ০৮ ০৮ ২,১১,৫১১
১৫৪. ময়মনসিংহ ০৯ ০৯ ২,২৯,৬৭৩
১৫৫. ময়মনসিংহ ১০ ২,৫৫,৯৩৬ ২,৯০,৬৫০
১৫৬. ময়মনসিংহ ১১ ২,৩৩,৮১৯ ২,৬২,৫৩৬
১৫৭. নেত্রকোনা ০১ ২,৬৪,৯৪৫ ৩,০০২৪৭
১৫৮. নেত্রকোনা ০২ ২,৯৪,০৬২ ৩,৪৩,৯২৭
১৫৯. নেত্রকোনা ০৩ ২,৫৭,৬৫৯ ২,৯১,৮৯৩
১৬০. নেত্রকোনা ০৪ ০৪ ২,৩৪,০৮৩
১৬১. নেত্রকোনা ০০ ০৫ ১,৮৪,৬২১
১৬২. কিশোরগঞ্জ ০১ ০১ ৩,২৮,৪৪৮
১৬৩. কিশোরগঞ্জ ০২ ০২ ৩,২১,৪৭৫
১৬৪. কিশোরগঞ্জ ০৩ ২,৫৯,৩৭০ ৩,০১,৪৪৩
১৬৫. কিশোরগঞ্জ ০৪ ০৪ ২,৪০,৮২৩
১৬৬. কিশোরগঞ্জ ০৫ ০৫ ২,১৫,১৮৬
১৬৭. কিশোরগঞ্জ ০৬ ০৬ ২,৫৬,০৬৩
১৬৮. মানিকগঞ্জ ০১ ৩,০১,২৩৬ ৩,৪৩,৫২৩
১৬৯. মানিকগঞ্জ ০২ ০২ ৩,১৪,৪৯১
১৭০. মানিকগঞ্জ ০৩ ০৩ ২,৫৩,৫৭২
১৭১. মুন্সীগঞ্জ ০১ ৩,২৫,৮১১ ৩,৭৯,৭৫৬
১৭২. মুন্সীগঞ্জ ০২ ২,৩১,০৮১ ২,৬৫,৭১৪
১৭৩. মুন্সীগঞ্জ ০৩ ০৩ ৩,১৮,৭৬৫
১৭৪. ঢাকা ০১ ৩,১৯,৮৩৬ ৩,৭৮,৯৬৮
১৭৫. ঢাকা ০২ ০২ ৩,৭৮,২৪৬
১৭৬. ঢাকা ০৩ ০৩ ২,৫০,৬৩৫
১৭৭. ঢাকা ০৪ ২,০১,৬০৯ ২,২৮,৫১৭
১৭৮. ঢাকা ০৫ ৩,৬১,৮২৪ ৪,১০,২৮৫
১৭৯. ঢাকা ০৬ ২,২৪,৫৪০ ২,৪৮,০৯০
১৮০. ঢাকা ০৭ ২,৭৫,৭০৬ ৩,০১,২৮৯
১৮১. ঢাকা ০৮ ০৮ ২,২৪,৬৫৫
১৮২. ঢাকা ০৯ ০৯ ৩,৫৬,২৬০
১৮৩. ঢাকা ১০ ১০ ৩,৪৯,১৮১
১৮৪. ঢাকা ১১ ১১ ২,৯৬,৬৬৪
১৮৫. ঢাকা ১২ ১২ ২,৬০,৮৫৯
১৮৬. ঢাকা ১৩ ১৩ ২,৮৩,১৪২
১৮৭. ঢাকা ২০০১-কম ছিল ১৪ ৩,২৫,১৮৯
১৮৮. ঢাকা ১৫ ২,৮৯,২৭৯ ৩,১৯,০৬০
১৮৯. ঢাকা ১৬ ৩,০০,৮৩৩ ৩,৪২,৩৫৫
১৯০. ঢাকা ১৭ ২,৬২,১৫৫ ২,৮৯,৮৭০
১৯১. ঢাকা ১৮ ৪,৪২,৪৭২ ৫,০০,৪৩৭
১৯২. ঢাকা ২০০১-কম ছিল ১৯ ৬,০২,৩৮৬
১৯৩. ঢাকা ২০০১-কম ছিল ২০ ২,৫৬,৫৩৭
১৯৪. গাজীপুর ০১ ০১ ৫,৩৫,৬১৪
১৯৫. গাজীপুর ০২ ০২ ৫,২৬,৯৫২
১৯৬. গাজীপুর ০৩ ০৩ ৪,০৪,৪৮২
১৯৭. গাজীপুর ০৪ ২,০২,২২০ ২,২৯,৫৪০
১৯৮. গাজীপুর ২০০১-কম ছিল ০৫ ২,২৯,৭৭০
১৯৯. নরসিংদী ০১ ২,৬৯,২২১ ৩,২৯,৫৫২
২০০. নরসিংদী ০২ ২,০৬,৭০৩ ২,০৩,৩৭৩
২০১. নরসিংদী ০৩ ২,০০,৪৯২ ১,৯২,২৪৫
২০২. নরসিংদী ০৪ ০৪ ২,৬৫,৭২২
২০৩. নরসিংদী ০৫ ০৫ ২,৫০,৩৫৫
২০৪. নারায়নগঞ্জ ০১ ২,৭৪,৭০৭ ৩,০৯,০০২
২০৫. নারায়নগঞ্জ ০২ ০২ ২,১৭,০৭৬
২০৬. নারায়নগঞ্জ ০৩ ০৩ ৩,৬৫,১২২
২০৭. নারায়নগঞ্জ ০৪ ০৪ ৩,৬৫,০৫৯
২০৮. নারায়নগঞ্জ ০৫ ০৫ ৩,৬০,৯৪১
২০৯. রাজবাড়ি ০১ ০১ ২,৬৬,৯৩০
২১০. রাজবাড়ি ০২ ০২ ৩,৫৭,২০৮
২১১. ফরিদপুর ০১ ০১ ৩,১৭,৪১৩
২১২. ফরিদপুর ০২ ০২ ২,১৬,৩৫৫
২১৩. ফরিদপুর ০৩ ০৩ ২,৬৭,৬৩৮
২১৪. ফরিদপুর ০৪ ২,৭৭,০২২ ৩,২১,৭৯১
২১৫. গোপালগঞ্জ ০১ ২,৪২,১৫৬ ২,৭৬,৫৪৯
২১৬. গোপালগঞ্জ ০২ ২,৩৯,৫১৯ ২,৬৯,১৫২
২১৭. গোপালগঞ্জ ০৩ ১,৮৮,৫৮৫ ২,১১,৮৩৯
২১৮. মাদারীপুর ০১ ০১ ১,৮২,১৫৯
২১৯. মাদারীপুর ০২ ০২ ২,৬৭,৩৩৭
২২০. মাদারীপুর ০৩ ০৩ ২,২৪,০৯৫
২২১. শরীয়তপুর ০১ ০১ ২,১৬,০১০
২২২. শরীয়তপুর ০২ ০২ ২,২৫,৮৯৪
২২৩. শরীয়তপুর ০৩ ০৩ ১,৮১,৩৯৬
২০০১ সালের  সিলেট বিভাগ-এ আসন সংখ্যা ছিল-১৯টি এবং ২০০৮ সালেও ১৯টি।
ক্রমিক নং জেলার নাম আসন সংখ্যা-২০০১ আসন, ভোটার সংখ্যা ও কোন আসনে কত টাকা খরচ করতে পারবেন তার হিসেব-২০০৮
ক্রমিক ২০০৮ ২০১৩
২২৪. সুনামগঞ্জ ০১ ৩,০৭,৩৬৬ ৩,৫০,৯৪৬
২২৫. সুনামগঞ্জ ০২ ০২ ১,৯৬,৮১০
২২৬. সুনামগঞ্জ ০৩ ২,২৬,১৩৪ ২,৫৮,০৩৯
২২৭. সুনামগঞ্জ ০৪ ০৪ ২,৩০,৮৩৫
২২৮. সুনামগঞ্জ ০৫ ২,৯৩,১১১ ৩,৫১,৮৭৭
২২৯. সিলেট ০১ ০১ ৪,২৩,২৭৮
২৩০. সিলেট ০২ ২,৪৯,৭৭৭ ২,৮৩,৫২৩
২৩১. সিলেট ০৩ ০৩ ২,১৪,০৬৩
২৩২. সিলেট ০৪ ২,৮৩,৬৮২ ৩,২৭,২০২
২৩৩. সিলেট ০৫ ০৫ ২,৪৪,১৯৮
২৩৪. সিলেট ০৬ ০৬ ২,৯৪,৭০৬
২৩৫. মৌলভীবাজার ০১ ২,০৩,১৭০ ২,৩২,৩৭১
২৩৬. মৌলভীবাজার ০২ ২,৪৯,৮১৩ ২,৮১,১০৩
২৩৭. মৌলভীবাজার ০৩ ০৩ ৩,০৯,২০৯
২৩৮. মৌলভীবাজার ০৪ ০৪ ২,৫০,৩৫১
২৩৯. হবিগঞ্জ ০১ ০১ ২,৮৫,৯০৮
২৪০. হবিগঞ্জ ০২ ২,৩৯,২৭৪ ২,৬৯,৫৪০
২৪১. হবিগঞ্জ ০৩ ২,৫২,৫৯৮ ২,৮৬,৭৭৩
২৪২. হবিগঞ্জ ০৪ ৩,২৭,২০৩ ৩,৬৭,৭১৩
২০০১ সালের চট্টগ্রাম বিভাগ-এ আসন সংখ্যা ছিল-৫৯টি এবং ২০০৮ সালে ৫৮টি।
ক্রমিক নং জেলার নাম আসন সংখ্যা-২০০১ আসন, ভোটার সংখ্যা ও কোন আসনে কত টাকা খরচ করতে পারবেন তার হিসেব-২০০৮
ক্রমিক ২০০৮ ২০১৩
২৪৩. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০১ ২,১২,৭৪৬ ১,৮৯,১২২
২৪৪. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০২ ২,৮৯,৮৭৬ ২,৯২,৫৯৩
২৪৫. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৩ ২,৯১,৫৩৮ ৪,৪৫,০৯৯
২৪৬. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৪ ০৪ ২,৩৭,৯৯৮
২৪৭. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৫ ২,৩৩,৭৭১ ২,৭৪,৭২৮
২৪৮. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৬ ১,৭৮,১৪৯ ২,১৫,৬৪৪
২৪৯. কুমিল্লা ০১ ২,৫৯,৩৮৩ ৩,০৬,৪৬৪
২৫০. কুমিল্লা ০২ ০২ ২,১০,৯১৫
২৫১. কুমিল্লা ০৩ ২,৮১,৫২৩ ৩,৩৩,১০৩
২৫২. কুমিল্লা ০৪ ২,৩১,৮৪০ ২,৭২,৪৭২
২৫৩. কুমিল্লা ০৫ ২,৭০,৪১৬ ৩,২১,০৮৮
২৫৪. কুমিল্লা ০৬ ২,৮৯,১৬৮ ৩,১৫,৬৮৪
২৫৫. কুমিল্লা ০৭ ০৭ ১,৯৬,৮৮৮
২৫৬. কুমিল্লা ০৮ ০৮ ৩,১৭,২১১
২৫৭. কুমিল­া ০৯ ২,৭৬,৭১৪ ৩,২১,৮৪৯
২৫৮. কুমিল্লা ১০ ১০ ২,৮৪,১৬৯
২৫৯. কুমিল্লা ১১ ১১ ২,৩৯,৪০০
২৬০. চাঁদপুর ০১ ০১ ২,২০,০৫২
২৬১. চাঁদপুর ০২ ০২ ২,৭১,৩৯৯
২৬২. চাঁদপুর ০৩ ০৩ ৩,১১,৫৮৬
২৬৩. চাঁদপুর ০৪ ০৪ ২,২৩,৫৯৭
২৬৪. চাঁদপুর ০৫ ০৫ ২,৯৪,৯৮৬
২৬৫. ফেনী ০১ ০১ ২,২২,৪৭৮
২৬৬. ফেনী ০২ ০২ ২,৬০,৯০৬
২৬৭. ফেনী ০৩ ২,৮২,২৭৮ ৩,৩১,২১৭
২৬৮. নোয়াখালী ০১ ০১ ২,৪৭,৪০৭
২৬৯. নোয়াখালী ০২ ০২ ১,৮৯,০১৭
২৭০. নোয়াখালী ০৩ ০৩ ২,৮৪,৩৪৩
২৭১. নোয়াখালী ০৪ ০৪ ৩,৫০,৯১৭
২৭২. নোয়াখালী ০৫ ০৫ ২,৬২,২২১
২৭৩. নোয়াখালী ০৬ ১,৮১,৮০৫ ২,১৫,৩১৬
২৭৪. লক্ষীপুর ০১ ১,৬১,৮১২ ১,৮৫,৬৬৯
২৭৫. লক্ষীপুর ০২ ০২ ২,৭৬,৬২০
২৭৬. লক্ষীপুর ০৩ ০৩ ২,৩৪,৪৮৩
২৭৭. লক্ষীপুর ০৪ ২,৩০,৮৭৮ ২,৬৬,৭২৬
২৭৮. চট্টগ্রাম ০১ ০১ ২,৩৫,২৭০
২৭৯. চট্টগ্রাম ০২ ২,৮০,১৪৬ ৩,২৬,১১৪
২৮০. চট্টগ্রাম ০৩ ৩,০৬,৮৩৩ ১,৭৬,৮৭২
২৮১. চট্টগ্রাম ০৪ ৩,২৭,৯১৩ ৩,৫০,০৮৯
২৮২. চট্টগ্রাম ০৫ ০৫ ২,১০,৪৯৮
২৮৩. চট্টগ্রাম ০৬ ০৬ ২,০০,১৯৩
২৮৪. চট্টগ্রাম ০৭ ০৭ ৩,৭৮,৯৩৩
২৮৫. চট্টগ্রাম ০৮ ০৮ ৩,২১,৭৫২
২৮৬. চট্টগ্রাম ০৯ ৩,৮৪,৮৯৫ ৩,৬২,৪৯৭
২৮৭. চট্টগ্রাম ১০ ১০ ৪,৩৩,৯৪২
২৮৮. চট্টগ্রাম ১১ ২,১৬,৫৬৪ ৪,৮৪,৯৭৯
২৮৯. চট্টগ্রাম ১২ ২,৩৫,১৪৭ ২,৫০,০০৫
২৯০. চট্টগ্রাম ১৩ ২,০৫,০০৯ ২,৭২,৭৮৭
২৯১. চট্টগ্রাম ১৪ ১৪ ২,৭০,৫৬০
২৯২. চট্টগ্রাম ১৫ ২,২৭,৯৮১ ৩,৩৬,১২২
২৯৩. চট্টগ্রাম ১৬ ১,৫২,৯৮০ ২,৬৮,৫৬৭
২৯৪. কক্সবাজার ০১ ০১ ৩,১১,৮৭৯
২৯৫. কক্সবাজার ০২ ০২ ২,২৫,৮০৫
২৯৬. কক্সবাজার ০৩ ০৩ ৩,২৩,৮৭২
২৯৭. কক্সবাজার ০৪ ২,০৭,৭৮৩ ২,৩৩,১৪৪
২৯৮. পার্বত্য খাগড়াছড়ি ০১ ৩,৩৮,৪২৫ ৩,৮১,৯১৩
২৯৯. পার্বত্য রাঙ্গামাটি ০১ ১,৯৫,৯৯৫ ৩,৭১,৩৪৮
৩০০. পার্বত্য বান্দরবন ০১ ৩,৩১,৮০৭ ২,১৬,৭৯০

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ও ক্ষমতাসীন দলের নাম ঃ ১৪-০৮-১৯৪৭ হতে ১৬-১২-১৯৭১ সাল পর্যন্ত ঃ

১৯৫৪ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে পূর্ব-পাকিস্তানে যুক্তফ্রন্ট।
১৯৬০ সালে সামরিক প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খানকে হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে তাঁর পক্ষে রায়।
১৯৬২ সালে “মৌলিক গণতন্ত্র” নামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় (আইয়ূব খানের অধীনে), মুসলিম লীগ সরকার গঠন করে।
১৯৬৪ সালে পুনরায় “মৌলিক গণতন্ত্র” নামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় (আইয়ূব খানের অধীনে),
মুসলিম লীগ সরকার গঠন করে। ১৯৬৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে
পাকিস্তানের জাতির পিতা মরহুম কায়েদে-আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ এর ছোট বোন
ফাতেমা জিন্নাহ্কে পরাজিত করে ফিল্ড মার্শাল মোঃ আইয়ূব খান দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা-৩১৩টি। পূর্ব-পাকিস্তানে-১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন লাভ করে, পিডিপি-১টি ও স্বতন্ত্র-১টি আসন লাভ করে এবং পশ্চিম-পাকিস্তানে-১৪৪টি আসনের মধ্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টি-৮১টি আসন লাভ করে, জামাতে ইসলামী-৪টি আসন লাভ করে, স্বতন্ত্র-১৩টি ও অন্যান্য ৬টি দল-৩৯টি আসন লাভ করে। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করায় পাকিস্তানে সকরার গঠন করার অধিকার একমাত্র আওয়ামী লীগের। কিন্তু পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টোর ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের যোগসাজসে ১ মার্চ ১৯৭১ সালে জাতীয় সংসদের সভা বাতিল ঘোষণা করে। ঘোষণার পরপরই সাধারণ জনগন পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসন লাভ করে আওয়ামী লীগ।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি বলেন-সরকারী কর্মচারিরা ২৮ মার্চ তারিখে বেতন নিয়ে আসবেন। ১৬ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ সকাল পর্যন্ত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আলোচনার নামে প্রহসন চালিয়ে অতঃপর ২৫ মার্চ রাত ৮-০০ টায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টো সামরিক বিমানে পাকিস্তান চলে যাওয়ার পূর্বে পূর্ব-পাকিস্তানে সামরিক অভিযান পরিচালনার হুকুম দিয়ে যায়। তখনই রাত ১১টার সময় শুরু হয় বাঙ্গালীর উপর নির্যাতন।

বৃটিশ-ভারতে পৌরসভা গঠনের ইতিবৃত্ত ঃ

পৌরসভা গঠনের ইতিবৃত্ত ঃ ১৭৯৩ সালে বৃটিশ পার্লামেন্টে চার্টারের মাধ্যমে এদেশে প্রথম কলকাতা, মুম্বাই ও মাদ্রাজ শহরে পৌরসভার সূচনা হয়। এ আইনে জাস্টিস অব পীস নিয়োগ, করারোপ এবং চৌকিদার ও ঝাড়–দার নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৪২ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠান গঠনের আইন পাশ হয়। এই আইন শহরে বসবাসকারী বাড়ির প্রধানদের দুই-তৃতীয়াংশের আবেদনের প্রেক্ষিতে টাউন কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এ আইনের সুবিধা ভোগের জন্য বাসিন্দাদের মধ্যে কোন আগ্রহ ছিল না। ১৮৫০ সালে মিউনিসিপ্যাল এ্যাক্ট পৌরসভা গঠনের ইতিবৃত্ত ছিল। ১৮৬৮ সালে ডিস্ট্রিক্ট টাউন এ্যাক্টের অধীনে আরও অধিকসংখ্যক শহরে পৌরসভা গঠন করা হয়। লর্ড রিপন স্থানীয় সরকারের ব্যাপারে খুবই উৎসাহী ছিলেন। তাঁহার আমলে আগের সকল আইনকে একত্রিত করে ১৮৮৪ সালে বেঙ্গল মিউনিসিপ্যালিটির আয়ের জন্য বেশ কয়েকটি উৎস নির্ধারণ করা হয়। ১৮৯৬ সালে নূতন আইণ প্রণয়নের মাধ্যমে আগের সকল আইন একত্রিত করিয়া আবার একটি নূতন আইন পাশ করা হয়। ১৯৪৭ সালের পূর্বে ১১৮টি পৌরসভা ছিল অবিভক্ত বাংলায়, এরমধ্যে ৫২টি ছিল পূর্ব বাংলায়। বাংলাদেশে প্রথম পৌরসভা হয়-চট্টগ্রাম পৌরসভা-১৮৬৪ সালের ৫ জুলাই (১৮৬৪ সালে যাত্রা শুরু হওয়া ঢাকা পৌরসভা ঢাকা সিটি করপোরেশন পরিচয়ে ১৪৭ বছর পার করছে চলতি ২০১১ সালে। ১৪৭ বছরে ঢাকার ৪৮ প্রশাসক ও মেয়র। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকা ঃ জাতীয় সংসদে বিল পাস।। তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন নবগঠিত দুই ডিসিসিতে-আলোচিত স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধন বিল-২৯-১১-২০১১ তারিখ। আর এ বিলটি পাসের ফলে বিলুপ্ত ঘটল ঢাকা সিটি করপোরেশনের বর্তমান ঢাকা সিটি করপোরেশন এখন ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন’ এবং ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’-এ উন্নীত হল।) দ্বিতীয় পৌরসভা হয়-ঢাকা পৌরসভা গঠিত হয়-১৮৬৪ সালের ১ আগষ্ট, তৃতীয় পৌরসভা হয়-কুমিল্লা পৌরসভা ৩০ নভেম্বর ১৮৬৪ সালে,  তারপর পৌরসভা গঠিত হয় ১ আগষ্ট ১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। ১৮৭৬ সালে রাজশাহী পৌরসভা গঠিত হয়। বাংলাদেশে ৩১-০৩-২০০৯ তারিখের হিসেব অনুসারে ৩০৯(তিনশত নয়টি)টি পৌরসভা আছে এরমধ্যে ৭(সাত)টি পৌরসভা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছিল। প্রায় ৩(তিন) হাজার বছরের পুরানো জনপদ নারায়ণগঞ্জ। ১৮৭৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, নারায়ণগঞ্জকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। ১৮৮২ সালে একে মহকুমার মর্যাদা দান করা হয়। ১৮৮৫ সালে বৃটিশরা এখানে রেললাইন স্থাপন করে। কমিশন থেকে জানা গেছে সারা দেশে ৩২০টি পৌরসভা আছে(১৫-০৯-২০১৫ তারিখ পর্যন্ত)। ৩২০তম পৌরসভা পিরোজ জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার সদরকে পৌরসভা করা হয়েছে-১৪-০৯-২০১৫ তারিখ মন্ত্রীপরিষদের সভায়।  বাংলাদেশে ০৮-০১-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত টঙ্গীকে নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন-১১তম।
২০০৮ সালের ২৬ মার্চ, শরিফুজ্জামান পিন্টু ও ওয়াসেক বিল্লাহ ঃ ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীর সাজা হয়েছিল, দালাল আইন বাতিলের পর মুক্ত। মোট গ্রেপ্তার ৩৭ হাজার। সাধারণ ক্ষমায় ২৫ হাজার আর দালাল আইন বাতিলে সাজাপ্রাপ্তসহ প্রায় ১২ হাজার মুক্তি পায়।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল,(পহেলা বৈশাখ), রমনা বটমুলে বোমা হামলায় মারা গেছেন ১০ জন এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
নিঝুম দ্বীপের আয়তন-৮০ বর্গ মাইল। গ্রামের সংখ্যা-৮৭,৩৩৯টি। মোট জমির পরিমাণ-২ কোটি ৪০ লক্ষ একর। জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কতজনে ৬০ জনে। বড় থানা-শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) ও ছোট থানা-কোতয়ালী (ঢাকা)। জনসংখ্যায় বড় বিভাগ-ঢাকা ও ছোট বিভাগ-সিলেট। বড় জেলা-ঢাকা ও ছোট জেলা-বান্দরবন। বড় উপজেলা-বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) ও ছোট উপজেলা-রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি)। (১) বীর শ্রেষ্ঠ-৭ জন (২) বীর উত্তম-৬৮ জন (৩) বীর বিক্রম-১৭৫ জন ও (৪) বীর প্রতিক-৪২৬ জন।
২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি, স্বাধীনতার পর গত ৩৮ বছরে কর্ণেল তাহেরসহ ৪১১ জন দন্ডিতের ফাঁসি কার্যকর। দেশের ৬৮ কারাগারে সহস্রাধিক ফাঁসির আসামি।
২০১০ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিদেশি বিনিয়োগ (কোটি ডলারে)। বাংলাদেশে ২০০৬ সালে ৭৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২০০৭ সালে ৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, ২০০৮ সালে ১০৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার ও ২০০৯ সালে ৭১ কোটি ৬০ ডলার বিনিয়োগ হয়েছে দেশে। ২০১০ সালে বিশ্ব বাণিজ্য বাড়বে ১০ ভাগ।
২০১১ সালের ১১ মার্চ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি ও আদিবাসী গ্রæপ কর্তৃক প্রচারিত ঃ  বাংলাদেশের আদিবাসী-আমাদের দেশে সমতল ও পার্বত্য এলাকা মিলে মোট ৪৫টিরও অধিক আদিবাসী জাতি অধিকাংশ রয়েছে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য অঞ্চলে। বাংলাদেশের আদিবাসীরা হলেন-আসাম, বম, বানাই, বেদিয়া, ভূমিজ, বাগদি, চাকমা, চাক, ডালু, গারো, গুর্খা, হাজং, খাসি, খারিয়া, খ্যাং, খুমি, কোচ, কোল, কর্মকার, ক্ষত্রিয় বর্মন, খন্ড, লুসাই, মারমা, ম্রো, মণিপুরী, মাহাতো, মুন্ডা, মালো, মাহালি, মুড়িয়ার, মুসহর, ওরাঁও, পাংখোয়া, পাহাড়ীয়া, পাহান, পাত্র, রাখাইন, রাজুয়াড়, রাই, রাজবংশী, সাওতাল, সিং, তুরী, তঞ্চঙ্গা, ত্রিপুরা ইত্যাদি। বর্তমানে বাংলাদেশে ৯,৮৮৪টি ডাকঘর আছে।
২০১২ সালের ৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ইতিহাসের পথ ধরে-হরিকেল থেকে চট্টগ্রাম। কত পুরনো আজকের চট্টগ্রাম? অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, কিন্তু ইতিহাস বলছে, চৌদ্দ’শ বছরের প্রাচীন শহরের নাম চট্টগ্রাম। ‘অদম্য চট্টগ্রাম উৎসব’ শিরোনামে ডেইলি স্টার আয়োজিত প্রদর্শনী আলোকে এই রচনা। লিখেছেন বিশ্বজিৎ চৌধুরী। আমরা জানি, ৯০০ বছরের প্রবীণ নগর লন্ডন, আমাদের রাজধানী ৪০০ বছরের ইতিহাস; আর বছর কয়েক আগে ৩০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্ণময় উৎসবের আয়োজন হয়েছিল কলকাতা নগরে। চট্টগ্রামের ইতিহাস এই প্রসিদ্ধ নগরগুলোর চেয়েও দীর্ঘ। সপ্তদশ শতাব্দীতে ইৎসিঙ নামের একজন চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষু প্রথম উল্লেখ করেন ভারতের পূর্ব-দক্ষিণ অঞ্চলে হরিকেল নামে একটি রাজ্য আছে। এই ‘হরিকেল’ই যে চট্টগ্রাম, এই তথ্য উঠে আসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বিএন মুখার্জির গবেষণায়। এই খ্যাতিমান মুদ্রাবিশারদ হরিকেল রাজ্যে প্রচলিত মুদ্রা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন, সমৃদ্ধ এই রাজ্য ছিল কর্ণফুলী নদীর তীরে, যা কালক্রমে চট্টগ্রাম নামে পরিচিতি পায়। বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়ামের জার্নালে এ তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।
আরাকান, ত্রিপুরা ও মোগল-এই তিন রাজশক্তির লড়াইয়ের ক্ষেত্র ছিল চট্টগ্রাম। বহুকাল চলেছে এই দখল প্রতিষ্ঠার লড়াই। মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মুনিম খান ১৫৭৫ সালের ৩ মার্চ, আফগান শাসক দাউদ খার কররানীকে পরাজিত করলে মোঘল সাম্রাজ্যের অধিকারে আসে বাংলা। কিন্তু এরপর আরও প্রায় ৮০ বছর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে যায় অধরা। অবশেষে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ১৬৬৬ সালের ২৭ জানুয়ারি ‘কর্ণফুলীর যুদ্ধে’ মোগল নৌবাহিনী জয়লাভ করে। আসলে এই লড়াই ও জয়ের মধ্য দিয়েই বঙ্গ বা বাংলার সঙ্গে যুক্ত হয় চট্টগ্রাম। ‘কর্ণফুলীর যুদ্ধে’ মোগলদের জয় নৌ-বাণিজ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে, পাশাপাশি এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতাও প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৬০ সালে মীর কাশিম আলী খানের কাছ থেকে এ অঞ্চলটি অধিগ্রহণ করেন ব্রিটিশরা এর নাম দেয় ‘চিটাগাং’, সাধারণের কাছে যা চট্টগ্রাম বা চাটিগাও নামে পরিচিতি পায়। ১৮৭২ সালে চট্টগ্রামে নির্মিত বেঙ্গল রেলওয়ের কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ব্যবসায়ীরা হতাশ ক্ষুব্ধ।। একদিনের হরতালে ৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি।
২০১৪ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ উচ্চশিক্ষিতদের প্রায় অর্ধেকই বেকার। ৪৭% স্নাতকই বেকার বাংলাদেশে। ২২ লাখ মানুষ প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু কাজ পায় মাত্র সাত লাখ। ১৪.২% বেকারত্বের হার বাংলাদেশে।
২০১৪ সালের ৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ স্বপ্লশিক্ষিতদের হাতেই সচল অর্থনীতি। শ্রমশক্তি ৯৬% নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিত, ৩.৭% উচ্চ শিক্ষিত শ্রমশক্তির অবদান অর্থনীতিতে সামান্যই। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের শ্রমশক্তি জরিপ বিশ্লেষণ করে বলেছে, দেশে প্রায় পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ শ্রমিক রয়েছেন। এর মধ্যে দুই কোটি ৩২ লাখ বা ৪১ শতাংশের কোন শিক্ষাই নেই। আর এক কোটি ৩০ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডি পার হয়নি। বাকিদের মধ্যে মাত্র ৩.৭ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিয়ে এসেছেন। আর দশমিক ২ শতাংশ শ্রমিকের রয়েছে কারিগরী ডিপ্লোমা ডিগ্রী। মোট শ্রমিকের ৯৬ শতাংশের মাধ্যমিক শিক্ষা নেই।
২০১৪ সালের ৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত ঃ ২৬ জনের দন্ড মওকুফ রাষ্ট্রপতির।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের ৮৭ ভাগ নারী কোন না কোন সময় স্বামীর নির্যাতনের শিকার-জরিপে তথ্য।
২০১৪ সালের ১১ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার সংবাদ-বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত পত্রিকার সংখ্যা-১১৮৭টি। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এছাড়া ৭৫টি অনলাইন ও ৪৪টি টিভি চ্যানেল আছে।
২০১৪ সালের ১৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীগেদর নিয়ে পরিচালিত জরিপে তথ্য ঃ ৭৬ শতাংশ ছাত্রীই যৌন হয়রানির শিকার।
২০১৪ সালের ১৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৩৭ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে ঃ জরিপের তথ্য।
২০১৪ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৩ বছরে প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে জাতীয় সংগীত গাইল দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন মানুষ।
২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ চার বছরে ২৬৮ জন অপহৃত। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য। ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ২৬৮ জন অপহৃত। ৪৩ জনের লাশ উদ্ধার। ফিরে এসেছে ২৪ জন। এখনো নিখোঁজ ১৮৭ জন।
 ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ভূখন্ড তপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়া ঃ আবহাওয়া ছাড়া প্রচন্ড দাবদাহের অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ণ। ঢাকার ৬৫ শতাংশ ভূখন্ড তপ্ত। ১০০ বছরে সারা দেশে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে। ০.৬ সেলসিয়াস। রাজধানীতে বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর আটটি অঞ্চলের ২৫টি এলাকার ভূখন্ড তপ্ত হয়ে উঠছে। এখানকার গড় তাপমাত্রা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি-৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২১ বছরে ঢাকার ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন। ১৯৮৯ সালে উন্মুক্ত স্থান ছিল-২৬%, ২৩% বসতি ছিল, ৪৬% গাছপালা ছিল, ৫% জলাভূমি ছিল আর ২০১০ সালে উন্মুক্ত স্থান-৮%, বসতি-৫৭%, গাছপালা-৩১% ও জলাভূমি-৪% আছে।
২০১৪ সালের ১ মে, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের শ্রমশক্তি ঃ কাজের মানুষ ঃ দেশের মোট শ্রমশক্তির পরিমাণ পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ লোক। অর্থাৎ এঁরা কাজ করতে সক্ষম এবং দেশের শ্রমশক্তি হিসেবে বিবেচিত। আনুষ্ঠানিক কাজেই বেশি-আনুষ্ঠানিক কাজই করেন দেশের প্রায় ৮৭ শতাংশ শ্রমশক্তি। সংখ্যাটি চার কোটি ৭০ লাখ। বাকি ১৩ শতাংশ লোক কাজ করেন আনুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে। পুরুষ শ্রমশক্তি তিন কোটি ৯৫ লাখ এবং নারী শ্রমশক্তি এক কোটি ৭২ লাখ। বেকার কত? দেশে বেকারের সংখ্যা মাত্র ২৬ লাখ। এসব ব্যক্তি কোনো কাজেই জড়িত না কিংবা সপ্তাহে এক ঘন্টার কম কাজ করেন। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এমণ ব্যক্তিদের বেকার হিসাবে মনে করে। কেননা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা(আইএলও) স্বীকৃত পদ্ধতি অনুযায়ী সপ্তাহে এক ঘন্টা কাজ করেন এমন ব্যক্তিকে বেকার হিসাব ধরা হয় না।
সবচেয়ে কম মজুরি কৃষিশ্রমিকের। এ খাতের ৮ লাখ ৮০ হাজার মজুর সপ্তাহে ৫০০শত টাকার কম মজুরি পান। সেই হিসাবে দৈনিক গড়ে ৭১ টাকা পান। আর সবচেয়ে বেশি মজুরী পান আবাসন খাতের কর্মীরা। তাঁদের প্রতি সপ্তাহে আয় দেড় সহাজার থেকে দুই হাজার টাকা। কৃষি খাতের দিনমজুরেরা তাঁদের ৮৩ শতাংশ দিনে ৩০০ টাকার কম মজুরি পান না। সারা দেশে এমণ মজুরের সংখ্যা ৪৯ লাখ। কৃষি খাতের ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার কৃষি শ্রমিক। মজুরীবৈষম্য নারীরা।
বাংলাদেশে তিন কোটি ২৫ লাখ চাকরিজীবী আছে। এর ৯৫ শতাংশ মাসে ১২,৫০০(বার হাজার পাঁচশত) টাকা বেতন পান। আর ১৬ লাখ ২৫ হাজার চাকরিজীবী ৩৫ হাজার টাকার বেশি বেতন পান।
সাড়ে চার লাখ গৃহকর্মী ঃ সারা দেশে চার লাখ ৫৫ হাজার গৃহকমী আছেন। এর মধ্যে চার লাখ আট হাজার নারী আর পুরুষ মাত্র ৪৭ হাজার। তঁদের সিংহ ভাগই বাসাবাড়িতে কাজ করে।
২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ প্রতিদিন : দেশের ছোট বড় মাঝারি প্রায় ৮১ লক্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭১ লাখেরই আয়কর ফাইল নেই। এর মধ্যে ৪৬ লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও আয়কর ফাইল আছে মাত্র ১০ লাখের।
২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে।  দুর্নীতির ধারনা সূচকে ১০০-এর মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৫। বাংলাদেশ ১৬তম স্থান থেকে ১৪তম স্থানে এসেছে।
২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : বেসরকারি সচিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি নেই। দেশের বেসরকারি ক্লিনিকের সংখ্যা চার  হাজার ৬৫টি এবং রোগনির্ণয়কেন্দ্রের সংখ্যা আট হাজার ৬২১টি। এক বছরে মাত্র ২০টি ক্লিনিক পরিদর্শন করেছে অধিদপ্তর।
২০১৫ সালের ৮ মার্চ, প্রথম আলো : ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। অর্থনীতিতে নারীর অবদান বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ নারী-পুরুষ কোনো না কোনোভাবে কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন। উল্লেখ্য সপ্তাহে কমপক্ষে এক ঘন্ট কাজ করেন এমন ব্যক্তিকে বেকার হিসেবে ধরা হয় না। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে মোট কর্মজীবী নারী-২০১৩ সালে ১ কোটি ৬৮ লাখ কাজ করে: কৃষিতে-৯০ লাখ, শিল্পে-৪১ লাখ ও সেবা খাতে-৩৭ লাখ। কলকানায়-২২ লাখ, ব্যাংক-বিমা-৭০ হাজার, গৃহকর্মী-৯ লাখ, শিক্ষকতা-৬.৫ লাখ কাজ করে। নারী কারখানার মালিক-২১৭৭ জন। বাংলাদেশে ৪২ হাজারের বেশি কলকারখানা রয়েছে।
২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ডিএসসিসির ৮৬টি বিপনিবিতান রয়েছে ঢাকাতে। ৪০টির বেশি বিপনিবিতানের জরাজীর্ণ অবস্থা। পুরোনো কিছু বিপটনিবিতান ভেঙ্গে আধুনিকায়ন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নতুন ২৭টি মার্কেট নির্মাণ করতে চায়।
ইউনিয়ন পরিষদের গঠন ও নির্বাচন ঃ
আজ (১৮৮০-২০০৩ সাল পর্যন্ত) ১২৩ বছর আগে ১৮৮০ সালে প্রবর্তন হয় ইউনিয়ন পরিষদ। বড়লাট লর্ড রিপন প্রথম স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার পত্তন করেণ। ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন আইন পাশ হয়। এ আইনে ত্রিস্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার গঠন করা হয়। গ্রাম পর্যায়ে ইউনিয়ন কমিটি, মহকুমা পর্যায়ে লোকাল বোর্ড এবং জেলা পর্যায়ে জেলা বোর্ড গঠন করা হয়। এ আইনে সে সময়ই জনপ্রতিনিধিত্তে¡র বিধান করা হয়। ১০(দশ)  হতে ১৫(পনর) কর্গমাইল এলাকা নিয়ে একটি ইউনিয়ন গঠন করা হয়। ১৯১৫ সাল পর্যন্ত এভাবেই ইউনিয়ন কমিটিগুলো কাজ করে আসছিল। ১৮৭০ সালের চৌকিদারি আইনও ১৮৮৫ সালের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন আইন করা হয়। ইউনিয়ন বোর্ডের কমিটির কার্যকালের মেয়াদ ছিল ৩(তিন) বছর।
১৯৩৬ সালে ইউনিয়ন বোর্ডের ৬(ছয়) জন সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন।         ৩(তিন) জন সদস্য সরকার মনোনয়ন দিতেন।
১৯৩৬ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত মোট ৪(চার) বার মৌখিক ভোটে ইউনিয়ন বোর্ডগুলোর নির্বাচন হয়।
১৯৩৬ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত আফিসারের সামনে ভোটারগণ পছন্দের প্রার্থীকে মৌখিকভাবে ভোট দিতেন।
১৯৪৬ সালে সরকার সদস্য মনোনয়ন প্রথা বাতিল করেন। একজন প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন। ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন বোর্ড থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচি হয় পাড়াতুলি গ্রামের মৌলভী আফসারউদ্দিন মাষ্টার এবং ভাইচ-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মধ্যনগর গ্রামের জনাব আবদুল বারিক ওরফে জুরু মাষ্টার।
১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান আমল। ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ইউনিয়ন বোর্ডের ৩(তিন) বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন বোর্ড থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় গগুলনগর  গ্রামের জনাব মোঃ মোসলেউদ্দিন আহম্মেদ ওরফে অজী দারোগা।
এরমধ্যে ১৯৫৭ সালে ইউনিয়ন বোর্ডের শেষ নির্বাচন হয়, তখন আমাদের বাঞ্ছারামপুর উপজেলাতে ৭(সাত)টি ইউনিয়ন বোর্ড ছিল। ১৯৫৭ সালে পূর্ব-পাকিস্তানে ইউনিয়ন বোর্ডের শেষ নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন বোর্ড থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়-দরিকান্দি গ্রামের জনাব রওশন আলম ওরফে কালু মাষ্টার। এ ৭(সাত)টি ইউনিয়ন বোর্ডকে ভেঙ্গে ১৯৫৯ সালে সামরিক শাসক আইয়ূব খান ৬(ছয়)টি ইউনিয়নকে পূর্ব ও পশ্চিম এবং উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে ভাগ করে ১২(বার)টি ইউনিয়ন কাউন্সিল নামে নাম করণ করা হয়। ১(এক)টি ইউনিয়ন বোর্ডকে ভাগ না করে নাম রাখা হয় সলিমাবাদ ইউনিয়ন কাউন্সিল নামে। ১৯৬০ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খানের সময়ে বি.ডি. মেম্বারের ভোটে ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়। তখন থেকেই ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বি. ডি. মেম্বারের ভোটে নির্বাচিত হয়। ১৯৬০ সালে প্রথম ছয়ফুল্লাকান্দি(পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়, বি. ডি. মেম্বারদের (মৌলিক গণতন্ত্রীদের) ভোটে জনাব মোঃ লাল মিয়া। তারপর ১৯৬৪ সালে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় আমাদের ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের বি. ডি. মেম্বারদের (মৌলিক গণতন্ত্রীদের) ভোটে ভেলানগর বড়বাড়ির জনাব মোঃ আজহারুল হক (নসু মিয়া)।
১৯৫৭ সালে প্রথম জনসাধারণের প্রত্যক্ষভোটে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ইউনিয়ন বোর্ডের একজন প্রেসিডেন্ট, একজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ৩টি ওয়ার্ড হতে ৯(নয়) জন সদস্য নির্বাচিত হয়।
১৯৫৮ সালে আইয়ূব খান কর্তৃক সামরিক আইন জারির পর সকল ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচিত কমিটি বাতিল করা হয়। একজন সরকারী কর্মকর্র্তার উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
১৯৫৯ সালের আগ পর্যন্ত পার্বত্য জেলাগুলোতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ছিলনা।
সিলেট জেলাতে সারপুঞ্জ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।
১৯৫৯ সালে সামরিক সরকার আদেশ বলে “মৌলিক গণতন্ত্র” বা বেসিক ডেমোক্রাসি নামে বহুল সমালোচিত এক ব্যবস্থার প্রবর্তন করে।
১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর, পাকিস্তান সরকার মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ জারি করে।
১৯৬০ সালে প্রথম মৌলিক গণতন্ত্রী প্রথায় ইউনিয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে চেয়ারম্যান নামকরণ করা হয়।
১৯৬৪ সালে দ্বিতীয়বার এ ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়।
১৯৬৯ সালে গণঅভ্যূত্থানকালে অনেক স্থানে বিডি মেম্বারগণ জনরোষে পড়েন।
১৯৭২ সালে দেশ স্বাধীনের পর প্রেসিডেন্টের আদেশবলে বহু সমালোচিত বিডি প্রথা বাতিল করা হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলের নাম পরিবর্তন করে “ইউনিয়ন পরিষদ” করা হয়।
১৯৭৩ সালে জনগণের সরাসরি ভোটে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস-চেয়ারম্যান ও ৯ জন মেম্বার নির্বাচিত হন।
১৯৭৬ সালে ভাইস-চেয়ারম্যান পদ বিলোপ করা হয়।
১৯৯৭ সালের নির্বাচনে ৩টি ওয়ার্ড ভেঙ্গে ৯টি ওয়ার্ড করা হয়। প্রতি ওয়ার্ড থেকে একজন করে সাধারণ সদস্য নির্বাচনের বিধান করা হয়। মনোনয়ন প্রথা বাতিল করে সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে ৩(তিন) জন মহিলা মেম্বার সরাসরি ভোটে নির্বাচনের আইন করা হয়।
২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে মোট ৪ হাজার ৫৭১টি ইউপির মধ্যে নির্বাচন হবে ৪ হাজার ৩০০টির কিছু বেশি ইউপিতে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন(বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরাসরি ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত)।
১ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৭৩ সাল, শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে। তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-জনাব আবদুল বাতেন।
২য় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৭৭ সাল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের আমলে। তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-জনাব মোঃ লিল মিঞা।
৩য় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের আমলে তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-জনাব মোঃ আনোয়ারুল হক(আশ্রাফুল ইসলাম)।
৪র্থ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৮৮ সালে, প্রেসিডেন্ট হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদের আমলে। তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-মোঃ আনোয়ারুল হক(আশ্রাফুল ইসলাম), ২য়বার।
৫ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৯২ সালে, বি.এন.পি’র আমলে। তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-মোহাম্মদ আলী।
৬ষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৯৭ সালে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-মোঃ আনোয়ারুল হক(আশ্রাফুল ইসলাম), ৩য়বার।
৭ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-২০০৩ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। বি.এন.পি’ সরকারের আমলে ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-জনাব মোঃ শাহাজান মিঞা।
৮ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়-২০১১ সালের এপ্রিল মাসে। ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-মোঃ আনোয়ারুল হক(আশ্রাফুল ইসলাম), মারা গেছেন ০৭-০৪-২০১২ রাত্রে ঢাকাতে বারডেম হাসপাতালে (৪র্থবার)।
৮ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়-(২০-০৬-২০১২ তারিখ) তার বাবা মারা য্ওায়ার পর সে প্রথমবার উপ-নির্বাচনে মোঃ আমিনুল ইসলাম (তুষাড়) ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
৯ম ইউনিয়ন পরিষদ এপ্রিল মাসের নির্বাচনে-ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-মোঃ আমিনুল ইসলাম (তুষাড়)।
তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন(সন ও ভোটারসংখ্যা) ঃ
ক্রমিক নং নির্বাচনের সন ভোটারসংখ্যা
১. ১৯৫৪ ২,১০,০০,০০০ জন।
২. ১৯৬০ ২,৩৫,০০,০০০ জন।
৩. ১৯৬৪ ২,৬৮,০০,০০০ জন।
৪. ১৯৭০ ৩,১২,০০,০০০ জন।
৫. ১৯৭৩ ৩,৫২,০০,০০০(বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচন)
৬. ১৯৭৯ ৩,৮৪,০০,০০০(দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন) পুরুষ-২,০০,৩৪,৭১৭ ও নারী-১,৮৩,২৯,১৪১ জন।
৭. ১৯৮৬ ৪,৭৩,০০,০০০(তৃতীয় সংসদ নির্বাচন) পুরুষ ভোটার ছিল-২,৫২,২৪,৩৮৫ জন ও নারী-২,২৬,৫২,৫৯৪ জন।
৮. ১৯৮৮ ৪,৭৩,০০,০০০(৪র্থ সংসদ নির্বাচন) পুরুষ ভোটার ছিল-২,৬৩,৭৯,৯৪৪ জন ও নারী-২,৩৪,৮৩,৮৮৫ জন।
৯. ১৯৯১ ৬,১৯,০০,০০০(৫ম সংসদ নির্বাচন) নির্বাচনের আগে হালনাগাদ তালিকায় পুরুষ-৩,৩০,৪০,৭৫৭ জন ও নারী-২,৯১,৪০,৯৮৬ জন।
১০. ১৯৯৬ ৫,৬০,০০,০০০(১৫ ফেব্রæয়ারি ৬ষ্ঠ সংসদ নির্বাচন) পুরুষ ভোটার ছিল-২,৮৭,৫৯,৯৯৪ জন এবং নারী ভোটার ছিল-২,৭৯,৫৬,৯৪১ জন।
১১. ১৯৯৬ ৫,৬০,০০,০০০(১২ জুনের ৭ম সংসদ নির্বাচন) একই বছরের ১২ ফেব্রæয়ারির নির্বাচনের আগে হালনাগাদ তালিকায় পুরুষ-২,৩৭,৬৫,৭৫২ জন এবং নারী-২,৩২,৩৮,২০৪ জন।
১২. ২০০১ সালের ৩০ জুন হালানাগাদ করা- ৭,৭৪,২৭,৭৭১(০১-১০-২০০১ ৮ম সংসদ) ২০০১ সালের ৩০ জুন হালনাগাদ করা হলে ভোটারসংখ্যা। পুরুষ ভোটার ছিল-৩,৮৬,৮৪,৯৭২ জন এবং নারী ছিল-৩,৬৩,১৫,৬৮৪ জন। পুরুষ ভোটার ওই তালিকায় ২৩,৬৯,২৮৮ জন বেশি ছিল।
১৩. ০৭-০৯-২০০৬ তারিখের ভোটার তালিকা করেছিল বিএনপি ঃ ৯,৩০,৮২,৪৯৯ হাল নাগাদ দেশে ভোটার সংখ্যা। আর হাল নাগাদ বেড়েছে-১ কোটি ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার। একটি বিদেশী সংস্থা বলছে যে-১,২২,০০০০০(এক কোটি বাইশ লাখ ভোটার বেশী। বিদেশী সংস্থার মন্তব্য সঠিক প্রমাণিত।
১৪. ২০০৭ সালের জুন থেকে ১৫-১০-২০০৮ তারিখের মধ্যে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ করা হলো ২৭-১১-২০০৮ তারিখ পর্যন্ত ঃ দেশব্যাপী ছবিসহ ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন হলো-সারা দেশে মোট ৮(আট) কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৩ জন ছবি তুলেছেন ও ফরম পূরণ করেছেন। কিন্তু চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম এসেছে ৮(আট) কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৮ জন। অর্থাৎ ৭২ হাজার ২৭৫ জনের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ওঠেনি। তা ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা প্রায় ১৩ লাখ লোক এবার ভোট দিতে পারেনি। এর মধ্যে নারী-৪,১২,৩৬,১৪৯ জন, পুরুষ-৩,৯৮,২২,৫৪৯ জন, তরুণ ভোটার-১,৭০,০০,০০০ জন এবং নারী বেশি ১৪,১৩,৬০০ জন।
১৫. যোগ হয়েছে ৫০,০০,০০০ লাখ এবং মারা গেছে ২,০০০০০ লাখ ভোটার হালনাগাদের সময় ১৮-১০-২০০৯ তারিখ পর্যন্ত ছিল ৮,১১,৩০,৯৭৩ জন এর সাথে যোগ হবে আরও ৫০,০০,০০০ লক্ষ। মোট ভোটার সংখ্যা-৮,৬১,৩০,৯৭৩ জন। ঢাকা সিটি করপোরেশন-এ হালনাগাদে ভোটার বেড়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৮১ জন। ডিসিসি নির্বাচনে ভোট দেবেন ৩৭ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪ জন। চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ (০৪-০২-২০১০)।
১৬. ০১-০২-২০১৩ তারিখ প্রথম আলোর রিপোর্ট ঃ ৯ কোটি ২১ লাখ ২৯ হাজার ৮৬২ জন ভোটার। সর্বশেষ হিসাব-৪ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ৮৭১ জন পুরুষ এবং ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৮১ জন নারী।
১৭. ২৬-১১-২০১৩ তারিখের প্রথম আলো ঃ ৩০০ আসন ঃ ৯(নয়) কোটি ১৯(উনিশ) লাখ ৬৬(সিসট্টি) হাজার ২৯০(দুইশত নব্বই) জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ-৪(চার) কোটি ৬১(একসট্টি) লাখ ২৩ হাজার ৩১৮(তিনশত আঠর) জন এবং মহিলা-৪(চার) কোটি ৫৮(আঠান্ন) লাখ ৪২(বিয়াল্লিশ) হাজার ৯৭২(নয়শত বাহাত্তর) জন ভোটার।  ঢাকায় ভোটার সংখ্যা-৭২ লাখ-২০টি আসনে। ১৪৭টি আসনে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন ভোটারের ভোট হবে।
১৮. ০১-০২-২০১৬ তারিখের প্রথম আলো: হালনাগাদের পর বর্তমানে দেশের ভোটারসংখ্যা ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার ৩৬২ জন(৫০ দশমিক ৩৭ শতাংশ) ও নারী ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৯১ জন(৪৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ)। হালনাগাদ সময় ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭১ জন মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকার যাত্রা শুরু হয়। তখন দেশের ভোটারসংখ্যা ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি। নাম নতুন ভোটার হলেন ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৯২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৫ জন আর মহিলা ২১ লাখ ২৩২ জন। এর ফলে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে-৯ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ-৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার ১০ জন এবং ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৪২ জন নারী ভোটার। হালনাগাদের আগে ভোটার সংখ্যা ছিল-৯ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৫৩১ জন। হালনাগাত ভোটারসংখ্যা-১০ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ৬০৯ জন।

মুগল, ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের কথা ঃ

১০,০০০ হাজার বছর আগে নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার উয়ারী বটেশ্বরে বাংলাদেশের প্রথম মানুষের বসতি গড়ে উঠে। ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) বছর আগের দুর্গনগরীর সন্ধান মিলেছে উয়ারী বটেশ্বরে।
৩৫০০-৪০০০ খৃষ্টপূর্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানব বসতির প্রমাণ পাওয়া গেল। শাহীনূজ্জামানের এ আবিস্কারের ফলে নব্য প্রস্তর যুগে (৩৫০০-৪০০০ বছর আগে)। চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক যুগেও মানুষ ছিল।
২৫০০ খৃষ্টপূর্বে জয়পুরহাট জেলার মহাস্থান গড়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বসতি গড়ে উঠেছিল।
১৫০০ খৃষ্টপূর্ব কুমিল্লার লালমাই পাহাড় থেকে প্রতœতাত্তিকের আবিস্কৃত প্রাগৈতিহাসিক মানুষের ব্যবহার করা হাতকুঠার, ছুরি, ছাঁচুনী, বাটালী প্রভৃতি প্রমাণ করে যে, এ অঞ্চলে মানুষের আগমন ঘটেছিল।
১২০০ খৃষ্টপূর্ব মহাস্থানগড়ে ফটক পাওয়া গেছে। মানে ১২০০ খৃষ্টপূর্ব আগে মহাস্থানগড়ে প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া গেছে (১০-০২-২০১০ তারিখ প্রথম আলো)। প্রতœতাত্তি¡করা ধারণা করছেন, ২০০৯ সালে এ মহাস্থানগড় খননে যে বৌদ্ধমন্দিরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে।
৬৪৮ সালে বা ৬৯ হিজরী সনে লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামে সাড়ে তেরো শ বছর আগের মসজিদ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ভুখন্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলজুড়ে যে প্রাচীন সভ্যতা খ্রিষ্টপূর্ব সময় থেকে গড়ে উঠেছিল, তার সঙ্গে প্রাচীন রোমান ও আরব-সভ্যতার সম্পর্ককে ইতিহাসের স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখেন টিম স্টিল। টিম স্টিল ওয়েলসের অধিবাসী। বাংলাদেশ টাইগার ট্যুরিজম নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনাচক্রে তিনি লালমনিরহাটের ৬৯ হিজরি সনের হারানো মসজিদ আবিস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে যান। নানা বইপত্র ঘেঁটে, যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রতœতত্ত¡ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি নিশ্চিত হন মসজিদটি ৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দের বা ৬৯ হিজরি সনে। বাংলাদেশের ওই হারানো মসজিদের ওপর আরও গবেষণা হওয়া উচিত এই আকুতি রেখে টিম স্টিল বলেন, ওই মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস খুঁজে পেলে হয়তো বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্ব সভ্যতার সম্পর্কের আরেক ইতিহাস জানার পথ খুলে যাবে। রোমান, চৈনিক, আরব আর বাংলা-এই চার অঞ্চলের প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্ক জানা গেলে হয়তো পৃথিবীর ইতিহাস অন্যভাবে লিখতে হবে। টিম স্টিলের গবেষণায় প্রতীয়মান হচ্ছে, এটি এক হাজার তিন শ চৌষট্টি বছর আগের মসজিদ। যার সূত্র ধরে পাল্টে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের আগমণের ইতিহাস। ইটের গায়ে লেখা আরবিতে হিজরি সন উল্লেখিত শিলালিপি। (১৯-১১-২০১২ তারিখ)। এ আবিস্কার সঠিক কিনা বলা যাবেনা এখনও।
১০৪০ সালের সেই দিন থেকে হিমালয়ের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক। পন্ডিত শান্তিরক্ষিতের বোন মন্দরবা তাঁর স্বামী পদ্মসম্ভবার সঙ্গে তিব্বতের সাইথউলে গিয়ে হিমালয় গমনকারী প্রথম নারীতে পরিণত হন। আধুনিক সময়ে ১৮৫০ সাল থেকে বাঙালিদের হিমালয়ে যাওয়া শুরু। ১৮৫২ সালের একদিন ৩৯ বছর বয়সী বাঙালি জরিপকর্মী রাধানাথ সিকদার আবিস্কার করলেন ম্যাপে ‘পিক-১৫’ নামে পরিচিত পর্বত চুড়াটিই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ। ১৮৫৬ সালে এর নামকরণ করা হয় মাইন্ট এভারেষ্ট। ১৯০৪ সালে এভারেষ্ট অঞ্চলে অভিযাত্রীদের আগমন ঘটে। ১৯১৩ সালে ক্যাপ্টেন নোয়েল এভারেষ্টে অভিযান চালানোর ব্যাপারে রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটিতে প্রতিবেদন জমা দেন। ১৯২১ সালে শুরু হয় অভিযান। চূড়ান্ত সাফল্য আসে ১৯৫৩ সালের ২৯ মে সকালে।
১২৮২ সালে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ-দীন ঢাকার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলার রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন।
১৩০৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর, হযরত শাহ জালাল(রহ.) ছিলেন ইয়েমেনী। তাঁর সিলেট আগমনের সাতশ’ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৭-১২-২০০৩ তারিখ থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচী ঃ হযরত শাহ জালাল(রহ.) সুরমা নদীর যে ঘাট দিয়ে সিলেট শহরে প্রবেশ করেছিলেন সেই ঐতিহ্যবাহী স্থান শেখঘাট মসজিদ থেকে দরগাহ পর্যন্ত শোভাযাত্রা হয়। হযরত শাহ জালাল (রহ.) মাত্র ৩২ বছর বয়সে ৩৬০(তিনশত ষাট) জন সঙ্গী নিয়ে সিলেটে আগমন করেন। কিন্তু ১৩৩৩ সালে ৬২ বছর বয়সে মারা গেছেন।
১৩০৫ সালের দিকে তৈরী হয় কুমিল্লার মাঝিগাছায় নন্দীর মসজিদটি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
১৩৩৮-১৩৪৯ সালে সোনারগাঁয়ের স্বাধীন সুলতান ফকরুদ্দীন মোবারক শাহের রাজত্বকালে বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে মুসলিম আধিপত্য দৃঢ় হয়েছিল।
১৪৭৯ সালে শিবগঞ্জ, রাজশাহীর দরসবাড়ী মসজিদটি নির্মিত হয় ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতান শামস উদ্দীন ইউসুফ শাহের শাসন আমলে।
১৪৮০ সালে রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা কংশ নারায়ন রায় ৯(নয়) লক্ষ টাকা ব্যয় করে একটি মন্দির তৈরী করেন। এ মন্দির ১৯৭৮ সাল থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে।
১৪৮৩ সালে মালিক কাফুর নির্মিত বাবা আদম শহীদের মসজিদ নির্মিত হয়। এ মসজিদ মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রথম মসজিদ। মালিক কাফুর ছিলেন ঐ সময়ে এ এলাকার শাসনকর্তা।
১৪৯৩ থেকে ১৫১৯ সালের মধ্যে ণির্মিত হয় দিনাজপুর ঘোড়াঘাট ঐতিহ্যবাহী সুরা মসজিদ। অযতœ-অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে এ মসজিদের অস্তিত্ব।
১৪৯৩ সাল থেকে ১৫৩৯ সাল পর্যন্ত আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে নান্দাইলের মোয়াজ্জমপুর মসজিদটি নির্মিত।
১৫১৪-১৬০৫ সালের মধ্যে পাবনার জোড়বাংলো নির্মাণ করা হয়।
১৫১২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৫শ’ বছরের মং রাজ পরিবারের ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তির পথে।
১৫১৭ সালে পর্তুগীজরা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলারোপা-বান্দুরাতে প্রথম বসতি স্থাপন করে।
১৫২৩ সালে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী বাঘা মসজিদটি গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন নুসরৎশাহ নির্মাণ করেন।
১৫২৬ সালে সুলতান হোসেন শাহের পুত্র নুশরাত শাহ কর্তৃক বৃহত্তর রাজশাহীতে বড় সোনা মসজিদ তৈরী করে।
১৫৫৫ সালে প্রাচীন বাংলার মসনদে আলা ঈসা খাঁর রাজধানীর খোঁজে যেতে হয় সোনারগাঁয়ে।

 

১৫৫৫ সালে শেরপুরে প্রায় ৪৫০ বছর আগে নবাব মীর্জা মুরাদ খানের সহযোগিতায় খেরুয়া মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ তথ্য মসজিদের শিলালিপি থেকে জানা যায়। এছাড়া বগুরা জেলার শেরপুর উপজেলা ইতিহাসে আরো একটি কারণে বিশেষ স্থান লাভ করে আছে। তাহলেও এ ছোট্ট শহরে ৩৬০ জন ওলী আওলিয়ার আগমন ঘটেছিল। ১৫৯৫ সালে রচিত আইন এ আকবরীতে এ স্থানের উল্লেখ আছে। আকবরনামাতে বহুবার ‘শেরপুর মুর্চ্ছা’ নামে এ স্থানের উল্লেখ আছে।
১৫৬৯ সালে রিকাবী বাজারের টেঙ্গর শাহী মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ মসজিদটি মুন্সীগঞ্জ জেলার দ্বিতীয় মসজিদ।
১৫৭৬ সালের ১২ জুলাই, হোসেন কুলি খান বাংলার শাসক নিযুক্ত হন।
১৫৮০ সালে (বা ৯৮৬ হিজরী সনে) মাছুম খাঁন কাবুলী পবিত্র কদমরসুল স্থাপন করলেও বহু শত বছর পূর্বে-এর সংগ্রাহক হাজী নূর মোহাম্মদ নামক এক তাপস ও সাধক পুরুষ পবিত্র পদচিহ্ন একজন আরবদেশীয় বণিকের কাছ থেকে কয়েক হাজার স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে লাভ করে নিয়ে আসেন এ গ্রামে। শীতলক্ষা নদীর পূর্ব তীরে বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকায় পবিত্র কদমরসূল দরগাহ’র অবস্থান।
১৫৮২ সালে (হিজরী-৯৮৯) কোন এক সোমবার দিন শেরপুরের ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়।

১৫৮৪ সালে বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলে হারিকেনের রুদ্র তান্ডবে ঝরে যায় প্রায় ২ লাখ তাজা প্রাণ। এরমধ্যে মানুষ, গবাদিপশু এবং অন্যান্য সব রকমের প্রাণী। এ ঝড়ের কথা আইন-ই-আকবরী ও রিয়াজ-উস-সালাতিনে পাওয়া যায় এ ঝড়টি খুলনা-বরিশাল উপকুলে প্রলঙ্করী ধবংশলীলা ঘটিয়েছিল। ১৭৯৭ সালে ঘুর্ণিঝড় চট্টগ্রাম অঞ্চলে সবকিছু মিশিয়ে দিয়ে যায় মাটির সাথে। চট্টগ্রাম বন্দরে ২টি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। ১৮২২ সালের মে মাসে বরিশাল, হাতিয়া ও নোয়াখালী জেলার ওপর বয়ে গেল ভয়ঙ্কর এক ঘুর্ণিঝড়। কালেক্টরেট রের্কড থেকে জানা যায়, ৪০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল। ১ লাখ গবাদিপশু স্রোতে ভেসে গিয়েছিল। ১৮৭৬ সালের সেই ঝড়ে ২ লাখ মানুষের জীবনদীপ নিভে যায়। ১৯৫০ সালে আবার দেখা মেলে ২০ ফুট জলোচ্ছ¡াসের। আঘাতস্থল চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালী, প্রাণহানি ১০ হাজার। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান ঘুর্ণিঝড়ে ২ বার লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় উপকলীয় এলাকা। কেড়ে নেয় ১৯,২৭৯টি তাজা প্রাণ। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, স্মরণকালের বৃহত্তম ঘুর্ণিঝড় কেড়ে নিয়েছিল ১০ লাখ লোক বা তারও বেশী মানুষের জীবন। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২২২ কিলোমিটার। ১৯৮৫ সালে ঘুর্ণিঝড়ে কেড়ে নিয়েছিল ১১,০৫৯ জন। ১৯৮৮ সালের ঘুর্ণিঝড়ে কেড়ে নিয়েছিল ৫,৭০৮ জন। ১৯৯১ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথমবারের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার অব্যাবহিত পরই ২৯ এপ্রিল রাতে ভয়াল ঘুর্ণিঝড় গোটা দক্ষিণাঞ্চল লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়। দেড় লাখ মানুষের প্রাণ জীবনপ্রদীপ নিভে যায় এক ফুৎকারে। তারপর ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৭, ১৯৯৮ এরপর এবার ২০০৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর, ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উপকুলীয় জেলাগুলো। এত অনেক মানুষের মৃত্যু হয় এবং বাড়ি-ঘর, জমির ফসল, গবাদিপশু ও চাষের মাছ-এর ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২২ লাখ মানুষকে টানা তিন মান ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ। গত চারশ’ বছরে ছোট বড় ৫০টির বেশী ঘুর্ণিঝড় হয়েছে।
১৯৮৫ সালের ১৮ জুনের, তথ্যমতে গত ২০০(দুইশত) বছরে (১৭৮৫ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত) বাংলাদেশে ৬৭ বার ঝড় ও জলোচ্ছাস হয়েছে।
সাইক্লোন, হারিকেন, টাইফুন বাংলাদেশে কখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মারা গেছে তার বর্ণনা ঃ
সন লোকসংখ্যা
১৮৭৬ ২,০০,০০০
১৮৮২ ৪০,০০০
১৮৯৭ ১,৭৫,০০০
১৯৬০ ৫,১৯৬
১৯৬১ ১১,৪৬৮
১৯৬৩ ১১,৫২০
১৯৬৫ ১৯,২৭৯
১৯৭০ ২০,০০,০০০(১২ নভেম্বর)

১৯৫৪ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে প্রলংকারী বন্যাসহ বিগত ৫০ বছরে ছোটবড় মিলে ২৯টি বন্যা বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঃ
এরমধ্যে ১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৬২, ১৯৬৮, ১৯৭০, ১৯৭৪, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৭, ১৯৮৮,১৯৯৮ এবং চলতি ২০০৪ সালের বন্যা এ তেরটি বন্যা প্রলয়ংকরী।
এসব বন্যার মধ্যে ১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৮৮, ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালের বন্যাকে মহাপ্লাবন আখ্যা দেয়া হয়েছে।
১৯৮৮ সালের মহাপ্লাবনের ফলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির যে মহাপ্রলয় ঘটেছিল সেটাকে ইতিহাসবিদ এবং ধর্মবেত্তারা হযরত নুহ(আ.)-এর মহাপ্লাবনের সাথে তুলনা করেছেন।
তারপর ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালের মহাপ্লাবন। এসব বন্যাকে এখন তুলনা করা হচ্ছে স্মরণকালের পৃথিবীতে কয়েকটি ভয়াবহ বন্যার সাথে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মিসরের দুঃখ’ বলে পরিচিতি নীলনদের ওপর আসোয়ান বাঁধ নির্মাণের আগের বন্যা। ১৬৫৮ এবং ১৯১০ সালে প্যারিসের মহাপ্লাবন, ১৮৬১ এবং ১৯৬১-তে ওয়ারসোর মহাপ্লাবন, ১৫৩০ এবং ১৫৫৭ সালের রোমের মহাপ্লাবন, ১৭৮৮ সালে পর্তুগালের লিসবনের মহাপ্লাবন এবং ১৯২৪ সালে হাওয়াই-এর মহাপ্লাবন।
২০০৪ সালের ২৪ জুলাই, শনিবার রাত পর্যন্ত যেভাবে পানি বেড়েছে, যদি পানি বৃদ্ধির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে ১৯৮৮, ১৯৯৮ এবং চলতি ২০০৪ সালের বন্যাকে গণচীনের ‘হোয়াংহো নদীর বন্যা’ রুপে আখ্যায়িত করা যাবে।
এমন একটি পরিস্থিতিতে পথ রয়েছে ৪টি। এগুলো হল ঃ (১) বাহাদুরাবাদে ব্রহ্মপুত্র বাঁধ। (২) হার্ডিজ ব্রিজে গঙ্গা বাঁধ। (৩) ভৈরব বাজারে মেঘনা বাঁধ ও (৪) নেপালে ৭টি জলাধার। এগুলোর মধ্যে নেপালে জলাধার নির্মাণের প্রস্তাব ভারত নাচক করে দিয়েছে। ফলে অবশিষ্ট রইল ৩টি বাঁধ নির্মাণ।
অব্যাহত ভাঙ্গনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত মারাত্মকভাবে বিপন্ন।
১৯৬৩ সালের ২৯ মে, ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকায় ২২ সহস্রাধিক লোক মারা যায়।
১৯৬৫ সালের ১২ মে, বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়ে ১৭ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৬৫ সালের ২ জুন, বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়ে ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, দেশে ১৩৭ মাইল বেগে সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচছাস হয়েছিল। তাতে ১০ লক্ষাধিক লোক মারা গিয়েছিল।
১৯৮৮ সালের ৫ আগষ্টের সংবাদ ঃ বাংলাদেশে বছরে নদীভাঙ্গনে প্রতিবছর ১০ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
১৯৮৮ সালের ২১ নভেম্বর (রয়টার) ঃ সিডনীর ভাষ্যানুযায়ী-বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের শতকরা ২৭ ভাগ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে যাবে।
১৯৮৮ সালের ২১ নভেম্বর (রয়টার) ঃ সিডনী’র ভাষ্যানুযায়ী-২০৩০ সালের মধ্যে প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের ছোট দ্বীপগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
১৯৮৮ সালের ২৯ নভেম্বর, এ দিনে প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় ও তীব্র জলোচ্ছাসে বিধ্বস্থ হয়েছিল দক্ষিণের জনপদ এবং দক্ষিণাঞ্চালের কয়েক লাখ মানুষের দুঃসহ স্মৃতি আর দুঃস্বপ্নের দিন।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার), দিন সংঘটিত প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় ও সর্বনাশা গোর্কির ছোবলে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও ভোলার সমুদ্র উপকুল, চর ও দ্বীপাঞ্চলে জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। প্রায় ২ লাখ নর-নারী-শিশু-বৃদ্ধ উপকুলবাসী অসহায়ভাবে মারা যায়। রাত ১১টা থেকে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় বইতে থাকে।
১৯৯৬ সালের ১৩ নভেম্বরের হিসেব-১৫৮৪ সাল হ’তে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ভোলা জেলায় ঝড় ও জলোচ্ছাসে প্রায় ৬(ছয়) লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।
১৯৯৮ সালের ৬ নভেম্বরের তথ্য-ষ্টিয়ারিং কমিটির অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠক ঃ প্রায় ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা সমন্বিত বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের কাজ চল্তি মওসুমে শুরু হবে। এ কাজ ০১-১১-২০০৮ সালেও হয়নি। এ কাজ ১১-১০-২০১১ সালেও শুরু হয়নি।
১৯৯৮ সালের ১৭ নভেম্বর, ইউ.এন.ডি.পি.’র মূল্যায়ন-বণ্যায় ক্ষতির পরিমাণ ১০(দশ) হাজার কোটি টাকা;প্রাপ্ত সাহায্য পাওয়ার পরও ঘাটতির পরিমাণ ২(দুই) হাজার কোটি টাকা।
২০০০ সালের হিসেবমতে-বাংলাদেশে ২৩০টি নদী ও ১৩ লক্ষ ১ হাজার পুকুর আছে ।
২৮-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে ২৪(চব্বিশ) হাজার কিলোমিটার নদী পথ আছে, এরমধ্যে ৬(ছয়) হাজার কিলোমিটার নদী পথ ব্যবহার হয়।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল, প্রলয়ঙ্কুরী ঘুর্নিঝড় ও জলোচ্ছাসে দেশের দক্ষিণের অনেক লোক মারা গেছেন।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ নদীভাঙ্গনে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১০ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ২০০৩ সালের রির্পোটঃ এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১(এক) কোটি লোক নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
২০০৩ সালের ৯ মার্চের খবর ঃ বাংলাদেশে ২৩০টি নদী আছে। এরমধ্যে ৮০টি নদীর মরণদশা, কারণ নদীর পলি খননের পরিকল্পনা বারবার ফাইলবন্দী হচ্ছে। (১) রাজশাহী বিভাগে-৩০টি নদী, (২) খুলনা বিভাগে-২০টি নদী, (৩) ঢাকা বিভাগে-২০টি নদী এবং (৪) সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে-১০টি নদী, মোট ৮০টি নদ-নদীর মৃত্যু দশায় পড়ে বিলুপ্ত হতে চলেছে। বাংলাদেশের ২৩০টি নদীর সাথে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী মিলেছে।
২০০৪ সালের ৩০ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বলেছেন, বাংলাদেশের বন্যায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।
২০০৪ সালের ৩১ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকা-সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ চুক্তি ভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কঠোর অবস্থান নেবে। ভারতের অসহযোগিতায় প্রতি বছর দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীকরণ চুক্তি থাকলেও ভারত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করছে না।
২০০৪ সালের ৩ আগষ্ট, সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত সারাদেশে কমপক্ষে ৭ লাখ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে এফবিসিসিআই নের্তৃবৃন্দ উল্লেখ করেছেন। এরমধ্যে ৫ হাজার শিল্প আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পেরে রুগ্ন হয়ে পড়বে।
২০০৪ সালের ৪ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বন্যায় ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব ৪২ হাজার কোটি টাকা। সরকার-দাতাদের বৈঠক ঃ আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন।
২০০৪ সালের ৮ আগষ্ট, ড. আবদুস সাত্তার সাবেক পূর্ব-পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর একজন পরিচালক ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা নিয়ে তিনি একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার নিবন্ধে তিনি প্রমাণ করেন যে, ১৭৭৩ সালের পর থেকেই বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চলে বন্যার ব্যাপকতা বাড়তে থাকে। মেজর রেনেলের ম্যাপ থেকে তিনি সূত্র গ্রহণ করে প্রমাণ করেন যে, উল্লেখিত সময় পর্যন্ত পদ্মা ও যমুনা সম্পূর্ণ পৃথকভাবে প্রবাহিত হতো। আর এ কারণেই বন্যার কোন সুযোগ ছিল না। একটি ভূমিকম্পের কারণে গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা ও যমুনা মিলে যাওয়ার ফলেই নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হলে গোটা পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়ে যায়।
২০০৪ সালের ১৩ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ইনকিলাব ঃ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র নির্বাহী পরিচালক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন-সিপিডির রিপোর্ট ঃ বন্যায় ক্ষতি ১১,৪১৮ কোটি টাকা। এনজির কার্যক্রম দেরিতে শুরু ঃ বিপর্যয় কাটানোর মত সম্পদ আমাদের আছে। বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসঙ্গের ১,২৬০ কোটি টাকা জরুরী সহায়তার আবেদন-সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়া বন্যা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ১৯৮৫ সাল থেকে গত দু’দশকে বন্যা, টর্নেডো, সাইক্লোন, কালবৈশাখী ঝড়, নদী ভাঙ্গনের মতো আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ১ কোটি মানুষ গৃহহীন। উজানে ভারতের পানি প্রত্যাহারে নতুন হুমকির মুখে বাংলাদেশ।
২০০৭ সালের ২৪ মার্চ, মাসুদুজ্জামান রবিন ঃ ঢাকার চারপাশে ৪ নদী এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাষ্টবিন। বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার তলদেশে ৬ ফুট পলিথিন ময়লা আবর্জনা ঃ এ পানিই পরিশোধন করে খাচ্ছে রাজধানীবাসী।
২০০৭ সালের ২৬ জুলাই, ১৭৬২ সালে এ এলাকায় প্রথম সংঘটিত সুনামিতে অনেক দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যায়। *অশনি সঙ্কেত ঃ উত্তর আন্দামান থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত সিসমিক গ্যাস। *সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আশপাশে ৫শ’র মতো মৃদু ও মাঝারি ভূমিকম্প হয়েছে।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর, ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ উপকুলীয় জেলাগুলো। এতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয় এবং বাড়ি-ঘর, জমির ফসল, গবাদিপশু ও চাষের মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২২ লাখ মানুষকে টানা তিন মাস ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ।
২০০৭ সালের ২৬ নভেম্বর, আরিফুর রহমান, পটুয়াখালী থেকে-দুর্যোগ-ঝুঁকিতে থাকা ৫০ লাখ মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র নেই। প্রয়োজন চার হাজার। আছে দুই হাজার। নতুন ৫০০শত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের।
২০০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালে উপদেষ্টা এম. এ. মতিন ঃ বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ৮৫ লাখ মানুষ ঘুর্ণিঝড় সিডরে আক্তান্ত হয়েছে, মারা গেছে ৩,৩০০ জন এবং ঘুর্ণিঝড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি।
২০০৭ সালের ৪ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ উপকুলে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে লাগবে ৭ হাজার কোটি টাকা। দাতা সংস্থার প্রধান ও কুটনীতিকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি সহযোগিতার আহবান।
২০০৭ সালের ৫ ডিসেম্বর, নিউইয়র্ক প্রতিনিধি ঃ জাতিষংঘের প্রতিবেদন-সিডরের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি প্রাথমিক ধারণাকে ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে ৮৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধবংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আট লাখ ৮৫ হাজার বাড়িঘর। এ ছাড়া ১২ লাখ গবাদিপশু মারা গেছে। বিন্ষ্ট হয়েছে বিশ লাখ একর জমির ফসল।
২০০৮ সালের ১৫ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক-আলোচনা সভায় বক্তাদের অভিমত। বুড়িগঙ্গা বাঁচলে ঢাকা শহর বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে।
২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবর, ঘূর্ণিঝড় ‘রেশমির’র আঘাতে বিপর্যস্থ উপকুল। উপকুলের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, ঘর ও দেয়ালচাপায় মারা গেছে সাতজন, ভেসে গেছে ঘেরের মাছ।
২০০৯ সালের ২৬ মে, প্রথম আলো ঃ “আইলা” মানে ডলফিন। আইলার ছোবলে বিধ্বস্ত উপকুল। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আড়তপট্টি এলাকার লোকজন সরে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে। লোকালয় লন্ডভন্ড, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, নিহত-২০, শতাধিক নিখোঁজ।
২০০৯ সালের ২৭ মে, প্রথম আলোঃ আইলার ভয়াবহতা স্পষ্ট হচ্ছে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৯ জন।
২০১০ সালের ২৭ মে, প্রথম আলো ঃ ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার মানচিত্র থেকে পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে গত ১৫ বছরে হারিয়ে গেছে ৫৬ গ্রাম। ১৯৮৩ সালের ১ আগষ্ট স্থাপিত এ উপজেলার মোট জমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৩২৩ হেক্টর। গত ১৫ বছরে এ উপজেলার চার হাজার ২৫৫ হেক্টর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ৫৬ গ্রামের আট হাজার ২৭২টি পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এখন ছিন্নমূল। তারা আশ্রয় নিয়েছে বেড়িবাঁধ ও পাকা সড়কে।

১৫৮৫ সালের ১০ মার্চ, সম্রাট আকবরের ফরমান জারি। আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলি সন প্রবর্তিত হয়। এই সনই বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন।
১৫৮৫ সালে সামন্ত রাজা নবরঙ্গ রায় এই মন্দিরে প্রথম শুরু করেন রথরাত্রা। কিংবদন্তিতে আছে, উড়িষ্যার জগন্নাথ, বঙ্গের গোপীনাথ। প্রাচীন বাংলার সর্ববৃহৎ রথযাত্রা ছিল গোপীনাথের রথযাত্রা। কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলায় ভোগবেতাল গ্রামে অবস্থিত জেলার অন্যতম প্রতœসম্পদ ঈশা খাঁ ও রাজা নবরঙ্গের ঐতিহাসিক হিন্দু ধর্মীয় তীর্থস্থান শ্রীশ্রী গোপীনাথ মন্দির। প্রতি বছর ২৪ জুন থেকে প্রথম রথযাত্রা এবং ২ জুলাই উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এককালে রথযাত্রা উপলক্ষে বসত ১৫ দিনব্যাপী মেলা। গোপীনাথের রথযাত্রার আদি কথা।
২০০৪ সালের ১৯ জুন, হিন্দু স¤প্রদায়ের ঐতিহাসিক রথযাত্রা শুরু হয় এবং আগামী ২৭ জুন, অনুষ্ঠিত হবে উল্টো রথযাত্রা। প্রতি বছর ১৯ জুন, রথযাত্রা শুরু হয় এবং উল্টো রথযাত্রা শেষ হয় ২৭ জুন।

