আমার চাওয়া পাওয়া-

আমি যা ভাবি তা’ করতে পারি না, যা করি তা’ ভাবি না। প্রতিদিন বিবেকের সাথে লড়াই করতে করতে হেরে যাই। প্রতিদিন এভাবে বিবেকের সাথে হারতে থাকলে আমার কি কোন সত্ত¡া থাকে? আমার কাছে একটা জিনিষ স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, একটা সমাজব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে মানুষের চিন্তা-চেতনা বা চরিত্র গড়ে উঠে। আর যারা চাকুরী করে তাঁদের অধিকাংশেরই বিবেক বলতে কিছুই থাকে না। তার উপরওয়ালা যা বলে তা করতে হয় প্রতি মুহূর্তে-এর বাইরে কিছু করতে চাইলে তার চাকুরী থাকে না বা প্রমোশন হবে না। তার ওপরের বস যদি তাকে ভাল বলে তাহলে সে ভাল নতুবা ভাল না। এ সমাজে কাজের বিচার হয় না, বিচার হয় তার বসের কতটুকো মন রক্ষা করতে পারলো। বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ কেউ কাকে বিশ্বাস করে না। পুঁজিবাদী সমাজে বিশ্বাস বলতে কিছু নেই। কাজ দিয়ে বিচার করতে হয়। একবার একটা লোক যদি বিশ্বাস ভঙ্গ করে ফেলে, তাকে আর বিশ্বাস করা যায় না। অনেকে বাধ্য হয় বিশ্বাস ভঙ্গ করতে। তা‘প্রমাণ করতে পারলে তাকে ক্ষমা করা যায়, একবার কি দু‘বার, তিনবারের মাথায় নয়। আমি যা করতে চাই তা‘করতে পারলে আমার স্বাধীনতা আছে বা আমি স্বাধীন মানুষ। কিন্তু আমার কাজ এমন হবে না যা অপরের জন্য ক্ষতিকর হয়। আমি পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আর আসবো না।
চাকুরী করা চাকর খাটার সমান। কেউ বড় চাকর, কেউ ছোট চাকর। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ যা বলে তা করে না, আর যা করে তা‘বলে না। আমিও আমার জীবনের সাথে আপস করে করে এ পর্যন্ত এসেছি। এভাবে চলতে থাকলে আমার দ্বারা এ পৃথিবীতে কিছু হবে বলে মনে হয় না। আর কিছু করতে হলে প্রথমে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। যার শত্রæ নেই তার কোন মিত্রও নেই। যার শত্রæ আছে তার মিত্রও আছে। সমাজে সৎ এবং অসতের লড়াই চলে। আর জোর যার মুল্লুক তার। সরকার নির্ধারিত বেতন কাঠামোর সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সৎভাবে চাকুরী করলে সম্পদের মালিক হওয়া যায় না। আমাদের দেশে সৎভাবে সম্পদের মালিক হওয়া কঠিন কাজ। সমাজের কিছু মানুষের লক্ষ্য একই, কিভাবে সম্পদের মালিক হওয়া যায়। কিভাবে ভবিষ্যৎ সুন্দর করা যায়। সমাজে অবৈধভাবে সম্পদের মালিক হওয়ার জন্য জোর প্রতিযোগিতা চলছে। সম্পদের মালিক হতে হলে ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হলে সহজে সম্পদের মালিক হওয়া যায়। আমাদের দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ গরীব ও শোষিত। তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই। আমাদের দেশের কিছু লোকের নিকট সম্পদ জমা হচ্ছে। আর সমগ্র দেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার গ্যারান্টি নেই। যে সম্পদ মানুষের উন্নয়নের কাজে লাগানো হয়না-সে সম্পদ দেশে অপচয় বাড়ায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন-মানের অবনতি ঘটায়। এদেশে কিছু মানুষের ভোগবিলাসের সীমাপরিসীমা নেই। আর অন্যদিকে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ চরম দুঃখ দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছে। তাদের ভবিষ্যত বলতে কিছু নেই। এক মানুষ আরেক মানুষের উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সমাজে বৈধভাবে সম্পদের মালিক হওয়া যায় না। শ্রমজীবী মানুষ নিজেকে চালাক মনে করে। আসলে আমাদের সমাজের বেশীর ভাগ মানুষই বোকা। কিন্তু দেশের বেশীরভাগ মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা রাখা যাবে না। আমার বিশ্বাস এক সময় দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ জেগে উঠবে।
আমার ছোট সময়ের স্মৃতিগুলি মনে হয় বারবার। মরতে চাইনা তবু মরতে হবে। চিরন্তন বলে কোন কিছু নেই, সবকিছুই রূপান্তর। সমাজের নিয়ম হলো উৎপাদন ও পুনঃউৎপাদন। নিরপেক্ষ বলতে কোন বস্তু নেই এ পৃথিবীতে এবং ৫০(পঞ্চাশ), ৫০(পঞ্চাশ) বলতে কোন বস্তু নেই, ১৯৪৯ সালে মাও সেতুং তা প্রমাণ করেছে। আমি কিছু একটা করতে চাই। কিন্তু কী করব তা স্পষ্ট করে বলতে পারি না। রাজনীতি করা মহান কাজ। যদি সাম্যের রাজনীতি হয়। সকল শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে রাজনীতি করা মহান কাজ। মানুষের মাঝে সাম্য আনা শ্রেষ্ঠ কাজ। আমার মাঝে এ দেশের আসল চিত্রগুলি বারবার ভেসে উঠে। গ্রাম এবং শহরের গরীব মানুষের মুখের দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারি তাদের চাহিদা কি। তাদের চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা-এর বেশী কিছু নয়। আমাদের দেশে যে সম্পদ আছে তাদিয়ে বাংলাদেশের ১৭(সতের) কোটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা-এ সব মৌলিক চাহিদার গ্যারান্টি দেয়া যায়। তখনই আমাদের দেশের প্রত্যেক মানুষ প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হবে। নতুবা মুক্তিযুদ্ধের অর্থ বা এ স্বাধীনতার অর্থ ফাঁকাবুলি ছাড়া আর কিছু নয়। প্রত্যেকটা মানুষের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন। কোন বিষয়ই বিচ্ছিন্ন নয়। আমাদের গ্রামের উন্নয়ন হতে হলে আমাদের ইউনিয়নের উন্নয়ন হতে হবে, আমাদের ইউনিয়নের উন্নয়ন হতে হলে আমাদের উপজেলার উন্নয়ন হতে হবে, আমাদের উপজেলার উন্নয়ন হতে হলে আমাদের জেলার উন্নয়ন হতে হবে, আমাদের জেলার উন্নয়ন হতে হলে আমাদের বিভাগের উন্নয়ন হতে হবে, আমাদের বিভাগের উন্নয়ন হতে হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হতে হবে নতুবা কিছুই সম্ভব নয়। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। তবু বাংলাদেশের একটি আলাদা বর্ডার বা সীমানা আছে। এ সীমানা বাংলাদেশকে পৃথিবী থেকে আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। রাষ্ট্র হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্য রাষ্ট্র থেকে আলাদা। আর যতদিন পৃথিবীতে শোষণ টিকে থাকবে, ততদিন রাষ্ট্রের অবসান হবে না। আমরা মায়ের পেট থেকে কেউ সম্পদ নিয়ে আসিনি। শ্রমজীবী মানুষের উৎপাদিত সম্পদ শোষণ আর অসম বিনিময়ের মাধ্যমে বুর্জোয়ারা তার মালিক হয়েছে। যে যায়গায় মানুষ আছে-সে যায়গায় খাদ্য আছে। যে যায়গায় খাদ্য আছে-সে যায়গায় মানুষ আছে। বেশীরভাগ মানুষ বলে খাদ্যের অভাবে মানুষগুলো মারা যাচ্ছে, আসলেই কি কথাটা তাই? যদি খাদ্যের অভাবে মানুষগুলো মারা যেত-তা‘হলে সবগুলো মানুষই মারা যেত। আসলে কথাটা হবে ক্রয়-ক্ষমতার অভাবে মানুষগুলো মারা যাচ্ছে। ক্রয়-ক্ষমতা নাই কেন? কিছু মানুষ দ্বারা ব্যাপক মানুষ নিয়ন্ত্রিত হয় বলে। ধনীরা ইচ্ছাকৃতভাবে সৃষ্টি করে দুর্ভিক্ষ। সম্পদের সুষম বন্টন করা হলে-কেউ না খেয়ে মারা যেতো না। বর্তমান সমাজব্যবস্থায় যা কিছু হয়-সবকিছুর জন্য দায়ী ধনীরা। ধনীদের অপচয় বন্ধ করতে পারলে এ দেশে কেউ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষার অভাবে মৃত্যুবরণ করতো না বা কাজের আশায় কাউকে আজ বিদেশে যেতে হতো না বা কেউ এদেশে বেকার থাকত না। ধনীরা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের ভোগবিলাসের জন্য গরীবদের শাসন-শোষণ করছে। এ অন্যায় বৈষম্য যারা সৃষ্টি করেছে তারা অপরাধী। স্বার্থপর শাসক ও বিলাসী ধনীদের সৃষ্টি এ বৈষম্য মেনে নেওয়াও এক ধরনের অপরাধ। এ অন্যায় বৈষম্য দূর করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। বেশীরভাগ মানুষ বলে যে, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে দেশ শান্তির পথে চলবে কিন্তু আমি বলি যে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসার পূর্বশর্ত হল মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি না আসলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও আসবে না।
মো: জাকির হুসেন ওরফে আলমগীর, ডেপুটি রেজিস্ট্রার(অবসর), ঢাকা বিশ্ববিদালয়। গ্রাম-ভেলানগর(বড়বাড়ি)।

১৯৪৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ০৩-১১-২০১৫ তারিখ পর্যন্ত টুকরো খবর-জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে ধরলে বাংলাদেশে ২২২৪ দিন হরতাল ছিলঃ সাত দশকে মোট জাতীয় হরতাল হয়েছে ৬০৫টি।

২০১০ সালের ২৮ জুন, জনকণ্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ একদিনের হরতালেই দেশের ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ইউএনপিডির গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালের পর থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট ৪৫৯ দিন জাতীয়ভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা সিপিডির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে তিন দিন হরতাল হয়েছে। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে সাত দিন এবং ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১৭ দিন গড়ে হরতাল হয়েছে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে ৪৬ দিন করে হরতাল হয়েছে। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪৭ দিন জাতীয়ভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। এর বেশির ভাগ হরতাল হয়েছে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা থেকে শুরু করে ১৯৭০ সালের মার্চ পর্যন্ত। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় হরতাল হয়েছে মাত্র পাঁচ দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, থেকে ১৯৮২ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত দেশে ছয়টি হরতাল পালিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে হরতালের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় ১৯৮২ সালে এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর। ১৯৮২ সালের মার্চ থেকে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯০ পর্যন্ত ৭২ দিন জাতীয়ভাবে হরতার পালিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দল থাকার সময়ে দুই আমলে মোট হরতাল করেছে-২০১ দিন এবং বিএনপি হরতাল করেছে-৮৫ দিন। কেবল জাতীয়ভাবে নয়, দেশে স্থানীয়ভাবেও অনেক হরতাল পালিত হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে ধরলে স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত দেশে প্রায় এক হাজার ৭০০ দিন অর্থাৎ প্রায় সাড়ে চার বছরই হরতাল ছিল দেশে। বিএনপির ও ১৮ দলীয় জোটের জাতীয়ভাবে হরতাল-১৩-১১-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ১০দিন।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজনৈতিক সহিংসতা ঃ ২২ বছরে প্রাণহানি ২৫১৯ জন মানুষ। হত্যার রাজনীতি, লাশের মিছিল। তিন সরকারের শাসনামলে নিহতের সংখ্যা-বিএনপি(১৯৯১-১৯৯৬)-১৭৪ জন, আওয়ামী লীগ(১৯৯৬-২০০১)-৭৬৭ জন, বিএনপি(২০০১-২০০৬)-৮৭২ জন, তত্ত¡াবধায়ক(২০০৭-২০০৮)-১১ জন এবং আওয়ামী লীগ(২০০৯-২০১৩)-৫৬৪ জন। ২০০১ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় মারা গেছেন ১৩১ জন মানুষ। নির্বাচনের বছরে নিহতের সংখ্যা ঃ ১৯৯১ সালে-১৮ জন, ১৯৯৬ সালে-৪৯ জন, ২০০১ সালে-৫০০ জন, ২০০৬ সালে-১২০ জন এবং ২০১৩ সালে-৩০৪ জন মারা গেছেন।
২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ এ বছর হরতালে ক্ষতি এক লাখ কোটি টাকা, প্রাণহানি ১২০ জন।
৬টি সাংবিধানিক সংস্থার নাম দেয়া হলো ঃ (১) শাসনবিভাগ (২) বিচারবিভাগ (৩) নির্বাহীবিভাগ (৪) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (৫) পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও (৬) মহাহিসাব নীরিক্ষা অফিস। বাংলাদেশে ৫৬০ কিলোমিটার সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য এবং ১৯ জাতের বাঁশ আছে। ১৮টি দেশ নিয়ে গঠিত ‘মধ্যপ্রাচ্য’।
২০১৪ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ আটকে গেছে বস্ত্রবয়ন খাত। ৫,৫০০ ছোট ও মাঝারি কারখানা দেশজুড়ে। ৩,৩৫০ কোটি টাকা নূন্যতম বিনিয়োগ। ১২৬ কোটি মিটার কাপড় বার্ষিক উৎপাদন। লুঙ্গি, গামছা থেকে শুরু করে শাড়ি কাপড়, থান কাপড়, বিছানার ছাদর, শার্ট ও প্যান্টের কাপড় ইত্যাদি তৈরি হয়। বেশির ভাগ কারখানা নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, চট্টগ্রাম, কুস্টিয়া, গাজীপুর, সাভার ও কেরানীগঞ্জে। সমস্যা-বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা। ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদ। অবৈধ বিদেশি কাপড়। সম্ভাবনা-উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে এসব কারখানাই ওভেন পোশাকের কাপড়ের উল্লেযোগ্য অংশ জোগান দিতে পারবে।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল, প্রথম আলো-অধুনা-৩ পাতায় ঃ মৃত ব্যক্তি টাকা কারা পাবেন? যদি নমিনি করে থাকেন-নমিনি টাকা তুলতে পারবেন কিন্তু গত ০৩-০৪-২০১৬ তারিখ হাইকোর্ট বিভাগ এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সঞ্চয়পত্রের অ্যাকাউন্টধারী মারা গেলে ওই অ্যাকাউন্টের টাকা নমিনীর পরিবর্তে হিসাবধারীর উত্তরাধিকারী পাবেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ঃ