১৫৯৯ সালে বারো ভূইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁনের ইন্তেকাল। নেতাসহ বারভূঁইয়া সংখ্যায় ছিল ১৩ জন। বাংলার বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ঈশা খাঁন। দেওয়ান আমিন দাদ খাঁ, মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ১৪তম প্রজন্ম এখনো বেঁচে আছে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার জঙ্গলবাড়িতে। দেওয়ান আমিন দাদ খাঁ (৮৫ বছর) এখনো বাস করে জঙ্গলবাড়িতে। তাঁরা যে ঈশা খাঁর বংশধর-যুদ্ধই তো তাদের আমৃত্যু অবলম্বন। জঙ্গলবাড়ি মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে পরিচিত। (প্রথম আলো ১৪-০৬-২০০৯ সালের)।
১৬০১ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে তাদের ব্যবসা চালাতে আসার পর ১৬১৫ সালে কর আদায় ব্যবস্থাপনার গোড়া পত্তন ঘটে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর আদায় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু করে সর্বপ্রথম বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) গোয়া ও চট্টগ্রামে। ১৭৮৭ সালে রেভিনিউ বোর্ড অব ইন্ডিয়ারপ্রথম প্রেসিডেন্ট জন শোয়েবের ছবি। ১৭৮০ সালে তিনি ছিলেন ‘ঢাকার রেভিনিউ কমিশনার। পরে তিনি ১৭৯৩ থেকে ১৭৯৭ সাল পর্যন্ত ভারতের গবর্নর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ৪০০শ বছরের কর আদায়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত অফিস সামগ্রী। (০৫-০৫-২০১৪ তারিখে দেনিক জনকন্ঠ পত্রিকার রির্পোট-চট্টগ্রামে উপমহাদেশের আর্কাইভের যাত্রা শুরু।)
১৬০১ সালে রাজা আর্যাবরের ছেলে রাজা ভগবান (গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নে ঐতিহাসিক মীরের বাগানের স্মৃতি জড়িত ভবনগুলো) যখন বর্ধন কুঠির নিকটবর্তী রামপুরে বাসুদেব মন্দির নির্মাণ করেণ তখন মহারাজা মানসিংহ বাংলার সুবাদার ছিলেন। ১৬০৯ সালে রাজা ভগবানের সময়েই সুবাদার ইসলাম খান মানসিংহের স্থলাভিষিক্ত হন।
১৬০৫-১৬২৭ খ্রিষ্টাব্দ মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে জনৈক নীলাম্বর ‘রাজা’ উপাধি লাভ করার পর সেটি পুঠিয়া রাজবাড়িরূপে পরিচিতি লাভ করে। ১৭৪৪ সালে জমিদারি ভাগ হয়। ১৮২৩ সালে রানি ভুবন মোহিনী দেবী পুঠিয়া রাজবাড়ি এলাকায় ঢোকার মুখেই একটা দিঘির পাড়ে উঁচু বেদির ওপর শিব মন্দিরটি নির্মাণ করেন। রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার পুঠিয়া রাজবাড়িটি ১৮৯৫ সালে রানি হেমন্তকুমারী দেবী তাঁর শাশুড়ি মহারানি শরৎসুন্দরী দেবীর সম্মানে নির্মাণ করেন। পুঠিয়া রাজবাড়িটি একটি দোতালা বিল্ডিং। এ দেশে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা ছিল।
১৬১০ সালের ৩১ জুলাই, ঢাকার নবনিযুক্ত সুবাদার শেখ আলাউদ্দিন ইসলাম খাঁন চিশতি কর্তৃক সোনারগাঁ থেকে বাংলা সুবার রাজধানী বর্তমান ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। এখন থেকে এর নাম হবে জাহাঙ্গীরনগর।
১৬১০ সালে ইসলাম খাঁন কর্তৃক রাজমহল থেকে ঢাকায় মোঘল রাজধানী ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু। শাহবাগ এলাকার গোড়াপত্তন হয় মোঘল শাসনামলে। তখন ঢাকা ছিল সুবা বাণিজ্যের কেন্দ্র। শাহবাগের আদি নাম ছিল বাগ-ই-বাদশাহী। এর অর্থ বাংলা রাজার বাগান। এটি ছিল বাগানবাড়ি। এরপর মোগল আমলের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে এলাকাটিও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে নবাব আবদুল গনি আবারও এই এলাকার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনেন। সেটা ১৮৬৮ সালের কথা। তখন নবাব আবদুল গনি জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব দেন পুত্র খাজা আহসানউল্লাহকে। অন্যদিকে, আবদুল গনি অবসর কাটানোর জন্য একটি বাগানবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেন। ১৮৭০ সালের দিকে তিনি বর্তমান কলাভবন এলাকাটি কেনেন। পরে ১৮৭৬-৭৭ সালে এর উত্তরাংশও কেনা হয়। ১৮৭৩ সালে শাহবাগ বাগানবাড়ির নির্মাণকাজ শুরু হয়। মোগল নাম বাগ-ই-বাদশাহী নামের সঙ্গে মিলিয়ে এবার নামকরণ করা হয় ‘শাহবাগ’। এখানকার ‘ইশরাত মঞ্জিল’ নামে দ্বিতল ভবনটি ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ইশরাত মঞ্জিল পুননির্মাণ করে পরে হোটেল শাহবাগ করা হয়, যা ঢাকার প্রথম প্রধান আন্তর্জাতিক হোটেল। বর্তমানে এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা অধিগৃহীত। শাহবাগে সে সময় একটি চিড়িয়াখানাও নির্মিত হয়েছিল। উনিশ শতকের শেষ ভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগজুড়েই শাহবাগ ছিল ঢাকার উচ্চপর্যায়ের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উৎসভূমি। এখানে ব্রিটিশ শাসকদের সংবর্ধনা দেওয়া হতো। এরপর ১৯১৫ সালে নবাব সলিমুল্লাহর মৃত্যুর পর শাহবাগের জৌলুস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এই এলাকাকে ঘিরে জাতীয় ইতিহাসের অনেক রাজনৈতিক আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে। ১৯০৬ সালে এখানে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক মুসলমান শিক্ষা সমিতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বছরই নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সমিতির অধিবেশনে মুসলিম লিগের জন্ম হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে এই অষ্ণলে আন্দোলন প্রকম্পিত হয়েছিল। শাহবাগের কাছে রমনার ময়দান থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশেকে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। আর এখানেই পাকিস্তানি সেনবাহিনী বাংলাদেশ স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মসর্মপণ করে। তখন থেকেই এই এলাকা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায়ের পর এই শাহবাগেই শুরু হয় এক গণজাগরণ। ¯েøাগানে ¯েøাগানে মুখরিত মুখরিত হয় পুরো শাহবাগ এলাকা। আন্দোলনে অংশ নিতে আসা দেশের সব বয়সী জনগণের কন্ঠে একটাই দাবি, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই। প্রতিবাদের মিছিল শাহবাগেই থেমে থাকেনি, এর স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে দেশের সব জনগণের মধ্যে। ১৯০৪ সালের শাহবাগ ছিল হরিনের বাস এবং ফ্রিটজ কাপের তোলা ছবি। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি থেকে নতুন এই শাহবাগকে এখন অনেকে ডাকছে ‘প্রজন্ম চত্বর’ বলে। অন্য আলো প্রতিবেদক।
১৬২০ সালে মগ রাজাদের বন্ধী করা হয়েছিল। এরা আরাকানী, এদেরই নামানুসারে ঢাকার মগবাজারের নামকরণ করা হয়।
১৬২৮ সালে টাঙ্গাইল এলাকার বিবির মসজিদটি নির্মাণ করেন রাজা বলরামের কন্যা।
১৬৫৩ সালে ডাচরা কাশিমবাজারে ব্যবসা শুরু করে এবং কালক্রমে সারা বাংলায় বিস্তার লাভ করে।
১৬৫৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘরে ১(এক) গম্ভুজ মসজিদ তৈরী হয়। ঐতিহাসিকদের মতে ভাদুঘরের ১(এক) গম্ভুজ মসজিদটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রথম মসজিদ।
১৬৫৯ সালে শাহ সূজা যখন বাংলার সুবেদার ছিলেন, তিনি মাদারী বোরহানা তরিকার ফকীরদের একটি সনদ প্রদান করেন।
১৬৬০ সালে ব্যবসার প্রসারের জন্য ডাচ গভর্নর ম্যাথু ভ্যান ডেন ব্রæক বাংলা ও তৎসংলগ্ন এলাকার মানচিত্র তৈরি করেন। এটি এখনো এ এলাকার অন্যতম প্রচীন মানচিত্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
১৬৬০ সালে বাঙলার ভূমি ও নদনদীর নক্শা দ্বিতীয় বলে খ্যাত তৈরী করেন ফন্ ডেন ব্রোক-কৃত।
১৬৬০ সালে সুবেদার মীর জুমলা ঢাকা নগর রক্ষার জন্য এবং মগ ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের দমন করার জন্য মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর কেল্লা নির্মাণ করেন।
১৬৬১-৬৩ সালে মীর জুমলা বাংলার সুবেদার নিযুক্ত।
১৬৬৩ সালে শায়েস্তা খাঁ বাংলার সুবেদার নিযুক্ত।
১৬৬৪ সালে ফরাসী ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী গঠিত হয় এবং বাংলায় আসে ফরাসীরা ১৬৬৮ সালে।
১৬৬৫ সালের ২৭ জানুয়ারি, শায়েস্তা খানের পুত্র উমেদ খান কর্তৃক চট্টগ্রাম বিজয়। ২(দুই) হাজার মগসেনা বন্দী। চট্টগ্রাম বঙ্গদেশের চুড়ান্ত অন্তর্ভুক্তি।
১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৩১৯টি, ইউনিয়ন-১৯৭টি।
১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খান দখল করেন ‘‘চট্টগ্রাম’’। সায়েস্তা খানের আমলে এক টাকায় আট মন চাল পাওয়া যেত।
১৬৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার হাটখলা ৩(তিন) গম্ভুজ পুরাণ মসজিদ তৈরী করেন। ঐতিহাসিকদের মতে সরাইল উপজেলার হাটখলা ৩(তিন) গম্ভুজ পুরাণ মসজিদটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দ্বিতীয় মসজিদ।
১৬৭৮ সালে ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং মাঝে কাজ বন্ধ ছিল আবার ১৬৮০ সালে নির্মাণ কাজ শুরু।
১৬৮৬ সালে ইংরেজদের প্রথমবারের মত বাংলা আক্রমণ।
১৭০২ সালে শাহী (বড়) মসজিদটি বাদশাহ আওরঙ্গজেবের শাসনামলে স্থানীয় প্রশাসক আবদুল্লাহ কর্তৃক চাঁদপুর জেলার আলীপুরের শাহী আলমগীরি মসজিদ বা জুমা মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
১৭০৪ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, অবিভক্ত বাংলায় পুলিশী ব্যবস্থার প্রচলন হয়।
১৭০৭ সালে মুর্শিদকুলি খান কর্তৃক বাংলাকে স্বাধীন ঘোষণা।
১৭০৭-৮ সালের ১১২২ হিজরী ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চাঁদগাজী ভূঁঞা মসজিদটি ৩০০ বছরের পুরনো।
১৭২৭ সালে মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পর তাঁর জামাতা সুজাউদ্দিন খাঁন বাংলার নবাব মনোনীত।
১৭৪০ সালে সরফরাজ খাঁনকে হত্যা করে আলীবর্দী খান বঙ্গ বিহার ও উড়িষ্যার নবাবী লাভ করেন।
১৭৪৮-৬০ সাল পর্যন্ত বাংলা শমসের গাজী দেশের পূর্বাঞ্চলে ত্রিপুরার রৌশনাবাদ এলাকার স্বাধীন নরপতি ছিলেন।
১৭৫২ সালে আলীবর্দী খাঁন কর্তৃক বাংলার শাসনকার্য চালানোর জন্য সিরাজ-উদ-দৌলাকে উত্তরাধিকারী নিযুক্ত।
১৭৫৬ সালে সিরাজ-উদ-দৌলা ২৯ বছর বয়সে বাংলার মসনদে আরোহণ।
১৭৫৭ সালের ২০ ডিসেম্বর, রবার্ট ক্লাইভ বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হতো-মক্তব, মাদ্রাসা, টোল ও রাজদরবারকে কেন্দ্র করে। মধ্যযুগে মুসলমানদের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ‘‘মক্তব’’। আরবি, ফারসি ও ইসলাম ধর্মের উচ্চতর শিক্ষা হতো ‘‘মাদ্রাসায়’’। ‘‘মুঘল’’ আমলে বাংলা গজল ও সুফি সাহিত্য সৃষ্টি হয়। সরকারি কাজে ফারসি ভাষা চালু করেন ‘‘টোডরমল’’।
১৭৫৮ সালে নাটোর ঃ রাণী-ভবানী কর্তৃক নির্মিত সেতু-এখন কালের সাক্ষী-রাণী-ভবানী জনসাধারণের জন্য যাতায়াতের সুবিধার জন্য নাটোর হতে বগুড়া পর্যন্ত ৩০ মাইল রাস্তা নির্মাণের নির্দেশ দেন। আড়াইশত বছরের প্রাচীন সেতু-এখন কালের সাক্ষী হিসাবে আছে।
১৭৬০ সালে চট্টগ্রাম জেলা ইস্ট-ইন্ডিয়া কো¤পানীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
১৭৬২ সালে এ এলাকায় প্রথম সংঘটিত সুনামিতে অনেক দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যায়।
১৭৬৩ কারা বাকেরগঞ্জে কোম্পানির কুঠি লুট করে একদল ফকির।
১৭৬৩ সালে ফকিররা ঢাকায় কোম্পানির ফ্যাক্টরি আক্রমণ করে।
১৭৬৪ সালের ২২ অক্টোবর, বাংলা ও বিহারে নবাবী আমলের অবসান হয় এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শুরু হয়।
১৭৬৪-৭৬ সালে বাঙলার ভূমি ও নদনদীর নক্শা তৃতীয় বলে খ্যাত তৈরী করেন মেজর রেনেল-কৃত। (জাও দ্য ব্যারোস-কৃত-১৫৫০, ফন্ ডেন ব্রোক-কৃত-১৬৬০ ও মেজর রেনেল-কৃত-১৭৬৪-৭৬ সাল) এ ৩টি মানচিত্রই বাঙলার কিন্তু ভারতবর্ষের প্রথম মানচিত্র এ ৩টিই।
১৭৬৫ সালে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা প্রথম ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে আসে।
১৭৭২ সালে ঢাকা জেলার কার্যক্রম শুরু। গ্রাম-১৮৬৩টি, ইউনিয়ন-৭৭টি।
১৭৭২ সালে রাজশাহী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৮৫৮টি, ইউনিয়ন-৭০টি।
১৭৭২ সালের ৩০ জুন, রংপুরে ফকির বিপ্লব শুরু।
১৭৭৩ সালের পর থেকেই বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চলে বন্যার ব্যাপকতা বাড়তে থাকে।
১৭৭৫ সালে সিলেট জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৩৪৯৭টি, ইউনিয়ন-১০১টি।
১৭৭৭ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার কলারোপা-বান্দুরাতে পর্তুগীজরা একটি গির্জা তৈরী করে।
১৭৮১ সালে যশোর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৮১ সালে মধুপুর জঙ্গলে মজনু শাহ আধিপত্য স্থাপন করেন।
১৭৮২ সালে ঐতিহাসিক তথ্যমতে, পলাশী যুদ্ধের ২৫ বছরের মাথায় ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম শহীদ হাদি-মাহদির চিহ্নিত কবর সংরক্ষণের উদ্যোগ। সৈয়দ হাদি ও সৈয়দ মাহদি। সিলেটে ব্রিটিশবিরোধী প্রথম যুদ্ধে শহীদ হন দুই ভাই। নগরের শাহি ঈদগাহ এলাকায় হয়েছিল সেই যুদ্ধ। আর তারা সমাহিদ হয়েছিল পাশের নয়া সড়ক এলাকায়। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী দিনটি ছিল ১০ মহরম। ইতিহাস গবেষকদের মতে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম শহীদ হিসেবে স্বীকৃত হন সৈয়দ হাদি ও সৈয়দ মাহদি। ওই সময় রবার্ট লিন্ডসে ছিলেন সিলেটের রেসিডেন্ট বা ডিস্ট্রিক কালেক্টর। লিন্ডসের সুসজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন শহরের কুমারপাড়া-সংলগ্ন ঝরনার পারের ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ পরিবারের দুই ভাই সৈয়দ হাদি ও সৈয়দ মাহদি। লিন্ডসেকে আশুরা অনুষ্ঠানের সীমানায় প্রবেশে বাধা দেন তাঁরা। আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে খোলা তরবারি হাতে অসম এক যুদ্ধ বাধে। ইংরেজ বাহিনী ধরাশায়ী হওয়ার উপক্রম হলে একপর্যায়ে তাদের পাল্টা আক্রমণ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এটিই ছিল ভারতবর্ষের স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম যুদ্ধ।
১৭৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে মাটির নবাব নূরুলউদ্দিনের নেতৃত্বে রংপুর বিদ্রোহ প্রকাশ্য রূপ নেয়। যার নায়ক কৃষক নূরুলউদ্দিন।
১৭৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে “রংপুর বিদ্রোহ’’ জোতদার ও রায়তেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৭৮৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-২৭০৯টি, ইউনিয়ন-১৪৬টি।
১৭৮৭ সালে ফকির মজনু শাহ মৃত্যুবরণ করে।
১৭৮৮ সালে তৈরি হওয়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ১৭ একর জমিতে ছিল। এখন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে ১৯৪ একরের বেশি জমিতে তৈরি হয়েছে নতুন কারাগার। এর মধ্যে ৩০ একর জমিতে বন্দীদের জন্য ভরনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। ধারণ ক্ষমতা ৪০০০ হাজার পুরুষ ও ২০০ নারী। তবে ৮ হাজারেরও বেশি পুরুষ বন্দী থাকতে পারবে এবং ২০০ নারী। ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো।
১৭৮৯ সালের ৩ জুন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় লবণ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে।
১৭৯০ সালে ব্রিটিশ ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে ত্রিপুরা জেলা (হেড কোয়াটারের নাম-কুমিল্লা), নামে যে প্রশাসনিক ইউনিট সৃষ্টি করা হয় বৃহত্তর কুমিল­া ছিল তারই অংশ। ১৯৬০ সালে কুমিল্লার নামে কুমিল্লা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৩,৬৮৭টি, ইউনিয়ন-১৭৮টি। বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলার সীমানা নিয়ে এ অংশই কুমিল্লা জেলা নামে আত্মপ্রকাশ করে।
১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ, বাংলা ও বিহারে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন।
১৭৯৫ সালের ৩ মার্চ, মাত্র ৪৮৬ জন সৈন্য নিয়ে “রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন’’ পার্বত্য এলাকায় গোড়াপত্তন হয় বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর। সপ্তদশ শতকের শেষভাগে পার্বত্য এলাকা জুড়ে লুসাই বিদ্রোহ দেখা দিলে তাদের দমন করতে ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি এ বাহিনী গঠন করে। নাম পরিবর্তন করে “ফরেন্টিয়ার গার্ডস’’ ১৮৭৯ সালে। ১৮৯১ সালে সর্বপ্রথম ঢাকায় ঘাঁটি স্থাপন করে আবার-এর নামকরণ করা হয় “¯েপশাল রিজার্ভ’ বাহিনী। ১৯০৫ সালে বাংলা বিভক্ত হওয়ার সাথে সাথে এ বাহিনীর পুনঃরায় নামকরণ করা হয় “ঢাকা মিলিটারী পুলিশ বেটেলিয়ান’’। ১৮৯৭ সালে মিল ব্রাক ক্ষতিগ্রস্থ হ’লে কথিত গেরিশনটি পিলখানায় স্থানান্তরিত করা হয়। এটাই রাইফেলস বাহিনীর বর্তমান নিবাস। ১৯১২ সালে এ বাহিনীর নতুন নামকরণ হয় “বেঙ্গল মিলিটারী পুলিশ বেটালিয়ান’’। ১৯২০ সালে ‘ঢাকা মিলিটারী পুলিশ’। আবার ১৯২০ সালে নামকরণ করা হয় “বেঙ্গল বেটালিয়ন অব ইস্টার্ণ ফরেনটিয়ার রাইফেলস’’। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এ বাহিনীর নামকরণ করা হয় “ই. পি. আর’’ (ইস্টার্ণ পাকিস্তান রাইফেলস)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পুণরায় নামকরণ করা হয় ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ, এ বাহিনীর সর্বশেষ নামকরণ “বাংলাদেশ রাইফেলস’’ বা বিডিআর-এর উৎপত্তিস্থল রামগড়। ২১০-বছরে ‘রাইফেলস স্মৃতিস্তম্ভ’ স্থাপিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ৮(আট) হাজার সৈনিকের মধ্যে ৮১৭(আটশত সতের) জন সৈনিক শহীদ হন। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিল, ২০১০ পাস। এখন থেকে বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস)-এর নাম থাকবে না। মূলমন্ত্র ‘সীমান্তে নির্ভীক প্রহরা’। দাপ্তরিক কাজ ও সীমান্তে থাকা সদস্যদের জন্য আলাদা পোশাক।
১৭৯৭ সালে বরিশাল জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১১৭৫টি, ইউনিয়ন-৮৬টি।
১৮০০ সালে ফকিররা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে।
১৮০০ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম প্রোটেস্টান্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়, এর আগে পর্তুগীজ মিশনারীরা বাংলাদেশের নানাস্থানে গির্জা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৮১৬ সালে উপমহাদেশের প্রথম ভুমি জরিপ বিদ্যাপিঠ কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টেনমেন্ট-এর নিকট ময়নামতি সার্ভে স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৪ সালের দিকে স্কুলটি ময়নামতি থেকে সরিয়ে রামমালা প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠা হয়। এখন এটি একটি পুর্ণাঙ্গ জরিপ ইনস্টিটিউটে পরিনত হয়।
১৮২১ সালে নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৯৭৮টি, ইউনিয়ন-৮৩টি।
১৮২৭ সালে পাবনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৫৪০টি, ইউনিয়ন-৭২টি।
১৮২৯ সালে ‘ঢাকা বিভাগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৩৩ সালে ৩,০০০(তিন হাজার) সশস্ত্র পাগলপন্থী ও প্রজা শেরপুর শহর আক্রমণ করে।
১৮৪০ সাল পর্যন্ত পাহাড়টি ছিলো টি গার্ডেন। স্থানীয় জমিদার রায় নিতাইনন্দ বাহাদুরের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে লিজ নিয়ে এখানে গড়ে তোলা হয় ক্লাব ভবন। ১৮৭৮ সালের ২৩ আগষ্ট বৃটিশ টি প্ল্যান্টার ক্যাম্পবল চিটাগং ক্লাব লিঃ প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯০১ সালের ২৭ মার্চ চিটাগং ক্লাব রেজিস্টার্ড ক্লাব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯০৮ সালে এ ক্লাব কোম্পানী হিসেবে রেজিস্টার্ড হয়। ১৯৪৭-৪৮ সালে ক্লাবের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বৃটিশ সদস্য মিস্টার এইচ. কলেয়ার।
১৮৪০ সালে চট্টগ্রামেই সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চা-বাগান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন ঔপনিবেশিক শাসকেরা। ১৮৫৬ সালে সিলেটে তাঁরা আবিস্কার করেন চা-গাছ। ১৮৫৮ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় প্রথম-বাগান প্রতিষ্ঠা করেন ইংরেজ সাহেব হার্ডসন।
১৮৪২ সালের ২ নভেম্বর, মৌলভীবাজারের মাধবপুরেই প্রথম শুরু হয়েছিল রাসমেলা। জানা গেছে, জগৎপতি কৃঞ্চের ১২ ধরনের রস থেকেই এ রাস শব্দের উৎপত্তি। আর এ রাসের সঙ্গে মেলা যুক্ত হয়ে ‘রাসমেলা’। রাসমেলায় গোপিনী সাজের তরুণী ও গোষ্ঠলীলার সাজ।
১৮৪৭ সালে ১ম গণ-লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয় নওগাঁ জেলায় রাজা রামমোহনের নামে।
১৮৫০ সালে বগুড়া জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-২৭০৬টি, ইউনিয়ন-১০৯টি।
১৮৫১ সালে যশোর জেলা পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মুন্সীগঞ্জ মহকুমার সৃষ্টি হয়। ১৮৪৫ সালে মুন্সীগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠত হয়।
১৮৫৪ সালে মি. লয়েল বগুড়ার উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৫ সালে ডাবলু. ডাবলু. হানটার প্রকাশিত বেঙ্গল পরিসংখ্যান থেকে যশোর গণগন্থাগার সম্পর্কে মোটামোটি ধারণা পাওয়া যায়।
১৮৫৪ সালে বরিশালে পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৪ সালে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৪ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্থাপিত হয়েছিল ‘দরিদ্রবান্ধাব লাইব্রেরী’।
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন, (তারা সংগঠিত হতে থাকে এবং ১৮১১, ১৮২০ ও ১৮৩১ সালে সাঁওতালদের অভ্যুত্থান ঘটে। কিন্তু সবচেয়ে ভয়াবহ, সুসংগঠিত ও ব্যাপক বিদ্রোহটি সংঘটিত হয় ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন এবং তা দমন করতে সরকার কয়েক দফা সামরিক অভিযান পরিচালনা করে।) দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও জেলায় ঐতিহাসিক সাঁওতাল-কৃষক বিদ্রোহ হয় সিধ মারমা, কানু, চাঁদ এবং ভৈরবের নেতেৃত্বে আদিবাসী জনপদগুলিতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সৃষ্ট জমিদার, দালাল, মহাজন গোষ্ঠির অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন-মিথ্যা মামলার হয়রানীতে অতিষ্ট হয়ে কৃষকদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এ দিনে ১০ হাজার লোকের সমাবেশ বিদ্রোহ ঘোষণা করা হয় এবং আপোষহীনভাবে ২(দুই) বছর লড়াইয়ে ২৫ হাজার নেতাকর্মী অশাতরে জীবন দান করেছিল। বাংলাদেশে আজও শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।
১৮৫৫ সালের ৭ জুলাই, ব্রিটিশবিরোধী সাঁওতাল বিদ্রোহ ব্যাপকতা ও বিস্তার লাভ করে।
১৮৫৫ সালে দই ও মিষ্টিকে কেন্দ্র করে বগুড়ার শেরপুরে দুধের বাজার গড়ে উঠেছিল।
১৮৫৬ সালে সিলেটে প্রথম চা-গাছ আবিস্কৃত হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫৮টি চা-বাগান আছে এরমধ্যে সিলেটে ১৩৪টি, বাকী ৩৪টি চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাতে। ২০০৮ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, দেশে সর্বমোট ১৫৮টি চা বাগান আছে এরমধ্যে ১৩০টি সিলেটে।
১৮৫৭ সালের ১৮ নভেম্বর, হাবিলদার রজব আলীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে ৩৪-দেশীয় পদাতিক বাহিনীর বিদ্রোহ।
১৮৫৮ সালে চট্টগ্রামে সিপাহীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৮৫৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম নাটক ‘শমিষ্ঠা’ প্রথম অভিনত হয়।
১৮৫৯ সালে জমিদার তারাপ্রসাদ রায় মৃত্যুবরণ করলে তাঁর চিতাস্থলে প্রায় ১৫০ বছর আগে ১২০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট বিক্রমপুরের মাইজপাড়ার মঠটি তৈরি করা হয়।
১৮৬০ সালের আইন দিয়ে সমাজসেভার নামে ব্যবসা বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ। ১৫০ বছরের পুরোনো সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ যুগোপযোগী ও সংশোধন হয়ে নতুন আইন হবে সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাক্ট, ২০১০।
১৮৬০ সালে নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
১৮৬১ সালে উপমহাদেশে লর্ড ক্যানিং কর্তৃক পুলিশ ব্যবস্থা চালু হয়।
১৮৬১ সালের ব্রিটিশ শাসক কর্তৃক প্রণীত পুলিশ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত হচ্ছে।
১৮৬৩ সালে কুস্টিয়া জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৯৭৮টি, ইউনিয়ন-৬৬টি।
১৮৬৪ সালে বাকল্যান্ড বাঁধ দেয়া হয় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর।
১৮৬৫ সালে রাজশাহী কালেকটোরেট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাতে অনেক বড় সংগ্রহশালা ছিল।
১৮৭০ সালে তৎকালীন আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের বৃহত্তম কারখানাটি সৈয়দপুরে গড়ে ওঠে।
১৮৭১ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি থেকে ঢাকার নারিন্দাস্থ মশুরীখোলার শাহ সাহেব শাহ আহসান উল্লাহ (র.)’র ওরশ শরীফ শুরু হয়েছিল (১৬-০২-২০০৬ তারিখ ১৩৬তম ওরশ শরীফ)।
১৮৭১-৭২ সালে বঙ্গদেশে প্রথম লোকগণনা হয় এবং এই লোকগণনার ফলে দেখা যায় বঙ্গদেশের পাঁচটি বিভাগের মধ্যে রাজশাহি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে মুসলমানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বর্ধমান ও পেসিডেন্সি বিভাগে হিন্দুদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্তে¡ও বঙ্গদেশের অধিবাসীদের ৪৮% মুসলমান।
১৮৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি, বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল গঠিত হয়।
১৮৭২ সালে চট্টগ্রামে নির্মিত বেঙ্গল রেলওয়ের কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭২ সালে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতœতাত্তি¡ক স্থানগুলো জরিপ করা শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। সোনারগাঁয়েও চালানো হয় এ জরিপ। এ সময় সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন প্রতœতাত্তি¡ক স্থানের আলোকচিত্রও তোলা হয়। পরে এটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া কালেকশন ঃ ইন্ডিয়া অফিস সিরিজ নামে প্রকাশিত হয়। সোনারগাঁয়ের এ ছবিগুলো বেশির ভাগই তুলেছেন আলোকচিত্রী ডবিøউ ব্রেন্যান্ড।
১৮৭৪ সালে আসামকে বাংলা প্রেসিডেন্সি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
১৮৭৬ সালের ১ অক্টোবর, পাবনা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর, অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন অবশেষে বাতিল ও রহিতকরণ বিল জাতীয় সংসদের ৩১-০১-২০০১ তারিখের সভায় উত্থাপিত হ’লে উহা কন্ঠভোটে পাশ হয়। অর্থাৎ বাতিল করা হয়।
১৮৭৭ সালে রংপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৪৩১টি, ইউনিয়ন-৮৩টি।
১৮৮১ সালে বাংলাদেশে চালু হয় ভুমি হস্তান্তর ও রেজিষ্ট্রেশন প্রথা।
১৮৮১ সালের পূর্বে বঙ্গ-ভারত উপমহাদেশে কোন আইনই ছিল না-সংগঠিত শিল্প আইন।
১৮৮২ সালে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১১০৬টি, ইউনিয়ন-৬৮টি।
১৮৮২ সালে বরিশালে বানারিপাড়া পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে মৃণালিনী দেবীর বিয়ে হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুর বেণীমাধব রায়চৌধুরী দেশভাগের বহু আগে থেকে কলকাতায় বসবাস করতেন। তাঁর একমাত্র ছেলে নগেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী ওরফে ফেলুবাবু জমিদারি দেখার জন্য মাঝেমধ্যে দক্ষিণডিহিতে আসতেন। ফেলুবাবুর ছেলেরা কেউ দক্ষিণডিহি আবার কেউ কলকাতায় বসবাস করতেন। ১৯৪০ সালে এ পরিবারের সবাই কলকাতা চলে যান। এর আগে ফেলুবাবু ও তাঁর স্ত্রী বাড়িসহ আশপাশের ৭ দশমিক ৮ একর জমি বাদে সমুদয় সম্পত্তি দক্ষিণডিহির আরেক জমিদার বিজনকৃঞ্চ দাসকে বন্তোবস্ত দেন। ১৯৬৫ সালে বিজনকৃঞ্চ দাস দেশত্যাগ করেন। বাড়িটি বেদখল হয়ে যায়। প্রশাসন ১৯৯৫ সালে বাড়িটি উদ্ধার করে। খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি গ্রামে রবীন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি। রবীন্দ্র-মৃণালিনীর স্মৃতিধন্য ভবন। (২৭-০১-২০১৫ তারিখ)।
১৮৮৪ সালে গঠিত হয় বন বিভাগ। অতি সামান্য পরিবর্তন সংস্কার করে মূলত ব্রিটিশ শাসনামলে গৃহীত আইনকানুন দ্বারা পরিচালিত হয়।
১৮৮৫ সালে চট্টগ্রামে গণ-লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৫ সালে কুমিল্লা পাবলিক লাইব্রেরি এবং টাউন হল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথটি চালু হয়। এবং ২,৮৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রেলপথ আছে-২০১০ সালের সমীক্ষা। ২০-১১-২০১২ তারিখ পর্যন্ত ৪৮টি ট্রেন চলে বাংলাদেশে।
১৮৮৭ সালে নাটোর ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল, থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপ নেয়। ১৮৮৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল, ইনকিলাব ঃ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের ব্যস্থ পোতাশ্রয়ের একটি দৃশ্য-চট্টগ্রাম সমুদ্র গতিশীল হয়ে উঠছে। আজ ১১৭ বছর পূর্তিতে ব্যাপক উদ্দীপনা। খ্রিষ্টপূর্ব ৪ সালে চট্টগ্রামে নিরাপদ পোতাশ্রয়ের গোড়াপত্তন হলেও কালক্রমে বিশেষ করে ৯শ’ থেকে ১৫শ’ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দুনিয়াজোড়া পরিচিতি পায়।
১৮৮৯ সালে জমিদার রামরতন ব্যানার্জি ৫২ বিঘা জমির উপর শীতলক্ষ্যা পাড়ের শতকক্ষের মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ীটি নির্মাণ করেন। ১৮৯৯ সালে তার বড় ছেলে বিজয় চন্দ্র ব্যানার্জি বাড়ীটির পরিধি আরো বর্ধিত করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯০৯ সালে বিজয় চন্দ্র ব্যানার্জির ছোট ভাই জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জি জমিদারের দায়িত্ব পাবার পর বাড়ীর সীমানা আরো বৃদ্ধি করে ১০০ একরে পরিণত করেন। ১৯৪৭ সালে জমিদার জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জি সপরিবারে কলকাতা চলে গেলে তৎকালীন সরকারের দখলে চলে যায় বাড়ীটি। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন সরকার বাড়ীটিতে হাসপাতাল স্থাপন করে। ১৯৬৬ সালে এখানে হাই স্কুল ও কলেজ স্থাপিত হয়। এ দোতালা জমিদার বাড়ীটিতে রয়েছে ৯৫টি কক্ষ।
১৮৯০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার উজানচর বাজারটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯০ সালে পাবনায় অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরী স্থাপিত হয়।
১৮৯১ সালে নীলফামারি পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৯৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে রেলসংযোগ ঃ ১১৮ বছর পর মাত্র ১ শতাংশ পণ্য পরিবহন। বন্দরের হিসেবমতে, গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট চার কোটি ৩৩ লাখ টন পণ্য পরিবহন করা হয়। এর মাত্র এক শতাংশের সামান্য বেশি বা চার লাখ ৫৭ হাজার টন পরিবহন করা হয় রেলপথে।  সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমদ, সচিব-চট্টগ্রাম বন্দর।
১৮৯৭ সালের ১ মে, খুলনায় উমেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরীর যাত্রা শুরু হয়।
১৮৯৮ সালের ৪ এপ্রিল, বাংলা চলচ্চিত্রের জনক হীরালাল সেন প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।
১৮৯৮ সালের পোষ্ট অফিস এ্যাক্ট অনুসারে এতদাঞ্চলে ডাক বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশে ৯,৫৪২টি পোষ্ট অফিস আছে, ১৫-১০-২০০০ তারিখের হিসেব মতে-এর কর্মচারির সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
১৮৯৮ সালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন মাওলানা আবদুস সোবহান। মাওলানা আবদুস সোবহানের নামে এলাকার নাম রাখা হয় ‘সোবহানবাগ’। জমি কিনে বাগানবাড়ি তৈরি করেন। কুমারটুলির বাসা থেকে গাড়িতে করে সোবহানবাগের বাগানবাড়িতে আসতেন তিনি। মাওলানা আবদুস সোবহান আদিল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের দাদা। ১৯৪০ সালে আবদুস সোবহান মারা যান।
১৯০০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার বালুয়াকান্দি বাজার(রূপসদী) প্রতিষ্ঠিত।
১৯০০ সালে ঢাকা বার লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০০ সালে ফজলুল হক কলকাতা হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে নথিভূক্ত হলেন।
১৯০১ সালে জগদিন্দ্রনাথ রায় প্রতিষ্ঠা করেন নাটোরের কাপুড়িয়াপট্টিতে ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরী।
১৯০১ সালে কুড়িগ্রাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০১ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ছিল-২ কোটি ৮৯ লাখ।
১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর, বৃটিশ এক নাগরিক মি. বল্টন ঢাকার নবাববাড়ি আহসান মঞ্জিলে জেনারেটর দ্বারা প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। ১৯৩০-এর দশকে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা ব্যক্তি মালিকানায় নিয়ে আসা হয় একটি স্টিল কোম্পানী (উঊঠঈঙ)’র মাধ্যমে ও বাণিঝ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য ১৯৩৭ সালে ধানমন্ডি পাওয়ার হাউজটি প্রথম স্থাপন করা হয়।
১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানে ২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। ১৯৫৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বিদ্যুৎ বিভাগকে সরকারের আওতায় নিয়ে আসে। পূর্ব-পাকিস্তানের পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ঊচডঅচউঅ স্থাপন করা হয় ১৯৫৯ সালে এবং ১৯৭২ সালে এটি পরিবর্তিত হয়ে পিডিবি নাম ধারণ করে। ১৯৫৯ সালে ওয়াপদা গঠিত হয় এবং ১৯৬০ সালে  পূর্ব পাকিস্তানে ৮৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল। ১৯৬৫ সালে ২০১ মেগাওয়াট; ১৯৭১ সালে ৭০০ মেগাওয়াট; ১৯৯৭ সালে আমাদের চাহিদার পরিমাণ ৩,০০০ মেগাওয়াট হওয়ার কারণে উৎপাদন হওয়ার কথা ২৯০০-৩০০০ মেগাওয়াট। সেক্ষেত্রে উৎপাদন হয়েেেছ মাত্র ১৬০০-২০০০ মেগাওয়াট। ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল-পল­ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড(আরবি) এযাবৎ মোট ৩২ লক্ষ ১২ হাজার ১শত ২৮টি বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেছে। যার মধ্যে বর্তমান সরকারের সময় ১৮ লক্ষ ১৩ হাজার ২শত ২টি বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। গত ৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ১০ হাজার ৫শত ২৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল, বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের পরিমাণ ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৬৪ কিলোমিটার এবং গ্রাহক সংখ্যা ৫২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৭৯টি অর্থাৎ বর্তমান সরকারের আমলে ৪৫ হাজার ৪৮৯ কিলোমিটার বিতরণ লাইন এবং ২১ লক্ষ ৬১ হাজার ৩২০টি গ্রাহক সংযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১০-১০-২০০১ সাল থেকে ১৮-০৬-২০০৫ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ গ্রাহক বেড়েছে ২৪ লাখ। গত তিন বছরে আগের গ্রাহকসংখ্যার প্রায় ৪৪ শতাংশ। ২০০১ সালের ২২ এপ্রিল, ইত্তেফাকের রিপোর্ট ঃ হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্ধোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-আগামী ২০২০ সাল নাগাদ সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। প্রকৃতপক্ষে আদৌ তা সফল হবে বলে আমার মনে হয় না, কারণ ২০০০ সালের মধ্যে সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান নিশ্চিত হওয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা-৭১(একাত্তর) লক্ষ। এরমধ্যে শহরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায়-২৪(চব্বিশ) লক্ষ এবং গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা-৪৭(সাতচল্লিশ) লক্ষ। দেশের শতকরা ৩২ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় রয়েছেন। ২০০৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ কর্মশালায় পিডিবির চেয়ারম্যান বলেন-আগামী ২০২০ সাল নাগাদ সবার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হলে ঐ সময় ১৪(চৌদ্দ) হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট(৭-টিসিএফ) গ্যাস সরবরাহ করতে হবে এবং দরকার ৭০(সত্তর) হাজার কোটি টাকার। ২০০৪ সালের ২৯ জানুয়ারি, ফেঞ্চুগঞ্জ দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণে ৫বার দরপত্র আহবান ও ঘাপলা ঃ ২০২০-এর মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ সুদূরপরাহত। কারণ স্বাধীনতার ৩২ বছরে মাত্র ৩০০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এ থেকেই বোঝা যায় যে, আমাদের গতি কত ধীর। ২০২০ সালে আমাদের চাহিদা হবে ১৭,৫০০ মেগাওয়াট, এ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আমাদের সময় লাগবে কমপক্ষে ১০০ বছর। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল, পর্যন্ত সারাদেশে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা ৬০ লাখ ২১ হাজার ৭৯৯ জন। আলহাজ সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ মন্ত্রী সংসদকে জানান।(২০০৫ সালের ২৬ জুন-এর সংসদ খবর)। ২০০৫ সালের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানানো হয়, ২০০১ সালের জুন পর্যন্ত দেশের বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ ৩০ হাজার। ২০০৪ সালের জুন মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৯ লাখ ৬০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৫ সালে চাহিদার পরিমাণ ৫,৫০০ মেগাওয়াট কিন্তু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫,০০০ মেগাওয়াট থাকা সত্বেও প্রকৃত উৎপাদন হচেছ মাত্র ৩,৭০০ মেগাওয়াট। কোন সরকারই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত করতে পারেনি। কারণ জনগনের কথা ভাবেনি। সব সরকারই লুটপাটে ব্যস্ত থাকে। ২০০৬ সালের ১১ এপ্রিল, বিশেষ সংবাদদাতা ঃ সাড়ে ৪ বছরে ৬০ শতাংশ গ্রাহক বাড়লেও উৎপাদন মাত্র ২৪ শতাংশ। সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ। ২০০১ সালে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ৩৩ মেগাওয়াট। আর গত সাড়ে ৪ বছরে নতুন বিদ্যুৎ যোগ হয়েছে ৯১৫ মেগাওয়াট। এখন সর্বোচ্চ উৎপাদন ৩ হাজার ৭৫১ মেগাওয়াট। বৃদ্ধির হার ২৪ শতাংশ। ২০০১ সালে মোট বিদ্যুৎ গ্রাহক ছিল-৫৫ লাখ ৩ হাজার। ২০০৬ সালে মোট বিদ্যুৎ গ্রাহক হল-৮৮ লাখ ৬৭ হাজার। গ্রাহক বৃদ্ধির হার ৬০ শতাংশ। এ সময়ে ৬৮ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন স¤প্রসারণ হয়েছে। ১১ হাজার ৮২৫টি নতুন গ্রাম বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় এসেছে। আগামী আগষ্ট-সেপ্টেম্বরে বার্জ মাউন্টেড উৎপাদন ইউনিটের মাধ্যমে ৩০০ থেকে ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। শতকরা ২৯.৪৯ ভাগ পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা পায়। ১৯৯৬ সালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল-৯৫ কিলোওয়াট ঘন্টা, আর ১৯৯৬ সালে সঞ্চালন লাইন ছিল-৩৪২৬-কিলোমিটার এবং বিতরণ লাইন ছিল-১ লাখ ২১ হাজার ৮১৭-কিলোমিটার। ২০০১ সালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল-১২৯-কিলোওয়াট ঘন্টা, ২০০১ সালে সঞ্চালন লাইন ছিল ৩৭৩৮ কিলোমিটার এবং বিতরণ লাইন ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৯ কিলোমিটার। ২০০৬ সালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল-১৫৮-কিলোওয়াট ঘন্টা, আর ১৮-০৪-২০০৬ সালে সঞ্চালন লাইন ছিল ৪৩৮০ কিলোমিটার  এবং বিতরণ লাইন ছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ৮৩২ কিলোমিটার। ১৯৯৬ সালে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৯০ হাজার ৮২৯ জন। ২০০১ সালে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক সংখ্যা ছিল-৫ লাখ ৩০ হাজার। ১৮-০৪-২০০৬ সালে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক সংখ্যা ছিল-৮৮ লাখ ৬৭ হাজার। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ঃ ২০০১ সাল থেকে ০১-০৪-২০০৫ সাল পর্যন্ত ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎখাত এখন পুরাপুরি বিপর্যস্ত। এখন জনগনের প্রতি ৫ জনে ১ জন বিদ্যুৎ পায়, তা-ও অনিয়মিতভাবে। তথ্য-বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫,২০০ মেগাওয়াট, উৎপাদন হয় ৩,০০০ মেগাওয়াট, পিক ডিমান্ড ৪,০০০ মেগাওয়াট, ঘাটতি ১,০০০ মেগাওয়াট। ২০২০ সালে সর্বনিম্ন চাহিদা হবে ১৫,০০০ মেগাওয়াট। সাধারণ ভোক্তা-৪৩%, শিল্প-৪২%, কৃষি-৬%, বাণিজ্যিক-৯%। বাংলাদেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ-১২০ কিলোওয়াট(২০০৭), ভারতে-৩৫০ কিলোওয়াট, মালয়েশিয়ায়-২,৪০০ কিলোওয়াট। ‘‘সবাইকে’’ বিদ্যুৎ দেয়া হবে-২০২০ সালে (সরকারী সিদ্ধান্ত)। বাংলাদেশে বিদ্যুতায়িত গ্রামের সংখ্যা-৩৬%, ভারতে-৮৬% ও    পাকিস্তানে-৫৫%। সূত্র ঃ ইউএন এসকাপ, সিপিডি, আরইবি। ২৬-১১-২০০৯ তারিখ পল্লী বিদ্যুতের দাম ১০ শতাংশ বাড়ছে। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) আওতাধীন ৭০টি সমিতির মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪৮ হাজার গ্রামে বিভিন্ন শ্রেণীর ৭৮ লাখ ৪১ হাজার ৬৫০ জন গ্রাহকের মধ্যে সরবরাহ করা হয়। মোট বিদ্যুতায়িত লাইন দুই লাখ ১৯ হাজার ৫৪১ কিলোমিটার। গ্রাহকদের মধ্যে গৃহস্থালি পর্যায়ের গ্রাহকই হচ্ছে ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০ জন। বাণিজ্যিক গ্রাহক ৭ লাখ ৮২ হাজার ৪৮ জন। শিল্প এক লাখ ২৮ হাজার ২৫৫ জন। সেচ গ্রাহক এ বছর হবে দুই লাখ ৪৬ হাজার। এ ছাড়া রয়েছে ১৪ হাজারের মতো  রাস্তার বাতির সংযোগ ও গ্রাহক। বিদ্যুৎ উৎপাদন (০৫-০১-২০০৯) ৩,৮৬০ মেগাওয়াট।
২০১০ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ। ০৮-০৯-২০১০ তারিখে চট্টগ্রামে একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ২০১৫ সালে সারা দেশে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ০২-০১-২০১১ তারিখ বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এ বছর ২৩৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে। ২০১১ সালের ৪ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড চাহিদা সম্পর্কে বিভ্রান্তি। চাহিদা ও উৎপাদন সম্পর্কে যে তথ্য সরবরাহ করে, তা বিভ্রান্তিকর। গত ১৮-০৭-২০১১ তারিখ সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল চার হাজার ৯৩৬ মেগাওয়াট। এর আগে ১২-০৬-২০১১ তারিখ রেকর্ড ছিল চার হাজার ৮৯০ মেগাওয়াট। গত মঙ্গলবার (০২-০৮-২০১১ তারিখ) দিবাগত রাত চারটায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে পাঁচ হাজার ২৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ এমন একটি শক্তি, যা চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন করা যায় না। চাহিদার চেয়ে কম উৎপাদিত হলে লোডশেডিং করা হয়। কিন্তু চাহিদার বেশি উৎপাদন করে সেটা কোথাও রাখা যায় না। বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা সাত হাজার ৫০ মেগাওয়াট আর উৎপাদন করা যায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি থাকে দুই হাজার মেগাওয়াট।
১৯৮৫ সালের ২২ আগষ্ট, বাংলাদেশে  ৬% লোক বিদ্যুৎ সুবিধা পায়।
১৯৯১ সালের ২ আগষ্ট, খনিজ ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর ভাষ্য-বাংলাদেশে ১০(দশ) হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল এবং ২০০২ সালের হিসেবে ২০(বিশ) হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ আছে।
২০০০ সালের ২৬ জানুয়ারি-নীতিমালা নির্ধারণ ঃ ২০২০ সালে সবার জন্য বিদ্যুৎ। এ কথার অর্থ ফাঁকীবাজি কথা বলা। যেমন বলা হয়েছিল যে, ২০০০ সালের মধ্যে সবার জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান,  চিকিৎসা ও শিক্ষা। বাস্তবে কি তা‘হয়েছে। না হয়নি। এখনও শ্রমজীবী মানুষকে আশার বাণী শোনায় এবং ২০২০ সালে সবার জন্য বিদ্যুৎও হবে না।
২০০০ সালের জুন-৩(তিন) কোটি পরিবারের মধ্যে দেশে ৫২-লক্ষ পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।
২০০০ সালের ২ অক্টোবর-বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষকে বিদ্যুৎবিহীন রেখে দারিদ্র বিমোচন সম্ভব নহে।
২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঃ দেশে শতকরা ১৭ ভাগ লোক বিদ্যুৎ সুবিধা পায়। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২৪ জেলায় গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জোট সরকারের আমলে মোট বরাদ্দ ছিল-১৪,০৪৬.১৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে ব্যয় হয়েছে-১৩,৫১২.৩৪ কোটি টাকা। সরকারিভাবে এ সময়ে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও-বেসরকারিভাবে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি।
৩০-১০-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ সারাদেশকে বিদ্যুতের নেটওয়ার্কে আনতে ১৫(পনের) হাজার কোটি টাকার মহাপরিকল্পনা ঘোষণা-এ পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সাল নাগাদ দেশের সকল পল্লী এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে প্রায় ২,১০,০০০(দুই লক্ষ দশ হাজার) কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ এবং ৫৪০টি বিদ্যুৎ বিতরণ উপকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৩১-০৩-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে প্রায় ৪০(চল্লিশ) হাজার গ্রামে। এ পরিসংখ্যান ঠিক নয়।
২০০৩ সালের ২৭ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ দুটি বেসরকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রির প্রস্তাব করেছে সরকার। দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা ছিল ৮১০ মেগাওয়াট।
২০০৪ সালের ২৭ জুলাই, বাসসঃ দেশে প্রতিবছর গড়ে ৮ ভাগ হারে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ছে।
২০০৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, এম. আবদুল্লাহ ঃ লোডশেডিং-এর অন্ধকারে ঢেকে যাবে সরকারের সব সাফল্য। ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ ঘাটতি ১(এক) হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। প্রতি বছর বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ৮ থেকে ১০ শতাংশ বা ৩০০(তিনশত) মেগাওয়াট হারে বৃদ্ধি পেলেও উৎপাদন সে হারে বাড়ছে না।
২০০৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকায়-সংসদ রিপোর্টার ঃ ঢাকায় নতুন বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে ডেসার শতকরা ৪০ ভাগ গ্রাহককে বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হয়। শতকরা ৬০ ভাগ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীদের হাতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। ডেসার গ্রাহক সেবার মান খুবই নিম্নমানের। শতকরা ৭৪ ভাগ মিটার রিডার কোনরকমে মিটার রিডিং ছাড়াই বিল প্রস্তুত করেন। তাদের এ আন্দাজে বিল তৈরীর কারণেও গ্রাহকরা দুর্ভোগের শিকার হন। ১৩-১২-২০০৪ জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব কমিটির বৈঠকে ডেসার দক্ষতা নিরুপন সংক্রান্ত অডিট অধিদপ্তরের পেশকৃত রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
২০০৫ সালের ৫ মে, ইনকিলাব পত্রিকার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিদ্যুতের অভাবে দেশে শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি। ডিসিসিআই’র গোলটেবিল বৈঠকে অভিমত।
২০০৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর, আমেরিকান সেন্টার ঃ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাড়ে ৩-কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছে।
২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বেসরকারী খাতে ৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। জানা গেছে, ভবিষ্যতে ৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সরকারের কাছ থেকে কোন অনুমতি নিতে হবে না।
২০০৫ সালের ৬ মে, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ দেশে বিদ্যুৎ, সার ও গ্যাস এ তিন প্রকল্পে মোট-১৪৭.৫০(একশত সাতচল্লিশ কোটি পঁঞ্চাশ লাখ) মার্কিন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্যে গতকাল(০৫-০৫-২০০৫) সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। এরমধ্যে ১৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ করবে মার্কিন কোম্পানী। সমঝোতা স্মারক সই। নিউইয়র্কের বিখ্যাত বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গেøাবাল ভলকান এনার্জি ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি (জিভিইএল), এরজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ৯০ কোটি ডলার।
২০০৫ সালের ৫ অক্টোবর, ইনকিলাব-এম আবদুল্লাহ ঃ আমলাচক্র ডুবিয়েছে বিদ্যুৎ খাত-সরকারকে ডোবাচ্ছে লোডশেডিং।
২০০৫ সালের ২৫ অক্টোবর, ইনকিলাব-বিশেষ সংবাদদাতা ঃ যুদ্ধকালে ব্যবহৃত ব্যয়বহুল ট্রেইলর মাউন্টেন্ড বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভাড়া করা হচ্ছে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় গৃহীত ‘ক্রেডিবল প্রোগ্রামে’ সহায়তা প্রস্তুত ঃ বিশ্বব্যাংক।
২০০৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ শুরুতেই বিদ্যুৎ ঘাটতি ৯শ’ মেগাওয়াট ভরা মৌসুমে ২ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে কৃষির সঙ্গে শিল্প ও জনজীবনের বিরূপ প্রভাব।
২০০৬ সালের ৩ জুলাই, সংসদ রিপোর্টার ঃ জোট সরকারের আমলে ১২৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে-সংসদে প্রতিমন্ত্রী। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার ৩,৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে।
২০০৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, এম. আবদুল্লাহ ঃ ২ হাজার ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতিতে বিপর্যস্ত সারাদেশ। এমন সংকট দেখেনি কেউ ঃ জীবনযাত্রা অর্থনীতি উৎপাদন যানবাহন অচল।
২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর, সাজ্জাদ আলম খান ঃ গত ৫ বছরে বিদ্যুৎ খাত-এ মোট বরাদ্দ ২৬,৬৬৬ কোটি টাকা ঃ উৎপাদনে-৮,৭৪৯ কোটি টাকা। সঞ্চালন খাতে বিশাল বরাদ্দের পেছনে মহল বিশেষের স্বার্থ ছিল।
ক্রমিক নং অর্থবছর অনুমোদিত প্রকল্প প্রাক্কলিত ব্যয় (কোটি টাকায়)
১. ২০০২-২০০৩ ০৯ ৩,৭৩৮
২. ২০০৩-২০০৪ ১৬ ৬,৯৬৩
৩. ২০০৪-২০০৫ ১২ ৫,৭০৭
৪. ২০০৫-২০০৬ ১৩ ৫,১৯৭
৫. ২০০৬-২০০৭ ১১ ৫,০৬১
মোট৬১২৬,৬৬৬ কোটি টাকা
২০০৬ সালের ৫ নভেম্বর, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠিই ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের হাতে-জোট সরকারের দুর্নীতি বিদ্যুৎ খাতের বিনিয়োগ গ্রাস করেছে। গত ৫ বছরে ২৭ হাজার কোটি টাকা।
২০০৭ সালের ৫ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ জ্বালানি উপদেষ্টাকে বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দ-বিদ্যুৎ খাতের লুটপাট করা ২০ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করুন।
২০০৭ সালের ২১ অক্টোবর, বিদ্যুৎ সচিব ড. এম. ফাওজুল কবির খান বলেছেন আগামী ২০১০ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে-প্রথম আলো বিশেষ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান।
২০০৭ সালের ২০ নভেম্বর, দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ খাতে ১০ বছরে ২৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি-টিআইবির তথ্যানুসন্ধানী গবেষণা প্রকাশ।
২০০৮ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ঃ চট্টগ্রাম বাণিজ্য মেলায় প্রদর্শন-জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদক ডায়নামো। আর উদ্ভাবক ঝিনাইদহের গিয়াসউদ্দিন কচি। গিয়াসউদ্দিন জানান, চট্টগ্রামে সাইনবোর্ড ও ব্যানার লিখেই তাঁর সংসার চলে। তবে প্রযুক্তির প্রতি তাঁর আকর্ষণ অনেক বেশি। তিনি অবসর সময়ে কাজ করে ১৮ বছরের চেষ্টায় এটি উদ্ভাবন করেন।
বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৭ সালে যা হওয়ার কথা এবং ২০০৮ সালের বাস্তবতা ঃ
খাত ২০০৭ ২০০৮
স্থাপিত উৎপাদনক্ষমতা(মেগাওয়াট) ৬,৭১৬ ৫,২৯৬
সর্বোচ্চ চাহিদা(মেগাওয়াট) ৫,৩৬৪ ৫,৮০০(প্রায়)
মাথাপিছু উৎপাদন(কিলোওয়াট/ঘন্টা) ১৯০ ১৬০
বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় জনসংখ্যা ৪৭% ৪০%
সঞ্চলন লাইন(কিলোমিটার) ৫,৯৬৬ ৪,০৪৪
বিতরণ লাইন(কিলোওয়াট) ২,৬৬,৯৬২ ২,৬০,০০০(প্রায়)
২০০৮ সালের ২৩ আগষ্ট, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি চিহ্নিত হয়নি। বিগত জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত বড় কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা চিহ্নিত করা যায়নি।
২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৬ শতাংশ বাড়ল, ০১-১০-২০০৮ থেকে কার্যকর। সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে আপাতত বাড়ছে না। আমার কথা হল পাইকারি দাম বাড়ার সাথে জনগণের সম্পর্ক আছে কারণ জিনিষপত্রের দাম বাড়বে।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম আলোঃ তারিখ বিদ্যুৎ উৎপাদন-৩,৮৬০ মেগাওয়াট, মোজাহু-০৬-০১-২০০৯। ১০-০৭-২০০৯ তারিখ রাত নয়টায় ৪,১৮২ মেগাওয়াট। ১৮-০৯-২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ৪,২৯৬ মেগাওয়াট। ১৪-০৪-২০১০ তারিখ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল ৪,৬০৬ মেগাওয়াট। চাহিদা ধরা হয় ৫,৩০০ মেগাওয়াট।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫২০০ মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষমতা ছিল ৩৬০০ মেগাওয়াট।
এই প্রেক্ষাপটে লোডশেডিংমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে বলা হয়েছিল, ২০১১ সালের শেষেই লোডশেডিংমুক্ত হবে। এরপর বলা হয় ২০১২ সালের কথা। এখন তা-ও সম্ভব হচ্ছে না। কবে নাগাদ ওই স্বপ্নপূরণ সম্ভব হতে পারে, জানতে চাইলে বিদ্যুৎসচিব বলেন, ২০১৩ সাল লাগবে। আমি বলব ২০১৪ সালেও লোডশেডিংমুক্ত করবেনা।
২০০৯ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর দেশের ৪৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎসুবিধার মধ্যে রয়েছে ঃ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
২০০৯ সালের ৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ দুর্বিপাকে বিদ্যুৎ খাত। ঘাটতি হবে দুই হাজার মেগাওয়াট, দৈনিক লোডশেডিং ছয়বার।
২০০৯ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ লোডশেডিংয়ের সময়সূচিও ভেঙে পড়েছে। ঢাকায় লোডশেডিংয়ের সব নির্ধারিত সময়সূচী এবং ঢাকার বাইরে অনির্ধারিত নিয়মকানুন সব ভেঙে পড়েছে। ঢাকায় যে এলাকায় পাঁচবার লোডশেডিংয়ের সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে, সেখানে হচ্ছে আট থেকে দশবার। প্রতিদিন সর্বোচ্চ চাহিদার সময় তো বটেই, মধ্যরাত, শেষরাত, এমনকি ভোরেও লোডশেডিং থেকে রেহাই পাচ্ছে না গ্রাহকেরা। ঢাকার বাহিরে লোডশেডিংয়ের নির্ধারিত সময়সূচি তৈরি করা হয়নি। তাই যেকোনো সময়, যতবার ইচ্ছা বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরে, প্রায় সব জেলা-উপজেলা সদর ও গ্রামাঞ্চলে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং জনজীবন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদন কার্যক্রম বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
২০০৯ সালের ৬ মে, আমাদের সময় ঃ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত-আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিদ্যুতের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল-৮,১৫২.২৫ কোটি টাকা এরমধ্যে ব্যয় হয়েছে-৮,০৬৮.৫৩ কোটি টাকা। এ সময় সরকারিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে-৮৪০ মেগাওয়াট এবং বেসরকারিভাবে ১২৯০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ আগামী সাড়ে চার বছরের মধ্যে (২০১৪ সাল) ৪৩০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত।
২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ সারা দেশে বিনামূল্যে দুই কোটি ৬৫ লাখ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব দেয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের ২৬৫ কোটি টাকা অনুদানসহ প্রায় ২৯৬ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৩৫০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদুৎ সাশ্রয় হবে বলে সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে। একটি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা দরকার হয় এবং এর জন্য সময়ও লাগে কয়েক বছর।
২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর, আমাদের সময় ঃ ২০১১ সালের মধ্যে লোডশেডিং মুক্ত দেশ উপহার দেয়া সম্ভব। আর ২০১৪ সালেই দেশকে বিদ্যুতে উদ্বৃত্ত করার পরিকল্পনা পিডিপির। আমার বক্তব্য হলো এ কথার অর্থও ফাঁকা হবে।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদীয় কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের তথ্য। নতুন ৩৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে এক বছরে।
২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি, জনকণ্ঠ পত্রিকা ঃ ৬ জানুয়ারি ক্ষমতাগ্রহণের সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩,৮৬০ মেগাওয়াট। গত ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সাল নাগাদ তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪,২৯৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ২০১০ সালে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৫,৫০০ মেগাওয়াট উল্লেখ করেন।
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্ভোধন করেন এবং দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ খাত পছিয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে, আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আমি বলি তাঁর সরকার এ সময়ের মধ্যে ৩২০০(তিন হাজার দুইশত) মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে না।
২০১০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ খুলনায়  বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আসবে ২০১২ সালে। যৌথভাবে একটি পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র সংস্কার করা হবে।
২০১০ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকসই। দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো স্থানে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা যাবে। ২,৬০০ মেগাওয়াট করবে।
২০১০ সালের ২৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ গভীর খাদে বিদ্যুৎ খাত। প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে চাহিদা বাড়ছে। পুরোনো কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কমছে।
২০১০ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ। সার কারখানার জন্য বরাদ্ধ গ্যাস ব্যবহার করা হতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
২০১০ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-সংকট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাংলাদেশের এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বাধা গ্যাস ও বিদ্যুৎ।
২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ চাঁদপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ আগামী ১০ বছরে মানে ২০২০ সালের মধ্যে দেশে ২০ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য পুননির্ধারণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্য সরকার পূরণ করবে না।
২০১০ সালের ১১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ নিয়ে কী হচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে সারা দেশে এক বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
২০১০ সালের ১১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ এফবিসিসিআইয়ের নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাতারাতি গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। এ সরকারও বিদ্যুৎ-গ্যাস সমস্যার সমাধান করবে না।
২০১০ সালের ১২ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবরোধ হরতাল। অনেক আবেদন নিবেদনের পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় অতিষ্ঠ মানুষ বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
২০১০ সালের ১৩ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা।
২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রামে একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ২০১৫ সালে সারা দেশে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে না।
২০১০ সালের ৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ কুমিল্লায় তিতাস উপজেলার শোলাকান্দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-৫০ মেগাওয়াট দাউদকান্দি পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং বিদ্যুতের খাম্বা বসিয়ে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে তাদের মুখে সমালোচনা মানায় না।
২০১১ সালের ৪ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড চাহিদা সম্পর্কে বিভ্রান্তি। চাহিদা ও উৎপাদন সম্পর্কে যে তথ্য সরবরাহ করে, তা বিভ্রান্তিকর। গত ১৮-০৭-২০১১ তারিখ সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল চার হাজার ৯৩৬ মেগাওয়াট। এর আগে ১২-০৬-২০১১ তারিখ রেকর্ড ছিল চার হাজার ৮৯০ মেগাওয়াট। গত মঙ্গলবার (০২-০৮-২০১১ তারিখ) দিবাগত রাত চারটায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে পাঁচ হাজার ২৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ এমন একটি শক্তি, যা চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন করা যায় না। চাহিদার চেয়ে কম উৎপাদিত হলে লোডশেডিং করা হয়। কিন্তু চাহিদার বেশি উৎপাদন করে সেটা কোথাও রাখা যায় না। বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা সাত হাজার ৫০ মেগাওয়াট আর উৎপাদন করা যায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি থাকে দুই হাজার মেগাওয়াট।
২০১১ সালের ৬ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আজ পর্যন্ত ৪৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৪৩টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। চুক্তিগুলোর মাধ্যমে মোট প্রায় সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এরই মধ্যে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে এসেছে।
২০১১ সালের ১ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশে বিদ্যুত কেন্দ্র ৭০টি, যান্ত্রিক ত্রুটিতে কম উৎপাদন ছাব্বিশটিতে আবার কোন কোনটি একেবারেই বন্ধ।। দৈনিক উৎপাদন কম ২৭শ মেগাওয়াট।। সরকার উদ্বিগ্ন।
২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০১১ সালের মধ্যেই ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা-তৌফিক ই ইলাহী।
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বড় কেন্দ্র চালু হচ্ছে না। তিন বছরে বিদ্যুৎ খাত। প্রথম বছরে পরিকল্পনা। বিদ্যুৎ-সংকট নিরসন সরকারের অগ্রাধিকার হলেও পরিকল্পনা করতেই প্রথম বছর কেটে গেছে। দ্বিতীয় বছরে চুক্তি। ৪৮টি কেন্দ্রের জন্য ৪৬টি চুক্তি। কিছু উৎপাদন বৃদ্ধি। তৃতীয় বছরে উৎপাদন-উৎপাদন বাড়লেও বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতি কমেনি। ২০০৯ সাল-সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল-৫২০০ মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ৩৬০০ মেগাওয়াট, ঘাটতি ছিল ১৬০০ মেগাওয়াট। ২০১১ সাল সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৭৫০০ মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ৫৩০০ মেগাওয়াট, ঘাটতি ছিল ১৭০০ মেগাওয়াট। বড় কেন্দ্রগুলোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার প্রয়োজনীয় দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সিপিডির বিশেষ ফেলো।
২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি, দৈনিক সমকাল ঃ সাড়ে ৪৭ হাজার কি. মি. বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করবে সরকার এবং ১৮ লাখ গ্রাহককে সংযোগ দিতে-(৩১-০১-২০১২ তারিখ) একনেকে উঠছে প্রকল্প প্রস্তাব।
২০১২ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা  সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে।
২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও সন্তোষজনক উন্নতি সম্ভব হবে না। পুরনো কেন্দ্র সংস্কার প্রয়োজন।। এবার গ্রীষ্মে লোডশেডিং হবে সর্বোচ্চ দুই হাজার মেগাওয়াট।। সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে সাত হাজার ১২৫ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে উৎপাদন আশা করা হচ্ছে ৫৩৩০ মেগাওয়াট থেকে সর্বোচ্চ মে নাগাদ ৫৯৪৫ মেগাওয়াট। এখন সর্বোচ্চ চার হাজার ৭৮০ মেগাওয়াট। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদাই এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।
২০১২ সালের ২৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ এশিয়া কাপ পাকিস্তান-বাংলাদেশ খেলার দিন রাত্রি প্রায় ৬,০৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেন।
২০১২ সালের ১২ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ছে, পরিস্থিতি উন্নতির আশা নেই।
২০১২ সালের ১৬ মে, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ নেই, তবু ৭ হাজার কিলোমিটার নতুন লাইন। নতুন নতুন বিতরণ লাইন স্থাপনের কাজ সরকারের মেয়াদ কমে আসার সঙ্গে বাড়ছে।
২০১২ সালের ১৭ মে, প্রথম আলো ঃ বিশ্লেষণ ছাড়া রেন্টাল বিদ্যুতে যাওয়া ভুল হয়েছিল ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
২০১২ সালের ১৯ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশের ৬৯ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে দিনে ৩৬টি আর সন্ধ্যায় বন্ধ রাখা হচ্ছে ২৩টি।
২০১২ সালের ১৯ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সঙ্কট।
২০১২ সালের ১৯ মে, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ মাসে ৭০ হাজার নতুন গ্রাহক, বাড়ছে না উৎপাদন।
২০১২ সালের ২৯ মে, প্রথম আলো ঃ বেশি দাম দিলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। এ ঘোষণায় আগ্রহ কম শিল্প উদ্যোক্তাদের। প্রতি ইউনিটের মূল্য পড়বে ১৪ টাকা ৯৯ পয়সা।
২০১২ সালের ৩০ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত দেয়ার প্রস্তাবকে স্বাগত শিল্পোদ্যেক্তাদের-তবে মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার দাবি।
২০১২ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুতের দাবিতে জনতার হামলা, ডিসি আহত। উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি।
২০১২ সালের ২৮ জুন, প্রথম আলো ঃ এত সস্তা বিদ্যুৎ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ যাদের আছে তারাই পাবে, অন্যরা পাবে না এ নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। গত তিন বছরে ২৫ লাখ নতুন গ্রাহক হয়েছে। অতিরিক্ত ১০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছে। দিয়ে কিঞ্চিৎ না করব বঞ্চিত-এটাই আমাদের নীতি। তেলা মাথায় তেল দিতে চাই না।’ তবু তেলা মাথায় তেল দিতে হয়-সমাজের নিয়ম।
২০১২ সালের ৯ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে সারা দেশে বিদ্যুতের বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকের মোট সংখ্যা ছিল-১ কোটি ৮ লক্ষ। আর ২০১২ সালের মে মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে-১ কোটি ৩৩ লক্ষ অর্থাৎ প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন সংযোগ দেয়া হয়েছে। (১) বিদ্যুতের সংযোগ বৃদ্ধি ২৫ লক্ষ। (২) তিন বছরে উৎপাদন বৃদ্ধি ৩৩৮০ মেগাওয়াট, চাহিদা বৃদ্ধি ২৮৮৮ মেগাওয়াট। (৩) ২০০৮-২০০৯ এ মাসিক গড় লোডশেড ১২০ ঘন্টা এবং ২০১১-২০১২ এ মাসিক গড় লোডশেড ৬০ ঘন্টা।
২০১২ সালের ২৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎসংযোগ পেতে ঘুষ আর চাঁদাবাজি। পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে সারা দেশ থেকে ঘুষ-দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ এসেছে।
২০১২ সালের ৩১ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ পল্লী বিদ্যুতের জন্য ৯২,৯৮০ খুঁটি কেনা হবে। দেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ১৮ লাখ নতুন সংযোগ দেওয়া হবে।
২০১২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ মানুষ যাতে একসময়ের কষ্ট ভুলে না যায়, সে জন্য প্রতিদিন দুই ঘন্টা লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে ০৫-০৯-২০১২ তারিখ জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-দেশে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৮৩১৫ মেগাওয়াট। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিদ্যুতের দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা আট হাজার ৩১৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা রয়েছে বেসরকারি খাতের।
২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ছয় ধাপে বিদ্যুৎ বিল ঃ
ক্রমিক বিদ্যুতের নতুন ধাপ আরইবির দাম অন্য সব বিতরণ কোম্পানির দাম
১ ০-৭৫ ইউনিট ৩.৬৬ টাকা ৩.৩৩ টাকা
২ ৭৬-২০০ ইউনিট ৪.৩৭ টাকা ৪.৭৩ টাকা
৩ ২০১-৩০০ ইউনিট ৪.১০ টাকা ৪.৮৩ টাকা
৪ ৩০১-৪০০ ইউনিট ৭.১০ টাকা ৪.৯৩ টাকা
৫ ৪০১-৬০০ ইউনিট ৭.৪০ টাকা ৭.৯৮ টাকা
৬ ৬০০ ইউনিটের উর্ধ্বে ৯.৩৮ টাকা ৯.৩৮ টাকা
 এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাতবার বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। ২০১৪ সালের ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের মূল্য ব্ড়াানো হয়েছে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দারুণ সাফল্য স্বপ্লমেয়াদী প্রকল্পে-উৎপাদন ক্ষমতা ৮,২৭৫ মেগাওয়াট।
২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ আমরা এ পর্যন্ত ৩৮৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৪টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। সর্বোচ্চ ৬৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করেছি। বিদ্যুত উৎপাদনের ক্ষমতা ৮৫২৫ মেগাওয়াট এবং ৫২৮৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ২৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে। আমার প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর নিকট তবু কেন শীতের দিনেও লোডশেডিং করতে হয়।
২০১৩ সালের ২৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ খাতে গত চার বছরে ৮০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় ৬৪,০০০(চৌসট্টি হাজার) কোটি টাকা ব্যয় করা হয়।
২০১৩ সালের ২৯ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা ঃ বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিতদের তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয়। ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০০৯ সালে ছিল-৪,৯৪২ মেগাওয়াট এবং ২০১৩ সালের ২৮ মে পর্যন্ত ৮,৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। ২৮ লাখ ৪০ হাজার নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া হয়। বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।
২০১৩ সালের ৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সরকারের তথ্য বিবরণী-চার বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ। বিদ্যুৎ খাত ৬০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ-সুবিধা প্রাপ্তির আওতায় এসেছে। মাষ্টারপ্ল্যান প্রণীত হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে ২২  হাজার ৫০০ মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৯ হাজার মেগাওয়াট।
২০১৩ সালের ১৯ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আট হাজার ৬০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতের চিত্র ঃ ৬২% ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০১৩ সাল-৯৭১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা। ৯৩২২ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন। ২০০৯ সাল-৪৭% ভাগ মানুষ এ সুবিধা পেত। ৪৯৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা। ৭৯৯১ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ছিল। সূত্র ঃ পাওয়ার সেল, বিদ্যুৎ বিভাগ।
২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সন্ধ্যা ৬.০০ মিনিট। আলোক উৎসব এবং জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ উদ্বোধন। আলোক উৎসব-১০,০০০(দশ হাজার) মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ অর্থমন্ত্রী-আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন-আগামী গ্রীস্মে কোন লোডশেডিং হবে না ২০১৪ সালে।
২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা।
২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন ১১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে।
২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ফেব্রæয়ারিতে বিদ্যুত উৎপাদন ১১ হাজার মেগাওয়াট হবে।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন ঃ আর বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বাংলাদেশের সরকার বলেছে ৬২ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
২০১৪ সালের ১৬ জুলাই, প্রথম আলো : সাড়ে ১১ লাখ নতুন গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে-একনেকে প্রকল্প পাস।
২০১৪ সালের ২৩ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ : বিদ্যুতে বিপ্লব-৬ বছরে বেড়েছে ৫ হাজার ৩শ ৯৯ মেগাওয়াট। নতুন গ্রাহক হয়েছে ৩৪ লাখ। সঞ্চালন লাইন ১ হাজার ৩শ ৩১ কিলোমিটার-।
২০১৫ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন-আজ বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে হয়েছে-১৩ হাজার ২৮৬ মেগাওয়াট আর বিএনপির আমলে ছিল-৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। মানুষের গড় আয়ু ছিল-৬৬ বছর ৬ মাস আর এখন গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে-৭০ বছর ৩ মাস।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ, বাংলাদেশ প্রতিদিন : বিদ্যুতে সুখবর নেই। ৭ হাজার ৮৭৪ মেগাওয়াট। গত সোমবার ১৬-০৩-২০১৫ তারিখ ৫ হাজার ৫৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। সে হিসাবে এপ্রিলে দেশে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবুল মাল আবদুল মুহিত সাহেব আপনি বলেছেন ৮ ফেব্রæয়ারি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে-১৩ হাজার ২৮৬ মেগাওয়াট আর বিএনপি’র আমলে ছিল-৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট।
২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট, প্রথম আলো : উৎপাদন খরচ কমলেও দাম বাড়ল বিদ্যুত ও সব ধরনের গ্যাসের দাম বাড়ছে-প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন-দুই চুলা-৪৫০/-টাকা থেকে=৬৫০/-টাকা এবং এক চুলা-৪০০/- টাকা থেকে ৬০০/- টাকা মানে ৫০ ভাগ বাড়ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখ থেকে কার্যকর।
বিদ্যুতের দাম (টাকায়) গ্যাসের দাম (টাকায়)
ইউনিট বর্তমান হার বর্ধিত হার গ্রাহক শ্রেণি বর্তমান দাম বর্ধিত দাম
১-৫০ ইউনিট ৩.৩৩ টাকা ৩.৩৩ টাকা সিএনজি ৩০ টাকা ৩৫ টাকা
১-৭৫ ৩.৫৩ টাকা ৩.৮০ টাকা গৃহস্থালি এক চুলা ৪০০ টাকা ৬০০ টাকা
৭৬-২০০ ৫.০১ টাকা ৫.১৪ টাকা দুই চুলা ৪৫০ টাকা ৬৫০ টাকা
২০১-৩০০ ৫.১৯ টাকা ৫.৩৬ টাকা ৩০১-৪০০ টাকা ৫.৪২ টাকা ৫.৬৩ টাকা
৪০১-৬০০ ৮.৫১ টাকা ৮.৭০ টাকা ৬০১ বা তার বেশি ৯.৯৩ টাকা ৯.৯৮ টাকা
২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর, প্রথম আলো : আগামী ৫ বছরের মধ্যে সারা দেশের দেড় কোটি বিদ্যুৎ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের।
২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশের শততম বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন। সব প্রকল্প সময়মতো শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র-ব্যয় হবে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা বা (১ হাজার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার) ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি হবে ফেব্রæয়ারি। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র-প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রটি নির্মাণেরজন্য ঠিকাদার নির্বাচিত হয়েছে ভারত। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রটিতে ২০১৯ সালে উৎপাদন শুরু হতে পারে। এই কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ।
২০১৬ সালের ৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বর্তমানে পল্লী বিদ্যুয়াতন বোর্ডের আওতায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩৮ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন রয়েছে। আর গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি ৩৭ লাখ। দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে হলে ৪ লাখ ৪২ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন লাগবে। কিন্তু দ্বীপ, বনভ’মি, পাহাড়ি এলাকা, জলাভ’মি ও দুর্গম এলাকার কারণে ১২ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মাত্র ৬ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎ-এর বাইরে থাকবে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।
২০১৬ সালের ৯ জুন, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ-সংকটে ব্যাহত পদ্মা সেতুর কাজ। জাজিরা প্রান্তে দিনে ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চেয়ে সেতু বিভাগের চিঠি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রমতে, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। তবে প্রকৃতউৎপাদন সর্বোচ্চ ৮ হাজার ১৭৭ মেগাওয়াট। উৎপাদিত বিদ্যুতের একটা অংশ চলে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবহার ও সঞ্চালনে সিষ্টেম লসে।
২০১৬ সালের ৩০ জুন, মহাকাল ঃ বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ হয়েছে-৯ হাজার ৩৬ মেগাওয়াট।
১৯০৩ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব সরকারিভাবে উত্থাপন করা হয়।
১৯০৪ সালে চট্টগ্রাম বাকল্যান্ড পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন সমবায় ঋণদান সমিতি আইন প্রণয়ন করেন। ইংলিশ ফ্রেন্ডলি সোসাইটিজ এ্যাক্ট-১৭৯৩ অনুযায়ী প্রণীত হয় এই আইন। গ্রামীণ দরিদ্র উৎপাদক শ্রেণীর  সঞ্চয়, আত্মনির্ভরতার। ২০০৫ সালের ৩১ মার্চ, সমবায়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশে বর্তমানে ১ লাখ ৬২ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে-যার সদস্যসংখ্যা প্রায় ৮২ লাখ। সমবায় সমিতির প্রতি সদস্যকে একটি পরিবারের প্রতিনিধি ধরে নিলে দেখা যাবে দেশের ৪ কোটির বেশি মানুষ সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষও পরোক্ষভাবে জড়িত। তারপর থেকে ১৯ নভেম্বর, ২০১১ তারিখ ৪০তম সমবায় দিবসের উদ্ভোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বাংলাদেশে ১ লাখ ৭৭ হাজার সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা হচ্ছে-৯০ লাখ।
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর, ব্রিটিশরাজ বঙ্গভঙ্গের নির্দেশ জারি করে।
১৯০৫ সালের ১৬ জুলাই, খুলনা জেলার বাগেরহাটে প্রথম ব্রিটিশ পন্যদ্রব্য বর্জন আন্দোলন শুরু হয়।
১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর, ‘বঙ্গভঙ্গ’ কার্যকর হয়। ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, ‘বঙ্গভঙ্গ’ রদ হয়।
১৯০৬ সালে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৬ সালের ১ আগষ্ট, ভারতের দিল্লীতে হাকীম আবদুল মজীদ হামদর্দ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশেও ১৯৫৩ সালে হামদর্দ প্রতিষ্ঠা করা হয়। হামদর্দ বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আধুনিক  কারখানা চালু করেছে।
১৯০৬ সালের ২৫ নভেম্বর, নিখিল ভারত মুসলিম লীগেরও জন্মের আগে কলকাতায় ৫১ ওয়েলেসলি স্ট্রীটে নবাব বাহাদুর সৈয়দ আমীর হোসেনকে সভাপতি এবং মৌলভী সিরাজুল ইসলাম খান বাহাদুরকে সাধারণ সম্পাদক করে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধবাদীদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন ও লালন করার জন্য মোহামেডাল ভিজিলেন্স এসোসিয়েশন গঠন করা হয়।
১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ’র প্রাসাদে মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে ‘‘নিখিল ভারত মুসলিম লীগ’’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ সালেই সৈয়দ আমীর আলী নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯০৭ সালে নড়াইল জেলার অন্তর্গত লোহাগড়া উপজেলা রামনারায়ন পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৭ সালে মওলানা ভাসানী দেওবন্দ যান এবং সেখানে দু’বছর ছিলেন।
১৯০৭ সালে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠি হয়।
১৯০৮ সালের ১১ এপ্রিল, খুলনার স্কুলছাত্র বিপ্লবী ইন্দুভূষণ রায়ের নিক্ষিপ্ত বোমায় চন্দননগরের মেয়র নিহত হন।
১৯০৮ সালে মুন্সিগঞ্জ হরেন্দ্রলাল পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠি হয়।
১৯০৮ সালে বিক্রমপুরের ভাগ্যকুলের কুন্ডু জমিদারদের দ্বারা হরেন্দ্রনাথ পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত।
১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন সংস্কারের উদ্দেশ্যে আইনের এ সংশোধনী আনা হয়। ২০০৪ সালের ৭ ডিসেম্বর, প্রেসিডেন্ট রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) আইনে স্বাক্ষর করেন। ২০০৫ সালের ১ জুলাই, থেকে সম্পত্তির উত্তরাধিকারে শরীয়া বহাল এবং রেজিস্ট্রেশন আইন কার্যকর হচ্ছে।
১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ার তুঙ্গুঙ্কা এলাকায় উল্কাপিন্ডের সবচেয়ে মারাত্মক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। এখানে বিরাট একটি উল্কাপিন্ড পতিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ফলে চারপাশের কয়েক হাজার কি. মি. এলাকাজুড়ে গাছপালা উপড়ে পড়েছিল। ১৯৩৫ সালে আমাদের বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার ত্রিপুরা এলাকায় যে উল্কাপিন্ড পাওয়া গেছে, তার ওজন ৩৭.৩৫ কেজি। বাংলাদেশে পতিত উল্কাপিন্ডের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। তাছাড়া ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি, দিনাজপুর জেলার সিংপাড়া গ্রামে একটি উল্কাপিন্ড পতিত হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে দেশ-বিদেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। এ এবড়ো-খেবড়ো গঠনের উল্কাপিন্ডটির ওজন ২.৫ কেজি, দৈর্ঘ্য ১২.৫ সে. মি. ও প্রস্থ ১০ সে. মি.। এ উল্কাপিন্ডটি প্রচন্ড বেগে পতিত হওয়ার সময় গ্রামবাসী শোঁ শোঁ শব্দ শুনতে পায়। এটা মাটিতে পড়ে ২/৩ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে, একটি বড় আকৃতির একটি উল্কাপিন্ড পৃথিবীতে এসে পড়েছিল। বর্তমানে মেক্সিকোর ইউকাটান নামক অঞ্চলে। তাতে পৃথিবীর আবহাওয়া মন্ডলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই সাথে এ পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে অতিকায় বৃহত্তম প্রাণী ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটে। বড় আকৃতির উল্কার আয়তন কয়েক শত কি. মি. ও হতে পারে। এগুলো সাধারণত মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝামাঝি এলাকায় সূর্যের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে থাকে। উল্কাপিন্ডের অজানা কথা।
১৯০৯ সালের ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল), জব্বারের বলী খেলা সুরু হয়েছিল। রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো ঃ লালদীঘি মাঠে ৯৭তম (২০০৫ সালে) আবদুল জব্বারের বলী খেলায় দিদারুল আলম ও মমসিং ত্রিপুরা আবারো যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। এ দুই খেলোয়ার প্রায় ৪৪ মিনিটব্যাপী লড়াই করে কেউ কাউকে হারাতে না পারায় উভয়কে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন।
১৯১০ সালে নওগার পেয়ারী মোহন পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১০ সালে রাজশাহী বরেন্দ্র মিউজিয়াম রিসার্চ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১০ সাল থেকে বিদ্যুৎ আইন বলবৎ থাকলেও গ্যাস খাত পরিচালনার জন্য কোনো আইন নেই।
১৯১০ সালে লর্ড হার্ডিজ ভারতের নতুন ভাইসরয় হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
১৯১০ সালে নাটোর বরেন্দ্র যাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। এ দেশের প্রথম যাদুঘর। শরৎকুমার রায়, সঙ্গে নেন অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং রমাপ্রসাদ চন্দকে। ১৯১৬ সালে এই ভবনের ভিত্তি স্থাপন করেন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে যাদুঘরটি আত্তীকৃত হয়। ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এই জাদুঘরের দু¯প্রাপ্য পুরাকীর্তির সংগ্রহ।
১৯১০ সালে আমেরিকাতে সায়মন বন্ড নামের সিনেমাতে যে সুটকেস ব্যবহার হয়েছিল, সে ধরণের সুটকেস ঢাকার গুলশানে একটি দোকানে পাওয়া যায়।
১৯১০ সাল থেকে মানিকগঞ্জের বালিয়াটিতে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১০ সালে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন কুষ্টিয়া ছিল মহকুমা শহর, নদীয়া জেলার অধীন।
১৯১১ সালের ১৯ আগষ্ট, ইংরেজরা প্রতিষ্ঠা করে ঢাকা ক্লাভ।
১৯১১ সালে লালমনিরহাট পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১১ সালে কারখানা আইন নামক একটি শিল্প আইন পরিষদে পাস হয়।
১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, বঙ্গভঙ্গ আইন রদ হয় এবং ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে স্থানান্তর করা হয়।
১৯১২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার রূপসদী খানেপাড়ায় তীর্থবাসির বিল্ডিং তৈরী হয়।
১৯১২ সালে চট্টগ্রাম সমিতি কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সমিতি এখন ঢাকাতে কার্যক্রম চালায়।
১৯১২ সালে ফজলুল হক সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মহামেডান এডুকেশনাল অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১২ সালের ৬ ডিসেম্বর, রাজশাহী জেলার সারদায় অবিভক্ত বাংলার জন্য ‘পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ একাডেমী ‘‘বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী’’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৩ সালের ৭ আগষ্ট, ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি ছোট কক্ষে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা যাদুঘর।
১৯১৩ সালে ঢাকা মিউজিয়াম গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৪ সালে ফজলুল হক বাংলার মুসলমানদের নেতার ভূমিকা গ্রহণ করেন।
১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই, শুরু হলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১২ লাখ সেনা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু চমকপ্রদ তথ্য হলো, এ যুদ্ধের মাধ্যমেই বাঙালিরা নতুনভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান। আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে ১৯১৬ সালের ৭ আগস্ট গভর্নর লর্ড কারমাইকেল ঢাকা শহরে বাঙালিদের জন্য একটি পদাতিক রেজিমেন্টই পরে পরিচিতি পেল ‘৪৯তম বেঙ্গলি রেজিমেন্ট’ বা ‘বাঙালি পল্টন’ হিসেবে। নওশেরা ও করাচিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মেসোপটেমিয়া ও কুর্দিস্তানের রণাঙ্গনে যোগ দেয় দলটি। ১৯১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় প্রথম জনাসভাটি অনুষ্ঠিত হয় বিকেলে। এ সভা থেকে আহবান জানান ঢাকার নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ তরুণদের রেজিমেন্টে যোগ দেওয়ার আহবান জানালেন তিনি। ঢাকা শহরে ভর্তির জন্য দুটি বেসরকারি কেন্দ্রের ঘোষণা হলো-একটি শ্রীশচন্দ্র চ্যাটার্জি ও অন্যটি হাকিম হাবীবুর রহমানের বাসায়। ১৯১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, থেকে ঢাকা সেনানিবাসে সরকারিভাবে শুরু হল সেনা ভর্তিও কাজ। ১৯ অক্টোবর বাঙালি পল্টনে যোগ দিতে ঢাকা থেকে কলকাতায় রওনা হলো প্রথম দলটি। ১৯১৭ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, ঢাকা সদরঘাটে মুসলমানদের এক সভায় নবাব হাবিবুল্লহ ছিলেন বাঙালি পল্টনে যোগদানের ঘোষণা। ২৬ এপ্রিল পল্টনে যোগদানের জন্য করাচির উদ্দেশ্য রওনা হলেন তিনি। সেনাদের সাহায্যার্থে ঢাকাতে মহিলা সমিতি গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন ১৯১৭ সালের ৩ জুন। ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিবদমান দু-পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল। ২৭ নভেম্বর, সারা ঢাকায় ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হলো বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি। ২৯ নভেম্বর, ঢাকা পল্টন ময়দানে হলো আনন্দ উৎসব। এ আনন্দের আকর্ষণ ছিল সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ। শুধু কি তাই, যুদ্ধ শেষের আনন্দে ৩০ নভেম্বর, বড়িগঙ্গার পাড়ে আয়োজন করা হয় কাঙালি ভোজ। ২৭ ডিসেম্বর, বিকেলে নবাব হাবিবুল্লহ রেজিমেন্ট থেকে ফিরে এলেন ঢাকায়। ১৯২০ সালের ৩০ আগস্ট বন্ধ ঘোষণা করা হলো বেঙলি রেজিমেন্ট। বেঙলি রেজিমেন্টে অবিভক্ত বাংলা থেকে ৫,৯৫২ জন যোদ্ধা এবং ২৩১ জন ফলোয়ার্স যোগ দিয়েছিলেন।
১৯১৫ সালের ৪ মার্চ, হার্ডিজ্ঞ ব্রিজ অবিভক্ত ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিজ্ঞ ব্রিজটি উদ্¦োধন করেন। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মায় ১০০(একশত) বছর আগে উযদ্বোধন করা হার্ডিজ্ঞ ব্রিজ দিয়ে রেল চলছে। ভারতীয় টাকায় তখন খরচ হয়েছিল-৩ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ১৬৪ রুপি। এ ব্রিজ কুস্টিয়া-পাবনার সংযোগ স্থাপনকারী হার্ডিজ্ঞ ব্রিজ। স্থানীয় কৌতুক আছে এ ব্রিজ বানাইতে কত টাকার লোহা লাগছে। একজন আরেকজনকে বলছে যে-পুরোটা লোহা দিয়ে বানাইছে-কত বড় পুল-কত টাকার লোহা ৫০০/- টাকার লোহা লাগছে। ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট, প্রথম আলো : পরিদর্শনে হার্ডিজ ব্রিজ আরও ২৫ বছর টিকবে। এ ব্রিজ ২০৪০ সালের পর রাখা ঠিক হবে না।
১৯১৫ সালে রাজশাহী গুরুদাসপুর পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৭ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়া মাঠে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন। কথিত আছে, কোন এক ঈদের জামাতে এখানে এক লাখ ২৫ হাজার বা ‘সোয়ালাখ’ মুসল্লীর সমাগম ঘটেছিল; সে থেকে এ মাঠের নামকরণ ‘সোয়ালাখিয়া’ থেকে হয় ‘শোলাকিয়া’। গত ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রায় তিন লক্ষাধিক মুসল্লী শোলাকিয়ায় একসাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদুল আযহার ১১-০১-২০০৬ সালে ১৭৮তম জামাত হয়।
১৯১৭ সালের ১৪ এপ্রিল ছিল বাংলা ১৩২৪ সনের পয়লা বৈশাখ। কলকাতার গণ্যমান্য বাঙালি হিন্দু স¤প্রদায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ রাজার বিজয়ের জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে এ দিনটি উদযাপনের পরিকল্পনা নেয়। উৎসব হিসেবে বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। ১৯৬৪ সালে সর্বজনীনভাবে বাংলা নববর্ষের উৎসব ছায়ানটের উদ্যোগে ঢাকার রমনা বটমুলে শুরু হয়। দেশ স্বাধীন হবার পর নববর্ষ উৎসব জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলা ও ছোট শহরেও বাংলা নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়।
১৯১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম চেম্বারের জন্ম। বিশ্ব বাণিজ্য বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার চালু করেছে চট্টগ্রাম চেম্বার। ২০১৬ সালে একশত বছর পালন করেছে।
১৯১৭ সাল থেকে প্রথম ঢাকা নগরীকে পরিকল্পিতভাবে সাজানোর বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনোটিরই পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। সব পরিকল্পনা ও মহাপরিকল্পনা খাতাপত্রেই রয়ে গেছে; বরং সেটা করতে গিয়ে শত শত কোটি টাকা জলে গেছে। খ্যাতনামা নগরবিদ ড. নজরুল ইসলাম বলেন ১৯১৭ সালে প্রণীত স্যার প্যাট্রিক গেড্ডেসের নগর পরিকল্পনার কোনো কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানান। তাঁর সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে ঢাকা হয়ে উঠত সুন্দর সমৃদ্ধ এক শহর। এরপর ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনাও জোড়াতালি দিয়ে শেষ করা হয়। তবে প্রখ্যাত স্থপতি লুই কান ১৯৭৩ সালে দুই হাজার একর জমিজুড়ে দ্বিতীয় রাজধানীর পরিকল্পনা নেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হলে সে পরিকল্পনারও মৃত্যু ঘটে। ১৯৮০ সালে ঢাকার আরেকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও এর কোনো সুফল পায়নি ঢাকাবাসী। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে ২০ বছর মেয়াদি ঢাকা আরবান স্ট্রাকচার প্লান এবং ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা আরবান এরিয়া প্ল্যান হাতে নেয়া হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি এ মহাপকিল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫৯০ বর্গমাইল এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আমার মনে হয় এ প্রকল্পের কাজও শেষ হবে না।
১৯২৩ সালে মহানগরের পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থা চালুর পর গত প্রায় ৮৮ বছরে ঢাকায় স্থাপিত হয়েছে মাত্র ৬৩১ কিলোমিটার পয়োলাইন। অথচ নব্বইয়ের দশকের শুরুতে মেট্রোপলিটন এলাকা স¤প্রসারিত হওয়ার পর প্রায় তিন হাজার ১৫৫ কিলোমিটার পয়োলাইন স্থাপনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালে যতটুকু পয়োলাইন ছিল, এক যুগ পরও তাই রয়ে গেছে। সূত্র জানায়, এক যুক আগেও রাজধানীর মাত্র ৩০ শতাংশ অঞ্চলের পয়োবর্জ্য পাগলা শোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার লাইন ছিল। ঢাকা ওয়াসার হিসাবে এখনো তাই রয়েছে। ৭০ শতাংশ এলাকায় এখনো পয়োনিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই।
১৯৫৩ সালের দি টাউন ইমপ্রুভমেন্ট এ্যাক্টের ভিত্তিতে ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি)। তখন এর আয়তন ছিল ২২০ বর্গমাইল। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজধানী হিসেবে ঢাকার আয়তন বাড়ানো হয়।
১৯৬৩ সালের ৫ নভেম্বর, ঢাকা ওয়াসা যাত্রা শুরু করে ৩৩টি গভীর নলকুপ নিয়ে। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার নলকুপের সংখ্যা ৭০০-এর বেশি। বেসরকারি ও অন্যান্য মিলিয়ে আরও এক হাজার বা তারও বেশি নলকুপ রয়েছে। কয়েক বছর আগেও ২০০ ফুট গভীরতায় নলকুপে পানি পাওয়া যেত। এখন ৩৫০-৪৫০ ফুট গভীরতায় নলকুপও বাতিল করতে হচ্ছে। নতুল নলকুপ স্থাপিত হচ্ছে ৯০০-১০০০ ফুট গভীরতায়। এত গভীরে নলকুপ স্থাপনের অর্থ এ নয় যে বিরতিহীনভাবে অনন্তকাল ধরে গভীরতর স্তরে পানি পাওয়া যাবে। ইতিপূর্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ১৯৪৯ থেকে ঢাকা ওয়াসা দায়িত্ব নেওয়ার সময় পর্যন্ত ঢাকার পানি সরবরাহ করত। সেই ১৮৭৮ সাল থেকে ঢাকায় পরিস্ত্রু পানীয় জলের সরবরাহ যাত্রা শুরু করলেও তা চাহিদার সঙ্গে আজও পেরে ওঠেনি। ১৮৮১ সালে ঢাকায় যে ভয়াবহ কলেরা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে ঢাকার এক-চতুর্থাংশ লোকের মৃত্যু হয়েছিল। বাংলা লোক সংস্কৃতির অন্যতম পথিকৎ দীনেশ চন্দ্র সেনের লেখায় উল্লেখ আছে-বিশুদ্ধ জলের অভাবে ঢাকায় বারোমাস কলেরা লেগে থাকার কথা। খাওয়ার পানি ক্রমেই ব্যয়বহুল হবে।
২০০৩ সালের ৭ আগষ্টের রিপোর্ট ঃ গত ২৫(পঁচিশ) বছরে রাজধানী ঢাকায় পানির স্তর নেমেছে ৫৫(পঞ্চান্ন) ফুট নীচে। ১৯৬৬ সালে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ২৫(পঁচিশ) মিটার গভীর থেকে নলকুপে পানি উঠানো যেত। এখন সে স্তর নেমে প্রায় ১০০(একশত) মিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে ৪০০(চারিশত)-এর অধিক গভীর নলকুপ এবং ৪টি পানি শোধনাগারের মাধ্যমে প্রতিদিন ১.৫ দেড় কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে আসছে।
২০০৪ সালের ১২ এপ্রিল, নগরীতে পানি সংকট ঃ কার্যকর উদ্যোগ নেই। এছাড়া দৈনিক ২০০ কোটি লিটার পানি চাহিদার মুখে ওয়াসা বর্তমানে ১৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। ৫০ কোটি লিটার পানির ঘাটতির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
২০০৪ সালের ১২ এপ্রিল, ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশী জনসংখ্যা নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ঃ রাজধানীর বর্তমান লোকসংখ্যা ১.৪(এক কোটি চল্লিশ লাখ)। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকা মহানগরী। অথচ সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ লাখ লোকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এ রাজধানী শহরের। প্রতিদিন বাইরে থেকে ঢাকায় আসা যাওয়া করে প্রায় ৫ থেকে ১০ লাখ মানুষ। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা এ শহরের জনসংখ্যা ১৯৭১-এর স্বাধীনতার পরেও ছিল মাত্র ১২/১৩ লাখ। বর্তমানে যে হারে লোকসংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী ২০২০ সালে ঢাকার জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়ে ২.৫ আড়াই কোটি থেকে ৩ কোটিতে পৌঁছুবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একটি শহরের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ রাস্তাঘাট থাকা প্রয়োজন সেখানে আছে মাত্র ৮-ভাগ রাস্তা। ফলে যানজট এ শহরের নিত্যসঙ্গী। ঢাকার জনসংখ্যা অনুযায়ী ২০(বিশ) হাজারের স্থানে আছে মাত্র ৬/৭ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং প্রয়োজনীয় সাড়ে ৬০০শত গাড়ীর স্থলে মাত্র ১৫০টি গাড়ী  আছে। বাংলাদেশের যানবাহনের শতকরা প্রায় ৫৬ শতাংশ চলাচল করে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকায়। রাজধানীর নাগরিক সমস্যার এ জটিল চিত্র নিয়ে নাগরিক সুবিধা প্রদানের এক অসমযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন।
২০০৬ সালের ১ এপ্রিল, মিথুন কামাল ঃ রাজধানীতে পানির সমস্যা প্রকট ঃ ঘাটতির পরিমাণ ১শ’ কোটি লিটার।
২০০৬ সালের ৩ আগষ্ট, বিপর্যস্ত স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা ঃ ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে যেখানে স্যুয়ারেজ লাইন ছিল ৬৪০ কিলোমিটার সেখানে ২০০৪ সালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৮৯ কিলোমিটার। স্যুয়ারেজ সংযোগ ৬-বছরে বেড়েছে মাত্র ৪-হাজার ৯৯৭টি। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯৮ সালে ৪৪ হাজার, ২০০৩ সালে ৪৮ হাজার ৭৭৭ এবং ২০০৫ সালে পূর্বের ন্যায় সচল থাকে। প্রতিদিন নগরীতে ১০ লাখ ঘন মিটার পয়ঃ বর্জ্য উৎপাদিত হলেও পরিশোধন  করা সম্ভব মাত্র ৫০ হাজার ঘন মিটার। বর্তমানে বস্তি এলাকায় পয়ঃ নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নগরীতে দ্রুত গতিতে লোকসংখ্যা বাড়লেও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেই।
২০০৭ সালের ১২ মার্চ, রাজধানীতে খাবার পানির জন্য ২০ বছরে ব্যয় হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, অরূপ দত্তঃ শীতলক্ষ্যার পানি শোধনের অযোগ্য। রাজধানীর বিস্তীর্ণ এলাকায় পানিতে দুর্গন্ধ, ব্যবহারের অনুপযোগী, ছড়াচ্ছে পেটের পীড়া ও চর্মরোগ।
২০১০ সালের ২২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ নলকুপ ও দূষিত নদীর পানি একাকার। ঢাকা ওয়াসার মাত্র ১৩% নদীর পানি। ৮৭% নলকূপের। সমস্যা অভিন্ন সরবরাহ লাইন। তরল মৃত্যুফাঁদ। দূষণে দূষণে বুড়িগঙ্গার পানির রং পর্যন্ত বদলে গেছে। শোধনের অনুপযোগী সেই পানিই ওয়াসার পাইপ গলেপৌঁছে যাচ্ছে পাকস্থলীতে। বিপন্ন করে তুলছে মানুষের জীবন। কিছু মানুষের কারণে পুরো প্রাণিকুলের জন্য পানি হয়ে উঠছে তরল মৃত্যুফাঁদ।
২০১০ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় ওয়াসার পানিতে ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব। ২২ নমুনার মধ্যে ১৫ স্থানের পানিই বিএসটিআইয়ের মানদন্ডে উত্তীর্ণ হয়নি।
২০১১ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর তিন-চতুথাংশ পয়োনিস্কাশনের বাইরে। পয়োনিস্কাশন-ব্যবস্থা এক যুগ আগের অবস্থায়।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন ঃ উন্নত পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থাপনার সুবিধা পায় ৫৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী। আর ৮৩ শতাংশ জনগণের কাছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ পানির দাম বাড়াল ঢাকা ওয়াসা। ঢাকা ওয়াসা সূত্র জানায়, আগে বাসাবাড়িতে ব্যবহার করা প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ছিল ৭ টাকা ৭১ পয়সা। এখন তা করা হয়েছে ০১-০৯-২০১৫ তারিখ থেকে ৮ টাকা ৯০ পয়সা। বাসাবাড়িতে বাড়ানো হয়েছে ১.১৯ পূড়ণ ২=২.৩৮ পয়সা। আর কলকারখানা ও হোটেলসহ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ২৫ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৬ টাকা ৯৪ পয়সা করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে-১.২৮ পয়সা। রাজধানীর প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য প্রতিদিন ২৩০ কোটি লিটার পানির চাহিদা থাকলেও ঢাকা ওয়াসার উৎপাদন ক্ষমতা ২১০ কোটি লিটারের মতো। এর ৭৮ শতাংশ তোলা হয় গভীর নলকুপ দিয়ে, বাকিটা নদীর পানি।
২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ নতুন পানি শোধনাগার প্রকল্পের উদ্বোধন। ঢিল ছুড়ে উন্নয়নের গতি রোধ করা যাবে না ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-চীনের আর্থিক সহায়তায় ৩ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার যশলদিয়ায় পদ্মা পানি শোধন প্রকল্প(প্রথম পর্যায়) নির্মিত হবে। এখানে দৈনিক-৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহের জন্য প্রকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রকল্প শেষ হবে। উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন-আরও তিনটি ওয়াটার ট্র্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে।
১৯১৮ সালে ভাষার বিষযে রবীন্দ্রনাথ শান্তি নিকেতনে এক আলোচনা সভা ডাকেন। সভায় রবীন্দ্রনাথের ভাষা-চিন্তার বিপরীতে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঘোষণা করেন, বাঙলা, উর্দু ও হিন্দী তিনটি ভাষারই ভারতের জাতীয় ভাষা হবার যোগ্যতা রয়েছে।
১৯১৯ সালে মওলানা ভাসানী ৩৪ বছর বয়সে প্রকৃত রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
১৯২০ সালে ফজলুল হক হলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী। ১৯৩৭ সালে বাংলার তিনি প্রধানমন্ত্রী।
১৯২১ সালে কলকাতা শহরে নোয়াখালী সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। সমিতি এখন কার্যক্রম চালায় ঢাকাতে।
১৯২১ সালের ১০ মার্চ, নারায়নগঞ্জ শহরে প্রতিষ্ঠিত এই বোস কেবিনটি এখনো ৯ সনাতন পাল লেনে টিকে আছে। বোস কেবিনের সূচনা করেন-প্রতিষ্ঠাতা নৃপেন চন্দ্র বসু ওরফে ভুলু বাবু। ভুলু বাবুর বয়স তখন ২০ বছর যখন বোস কেবিন প্রতিষ্ঠা করেন। মারা যান ১৯৯৩ সালে। ১৯৩১ সালের ৭ নভেম্বর, গোয়ালনন্দ থেকে স্টিমারে করে নারায়নগঞ্জ নদীবন্দরে এসে নামলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। বোস কেবিন চা-পান করার জন্য তখন সেখানেই নেতাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। নেতাজি বললেন বোস কেবিনের চা পান করে যে, এমন চা জীবনে খুব কমই খেয়েছেন। এ বোস কেবিনে অনেক নামী-দামী ব্যক্তিরা চ-নাস্তা পান করেছেন এবং বোস কেবিনের সেই আড্ডাটা আজও আছে (১৩-০২-২০১২)।
১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ-বাংলার জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক মি. সি. এ. বেন্টলী তাঁর ‘ফেয়ারস এন্ড ফেস্টিভাল ইন বেঙ্গল’ গ্রন্থে (১৯২১) লিখেছিলেন, তখনই বাংলাদেশে ৭ হাজারের বেশি মেলা হতো যাতে ৫০০ থেকে ৫ লাখ লোকেরও সমাবেশ হতো এবং গ্রামবাংলায় নববর্ষের এ অন্যতম আকর্ষণ ছিল পল্লীমেলা। এসব মেলায় কত যে হস্তশিল্প, কারুশিল্প এবং কুটির শিল্প আসতো সে সম্বন্ধে ১৯২১ সালের মন্ত্যেবে।
১৯২১ সালের ১ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের ১ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-৯১ প্রতিষ্ঠার বছর। নারীর ক্ষমতায়নে উচ্চশিক্ষা এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উনার লেখার একটু অংশ এখানে তুলে ধরা হল-ইতিহাসে দেখা যায়, বাঙালি নারীরাও কখনো কখনো উচ্চশিক্ষা লাভ করে পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় আঠারো-উনিশ শতকের এমন তিনজন বিদুষী মহিলার কথা জানা যাচ্ছে। এঁদের মধ্যে হটু বিদ্যালঙ্কার (মৃত্যু-১৮১০) ও হটু বিদ্যালঙ্কার (১৭৭৫-১৮৭৫) সমধিক প্রসিদ্ধ। হটু ছিলেন বর্ধমানের এক পন্ডিতের কণ্যা। বিয়ের পরেও তিনি পিতৃগৃহে বাস করতেন, অল্পবয়সেই বিধবা হন। প্রথমে পিতার কাছে, পরে কাশীর পন্ডিতদের কাছে, ব্যাকরণ, স্মৃতি ও ন্যন্যায়ের শিক্ষা গ্রহণ শেষে তিনি নিজেই চতুস্পাঠী স্থাপন করে অধ্যাপনায় প্রবৃত্ত হন। কাশীতেও তিনি চতুস্পাঠী স্থাপন করে বহু ছাত্রকে পড়িয়েছিলেন। পুরুষ পন্ডিতদের মতো তিনিও দক্ষিণা নিতেন এবং পন্ডিতসভায় প্রকাশ্যে যোগ দিয়ে তর্কবিতর্কে অংশ নিতেন। হটুও বর্ধমানের মেয়ে, তবে চিরকুমারী। তাঁর প্রকৃত নাম রূপমঞ্জরী। ষোলো-সতেরো বছর বয়সে তিনি গুরুগৃহে বাস করে টোলের ছাত্রদের সঙ্গে পড়াশোনা করতেন। ব্যাকরণ, সাহিত্য ও চিকিৎসাশাস্ত্রে তাঁর ব্যুৎপত্তি ছিল। কাশীতে গিয়ে তিনি দন্ডীদের কাছে নানা শাস্ত্র অধ্যয়ন করেছিলেন। দেশে ফিরে তিনি মূলত চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষা দিতেন। তিনি পুরুষের মতো বেশভুষা করতেন, উত্তরীয় পরতেন এবং ব্রাহ্মণ পুরুষের মতো মুন্ডিতমস্তকে শিখা ধারণ করতেন। তৃতীয়জন দ্রবময়ী। তিনি কৃঞ্চনগরের সন্নিহিত এলাকার সন্তান এবং বাল্যবিধবা। পিতার টোলে তিনি ব্যাকরণ ও অভিধান অধ্যয়ন শেষ করে কাব্যালঙ্কার ও ন্যায়শাস্ত্র পড়েন। চোদ্দ বছর বয়সেই তিনি গভীর পান্ডিত্য অর্জন করেন এবং পিতার টোলে পুরুষ ছাত্রদের শিক্ষা দিতে শুরু করেন। তিনিও তর্কসভায় বিচার করতেন এবং অনর্গল সংস্কৃত বলতে পারতেন। উনিশ শতকের মধ্যভাগেও তিনি জীবিত ছিলেন।
১৯২২ সালের ৫ জানুয়ারি, কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশিত।
১৯২২ সালের ১৬ জানুয়ারি, বৃটিশ রাজরোষের ফলশ্রæতিতে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কুমিল্লায় গ্রেফতার হন।
১৯২২ সালের ২৫ জানুয়ারি, ফ্যাক্টরী আইন সংশোধন করে সপ্তাহে একদিন ছূটিসহ কাজের সময় ৬০-ঘন্টা নির্ধারণ।
১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারির, এ দিনে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা হাটে এক রক্তাক্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর স্বাধীনতা সংগ্রামে এ উপমহাদেশে এত লোক আর মারা য়ায়নি। এ সংগ্রামে কয়েক শ মানুষ ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে মারা যায়। মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশের নেতৃত্বে ঘটে। তাকে বলা হয় ঐতিহাসিক সলঙ্গা দিবস। আবার পত্রিকার খবর-দৈনিক জনকন্ঠ (২৭-১১-২০১২ তারিখ বলেছে-সরকারী হিসেবে সাড়ে চার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে।
১৯২২ সালের ১ মার্চ, পিরোজপুর, স্বরূপকাঠি, ইকুশগ্রাম সাম্মিলনী পাবলিক ইন্সটিটিউশন।
১৯২২ সালে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বই “যুগবানী’’ বৃটিশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯২২ সালে কাজী নজরুল ইসলাম ‘‘কারার ওই লৌহ কপাট’’  গানটি রচনা করেছিলেন।
১৯২২ সালের ২৩ নভেম্বর,রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন।
১৯২২ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চলে প্রথম কর আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। ফলে সেখানে করদাতাদের হয়রানির নানা বিষয় ছিল। পরবর্তী সময়ে তা ব্যাপক সংশোধন করে ১৯৮৪ সালে আয়কর আইন প্রণয়ন করা হয়। এরপর প্রতিবছরই আয়কর আইন সংশোধন হচ্ছে।
১৯২৩ সালের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট বা দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইনটি অন্যতম। এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল ঔপনিবেশিক শাসকদের শাসন-শোষণকাজের সুবিধার জন্য; করা হয়েছিল এমন এক যুগে, যখন জনগণকে মনে করা হতো প্রজা, রাষ্ট্রের মালিক নয়; যখন জনসাধারণের কাছে শাসকদের জবাবদিহির কোনো বালাই ছিল না। তারপর ভারত ভেঙ্গে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলো ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট, তারপর পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব অংশ (পূর্ব-পাকিস্তান)কে  ৯ মাসের মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কথায় ৩০(ত্রিশ) লক্ষ মা-বোনের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন-সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে সেই ঔপনিবেশিক যুগের গণবিরোধী আইনটি অবিকল একইভাবে বহাল রয়েছে। ৩০-০৬-২০০৯ তারিখ পর্যন্ত।
১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বরাজ দল গঠন করলে মওলানা ভাসানী কংগ্রেসের  ভেতর থেকে এ দলের পক্ষে জনমত তৈরীর কাজ করেন।
১৯২৩ সালে বেঙ্গল প্যাক্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯২৩ সালে শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন প্রণীত হয়।
১৯২৪ সালে মওলানা ভাসানী আসামের ভাসানচরে এক বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন।
১৯২৪ সালে নির্মিত বিশ্বখ্যাত রোলস রয়েস কোম্পানির একটি গাড়ী আগ্রহভরে দেখছেন ২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, গুলশান মাঠে অনুষ্ঠিত এফওয়ান অটো ফেয়ারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে. টমাস জুনিয়র। উল্লেখ্য, এ গাড়ীটির মালিক বিশিষ্ট শিল্পপতি আজিজ মুহাম্মদ ভাই। ২০০৪ সালে ফেয়ারে গাড়ীটির মূল্য ৩০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল।
১৯২৪-২৫ সাল থেকে নির্বাচন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ১৯৯০ সালের ৬ জুনের পর আর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি ০৯-১২-২০১১ তারিখ পর্যন্ত।
১৯২৪-২৫ সাল থেকেই মওলানা ভাসানী অধিকার আদায়ের জন্যে কৃষকদের সচেতন ও সংগঠিত করার কাজ শুরু করেন।
১৯২৫ সালে চট্টগ্রামে রেলওয়ের পানি সংকট নিরসনে ফয়’স লেকটি তৈরী করা হয়।
১৯২৫ সালে সি. আর. দাশের মৃত্যু হলে মওলানা ভাসানী কৃষক-প্রজা সাধারণের জমিদার-মহাজন বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে থাকেন।
১৯২৭ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঢাকা বিশ্বঃ জগন্নাথ হলে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
১৯২৮ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বিতাড়িত মওলানা ভাসানী আসামের বাঘমারার জঙ্গলে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
১৯২৮ সাল থেকে একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জ ও বোয়ালমারী সংবাদদাতা ঃ আরব দেশসমূহের সাথে সঙ্গতি রেখে চাঁদপুর ও ফরিদপুর জেলার ৪১টি গ্রামের মানুষ ও হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের প্রায় লক্ষাধিক অনুসারী । দীর্ঘ ৮৩ বছর যাবত তারা দেশের নিয়মের একদিন আগে ঈদ উদযাপন প্রথা চালু রেখেছে।
১৯২৯ সালে ভাসানচরের এক কৃষক-প্রজা সম্মেলন থেকে মওলানা জন্মভূমির বদলে কর্মভূমির পরিচয়ে ‘ভাসানী’ নামে খ্যাত হন।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল, ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে সূর্য সেনের নেতৃত্বে (সংখ্যায় ৬৪ জন) বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে। তাঁদের আন্দোলনে পুরো ভারতবর্ষ সাড়া ফেলে দেয়। বাংলায় সশস্ত্র সংগ্রাম তাঁদের মাধ্যমে শুরু হয়।
১৯৩০ সালে ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ী ছিল; রিক্সা ছিল না। ১৯৩৬-৩৭ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় প্রথম রিক্সা আনা হয়। গলির শেষ মাথায় লাগানো ছিল কেরোসিন বাতির ল্যা¤প পোষ্ট।
১৯৩০ সালে ঢাকা গেটের সামনে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
১৯৩১ সালের ১৪ আগস্ট, ইলা সেন ও মীরা দেবী নামে কুমিল্লার অস্টম শ্রেণীর দুই ছাত্রী ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী তৎপরতার অংশ হিসেবে কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট সিজি স্টিভেন্সকে গুলি করে হত্যা করে।
১৯৩১ সালে বড় ফকির আবিস্কৃত বিখ্যাত মহাস্থান ফলকটিকে কেউ কেউ আদি বাংলার ‘প্রাচীনতম’ নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।
১৯৩১ সালে ‘মাতুয়াইল পল্লী মঙ্গল সমিতি’ গঠিত হয়। মুষ্টিচালে মাতুয়াইলের মঙ্গল করা হত।
১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের মহানায়ক মাস্টার দ্য সূর্যসেনের ফাঁসি হয়।
২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের নায়ক ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাস্টারদা সূর্যসেনকে নিয়ে আশুতোষ গোয়াড়িকরের ছবি ‘খেলে হাম জি জান সে’। ছবির প্লট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার থেকে জালালাবাদের যুদ্ধে মাস্টারদা সূর্যসেন ও তাঁর নির্ভীক যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কাহিনী নিয়েই আমার এ ছবি।’ আশুতোষ শুরুতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশেই ছবির শুটিং করতে। তবে ১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম এবং ২০১০ সালের চট্টগ্রামের মধ্যে তো আকাশ-পাতাল ফারাক। তাই গোয়াতেই চট্টগ্রামের আবহ তৈরি করে কাজ করেন। যদিও ১৯৩০ সালের গ্রামের চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য আশুতোষ তাঁর দল নিয়ে কলকাতার গ্রাম, এমনকি বাংলাদেশেও ভ্রমণ করে গিয়েছিলেন। আবহসংগীতের জন্য স্টিফেন গোমেজকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের গ্রামের নানা রকম শব্দ (পাখি, বাঁশি, ফোক গান ইত্যাদি) ধারণ করে নিয়ে গেছেন। তবে সে আমলের গাড়ি, বন্দুক ও পোশাক খুঁজে পেতে ঘাম ঝরে গিয়েছিল পুরো ইউনিটের। এমনকি সূর্যসেনেরও তেমন কোনো ছবি পাননি আশুতোষের দল। যা দু-একটি পেয়েছিলেন, তাও সূর্যসেন গ্রেপ্তারের পর। সূর্যসেনকে নিয়ে বলিউডে সিনেমা।
১৯৩৪ সালে হবিগঞ্জ জেলার নাগুড়াতে উপমহাদেশের প্রথম গভীর পানির ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৩৬ সনে অনুষ্ঠিত এক সভায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট জেলায়।
১৯৩৬ সালে ভাওয়াল সন্নাসী মামলার রায় ঘোষণা।
১৯৩৬ সালে মুসলমানের জন্য বাংলা ভাষায় প্রথম দৈনিক পত্রিকা “আজাদ’’ প্রকাশিত হয়।
১৯৩৬ সালের মজুরি আইন বাংলাদেশে বর্তমানে বলবৎ আছে।
১৯৩৭ সালের ১৪ আগষ্ট, মিনিষ্ট্র অব ক্যালকাটার অধীনে ‘রাজশাহী ওয়াটার ওয়ার্কস’ নামে পানি সরবরাহ ও বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছিল দুই লাখ ৫৭ হাজার ২৮৫ টাকা। মহারানি হেমন্তকুমারী একাই ৬৫ হাজার টাকা দেন।
১৯৩৭ সালের ৬ ডিসেম্বর, মেঘনা নদীর উপর কিং ষষ্ঠ জর্জ ব্রীজ আশুগঞ্জ ও ভৈরব বাজারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
১৯৩৭ সালে ভারতবর্ষে প্রথম প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারপর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট ভারবর্ষ ভাগ হয়ে পাকিস্তান নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালে, তারপর ১৯৬২ সালের ২৮ এপ্রিল, তারপর ১৯৬৪ সালে এবং পূর্ব ও পশ্চিম মিলে যে পাকিস্তান নাম ছিল তার সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর। এ নির্বাচনে ৩১৩টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ১৬৭টি আসন আর পাকিস্তান পিপল’স পার্টি পায় ৮১টি আসন। পাকিস্তান সামরিক সরকার আওয়ামী লীগের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে তালবাহানা করতে লাগে। পাকিস্তান সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, রাত ১১টার সময় (অপারেশন সারচ্ছ লাইট) পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ জনতার ওপর আক্রমণ শুরু করে এবং অনেক নিরীহমানুষকে হত্যা করে। বাংলাদেশের আমলে বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ, প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, তৃতীয়বার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালের ৭ মে, ৪র্থবার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ, ৫ম বার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ৬ষ্ঠবার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রæয়ারি, ৭মবার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ৮মবার অনুষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, ৯মবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। আর ১০মবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি।
১৯৩৮ সালের বীমা আইন অনুযায়ী বীমা শিল্পে দীর্ঘদিন ধরে ১৫ ও ১০ শতাংশ হারে এজেন্সি কমিশন প্রচলিত ছিল।
১৯৩৯ সালে জিন্নাহ তাঁর বিতর্কিত দ্বি-জাতি তত্ত¡ ঘোষণা করেন।
১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ বেতার স্থাপন করা হয়।
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ কায়েদে-এ-আযমের সভাপতিত্বে আয়োজিত মুসলিম লিগের অধিবেশনে ঐতিহাসিক পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করেন।
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, মুসলিম লীগের পাকিস্তান প্রস্তাব ভারতের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা নিয়ে একাধিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য শেরে-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক কর্তৃক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব গৃহীত।
১৯৪০ সালের ২৫ মার্চ, শেরে-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব মুসলিম লীগের সভায় গৃহীত হয়।
১৯৪০ সালের ১৯ জুলাই, প্রথম মোটরগাড়ি প্রদর্শনী হয় রমনার রেসকোর্সে নানা রঙে-ঢঙে সজ্জিত গাড়ি জড়ো হতে লাগল। লেডি হার্বাট এসে শো উদ্ভোধন করলেন। ঢাকার গণ্যমান্য যাঁদের গাড়ি আছে, তাঁদের অনেকেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। প্রায় কুড়িটি গাড়ি তাতে অংশ নেয়। লেডি হার্বাট ঘুরে দেখলেন সজ্জিত গাড়িগুলো। কিন্তু পুরান ঢাকার মির্জা আবদুল কাদের সর্দারের (একটি নতুন অস্টিন গাড়ি ছিল) গাড়িটিকেই তিনি বেছে নিলেন প্রথম পুরস্কারের জন্য।
১৯৪০ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ত্রিপুরার রাজা ধর্মমাণিক্য বাহাদুরের স্ত্রীর অবকাশকালীন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে কুমিল্লা শহরের ছোটরা মৌজায় তৎকাকালীন আধুনিক নির্মাণশৈলী নির্ভর এ বাড়িটি নির্মাণ করেন। স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজা ধর্মমাণিক্য রানীর কুঠিরের পাশে তার নামে ধর্মসাগর খনন করেন।
১৯৪০ সালের আইন এখনো ওষুধ প্রশাসনে বহাল রয়েছে। এ আইনে শাস্তি ও জরিমানা খুবই সীমিত। পরে ১৯৮২ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। তবে জাতীয় সংসদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অইনটি পাস হয়।
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনের সিদ্ধান্তে (রেজুলেশন) ভারতবিভক্তির কথা ছিল না। এই রেজুলেশনে ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিমপ্রধান এলাকা নিয়ে মুসলমানদের স্বাধীন বাসভূমি অখন্ড ভারতের মাঝে হওয়ার কথা বলা হয়েছে।’ যার মুখ্য রচয়িতা মুহম্মদ আলী জিন্নাহ হলেও মুসলিম লীগের সভায় উত্তাপক ছিলেন শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক। সে প্রস্তাবের মুল দাবি ছিল-ভারতের উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। ১৯৪০ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেছিলেন, ‘টাইম অ্যান্ড টাইড’ পত্রিকায় ১৯ জানুয়ারি,  ১৯৪৬ সালে এই সাক্ষাৎকারটি ছাপে। কনফেডারেশন নিয়ে পুরনো কাসুন্দি : পাক-বাংলা-ভারত উপমহাদেশের ‘কনফেডারেশন’ বিষয়টি এমন একটি ঢেঁকুর। অবশ্য এ আলোচনা গত ৬৮ বছর ধরেই চলছে। শ্রী কুলকার্নি প্রশ্ন করেছেন, ‘কেন ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান হলো? পরবর্তীকালে বাংলাদেশ কেন পাকিস্তান ছাড়ল? এমন বহু প্রশ্ন আর এর জবাব ও দিয়েছেন তিনি।
একটি সত্য তিনি বলেছেন, ‘ভারতবিভক্তির জন্য শুধু কায়েদে আযম দায়ী নন; বরং দায়ী জওহরলাল নেহরু ও বল্লভভাই প্যাটেল। আর মহাত্মা গান্ধী তাদের সমর্থন করেছেন।’ কেন জিন্নাহ শেষের দিকে পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য অনড় হলেন তার দ্বিজাতিতত্তে¡র মাঝ দিয়ে? ‘অথচ তিনি সারা জীবন অখন্ড ভারতের পক্ষে ছিলেন। তিনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ, যিনি মুসলিম লীগ ও ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি একসাথে ছিলেন এবং হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের দূতহিসেবে পরিগণিত হতেন।’ সরোজিনি নাইডু এ উপাধি তাকে দিয়েছিলেন।
কুলকার্নি কেন মনে করলেন, জিন্নাহ অখন্ড ভারত এবং কনফেডারেশনের পক্ষে ছিলেন? নিজের বক্তব্যে এর জবাব তিনি উল্লেখ করেছেন-১৯৪০ সালের মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনের সিদ্ধান্তে(রেজুলেশন) ভারতবিভক্তির কথা ছিল না। এই রেজুলেশনে ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিমপ্রধান এলাকা নিয়ে মুসলমানদের স্বাধীন বাসভূমি অখন্ড ভারতের মাঝে হওয়ার কথা বলা হয়েছে।’ কুলকার্নি দাবি করেছেন, জিন্নাহ এই রেজুলেশন পাসের দুই মাস আগেও হিন্দু-মুসলমানের সাধারণ(কমন) মাতৃভূমি বলে লন্ডনের ‘টাইম অ্যান্ড টাইড’ পত্রিকায় ১৯ জানুয়ারি, ১৯৪০ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেছিলেন।
জিন্নাহ ভারতবিভক্তি চাননি, জিন্নাহ মনে করেন, স্বাধীন পাকিস্তান ভারতের কনফেডারেশনের অংশ হবে।’ এবং এ বক্তব্যকে ‘ক্যারিকেচার করে হিন্দু সংবাদমাধ্যম লীগের দাবিকে ভারত বিভাগ বলে প্রচার করত।
কুলকার্নি বলেন, ‘জিন্নাহকে তার দাবি(দ্বিজাতিতত্তে¡র ভিত্তিতে মুসলমানদের স্বতন্ত্র স্বাধীন এলাকা) থেকে সরে আসার জন্য গান্ধী ১৯৪৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, ও ২৭ সেপ্টেম্বরের মাঝে ১৪ বার দেখা করেন এবং ২৪টি পত্র দেন। সেখানে ভারত বিভক্ত আন্দোলন না করে প্রথমে বিদেশী শক্তিকে তাড়ানোর ওপর জোর দেন।’ কুলকার্নি গান্ধীর অনেক চিঠির কিছু অংশের উদ্ধৃতি দিলেও জিন্নাহর জবাবের মাত্র একটি উদ্ধাতাংশ দেন। সেখানে জিন্নাহ বলেছেন, ‘বিদেশী তাড়ানোর আন্দোলনের আগে হিন্দু-মুসলমান সামস্যার সমাধান করতে হবে, যদি স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে হয়। কুলকার্নি গান্ধীর সাথে সুর মিলিয়ে লেখেন, ‘এটা একটা অ্যাবসার্ড দাবি। দ্বিজাতিতত্তে¡র নিন্দা করে গান্ধীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘জিন্নাহ যদি মনে করেন হিন্দু ও মুসলমানেরা দু’টি জাতি, তাহলে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রে হিন্দু জাতির কী হবে?’’ তিনি ভারতে মুসলমানদের কী অবস্থা হবে তা নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
জিন্নাহ কেন পাকিস্তান চাইলেন? টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রশ্নের জবাবে এর বিশ্লেষণ তিনি দেন। টাইম ১৯৪৬ সালে এই সাক্ষাৎকারটি ছাপে। টাইম ম্যাগাজিন জিজ্ঞেস করে-আপনি(জিন্নাহ) খাঁটি মুসলমান নন(কেননা তিনি মদ খেতেন, দাড়ি রাখেননি), তবে কেন মুসলমানের জন্য পৃথক বাসভূমি চাইছেন? জিন্নাহ জবাবে গান্ধী-নেহরু-প্যাটেলের সাথেএক ভোজন অনুষ্ঠানের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি তাদের (গান্ধী-নেহরু-প্যাটেল) জিজ্ঞেস করলাম, মুসলমানদের শাসনব্যবস্থায় কেমন অংশীদারিত্ব থাকবে। ইংরেজরা মুসলমানদের কাছ থেকেই এ দেশের শাসনব্যবস্থা কেড়ে নেয়। এ ছাড়া মুসলমানেরা দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যা-তারা এর জবাবে নিশ্চুপ থাকলেন। একই প্রশ্ন তিনবার পূনরাবৃত্তি করলেও তারা নিশ্চুপ রইলেন। তখনই বুঝতে পারলাম, তারা মুসলমানদের ক্ষমতার কোনো অংশ দিতে রাজি নয়। মুসলমানেরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হওয়ার কারণে কোনো দিনইএই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতার অংশ পাবে না। আমি তখনই পাকিস্তান দাবির সাথে একাত্মতা অনুভব করলাম।’ পাকিস্তান দাবির আসল জনক কবি ইকবাল। জিন্নাহর পাকিস্তান দাবিতে অনড় হওয়ার জন্য এটি একটি চমৎকার বিশ্লেষণ। বিশেষ করে বিভিন্ন আলোচনায় জিন্নাহ ছাড় দিলেও নেহরু তাঁর নীতিতে ছিলেন অটল।
নেহরু ছিলেন কেন্দ্রে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পক্ষে। কিন্তু জিন্নাহ ফেডারেল ব্যবস্থায় বিশ্বাসী ছিলেন। কেন্দ্রীয় ক্ষমতার বলয়ে মুসলমানেরা তথাকথিত গণতান্ত্রিক পন্থায় কোনো দিনই ঢুকতে পারত না। কারণ, তারা সংখ্যালঘিষ্ঠ। ‘ভারত বিভক্তির জন্য ভারতীয় নেতা ও পত্রপত্রিকা জিন্নাহকে পুরোপুরি দোষারোপ করলেও-এটা সত্য নয়।’ দি সার্চ ফর দি ভিলেন অব পার্টিশন ডিভাইডস ইন্ডিয়া’ প্রবন্ধে(লন্ডনের গার্ডিয়ানে ১৮ আগষ্ট, ২০০৯ প্রকাশিত) অ্যান্ডু বানকমবে এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, এর দায়িত্ব প্রধানত নেহরু ও প্যাটেলের। তারা যদি ক্যাবিনেট মিশনের প্রথম ফর্মুলা মেনে নিতেন, তাহলে ভারত বিভক্তির প্রয়োজন হতো না। ১৯৪৬ সালের ১৬ মে, ক্যাবিনেট মিশন অষন্ড ভারতে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ ঠিক করার একটি ফর্মুলা দেয়। এতে লুজ কনফেডারেশনের ইঈিত থাকে। জিন্নাহ এই প্রস্তাব মানলেও, নেহরু তা প্রত্যাখান করেন। এরপর ১৬ জুন ক্যাবিনেট মিশন ভারত বিভক্তির প্রস্তাব দেয়। জিন্নাহ দু’টি প্রস্তাব মেনে নেন এ জন্য যে, এতে মুসলমানদের স্বার্থরক্ষার বিষয় ছিল। কংগ্রেস প্রথম প্রস্তাবের প্রদেশগুলোর স্বায়ত্তশাসন অধিকার বাদ দিয়ে কেন্দ্রশাসিত ভারতের দাবি তোলে এবং ‘‘কুইট ইন্ডিয়া’’ নামে হিংসাত্মক আন্দোলনের সূত্রপাত করে।
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ যশোবন্ত সিং তার ‘‘জিন্নাহ :ইন্ডিয়া-পার্টিশন-ইন্ডিপেন্ডেন্স’’ বইতে বলেছেন ‘নেহরু-প্যাটেল যদি ক্যাবিনেট মিশনের প্রথমপ্রস্তাব মেনে নিতেন তাহলে ভারত বিভক্ত হতো না। কিন্তু তাঁরা ছিলেন অনমনীয়।’
‘ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম’ বইতে মওলানা আবুল কালাম আজাদও (ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী) একই মন্তব্য করেছেন। তিনি নেহরু প্যাটেলকে দেশ বিভাজনের জন্য দায়ী করেন।
ভারত-পাকিস্তান স্বাধীনতার প্রাক্কালে (১৯৪৭) যে দাঙ্গা ও রক্তবন্যা বইয়ে দেয়া হয়, তা-ও ছিল নেহরু-প্যাটেলের অনমনীয় দাবির ফসল। এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মূলত কেন্দ্রীভ’ত ছিল পাঞ্জাব ও বাংলায়। জিন্নাহর পাকিস্তান দাবীতে এ দুটি প্রদেশ বিভক্ত করারা বিরোধিতা করা হয়। যদি এ বিভক্তি না হতো, তাহলে যে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়, সামান্য ঘটনাগুলো থেকে তা হতো না এবং অন্তত ১০ লাল মানুষের জীবন বেঁচে যেত। দেড় কোটি লোক গৃহহীন হতো না। নেহরু-মাউন্টব্যাটেন এ দুটি প্রদেশকে ভাঙার কাজটি করেন। এর ফলে ইতিহাসের সর্ববৃহত দেশান্তর ঘটে এবং সাথে সাথে ঘটে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা।
আসলে সত্য কথা কেউ বলতে পারছে না। যেমন সামান্য সত্য বলার জন্য যশোবন্ত সিংকে বিজেপি থেকে বের করে দেয়া হয়। আবার ভিজিটর বইতে এল কে আদভানি ‘জিন্নাহ হিন্দু-মুসলিম’ মিলনের দূত’ বলার জন্য পার্টিও পদ হারান। ভারত বিভাগ ও নেহরুর অনেক ইচ্ছার রূপায়ণে যে নারীর সবচেয়ে বেশি অবদান, তিনি হলেনতৎকালীন ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের স্ত্রী এডউইনা। নিশিদ হাজারি তার বইতেও এর রেফারেন্স দিয়েছেন। অবশ্য মাউন্টব্যাটেনের কন্যা পামেলা পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার মায়ের সাথে নেহরুর গভীর সখ্য ছিল, তবে তা ছিল নিস্কাম ভালোবাসা। অবশ্য অনেক গবেষক এ বক্তব্য মানতে চাননি। মাউন্টব্যাটেন-এডউইনার স্কুলবন্ধু ছিলেন নেহরু। ফলে তাদের রাজনৈতিক মূল্যায়নেও এর প্রভাব পড়ে। যখন কাশ্মির পাকিস্তান প্রায় দখল করে নিচ্ছিল, তখন নেহরুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাউন্টব্যাটেন তাকে জাতিসংঘে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আর পাকিস্তানকে সৈন্য পাঠানো থেকে বিরত রাখেন, যদিও নেহরু সেখানে সৈন্য পাঠিয়েছিলেন। এ ধারণাটি দিয়েছিলেন এডউইনা। অথচ তখন দেয়া গণভোটের প্রস্তাব জাতিসংঘের দপ্তরে ৬৭ বছর পর এখনো ঝুলে আছে।
হাজারি এবং বহু লেখক প্রায়ই একই কথা বলেছেন, কনফেডরেশন হলে লাভবান হবে ভারত। তাহলে কেন বিভক্তির জন্য তারা সাড়া দিয়েছিল? একটি একটি জবাব হলো, তৎকালীন প্রাদেশিক নির্বাচনগুলোতে (যা ছিল সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ) মুসলমানদের স্বতন্ত বাসভূমির প্রতি যে ইচ্ছা তার সম্যক প্রকাশ ঘটে। আর অন্য পক্ষের উসকানিতে রক্তক্ষয় হওয়ার কারণে তাদের স্বার্থের জন্য কী করণীয় তা স্পষ্টত প্রকাশ পায়। যেমন হিন্দু মহাসভার নেতা শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি (যার সাথে ফজলুল হক মন্ত্রিসভাও গঠন করেছিলেন) পাকিস্তানের তীব্র নিন্দা করে হুমকি দিয়েছিলেন-হিন্দুরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে এর বিরোদিতা করবে। এরপরই দাঙ্গা শুরু হয়।
সম্প্রতি পাকিস্তান ও ভারতের কয়েকটি টিভি টকশোতে এই কনফেডারেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বভাবতই দুই দেশের বক্তব্য দুই রকম হয়েছে। ভারতীয় টকশোর মূল বক্তব্য হলো, ‘এটা (কনফেডারেশন) হলে জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে।’ পাকিস্তানের টকশোতে ভারতের বিরামহীন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার হিসাব তুলে ধরা হয় (প্রতিদিন অন্তত একটি) এবং মুসলমানেরা (২৫% হওয়া সত্তে¡ও) কোনো অংশদারিত্বে নেই, বরং কৌশলে সব সুবিধা নিয়ে নিচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এর মাঝে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারত অন্তত চারটি পথ দিয়ে পূর্বাঞ্চলে যাওয়ার অনুমতি পেলেও বাংলাদেশ তেমন কোনো সুবিধা পায়নি। টকশোতে বলা হয়, জিন্নাহ একটি করিডোর দাবি করেছিলেন, কিন্তু নেহরু তা নাচক করে দেন।
১৯৪১ সালে ভারতবর্ষের আদমশুমারি অনুযায়ী পাঞ্জাব আর বাংলার মুসলিম গরিষ্ঠ জেলাসমূহ ঃ মৌলানা আবুল কালাম আজাদ-ভারত স্বাধীন হল ঃ এ বইয়ে ১৮৬ পৃষ্ঠায় দেখা যেতে পারে ঃ ১. পাঞ্জাব ঃ লাহোর বিভাগ-গুজরানওয়ালা, গুরুদাসপুর, লাহোর, শেখপুরা ও শিয়ালকোট।
রাওয়ালপিন্ডি বিভাগ ঃ আটক, গুজরাট, ঝিলাম, মিয়াঁওয়ালী, রাওয়ালপিন্ডি, শালপুর।
মুলতান বিভাগ ঃ ডেরা গাজী খাঁ, ঝং, লায়ালপুর, মন্টগোমারি, মুলতান, মুজফফর গড়।
(২) বাংলা ঃ চট্টগ্রাম বিভাগ-চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, ত্রিপুরা।
ঢাকা বিভাগ-বাখরগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ।
প্রেসিডেন্সি বিভাগ-যশোর, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া।
রাজশাহী বিভাগ-বগুড়া, দিনাজপুর, মালদহ, পাবনা, রাজশাহী, রংপুর।
১৯৪১ সালে প্রথম ইজতেমা দিল্লির নিজামউদ্দীন মসজিদের ছোট এলাকা মেওয়াতের নুহ মাদ্রাসায় আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় ২৫ হাজার তাবলিগ দ্বীনদার মুসলমান অংশ নেন। এভাবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে মেওয়াতের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কিছু মানুষের কাছে দ্বীনের কথা প্রচারের মধ্য দিয়ে তাবলিগ জামাতের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে ঢাকার পার্কসংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামে, ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৬ সালে ইজতেমা টঙ্গীর পাগার গ্রামের খোলা মাঠে আয়োজন করা হয়। ১৯৬৭ সাল থেকে বর্তমান অবধি (২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে) ‘বিশ্ব ইজতেমা’ টঙ্গীর শহর দরিয়াখ্যাত তুরাগ নদের উত্তর-পূর্ব তীরসংলগ্ন ডোবা-নালা, উঁচু-নিচু মিলিয়ে রাজউকের হুকুমদখলকৃত ১৬০ একর জায়গার বিশাল খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সরকার রাজউকের ১৬০-একর ভূমি বিশ্ব ইজতেমার জন্য অস্থায়ীভাবে বরাদ্দ করলে এটি স্থায়ী ইজতেমার মাঠে রূপ নেয়। বিশ্বের ৫০ থেকে ৫৫টি দেশের লোক আসে। প্রতিবছর এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৭০০ জামাত বিশ্ব ইজতেমা থেকে দেশে-বিদেশে এক চিল্লা-৪০ দিন, তিন চিল্লা-চার মাস, ছয় মাস ও এক বছরের জন্য আল্লাহর দ্বীনের তাবলিগ ও দাওয়াতের জন্য বের হয়। (১৮৮৫ সালে বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও সাধক হজরত মাওলানা ইলিয়াস আখতার কান্ধলভির জন্ম, মৃত্যু-১৯৪৪ সালে। দাওয়াতে তাবলিগ জামাতের পুনর্জাগরণ করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী দিল্লির দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এক জনবিরল নীরব অঞ্চল ‘মেওয়াত’। চারিত্রিক বিপর্যস্ত ধর্মকর্মহীন, অশিক্ষিত ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন নামেমাত্র মুসলমান  ‘মেও’ জনগোষ্ঠীকে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস, ধর্মেও পূণাঙ্গ অনুশীলন ও কালেমার দাওয়াতি মর্ম শিক্ষাদান এবং বিভ্রান্তির কবল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে হজরত মাওলানা ইলিয়াস(রা.) তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম শুরু করেন।)
১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর, সপ্তাহে ১৫ মিনিটের বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারের মধ্য দিয়ে বিবিসি বাংলা বিভাগের অভিযাত্রা শুরু হয়। বিবিসি বর্তমানে ১১ অক্টোবর, ২০১১ সালে এক কোটি ৩০ লাখ নিয়মিত শ্রোতা সকালে প্রভাতি ও প্রত্যুষা এবং সন্ধ্যায় প্রবাহ ও রাতে পরিক্রমা-বিবিসি বাংলার এই চারটি অধিবেশনে।
১৯৪২ সালের ১০ জুলাই, দুরারোগ্য ব্যাধিতে কাজী নজরুল ইসলাম বাকরুদ্ধ হন।
১৯৪২ সালে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আসামের বাঙ্গালিরা লাইন প্রথা ভঙ্গ করে।
১৯৪২ সালে কিশোরগঞ্জ শহরে জামে মসজিদের সম্মুখে হিন্দুদের পুজা উৎসবে গানবাজনাকে কেন্দ্র করে যে দাঙ্গা হয় তাতে পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজনের মৃত্যু হয়।
১৯৪৩ সনের দুর্ভিক্ষে সোনার বাংলার ত্রিশ/চল্লিশ লাখ লোক নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলো। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এর আগে ১১৭৬ সনের (বাংলা ক্যালেন্ডার) দুর্ভিক্ষে বাংলার অর্ধেক কৃষক মারা যায়। মানুষের ভয়ে মানুষ বনে জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। তবু পাকিস্তান আমলে এদেশের ব্যাপক মানুষের এই বিশ্বাস ছিলো যে পাকিস্তানে সম্পদ পাচার হতো বলেই  বৈষম্য ও সম্পদ পাচার মিথ্যা ছিলোনা। বৈষম্য বিরোধী ৬-দফা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সূচনা। অতঃপর ১৯৭১ সনের ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পরাজয় ও আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। এখন ফলে অতীতের বৈষম্য প্রচন্ড প্রতাপে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। বৈষম্য সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন ‘দেশের জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ মানুষ পঁচানব্বই ভাগ সম্পদের মালিক আর পঁচানব্বই শতাংশ মানুষ মাত্র পাঁচ ভাগ সম্পদের মালিক। এই বৈষম্যের এক প্রান্তের পঁচানব্বই শতাংশ হলেন শ্রমিক-মজুর-কৃষকসহ শ্রমজীবী কর্মজীবী জনসাধারণ।
১৯৪৭ সালের ২৭ এপ্রিল, সোহরাওয়ার্দী অখন্ড স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা পেশ করেন।
১৯৪৭ সালে যখন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাস করে, তখন জাতিসংঘের মোট সদস্য রাষ্ট্র ছিল ৫১টি।
১৯৪৭ সালের ৭ জুলাই, পাকিস্তান ইস্যুর উপর সিলেটে দু’দিনব্যাপী গণভোট শেষ হয়।
১৯৪৭ সালের আগষ্ট, মওলানা ভাসানী গ্রেফতার হন এবং পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসেও তিনি আসামের কারাগারে ছিলেন।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট, পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সালের ১৬ আগষ্ট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক দেশ’ পত্রিকায় ‘স্বাধীন ভারত’ সংখ্যায় লেখা হয়েছিল ঃ ১৫ আগষ্টের উৎসব আমাদিগকে সেই আশাতেই উদ্দীপ্ত করিয়াছে যে, ভারত আবার এক হবে। …আমরা পারস্পরিক মিলনের সেই শুভদিন গুনিতে থাকব। নতুবা আমাদের শান্তি নাই, তৃপ্তি নাই এবং নিবৃত্তি নাই। অখন্ড ভারতের আদর্শ আমরা ভুলিতে পারি না, তাহা আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়াইয়া গিয়েছে। সে আদর্শ ভুলিলে আমরা বাঁচিব না। চব্বিশ পরগনার একটি মেয়ে, কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এম. এ. ক্লাশের ছাত্রী রাজিয়া সুলতানা। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ১৯৮২ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি, তারিখ শুক্রবারের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার একটা খবর দেখিয়েছিলেন। খবরটা এই যে, ১৯৬৫ সালের ১৬ জুন, তারিখ বুধবার ভারত সরকারের যে এক গোপন সরকারী নির্দেশ জারি করা হল-সে অনুসারে পূর্ব-পাকিস্তানের সমস্ত সংখ্যালঘুকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। (২০০৪ সালের ১১ নভেম্বরের ইনকিলাব পত্রিকার বৃহস্পতিবার, ঢাকা, ঈদ সংখ্যা-২০০৪-থেকে লেখা)।
১৯৪৭ সালের ১৭ আগষ্ট, পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর ‘ইস্কান্দার মির্জা’ ছিলেন।
১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর, প্রতিষ্ঠিত হয় এ অঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিস’। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ নামে একটি  পুস্তিকা প্রকাশ করে। এতে যাদের লেখা ছিল তারা হলেন-অধ্যক্ষ আবুল কাসেম, প্রফেসর কাজী মোতাহার হোসেন ও সাহিত্যিক সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ।
১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশ করে বাংলা ভাষার দাবীতে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
১৯৪৭ সালে ঢাকা হাইকোর্ট জাজেস গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সালের আগ পর্যন্ত পূর্ব বাংলায় ৩৩৫টি বেসরকারি গণগ্রন্থাগার লক্ষ করা যায়।
১৯৪৭ সালে রাজশাহী বিভাগীয় অফিস গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ১৮টি বিশেষ গ্রন্থাগার দেখতে পাওয়া যায়।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পূর্ব-বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশে) বেকার লোকের সংখ্যা ছিল ২.৯৫(দুই লক্ষ পঁচানব্বই হাজার)। ১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাইয়ের তথ্য-বর্তমানে বাংলাদেশে ৪.৫(চার কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) লোক কোন না কোনভাবে বেকার। ২০০৭ সালের রিপোর্ট হলো-বাংলাদেশে প্রায় ৫.৫(সাড়ে পাঁচ কোটি) লোক কোন না কোনভাবে বেকার।
১৯৪৭ সালে বাংলাদেশের ২৪ ভাগ বনাঞ্চল ছিল এবং তা থেকে কমে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ১৬ ভাগ বনের পরিমাণ ছিল। ২০০৭ সালে আছে মাত্র ৯ ভাগ কিন্তু প্রয়োজন শতকরা ২৫ ভাগ। বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর স্থলভাগের শতকরা ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন।
১৯৬২ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান মধুপুর বনকে জাতীয় উদ্যানে পরিণত করেন।
২০০৪ সালের ৩১ মে, বৃক্ষমেলা উদ্ভোধনকালে ২০১৫ সালের মধ্যে বনাঞ্চল ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে। বনমন্ত্রী-তরিকুল ইসলাম বলেছেন। আমি বলি বনাঞ্চল ১০ ভাগে উন্নীত করবে না।
২০০৬ সালের ৫ জুলাই, সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদে মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম দেশে সংরক্ষিত বন এলাকা ৯১,৩৮১ একর। এরমধ্যে কৃষি উপযোগী কোন জমি নেই। এ বনভূমি চট্টগ্রামের কুমিরা, পাহাড়তলী, সাতকানিয়া, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী, কক্সবাজার, নোয়াখালী, নীলফামারী, নওগাঁ জেলায় রয়েছে। সমগ্র দেশে বিভিন্ন শ্রেণীর বনাঞ্চলের পরিমাণ ২.৫৩ মিলিয়ন হেক্টর যা দেশের মোট আয়তনের শতকরা ১৭.৫০ ভাগ। এরমধ্যে বন বিভাগের সরাসরি আওতায় বনভূমির পরিমাণ ১.৫২ মিলিয়ন হেক্টর। যা মোট বনভমির পরিমাণ ১০.৩০ ভাগ।
২০১০ সালের ১৮ মে, প্রথম আলো ঃ ২৭ জেলার ১৫ লাখ একর বনভূমিকে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের বন আইনের ২০ ধারার বিধানমতে দ্রুত গেজেট নোটিফিকেশন জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৭ জেলার নাম-ঢাকা, গাজীপুর, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়।
১৯৯৫ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫-এর আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পলিথিন ব্যাগ যখন নিষিদ্ধ হয় ঃ পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে সরকার ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে  রাজধানী ঢাকায় এবং একই বছরের ১ মার্চ থেকে সারা দেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
১৯৯৫ সালে প্রথম জলবায়ু সম্মেলন (বার্লিন, জার্মানি, ১৯৯৫)। এবার জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন-২০০৯, স্থান ঃ কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক (১৫তম সম্মেলন)।
২০১০ সালের ৫ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ নোয়াখালীর উপকূলীয় বন নিশ্চিহ্ন। প্রভাবশালীদের দখলে দুই হাজার একর খাসজমি। ৭০ জনের মধ্যে ১৯ জন আওয়ামী লীগের, ১৩ জন বিএনপির ও জাতীয় পার্টির একজন।
২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর অদূরে বন বিভাগের গাজীপুরের শ্রীপুর রেঞ্জের আওতাধীন  রাথুরা মৌজায় তিন হাজার ৮১০ একর জমির ওপর পার্কটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০১৩ সালের মধ্যে পার্কটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে মন্ত্রণালয় আশা করছে।
২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি খাত। কর্মশালায় অভিমত প্রায় ৮০ ভাগ উৎপাদন কমে যাবে।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ কাওসার রহমান, ডারবাণ, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রাতভর নাটকীয়তা শেষে জলবায়ু সম্মেলণে সমঝোতা।(১৭তম সম্মেলন)
২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর, বাংলাদেশে মোট বনভূমির পরিমাণ-২৫ লক্ষ হেক্টর বা ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার(প্রায়)।
১৯৪৭ সালে ঢাকা শহরে যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা ছিল-২৮৪টি। পাকিস্তানের ২৪ বছরে যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা ছিল-৩৮(আটএিশ) হাজার; বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গত ১৫ বছরে যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা ঢাকা শহরে-১(এক) লক্ষ; ২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর, পর্যন্ত ঢাকা শহরে যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা ৩(তিন) লক্ষ)। ২০০৪ সালে ঢাকা শহরে যন্তচালিত গাড়ির সংখ্যা ৪(চার) লক্ষ। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এক হিসাবে ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা দুইলাখ ১৬ হাজার। (৩০-০৪-২০১০) ঢাকায় নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ৫ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।  এসব গাড়ির মধ্যে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার প্রায় তিন লাখের ওপর। অন্য যেসব যান নিবন্ধন নিয়েছে সেগুলো হচ্ছে-বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকসা, ট্যাক্সিক্যাব, হিউম্যান হলার। এছাড়া মাইক্রোবাসেরও একটি বড় অংশ বাণিজ্যিক যান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সারা বাংলাদেশে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরের হিসেব অনুসারে সাড়ে ১২ লাখ গাড়ী আছে। ৩১-১২-২০০৯ তারিখের সমকাল পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ পর্যন্ত রাজধানীতে রেজিস্ট্রেশনকৃত যানবাহন ঃ (১) প্রাইভেটকার-২,১৬,০০০টি। (২) মাইক্রোবাস-৫৮,৬০৯টি। (৩) ট্যাকসিক্যাব-১০,৬৮২টি। (৪) বাস-৮,২১০টি। (৫) মিনিবাস-৮,৩১৭টি। (৬) ট্রাক-৩০,০১৫টি। (৭)  (৫) অটোরিকসা ও অটোটেমপু-১৪,৮২০টি ও (১০) মোটর সাইকেল-২,১৯,৪৪৩টি। + মোট=৫,২৭,০০০টি যানবাহন আছে। ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণাকেন্দ্রের তথ্য। সারা দেশে যানবাহনের সংখ্যা সাড়ে ১৩ লাখ। এসব গাড়ির জন্য লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা সাড়ে নয় লাখ। সাড়ে চার লাখ অদক্ষ-অপ্রশিক্ষিত চালকের কারনেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
১৯৬১ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তন সরকারের ৭-নম্বর অধ্যাদেশ বলে   ‘পূর্ব-পাকিস্তান রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন ইপিআরটিসি’ গঠিত হয়েছিল। ঐ বছরই ৮ মার্চ, মতিঝিল বাস ডিপো হতে মাত্র ৪টি বাস নিয়ে তৎকালীন ইপিআরটিসি যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে-এর বহরে ৬৩টি ট্রাক যুক্ত হয়। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, বিআরটিসির গাড়ীর সংখ্যা ৭৯৭টি। এরমধ্যে চলমান একতলা বাস ৪৫৪টি, দ্বিতল বাস ১৭৭টি। অত্যাধুনিক ভলভো দ্বিতল বাস আছে ৫০টি। খুব শিগগিরই ৩০টি সিএনজি ও ২১টি নন-সিএনজি বাস চলাচলের জন্য বহরে যুক্ত হবে। বিআরটিসি’র বাসের সংখ্যা হবে-৮৪১টি এবং ট্রাকেরসংখ্যা হবে-১,০১৫টি। আরো ৯৫টি দ্বিতল বাস খুব শিগগিরই বিআরটিসির বহরে যুক্ত হবে। এছাড়াও ৫০০টি সিএনজি বাস, ০০টি দ্বিতল বাস ও ৫০০টি ট্রাক সংগ্রহের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে।
২০০৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদ অনুসারে ঃ বাংলাদেশে নৌযানের সংখ্যা ১.১৬(এক লক্ষ ষোল হাজার)। আর ১৯৮৩ সালে নৌযানের সংখ্যা ছিল ১,২০০(এক হাজার দুইশত)। নৌযানের সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন কাজে জনবলের অভাব।
২০০৪ সালের ১০ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ ঢাকায় ৪শ’ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ মাত্র ১(এক) জন। সোয়া কোটি জনঅধ্যুষিত রাজধানী নগরী ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে মাত্র ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) ট্রাফিক পুলিশ। অর্থাৎ প্রতি ৫(পাঁচ)  হাজার নাগরিকের জন্য মাত্র ১(এক) জন ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। ট্রাফিক বিভাগের হিসাব অনুযায়ী ঢাকার রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ১০-লক্ষাধিক বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, বেবী টেক্সি, ভ্যান, মোটর সাইকেল, সাইকেল ও রিকসাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। সেই হিসাবে গড়ে ৪শ’টি যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ১(এক) জন করে ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে।
২০০৯ সালের ৩১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ঢাকার রাস্তা থেকে ৭০ হাজার যানবাহন তুলে নেওয়া হচ্ছে। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত-২০ বছরের পুরোনো বাস-সিনিবাস-ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলবে না। মেয়াদ থাকলেও লক্কড়ঝক্কড় ট্যাক্সিক্যাব তুলে নেওয়া হবে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০০৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা উত্তর (মিরপুর) ও ঢাকা দক্ষিণ (উকুরিয়া) বিআরটিএর কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নেওয়া গাড়ির সংখ্যা চার লাখ ৪৯ হাজার ৪৮২টি। প্রতিবছর গড়ে আরও প্রায় ৪৫ হাজার যানবাহন নিবন্ধন পাচ্ছে। বর্তমানে ঢাকায় নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এসব গাড়ির মধ্যে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার প্রায় তিন লাখের ওপর। অন্য যেসব যান নিবন্ধন নিয়েছে সেগুলো হচ্ছে-বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকসা, ট্যাক্সিক্যাব, হিউম্যান হলার। এছাড়া মাইক্রোবাসেরও একটি বড় অংশ বাণিজ্যিক যান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় রাস্তার তুলনায় দুই লাখ ৮৪ হাজার বেশি যান চলছে। এ শহরে প্রতিদিন গড়ে ২৩০টি গাড়ি রাস্তায় নামছে। ঢাকা শহরের মোট আয়তন ৮১৫ দশমিক ৮৫ বর্গকিলোমিটার। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী ২০৪ কিলোমিটার রাস্তার প্রয়োজন হলেও ঢাকা শহরে প্রধান রাস্তার পরিমাণ ৮৮ কিলোমিটার। সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, বর্তমানে ৮৮ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় পাঁচ লাখ যানবাহন চলাচল করছে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, ঢাকার প্রধান রাস্তাগুলোতে দুই লাখ ১৬ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারে।
২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর, পর্যন্ত হিসেব (ইন্টারনেট) ঃ সূত্র-বি.আর.টি.এর রেকর্ডে ইঞ্জিচালিত মোটনযানের সংখ্যা-২২,০৭৬০৮টি। এরমধ্যে (১) হেভী মোটনযান(বাস, ট্রাক ও লরীর) সংখ্যা-৮,০১,৩৭৮টি (২) লাইট হেভীযানের (কাভার্ড ভ্যান ও তিন টন পিকআপ) সংখ্যা-৩,৯৬,৬৭০টি (৩) মিডিয়াম লাইট যানের (প্রাইভেটকার, জীপ ও পাজেরু) সংখ্যা-৯,১৬,৭৬০টি (৪) মোটরযান, সিএনজি (থ্রী হুইলার) সংখ্যা-২৩,৪৫২টি ও (৫) মোটর সাইকেল (টু হুইলার) সংখ্যা-৬৯,৩৪৮টি। নিবন্ধন বাতিল-১৮,৬০১টি। (১) ১৮,৫০০ হাজার স্বালোইঞ্জিলচালিত নৌকা আছে (২)  ৩৮,০০০ হাজার স্ব্যালোইঞ্জিচালিত পাম্প আছে।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ বিআরটিএর হিসাব-দেশে বাণিজ্যিক যানের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ। এর এক লাখ অনুপযুক্ত। মোট বাণিজ্যিক যানের ১৮% অনুপযুক্ত। যোগাযোগমন্ত্রী বলেন-১০টি স্থানে উপস্থিত থেকে যানবাহন পরীক্ষা করেছি। এর মধ্যে ৮০% অনুপযুক্ত ও কাগজপত্র ভুয়া।
২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সারাদেশে ১১ হাজার ৮০৬ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। এসব মহাসড়কে ২শটির অধিক দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান রয়েছে। সারাদেশের সড়ক মহাসড়কগুলোতে প্রায় ১৫ লাখ রেজিস্ট্রেশনকৃত যানবাহন চলাচল করে। যদিও বেসরকারী হিসেবে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। সারাদেশে ৮০ হাজারের ওপর ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করে। পনের লাখ বৈধ যানের ৯ লাখ চালক বৈধ। বাকি অবৈধ। গতিসীমা অমান্যকারী চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। লক্ষ ঃ সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস।
২০১২ সালের ১ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ ১ কোটি ২৫ লাখ জনসংখ্যার ঢাকা শহরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বাস-মিনিবাস, ১৩ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকসা ও ২ হাজার হিউম্যান হলার। বাস-মিনিবাসের ৮০% লক্কড়-ঝক্কড় ও চলাচলের অনুপযোগী। ৩,৩৫৮ ঃ জনশক্তির ট্রাফিক বিভাগকে সামলাতে হয় ২ হাজার ২৭৪ কিলোমিটার সড়ক। এসব সড়কে ৬৫০ ক্রসিং থাকলেও সংকেতবাতি রয়েছে মাত্র ৭০টি। ৩০% রাস্তা অব্যবহৃত থাকে যত্রতত্র গাড়ি রাখার কারণে। ফুটপাত উদ্ধারেও কোনো ব্যবস্থা নেই। যানজটে ক্ষতি ঃ ২০ হাজার ৮০ কোটি টাকা বছরে ক্ষতি হচ্ছে। অতিরিক্ত জ্বালানির খরচ ৫৭৫ কোটি, সময় অপচয়ের কারণে ১২,৫৭৫ কোটি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ২৯৩০ কোটি এবং দেরিতে পণ্য পরিবহনে ক্ষতি আরও ২০০০ কোটি টাকা। গণপরিবহনে গণনৈরাজ্য।
২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাজনীতিকেরাই নিয়ন্ত্রক-রাজধানীর গণপরিবহনঃ ৪২% মানুষ যাতায়াতের জন্য যান্ত্রিক বাহন ব্যবহার করে। যান্ত্রিক যানের মধ্যে বাস ও অটোরিকশার ব্যবহার-৮৭%। ব্যক্তিগত গাড়ি বা কারে যাতায়াত হয়-৫%। একটি কারে গড়ে ২.২ জন যাত্রী চড়ে। বাসে গড়ে ৪৪ জন। অথচ দুটি কার একটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। আর ৫৮% মানুষ হেঁটে বা রিকশায় চলাচল করে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, (১৯-০২-২০১৪ তারিখ) ঢাকায় চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪০৭টি।
২০১৪ সালের ১২ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সড়ক তৈরিতে আসছে পরিবর্তন-১(এক) লাখ কিলোমিটারের বেশি সড়ক কংক্রিটের ব্যবহারের আওতায় আনতে হবে ঃ (১) মোট সড়ক ঃ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে-বাংলাদেশ জাতীয় সড়ক আছে ঃ (১) তিন হাজার ৫৪৪ কিলোমিটার। (২) আঞ্চলিক মহাসড়ক চার হাজার ২৭৮ কিলোমিটার ও জেলা সড়ক রয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৯ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সড়ক ও জনপথের  রাস্তার পরিমাণ ২১ হাজার ৪৮১ কিলোমিটার। (৩) ব্রিজের সংখ্যা-৭ হাজার ৭৪১টি (৪) কালবার্ট-এর সংখ্যা-১৩ হাজার ৭৫১টি। স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডি সূত্র জানায়, বর্তমানে সারাদেশে এলজিইডির ৮০ হাজার ১১৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত-পরিবহনের সংখ্যা-১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৮০২টি। এরমধ্যে অটোরিকসার সংখ্যা-এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৫টি, অটোটেম্পুর সংখ্যা-১৫ হাজার ৪৭২টি, বাস-৩২ হাজার ১৪৭টি, কার্গো-ভেন-৫ হাজার ১২২টি, কাভার্ড ভেন-১১ হাজার ৯৬০টি, হিউমেন হলার-আট হাজার ৭৮১টি, মাইক্রোবাস-৭৬ হাজার ২৬৬টি, মিনিবাস-২৬ হাজার ৩২৯টি, মোটর সাইকেল-১০ লাখ ৭০ হাজার ২২৫টি, প্রাইভেট পেসেঞ্জার কার-দুই লাখ ২৩ হাজার ৩৬৯টি, পেসেঞ্জার ভেহিকেল-সাত হাজার ২৪৫টি, টেক্সিক্যাব-৪৪ হাজার ৬৮৫টি, ট্রাক্টর-৩১ হাজার ২৩৩টি ও ট্রাকের সংখ্যা-এক লাখের বেশি। এ ছাড়াও অন্য যান্ত্রিক পরিবহনের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এক সিএফটি পাথরের দাম-১৪০/- টাকা থেকে ১৫০/- টাকা আর এক সিএফটি ইটের খোয়ার বাজার মূল্য ৮০/- টাকা। বাংলাদেশে-১,০০০(এক হাজার) মানুষের জন্য ১.৬ কিলোমিটার সড়ক আছে, ভারতের-১,০০০(এক হাজার) মানুষের জন্য ৩.৬ কিলোমিটার সড়ক আছে এবং ভ‚টানে-১,০০০(এক হাজার) মানুষের জন্য ৯.৭ কিলোমিটার সড়ক আছে।
২০১৫ সালের ৯ আগস্ট, প্রথম আলো : সারা দেশে বাস-মিনিবাসের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ৬১ হাজার ৫৮৯টি। এর মধ্যে ৪০ হাজার ৮২২টি বাস-মিনিবাস ১০ বছরের পুরোনো। ২০ বছরের পুরোনো বাস-মিনিবাসের সংখ্যা ১৮ হাজার ৫৪টি। বিআরটিএর আরেক হিসাবে দেখা যায়, ১৯৯৫ সালের পর থেকে সারা দেশে বাস-মিনিবাসের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৩৫টি। অথচ এই সময়ে অটোরিকশা ও টেম্পোর নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে-২ লাখ ১৩ হাজার ১৬২টি। কিন্তু সারা দেশে বৈধ-অবৈধ অটোরিকশা, নছিমন, করিমন, ভটভটি ও ইজিবাইক রয়েছে ১৩ লাখের বেশি।
২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : ঢাকায় প্রতিদিন ৩১৭টি যানবাহনের নিবন্ধন।
২০১৬ সালের ৩০ জুন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ রাজধানীতে ৭ লাখ ৫১ হাজার ৭৩০টি যানবাহন চলাচল করে। ৭ লাখ ২৯ হাজার ৯৫৯টি এবং গণপরিবহন ২১ হাজার ৭৭১টি। এর মধ্যে মটর সাইকেল ৪ লাখ ৩ হাজার ৪২টি।
১৯৪৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিফোনের সংখ্যা ছিল ১,৫০০(এক হাজার পাঁচশত); তন্মধ্যে ঢাকায় ছিল মাত্র ৩০০(তিনশত)। ৩০-৬-২০০২ তারিখের হিসেবমতে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারী সংযোগসহ টেলিফোন-এর সংখ্যা পনের লক্ষ (এনালগ, ডিজিটাল ও মোবাইলসহ)। ২০০০ সালের ২ এপ্রিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-২০০২ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে একটি করে টেলিফোন সংযোগ দেয়া হবে। ২০০২ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে টেলিফোন সংযোগ দেয়া হয়নি-কিন্তু সভায় এ কথা বলে সকলের হাততালি নিয়েছে। এভাবেই সরকার প্রধানরা বা সরকারের মন্ত্রীরা মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। আমার জীবনে তাদের কথা এবং কাজের প্রতিফলিত হতে দেখিনি আর বাকী জীবনও দেখবো না। কারণ এ সমাজ ব্যবস্থায় বাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না। যে সমাজে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোট করে-সে সমাজে মানুষ ভাল কিছু আসা করতে পারে না। ২০০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী টেলিফোনের সংখ্যা হলো-১(এক) কোটি। বিশ্বে টেলিফোনের সংখ্যা ১৮০(একশত আশি) কোটি। গড়ে ৩.৬১ জনে একটি। বাংলাদেশে ৬.৬৫%;   পাকিস্তানে ১৩.৫% ও ভারতে ১৯.৫% লোকের টেলিফোন আছে। ২০০৬ সালের ২৭ জুলাই, মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার তার মেয়াদকালের মাত্র ৪ বছরে টিএন্ডটির ফিস্কড ফোনের সংযোগ ৬ লাখ থেকে ১২ লাখে উন্নীত করেছে। সেই সাথে মোবাইল ফোনের সংযোগ ৫ লাখ থেকে ১(এক) কোটি ৪০(চল্লিশ) লাখে উন্নীত হয়েছে। ২০০১ সালের ১৭ মে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ঃ বাংলাদেশে প্রতি একশত জনে ১টি টেলিফোন। এ হিসেবে মোট ১৪,৫০,০০০(চৌদ্দ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টেলিফোন আছে। ২০০৩ সালের হিসেব অনুযায়ী-বাংলাদেশে(এনালগ, ডিজিটাল ও মোবাইলসহ) ২২,৫০,০০০(বাইশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টেলিফোন আছে। ২০০৫ সালের হিসেব অনুসারে-বাংলাদেশে(এনালগ, ডিজিটাল ও মোবাইলসহ) ১(এক) কোটি টেলিফোন আছে। ২০০৭ সালের হিসেব অনুযায়ী-বাংলাদেশে(এনালগ, ডিজিটাল ও মোবাইলসহ) ২(দুই) কোটি টেলিফোন আছে। ২০০৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ থেকে এনা ঃ জেনেভাস্থ জাতিসংঘ টেলিকম্যুনিকেশন এজেন্সি ৪ সেপ্টেম্বর-এ খবর দিয়েছে-বিশ্বে ৪শ’ কোটি টেলিফোন আছে-এরমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম্যুনিকেশন ইউনিয়নের হিসাব অনুযায়ী ১শ ২৭ কোটি হচ্ছে আবাশিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ এবং ২শ ৬৮ কোটি হচ্ছে মোবাইল ফোন। ৩০-০৫-২০০৯ তারিখের হিসেব অনুসারে-বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের সংখ্যা হলো-প্রায় সাড়ে চার কোটি। ২০০৯ সালের ২৭ মে মাসের হিসেব অনুযায়ী পৃথিবীতে ৪৫০ কোটি টেলিফোন অরছে। ১১-০৬-২০১০ তারিখ টেলিফোন ঃ ২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষের ল্যান্ডফোনের সংযোগ আছে। তবে মুঠোফোনের সংযোগ আছে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের।
১৯৯৭ সালের ২৪ মার্চ, গ্রামীণফোন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০০৯-২০১০ থেকে গ্রামীণফোন দেশে সর্বোচ্চ মাসিক আয়কর দিয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোন জাতীয় কোষাগারে মোট ১৪ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা।
১৯৯৭ সালে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক ৩ জেলায় ছিল। ২০০০ সালে ছিল ৩০ জেলায়। ২০০২ সালে ৫০ জেলায় ছিল এবং ২০০৪ সালে ছিল ৬১ জেলায় আর বর্তমানে ২০১৪ সালে ৬৪ জেলায় আছে-১১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৩ হাজার।
২০০৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান বলেছেন, ‘মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে। এসব কোম্পানীর সেবাও ভাল নয়। গ্রাহকরা মোবাইল কোম্পানীগুলোর সেবায় সন্তুষ্ট নয়। মোবাইলের কলচার্জ কমানোর জন্য যাতে ব্যবস্থা নেয়া হয় সেজন্য বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানকে বলেছি। এরপরও যদি কলচার্জ না কমায় তাহলে আমি নিজেই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলব।’
২০০৫ সালের ৭ ডিসেম্বর, জাকারিয়া কাজল ঃ মোবাইল ফোন কোম্পানি হিসেবে ধাবি’র ওয়ারিদ টেলিকম অনুমতি পেল-বিটিআরসি মুখ খুলেনি। বাংলাদেশে ৬ষ্ঠ মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে ওয়ারিদ-টেলিকমকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গ্রামীণফোনের ৬০ লাখ গ্রাহক অর্জন উপলক্ষে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ কর্মসূচী। ২০০৫ সালে প্রায় ৩০ লাখ নতুন গ্রাহক অর্জন করে এবং গত নভেম্বর মাসেই-এর গ্রাহক সংখ্যা ৫০ লাখে পৌঁছেছিল।
২০০৬ সালের ২৯ এপ্রিল, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ বিদেশে কথা হবে ৩/-টাকা মিনিট ঃ ইন্টারনেট চার্জ ৫ পয়সা। সাবমেরিন ক্যাবল চালু হচ্ছে আগামী মাসের প্রথমার্ধে মানে ১৫-০৫-২০০৬ তারিখ।  এ চ্যানেল সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ২১ হাজারে। বাংলাদেশে ৪ থেকে ৫ লাখের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। বিটিটিবির সাড়ে ৪.৫ হাজার         আন্তর্জাতিক চ্যানেল রয়েছে। আর মোবাইলসহ টেলিফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১.২৫ কোটি। ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা-১৫ লাখে উন্নীত হয়েছে।
২০০৬ সালের ২৮ মে, তালুকদার হারুন ঃ বিটিটিবি পানির দামে বিক্রির তোড়জোড়। দেড় লাখ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের দাম ধরা হয়েছে মাত্র সাড়ে ৭-হাজার কোটি টাকা।
২০০৬ সালের ১ জুন, তালুকদার হারুন ঃ বিটিটিবির সিদ্ধান্ত-প্রতি মিনিট ৩-পয়সায় ছাত্র-ছাত্রীরা ইন্টারনেট সুবিধা পাবে। ছাত্ররা ০৬-০২-২০০৯ সাল পর্যন্ত এ সুযোগ পায়নি।
২০০৬ সালের ৫ জুলাই, ৩০ জুন, ২০০৬-এ গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা এখন ৮৫ লাখ।
২০০৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, যেকোন জিপি নম্বরে কল করুন মাত্র ২.৫০ টাকা প্রতি মিনিটে। ৯০ লক্ষেরও বেশি জিপি গ্রাহক কথা বলুন নিশ্চিন্তে।
২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, এখন মন খুলে কথা বলুন সকল মোবাইল ও টি.এন্ড.টি. নাম্বারে (বাংলালিংক মোবাইলে ১ কোটি ৬০ লক্ষের ও বেশি গ্রাহকের সাথে ২.৫০ টাকা মিনিটে)।
২০০৬ সালের ৬ নভেম্বর, গ্রামীণফোন-এক দশকে-এক কোটি সদস্যের পরিবার।
২০০৭ সালের ১৫ জানুয়ারি, দেশে এ যাবৎ সিম বিক্রির হিসেব অনুযায়ী ২ কোটি মোবাইল ফোন রয়েছে। তবে সক্রিয় মোবাইল ফোনের সংখ্যা ১ কোটিরও কম হবে বলে টেলিফোন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সময় অনুযায়ী কলরেটের বিভিন্নতার কারণে অধিকাংশ গ্রাহকই একাধিক, এমনকি অনেকে দুটি করেও মোবাইল ফোন বা সিম ব্যবহার করেন। গ্রামীণের-১ কোটি, একটেলের-৫০ লাখ, বাংলালিংকের-৩০ লাখ, সিটিসেলের-১৫ লাখ ও টেলিটকের প্রায় ৫ লাখ মোবাইল ফোনের গ্রাহক রয়েছে। আর টিএন্ডটির ল্যান্ড ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১০ লাখ এবং এর বার্ষিক আয় ২ হাজার কোটি টাকা।
২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দেড় কোটিরও বেশী এবং ১৯৯৭ সালের মার্চে কার্যক্রম শুরু কারার পর দেশে বৃহত্তম মোবাইল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। সারাদেশে ৫,০০০টিরও বেশী স্থানে প্রতিষ্ঠানটির বেস স্টেশন আছে।
২০০৭ সালের ২৭ মে, বাংলাদেশে শতকরা ১৮ ভাগ লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯৩ জন। আরো বলেছে যে-২০০৯ সালে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা হবে প্রায় ৫ কোটি লোক।
২০০৮ সালের ১৩ মার্চ, ২০০৭ সালে বাংলালিংকের ব্যবসায় সাফল্য। গ্রাহকসংখ্যা ও আয় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৬ সালে যেখানে কোম্পানির গ্রাহকসংখ্যা ছিল ৩৩ লাখ এবং আয় ছিল ৬৫৫ কোটি টাকা, সেখানে ২০০৭ সালে তা বেড়ে ৭১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং আয় বেড়েছে ১,৩৪০ কোটি টাকা; দেশের মোবাইল ফোনের মোট বাজারের ২০.৬০ শতাংশ। মোট মোবাইলের সংখ্যা হলো-৩.৬০(তিন কোটি ষাট লাখ)।
২০০৮ সালের ৩০ মার্চ, দেশে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার মোবাইল ফোন গ্রাহক আছে। নানা সূত্র অনুযায়ী দেশে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মোবাইল ফোন সেট আছে।
২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিবেদক-সাংবাদিকদের বিটিআরসির চেয়ারম্যান-২০১১ সালের মধ্যে মোবাইল ফোনের গ্রাহক ৭ কোটিতে উন্নীত হবে।
২০০৮ সালের ৬ মে, তিন পার্বত্য জেলায় এক মাসের মধ্যে মোবাইল ফোন চালু হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির ১৪ লাখ লোক টেলিযোগাযোগের আওতায় এল।
২০০৮ সালের ১৫ মে, আনুষ্ঠানিকভাবে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে পার্বত্য জেলা-রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন।