০১-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী-লেখকঃ অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ স¤পাদক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি-
এক আত্মঘাতী লুন্ঠন প্রক্রিয়া বাংলাদেশ অর্থনীতির নিয়ামক বৈশিষ্ট রূপান্তরিত হয়েছে। আর্থ-রাজনৈতিক-সামাজিক দুবৃর্ত্তায়ন থেকে জনকল্যাণমূখী উত্তরণে রাজনৈতিক পরিবর্তন জরুরী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স প্রায় বত্রিশ বছর। অর্থনীতির বৈষম্যের যাঁতাকলে পিষ্ট মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। এ দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার গ্যারান্টি পাওয়া।
গত বত্রিশ বছরে জাতীয় আয়(মোট ও মাথাপিছু) বৃদ্ধি পেয়েছে, সরকারী হিসেবে দারিদ্র্যের আয়তন কমেছে; শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং বৃদ্ধি পেয়েছে শিশুদের টিকাদান; পরিবার পরিকল্পনা ব্যবহারকারী বেড়েছে।
গত বত্রিশ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এমন কোনও মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি যা দিয়ে বলা যাবে যে, স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়িত হয়েছে। রাষ্ট্রের হিসেবমতে মৌলিক চাহিদা হিসেব করলে দারিদ্র বিমোচনে জাতীয় ক্ষেত্রে সময় লাগবে ৩১০ বছর, আর গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনে সময় লাগবে ৯০৯ বছর। স্বাধীনতার আকাঙক্ষার ভেতর আর যাই থাক, গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনে ১,০০০(এক হাজার) বছরের কর্মসূচীর কথা ছিল না। প্রশ্নাতিত প্রশ্ন-সমস্যাটি কোথায়?
গত ৩২(বত্রিশ) বছরের বিকাশের ধারা আমাদের দেশকে সম্ভবত সু¯পষ্টভাবে দু’ভাগে বিভাজিত করেছে। প্রথমভাগে আছেন সংখ্যালঘু ক্ষমতাধর মানুষ, যাদের সংখ্যা হবে বড়জোর ১৪,৫০,০০০(চৌদ্দ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)। দ্বিতীয়ভাগে আছেন সংখ্যাগুরু ক্ষমতাহীন মানুষ, যাদের সংখ্যা হবে ১৪,৩৫,৫০,০০০(চৌদ্দ কোটি পয়ত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)। “উন্নয়ন হয়েছে তবে সেটা সংখ্যাগরিষ্টের নয়, ঐ ১৪,৫০,০০০(চৌদ্দ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) ক্ষমতাধরের। ১০(দশ) কোটি মানুষ এখনও দারিদ্র কেন? ১০(দশ) কোটি মানুষ এখনও প্রকৃত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত কেন? প্রায় ১০(দশ) কোটি মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত কেন? প্রায় ৬(ছয় কোটি) মানুষ বেকার কেন? ১২(বার) কোটি মানুষ এখনও বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত কেন? গত ত্রিরিশ বছরে সরকারীভাবে যে ১,৮০,০০০ (এক লক্ষ আশি হাজার) কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ-সাহায্য এসেছে। তার ৭৫ ভাগ লুন্ঠন করেছেন অর্থনীতি-রাজনীতির দুর্বৃত্ত গোষ্ঠি। ক্ষমতাবানরা এখন কালো অর্থনীতির একটা বলয় সৃষ্টি করেছেন, যে দুষ্টচক্রে বছরে ৬০,০০০(ষাট হাজার) কোটি কালো টাকার সৃষ্টি হয়। যা জাতীয় আয়ের এক-তৃতীয়াংশ।
স্বাধীনতার প্রাক্কালে এদেশ ছিল প্রকৃতই কৃষি প্রধান। মোট জাতীয় উৎপাদনের ৬০ ভাগ তথা দেশের ৮০ ভাগ মানুষ ছিল কৃষি নির্ভর।  তিরিশ বছর পর এখন কৃষির অবদান জাতীয় উৎপাদনের ২৫ ভাগ, আর কৃষির উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা এখন ৫০ ভাগ।
“ক্ষমতাবান ১৪,৫০,০০০ লক্ষ দর্বৃত্ত কি করে ক্ষমতাহীন ১৪,৩৫,৫০,০০০ (চৌদ্দ কোটি পয়ত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) মানুষকে ভালবাসবেন সেটা আমার অৎানা। আদৌ এ ধরণের শর্ত সৃষ্টি সম্ভব কিনা? গত বত্রিশ বছরের বিকাশ বিশ্লেষণে এ ব্যাপারেও আমি সন্দিহান”।
১৯৭৩-৭৪ সালে যেখানে মাথাপিছু চালের উৎপাদন ছিল ১৪০(একশত চল্লিশ) কেজি, তিরিশ বছর পরে এখন সেটা ১৩৮(একশত আটত্রিশ) কেজি।
শিল্পখাতে সরকারী ভূমিকা ও সামগ্রিক পরিবেশ কখনও শিল্প সহায়ক ছিল না। ১৯৮০’র দশকে যখন বলা হলো যে, বাণিজ্য ও সেবা খাতে বিনিয়োগের তুলনায় বেসরকারী শিল্পখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে ৪-গুণ, তবে বাস্তবে ঘটলো ঠিক উল্টোটি। বিকশিত হলো বাণিজ্য ও সেবা খাত।
বাণিজ্য ঘাটতি গত তিরিশ বছরে মোটামোটি অব্যাহত ছিল। বাণিজ্য বেড়েছে ১১ গুণ।
গত তিরিশ বছরে আমরা সরকারীভাবে প্রায় ১,৮০,০০০(এক লক্ষ আশি হাজার) কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান পেয়েছি। মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের দায়ভার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯৭৩-৭৪ সালের ৬.৬ ডলার থেকে ১৯৯৮-৯৯ সালে প্রায় ১৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১১৬ডলারে। ১৯৭১-৭২ অর্থবছরে যেখানে বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্যের পরিমাণ ছিল ২৭ কোটি ডলার। সেটা ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ১৫৪(একশত চুয়ান্ন কোটি) ডলারে; অর্থাৎ তিরিশ বছরে প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি।
    “গত তিরিশ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এমন কোনও মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি যা দিয়ে বলা যাবে যে, স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়িত হয়েছে। সুস্থ-সবল-চেতনাসমৃদ্ধ ভেদহীন মানুষ সৃষ্টিই ছিল স্বাধীনতার মূল আকাঙক্ষা। সেই আকাঙক্ষা ও বাস্তবতার  দূরত্ব ব্যাপক ও ক্রমবর্ধমান”।
বাংলাদেশের কোটিপতিদের পুঁজির আদিসঞ্চয়য়নও হয়েছে অবৈধ পথে, কালো টাকার মাধ্যম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, বৈধ কোটি-পতি হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। বাংলাদেশে কোটিপতি হবার পথগুলো হলো সরকারী তহবিল, ষ্টোর ও পতিত স¤পত্তি আত্মসাৎ, তহবিল তসরুপ ও জোর পূর্বক দখল করা এবং আমলাদের পক্ষ থেকে পরিতোষণ।
স্বাধীন বাংলাদেশে মানব উন্নয়ন দর্শনই হওয়া উচিত ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রিয় দর্শন।  প্রতিরক্ষাখাতে সরকারের প্রকৃত ব্যয় কত তা যেহেতু সরকার পাকিস্তান আমল থেকেই রাষ্ট্রীয়   ‘‘সিক্রেট” আখ্যায়িত করে সযতনে গোপন করে চলেছেন।
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এমন কোনও সরকার আসেনি যারা উচ্চস্বরে দাবী করেনি যে, ‘আবার আমরা শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। অথচ এটা প্রতারণাপূর্ণ ভাষ্য। ১৯৭২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ গত তিরিশ বছরে মোট রাজস্ব ব্যয় হয়েছে-১,৫৭,০৯৩ কোটি টাকা যেখানে শীর্ষ স্থানে আছে সাধারণ প্রশাসন-(১৯.৯%), দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে-প্রতিরক্ষা-(১৭.৬৪%), তৃতীয় স্থানে-শিক্ষাও ক্রীড়া-(১৭.৪৮%), ৪র্থ স্থানে ঋণ পরিশোধ-(১২.৬৩%), যে ঋণের ৭৫% জনগণের কাছে পৌঁছেনি, ৫ম স্থানে-পুলিশ ও বিচার (৮.৯%) এবং ৬ষ্ঠ স্থানে অন্যান্য-(৫.২১%) সবকিছু যোগ করলে প্রতিরক্ষা খাতে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে।
গত প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে ২৭ বছরই সাধারণ প্রশাসন ছিল রাজস্ব ব্যয়ের প্রধান খাত। ১৯৭৫ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আমলাতন্তের আয়তন দ্বিগুণ হয়েছে। স্বাধীনতা উত্তরকালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গড় হার ২ শতাংশ অথচ সাধারণ প্রশাসনের বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ৩.৫ শতাংশ। সরকারী ব্যয়ের প্রায় অর্ধেক ব্যয় হয় প্রশাসনের বেতন-ভাতা হিসাবে। আমলারা প্রকৃত অর্থে “পাবলিক সারভেন্ট নয়” বরং পাবলিকই তাদের “সারভেন্ট”।
বাংলাদেশে প্রায় ১০(দশ) কোটি লোক দরিদ্র। আর এদেশে অধিকাংশই প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
বাংলাদেশের ১৪,৩৫,৫০,০০০(চৌদ্দ কোটি পয়ত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) মানুষের প্রত্যেককে যদি প্রশ্ন করা হয় আজ থেকে বত্রিশ বছর আগে মক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে আকাঙ্খার বীজ রোপিত হয়েছিল সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে কি?
সম্ভবতঃ ১৪,৩৫,৫০,০০০(চৌদ্দ কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) ক্ষমতাহীন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বলবেন “না” হয়নি। যদি প্রশ্ন করা হয় কেন হলো না; সে ক্ষেত্রে সম্ভাব্য উত্তরের ধাচ হতে পারে নি¤œরূপ(একাধিক উত্তর) ঃ জনগণের বৃহত্তম স্বার্থের প্রতি নেতৃত্বের কমিটমেন্টের অভাব, সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, স্ব-স্বার্থ ছাড়া অন্যসব কিছুকেই বিসর্জন দেয়া। তোয়াক্কা না করা, সহজে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন, ভালমন্দ আল্লাহর হাতে। যে যায় লঙ্গায় সেই হয় রাবণ ইত্যাদি গোছের। আর যদি উত্তরের ধাচ থেকে মূল প্রবণামূলক উত্তরটি অনুসন্দান করা হয় সেক্ষেত্রে আমি নিঃসন্দিহান যে মানুষের প্রতি প্রকৃত ভালবাসার অভাব-উদ্ভুত উল্টরসমূহ প্রাধ্যন্য পাবে। ১৪,৫০,০০০(চৌদ্দ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) দূর্বৃত্ত কি করে ক্ষমতাহীন ১৪,৩৫,৫০,০০০(চৌদ্দ কোটি পয়ত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) ক্ষমতাহীন মানুষকে ভালবাসে সেটা আমার অজানা। আদৌ এ ধরণের শর্ত সৃষ্টি সম্ভব কিনা? গত বত্রিশ বছরের বিকাশ বিশ্নেষণে এ ব্যাপারেও আমি সন্দিহান। এ লেখাটির সাথে আমিও একমত।
লেখকঃ অধ্যাপক আবুল বারকাত, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ স¤পাদক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
পুঁজি কোথা থেকে পাওয়া যায় ঃ
পুঁজিবাদী উৎপাদনের প্রথম সূচনাগুলো যদিও আমরা দেখতে পাই ১৪শ কি ১৫শ শতকে, এখানে ওখানে বিক্ষিপ্তভাবে, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি শহরে, ত‘হলেও পুঁজিবাদী যুগ শুরু হয়েছে ১৬শ শতক থেকে। যেখানেই তা দেখা দিয়েছে, সেখানেই ভূমিদাসত্বের উচ্ছেদ হয়ে গেছে অনেক আগেই এবং মধ্যযুগের যা সর্বোচ্চ বিকাশ-সার্বভৌম নগরের অস্তিত্ব-তা অনেক আগে থেকেই ক্ষয় পেতে শুরু করেছে।
আদি পুঁজির উদ্ভব হয়েছে হল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে। আজ থেকে ৫০০(পাঁচশত) বৎসর পূর্বের কথা। এর পূর্বে পুঁজি বলতে পৃথিবীতে কিছুই ছিল না। পুঁজি আকাশ থেকে পড়েনি। দাস-মালিক ও সামন্ত সমাজের মধ্যেই পুঁজির জন্ম হয়েছে। পুঁজিবাদী সমাজের মূলমন্ত্র হল শোষন এবং মুনাফা। শোষনের স্বার্থেই পুঁজিবাদী সমাজকে বুর্জোয়ারা টিকিয়ে রাকতে চায়। শ্রমজীবি মানুষ আজীবন সংগ্রামের ভিতর দিয়ে তাদের জীবন ধারন করে থাকে। যেদিন বুঝতে পারবে শ্রমজীবি মানুষ যে, সমাজ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। সেদিনই শ্রমজীবি মানুষ শ্রেণী-বিভক্ত সমাজ ভেঙ্গে শ্রেণীহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, ট্রাইবাল সমাজে প্রভু-ভৃত্য বা শাসক-শাসিত সম্পর্ক সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত সম্পত্তিও সম্ভব নয়।
এ ধরণের সমাজকে বলা হয় আদিম সাম্য সমাজ।
কাজের ভাগাভাগি ঃ এ সময় থেকেই মানুষের সমাজে দুটি আলাদা শ্রেণী দেখা দিয়েছিলঃ প্রভু ও দাস, শোষক ও শোসিত। আদিম সাম্য সমাজের জায়গায় শ্রেণী-বিভক্ত সমাজ।
ব্যক্তিগত মালিকানার ফলে একটি নতুন লক্ষণ দেখা দিয়েছিল যে, যতো বেশি পণ্য তৈরী হত ততোই পণ্যের মালিকরা ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিত্তবান হয়ে উঠত, ততোই মেহনতী মানুষ বিত্তহীন হত।
তার মানে আমরা বলতে পারি, ব্যক্তিগত মালিকানা শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রের উদ্ভব ও ট্রাইবাল সমাজের বিলুপ্তি।
তবে যতোটুকু আভাস পাওয়া যাচ্ছে তারমধ্যে মানুষের কৃতিত্বের কথা এ যে মানুষ মানুষ হতে পেরেছে, আর সম্ভাবনার কথা এ যে মানুষ আরো বড়ো মানুষ হয়ে উঠবে।
       খেয়া দারিদ্রের বিরুদ্ধে একটি অভিযান। দারিদ্র কপালের লিখন নয়। কিছু লোক জনগণের উপর দারিদ্র চাপিয়ে দিয়েছে। তাই দারিদ্র মেনে নেওয়া অপরাধ। যারা দরিদ্র তারা দারিদ্র মেনে নিয়ে অপরাধ করছে। আর শিক্ষিত মানুষ যখন ব্যাপক জনগণকে দরিদ্র দেখেও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে না তখন তারা আরও বড় অপরাধী।
ব্যাপক জনগণের দারিদ্র মোচন, বেকার সমস্যার সমাধান, পরনির্ভরতার অবসান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য কিভাবে অর্জন করা সম্ভব সেটা খেয়া’র মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আমাদের আহবান নিয়মিত খেয়া পড়ূন এবং অন্যকে পড়তে দিন। খেয়া’র বক্তব্যের আলোকে সারা দেশে জনমত গড়ে তুলুন।
খেয়া একটি মাসিক পত্রিকা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশ্লœষণ খেয়ার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। এসব ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে খেয়া অবশ্যই নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করবে না। গরিব জনগণের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিটি ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা হবে। যখন কোন দেশে সমাজ গরিব-ধনীতে বিভক্ত তখন নিরপেক্ষ বলতে কিছু নেই। এক পক্ষের জন্য যা ভাল মনে হবে অন্য পক্ষের জন্য তা খারাপ মনে হবে। আমাদের দেশের শতকরা নব্বই জন মানুষই গরিব। এ দেশের গরিবদের পক্ষ নেওয়াটাই নৈতিকভাবে সঠিক বলে খেয়া মনে করে। সেটাই প্রকৃত গণতন্ত্রের দাবি।
পাকিস্তানের আমলে এ দেশে ২,২০৮টি বেতন স্কেল ছিল। ২,২০৮টি বেতন স্কেলকে ভেঙ্গে ১৯৭৩ সালে ১০(দশ)টি বেতন স্কেলে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সরকার ঃ
পাকিস্তানের আমলে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় বেতন স্কেল বলতে কিছুই ছিল না। তাই তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ২,২০৮টি বেতন স্কেল ছিল। তা’থেকে বাংলাদেশ আমলে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)-এর সরকার ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই, ১ম জাতীয় বেতন কমিশন বাস্তবায়ন করে। ১ম জাতীয় বেতন কমিশন রিপোর্ট দেয় এবং ২,২০৮টি বেতন স্কেলকে ভেঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ০১-০৭-১৯৭৩ সালে ১০টি গ্রেডে ১ম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা করে এবং ১০টি বেতন স্কেল থেকে ৬টি বাস্তবায়ন করে।
ক্রমিক ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন ঃ ১০টি গ্রেডে জাতীয় বেতন স্কেল
১. টাকা=২,০০০/- নির্ধারিত
২. টাকা=১,৪৭৫-৭৫-১,৮৫০/-
৩. টাকা=১,১৫০-৬০ঢ৭-১,৫৭০/-
৪. টাকা=৮০০-৪৫ঢ৬-১,০৭০-ইবি-৫০ঢ৫-১,২৭০/-
৫. টাকা=৪৭৫-কনফার্ম-৫১০-৩৫ঢ৫-৬৮৫-ইবি-৪০ঢ৮-১,০০৫/-
৬. টাকা=৩৭৫-কনফার্ম-৪০০-২৫ঢ৫-৫২৫-ইবি-৩০ঢ৮-৭৬৫-ইবি-৩৫ঢ৬-৯৭৫/-
৭. টাকা=৩১০-কনফার্ম-৩২৫-১৫ঢ৫-৪০০-ইবি-১৮ঢ৮-৫৪৪-ইবি-২১ঢ৬-৬৭০/-
৮. টাকা=২২০-কনফার্ম-২২৮-৮ঢ৫-২৬৮-ইবি-১০ঢ৮-৩৪৮-ইবি-১২ঢ৬-৪২০/-
৯. টাকা=১৪৫-কনফার্ম-১৫১-৬ঢ৯-২০৫-ইবি-৭ঢ১০-২৭৫/-
১০. টাকা=১৩০-কনফার্ম-১৩৫-৫ঢ৯-১৮০-ইবি-৬ঢ১০-২৪০/-
১৯৭৭ সালের ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন ঃ প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের আমলে ২য় পে-স্কেল বাস্তাবয়ন করা হয়।
ক্রমিক ১৯৭৩ সালের ১০টি গ্রেড ভেঙ্গে ১৯৭৭ সালে ২০টি গ্রেডে জাতীয় বেতন স্কেল ঃ
১. টাকা=৩,০০০/-নির্ধারিত।
২. টাকা=২,৮৫০/-নির্ধারিত।
৩. টাকা=২,৩৫০-১০০ঢ৪-২,৭৫০/-
৪. টাকা=২,১০০-১০০ঢ৫-২,৬০০/-
৫. টাকা=১,৮৫০-৭৫ঢ৭-২,৩৭৫/-
৬. টাকা=১,৪০০-৭৫ঢ১০-২,২২৫/-
৭. টাকা=১,১৫০-৬৫ঢ১০-১,৮০০/-
৮. টাকা=৯০০-৫৫ঢ৭-১,২৮৫-৬৫ঢ৫-১,৬১০/-
৯. টাকা=৭৫০-৫০ঢ৩-৯০০-ইবি-৫৫ঢ৬-১,২৩০-৬০ঢ৪-১,৪৭০/-
১০. টাকা=৬২৫-৪৫ঢ৮-৯৮৫-ইবি-৫৫ঢ৬-১,৩১৫/-
১১. টাকা=৪৭০-৩৫ঢ৫-৬৪৫-ইবি-৪৫ঢ৬-৯১৫-৫৫ঢ৪-১,১৩৫/-
১২. টাকা=৪২৫-৩০ঢ৫-৫৭৫-ইবি-৪০ঢ৪-৭৩৫-৫০ঢ৬-১,০৩৫/-
১৩. টাকা=৪০০-২৫ঢ৫-৫২৫-ইবি-৩০ঢ১০-৮২৫/-
১৪. টাকা=৩৭০-২০ঢ৫-৪৭০-ইবি-২৫ঢ১১-৭৪৫/-
১৫. টাকা=৩২৫-১৫ঢ৭-৪৩০-ইবি-২০ঢ৯-৬১০/-
১৬. টাকা=৩০০-১২ঢ৮-৩৯৬-ইবি-১৮ঢ৮-৫৪০/-
১৭. টাকা=২৭৫-১০ঢ১০-৩৭৫-ইবি-১৫ঢ৭-৪৮০/-
১৮. টাকা=২৫০-৮ঢ৪-২৮২-ইবি-১০ঢ৮-৩৬২/-
১৯. টাকা=২৪০-৭ঢ৭-২৮২-ইবি-৭ঢ৯-৩৪৫/-
২০. টাকা=২২৫-৬ঢ১৫-৩১৫/-
প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলে ১৯৮৫ সালের ১ জুন থেকে ৩য় পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা হয় ঃ
ক্রমিক ৩য় জাতীয় বেতন স্কেল ২০টি গ্রেড ঃ
১. টাকা=৬,০০০/-নির্ধারিত
২. টাকা=৫,৭০০/-নির্ধারিত
৩. টাকা=৪,৭০০-১৫০ঢ৫-৫,৫৫০/-
৪. টাকা=৪,২০০-১৫০ঢ৬-৫,২৫০/-
৫. টাকা=৩,৭০০-১২৫ঢ৬-৪,৮২৫/-
৬. টাকা=২,৮০০-১২৫ঢ১০-৪,৪২৫/-
৭. টাকা=২,৪০০-১২০ঢ১০-৩,৬০০/-
৮. টাকা=১,৮৫০-১১০ঢ৭-২,৬২০-১২০ঢ৫-৩,২২০/-
৯. টাকা=১,৬৫০-১০০ঢ৬-২,২৫০-ইবি-১১০ঢ৭-৩,০২০/-
১০. টাকা=১,৩৫০-৯০ঢ১০-২,২৫০-ইবি-১০০ঢ৭-২,৭৫০/-
১১. টাকা=১,০০০-৭০ঢ৭-১,৫৬০-ইবি-৯০ঢ৮-২,২৮০/-
১২. টাকা=৯০০-৬৫ঢ১০-১,৫৫০-ইবি-৭৫ঢ৭-২,০৭৫/-
১৩. টাকা=৮৫০-৫৫ঢ১০-১,৪০০-ইবি-৬০ঢ৬-১,৭০০/-
১৪. টাকা=৮০০-৫০ঢ১০-১,৩০০-ইবি-৫৫ঢ৬-১,৬৩০/-
১৫. টাকা=৭৫০-৪৫ঢ১০-১,২০০-ইবি-৫০ঢ৭-১,৫৫০/-
১৬. টাকা=৭০০-৪০ঢ১০-১,১০০-ইবি-৪৫ঢ৭-১,৪১৫/-
১৭. টাকা=৬৫০-৩৫ঢ১০-১,০০০-ইবি-৪০ঢ৭-১,২৮০/-
১৮. টাকা=৬০০-৩০ঢ১০-৯০০-ইবি-৩৫ঢ৬-১,১১০/-
১৯. টাকা=৫৫০-২৫ঢ৭-৭২৫-ইবি-৩০ঢ৮-৯৬৫/-
২০. টাকা=৫০০-২০ঢ১৮-৮৬০/-
ক্রমিক প্রদানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ৪র্থ জাতীয় বেতন স্কেল ১ জুলাই, ১৯৯১ঃ
১. টাকা=১০,০০০/-নির্ধারিত
২. টাকা=৮,৬০০-২২৫ঢ৪-৯,৫০০/-
৩. টাকা=৭,৮০০-২০০ঢ৬-৯,০০০/-
৪. টাকা=৭,১০০-২০০ঢ৮-৮,৭০০/-
৫. টাকা=৬,৩০০-১৭৫ঢ১০-৮,০৫০/-
৬. টাকা=৪,৮০০-১৭৫ঢ১৪-৭,২৫০/-
৭. টাকা=৪,১০০-১৫০ঢ১৬-৬,৫০০/-
৮. টাকা=৩,২০০-১৪০ঢ১৬-৫,৪৪০/-
৯. টাকা=২,৮৫০-১২৫ঢ৭-৩,৭২৫-ইবি-১৩০ঢ১১-৫,১৫৫/-
১০. টাকা=২,৩০০-১১৫ঢ৭-৩,১০৫-ইবি-১২৫ঢ১১-৪,৪৮০/-
১১. টাকা=১,৭২৫-১০৫ঢ৭-২,৪৬০-ইবি-১১৫ঢ১১-৩,৭২৫/-
১২. টাকা=১,৫৫০-১০০ঢ৭-২,২৫০-ইবি-১০৫ঢ১১-৩,৪০৫/-
১৩. টাকা=১,৪৭৫-৯০ঢ৭-২,১০৫-ইবি-৯৫ঢ১১-৩,১৫০/-
১৪. টাকা=১,৩৭৫-৮০ঢ৭-১,৯৩৫-ইবি-৮৫ঢ১১-২,৮৭০/-
১৫. টাকা=১,৩০০-৭০ঢ৭-১,৭৯০-ইবি-৭৫ঢ১১-২,৬১৫/-
১৬. টাকা=১,২০০-৬০ঢ৭-১,৬২০-ইবি-৬৫ঢ১১-২,৩৩৫/-
১৭. টাকা=১,১২৫-৫৫ঢ৭-১,৫১০-ইবি-৬০ঢ১১-২,১৭০/-
১৮. টাকা=১,০৫০-৪৫ঢ৭-১,৩৬৫-ইবি-৫০ঢ১১-১,৯১৫/-
১৯. টাকা=৯৭৫-৪০ঢ৭-১,২৫৫-ইবি-৪৫ঢ১১-১,৭৫০/-
২০. টাকা=৯০০-৩৫ঢ১৮-১৫৩০/-
ক্রমিক ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই, ৫ম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তাবায়ন ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১. টাকা=১৫,০০০/-নির্ধারিত।
২. টাকা=১২,১০০-৩৫০ঢ৪-১৪,৩০০/-
৩. টাকা=১১,৭০০-৩০০ঢ৬-১৩,৫০০/-
৪. টাকা=১০,৭০০-৩০০ঢ৮-১৩,১০০/-
৫. টাকা=৯,৫০০-২৬০ঢ১০-১২,১০০/-
৬. টাকা=৭,২০০-২৬০ঢ১৪-১০,৮০০/-
৭. টাকা=৬,১৫০-২২৫ঢ১৫-৯,৭৫০/-
৮. টাকা=৪,৮০০-২১০ঢ১৬-৮,১৬০/-
৯. টাকা=৪,৩০০-১৮৫ঢ৭-৫,৫৯৫-ইবি-১৯৫ঢ১১-৭,৭৪০/-
১০. টাকা=৩,৪০০-১৭০ঢ৭-৪,৫৯০-ইবি-১৮৫ঢ১১-৬,৬২৫/-
১১. টাকা=২,৫৫০-১৫৫ঢ৭-৩,৬৩৫-ইবি-১৭০ঢ১১-৫,৫০৫/-
১২. টাকা=২,৩৭৫-১৫০ঢ৭-৩,৪২৫-ইবি-১৫৫ঢ১১-৫,১৩০/-
১৩. টাকা=২,২৫০-১৩৫ঢ৭-৩,১৯৫-ইবি-১৪০ঢ১১-৪,৭৩৫/-
১৪. টাকা=২,১০০-১২০ঢ৭-২,৯৪০-ইবি-১২৫ঢ১১-৪,৩১৫/-
১৫. টাকা=১,৯৭৫-১০৫ঢ৭-২,৭১০-ইবি-১১০ঢ১১-৩,৯২০/-
১৬. টাকা=১,৮৭৫-৯০ঢ৭-২,৫০৫-ইবি-১০০ঢ১১-৩,৬০৫/-
১৭. টাকা=১,৭৫০-৮০ঢ৭-২,৩১০-ইবি-৯০ঢ১১-৩,৩০০/-
১৮. টাকা=১,৬২৫-৬৫ঢ৭-২,০৮০-ইবি-৭৫ঢ১১-২,৯০৫/-
১৯. টাকা=১,৫৬০-৬০ঢ৭-১,৯৮০-ইবি-৬৫ঢ১১-২,৬৯৫/-
২০. টাকা=১,৫০০-৫০ঢ১৮-২,৪০০/-
ক্রমিক বেগম খালেদা জিয়া ২০০৫ সালের ১ জুলাই, ৬ষ্ঠ নতুন জাতীয় বেতন স্কেল ঃ
১. টাকা=২৩,০০০/-নির্ধারিত।
২. টাকা=১৯,৩০০-৭০০ঢ৪-২২,১০০/-
৩. টাকা=১৬,৮০০-৬৫০ঢ৬-২০,৭০০/-
৪. টাকা=১৫,০০০-৬০০ঢ৮-১৯,৮০০/-
৫. টাকা=১৩,৭৫০-৫৫০ঢ১০-১৯,২৫০/-
৬. টাকা=১১,০০০-৪৭৫ঢ১৪-১৭,৬৫০/-
৭. টাকা=৯,০০০-৪০৫ঢ১৬-১৫,৪৮০/-
৮. টাকা=৭,৪০০-৩৬৫ঢ১৬-১৩,২৪০/-
৯. টাকা=৬,৮০০-৩২৫ঢ৭-৯,০৭৫-ইবি-৩৬৫ঢ১১-১৩,০৯০/-
১০. টাকা=৫,১০০-২৮০ঢ৭,০৬০-ইবি-৩০০ঢ১১-১০,৩৬০/-
১১. টাকা=৪,১০০-২৫০ঢ৭-৫,৮৫০-ইবি-২৭০ঢ১১-৮,৮২০/-
১২. টাকা=৩,৭০০-২৩০ঢ৭-৫,৩১০-ইবি-২৫০ঢ১১-৮,০৬০/-
১৩. টাকা=৩,৫০০-২১০ঢ৭-৪,৯৭০-ইবি-২৩০ঢ১১-৭,৫০০/-
১৪. টাকা=৩,৩০০-১৯০ঢ৭-৪,৬৩০-ইবি-২১০ঢ১১-৬,৯৪০/-
১৫. টাকা=৩,১০০-১৭০ঢ৭-৪,২৯০-ইবি-১৯০ঢ১১-৬,৩৬৮/-
১৬. টাকা=৩,০০০-১৫০ঢ৭-৪,০৫০-ইবি-১৭০ঢ১১-৫,৯২০/-
১৭. টাকা=২,৮৫০-১৩০ঢ৭-৩,৭৬০-ইবি-১৫০ঢ১১-৫,৪১০/-
১৮. টাকা=২,৬০০-১২০ঢ৭-৩,৪৪০-ইবি-১৩০ঢ১১-৪,৮৭০/-
১৯. টাকা=২,৫০০-১১০ঢ৭-৩,২৭০-ইবি-১২০ঢ১১-৪,৫৯০/-
২০. টাকা=২,৪০০-১০০ঢ৭-৩,১০০-ইবি-১১০ঢ১১-৪৩১০/-
ক্রমিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০০৯ সালের ১ জুলাই, ৭ম নতুন জাতীয় বেতন স্কেল ঃ
১. টাকা=৪০,০০০/-নির্ধারিত।
২. টাকা=৩৩,৫০০-১,২০০ঢ৫-৩৯,৫০০/-
৩. টাকা=২৯,০০০-১,১০০ঢ৬-৩৫,৬০০/-
৪. টাকা=২৫,৭৫০-১,০০০ঢ৮-৩৩,৭৫০/-
৫. টাকা=২২,২৫০-৯০০ঢ১০-৩১,২৫০/-
৬. টাকা=১৮,৫০০-৮০০ঢ১৪-২৯,৭০০/-
৭. টাকা=১৫,০০০-৭০০ঢ১৬-২৬,২০০/-
৮. টাকা=১২,০০০-৬০০ঢ১৬-২১,৬০০/-
৯. টাকা=১১,০০০-৪৯০ঢ৭-১৪,৪৩০-ইবি-৫৪০ঢ১১-২০,৩৭০/-
১০. টাকা=৮,০০০-৪৫০ঢ৭-১১,১৫০-ইবি-৪৯০ঢ১১-১৬,৫৪০/-
১১. টাকা=৬,৪০০-৪১৫ঢ৭-৯,৩০৫-ইবি-৪৫০ঢ১১-১৪,২৫৫/-
১২. টাকা=৫,৯০০-৩৮০ঢ৭-৮,৫৬০-ইবি-৪১৫ঢ১১-১৩,১২৫/-
১৩. টাকা=৫,৫০০-৩৪৫ঢ৭-৭,৯১৫-ইবি-৩৮০ঢ১১-১২,০৯৫/-
১৪. টাকা=৫,২০০-৩২০ঢ৭-৭,৪৪০-ইবি-৩৪৫ঢ১১-১১,২৩৫/-
১৫. টাকা=৪,৯০০-২৯০ঢ৭-৬,৯৩০-ইবি-৩২০ঢ১১-১০,৪৫০/-
১৬. টাকা=৪,৭০০-২৬৫ঢ৭-৬,৫৫৫-ইবি-২৯০ঢ১১-৯,৭৪৫/-
১৭. টাকা=৪,৫০০-২৪০ঢ৭-৬,১৮০-ইবি-২৬৫ঢ১১-৯,০৯৫/-
১৮. টাকা=৪,৪০০-২২০ঢ৭-৫,৯৪০-ইবি-২৪০ঢ১১-৮,৫৮০/-
১৯. টাকা=৪,২৫০-২১০ঢ৭-৫,৭২০-ইবি-২২০ঢ১১-৮,১৪০/-
২০. টাকা=৪,১০০-১৯০ঢ৭-৫,৪৩০-ইবি-২১০ঢ১১-৭,৭৪০/-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ৮ম জাতীয় পে-স্কেল হবে ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ঃ জাতীয় সংসদে নিজে ঘোষণা করেছিল যে আগামী ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দেয়া হবে, তারপর আবার বলেছিল যে, ২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারিতে দেয়া হবে। এখন মন্ত্রিসভায় পাশ করেছে ০৭-০৯-২০১৫ তারিখ যে গত ০১-০৭-২০১৫ তারিখ দেয়া হয়েছে। তার কথা এবং কাজটি ঠিক হল না।
কেবিনেট সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মূখ্যসচিবকে=৮৬,০০০(ছিয়াসি) হাজার টাকা।
সিনিয়র সচিবদের বেতন স্কেল করা হয়েছে=৮২,০০০(বিরাশি) হাজার টাকা।
১. টাকা=৭৮,০০০/-নির্ধারিত।
২. টাকা=৬৬,০০০-৭৬,৪৯০/- প্রবৃদ্ধি হবে বছরে ৩.৭৫%।
৩. টাকা=৫৬,৫০০-৭৪,৪০০/-প্রবৃদ্ধি হবে বছরে ৪%।
৪. টাকা=৫০,০০০-৭১,২০০/-
৫. টাকা=৪৩,০০০-৬৯,৮৫০/-প্রবৃদ্ধি হবে বছরে ৪.৫%।
৬. টাকা=৩৫,৫০০-৬৭,০১০/-প্রবৃদ্ধি হবে বছরে ৫%।
৭. টাকা=২৯,০০০-৬৩,৪১০/-
৮. টাকা=২৩,০০০-৫৫,৪৬০/-
৯. টাকা=২২,০০০-৫৩,০৬০/-
১০. টাকা=১৬,০০০-৩৮,৬৪০/-
১১. টাকা=১২,৫০০-৩২,২৪০/-
১২. টাকা=১১,৩০০-২৭,৩০০/-
১৩. টাকা=১১,০০০-২৬,৫৯০/-
১৪. টাকা=১০,২০০-২৪,৬৮০/-
১৫. টাকা=৯,৭০০-২৩,৪৯০/-
১৬. টাকা=৯,৩০০-২২,৪৯০/-
১৭. টাকা=৯,০০০-২১,৮০০/-
১৮. টাকা=৮,৮০০-২১,৩১০/-
১৯. টাকা=৮,৫০০-২০,৫৭০/-
২০. টাকা=৮,২৫০-২০,০১০/-প্রবৃদ্ধি হবে বছরে ৫%।
১ম জাতীয় বেতন স্কেল-১৯৭৩ ঃ সর্বোচ্চ-২,০০০/- টাকা এবং সর্বনিæ বেতন-১৩০/-টাকা প্রথম জাতীয় বেতন স্কেলের মধ্যে ৫ম গ্রেড থেকে ১০(দশম) গ্রেড পর্যন্ত কার্যকরী করা হয়। ১ম গ্রেড থেকে ৪র্থ গ্রেড পর্যন্ত কার্যকরী করা হয়নি।
১৯৭৩ ১৯৭৭ ১৯৮৫ ১৯৯১ ১৯৯৭ ২০০৫ ২০০৯ ২০১৫
০১-০১-২০০৫ সালের বেতন স্কেলে-মন্ত্রিপরিষদ সচিব/মুখ্য সচিবের বেতন-২৪,৫০০/-টাকা
০১-০৭-২০০৯ সালের বেতন স্কেলে-মন্ত্রিপরিষদ সচিব/মুখ্য সচিবের বেতন-৪৫,০০০/-টাকা
স্বাধীনতার ঠিক পরেই দেশে সর্বোচ্চ বেতনকাঠাসো নির্ধারণ করা হয়েছিল এক হাজার টাকা। এরপর ১৯৭২ সালের ১ জুলাই গঠিত বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সর্বোচ্চ বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল দুই হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন বেতন ১৩০/- টাকা।
১ম জাতীয় বেতন স্কেলের পার্থক্য-১৩০ ঃ ২,০০০=১ ঃ ১৫.৩৮, ২য়-২২৫ ঃ ৩,০০০=১ ঃ ১৩.৩৩, ৩য়-৫০০ ঃ ৬,০০০=১ ঃ ১২, ৪র্থ-৯০০ ঃ ১০,০০০ = ১ ঃ ১১.১১, ৫ম-১,৫০০ ঃ ১৫,০০০=১ ঃ ১০, ৬ষ্ঠ-২,৪০০ ঃ ২৩,০০০=১ ঃ ৯.৫৮, ৭ম-৪,১০০ ঃ ৪০,০০০=১ ঃ ৯.৭৬ এ হলো জাতীয় বেতন স্কেলের নমুনা। ৮ম-৮,২৫০ ঃ ৮৬,০০০=১ঃ১০.৪২ হবে।
১ম জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৭-১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ২,২০৮টি স্কেলকে ভেঙ্গে ১০(দশ)টি স্কেলে পরিণত করে। ১০(দশ)টি স্কেলের মধ্যে প্রথমটি ছিল-২,০০০(দুই হাজার) টাকা নির্ধারিত, ১৪৭০-১৮০০/-, ১১৫০-১৫৭০/-, ৮০০-১৪৭৫/-৪৭৫-১২৫০/-, ৩৭৫-৯৭৫/-, ৩১০-৬৭০/-, ২২০-৪২০/-, ১৪৫-২৭৫/- এবং ১০(দশম)টি ছিল ১৩০-২৪০/-টাকা পর্যন্ত।
২য় জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৭-১৯৭৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান এর সরকার ১০(দশ)টি স্কেলকে ভেঙ্গে ২০(বিশ)টি স্কেলে রূপান্তরিত করেন। ২০(বিশ)টির মধ্যে প্রথমটি হলো-৩,০০০(তিন হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-২২৫-৩১৫/-টা।
৩য় জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৬-১৯৮৫ সালে প্রেসিডেন্ট হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এর সরকার ২০(বিশ)টি স্কেলই ঠিক রেখে  বাস্তবায়ন করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের মধ্যে প্রথমটি হলো-৬,০০০(ছয় হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-৫০০-৮৬০/-টাকা পর্যন্ত।
৪র্থ জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৭-১৯৯১ সালে বি.এন.পি সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ২০(বিশ)টি স্কেলই ঠিক রেখে জাতীয় বেতন কমিশন ঘোষণা করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের প্রথমটি হলো-১০,০০০(দশ হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০ (বিশতম) স্কেলটি হলো-৯০০-১,৫৩০/-টাকা পর্যন্ত। বেগম খালেদা জিয়া ইনক্রিমেন্ট হিসাবে আরো ১০% ভাগ বেতন বৃদ্দি করে যান।
৫ম জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৭-১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ২০(বিশ)টি স্কেলই ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের প্রথমটি হলো-১৫,০০০(পনর হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-১,৫০০-২,৪০০/-টাকা পর্যন্ত। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার(০১-০৭-২০০৩) সাল থেকে ১০% ভাগ হিসেবে মহার্ঘভাতা বেতন বৃদ্দি করেন।
৬ষ্ঠ জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০১-২০০৫ সালে বি.এন.পি. সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ২০(বিশ)টি স্কেল ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের প্রথমটি হলো-২৩,০০০(তেইশ হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-২,৪০০-৪,৩১০/-টাকা।
২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে নতুন পে-স্কেলে বেতন পাবেন যারা-(১) ৮ লাখ ২৮ হাজার সরকারী, আধা-সরকারী ও সায়ত্ত¡স্বাশিত কর্মকর্তা ও কর্মচারী (২) সশস্ত্র বাহিনীর ১ লাখ ৪০ হাজার সদস্য (৩) এমপিওভুক্ত ৫ লাখ ৬০ হাজার বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং (৪) প্রায় ৩ লাখ পেনশন-ভোগী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন যারা পেনশনের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বেশী পাবেন। এরা সবাই তিন ধাপে প্রদত্ত  বর্ধিত বেতনের জন্য মোট খরচ হবে ৩ হাজার ৯শ’ ৭৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রথম ধাপের জন্য ৫শ’ ৬৭ কোটি টাকা, দ্বিতীয় ধাপে(০১-০৭-২০০৫) ১ হাজার ৬শ’ ৪৩ কোটি টাকা এবং তৃতীয় ধাপে(০১-০৭-২০০৬) ১ হাজার ৭শ’ ৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এদের মোট সংখ্যা-১৮,২৮,০০০(আঠার লক্ষ আটাশ হাজার) কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষক। নতুন বেতন স্কেল নিয়ে অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান  ‘‘খুবই সন্তুষ্ট’। তিনি বলেন, গড়ে ৫৩ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে। ‘ইট ইজ টু মাচ’। ০১-০৭-১৯৯৭ সাল থেকে ০১-০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত  সময় হলো  সাড়ে সাত বছর। সাড়ে সাত বছর সময়ে গড়ে ৫৩ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে।
৬ষ্ঠ জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০১-২০০৫ সালে বি.এন.পি. সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ২০(বিশ)টি স্কেল ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের প্রথমটি হলো-২৩,০০০(তেইশ হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-২,৪০০-৪,৩১০/-টাকা।
৭ম জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৭-২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ২০(বিশ)টি স্কেল ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের প্রথমটি হলো-৪০,০০০/-(চল্লিশ হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-৪,১০০-১৯০-৭,৭৪০/-টাকা।
২০০৯ সালের ৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বেসামরিক-সামরিক চাকুরেদের বেতন-ভাতা দুই-ই বাড়ছে বাস্তবায়িত হবে দুই বছরে। সরাসরি নিয়োগ পাওয়া দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তারা পাবেন টাইম স্কেল। প্রথম বছর অর্থাৎ চলতি জুলাই থেকে বেতনের বর্ধিত অংশ এবং আগামী ২০১০ সালের জুলাই মাস থেকে ভাতার বিভিন্ন অংশ কার্যকর হবে। প্রচলিত ২০টি গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের প্রথম ধাপের পদবিশেষ গড়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেতন এবং বিভিন্ন ধরনের ভাতা গড়ে ৩০ শতাংশ হারে বাড়ানোর বিষয়টি সচিব কমিটি অনুমোদন করেছে। জানা যায়, সচিব কমিটি প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তাদের সরকারিভাবে গাড়ি সরবরাহের পরিবর্তে ব্যক্তিগত পর্যায়ে গাড়ি কেনার জন্য ১৫ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে হবে ১২০ কিস্তিতে এবং প্রতিমাসে রক্ষণাবেক্ষণ ও চালকের বেতনসহ খরচ বাবদ ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। জানা যায়, সচিব কমিটির সুপারিশ এখন অর্থ মন্ত্রণালয় যাচাই-বাচাই করে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠাবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা কার্যকর করা হবে। ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন মন্ত্রিসভায় পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা ১১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ জন। এরমধ্যে প্রথম গ্রেডে সচিব পর্যায়ের রয়েছেন ১৪১ জন, দ্বিতীয় গ্রেডে ২৪২ জন, তৃতীয় গ্রেডে ১,৬৮১ জন, চতুর্থ গ্রেডে ৩,৪০৪ জন, চার গ্রেডে মোট কর্মকর্তা পাঁচ হাজার ৪৬৮ জন, যা মোট সরকারি কর্মকর্তার দশমিক ৪৭ শতাংশ। ৫ম গ্রেডে ৯,৬৪৮ জন, ৬ষ্ঠ গ্রেডে ১৪,০৩৩ জন, ৭ম গ্রেডে ৩১,০৩৪ জন, ৮ম গ্রেডে ২৯,৩৭২ জন, ৯ম গ্রেডে ৪১,৭৫০ জন এবং ১০ম গ্রেডে রয়েছেন ৭৯,৩০০ জন। এ ছাড়া ১১তম গ্রেডে ১,০৪,৪০০ জন, ১২তম গ্রেডে ৫২,৫০০ জন, ১৩তম গ্রেডে ১,০৩,৫০০ জন, ১৪তম গ্রেডে ১,৪০,৬০০ জন, ১৫তম গ্রেডে ১,৩১,০০০ জন, ১৬তম গ্রেডে ১,৫৭,২০০ জন, ১৭তম গ্রেডে ১,৩১,৯০০ জন, ১৮তম গ্রেডে ৬৯,৩০০ জন, ১৯তম গ্রেডে ২৯,২০০ জন ও বিংশতম গ্রেডে ৫১,২০০ জন। প্রতিরক্ষা, স্বায়ত্ত¡শাসিত ও এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ২০(বিশ) লক্ষ হবে। এ জন্য সরকারের বাড়তি খরচ হবে বছরে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চুড়ান্ত সুপারিশে বেসামরিক প্রশাসনের সচিব এবং সামরিক প্রশাসনের জেনারেলের বেতন ৪৫ হাজার টাকা নির্ধারনের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে মূখ্যসচিব ও সামরিক বাহিনীর জেনারেলের বেতন অপরাপর সচিব থেকে ৫০০ টাকার পরিবর্তে দুই হাজার পাঁচশত টাকা বেশি রাখার প্রস্তাব রয়েছে সচিব কমিটির চুড়ান্ত প্রতিবেদনে। মন্ত্রীপরিষদ সভায় ১১-১১-২০০৯ তারিখ বেতন কমিশন অনুমোদন পায়। শতকরা ৯৫ ভাগ কর্মজীবী এ বেতন স্কেলের আওতার বাহিরে-তাদের অবস্থা খারাপ হবে।
২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ চলতি ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের বাজেটে সরকার বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ রেখেছে ১৫ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। এর বাইরে নতুন বেতনকাঠামো বাস্তবায়নের জন্য থোক বরাদ্দ রাখা ছিল তিন হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। নতুন কাঠামো অনুযায়ী কেবল বেতন খাতেই বাড়তি ব্যয় হবে তিন হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। তবে ভাতা কার্যকর হবে আগামী ২০১০-২০১১ অর্থবছর থেকে। এ জন্য ব্যয় করতে হবে আরও দুই হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। সরকারের মোট রাজস্ব বাজেটের মধ্যে বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় হয় সাড়ে ১৯ শতাংশ। নতুন বেতনকাঠামোর কারণে এ হার বেড়ে ২২ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ সরকার প্রতিবছর যে অনুন্নয়ন ব্যয় করছে, তার প্রায় এক-চতুর্থাংশই ব্যয় হবে কেবল সরকারি কর্মকর্তা-কর্সচারীদের বেতন দিতে। অর্থমন্ত্রী এ. এম. এ. মুহিত বলেন প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে তুলনা করলে ঘোষিত বেতনকাঠামো অনেক কম বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। নতুন বেতন নির্ধারণ হওয়ার পর বিচার বিভাগের জন্য থাকছে আরো ৩০ শতাংশ বিশেষ ভাতা। গত চার বছরে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রায় ৩১ শতাংশ।
বি.এন.পি. এবং আওয়ামীলীগ আমলের বেতন স্কেলের তারতম্য হিসেব নিম্নে দেয়া হলো ঃ
জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড ভিত্তিক বৃদ্ধির হার ঃ
গ্রেড বি.এন.পি. ১৯৯১ আওয়ামী লীগ ১৯৯৭ গ্রেড বি.এন.পি. ১৯৯১ আওয়ামী লীগ ১৯৯৭
১ ৬৬.৬৬% ৫০% ১১ ৭২.৫০% ৪৭.৮২%
২ ৫০.৮৭% ৫০% ১২ ৭২.২২% ৫৩.২২%
৩ ৬৪.২১% ৫০% ১৩ ৭৩.৫২% ৫২.৫৪%
৪ ৬৯.০৪% ৫০% ১৪ ৭১.৮৭% ৫২.৭২%
৫ ৭০.১৭% ৫০.৭৯% ১৫ ৭৩.৩৩% ৫১.৯২%
৬ ৭১.২৪% ৫০% ১৬ ৭১.৪২% ৫৬.২৫%
৭ ৭০.৮৩% ৫০% ১৭ ৭৩.০৭% ৫৫.৫৫%
৮ ৭২.৯৭% ৫০% ১৮ ৭৫% ৫৪.৭৬%
৯ ৭৮.১২% ৫০.৮৭% ১৯ ৭৭.২৭% ৬০%
১০ ৭০.৩৭% ৪৭.৮২% ২০ ৮০% ৬৬.৬৬%
২০১০ সালের ৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীদের, প্রতিমন্ত্রীর, উপমন্ত্রীর ও সাংসদদের বেতন-ভাতা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির মূল বেতন ৩৩,৪০০ হাজার থেকে ৬১,২০০ হাজার টাকা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ৩২,০০০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫৮,৫০০ টাকা করা হয়েছে, মন্ত্রীদের ২৯,০০০ হাজার থেকে ৫৩,০৭০ টাকা করা হয়েছে, প্রতিমন্ত্রীদের ২৬,১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৭,০০০ হাজার করা হয়েছে, উপমন্ত্রীদের ২৪,৬৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫,২০০ টাকা করা হয়, স্পিকারের ৩১,২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ হাজার টাকা করা হয়, ডেপুটি স্পিকারের ২৯ হাজার থেকে ৫৩,০৭০ হাজার টাকা, সংসদ উপনেতার ২৯ হাজার থেকে ৫৩ হাজার টাকা, হুইপের ২৬ হাজার থেকে ৪৯,৪১০ টাকা কার প্রস্তাব করা হয়েছে ও বর্তমানে একজন সাংসদ মাসিক ১৫ হাজার টাকা সম্মানীসহ ৩৪,২০০ টাকা পান। প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা কার্যকর হলে সব মিলিয়ে পাবেন মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা এবং এর বাইরে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ৪০ হাজার টাকা পাবেন।
২০১৪  সালের ৩ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সরকারী কর্মকর্তাদের নতুন বেতন-স্কেল আগামী অর্থবছরে ২০১৪-২০১৫ সালের জুলাই থেকে কার্যকর হবে-প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বেতন ও চাকরি কমিশনের সুপারিশ পেলে আগামী অর্থবছরে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য নতুন বেতন-ভাতার স্কেল ঘোষণা করা সম্ভব হবে। অন্তবর্তীকালীন ব্যব্স্থা হিসেবে সরকার ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০ ভাগ মহার্ঘ ভাতা চালু করেন। ৩১-০৩-২০১৪ তারিখ সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তথ্য জানান।
২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর, প্রথম আলো : ৫০% পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ। জাতীয় চাকরি ও বেতন কমিশনের প্রস্তাব-সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিমাসুবিধার আওতায়আনার সুপারিশ। বেতন কমিশন গঠিত হয় ২৪-১২-২০১৩ তারিখ এবং ২১ ডিসেম্বর পে-কমিশনের রিপোর্ট অর্থমন্ত্রীর কাছে পেশ।  ১৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ৮৬,০০০:৮,২৫০=১০.৪২:১ ও ৮২,০০০:৮,২৫০=৯.৯৪:১ ভাগ।  ৭৮,০০০: ৮,২৫০=৯.৪৫:১ ভাগ। কেবিনেট সচিব, মূখ্য সচিব=৮৬,০০০ ও সিনিয়র সচিবদেরকে ৮২,০০০/- আরো চার হাজার টাকা ভাতা হবে সচিবদেরকে।
২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রায় ১৪ লাখ। কিছু নতুন সুপারিশ : এবারের প্রতিবেদনে নতুন কিছু সুপারিশ এসেছে। মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, অন্যতম সুপারিশ হচ্ছে শ্রেণি বাদ দেওয়া। বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবীরা কর্মকর্তা বলে পরিচিত। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা পরিচিত কর্মচারী হিসেবে। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করেছে। নতুন ব্যবস্থাটি হতে পারে পদোন্নতির মাধ্যমে। সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ১৫ বছরে দ্বিগুণ হতে হবে। স্বেচ্ছা অবসরের বয়স ২৫ বছরের পরিবর্তে ২০ বছর করা হয়েছে। বর্তমানে পিআরএল এর পরিবর্তে আবার এলপিআর পদ্ধতিতে যাওয়া যেতে পারে। তাঁদের পেনশনের পরিমাণ ৮০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশে। যারা সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁদের নীতিনির্ধারণী ও সমন্বয়ের কাজে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। এর স্বীকৃতিস্বরুপ ৫ শতাংশ হারে অর্থাৎ তাঁদের আরও চার হাজার টাকা অতিরিক্ত বেতনের সুপারিশ করা হয়।
২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : জাতীয় বেতন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর করতে গেলে সরকারের বাড়তি খরচ হবে ২১ হাজার কোটি টাকা। বেতন-ভাতা বাবদ বর্তমানের তুলনায় ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যয় বাড়বে। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ও ভাতার জন্য ২৮ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে কর্মকর্তাদের বেতন-৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা, প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের জন্য বেতন-১০ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা এবং ভাতা বাবদ বরাদ্দ ১৫ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেতন, ভাতা ও পেনশন দিতে সরকারের ৬০ হাজার কোটি টাকা সরকারকে খরচ করতে হবে।
২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : পেনশনের নতুন হার : চাকরির বয়স ৫ বছরের ক্ষেত্রে পেনশনের হার শেষ বেতনের ২০ শতাংশ সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬ বছরের ক্ষেত্রে ২৪, ৭ বছরের ক্ষেত্রে ২৮, ৮ বছরের ক্ষেত্রে ৩২, ৯ বছরের ক্ষেত্রে ৩৬, ১০ বছরের ক্ষেত্রে ৪০, ১১ বছরের ক্ষেত্রে ৪৪, ১২ বছরের ক্ষেত্রে ৪৮, ১৩ বছরের ক্ষেত্রে ৫২, ১৪ বছরের ক্ষেত্রে ৫৬, ১৫ বছরের ক্ষেত্রে ৬০, ১৬ বছরের ক্ষেত্রে ৬৪, ১৭ বছরের ক্ষেত্রে ৬৮, ১৮ বছরের ক্ষেত্রে ৭২, ১৯ বছরের ক্ষেত্রে ৭৬, ২০ বছরের ক্ষেত্রে ৮০, ২১ বছরের ক্ষেত্রে ৮২, ২২ বছরের ক্ষেত্রে ৮৪, ২৩ বছরের ক্ষেত্রে ৮৬, ২৪ বছরের ক্ষেত্রে ৮৮ এবং ২৫ বছর ও তার বেশির ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ।
নতুন সুপারিশে বাধ্যতামূলকভাবে সমর্পিত ৫০ শতাংশ পেনশনের ক্ষেত্রে আনুতোষিকের হার করা হয়েছে ৫ বছর বা তার বেশি এবং ১০ বছরের কম সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৭৫/- টাকা। ১০ বছর বা তার বেশি এবং ১৫ বছরের কম সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৬০/- টাকা। ১৫ বছর বা তার বেশি এবং ২০ বছরের কম সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৪৫/- টাকা এবং ২০ বছর বা তার বেশি সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৩০/- টাকা।
বর্তমানে ছিল : পেনশনের ৫০ শতাংশ বাধ্যতামূলক সমর্পণের ক্ষেত্রে আনুতোষিকের হার ১০ বছর বা এর বেশি এবং ১৫ বছরের কম সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৬০/- টাকা। ১৫ বছর বা এর বেশি এবং ২০ বছরের কম সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৪৫/- টাকা এবং ২০ বছর বা এর বেশি সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৩০/- টাকা।
২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে ৮ম জাতীয় বেতন কমিশনের রিপোর্ট: গত ১লা জুলাই, ২০১৫ তারিখ থেকে কার্যকরী করেছে-হাসিনা বলেছিল সংসদে আগামী ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৮ম বেতন কমিশনে বেতন পাবেন সবাই। তারপর আবার বলেছিল সংসদে দাঁড়িয়ে ২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কার্যকরী করব। তাঁদের কথা এবং কাজ যদি ঠিক না হয় তা’হলে রাষ্ট্রের কাজ তারা কীভাবে ঠিকভাবে করবে।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : ২১ লাখ চাকরিজীবীর বেতন বাড়ল। এর মধ্যে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩০(ত্রিশ) হাজার এবং প্রায় পৌঁনে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত। ১লা জুলাই, ২০১৫ তারিখ থেকে বেতন বৃদ্ধির ফলে  চলতি অর্থবছরে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে ১৫ হাজার ৯০৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এই অর্থবছরে বেতন-ভাতা খাতে ৬০ হাজার ৩৫৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা লাগবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেতনের সাথে ভাতা যুক্ত হওয়ায় আগামী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে অতিরিক্ত খরচের পরিমাণ হবে-৯ হাজার ৮২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। তখন জাতীয় বেতন স্কেল পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে মোট খরচ হবে-৬৯ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। ২০(বিশ) থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত মূল বেতনের ৫% ০১-০৭-২০১৫ তারিখ থেকে কার্যকর হবে। ৫ম গ্রেড মূল বেতনের ৪.৫% পাবেন, তিন ও চার নম্বর গ্রেড পাবেন-৪%, ২ নম্বর গ্রেড পাবেন-৩.৭৫% ও ১ নম্বর গ্রেড প্রবৃদ্ধি হবে না। বাংলা নববর্ষে মূল বেতনের ২০% ভাতা পাবেন সবাই। এ খাতে সরকারের খরচ হবে-৫৫০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সচিব কমিটিও মনে করে, দেশের ৫ লাখ ২০ হাজার পেনশনভোগীর পেনশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অর্থ বিভাগের আওতায় একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর সৃষ্টি করা যেতে পারে। পেনশন খাতে অতিরিক্ত অর্থ লাগবে ৩ হাজার ৬৯১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। অন্যান্য ভাতা প্রসঙ্গ : কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা একই রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কর্মচারীদের বক্তব্য হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তাদের বিনা সুদে ৪৫ লাখ টাকা গাড়ি কেনার জন্যঋণ দেওয়া হয় এবং সেটি রক্ষণাবেক্ষণে তাঁরা ৪৫ হাজার টাকা পান। কিন্তু কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণ থাকছে, যা বৈষম্যমূলক। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গৃহঋণ ও গাড়ি কেনার ঋণ যেমন আছে, তেমনই থাকবে। তবে এগুলো পর্যালোচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ ১৫ সাংবিধানিক পদে বেতন প্রায় দ্বিগুণঃ নতুন বেতন-ভাতার প্রস্তাব অনুমোদন। (১) রাষ্ট্রপতি আগে পেতেন-৬১ হাজার ২০০ আর নতুন ১ লাখ ২০ হাজার। প্রধানমন্ত্রী-আগে ৫৮ হাজার ৬০০ নতুন ১ লাখ ১৫ হাজার। স্পিকার আগে-৫৭ হাজার ২০০ নতুন-১ লাখ ১২ হাজার। প্রধান বিচারপতি আগে-৫৬ হাজার নতুন ১ লাখ ১০ হাজার।
২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৮ম বেতন স্কেলে বেতন নিয়ে স্বস্তির বদলে অস্থিরতা ঃ প্রজাতন্ত্রের ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ব্যাংক, বিমা, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় ২১ লাখ। ২১ লাখের একটি বড় অংশ এখন পর্যন্ত ক্ষুব্ধ বা অসন্তুুষ্ট। তবে এদের মধ্যে এমপিওভুক্ত (বেতনের শুধু সরকারি অংশ পাওয়া) পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর অসন্তোষ কমেছে।
আন্দোলনে থাকা সরকারি ও স্বাত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংখ্যা-১২,০৪৭ জন, সরকারি কলেজের শিক্ষকের সংখ্যা-(শিক্ষা ক্যাডার) ১২ হাজার। এ ছাড়া প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসকসহ ২৬ ক্যাডারে আছেন প্রায়-১ লাখ। এর বাইরে প্রশাসন ক্যাডারে আছেন-৫ হাজার ৪৫১ জন কর্মকর্তা, যাঁদের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
স্মরণীয় বাণী ঃ
পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ২,৪০,০০০(দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) মাইল দূর।
অতএব এ পৃথিবী এবং পৃথিবীর এ মানুষ থাকছে, থাকবে।
পৃথিবীর পৃষ্ঠের মোট আয়তন ৫১,০১,০০,৫০০ বর্গকিলোমিটার।
পৃথিবী ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে।
এ সময়ে পৃথিবীর গতিবেগ থাকে প্রতি ঘন্টায় ১,০৭,২২৬ কিলোমিটার।
পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ২৩-ঘন্টা ৫৬ মিনিট একবার আবর্তন করে।
পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দুরত্ব ঃ ৪,৮৪,৪০০ কিলোমিটার।
পৃথিবীর জীবন্ত আগ্নেয়গিরির সংখ্যা-৪৮৬টি।
মুঘল শাসনামলে বাংলাসুবা ১৯টি সরকারে বিভক্ত ছিল।
মুঘল আমলে বাংলা সুবার মোট ৬৮২টি পরগনা ছিল।
ষোড়শ শতকে ইউরোপে ধনতন্ত্রের আবির্ভাব লগ্ন থেকেই শ্রমজীবী মানুষদের লড়াই করতে হয়েছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং নিজেদের অধিকারের ক্ষেত্র স¤প্রসারিত করতে।
ষোড়শ শতকে শেরশাহ তার প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে এবং ঘোড়ার ডাকের প্রচলনের সুবাদে দিল্লী (পাঞ্জাবের অধীনে ছিল) থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১,৭০০(এক হাজার সাতশত) মাইল দীর্ঘ একটি রাজপথ নির্মাণ করেছিলেন। ইতিহাসখ্যাত এ পথের নাম গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড। সোনারগাঁওয়ের আমিনপুর থেকে শুরু হয়ে মেঘনা পাড় হয়ে রাজপথ কামরুপ হয়ে দিল্লী পর্যন্ত বি¯তৃত ছিল। সোনারগাঁওয়ের আমিনপুর হয়ে মোগড়াপাড়ার সামনে দিয়ে উদ্ধবগঞ্জ বাজার থেকে বৈদ্যের বাজার পর্যন্ত কেবল এ রাস্তাটির অস্তিত্ব টিকে আছে। ক্রমাগত নদী ভাঙ্গন এবং ভূমির বিবর্তনের ফলে গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের অস্তিত্ব এখন খুঁজে পাওয়া দুস্কর। কলকাতা থেকে দিল্লী(তখন পাঞ্জাব প্রদেশের অধীনে দিল্লী ছিল) পর্যন্ত এখনও গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড চালু আছে।
পশ্চিমবাংলার নীলমনি মিত্র, প্রথম ডিগ্রীধারী বাঙালী ইঞ্জিনিয়ার। ১৮৯৪ সালের ২ আগস্ট, প্রথম বাঙালী স্থপতি নীলমনি মিত্রের মৃত্যু।
এ যাবতকালের ইতিহাসই শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস। না, আদিম সাম্যবাদী সমাজ বাদে শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস।-এঙ্গেলর্স।
আর সাধারণ শ্রেণী কি? সমাজের একাংশের শ্রমকে অপর অংশ আত্মসাৎ করতে পায় যাতে তাই হল শ্রেণী। ভ. ই. লেনিন-পৃষ্ঠা-১৮৩ রচনা সংকলন-৪র্থ খন্ড।
পৃথিবীর সকল সম্পত্তিতে সকল মানুষের অধিকার সমান।-লেনিন।
বিজ্ঞানীদের তথ্য ঃ চা পানে বার্ধক্য কমায়।
বিশ্বে সিগারেট তৈরী হয় ১২০টি দেশে।
বিশ্বের ৯টি দেশ পারমাণবিক শক্তিধর; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০(দশ) হাজার এবং ইসরাইলের ৪০০(চারিশত) পারমাণবিক অস্ত্র আছে।
ইন্দোনেশিয়া-১৩,৬৬৭(তের হাজার ছয়শত সাষস্টি) দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
রাশিয়ার স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়। ভবনটি ৩২-তলা, কক্ষ-৪০ হাজার।
বৃটেন থেকে চীনে ৭,০০০ হাজার মাইল ট্রেন যাত্রার পথ।
বিশ্বের ১০০ ভাগ পানির মধ্যে ৯৪ ভাগ সাগরের; ১ ভাগ নদীর; ২ ভাগ মাটির নীচের; ২ ভাগ হিমালয়-এর বরফ থেকে এবং বাতাস ও জলবায়ু  থেকে ১ ভাগ।
সংঘাত ও দ্ব›েদ্বর মধ্য দিয়ে প্রগতি ঘটে।-কার্ল মার্ক্স।
একটি তিমিমাছের ওজন প্রায়-১৫০ টন; লম্বা প্রায়-১০০ ফুট; বাচ্চার ওজন-১৫০ মন।
৪৩৬(চারশত ছয়ত্রিশ) বর্গফুটে ১(এক) শতক। ১০০(একশত) শতকে এক একর। ২৫০(দুইশত পঞ্চাশ) শতকে ১(এক) হেক্টর। ৬৪০(ছয়শত চল্লিশ) একরে বা ২৫৬(দুইশত ছাপ্পান্ন) হেক্টরে এক বর্গমাইল। ১০,০০০০০(দশ লক্ষে)=১(এক) মিলিয়ন, ১০০(একশত কোটিতে)=১(এক) বিলিয়ন, ১,০০,০০০(এক লক্ষ কোটিতে)=১(এক) ট্রিলিয়ন।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে; এশিয়ার ভবিষ্যৎ ভয়াবহ।
সর্বোচ্চ উচু পর্বতের নাম হিমালয়; উচ্চতা ২৯,০৩৫ ফুট।
বাংলাদেশে ৭ লক্ষ তাঁতীর মধ্যে ২০০২ সালে প্রায় ৩ লক্ষ তাঁতী আছে।
পৃথিবীতে ৪০,০০০(চল্লিশ হাজার) প্রজাতির চাল আছে!
বাংলাদেশে ১৬০-ধরণের নৌকা আছে।
বাংলা ভাষায় বর্ণের সংখ্যা-৫০টি, বাংলা ভাষায় মাত্রাহীন বর্ণ-১০টি, বাংলা ভাষায় স্বরধ্বনির সংখ্যা-১১টি, বাংলা বর্ণমালায় ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা-৩৯টি।
নদীভাঙ্গনে বাংলাদেশে বছরে ১০(দশ) লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ২০০৩ সাল পর্যন্ত ১ (এক) কোটি লোক নদীভাঙ্গনের স্বীকার।
এক মাঘে শীত যায় না।” বাংলা প্রবাদ।
‘যৌবনে ঠিক না হলে বুড়ো ভয়সে কেউ ঠিক হয় না।’ আফ্রিকান প্রবাদ।
‘কিছু না দিয়ে কিছু চেয়ো না।’ আলবেনীয় প্রবাদ।
‘সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধটি আমাকে করতে হয় স্ত্রীর সঙ্গে।-মোহাম্মদ আলী (১৯৪২-) মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা।
যদি সুখের বিয়ে করতে চাও, তাহলে সমান কাউকে বিয়ে করো। ওভিদ (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩-১৭), রোমান মহাকবি।
সহমর্মী স্ত্রীই পুরুষের শ্রেষ্ঠ সম্বল।-ইউরিপিডিস (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮৪-৪০৬), গ্রিক নাট্যকার।
যদি না জান, তাহলে নিজেকে বল যে তুমি জান না। আর যদি জান তাহলে বল যে তুমি জান-এটাই জ্ঞান।-কনফুসিয়াস (খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫১-৪৭৯)।
শরীরের ওজন বাড়লেই বিপদ?
সমাজে একটা কথা প্রচলণ আচে যে, বাঘে ছূলে ১৮(আঠার) ঘাঁ আর পুলিশে ছূলে ৩৬(ছয়ত্রিশ) ঘাঁ।
মাকড়সার কামড়ে রোগ ছড়ায় না। অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন চিকিৎসক এ তথ্য জানিয়েছেন।
যার কাছে গোপন কথা বলা হয়, আপনার স্বাধীনতাটুকু তার কাছেই গচ্ছিত থাকে।-প্রবাদ
তিনজন মিলে একটি কথা গোপন রাখতে পারে, যদি দু’জনই হয় মৃত। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন
অত্যাচারীকে অত্যাচারের প্রতিফলন ভোগ করতেই হবে।
ভদ্রলোক সেই, বড় সেই, যে সত্যের উপাসক।
বর্তমান সময়কে কাজের উপযুক্ত সময় মনে করবে। আর.জি. ইন্টার সোল।
নিজের বিপদের কথা সত্রæকে বলো না, সে মুখে দুঃখ প্রকাশ করবে আর অন্তরে উল্লাসবোধ করবে।
যা তুমি স¦য়ং করোনা বা করতে পারনা, তা অন্যকে করতে উপদেশ দিওনা। হযরত আলী রা.।
একজন ঘুমন্ত ব্যক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্র্রত করতে পারে না।-শেখ সাদী।
বাঘের উপর দয়া করা ছাগলের উপর জুলুম করার নামান্তর।-শেখ শাদী রা.।
যার ঘুম নেই তার মতো দুঃখী নেই।
বড় হতে হলে সর্বাগ্নে সময়ের মূল্য দিতে হবে।
যে কখনো কিছু পায়নি, সে বঞ্চিতদের দুঃখ বুঝবে।-রবার্ট হেনরীক।
যেখানে বিচার আছে-সেখানে স্বাধীনতা আছে।-পুটাস।
যে নিজেকে অপমানিত হতে দেয়-সে অপমানিত হওয়ার যোগ্য।-কোরনেন্ড।
যে নিজের জন্য বেশী চিন্তা করে, সে দেশের জন্য কিছুই করতে পারে না।-
যাকে শ্রদ্ধা করা যায় না, তাকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসা যায় না।- অসৎ ব্যক্তি সৎ ব্যক্তির কাজের মধ্যে কোন মহত্ব খুঁজে পায় না।-আলমগীর।
অহংকার এমন এক আচরণ যা মানুষের সকল মহত্ব আবৃত করে ফেলে।-জাহাবী।
সময় বেশী গেলেও ধৈর্য সহকারে কাজ করলে, তাহলেই প্রতিষ্ঠা পাবে।-
মনোযোগ প্রতিভার উদ্রেগ করে।-
চীনে “এক শিশু” নীতি। ১৯৮০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিল।
একটি ভাল কাজ কখনো হারিয়ে যায় না।-
দূরত্বকে অতিক্রম করার মত সাহস ও শক্তি না থাকলে, দূরত্বকে দূরত্বই মনে হবে।
প্রতারনা হচ্ছে বিষাক্ত পানিরমতো, যেদিক দিয়ে যাবে সেদিকেই ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে।
পরিবেশ মানুষকে যে শিক্ষা দেয়, পাঠ্যপুস্তক তা দিতে পারে না।-মার্ক টোয়েন।
আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি না বলে-শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না।
সাহসিকতার মধ্যেই রয়েছে মুক্তি ও স্বাধীনতা।
জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে  কী পেলাম সেটাই বড় প্রশ্ন নয় বরং কী করেছি  সেটাই মুখ্য প্রশ্ন।
আপনি কি ১০০(একশত) বছর বাচতে চান? তা’হলে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খান। অন্যকিছু দিয়ে পেট ভরাবেন না, প্রচুর ঘুমাবেন এবং সহজভাবে নেন।
প্রয়োজন মানুষকে শেখায় নতুন সংরক্ষণ কৌশল।
সেই কবে বঙ্কিম বাবু বলেছিলেন যে-“আইন সেতো তামাসা মাত্র। বড়লোকরাই পয়সা খরচ করিয়া সে তামাসা দেখিতে পারে। সেই কথা আজো সত্যি। মরেতো আমার আপনার মতো লোকেরাই।”
লিখতে গিয়ে মনে পড়ছে যে-২০০ বছরের বেশি আগে বিলেতের লর্ড চেষ্টারফীল্ড
বলেছিলেন যে, বিবাহ এবং ধর্মবিশ্বাস এ দু’টোর ব্যাপারে কাউকে পরামর্শ দিতে তিনি নারাজ
কারণ ইহজীবনে আর পরজীবনে কারোর যন্ত্রণার দায়িত্ব নিতে তিনি তৈরী নন।
মুষ্টিমেয় মানুষের উন্নতি হলে সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে বাধ্য।
যে দেশে লাখ টাকায় একখানা লেহেঙ্গা বিক্রি হয়-সে দেশের মানুষ শীতে ও না খেয়ে মরে।
ভারত বিশ্বের সর্ববৃহত স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ।
বিশ্বের অর্ধেক অনাহারী মানুষই বাস করে ভারতে।
সুস্থ হার্টের জন্য হাটুন-ক্লোনিং-এর মাধ্যমে বার্ধক্য জয়।
অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করেনা। সকলকেই সে নিজের মত ভাবে।
মন খুলে যে হাসতে পারে না, সে পৃথিবীর সবচেয়ে অসূখী ব্যক্তি।
দুর্নীতি এখন সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে-প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দিন  আহমেদ।
যে বিবেকের শাসনকে অস্বীকার করে কাজ করে, শিগগিরই সে বিবেকের কাছে নতি স্বীকার
করে।
স্বচেতন লোকের  অসংখ্য চোখ আছে-সেনেভার।
জ্ঞান উত্তম, কারণ জ্ঞান বিতরণে বাড়ে, কিন্তু স¤পদ বিতরণে কমে।
বড় হতে হলে সর্বাগ্রে সময়ের মূল্য দিতে হবে।
কেবল আইন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না-প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
শিশুর ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী তাকে শিক্ষা দেয়া উচিত। তবেই সে একদিন কালজয়ী বিশেষজ্ঞ
হবে।
স¤পদ মানুষের মধ্যে শক্রতার সৃষ্টি করে। কিন্তু জ্ঞান মানুষকে বন্ধুতে পরিণত করে।
গুন থাকলেও চেষ্টা না করলে এ জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায় না।-
প্রজাদের অবজ্ঞা করে রাজা কখনো সম্মান পেতে পারে না।
প্রাপ্যের অতিরিক্ত যে আশা করে তাকে নিরাশ হতে হয়-হযরত আলী(রা.)।
বিখ্যাত লোকদের শুধু প্রসংশাই করবে না, তাদের অনুসরণও করবে।-আলমগীর।
তিনটি বিশেষ সময়ে তিন প্রকারের লোকের বিশেষ প্রয়োজন দেখা যায়-যুদ্ধে বীর পুরুষের
প্রয়োজন, ব্যাপক সঙ্কটের সময় ধৈর্যশীল লোকের প্রয়োজন ও বিপদে ভাইয়ের মত লোকের
প্রয়োজন।
যে মানুষকে সমাদর করে, চরিত্র ও মহত্ব যার গৌরব-তিনিই উত্তম।
বিনা পরিশ্রমে যা অর্জন করা যায় তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।-
জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। তোমার সমস্ত কাজ ঠিক সময়ে শেষ করতে হবে।-
একজন জনপ্রিয় লোক ভাল মানুষ নাও হতে পারে, আর একজন ভাল মানুষ জনপ্রিয় নাও হতে পারে।-
শব্দের তীব্রতা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর।
ইউরোপের রুগ্ন ব্যক্তি তুরস্ক।
ভারতে ৭,০০০(সাত হাজারের) বেশি শহর ও ৬(ছয়) লাখ গ্রাম আছে।
আদম ও ইভের বয়সের পার্থক্য হলো-৮৪,০০০ হাজার বছর।
সরকারই সবচাইতে বড় মাস্তান।-ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন-১২-০৯-১৯৯৭ সালে।
সামরাজ্যবাদ কাকে বলে ঃ পুঁজির সর্বোচ্চ স্তরকে।
বুর্জোয়া কাকে বলে ঃ ফ্রান্সের ভাষায়, ধনীদেরকে।
রাজনীতি কাকে বলে ঃ রাষ্ট পরিচালনার যে নীতি তাকে রাজনীতি বলে এক কথায়।
রাষ্ট্র কাকে বলে ঃ রাষ্টের একটা নির্দ্দিষ্ট ভূখন্ড, একটা আমলাতন্ত্র, একটা পুলিশ বাহিনী, একটা স্ট্যান্ডিং আর্মী-এর বাহিরে রাষ্ট্রের কোন উপাদান পাওয়া যায়না।
রাষ্ট্রে একটি সরকার থাকে, সরকার যায়-আসে কিন্তু রাষ্ট্র ঠিকই থাকে।
দুর্নীতি, অপরাধ ও রাজনীতির মধ্যে রহিয়াছে যোগসূত্র।
ক্লোনিং পদ্ধতিতে মানুষের অনুরূপ মানুষ তৈরী নিষিদ্ধ করার আহবান।
চীনে মাটি ছাড়া আলু  উৎপাদনের নয়া পদ্দতি। হারবিন হইতে সিনহুয়া।
আপস এবং সমঝোতাই জীবনকে সুন্দর করে।-সিডনি স্মিত।
অতিভোজন থেকে সব সময় বিরত থাকুন। বরং পরিমাণে বারবার খাদ্য গ্রহণের চেষ্টা করুন। এটাই স্বাস্থসম্মত।
ক্রুদ্ধ অবস্থায় নেয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর না করাই শ্রেয়।-বার্নার্ড ’শ।
ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা।-টমাস ফুলার।
সেই সত্যিকারের মানুষ যে নিজের দোষত্রæটি অন্যকে দিয়ে বিচার করে।-লর্ড হ্যালিফক্স।
পাহাড়ের উপর যার অবস্থান তাকে কখনো লুকিয়ে রাখা যায় না।-ব্রনসন।
ক্ষুধার্ত মানুষ কখনো স্বাধীন মানুষ হতে পারে না।-স্টিভেনসন।
যে সব জায়গায় আছে-সে কোন জায়গায় নেই।-টমাস ফুলার।
একজন পীড়িত ব্যক্তি তার পীড়ার কথা ছাড়া কিছুই বলতে ভালোবাসে না।-স্যামুয়েল জনসন।
ধনলিপ্সা মানব মনের সুকুমার বৃত্তিগুলো নষ্ট করে দেয়।-টমসন।
যার বাড়িতে একটি লাইব্রেরী আছে, মানসিক ঐশ্বর্যের দিক দিয়ে সে অনেক বড়।-হেনরিক ইবসেন।
নিয়মানুবর্তিতা আরো দশটা কাজ বেশী করার পথ দেখায়।-অস্কার ওয়াইল্ড।
যার মাথার উপর ছাদ আছে, তার শান্তি আছে।-জনওয়েল।
প্রশ্ন থেকেই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের উৎপত্তি।-প্লেটো।
ক্ষমা এবং আপসই শান্তির পথ।-ল্যামারাস।
মাছের তেল হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যু ঝুঁকি কমায়।-স¤প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন ওয়াশংটননের চিকিৎসকরা।
তোমার কর্তব্যজ্ঞানই তোমার নেতা।-কাজী নজরুল ইসলাম।
মঙ্গলগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব খোঁজা স্পিরিটের সাধ্যের বাইরে-এ  তথ্যের পক্ষে প্রমাণ খুঁজতে গিয়ে নাসার স্পিরিট রোভার ৪৮ কোটি ৩০ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়ার পর এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন এ ধরনের প্রমাণ হয়তো পাওয়া যাবে।
ইতিহাস সব কিছুই শিক্ষা দেয়, এমনকি ভবিষ্যতও।-ল্যাসাটিন।
একজন পিতা একশ’ স্কুল শিক্ষকের চেয়ে বেশী।-জর্জ হার্বার্ট।
সবলেরা ভাগ্যকে নির্মাণ করে।-কিথ টমাস।
কোন জাতির প্রচারপত্রের নমুনা দেখে সে জাতির আদর্শের কথা বলা যেতে পারে।-ডগলাস।
মানুষকে যে আপন করতে পারে না জীবন সম্পর্কে তার ধারণা অপরিপক্ব থাকে।-ক্যাম্বেল।
মানুষকে জানো এবং তাকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে শেখ।-শেলী।
দুর্ভাগ্যের শিক্ষালয়েই নিয়মানুবর্তিতা শিখতে হয়।-মহাত্মা গান্ধী।
সুন্দর পরিবেশই মানুষকে সুখ দিতে পারে।-ফিলিপ হেনরি।
ভদ্রতার গুণেই মানুষ আপনজনদের মাঝে প্রিয় হয়ে ওঠে।-টমাস হার্ডি।
ক্ষুধার্ত ও কর্মহীন মানুষ পরাধীনতার পরিচায়ক।-ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট।
আমাদের চরিত্র হচ্ছে আমাদেরই আচার-আচরণের ফল।-অ্যারিষ্টটল।
আজকের সাথে গতকালের পার্থক্য থাকবেই।-স্মিথ।
ক্রোধ দমন বা নিয়ন্ত্রণ করা একটি মহৎ গুণ।-মেনকেন।
জ্ঞানদানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ দান আর নেই।-ডা. লুৎফর রহমান।
কর্তব্য মনে করে অপরাধমুক্ত হও, ভয়ের কারণে নয়।-ডেমোক্রিটাস।
প্রবাদ হচ্ছে সংক্ষিপ্ত বাক্যাংশ, যা খুব বড় অভিক্ষতা থেকে আহরণ করা হয়েছে।-উইলিয়াম পেন।
প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতিবেশী হলো তার মুখ দেখবার আয়নাবিশেষ।-জেমস হাওয়েল।
যে সুন্দর করে কথা বলতে পারে তার প্রতি মানুষের আকর্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয়।-জ্যাকুইন মিলার।
প্রতিভাবান লোকদের চরিত্রে কিছুটা রহস্যময়তা থাকে।-উইলিয়াম মাম।
লোকে যদি তোমাকে অভদ্র বলে তবে তোমার শিক্ষা, আভিজাত্য ও অর্থ-সম্পদ মূল্যহীন। -জি. জে. নাথান।
বার্ধক্য ঐশ্বর্যমন্ডিত হলেও তা দুঃখবহ।-জনক্লার্ক।
সৎ পরামর্শের চেয়ে কোন উপহার অধিক মূল্যবান নয়।-এমারসন।
সমাজই ধনী-গরিব সৃষ্টি করে, সৃষ্টিকর্তা নয়।-কার্ল মার্কস।
পৃথিবীতে নগ্ন হিসেবে জন্ম নিয়েছি, নগ্নই আবার ফিরে যাবো।
ভাল কাজ করলে ইহলোক ও পরলোক কোথাও তার বিনাশ হতে পারে না।
টাকা সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।-আর্থার হুগ।
টাকার প্রশ্নে সবাই এক ধর্মাবলম্বী।-ভলতেয়ার।
ইতিহাস এমন একটি বিষয় যা কখনো ঘটেনি এবং এমন লোকের দ্বারা লিখিত যে কখনো সেখানে ছিলো না।-যাযাবর।
একজন লোভী মানুষকে আমরা সবাই ঘৃণা করি।-জন রে।
দাসত্ব যদি অন্যায় না হয়, তবে পৃথিবীতে অন্যায় বলে কিছু নেই।-আব্রাহাম লিংকন।
দুশ্চিন্তা ছাড়া সুচিন্তার অবকাশ নেই।-অপ্সাত।
আইনের চেয়ে অধিকার অনেক শ্রেয়।-স্যার লিউস মরিস।
আগে কাজ করো তারপর বিশ্রাম নাও।-রাসকিন।
ধর্মীয় গোঁড়ামি সবচেয়ে মারাত্মক।-আবুল ফজল।
পরিমাপ করে খাদ্য খাও, কিন্তু পরিমাপ করে পানি পান করো না।-অলটন।
বিচ্ছেদ হঠাৎ করে হওয়াই শ্রেয়।-ডিজরেইলি।
বিশ্বাস যেখানে আছে, সেখানে কৌশল খাটানো উচিত নয়।-হুইটিয়ার।
পৃথিবীতে দুটি কাজ খুব কঠিন। একটি হচ্ছে নিজের জন্য খ্যাতি অর্জন করা এবং অন্যটি হচ্ছে সেটাকে ধরে রাখা।-রবার্ট সুম্যান।
পৃথিবীতে ধর্ম অনেকগুলো, কিন্তু নৈতিকথা একটিই।-রাসকিন।
যিনি সৎ চিন্তা করেন, তিনি স্বর্গে বাস করেন।-টমাস ব্যান্ডলক।
প্রয়োজনের তাগিদ ধৈর্য ধরতে জানে না।-চালর্স ডালমন।
মানবতাই মানুষের একমাত্র ধর্ম হওয়া উচিত।-বার্ট্রান্ড রাসেল।
মানবচিন্তার অগ্রগতিই আমার কাছে সৃষ্টিকর্তার একমাত্র অবতীর্ণ বাণী।-ফ্রাংক হ্যারিস।
মানুষের ইচ্ছাপূরণ হয় না বলেই পৃথিবীতে এতো উত্তেজনা।-শংকর।
যার শুরু খারাপ, তার শেষও কারাপ।-ইউরিপিডিস।
তোমার পাশে দেয়াল আছে, কথা সাবধানে বলো।-শেখ সাদি।
যে ন্যায়ের পক্ষে, সে সত্যের পক্ষে।-রাহুল সাংস্কত্যায়ন।
প্রত্যেক বিচ্ছেদে বা বিদায়ে মৃত্যুর প্রতিবিম্ব রয়েছে।-ইলিয়ট।
ফ্যাসন কোন হুজুগ নয়, সময়ের দাবী।-জাঁজাক রুশো।
কোনো সুসভ্য মানুষ আনন্দকে বয়কট করে না।-অস্কার ওয়াইল্ড।
চেনা পথ আঁকাবাঁকা ভালো, অচেনা পথ সোজাও ভালো নয়।-সক্রেটিস।
ওষুধ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নতুন রোগের সৃষ্টি করে।-ভার্জিল।
কৃপন যতই ধনী হোক লাঞ্ছিত হবে, দানশীল যতই গরিব হোক বাঞ্ছিত হবে।-অ্যারিস্টটল।
কাজের মধ্য দিয়ে সঙ্গি সৃষ্টি হয়।-গ্যেটে।
শত্রæ সবসময় দরোজার শেষে দাঁড়িয়ে থাকে।-ভার্জিল।
সবার সঙ্গে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে, সে ব্যক্তিত্বহীন।-মার্ক টোয়েন।
সমস্ত জীবনের জন্য একজন প্রকৃত বন্ধুই যথেষ্ট।-হেনরি অ্যাডামস।
কাজের দক্ষতা কমে যাবার একমাত্র বাস্তব কারণ হলো বিরতি।-ডেল কার্নেগী।
এমন প্রতিজ্ঞা করা উচিত নয়, যা পালন করতে পারবে না।-ডেল কার্নেগী
টাকা খরচ করতে বুদ্ধির দরকার হয় না। কিন্তু টাকা রোজগার করতে বুদ্ধির দরকার হয়।-ডেল কার্নেগী।
একজন জ্ঞানী ও ভালো মানুষ কখনো হতাশায় ভোগে না।-ফেবিয়াস ম্যাক্সিমাস।
অনেক সময় বিদ্যার চেয়ে অভিজ্ঞতাই বেশি কাজে লাগে।-জে. আর. লাওয়েল।
বিশ্বকে জানার আগে নিজেকে জানো, মানুষকে জানো।-কিপলিং।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এ পৃথিবীর মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৩-হাজার মেট্রিক টন মলত্যাগ করে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে দুই আঙ্গুলের ব্যবসা(পকেটমার) হয় সবচেয়ে বেশী।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন চট্টগ্রামের আইয়ূব আলী নামে এক তরুণ ১২০ বছর বয়সী বাতাসীকে বিয়ে করেছেন।
কোকা-কোলা কোম্পানী এ যাবত (২০০৩ সাল পর্যন্ত) ৩০০ রকম পানীয় বাজারজাত করেছে।
যে-ব্যক্তি প্রশ্ন করে কিছু জানতে চায়, সে বোকা হয় পাঁচ মিনিটের জন্য, আর যে জানার ভান করে কখনো প্রশ্নই করে না, সে বোকা থাকে সারাজীবন।-চীনা প্রবাদ।
যে-কোনো শিক্ষাই চর্চা ব্যতীত বলিষ্ঠ হয় না।-ল্যাগল্যান্ড।
কারও স্বভাব-চরিত্র জানতে হলে কোনো ব্যাপারে তার পরামর্শ চাও।-প্লেটো।
একজন মহৎ ব্যক্তিত্বই নামের জন্য বাঁচতে চায় এবং নামের জন্য মরতে চায়-জি. পি. ল্যাথরপ।
অস্ত্র হচ্ছে যুদ্ধের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, কিন্তু নির্ধারক উপাদান নয়, নির্ধারক উপাদান হচ্ছে মানুষ, বস্তু নয়। সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি অপরিহার্যরূপেই মানুষের দ্বারা পরিচালিত হয়।-মাও-সে-তুং।
শিয়ালের মতো একশো বছর জীবন ধারণ করার চাইতে সিংহের মতো একদিন বাঁচাও ভাল।-টিপু সুলতান।
পেটকে খাবার দ্বারা পূর্ণ করার ব্যাপারটি জরুরি বিষয়, আর সবই জীবনের বিলাস।-চীনা প্রবাদ।
যারা বিশ্বাস করে যে তারা জয় করতে পারে, তারাই জয় করতে পারে।-ড্রাইডেন।
একটা ছোট্ট ছিদ্র মস্ত বড় জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারে।-ফ্রাঙ্কলিন।
বিপদকে বাড়তে দিলে তা ভয়াবহ হয়ে ওঠে।-এডমন্ড বার্ক।
ভালোবেসে যা কিছু করা হয়, তা সবসময়ই ভালোমন্দের উর্ধ্বে থাকে।-নীটসে।
নিজেকে বড় বা ছোট ভাবা দোষণীয়, তাই নিজের সম্পর্কে যথাযথ ধারণা থাকা উচিত।-সার্ভেন্টিস।
বিছানাই প্রতিটি মানুষের শ্রেষ্ঠতম সুখের আশ্রয়। শান্তির কেন্দ্র।-চার্লস মেকলে।
বড় প্রতিভাবান ব্যক্তিদের আত্মজীবনী খুবই সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে।-এমারসন।
সাবধানী মানুষের ভুল কম হয়।-কনফুসিয়াস।
প্রশংসা ভালো মানুষকে আরো ভালো করে এবং খারাপ মানুষকে আরো খারাপ করে।-টমাস ফুলার।
কথায় যদি নির্বুদ্ধিতা প্রকাশ পায় তবে চুপ করে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।-চার্লস কিংসলে।
প্রত্যেক মহৎ কাজ নিজের জন্য পথ তৈরী করে নেয়।-এমারসন।
তুমি তোমার ব্যক্তিত্বকে দৃঢ় করে তোল, কেউই তোমার উপর অন্যায় আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।-জন স্টুয়ার্ট মিল।
বর্তমানকে সঠিকভাবে পাঠ করা এবং সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলাই বিচক্ষণতার পরিচায়ক।-হোমার।
প্রতিভাবানরা এমন কিছু করে থাকেন, যা সাধারণের ক্ষমতার বাইরে।-ই.ভি. লুকাস।
কাপুরুষ ছাড়া কেউই মিথ্যা কথা বলে না।-মারফি।
বেফাঁস কথা বলার চেয়ে চুপ করে থাকাই শ্রেয়।-জর্জ হার্বাট।
সময়, গতি, দূরত্ব একই জিনিষ।
অতীত দিয়ে কখনোই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা যায় না।-এডমন্ড বার্ক।
অন্ধবিশ্বাস প্রায়শই মানুষকে বিপদে ফেলে-এরিস্টটল।
দুর্বল দেহ মনকে দুর্বল করে দেয়।-রুশো।
নিন্দা সৎ লোকের, কোন ক্ষতি করতে পারে না।-শেখ সাদী(রা.)।
সচেতন ব্যক্তির জীবনে বিপদ কম আসে।-ডেল কার্নেগী।
মায়ের শিক্ষাই শিশুর ভবিষ্যতের বুনিয়াদ।-নেপোলিয়ন।
তরুণ বয়সে গড়ে ওঠা বিশ্বাসই মানুষের জীবনে সর্বাধিক স্থায়ী হয়।-ফ্রান্সিস বেকন।
অসৎ মানুষের হাসি নির্মল হয় না। উইড্রো উর্ইলসন।
বোকাদের জীবনে কোন পরিবর্তন আসে না।-ডেল কার্নেগী।
মুমূর্ষু মানুষের ঠোঁটের ডগায় সত্য উপবেশন করে।-এম আরনল্ড
স্বাস্থই সকল সুখের মূল।
সংকট মুক্তির পরই সবকিছু মধুর মনে হতে পারে।-আলেকজান্ডার স্মিত।
বাগান যত ভালই হোক, তাতে কিছু না কিছু আগাছা থাকতে পারে।-টমাস ফুলার।
চিন্তা করো, দুশ্চিন্তা করো না।-ডেভিড হিউম।
কারো জীবনেই খুব খারাপ অবস্থা বেশী দিন থাকে না। কিছুকাল পরেই আবার শুভদিন আসে।-ডেল কার্নেগী।
শ্রদ্ধা করতে জানলে অন্যের শ্রদ্ধাভাজন হওয়া যায়।-জন রে।
যে কোনদিন পরাজিত হয়নি, সে কখনো বিজয়ী হতে পারে না।-হেনরী ওয়াচ।
ভালোবেসে যা কিছু করা হয়, তা সব সময়ই ভালো-মন্দের উর্ধ্বে থাকে।-নীৎশে।
আত্মবিশ্বাস হচ্ছে বীরত্বের সৌরভ।-এমারসন।
শ্রেষ্ঠ মানুষ ধার্মিক, জ্ঞানী ও সৎ সাহসী হয়।-কনফুসিয়াস।
যে উপদেশ দাও না কেন, অল্প কথায় দাও।-হোরেস।
কোন মানুষই যা বিশ্বাস করে না, তা কখনই প্রমাণ করা যায় না।-জর্জ বার্নার্ড শ।
আদর্শবান লোকের বন্ধুর সংখ্যা কম থাকে।-ডগলাস জেরল্ড।
আত্মীয়-স্বজনরাই মানুষের শ্রেষ্ঠতম বন্ধু, সহায় ও সহায়তাকারী।-জর্জ বার্নাড শ।
সেই সত্যিকারের মানুষ, যে অন্যের দোষ-ত্রæটি নিজেকে দিয়ে বিবেচনা করে।-লর্ড হ্যালিফক্স।
প্রতারিত হওয়ার চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়া ভাল।-সাইরাস।
যে কোন বস্তুর গ্রহণযোগ্যতার উপরই তার মূল্য নির্ভর করে।-জনবার্থ।
মিতব্যয়ী হও, তাতে মনের স্বাধীনতা বেড়ে যাবে।-ডা.লুুৎফর রহমান।
ফুল যেখানেই ফুটুক সে জায়গা সব সময় পরিস্কার নাও থাকতে পারে।-মেরি ডে উইন।
কোন মানুষের  একটি কাজ দিয়ে তার দক্ষতা যাচাই করা যায় না।-টমাস ফুলার।
কোন কাজে যার নিজস্ব পরিকল্পনা নেই তার সাফল্য অনিশ্চিত।-গোল্ড স্মিথ।
যে মানুষ হিসেবে ভাল, সে নাগরিক হিসেবেও ভাল।-সুইন বার্ন।
মানুষই হলো একমাত্র প্রাণী যার লজ্জা আছে।-মার্ক টোয়েন।
ষড়যন্ত্র বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ষড়যন্ত্রকারীর সর্বনাশ ডেকে আনে।-এমিলি।
ভাল খাওয়া কোন খারাপ কাজ নয়, তেমনি অনাহারে থাকাও কোন মহৎ কাজ নয়।-টমাস ফুলার।
মানুষ গরীব হয়ে জন্মায় না, পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতাই মানুষকে গরীব করে।-শিলার।
বোকা আর ভীরুরা বলে অসম্ভব, কেবল বুদ্ধিমান ও সাহসীরাই চেষ্টা করে দেখে।-ডেল কার্নেগী।
পরামর্শ বুদ্ধিকে পরিপক্ক করে।-ড্রাইডেন।
জনগণের নিরাপত্তাই হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন।-সিসেরো।
সততাই হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।-ফ্র্যাঙ্কলিন।
কুমন্ত্রণা দ্বারা একজন বন্ধু অন্য বন্ধুর বিশেষ ক্ষতিসাধন  করতে পারে।-লিভি।
নতুন বন্ধুর জন্য পুরোনো বন্ধুকে ত্যাগ কর না।-একসেলেসটিকাস।
বিচারের দীর্ঘসূত্রতা অবিচারের নামান্তর।-ডবিøউ এস ল্যান্ডার।
রোগমুক্তির জন্য ধৈর্য ও চেষ্টার দরকার।-অ্যানন।
সকল প্রকার শিক্ষা, রুচি, নিষ্ঠা এবং দক্ষতা মনোযোগের ওপর নির্ভরশীল।-উনলটন।
যিনি তার সন্তানদের জানেন তিনি জ্ঞানী পিতা।-শেক্সপিয়ার।
জীবন-যাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা লাভই বাস্তব শিক্ষা।-ডিউই।
সভ্য আচরণগুলো মানুষকে ভদ্র করে তোলে।-শেলি।
নিস্বার্থভাবে কাজ করলে কখনোই অশান্তি বা দুঃখ আসবে না।-স্বামী বিবেকানন্দ।
মানুষকে ঠকানো যায়, তবে সীমাহীনভাবে বারবার ঠকানো যায় না।-লিভি।
ভ্রাতত্ব ও প্রেমের আসন হচ্ছে হৃদয়।-আল্লামা ইকবাল।
রোগ থেকে ভাল হবার ইচ্ছাই রোগমুক্ত হবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।-সিনেকা।
মানুষ যখন তার মর্যাদা হারিয়ে ফেলে তখন সে যেখানে ইচ্ছে যেতে পারে।-শেখ সাদী(রা.)।
শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য মানুষের চরিত্র গঠন করা।-স্পেন্সার।
বই কতো যে আনন্দ দেয় তা অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি জানেন না।-হোরেস।
মহৎ কারণে যার মৃত্যু ঘটে সে অপরাজেয়।-ভার্জিল।
শিক্ষা মানুষকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে আত্ববিশ্বাসী করে তোলে।-ফ্রান্সিস বেকন।
শিশুদের মন স্বর্গীয় ফুলের মতই সুন্দর।-এডমন্ড ওয়ালার।
যার অর্থ-সম্পদ, খাদ্য ও সন্তুষ্টির অভাব আছে তার ভাল বন্ধু নেই।-শেক্সপিয়ার।
কোন মানুষকে সন্তুষ্ট করতে চাইলে আগে তাকে বুঝতে হবে।-চার্লস রিড।
দূরত্ব প্রাকৃতিক দৃশ্যকে মনোমুগ্ধকর করে তোলে।-টমাস জ্যাম্পবেল।
আনন্দের উৎস যেমন আপনজনরা, তেমনি দুঃখের উৎস আপনজনরা।-সাইরাস।
আয় যত বৃদ্ধি পায় ব্যয় সংকুলান ততই কঠিন হয়ে পড়ে।-হোয়াইটলি।
মহানুভব হতে গেলে অবশ্যই মেধার প্রয়োজন।-উইলিয়াম কুপার।
যারা শিশু ও নারীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন করে তারা বর্বর।-গ্রীন গর্ডন।
দুুর্দশাই সত্যের প্রথম পথ।-লর্ড বায়রন।
সবার কাছে যে নাম প্রসিদ্ধি লাভ করে সে নাম খুব বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।-ভলতেয়ার।
মানুষ তখনই পশুর ন্যায় হয়ে যায় যখন লজ্জা-সঙ্কোচ বলে কিছু থাকে না।-সুইন বার্ন।
জীবন একবারের, খ্যাতি চিরকালের।-জাপানী প্রবাদ।
প্রত্যেক ব্যক্তি তার কর্মক্ষমতার উপর আস্থা থাকা উচিত।-উইলিয়াম বেøক।
তোমার বন্ধুদের ভালবাস, যদিও তারা কখনো শত্রæতাও করে থাকে।-বিয়ার্স।
আরো ভালো করতে গিয়ে প্রায়ই আমরা ভালকে নষ্ট করে ফেলি।-শেক্সপীয়ার।
বিপদ এলে আমাদেরকে তা মোকাবিলা করেই বাঁচতে হবে।-কুপার।
পীড়িত ব্যক্তিকে ত্রæত আরোগ্য লাভের অভয়বাণী শোনানো অত্যন্ত ভাল কাজ।-কার্ল স্যান্ডবার্ক।
বিরক্তি মানুষের কর্মদক্ষতা কমিয়ে দেয়।-ডেল কার্নেগী।
শুধু ইচ্ছা চরিতার্থ করার জন্যই নয়, বরং ক্ষমতা ব্যবহারের জন্যও দায়িত্বশীলতার প্রয়োজন।-হেনরি ফ্রেডরিক।
তুমি যতদিন বাঁচ না কেন, ভালভাবে বাঁচার পথ তোমাকেই জানতে হবে। উইলিয়াম মরিস।
প্রত্যেকেরই নিজের সম্পর্কে যথাযথ ধারণা থাকা উচিত।-সার্ভেন্টিস।
সমুদ্রযাত্রা, ভ্রমণ ও স্থান পরিবর্তন প্রাণশক্তি এনে দেয়।-সেনেকা।
সুখ্যাতি কখনো কখনো ঈর্ষার কারণ হলেও, কুখ্যাতি সব সময়ই লজ্জাজনক।-টমাস ফুলার।
দারিদ্র অনেক প্রতিভাকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করে দেয়।-ইঙ্গারসোল।
যে অনেক কিছু করে তার কিছু ভুল হওয়া স্বাভাবিক।-স্যামুয়েল জনসন।
যার টাকার চাহিদা বেশী তার সংসারে সব কিছুর চাহিদা বেশী।-টমাস ফুলার।
স্বর্ণের পেয়ালায় বিষ দিলেও তা বিষ ছাড়া অন্য কিছু নয়।-টমাস এডামস।
সংঘাত-সংকুল জীবনে যে শক্ত হাতে হাল ধরতে পারে, সে জয়ী হয়।-ম্যানকিন।
ন্যয়ের চেয়ে ক্ষমতাবান কোন শক্তি নেই।-নেপোলিয়ান।
পুরোনো হলেও একটি ভাল বই পড়লে মনে হবে গত শতাব্দীর মানুষের সাথে কথা বলছি।-ডেসকার্টেস।
একজন ভাল মানুষ সাধারণ জিনিসেই তৃপ্ত থাকেন।-বেন জনসন।
কারো অতীত নয়, বর্তমানকে জানো এবং সে জানাই যথার্থ।-এডিসন।
বই পড়তে যে ভালবাসে তার শত্রæ কম।-চার্লস ল্যাম্ব।
একজনের উপলব্ধির সাথে অন্য একজনের উপলব্ধির মিল নাও থাকতে পারে এবং এটাই স্বাভাবিক।-হফম্যান।
যার অল্প আছে সে দরিদ্র নয়, যে বেশী আশা করে সে দরিদ্র।-ড্যানিয়েল।
অপকর্ম করে লজ্জিত না হওয়া আরেক অপকর্ম।-উইলিয়াম মরিস।
অন্ধকারকে দোষারোপ করার চেয়ে একটা মোমবাতি জ্বালানোই উত্তম।-চীনা প্রবাদ।
বিদ্যা শিক্ষা মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধু।-লর্ড হ্যালিফক্স।
যশ বীরত্বপূর্ণ কাজের সুগন্ধিস্বরূপ।-সক্রেটিস।
দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে চাইলে আমাদের উচিত দুঃখগুলো আমলে না এনে সুখগুলোর হিসাব করা।-ডেল কার্নেগী।
যে বিড়াল নিয়ে খেলে তার গায়ে আঁচড় লাগবেই।-কার্ভেন্টিস।
প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই একটি শিল্পীমন ঘুমিয়ে থাকে।-ফ্রান্সিস বেকন।
শিক্ষা মানুষকে সর্বাবস্থায় সহনশীল হতে শেখায়।-উইলিয়াম বিরনিং।
জীবনের প্রথম লগ্নের কিছু বিফলতার অভিজ্ঞতা বাকি জীবনের জন্যে বিরাট উপকারে আসতে পারে।-টমাস হেনরি হাক্সলি।
মানুষ ঘরে ফেরার ইচ্ছে নিয়েই বাইরে পা রাখে।-টমাস মিল্টন।
বন্ধুত্ব টাকার মতো, রক্ষা করার চেয়ে স্থাপন করা সহজ।-স্যামুয়েল বাটলার।
যে নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে করে সে সবচেয়ে দুর্ভাগা ব্যক্তি।-এনজেলো প্যাটরি।
রান্নাঘরে একজন পাচক ডাক্তারের চেয়েও দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তি।-চীনা প্রবাদ।
জীবনে বৈচিত্র চাই বলেই আমাদের অন্তহীন সমস্যা।-জনসন।
জীবনের শিক্ষাকে যে নিজের ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করতে পারে না সে মস্তবড়  বোকা।-শেখ সাদী(রা.)।
মানুষই মানুষের নিকৃষ্টতম শত্রæ।-সিসেরো।
যৌবনের অপরিমেয় আনন্দকে রোধ করাই বার্ধক্যের ধর্ম।-সেন্ট লিভার।
ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা একজন বাঙালী ব্রাহ্মণ এম. এন. রায় বলেন-‘ভারতীয় দলিত এবং তাবৎ নির্যাতিত জনগোষ্ঠী ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে এ কারণে যে, ব্রাহ্মণ্যবাদী  ষড়যন্ত্র মোকাবিলার শক্তি ও সামর্থ্য একমাত্র ইসলামের মধ্যেই বিদ্যমান।
সুশিক্ষিত মানেই স্বশিক্ষিত।-প্রমথ চৌধুরী।
সৎ লোক সর্বদা পরিতৃপ্ত।-জর্জ চ্যাপম্যান।
মাতৃভূমিকে যে ভালোবাসতে পারে না তার পক্ষে অন্যকিছুকে ভালোবাসা সম্ভব নয়।-বায়রন।
তোমার কর্মই তোমাকে মহিমান্বিত করবে।-লুইস মরিস।
বইবিহীন ঘর যেন জীবনবিহীন দেহ।-জন লিলি।
তোমার যদি পরিতৃপ্ত মন থাকে তবে তুমি জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবে।-প্লুটাস।
বোকাদের মধ্যে জ্ঞানীর অবস্থান হয় অনেকটা উন্মাদের মতো।-টমাস ফুলার।
নিজেকে তখনই জানা যায় যখন সবকিছু শেষ হয়ে যায়।-গ্যেটে।
কেউ মহান হয়ে জন্মায়, কেউ মহত্ত¡ অর্জন করে আবার কারো উপর মহত্ত¡ চাপিয়ে দেয়া হয়।-শেক্সপিয়র।
পরিবর্তনের জন্য প্রচেষ্টা থাকলে জীবনে অথবা সমাজে পরিবর্তন আসবেই।-ভিনসেন্ট।
যে বই পড়ে না তার মধ্যে মর্যাদাবোধ জন্মে না।-গোল্ড স্মিথ।
ডাক্তার বা উকিলের কাছে কোন কিছু গোপন করো না।-জর্জ হার্বার্ট।
সৌন্দর্যের সুষমা বিকশিত হয় শিষ্টাচারের মাধ্যমে, ভালো পোশাকে নয়।-ইমাম গাজ্জালী(রা.)।
জীবনে যখন দুর্দশা নেমে আসে তখন সে অবস্থাকে মেনে নেয়ার মধ্য দিয়েই তাকে অতিক্রম করা যায়।-উইলিয়াম জেমস।
অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের স্বাস্থ্য ভাল।-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জরিপ।
যে কোন বস্তুর গ্রহণযোগ্যতার উপরই নির্ভর করে তার মূল্য।-জন বার্থ।
সততার কাছে দুর্নীতি কোনো দিন জয়ী হতে পারে না।-শেক্সপীয়ার।
যেখান থেকে অহঙ্কারের শেষ হয় সেখানে সম্মানের শুরু।-ইয়ং।
কাপুরুষোচিত সৌজন্যের জন্য কেউ প্রশংসিত হয় না।-এমারসান।
মানুষকে জানা বড়ই কঠিন, তার চেয়েও বেশী কঠিন মানুষকে বুঝতে পারা।-নেপোলিয়ান।
দ্বিতীয়বার ভূল করে কেউ ভাগ্যকে দোষ দিতে পারে না।-ইংরেজী প্রবাদ।
যারা ভূল কম করে তাদের উন্নতি সুনিশ্চিত।-ডেল কার্নেগী।
তুমি নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ় করে তোল, তবে কেউ তোমার ওপর অন্যায় আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।-জন স্টুয়ার্ট মিল।
দুঃখ কখনো একা আসে না, সে দল বেঁধে আসে।-সেক্সপীয়ার।
বহু লোক আছে যাদের সাহস আছে কিন্তু কাপুরুষতার জন্য তার প্রকাশই নেই।-টমাস ফুলার।
গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে শত ব্যস্ততার মাঝেও আরেকটু ভেবে নেয়া উচিত।-জন ক্লার্ক।
কাজ শুরু করে ভাবো, কাজ শেষ করে আত্মবিশ্লেষণ করো-তাতে তোমার কাজে খুব বেশী ভূল হবে না।-ডেল কার্নেগী।
অসন্তুষ্টিই একজন মানুষ বা একটি জাতির অগ্রগতির প্রথম সোপান।-অস্কার ওয়াইল্ড।
দুখের একমাত্র মৌন ভাষাই হচ্ছে অশ্রæ।-ভলতেয়ার।
তোমার জন্য যদি সম্মানজনক কোন স্থান না থাকে তাহলে তুমি সবচেয়ে ভাগ্যহীন ব্যক্তি।-টুপার।
একটি ভালো বই নিঃসন্দেহে ভালো জিনিস, তবে একজন মহৎ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা তার চেয়েও ভালো।-বেঞ্জামিন ডিজরেলি।
দুর্নীতিপরায়ণ স্বাধীন মানুষ দাসেরও অধম।-গ্যারিক।
ক্ষুদ্র ব্যক্তির চেয়ে অনেক সময় মহৎ লোকেরও বড় ভুল হয়।-ডবিøউ এস ল্যান্ডার।
একটি পিঁপড়ের গর্ত একটি বাঁধ ভাঙতে পারে।-জাপানী প্রবাদ।
যারা অপচয় করে তারা অবশ্যই শয়তানের ভাই এবং শয়তান প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।-আল-কোরআন।
অনেক মানুষ আছে যারা পশুর মতো নির্বোধ এবং পশুর মতোই গোঁয়ার।-মেরিডিথ।
সব ফুলেই মধু থাকে, কিন্তু মৌমাছিই সেই মধু বের করে আনতে পারে।-আর্থার পিটারম্যান।
সাহায্যের আশায় বসে না থেকে নিজে চেষ্টা করে দেখ।-মাইকেল ডেভিস।
যারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে চায় না তারা কখনো লাভবান হতে পারে না।-জেফারসন।
একজনের ভুল দেখিয়ে দেয়া আর তাকে সত্যের সন্ধান দেয়া-এ দুইয়ের মধ্যে অনেক ব্যবধান রয়েছে।-জন লুক।
নৈতিক জগতে নবীনদের প্রাধান্য আর প্রজ্ঞার ক্ষেত্রে প্রবীণদের।-ফ্রান্সিস বেকন।
আমরা সেই সময়ই কৃতকার্য হই, যখন আমরা ভাল কিছু করার ইচ্ছা করি।-রুশো।
দুঃখ-কষ্টকে রোমাঞ্চকর করে দেখার মধ্যে কোন স্বার্থকতা নেই।-ম্যাক্সিম গোর্কি।
কথা মার্জিতভাবে বলতে জানলে তা অপ্রিয় হলেও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না।-ইয়ং।
যখন আমরা খারাপ ব্যাপরটা গহণ করতে প্রস্তুত থাকি তখন আমাদের আর কিছু হারাবার থাকে না।-ডেল কার্নেগী।
যারা শিশু ও নারীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন করে তারা বর্বর।-গ্রীন গর্ডন।
জগতে সর্বদাই দাতার আসন গ্রহণ করো।-স্বামী বিবেকানন্দ।
মহানুভবতা সাধারণত অবমূল্যায়িত হয়।-এমারসন।
যারা শিক্ষিত, শিক্ষা তাদের পক্ষে অন্য একটি সূর্য স্বরূপ।-হেরাক্লিটাস।
প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে তুচ্ছ জিনিসের মূল্যও বেড়ে যায়।-সাইমন।
সুনাম হলো বীরত্বপূর্ণ কাজের সুগন্ধস্বরূপ।-সক্রেটিস।
অন্য লোক একজন মানুষকে যতটা ঠকায়, একজন মানুষ নিজেই নিজেকে তার চেয়ে অনেক বেশী ঠকায়।-গ্রিভিল।
ছাত্ররাই যে কোন জাতির প্রাণশক্তি, মেরুদন্ড এবং প্রকৃত ভবিষ্যৎ।-টমাস রাইট।
উপদেশ দেয়ার সময় তোমার লক্ষ্য রাখতে হবে বন্ধুকে সহায্য করা, তাকে খুশী করা নয়।-সোলোন।
প্রবাদ হলো সংক্ষিপ্ত বাক্যাংশ, যা খুব বড় রকমের অভিজ্ঞতা থেকে আহরণ করা হয়েছে।-ইউলিয়াম পেন।
হৃদয়টাকে উঞ্চ আর মাথাটাকে ঠান্ডা রাখার জন্য আমাদের সব সময়ই সচেষ্ট হওয়া উচিত।-রবার্ট ব্রাউনিং।
একজন নারী তার ভাল রান্নার গুণের কারণে অনেক লোকের হৃদয় জয় করতে পারে।-পিটার এহুারসন।
বিজয় সুনিশ্চিত-এমন যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া উচিত।-মাও সে তুং।
সতর্কতা হচ্ছে নিরাপত্তার জননী।-এডমন্ড বার্ক।
যে বোকা তার কাছে পরামর্শের জন্য যাওয়া চরম বোকামি।-সেলডন।
দক্ষতা এবং দৃঢ় বিশ্বাস হলো একজন অজেয় সৈনিকের মতো।-জর্জ হার্বার্ট।
চরিত্র গঠনের কাজ শিশুকাল থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকে।-রুজভেল্ট।
ভ্রাতৃত্ব ও প্রেমের আসন হলো হৃদয়। এর শিকড় হৃদয় জুড়ে, কাদা বা পানিতে নয়।-আল্লামা ইকবাল।
একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির সাথে একত্রে বসে কিছুক্ষণ বাক্যলাপ অনেকগুলো বই পড়ার চেয়ে ভাল।-লং ফেলো।
ক্ষুদ্র স্ফুলিঙ্গ থেকে বিশাল অগ্নি বলয়ের সৃষ্টি হতে পারে।-দান্তে।
কেবল জ্ঞানীরাই উপদেশ অনুসরণ করে উপকৃত হন।-সাইরাস।
জীবনে উন্নতির জন্য বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতা প্রয়োজন।-ডেল কার্নেগী।
তিনিই প্রকৃত বন্ধু যিনি অহঙ্কার ও স্বার্থের উর্ধ্বে থাকেন।-জোসেফ রউক্স।
প্রতিটি মানুষ বন্ধুত্বের সন্ধানে জীবন কাটিয়ে দেয়।-এমারসন।
জ্ঞানী শিশু তার পিতাকে ভালভাবেই জানে।-হোমার।
শিক্ষকের প্রভাব অনন্তকালেও শেষ হয় না।-হেনরি এ্যাডামস।
প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার কর্মক্ষমতার উপর বিশ্বাস থাকা উচিৎ।-উইলিয়াম ব্লেক।
রাগান্বিত অবস্থায় কখনো চিঠির জবাব দিতে নেই।-চীনা প্রবাদ।
রাজা হোক আর চাষাই হোক, সেই সুখী যে তার নিজের গৃহে শান্তি খুঁজে পায়।-গ্যেটে।
তোমার যা আছে তাই দিয়ে অন্যকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করো।-রাসকিন।
ন্যায় বিচারের মতো এমন মহৎ ও স্রষ্ঠাতুল্য সৎ গুণ আর নেই।-জোসেফ এডিশন।
কোন মহৎ কাজই শেষ হয়ে যায় না, বরং তারাই শেষ হয়ে যায় যারা সে কাজের বিরোধিতা করে।-বেন জনসন।
একজন মহাবিলাসী লোকের কাছে সম্পদ খুব প্রিয়।-প্লেটো।
গাছপালা যেমন পরিচর্যার মাধ্যমে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, মানুষ তেমনি শিক্ষার মাধ্যমে সৎ নাগরিকে পরিণত হয়।-জ্যাঁ জ্যাক রুশো।
একজন মানুষকে ততটা বিশ্বাস করা উচিত নয়, যতটা সে হজম করতে পারবে না।-হেক্সলক হিল।
সাহায্য করা ভাল, কিন্তু সাহায্য যেন কাউকে অলস করে না তোলে।-এস গিলবার্ট।
শুধু অনুকরণ করে কোন মানুষ কখনো বড় হতে পারে না।-স্যামুয়েল জনসন।
মানুষের শত শত রোগ, আবার সব রোগের প্রতিকারও আছে।-ফ্রান্সিস বেকন।
তাই ভাল যার দ্বারা কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।-আলেকজান্ডার।
সাহসবিহীন জীবন দাসত্বের নামান্তর।-সিনেকো।
মানুষের মধ্যে সেবা করার চেয়ে সেবা গ্রহণের মানসিকতাই প্রবল।-নাথানিয়েল লী।
যখনই কোন ব্যক্তি বা জাতি আত্মবিশ্বাস হারায়, তখনই তার বিনাশ হয়।-স্বামী বিবেকানন্দ।
চিন্তার বিশেষত্ব এক জাতি থেকে অন্য জাতিকে পৃথক করে।-এমারসন।
উত্তম স্ত্রী এবং উত্তম স্বাস্থ্য পুরুষের জীবনে শ্রেষ্ঠ সম্পদ।-জন রে।
শৈশবে লজ্জা, যৌবনে ভারসাম্য এবং বার্ধক্যে ব্যয়সঙ্কোচন ও দূরদর্শিতার প্রয়োজন।-সক্রেটিস।
প্রত্যেকের কথা ধৈর্য ধরে শোনা একটি ভাল অভ্যাস।-লুসি লারকম।
জীবনের পথে আমরা যতই অগ্রসর হই, আমরা ততই আমাদের মাত্রা জানতে পারি।-ফ্রয়েড।
মানুষ যখন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে তখন তার সম্মান বিনষ্ট হয়।-হুইটিয়ার।
যখন ভাগ্য আমাদের পক্ষে থাকে তখন জনপ্রিয়তা হয় নিত্যসঙ্গী।-সাইরাস।
ঘোড়ায় চড়ার পর পড়ে যাওয়ার চেয়ে হেঁটে যাওয়াই ভাল।-জর্জ থ্যান্ড।
সমালোচনা ভালো। সমালোচনার ফলে মানুষ আত্মরক্ষায় তৎপর হয় এবং নিজের যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারে।-ডেল কার্নেগী।
আজ হোক, কাল হোক সত্য একদিন উদঘাটিত হবেই।-টমাস ফুলার।
তুমি যদি তোমার প্রতিটি পদক্ষেপ হিসেব করে ফেলো তাহলে বহুদূর যেতে পারবে।-টমাস ফুলার।
দাঁড়িপাল্লা সোনা ও সীসায় কোন প্রকার পার্থক্য নির্দেশ করে না।-জর্জ হার্বার্ট।
শীতল নিরপেক্ষতাই একজন পক্ষপাতশূন্য বিচারকের ধর্ম।-এডমন্ড বার্ক।
যশকে বীরত্বপূর্ণ কাজের সুগন্ধ বলা যেতে পারে।-সক্রেটিস।
শিশুদের মন স্বর্গীয় ফুলের মতই সুন্দর।-এডমন্ড ওয়ালার।
তিনিই ভাল সৈনিক যিনি নিজেকে কামানের গোলার নিশানার বাইরে রাখেন।-ফ্রান্সিস বেকন।
স্মৃতি হচ্ছে এমন এক ডায়েরী যা আমরা সবাই বয়ে বেড়াই।-অস্কার ওয়াইল্ড।
একজন খারাপ লোকের পক্ষে ভাল কাজ করা সত্যি কঠিন।-ম্যারি ম্যাক কার্টা।
দারিদ্র অনেক প্রতিভাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে।-ইঙ্গারসোল।
একজন শিক্ষকের ওপরই বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে।-এইচ. জি. ওয়েলস।
সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে সঙ্কটের কাছে না যাওয়া।-হুইটিয়ার।
অন্যের সাফল্যে যারা ঈর্ষান্বিত হয় তারা কখনো সাফল্য অর্জন করতে পারবে না।-প্যাটারসন।
সদাচার মানুষকে তৈরী করে।-ডানিয়েল ডিফো।
মানব জীবনের সাফল্যের ক্ষেত্রে স্বার্থপরতাই হচ্ছে অন্যতম অন্তরায়।-গ্লাডস্টোন।
সাফল্য অনেক সময় দেরীও হতে পারে, তাই যার ধৈর্য নেই তার জীবনে সাফল্য নাও আসতে পারে।-জর্জ মেরিডিথ।
শিকল স্বর্ণনির্মিত হলেও কেউ তা গ্রহণ করতে চাইবে না।-জন হে উড।
বইয়ের মতো বন্ধুর পছন্দ করে গ্রহণ করো।-চার্লস ল্যাম্ব।
স্বদেশপ্রেম বলতে মানবতার সেবাকেই বুঝায়।-মহাত্মা গান্ধী।
সফল হতে চাইলে কাক্সিক্ষত বিষয়ে লেগে থাকতে হবে।-ডেল কার্নেগী।
মেজাজ ঠান্ডা রাখো, তাহলে সবাইকে শাসন করতে পারবে।-সেন্ট জ্যাস্ট।
সময় নিঃসন্দেহে মূল্যবান, কিন্তু সত্য সময়ের চেয়েও মূল্যবান।-ডিজরেলি।
পরিবর্তন ব্যতীত সংসারে কোন কিছুই স্থায়ী হয় না।-রজার।
বাধা অনেক সময় শিক্ষকের ভূমিকা গ্রহণ করে।-এডমন্ড বার্ক।
মানুষ প্রজাতি যেন বৃক্ষের পাতার মতো।-হোমার।
এক জরীপে জানা গেছে নারীর সবচেয়ে বেশী পছন্দ টাকা।-রঙ্গব্যঙ্গ।
তারাই সুখী যারা তাদের ভাঙ্গনের আওয়াজ পায় আর মেরামত করে নিতে পারে।-শেক্সপিয়ার
স্বাস্থ্য রক্ষার প্রথম কথাই হচ্ছে সুখী থাকা।-ফ্রান্সিস বেকন।
পারস্পারিক সেবার মনোভাব জীবনকে মহিমান্বিত করে।-হ্যাক্সলি।
বিয়ের আসরে বউ তালাক। বিয়ের আগেই তোমাকে তালাক দিলাম। এক তালাক, দুই তালাক ও তিন তালাক।-রঙ্গব্যঙ্গ।
অনেক দুঃখের মাঝেও সঙ্গীত মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারে।-জন রে।
যার অল্প আছে সে দরিদ্র নয়, যে বেশী আশা করে সে দরিদ্র।-ডানিয়েল। এ কথাটার অর্থ হল উৎপাদক শ্রেণীর সাথে বন্ডামি করা।
আইনের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষকে শক্তি দিয়ে বিরোধিতা করুন। কিন্তু পানাহার করুন বন্ধুর মত।-শেক্সপীয়ার।
একজন যোগ্য লোকের পেছনেই সর্বদা যোগ্য ব্যক্তিরা থাকেন।-চীনা প্রবাদ।
সত্যের সর্বোত্তম যুক্তি আছে।-সফোক্লিস।
অতিরিক্ত বিশ্রাম যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে।-হোমার।
মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মানুষ ক্ষুধার্ত থাকে।-জন পিয়ারসন।
অভিজ্ঞজনের পরামর্শ নেয়া ভাল।
এমন পদ্ধতিই অনুসরণ করো, যা তোমার পক্ষে সহজসাধ্য মনে হয়।-এডি ফিশার।
যারা একমুখে দু’রকম কথা বলে তারা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট।-
প্রথা সব কিছুকে সহজ করে দেয়।-জর্জ ম্যাথিউ।
সামর্থ্যরে বাইরে কোন কিছু করতে যাওয়া বোকামি।-জন ব্রাইট।
দীর্ঘজীবি হতে চাইলে সদা প্রফুল্ল থাকুন।-ডেল কার্নেগী।
সাধারণের সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ ব্যবহারের দ্বারাই মহৎ মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণীত হয়।-কারলাইল
জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখা কষ্টকর।-ডেলকার্নেগী।
ভয় করে নয়, কর্তব্য মনে করে অপরাধ মুক্ত হও।-ডেমোক্রিটাস।
মানুষের সাধুতার পরিচয় ব্যবহারে, পোশাকে নয়।-এ্যানন।
মিতব্যয়ী ব্যক্তিদের কখনো আর্থিক সংকটে পড়তে হয় না।-ডেল কার্নেগী।
বিজয়ের মুহূর্তে ক্ষতের বেদনা থাকে না।-সাইরাস।
যার জীবনে অর্থবহ ত্যাগ আছে তিনি শ্রদ্ধার পাত্র।-ভ্যান্স ল্যান্সকট।
সমুদ্রের প্রশংসা করো, কিন্তু স্থলে অবস্থান করো।-হার্বার্ট।
খ্যাতি ও যশকে সবাই ধরে রাখতে পারে না।-মেকলে।
শিল্পী তার শিল্পকর্মের মাধ্যমে সৌন্দর্য ও মাধুর্য বিতরণ করেন।-এমারসন।
কুসংস্কার মানুষের জীবনের একটি অন্ধকার দিক।-প্লেটো।
জগতে কোন সম্পর্কই স্বার্থহীন নয়।-ডি.এইচ.লরেন্স।
দক্ষতা এবং দৃঢ়বিশ্বাস হলো একজন অজেয় সৈনিকের মতো।-জর্জ হার্বার্ট।
সেই দৌড়ে নিশ্চিত বিজয়ী হতে পারে, যে নিজে দৌড়ায়।-বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।
উন্নতি চাইলে সর্বগ্রে ধৈর্যের প্রয়োজন। তারপর বুদ্ধির।-ডরোথি।
একজনের সহ্যগুণ অন্যদের জন্য অনুকরণীয়।-অলিভার হোমস।
দুর্ভাবনায় স্বাস্থ্যহানি ছাড়া মূলত কোন সমাধান আসে না।-সাইরাস।
যার মধ্যে পরোপকারের প্রবণতা নেই সে নিষ্ঠুর।-ইংরেজী প্রবাদ।
পূর্ব প্রস্তুতির উপরই সকল বিষয়ে সাফল্য নির্ভর করে।-কনফিসিয়াস।
যুদ্ধ হচ্ছে বর্বরদের ব্যবসা।-নেপোলিয়ন।
যারা স্বাধীন তাদের হুমকি দেয়া বৃথা।-সিসেরো।
হীনমন্যতা একটি দুরারোগ্য ব্যাধি।-ব্রæয়ার।
দুর্লভ কোন লক্ষ্য স্থির করার মাশুল হতাশার মাধ্যমেই শোধরাতে হয়।-গ্রাহাম গ্রীন।
আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন লোক মিথ্যা বলতে বা অন্যায় করতে পারে না।-পিথাগোরাস।
সৌজন্যের জন্য সব দরজাই খোলা।-টমাস ফুলার।
যে প্রতিবাদ করতে পারে না, তার প্রতিকার আশা করা অনুচিত।-জন এ্যাডামস।
ন্যায় বিচারের মতো সদগুণ আর নেই।-জোসেফ এডিসন।
অন্যের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কেউ জীবন পেতে পারে না।-শেক্সপীয়ার।
একটি দৃঢ় বিশ্বাস সত্যকে জড়িয়ে থাকে।-ফিনলে ডান।
জীবনে যদি অগ্রগতি না থাকে তবে সে জীবন অবাঞ্ছিত।-রোমাঁ রোলাঁ।
যে চিঠি লিখতে পারে না সে শিক্ষিত হয়েও মূর্খ।-সাইরাস।
ভেবে উত্তর দাও, নইলে পরে লজ্জিত হবে।-এরিস্টটল।
একজন সৎলোক সর্বদা তার দৃঢ়বিশ্বাসের উপর কাজ করে।-আলবেয়ার।
শিশুদের অন্ধকার ভীতি আর বড়দের মৃত্যুর ভয় একই রকম বিষয়।-ফ্রান্সিস বেকন।
নীচে নামাটা যত সহজ, উপরে উঠা তত সহজ নয়।-টমাস ফুল।
চমৎকার একটা নাম জীবনে কৃতিত্ব বহন করে না।-আব্রাহাম কাওলী।
অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু যায় পায়ে হেঁটে।-ডোনাল্ড জি. ডমচেল।
জীবন হচ্ছে মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী।-এস.টি. কোলারিজ।
কর্মদক্ষতাই মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় বন্ধু।-দাওরাণী।
সামাজিক নিরাপত্তার অভাব মানুষকে চোর বানাতে সাহায্য করে।-জন ফ্লোবেল।
যে আইন জনগণকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দান করবে সেটাই সর্বোচ্চ আইন।-এমণবুর।
আত্মোপলদ্বি হচ্ছে মানবিক সত্ত¡ার সবচেয়ে বড় দিক।-উইলিয়াম উইন্টার।
দুষ্ট লোকেরা নিজেরাই নিজেদের নরক তৈরী করে।-মিলটন।
অবিচার করার চেয়ে সহ্য করা অধিক অসম্মানজনক।-প্লেটো।
উৎকৃষ্ট বীজ থেকেই উত্তম বৃক্ষ জন্ম নেয়।-জন-রে।
সুন্দর পরিবেশই একমাত্র স্বর্গসম সুখ দিতে পারে।-ফিলিপ হেনরী।
প্রতিটা লোকই কোন না কোন বিষয়ে অজ্ঞ থাকে।-উইলিয়াম রোজারী।
সুন্দর পোষাক পরিহিত ব্যক্তিমাত্রই ভদ্রলোক নয়।-জন-রে।
পাওয়ার পদ্ধতিটা কষ্টকর হলেও এর ফল অত্যন্ত মধুর।-এরিষ্টেটল।
প্রকৃতি হচ্ছে প্রতিভাবানদের।-হল্যান্ড।
নিজের গোপন কথা রাখার অর্থ হলো, নিজেকে নিরাপদ রাখা।-জন ম্যাকি।
যে কথা কম বলে তাকে বোঝা মুশকিল।-জন সিমন্স।
আমার দেশের ইতিহাস আমার কাছে সবসময়ই গৌরবের।-শিলার।
মানুষের জন্য কাজ কর।-কাল-মার্কস।
জন্মদাতা হওয়া সহজ, কিন্তু পিতা হওয়া বড় কঠিন।-প্রবোধ কুমার স্যানাল।
ধার করা কাপড়ে শীত কাটেনা।-আরবী প্রবাদ।
সুন্দর চিন্তা-ভাবনা স্বাস্থ্য গঠনে সহায়ক।-টুপার।
বিশৃঙ্খলা আর দুর্ভাবনা মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।-ডেল কার্নেগী।
মিথ্যাবাদী সব সময় সত্যকে ভয় পায়।-রবসন।
মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুলের সৌরভের মতো।-চার্লস স্কয়ার।
শৃঙ্খলিত জীবন সৃজনশীল নয়।-শেলি।
মন্দ সাহচর্যের চেয়ে নিঃসঙ্গতা শ্রেয়।-জর্জ ওয়াশিংটন।
দুর্দিনে যারা সান্তনা দিতে এগিয়ে আসেন তারাই প্রকৃত আপনজন।-রডরিক্স।
প্রত্যেকের মধ্যেই সৌন্দর্য আছে, সবাই তা দেখতে পায় না।-কনফুসিয়াস।
আমাদের জানা নেই আমরা কি হবো।-শেক্সপিয়ার।
শিক্ষার ও প্রজ্ঞার আলো দিয়েই কুসংস্কার দূর করা সম্ভব।-ক্লিটন।
মানুষের কল্যাণের জন্য করা প্রতিটি কাজই সম্মানজনক।-উইলিয়াম ওয়াটসন।
আনন্দ এবং কাজ সময়কে সংক্ষিপ্ত করে।-শেক্সপিয়ার।
যা আজ করতে পার তা কালকের জন্য তুলে রেখ না।-চেষ্টার ফিল্ড।
অন্যের দুর্ভাগ্য দেখে সাবদান হওয়া খুব ভাল।-সাইরাস।
মহৎ লোকের অন্তর সর্বক্ষণ দগ্ধ হতে থাকে।-এডমন্ড বার্ক।
এমন লোকের বন্ধুত্বে বিশ্বাস করো না যে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে।-হযরত আলী(রা.)।
তুমি চিন্তা-ভাবনা করে নিজের সম্বন্ধে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই যথার্থ।-জিনো।
স্বল্প আয়ু হওয়া সত্তে¡ও ফুলের জীবন কত না মহিমাময়।-টমাস উইলসন।
হুকুম করার আগে সকলেরই উচিত হুকুম তামিল করতে শেখা-স্বামী বিবেকানন্দ।
সহনশীলতা এমন একটি গুণ যা থেকে সফলতা আসবেই।-জুভেনাল।
একটি ফুল দিয়ে কখনো মালা গাঁথা যায় না।-জজ হার্বার্ড।
নতুন কিছু জানার মধ্যে যেমন যন্ত্রণা আছে, তেমনি আনন্দও আছে।-ক্রিস্টোফার মরলে।
একজন অলস মানুষ স্বভাবতই খারাপ মানুষ।-এস.টি.কোলরিজ।
যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না।-হযরত আলী(রা.)।
নিজেকে দিয়ে যে অন্যকে বুঝতে পারে তার বোঝা ভুল হয় না।-জর্জ মুর।
আকাশে যেমন মেগ আছে, জীবনে তেমন সম্ভাবনাও আছে। তবে সচেষ্ট হয়ে তাকে জাগিয়ে তুলতে হয়।-মিস কারম্যান।
চিকিৎসকরা তিনটি পরামর্শ দেন-নিয়মমতো খাও,বিশ্রাম কর এবং উৎফুল্ল থাক।-ডবিøউ টি হেল সুথ।
একটি সন্দেহের নিকট একজন সৎ লোক কখনো আত্মসমর্পণ করে না।-এসটি কোল রজ।
বন্ধু থাকা ভাল কারণ প্রয়োজনে বন্ধুরাই এগিয়ে আসবে।-ফ্লেচার।
যার জ্ঞান নেই, তার শক্তি নেই।-ইমারসান।
সবাইকে খুশি রাখাটাই সবচেয়ে দুরূহ কাজ।-রবার্ট লুজেন্ট।
কারো কারো কাছে সহজ হওয়া ভাল, তবে সব কথা সবাইকে বলা যায় না।-ভার্জিল।
হাজার মাইলের ভ্রমণও একটি পদক্ষেপ দিয়ে শুরু হয়।-লিও সে।
বন্ধু হচ্ছে ছায়াদানকারী বৃহৎ বৃক্ষের ন্যায়।-এসটি কোলরিজ।
তোমার ভালোর জন্য তুমিই পথ খুঁজে বের করো।-টরেন্স।
প্রয়োজনের সময় বন্ধু এবং শত্রæ উভয়ের স্বরুপ পরিস্ফুট হয়।-ওয়াল্টার লিন্ডসে।
যে প্রতি পদে ভুল করে সে কখনো জ্ঞানী নয়।-এডমন্ড বার্ক।
যদি তোমার ভৃত্যু ভাল হয়, তবে মনিব হিসেবে তুমি নিশ্চয়ই ভাল।-রিচার্ড বাক্সটার।
একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি সাদা কাকের মতই দুর্লভ।-জুভেনাল।
পরিশ্রম করে ফলের জন্য অপেক্ষা করতে শেখ।-লং ফেলো।
তুমি নিজেকে যতটা ভাল পরামর্শ দিতে পার অন্য কেউ ততটা পারে না।-আর্থার হেল্প।
যে পরপোকার করে আনন্দ পায়, না পাওয়ার দুঃখ তার স্পর্শ করে না-স্যার উইলিয়াম।
পৃথিবীতে দেয়া প্রথম পদক্ষেপের উপরই আমাদের পরবর্তী দিনগুলি নির্ভর করে।-ভলতেয়ার
মানুষ রাগের বসবর্তী হয়ে যা বলে তা হাল্কাভাবে নাও।-মেরী কুইন।
যেখানে দুঃখ আছে তার পাশে একটি পবিত্র অঙ্গন আছে।-অস্কার ওয়াইল্ড।
কথা বলার পূর্বে চিন্তা করে দেখ সেটা বলা ঠিক হবে কিনা।-রাস্কিন।
ব্যক্তিত্ব গঠন ও মর্যাদা প্রাপ্তির সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে উদারতা।-হযরত ইমাম হোসেন(রা.)।
অস্থির মানসিকতা স্বাস্থ্য ও শান্তি দুটোতেই বিঘœ সৃষ্টি করে।-আফরাবেন।
যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিজস্ব সত্তাকে কাজে লাগায় না সে জীবনে উন্নতি করতে পারে না।-ডেবিড হিউম।
আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে কোন কাজেই কৃতিত্ব দেখানো যায় না।-থিওডোর মুর।
যে নদী গভীর বেশী তার বয়ে যাওয়ার শব্দ কম।-জন লিভগেট।
কাজ মানবজীবনের অনিবার্য পরিবেশ, মানবকল্যাণের প্রকৃত উৎস।-টলস্টয়।
ঘটনা পুরোপুরি না শুনে মন্তব্য করা উচিত নয়।-টমাস কিন।
বিদ্যার ভূষণ ধীরতা আর শক্তির ভূষণ ক্ষমা।-ইবনে আব্দুল রাব্বি।
অভিজ্ঞতা হলো দুঃখ-কষ্টের নির্যাস।-আর্থার হেল্পস।
যৌবনের সঞ্চয় বার্ধক্যের অবলম্বন।-সক্রেটিস।
সহায়-সম্বলহীন মানুষের মূল্যবান কথাও মূল্যহীন হতে দেখা যায়।-হযরত আলী(রা.)।
শিশু এবং বোকারা মিথ্যা কথা বলে না।-জন হে উড।
যে সম্মান করতে জানে না সে কিছুই জানে না।-টেনিসন।
সেই যথার্থ মানুষ, যে জীবনে পরিবর্তন দেখেছে এবং সাথে সাথে নিজেও পরিবর্তিত হয়েছে।-বায়রন।
মানুষ আঘাত পেলে তা একসময় ভুলে যেতে পারে, কিন্তু অপমানিত হলে তা সহসা ভুলতে পারে না। -লর্ড চেষ্টারফিল্ড।
স্মরণে রেখ, তোমার মাথা তোমার টুপির চেয়ে উপরে নয়।-জন লিলি।
জীবন সমুদ্রের মতো তরঙ্গ বহুল। সতর্কতার সাথে সাঁতার কাটলে সহজেই তার কূল মেলে।-জন হারভে।
মানুষের কল্যাণের জন্য করা প্রতিটি কাজই সম্মানজনক।-উইলিয়াম ওয়াটসন।
হাসি তামাশায়ও কখনো বন্ধুত্বে আঘাত দিতে নেই।-সাইরাস।
আত্মবিশ্বাসহীন পাখায় ভর করে আকাক্সক্ষা চরিতার্থ করা যায় না।-শেক্সপিয়ার।
যে কোন পরিবেশে সৎ থাকাটা একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম।-জনগে।
যাদের লজ্জা কম, তাদের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ কম।-আর. এইচ. বারহাম।
অন্যের কল্যাণ করার সময় অন্তরে বিশ্বাস রেখ, তুমি নিজেরই কল্যাণ সাধন করছো।-ফা’রাবী।
জীবনের সম্ভাবনাকে সচেষ্ট হয়ে জাগিয়ে তুলতে হয়।-মিস কারম্যান।
যদি ভুল কর, তবে তা সংশোধনের জন্য বিলম্ব বা লজ্জাবোধ করোনা।-কনফুসিয়াস।
বৃষ্টি যেমন শুস্ক জমিনকে সতেজ করে, জ্ঞানও তেমনি নির্জীব অন্তরকে সজীব করে।-লোকমান হাকিম।
অস্থিও মানসিকতা স্বাস্থ্য ও শান্তি দুটোতেই বিঘœ সৃষ্টি করে।-আফরাবেন।
একজন ভালো মানুষ, ভালো মানুষ তৈরী করতে পারে।-মেনান্ডার।
সংকীর্ণ মানসিকতা যতখানি অশান্তি আনে, ততখানি আর কিছুতে আনে না।-ফ্রাঙ্ক পুটনাম।
দূনীর্তিকে যতই প্রশ্রয় দেয়া যাবে, ততই তা বাড়বে।-স্যামুয়েল দানিয়েল।
নিরাশ হয়ো না তাতে আয়ু  হ্রাস পায়।-এরিস্টটল।
অনেক সময় ভালোকে ভালো বলার জন্য সৎসাহসের প্রয়োজন হয়।-দান্তে।
যে সৎ চিন্তায় নিমগ্ন থাকে কলুষতা তাকে স্পর্শ করতে পারে না।-জর্জ লিনলে।
ইতিহাসের অভিজ্ঞতা বলে ভাগ্য তাঁদেরই পক্ষে যায় যাঁদের নিজেদের পূর্বপ্র¯ত্ততি থাকে।-লুই পা¯ত্তর (ফরাসি বিজ্ঞানী)।
লক্ষ্য অর্জন কোনো ভাগ্যের বিষয় নয়, এটি নিশ্চিতভাবেই নিজের অর্জনের ব্যাপার।-উইলিয়াম জে ব্রায়ান (মার্কিন রাজনীতিবিদ)।
মানুষ ভাগ্যের শৃঙ্খলে বন্দী নয়, বরং সে বন্দী নিজের চিন্তা-চেতনার কাছে।-ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট)।
কোনো মহৎ প্রতিভাই কিছুটা পাগলামো ছাড়া হতে পারে না।-সেনেকা(রোমান দার্শনিক)।
নিরানব্বই ভাগ পরিশ্রম আর এক ভাগ অনুপ্রেরণার সম্মিলিত রূপই প্রতিভা।-টমাস আলভা এডিসন (মার্কিন বিজ্ঞানী)।
প্রত্যেক মানুষই প্রতিভা নিয়ে জন্মায় কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা ধরে রাখতে পারে না।-এডগার্ড ভার্জ (ফরাসি সংগীতজ্ঞ)।
কর্ম থেকে কর্তৃত্বকে যতই দূরে পাঠানো যাবে ততই মজুরির বোঝা হয়ে মানুষকে চেপে মারবে।-রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর।
এমন কোনো মানুষকে তোমার কাজের দায়িত্ব দিও না যে শুধু টাকার জন্য কাজ করবে; বরং তাকে দায়িত্ব দাও, যে ভালোবেসে কাজটি করবে।-হেনরি ডেভিড থরো (মার্কিন লেখক)।
মানুষ ভুলে যায় কত দ্রুত তুমি কাজটি করেছ, বরং মনে রাখবে কাজটি কত নিখুঁত হয়েছে।-জেমস হাওয়ার্ড (মার্কিন চলচ্চিত্রকার ও সমালোচক)।
প্রযোজনের তাগিদেই মানুষ কিছু সৃষ্টি করে।-স্টেইন ভবলেন (নরওয়েজীয় সমাজবিজ্ঞানী)।
যে ব্যক্তি শিক্ষাকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন তিনিই প্রকৃত সৃজনশীল মানুষ।-চার্লস কোঁরিং (মার্কিন প্রকৌশলী)।
ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভালো ধারণাই একজনকে নতুন কিছু করতে উদবুদ্ধ করে।-এলান কি (মার্কিন কমপিউটার বিজ্ঞানী)।
যেকোনো সাফল্যের পেছনে কারও না কারও অনুপ্রেরণা থাকে।-প্রবাদ।
অন্যের প্রেরণার চেয়ে নিজের বুদ্ধিকে বেশি গুরুত্ব দাও।-অ্যারন কপল্যান্ড(মার্কিন সংগীতজ্ঞ)
অজ্ঞতা মানুষের জীবনে অন্ধকার রাতের মতো, যে রাতের আকাশে চাঁদ কিংবা তারা কোনোটিই থাকে না।-চৈনিক দার্শনিক (কনফুসিয়াস)।
অজ্ঞতা কখনোই কোনো প্রশ্নের মীমাংসা করতে পারে না।-বেঞ্জামিন ডিজরেলি।
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর, কিন্তু তাই বলে বিদ্যাহীনতা মোটেও ভালো কথা নয়।-বব এডওয়ার্ড।
মানুষকে বিশ্বাস করো, তারা তোমাকে সততা দেখাবে; তাদেরকে মহৎ ভাবো, তারা তার প্রতিদান দেবে।-র‌্যালফ এ এমারসন (মার্কিন লেখক)।
অক্ষম ব্যক্তির শেষ আশ্রয় হিংস্রতা।-আইজাক আসিমত(মার্কিন লেখক ও বিজ্ঞানী)।
ক্রোধ নয়, হিংস্রতা নয়, অধ্যবসায় দিয়েই অম্ভবকে জয় করা সম্ভব।-প্লাটার্স(গ্রিক লেখক)।
শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে অর্জিত জয় ক্ষণস্থায়ী; তা আসলে পরাজয়েরই নামান্তর।-মহাত্মা গান্ধী।
ক্ষুদ্রের সহিত হাতাহাতি করিয়া দিন যাপনকেই জয়লাভের উপায় বলে না-তাহার চেয়ে উপরে ওঠায় জয়।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উপদেশ দেওয়া সহজ, উপায় বলিয়া দেওয়াই শক্ত।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
নিজের মনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করার মাধ্যমেই নিজের উন্নতি ঘটে।-এডওয়ার্ড গিবন।
যেকোনো বিজয়ের মুহূর্তে সতর্ক থাকা দরকার। কারণ, বিজয়ের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে পরাজয়ের বীজ।-র‌্যালফ সকম্যান (মার্কিন ধর্মতত্ত¡বিদ)।
মহৎ ব্যক্তির ওপর সহজেই আস্থা রাখা যায়।-সোলোন (গ্রিক কবি)।
যখন মানুষ কোনো কিছু আগাগোড়া অর্থহীনভাবে করে, তা অবশ্যই কোনো না কোনো মহৎ চিন্তার প্রতিফলন।-অস্কার ওয়াইল্ড (আইরিস কবি)।
শত পুস্পের বিকাশ হোক, শত মতের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা চলুক।-মাও সে তুং।
যত মত তত পথ।-প্রবাদ।
মানুষের আত্মা শাশ্বত ও অবিনশ্বর।-প্লেটো।
আত্মার অনুসন্ধান কোরো না, কারণ জীবন অবিনশ্বর।-পিনডার (গ্রিক কবি ও দার্শনিক)।
অবিনশ্বরতার প্রথম শর্তই হচ্ছে মৃত্যু।-স্ট্যালিন জে লেক (পোলিশ লেখক)।
সমালোচনা ছাড়া কেউ সফল হতে পারে না।-মার্কিন প্রবাদ।
যদি সমালোচনা এড়িয়ে চলতে চাও, তাহলে কিছুই করতে পারবে না, কিছুই বলতে পারবে না, তুমি হয়ে পড়বে অপদার্থ।-অ্যালবার্ট হাবার্ড (মার্কিন লেখক ও প্রকাশক)।
সমালোচনা শীতল বাতাস সইতে পারা স্বাস্থ্যের লক্ষণ।-মোতাহের হোসেন চৌধুরী (বাঙালি প্রাবন্ধিক)।
অন্য কোনো কিছুই অভ্যাসের মতো শক্তিশালী নয়।-ওভিড (রোমান কবি)।
কৌতূহল দমন কোনো ভালো অভ্যাস নয়।-মার্কিন প্রবাদ।
ন্যায়বিচারের তরবারিতে কোনো খাপ থাকে না।-আরব প্রবাদ।
অবিচারের একটি ঘটনার ন্যায়বিচারের জন্য হুমকিস্বরূপ।-মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র (মার্কিন বিপ্লবী)।
বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার অর্থই হচ্ছে ন্যায়বিচারকে প্রভাবিত করা।-উইলিয়াম গ্লাডস্টোন।
পাপকে ঘৃণা করো, পাপীকে নয়।-প্রবাদ।
সঠিক তথ্য না জেনেই আমরা কিছু মানুষকে ঘৃণা করি, আর ঘৃণা করি বলে তাঁদের সম্পর্কে কিছু জানতেও পারি না।-চার্লস কে কলটন (ব্রিটিশ লেখক ও সমালোচক)।
আমাদের নিজেদের অপছন্দের কোনো বৈশিষ্ট অন্যের মধ্যে থাকলেই কেবল আমরা তাঁকে ঘৃণা করতে পারি।-হারমান হেসে (নোবেলবিজয়ী জার্মান লেখক)।
কল্পনাই ডুবে বাস্তবতা এড়ানো যায় না।-প্রবাদ।
ভবিষ্যতের আশা-আকাক্সক্ষা কল্পনাকে সীমাবদ্ধ করে।-চার্লস এফ কোঁরিং(মার্কিন দার্শনিক)।
জ্ঞানের চেয়ে কল্পনাশক্তি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।-আলবার্ট আইনস্টাইন (নোবেলবিজয়ী জার্মান বিজ্ঞানী)।
তোমার জ্ঞানের পরিধির চেয়ে সম্মানকে বেশি গুরুত্ব দিয়ো না।-আরব প্রবাদ।
তরবারির আঘাতের চেয়েও মারাত্মক কুৎসাকারীর জিহŸা।-ফিলিপ সিডনি(ইংরেজ কবি)।
কুৎসা দ্রুত ছড়ায় বটে কিন্তু সত্যের মতো তা স্থায়ী হয় না।-উইল রজার(মার্কিন অভিনেতা)।
সব ভুল বোঝাবুঝির মূলেই রয়েছে ভাষা।-আঁতোয়া সাঁৎ জু পেরি।
ছোট বিষয় প্রকাশ করতে ভারী শব্দ ব্যবহার কোরো না।-শ্যামুয়ের জনসন।
চিন্তা করো জ্ঞানীর মতো কিন্তু যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করো সাধারণের ভাষা।-উইলিয়াম বি ইয়েটস।
একজন আদর্শবাদী অপরের সফলতার জন্য সহায়তার হাত বাড়ান।-হেনরি ফোর্ড।
আদর্শবাদী হিসেবে আমি জানি না, কোথায় চলেছি; কিন্তু এটা জানি যে আমি ঠিক পথে রয়েছি।-কার্ল স্যান্ডবার্গ।
বাঁধাকপির চেয়ে গোলাপের গন্ধ ভালো। কিন্তু আদর্শবাদীরা ঠিকইজানেন, বাঁধাকপিতে ভালো স্যুপ তৈরী হয়।-এইচ.এল.মেনকেল।
আমি অন্ধকারে যতটা দেখি, তার মাত্র এক শতাংশ আলোতে প্রকাশ করতে পারি।-এম.সি.অ্যাচার।
পৃথিবীতে দুই ধরনের আলো আছে-একটি আলোকিত করে, অন্যটি অন্ধকার দূরীভূত করে।-জেমস থার্বার(মার্কিন কার্টুনিষ্ট)।
সঠিক আলোয় সবকিছুই অসাধারণ।-অ্যারোন রোজ (মার্কিন চিত্রশিল্পী)।
মানুষের জীবনে দুটি বিয়োগান্ত ঘটনা বিদ্যমান ঃ হৃদয়ঘটিত প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার দুঃখ, আরেকটা হচ্ছে তা পূরণ হওয়ার যাতনা।-জর্জ বর্নার্ড শ।
মানুষ এমন এক প্রাণী, সে যত পায় তত চায়; তার প্রত্যাশা কখনো পূরণ হওয়ার নয়।-হেনরি জর্জ।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে কাজ ও প্রত্যাশা পরস্পর হাত ধরে চলে এবং এটি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
কৃতজ্ঞতা শুধু গুণই নয়, এটি মানুষের মহত্তম গুণ।-সিসেরো (গ্রিক দার্শনিক)।
কৃতজ্ঞতা হলো সৌজন্য বোধের সবচেয়ে সুন্দর প্রকাশ।-জ্যাক মারিত(ফরাসি দার্শনিক)।
কৃতজ্ঞতা হৃদয় থেকে উৎসারিত, যা অন্যের ভুল ক্ষমা করতে শেখায়।-চার্লস ই জেফারসন।
সরকার অন্যায় কাজ করলে তোমার পক্ষে ঠিক কাজ করা কঠিন।-ভলতেয়ার।
কিছু কিছু পরাজয় অনেক ক্ষেত্রে বিজয়ের চেয়েও বড় আনন্দের উপলক্ষ তৈরী করে।-মিশেল ডি মন্টি।
জীবনে প্রতিটি মানুষকেই এক বা একাধিক পরীক্ষায় হারতে হয়।-বদ্ধুদেব বসু(বাঙালি কবি)।
আত্মগর্ব মানুষের আত্মবিপর্জয় ডেকে আনে।-ঈসপ(রোমান নাট্যকার)।
মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান বাড়িয়ে চলার সাধনায় চিরদিন সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে থেকেছে আমিত্বের অহঙ্কার। আমি যেটুকু জানি সেটা জানাই যথেষ্ট-এ অহঙ্কার।-মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুধু সফল ব্যাক্তিদের আত্মগর্ব পৃথিবী মেনে নেয়, বাকিদের নয়।-জন বøাক।
পাওনাদারের চেয়ে দেনাদারের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়।-বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।
ভালোবাসার স্মৃতি সবচেয়ে মধুর।-শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়।
স্মৃতি হচ্ছে ডায়েরি, যা আমরা সব সময় বয়ে বেড়াই।-অস্কার ওয়াইল্ড(ইংরেজ কবি ও নাট্যকার)।
চোখ আলোর মধ্যেই পূর্ণ হয়। কান শব্দের মধ্যে সার্থক হয়।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রত্যেক মানুষই স্বতন্ত্র ও অদ্ভুত।-উইলিয়াম শেক্সপিয়ার(ইংরেজ নাট্যকার)।
মানুষের সামর্থ্য অফুরন্ত, কিন্তু সে তার ক্ষমতা সম্পর্কে সামান্যই জানে।-জাঁ পল সার্ত্রে।
জ্ঞানের চেয়ে কল্পনাশক্তি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।-আলবার্ট আইনস্টাইন।
বাস্তবতার বিরুদ্ধে লড়াই করার হাতিয়ার হলো কল্পনা।-জুলি দ্য গলাত।
ভবিষ্যতের আশা-আকাক্সক্ষা আমাদের কল্পনাকে সীমাবদ্ধ করে।-চার্লস এফ কোঁরিং।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে, বিরামহীন চলার মধ্যেই সাফল্য নিহিত।-আনা পাভলোভা।
মানুষ সফল হওয়ার জন্যই জন্মায়, ব্যর্থ হওয়ার জন্য নয়।-হেনরি ডেভিড থরো।
সাফল্য একটাই-নিজস্ব ধারায় জীবনযাপন করতে পারা।-ক্রিস্টোফার মোরলে।
তোমার নীরবতা, তোমার সম্মতিরই প্রকাশ।-ইউরিপিডিস(গ্রিক নাট্যকার)।
দুজন ব্যক্তি যদি সব বিষয়ে একমত হন, তাহলে এটা নিশ্চিত যে তাদের মধ্যে কেবল একজনই চিন্তার কাজটি করেছেন।-লিনডন বি. জনসন।
আমি মুখে যা বলি তার সবগুলোর সঙ্গে সব সময় যে একমত পোষণ করি, তা নয়।-মার্শাল ম্যাকলুহান।
সুস্বাস্থের জন্য শরীর ও আত্মার যুগপৎ যতœ প্রয়োজন।-ক্লিওবালাস(গ্রিক দার্শনিক)।
বিশ্বে আসলে একটিই উপাসনালয়, আর সেটি হচ্ছে মানুষের শরীর।-নোভালিস।
আত্মসচেতনতা বা আত্মরক্ষামূলক কোনো ঘটনায় মনের প্রথম পদক্ষেপটি আসে শরীর থেকে- জর্জ শিহান।
‘যত ধীরেই হোক প্রগতি অর্জন করা কাউকে নিরাশ কোরো না।’-প্লেটো (খ্রিষ্টপূর্ব ৪২৭-৩৪৭)।
‘সংঘাত ও দ্ব›েদ্বর মধ্য দিয়ে প্রগতি ঘটে।’-কার্ল মার্কস(১৮১৮-১৮৮৩), জার্মান দার্শনিক।
ভালোবাসায় ভয় পাওয়া মানে জীবনকেই ভয় পাওয়া; আর যারা জীবনকে ভয় পায়, এরই মধ্যে তারা তিনবার মরেছে। বার্টান্ড রাসেল(১৮৭২-১৯৭০), ইংরেজ দার্শনিক।
জন্ম ও মৃত্যু কারও ইচ্ছাধীন নয়, তাই মধ্যবর্তী সময়টুকু উপভোগ করাই শ্রেয়।-জর্জ সান্তানা
‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি হলো স্বাধীনতা।’ অ্যারিস্টটল (খৃষ্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২)
রাষ্ট্র থাকলে (নাগরিকদের) স্বাধীনতা থাকে না, আর স্বাধীন সমাজে রাষ্ট্র থাকতে পারে না।’-লেনিন।
মানুষের শরীরের মোট ওজনের ৬৫ শতাংশ হলো অক্সিজেন।
সোয়াজিল্যান্ডের মানুষের গড় আয়ু ৩২ বছর, যা বিশ্বগড়ের চেয়েও অর্ধেক।
আমাজান নদীর দৈর্ঘ্য ৬,২৭৫ কিলোমিটার।
লবণ কম খান, সুস্থ থাকুন।
ভারতের দিল্লি শহরের জ্ঞানেশ রিশি এক লোক আধালিটারের একটা সসের বোতল ৩৯ সেকেন্ডে নিঃশেষ করতে পারেন!
বস্ত্র ধৌতি হলো ভারতীয় যোগীদের একটা অনুশীলন। এ অনুশীলনে ২৫ ফুট দীর্ঘ এক ফালি কাপড় খাওয়া হয় পাকস্থলী ও খাদ্যনালি পরিস্কার করার জন্য।
সিংহ দিনে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায় এবং এভাবে এক বা দুই দিন না খেয়ে কাটিয়ে দেয়।
‘ডেভি ক্রকেট’ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্র পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র, যা একজন যুদ্ধবীরের নামানুসারে রাখা হয়। এখন একেবারেই অব্যবহৃত ওই অস্ত্রটির ওজন ছিল মাত্র ৭৬ পাউন্ড।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ২০ বছর ধরে বহু বিলিয়ন নগদ ডলার রেখেছে। পারমাণবিক আক্রমণের সময় যাতে সেগুলো কাজে লাগানো যায়।
প্রতি ৯৮ মিনিটে ইংরেজি ভাষায় একটি করে নতুন শব্দ যুক্ত হচ্ছে।
কমপিউটার এক অপদার্থ। সেগুলো উত্তর দেওয়া ছাড়া আর কিছু জানে না।-পাবলো পিকাসো
কমপিউটারের ভেতর আপনি যা কিছুই রাখুন না কেন, এর ওজন বা আকার তাতে বাড়বেও না, কমবেও না।-বিল গেটস।
‘বিজ্ঞান হলো সুগঠিত জ্ঞান, আর প্রজ্ঞা হলো সুগঠিত জীবন।’-ইমানুয়েল কান্ট।
পৃথিবীর এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ এক ধরনের দাসত্বে বা বলপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত।
পৃথিবী সফল লোকের দর্প সহ্য করে, অন্য কারও নয়।-জন বেøক।
গোঁড়ামির ওপরে প্রতিষ্ঠিত মতাদর্শ সব সময়ই সর্বোচ্চ সহিংসতা ডেকে আনে।-ফ্রান্সিস জেফরি।
যখন ভালো কিছু করি, তখন ভালো লাগে; যখন মন্দ কিছু করি, খারাপ লাগে। এটাই আমার ধর্ম।-আব্রাহাম লিংকন।
লোকজনকে পেটানোর বাইরেও অনেক মজার কাজ আছে।-মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।
মানুষ যখন কথা বলে, পূর্ণভাবে শোনো। বেশির ভাগ মানুষ অন্যের কথা শোনে না।-আর্নেস্ট হেমিংওয়ে(১৮৯৯-১৯৬১), মার্কিন কথাসাহিত্যিক।
আপনি কী জানেন, আর কী জানেন না, সেটা জানাই হচ্ছে জ্ঞান। কনফুসিয়াস(চীনা দার্শনিক)
জ্ঞানের মাধ্যমে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সংখ্যা দিয়ে নয়। প্লেটো (গ্রিক দার্শনিক)।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে যৌবন ও নারীর সৌন্দর্য। চাণক্য (ভারতীয় দার্শনিক ঃ খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০-২৭৫)
যেখানে হইচই আছে, সেখানে প্রকৃত জ্ঞান নেই। লেওনার্দো দা ভিঞ্চি(ইতালী শিল্পী ও বিজ্ঞানী।
এ পর্যন্ত ১১২টি মৌলিক পদার্থ বিশ্বে আবিস্কার হয়েছে। প্রসঙ্গত, নতুন মৌল আবিস্কারের পর্যায় সারণিতে এখন পর্যন্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও জার্মানির বিজ্ঞানীদেরই অবদান রয়েছে। ফক্স নিউজ। সৌরজগতের বাইরে ৭১৫টি গ্রহ আবিস্কৃত। ২৭-০২-২০১৪ তারিখে বলেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪২৩টি হাওর রয়েছে। দেশের মোট আয়তনের ৬ ভাগের ১ ভাগ জুড়ে এ হাওরাঞ্চলে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস।
বাংলাদেশে প্রায় ২১ হাজার কিলোমিটার সড়কের মধ্যে চার হাজার সাত কিলোমিটার সড়ককে জাতীয় সড়ক ও মহাসড়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চীনের ইউয়ান রাজত্বের (১২৭১-১৩৬৮) মোঙ্গলীয় শাসকেরা সর্বপ্রথম কাগজের মুদ্রার অর্থনীতি চালু করেন।
৩১-০৫-২০১০ তারিখ জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশের ১০ হাজার ৪২২ জন শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করে।
একটি গড়পড়তা আলবাট্টস পাখির পাখার দৈঘ্য প্রায় ১৪ ফুট লম্বা হয়। ইচ্ছা করলে পাখিটি কয়েক বছর একনাগাড়ে উড়ে বেড়াতে পারে। এদের একেকটি ভ্রমণ প্রায় হাজার মাইল হয়ে থাকে।
‘পরিশ্রম করুন এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিন। বিশ্রাম না নিলে কর্মস্পৃহা সৃষ্টি হয় না।
‘মানুষ জন্মগতভাবেই জ্ঞানপিয়াসী।’ অ্যারিস্টটল (খ্রীষ্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২), গ্রিক দার্শনিক।
‘যদি না জানো, তাহলে নিজেকে বলো যে তুমি জানো না। আর যদি জানো, তাহলে বলো যে তুমি জানো-এটাই জ্ঞান।’ কনফুসিয়াস (খ্রীষ্টপূর্ব ৫৫১-৪৭৯)।
‘জ্ঞানই শক্তি।’ ফ্রান্সিস বেকন (১৫৬১-১৬২৯), ব্রিটিশ দার্শনিক।
ফিনল্যান্ডের একটি যায়গা ১২ ঘন্টা রাত আর ১২ ঘন্টা দিন। আর একটি যায়গা ২২ ঘন্টা দিন আর দু ঘন্টা রাত।
২০১২ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর লোকসংখ্যা ৭০৬ কোটি। আর পৃথিবীর আয়তন ১৯,৫২,১৭,৮০০ (উনিশ কোটি বায়ান্ন লক্ষ সতের কোটি আটশত) বর্গমাইল। প্রতিবর্গমাইলে বাস করে-৩৬.১৬ জন। একজনের ভাগে সাগরসহ ১,৭৬৯.৬৮ শতক বা ১৭.৭০ একর যায়গা পায়।
৫,৭০,১৭,০০০ (পাঁচ কোটি সত্তর লক্ষ সতের হাজার) বর্গমাইল। প্রতিবর্গমাইলে বাস করে-১২৪ জন। একজনের ভাগে যায়গা পায় ৫১৭.৮৭ শতক বা ৫.১৭ একর ।
বাংলাদেশে ২৫-০৭-২০১২ তারিখের হিসেবমতে ১৭(সতের) কোটি মানুষ। ৫৭,২৯৫ (সাতান্ন হাজার দুইশত পঁচানব্বই) বর্গমাইল। প্রতিবর্গমাইলে বাস করে-২,৯৬৭ জন। একজনের ভাগে যায়গা ২২.৯২ শতাংশ।
২০১২ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশি ফল রক্ষার আহবান ঃ শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে ১৩০টির বেশি দেশি ঐতিহ্যবাহী ফল রয়েছে।
২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : বাংলাদেশে গত চার বছরে প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন আত্মহত্যা করেছেন। আত্মঘাতীদের বড় অংশের বয়স ২১ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। বেশির ভাগ নারী গলায় দড়ি, পুরুষ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
আগামীকালের কাজ ভালো করার সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি হলো আজ কাজ ভালো করে করা। এলবার্ট হাবার্ড।
বাংলাদেশের অন্তর্গত সুন্দরবনের আয়তন কত-২৪৯৯ বর্গমাইল।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প কোনটি-তিস্তা সেচ প্রকল্প।
‘‘আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে। সন্ধ্যাবেলায় দ্বীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় সলতে পাকানো।’’ এ অধ্যায় সেই ‘‘সকালবেলায় সলতে পাকানো।’’
(ইকবাল হোসেন সুমন)