২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবর, আমাদের সময়-সংসদে তথ্য-ছয় মোবাইল কোম্পানির গ্রাহক  ৪ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার মোবাইল আছে। মোবাইল ব্যবহারকীর সংখ্যা-৩ কোটি।
২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ গ্রামীণফোনের গ্রাহক এখন দুই কোটি ৩৩ লাখ।
২০০৯ সালের ১১ মে, প্রথম আলো ঃ মোবাইল ফোনের গ্রাহকসংখ্যা এখন চার কোটি ৫৭ লাখ। (১) গ্রামীণফোন লিমিটেডকে সরকার লাইসেন্স দেয়-১৯৯৬ সালের নভেম্বরে। মোবাইল ফোনের-৪৬% ভাগ (২) বাংলালিংক ঃ ২০০৫ সালে চালু হওয়ার পর। মোবাইল ফোনের-২৪% ভাগ (৩) একটেল ঃ ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে। মোবাইল ফোনের-১৯% ভাগ (৪) ওয়ারিদ ঃ ২০০৫ সালে সরকারের লাইসেন্স পায়। মোবাইল ফোনের-৫% ভাগ (৫) সিটিসেল ঃ ১৯৮৯ সালের জুলাইয়ে অনুমোদন পায়। মোবাইল ফোনের-৪% ভাগ (৬) টেলিটক ঃ ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে অনুমোদন পায়। মোবাইল ফোনের-২% ভাগ। দক্ষিণ এশিয়ায় মোবাইল ফোন সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানে গ্রাহকের সংখ্যা সাড়ে নয় কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বাজার ধরার হার ৫৮ শতাংশ। ভারতে ৩৫ শতাংশ( প্রায় ৩৭ কোটি)।
২০১০ সালের ১৮ জুলাই, দেশে মুঠোফোনের গ্রাহক ছয় কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
২০১০ সালের নভেম্বর শেষে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৬৬ লাখ ২১ হাজার। ২০১০ সালের নভেম্বর শেষে মুঠোফোনের গ্রাহক ৬ কোটি ৬৬ লাখ ২১ হাজার।
২০১১ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুঠোফোনের গ্রাহক ৭ কোটি ৪০ হাজারে উন্নীত হয়েছে।
২০১২ সালের ১ জানুয়ারি, দৈনিক আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দুই কোটি পঁঞ্চাশ লাখ। এটা ভুল লেখা হয়েছে পত্রিকায়। ২০০৮ সালে ছিল ৪০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক আমাদের সময় ঃ ৩১-১২-২০১১ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহক ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৬ হাজার।
২০১২ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ গ্রামীণফোনের সংবাদ সম্মেলন-২০২০ সালে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক হবে প্রায় দুই কোটি।
২০১২ সালের মে মাসের তথ্যঃ দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা-৯ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার যার মধ্যে ৭ কোটি সংযোগ চালু আছে (তথ্য উৎস ঃবিটিআরসি, মে ২০১২ তারিখ ভিত্তিক রিপোর্ট।)
২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ আইটিইউর প্রতিবেদন। বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ইন্টারনেটের আওতায়। আর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইন্টারনেটের আওতায় আছে ২০ শতাংশের বেশি পরিবার। তবে বাংলাদেশে এই হার মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশ্বে মোট ৫৯৭ কোটি মুঠোফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে ইন্টারনেটের সংযোগ আছে ১০৯ কোটি ব্যবহারকারীর। আল জাজিরা। জাতিসংঘের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উল্লেখ।
২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি, শামীম চৌধুরীর কথা ঃ বাংলাদেশে প্রায় ১০ কোটি ২০ লাখ মোবাইল ফোন গ্রাহক। এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা-১০ কোটি মোবাইল সিম বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে ১১-০১-২০১৩ তারিখ।
২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি, শামীম চৌধুরীর কথা ঃ বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চার কোটি ২১ লাখ এবং প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কথা-ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা-৪ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। আমার মনে হয় ৩১-১২-২০১২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর শতকরা হার ১০% মানে এক কোটি ষাট লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাংলাদেশে।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন ঃ বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে ৫৮ জন মুঠোফোন কিংবা ল্যান্ডফোন সুবিধায় পায়।
২০১৪ সালের ১০ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ : বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের গ্রহক সংখ্যা ১১ কোটি ছাড়িয়েছে।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক চার কোটি ছাড়াল। কিন্তু দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই কোটি হতে পারে।
(১) গ্রামীণ ফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি(১৫-১০-২০১৪ তারিখ পর্যন্ত) । (২) বাংলা লিংক গ্রাহক ২ কোটি ৯০ লাখ(২৪-০২-২০১৪) । (৩) রবির গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি(০৬-০৯-২০১২) । (৪) এয়ারটেলের ৩৭ লাখ ৯৭ হাজার। (৫) সিটিসেল ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ও (৬) টেলিটক ১২ লাখ ৪ হাজার। দেশীয় মুঠোফোনের কোম্পানি টেলিটকের গ্রাহক কমেছে ২০ হাজার।
২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : সারা বিশ্বে বর্তমানে ব্যবহারকারী ১৬০ কোটি মানুষ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে যুক্ত রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১৩৫ কোটি মাসে অন্তত একবার ফেসবুক ব্যবহার করে। তার্ ামিলে মাসে ৩০ কোটি ছবি আপলোড করে এবং একবার ঢুকলে প্রায় ২০ মিনিট সেখানেই থাকে। প্রতি সেকেন্ড গড়ে পাঁচটি নতুন প্রোফাইল খোলা হয়। বাংলাদেশে মোট ব্যবহারকারী ১ কোটি ৮ লাখ। দেশে ২০০৯ সালে ৯৬ হাজার থেকে ২০১০ সালে ১৩ লাখ, ২০১১ সালে ২৩ লাখ, ২০১২ সালে ৩৩.৫২ লাখ, ২০১৩ সালে ৬৮ লাখ ২০১৪ সালে ১.০৮ লাখ। দেশে আট সেকেন্ডে যুক্ত হচ্ছে একজন।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : নভেম্বরে ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে প্রায় ১১ লাখ। অক্টোবর মাসে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল-৪ কোটি ৪০ লাখ ৮২ হাজার, যা নভেম্বরে দাঁড়ায় ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৭ জনে।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো : গ্রামীণ ফোনের গ্রহকসংখ্যা-৫ কোটি ১৫ লাখ (২) বাংলালিংকের গ্রাহকসংখ্যা-৩ কোটি ৯ লাখ (৩) রবির গ্রাহকসংখ্যা-২ কোটি ৫২ লাখ (৪) এয়ার টেলের গ্রহকসংখ্যা-৭৫ লাখ ১০ হাজার (৫) টেলিটকের গ্রহকসংখ্যা-৩৮ লাখ ৬০ হাজার ও (৬) সিটিসেলের গ্রহকসংখ্যা-১২ লাখ ৯৩ হাজার। মুঠোফোনের গ্রহক এখন ১২ কোটি দুই লাখ ৬৩ হাজার। শতকরা ৭০ শতাংশ। সাড়ে আট কোটি মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করে। আমার মনে শতকরা ৫০ মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করে।
২০১৫ সালের ১ জুলাই, প্রথম আলো : ১২ কোটি ৪৭ লাখ মুঠোফোন গ্রাহক। জুন মাসে ১২ লাখ বেড়ে ১ জুলাই গ্রাহকসংখ্যা-১২ কোটি ৫৯ লাখ। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা-৪ কোটি ৫৬ লাখ আর জুন মাসে ১৮ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়ে হয়েছে-৪ কোটি ৭৪  লাখ।
২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট, প্রথম আলো : দেশে মুঠোফোনের একক ব্যবহারকারী ৬ কোটি ৭০ লাখ। দেশে লোকসংখ্যা হলো-১৬ কোটি বা ১৭ কোটি। ৪১.৮৭ ভাগ বা ৩৯.৪১ ভাগ।
২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : বাংলাদেশে ইন্টারনেট গ্রাহক পাঁচ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার আর আইএসপি ও পিএসটিএন ১২ লাখ ৯৩ হাজার এবং ওয়াইম্যাক্স গ্রাহক ১ লাখ ৭৪ হাজার।
২০১৫ সালের ২ অক্টোবর, প্রথম আলো : ১৩ কোটি ছাড়াল মুঠোফোন গ্রাহক। ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে ১৫ লাখ। ইনটারনেট গ্রাহকসংখ্যা-৫ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার। এর মধ্যে মোবাইল ইনটারনেট গ্রাহক সংখ্যা-৫ কোটি ৭ লাখ ৪৩ হাজার।
২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কত? সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ বা ৫ কোটি ২২ লাখ মানুষ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কিন্তু জাতিসংঘের দুটি সংস্থা বলছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বা দেড় কোটির কিছু বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থান ১৬২তম।
২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশে ১ কোটি ৭০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি।
২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ এয়ারটেল গ্রাহক এক কোটি ছাড়াল।
২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৮৭ শতাংশ পরিবারেই মুঠোফোন আছে। বিবিএসের জরিপ। মুঠোফোন শহরে-৯৩.১% পরিবারে, গ্রামে আছে ৮৫% পরিবারে। ৩,১৩,৮৫,১৯৬ পরিবারের অন্তত একজন সদস্যের মুঠোফোন আছে। গ্রামে ১৫ বছরের বেশি বয়সী প্রতি চারজন নারীর মধ্যে তিনজনই মুঠোফোন ব্যবহার করেন। ৯১,৫৮,০০০ ব্যক্তি একবার হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন। ৭৬,৭০,০০০ ব্যক্তি একবার হলেও কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন। জরিপ অনুযায়ী দেশে-৩ কোটি ৫৭ লাখ ৮৭ হাজার পরিবার রয়েছে। ৮৭ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারের মুঠোফোন আছে। আর টেলিভিশন আছে-৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারের ও রেডিও আছে ১৪ শতাংশ বা ৫০ লাখ পরিবারের। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫ দশমিক ২ শতাংশ বা ১৭ লাখ। আর ৯১ লাখ ৫৮ হাজার ব্যক্তি একবার হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন। তবে কমপিউটার ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি বা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ব্যক্তি জীবদ্দশায় একবার হলেও কমপিউটার ব্যবহার করেছেন। দেশে প্রায় ১৩ কোটির বেশি সিম বিক্রি হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এক কোটি ২০ লাখ। ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন ঃ বিশ্বে মুঠোফোনে কম খরচে কথা বলায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ডিজিটাল জ্ঞানের অভাব বাংলাদেশে বড় বাধা। বিশ্ব অর্থনীতিতে মুঠোফোনের অবদান। বর্তমান বিশ্বে মুঠোফোন ব্যবহার করেন মোট জনসংখ্যার ৬৪%। বাংলাদেশে মুঠোফোন ব্যবহার করেন মোট জনসংখ্যার ৪৪%। একক মুঠোফোন  ব্যবহারকারী-বিশ্বে ঃ৪৭০ কোটি। বাংলাদেশে ঃ ৭ কোটি। বিশ্বে মুঠোফোন ও টেলিযোগাযোগ খাতের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ। সরকারের আয় বিশ্বে ঃ৪৩০ বিলিয়ন ডলার আর বাংলাদেশে ঃ ১২,০০০ হাজার কোটি টাকা।
২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ আঙুলের ছাপ ও তথ্য না মেলায় নিবন্ধিত হয়নি ১ কোটি সিম। বিটিআরসির অগ্রগতি প্রতিবেদন। ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত আঙুলের ছাপ পদ্ধতিট ৩৪ লাখ ৬০ হাজার সিম সফলভাবে নিবন্ধিত হয়েছে, যা বর্তমানে চালু থাকা মোট ১৩ কোটি ৮ লাখ সিমের ৪৮ শতাংশ।
২০১৬ সালের ১৭ মে, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন-বাংলাদেশে ইন্টারনেট পায় না প্রায় ১৫ কোটি মানুষ। বাংলাদেশে প্রায় ১৪ কোটি ৮০ লাখ লোক ইন্টারনেট সুবিধা পান না। ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। বিশ্বব্যাংকের ভাষায় এ বিপুলসংখ্যক মানুষকে ‘অফলাইন’ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ‘‘ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট-২০১৬ ঃ ডিজিটাল ডিভিডেন্ডস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১ জুন, প্রথম আলো ঃ চালু থাকা সিম-১৩ কোটি ১৯ লাখ সিমের ৮৬ শতাংশ পুনর্নিববন্ধিত। ৩১-০৫-২০১৬ তারিখ ১১ কোটির ওপরে সিম পুনর্নিববন্ধিত হয়েছে। ২,১৯,০০০০০ সিম নিবন্ধিত হয়নি। (১) গ্রামীণফোনের-৫ কোটি (২) বাংলালিংকের-২ কোটি ৭২ লাখ (৩) রবি আজিয়াটার-২ কোটি ১০ লাখ (৪) এয়ারটেলের-৭২ লাখ (৫) টেলিটকের-২৩ লাখ ও (৬) সিটিসেলের-২ লাক ৫ হাজার।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট থেকে ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান আমল ছিল (২৪ বছর ৪ মাস ৩ তিন) পূর্ব-পাকিস্তানে ছিল পাকিস্তানী শাসন-শোষণ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ১৬-১২-১৯৭১ তারিখ বিজয় অর্জন করেন।
১৯৪৭ সালে ২০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে করাচীতে প্রথম পাকিস্তানের রাজধানী স্থাপিত হয়। পরে ২০০ কোটি টাকা উন্নয়ন খরচ নির্ধারণ করে আইয়ূব খান রাওয়ালপিন্ডিতে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। পুণরায় ইসলামাবাদে রাজধানী স্থানান্তরিত করে উন্নয়ন খরচ নির্ধারণ করা হয় ১০০ কোটি টাকা। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাজধানী বলে খ্যাত ঢাকার উন্নয়নের জন্য খরচ করে মাত্র ২ কোটি টাকা। ১৯৬৮ সালে এহেন বৈষম্যমূলক আচরণে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ঘোষণা করেন-প্রয়োজনে খাজনা, ট্যাক্স প্রদান বন্ধ করা হবে। সভাশেষে তাঁর নেতৃত্তে¡ বিক্ষোভ মিছিল এবং গভর্ণর হাউস ঘেরাও। পুলিশের বাঁধা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মওলানা ভাসানী কর্তৃক পরদিন ঢাকায় হরতাল।
১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে ৫টি চিনির কল ছিল, ২০০৭ সালের মধ্যে ১৭টি চিনির কল আছে।
শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কারাবরণ ঃ
১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তান তমুদ্দিন মজলিস গঠিত হয় যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম এবং নুরুল হক ভূঁইয়া। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে সময় শেখ মুজিব ছিলেন ঢাকার বাহিরে গোপালগঞ্জ শহরে।
১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের ধর্মঘটে সমর্থন দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২৪ এপ্রিল কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা  গ্রহণ করলে ছাত্ররা আন্দোলন গড়ে তোলে। ২৫ এপ্রিল, ১৯৪৮ দেশব্যাপী হরতাল আহবান করা হয় ঠিক তার পূর্বে ১৯ এপ্রিল গ্রেফতার  হয়ে কারাগারে নীত হন শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা। এ পার্টি গঠনকালেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ১৯৪৯ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকা এলে আওয়ামী মুসলিম লীগ জনসভা ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে ও গভর্নর হাউসের দিকে মিছিল পরিচালনা করা হয়। উক্ত ঘটনার রেশ ধরে ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারী শেখ মুজিব গ্রেফতার হন।
১৯৪৯ সালের শেষের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীদের দাবী ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সূচনা হয়। সে সময় কেবল ১/-টাকা বেতন বৃদ্ধি ও সংগঠন করার দাবীতে আন্দোলনরত প্রায় ৫০ জন চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীকে তদানীন্তন মুসলিম লীগ সরকারের নির্দেশে একতরফা চাকুরীচ্যুত করা হয়। ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীদের এই দাবীকে সমর্থন ও সাহায্য করার অভিযোগে তৎকালীন ছাত্র নেতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ জন ছাত্র নেতাকে বহিস্কার করা হয়। যতদূর শুনা যায় শেখ মুজিবের প্রথম কারাবরণের শুরু হয়। ১৯৪৯ সালের পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীগণ সমিতি গঠনের জন্য উদ্যোগ নিলেও সফল হয়নি। ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়ন গঠন করা হয়।
১৯৫৪ সালের ১৫ মে আদমজীতে বাঙ্গালী-বিহারী পরিকল্পিত দাঙ্গায় সৃষ্ট ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার ৩০ মে ৯২(ক) ধারাজারী করে পূর্ব পাকিস্তানে শেরে-বাংলা মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসন জারী করে। সে সময় আন্দোলনের স্বার্থে আত্মগোপন করার জন্য অন্যান্য নেতারা পরামর্শ দিলেও তিনি শেখ মুজিবুর রহমান বাসায় বসে গ্রেফতার হন।
১৯৫৬ সালে চীন ভ্রমণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৬ সালে মাও সেতুংয়ের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুর বাংলাপ্রীতি-এ. এফ. জি. মহিউদ্দিন(প্রথম আলো-১৩-১১-২০১২ তারিখ)। গণচীনে ৩য় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পাশাপাশি আয়োজিত শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এই বক্তৃতা শুনে ভারতবর্ষের বাঙালী ডেলিগেটরা কি খুশি। ভারত থেকে মনোজ বসু বাংলায় বক্তৃতা করেছেন। পূর্ব বাংলার ছাত্ররা জীবন দিয়েছে মাতৃভাষার জন্য-১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। বাংলা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু লোকের ভাষা। আমার বক্তৃতার পরে মনোজ বসু ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন-‘‘ভাই মুজিব, আজ আমরা দুই দেশের লোক, কিন্তু আমাদের ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। আর পারবেও না। তোমরা বাংলা ভাষাকে জাতীয় মর্যাদা দিতে যে ত্যাগ স্বীকার করেছ-আমরা বাংলা ভাষা ভারতবর্ষের লোকেরাও তার জন্য গর্ব অনুভব করি। বক্তৃতার পর খন্দকার ইলিয়াস তো আমার গলাই ‘ছাড়ে না।
১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারী হলে শেখ মুজিব আন্দোলনের ঝামেলা এড়াবার লক্ষ্যে ১২ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে গ্রেফতার বরণ করেন। আউয়ুব খান ১৯৬২ সালের ৩০ জানুয়ারি, শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেফতার করে। উক্ত গ্রেফতার-এর প্রতিবাদে ১ ফেব্রæয়ারি, ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট ও ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্ট না করে শেখ মুজিব ৭ ফেব্রæয়ারি গ্রেফতার বরণ করেন।
১৯৬৫ সালে দেশের পাটকল শ্রমিকসহ সকল শ্রমিক সমাজ আপোষহীন আন্দোলনের সূচনা করে। এমন সময়ে শেখ মুজিব ৮ মে, স্বীয় বাসভবনে গ্রেফতার বরণ করেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রেতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হানাদার পাক বাহিনীর হামলার খবর পূর্বাহ্নে জ্ঞাত হয়েও নিজ বাসভবনে অবস্থান করে স্বেচ্ছায় গ্রেফতার বরণ করেন। ২৫ মার্চ রাতে হামলার খবর বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান পূর্বেই অবগত হয়ে তার বাড়ীর দুধের গাভীটি পর্যন্ত অন্যত্র সরিয়ে দেন। তার পরিবার পরিজন (স্ত্রী, কন্যা শেখ হাসিনাসহ) যাতে কোন সমস্যায় না পড়েন পাকিস্তানী শিল্পপতি ইউসুফ হারুন-এর মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা করে যান। ফলশ্রুতিতে বেগম মুজিব পুরো সংগ্রামের সময় ১,৫০০/-টাকা হারে মাসিক ভাতা গ্রহণ করেন ও পাক বাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে জীবনযাপন করেছেন। এমনকি ওই সময় শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান নির্বিঘেœ ভূমিষ্ট হয়।(ইনকিলাব পত্রিকা থেকে-১০-০৭-২০০৪ সালে)।
২০১০ সালের ১৫ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ১৯৪৯ সালে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে আরও কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে ছাত্রত্ব হারিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকেসহ পাঁচজনকে শর্তসাপেক্ষে ছাত্রত্ব রাখার সুযোগ দিয়েছিল। তবে অনমনীয় তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান ওই শর্ত মানেননি। জরুরী সিন্ডিকিট সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ. আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এক ঘন্টা ১০ মিনিট আলোচনার পর কর্তৃপক্ষ বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তকে আজকের সিন্ডিকেট অগণতান্তিক ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হিসেবে গণ্য করে। সভা মনে করে, কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন ও নেত্রত্বদান ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ দূরদর্শী ও জ্ঞানদীপ্ত গণতান্তিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। এ সভা মনে করে, এ বহিস্কারাদেশ বহু আগেই প্রত্যাহার করা উচিত ছিল। কেটে গেছে ৬১টি বছর। বঙ্গবন্ধু উপাদি পাওয়ার ৪১ বছর পর আর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকীর একদিন আগে ১৪-০৮-২০১০ তারিখ বঙ্গবন্ধুর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সতেরো বার জেলে যেতে হয়েছে।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি, ফজলুল হক মুসলিম হলে পূর্ববাংলা মুসলিম ছাত্রলীগ গঠিত হয়।
১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, পাকিস্তানের গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী উত্থাপন ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের।
১৯৪৮ সালের ২ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ, পূর্ববঙ্গ কমিউনিষ্ট পার্টি’র জন্ম।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে প্রতিদিন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে ঢাকায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মিছিল হতে থাকে।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ, পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাভাষাকে সরকারী ভাষার মর্যাদা না দেয়ায় পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ, বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে সারা পূর্ববাংলায় ছাত্র ধর্মঘট ও প্রচন্ড বিক্ষোভ হয়। সমগ্র পূর্ববাংলায় সর্বপ্রথম সফল সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ, দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গে প্রথম হরতাল। ১১ মার্চের এ ধর্মঘট ভাষা আন্দোলনকে সংহত করেছিল।
১৯৪৮ সালের ১৪ মার্চ, মূলত ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
১৯৪৮ সালের ১৫ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন সকল দাবীদাওয়া মেনে নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ, কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র পূর্ববঙ্গ সফর।
১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ, রমনার রেসকোর্স ময়দানে কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে বলেছিলেন “উর্দু, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’’ শ্রোতাদের লক্ষ কন্ঠে সাথে সাথে ধ্বনিত হ’ল ‘না- না- না’।
১৯৪৮ সালের মার্চে জিন্নাহ ঢাকা সফরে এসে ২১ মার্চ, জনসভায় এবং ২৪ মার্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন উৎসবে প্রদত্ত ভাষণে উর্দুকে পাকিস্তানের এক মাত্র রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা করেন।
১৯৪৮ সালের এপ্রিল, পূর্ববাংলা ব্যবস্থাপক সভায় প্রাদেশিক সরকারের কাজে বাংলাভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৯৪৮ সালের ৭ মে, গঠন করা হয় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স পাকিস্তান পরে নাম বদলে রাখা হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মাসের পর “ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ’’।
১৯৪৮ সালে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়। দ্বিতীয়বার ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়। তৃতীয়বার ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর, আবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে যুদ্ধ হয় ভারত-পাকিস্তানের এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয় অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৪৯ সালের ১১ মার্চ, বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ববাংলায়  রাষ্ট্রভাষা দিবস পালিত হয়।
১৯৪৯ সালের ১১ মার্চ, নোয়াখালীর হামিদুল হক চৌধুরী ‘‘পাকিস্তান অবজারভার’’ (পরে বাংলাদেশ অবজারভার) ইংরেজী পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ, বিচারপতি এ. এস. এম. আকরাম পূর্ব বাংলার ভারপ্রাপ্ত গভর্নর নিযুক্ত হন।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোয়িশনের প্রতিষ্ঠাকাল।
১৯৪৯ সালের ১৩ অক্টোবর, মওলানা ভাসানী জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হলেন।
১৯৪৯ সালে মওলানা ভাসানী পূর্ব-বাংলা রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগের (ইপরেল) সভাপতি।
১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি, ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচোল কৃষক বিদ্রোহের সূচনা হয়।
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডের ভয়াবহ হত্যাকান্ডে ৭ জন রাজবন্দী শহীদ হলেন এবং ৪০ জন রাজবন্দী আহত হলেন। (ভূমিহীন কৃষকদের ভূমির দাবিতে ‘লাঙল যার, জমি তার’ আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, বিপ্লবী কৃষক নেত্রী ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচোল কৃষক বিদ্রোহ, শ্রমিক আন্দোলন ইত্যাদি সমগ্র দেশে ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে।)
১৯৫০ সালের ৩০ নভেম্বর, বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেণী সরকারী কর্মচারী সমিতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৫০ সালে মাছ আমাদের অন্যতম সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে তৈরী হয়েছে ‘দি প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট’।
১৯৫১ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলা ভাষাকে ‘জাতীয় ভাষা’ করার দাবিতে সারা পূর্ববাংলায় ‘জাতীয় ভাষা দিবস’ পালিত হয়।
১৯৫১ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলাভাষাকে ‘জাতীয় ভাষা’ করার দাবীতে পূর্ব বাংলায় ‘জাতীয় ভাষা দিবস’ পালিত হয়।
১৯৫১ সালে ‘‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’’(এ. বি. আর.) গঠিত হওয়ার পর ৫৬ বছরের ইতিহাসে এটিই প্রথম মামলা এবং রায়। লবির ৮ বছর জেল ও অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত-২৫ লাখ টাকা জরিমানা।
১৯৫১ সালে নারায়নগঞ্জ জেলায় ‘‘আদমজী পাটকল’’ প্রথম স্থাপিত হয়।
১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবরের পর খাজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৫১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম ছিল। ???
১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি, খাজা নাজিমউদ্দিন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে বলে ঘোষণা দেন।
১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি, পূর্ব-বাংলায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের সভাপতি হিসাবে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, বিকেলে সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ ¯েøাগানে উচ্চকিত সেই দিনে বিকেল তিনটা ২০ থেকে তিনটা ৫০ মিনিট বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। সেই ‘‘দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিট’’।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের দাবীতে পুলিশের গুলিতে নিহত। ২১ ফেব্রæয়ারিকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন এ. কে. ফজলুল হক।
১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে শোক মিছিলে পুলিশ গুলী চালায়।
১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়।
১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল, পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) ছাত্র ইউনিয়নের জন্ম।
১৯৫২ সালের ২ মে, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৫২ সালে বাংলাদেশে প্রথম গৃহ ঋণদানের অগ্রপথিক বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের যাত্রা শুরু।
১৯৫৩ সালের ১৭ জানুয়ারি, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুনীর চৌধুরী ‘কবর’ নাটক রচনা শেষ করেন।
১৯৫৩ সালের ১ মে, ‘আদমজী জুট মিলস মজদুর ইউনিয়ন’ গঠিত হয়।
১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই, ২৯৮.২০ হেক্টর জমিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয প্রতিষ্ঠিত হয়।  বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৮ জন নিহত হয়েছে ছাত্র-শিক্ষক। নব্বইয়ের পরে নিহত ১৪ শিক্ষার্থীর নয়জনই শিবিরের শিকার।
১৯৫৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৩ সালে সেচ্ছাসেবক ভিত্তিতে তদানীন্তন পূর্ব-বাংলায় পরিবার পরিকল্পনা সমিতি এদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু করে।  তারও একযুগ পরে ১৯৬৫ সালে প্রথম এদেশে সরকারীভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ১৯৭৬ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই প্রথমবারের মতো জনসংখ্যাকে দেশের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি প্রনয়ণ করেন। এ সময়ই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ করার জন্য পূর্ণকালীন মাঠকর্মী নিয়োগ করা হয়। ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট, প্রথম আলো: পাশে অঅছি তাই, ৮ কোটিরও অধিক দম্পতি অপরিকল্পিত গর্ভধারণ থেকে পেয়েছে সুরক্ষা। বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীদের প্রতি তিন জনের একজন এস.এম.সি-ও পরিকল্পনা পণ্য ব্যবহার করছে। গত ৪১ বছর না গত ৩৯ বছর ধরে পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী সরবরাহ করে এসএমসি ৮ কোটি ২৬ লক্ষেরও অধিক দম্পতিকে সুরক্ষা দিয়েছে। দেশজুড়ে গড়েছে অসংখ্য ছোট ছোট সুখী পরিবার। দিয়েছে সুস্থ ও সুন্দর জীবন।
১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর, যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।
১৯৫৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম চন্দ্রঘোনা কাগজকল স্থাপিত হয়।
১৯৫৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯৫৪ সালে মুসলিমলীগ পূর্ব-বাংলায় বিলম্বিত সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করে।
১৯৫৪ সালে ২১-দফার ভিত্তিতে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন করে। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের টিকেট প্রদান নিয়ে ফজলুল হক-সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে মওলানা ভাসানীর বিরোধ প্রকট হয়ে ওঠে।
১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ, পূর্ববঙ্গ পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট মুসলিম লীগকে পরাজিত করে।
১৯৫৪ সালের ৮ থেকে ১২ মার্চ, পূর্ব বাংলায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুসলিম লীগ ৯টি আসনে এবং যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে বিজয় অর্জন করে।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনের মধ্যেদিয়ে মওলানা সাহেব কমিউনিস্টদের নিবিড় সান্নিধ্যে আসেন।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর মন্ত্রিসভা গঠন করে।
১৯৫৪ সালের ১৪ মে, আদমজী পাটকলে বাঙালী ও অবাঙালী শ্রমিকদের মধ্যে দাঙ্গা সংঘটিত হয়। এ দাঙ্গায় সরকারী হিসাবে ৪০০ জন ও বেসরকারী হিসাবে ৬০০ জন নিহত।
১৯৫৪ সালের ৩০ মে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব বাংলায় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বাতিল করে ও ৯২(ক) ধারা জারি করে।
১৯৫৪ সালের ৩০ মে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক পূর্ব-বাংলায় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বাতিল।
১৯৫৪ সালে রহিমআফরোজ ব্যাটারিজের গোড়াপত্তন হয়।
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর, পাকিস্তানের গণপরিষদ বাতিল করা হয়।
১৯৫৪ সালের নভেম্বরে, স্টকহোমে বিশ্বশান্তি সম্মেলনের এক বিশেষ অধিবেশনে মওলানা ভাসানী আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দেন।
১৯৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, কুমিল্লায় বেসরকারী কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন ‘কলেজ শিক্ষক সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ইসলামিক একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে পুনর্গঠিত হয় সমিতি। ১৯৫৪ থেকে ২০০৪ঃ কলেজ শিক্ষক সমিতির ৫০ বছর।
১৯৫৪ সালে নাবিস্কো গøুকোজ বিস্কুটের জন্ম।
১৯৫৫ সালের ১২ মে, সিলেটের হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়।
১৯৫৫ সালের ২২ মে, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (বাফার) প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৫ সালের ১৭ জুন এবং ১৯৫৬ সালের ১৫ জানুয়ারি, মওলানা ভাসানী প্রথম ‘স্বাধীন পূর্ব-পাকিস্তান’ গঠনের কথা উল্লেখ করেন।
১৯৫৫ সালের ২৪ অক্টোবর, আওয়ামী মুসলিম লীগের নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ রাখা হয়।
১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে, বাংলা একাডেমী অর্ডার ১৯৭২ জারি। ২০০৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারীর, সংবাদ অনুসারে ঃ একুশে বইমেলা ঃ একাডেমী প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৮ সাল থেকে বইমেলা শুরু হয়। এর আগে ১৯৭২ সালে প্রথম একুশে উপলক্ষে একাডেমীর নিজস্ব বই বিক্রি শুরু হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে বাংলা একাডেমীর একুশের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে একটি বেসরকারী প্রকাশনা সংস্থা প্রথম একাডেমীর বটতলায় চাদর পেতে বই বিক্রি শুরু করে। অনেকেই বলেছেন, ওই প্রতিষ্ঠানটি ছিল মুক্তধারা। পরের বছর থেকে প্রকাশনা সংস্থা বাড়তে থাকে। তাই ১৯৭৮ সালে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ মেলায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৭৮ সালেই বাংলা একাডেমী আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার আয়োজন করে আসছে। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি মেলা আয়োজনে সহযোগী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমীর নীতিমালা প্রণয়নকালে এ মেলার নামকরণ করা হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। ১৯৯২ সালে একুশের বইমেলা একাডেমীর দেয়ালের বাইরে গিয়ে অবস্থান নেয়।  স্টলের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১৯৯৭ সালে ৫২০টিতে গিয়ে দাঁড়ায়। ১৯৯৮ সাল থেকে আবার মেলা একাডেমীর চার দেয়ালের ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেয়। ২০০৪ সালে মেলায় ৪৫৭টি স্টল থাকছে। বাংলা একাডেমী এ পর্যন্ত ৪,৪০০ বিভিন্ন বিষয়ের বই প্রকাশ করেছে।
১৯৫৬ সাল থেকে আমি মোঃ জাকির হুসেন ওরফে আলমগীর প্রাইমারী স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বিড়ি-সিগারেট পান করতে থাকি এবং ১৯৮৬ সালের ১৮ জুলাই, মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর) সিগারেট পান করা বন্ধ করি। এরপর থেকে আমি বলি যে, আমি যদি সিগারেট পান করি তা’হলে আমি আমার পস্রাব পান করি। এ কথা তিনবার বলার পর আর পান করিনি। ০৪-১০-২০১৫ তারিখ পর্যন্ত সিগারেট আর পান করিনি।
১৯৫৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, মওলানা ভাসানী, মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ও শহীদ বরকতের মা  যৌথভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তি স্থাপন করেন।
১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার সেগুনবাগিচায় ‘বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৬ সালে সমিতির কার্যক্রম শাহবাগে স্থানান্তরিত হয়।
১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গণপরিষদে গৃহীত হয়।
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ, পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান কার্যকর হয়। এ সংবিধানে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
১৯৫৬ সালে ‘‘পূর্ববাংলার’’ নাম  ‘‘পূর্ব পাকিস্তান’’ রাখা হয়।
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ, পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়।
১৯৫৬ সালের ২৪ মার্চ,শের-ই-বাংলা এ.কে.ফজলুল হক পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্ণর নিযুক্ত হন।
১৯৫৬ সালের ২২ জুলাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোং লিমিটেডের জন্ম।
১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়-মোহাম্মদ সিদ্দিক খানের নের্তৃত্বে বাংলাদেশের গ্রন্থাগার সমিতি।
১৯৫৬ সালের ৩ আগষ্ট, পূর্ব-পাকিস্তানের নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ মুক্তি লাভ করে।
১৯৫৬ সালের ২৯ আগস্ট, খাদ্যের দাবিতে ঢাকায় ‘ভুখা মিছিল’ হয়।
১৯৫৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, আবদুল জব্বার পরিচালিত  ঢাকার প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ মুক্তি লাভ করে।
১৯৫৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলে, ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৫৬ সালে দুটো উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। প্রথমটি আওয়ামী ‘মুসলিম’ লীগ নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি প্রত্যাহার;দ্বিতীয়তঃ ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ, দেশের প্রথম সংবিধান ঘোষণা।
১৯৫৬ সালেই সর্বপ্রথম গণ-পরিষদে সাংবিধানিক প্রশ্ন নিয়ে তুমুল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫৬ সালে ‘পূর্ব-পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি’র কলকাতায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, কমিউনিষ্টরা আওয়ামী লীগের মধ্যে কাজ করবেন।
১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর, প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কচি-কাঁচার মেলা। প্রতিষ্ঠাদের মধ্যে ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল, কবি জসিমউদ্দিন, ড. কুদরত-এ-খুদা, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, ড. আবদুল্লাহ আলমুতী শরফুদ্দীন ও অধ্যাপক অজিত গুহ প্রমুখ। এখন তাঁদের কেউ বেঁচে নেই (০৬-১০-২০১১)।
১৯৫৬-৫৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, গভর্ণর শের-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, আতাউর রহমান খাঁনকে পূর্ব-পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ মন্ত্রীসভা গঠনের দায়িত্ব দেন।
১৯৫৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি, ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানীর কন্ঠে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার আহবান।
১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলনে লেনিন, গান্ধী প্রমুখ নেতার ছবি সম্বলিত তোরণ, ভারত থেকে তারাশঙ্কর, প্রবোধ কুমার সান্যাল প্রভৃতি সাহিত্যিকদের আমন্ত্রণ, দেশী-বিদেশী সংস্কৃতি চেতনাসম্পন্ন পন্ডিত ব্যক্তিদের আলোচনার মধ্যদিয়ে বাঙালির জাতীয় অনুসন্ধান সাধনের কথা আজ ভাবতেও অবাক লাগে।
১৯৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে কাগমারী সম্মেলন শুরু।
১৯৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, ঐতিহাসিক কাগমারীতে দু’দিনব্যাপী ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক সম্মেলন।
১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল, তৎকালীন পাকিস্তানের প্রাদেসিক পরিষদে শিল্পমন্ত্রী হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এফ.ডি.সি. বিল উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৫৭ সালে প্রথম ১৫ জন লোক নিয়ে এফ. ডি. সি.’র কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৮ সালে এ প্রতিষ্ঠানে ৫(পাঁচ) হাজার লোক কাজ করে। ২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের তথ্যানুযায়ী-এফ. ডি. সি-তে ১০(দশ) হাজার লোক কাজ করে। আর এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা করেছে বর্তমান সরকার মানে আওয়ামী লীগ। আর. এ. ঐতিহাসিক দিনেই এবার দেয়া হলো ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১০’।
১৯৫৭ সালের ৩০ মে, ‘পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন’ (ইপসিক) প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২ সালে নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন’ (বিসিক)।
১৯৫৭ সালের ২৪ জুলাই, মওলানা ভাসানী আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৫৭ সালের ২৫ জুলাই, মাওলানা ভাসানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করে।
১৯৫৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তানের করাচিতে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ নামে আজকের ‘‘বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান’’ (বিআইডিএস)-প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৭ সালের ১১ অক্টোবর, প্রেসিডেন্টের অভিপ্রায় অনুসারে সোহরাওয়ার্দী পদত্যাগ করেন।
১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানী এবং সোহরাওয়ার্দী সাহেবের বিরোধ আরো তীব্র হয়ে ওঠে।
১৯৫৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।
১৯৫৮ সালের ৮ মার্চ, ঢাকা মুসলিম চেম্বার এবং ইউনাইটেড চেম্বার একত্রকরণের মাধ্যমে ‘‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির’’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
১৯৫৮ সালে ঢাকায় শিক্ষা স¤প্রসারণ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৮ সালের শুরুতে মওলানা ভাসানী কৃষক সমিতি গঠন করেন।
১৯৫৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রেক্ষিতে সরকার বরিশালের মেরিন ওয়ার্কশপটি তাদের কাছে হস্তান্তর করে।
১৯৫৮ সালের ১৮ আগষ্ট, বাঙলাদেশের সাঁতারু ব্রজেন দাসের ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম। বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেন।
১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা পাকিস্তানে সামরিক আইন জারী করে ৮ অক্টোবর, প্রধান সেনাপতি আইয়ূব খানকে দেশে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধান সামরিক প্রশাসক নিযুক্ত করেন।
১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে জেনারেল আইয়ূব খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন।
১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবর, ‘ঢাকা বণিক ও শিল্প সমিতির’ (ডিসিসিআই)-এর প্রতিষ্ঠা। ৩১-১০-২০০৮ সালে (ডিসিসিআই)-এর ৫০ বছর বা সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেন।
১৯৫৮ সালে গাজীপুর ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেলের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত ক্যাডেট কলেজের মাদ্যমে ক্যাডেট কলেজ সংক্রান্ত ধারণা বিকাশ লাভ করতে থাকে।
১৯৫৯ সালের ২৭ মে, আই. সি. এস. অফিসার আখতার হামিদ খান-কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড)’র প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৫৯ সালের ১৯ মে, পূর্ব-পাকিস্তানে বর্তমান বাংলাদেশে বাঙ্গালী উদ্যোগে শুরু হয়েছিল ব্যাংকিং-এর এক নতুন অধ্যায় তৎকালীন ‘‘হাবিব ব্যাংক লিমিটেড’’ বর্তমানে ‘‘পূবালী ব্যাংক লিমিটেড’’ এ ব্যাংকই প্রথম ব্যাংক বাঙ্গালীদের।
১৯৫৯ সালের ১২ আগষ্ট, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ)’র প্রতিষ্ঠা।
১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর, পাকিস্তান সরকার মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ জারি করে। মৌলিক গণতন্ত্রের প্রবর্তক ছিলেন আইয়ূব খান।
১৯৫৯ সালের ২৭ অক্টোবর, পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খান তাঁর বিল্পব ঘোষণা করেন।
১৯৬০ সালে খুলনা-বাগেরহাটের মংলা সমুদ্রবন্দরের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৬০ সালে বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙাশিল্পের যাত্রা শুরু হয়।
১৯৬০ সালের ২০ জুন, মহাখালীতে পাক-সিয়াটো কলেরা  গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৬০ সালের ১৩ জুলাই, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ইরির ৫০ বছর উপলক্ষে ১৩-০৭-২০১০ তারিখ ধানমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৬১ সালে আইয়ূব খান পূর্ব-পাকিস্তান সফর করেন; তখন যদিও রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ছিল তবুও ঐ বছরের শেষ দিকে পূর্ব-পাকিস্তানে সর্বপ্রথম সামরিক আইন বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।
১৯৬১ সালের ১৮ আগষ্ট, ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে ৩-কিলোমিটার দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে প্রায় ১২৩০ একর জমি জুড়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে সার কারখানা স্থাপিত হয়।
১৯৬২ সালের ৩১ জানুয়ারি, করাচিতে আকস্মিকভাবে সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৬২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, শেখ মুজিবুর রহমান আগরতলা গিয়েছিলেন এবং আগরতলা একদিন ছিলেন তার পরের দিন ১৯৬২ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আবার কেউ কেউ বলেন ১৯৬৩ সালে আগরতলা গিয়েছিলেন তিনি এবং ১৫ দিন ছিলেন আগরতলা এবং কেউ কেউ বলেন একদিন ছিলেন আগরতলাতে। কোনটি সঠিক তা আমার জানা নেই।
১৯৬২ সালের ১ মার্চ, আইয়ূব খান তাঁর ‘মৌলিক গণতন্ত্র’ পরিকল্পিত শাসনতন্ত্র ঘোষণা করেন। এ শাসনতন্ত্রের লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিল শাসন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টের চিরস্থায়িত্ব।
১৯৬২ সালের ১ এপ্রিল, থেকে তিতাস গ্যাস উত্তোলন শুরু।
১৯৬২ সালের ২৮ এপ্রিল, আইয়ূব খান পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদের নির্বাচন ঘোষণা করেন।
১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প সির্মাণ করা হয়।
১৯৬২ সালের ৮ জুন, আইয়ূব খান নির্বাচনের কিছুদিন পর সামরিক শাসন রহিত ঘোষণা করেন।
১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বর, ছাত্ররা গণমুখী ও বিজ্ঞান ভিত্তিক গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার দাবীতে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, গণবিরোধী হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্র আন্দোলন ও হরতাল পালিত হয়।
১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, পুলিশ গুলি চালালে বাবুল, মোস্তফা, ওয়াজিউল্লাহসহ অনেকে শহীদ হন। শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের নামানুসারে ‘শরিফ কমিশনের’ বিরুদ্ধে আন্দোলনে এরা শহীন হন।
১৯৬২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ২১৫ একর জমির উপর করা হয়, ১৯৭ কোটি টাকা ব্যয়, ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি এবং প্রথম অধিবেশন বসে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ সালে।
১৯৬২ সালে ফুটবলার জহিরুল হকের হাতে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার তুলে দেয়ার মধ্যে দিয়ে যে শুরু সেরাদের স্কীকৃতি দেয়া, তা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি।
১৯৬২ সালের ১৫ ডিসেম্বর, সনদপ্রাপ্ত হিসাব নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান (সিএ ফার্ম) রহমান রহমান হকের জন্ম। ১৯৬২ সালে হিসাববিদ রেজাউর রহমান, সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও তৎকালীন পাকিস্তানের হিসাববিদ তাফসিন আই. হক এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৬৩ সালে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে ১৫ ভাগের মতো স্বাক্ষরতার হার ছিল।
১৯৯৭ সালের ২৭ জানুযারির তথ্যানুযায়ী ঃ বাংলাদেশে নিরক্ষর লোকের সংখ্যা ৭(সাত) কোটি ২২(বাইশ) লক্ষ।
২০০৩ সালের ১০ মে, সিরাজগঞ্জকে নিরক্ষরমুক্ত জেলা ঘোষণা। এ কথার অর্থ মিথ্যা বলা।
২০০৫ সালের ১৩ অক্টোবর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন-২০০৫। বাংলাদেশ শিক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে।
২০০৯ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ শিক্ষিত। শিক্ষিত হিসাবে গণ্য করার আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী শিক্ষার এ হার নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ১১ বছর বয়স্কদের শিক্ষার গড় হার এখন ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ১৫ বছরের অধিক বয়স্কদের বেলায় ওই হার ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ‘লিটারেসি অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে-২০০৮’ শিরোনামে প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী শিক্ষার হার গ্রাম ও শহরের মোট ১২,০৯৬ জন উত্তরদাতা জরিপে অংশ নিয়েছে। জরিপে দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় নারীর শিক্ষার হার বেশি। পুরুষের শিক্ষার হার ৪৮ দশমিক ৬ এবং নারীদের শিক্ষার হার ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ। বয়স্ক (১৫+) শিক্ষার হার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং সিলেটে সর্বনিম্ন ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ। তারা লিখতে, পড়তে ও গুনতে পারে। তবে সরকারি হিসাবে সাক্ষরতার হার এখন ৬৫ শতাংশ বলে দাবি করা হয়। যারা নাম সই করতে পারে তাদেরই সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন বলে ধরে নেওয়া হয়। বিবিএস শিক্ষার হারের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সাক্ষরতার নয়।
২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার খবর ঃ ২৪ ঘন্টা শিক্ষা বিষয়ক নতুন টিভি চ্যানেল হচ্ছে-আগামী এক বছরের মধ্যে দেশে স্বক্ষরতার হার শতকরা ১০০ ভাগে উন্নীত করতে চায় সরকার।
২০১০ সালের ২১ জুলাই, আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরো প্রকাশিত স্টাটিস্টিক্যাল ইয়ারবুক অব বাংলাদেশ-২০০৮-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে শিক্ষার গড় হার ৬১.৩ ভাগ।
২০১২ সালের ১৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পুরুষের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ আর নারীর মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৪৯ দশমিক ৪ জন। বর্তমানে শিক্ষার হার ২৫ ভাগ মানুষ। লিখতে পড়তে পারে তাকে শিক্ষিত বলা হয়। বাংলাদেশে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ শিক্ষিত এবং লিখতে-পড়তে পারে। আর স্বাক্ষরতার হার কত ভাগ। আমার মনে হয় ৫২ ভাগ মানুষ স্বাক্ষর করতে পারে।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : সাক্ষরতার হার ৬১% আর নিরক্ষরতার ৩৯%। নিরক্ষরতার আর্থিক মূল্য আট হাজার কোটি টাকা।
১৯৬৪ সালের ২৯ মার্চ, প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের দাবিতে হরতাল পালিত। পল্টন ময়দানে বিশাল গণসমাবেশে মওলানা ভাসানী ও মাওলানা তর্কবাগীশ বক্ততা করেন।
১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল, সর্বজনীনভাবে বাংলা নববর্ষের উৎসব ছায়ানটের উদ্যোগে ঢাকার রমনা বটমুলে শুরু হয়। উৎসব হিসেবে বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়।  দেশ স্বাধীন হবার পর নববর্ষ উৎসব জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলা ও ছোট শহরেও বাংলা নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়।
১৯৬৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে বিরোধী দলসমূহের সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬(ছয়) দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
১৯৬৫ সালে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬৫ সালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটিকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়।
১৯৬৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম রবার চাষ করা হয় চট্টগ্রাম অঞ্চলে।
১৯৬৫ সালের প্রণীত কারখানা আইন এখনো বাংলাদেশে বলবৎ আছে।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার শত্রæ সম্পত্তি আইন জারি করে। পাকিস্তান সরকার দেশ আইন হিসেবে ৯ সেপ্টেম্বর, ‘ডিফেন্স অব পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স’ জারি করে। তাতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর দিন থেকে ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারির মধ্যে পাকিস্তানের যেসব নাগরিক শত্রæ রাষ্ট্র ভারতে অবস্থান করেছে, তাদের সম্পত্তি(বাড়ি-ঘর, জমি, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান) শত্রæ সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে এবং সরকারের হেফাজতে চলে যাবে।
১৯৬৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর, বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়ে ১০ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, লাহোরে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমানের  ঐতিহাসিক ‘৬-ছয় দফা’ কর্মসূচী উপস্থাপন।
১৯৬৬ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, বিরোধীদলের সম্মেলনে ৬-দফা উত্থাপন করেন।
১৯৬৬ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ (ছয়) দফা কর্মসূচী  অনুমোদিত হয়।
১৯৬৬ সালের ১ মার্চ, শেখ মুজবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৬ সালের ১৬ মার্চ, ছয় দফাকে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের নীল নকশা বলে অভিহিত করেন আইয়ূব খান। তিনি অস্্েরর ভাষা প্রয়োগের হুমকি দেন।
১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ, প্রথম ৬ দফার জনসভাটি হয়েছিল-আমীর হোসেন আমু বলেছেন-দৈনিক জনকন্ঠের ইডিটরিয়েল কলামে লিখেছেন ২৩ জুন, ২০১৩ সালে।
১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ, শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠাণিকভাবে ৬-দফা পেশ করেন।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন, লাহোরে ছয় দফার ঘোষণা দেন শেখ মুজিবুর রহমান। ছয় দফা প্রস্তাবে ছিলঃ-(১) শাসনতান্ত্রিক গ্যারান্টির আওতায় পাকিস্তানের ফেডারেল রাষ্ট্র কাঠামোর প্রতিষ্ঠা, যার ভিত্তি হবে ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব, সরকার হবে পার্লামেন্টারি পদ্ধতির, থাকবে সর্বজনীন ভোটাধিকার ও সার্বভৌম আইন পরিষদ; (২) ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়, অবশিষ্ট বিষয়গুলো ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর হাতে থাকবে; (৩) দুটি পরস্পর বিনিয়োগযোগ্য মুদ্রা বা পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং ব্যবস্থাসহ একটি মুদ্রাব্যবস্থা। আর থাকবে পূর্ব থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন প্রবাহ রোধের শাসনতান্ত্রিক বিধান প্রভৃতি। (৪)  পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন; দেশরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি ও মুদ্রাঃ-মাত্র এই তিনটি ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রাখিয়া বাকি সকল ক্ষমতা পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান আঞ্চলিক সরকারদ্বয়ের হাতে ন্যস্ত থাকিবে। (৫) ফেডারেল ও পার্লামেন্টারি শাসন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। (৬) সকল রাজবন্দীর মুক্তি, হুলিয়া প্রত্যাহার, জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করা, দমনমূলক সকল বিধি-নিষেধ বাতিল করা।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন, ছয় দফার সমর্থন ও পূর্ন আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পূর্ব বাংলায় হরতাল পালিত হয় (টঙ্গী, ঢাকা ও ও নারায়ণগঞ্জে) পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক, শামসুল হক, মুজিবুল হকমহ বেশ কয়েকজন মানুষ শহীদ হন। পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিহত ও শত শত আহত হয়।
১৯৬৭ সালের ৩০ এপ্রিল, পাকিস্তান ডেমোক্রাটিক মুভমেন্টের ৮ দফা কর্মসূচী পেশ করা হয়।
১৯৬৭ সালের ২৪ জুন, পাকিস্তান সরকার রেডিও ও টেলিভিশনে রবীন্দ্রসঙ্গীত বন্দের নির্দেশ দেন।
১৯৬৭ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে প্রথম লৌহ ও ইস্পাত কারখানা স্থাপিত হয়।
১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আইয়ূব-মোনেম চক্র পূর্ব-পাকিস্তানে কয়েকজন সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তান স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে  মামলা করেন।
১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামি করে মোটি ৩৫ বাঙালি সেনা ও সিএসপি অফিসারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসাবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে।
১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি, সদ্য কারামুক্ত শেখ মুজিবকে পুণরায় গ্রেফতার করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।
১৯৬৮ সালের ১১ এপ্রিল, আইয়ূব-মোনেম চক্র এক সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে পাকিস্তান সরকার একটি মামলা দায়ের করেন “আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’’। মামলায় ৩৫ জন বাঙ্গালী সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও রাজনীতিককে আসামী করে গ্রেফতার। তাঁদের মধ্যে মর্তমানে মাত্র ১০ জন জীবীত আছেন (২৫-১০-২০১০ তারিখ)। প্রকৃতপক্ষে ৬-দফা আন্দোলন নস্যাৎ করাই ছিল এ মামলার উদ্দেশ্য। ১৯৬৮ সালের স্টেট ভার্সেস শেখ মুজিব এন্ড আদার্স শিরোনামে মামলা যা সংবাদপত্রের কল্যাণে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ হিসেবে পরিচিত তা একশতভাগ সত্য ছিল। ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ ডেপুটি স্পিকার কর্ণেল শওকত আলী বললেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা একশতভাগ সত্য ছিল।
১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্তরুপে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলিতে সার্জেন্ট জহুরুল হকের মৃত্যু।
১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের রিডার ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন।
১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, শেখ মুজিবসহ আগরতলা মামলার সকল আসামী এবং কমিউনিষ্টরাসহ অপরাপর রাজবন্দীদের মুক্তিলাভ করে।
১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা তুলে নেয়া হয়।
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি’ দেয়।
১৯৬৯ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, গোলটেবিল বৈঠকে যোগদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঢাকা ত্যাগ।
১৯৬৯ সালের ৮ মার্চ, পশ্চিম-পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে মওলানা ভাসানী কর্তৃক পুনরায় গোলটেবিল বৈঠকের বিরোধিতা এবং চলমান আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার আহবান।
১৯৬৯ সালের ১০ মার্চ, রাওয়ালপিন্ডিতে সর্বদলীয় গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গোলটেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ। আওয়ামীলীগের ৬-দফা ও ছাত্রদের ১১-দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের দাবি।
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর, পূর্ব-পাকিস্তান টেলিভিশন ঢাকার ডি.আই,টি. ভবনে স্থাপিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পর থেকে ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’ নামকরণ করা হয়।
১৯৬৮ সালে টাঙ্গাইল জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-২৫১৬টি, ইউনিয়ন-১০৮টি।
১৯৬৮ সালের ১৭ অক্টোবর, ‘বিটপীর ৪০ বছর মানে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনশিল্পেরই ৪০ বছর’ (১৭-১০-২০০৮ সালে) পালিত হয়। বিটপী অর্থ চারা গাছ।
১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৯ অক্টোবর, ২০০৮ সালে উদীচীর ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। উদীচীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগ্রামী সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্তসহ কয়েকজন প্রগতিশীল মানুষ।
১৯৬৮ সালের ৬ ডিসেম্বর, মওলানা ভাসানীর ঘোষিত “জুলুম প্রতিরোধ দিবস’’ পালিত। বিকেলে পল্টন ময়দানে জনসভায় মওলানা ভাসানীর ঘোষণাপূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন, প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটারাধিকার, রাজবন্দীদের মুক্তি এবং আঞ্চলিক বৈষম্যের অবসানের দাবিতে প্রয়োজনে খাজনা, ট্যাক্স প্রদান বন্ধ করা হবে। সভা শেষে তাঁর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল; গভর্ণর হাউস (বঙ্গভবন) ঘেরাও। ভাসানীর সংঙ্গে পাঞ্জাবী পরিহিত কমিউনিস্ট নেতা আব্দুল হক। পুলিশের বাঁধা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মওলানা ভাসানী কর্তৃক পর দিন ঢাকায় হরতাল আহবান।
১৯৬৮ সালের ৭ ডিসেম্বর, আইয়ূব খাঁনের কুশ-পুত্তলিকা দাহ।
১৯৬৮ সালের ৮ ডিসেম্বর, মওলানা ভাসানীর ডাকে প্রদেশব্যাপী হরতাল। ব্যপক পুলিশী নির্যাতন, গ্রেফতার ও অসংখ্য আহত, প্রদেশব্যপী প্রচন্ড বিক্ষোভ।
১৯৬৮ সালের ১২ ডিসেম্বর, মওলানা ভাসানীর আহবানে পূর্ব-পাকিস্তানে হরতাল। জুময়’ার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম  প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাযা ঠেকানোর জন্য পুলিশ ও ই. পি. আর. এর অবরোধ।
১৯৬৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর, ভাসানী ন্যাপের পক্ষ থেকে ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারা প্রদেশে ঘেরাও আন্দোলন’’ কর্মসূচী শুরু করার ঘোষণা।
১৯৬৮ সালে আইয়ূব খাঁন তার স্বৈরাচারী শাসনের দশ বছর পুর্তি অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং আইয়ূব খাঁন তাঁর ১টি বইয়ের নাম দেন “প্রভু নয় বন্ধু”।
১৯৬৮ সালের শেষের দিকে এবং ১৯৬৯ সালের প্রথম ভাগেই আন্দোলন ব্যাপক ও তীব্র আকার ধারণ করে এবং শেষ পর্যন্ত গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
১৯৬৮ সালে আমি (আতাউর রহমান) এবং জিয়া হায়দার মিলে নাগরিক নাট্যস¤প্রদায় গঠন করি।
১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি, গ্রামাঞ্চলে ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচী সর্বাত্মক ও সার্থক করার পাশাপাশি সারা দেশে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য মওলানা ভাসাীর আহবান।
১৯৬৯ সালের ৮ জানুয়ারি, পূর্ব পাকিস্তানের ৮টি রাজনৈতিক প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা এবং আইয়ূব মোনায়েম খানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরোধী ছিল। ডাক ভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল নেজামে ইসলাম, কাউনসিল মুসলিম লীগ, জামাতে ওলামায়ে ইসলাম, আওয়ামী লীগ (পি. ডি. এম. পন্থী), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, জামাতে ইসলাম, এন. ডি. এফ. ও আওলামী লীগ ছিল।
১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি, ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন), ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) এবং ছাত্রলীগের সমন্বয়ে “ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’’ গঠন এবং ডাকসু কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ১১-দফা কর্মসূচী ঘোষণা।
১৯৬৯ সালের ১৪ জানুয়ারি, পূর্ব বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ১১-দফা কর্মসূচী গ্রহণ।
১৯৬৯ সালের ১৮ জানুয়ারি, আটক আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামী ঘোষণা।
১৯৬৯ সালের ১৮ জানুয়ারি, ১১ দফার দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক বটতলায় ছাত্র সমাবেশের পর মিছিল। ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশের কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ।
১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি, ই. পি. আর.-এর গুলিতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ আহত।
১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি, ছাত্র মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ।
১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি, আসাদুজ্জামান শহীদ হওয়ার সংবাদে মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটে প্রবেশের মূল ফটকের নামকরণ করা হয় “আসাদ গেট’’।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি, হরতাল।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি, আইয়ূবি শাসনের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান ঘটে এবং নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মতিউর পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। ছাত্র-জনতার মিছিল।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি গণ-অভ্যুত্থান। সামনের সারিতে তৎকালীন ছাত্রনেতা মাহবুব-উল্লাহ।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি, প্রেস ট্রাস্টের পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তানে অগ্নি সংযোগ।
১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, ছাত্রসমাজের ১১-দফা দাবী অনুযায়ী সরকার কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবসের ছূটি ঘোষণা।
১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, সেনাবাহিনীর গুলিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা নিহতের সংবাদে ঢাকায় প্রচন্ড বিক্ষোভ। সান্ধ্য আইন উপেক্ষিত অসংখ্য ছাত্র-জনতা আহত ও গ্রেফতার। শেখ মুজিব সংক্রান্ত গুজব অব্যাহত।
১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা তুলে নেয়া হয়।
১৯৬৯ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খানের জরুরী গোলটেবিল বৈঠক শুরু।
১৯৬৯ সালের ৩ মার্চ, ঢাকায় পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত। প্রাক্তন পুলিশ অফিসারদের বিক্ষোভ মিছিল।
১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ, প্রাদেশিক গভর্ণরের পদ থেকে মোনায়েম খানের অপসারণ; গোপনে স্বপরিবারে ঢাকা ত্যাগ। প্রদেশের অর্থমন্ত্রী ড. এম. এন. হুদা নতুন গভর্ণর হিসেবে নিযুক্ত। শেখ মুজিবসহ বিরোধী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গভর্ণর হুদার ঘরোয়া আলোচনা।
১৯৬৯ সালের ২৪ মার্চ, পশ্চিম-পাকিস্তান থেকে মওলানা ভাসানী ফিরছেন। তেঁজগা বিমান বন্দরে অপেক্ষা করছেন জনতা।
১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খান ক্ষমতাচ্যুত হন। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা গ্রহণ। সারা পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি এবং সকল রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ, বিভ্রান্তির মধ্যে হরতাল পালিত। পুলিশের গুলিতে ১ জন নিহত ও ৩ জন আহত।
১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৫৬০টি, ইউনিয়ন-৬৭টি।
১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কায়তোল্লা গ্রামে ২২(বাইশ) জন গরু চোরকে গ্রাম্য সালিশীর ভিত্তিতে হত্যা করা হয়।
১৯৬৯ সালের ৮ নভেম্বর, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৯ সালে দেশের প্রাচীন ও প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লি.-এর সদস্যসংখ্যা-২৩০ জন এ উন্নীত করা হয়। ২০-০৫-২০০৫-এর পূর্বে সদস্যসংখ্যা ছিল-১৯৫ জন। ২০০৫ সালের ৩ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় মোঃ আসাদুজ্জামান ঃ ৬২,৬৭৪টি ভুয়া বেনিফিশিয়ারী ওনার্স (বিও) একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’র নির্দেশ ডিপিরা (ডিপোজেটরি পার্টিসিপেন্ট) এসব ভুয়া বিও একাউন্ট বন্ধ করেছে। ভুয়া একাউন্ট বন্ধ করার পর বর্তমানে ডিপিগুলোতে বিও একাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬০৩টি। ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, ফজলুল বারী ঃ শেয়ার বাজারে আবারো ধস। বিনিয়োগকারীরা রাজপথে ঃ মাত্র ১৪ মাসে মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। সিএসই কর্মকর্তারা ভূয়া ‘বিও’ একাউন্টে শেয়ার ব্যবসা করছে।-অর্থনৈতিক রিপোর্টার। ২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই)-এর বাজার মূলধন-১,০২,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ২০০৯ সালের ১২ আগষ্ট, আমাদের সময় ঃ বৃহত্তর শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূলধন এখন জাতীয় বাজেটের (২০০৯-২০১০) চেয়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ বাজার মূলধন বেড়ে ১,২৮,০০০(এক লাখ আটাশ হাজার) কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। ২০০৯ সালের ১৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সব মিলিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) মোট বাজার মূলধন ছিল এক লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার ঘরে। আমাদের সময় ১২-০৫-২০১০ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) মোট বাজার মূলধন দুই লাখ বিয়ালি­শ হাজার কোটি দাড়িয়েছে।  ১৮-০২-২০১০ তারিখ শেয়ারের তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুসারে, বর্তমানে বিনিফিশনারী অনার্স একাউন্ট (বিও) হিসাবের সংখ্যা ২১ লাখ ৭০ হাজার। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ২৪-০৫-২০১০ তারিখ ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছয় হাজার ছিয়ানব্বই পয়েন্টের মাইলফলক। ১৪-০৬-২০১০ তারিখ ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছয় হাজার তিনশত চব্বিশ পয়েন্টের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। ০৯-১০-২০১০ তারিখ ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৮০৮৩.০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ২৮-১০-২০১০ তারিখ ডিএসইর ২,৯৪৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং সিএসইর ৩৪০ কোটি ৪৭ লাখ টাকার রেকর্ড লেনদেন হয়েছে। ডিএসই + সিএসই= সম্মিলিত লেনদেন হয়েছে তিন হাজার দুইশত ছিয়াছি কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ৩১-১০-২০১০ তারিখ ডিএসইর ৩,২০৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং সিএসইর ৩৪০ কোটি ৪৭ লাখ টাকার রেকর্ড লেনদেন হয়েছে। ডিএসই + সিএসই=সম্মিলিত লেনদেন হয়েছে তিন হাজার পাঁচশত উনপঁঞ্চাশ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আমাদের সময় ০৫-১২-২০১০ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) মোট বাজার মূলধন তিন লাখ ৬৮ হাজার কোটি ৪১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। ১১ মাসে দ্বিগুন ডিএসইর বাজার মূলধন। ২০,২১৬ কোটি টাকার শেয়ারের দাম এখন দৈনিক জনকন্ঠ ১৮-১০-২০১০ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) মোট বাজার মূলধন তিন লাখ ২৫ হাজার ৯২৭ কোটি ৭৬ লাখ ৩ হাজার টাকার মাইলফলক ছাড়াল। পুঁজি বাজারে ইস্যুকৃত এসব শেয়ারের মূলধনের তুলনায় বাজার মূলধনের পরিমাণ ১৬ গুনেরও বেশি। ১৭-১১-২০০৯ তারিখে ডিএসইতে তালিকাভূক্ত সকল শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ডের বাজার মূল্য ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬১৯ কোটি ৭০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। বর্তমানে ১৪-১০-২০১০ তারিখে বাজার মূলধনের পরিমাণ ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯২৭ কোটি ৭৬ লাখ ৩ হাজার টাকা। চলতি বছরের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা। ২৪-১০-২০১০ তারিখ পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের আওতাধীন বিও হিসাবের সংখ্যা ৩০ লাখ ১৮ হাজার ১২২টি। এরমধ্যে সক্রিয় হিসাবগুলোর মধ্যে ২২ লাখ ২১ হাজার ৬৭৪টি পুরুষ বিনিয়োগকারীর এবং ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৪টি নারী বিনিয়োগকারীর। এছাড়া বাকি ৭ হাজার ৯১৪টি বিও হিসাব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে চালু আছে। অন্যদিকেপ্রবাসী বাংলাদেশীদের নামে চালু থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ৪০৪টি। গত বছর বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬৭টি। মাদ্র এক বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৩৯টি। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে জানা যায় গতকাল রবিবার (২৪-১০-২০১০ তারিখ  পর্যন্ত) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের আওতাধীন বিও একাউন্ট নং-৩০ লাখ ১৮ হাজার ১২২টি। ২২-১১-২০১০ তারিখ সূচক ও বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড। ডিএসইর সূচক ৮,৫৯৮ পয়েন্টে উন্নীত এবং বাজার মূলধন হয়েছে ডিএসই ও সিএসইর বাজার তিন লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। ডিএসই বাজার মূলধন তিন লাখ কোটি টাকা। ৩১-১২-২০১০ তারিখ বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৮ জনে দাড়িয়েছে। সেই হিসাবে এক বছরে পুঁজিবাজারে নতুন প্রায় ১৯ লাখ ৪২ হাজার বিনিয়োগকারী যুক্ত হয়েছে। ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(ডিএসই) বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশের শেয়ারবাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে(ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ৫৫২ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে। দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে এক দিনে এত বেশি পতনের ঘটনা এটাই প্রথম। আর ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর, তা ৮৪ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে তিন লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। জিডিপির অনুপাতে ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অতি চাহিদার কারণে মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ শেয়ারবাজারে ধস ঠেকাতে আবারও লেনদেন বন্ধ। সব শেয়ারের অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা। ২০১১ সালের ২০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ শেয়ারবাজারের  ডিএসই সার্বিক সূচক ঃ ৫৭৩৯ এবং ডিএসই সাধারণ সূচক ঃ ৬৯১৩। মোট লেনদেন ৫৩৭.৪০ কোটি টাকা। ২০১১ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ শেয়ারবাজারের  ডিএসই সার্বিক সূচক ঃ ৫২৬৩ এবং ডিএসই সাধারণ সূচক ঃ ৬৩২৬। মোট লেনদেন ৬৮ কোটি টাকা। সিএসই মোট লেনদেন ১২ কোটি টাকা। ক্রেতা নেই, বাজার বন্ধ। ২৪-০১-২০১১ তারিখ রোববারও শেয়ারবাজার বন্ধ, ৬ ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন এক মাস স্থগিত, বুক বিল্ডিং পদ্ধতি বন্ধ। ১৯৯৬ সালে কয়েক হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে গুটি কয়েকজন নিয়েছিল এবারও (ডিসেম্বর, ২০১০ ও জানুয়ারি, ২০১১) ৬৪ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে নিয়ে গেছে। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ এসইসির চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টের তিরস্কার। শেয়ারবাজারের ঘটনা রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ০৮-০২-২০১১ তারিখে প্রথম আলো ঃ শেয়ারের দরপতন চলছেই দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। ১৩-০৭-২০১১ তারিখে আবার বাজার মূলধন ৩(তিন) লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। ৩৪ লক্ষ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজারে ব্যবসা করছিলেন তারমধ্যে ৫ লক্ষ বিনিয়োগকারী ব্যবসা থেকে আউট। আর ১৯ লক্ষ বিনিয়োগবারী ৩৩% ভাগ শেয়ার প্রতিদিন বাধ্যতামূলক বিক্রির কারণে তাঁদের পুঁজি হারিয়েছে। আর বর্তমানে ১০ লক্ষ বিনিয়োগকারী শেয়ার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পতন ঠেকাতে প্রণোদনা। ২০১১ সালের ৩ আগস্ট, ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল-তিন লাখ ৮৫৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ১ অক্টোবর, ২০১১ সালে ডিএসই সাধারণ সূচক-৫,৯০২ ছিল। ১৭ অক্টোবর, ২০১১ সালে ডিএসই সাধারণ সূচক-৫,৪২৪ হয়েছে। ২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ডিএসইর সূচক পাঁচ হাজারের নিচে। ১৪-১১-২০১১ তারিখ সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় চার হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল, তিন লাখ দুইশত পঁয়ত্রিশ হাজার কোটি লক্ষ সাতানব্বই হাজার আটশত একসট্টি টাকা।
১৯৯৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারির তথ্য-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের শেয়ার বাজার হ’তে ৫২৮(পাঁচশত আটাশ) কোটি  টাকা নিয়ে গেছে।
২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংবাদ সম্মেলনে ২০০৯ সালের জন্য ডিএসইর লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশ। পুঁজিবাজারের মূলধন দুই হাজার কোটি ডলার করা হবে।
২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১৯৯৬-এর শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলা নিষ্পত্তি হয়নি এক যুগেও।
২০০৯ সালের ২ নভেম্বর, আমাদের সময় ঃ ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ঢাকার পুঁজিবাজারের মূলধন।
২০০৯ সালের ১৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ গ্রামীণফোনের লেনদেন শুরু, ডিএসইর সূচকে রেকর্ড। শেয়ার লেনদেন শুরুর এক দিনেই গ্রামীণফোনের জন্য ডিএসইর বাজার মূলধন ২৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা বেড়েছে। সব মিলিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) মোট বাজার মূলধন ছিল এক লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার ঘরে। বিক্রয়যোগ্য তিন লাখ ৪৭ হাজার ১৯৭ জন শেয়ারধারী প্রত্যেকেই যেহেতু একটি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে এক লট অর্থাৎ ২০০ শেয়ার পেয়েছেন ফলে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২০০ শেয়ার বিক্রি হয়। গ্রামীণফোনের ৪৮৬ কোটি টাকারও বেশি মূল্যমানের ছয় কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০টি শেয়ার লেনদেনযোগ্য হয়েছে। এ শেয়ারগুলো আইপিওর লটারির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পান। গ্রামীণফোনসহ ২৩০টি কোম্পানীর শেয়ার লেনদেন হয়। প্রথম দিনেই ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৭৬৫ পয়েন্ট বেড়েছে। সব মিলিয়ে সাধারণ মূল্যসূচক চার হাজার ১৪৮ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। তবে সিএসইর সূচকে গ্রামীণ ফোনের শেয়ার লেনদেনের কোনো প্রভাব পড়েনি। সিএসইর সার্বিক সূচক ২০০ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৮৩৬ পয়েন্ট। ১৬-১১-২০০৯ তারিখ মোট লেনদেন হয়েছে ৭৩৮ কোটি।
২০১০ সালের ২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ইন্টারপোলের দুই ফেরারি আসামি শেয়ারবাজার থেকে নিয়ে গেছে ২৫০ কোটি টাকা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক রাফাত আলী রিজভি ও মিসরীয় বংশোদ্ভুত সৌদি নাগরিক হিশাম আল ওয়াররাখকে প্রতারণার দায়ে ধরিয়ে দিতে ২০০৯ সালে ‘রেড এলার্ট’ জারি করেছে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল। বিভিন্ন দেশে তাঁদের বেশ কিছু ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখা হয়েছে। অথচ তাঁদের মালিকানাধীন ফাষ্ট এশিয়া হোল্ডিংস নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে ৫৭ লাখ শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে এর সিংহভাগ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় নিয়ে গেছে। ডিএসইর একটি সূত্র বলছে, এ কোম্পানিতে তাঁদের পাঁচ কোটি টাকার বেশি লগ্নি ছিল না। ডিএসইসির সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, কীভাবে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা ঢুকছে এবং বের হচ্ছে, সেটি দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। ১৯৯৬ সালেও বাংলাদেশ থেকে বিদেশীরা ৫০০ কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে নিয়ে গেছে।
২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ শেয়ারবাজার সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী। অনেক সময় ঠিকমতো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা এখন শনাক্ত করার চেষ্টা করছি কোথায় কোথায় ভুল করলাম। নিয়ন্ত্রকদের ভুল আছে, আমারও ভুল হয়েছে।
২০১১ সালের ২৪ মে, প্রথম আলো ঃ আওয়ামী নামধারীরাই দায়ী, ব্যবস্থা নিন। শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে সংসদ উত্তপ্ত। সমালোচনায় মুখর সরকারি দলের সাংসদেরাই।
২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২৯-০১-২০১২ তারিখের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসই সাধারণ সূচকের অবস্থান ছিল ৫৩৫১ পয়েন্টে। এরপর এ মাসের ২০টি কার্যদিবসের ১৪ দিনই বাজারে দরপতন হয়েছে। এতে ডিএসই সাধারণ সূচক ১১৬৮ পয়েন্ট কমে রবিবার ৪১৮৩.০৭ পয়েন্টে ঠেকেছে। সূচকের এই অবস্থান ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বরের পর সর্বনিম্ন মূল্য আয় অনুপাত নেমেছে ২০০৫ সালের নিচে।
২০১২ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ০১-০২-২০১২ তারিখের কার্যদিবসে ডিএসই সাধারণ সূচকের অবস্থান ছিল ৪০০০ হাজার পয়েন্টের নিচে।
২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আস্থা নেই শেয়ারবাজারে। লেনদেন-২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএসইতে লেনদেন উঠেছিল ৩,২৫০ কোটি টাকা। ৩০ এপ্রিল, ২০১৩ ও ২৪ জানুয়ারি-২০১৬ তারিখ-২০১৫ সাল শেষে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন নেমে আসে ৪২২ কোটিতে। এ দুই আমলই ছিল আওয়ামী লীগের আমল।
১৯৬৯ সালে পাকশীতে নর্থবেঙ্গল পেপার মিল স্থাপিত হয়।
১৯৬৯ সাল থেকে খেদার সাহায্যে হাতি ধরা নিষেধ হয়ে গেছে।
১৯৬৯ সালে শ্রমিক সম্পর্ক অধ্যাদেশ প্রণীত হয়।
১৯৭০ সালের ১ জানুয়ারি, পাকিস্তানে  রাজনৈতিক কার্যকলাপ যখন শুরু হলো তখন মওলানা ভাসানীর সাথে কমিউনিষ্টদের মিলিত কাজের সুযোগ তেমন  ছিলো না।
১৯৭০ সালের ২৮ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’ নীতির ভিত্তিতে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
১৯৭০ সাল পর্যন্ত আমরা ১২১টি বিশেষ গ্রন্থাগার দেখতে পাই।
১৯৭০ সালের ৩০ মার্চ, নির্বাচনের ভিত্তি এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পাকিস্তানের সংবিধান রচনার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আইনগত কাঠামো আদেশ জারি করেন।
১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর, জয়দেবপুর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়।
১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবাল ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে দশ থেকে পনের লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।
১৯৭০ সালের ১৩ নভেম্বর, ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াসে পূর্ব পকিস্তানে পাঁচ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৭০ সালের ২৫ নভেম্বর, মওলানা ভাসানী প্রথম ‘স্বাধীন পূর্ব-পাকিস্তান’ ঘোষণা করেছিলেন।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এবং ১৭ ডিসেম্বর, প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ঘোষণানুযায়ী। এ নির্বাচনে ৩১৩টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ কয়টি আসন পায় ১৬৭টি। সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচছাসের কারণে ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ৯ জানুয়ারি, মওলানা ভাসানীর আহবানে স্বাধীনতা সংগ্রামের পন্থা ও কর্মসূচী নির্ধারণের জন্য টাঙ্গাইলের সন্তোষে সর্বদলীয় সম্মেলন এবং লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ৫-দফা কর্মসূচী ঘোষণা।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ, বডি বিল্ডার খসরু ভাই পাকিস্তানের পতাকাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগ থেকে নিয়ে সহিদ মিনারে পতাকাটি পুড়ানো হয়।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ, ১৯৭১ সালের এ দিনে ১৯৬২ সালে স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার রূপকার সিরাজুল আলম খানের অনুপ্রেরণায় তৎকালীন ডাকসুর সহ-সভাপতি আ. স. ম. আব্দুর রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ, তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের দৃশ্যপট বদলে যায়।
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু।
১৯৭১ সালের ৪ মার্চ, সারা বাংলায় সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়।
১৯৭১ সালের ৫ মার্চ, গণপ্রতিরোধের মুখে সেনাবাহিনীকে রাজপথ থেকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
১৯৭১ সালের ৬ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করেন। অপর এক ঘোষণায় তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে জেনারেল টিক্কা খানকে নিয়োগের কথা জানান। কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে ৩০০ জন বন্দি। কারা বিদ্রোহ ঠেকাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে ৭ জন বন্দি নিহত হয়।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, ‘‘রেসকোর্স ময়দানে’’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি দেন।
১৯৭১ সালের ৮ মার্চ, দেশব্যাপী আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়। বাংলার গভর্ণর হিসেবে কুখ্যাত টিক্কা খাঁন তার কাজ শুরু করেন।
১৯৭১ সালের ৯ মার্চ, জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করাতে প্রাদেশিক প্রধান বিচারপতির অস্বীকৃতি।
১৯৭১ সালের ১০ মার্চ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো শপথ নিতে ব্যর্থ হন।
১৯৭১ সালের ১৩ মার্চ, শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষুদ্ধ শিল্পী সমাজের প্রথম মিছিল।
১৯৭১ সালের ১৩ মার্চ, এক সামরিক আইন আদেশ বলে পূর্ব-পাকিস্তানের সকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিজ নিজ কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১৪ মার্চ, করাচীর বিশাল সমাবেশে জুলফিকার আলী ভুট্টো পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানকে দু’টি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবী উত্থাপন করেন।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, জয়দেবপুরের ঘটনাই ছিল প্রথম বিদ্রোহ। ১৮৫৭ সালের পর ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চের মতো ঘটনার নজির বিরল। এটাই ছিল প্রথম বিদ্রোহ। সেনার বিরুদ্ধে জনতার এ বিদ্রোহ একটি বড় ঘটনা। কিন্তু এ নিয়ে খুব প্রচার নেই।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, ঢাকায় জয়দেবপুরে সেনাবিদ্রোহ।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ, তৎকালীন ‘পূর্ব-পাকিস্তান’ অঘোষিতভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশে পরিণত হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত ২৩ মার্চকে প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করার ডাক দিয়েছিল স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস হিসেবে পালন করার দিন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ, সেই ইতিহাস বদলে গেল। ঘরে ঘরে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা। ঢাকার পল্টন ময়দানে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে মার্চ পাস্ট।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ, যশোর ইপিআর সদর দফতরে জোয়ানদের বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন।
১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ, স্বাধীনতার আকাক্সক্ষায় উন্মুখ ছাত্র-জনতার আন্দোলন চুড়ান্ত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিল। আগের দিন দেশের সর্বত্র স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানোর খবর প্রকাশিত হয়েছিল সবক‘টি দৈনিকে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে কোন বৃহৎ রাজনৈতিক দল স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেছে বলে আমার জানা নেই। একমাত্র সিরাজ শিকদার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করার পক্ষে তত্ত¡ উপস্থাপন করে ছিলেন এবং সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন-আনোয়ার জাহিদ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, পূর্ব-পাকিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে তৎকালিন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞকে ‘সিলেকটিভ জেনোসাইড’বলে বর্ণনা করেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, ‘‘পুলিশের প্রথম প্রতিরোধ দিবস পালন’’-৩৬ জনকে সংবর্ধনা।
ঢাকা শহরের কিছু জানা তথ্য ঃ আয়তন-৫০০ বর্গকিলোমিটার বা ৩১২.৫ বর্গমাইল-২০১৩ সালে বলেছিল ঃ দ্বিগুণ হচ্ছে দুই সিটি করপোরেশনের আয়তন-ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-বর্তমান আয়তনঃ ছিল-৮২.৬৩৮ বর্গ কিলোমিটার এবং হবে-১৬০.৭৬৮ বর্গ কিলোমিটার(প্রস্তাবিত নতুন এলাকা-(১) বেরাইদ (২) বাড্ডা (৩) ভাটারা (৪) সাতারকুল (৫) হরিরামপুর (৬) উত্তরখান (৭) দক্ষিণখান (৮) ডুমনি ও (৯) খিলক্ষেত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-বর্তমান আয়তন ঃ ছিল-৪৫ বর্গ কিলোমিটার হবে-১০৯.১৯ বর্গ কিলোমিটার (প্রস্তাবিত নতুন এলাকা-(১) শ্যামপুর (২) দনিয়া (৩) মাতুয়াইল (৪) সারুলিয়া (৫) ডেমরা (৬) মান্ডা (৭) দক্ষিণগাঁও ও (৮) নাসিরাবাদ।(০৯-০৫-২০১৬ তারিখ প্রথম আলো)২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, নতুন নয়টি ইউনিয়ন উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হলে মোট জনসংখ্যা হবে-১ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ১৭ জন। অন্যদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ৮টি ইউনিয়ন যুক্ত হওয়ার পর জনসংখ্যা হবে-৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ২৫ জন।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। শহর হিসেবে এর বয়স ৪০০ হলেও সেই সপ্তম শতাব্দী মানে ১৩০০ বছর আগেও কিন্তু এই জনপদটির অস্থিত্ব ছিল। তখন এ অঞ্চলটি ছিল কামরূপ নামের বৌদ্ধ রাজ্যের অধীনে। এ রাজ্যটি সেই সময় বিস্তৃত ছিল আসাম, উত্তরবঙ্গ, ঢাকা ও ময়মনসিংহ নিয়ে। পরবর্তীতে এখানে আসে পাল রাজবংশ। নবম শতাব্দীতে ঢাকা চলে যায় হিন্দু সেন রাজবংশের অধীনে। এ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হেমন্ত সেন পাল রাজবংশেরই অংশ ছিলেন। পাল রাজাদের দুর্বলতার সুযোগে তিনি ধীরে ধীরে ক্ষমতা দখল করেন। রাজা বল্লাল সেন ঢাকায় ১২০০ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠা করেন ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দির, যা বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির হিসেবে সুপরিচিত।
৯ম শতকের পূর্বে ঢাকাতে মানুষের বসবাস গড়ে উঠেনি।
ইতিহাসবিদদের চোখে-সেদিনের ‘ডবাক’ই আজকের ঢাকা। বাসস ঃ সাড়ে পাঁচশ’ বছরের প্রাচীন জনপদ ‘ঢাকা’ আজ এক বিশাল নগরী। ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থল থেকে ১৩-কিলোমিটার উত্তরে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত এ মহানগরীর উত্থানের পেছনেও রয়েছে বিস্তৃত ইতিহাস।
১২২০ সালের মধ্যে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মন্দির। প্রায় ৮০০ বছর আগে রাজা বল­াল সেন এ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত করেন। এর বেশ কয়েক শ বছর পর রাজা মানসিংহ যখন ঢাকায় এসে ঘাঁটি স্থাপন করেন, তখন তিনি মন্দিরটি পুননির্মাণ ও অষ্টধাতুর দশভুজা বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত করেন। একই সঙ্গে এখানে চারটি শিবমন্দিরও প্রতিষ্ঠিত করেন। কালের আবর্তে মূল মন্দিরের স্থাপনা বিনষ্ট হয়। বর্তমান মন্দির নির্মিত হয় প্রায় ২৫০ বছর আগে, ব্রিটিশ শাসনামলে। পরবর্তীকালে ভাওয়ালের রাজপরিবার ঢাকেশ্বরী মন্দির আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১৯০৮ সালে ২০ বিঘা জমি দেবোত্তর হিসেবে দান করে। ঢাকেশ্বরী মন্দির শুধু ঐতিহ্যবাহী মন্দিরই নয়, ধর্ম, সমাজ সচেতনতা, শিল্প ও সংস্কৃতিচর্চার কেন্দ্র হিসেবেও এটি কালের সীমানা অতিক্রম করেছে। এতক্ষণ গল্পোচ্ছলে এসব কথা জানালেন তপন ভট্টাচার্য।
১৪৩৩ সালে প্রথম ঢাকা মান্দা এলাকায় গণেসের ছেলে জালালউদ্দিন মোহাম্মদ শাহ-এর কর্মচারী শিকদার এ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এ মসজিদটি ঢাকার প্রথম মসজিদ।
১৪৫৬ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয় ‘নারিন্দায় বিনাত বিবি মসজিদ’’। তাঁর নাম মুসাম্মৎ বখত বিন। ১৪৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার নারিন্দায় এ মসজিদটি মরহামত কন্যা নির্মাণ করেন। বিনাত বিবির মসজিদের আগে ঢাকায় কোন মসজিদ নির্মাণ করা হয়নি।
১৪৫৬ সালে নারিন্দায় বিনত বিবির মসজিদ নির্মাণের পূর্ব থেকেই মুসলমানরা ঢাকা নগরীতে বসতি স্থাপন করেন। যতীন্দ্রমোহন রায়ের লেখা ‘ঢাকার ইতিহাস’ বৃহত্তর ঢাকা জেলা গেজেটিয়ার থেকে জানা যায়, ঢাকা নগরীতে অন্তত ১৪৫৬ খ্রির্ষ্টাব্দের আগে থেকেই মুসলমানগণ বসতি স্থাপন করেছেন। ২০০৬ সালে ঢাকা সাড়ে ৫০০শ’ বছরে পা দিয়েছে। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় ১৬০৫-২৭ ষষ্ঠ শিখগুরু হরগোবিন্দ সিং প্রেরিত শিখ পুরোহিত আলমাস্তের প্রচেষ্টায় এ উপাসনালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে কথিত আছে। গুরু নানক প্রবর্তিত ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৬৬৫ সালে ঢাকায় আসেন। তার আগে ১৪৯৯ সালে গুরু নানক নিজ ধর্মমত প্রচারের জন্য ফরিদপুর হয়ে ঢাকায় আসেন। ১৯১৫ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত শ্রীচন্দ্র জ্যোতি নামে এক শিখসাধু দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালের পর থেকে ষাট দশক পর্যন্ত উপাসনালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংস্কার করে এর বর্তমান রূপ দেয়া হয়। বর্তমানে ভাই পিয়ারা সিং প্রধান গ্রন্থির দায়িত্ব পালন করছেন। গুরুদুয়ারায় কারও প্রবেশে বাধা নেই, জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সব বয়সী নারী ও পুরুষ এখানে প্রবেশ, প্রার্থনায় অংশগ্রহন এবং প্রসাদ পেতে পারেন।
১৬০৮ সালে ইসলাম খান চিশতী বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন।
১৬১০ সালের ১৬ জুলাই, ইসলাম খাঁ কর্তৃক সোনারগাঁ থেকে রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তরিত। ১৬১০ সালে মুঘল সুবাদার ইসলাম খান চিশতী কর্তৃক ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপন এবং ‘জাহাঙ্গীরনগর’ নামকরণ। ঢাকা মোঘল রাজধানী ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু।
মোগল আমলে ঢাকাকে রাজধানীর মর্যাদা দেওয়ার কৃতিত্ব মোগলদের। সম্রাট জাহাঙ্গীরের সেনাপতি সুবাদার ইসলাম খান দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এখানে এসে রাজধানীর পত্তন করেছিলেন ১৬১০ সালে।
ওলন্দাজরা-ইউপোরে তখন ভারতের মসলা সোনার চেয়েও দামি। সেই মসলার জন্যই পর্তুগিজদের দেখানো জলরেখা ধরে ভারতে যে দ্বিতীয় ইউরোপীয়দের আগমন, তারা হলান্ডবাসী। ঢাকায় তাদের আগমনের তারিখও অজানা। তারা কুঠি স্থাপন করেছিল মিটফোর্ড হাসপাতালের কাছে, ১৬৬৩ সালে। তেঁজগাওয়ে তাদের একটি বাগানবাড়িও ছিল। ওলন্দাজরা ব্যবসা-বাণিজ্যে সফল হতে পারেনি। টেলর উলে­খ করেন ১৭৮৩ সালে ঢাকায় ৩২টি ওলন্দাজ পরিবার ছিল। ইংরেজদের কাছে তারা সহায়-সম্পত্তি তুলে দিয়ে ঢাকার পাঠ চুকিয়ে ফেলেন। নারিন্দায় খ্রিষ্টান কবরস্থানে ১৭৭৫ সালের কুঠিপ্রধান ডি ল্যাংহিটের কবরটিই এখন ঢাকায় একমাত্র স্মৃতিচিহৃ হিসেবে টিকে আছে।
ফরাসিরা-ঢাকায় ফরাসিদের স্মৃতি বহন করছে পুরান ঢাকার ফরাসগঞ্জ এলাকাটি। ঢাকার নায়েম নাজিম নওয়াজিশ খান ১৭২৬ সালে ফরাসিদের গঞ্জ বসানোর অনুমতি দিলে তারা একটি আবাসন গড়ে তোলে ফ্রেঞ্চগঞ্জ নামে। পরে লোকমুখে এর নাম ফরাসগঞ্জ। তবে এর আগেই ফরাসিদের ঢাকায় আবির্ভাব। প্রধানত মসলিন বস্ত্রের ব্যবসা করত তারা। তবে তারা ইংরেজদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। পলাশীর যুদ্ধের পর এখান থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যায়।
পর্তুগিজরা-ইউরোপীয়দের মধ্যে ঢাকায় প্রথম এসেছিল পর্তুগিজরা। ভারতে আসার জলপথ আবিস্কারের কৃতিত্ব তাদেরই। ভাস্কো-দা-গামা কালিকট বন্দরে তাঁর জাহাজ ভিড়িয়েছিলেন ১৪৯৮ সালে। উদ্দেশ্য, ভারতের মসলা হাসিল করা। সেই পথ ধরে পরে ইউরোপের আরও অনেকের আগমন। ১৮৩২ সালে  ঢাকায় পর্তুগিজদের বাড়ি ছিল ৪১টি। ইসলামপুর, শরাফতগঞ্জ ও নবাবপুরে ছিল তাদের বসবাস ছিল।
ব্রিটিশরা ভারতে এসেছিল ১৬০০ সালে। ইংরেজ আমলে-ঢাকায় উপস্থিতি সম্ভবত ১৬৫৮ সালের দিকে বলেই ঐতিহাসিকরা মনে করেন। তাঁদের বাণিজ্যকুঠি স্থাপিত হয় শহরতলিতে, বর্তমানের তেজগাঁওয়ের খামারবাড়ি এলাকায়। টেলর উলে­খ করেছেন, ঢাকায় প্রথম ১৬৬৬ সালে ইংরেজদের ফ্যাক্টরি স্থাপিত হয়েছিল। ব্রিটিশরা চেষ্টা করে সুবাদারের কাছাকাছি থাকতে। কয়েক বছরের মধ্যেই তারা বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুঠি স্থানান্তর করে এবং ১৬৭৮ সালে তাঁরা নবাবকে নানা উপঢৌকন দেয়ার মাধ্যমে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার অনুমতি লাভে সমর্থ হয়। এর পরের ইতিহাস তো সবারই জানা।
গ্রিকরা-লবণ ও পাটের কারবার করে বেশ টাকাকড়ি করেছিল গ্রিকরা। ঐতিহাসিকদের মতে, ইউরোপীয়দের মধ্যে তারাই ঢাকায় এসেছিল সবার পরে। জেমস টেলর উলে­খ করেছেন, কলকাতার গ্রিক স¤প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা আরগিরি ঢাকায় বসবাস করতেন এবং ১৭৭৭ সালে তিনি পরলোকগমন করেন। তাঁর পরে অনেকেই আসে। তবে ১৮৩২ সালে ঢাকায় ২১টি পরিবার ছিল। রেসকোর্সের পার্শ্বে ছিল তাদের কবরস্থান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে একটি গ্রিক কবর তাদের স্মৃতিবাহী। ঢাকা ছাড়া নারায়নগঞ্জেও গ্রিকদের বস বাস ছিল। সেখানে ১৯৫৬ সালে র‌্যালি ব্রাদার্স নামের একটি পাটকল চালূ করেছিল র‌্যালি ভাইয়েরা।
আর্মেনিয়ানরা-যেমন ফরাশগঞ্জ, তেমনি আরমানিটোলা এবং সেকানকার প্রাচীন গির্জা, পোগজ স্কুল, রুপলাল হাউস ঢাকায় আর্মেনীয়নের স্বর্ণযুগের সাক্ষী দেয়। ঢাকায় গোড়ার গাড়ী চালুর কৃতিত্বও তাদের। আরমানিটোলার গির্জাটি নির্মিত হয়েছিল ১৭৮১ সালে। উনিশ শতকের শেষ দিকে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দেয়। অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলে যায়।
কাশ্মীরিরা-ঢাকায় যেসব কাশ্মীরি ধনে-মানে খ্যাতি ও প্রতিপত্তি অর্জন করেছিল, তাদের মধ্যে ঢাকার নবাব পরিবার অন্যতম। এই পরিবারের আদি পুরুষ আবদাল হাকিম নবাব আলীবর্দী খানের সময়ে প্রথমে বসতি স্থাপন করেছিলেন সিলেটে। পরে তাঁরা ঢাকায় আসেন। লবণ ও চামড়ার কারবারে প্রভূত ধনসম্পদ অর্জন করেন। আবদাল হাকিমের ভাই আবদুল্লাহ সিলেট থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তাঁর পুত্র হাফিজুল্লাহ আর্মেনীয়দের সঙ্গে যৌথ কারবার করে বিত্তবৈভব বাড়িয়ে তোলেন এবং ১৮১২ সালে বাকেরগঞ্জে জমিদারি ক্রয় করেন। নিঃসন্তান হাফিজুল্লাহর পর উত্তরাধিকারী হন তাঁর ভাই খাজা আলিমুল্লাহ। তার পুত্র আবদুল গনি। তার পুত্র নবাব আহসানউল্লাহ। তার পুত্র নবাব সলিমুল্লাহ।
চীনা ও অন্যান্যারা ঢাকায় যখন আসে-চীনারা ঢাকায় জুতার ব্যবসায় বেশ অগ্রগতি লাভ করেছিল। মিডফোর্ড এলাকায় ছিল তাদের কারখানা। এ ছাড়া তারা লন্ড্রির ব্যবসায়ও নিয়োজিত ছিল। ইরানিরা ঢাকায় আসেন সপ্তদশ শতকে। ইরাকিরা এখানে এসেছিল প্রধানত দিল্লি থেকে। তারা মূলত শিয়া স¤প্রদায়ের। হোসনি দালান। ইমামবাড়াকেন্দ্রিক তাদের স¤প্রদায়ের কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। ঢাকার বেনারসি কারিগরদের পূর্বপুরুষ এসেছিল ভারতের বেনারস থেকে। মিরপুরে তাদের প্রধান বসতি। তেলেগু স¤প্রদায়ের ঢাকা আগমন উনিশ শতকে। সায়েদাবাদ এলাকায় এখনো তাদের বংশধরদের বসবাস। রাজধানী হিসেবে ৪০০ বছরের মাইলফলক পেরিয়ে গেল এই শহর। ঢাকার প্রথম সেশন জজ শেরম্যান বার্ড।
১৬১৫ সালে আকা বাকের (তুর্কি মুসলমান)-এর জন্ম, ঢাকায় মৃত্যু-১৭০১ সালে। আকা বাকর-এর নামে ঢাকায় বাকরখানী রুটির নামকরণ করা হয়।
১৬২০ সালে মগরাজাদের বন্দী করা হয়। এরা আরাকানী। এদের নামানুসারেই নামকরণ করা হয় “মগবাজার”।
১৬২৬ সালে মিডফোর্ড হাসপাতালের লেডিজ হোস্টেলের নিকট বুড়িগঙ্গা নদীর পারে ঢাকা শহরের ২য় মসজিদ তৈরী হয়।
১৬২৬ সালে “ছোটকাটারা” ও “বড়কাটারা”র প্রাসাদ তৈরী করা হয় বাদশা জাহাঙ্গীরের ঢাকা আগমণ উপলক্ষে।
১৬৩৯ সালে সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র শাহ সূজা ঢাকায় বাংলার সুবাদার নিযুক্ত।
১৬৪১ সালের ১৬ মার্চ, বঙ্গের সুবাদার শাহজাদা সুজা ঢাকায় ‘বড়কাটারা’ নামে বিশাল সরাইখানা নির্মাণ করেন।
১৬৪২ সালে ঢাকায় হোসনী দালান তৈরী করা হয় (শাহ শুজার নৌ-সেনাপতি মীর মুরাদ নামক এক ব্যক্তি এ ইমারত তৈরী করেছিলেন।
১৬৪২ সাল থেকে ঢাকায় মহরমের তাজিয়া মিছিল মোঘল সুবাদার শাহ সুজার শাসনামলে-সুবাদারের নৌবাহিনীর তত্ত¡াবধায়ক শিয়া দরবেশ হিসেবে পরিচিতি সৈয়দ মির মুরাদ হজরত ইমাম হোসেন(রা.)-এর স্মৃতিস্মারক হিসেবে পুরান ঢাকায় নির্মাণ করেন হোসেনি দালান এবং এ হোসেনি দালানকে কেন্দ্র করেই শুরু করেন শোক পালন অনুষ্ঠান ও ইমাম হোসেনের প্রতীকী শরাধার অর্থাৎ তাজিয়া-সহযোগে শোভাযাত্রার। ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত হয় ইরান থেকে ধর্মপ্রচারার্থে আগত মুসলমানদের মাধ্যমে।
১৬৪২ সালে (বাংলা ১০৪৯ সালে) শ্যামপুরের ফরিদাবাদ এলাকার ৫৬ নম্বর পশ্চিম জুরাইনে মন্দিরটি অবস্থিত।
১৬৪৩-৪৪ সালে বড় কাটরা নির্মাণ করেছিলেন সুবাদার সুলতান মুহম্মদ সুজার প্রধান স্থপতি আবুল কাশিম। মোগল আমলে ঢাকার রাজধানী হলে যে স্থাপনাটি সবার দৃষ্টি কাড়ে, তার অন্যতম বুড়িগঙ্গার তীরের বড় কাটরা। ব্রিটিশ লাইব্রেরির ওয়েবসাইটে ১৮৭০ সালের বড় কাটরার একটি ছবিও পাওয়া গেল। জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ায় বলা হয়েছে, মধ্য এশিয়ার ক্যারাভান সরাই-এর ঐতিহ্য অনুসরণে নির্মিত হয়েছিল বড় কাটরা। মোগল রাজকীয় স্থাপত্য-রীতির সব বৈশিষ্ট্য এতে ছিল। বড় কাটরায় ফারসি ছন্দোবদ্ধ পঙতিযুক্ত দুটি শিলালিপি আছে। তবে অনিন্দাসুন্দর এই ভবনটিতে সুলতান সুজা না থেকেসরাইখানা হিসেবে ব্যবহারের জন্য আবুল কাশিমকে দান করেন। অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক তখন এর স্থাপত্যশৈলী দেখে মুগ্ধ হতেন। তাঁদের অনেকের লেখাতেই এই কাটরার কথা আছে। সুজা ঢাকায় এলে কাটরার উত্তর অংশে থাকতেন। নওয়াব সায়েস্তা খাঁ ও মীর জুমলা এখান থেকেই দেশ শাসন করতেন। ১৭৬৫ সালে নিমতলী প্রাসাদ নির্মাণের আগ পর্যন্ত এই কাটরাতেই দরবার চলত। ঐতিহাসিক এসব বর্ণনা পড়ে কেউ যদি এখন চকবাজারে বড় কাটরা দেখতে যান, তিনি যথেষ্ট হতাশ হবেন। মুল ফটকটি ছাড়া প্রায় পুরোটাই ধ্বংসের পথে। কাটরার বিশাল অংশজুড়ে এখন একটি মাদ্রাসা। ছাদে নতুন করে ঘরও তোলা হয়েছে। এ ছাড়া মালের আড়ত, ঝালাই কারখানাসহ নানা রকমের দোকানও রয়েছে সেখানে। তবে দোকানদার ও এলাকাবাসী বলছেন, তাঁরাও চান মোগল স্থাপত্যের এই নিদর্শন সংরক্ষণ করা হোক।
১৬৬৪ সালের ১৯ মার্চ, শায়েস্তা খাঁ বঙ্গের সুবাদার হিসেবে ঢাকায় আসেন।
১৬৬৭ সালে লালবাগ দুর্গ তৈরী করা হয়।
১৬৬৮ সালে ইংরেজ কুঠি স্থাপিত।
১৬৭১ সালে ছোট কাটরা প্রাসাদ নির্মিত।
১৬৭৫/১৬৭৬ সালে ঢাকার চকবাজার মসজিদ তৈরী করা হয়।
১৬৭৮ সালে শাহজাদা মোহাম্মদ আজম কর্তৃক লালবাগ দুর্গের নির্মাণ শুরু।
১৬৭৮-৭৯ সালে যুবরাজ মুহম্মদ আজম ঢাকায় প্রথম পাকা রাস্তা নির্মাণ করেন।
১৬৮০ সালে মোহাম্মদপুর এলাকায় সাত গম্বুজ মসজিদ তৈরী করা হয়।
১৬৯৭ সালে ঢাকার নীলক্ষেত এলাকায় ‘মরিয়ম-সালেহা’ মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
১৭০০-১৭০৪ সালে নির্মিত হয় বেগমবাজার মসজিদ।
১৭০০ সালে ঢাকা থেকে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে নিয়ে যায়।
১৭৪০-এর দশকে ঢাকায় ঘুড়ি উড়ানোর রেওয়াজ নায়েব-ই-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের আমলে শুরু হয়।
১৭৪২ সালে ঢাকা শহরে ফরাসিরা প্রথম ফরাসগঞ্জ বাজার প্রতিষ্ঠা করেন।
১৭৪৯ সালে ওয়ারেন হেস্টিংসের নিজ হাতে লেখা চাকরির জন্য দরখাস্ত রয়েছে জাতীয় আরকাইভসের প্রদর্শনী কক্ষে।
১৭৫৪ সালে ঢাকায় আগা সাদেক ময়দানের উত্তর পার্শ্বের একটি সমাধিতে আগা বাকের সমাহিত আছেন।
১৭৫৬ সালে ঢাকা শহরের সোয়ারীঘাটে বাজার প্রতিষ্ঠা করে। এ বাজারে মাছের আরত।
১৭৬৩ সালে ফকির সন্ন্যাসীদের আক্রমণ এবং ঢাকা ফ্যাক্টরি দখল।
১৭৬৫ সালে ব্রিটিশ আমলে তৈরি ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ভারত উপমহাদেগশের অন্যতম পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের এ কারাগারটি-এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় সরিয়ে নেয়া হবে। ১৭৬৫ সালে ১০টি ওয়ার্ড সির্মাণ করে সাধারণ বন্দীদের রাখা হতো। এরপর ১৭৮৮ সালে এই ওয়ার্ডগুলোতে বড় অপরাধীদের রাখা শুরু হয়। সেই থেকেই শুরু হয় ঢাকা কারাগারের যাত্রা। ১৯০২ সালে ৩৯ একর জমি নিয়ে বৃহৎ পরিসরে যাত্রা শুরু করে বর্তমান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি। ১১২ বছরের বেশি সময় ধরে এই কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হচ্ছে বন্দীদের। পাকিস্তান আমলে এই কারাগারের অনেক জমি বেদখল হয়ে যায়। এখন সব মিলিয়ে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ একর জমি রয়েছে। ১৯৮০ সালে আশপাশে বড় ভবন হওয়ার কারনে কারাগারটি সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৯৯৪ সাল থেকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে এবং ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চলে যাবে নাজিমউদ্দীন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারটি।
১৭৭০ সালে বাংলায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ।
১৭৭৭ সালে তৎকালীন ঢাকার জমিদার গোলাম নবী টিলার উপরে সুরম্য একতলা ইমারত নির্মান করেন।
১৭৮০ সালে ঢাকায় প্রথম আলিয়া-ই-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৮১ সালে নির্মিত পুরান ঢাকার আরমানিটোলার আর্মেনি গির্জা।  সাড়ে সাত শ ফুট লম্বা চারটি দরজা ও ২৭টি জানালার এ গির্জা কালের প্রহারে আজ কিছুটা মলিন ও জীর্ণ। ওয়াইজের গ্রন্থ থেকে আরও জানা যায়, ১৮৭২ সালে সারা বাংলায় বসবাসরত ৮৭৫ জন আর্মেনীয়র ৭১০ জন কলকাতায় এবং ১১৩ জন ঢাকায় বাস করত। ১৮৭০ সালে আই.জি.এন. পোগোজের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার আর্মেনীয়দের সংখ্যা ছিল ১০৭, যাদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী ও ৪৮ জন শিশু। ২০০৮ সালের ১৪ আগষ্ট, ঢাকার শেষ আর্মেনীয়-মিখাইল মার্টিরোসেন-এর জন্ম ঢাকায়। পড়াশুনা করেছে ক্যালকাটা আর বোম্বাইয়ে। এ দেশটা চোখের সামনে কত বদলায়ে গেল।
১৮০৯ সাল থেকে দুর্গাপুজা শুরু করে। পুরান ঢাকার ২৫ নম্বর শাঁখারীবাজারে বাড়িটির অবস্থান। নাম দুর্গাবাড়ি। প্রায় ২০০ বছর ধরে এ বাড়িতে দুর্গা পুজা হচ্ছে।
১৮১৬ সালের এপ্রিলে, ছোট কাটরায় স্থাপিত লিওনার্দোর স্কুল।
১৮১৯ সালে তৈরি হয় ঢাকার জনসন রোডে সাধু থোমার ক্যাথেড্রাল গির্জা। ১৮৫৩ সালে ‘বিগ বেন’ ঘড়িটি তৈরি হয়েছিল লন্ডন শহরে। আর সাধু থোমার ক্যাথেড্রালের ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছিল ১৮৬৩ সালে। মজা করে কেউ কেউ ক্যাথেড্রালের ঘড়িটিকে ‘ইয়ংগার ব্রাদার অব বিগ বেন’ বলে ডাকেন। মানে বড় বেনের ছোট ভাই আরকি। ঘড়িটি নিয়ে ১৯০৮ সালে দি ইম্পেরিয়াল গ্যাজেট অব ইন্ডিয়া-এর জুলাই সংস্করণে লেখা হয়, ‘‘চার্চের জুড়ায় ঘড়িটি ১৮৬৩ সালে বসানো হয়েছিল, যা কিনা লন্ডনের বিখ্যাত ‘বিগ বেন’-এর কারিগরদের দ্বারা প্র¯ত্ততকৃত।’’  ঘড়িটি নষ্ট অনেক বছরের বেশি সময় ধরে।
১৮২৪ সালের ৪ জুনের ঘটনা লর্ড বিশপ রেজিল্যান্ড হেবার নৌকায় করে সুদূর কলকাতা থেকে ঢাকায় বেড়াতে এসেছেন। ঢাকায় নেমেই হাতির ডাক শুনে চমকে গেলেন এক বিদেশি অতিথি। ডায়েরিতে ঢাকায় বেড়ানোর স্মৃতি লিখতে গিয়ে হাতির কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি। বিশপ হেবার বেশ কদিন ছিলেন ঢাকায়। সদরঘাট হাতির ডাকে উচ্চকিত থাকত। কারণ বুড়িগঙ্গায় গোসল করাতে আনা হতো হাতির পাল।
১৮২৫ সালে ঢাকা জেলের কয়েদিদের লাগিয়ে তিন মাসের পরিশ্রমে রমনার জঙ্গল পরিস্কার করে স্থাপন করা হয় রেসকোর্স ময়দান। এ রেসকোর্সের প্রবেশপথে ডস দুটি স্তম্ভ তৈরী করেছিলেন। এ গেটকে বলা হতো ‘রমনা গেট’। এ গেটঁটি এখনো অঁটুট অবস্থায় ঢাকার দোয়েল চত্বরের সামনে দেখা যায়। ১৮৭০ সালে রমনা রেসকোর্স গেট তৈরী হয়। রমনার কালীবাড়িটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তুানী সেনারা ডিনামাইট দিয়ে ধ্বংস করে দেয়।
১৮২৫ থেকে ১৮৩০ সাল পর্যন্ত ঢাকায় ছিলেন মি. ওয়াল্টার সাহেব ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর আমলে লোহারপুল তৈরী কাজ শুরু হয়েছিল ১৮২৮ সালে। দুই বছর লেগেছিল শেষ হতে। পুল তৈরির জন্য নির্মাণসমগ্রী এনেছিল ইংল্যান্ড থেকে। লোহারপুলের খ্যাতি কর্ণেল ডেভিডসন ১৮৪০ সালে ঢাকায় এসে লোহারপুল দেখতে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন পুল ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সৌন্দর্যে।
১৮৩৫ সালের ১৫ জুলাই, মিস্টার রিজ নামের এক ইংরেজ কলেজিয়েট স্কুলটি ঢাকার প্রথম সরকারি বিদ্যালয়।
১৮৪০ সালে জেমস টেলরের মতে, এ দেশের বস্ত্রশিল্প যখন ধ্বংসের মুখে, তখনো ৩৬ রকম কাপড় বুনন হতো ঢাকায়। এরমধ্যে বেনারসি অবশ্যই ছিল। তবে তা এশবারেই স্বল্প পরিসরে। ১৯৪৩ সালে পুরান ঢাকার মালিটোলা, দক্ষিণ মুহসেন্দি, ভজহরি সাহা স্ট্রিটের অল্পকিছু পরিবারই শুধু যুক্ত ছিল বেনারসি বুননের সঙ্গে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারতের বেনারস থেকে ব্যাপকসংখ্যক মুসলিম মোহাজের ঢাকায় এসে যখন বসতি স্থাপন করে, প্রধানত মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে।
১৮৪০ সালে ঢাকা মিউনিসিপাল কমিটি। ১৮৬৪-এর দিকে-এর প্রথম চেয়ারম্যান হন এডওয়ার্ড ড্রামন। ‘বাবা ড্রামনের’ হাত ধরে আজ আমরা উপনীত হয়েছি সিটি কর্পোরেশন-এর মেয়র।
১৮৪০ সালে কলকাতা থেকে ডেভিডসন ঢাকায় বেড়াতে এসেছিলেন। লিখেছেন ‘ঢাকার সবুজ এবং সুন্দর রেজিমেন্টের সব অফিসারের মধ্যে একজন বা দু’জন থাকেন সেনানিবাসের ভেতরে। বাকীরা জ্বরে ভুগে বা জ্বরের ভয়ে থাকেন শহরে। সেনানিবাসের পাশে আছে বেশ বড় এক জলাভূমি যা মারাত্মক ম্যালেরিয়ার উৎস।’ পল্টনে আরও বেশ কটি বড় পুকুর ছিল বলে তিনি উলে­খ করেছেন।  ১৮৪০ সালের দিকে জনস্বার্থে সেনানিবাস পুরানা ও নয়াপল্টন থেকে (পর্যায়ক্রমে রমনা থেকে লালবাগ ও মিরপুরে সেনানিবাসটি স্থানান্তর করা হয়েছিল বলে ঐতিহাসিককেরা উল্লেখ করেছেন)  সরিয়ে নেওয়া হলেও এর নাম পল্টন থেকে যায়। ১৮৬০ সালে ঢাকা এসে জর্জ গ্রাহাম নামের এক সিভিলিয়ান পল্টনকে দেখেছেন একটা ‘ম্যালেরিয়া পরিত্যক্ত সেনানিবাস’ হিসেবে। এরপর এলাকাটি ঢাকা পৌরসভার অধীনে চলে আসে। মুনতাসীর মামুনের বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৮৭৪ সালে ঢাকায় নওয়াব খাজা আহছান উল­াহ ৮০ বিঘা জমি পত্তন নিয়ে বাগান করেন, যা দিলকুশা হিসেবে নতুন নামকরণ হয়।  কোম্পানি বাগিচা থেকে সেগুনবাগিচা বলে, তার আদি পরিচয় ছিল ‘কোম্পানি বাগিচা’ নামে। এ খালি মাঠটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। একসময় ফুটবল খেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠলে মাঠটিতে খেলাধুলা শুরু হয়। পাকিস্তান আমলে সেখানে একটি স্টেডিয়াম গড়ে তোলে সরকার। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে এবং ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময় মওলানা ভাসানীর বিখ্যাত জনসভাগুলোর স্থান হিসেবে পল্টন ময়দান বাঙালির রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে পল্টন ময়দান গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকা ভরাট করে তিনি বিরাট মাঠ নির্মাণ করেন। কোম্পানি বাগান থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। সবুজ পল্টন এখন দূর অতীতের স্মৃতিমাত্র।
১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর, ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠিত।
১৮৫০ সালের আগে এলাকাবাসীর পানির সমস্যা সমাধানের জন্য বংশালের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও জমিদার হাজি বদরুদ্দীন ভুট্টো নিজ জমিতে পুকুর খনন করেন ৬-বিঘা জমির ওপর। এ কারণে পুকুরটি ভুট্টো হাজির পুকুর হিসেবেও পরিচিত। এখনো পুকুরটি টিকে আছে
১৮৫৬ সালের ১৮ এপ্রিল, সাপ্তাহিক ‘ঢাকা নিউজ’-এর প্রকাশনা শুরু।
১৮৫৭ সালের ২২ নভেম্বর,ঢাকার লালবাগ দূর্গে বিপ্লবী সিপাহী ও ইংরেজদের মধ্যে যুদ্ধ।
১৮৫৮ সালের ১ মে, পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গার পারে মিডফোর্ড হাসপাতাল পূর্ববঙ্গের প্রথম আধুনিক চিকিৎসানির্ভর হাসপাতাল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৮৫৪ সালের শুকনো মৌসুমে হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। মাত্র ১৮,৫৩৬ টাকায় ১৮৫৮ সালের মধ্যে ঠিকাদার কোম্পানি একটি প্রধান হাসপাতাল তৈরী করেন। ১৮৭২ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ, হাওড়া হাসপাতাল এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে যত ‘মেজর’ অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার মধ্যে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী মৃতের হার মিটফোর্ড হাসপাতালেই সবচেয়ে কম। ১৮৭৫ সালের ১৫ জুন, মিটফোর্ড হাসপাতালের বলয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম মেডিকেল স্কুল, যা পর্যায়ক্রমে আজকের স্যার সলিমূল্লাহ মেডিকেল কলেজ। ১৯২০ সালের ১ এপ্রিল, সরকারি হাসপাতালে পরিণত হয় মিটফোর্ড হাসপাতাল। বর্তমানে ৬০০ শয্যায় উন্নীত হয় মিটফোর্ড হাসপাতালটি। রবার্ট মিটফোর্ড ছিলেন ঢাকা জেলার প্রাদেশিক আপিল ও সার্কিট আদালতের দ্বিতীয় বিচারক। লন্ডনে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে ১৭৯৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ‘রাইটার’-এর চাকরি নিয়ে ভারতবর্ষে আসেন রবার্ট। ১৮১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কালেক্টর হিসেবে ঢাকায় আসেন মিটফোর্ড। রাজনৈতিক ক্ষমতা, ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়ে ঢাকা তখন এক গুরুত্বহীন শহর। এ শহরেই ১২টি বছর কাটিয়ে দেন রবার্ট মিটফোর্ড। ঢাকার চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ১৮২৮ সালে ইংল্যান্ডে ফিরে যান। সেখানে আট বছরের মত বেঁচে ছিলেন রবার্ট মিটফোর্ড। ১৮৩৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারিসে বেড়াতে যান মিটফোর্ড, সেখানেই মারা যান। জীবনের শেষ সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
১৮৫৯ সালের ঢাকা শহরের মানচিত্র রয়েছে জাতীয় আরকাইভসের প্রদর্শনী কক্ষে।
১৮৬০ সালে ঢাকায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রথমে ‘‘কস্যচিৎ পথিকস্য’’ ছদ্মনামে প্রকাশিত হয় ‘‘নীলদর্পণ’’।
১৮৬১ সালের দিকে থিয়েটার ঢাকার প্রথম থিয়েটার সম্ভত পূর্ববঙ্গ রঙ্গভূমি। প্রতিষ্ঠাকাল নিয়ে মতভেদ থাকলেও ধারণা করা হয় ১৮৬১ সাল। যাত্রাপালা সম্ভবত ‘সীতার বনবাস’ যাত্রাপালাটি ঢাকায় প্রদর্শিত প্রথম যাত্রা।
১৮৬১ সালের ৭ মার্চ, ঢাকা শহরের প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ‘ঢাকা প্রকাশ’-এর প্রকাশনা শুরু।
১৮৬৪ সালের ১ আগষ্ট, ঢাকা শহরকে পৌরসভা করা হয়।
১৮৬৪ সালে বুড়িগঙ্গার উত্তর পাশ দিয়ে একটি বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ঢাকার কমিশনার সিটি বাকল্যান্ড।
১৮৬৯ সালের ২২ আগস্ট, বাংলাদেশ ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাকালে পাটুয়াটুলীতে ‘রামমোহন রায় পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭১ সালে পাঠাগার নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়।
১৮৭১ সালে সাধারণ ঢাকাবাসীর চাঁদায় শহরে সর্বপ্রথম ১০০টি লাম্পপোস্ট আর তেলের বাতি চালু করা হয়।
১৮৭২ সালের ১৩ নভেম্বর, সাপ্তাহিক ‘সমাজ দর্পন’ প্রকাশিত হয়।
১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘‘নীলদর্পণ’’ নাটক প্রযোজনা হয়।
১৮৭২ সালে  ঢাকার নবাব বাড়ির ‘‘আহসান মঞ্জিল’’ তৈরী করা হয়।
১৮৭৩ সালে ব্রাহ্মসমাজের উদ্যেগে ফরাশগঞ্জের একটি বাইড়তে মাত্র দুজন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকার প্রথম বালিকা বিদ্যালয়।
১৮৭৪ সালের দিকে বংশাল বড় মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকার ধনাঢ্য চামড়া ব্যবসায়ী ও ওহাবি আন্দোলনের নেতা হাজি বদরুদ্দীন। তিনি স্থানীয়ভাবে ভুট্টো হাজি নামে পরিচিতি ছিলেন।
১৮৭৫ সালে মিটফোর্ড হাসপাতালে মেডিকেল স্কুল স্থাপিত।
১৮৭৬ সালে ঢাকায় প্রথম সার্ভে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৭৮ সালে ঢাকার প্রথম নিযুক্ত হন মি. ডানকানসান।
১৮০৩ সালে ঢাকার প্রথম হাসপাতাল কলকাতার দেশীয় হাসপাতালের শাখা  হিসেবে ১৮০৩ সালে প্রথম হাসপাতাল স্থাপিত হয়।
১৮৬০ সালে আজিমপুর কবরস্থানে প্রথম কবর দেয়া হয়। আজীমপুর কবরস্থানের জমির পরিমাণ ৩৬ একর বা ১২০ বিঘা। একটা কবর ১৮৮৯ সালে, বাংলা-১২৯৬ সালে।
১৮৬৪ সালের আগস্ট মাসে, ঢাকায় প্রথম পৌরসভা প্রতিষ্ঠি হয়।
১৮৮০ সালের পূর্বে ঢাকা শহরে ঘোড়ারগাড়ী ছিলা না।
১৮৮১ সালের জানুয়ারি, ঢাকার প্রথম বিজ্ঞান পত্রিকা ভিষক প্রকাশিত হয়।
১৮৮২ সালে ঢাকার পুরনো নাখাসে মিউনিসিপিলিটির তত্ত¡াবধানে প্রথম কবরস্থান স্থাপন করা হয়। আদি ঢাকায় যত্রতত্র কবর দেওয়ার রেওয়াজ ছিল।
১৮৮৩ সালে ঢাকায় মুসলমান সুহৃদয় সমিতি গঠিত হয়।-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন ঢাকা কলেজের আবদুল মজিদ। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হতো বাংলা উর্দুতে। লেখক জানিয়েছেন, প্রথমে শহর ঢাকা, কলকাতা, বরিশাল, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ থেকে ৩২ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ১৯০৫ সালে মোহামেডান প্রভিন্সিয়াল ইউনিয়ন গঠিত হলে সুহৃদয় সম্মিলনীয় বিলুপ্তি ঘটে। ১৯২৯ সালে ঢাকায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দি লাস্ট কিস’-এর নির্মাণ, এর নায়ক চিত্রগ্রাহক খাজা আজমল ও নায়িকা লোলিটা ওরপে বাদামতলীর বুড়িকে নিয়ে আলোচনা চলচ্চিত্রমোদীদের কৌতূহল মেটাবে। ১৮৮৫-১৯২৩ সাল পর্যন্ত ঢাকার প্রথম মুসলমান মহিলা শিল্পী নবাব আহসানউল্লাহর কন্যা মেহেরবানু খানমের নাম আজকজন মনে রেখেছে? তাঁর আঁকা একটি ছবি ১৯২০ সালে মোসলেম ভারত পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।
১৮৮৫ সালে ঢাকা কোর্টের জন্ম।
১৮৮৯ সালে একটা কবর আছে ইংরেজী এবং বাংলা সন লেখা আছে-১২৯৬ সাল। আজিমপুর কবরস্থানের জন্ম সাল কবে কেউ বলে বিট্রিশ আমলে আবার কেউ বলে পাকিস্তানের আমলে আবার রেকর্ডপত্রে দেখা যায় ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘‘আজিমপুর কবরস্থান’’।
১৮৯০ সালে তৎকালীন বৃটিশ সরকার প্রথম ঢাকা নগরীর আধুনিক অভিজাত আবাসিক এলাকা ওয়ারীকে গঠন করে।
১৮৯২ সালের ১৬ মার্চ, ঢাকায় তথা বাংলাদেশে যিনি প্রথম আকাশ জয় করেছিলেন, তিনি একজন আমেরিকান নারী, যাঁর নাম জিনেট ভানতাসেল। বিষয়টি আমরা জানতে পারি সিলেটের বিখ্যাত হাসন রাজার ছেলে গনিউর রাজার ডায়েরি থেকে। তিনি সে সময় ঢাকায় ছিলেন ও ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ১৯৮৯ সালে ঘটনাক্রমে একটি পুরোনো আলোকচিত্র পাওয়ার কারণে ঢাকায় যে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। জিনেট ভানতাসেল ও তাঁর স্বামী পি.এ. ভানতাসেলকে কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে বেলুনে চড়ার জন্য নবাব আহসানউল্লাহ চুক্তিবদ্ধ করেন। ১৮৯২ সালের ১০ মার্চ তাঁরা ঢাকায় আসেন এবং ১৬ মার্চ জিনেট বেলুনে করে বিকেলে বুড়িগঙ্গার ওপার থেকে আকাশে উড়েন এবং কথা ছিল বেলুন ছয় হাজার ফুটের ওপরে ওঠারপর প্যারাসুট নিয়ে ঝাঁপ দেবেন নবাববাড়ির ছাদে নামার উদ্দেশে। কিন্তু বাতাসের তীব্র বেগের কারণে বেলুন ভাসতে ভাসতে শাহবাগে নবাবের বাগানবাড়ির একটি ঝাউগাছে আটকে যায় এবং জিনেট ১৫ থেকে ২০ ফুট ওপরে প্যারাসুটের সঙ্গে ঝুলতে থাকেন। এ সময় ঢাকার এক ইংরেজ পুলিশ কর্মকর্তা তিনটি বাঁশ বেঁধে তার সাহায্যে জিনেটের নেমে আসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু নিচে নেমে আসার সময় বাঁশের বাঁধন আলগা হয়ে গেলে জিনেট নিচে পড়ে আঘাত পান। প্রায় অচেতন জিনেট এরপর প্রচন্ড জ্বরে ভুগে ১৮ মার্চ দুপুর একটায় মৃত্যুবরণ করেন। বিকেল চারটায় জিনেটকে ঢাকার নারিন্দায় খ্রিষ্টান গোরস্থানে সমাহিত করা হয়। ঢাকার আকাশে বেলুনে উড্ডয়নের দু-একদিন আগে থেকেই ঢোল পিটিয়ে ঢাকাবাসীকে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ঢাকার প্রথম আকাশচারী।
১৮৯৮ সালে প্রথম বায়োস্কোপ-নবাব আহসানউল্লাহ কলকাতা থেকে বায়োস্কোপ এনে পরিবার ও ঢাকাবাসীকে দেখানোর ব্যবস্থা করে।
১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর, আহসান মঞ্জিলে জেনারেটর দ্বারা বিদ্যুতের বাতি জ্বালানো হয়।
১৯০২ সালে ইংরেজরা ঢাকায় প্রথম জগন্নাথ কলেজে সিনেমা দেখায়।
১৯০২ সালের ১০ এপ্রিল, সাপ্তাহিক বার্তাবহ পত্রিকায় প্রকাশিত এডুকেশন গেজেট রয়েছে জাতীয় আরকাইভসের প্রদর্শনী কক্ষে।
১৯০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন ঢাকায় ‘কার্জন হলের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের নামে কার্জন হল তৈরী করা হয়।
১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত গভর্নমেন্ট হাউস আজকের বঙ্গভবনে রুপান্তরিত হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সালে ‘বঙ্গভবনের শতবর্ষ’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটিশরাজের অধীনে সদ্য সৃষ্ট পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার নতুন প্রদেশের প্রথম শাসক হিসেবে তার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করতে ঠিক এ হলে (বঙ্গভবন-দরবার হল) প্রবেশ করেন।
১৯০৫ সালে প্রথম বঙ্গ-ভঙ্গের সময় ঢাকাকে ‘আসাম ও পূর্ববাংলার’ রাজধানী করা হয়।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় ঢাকার মধ্যবর্তী অঞ্চলে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে নয়াবাজার হিসেবে পরিচিতি পায়।
১৯০৫ সালে ঢাকায় প্রভিন্সিয়াল মোহামেডান এসোসিয়েশন গঠিত হয়।
১৯০৫ সালে ঢাকায় প্রথম মোটরগাড়ি চালু করেন নবাব সলিমুল্লাহ।
১৯০৬ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় উর্দু সংবাদপত্র আল শাশরিক।
১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র প্রাসাদে মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে “নিখিল ভারত মুসলিম লীগ’’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯০৬ সালে লায়ন থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৭ সালের দিকে মির্জা আবদুল কাদের সরদার (জন্ম-০১-১১-১৮৮১ এবং মৃত্যু-২৭-০৮-১৯৬৩) লায়ন থিয়েটারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় লায়ন সিনেমা হল। ১৯২৭ সালের শুরুতে এ হলে নির্বাক সিনেমা প্রর্দশন করা হতো। ১৯৩৩ সালে সবাক চলচ্চিত্র প্রর্দশন শুরু হয়। বর্তমান মালিক মির্জা আবদুল খালেক। লায়ন সিনেমা হল ভেঙ্গে এখন সুপার মার্কেট নির্মাণ করা হবে।
১৯০৯ সালে ঢাকায় সলিমুল­াহ এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
১৯০৯ সালে ঢাকার ওয়ারীতে বলধা গার্ডেন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১০ সালে স্থাপিত হয় মুক্তাঙ্গনের উত্তর পাশে বিদেশিদের একটি সংগঠন ফ্রি ম্যাসন্স ক্লাব। স্থানীয়ভাবে তা ইহুদিদের ক্লাব হিসেবে পরিচিত।
১৯১০ সালে মালেকা খাতুন নবাবের বাগমিরপুর এলাকায় সুন্দর একটি মসজিদ নির্মাণ করেন।
১৯১০ সালে ১৬ নম্বর নবাবপুর রোডে আর সি দাস অ্যান্ড সন্স নামে ঢাকায় প্রথম ফটোগ্রাফিক স্টুডিও প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১১ সালের ১৯ আগষ্ট, ঢাকা ক্লাব প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, বঙ্গ-ভঙ্গ রদ করা হয়। ঢাকা থেকে রাজধানী বাতিল করা হয়।
১৯১৩ সালে ঢাকা যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯১৩ সালে ঢাকায় প্রথম পাবলিক মার্কেট স্থাপন করেন।
১৯১৪ সালে সিনেমা হল ঢাকার পিকচার হাউস নাট্যমঞ্চটি (শাবিস্তান হল) সিনেমা হলে রূপান্তরিত হয়।
১৯১৬ সালে ঢাকায় সর্বপ্রথম নওয়াব ইউসুফ-এর প্রচেষ্টায় পাবলিক মার্কেট নির্মাণ করা হয়। নওয়াব ইফসুফ ছিলেন ঢাকা পৌরসভার চেয়ারম্যান। নয়াবাজারে নওয়াব ইউসুফ রোড নামে একটি সড়ক রয়েছে।
১৯১৮ সালে মুনশি লাল মিয়া প্রতিষ্ঠা করেন গাবতলী গবাদিপশুর হাট। ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুনশি লাল মিয়া ওয়াকফ এস্টেট। এ এস্টেটের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল গবাদিপশুর হাট। ১৯৭৩ সালে হাটটি সরকার জাতীয়করণ করে। তখন থেকে প্রতিদিন হাট বসতে শুরু করে। ১৯৭৩ সালে এ হাট পরিচালনার ভার পায় মিরপুর ইউনিয়ন। ১৯৭৬ সালে মিরপুরকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মিরপুর পৌরসভার আওতায় পরিচালিত হয় হাটটি। ১৯৮৬ সালে ডিসিসির উদ্যোগে বর্তমান জায়গায় গবাদিপশুর হাটের কার্যক্রম শুরু হয়। এ হাট ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। প্রতিদিন গবাদিপশু বিক্রি হয়, এমন হাট দেশে আরেকটা আছে চট্টগ্রামে। তবে গাবতলী হাট দেশের গবাদিপশুর সবচেয়ে বড় হাট।
১৯১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, নির্বাচনে ঢাকায় প্রথম ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হয়।
১৯২০ সালের ডিসেম্বর মাসে, আহসান মঞ্জিলে নবাব সলিমুল্লাহর জ্যেষ্ঠ খাজা হাবিবুল্লাহর উদ্যোগে ঢাকা খেলাফত কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯২১ সালের ১ জুলাই, ৩টি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৩টি আবাসিক হল নিয়ে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯২১ সালের সি.এস. রেকর্ড অনুযায়ী ২০০৬-এর রাজধানী শহরের ৩৫টি খালের উল্লেখ রয়েছে তা খুঁজে বের করতে হলে এখন সেটা দস্তুরমতো গবেষণা করেই দেখতে হবে।
১৯২৩ সালের ২৩ মার্চ, ঢাকায় প্রথম ডিপার্টমেন্টাল স্টোর খোলেন। ঢাকার নবাব পরিবারের খাজা নাজিমউদ্দিন ও খাজা শাহাবউদ্দিন।
১৯২৫ সালে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা আসেন।
১৯২৭ সালে কাজী নজরুল ইসলাম ঢাকা আসেন।
১৯২৮ সালে ঢাকা শহরের প্রথম আজাদ সিনেমা হলটি প্রতিষ্ঠা করেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার মুড়াপাড়ার বিখ্যাত জমিদার মুকুলচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢাকা পিকচার্স প্যালেস নামেও তাঁর একটি চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান ছিল। এ হলটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
১৯৩০ সালে ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ী ছিল; রিক্সা ছিল না। গলির শেষ মাথায় লাগানো ছিল কেরোসিন বাতির ল্যা¤প পোষ্ট।
১৯৩১ সালে নির্মিত ঢাকার প্রথম পূণাঙ্গ নির্বাক চলচ্চিত্র দি লাস্ট কিস।
১৯৩৩ সালে প্রথম ঢাকায় সিনেমা হল তৈরী করা হয়।
১৯৩৫ সালে প্রথম মুড়াপাড়ার জমিদার ঢাকায় মটরগাড়ী আনে।
১৯৩৬ সালে ‘নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সঙ্গ’ প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর, ১৯৩৯ সালের ৭ ডিসেম্বর, ঢাকায় স্থাপিত হয় প্রগতি লেখক সঙ্গের শাখা।
১৯৩৬-৩৭ সালে ঢাকার মৌলভীবাজারের দুই ব্যক্তি ব্যবসায়িক উদ্দেশে কলকাতার চন্দননগর থেকে ১৮০/- টাকায় দুটি সাইকেল রিকশা আমদানি করেন।
১৯৩৮ সালে নুরবানু ঢাকার নিউইস্কাটন এলাকায় ‘নিউইস্কাটন ছোট মসজিদ’ নির্মাণ করেন।
১৯৩৮ সালে রাহেলা খাতুন দক্ষিণ শাহাজাহানপুর মসজিদ নির্মাণ করেন।
১৯৩৯ সালে(লেখা আছে ১৮৩৯ সাল পত্রিকায়) ঢাকা-আরিচা সড়ক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এ প্রবেশদ্বারের যাত্রা শুরু হয়। ওই সময় তুরাগ নদীর ওপর তৈরি হয় লোহার ব্রিজ। যানবাহন চলাচল সহজ করার জন্য ১৩৮১ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ চালু হয় বর্তমান পাকা সেতুটি, যা মিরপুর ব্রিজ নামে পরিচিতি। বিট্রিশ আমলেই যানবাহন রাখার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয় গাবতলী এলাকা। ১৯৭৬ সালে মিরপুরকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। পরে তা ডিসিসির আওতাভূক্ত হয়। ১৯৮৫ সালে ৫ একর যায়গা নিয়ে মিরপুর আন্তজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়।
১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর নাজিমউদ্দিন রোডে খান বাহাদুর নাজির উদ্দিন সাহেবের ভাড়া বাড়িতে দুটি  স্টুডিও নিয়ে অল ইন্ডিয়া রেডিও “ঢাকা বেতার কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ।
১৯৪৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকা ছিল একটি জেলা শহরই মাত্র।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট, পূর্ব-পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় স্থাপিত হয়।
১৯৪৭ সালে ঢাকা শহরে ৩০০শত টেলিফোন ছিল।
১৯৪৭ সালের পর সেই সব শহীদদের স্মরণে ওখানে নির্মিত হয় শহীদ স্মৃতিসৌধ ১৮৫৭-এর স্মরণে’’। আজকের বাহাদুর শাহ পার্কের ঐ স্থানটি ছিলো আন্টাঘর ময়দান। ইংরেজ প্রশাসন পরে ভিক্টোরিয়া পার্ক নামকরণ করে।
১৯৪৭ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার।
১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে প্রথম হরতাল। হরতাল গুজরাতী শব্দ।
১৯৪৮ সালের ১ জুলাই, বেগম বদরুনন্নেসা সরকারী মহিলা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৮ সালে প্রথম মুড়ির টিনমার্কা বাস চলাচল করে সদরঘাট থেকে চকবাজার হয়ে ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত।
১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রথম ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়।
১৯৪৮ সালে ঢাকা ফ্লাইং ক্লাব (বেসামরিক পাইলট তৈরির) প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৯ সালের মার্চে, ঢাকার পল্টন ময়দানে পূর্ব-পাকিস্তান রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগের এক অধিবেশন বসে।
১৯৪৮ সালের ৭ মে, ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, পাকিস্তান’ নামে প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টি হয়।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, ঢাকায় “রোজ গার্ডেনে” মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৯ সালের জুলাই, ঢাকা বারলাইব্রেরীতে এক ঘরোয়া সভায় ইত্তেফাক নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশের কথা ঘোষণা দেন এবং ওই সভাতে উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে চারশত টাকার একটি তহবিল গঠন করেন। তা দিয়ে ১৫ আগষ্ট, ইত্তেফাক-এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। প্রথম অফিস ছিল ৭৭, মালিটোলায় এবং পরে ৯৪, নবাবপুর রোডের আওয়ামী মুসলিম লীগ কার্যালয়ে।
১৯৪৯ সালের ৩ নভেম্বর, ঢাকা ‘নটর ডেম কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫০ সালের ২ জুন, ঢাকায় ‘দৈনিক সংবাদ’-এর প্রতিষ্ঠা।
১৯৫০ সালে ঢাকায় প্রথম সরকারীভাবে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আজিমপুরে ‘আজিমপুর সরকারী  কোয়ার্টার’ নির্মাণ করা হয়।
১৯৫০ সালে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ছিল তিন লাখ ১৭ হাজার। তখন জনসংখ্যায় বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা শহরের অবস্থান ছিল ২৪০তম। ২০১০ সালে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২৫ লাখ ১৯ হাজার এবং ঢাকা বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহরের স্থান দখল করে। অর্থাৎ ৫০ বছরের ব্যবধানে ঢাকা জনসংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে ২৩১টি শহরকে অতিক্রম করেছে। বলা হচ্ছে বর্তমানে (২০১৪ সালে) ঢাকার জনসংখ্যা ১ কোটি ৫০ লাখ থেকে ২০২০ সালে জনসংখ্যা হবে ২ কোটি ৪০ লাখ।
১৯৫১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯শ’ ২৮ জন। (১৯৫১ সালে আয়তন ছিল-৬০ বর্গকিলোমিটার বা ৩৭.৫০ বর্গমাইল)।
১৯৫২ সালের ৩ জানুয়ারি, ঢাকায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ২২ জানুয়ারি ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে ছাত্র সমাবেশের উপর পুলিশের গুলি বর্ষণ। জাতীয় আরকাইভসের প্রদর্শনী কক্ষে রয়েছে।
১৯৫২ সালের ২৮ জানুয়ারি, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কাজী গোলাম মাহবুবকে আহবায়ক করে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন।
১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি, খাজা নাজিমউদ্দিন পূর্ব-পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী  হওয়ার পর ঢাকার এক জনসভায় বলেন-“উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’’।
১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি, পূর্ব-বাংলায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠন করা হয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষারদাবীতে আন্দোলণরত জনতার উপর পুলিশের গুলিতে কয়েকজন শহীদ হয়। এদের মধ্যে ৫(পাঁচ) জনের নাম জানা আছেঃ বরকত, সালাম, জব্বার, রফিক ও অহিউল্লাহ। বরকত ছিলেন ছাত্র, সালাম ছিলেন সচিবালয়ের পিয়ন, জব্বার ছিলেন ছোট চাকুরে, রফিক ছিলেন প্রেসের কর্মচারী আর অহিউল্লাহ ছিলেন কিশোর বালক। পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই ছিলেন সাধারণ মানুষ, দরিদ্র কর্মচারী বা ছোট ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষার জন্য তাঁরা প্রাণ দিলেন, তাঁদের রক্তের ওপর দিয়ে দেশ স্বাধীন হল; কত লোকের ভাগ্য খুলে গেল, কিন্তু বাংলা ভাষার মধ্যে পরিবর্তন এলনা। বাংলা ভাষায় বড়লোক-ছোটলোকের তারতম্য রয়ে গেল।
১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত শোক মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণ।
১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়।
১৯৫২ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, ভাষা আন্দোলনকারী জনতার উপর গুলীর প্রতিবাদে ‘‘দৈনিক আজাদ’ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিনের প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগ।
১৯৫২ সালের ২৯ মার্চ, ঢাকা বার এসাসিয়েশনে সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জন্ম।
১৯৫২ সালের ২ মে, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৫৩ সালের ২০ মার্চ, ‘ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক পেট্রল পাম্প’ হলো বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম পেট্্রল পাম্প।
১৯৫৩ সালে মুসলিম লীগের স্বৈরাচারী আচরণ মোকাবিলার জন্য, ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর ভাসানী এবং ফজলুল হক আলোচনা করে মুসলিম লীগ বিরোধী একটা ফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেন এবং পত্রিকায় বিবৃতি প্রদান করে “ঐতিহাসিক ২১-দফার’’ ভিত্তিতে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।
১৯৫৩ সালে ঢাকায় নটরডেম ডিবেটিং ক্লাব গঠিত হয়।
১৯৫৩ সালে টাউন ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘‘আজিমপুর কবরস্থান’’। ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ, শুক্রবার রায়েরবাজারের কবস্থানটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম দেশের বৃহত্তম কবরস্থানটি চালু হয়। রায়েরবাজারের কবরস্থানটি নির্মার্মে ব্যয় ৫২২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ কবরস্থানের মোট জমির পরিমাণ ৯৬ দশমিক ২৩ একর।
১৯৫৪ সালে ঢাকা স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়।
১৯৫৪ সালে ঢাকার রাজারবাগ ২৫০ শয্যার পুলিশ হাসপাতার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪ সালের ১০ মে, পল্টন ময়দানে আওয়ামী মুসলিম লীগের আহবানে এক বিরাট জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ফজলুল হক সভায় ঘোষণা দেন যে, তিনি ভাসানীর নির্দেশেই শাসনকার্য পরিচলনা করবেন। ৩০ মে, ফজলুল হকের মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন। অজুহাত দেখান যে, কমিউনিষ্টরা বিশৃঙ্খলা করে-দমনে হক-মন্ত্রিসভা ব্যর্থ। ১৯৩৫ সালের ‘ভারত শাসন আইন’-এর ৯২-ক ধারায় পূর্ববাংলায় গভর্নরের শাসন জারি করেন।
১৯৫৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় প্রথম অপ্রাতিষ্ঠানিক বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্র নটরডেম বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪ সালে ঢাকায় প্রথম নিউমার্কেট তৈরী করা হয়।
১৯৫৪ সালের ২৮ জুন, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৫৬ সালের দিকে ডাকঘরের পরিধি আরও বাড়ে। তখন সদরঘাটে প্রধান ডাকঘর থাকলেও পোষ্টমাষ্টার জেনারেল (পিএমজি) অফিস, বৈদেশিক ডাকঘর বায়তুল মোকাররমের পাশের যায়গায় ডাকঘরকে জেনারেল পোষ্ট অফিস (জিপিও) হিসেবে গঠন করেন। ১৯৬৩ সালের ১০ মার্চ জিপিওর আনুষ্ঠানিক সূচনা করে এ ভবনে এর সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৬৫ সালে সদরঘাটের অফিসটিকে ঢাকা সদর হেড পোষ্ট অফিস হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
১৯৫৬ সালের দিকে আবাসিক এলাকা ধানমন্ডির প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৫৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়। ২০০৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ৫০ বছর পুর্তি অনুষ্ঠান।
১৯৫৬ সালের ১৩ আগস্ট, ঢাকা শহরে বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র “মুখ ও মুখোশ’’ মুক্তি পায়; নির্মাতা মরহুম আব্দুল জব্বার খান।
১৯৫৬ সালে ঢাকায় ‘‘ইঞ্জিনিয়ার্স  ইনস্টিটিউশন’’ ভবনটি তৈরী করা হয়।
১৯৫৬ সালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৫৬ সালে আজিমপুর লেডিস ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৭ সালে ঢাকায় ১৫ জন লোক নিয়ে এফ.ডি.সি‘র কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৫৮ সালের ৮ মার্চ, ঢাকা মুসলিম চেম্বার এবং ইউনাইটেড চেম্বার একত্রকরণের মাধ্যমে ‘‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির’’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
১৯৫৮ সালের ২৩ জুন, ঢাকায় প্রথম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৫৮ সালে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট-এর মাস্টার প্ল্যান ১৯৫৯ সালে প্রণীত হয়। তখন ঢাকার আশে পাশে ৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য এ মহাপরিকল্পনায় জনসংখ্যার বৃদ্ধির যে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়, তা সম্পূর্ণভাবে ভূল প্রমাণিত হয়। ১৯৯৫ সালে ডিএমডিপি নামে প্রণীত হয় এবং ১৯৯৭ সালে অনুমোদিত হয়। এ পরিকল্পনায় মোট ৫৯০ বর্গমাইল বা ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বি¯তৃত। উত্তরে গাজীপুর পৌরসভার উত্তর সীমানা, দক্ষিণে ধলেশ্বরী নদী, পশ্চিমে বংশী ও ধলেশ্বরী নদী, পূর্বে শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা নদী এবং সোনারগাঁও উপজেলার কিয়দংশ। ২০১০ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর ২১ শতাংশ জায়গা থাকবে জলাশয়-জলাভূমি। ঢাকা মহানগরের বিশদ অব্জল পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাস্তবায়নে গেজেট প্রকাশ। এটি বাস্তবায়িত না হলে রাজধানী পানিতে তলিয়ে যাবে ঃ পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান বলেন। এর ফলে পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ৫৯০ বর্গমাইল (১৫২৮ বর্গকিলোমিটার) বি¯তৃত ঢাকা মহানগরের ২১ শতাংশ জায়গা জলাশয় ও জলাভূমি হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে।
১৯৫৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের শাখা খোলা হয়। স্বাধীনতার পর ঢাকায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের পূণাঙ্গ শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি, তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ জাতীয় মসজিদটি ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ৮.৩০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালের দিকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বায়তুল মোকাররম মসজিদকে জাতীয় মসজিদ হিসেবে ঘোষণা দেন।
১৯৬০ সালে আজীমপুর এস্টেট জনকল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল ২৪-০৪-২০১৪ তারিখ বৃহস্পতিবার ঢাকায় তাপমাত্রা পৌঁছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই তাপমাত্রাকে ৫৪ বছরের মধ্যে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এপ্রিলের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ দিনে গড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৭৩ বছরের মানে ১৯৪১ সাল থেকে তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরে।
১৯৬১ সালে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান প্রতিষ্ঠিত হয়। ফোন-৮০৩৩২৯২।
১৯৬১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার ১শ’ ৪৩ জন।
১৯৬১ সালের ৮ মার্চ, মতিঝিল বাস ডিপো হতে মাত্র ৪টি বাস নিয়ে তৎকালীন ইপিআরটিসি যাত্রা শুরু করে। এবং বাংলাদেশে কাচা ও পাকা রাস্তা মিলিয়ে মোট সড়ক পথের দৈর্ঘ্য-২,৪১,২৮৬ কিলোমিটার (সূত্র-অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০০৯)।
১৯৬২ সালে ঢাকা শহরে প্রথম ফুটপাত তৈরী হয়।
১৯৬৪ সালে আনবিক শক্তি কমিশনের মাধ্যমে পূর্ব-পাকিস্তানে প্রথম যে কমপিউটারের যাত্রা শুরু সেই কমপিউটার আজ বাংলাদেশের মানুষের জীবনের একটি অন্যতম অংশ হয়ে যাচ্ছে।
১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশে পার্সোনাল কমপিউটারের জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। এরপর ১৯৯৮ সালে সরকার যখন কমপিউটার এবং অন্যান্য আইসিটি এক্সেসরিজের উপর থেকে ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয় তখন থেকে এটি প্রচন্ডভাবে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের ইন্টারনেট যুগে প্রবেশের ঘটনা আইসিটি খাতে একটি বিরাট মাইলস্টোন ছিলো। ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৫-সদস্যের একটি শক্তিশালী আইসিটি টাস্কফোর্স গঠন করে।
১৯৬৪ সালে সমিরুননেছা ও নূরজাহান খাতুন চিড়িয়াখানা জামে মসজিদ নির্মাণ করেন।
১৯৬৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর,সাবেক পূর্ব-পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় টেলিভিশন দেখা শুরু।
১৯৬৪ সালে ঢাকা সদরঘাটে ভাসমান জেটিতে লঞ্চ ভিড়ে।
১৯৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সমিতি গড়ে ওঠে ঢাকার পঞ্চায়েত সরদার আব্দুল মাজেদের প্রচেষ্টায়। ঢাকা সমিতির স্মরণিকা থেকে জানা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ঢাকায় পঞ্চায়েত প্রথা বিলুপ্ত হয়ে গেল। সমিতির প্রথম আহবায়ক হন মাজেদ সরদার। মাজেদ সরদার ১৯৬৫ সালে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ঢাকার নাগরিক কমিটির ব্যানারে এক সভা আহবান করেন। ১৯১২ সালে প্রণীত সিএস (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে) অনুযায়ী যারা ঢাকার বাসিন্দা, শুধু তারাই ঢাকা সমিতির সদস্য হতে পারে। সে অনুযায়ী আদি ঢাকাইয়াদের সংগঠন হলো এ সমিতি। সবাই একত্র হওয়া, ঢাকাইয়াদের সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা, সামাজিক ও কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্যই-এ সমিতি গড়ে ওঠে।
১৯৬৬ সালে প্রথম ঢাকায় ফাইভ স্টার “শেরাটন হোটেল” প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৬৯ সালের ৬ জানুয়ারি, ছাত্র ইউনিয়ন(মেনন), ছাত্র ইউনিয়ন(মতিয়া) এবং ছাত্রলীগ-এর সমন্বয়ে “ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’’ গঠন এবং ডাকসু কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ১১-দফা কর্মসূচী ঘোষণা।
১৯৬৯ সালের ১৮ জানুয়ারি, ১১ দফার দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক বটতলায় ছাত্র সমাবেশের পর মিছিল। ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশের কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ।
১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি, ই.পি.আর.-এর গুলিতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ আহত।
১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি, ছাত্র মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ।
১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি, আসাদুজ্জামান শহীদ হওয়ার সংবাদে মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটে প্রবেশের মূল ফটকের নামকরণ করা হয় “আসাদ গেট’’।
১৯৬৯ সালে ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশন চালু হয়।
১৯৬৯ সালে ঢাকায় প্রথম ‘দোতালা বাস’ চালু হয়।
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ, পল্টন ময়দানের এক বিশাল জনসভায় বিভিন্ন নেতা অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। সারা দেশে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, রমনা রেস কোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাসন দেন।
১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ,শেষবারের মতো ঢাকা সফরে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান।
১৯৭১ সালের ১৬ মার্চ, পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের আলোচনা বৈঠক শুরু হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহানের আলোচনা।
১৯৭১ সালের ২০ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবুর রহমান-এর মধ্যে প্রায় সোয়া দু‘ঘন্টাব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ২২ মার্চ, ছিল এক বিভ্রান্তিপূর্ণ দিন। প্রেসিডেন্ট হাউজে ভুট্টোর সঙ্গে শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকার ছিল ২২ মার্চের এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, পূর্ব-পাকিস্তানে গণহত্যর নির্দেশ দিয়ে আকস্মিকভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া  খান করাচির পথে ঢাকা ত্যাগ করেন। পাক-বাহিনী রাতে ঢাকায় শুরু করে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নিরস্ত্র জনগণের উপর অমানসিক নির্যাতন শুরু।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রী পরিষদ মুজিবনগর থেকে ঢাকায়।
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিরুর রহমান জাতীয় স্মৃতিশোধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং স্মৃতিশোধের কাজ শেষ হয় ১৯৮২ সালে। স্মৃতিশোধের সর্বোচ্চ উচ্চতা ১৫০ ফুট। ঢাকা শহর থেকে ২২ মাইল দূরে সাভারে ৪-একর জমির উপর নির্মিত হয় স্মৃতিশোধ। এর পার্শ্ববর্তী আরো ৪২-একর জমি স্মৃতিসোধের পরিবেশ রক্ষণের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়।
১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর, মিল্ক ভিটার (বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড) প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে মিল্ক ভিটা দেশের ২৬টি জেলার ১০৫টি উপজেলায় কাজ করছে। সমবায়ের ভিত্তিতে প্রায় দুই লাখ কৃষক মিল্ক ভিটার সঙ্গে যুক্ত এবং ১০ লাখ লোক সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে।
১৯৭৪ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ১৬ লাখ। (আয়তন ছিল-২৮০  বর্গকিলোমিটার বা ১৭৫ বর্গমাইল)।
১৯৭৪ সালের ১৪ এপ্রিল, মিরপুর ব্রিজ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যাকান্ডে নিহত জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজারুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান।  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দিনকে জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে।
১৯৭৬ সালে কাঁচপুর ব্রিজ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
১৯৭৮ সালে ঢাকা পৌরসভাকে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়।
১৯৭৮ সালে ওরিয়েন্ট স্পোটিং ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৯ সালের ৩০ জানুয়ারি, ঢাকার পরীবাগে ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৯ সালে শহীদ জিয়া শিশুপার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮০ সালে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা(সার্ক)-এর সূচনা ঃ সার্ক আণুষ্ঠানিক-ভাবে উহার যাত্রা শুরু করে ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়।
১৯৮১ সালের ৫ জুলাই, লোক নাট্যদল প্রতিষ্ঠিত হয়।(লিয়াকত আলী লাকী গ্রুপ)।
১৯৮১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ১শ’ ৪৭ জন।
১৯৮২ সালে ঢাকার কাওরান বাজার সংলগ্ন ২য় পাঁচতারা সোনারগাঁও হোটেল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮২ সালের ৪ অক্টোবর, সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের মাধ্যমে ঢাকার বর্তমান বানান (উযধশধ) করা হয় এবং ৬ অক্টোবর বুধবার বাসস সূত্রে দৈনিক সংবাদের প্রথম পাতায় এ খবর ছাপা হয। তাতে উলে­খ করা হয়, এখন থেকে ইংরেজীতে ঢাকার বানান উধপপধ-এর পরিবর্তে উযধশধ লিখতে হবে। প্রধান সামরিক প্রশাসক লে. জে. এইচ. এম. এরশাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১৯৮৩ সালের ১৭ নভেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৩ সালে ঢাকা আহসানিয়া মিশন এতিম শিশু সদন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৫ সালের ৪ নভেম্বর, আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা হয় (১৯৯২ সালে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়)। ফোন-৭৩৯১১২২, ৭৩৯৩৮৬৬।
১৯৮৯ সালে রাজধানীর মহাখালীতে ইরাক সরকারের আর্থিক অনুদানে প্রতিষ্ঠিত করেন মাওলানা এম. এ. মান্নান আর এক অমর কীর্তি মসজিদে গাউছুল আযম ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কমপ্লেক্স।
১৯৯০ সালে ঢাকাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়।
১৯৯১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ‘‘দি ডেইলি স্টার’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৯৯১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ৬৮ লাখ ৪৪ হাজার ১শ’ ৩১ জন।
১৯৯১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ঃ ৬৪ লঅ ৮৭ হাজার। ২০০১ সালে ৯৬ লাখ ৭২ হাজার। ২০১১ সালে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার। ২০১৪ সালে ১ কোটি ৬৯ লাখ। দিনে ঢাকায় বাড়ছে ১৫০০ জন। বছরে বাড়ছে ৫,৭০,৫৭০ জন। মানুষের সঙ্গে বাড়ছে যানবাহনও। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকায় নিবন্ধিত যানবাহন সাত লাখ ৯৭ হাজার ১৮৪টি। প্রতিদিন রাস্তায় ১৮০টি নতুন যান। ৩৫ ভাগ মানুষ বস্তিতে বাস করে।
১৯৯৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘নগরভবন’’ উদ্বোধন করেন।
১৯৯৮ সালের ২৪ অক্টোবর, ঢাকায় মিনি বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু হয়।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর, একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকো। ২০০০ সাল থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
২০০১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল-৯৬ লাখ ৭২ হাজার (আয়তন ছিল-৩৫৩ বর্গমাইল)।
ঢাকার সেই খালগুলো এখন কেবল স্মৃতিচিহ্ন ঃ একদিন এ রাজধানী ঢাকায় ছিল ‘বাইশখাল’। এ খালগুলোর দু‘তীর জুড়ে ছিল গ্রামীণ আবহ। সুখী ঢাকাবাসী আয়োজন করতো নৌকা বাইচের। আদি ঢাকার গৌরব মিশে ছিলো অন্যান্য খাল ও ধোলাইখালের প্রবাহ ছন্দে। জনসংখ্যার চাপে ‘তিলোত্তমা’ ঢাকা গড়ার নামে হরণ করা হয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে।
২০০৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ভাসানী নভোথিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৪ সালের ৮ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া ২৬টি খাল অবিলম্বে পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত। ২৬টি খালের সর্বমোট দৈর্ঘ্য ছিল-২৫৬ কিলোমিটার। এ সভায় জানানো হয়েছে যে, ৬০-এর দশকে ঢাকা নগরীতে প্রায় ৫০টি খাল ছিল।  এ জন্য কোন খালের এলাকার মধ্যে যদি ২০-তলা ভবনও থাকে তবে তা ভেঙ্গে ফেলা হবে। ঢাকার আশপাশের সকল জলাভূমি ও নীচু ভূমি অধিগ্রহণ করারও সুপারিশ করা হয়।
২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি, আমাদের সময় ঃ রাজধানীর ৪৩ খালের ১৭টি এখন         অস্তিত্বহীন। নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আসছে ঢাকা ওয়াসা। ২৬টি খাল উদ্ধার করেছে ওয়াসা। ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সংসদীয় কমিটিকে মন্ত্রণালয়-রাজধানীর ৪৩টি খাল ‘নিখোজ’। ধোলাইখালসহ রাজধানীর ৪৩টি খাল বাস্তবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
২০০৪ সালের ১৫ অক্টোবরের রিপোর্ট ঃ ঢাকার ৩৫টি খাল উদ্ধারে সংসদীয় কমিটি গঠন।
২০০৪ সালের ১৫ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকায় ৮ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলে ৪২ ভাগ ঘরবাড়ী ধ্বংস হবে ঃ ঢাকার মেয়র।
২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর, মহাখালীতে ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উন্মক্ত করা হয়।
২০০৫ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ। ১৯৫১ সালে ঢাকার আয়তন ছিল ২৮ বর্গমাইল যা ১৯৮৯ সালে ৫ গুন বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৫৫ বর্গমাইল। ১৯৯১ সালে ঢাকার আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে ৫২২ বর্গমাইল দাঁড়িয়েছে। ২০০৫ সালে ঢাকা মহানগরীর আয়তন ১,৫৫০ বর্গকিলোমিটার।
২০০৬ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী, নগরে বস্তির সংখ্যা চার হাজার ৯৬৬টি। এসব বস্তিতে ৩৪ লাখ লোক বাস করে। এদের শতকরা ২৫ জন সেপটিক ট্যাংক ও পয়োনিস্কাশন সুবিধা পায়। ২০১৩ সালের মধ্যে সবার জন্য নগরে শত ভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা কঠিন হবে বলে তিনি জানান। আমি বলি সরকারের কথা এবং কাজের মাঝে মিল পাওয়া যায়নি।
২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ঢাকা সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা শহরে হোল্ডিং নম্বর আছে প্রায় দুই লাখ ৩১ হাজার ৫৮০টি। হোল্ডিং নম্বর নেই এমন বাড়ির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।
২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর নিখোঁজ ৪৩টি খালগুলোর মধ্যে ২৬টির খোঁজ মিলেছে।
২০১০ সালের ২১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন-৩৯ খালের দখলদার। এক হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
২০১০ সালে মোট ঢাকা শহরের হোল্ডিংসংখ্যা হচ্ছে-এক লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৬। আর ঢাকা শহরের জনসংখ্যা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। নগরবিদ অধ্যাপক নজরংল ইসলামের হিসাবমতে, এ জনসংখ্যা ৮৫ লাখ। কিন্তু লোকজনের ধারণা, এ জনসংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ বা তারও বেশি। দি ওয়ার্ল্ড এলমেনাক এন্ড বুক অব ফেক্টসের ২০১১ সালের তথ্য অনুসারে ঢাকার লোকসংখ্যা-১(এক) কোটি ৪২(বিয়াল্লিশ) লাখ।
২০১২ সালের ৫ জুন ঃ ঢাকা শহরের লোকসংখ্যা-১ কোটি ৫৮ লাখ। (ঢাকার শহরের আয়তন-৫০০ বর্গকিলোমিটার বা ৩১২.৫ বর্গমাইল)। সারাদেশে ছোট-বড় মিলিয়ে শহর ৬২৫টি। পুরোনো শহরগুলোকে অবহেলায় রেখে নতুন উপশহর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী-অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নগরবিদ।
ঢাকা মহনগরের ৩৫৩ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মাত্র ৩৫ বর্গকিলোমিটার, আর জলাভূমির পরিমাণ ৭০ বর্গকিলোমিটার। জলাজয় কমছে আশঙ্কাজনক হারে। সবুজ হারিয়ে ক্রমশ ধূসর হয়ে উঠছে ঢাকা। এ চিত্র পাওয়া গেছে একটি সমীক্ষা থেকে। জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা ও বিসিএএস পরিচালিত এ সমীক্ষা থেকে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ইফতেখার মাহমুদ। কমছে সবুজ-এক যুগ আগেও ঢাকার আশপাশে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জমি ছিল সবুজে ঢাকা। নগরায়ণের নামে এলাকাগুলো ধূসর হয়ে উঠছে। বাড়ছে তাপমাত্রা-নিম্নভূমি ও জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক কংক্রিটের ভবন ও পিচঢালা পথ নির্মাণের ফলে শহরে তাপমাত্রাও বাড়ছে। এক যুগে ৯০ শতাংশ জলাভূমি ভরাট।
২০১২ সালের ৫ এপ্রিল, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ ঢাকাই জামদানি প্রায় ৪০০ বছর ধরে প্রতি শুক্রবার ভোর থেকে তাঁতিরা তাদের বোনা এ কাপড় বিক্রি করতে আসেন ডেমরার হাটে। গবেষক ড. আবদুল করিম তাঁর ‘ঢাকাই মসলিন’ গ্রন্থে যে ডেমরার আড়ংয়ের কথা বলেছেন সেটিই বর্তমানে ডেমরার হাট। দেশ থেকে অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও ডেমরার আড়ংটি রয়ে গেছে। এই আড়ং থেকে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের জন্য উৎকৃষ্ট জামদানি কেনা হতো। ওইসব জামদানির প্রতিটির দাম ছিল ৪০০ টাকা। ১৭৭৭ সালে মুর্শিদাবাদের নবাবদের জন্য এখান থেকে একখন্ড জামদানি কেনা হয়েছিল ৫৬০ টাকায়। ঢাকার নায়েব-ই-নাজিম মোহাপম্মদ রেজা খাঁ প্রতিটি জামদানির দাম পরিশোধ করতেন ৪৫০ টাকা করে। ১৯০৭ সালে ২০০ টাকা করে এ কাপড় কেনা হতো ত্রিপুরার মহারাজাদের জন্য। ১৯০৩ সালে দিল্লীতে ভারত শিল্প প্রদর্শনীতে ডেমরার জামদানি প্রথম হয়ে ৫০০ টাকা পুরস্কার লাভ করে। তবে ডেমরার আড়ংয়ে এখন আর মসলিন পাওয়া যায় না। শুধু পাওয়া যায় মসলিনের মোটা ফর্ম জামদানি।
২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাজধানীতে বস্তির সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এতে ৪০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস, যার অর্ধেকের বেশি শিশু। বস্তির নোংরা ঘিঞ্জি পরিবেশে বাস করা মেয়েশিশুরা কেমন আছে? তাদের নিয়েই ইউনিসেফের সহযোগিতায় প্রথম আলোর বিশেষ মাসিক দুই পৃষ্ঠার আয়োজন। সবার আগে শিশু-প্রকাশিত হলো আজ। তা থেকে কিছু কথা বলার ছিল, তা বলতে পারিনি।
২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল, প্রথম আলোর অন্য আলো ঃ নতুন করে লিখতে হবে ঢাকার ইতিহাস। সতেরো শতকের অজানা ঢাকা সম্পর্কে অজস্র তথ্য ছড়িয়ে আছে ওলন্দাজ বণিকদের ভ্রমণ বিবরণী, ডায়েরি, বার্ষিক প্রতিবেদন, লেজার বুকসহ নানান চিঠিপত্রে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত জাতীয় মহাফেজখানায় সংরক্ষিত এসব নথির কারণে নতুন করে লিখতে হবে ঢাকার ইতিহাস। লিখেছেন-আজিজুল ইসলাম। তথ্যের স্বপ্লতার কারণে সতেরো শতকের ঢাকার ইতিহাস রচনা করতে ইতিহাসবিদদের বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়। ১৬০২ সালে ওলন্দাজরা গঠন করেছিল ফেরেনগডি ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি বা ভিওসি, ইংরেজিতে যাকে আমরা ডাস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নামে চিনি। কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর এক দশকের মধ্যেই পর্তুগিজদের হটিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ায় কোম্পানি তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে এই নথিপত্রগুলো সংরক্ষিত আছে হেগ শহরে অবস্থিত জাতীয় মহাফেজখানায়। ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় কারখানা স্থাপন করে-১৬৩০-এর দশকে। তবে ঢাকায় ওলন্দাজরা কারখানা প্রতিষ্ঠা করে আরও অনেক বছর পর। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত ন্যাশনাল আর্কাইভ। বর্তমান বৃহত্তম নোয়াখালী জেলা একসময় ভুলুয়া নামে পরিচিত ছিল। শুধু ফানদের হেইডেনের ভ্রমণ বিবরণীই নয়, এই মহাফেজখানায় রক্ষিত আছে আরও অনেক ভ্রমণ বিবরণী, ঢাকা ডায়েরি, কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন, লেজার বুক, মানচিত্র এবং চিঠিপত্রে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ঢাকা এবং পূর্বভঙ্গ সম্পর্কে অনেক বিচিত্র এবং প্রয়োজনীয় তথ্য। এর সবই সতেরো শতকের পূর্বভঙ্গ তথা বাংলাদেশ এবং ঢাকার ইতিহাস পুনর্গঠনে ঠিক সোনার খনির মতোই। ঢাকার নারিন্দায় অবস্থিত আঠারো শতকের ওলন্দাজ বণিক উইলিয়াম কের্কমানের সমাধি। রাজশাহীর পদ্মার তীরে অবস্থিত ওলন্দাজ কুঠি।
৩১-১০-২০১৩ তারিখের ঢাকা ঃ এক নজরে আজকের ঢাকা ঃ (১) আয়তন ১,৪৬৩.৬০ বর্গকিলোমিটার (২) মোট জনসংখ্যা-১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন (৩) পুরুষ-৬৮,১৩,৪৬৩ ও (৪) ৫৭,০৩,৯০৮ জন (৫) শিক্ষার হার-৭০.৫০% (৬) খানা-২৭,৮৬,১৩৩টি (৭) জনসংখ্যার ঘনত্ব-৮,২২৯ জন (৮) জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার-৩.৪৮(প্রতিবছর) (৯) শহরায়ন-%ঃ৭৭.৩৬ (১০) উপজেলার সংখ্যা-৫টি, (১১) মেট্রো পলিটন থানার সংখ্যা-৪৮, (১২) সিটি করপোশেনের সংখ্যা-২টি, (১৩) পৌরসভার সংখ্যা-৩টি, (১৪) ইউনিয়নের সংখ্যা-৮৬টি, (১৫) মৌজার সংখ্যা-৯৭৪টি, (১৬) গ্রাম সংখ্যা-১ হাজার ৯৯৯টি, (১৭) সিটি ওয়ার্ড-৯২টি, (১৮) সিটি মহল্লা-১৩৩টি, (১৯) সংসদীয় আসন সংখ্যা-২০টি, (২০) উন্নয়ন সার্কেল-১টি, (২১) কলেজের সংখ্যা-১৬৭টি, (২২) উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা-৪৭৯টি, (২৩) মাদ্রাসার সংখ্যা-৬৮৯ (২৪) মসজিদের সংখ্যা-৩,০৮৮টি, (২৫) মন্দিরের সংখ্যা-৮০৮টি, (২৬) গির্জার সংখ্যা-৩৩টি, (২৭) মো আবাদি জমির পরিমাণ-১,০৯,১২৯ হেক্টর (২৮) অর্থকরী ফসল-পাট, তুলা ও আখ (২৯) রাস্তার মোট সংখ্যা-১,৫৯৮টি (৩০) রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য-৪,১০৭ কি.মি. (৩১) কাঁচা রাস্তা-৩,১৪৬ কি.মি. (৩২) আধা পাকা রাস্তা-৫৪৬ কি.মি. (৩৩) ই্টপাকা-৩৯৯ কি.মি. (৩৪)শক্ত আরসিসি রাস্তা-১৬ কি.মি. (৩৫) খাদ্য গুদামের সংখ্যা-৭টি, ধারণক্ষমতা-৪৬,২৫০ মেট্রিক টন (৩৬) জলাভূমি সংখ্যা-১২টি(বিশ একরের উর্ধ্বে) (৩৭) মোট মৌজার সংখ্যা-১,০৯৬টি। (১) মোগল আমল-১৬০৮-১৭৬৫ (২) ব্রিটিশ আমল-১৭৬৫-১৯৪৭ ও (৩) পাকিস্তান আমল-১৯৪৭-১৯৭১ (৪) বাংলাদেশ আমল-১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে-
১৯৫৩ সালে নবাবপুর এক্সল মোটর ওয়ার্কশপই সম্ভবত ঢাকার প্রথম মোটর ওয়ার্কশপ। শ্মশান ঃ আদিতে ঢাকার নদী ও খালপাড়ে মরদেহ পোড়ানো হতো। ঢাকার আদি স্বীকৃত শ্মশানের মধ্যে দয়াগঞ্জ শ্মশানঘাট, পোস্তগলা ও লালবাগ শ্মশানের কথা জানা যায়। ডক্টরেট-পি-এইচডি ঃ নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় বাংলার যাত্রাপালা নিয়ে গবেষণা করে সুইজারল্যান্ড থেকে প্রথম ঢাকাবাসী হিসেবে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। নায়েব নাজিম ছিলেন-ঢাকার প্রথম নায়েব নাজিম মুহম্মদ আলী খান। মুসলমান গ্র্যাজুয়েট ঃ ঢাকার প্রথম গ্র্যাজুয়েট আদিনাথ সেনের মতে, ঢাকার প্রথম মুসলমান গ্র্যাজুয়েট খাজা মুহম্মদ আসগর। নারী চিত্রশিল্পী ঃ নবাব পরিবারের মেহেরবানু খানমই সম্ভবত ঢাকার প্রথম নারী চিত্রশিল্পী।
২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখ ডিসি-১০ বিমানের শেষ যাত্রা। শরীরে বার্ধক্র, জড়িয়েছে বিতর্কেও। বিদায় বেলায় নাম উঠেছে বিশ্ব উড্ডয়ন ইতিহাসের পাতায়। শেষ যাত্রীবাহী সফরের দিনে ঘুরে এসে লিখেছেন-ইকবাল হোসাইন চৌধুরী।
২০১৪ সালের ১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ হাজার বছর আগের পরিকল্পিত জনপদ ঃ মুন্সিগঞ্জে প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও মন্দিরের সন্ধান। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামে একটি বিশালাকৃতির টিবিতে প্রতœতাত্তি¡ক খননে পাওয়া গেছে প্রাচীন বৌদ্ধমন্দির। খননে মাটির তলা থেকে যেসব স্থাপনা বেরিয়ে আসছে, তাতে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত জনপদের চিত্রই গবেষকদের সামনে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। এটি প্রায় ১১শ বছর আগের। আধুনিক যুগে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন রূপ হলো বৌদ্ধবিহার, যেখানে ধর্মশাস্ত্রের পাশাপাশি জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা করা হতো। আর স্তুত হলো বৌদ্ধদের ধমীয় আচার-অনুষ্ঠানের বিশেষ স্থান। এই জনপদ ছিল বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারক ও পন্ডিত শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত মন্দিরটির বেশির ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেলেও পশ্চিম-দক্ষিণ কোনার প্রায় পৌনে দুই মিটার প্রশস্থ রয়েছে। প্রায় আড়াই মিটার উঁচু দেয়ালের ভিত্তিমূলে ব্যবহার করা হয়েছে “ঝামা ইট”, যা ভবনকে আর্দ্রতায় দুর্বল হওয়া থেকে সুরক্ষা দিত।  গতকাল (২৮-০২-২০১৪ তারিখ) তোলা ছবি।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সংসদে পূর্তমন্ত্রী-ঢাকায় অবৈধ ভবন চার হাজার ৯৭টি।
২০১৪ সালের ১৩ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১৭৮ দেশের মধ্যে দূষিত বায়ু সেবন বাংলাদেশে সর্বাধিক।

কিছু কথা ঃ

মহাবিশ্বের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, মহাবিশ্বের বয়স আগে যা ভাবা হতো তারচেয়ে ১০ কোটি বছর বেশি। ২০০৯ সালে মহাকাশে উৎক্ষেপিত একটি স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউরোপের একদল বিজ্ঞানী বৃহস্পতিবার(২১-০৩-২০১৩ তারিখ) এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন পর্যবেক্ষণে মহাবিশ্বের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর বলে জানা গেছে। এই গবেষণার পূর্বে মহাবিশ্বের বয়স ১৩৭০(এক হাজার তিনশত সত্তর) কোটি বছর বয়স ছিল। পৃথিবীর আনুমানিক বয়স কমপক্ষে ৪৬০(চারিশত ষাট) কোটি বছর। সুর্যের আনুমানিক বয়স ৪৬০(চারিশত ষাট) কোটি বছর। পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা তিনশত কোটি বছর আগে। বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিন নেচার-এ প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীদের এ ধারণার কথা প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি প্রায় ২০০(দুইশত) কোটি বছর আগে। জীবের সৃষ্টি প্রায় ৬০(ষাট) কোটি বছর আগে। ৩৭ কোটি বছর আগে পানিতে মাছের বিচরণ শুরু হয়। ২০(কুড়ি) কোটি বছর আগে থেকে পৃথিবীতে ডাইনোসরদের আধিপত্য চলছিল এবং পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশ একসঙ্গে আঁটা ছিল। যাকে বলে প্যানজিয়া কুড়ি কোটি বছর আগে-তার মানে সময়টা ছিল মধ্যজীবীয় অধিযুগের জুরাসিক যুগ। ১৮(আঠারো) কোটি বছর আগে প্যানজিয়ায় ভাঙ্গন ধরে। তারপরে টুকরো টুকরো অংশগুলো আলাদা হয়ে যেতে থাকে। আফ্রিকার একদিক থেকে আলাদা হয়ে যায় দক্ষিণ আমেরিকা, অন্যদিক থেকে কুমেরু। ইউরোপ থেকে আলাদা হয়ে যায় উত্তর আমেরিকা। দুই আমেরিকা আলাদা হয়ে যেতে পিছনে তৈরী হয় আটলান্টিক মহাসাগর। আর ভারতের ভূখন্ড যাত্রা শুরু করে এশিয়ার দিকে-টেথিস মহাসাগর পেরিয়ে। যেতে যেতে সামনের দিকে টেথিস মহাসাগরকে ধ্বংস করে আর পিছনের দিকে তৈরী হয় ভারত মহাসাগর। প্রায় ছয়কোটি বছর আগে ভারতের ভূখন্ড এসে এশিয়ার দক্ষিণ উপকুলে ধাক্কা মারে। তার ফলে প্রচন্ড একটা ঠেলা তৈরী হয়ে যায়। আর তারই ফলে হিমালয় পর্বতমালার সৃষ্টি এবং তার উঁচ্চতা ২৯,০৩৫ ফুট।
১৪.৭০(চৌদ্ধ কোটি সত্তর লাখ) বছর আগে এ পৃথিবীতে ডাইনোসরের মত অতিকায় প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। ডাইনোসরই ছিল পৃথিবীর প্রথম পাখি। হিমালয় হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নবীন পর্বত, ৬(ছয়) কোটি বছরও বয়স হয়নি। ১৯৭৪ সালে যে মানুষের জীবাশ্ম আবিস্কৃত হয়েছিল, ৩০(ত্রিশ) লক্ষ বছর আগে মানুষ এসেছে পৃথিবীতে, এতদিন পর্যন্ত সেটিকেই প্রাচীনতম বলে মনে করা হচ্ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের অনুমান সদ্য ২০০৪ সালে আবিস্কৃত এ প্রজাতির মানুষ দু’পায়ে সোজা হাঁটতে সক্ষম ছিল। ৩০(ত্রিশ) লক্ষ বছর আগের সে মানুষ আসলে পৃথিবীতে ৪০(চলি­শ) লক্ষ বছর আগে এসেছে। বিবিসি। জীবাশ্ম বিজ্ঞানীরা ইথিওপিয়ার মনুষ্য প্রজাতির একটি অংশের কিছু হাড়ের যে অংশ আবিস্কার করেছেন তা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ বছরের পুরানো বলে অনুমান করা হচ্ছে। আজকের মানুষ প্রায় ৭৫(পঁচাত্তর) হাজার বছর আগের।
গত ৭০,০০০(সত্তর হাজার) বছর আগে পৃথিবীর জনসংখ্যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুই হাজারে নেমেছিল এবং মানব প্রজাতির অস্তিত্ব প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিল। তবে প্রস্তরযুগের পর তা আবার বাড়তে থাকে। তবে একটি নতুন জেনেটিক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল অব হিউম্যান জেনেটিকস-এ গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। জেনোগ্রাফিক প্রকল্পের পরিচালক স্পেনসার ওয়েলস বলেন, মানব প্রজাতির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো আবিস্কারে জেনেটিকবিদ্যার অসাধারণ ক্ষমতা নতুন এ গবেষণার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আবার জনসংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১২,০০০(বার হাজার) খৃষ্টপূর্বে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-১(এক) কোটি। ১০,০০০ হাজার খৃষ্টপূর্বে পৃথিবীতে কৃষি-কাজের প্রচলন শুরু হয় এবং পৃথিবীর কৃষি নির্র্ভর আদিম জীবনের যুগ অতিবাহিত হয় ১০(দশ) হাজার বছর ধরে। ১০,০০০(দশ হাজার) বছর পূর্বে সোমালিয়া, বেবীলন, ইরাক সভ্যতা আরম্ভ। ১০,০০০ হাজার বছর আগে নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার উয়ারী বটেশ্বর-এ বাংলাদেশে প্রথম মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। ২,৫০০ হাজার বছর আগের দুর্গনগরীর সন্ধান মিলেছে উয়ারী বটেশ্বরে। ৩৫০০-৪০০০ খৃষ্টপূর্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানব বসতির প্রমাণ পাওয়া গেল। শাহীনূজ্জামানের এ আবিস্কারের ফলে নব্য প্রস্তর যুগে (৩৫০০-৪০০০ বছর আগে)। চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক যুগেও মানুষ ছিল। ২৫০০ খৃষ্টপূর্বে জয়পুরহাট জেলার মহাস্থানগড়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বসতি গড়ে উঠেছিল।
৭(সাত) হাজার বছরের ইতিহাস জানি মাত্র আমরা, যখন থেকে মানুষ তার ইতিহাস লেখে। গাছের বয়স ৭(সাত) হাজার বছর। ৫(পাঁচ) হাজার বছর পূর্বে পৃথিবীর সভ্যতা আরম্ভ। মানুষ কিসের জোরে টিকল। হাতিয়ারের জোরে পশুকে বশ করল এবং পরে আগুন আবিস্কার করে মানুষ নিজে এ আবিস্কার করেছে। সভ্যতার দিকে এগিয়ে গেল মানুষ। কাঠের চাকা আবিস্কারের ৬২০০ বছর পরে স্টীম ইঞ্জিন ও সংযুক্তিযানের যুগ শুরু হয়।
১৬৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৫৫(পঁঞ্চান্ন) কোটি, ১৮০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৯০(নব্বই) কোটি, ১৮৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-১১৭(একশত সতের) কোটি, ১৯০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-১৬০ কোটি, ১৯২৭ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-২০০(দুইশত) কোটি, ১৯৬০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৩০০(তিনশত) কোটি, ১৯৭৪ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৪০০(চারিশত) কোটি, ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৫০০(পাঁচশত) কোটি, ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৬০০(ছয়শত) কোটি, ২০০৫ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা-৬৫০(ছয়শত পঁঞ্চাশ) কোটি। ২০০৬ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ৬৫৮(ছয়শত আটান্ন) কোটি। ২০০৭ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ৬৬৫.৮০(ছয়শত পঁয়ষট্টি কোটি আশি লক্ষ)। ২০০৮ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৭৩.৬০(ছয়শত তেহাত্তর কোটি ষাট লক্ষ)। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি, পৃথিবীর লোকসংখ্যা-৬৭৫,১৬,৪৩,৬০০ (ছয়শত পঁচাত্তর কোটি ষোল লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার ছয়শত) এবং ২০০৯ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮০ কোটি। ২০১০ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮৭.৮০ কোটি। ২০১১ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৯৯ কোটি, ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে-৭০৭ কোটি, ২০১২ সালে ৭১৫ কোটি মানুষ, ২০১৪ সালে ৭২৩ কোটি মানুষ এবং ২০১৫ সালে ৭৩১ কোটি মানুষ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হতে পারে প্রায়-৯৩০ কোটি। ২০৮৩ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হতে পারে ১,০০০(এক হাজার) কোটি। এবার বিশ্বে ৮(আট) কোটি লোক বাড়ছে। জনসংখ্যা বাড়লে পৃথিবীর কোন প্রকার সমস্যা হচ্ছে না। বাস্তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি বাংলাদেশের মত কিছু কিছু দেশের এক নম্বর সমস্যা। বিজ্ঞানীদের ধারণা ২১০০ সালের পর পৃথিবীর জনসংখ্যা আর বাড়বে বলে মনে হয় না।
বিশ্বে ২০০৮ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে-২১৬.৪০ কোটি টন, খাদ্যশস্য মজুদ থাকবে ৪০(চল্লিশ) কোটি টন। ২০১১ সালে বিশ্বে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে-২৩২ কোটি টন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, বর্তমান বিশ্বে ১,০০০(এক হাজার) কোটি মানুষের খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। ২০০৯ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮০(ছয়শত আশি কোটি)। ২০১০ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮৭.৮০ (ছয়শত সাতাশি কোটি আশি লাখ)। ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর, বিশ্বের জনসংখ্যা-৭২৫(সাতশত পঁচিশ) কোটি। বিশ্বের ৯০টি দেশে প্রায় ৩৭ কোটি আদিবাসী রয়েছে। বিশ্বের জনসংখ্যার এ হার সাড়ে পাঁচ শতাংশ। গ্রামে বাস করা অতিদরিদ্র ৯০ কোটি মানুষের মধ্যে আদিবাসীদের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশের বেশি। পৃথিবীতে গড়ে প্রতিবর্গ মাইলে বাস করে-১২৬ জন (পৃথিবীর আয়তন ৫,৭০,১৭,০০০ বর্গমাইল) আর বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবর্গ মাইলে বাস করে ২,৯৬৭ জন (বাংলাদেশের আয়তন ৫৭,২৯৫ বর্গমাইল) আর প্রতিবর্গ কিলোমিটারে বাস করে ১,১৫৬ জন (১,৪৭,০০০ বর্গকিলোমিটার)। গড়পড়তা একটি মানুষের খাদ্য দৈনিক ৫০০ গ্রাম ধরা যদি হয়, তাহলে বছরে খাদ্যশস্য লাগে ১৩১,৪০,০০,০০০ (একশত একত্রিশ কোটি চল্লিশ লক্ষ) টন আর বছরে খাদ্য জমা থাকার কথা ৯০,৩০,০০,০০০(নব্বই কোটি ত্রিশ লক্ষ) টন। তাহলে মানুষ না খেয়ে থাকার কথা নয় বা খাদ্য ঘাটতি নেই। উন্নত বিশ্বের জীব-জন্তু ও পশু-পাখিদের গড়পড়তা যা খাবার খাওয়ানো হয়-তৃতীয় বিশ্বের মানুষদের গড়পড়তা তা খাওয়ানো হয়নি। পৃথিবীতে খাদ্যশস্যের ঘাটতি নেই। ধনীদেশগুলো বা ধনীরা ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্যোর ঘাটতি সৃষ্টি করছে অতি মুনাফার জন্য। খাদ্যের সুষম বণ্টনব্যবস্থা করলে খাদ্য ঘাটতি থাকবে না বা কেউ না খেয়ে মরবে না। ধনীরা যেভাবে বিশ্ববাসীকে অনাহারের পথে ঠেলছে, খাদ্য থেকে জৈব জ্বালানি তৈরি করে তাদের গাড়ি চালানোর জ্বালানি জোগাবে। জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার কর্মকর্তার ভাষায় এটা ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, চীন, ব্রাজিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের সড়কে চলা গাড়িগুলো এভাবে জাতিসংঘের দেওয়া তালিকার মধ্যে সবচেয়ে খাদ্যঘাটতিতে পড়া নিম্ন আয়ের ৮২টি দেশের ঘাটতি মেটানোর পুরো শস্যই গাড়ির তেল হিসেবে পুড়িয়ে ফেলবে। দরিদ্রদের অনাহারে রাখার এর থেকে ভালো উপায় আর হয় না।
২০০৮ সালের ৪ জুলাই, বিশ্বব্যাংকের গোপন প্রতিবেদনঃ বিশ্বে খাদ্যোর মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী জৈব জ্বালানি। জৈব জ্বালানির কারণেই বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাংকের একটি গোপন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির এ হার আগে প্রচারিত হারের চেয়ে অনেক বেশি। লন্ডনের বিখ্যাত দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান গতকাল শুক্রবার প্রতিবেদনটি ফাঁস করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে ২০০২ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারির মধ্যে খাদ্যের দাম ১৪০ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিবেদনে হিসাব করে দেখানো হয়েছে, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য জ্বালানি ও সারের মূল্যবৃদ্ধি দায়ী মাত্র ১৫ ভাগ, যেখানে জৈব জ্বালানি দায়ী ৭৫ ভাগ। খাদ্য দিয়ে জৈব জ্বালানি তৈরী বন্ধ না করলে খাদ্যের মূল্য আরো বাড়তে থাকবে।
৩১-১০-২০১৩ তারিখ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ‘বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন-২০১৩’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর, বাংলাদেশের জনসংখ্যা-১৬(ষোল) কোটি। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো প্রবাসীসহ বাংলাদেশের জনসংখ্যা-১৬.৯৩(ষোল কোটি তিরানব্বই লক্ষ) মানুষ জন্মনিবন্ধনের আওতায় এসেছে। ২০৫০ সালে বেড়ে বাংলাদেশে জনসংখ্যা হবে ২০(বিশ) কোটি। কিন্তু আমার মনে ২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে প্রায়-২৪(চব্বিশ) কোটি। তখন বছরে জন্ম ও মৃত্যুর সংখ্যা সমান হবে। বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ শিশু বছরে জন্ম হয় এবং শিশুসহ বছরে মারা যান ১০ লক্ষ মানুষ। বাংলাদেশে বছরে ২০(বিশ) লক্ষ মানুষ বাড়ে। ২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল হবে। পৃথিবীর ৪৪ ভাগের ১ ভাগ লোক বাস করে বাংলাদেশে। প্রতি বছর পৃথিবীতে লোক বাড়ে ৮(আট) কোটি আর বাংলাদেশে বছরে লোক বাড়ে ২০(বিশ) লক্ষ। পৃথিবীর ৪৪ ভাগের ১ ভাগ লোক বাস করে বাংলাদেশে এবং পৃথিবীর হারে লোক বাড়লে বাংলাদেশে লোক বাড়ত বছরে ১৮(আঠার লক্ষ)। পৃথিবীর ২৩৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ১৯৪টি এবং জাতি ২০০টি। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম স্থানে আছে আর অর্থনীতির দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছ থেকে যায়গা পেয়েছে ৯৯৫ ভাগের ১ ভাগ ৫৭,২৯৫ বর্গমাইল আর জনসংখ্যার অনুপাতে যায়গা পাইত ১৩,০০,০০০ লক্ষ বর্গমাইল। বুর্জোয়া বিকাশ হলেও আমাদের অর্থনীতি ৭ম স্থানে থাকার কথা ছিল। আমরা বিশ্ব নাগরিক-কথায় বলা হয় কিন্তু বাস্তবে না। বিশ্ব নাগরিক হলে বিশ্বের যা কিছু আছে-তাঁর সবকিছুরই সমান ভাগ পাওয়া যেত।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভেলানগর বড়বাড়ির মোট জনসংখ্যা হলো-২,০৯২(দুই হাজার বিরানব্বই) জন, এরমধ্যে মারা গেছেন-৬৭৫ জন আর জীবীত লোকসংখ্যা-১,৪১৭ জন (তালাকপ্রাপ্ত-৮১ ও চলে গেছেন-৮ জন স্ত্রী) মোট স্ত্রীর সংখ্যা-৮৯ জন বিয়োগ করিলে=১,৩২৮ জন এবং বিবাহিতা মেয়েরা স্বামীরবাড়িতে বাস করে-২৭৫ জন বিয়োগ করলে=১,০৫৩ জন। ভেলানগর বড়বাড়ির প্রকৃত জনসংখ্যা-১,০৫৩(এক হাজার তিপান্ন) জন। বিদেশ ও শহরে বাস করে ৪৬৭ জন এরমধ্যে বিদেশে বাস করে ১৩৩ জন এবং গ্রামে বাস করে-৫৮৬ জন। ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা-১,০৫৩(এক হাজার তিপান্ন) জন থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা হবে প্রায়-১,৩৫০(্এক হাজার তিনশত পঁঞ্চাশ) জন। ২১০০ সালে ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা বেড়ে হবে প্রায়-১,৪০০(এক হাজার চারিশত) জন। ৩১-০৩-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ভেলানগর গ্রামের জীবিত ও মৃতসহ লোকসংখ্যা-১২,৯৫০ জন, মারা গেছেন-৩,৪৯০ জন, জীবিত লোকসংখ্যা-৯,৪৬০ জন, জীবিত মেয়েরা স্বামীরবাড়িতে থাকে-১,৮৯৮ জন, প্রকৃত জনসংখ্যা-৭,৫৬২(সাত হাজার পাঁচশত বাষট্টি) জন এরমধ্যে বিদেশ ও শহরে বাস করে-৩,০৫০ জন। গ্রামে বাস করে প্রায়-৪,৫১২(চার হাজার পাঁচশত বার) জন। ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা ছিল (গ্রাম, শহর এবং বিদেশে বসবাসকারীসহ) প্রায়-৭,৫৬২(সাত হাজার পাঁচশত বাষট্টি) জন, তা’ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে হবে প্রায়-৯,০৫০ হাজার পঁঞ্চাশ জন এবং ২১০০ সালে ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে হবে-৯,৫০০(নয় হাজার পাঁচশত) জন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বাস করে প্রায়-৩,০০,৯৩০(তিন লক্ষ নয়শত ত্রিশ) জন এবং শহর ও বিদেশে বাস করে-১,৬৯,০২০(এক লক্ষ উনসত্তর হাজার বিশ) জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জনসংখ্যা হলো প্রায়-৩২(বত্রিশ) লক্ষ এরমধ্যে শহর ও বিদেশে বাস করে প্রায়-১১(এগার) লক্ষ জন। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ, বাংলাদেশের জনসংখ্যা হলো ১৬(ষোল) কোটি এরমধ্যে শহর ও বিদেশে বাস করে প্রায়-৪.৫৩(চার কোটি তিপান্ন লক্ষ) জন তারমধ্যে (৩১-০৩-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত) বিদেশে বাস করে-৯০ লক্ষ মানুষ এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ-এর হিসেব অনুযায়ী, ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা হলো-ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা-৭(সাত) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক, ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের ২৮ ভাগের ১ ভাগ লোক ভেলানগর বড়বাড়ির, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জনসংখ্যার-৫৭২(পাঁচশত বাহাত্তর) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জনসংখ্যার-৪,৯০০(চার হাজার নয়শত) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক, বাংলাদেশের জনসংখ্যার-১,৬০,৩৭৭(এক লক্ষ ৬০ হাজার তিনশত সাতাত্তর) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক এবং পৃথিবীর জনসংখ্যার-৬৭.৯২(সাষট্টি লক্ষ বিরানব্বই হাজার) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক হলো ভেলানগর বড়বাড়ির।
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের শতকরা ৩০ ভাগ লোক শহরে বসবাস করে, আগামী ২০৫০ সালে বালাদেশের শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগ লোক শহরে বসবাস করবে। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর, ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা বিদেশসহ শহরে বাস করে ৪২ ভাগ তা’ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে হবে প্রায় ৬৫ ভাগ। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ, ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা বিদেশসহ শহরে বাস করে ৩৫ ভাগ তা’ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে হবে প্রায় ৫৫ ভাগ। ১৯০১ সালের দিকে বিশ্বে শহরবাসীর সংখ্যা ছিল শতকরা ৫ ভাগ, আর ১৯৯৯ সালে বিশ্বে শহরবাসীর সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ। ২০০৮ সালে বিশ্বের ৬৭৫ কোটি লোকের মধ্যে ৪১০ কোটি লোক বা শতকরা ৬১ ভাগ লোক শহরে বাস করে। ২০২৫ সালে (বিশ্বের লোকসংখ্যা হবে-৮০০ কোটি) শহুরে বাসিন্দার সংখ্যা ৫৫০ কোটিতে গিয়ে দাড়াবে বা শতকরা ৬৯ ভাগ লোক শহরে বাস করবে। আগামী ২০৫০ সালের দিকে বিশ্বের লোকসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ শহরবাসী হবে। তখন আমি মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর) এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকবো না।
১৯-০৩-২০১০ তারিখের প্রথম আলোর রিপোর্ট ঃ আম্বানির টাওয়ার। মুকেশ আম্বানির নয়া ভবন ঘিরে কৌতহল বাড়ছে-২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল আর শেষ হয় এ কাজ ২০১০ সালে। ১০০ কোটি ডলার ব্যয়ে এ্যান্টিলিয়া নামের ভবনটি মুকেশ আম্বানি বাড়ি বানাননি, বানিয়েছেন টাওয়ার-আন্তিলা টাওয়ার। ২৭ তলা এই টাওয়ার (প্রচলিত মাপে ৬০ তলা দালানের সমান) তৈরি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের আলতামাউন্ট রোডে চার লাখ স্কয়ার ফুটের এই ভবনটি নকশা করার অনুপ্রেরণা ছিল ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান। ভবনের কোনো এক তলার সঙ্গে আরেক তলার নকশায় মিল নেই। অনুমান করা হয়, এই টাওয়ার তৈরিতে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। সে হিসেবে আন্তিলা টাওয়ারকে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল আবাসিক ভবন বলে মানা হয়। এ ১০০ কোটি ডলার দিয়ে বাংলাদেশের মত দেশে ১,১৮,৩৩৪(এক লক্ষ আঠার হাজার তিনশত চৌত্রিশ)টি পরিবারের স্বাস্থসম্মত বাসস্থান করা যেতো। বর্তমানে মুকেশ আম্বানি পৃথিবীর ৪র্থ সম্পদশালী ধনী। এখন বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি। আল্টামাউন্ট সড়কে নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল এ বাড়িটি। ‘অ্যান্টেলিয়া’ নামে এ বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮(আট) হাজার কোটি রুপি। এ বাড়িতে ২৮-১-২০১০ তারিখ নতুন বাড়িতে পা রাখবেন মুকেশ ও তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি। আর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি মনোরম দ্বীপের নামানুসারে মুকেশ তাঁর নতুন বাড়ির নাম অ্যান্টালিয়া রেখেছেন। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির মালিক ছিলেন ভারতের অপর শিল্পপতি লক্ষী মিত্তাল। ইংলান্ডের লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেনের ওই বাড়িটি তিনি কয়েক বছর আগে ৫৬০ কোটি রুপিতে কিনেছিলেন।
মানুষ রাজনৈতিক জীব। প্রত্যেক মানুষের রাজনীতি করার অধিকার আছে। বর্তমান দুনিয়ায় বিজ্ঞানের আধিপত্য কোথায় নেই। খাদ্য-শস্য, জীবন যাপনের উপকরণ, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কার, বিশ্বাস সব কিছুতেই বিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যা করার প্রবনতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানই নির্ধারণ করে কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা। বিজ্ঞান হয়ে উঠছে সভ্যতার ধারক-বাহক। অথচ যখন দেখা যায় পৃথিবীর ২০০০ সালের হিসেব অনুসারে ২২৫(দুইশত পঁচিশ) জন ধনীতম ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ হলো আয়ের দিক থেকে নিচের দিকের ৩০০(তিনশত)কোটি মানুষের বাৎসরিক আয়ের সমান, তখন প্রশ্ন জাগে বিজ্ঞানের সর্বজনীনতা কতটুকু? ২০০৬ সালের ১১ জুলাই, বিশ্বে ৬৫৮(ছয়শত আটান্ন) কোটি মানুষ বসবাস করে। ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর, পিটিআই ঃ বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ দুই শতাংশ সেরা ধনীর কাছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলসিংকি ভিত্তিক বিশ্ব উন্নয়ন অর্থনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক রিপোর্টে বলা হয়, ২০০০ সালে সেরা ধনীদের এক শতাংশের মালিকানায় বিশ্বের ৪০ শতাংশ সম্পদ ছিল। ব্যক্তিগত সম্পদের উপর ব্যাপক পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, ১০ শতাংশ সেরা ধনীর হাতে বিশ্বের ৮৫ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। তুলনামূলকভাবে বিশ্বের প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার শেষ অর্ধেকের কাছে রয়েছে বিশ্বের সম্পদের মাত্র এক শতাংশ। ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি লোকের কাছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ডলার এবং জাপানে ১ লাখ ৮১ হাজার ডলার ছিল। রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের সেরা ধনীরা বাস করেন উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং ধনী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে। ২০০৭ সালের ১০ মার্চ, ইনকিলাব ডেস্ক ঃ ভারত ও চীনে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ। ২০১৫ সালের ০৩-০৩-২০১৫ তারিখ প্রথম আলো: বিল গেটস এখনো বিশ্বের সেরা ধনী। সূত্র ঃ ফোর্বস, বিবিসি। সম্পদের মোট মূল্য ১০০(একশত) কোটি মার্কিন ডলার বা তার চেয়ে বেশি, এমন ধনীর সংখ্যা এখন ১ হাজার ৮২৬ জন। গত বছর মানে ২০১৪ সালে ছিল-১ হাজার ৬৪৫ জন। এ নিয়ে এ তালিকায় ২১ বারের মধ্যে ১৭ বারই প্রথম হন বিল গেটস। বিল গেটসই বিশ্বের সেরা ধনী। (১) ২০১৬ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিল গেটস তাঁর নিট সম্পদের পরিমাণ হচ্ছে ৭ হাজার ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার। বিল গেটস-এর দৈনিক আয় হচ্ছে-২(দুই) কোটি ডলার। (২) স্পেনের অ্যামানসিও ওর্তেগা-৬,৭০০ কোটি ডলার (৩) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬,০০৮ কোটি ডলার, (৪) মেক্সিকোর কার্লোস ¯িøম হেলু-৫,০০০ কোটি ডলার, (৫) যুক্তরাষ্ট্র জেফ বেজোস-৪,৫২০ কোটি ডলার, (৬) যুক্তরাষ্ট্র মার্ক জাকারবার্গ-এর সম্পদের পরিমাণ দাড়িয়েছে-৪,৪৬০ কোটি ডলার (৭) যুক্তরাষ্ট্র ল্যারি অ্যালিসন-৪,৩৬০ কোটি ডলার, (৮) যুক্তরাষ্ট্র মাইকেল বøুমবার্গ-৪,০০০ কোটি ডলার, (৯) যুক্তরাষ্ট্র চার্লস কোচ-৩,৯৬০ কোটি ডলার ও (১০) যুক্তরাষ্ট্র ডেভিড কোচ-৩,৯৬০ কোটি ডলার। ১৯৮৭ সালে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ছিল-৯৮ জন, তা থেকে বেড়ে ২০০০ সালে ছিল-২২৩ জন এবং ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ-বিশ্বে এখন রেকর্ড সংখ্যক-৯৪৬ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। এটা গত বছরের তুলনায় ১৫০ জন বেশী। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর তালিকায় দেখা গেছে ভারত ও চীনে শত কোটিপতি বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ২০০৮ সালের ৭ মার্চ-বিশ্বে এখন ১,১২৫ জন বিলিয়নিয়ার আছে। গত বছরের তুলনায় ১৫৯ জন বেশী। ২০০৯ সালে বিলিয়নিয়ার ছিলেন ৭৯৩ জন। ২০১০ সালে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা-১০১১ জন। ২০০৮ সালে বিল গেটসকে টপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পল ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের সেরা ধনী এবং তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬২০০ কোটি ডলার। লেবানিজ বংশদ্বূত মেস্কিকোর অভিবাসী কার্লোস ¯িøম হেলু (২য় স্থান) এবং তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬,০০০ কোটি ডলার, বিল গেটস (৩য় স্থান) এবং তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫,৮০০ কোটি ডলার, ৪র্থ স্থান দখলকারী ভারতীয় বংশদ্ভূত ল²ীনিবাস মিত্তালের সম্পদের পরিমাণ ৪,৫০০ কোটি ডলার, ভারতের মুকেশ আম্বানি(৫ম স্থান) তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪,৩০০ কোটি ডলার। ২০০৭ সালে আমেরিকায় ধনেকুবেরের সংখ্যা ছিল-৪১৫ জন এবং ২০০৮ সালে তা থেকে হয়েছে-৪৬৯ জন। দ্রব্য উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা আর ডলারের তুলনামূলক দুর্বলতার কারণে বিলিয়নিয়ার-এর সংখ্যায় এ বৃদ্ধি ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ফোরবস-এর তালিকায় দেখা গেছে ভারত ও চীনে শত কোটিপতি বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ২০০৭ সালে ভারতের ৩৬ জন বিলিয়নিয়ার ছিল, আর ২০০৮-এ ৫৩ জন তালিকাভুক্ত হওয়ায় গত দু’দশকে এ প্রথম এশিয়ার কোন দেশ জাপানকে টপকে গেল। এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন ভারতীয় ল²ী মিত্তাল। ফোর্বস বলেন, ‘‘মানব ইতিহাসে এটা সবচেয়ে ধনাঢ্য তালিকা। এদের হাতে পুঞ্জীভূত সম্পদের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০০৮ সালের ২৭ জুন, সমকাল পত্রিকার রিপোর্টঃ বিশ্বে ১(এক) কোটি ১০(দশ) লক্ষ কোটিপতি আছে-যার সম্পদের পরিমাণ-১(এক) কোটি ডলারের উপরে। এরমধ্যে চীনে-৪(চার) লক্ষ ২২(বাইশ) হাজার, ব্রাজিলে-১(এক) লক্ষ ৩০(ত্রিশ) হাজার ও ভারতে-১(এক) লক্ষ ২৭(সাতাশ) হাজার। ২০১০ সালে বিল গেটসকে টপকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী কার্লোস ¯িøম-এর সম্পদের পরিমাণ ৫,৩৫০ কোটি ডলার। বিল গেটস দ্বিতীয় তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫,৩০০ কোটি ডলার, তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্রের পল ওয়ারেন বাফেটের সম্পদের পরিমাণ ৪,৭০০ কোটি ডলার, ভারতের খনিজ তেল-গ্যাস কোম্পানি ও রিলায়েন্স গ্রæপের মুকেশ আম্বানি (৪র্থ স্থান) তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২,৯০০ কোটি ডলার ও বিশ্বের সবচেয়ে লৌহশিল্পের প্রতিষ্ঠান (৫ম স্থান) দখলকারী ভারতীয় বংশদ্ভূত ল²ীনিবাস মিত্তালের সম্পদের পরিমাণ ২,৮৫০ কোটি ডলার। এ বছর ফোর্বস-এর তালিকায় ৯৭ জন নতুন ধনীর ৬২ জনই এশীয় এবং তাঁরা বেশির ভাগই চীনের নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে এত বেশিসংখ্যক বিলিয়নিয়ারের উত্থান এ বছরই প্রথম। ২০১৩ সালে ফোর্বসের তালিকা প্রকাশ ঃ এবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনী (১) মেক্সিকোর কার্লোস ¯িøম। তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৭৩০০ কোটি ডলার, (২) বিল গেঁটস-তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৬৭০০ কোটি ডলার (৩) আমানিকা-তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৫৭০০ কোটি ডলার ও (৪) ওয়ারেন বাফেট-তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৫৩৫০ কোটি ডলারের মালিক। এবার ১,৪২৬ ব্যক্তি, যাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৩৫০ কোটি মানুষের সমান সম্পদের মালিক ৮৫ ধনী। বিশ্বজুড়ে অসাম্য বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ৮৫ ব্যক্তির কাছে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার সম্পদের সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে। অক্সফাম জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৮৫ জন মানুষের কাছে ১ দশমিক ৭০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। সবচেয়ে বেশি রয়েছে-মেক্সিকোর টেলিকোম ব্যবসায়ী কার্লোস ¯িøম হেলুর কাছে-৭,৩০০ কোটি ডলার, এর পরই রয়েছেন-মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস-৬,৭০০ কোটি ডলার এবং ওয়ারেন বাফেট-৫,৩০০ কোটি ডলার। ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৩৫০ কোটি মানুষের সমান সম্পদের মালিক ৮৫ ধনী। বিশ্বজুড়ে অসাম্য বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ৮৫ ব্যক্তির কাছে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার সম্পদের সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে। অক্সফাম জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৮৫ জন মানুষের কাছে ১ দশমিক ৭০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। ২০১৪ সালের ১১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্বে মোট ঋণের পরিমাণ ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার। এক লক্ষ কোটিতে এক ট্রিলিয়ন। ২০০৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৭০ ট্রিলিয়ন ডলার ছিল। অর্থাৎ মাত্র ছয় বছরে সম্মিলিত বৈশ্বিক ঋণ ৩০ ট্রিলিয়ন বা ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
আবার বিগত ১০০(একশত) বছরে উৎপাদন বেড়েছে ১৭ গুণ। আর গত ১০০(একশত) বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণেরও কম। গত ১৯০১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্তকে বলা হয়েছে। তা’হলে পর্বত চুড়ান্ত উৎপাদন কোথায় যায়? হাতে গোনা কতিপয় মানব সন্তানের কাছেই কি? ওদের দ্বারাই চিরকাল সমস্ত উৎপাদন নিয়ন্ত্রিত হবে? এযাবৎকালের ইতিহাসই শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস? আদিম সাম্যবাদী সমাজ ছাড়া। আদিম সাম্যবাদী সমাজে শোষণ ছিল না। দুনিয়ার সব মানুষের সমৃদ্ধি আর যৌথ আবেগ/প্রেম/স্নেহ/মায়া মমতার সামাজিক বিকাশ কি কোন দিনই হবেনা?
শ্রমজীবী মানুষ বুর্জোয়া সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন করতে পারলেই হবে।
যে বিজ্ঞানের বদৌলতে এ অসহনীয় বৈষম্য তা কতটা বিজ্ঞানসম্মত আর কতটা আধিপত্যবাদ? এ আধিপত্যবাদ অধিকাংশ রাষ্ট্রকে করেছে গ্লোবাল নাচের পুতুল। তা’হলে কি রাষ্ট্র নামক এ কাঠামো ভাঙ্গার প্রয়োজন নেই? এ বিদ্যমান রাষ্ট্রটি, আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত বিকাশের নিশ্চয়তা দেয় কতটুকু?
আবার বলা হচ্ছে বিজ্ঞান হলো বিশেষ জ্ঞান। বিজ্ঞান কাকে বলে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে বিজ্ঞান বলে। আর এ বিশেষ জ্ঞানের অনুশীলন হল সামাজিক গঠনাবলী ও প্রাকৃতিক নিয়মাবলীতে সু-সংগঠিত যুক্তি আর পর্যবেক্ষণের স্বচ্ছ কর্ম দ্বারা। তা’হলে কি সব জ্ঞানই বিজ্ঞান নয়? আমরা কোনটি জ্ঞান আর কোনটি বিশেষ জ্ঞান হিসেবে গ্রহণ করব? সুতরাং স্পষ্ট বলা যায় বিজ্ঞান আর সমাজের সাধারণ মানুষের মাঝে অবস্থান করে না। পাশাপাশি সমাজ আর প্রকৃতি পর্যবেক্ষণলব্ধ যুক্তি চর্চার অধিকারও চলে যায় ঐ বিশেষ মানুষের নিয়ন্ত্রণে। অথচ মানুষের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা জানি-সংগ্রহশীল কিংবা শিকার ভিত্তিক সমাজের যৌথ প্রয়াসের মধ্যে দিয়ে তাদের জীবন-যাপন অগ্রসরতা পেয়েছিল। সম্পূর্ণ বৈষয়িক ও প্রাকৃতিক ব্যবস্থাবলীর উপর গড়ে উঠছে তাদের শ্রমক্ষেত্র ও চিন্তার পদ্ধতি। অরণ্যচারী গুহাবাসী মানুষ তার অর্জিত অভিজ্ঞতাকে ক্রমান্বয়ে সঞ্চারিত করেছে নিরন্তন গোষ্ঠীলব্ধ প্রতিরোধী শক্তির অনন্যতায়। তা’হলে মানব-সমাজ বিকাশের কোন পর্যায়ে অর্জিত সেই গোষ্ঠীবদ্ধ সার্বজনিন জ্ঞান খন্ড খন্ড বিশেষ জ্ঞানে রূপ নিল? ইতিহাসের গতি পথে কখন তা মানুষের চিন্তা জগতে এসেছে? কিংবা মানুষ অর্থনৈতিকভাবে খন্ড খন্ড শ্রেণীতে ভাগ হয়ে যাওয়ার কারণেই কি বিশেষ জ্ঞান হিসেবে বিজ্ঞান বিশেষ শ্রেণীর ক্ষমতার কৌশল উপকরণে পরিণত হয়নি? আজকের পাশ্চাত্য দর্শন কিভাবে কখন আধিপত্যবাদী চরিত্রের হয়ে উঠল? আমাদের বাংলা অঞ্চলে কি কোন বিজ্ঞান দর্শন, জিজ্ঞাসা ছিল না? আমাদের বিজ্ঞান দর্শন আজ কোথায়? জিজ্ঞাসাগুলো কেন হারিয়ে গেল? আসলে আমাদের জিজ্ঞাসাগুলোই বা নিয়ন্ত্রণ করে কারা? আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় বিজ্ঞান ছিল না? বিজ্ঞান কি শুধু গবেষণাগারের ব্যাপার? এটা কি কেবল ধনীদের বিলাসের বস্তু বা অস্তিত্ব? শ্রমজীবী মানুষের কি কোন উপকারে আসে? মানবতার বিকাশে এ বিজ্ঞান কতটুকু সহায়ক?
আসুন এ প্রশ্ন উত্থাপন করি আমাদের শ্রমের মধ্যে, আমাদের চিন্তার মধ্যে। আমাদের যৌথ আর সামাজিক বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ হউক আমার/আপনার বিজ্ঞান চিন্তা। বিকশিত হউক মানবিক সাম্যের এসব দ্বা›িদ্বক প্রশ্নোত্তরের রূপায়ন আমাদের মাঝে বিজ্ঞান চেতনা বাড়িয়ে তোলে। বস্তুর প্রতিনিয়ত বিকাশ হচ্ছে। সমাজের নিয়ম হলো উৎপাদন এবং পুনঃউৎপাদন। চিরন্তন বলে কিছুই নেই। সব কিছুই পরিবর্তনশীল। আমাদের দেশের সম্পদের অপচয়, সমাজের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থা এবং অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে হবে নতুবা ততদিন বাংলাদেশের বেকারত্ব ও দারিদ্র দূর হবে না। বেকারত্ব ও দারিদ্র দূর করতে হলে-সম্পদের অপচয় রোধ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থা ও অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে হবে নতুবা বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রকৃত উন্নয়ন মানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার গ্যারান্টি সবার জন্য করতে হবে। তখনই বাংলাদেশ হবে প্রকৃতপক্ষে ‘‘সোনার বাংলা’’। নতুবা সবই কথার কথা ও ফাঁকাবুলি ছাড়া আর কিছু নয়।

বিশ্ব ও ভারতীয় উপমহাদেশের কিছু স্মরণীয় ঘটনা এবং কিছু মহান ব্যক্তিদের জন্ম-মৃত্যুর কথা ঃ

৪০(চল্লিশ) লক্ষ বছর আগের মানুষ। বিবিসি ঃ জীবাশ্ম বিজ্ঞানীরা ইথিওপিয়ার মনুষ্য প্রজাতির একটি অংশের কিছু হাড়ের যে অংশ আবিস্কার করেছেন তা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ বছরের পুরানো বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর আগে ১৯৭৪ সালে যে মানুষের জীবাশ্ম আবিস্কৃত হয়েছিল এতদিন পর্যন্ত সেটিকেই প্রাচীনতম বলে মনে করা হচ্ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের অনুমান সদ্য আবিস্কৃত এ প্রজাতির মানুষ দু’পায়ে সোজা হাঁটতে সক্ষম ছিল। ৩০(ত্রিশ) লক্ষ বছর আগে মানুষ আসছে পৃথিবীতে এবং আজকের মানুষ প্রায় ৭৫(পঁচাত্তর) হাজার বছর আগে। কেমব্রিজের অ্যাংলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিও জেনেটিকসের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. পিটার ফরস্টার বলেন, পূর্ব আফ্রিকায় এক লাখ ৯৫ হাজার বছর আগে হোমোস্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানবের উদ্ভব ঘটে। আর জায়গাটি ছিল সম্ভবত বর্তমান ইথিওপিয়ার ওমো নদীর তীরবর্তী কোনো অঞ্চল। ৩১,৭০০ বছর আগে পৃথিবীতে কুকুর ছিল ২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল দাবি করেছে। এরা তখন ঘোড়া, হরিণ খেয়ে বেঁচে থাকত। ১০,০০০ হাজার খৃষ্টপূর্বে পৃথিবীতে কৃষি-কাজের প্রচলন শুরু হয়। পৃথিবীর কৃষি নির্র্ভর আদিম জীবনের যুগ অতিবাহিত হয় ১০(দশ) হাজার বছর ধরে। ১০,০০০(দশ হাজার) বছর পূর্বে সোমালিয়া, বেবীলন-ইরাক সভ্যতা আরম্ভ।
বিশ্বের প্রথম ধান কবে কখন কোথায় মানুষ সর্বপ্রথম ধান বা চালের ব্যবহার শুরু করে তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া দায়। ধারণা করা হয়, সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই চালের ব্যবহার শুরু হয়। আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব সাত হাজার বছর আগে উত্তর থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ চীন উপকূলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে প্রথম ধান চাষ হয়-বিভিন্ন গবেষণায় এ রকম তথ্যই পাওয়া যায়। বিশ্বের প্রথম ফুটবল কোথায় সর্বপ্রথম ফুটবল খেলা হয় তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। তবে বলা হয়ে থাকে, ফুটবলের সূতিকাগার হলো প্রাচীন চীন। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে ফুটবল খেলার প্রবর্তন হয়। প্রাচীনকালে মূলত দুই দল লোক একে অন্যকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে ফুটবল খেলত। প্রাচীন ফুটবলে কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন ছিল না। খ্রিষ্টপূর্ব তিন শতাব্দীর কিছু আগে বিনোদন হিসেবে বর্তমান ধারার ফুটবল খেলার সূত্রপাত হয়। ৭(সাত) হাজার বছরের ইতিহাস জানি মাত্র আমরা, যখন থেকে মানুষ তার ইতিহাস লেখে। গাছের বয়স ৭(সাত) হাজার বছর।
খৃষ্টপূর্ব ৫০০০ সালে ইউরোপ মহাদেশের গ্রীসে প্রথম রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাফেরা শুরু করে। ৫(পাঁচ) হাজার বছর পূর্বে পৃথিবীর সভ্যতা আরম্ভ। ৪৬০০-৪৮০০ খৃষ্টপূর্ব প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন লাভ। (সাড়ে ৬ হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন লাভ।) জানাগেছে জার্মানী, অস্ট্রিয়া ও শ্লোভাকিয়ার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নিদর্শনগুলো আবিস্কৃত হয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে ১৫০টির বেশি বিশালায়তনের উপাসনালয়। ধর্মীয় প্রয়োজন থেকে কোন জনগোষ্ঠী উপাসনালয়গুলো নির্মাণ করে থাকবেন, যাদের পেশা ছিল পশুপালন। উপাসনালয়সমূহের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। পূর্ব জার্মানীর লেইপনিং এলাকার আইথরা গ্রামে আবিস্কৃত উপাসনালয়ের চাঁরপাশে অন্ততঃ ২০টি ভবন পাওয়া গেছে। এসব ভবনে ৩শ’ লোক বাস করতো বলে ধারণা করা হয়। সদ্য আবিস্কৃত এ জনপদের এখনও কোন নামকরণ করা হয়নি। টানা ৩-বছর খননকার্য চালিয়ে স¤প্রতি প্রাচীন-এ সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়। বিশ্বের প্রথম দাবা বর্তমান পাকিস্তানের ইন্দাস উপত্যকায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে দাবা খেলার সূত্রপাত হয়। সেকালে দাবাডূরা আজকের মতোই ৬৪ বর্গের ছক কাটা সিরামিক বোর্ডে দাবা খেলতেন। তাতে থাকত হাতি, রাজা, নৌকা ও ঘোড়া। হরপ্পার কিছু প্রতœতাত্তি¡ক ক্ষেত্রে এসবের নমুনা পাওয়া গেছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪২০০ অব্দে প্রায় যতদূর জানা যায়, বিশ্বের প্রথম নগর পারস্য উপকুলে ইরিডু নামক একটি নগর গড়ে ওঠে। সুমেরিয়ান ভাষায় রচিত ইতিহাসে-এর প্রমাণ পাওয়া যায়। যদিও এর আগে কিছু ছোট শহরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়; কিন্তু ইরিডুই সর্বপ্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ নগরের মর্যাদা পায়, যেখান থেকে রাষ্ট্রের অর্থনীতি ও শাসননীতি পরিচালিত হতো। খৃষ্টপূর্ব ৪০০০ হাজার সালে বিশ্বের প্রথম উন্মুক্ত খনন ভূগর্ভস্থ মূল্যবান পাথর অনুসন্ধানের জন্য প্রাচীন মিসর ও মেসোপটেমিয়ায় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনন করা হতো। বেঁচে থাকার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, প্রকৃতির বিশাল ভান্ডার থেকে খুঁজে নিয়েছে তার প্রয়োজনের জিনিসটি। ৪০০০-৩০০০ খৃষ্টপূর্ব মিশরের সভ্যতার উম্মেষ। মানুষ কিসের জোরে টিকল হাতিয়ারের জোরে পশুকে বশ করল এবং পরে আগুন আবিস্কার করে মানুষ নিজে এ জোর আবিস্কার করেছে। সভ্যতার দিকে এগিয়ে গেল মানুষ। কাঠের চাকা আবিস্কারের ৬২০০ বছর পরে স্টীম ইঞ্জিন ও সংযুক্তিযানের যুগ শুরু হয়। বিশ্বের প্রথম চাকা গুহাবাসী মানুষ চাকা তৈরীর পদ্ধতি জানত না। স্বাভাবিক ধারণার চেয়ে অনেক পরে আবিস্কৃত হয়েছে চাকা। প্রতœতাত্তি¡ক গবেষণায় সর্বপ্রথম এর অস্তিত্ব পাওয়া যায় মেসোপটেমিয়ায় (আজকের ইরাক)। তার মানে যানবাহনে চাকার ব্যবহার শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের মাঝামাঝি। আজও আমরা এর কোনো বিকল্প খুঁজে পাইনি।
৩৫০০ খৃষ্টপূর্বে ইতিহাস ঘাটিলে দেখা যায়, মেসোপটেমিয়ায় লাইব্রেরীর প্রচলন ছিল। ৩৫০০ খৃষ্টপূর্বের কাছাকাছি সময়ে এসে পালতোলা নৌকার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। ৩০০০ হাজার খৃষ্টপূর্বের অনেক আগেই গাধাকে পোষ মানানো হয়েছিল। খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ হাজার বছরের কাছাকাছি সময়ের যে সুমেরীয় যুদ্ধরথের ছবি পাওয়া যায় তা দেখে মনে হতে পারে যুদ্ধরথটি টানছে ঘোড়া-কিন্তু এ বিষয়ে যাঁরা বিশেষজ্ঞ তাঁদের ধারণা-ঘোড়া নয় গাধা। বিশ্বের প্রথম নীতিগল্প খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ হাজার সালে সুমেরীয় সাহিত্যে ছোটগল্প খুবই জনপ্রিয় ছিল। নৈতিকথার শিক্ষাদানের লক্ষ্যেই প্রধানত ওই সব গল্প লেখা হতো। ঈশপের গল্পে এ ধরনের নীতিকথার সন্ধান মেলে। কুকুর, শেয়াল, বাঁদর, গরু, হাতি, শূকর প্রভৃতি প্রাণী সেসব গল্পের চরিত্র হিসেবে উঠে আসত। বিশ্বের প্রথম কালি মানবসভ্যতার প্রথমদিককার দিনগুলোয় শক্ত তলে দাগ কেটে কিংবা কাদামাটিকে নানা আকার দিয়ে লেখা হতো। মিসরীয়রা প্যাপিরাস কাগজ আবিস্কারের আগেই ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে কালি তৈরী করে। পরবর্তী কালে প্যাপিরাস উদ্ভাবনের পর কালিই হয়ে ওঠে লেখার জন্য আদর্শ মাধ্যম। তখনকার দিনে মূলত মৃৃত মানুষ ও পশুপাখির হাড় শুকিয়ে-পুড়িয়ে তরল কালি তৈরী করা হতো। বিশ্বের প্রথম প্লাইউড প্রাচীন মিসরে সর্বপ্রথম প্লাইউড আবিস্কৃত হয়। সঠিক দিনক্ষণ জানা না গেলেও প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ সময়ে পালাইউডের প্রচলন ছিল। তখনকার প্লাইউড অবশ্য বর্তমান সময়ের প্লাইউডের মতো মসৃণ ও সুন্দর ছিল না। ভিন্ন ভিন্ন ছয় ধরনের কাঠের সংমিশ্রণে ওই প্লাইউড তৈরী করা হতো।
খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ হাজার বছর আগে মিসর সরকার বিশেষ ধরনের পুলিশ বাহিনী নিয়োগ দেয়। প্রাচীন মিসরে বিশ্বের প্রথম পুলিশ বাহিনীর প্রচলন ছিল-এমন তথ্য জানা গেছে। সমগ্র মিসরের বিভিন্ন অঞ্চল ছিল তাদের কর্মক্ষেত্র। প্রত্যেক জেলা প্রশাসনে একজন করে পুলিশ কমিশনার নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন। বেসামরিক আমলাতন্ত্র এবং কিছু আইনগত দিকও ওই পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। ৩০০০ হাজার খৃষ্টপূর্বের অনেক আগেই প্রতœবিদদের মতে সিরিয়ার বা মেসোপটেমিয়ার রোদে শুকিয়ে নেওয়া মাটির ইটের প্রচলন হয়েছিল। খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ সালে এসে নিশ্চিতভাবে বলা চলে, ভূমধ্যসাগর বা আরবসাগরের ওপর দিয়ে পালতোলা নৌকার রীতিমত যাতায়াত শুরু হয়েছে। ৩০০০ হাজার খৃষ্টপূর্ব প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় কাদা দিয়ে তৈরি আয়তাকার ব্লকে মানচিত্র আঁকা হতো। খ্রিষ্টের জন্মের তিন হাজার বছর আগেকার এমনই একটি মানচিত্র পাওয়া গেছে ইরাকের কিরকুক শহরে। তাতে ১২৭টি আলাদা ভূখন্ড, কিছু পাহাড় এবং একটি নদীর ছবি আছে। এর চারকোণায় আছে কম্পাসের দিকনির্দেশনা, তবে ওপরের দিকে ধরা হয়েছে পূর্ব। কাছাকাছি সময়ের আরেকটি মানচিত্রে নয়টি গ্রাম ও তার মধ্য দিয়ে বয়ে চলা নদী ও রাস্তার ছবি খুব স্পষ্টভাবেই ধরা পড়ে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০(তিন হাজার) শতকে মানুষ দৈনন্দিন প্রক্ষালন-কর্মে ফ্লাশের ব্যবহার করেছে তা ভাবতেও অবাক লাগে। কী ভাবে এল ফ্লাশ টয়লেট ঃ আজ ফ্লাশের ব্যবস্থা ছাড়া আমরা টয়লেট কল্পনাও করতে পারি না। কিন্তু জানেন কি, পৃথিবীতে প্রথম ফ্লাশ টয়লেট ব্যবহৃত হয়েছিল কবে? সিন্ধু সভ্যতা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীনতম সভ্যতা। পাকিস্তানের সিন্ধু নদের তীরে গড়ে ওঠা এই সভ্যতা কিন্তু নিজেদের তুলে নিয়েছিল অন্য এক উচ্চতায়। সেই সিন্ধু সভ্যতার নগরী হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর অধিবাসীরা নিজেদের বাড়িতে ব্যবস্থা করেছিল এই ফ্লাশ টয়লেট।
খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ ভারতবর্ষের মানুষ রাস্তা দিয়ে প্রথম চলাচল শুরু করে। বিশ্বের প্রথম চা প্রাচীন চীনের সমাজ-জীবনে চা একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পানীয় হিসেবেই প্রচলিত ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনের সাহিত্যে-বিশেষ করে কবিতায়-চায়ের গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। টারং রাজবংশের শাসনামলে লু উও ‘দ্য টি ক্লাসিক’ নামে একটি বই রচনা করেন খ্রিষ্টপূর্ব আট শতাব্দীতে। বইটিতে চা-গাছের উৎপাদন, চা তৈরির পদ্ধতি, নানা ধরনের চায়ের স্বাদ ও গন্ধ ইত্যাদির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। ২৮০০ খৃষ্টপূর্ব পৃথিবীতে সম্ভবত বাগান করার কাজে প্রথম পথিকৃৎ চীন সম্রাট শেন নুঙ বিভিন্ন যায়গায় লোক পাঠিয়ে নানারকম গাছ সংগ্রহ করতেন। ২৭০০ খ্রিষ্টপূর্ব আকুপাংচার প্রথম আবিস্কার করেন কিংবদন্তির চীনা সম্রাট সেন নাং। গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ ওষধগুলোর প্রথম তালিকাও প্র¯ত্তত করেন তিনি। ২৫০০ খৃষ্টপূর্ব বছর আগে পৃথিবীর আকার গোল, সকলের জানা মাত্র এ কথাটিও নতুন ও অভিনব শোনাত। ২৫০০ খৃষ্টপূর্ব মিশরে কাঠের লাঙ্গল ব্যবহার। খৃষ্টপূর্ব ২৫০০ বছর আগে প্রাচীন গ্রিসে বিশ্বের প্রথম পেশাজীবী নারীদের আয়মূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। তবে সে সময় পুরুষের মতো পেশাজীবী নারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে সব কাজ করার সুযোগ পেতেন না। বিশেষ করে নারীদের বিচারক পদে কাজ করার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
বিশ্বের প্রথম সুইমিং পুলের ধারণা সর্বপ্রথম মাথায় এসেছিল সিন্ধু নদীর তীরবর্তী মহেঞ্জোদারো সভ্যতার অধিবাসীদের মধ্যে। প্রকৃত দিন-তারিখ জানা না গেলেও ধারণা করা হয় তা খ্রিষ্টের জন্মেরও আড়াই হাজার বছর আগে তৈরী। ১২ মিটার লম্বা এবং ৭ মিটার চওড়া এ সুইমিংপুলের সর্বোচ্চ গভীরতা ৮ ফুট। আজকের পাকিস্তানে এর ধবংসাবশেষ আজও দর্শনার্থীরা ঘুরে দেখতে পারেন। বিশ্বের প্রথম ভিজিটিং কার্ড হান শাসকদের আলমে (খ্রিষ্টপূর্ব ২০০৬ অব্দ থেকে ২২০ খ্রিষ্টাব্দ) চীনে ভিজিটিং কার্ড নতুন ফ্যাশন হিসেবে প্রচলন লাভ করে। সে সময় কাগজের মান যাচ্ছেতাই ছিল। তাই দুই থেকে তিন ইঞ্চি প্রস্থের ফালি করে কাটা কাঠের টুকরোতেই তৈরী হতো কার্ড। সাদা পটভূমিতে তাতে লেখা থাকত কার্ডধারীর নাম, পদবি আর ঠিকানা। ২০০০ খৃষ্টপূর্বের কাছাকাছি সময় চীনে ধানের চাষ শুরু, তা ভারতবর্ষের কাছ থেকেই শেখা। বিশ্বের প্রথম পরিচয়পত্র নির্বাচিত বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির জন্য পরিচয়পত্র প্রবর্তন করে অ্যাসেরিয়ান সরকার। সঠিক দিনক্ষণ জানা না থাকলেও ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের গোড়ার দিকে ওই ব্যবস্থা চালু করা হয়। ওই পরিচয়পত্র ছিল মূলত ছোট মাটির ফলকের ওপর কিলকাকার বর্ণ খোদাই করা। বিশ্বের প্রথম জলঘড়ি সময় মাপার জন্য খ্রিষ্টের জন্মের ২০০০ বছরেরও বেশি আগে জলঘড়ির ব্যবহার শুরু হয়। বিরাট এক পাত্রের গায়ে দাগ কাটা থাকত সময়ের হিসাব। আর পানিপূর্ণ সে পাত্রের ছিদ্র দিয়ে পানি বেরিয়ে এসে সময় নির্দেশ করত। মেসোপটেমিয়ায় এ ধরনের জলঘড়ির নির্মাণ পাওয়া গেলেও ঠিক কবে এর ব্যবহার শুরু হয় বা কে আবিস্কার করেন তা জানা যায়নি। ২০০০ খৃষ্টপূর্বের অনেক আগে থেকেই গৃহপালিত পশু হিসেবে ঘোড়ার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। ২০০০ খৃষ্টপূর্ব পর্যন্ত মিশরের প্রায় সমস্ত প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে কবর থেকে। বিশ্বের প্রথম বক্সিং প্রাচীন মিসরে বক্সিং খেলার প্রচলন ছিল বলে জানা গেছে। মিসরীয় ১৮তম রাজবংশের আনুমানিক খৃষ্টপূর্ব ১৩৫০ সালে বিভিন্ন রাজার সমাধিগাত্রে যেসব চিত্র পাওয়া যায় তাতে দেখা যায়, রাজা তৃতীয় এমেনোফিসের সিংহাসনে আরোহণের সময় বক্সিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সমাধিগাত্রে বক্সিং খেলার বিভিন্ন কৌশলের উল্লেখ রয়েছে।
২০০০ খৃষ্টপূর্বে জুডাইজমের ভিত্তিস্থাপন করা হয়। ১৫০০ খৃষ্টপূর্বে হিন্দুইজমের ভিত্তিস্থাপন করা হয়। ৫২৫ খৃষ্টপূর্বে বুদ্ধইজমের ভিত্তিস্থাপন করা হয়। ১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর, যীশু খৃষ্ট্রের জন্ম, মৃত্যু-৩১ খ্রিষ্টাব্দে। ৬১০ খৃষ্টাব্দে মুহাম্মদ(স.) মুসলিম ধর্মের ভিত্তিস্থাপন করেন। ১৫০০ শতকে গুরু নানক দেব জি, সিকিইজমের ভিত্তিস্থাপন করেন। মিড ১৯ শতকে মির্জা হুসাইন আলী নুরী, বাহা ধর্মের প্রবর্তক। ১৭০০ খ্রিষ্টপূর্ব বিশ্বের প্রথম বর্ণমালা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং সিনাই অঞ্চলের সেমাইট আদিবাসীরা সর্বপ্রথম বর্ণমালার একটি অখন্ড রূপ দেয়। এতে ছিল মোট ৩০টি বর্ণ। মিসরের খনি অঞ্চলে ব্যবহৃত হিরেটিক লিপি থেকে নেওয়া হয়েছিল এ বর্ণমালার অক্ষরগুলো। মজার ব্যাপার এতে কোনো স্বরবর্ণ ছিল না। পাঠক পড়ার সময় নিজেই সুবিধামতো স্বরবর্ণ যোগ করে নিত। ব্যাপারটা অনেকটা এ রকম-‘বলত’ শব্দটিতে স্বরবর্ণ যোগে তাঁদের পড়তে হতো ‘বালতি’। খ্রিষ্টপূর্ব চৌদ্ধ শতকে বিশ্বের প্রথম কফি ওষুধ হিসেবে কফি ব্যবহৃত হতো। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যেই ইয়েমেনবাসী কফিকে কোমল পানীয় হিসেবে পছন্দ করতে শুরু করেন। কফি ফল অনেকটা শিমের মতো। প্রথমদিকে, কফি ফলের খোসা ছাড়িয়ে গরম জলে মিশিয়ে কফি তৈরি করা হতো। পরবর্তী সময়ে পনেরো শতকে কফি ফল তাপে ঝলসিয়ে গরম জলে মিশিয়ে পান করার রীতি চালু হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রচলিত কফি প্রথম তৈরি হয় সিরিয়াতে।
বিশ্বের প্রথম চশমা খ্রিষ্টপূর্ব ১২৮০ সালে ইতালিতে সর্বপ্রথম চশমা আবিস্কৃত হয়। ওই চশমাটি ছিল উত্তল লেন্সের এবং তা দূরের জিনিস দেখতে সাহায্য করত। ফ্লোরেন্সের অ্যালমানডো ডেলা স্পিনাকে এর উদ্ভাবক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও কোনো অপেশাদার ব্যক্তি সেটি তৈরি করেছিলেন-এমন ভিন্ন মতও প্রচলিত রয়েছে। ১৪০০ খৃষ্টপূর্বের আগে পৃথিবীর কোনো অংশেই ব্যাপকভাবে লোহার ব্যবহার শুরু হয়নি। প্রাচীন মিশরে খৃষ্টপূর্ব ১০৫০ অব্দে বেনি হাসানে ১৭নং সমাধিতে একটি ভাস্কর্যে স্টিক হাতে দু’জন খেলোয়াড়ের দাঁড়ানো অবস্থার চিত্র পাওয়া যায়। হকি খেলার ইতিহাস খুব প্রাচীন। খৃষ্টপূর্ব ১০০০ হাজার বছরের আগে এমন কোনো স্পস্ট সাক্ষ্য নেই যা দেখে ঘোড়সওয়ার মানুষের কথা ভাবা যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সালে বিশ্বের প্রথম চিনি উত্তর ভারতে আখের ব্যাপক প্রচলন ছিল বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেই সময়ে আখ-নিস্কাশিত নানা ধরনের মিষ্টিজাত দ্রব্য খুবই জনপ্রিয় ছিল। তখনকার অধিবাসীরা ঘরোয়া পরিবেশে আখ থেকে গুড় তৈরি করতেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা আখ থেকে গুড়ের পাশাপাশি চিনিও তৈরি করেন। তবে বর্তমান সময়ে প্রচলিত দানাদার চিনি যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশের ফল। বিশ্বের প্রথম ক্যালেন্ডার রোমান সম্রাট রোমূলাস খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে ৩৬০ দিনে এক বছর ধরে ১০ মাসের বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার চালূ করেন। পরে রাজা নুমা পমপিলিয়াস খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি নামে দুটি মাস ক্যালেন্ডারের শুরুতে সংযোজন করেন। শাসক অগাষ্টাস ও জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পর সেকটিলিস ও কুইনটিলিস মাসের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে আগষ্ট ও জুলাই করা হয়। বর্তমান যুগের ক্যালেন্ডারে পৌঁছাতে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে।
৭৭৬ খৃষ্টপূর্ব গ্রীসে অলিম্পিক খেলাধুলার প্রর্বতন। ৩৯৩ খৃষ্টপূর্ব রোমান বর্বতার মুখে বন্ধ হওয়ার পর পিয়ের ডি কুবার্তিনের প্রচেষ্টায় ১৮৯৬ সালে আবারও সে গ্রীসেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল আধুনিক অলিম্পিকের প্রথম আসর। এ প্রাচীন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট-১০০ মিটার দৌড়। বিশ্বের প্রথম নারীদের খেলাধুলা ঃ প্রাচীন অলিম্পিক আসরে নারীদের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। তবে সে সময় ‘হেরিণ গেমস’ নামের অন্য একটি খেলায় নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারতেন। প্রতি চার বছর পরপর ‘হেরিণ গেমসের’ আয়োজন করা হতো এবং লোকমুখে তা ‘সিক্সটিন ওমেন’ নামে পরিচিতি লাভ করে। সঠিক সময় না জানা গেলেও ধারণা করা হয়, প্রথম অলিম্পিকের সময় থেকেই ওই গেমস শুরু হয়। প্রত্যেক অবিবাহিত নারী এতে অংশগ্রহণ করতেন। ৭৫৩ খৃষ্টপূর্ব রোমের প্রতিষ্ঠা। খৃষ্টপূর্ব ৬৯৫ সালে অ্যাসিরিয়া সাম্রাজ্যের নিনেভাতে বিশ্বের প্রথম বোটানিক্যাল গার্ডেন স্থাপিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল অ্যাসিরিয়া সাম্রাজ্যোর সমস্ত প্রজাতির গাছপালা এক আঙ্গিনায় রোপন করা। কিন্তু বাস্তবে তা প্রায় অসম্ভম হলেও জোর চেষ্টা চলেছিল সে সময়। কারণ বর্তমানের জর্ডান, ইসরায়েল, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, আরবের উত্তরাঞ্চল, কুয়েত, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও ইরানের পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে অ্যাসিরিয়া গঠিত ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে বিশ্বের প্রথম দেয়াশলাই প্রাচীন চীনে সর্বপ্রথম তৈরী হয়। পাইনগাছের ছোট ছোট কান্ডের ভেতর সালফার ঢুকিয়ে শলাকা বানানো হতো। যা আগুনের সংস্পর্শে এলেই জ্বলে উঠত। ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে নবম শতাব্দী পর্যন্ত অনেক ধরনের দেয়াশলাই তৈরী হয়েছিল কিন্তু কোনোটাই ঘর্ষণে আগুন উৎপন্ন করতে পারত না। ৬০৬ খৃষ্টপূর্ব মিডিস ও চালডিয়া কর্তৃক নিনেভে শহর জয়।
খৃষ্টপূর্ব ৬০৫-৫৬২ সময়ে বিশ্বের প্রথম ব্যাংক ব্যাবিলনীয় এক সম্রাটের আমলে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রম চালু ছিল। কিন্তু খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতকে পারস্য শাসকদের শাসনামলে ওই ব্যাংকের বিলুপ্তি ঘটে। ওই ব্যাংকের প্রায় সব নথিপত্র বিলুপ্ত হলেও বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা গেছে, যা থেকে জানা যায় ওই ব্যাংকে অনেক কেরানি কর্মরত ছিলেন। ৬০০ খৃষ্টপূর্ব বিশ্বের প্রথম ঝুলন্ত উদ্যান রাজা নেবুচাদনেজার দক্ষিণ মেসোপটেমিয়ার ব্যাবিলন নগরে ঝুলন্ত উদ্যান স্থাপন করেন। যা ছিল বিশ্বের বিস্ময়কর স্থাপনার মধ্যে, অন্যতম। রাজা নেবুচাদনেজার ইচ্ছে ছিল উদ্যানটিতে পাহাড়ি অঞ্চলের অবস্থা বিরাজ করবে, যেখানে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যাতে করে সহজাতভাবে গাছপালার বৃদ্ধি ঘটে। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে তবে ধারণা করা হয়, গ্রিক নগরীতে বিশ্বের প্রথম রিলে দৌড় চালু করা হয় ঃ রিলেদৌড় শুরুর সঠিক দিনক্ষণ জানা যায় না। তখনকার রিলেদৌড় বর্তমান রিলেদৌড় থেকে কিছুটা ভিন্নতর ছিল। সে সময়ে দৌড়বিদেরা জ্বলন্ত মশাল বহন করত এবং প্রতিযোগিতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা জ্বালিয়ে রাখত। বিশ্বের প্রথম খাবার মেনু প্রাচীন গ্রিসে খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে বিভিন্ন রাজকীয় অনুষ্ঠানে নৈশভোজের ব্যবস্থা থাকত। নৈশভোজে যোগদানকারী প্রত্যেক সদস্যকে আসন গ্রহণ করার সময় খাবারের মেনু দেওয়া হতো, যেখানে উল্লেখ থাকত কী কী খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখান থেকে যে-কেউ তাঁর পছন্দের খাবারটি বেছে নেওয়ার সুযোগ পেতেন।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩৫ অব্দে বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাথেন্সে অ্যারিস্টোটলের শিক্ষাদান কেন্দ্র লাইসিয়ামই সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩৫ অব্দে অ্যারিস্টোটলসহ কয়েকজন শিক্ষক, একটি গ্রন্থাগার ও বিপুল পরিমাণ ইতিহাসের প্রাকৃতিক নিদর্শন নিয়ে গ্রিক ও ল্যাটিন সাহিত্য এবং বিজ্ঞানসহ নীতিশাস্ত্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা ও গণিত বিষয়ে শিক্ষাদান শুরু করে। ২৭১-২১৩ খ্রিষ্টপূর্ব যতদূর জানা যায়, গ্রিসের সিসায়ন বিশ্বের প্রথম আত্মজীবনী রচয়িতা হচ্ছেন। সিসায়ন দক্ষিণ গ্রিসের অধিবাসী ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, যোদ্ধা ও কূটনীতিক। প্রাণঘাতী বিষে তাঁর মৃত্যুর আগেই তিনি আত্মজীবনী লেখা শেষ করেছিলেন। অনেক অসংগতি সত্তে¡ও এটিই পৃথিবীর প্রথম আত্মজীবনী। তিনি তাঁর লেখায় অপ্রিয় মানুষের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। ২০০ খ্রিষ্টপূর্ব সময়কালে বিশ্বের প্রথম আয়না ব্রোঞ্জের আয়না দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। সেটিতে প্রতিফলনের জন্য টিনের প্রলেপ দেওয়া হতো। কাচের আয়না, সে তুলনায় বেশ নতুনই বলা চলে। ত্রয়োদশ শতকে এক ইতালীয় বিজ্ঞানী কাচের আয়না তৈরী করেন। তিনি কাচের পাতে পারদের (মারকারি) প্রলেপ দিয়ে তৈরি করেন আয়না। এটি সারা বিশ্বে দ্রæত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বের প্রথম কাগজ প্রাচীন চীনে খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রথমভাগে হার্ন রাজবংশের শাসনামলে সর্বপ্রথম কাগজ তৈরি হয়। ওই সময়ের উৎপাদিত কাগজ বর্তমান সময়ে প্রচলিত কাগজের মতো পাতলা ও মসৃণ ছিল না। ওই সময় কাগজ তৈরি হতো এক ধরনের শণ থেকে এবং তা ছিল বেশ পুরু ও অমসৃণ। বিশ্বের প্রথম মাস গণনা গ্রিক জ্যোতির্বিদ হিপার্কাস খৃষ্টপূর্ব ১৯৫-১২৫ সর্বপ্রথম সূ²ভাবে চান্দ্র মাসের ব্যাপ্তি গণনা করেন। তিনি রোডস এবং আলেকজান্দ্রিয়ায় দীর্ঘদিন গবেষণা করেন। তাঁর গণনা থেকে প্রাপ্ত চান্দ্র মাসের দৈর্ঘ্য ও এর প্রকৃত মাপের মধ্যে ব্যবধান মাত্র এক সেকেন্ডের। তিনি ত্রিকোণমিতির পথিকৃৎ হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।