ম্যানিফেস্টো নির্বাচন উপলক্ষে জনগণের বিবেচনার জন্য ঃ

‘‘জনগণকে ঘোষণা দিতে হবে যে, দেশ যতদিন অর্থনৈতিকভাবে উন্নত ও আত্মনির্ভর না হচ্চে এবং সবার জন্য পুষ্টিকর খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানুষের বসবাসের উপযোগী বাসাবাড়ি, আধুণিক চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি না হচ্চে ততদিন সরকারকে ভোগবিলাসে স¤পদের অপচয় নিষিদ্ধ রাখতে হবে। জনগণের অপরিহার্যভোগের চাহিদা পূরণ করার পর দেশে উৎপাদিত স¤পদ, প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা ও বিদেশী সাহায্য দিয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো, প্রচুর শিল্প-কারখানা ও উন­ত কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। দ্বিতীয়তঃ বাংলাদেশের বাজার ভারতীয় পণ্য ও অন্যান্য বিদেশী পণ্য থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এ ঘোষণার ব্স্তাবায়ন ছাড়া কোন দল সরকারী ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। ক্ষমতাপ্রত্যাশী প্রতিটি দলকে এ ঘোষণা দিতে হবে। ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে এটাই হবে জনগণের নির্বাচনী ঘোষণা বা ম্যানিফেস্টো।”
আমাদের দেশের জনগণ আজকে ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন। বেকারত্ত¡ , দারিদ্র, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, আয়ের তুলনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ-পত্রের অতিরিক্ত দাম, ক্ষমতা ও ধন-স¤পদ কুক্ষিগত করার জন্য বড় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে হানাহানি, সন্ত্রাস, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, দুনীর্তি, চাঁদাবাজি, খুন-চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি-বিদেশে শিশু ও নারী পাচার,  নারী ও শিশু নির্যাতন ইত্যাদি বাংলাদেশের নিত্যদিনের ব্যাপার। সব দেশের মানুষের  কাছে নিজের দেশ খুবই প্রিয়। মানুষ নিজের দেশে আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতি পরিবেশের মধ্যে থাকতেই ভালবাসে। কিন্তু, আজকের বাংলাদেশ যেন বসবাসের অনুপযুক্ত। জনগণ দিশেহারা। মানুষের কাছে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলেই মনে হয়।  ফলে তরুণরা বিদেশে পাড়ি দিতেই আগ্রহী। তারা মনে করে বিদেশে যেতে পারলেই তাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর হয়ে উঠবে। কিন্তু, একটা দেশের সব মানুষত আর বিদেশে যেতে পারে না। জনগণের একটা অতি ক্ষুদ্র অংশ বিদেশে গিয়ে নিজেদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরী করতে পারে। বাদবাকী আপামর জনগণের ভবিষ্যৎ দেশের ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আপামর জনগণ দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এম.পি., রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী ও দেশের কোটিপতি ধনীসহ যাদের বিদেশে বিষয়-সম্পত্তি আছে অথবা বিদেশী ব্যাংকে বিশাল অংকের টাকা জমা আছে, বিদেশে ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনা ও বসবাস করে তাদের দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন চিন্তা নেই। অবস্থা বেগতিক দেখলে তারা যখন ইচ্ছা তখন বিদেশে পাড়ি দিতে পারে। আমাদের দেশ যদি উন্নত হয় তা’হলে বিদেশে না গিয়েও এদেশেই সবার জন্য মোটামোটি একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভভব। কীভাবে এদেশকে উন্নত করা যায় অথবা আদৌ এদেশকে উন্নত করা সম্ভব কিনা সেটাই প্রশ্ন। এ প্রশের উত্তর এদেশের মানুষ জানে না। তাই মানুষ দিশেহারা।
আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আর বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, এরকম মনে করা ভুল। আমরা আজকে যে সংকটের সম্মুখীন পৃথিবীর অনেক দেশ তার চেয়েও বড় সংকট ও দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। জাপান ও জার্মানীর কথাই ধরা যাক। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে (১৯৩৯-১৯৪৫) এ দুইটি দেশ ধবংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। দিনরাত ইংরেজ ও আমেরিকানদের বোমাবর্ষণের ফলে জার্মানীর সব শহরই মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। শহরের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ সব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো(যেমন-সমুদ্র বন্দর, নদী বন্দর, বিমান-বন্দর, রেলপথ, সড়ক, সেতু, বাঁধ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি) ও সব ধরণের শিল্প-কারখানা ধবংস হয়ে গিয়েছিল। আমেরিকানরা এ্যাটম বোমা মেরে জাপানের দুইটি শহরকে একেবারে নিশ্চিহ করে দিয়েছিল। জাপানের রাজধানী টোকিওতে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলা হয়েছিল। যুন্ধের পর এ দুই দেশ কর্মক্ষম মানুষ, বিশেষ করে কর্মক্ষম পুরুষ মানুষের তীব্র অভাব দেখা দেয়। যুদ্ধে এ দুই দেশের কোটি কোটি মানুষ মারা যায় অথবা পুঙ্গ হয়ে পড়ে। অথচ, যুদ্ধের পর মাত্র দশ বছরের মধ্যে এ দুই দেশ যুদ্ধে ভয়াবহ ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠে আক্ষরিক অর্থেই ধবংসস্তুপের নীচ থেকে উঠে দাঁড়িয়েছিল। আজকের বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার পরেই জাপান ও জার্মনীর স্থান। আজ থেকে অর্ধ শতাব্দী আগে জাপান ও জার্মানীর পক্ষে যা সম্ভব হয়েছে। আমাদের পক্ষে একবিংশ শতাব্দীতে তা কেন  সম্ভব হবে না। আজকে পৃথিবী  অনেক এগিয়ে গেছে। এ সুযোগটা আমরা যদি কাজে লাগাই তা’হলে আমাদের এদেশকেও গড়ে তোলা সম্ভব। এক সময় এদেশের মানুষ দেশী-বিদেশী স্বার্থানেষী গোষ্ঠীর এ প্রচারে বিশ্বাস করতো যে আমরা যেহেতু দরিদ্র তাই অমাদের দরিদ্রই থাকতে হবে। কিন্তু এখন সবাই একবাক্যে স্বীকার করে যে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে দরকার সঠিক উদ্যোগ ও রাজনৈতিক কর্মপšহা।
আমরা আজকে যেসব সমস্যার সম্মুখীন বলে উপরে উলে­খ করা হয়েছে সেসব সমস্যা বর্তমান সমাজ ও অর্থনীতির সৃষ্টি। আমাদের জাতীয় অর্থনীতির বৈশিষ্ট হলো পশ্চাৎপদতা ও পরনির্ভরতা। এদেশের সরকার আমেরিকা, জাপান, বৃটেন প্রভৃতি উন্নত দেশের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা ও পরনির্ভরতার সুযোগ নিয়ে এসব “দাতা দেশ” নিজেদের ও ভারতের অর্থনীতির স্বার্থে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ভারতের বিশাল ও দ্রæত বিকাশমান অর্থনীতির সাথে আমেরিকা, জাপান,  বৃটেন প্রভৃতি দেশের স্বার্থ গভীরভাবে জড়িত। তাই দাতা দেশগুলির উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে অনুন্নত ও দরিদ্র রেখে ভারতকে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক স¤পদসহ সব রকমের সুবিধা দেওয়া। এটা এখন আর দেশবাসীর অজানা নয় যে, আমেরিকা ও ভারত আমাদের অতি মূল্যবান গ্যাস স¤পদ ভারতে রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও ক্ষমতাপ্রত্যাশী দলগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও পরনির্ভর কোন দেশের সরকারের পক্ষেই জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব নয়। বিদেশী সাহায্যের উপর নির্ভরশীল আজকের বাংলাদেশ সরকার এর ব্যতিক্রম নয়। অথচ, আমরা নিজেরা আমাদের গ্যাস ব্যবহার করে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হতে পারি। বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি, শিল্প ও কৃষিতে গ্যাস ব্যবহার করে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে উঠতে পারি। অবশ্য এজন্য বিশাল আকারে স¤পদ বিনিয়োগ করে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে উঠতে পারি। অবশ্য এজন্য বিশাল আকারে স¤পদ বিনিয়োগ করা দরকার। বিদেশীরাও যদি নিজেদের মুনাফার স্বার্থেই গ্যাস দিয়ে এখানকার অবকাঠামো, শিল্প ও কৃষির উন্নতির জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ করত তা’হলে আমরা গ্যাস রপ্তানি করার চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হইব। কিন্তু, আমেরিকা ও ভারতের উদ্দেশ্য হলো ভারতে গ্যাস রপ্তানি করে দ্রæত মুনাফা অর্জন। তাতে বাংলাদেশ গরিব থাকলে তাদের যায় আসে না। ভারত উন্নত হলে আমেরিকা, জাপান ও বৃটেনের মত ধনী দেশগুলির ব্যবসা-বাণিজ্য কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে। তাই আমেরিকা, ভারত ও এখানকার স্বার্থান্বেষী মহলের যুক্তি হলো, বাংলাদেশ একটি গরিব দেশ। গ্যাস ব্যবহার করার জন্য যে স¤পদ বিনিয়োগ করা দরকার সেই স¤পদ বাংলাদেশের নেই। তাই গ্যাস মাটির নীচে ফেলে না রেখে ভারতে রপ্তানি করলে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে। এটা হলো সেই যুক্তি যেটা শোষক মহাজন গরিব কৃষকের জমি গ্রাস করার জন্য দিয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে গ্যাস রপ্তানি করে যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে সেটা দেশে থাকবে না। বিদেশী কো¤পানী সেই অর্থ বিদেশে পাচার করবে। আর দেশের দুর্নীতিপরায়ন শাসকরা বিদেশী ব্যাংকে নিজেদের একাউন্টে জমা রাকবে। নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশে তাই হয়েছে। এদেশের শাসকরা পৃথিবীর অন্যতম দুর্নীতিবাজ বলে পরিচিত। ফলে, একদিন যখন মাটির নীচে গ্যাস শেষ হয়ে যাবে তখন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যাবে। আমরা তখন খালি থলে ধরে রাখব। অতএব, জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে আমাদের গ্যাস ভারতে রপ্তানি না করে অবিলম্বে বিদ্যুৎ ও শক্তি (পাওয়ার), শিল্প ও কৃষি উৎপাদনের কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু, এজন্য যে স¤পদ বিনিয়োগ করতে হবে সেটা কোথা থেকে আসবে? আমেরিকা বা দাতা দেশগুলির স্বার্থে কাজ না করলে তারা নিশ্চয় আমাদের সাহায্য করবে না। অতএব, বিদেশী সাহায্য নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ হলো আত্মনির্ভরতা। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে হবে। অবশ্য ইউরোপ ও আমেরিকা যুগ যুগ ধরে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে ধনস¤পদ লুট করে নিয়ে নিজেদের দেশকে উন্নত করেছে। আমাদের জন্য সে পথ বন্ধ। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আত্মনির্ভরতাই একমাত্র পথ।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল কথা হলো, প্রথমতঃ শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবকাঠামো গড়ে তোলা। বিদ্যুৎ শক্তি (পাওয়ার), আধুণিক প্রযুক্তি, সর্বপ্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিস্কাশন, নদী শাসন, সেচ, পানি স¤পদ, মাটির উর্বরতা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ইত্যাদি অর্থনৈতিক অবকাঠামোর অন্তর্ভূক্ত। দ্বিতীয়তঃ সামাজিক অবকাঠামোর উন­য়ন, অর্থাৎ শ্রমিক-কৃষক-মজুরসহ শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন (পুষ্টিকর খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে মানুষের বসবাসের উপযোগী বাসাবাড়ি, আধুণিক চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইত্যাদি)। দেশবাশীর স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার মান এবং সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন ছাড়া কোন দেশ আজকের যুগে উন্নত হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীর মুখে অহরহ একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার কথা শোনা যায়। কিন্তু, নড়বড়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো নিয়ে পৃথিবীর কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে এ ধরণের বাগাড়ম্বরই। এসব কথাবার্তা সংকীর্ণ  রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বলা হয়। অর্থনৈতিক উয়নের লক্ষ্যে প্রাকৃতিক স¤পদ ও মানব স¤পদকে কাজে লাগিয়ে দেশে মজবুত অবকাঠামো, প্রচুর শিল্পকারখানা ও  উন্নত কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এসবের জন্যেই বিশাল আকারে স¤পদ বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের মত একটি গরিব দেশে সেই স¤পদ বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের মত একটি গরিব দেশ সেই স¤পদ কীভাবে সংগ্রহ করবে? একটা বিষয় লক্ষ্য করলেই এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ এবং দেশের আপামর জনগণ যখন দরিদ্র তখন আমরা লক্ষ্য না করে পারিনা যে, দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এম.পি., ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রী ও দেশের কোটিপতি ধনীরা প্রাইভেট-কার, এয়ার-কন্ডিশনার, প্রাসাদের মত বাসাবাডি, ঘর সাজাবার দামী সরঞ্জাম, চোখ ধাধানো আনন্দ উৎসব, বিদেশ ভ্রমণ, বিদেশে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা, বিদেশে বসবাস ও বিষয়-স¤পত্তি ক্রয় ইত্যাদি নিয়ে অশল্পনীয়ভাবে বিলাসী জীবন-যাপন করছে। এসব ভোগবিলাসে দেশে উৎপাদিত স¤পদ, প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা ও বিদেশী সাহায্য অপচয় ও বিদেশে পাচার হচেছ। এভাবে এক শ্রেণীর মানুষের ভোগবিলাসে যে হাজার হাজার কোটি টাকার স¤পদ অপচয় ও বিদেশে পাচার হচেছ সেই স¤পদ কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিনিয়োগ করার জন্যে স¤পদের অভাব হবে না। সরকারী ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গ, আমলা ও তাদের সাথে যুক্ত ধনী ব্যক্তিরা বিভিন্ন পথে বিশেষ করে দেশের জনগণকে শোষন ও বঞ্চিত করে এবং দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে যে বিশাল ধনস¤পদের অধিকারী হয়ে থাকে সেটা ভোগবিলাসে অপচয় ও বিদেশে পাচার হয়। স¤প্রতি ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি সংস্থার রিপোর্টে উলে­খ করা হয়েছে, দুর্নীতির কারণে ২০০০ সালের প্রথম ৬ মাসে সরকারের ১১ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ক্ষতি সরকারের নয়, জনগণের হয়েছে। এদেশে বড় আকারের দুর্নীতির সাথে সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু কওে মন্ত্রী, আমলা, এম.পি. ও দেশের বড় ধনীরা জড়িত থাকে। এ দুর্নীতিবাজরা দেশের উৎপাদিত স¤পদ, প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা ও বিদেশী সাহায্য আত্মসাৎ করে। এদের দুর্নীতি প্রমাণ করা কঠিন। দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা এতই ক্ষমতাধর যে, তাদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোও অসম্ভব। তাছাড়া প্রশাসনের সর্ব স্তরেই ব্যাপক দুর্নীতি লক্ষ্য করা যায়।(এদেশে ছোট আকারের দুর্নীতিও আছে। যেমন, ভোট বিক্রি, অফিস-আদালতে ছোট কর্মচারীদের ঘুষ-দুর্নীতি ইত্যাদি। বাঁচার তাগিদে এই দুর্নীতি। কারণ সৎভাবে বাঁচার পথ বন্ধ। যখন মানুষ সৎভাবে বাঁচার সুযোগ পাবে তখন ছোট আকারের দুর্নীতি থাকবে না।) বড় দুর্নীতিবাজরা আদালতে হাজির না হলেও ছোট ’দুর্নীতিবাজদের’ ঠিকই আদালতের কাঠ গড়ায় দাঁড়াতে হয়। এ অবস্থায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে একমাত্র কার্যকর ব্যবস্থা হলো ভোগবিলাস ও বিদেশে স¤পদ পাচার বন্ধ করা। তাহলেই দর্নীতিলব্ধ অর্থ ভোগ করার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে দুর্নীতি করার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাবে। যে টাকা ভোগে আসে না সে টাকার কোন দাম নেই। তবে বিষয়টা শুধু দুর্নীতিলব্ধ স¤পদের ভোগবিলাসে অপচয় ও পাচার করা বা না করা নয়। দেশের বর্তমান অবস্থায় স¤পদের সকল ধরণের অপচয় ও বিদেশে পাচার বন্ধ করতে হবে। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল কারণ ছিল, বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের) স¤পদ পাকিস্তানে পাচার। আজও যদি স¤পদ বিদেশেই পাচার হয় তা’হলে স্বাধীনতার কী অর্থ? আর যারা দেশের স¤পদ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিদেশে পাচার করে তাদের সাথে তখনকার শাসক পাকিস্তানীদের কী পার্থক্য? বিদেশে তৈরী বিভিন্ন বিলাস সামগ্রী যেমন, প্রাইভেট-কার, এয়ার-কন্ডিশনার, ঘর সাজানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম, বিদেশী সিগারেট, মদ, বিদেশী দামী পোশাক ও প্রসাধনী ইত্যাদি আমদানি বা ভোগ পরোক্ষ স¤পদ পাচার। আর যখন বাংলাদেশী টাকাকে ডলার-পাউন্ডে পরিণত  করে বিদেশে পাঠানো হয় তখন সেটা প্রত্যক্ষ পাচার। এ ধরনের স¤পদ পাচারের কিছু খবরাখবর স¤প্রতি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। সরকার সমর্থক একটি বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, প্রধানমন্ত্রীসহ ১৫(পনর) জন মন্ত্রী, বর্তমান সংসদের সরকার ও বিরেধীদলের ৫৫ জন এম.পি., প্রাক্তন মন্ত্রী ও এম.পি.দের সন্তানেরা আমেরিকায় পড়ালেখা ও বসবাস করে। তা’ছাড়া আরও অনেক ধনীব্যক্তির সন্তানেরা বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়ে বিদেশে পড়ালেখা করছে। আর একটি জনপ্রিয় সাপ্তাহিকে প্রকাশিত বিবিসি’র বাংলা বিভাগের এক প্রবীণ এদেশীয় সাংবাদিকের লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিগত ৫ বছরে বাংলাদেশের অন্ততঃ ১৪০ জন সরকার ও বিরোধীদলীয়  রাজনীতিক ও আমলা যুক্তরাষ্টের একমাত্র নিউইয়র্ক শহরেই বেশ কিছু বাড়ি কিনেছে। এদের একজন কিছুদিন আগে সরকারী প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে আমেরিকা গিয়ে বাড়ি কিনেছেন। সন্ত্রাস ও হরতালের কারণে দেশে পড়াশুনার পরিবেশ না থাকায় তার স্কুলগামী সন্তানদের উপযুক্ত শিক্ষার(?) জন্যই নাকি সেদেশে তার বাড়ি কেনার (ও স¤পদ পাচার করার) প্রয়োজন হয়েছে বলে ওই রাজনীতিকের ধারণা। খবর অনুযায়ী বর্তমান সরকারের একজন উর্দ্ধতন মন্ত্রী নাকি নগদ অর্থে (এক মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ পাঁচ কোটি টাকারও বেশি মূল্যে) ৩টি বাড়ি কিনেছেন নিউইয়র্কে। লন্ডনেও কিনেছেন বেশ কিছু মন্ত্রী, আমলা ও অন্যান্য ধনী ব্যক্তি। এদেশের এক ডাকসাইটে রাজনৈতিক পরিবারের এক কন্যা লন্ডেনের অত্যন্তঃ ব্যয়বহুল হ্যা¤পস্টেডের অভিজাত এলাকায় বিরাট এক বাড়ির মালিক হয়েছেন। তিনি সে দেশে চাকরি বা অন্য কিছু করেন বলে কারও জানা নেই। বিবিসি’র উক্ত সাংবাদিক ৪০ বছর লন্ডনে থেকে ভাল চাকরি করেও হ্যা¤পস্টেডের বিশেষ এলাকায় বাড়ি কেনার কথা ভাবতেও পারেননি বলে তার লেখায় উল্লেখ করেছেন। যখন আমাদের দেশ শিল্পোন্নত হয়ে উঠবে এবং দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য নিয়মিত কাজ ও কাজের বিনিময়ে মানুষের মত বাঁচার আয়ের ব্যবস্থা হবে তখন বিলাস সামগ্রীর উপর কোনরুপ বিধি নিষেধ আরোপ করার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু আজকের অবস্থায় ধনীদের বিলাসিতা মেনে নেওয়া যায় না। স¤প্রতি জাতিসঙ্গের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (এসকাপ) থেকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের বার্ষিক মাথাপিছু আয়-৩(তিন) হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট-কার) ব্যবহার শুরু হয়। আর এদেশে মাথাপিছু আয় ৩০০(তিনশত) ডলারে উপনীত হওয়ার আগেই রাস্তায় প্রাইভেটকারের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা যায়।
এদেশে শ্রমিক কৃষক ও মজুরের চাহিদা খুবই কম। তাদের ভোগের পরিমাণ সামান্য। তারপরও তারা কঠোর পরিশ্রম করে স¤পদ উৎপাদন করে। তাদের খাওয়া-পড়ার পর উৎপাদিত বাড়তি বা উদ্ভৃত্ত স¤পদ ধনীরা ভোগবিলাসে অপচয় ও বিদেশে পাচার করে। ফলে, এখানকার উৎপাদিত উদ্ভৃত্ত স¤পদ দেশের জনগণের উপকারে আসে না। যখন উদ্ভৃত্ত স¤পদের অপচয় ও বিদেশে পাচার বন্ধ হবে এবং দেশ ও দেশের জনগণের অবস্থার উন্নতির জন্য সেই স¤পদ কাজে লাগানো হবে তখন শ্রমিক-কৃষক-মজুর ও অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষ প্রচন্ড উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে দেশ গড়ে তুলবে এবং বিনিয়োগের জন্য অধিক উদ্ভৃত্ত স¤পদ গড়ে তুলতে যেকোন ত্যাগ স্বীকার করতে পিছপা হবে না। এভাবেই দ্বিতীয মহাযুদ্ধের পর জাপান ও জার্মানীকে সেখানকার শ্রমিক-কৃষক-মজুর ও শ্রমজীবী মানুষ ধবংসতুপের নীচ থেকে গড়ে তুলেছিল। তারা সামান্য মজুরির বিনিময়ে দীর্ঘ সময় কাজ করেছে। এই অবস্থা যখন এদেশেও ঘটবে তখন বহু সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী এবং বিশ্বের অনেক দেশ সাহায্য নিয়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। আজকে যখন কৃষক মজুর ও শ্রমজীবীরা দেখছে যে তাদের পরিশ্রমে উৎপাদিত স¤পদ ক্ষমতাসীনরা ও তাদের সাথে স¤পর্কিত ব্যক্তিরা ভোগবিলাসে অপচয় ও বিদেশে পাচার করছে তখন তাদের থেকে পরিশ্রম ও উৎসাহ-উদ্দীপনা আশা করা যায় না। দেশের উন্নয়ন নিয়েও তারা খুব একটা মাথা ঘামায় না।
দুর্বল অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত উৎপাদন যন্ত্রের(কল-কারখানা, যন্ত্রপাতি ও কৃষি উপকরণ ইত্যাদি) অভাবই আমাদের দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ করে রেখেছে। এসব গড়ে তোলার জন্যই বিশাল আকারে স¤পদের বিনিয়োগ দরকার। কিন্তুু দেশের সমুদয় স¤পদই যদি ভোগে শেষ হয়ে যায় তা’হলে বিনিয়োগের জন্য স¤পদ পাওয়া যায় না। যে ভোগ ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না সেটা অপরিহার্য ভোগ। এ ভোগ নিষিদ্ধ করার প্রশ্নই উঠেনা। কিন্তু, ভোগবিলাসে স¤পদের অপচয় ও বিদেশে পাচার একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বন্ধ রাখতেই হবে। এটা করার জন্য সরকারকে বাধ্য করতে হবে। এ বাধ্য করাটা জনগণের কাজ। এ কাজটি কীভাবে করবে সেই প্রশ্ন এবং তার উত্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার আগে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা দরকার।
অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশ মানেই শিল্পোন্নত দেশ। শিল্পায়ন ছাড়া উন্নয়ন ফাঁকা কথা। দেশ শিল্পোন্নত না হলে সবার জন্য নিয়মিত কাজ ও বাঁচার মত আয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। এখন এদেশের মানুষ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বৈধ-অবৈধ পথে বিশ্বের বিভিন্ন শিল্পোন্নত দেশে(আমেরিকা, জাপান, জার্মানী, বৃটেন, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইাঁলী রাশিয়া, প্রভৃতি) এমনকি মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মত উন্নয়নশীল দেশে পাড়ি দেয়। আমাদের নিজেদের দেশ শিল্পোন্নত হলে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এক সময় আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স, জাপানসহ পৃথিবীর সব দেশই দরিদ্র ছিল। এসব দেশ শিল্পোপন্নত হয়েই নিজেদেও দারিদ্র-বেকারত্ত¡ জয় করেছেন। যেহেতু দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো শিল্পায়ন তাই শিল্পায়নের লক্ষ্য সামনে রেখেই সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। স¤পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে শিল্পায়নের লক্ষ্যকেই প্রাধ্যন্য দিতে হবে। দেশের শিল্পায়নের জন্য আরও যা দরকার তা’হলো, শিল্পজাত পণ্যের বাজার আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি একসময় এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার স্থানীয় শিল্প ধবংস করে ঐ বিশাল এলাকাকে নিজেদের শিল্পজাত পণ্যের বাজারে পরিণত করেছিল। এভাবে সৃষ্টি হয়েছে ইউরোপ-আমেরিকার নিয়মিত “বিশ্ব-বাজার”। তারা এসব দেশ থেকে সস্তায় কাঁচামাল এবং খনিজ স¤পদও নিয়ে যেত। আজ তার দরকারও নেই। আজকে আমাদের দেশই বিদেশী পণ্যে সয়লাব হয়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশে উৎপাদিত শিল্পজাত পণ্যের চাহিদা নেই বলে আমাদের অসংখ্য কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের জন্য আমাদেও দেশের বাজারকে ভারতসহ বিদেশী পণ্য থেকে রক্ষা করতে হবে। এরই পাশাপাশি বাজারের বিকাশ ও প্রসারের জন্য দেশের জনসাধারণের পণ্য সামগ্রী কেনার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ মুহুর্তে দেশের জনসাধারণের বিশেষ করে গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা বলতে কিছু নেই। জনসাধারণকে ক্রয়ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করে দেশের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গ, আমলা ও কোটিপতি বিলাসী ধনীরা বিশাল ক্রয়ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে। কিন্তু, তাদের বিশাল  ক্রয়ক্ষমতা থেকে দেশের শিল্পকারখানা উপকৃত হয় না। উপকৃত হয় বিদেশী শিল্পকারখানা। কারণ এ শ্রেণীর মানুষের কেনাকাটার বিরাট অংশ জুড়ে থাকে বিদেশী বিলাস সামগ্রী। তাই এ শ্রেণীর কেনাকাটা থেকে দেশ  ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং তার বিনিময়ে বিদেশীরা লাভবান হয়। দেশের শিল্পায়নের স্বার্থে এ শ্রেণীর কেনাকাটার ক্ষমতা কমাতে হবে। অর্থাৎ অপরিহার্য ভোগের মধ্যে তাদের ক্রয়ক্ষমতা ও ভোগ সীমাবন্ধ রাখতে হবে। ইউরোপের দেশগুলি ও আমেরিকা নিজ নিজ দেশের জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যাপক আকারে শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন (মাচ প্রডাকশন) চালু করতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে সেসব দেশে শিল্প উৎপাদনের অভুত পূর্ব বিকাশ ঘটেছে। আমাদের দেশে এভাবেই শিল্পজাত পণ্যের বাজার গড়ে তুলতে হবে। তার অর্থ এ নয় যে, রপ্তানি বাণিজ্যকে অবহেলা করা। রপ্তানি বাণিজ্যও দেশের শিল্পায়নের জন্য অপরিহার্য। কারণ, শিল্পায়নের জন্য অনেক কাঁচামাল ও প্রাথমিক পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। রপ্তানি ছাড়া এসব আমদানি সম্ভব নয়। কিন্তু রপ্তানির উপর নির্ভর করে পণ্য উৎপাদন (যেমন, তৈরী পোশাক ও চামড়া শিল্প) সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পলিসি হতে পারে না।
দেশের শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ হলো ভোগবিলাসে স¤পদের অপচয় ও বিদেশে পাচার বন্ধ করে বিনিয়োগ কয়েকগুন বৃদ্ধি করা এবং বিদেশী পণ্য থেকে নিজেদের বাজার সংরক্ষণ করা। এছাড়া আর কোন পথেই শিল্পায়ন সম্ভব নয়। সাধারণতঃ দেশের সরকারকেই এ কাজটা করতে হবে। কিন্তু, সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এম.পি. এবং ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতানেত্রীরা নিজেরাই যেহেতু বিলাসী জীবন-যাপন করে তাই সরকার নিজ থেকে ভোগবিলাস নিষিদ্ধ করে না। অন্যদিকে বিদেশী সাহায্যের উপর নির্ভরশীল সরকারের পক্ষে নিজেদের বাজার সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। যতদিন দেশের স¤পদ ভোগবিলাসে অপচয় ও বিদেশে পাচার হবে এবং দেশের বাজার বিদেশী পণ্যে সয়লাব থাকবে ততদিন পরনির্ভরতা ও পশ্চাৎপদতা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা আছে। একটা পথ হলো, বর্তমান অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা ও পরনির্ভরতা মেনে নেওয়া। অপরটি অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও আত্মনির্ভরতা। আমাদের দেশের শাসকরা ও তাদের সমর্থক বিলাসী ধনীরা নিজেদের আরাম-আয়েশের স্বার্থে পশ্চাৎপদতা ও পরনির্ভরতার পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু, দেশের জনগণ নিজেদের সুখ-শান্তি ও দেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পশ্চাৎপদতা ও পরনির্ভরতা মেনে নিতে পারে না। জনগণকে অবশ্যই অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও আত্মনির্ভরতার পথ বেছে নিতে হবে। মুষ্টিমেয় কিছু লোকের আরাম-আয়েশের জন্য কোটি কোটি মানুষ দুঃখ-দারিদ্রের মধ্যে পড়ে থাকবে কেন? তাই অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা ও পরনির্ভরতার পরিবর্তে অগ্রগতি ও আত্মনির্ভরতা অর্জনের জন্য ভোগ-বিলাসে স¤পদের অপচয় ও পাচার বন্ধ এবং বিদেশী পণ্য নিজেদের বাজার সংরক্ষণ করার জন্য সরকারকে বাধ্য করতে হবে। জনগণকে ঘোষণা দিতে হবে যে, দেশ যতদিন অর্থনৈতিকভাবে উন্নত ও আত্মনির্ভর না হচেছ এবং সবার জন্য পুষ্টিকর খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স¦াস্থ্যকর পরিবেশে মানুষের বসবাসের উপযোগী বাসাবাড়ি, আধুনিক চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি না হচেছ ততদিন সরকারকে ভোগবিলাসে স¤পদের অপচয় নিষিদ্ধ রাখতে হবে। জনগণের অপরিহার্য ভোগের চাহিদা পূরণ করার পর দেশে উৎপাদিত স¤পদ, প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা ও বিদেশী সাহায্য দিয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো, প্রচুর শিল্পকারখানা ও উন্নত কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। দ্বিতীয়তঃ বাংলাদেশের বাজার ভারতীয় পণ্য ও অন্যান্য বিদেশী পণ্য থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এ ঘোষণার বাস্তবায়ন ছাড়া কোন দল সরকারী ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। ক্ষমতাপ্রত্যাশী প্রতিটি দলকে এই ঘোষণা দিতে হবে। ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে এটাই হবে জনগণের নির্বাচনী ঘোষণা বা ম্যানিফেস্টো।
এ ম্যানিফেস্টো সারা দেশে জনগণকেই প্রচার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণের সংগঠিত অংশ যেমন শ্রমিক, মজুর, কর্মচারী ও কৃষকদের সংগঠন, ব্যবসায়ী বিশেষ করে ছোট ও মাঝারী ব্যবসায়ী সমিতি, নারী সংগঠন, রিকসাচালক ও রিকসামালিকদের সংগঠন এবং দেশপ্রেমিক ছাত্র ও শিক্ষিত জনগণ যারা দেশের উন্নতি চান তাদের সবাইকে এ ম্যানিমেস্টো প্রচার করার দায়িত্ব নিতে হবে।
আজকে যেসব দল সরকারী ক্ষমতালাভের জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হয় তাদেরও নির্বাচনী ঘোষণা বা ম্যানিফেস্টো আছে। কিন্তু এসব ম্যানিফেস্টো প্রকৃতপক্ষে কোন উন্নয়নের কর্মসূচী নয়। কিছু ফাঁকা অংগীকার ও মনভোলানো কথা। পশ্চাৎপদতা ও পরনির্ভরতার ম্যানিফেস্টো। যেমন, আজকে আওয়ামী লীগকে প্রায়ই বলতে শোনা যায় যে, তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। অর্থাৎ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষের শক্তি। সে সময়ের স্বধীনতা সংগ্রাম ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে বের হয়ে এসে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রাম। তখন যারা, এ সংগ্রামের বিরোধিতা করেছে তারা হলো স¦াধীনতার বিপক্ষ শক্তি। কিন্তু, স্বাধীনতা সংগ্রামের সফল পরিণতিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের পতন ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের কয়েক যুগ পর সেই সময়ের আলোকে আজও স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি বলতে কিছু থাকতে পারে না। তারপরও স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তির ভিত্তিতে রাজনীতি করার উদ্দেশ্য দেশের বর্তমান সমস্যা আড়াল করে ফাঁকা কথা বলে ক্ষমতা ধরে রাখা বা ক্ষমতায় যাওয়া। এই প্রসংগে একটা বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের দুই শক্র দেশ ফ্রান্স ও জার্মানী ইউরোপের আরও চারটি দেশ নিয়ে যুদ্ধের মাত্র ১২ (বার) বছর পর (১৯৫৭ সালে) সাধারণ বাজার গঠন করেছিল। তারাই পরবর্তীকালে গঠন করেছে বর্তমান ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ বা ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন(ই-ইউ)। আমেরিকা  ও ভিয়েতনাম ছিল পর¯পরের শক্র। তারা ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ২১ বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেছে। অবশেষে আমেরিকা যুদ্ধে পরাস্ত হয়। এখন এ দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ স¤পর্ক গড়ে তোলার জন্য উভয় দেশের নেতারা খুবই আগ্রহী। আর বাংলাদেশের সরকারী দল স্বাধীনতার কয়েক যুগ পরও অতিতের মধ্যে বাস করছে। এরা এক ধরণের বিকারগ্রস্থ মানসিকতা।
আজকে অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা ও পরনির্ভরতারই আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি প্রধান হুমকি। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ ও পরনির্ভর থাকাই পরাধীনতা। বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ৪-দলীয় জোটের দলগুলি জাতীয়তাবাদ ও ভারত বিরোধিতার কথা বলে। কিন্তু, এ ফাঁকা জাতীয়তাবাদ ও ভারত বিরোধিতার উদ্দেশ্য অসচেতন জনগণকে বোকা বানিয়ে সা¤প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়া। তাই, এ জোট বাংলাদেশের বাজারকে ভারতীয় পণ্য থেকে সংরক্ষণ করার জন্য কোন কার্যকর কর্মসূচী দেয় না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, বিএনপি সরকার ও সেই সরকারের অর্থমন্ত্রীর পলিসির কারণেই বাংলাদেশ ভারতে উৎপাদিত পণ্যে সয়লাভ হয়ে গিয়েছে। একথা মিথ্যা বলা যাবে না। বিএনপি সরকারের আমলেই এদেশ ভারতীয় পণ্যে সয়লাভ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, মজার ব্যাপার হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এাঁকে আমাদের জাতীয় অর্থনীতির জন্য খারাপ জেনেও বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় পণ্য হটাবার জন্য তার শাসনামলে কিছুই করেননি। তাই প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যও ফাঁকা এবং একটা রাজনৈতিক চাল ছাড়া কিছুই নয়। এভাবে দেশের ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাপ্রত্যাশী দলগুলি জনগণকে বোকা বানায়। কিন্তু, একটা দেশের জনগণ কি চিরকাল বোকা থাকে? কিছু মানুষকে হয়তো চিরকাল বোকা বানিয়ে রাখা যায় কিন্তু দেশের সব সব মানুষকে চিরকাল বোকা বানিয়ে রাখা যায় না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মধ্যে কথার পার্থক্য ছাড়া মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। এ দলগুলির ঝসড়া বিবাদ ও হানাহানির কারণ ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই নয়। অতএব, এসব দল দেশকে অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা ও পরনির্ভরতা থেকে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও পরনির্ভরতার লক্ষ্য নিয়ে যেতে পারবে না। যদিও ক্ষমতায় গিয়ে প্রতিটি দলই দাবি করে যে, জাতীয় অর্থনীতির অভাবনীয় বিকাশ হচেছ। এ বক্তব্যেও পক্ষে তারা বিভিন্ন তথ্য হাজির করে। যেমন, আগের তুলনায় মাথাপিছু গড় আয় বেড়ে গেছে। এ গড় আয় প্রকৃত উন্নয়নের কোন মাপকাঠি নয়। এ থেকে এটা প্রমাণিত হয় না যে দেশের আপামর জনগণ সেই আয়ের ভাগীদার। অথবা এই ‘উন্নতি’ দেশকে  আত্মনির্ভর ও উন্নত করেছে। এই ফাঁকা উন্নতি ধনীদের আরও ধনী এবং দেশকে আর পরনির্ভর করেছে। এই উন্নয়ন জনগণের উন্নয়ন নয়, বিলাসিতার উন্নয়ন। তাই, গড় আয় বৃদ্ধি সত্তে¡ দেখা যায় যে, বেকার সমস্যা ক্রমেই তীব্র হচেছ। গরিবদের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচেছ। দেশ অনুন্নতই রয়ে গেছে। কিছুদিন আগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থা আংকটাডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বর্তমান দরিদ্র অবস্থা থেকে উন্নত অবস্থায় পৌঁছতে বাংলাদেশকে অন্ততঃ আরও ৫০ বছর(?) অপেক্ষা করতে হবে। ১২ অক্টোবর ২০০০ সালে জেনেভাস্থ  জাতিসংঘের দপ্তর থেকে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। আংকটাড আরও বলেছে যে, দেশের অধিকাংশ মানুষ মাসে ২ ডলার আয়ের উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। (দেশবাসী লক্ষ্য করুন এদেশের একজন বিলাসী ধনী দিনে কী পরিমাণ স¤পদ  ভোগবিলাসে অপচয় করে)।
এদেশে ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাপ্রত্যাশী দলগুলি মুখে যাই বলুক না কেন তারা বিলাসী ধনীদের সেবা করে। বিলাসী ধনীরা এসব  দলের জন্য অর্থ যোগায়। বিলাসী ধনীদের সেবা এসব দলের নেতা-নেএীরাও বিশাল ধনস¤পদের অধিকারী হয়ে বিলাসী ধনীদের মতো জীবন-যাপন করে। প্রকৃতপক্ষে এদেশে  জনগণের দল বলতে কিছু নেই। বিলাসী ধনীদের অর্থ সাহায্য নিয়ে যে দল গড়ে উঠে ও পরিচালিত হয়  সে দল কখনও জনগণের দল হতে পারে না। জনগণকেই অর্থ ও জনবল দিয়ে নিজেদের দল গড়ে তুলতে হবে এবং তা’হলেই জনগণ সেই দলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। দল গঠনের জন্য জনগণের এ ধরণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এখন পর্যন্ত এদেশে সে রকম দল গড়ে উঠেনি। বিলাসী ধনীদের দলগুলিই বিশাল টাকা-পয়সা খরচ করে নির্বাচন করে ও সরকারী ক্ষমতায় যায়। এরা আজকে কারও অজানা নয়। এটা খুবই অবাক কথা যে তারপরও জনগণ বিলাসী ধনীদের দলগুলিকে ভোট দেয় এবং এসব দলের সভায় গিয়ে হাজির হয়। এর কারণ,  জনগণ দেখে যে এসব দলের বাইরে তেমন আর কোন দল নেই। তাই, এসব দলের মধ্য থেকেই কোন একটা দল বা জোটকে ক্ষমতায় পাঠাতে হবে। জনগণের এ ধারণা বর্তমান সময়ের জন্য ভুল বলা যাবে না। তবে আজকে জনগণকে যে কাজটা করতে হবে সেটা হলো-এসব দল থেকেই জনগণের এ ম্যানিফেস্টো বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি আদায় করা। তারপরই জনগণ এসব দলকে ভোট দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে। এটা ছাড়া কোন দলকে ভোট দেওয়ার অর্থ ৫বছরের জন্য দেশের ধনস¯পদ ভোগবিলাসে অপচয় এবং বিদেশে পাচার করার লাইসেন্স দেওয়া। এ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের অর্থ হল ৫ বছর অন্তর অন্তর দেশের স¤পদ অপচয়কারী ও পাচারকারীদের ভোটে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় বসানো। এদেশে যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয় তারা নির্বাচন উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ বা কোটি টাকা খরচ করে কেন? এসব দলের প্রার্থীরা কী উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ বা কোটি টাকা খরচ করে সেটা বুঝতে আর কারও বাকী নেই। ভোটে নির্বাচিত হয়ে বা ক্ষমতায় গিয়ে যত টাকা খরচ হয়েছে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি টাকা  আত্মসাৎ করা। শাসকদের এ মনোবৃত্তি দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে। সন্ত্রাস ও গণতন্ত্র পাশাপাশি চলতে পারে না। রাতারাতি ধনী হওয়ার আকাঙক্ষাই সন্ত্রাসের প্রকৃত কারণ। শাসকরা যে ধনস¤পদের অধিকারী হয়েছে সেটা রক্ষা করার জন্য সন্ত্রাসীদের দলে টেনে আনা হয়। তাই ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল বা আখড়া। সা¤প্রতিক ঘটনাবলী কি তাই প্রমাণ করে না? সন্ত্রাসের আরও একটা উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ভোট কারচুপি করে নির্বাচনে ’পাশ’ করা এবং গরিব জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা ও তাদের মিছিল মিটিংয়ে নিয়ে গিয়ে দলের শক্তি প্রদর্শন করা। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশ থেকে সন্ত্রাস দূর হবে না। যখন শাসকদের দেশের স¤পদ আত্মসাৎ ও ভোগ করতে দেওয়া হবে না অথবা দুর্নীতিলব্ধ অর্থ ভোগ ও বিদেশে পাচার করতে হলে শাসকদের লি®পা ও লালসা থেকে দেশের স¤পদ রক্ষা করতে হবে। এ দায়িত্ব সংগঠিত জনগণকে পালন করতে হবে। সংগঠিত জনগণকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ক্ষমতাপ্রত্যাশী দলগুলি থেকে এ অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রæতি আদায় করতে হবে যে তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরা ভোগবিলাস করবে না, ভোগবিলাস নিষিদ্ধ করবে ও স¤পদের পাচার বন্ধ করবে।
জনগণের এই ম্যানিফেস্টো প্রচার ও বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সংগঠিত জনগণকেই প্রথম উদ্দ্যোগ নিতে হবে। দেশের শ্রমিক, কৃষক, কর্মচারী, মজুর, রিকসাচালক, রিকসামালিক, ব্যবসায়ী বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সমিতি, নারী সংগঠনসহ অন্যান্য গণসংগঠনগুলি থেকে এ ম্যানিফেস্টো বাস্তবায়ন করার দাবিতে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে হবে। এ কাজটি করা হলে দেশের কোন রাজনৈতিক দল জনগণকে উপেক্ষা বা বিভ্রান্ত করতে পারবে না। আর ম্যানিফেস্টো সংগঠিত জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রধান দায়িত্ব দেশপ্রেমিক ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর। পৃথিবীর সব দেশেই দেশপ্রেমিক ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জনগণকে পথ দেখায়। এখানকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জনগণকে পথ দেখায়নি। এখানকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর ব্যাপক অংশ রাজনীতিকে ঝামেলা মনে করে ও রাজনীতি থেকে নিজেদের  দূরে সরিয়ে রাখে। অথচ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোন দেশ উন্নত হতে পারে না। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সুবিধাবাদী একটা ক্ষুদ্র অংশ নিজেদের উন্নতির স্বার্থে ও সুযোগ-সুবিধা পাবার আশায় বড় দলগুলির তোষামোদি করে। বিলাসী জীবন-যাপন তাদের উদ্দেশ্য। তারপরও এটা আশা করা যায় যে, শিক্ষিতদের মধ্যে যারা আন্তরিকভাবে দেশের উন্নয়ন এবং দুঃখ-দারিদ্র থেকে জনগণের মুক্তি কামনা করেন তারা সব পিছুটান ও দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে এই ম্যানিফেস্টোর গুরূত্ব স¤পর্কে জনগণকে সচেতন এবং অসংগঠিত জনগণকে সংগঠিত করে তুলতে এগিয়ে আসবেন। একটা দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী যখন নিজেদের ও নিজ শ্রেণীর উচ্চাকাঙক্ষা দ্বারা আচছন্ন থাকে তখন সেদেশের অসচেতন জনগণ রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রতারিত হয়। স্বাধীনতার পর থেকে এদেশে তাই হয়ে আসছে।
জনগণের এ ম্যানিফেস্টোর মূল কথা হলো, জনগণ বলে দেবে সরকারকে কী করতে হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার বিলাসী ধনীদের সেবা করতে পারবে না। এঁটাই গণতন্ত্র। এ ম্যানিফেস্টো যখন বাস্তবায়িত হবে এবং তার পরিণতিতে দেশ আত্মনির্ভর ও শিল্পোন্নত হয়ে উঠবে তখন সমাজে একটা আমূল পরিবর্তন আসবে। যে পরিবর্তনটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো এদেশের জনগণ আর বিলাসী ধনী ও তাদের স্বার্থের পাহারাদার রাজনৈতিক দল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না। এ ম্যানিফেস্টো কার্যকর হলে মানুষ নিজেদের সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে। তখন মানুষ প্রকৃত অর্থে সৃষ্টির সেরা জীব বা আশরাফ-উল-মখলুকাত হয়ে উঠবে। এ ম্যানিফেস্টো বাস্তবায়িত হলে পৃথীবীতে আমাদের মিসকিন বা ভিক্ষুক জাতির পরিচয় ঘুচে যাবে। সমাজ থেকে সন্ত্রাস  দূর হবে। অরাজকতা ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা দূর হবে। শিল্পোৎপাদনের মধ্যে দিয়ে জাতি সুশৃঙ্খল হয়ে উঠবে যেমন, ইউরোপ-আমেরিকা, জাপান ও অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশের জনগণ হয়েছে। মানুষে মানুষে যে ব্যবধান ও বৈষম্য বিরাজ করছে তা দূর হবে। মানুষে মানুষে দুই ধরণের বৈষম্য দেখা যায়। একটা হলো, জন্মগত বা আল্লাহ প্রদত্ত বৈষম্য। দুইজন মানুষ কদাচিত একরকম হয়। কিন্তু এ স্বাভাবিক বৈষম্য ১৯/২০ এর  বৈষম্য। এ বৈষম্য সমাজকে সুষম ও সুন্দর করে তোলে। তবে কিছু মানুষতো আছে যারা অসুবিধা (অন্ধ, বধির, ল্যাংড়া, পঙ্গু, মানসিক প্রতিবন্ধী ইত্যাদি) নিয়ে জন্মায়। এটা ব্যতিক্রম। এসব মানুষকে দেখার দায়িত্ব ধনী পরিবার নিজেদের আরাম-আয়েশ ও ভোগবিলাসে  লক্ষ লক্ষ বা কোটি কোটি টাকা  খরচ করে তখন দেশের শতকরা ৯০টি শিশু অপুষ্টিতে ভোগে, লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘিঞ্জি বস্তি ও নোংরা মহল্লায় পশুর মত গাদাগাদি করে রাত কাটায় এবং শতকরা ৮০ জন নরনারী পুষ্টিকর খাদ্য, আধুনিক চিকিৎসা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, গরিব মহিলা ও ছেলেমেয়েরা বাসায় ঝি-চাকরের কাজ করে, অভাব অনটনে জর্জরিত কিশোরীরা বেশ্যা বৃত্তি বেছে নেয়, অগণিত মানুষ ভিক্ষা করে বেঁচে থাকে। এ অন্যায় বৈষম্য আল­াহ প্রদত্ত নয়। স্বার্থপর শাসক ও বিলাসী ধনীদের সৃষ্টি। এ অন্যায় বৈষম্য যারা সৃষ্টি করেছে তারা অপরাধী। এ বৈষম্য মেনে নেওয়াও এক ধরণের অপরাধ। এ অন্যায় বৈষম্য দূর করাই এ ম্যানিফেস্টোর লক্ষ্য।
জনমুক্তি পার্টির ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মাহমুদ জামাল কাদেরী কর্তৃক প্রকাশিত এবং ২০/২৫ নর্থ-সাউথ রোড, হাবিব মার্কেট (৫ম তলা), সিদ্দিক বাজার, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রচারিত। ১ জানুয়ারি, ২০০১ সাল, বাংলা ১৮ পৌঁষ, ১৪০৭ সাল। এ বক্তব্যের সাথে আমি একমত বলে আমার বই-এ তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশের বাজেট সম্পর্কিত ১৬-১২-১৯৭১ সাল থেকে ২০১৫-২০১৬ সাল পর্যন্ত

১. ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আয়-৪৮.৫২(আটচল্লিশ কোটি বায়ান্ন লক্ষ) টাকা, রাজস্ব ব্যয় ৯৯.১৩(নিরানব্বই কোটি তের লক্ষ) টাকা, রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৫০.৬১(পঞ্চাশ কোটি একষট্টি লক্ষ) টাকা এবং উন্নয়ন বাজেট ১৫৮.৭৭(একশত আটান্ন কোটি সাতাত্তর লক্ষ) টাকা। রাজস্ব এবং উন্নয়ন বাজেট মিলিয়ে মোট ২৫৭.৯০(দুইশত সাতান্ন কোটি নব্বই লক্ষ) টাকা মাত্র। সামগ্রিক ঘাটতি ২০৯.৩৮(দইশত নয় কোটি আটত্রিশ লক্ষ) টাকা  নিয়ে স্বাধীন দেশের যাত্রা শুরু। ১৯৭১ সালে মাথাপিছু আয় ছিল-১২৯(একশত উনত্রিশ) মার্কিন ডলার। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধনীর কাতারে ঃ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, হাসিনার সরকার বলেছিল-২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু সে লক্ষ্যমাত্রা ২০১৮ সালের মধ্যেই পূরণ হবে। এখন সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছে। এসব কথা বলে জনগণকে প্রতারণা করছে।
২. ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা, রাজস্ব আয়-২৮৫.৩৮(দুইশত পঁচাশি কোটি আটত্রিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২১৮.৪৩(দুইশত আঠার কোটি তেতাল্লিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৬৬.৯৫(সিষট্টি কোটি পঁচানব্বই লক্ষ) টাকা, উন্নয়ন বাজেট-৫০০.৯৮(পাঁচশত কোটি আটানব্বই লক্ষ) টাকা। রাজস্ব এবং উন্নয়ন বাজেট=৭৮৬.৩৬(সাতশত ছিয়াশি কোটি ছয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৫০০.৯৮(পাঁচশত কোটি আটানব্বই লক্ষ) টাকা। কৃষি উন্নয়ন খাতে ১০৩(একশত তিন কোটি) টাকা, সামরিক খাতে-৪৫(পঁয়তাল্লিশ কোটি) টাকা ও শিক্ষাখাতে-৪৩.৭২(তেতাল্লিশ কোটি বাহাত্তর লক্ষ) টাকা।
৩. ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরের বাজেট ঃ রাজস্ব আয়-৪১১.৩১(চারিশত এগার কোটি একত্রিশ লক্ষ) টাকা,  রাজস্ব ব্যয়-২৯৫.৩০(দুইশত পঁচানব্বই কোটি ত্রিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১১৬.০১(একশত ষোল কোটি এক লক্ষ) টাকা। সংশোদিত বাজেটে রাজস্ব আয়-৩৭৭.৩৬(তিনশত সাতাত্তর কোটি ছয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৩৬৪.৩৯(তিনশত চৌষট্রি কোটি উনচল্লিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১২.৯৭(বার কোটি সাতানব্বই লক্ষ) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৪৬৩.৬০(চারিশত চৌষট্রি কোটি ষাট লক্ষ) টাকা। রাজস্ব ব্যয়+উন্নয়ন বাজেট=৮৪০.৯৬(আটশত চল্লিশ কোটি ষাট লক্ষ) টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি-৪৬৬.২৪(চারিশত সিষট্টি কোটি চব্বিশ লক্ষ) টাকা। ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছর থেকে শুরু করে বিদায় ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট বৈদেশিক ঋণের দায় হিসেবে ৫২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে মোট ঋণের সুদ এবং আসল হিসেবে ফেরৎ দেয়া হয় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ওই সময়ে এক ডলারের মূল্যমান ছিল ৭.৯৬ টাকা।
৪. ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরের বাজেট ঃ (১৯-০৬-১৯৭৪) রাজস্ব আয়-৪৭০.২৩(চারিশত সত্তর কোটি তেইশ লক্ষ) টাকা, প্রকৃত রাজস্ব ব্যয়-৩৬৪.৩৯(তিনশত চৌষট্টি কোটি উনচল্লিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১০৫.৮৪(একশত পাঁচ কোটি চুরাশি লক্ষ) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৫২৫(পাঁচশত পচিশ কোটি) টাকা। মোট বাজেট-১,০৮৪.৩৭(এক হাজার চুরাশি কোটি সাইত্রিশ লক্ষ) টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি-৬১৪.১৪(ছয়শত চৌদ্দ কোটি চৌদ্ধ লক্ষ) টাকা।
৫. ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরের বাজেট(২৩-০৬-১৯৭৫) রাজস্ব আয়-৭৫৫.৩৮(সাতশত পঁঞ্চান্ন কোটি আটত্রিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৫৯১.১৯(পাঁচশত একানব্বই কোটি উনিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১৫৬.১৯(একশত ছাপ্পান্ন কোটি উনিশ লক্ষ) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৮৮৩(আটশত তিরাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৬৮৪(ছয়শত চৌরৈাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১৯৯(একশত নিরানব্বই কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৯৫০(নয়শত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১,৬৩৪ (এক হাজার ছযশত চৌত্রিশ কোটি) টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি-৭৫১(সাতশত একান্ন কোটি) টাকা।
৬. ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরের বাজেট(২৬-০৬-১৯৭৬) রাজস্ব আয়-৯৬৬(নয়শত ছিষট্রি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৭৬৮(সাতশত আষট্রি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১৯৮(একশত আটানব্বই কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-৯৬৬(নয়শত ছিষট্রি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৮২২(আটশত বাইশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১৪৪(একশত চৌচল্লিশ কোটি) টাকা। উন্ননয়ন বাজেট-১,১৪০(এক হাজার একশত চল্লিশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১,৯৬২(এক হাজার নয়শত বাষস্টি কোটি) টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি-৯৯৬(নয়শত ছিয়ানব্বই কোটি) টাকা।
৭. ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরের বাজেট ঃ (২১-০৬-১৯৭৭) রাজস্ব আয়-১,১৫৬(এক হাজার একশত ছাপ্পান্ন কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৯০৬(নয়শত ছয় কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২৫০(দুইশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-১,২৪৫(বারশত পয়তাল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,০৩৬(এক হাজার ছয়ত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২০৯(দুইশত নয় কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১,২০৩(বারশত তিন) কোটি টাকা, মোট বাজেট-২,২৩৯(বাইশশত উনচল্লিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৯৯৪(নয়শত চুরানব্বই কোটি) টাকা।
৮. ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৭৮) রাজস্ব আয়-১,৩৭৬(তেরশত ছিয়াত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,০৫৩(এক হাজার তিপ্পান্ন  কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বত্ত-৩২৩(তিনশত তেইশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১,৪৪৬(এক হাজার চারিশত ছয়চলি­শ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-২,৪৯৯(দুই হাজার চারিশত নিরানব্বই কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১,১২৩(একহাজার একশত তেইশ কোটি) টাকা।
৯. ১৯৭৯-৮০ অর্থবছরের বাজেট ঃ (১৩-০৬-১৯৭৯) রাজস্ব আয় ধরা হয়েছিল-১,৪২৪(এক হাজার চারিশত চব্বিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,১৯৪(এক হাজার একশত চুরানব্বই কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৬১৮(ছয়শত আঠার কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১,৪০৭(চৌদ্ধশত সাত কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,৩৪২(একহাজার তিনশত বিয়াল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৬৫(পঁয়ষট্টি কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-২,৩৩০(তেইশশত ত্রিশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৩,৬৭২(তিন হাজার ছয়শত বাহাত্তর কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-২,২৬৫(দুই হাজার দুইশত পঁয়ষট্টি কোটি) টাকা। ১৯৮০ সালে মাথাপিছু আয়-২২০ মার্কিন ডলার।১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮০ সালে মানে গত দশ বছরে ৭১ শতাংশ পরিবর্তন।
১০. ১৯৮০-৮১ অর্থবছরের বাজেট ঃ (১৪-০৬-১৯৮০) রাজস্ব আয়-২,১৯৩(দুই হাজার একশত তিরানব্বই কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,৪০৮(চৌদ্দশত আট কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৭৮৫(সাতশত পঁচাশি কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-২,৩৪৩(তেইশশত তেতাল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,৪৮২(এক হাজার চারিশত বিরাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৮৬১(আটশত একষট্টি কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-২,৩৬৯(দুই হাজার তিনশত উনসত্তর কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৪,৩০০(চার হাজার তিনশত কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১,৯৫৭(এক হাজার নয়শত সাতান্ন কোটি) টাকা।
১১. ১৯৮১-৮২ অর্থবছরের বাজেট ঃ (১৪-০৬-১৯৮১) রাজস্ব আয়-২,৭৬৭(দুই হাজার সাতশত ষাষট্টি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,৬৬২(এক হাজার ছয়শত বাষট্টি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১,১০৫(এক হাজার একশত পাঁচ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-২,৭১৫(দুই হাজার সাতশত পনর কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৪,৬৭৭(চার হাজার ছয়শত সাতাত্তর কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১,৯১০(এক হাজার নয়শত দশ কোটি) টাকা।
১২. ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮২) রাজস্ব আয়-২,৭৬৮(দুই হাজার সাতশত আষট্টি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২,০৩৮(দুই হাজার আটত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৭৩০(সাতশত ত্রিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-২,৭১১(দুই হাজার সাতশত এসার কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২,১৪৭(দুই হাজার একশত সাতচল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫৬৪(পাঁচশত চৌষট্টি কোটি) টাকা।  উন্নয়ন বাজেট-৩,১২৬ কোটি টাকা, মোট বাজেট-৫,৯৭৩(পাঁচ হাজার নয়শত তেহাত্তর কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৩,২৬২(তিন হাজার দুইশত বাষট্টি কোটি) টাকা। ১৯৮৩ সালে মাথাপিছু আয় ১৭৫(একশত পঁচাত্তর) ডলার।
১৩. ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮৩) রাজস্ব আয়-৩,৩৯৬(তিন হাজার তিনশত ছিয়ানব্বই কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২,৪১৩(দুই হাজার চারিশত তের  কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৯৮৩(নয়শত তিরাশি কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৩,০৩৩(তিন হাজার তেত্রিশ কোটি) টাকা, প্রকৃত রাজস্ব ব্যয়-২,৫০৩(দুই হাজার পাঁচশত তিন কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫৩০(পাঁচশত ত্রিশ কোটি) টাকা, অন্যান্য আয়-৯০০(নয়শত কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৩,৫৮৫(তিন হাজার পাঁচশত পঁচাশি কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৬,০৮৮(ছয় হাজার অষ্টআশি কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৩,০৫৫(তিন হাজার পঁঞ্চান্ন কোটি) টাকা।
১৪. ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরের বাজেট ঃ (২৭-০৬-১৯৮৪) রাজস্ব আয়-৩,৩৭১(তিন হাজার তিনশত একাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২,৬০৫(দুই হাজার ছয়শত পাঁচ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৭৬৬(সাতশত সিষট্টি কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৩,৪৭৭(তিন হাজার চারিশত সাতাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২,৯৩০(দুই হাজার নয়শত ত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫৪৭(পাঁচশত সাতচল্লিশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৩,৩০৭(তিন হাজার তিনশত সাত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৬,২৩৭(ছয় হাজার দুইশত সাতত্রিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-২,৭৬০(দুই হাজার সাতশত ষাট কোটি) টাকা। ১৯৮৪-৮৫ অর্থ বছরে জীবন যাত্রার ব্যয়ভার শতকরা ১২ ভাগ বেড়েছিল। ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৩.৮০ শতাংশ ও লোকসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.০৮ শতাংশ।
১৫. ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮৫) রাজস্ব আয়-৩,৯৫১(তিন হাজার নয়শত একান্ন কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৩,৩১৩(তিন হাজার তিনশত তের কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪৪১(চারিশত একচল্লিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৪,০৭৩(চারি হাজার তেহাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৩,৪২১(তিন হাজার চারিশত একুশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৬৫২(ছয়শত বায়ান্ন কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৩,৭১৭(তিন হাজার সাতশত সতের কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৭,১৩৮(সাত হাজার একশত আটত্রিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৩,০৬৫(তিন হাজার পঁয়ষট্টি  কোটি) টাকা।
১৬. ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮৬) রাজস্ব আয়-৪,৮৪০(চার হাজার আটশত চল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৩,৭৪০(তিন হাজার সাতশত চল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১,১০০(এক হাজার একশত কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব বাজেটে আয় কমে দাড়ায়-৪,৭১৭(চারি হাজার সাতশত সতর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয় বেড়ে দাড়ায়-৩,৯৫৬(তিন হাজার নয়শত ছাপ্পান্ন কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৭৬১(সাতশত একষট্টি কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৪,৭৬৪(চারি হাজার সাতশত চৌসট্টি কোটি) টাকা এবং সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট-৪,৫১৩(চারি হাজার পাঁচশত তের কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৮,৪৬৯(আট হাজার চারিশত উনসত্তর কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৩,৭৫২(তিন হাজার সাতশত বায়ান্ন কোটি) টাকা।
১৭. ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮৭) রাজস্ব আয়-৪,৯১৫(চার হাজার নয়শত পনর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৪,৪৮১(চার হাজার চারিশত একাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪৩৪(চারিশত চৌত্রিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৫,১৪৬(পাঁচ হাজার একশত ছয়চল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৪,৭৩০(চার হাজার সাতশত ত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪১৬(চারিশত ষোল কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৪,৬৫১(চারি হাজার ছয়শত একান্ন কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৯,৩৮১(নয় হাজার তিনশত একাশি কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৪,২৩৫(চার হাজার দুইশত পঁয়ত্রিশ কোটি) টাকা।
১৮. ১৯৮৮-৮৯ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮৮) রাজস্ব আয়-৬,১৭২(ছয় হাজার একশত বাহাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৫,২৫০(পাঁচ হাজার দুইশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৯২২(নয়শত বাইশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৫,৮২২(পাঁচ হাজার আটশত বাইশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৬,১৭০ (ছয় হাজার একশত সত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে-(-) ৩৪৮(তিনশত আটচল্লিশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৫,৩১৫(পাঁচ হাজার তিনশত পনের কোটি) টাকা। সংশোধিত এডিপিতে-৪,৫৯৫(চার হাজার পাঁচশত পঁচানব্বই কোটি) টাকা। মোট বাজেট-১০,৭৬৫(দশ হাজার সাতশত পঁয়সট্টি কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৪,৯৪৩(চার হাজার নয়শত তেতাল্লিশ কোটি) টাকা।
১৯. ১৯৮৯-৯০ অর্থবছরের বাজেট ঃ (১৬-০৬-১৯৮৯) রাজস্ব আয়-৭,৯০৪(সাত হাজার নয়শত চার কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৬,৯০০(ছয় হাজার নয়শত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১,০০৪(এক হাজার চার কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৬,৭৭৮(ছয় হাজার সাতশত আটাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৬,৭৪০(ছয় হাজার সাতশত চলি­শ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩৮(আটত্রিশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৫,৮০৩(পাঁচ হাজার আটশত তিন কোটি) টাকা। সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়ায়-৫,১০২(পাঁচ হাজার একশত দুই কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১১,৮৪২(এগার হাজার আটশত বিয়াল্লিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৫,০৬৪(পাঁচ হাজার ছেষট্টি কোটি) টাকা। ১৯৯০ সালে ২৮১ মার্কিন ডলার।১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মানে গত দশ বছরে ২৮ শতাংশ পরিবর্তন।
২০. ১৯৯০-৯১ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯০) রাজস্ব আয়-৮,০৫০(আট হাজার পঞ্চাশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৭,৩০০(সাত হাজার তিনশত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৭৫০(সাতশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৭,৮২২(সাত হাজার আটশত বাইশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৭,৩১০(সাত হাজার তিনশত দশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫১১(পাঁচশত এসার কোটি) টাকা।  উন্নয়ন বাজেট-৬,১২৬(ছয় হাজার একশত ছাব্বিশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১৩,৪৩৬ (তের হাজার চারিশত ছয়ত্রিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৫,৬১৪(পাঁচ হাজার ছয়শত চৌদ্ধ কোটি) টাকা।
২১. ১৯৯১-৯২ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯১) রাজস্ব আয়-৮,৫০৩(আট হাজার পাঁচশত তিন  কোটি)টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৮,০৮৩(আট হাজার তিরাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪১৯(চারিশত উনিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৯,৫১৭(নয় হাজার পাঁচশত সতর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৭,৯০০(সাত হাজার নয়শত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১,৬১৭(এক হাজার ছয়শত সতর কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৭,৫০০(সাত হাজার পাঁচশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১৫,৪০০(পনর হাজার চারিশত কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৫,৮৮৩(পাঁচ হাজার আটশত তিরাশি কোটি) টাকা।
২২. ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯২) রাজস্ব আয়-১০,৫৫৪(দশ হাজার পাঁচশত চুয়ান্ন কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৮,৫৫০(আট হাজার পাঁচশত পঞ্চাশ) কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২,০০৪(দুই হাজার চার কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১১,০৬০(এগার হাজার ষাট কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৮,৫১০ (আট হাজার পাঁচশত দশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২,৫৫০(দুই হাজার পাঁচশত পঁঞ্চাশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৮,১২১(আট হাজার একশত একুশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১৬,৬৩১(ষোল হাজার ছয়শত একত্রিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৫,৫৭১(পাঁচ হাজার পাঁচশত একাত্তর কোটি) টাকা।
২৩. ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৩) রাজস্ব আয়-১২,৩৩৫(বার হাজার তিনশত পঁয়ত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৯,৩০০(নয় হাজার তিনশত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩,০৩৫(তিন হাজার পয়ত্রিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১২,২৮০(বার হাজার দুইশত আশি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৯,১৫০ (নয় হাজার একশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩,১৩০(তিন হাজার একশত ত্রিশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৯,৭৫০(নয় হাজার সাতশত পঞ্চাশ কোটি)টাকা। সংশোধিত এডিপি’র আকার-৯,৬০০(নয় হাজার ছয়শত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১৮,৭৫০(আঠার হাজার সাতশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৬,৪৭০(ছয় হাজার চারিশত সত্তর কোটি) টাকা।
২৪. ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৪) রাজস্ব আয়-১৩,৬৩৭(তের হাজার ছয়শত সাইত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৯,৯৪৮(নয় হাজার নয়শত আটচল্লিশ) কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩,৬৮৯(তিন হাজার ছয়শত উনানব্বই কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১৪,২১০(চৌদ্ধ হাজার দুইশত দশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১০,৩০০(দশ হাজার তিনশত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩,৯১০(তিন হাজার নয়শত দশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১১,০০০(এগার হাজার কোটি) টাকা। সংশোধিত এডিপি ছিল-১১,১৫০(এগার হাজার একশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-২১,৪৫০(একুশ হাজার চারিশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৭,২৪০(সাত হাজার দুইশত চল্লিশ কোটি) টাকা।
২৫. ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৫) রাজস্ব আয়-১৫,৪৫০(পনর হাজার চারিশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১১,০৭০(এগার হাজার সত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,৩৮০(চার হাজার তিনশত আশি কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১৪,৫১২(চৌদ্ধ হাজার পাঁচশত বার কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১১,৮১৪(এসার হাজার আটশত চৌদ্ধ কোটি) টাকা,  রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২,৬৯৮(দুই হাজার ছয়শত আটানব্বই কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১২,১০০(বার হাজার একশত কোটি) টাকা এবং সংশোধিত এডিপি হল-১০,৪৪৭(দশ হাজার চারিশত সাতচল্লিশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-২২,২৬১(বাইশ হাজার দুইশত কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৭,৭৪৯(সাত হাজার সাতশত উনপঞ্চাশ কোটি) টাকা।
২৬. ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৬) রাজস্ব আয়-১৭,১২০(সতের হাজার একশত বিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১২,১০৩(বার হাজার একশত তিন কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫,০১৭(পাঁচ হাজার সতের কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১৭,১৪৫(সতের হাজার একশত পয়তাল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১২,৫৩৫(বার হাজার পাঁচশত পয়ত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,৬১০(চার হাজার ছয়শত দশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১১,৭০০(এসার হাজার সাতশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-২৪,২৩৫(চব্বিশ হাজার দুইশত পঁয়ত্রিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৭,০৯০(সাত হাজার নব্বই কোটি) টাকা।
২৭. ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৭) রাজস্ব আয়-১৯,৬২৪(উনিশ হাজার ছয়শত চব্বিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৪,৫৪৪(চৌদ্ধ হাজার পাঁচশত চুয়াল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫,০৮০(পাঁচ হাজার আশি কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১৮,৭৭৭(আঠার হাজার সাতশত সাতাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৪,৫০০(চৌদ্ধ হাজার পাঁচশত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,২৭৭ (চার হাজার দুইশত সাতাত্তর কোটি) টাকা।  উন্নয়ন বাজেট-১২,২০০(বার হাজার দুইশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-২৬,৭০০(ছাব্বিশ হাজার সাতশত কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৭,৯২৩(সাত হাজার নয়শত তেইশ কোটি) টাকা। ১৯৯৮ সালের ১৪ মার্চে’র তথ্যানুযায়ীঃ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২৮৩ ডলার।
২৮. ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৮) রাজস্ব আয়-২০,৭৭৬(বিশ হাজার সাতশত ছিয়াত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৫,৯৩৭(পনের হাজার নয়শত সাইত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,৮৩৯(চার হাজার আটশত উনচল্লিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১৯,৭০০(উনিশ হাজার সাতশত কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৬,৭৬৫(ষোল হাজার সাতশত পঁয়ষট্টি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২,৯৩৫(দুই হাজার নয়শত পঁয়ত্রিশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১৪,০০০(চৌদ্ধ হাজার কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৩০,৭৬৫(ত্রিশ হাজার সাতশত পঁয়ষট্টি কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১১,০৬৫(এগার হাজার পঁয়ষট্টি কোটি) টাকা। ১৯৯৮ সালের ৪ অক্টোবর, আঙ্কটাড রিপোর্ট-১৯৯৮ সালে প্রকাশিত ঃ বাংলাদেশে বাৎসরিক গড় পাথাপিছু আয় ৩২৮ ডলার।
২৯. ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৯) রাজস্ব আয়-২৪,১৫১ (চব্বিশ হাজার একশত একান্ন কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৭,৮০০(সতর হাজার আটশত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৬,৩৫১(ছয় হাজার তিনশত একান্ন কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-২১,৩৪৫(একুশ হাজার তিনশত পঁয়তাল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৮,৪৪৪(আঠার হাজার চারিশত চুয়াল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২,৯০১(দুই হাজার নয়শত এক কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১৬,৫০০(ষোল হাজার পাঁচশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৩৪,৯৪৪(চৌত্রিশ হাজার নয়শত চুয়াল্লিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১৩,,৫৯৯(তের হাজার পাঁচশত  নিরানব্বই কোটি) টাকা। ২০০০ সালে মাথাপিছু আয় ৩৫৬ মার্কিন ডলার। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালে ২৭ শতাংশ পরিবর্তন।
৩০. ২০০০-২০০১ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-৬-২০০০) রাজস্ব আয়-২৪,১৯৮(চব্বিশ হাজার একশত আটানব্বই কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৯,৬৩৩(উনিশ হাজার ছয়শত তেত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,৫৬৫(চার হাজার পাঁচশত পঁয়ষট্টি কোটি)  টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-২৪,১৭৩(চব্বিশ হাজার একশত তিয়াত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২০,৬৬২(বিশ হাজার ছয়শত বাষট্রি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩,৫১১(তিন হাজার পাঁচশত এসার কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১৮,২০০(আঠার হাজার দুইশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৩৮,৮৬২(আটত্রিশ হাজার আটশত বাষট্টি কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১৪,৬৮৯(চৌদ্ধ হাজার ছয়শত উনানব্বই কোটি) টাকা। মাথাপিছু আয়-৩৭৭ ডলার
৩১. ২০০১-২০০২ বছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-২০০১) রাজস্ব আয়-২৭,২৩৯(সাতাশ হাজার দুইশত উনচল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২২,০৩৮(বাইশ হাজার আটত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫,২০১(পাঁচ হাজার দুইশত এক কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-২৭,৬৭০(সাতাশ হাজার ছয়শত সত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২২,৬৯২(বাইশ হাজার ছয়শত বিরানব্বই কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,৯৭৮(চার হাজার নয়শত আটাত্তর কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১৬,০০০ (ষোল হাজার কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৩৯,৪৯৫(উনচল্লিশ হাজার চারিশত পঁচানব্বই কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১১,৮২৫(এগার হাজার আটশত পঁচিশ কোটি) টাকা।
৩২. ২০০২-২০০৩ বছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-২০০২) রাজস্ব আয়-৩৩,০৮৪(তেত্রিশ হাজার চুরাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২৩,৯৭২(তেইশ হাজার নয়শত বাহাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৯,১১২(নয় হাজার একশত বার কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৩১,১২০(একত্রিশ হাজার একশত বিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয় ২৫,৩০৭(পচিশ হাজার তিনশত সাত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫,৮১৩(পাঁচ হাজার আটশত তের কোটি) টাকা, অন্যান্য বাবদ আয়-১,৪৯৭(এক হাজার চারিশত সাতানব্বই কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১৭,১০০(সতর হাজার একশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট ৪৩,৯০৪(তেতাল্লিশ হাজার নয়শত চার কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১২,৭৮৪(বার হাজার সাতশত চুরাশি কোটি) টাকা। (সংশোধিত বাজেট)। সংশোধিত বাজেট-৪৯,৩৬৭ কোটি। ২০০৩ সালের ১৯ জুনের ইত্তেফাক রিপোর্ট অনুসারে-দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০(দুইশত) কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। ২০০২ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৮.৫২ ভাগ। ২০০৩ সালে-মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৪১১ মার্কিন ডলার।
৩৩. ২০০৩-২০০৪ অর্থ-বছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-২০০৩), রাজস্ব আয়-৩৮,০৬৩ (আটত্রিশ হাজার চারিশত কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২৯,৭৮২(উনত্রিশ হাজার সাতশত বিরাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৮,২৮১(সাত হাজার ছয়শত ছিয়ানব্বই কোটি)  টাকা, উন্নয়ন বাজেট-১৯,৫৮৫(উনিশ হাজার কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৪৯,৩৬৭ (উনপঁঞ্চাশ হাজার তিনশত সাষট্টি কোটি) টাকা এবং ব্যাংক ঋণ-১,৩০০(দুই হাজার ছয়শত তিন কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১১,৩০৪(এগার হাজার তিনশত চার কোটি) টাকা। ২০০৩ সালের ১২ জুন, সংসদে ৫১,৯৮০ কোটি টাকার বাজেট পেশ এবং আওয়ামীলীগের হরতাল পালন। সংশোধিত বাজেট-৪৯,৩৬৭ কোটি টাকা। ২০০৩ সালের ১৭ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ-৭৪৯(সাতশত উনপঞ্চাশ) কোটি ডলার। ২০০৪ সালে রির্জাভ ছিল-২ হাজার ৭০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৩৪. ২০০৪-২০০৫ অর্থ-বছরে সংশোধিত বাজেটে সর্বসাকুল্যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫,৬৩২ কোটি টাকা। বাজেট(৩০-০৬-২০০৪) ঘোষণা। প্রস্তাবিত বাজেট মোট রাজস্বপ্রাপ্তি ধরা হয়েছিল-৪১,৩০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ২১শ’ কোটি টাকা কম। এরমধ্যে বৈদেশিক অনুদান ১,৮৮৯ কোটি টাকা এবং রাজস্ব আদায় ৩৯,২০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০,৫১৮ কোটি টাকা। রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ ১০,৭৮২ কোটি টাকা। তবে সামগ্রিকভাবে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ অনুদান বাদে ১৪,০৫৯ কোটি টাকা। এ ঘাটতি যোগান দেয়া হবে বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ে। প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেট-২২,০০০(বাইশ হাজার কোটি) টাকা। সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট-২০,৫০০/- কোটি টাকা। মোট বাজেট-৫৫,৩৬৬(পঁঞ্চান্ন হাজার তিনশত সিসট্টি কোটি) টাকা। এবং ব্যাংক ঋণ-২,৪৭০(দুই হাজার চারিশত সত্তর কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১৪,০৫৯(চৌদ্দ হাজার উনষাট কোটি) টাকা। ২০০৩-২০০৪ অর্থ-বছরের তুলনায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী ২০০৪-২০০৫ অর্থ-বছরে প্রায় ১৬ শতাংশ বেশী। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর ৫৫.৫ শতাংশ আসবে নিজস্ব সম্পদ থেকে, বাকি ৪৪.৫ শতাংশ পাওয়া যাবে বৈদেশিক সাহায্য বা ঋণ হিসেবে। প্রবৃদ্ধি হবে-৫.৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৬.৩২ ভাগ। এ বিল পাসের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ ২০০৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য ৭২ হাজার ৭শ’ ৫২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যায়ের অনুমোদন দেয়। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫.৯৬ ভাগ। ২০০৪ সালের ১ জুলাই, জাতীয় সংসদে ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরের বাজেট পাস-সংসদ রিপোর্টার ঃ এ বিল পাসের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ ২০০৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য ৭২ হাজার ৭শ’ ৫২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যায়ের অনুমোদন দেয়। ২০০৪ সালের ২ জুলাই, সাজ্জাদ আলম খান ঃ ২০০৪-২০০৫ নতুন অর্থবছরে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি-৮৫৬ কোটি ডলার রফতানী আয় প্রাক্কলন। মিশনগুলোকে বেঁধে দেয়া হবে লক্ষ্যমাত্রা ঃ ব্যর্থ কর্মকর্তা হবেন তিরস্কৃত। ২০০৪ সালের ১৬ আগষ্ট, সুলতান মাহমুদ ঃ বন্যার পরও দেশের অর্থনীতি আপন শক্তিতে গতিশীল-রিজার্ভ ৮ বছরের মধ্যে শীর্ষে ৩০৪ কোটি ডলার, রফতানী আয় ১৬ শতাংশ ও রেমিট্যান্স ১০ শতাংশ বৃদ্ধি। ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকায়-মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ ২০০৪-২০০৫ সালের অর্থবছরে ভারত ও চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ২০ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। ২০০৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকায় মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ ১১-শতাংশ বাড়িয়ে রফতানী লক্ষ্যমাত্রা ৯৫৯ কোটি ৯২ লাখ ডলার করা হচ্ছে-তালিকায়  অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কিছু নতুন পণ্য। মাথাপিছু আয় ২৮,৪৩০ টাকা বা ৪৭০ ডলার।
৩৫. ২০০৫-২০০৬ অর্থ-বছরের জন্য রাজস্ব আয়-৪৫,৭২২ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ সময়ে সংশোধনী এনে করা হয় ৪৪,৮৬৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব ব্যয়-৩৪,৪৫৬ হাজার কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ-৭,৬৪০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেট-২৪,৫০০ হাজার  কোটি টাকা। সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট-২১,৫০০ কোটি টাকা। মোট বাজেট এর পরিমাণ-৫৯,৫০১ কোটি টাকা বাজেট থেকে ৪,৮৮২ কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। সামগ্রিক ঘাটতি-১৬,৮৬০ কোটি টাকা। মাথাপিছু আয়-৫৪৩ ডলার। সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষাখাতে-৯,৬৮৬ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষাখাতে-৪,১৬৮ কোটি টাকা। এডিপি’র ৫২ ভাগ স্থানীয় অর্থে। সামাজিক বেষ্টনী বিস্তৃত। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য  ৬.৯ শতাংশের বেশী ধরা হয়েছে। বাজেটের চেয়েও কালো টাকা বেশী-৮০ হাজার কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ১ বছরের জন্য বহাল। করের আওতা বৃদ্ধি। উচ্চাভিলাষী রাজস্ব লক্ষ। ২০০৫-২০০৬ অর্থ-বছরের সব কার্য নির্বাহের(১ জুলাই, ২০০৫ হতে ৩০ জুন, ২০০৬ পর্যন্ত সময়ের) জন্য-৭৬,৫৪৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্ধের জন্য ৩০ জুন, ২০০৬ পর্যন্ত জাতীয় সংসদ সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে। এবার ১৫ লক্ষ লোক বয়স্ক ভাতা পাবেন। একজন মাসিক-১৮০/-টাকা করে বছরে পাবেন-২,১৬০/-টাকা মাত্র। আর ১৫ লক্ষ লোক পাবেন বছরে-৩২৪ কোটি টাকা। দায়মুক্ত ব্যয় বরাদ্ধ করা হয় ৪টি সাংবিধানিক খাতে। এসব হচ্ছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রীম কোর্ট। এ চারটি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৯০ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। মঞ্জুরি বাবদ রাখা হয়েছে-৬৮ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬.৬৩ ভাগ। ২০০৫ সালের ২৮ জুন, ইনকিলাব রিপোর্টঃ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়েও রাজনীতি। ডলার সংকটে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ বিলিয়ন ডলারের উপরে রাখাই যেন নির্দেশ। ২০০৬ সালের ৩ জুন, সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ বাজেটে রাজস্ব ব্যয় বাড়লেও উন্নয়ন ব্যয় বাড়েনি। গত ১০ বছরে মাথাপিছু ঋণের বোঝা দ্বিগুণ হয়েছে। ১৯৯৬-৯৭ সালে মাথাপিছু রাষ্ট্রের ঋণ যেখানে ছিল-৬২১.৫৩ টাকা, সেখানে চলতি (২০০৫-২০০৬ সালের অর্থবছরে) মাথাপিছু ঋণ-১,১৬৪.২৩ টাকা। ২০০৬ সালের ১৮ আগষ্ট, চলতি ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে রফতানী আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮৭ হাজার ৫শ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের প্রকৃত রফতানী আয় থেকে প্রায় ২০০ কোটি ডলার বা ১৮.৭৫% বেশী।
৩৬. ২০০৬-২০০৭ অর্থ-বছরের জন্য প্রস্তাবিত রাজস্ব আয়-৫২,৫৪২ কোটি টাকা (সংশোধিত রাজস্ব আয় হলো-৪৯,৪৭২ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় বেড়ে-৪৪,৫০৪ কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ-৪,৯৬৮ কোটি টাকা।) এরমধ্যে রাজস্ব ব্যয়-৪২,২৮৬ হাজার কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ-৫,১৬৬ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেট-২৬,০০০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদের পরিমাণ ১৪ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে ২১,৬০০(একুশ হাজার ছয়শত) কোটি টাকা। কিন্তু সাংবিধানিক বিভিন্ন দফতরের ব্যয়, বৈদেশিক ও  অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গৃহীত ঋণের মূল অংশ এবং খাদ্য হিসাবের ফেরতযোগ্য ব্যয় মিলিয়ে মূল বাজেটের তুলনায় নির্দিষ্টকরণ বিলের আকার ১,৮৯৯,২৭,৩৬,০০০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সামগ্রিক ঘাটতি-১৭,১৯৯ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষাখাতে-১০,৯০০ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষাখাতে-৪,৯০০ কোটি টাকা। এডিপি’র ৫২ ভাগ স্থানীয় অর্থে। সামাজিক বেষ্টনী বিস্তৃত। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৭ শতাংশের বেশী ধরা হয়েছে। বাজেটের চেয়েও কালো টাকা বেশী-৯০ হাজার কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ১ বছরের জন্য বহাল। করের আওতা বৃদ্ধি। উচ্চাভিলাষী রাজস্ব লক্ষ। ২০০৬-২০০৭ অর্থ-বছরের সব কার্য নির্বাহের(১লা জুলাই, ২০০৬ হতে ৩০ জুন, ২০০৭ পর্যন্ত সময়ের) জাতীয় সংসদ সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে ৩০ জুন, ২০০৭ পর্যন্ত সময়ের জন্য সর্বমোট-৮৮,৭৩২ কোটি ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমোদন। এবার ১৫ লক্ষ লোক বয়স্ক ভাতা পাবেন। একজন মাসিক-১৮০/-টাকা করে বছরে পাবেন-২,১৬০/-টাকা মাত্র। আর ১৫ লক্ষ লোক পাবেন বছরে-৩২৪ কোটি টাকা। দায়মুক্ত ব্যয় বরাদ্ধ করা হয় ৪টি সাংবিধানিক খাতে। এসব হচ্ছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রীম কোর্ট। এ চারটি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৪৪৬ কোটি ৯০ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। মঞ্জুরি বাবদ রাখা হয়েছে-৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। প্রতি বছর জাতীয় বাজেটের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ টাকাই চলে যাচ্ছে এ বিদেশী ঋণ পরিশোধ করতে। অথচ এ ঋণের টাকা লুটপাট ও অপচয় ছাড়া সাধারণ মানুষ-এর বিপরীতে কিছুই পায়নি। বাজেট ২০০৬-২০০৭ সালে এনবিআর রাজস্ব-৪১,০৫৫ কোটি টাকা+নন এনবিআর রাজস্ব-১,৮৬০ কোটি টাকা+নন ট্যাক্স রেভিনিউ-৯,৬২৭ কোটি টাকা। মোট বাজেট ধরা হয়েছিল-৫২,৫৪২ কোটি টাকা। সম্ভাব্য সংশোধিত বাজেট-৩৭,৮৪৪ কোটি টাকা+নন এনবিআর রাজস্ব-১,৭৪৬ কোটি টাকা+নন ট্যাক্স রেভিনিউ-৯,২৬৭ কোটি টাকা। মোট সংধোধিত বাজেট-৪৯,২১৭ কোটি টাকা। বাজেট থেকে কাটা হচ্ছে-৩,৩২৫ কোটি টাকা। ২০০৬-২০০৭ সালে প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৬ শতাংশ। জিডিপি-৪,৬৭,৫০০ কোটি টাকা হয়েছে-২০০৬-২০০৭ সালে। চলতি অর্থবছরে রফতানী আয় ধরা হয়েছিল-৯,৯৯০ মিলিয়ন ডলার বাস্তবে আয় হয়েছে-৯,৯১২ মিলিয়ন ডলার। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে আমদানির ঋণপত্র স্থাপন করা হয়েছিল ১,৭১৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিলঃ ৫২৩ ডলার এবং মোট উৎপাদন ছিলঃ ৪,৭২,৪৭,০০০০০০০ টাকা। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬.৪৩ ভাগ। ২০০৭ সালের ১৭ অক্টোবর, চলতি অর্থবছরের রপ্তানির লক্ষ্য ১,৪৫০ কোটি ডলার।
৩৭. ২০০৭-২০০৮ অর্থ-বছরের জন্য প্রস্তাবিত রাজস্ব আয় ধরা হয়েছিল-৬১,৫৫৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাজস্ব ব্যয়-৪৮,৩৮৯ হাজার কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ-৮,৯১২ কোটি টাকা। সংশোধিত রাজস্ব আয় হয়েছে-৬৪,৯২৭ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেট-২৬,৫০০ হাজার কোটি টাকা ও এডিপিবহির্ভূত কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী বাবদ-৪৬৪ কোটি টাকাসহ উন্নয়ন বাজেট হলো-২৬,৯৬৪ কোটি টাকার মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৯১২ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা এবং ব্যাংক ঋণ-৭,২৫৩ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপি ২২,৫০০ কোটি টাকা। মোট বাজেট অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন-৭৯,৬১৪ কোটি টাকা। সরকারের উপর অর্পিত দায়(বিপিসি থেকে উদ্ভুত)-৭,৫২৩ কোটি টাকাসহ(৩০ জুন, ২০০৭ সাল হতে সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে ৩০ জুন, ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য সর্বমোট-৮৭,১৩৭ কোটি টাকার বাজেট ব্যয়ের অনুমোদন)। মোট ঘাটতি ২২,৩১৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণ-এর সুদ গুণতে হবে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। কর ব্যতীত প্রাপ্তি-বৈদেশিক অনুদান/১ (বিবরণী-৫)-৪,২৫৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়-৫৭,৩০১+৪,২৫৫=৬১,৫৫৬। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ শতাংশ। শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ-১২,১৪০ কোটি টাকা। ইসি সচিবালয়ের বরাদ্দ ৫৩৬ কোটি সাড়ে ৫৭ লাখ টাকা। ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা নির্বাচনী প্রস্তুতি ও ইসি ভবন খাত। বাজেটে অর্থনৈতিক ৭টি চ্যালেঞ্জ-যেমন ঃ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিমীলতা বজায় রাখা, প্রবৃদ্ধির গতিধারাকে ত্বরান্বিত করা, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, ব্যক্তিখাত চালিত প্রবৃদ্ধির বাধাগুলোকে দূর করা, দারিদ্র কমিয়ে আনা, অঞ্চল ও শ্রেণীভিত্তিক আয় সমতা তৈরী করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তোলা। করমুক্ত আয়ের সীমা দেড় লাখ টাকা। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে-৩,৮৩২ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ-৯,৪৬৪ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণের সুদ-১,৩২১ কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ-৪,০৯৮ কোটি টাকা। জিডিপি-৫,৩০,৩০০ কোটি টাকা হবে ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে। গত বছরের তুলনায় অনুন্নয়ন ব্যয় ১৭ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হলেও উন্নয়ন ব্যয় বেড়েছে মাত্র-৫০০ কোটি টাকা। গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় ২০ হাজার ৩০১ কোটি টাকার বেশী বাজেট যথেষ্ট মাত্রায় উচ্চ প্রস্তাবনা। সরকার কর্মসংস্থান খাতে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মসূচী দেয়নি। দেশের ৬৫ ভাগ মানুষের এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই অথচ বলা হচ্ছে ‘২০২০ সালে সবার জন্য বিদ্যুৎ’। বাজেট বাংলাদেশের-বিজয় বিশ্বব্যাংকের। শুল্ক কাঠামোর ওপর-নীচ দুদিক থেকেই লাভবান বিশ্বব্যাংক। মাত্র ২০ কোটি ডলার বা ১,৪০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে (ডিএসসি-ফোর ক্রেডিট) বিশ্বব্যাংক এবারের বাজেট থেকে নগদ ৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক, ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ যেসব উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের কোম্পানিগুলোর স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে। সরকার এবারের বাজেটে যেখানে গরিব কৃষকের জন্য ২২শ’ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেখানে বিদেশী ধনিক গোষ্ঠীর জন্য এর প্রায় আড়াইগুণ মানে ৫ হাজার কোটি টাকা নগদ ভর্তুকি দিচ্ছে। এরজন্য আমরা মুদির দোকানদার ও দর্জির দোকানদারে পরিণত হব এবং আমাদের মিল-ফ্যাক্টরীগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের অভ্যন্তরীণ দেনার স্থিতি আগামী বছর দাঁড়াবে লক্ষ কোটি টাকা।  ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে সরকারের ঋণ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে গত ১১ জুন, ২০০৭ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণ স্থিতি ৩৩ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে কমপক্ষে ৪৩ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে ঘাটতি মোকাবিলা করে। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে বাজেটে ব্যাংক থেকে ১৯,২৭৬ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।  ১২৭টি পণ্য পাচ্ছে শূন্য শুল্ক সুবিধা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরের যাত্রা শুরু হলো অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৫০৬ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার নিয়ে। অর্থনীতিতে বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব নিয়ে সমুন্নয়ের পূর্বাভাস। প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের পরিবর্তে ৬.২ শতাংশ। ২০০৭-২০০৮ সালের সংশোধিত বাজেট-৯৩,৬০৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এবং ঘাটতি হয়েছে ২৫,৫৪৬ কোটি টাকা। তবে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫.৬৩ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬.১৮ শতাংশে দাঁড়ায়। জিডিপি ২০০৭-২০০৮ সালে ধরা হয়েছিল ৫,৩০,৩০০ কোটি টাকা কিন্তু হয়েছে ৫,৪১,৯১৮ কোটি টাকা এবং মাথাপিছু আয় হল-৫৯৯ ডলার। মহিলারা ঘরে-বাইরে যে কাজ করে তাঁরা উৎপাদন করে বছরে ৯,১০০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস এবার ৫.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে বেশি। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে আমদানি ব্যয প্রায় ২ হাজার ১৬২ কোটি ডলার। বাণিজ্য ঘাটতি বড় আকার ধারণ করেছে এবং বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৪.৬৩%। ঘাটতির পরিমাণ-২৫ হাজার ৭৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকগুলোয় মোট ১,৪৪০ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের আমদানি ঋণপত্র স্থাপন করা হয়েছিল। গত অর্থবছরে রপ্তানি আয় ধরা হয়েছিল-১,৪৫০ কোটি ডলার, প্রকৃত রপ্তানি আয় হয়েছে-১,৪১১ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি ১৬%। লক্ষমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম, শীর্ষে রয়েছে নিট পোশাক। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬.১৯%। ২০০৭-২০০৮ সালে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৬১১ কোটি ৬২ লাখ ডলার।
২০০৮ সালের ৩০ এপ্রিল, ৫২,৮৮১(বায়ান্ন হাজার আটশত একাশি) কোটি ৮১(একাশি) লক্ষ ২৯(উনত্রিশ) হাজার ৩৯৫(তিনশত পঁচানব্বই) টাকার কাগুজি নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসু করেছে। এরমধ্যে ৩১,৯৪৯(একত্রিশ হাজার নয়শত উনপঁঞ্চাশ) কোটি ২০(বিশ) লক্ষ ৯৫(পঁচানব্বই) হাজার ২৭৫(দুইশত পঁচাত্তর) টাকার কাগুজি নোট বাজারে চালু আছে। ১ টাকার কয়েন চালু আছে ৮০(আশি) কোটি টাকার, ২ টাকার কয়েন চালু আছে ২০(বিশ) কোটি টাকার এবং ৫ টাকার কয়েন চালু আছে ৫৫(পঁঞ্চান্ন) কোটি টাকার।
৩৮. ২০০৮-২০০৯ অর্থ-বছরের বাজেটে মোট কর রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-৬৯,৩৮২ কোটি টাকা এবং মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-৭৫,৭২৮ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে-৬৬,৭৫৩ কোটি টাকা। রাজস্ব উদ্ধৃত্ত-৮,৯৭৫ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে-২৫,৬০০ কোটি টাকা। মোট খরচ হবে-৯৯,৯৬২ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেট ৯৪,১৪০ হাজার একশত চল্লিশ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাজস্ব আয়-৭৪,১০৯ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় ৬৭,১২৫ হাজার একশত পঁচিশ কোটি টাকা এবং সংশোধিত উন্নয়ন ব্যয় ২৩,০০০(তেইশ হাজার) কোটি টাকা। ২০০৮-২০০৯ সালে জিডিপি ধরা হয়েছিল-৬,১৩,১১১ কোটি টাকা এবং সংশোধিত জিডিপি-৬,১৪,৯৪৩ কোটি টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ঃ (জিডিপির শতকরা হার ৪ শতাংশ)। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সংশোধিত ঘাটতি বাজেট ২৪,৯৬০ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে ১৭ লাখ টন আমদানি ও ১৫ লাখ টন খাদ্যশস্য অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা থাকবে। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন করার জন্য ৫৪৮ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে। কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ ১৬.৪%। জাতীয় বাজেট ২০০৮-২০০৯-এর টাকা আসবে কোথা থেকেঃ জাতীয় রাজস্ব-বোর্ড নির্ধারিত কর-৫৪.৫%, বৈদেশিক অনুদান-৬.৪%, বৈদেশিক ঋণ-৭.২%, অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন-১৭.০%, কর ব্যতীত প্রাপ্তি-১২.৬% ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-বহির্ভূত-২.৩%। বাজেটের হিসাব-নিকাশঃ ব্যয় হবে কোথায়-সুদ-১২.৬%, শিক্ষা ও প্রযুক্তি-১২.৩%, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-১১.৩%, কৃষি-৯.১%, জন প্রশাসন-৯.১%, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ-৮.২%, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-৭.৩%, প্রতিরক্ষা সার্ভিস-৬.৪%, পরিবহন ও যোগাযোগ-৬.১%, স্বাস্থ্য-৫.৯%, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-৫.৬%, কতিপয় অনুন্নয়ন বিনিয়োগ-০.৯% এবং অন্যান্য-৫.২%। সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২০% মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা। আগামী অর্থবছরে সাড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য। প্রতিরক্ষা খাতে ৭,৯৬৭ কোটি টাকা বরাদ্ধ এবং সংশোধিত বরাদ্দ-৮,১৯৬ কোটি টাকা। বছরে ১০০ দিন কর্মসংস্থান হবে ২০ লাখ লোকের। চলতি অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১৬৪০ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি ১৬.৫%। গত অর্থবছরের চেয়ে ১৫% বেশি পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত হয়েছে ১,৬২৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার (২০০৮-২০০৯) অর্থবছরে নির্ধারণ করা হয়েছে। করমুক্ত আয় ছিল ১,৬৫,০০০ টাকা। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫.৯ ভাগ। বিবিএস চলতি অর্থবছর মাথাপিছু জিডিপি প্রাক্কলন করেছে ৪২ হাজার ৬৩৮ টাকা বা ৬২১ ডলার। আর মাথাপিছু আয়(জিএনআই) হয়েছে ৪৪ হাজার ৮৬ টাকা বা ৬৯০ ডলার। ২০০৮-২০০৯ অর্থ-বছরে সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট-২৩,০০০ কোটি টাকার ৮৬% বাস্তবায়ন করা হয়েছে মানে ১৯,৬৬৮ কোটি টাকা। দেশে বিনিয়োগযোগ্য সঞ্চয় কত-সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে চলতি মূল্যে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পরিমাণ ছয় লাখ ১৪ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। আর একই সময়ে জাতীয় সঞ্চয়ের হার জিডিপির ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ হিসাবে জাতীয় সঞ্চয়ের পরিমাণ এক লাখ ৯৯ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে মোট বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ বিনিয়োগের পরিমাণ এক লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মধ্যে এখনো ৫০ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা বিনিয়োগযোগ্য সঞ্চয় পড়ে আছে। এ অর্থ বিনিযোগে আনা যাচ্ছে না। ০৭-০৯-০৯ ও ২০০৮ সালের ৬ মে, বাজেট ও বাণিজ্য ঘাটতিতে রেকর্ড সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৮৭,১৩৭ কোটি টাকা। ঘাটতি হবে প্রায় ১৬,০০০ হাজার কোটি টাকা এবং আগামী ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ১,০৩,০০০ কোটি টাকার মত। ২০০৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫৯০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালের ২২ জুলাই, সমকাল পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের নারীরা বছরে গৃহে ৯,১০০ কোটি ডলারের শ্রম দেয়। আর বাংলাদেশের জাতীয় আয় ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে ৭,৯৭০ কোটি ডলার।
৩৯. নির্বাচনী ইশতেহার মাথায় রেখে আসছে বাজেট। ২০০৯-২০১০ অর্থ-বছরের বাজেটে মোট কর রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-৮৪,৫৯১ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে-৮৩,৩১৯ কোটি টাকা তা থেকে কমিয়ে ৮২,০২৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে-৩০,৫০০ কোটি টাকা। সংশোধীত এডিপি ২৮,৫০০ কোটি টাকা হতে পারে। মোট উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যা-১,০৫৮টি। (মোট খরচ হবে-১,১৩,৮১৯ কোটি টাকা বা ১,৬৭৪ কোটি ডলার এবং মোট ঘাটতি হবে-৩৪,৩৫৮ কোটি টাকা বা বাজেটের ২৬.৬৭ ভাগ ঘাটতি।) সংশোধিত বাজেট ১,১০,৫২৩ কোটি টাকা (যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৬ শতাংশ) আর সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ৩১,০৩৯ কোটি টাকা। বাজেটে এবার বিদেশী ঋণ শোধ করা হবে ৫,৯৫০ কোটি টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ঃ (জিডিপির শতকরা হার ৪.৫ শতাংশ)। করমুক্ত আয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। কালো টাকা সাদা করা চালু রাখার প্রস্তাব তিন বছরের জন্য (২০০৯ সালের জুলাই থেকে ৩০ জুন ২০১২ সাল পর্যন্ত)। বৈধ টাকা অবৈধ দেখালেই লাভ। বৈধ ৫০ লাখ টাকা হলে কর দিতে হবে-১২.৫০ সাড়ে বার লক্ষ টাকা আর অবৈধ ৫০ লাখ দিয়ে ১০০ বর্গমিটারের একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনলে প্রতি বর্গমিটার ৮০০ টাকা হারে কর দিলেই তা বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়া হবে। এ পর্যন্ত ৩৮টি বাজেট ঘোষিত হয়েছে এবং কালো টাকা সাদা করার ৮(আট) বার সুযোগ দিয়েছে। নতুন সংযোজন পিপিপিঃ প্রতিবারই তা ছিল দুই ভাগে বিভক্ত-রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেট। প্রথমবারের মতো আগামী বাজেট হচ্ছে তিন পর্যায়ে-রাজস্ব, উন্নয়ন ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) বাজেট। প্রবৃদ্ধির হার ৫.৮ শতাংশের বেশি হবে না (অর্থমন্ত্রী) কিন্তু প্রবৃদ্ধি হয়েছে-৫.৫৪ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার থাকবে ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে না মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। * বিনিয়োগ ঘাটতি পূরণে পিপিপি বরাদ্দ থাকছে ২৫০০ কোটি টাকা। * ৭৮ উপজেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীতে থাকবে ১১৭৬ কোটি টাকা। * কৃষি গবেষণায় ২৩৮ কোটি ও সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। * মন্দা মোকাবিলায় বরাদ্দ থাকছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের জন্য পণ্য ও সেবা মিলিয়ে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬,৮৬,৭৩০ কোটি টাকা কিন্তু জিডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে বাজেটে ঘাটতি থাকবে জিডিপির পাঁচ শতাংশ। বাজেট ২০০৯-২০১০ টাকা আসবে কোথা থেকে-বৈদেশিক অনুদান-৪.৫ ভাগ, বৈদেশিক ঋণ-৭.৬ ভাগ, অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন-১৮.১ ভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর-৫৩.৬ ভাগ, কর ব্যতীত প্রাপ্তি-১৩.৬ ভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-বহির্ভূত কর-২.৬ ভাগ। ব্যয় হবে কোথায় ঃ ব্যাংকের সুদ দিতে হবে-১৩.৯ ভাগ, প্রতিরক্ষা ব্যয় হবে কত-৫.৩ ভাগ (৮,৩৮২ কোটি টাকা) + জনপ্রশাসন-১৩.৬ ভাগ + পেনশন-৩.২ ভাগ (২২.১ ভাগ বাজেটের শতাংশ বা ২৪ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা লাগবে বেতন ও পেনশন বাবদ), শিক্ষা ও প্রযুক্তি-১১.৯ ভাগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-৩.৮ ভাগ, কৃষি-৪.৫ ভাগ, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ-৭.৩ ভাগ, ভর্তুকি-৬.১ ভাগ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-৭.৬ ভাগ, পরিবহন ও যোগাযোগ-৬.৩ ভাগ, স্বাস্থ-৫.৯ ভাগ, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-৪.৯ ভাগ, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম-০.৮ ভাগ, গৃহায়ণ-১.১ ভাগ, শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস-০.৭ ভাগ ও বিবিধ ব্যয়-৩.১ ভাগ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ-১৪,৪৭১ কোটি টাকা দিতে হবে এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ দিতে হবে-১,৩৩৭ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল বাবদ দিতে হবে-৪,৫৪২ কোটি টাকা। এমপিও খাতে ১১২ কোটি টাকা-মাধ্যমিকে বিনামূল্যে বই, প্রাথমিকে সবার জন্য নতুন বই। বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত গতিশীল হবে-বিদ্যুতের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ ২০১১ সালে। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানোর প্রস্তাব। ২০১২ সালের মধ্যে দেশে দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ শুরু করেছে। বয়স্ক ভাতা বর্তমানে মাথাপিছু ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা এবং ভাতাভোগীর সংখ্যা বর্তমান ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২২ লাখ ৫০ হাজার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ জন্য টাকা লাগবে ৮১০ কোটি টাকা। গত বছর বরাদ্দ ছিল ৬০০ কোটি টাকা। দুস্থ মহিলা ভাতার হারও হবে ৩০০ টাকা। এ জন্য বরাদ্দ বর্তমানের ৬১ কোটি ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার হার বর্তমানে ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ২৫ হাজারে উন্নীত করার প্রস্থাব করা হয়েছে। এ খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা, যা গত বছর ছিল ১১৭ কোটি টাকা। খোলাবাজারে কম দামে খাদ্য বিক্রিসহ কাজের বিনিময়ে খাদ্য, ভিজিএফ, ভিজিডি, টিআর(খাদ্য), জিআর(খাদ্য) এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে খাদ্য সহায়তা বাবদ বাজেটে পাঁচ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের ২২ শতাংশ কৃষি খাত থেকে আসে এবং মোট শ্রমশক্তির ৪৮ শতাংশ এ খাতে নিয়োজিত। এ কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় ২০১২ সালের মধ্যে খাদ্যে দেশের স্বয়সম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এবারের বাজেটে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ, গড়াই নদীসহ ২৩টি নদী খননের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হবে। কৃষি খাতে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাবদ বাজেটে পাঁচ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বেতন কমিশনের সুপারিশ বিদ্যমান সম্পদ পরিস্থিতির আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ করে আগামী ১ জুলাই থেকে তা পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে। সামাজিক নিরাপত্তায় ২৬ লাখ টন খাদ্য বরাদ্দ। বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ১,১২৪ কোটি ডলার (০২-০৩-২০১০)। দেশে এবার প্রবাসী-আয় প্রায় ১,০০০ কোটি ডলার হবে। ৩০ জুন-৭৪৭.০৯, ৩১ জুলাই-৭৭৪.১৪, ৩১ আগষ্ট-৯১৫.৫৭ ও ৩০ সেপ্টেম্বর-৯৩৬.২৫ কোটি ডলার ছিল। এডিপির আশঙ্কা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশে নেমে আসবে। আইএমএফের চাপে এবার সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমাতে যাচ্ছে সরকার। কমিটি গঠন, জুলাই থেকে হ্রাসকৃত হার কার্যকর হতে পারে। ০৪-০৩-২০১০ তারিখ সংসদে প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী-স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছরে বিদেশি সাহায্য এসেছে তিন লাখ ৬১ হাজার ২০০ কোটি টাকা (৫,১৬০ কোটি) ডলার। এরমধ্যে ২৯ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ২১ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার অনুদান। ডলার-৭০ হিসাবে ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে জিডিপির মোট ২৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ অর্থমূল্যে যার পরিমাণ ১,৬৮,২০০(এক লাখ আসট্টি হাজার দুইশত) কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। আবার নির্বাচনী ইশতেহারেও আওয়ামী লীগ বলেছে, ‘রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরের ঘুষ, দুর্নীতি উচ্ছেদ, অনুপার্জিত আয়, ঋণখেলাপি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কালো টাকা এবং পেশিশক্তি প্রতিরোধ ও নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত বছর ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১,৫০০ কোটি টাকা। ঋণ বিতরণ হয়েছিল ১১,১১৭ কোটি টাকার অর্থাৎ ৯৭ ভাগ। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ২৭(সাতাশ) লক্ষ টিআইএন নম্বর ছিল। আর ট্যাক্স প্রদান করেছিলেন ৮,১৫,০০০(আট লাখ পনের) হাজার জন। ২০১০ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-চলতি অর্থবছরে (২০০৯-২০১০) খাদ্যশস্যের চাহিদা ২ কোটি ৬৭ লাখ টন ছিল। ২০১০ সালে মাথাপিছু আয় ছিল-৭৬৩ মার্কিন ডলার। ২০০০ থেকে ২০১০ সালে মানে দশ বছরে ১১৪ শতাংশ পরিবর্তন।