৩২৩ খৃষ্টপূর্ব থেকে ৩০ খৃষ্টপূর্বের মধ্যে বিশ্বের প্রথম স্বাস্থ্য বীমা যত দুর জানা যায়, প্রাচীন মিসরে সর্বপ্রথম স্বাস্থ্য বীমার প্রচলন হয়। টলেমীয় রাজবংশের রাজত্বকালে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব নাগরিকের জন্য বিনা পয়সায় চিকিৎসাসেবা প্রদান হতো এবং তালিকাভুক্ত সব নাগরিকই স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা পেত। এ ক্ষেত্রে রাজকোষাগার থেকে সব চিকিৎসা-খরচ বহন করা হতো। ধারণা করা হয়, এটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম স্বাস্থ্য বীমা। বিশ্বের প্রথম ছাত্র আন্দোলন খ্রিষ্টপূর্ব ১৬০ অব্দে চীনের ইমপিরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সর্বপ্রথম সরকারের নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। তাঁদের আন্দোলনের ভাষা ছিল রাজপথে দেয়াল-লিখন আর ¯েøাগান। ছাত্রনেতা গও তাই এবং তাঁর সহযোগী জি বাইওর নেতৃত্বে ওই আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে সিংহভাগ ওই আন্দোলনে শামিল হন। পরে সাধারণ জনতাও তাতে সহমত পোষণ করেন। ৬৪ খৃষ্টপূর্ব সম্রাট নিরোর আমলে রোমে ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। আট দিনব্যাপী এ অগ্নিকান্ডে ১৪টি প্রশাসনিক অঞ্চলের ১০টিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্বের প্রথম জন্মদিনের কেক-প্রাচীন গ্রিসের চাঁদের দেবী আর্তেমিসের উপাসকেরা দেবীর জন্মদিনে মধু দিয়ে তৈরি গোল কেক নিবেদন করত। প্রতি মাসে নতুন চাঁদ উঠলে পালিত হতো দেবীর জন্মদিনের উৎসব। কেকের ওপর মোমবাতি জ্বালানো হতো চাঁদের প্রতিরূপ হিসেবে পরবর্তীকালে এ আচারটিকেই সাধারণ মানুষ নিজেদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের এক অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিয়েছে।  নতুন পরিচয়ে দু‘হাজার বছরের প্রাচীন শহর ‘বন‘।
১০০ খিষ্টাব্দে বিশ্বের প্রথম অভিধান হিউ শেন নামে এক চীনা গবেষক সর্বপ্রথম অভিধান বের করেন। এতে ৯ হাজার ৩৫৩টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ভুক্তি ছিল। অভিধানটিতে অন্তর্ভুক্তিগুলো ছিল অক্ষরের ক্রমানুসারে। প্রাচীন অভিধানগুলো এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদের কাজে ব্যবহৃত হতো। সব ধরনের গুণাবলিসমৃদ্ধ পূর্ণাঙ্গ অভিধানের প্রচলন শুরু হয় অনেক পরে। প্রথম অভিধানের খবর মেলে চীনে।  ৭ সালের ৭ জুলাই ছিল (০৭-০৭-০৭) প্রথম লাকী ট্রিপল সেভেনের দিন। সন গণনার পর থেকে এ ট্রিপল সেভেনের দিনটি ছিল অঙ্কের ৭ সংখ্যাটিকে সৌভাগ্য প্রতীক হিসাবে বলা হয় লাকী সেভেন। এক হাজার বছর পর আবার এ দিনটি ফিরে আসে ০৭-০৭-১০০৭ তারিখ। আবার এক হাজার বছর পর এ দিনটি ফিরে আসে ০৭-০৭-২০০৭ তারিখ। আবার এক হাজার বছর পর এ দিনটি ফিরে আসবে ০৭-০৭-৩০০৭ তারিখ। ০৭-০৭-২০০৭ তারিখ জাপানে ভালবাসা দিবস। জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লাকী ট্রিপল সেভেনে ০৭-০৭-২০০৭ তারিখ ৮০,০০০ হাজার বিয়ে হচ্ছে। আবার এ দিনটি ফিরে আসবে ০৭-০৭-৩০০৭ তারিখ মানে ১,০০০(এক হাজার) বছর পর। চীনে দ্বিতীয় শতাব্দীতে যদ্দুর জানা যায়, বিশ্বের প্রথম মই আবিস্কৃত হয়। মই আবিস্কার চাষাবাদকে সহজতর করে তোলে। প্রচীনকালে চাষাবাদের প্রক্রিয়া সুসংগঠিত ছিল না। মাটির ঢেলা ভাঙার জন্য মই আবিস্কৃত হওয়ার পর চাষাবাদ আরও সহজ হয়ে যায়। ওই সময়ের মই ছিল ধাতব কাঁটাযুক্ত এবং প্রধানত কৃষিকাজের জন্য।
২৬৯ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, প্রাচীন রোমান সম্রাট ক্লাডিয়াসের আমলে ভ্যালেন্টাইন এক ধর্মযাজক বিয়ের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তরুণ-তরুণীদের বিয়ের আয়োজন করায় তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। সেই ঘটনার স্মরণেই প্রতিবছর ১৪ ফেব্রæয়ারি, ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করা হয় পাশ্চাত্যে। ৪৯৪ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, পোপ জেলাসিয়াস সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন ধর্মোৎসব ঘোষণা করেন। স¤প্রতি তার হাওয়া এদেশেও লেগেছে। আমাদের দেশে গত ২০০২ সাল থেকে এ দিবসটি নিয়ে তরুণ-তরুণীদের উৎসাহ দেখা যাচ্ছে এবং দিন দিন বাড়ছে। এ দিবসটির নাম করণ করা হয়েছে ভ্যালেন্টাইন ডে বা বিশ্ব ভালবাসা দিবস। ৩৩০ সালের ১১ মে, কনষ্টান্টিনোপলকে রোম সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী করা হয়। ৪২৪ থেকে ৪৫২ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম তাই উয়ের শাসনামলে উত্তর উইয়ের রাজধানীতে সর্বপ্রথম স্থানান্তরযোগ্য কাচের প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণ করতে পশ্চিমা কাচ উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় এবং মধ্য এশিয়া থেকে প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে আসা হয়। কয়েক শ শ্রমিক এতে অংশ নেন। ৭১১ খ্রিষ্টাব্দে উমাইয়া খলিফা প্রথম ওয়ালিদের শাসনামলে সেনাপতি মুসার অধিনস্থ সেনাপতি তারিক বিন রিয়াদ তার মাত্র ১২ হাজার সৈন্য নিয়ে তৎকালীন স্পেনের শাসক রডরিক এবং তার ১ লাখ সদস্যের চৌকস বাহিনীকে যুদ্ধে পরাজিত করে ইউরোপ তথা স্পেনের বুকে ইসলামের পতাকা উত্তোলন করেন। ১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল, স্পেনকে দখল করে নেয় পর্তুগীজ রাণী ইসাবেলা এবং তার পার্শ্ববর্তী রাজ্যের রাজা ফার্ডিন্যান্ড এক বিশাল খ্রিষ্টান বাহিনী গঠন করে অতর্কিতে স্পেনের মুসলমানদের উপর প্রচন্ড আক্রমণ, এক ভয়াবহ ও নির্মম ধ্বংস যজ্ঞ চালায়। প্রতারণার মাধ্যমে অসহায় মুসলিম নরনারীকে মসজিদে বন্ধী করে আগুন জ্বালিয়ে দেয় হাজারো নিস্পাপ মানুষকে-এরপর মুসলমানদেরকে ‘এপ্রিল ফুল’ বলে গালি দেয়। এপ্রিল ফুল হচ্ছে স্পেনে ৭ লাখ মুসলিম হত্যার কলঙ্কিত অধ্যায়।
১৭০০ বছর আগে মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ায় গবেষণা কাজে রত থাকাকালে এ আবিস্কার করেন। বায়ু সংকোচনের এ নীতি তিনি এয়ারগানের পাশাপাশি পিস্টন, পাম্প ও আরও কিছু যন্ত্রে ব্যবহার করেন। বিশ্বের প্রথম এয়ার গান সংকুচিত বাতাসের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পাথর ছুড়ে মারার অস্ত্র প্রথম তৈরি করেন গ্রিক বিজ্ঞানি টিসিবিয়াস। বিশ্বের প্রথম হাতঘড়ি আবিস্কৃত হয়েছিল প্রায় ১৩০০ বছর আগে। তবে তাকে ছোট করতে করতে হাতের কব্জিতে নিয়ে আসতে আরো অনেক সময় লেগে যায়। প্রায় ৫০০ বছর আগে প্রথম হাতঘড়ি তৈরী সম্ভব হয়। তবে ঠিক কোথায়, কে তা তৈরী করেছিল, তা জানা যায়নি। ধারণা করা হয় ফ্রান্সের বয়েস, জার্মানির নুরেমবার্গ কিংবা উত্তর ইতালিতে তৈরী হয়েছিল প্রথম হাতঘড়িটি। বিশ্বের প্রথম কাগজের নকশা কাগজ ভাঁজ করে নানান আকৃতি ও নকশা করার এক ধরনের জাপানি শিল্পকলার নাম ওরিগ্যামি। নানা ধরনের পশুপাখি, ফুল-ফল ইত্যাদি এমনকি মানুষেরও নিখুত আকৃতি দান করা যায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করে। এটি জাপানে জনপ্রিয় হলেও সর্বপ্রথম এর প্রচলন শুরু হয়েছিল প্রাচীন চীনে টার্গ রাজবংশের (৬১৮-৯০৬) আমলে। বিশ্বের প্রথম মুদ্রণশিল্প প্রাচীন চীনে টারং রাজবংশের (৬১৮-৯০৬ খ্রিষ্টাব্দ) আমলে সর্বপ্রথম মুদ্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে ছাপার কাজ হয়। সেখানে ছবি ও লেখা দুটোই একসঙ্গে ছাপানো হতো। সেরওয়ান স্রাং (৬০২-৬৬৪ খ্রিষ্টাব্দ) চীন থেকে ভারতে আসেন বৌদ্ধ ধর্মের দীক্ষা নিতে। চীনে তাঁর সংগৃহীত ছবি ও ভ্রমণবৃত্তান্ত নিয়ে সর্বপ্রথম ছাপার কাজ হয় ৬৪৫ সালে। ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে জাপানের একই রাজপরিবারের সদস্য রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে আসছেন। ১৯৯০ সালের ১১ নভেম্বর-জাপানের রাজতন্ত্রের ইতিহাসে সম্রাট আকিহিতো ১২৫তম রাজা। বর্তমান রাজা আকিহিতো হলেন এ পরিবারের ১২৫তম রাজা। ৭৫৬ সালের ৮ মার্চ, স্পেনে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের প্রথম জীবনীগ্রন্থ আরব পন্ডিত ইবনে সাদ (মৃত্যু-৮৪৫ খ্রিষ্টাব্দ) সর্বপ্রথম জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন। সংকলনগ্রন্থটির নাম ছিল কিতাব আল তাবাকাত আল-কবির। ওই জীবনীগ্রন্থ ছিল কয়েক খন্ডে লিখিত। মুসলিম বিশ্বের খ্যাতিমান সহস্রাধিক ব্যক্তির জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে এ গ্রন্থে। ইবনে সাদ আরব ও ইরাকে গবেষণার মাধ্যমে এ গ্রন্থ রচনা করেন। ১০০৮ সালের মধ্যে লেখা শেষ হয়েছিল জাপানি উপন্যাস মুরাসাকি শিকিবুর গেনজি কাহিনী। গেনজি কাহিনী হাজার বছরের প্রাচীন উপন্যাস। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে এ প্রাচীন উপন্যাসের সহস্র বার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। বিশ্বসাহিত্যের প্রথম উপন্যাস বলা হয় গেনজি কাহিনীকে। এ কাহিনী নিছক প্রেমের কাহিনী আখ্যায়িত করা সম্ভব নয়। ১০২৪ সালে চীনারা পৃথিবীতে প্রথম কাগুজে টাকা চালু করেছিল। টাকার একটাই রং। ১০৪৪ সালে সাং রাজবংর্শের আমলে সর্বপ্রথম বিশ্বের প্রথম আর্মি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয় চীনে। শিক্ষানবিশ সেনা কর্মকর্তাদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে ওই একাডেমি গঠন করা হয়। তৎকালীন উই চেন মন্দিরের পার্শ্ববর্তী জায়গা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু এলাকাজুড়ে একাডেমি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করত। ১০৯৬ সালে ইংল্যান্ডে-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও মূলত ১১৬৭ সাল থেকে সারা বিশ্বে পরিচিতি পেতে শুরু করে। ১২১৫ সালে বিশ্বের প্রথম পৌরসভা গঠিত হয় “লন্ডন শহর’’। বিশ্বে প্রথম বন্ধুক তৈরী হয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে চীনে।
১২১৫ সালের ১৫ জুন, ম্যাগনা কার্টা বা মহাসনদে স্বাক্ষর করেন রাজা জন। ওই সনদে মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা, সম্পত্তির অধিকার ও মুক্ত মানুষের গ্যারান্টি দেয়া হয়। ২০১৫ সালের ১৫ জুন, ম্যাগনা কার্টা স্বাক্ষরের ৮০০তম বার্ষিকী পূর্ণ হবে। যুক্তরাজ্য ম্যাগনা কার্টা বা মহাসনদের ৮০০তম বার্ষিকী উদযাপন শুরু করেছে। পাঁচ বছর ধরে এ উৎসব চলবে। যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলোতে ম্যাগনা কার্টার প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১২৯৭ সালে ম্যাগনা কার্টা দলিলটিতে মার্কিন স্বাধীনতা ঘোষণা ও সংবিধানেরও মূল ভিত্তি। এ দলিলটি মানব-প্রগতির ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ৭১০ বছরের পুরোনো দলিল ম্যাগনা কার্টা গত মঙ্গলবার (১৮-১২-২০০৭) তারিখ নিউইয়ার্কে দুই কোটি ১৩ লাখ ডলারে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এ ম্যাগনা কার্টাকে অনেকে মুক্তির সনদ বলে অভিহিত করে থাকে। এ  দলিলটি যুক্তরাষ্ট্রে থাকবে এবং ন্যাশনাল আর্কাইভেই প্রদর্শিত হবে। এ পর্যন্ত ম্যাগনা কার্টার ১৭টি দলিলের খোঁজ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার যেটি বিক্রি হয়েছে, সেটি ব্যক্তিমালিকানায় ও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা একমাত্র কপি। আধুনিক যুগে অনেক আইনের ভিত্তি হলো এ ম্যাগনা কার্টা। ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দে চীনের বেজিং নগরী থেকে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষকদের মতে বিশ্বের প্রাচীনতম সংবাদপত্রের নাম ‘পিকিং গ্যাজেট’। আবার কোন কোন পন্ডিতজনের মতে এটি সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচলিত ছিল না। সমাজের কিছু সংখ্যক সম্ভ্রান্ত শিক্ষিত ভদ্র পরিবার ছিল-এর পাঠক। তাই এটিকে তারা সংবাদপত্রের মর্যাদা দিতে উৎসাহী নন। ১৩৭৯ সালের ২৬ নভেম্বর, ইংল্যান্ডে অক্সেফোর্ড মিশন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৪৫২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, ইংল্যান্ডে খৃষ্টান ধর্ম গ্রন্থ বাইবেল প্রথম ছাপানো হয়। ১৫০০ সালে মানবদেহ চিত্র মানুষের প্রথম নির্ভুল এবং বিস্তারিত এনাটমিক্যাল ড্রইং করেন শিল্পী এবং উদ্ভাবক লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। আর এটা করার জন্য তাঁকে আগে বেশ কিছু শবদেহ কেটে পরীক্ষা করতে হয়েছে। তাঁর আঁকা হৃদপিন্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ চিত্রগুলোতে বাল্বের কাজ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। চিকিৎসাবিজ্ঞানকে মস্তিস্কের গহবরগুলো সম্পর্কে একটি পরিস্কার চিত্র দেয় ভিঞ্চির ড্রইং। ১৫৩০ সালে বাণিজ্যিকভাবে বিশ্বের সর্বপ্রথম কফির দোকান চালু হয় পঞ্চদশ শতকে আরবের কিছু নগরীতে। ১৫৩০ সালে কফি শপ দামেস্ক, আলেপ্লোতে শুরু হয় কফির বাণিজ্যিক বিপণন। পরে তা আরব দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ১৫৩৯ সালে কায়রোতে কফির দোকান ও কফি বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ১৫৩৮ সালের পূর্বে ফ্রান্সে মেয়েদের মানুষ বলেই গণ্য করা হতো না। তারা ছিল শুধু পুরুষের সেবাদাসী। স্বামীর অনুমতি ব্যতীত ব্যবসায়ে টাকা খাটানো তার জন্য ১৯৩৮ সাল পর্যন্তও নিষিদ্ধ ছিল। ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় মেয়েদের অবস্থাও সামগ্রিকভাবে-এর চেয়ে উন্নত ছিল না। বিংশ শতাব্দীতেই তারা ভোটাধিকার তথা রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। ফ্রান্সে এ অধিকার তারা পায় ১৯৪৪ সালে। ইংল্যান্ডে ১৯২৮ সালে, ইউরোপের কিছু কিছু দেশ সত্তরের দশকে এ অধিকার অর্জন করে। ১৫৭৯ সালের ১৭ জুন, ক্যালিফোর্নিয়ার ইংরেজদের উপর সার্বভৌমত্ব ঘোষণা। ১৬০০ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম চার চাকার গাড়ী চলাচল করে। ১৬০১ সাল থেকে পৃথিবীতে তামাক ব্যবহার হয়ে আসছে। ১৯০১ সালের দিকে পৃথিবীতে প্রথম সিগারেট উৎপাদন হয়।
১৬০৭ সালের ৩ মে, ১০৪ জন ইংরেজ প্রথমবারের মত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর আমেরিকার জেমসটাউনে প্রথম স্থায়ী উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। ২০০৭ সালের ৩ মে, এএফপি ঃ উত্তর আমেরিকার জেমসটাউনে প্রথম স্থায়ী ইংরেজ বসতি স্থাপনের ৪শ’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৩-০৫-২০০৭ তারিখ) ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৬ বছর পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। এটা ৮১ বছর বয়সী রাণীর চতুর্থ যুক্তরাষ্ট সফর। ১৯৫৭ সালে জেমসটাউনে ইংরেজ বসতি স্থাপনের ৩৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি প্রথম যুক্তরাষ্ট সফর করেন। ১৬০৯ সালের ২ জানুয়ারি, টেলিস্কোপ আবিস্কার করে গ্যালিলিও প্রথম দেখেছিলেন চাঁদ। টেলিস্কোপ আবিস্কারের ৪০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালন করা হয় ০২-০১-২০০৯ তারিখ। বিশ্বের প্রথম থার্মোমিটার ষোড়শ শতকে ইতালিতে ১৬১২ সালে ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সেন্টোরিয়াস থার্মোমিটার ব্যবহার করে মানবদেহের তাপমাত্রা পরিমাপের কথা উল্লেখ করেন। তবে তিনি নিজেকে এর আবিস্কারক হিসেবে দাবি করেননি। রোম থেকে পাওয়া ১৬১১ সালের কিছু নথিতে দুটো থার্মোমিটারের নকশা পাওয়া গেছে। কিন্তু এর আবিস্কারকের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ১৬২১ সাল থেকে  যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাঙ্কস গিভিং ডে পালিত হয়ে আসছে। ১৮৬৩ সাল থেকে সরকারী ছুটির দিনে পরিণত হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবারকে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে হিসেবে ঘোষণা দেন। এছাড়া বাসায়ও অনেকে বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারে মিলে টার্কি ভোজের আয়োজন করে থাকেন। সেনসাস ব্যুরো জানিয়েছে, চলতি বছর (২০০৬ সালে) যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ২৫ কোটি ৬০ লাখ টার্কি রয়েছে বিভিন্ন খামারে। এর ৯০% জবাই করা হয়েছে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’তে।
১৬৩৩ সালে জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির ধর্মীয় বিশ্বাসের পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল এবং এরপর তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছিল। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। ১৬৩৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ক্যামব্রীজে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬৩৮ সালে জন হাভার্ডের উদ্যোগে আমেরিকার সবচাইতে পুরাতন লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত কোনো কোনো গবেষকদের মতে বিশ্বের প্রাচীনতম সংবাদপত্রটি ‘পোষ্ট অফ ইনরিফেস টিভলিনগার’ পত্রিকাটি। কিন্তু মনে রাখা দরকার ওটি দৈনিক সংবাদপত্র নয়, ‘সংবাদ সাময়িকী’। ১৬৬৫ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্বের প্রথম সংবাদ ম্যাগাজিন বের হয় ফ্রান্সের প্যারিস থেকে। ম্যাগাজিনটির নাম ছিল জার্নাল ডি স্কেভানস। ওই ম্যাগাজিনে অন্তর্ভুক্ত প্রধান প্রধান বিষয় ছিল নতুন বইয়ের খবর, মানবাধিকার ও বিজ্ঞানের সর্বশেষ অগ্রগতির খবরাখবর। এ ছাড়া থাকত আদালতের খবর ও মৃত্যুসংবাদ। ১৬৬৫ খ্রিষ্টাব্দে সংবাদপত্র বলতে যা বোঝায়, দৈনিক প্রকাশিত হয় এমন পত্রিকা সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ‘ফ্রাঙ্কফুটার জাইচুঙ’। এটি প্রকাশিত হয়েছিল জার্মানির অন্তর্গত ‘ফ্রাঙ্কফুট’ নামক শহর থেকে। এটিই পৃথিবীর প্রাচীনতম দৈনিক প্রকাশিত সংবাদপত্রের প্রকৃত দাবিদার। ১৬৬৬ সালে স্যার আইজাক নিউটন আলোর বিচ্ছুরণ আবিস্কার করেন।
১৬৬৮ সালে সুইডিশ সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৮ সালে এসে সুইডিশ সেন্ট্রাল ব্যাংকের তিনশ’ বছর বার্ষিকী পালন উপলক্ষে এ পুরস্কার প্রবর্তন করে। ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে প্রথম নোভেল পুরস্কার দেয়া হয়। সুইডিশ ব্যাংকই এ পুরস্কারের অর্থের যোগান দিয়ে থাকে। সুইডিশ সেন্ট্রাল ব্যাংকই পৃথিবীর প্রথম ব্যাংক। ১৬৭৮ সালের ২৫ জুন, ইতালির গণিতবিদ মিসেস এলিনা পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বের প্রথম মহিলা হিসেবে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রী লাভ করেন। ১৬৮০ সালের পর থেকে মাত্র বিজ্ঞানিরা ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ শুরু করেছেন। ১৭৫৪ সালে চেনা গিয়েছিল কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে, ১৭৭২ সালে চেনা গিয়েছিল নাইট্রোজেনকে ও ১৭৭৩ সালে চেনা গিয়েছিল অক্সিজেনকে। ১৭৮০ সালে প্রথম ভার্সাই চুক্তি (ভার্সাই, ফ্রান্স) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে স্বাধীনতা রক্ষায় সমঝোতা সাধন, এ চুক্তির মাধ্যমে ৪ জুলাই, ১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা লাভ। ১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারি, অস্ট্রেলিয়ার সিডনী শহরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। ১৬৯০ সালে দুনিয়ার দ্বিতীয় ব্যাংক-ব্যাংক অব ইংল্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬৯৭ সালে ইংল্যান্ডের সাসেক্সে বিশ্বের সর্বপ্রথম ১১ জন করে খেলোয়ার নিয়ে গঠিত দু‘টি দলের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৭০৯ সালে ইংল্যান্ডের কেন্ট ও সারে সর্বপ্রথম। ১৭৮৭ সালে লন্ডনে ম্যারিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের জন্ম হয়েছিল। ১৭৮৮ সালে ক্লাব খেলার নিয়ম-কানুন চালু করে। মেয়েরা খেলে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে ১৮৮৭ সালে। ১৭৯২ সালের ১ অক্টোবর, বিশ্বের প্রথম মানি অর্ডার প্রচলন বৃটেনে শুরু হয়।
১৭৯২ সালের ১৩ অক্টোবর হোয়াইট হাউসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ১৮০০ সালে নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়। হোয়াইট হাউস হোয়াইট কেন? হোয়াইট হাউস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারী বাসভবন। এটি ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্তিত। এটি ধূসর রঙের প্রস্তর দিয়ে তৈরী করা হয়। ১৮১৪ সালের ২৪ আগষ্ট, যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এটিকে জ্বালিয়ে দেয়। তখন স্থপতি জেমস হোবানের নির্দেশমতো বিল্ডিংটিকে নতুন করে নির্মাণ করা হয় এবং ধোঁয়া ও আগুনের দাগ মুছতে সাদা প্রলেপ লাগানো হয়। তখন থেকেই এটিকে ‘হোয়াইট হাউস’ বলে। ১৭৯৭ সালে পৃথিবীর ওজন ছিল ৬(ছয়) কোটি কোটি কোটি টন। ১৭৯৭ সালে বিশ্বে মানুষের গড় আয়ু ছিল-২৫-বছর; ১৮৯৭ সালে গড় আয়ু ৪৮-বছর; ১৯৪৭ সালে ৬৫.১-বছর; ১৯৯৭ সালে ৭৬.৪-বছর। ২০ জুলাই, ১৯৯৯ সালের হিসেব ৭৭ বছর এবং ২০৪৭ সালে বিশ্বে মানুষের গড় আয়ু হবে প্রায় ১০০/১২০ বছর। ১৮০২ সালের ১০ এপ্রিল, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জরিপ কাজের সূচনা হয়। ১৮০৮ সালের আগে কেউই কৃত্রিম আলোর উৎস তৈরীতে সাফল্য অর্জন করেননি। সে বছরই হামফ্রে ডেভি নামের এক ইংরেজ বিজ্ঞানী বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক আর্ক বাতি তৈরী করেন। দুই টুকরো কার্বনকে একটি ব্যাটারির দুই প্রান্তে যুক্ত করা হয়। পরে এর মধ্যকার ফাঁকা জায়গা দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে কার্বনের টুকরো দুটি উত্তপ্ত হয়ে আলো বিকিরণ করে। এটাই ছিল তাঁর আবিস্কৃত বাতির মূলনীতি। ১৮১৭ সালে বিশ্বের প্রথম কেলিডস্কোপ স্যার ডেভিড ব্রিস্টার স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় সর্বপ্রথম কেলিডস্কোপ আবিস্কার করেন। কেলিডস্কোপ হলো রঙিন কাচের টুকরো ও দুটি আয়না সংবলিত নলবিশেষ, যা ঘোরালে ভেতরে পরিবর্তনশীল রং ও আকার দেখা যায়। ১৮৩০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, রকেট দিয়ে লিভারপুল থেকে ম্যানচেস্টার পর্যন্ত রেলগাড়ি চলাচলের মাধ্যমে লিভারপুল অ্যান্ড ম্যানচেস্টার রেলওয়ের যাত্রা শুরু হয়। পৃথিবীর প্রথম এ আধুনিক রেলগাড়িটি উদ্বোধনী দিনেই দুর্ঘটনাকবলিত হয়। রকেট দুর্ঘটনায় সেদিন ব্রিটেনের এক সাংসদ নিহত হন। তবু সেই দিনটিকে আধুনিক পরিবহন যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন করে রেখেছে স্টিফেনসনের রকেট।
১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দে চালর্স হ্যাবোস বিশ্বের প্রথম বার্তা সংস্থার কার্যক্রম শুরু করেন। মি. হ্যাবোস তাঁর বার্তা সংস্থার প্রতিবেদকের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য ফরাসি সংবাদপত্রগুলোয় নিয়মিত সরবরাহ করতেন। আসলে হ্যাবোস এ কাজটি করতেন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার জন্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার মতামতের পরই কেবল সেসব খবর বার্তা সংস্থার মাধ্যমে সংবাদপত্রে পৌঁছাত। ১৮৩৫ সালে ‘নেগেটিব’ আবিস্কার করে ব্রিটিশ আবিস্কারক ট্যালবট ছবি তোলার প্রযুক্তিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিলেন। আধুনিক ফটোগ্রাফির জনক হেনরি ফক্স ট্যালবট। অষ্টাদশ শতকের ত্রিশের দশকে পৃথিবীর প্রথমদিককার ছবিগুলো তাঁরই তোলা। ১৮৩৯ সালে ফ্রান্সে প্রথম ফটোগ্রাফি আবিস্কার হয়। ১৮৩৫ সালের ২৯ আগষ্ট, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন নগরী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। ১৮৩৯ সালে সমাজবিজ্ঞান (ঝড়পরড়ষড়মু) শব্দটি প্রবর্তন করেন-আগাস্ট কোৎ। সমাজবিজ্ঞান হলো সামাজিক ঘটনাবলির বিজ্ঞান। এ সংজ্ঞাটি হলো-এল. এফ. ওয়ার্ড ও গ্রাহাম সামনার। সমাজবিজ্ঞান হলো প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান-এ উক্তিটি হলো-ডুর্খেইম। কোনটি ছাড়া মানুষ নিজের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারে না-সমাজ। সাধারণ সমাজ বলতে কোনটি বুঝায়-সংঘবদ্ধ জনসমষ্টি। ১৮৪০ সালের ৬ মে, ইংল্যান্ডে বিশ্বের প্রথম ডাকটিকিট চালু হয়। ১৮৪০ সালে প্রথম ইলেক্ট্রিসিটি জার্নাল প্রকাশিত হয়। ১৮৪৫ সালে বৈজ্ঞানিক ফ্যারাডের আবিস্কৃত ইলেকট্রিসিটি। ১৮৪৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, বৃটেন প্রথম অস্ত্রোপচারের জন্য এ্যানেসথেতিক্স ব্যবহার করে। ১৮৪৮ সালে সংবাদপত্রে প্রথম আবহাওয়া বার্তা ছাপা শুরু হয়।
১৮৪৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, কার্ল-মার্কস কম্যুনিষ্ট মেনিফেষ্টো ঘোষণা করেন। ১৮৪৮ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, কার্ল-মার্কস ও ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস কমিউনিষ্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেন। ১৮৫০ সালে বিশ্বের প্রথম রেফ্রিজারেটর জেমস হ্যারিসন গিলং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য রেফ্রিজারেটর নির্মাণ করেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্যিকভাবে বরফ বিক্রি করা। গৃহস্থালির কাজে, অর্থাৎ রান্নাঘরে ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য রেফ্রিজারেটর তৈরী করে ফ্রান্সের কারে অ্যান্ড কোং। তারা সেটি বাণিজ্যিকভাবে ফ্রান্স ও ইউরোপীয় দেশে বিক্রি শুরু করে অষ্টাদশ শতকের ষাটের দশকে। ১৮৫১ সালের মে-অক্টোবর মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব বাণিজ্য-শিল্প প্রদর্শীর কথা বলা হচ্ছে। ১৮৫৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর, উত্তমাশা অন্তরীপ থেকে বিশ্বের প্রথম ত্রিকোণ ডাকটিকিট ইস্যু হয়। ১৮৫৫ সালের ‘‘মারাত্মক দুর্ঘটনা আইন’’ শ্রমিকের মৃত্যুর ফলে তার পরিবারের যে আর্থিক ক্ষতি হয়, এর সঙ্গে আণুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের বিধান রয়েছে। এ আইন দিয়ে উনিশ শতকের ৪৫টি বছর চলেছে, বিশ শতক চলে গেছে এবং একুশ শতক চলিতেছে। শ্রমিকের জন্য আইনের পরিবর্তন হয়নি।
১৮৫৬ সালে ‘‘বিশ্বের প্রথম ব্যালট পেপার’’ রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে সর্বপ্রথম নির্বাচনের জন্য ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হয়। মেলবোর্নের আইনজ্ঞ হেনরি চ্যাপম্যান ১৮৫৬ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের পরিকল্পনা করেন। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীর নাম কাগজের ¯িøপে লিখে দেন। পরবর্তী সময়ে ১৮৫৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের ছাপানো নামসহ ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হয়। ১৮৭২ সালের ১৫ আগষ্ট, ইংল্যান্ডে প্রথম গোপন ব্যালটে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৫৬ সালের আগষ্ট মাসে জার্মানীর ডুসেলডর্ফের একটি পাহাড়ী উপত্যকায় প্রথম নিয়ানডারথাল যুগের মানুষের অস্তিত্বের নিদর্শন পাওয়া যায়। প্রাপ্ত নিদর্শন থেকেই তৈরী করা হয় প্রাচীন পৃথিবীর মানুষের এ আকৃতি। ১৮৬০ থেকে ১৮৬৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে জার্মান ব্যবসায়ী ফিলিপ রেইস বিশ্বের প্রথম টেলিফোন নামের কিছু যন্ত্রের প্রদর্শনী করেন। এ যন্ত্রগুলো মানুষের স্বরকে তারের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে ট্রান্সমিট করতে পারত। যদিও শোনার পর সে শব্দ থেকে প্রকৃত অর্থ উদ্ধার করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মূলত রিসিভারের কিছু ত্রæটির কারণে এ সমস্যা হতো। তবুও টেলিফোনের প্রথম বাস্তব প্রয়োগের কারণে রেইসই এর আবিস্কারক হিসেবে স্বরণীয়। ১৮৬১ সালের ২৩ মার্চ, লন্ডনে প্রথম ট্রাম সার্ভিস চালু হয়। ১৮৬৪ সালের ২২ আগষ্ট, আন্তর্জাতিক রেডক্রস প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৬৬ সালে সর্বপ্রথম টেলিগ্রামের তার বসানো হয় আটলান্টিকের তলদেশ দিয়ে। এ কাজে সাহায্য নেয়া হয়েছিল ওই সময়ের বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ দ্য ইষ্টার্নের। পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর মধ্যে আটলান্টিক বয়সে সবচেয়ে নবীন। ভূতাত্তি¡কেরা ধারণা করেন, এর গঠন শুরু হয় জুরাসিক আমলে। মহাসাগরটির আয়তন প্রায় ১০৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার। এটি পৃথিবীর এক-পঞ্চমাংশ এলাকাজুড়ে অবস্থিত। প্রথম যে মহাসাগর জাহাজ ও বিমানে পাড়ি দেওয়া হয়, সেটি আটলান্টিক। পুয়ের্তোরিকো ট্রেঞ্চ আটলান্টিকের গভীরতম এলাকা। এর গভীরতা প্রায় সাড়ে আট হাজার মিটার। আটলান্টিক মহাসাগরের বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড। ১৮৬৮ সালে লন্ডনে বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক লাইট রেলওয়ের সিগনাল ব্যবস্থা দেখেই ট্রাফিক লাইট ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়। এতে দুটি বাহু ছিল, যা ওঠানামা করিয়ে চলাচলের দিকনির্দেশ করা হতো। রাতে ব্যবহারের জন্য ছিল লাল আর সবুজ গ্যাসলাইট। পথচারী রাস্তা পার হওয়ার আগে নিজেই সিগনাল পরিবর্তন করে নিত। তবে পুরো ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। বাতির গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পুরো ব্যবস্থা পড়ত অকার্যকর। একবার তো গ্যাসে আগুন ধরে এক পুলিশ সদস্য মারাই গিয়েছিলেন। ১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর, বিশ্ব ডাক ব্যবস্থা চালু হয়। ১৮৭৫ সালের মধ্যেই দেখা যায়-নদীর ক্ষয়, হিমবাহ নেমে আসা, জমি গড়ে ওটা, ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে মোটামোটি মতের মিল হয়েছে।
১৮৭৫ সালে লন্ডনে প্রথম হকি অ্যাসোসিয়েশন স্থাপিত হয়। ১৮৭৬ সালের ১৫ মার্চ, সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে ১১ জন করে খেলোয়ার নিয়ে প্রথম টেষ্ট ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হয়। প্রতিদ্ব›দ্বী দল দুটি ছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ওই খেলায় অস্ট্রেলিয়া ৪৫ রানে হারায় ইংল্যান্ডকে। অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটসম্যান চার্লস ১৬৫ রান করেন; এটাই টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম শত রান। ১৮৭৬ সালে ইংল্যান্ডে স্থাপিত সবচেয়ে প্রাচীন হকি ক্লাবের নাম টেডিংটন হকি ক্লাব। ১৮৯৫ সালের ২৬ জানুয়ারি, ইংল্যান্ডে পুরুষদের প্রথম আন্তর্জাতিক হকি ম্যাচঃ ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ড দলের মধ্যে। ১৮৭৭ সালের ৯ জুলাই, প্রথম উইম্বলডন টেনিস প্রতিযোগিতায় সোলার গোর বিজয়ী হন। ১৮৭৮ সালে ব্রিটেনের অধ্যাপক ডেভিড হিউজ বিশ্বের সর্বপ্রথম ‘‘মাইক্রোফোন’’ আবিস্কার করেন। তিনি শব্দগ্রাহকযন্ত্রের সঙ্গে কার্বনের তার সংযুক্ত করে তাতে ব্যাটারি থেকে প্রবাহিত বিদ্যুৎ চালনা করেন। তিনি অতি উত্তম পারদের সঙ্গে উইলো কাঠের টুকরো মিশিয়ে একটি পরিবাহক তার তৈরি করেছিলেন, যা ছিল এ আবিস্কারের মূল চালিকাশক্তি। ১৮৭৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে প্রথম টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপিত হয়। ১৮৮১ সালের ১৬ মে, বার্লিনে বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রাম সার্ভিস চালু হয়। ১৮৮২ সালে লন্ডনে প্রথম ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৪ সালে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইইই) প্রতিষ্ঠিত হয়-তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশলীদের আন্তর্জাতিক সংগঠনের ২০০৯ সালে ১২৫ বছর পূর্তিতে আইইইর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশে আইইই বাংলাদেশ শাখা কাজ করে যাচ্ছে।
১৮৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর, রাস্তায় প্রথম মোটরগাড়ী চলাচল শুরু করে এবং গত ২০ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ সালে ১০০(একশত) বছর পালিত হয়। বিশ্বের প্রথম এ্যাসপিরিন জার্মান রসায়নবিদ ফেলিক্স হফম্যানের বাবা ১৮৯০ সাল থেকে বাতজ্বরে ভুগছিলেন। বাবার কষ্ট দেখে বিজ্ঞানী পুত্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন একটি ব্যাথানাশক ওষুধ তৈরীর চেষ্টা চালান। অবশেষে ১৮৯৭ সালে উইলো গাছের বাকল থেকে নিস্কাশিত স্যালিসাইলিক এসিড থেকে তৈরী করেন অ্যাসপিরিন নামের ব্যাথানাশক। অবশ্য দুই হাজার বছর ধরে ব্যথা নিবারণের জন্য উইলো আর বার্চ গাছের বাকলের সুনাম ছিল। তবে প্রথম বিশুদ্ধ স্যালিসাইলিক এসিড নিস্কাশন করেন ইতালির বিজ্ঞানি পিরিয়া, ১৮৩৮ সালে। ১৮৮৬ সালের ২৮ অক্টোবর, নিউইয়র্ক সিটির লিবার্টি দ্বীপে স্ট্যাচু অব লিবার্টি স্থাপন করা হয়। প্রকৌশলী ঃ ফ্রেডেরিক অগাষ্ট বার্থোন্ডি। কাঠামো প্রকৌশলী ঃ গুস্তাভ আইফেল। পাদমূলের প্রকৌশলী ঃ রিচার্ড মরিচ হান্ট। অবস্থান ঃ লিবার্টি দ্বীপ, নিউইয়র্ক সিটি। বিস্তৃতি ঃ ১২ একর। তদারককারী প্রতিষ্ঠান ঃ যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্ক সার্ভিস। ফ্রান্সে নির্মাণ শুরু ঃ ১৮৭৫। নির্মাণ শেষ ঃ জুন, ১৮৮৪। পরিবহন সম্পন্ন ঃ ১৮৮৫। পরিবহনকারী জাহাজ ঃ ফরাসি ফ্রিগেট ইসেরে। পরিবহনের সময়ে টুকরোর সংখ্যা ঃ ৩৫০। স্থাপন ঃ ২৮ অক্টোবর, ১৮৮৬। জাতীয় সৌধ হিসেবে স্বীকৃতি ঃ ১৫ অক্টোবর, ১৯২৪। পাদমূলের উচ্চতা ঃ ৮৯ ফুট। পাদমূল থেকে টর্চের উচ্চতা ঃ ১৫১ ফুট ১ ইঞ্চি। ভিত্তি ঃ ৬৫ ফুট। মাটি থেকে টর্চের উচ্চতা ঃ ৩০৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। গোড়ালি থেকে মাথার উচ্চতা ঃ ১১১ ফুট ৬ ইঞ্চি। হাতের দৈর্ঘ্য ঃ ১৬ ফুট ৫ ইঞ্চি। তর্জনী ঃ ৮ফুট ১ ইঞ্চি। এক কান থেকে আরেক কান ঃ ১০ ফুট। দুই চোখের দূরত্ব ঃ ২ ফুট ৬ ইঞ্চি। নাক ঃ ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। কোমর ঃ ৩৫ ফুট। মুখ ঃ ৩ ফুট। মুর্তিতে ব্যবহৃত তামা ঃ ২৭.২২ মেট্রিক টন। ব্যবহৃত স্টিল ঃ ১১৩.৪ মেট্রিক টন। মোট ওজন ঃ ২০৪.১ মেট্রিক টন। হাতে ধরা বই ঃ দৈর্ঘ্য ২৩ ফুট ৭ ইঞ্চি, চওড়া ১৩ ফুট ৭ ইঞ্চি, পুরুত্ব ২ ফুট। বইয়ে লেখা ঃ ৪ জুলাই, ১৭৭৬। মুকুটে জানালার সংখ্যা ঃ ২৫। মুকুটে কাঁটার সংখ্যা ঃ ৭। সাত কাঁটার অর্থ ঃ সাত মহাদেশ (মতান্তরে সাত সাগর)।
১৮৮৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, আমেরিকায় জার্মান অভিবাসী এমিল বার্লিনার গ্রামোফোন আবিস্কার করেন। ১৮৯৪ সালের ২৩ জুন, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯৪ সালে ইংল্যান্ডের রানি মেরি এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন। বাবা রাজা পঞ্চম জর্জ। শিশুটির নাম রাখা হলো এডওয়ার্ড। ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ রাজা। সেভাবেই বড় হচ্ছিলেন তিনি। সব ওলট-পালট হয়ে গেল ১৯৩০ সালে দুইবারের বিবাহিত মার্কিন মহিলা মিসেস সিম্পসনের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর। তাঁর মধ্যেই এডওয়ার্ড আবিস্কার করেন নিজের চূড়ান্ত গন্তব্য। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে এ মহিলাকেই তিনি বিয়ে করবেন। বাধা হয়ে দাঁড়ান গির্জা। বলা হলো, বিবাহিত মিসেস সিম্পসনকে বিয়ে করতে হলে এডওয়ার্ডকে সিংহাসনের মায়া ছাড়তে হবে। এডওয়ার্ড জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেন। দেখলেন, একদিকে সূর্য অস্ত যায় না এমন সাম্রাজ্য, আর অন্যদিকে সাধারণ এক নারী তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। তাঁকে একটি বেছে নিতে হবে। তিনি সাধারণ নারীটিকেই বেছে নিলেন এবং ১৯৩৬ সালে লেডি সিম্পসনের হাত ধরে বাকিংহাম প্রাসাদ ছেড়ে সাধারণ মানুষের মতো রাস্তায় নেমে এলেন। ১৮৯৫ সালের ৮ নভেম্বর, দর্শনে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী এবং গণিত আর পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক উইলিয়াম রন্টজেন ক্যাথড রশ্মি নিয়ে পরীক্ষা চালানোর সময় এক্স-রে মেশিন আবিস্কার করেন। তিনি এর নাম দেন এক্স-রে বা এক্স-রশ্মি দেন। ১৮৯৬ সালের ৫ জানুয়ারি, সর্বপ্রথম এক্সরে মেশিন  প্রদর্শণ করেন।
১৮৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর, বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল তার সকল সম্পত্তি উইলের মাধ্যমে ‘নোবেলম্ব’ পুরস্কারের জন্য দান করে যান। ১৯০১ সালের ১০ ডিসেম্বর, আলফ্রেড নোবেলের অন্তিম ইচ্ছে অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। ১৮৯৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর, ফ্রান্সের দুইভাই সিনেমা আবিস্কার করে। ১৮৯৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর, প্যারিসে বিশ্বের প্রথম চলচ্চিত্র জনসম্মুখে প্রদর্শিত হয়। ১৯০৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর, বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দি কেলিং গ্যাং’ সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে প্রদর্শিত হয়। ১৮৯৬ সালে গ্রীসে প্রথম বিশ্ব অলিমúিক শুরু হয়। ১ম অলিম্পিক ঃ ১৮৯৬ (এথেন্স, ৬ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত)। ১৮৯৬ সালে ১৩টি দেশের ৩০০ অ্যাথলিট অংশ নিয়েছিলেন ৯টি ইভেন্টে। ২০০৪ সালের ১৩ আগষ্ট, আবার ১০৮ বছর পর এথেন্সে ২৮তম অলিম্পিকের আসর শুরু হচ্ছে। এখন দেশের সংখ্যা বেড়ে ২০২টি, ৩৭টি ইভেন্টে-এ ৩০১টি স্বর্ণ পদকের জন্য লড়াইয়ের সংখ্যা ১২(বার) হাজারেরও বেশি অ্যাথলেট। ম্যারাথন দৌঁড়ের অর্থ ৪২.১৯৫ কিলোমিটার দূরত্বকে বুঝায়। ৪২.১৯৫ কিলোমিটার সমান ২৬.৩৭ মাইল।  ১৮৯৭ সালের ৮ জুলাই, আঙ্গুলের ছাপের সাহায্যে প্রথমবারের মতো অপরাধী শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৮৯৭ সালের ২২ মে, টেমস নদীর তলদেশে ব্ল্যাকওয়াল টানেল আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয়। ১৮৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর, পিয়েরে কুরি ও মেরি কুরি রেডিয়াম আবিস্কার করেন। বিশ্বের প্রথম তেজস্ক্রিয় পদার্থ বা প্রথম তেজস্ক্রিয় মৌল পোলোনিয়ামের আবিস্কারক মেরি কুরি (১৮৬৭-১৯৩৪)। তাঁর দেশ পোল্যান্ডের নাম অনুসারেই এ মৌলটির নামকরণ করা হয়েছে। তিনি এবং তাঁর ফরাসি স্বামী পিয়েরে কুরি ১৮৯৮ সালে প্যারিসে খনিজ পিচবেøন্ড থেকে পোলোনিয়াম নিস্কাশন করেন। পরে, একই বছর, তিনি রেডিয়াম নামের আরেকটি তেজস্ক্রিয় মৌল আবিস্কার করেন। ১৮৯৯ সালের ৯ অক্টোবর, লন্ডনে প্রথম পেট্রোলচালিত মোটর যান চলাচল শুরু।
১৯০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লিভারমুরে একটি ফায়ার হাউসে (দমকলবাহিনীর কার্যালয়) গেলে এ বাল্বের দেখা মিলবে। ওই ফায়ার হাউসের ইঞ্জিনঘরে প্রায় ১৮ ফুট উঁচুতে ১৯০১ সাল থেকে জ্বলছে এ বাল্ব। শতবর্ষী মানুষ. শতবর্ষী গাছ, শতবর্ষী ভবনের কথা শোনা যায়। কিন্তু শতবর্ষী বৈদ্যুতিক বাল্ব আছে কি, যা দিনের পর দিন জ্বলছে? আছে। শতবর্ষী এক বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলছে তো জ্বলছেই। এ বাল্বটি ১৯৭৬ সালে মাত্র ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। ২২-০৬-২০১১ তারিখও বাল্বটি জ্বলছে। ১৯০২ সালে বিশ্বের প্রথম ফ্যাক্স জার্মানির আর্থার কর্ন এক ধরনের ফটোটাইপ পদ্ধতির আবিস্কার করেন এবং দুই বছরের চেষ্টার পর ১৯০৪ সালে মিউনিখ থেকে নুরেমবার্গে ছবি পাঠাতে সফল হন। এর মাধ্যমে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের গ্রাহক যন্ত্রে বর্ণ কিংবা ছবি পাঠানো যেত। আন্তর্জাতিকভাবে সর্বপ্রথম ফ্যাক্স ব্যবহার করে লন্ডনের দৈনিক মিরর পত্রিকা। পত্রিকাটি প্যারিস থেকে ফ্যাক্সযোগে প্রাপ্ত ছবি ছাপে ১৯০৭ সালে। ১৯০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, রাইট ভ্রাতৃদ্বয় তাঁদের নির্মিত উড়োজাহাজের সফল উড্ডয়ন ঘটান। এরা দুই-ভাই বিমান উৎপাদন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।  ১৯০৪ সালের ২২ জুন, আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের (ফিফা) জন্ম। ১৯০৭ সালের আগষ্ট মাসে, স্কাউট আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালের আগষ্ট মাসে  স্কাউটের শতবর্ষ পূর্তি পালিত হয়। ১৯০৯ সালের ১১ আগষ্ট, বেতারে বিপদ বার্তা এসওএস-এর ব্যবহার শুরু। ১৯১১ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, ফরাসী বৈমানিকের পরিচালনায় বিশ্বে প্রথম বিমানে ডাক পরিবহন শুরু। ১৯১১ সালে রোয়াল্ড আমাগুসেন কর্তৃক দক্ষিণ মেরু আবিস্কার। ১৯১২ সালের ২৯ মার্চ, সুমেরু অভিযাত্রী রবার্ট স্কটের মৃত্যু।
১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল, সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কে যাওয়ার সময় সবচেয়ে বড় ‘টাইটানিক’ জাহাজটি ১৫ এপ্রিল, মধ্যরাতে ২,২০০ জন যাত্রী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে একটি হিমশৈলে ধাক্কা লাগার পর ‘টাইটানিক’ ডুবে যায়। সে সময় বিলাশবহুল এ ব্রিটিশ জাহাজটির ২২শ’ যাত্রীর মধ্যে ৭শ’ ১১ জনের প্রাণরক্ষা পায়। ১৫০ জন যাত্রীকে স্কয়াড্রন সমুদ্র সৈকতে সমাধী করা হয়। নির্মাতা বিখ্যাত স্টার লাইন কো¤পানী দাম্ভিকতার সাথে বলেছিল-এ জাহাজ কোনদিন ডুববে না এবং এর কোন পরীক্ষামূলক কাজ স¤পন্ন করারও প্রয়োজন নেই। চলে গেলেন টাইটানিকের শেষ সাক্ষী মিলভিনা ডিন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ৩১-০৫-২০০৯ তারিখ মিলভিনা ডিন ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারে একটি বৃদ্ধাশ্রমে ঘুমের মধ্যে তিনি মারা গেছেন। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল, মিলভিনা ডিনের বয়স ছিল ৬৩ দিন। নাবিকদের ভুলেই টাইটানিক ডুবেছে। ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই, সার্বিয়ার বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরীর যুদ্ধ ঘোষণা। ১৯১৪ সালের ৩০ জুলাই, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু, শেষ হয় ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর। ১৯১৪ সালে প্রথমবারের মত পাসপোর্টে ছবির ব্যবহার  শুরু হয়। ১৯১৪ সালে স্বাধীন দেশের সংখ্যা ছিল ৫২টি; ১৯৪৬ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪টি; ২০১১ সালে ১৯৩টি। পৃথিবীর দেশের সংখ্যা ২৩৩টি। আর জাতির সংখ্যা হলো ২০০টি। ১৯১৪ সালের ২৭ নভেম্বর, বৃটেনে প্রথম বারের মতো মহিলা পুলিশ নিয়োগ।
১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রথম ট্যাংক এবং বিমানও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় কোনো ক্যামেরা না থাকায় সেনারা নিজ হাতেই যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি আঁকত-কীভাবে কোন পথে তারা সেখানে জড়ো হবে সেটা ঠিক করার জন্য। ১৯১৯ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি, লীগ অব নেশনসের প্রথম অধিবেশন শুরু। ১৯১৯ সালের মার্চ মাসে ফরাসি উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফারমান বিশ্বের প্রথম বিমান যাত্রীসেবা উড়োজাহাজে করে সর্বপ্রথম আকাশ পথে যাত্রী পরিবহণ করে। কিন্তু এর আগে আকাশপথে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো পরিবহণ ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু জীবিকার তাগিদে ভ্রমণ কিংবা বাণিজ্যের প্রয়োজনে মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন। ১৯১৯ সালের ২২ মার্চ, প্যারিস ও ব্রাসেলসে সাপ্তাহিক বিমান সার্ভিস উদ্ধোধনের মধ্য দিয়ে বিশ্বে প্রথম আন্তজার্তিক বিমান সার্ভিস চালু হয়। ১৯১৯ সালের ৬ জুলাই, বিশ্বের প্রথম বিমান-ব্রিটিশ আর-৩৪ এর আটলান্টিক অতিক্রম। ১৯১৯ সালে জন এলকক ও আর্থার ব্রাউন প্রথম বিরতিহীন বিমান চালিয়ে আটলান্টিক অতিক্রম করেন। এতে তাঁদের সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে ১৬ ঘন্টা। ১৯১৯ সালের ২৫ আগষ্ট, লন্ডন ও প্যারির মধ্যে প্রথম বিমান চলাচল শুরু হয়। ১৯১৯ সালের ১৯ এপ্রিল, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৯ সালের ২৮ এপ্রিল, লীগ অফ নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৯ সালের ২৮ জুন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে মিত্রশক্তি ও অক্ষশক্তির মধ্যে ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯২০ সালে পিটার্সবার্গ শহরে পৃথিবীর প্রথম নিয়মিত বেতার কেন্দ্র চালু হয়। ১৯২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ইংল্যান্ডে মার্কনির নিয়মিত বেতার স¤প্রচার শুরু। ১৯২৬ সালে বিশ্বের প্রথম হৃদযন্ত্রের পেসমেকার স্থাপন করা হয়েছিল। এর আবিস্কারক ছিলেন ক্রাউন স্ট্রিট ওমেনস হসপিটালের এক নাম না জানা ডাক্তার। মূলত এর প্রশ্নবিদ্ধ নৈতিকতা ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার ভয়ে নাম প্রকাশ করেননি। আজও আমরা তাঁর আবিস্কারের সুফল ভোগ করছি। কিন্তু মূল আবিস্কারক তাঁর নাম প্রকাশ না করায় তিনি যন্ত্রটি আবিস্কারের স্বীকৃতিও পাননি। ১৯২৬ সালে বিশ্বের প্রথম টেলিভিশন আবিস্কার করেন স্কটিশ বিজ্ঞানী জন লুগি বেয়ার্ড ও তার দল সর্বপ্রথম লন্ডনে জনসমক্ষে টেলিভিশন স¤প্রচারে সফল হন। তখনকার ছবি ছিল সাদাকালো। তবে একই বছর তারা রঙিন ফিল্টার ব্যবহার করে টেলিভিশন রঙ্গিন ছবি স¤প্রচারেও সক্ষম হন। রাশিয়া, পশ্চিম ইউরোপ, ব্রিটেন ও আমেরিকার বেশ কিছু বিজ্ঞানী একই সময় টেলিভিশন তৈরীর জন্য কাজ করছিলেন। তবে সর্বপ্রথম স্কটিশ উদ্ভাবক জন লুগি বেয়ার্ড ও তাঁর দল ১৯২৬ সালে টেলিভিশন আবিস্কার করেন। ১৯২৯ সালে বিবিসি‘র প্রথম পরীক্ষামূলক টেলিভিশন স¤প্রচার শুরু। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্ব কাপ ফুটবল খেলা শুরু হয়। ১৯৩৫ সালের ৩০ জুলাই, বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘পেঙ্গুইন’ প্রথম বইয়ের প্রকাশনা উৎসব পালন করে। ১৯৩৬ সালের ২৫ মে, নিগ্রো ক্রীড়াবিদ জেসি ওয়েনস বার্লিন অলিম্পিকের ৫টি বিশ্ব রেকর্ড ভঙ্গ করেন। ১৯৩৬ সালে বার্লিনে টেলিভিশনে একটি ফুটবল ম্যাচ প্রথমবারের মত দেখায়।
১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ব হয় জার্মানীর পোলান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে; শেষ হয়-১৯৪৫ সালের ৯ মে, জার্মানীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অবসানে বিশ্বব্যাপী বিজয় উৎসব পালিত হয় এবং ১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর, জাপানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ৭০তম বার্ষিকীতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল জার্মান টেলিভিশনে বলেন, ‘জার্মানি পোলান্ডে হামলা চালিয়েছে, জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করেছে। আমরা বিশ্বের অন্তহীন দুর্ভোগের কারণ ছিলাম। যার ফলাফল ছিল ছয় কোটি মানুষের মৃত্যু।’ বিবিসি ও এএফপি। ১৯৩৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু, শেষ হয় ০৯-০৮-১৯৪৫ তারিখ। ১৯৪১ সালের ১ জুলাই, সর্বপ্রথম টেলিভিশনে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয় ২০ সেকেন্ডে নয় ডলার দরে। ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে বিশেষত যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপের পুনর্গঠনকে সামনে রেখেই জাতিসংঘের প্রস্তাবে বিশ্বব্যাংক বা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে এশিয়া এবং আফ্রিকান দেশগুলো বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন সহায়তা না পেলেও ১৯৬০-এর দশক থেকে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন ঋণ সহায়তা স¤প্রসারিত হয় এবং আশির দশক থেকে বিশ্বব্যাংক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের কথা বলে সুনির্দিষ্ট প্রকল্পসমূহে অর্থনৈতিক ঋণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ১৯৪৪ সাল থেকে বিবিসির খবর সারা পৃথিবীব্যাপী প্রচার করা হয়।
১৯৪৫ সালের ৬ আগষ্ট, জাপানের হিরোশিমা নগরীতে ‘‘লিটল বয়’’ নামে ২০ হাজার টনের পারমাণবিক বোমার আঘাত হেনেছিল আমেরিকা। ৬ আগষ্ট, হিরোশিমা দিবস। হিরোশিমা-আক্রমণের আগে লোকসংখ্যা-দুই লাখ ৫৫ হাজার। আহত-৬৯ হাজার-তাৎক্ষণিক মৃত্যু-৬৬ হাজার-পরবর্তী সময়ে মৃতের সংখ্যা (১৯৪৫ সালের শেষ পর্যন্ত) ৭৪ হাজার। মোট মৃত্যু (১৯৫০ পর্যন্ত) প্রায় দুই লাখ। ১৯৪৫ সালের ৯ আগষ্ট, জাপানের নাগাসাকিতে ‘‘ফ্যাট ম্যান’’ আমেরিকার দ্বিতীয় আণবিক বোমা বর্ষণ। নাগাসাকি-আক্রমণের আগে লোকসংখ্যা-এক লাখ ৯৫ হাজার। আহত-২৫ হাজার। তাৎক্ষণিক মৃত্যু-৩৯ হাজার-পরবর্তী সময়ে মৃতের সংখ্যা (১৯৪৫ সালের শেষ পর্যন্ত) ৪১ হাজার। মোট মৃত্যু (১৯৫০ পর্যন্ত) প্রায় ৮০ হাজার। ১৯৪৫ সালে জাতিসঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৫ সালের ৩ অক্টোবর, বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালের ৪ নভেম্বর, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালের ১১ ডিসেম্বর, ইউনিসেফ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ‘আই.এল.ও.’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫২ সাল থেকে বিশ্বে প্রথম বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ১৯৫৩ সালের ২৯ মে, নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগেকে নিয়ে ও নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী স্যার এডমন্ড হিলারি সর্বপ্রথম পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেষ্ট জয় করেন। শুক্রবার (১১-০১-২০০৮ তারিখ) এভারেষ্ট প্রথম বিজয়ী স্যার এডমন্ড হিলারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
১৯৫৫ সাল থেকে প্রতিবছর বার্ষিকী হিসেবে সারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবাদ সংকলণ করে যে বই সেটিই ‘‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’’ নামে পরিচিতি। বিশ্ব রেকর্ড করেছে এমন রেকর্ড এ বইয়ে স্থান পায়। বিশ্বের ৩১টি ভাষায় গিনেস বুক অণুদিত হয়। গিনেস বুকের হেড অফিস লন্ডনে। ১৯৫৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর প্রতিষ্ঠা। ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, দারিদ্র্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আসন্ন সিঙ্গাপুর সম্মেলনকে সামনে রেখে ০৪-০৯-২০০৬ তারিখ এক সেমিনারে বক্তারা দারিদ্র্য বিমোচনে এ দু’টি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার ভূমিকা ও কর্মকান্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। ১৯৬০ সালে বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোন সার্ভিস (প্রথমদিককার মোবাইল ফোনগুলো প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের কাজের একটা বিশেষ সহায়ক যন্ত্র হিসেবেই ব্যবহৃত হতো)  বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সর্বসাধারণের জন্য সর্বপ্রথম-এর প্রচলন হয়। সেবারই প্রথম ফ্রান্সের সরকারি রেল পরিবহন সংস্থা তাদের এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোয় সম্ভান্ত যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন সরবরাহ শুরু করে। ১৯৬০ সালের ২০ জুলাই, সিংহলের মিসেস শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে বিশ্বের সর্বপ্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।    ১৯৬৩ সালের ১০ জানুয়ারি, লন্ডনে বিশ্বের প্রথম পাতাল রেল চালু হয়।
১৯৬৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ছোট ল্যাবে দুটো কমপিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন। ১৯৭০ সালে এর নাম দেয়া হয় ইন্টারনেট। ১৯৭২ সাল নাগাদ তা দাঁড়ায় ৩২টিতে। পরবর্তীতে ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে নেটওয়ার্কটি পুর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব জুড়ে। ১৯৭১ সালের ১৩ জুন, অস্ট্রেলিয়ার জেরাতিন ব্রডরিক একসঙ্গে ৯টি শিশু জন্ম দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেন। এর মধ্যে ৫টি পুত্র ও ৪টি মেয়ে। ১৯৭৫ সালে বিশ্ব কাপ ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। ১৯৭৬ সালের ২০ জুলাই, মার্কিন নভোযান ভাইকিং মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করেন। ১৯৭৬ সালের আগষ্ট মাসে-মন্ট্রিল অলিম্পিকের আগ পর্যন্ত জিমনেস্টিকসে কোনো পুরুষ কিংবা মহিলা প্রতিযোগীই পূর্ণ দশ বা পারফেক্ট টেন স্কোর করতে পারেননি। তার পরই এল চার ফুট ১১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য আর ৮৬ পাউন্ড ওজনের এক বালিকা-নাদিয়া কোমানিচি। ১৪ বছরের এ রোমানিয়ান প্রতিযোগী বিচারকদের এতটাই আচ্ছন্ন করে ফেললেন যে তাঁরা বাধ্য হলেন, অলিম্পিক ইতিহাসের প্রথম প্রতিযোগী হিসেবে নাদিয়াকে পারফেক্ট টেন বা দশে দশ দিতে। এ আসরেই আরও ছয়বার পারফেক্ট টেন স্কোর করলেন এ বিস্ময় বালিকা। ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই, মাতৃগর্ভের বাইরে প্রথম নবজাতক ভ্রণ শিশুর জন্ম। ১৯৭৮ সালে বিশ্বের প্রথম সিডি জাপানের সনি করপোরেশন ও হল্যান্ডের ফিলিপস কোম্পানি যৌথ প্রচেষ্টায় সর্বপ্রথম কমপ্যাক্ট ডিস্ক বা সিডি উদ্ভাবিত হয়। সিডি তৈরির প্রযুক্তি উন্নয়ন ১৯৭৮ সালে সম্পন্ন হলেও ১৯৮২ সালে জাপানের খোলাবাজারে এটি বাণিজ্যিকভাবে বিপণন শুরু হয়। সিডিতে ধারণকৃত গান শোনার যন্ত্রও বাজারে ছাড়া হয় একই সময়ে। সিডি অল্প সময়ের মধ্যে গ্রামোফোন রেকর্ডের জায়গা দখল করে নেয়।
১৯৮১ সালে পৃথিবীতে প্রথম এইড্স বা এইচ. আই. ভি’র জীবানু ধরা পড়ে। ১৯৮২ সালে গিনেস রেকর্ড অনুযায়ী পৃথিবীর দীর্ঘজীবী প্রাণী ছিল ২২০ বছর বয়সী একটি ঝিনুক। অবশ্য বেসরকারিভাবে আইসল্যান্ডের জাদুঘরে আরও একটি ঝিনুকের সন্ধান পাওয়া যায়, যার বয়স ছিল ৩৭৪ বছর। তবে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়সী প্রাণী হচ্ছে মিং, যার বয়স আনুমানিক ৪০৫ থেকে ৪১০ বছর। ছোট্ট টেপ রেকর্ডার আকৃতির এ সামুদ্রিক ঝিনুকটির খোঁজ পাওয়া গেছে আইসল্যান্ডের সমুদ্র উপকুলে। ধারনা করা হয়, চীনে যখন রাজতন্ত্র, তখন এর জন্ম। রানি প্রথম এলিজাবেথের শাসন এবং শেক্সপিয়ারকে নাটক ওথেলো ও হ্যামলেট লিখতে দেখতে দেখতে কেটেছে তার শৈশব। তবে মিং’ই সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকার রেকর্ড অর্জন করেছে-এ পৃথিবীতে। ১৯৮৫ সালের ১৯ জুলাই, ইংল্যান্ডে একটি ঘোড়া ৩০-জন মানুষকে টেনেছিল। ১৯৮৫ সালের ৩০ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট-জাতিসংঘ তথ্য স্বীকৃতি, বিশ্বের যে পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় উহার অর্ধেক নারীর পরিশ্রমের ফসল। ১৯৮৭ সালের ৩ ডিসেম্বরের রিপোর্ট-পৃথিবীতে ১৬ লক্ষ ৩৪ হাজার প্রজাতির পাখি এবং ২ কোটি ৫০ হাজার প্রজাতির বৃক্ষের জন্ম হয়েছে। তারমধ্যে ৮,৫৮০ প্রজাতির পাখি এবং ১০,০০০ প্রজাতির বৃক্ষ বেঁচে আছে। ১৯৮৮ সালের ৫ জুনের রিপোট-বিশ্বে পুরুষ-স্ত্রীলোকের অনুপাত ৪৮ ঃ ৫২। ১৯৮৮ সালের ৫ আগষ্টের সংবাদ ঃ মহিলারা পৃথিবীতে ৬৭% কাজ করে এবং পুরুষরা বাকি ৩৩% কাজ করে। তবু পুরুষ বলে যে, মহিলারা কোন কাজই করে না। ১৯৯৮ সালের ২৭ জুনের তথ্য ঃ পারমাণবিক বোমার চেয়েও মারাত্মক বোমা দারিদ্র। ১৯৯৮ সালের ২২ অক্টোবরের তথ্য-বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সন্তান জন্ম দেয়, ৬৯(উনসত্তর)     সন্তানের জননী মস্কোর বাসিন্দা। ২০০৩ সালের ৬ মে, হ্যালো ইন্ডিয়াতে দেখানো হয় যে, ভারতের মনিকা শর্মা ১১ মাসে ৮২ কেজি ওজন কমান। বিশ্বে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস আছে যে, ১১ মাসে ৫০ কেজি ওজন কমানোর রেকর্ড। সে বর্তমানে রোজ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার রাস্তা হাটাহাটি করে। ২০০৬ সালের ১ আগষ্ট, ভারতের উত্তর প্রদেশের নীলাসর গ্রামের বিরমা রাম ৮৮ বছর বয়সে পুত্র সন্তান জন্ম দিলেন।
২৫০০-২০০০ খৃষ্টপূর্ব ভারতে বৈদিক সাহিত্যের চর্চা। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ সালে হিন্দু ধর্মের জন্ম। ৩২৭ খৃষ্টপূর্ব আলেকজান্ডারের ভারত-অভিযান। ৩২২ খৃষ্টপূর্ব চন্দ্রগুপ্তের সিংহাসনে আরোহণ। ২৭৩ খৃষ্টপূর্ব অশোকের সিংহাসনে আরোহণ। ৫৭ খৃষ্টপূর্বের ২৩ ফেব্রæয়ারি, রাজা বিক্রমাদিত্য শক রাজাকে পরাজিত করেন। ৩১৯ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য পাটলীপুত্রের সম্রাট হিসেবে কার্যভার গ্রহণ। ৩৮০ সালে বিক্রমাদিত্যের সিংহাসন লাভ। ৬২৯ সালে হিউ-এন-সাং-এর ভারতে আগমন। ৬৩২ সালের ১৬ জুন, ইরান ও ভারতীয় পারসিক সমাজে প্রচলিত জোরাস্তীয় পঞ্জিকা প্রবর্তিত হয়। ৭১২ সালের ২ জুলাই, রাওয়ার যুদ্ধ, মুহাম্মদ বিন ইবনে কাশিমের সিন্ধু বিজয়। ৭১২ থেকে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত ভারতবর্ষ পরাধীন ছিল। এ দীর্ঘসময় তাদের অতিবাহিত হয়েছে মুসলিম ও ইংরেজ শাসকদের অধীনে। ৭১২ সালের ২ জুলাই থেকে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুনের আগ পর্যন্ত ভারতবর্ষে মুসলমানের শাসন ছিল। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন থেকে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত ছিল ভারতবর্ষে ইংলিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজ রাজ শক্তির শাসন। ১৯৪৭-পূর্ব দীর্ঘ এ দু’কাল মিলে ১২শ’ বছরের অধিককাল ভারতবর্ষ পরাধীন ছিল। ১০৫২ সালে রাজপুতরা লালকেল্লা (জবফভড়ৎফ) নামে দুর্গ শহর গড়ে তুলেছিল দিল্লীতে। ১১৯২ সালে মুসলিম সুলতান শেহাবউদ্দীন মোহাম্মদ ঘোরীর সেনাপতি সে দুর্গ অধিকার করে কায়েম করেন সুলতানী শাসন। ১৩৯৮ সালে দুর্ধর্ষ আক্রমণকারী চেংগীজ খাঁ’র আক্রমণে ও লুন্ঠনে লন্ডভন্ড হয় দিল্লী। ১৬৩৮ সালে নির্মাণ করেন চারদিক ঘিরে সুউচ্চ  প্রস্তর প্রাচীর এবং প্রাচীর  অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠা করেন সুবিখ্যাত লালকেল্লা (জবফভড়ৎফ)। রেডফোর্ডের সম্মুখভাগে, অদূরে ১৬৪৪-৫৮ সালে সম্রাট শাহজাহান নির্মাণ করেন এ জামে মসজিদ। ১৬৪৮ সালের ১৩ মে, মুঘল সম্রাট শাহজাহান দিল্লীতে লালকেল্লার নির্মান কাজ শুরু করেন। ১৬৩১ সালে শাহজাহানের প্রিয়তম স্ত্রী মমতাজমহল সন্তান জন্মদানের সময় মারা গেলে আগ্রার যমুনা নদীর তীরে তাঁকে সমাহিত করা হয় এবং সিদ্ধান্ত হয় তাজমহল গড়ার। আজও তাজমহল দুনিয়াজুড়ে প্রতীক হয়ে আছে প্রেম-ভালোবাসার। তাজমহল পরিদর্শনে এখন টিকিটের প্রয়োজন হয়। ১৬৫৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, তাজমহল নির্মাণ করা হয়। ১৬৫১ সালে শাহ্ সুজা ইংরেজদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যে সনদ দান করেন তা-ই তার শেষ পরিণতি। ১৭৩৯ সালে নাদীর শাহ কর্তৃক লুন্ঠিত হয় দিল্লী। তিনি ময়ূর সিংহাসন ও কোহিনূর মনি নিয়ে যান নিজ দেশ পারস্যে। (১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ মানে প্রথম আজাদী লড়াই ব্যর্থ হওয়ার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ ব্রিটিশ শাসন। ১৯১২-১৯৩১ পর্যন্ত পুরানা দিল্লীই থাকে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী। নয়াদিল্লী নির্মাণ সমাপ্ত হলে সেখানে হয় রাজধানী স্থানান্তরিত। যে স্থানটিতে ক্রীড়াকেন্দ্র সেখানে শ্বেতাঙ্গ শাসকদের দিল্লী দরবার বসেছিল ১৮৭৭ সালে, ১৯০৩ সালে ও ১৯১১ সালে। ওই লালকেল্লায় ১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়াকে ঘোষণা করা হয়েছিল ভারতসম্রাজ্ঞী। তারপর ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট, ইউনিয়ন জ্যাক হল চিরদিনের জন্য অবনমিত, অপসারিত। উড্ডীন হল স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা)। ১১৯৩ সালে সুলতান কুতুবউদ্দীন আইবেক দিল্লীতে প্রতিষ্ঠা করেন একটি মসজিদ। তার নাম দেন কুওতুল ইসলাম। এর ১৬০ ফুট দূরে শুরু করেন একটি মিনার নির্মাণের কাজ। কিন্তু শেষ করে যেতে পারলেন না কুতুবউদ্দীন। তাঁর ইন্তেকালের পর সুলতান হলেন তাঁর জামাতা ইলতুতমিশ। তিনিই সমাপ্ত করলেন নির্মাণ কাজ (১২৩১-৩২ খ্রি.) এবং তাঁর পীর হযরত কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকীর(রহ.) নামানুসারে নামকরণ করলেন ‘কুতুবমিনার’। স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন কুতুবমিনার। পৃথিবীর এ জাতীয় সুন্দরতম সৌধরাজির মধ্যে এটি একটি। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম স্মৃতিসৌধসমূহের মধ্যে কুতুবমিনার অন্যতম। এর উচ্চতা ২৪০ ফুট।
৯ম শতকের পূর্বে ঢাকাতে মানুষের বসবাস গড়ে উঠেনি। ইতিহাসবিদদের চোখে-সেদিনের ‘ডবাক’ই আজকের ঢাকা। সাড়ে পাঁচশ’ বছরের প্রাচীন জনপদ ‘ঢাকা’ আজ এক বিশাল নগরী। ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থল থেকে ১৩-কিলোমিটার উত্তরে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত এ মহানগরীর উত্থানের পেছনেও রয়েছে বিস্তৃত ইতিহাস। ১৪৩৩ সালে প্রথম ঢাকা মান্দা এলাকায় গণেসের ছেলে জালালউদ্দিন মোহাম্মদ শাহ-এর কর্মচারী শিকদার এ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এ মসজিদটি ঢাকার প্রথম মসজিদ। ১৪৫৬ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয় ‘‘নারিন্দায় বিনাত বিবি মসজিদ’’। তাঁর নাম মুসাম্মৎ বখত বিন। ১৪৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার নারিন্দায় এ মসজিদটি মরহামত কন্যা নির্মাণ করেন। বিনাত বিবির মসজিদের আগে ঢাকায় একটি মসজিদ ছিল। ১৪৫৬ সালে নারিন্দায় বিনত বিবির মসজিদ নির্মাণের পূর্ব থেকেই মুসলমানরা ঢাকা নগরীতে বসতি স্থাপন করেন। যতীন্দ্রমোহন রায়ের লেখা ‘ঢাকার ইতিহাস’ বৃহত্তর ঢাকা জেলা গেজেটিয়ার থেকে জানা যায়, ঢাকা নগরীতে অন্তত ১৪৫৬ খ্রির্ষ্টাব্দের আগে থেকেই মুসলমানগণ বসতি স্থাপন করেছেন। (১২৮২ সালে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ-দীন ঢাকার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলার রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন)। ১৬১০ সালে ইসলাম খাঁ কর্তৃক সোনারগাঁ থেকে রাজধানী বর্তমান ঢাকায় স্থানান্তরিত করেন এবং ঢাকা মোঘল রাজধানী ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু। ১৬২০ সালে মগ রাজাদের বন্দী করা হয়েছিল। এরা আরাকানী, এদেরই নামানুসারে ঢাকার মগবাজারের নামকরণ করা হয়। ১৬২৬ সালে মিডফোর্ড হাসপাতালের লেডিজ হোস্টেলের নিকট বুড়িগঙ্গা নদীর পারে ঢাকা শহরের ২য় মসজিদ তৈরী হয়। ১৬২৬ সালে “ছোটকাটারা” ও “বড়কাটারা”র প্রাসাদ তৈরী করা হয় বাদশা জাহাঙ্গীরের ঢাকা আগমণ উপলক্ষে। ১৬৪১ সালের ১৬ মার্চ, বঙ্গের সুবাদার শাহজাদা সুজা ঢাকায় ‘বড়কাটারা’ নামে বিশাল সরাইখানা নির্মাণ করেন। ১৬৪২ সালে ঢাকায় হোসনী দালান তৈরী করা হয় (শাহ শুজার নৌ-সেনাপতি মীর মুরাদ নামক এক ব্যক্তি এ ইমারত তৈরী করেছিলেন)। ১৬৪২ সাল থেকে ঢাকায় মহরমের তাজিয়া মিছিল মোঘল সুবাদার শাহ সুজার শাসনামলে-সুবাদারের নৌবাহিনীর তত্ত¡াবধায়ক শিয়া দরবেশ হিসেবে পরিচিতি সৈয়দ মির মুরাদ হজরত ইমাম হোসেন(রা.)-এর স্মৃতিস্মারক হিসেবে পুরান ঢাকায় নির্মাণ করেন হোসেনি দালান এবং এ হোসেনি দালানকে কেন্দ্র করেই শুরু করেন শোক পালন অনুষ্ঠান ও ইমাম হোসেনের প্রতীকী শরাধার অর্থাৎ তাজিয়া-সহযোগে শোভাযাত্রার। ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত হয় ইরান থেকে ধর্মপ্রচারার্থে আগত মুসলমানদের মাধ্যমে। ১৬৪২ সালে (বাংলা ১০৪৯ সালে) শ্যামপুরের ফরিদাবাদ এলাকার ৫৬ নম্বর পশ্চিম জুরাইনে মন্দিরটি অবস্থিত।
১৬৬৪ সালের ১৯ মার্চ, শায়েস্তা খাঁ বঙ্গের সুবাদার হিসেবে ঢাকায় আসেন। বাংলায় চলছিল কৃত্রিম খাদ্য সংকট। সায়েস্তা খাঁ বিভিন্ন রাজ্য পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি নিজের দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি ইতিহাসে স্থান করে নেন কিংবদন্তি পুরুষ হিসেবে। তৎকালীন মুগল সম্রাট জাহাঙ্গীর তখন মির্জা তালিবকে ‘‘শায়েস্তা খান’’ উপাধিতে ভূষিত করেন। শায়েস্তা খাঁর আমলে টাকায় ৮(আট) মণ চাল পাওয়া যেত। জনগণের মনে এখনো ‘‘শায়েস্তা খাঁর আমল’’ কথাটির ব্যবহার হয় জিনিসপত্র সুলভে প্রাপ্তির প্রবাদবাক্য হিসেবে। কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ীর কারণে বাজারে যখন ‘তোঘলিক কারবার’ (তোঘলকের শাসনকাল ছিল ১৩২৫ থেকে ১৩৫১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত)। ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দে নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ শাসনকার্যের সুবিধার্থে ঢাকা থেকে রাজধানী স্থানান্তরিত করে মকসুদাবাদে আনেন। এ মকসুদাবাদই পরবর্তীকালে নবাব দেওয়ান মুর্শিদ কুলি খাঁর নামানুসারে মুর্শিদাবাদ হয়।
ওলন্দাজরা-ইউরোপে তখন ভারতের মসলা সোনার চেয়েও দামি। সেই মসলার জন্যই পর্তুগিজদের দেখানো জলরেখা ধরে ভারতে যে দ্বিতীয় ইউরোপীয়দের আগমন, তারা হলান্ডবাসী। ঢাকায় তাদের আগমনের তারিখও অজানা। তারা কুঠি স্থাপন করেছিল মিটফোর্ড হাসপাতালের কাছে, ১৬৬৩ সালে। তেঁজগাওয়ে তাদের একটি বাগানবাড়িও ছিল। ওলন্দাজরা ব্যবসা-বাণিজ্যে সফল হতে পারেনি। টেলর উল্লেখ করেন ১৭৮৩ সালে ঢাকায় ৩২টি ওলন্দাজ পরিবার ছিল। ইংরেজদের কাছে তারা সহায়-সম্পত্তি তুলে দিয়ে ঢাকার পাঠ চুকিয়ে ফেলেন। নারিন্দায় খ্রিষ্টান কবরস্থানে ১৭৭৫ সালের কুঠিপ্রধান ডি ল্যাংহিটের কবরটিই এখন ঢাকায় একমাত্র স্মৃতিচিহৃ হিসেবে টিকে আছে।
ফরাসিরা-ঢাকায় ফরাসিদের স্মৃতি বহন করছে পুরান ঢাকার ফরাসগঞ্জ এলাকাটি। ঢাকার নায়েম নাজিম নওয়াজিশ খান ১৭২৬ সালে ফরাসিদের গঞ্জ বসানোর অনুমতি দিলে তারা একটি আবাসন গড়ে তোলে ফ্রেঞ্চগঞ্জ নামে। পরে লোকমুখে এর নাম ফরাসগঞ্জ। তবে এর আগেই ফরাসিদের ঢাকায় আবির্ভাব। প্রধানত মসলিন বস্ত্রের ব্যবসা করত তারা। ১৭৪২ সালে ঢাকা শহরে ফরাসিরা প্রথম ফরাসগঞ্জ বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। তবে তারা ইংরেজদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। পলাশীর যুদ্ধের পর এখান থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যায়।
পর্তুগিজরা-ইউরোপীয়দের মধ্যে ঢাকায় প্রথম এসেছিল পর্তুগিজরা। ভারতে আসার জলপথ আবিস্কারের কৃতিত্ব তাদেরই। ভাস্কো-দা-গামা কালিকট বন্দরে তাঁর জাহাজ ভিড়িয়েছিলেন ১৪৯৮ সালে। উদ্দেশ্য, ভারতের মসলা হাসিল করা। সেই পথ ধরে পরে ইউরোপের আরও অনেকের আগমন। ১৮৩২ সালে  ঢাকায় পর্তুগিজদের বাড়ি ছিল ৪১টি। ইসলামপুর, শরাফতগঞ্জ ও নবাবপুরে ছিল তাদের বসবাস।
ব্রিটিশরা ভারতে এসেছিল ১৬০০ সালে। ঢাকায় উপস্থিতি সম্ভবত ১৬৫৮ সালের দিকে বলেই ঐতিহাসিকরা মনে করেন। তাঁদের বাণিজ্যকুঠি স্থাপিত হয় শহরতলিতে, বর্তমানের তেজগাঁওয়ের খামারবাড়ি এলাকায়। টেলর উল্লেখ করেছেন, ঢাকায় প্রথম ১৬৬৬ সালে ইংরেজদের ফ্যাক্টরি স্থাপিত হয়েছিল। ব্রিটিশরা চেষ্টা করে সুবাদারের কাছাকাছি থাকতে। কয়েক বছরের মধ্যেই তারা বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুঠি স্থানান্তর করে এবং ১৬৭৮ সালে তারা নবাবকে নানা উপঢৌকন দেয়ার মাধ্যমে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার অনুমতি লাভে সমর্থ হয়। এর পরের ইতিহাস তো সবারই জানা।
আর্মেনিয়ানরা-যেমন ফরাশগঞ্জ, তেমনি আরমানিটোলা এবং সেকানকার প্রাচীন গির্জা, পোগজ স্কুল, রুপলাল হাউস ঢাকায় আর্মেনীয়নের স্বর্ণযুগের সাক্ষী দেয়। ঢাকায় গোড়ার গাড়ী চালুর কৃতিত্বও তাদের। ১৭৮১ সালে নির্মিত পুরান ঢাকার আরমানিটোলার আর্মেনি গির্জা।  সাড়ে সাত শ ফুট লম্বা চারটি দরজা ও ২৭টি জানালার এ গির্জা কালের প্রহারে আজ কিছুটা মলিন ও জীর্ণ। ওয়াইজের গ্রন্থ থেকে আরও জানা যায়, ১৮৭২ সালে সারা বাংলায় বসবাসরত ৮৭৫ জন আর্মেনীয়র ৭১০ জন কলকাতায় এবং ১১৩ জন ঢাকায় বাস করত। ১৮৭০ সালে আই. জি. এন. পোগোজের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার আর্মেনীয়দের সংখ্যা ছিল ১০৭, যাদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী ও ৪৮ জন শিশু। ১৮৮২ সালে আর্মেনিয়ান জি. এন. পোগজের নামে পোগজ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ১৪ আগষ্ট, ঢাকার শেষ আর্মেনীয়-মিখাইল মার্টিরোসেনের জন্ম ঢাকায়। উনিশ শতকের শেষ দিকে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দেয়। অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলে যায়।
গ্রিকরা-লবণ ও পাটের কারবার করে বেশ টাকাকড়ি করেছিল। ঐতিহাসিকদের মতে, ইউরোপীয়দের মধ্যে তারাই ঢাকায় এসেছিল সবার পরে। জেমস টেলর উল্লেখ করেছেন, কলকাতার গ্রিক স¤প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা আরগিরি ঢাকায় বসবাস করতেন এবং ১৭৭৭ সালে তিনি পরলোকগমণ করেন। তাঁর পরে অনেকেই আসে। তবে ১৮৩২ সালে ঢাকায় ২১টি পরিবার ছিল। রেসকোর্সের পার্শ্বে ছিল তাদের কবরস্থান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে একটি গ্রিক কবর তাদের স্মৃতিবাহী। ঢাকা ছাড়া নারায়নগঞ্জেও গ্রিকদের বসবাস ছিল। সেখানে ১৯৫৬ সালে র‌্যালি ব্রাদার্স নামের একটি পাটকল চালূ করেছিল র‌্যালি ভাইয়েরা।
ঢাকায় যেসব কাশ্মীরি ধনে-মানে খ্যাতি ও প্রতিপত্তি অর্জন করেছিল, তাঁদের মধ্যে ঢাকার নবাব পরিবার অন্যতম। এই পরিবারের আদি পুরুষ আবদাল হাকিম নবাব আলীবর্দী খানের সময়ে প্রথমে বসতি স্থাপন করেছিলেন সিলেটে। পরে তাঁরা ঢাকায় আসেন। লবণ ও চামড়ার কারবারে প্রভূত ধনসম্পদ অর্জন করেন। আবদাল হাকিমের ভাই আবদুল্লাহ সিলেট থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তাঁর পুত্র হাফিজুল্লাহ আর্মেনীয়দের সঙ্গে যৌথ কারবার করে বিত্তবৈভব বাড়িয়ে তোলেন এবং ১৮১২ সালে বাকেরগঞ্জে জমিদারি ক্রয় করেন। নিঃসন্তান হাফিজুল্লাহর পর উত্তরাধিকারী হন তাঁর ভাই খাজা আলিমুল্লাহ। তাঁর পুত্র আবদুল গনি। তাঁর পুত্র নবাব আহসানউল্লাহ। তাঁর পুত্র নবাব সলিমুল্লাহ।
চীনা ও অন্যান্যরা-চীনারা ঢাকায় জুতার ব্যবসায় বেশ অগ্রগতি লাভ করেছিল। মিডফোর্ড এলাকায় ছিল তাদের কারখানা। এ ছাড়া তারা লন্ড্রির ব্যবসায়ও নিয়োজিত ছিল। ইরানিরা ঢাকায় আসেন সপ্তদশ শতকে। ইরাকিরা এখানে এসেছিল প্রধানত দিল্লি থেকে। তারা মূলত শিয়া স¤প্রদায়ের। হোসনি দালান ইমামবাড়াকেন্দ্রিক তাঁদের স¤প্রদায়ের কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। ঢাকার বেনারসি কারিগরদের পূর্বপুরুষ এসেছিল ভারতের বেনারস থেকে। মিরপুরে তাঁদের প্রধান বসতি। তেলেগু স¤প্রদায়ের ঢাকা আগমন উনিশ শতকে। সায়েদাবাদ এলাকায় এখনো তাদের বংশধরদের বসবাস। রাজধানী হিসেবে ৪০০ বছরের মাইলফলক পেরিয়ে গেল এই শহর। ঢাকার প্রথম সেশন জজ শেরম্যান বার্ড।
 ১৭৭৭ সালে তৎকালীন ঢাকার জমিদার গোলাম নবী টিলার উপরে সুরম্য একতলা ইমারত নির্মাণ করেন। ১৭৮০ সালে ঢাকার বকশিবাজারের অরফ্যানেজ রোডে মাদরাসা-ই-আলিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮১৯ সালে তৈরি হয় ঢাকার জনসন রোডে সাধু থোমার ক্যাথেড্রাল গির্জা। ১৮৫৩ সালে ‘বিগ বেন’ ঘড়িটি তৈরি হয়েছিল লন্ডন শহরে। আর সাধু থোমার ক্যাথেড্রালের ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছিল ১৮৬৩ সালে। মজা করে কেউ কেউ ক্যাথেড্রালের ঘড়িটিকে ‘ইয়ংগার ব্রাদার অব বিগ বেন’ বলে ডাকেন। মানে বড় বেনের ছোট ভাই আরকি। ঘড়িটি নিয়ে ১৯০৮ সালে দি ইম্পেরিয়াল গ্যাজেট অব ইন্ডিয়ার জুলাই সংস্করণে লেখা হয়, ‘‘চার্চের চুড়ার ঘড়িটি ১৮৬৩ সালে বসানো হয়েছিল, যা কিনা লন্ডনের বিখ্যাত ‘বিগ বেন’-এর কারিগরদের দ্বারা প্র¯ত্ততকৃত।’’ ঘড়িটি নষ্ট এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। ১৮২৪ সালের ৪ জুনের ঘটনা লর্ড বিশপ রেজিল্যান্ড হেবার নৌকায় করে সুদূর কলকাতা থেকে ঢাকায় বেড়াতে এসেছেন। ঢাকায় নেমেই হাতির ডাক শুনে চমকে গেলেন এক বিদেশি অতিথি। ডায়েরিতে ঢাকায় বেড়ানোর স্মৃতি লিখতে গিয়ে হাতির কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি। বিশপ হেবার বেশ কদিন ছিলেন ঢাকায়। সদরঘাট হাতির ডাকে উচ্চকিত থাকত। কারণ বুড়িগঙ্গায় গোসল করাতে আনা হতো হাতির পাল। ১৮২৫ সালে ঢাকা জেলের কয়েদিদের লাগিয়ে তিন মাসের পরিশ্রমে রমনার জঙ্গল পরিস্কার করে স্থাপন করা হয় রেসকোর্স ময়দান। ১৮৩১ সালের জানুয়ারি মাসের এক সন্ধ্যায় লাহোরের বিখ্যাত ঘোড়া সরবরাহকারী জবরদস্ত খান ঢাকায় এসে উপস্থিত। সঙ্গে এনেছেন এক ডজন উচ্চ জাতের আরব্য ঘোড়া। পিতার উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অশ্ব অনুরাগের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করে ঢাকায় পেশাদারি ঘোড়দৌড় চালু করেছিলেন তদীয় পুত্র খাজা আবদুল গনি। এ রেসকোর্সের প্রবেশপথে ডস দুটি স্তম্ভ তৈরী করেছিলেন। এ গেটকে বলা হতো ‘রমনা গেট’। এ গেটটি এখনো অটুট অবস্থায় ঢাকার দোয়েল চত্বরের সামনে দেখা যায়। ১৮৭০ সালে রমনা রেসকোর্স গেট তৈরী হয়। রমনার কালীবাড়িটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনারা ডিনামাইট দিয়ে ধ্বংস করে দেয়। ১৮২৫ থেকে ১৮৩০ সাল পর্যন্ত ঢাকায় ছিলেন মি. ওয়াল্টার সাহেব ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর আমলে লোহারপুল তৈরী কাজ শুরু হয়েছিল ১৮২৮ সালে। দুই বছর লেগেছিল শেষ হতে। পুল তৈরির জন্য নির্মাণসমগ্রী এনেছিল ইংল্যান্ড থেকে। লোহারপুলের খ্যাতি কর্ণেল ডেভিডসন ১৮৪০ সালে ঢাকায় এসে লোহারপুল দেখতে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন পুল ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সৌন্দর্যে। ১৮৩৫ সালের ১৫ জুলাই, মিস্টার রিজ নামের এক ইংরেজ কলেজিয়েট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। জেমস টেলরের মতে, ১৮৪০ সালে এ দেশের বস্ত্রশিল্প যখন ধ্বংসের মুখে, তখনো ৩৬ রকম কাপড় বুনন হতো ঢাকায়। এরমধ্যে বেনারসি অবশ্যই ছিল। তবে তা একবারেই স্বল্প পরিসরে। ১৯৪৩ সালে পুরান ঢাকার মালিটোলা, দক্ষিণ মুহসেন্দি, ভজহরি সাহা স্ট্রিটের অল্পকিছু পরিবারই শুধু যুক্ত ছিল বেনারসি বুননের সঙ্গে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারতের বেনারস থেকে ব্যাপকসংখ্যক মুসলিম মোহাজের ঢাকায় এসে যখন বসতি স্থাপন করে, তখন প্রধানত মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে বেনারসি তৈরি হতো।
১৮৪০ সালে কলকাতা থেকে ডেভিডসন ঢাকায় বেড়াতে এসেছিলেন। লিখেছেন ‘খুব সবুজ এবং সুন্দর রেজিমেন্টের সব অফিসারের মধ্যে একজন বা দু’জন থাকেন সেনানিবাসের ভেতরে। বাকীরা জ্বরে ভুগে বা জ্বরের ভয়ে থাকেন শহরে। সেনানিবাসের পাশে আছে বেশ বড় এক জলাভূমি যা মারাত্মক ম্যালেরিয়ার উৎস।’ পল্টনে আরও বেশ কটি বড় পুকুর ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। ১৮৪০ সালের দিকে জনস্বার্থে সেনানিবাস পুরানা ও নয়াপল্টন থেকে (পর্যায়ক্রমে রমনা থেকে লালবাগ ও মিরপুরে সেনানিবাসটি স্থানান্তর করা হয়েছিল বলে ঐতিহাসিককেরা উল্লেখ করেছেন)  সরিয়ে নেওয়া হলেও এর নাম পল্টন থেকে যায়। ১৮৬০ সালে ঢাকা এসে জর্জ গ্রাহাম নামের এক সিভিলিয়ান পল্টনকে দেখেছেন একটা ‘ম্যালেরিয়া পরিত্যক্ত সেনানিবাস’ হিসেবে। এরপর এলাকাটি ঢাকা পৌরসভার অধীনে চলে আসে। মুনতাসীর মামুনের বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৮৭৪ সালে ঢাকায় নবাব খাজা আহসান উল্লাহ ৮০ বিঘা জমি পত্তন নিয়ে বাগান করেন, যা দিলকুশা হিসেবে নতুন নামকরণ হয়।  কোম্পানি বাগিচা থেকে সেগুনবাগিচা বলে, তার আদি পরিচয় ছিল ‘কোম্পানি বাগিচা’ নামে। এই খালি মাঠটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। একসময় ফুটবল খেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠলে মাঠটিতে খেলাধুলা শুরু হয়। পাকিস্তান আমলে সেখানে একটি স্টেডিয়াম গড়ে তোলে সরকার। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে এবং ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময় মওলানা ভাসানীর বিখ্যাত জনসভাগুলোর স্থান হিসেবে পল্টন ময়দান বাঙালির রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে পল্টন ময়দান গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকা ভরাট করে তিনি বিরাট মাঠ নির্মাণ করেন। কোম্পানি বাগান থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। সবুজ পল্টন এখন দূর অতীতের স্মৃতিমাত্র। ১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর, ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫০ সালের আগে এলাকাবাসীর পানির সমস্যা সমাধানের জন্য বংশালের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও জমিদার হাজি বদরুদ্দীন ভুট্টো নিজ জমিতে পুকুর খনন করেন ৬-বিঘা জমির ওপর। এ কারণে পুকুরটি ভুট্টো হাজির পুকুর হিসেবেও পরিচিত। এখনো পুকুরটি টিকে আছে। ১৮৫৬ সালের ১৮ এপ্রিল, সাপ্তাহিক ‘ঢাকা নিউজ’-এর প্রকাশনা শুরু। ১৮৫৭ সালের ২২ নভেম্বর, ঢাকার লালবাগ দূর্গে বিপ্লবী সিপাহী ও ইংরেজদের মধ্যে যুদ্ধ। ১৮৫৭-এর স্মরণে’’ ১৯৪৭ সালের পর সেই সব শহীদদের স্মরণে ওখানে নির্মিত হয় শহীদ স্মৃতিসৌধ। আজকের বাহাদুর শাহ পার্কের ঐ স্থানটি ছিলো আন্টাঘর ময়দান। ইংরেজ প্রশাসন পরে ভিক্টোরিয়া পার্ক নামকরণ করে।
১৮৫৮ সালের ১ মে, পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গার পারে মিডফোর্ড হাসপাতাল পূর্ববঙ্গের প্রথম আধুনিক চিকিৎসানির্ভর হাসপাতাল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৮৫৪ সালের শুকনো মৌসুমে হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। মাত্র ১৮,৫৩৬ টাকায় ১৮৫৮ সালের মধ্যে ঠিকাদার কোম্পানি একটি প্রধান হাসপাতাল তৈরী করেন। ১৮৭২ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ, হাওড়া হাসপাতাল এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে যত ‘মেজর’ অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার মধ্যে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী মৃতের হার মিটফোর্ড হাসপাতালেই সবচেয়ে কম। ১৮৭৫ সালের ১৫ জুন, মিটফোর্ড হাসপাতালের বলয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম মেডিকেল স্কুল, যা পর্যায়ক্রমে আজকের স্যার সলিমূল্লাহ মেডিকেল কলেজ। ১৯২০ সালের ১ এপ্রিল, সরকারি হাসপাতালে পরিণত হয় মিটফোর্ড হাসপাতাল। বর্তমানে ৬০০ শয্যায় উন্নীত হয় মিটফোর্ড হাসপাতালটি। রবার্ট মিটফোর্ড ছিলেন ঢাকা জেলার প্রাদেশিক আপিল ও সার্কিট আদালতের দ্বিতীয় বিচারক। লন্ডনে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে ১৭৯৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ‘রাইটারের’ চাকরি নিয়ে ভারতবর্ষে আসেন রবার্ট। ১৮১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কালেক্টর হিসেবে ঢাকায় আসেন মিটফোর্ড। রাজনৈতিক ক্ষমতা, ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়ে ঢাকা তখন এক গুরুত্বহীন শহর। এ শহরেই ১২টি বছর কাটিয়ে দেন রবার্ট মিটফোর্ড। ঢাকার চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ১৮২৮ সালে ইংল্যান্ডে ফিরে যান। সেখানে আট বছরের মত বেঁচে ছিলেন রবার্ট মিটফোর্ড। ১৮৩৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারিসে বেড়াতে যান মিটফোর্ড, সেখানেই মারা যান। জীবনের শেষ সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ১৮৫৯ সালের ঢাকা শহরের মানচিত্র রয়েছে জাতীয় আরকাইভসের প্রদর্শনী কক্ষে। ১৮৬০ সালে ঢাকায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রথমে ‘‘কস্যচিৎ পথিকস্য’’ ছদ্মনামে প্রকাশিত হয় ‘‘নীলদর্পণ’’। ১৮৬১ সালের ৭ মার্চ, ঢাকা শহরের প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ‘ঢাকা প্রকাশ’-এর প্রকাশনা শুরু।
১৮৪০ সালে ঢাকা মিউনিসিপাল কমিটি। ১৮৬৪ সালের ১ আগষ্ট, ঢাকা শহরকে পৌরসভা করা হয়। ১৮৬৪ সালের ১ আগষ্টের পর প্রথম চেয়ারম্যান হন এডওয়ার্ড ড্রামন। ‘ড্রামনের’ হাত ধরে আজ আমরা উপনীত হয়েছি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। ১৮৭১ সালে ঢাকার পাটুয়াটুলিতে গণ-লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘‘নীলদর্পণ’’ নাটক প্রযোজনা হয়। ফরাসীরা ১৮৭২ সালে  ঢাকার নবাŸ বাড়ির ‘‘আহসান মঞ্জিল’’টি তৈরী করেন। ১৮৭৫ সালে ঢাকা মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়। ১৮৭৬ সালে ঢাকাতে সার্ভে স্কুল, ১৯০৮ সালে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৪৭ সালের মে মাসে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ১৯৬২ সালের ১ জুন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়। ১৮৮০ সালের পূর্বে ঢাকা শহরে ঘোড়ারগাড়ী ছিলা না। ১৮৮৩ সালে ঢাকার সদরঘাট এলাকায় সরকারী জগন্নাথ কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৮৮৩ সালে ঢাকায় মুসলমান সুহৃদয় সমিতি গঠিত হয়। ১৮৮৫ সালে ঢাকা কোর্টের জন্ম। ১৮৯০ সালে তৎকালীন বৃটিশ সরকার প্রথম ঢাকা নগরীর আধুনিক অভিজাত আবাসিক এলাকা ওয়ারীকে গঠন করে।
১৮৯২ সালের ১৬ মার্চ, ঢাকায় তথা বাংলাদেশে যিনি প্রথম আকাশ জয় করেছিলেন, তিনি একজন আমেরিকান নারী, যাঁর নাম জিনেট ভানতাসেল। বিষয়টি আমরা জানতে পারি সিলেটের বিখ্যাত হাসন রাজার ছেলে গনিউর রাজার ডায়েরি থেকে। তিনি সে সময় ঢাকায় ছিলেন ও ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ১৯৮৯ সালে ঘটনাক্রমে একটি পুরোনো আলোকচিত্র পাওয়ার কারণে ঢাকায় যে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। জিনেট ভানতাসেল ও তাঁর স্বামী পি. এ. ভানতাসেলকে কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে বেলুনে চড়ার জন্য নবাব আহসানউল্লাহ চুক্তিবদ্ধ করেন। ১৮৯২ সালের ১০ মার্চ, তাঁরা ঢাকায় আসেন এবং ১৬ মার্চ জিনেট বেলুনে করে বিকেলে বুড়িগঙ্গার ওপার থেকে আকাশে উড়েন এবং কথা ছিল বেলুন ছয় হাজার ফুটের ওপরে ওঠারপর প্যারাসুট নিয়ে ঝাঁপ দেবেন নবাববাড়ির ছাদে নামার উদ্দেশে। কিন্তু বাতাসের তীব্র বেগের কারণে বেলুন ভাসতে ভাসতে শাহবাগে নবাবের বাগানবাড়ির একটি ঝাউগাছে আটকে যায় এবং জিনেট ১৫ থেকে ২০ ফুট ওপরে প্যারাসুটের সঙ্গে ঝুলতে থাকেন। এ সময় ঢাকার এক ইংরেজ পুলিশ কর্মকর্তা তিনটি বাঁশ বেঁধে তার সাহায্যে জিনেটের নেমে আসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু নিচে নেমে আসার সময় বাঁশের বাঁধন আলগা হয়ে গেলে জিনেট নিচে পড়ে আঘাত পান। প্রায় অচেতন জিনেট এরপর প্রচন্ড জ্বরে ভুগে ১৮ মার্চ দুপুর একটায় মৃত্যুবরণ করেন। বিকেল চারটায় জিনেটকে ঢাকার নারিন্দায় খ্রিষ্টান গোরস্থানে সমাহিত করা হয়। ঢাকার আকাশে বেলুনে উড্ডয়নের দু-একদিন আগে থেকেই ঢোল পিটিয়ে ঢাকাবাসীকে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ঢাকার প্রথম আকাশচারী।
১৯০১ সালে আহসান মঞ্জিলে জেনারেটর দ্বারা প্রথম বিদ্যুতের বাতি জ্বালানো হয়। ১৯০২ সালে ইংরেজরা ঢাকায় প্রথম জগন্নাথ কলেজে সিনেমা দেখায়। ১৯০৪ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন ঢাকায় ‘কার্জন হলের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের নামে কার্জন হল তৈরী করা হয়। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর, প্রথম বঙ্গ-ভঙ্গের সময় ঢাকাকে ‘আসাম ও পূর্ববাংলার’ রাজধানী করা হয়। ১৯০৫ সালে ঢাকায় প্রভিন্সিয়াল মোহামেডান এসোসিয়েশন গঠিত হয়। ১৯০৯ সালে ঢাকায় টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০৯ সালে ঢাকায় সলিমুল্লাহ এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ১৯১১ সালের ১৮ আগষ্ট, ঢাকা ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, বঙ্গ-ভঙ্গ রথ করা হয় এবং ঢাকা থেকে রাজধানী বাতিল করা হয়। ১৯১৩ সালে ঢাকা যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯১৬ সালে ঢাকার সদরঘাটের নিকট প্রতিষ্ঠিত হয় ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউট। ১৯২১ সালের সি. এস. রেকর্ড অনুযায়ী ২০০৬-এর রাজধানী শহরের যেসব খালের ৩৫টি উল্লেখ রয়েছে তা খুঁজে বের করতে হলে এখন সেটা দস্তুরমতো গবেষণা করেই দেখতে হবে। ১৯২৫ সালে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। লায়ন থিয়েটার হলে ১৯২৭ সালে নির্বাক সিনেমা প্রর্দশন করা হতো। ১৯৩০ সালে ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ী ছিল; রিক্সা ছিল না। গলির শেষ মাথায় লাগানো ছিল কেরোসিন বাতির ল্যা¤প পোষ্ট। ১৯৩৩ সাল থেকে সবাক চলচ্চিত্র প্রর্দশন শুরু হয়। ১৯৩৩ সালে প্রথম ঢাকায় সিনেমা হল তৈরী করা হয়। ১৯৩৫ সালে প্রথম মুড়াপাড়ার জমিদার ঢাকায় মটরগাড়ী আনে। ১৯৩৯ সালে কলকাতা থেকে ঢাকা শহরে প্রথম রিক্সা আনা হয়। ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর “ঢাকা বেতার কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই, ঢাকা ম্যাডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৪৬ সালে ঢাকায় ইডেন মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৪৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকা ছিল একটি জেলা শহরই মাত্র।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট, পূর্ব-পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় স্থাপিত হয়। ১৯৪৭ সালে ঢাকা শহরে ৩’শত টেলিফোন ছিল। ১৯৪৭ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার। ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে প্রথম হরতাল। হরতাল গুজরাতী শব্দ। ১৯৪৮ সালে প্রথম মুড়ির টিনমার্কা বাস চলাচল করে সদরঘাট থেকে চকবাজার হয়ে ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রথম ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৪৯ সালের মার্চে, ঢাকার পল্টন ময়দানে পূর্ব-পাকিস্তান রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগের এক অধিবেশন বসে। ১৯৪৯ সালের জুলাই, ঢাকা বারলাইব্রেরীতে এক ঘরোয়া সভায় ইত্তেফাক নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশের কথা ঘোষণা দেন এবং ওই সভাতে উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে চারশত টাকার একটি তহবিল গঠন করেন। তা দিয়ে ১৫ আগষ্ট, ইত্তেফাকের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। প্রথম অফিস ছিল ৭৭, মালিটোলায় এবং পরে ৯৪, নবাবপুর রোডের আওয়ামী মুসলিম লীগ কার্যালয়ে। ১৯৫০ সালে ঢাকায় প্রথম সরকারীভাবে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আজিমপুরে ‘আজিমপুর সরকারী  কোয়ার্টার’ নির্মাণ করা হয়। ১৯৫২ সালের ২৮ জানুয়ারি, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কাজী গোলাম মাহবুবকে আহবায়ক করে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন। ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি, খাজা নাজিমউদ্দিন পূর্ব-পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী  হওয়ার পর ঢাকার এক জনসভায় বলেন-“উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’’। ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি, পূর্ব-বাংলায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠন করা হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষারদাবীতে আন্দোলণরত জনতার উপর পুলিশের গুলিতে কয়েকজন শহীদ হয়। এদের মধ্যে ৫(পাঁচ) জনের নাম জানা আছেঃ বরকত, সালাম, জব্বার, রফিক ও অহিউল্লাহ। বরকত ছিলেন ছাত্র, সালাম ছিলেন সচিবালয়ের পিয়ন, জব্বার ছিলেন ছোট চাকুরে, রফিক ছিলেন প্রেসের কর্মচারী আর অহিউল্লাহ ছিলেন কিশোর বালক। পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই ছিলেন সাধারণ মানুষ, দরিদ্র কর্মচারী বা ছোট ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষার জন্য তাঁরা প্রাণ দিলেন, তাঁদের রক্তের ওপর দিয়ে দেশ স্বাধীন হল; কত লোকের ভাগ্য খুলে গেল, কিন্তু বাংলা ভাষার মধ্যে পরিবর্তন এলনা। বাংলা ভাষায় বড়লোক-ছোটলোকের তারতম্য রয়ে গেল। ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত শোক মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণ। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। ১৯৫২ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, ভাষা আন্দোলনকারী জনতার উপর গুলীর প্রতিবাদে ‘‘দৈনিক আজাদ’ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিনের প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগ। ১৯৫২ সালের ২৯ মার্চ, ঢাকা বার এসোসিয়েশনে সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫৪ সালের ২৮ জুন, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৫৪ সালে ঢাকায় প্রথম নিউমার্কেট তৈরী করা হয়। ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৫৮ সালে ঢাকায় প্রথম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৫৮ সালের ৮ মার্চ, ঢাকা মুসলিম চেম্বার এবং ইউনাইটেড চেম্বার একত্রকরণের মাধ্যমে ‘‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির’’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬১ সালের ৮ মার্চ, মতিঝিল বাস ডিপো হতে মাত্র ৪টি বাস নিয়ে তৎকালীন ইপিআরটিসি যাত্রা শুরু করে। ১৯৬২ সালে ঢাকা শহরে প্রথম ফুটপাত তৈরী হয়।
১৯৬৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, সাবেক পূর্ব-পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় টেলিভিশন দেখা শুরু। ১৯৬৬ সালে প্রথম ঢাকায় ফাইভ স্টার “শেরাটন হোটেল” প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ, পল্টন ময়দানের এক বিশাল জনসভায় বিভিন্ন নেতা অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। সারা দেশে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, রমনা রেস কোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাসন দেন। ১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ, শেষবারের মতো ঢাকা সফরে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। ১৯৭১ সালের ১৬ মার্চ, পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের আলোচনা বৈঠক শুরু হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আলোচনা। ১৯৭১ সালের ২০ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে প্রায় সোয়া দু‘ঘন্টাব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২২ মার্চ, ছিল এক বিভ্রান্তিপূর্ণ দিন। প্রেসিডেন্ট হাউজে ভুট্টোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকার ছিল ২২ মার্চের এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, পূর্ব-পাকিস্তানে গণহত্যর নির্দেশ দিয়ে আকস্মিকভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান করাচির পথে ঢাকা ত্যাগ করেন। পাক-বাহিনী রাতে ঢাকায় শুরু করে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নিরস্ত্র জনগণের উপর অমানসিক নির্যাতন শুরু।
১৯৭১ সলের ১৭ এপ্রিল, কুষ্টিয়া জেলার মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলা আম্রকাননে প্রথম বিপ্লবী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ হন এ দেশের বুদ্ধিজীবীরা। তাই এদিনটিকে প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালে ঢাকা শহরে লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ১৪(চৌদ্ধ) লক্ষ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাক-বাহিনী আত্মসমর্পণ করেন। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি, পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রত্যাবর্তন ১০ জানুয়ারি। তিনি ১২ জানুয়ারি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠান। ২০১৫ সালে ঢাকা শহরে লোকসংখ্যা হলো প্রায় ১.৮০(এক কোটি আশি লক্ষ)।
১২০৩ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ-বিন-বখতিয়ার খিলজী কর্তৃক বঙ্গ বিজয় ও মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বেই তৎকালীন বাংলায় অনেকগুলি মুসলিম জনপদ গড়ে ওঠে এবং এ অঞ্চলে ফার্সী ভাষা চর্চার এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়। দীর্ঘ সাড়ে ছয়শত বছর (১২০৩ থেকে ১৭৫৭ সাল পর্যন্ত মুসলিম শাসনামলে মুসলিম জনসংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। ১২০৩ সাল থেকে ১৮৩৮ সাল পর্যন্ত ফার্সী ভাষা এতদঞ্চলের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল)। বঙ্গদেশে প্রথম মুসলমান হন দিনাজপুর অঞ্চলের বাসিন্দা জাতিতে মঙ্গোলিয়ান কোচ নামে পরিচিতি। বখতিয়ার খিলজী কর্তৃক বঙ্গ বিজয় ও মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বেই কোচ নেতাকে ইসলাম ধর্মে রুপান্তরিত করে নাম রাখা হয় মোহাম্মদ আলী কোচ। সে-ই বঙ্গদেশের প্রথম মুসলমান বলে প্রমাণিত হয়। ১২০৬ সালের ৯ জুন, কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লীর স্বাধীন সুলতান পদে আসীন হন। ১২৩৫ সালের ১ মে, দিল্লীর সুলতান শামসউদ্দীন আলতামাসের ইন্তেকাল। ১২৬০ সালে দিল্লীর তৎকালীন প্রধান কাজী এবং প্রখ্যাত পন্ডিত মীনহাজ-ই-সিরাজ রচনা করেন তবকাত-ই-নাসিরী। উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের প্রথমদিকের প্রামান্য ইতিহাস গ্রন্থসমূহের অন্যতম এ গ্রন্থটি ২৩ খন্ডে বিভক্ত। লেখক এই বিশাল গ্রন্থে প্রাচীনকাল থেকে শুরু ইসলামের উন্মেষ এবং হিজরি ৭ম শতক পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন রাজবংশের বর্ণনা লিখে গেছেন। বাংলার ইতিহাস রয়েছে ২০, ২১ ও ২২ তবকাতে। তবকাত-এর অর্থ কাহিনী। প্রতœতত্ত¡ গবেষক ও ইতিহাসবিদ আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া তবকাত-ই-নাসিরী ফার্সী ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন। উল্লেখিত ৩টি তবকাত বা অধ্যায়। ১২৬০ সালে তবকাত-ই-নাসিরী ভারতবর্ষের প্রথম বই ফার্সী ভাষায় লেখা । এর পূর্বে ভারতবর্ষে আর কোন ভাষায় বই লেখা হয়নি। ১২৬৬ সালের ১৬ জুলাই, ভারতবর্ষের সাধক সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদের ইন্তেকাল। ১১’শ শতকে শুরু হয় ভারতে মুসলিম ধর্ম প্রচারের সময় এবং ১২’শ শতকে কেরলাতে ভারতের প্রথম মসজিদ তৈরী হয়। ১২৯৬ সালের ২১ অক্টোবর, আলাউদ্দিন খিলজী দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৩০৩ সালের ২৬ আগষ্ট, আলাউদ্দিন খিলজী ‘চিতোর গড়’ দখল করেন।  ১৩০৭ সালের ২৪ মার্চ, আলাউদ্দিন খিলজির সেনাপতি মালিক কাফুর দেবগিরি দূর্গ দখল করেন। ১৩২৬ সালের ৫ জানুয়ারি, দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজীর ইন্তেকাল। ১৩৩৮ সালে ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ বাংলায় স্বাধীন সুলতানি আমলের সূচনা করেন। ১৩৩৮ সাল থেকে ১৫৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলায় স্বাধীন সুলতানি আমল অব্যাহত ছিল। ২০০ বছর পর্যন্ত সুলতানি আমল অব্যাহত ছিল। ১৩৫১ সালের ২৩ মার্চ, ফিরোজ শাহ তুঘলক দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৩৮৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, দিল্লীর সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের ইন্তেকাল। ১৩৮৯ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, সুলতান গিয়াস উদ্দিন তুঘলক (দ্বিতীয়) দিল্লীতে নিহত হন। ১৩৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর, পানিপথের যুদ্ধে তৈমুর লং দিল্লীর এক লক্ষ লোক হত্যা করেন এবং দিল্লীর সুলতান মুহম্মদ তুঘলকের কাছ থেকে দিল্লী দখল করে নেন। ১৩৯৯ সালের ১ জানুয়ারি, তৈমুর লং দিল্লী দখল করে নিজেকে ভারত সম্রাট ঘোষণা করেন। ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দের শেষার্ধে, অর্থাৎ মুসলমান শাসনামলে। অনেকেই এটিকে পূর্ণাঙ্গ বাংলা অক্ষরে রচিত সর্বপুরাতন’ গ্রন্থ বলে দাবী করেন। বলা বাহুল্য, ‘চর্যাচর্য বিনিশ্চয়’ সার্বজনীনভাবে বাংলা ভাষার আদিতম পান্ডুলিপি বলে স্বীকৃত হয়। বাংলা ভাষার জন্ম মুসলিম শাসনামলে। ১৪০১ সালের ২৪ মার্চ, তৈমুর লং দামেস্ক অধিকার করেন। ১৫৫০ সালে বাঙলার ভূমি ও নদনদীর নক্শা প্রথম তৈরী করে জাও দ্য ব্যারোস-কৃত। ১৬৬০ সালে বাঙলার ভূমি ও নদনদীর নক্শা দ্বিতীয় বলে খ্যাত তৈরী করেন ফন্ ডেন ব্রোক-একজন ডাচ বনিক। ১৭৬৪-৮১ সালে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে প্র¯ত্তত মেজর রেনেলের বাঙলার মানচিত্র।
১৫১০ সালে পর্তুগীজরা গোয়ায় এসে পৌঁছায়। ১৫১১ সালে পৌঁছল মালয় উপদ্বীপের মালাক্কাতে। ১৫১৬ সালে পর্তুগীজরা প্রথম বাংলাদেশে আগমণ করে। ১৫২৫ সালের ১৭ নভেম্বর, পঞ্চম দফা অভিযানের মধ্য দিয়ে মোঘল সম্রাট বাবরের ভারত বিজয়। ১৫২৬ সালের ২০ এপ্রিল, পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে। ১৫২৬ সালের ২১ এপ্রিল, পানিপথের যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে সম্রাট বাবর ভারতে মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। ১৫২৬ সালের ২৭ এপ্রিল, বাবর দিল্লীর সম্রাট হন এবং মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। ১৫২৬ সালের ১০ মে, পানিপথের যুদ্ধে বিজীয় হয়ে মোগল সম্রাট বাবর আগ্রায় প্রবেশ করেন। ১৫২৭ সালের ১৬ মার্চ, মেবারের রানা সংগ্রাম সিং(প্রথম)-কে পরাজিত করে মোগল সম্রাট বাবর চিতোর জয় করে। ১৫২৮ সালের ২৯ জানুয়ারি, মোগল সম্রাট বাবর চান্দেরী দুর্গ দখল করেন। ১৫২৯ সালের ২৫ জুন, বঙ্গ বিজয়ের পর মোঘল সম্রাট বাবর আগ্রা প্রত্যাবর্তন করেন এবং তিনি রাজধানী স্থাপন করেন আগ্রায়। ১৫৩৩-১৫৩৮ সাল পর্যন্ত মাহমুদ শাহ বাংলার সুলতান ছিলেন। ১৫৩৮ সালে মুঘল সম্রাট হুমায়ূন প্রথম বাংলা জয় করেন। ১৫৩৮ সালে বাংলা অধিকার করেন শের খান। ১৫৩৮ সালে গৌড় দখল করার পর সম্রাট হুমায়ূন জাহিদ বেগ নামক তাঁর এক আমীরকে বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। ১৫৩৯ সালের ২৬ জুন, বক্সারের কাছে চৌসারের যুদ্ধে শের শাহের কাছে মোগল সম্রাট হুমায়ূনের পরাজয়। ১৫৪০ সালের ১৭ মে, শেরশাহ কনৌজের যুদ্ধে মুঘল সম্রাট হুমায়ূনকে পরাজিত করেন। ষোড়শ শতকে শেরশাহ তাঁর প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে এবং ঘোড়ার ডাকের প্রচলনের সুবাদে দিল্লী (পাঞ্জাবের অধীনে ছিল) থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১,৭০০(এক হাজার সাতশত) মাইল দীর্ঘ একটি রাজপথ নির্মাণ করেছিলেন। ইতিহাসখ্যাত এ পথের নাম গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড। সোনারগাঁওয়ের আমিনপুর থেকে শুরু হয়ে মেঘনা পাড় হয়ে রাজপথ কামরুপ হয়ে দিল্লী পর্যন্ত বি¯তৃত ছিল। সোনারগাঁওয়ের আমিনপুর হয়ে মোগড়াপাড়ার সামনে দিয়ে উদ্ধবগঞ্জ বাজার থেকে বৈদ্যের বাজার পর্যন্ত কেবল এ রাস্তাটির অস্তিত্ব টিকে আছে। ক্রমাগত নদী ভাঙ্গন এবং ভূমির বিবর্তনের ফলে গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের অস্তিত্ব এখন খুঁজে পাওয়া দুস্কর। কলকাতা থেকে দিল্লী (তখন পাঞ্জাব প্রদেশের অধীনে দিল্লী ছিল) পর্যন্ত এখনও গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড চালু আছে। ১৫৫৪ সালের ২২ মে, দিল্লীর সম্রাট শেরশাহ নিহত হন। ১৫৫৫ সালের ২২ জুন, মোগল সম্রাট হুমায়ূন সিরহিন্দ যুদ্ধে জয়লাভের পর আকবরকে তার উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। ১৫৫৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, কিশোর জালালুউদ্দিন আকবর ১৪ বছর বয়সে মোগল সম্রাট হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন। পিতা হুমায়ূনের স্থলাভিষিক্ত হন। ১৫৫৬ সালের ১৪ এপ্রিল, সম্রাট আকবরের শাসনামল থেকে পহেলা বৈশাখকে বাংলা সালের প্রথম দিন ধরে আনুষ্ঠানিক বাংলা বর্ষ গণনা শুরু হয়। ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর, পানিপথের ২য় যুদ্ধে মোগল সম্রাট আকবরের বাহিনীর হাতে হিমু’র পরাজয়। ১৫৬১ সালের ৩১ জানুয়ারি, মোগল সম্রাট আকবরের প্রধানমন্ত্রী বৈরাম খান নিহত হন। ১৫৬২ সালে ভারতে বাবরী মসজিদ তৈরী হয় এবং ১৯৯২ সালের ৫ ডিসেম্বর (কংগ্রেস সরকারের আমলে) উগ্রবাদী হিন্দুরা বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে ফেলে। ১৫৬৫ সালের ৭ জুন, দাক্ষিণাত্যের রাজা হুসাইন নিজাম শাহের ইন্তেকাল। ১৫৬৮ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, মোগল সম্রাট আকবরের কাছে চিতোরের রানা উদয় সিং-আত্মসমর্পণ করে। ১৫৭০ থেকে ১৫৮৬ সাল পর্যন্ত মোঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল আগ্রা শহর থেকে ৪০ কি. মি. পশ্চিম দিকে অবস্থিত ফতেহপুর সিক্রি। সেই সময় সম্রাট আকবরের কোন ছেলে ছিল না। ১৫৭৬ সালের ১৮ জুন, মহারাজা প্রতাপ সিংহ ও মোগল সম্রাট আকবরের মধ্যে হলদিঘাটে যুদ্ধ শুরু। ১৫৭৬ সালের ১২ জুলাই, দাউদ খান কররানীর পরাজয় ও মৃত্যু। ১৫৭৭ সালের ২৪ অক্টোবর, শিখ স¤প্রদায়ের উদ্যোগে ভারতের অমৃতসর নগরী’র পত্তন হয়। ১৫৮০ সালে পর্তুগীজ কর্তৃক হুগলী শহর প্রতিষ্ঠার ফলে নিকটবতী বিখ্যাত সাতগাঁও বন্দরের পতন। ১৫৮৫ সালের ১০ মার্চ, মোঘল সম্রাট আকবর প্রচলিত বাংলা সন (বঙ্গাব্দ) চালুর ফরমান জারি করেন। ১৫৮৬ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি, সম্রাট আকবরের সভাকবি বীরবল নিহত হন। ১৫৮৬ সালে কাসিম খান কুচবিহার হ’তে হুগলি যাওয়ার পথে গৌড় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যান। ১৫৮৬ সালে ইংরেজ পর্যটক র‌্যালফ ফিচ বাংলা ভ্রমণ করেন। ১৫৮৮ সালের ১৯ এপ্রিল, জাহান্দর শাহ দিল্লীর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। ১৫৮৯ সালের ৬ মে, সংগীত জগতের প্রবাদ পুরুষ মিঞা মুহাম্মদ তানসেনের মৃত্যু।
১৫৯৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, লন্ডনে ফাউন্ডার্স হলে ২৪(চব্বিশ) জন ব্যবসায়ী ভারতে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেয়ার মধ্যদিয়ে ‘‘ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’’ গড়ে ওঠে। সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে ১৬০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, ক্যাপ্টেন ল্যাঙ্কেমটরের নেতৃত্বে ইস্ট-ইন্ডিয়া কো¤পানীর জাহাজ বহর ভারত পৌঁছে। শাহ সুজা ৩,০০০(তিন হাজার) টাকা শুল্ক দেওয়ার শর্তে ইংরেজদেরকে বাংলায় বাণিজ্য করার অনুমতি দেন। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন, বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাস্ত করে ইস্ট-ইন্ডিয়া কো¤পানী ভারতবর্ষের ক্ষমতা দখল করেন। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন থেকে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী ভারতবর্ষ ১০১(একশত এক) বছর শাসন করে এবং ১৮৫৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে বৃটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর কাছ থেকে ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত বৃটিশ রাজতন্ত্র ভারতবর্ষ শাসন করে ৮৯(উনানব্বই) বছর। ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী ও বৃটিশ রাজতন্ত্র ভারতবর্ষ শাসন করে মোট ১৯০(একশত নব্বই) বছর। মানুষই শ্রমের বিনিময়ে বিশ্বের সবকিছু সৃষ্টি করেছে। ব্রিটিশরা ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট, ভারতবর্ষ থেকে চলে যেতে বাধ্য হলে ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে স্বাধীন ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল বলে (তৎকালীন পূর্ব  পাকিস্তানের আয়ুস্কাল ছিল ২৪ বছর ৪ মাস ৩ দিন) পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় নয় মাস মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম হয়।  ভারতবর্ষে তখনও ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসন ছিল, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন পাশ হয়নি।
১৬০৫ সালের ২৪ অক্টোবর, মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৬০৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, কুতুবুদ্দিন খান বাংলা ও বিহারের সুবাদার নিযুক্ত হন। ১৬১২ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি সুরাটে বাণিজ্য-কুঠি স্থাপন করার অনুমতি লাভ করে। ১৬১৩ সালের ১১ জানুয়ারি, মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীকে সুরাটে কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেন। ১৬১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, ভারতবর্ষের প্রথম রাষ্ট্রদূত টমাস রো মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ভারতে পৌঁছেন এবং ১৬১৬ সালের ১০ জানুয়ারি, বৃটিশ রাজদূত টমাস রো মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে পৌঁছেন। ১৬১৮ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে বৃটিশ রাষ্ট্রদূত টমাস রো ভারত ত্যাগ করেন। ১৬২১ সালের ১৫ নভেম্বর, মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর উত্তর ভারতের কাংড়া দুর্গ অধিকার করেন। ১৬২১ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর কুঠিয়ালদের ওপর কাঁচামাল খরিদ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তথাপি ইংরেজরা পরে কাসিমবাজারে একটি বড় কারখানা স্থাপন করে। কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা বলে যার নাম বহুদিন যাবৎ প্রচারিত হয়েছে সেই জব চার্নকও এক সময় এ কাসিমবাজার কুঠিতেই একজন অধঃস্তন কর্মচারী ছিলেন। ১৬২৮ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, সম্রাট শাহজাহান আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন। দিল্লীকে রাজধানী করার সিদ্ধান্ত নেন সম্রাট শাহজাহান।
১৬৩৩ সালের মে, মহানদীর মুখে হরিহরপুরে ইংলিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী এদেশে প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে; তখন হ’তে রচিত হ’তে থাকে পলাশীর পটভূমি। ১৬৩৫ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, মোগল সম্রাট শাহজাহানের পুত্র দারাশিকোহ কান্দাহার বিরোধী তৃতীয় অভিযান পরিচালনা করেন। ১৬৩৭ সালে সম্রাট শাহজাহানের আমলেই তারই তত্ত¡াবধান এবং নির্দেশনায় নির্মাণ করা হয় ‘লাহোর শালিমার বাগ’। বাগানটি উন্মোচিত হয় ১৬৪২ সালে। ১৬৩৯ সালের ৮ জানুয়ারি, মোগল সেনা অধিনায়ক হিসেবে দারাশিকোহ পারস্যের বিরুদ্ধে কান্দাহারে প্রথম অভিযান চালান। ১৬৩৯ সালের ১৯ জানুয়ারি, সম্রাট শাহজাহানের পুত্র দারাশিকো’র লেখা ‘সাফিনাৎ-উল-আউলিয়া’ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ১৬৪০ সালের ১ মার্চ, বৃটিশরা মোগলদের কাছ থেকে মাদ্রাজে বাণিজ্য কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি পায়। ১৬৪৮ সালের ১৩ মে, মুঘল সম্রাট শাহজাহান দিল্লীতে লালকেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৬৫৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, মোগল সম্রাট শাহজাহান প্রিয়তমা স্ত্রীর নামে ‘‘তাজমহল’’ নির্মাণ করেন। ১৬৫৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, মোগল সম্রাট শাহজাহান আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে সিংহাসন নিয়ে সন্তানদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ১৬৫৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, মোগল সম্রাট শাহজাহানের পুত্র সুজা বাহাদুরপুরে তাঁর ভাই দারার কাছে পরাজিত হন। ১৬৫৮ সালের ৮ জুন, আওরঙ্গজেব তাঁর পিতা সম্রাট শাহজাহানকে অন্তরীণ রেখে আগ্রার দুর্গ দখল করেন। ১৬৫৮ সালের ৩১ জুলাই, সম্রাট আওরঙ্গজেব আগ্রা থেকে দিল্লীতে রাজধানী স্থানান্তর করেন। ১৬৫৯ সালের ১৪ এপ্রিল, দিল্লীর সিংহাসন নিয়ে সম্রাট শাহজাহানের পুত্রদ্বয় আওরঙ্গজেব ও তার ভাই দারাশিকোহ’র সৈন্যদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। ১৬৫৯ সালের ১৫ জুন, আওরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৬৫৯ সালের ৩০ আগষ্ট, মোগল সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠপুত্র যুবরাজ দারাশিকোহ ঘাতকের হাতে নিহত হন। ১৬৬১ সালের ৩ এপ্রিল, ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি যুদ্ধে অংশ নেয়া এবং অস্ত্র নির্মাণ ইত্যাদির অধিকার সংক্রান্ত সনদ লাভ করে। ১৬৬৫ সালের ২৭ জানুয়ারি,  শায়েস্তা খানের পুত্র উমেদ খান কর্তৃক চট্টগ্রাম বিজয় ও ২(দুই) হাজার মগসেনা বন্দী। চট্টগ্রাম বঙ্গদেশের চুড়ান্ত অন্তর্ভুক্তি। ১৬৬৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ও মারাঠা নেতা শিবাজির মধ্যে পুরন্দর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৬৭০ সালের ৩ অক্টোবর, শিবাজি সুরাট অভিযান শুরু করেন। ১৬৭৬ সালের ১৫ অক্টোবর, ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী ভারতে টাকা মুদ্রনের অনুমতি লাভ করে। ১৬৮৬ সালের ২০ ডিসেম্বর, হুগলি ত্যাগ করে জব চার্নক সুতানুটিতে আশ্রয় নেন। ১৬৮৭ সালের ১৬ জুন, ইংরেজরা মোগল সাম্রাজ্যের সুতানুটিতে অস্ত্রাগার ও পোতাশ্রয় নির্মাণের অনুমতি পায়। ১৬৮৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব হায়দরাবাদের গোলকুন্ডা দখল করেন। ১৬৮৭ সালের ১১ ডিসেম্বর, ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী সর্বপ্রথম মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করেন।
১৬৮৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর, জবচার্ণক সুতানটি গ্রামে প্রথম এসেছিলেন।  ১৬৯০ সালের ২৪ এপ্রিল, বৃটিশ নাগরিক জব চার্নক ভারতের সুতানুটিতে বৃটেনের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে এ স্থানটি কলকাতা হিসেবে পরিচিতি পায়। ১৬৯০ সালের ২৪ আগষ্ট, কলকাতা শহরের জন্ম। ১৬৯৩ সালের ১০ জানুয়ারি, কলকাতা নগরীর পত্তনকারী জব চার্নকের মৃত্যু। ১৬৯৮ সালের নভেম্বর মাসে ইংরেজরা বাংলার গভর্ণর আজিমউশ্বানের কাছ থেকে এ তিনটি গ্রাম কেনবার অনুমতি পেয়েছিলেন। ১৬৯৮ সালে ইংরেজরা কলকাতা সম্পূর্ণ দখল করে। ১৭০০ সালের ৮ জুন, ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী সুতানুটির নাম পরিবর্তন করে ‘ক্যালকাটা’ রাখেন। ১৭০৭ সালে প্রথম হাসপাতাল স্থাপিত হয়। ১৭০৯ সালে সাবর্ণ চৌধুরী কালীঘাটের মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। ১৭১৭ সালে ডাক্তার হ্যামিলটনের সৌজন্যে, ফারুক সিয়ারের নিকট থেকে ৩৮টি গ্রামের জমিদারী কেনার অনুমতি পায়। ১৭১৮ সালের ১৭ এপ্রিল, ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন।