৪০. নির্বাচনী ইশতেহার মাথায় রেখে আসছে বাজেট। প্রাক-বাজেট সভায় অর্থমন্ত্রী বড় বাজেট হলেও নতুন উদ্যোগ তেমন থাকবে না। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে মোট খরচ হবে-১,১০,৫২৩ কোটি টাকা। তা থেকে ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে ২০১০-২০১১ অর্থ-বছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে-১,৩২,১৭০ কোটি টাকা। গণমানুষের ওপর চাপ বাড়বে।  অবকাঠামোয় গুরুত্ব। বাজেট জিডিপির ১৬.৯ ভাগ এবং ভবিষ্যতে ২০ ভাগ করার পরিকল্পনা আছে। রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-৯২,৮৪৭ কোটি টাকা (যা জিডিপির ১১.৯%), রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে-৯৩,৬৭০ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে-৩৮,৫০০ কোটি(গত বছর থেকে এবার উন্নয়ন ব্যয় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে) টাকার মধ্যে ২১ হাজার ৯৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আসবে আভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ৩৯,৩২৩ কোটি টাকা (যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) ৫ শতাংশ। জাপানি সুদ মওকুফ তহবিল (জেডিসিএফ) থেকে ধরা হয়েছে ২ হাজার  ১০৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। এ দুই উৎস মিলে দাঁড়ায় ২৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বাকি ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য বা সুদ হিসেবে।  নতুন এডিপিতে সবচেয়ে বেশি পরিবহন খাতে ছয় হাজার ৯০৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। চার হাজার ৯১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা শিক্ষা ও ধর্ম খাতে। বিদ্যুৎ খাতে থাকছে চার হাজার ৯০৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আর পল্লী উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠান খাতের জন্য চার হাজার ৩৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ভৌত পরিকল্পনা ও পানি সরবরাহে রাখা হচ্ছে তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা এর বাইরে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণে তিন হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা এবং কৃষি খাতে এক হাজার ৯৮১ কোটি টাকা আর সবচেয়ে কম ৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা থাকছে শ্রম ও কর্মসংস্থান খাতে। আর ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌসরভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া বিশেষ এলাকার উন্নয়ন, নদী খনন এবং বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা ইত্যাদি ১০টি খাতের জন্য বরাদ্ধ তিন হাজার ৪১১ কোটি টাতা। এ আয়ের ২২ ভাগ ব্যয় হবে বেতন-ভাতা খাতে আর ২০ ভাগ ব্যয় হবে সুদ পরিশোধ খাতে। প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৭ আর (বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস বাংলাদেশে এ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.১ থেকে ৬.৩ শতাংশ) মুল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে (কিন্তু বাস্তবে মুল্যস্ফীতির হার হবে প্রায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ)। ১০-০৬-২০১০ তারিখ বাজেট ঘোষণা হবে। জিডিপির প্রক্কলন করা হয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। বোস্টন ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং ইকোনমিকসের সভাপতি ও বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ইমেরিটাস অধ্যাপক গুস্তাভ এফ পাপানেক গত ১০-০৫-২০১০ তারিখ বাংলাদেশ সফর করেন এবং বলেন যে ‘বছরে ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করতে হবে’। প্রধানমন্ত্রীর কিছু দক্ষ ও ক্ষমতাবান রাজনৈতিক কর্মকর্তা (স্টাফ) প্রয়োজন, যাঁরা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন, কাজের বাস্তবায়ন ঠিকমতো তদারক করতে পারবেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ার জটিলতা কমাতে পারবেন। ২০১০-২০১১ বাজেট টাকা আসবে কোথা থেকে। বৈদেশিক ঋণ-৮.২%, বৈদেশিক অনুদান-৩.৬%, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-নিয়ন্ত্রিত কর-৫৪.৯%, অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন-১৭.৯%, কর ব্যতীত প্রাপ্তি-১২.৭% ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বহির্ভুত কর-২.৬%। বাজেট ২০১০-২০১১ সাল-ব্যয় হবে কোথায় ঃ শিক্ষা ও প্রযুক্তি-১৩.২%, সুদ-১১.১%, পরিবহন ও যোগাযোগ-৬.৩%, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-৪.৬%, কৃষি-৫.৪%, জনপ্রশাসন-৭.১%, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-৪.৬%, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম-১.২%, পেনসন-৩.১%, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-৮.১%, স্বাস্থ্য-৬.০%, প্রতিরক্ষা-৬.১%, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ-৭.০%, গৃহায়ণ-০.৯%, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সার্ভিস-১.১%, ভর্তুকি-৫.৮% ও বিবিধ ব্যয়-৮.২%। অনুন্নয়ন ব্যয় ঃ অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ (%) কতিপয় অনুন্নয়ন বিনিয়োগ-১১.৪%, অপ্রত্যাশিত ব্যয় ও অন্যান্য থোক-১.৬%, ভর্তুকী-৮.৩%, পেনসন-৪.৪%, সম্পদ সংগ্রহ-৩.৪%, পন্য সেবা-১১.৩%, বেতন-ভাতা-২২.০%, সুদ-১৫.৯%, সাহায্য মঞ্জুরী-১৯.৪% ও বিবিধ-২.২%। এবারও ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছেন। কৃষিতে বরাদ্দের হার ও ভর্তুকি কমেছে। পিপিপিতে বরাদ্দ তিন হাজার কোটি টাকা। এদিকে চলতি অর্থবছরে বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরণের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট এক লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা নির্দিষ্টকরণ বিল জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। নতুন কৃষিঋণ নীতিমালা ঘোষণা। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষমাত্রা ১২,৬১৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ১,৮৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার  প্রস্তাব। চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) মোটি ৯১৬টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ১২৭টি প্রকল্পের মেয়াদই শেষ হয়ে গেছে। বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আইএমএফ উদ্বিগ্ন। এবার বিশ্ব প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৮%, বাংলাদেশের ৬.৩%। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ২৮(আটাশ) লক্ষ টিআইএনধারীর মধ্যে ট্যাক্স প্রদান করেছেন মাত্র ৮(আট লাখ) রির্টান জমা দিয়েছেন। আর ২০(বিশ) লাখ টিআইএনধারী ট্যাক্স প্রদান করেননি। ২৭-১২-২০১০ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ সর্বকালের রেকর্ড, ১১০০ কোটি ডলার। ২০১০ সালের ২ জুন, জনকন্ঠ পত্রিকা ঃ দশ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ৫৭২ কোটি মার্কিন ডলার। আমদানি খাতে ব্যয় ১,৮৬৬ কোটি ডলার, আর রফতানি খাতে আয় ১,২৯৪ কোটি ডলার। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৭১। মাথাপিছু আয়-৭৫৫ ডলার প্রক্কলন করা হলেও তা কিছুটা কমে ৭৪৮ ডলার চূড়ান্ত হয়েছে।
৪১. ২০১০-২০১১ অর্থ-বছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে-১,৩২,১৭০ কোটি টাকা। মোট জিডিপির প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ২৯০ কোটি টাকা, আর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে-৬.৬৬% বা ৬.৩% এবং মাথাপিছু আয় হয়েছে-৮২৮ ডলার। এবার ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে-১,৬৩,৫৮৯ কোটি টাকা। জিডিপির আকার ধরা হয়েছে-৮,৫৮,৯৫২ কোটি টাকা। আর জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে-৭%। প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৫% ঃ আইএমএফ। (সম্পদ ব্যবহারে সরকারের কিছু অব্যবস্থাপনা রয়েছে। রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-১,২৩,৩২৩ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে-৪৫,২০৮ কোটি টাকা। ২০১১-২০১২ অর্থবছরের বাজেট কাঠামো ঃ (১) রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-১,১৮,৩৮৫ কোটি টাকা এবং জিডিপির শতকরা ১৩.২ শতাংশ। (২) এনবিআর কর রাজস্ব-৯১,৮৭০ কোটি টাকা এবং জিডিপির ১০.২ শতাংশ। (৩) এনবিআর-বহির্ভূত কর রাজস্ব-৩,৯১৫ কোটি টাকা এবং জিডিপির ০.৪ শতাংশ। (৪) করবহির্ভূত রাজস্ব-২২,৬০০ কোটি টাকা এবং জিডিপির ২.৫ শতাংশ। (৫) সরকারি ব্যয়-১,৬৩,৫৮৯ কোটি টাকা এবং জিডিপির ১৮.২ শতাংশ। (৬) অনুন্নয়ন ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয়-১,১৭,৫৮৯ কোটি টাকা এবং জিডিপির ১৩.১ শতাংশ। (৭) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-৪৬,০০০ কোটি টাকা এবং জিডিপির ৫.১ শতাংশ এবং সংশোধিত এডিপি চূড়ান্ত ৪১,০০০ কোটি টাকা। (৮) বাজেট ঘাটতি-৪৫,২০৮ কোটি টাকা এবং জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি অর্থায়ন কোথা থেকে আসবে ঃ (১) অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে-২৭,২০৮ কোটি টাকা মানে ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা আর সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে পাওয়া যাবে ৬ হাজার কোটি টাকা (২) বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ১৭,৯৯৬ কোটি টাকা মানে বৈদেশিক ঋণ থেকে। রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বেশি অর্থ আসবে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে আসবে ৩৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা, যা মোট রাজস্ব আয়ের ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ছাড়া আমদানি শুল্ক থেকে ১২ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আয়কর থেকে ২৭ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা বা ৩০ শতাংশ এবং সম্পূরক শুল্ক খাতে ১৬ হাজার ২২০ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ রাজস্ব আসবে। ৩৯ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকার উন্নয়ন ব্যয়ের বাইরে অনুন্নয়ন বা রাজস্ব ব্যয়ের সবচেয়ে বড় অংশ যাবে বেতন-ভাতা খাতে। এ খাতে ব্যয় হবে মোট রাজস্ব ব্যয়ের ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বা ২১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সুদ পরিশোধ খাতে ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা যা উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটের ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বাজেটের টাকা আসবে কোথা থেকে ঃ অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন-১৬.৬%, বৈদেশিক ঋণ থেকে-৮.০%, বৈদেশিক অনুদান থেকে-৩.০%, এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর থেকে-৫৬.২%, কর ব্যতীত-১৩.৮% এবং এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আসবে-২.৪%। সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর উৎসে কর কর্তনের হার ১০% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ছিল ১৯ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা, যা উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটের ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। করমুক্ত আয়ের সীমা এক লাখ ৬৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা করা হয়েছে, মহিলা ও ৬৫ বছর বয়স্কদের করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ও প্রতিবন্ধীদের ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারীদের করের ওপর ১০ শতাংশ সারচার্জ। সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া আয়কর ফেরত দেবে না সরকার। ০৯-০৬-২০১১ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ সর্বকালের রেকর্ড ১,১৬০ কোটি ডলার। ১৩-০৭-২০১১ তারিখ বাণিজ্যমন্ত্রী রপ্তানির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ২,৬৩৬ কোটি ডলার এবং আমদানির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেন নাই। আমার মনে হয় এবার (২০১১-২০১২ অর্থ-বছরে) আমদানি হবে-৩,৫৩০ কোটি ডলার। এবার বাণিজ্য ঘাটতি হবে ৯০০ বা ৬৫০ কোটি ডলার। ২০-০৮-২০১১ তারিখের প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব মতে, ০৭-০৮-২০১১ তারিখ পর্যন্ত সরকারের বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৭৫ হাজার ১৮৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদন-ব্যয় ১৩ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। এ পর্যন্ত বিভিন্ন কর অফিস থেকে প্রায় ৩০ লাখ টিআইএন ইস্যু করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ৩০ লাখ টিআইএনধারীর লোক রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। শতকরা এক-তৃতীয়াংশ তাঁদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেন। চলতি ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বাজেটে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী বিভিন্ন কর্মসূচীতে ১৭শ ৬০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বিতরণের ঘোষণা প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরমধ্যে বয়স্ক ভাতা (১) ২৪ লাখ ৭৫ হাজার জনকে-এ খাতে বরাদ্দ ৮৯১ কোটি টাকা। (২) এছাড়া বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের জন্য দুস্থ ভাতা দেয়া হচ্ছে-৯ লাখ ২০ হাজার মহিলাকে-এ খাতে বরাদ্দ ৩৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা। (৩) দুই লাখ ৮৬ হাজার হচ্ছে প্রতিবন্ধিকে ভাতা দেয়া হচ্ছে ১০২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।  (৪) দরিদ্র মাতৃকালীন ভাতা-৯২ হাজার জনকে দেয়া হচ্ছে-৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবং (৫) কর্মজীবি দরিদ্র মায়ের মাতৃকালীন ভাতা ৭৭ হাজার ৬শ জনকে  ৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এছাড়া দেড় লাখ মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা দেয়া হচ্ছে-৩৬০ কোটি টাকা। আগে এ ভাতার টাকা লাইন ধরে গিয়ে ভাতার টাকা গ্রহণ করতে হয়েছে। এ ৪০ লাখ সুবিধাভোগীকে ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতা প্রদানের নির্দেশ-দিয়েছেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারী ব্যাংকে হিসাব খোলা যাবে ১০ টাকার বিনিময়ে। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্তি ৪১ কোটি ডলার পাওয়া গেছে আর ঋণ পরিশোধ করা হয় ৪০ কোটি ডলার (দৈনিক জনকন্ঠ ২০-১২-২০১১ তারিখ)। ১০-০১-২০১২ তারিখের দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ এডিবি কমল সাড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা। পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি ৬৫০ কোটি ডলার ছাড়াল। বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৩.৫%। চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু জিডিপি ৭৭২ মার্কিন ডলারে(চলতি মূল্যে) উন্নীত হবে বলে মনে করছে বিবিএস এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবার ৬.৩২%। সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল-৭%। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬ দশমিক ২ শতাংশ আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। আর চলতি মূল্যে এর আয়তন ৯(নয়) লাখ ১৪ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। বিনিয়োগ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে-সাবেক তত্ত¡াবধায়ক অর্থমন্ত্রী মির্জা আজিজ। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে দুই হাজার ৪২৯ কোটি ডলার। তার মানে পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৬৯ কোটি ডলার বেশি হয়েছে। পাকিস্তানের আয় হয়েছে দুই হাজার ৩৬০ কোটি ডলার।
৪২. (বাজেট ২০১২-২০১৩) এক লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। বাজেটের আকার বাড়ছে ১৮.১%। রাজস্ব আয়ের আহরণের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। বার্ষিক ব্যয়-১,৯১,৭৩৮ কোটি টাকার স্থলে সংশোধিত বাজেটের আকার দুই হাজার কোটি টাকা কমিয়ে এক লাখ ৮৯ হাজার কোটি করা হচ্ছে। বার্ষিক ঘাটতি-৫২,০৬৮ কোটি টাকা জিডিপির ৫ শতাংশ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) আয়তন হবে ৫৫ হাজার কোটি টাকা (০৯-০৩-২০১৩ তারিখের বাংলাদেশ প্রতিদিন সংশোধিত এডিপি হচ্ছে ৫০ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা) এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ আর মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নিয়ন্ত্রনে রাখাই অর্থমন্ত্রীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। টাকা আসবে কোথা থেকে-এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর ৫৮.৫%, এনবিআর বহির্ভূত কর-২.৪%, অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন-১৭.৫%, কর ব্যতীত-১১.৯%, বৈদেশিক ঋণ-৬.৫% এবং বৈদেশিক অনুদান-৩.২%। আরেক হিসাবে ৪২তম বাজেট বলা যায়। বেশি বরাদ্দ পল্লী উয়ন্ননে। মুহিতের সভাপতিত্বে বৈঠকে সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে বৈদেশিক সহায়তা ধরা হয়েছে-২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং সরকারি তহবিলের ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বিদ্যুতে-৭,৯১১ কোটি ১৬ লাখ, পরিবহনে-৭,৭৬৩ কোটি ৯৭ লাখ এবং শিক্ষা ও ধর্মখাতে ৬,৩৩৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। বড় আয়, বড় ব্যয়ের বাজেট আজ। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ২৩ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি সাহায্য কমে হবে ১২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বাজেট ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা থেকে এবার ১৮% শতাংশ, অর্থাৎ ২৮ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ঘোষিত হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব বা অনুন্নয়ন বাজেট ধরা হচ্ছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এর বাইরে অনুদান বাবদ ৬ হাজার ৫০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে সরকার ধরে নিচ্ছে। সব মিলিয়ে আগামীবার সরকারের প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। প্রতিশ্রুতি পূরণ, না চাপ সামলানো? কালো টাকা ঃ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কালোটাকাকে আমি কালো বলি না, বলি অপ্রদর্শিত আয়। এ টাকা অবশ্যই বিনিয়োগের মধ্যে আনতে হবে।’ এ সময় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪৮ থেকে ৮২ শতাংশ অপ্রদর্শিত আয়ের অঙ্কের কথা উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। ৫ ভাগ মানুষের এ বাজেট ধনীদের সুযোগ বাড়াবে আর ৯৫ ভাগ সাধারণ মানুষের কষ্ট আরো বাড়াবে। প্রথম আলো বাজেট সংলাপ ২০১২-২০১৩ বাজেটে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে প্রবৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ হবে। করমুক্ত আয়ের সীমা দুই লাখ টাকা। নির্দিষ্টকরণ বিল পাস ঃ আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট দুই লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল জাতীয় সংসদে কন্ঠভোটে ২৮-০৬-২০১২ তারিখ পাস করা হয়েছে। এর মধ্যে সাংসদদের ভোটে গৃহীত অর্থের পরিমাণ এক লাখ ৭৮ হাজার ৮৭০ কোটি ১৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় এক লাখ চার হাজার টাকা ৭২৯ কোটি ৫১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। গত ২০১১-২০১২ অর্থবছরে দেশে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১২ সালের জুন মাস শেষে মুদ্রা সরবরাহের স্থিতি দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ১১০ কোটি টাকা। আর ২০১১ সালের জুন শেষে স্থিতি ছিল চার লাখ ৪০ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে মুদ্রা সরবরাহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। মাথাপিছু আয়-১,০৪০ মার্কিন ডলার। ০৬-০৩-২০১৩ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংকে বিদেশী মুদ্রার রির্জাভ ১৪শ ২৭ কোটি ডলার।
৪৩. (বাজেট ২০১৩-২০১৪) বাজেটের আকার দুই লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। তা কমে হয়েছে ২,১৫,০০০(দুই লক্ষ পনের হাজার) কোটি টাকা। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৯ কোটি এবং অনুধান-৬,৬৭০ কোটি টাকা সহ। বিভিন্ন খাত থেকে আসবে মানে আয় ১ হাজার ৭৪ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। আর ব্যয় ২,২২,৪৯১ কোটি টাকা=২,৮৫২(দুই হাজার আটশত বায়ান্ন কোটি) ডলার। ঘাটতি ৪৮,৩৬২ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে ২৩ হাজার ৭২৯ কোটি টাকার ঋণ পাওয়া যাবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। মূল বাজেট ২,২২,৪৯১ কোটি টাকা, তা থেকে ১১.৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে মানে ২৫,৩৬৪ কোটি টাকা। ১,৯৭,১২৫ কোটি টাকার বাজেট।  (১) কৃষিতে-১৭,৪৭৭ কোটি টাকা, (২) শিক্ষা ও প্রযুক্তি-২৬,১১৩ কোটি টাকা, (৩) স্বাস্থ্য-৯,৪৯৪ কোটি টাকা, (৪) জনপ্রশাসন-৭৮,২৩৮ কোটি টাকা, (৫) জনশৃঙখলা ও নিরাপত্তা-১০,৫৪৭ কোটি টাকা (৬) প্রতিরক্ষা-১৪,৪৭৫ কোটি টাকা, (৭) সামাজিক নিরাপত্তা-১২,৬৩৫ কোটি টাকা, (৮) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-১১,৩৫১ কোটি টাকা, (৯) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-১৪,৮০৩ কোািাট টাকা ও (১০) পরিবহন ও যোগাযোগ-২০,৬২৪ কোটি টাকা। ব্যক্তি আয় কর (১) ২,২০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত শূন্য, (২) নারী ও পুরুষ ৬৫ বছরের ওপরে-২,৫০,০০০ হাজার শুনাকা পর্যন্ত শূন্য, (৩) প্রতিবন্ধী করদাতা-৩,০০,০০০ লাখ টাকা পর্যন্ত শূন্য। স্থায়ী বেতন ও চাকরি কমিশন গঠিত হবে। কৃষি খাতে ভর্তুকি কিছুটা কমেছে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আরও কমল।  টাকা কোথা থেকে আসবে এনবিআর কর্তৃক (১) মুনাফা ও আয়ের ওপর কর-৪৮,২৯৭ কোটি টাকা, + (২) আমদানি শুল্ক-১৪,৬২৯ কোটি টাকা + (৩) রপ্তানি শুল্ক-৪৫ কোটি টাকা + (৪) অন্যান্য-১,০০০ কোটি টাকা + (৫) সম্পূরক শুল্ক-২০,৮৫৩ কোটি টাকা + (৬) মূসক-৪৯,৯৫৬ কোটি টাকা + (৭) আবগারি শুল্ক-১,৩১০ কোটি টাকা। মোট আয়-১,৭৪,১২৯ কোটি টাকা (১) বৈদেশিক অনুদান-৬,৬৭০ কোটি টাকা +এনবিআর বহির্ভূত (১) ৫,১২৯ কোটি টাকা-আসবে কোথায় থেকে-স্ট্যাম্প বিক্রয়(১) ৩,২৬৪ কোটি টাকা + (২) ভূমিরাজস্ব থেকে-৬৪০ কোটি টাকা + (৩) মাদক থেকে-৭০ কোটি টাকা + (৪) যানবাহন কর-১,১৫৫ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত আয়-২৬,২৪০ কোটি টাকা=(১) প্রতিরক্ষা বাবদ প্রাপ্তি-২,৫১৮ কোটি টাকা (২) লভ্যাংশ ও মুনাফা-৪,৬৯৩ কোটি টাকা + (৩) প্রশাসনিক ফি-৪,৩৭৪ কোটি টাকা + (৪) কর ব্যতীত অন্যান্য রাজস্ব ও প্রাপ্তি-৯,৯৭৩ কোটি টাকা + (৫) অন্যান্য-৪,৬৮২ কোটি টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি-৪৮,৩৬২ কোটি টাকা=(১) বৈদেশিক ঋণ-১৪,৩৯৮ কোটি টাকা + (২) অভ্যন্তরীণ ঋণ-৩৩,৯৬৪ কোটি টাকা।  মোট ব্যয় কোথায় হবে=(১) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-১৪,৮০৩ কোটি টাকা + (২) প্রতিরক্ষা-১৪,১০২ কোটি টাকা + (৩) জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-৯,৯৫৫ কোটি টাকা + (৪) জনপ্রশাসন-৪৫,৭৯৫ কোটি টাকা + (৫)  গৃহায়ণ-১,৭৮১ কোটি টাকা + (৬) শিক্ষা ও প্রযুক্ত-২৬,১১৩ কোটি টাকা + (৭) স্বাস্থ্য-৯,৪৯৪ কোটি টাকা + (৮) সুদ-২৭,৭৪৩ কোটি টাকা + (৯) ভর্তুকি-১৫,৪৪৩ কোটি টাকা + (১০) সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ-১১,৮৭৪ কোটি টাকা + (১১) বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম-১,৭৪৭ কোটি টাকা + (১২) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-১১,৩৫১ কোটি টাকা + (১৩) কৃষি-৮,৪৭৭ কোটি টাকা + (১৪) শিল্প ও অর্থনৈতিক-৩,২০৬ কোটি টাকা + (১৫) পরিবহন ও যোগাযোগ-৩,২০৬ কোটি টাকা=মোট ব্যয়=অনুন্নয়ন-১,৩৪,৪৪৯ কোটি টাকা + উন্নয়নমূলক ব্যয়-৭২,২৭৫ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপির আকার ৬৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা থেকে ০৩-০৪-২০১৪ তারিখ সংশোদিত ৬০,০০০ কোটি টাকা বাস্তবায়িত হচ্ছে। খাদ্য হিসাব-২৬৩ কোটি টাকা এবং ঋণ ও অগ্রিম-১৫,৪০৪ কোটি টাকা=২,২২,৪৯১ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ সূত্র জানায় আগমী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির  (জিডিপি) হার ধরা হচ্ছে চলতি অর্থ বছরের সমান অর্থাৎ ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এর থেকে ২২ শতাংশ কাটছাঁট হচ্ছে। ওই অর্থ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে উন্নয়ন বাজেট করা হয়েছে-৫৫ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ৪৮ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে আগামী অর্থবছরে সরকার ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। গত অর্থবছরে ২৩ হাজার কোটি। এ ছাড়া আগামী বাজেটে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে ৭ শতাংশ। বাজেটে ঘাটতি রাখা হতে পারে ৪ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাজেট ঘাটতি ৪ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিলেও সরকারের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। স¤প্রসারণমূলক অর্থনীতির সমর্থনে অর্থমন্ত্রী নিজেই বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের ওপরে রাখার পক্ষে।  সর্বোচ্চ বরাদ্দ স্থানীয় সরকার খাতে। সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকবে পরিবহনে এবং বিদ্যুতে। পদ্মা সেতুর জন্য ৬,৮৫২ কোটি টাকা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। পাঁচ বছরে বাজেটের আকার দ্বিগুণ। ৩ সরকারের শাসনামল (২০০১-২০১৩)। প্রবৃদ্ধি বাড়লেও মূল্যস্ফীতির কারণে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে সীমিত আয়ের মানুষের। গড় প্রবৃদ্ধি বিএনপি-৫.৭, তত্ত¡াবধায়ক-৫.৯৬ এবং আওয়ামী লীগ-৬.১৫। গড় মূল্যস্ফীতি বিএনপি-৫.৩, তত্ত¡বধায়ক-৮.৫৫ এবং আওয়ামী লীগ-৮.৪৫ শতাংশ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো গড় প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি। প্রথম অগ্রধিকারেই বড় ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। এ প্রতিশ্রুতি পূরণে নেই কোনো সাফল্য। আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ। ইসির জন্য বরাদ্দ দেড়হাজার কোটি টাকা। নির্দিষ্টকরণ বিল পাস ঃ আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট তিন লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৯ কোটি ১১ হাজার টাকা। এর মধ্যে সংসদদের ভোটে গৃহীত অর্থের পরিমাণ দুই লাখ চার হাজার ৩১০ কোটি ৫২  লাখ ১৮ হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় এক লাখ ৪০ হাজার ২৩৯ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ধরা হয়েছে-৩,০৫০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর আমদানি ব্যয় ধরা হয়েছে-৪,০০০ কোটি ডলার। কমে গেছে আমদানি ব্যয়, তেমন চাহিদা নেই ডলারের।  সংসদে প্রশ্নোত্তর-গত পাঁচ বছরে সরকারের ঋণ দুই লাখ ৩২ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।  পরিশোধ করেছে-১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। ১১-১১-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত সরকারের নিকট পাওনা ঋণ ৮৭ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা ও বয়স্ক ভাতা মাসিক ৩০০/- টাকা। পায় ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ। গত বারের চেয়ে এবার রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশ। ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল-১,০০০ কোটি ডলার, ৮ জুলাই, ২০১০ সালে-১,১০০, কোটি, ১৮ অক্টোবর, ২০১২  সালে-১,২০০ কোটি, ৭ জানুয়ারি, ২০১৩ সালে-১,৩০০ কোটি, ৫ মার্চ, ২০১৩ সালে-১,৪০০ কোটি, ৭ মে, ২০১৩ সালে-১,৫০০ কোটি, ১৩ আগস্ট, ২০১৩ সালে-১,৬০০ কোটি, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩ সালে-১,৭০০ কোটি ও ১৯ ডিসেম্বর, ১,৮০০ কোটি ডলারের রির্জাভ ঃ গভর্নর। ১০-০৪-২০১৪ তারিখে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ নতুন উচ্চতায় ২০০০ কোটি ডলার। ভারতের রিজার্ভ ২৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার এবং পাকিস্তানের রিজার্ভ এক হাজার ২০০ কোটি ডলার। ১১-০৩-২০১৪ তারিখ বাংলাদেশে ৬,০০০ হাজার কোটি ডলারের ঋণ আছে এবং টাকায় মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ হলো-২৮,২৩৫ টাকা। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ থেকে নেমে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এখন বলা হচ্ছে প্রবৃদ্ধি হবে-৬.৪ শতাংশ। রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩.১৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ১০ মাস। আয় ২,৪৬৫ কোটি ডলার। বিশ্বে প্রবাসী-আয় প্রাপ্তির তালিকায় বাংলাদেশ অস্টম। প্রথম স্থান ভারতের এবং দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। বিশ্ব ব্যাংকের তালিকায় আছে তৃতীয় ও ৪র্থ স্থানে ফিলিপিনো ও মেক্সিকো। আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া ও মিসরযথাক্রমে ৫ম ও ৬ষ্ঠ স্থানে আছে। পাকিস্তান আছে ৭ম এবং বাংদেশের স্থান ৮ম। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়-২,৭০২ কোটি ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১১.২২% ভাগ ছিল। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয়-৩,০১৭ কোটি ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১১.৬৫%। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখীই থাকল ৬.৭৮%  এবং ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭.৩৫% উর্ধ্বমুখীই থাকল। মাথাপিছু আয়-১,১৯০ মার্কিন ডলার। প্রাথমিক হিসাবে, ওই বছর চলতি মূল্যে জিডিপির আকার ছিল-১৩ লাখ ৫০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা বা ১৭,৩২০ কোটি ডলার। ঘরে ১০ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকার কাজ করেন নারী-সিপিডির গকেষণা।
৪৪. ০৫-০৬-২০১৪ তারিখ ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার হবে দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। বাজেটের আকার ছোট করা হয়েছে-দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আর উন্নয়ন বাজেট হবে-৮০,৩১৫ হাজার কোটি টাকা। ২,৪৭৯ হাজার কোটি টাকা কমছে এডিপি। সংশোধিত এডিপি হচ্ছে ৭৭,৮৩৬ হাজার কোটি টাকা। শুরুতে তোড়জোড় থাকলেও পুরোনো পথেই হাঁটলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। আয়-১,৮৯,১৬০ মোট টাকা, ব্যয়-২,৫০,৫০৬ কোটি টাকা এবং ঘাটতি-৬১,৩৪৬ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হবে-৭.৩ শতাংশ। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়-৩,৩২০ কোটি ডলার ধরা হয়েছেছিল-রপ্তানি আয় হয়েছে-৩,১২০ কোটি মার্কিন ডলার। জনপ্রশাসন বৃদ্ধি-৪২%, সামাজিক নিরাপত্তা ও ত্রাণ বৃদ্ধি-২৩%, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বৃদ্ধি-১৭%, শিক্ষা ও প্রযুক্তি বৃদ্ধি-১৬%, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বৃদ্ধি-১৫%, স্বাস্থ্য বৃদ্ধি-১২%, প্রতিরক্ষা বৃদ্ধি-০৮%, কৃষি বৃদ্ধি-০৮% ও জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি-০৪%। শিক্ষায় ব্যয় বৃদ্ধি-প্রাথমিক শিক্ষা হবে অস্টম শ্রেণি পর্যন্ত। বাজেটের সুদ-৩১,০৪৩ কোটি টাকা। ব্যয়ের খতিয়ান কোটি টাকায়।  অনুন্নয়ন রাজস্ব ব্যয়-১,২৮,২৩১ কোটি টাকা, অনুন্নয়ন মূলধন ব্যয়-২৬,০১০ কোটি টাকা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-৮০,৩১৫ কোটি টাকা, এডিপিবহির্ভূত ব্যয়-৩,৪৬৯ কোটি টাকা, অন্যান্য ব্যয়-২,৫৬১ কোটি টাকা, খাদ্য হিসাব-৩০৯ কোটি টাকা ও ঋণ ও অগ্রিম-৯,৬১১ কোটি টাকা=২,৫০,৫০৬ কোটি টাকা। সারচার্জে নাকাল হবেন ধনীরা। দেশে মাত্র পাঁচ হাজার ৬৬২ জন দুই কোটি টাকার সম্পদের মালিক। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন আগামী ২০১৯ সালে বাজেট হবে-৬ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। ০৮-০৮-২০১৪ তারিখ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২০০ কোটি ডলার। ২২-০৭-২০১৪ রপ্তানি লক্ষ এবার ৩,৩২০ কোটি ডলার। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, জীবনযাত্রার ব্যয় ৬.৩১% বৃদ্ধি বা কেউ কেউ বলছে যে ৭% বৃদ্ধি। ক্যাবের পর্যবেক্ষণে ২০১৪ সাল। এক বছরে বাড়িভাড়া বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গণবরিবহনে এখনো বিশৃঙখলা চলছে। চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্য ১০০০(এক হাজার) কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ৩০-০৪-২০১৫ তারিখ রিজার্ভ বেড়ে ২৪০০ কোটি ডলার। বিবিএসের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, স্থিরমূল্যে চলতি অর্থবছরের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা। গত জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত। আর চলতি মূল্যে এ বছর জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা।  জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৫১%, মাথাপিছু আয় ১৩১৪ মার্কিন ডলার। অর্থমন্ত্রীকে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ নোবেলবিজয়ী কৈলাসের-চলতি অর্থ বছরে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ ২৯ হাজার ২২৫ কোটি টাকা; যা বাজেটের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ ও জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশের সমান। শিক্ষা খাতের মোট ১৯ হাজার কোটি টাকাই চলে যায় অনুন্নয়ন খাতে অর্থাৎ শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাবদ। আর উন্নয়ন খাতে ৯ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। শিক্ষা খাতে বরাদ্দের আন্তজার্তিক মান হলো জিডিপির ৭ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ। জানা গেছে প্রতিবেশী দেশগুলোর বাজেটে শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বরাদ্দ। যেমন শিক্ষা খাতে ভারতের জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, নেপালে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ও পাকিস্তানে ২ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দ। মাথাপিছু আয়-২০০০-২০০১ অর্থবছরে-৩৭৭ মার্কিন ডলার, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে-৫৪৩ ডলার, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে-৯২৮ ডলার ও ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে-১৩১৪ মার্কি ডলার। অর্থনীতির সামগ্রিক চেহারাটা দাঁড়াচ্ছে এ রকম-১৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা চলতি মূল্যে জিডিপি এবং স্থির মূল্যে-৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৩২ টাকা। ২০১৫ সালের ১০ জুন, প্রথম আলো : ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে-২,৫০,৫০৬ টাকার বাজেট থেকে ১০,৮৩৮ কোটি টাকা কমে সংসদে সম্পূরক বাজেট সংশোধিত আকারে পাস হয়েছে-২,৩৯,৬৬৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০১৫ সালে ৪৪তম স্থান দখল করেছে এবং জিডিপির ৬% এর ওপরে¦ হওয়ায় বিশ্বে ৩৩তম স্থান দখল করেছে। মানুষের দিক দিয়ে বিশ্বে আমরা ৭তম স্থানে আছি। ২৬-০৬-২০১৫ তারিখ রিজার্ভ ২,৫০২(দুই হাজার পাঁচশত দুই কোটি) ডলার। ২০০৪ সালে রির্জাভ ছিল-২ হাজার ৭০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪ সালে মাথাপিছু আয়-১৩১৪ মার্কিন ডলার। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মানে গত ৫ বছরে পরিবর্তন ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়-১৩১৬ মার্কিন ডলার । মাথাপিছু ঋণ-১৩ হাজার ১৬০ টাকা।
৪৫. ০৪-০৬-২০১৫ তারিখ ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার-২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেট কমে হয়েছে-২,৬৪,৫৬৫ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। বাংলাদেশের এ বাজেট ৪৫তম। আয় হবে-২,১৪,২৪৩ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন বাজেট-১,৯৯৭,০০০(এক নয়শত সাতানব্বই) হাজার কোটি টাকা। গত মাসে এডিপি কাটছাট করে সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট হবে-৯৩,৮৯৫(তিরানব্বই হাজার আটশত পঁচানব্বই) টাকায় নামিয়ে আনা হয়। বাজেট ঘাটতি হবে-৮০,৮৫৭ কোটি টাকা। ১,৭৬,৩৭০(এক লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার তিনশত সত্তর) কোটি টাকা এনবিআর আদায় করতে হবে। এখন ১১-০৪-২০১৬ তারিখ প্রথম আলোর পত্রিকায় দেখি, বাজেট কমে ২ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। কোথায় যাবে আপনার দেওয়া কর-(১) বেতন-ভাতা-২৩ ভাগ (২) ঋণের সুদ-১৭.৯ ভাগ (৩) ভর্তুকি ও প্রণোদনা-৮ ভাগ (৪) পেনশন-৫.৯০ ভাগ (৫) সম্পদ সংগ্রহ-৪.১০ ভাগ (৬) সাহায্য মঞ্জুরি-১৮.৭ ভাগ (৭) পণ্য ও সেবা-৯.১০ ভাগ (৮) অনুন্নয়ন বিনিযোগ-৬.৪০ ভাগ (৯) বিবিধ ব্যয়-৫.৭০ ভাগ ও (১০) অপ্রত্যাশিত ব্যয়-১.২০ ভাগ টাকা। কোথা থেকে টাকা আসবে, কোথায় যাবে এবং খাতওয়ারি বরাদ্দ (১) জনপ্রশাসন-৫৭,২৫০ কোটি টাকা (২) সুদ-৩৫,১০৯/- (৩) শিক্ষা ও প্রযুক্ত-২৯,৮৮৮/- (৪) পরিবহন ও যোগাযোগ-২৭,৯৪৯/- (৫) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-২০,৭৯৬/- (৬) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-১৮,৫৩১/- (৭) সামাজিক কল্যাণ ও নিরাপত্তা-১৫,৭৯৫/- (৮) ভর্তুকি ও প্রণোদনা-১৫,৭৭২/- (৯) প্রতিরক্ষা-১৫,৫৪৪/- (১০) জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-১২,৩৮৩/- (১১) স্বাস্থ্য-১২,০৬০/- (১২) পেনশন ও গ্র্যাচুইটি-১১,৫৮৪/- (১৩) কৃষি-১০,৩৯৮/- ও (১৪) অন্যান্য-১২,০৪১ কোটি টাকা। আয়-(১) আয় ও মুনাফা থেকে কর-৬৪,৯৭১ কোটি টাকা (২) মূল্য সংযোজন কর-৬৪,২৬৩/- (৩) সম্পূরক শুল্ক-২৫,৮৭৫/- (৪) আমদানি শুল্ক-১৮,৭৫৩/- (৫) এনবিআরের অন্যান্য আদায়-২,৫০৮/- (৬) এনবিআরের বাইরের কর-৫,৮৭৪/- (৭) বিদেশি অনুদান-৫,৮০০/- ও (৮) কর ব্যতীত রাজস্ব-২৬,১৯৯ কোটি টাকা। বাড়বে করের বোঝা-স্বপ্নপূরণে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে-৩০.৬২ শতাংশ। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ৩০ জুন, ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত নতুন বছরে বেশি দিতে হবে কর-৪৫,০৭২ কোটি টাকার। বাজেট বক্তৃতারই সংস্কার প্রয়োজন। বলা হয়ে থাকে, ইতিহাসে দীর্ঘতম বাজেট বক্তৃতাটি দিয়েছিলেন সাবেক ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী উইলিয়াম গোল্ডষ্টোন, ১৮৫৩ সালের ১৮ এপ্রিল। ওই বক্তৃতাটি ছিল ৪(চার) ঘন্টা ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) মিনিটব্যাপী। এর প্রায় ১৬২ বছর পর দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতাদাতা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় আমাদের অর্থমন্ত্রী স্থান পাবেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়। আমরা অনেককিছুই সংস্কার করতে বলি। এখন সময় এসেছে বাজেট বক্তৃতার সংস্কারের। কাজটি কি অর্থমন্ত্রী করবের? তাহলে কি বাজেটে নতুন কিছুই নেই? আছে তো। এবারের বাজেট বক্তৃতার বইটির প্রচ্ছদ সবুজ, আগের সবগুলোই ছিল সাদা-কালো। সওকত হোসেন : সাংবাদিক। বিশ্বব্যংকের পূর্বাভাস বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে-৬.৩%। আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদন। আইএমএফ- বলছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে-৫ দশমিক ১ শতাংশ। আর আগামী বছর তা বেড়ে হবে-৬ দশমিক ২ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।  রপ্তানি লক্ষ্য ধরা হয়েছে-৩,৩৫০(তিন হাজার তিনশত পঁঞ্চাশ) কোটি মার্কিন ডলার, প্রবৃদ্ধি ৭.৩৮%। ০৯-০৬-২০১৬ তারিখ রপ্তানি আয় হয়েছে- ৩,০৬৬(তিন হাজার সিষস্টি) কোটি ডলার যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন-চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে-৬.৫ শতংশ। এবার প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৭ শতাংশ। এখন মানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় হবে-১,৪৬৬ মার্কিন ডলার। (জিডিপির) প্রবৃদ্ধি হবে-৭.০৫%। বিবিএসের এ হিসাব গ্রহণযোগ্য নয়-এ. বি. মির্জা আজিজুল ইসলাম। এ প্রবৃদ্ধি বেতন বৃদ্ধির কারণে-ড. জাহিদ হোসেন। এবার প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৭ শতাংশ। ১৪-০৬-২০১৬ তারিখ গত পাঁচ বছরে সর্বনি¤œ এডিপি বাস্তবায়ন।
২০১৫ সালের ২৪ জুলাই, প্রথম আলো :  ঈদে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বিরুপাক্ক পাল জানান, ৫ জুলাই ব্যাংকব্যবস্থার বাইরে মুদ্রা বা টাকার সরবরাহ ছিল ৯৬,০০০(ছিয়ানব্বই হাজার) কোটি টাকা। আর ১৫ জুলাই, সেটি বেড়ে হয়েছে ১(এক) লাখ ১২(বার) হাজার কোটি টাকার কাগুজি নোট চালু আছে। অর্থাৎ ১০ দিনের ব্যবধানে টাকার সরবরাহ বেড়েছে প্রায় ১৬,০০০(ষোল হাজার) কোটি টাকা। ঈদের কারণেই মানুষের মাঝে টাকার চাহিদা বেড়েছে।  ৩০-১২-২০১৫ তারিখ রিজার্ভ-২,৭৩৫ কোটি ডলার-এ ৮ মাসের আমদানী ব্যয় মেটানো সম্ভব। মূল্যস্ফীতি-৬.২ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য-বাজেটে ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য। হতাশা স্থবির বিনিয়োগ। বিপদ-সরকারি ব্যাংক আরও নাজুক জনগণের করের টাকা দিয়ে মূলধন জোগাতে হয়েছে। আস্থাহীনতা শেয়ারবাজার। ক্ষতি ৭৬ হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার বাড়ায় তালিকায় ৫১তম স্থান থেকে বাংলাদেশ চলে এসেছে ২৬তম স্থানে। জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭-৮ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগের দরকার পড়বে জিডিপির বর্তমান হার ২৮ শতাংশ থেকে বেড়ে অন্তত ৩৪ শতাংশ হতে হবে। আর ২০-২১ বছরে আয়বৈষম্য দ্বিগুণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনই নীতি-পদক্ষেপ না নিলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। ২৬-০২-২০১৬ তারিখ-২,৮০০(দুই হাজার আটশত) কোটি ডলার রিজার্ভ। ২৫-০৪-২০১৬ তারিখ ২,৯০০(দুই হাজার নয়শত) কোটি ডলার রিজার্ভ।
৪৬. ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে মোট বাজেট হবে প্রায়-(১) ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। (২) আয়-২,৪৮,২৬৮ কোটি টাকা। (৩) উন্নয়ন বাজেট-১,১০,৭০০(এক লক্ষ দশ হাজার সাতশত) কোটি টাকা (৪) জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা-৭ দশমিক ২ শতাংশ ।  বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন-৬.৩ শতাংশ। (৫) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ১৯,৬১,০১৭(১৯ লাখ একসষ্টি হাজার সতের) কোটি টাকা আর ডলার হিসেবে হবে-২৫,১৪০(পঁচিশ হাজার একশত চল্লিশ) কোটি ডলার। (৬) বাজেট জিডিপির ১৭.৩৭%। (৭) বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৫.৮ ভাগ। (৮) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। (৯) এনবিআর নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। (১০) বাজেট ঘাটতি ৯২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ও (১১) ব্যাংক ঋণ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। (১২) জনগণ এ বছর বাড়তি কর দিতে হবে-৬৫,৩৫২ কোটি টাকা। গত বছর থেকে এবার জনগণ ৪৫ হাজার কোটি টাকা বেশি কর দিতে হবে। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এ প্রাক্কলন একটু উচ্চাভিলাষী। বাংলাদেশের বাজেট হচ্ছে বিশ্বের ছোট বাজেট-এ কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেটের আকার জিডিপির ১৭ থেকে ৩৭ শতাংশ। আর প্রতিবেশি নেপালের বাজেট জিডিপির ২৮ শতাংশ, পাকিস্তানের বাজেট জিডিপির ২৭ শতাংশ ও ভারতের বাজেট জিডিপির ৩৪ শতাংশ। পুরুষ-৩,০০,০০০(তিন লক্ষ) টাকা এবং মহিলা-৩,৫০,০০০(চার লক্ষ) টাকা করমুক্ত। দেশে কর দেবার ক্ষমতা আছে প্রায় ৩,০০,০০,০০০(তিন) কোটি মানুষ বা ৭৫,০০,০০০(পঁচাত্তর লক্ষ) পরিবার। আর কর দেয় ১১ লক্ষ পরিবার নিয়মিত। খাতভিত্তিক ব্যয় ঃ (১) শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে-৫০,০১৭ কোটি টাকা (২) জনপ্রশাসন-৪৭,৭৬১ কোটি+(৩) পেনশন ও গ্র্যাচুইটি-১৬,৯১৬ কোটি টাকা=মোট=৬৪,৬৭৭ কোটি টাকা-বাজেটের-২৯.৬০% (৪) সুদ-৩৯,৯৫১ কোটি টাকা-১৭.৫% (৫) পরিবহন ও যোগাযোগ-৩৫,৯৫১ কোটি টাকা (৬) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-২৩,২৫৮ কোটি টাকা (৭) জনশৃঙখলা ও নিরাপত্তা-১৯,১০০ কোটি টাকা (৮) প্রতিরক্ষা-২২,০০০ কোটি টাকা (৯) সামাজিক কল্যাণ ও নিরাপত্তা-১৮,৩৩৯ কোটি টাকা (১০) ভর্তুকি ও প্রণোদনা-১৭,৭২৯ কোটি টাকা (১১) স্বাস্থ্য-১৫,৮৮৩ কোটি টাকা (১২) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-১৫,০১৪ কোটি টাকা (১৩) কৃষি-১৩,০০৩ কোটি টাকা ও (১৪) অন্যান্য-৮,১০৫ কোটি টাকা। খাত ভিত্তিক আয় (১) আয় ও মুনাফা থেকে কর-৭১,৯৪০ কোটি টাকা (২) মূল্য সংযোজন কর-৭২,৭৬৪ কোটি টাকা (৩) আমদানি শুল্ক-২২,৪৫০ কোটি টাকা (৪) সম্পূরক শুল্ক-৩০,০৭৫ কোটি টাকা (৫) এনবিআরের অন্যান্য আদায়-৫,৯২৩ কোটি টাকা (৬) এনবিআরের বাইরের কর-৭,২৫০ কোটি টাকা (৭) কর ব্যতীত রাজস্ব-৩২,৩৫০ কোটি টাকা ও (৮) বিদেশী অনুদান-৫,৫১৬ কোটি টাকা। বাজেট ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্বস্তির চেয়ে অস্বস্তি বেশি। মোট বাজেটের ৭১.৩ শতাংশ অর্থই আসবে জনগণের কাছ থেকে। বাকিটা ঋণ থেকে-
৪৭. ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ৮ লাখ ৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট অর্থনীতি সমিতির। বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও ‘রেন্ট সিকারদের দ্বারা, রেন্ট সিকারদের জন্য ও রেন্ট সিকারদের’ অর্থনীতি বলা যায়। এই ব্যয়ের ৭২ শতাংশ হবে উন্নয়ন ব্যয়। বর্তমান বাজেটের উন্নয়ন ব্যয় মোট বাজেটের মাত্র ৩৫ শতাংশ। সমিতির পস্তাব অনুযায়ী, বাজেটের মোট ব্যয়ের ৮০ শতাংশ, অর্থাৎ ৬ লাখ ৩৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকা আসবে রাজস্য আয় থেকে। এর ৪ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে জাতীয় রাস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা আসবে আয়কর থেকে, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্য সংযোজন কর এবং ৫০ হাজার কোটি টাকা আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক থেকে আদায় করা হবে। এনবিআরের বাইরের উৎস থেকে ৩৭ হাজার কোটি টাকার কর ও কর ব্যতীত প্রাপ্তি থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা আদায়ের কথা বলেছে সমিতি। আর বাকি ২০ শতাংশ ঘাটতি মেটাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব(পিপিপি), প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে বন্ড বিক্রি, সঞ্চয়পত্র ও দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে। অর্থনীতি সমিতি এ দেশে কর্মরত নাগরিকদের ওপর কর আরোপ, সম্পদ কর, সেবা কর, বিমান পরিবহন ও ভ্রমণ করসহ ১৩টি নতুন ক্ষেত্রে কর আরোপের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কথা বলেছে।   আবুল বারকাত, সাবেক সভাপতি, অর্থনীতি সমিতি।
৪৮. ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সাত বছরে আত্মসাৎ ৩০(ত্রিশ) হাজার কোটি টাকা। (১) ২০১০ সালে শেয়ারবাজার থেকে ১৫,০০০(পনের হাজার) কোটি টাকা(কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি(মামলা নেই)। (২) ডেসটিনি ২০০৬-২০১২ সালে ৪,১১৯(চার হাজার একশত উনিশ) কোটি টাকা-রফিকুল আমীন(সাজা হয়নি, বিচারাধীন)। (৩) ২০১১-২০১২ সালে বিসমিল্লাহ ১১০০(এক হাজার একশত) কোটি টাকা খাঁজা সোলায়মান, নওরীন হাসিব(সাজা হয়নি, বিচারাধীন)। (৪) হল মার্ক ২০১২ সালে ৪,৫০০(চার হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা তানভীর মাহমুদ, জেসমিন ইসলাম(সাজা হয়নি, বিচারাধীন)। (৫) বেসিক ব্যাংক ২০১২-২০১৩ সালে ৪,৫০০(চারিশত পাঁচশত) কোটি টাকা-শেখ আবদুল হাই বাচ্চু(মামলায় নেই)। ও (৬) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ২০১৬ সালে ৪ ফেব্রæয়ারি, ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার ৮০০(আটশত) কোটি টাকা-চিহ্নিত হয়নি(মামলা হয়েছে)। আর্থিক কেলেঙ্কারি ঃ কেউ শাস্তি পায়নি, একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। ব্যাংকিং খাতে সাগরচুরি হয়েছে ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছে ০৮-০৬-২০১৬ তারিখ প্রথম আলো।
৪৯. আগামী তিন বছর পর বাজেট ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা! ২০১৬-১৭ অর্থবছর বাজেট হবে-৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ বাজেট হবে-৪ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেট হবে-৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশে যে বিদেশীদের বেতন-ভাতা বাবদ দিতে হয় বছরে ৩২,০০০ হাজার কোটি টাকা বা ৪০০ কোটি ডলার। আমাদের জাতীয় বাজেটের ১০ শতাংশ চলে যায় এবং প্রবাসী আয়ের ৩৫ শতাংশ আয় চলে যায় বিদেশিদের বেতন-ভাতাবাবদ।
৫০. ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো : দক্ষিণ কোরিয়াকে টপকে গেল বাংলাদেশ : অর্থনীতিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে পেছনে ফেলল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার এখন ৩৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি ৩২ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের। গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এতটা উন্নতি হয়েছে ব্যাপক শিল্পায়ন ও কৃষিতে উন্নয়নের ফলে। বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এটিকে একটি ‘বিস্ময়কর ঘটনা’ হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি একটি রম্য রচনা। বাংলাদেশ পরিস্থিতি : এখন (২০১৩-২০১৪) : মাথাপিছু আয়-১১৯০ ডলার, স্থির মূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার-৬.১২%, মোট দেশজ সঞ্চয় জিডিপির-২৩.৪৫%, জাতীয় সঞ্চয় জিডিপির-৩০.৫৪%, মোট বিনিয়োগ জিডিপির-২৮.৬৯%, দারিদ্র হার-৩১.৫০%। ০১-০১-২০১৫ তারিখ নি¤œ আয় কমপক্ষে ১০৪৫ ডলার, নি¤œ মধ্যম আয়-১,০৪৬ ডলার থেকে ৪,১২৫ ডলার, উচ্চ মধ্যম আয়-৪,১২৬ ডলার থেকে ১২,৭৪৫ ডলার, উচ্চ আয়-১২,৭৪৬ ডলারের বেশি।
সর্বশেষ গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশকে পাঁচ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার দিয়েছে দাতারা। আর ৮,১০৩ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল দাতারা। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ১৮০% বৃদ্ধি-সিপিডির গবেষণা।
২০১৫ সালের ২ জুলাই, প্রথম আলো : বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। আয় অনুযায়ী মধ্যম আয়ের দেশকে দুই ভাগে ভাগ করে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ থাকবে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায়। ভারত এবং পাকিস্তানও এ তালিকায়। (১) নি¤œ আয়ের দেশ-৩১টি (২) নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ-৫১টি ও (৩) উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ-৮০টি। নির্ধারণের পদ্ধতি : মূলত ১ হাজার ৪৬ ডলার থেকে শুরু করে যেসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১২ হাজার ৭৩৬ ডলার, তারা মধ্যম আয়ের দেশে অন্তর্ভুক্ত। (১) ১ হাজার ৪৬ ডলার থেকে শুরু করে ৪ হাজার ১২৫ ডলার পর্যন্ত তা হবে নি¤œ মধ্যম আয় (২) ৪ হাজার ১২৬ ডলার থেকে শুরু করে ১২ হাজার ৭৩৬ ডলার হলে দেশগুলোকে বলা হয় মধ্যম আয়ের দেশ ও (৩) ১২ হাজার ৭৩৬ ডলারের বেশি জাতীয় আয় হলে সেই দেশগুলোকে বলা হয় উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ। জিডিপির সঙ্গে বাড়ছে বৈষম্যও। ১৯৬৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খান তাঁর ডায়রিতে ‘‘পূর্ব পাকিস্তান’ সম্পর্কে ‘পশ্চিম পাকিস্তান’ ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব ব্যক্ত করতে গিয়ে লেখেন, ইষ্ট পাকিস্তান ইজ এ বটমলেস পিট’ (পূর্ব পাকিস্তান হলো একটা তলাবিহীন পাত্র)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭১ সালেই বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এ দেশকে একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস’ বলেছিলেন। আমাদের গণমাধ্যমে লেখা হলো তলাবিহীন ঝুড়ি (বটমলেস বাস্কেট)। এ কথাটা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিল মনে হয় ১৯৭৪ সালে। ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ২০৫০ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে ২৩তম এবং আকার হবে ৩,৩৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪ সালে ৩১তম আর ডলারে হবে-৫৩৬ বিলিয়ন ডলার। ২০৩০ সালে হবে ২৯তম আর অর্থনীতির আকার হবে-১,২৯১ বিলিয়ন ডলার। ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার ভিত্তিতে। ২০১৪-২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে মাত্র তিনটি দেশের জিডিপিতে গড় প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে। এর একটি বাংলাদেশ। ২৩তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ! প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারসের গবেষণা।
বিশ্বে গাছের সংখ্যা কত=গোটা বিশ্বে গাছের সংখ্যা এখন তিন ট্রিলিয়নের কিছু বেশি। এক ট্রিলিয়ন হচ্ছে ১ লক্ষ কোটি। নতুন একটি গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় এ গবেষণা করেছে। পৃথিবীতে মোট গাছের সংখ্যা নিয়ে আগেও অনেকগুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে। তবে কোনো হিসাবেই সংখ্যা ৪০০ বিলিয়নের (১ বিলিয়ন ১০০ কোটিতে) বেশি ওঠেনি। নতুন এই মূল্যায়নে সে ধারণার চেয়ে আট গুণ বেশি গাছ আছে বলে জানা গেল। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ধমাস ক্রোদার ও তাঁর সহযোগীরা স্যাটেলাইট চিত্রের সাহায্য নিয়ে বিরাট পরিসরে একটি ভূমি জরিপ চালান। বিবিসি।
আয়-ব্যয় ও আশাবাদ=নতুন বাজেটে আয়ের বিশাল পরিকল্পনা আছে, ব্যয়েরও নানা উৎসের কথা বলা আছে। বাজেট কিছু মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে, অনেক মানুষকে হতাশও করেছে। আছে অসৎ মানুষের জন্য নানা সুবিধা। আছে নানা চমকও। আয়-১,৭৪.১২৯ কোটি টাকা, ব্যয়-২,২২,৪৯১ কোটি টাকা। ঘাটতি-৪৮,৩৬২ কোটি টাকা। ‘অশোভনীয় আশাবাদের’ বাজেট। বিনিয়োগে হতাশা ঃ  বেসরকারি বিনিয়োগ আরও এক দফা কমেছে। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ছিল জিডিপির ২০.০৪%, পরের অর্থবছরে তা কমে হয়েছে-১৮.৯৯%। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়তো আরও কমবে।
৫১. ২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ নিম্ন বিনিয়োগের ফাঁদে আটক বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের যে মাথাপিছু আয়, সে অনুযায়ী এ দেশে বিনিয়োগের হার হওয়া উচিত ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ। বিনিয়োগ ঘাটতির পরিমাণ ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এই বিনিয়োগ-ফাঁদ থেকে উত্তরণ ঘটানোই দেশের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
২০১৩ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ বিনিয়োগশূন্য প্রবৃদ্ধির ফাঁদে দেশ। ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ জাতীয় সঞ্চয়ের হার। ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ বিনিয়োগের হার। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের যে মাথাপিছু আয়, সে অনুযায়ী এ দেশে বিনিয়োগের হার হওয়া উচিত মোট দেশজ উৎপাদনের ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ। অথচ দেশে বিনিয়োগের হার ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ বড় ধরনের বিনিয়োগ ঘাটতির মধ্যে আছে দেশ। তবে অর্থনীতিবিদেরা একে বলছেন বিনিয়োগশূন্য প্রবৃদ্ধি। শ্রীলঙ্কায় বিনিয়োগের হার ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ, জাতীয় সঞ্চয় ২৪ শতাংশ। আবার ভারতে বিনিয়োগের হার ৩৫ দশমিক ১ শতাংশ, সঞ্চয়ের হার ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বিনিয়োগ-সঞ্চয়ের সম্পর্কটা এ রকম উল্টোটাই কেবল বাংলাদেশে। শ্রমশক্তি জরিপ ২০১০ অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে শ্রমশক্তির পরিমাণ পাঁচকোটি ৬৭ লাখ। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ৪১ লাখ মানুষের কাজ আছে। এর অর্থ, মাত্র ২৬ লাখ মানুষ বেকার। তবে এই পরিসংখ্যানে কৌশল রয়েছে। কারণ, জরিপেই বলা আছে যে পরিবারের মধ্যে কাজ করেন কিন্তুু কোনো মজুরি পান না। এমন মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১১ লাখ। এ ছাড়া আছেন আরও এক কোটি ছয় লাখ দিনমজুর। বিশ্বব্যাংক মনে করে, বাংলাদেশে প্রকৃত পক্ষে বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এর ওপর এখন প্রতিবছর নতুন করে ১৩ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে যোগ হচ্ছেন। সুতরাং নতুন বিনিয়োগের বিকল্প নেই। অথচ বিনিয়োগ বাড়ানো যাচ্ছে না।
        অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, স্বাধীনতার ৪০ বছর সময়ের মধ্যে ৩৪ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৫০০ ডলার। আর গত ছয় বছরে তা দ্বিগুণ বেড়ে এক হাজার ৪৪ ডলার ছাড়িয়েছে। ১৯৭২-৭৩ সাল থেকে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে তা দাঁড়ায় মাত্র ৫২৩ ডলারে। আর ২০০৭-২০০৮ অর্থবছর থেকে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে তা দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৪ ডলারে। ভারতীয়দের ক্রয়ক্ষমতা আমাদের দ্বিগুণ এবং শ্রীলঙ্কার ক্রয়ক্ষমতা তিনগুণ। জিডিপির তুলনায় বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৭০  ভাগ ও সঞ্চয় ৩০ দশমিক ৮৫ ভাগ। নতুন ভিত্তি বছরের কৃষি খাতের উপখাতে ২৪টি নতুন শস্যসহ সর্বমোট ১২৪টি শস্যের উৎপাদন তথ্য অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। নতুন রেকর্ড-পাঁচ বছরে গার্মেন্টস রফতানি বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০০৮-২০০৯  অর্থবছরে ১২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০-০৯-২০০৮ অর্থবছরে ছিল ৪,৯২৫টি এবং ২০-১২-২০১২ অর্থবছরে পোশাক কারখানা ৫,৬০০টিতে দাঁড়িয়েছে। ০৯-০৯-২০১৩ সামস্টিক অর্থনীতি ঃ ২০০৯-২০১০  থেকে ২০১২-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত অর্জন ঃ চার বছরে গড়ে বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৩০%। ৮২ লাখ ৬০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান। রাজস্ব আয় বেড়েছে ৩.১১ গুণ। সরকারি বিনিয়োগ বড় ধরণের উল্লস্ফন। মূল্যস্ফীতির তির নিম্নমুখী। কর শনাক্তকারী নম্বর নেই ৭৩ হাজার বাড়িওয়ালার। প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ সপ্তম। ১৫০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসবে এ বছর। ১২১% বেশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তুলনায়। ৭,১০০ কোটি ডলার নিয়ে ভারত এবারও শীর্ষে থাকবে।
৫২. ২০০১ ও ২০০৩ এর শুমারিতে ছিল-৩৭ লাখ ৮ হ্জাার ১৪৪টি অর্থনৈতিক ইউনিট। ২০১৩ সালের শুমারিতে ৮০ লাখ ৭৫ হাজার ৭০৪টি অর্থনৈতিক ইউনিট পাওয়া গেছে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক ইউনিটের বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১১৮ শতাংশ। শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ-(১) সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে-২৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৭২টি (২) চট্টগ্রাম বিভাগে-১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৭টি (৩) রাজশাহী বিভাগে-১২ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৩টি (৪) রংপুর বিভাগে-১০ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৫টি (৫) খুলনা বিভাগে-১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৮১টি (৬) বরিশাল বিভাগে-৩ লাখ ৮৫২ হাজার ২৩৩টি ও (৭) সিলেট বিভাগে-৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭৩টি অর্থনৈতিক ইউনিট রয়েছে। ২০৩০ সালে একজন দরিদ্রলোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না-ওই সময়ের মধ্যে দেশকে দারিদ্রমুক্ত করার লক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী-আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল(২৩-০২-২০১৪ তারিখের দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার কথা)। এই কথার উত্তরে আমি মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর) বলি যে-এই ব্যবস্থায় শেখ হাসিনার সরকার বা খালেদা জিয়ার সরকার দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে পারবে না।
৫৩. ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর, প্রথম আলো : আগামী চার বছরের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্রমুক্ত হবে। আমি মো: জাকির হুসেন(আলমগীর) বলছি যে আগামী চার বছর পর মানে আগামী ২০১৮ সালে বাংলাদেশে আরো দারিদ্র পরিবার বাড়বে এবং দেশ রসাতলে যাবে। এ ব্যবস্থায় দেশ আগাবে না বা আগামী ২০৫০ সালেও দেশের গরীব বা দারিদ্রমুক্ত হবে না।
৫৪. ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম আলো : বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ, মূসক বিবরণী দেয় ৬০,০০০(ষাট হাজার) লোক। দেশের কম-বেশি চার কোটি লোক আয় করেন। এর মধ্যে মাত্র ১১ লাখ লোক কর দেন। গতকাল অর্থমন্ত্রী-আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন-এ কথা। দেশের ১৮ লাখ লোক কর শনাক্তকারী নম্বর(টিআইএন) রয়েছে। কর এবং মূসক দেন জনগণ। এফবিসিসিআইর সভাপতি মাতলুব আহমদ বলেন-নতুন মূসক আইন অনুযায়ী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীরা ১৫ শতাংশ হারে মূসক দিতে পারবেন না। এ ছাড়া ২৪ লাখের পরিবর্তে ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক লেনদেনে মূসক অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি। ৮০ লাখ টাকার পরিবর্তে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত ৩ শতাংশ টার্নওভার করারোপের প্রস্তাবও করেন তিনি।
৫৫. ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ জেনেও বিপৎসংকেত দেওয়া হয়নি। রিজার্ভের অর্থ চুরি। এ ঘটনা না জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৪ ফেব্রæয়ারি, বৃহস্পতিবার, দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফটের বার্তা বা সংকেত ব্যবহার করে, ৩৫টি অর্থ স্থানান্তরের পরামর্শ বা অ্যাডভাইস পাঠানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রির্জাভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে। বাংলাদেশ ব্যাংকে সুইফট পদ্ধতি ব্যবহারের ব্যাক অফিসে কর্মরত অঅট কর্মকর্তা ৫ ফেব্রæয়ারি শুক্রবারও কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য এসেছিলেন। ওই কার্যালয়ে এসে তাঁরা কমপিউটার খুলতে পারেননি। কমপিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত প্রিন্টারগুলোও অকেজো দেখতে পান। কিন্তু তাঁরা উর্ধ্বতন মহলের কাছে এই বিপদসংকেতটি পৌঁছাননি। আর এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৮০০(আটশত) কোটি টাকা চুরি হয়ে চলে যায় শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনে। ১৭-০৩-২০১৬  তারিখ ঘটনা দ্রæত প্রকাশ হলে অর্থ আটকানো যেত? ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোকে অর্থ পাচারে সহযোগিতার জন্য দায়ী করা হয়েছে। মায়া নিজের গাড়িতে ২ কোটি পেসো সরিয়েছেন ৫ ফেব্রæয়ারি কাগজের ব্যাগে করে আমি নিজে দেখেছি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাক্ষাৎকার(১৭-০৩-২০১৬ তারিখ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত। ১৯-০৩-২০১৬ তারিখ প্রথম আলোতে অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা-প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য মনে করি না।  আবার ম ুহিত বলেছে যে-০৮-০৬-২০৬ তারিখ ব্যাকিং খাতে সাগরচুরি হয়েছে-অর্থমন্ত্রী-আবুল মাল আবদুল মুহিত।
৫৬. ২০১৬ সালের ৯ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশের মোট আয়ের অর্ধেকই যাচ্ছে ধনীর পকেটে। পিপিআরসির গবেষণা ঃ মাথাপিছু গড় আয়। (১) সবচেয়ে ধনী-১০ শতাংশ-৪,৯৬২ ডলার (২) সবচেয়ে গরীব-৪০ শতাংশ-৩৫৯ ডলার (৩) মাঝামাঝি-৪০ শতাংশ-৮৬৭ ডলার (৪) রাজধানীর ধনী-১০ শতাংশ ১১,৭৯১ ডলার।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে আজ (৩০-০৬-২০১৬ তারিখ পর্যন্ত কতজন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এবং টাকার মান কি ছিল :