১৭২০ সালে কলকাতার প্রথম জমিদার মি. ফ্রিক। ১৭২৭ সালে কলকাতা পৌরসভা শুরু, ১৭৮৭ সালে নাগরিকদের উপর টে´ বা কর বসায়। ১৭৩৪ বা ১৭৪৭ সালে প্রথম স্থাপিত হয় ফ্রি স্কুল ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত। ১৭৩৬ সালে কলকাতায় প্রথম অল্ডারম্যান ডা. সেফালিয়া হলওয়েল। ১৭৩৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, প্রচন্ড বেগে ঝড় উঠেছিল ও গঙ্গার জল ৪০ ফিট পর্যন্ত উঠেছিল। ১৭৪২ সালে প্রথম পাকা রাস্তার কাজ আরম্ভ আর শেষ ১৭৮০ সালে (সার্কুলার রোড)। ১৭৪৫ সালে প্রথম নাট্যশালা স্থাপিত হয় লালদীঘির পার্শে¦। ১৭৫২ সালে কলকাতায় চালের মণ ১(এক) টাকা ছিল। ১৭৫৬ সালের ১৭ জুন, নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা ইংরেজদের দখল থেকে কলকাতা পুনরুদ্ধারে অভিযান চালান। ১৭৫৬ সালের ২০ জুন, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কলকাতা পুনরুদ্ধার করেন। ১৭৫৬ সালে কলকাতা নবাব সিরাজদৌল্লাহ দখল করে নাম দেন ‘আলিনগর’। ১৭৫৬ সালের ১০ অক্টোবর, রবার্ট ক্লাইভ মাদ্রাজ থেকে ৫টি যুদ্ধজাহাজে ৯০০ সৈন্য নিয়ে কোলকাতা দখলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১৭৫৭ সালের ২ জানুয়ারি, রবার্ট ক্লাইভ নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলার কাছ থেকে কলকাতা দখল করে। ১৭৫৭ সালের ৯ জানুয়ারি, রবার্ট ক্লাইভের হুগলী দখল। ১৭৫৭ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার দ্বিতীয় দফা কলকাতা আক্রমণ এবং ইংরেজদের সাথে আলীনগরের সন্ধি। ১৭৫৭ সালের ২৩ এপ্রিল, কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের সিলেক্ট কমিটিতে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে সরিয়ে অন্য কাউকে নবাব করার নীতি সরকারীভাবে গৃহীত হয়েছিল। ১৭৫৭ সালের ২৮ এপ্রিল, কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের সিলেক্ট কমিটি প্রস্তাব নিল যে, ক্লাইভ যেন নবাবের প্রতি দরবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মনোভাব কী রকম এবং নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে সরিয়ে অন্য কাউকে মসনদে বসাবার পরিকল্পনায় তাদের প্রতিক্রিয়া কী তা জানার জন্য উপযুক্ত লোককে নিয়োগ করেন। ১৭৫৭ সালে কলকাতায় প্রথম টাকশাল স্থাপিত হয়। ১৭৫৭ সালে চৌরঙ্গির জঙ্গল পরিস্কার করে প্রথম গড়ের মাঠ তৈরী হয়। ১৭৫৭ সালে ইংল্যান্ডের রাজা উইলিয়ামের নামানুসারে ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ নির্মাণ কাজ শুরু এবং শেষ ১৭৭৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। ১৭৬২ সালের মহামারীতে মারা যায় ৫০,০০০ বাঙ্গালী এবং ৮শত ইউরোপীয়। ১৭৬২ সালে প্রথম মুদ্রা তৈরী হয়। ১৭৬৫ সালের ৩ মে, বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হয়ে লর্ড রবার্ট ক্লাইভ কলকাতায় আসেন। ১৭৭৪ সালের ২৬ মার্চ, সুপ্রীমকোর্ট স্থাপিত হয়।
১৭৭৪ সালের ১ আগষ্ট, কলকাতাকে ভারতবর্ষের রাজধানী ঘোষণা করে। ১৭৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি, রবার্ট নাইটের সম্পাদনায় ‘দি ইন্ডিয়ান ষ্টেটসম্যান’ পত্রিকার প্রকাশনা। ১৭৭৫ সালের ৫ আগষ্ট, কুলিবাজারে প্রথম ফাঁসির মঞ্চে শহীদ হন মহারাজ নন্দ কুমার। ১৭৮০ সালের ২৯ জানুয়ারি, ১ম বাংলা গেজেট ও মাসিক প্রত্রিকা “দিকদর্শন” প্রকাশনা হয়। ১৭৮০ সালের ২৯ জানুয়ারি, জেমস আগাস্টাস হিকির সম্পাদনায় ভারতের প্রথম ইংরেজী সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ‘বেঙ্গল গেজেটের’ সম্পাদনা শুরু হয়। ১৭৮০ সালের ১৪ নভেম্বর, বেঙ্গল গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে বৃটিশ সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করে। ১৭৮০ সালে রাইটার্স বিল্ডিং তৈরী করা হয়। ১৭৮১ সালের ১৭ এপ্রিল, গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক কলকাতায় প্রথম আলীয়া মাদ্রাসা স্থাপন করেন। ১৭৮৪ সালে এশিয়াটিক সোসাইটী নামে প্রথম গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়। ১৭৮৫ সালে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী কলকাতা থেকে কত টাকা খাজনা পায় বছরে-১,২২,৪১৮ টাকা। ১৭৮৫ সালে প্রথম দাস ব্যবসা শুরু হয়। ১৭৮৫ সালে হিকে সাহেবের আত্মজীবনীতে প্রথম টানা পাখার উল্লেখ পাওয়া যায়; তবে ফরাসী পর্যটক গ্রএে ১৭৮৯ সালে কলকাতায় এসে টানা পাখার হাওয়া খেয়েছেন। ১৭৮৮ সালের ৬ এপ্রিল, শনিবার অমাবস্যার রাতে নরবলি দেওয়া হয়েছিল। ১৭৮৯ সালে প্রথম এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেয় কলকাতা শহরে (ভারতবর্ষে প্রথম)। ১৭৯০ সালের ৩ ডিসেম্বর, লর্ড কর্নওয়ালিস কলকাতায় নিজামত আদালত স্থানান্তরিত করেন। ১৭৯১ সালের ৩ অক্টোবর, ভারত উপমহাদেশের প্রথম মাসিক পত্রিকা ‘ক্যালকাটা  ম্যাগাজিন এন্ড ওরিয়েন্টাল মিউজিয়ামের প্রকাশনা শুরু। ১৭৯৩ সালে প্রথম ওকালতি শুরু হয়। ১৭৯৩ সালে প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। ১৭৯৩ সালের ১১ নভেম্বর, শিক্ষাব্রতী ধর্মযাজক উইলিয়াম কেরি ইংল্যান্ড থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছান। ১৭৯৪ সালের ৯ মার্চ, কলকাতায় প্রথম দলিল রেজিস্ট্রি শুরু হয়। ১৭৯৪ সালে প্রথম ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ১৭৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর, প্রথম বাংলা নাটক “কাল্পনিক সংবদন” অভিনীত হয়।
১৭৯৫ সালে ভারতবর্ষের প্রথম ব্যাংকের নাম ক্যালকাটা ব্যাংক। ১৮০০ সালের ৩ মে, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮১৫ সালে শহীদ মিনার নির্মাণ হয় এবং উচ্চতা ১৫২ ফুট, ২২৩টি সি‘ড়ি। ১৮১৬ সালে কলকাতা শহরে ২৫০ জন ইউরোপিয় মহিলা ছিলেন। ১৮১৬ অথবা ১৮১৭ সালে কলকাতা হিন্দু কলেজ স্থাপনে রাজা রামমোহনের অবদান। ১৮১৮ সালের ১৫ মে, বাংলা ভাষায় প্রথম সংবাদপত্র ‘বেঙ্গল গেজেটের’ প্রকাশনা শুরু। ১৮১৯ সালে কলকাতা রেসকোর্স মাঠ তৈরী হয়। ১৮২৪ সালের ৩১ মার্চ, প্রথমবারের মত ভারতীয় টাকশালের কার্যক্রম শুরু। ১৮২৭ সালের ১২ মে, কলকাতার ময়দানে সমবেত হয়ে সরকারের জারি করা নির্দেশের বিরুদ্ধে পাল্কি বেহারারা সর্বাত্বক আন্দোলন গড়ে তোলার যে সংকল্প ঘোষণা। ১৮২৯ সালে লর্ড রেন্টিং কর্তৃক সতীদাহ প্রথা রহিত হয়। ১৮২৯ সালে প্রথম কালিঘাটের টালী নালার উপর লোহার সেতু নির্মান করা হয়। ১৮৩০ সালে ডালহাউসীতে প্রথম ’’¯েপনসেস হোটেল”  নির্মাণ হয়। ১৮৩০ সালে হিন্দু কলেজের জনপ্রিয় শিক্ষক ডিরোজিওর বাড়িতে তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এ দেশের প্রথম ছাত্র সংগঠন ‘একাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’। বাঙালির প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন। এরপর ১৮৩৮ সালের ১২ মার্চ, গঠিত হয় আরেকটি ছাত্র সংগঠন। যার নাম ছিল ‘সাধারণ জ্ঞানোপার্জিকা সভা’। এ সংগঠনের সদস্যরা নিয়মিতভাবে আলোচনায় বসতেন। তাঁরা দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতেন এবং সমস্যা ও সংকট থেকে উত্তরণের পথ সন্ধান করতেন। এ সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন রামতনু লাহিড়ী, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্যারীচাঁদ মিত্র প্রমুখ। সাধারণ জ্ঞানোপার্জিকা সভার পর ১৮৪১ সালে কলকাতায় গঠিত হয় আধা রাজনৈতিক সংগঠন ‘দেশহিতৈষণী সভা’। এ সংগঠনের সদস্যরাও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতেন এবং সমস্যা-সমাধানের উপায়ও সন্ধান করতেন। কিন্তু ১৮৪৩ সালের ২৫ এপ্রিল, জন্ম নেওয়া ‘বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি’ সর্বপ্রথম বাঙালির সংগঠন, যারা সরাসরি রাজনৈতিক দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছিল। তাদের প্রধান দাবি ছিল ভারতীয়দের জন্য ব্রিটিশের সমমর্যাদা দান। এ দাবির পক্ষে সংগঠনের সদস্যরা জনমত গঠন করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, রাজনৈতিক দল হলো একটি সংঘবদ্ধ সংস্থা, যা দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যাবলিকে তার কর্মসূচীতে সন্নিবিষ্ট করে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করতে বদ্ধপরিকর হয়। ১৮৩৪ সালে ক্যালকাটা চেম্বারস অব কমার্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তারপর ২০-বছর পর-এর নামকরণ করা হয় ১৮৫৪ সালের ১৫ জুলাই, বেঙ্গল চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাজট্রিজ। এ প্রতিষ্ঠান সারা ভারতবর্ষে শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৮৩৫ সালে প্রথম ম্যাডিক্যাল কলেজ স্থাপিত হয়। ১৮৩৬ সালের ২১ মার্চ, কলকাতায় প্রথম গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৩৮ সালে কলকাতায় দিয়াশলাই তৈরী হয়। ১৮৪৪ সালে প্রথম ডাক্তারী শিক্ষার জন্য গোপালচন্দ্র শীল, ভোলানাথ বসু, সুর্য কুমার চক্রবর্তী ও দ্বারকানাথ বসু এঁরা বিলেতে যান। ১৮৫০ সালে কলকাতা থেকে কানপুর ঘোড়ার গাড়ীতে ডাক যেত। ১৮৫৪ সালে প্রথম ডাকটিকিট বিক্রি শুরু হয়।
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন, প্রথম সাওতাল বিদ্রোহ শুরু হয়। এ বিদ্রোহ ভারতবর্ষে প্রথম ইংরেজদের বিরুদ্ধে  বিদ্রোহ। ১৮৫৫ সালের ৪ অক্টোবর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় ভারতবর্ষে হিন্দু সমাজের বিধবাবিবাহ আইন প্রবর্তন হয়। ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই, কলকাতায় বিধবা-বিবাহ আইন পাশ হয়। ১৮৫৬ সালের ৭ ডিসেম্বর, হিন্দু সমাজে আনুষ্ঠানিকভাবে বিধবা বিয়ের প্রচলন শুরু হয়। ১৮৫৭ সালে কলকাতায় পথের আলো জ্বলেছিল ঠিকই, তা ছিল গ্যাসের আলো। ১৮৬২ সালের মে মাসে, কলকাতা শহরে হাওড়ার রেলের ১২(বারো) শ্রমিক আট ঘন্টা কাজের দাবিতে ধর্মঘট করেন। ১৮৬২ সালে কলকাতায় প্রথম ‘‘ফুটপাত’’ ওল্ডকোর্ট হাউস স্ট্রীটে তৈরী হয়। ১৮৬২ সালে কলকাতায় হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭০ সালের ২৭ আগষ্ট, ভারতের প্রথম শ্রমিক সংগঠন “শ্রমজীবী সংঘ’’ গঠিত হয়। ১৮৭৩ সালে প্রথম কলকাতায় রঙ্গ-মঞ্চে মেয়েরা এসেছেন। ১৮৭৪ সালে কলকাতা নিউমার্কেট। ১৮৭৬ সালে প্রথম চিড়িয়াখানা স্থাপিত হয় ৪৮-একর জমিতে। ১৮৭৭ সালের ১২ মে, কলকাতায় কেন্দ্রীয় ন্যাশনাল মোহামেডান এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৮ সালের ১ এপ্রিল, কলকাতা জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৯ সালের ৪ মার্চ, ব্রিটেনের বাইরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে প্রথম মহিলা কলেজ কলকাতার বেথুন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮০ সালের ১ নভেম্বর, কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম সার্ভিস চালু হয়। ১৮৮১ সালে প্রথম টেলিফোন চালু হয়। ১৮৮১ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, অবিভক্ত ভারতে কলকাতায় প্রথম হোমিওপ্যাথিক কলেজ স্থাপিত হয়। ১৮৮২ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, প্রথমবারের মতো কলকাতায় পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৬৮ সালে রসগোল্লার উৎপত্তি এ নিয়ে বিতর্ক চলছে-কলকাতা না ওডিশা।
১৮৯৯ সালের ৩০ মে, কলকাতার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ শুরু। ১৮৯৯ সালে ভারতবর্ষের কলকাতা শহরে প্রথম ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম চালু হয়। ১৯০২ সালে এইচ. এম. ভি. কোম্পানি কলকাতা শহরে প্রথম গানের রেকর্ড করা শুরু করে শিল্পী গহরজানকে দিয়ে। ১৯০৫ সালে কলকাতা শহরে প্রথম টেক্সি চলে। ১৯০৫ সালের ৫ মার্চ, কলকাতা শহরে প্রথম আঞ্জুমান মফিজুল ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৩/১৪ সালে চায়নাবাসী প্রথম রি´া চালায়, ১৮৭০ সালে জাপান প্রথম রি´া তৈরী করে। ১৯১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতা শহরে ইংরেজরা রাস্তার মোরে মোরে ফ্রি চা পান করায়। ১৯২০ সালে দমদম বিমান বন্দর তৈরী হয়। ১৯২২ সালে কলকাতা শহরে প্রথম বিমান উড়ে। ১৯২৪ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ সর্বপ্রথম কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন। ১৯২৭ সালের ২৬ আগষ্ট, কলকাতায় প্রথম বেতার কেন্দ্র ‘ইন্ডিয়ান ব্রডকাষ্টিং সার্ভিস’ চালু হয়। ১৯৪৬ সালের আগষ্ট মাসে কলকাতায় প্রথম হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। এ দাঙ্গা এক বছর চলে এবং হিন্দু-শিখ সন্ত্রাসীদের হাতে ৫০ হাজার মুসলমান মারা যায়। হিন্দু সাংবাদিকদের হিসাবে ৫ হাজার লোক নিহত হয়েছিল ও ১৫ হাজার আহত হয়। স্টেটসম্যান পত্রিকার হিসাব অনুযায়ী, ২০ হাজার লোক হতাহত হয়। (বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস ঃ ড. মুহম্মদ আবদুর রহিম)। ১৯৫৮ সালের ৩ মার্চ, প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন চলে হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল পর্যন্ত। ১৯৫৯ সালের ৩১ আগষ্ট, কলকাতায় খাদ্যের দাবীতে কৃষকদের মিছিলে পুলিশের গুলীতে ৮০-ব্যক্তি নিহত হন। ১৯৭৫ সালের ৯ আগষ্ট, কলকাতায় দুরদর্শন কেন্দ্র চালু হয়। ১৯৮৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, কলকাতায় পাতাল রেল চালূ। ১৯৮৮ সালের হিসাব অনুসারে, খোদ কলকাতা শহরে রয়েছে ২,২২০টি নোটিফায়েড বস্তি যাতে ১৭,০০,০০০ লাখ লোকের বাস। পুর এলাকার ১৪১টি  ওয়ার্ডের মাত্র ২টি ছাড়া সব ওয়ার্ডেই বস্তি আছে। ২০০২ সালে কলকাতা শহরে প্রায় ৪,০০০ হাজার রাস্তা বেয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে ১ কোটিরও বেশী মানুষ। ২০১৫ সালে কলকাতা শহরে ১.৯৫ কোটি লোক বাস করে।
১৬৯১ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি, মোঘল সাম্রাজ্যে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যের অনুমতি দিয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেবের ফরমান জারি। ১৬৯৮ সালের ১০ নভেম্বর, ইস্ট-ইন্ডিয়া কো¤পানী কলকাতা, সুতানটি ও গোবিন্দপুর এ তিনটি গ্রামের জমিদারি সনদ লাভ করেন। ১৭১২ সালের ১৯ এপ্রিল, জাহান্দার শাহ দিল্লীর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন এবং ১৭১৩ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, মোগল সম্রাট জাহান্দার শাহ নিহত হন। ১৭১৭ সালে ইংরেজরা মুঘল সম্রাট ফারুখ শিয়ারের কাছ থেকে শুল্কবিহীন বাণিজ্যের ছাড়পত্র দত্ত¡ক পেয়েছিল।  ১৭৫৭ সালের ৪ জানুয়ারি, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানিকে তাঁদের বিশেষ অধিকার ফিরিয়ে দেন। ১৭৫৭ সালের ১৩ জুন, রবার্ট ক্লাইভ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ অভিমুখে যুদ্ধ অভিযান শুরু করেন। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন, প্রথম পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবাব সিরাজ দৌল্লাহ ৫০,০০০(পঞ্চাশ হাজার) সৈন্য নিয়ে মুর্শিদাবাদ হ’তে যাত্রা শুরু করেন এবং মীরজাফর, খাদিম হোসেন ও রায়দুর্লভ তাঁরা সৈন্যদের নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে নিস্ক্রীয় দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন, পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদ্দৌলার পরাজয়ের পর বাংলায় ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত হয়। ১৭৫৭ সালের ২৯ জুন, মীর জাফর আলী খাঁ বাংলার নবাব হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ। ১৭৫৭ সালের ৩ জুলাই, মীরজাফর তনয় মীরনের নির্দেশে নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লাকে হত্যা করা হয়। ১৭৫৭ থেকে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত (পলাশীর যুদ্ধের পর) মীর জাফর নামেমাত্র নবাব ছিলেন। ১৭৫৭ সালের ২০ ডিসেম্বর, রবার্ট ক্লাইভ বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হতো-মক্তব, মাদ্রাসা, টোল ও রাজদরবারকে কেন্দ্র করে। মধ্যযুগে মুসলমানদের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ‘‘মক্তব’’। আরবি, ফারসি ও ইসলাম ধর্মের উচ্চতর শিক্ষা হতো ‘‘মাদ্রাসায়’’। ‘‘মুঘল’’ আমলে বাংলা গজল ও সুফি সাহিত্য সৃষ্টি হয়। সরকারি কাজে ফারসি ভাষা চালু করেন ‘‘টোডরমল’’।
১৭৫৮ সালের ১২ ডিসেম্বর, ফরাসি জেনারেল ল্যালি ইংরেজ অধিকৃত মাদ্রাজ দুর্গ দখল করেন। ১৭৫৮ সাল থেকেই ফকির বিদ্রোহের নেতা মজনু শাহ প্রথমদিকে বাস করতেন ভারতের কানপুর থেকে চল্লিশ মাইল দূরে মকানপুর নামক শাহ মাদারের দরগায়। ১৭৫৮ সাল থেকে শুরু হয়ে আঠার শতকের পর উনিশ শতকের প্রথম দিক পর্যন্ত ফকির অভিযান অব্যাহত ছিল। ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘটিত সংঘবদ্ধ আন্দোলন ছিল-ফকির আন্দোলন। ১৭৫৯ সালের ৩০ নভেম্বর, মোগল সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীর নিজ মন্ত্রীর হাতে নিহত হন। ১৭৬০ সালের ১১ জুন, মহীশুরের নবাব হায়দার আলীর সাথে বৃটিশ সেনাবাহিনীর যুদ্ধ হয়। ১৭৬০ সালে বর্ধমাণ জেলায় সন্ন্যাসীরা বৃটিশদের বিরুদ্ধে ১ম সংগ্রাম শুরু করে। ১৭৬০ সালে চট্টগ্রাম জেলা ইস্ট-ইন্ডিয়া কো¤পানীর নিকট হস্তান্তর করা হয়। ১৭৬০ সাল থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস হিসেবে অভিহিত। ১৭৬১ সালের ৬ জানুয়ারি, পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ। পেশোয়া বালাজি বাজিরাও, গোয়ালিওর রাজসিন্ধিয়াসহ পাঠান সর্দারদের সম্মিলিত বাহিনী আহমদ শাহ আবদালীর নিকট পরাজয়বরণ করে। একদিনের যুদ্ধে ২-লক্ষাধিক মারাঠা সৈন্য নিহত। ১৭৬১ সালের ১৪ জানুয়ারি, মারাঠা বাহিনী ও আহমদ শাহ দুররাণীর মধ্যে তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। ১৭৬১ সাল হ’তে নুতন কো¤পানী সরকার বার বার রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে থাকে। ১৭৬১ সালে ফকিররা ইংরেজদের ঢাকা কুঠির আক্রমণ ও লুটপাট করেন। ১৭৬৩ সালের ২৪ জুন, বৃটিশ সৈন্যদের মুর্শিদাবাদ দখল এবং মীর জাফর আলী খাঁকে বাংলার নবাবী প্রদান। ১৭৬৩ সালের ২ আগষ্ট, মুর্শিদাবাদ দখলের পর বৃটিশ সৈন্য গিরিয়াতে মীর কাশিমের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এ যুদ্ধে মীর কাশিম পরাজিত হয়। ১৭৬৩ সালের ৬ নভেম্বর, নবাব মীর কাশিমের কাছ থেকে ব্রিটিশের পাটনা দখল।
১৭৬৩ সালে ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে এদেশে যে ফকির আন্দোলন বা সন্ন্যাস আন্দোলন শুরু হয়েছিল সেই আন্দোলনের নেতা ছিল ফকির মজনু শাহ। ফকির মজনু শাহ ছাড়া আর কে ছিল-ভবানী পাঠক। ১৭৬৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, বৃটিশ বাহিনী রাজমহলের কাছাকাছি উদয়নালায় মীর কাশিমকে পরাজিত করে। ১৭৬৩ সালে বরিশালে ফকিররা প্রথম ইংরেজদের ওপর হামলা করে। ১৭৬৪ সালের ২২ অক্টোবর, মীর কাসিম এবং ইংরেজদের মধ্যে ‘বক্সার’ নামক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৭৬৪ সালের ২২ অক্টোবর, ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসন শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা ও বিহারে নবাবী আমলের অবসান। ১৭৬৪ সালের ২৩ অক্টোবর, বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজ সেনাবাহিনীর কাছে মীর কাসিমের পরাজয়। ১৭৬৫ সালের ১২ আগস্ট, মোগল সম্রাট বৃটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কো¤পানীর হাতে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার  দেওয়ানী তুলে দেন। ১৭৬৫ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সঙ্গে কোম্পানির এলাহাবাদ-চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৭৬৫ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস ফকির-সন্ন্যাসীকে দমন করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১৭৬৫ সালে রবার্ট ক্লাইভ সমগ্র বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী সনদ লাভ করে দক্ষিণ এশিয়ার বৃটিশ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন। ১৭৬৫ সালে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা প্রথম ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে আসে। ১৭৬৭ সালের জানুয়ারি, ক্লাইভ স্বদেশে প্রত্যার্তন করলে তার ব্যবস্থায় ফাটল ধরে। ১৭৬৭ সাল থেকে ১৭৬৯ সালের মধ্যে ইংরেজদের সঙ্গে ফকিরদের সংঘর্ষে সেনাপতি মার্টল ও লেফটেন্যান্ট কিথ নিহত হন। ১৭৬৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, কর্ণেল স্পিথ হায়দরাবাদের নিজামের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশ আধিপত্য বিস্তার করেন। ১৭৬৮ সালে লর্ড কর্নওয়ালিস গর্ভনর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন। ১৭৬৯ সালের ১৭ মার্চ, তাঁত ও মসলিন শিল্প ধ্বংসের উদ্দেশ্যে বৃটিশ সরকারের নির্দেশে বাংলার তাঁতিদের বৃদ্ধাঙ্গুলি কেটে দেয়া শুরু হয়। ১৭৬৯-৭০ সালে ভারতবর্ষের বাঙলা আর বিহার জুড়ে দুর্ভিক্ষের কথা বলছি। এ দুর্ভিক্ষে এদের মোট প্রজার এক-তৃতীয়াংশ মারা গেল। (বাংলা ১১৭৬ সালে বাংলায় যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তাকে বলা হয় ছিয়াত্তরের মন্বন্তর)। ১৭৭০ সালের ২৫ জুন, মুর্শিদাবাদ হ’তে কো¤পানীর আবাসিক প্রতিনিধি রিচার্ড বেচারের রিপোর্টঃ “এ এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। ইহার বর্ণনা অসম্ভব। দেশের কয়েক অংশে যে জীবিত মানুষ মৃত মানুষকে ভক্ষণ করিতেছে তাহা গুজব নয়, অতি সত্য’’। ১৭৭০-৭১ সালে ভারতবর্ষের বঙ্গদেশে রেশম উৎপাদন হ্রাস পায় শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। ১৭৭১ সালে দুর্ভিক্ষের পর (সেখানে দুর্ভিক্ষে এক তৃতীয়াংশ লোক মারা যাওয়ার পরও) তাদের রাজস্ব আদায় হল ১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ১৭৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় শাহ আলম মোঘল সম্রাট হিসেবে দিল্লীর সিংহাসনে বসেন। ১৭৭২ সালের ১৫ আগষ্ট, ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী জেলা পর্যায়ে ফৌজদারী ও দেওয়ানি আদালত পৃথক করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৭৭২ সালে দ্বৈত শাসনের অবসান করা হয় এবং ১৭৭২ সালেই কোম্পানি বাংলার দেওয়ানি শাসন সরাসরি নিজেদের হাতে তুলে নেন। ১৭৭২ সালে সর্বপ্রথম ফরাসী বণিক জঁলিয়ে লুই বোনার্দ হুগলী জেলার তালডাঙ্গায় নীলের বাগান করেন। তা দেখে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী অনুপ্রাণিত হয় এবং ১৭৮৮ সালে বাংলায় নীল চাষ শুরু করে।
১৭৮১ সালের ২ জুলাই, মহিশূরের বীর হায়দার আলী বৃটিশ বাহিনীর হাতে পরাজিত হন। ১৭৮১ সালের ১২ নভেম্বর, ব্রিটিশ বাহিনী দক্ষিণ ভারতের নাগাপট্টম দখল করে। ১৭৮২ সালের ৭ ডিসেম্বর, মহীশুরের বীর যোদ্ধা হায়দর আলীর মৃত্যুর পর টিপু সুলতান মহিসুরের সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৭৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে “রংপুর বিদ্রোহ’’ জোতদার ও রায়তেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ১৭৮৪ সালের ১১ মার্চ, মহিশুরের টিপু সুলতানের সাথে ইংরেজদের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর। ১৭৮৫ সাল পর্যন্ত ফকির মজনু শাহ’্র বাহিনী কো¤পানী সৈন্যের সঙ্গে বহুবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ১৭৮৭ সালে ফকির মজনু শাহ্’র মৃত্যু হয়। ১৭৮৭ সালে মজনু শাহের মৃত্যুর পরে ফকির বাহিনী ততটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ১৭৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর, ইস্ট-ইন্ডিয়া কো¤পানীর আমলে ভারতে প্রাচীন সৈন্যবাহিনীর রেজিমেন্টের জন্ম। ১৭৯১ সালের ২১ মার্চ, বৃটিশ সৈন্যরা টিপু সুলতানের কাছ থেকে বাঙ্গালোর দখল করে নেয়। ১৭৯১ সালের ডিসেম্বর, বৃটিশ শেষ ইজারাদারদের অত্যাচার হ’তে কৃষকদের রক্ষা করার জন্য বলাকী শাহ্ তাঁর ৫(পাঁচ) হাজার সশস্ত্র শিষ্য নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ১৭৯১-৯২ সালকে বলা হয় বলাকী শাহ্’র বিদ্রোহ। ১৭৯২ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, টিপু সুলতান কর্তৃক বৃটিশ শাসিত হায়দরাবাদের নিজামের নিকট মহীশূরের অর্ধেক হস্তান্তর। ১৭৯৯ সালের ৪ মে, ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধে মহিশূরের টিপু সুলতান নিহত হন। ১৭৯৯ সালের ১৪ জুলাই, মাহাজেরা ৫(পাঁচ) হাজার সশস্ত্র অনুসারী নিয়ে সিলেট আক্রমণ করেন এবং ত্রিপুরা রাজ্যে পলায়নের পথে মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৫৬ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি, অযোধ্যার নবাব ওয়াজিদ আলী ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ১৮৫৬ সালের ৪ জুলাই, মৌলভী আহমদ উল্লাহ ও লাখনৌর বেগম হযরত মহলের সাথে যুদ্ধে ইংরেজদের পরাজয়। ১৮৫৭ সালের ২৬ জানুয়ারি, ব্যারাকপুরের সিপাহিরা প্রথম বিদ্রোহ করে। ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ, ভারতের ব্যারাকপুর সেনা ব্যারাকে মঙ্গলপান্ডের গুলী ছোঁড়ার মধ্য দিয়ে সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বভারতীয় প্রথম সংগ্রাম কোনটি ‘‘সিপাহী বিদ্রোহ’’। ভারতীয় সৈনিকদ্বারা ইউরোপীয় অফিসারদের ব্যারাকপুরে আক্রমণ করা হয়। ১৮৫৭ সালের ৩ এপ্রিল, রাণী ভিক্টোরিয়াকে ‘ভারত সম্রাজ্ঞী’ ঘোষণা করা হয়। ১৮৫৭ সালের ৮ এপ্রিল, সিপাহী বিদ্রোহের অগ্রণী সৈনিক মঙ্গল পান্ডের ফাঁসি হয়। ১৮৫৭ সালের ১০ মে, ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটে সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা হয়। ১৮৫৭ সালের ১১ মে, দিল্লীতে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহাসিক সিপাহী বিদ্রোহ শুরু। ১৮৫৭ সালের ১৭ মে, সিপাহী বিপ্লবের নেত্রী ঝাঁসির রাণী লক্ষীবাই-এর মৃত্যু। ১৮৫৭ সালের ৩০ মে, বিদ্রোহের দাবানল জ্বলে ওঠে লক্ষেèৗতে, সমগ্র আওয়াধ অঞ্চলে। ১৮৫৭ সালের ৫ জুন, নানা সাহেব ইংরেজদের বিরুদ্ধে অস্র-ধারণ করল এবং দেড় মাস  যেতে না যেতেই ১৮ জুলাই, ইংরেজদের কাছে তাকে পরাজয় স্বীকার করতে হল। ১৮৫৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, সিপাহী বিপ্লবের বীর যোদ্ধা নানা সাহেব নেপালে নির্বাসনকালে মারা যান।
এ অঞ্চলে কলকাতা শহরে ১৭৩৪ বা ১৭৪৭ সালে প্রথম স্থাপিত হয় ফ্রি স্কুল ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত। তারপর কলকাতা শহরে ১৭৮৭ সালে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৭৮৯ সালে এ স্কুল থেকে প্রথম এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেয়া হয়। বাংলাদেশে প্রথম ১৭৮০ সালে ঢাকায় আলীয়া-ই-মাদ্রাসা এবং তারপর বিক্রমপুরে ১৮০৫ সালে একটি প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৮২৮ সালে রাজশাহী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতবর্ষের প্রথম কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতায় ১৮০০ সালের ৩ মে, ‘‘ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’’। বাংলাদেশের প্রথম কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর, ‘‘ঢাকা কলেজ’’। ১৮৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি, ইস্ট-ইন্ডিয়া রেলওয়ে উদ্বোধন। ১৮৫৩ সালের পর হ’তে ভারতবর্ষে ইংরেজী শিক্ষা দ্রæত বিস্তার লাভ করতে থাকে। ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল, বোম্বাইয়ে প্রথম ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষে রেল যোগাযোগের সূচনা হয় এবং ১৮৫৪ সালে ভারতের বোম্বে হতে কলকাতা শহরে প্রথম রেল চলাচল করে। দর্শনা হতে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হয় ১৮৬২ সালে। ১৮৬৭ সালে কুষ্টিয়া হতে গোয়ালন্দ রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ১৮৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ঢাকা-নারায়নগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ঢাকা-নারায়নগঞ্জ রেলপথটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ জুলাই, ১৯৯৭ সালে ছেড়ে দেয়।
ভারতবর্ষে একই বছর তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৫৭ সালের ২৪ জানুয়ারি, কলকাতা, মুম্বাই ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু। ভারতবর্ষের প্রথম দু’জন গ্র্যাজুয়েটের নাম হলো বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও যদুনাথ বসু। ১৮৫৮ সালে সিন্ডিকেটের সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গ্র্যাজুয়েট ও সঙ্গী গ্র্যাজুয়েট যদুনাথ বসু। উভয়েই পরীক্ষায় ফেল করেছিল এবং দু‘জনকেই ‘‘এজ এ স্পেশাল এক্ট অব গ্রেস” দিয়ে পাশ করানো হয়েছিল। তাঁরাই ভারতবর্ষের প্রথম গ্রাজুয়েট। ১৮৬২ সালের ২১ জুন, অবিভক্ত ভারতের প্রথম ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুর। ১৮৭৭ সালে ১২(বার) জন ভারতীয় এম. এ. পাশ করেন। ১৮৮২ সালে ভারতবর্ষে মেয়েরা প্রথম স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন এবং এদেরই একজন চন্দ্রমুখী বসু ১৮৮৪ সালে বাঙ্গালী মহিলাদের মধ্যে প্রথম মাষ্টার ডিগ্রী লাভের কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১৮৫৭ সাল থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র ১৯৮ জন বাঙালি মুসলমান স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। উনিশ শতকে সীমিত পরিসরে সমাজে নারীশিক্ষার প্রয়াস চালানো হয়। উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে মুসলিম নারীসমাজের শিক্ষাবিস্তার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় যে ক’জন মহিলা উদ্যোগ নেন তাঁদের মধ্যে বিবি তাহেরা নেসা, ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী (১৮৩৪-১৯০৩), করিমুন্নেসা খানম (১৮৫৫-১৯২৬) এবং রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২) তাহেরা নেসা প্রথম বাঙালি মুসলিম মহিলা লেখক। তিনি ১৮৬৫ সালে বামাবোধিনী পত্রিকায় ‘শিক্ষা ও সামাজিকতায় নারীর অধিকার’ সম্পর্কে একটি রচনা প্রকাশ করেন। ১৮৭৩ সালে নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৯১৫-১৬ সাল পর্যন্ত কোনো মুসলমান মেয়ে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাস করেননি; ১৯১৮-১৯ সালে মাত্র একজন মেয়ে এ পরীক্ষায় পাস করেন। তবে ১৯২১-২২ সালে ১০২ জন মুসলিম ছাত্রী ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করেন। বাংলার মুসলিম সমাজে আধুনিক শিক্ষার অগ্রগতি (১৮৮৫-১৯২১)।
১৮৮৫ সালে মুম্বাই শহরে জাতীয় কংগ্রেস পার্টির জন্ম। ১৮৮৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর, বোম্বে শহরে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি হয়েছিলেন ডবিøউ. সি. ই. (ইংরেজ)। বাঙ্গালী ব্যারিস্ট্রার উমেশ চন্দ্র ব্যাণার্জি ভারতীয় কংগ্রেসের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি। বাঙ্গালী ব্যারিস্ট্রার উমেশ চন্দ্র ব্যাণার্জির বাড়ি ছিল ফরিদপুর জেলায়।  জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা  ছিলেন-‘‘অ্যালান অক্টোভিয়ান ইিউম’’। ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ঢাকার নবাব স্যার সলিমূল্লাহ’র প্রাসাদে মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে ‘‘নিখিল ভারত মুসলিম লীগ’’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২০ সালে এম. এন. রায় ও কমরেড মুজাফ্ফর আহমেদের নেতৃত্বে রাশিয়ার তাসখন্দে বসে ‘‘ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টি’’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪১ সালের ২৬ আগষ্ট, লাহোরে ৭৫ জন লোক নিয়ে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে একটি আদর্শবাদী দল গঠন। ১৯৪৪ সালে কলকাতা শহরে ‘‘নেজামে ইসলামী পার্টি’’ প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৯৪৮ সালে বি. জে. পি. প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, ঢাকার ‘‘রোজ গার্ডেনে’’ মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ’’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৫ সালে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে ‘‘আওয়ামী লীগ’’ নাম করণ করা হয়। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ১৯৫৭ সালের ২৫ জুলাই, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি(ন্যাপ) গঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রচলিত সকল রাজনৈতিক দল বাতিল ও বেআইনী ঘোষণা করে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ (বাকশাল) নামে একটি জাতীয় দল গঠন করেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টি (বিএনপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি, ‘বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি’ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এছাড়াও আরো অনেক পার্টি ও গ্রæপ আছে।
৬৩৮ খৃষ্টপূর্ব গ্রিক কবি সোলোনের জন্ম, মৃত্যু-খৃষ্টপূর্ব ৫৫৯। ৬২০ খ্রিষ্টপূর্ব রোমান নাট্যকার ঈসপের জন্ম, মৃত্যু-খ্রিষ্টপূর্ব ৫৬০।  ৫৮০ খৃষ্টপূর্ব দার্শনিক পিথাগোরাসের জন্ম, খৃষ্টপূর্ব ৫০০ মৃত্যুবরন করেন। ৫৫১ খ্রিষ্টপূর্ব ২৭ আগষ্ট, চীনা দার্শনিক কনফুসিয়াসের জন্ম এবং খৃষ্টপূর্ব ৪৭৯ মৃত্যুবরন। ৪৮৪ খৃষ্টপূর্ব গ্রিক নাট্যকার ইউরিপিডিসের জন্ম, মৃত্যু-খৃষ্টপূর্ব ৪০৬। ৪৬৯ খৃষ্টপূর্ব গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম, মৃত্যু-খৃষ্টপূর্ব ৩৯৯। ৪৬০ খৃষ্টপূর্ব হিপোক্রেটসের জন্ম এবং মৃত্যু-৩৭০ খৃষ্টপূর্ব। ৪২৭ খৃষ্টপূর্ব প্লেটো  জন্মগ্রহন করেন এবং ৩৪৭ খৃষ্টপূর্ব মৃত্যুবরন করেন। ৩৮৪ খ্রিষ্টপূর্ব গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল জন্মগ্রহন এবং মৃত্যুবরন করেন ৩২২ খ্রিষ্টপূর্ব। ৩৫৬ আলেকজান্ডার দি গ্রেট খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫৬ জন্ম, মৃত্যু-১৩ জুন, ৩২৩ খ্রিষ্টপূর্ব। ৩০০ খৃষ্টপূর্ব অশোকের জন্ম, খৃষ্টপূর্ব ২৩২ মৃত্যু। ২৮৭ খ্রিস্টপূর্ব  আর্কিমিডিসের জন্ম এবং মৃত্যু খ্রিষ্টপূর্ব ২১২। ১০৬ খৃষ্টপূর্ব গ্রিক দার্শনিক, কবি ও নাট্যকার সিসেরোর জন্ম, মৃত্যু-খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩। খ্রিষ্টপূর্ব ৫ রোমান দার্শনিক সেনেকার জন্ম, মৃত্যু-৬৫ সালে। ৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর, রোম সম্রাট নিরোর জন্ম, মৃত্যু-৬৮ খ্রিষ্টাব্দ। রোমান সম্রাট নিরো ৬৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক খেলায় অ্যাথলেট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং সব ইভেন্টে তিনি জয়ী হয়েছেন অন্য সবাইকে ঠকিয়ে। ১০০ সালে রোমের রাষ্ট্রপ্রধান ও সমরনায়ক জুলিয়াস সিজারের জন্ম, মৃত্যু-১৫-০৩-১৪৪ তারিখ।
৫৭০ সালের ২৯ আগষ্ট মোতাবেক ১২ রবিউল আউয়াল রোজ সোমবার প্রত্যুষে আরবের মক্কা নগরীতে সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মাতা আমেনার গর্ভে হযরত মুহাম্মদ(স.) জন্মগ্রহণ করেন এবং ১২ রবিউল আউয়াল, ১১শ হিজরী মোতাবেক ৭ জুন, ৬৩২ সালে প্রায় ৬৩-বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। বিশ্ব নবীর গোটা জীবনকাল প্রায় ২২,৩৩০(বাইশ হাজার তিনশত ত্রিশ) দিন ৬(ছয়) ঘন্টা সময়। মহানবী(স.) মক্কা নগরীতে অবস্থান করেণ ১২ বছর ৫ মাস ২১ দিন। মহানবী(স.) মদীনায় অবস্থান করেণ ১০ বছর ৬ মাস ৯ দিন। বিশ্বনবী(সা.) জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ বদরের এবং ওহুদের যুদ্ধ। মহানবী(দ.)-এর উপর সর্বপ্রথম ওহী নাজিল হয় ৬১০ সালের ৬ আগষ্ট মোতাবেক ২৭ রমজান। বিশ্বনবী(সা.) ১২ রবিউল আউয়াল ১১শ হিজরী মোতাবেক ৭ জুন ৬৩২ সালের রোজ সোমবার দিন ইন্তেকাল করেন। ৯৪১ সালে মহাকবি ফেরদৌসী জন্মগ্রহন করেন এবং ১০২০ সালে মৃত্যুবরন করেন। ৯৭৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, ঐতিহাসিক, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী আলবেরুনীর জন্ম এবং ১২ ডিসেম্বর, ১০৪৮ সালে মৃত্যুবরন করেন। ৯৮২ সালে বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পুরুষ শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপংকর মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, ১০৫৪ সালের ১৮ নভেম্বর, দেহত্যাগ করেন চীনদেশে। ১৯৭৮ সালের ২৩ জুন, অতীশ দীপংকরের দেহভস্ম চীন থেকে ঢাকায় আনা হয়। ১০৯৬ সালে আনুমানিক রাজা বিজয় সেন জন্মগ্রহন করেন এবং মৃত্যুবরণ-১১৫৯ সালে। ১০৯৯ বা ১১০০ সালে ভূগোলবিদ ও মানচিত্রকার আল ইদ্রিসী স্পেনের সিউটাতে জন্মগ্রহণ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন ১১৬৬ সালে বা কারো কারো মতে তার মৃত্যু-১১৮০ সালে। ১১১৪ সালে দক্ষিণ ভারতে ভাস্করাচার্যের জন্ম, মৃত্যু-১১৮৫ সালে। ১১৪২ সালে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)’র জন্ম, মৃত্যু-১২৩৬ সালে। ১১৬২ সালে ইতিহাসে বিতর্কিত পুরুষ বহু দেশ বিজেতা ও মঙ্গল নেতা চেঙ্গিস খাঁনের জন্ম এবং মৃত্যু-১৮-০৮-১২২৭ তারিখ। ‘চীনা ভূখন্ডেই চেঙ্গিস খানের সমাধি রয়েছে’। চীনে চেঙ্গিস খানকে শ্রদ্ধা করা হয় এবং চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি তাকে মহান ‘চীনা’ রাজবংশের অগ্রদুত হিসেবে মনে করে থাকে। ১২০৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, মৌলানা জালালুদ্দিন রুমী(রহ.)’র জন্ম, মৃত্যু-১৬-১২-১২৭৩ তারিখ। ১২০৮ সালে মিশরে ইবনুন নাফিসের পুরো নাম আলাউদ্দিন আবুল হাসান আলী ইবনে আবুল হাজমের (একজন মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী) জন্ম, কায়রোতে শুক্রবার দিন সকালে  ইন্তেকাল করেন-১৮-১২-১২৮৮ তারিখ। ১২৫৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, ইতালীর ভেনিস শহরে বিশ্ববিখ্যাত পর্যটক মার্কো পোলোর জন্ম, মৃত্যু-০৮-০১-১৩২৪ তারিখ। ১২৭১ খ্রিষ্টাব্দে, ইয়েমেনীতে হযরত শাহ জালালের (রহ.) জন্ম, মৃত্যু-১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দে। কিন্তু মৃত্যু দেখানো হয়েছে ১৩৪৭ খ্রিষ্টাব্দে। ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। প্রতি বছর ২২ ডিসেম্বর থেকে ওরসের কাজ শুরু হয়। ১৩০৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর, হযরত শাহ জালাল(রা.) ছিলেন (ইয়েমেনী) সিলেট আগমনের সাতশ’ বছর পূর্তি হয় ১৮-১২-২০০৩ তারিখ হযরত শাহ জালাল(রা.) সুরমা নদীর যে ঘাট দিয়ে সিলেট শহরে প্রবেশ করেছিলেন সেই ঐতিহ্যবাহী স্থান শেখঘাট মসজিদ থেকে দরগাহ পর্যন্ত শোভাযাত্রা হয়েছিল। শাহ জালাল (রহ.) মাত্র ৩২ বছর বয়সে ৩৬০(তিনশত ষাট) জন সঙ্গী নিয়ে সিলেটে আগমন করেন।
১৩০৪ সালে ইবনে বতুতা তানজিয়ারে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তার আসল নাম ছিল ‘‘মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ’’ তিনি মরক্কোতে ফিরে যান এবং সেখানকার কোন এক শহরের তিনি কাজী নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৩৬৮ সালে তিনি মারা যান। তিনি কমপক্ষে ৭৫-হাজার মাইল পরিভ্রমণ করেছেন। সর্বপ্রথম ইবনে বতুতার নাম জনসমক্ষে প্রচার হয় ১৮২৯ সালে, ডা. স্যামুয়েল কর্তৃক একখানা ক্ষুদ্র অনুবাদ গ্রন্থের দ্বারা। (ইবনে বতুতা বাংলা সফর করেন সুলতানি আমলে)। ১৪০০ সালে জার্মানের এক ভদ্র পরিবারে মুদ্রণ শিল্পের পথিকৃৎ ইওহান জোহান্স গুটেনবার্গের জন্ম, মৃত্যু-২৩-০২-১৪৬৮ তারিখ (মুদ্রণ যন্ত্রের আবিস্কারক হিসাবে পরিচিতি)। ১৪১২ সালে ফ্রান্সের জন্মদাত্রী-স্বাধীনতাকামী বালিকা জোয়ান অব আর্কের জন্ম, মৃত্যু-১৪৩১ সালের ৩০ মে, ফ্রান্সের স্বাধীনতাকামী বালিকা জোয়ান অব আর্ককে ডায়নীর অপরাধে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। ১৪১৫ সালে কবি কৃত্তিবাসের জন্ম এবং মৃত্যুবরণ-১৪৩৩ সালে। ১৪৫১ সালের আগষ্ট মাসে ক্রিস্টোফার কলম্বাস জন্মগ্রহন করেন এবং ২০-০৫-১৫০৬ তারিখ, এক সাধারণ কুটিরে মৃত্যুবরন করেন। ১৪৬৯ সালে ইতালীয় লেখক ও রাষ্ট্রনায়ক নিকোল ম্যাকিয়াভেলির জন্ম, মৃত্যু-২২-০৬-১৫২৭ তারিখ।
১৪৬৯ সালে ভারতের পাঞ্জাবে শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানকের জন্ম, মৃত্যু-১০-১০-১৫৩৯ তারিখ। ১৪৭২ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, পোলান্ডের টোরন শহরে জার্মান বংশোদ্ভূত এক ধনী পরিবারে সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্বের প্রবক্তা পোলিশ বিজ্ঞানী ও আধুনিক জোতির্বিজ্ঞানের জনক নিকোলাস কোপারনিকাসের জন্ম, পোলান্ডের ফ্রয়েনবার্গ শহরে মৃত্যু-২৪-০৫-১৫৪৩ তারিখ। ১৪৮৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মোগল সম্রাট জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবরের জন্ম, মৃত্যু-২৬-১২-১৫৩০ তারিখ। ১৪৮৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মের সংস্কারক জার্মান ধর্মতাত্তি¡ক মার্টিন লুথার কিংকের জন্ম, মৃত্যু-১৮-০২-১৫৪৬ তারিখ। ১৪৮৬ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, গৌরীয় বৈঞ্চব ধর্মের প্রবর্তক শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম, মৃত্যু-২৯-০৬-১৫৩৩ তারিখ। ১৫০৮ সালের ৭ মার্চ, মোগল সম্রাট হুমায়ূনের জন্ম, ইন্তেকাল-২৮-০১-১৫৫৬ তারিখ। ১৫৩৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, বৃটেনের রাণী প্রথম এলিজাবেথের জন্ম, মৃত্যু-১৬০৩ সালে। ১৫৪২ সালের ২৩ নভেম্বর, মোঘল সম্রাট জালালুদ্দিন আকবরের জন্ম, আগ্রায় ইন্তেকাল-১৭-১০-১৬০৫ তারিখ। ১৫৫১ সালের ১৪ জানুয়ারি, মুঘল যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক ও সম্রাট আকবরের মন্ত্রী পন্ডিত শেখ আবুল ফজলের জন্ম, মৃত্যু-২২-০৮-১৬০২ তারিখ। ১৫৬১ সালে ইংরেজ দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকন ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহন করেন, মৃত্যু-১৬২৯ সালে। ১৫৬৪ সালের ২৩ এপ্রিল, ইংল্যান্ডে ইয়র্কশায়ারের এক দরিদ্র পরিবারে কবি ও সাহিত্যিক উইলিয়ম শেক্সপিয়রের জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৪-১৬১৬ তারিখ।
১৫৬৪ সালে ইতালিতে পদার্থবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ গ্যালিলিও গ্যালিলাই জন্মগ্রহন করেন এবং মৃত্যু-০৮-০১-১৬৪২ তারিখ। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, তা প্রমাণ করতে ১৬১১ সালের ১৪ এপ্রিল রোম শহরের একটি পাহাড়ে নিজের বানানো টেলিস্কোপ প্রদর্শন করেছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও। এ কারণে ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের হাতে তিনি নিগৃহীত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার ৪০০ বছর পর গত ১৪-০৪-২০১১ তারিখ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ভ্যাটিকান। গ্যালিলিও যে জায়গায় টেলিস্কোপ প্রদর্শন করেছিলেন, সেখানে গড়ে উঠেছে আমেরিকান একাডেমি নামে কলা ও মানবিকবিষয়ক গবেষণাগার। গ্যালিলিওর সম্মানে সেখানে শিল্পকলার প্রদর্শনী হয়। ১৪-০৪-২০১১ তারিখ সেখানে ভ্যাটিকানে রক্ষিত জ্যোতির্বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন সরঞ্জামেরও প্রদর্শনী হয়। ১৫৬৪ সালে পাঞ্জাবের সরহিন্দে শেখ আহমেদ সরহিন্দি জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-১৬২৪ সালে। ইসলামের প্রথম যুগের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব খলিফা উমরের বংশধর বলে নিজেকে দাবি করেন। ১৫৬৯ সালের ৩০ আগষ্ট, মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের জন্ম, মৃত্যু-২৮-১০-১৬২৭ তারিখ। ১৫৭৩ সালে ইংরেজ কবি জন ডানের জন্ম, মৃত্যু-৩১-০৩-১৬৩১ তারিখ। ১৫৭৭ সালের ৮ জানুয়ারি, বিখ্যাত ইংরেজ লেখক ও মনীষী রবার্ট বার্টনের জন্ম, মৃত্যু-২৫-০১-১৬৪০ তারিখ। ১৫৭৮ সালের ১ এপ্রিল, রক্তসঞ্চালন পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক ডা. উইলিয়াম হার্ভের জন্ম, মৃত্যু-১৬৫৭ সালে। ১৫৮১ সালে আইরিশ ধর্মযাজক জেম্স আশার জন্ম, মৃত্যু-১৬৫৬ সালে। (তিনি লিখেছিলেন ‘অ্যানালস অফ ওল্ড অ্যান্ড নিউ টেষ্টামেন্ট’ (পুরনো ও নতুন টেষ্টামেন্টের বছরওয়ারী বিবরণী)। ১৫৯২ সালের ৫ জানুয়ারি, মোগল সম্রাট শাহজাহানের জন্ম, মৃত্যু-২২-০১-১৬৬৬ তারিখ। ১৫৯৯ সালের ২৫ জানুয়ারি, বৃটেনের বুর্জোয়া বিপ্লবের নেতা অলিভার ক্রমওয়েলের জন্ম এবং মৃত্যু-০৩-০৯-১৬৫৮ তারিখ।
  ১৬০১ সালে ইরানি বংশোদ্ভূত শায়েস্তা খার (আসল নাম মির্জা আবু তালিব) জন্ম। তিনি ছিলেন সম্রাজ্ঞী মমতাজ মহলের ভাই। বাংলার নবাব মির জুমলার মৃত্যুর পর ১৬৬৪ সালে ৬৩ বছর বয়সে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর কর্তৃক মনোনীত হয়ে বাংলার শাসনভার গ্রহণ করেন। ১৬৬৪ সালের ১৯ মার্চ, শায়েস্তা খাঁ বঙ্গের সুবাদার হিসেবে ঢাকায় আসেন। বাংলায় চলছিল কৃত্রিম খাদ্য সংকট। সায়েস্তা খাঁ বিভিন্ন রাজ্য পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি নিজের দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি ইতিহাসে স্থান করে নেন কিংবদন্তি পুরুষ হিসেবে। তৎকালীন মুগল সম্রাট জাহাঙ্গীর তখন মির্জা তালিবকে ‘‘শায়েস্তা খান’’ উপাধিতে ভূষিত করেন। শায়েস্তা খাঁর আমলে টাকায় ৮(আট) মণ চাল পাওয়া যেত। জনগণের মনে এখনো  ‘‘শায়েস্তা খাঁর আমল’’ কথাটির ব্যবহার হয় জিনিসপত্র সুলভে প্রাপ্তির প্রবাদবাক্য হিসেবে। কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ীর কারণে বাজারে যখন ‘তোঘলিক কারবার’ (তোঘলকের শাসনকাল ছিল ১৩২৫ থেকে ১৩৫১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত)। ১৬০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর, লন্ডনে বিখ্যাত ইংরেজ কবি জন মিলটনের জন্ম, মৃত্যু-০৮-১১-১৬৭৪ তারিখ। ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের জন্ম, (তিনি ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জুলাই, ভারতের সম্রাট হিসাবে সিংহাসনে বসেন এবং ৯৪ বছর বয়সে ও প্রায় ৫০ বছর ধরে রাজত্ব করার পর) ১৭০৭ সালের ৩ মার্চ, দাক্ষিণাত্যের শিবিরে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ইন্তেকাল করেন। ১৬২৩ সালে ফরাসি দার্শনিক, গণিতবিদ এবং পদার্থবিদ বেøইজি প্যাসকেলের জন্ম, মৃত্যু-১৬৬২ সালে। ১৬২৭ সালের ১০ এপ্রিল, মারাঠা অধিনায়ক শিবাজির জন্ম, মৃত্যু-১৪-০৪-১৬৮০ তারিখ। ১৬৪২ সালের ২৫ ডিসেম্বর, (বড়দিনে) মহাবিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটনের জন্ম, মৃত্যু-২০-০৩-১৭২৭ তারিখ। ১৬৬৭ সালের ৩০ নভেম্বর, বিখ্যাত ইংরেজ লেখক আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে জোনাথন সুইফটের (গালিভার’স ট্রাভেলস লিখে অমর হয়ে আছেন যিনি) জন্ম, ডাবলিনে মৃত্যু-১৯-১০-১৭৪৫ তারিখ। তাঁর সেরা লেখাটি প্রকাশিত হয় ১৭২৬ সালে ‘গালিভার’স ট্রাভেলস’। ১৬৭১ সালের ১১ আগষ্ট, হায়দরাবাদ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা মীর কামালউদ্দিন খাঁর জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৬৭৬ সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব আলীবর্দী খানের জন্ম, মৃত্যুঃ ১০-০৪-১৭৫৬ তারিখ। ১৬৮৬ সালের ২৪ মে, থার্মোমিটারের উদ্ভাবক পোলিশ-জার্মান পদার্থবিদ ডানিয়েল গাব্রিয়েল ফারেনহাইটের জন্ম, মৃত্যু-১৬-০৯-১৭৩৬ তারিখ। ১৬৯১ খ্রিষ্টাব্দে মীর মোহাম্মদ জাফর আলী খানের জন্ম, মৃত্যু-০৫-০২-১৭৬৫ তারিখ। জাফর আলী খান ১৭২৭-২৮ খ্রিষ্টাব্দের দিকে নবাব আলীবর্দী খানের বৈমাত্রের ভগিনী শাহ খানমের সাথে বিবাহ হয়। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার মায়ের সৎ ফুফুকে বিয়ে করেন মির জাফর আলী খান। এক কথায় সিরাজ-উদ-দৌলার নানার সৎ বোনের স্বামী-মির জাফর।
১৭০৩ সালে যুক্তরাজ্য প্যাট্রিক মুরের জন্ম (প্যাট্রিক মুরের জন্ম-১৭০৩ সালে, ৩ বছর বয়সে প্যাট্রিকমুরে বৃটিশ সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদে যোগ দেন)। ১৭০৬ সালে আমেরিকাতে মার্কিন সাংবাদিক, বিজ্ঞানী ও কবি-সাহিত্যিক বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জন্ম, মৃত্যু-১৭-০৪-১৭৯০ তারিখ। ১৭১৩ সালের ৫ অক্টোবর, ফরাসী দার্শনিক ঔপনাসিক, প্রাবন্ধিক ও এনসাইক্লোপেডিস্ট ডেনিস দিদেরো জন্মগ্রহণ করেন এবং প্যারিসে মৃত্যু-৩০-০৭-১৭৮৪ তারিখ। ১৭১৭ সালে বাংলার নবাব মীর কাশিমের জন্ম,  ইন্তেকাল ০৬-০৬-১৭৭৭ তারিখ। ১৭২৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, পলাশী যুদ্ধের বিজেতা এবং বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের স্থপতি আয়ারল্যান্ডের একটি মাঝারি জমিদার পরিবারে রবার্ট লর্ড ক্লাইভের জন্ম, মৃত্যু-২২-১১-১৭৭৪ তারিখ তিনি গুলিতে আত্মহত্যা করেন। ১৭২৮ সালে নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লাহর জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৭-১৭৫৭ তারিখ। তাঁর পূর্ণ নাম ও পদবি হয়-নবাব মনসুর-উল-মুলক মির্যা মোহাম্মদ শাহ কুলি খান সিরাজ-উদ-দৌলা হয়বত জঙ বাহাদুর নামে ১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ এপ্রিল মহা জাঁকজমকের সঙ্গে তাঁর মাতামহের মসনদে আরোহণ করেন। (তাঁর মাতামহ নবাব আলিবর্দী খান ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল, বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব আলীবর্দী খাঁর ইন্তেকাল। মারা যাওয়ার ৭(সাত) দিন পর ক্ষমতা গ্রহণ করে নবাব সিরাজ-উদ্দৌলাহ’র সিংহাসনে আরোহণ করেন। নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ ক্ষমতাচ্যুত হন ২৩-০৬-১৭৫৭ তারিখ।) ১৭২৮ সালের ২৭ অক্টোবর, ইংরেজ পর্যটক ক্যাপটেন জেমস কুক জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-১৪-০২-১৭৭৯ তারিখ। ১৭৩০ সালের ২ সেপ্টেম্বর, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চব্বিশ পরগনা জেলার কচুয়া গ্রামে (বাংলা ১১৩৭ সনের ১৮ ভাদ্র) লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্ম, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বারদী গ্রামে মৃত্যু-০২-০৬-১৮৯০ তারিখ (বাংলা ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১২৯৭ সন)। মারা যান ১৬০ বছর বয়সে। সিদ্ধ মহাপুরুষ লোকনাথ ব্রহ্মচারী জীবনের শেষ দিনগুলো এ গ্রামেই অতিবাহিত করেন। আজকের বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমের কারণেই বিখ্যাত। জ্যোতিবসুর পৈতৃক ভিটা এ গ্রামেই অবস্থিত। ঢাকা থেকে বারদী খুব একটা  দূরের পথ নয়। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্ব হবে। ১৭৩২ সালের ৩ জানুয়ারি, শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবী ও দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসীনের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-১১-১৮১২ তারিখ। ১৯০৬ সালে হাজী মহসীন ট্রাষ্ট ফান্ড গঠিত হয় কলকাতায়। ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, মার্কিন যুক্তরাষ্টের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের জন্ম, মৃত্যু-১৪-১২-১৭৯৯ তারিখ।
১৭৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিস্কারক স্কটিশ বিজ্ঞানী জেম্স ওয়াটের জন্ম, ২৫-০৮-১৮১৯ তারিখ,  ৮৩-বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরন করেন। ১৭৩৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর, লন্ডনের মেফেয়ারে একটি অভিজাত পরিবারে ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিশের জন্ম, ০৫-১০-১৮০৫ তারিখ, ভারতের গাজীপুরে মারা যান। ১৭৫৭ থেকে ১৭৯২ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা ও ঔপনিবেশিক শাসক। আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনকালে একজন ডাকসাইটে ব্রিটিশ জেনারেল হিসেবে তার পরিচিতি ছিল সর্বত্র। ১৭৪৯ সালের ২৮ আগষ্ট, জার্মানীর ফ্রাঙ্কফুট শহরে জার্মান মহাকবি যোহান উলফগ্যাঙ ভন গ্যাটের জন্ম, মৃত্যু-২২-০৩-১৮৩২ তারিখ। তাঁর জার্মান সাহিত্যিকের সাহিত্য জীবন শুরু হয় ১৭৬৭ সালে। ১৭৫০ সালের ২০ নভেম্বর, ভারতের মহিশূরে টিপু সুলতানের জন্ম, ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধে মহিশূরের টিপু সুলতান নিহত হন ০৪-০৫-১৭৯৯ তারিখ। ১৭৫১ সালের ২৫ মে, বাংলায় মুদ্রিত প্রথম ব্যাকরণ গন্থের রচয়িতা হ্যালহেডের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৭৫৩ সালে ইংল্যান্ডে অর্থনীতিবিদ ডেভিড রিকার্ডোর জন্ম, মৃত্যু-১১-০৯-১৮২৩ তারিখ। ১৭৫৪ সালে বিখ্যাত দার্শনিক ইমানুয়েল ক্যান্টের জন্ম, মৃত্যু-১২-০২-১৮২৪ তারিখ। ১৭৫৫ সালের ১০ এপ্রিল, জার্মানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিদ্যার জনক ফ্রেডরিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের জন্ম, মৃত্যু-০২-০৭-১৮৪৩ তারিখ। ১৭৫৫ সালের ১১ এপ্রিল, পার্কিনসন রোগের উদ্ভাবক জেমস পার্কিনসনের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৭৬১ সালে বৃটিশ মিশনারী ও বাংলা গদ্যের প্রথম যুগের লেখক উইলিয়াম কেরীর জন্ম, মৃত্যু-০৯-০৬-১৮৩৪ তারিখ। ১৭৬৫ সালে দার্শনিক জোহানগট লিব ফিকটের জন্ম, মৃত্যু-১৮৫৪ সালে। ১৭৬৯ সালের ১৫ আগষ্ট, কর্সিকাতে ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের জন্ম, মৃত্যু-০৫-০৫-১৮২১ তারিখ। ১৭৭০ সালে ফরিদপুর জেলার তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমার শামাইল গ্রামে ভূমিষ্ঠ হন বৃটিশ বিরোধী সংগ্রামের বীর সেনানী হাজী শরীয়াত উল্লাহ(রহ.) এবং মৃত্যু-২২-০১-১৮৩৯ তারিখ। হাজী শরীয়াত উল্লাহ(রহ.) ছিলেন মুসলিম রেনেসাঁর অগ্রপথিক। হাজী শরীয়াত উল্লাহ(রহ.) ১৭৯২ সালে জ্ঞান অর্জনের জন্য কলকাতা চলে যান। ১৭৯৯ সালে মৌলভী বাসারত আলী-হাজী শরীয়াত উল্লাহ(রহ.)কে সঙ্গে নিয়ে মক্কা শরীফ গমন করেন। ১৭৭০ সালের ২৭ আগষ্ট, দার্শনিক জর্জ ভিলহেলম ফ্রেডারিক হেগেলের জন্ম, মৃত্যু-১৪-১১-১৮৩১ তারিখ। ১৭৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর, বনের বাড়িতে জার্মানীর বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ফন বিটোফেনের জন্ম, মৃত্যু-২৬-০৩-১৮২৭ তারিখ ভিয়েনায়। ১৭৭৪ সালের ৭ মে, ফ্রান্স থেকে আসা আয়াল্যান্ডে এক প্রটেস্ট্যান্ট পরিবারে বুফোর্টের জন্ম, মৃত্যু-১৭-১২-১৮৫৭ তারিখ। এভাবেই সম্মান জানানো হয়েছে সমুদ্র অভিযান, সমুদ্র পথ, সমুদ্র উপকুল অনুসন্ধানী বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস বুফোর্টকে। ১৭৭৪ সালের ১০ মে, বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায় হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে বাংলার তথা ভারতের প্রথম আধুনিক পুরুষ বলা হয়। ১৮৩৩ সালে রাজা রামমোহন রায় লন্ডনে ফিরে আসেন এবং ২৭-০৯-১৮৩৩ তারিখ বৃষ্টল শহরে মৃত্যুবরণ করেন। ১৭৭৪ সালের ১৭ অক্টোবর, ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ড থানার হরিশপুর গ্রামে (কুষ্টিয়া জেলায়) বাউল সম্রাট ও মরমী কবি ফকির লালন শাহের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৭-১০-১৮৯০ তারিখ।
১৭৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের শেষ মুগল সম্রাট আবু জাফর সিরাজুদ্দিন মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ জাফর (দ্বিতীয়)-এর জন্ম, ১৮৫৮ সালের ৯ মার্চ, ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর রেঙ্গুনে নির্বাসিত হন। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পর শেষ মুগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে শেকলে বন্ধী করে বার্মায় নির্যাতনে পাঠানো হয়। বাহাদুর শাহ জাফর দীর্ঘ ৪-বছর এক গ্যারেজে অন্তরীণ থাকার পর ১৮৬২ সালের ৭ নভেম্বর, পরিচয়হীনভাবে অবমাননাকর অবস্থায় রেঙ্গুনের উপকন্ঠে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার এ মৃত্যতেও ব্রিটিশ সিংহের ভয় কাটেনি বলেই মনে হয়। কারণ তার কবরের কোনো সুস্পষ্ট চিহ্ন রাখা হয়নি।  এর আগে তাঁর পুত্রদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। রেঙ্গুনে বাহাদুর শাহ জাফরের মাজার অলংকরণে ভারতের প্রস্তাব গ্রহণ করলো মিয়ানমার ঃ তার এই কবরের সঠিক অবস্থান বহুকাল অজ্ঞাত থাকার পর মাত্র ১৯৯১ সনে একটি স্মারক ভবন নির্মাণের জন্য খোঁড়াখোঁড়ির সময় কবরটির অবস্থান আবিস্কৃত হয়। কবরের নিচের মাটিতে রয়েছে এ কবর। ওপরেরটি নকল। দৃশ্যতঃ মনে হয় ভারতের শেষ সম্রাটকে নিয়ে ভারতে যাতে জাতীয়তাবাদী আবেগের জোয়ার না সৃষ্টি হয় সেজন্যই এ কৌশল। এ ধরণের মর্মান্তিক পরিণতির কথা অনুমান করেই খুব সম্ভবত তিনি তাঁর এ অমর কাব্যচরণ লিখতে প্রেরণা পেয়েছিলেন  “দো গজ জমিন ভি না মিলি”। অর্থাৎ যে আসমুদ্র হিমাচল ভারতের অধীশ্বর ছিলেন তিনি সেই তারও শেষ শয়নের জন্য হিন্দুস্তানের মাটিতে মাত্র দু‘গজ যায়গাও মিললো না। ১৭৭৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর, রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডারের জন্ম, রুশ জার আলেকজান্ডার (প্রথম)-এর মৃত্যু-০১-১২-১৮২৫ তারিখ।
১৭৮১ সালের ৯ জুন, রেলওয়ে ইঞ্জিনের নকশাকার ও স্টিম ইঞ্জিনের রূপকার ইংরেজ উদ্ভাবক জর্জ স্টিফেনসনের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৮-১৮৪৮ তারিখ। ১৭৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাট মহকুমার চাঁদপুর গ্রামে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী মীর নিসার আলীর (শহীদ তিতুমীর) জন্ম, মৃত্যুঃ ১৪-১২-১৮৩১ তারিখ। ১৭৮২ সালের ২১ এপ্রিল, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা পদ্ধতির উদ্গাতা ফ্রিডরিখ ফ্রোয়েবেলের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৭৯১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, ইংরেজ রসায়ন ও পদার্থবিদ মাইকেল ফ্যারাডে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-১৮৬৭ সালে। (১৮৪৫ সালে বিদ্যুৎ আবিস্কারক)। ১৭৯২ সালের ২৫ ডিসেম্বর, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চার্লস ব্যাবেজের জন্ম, মৃত্যু-১৮-১০-১৮৭১ তারিখ। তিনি ১৮২২ সালে ডিফারেন্স মেশিন নামের বিশ্বের প্রথম কমপিউটার তৈরি করেন। ১৭৯৪ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোর সুবিদিত ঠাকুর পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবসা বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা দ্বারকানাথ ঠাকুরের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-০১-০৮-১৮৪৬ তারিখ। ১৭৯৫ সালের ৩১ অক্টোবর, ইংরেজ কবি জন কিটসের জন্ম; মৃত্যু-২৩-০২-১৮২১ তারিখ। ১৭৯৭ সালে অযোধ্যার অন্তর্গত খয়রাবাদে জন্মগ্রহণ করেন মাওলানা ফজলে হক খায়রাবাদী, মৃত্যু-১৮৬১ সালে আন্দামান দ্বীপে। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবে মাওলানা ফজলে হক খায়রাবাদী প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে আন্দামান দ্বীপে নির্বাসনে পাঠায়। ১৭৯৭ সালে ভারতের দিল্লী শহরে উর্দু ও ফার্সি সাহিত্যের মহাকবি কবি মির্জা আসাদ উল্লাহ খান গালিবের জন্ম, ইন্তেকাল-১৫-০২-১৮৬৯ তারিখ। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ হয়েছে। এ বিদ্রোহের তিনি একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। ১৮০৪ সালের ২৮ জুলাই, জার্মান বস্তুবাদী দার্শনিক ল্যুৎদভিগ ফয়েরবাখের জন্ম, মৃত্যু-১৩-০৯-১৮৭২ তারিখ। ১৮০৯ সালের ৪ জানুয়ারি, অন্ধদের পাঠ পদ্ধতির উদ্ভাবক ফরাসী গবেষক লুই ব্রায়ির জন্ম, মৃত্যু-২৮-০৩-১৮৫২ তারিখ। ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের ষোলতম প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বখ্যাত মানবতাবাদী নেতা আব্রাহাম লিংকনের জন্ম, মৃত্যু-১৫-০৪-১৮৬৫ তারিখ। ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, ইংল্যান্ডের শ্রæসবরিতে বিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস রবার্ট ডারউইনের জন্ম, মৃত্যু-১৮-০৪-১৮৮২ তারিখ। তাঁর লেখা ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিজ’ বহুল আলোচিত গ্রন্থটি ১৮৫৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৮১৫ সালের ১৭ অক্টোবর, আলিগড়ের প্রখ্যাত মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষার অগ্রদূত, নেতা, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক স্যার সৈয়দ আহমদের জন্ম, মৃত্যু-১৮৯৮ সালে। ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর, যুক্তরাজ্য, লন্ডন, অগাষ্টা আডা বায়রনের (আডা লাভলেস) জন্ম, মৃত্যু-২৭-১১-১৮৫২ তারিখ। পৃথিবীর প্রথম কমপিউটার প্রোগ্রামার। চার্লস ব্যাবেজ উদ্ভাবিত কমপিউটারের জন্য প্রথম প্রোগ্রাম লেখেন। ১৮১৭ সালের ১৫ মে, কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে বাংলা গদ্যের লেখক মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যুঃ ০৫-০১-১৯০৫ তারিখ। ১৮১৮ সালের ৫ মে, জার্মানে সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্কসের জন্ম; ইংল্যান্ডে মৃত্যু-১৪-০৩-১৮৮৩ তারিখ। ১৮৪৮ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, কার্ল-মার্কস কম্যুনিষ্ট মেনিফেষ্টো ঘোষণা করেন। ১৮৪৮ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, কার্ল-মার্কস ও ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস কমিউনিষ্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেন। ১৮১৮ সালে ঢাকার নবাব স্যার নওয়াব খাজা আবদুল গনির জন্ম, মৃত্যু-১৮৭৩ সালে। খাজা আবদুল গনি বংশানুক্রমিক নবাব উপাধি লাভ করেন ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ১৮৬৫ সালে। ১৮২০ সালের ১২ মে, ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে ইংরেজ সেবিকা ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলের জন্ম, ১৩-০৮-১৯১০ তারিখ, এ মানব দরদী মহীয়সী নারীর মৃত্যু। ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও মানবতাবাদী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম; মৃত্যুঃ ২৯-০৭-১৮৯১ তারিখ। ১৮৪০ সালে ঈশ্বরচন্দ্র ‘‘বিদ্যাসাগর’’ উপাধি পান। ১৮৮০ সালে বিদ্যাসাগর সি. আই. ই. উপাধি লাভ করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বাংলা গদ্য সাহিত্যের জনক বলা হয়। ১৮২০ সালের ২৮ নভেম্বর, জার্মানে এঙ্গেলসের জন্ম, ইংল্যান্ডে মৃত্যু-১৮৯৫ সালে। ১৮২০ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মহারাষ্ট্রে সিপাহী বিপ্লবের আপসহীন নেত্রী ঝাঁসীর রানী লক্ষীবাই’র জন্ম, মৃত্যু-১৭-০৬-১৮৫৮ তারিখ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারাণ। ১৮২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর, ফরাসী রসায়নবিদ ও অনুজীব বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৯-১৮৯৫ তারিখ। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোরের সাগর দাঁড়ির দত্ত পরিবারের একমাত্র পুত্র মহাকবি ও সাহিত্যক মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-০৬-১৮৭৩ তারিখ কলকাতার আলীপুর হাসপাতালে।
১৮২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, রাজনৈতিক দাদাভাই নওরোজির জন্ম, মৃত্যু-১৯১৭ সালের ৩০ জুন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম এশীয় সদস্য দাদাভাই নওরোজীর মৃত্যু। ১৮২৬ সালের ২৪ জানুয়ারি, অবিভক্ত ভারতের প্রথম ব্যারিস্টার গণেন্দ্রমোহন ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-০৫-০১-১৮৯০ তারিখ। ১৮২৭ সালের ৫ এপ্রিল, পচনরোধী ওষুধের আবিষ্কারক ইংরেজ চিকিৎসক যোসেফ লিস্টারের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৮২৮ সালের ৮ মে, রেডক্রসের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে এক ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-১৯১০ সালের ৩০ অক্টোবর। ১৮২৮ সালের ২৮ আগষ্ট, মানবতাবাদী লেখক ও রাশিয়ার বিপ্লবী সাহিত্যিক লেভ টলষ্টয়ের জন্ম; মৃত্যু-২০-১১-১৯১০ তারিখ। ১৮২৮ সালের ৩১ অক্টোবর, বৃটিশ রসায়নবিদ ও বিদ্যুৎ বাতির উদ্ভাবক জোসেফ সোয়ানের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৮২৮ সালে নবাব আব্দুল লতিফ ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন; তিনি ১৮৪৮ সালে কলকাতা মাদ্রাসার ইংরেজী ও আরবী বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন, ১৮৬২ সালে নবাব আব্দুল লতিফ মুসলমানদের মধ্যে প্রথমবঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন এবং ১৮৮৪ সালে নবাব আব্দুল লতিফ চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন, মৃত্যুঃ ১০-০৭-১৮৯৩ তারিখ। ১৮৩২ সালে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার চিতওয়া গ্রামে ওবায়দুল্লাহ আল ওবায়দী সোহরাওয়ার্দীর জন্ম, ঢাকায় মৃত্যু-০৯-০২-১৮৮৫ তারিখ।
১৮৩৩ সালের ২০ জুলাই, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কুন্ডুপাড়ার এক দরিদ্র পরিবারে গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৎ উনিশ শতকের সংবাদপত্র গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক কাঙাল হরিণাথ মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০৪-১৮৯৬ তারিখ। ১৮৬৩ সালে কুমারখালী বাংলা পাঠশালার প্রধান শিক্ষক কাঙাল হরিণাথ মজুমদার মাসিক গ্রামবার্তা প্রকাশিকা প্রকাশ করেন। ১৮৩৩ সালের ২১ অক্টোবর, সুইডেনের রাজধানী স্কটহোমে জন্মগ্রহণ করেন আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেল, মৃত্যু-১০-১২-১৮৯৬ তারিখ। তিনি সুইডেনের একজন খ্যাতিমান শিল্পপতি, বিজ্ঞানী, যিনি বিশ্বের সেরা এই পুরস্কারের প্রবর্তক, যা তাঁর নিজ নামে সন্নিহিত তথা নোবেল প্রাইজ রুপে বিশ্ববিশ্রুত। ১৮৬৭ সালে পেটেন্টকৃত আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেলের বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টিকারী আবিস্কার ‘ডিনামাইট’ জগৎ জুড়ে শিল্প উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিস্ময়কর অবদান রেখে আসছে। ১৯০১ সালে প্রথমবার নোবেল প্রাইজ প্রদানের পর থেকে অদ্যাবধি কোন বিশেষ ব্যক্তিকে প্রদান করা হয় তা নোবেল কমিটি কর্তৃক প্রকাশের পূর্বে কেউই নিশ্চিতভাবে জানতে পারে না। পৃথিবীর মধ্যে এ পুরস্কার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। ১৮৩৪ সালের ১৪ মে, নরসিংদীর সদর উপজেলার মেহেরপাড়ায় কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক গিরিশ চন্দ্র সেনের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৫-০৮-১৯১০ তারিখ। তিনি ১৮৮০ থেকে ১৮৮৬ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর কাজ করে কোরআন শরিফের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। ১৮৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার হোমনাবাদ পরগনার পশ্চিমগাঁও-এ নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৯-১৯০৩ তারিখ। ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী কুমিল্লা জেলার প্রথম নবাব উপাধি পান। ১৮৩৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘরের পশ্চিম ঘোষপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন প্রতিথযশা এ আইনবিদ স্যার চন্দ্রমাধব ঘোষ, মৃত্যু-জানা নেই। ১৯০৬ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৮৩৮ সালের ২৬ জুন, বাংলা উপন্যাসিক ও প্রবন্ধ-নিবন্ধ সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম; মৃত্যু-০৮-০৪-১৮৯৪ তারিখ। ১৮৪০ সালের ১১ মার্চ, কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবি, দার্শনিক, গনিতজ্ঞ, বাংলা শর্টহ্যান্ড ও স্বরলিপির উদ্ভাবক, চিত্রশিল্পী ও স্বদেশ প্রেমিক দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যু-১৯-০১-১৯২৬ তারিখ।
১৮৪০ সালে হুগলি জেলা নিবাসি দেলোয়ার হোসেন আহমেদ বা মির্যা দেলোয়ার হোসেনের জন্ম (মুসলমানের মধ্যে প্রথম গ্র্যাজুয়েট হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮৬৩ সালে) মৃত্যু-১৯১৬ সালে। ১৮৪০ সালে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার অমৃতবাজার গ্রামে সংবাদপত্রের জগতের কিংবদন্তি শিশির কুমার ঘোষের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১০-০১-১৯১১ তারিখ। ১৮৬৮ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, প্রকাশ করেন ‘সাপ্তাহিক অমৃতবাজার’ পত্রিকা । ১৮৭১ সালে সপরিবারে কলকাতায় গিয়ে সেখান থেকেই ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’ বের করতে থাকেন। ১৮৯১ সালে পত্রিকা দৈনিক হিসেবে প্রকাশ হতে থাকে। ১৮৪৪ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, নাট্যকার, পরিচালক ও বাংলা নাটকের লেখক গিরিশচন্দ্র ঘোষের জন্ম, মৃত্যু-১০-০১-১৯১১ তারিখ। ১৮৪৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পেয়ারাকান্দি গ্রামের কাজী বাড়িতে নবাব সিরাজুল ইসলামের জন্ম, মৃৃত্যু-১৯২৩ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে নবাব সিরাজুল ইসলাম ১৮৬৮ সালে বি. এ. পাশ করেন (কুমিল্লা জেলার প্রথম গ্রাজুয়েট) এবং কিছুকাল তিনি পোগোজ হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত থাকেন। পরে তিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হন। ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকুরী চলে যাবার পর কলকাতা আইন কলেজ থেকে আইন পাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের ইংরেজী শিক্ষিত প্রথম মুসলমান এডভোকেট ছিলেন। সিরাজুল ইসলাম ১৯০৬ সালে ‘নবাব’ উপাধি পান। ১৮৪৬ সালে ঢাকার নবাব স্যার খাজা আহসান-উল্লাহর জন্ম, মৃত্যু-১৬-১২-১৯০১ তারিখ। ১৮৪৭ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, কানাডার মিলানে মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম এবং মৃত্যু-১৮-১০-১৯৩১ তারিখ। ১৮৪৭ সালের ৩ মার্চ, এডিনবার্গ, স্কটল্যান্ডে, আলেকজান্ডার গ্রাহামবেলের জন্ম, মৃত্যু-০২-০৮-১৯২২ তারিখ। ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর, কুষ্টিয়া জেলার গৌরী নদীর তীরে লাহিনীপাড়া গ্রামে ‘বিষাদসিন্ধু’র রচয়িতা ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেনের জন্ম, মৃত্যুঃ ১০-১২-১৯১২ তারিখ।
১৮৪৯ সালের ৬ এপ্রিল, উড়িষ্যার কটকে বিচারপতি স্যার সৈয়দ আমীর আলীর জন্ম; মৃত্যু-০৩-০৮-১৯২৮ তারিখ লন্ডনে। ১৮৭৩ সালে সৈয়দ আমীর আলী ব্যারিস্টার হন। ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম প্রিভি কাউনসিল হন সৈয়দ আমীর আলী। ১৮৯০ সালের ২ জানুয়ারি, সৈয়দ আমীর আলী কলকাতা হাইকোর্টের মুসলমানের মধ্যে প্রথম বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ১৮৬৮ সালে এম. এ. (ইতিহাস)-এ পাস করেন হুগলি কলেজ থেকে, তিনি বাঙালি মুসলমানের মধ্যে প্রথম এম. এ. পাস এবং প্রথম ব্যারিস্টারও তিনি। ১৮৪৯ সালে বিক্রমপুরের গাড়ডুগা গ্রামে প্রখ্যাত গণিতশাস্ত্রবিদ অধ্যাপক রাজকুমার সেনের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। পদার্থ বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনাসহ জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, সুনামগঞ্জের লক্ষণশ্রী গ্রামের বিখ্যাত জমিদার, বাংলার মরমী কবি ও সাধক হাছন রাজার জন্ম, মৃত্যুঃ ০৭-১২-১৯২২ তারিখ। মরমী কবি হাছন রাজা হলো দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফের নানা। ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই, ইংল্যান্ডের ভুবলিন শহরে নোবেল বিজয়ী কবি ও সাহিত্যিক জর্জ বার্নার্ড শ’র জন্ম, মৃত্যু-০২-১১-১৯৫০ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯২৫ সালে নোবেল পান। ১৮৫৬ সালের ২৫ জানুয়ারি, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার অন্তর্গত বাটোজোর একটি ছোট গ্রামের সচ্ছল কায়স্থ ভূম্যধিকারী পরিবারে জনহিতৈষী ও জাতীয়তাবাদী নেতা এডভোকেট অশিনীকুমার দত্তের জন্ম, মৃত্যু-০৭-১১-১৯২৩ তারিখ। ১৮৫৬ সালে পেনসিলভানিয়ার ক্রেসনে উত্তর মেরুজয়ী মার্কিন অভিযাত্রী রবার্ট পিয়েরির জন্ম, ১৯২০ সালে মারা যান। ১৯১১ সালে রিয়ার এডমিরাল হিসেবে অবসর নেন পিয়েরি। ১৯০৯ সালের ৬ এপ্রিল, বহু দিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী ম্যাথু হ্যানসন ও চারজন দুঃসাহসী এস্কিমো নিয়ে প্রথম পা রাখলেন আর্কটিকের উত্তর মেরুতে রবার্ট পিয়েরি। উত্তর মেরুজয়ের ১০০ বছর পুরো হবে ০৬-০৪-২০০৯ তারিখ। ১৮৫৭ সালের ৮ নভেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের সাদক ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁর জন্ম, মৃত্যু-২৫-০১-১৯৩৩ তারিখ। ১৮৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, যুক্তরাষ্টের ২৬তম প্রেসিডেন্ট থিডোর রুজবেল্টের জন্ম, ১৯১৯ সালের ৬ জানুয়ারি, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের মৃত্যু।
১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর, বিজ্ঞানী স্যার জগদীস চন্দ্র বসু ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন (মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের রাড়িখাঁল গ্রামে বাবার বাড়ি), ২৩-১১-১৯৩৭ তারিখ গিরিডিতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি শিক্ষাজীবন শুরু করেন ফরিদপুরের একটি স্কুলে। তারপর ১১ বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে যান। সেখানে সেন্ট জিভিয়ার্স স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৮৭৫ সালে এন্ট্রান্স পাশ করেন। ১৮৭৯ সালে বিজ্ঞান বিষয়ে বি.এ. পাশ করেন। ১৮৯৬ সালে লন্ডন ভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব সাইন্স’ উপাধি পান। ১৮৫৮ সালে বাঙ্গালী ঐতিহ্য ও হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ইরানী বংশোদ্ভূত বাংলাকাব্যের মহাকবি কায়কোবাদ ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ, মৃত্যুবরণঃ ২১-০৭-১৯৫১ তারিখ। ১৮৫৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বিটঘর গ্রামে মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-১৯৪৩ সালে। মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের আর্থানুকূলে ২৫টির অধিক উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মক্তব পরিচালিত হয়। উনার বাবার নামে কুমিল্লা ইশ্বর পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৮ সালে উপমহাদেশের নন্দিত গণিতসম্রাট যাদবচন্দ্র চক্রবর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার কামারচন্দ্র থানার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২৬-১১-১৯২৩ তারিখ। তিনি ১৮৭৬ সালে এন্ট্রান্স, ১৮৭৮ সালে এফ. এ., ১৮৮০ সালে বি.এ. পাস করেন এবং ১৮৮৬ সালে গণিতে এম. এ. পাস করেন প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে। বি. এ. পাস করার পর ১৮৮১ সালে ছয় বছর মিশন কলেজ ও সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৮৮৭ থেকে একাদিক্রমে ২৮ বছর অধ্যাপনা করেন। ১৯১৫ সালে অবসর নেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৮৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি, ভারতের ভাইসরয় লর্ড জর্জ কার্জন জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২০-০৩-১৯২৫ তারিখ। ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ গোয়েন্দা কাহিনীর লেখক, শার্লক হোমসের রচয়িতা স্যার আর্থার বোনান ডয়েলের জন্ম, মৃত্যু-১৯৩০ সালে। ১৮৫৯ সালের ২৩ অক্টোবর, যশোরের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব রায়বাহাদুর যদুনাথ মজুমদারের জন্ম, মৃত্যু-২৪-১০-১৯৩২ তারিখ। ১৮৮১ সালে এম. এ. পরীক্ষায় ইংরেজীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। দীর্ঘকাল ছিলেন যশোর পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, যশোর জেলা বোর্ডের প্রথম মনোনীত চেয়ারম্যানও।
১৮৬১ সালের ৭ মে, (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বাংলা) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যু-০৭-০৮-১৯৪১ তারিখ। ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে মৃণানিলী দেবীর বিয়ে হয়। তিনি ১৯১৩ সালের ১৫ নভেম্বর, নোবেল পুরস্কার পেয়ে বাঙ্গালীদের মন জয় করেছিলেন। ১৮৬১ সালের ১৮ জুলাই, প্রথম বাঙালি নারী চিকিৎসক কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর জন্ম, (১৮৮৬ সালে প্রথম ভারতীয় ডিগ্রিপ্রাপ্ত নারী চিকিৎসক ছিলেন) মৃত্যুঃ ০৩-১০-১৯২৩ তারিখ। ১৮৬১ সালে ঢাকা জেলার মহেশ্বরদী পরগনার নরসিংদী গ্রামে কবিগুণাকর হরিচরণ আচার্য্যরে জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৫-১৯৪১ তারিখ। ১৮৬২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ভারতের কাশ্মীরে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনীতিবিদ পন্ডিত মতিলাল নেহেরুর জন্ম, মৃত্যুঃ ০৬-০২-১৯৩১ তারিখ। ১৮৬২ সালের ১০ নভেম্বর, ইংল্যান্ডের উম্বারল্যান্ডের হেপসকট শহরে রমনা-নিসর্গের স্থপতি রবার্ট লুইস প্রাউডলকের জন্ম, মৃত্যু-১৯৩৬ সালের পরে হবে, জানা নেই। প্রায় ১০০ বছর আগে তিনি রাজধানী শহর ঢাকাকে উদ্যানের নগর হিসেবে গড়ে তুলতে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, সেই অসামান্য অবদানের জন্য তিনি আমাদের কাছে নমস্য হয়ে থাকবেন। ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, নবীনগর উপজেলার, শিবপুর গ্রামে সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র জন্ম, মৃত্যু-মাইসুর, কলকাতাঃ ০৬-০৯-১৯৭২ তারিখ। ১৮৬৩ সালের ১ জানুয়ারি, আধুনিক ওলিম্পিক ক্রীড়ার ‘জনক’ তিনি হলেন ফ্রান্সের বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী ব্যারন পিয়ের দ্য কুব্যাঁর্ত্যাের জন্ম, মৃত্যু-০২-০৯-১৯৩৭ তারিখ। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি, হিন্দুধর্ম ও সমাজ সংস্কারক স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন, ০২-০৭-১৯০২ তারিখ ৯টা ৫০মিনিটের সময় মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৬৩ সালের ১০ মে, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মাছূয়া গ্রামের রায় পরিবারে উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ২০-১২-১৯১৫ তারিখ। উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী ছিলেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধু। উপেন্দ্র কিশোর রায় ১৮৯৪ সালের দিকে কলকাতায় বইছাপা কারখানা দেন এবং পরে নিজেই পাবলিসারস হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৮৬৩ সালে ফেনী জেলার শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক খান বাহাদুর আবদুল আজীজের জন্ম, মৃত্যু-১৯২৬ সালে। তাঁর পিতা আমজাদ আলী ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারী। আবদুল আজীজ ঢাকা কলেজ থেকে ১৮৮৬ সালে বি.এ. পাস করে। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার প্রথম গ্র্যাজুয়েট ছিলেন। পরিচয় হলোঃ কবি হাবিবুল্ল¬াহ বাহার ও কবি শামসুন নাহারের নানা। ১৮৬৩ সালে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিখ্যাত চিকিৎসক এবং শিক্ষাবিদ ডা. হাকিম আজমল খানের জন্ম, মৃত্যু-১৯২৭ সালে। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জাতীয় কংগ্রেস, মুসলিম লিগ এবং অল ইন্ডিয়া খিলাফত কমিটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৮৬৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর, ধনবাড়ি, টাঙ্গাইল, নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৭-০৪-১৯২৯ তারিখ। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম মন্ত্রী, বিশিষ্ট লেখক, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৬৪ সালের ২৯ জুন, প্রধান বিচারপতি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম হয় কলকাতা মলঙ্গা লেনের এক বাসাবাড়িতে এবং ২৫-০৫-১৯২৪ সালে পাটনায় হঠাৎ-ই পরলোগমন করেন। ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলার বাসন্ডা গ্রামে কবি কামিনী রায়ের জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৯-১৯৩৩ তারিখ। তিনি ১৫ বছর বয়সেই লিখেছেন প্রথম কবিতাগ্রন্থ “আলো ও ছায়া”। ১৮৬৬ সালে নাছিরনগর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামে নবাব স্যার সৈয়দ শামসূল হুদার জন্ম, (সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন) মৃত্যু-১৯২২ সালে। ১৮৬৬ সালে চীনা জাতীয়তাবাদী নেতা সানইয়াৎ সেনের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৩-১৯২৫ তারিখ। ১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর, ওয়রশতে পোলিশ বংশোদ্ভূত ফরাসি রসায়নবিদ ও বিশ্বের প্রথম তেজস্ক্রিয় মৌল পোলোনিয়ামের আবিস্কারক মেরি কুরীর জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৭-১৯৩৪ তারিখ। ১৮৯৮ সালে প্যারিসে খনিজ পিচবেøন্ড থেকে-পোলোনিয়াম নিস্কাশন করেন। পরবর্তী সময় একই বছরেই তিনি রেডিয়াম নামের আরেকটি তেজস্ক্রিয় মৌল আবিস্কার করেন। ১৮৬৭ সালে সিলেট জেলায় গজনফর আলী খানের জন্ম (গজনফর আলী খান ১৮৯৭ সালে অবিভক্ত ভারতের প্রথম বাঙালি মুসলিম আই.সি.এস. অফিসার ছিলেন) মৃত্যু-২৬-০৩-১৯৫৯ তারিখ। ১৮৬৭ সালের ১৬ এপ্রিল, অরবিল রাইট আমেরিকান ইন্ডিয়ানা প্রদেশে জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৫-১৯১২ তারিখ। ১৮৭১ সালে উইলবার রাইট আমেরিকান ইন্ডিয়ানা প্রদেশে জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৫-১৯৪৮ তারিখ। ১৯০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, রাইট ভ্রাতৃদ্বয় তাদের নির্মিত উড়োজাহাজের সফল উড্ডয়ন ঘটান। এরা দুই-ভাই বিমান উৎপাদন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। ১৮৬৭ সালে মানিকগঞ্জ জেলায় বাংলা চলচ্চিত্রের জনক ও প্রবাল পুরুষ হীরালাল সেনের জন্ম, মৃত্যু-২৯-১০-১৯১৭ তারিখ। ১৮৯৮ সালের ৪ এপ্রিল, বাংলা চলচ্চিত্রের জনক হীরালাল সেন প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।
১৮৬৮ সালের ২৮ মার্চ, রাশিয়ায় বিপ্লবী সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির জন্ম, মৃত্যু-১৮-০৬-১৯৩৬ তারিখ। ১৮৬৮ সালের ৭ জুন, পশ্চিম বাংলার উত্তর ২৪(চব্বিশ) পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার হাকিমপুর গ্রামে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ’র জন্ম, ১৯৬৮ সালের ১৮ আগষ্ট, তিনি ঢাকাতে ইন্তেকাল করেন। ১৯০৩ সালে মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। ১৯৩৬ সালে তিনি দৈনিক আজাদ পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৮৬৯ সালের ৩০ এপ্রিল, ভারতের সিনেমা জগতের অগ্রদূত দাদা সাহেব ফালকে’র জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৯১২ সালে ভারতের বোম্বে প্রথম সিনেমা তৈরী করেন দাদা সাহেব ফালকে। ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর, গুজরাটে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম, আততায়ীর গুলিতে নিহতঃ ৩০-০১-১৯৪৮ তারিখ। ১৮৭০ সালের ২২ এপ্রিল, রুশ বিপ্লবের নেতা ও মার্কসবাদের রুপকার ভøাদিমির ইলিচ মহামতি লেনিনের জন্ম, মৃত্যু-২২-০১-১৯২৪ তারিখ। ১৮৭০ সালের ৭ জুন, নবাব স্যার সলিমুল্লাহর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০১-১৯১৫ তারিখ। (রাত আড়াই ঘটিকায় কলকাতায় চৌরঙ্গীস্থ বাসভবনে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। পরদিন ১৭ জানুয়ারি, বিকেলে বিশেষ স্টীমারযোগে নবাবের মরদেহ ঢাকায় আনা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম বাজারস্থ পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হয়। ১৯০৩ সালে দিল্লীর দরবারে সপ্তম অ্যাডওয়ার্ডের মুকুট পরিধান উৎসবে সলিমুল্লাহকে নবাব বাহাদুর উপাধি প্রদান করে ইংরেজ সরকার। ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার তেলিরবাগ গ্রামে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্ম; মৃত্যুঃ ১৬-০৬-১৯২৫ তারিখ।
১৮৭০ সালে ড. স্যার আবদুল্লাহ আল-মামুন সোহরাওয়ার্দীর জন্ম, মৃত্যু-১৯৩৫ সালে কলকাতায়। তিনি ১৯০৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী বাঙালি মুসলমান। ১৮৭১ সালের ৭ আগষ্ট, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে চিত্রশিল্পী ও সাহিত্যিক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৫-১২-১৯৫১ তারিখ। ১৮৭১ সালের ১০ অক্টোবর, চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিশিষ্ট পুঁথি সংগ্রাহক ও লেখক আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ৩০-০৯-১৯৫৩ তারিখ। ১৮৭১ সালের ২০ অক্টোবর, ঢাকায় কবি, গীতিকার ও গায়ক অতুলপ্রসাদ সেনের জন্ম, লক্ষেèৗয়ে মৃত্যুঃ ২৬-০৮-১৯৩৪ তারিখ। ১৮৭২ সালের ৪ এপ্রিল, গুজরাটের বস্ত্র শিল্প অধ্যুষিত সুরাট নগরে আবদুল্লাহ ইউসুফ আলীর জন্ম, (আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী ১৮৯৫ সালে অবিভক্ত ভারতের প্রথম মুসলিম আই. সি. এস. অফিসার ছিলেন) মৃত্যু-১০-১২-১৯৫৩ তারিখ লন্ডনে। ২৩ বছর বয়সে তরুণ ইউসুফ আলী ভারতের নতুন আই. সি. এস. অফিসার হিসেবে, ১৮৯৬ সালে যুক্তপ্রদেশের সাহারানপুরে এ্যাসিসটেন্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদেন। ১৮৭২ সালের ১৮ মে, ইংল্যান্ডের মনমর্ডিথশায়ারের রাভেনস্ক্রফ্ট শহরে নোবেল জয়ী সাহিত্যিক, দার্শনিক ও গণিতজ্ঞ বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম, মৃত্যু-০২-০২-১৯৭০ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৫০ সালে নোবেল পান। ১৮৭২ সালের ১৫ আগষ্ট, কলকাতায় জাতীয়তাবাদী নেতা, আধ্যাত্মিক সাধক ও দার্শনিক অরবিন্দু ঘোষের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৫-১২-১৯৫০ তারিখ। ১৮৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়ক গ্রামে ব্যারিস্টার আবদুর রসুল, বি. সি. এল.-এর জন্ম, লন্ডনে মৃত্যুঃ ৩১-০৭-১৯১৭ তারিখ। তিনি ছিলেন এ উপমহাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা। ১৮৭২ সালের ১৬ অক্টোবর, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার খাসপুর গ্রামে সাহিত্য চর্চা, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিক ও সাংবাদিক আবদুল গফুর সিদ্দিকীর জন্ম, মৃত্যু-১৯৫৯ সালে। ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক বাকেরগঞ্জের সাতুরিয়া গ্রামে তাঁর মামার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন, ঢাকায় মৃত্যু-২৭-০৪-১৯৬২ তারিখ। চাখারে তিনি একটি একতলা ইটের বাংলো বাড়ীতে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি ১৯৩৭ সালে বাংলার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৮৭৪ সালের ৩০ নভেম্বর, ইংল্যান্ডে নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রনায়ক উইনষ্টন চার্চিল জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২৪-০১-১৯৬৫ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ সালে নোবেল পান। ১৮৭৫ সালের ৩০ অক্টোবর, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জাতীয়তাবাদী নেতা বল্লভভাই প্যাটেলের জন্ম, মৃত্যু-১৫-১২-১৯৫০ তারিখ। ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, বিখ্যাত কথাশিল্পী ও সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম, মৃত্যু-১৬-০১-১৯৩৮ তারিখ।
১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর, করাচিতে (জিন্নার বাবা-মায়ের নাম ছিল জেনাভাই ঠক্কর এবং মিঠাভাই) জেনাভাই এবং মিঠাভাইয়ের একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। প্রথা অনুসারে জেনাভাই নাম স্থির করেন, মিঠাভাই সম্মতি জানান। মুহম্মদ আলি জেনাভাই। মামলায় সম্পত্তি হারানোর পর ১৮৯৩ সালের জানুয়ারিতে তাঁর সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আদায় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মুহম্মদ আলি জেনাভাই ইংল্যান্ডে জিন্নাহ নাম ধারণ করে। করাচি থেকে ১৮৯৩ সালের জুলাই মাসে বম্বের দুর্গা মহল্লাতে থাকতে শুরু করেন মুহম্মদ আলি জিন্নাহর বাবা ও মা। জায়গাটা বম্বের কেল্লার ঠিক বাইরে। জিন্না খোজা মুসলিম ছিলেন। তিনি শিয়া গোষ্ঠীর ইথনা আশারি স¤প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। হিন্দু লোহানা, জাতি থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন খোজা স¤প্রদায়। যার মধ্যে হিন্দু-মুসলিম দুয়েরই মিশ্রণ। ভারতের গুজরাত প্রদেশে কাথিয়াবাড়ের অবস্থান, কচ্ছের বৃহৎ রানের তলায়। পশ্চিমে আরব সাগর তাকে ঘিরে রয়েছে, প্রসারিত হয়েছে স্থলের দিকে, উর্বর এবং সুজলা ‘একশো রাজত্বের’ ভূমি, ভাল নাম সৌরাষ্ট্র। কাথিয়াবাড় অর্থাৎ কাথিদের ভূমি, যেখানে পাওয়া যায় উত্তম কাথিয়াবাড়ি ঘোড়া, সুন্দরী-কাথি নারী, বিচক্ষণ বণিক এবং বহু ধনী বণিক পরিবার, হিন্দু এবং মুসলিম। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মৃত্যুবরণ করেন-১১-০৯-১৯৪৮ তারিখ করাচিতে। তিনি ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। তবে তদানীন্তন কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর আচরণে তিনি আলাদা রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, এমনকি পাকিস্তানের জন্মের পরও জিন্নাহ ঘোষণা করেছিলেন, পাকিস্তান কোনো ধর্মীয় রাষ্ট্র হবে না এবং এ রাষ্ট্র হবে সকলের জন্য সমান। জিন্নাহ এবং সরোজিনী নাইডু ইংল্যান্ডে একই সময়ে ছিলেন। জিন্না মঞ্চাভিনয় করার চেষ্টা করেছিলেন, হয়তো তা পেশা হিসেবে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। জিন্নাহ ও সরোজিনী নাইডু দুজনেই শিল্পে আগ্রহী ছিলেন, সরোজিনী কবি ও লেখক হিসেবে, জিন্না নাটকে। জিন্না ভারতবর্ষে একমাত্র ব্যক্তি জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের একসাথে প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর, সাতক্ষিরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামে শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক খান বাহাদুর আহ্ছান উল্লাহ’র জন্ম, মৃত্যু-০৯-০২-১৯৬৫ তারিখ। তিনি পরীক্ষায় রোল নম্বর সিস্টেম করেন, এর আগে পরীক্ষায় নাম লেখা থাকত। ১৮৭৭ সালের ৯ মে (বাংলা ১২৮৪ সালের ২৫ বৈশাখ) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার গোমদন্ডী গ্রামে বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবিয়াল রমেশ চন্দ্র শীলের জন্ম, মৃত্যু-০৬-০৪-১৯৬৭ তারিখ। ১৯৪৮ সালে কলকাতায় শ্রদ্ধানন্দ পার্কে কবিগানের আসরে রমেশ চন্দ্র শীলকে ‘বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবিয়াল’ উপাধি দেন উদ্যোক্তারা। ১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর, বিখ্যাত উর্দু মহাকবি ও দার্শনিক আল্লামা ইকবাল পাঞ্জাবের শিয়ালকোর্টে জন্ম এবং মৃত্যু-২১-০৪-১৯৩৮ তারিখ। ১৮৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি (বাংলা-১০ মাঘ, ১২৮৪ বঙ্গাব্দ), বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া গ্রামে সাধক ও কবি মহর্ষি মনোমোহন দত্তের জন্ম, মৃত্যু-০৫-১০-১৯১০ তারিখ (বাংলা-২০ আশ্বিন, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। মহর্ষি মনোমোহন দত্ত বেঁচেছিলেন ৩১ বছর ৮ মাস ১০ দিন। মানবতাবাদী মহর্ষি মনোমোহন দত্ত তাঁর স্বল্প আয়ুতে ২০টিরও বেশি কাব্যগ্রন্থ রচনা করে গেছেন। যার মধ্যে মলয়া (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড) সবচেয়ে আলোচিত ও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। মলয়া কাব্যগ্রন্থে গানের সংখ্যা সর্বমোট ৪২৬টি। এর মধ্যে প্রথম খন্ডে ২৮৭ এবং দ্বিতীয় খন্ডে ১৩৯টি মরমি গান লিপিবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এ মরমিসংগীত মলয়ার প্রতিটি গানের সুরারোপ করেছেন মনোমোহনের আধ্যাত্মিক জীবনের অন্যতম সাথি ও শিষ্য ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁ। এ ছাড়া তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, যোগপ্রণালী, উপাসনা প্রণালী, উপবন, তপোবন, লীলারহস্য, আরাধনা, গিরিজা মালতি, প্রেম পরিজাত, পথিক, পাথেয়, দেববাণী প্রভৃতি। ১৮৭৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, বিক্রমপুরে বানাড়ি গ্রামে চারণ কবি, গায়ক, নাট্যকার, সমাজসেবক, অভিনেতা ও পরিচালক মুকুন্দ দাসের জন্ম এবং কলকাতায় মৃত্যু-১৮-০৫-১৯৩৫ তারিখ। ১৮৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর, সোভিয়েত নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান জোসেফ স্তালিনের জন্ম, মৃত্যু-০৫-০৩-১৯৫৩ তারিখ। ১৮৭৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও, বিক্রমপুরে ভারতের কবি, রাজনীতিবিদ, বাগ্মী, স্বাধীনতা আন্দোলনের নেত্রী ও ‘প্রাচ্যের বুলবুল’ সরোজিনী নাইডুর জন্ম, লক্ষেèৗ গভর্নর হাউসে মৃত্যু-০১-০৩-১৯৪৯ তারিখ। তিনি ১৮৯১ সালে বার বছর বয়সে এন্ট্রান্স পাস। সরোজিনী নাইডু ১৯৪৫ সালে অল-ইন্ডিয়া ওমেন্স কনফারেন্স এ সভাপতি নির্বাচিত হন। উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল নিযুক্ত ১৫ আগষ্ট, ১৯৪৭ সাল থেকে আমৃত্যু এ পদে দায়িত্ব পালন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও। তাঁর পিতার নাম ড. অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন হায়দ্রাবাদ রাজ্যের নিজামের শিক্ষা উপদেষ্টা। ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ, জার্মানে আপেক্ষিকতাবাদের জনক বিখ্যাত জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্ম এবং মৃত্যু-১৮-০৪-১৯৫৫ তারিখ আমেরিকাতে। ১৮৮০ সালের ১৩ জুলাই, সিরাজগঞ্জে মুসলিম জাতীয়তাবাদের রাজনীতিক, কবি ও সাহিত্যিক সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর জন্ম, মৃত্যু-১৭-০৭-১৯৩১ তারিখ। ১৮৮০ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ি উপজেলার রাউথভোগ গ্রামে হতদরিদ্র ঘরে সূর্য কুমার বসুর জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। এ কৃতীপুরুষ পূর্ববঙ্গে সর্বপ্রথম ১৯২২ সালে ‘ঢাকেশ্বরী কটন মিলস’ নামে বস্ত্রকল প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর, রংপুর জেলার পায়রা বন্ধ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে বেগম রোকেয়ার জন্ম এবং মৃত্যু কলকাতায় ভোর রাতে-০৯-১২-১৯৩২ তারিখ। ১৮৯৮ সালে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয় তৎকালীন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর সৈয়দ সাখাওয়াৎ হোসেনের সাথে। ১৯১৬ সালে কলকাতায় ‘আঞ্জুমানে খাদেমুন ইসলাম’ নামে মুসলিম মহিলা সমিতি গঠন করেন। ১৯২৯ সালে তিনি কলকাতায় প্রথম মুসলিম মহিলা ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর, বিশ্বখ্যাত স্পেনীয় চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্ম, মৃত্যু-০৮-০৪-১৯৭৩ তারিখ। ১৮৮১ সালের ১৯ মে, আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা, স্থপতি ও মহান নেতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক পাশার জন্ম, ইন্তেকাল-১০-১১-১৯৩৮ তারিখ। ১৮৮২ সালের ৩০ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্টের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডেলানো রুজভেল্টের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৪-১৯৪৫ তারিখ। ১৮৮২ সােেলর ৯ এপ্রিল, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজার গ্রামে কবি ও সাহিত্যিক শেখ ফজলুল করিমের জন্ম, ইন্তেকাল ২৮-০৯-১৯৩৬ তারিখ। ১৮৮২ সালে ইংরেজী সাহিত্যের এক দিকপাল ভার্জিনিয়া উলফের জন্ম, আত্মহত্যা করেন-২৮-০৩-১৯৪১ তারিখ। ১৮৮৩ সালে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন কেইনসের জন্ম, মৃত্যু-১৯৬৩ সালে। ১৮৮৩ সালে ইতালীর স্বৈরশাসক বেনিত্তো মুসোলিনির জন্ম, (স্ত্রীর নাম ছিল ক্লারেটা) সস্ত্রীক নিহত হন-২৮-০৪-১৯৪৫ সালে। ১৮৮৩ সালে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া জমিদার পরিবারে মুসলিম ঐতিহ্য ঔপন্যাসিক মোহাম্মদ নুরুল হক চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-০৩-০২-১৯৮১ তারিখ। ১৮৮৪ সালের ১২ মার্চ, টাঙ্গাইল জেলার বিল্লাইক গ্রামে আইনজীবী ও সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের জন্ম, মৃত্যু-১২-০২-১৯৬১ তারিখ। ১৮৮৪ সালের ৬ এপ্রিল, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল গ্রামে নরেন্দ্রনাথ দত্তের (ক্যাপ্টেন দত্ত নামে সুপরিচিত) জন্ম, মৃত্যু-২১-০৯-১৯৪৯ তারিখ। তিনি শ্রীকাইল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৪১ সালে। ১৮৮৪ সালের ২০ এপ্রিল, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার মিজিতলা গ্রামে বৌদ্ধ ধর্মগুরু ও সপ্তম সংঘনায়ক অভয়তিষ্য মহাস্থবিরের জন্ম, মৃত্যু-০১-০৭-১৯৭৪ তারিখ। ১৮৮৪ সালের ২৬ এপ্রিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর খাঁ পরিবারে উজ্জল রতœ ও সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ’র জন্ম, মৃত্যুঃ ০২-০৯-১৯৬৭ তারিখ। ১৮৮৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী গ্রামে সাবেক বঙ্গীয় আইন সভার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট এবং বছরখানেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন (১৯৪০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) এবং (১৯৫১ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতায় তদানীন্তন পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন) ও প্রাদেশিক পরিষদের সাবেক স্পীকার (১৯৬২-১৯৬৮) আব্দুল হামিদ চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৯-১৯৬৯ তারিখ। ১৮৮৫ সালের ১৬ এপ্রিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের বাঘবাড়িতে বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৭-০৫-১৯৬৫ তারিখ। ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায় শিক্ষাবিদ, পন্ডিত, বহু ভাষাবিদ ও মনীষী ইমিরিটাস অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ১৩-০৭-১৯৬৯ তারিখ। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে উক্ত সালের জুন মাসে সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগে লেকচারার হিসাবে যোগদান করে ২৩ বছর অধ্যাপনা করে ১৯৪৪ সালে (অব.)। ১৮৮৫ সালের ১২ ডিসেম্বর, পাবনা জেলা সিরাজগঞ্জ শহরের কিছু দূরে এবং যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত ধানগড়া গ্রামে মওলানা আবদুল হামিদ খাঁন ভাসানীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৭-১১-১৯৭৬ তারিখ। ১৯২৪ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ভাসানচরে এক বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন এবং সেখান থেকেই তাঁর নামের সঙ্গে ‘‘ভাসানী’’ শব্দটি যুক্ত হয়।
১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে তিন মাইল উত্তরে রামরাইল গ্রামে আইনজীবী, সমাজকর্মী ও রাজনীতিক শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের জন্ম, ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাক আর্মী কুমিল্লার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং গুলিতে মৃত্যু-১৪-০৪-১৯৭১ তারিখ। উনি একমাত্র ব্যক্তি প্রথম পাকিস্তানের জাতীয় গণ-পরিষদে বলেছিলেন, বাংলা ভাষা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করতে হবে। ১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর, কলকাতা শহরে শিশু সাহিত্যিক ও কবি সুকুমার রায়ের জন্ম, মৃত্যুঃ ১০-০৯-১৯২৩ তারিখ। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও কবি এবং ছড়াকার, শিশুদের জন্য। ১৮৮৭ সালে চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন-লাইয়ের জন্ম, মৃত্যু-০৮-০১-১৯৭৬ তারিখ। ১৮৮৭ সালের ৩১ অক্টোবর, চীনা যোদ্ধা এবং জাতীয়তাবাদী চীনের (বর্তমান তাইওয়ান) প্রেসিডেন্ট চিয়াং কাইশেকের জন্ম, মৃত্যু-০৫-০৪-১৯৭৫ তারিখ। ১৮৮৭ সালের ২২ অক্টোবর, দুনিয়া কাঁপানো দশ দিনের লেখক ও সাংবাদিক জন রীডের জন্ম, মৃত্যু-১৯..? ১৮৮৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার শ্যামগ্রাম গ্রামে রাখাল চন্দ্র রায়ের জন্ম, মৃত্যু-০২-১১-১৯৮৯ তারিখ ১০২(একশত দুই) বছর বয়সে। উনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জিলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৮৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর, ঢাকার ভাগ্যকুলে সংস্কৃত পন্ডিত, গবেষক ও শিক্ষাবিদ অমরেশ্বর ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যু-২৪-০১-১৯৭৯ তারিখ। ১৮৮৮ সালের ১ জানুয়ারি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা গ্রামে রায় সাহেব কামিনীকুমার ঘোষের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে। কলকাতা থেকে ফিরে এসে চাঁচা বঙ্গচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে ১৯১৩ সাল থেকে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। বিয়ের পর ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর ভারত শাসন আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে আইন পেশা ছাড়েন এবং আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে জড়িয়ে পড়েন। ১৮৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি, বিক্রমপুরে রোহিনীকান্তের ঔরসে ও শরৎকামিনী দেবীর গর্ভে নলিনীকান্ত ভট্টশালীর জন্ম, মৃত্যু-০৬-০২-১৯৪৭ তারিখ। ১৫৫৭ সালে মুঘল-পাঠানদের যুদ্ধের সময় কেদার রায়ের রাজ্যে বিক্রমপুর চলে আসেন এবং বসবাস শুরু করেন টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামেই বাস করত বাৎস গোত্রীয় এক ব্রাহ্মণ পরিবার-ভট্টশালীরা। ১৮৮৮ সালের ২০ নভেম্বর, চাঁদপুর জেলার পাইকারদী গ্রামে সাংবাদিক, সাহিত্যিক, ‘সওগাত’ সম্পাদক ও বেগম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের জন্ম, মৃত্যু-২১-০৫-১৯৯৪ তারিখ। ১৯১৭ সালে কলকাতা শহরে ‘সওকাত’ পত্রিকা প্রকাশ করে।
১৮৮৮ সালের ১১ নভেম্বর, মক্কায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম, মৃত্যু-২২-০২-১৯৫৮ তারিখ (১৮৯০ সালে বাবা সপরিবারে কলকাতায় আসেন)। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের পূর্বপুরুষেরা বাবরের আমলে হেরাট থেকে ভারতে আসেন। প্রথমে তাঁরা ডেরা বাধেন আগ্রায়; পরে ওঠে চলে যান দিল্লীতে। আলেমউলেমাদের এই পরিবারের মাওলানা জামালউদ্দিন ছিলেন আকবরের সময়ের একজন নামজাদা ধর্মগুরু। এ পরিবারের অনেকেই উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী হন। শাহজাহানের আমলে মহম্মদ হাদীকে আগ্রার দুর্গাধিপতি করা হয়। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবার মাতামহ ছিলেন মৌলানা মুনাবরউদ্দিন। তিনি ছিলেন মোগল যুগের অন্যতম শেষ রুকন-উল-মুদারসসিন। প্রথম শাহজাহানের সময়ে এ পদটির সৃষ্টি হয়। লেখাপড়া আর বিদ্যাচর্চার প্রসারে রাষ্ট্রীয় কাজকর্মের তদারকি করা ছিল এর উদ্দেশ্য। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবা মৌলানা খয়রুদ্দিন যখন খুবই ছোট তখন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের পিতামহের মৃত্যু হয়। সুতরাং মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবা তাঁর মাতামহের কাছে মানুষ হন। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবার বয়স তখন পঁচিশ। তিনি সোজা মক্কায় চলে গিয়ে সেখানেই থেকে যান। নিজের একটি বাসভবন তৈরি করে শেখ মোহাম্মেদ জাহের বতবির কন্যাকে তিনি বিয়ে করেন। শেখ মোহাম্মেদ জাহের ছিলেন মদিনার একজন বড় তত্ত¡জ্ঞ। আরবদেশের বাইরেও তাঁর নামডাক ছড়িয়ে পড়ে। মিশর থেকে দশ খন্ডের আরবী কেতাব বেরোবার পর ইসলামিক দুনিয়ায় মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবাও খ্যাতিমান হন। তিনি বহুবার বোম্বাইতে এবং একবার কলকাতায় আসেন। দু জায়গাতেই তাঁর বিস্তর ভক্ত আর শারগেদ ছিল। বাবা ইরাক, সিরিয়া আর তুরস্কেও ব্যাপকভাবে ঘুরেছেন।
১৮৮৮ সালের ৪ ডিসেম্বর, ফরিদপুর জেলার খন্দরপাড়ায় শিক্ষাবিদ ও বাঙালি ঐতিহাসিকদের পুরোধা অধ্যাপক রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ১২-০২-১৯৮০ তারিখ ভারতে। ১৮৮৮ সালের ১০ ডিসেম্বর, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার গ্রামে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম এবং ১৯০৮ সালে নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেন। ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল, যুক্তরাজ্যে ইংরেজ অভিনেতা ও চিত্রপরিচালক চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম, আমেরিকায় মৃত্যু-২৫-১২-১৯৭৭ তারিখ। ১৯১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক রিলের নির্বাক ‘‘মেকিং এ লিভিং’’ দিয়ে মহান চলচ্চিত্রশিল্পী চ্যাপলিনের যাত্রা শুরু হয়। ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল, জার্মান ফ্যাসীবাদী একনায়ক এডলফ হিটলারের জন্ম হয় অস্ট্রিয়ায়, ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল, চুড়ান্ত পরাজয়ের পূর্বে ভূ-গর্ভস্থ বাঙ্কারে এডলফ হিটলার আত্মহত্যা করেন। (মৃত্যু-১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল ইংলিশ চ্যানেলের ওপর ব্রিটিশ বৈমানিকের গুলিতে হিটলারকে বহনকারী বিমান ভূপাতিত। হিটলার নিহত হয়েছেন, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে লন্ডনে। ২১ বছর বয়সী হ্যারিকেন জেট ফাইটার প্লেনের বৈমানিকের গুলিতে ফুয়েরারকে জার্মান বিমানটি ভূপাতিত হয় ইংলিশ চ্যানেলের ওপর। ধারনা করা হচ্ছে, জার্মান নেতা দ্বীপরাষ্ট্র ইংল্যান্ড আক্রমণের অগ্রগতি সরেজমিন প্রত্যক্ষ করার অনির্ধারিত অভিযানে ছিলেন।) হিটলারের জার্মান নাগরিত্ব বাতিল করা হয়। হিটলার নিজেই ইহুদি এবং উত্তর আফ্রিকান বংশোদ্ভুত।
১৮৮৯ সালের ৫ আগষ্ট, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি-১৯২০) কমরেড মুজাফফর আহমদের জন্ম নোয়াখালী জেলার স›দ্বীপে, মৃত্যুঃ ১৮-১২-১৯৭২ তারিখ কলকাতায়। ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৫-১৯৬৪ তারিখ। ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনিপুর জেলার হাবিবপুর গ্রামে বিপ্লবী ক্ষুধিরাম বসুর জন্ম, পালাবার সময় ক্ষুধিরাম গ্রেফতার হন এবং ইংরেজ বিরোধী বিপ্লবী ক্ষুধিরামের ফাঁসি কার্যকর হয়-১১-০৮-১৯০৮ তারিখ। ক্ষুধিরাম বড় লাটকে মারতে যেয়ে মেরে ফেলে ভারতবাসীকে। ১৮৮৯ সালে ভারতের জলপাইগুড়িতে শিক্ষাবিদ স্যার আহমদ ফজলুর রহমানের জন্ম, মৃত্যু-১৯৪৫ সালে। উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৮৯০ সালে চারসাদ্দাই তহশিল, জেলা পেশোয়ারে সীমান্ত গান্ধীর নাম, ভারত-রতœ বাদশা খান বা খান আবদুর গফফার খানের জন্ম, ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ মৃত্যু-২০-০১-১৯৮৮ তারিখ। (তাঁর আসল বয়স-এর চাইতে অনেক বেশি বা কেউ মনে করে যে, ১৮৮০ সালে প্রকৃত জন্ম)। তিনি ছিলেন হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের প্রতীক। ১৮৯০ সালের ১৯ মে, ভিয়েতনামের বিপ্লবী জন নেতা হো. চি. মিনের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৯-১৯৬৯ তারিখ। ১৮৯০ সালের ২ অক্টোবর, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্ম, তাসখন্দে মৃত্যুঃ ২৩-০৯-১৯৬৫ তারিখ। ১৮৯০ সালে ফদিপুরে অবিভক্ত বাংলার অন্যতম তেজস্বী মুসলিম লীগ নেতা, প্রথম মুসলমান সরকারী কৌসুলি, ফরিদপুর আইনজীবী সমিতির সুদীর্ঘকালের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একদা প্রবীণতম আইনজ্ঞ খান বাহাদুর মৌলভী মোহাম্মদ ইসমাইলের জন্ম, মৃত্যু-ঢাকায় ০৮-০৫-১৯৮১ তারিখ। ১৮৯০ সালে পাঁচবাগ, গফরগাঁও, ময়মনসিংহে উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম, বাংলার প্রথম স্বাধীনতাকামী রাজবন্দী (জাতীয় সংসদে স্বীকৃত) এবং একাধারে তিন দশক ধরে নির্বাচিত এম.এল.এ. ও এম.এন.এ. হয়রত মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী(রহ.)’র জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৯-১৯৮৮ তারিখ। ১৮৯০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামে নবাব কে. জি. ফারুকীর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৯৮৪ সালে। তিনি ১৯২৯ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলার মন্ত্রী ছিলেন। ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবাংলার মেদেনীপুরে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ০৫-১২-১৯৬৩ তারিখ। ১৮৯২ সালের ২৭ নভেম্বর, বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক ও লেখক স্যার আজিজুল হকের জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৩-১৯৪৭ তারিখ। ১৮৯৩ সালের ৯ এপ্রিল, বিপ্লবী রাহুল সাংকৃত্যায়ণের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৪-০৬-১৯৬৩ তারিখ। ১৮৯৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নূরুল আমীনের জন্ম, পাকিস্তানে মৃত্যুঃ ০২-১০-১৯৭৪ তারিখ। ১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বংশাই নদীর তীরে শেওরাতলী গ্রামে দারিদ্রপীড়িত এক পরিবারে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ মেঘনাথ সাহার জন্ম, মৃত্যু-১৯৫৬ সালে বিখ্যাত এই জ্যোতিঃ পদার্থবিদ মৃত্যুবরণ করেন। দোকানদার বাবার ছেলে হিসেবে সবাই ভেবেছিল ছেলেটিও দোকানি হবে। ১৯০৯ সালে এন্ট্রান্স ও ১৯১১ সালে এফ. এ. পাস করেন। তিনি জগৎ বিখ্যাত পদার্থ ও অংক শাস্ত্রবিদ। ১৯৩৪ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১৮৯৪ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনের জন্ম, রাজনীতিবিদ খাজা নাজিমুদ্দিনের ইন্তেকাল-২২-১০-১৯৬৪ তারিখ। খাজা নাজিমউদ্দিনকে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে উৎখাত করেন গোলাম মোহাম্মদ ও আইয়ূব খানের সহযোগিতায় তখনকার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্যা। মীর জাফরের বংশধর মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্যা। ইরানি বংশদ্ভূত এস. পি. টুনি মির্যার ছেলে হলো মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্যা। ইস্কান্দার মির্যার জন্ম বাংলায় ছিল। সেনাবাহিনীর সহায়তায় ১৯৫৫ সালে ইস্কান্দার মির্যা পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের পদ দখল করেন। আর বরখাস্ত করেন মোহাম্মদ আলীকে। ১৯৫৬ সালে আরেক বাঙালি রাজনীতিক হোসেন শহীদ সোহওয়ার্দীকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। আর নিজেকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষণা দেন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্যা পাকিস্তানে সামরিক আইন জারী করে ১৯৫৮ সালের ৮ অক্টোবর, প্রধান সেনাপতি আইয়ূব খানকে দেশে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধান সামরিক প্রশাসক নিযুক্ত করেন। ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্যাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে নিজে জেনারেল আইয়ূব খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন। আবার ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ, জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খানকে সরিয়ে নিজে ক্ষমতা দখল করেন। সে বছরই সাবেক প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্যা লন্ডনে মারা যান। কিন্তু তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্টকে নিজ দেশে দাফনের অনুমতি দেননি। তাই লন্ডন থেকে ইস্কান্দারের মরদেহ ইরানে নেওয়া হয় এবং পরে তেহরানে তাঁকে দাফন করা হয়। জেনারেল ইয়াহিয়া খান রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। কিন্তু ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান। সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জনগণের সাথে এটি ছিল সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। ১৯৭১ সালের পর পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে বারবার রাজনীতিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে। জেনারেল জিয়াউল হক ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। তারপর আবার ১৯৯৮ সাল থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৬৯ সালে ইস্কান্দার মির্যাকে তেহরানে দাফন করা হলেও তাঁর প্রেতাত্মা এখনো জীবিত। শুধু নাম বদল হয়েছে, কিন্তু চরিত্র বদলায়নি। জেনারেল আইয়ূব খান, জেনারেল ইয়াহিয়া খান, জেনারেল জিয়াউল হক এবং জেনারেল পারভেজ মোশাররফ হোসেন হয়ে বেঁচে ছিলেন।
১৮৯৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর, বিপ্লবী কমিউনিষ্ট নেতা ও কমরেড মাও সে তুং-এর জন্ম, মৃত্যু-০৯-০৯-১৯৭৬ তারিখ। ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ, চট্টগ্রামে মাস্টার দা সূর্যসেনের জন্ম, ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের নায়ক মাষ্টারদা সূর্যসেনের ফাঁসি হয়। ১৮৯৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বিরামদি গ্রামে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিক প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ’র জন্ম, ইন্তেকাল-২৯-০৩-১৯৭৮ তারিখ। ১৮৯৪ সালে রংপুরে সাবেক পূর্ব-পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রি আবু হোসেন সরকারের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৭-০৪-১৯৬৯ তারিখ। ১৮৯৪ সালে নোয়াখালীতে বিট্রিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় কর্মী, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কবি ও সমাজসেবিকা আশালতা সেনের জন্ম, মৃত্যু-দিল্লীতে ০৩-০২-১৯৮৬ তারিখ। ১৮৯৬ সালে পূর্ব পাঞ্জাবের কার্নায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের জন্ম, রাওয়ালপিন্ডিতে জনসভায় বক্তৃতাকালে আততায়ীর গুলিতে নিহতঃ ১৬-১০-১৯৫১ তারিখ। ১৮৯৬ সালের ৪ নভেম্বর, রনদা প্রসাদ সাহার জন্ম, মির্জাপুর (টাংগাইল), যার নাম আরপি সাহা। ১৯৩৮ সালে ৭৫০(সাতশত পঞ্চাশ) শয্যাবিশিষ্ট বিখ্যাত কুমুদিনী হাসপাতাল স্থাপন করেন। ০৭-০৫-১৯৭১ তারিখ, গভীর রাতে পাক বাহিনী রনদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র রবিকে ধরে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে। ১৮৯৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামে বাঙ্গালী মুসলমানের মধ্যে প্রথম ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমানের জন্ম, মৃত্যু-১৫-০৮-১৯৮১ তারিখ। তিনি ১৯২৬ সালে প্রথম বি. সি. এস. লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি, নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসুর জন্ম, নেতাজি মৃত্যুবরণ করেছেনঃ ১৮-০৮-১৯৪৫ তারিখ রাত ১১টা ২০মিনিটের সময় তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায়। ১৮৯৭ সালের ৩০ জুলাই, কুষ্টিয়ার কুুমারখালী উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মাতুলালয়ে বিচিত্র ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, প্রখ্যাত জ্ঞানতাপস, ইমিরিটাস অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেনের জন্ম, মৃত্যুঃ০৯-১০-১৯৮১ তারিখ। তার ছোটবেলা কেটেছে রাজবাড়ী (ফরিদপুর) জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামের পৈত্রিক নিবাসে। ১৮৯৭ সালের ৩ নভেম্বর, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবুল কালাম শামসুদ্দিনের জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৩-১৯৭৮ তারিখ। ১৮৯৭ সালের ১৮ নভেম্বর, বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামে উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, নারীপ্রগতি ও মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম পথিকৃৎ মনোরমা বসুর জন্ম, মৃত্যু-১৯৯০ সালে।
১৮৯৭ সালের ২৩ নভেম্বর, কিশোরগঞ্জ জেলায় “বাঙ্গালী থাকিব না মানুষ হইব’’ বইয়ের লেখক নিরুদ চন্দ্র চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-১৯৯৯ সালে লন্ডন শহরে। ১৮৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার মনোহরপুর গ্রামে কবি গোলাম মোস্তফার জন্ম, মৃত্যুঃ ১৩-১০-১৯৬৪ তারিখ। ১৮৯৮ সালের ১ মে, চট্টগ্রামের ফতেহাবাদ গ্রামে কথাশিল্পী মাহবুব-উল-আলমের জন্ম, ১৯৮১ সালের ৭ আগষ্ট কাজীর দেউড়ীস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। ১৮৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, উপমহাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজ্ঞ ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের জন্ম, ইন্তেকাল-১৮-০৩-১৯৭৯ তারিখ। ১৮৯৮ সালের ২৩ জুলাই, বাংলা সাহিত্যির দিকপাল তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭২ সালে। ১৮৯৮ সালে বরিশালের সন্তান অকুতোভয় পাইলট ইন্দ্রনীল রায়ের জন্ম, মৃত্যু-১৮-০৭-১৯১৮ তারিখ। পাইলট ইন্দ্রনীল রায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ দিয়ে প্রমাণ রাখেন যে-বাঙ্গালীরা বীরের জাতি। ১৯১৬ সালে বিশ্বে প্রথম বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় ‘‘ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীতে ক্যাডেট পাইলট হিসাবে তিনি লাভ করেন কিংস কমিশন’’। ১৮ জুলাই তাঁর জঙ্গী বিমানটি ফের গুলি বিদ্ধ হয়ে ভূপাতিত হয়। বিধবস্ত বিমানের সাথে তিনি প্রাণ হারান। মাত্র ২০(বিশ) বছর আয়ু পেয়েছিলেন। ‘‘পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃসাহসী মানুষের মধ্যে যাঁরা অগ্রগণ্য, তাদের মধ্যে ইন্দ্রনীল রায় একজন…এ অঞ্চলের একমাত্র ফাইটার এইস পাইলট হিসাবে তিনি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।’’ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, বরিশাল জেলায় বাংলা আধুনিক কাব্যবিক জীবনানন্দ দাশের জন্ম, ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর, কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু।
১৮৯৯ সালের ২৫ মে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-০৭-১৯৭৬ তারিখ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা বেজে ১০ মিনিটে। ১৯২১ সালের ১৭ জুন, নজরুলের সঙ্গে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সৈয়দা নার্গিস আসর খানম ওরফে সৈয়দা খাতুনের বিয়ে হয়। অজ্ঞাত কারণে বিয়ের রাতেই শেষ হয়ে যায় এ সম্পর্ক। পরে ১৯২৪ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রমীলাকে বিয়ে করেন নজরুল। ১৯৪২ সালের ১০ জুলাই থেকে কবি আলজাইমার্স ডিজিজে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর পিতার নাম কাজী ফকির আহমদ। মা জাহিদা খাতুন। ১৯১৭ সালে করাচীতে গিয়ে তিনি সৈনিকের খাতায় নাম লেখান। তিনি ১৯২০ সালে সেখান থেকে ফিরে এসে দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজকে উৎসর্গ করেন। কবি-পতœী প্রমীলা নজরুল ইসলাম কলকাতায় ইন্তেকালঃ ৩০-০৬-১৯৬২ তারিখ। কবি-পতœীর ইন্তেকালের প্রায় এক দশক পর কবিকে ঢাকায় আনা হয়েছিল ২৪ মে, ১৯৭২ সালে। ১৮৯৯ সালের ২৮ জুন, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার হুমায়ূনপুর গ্রামে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মোনয়েম খানের জন্ম, মৃত্যু-১৪-১০-১৯৭১ তারিখ। গভর্নর ছিলেন ২৮-১০-১৯৬২ তারিখ থেকে ২৩-০৩-১৯৬৯ তারিখ পর্যন্ত। ১৮৯৯ সালে যশোর জেলার ঝিনাইদহের অধিবাসী বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদের রোমান্সকর ব্যক্তিত্ব বাঘা যতীন দাসের জন্ম, ১৯২৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, ৬৩ দিন অনশনের পর লাহোর কারাগারে মারা যান। ১৯০০ সালের ১৯ মার্চ, নোবেল বিজয়ী ফরাসী পদার্থবিদ ফ্রেদেরিক জুলিও কুরির জন্ম, ১৯৫৬ সালের ১৭ মার্চ, নোবেল বিজয়ী বিখ্যাত ফরাসী পদার্থবিদ জোলিও কুরির মৃত্যু।
১৯০০ সালের ৮ মে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মাড় গ্রামের মাতুলালয়ে স্বনামধন্য বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদার জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ০৩-১১-১৯৭৭ তারিখ। ১৯০০ সালে সিলেটে আদর্শিক বাবা-মায়ের পরিবারে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা, নারীনেত্রী ও দেশব্রতী লীলা রায়ের (নাগ) জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১১-০৬-১৯৭০ তারিখ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী। ১৯০০ সালের ১৭ মে, ইরানের খোমেইন শহরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ও রাজনৈতিক নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনীর (রহ.) জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৬-১৯৮৯ তারিখ। ১৯০০ সালের ২৭ নভেম্বর, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার অন্তর্গত হাটিকুমরুল ইউনিয়নের তারুটিয়া নামক গ্রামের সন্ত্রান্ত মুসলিম পরিবারে কিংবদন্তী পুরুষ মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের জন্ম, মৃত্যুঃ ২০-০৮-১৯৮৬ তারিখ। ১৯০০ সালে দিনাজপুর জেলার সুলতানপুর গ্রামে কৃষকনেতা ও রাজনীতিক হাজী মোহাম্মদ দানেশের জন্ম, মৃত্যু-২৮-০৬-১৯৮৬ তারিখ। ১৯০০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিবপুর গ্রামে বেহালাবাদক, কন্ঠশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত শিক্ষক ওস্তাদ মতিউর রহমানের জন্ম, মৃত্যুঃ ০১-০২-১৯৬৭ তারিখ। ১৯০০ সালে বরিশাল জেলায় বিপ্লবী লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্ম, মৃত্যু-১৯৮৫ সালে। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর তিন খন্ড রচনা সমগ্র প্রকাশিত হয়। পাকিস্তান সরকার ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁর লেখা-লেখি করার ওপর বিধিনিষেধ করেছিলেন। ১৯০০ সালের ৮ ডিসেম্বর, রাজস্থানের উদয়পুরে নৃত্যলোকের রাজপুত্র উদয়শংকরের জন্ম, মৃত্যুঃ২৬-০৯-১৯৭৭ তারিখ। তিনিই প্রথম বাঙালি, যিনি জগৎসভায় নৃত্যকলা প্রদর্শন ও প্রচার করে প্রভূত যশ ও খ্যাতি অর্জন করেন। উদয়শংকরের আদি নিবাস বাংলাদেশের যশোরের কালিয়া গ্রামে। ১৯০১ সালের ৬ জুন, আধুনিক ইন্দোনেশিয়ার স্থপতি ড. আহমদ সুকর্নোর জন্ম, মৃত্যু-২১-০৬-১৯৭০ তারিখ। ১৯০১ সালের ২৮ জুলাই, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি কমরেড মণি সিংহের জন্ম, মৃত্যুঃ ৩১-১২-১৯৯০ তারিখ। মাতৃকুল ছিলেন নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুরের জমিদার। ১৯০১ সালে ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার রামনগর গ্রামে সাংবাদিক ও রাজনীতিক হামিদুল হক চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৮-০১-১৯৯২ তারিখ। ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর, কুচবিহারের বলরামপুর গ্রামে মরমী শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের জন্ম, মৃত্যুঃ ৩০-১২-১৯৫৯ তারিখ। শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের পিতা জাফর আলী আহমেদ তুফানগঞ্জ আদালতের উকিল ছিলেন। ১৯০২ সালের ১৭ জানুয়ারি, তুরস্কের ছোট্ট শহর আলেপ্লোয় এক নিঃসঙ্গ বিপ্লবী ও বিখ্যাত তুর্কি কবি নাজিম হিকমতের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৬-১৯৬৩ তারিখ। ১৯০২ সালের ১ জুলাই, ভারতের পশ্চিম বাংলায় রম্য সাহিত্যিক ও বহু ভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম, ঢাকায় ইন্তেকাল ১১-০২-১৯৭৪ তারিখ।
১৯০২ সালে বর্তমান চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক, পাকিস্তানের প্রথম এফআরসিপি (ইউ. কে.) ও বাঙালী মুসলমানদের চিকিৎসা পেশার অগ্রদুত ডা. নওয়াব আলীর জন্ম এবং ঢাকায় ইন্তেকাল-০৪-০৭-১৯৭৭ তারিখ। ১৯০২ সালে পশ্চিমবাংলায় বাংলা সিনেমা জগতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ও নাঠ্যাভিনেতা ছবি (শচীন্দ্রনাথ) বিশ্বাসের জন্ম, মৃত্যু-১১-০৬-১৯৬২ তারিখ মোটর দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি, পল্লী কবি জসিমউদ্দীনের জন্ম, মৃত্যু ১৪-০৩-১৯৭৬ তারিখ। ১৯০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় শিক্ষক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-৩০-০৮-১৯৭৮ তারিখ। তাঁর সৃষ্টি বাঙালীর ইতিহাস আদি পর্ব। ১৯০৩ সালের ১ জুলাই, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার অন্তর্গত কেওচিয়া গ্রামে শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক মনস্বী আবুল ফজলের জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৫-১৯৮৩ তারিখ। ১৯০৩ সালের ২৯ অক্টোবর, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ইলমদী গ্রামে সাবেক জাতীয় পরিষদের সদস্য (এম.এন.এ.), ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, কবি ও সাংবাদিক বে-নজীর আহমেদের জন্ম, মৃত্যু-১২-০২-১৯৮৩ তারিখ। ১৯০৩ সালে ভারতের হায়দারাবাদ রাজ্যের আওরংগবাদ শহরে মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর জন্ম, আমেরিকায় মৃত্যু-২২-০৯-১৯৭৯ তারিখ পাকিস্তান সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা পৌঁনে ছ’টায়। তিনি ১৯৪১ সালের ২৬ আগষ্ট, লাহোরে ৭৫ জন লোক নিয়ে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে একটি আদর্শবাদী দল গঠন। ১৯০৩ সালের ১ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামে বিপ্লবী (চট্টগ্রাম অস্্রাগার লুন্ঠনের অন্যতম নায়ক এবং রাজনীতিবিদ) অনন্ত সিং-এর জন্ম, মৃত্যুঃ ২৫-০১-১৯৭৯ তারিখ। ১৯০৪ সালের ৩১ জানুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর থানার মুরারিপুর গ্রামে শিক্ষাবিদ ও লোকসংস্কৃতি বিশেযজ্ঞ মুহম্মদ মনসুরউদ্দিনের জন্ম, ঢাকার শান্তিনগরে মৃত্যু-১৯-০৯-১৯৮৭ তারিখ। ১৯০৪ সালের ১৫ মার্চ, অন্নদা শংকর রায়ের জন্ম, মৃত্যু-২৮-১০-২০০২ তারিখ। তিনি ১৯২৯ সালে আই.সি.এস. পাশ করেন। কবি, সাহিত্যক, ছড়াকার এবং ১৯২৯ সালে বিলেত গিয়েছিলেন। ১৯০৪ সালের ১২ জুলাই, চিলির পারলাল শহরে পরিচিত ছিল কমিউনিষ্ট লেখক হিসেবে ও নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক পাবলো নেরুদার জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৯-১৯৭৩ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে নোবেল পান।
১৯০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি, পশ্চিম বাংলায় দার্শনিক-রাজনীতিবিদ আল্লামা আবুল হাশিমের জন্ম, (১৯৫০ সালে পশ্চিম বঙ্গের কলকাতা, বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলী, হাওড়া, মেদিনীপুর প্রভৃতি অঞ্চলে মুসলিমবিরোধী সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় এবং এ কারণে ১৯৫০ সালে আবুল হাশিম দেশ ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসেন) মৃত্যুঃ ০৫-১০-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৫ সালের ৬ মার্চ, ঢাকা জেলার দামরাই উপজেলার বালিয়া গ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের জন্ম, মৃত্যু-০৭-১২-১৯৯১ তারিখ। ১৯০৫ সালের ১৫ এপ্রিল, বরিশালের গৈলা গ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী শহীদ তারকেশ্বর সেনগুপ্তের জন্ম, বন্দিশিবির থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৫-০৯-১৯৩১ তারিখ। ১৯০৫ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গাজীপুর গ্রামে ঐতিহাসিক ও অধ্যাপক আবদুল হালিমের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭২ সালে। ১৯০৫ সালে বিপ্লবী নেতা এবং ঐতিহাসিক নক্সালবাড়ী লড়াইয়ের সূচনাকারী শহীদ কমরেড চারু মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৮-০৭-১৯৭২ তারিখ। ১৯০৬ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, বাংলা সিনেমা জগতের বিখ্যাত মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা পাহাড়ী (নরেন্দ্রনাথ) সান্যালের জন্ম, মৃত্যু-১০-০২-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৬ সালের ১ জুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার আড়াইসিধা গ্রামে কবি আবদুল কাদিরের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৯-১২-১৯৮৪ তারিখ। ১৯০৬ সালে পাকিস্তানের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খাঁনের জন্ম, (আইয়ূব খাঁন ১৯৫১ সালে পাকিস্তান আর্মীর সেনাপ্রধান হন এবং ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে জেনারেল আইয়ূব খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন।) মৃত্যুঃ ২০-০৪-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামে দার্শনিক ও প্রিন্সিপাল সাইদুর রহমানের জন্ম, মৃত্যু-২৮-০৮-১৯৮৭ তারিখ। ১৯০৬ সালের ২৫ অক্টোবর, সুনামগঞ্জের তেঘরিয়া গ্রামস্থ নানা মরমী কবি হাসন রাজার বাড়িতে ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফের জন্ম, মৃত্যু-০১-১১-১৯৯৯ তারিখ। ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর, কুমিল্লার চর্থা গ্রামে উপমহাদেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও সুরকার শচীন দেব বর্মণের জন্ম, বোম্বে শহরে মৃত্যুঃ ৩১-১০-১৯৭৫ তারিখ।
১৯০৭ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, সিলেট জেলার বিয়ানী বাজারের লাউতা গ্রামে অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেবের জন্ম, ঢাকায় শহীদঃ ১৪-১২-১৯৭১ তারিখ। ১৯০৭ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার চানগাঁও গ্রামে তাঁর নানাবাড়িতে খালেকদাদ চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-১৬-১০-১৯৮৫ তারিখ। দুই বাংলাতেই তিনি ছিলেন খ্যাতিমান লেখক। ১৯০৭ সালের ২৫ নভেম্বর, যশোর জেলার আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ গ্রামে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিরল ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক নূরুল মোমেনের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০২-১৯৯০ তারিখ। ১৯০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যালিয়াম সিরিজের ঘুমের বড়ি’র আবিস্কারক লিও স্টার্নবাখের জন্ম, উত্তর ক্যারোলিনার চ্যাপেল হিলে নিজ বাসভবনে ৯৭ বছর বয়সে পরলোগমন-২৮-০৯-২০০৫ তারিখ। ১৯০৮ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার সাতশৈয়া গ্রামে আবদুস সবুর খানের জন্ম, মৃত্যু-২৫-০১-১৯৮২ তারিখ। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় খুলনা অঞ্চলকে জোর করেই হিন্দুস্থানের দখলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেদিন এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে খান এ সবুরের নেতৃত্বেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। যার ফলে তখন খুলনা অঞ্চল ন্যায়সঙ্গতভাবেই পাকিস্তানে রাখা সম্ভব হয়েছিল। ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, ভারতের বিশিষ্ট বাংলা শিশু সাহিত্যিক লীলা মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৬-০৪-২০০৭ তারিখ। ১৯০৮ সালের ১ এপ্রিল, বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা ফরাসি লুসিয়ে লরাঁর জন্ম, মৃত্যু-১১-০৪-২০০৫ তারিখ। ১৯৩০ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল। ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের মোট গোল হয়েছে (২০৬৩)টি।
১৯০৮ সালের ২৯ মে, সাহিত্যক, ঔপন্যাসিক ও কথাশিল্পী মানিক বন্ধ্যোপ্যায়ের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৩-১২-১৯৫৬ তারিখ। মাত্র বেঁচেছিলেন ৪৮ বছর। ১৯৩৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ২০০ শতের মত উপন্যাস লিখেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস মুন্সীগঞ্জের মালপদিয়া গ্রামে। ১৯০৮ সালে হাইড্রোজেন বোমার জনক এডওয়ার্ড টেনলরের জন্ম, মৃত্যু-০৯-০৯-২০০৩ তারিখ। ১৯০৮ সালে তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নড়াইলের বাকলি গ্রামের কৃষক নেত্রী পরিবালা বিশ্বাসের জন্ম, মৃত্যু-২৫-০৫-২০০৭ তারিখ। ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর, কুমিল্লা শহরে বিখ্যাত বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সমালোচক, প্রাবন্ধিক ও সংবাদপত্র সম্পাদক বুদ্ধদেব বসুর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যুঃ ১৮-০৩-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৮ সালে মাদারীপুর জেলার কালকিনী উপজেলার গোপালপুর কাজী পরিবারে কাজী আশরাফ মাহমুদের জন্ম, মৃত্যু-০৩-১২-১৯৮৩ তারিখ। তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট হিন্দী কবি, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ, মহাত্মা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ১৯০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি, মুঘল ঐতিহ্যের কবি কাজী কাদের নওয়াজের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০১-১৯৮৩ তারিখ। ১৯০৯ সালের ২৯ এপ্রিল, (বাংলা ১৩১৬ সনের ১৬ বৈশাখ) শেরপুর অঞ্চলের তৎকালীন জমিদার রমেশ চন্দ্র নিয়োগীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন রবি নিয়োগী, আমৃত্যু পর্যন্ত বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য ছিলেন এবং মৃত্যু-১০-০৫-২০০২ তারিখ। তাঁর ৯৩ বছরের জীবনে ৪৩ বছরই কেটেছে কারাগারে। ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই, কলকাতার সুবিখ্যাত কলেজ স্ট্রিটের পাশে টেমার লেনে কবি বিঞ্চু দের জন্ম, মৃত্যু-০৩-১২-১৯৮২ তারিখ। বিঞ্চু দের এক বড় পরিচয় তিনি সমাজবাদে বিশ্বাসী, সেই সূত্রে সমাজবদলের সম্ভাবনায় অঙ্গীকৃত। তিনি ছিলেন ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সঙ্ঘের সক্রিয় কর্মী, সংগঠক। ১৯০৯ সালের ১৮ আগষ্ট, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সানাইবাদক ওস্তাদ সোনা মিয়ার জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৮-২০১১ তারিখ দিবাগত রাতে ঢাকায়। বরেণ্য এই শিল্পী ভারতবর্ষের স্বনামধন্য সানাইবাদক ওস্তাদ মুন্না খাঁর শিষ্য ছিলেন। ১৯০৯ সারের ১৯ সেপ্টেম্বর, কমিউনিষ্ট পার্টির প্রথম প্রাদেশিক সম্মেলনে গঠিত কমিটিতে নির্বাচিত কমিউনিষ্ট নেতা নেপাল নাগের জন্ম, মৃত্যু-কলকাতায় ০৫-১০-১৯৭৮ তারিখ। ১৯১০ সালের ৭ জানুয়ারি, খ্যাতিসম্পন্ন পানিবিশেষজ্ঞ বি. এম. আব্বাসের জন্ম, ইন্তেকাল-২৭-১২-১৯৯৬ তারিখ।
১৯১০ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলোয়াড় ফ্রান্সিসকো ভারাল্লোর জন্ম। তিনি ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ও ছিলেন এবং আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলে। প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিই একমাত্র জীবিত খেলোয়াড়। তিনি ০৯-০৬-২০০৬ তারিখ বিশ্বকাপ খেলায় উপস্থিত ছিলেন। ০৫-০২-২০১০ সালে শতবর্ষ পার করেন। ১৯১০ সালের ২৩ মার্চ, জাপানের টোকিওর এক সিনেমাভক্ত পরিবারে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাপানি চলচ্চিত্রকার, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র সম্পাদক ও প্রয়োজক আকিরা কুরোশাওয়ারের জন্ম, জাপানের টোকিওতে মৃত্যু-০৬-০৯-১৯৯৮ তারিখ। সুগাতা সানশিরো মুক্তি পায় ১৯৪৩ সালে। প্রথম ছবিতেই পরিচালক হিসেবে আকিরা কুরোশাওয়ার প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায়। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি কর্তৃক নির্বাচিত সর্বকালের সেরা পরিচালকদের মধ্যে আকিরা কুরোশাওয়ার অবস্থান ৬ষ্ঠ। শ্রেষ্ঠ ৫০ জন চলচ্চিত্রকারের মধ্যে তিনি একমাত্র এশীয় ও আমেরিকানদের বাইরে তাঁর অবস্থান সবার ওপরে। ১৯১০ সালের ২৭ আগষ্টে, যুগো¯øাভিয়ার স্কপজেতে মাদার তেরেসার জন্ম, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাতা মাদার তেরেসার মৃত্যু-০৫-০৯-১৯৯৭ তারিখ কলকাতা শহরে। ১৯১০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার বাজালিয়ায় ডা. মনীন্দ্রলাল চক্রবর্তীর জন্ম, মৃত্যু-১৪-০৭-১৯৮৩ তারিখ। স্কুলে থাকতেই তিনি গোপন বিপ্লবী দলে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯১০ সালের ২০ অক্টোবর, নেত্রকোনা জেলার উলুয়াটি গ্রামে সাংবাদিক-সাহিত্যিক মুজীবুর রহমান খাঁ’র জন্ম, মৃত্যু-০৫-১০-১৯৮৪ তারিখ। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের প্রথম গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার উত্তর ভূর্ষি গ্রামে বিপ্লবী বিনোদবিহারী চৌধুরীর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১০-০৪-২০১৩ তারিখ। তাঁর ১৯২৯ সালে মাস্টারদার সঙ্গে পরিচয় হয়। কয়েকবার সাক্ষাতের পর মাস্টারদা বিপ্লবী দলে ঢোকার অনুমতি দেন বিনোদবিহারীকে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ৪০ বছর পর ১৯৭১ সালে বিনোদবিহারী নিজেকে যুক্ত করেন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। ১৯১১ সালের ১১ জানুয়ারি, বিচারপতি সৈয়দ মাহাবুব মোর্শেদ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যুঃ ০৩-০৪-১৯৭৯ তারিখ। ১৯১১ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, পাকিস্তানের পাঞ্জাবের শিয়ালকোর্টে আজন্ম বিপ্লবী কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের জন্ম, ১৯৮৩ সালে অসুস্থ হয়ে নিজের দেশ পাকিস্তানের লাহোরে ফিরে আসেন, এখানেই মৃত্যু-১৯-১০-১৯৮৪ তারিখ। ১৯১১ সালের ১৩ মার্চ, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীনের জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৮-১৯৮৮ তারিখ। ১৯১১ সালের ৫ মে, চট্টগ্রামের ধলঘাটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী বীরকন্যা প্রীতিলতার জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৯-১৯৩২ তারিখ। প্রীতিলতা চট্টগ্রাম বিপ্লবী দলের মেয়ে সদস্য ও ছাত্রীদের নিয়ে চক্র গড়েন। ১৯১১ সালের ৩০ মে, দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, কিংবদন্তির এক নায়ক ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জন্ম, মৃত্যুঃ ০১-০৬-১৯৬৯ তারিখ। ১৯১১ সালের ৬ জুন, লোহাগড়া (নড়াইল) ইতনা গ্রামের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ও সাহিত্যিক ডা. নীহার রঞ্জন রায়ের/গুপ্তের জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৮-১৯৮১ তারিখ। ১৬-বছর বয়সে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘রাজকুমারীম্ব’ প্রকাশিত হয়।
১৯১১ সালের ২০ জুন, বাখেরগঞ্জ জেলার শায়েস্তাবাদ গ্রামে নানাবাড়িতে বেগম সুফিয়া কামালের জন্ম, মৃত্যুঃ ২০-১১-১৯৯৯ তারিখ। তাঁর বাবারবাড়ি ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলার সেন্দুর-সিলাউর গ্রামে। ১৯১১ সালের ৯ জুলাই, ফ্লোরিডার জ্যাকশনভ্যালিতে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের সর্বশেষ সহযোগীদের অন্যতম এবং মার্কিন পদার্থবিদ জন হুইলারের জন্ম, মৃত্যু-১৩-০৪-২০০৮ তারিখ। ‘বø্যাক হোল’ শব্দের প্রবর্তকের মৃত্যু। ১৯১১ সালের ৩১ জুলাই, বরিশালে উপমহাদেশের বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ পন্ডিত পান্নালাল ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২০-০৪-১৯৬০ তারিখ দিলি­তে। ১৯১১ সালে মুর্শিদাবাদ জেলায় বারডেম হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জন্ম, মৃত্যু-০৬-০৯-১৯৮৯ তারিখ। ১৯১১ সালে অবিভক্ত বাংলার মুসলমান চিত্রশিল্পীদের পথিকৃৎ প্রথম মুসলমান কার্টুনিস্ট এবং শিশু সাহিত্যিক কাজী আবুল কাসেমের জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৭-২০০৪ তারিখ। ১৯১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, মিশরের রাজধানী কায়রোর জামালিয়া কোয়ার্টারের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী আরব ঔপন্যাসিক নাগিব মাহফুজের জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৮-২০০৬ তারিখ। তিনি ১৯৮৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। নাগিব মাহফুজ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী প্রথম মুসলমান ছিলেন। ১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবর, ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজনানগাঁয়ে অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম নারী ও মানবতাবাদী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজীর জন্ম, মৃত্যুঃ ০৭-১১-২০০৭ তারিখ। তাঁর পৈতৃক নিবাস মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। ১৯১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর, হবিগঞ্জ জেলার মিরাশী গ্রামের এক জমিদার পরিবারে উপমহাদেশের গণসংগীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হেমাঙ্গ বিশ্বাসের জন্ম, মৃত্যু-২২-১১-১৯৮৭ তারিখ কলকাতায়। ১৯৮১ সালে যখন ঢাকায় আসেন, তখন দেখেছি হবিগঞ্জের স্মৃতিঘেরা জন্মভূমিকে দেখার জন্য তাঁর ছটফটানি।
১৯১৩ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, আফ্রো-আমেরিকান আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একটি প্রজন্মের প্রতীক মানবাধিকার নেত্রী রোজা পার্কসের জন্ম, পরলোগমণ ২৪-১০-২০০৫ তারিখ। সবার অধিকার সমান-রোজা পার্কস। আমি গ্রেপ্তার হই ১৯৫৫ সালের ১ ডিসেম্বর। বাসের সামনের দিকে শ্বেতাঙ্গদের জন্য নির্ধারিত বসার স্থান ছেড়ে না দেওয়ার জন্য। ১৯৫৫ সালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন এমন ছিল কৃঞ্চাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গের জন্য বাসে আলাদা বসার ছিট ছিল। ১৯১৩ সালের ১৯ জুলাই, নড়াইলের আফরা গ্রামে এক জোতদার পরিবারে তেভাগার সংগ্রামী কমরেড অমল সেনের জন্ম, মৃত্যু-১৭-০১-২০০৩ তারিখ। তিনি ১৯৩৪ সালে কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে চাকমা রাজগুরু শ্রীমৎ অগ্রবংশ মহাথেরোর জন্ম, মৃত্যু-০৫-০১-২০০৮ তারিখ। ১৯৫৮ সালের জানুয়ারিতে এক ধর্মীয় মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় তাঁকে রাজগুরু পদে বরণ করেন। ১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ কালজয়ী ঔপন্যাসের লেখক (এক দরিদ্র জেলে পরিবারে) অদ্বৈত মল্ল বর্মণের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৬-০৪-১৯৫১ তারিখ। ১৯১৪ সালের ৩ এপ্রিল, ভারতের অমৃতসরে ফিল্ড মার্শাল স্যাম হরমুসজি ফ্রামজি জামশেদজি মানেকশ’র জন্ম। ১৯৩৪ সালে ভারতীয় সামরিক একাডেমির (আইএমএ) প্রথম ব্যাচ থেকে তিনি কমিশন লাভ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৭ জুন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান হন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর প্রধান ছিলেন। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর. বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তাঁকে সম্মানসূচক ফিল্ড মার্শাল উপাধি দেওয়া হয়। স্যাম বাহাদুর নামে পরিচিত মানেকশ চার দশক পর ১৯৭৩ সালের ১৫ জানুয়ারি ভারতের অষ্টম সেনাপ্রধান হিসেবে অবসর নেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধ এবং ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে অংশ নেন। তাঁর মৃত্যু-০১-০৭-২০০৮ তারিখ। ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল, কুমিল্লা শহরের পৈত্রিক বাড়িতে ভাষাসৈনিক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবি (চিরকুমার) অধ্যাপক অজিতকুমার গুহের জন্ম, কুমিল্লায় মৃত্যু-২২-১১-১৯৬৯ তারিখ। ১৯১৪ সালের ১৫ মে, এভারেষ্ট বিজয়ী তেনজিং নোরগের জন্ম, মৃত্যু-মৃত্যু-০৫-০৫-১৯৮৬ তারিখ।
১৯১৪ সালের ৮ জুলাই, কলকাতার হ্যারিসন রোডের (বর্তমান মহাত্মা গান্ধী রোড) একটি বাড়িতে রাজনীতিক ও সাবেক মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জন্ম, মৃত্যু-১৭-০১-২০১০ তারিখ কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় ১১টা ৪৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ১৯৩০-এর দশকে কমিউনিষ্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১৯১৪ সালে কেরানীগঞ্জ থানার কলাতিয়া মিয়াবাড়িতে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের জন্ম, মৃত্যু-২৮-১১-১৯৯৯ তারিখ। ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই, ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরিলীর সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সম্জাকর্মী, পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেলের উদ্ভাবক এবং বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. আখতার হামিদ খানের জন্ম, আমেরিকাতে মৃত্যু-০৯-১০-১৯৯৯ তারিখ। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশভারতের সর্বোচ্চ চাকরি আইসিএস-এ নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৩৭-৪৪ সাল পর্যন্ত আই.সি.এস. অফিসার হিসেবে কুমিল্লা, পশ্চিমবঙ্গের তমলুক, পটুয়াখালী, নওগাঁ ও নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন স্থানে এসডিও এবং অন্যান্য উচ্চপদে কাজ করেন। ১৯৪৭-৫০ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লীতে ড. জাকির হোসেন প্রতিষ্ঠিত জামিয়া মিলিয়াতে মাত্র ১০০ রুপী বেতনে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালের এক ক্রান্তিলগ্নে ড. আখতার হামিদ খান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৯ সালের ২৭ মে কুমিল্লা একাডেমী (বর্তমানের বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বা বার্ড) নামে কোটবাড়িতে জন্মলাভ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে তাঁকে ইসলামাবাদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকালে তাঁকে আর বাংলাদেশে আসতে দেয়া হয়নি। ১৯৭৮-৭৯ সালে মাত্র সাত মাসের জন্য তিনি পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়ার উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। ১৯১৪ সালে বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া গ্রামে পশ্চিমবাংলার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের জন্ম, মৃত্যু-০৬-১১-২০১০ তারিখ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা ৫০ মিনিটে তিনি দক্ষিণ কলকাতার বেলতলা পার্কের নিজ বাসভবনে। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী ছিল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত। ঢাকা শহরের নবদ্বীপ বসাক রোডেও ছিল তাঁদের বাড়ি। তাঁর বাবা সুধীর কুমার রায় ব্যারিস্টার ছিলেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী মায়া রায়ও ব্যারিস্টার ছিলেন। সিদ্ধার্থ শংকর রায় নিঃসন্তান ছিলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন তাঁর নানা। ১৯১৪ সালের ১৫ অক্টোবর, আফগানিস্তানের কাবুলে শেষ আফগান বাদশাহ জহীর শাহের জন্ম, ১৯৩৩ সালে তাঁর পিতা (নাদির শাহ) নিহত হওয়ার পর ১৯ বছর বয়সে জহীর শাহ সিংহাসন লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত ৪০ বছর দেশ শাসন করেন এবং শেষ আফগান বাদশাহ জহীর শাহের মৃত্যু-২৩-০৭-২০০৭ তারিখ। ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর, কিশোরগঞ্জ জেলার কেন্দুয়ায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৮-০৫-১৯৭৬ তারিখ। ১৯১৪ সালে রমেন মিত্র বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের (বর্তমান চাপাইনবাবগঞ্জ) রামচন্দ্রপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৫ সালে ইলা মিত্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর দু’জনে শুরু করেন তেভাগা আন্দোলন। পূর্ববঙ্গে কমিউনিষ্ট আন্দোলন গড়ে তোলার অগ্রসেনানী এবং তেভাগা আন্দোলনের নেতা রমেন মিত্র(৯১) বছর বয়সে ২৮-০৬-২০০৫ তারিখ মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর, রাজশাহীর নাচোলের ‘রানি মা’ ও তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্ম, মৃত্যু-১৩-১০-২০০২ সালে। অধ্যাপনা করেছেন ১৯৬২ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত। চারবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছেন। ১৯টি জেলায় তেভাগা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ইলা মিত্র ছিলেন ক্রীড়াবিদ হিসেবেও তুখোড়। ঢাকায় পুত্র রণেন মিত্র। রণেন মিত্রের জন্ম-১৯৪৮ সালে।
১৯১৫ সালের ২২ আগষ্ট, কলকাতায় ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রের জন্ম, নিবেদিতপ্রাণ নাট্যব্যক্তিত্বের মৃত্যু-১৮-০৫-১৯৯৭ তারিখ কলকাতায়। ১৯১৫ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের জন্ম, মৃত্যু-১৪-০৮-১৯৮০ তারিখ। ১৯১৫ সালে ভারতীয় বাংলা সিনেমার বিখ্যাত নায়িকা ও গায়িকা কানন বালা দেবীর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৭-০৭-১৯৯২ তারিখ। ১৯১৫ সালে লাহোরে জন্মগ্রহণকারী পূর্ব-পাকিস্তানের কমান্ডার লে. জে. এ. এ. কে. নিয়াজী, ইন্তেকাল-০২-০২-২০০৪ তারিখ ৮৯ বছর বয়সে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কমান্ডার লে. জে. এ. এ. কে. নিয়াজী ছিলেন। ১৯৩৯ সালে নিয়াজী ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯১৫ সালে বগুড়াতে প্রখ্যাত সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাকের আসফ-উদ-দৌলা রেজার জন্ম, ঢাকায় মৃত্যু-১৪-০২-১৯৮৩ তারিখ। ১৯১৫ সালের ১ ডিসেম্বর, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামে টাইগার গনি নামে পরিচিতি মেজর গনির জন্ম, এবং ১৯৫৭ সালের ১১ নভেম্বর জার্মানীর ফ্র্যাংকপোর্টে আকস্মিকভাবে মাত্র ৪২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ১৯৪১ সালে বৃটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাইওনিয়ার কোরে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, তারই অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠিত হয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট। পাক-সরকারের বৈরিতায় ১৯৫৩ সালে তিনি সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে নির্বাচিত হন প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য। ১৯৮১ সালে মেজর গনিকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করা হয়। ১৯১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি, টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার নাগবাড়ির এক জমিদার পরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশের (১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ০২-০৮-১৯৮৭ তারিখ।
১৯১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, বর্তমান পাকিস্তানের ঝিলাম জেলায় কালাগুর্জন গ্রামে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা জন্মগ্রহণ করেন এবং ০৩-০৫-২০০৫ তারিখ নয়াদিল্লীর একটি হাসপাতালে সকালে পরলোকগমন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইষ্টার্ন কমান্ডের কমান্ডর ছিলেন। পূর্ব-পাকিস্তানের কমান্ডার লে. জেনারেল এ. এ. কে. নিয়াজী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ঢাকায় লে. জেনারেল অরোরার নিকট আত্মসমর্পণ করেন এবং আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। অরোরা ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় পাঞ্জাব রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নে ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে বাউলসম্রাট ও কবি শাহ আবদুল করিমের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৯-২০০৯ তারিখ। ১৯১৬ সালের ২১ মার্চ, সানাইয়ের কিংবদন্তী ওস্তাদ ও সুর স্রষ্টা বিসমিল্লাহ খাঁ বিহারের ডুমরাও-এ পেশাদার একটি সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যুবরণ করেন-২১-০৮-২০০৬ তারিখ। ১৯৫০ সালে ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লীর ঐতিহাসিক সপ্তদশ শতকের লালকিল্লা থেকে শানাইয়ের ঝঙ্কার তুলে বিখ্যাত হয়ে যান। এ সঙ্গীতজ্ঞ ১৯৯১ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘ভারতরতœ’ খেতাবে ভূষিত হন। ১৯১৬ সালে বিশ্বখ্যাত ডিএনএ বিজ্ঞানী প্রফেসর উইলকিনসের জন্ম, মৃত্যু-০৮-১০-২০০৪ তারিখ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮-বছর। উইলকিনস আমৃত্যু লন্ডনের কিংস কলেজে অধ্যাপনা করছেন। ১৯১৬ সালে পাকিস্তানের আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির প্রতিষ্ঠাতা খান আব্দুল ওয়ালী খানের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৫-০১-২০০৬ তারিখ। ১৯১৬ সালে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে বিশ্বখ্যাত শিকারী আবদুল হামিদ ওরফে পচাব্দী গাজীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১২-১০-১৯৯৭ তারিখ। এ শিকারী সর্বোচ্চ ৫৭টি ভয়ঙ্কর মানুষখেকো রয়েল বেঙ্গল বাঘ শিকার করে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিকারীদের মাঝে নিজের আসন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৬ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের (এ দেশের প্রথম সিনেমা মুখ ও মুখোশ-১৯৫৬ সালের ৩ আগষ্ট মুক্তি পায়) পথিকৃৎ আলহাজ্ব আবদুল জব্বার খান বিক্রোমপুরে জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-১২-১৯৯৩ তারিখ। ১৯১৭ সালের ২৯ মে, যুক্তরাষ্টের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন. এফ. কেনেডির জন্ম, আততায়ীর হাতে মৃত্যু-২২-১১-১৯৬৩ তারিখ। ১৯১৭ সালের ২৭ অক্টোবর, দক্ষিণ আফ্রিকার গান্ধী ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের বিজানা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ক্যান্টেলো গ্রামে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এক উজ্জল নক্ষত্র অলিভার টাম্বোর জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৪-১৯৯৩ তারিখ স্ট্রোকে। ১৯১৭ সালের ১৭ নভেম্বর, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম, মৃত্যুঃ ৩১-১০-১৯৮৪ তারিখ নয়াদিল্লীতে দেহরক্ষীর গুলিতে। ১৯১৮ সালের ১৯ জুন, মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কবি ফররুক আহমদের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৮-১০-১৯৭৪ তারিখ।
১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই, দক্ষিণ আফ্রিকায় মানবতাবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার জন্ম, মারা গেছেন ০৫-১২-২০১৩ তারিখ। ১৯৯০ সালের ১১ ফ্রেব্রæয়ারি তাঁর কারামুক্তির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। জীবনের ২৭ বছর জেলে কেটেছে নেলসন মেন্ডেলার। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বঙ্গবীর ও জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০২-১৯৮৪ তারিখ। ১৯১৮ সালের ১ অক্টোবর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার ভেলানগর গ্রামের বড়বাড়িতে মানে তাঁর নানাবাড়িতে (দরিকান্দি গ্রামে তাঁর বাবারবাড়ি) বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, গবেষক, বিশিষ্ট প্রতœতত্তবিদ, ইতিহাসবিদ ও পুঁথি-সাহিত্য বিশারদ, অনুবাদক সাহিত্যিক, মধ্যযুগের ইতিহাস চিন্তাবিদ, ক্রীড়া সংগঠক-বহুমাত্রিক আবুল কালাম মুহাম্মদ যাকারিয়ার জন্ম, ২৪-০২-২০১৬ তারিখ ১১-৫৫ মিনিটে শমরিতা হাসপাতালে বাধ্যর্কজনিত কারণে মারা গেছেন। ১৯১৮ সালের ১৮ অক্টোবর, ঢাকার জিন্দাবাহার লেনে উপমহাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্ম, ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত জিন্দাবাহারেই ছিলেন তিনি। জিন্দাবাহার নামে তাঁর বিখ্যাত বইও আছে। ১৯৩৭ সালে মাদ্রাজ সরকারি আর্ট কলেজে পড়তে চলে যান। ২২-১০-২০০৮ তারিখ সোয়া সাতটায় কলকাতার বি. এম. বিড়লা হার্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৩৭ সালে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পর ১৯৭২ সালে পরিতোষ সেন স্বাধীন বাংলাদেশে এসেছিলেন। ১৯১৮ সালে ভিয়েনায় সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কুর্টওয়েল্ডহেইমের জন্ম, মৃত্যু-১৪-০৬-২০০৭ তারিখ। তিনি ১৯৭২-৮২ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন। ১৯১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর, রাশিয়ার ককেসাসের কিসলোভোদস্ক শহরে নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আলেকসান্দর সলঝেনিৎসিনের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৮-২০০৮ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে নোবেল পান। ১৯১৯ সালের ১ মে, কলকাতা শহরে আধুনিক বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী মান্না দের জন্ম, ২৪-১০-২০১৩ তারিখ বৃহস্পতিবার দিন ভোর রাত তিনটা ৫০ মিনিটে পরপারে চলে গেলেন প্রবাদপ্রতিম সংগীতশিল্পী মান্না দে। এ ৯০(নব্বই) বছর বয়সেও গান করতে পারছে এবং স¤প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন। মান্না দে গানই আমার জীবন। সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি-সা আমি শুনতে শুনতে নিজেই শিখেছিলাম। ১৯১৯ সালে ২০ জুলাই, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে, পর্বতারোহী ও এভারেষ্ট বিজয়ী স্যার এডমন্ড হিলারির জন্ম, মৃত্যু-১১-০১-২০০৮ তারিখ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকল্যান্ডের একটি হাসপাতালে। তাঁর নামে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ চূড়া এডমুন্ড হিলারির নামে করার প্রস্তাব। ১৯১৯ সালের ১১ অক্টোবর, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের জন্ম, শহীদঃ ২১-০২-১৯৫২ তারিখ। ১৯১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর, লক্ষেèৗ শহরের এক রক্ষণশীল শিয়া মুসলিম পরিবারে নওশাদ আলীর জন্ম, উপমহাদেশের সংগীতের কিংবদন্তি নওশাদ আলীর মৃত্যুঃ ০৫-০৫-২০০৬ তারিখ। ১৯২০ সালের ১৯ জানুয়ারি, বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৯-০১-১৯৯২ তারিখ। ১৯২০ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, উপমহাদেশের সঙ্গীতজ্ঞ, বাংলাদেশের প্রথম সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পন্ডিত বারীণ মজুমদার পাবনা শহরের রাধানগর অঞ্চলের বিখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যুঃ ০৩-১০-২০০১ তারিখ।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৫-০৮-১৯৭৫ তারিখ। ১৯২০ সালের ৭ এপ্রিল, ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতকে যাঁরা বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছেন, তাঁদের মধ্যে রবিশংকর অন্যতম, জগদ্বিখ্যাত সেতারবাদক রবিশংকরের (আসল নাম রবীন্দ্র শঙ্কর চৌধুরী) জন্ম, মৃত্যু-১১-১২-২০১২ তারিখ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৩০ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে আমি আমার বড় ভাই নৃত্যশিল্পী উদয়শংকরের সঙ্গে প্যারিস গিয়েছিলাম। ১৯২০ সালের ১৬ জুন, ফরিদপুর জেলায় বাংলা গানের ভারতীয় বিখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যুঃ ২৬-০৯-১৯৮৯ তারিখ। ১৯২০ সালের ২৮ জুন, চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার ছেদন্দি গ্রামে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের স্থপতি প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের জন্ম, মৃত্যুঃ ১১-০৩-১৯৯১ তারিখ। ১৯২০ সালের ২৬ আগষ্ট, মুন্সীগঞ্জ শহরে এ যুগের সেরা কৌতুকশিল্পী ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম, কলকাতা শহরে মৃত্যু-০৪-০৩-১৯৮৩ তারিখ। ১৯২০ সালে নরসিংদীর বালিয়া গ্রামে ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য সোমেন চন্দের জন্ম, ঢাকার রাজপথে তাকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও পৈশাচিকভাবে খুন করা হয়-০৮-০৩-১৯৪২ তারিখ। ১৯২০ সালে ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল সুহার্তোর জন্ম, মৃত্যু-২৭-০১-২০০৮ তারিখ। তিনি ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৬৫ সাল থেকে ক্ষমতা দখল করে এবং ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জেনারেল সুহার্তো ও তাঁর সেনাবাহিনী ৩২ বছর যাবত একটি লুটপাটের রাজত্ব চালিয়েছে। ১৯২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, যশোর জেলার সদর থানার খড়কিতে কমিউনিষ্ট নেতা আবদুল হকের জন্ম, মৃত্যু-২২-১২-১৯৯৫ তারিখ। ১৯২১ সালের ২ মে, বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিত রায় (মানিক) কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি নির্মাণ করেছিলেন অবিস্মরণীয় চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালি’। ১৯৫৫ সালে নিউইয়র্কে ‘পথের পাঁচালি’ প্রথম প্রদর্শিত হয়। এর কয়েক মাস পর এটি কলকাতায় মুক্তি পায়। ১৯৫৬ সালে সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র ঊৎসবে বেস্ট হিউমেন ডকুমেন্টারীর পুরস্কার পায়। এটা বাংলার সমাজ ও গ্রামীণ জীবনকে খুবই হৃদয়গ্রাহীভাবে ফুটিয়ে তোলেন। ১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর, খ্যাতিমান শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানের জন্ম, মৃত্যুঃ ০২-০২-১৯৮৮ তারিখ। ১৯২২ সালের ২ জানুয়ারি, নোয়াখালী জেলায় রাজনীতিবিদ কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার জন্ম, মৃত্যু-২৯-১১-১৯৮৭ তারিখ। ১৯২২ সালের ১৭ জানুয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে কিংবদন্তি সরোদশিল্পী (আকবর আলী আকবর খাঁ) ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ’র জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৬-২০০৯ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগীত কেন্দ্রে মারা যান। ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল, কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার বর্ধিঞ্চু গ্রাম এলাহাবাদে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের জন্ম। ১৯৬৭ সালে তিনি ন্যাপ সভাপতি হন। ১৯২২ সালের ৭ নভেম্বর, ঢাকা শহরের লক্ষীবাজারস্থ বিখ্যাত দ্বীনি পরিবার শাহ সাহেব বাড়ী মাতুলালয়ে অধ্যাপক গোলাম আযম জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২৩-১০-২০১৪ তারিখ পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার প্রতীক গোলাম আযম। ১৯২২ সালে বিখ্যাত অভিনেতা দীলিপ কুমারের জন্ম। (আসল নাম ইউসুফ খাঁন)। দিলীপ কুমার ১৯৪৪ সালে জোয়ার ভাটা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এ সুপুরুষ নায়কের যাত্রা শুরু। ১৯২৩ সালে কলকাতায় ইহুদি পরিবারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাকব-ফারজ-রাফায়েল জ্যাকবের (জে.এফ.আর.জ্যাকব) জন্ম, ১৩-০১-২০১৬ তারিখ বুধবার সকালে দিল্লির একটি সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। জ্যাকবের পূর্ব পুরুষেরা বাগদাদ থেকে এসেছিলেন কলকাতায়। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ১৯৪২ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লড়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে, মিয়ানমারের পরে সুমাত্রায়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে ভারতীয় বাহিনীর ঢাকা অভিযানের নেতৃত্বে দেন, তাঁর পরিকল্পনাতেই পাকিস্তান সেনবাহিনীকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ সম্ভব হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানটি ছিল কার্যত জ্যাকবের নিজস্ব উদ্ভাবন। জেনারেল জ্যাকব তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতে নিয়াজির আত্মসমর্পণের দলিল থেকেও উদ্ধৃতি দেন। নিয়াজি সেখানে বলেন, জ্যাকবই তাঁকে বø্যাকমেইল করে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের বিষয়ে পাকিস্তানিরা তাঁদের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের গবেষণায় বিষ্ময়করভাবে ভারতীয় বিজয়ের জন্য কৃতিত্ব নির্দিষ্টভাবে ‘‘মেজর জেনারেল জ্যাকব’’কেই দিয়েছে। ৩১ জুলাই ১৯৭৮ সালে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। ইহুদিদের প্রতি পাকিস্তানের কোনো প্রেম নেই। পাকিস্তানিরা জানত, আমি একজন ইহুদি। ১৯২৩ সালের ১৪ মে, বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা শহরে নন্দিত চলচ্চিত্রনির্মাতা মৃণাল সেনের জন্ম। ০২-০২-২০০৫ তারিখ নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিতব্য ভারতের ৫১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এ. পি. জে. আবদুল কালাম মৃণাল সেনের কাছে দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননা হস্তান্তর করেন। ১৯২৩ সালের ২৩ মে, বরিশাল জেলার সিদ্ধকাঠি গ্রামে আজকের দুনিয়ায় ইতিহাস সুষ্টিকারী ইতিহাসবিদ, ইতিহাসের দার্শনিক রণজিৎ গুহের জন্ম। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কারণে তিনি ভারতে চলে যায়। রণজিৎ গুহকে মার্কসবাদী ধারা ইতিহাসবিদ ধরা হয়। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে ফুসফুসে ক্যান্সার নিয়ে হয়তোবা মৃত্যুর দিকেই যাচ্ছেন বাংলার এ কৃতী সন্তান। মরার আগে আরও পাঁচ বছর বাঁচতে চান, যাতে বাংলায় আরও লিখতে পারেন, যাতে একবারের জন্য হলেও তাঁর জন্মভূমি বরিশালের নদীতে কয়েক মাস ঘুরে বেড়াতে পারেন। রণজিৎ গুহকে প্রাচ্যের তত্ত¡বিদ বললে বাড়িয়ে বলা হয় না। তিনি ভারতবর্ষের ইতিহাসকে, ভারতবর্ষ তথা বংলার কৃষককে নূতন আলোয় দেখাতে পেরেছেন। তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় ২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর, ৪৫তম কনভোকেশনে এ ক্ষণজন্মা পন্ডিতকে ‘ডক্টর অব লিটারেচার’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে।
১৯২৩ সালের ১০ আগষ্ট, শিল্পী এস. এম. সুলতান জন্মগ্রহণ করেন নড়াইল জেলার মাছিম দিয়া গ্রামে, বরেণ্য শিল্পী মৃত্যুবরণ করেনঃ ১০-১০-১৯৯৪ তারিখ। ১৯২৪ সালের ৮ মে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শিউড়ী মহকুমার খয়রাদিহি গ্রামে শিল্পী কলিম শরাফীর জন্ম, মৃত্যু-০২-১১-২০১০ তারিখ রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে । ১৯৫০ সালে ঢাকায় চলে এসেছিলেন কলিম শরাফী। ১৯২৪ সালে পাবনা জেলায় ভাষাসৈনিক ও কমরেড আবদুল মতিনের জন্ম। ১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর, পূর্ব পাঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে কোটলা সুলতান সিংয়ে গায়ক সুরকার মোহাম্মদ রফি জন্মগ্রহণ করেন, মুম্বাইয়ে মৃত্যুঃ ৩১-০৭-১৯৮০ তারিখ। তিনি যখন মারা যান মুম্বাইয়ে সর্বকালের সবচেয়ে বড় শোক মিছিল হয়েছিল। ১৯২৫ সালের ৯ জানুয়ারি, ঝালকাঠির ৫ নম্বর কীর্তিপাশা ইউনিয়নের রুনসী গ্রামে প্রবীণ সাংবাদিক, কলামিষ্ট, দৈনিক সংবাদের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য সন্তোষ গুপ্তের জন্ম, ০৬-০৮-২০০৫ তারিখ দিবাগত রাত ২-৩০ মিনিটে বারডেম হাসপাতালে পরলোকগমন। ১৯২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ডে কমপিউটার মাউসের জনক ডগলাস অ্যাঙ্গেলবার্টের জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৭-২০১৩ তারিখ। ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ, যশোরে মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামানের (বীর-উত্তম) জন্ম, মৃত্যু-০৬-০৫-২০১১ তারিখ। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভিতে যোগ দেন। ১৯২৫ সালের ৯ এপ্রিল, কেন্দ্রীয় কচি-কাচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাহিত্যিক-সাংবাদিক রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাইয়ের জন্ম, তিনি মারা যান ০৩-১২-১৯৯৯ তারিখ। ১৯২৫ সালের ৯ জুলাই, ভারতের বেঙ্গালুরুতে সফল চলচ্চিত্র নির্মাতা গুরু দত্তের জন্ম, মৃত্যু-১৯৬৪ সালের ১০ অক্টোবর, মুম্বাইয়ে। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সাবেক অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, কেন্দ্রীয় কারাগারে। ১৯২৫ সালের ২৯ নভেম্বর, ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার মাতুভূঁইয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামে ভাষা শহীদ আবদুস সালামের জন্ম, শহীদঃ ২১-০২-১৯৫২ তারিখ। ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর, এ ঢাকা শহরেই দুটি ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল। তাঁদেরই একজন পরবর্তী জীবনে বাংলার শিল্পনিষ্ঠ ও স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটক, অন্যজন সাত মিনিটের ছোট বোন। অত্যন্ত কৃতী পরিবারের সবচেয়ে অকৃতী অধম সেই যমজ বোনই আমি-প্রতীতি। স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের কলকাতায় মৃত্যু-০৬-০২-১৯৭৬ তারিখ। ঋত্বিক কিন্তু ঢাকাতেই থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু ১৯৪৮ সালে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে মা-বাবাকে নিয়ে দাদারা কলকাতায় চলে যান। ঋত্বিক এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু সবার সঙ্গে পেরে ওঠেনি। ফলে তাকেও যেতে হলো। ঋত্বিক কুমার ঘটকরা নয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার কনিষ্ঠ ঋত্বিক কুমার ঘটক ও প্রতীতি দেবী। প্রতীতি দেবীর স্মৃতিচারণায় ভাই ঋত্বিক ঘটক। প্রতীতি দেবী ঢাকায়ই থাকেন।
১৯২৫ সালে ভারতের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী ও পারমাণবিক কর্মসূচীর জনক রাজা রামান্নার জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৯-২০০৪ তারিখ। ১৯২৫ সালে ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে বিজ্ঞানী রবার্ট এডওয়ার্ডসের জন্ম। ব্রিটিশ অধ্যাপক রবার্ট এডওয়ার্ডসের হাতেই ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই, জন্ম হয় বিশ্বের প্রথম টেস্টটিউব শিশু লুইস ব্রাউনের। তাঁর এ সফলতায় বিশ্বের লাখ লাখ বন্ধ্যা দম্পতি আইডিএফ প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্তান লাভ করছে। ১৯২৫ সালে ভারতের শিলংয়ে স্কটিশ বিজ্ঞানী জন শেফার্ড-ব্যারনের জন্ম, মৃত্যু-১৫-০৫-২০১০ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৪ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যের ইনভারনেস শহরের একটি হাসপাতালে। তিনি এটিএমের উদ্ভাবক জন শেফার্ড-ব্যারন অটোমেটেড টেলর মেশিন (এটিএম)-এর উদ্ভাবক জন শেফার্ড-ব্যারন মারা গেছেন। ব্যাংকিং খাতে টাকা-পয়সা তোলার ক্ষেত্রে এটিএমের ধারণা প্রথম জন শেফার্ড-ব্যারনের ভাবনাতেই আসে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনে প্রথম এটিএম বসানো হয়। জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানে ‘অন দি বাসেস’ থেকে প্রচারের আলোয় আসা অভিনেতা রেগ ভার্নি ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি সেই এটিএম থেকে টাকা তুলেছিলেন। পিটিআই। ১৯২৬ সালের ১৪ জানুয়ারি, বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম ঢাকায়। লেখার পাশাপাশি দলিত ও আদিবাসী জনজাতিগুলোর কাছে গিয়ে তাদের নিয়ে কাজ করে তিনি একজন প্রতিবাদী লড়াকু কণ্ঠস্বর হিসেবে খ্যাতিমান হয়ে উঠেছেন। ১৯২৬ সালে বগুড়া জেলায় আলোর দিশারী বাংলাদেশের মহিলা ক্রীড়াঙ্গনের অগ্রদূত ছিলেন রাবেয়া খাতুন তালুকদারের জন্ম, মৃত্যু-২০০৯ সালে। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা হিসেবে স্থান করে নিয়েছিলেন রাবেয়া খাতুন তালুকদার। ১৯২৬ সালে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টোর জন্ম, তাঁর ফাঁসি হয়-০৪-০৪-১৯৭৯ তারিখ। ১৯২৬ সালে পূর্ববঙ্গের বলিশাল জেলায় ইতিহাসের পন্ডিত অধ্যাপক তপন রায় চৌধুরীর জন্ম। তবে তাঁর মুখ্য কাজের ক্ষেত্র অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। মোগল আমলের ও ব্রিটিশ উপনিবেশের বাংলা তাঁর গবেষণার বিষয়। ১৯৪৬ সালের ১৬ আগষ্ট, কলকাতায় যে কুৎসিত দাঙ্গার ঘটনাটা ঘটল, ‘আমি এখনো দাঙ্গার ব্যাখ্যা খুঁজে বেড়াচ্ছি’।
১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়ক অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় (উত্তম কুমারের) জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৭-১৯৮০ তারিখ। ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, ভারতের আসাম রাজ্যে গণসংগীত শিল্পী ড. ভূপেন হাজারিকার জন্ম, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটা ৩৭ মিনিটে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে এই মানবদরদি শিল্পী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন-০৫-১১-২০১১ তারিখ। ‘যাযাবরের’ চিরপ্রস্থান। তিনি আসামী, বাংলা ও হিন্দি ভাষায় গান করতেন। ১৯২৬ সালের ১৩ আগষ্ট, কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর জন্ম। তিনি ১৯৫৯ সালের ২ জানুয়ারি, কিউবায় কমিউনিষ্ট বিল্পবের মাধ্যমে কিউবার ক্ষমতা দখল করেন। ১৯২৬ সালের ১৬ আগষ্ট, বিপ্লবী কিশোর কবি সুকান্ত কলকাতা শহরে তাঁর নানাবাড়ি জন্মগ্রহণ করেন; মৃত্যু-১৩-০৫-১৯৪৭ তারিখ কলকাতা শহরে। ফরিদপুর জেলায় তাঁর বাবারবাড়ি। ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি, নোয়াখালী জেলার সেনবাগে বইয়ের মানুষ চিত্তরঞ্জন সাহার জন্ম, মৃত্যু-২৬-১২-২০০৭ তারিখ। চিত্তরঞ্জন সাহাই পুথিঘর লাইব্রেরীর মালিক এবং প্রথম বাংলা একাডেমীতে একুশে ফেব্রæয়ারিতে বইয়ের দেকান দেন। ১৯২৭ সালের ১৬ জুন, মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার ভরতপুর থানার বাবলা গ্রামে ভাষাসৈনিক শহীদ আবুল বরকতের জন্ম, মৃত্যু-২১-০২-১৯৫২ তারিখ ঢাকায়। ১৯২৭ সালের ১৮ জুলাই, ভারতের রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলার লুনা গ্রামে এক ঐতিহ্যবাহী সংগীত পরিবারে উপমহাদেশের ধ্রæপদ সংগীত ও গজলের ধ্রæবতারা মেহদি হাসানের জন্ম, পাকিস্তানের করাচিতে মৃত্যু-১৩-০৬-২০১২ তারিখ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পরিবারসহ পাকিস্তানের সহিওয়াল জেলার ছিচা ওয়াতনি এলাকায় থিতু হন তাঁরা। ১৯৫৭ সালে ঠুমরি গায়ক হিসেবে পাকিস্তান বেতারে গাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পর থেকে আর্থিক সংকট কাটতে থাকে মেহদি হাসানের। ১৯২৮ সালের ২০ মার্চ, কুচবিহারে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জন্ম। ১৯২৮ সালের ১৪ জুন, আর্জেন্টিনার রোমারি শহরের স্যান্টাক্লারা এলাকায় লাতিন আমেরিকার বিপ্ললী নেতা ও কিউবা বিপ্লবের অন্যতম নায়ক চে গুয়েভারার জন্ম, ১৯৬৭ সালের ৮ অক্টোবর দুজন সহযোদ্ধাসহ বন্দী হন আহত চে। পরে তাকে ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর, বলিবিয়ার এক সার্জেন্ট মারিয়ো তেরান চে গুয়েভারাকে বলিভিয়ার জঙ্গলে কাছ থেকে গুলী করে হত্যা করেন। ১৯৩৭ সালে স্পেনিশ গণযুদ্ধের সময় চে পড়ছেন প্রাইমারী স্কুলে, থার্ড গ্রেডে। ১৯৪৭ সালে আর্জেন্টিনার কমিউনিষ্ট সংঘের তরুণ কর্মী বারতা গিলদা তিতার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে মার্কসবাদী দর্শনের নানামুখী আলোচনায় ঝুঁকে পড়েন তিনি। ১৯৫৯ সালের ২ জানুয়ারি, ফিদেল-চের নেতৃত্বে বিপ্লব সমপন্ন হয় কিউবায়। ১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার রামকান্তপুর গ্রামে চলচ্চিত্রকার, গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও অভিনেতা খান আতাউর রহমান খানের জন্ম, মৃত্যু-০১-১২-১৯৯৭ তারিখ। তিনি চলচ্চিত্র অঙ্গনের এক ব্যতিক্রমী পুরুষ। ১৯২৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের, শিকাগো শহরে মার্টিন কুপারের জন্ম। হাতে বহনযোগ্য মোবাইল ফোনের উদ্ভাবক। ৩ এপ্রিল ১৯৭৩, তিনি মোবাইল ফোনে প্রথম কলটি করেন।
১৭৮১ সালের ৯ জুন, রেলওয়ে ইঞ্জিনের নকশাকার ও স্টিম ইঞ্জিনের রূপকার ইংরেজ উদ্ভাবক জর্জ স্টিফেনসনের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৮-১৮৪৮ তারিখ। ১৭৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাট মহকুমার চাঁদপুর গ্রামে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী মীর নিসার আলীর (শহীদ তিতুমীর) জন্ম, মৃত্যুঃ ১৪-১২-১৮৩১ তারিখ। ১৭৮২ সালের ২১ এপ্রিল, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা পদ্ধতির উদ্গাতা ফ্রিডরিখ ফ্রোয়েবেলের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৭৯১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, ইংরেজ রসায়ন ও পদার্থবিদ মাইকেল ফ্যারাডে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-১৮৬৭ সালে। (১৮৪৫ সালে বিদ্যুৎ আবিস্কারক)। ১৭৯২ সালের ২৫ ডিসেম্বর, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চার্লস ব্যাবেজের জন্ম, মৃত্যু-১৮-১০-১৮৭১ তারিখ। তিনি ১৮২২ সালে ডিফারেন্স মেশিন নামের বিশ্বের প্রথম কমপিউটার তৈরি করেন। ১৭৯৪ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোর সুবিদিত ঠাকুর পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবসা বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা দ্বারকানাথ ঠাকুরের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-০১-০৮-১৮৪৬ তারিখ। ১৭৯৫ সালের ৩১ অক্টোবর, ইংরেজ কবি জন কিটসের জন্ম; মৃত্যু-২৩-০২-১৮২১ তারিখ। ১৭৯৭ সালে অযোধ্যার অন্তর্গত খয়রাবাদে জন্মগ্রহণ করেন মাওলানা ফজলে হক খায়রাবাদী, মৃত্যু-১৮৬১ সালে আন্দামান দ্বীপে। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবে মাওলানা ফজলে হক খায়রাবাদী প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে আন্দামান দ্বীপে নির্বাসনে পাঠায়। ১৭৯৭ সালে ভারতের দিল্লী শহরে উর্দু ও ফার্সি সাহিত্যের মহাকবি কবি মির্জা আসাদ উল্লাহ খান গালিবের জন্ম, ইন্তেকাল-১৫-০২-১৮৬৯ তারিখ। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ হয়েছে। এ বিদ্রোহের তিনি একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। ১৮০৪ সালের ২৮ জুলাই, জার্মান বস্তুবাদী দার্শনিক ল্যুৎদভিগ ফয়েরবাখের জন্ম, মৃত্যু-১৩-০৯-১৮৭২ তারিখ। ১৮০৯ সালের ৪ জানুয়ারি, অন্ধদের পাঠ পদ্ধতির উদ্ভাবক ফরাসী গবেষক লুই ব্রায়ির জন্ম, মৃত্যু-২৮-০৩-১৮৫২ তারিখ। ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের ষোলতম প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বখ্যাত মানবতাবাদী নেতা আব্রাহাম লিংকনের জন্ম, মৃত্যু-১৫-০৪-১৮৬৫ তারিখ। ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, ইংল্যান্ডের শ্রæসবরিতে বিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস রবার্ট ডারউইনের জন্ম, মৃত্যু-১৮-০৪-১৮৮২ তারিখ। তাঁর লেখা ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিজ’ বহুল আলোচিত গ্রন্থটি ১৮৫৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৮১৫ সালের ১৭ অক্টোবর, আলিগড়ের প্রখ্যাত মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষার অগ্রদূত, নেতা, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক স্যার সৈয়দ আহমদের জন্ম, মৃত্যু-১৮৯৮ সালে। ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর, যুক্তরাজ্য, লন্ডন, অগাষ্টা আডা বায়রনের (আডা লাভলেস) জন্ম, মৃত্যু-২৭-১১-১৮৫২ তারিখ। পৃথিবীর প্রথম কমপিউটার প্রোগ্রামার। চার্লস ব্যাবেজ উদ্ভাবিত কমপিউটারের জন্য প্রথম প্রোগ্রাম লেখেন। ১৮১৭ সালের ১৫ মে, কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে বাংলা গদ্যের লেখক মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যুঃ ০৫-০১-১৯০৫ তারিখ। ১৮১৮ সালের ৫ মে, জার্মানে সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্কসের জন্ম; ইংল্যান্ডে মৃত্যু-১৪-০৩-১৮৮৩ তারিখ। ১৮৪৮ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, কার্ল-মার্কস কম্যুনিষ্ট মেনিফেষ্টো ঘোষণা করেন। ১৮৪৮ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, কার্ল-মার্কস ও ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস কমিউনিষ্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেন। ১৮১৮ সালে ঢাকার নবাব স্যার নওয়াব খাজা আবদুল গনির জন্ম, মৃত্যু-১৮৭৩ সালে। খাজা আবদুল গনি বংশানুক্রমিক নবাব উপাধি লাভ করেন ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ১৮৬৫ সালে। ১৮২০ সালের ১২ মে, ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে ইংরেজ সেবিকা ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলের জন্ম, ১৩-০৮-১৯১০ তারিখ, এ মানব দরদী মহীয়সী নারীর মৃত্যু। ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও মানবতাবাদী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম; মৃত্যুঃ ২৯-০৭-১৮৯১ তারিখ। ১৮৪০ সালে ঈশ্বরচন্দ্র ‘‘বিদ্যাসাগর’’ উপাধি পান। ১৮৮০ সালে বিদ্যাসাগর সি. আই. ই. উপাধি লাভ করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বাংলা গদ্য সাহিত্যের জনক বলা হয়। ১৮২০ সালের ২৮ নভেম্বর, জার্মানে এঙ্গেলসের জন্ম, ইংল্যান্ডে মৃত্যু-১৮৯৫ সালে। ১৮২০ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মহারাষ্ট্রে সিপাহী বিপ্লবের আপসহীন নেত্রী ঝাঁসীর রানী লক্ষীবাই’র জন্ম, মৃত্যু-১৭-০৬-১৮৫৮ তারিখ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারাণ। ১৮২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর, ফরাসী রসায়নবিদ ও অনুজীব বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৯-১৮৯৫ তারিখ। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোরের সাগর দাঁড়ির দত্ত পরিবারের একমাত্র পুত্র মহাকবি ও সাহিত্যক মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-০৬-১৮৭৩ তারিখ কলকাতার আলীপুর হাসপাতালে।
১৮২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, রাজনৈতিক দাদাভাই নওরোজির জন্ম, মৃত্যু-১৯১৭ সালের ৩০ জুন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম এশীয় সদস্য দাদাভাই নওরোজীর মৃত্যু। ১৮২৬ সালের ২৪ জানুয়ারি, অবিভক্ত ভারতের প্রথম ব্যারিস্টার গণেন্দ্রমোহন ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-০৫-০১-১৮৯০ তারিখ। ১৮২৭ সালের ৫ এপ্রিল, পচনরোধী ওষুধের আবিষ্কারক ইংরেজ চিকিৎসক যোসেফ লিস্টারের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৮২৮ সালের ৮ মে, রেডক্রসের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে এক ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-১৯১০ সালের ৩০ অক্টোবর। ১৮২৮ সালের ২৮ আগষ্ট, মানবতাবাদী লেখক ও রাশিয়ার বিপ্লবী সাহিত্যিক লেভ টলষ্টয়ের জন্ম; মৃত্যু-২০-১১-১৯১০ তারিখ। ১৮২৮ সালের ৩১ অক্টোবর, বৃটিশ রসায়নবিদ ও বিদ্যুৎ বাতির উদ্ভাবক জোসেফ সোয়ানের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৮২৮ সালে নবাব আব্দুল লতিফ ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন; তিনি ১৮৪৮ সালে কলকাতা মাদ্রাসার ইংরেজী ও আরবী বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন, ১৮৬২ সালে নবাব আব্দুল লতিফ মুসলমানদের মধ্যে প্রথমবঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন এবং ১৮৮৪ সালে নবাব আব্দুল লতিফ চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন, মৃত্যুঃ ১০-০৭-১৮৯৩ তারিখ। ১৮৩২ সালে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার চিতওয়া গ্রামে ওবায়দুল্লাহ আল ওবায়দী সোহরাওয়ার্দীর জন্ম, ঢাকায় মৃত্যু-০৯-০২-১৮৮৫ তারিখ।
১৮৩৩ সালের ২০ জুলাই, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কুন্ডুপাড়ার এক দরিদ্র পরিবারে গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৎ উনিশ শতকের সংবাদপত্র গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক কাঙাল হরিণাথ মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০৪-১৮৯৬ তারিখ। ১৮৬৩ সালে কুমারখালী বাংলা পাঠশালার প্রধান শিক্ষক কাঙাল হরিণাথ মজুমদার মাসিক গ্রামবার্তা প্রকাশিকা প্রকাশ করেন। ১৮৩৩ সালের ২১ অক্টোবর, সুইডেনের রাজধানী স্কটহোমে জন্মগ্রহণ করেন আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেল, মৃত্যু-১০-১২-১৮৯৬ তারিখ। তিনি সুইডেনের একজন খ্যাতিমান শিল্পপতি, বিজ্ঞানী, যিনি বিশ্বের সেরা এই পুরস্কারের প্রবর্তক, যা তাঁর নিজ নামে সন্নিহিত তথা নোবেল প্রাইজ রুপে বিশ্ববিশ্রুত। ১৮৬৭ সালে পেটেন্টকৃত আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেলের বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টিকারী আবিস্কার ‘ডিনামাইট’ জগৎ জুড়ে শিল্প উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিস্ময়কর অবদান রেখে আসছে। ১৯০১ সালে প্রথমবার নোবেল প্রাইজ প্রদানের পর থেকে অদ্যাবধি কোন বিশেষ ব্যক্তিকে প্রদান করা হয় তা নোবেল কমিটি কর্তৃক প্রকাশের পূর্বে কেউই নিশ্চিতভাবে জানতে পারে না। পৃথিবীর মধ্যে এ পুরস্কার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। ১৮৩৪ সালের ১৪ মে, নরসিংদীর সদর উপজেলার মেহেরপাড়ায় কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক গিরিশ চন্দ্র সেনের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৫-০৮-১৯১০ তারিখ। তিনি ১৮৮০ থেকে ১৮৮৬ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর কাজ করে কোরআন শরিফের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। ১৮৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার হোমনাবাদ পরগনার পশ্চিমগাঁও-এ নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৯-১৯০৩ তারিখ। ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী কুমিল্লা জেলার প্রথম নবাব উপাধি পান। ১৮৩৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘরের পশ্চিম ঘোষপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন প্রতিথযশা এ আইনবিদ স্যার চন্দ্রমাধব ঘোষ, মৃত্যু-জানা নেই। ১৯০৬ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৮৩৮ সালের ২৬ জুন, বাংলা উপন্যাসিক ও প্রবন্ধ-নিবন্ধ সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম; মৃত্যু-০৮-০৪-১৮৯৪ তারিখ। ১৮৪০ সালের ১১ মার্চ, কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবি, দার্শনিক, গনিতজ্ঞ, বাংলা শর্টহ্যান্ড ও স্বরলিপির উদ্ভাবক, চিত্রশিল্পী ও স্বদেশ প্রেমিক দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যু-১৯-০১-১৯২৬ তারিখ।
১৮৪০ সালে হুগলি জেলা নিবাসি দেলোয়ার হোসেন আহমেদ বা মির্যা দেলোয়ার হোসেনের জন্ম (মুসলমানের মধ্যে প্রথম গ্র্যাজুয়েট হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮৬৩ সালে) মৃত্যু-১৯১৬ সালে। ১৮৪০ সালে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার অমৃতবাজার গ্রামে সংবাদপত্রের জগতের কিংবদন্তি শিশির কুমার ঘোষের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১০-০১-১৯১১ তারিখ। ১৮৬৮ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, প্রকাশ করেন ‘সাপ্তাহিক অমৃতবাজার’ পত্রিকা । ১৮৭১ সালে সপরিবারে কলকাতায় গিয়ে সেখান থেকেই ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’ বের করতে থাকেন। ১৮৯১ সালে পত্রিকা দৈনিক হিসেবে প্রকাশ হতে থাকে। ১৮৪৪ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, নাট্যকার, পরিচালক ও বাংলা নাটকের লেখক গিরিশচন্দ্র ঘোষের জন্ম, মৃত্যু-১০-০১-১৯১১ তারিখ। ১৮৪৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পেয়ারাকান্দি গ্রামের কাজী বাড়িতে নবাব সিরাজুল ইসলামের জন্ম, মৃৃত্যু-১৯২৩ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে নবাব সিরাজুল ইসলাম ১৮৬৮ সালে বি. এ. পাশ করেন (কুমিল্লা জেলার প্রথম গ্রাজুয়েট) এবং কিছুকাল তিনি পোগোজ হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত থাকেন। পরে তিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হন। ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকুরী চলে যাবার পর কলকাতা আইন কলেজ থেকে আইন পাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের ইংরেজী শিক্ষিত প্রথম মুসলমান এডভোকেট ছিলেন। সিরাজুল ইসলাম ১৯০৬ সালে ‘নবাব’ উপাধি পান। ১৮৪৬ সালে ঢাকার নবাব স্যার খাজা আহসান-উল্লাহর জন্ম, মৃত্যু-১৬-১২-১৯০১ তারিখ। ১৮৪৭ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, কানাডার মিলানে মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম এবং মৃত্যু-১৮-১০-১৯৩১ তারিখ। ১৮৪৭ সালের ৩ মার্চ, এডিনবার্গ, স্কটল্যান্ডে, আলেকজান্ডার গ্রাহামবেলের জন্ম, মৃত্যু-০২-০৮-১৯২২ তারিখ। ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর, কুষ্টিয়া জেলার গৌরী নদীর তীরে লাহিনীপাড়া গ্রামে ‘বিষাদসিন্ধু’র রচয়িতা ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেনের জন্ম, মৃত্যুঃ ১০-১২-১৯১২ তারিখ।
১৮৪৯ সালের ৬ এপ্রিল, উড়িষ্যার কটকে বিচারপতি স্যার সৈয়দ আমীর আলীর জন্ম; মৃত্যু-০৩-০৮-১৯২৮ তারিখ লন্ডনে। ১৮৭৩ সালে সৈয়দ আমীর আলী ব্যারিস্টার হন। ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম প্রিভি কাউনসিল হন সৈয়দ আমীর আলী। ১৮৯০ সালের ২ জানুয়ারি, সৈয়দ আমীর আলী কলকাতা হাইকোর্টের মুসলমানের মধ্যে প্রথম বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ১৮৬৮ সালে এম. এ. (ইতিহাস)-এ পাস করেন হুগলি কলেজ থেকে, তিনি বাঙালি মুসলমানের মধ্যে প্রথম এম. এ. পাস এবং প্রথম ব্যারিস্টারও তিনি। ১৮৪৯ সালে বিক্রমপুরের গাড়ডুগা গ্রামে প্রখ্যাত গণিতশাস্ত্রবিদ অধ্যাপক রাজকুমার সেনের জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। পদার্থ বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনাসহ জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, সুনামগঞ্জের লক্ষণশ্রী গ্রামের বিখ্যাত জমিদার, বাংলার মরমী কবি  ও সাধক হাছন রাজার জন্ম, মৃত্যুঃ ০৭-১২-১৯২২ তারিখ। মরমী কবি হাছন রাজা হলো দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফের নানা। ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই, ইংল্যান্ডের ভুবলিন শহরে নোবেল বিজয়ী কবি ও সাহিত্যিক জর্জ বার্নার্ড শ’র জন্ম,  মৃত্যু-০২-১১-১৯৫০ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯২৫ সালে নোবেল পান। ১৮৫৬ সালের ২৫ জানুয়ারি, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার অন্তর্গত বাটোজোর একটি ছোট গ্রামের সচ্ছল কায়স্থ ভূম্যধিকারী পরিবারে জনহিতৈষী ও জাতীয়তাবাদী নেতা এডভোকেট অশিনীকুমার দত্তের জন্ম, মৃত্যু-০৭-১১-১৯২৩ তারিখ। ১৮৫৬ সালে পেনসিলভানিয়ার ক্রেসনে উত্তর মেরুজয়ী মার্কিন অভিযাত্রী রবার্ট পিয়েরির জন্ম, ১৯২০ সালে মারা যান। ১৯১১ সালে রিয়ার এডমিরাল হিসেবে অবসর নেন পিয়েরি। ১৯০৯ সালের ৬ এপ্রিল, বহু দিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী ম্যাথু হ্যানসন ও চারজন দুঃসাহসী এস্কিমো নিয়ে প্রথম পা রাখলেন আর্কটিকের উত্তর মেরুতে রবার্ট পিয়েরি। উত্তর মেরুজয়ের ১০০ বছর পুরো হবে ০৬-০৪-২০০৯ তারিখ। ১৮৫৭ সালের ৮ নভেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের সাদক ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁর জন্ম, মৃত্যু-২৫-০১-১৯৩৩ তারিখ। ১৮৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, যুক্তরাষ্টের ২৬তম প্রেসিডেন্ট থিডোর রুজবেল্টের জন্ম, ১৯১৯ সালের ৬ জানুয়ারি, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের মৃত্যু।
১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর, বিজ্ঞানী স্যার জগদীস চন্দ্র বসু ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন (মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের রাড়িখাঁল গ্রামে বাবার বাড়ি), ২৩-১১-১৯৩৭ তারিখ গিরিডিতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি শিক্ষাজীবন শুরু করেন ফরিদপুরের একটি স্কুলে। তারপর ১১ বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে যান। সেখানে সেন্ট জিভিয়ার্স স্কুল এন্ড কলেজ থেকে  ১৮৭৫ সালে এন্ট্রান্স পাশ করেন। ১৮৭৯ সালে বিজ্ঞান বিষয়ে বি.এ. পাশ করেন। ১৮৯৬ সালে লন্ডন ভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব সাইন্স’ উপাধি পান। ১৮৫৮ সালে বাঙ্গালী ঐতিহ্য ও হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ইরানী বংশোদ্ভূত বাংলাকাব্যের মহাকবি কায়কোবাদ ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ, মৃত্যুবরণঃ ২১-০৭-১৯৫১ তারিখ। ১৮৫৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বিটঘর গ্রামে মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-১৯৪৩ সালে। মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের আর্থানুকূলে ২৫টির অধিক উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মক্তব পরিচালিত হয়। উনার বাবার নামে কুমিল্লা ইশ্বর পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৮ সালে উপমহাদেশের নন্দিত গণিতসম্রাট যাদবচন্দ্র চক্রবর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার কামারচন্দ্র থানার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২৬-১১-১৯২৩ তারিখ। তিনি ১৮৭৬ সালে এন্ট্রান্স, ১৮৭৮ সালে এফ. এ., ১৮৮০ সালে বি.এ. পাস করেন এবং ১৮৮৬ সালে গণিতে এম. এ. পাস করেন প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে। বি. এ. পাস করার পর ১৮৮১ সালে ছয় বছর মিশন কলেজ ও সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৮৮৭ থেকে একাদিক্রমে ২৮ বছর অধ্যাপনা করেন। ১৯১৫ সালে অবসর নেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৮৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি, ভারতের ভাইসরয় লর্ড জর্জ কার্জন জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২০-০৩-১৯২৫ তারিখ। ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ গোয়েন্দা কাহিনীর লেখক, শার্লক হোমসের রচয়িতা স্যার আর্থার বোনান ডয়েলের জন্ম, মৃত্যু-১৯৩০ সালে। ১৮৫৯ সালের ২৩ অক্টোবর, যশোরের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব রায়বাহাদুর যদুনাথ মজুমদারের জন্ম, মৃত্যু-২৪-১০-১৯৩২ তারিখ। ১৮৮১ সালে এম. এ. পরীক্ষায় ইংরেজীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। দীর্ঘকাল ছিলেন যশোর পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, যশোর জেলা বোর্ডের প্রথম মনোনীত চেয়ারম্যানও।
১৮৬১ সালের ৭ মে, (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বাংলা) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যু-০৭-০৮-১৯৪১ তারিখ। ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে মৃণানিলী দেবীর বিয়ে হয়। তিনি ১৯১৩ সালের ১৫ নভেম্বর, নোবেল পুরস্কার পেয়ে বাঙ্গালীদের মন জয় করেছিলেন। ১৮৬১ সালের ১৮ জুলাই, প্রথম বাঙালি নারী চিকিৎসক কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর জন্ম, (১৮৮৬ সালে প্রথম ভারতীয় ডিগ্রিপ্রাপ্ত নারী চিকিৎসক ছিলেন) মৃত্যুঃ ০৩-১০-১৯২৩ তারিখ।  ১৮৬১ সালে ঢাকা জেলার মহেশ্বরদী পরগনার নরসিংদী গ্রামে কবিগুণাকর হরিচরণ আচার্য্যরে জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৫-১৯৪১ তারিখ। ১৮৬২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ভারতের কাশ্মীরে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনীতিবিদ পন্ডিত মতিলাল নেহেরুর জন্ম, মৃত্যুঃ ০৬-০২-১৯৩১ তারিখ। ১৮৬২ সালের ১০ নভেম্বর, ইংল্যান্ডের উম্বারল্যান্ডের হেপসকট শহরে রমনা-নিসর্গের স্থপতি রবার্ট লুইস প্রাউডলকের জন্ম, মৃত্যু-১৯৩৬ সালের পরে হবে, জানা নেই। প্রায় ১০০ বছর আগে তিনি রাজধানী শহর ঢাকাকে উদ্যানের নগর হিসেবে গড়ে তুলতে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, সেই অসামান্য অবদানের জন্য তিনি আমাদের কাছে নমস্য হয়ে থাকবেন। ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, নবীনগর উপজেলার, শিবপুর গ্রামে সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র  জন্ম, মৃত্যু-মাইসুর, কলকাতাঃ ০৬-০৯-১৯৭২ তারিখ। ১৮৬৩ সালের ১ জানুয়ারি, আধুনিক ওলিম্পিক ক্রীড়ার ‘জনক’ তিনি হলেন ফ্রান্সের বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী ব্যারন পিয়ের দ্য কুব্যাঁর্ত্যাের জন্ম, মৃত্যু-০২-০৯-১৯৩৭ তারিখ। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি, হিন্দুধর্ম ও সমাজ সংস্কারক স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন, ০২-০৭-১৯০২ তারিখ ৯টা ৫০মিনিটের সময় মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৬৩ সালের ১০ মে, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মাছূয়া গ্রামের রায় পরিবারে উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ২০-১২-১৯১৫ তারিখ। উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী ছিলেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধু। উপেন্দ্র কিশোর রায় ১৮৯৪ সালের দিকে কলকাতায় বইছাপা কারখানা দেন এবং পরে নিজেই পাবলিসারস হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৮৬৩ সালে ফেনী জেলার শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক খান বাহাদুর আবদুল আজীজের জন্ম, মৃত্যু-১৯২৬ সালে। তাঁর পিতা আমজাদ আলী ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারী। আবদুল আজীজ ঢাকা কলেজ থেকে ১৮৮৬ সালে বি.এ. পাস করে। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার প্রথম গ্র্যাজুয়েট ছিলেন। পরিচয় হলোঃ কবি হাবিবুল্ল¬াহ বাহার ও কবি শামসুন নাহারের নানা। ১৮৬৩ সালে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিখ্যাত চিকিৎসক এবং শিক্ষাবিদ ডা. হাকিম আজমল খানের জন্ম, মৃত্যু-১৯২৭ সালে। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জাতীয় কংগ্রেস, মুসলিম লিগ এবং অল ইন্ডিয়া খিলাফত কমিটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৮৬৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর, ধনবাড়ি, টাঙ্গাইল, নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৭-০৪-১৯২৯ তারিখ। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম মন্ত্রী, বিশিষ্ট লেখক, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৬৪ সালের ২৯ জুন, প্রধান বিচারপতি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম হয় কলকাতা মলঙ্গা লেনের এক বাসাবাড়িতে এবং ২৫-০৫-১৯২৪ সালে পাটনায় হঠাৎ-ই পরলোগমন করেন। ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলার বাসন্ডা গ্রামে কবি কামিনী রায়ের জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৯-১৯৩৩ তারিখ। তিনি ১৫ বছর বয়সেই লিখেছেন প্রথম কবিতাগ্রন্থ “আলো ও ছায়া”। ১৮৬৬ সালে নাছিরনগর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামে নবাব স্যার সৈয়দ শামসূল হুদার জন্ম, (সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন) মৃত্যু-১৯২২ সালে। ১৮৬৬ সালে চীনা জাতীয়তাবাদী নেতা সানইয়াৎ সেনের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৩-১৯২৫ তারিখ। ১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর, ওয়রশতে পোলিশ বংশোদ্ভূত ফরাসি রসায়নবিদ ও বিশ্বের প্রথম তেজস্ক্রিয় মৌল পোলোনিয়ামের আবিস্কারক মেরি কুরীর জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৭-১৯৩৪ তারিখ। ১৮৯৮ সালে প্যারিসে খনিজ পিচবেøন্ড থেকে-পোলোনিয়াম নিস্কাশন করেন। পরবর্তী সময় একই বছরেই তিনি রেডিয়াম নামের আরেকটি তেজস্ক্রিয় মৌল আবিস্কার করেন। ১৮৬৭ সালে সিলেট জেলায় গজনফর আলী খানের জন্ম (গজনফর আলী খান ১৮৯৭ সালে অবিভক্ত ভারতের প্রথম বাঙালি মুসলিম আই.সি.এস. অফিসার ছিলেন) মৃত্যু-২৬-০৩-১৯৫৯ তারিখ। ১৮৬৭ সালের ১৬ এপ্রিল, অরবিল রাইট আমেরিকান ইন্ডিয়ানা প্রদেশে জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৫-১৯১২ তারিখ। ১৮৭১ সালে উইলবার রাইট আমেরিকান ইন্ডিয়ানা প্রদেশে জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৫-১৯৪৮ তারিখ। ১৯০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, রাইট ভ্রাতৃদ্বয় তাদের নির্মিত উড়োজাহাজের সফল উড্ডয়ন ঘটান। এরা দুই-ভাই বিমান উৎপাদন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। ১৮৬৭ সালে মানিকগঞ্জ জেলায় বাংলা চলচ্চিত্রের জনক ও প্রবাল পুরুষ হীরালাল সেনের জন্ম, মৃত্যু-২৯-১০-১৯১৭ তারিখ। ১৮৯৮ সালের ৪ এপ্রিল, বাংলা চলচ্চিত্রের জনক হীরালাল সেন প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।
১৮৬৮ সালের ২৮ মার্চ, রাশিয়ায় বিপ্লবী সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির জন্ম, মৃত্যু-১৮-০৬-১৯৩৬ তারিখ। ১৮৬৮ সালের ৭ জুন, পশ্চিম বাংলার উত্তর ২৪(চব্বিশ) পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার হাকিমপুর গ্রামে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ’র জন্ম, ১৯৬৮ সালের ১৮ আগষ্ট, তিনি ঢাকাতে ইন্তেকাল করেন। ১৯০৩ সালে মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। ১৯৩৬ সালে তিনি দৈনিক আজাদ পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৮৬৯ সালের ৩০ এপ্রিল, ভারতের সিনেমা জগতের অগ্রদূত দাদা সাহেব ফালকে’র জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। ১৯১২ সালে ভারতের বোম্বে প্রথম সিনেমা তৈরী করেন দাদা সাহেব ফালকে। ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর, গুজরাটে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম, আততায়ীর গুলিতে নিহতঃ ৩০-০১-১৯৪৮ তারিখ। ১৮৭০ সালের ২২ এপ্রিল, রুশ বিপ্লবের নেতা ও মার্কসবাদের রুপকার ভøাদিমির ইলিচ মহামতি লেনিনের জন্ম, মৃত্যু-২২-০১-১৯২৪ তারিখ। ১৮৭০ সালের ৭ জুন, নবাব স্যার সলিমুল্লাহর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০১-১৯১৫ তারিখ। (রাত আড়াই ঘটিকায় কলকাতায় চৌরঙ্গীস্থ বাসভবনে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। পরদিন ১৭ জানুয়ারি, বিকেলে বিশেষ স্টীমারযোগে নবাবের মরদেহ ঢাকায় আনা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম বাজারস্থ পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হয়। ১৯০৩ সালে দিল্লীর দরবারে সপ্তম অ্যাডওয়ার্ডের মুকুট পরিধান উৎসবে সলিমুল্লাহকে নবাব বাহাদুর উপাধি প্রদান করে ইংরেজ সরকার। ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার তেলিরবাগ গ্রামে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্ম; মৃত্যুঃ ১৬-০৬-১৯২৫ তারিখ।
১৮৭০ সালে ড. স্যার আবদুল্লাহ আল-মামুন সোহরাওয়ার্দীর জন্ম, মৃত্যু-১৯৩৫ সালে কলকাতায়। তিনি ১৯০৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী বাঙালি মুসলমান। ১৮৭১ সালের ৭ আগষ্ট, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে চিত্রশিল্পী ও সাহিত্যিক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৫-১২-১৯৫১ তারিখ। ১৮৭১ সালের ১০ অক্টোবর, চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিশিষ্ট পুঁথি সংগ্রাহক ও লেখক আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ৩০-০৯-১৯৫৩ তারিখ। ১৮৭১ সালের ২০ অক্টোবর, ঢাকায় কবি, গীতিকার ও গায়ক অতুলপ্রসাদ সেনের জন্ম, লক্ষেèৗয়ে মৃত্যুঃ ২৬-০৮-১৯৩৪ তারিখ। ১৮৭২ সালের ৪ এপ্রিল, গুজরাটের বস্ত্র শিল্প অধ্যুষিত সুরাট নগরে আবদুল্লাহ ইউসুফ আলীর জন্ম, (আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী ১৮৯৫ সালে অবিভক্ত ভারতের প্রথম মুসলিম আই. সি. এস. অফিসার ছিলেন) মৃত্যু-১০-১২-১৯৫৩ তারিখ লন্ডনে। ২৩ বছর বয়সে তরুণ ইউসুফ আলী ভারতের নতুন আই. সি. এস. অফিসার হিসেবে, ১৮৯৬ সালে যুক্তপ্রদেশের সাহারানপুরে এ্যাসিসটেন্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদেন। ১৮৭২ সালের ১৮ মে, ইংল্যান্ডের মনমর্ডিথশায়ারের রাভেনস্ক্রফ্ট শহরে নোবেল জয়ী সাহিত্যিক, দার্শনিক ও গণিতজ্ঞ বারট্রান্ড রাসেলের জন্ম, মৃত্যু-০২-০২-১৯৭০ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৫০ সালে নোবেল পান। ১৮৭২ সালের ১৫ আগষ্ট, কলকাতায় জাতীয়তাবাদী নেতা, আধ্যাত্মিক সাধক ও দার্শনিক অরবিন্দু ঘোষের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৫-১২-১৯৫০ তারিখ। ১৮৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়ক গ্রামে ব্যারিস্টার আবদুর রসুল, বি. সি. এল.-এর জন্ম, লন্ডনে মৃত্যুঃ ৩১-০৭-১৯১৭ তারিখ। তিনি ছিলেন এ উপমহাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা। ১৮৭২ সালের ১৬ অক্টোবর, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার খাসপুর গ্রামে সাহিত্য চর্চা, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিক ও সাংবাদিক আবদুল গফুর সিদ্দিকীর জন্ম, মৃত্যু-১৯৫৯ সালে। ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক বাকেরগঞ্জের সাতুরিয়া গ্রামে তাঁর মামার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন, ঢাকায় মৃত্যু-২৭-০৪-১৯৬২ তারিখ। চাখারে তিনি একটি একতলা ইটের বাংলো বাড়ীতে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি ১৯৩৭ সালে বাংলার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৮৭৪ সালের ৩০ নভেম্বর, ইংল্যান্ডে নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রনায়ক উইনষ্টন চার্চিল জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২৪-০১-১৯৬৫ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ সালে নোবেল পান। ১৮৭৫ সালের ৩০ অক্টোবর, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জাতীয়তাবাদী নেতা বল্লভভাই প্যাটেলের জন্ম, মৃত্যু-১৫-১২-১৯৫০ তারিখ। ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, বিখ্যাত কথাশিল্পী ও সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম, মৃত্যু-১৬-০১-১৯৩৮ তারিখ।
১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর, করাচিতে (জিন্নার বাবা-মায়ের নাম ছিল জেনাভাই ঠক্কর এবং মিঠাভাই) জেনাভাই এবং মিঠাভাইয়ের একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। প্রথা অনুসারে জেনাভাই নাম স্থির করেন, মিঠাভাই সম্মতি জানান। মুহম্মদ আলি জেনাভাই। মামলায় সম্পত্তি হারানোর পর ১৮৯৩ সালের জানুয়ারিতে তাঁর সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আদায় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মুহম্মদ আলি জেনাভাই ইংল্যান্ডে জিন্নাহ নাম ধারণ করে। করাচি থেকে ১৮৯৩ সালের জুলাই মাসে বম্বের দুর্গা মহল্লাতে থাকতে শুরু করেন মুহম্মদ আলি জিন্নাহর বাবা ও মা। জায়গাটা বম্বের কেল্লার ঠিক বাইরে। জিন্না খোজা মুসলিম ছিলেন। তিনি শিয়া গোষ্ঠীর ইথনা আশারি স¤প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। হিন্দু লোহানা, জাতি থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন খোজা স¤প্রদায়। যার মধ্যে হিন্দু-মুসলিম দুয়েরই মিশ্রণ। ভারতের গুজরাত প্রদেশে কাথিয়াবাড়ের অবস্থান, কচ্ছের বৃহৎ রানের তলায়। পশ্চিমে আরব সাগর তাকে ঘিরে রয়েছে, প্রসারিত হয়েছে স্থলের দিকে, উর্বর এবং সুজলা ‘একশো রাজত্বের’ ভূমি, ভাল নাম সৌরাষ্ট্র। কাথিয়াবাড় অর্থাৎ কাথিদের ভূমি, যেখানে পাওয়া যায় উত্তম কাথিয়াবাড়ি ঘোড়া, সুন্দরী-কাথি নারী, বিচক্ষণ বণিক এবং বহু ধনী বণিক পরিবার, হিন্দু এবং মুসলিম। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মৃত্যুবরণ করেন-১১-০৯-১৯৪৮ তারিখ করাচিতে। তিনি ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। তবে তদানীন্তন কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর আচরণে তিনি আলাদা রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, এমনকি পাকিস্তানের জন্মের পরও জিন্নাহ ঘোষণা করেছিলেন, পাকিস্তান কোনো ধর্মীয় রাষ্ট্র হবে না এবং এ রাষ্ট্র হবে সকলের জন্য সমান। জিন্নাহ এবং সরোজিনী নাইডু ইংল্যান্ডে একই সময়ে ছিলেন। জিন্না মঞ্চাভিনয় করার চেষ্টা করেছিলেন, হয়তো তা পেশা হিসেবে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। জিন্নাহ ও সরোজিনী নাইডু দুজনেই শিল্পে আগ্রহী ছিলেন, সরোজিনী কবি ও লেখক হিসেবে, জিন্না নাটকে। জিন্না ভারতবর্ষে একমাত্র ব্যক্তি জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের একসাথে প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর, সাতক্ষিরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামে শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক খান বাহাদুর আহ্ছান উল্লাহ’র জন্ম, মৃত্যু-০৯-০২-১৯৬৫ তারিখ। তিনি পরীক্ষায় রোল নম্বর সিস্টেম করেন, এর আগে পরীক্ষায় নাম লেখা থাকত। ১৮৭৭ সালের ৯ মে (বাংলা ১২৮৪ সালের ২৫ বৈশাখ) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার গোমদন্ডী গ্রামে বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবিয়াল রমেশ চন্দ্র শীলের জন্ম, মৃত্যু-০৬-০৪-১৯৬৭ তারিখ। ১৯৪৮ সালে কলকাতায় শ্রদ্ধানন্দ পার্কে কবিগানের আসরে রমেশ চন্দ্র শীলকে ‘বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবিয়াল’ উপাধি দেন উদ্যোক্তারা।  ১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর, বিখ্যাত উর্দু মহাকবি ও দার্শনিক আল্লামা ইকবাল পাঞ্জাবের শিয়ালকোর্টে জন্ম এবং মৃত্যু-২১-০৪-১৯৩৮ তারিখ। ১৮৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি (বাংলা-১০ মাঘ, ১২৮৪ বঙ্গাব্দ), বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া গ্রামে সাধক ও কবি মহর্ষি মনোমোহন দত্তের জন্ম, মৃত্যু-০৫-১০-১৯১০ তারিখ (বাংলা-২০ আশ্বিন, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। মহর্ষি মনোমোহন দত্ত বেঁচেছিলেন ৩১ বছর ৮ মাস ১০ দিন। মানবতাবাদী মহর্ষি মনোমোহন দত্ত তাঁর স্বল্প আয়ুতে ২০টিরও বেশি কাব্যগ্রন্থ রচনা করে গেছেন। যার মধ্যে মলয়া (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড) সবচেয়ে আলোচিত ও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।  মলয়া কাব্যগ্রন্থে গানের সংখ্যা সর্বমোট ৪২৬টি। এর মধ্যে প্রথম খন্ডে ২৮৭ এবং দ্বিতীয় খন্ডে ১৩৯টি মরমি গান লিপিবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এ মরমিসংগীত মলয়ার প্রতিটি গানের সুরারোপ করেছেন মনোমোহনের আধ্যাত্মিক জীবনের অন্যতম সাথি ও শিষ্য ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁ। এ ছাড়া তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, যোগপ্রণালী, উপাসনা প্রণালী, উপবন, তপোবন, লীলারহস্য, আরাধনা, গিরিজা মালতি, প্রেম পরিজাত, পথিক, পাথেয়, দেববাণী প্রভৃতি। ১৮৭৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, বিক্রমপুরে বানাড়ি গ্রামে চারণ কবি, গায়ক, নাট্যকার, সমাজসেবক, অভিনেতা ও পরিচালক মুকুন্দ দাসের জন্ম এবং কলকাতায় মৃত্যু-১৮-০৫-১৯৩৫ তারিখ। ১৮৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর,  সোভিয়েত নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান জোসেফ স্তালিনের জন্ম, মৃত্যু-০৫-০৩-১৯৫৩ তারিখ। ১৮৭৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও, বিক্রমপুরে ভারতের কবি, রাজনীতিবিদ, বাগ্মী, স্বাধীনতা আন্দোলনের নেত্রী ও ‘প্রাচ্যের বুলবুল’ সরোজিনী নাইডুর জন্ম, লক্ষেèৗ গভর্নর হাউসে মৃত্যু-০১-০৩-১৯৪৯ তারিখ। তিনি ১৮৯১ সালে বার বছর বয়সে এন্ট্রান্স পাস। সরোজিনী নাইডু ১৯৪৫ সালে অল-ইন্ডিয়া ওমেন্স কনফারেন্স এ সভাপতি নির্বাচিত হন। উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল নিযুক্ত ১৫ আগষ্ট, ১৯৪৭ সাল থেকে আমৃত্যু এ পদে দায়িত্ব পালন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও। তাঁর পিতার নাম ড. অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন হায়দ্রাবাদ রাজ্যের নিজামের শিক্ষা উপদেষ্টা। ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ, জার্মানে আপেক্ষিকতাবাদের জনক বিখ্যাত জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্ম এবং মৃত্যু-১৮-০৪-১৯৫৫ তারিখ আমেরিকাতে। ১৮৮০ সালের ১৩ জুলাই, সিরাজগঞ্জে মুসলিম জাতীয়তাবাদের রাজনীতিক, কবি ও সাহিত্যিক  সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর জন্ম, মৃত্যু-১৭-০৭-১৯৩১ তারিখ। ১৮৮০ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ি উপজেলার রাউথভোগ গ্রামে হতদরিদ্র ঘরে সূর্য কুমার বসুর জন্ম, মৃত্যু-জানা নেই। এ কৃতীপুরুষ পূর্ববঙ্গে সর্বপ্রথম ১৯২২ সালে ‘ঢাকেশ্বরী কটন মিলস’ নামে বস্ত্রকল প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর, রংপুর জেলার পায়রা বন্ধ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে  বেগম রোকেয়ার জন্ম এবং মৃত্যু কলকাতায় ভোর রাতে-০৯-১২-১৯৩২ তারিখ। ১৮৯৮ সালে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয় তৎকালীন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর সৈয়দ সাখাওয়াৎ হোসেনের সাথে। ১৯১৬ সালে কলকাতায় ‘আঞ্জুমানে খাদেমুন ইসলাম’ নামে মুসলিম মহিলা সমিতি গঠন করেন। ১৯২৯ সালে তিনি কলকাতায় প্রথম মুসলিম মহিলা ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর, বিশ্বখ্যাত স্পেনীয় চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর জন্ম, মৃত্যু-০৮-০৪-১৯৭৩ তারিখ। ১৮৮১ সালের ১৯ মে, আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা, স্থপতি ও মহান নেতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক পাশার জন্ম, ইন্তেকাল-১০-১১-১৯৩৮ তারিখ। ১৮৮২ সালের ৩০ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্টের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডেলানো রুজভেল্টের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৪-১৯৪৫ তারিখ। ১৮৮২ সােেলর ৯ এপ্রিল, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজার গ্রামে কবি ও সাহিত্যিক শেখ ফজলুল করিমের জন্ম, ইন্তেকাল ২৮-০৯-১৯৩৬ তারিখ। ১৮৮২ সালে ইংরেজী সাহিত্যের এক দিকপাল ভার্জিনিয়া উলফের জন্ম, আত্মহত্যা করেন-২৮-০৩-১৯৪১ তারিখ। ১৮৮৩ সালে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন কেইনসের জন্ম, মৃত্যু-১৯৬৩ সালে। ১৮৮৩ সালে ইতালীর স্বৈরশাসক বেনিত্তো মুসোলিনির জন্ম, (স্ত্রীর নাম ছিল ক্লারেটা) সস্ত্রীক নিহত হন-২৮-০৪-১৯৪৫ সালে। ১৮৮৩ সালে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া জমিদার পরিবারে মুসলিম ঐতিহ্য ঔপন্যাসিক মোহাম্মদ নুরুল হক চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-০৩-০২-১৯৮১ তারিখ। ১৮৮৪ সালের ১২ মার্চ, টাঙ্গাইল জেলার বিল্লাইক গ্রামে আইনজীবী ও সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের জন্ম, মৃত্যু-১২-০২-১৯৬১ তারিখ। ১৮৮৪ সালের ৬ এপ্রিল, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল গ্রামে নরেন্দ্রনাথ দত্তের (ক্যাপ্টেন দত্ত নামে সুপরিচিত) জন্ম, মৃত্যু-২১-০৯-১৯৪৯ তারিখ। তিনি শ্রীকাইল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৪১ সালে। ১৮৮৪ সালের ২০ এপ্রিল, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার মিজিতলা গ্রামে বৌদ্ধ ধর্মগুরু ও সপ্তম সংঘনায়ক অভয়তিষ্য মহাস্থবিরের জন্ম, মৃত্যু-০১-০৭-১৯৭৪ তারিখ। ১৮৮৪ সালের ২৬ এপ্রিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর খাঁ পরিবারে উজ্জল রতœ ও সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ’র জন্ম, মৃত্যুঃ ০২-০৯-১৯৬৭ তারিখ। ১৮৮৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী গ্রামে সাবেক বঙ্গীয় আইন সভার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট এবং বছরখানেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন (১৯৪০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) এবং (১৯৫১ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতায় তদানীন্তন পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন) ও প্রাদেশিক পরিষদের সাবেক স্পীকার (১৯৬২-১৯৬৮) আব্দুল হামিদ চৌধুরীর জন্ম,  মৃত্যু-০৪-০৯-১৯৬৯ তারিখ। ১৮৮৫ সালের ১৬ এপ্রিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের বাঘবাড়িতে বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৭-০৫-১৯৬৫ তারিখ। ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায় শিক্ষাবিদ, পন্ডিত, বহু ভাষাবিদ ও মনীষী ইমিরিটাস অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ১৩-০৭-১৯৬৯ তারিখ। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে উক্ত সালের জুন মাসে সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগে লেকচারার হিসাবে যোগদান করে ২৩ বছর অধ্যাপনা করে ১৯৪৪ সালে (অব.)। ১৮৮৫ সালের ১২ ডিসেম্বর, পাবনা জেলা সিরাজগঞ্জ শহরের কিছু দূরে এবং যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত ধানগড়া গ্রামে মওলানা আবদুল হামিদ খাঁন ভাসানীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৭-১১-১৯৭৬ তারিখ। ১৯২৪ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ভাসানচরে এক বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন এবং সেখান থেকেই তাঁর নামের সঙ্গে ‘‘ভাসানী’’ শব্দটি যুক্ত হয়।
১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে তিন মাইল উত্তরে রামরাইল গ্রামে আইনজীবী, সমাজকর্মী ও রাজনীতিক শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের জন্ম, ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাক আর্মী কুমিল্লার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং গুলিতে মৃত্যু-১৪-০৪-১৯৭১ তারিখ। উনি একমাত্র ব্যক্তি প্রথম পাকিস্তানের জাতীয় গণ-পরিষদে বলেছিলেন, বাংলা ভাষা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করতে হবে। ১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর, কলকাতা শহরে শিশু সাহিত্যিক ও কবি সুকুমার রায়ের জন্ম, মৃত্যুঃ ১০-০৯-১৯২৩ তারিখ। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও কবি এবং ছড়াকার, শিশুদের জন্য।  ১৮৮৭ সালে চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন-লাইয়ের জন্ম, মৃত্যু-০৮-০১-১৯৭৬ তারিখ। ১৮৮৭ সালের ৩১ অক্টোবর, চীনা যোদ্ধা এবং জাতীয়তাবাদী চীনের (বর্তমান তাইওয়ান) প্রেসিডেন্ট চিয়াং কাইশেকের জন্ম, মৃত্যু-০৫-০৪-১৯৭৫ তারিখ। ১৮৮৭ সালের ২২ অক্টোবর, দুনিয়া কাঁপানো দশ দিনের লেখক ও সাংবাদিক জন রীডের জন্ম, মৃত্যু-১৯..? ১৮৮৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার শ্যামগ্রাম গ্রামে রাখাল চন্দ্র রায়ের জন্ম, মৃত্যু-০২-১১-১৯৮৯ তারিখ ১০২(একশত দুই) বছর বয়সে। উনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জিলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৮৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর, ঢাকার ভাগ্যকুলে সংস্কৃত পন্ডিত, গবেষক ও শিক্ষাবিদ অমরেশ্বর ঠাকুরের জন্ম, মৃত্যু-২৪-০১-১৯৭৯ তারিখ। ১৮৮৮ সালের ১ জানুয়ারি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা গ্রামে রায় সাহেব কামিনীকুমার ঘোষের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭১ সালের  ২৪ এপ্রিল, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে। কলকাতা থেকে ফিরে এসে চাঁচা বঙ্গচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে ১৯১৩ সাল থেকে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। বিয়ের পর ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর ভারত শাসন আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে আইন পেশা ছাড়েন এবং আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে জড়িয়ে পড়েন। ১৮৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি, বিক্রমপুরে রোহিনীকান্তের ঔরসে ও শরৎকামিনী দেবীর গর্ভে নলিনীকান্ত ভট্টশালীর জন্ম, মৃত্যু-০৬-০২-১৯৪৭ তারিখ। ১৫৫৭ সালে মুঘল-পাঠানদের যুদ্ধের সময় কেদার রায়ের রাজ্যে বিক্রমপুর চলে আসেন এবং বসবাস শুরু করেন টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামেই বাস করত বাৎস গোত্রীয় এক ব্রাহ্মণ পরিবার-ভট্টশালীরা। ১৮৮৮ সালের ২০ নভেম্বর, চাঁদপুর জেলার পাইকারদী গ্রামে সাংবাদিক, সাহিত্যিক, ‘সওগাত’ সম্পাদক ও বেগম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের জন্ম, মৃত্যু-২১-০৫-১৯৯৪ তারিখ। ১৯১৭ সালে কলকাতা শহরে ‘সওকাত’ পত্রিকা প্রকাশ করে।
১৮৮৮ সালের ১১ নভেম্বর, মক্কায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম, মৃত্যু-২২-০২-১৯৫৮ তারিখ (১৮৯০ সালে বাবা সপরিবারে কলকাতায় আসেন)। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের পূর্বপুরুষেরা বাবরের আমলে হেরাট থেকে ভারতে আসেন। প্রথমে তাঁরা ডেরা বাধেন আগ্রায়; পরে ওঠে চলে যান দিল্লীতে। আলেমউলেমাদের এই পরিবারের মাওলানা জামালউদ্দিন ছিলেন আকবরের সময়ের একজন নামজাদা ধর্মগুরু। এ পরিবারের অনেকেই উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী হন। শাহজাহানের আমলে মহম্মদ হাদীকে আগ্রার দুর্গাধিপতি করা হয়। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবার মাতামহ ছিলেন মৌলানা মুনাবরউদ্দিন। তিনি ছিলেন মোগল যুগের অন্যতম শেষ রুকন-উল-মুদারসসিন। প্রথম শাহজাহানের সময়ে এ পদটির সৃষ্টি হয়। লেখাপড়া আর বিদ্যাচর্চার প্রসারে রাষ্ট্রীয় কাজকর্মের তদারকি করা ছিল এর উদ্দেশ্য। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবা মৌলানা খয়রুদ্দিন যখন খুবই ছোট তখন মৌলানা আবুল কালাম আজাদের পিতামহের মৃত্যু হয়। সুতরাং মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবা তাঁর মাতামহের কাছে মানুষ হন। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবার বয়স তখন পঁচিশ। তিনি সোজা মক্কায় চলে গিয়ে সেখানেই থেকে যান। নিজের একটি বাসভবন তৈরি করে শেখ মোহাম্মেদ জাহের বতবির কন্যাকে তিনি বিয়ে করেন। শেখ মোহাম্মেদ জাহের ছিলেন মদিনার একজন বড় তত্ত¡জ্ঞ। আরবদেশের বাইরেও তাঁর নামডাক ছড়িয়ে পড়ে। মিশর থেকে দশ খন্ডের আরবী কেতাব বেরোবার পর ইসলামিক দুনিয়ায় মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাবাও খ্যাতিমান হন। তিনি বহুবার বোম্বাইতে এবং একবার কলকাতায় আসেন। দু জায়গাতেই তাঁর বিস্তর ভক্ত আর শারগেদ ছিল। বাবা ইরাক, সিরিয়া আর তুরস্কেও ব্যাপকভাবে ঘুরেছেন।