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ১৭(সতের) জন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, এ ১৭ জনের মধ্যে ৩ জন দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এবং স্পিকার এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ২০তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ২০-০৩-২০১৩ তারিখ ক্রমানুসারে তাঁদের নামের তালিকাগুলো নিম্নে দেয়া হলো ঃ

ক্রমিক নং নাম মেয়াদকাল

১. মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১মবার ১৭-০৪-১৯৭১-১২-০১-১৯৭২
২. মরহুম সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) ১৭-০৪-১৯৭১-০৯-০১-১৯৭২
৩. মরহুম বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১২-০১-১৯৭২-২৪-১২-১৯৭৩
৪. মরহুম মোহাম্মদ উল্লাহ ২৪-১২-১৯৭৩-২৫-০১-১৯৭৫
৫. মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-২য়বার ২৫-০১-১৯৭৫-০৬-০৮-১৯৭৫
৬. মরহুম খন্দকার মুশতাক আহমেদ ১৬-০৮-১৯৭৫-০৬-১১-১৯৭৫
৭. মরহুম বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ০৬-১১-১৯৭৫-২১-০৪-১৯৭৭
৮. মরহুম লেঃ জেনারেল জিয়াউর রহমান ২১-০৪-১৯৭৭-৩০-০৫-১৯৮১
৯. মরহুম বিচারপতি আবদুস সাত্তার(অস্থায়ী) ৩০-০৫-১৯৮১-১৯-১১-১৯৮১
১০. মরহুম বিচারপতি আবদুস সাত্তার ২০-১১-১৯৮১-২৩-০৩-১৯৮২
১১. মরহুম এ. এফ. এম. আহসান উদ্দিন চৌধুরী ২৪-০৩-১৯৮২-১০-১২-১৯৮৩
১২. লে. জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ১০-১২-১৯৮৩-০৬-১২-১৯৯০
১৩. বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ ০৬-১২-১৯৯০-০৯-১০-১৯৯০
১৪. আইনজীবি আবদুর রহমান বিশ্বাস ০৯-১০-১৯৯০-০৯-১০-১৯৯৬
১৫. বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ-২য় বার ০৯-১০-১৯৯৬-১৪-১১-২০০১
১৬. ডা. এ. কি. এম. বদরোজদৌজা চৌধুরী ১৪-১১-২০০১-২১-০৬-২০০২
১৭. ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার(অস্থায়ী) ২১-০৬-২০০২-০৬-০৯-২০০২
১৮. মরহুম প্র্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহমদ ০৬-০৯-২০০২-১২-০২-২০০৯
১৯. মরহুম এ্যাডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমান ১২-০২-২০০৯-২০-০৩-২০১৩

২০. এ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল হামিদ ২০-০৩-২০১৩ ও ২৪-০৪-২০১৩ তারিখ থেকে

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ১০ জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, ১০ জনের মধ্যে ২ জন তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, ২ জন হয়েছেন ৩য়বার এবং শেখ হাসিনা ১৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন (্ক্রমানুসারে তাঁদের নামের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো) ঃ

ক্রমিক নং নাম মেয়াদকাল

১. মরহুম তাজউদ্দিন আহমেদ ১০.০৪.১৯৭১-১২.০১.১৯৭২
২. মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১২.০১.১৯৭২-২৫.০১.১৯৭৫
৩. মরহুম মনসুর আলী ২৫.০১.১৯৭৫-১৫.০৮.১৯৭৫
৪. মরহুম শাহ আজিজুর রহমান ১৫.০৪.১৯৭৯-২৪.০৩.১৯৮২
৫. মরহুম আতাউর রহমান খান ৩০.০৩.১৯৮৪-১৫.০১.১৯৮৫
৬. মরহুম মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী ০৯.০৭.১৯৮৬-২৭.০৩.১৯৮৮
৭. ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ২৮.০৩.১৯৮৮-১২.০৮.১৯৮৯
৮. মরহুম কাজী জাফর আহমেদ(বিপ্লবী) ১২.০৮.১৯৮৯-০৬.১২.১৯৯০
৯. বেগম খালেদা জিয়া ২০.০৩.১৯৯১-১৪.০২.১৯৯৬
১০. বেগম খালেদা জিয়া ১৭.০২.১৯৯৬-২০.০৩.১৯৯৬
১১. শেখ হাসিনা ২৩.০৬.১৯৯৬-১৫.০৭.২০০১
১২. বেগম খালেদা জিয়া ১০.১০.২০০১-২৯.১০.২০০৬
১৩. শেখ হাসিনা ০৬.০১.২০০৯-১২-০১-২০১৪
১৪. শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে

মুদ্রাবাজার ১৯৭২ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত পঁচিশ বছরে টাকার মূল্য ১০ পয়সায় পরিণত হয়েছে এবং ২২-০১-২০১১ থেকে ২৪-০৭-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে টাকার দর। ১-ডলারে টাকার সমপরিমাণ (বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত হিসেবে)
ক্রমিক নং সন টাকার পরিমাণ(১ ডলারের বিপরীতে)

১. ১৯৬৪-৬৫ ৪.৭৫
২. ১৯৭১-৭২ ৭.৩০
৩. ১৯৭২-৭৩ ৭.৮৭
৪. ১৯৭৩-৭৪ ৭.৯৬
৫. ১৯৭৪-৭৫ ৮.৮৭
৬. ১৯৭৫-৭৬ ১৫.০৫
৭. ১৯৭৭-৭৮ ১৫.১২
৮. ১৯৭৮-৭৯ ১৫.২২
৯. ১৯৭৯-৮০ ১৫.৪৯
১০. ১৯৮০-৮১ ১৬.২৬
১১. ১৯৮১-৮২ ২০.০৭
১২. ১৯৮২-৮৩ ২৩.৮০
১৩. ১৯৮৩-৮৪ ২৪.৯৪
১৪. ১৯৮৪-৮৫ ২৫.৯৬
১৫. ১৯৮৫-৮৬ ২৯.৮৯
১৬. ১৯৮৬-৮৭ ৩০.৬৩
১৭. ১৯৮৭-৮৮ ৩১.২৪
১৮. ১৯৮৮-৮৯ ৩২.১৪
১৯. ১৯৯০-৯১ ৩৫.৬৮
২০. ১৯৯১-৯২ ৩৫.৬৮
২১. ১৯৯২-৯৩ ৩৯.১৫
২২. ১৯৯৩-৯৪ ৪০.০০
২৩. ১৯৯৪-৯৫ ৪০.২০
২৪. ১৯৯৫-৯৬ ৪০.৮৪
২৫. ১৯৯৬-৯৭ ৪২.৪৩
২৬. ১৯৯৭-৯৮ ৪৪.৭১
২৭. ১৯৯৮-৯৯ ৪৪.৭১
২৮. ১৯৯৯-২০০০ ৪৯.৫০
২৯. ২০০০-২০০১ ৫৩.৮৫
৩০. ২০০১-২০০২ ৫৬.৫০ থেকে ৫৭.৫০
৩১. ২০০২ তারিখের হিসেব ৫৭.৭০ থেকে ৫৮.৮০ টাকা।
৩২. ২০০৫ তারিখের হিসেব ৬৭ টাকা থেকে ৬৮ টাকা।(৩০-০৯-২০০৫)

৩৩. ২৫-০১-২০০৬ তারিখের হিসেব ৬৮.৯০ টাকা।
৩৪. ২০-০২-২০০৬ তারিখের হিসেব ৭০.৭৫ টাকা।
৩৫. ২৯-০৩-২০০৬ তারিখের হিসেব ৭২.০০ টাকা।
৩৬. ১৯-১১-২০০৬ তারিখের হিসেব ৭২.৯৫ টাকা।
৩৭. ১৭-১২-২০০৭ তারিখের হিসেব ৬৯.২০ টাকা।
৩৮. ২২-১২-২০১০ তারিখের হিসেব ৭০.৬০৯২ টাকা
৩৯. ৩১-১২-২০১০ তারিখের হিসেব ৭২.৭৩ টাকা।
৪০. ২২-০১-২০১১ তারিখের হিসেব ৭১.২৩১৮ টাকা
৪১. ২২-০৩-২০১১ তারিখের হিসেব ৭১.২৩১৮ টাকা
৪২. ২২-০৬-২০১১ তারিখের হিসেব ৭৪.২৫২১ টাকা
৪৩. ২২-০৮-২০১১ তারিখের হিসেব ৭৪.৮৬৯২ টাকা
৪৪. ২২-১০-২০১১ তারিখের হিসেব ৭৫.৭৬২১ টাকা।
৪৫. ০৪-১২-২০১১ তারিখের হিসেব ৭৭ টাকা।
৪৬. ০৮-১২-২০১১ তারিখর হিসেব ৮০ টাকা(দৈনিক জনকন্ঠ)
৪৭. ০৯-১২-২০১১ তারিখের হিসেব ৮১ টাকা(দৈনিক জনকন্ঠ)
৪৮. ১৫-১২-২০১১ তারিখের হিসেব ৮০.৮০ টাকা(দৈনিক জনকন্ঠ)
৪৯. ২২-১২-২০১১ তারিখের হিসেব ৮১.১৯৯৯ টাকা(প্রথম আলো)
৫০. ০৪-০১-২০১২ তারিখের হিসেব ৮৩.৬০ টাকা আমদানির জন্য ঘোষিত দর
৫১. ০৪-০১-২০১২ তারিখের হিসেব ৮৬.০০ টাকা অঘোষিত দর
৫২. ২১-০৬-২০১২ তারিখের হিসেব ৮১.৩৫ ক্রয়, ৮২.৩৫ বিক্রয় অঘোষিত
৫৩. ১৬-০১-২০১৩ তারিখের হিসেব ডলার=ক্রয়-৭৯.৩৩ ও বিক্রয়-৮০.৫৫
৫৪. ২৪-০৭-২০১৩ তারিখের হিসাব ডলার=ক্রয়-৭৭.১৩ ও বিক্রয়=৭৮.৩৫
৫৫. ২৭-১০-২০১৫ তারিখের হিসাব ডলার=ক্রয়-৭৭.২৫ ও বিক্রয়-৭৮.২৫

 

২০০২ সালের হিসেবমতে ঃ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে একশতবার টাকার মান (ডলারের সাথে) কমানো হয়েছে।