১৮৮৮ সালের ৪ ডিসেম্বর, ফরিদপুর জেলার খন্দরপাড়ায় শিক্ষাবিদ ও বাঙালি ঐতিহাসিকদের পুরোধা অধ্যাপক রমেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ১২-০২-১৯৮০ তারিখ ভারতে। ১৮৮৮ সালের ১০ ডিসেম্বর, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার গ্রামে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম এবং ১৯০৮ সালে নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেন। ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল, যুক্তরাজ্যে ইংরেজ অভিনেতা ও চিত্রপরিচালক  চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম, আমেরিকায় মৃত্যু-২৫-১২-১৯৭৭ তারিখ। ১৯১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক রিলের নির্বাক ‘‘মেকিং এ লিভিং’’ দিয়ে মহান চলচ্চিত্রশিল্পী চ্যাপলিনের যাত্রা শুরু হয়। ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল, জার্মান ফ্যাসীবাদী একনায়ক এডলফ হিটলারের জন্ম হয় অস্ট্রিয়ায়, ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল, চুড়ান্ত পরাজয়ের পূর্বে ভূ-গর্ভস্থ বাঙ্কারে এডলফ হিটলার আত্মহত্যা করেন। (মৃত্যু-১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল ইংলিশ চ্যানেলের ওপর ব্রিটিশ বৈমানিকের গুলিতে হিটলারকে বহনকারী বিমান ভূপাতিত। হিটলার নিহত হয়েছেন, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে লন্ডনে। ২১ বছর বয়সী হ্যারিকেন জেট ফাইটার প্লেনের বৈমানিকের গুলিতে ফুয়েরারকে জার্মান বিমানটি ভূপাতিত হয় ইংলিশ চ্যানেলের ওপর। ধারনা করা হচ্ছে, জার্মান নেতা দ্বীপরাষ্ট্র ইংল্যান্ড আক্রমণের অগ্রগতি সরেজমিন প্রত্যক্ষ করার অনির্ধারিত অভিযানে ছিলেন।) হিটলারের জার্মান নাগরিত্ব বাতিল করা হয়। হিটলার নিজেই ইহুদি এবং উত্তর আফ্রিকান বংশোদ্ভুত।
১৮৮৯ সালের ৫ আগষ্ট, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি-১৯২০) কমরেড মুজাফফর আহমদের জন্ম নোয়াখালী জেলার স›দ্বীপে, মৃত্যুঃ ১৮-১২-১৯৭২ তারিখ কলকাতায়। ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৫-১৯৬৪ তারিখ। ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনিপুর জেলার হাবিবপুর গ্রামে বিপ্লবী ক্ষুধিরাম বসুর জন্ম, পালাবার সময় ক্ষুধিরাম গ্রেফতার হন এবং ইংরেজ বিরোধী বিপ্লবী ক্ষুধিরামের ফাঁসি কার্যকর হয়-১১-০৮-১৯০৮ তারিখ। ক্ষুধিরাম বড় লাটকে মারতে যেয়ে মেরে ফেলে ভারতবাসীকে। ১৮৮৯ সালে ভারতের জলপাইগুড়িতে শিক্ষাবিদ স্যার আহমদ ফজলুর রহমানের জন্ম, মৃত্যু-১৯৪৫ সালে। উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৮৯০ সালে চারসাদ্দাই তহশিল, জেলা পেশোয়ারে সীমান্ত গান্ধীর নাম, ভারত-রতœ বাদশা খান বা খান আবদুর গফফার খানের জন্ম, ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ মৃত্যু-২০-০১-১৯৮৮ তারিখ। (তাঁর আসল বয়স-এর চাইতে অনেক বেশি বা কেউ মনে করে যে, ১৮৮০ সালে প্রকৃত জন্ম)। তিনি ছিলেন হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের প্রতীক। ১৮৯০ সালের ১৯ মে, ভিয়েতনামের বিপ্লবী জন নেতা হো. চি. মিনের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৯-১৯৬৯ তারিখ। ১৮৯০ সালের ২ অক্টোবর, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্ম, তাসখন্দে মৃত্যুঃ ২৩-০৯-১৯৬৫ তারিখ। ১৮৯০ সালে ফদিপুরে অবিভক্ত বাংলার অন্যতম তেজস্বী মুসলিম লীগ নেতা, প্রথম মুসলমান সরকারী কৌসুলি, ফরিদপুর আইনজীবী সমিতির সুদীর্ঘকালের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একদা প্রবীণতম আইনজ্ঞ খান বাহাদুর মৌলভী মোহাম্মদ ইসমাইলের জন্ম, মৃত্যু-ঢাকায় ০৮-০৫-১৯৮১ তারিখ। ১৮৯০ সালে পাঁচবাগ, গফরগাঁও, ময়মনসিংহে উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম, বাংলার প্রথম স্বাধীনতাকামী রাজবন্দী (জাতীয় সংসদে স্বীকৃত) এবং একাধারে তিন দশক ধরে নির্বাচিত এম.এল.এ. ও এম.এন.এ. হয়রত মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী(রহ.)’র জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৯-১৯৮৮ তারিখ। ১৮৯০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামে নবাব কে. জি. ফারুকীর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৯৮৪ সালে। তিনি ১৯২৯ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলার মন্ত্রী ছিলেন। ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবাংলার মেদেনীপুরে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ০৫-১২-১৯৬৩ তারিখ। ১৮৯২ সালের ২৭ নভেম্বর, বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক ও লেখক স্যার আজিজুল হকের জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৩-১৯৪৭ তারিখ। ১৮৯৩ সালের ৯ এপ্রিল, বিপ্লবী  রাহুল সাংকৃত্যায়ণের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৪-০৬-১৯৬৩ তারিখ। ১৮৯৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে সাবেক পূর্ব  পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নূরুল আমীনের জন্ম, পাকিস্তানে মৃত্যুঃ ০২-১০-১৯৭৪ তারিখ। ১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বংশাই নদীর তীরে শেওরাতলী গ্রামে দারিদ্রপীড়িত এক পরিবারে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ মেঘনাথ সাহার জন্ম, মৃত্যু-১৯৫৬ সালে বিখ্যাত এই জ্যোতিঃ পদার্থবিদ মৃত্যুবরণ করেন। দোকানদার বাবার ছেলে হিসেবে সবাই ভেবেছিল ছেলেটিও দোকানি হবে। ১৯০৯ সালে এন্ট্রান্স ও ১৯১১ সালে এফ. এ. পাস করেন। তিনি জগৎ বিখ্যাত পদার্থ ও অংক শাস্ত্রবিদ। ১৯৩৪ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১৮৯৪ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনের জন্ম, রাজনীতিবিদ খাজা নাজিমুদ্দিনের ইন্তেকাল-২২-১০-১৯৬৪ তারিখ। খাজা নাজিমউদ্দিনকে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে উৎখাত করেন গোলাম মোহাম্মদ ও আইয়ূব খানের সহযোগিতায় তখনকার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্যা। মীর জাফরের বংশধর মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্যা। ইরানি বংশদ্ভূত এস. পি. টুনি মির্যার ছেলে হলো মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্যা। ইস্কান্দার মির্যার জন্ম বাংলায় ছিল। সেনাবাহিনীর সহায়তায় ১৯৫৫ সালে ইস্কান্দার মির্যা পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের পদ দখল করেন। আর বরখাস্ত করেন মোহাম্মদ আলীকে। ১৯৫৬ সালে আরেক বাঙালি রাজনীতিক হোসেন শহীদ সোহওয়ার্দীকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। আর নিজেকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষণা দেন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্যা পাকিস্তানে সামরিক আইন জারী করে ১৯৫৮ সালের ৮ অক্টোবর, প্রধান সেনাপতি আইয়ূব খানকে দেশে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধান সামরিক প্রশাসক নিযুক্ত করেন। ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্যাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে নিজে জেনারেল আইয়ূব খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন। আবার ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ, জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খানকে সরিয়ে নিজে ক্ষমতা দখল করেন। সে বছরই সাবেক প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্যা লন্ডনে মারা যান। কিন্তু তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্টকে নিজ দেশে দাফনের অনুমতি দেননি। তাই লন্ডন থেকে ইস্কান্দারের মরদেহ ইরানে নেওয়া হয় এবং পরে তেহরানে তাঁকে দাফন করা হয়। জেনারেল ইয়াহিয়া খান রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। কিন্তু ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান। সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জনগণের সাথে এটি ছিল সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। ১৯৭১ সালের পর পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে বারবার রাজনীতিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে। জেনারেল জিয়াউল হক ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। তারপর আবার ১৯৯৮ সাল থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৬৯ সালে ইস্কান্দার মির্যাকে তেহরানে দাফন করা হলেও তাঁর প্রেতাত্মা এখনো জীবিত। শুধু নাম বদল হয়েছে, কিন্তু চরিত্র বদলায়নি। জেনারেল আইয়ূব খান, জেনারেল ইয়াহিয়া খান, জেনারেল জিয়াউল হক এবং জেনারেল পারভেজ মোশাররফ হোসেন হয়ে বেঁচে ছিলেন।
১৮৯৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর, বিপ্লবী কমিউনিষ্ট নেতা ও কমরেড মাও সে তুং-এর জন্ম, মৃত্যু-০৯-০৯-১৯৭৬ তারিখ। ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ, চট্টগ্রামে মাস্টার দা সূর্যসেনের জন্ম, ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি,  চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের নায়ক মাষ্টারদা সূর্যসেনের ফাঁসি হয়। ১৮৯৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বিরামদি গ্রামে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিক প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ’র জন্ম, ইন্তেকাল-২৯-০৩-১৯৭৮ তারিখ। ১৮৯৪ সালে রংপুরে সাবেক পূর্ব-পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রি আবু হোসেন সরকারের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৭-০৪-১৯৬৯ তারিখ। ১৮৯৪ সালে নোয়াখালীতে বিট্রিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় কর্মী, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কবি ও সমাজসেবিকা আশালতা সেনের জন্ম, মৃত্যু-দিল্লীতে ০৩-০২-১৯৮৬ তারিখ। ১৮৯৬ সালে পূর্ব পাঞ্জাবের কার্নায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের জন্ম, রাওয়ালপিন্ডিতে জনসভায় বক্তৃতাকালে আততায়ীর গুলিতে নিহতঃ ১৬-১০-১৯৫১ তারিখ। ১৮৯৬ সালের ৪ নভেম্বর, রনদা প্রসাদ সাহার জন্ম, মির্জাপুর (টাংগাইল), যার নাম আরপি সাহা। ১৯৩৮ সালে ৭৫০(সাতশত পঞ্চাশ) শয্যাবিশিষ্ট বিখ্যাত কুমুদিনী হাসপাতাল স্থাপন করেন। ০৭-০৫-১৯৭১ তারিখ, গভীর রাতে পাক বাহিনী রনদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র রবিকে ধরে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে। ১৮৯৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামে বাঙ্গালী মুসলমানের মধ্যে প্রথম ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমানের জন্ম, মৃত্যু-১৫-০৮-১৯৮১ তারিখ। তিনি ১৯২৬ সালে প্রথম বি. সি. এস. লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি, নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসুর জন্ম, নেতাজি মৃত্যুবরণ করেছেনঃ ১৮-০৮-১৯৪৫ তারিখ রাত ১১টা ২০মিনিটের সময় তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায়। ১৮৯৭ সালের ৩০ জুলাই, কুষ্টিয়ার কুুমারখালী উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মাতুলালয়ে  বিচিত্র ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, প্রখ্যাত জ্ঞানতাপস, ইমিরিটাস অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেনের জন্ম, মৃত্যুঃ০৯-১০-১৯৮১ তারিখ। তার ছোটবেলা কেটেছে রাজবাড়ী (ফরিদপুর) জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামের পৈত্রিক নিবাসে। ১৮৯৭ সালের ৩ নভেম্বর, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবুল কালাম শামসুদ্দিনের জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৩-১৯৭৮ তারিখ। ১৮৯৭ সালের ১৮ নভেম্বর, বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামে উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, নারীপ্রগতি ও মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম পথিকৃৎ মনোরমা বসুর জন্ম,  মৃত্যু-১৯৯০ সালে।
১৮৯৭ সালের ২৩ নভেম্বর, কিশোরগঞ্জ জেলায় “বাঙ্গালী থাকিব না মানুষ হইব’’ বইয়ের লেখক নিরুদ চন্দ্র চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-১৯৯৯ সালে লন্ডন শহরে। ১৮৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার মনোহরপুর গ্রামে কবি গোলাম মোস্তফার জন্ম, মৃত্যুঃ ১৩-১০-১৯৬৪ তারিখ। ১৮৯৮ সালের ১ মে, চট্টগ্রামের ফতেহাবাদ গ্রামে কথাশিল্পী মাহবুব-উল-আলমের জন্ম, ১৯৮১ সালের ৭ আগষ্ট কাজীর দেউড়ীস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। ১৮৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, উপমহাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজ্ঞ ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের জন্ম, ইন্তেকাল-১৮-০৩-১৯৭৯ তারিখ। ১৮৯৮ সালের ২৩ জুলাই, বাংলা সাহিত্যির দিকপাল তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭২ সালে। ১৮৯৮ সালে বরিশালের  সন্তান অকুতোভয় পাইলট ইন্দ্রনীল রায়ের জন্ম, মৃত্যু-১৮-০৭-১৯১৮ তারিখ। পাইলট ইন্দ্রনীল রায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ দিয়ে প্রমাণ রাখেন যে-বাঙ্গালীরা বীরের জাতি। ১৯১৬ সালে বিশ্বে প্রথম বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় ‘‘ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীতে ক্যাডেট পাইলট হিসাবে তিনি লাভ করেন কিংস কমিশন’’। ১৮ জুলাই তাঁর জঙ্গী বিমানটি ফের গুলি বিদ্ধ হয়ে ভূপাতিত হয়। বিধবস্ত বিমানের সাথে তিনি প্রাণ হারান। মাত্র ২০(বিশ) বছর  আয়ু পেয়েছিলেন। ‘‘পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃসাহসী মানুষের মধ্যে যাঁরা অগ্রগণ্য, তাদের মধ্যে ইন্দ্রনীল রায় একজন…এ অঞ্চলের একমাত্র ফাইটার এইস পাইলট হিসাবে তিনি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।’’ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, বরিশাল জেলায় বাংলা আধুনিক কাব্যবিক জীবনানন্দ দাশের জন্ম, ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর, কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু।
১৮৯৯ সালের ২৫ মে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-০৭-১৯৭৬ তারিখ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা বেজে ১০ মিনিটে। ১৯২১ সালের ১৭ জুন, নজরুলের সঙ্গে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সৈয়দা নার্গিস আসর খানম ওরফে সৈয়দা খাতুনের বিয়ে হয়। অজ্ঞাত কারণে বিয়ের রাতেই শেষ হয়ে যায় এ সম্পর্ক। পরে ১৯২৪ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রমীলাকে বিয়ে করেন নজরুল। ১৯৪২ সালের ১০ জুলাই থেকে কবি আলজাইমার্স ডিজিজে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর পিতার নাম কাজী ফকির আহমদ। মা জাহিদা খাতুন। ১৯১৭ সালে করাচীতে গিয়ে তিনি সৈনিকের খাতায় নাম লেখান। তিনি ১৯২০ সালে সেখান থেকে ফিরে এসে দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজকে উৎসর্গ করেন। কবি-পতœী প্রমীলা নজরুল ইসলাম কলকাতায় ইন্তেকালঃ ৩০-০৬-১৯৬২ তারিখ। কবি-পতœীর ইন্তেকালের প্রায় এক দশক পর কবিকে ঢাকায় আনা হয়েছিল ২৪ মে, ১৯৭২ সালে। ১৮৯৯ সালের ২৮ জুন, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার হুমায়ূনপুর গ্রামে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মোনয়েম খানের জন্ম, মৃত্যু-১৪-১০-১৯৭১ তারিখ। গভর্নর ছিলেন ২৮-১০-১৯৬২ তারিখ থেকে ২৩-০৩-১৯৬৯ তারিখ পর্যন্ত। ১৮৯৯ সালে যশোর জেলার ঝিনাইদহের অধিবাসী বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদের রোমান্সকর ব্যক্তিত্ব বাঘা যতীন দাসের জন্ম, ১৯২৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, ৬৩ দিন অনশনের পর লাহোর কারাগারে মারা যান। ১৯০০ সালের ১৯ মার্চ, নোবেল বিজয়ী ফরাসী পদার্থবিদ ফ্রেদেরিক জুলিও কুরির জন্ম, ১৯৫৬ সালের ১৭ মার্চ, নোবেল বিজয়ী বিখ্যাত ফরাসী পদার্থবিদ জোলিও কুরির মৃত্যু।
১৯০০ সালের ৮ মে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মাড় গ্রামের মাতুলালয়ে স্বনামধন্য বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদার জন্ম, ঢাকায় মৃত্যুঃ ০৩-১১-১৯৭৭ তারিখ। ১৯০০ সালে সিলেটে আদর্শিক বাবা-মায়ের পরিবারে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা, নারীনেত্রী ও দেশব্রতী লীলা রায়ের (নাগ) জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১১-০৬-১৯৭০ তারিখ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী। ১৯০০ সালের ১৭ মে, ইরানের খোমেইন শহরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ও রাজনৈতিক নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনীর (রহ.) জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৬-১৯৮৯ তারিখ। ১৯০০ সালের ২৭ নভেম্বর, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার অন্তর্গত হাটিকুমরুল ইউনিয়নের তারুটিয়া নামক গ্রামের সন্ত্রান্ত মুসলিম পরিবারে কিংবদন্তী পুরুষ মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের জন্ম, মৃত্যুঃ ২০-০৮-১৯৮৬ তারিখ। ১৯০০ সালে দিনাজপুর জেলার সুলতানপুর গ্রামে কৃষকনেতা ও রাজনীতিক হাজী মোহাম্মদ দানেশের জন্ম, মৃত্যু-২৮-০৬-১৯৮৬ তারিখ। ১৯০০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিবপুর গ্রামে বেহালাবাদক, কন্ঠশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত শিক্ষক ওস্তাদ মতিউর রহমানের জন্ম, মৃত্যুঃ ০১-০২-১৯৬৭ তারিখ। ১৯০০ সালে বরিশাল জেলায় বিপ্লবী লেখক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্ম, মৃত্যু-১৯৮৫ সালে। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর তিন খন্ড রচনা সমগ্র প্রকাশিত হয়। পাকিস্তান সরকার ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁর লেখা-লেখি করার ওপর বিধিনিষেধ করেছিলেন। ১৯০০ সালের ৮ ডিসেম্বর, রাজস্থানের উদয়পুরে নৃত্যলোকের রাজপুত্র উদয়শংকরের জন্ম, মৃত্যুঃ২৬-০৯-১৯৭৭ তারিখ। তিনিই প্রথম বাঙালি, যিনি জগৎসভায় নৃত্যকলা প্রদর্শন ও প্রচার করে প্রভূত যশ ও খ্যাতি অর্জন করেন। উদয়শংকরের আদি নিবাস বাংলাদেশের যশোরের কালিয়া গ্রামে। ১৯০১ সালের ৬ জুন, আধুনিক ইন্দোনেশিয়ার স্থপতি ড. আহমদ সুকর্নোর জন্ম, মৃত্যু-২১-০৬-১৯৭০ তারিখ। ১৯০১ সালের ২৮ জুলাই, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি কমরেড মণি সিংহের জন্ম, মৃত্যুঃ ৩১-১২-১৯৯০ তারিখ। মাতৃকুল ছিলেন নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুরের জমিদার। ১৯০১ সালে ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার রামনগর গ্রামে সাংবাদিক ও রাজনীতিক হামিদুল হক চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৮-০১-১৯৯২ তারিখ। ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর, কুচবিহারের বলরামপুর গ্রামে মরমী শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের জন্ম, মৃত্যুঃ ৩০-১২-১৯৫৯ তারিখ। শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের পিতা জাফর আলী আহমেদ তুফানগঞ্জ আদালতের উকিল ছিলেন। ১৯০২ সালের ১৭ জানুয়ারি, তুরস্কের ছোট্ট শহর আলেপ্লোয় এক নিঃসঙ্গ বিপ্লবী ও বিখ্যাত তুর্কি কবি নাজিম হিকমতের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৬-১৯৬৩ তারিখ। ১৯০২ সালের ১ জুলাই, ভারতের পশ্চিম বাংলায় রম্য সাহিত্যিক ও বহু ভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম, ঢাকায় ইন্তেকাল ১১-০২-১৯৭৪ তারিখ।
১৯০২ সালে বর্তমান চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক, পাকিস্তানের প্রথম এফআরসিপি (ইউ. কে.) ও  বাঙালী মুসলমানদের চিকিৎসা পেশার অগ্রদুত ডা. নওয়াব আলীর জন্ম এবং ঢাকায় ইন্তেকাল-০৪-০৭-১৯৭৭ তারিখ। ১৯০২ সালে পশ্চিমবাংলায় বাংলা সিনেমা জগতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ও নাঠ্যাভিনেতা ছবি (শচীন্দ্রনাথ) বিশ্বাসের জন্ম, মৃত্যু-১১-০৬-১৯৬২ তারিখ মোটর দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি, পল্লী কবি জসিমউদ্দীনের জন্ম, মৃত্যু ১৪-০৩-১৯৭৬ তারিখ। ১৯০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় শিক্ষক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-৩০-০৮-১৯৭৮ তারিখ। তাঁর সৃষ্টি বাঙালীর ইতিহাস আদি পর্ব। ১৯০৩ সালের ১ জুলাই, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার অন্তর্গত কেওচিয়া গ্রামে শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক মনস্বী আবুল ফজলের জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৫-১৯৮৩ তারিখ। ১৯০৩ সালের ২৯ অক্টোবর, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ইলমদী গ্রামে সাবেক জাতীয় পরিষদের সদস্য (এম.এন.এ.), ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, কবি ও সাংবাদিক বে-নজীর আহমেদের জন্ম, মৃত্যু-১২-০২-১৯৮৩ তারিখ। ১৯০৩ সালে ভারতের হায়দারাবাদ রাজ্যের আওরংগবাদ শহরে মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর জন্ম, আমেরিকায় মৃত্যু-২২-০৯-১৯৭৯ তারিখ পাকিস্তান সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা পৌঁনে ছ’টায়। তিনি ১৯৪১ সালের ২৬ আগষ্ট, লাহোরে ৭৫ জন লোক নিয়ে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে একটি আদর্শবাদী দল গঠন। ১৯০৩ সালের ১ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামে বিপ্লবী (চট্টগ্রাম অস্্রাগার লুন্ঠনের অন্যতম নায়ক এবং রাজনীতিবিদ) অনন্ত সিং-এর জন্ম, মৃত্যুঃ ২৫-০১-১৯৭৯ তারিখ। ১৯০৪ সালের ৩১ জানুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর থানার মুরারিপুর গ্রামে শিক্ষাবিদ ও লোকসংস্কৃতি বিশেযজ্ঞ মুহম্মদ মনসুরউদ্দিনের জন্ম, ঢাকার শান্তিনগরে মৃত্যু-১৯-০৯-১৯৮৭ তারিখ। ১৯০৪ সালের ১৫ মার্চ, অন্নদা শংকর রায়ের জন্ম, মৃত্যু-২৮-১০-২০০২ তারিখ। তিনি ১৯২৯ সালে আই.সি.এস. পাশ করেন। কবি, সাহিত্যক, ছড়াকার এবং ১৯২৯ সালে বিলেত গিয়েছিলেন। ১৯০৪ সালের ১২ জুলাই, চিলির পারলাল শহরে পরিচিত ছিল কমিউনিষ্ট লেখক হিসেবে ও নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক পাবলো নেরুদার জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৯-১৯৭৩ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে নোবেল পান।
১৯০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি, পশ্চিম বাংলায় দার্শনিক-রাজনীতিবিদ আল্লামা আবুল হাশিমের জন্ম, (১৯৫০ সালে পশ্চিম বঙ্গের কলকাতা, বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলী, হাওড়া, মেদিনীপুর প্রভৃতি অঞ্চলে মুসলিমবিরোধী সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় এবং এ কারণে ১৯৫০ সালে আবুল হাশিম দেশ ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসেন) মৃত্যুঃ ০৫-১০-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৫ সালের ৬ মার্চ, ঢাকা জেলার দামরাই উপজেলার বালিয়া গ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের জন্ম, মৃত্যু-০৭-১২-১৯৯১ তারিখ। ১৯০৫ সালের ১৫ এপ্রিল, বরিশালের গৈলা গ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী শহীদ তারকেশ্বর সেনগুপ্তের জন্ম, বন্দিশিবির থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৫-০৯-১৯৩১ তারিখ। ১৯০৫ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গাজীপুর গ্রামে ঐতিহাসিক ও অধ্যাপক আবদুল হালিমের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭২ সালে। ১৯০৫ সালে বিপ্লবী নেতা এবং ঐতিহাসিক নক্সালবাড়ী লড়াইয়ের সূচনাকারী শহীদ কমরেড চারু মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৮-০৭-১৯৭২ তারিখ। ১৯০৬ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, বাংলা সিনেমা জগতের বিখ্যাত মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা পাহাড়ী (নরেন্দ্রনাথ) সান্যালের জন্ম, মৃত্যু-১০-০২-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৬ সালের ১ জুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার আড়াইসিধা গ্রামে কবি আবদুল কাদিরের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৯-১২-১৯৮৪ তারিখ। ১৯০৬ সালে পাকিস্তানের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খাঁনের জন্ম, (আইয়ূব খাঁন ১৯৫১ সালে পাকিস্তান আর্মীর সেনাপ্রধান হন এবং ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে জেনারেল আইয়ূব খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন।) মৃত্যুঃ ২০-০৪-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামে দার্শনিক ও প্রিন্সিপাল সাইদুর রহমানের জন্ম, মৃত্যু-২৮-০৮-১৯৮৭ তারিখ। ১৯০৬ সালের ২৫ অক্টোবর, সুনামগঞ্জের তেঘরিয়া গ্রামস্থ নানা মরমী কবি হাসন রাজার বাড়িতে ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফের জন্ম, মৃত্যু-০১-১১-১৯৯৯ তারিখ। ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর, কুমিল্লার চর্থা গ্রামে উপমহাদেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও সুরকার শচীন দেব বর্মণের জন্ম, বোম্বে শহরে মৃত্যুঃ ৩১-১০-১৯৭৫ তারিখ।
১৯০৭ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, সিলেট জেলার বিয়ানী বাজারের লাউতা গ্রামে অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেবের জন্ম, ঢাকায় শহীদঃ ১৪-১২-১৯৭১ তারিখ। ১৯০৭ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার চানগাঁও গ্রামে তাঁর নানাবাড়িতে খালেকদাদ চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যু-১৬-১০-১৯৮৫ তারিখ। দুই বাংলাতেই তিনি ছিলেন খ্যাতিমান লেখক। ১৯০৭ সালের ২৫ নভেম্বর, যশোর জেলার আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ গ্রামে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিরল ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক নূরুল মোমেনের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০২-১৯৯০ তারিখ। ১৯০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যালিয়াম সিরিজের ঘুমের বড়ি’র আবিস্কারক লিও স্টার্নবাখের জন্ম, উত্তর ক্যারোলিনার চ্যাপেল হিলে নিজ বাসভবনে ৯৭ বছর বয়সে পরলোগমন-২৮-০৯-২০০৫ তারিখ। ১৯০৮ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার সাতশৈয়া গ্রামে আবদুস সবুর খানের জন্ম, মৃত্যু-২৫-০১-১৯৮২ তারিখ। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় খুলনা অঞ্চলকে জোর করেই হিন্দুস্থানের দখলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেদিন এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে খান এ সবুরের নেতৃত্বেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। যার ফলে তখন খুলনা অঞ্চল ন্যায়সঙ্গতভাবেই পাকিস্তানে রাখা সম্ভব হয়েছিল। ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, ভারতের বিশিষ্ট বাংলা শিশু সাহিত্যিক লীলা মজুমদারের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৬-০৪-২০০৭ তারিখ। ১৯০৮ সালের ১ এপ্রিল, বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা ফরাসি লুসিয়ে লরাঁর জন্ম, মৃত্যু-১১-০৪-২০০৫ তারিখ। ১৯৩০ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল। ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের মোট গোল হয়েছে (২০৬৩)টি।
১৯০৮ সালের ২৯ মে, সাহিত্যক, ঔপন্যাসিক ও কথাশিল্পী মানিক বন্ধ্যোপ্যায়ের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৩-১২-১৯৫৬ তারিখ। মাত্র বেঁচেছিলেন ৪৮ বছর। ১৯৩৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ২০০ শতের মত উপন্যাস লিখেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস মুন্সীগঞ্জের মালপদিয়া গ্রামে। ১৯০৮ সালে হাইড্রোজেন বোমার জনক এডওয়ার্ড টেনলরের জন্ম, মৃত্যু-০৯-০৯-২০০৩ তারিখ।  ১৯০৮ সালে তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নড়াইলের বাকলি গ্রামের কৃষক নেত্রী পরিবালা বিশ্বাসের জন্ম, মৃত্যু-২৫-০৫-২০০৭ তারিখ। ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর, কুমিল্লা শহরে বিখ্যাত বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সমালোচক, প্রাবন্ধিক ও সংবাদপত্র সম্পাদক বুদ্ধদেব বসুর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যুঃ ১৮-০৩-১৯৭৪ তারিখ। ১৯০৮ সালে মাদারীপুর জেলার কালকিনী উপজেলার গোপালপুর কাজী পরিবারে কাজী আশরাফ মাহমুদের জন্ম, মৃত্যু-০৩-১২-১৯৮৩ তারিখ। তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট হিন্দী কবি, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ, মহাত্মা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ১৯০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি, মুঘল ঐতিহ্যের কবি কাজী কাদের নওয়াজের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০১-১৯৮৩ তারিখ। ১৯০৯ সালের ২৯ এপ্রিল, (বাংলা ১৩১৬ সনের ১৬ বৈশাখ) শেরপুর অঞ্চলের তৎকালীন জমিদার রমেশ চন্দ্র নিয়োগীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন রবি নিয়োগী, আমৃত্যু পর্যন্ত বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য ছিলেন এবং মৃত্যু-১০-০৫-২০০২ তারিখ। তাঁর ৯৩ বছরের জীবনে ৪৩ বছরই কেটেছে কারাগারে। ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই, কলকাতার সুবিখ্যাত কলেজ স্ট্রিটের পাশে টেমার লেনে কবি বিঞ্চু দের জন্ম, মৃত্যু-০৩-১২-১৯৮২ তারিখ। বিঞ্চু দের এক বড় পরিচয় তিনি সমাজবাদে বিশ্বাসী, সেই সূত্রে সমাজবদলের সম্ভাবনায় অঙ্গীকৃত। তিনি ছিলেন ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সঙ্ঘের সক্রিয় কর্মী, সংগঠক। ১৯০৯ সালের ১৮ আগষ্ট, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সানাইবাদক ওস্তাদ সোনা মিয়ার জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৮-২০১১ তারিখ দিবাগত রাতে ঢাকায়। বরেণ্য এই শিল্পী ভারতবর্ষের স্বনামধন্য সানাইবাদক ওস্তাদ মুন্না খাঁর শিষ্য ছিলেন। ১৯০৯ সারের ১৯ সেপ্টেম্বর, কমিউনিষ্ট পার্টির প্রথম প্রাদেশিক সম্মেলনে গঠিত কমিটিতে নির্বাচিত কমিউনিষ্ট নেতা নেপাল নাগের জন্ম, মৃত্যু-কলকাতায় ০৫-১০-১৯৭৮ তারিখ। ১৯১০ সালের ৭ জানুয়ারি, খ্যাতিসম্পন্ন পানিবিশেষজ্ঞ বি. এম. আব্বাসের জন্ম,  ইন্তেকাল-২৭-১২-১৯৯৬ তারিখ।
১৯১০ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলোয়াড় ফ্রান্সিসকো ভারাল্লোর জন্ম। তিনি ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ও ছিলেন এবং আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলে। প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিই একমাত্র জীবিত খেলোয়াড়। তিনি ০৯-০৬-২০০৬ তারিখ বিশ্বকাপ খেলায় উপস্থিত ছিলেন। ০৫-০২-২০১০ সালে শতবর্ষ পার করেন। ১৯১০ সালের ২৩ মার্চ, জাপানের টোকিওর এক সিনেমাভক্ত পরিবারে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাপানি চলচ্চিত্রকার, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র সম্পাদক ও প্রয়োজক আকিরা কুরোশাওয়ারের জন্ম, জাপানের টোকিওতে মৃত্যু-০৬-০৯-১৯৯৮ তারিখ। সুগাতা সানশিরো মুক্তি পায় ১৯৪৩ সালে। প্রথম ছবিতেই পরিচালক হিসেবে আকিরা কুরোশাওয়ার প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায়। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি কর্তৃক নির্বাচিত সর্বকালের সেরা পরিচালকদের মধ্যে আকিরা কুরোশাওয়ার অবস্থান ৬ষ্ঠ। শ্রেষ্ঠ ৫০ জন চলচ্চিত্রকারের মধ্যে তিনি একমাত্র এশীয় ও আমেরিকানদের বাইরে তাঁর অবস্থান সবার ওপরে। ১৯১০ সালের ২৭ আগষ্টে, যুগো¯øাভিয়ার স্কপজেতে মাদার তেরেসার জন্ম, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাতা মাদার তেরেসার মৃত্যু-০৫-০৯-১৯৯৭ তারিখ কলকাতা শহরে। ১৯১০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার বাজালিয়ায় ডা. মনীন্দ্রলাল চক্রবর্তীর জন্ম, মৃত্যু-১৪-০৭-১৯৮৩ তারিখ। স্কুলে থাকতেই তিনি গোপন বিপ্লবী দলে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯১০ সালের ২০ অক্টোবর, নেত্রকোনা জেলার উলুয়াটি গ্রামে সাংবাদিক-সাহিত্যিক মুজীবুর রহমান খাঁ’র জন্ম, মৃত্যু-০৫-১০-১৯৮৪ তারিখ। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের প্রথম গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার উত্তর ভূর্ষি গ্রামে বিপ্লবী বিনোদবিহারী চৌধুরীর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১০-০৪-২০১৩ তারিখ। তাঁর ১৯২৯ সালে মাস্টারদার সঙ্গে পরিচয় হয়। কয়েকবার সাক্ষাতের পর মাস্টারদা বিপ্লবী দলে ঢোকার অনুমতি দেন বিনোদবিহারীকে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ৪০ বছর পর ১৯৭১ সালে বিনোদবিহারী নিজেকে যুক্ত করেন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। ১৯১১ সালের ১১ জানুয়ারি, বিচারপতি সৈয়দ মাহাবুব মোর্শেদ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যুঃ ০৩-০৪-১৯৭৯ তারিখ। ১৯১১ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, পাকিস্তানের পাঞ্জাবের শিয়ালকোর্টে আজন্ম বিপ্লবী কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের জন্ম, ১৯৮৩ সালে অসুস্থ হয়ে নিজের দেশ পাকিস্তানের লাহোরে ফিরে আসেন, এখানেই মৃত্যু-১৯-১০-১৯৮৪ তারিখ। ১৯১১ সালের ১৩ মার্চ, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীনের জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৮-১৯৮৮ তারিখ। ১৯১১ সালের ৫ মে, চট্টগ্রামের ধলঘাটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী বীরকন্যা প্রীতিলতার জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৯-১৯৩২ তারিখ। প্রীতিলতা চট্টগ্রাম বিপ্লবী দলের মেয়ে সদস্য ও ছাত্রীদের নিয়ে চক্র গড়েন। ১৯১১ সালের ৩০ মে, দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, কিংবদন্তির এক নায়ক ও  দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জন্ম, মৃত্যুঃ ০১-০৬-১৯৬৯ তারিখ। ১৯১১ সালের ৬ জুন, লোহাগড়া (নড়াইল) ইতনা গ্রামের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ও সাহিত্যিক ডা. নীহার রঞ্জন রায়ের/গুপ্তের জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৮-১৯৮১ তারিখ। ১৬-বছর বয়সে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘রাজকুমারীম্ব’ প্রকাশিত হয়।
১৯১১ সালের ২০ জুন, বাখেরগঞ্জ জেলার শায়েস্তাবাদ গ্রামে নানাবাড়িতে বেগম সুফিয়া কামালের জন্ম, মৃত্যুঃ ২০-১১-১৯৯৯ তারিখ। তাঁর বাবারবাড়ি ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলার সেন্দুর-সিলাউর গ্রামে। ১৯১১ সালের ৯ জুলাই, ফ্লোরিডার জ্যাকশনভ্যালিতে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের সর্বশেষ সহযোগীদের অন্যতম এবং মার্কিন পদার্থবিদ জন হুইলারের জন্ম, মৃত্যু-১৩-০৪-২০০৮ তারিখ। ‘বø্যাক হোল’ শব্দের প্রবর্তকের মৃত্যু। ১৯১১ সালের ৩১ জুলাই, বরিশালে উপমহাদেশের বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ পন্ডিত পান্নালাল ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২০-০৪-১৯৬০ তারিখ দিলি­তে। ১৯১১ সালে মুর্শিদাবাদ জেলায় বারডেম হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জন্ম, মৃত্যু-০৬-০৯-১৯৮৯ তারিখ। ১৯১১ সালে অবিভক্ত বাংলার মুসলমান চিত্রশিল্পীদের পথিকৃৎ প্রথম মুসলমান কার্টুনিস্ট এবং শিশু সাহিত্যিক কাজী আবুল কাসেমের জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৭-২০০৪ তারিখ। ১৯১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, মিশরের রাজধানী কায়রোর জামালিয়া কোয়ার্টারের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী আরব ঔপন্যাসিক নাগিব মাহফুজের জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৮-২০০৬ তারিখ। তিনি ১৯৮৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। নাগিব মাহফুজ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী প্রথম মুসলমান ছিলেন। ১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবর, ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজনানগাঁয়ে অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম নারী ও মানবতাবাদী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজীর জন্ম, মৃত্যুঃ ০৭-১১-২০০৭ তারিখ। তাঁর পৈতৃক নিবাস মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। ১৯১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর, হবিগঞ্জ জেলার মিরাশী গ্রামের এক জমিদার পরিবারে উপমহাদেশের গণসংগীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হেমাঙ্গ বিশ্বাসের জন্ম, মৃত্যু-২২-১১-১৯৮৭ তারিখ কলকাতায়। ১৯৮১ সালে যখন ঢাকায় আসেন, তখন দেখেছি হবিগঞ্জের স্মৃতিঘেরা জন্মভূমিকে দেখার জন্য তাঁর ছটফটানি।
১৯১৩ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, আফ্রো-আমেরিকান আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একটি প্রজন্মের প্রতীক মানবাধিকার নেত্রী রোজা পার্কসের জন্ম, পরলোগমণ ২৪-১০-২০০৫ তারিখ। সবার অধিকার সমান-রোজা পার্কস। আমি গ্রেপ্তার হই ১৯৫৫ সালের ১ ডিসেম্বর। বাসের সামনের দিকে শ্বেতাঙ্গদের জন্য নির্ধারিত বসার স্থান ছেড়ে না দেওয়ার জন্য। ১৯৫৫ সালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন এমন ছিল কৃঞ্চাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গের জন্য বাসে আলাদা বসার ছিট ছিল। ১৯১৩ সালের ১৯ জুলাই, নড়াইলের আফরা গ্রামে এক জোতদার পরিবারে তেভাগার সংগ্রামী কমরেড অমল সেনের জন্ম, মৃত্যু-১৭-০১-২০০৩ তারিখ। তিনি ১৯৩৪ সালে কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে চাকমা রাজগুরু শ্রীমৎ অগ্রবংশ মহাথেরোর জন্ম, মৃত্যু-০৫-০১-২০০৮ তারিখ। ১৯৫৮ সালের জানুয়ারিতে এক ধর্মীয় মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় তাঁকে রাজগুরু পদে বরণ করেন। ১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ কালজয়ী ঔপন্যাসের লেখক (এক দরিদ্র জেলে পরিবারে) অদ্বৈত মল্ল বর্মণের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৬-০৪-১৯৫১ তারিখ। ১৯১৪ সালের ৩ এপ্রিল, ভারতের অমৃতসরে ফিল্ড মার্শাল স্যাম হরমুসজি ফ্রামজি জামশেদজি মানেকশ’র জন্ম। ১৯৩৪ সালে ভারতীয় সামরিক একাডেমির (আইএমএ) প্রথম ব্যাচ থেকে তিনি কমিশন লাভ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৭ জুন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান হন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর প্রধান ছিলেন। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর. বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তাঁকে সম্মানসূচক ফিল্ড মার্শাল উপাধি দেওয়া হয়। স্যাম বাহাদুর নামে পরিচিত মানেকশ চার দশক পর ১৯৭৩ সালের ১৫ জানুয়ারি ভারতের অষ্টম সেনাপ্রধান হিসেবে অবসর নেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধ এবং ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে অংশ নেন। তাঁর মৃত্যু-০১-০৭-২০০৮ তারিখ। ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল, কুমিল্লা শহরের পৈত্রিক বাড়িতে ভাষাসৈনিক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবি (চিরকুমার) অধ্যাপক অজিতকুমার গুহের জন্ম, কুমিল্লায় মৃত্যু-২২-১১-১৯৬৯ তারিখ। ১৯১৪ সালের ১৫ মে, এভারেষ্ট বিজয়ী তেনজিং নোরগের জন্ম, মৃত্যু-মৃত্যু-০৫-০৫-১৯৮৬ তারিখ।
১৯১৪ সালের ৮ জুলাই, কলকাতার হ্যারিসন রোডের (বর্তমান মহাত্মা গান্ধী রোড) একটি বাড়িতে রাজনীতিক ও সাবেক মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জন্ম, মৃত্যু-১৭-০১-২০১০ তারিখ কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় ১১টা ৪৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ১৯৩০-এর দশকে কমিউনিষ্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১৯১৪ সালে কেরানীগঞ্জ থানার কলাতিয়া মিয়াবাড়িতে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের জন্ম, মৃত্যু-২৮-১১-১৯৯৯ তারিখ। ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই, ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরিলীর সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সম্জাকর্মী, পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেলের উদ্ভাবক এবং বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. আখতার হামিদ খানের জন্ম, আমেরিকাতে মৃত্যু-০৯-১০-১৯৯৯ তারিখ। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশভারতের সর্বোচ্চ চাকরি আইসিএস-এ নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৩৭-৪৪ সাল পর্যন্ত আই.সি.এস. অফিসার হিসেবে কুমিল্লা, পশ্চিমবঙ্গের তমলুক, পটুয়াখালী, নওগাঁ ও নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন স্থানে এসডিও এবং অন্যান্য উচ্চপদে কাজ করেন। ১৯৪৭-৫০ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লীতে ড. জাকির হোসেন প্রতিষ্ঠিত জামিয়া মিলিয়াতে মাত্র ১০০ রুপী বেতনে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালের এক ক্রান্তিলগ্নে ড. আখতার হামিদ খান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৯ সালের ২৭ মে কুমিল্লা একাডেমী (বর্তমানের বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বা বার্ড) নামে কোটবাড়িতে জন্মলাভ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে  তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে তাঁকে ইসলামাবাদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকালে তাঁকে আর বাংলাদেশে আসতে দেয়া হয়নি। ১৯৭৮-৭৯ সালে মাত্র সাত মাসের জন্য তিনি পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়ার উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। ১৯১৪ সালে বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া গ্রামে পশ্চিমবাংলার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের জন্ম, মৃত্যু-০৬-১১-২০১০ তারিখ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা ৫০ মিনিটে তিনি দক্ষিণ কলকাতার বেলতলা পার্কের নিজ বাসভবনে। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী ছিল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত। ঢাকা শহরের নবদ্বীপ বসাক রোডেও ছিল তাঁদের বাড়ি। তাঁর বাবা সুধীর কুমার রায় ব্যারিস্টার ছিলেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী মায়া রায়ও ব্যারিস্টার ছিলেন। সিদ্ধার্থ শংকর রায় নিঃসন্তান ছিলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন তাঁর নানা। ১৯১৪ সালের ১৫ অক্টোবর, আফগানিস্তানের কাবুলে শেষ আফগান বাদশাহ জহীর শাহের জন্ম, ১৯৩৩ সালে তাঁর পিতা (নাদির শাহ) নিহত হওয়ার পর ১৯ বছর বয়সে জহীর শাহ সিংহাসন লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত ৪০ বছর দেশ শাসন করেন এবং শেষ আফগান বাদশাহ জহীর শাহের মৃত্যু-২৩-০৭-২০০৭ তারিখ। ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর, কিশোরগঞ্জ জেলার কেন্দুয়ায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৮-০৫-১৯৭৬ তারিখ। ১৯১৪ সালে রমেন মিত্র বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের (বর্তমান চাপাইনবাবগঞ্জ) রামচন্দ্রপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৫ সালে ইলা মিত্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর দু’জনে শুরু করেন তেভাগা আন্দোলন। পূর্ববঙ্গে কমিউনিষ্ট আন্দোলন গড়ে তোলার অগ্রসেনানী এবং তেভাগা আন্দোলনের নেতা রমেন মিত্র(৯১) বছর বয়সে ২৮-০৬-২০০৫ তারিখ মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর, রাজশাহীর নাচোলের ‘রানি মা’ ও তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্ম, মৃত্যু-১৩-১০-২০০২ সালে। অধ্যাপনা করেছেন ১৯৬২ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত। চারবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছেন। ১৯টি জেলায় তেভাগা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ইলা মিত্র ছিলেন ক্রীড়াবিদ হিসেবেও তুখোড়। ঢাকায় পুত্র রণেন মিত্র। রণেন মিত্রের জন্ম-১৯৪৮ সালে।
১৯১৫ সালের ২২ আগষ্ট, কলকাতায় ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রের জন্ম, নিবেদিতপ্রাণ নাট্যব্যক্তিত্বের মৃত্যু-১৮-০৫-১৯৯৭ তারিখ কলকাতায়। ১৯১৫ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের জন্ম, মৃত্যু-১৪-০৮-১৯৮০ তারিখ। ১৯১৫ সালে ভারতীয় বাংলা সিনেমার বিখ্যাত নায়িকা ও গায়িকা কানন বালা দেবীর জন্ম, কলকাতায় মৃত্যু-১৭-০৭-১৯৯২ তারিখ। ১৯১৫ সালে লাহোরে জন্মগ্রহণকারী পূর্ব-পাকিস্তানের কমান্ডার লে. জে. এ. এ. কে. নিয়াজী,  ইন্তেকাল-০২-০২-২০০৪ তারিখ ৮৯ বছর বয়সে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কমান্ডার লে. জে. এ. এ. কে. নিয়াজী ছিলেন। ১৯৩৯ সালে নিয়াজী ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯১৫ সালে বগুড়াতে প্রখ্যাত সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাকের আসফ-উদ-দৌলা রেজার জন্ম, ঢাকায় মৃত্যু-১৪-০২-১৯৮৩ তারিখ। ১৯১৫ সালের ১ ডিসেম্বর, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামে টাইগার গনি নামে পরিচিতি মেজর গনির জন্ম, এবং ১৯৫৭ সালের ১১ নভেম্বর জার্মানীর ফ্র্যাংকপোর্টে আকস্মিকভাবে মাত্র ৪২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ১৯৪১ সালে বৃটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাইওনিয়ার কোরে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, তারই অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠিত হয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট। পাক-সরকারের বৈরিতায় ১৯৫৩ সালে তিনি সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে নির্বাচিত হন প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য। ১৯৮১ সালে মেজর গনিকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করা হয়। ১৯১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি, টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার নাগবাড়ির এক জমিদার পরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশের (১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর জন্ম, মৃত্যুঃ ০২-০৮-১৯৮৭ তারিখ।
১৯১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, বর্তমান পাকিস্তানের ঝিলাম জেলায় কালাগুর্জন গ্রামে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা জন্মগ্রহণ করেন এবং ০৩-০৫-২০০৫ তারিখ নয়াদিল্লীর একটি হাসপাতালে সকালে পরলোকগমন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইষ্টার্ন কমান্ডের কমান্ডর ছিলেন। পূর্ব-পাকিস্তানের কমান্ডার লে. জেনারেল এ. এ. কে. নিয়াজী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ঢাকায় লে. জেনারেল অরোরার নিকট আত্মসমর্পণ করেন এবং আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। অরোরা ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় পাঞ্জাব রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নে ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে বাউলসম্রাট ও কবি শাহ আবদুল করিমের জন্ম, মৃত্যু-১২-০৯-২০০৯ তারিখ। ১৯১৬ সালের ২১ মার্চ, সানাইয়ের কিংবদন্তী ওস্তাদ ও সুর স্রষ্টা বিসমিল্লাহ খাঁ বিহারের ডুমরাও-এ পেশাদার একটি সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যুবরণ করেন-২১-০৮-২০০৬ তারিখ। ১৯৫০ সালে ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লীর ঐতিহাসিক সপ্তদশ শতকের লালকিল্লা থেকে শানাইয়ের ঝঙ্কার তুলে বিখ্যাত হয়ে যান। এ সঙ্গীতজ্ঞ ১৯৯১ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘ভারতরতœ’ খেতাবে ভূষিত হন। ১৯১৬ সালে বিশ্বখ্যাত ডিএনএ বিজ্ঞানী প্রফেসর উইলকিনসের জন্ম, মৃত্যু-০৮-১০-২০০৪ তারিখ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮-বছর। উইলকিনস আমৃত্যু লন্ডনের কিংস কলেজে অধ্যাপনা করছেন। ১৯১৬ সালে পাকিস্তানের আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির প্রতিষ্ঠাতা খান আব্দুল ওয়ালী খানের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৫-০১-২০০৬ তারিখ। ১৯১৬ সালে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে বিশ্বখ্যাত শিকারী আবদুল হামিদ ওরফে পচাব্দী গাজীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১২-১০-১৯৯৭ তারিখ। এ শিকারী সর্বোচ্চ ৫৭টি ভয়ঙ্কর মানুষখেকো রয়েল বেঙ্গল বাঘ শিকার করে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিকারীদের মাঝে নিজের আসন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৬ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের (এ দেশের প্রথম সিনেমা মুখ ও মুখোশ-১৯৫৬ সালের ৩ আগষ্ট মুক্তি পায়) পথিকৃৎ আলহাজ্ব আবদুল জব্বার খান বিক্রোমপুরে জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-১২-১৯৯৩ তারিখ। ১৯১৭ সালের ২৯ মে, যুক্তরাষ্টের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন. এফ. কেনেডির জন্ম, আততায়ীর হাতে মৃত্যু-২২-১১-১৯৬৩ তারিখ। ১৯১৭ সালের ২৭ অক্টোবর, দক্ষিণ আফ্রিকার গান্ধী ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের বিজানা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ক্যান্টেলো গ্রামে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এক উজ্জল নক্ষত্র অলিভার টাম্বোর জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৪-১৯৯৩ তারিখ স্ট্রোকে।  ১৯১৭ সালের ১৭ নভেম্বর, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম, মৃত্যুঃ ৩১-১০-১৯৮৪ তারিখ নয়াদিল্লীতে দেহরক্ষীর গুলিতে। ১৯১৮ সালের ১৯ জুন, মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কবি ফররুক আহমদের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৮-১০-১৯৭৪ তারিখ।
১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই, দক্ষিণ আফ্রিকায় মানবতাবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার জন্ম, মারা গেছেন ০৫-১২-২০১৩ তারিখ। ১৯৯০ সালের ১১ ফ্রেব্রæয়ারি তাঁর কারামুক্তির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। জীবনের ২৭ বছর জেলে কেটেছে নেলসন মেন্ডেলার। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বঙ্গবীর ও জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানীর জন্ম, মৃত্যুঃ ১৬-০২-১৯৮৪ তারিখ। ১৯১৮ সালের ১ অক্টোবর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার ভেলানগর গ্রামের বড়বাড়িতে মানে তাঁর নানাবাড়িতে (দরিকান্দি গ্রামে তাঁর বাবারবাড়ি) বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, গবেষক, বিশিষ্ট প্রতœতত্তবিদ, ইতিহাসবিদ ও পুঁথি-সাহিত্য বিশারদ, অনুবাদক সাহিত্যিক, মধ্যযুগের ইতিহাস চিন্তাবিদ, ক্রীড়া সংগঠক-বহুমাত্রিক আবুল কালাম মুহাম্মদ যাকারিয়ার জন্ম, ২৪-০২-২০১৬ তারিখ ১১-৫৫ মিনিটে শমরিতা হাসপাতালে বাধ্যর্কজনিত কারণে মারা গেছেন। ১৯১৮ সালের ১৮ অক্টোবর, ঢাকার জিন্দাবাহার লেনে উপমহাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্ম, ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত জিন্দাবাহারেই ছিলেন তিনি। জিন্দাবাহার নামে তাঁর বিখ্যাত বইও আছে। ১৯৩৭ সালে মাদ্রাজ সরকারি আর্ট কলেজে পড়তে চলে যান। ২২-১০-২০০৮ তারিখ সোয়া সাতটায় কলকাতার বি. এম. বিড়লা হার্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৩৭ সালে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পর ১৯৭২ সালে পরিতোষ সেন স্বাধীন বাংলাদেশে এসেছিলেন। ১৯১৮ সালে ভিয়েনায় সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কুর্টওয়েল্ডহেইমের জন্ম, মৃত্যু-১৪-০৬-২০০৭ তারিখ। তিনি ১৯৭২-৮২ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন। ১৯১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর, রাশিয়ার ককেসাসের কিসলোভোদস্ক শহরে নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আলেকসান্দর সলঝেনিৎসিনের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৮-২০০৮ তারিখ। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে নোবেল পান। ১৯১৯ সালের ১ মে, কলকাতা শহরে আধুনিক বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী মান্না দের জন্ম, ২৪-১০-২০১৩ তারিখ বৃহস্পতিবার দিন ভোর রাত তিনটা ৫০ মিনিটে পরপারে চলে গেলেন প্রবাদপ্রতিম সংগীতশিল্পী মান্না দে। এ ৯০(নব্বই) বছর বয়সেও গান করতে পারছে এবং স¤প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন। মান্না দে গানই আমার জীবন। সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি-সা আমি শুনতে শুনতে নিজেই শিখেছিলাম। ১৯১৯ সালে ২০ জুলাই, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে, পর্বতারোহী ও এভারেষ্ট বিজয়ী স্যার এডমন্ড হিলারির জন্ম, মৃত্যু-১১-০১-২০০৮ তারিখ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকল্যান্ডের একটি হাসপাতালে। তাঁর নামে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ চূড়া এডমুন্ড হিলারির নামে করার  প্রস্তাব। ১৯১৯ সালের ১১ অক্টোবর, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের জন্ম, শহীদঃ ২১-০২-১৯৫২ তারিখ। ১৯১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর, লক্ষেèৗ শহরের এক রক্ষণশীল শিয়া মুসলিম পরিবারে নওশাদ আলীর জন্ম, উপমহাদেশের সংগীতের কিংবদন্তি নওশাদ আলীর মৃত্যুঃ ০৫-০৫-২০০৬ তারিখ। ১৯২০ সালের ১৯ জানুয়ারি, বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৯-০১-১৯৯২ তারিখ। ১৯২০ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, উপমহাদেশের সঙ্গীতজ্ঞ, বাংলাদেশের প্রথম সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পন্ডিত বারীণ মজুমদার পাবনা শহরের রাধানগর অঞ্চলের বিখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যুঃ ০৩-১০-২০০১ তারিখ।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম, মৃত্যুঃ ১৫-০৮-১৯৭৫ তারিখ। ১৯২০ সালের ৭ এপ্রিল, ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতকে যাঁরা বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছেন, তাঁদের মধ্যে রবিশংকর অন্যতম, জগদ্বিখ্যাত সেতারবাদক রবিশংকরের (আসল নাম রবীন্দ্র শঙ্কর চৌধুরী) জন্ম, মৃত্যু-১১-১২-২০১২ তারিখ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৩০ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে আমি আমার বড় ভাই নৃত্যশিল্পী উদয়শংকরের সঙ্গে প্যারিস গিয়েছিলাম। ১৯২০ সালের ১৬ জুন, ফরিদপুর জেলায় বাংলা গানের ভারতীয় বিখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম, কলকাতায় মৃত্যুঃ ২৬-০৯-১৯৮৯ তারিখ। ১৯২০ সালের ২৮ জুন, চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার ছেদন্দি গ্রামে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের স্থপতি প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের জন্ম, মৃত্যুঃ ১১-০৩-১৯৯১ তারিখ। ১৯২০ সালের ২৬ আগষ্ট, মুন্সীগঞ্জ শহরে এ যুগের সেরা কৌতুকশিল্পী ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম, কলকাতা শহরে মৃত্যু-০৪-০৩-১৯৮৩ তারিখ। ১৯২০ সালে নরসিংদীর বালিয়া গ্রামে ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য সোমেন চন্দের জন্ম, ঢাকার রাজপথে তাকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও পৈশাচিকভাবে খুন করা হয়-০৮-০৩-১৯৪২ তারিখ। ১৯২০ সালে ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল সুহার্তোর জন্ম, মৃত্যু-২৭-০১-২০০৮ তারিখ। তিনি ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৬৫ সাল থেকে ক্ষমতা দখল করে এবং ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জেনারেল সুহার্তো ও তাঁর সেনাবাহিনী ৩২ বছর যাবত একটি লুটপাটের রাজত্ব চালিয়েছে। ১৯২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, যশোর জেলার সদর থানার খড়কিতে কমিউনিষ্ট নেতা আবদুল হকের জন্ম, মৃত্যু-২২-১২-১৯৯৫ তারিখ। ১৯২১ সালের ২ মে, বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিত রায় (মানিক) কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি নির্মাণ করেছিলেন অবিস্মরণীয় চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালি’। ১৯৫৫ সালে নিউইয়র্কে ‘পথের পাঁচালি’ প্রথম প্রদর্শিত হয়। এর কয়েক মাস পর এটি কলকাতায় মুক্তি পায়। ১৯৫৬ সালে সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র ঊৎসবে বেস্ট হিউমেন ডকুমেন্টারীর পুরস্কার পায়। এটা বাংলার সমাজ ও গ্রামীণ জীবনকে খুবই হৃদয়গ্রাহীভাবে ফুটিয়ে তোলেন। ১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর, খ্যাতিমান শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানের জন্ম, মৃত্যুঃ ০২-০২-১৯৮৮ তারিখ। ১৯২২ সালের ২ জানুয়ারি, নোয়াখালী জেলায় রাজনীতিবিদ কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার জন্ম, মৃত্যু-২৯-১১-১৯৮৭ তারিখ। ১৯২২ সালের ১৭ জানুয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে কিংবদন্তি সরোদশিল্পী (আকবর আলী আকবর খাঁ) ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ’র জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৬-২০০৯ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগীত কেন্দ্রে মারা যান। ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল, কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার বর্ধিঞ্চু গ্রাম এলাহাবাদে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের জন্ম। ১৯৬৭ সালে তিনি ন্যাপ সভাপতি হন। ১৯২২ সালের ৭ নভেম্বর, ঢাকা শহরের লক্ষীবাজারস্থ বিখ্যাত দ্বীনি পরিবার শাহ সাহেব বাড়ী মাতুলালয়ে অধ্যাপক গোলাম আযম জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২৩-১০-২০১৪ তারিখ পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার প্রতীক গোলাম আযম। ১৯২২ সালে বিখ্যাত অভিনেতা দীলিপ কুমারের জন্ম। (আসল নাম ইউসুফ খাঁন)। দিলীপ কুমার ১৯৪৪ সালে জোয়ার ভাটা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এ সুপুরুষ নায়কের যাত্রা শুরু। ১৯২৩ সালে কলকাতায় ইহুদি পরিবারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাকব-ফারজ-রাফায়েল জ্যাকবের (জে.এফ.আর.জ্যাকব) জন্ম, ১৩-০১-২০১৬ তারিখ বুধবার সকালে দিল্লির একটি সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। জ্যাকবের পূর্ব পুরুষেরা বাগদাদ থেকে এসেছিলেন কলকাতায়। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ১৯৪২ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লড়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে, মিয়ানমারের পরে সুমাত্রায়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে ভারতীয় বাহিনীর ঢাকা অভিযানের নেতৃত্বে দেন, তাঁর পরিকল্পনাতেই পাকিস্তান সেনবাহিনীকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ সম্ভব হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানটি ছিল  কার্যত জ্যাকবের নিজস্ব উদ্ভাবন। জেনারেল জ্যাকব তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতে নিয়াজির আত্মসমর্পণের দলিল থেকেও উদ্ধৃতি দেন। নিয়াজি সেখানে বলেন, জ্যাকবই তাঁকে বø্যাকমেইল করে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের বিষয়ে পাকিস্তানিরা তাঁদের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের গবেষণায় বিষ্ময়করভাবে ভারতীয় বিজয়ের জন্য কৃতিত্ব নির্দিষ্টভাবে ‘‘মেজর জেনারেল জ্যাকব’’কেই দিয়েছে। ৩১ জুলাই ১৯৭৮ সালে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। ইহুদিদের প্রতি পাকিস্তানের কোনো প্রেম নেই। পাকিস্তানিরা জানত, আমি একজন ইহুদি। ১৯২৩ সালের ১৪ মে, বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা শহরে নন্দিত চলচ্চিত্রনির্মাতা মৃণাল সেনের জন্ম। ০২-০২-২০০৫ তারিখ নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিতব্য ভারতের ৫১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এ. পি. জে. আবদুল কালাম মৃণাল সেনের কাছে দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননা  হস্তান্তর করেন। ১৯২৩ সালের ২৩ মে, বরিশাল জেলার সিদ্ধকাঠি গ্রামে আজকের দুনিয়ায় ইতিহাস সুষ্টিকারী ইতিহাসবিদ, ইতিহাসের দার্শনিক রণজিৎ গুহের জন্ম। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কারণে তিনি ভারতে চলে যায়। রণজিৎ গুহকে মার্কসবাদী ধারা ইতিহাসবিদ ধরা হয়। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে ফুসফুসে ক্যান্সার নিয়ে হয়তোবা মৃত্যুর দিকেই যাচ্ছেন বাংলার এ কৃতী সন্তান। মরার আগে আরও পাঁচ বছর বাঁচতে চান, যাতে বাংলায় আরও লিখতে পারেন, যাতে একবারের জন্য হলেও তাঁর জন্মভূমি বরিশালের নদীতে কয়েক মাস ঘুরে বেড়াতে পারেন। রণজিৎ গুহকে প্রাচ্যের তত্ত¡বিদ বললে বাড়িয়ে বলা হয় না। তিনি ভারতবর্ষের ইতিহাসকে, ভারতবর্ষ তথা বংলার কৃষককে নূতন আলোয় দেখাতে পেরেছেন। তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় ২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর, ৪৫তম কনভোকেশনে এ ক্ষণজন্মা পন্ডিতকে ‘ডক্টর অব লিটারেচার’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে।
১৯২৩ সালের ১০ আগষ্ট, শিল্পী এস. এম. সুলতান জন্মগ্রহণ করেন নড়াইল জেলার মাছিম দিয়া গ্রামে, বরেণ্য শিল্পী মৃত্যুবরণ করেনঃ ১০-১০-১৯৯৪ তারিখ। ১৯২৪ সালের ৮ মে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শিউড়ী মহকুমার খয়রাদিহি গ্রামে শিল্পী কলিম শরাফীর জন্ম, মৃত্যু-০২-১১-২০১০ তারিখ রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে । ১৯৫০ সালে ঢাকায় চলে এসেছিলেন কলিম শরাফী। ১৯২৪ সালে পাবনা জেলায় ভাষাসৈনিক ও কমরেড আবদুল মতিনের জন্ম। ১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর, পূর্ব পাঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে কোটলা সুলতান সিংয়ে গায়ক সুরকার মোহাম্মদ রফি জন্মগ্রহণ করেন, মুম্বাইয়ে মৃত্যুঃ ৩১-০৭-১৯৮০ তারিখ। তিনি যখন মারা যান মুম্বাইয়ে সর্বকালের সবচেয়ে বড় শোক মিছিল হয়েছিল। ১৯২৫ সালের ৯ জানুয়ারি, ঝালকাঠির ৫ নম্বর কীর্তিপাশা ইউনিয়নের রুনসী গ্রামে প্রবীণ সাংবাদিক, কলামিষ্ট, দৈনিক সংবাদের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য সন্তোষ গুপ্তের জন্ম, ০৬-০৮-২০০৫ তারিখ দিবাগত রাত ২-৩০ মিনিটে বারডেম হাসপাতালে পরলোকগমন। ১৯২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ডে কমপিউটার মাউসের জনক ডগলাস অ্যাঙ্গেলবার্টের জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৭-২০১৩ তারিখ। ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ, যশোরে মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামানের (বীর-উত্তম) জন্ম, মৃত্যু-০৬-০৫-২০১১ তারিখ। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভিতে যোগ দেন। ১৯২৫ সালের ৯ এপ্রিল, কেন্দ্রীয় কচি-কাচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাহিত্যিক-সাংবাদিক রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাইয়ের জন্ম, তিনি মারা যান ০৩-১২-১৯৯৯ তারিখ। ১৯২৫ সালের ৯ জুলাই, ভারতের বেঙ্গালুরুতে সফল চলচ্চিত্র নির্মাতা গুরু দত্তের জন্ম, মৃত্যু-১৯৬৪ সালের ১০ অক্টোবর, মুম্বাইয়ে। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সাবেক অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের জন্ম, মৃত্যু-১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, কেন্দ্রীয় কারাগারে। ১৯২৫ সালের ২৯ নভেম্বর, ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার মাতুভূঁইয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামে ভাষা শহীদ আবদুস সালামের জন্ম, শহীদঃ ২১-০২-১৯৫২ তারিখ। ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর, এ ঢাকা শহরেই দুটি ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল। তাঁদেরই একজন পরবর্তী জীবনে বাংলার শিল্পনিষ্ঠ ও স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটক, অন্যজন সাত মিনিটের ছোট বোন। অত্যন্ত কৃতী পরিবারের সবচেয়ে অকৃতী অধম সেই যমজ বোনই আমি-প্রতীতি। স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের কলকাতায় মৃত্যু-০৬-০২-১৯৭৬ তারিখ। ঋত্বিক কিন্তু ঢাকাতেই থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু ১৯৪৮ সালে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে মা-বাবাকে নিয়ে দাদারা কলকাতায় চলে যান। ঋত্বিক এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু সবার সঙ্গে পেরে ওঠেনি। ফলে তাকেও যেতে হলো। ঋত্বিক কুমার ঘটকরা নয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার কনিষ্ঠ ঋত্বিক কুমার ঘটক ও প্রতীতি দেবী। প্রতীতি দেবীর স্মৃতিচারণায় ভাই ঋত্বিক ঘটক। প্রতীতি দেবী ঢাকায়ই থাকেন।
১৯২৫ সালে ভারতের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী ও পারমাণবিক কর্মসূচীর জনক রাজা রামান্নার জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৯-২০০৪ তারিখ। ১৯২৫ সালে ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে বিজ্ঞানী রবার্ট এডওয়ার্ডসের জন্ম। ব্রিটিশ অধ্যাপক রবার্ট এডওয়ার্ডসের হাতেই ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই, জন্ম হয় বিশ্বের প্রথম টেস্টটিউব শিশু লুইস ব্রাউনের। তাঁর এ সফলতায় বিশ্বের লাখ লাখ বন্ধ্যা দম্পতি আইডিএফ প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্তান লাভ করছে। ১৯২৫ সালে ভারতের শিলংয়ে স্কটিশ বিজ্ঞানী জন শেফার্ড-ব্যারনের জন্ম, মৃত্যু-১৫-০৫-২০১০ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৪ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যের ইনভারনেস শহরের একটি হাসপাতালে। তিনি এটিএমের উদ্ভাবক জন শেফার্ড-ব্যারন অটোমেটেড টেলর মেশিন (এটিএম)-এর উদ্ভাবক জন শেফার্ড-ব্যারন মারা গেছেন। ব্যাংকিং খাতে টাকা-পয়সা তোলার ক্ষেত্রে এটিএমের ধারণা প্রথম জন শেফার্ড-ব্যারনের ভাবনাতেই আসে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনে প্রথম এটিএম বসানো হয়। জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানে ‘অন দি বাসেস’ থেকে প্রচারের আলোয় আসা অভিনেতা রেগ ভার্নি ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি সেই এটিএম থেকে টাকা তুলেছিলেন। পিটিআই। ১৯২৬ সালের ১৪ জানুয়ারি, বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম ঢাকায়। লেখার পাশাপাশি দলিত ও আদিবাসী জনজাতিগুলোর কাছে গিয়ে তাদের নিয়ে কাজ করে তিনি একজন প্রতিবাদী লড়াকু কণ্ঠস্বর হিসেবে খ্যাতিমান হয়ে উঠেছেন। ১৯২৬ সালে বগুড়া জেলায় আলোর দিশারী বাংলাদেশের মহিলা ক্রীড়াঙ্গনের অগ্রদূত ছিলেন রাবেয়া খাতুন তালুকদারের জন্ম, মৃত্যু-২০০৯ সালে। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা হিসেবে স্থান করে নিয়েছিলেন রাবেয়া খাতুন তালুকদার। ১৯২৬ সালে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টোর জন্ম, তাঁর ফাঁসি হয়-০৪-০৪-১৯৭৯ তারিখ। ১৯২৬ সালে পূর্ববঙ্গের বলিশাল জেলায় ইতিহাসের পন্ডিত অধ্যাপক তপন রায় চৌধুরীর জন্ম। তবে তাঁর মুখ্য কাজের ক্ষেত্র অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। মোগল আমলের ও ব্রিটিশ উপনিবেশের বাংলা তাঁর গবেষণার বিষয়। ১৯৪৬ সালের ১৬ আগষ্ট, কলকাতায় যে কুৎসিত দাঙ্গার ঘটনাটা ঘটল, ‘আমি এখনো দাঙ্গার ব্যাখ্যা খুঁজে বেড়াচ্ছি’।
১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়ক অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় (উত্তম কুমারের) জন্ম, মৃত্যু-২৪-০৭-১৯৮০ তারিখ। ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, ভারতের আসাম রাজ্যে গণসংগীত শিল্পী ড. ভূপেন হাজারিকার জন্ম, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটা ৩৭ মিনিটে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে এই মানবদরদি শিল্পী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন-০৫-১১-২০১১ তারিখ। ‘যাযাবরের’ চিরপ্রস্থান। তিনি আসামী, বাংলা ও হিন্দি ভাষায় গান করতেন। ১৯২৬ সালের ১৩ আগষ্ট, কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর জন্ম। তিনি ১৯৫৯ সালের ২ জানুয়ারি, কিউবায় কমিউনিষ্ট বিল্পবের মাধ্যমে কিউবার ক্ষমতা দখল করেন। ১৯২৬ সালের ১৬ আগষ্ট, বিপ্লবী কিশোর কবি সুকান্ত কলকাতা শহরে তাঁর নানাবাড়ি জন্মগ্রহণ করেন; মৃত্যু-১৩-০৫-১৯৪৭ তারিখ কলকাতা শহরে। ফরিদপুর জেলায় তাঁর বাবারবাড়ি। ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি, নোয়াখালী জেলার সেনবাগে বইয়ের মানুষ চিত্তরঞ্জন সাহার জন্ম, মৃত্যু-২৬-১২-২০০৭ তারিখ। চিত্তরঞ্জন সাহাই পুথিঘর লাইব্রেরীর মালিক এবং প্রথম বাংলা একাডেমীতে একুশে ফেব্রæয়ারিতে বইয়ের দেকান দেন। ১৯২৭ সালের ১৬ জুন, মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার ভরতপুর থানার বাবলা গ্রামে ভাষাসৈনিক শহীদ আবুল বরকতের জন্ম, মৃত্যু-২১-০২-১৯৫২ তারিখ ঢাকায়। ১৯২৭ সালের ১৮ জুলাই, ভারতের রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলার লুনা গ্রামে এক ঐতিহ্যবাহী সংগীত পরিবারে উপমহাদেশের ধ্রæপদ সংগীত ও গজলের ধ্রæবতারা মেহদি হাসানের জন্ম, পাকিস্তানের করাচিতে মৃত্যু-১৩-০৬-২০১২ তারিখ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পরিবারসহ পাকিস্তানের সহিওয়াল জেলার ছিচা ওয়াতনি এলাকায় থিতু হন তাঁরা। ১৯৫৭ সালে ঠুমরি গায়ক হিসেবে পাকিস্তান বেতারে গাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পর থেকে আর্থিক সংকট কাটতে থাকে মেহদি হাসানের। ১৯২৮ সালের ২০ মার্চ, কুচবিহারে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জন্ম। ১৯২৮ সালের ১৪ জুন, আর্জেন্টিনার রোমারি শহরের স্যান্টাক্লারা এলাকায় লাতিন আমেরিকার বিপ্ললী নেতা ও কিউবা বিপ্লবের অন্যতম নায়ক চে গুয়েভারার জন্ম, ১৯৬৭ সালের ৮ অক্টোবর দুজন সহযোদ্ধাসহ বন্দী হন আহত চে। পরে তাকে ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর, বলিবিয়ার এক সার্জেন্ট মারিয়ো তেরান চে গুয়েভারাকে বলিভিয়ার জঙ্গলে কাছ থেকে গুলী করে হত্যা করেন। ১৯৩৭ সালে স্পেনিশ গণযুদ্ধের সময় চে পড়ছেন প্রাইমারী স্কুলে, থার্ড গ্রেডে। ১৯৪৭ সালে আর্জেন্টিনার কমিউনিষ্ট সংঘের তরুণ কর্মী বারতা গিলদা তিতার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে মার্কসবাদী দর্শনের নানামুখী আলোচনায় ঝুঁকে পড়েন তিনি। ১৯৫৯ সালের ২ জানুয়ারি, ফিদেল-চের নেতৃত্বে বিপ্লব সমপন্ন হয় কিউবায়। ১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার রামকান্তপুর গ্রামে চলচ্চিত্রকার, গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও অভিনেতা খান আতাউর রহমান খানের জন্ম, মৃত্যু-০১-১২-১৯৯৭ তারিখ। তিনি চলচ্চিত্র অঙ্গনের এক ব্যতিক্রমী পুরুষ। ১৯২৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের, শিকাগো শহরে মার্টিন কুপারের জন্ম। হাতে বহনযোগ্য মোবাইল ফোনের উদ্ভাবক। ৩ এপ্রিল ১৯৭৩, তিনি মোবাইল ফোনে প্রথম কলটি করেন।১৯২৯ সালের ২১ জানুয়ারি, গায়ক, নায়ক ও পরিচালক  কিশোর কুমারের জন্ম; মৃত্যুঃ ১৯-১০-১৯৮৬ তারিখ। ১৯২৯ সালের ২৯ মার্চ, কলকাতায় কিংবদন্তী নাট্যকার, অভিনেতা ও নির্দেশক উৎপল দত্তের জন্ম, মৃত্যু-১৯-০৮-১৯৯৩ তারিখ কলকাতায়। তাঁদের পূর্ব-পুরুষের পিতৃভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর সংলগ্ন গৌতম পাড়া গ্রামের দত্ত পরিবারে। থিয়েটার এবং সিনেমা দুটো মাধ্যমেই তিনি বিচরণ করেছেন দাপটের সঙ্গে। শুরুটা মঞ্চ দিয়েই। ‘‘লিটল থিয়েটার গ্রুপ’’। ১৯২৯ সালের ৩ এপ্রিল, ঢাকার শিবচরে স্থপতি, বিশ শতকের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থাপত্য প্রকৌশলী স্যার ড. ফজলুর রহমান খানের জন্ম, মৃত্যু-১৯৮২ সালে। ১৯৭৪ সালে নির্মিত-১১০ তলার সিয়ার্স টাওয়ারটি ছিল পৃথিবীর সর্বোচ্চ উঁচ টাওয়ার। উঁচু ভবনের নকশা তৈরির এই পথিকৎকে বলা হয় স্থাপত্য প্রকৌশলের আইনস্টাইন। ১৯২৯ সালের ১ জুন, ভারতের পশ্চিম বাংলার কলকাতা শহরে চলচিত্র তারকা ও হিন্দি সিনেমার নায়িকা নার্গিসের জন্ম, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ-১৯৮৬ সালে। ১৯২৯ সালের ৯ আগষ্ট, বিশিষ্ট সাংবাদিক চরমপত্র খ্যাত, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক এম. আর. আখতার মুকুলের জন্ম, মৃত্যু-২৬-০৬-২০০৪ তারিখ বারডেম হাসপাতালে। ১৯২৯ সালের ২৪ আগষ্ট, কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত, মৃত্যু-১১-১১-২০০৪ তারিখ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮.৩০ টায়। ইয়াসির আরাফাত-যার পুরো নাম মোহাম্মদ আবদেন রউফ আরাফাত ওরফে কুদবা আল হোসাইনী। ইয়াসির আরাফাত ১৯৬৪ সাল থেকে ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, ভারতের ইন্দোরে বিখ্যাত গায়িকা ও জীবিত সঙ্গীত কিংবদন্তী লতা মুঙ্গেসকরের জন্ম। লতা তাঁর ছয় দশাধিক বছরের ক্যারিয়ারে ৫০,০০০ হাজারেরও বেশী গান গেয়েছেন এবং এখনও গেয়ে যাচ্ছেন। চলচ্চিত্র বিশ্বে বিশেষ অবদানের জন্য ফরাসী সরকার সর্বোচ্চ সম্মাননা দেন। ১৯২৯ সালে মার্কিন বিপ্লবী মার্টির লুথার কিং জুনিয়রের জন্ম, মৃত্যু-১৯৬৮ সালে। ১৯৩০ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, অবিভক্ত বাংলার যশোর জেলার বনগাঁ কবি গোবিন্দ হালদারের জন্ম, তিনি বর্তমানে কলকাতায় অবসর জীবন কাটানো অবস্থায় কলকাতার মানিকতলার জিতেন্দ্র নাথ রায় হাসপাতালে মারা গেছেন-১৭-০১-২০১৫ তারিখ। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলবো না এবং আরো কয়েকটি গানের লেখক ছিলেন।
১৯৩০ সালে স্বরূপকাঠিতে চিত্তরঞ্জন সুতারের জন্ম, মৃত্যুঃ ২৯-১১-২০০২ তারিখ দিল্লীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমণ করেন ৭২ বছর বয়সে। ১৯৫৮ সালে তিনি ভারতের লোক সভার সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের সাথে কাজ করেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি তাঁর জন্মস্থান বাংলাদেশের স্বরূপকাঠি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের আগষ্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হবার আগেই তিনি কলকাতায় চলে যান। চিত্তরঞ্জন সুতার উনিই বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি দুই দেশে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলাদেশের (পাবনা জেলার) বর্তমান সিরাজগঞ্জের  বেলকুচি থানার সলক ইউনিয়নের ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে নানাবাড়িতে পশ্চিমবাংলার বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি মহানায়িকা (রমা দাশগুপ্ত কৃষ্ণা) সূচিত্রা সেনের জন্ম। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি ছিল পাবনা শহরের দিলালপুর মহল্লায়। সূচিত্রা সেন প্রথম অভিনয় করেন ১৯৫২ সালে আর সর্বশেষ অভিনয় করেছেন ১৯৭৮ সালে। ১৯৮০ সালে উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর খুব অল্প সময়ের জন্য মহানায়ককে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দু-এক ঝলক, ভরত মহারাজের মৃত্যুর পর মুহূর্তের উপস্থিতি এবং ১৯৯৫ সালে একবার ভোটার পরিচয়পত্রের ছবি তুলতে সামনে আসেন। ২০০৮ সালে অসুস্থ হয়ে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হলে লুকিয়ে এক ফটোসাংবাদিক সুচিত্রা সেনের ছবি তোলেন। কেন এই স্বেচ্ছানির্বাসন? এমন প্রশ্নের জবাবে সূচিত্রা সেন ঘনিষ্ঠজনদের নাকি বলেন, ‘একসময় বাসনার রূপ ছিলাম, এখন তাই সরিয়ে নিয়েছি নিজেকে, ওই চোখগুলো থেকে অনেক দূরে। ১৯৩১ সালের ২২ জুলাই, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে পল্লী গানের পাখি আবদুল আলীমের জন্ম, মৃত্যুঃ ০৫-০৮-১৯৭৪ তারিখ। ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর, ভারতের তামিলনাড়–র প্রত্যন্ত এক গ্রামে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী (এ) আবুল (পি) পাকির (জে) জয়নাল আবেদীন আবদুল কালামের জন্ম, মৃত্যু-২৭-০৭-২০১৫ তারিখ। ঠিক করো, কীভাবে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখবে। উনি ভারতের ১১নং রাষ্টপ্রতি ছিলেন। ১৯৩২ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত হলিউড কিংবদন্তি অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলরের জন্ম, মৃত্যু-২৩-০৩-২০১১ তারিখ লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডার-সিনাই হাসপাতালে। আটবার বিয়ে করেছেন এলিজাবেথ টেলর এবং সাত স্বামী। ১০ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ১০০শত কোটি ডলারের মালিক তিনি এবং বিশ্বের ১৪ জন নারীর মধ্যে একজন। ১৯৩২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রভাবশালী কেনেডি পরিবারের সন্তান সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির জন্ম, মৃত্যু-২৬-০৮-২০০৯ তারিখ। ১৯৭২ সালের ১৪ ও ১৫ ফেব্রæয়ারি বাংলাদেশে সফরে আসে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনের বট গাছটি ১৪ ফেব্রæয়ারি তিনি লাগিয়েছিলেন, কারণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আগের বট গাছটি কেটে ফেলেছে পাকিস্তানীরা। জন. এফ. কেনেডির ছোট ভাই এডওয়ার্ড কেনেডি।
১৯৩৩ সালের ৩ নভেম্বর, কলকাতায় জন্ম হয় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের। অমর্ত্য সেনের প্রথম স্কুল ঢাকার সেন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয় তারপর কলকাতায় শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী। ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি বলেন শিক্ষা সবকিছু বদলে দেয়। তাঁর বাবারবাড়ি বাংলাদেশের মানিগঞ্জে এবং নানাবাড়ি বিক্রমপুরে। ১৯৪৯ সালে মেট্রিক, ১৯৫১ সালে আই. এস-সি. পরীক্ষায় প্রথম হয়ে তিনি ভর্তি হন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে। ১৯৩৩ সালের ১৯ নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্বনামধন্য টেলিভিশন ও রেডিও ব্যক্তিত্ব ল্যারি কিং-এর জন্ম। ১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর, বরিশাল জেলায় আলতাফ মাহমুদের জন্ম, মৃত্যু-৩০-০৮-১৯৭১ তারিখ পাকবাহিনীর হাতে। আমরা কি ভুলিতে পারি…। ১৯৩৪ সালের ১৩ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে লিউনার্ড ক্লেইনরকের জন্ম। ১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর, অ্যাপ্রানেটের মাধ্যমে প্রথম এক কমপিউটার থেকে আরেক কমপিউটারে উপাত্ত পাঠাতে সক্ষম হন। জন্ম হয় ইন্টারনেটের। ১৯৩৪ সালের ১৭ ফেবুয়ারি, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের টামনী ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের ভূঁইয়াবাড়িতে জনমুক্তি পার্টির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমূল হোসেন ভূঁইয়ার (মাহফ‚জ ভাইয়ের) জন্ম, ১০-০২-২০১৩ তারিখ সন্ধ্যা ৭টার সময় মারা গেছেন ঢাকার ধানমন্ডিতে। ১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার মাইজপাড়া গ্রামে (বর্তমান মাদারীপুর) বাংলা সাহিত্যের দিকপাল, কবি ও ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (মাদারীপুর জেলার আমগাঁও গ্রামে তাঁর বাবারবাড়ি) জন্মগ্রহণ করেন, গত সোমবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত দুইটা ৫ মিনিটে ২৩-১০-২০১২ তারিখ দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জের বাড়িতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
       ১৯৩৪ সালে ভারতের পশ্চিমবাংলার নদীয়ার শান্তিপুরে কিংবদন্তি বাচিকশিল্পী ও আকাশবাণীর সংবাদপাঠক দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম, কলকাতায় নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেন-০২-০৬-২০১১ তারিখ। ১৯৬০ সালে তিনি আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে যোগ দেন। ১৯৭১ সাালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান হাতিয়ার ছিল আকাশবাণী আর বিবিসি রেডিও। এ আকাশবাণীতেই তাঁর পরিবেশনায় সংবাদ, সংবাদ-সমীক্ষা ও সংবাদ-পরিক্রমা ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে।  ১৯৩৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, রোমে এক দরিদ্র পরিবারে সোফিয়া লোরেনের জন্ম। মাত্র ১৪ বছর বয়সে এক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জয়ের মাধ্যমে তার খ্যাতির সূচনা হয়। ১৬ বছর বয়সে তিনি ‘কু ভাদিস’ নামের একটি চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়। ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর, বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া গ্রামের জমিদার বংশ চৌধুরীবাড়িতে সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর জন্ম। ১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি, নদিয়ার কৃষ্ণনগরে টালিউডের আদর্শবান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপ্যাধায়ের জন্ম। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৯ সালে সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসারের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তাঁর বাবারবাড়ি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কয়া গ্রামে। ১৯৩৫ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি, নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার সোনাপুর গ্রামে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলার আসামী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের জন্ম, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গুলিতে মৃত্যু-১৫-০২-১৯৬৯ তারিখ। ১৯৩৫ সালের ১৯ জুলাই, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সফল চরিত্র মাসুদ রানার জনক বিপুল জনপ্রিয় সেবা প্রকাশনীর প্রাণপুরুষ কাজী আনোয়ার হোসেনের জন্ম। ৪০০-এর ঘর পার করেছে মাসুদ রানা সিরিজ। তার স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন। ১৯৩৫ সালের ৬ জুন, নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত তিব্বতের আধ্যাত্বিক নেতা দালাই লামার জন্ম। ১৯৫৯ সালে তিব্বত থেকে চীন সরকার আধ্যাত্বিক নেতা দালাই লামাকে নির্বাসিত করে। ১৯৩৫ সালের ১৯ আগষ্ট, যুক্তরাষ্ট্রে নাসার বিজ্ঞানী ও নভোচারী ষ্টোরি মাসগ্রেভের জন্ম। নাসার ছয়টি স্পেস শাটলের সব কয়টিতেই চড়েছেন তিনি। মহাশূন্যে কাটিয়েছেন মোট ১২০০ ঘন্টা। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মাসগ্রেভ। ১৯৩৫ সালের ২৪ অক্টোবর, কলকাতার টালিগঞ্জের রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিবিসির সাংবাদিক স্যার মার্ক টালির জন্ম। ১৯৬৪ সালে বিবিসিতে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ভারত সংবাদদাতা হিসেবে দিল্লিতে আসেন। বিবিসির ৩০ বছরের চাকরিজীবনে তিনি ২০ বছর ছিলেন দিল্লি ব্যুরোপ্রধান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় স্যার মার্ক টালি ছিলেন বিবিসির দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক ভাষ্যকার। যিনি পরে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত দিল্লীতে বিবিসির দক্ষিণ এশীয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৪ সালে বিবিসি ত্যাগ করার পর থেকে মার্ক টালি ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। ৪০ বছর সাংবাদিকতা করার পর অবসরে যান, তিনি ভারতের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ ও ২০০২ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নাইট উপাধি পান। বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে তাঁকে ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার’ সম্মাননা প্রদান করেন। ২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর, তিনি ভারতের ইনস্টিটিউট অব স্মল এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে এই বক্তব্য দেন। ‘‘ক্ষুদ্র উদ্যোগেই হোক শুরু’’। ১৯৩৫ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার আরসোলা গ্রামে ৬(ছয়) বার ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী সাঁতারু ব্রজেন দাসের জন্ম, মৃত্যু-০১-০৬-১৯৯৮ তারিখ। ১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে প্রণব কুমার মুখার্জির জন্ম।  ষাটের দশকে বাংলা কংগ্রেসের মাধ্যমে রাজনীতিতে উঠে আসেন তিনি। যদিও ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি লোকসভায় একবারও জিততে পারেননি। রাজ্যসভায় তিনি কংগ্রেস থেকে বেশ কয়েকবার নির্বাচিত হন। ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষা নেয়া-এ রাজনীতিক অর্থনীতিও যে ভালো বোঝেন, তার প্রমাণ ১৯৮৪ সালে বিখ্যাত ইউরোমানি সাময়িকীর জরিপে বিশ্বের সেরা অর্থমন্ত্রী বিবেচিত হওয়া। ২০০৯ সালেও কংগ্রেস সরকারের অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন। ১৯ জুলাই, ভারতের ১৩তম রাষ্ট্রপতি হয়েছেন প্রণব কুমার মুখার্জি। ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮২ জন ভোটার দেন। প্রথম বাঙালী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির প্রয়োজন ছিল পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪২ ভোট তিনি পেয়েছেন সাত লাখ ১৩ হাজার ৭৬৩ ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকারের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ প্রণব মুখার্জি। এতে প্রণব ৬৯ শতাংশ ভোট পেয়ে বিরোধী জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চার (এনডিএ) প্রার্থী সাংমাকে পরাজিত করেন। তাঁর প্রতিপক্ষ পূর্ণ অ্যাজিটক (পি.এ.) সাংমার পক্ষে ভোটের মূল্যায়ন তিন লাখ ১৫ হাজার ৯৮৭। ২৫ জুলাই, ২০১২ তারিখ ১১টা ৩০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে রাইসিনা হিলসের রাষ্ট্রপতির ভবনে শুরু হচ্ছে প্রণবের নতুন জীবন। নয়াদিল্লীর ঐতিহাসিক দিল্লি গেটের অপর প্রান্তে রাইসিনা হিলস-এ অবস্থিত এই রাষ্ট্রপতি ভবন। ৩৩০ একর জমির ওপর এই রাষ্ট্রপতি ভবন। ঐতিহাসিক ভবনটি ব্রিটিশ আমলে ছিল ভাইসরয়দের বাসভবন। ভবনের বিশালত্ব এবং শিল্পসৌন্দর্য একে বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রাসাদের মর্যাদা দিয়েছে। ১৯২১ থেকে ১৯২৯ সালের মধ্যে এই প্রাসাদটি গড়ে ওঠে ব্রিটিশ স্থপতি স্যার এডুইন লিউটেনসের পরিকল্পনায়। চারতলার এই প্রাসাদে রয়েছে ৩৪০টি কক্ষ। এখানে মোগল, হিন্দু, বৌদ্ধ ও পাশ্চাত্য স্থাপত্যের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটেছে। ভবনের মূল গম্বুজটি বৌদ্ধ আঙ্গিকে গড়ে উঠেছে আর অলিন্দ হিন্দু মন্দিরের আদলে। রয়েছে দরবার হল, যা অশোকা হল নামে পরিচিত। আছে ১৩০ হেক্টর জায়গাজুড়ে মোগল উদ্যান।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের জন্ম, মৃত্যু ৩০-০৫-১৯৮১ তারিখ। ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, নড়াইল জেলার মহেষখোলা গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখের জন্ম, মৃত্যু-০৫-০৯-১৯৭১ তারিখ যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার গোয়ালহাটি গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে শহীদ হন। ১৯৩৬ সালের ৩১ মার্চ, ভূপাল, মধ্যপ্রদেশে ড. আবদুল কাদির খানের জন্ম। ড. আবদুল কাদির খান, পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক। কিন্তু তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ২৭ এপ্রিল, ১৯৩৬ সাল। ১৯৩৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় আগা খান প্রিন্স করিম আল-হোসাইনির জন্ম। ২০ বছর বয়সে চতুর্থ আগা খান হিসেবে নিজারি ইসমাইলিয়াদের আধ্যাত্মিক নেতার দায়িত্ব লাভ করেন। তাঁর পূর্বসূরি হলেন দাদা তৃতীয় আগা খান স্যার সুলতান মুহাম্মদ শাহ আগা খান। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রিন্স করিম আল-হোসাইনি ইসমাইলিয়া স¤প্রদায়ের ৪৯তম ইমাম। প্রিন্স আলী খান তাঁর বাবা, মা প্রিন্সেস তাজউদ্দৌলা আলী খান। ১৮৪৩ সালে ইরান থেকে প্রথম আগা খান আগা হাসান আলী ভারতে চলে আসেন। ১৮৭৭ সালে আগা খান খেতাবটি ব্রিটিশরাজ্যের স্বীকৃতি লাভ করে। ইসমাইলিয়া স¤প্রদায়ের ৪৬তম ইমাম আগা হাসান আলী শাহ প্রথম ‘‘আগা খান’’ খেতাব গ্রহণ করেন। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক বিদ্রোহ দমনে তৎকালীন আগা খান সহযোগিতার জন্য আসে এ স্বীকৃতি। দ্বিতীয় আগা খান মাত্র চার বছর নিজ স¤প্রদায়ের ইমামতি করতে পেরেছিলেন। ১৮৮৫ সালে তিনি মারা যান। আগা খানের আয়ের অন্যতম উৎস বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশে বসবাসরত ইসমাইলি স¤প্রদায়ের ১.৫০(এক কোটি পঁঞ্চশ লক্ষ) লোক। প্রতিবছর তাঁরা ইমামের তহবিলে অর্থ জোগান। সব মিলিয়ে সারা বিশ্বে ৯০টির বেশি ব্যবসা রয়েছে তাঁর। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে ৩৬ হাজার কর্মী। ইসমাইলিয়া স¤প্রদায়ের বিকাশের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফাতিমিদ সাম্রাজ্যের ইতিহাস। মহানবী হজরত মোহাম্মদ(স.) মেয়ে হজরত ফাতিমিদ(রা.)-এর নাম থেকে ফাতিমিদ নামের উৎপত্তি। সেই সূত্রে ইসমাইলিরা সরাসরি মহানবীর বংশধর। ২০০৮ সালে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ২০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে আগা খান একাডেমি। এতে ব্যয় হবে ৫(পাঁচ) কোটি ডলার। ১৯৩৭ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার রালেগাঁও সিদ্ধিতে গান্ধীবাদী সমাজকর্মী আন্না হাজারের জন্ম। তিন দাবি মেনে নিল পার্লামেন্ট। এক-কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ে লোকপাল প্রবর্তন, দুই-কনিষ্ঠ সরকারি আমলারা এর জবাবদিহির আওতায় থাকবেন এবং তিন-সব সরকারি দপ্তরের সামনে ওই দপ্তরের দায়িত্ব উলে­খ করে ‘সিটিজেন চার্টার’ টাঙানো থাকবে।  দুর্নীতিবিরোধী লোকপাল বিল আন্দোলনে বিজয়ী হলেন ১২ দিন ধরে অনশনের পর ২৭-০৮-২০১১ তারিখ নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে আন্না হাজারে।
১৯৩৭ সালের ২৮ এপ্রিল, ইরাকের মরু এলাকা তিকরিতের আল আওজা গ্রামে এক সাধারণ কৃষক পরিবারে সাদ্দাম হোসেনের জন্ম, ফাঁসিতে মৃত্যু-৩০-১২-২০০৬ তারিখ। সাদ্দাম হোসেন বন্দী ১৪-১২-২০০৩ তারিখঃ খামার বাড়ির গর্তে লুকিয়েছিলেন তিনি-ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় নিশ্চিত-বিরোধীদের উল্লাস। ১৯৩৮ সালের ৮ এপ্রিল, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের জন্ম। তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ২০০১ সালে। ১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর, ভারতের আসামের বদরপুরে ময়মনসিংহে সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল আবু তাহেরের জন্ম, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসীতে মৃত্যু-২১-০৭-১৯৭৬ তারিখ। তাঁর পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কাজলা গ্রামে। সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করে ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, তিনি সিপাহি-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালের ২৪ নভেম্বর, গ্রেপ্তার হন। (সূত্র ঃ বাংলাপিডিয়া)। ১৯৩৯ সালের ২৪ অক্টোবর, ফটোসাংবাদিক রশীদ তালুকদারের জন্ম। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘পাইওনিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যাওয়ার্ড’-২০১০ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর, দোনা-দনদিনহোর গরিব সংসারে ঘর আলো করে ব্রাজিল দলের বিশ্বকাপ ৩ বার চ্যাম্পিয়ন (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০) ফুটবলার পেলের (এডসন) জন্ম। ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম শহরতলীর বশিরহাটে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্ম। ১৯৪০ সালের ২৭ নভেম্বর, প্রখ্যাত মার্শাল আর্টের প্রবাল পুরুষ ও কুংফু কিংবদন্তী ব্রæস লী’র সানফ্রানসিসকোতে জন্ম, ১৯৭৩ সালের ২১ জুলাই এক ধরনের ষ্ট্রোকে মারা যান। ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি শহরে পার্সোনাল কম্পিউটারের জনক হেনরি এডওয়ার্ড রবার্টসের জন্ম, মৃত্যু-০১-০৪-২০১০ তারিখ। ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর, (তাঁর গ্রামের বাড়ি ছিল নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে) পুরাতন ঢাকার ১০৯, আগাসাদেক রোডের বাসায় বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের জন্ম, ১৯৭১ সালের ২১ আগষ্ট, করাচীর ওই মাশরুর  বিমান ঘাঁটি থেকেই একটি টি-৩৩ বিমান নিয়ে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পাকিস্তানী পাইলট রাশেদ মিনহাজ। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান মিনহাজকে ক্লোরফরম প্রয়োগে কাবু করে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন এবং আকাশে উঠে যান। ইতিমধ্যে মিনহাজ সংজ্ঞা ফিরে পেলে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দু’জনের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ফলশ্রæতিতে বিমানটি সিন্দু প্রদেশের থাট্টা এলাকার জিন্দা নামক একটি গ্রামে বিমানটি বালিয়ারিতে ধাক্কা খেয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। ২৫-০৬-২০০৬ তারিখ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মাতৃভূমিতেই ঠাঁই হলো বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের ৩৫ বছর পর তাঁর দেহবশেষ বাংলাদেশে পুনঃদাপনসম্পন্ন। ১৯৪১ সালে রংপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের জন্ম, মৃত্যু-০৩-০৮-২০০৮ তারিখ। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম জেনারেল।
১৯৪২ সালের ৮ জনুয়ারি, যেদিন ইংল্যান্ডে পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংকের জন্ম, ঠিক এর তিনশত বছর আগে ইতালিতে মারা যান গ্যালিলিও গ্যালিলি। ২১ বছর বয়সে হকিং আক্রান্ত হন সøায়ুরোগে, যা এএলএস ডিডিজ নামে পরিচিত। ২০০৯ সালের দিকে এসে তিনি পুরোপুরি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গেছেন। তিনি ১৯৬৫ সাল থেকে এ যাবত এএলএস রোগে আক্রান্ত কেউ বেঁচে আছেন, এমন কোনো রেকর্ড নেই। স্টিফেন হকিং ঃ রোগ তাঁর চলৎশক্তি কেড়ে নিলেও তাঁর মেধা, মনন, দৃষ্টিকে কেড়ে নিতে পারেনি। ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি, লুইসভিল, কেনটাকি, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব-সেরা বক্সার ও কিংবদন্তির নায়ক মোহাম্মদ আলীর জন্ম, ০৪-০৬-২০১৬ তারিখ মারা গেছেন। ১৯৬০ সালের ২৯ অক্টোবর রোম অলিম্পিকে জেতেন লাইট হেভিওয়েট স্বর্ণপদক। অপেশাদার জীবনে ১০০ জয়ের বিপরীতে তাঁর পরাজয় মোটে পাঁচটি। কিংবদন্তির নায়ক মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সর্বশ্রেষ্ঠ মুষ্টিযোদ্ধা খেতাব অর্জণ করেণ ২৯-১০-১৯৭৪ তারিখ। ১৯৮১ সালে শেষ লড়াইয়ে নামেন আলী। হার মানেন ট্রেভর বারবিকের কাছে। পেশাদার মুষ্টিযুদ্ধ-জীবনে এ শেষ হারসহ মোট পাঁচবার হারলেন আলী, বিপরীতে জিতেছেন ৫৬ বার। নিঃসন্দেহে মোহাম্মদ আলী ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় আফ্রো-আমেরিকান, বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত পাঁচটি চেহারার একটি। ১৯৪২ সালের ১১ অক্টোবর, বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের জন্ম। অমিতাভ ১৯৬৯ সালে প্রথম ‘সাত হিন্দুস্থানী’ ছবির মাধ্যমে অভিনয় শুরু করে। ২০০৪ সালের ৬৩তম জন্মদিনে ২ কি. মি. দীর্ঘ বার্থ ডে কার্ডে ঐ কোম্পানীর প্রায় ছয় লাখ খুচরা বিক্রেতার স্বাক্ষর থাকছে। সহস্রাব্দের সেরা অভিনেতার ফ্রান্সের সর্বোচ্চ ‘‘লিজিয়ন ডি অনার’’ খেতাব অর্জন। ১৪০টিরও বেশী পূর্ণ দৈর্ঘ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং এটা তাঁর ৬০তম পুরস্কার। ১৯৪৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, লিভারপুলের ওয়েভারটির গায়ে গা ঠেকিয়ে থাকা কয়েকটি বাড়ির একটি ১২ আর্নল্ড গ্রোভ। এ বাড়িতেই জন্ম নিলেন বাংলার বন্ধু জর্জ হ্যারিসন, মৃত্যু-২৯-১১-২০০৮ তারিখ। কনসার্ট ফর বাংলাদেশ-বাংলাদেশ জর্জ হ্যারিসন। ১৯৪৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, ফরিদপুরের রাজবাড়িতে জন্ম (বাবার নিবাস ফরিদপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার লাকার্তা গ্রামে)। পিতা-আবদুর রাজ্জাক সিকদার, মাতা-বেগম বেলাতেন নেসা। ভাই-বোন ঃ ছয় ভাই, দুই বোন। সিরাজ সিকদার দ্বিতীয়। বরিশাল জেলা স্কুল থেকে ১৯৫৯ সালে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক; বি. এম. কলেজ থেকে ১৯৬১ সালে সম্মিলিত মেধা তালিকায় নবম হয়ে উচ্চ মাধ্যমিক; ঢাকার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে মেধা তালিকায় নবম হয়ে বি.এস-সি. ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ। ১৯৬৭ সালেই কর্মজীবন শুরু। ১৯৬৭ সালেই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র ধারার প্রতিষ্ঠাতা। ঢাকার মালিবাগে ‘মাও সেতুং চিন্তাধারা গবেষণা কেন্দ্র’ স্থাপনা। ১৯৬৮ সালের ৮ জানুয়ারি ‘পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলন’ এবং পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৭১ সালের ৩ জুন ‘পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি’ নামে বিপ্লবী সংগঠন গঠন। মৃত্যুঃ ২ জানুয়ারি, ১৯৭৫ সালের বৃহস্পতিবার দিন। জীবনকালঃ ৩০ বছর ৩ মাস ৫ দিন। ১৯৪৫ সালের ১৫ আগষ্ট, দিনাজপুর শহরে বি.এন.পি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম। ১৯৪৬ সালের ১৯ আগষ্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম জেফারসন (বিল) ক্লিনটনের জন্ম। ১৯৪৬ সালের ৮ ডিসেম্বর, কলকাতায় বাংলা ও হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের জন্ম। ১৯৫৯ সালে সত্যজিত রায়ের ‘অপুর সংসারের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা শুরু। ১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর, ইতালীর তুরিন শহরের কাছে অরবাসানো গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে সোনিয়া মাইনো জন্মগ্রহণ করেন। রাজীব গান্ধীর স্ত্রী হিসাবে তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সোনিয়া মাইনোর পরিবর্তে সোনিয়া গান্ধী। ১৯৮৩ সালে তিনি ভারতীয় নাগরীকত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৮ সালে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন, ১৯৯৯ সালে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী নির্বাচিত হন। ২২-০৫-২০০৪ তারিখ থেকে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে বিদেশিনী হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা থাকা সত্তেও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি। ড. মনমোহন সিংকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। আবার ২২-০৫-২০০৯ তারিখ থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্তেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হননি, এবারও ড. মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন।
১৯৪৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম। ১৯৪৯ সালের ১০ জুলাই, ভারতের ক্রিকেট খেলোয়ার সুনীল গাভাস্কারের জন্ম। দেখুন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাস ১৯৩৫ সাল থেকে। ১৯৫০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, দিল্লিতে শাবানা আজমি জন্মগ্রহণ করেন। (বাবা বিখ্যাত উর্দু কবি কাইফি আজমি। মা আইপিটিএর অভিনেত্রী শৌকত।) তিনি অভিনয়ের ওপর একাডেমিক পড়াশোনাটা শেষ করেন ১৯৭২ সালে। ১২৭টির মতো ছবিতে অভিনয় করেন। বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেন বলেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০ জন অভিনেত্রীর মধ্যে তিনি একজন। অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেনের মতে, শ্রেষ্ঠ পাঁচজনের একজন তিনি। শ্যাম বেনেগাল, যাঁর অনেক ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন, তাঁর রায় এ রকম ঃ না, ভারতীয় চলচ্চিত্রাঙ্গনে তাঁর মতো অভিনেত্রীর পূর্বসূরি নেই। তুলনা টানার জন্য যেতে হবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, ইনগ্রিড থুলিন, লিভ উলম্যান বা মেরিল স্ট্রিপের কাছে। হ্যাঁ, শাবানা আজমির কথাই বলা হচ্ছে। ১৯৫২ সালের ২৫ নভেম্বর, লাহোরে পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তী তারকা ইমরান খানের জন্ম। ১৯৯২ সালে ৩৯ বছর বয়সে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জয়। ১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ ধনকুবের জেমস গোল্ডস্মিথের মেয়ে জেমাইমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করেন। ২০০৪ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এ দম্পতির দুই ছেলে আছে। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মায়ের মৃত্যু তাঁর জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনে। ইমরানের ভাষায়, ওই ঘটনাই তাঁকে মানুষের জন্য কাজ করতে এবং রাজনীতিতে নামতে উদ্বুদ্ধ করে। আত্মসম্মান বিলিয়ে দেওয়ার চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়। ১৯৯৬ সালে ইমরান খান  ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৩ সালের ১৬ মার্চ, নিউইয়র্কে স্টলম্যানের জন্ম। নিজের জীবনের প্রায় সবটুকু তিনি উৎসর্গ করেছেন তাঁর গণমানুষের জন্য সফটওয়ার দর্শন, প্রচার ও বিকাশের জন্য। তাঁর কারণেই উন্মুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি বিকাশের সোপান। ১৯৫৩ সালের ২১ জুন,  পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের করাচিতে বেনজির ভুট্টো জন্মগ্রহণ করেন, মৃত্যু-২৭-১২-২০০৭ তারিখ। রাওয়ালপিন্ডিতে এক জনসভায় ভাষণ শেষে গাড়িতে ওঠার পরপরই সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং মুহূর্তের মধ্যে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এতেই তিনি নিহত হন। ১৯৫৪ সালের ২৯ জানুয়ারি, আমেরিকার মিসিসিপির একটি দরিদ্র পরিবারে অপরাহ উইনফ্রের জন্ম।  অপরাহ উইনফ্রে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী, ধনী ও কৃষাঙ্গ উপস্থাপক। তাঁর বিশ্বখ্যাতি স্বপরিচালিত শেষ হয়ে গেল দুনিয়া-মাতানো টক শো ‘দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো’র জন্য। ১৯৮৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, শুরু হওয়া এ শো ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১-তে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ২৫-০৫-২০১১ তারিখ বুধবার তিনি পর্দা টেনে দিলেন দ্য অপরাহ উইনফ্রে অনুষ্ঠানটির ইতি টানেন একটি স্মরণীয় ও সংবেদনশীল বক্তৃতার মধ্য দিয়ে মানুষকে ভালোবাসো। ১৯৫৪ সালের ২৬ নভেম্বর, শ্রীলংকার জাফনায় তামিল টাইগার’স গেরিলা নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের জন্ম, শ্রীলংকার আর্মীর গুলিতে মৃত্যু-১৭-০৫-২০০৯ তারিখ। গত তিন দশকে ৭০ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। ১৯৭২ সালে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ অর্থাৎ আত্মগোপনে চলে যায়। ১৯৫৫ সালের ১ মে, কলকাতায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী কুমারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০ মে, ২০১১ শপথ নেন। ১৯৫৫ সালের অক্টোবরে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যের সিয়াটলে উইলিয়াম হেনরি গেটস থ্রি-বিল গেটসের জন্ম। এটি ১৯৬৮ সালের কথা, লেকসাইড স্কুলটি ছিল সেই বিরল প্রকৃতির নগণ্যসংখ্যক স্কুলগুলোর একটি যারা শিক্ষাথীদের প্রথম প্রজন্মের কমপিউটার শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছিল। বিল গেটস নামেই বেশি পরিচিত। তিনি স্বপ্ন দেখেন স্বপ্ন দেখান। ১৯৫৫ সালে লন্ডনে ভার্চুয়াল সংস্কৃতির স্রষ্টা স্যার টিমোথি জন ‘টিম’ বার্নার্স-লি’র জন্ম। তিনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, সংক্ষেপে িি।ি এ তিনটি ডবিøউয়ের মাধ্যমেই ইন্টারনেট থেকে আমাদের মনিটরে ভেসে আসে কোটি কোটি পৃষ্ঠা। তিনি ওয়েবের জন্ম দিয়েই থেমে নেই।
১৯৫৭ সালের ১০ মার্চ, সৌদি আরবের রিয়াদে আল-কায়দা প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের জন্ম, মৃত্যু-০২-০৫-২০১১ তারিখ পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন। তাঁর লাশ সাগরে বাসিয়ে দিয়েছেন। এ অভিযানের আদ্যোপান্ত সরাসরি দেখলেন প্রেসিডেন্ট  ওবামা বারাক হোসেন। তাঁর বাবা মুহাম্মদ বিন লাদেন ছিলেন ধনবান ব্যক্তি। তাঁর ৫৪ সন্তানের মধ্যে ওসামা বিন লাদেন ছিলেন ১৭তম। ১৯৬৯ সালে এক বিমান দুঘর্টনায় ওসামার বাবার মৃত্যু হয়। পৈতৃক সম্পত্তি পান আট কোটি ডলার মূল্যের। ওসামা ১৭ বছর বয়সে দূর সম্পর্কের এক সিরীয় বোনকে প্রথম বিয়ে করেন। তারপর আরও অন্তত চার নারীকে বিয়ে করেন। ওসামার ২৬ জন  সন্তান রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বিন লাদেন ঃ আফগানিস্থানে শুরু, পাকিস্তানে শেষ। যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ১১-০৯-২০০১ তারিখ আল-কায়েদার ভয়াবহ সেই বিমান হামলায় প্রায় তিন হাজারের বেশি লোক মারা যান। ১৯৫৮ সালের ১৬ আগষ্ট, মিশিগানের বে সিটিতে গায়িগা-অভিনেত্রী ও লেখিকা  ম্যাডোনা লুইস ভ্যারোনিকা কিকোনির জন্ম। (নারী সংগীতজগতের তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী। ফোর্বস সাময়িকীর ওয়েবসাইট জরিপে তিনি এক নম্বর আসন দখল করেন। ম্যাডোনা ২০০৬ সালের জুন থেকে ২০০৭ সালের মে পর্যন্ত সাত কোটি ২০ লাখ ডলার আয় করেছেন)। ১৯৫৮ সালের ২৯ আগষ্ট, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট শহর গ্যারিতে পপসম্রাট মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন জন্মগ্রহণ করেন, অকালেই প্রস্থান মহাতারকার মৃত্যু-২৫-০৬-২০০৯ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসের শহরতলি হোমবাই হিলসের ভাড়াবাড়িতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁকে ইউসিএলএ মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। দুই ঘন্টা পর সেখান থেকে স্থানীয় সময় দুপুর দুইটা ২৬ মিনিটে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
১৯৬১ সালের ৪ আগষ্ট, হাওয়াইয়ের হনলুলুতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামার জন্ম। ওবামার পুরো নাম বারাক হোসাইন ওবামা জুনিয়র। ওবামা হচ্ছেন প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান, যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় কোনো দলের মনোনয়ন পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর, আর্জেন্টিনার প্রবাদ প্রতিম ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার জন্ম। সে ১৯৮৬-র সেই মাঠ কাঁপানো তরুণ। ২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল, ৪৩-বছর বয়সে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বর্তমানে ভাল, ফুটবলে যাদু দেখানোর মত মাদক নেয়ার ইতিহাস তাঁর সুদীর্ঘ। ১৯৬২ সালে দুঃসাহসী অস্ট্রেলীয় ন্যাচারলিষ্ট ক্রকোডাইল হান্টার স্টিভ আরউইনের জন্ম, মৃত্যু-০৪-০৯-২০০৬ তারিখ, পোর্ট ডগলাসের কাছে একটি আন্ডারওয়াটার প্রামাণ্য চিত্র চলচ্চিত্রায়নের সময় তিনি নিহত হন। ১৯৬৫ সালের ২ জুন, সিডনিতে ক্রিকেট স্টার স্টিভ ওয়াহ’র জন্ম, (মহানায়কের বিদায়)-২০০৪ সালে। ১৯৭১ সালের ৩ জুলাই, অস্ট্রেলিয়ার টাউন্সভিল, কুইনসল্যান্ড-এ সাংবাদিক, প্রোগ্রামার এবং হ্যাকার (লেখাপড়াঃ পদার্থবিদ্যা ও গণিত) ও উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জের জন্ম। ১৯৭৩ সালের ২১ আগষ্ট, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কোয় সের্গেই মিখাইলোভিচ ব্রিনের জন্ম। ১৯৭৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে ল্যারি পেইজ বা লরেন্স ‘ল্যারি’ পেইজের জন্ম। ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিনের প্রথম দেখা হয় ১৯৯৫ সালে, সেখান থেকেই দুজনের বন্ধুত্ব। সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেইজ এরা দুজনে তথ্যের বাতিঘর। ১৯৮৪ সালের ১৪ মে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক বিপ্লবের রুপকার মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গের জন্ম। তিনি ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতেন গেম ও যোগাযোগের প্রোগ্রাম নিয়ে।  ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ টাইম ম্যাগাজিনের জরিপে এ বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাকাল। ২৬ বছরেই বিশ্বসেরা। ১৯৮৪ সালের ৭ জুলাই, বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর গ্রামে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট খেলোয়ার মোহাম্মদ আশরাফুলের জন্ম। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন, আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে ফুটবলার লিওনেল আন্দ্রেস মেসির জন্ম। ফুটবল বিশ্বে তিনি মেসি নামে পরিচিত। ১৯৮৯ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আলেয়া সবুরের জন্ম। ড. আলেয়া সবুর ১৮ বছর বয়সে বিশ্বের প্রথম অধ্যাপক। ১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হিমালয় পর্বতারোহী জর্ডান রোমেরোর জন্ম। ২০১০ সালের ২২ মে, শনিবার সকালে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ এভারেষ্ট জয়ী হিসেবে রেকর্ড গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ বছর বয়সী কিশোর জর্ডান রোমেরো। সাগরপৃষ্ঠ থেকে ২৯,০৩৫ ফুট (আট হাজার ৮৫০ মিটার) উঁচু বিশ্বের এ সবোচ্চ পর্বতচুড়ায় আরোহণ করে জর্ডান। তার সঙ্গে বাবা পল রোমেরো, বাবার বান্ধবী কারেন ল্যান্ডগ্রেন ও তিনজন শেরপা গাইড এভারেষ্টের চুড়ায় পৌঁছান।

Windows “Running scripts is disabled on this system” Problem [Python Enviroment activation]

  1. Launch PowerShell with administrative privileges: Click on the Start menu, type “PowerShell”, right-click on “Windows PowerShell,” and select “Run as administrator”.
  2. Check the current execution policy: To verify the current policy, run the following command:
  3. Change the execution policy: To change the policy, use the `Set-ExecutionPolicy` cmdlet, followed by the desired policy. For example, to set the execution policy to RemoteSigned, run:

    You will be prompted to confirm the change. Press “Y” and then Enter to confirm.

  4. Verify the new policy: Run `Get-ExecutionPolicy` again to ensure that the policy has been changed successfully.
  5. Close and reopen the PowerShell window to apply the changes.