হরতালে ক্ষতির পরিমাণ ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল, ইত্তেফাকের রির্পোট ঃ গত ৫৩ বছরে (১৯৪৭ থেকে ২০০০) বাংলাদেশে ৩ বছর ৪ মাস ৪ দিন হরতাল ছিল।
বিবরণ ক্ষতির পরিমাণ
২৪-৩-১৯৮২ থেকে ৬-১২-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ২৭,১৮৪ কোটি টাকা
২৭-২-১৯৯১ থেকে ৩০-৩-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ৩১,৫০০ কোটি টাকা
২৩-৬-১৯৯৬ থেকে ৩০-৪-২০০১ সাল পর্যন্ত ২৫,৫০০ কোটি টাকা
বাংলাদেশে মোট= ৩(তিন) বছর ৪(চার) মাস ৪(চার) দিন হরতালে ক্ষতির পরিমাণ-৮৪,১৪৮(চুরাশি হাজার একশত আটচল্লিশ কোটি) টাকা। সর্বমোট=৮৪,১৪৮(চুরাশি হাজার একশত আটচল্লিশ) কোটি টাকা।
২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ‘দাস-শ্রমের পণ্য’ নেবে না যক্তরাষ্ট্র। ট্যারিফ আইন ষংশোধন। ১৯৩০ সালের ট্যারিফ আইন সংশোধন করেছে দেশটি। গত বুধবার এই আইন সংশোধনের বিলে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে অন্তত ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষকে এ রকম জোর করে কাজ করানো হয়। এই অবৈধ শিল্প থেকে মুনাফা আসে বছরে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে ১ কোটি ৬২ লাখ নারী কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে বৈষম্য চলছে। সরকারি খাতে কর্মজীবী মায়েরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পাচ্ছেন ছয় মাস। বেসরকারি খাতে মাতৃত্বকালীন ছুটি মালিক বা কর্তাব্যক্তিদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তৈরি পোশাকশিল্পে আইন অনুযায়ী মায়েদের চার মাস ছুটি পাওয়ার কথা। অভিযোগ আছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মায়েরা এ ছুটি পাচ্ছেন না।
২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে ২০১০ সালের লেবার ফোর্স সার্ভে অনুযায়ী গৃহশ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ লাখ। ২০১৫ সালে এসে মনে হয় ২০(বিশ) লাখের বেশি। গৃহকর্মী সুরক্ষায় নতুন নীতিমালা।
২০১৬ সালের ১৩ মার্চ, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ বাংলাদেশে ২ কোটি ২৫ লাখের বেশি মানসিক রোগী আছে।
২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দুই বছরে কর্মসংস্থান মাত্র ৬ লাখ। বিবিএসের (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) গবেষণা সম্প্রতি জনশক্তি জরিপ ২০১৫ জুলাই-সেপ্টেম্বর রিপোর্টের কাজ শেষ করেছে। বেকারের সংখ্যা এখন দেড় দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, বেকারদের মধ্যে ৭৪ শতাংশই তরুণ-তরুণী। শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে কর্মরত এমন লোকের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৭ লাখ। এর মধ্যে ৭২ লাখ ৮৭ হাজার জন গৃহস্থালির কাজে পরিবারকে সহায়তা করেন, মজুরি পান না। ২০১৩ সালের জরিপ অনুযায়ী, কর্মরত মানুষের সংখ্যা ছিল-৫ কোটি ৮১ লাখ।
বর্তমানে শ্রমশক্তিতে ৬ কোটি ১৪ লাখ নারী-পুরুষ আছেন। এর মধ্যে পুরুষ-৪ কোটি ৩১ লাখ এবং নারী-১ কোটি ৮৩ লাখ। দেশের কৃষি খাত এখনো কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় এ খাতে ২ কোটি ৫৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে, যা মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৪৩ শতাংশ। এর পরের স্থানে থাকা সেবা খাতে কাজ করেন ২ কোটি ১৪ লাখ। আর শিল্প খাতে ১ কোটি ১৪ লাখ লোক কাজ করেন।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ তরুণদের দেশ বাংলাদেশ। ইউএনডিপির আঞ্চলিক মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন। মোট জনসংখ্যার মধ্যে ২৪ বছর বা তার নিচে মানুষের সংখ্যা ৪৯%। কর্মক্ষম জনসংখ্যা-২০১৫ সালে ১০ কোটি ৫৬ লাখ মোট জনসংখ্যার-৬৬%। ২০৩০ সালে ১২ কোটি ৯৮ লাখ মোট জনসংখ্যার-৭০% এবং ২০৫০ সালে ১৩ কোটি ৬০ লাখ মোট জনসংখ্যার-৬৭%।
২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দেশে ৮০% কর্মজীবীর দিনে আয় ৩১৩ টাকা। ইউএনডিপির আঞ্চলিক মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশ। এই অঞ্চলে শ্রমিকদের দক্ষতা কম বলে তাঁরা স্বপ্ল মজুরিতে কাজ করেন। দক্ষিণ এশিয়ায় ২৪ শতাংশ কর্মজীবী দিনে সোয়া ডলারের কম আয় করেন। তাঁরা শোচনীয় দারিদ্রোর ফাঁদে আটকা পড়ছেন। বাংলাদেশে শ্রমজীবীর সংখ্যা ৫ কোটি। শ্রমজীবীর মেলে না নূন্যতম বেতন। প্রতি মন্ত্রী বলেন, দেশে আনুষ্ঠানিক ৪২টি খাত রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত খাত পাঁচ বছর পর কমিশন গঠন করে। এর বাইরে অন্য খাতগুলো চাহিদা জানালে তা নি¤œতম মজুরি বোর্ডে পাঠানো হয়। বোর্ড শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতা সাপেক্ষে মজুরি নির্ধারণ করে।
২০১৬ সালের ৩ মে, প্রথম আলো ঃ নারীর গড় মজুরি কমেছে। বিবিএসের জরিপ। পুরুষের মাসিক গড় মজুরি-১১,৭৩৩ টাকা আর নারীর মাসিক গড় মজুরি ১০,৮১৭ টাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) সর্বশেষ ২০১৫ সালের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এ তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ২ কোটি ৩১ লাখ নারী-পুরুষ মজুরি বা বেতন পান। দুই বছর আগে এমন কর্মজীবীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার। বর্তমান মানে ২০১৫ সালে শ্রমশক্তিতে ৬ কোটি ১৪ লাখ নারী-পুরুষ আছেন। এর মধ্যে কোনো না কোনোভাবে কাজে সম্পৃক্ত আছেন ৫ কোটি ৮৭ লাখ। যাঁরা সপ্তাহে কমপক্ষে এক ঘন্টা ক্াজ করেন, তাঁদের কর্মজীবী হিসেবে ধরা হয়। শ্রমশক্তিতে থাকা বাকিরা সবাই বেকার।

১৯৭২ সাল থেকে ২০১৫ সালের কিছু তথ্য দেয়া হলো :

১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ঢাকায় আসেন ১০-০১-১৯৭২ তারিখ এবং রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন। তিনি ১২ জানুয়ারি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠান।
১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি, বাংলাদেশে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন। এই ঘোষণা অনুযায়ী একটি গণপরিষদ গঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি, বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান জারি। গণপরিষদ গঠিত।
১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান গভর্নর হাউজের নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গভবন’। বঙ্গভবনের জমির পরিমাণ ৪৭ একর।
১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি, সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি, বিশিষ্ট চলচিত্রকার ও কথাশিল্পী জহির রায়হানের অন্তর্ধান দিবস। এ দিনে বড় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারের খোঁজে বের হন। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি, মুজিব বাহিনী অস্র সমর্পণ করে।
১৯৭২ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, রক্ষীবাহিনী কার্যক্রম শুরু করলে আইন করা হয় ঐ বছরের ৮ মার্চ অর্থাৎ এক বছর ৭ দিন পরে ১৯৭৪ সালে যে আইন করা হয় তার ৩-নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, রক্ষীবাহিনীর যাবতীয় কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবেনা। রক্ষী বাহিনী কমপক্ষে ৪০(চল্লিশ) হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। তাকে দায়মুক্তি দেয়া হয়। ২০০৩ সালের ১৩ মার্চ, ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদ ঃ আইনমন্ত্রী-ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আওয়ামীলীগই রক্ষীবাহিনীর কার্যক্রমকে ১৯৭৪ সালে দায়মুক্তি দিয়েছিলেন।
১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি, স্বাধীন বাংলাদেশে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিল বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।
১৯৭২ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, ফ্রান্স স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠি হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের রাজনৈতিক, ভূমি ও সাংস্কৃতিক অধিকারসহ শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে সাবেক সাংসদ প্রয়াত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা স্থাপিত হয়।
১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের আগষ্ট পর্যন্ত ২৫ থেকে ২৭ হাজার বিপ্লবী ও বিরোধী দলের লোকজনকে হত্যা করা হয়। এ তথ্যটা মাসিক খেয়া পত্রিকা থেকে নেয়া এবং অনেকের মুখেই শোনা কথা। ২০০০ সালের ১৯ এপ্রিল, বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন-১৯৭২ সাল হ’তে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ যে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে তার বিচার করতে হবে। এ কথার অর্থও ফাঁকা কথা।
১৯৭২ সালের ১০ মার্চ, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাঙ্গালী অফিসারদের নিরস্ত্রীকরণ শুরু।
১৯৭২ সালের ১২ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ভারতীয় মিত্র বাহিনী বাংলাদেশ ত্যাগ করে। ঢাকা স্টেডিয়ামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিদায়ী কুচকাওয়াজ।
১৯৭২ সালের ১৫ মার্চ, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরু।
১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ, বাংলাদেশ-ভারত ২৫ বছর মেয়াদী মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ, পেট্রোবাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল, বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্য পদ লাভ করে।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৯৭২ সালের ১২ জুন, ফাইটার কারাতে ক্লাবের জন্ম হয় কক্সবাজার জেলায়-এর প্রতিষ্ঠাতা ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম।
১৯৭২ সালে ব্র্যাক স্থাপিত হয়।
১৯৭২ সালের ৩ জুলাই, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য পদ লাভ করে।
১৯৭২ সালের ১৩ মে, নগর গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৭২ সালের ২৪ মে, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দান।
১৯৭২ সালের ১০ আগষ্ট, ঢাকা নাট্যচক্রের প্রতিষ্ঠা লাভ।
১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ সরকার শিল্পকারখানা রাষ্ট্রীয়করণ করে এবং ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের সরকার ব্যক্তি মালিকানায় আবার শিল্পকারখানা ছাড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
১৯৭২ সালের ২ জুলাই, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টো সিমলা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশে প্রথম এক টাকার কাগজী মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়। তারও বেশ পরে চালু হয় দুই টাকার নোট।
১৯৭২ সালের ১২ জুলাই, সেনাকল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১৮ অক্টোবর, বাংলাদেশ ইউনেস্কো সদস্য পদ লাভ করে।
১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর প্রতিষ্ঠা লাভ।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, থেকে কার্যক্রম শুরু।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর, বাংলাদেশ সংবিধান দিবস পালিত হয়।
১৯৭২ সালের ৬ নভেম্বর, বাংলাদেশে ১ম জাতীয় সমবায় দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার জাতীয়ভাবে পালিত হয় এ দিবসটি। ২০০৯ সালের ৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে বর্তমানে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার সমবায় সমিতি, ৮৫ লক্ষ ব্যক্তি সদস্য এবং প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা কার্যকর মূলধন আছে। তারপর থেকে ১৯ নভেম্বর, ২০১১ তারিখ ৪০তম সমবায় দিবসের উদ্ভোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বাংলাদেশে ১ লাখ ৭৭ হাজার সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা হচ্ছে-৯০ লাখ। ২০০৯ সালের ৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে বর্তমানে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার সমবায় সমিতি, ৮৫ লক্ষ ব্যক্তি সদস্য এবং প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা কার্যকর মূলধন আছে।
১৯৭২ সালের ৯ নভেম্বর, বাংলাদেশ গ্যাটের সদস্য পদ লাভ করে।
১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, সাভারে ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশে যেখানে ১১(এগার) হাজার নাবিক ছিল, ২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, সেখানে ২,৬০০(দুই হাজার ছয়শত) নাবিক আছে।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালে নিউমার্কেট ও তৎসংলগ্ন এলাকার ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সর্বপ্রথম ইউসেপ কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৮৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, ইউসেপ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডসে এল্যান চেননীর মৃত্যু।
১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে এ দেশের ২৫ ধরনের পণ্য বিশ্বের ৬৮টি দেশে রপ্তানি হতো, ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ১৭৬টি পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২১৭টি দেশে। যদিও বেশি রপ্তানি হয় তৈরি পোশাক। পণ্যের বাজার বড় হতে পারে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা।
১৯৭৩ সালের ২৬ জানুয়ারি, ‘আরণ্যক নাট্য গোষ্ঠী’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিবিদদের ১ম শ্রেণীর পদমর্যাদার ঐতিহাসিক ঘোষণা। তাই ১৩ ফেব্রæয়ারি, কৃষিবিদ দিবস পালিত হয়।
১৯৭৩ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন গঠিত হয়।
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ, প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সংসদের ১ নম্বর আসন পঞ্চগড় জেলায়।
১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল, বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু।
১৯৭৩ সালের ১৩ এপ্রিল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজার ১৬৫টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন এক লাখ ৫৫ হাজার ২৩ জন শিক্ষক ছিলেন। আবার পরবর্তী সময়ে আরও ১ হাজার ৫০৭টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের সংখ্যা-৩৭,৬৭২টি ছিল।
১৯৭৩ সালে কবি দাউদ হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৪ এর ২০ মে, সন্ধ্যায় তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। অর্থাৎ ২১ মে, কলকাতায় কবি দাউদ হায়দারকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
১৯৭৩ সালের ৭ মে, বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
১৯৭৩ সালের ১৪ মে, ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় মওলানা ভাসানী খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য দ্রব্যের মূল্যহ্রাস এবং দমননীতি বন্ধ করার জন্য আমরণ অনশন করার সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৭৩ সালের ১৪ জুলাই, জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বিল পাস।
১৯৭৩ সালের ৩০ জুলাই, ঢাকা থিয়েটারের জন্ম।
১৯৭৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ ন্যামের সদস্য পদ লাভ করে।
১৯৭৪ সালে হোটেলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই দিন-রাত সমানে চলছে। এক দিনের জন্যও হোটেলটি কেউ বন্ধ পায়নি। হোটেলটি মূলত রেলওয়ের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। জায়গাটির লিজ গ্রহীতা আবদুর রহীম। এখনো হোটেলের সাইনবোর্ডে তাঁর নাম লেখা। পরবর্তী সময়ে আবদুর রহিম ঘরটি ভাড়া দেন স্থানীয় দোমনাকে। সেই দোমনাই এখন হোটেলের পরিচালক। ঈশ্বরদী ঐতিহ্যের শহর। ঈশ্বরদী লিচুর শহর। ঈশ্বরদী বেনারসিপল্লির জন্য বিখ্যাত। সঙ্গে ঈশ্বরদী বিখ্যাত হোটেল তৃপ্তির জন্য। সুতরাং ঈশ্বরদী বেড়াতে এলে লালন শাহ সেতু, হার্ডিজ ব্রিজ, মেরিনপাড়া, পদ্মপাড়ের সাড়াঘাট, পাকশী স্টেশনের পাশাপাশি স্টেশন রোডের কাছের তৃপ্তি হোটেলে একবার হলেও ঢুঁ মারতে হবে। তৃপ্তি হোটেলের একটিমাত্র পথ, কিন্তু সেখানে কোনো দরজা নেই, কোনো ঝাঁপও নেই যে হোটেলটি বন্ধ করা যাবে। তার অর্থ হোটেলটি দিন-রাত সমানে খোলা থাকে, সঙ্গে চলে খাবার বিক্রি। লোক আসছে-যাচ্ছে, কর্মচারী পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু হোটেলটি বন্ধ হচ্ছে না, কখনো বন্ধ হয়নি। বিবিসি রেডিওতে তৃপ্তি হোটেল নিয়ে ফিচার হয়েছে। হানিফ সংকেত তাঁর টিভি ম্যাগাজিন ‘ইত্যাদি’তে কখনো বন্ধ না হওয়ার রেকর্ডের জন্য তৃপ্তি হোটেল নিয়ে ফিচার করেছেন। (২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলোতে তৃপ্তি হোটেল কখনো বন্ধ হয় না।)
১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ ও.আই.সি’র সদস্য পদ লাভ করে।
১৯৭৪ সালের ২৮ মার্চ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৪ সালের ১৬ মে, নয়াদিল্লীতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এতে সই করেন। চুক্তিটি সইয়ের পর পরই তা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে অনুসমর্থন করা হয়েছিল। অথচ দীর্ঘ চার দশকের চুক্তিটি অনুসমর্থন করেনি ভারতের কোনো সরকার বা জাতীয় সংসদ। ফলে ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময়ের পাশাপাশি সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমানা অচিহ্নিত থেকে যায়। শেষ হচ্ছে ৪১ বছরের অপেক্ষা। রাজ্যসভায় সর্বসম্মতভাবে সীমান্ত বিল পাস(০৬-০৫-২০১৫ তারিখ)। ছিটমহল বিনিময় : বাংলাদেশের হাতে থাকবে ভারতের ১১১টি ছিটমহল। সর্বমোট আয়তন-১৭,১৫৮ একর। ভারতের কাছে থাকবে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল। সর্বমোট আয়তন-৭,১১০ একর। অপদখলীয় জমি। বাংলাদেশের থাকবে-সর্বমোট-২,২৬৭.৬৮২ একর আর ভারতের হাতে থাকবে-সর্বমোট ২,৭৭৭.০৩৮ একর। সূত্র : সীমান্ত চুক্তির মানচিত্র অনুসারে। এখন আবার লোকসভায় এ বিল যাবে এবং পাস করবে। ০৭-০৫-২০১৫ তারিখ লোকসভায়ও সীমান্ত বিল পাস সর্বসম্মতভাবে। সংবিধান সংশোধন বিলের ক্ষেত্রে ভারতের ৫০ শতাংশ রাজ্য বিধানসভার সমর্থন প্রয়োজন। তা আদায় হলেই বিলটি বাস্তবায়িত হবে। সরকারের চোখ এড়ালেও ধরা পড়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারীর নজরে। ২০১৩ সালে যে বিলটি রাজ্যসভায় পেশ হয়েছিল, তা ছিল ১১৯তম সংবিধান সংশোধন বিল। কিন্তু পাস করার পর তা হয় ১০০তম সংবিধান সংশোধন। বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় আগামী ৩১ জুলাই, ২০১৫ তারিখ মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে। ছিটমহলের অধিবাসীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যেতে চাইলে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি-১৯৭৪ এবং সীমান্ত চুক্তির প্রটোকল ২০১১-এর বাস্তবায়ন প্রত্রিæয়ার চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, অপদখলীয় জমি বিনিময় ও সীমানা চিহ্নিত করার কাজটি শেষ হবে ২০১৬ সালের ৩০ জুন। ৬৮ বছর পর মানচিত্রের অংশ। ১৬২টি ছিট মহলের ৫১ হাজার ৫৪৯ জন মানুষ এখন নিজ নিজ পছন্দের দেশের নাগরিক। তাঁদের উত্তরাধিকারদের কাছে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাত হবে বিশেষ একদিন। ১২টা ১ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময়ে হয়েছে দুই দেশের মধ্যে থাকা ১৬২টি ছিটমহল। ১৯৪৭-এ উপমহাদেশের বিভক্তির পর ব্রিটিশ আইনজীবী সেরিল র‌্যাডক্লিফকে সীমানা নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়া হয়। সীমান্তের এই জটিলতা অবসানের জন্য ১৯৫৮ সালে সই হয় নেহেরু-নুন চুক্তি। আবার স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি সই হয় বিষয়টি সুরাহার জন্য। পরে ১৯৯৭ সালের ৯ এপ্রিল চূড়ান্ত হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ও ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল রয়েছে। কিন্তু ওই চুক্তিও আলোর মুখ দেখেনি। চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং স্থসীমান্ত চুক্তির প্রটোকলে সই করেন। ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে এ বিষয় দুটির চূড়ান্ত সমাধান হবে। অর্থাৎ অপদখলীয় জমি বিনিময় ও অচিহ্নিত সীমানা চিহ্নিত করে স্থল সীমান্ত চুড়ান্ত হবে। এর মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পাবে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশির মানচিত্রের। পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ছিটমহল বিনিময়ের ফলে বাংলাদেশের ভূখন্ডে নতুন করে ১০ হাজার একরের বেশি ভূমি যুক্ত হবে। আবার অপদখলীয় জমি বিনিময়ের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ২ হাজার ৭৭৭ একর জমি ভারতকে এবং ভারত ২ হাজার ২৬৭ একর জমি বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেবে। ভারত পাবে ৫১০ একর জমি বেশি। গতকাল শুক্রবার(৩১-০৭-২০১৫ তারিখ) বাংলাদেশে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের (আয়তন ১৭ হাজার ১৫৮ একর) এবং বাংলাদেশের ভূখন্ডের সঙ্গে এবং ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল (আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর) ভারতের ভূখন্ডের সাথে যুক্ত হয়েছে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, ১৬২ ছিটমহলে ৫১ হাজার ৫৪৯ অধিবাসীকে চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে ৩৭ হাজার ৩৩৪ জন ভারতীয় বাংলাদেশে অবস্থিত ছিটমহলগুলোতে বাস করে এবং ১৪ হাজার ২১৫ জন বাংলাদেশি ভারতের ছিটমহলগুলোতে বাস করে। এসব লোকজনের মধ্যে বাংলাদেশে থাকা ভারতের ছিটমহলের ৯৭৯ জন ভারতে ফিরে যেতে চান। তবে তাদের রাতারাতি ভিটে ছাড়তে হবে না। এসব ছিটমহলের বাংলাদেশে আসবে ৫৯টি লালমনিরহাটে, ৩৬টি পঞ্চগড়ে, ১২টি কুড়িগ্রামে ও ৪টি নীলফামারীতে-মোট=১১১টি। আর ভারতের সাথে যাবে-৪৭টি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে এবং ৪টি জলপাইগুড়ি জেলায় মোট=৫১টি।
১৯৭৪ সালের ৩০ মে, ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট পেশ করা হয়।
১৯৭৪ সালের ১০ জুন, নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের জন্য প্রস্তাব পাশ।
১৯৭৪ সালে প্রথম মহিলা পুলিশ নিয়োগ করা হয়।
১৯৭৪ সালে শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৪ সালে ভারতের ৪র্থ রাষ্ট্রপতি (ভি. ভি. গিরি) ভারাগ্রীরি ভেংকটাগ্রীরি প্রথম বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছিলেন। কিন্তু তার ৩৯ বছর পর ২০১৩ সালের ৪ মার্চ ভারতের ১৩তম রাষ্ট্রপতি প্রণব কুমার মুখার্জি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসছেন। বাংলাদেশ সফরের সময় প্রণব কুমার মুখার্জি নড়াইলের ভদ্রবিলায় শ্বশুরবাড়ি, কুস্টিয়ায় শিলাইদহের কুঠিবাড়ি ও টাঙ্গাইলে ভারতেশ্বরী হোমসে গিয়েছে। ভারতের ১৩তম রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রণব কুমার মুখার্জির এটাই প্রথম বিদেশ সফর।
১৯৭৪ সালের ২২ জুলাই, বাংলাদেশে সমাজবিরোধী দমনে ফায়ারিং স্কোয়াড বিল গৃহীত।
১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে কুবল করে নেয়। বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য নির্বাচিত হয়। ১৯৭৪ সালের ১১ অক্টোবর, বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
১৯৭৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরের প্রতিষ্ঠা।
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দেন।
১৯৭৪ সালের পূর্বে সরকারী চাকরিতে যোগদানের বয়স ছিল ২৫-বছর এবং অবসরের বয়স ছিল ৫৫-বছর। ১৯৭৪ সাল থেকে এ আইন পরিবর্তন করে সরকারী চাকরিতে যোগদানের বয়স ২৭/৩০ এবং অবসরের বয়স ৫৭-বছর করা হয় এবং তখন মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬.২ বছর। মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরির বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করা হয় ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ থেকে। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ-২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে সরকারী চাকরি করার বয়স দু’বছর বেড়ে ৫৯ করা হলো। এখন বাংলাদেশের গড় আয়ু বেড়ে হলো-৬৭ বছর। বর্তমানে ভারত এবং পাকিস্তানে সরকারি চাকরি করার বয়স ৬০ বছর। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত করতে ১৯ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘দি পাবলিক সার্ভিস (রিটায়ারমেন্ট) অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার বয়সসীমা ৩০ বছর করা।
১৯৭৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি এক অধ্যাদেশ দ্বারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন।
১৯৭৪ সালে কুমিল্লা পৌরসভার ইতিহাস মতে শহরে ৮৫১টি পুকুর ছিল। ব্যাংক আর ট্যাংকের শহর কুমিল্লা থেকে ব্যাংক হারিয়ে গেছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর পর। গত ২৫ বছরে ট্যাংকের শহর কুমিল্লা থেকে হারিয়ে গেছে অন্তত ৬ শতাধিক পুকুর। ফলে পরিবেশ বিপর্যয় তো ঘটেছে।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৪ সালে শিশু আইন।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ‘মোটরযান সংশোধিত আইন’ পাস হয়।
১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠিত হয়।
১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ঐকান্তিক চেষ্টায় ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ের পানাম নগরের একটি প্রাচীন বাড়িতে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর। পরে ১৯৮১ সালে জাদুঘরটি স্থানান্তরিত হয় ইছাপুরা মৌজার এ সুরম্য ইমারতটিতে।
১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৫ সালের ১৪ জুন, বাংলাদেশের বেতবুনিয়া প্রথম ভূ-উপগৃহ কেন্দ্র স্থাপিত হয়।
১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)-এর প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে খন্দকার মুসতাক আহমেদের ক্ষমতা দখল।
১৯৭৫ সালের ৩১ আগষ্ট, বাংলাদেশকে গণচীনের স্বীকৃতি দান।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম. মনসুর আলী ও কামরুজ্জামান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত হন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, খন্দকার মুসতাক আহমেদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ব্রিগেইডার খালেদ মুশারফের ক্ষমতা দখল।
১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর, বিচারপতি সায়েম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর (জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস) সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে লে. জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল, ১৩ জন আর্মী অফিসারকে খুন করা হয়েছিল।
১৯৭৫ সালে ওটবি ওর্য়াল্ড ক্লাশ ফার্নিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৭৬ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৭৬ সালের ৩ মার্চ, বাঙালী জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে জিয়াউর রহমানের সরকার ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ প্রবর্তন করে।
১৯৭৬ সালের ১ মে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশে স্থানীয় শাসন অর্ডিন্যাশ জারি হয়।
১৯৭৬ সালের ২৩ নভেম্বর, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর জন্ম হয়।
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশে স্বাক্ষরতা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৬ সালে মাওলানা এম. এ. মান্নান বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৬ সালে এ দেশে প্রথম মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যন্ট ট্রেনিং স্কুলের যাত্রা শুরু হয়।
১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি,বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করে।
১৯৭৭ সালের ৩০ মে, প্রথম গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান হ্যঁ-না ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৭৭ সালের ১৫ জুলাই, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৯৭৭ সালে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা প্রবর্তন করেছিলেন।
১৯৭৭ সালে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগ দল) গঠিত হয়।
১৯৭৮ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশে আসেন সকাল ১০টা ২০ মিনিট সময়ে এবং ২২-০২-১৯৭৮ তারিখ সকাল পর্যন্ত। শুধু মুষ্টিযুদ্ধের নয়, বিশ্বত্রæীড়ার এক আইকনের নাম মোহাম্মদ আলী। তিনি এলেন বাংলাদেশে, দেশটির এক অনুপ্রেরণাময় চেহারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরার উদ্যোগে। মানুষের ভালোবাসায় ভরে গেলেন তিনি। তাঁকে দেওয়া হলো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, ঢাকার চাবি, কক্সবাজারের সমুদ্রতটে জমি। এক কিশোরের সঙ্গে খেললেন প্রীতি মুষ্টিযুদ্ধ ম্যাচ। এখানে তিনি আগে থেকেই মহানায়ক। তাঁকে দেখতে নামল মানুষের ঢল।
১৯৭৮ সালের ৩ জুন, প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত হন-জিয়াউর রহমান(জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট)।
১৯৭৮ সালের ২৩ জুন, অতীশ দীপঙ্করের দেহভষ্ম চীন থেকে ঢাকায় আনা হয়।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর, বিএনপি‘র (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের) জন্ম।
১৯৭৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, আশা (১৯৭৮-২০০৮)’র জন্ম। আশা যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৭৮ সালে মানিকগঞ্জের নিভৃত পল্লী টেপরা গ্রামে।
১৯৭৮ সালের ২৭ অক্টোবর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
১৯৭৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা লাভ।
এখন দেখা যায় ১৯৭৯ সালের ১৪ মার্চ, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা হয়। আলোকিত মানুষ চাই ¯েøাগান নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পার করল ৩৫ বছর। ২০১৪ সালের ১৪ মার্চ, তারিখ তাদের বর্ষপূর্তি উৎসব ও নতুন ভবনের উদ্বোধন। কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন পারভেজ হোসেন ঃ ১৫ জন থেকে ১৫ লাখ। প্রায় পৌনে দুই লাখ বই নিয়ে তিলে তিলে গড়ে ওঠা লাইব্রেরী, ছোট-বড় মিলিয়ে চারটি মিলনায়তন, আর্ট গ্যালারি, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সংগীত ও চলচ্চিত্রের আর্কাইভ, দলবেঁধে আড্ডা দেওয়ার উপযোগী দুটো ক্যাফেটিয়াসহ যে নয়তলা ভবনটি এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাংলামটরে, ওটি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবন।
১৯৭৮ সালে মাওলানা এম. এ. মান্নান বেসরকারী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি (জমিয়াতুল মোদার্রেছীন), বেসরকারী স্কুল শিক্ষক সমিতি, বেসরকারী কলেজ শিক্ষক সমিতি এবং সরকারী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি ও সরকারী কলেজ শিক্ষক সমিতি-এ পাঁচটি শিক্ষক সমিতির সমন্বয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
১৯৭৮ সালের ২১ জানুয়ারি পদাতিক নাট্য সংসদের যাত্রা শুরু।
১৯৭৮ সালের ১৭ মে, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৮ সালের ২৩ অক্টোবর, বি.আর.বি. কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি, জনমুক্তি পার্টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা লাভ।
১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে।
১৯৭৯ সালের ১ এপ্রিল, বিজ্ঞাপনী সংস্থা ম্যাডোনা অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৯ সালের ৮ এপ্রিল, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, জেদ্দা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৯ সালের আগষ্ট, বাংলাদেশে মাইলস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮১ সাল থেকে ব্যান্ডটি গাইতে শুরু করে।
১৯৭৯ সালের ১৪ নভেম্বর, বাংলাদেশ ইনডেনটিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএএ) প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর, কুষ্টিয়া-জিনাইদহের সীমান্তে শান্তিভাঙ্গা দুলালপুর নামক স্থানে রাষ্টনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭৯ সালে স্থাপিত বাংলাদেশী হামস সংস্থা বাংলাদেশ সৌখিন রেডিও অপারেটরস লীগ (বার্ল)-এর কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। সারাবিশ্বের হামস নামে প্রায় ৩০ লাখ সৌখিন রেডিও অপারেটর রয়েছেন যারা বিভিন্ন দেশে রেডিও অপারেটরদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ট্রান্সমিটার ও রিসিভার ব্যবহার করেন। বাংলাদেশে এ ধরনের অপারেটরের সংখ্যা-১৬।
১৯৭৯ এবং ১৯৮০ সালের জন্য বাংলালেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদ লাভ করেন।
১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর, অপরাজেয় বাংলার উদ্বোধন করা হয়।
১৯৮০ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামীয়ে ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠা।
১৯৮০ সালের ১০ মার্চ, ঢাকা পদাতিকের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৮০ সালে ২৬ মার্চকে, জাতীয় দিবস বা স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৮০ সালের ২ এপ্রিল, ঢাকা পদাতিক নাট্য গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা লাভ।
১৯৮০ সালে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮০ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হয় এবং ১৯৮১ সালের ১৪ আগস্ট, কুর্মিটোলা বিমানবন্দরের নাম জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাখা হয়।
১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর জন্ম।
১৯৮০ সালের ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশের গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশন যাত্রা শুরু করে।
১৯৮০ সালে সার্ক গঠনের প্রস্তাবনা সম্বলিত সার্কভুক্ত দেশসমূহের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের কাছে পাঠানো প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চিঠির ফলক উন্মোচন করেন (১২-১১-২০০৫) সালে। নীচে সার্ক শীর্ষ নেতৃবৃন্দ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে। ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর, ২৫ বছর পূর্ণ।
১৯৮০ সালে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ গ্যাসের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু।
১৯৮০ সালে মাইলস আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম ইপিজেড এবং ১৯৯১ সালে ঢাকা ইপিজেড স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়। এ ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আরো ৪টি ইপিজেড স্থাপন করা হয়।
১৯৮০ সালে যৌতুক বিরোধী আইন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮০ সাল হতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার/গ্রাম সরকার পরিষদকে স্বনির্ভর গ্রাম সরকার, পল­ী পরিষদ, গ্রাম পরিষদ ইত্যাদি নামে অভিহিত করে আইন পাশ করেছেন।
১৯৮০ সালের ১ ডিসেম্বর, বাংলাদেশে রঙিন টেলিভিশন স¤প্রচার শুরু হয়।
১৯৮০ সালের ১০ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠবার্ষিকী।
১৯৮১ সালের ৩০ মে, চট্টগ্রামে এক সামরিক ব্যর্থ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যু। ক্ষমতায় বসানো হয় ভাইস-প্রেডিডেন্ট বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে।
১৯৮১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের প্রাচীনতম আবৃত্তি সংগঠন স্বনন-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের ১৫০-নম্বর শ্রেণীকক্ষে স্বননের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর, বাংলাদেশে দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর, বিচারপতি আবদুস সাত্তার বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৮১ সালে বিসিএস নিয়োগ নীতিমালা আইন পাস হয়।
১৯৮১ সালের ২৮ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮২ সালের ২৬ জানুয়ারি, তালিবাবাদে বাংলাদেশের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপিত হয়।
১৯৮২ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবন উদ্ভোধন করা হয়।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ প্রেডিডেন্ট বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন।
১৯৮২ সালের ২৭ মার্চ, বিচারপতি আহসান উদ্দীন চৌধুরীর রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ।
১৯৮২ সালে বাংলাদেশে ৪০ হাজার চিত্রাহরিণ, ৪২৫টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছিল।
১৯৮২ সালের হিসেবে, বাংলাদেশে ৮৪-লক্ষ ভুমিহীন পরিবার আছে।
১৯৮২ সালের ১৪ এপ্রিল, আরব-বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড বা এবি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
১৯৮২ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১৯৮২ সালের ২৬ জানুয়ারি, তালিবাবাদে বাংলাদেশের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপিত হয়।
১৯৮২ সালে উপজেলা রেগুলেশন পাশ হয়।
১৯৮২ সালে উপজেলা প্রশাসন কাঠামো গঠিত হয়।
১৯৮২ সালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, সামরিক শাসক এরশাদের গণবিরোধী শিক্ষানীতি ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ রাজপথে গণ-অভুত্থান করে। এরশাদের সামরিক বাহিনী এতে গুলি চালালে জয়নাল, মোজাম্মেল, আইউব, মোজাম্মেল কাঞ্চন, দীপালি সাহাসহ অজ্ঞাত অনেক ছাত্র-জনতা নিহত হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯০ সালের গণ-অভুত্থানে প্রেসিডেন্ট হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদের পতন ঘটে। স্বৈরশাসনের পতন ঘটেনি।
১৯৮৩ সালের ২৩ মার্চ, বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) জন্ম।
১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৩ সালের ১৪ জুলাই, ১৫ জন তরুণ মিলে গঠন করেছিলেন ‘‘মহাকাল নাট্য স¤প্রদায়’’।
১৯৮৩ সালের ২৯ জুন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৮৩ সালের ১৩ আগস্ট, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত সরকারের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্বান্ত।
১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২৫ কোটি টাকার মূলধন নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের ৪ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ গ্রাহক-কর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা, এক বোর্ড সদস্যকে আর্থিক প্রলোভনের অভিযোগ নতুন এমডি নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু। দৈনন্দিন কাজেই কেবল সীমাবদ্ধ গ্রামীণ ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংকে এখন ২২ হাজার ১৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। দুই হাজার ৫৬৫টি শাখার মাধ্যমে সারা দেশের ৮১ হাজার ৩৭৯টি গ্রামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে গ্রামীণ ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রায় ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ঋণগ্রহীতা রয়েছে, এর প্রায় ৯৭ ভাগই নারী।
১৯৮৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর, বর্ণক সমাজ কল্যাণ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিষ্ঠা।
১৯৮৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর, মাজেদ সরদারের মৃত্যু। তিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করেন। ৫০, ৭০ ও ৮০ দশকে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার ছিলেন।
১৯৮৩ সালের ৬ ডিসেম্বর, ঝঊখ-এর প্রতিষ্ঠা লাভ। ঞযব ঝঃৎঁপঃঁৎধষ ঊহমরহববৎং খঃফ. অ ঐড়ঁংব ড়ভ ছঁধষরঃু, ঞৎঁংঃ ধহফ ভধরঃয.
১৯৮৪ সালে জাতিসংঘের কার্যপ্রণালী বাংলা ভাষার ব্যবহার শুরু হয়।
১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া বাস-টার্মিনালের সামনে স্বৈরাচারবিরোধী সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের একটি মিছিলের ওপর পুলিশের গাড়ি তুলে দিলে সেলিম-দেলোয়ার শহীদ হন। শহীদ সেলিম-দেলোয়ার দিবস (২৮-০২-২০০৮)।
১৯৮৪ সালে শারজায় প্রথম এশিয়া কাপ এবং বাংলাদেশবিহীন একমাত্র এশিয়া কাপে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা-তিন দলই ছিল। ২০১২ সালে ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। পাকিস্তান দল ২ রানে জয়ী।
১৯৮৪ সালের ২৮ এপ্রিল, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৪ সালের ৩০ এপ্রিল, বাংলাদেশে সনি-র‌্যাংগস কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৪ সালে কুমিল্লার লাকসাম থেকে ঢাকায় আসেন দিল মোহাম্মদ মনু। ৫১নং ওয়ার্ডের কলাবাগানে রয়েছে মামা হালিম। নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে মামা হালিমের স্বাদ নেন।
১৯৮৫ সালের ১ জানুয়ারি, গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠা।
১৯৮৫ সালের ১০ জানুয়ারি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠা লাভ।
১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, রাউফুন বসুনিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন।
১৯৮৫ সালের ২১ মার্চ, বাংলাদেশে দ্বিতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রকৃতি-প্রশাসনিক গণভোট। লক্ষ্য ঃ লে. জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সমর্থন যাচাইয়ের লক্ষ্যে হ্যাঁ-না ভোট।
১৯৮৫ সালের ২৩ এপ্রিল, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৫ সালের ২৪ মে, বাংলাদেশে উড়িরচরে জলোচ্ছাসে ১১ হাজার লোকের প্রাণহানি।
১৯৮৫ সালে প্রথম বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ, এখন সারাদেশে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ যথাক্রমে ৫৩ ও ১৪টি। ওয়েবসাইটে মতামত দেওয়া যাবে।
১৯৮৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৩ জন তরুণ সাংবাদিক মিলে ঢাকা ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’’ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের টিভি রুমের ছাদ ধসে ৩৯ জন ছাত্র নিহত হয়। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৫ অক্টোবরকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এদিনটিকে ছূটি ও শোকদিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
১৯৮৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৮৫ সালে পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক গঠিত হয়।
১৯৮৬ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, প্রগতি ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৮৬ সালের ৬ এপ্রিল, ঢাকায় প্রথম এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্ভোধন হয়।
১৯৮৬ সালের ৭ মে, তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেন। তখন বিএনপি ঐ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।
১৯৮৬ সালের ৪ জুন, মাওলানা এম.এ. মান্নান ‘‘দৈনিক ইনকিলাব’’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৮৬ সালের ১৫ জুন, এস. এস. এফ. স্পেসাল সিকোরিটি ফোর্স প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়।
১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর, তৃতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত হন লে. জেনারেল এইচ.এম. এরশাদ (জাতীয় পার্টি)।
১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর, বাংলাদেশ-সিংগাপুর এয়ার লাইনস প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর, বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ম সংশোধনী গৃহীত হয়। এতে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম গুচ্ছ গ্রাম। ঐ সময়ের গুচ্ছ গ্রামের বসবাস এখন পর্যন্ত তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আছে। বিশ বছরে মূল আঠাশ হাজার গুচ্ছ গ্রামবাসী বাঙ্গালী পরিবার বেড়ে এখন অন্ততঃ পঞ্চাশ হাজার পরিবারে পরিণত হয়েছে। (১০-০৯-২০০৬)।
১৯৮৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর, ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৭ সালের ১৬ জানুয়ারি, কাঠমন্ডুতে সার্ক সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৭ সালের ১৭ জুনের হিসেবমতেঃ দেশে ২৭(সাতাশ) হাজার পল্লী চিকিৎসক ও ১৭(সতের) হাজার ডাক্তার আছে। প্রতি ৩,৫০০(তিন হাজার পাঁচশত) জনে একটি হাসপাতাল বেড আছে।
১৯৮৭ সালের ১২ জুলাই, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লি.-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. মান্নান মাত্র তিনজন সহকর্মী নিয়ে যাত্রা শুর করেছিলেন।
১৯৮৭ সালের ৩ আগস্ট, পত্রিকার রিপোর্ট-ঢাকায় গরুর হাটে একটি ষাড়ের মূল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ওজন ৪০ মন, উঁচ্চতা-৬ ফুট ৮ ইন্সি।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নূর হোসেনের বুকে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ এবং পিঠে লেখা ছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ ‘শহীদ নূর হোসেন’ দিবস প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ঐদিন মিছিলে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নিহত হয়।
১৯৮৭ সালের ৩ নভেম্বর, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি জৈল সিং বলেছেন-বাংলাদেশ থেকে তড়িঘড়ি করে সৈন্য প্রত্যাহার করা ভুল হয়েছে।
১৯৮৭ সালে আধুনিকের জন্ম। আগে জাতীয় পর্যায়ে ধুমপানবিরোধী কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না।
১৯৮৮ সালের জানুয়ারি মাসে, হানিফ সংকেতের গ্রন্থনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় নির্মিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এ বছরই গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে উঠে যেতে পারে ইত্যাদি।
১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ, ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৮৮ সালের ৫ আগষ্ট-এর সংবাদ ঃ মহিলারা পৃথিবীতে ৬৭% কাজ করে এবং পুরুষরা বাকি ৩৩% কাজ করে। তবু পুরুষ বলে যে, মহিলারা কোন কাজই করে না। ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি, নারীর জীবনে প্রায় ১২ বছরই কেটে যায় রান্নাঘরে। অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ এবং ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড সোশাল ট্রান্সফরমেশন(সিজিএসটি) প্রকল্পের গবেষণা।

১৯৮৮ সালের তথ্যসূত্রে ঃ বাংলাদেশে ২১০টি যাত্রাদল এবং ১৪,০০০ শিল্পী আছে।
১৯৮৮ সালে আত্মপ্রকাশ ঘটে ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ’ নামক সংগঠনের।
১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলা লেখার কমপিউটার কীবোর্ড বিজয়-এর ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠাতা-মোস্তফা জব্বার। ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর, এর ‘রজতজয়ন্তী’ হয়।
১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি, বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড গঠিত হয়।
১৮৮৯ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, কনফিডেন্স কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আণুষ্ঠানিক ক্লাশ শুরু হয়।
১৯৮৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, ধানমন্ডির নতুন ১৫/এ রোডের ৫৮ নম্বর বাড়িতে শহিদুল আলমের হাত ধরে শুরু হলো ‘দৃক’ এর পথচলা।
১৯৯০ সালের ৪ জানুয়ারি, বাংলাদেশে ডিজিটাল টেলিফোন চালু হয়।
১৯৯০ সালের ৫ জানুয়ারি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৯০ সালের ২১ জানুয়ারি, দেশে ‘মাদক দ্রব্য আইন’ পাস হয়।
১৯৯০ সালের ১৮ এপ্রিলের খবর-ঢাকা শহরে ৯০% গাড়ি বাতাসে বিষ ছড়াচেছ।
১৯৯০ সালের ১৮ এপ্রিলের তথ্য-বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা ব্যক্তি জিঞ্জিরার পরিমল ঘোষ, উঁচ্চতা ৮’-৩”, চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেয়ে মারা যান।
১৯৯০ সালের ২৯ মে, কর্নফুলী সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
১৯৯০ সালের ৬ জুনের পর আর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
১৯৯০ সালের ৩১ জুলাই, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।
১৯৯০ সালে এরশাদ আমলে মেঘনা সেতুটি নির্মাণ করা হয় এবং এর উদ্বোধন করেন জাপানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী কাইফু।
১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৪ সালের ১ নভেম্বর, দাউদকান্দিতে মেঘনা-গোমতী সেতুটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। এ সেতুর দৈঘ্য ১ দশমিক ৪১ কিলোমিটার এবং তৈরীতে খরচ হয় ৪শ কোটি টাকা।
এক নজরে বাংলাদেশের প্রধান সড়ক সেতুসমূহ ঃ
ক্রমিক সেতু দৈর্ঘ কোন নদীর উপর নির্মিত অবস্থান

১. পদ্মা সেতু (প্রস্তাবিত) ৬.১৫ কিমি পদ্মা নদী মাওয়া
২. বঙ্গবন্ধু(যমুনা) সেতু ৪.৮ কিমি যমুনা নদী টাঙ্গাইল-সিরাজ
৩. লালন শাহ সেতু ১.৮ কিমি পদ্মা নদী পাবনা-কুস্টিয়া
৪. বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-৬ ১.৫২ কিমি ধলেশ্বরী নদী মুন্সিগঞ্জ(মুক্তারপুর
৫. বাংলা-জাপান-মৈত্রী সেতু-২ ১.৪১ কিমি মেঘনা-গোমতি দাউদকান্দি, কুমিল্লা
৬. খানজাহান আলী সেতু ১.৩৬ কিমি রূপসা নদী খুলনা
৭. বাংলা-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু ১.২ কিমি মেঘনা নদী আশুগঞ্জ-ভৈরব
৮. বাংলা-জাপান মৈত্রী সেতু-১ ৯৩০মিটার মেঘনা নদী মুন্সিগঞ্জ
৯. বাংলা-চীন মৈত্রী সেতু-৫ ৯১৮ মিটার গাবখান নদী ঝালকাঠি
১০. বাংলা-চীন মৈত্রী সেতু-বুড়িগঙ্গা ১ ৮৪৭ মিটার বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকা-পোস্তগোলা
১১. বুড়িগঙ্গা সেতু-২ ৭২৫ মিটার বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকা-বাবুবাজার
১২. বুদ্ধিজীবী সেতু(বুড়িগঙ্গা-৩) ৭০৯ মিটার বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকা,মোহাম্মদপুর
১৩. বাংলা-চীন মেত্রী সেতু-৪ ৫৭৭ মিটার করতোয়া নদী পঞ্চগড়
১৪. কর্ণফুলী সেতু – কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম
১৫. বাংলা-চী মেত্রী সেতু-২ ৪৬০ মিটার ব্রহ্মপুত্র নদী শম্ভুগঞ্জ,ময়মনসিংহ
১৬. বাংলা-চীন মৈত্রী সেতু-৩ – মহানন্দা নদী চাপাইনবাবগঞ্জ
১৭. ধলেশ্বরী সেতু-১ – ধলেশ্বরী নদী মুন্সিগঞ্জ,মাওয়া
১৮. হাজী শরীয়তুল্লাহ সেতু ৪৫০ মিটার আড়িয়াল খাঁ মাদারীপুর
১৯. ধলেশ্বরী সেতু-২ – ধলেশ্বরী নদী মুন্সিগঞ্জ
২০. কাঞ্চন সেতু – শীতলক্ষ্যা নদী নারায়ণগঞ্জ,রূপগঞ্জ
২১. দড়াটানা সেতু – মধুমতি নদী বাগেরহাট

১৯৯০ সালের ৪ অক্টোবরের তথ্য-বাংলাদেশে ৮৫ ভাগ লোক নদী-নালা, পুকুরের পানি ব্যবহার করে। ২০০২ সালের তথ্যঃ ৭০ ভাগ লোক নদী-নালা,পুকুরের পানি ব্যবহার করেন।
২০১৫ সালের ১০ জুলাই, প্রথম আলো : দেশের ৬৫ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ অনিরাপদ পানি পান করে। এই পানিতে আর্সেনিক এবং ই. কোলাই (মলের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া) সংক্রামণ আছে। নিরাপদ পানি পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে সিলেট বিভাগ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএসের এই বহু নির্দেশক গুচ্ছ জরিপ(মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাষ্টার সার্ভে-মিকস) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় ৫ জুলাই। জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বিবিএস এই জরিপ করে। জরিপে ৫১ হাজার ৮৯৫টি পরিবারের ২ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৬ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

১৯৯০ সালের ২২ নভেম্বর, বাংলাদেশে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়।
১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটি মোড়ে স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলীতে ডা. শামসুল আলম খান মিলন শাহাদাৎ বরণ করেন।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর, ক্রমবর্ধমান গণরোষের মুখে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর, ঐতিহাসিক ‘গণতন্ত্র দিবস’। এদিনে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, পেশাজীবি, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসেবে তৎকালীন এরশাদ সরকারের পতন ঘটেছিল এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় বলেছিল স্বৈরতন্ত্রের পতন ঘটেছিল-তখন আমি মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর) বলেছিলাম যে, স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়নি-এরশাদ সরকারের পতন হয়েছে।
২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ তিন জোটের রূপরেখা নির্বাসনে। অর্জন শুধু এরশাদের পতন! স্বৈরাচার পতনের ২৫ বছর। কেউ কথা রাখেনি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দল, বিএনপির নেতৃত্বে ৭ দল ও ওয়ার্কার্স পাটি-জাসদের নেতৃত্বে পাঁচটি বাম দল ১৯৯০ সালের ২১ নভেম্বর যৌথভাবে ওই রূপরেখা ঘোষণা করেছিল। জামায়াত তিন দলীয় জোটে না থাকলেও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তাল মিলিয়ে অংশ নেয়। (১) সংসদীয় ব্যবস্থায় ফিরে আসাই সাফল্য-তোফায়েল আহমেদ-বাণিজ্যমন্ত্রী-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। (২) রাজনীতির ধারা বদলায়নি-রাশেদ খান মেনন, পর্যটনমন্ত্রী, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি। (৩) গণতন্ত্রের অধিকার আজ হাতছাড়া-মির্জা ফকরুল ইসলাম-ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বিএনপি।

 

ক্রমিক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি-০৬-১২-১৯৯০ বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ
ক্রমিক উপদেষ্টামন্ডলী-১৯৯১ কফিলউদ্দিন মাহমুদ
১. -ঐ- ড. ফকরুদ্দীন আহমেদ
২. -ঐ- ডা. এম. এ. মাজেদ
৩. -ঐ- ড. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
৪. -ঐ- এ. বি. এম. জি. কিবরিয়া
৫. -ঐ- মেজর(অব.) রফিকুল ইসলাম
৬. -ঐ- অধ্যাপক রেহমান সোবহান
৭. -ঐ- বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল খালেক
৮. -ঐ- আলমগীর এম. এ. কবীর
৯. -ঐ- এ. কে. এম. মুসা
১০. -ঐ- অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন আহমেদ
১১. -ঐ- কাজী ফজলুর রহমান
১২. -ঐ- অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ
১৩. -ঐ- ইমামউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী
১৪. -ঐ- এ. এম. আনিসুজ্জামান
১৫. -ঐ- চৌধুরী এ. কে. এম. আমিনূল হক
১৬. -ঐ- বি. কে. দাশ।
১৯৯১ সালের ১৪ জানুয়ারি, ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯১ সালের ১৯ মার্চ, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া শপথ নেন।
১৯৯১ সালের ৮ মে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে ব্যবসায় প্রশাসন শিক্ষা কোর্স চালু করার মাধ্যমে এ দেশে বিবিএ শিক্ষার যাত্রা শুরু হয়।
১৯৯১ সালের ৭ জুলাই, বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট আইন পাস।
১৯৯১ সালের ৬ আগষ্ট, ষোল বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয়।
১৯৯১ সালের ১০ আগষ্ট, বাংলাদেশ সংবিধানের একাদশ সংশোধনী বিলে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর।
১৯৯১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশে সাংবাধানিক গণভোট। লক্ষ্য ঃ সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী আইন প্রস্তাব। ফলাফল ঃ প্রদত্ত ভোটের ৮৪.৩৮ ভাগ ভোটার ‘হ্যাঁ’ ভোট এবং ১৫.৬২ ভাগ ভোটার ‘না’ ভোট প্রদান করে। বাংলাদেশে গণভোট সংসদীয় পদ্ধতির পক্ষে গণ রায় প্রদান।
১৯৯১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশে দীর্ঘ ষোল বছরের রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের অবসান হয়।
১৯৯১ সালের ৮ অক্টোবর, স্পীকার আবদুর রহমান বিশ্বাস বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন।
১৯৯১ সালের ৩১ ডিসেম্বর, বরিশালের সদর রোডের লুকাস বিল্ডিংয়ে গড়ে তোলা হয়  প্রথম শব্দাবলী স্টুডিও থিয়েটার।
১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয়।
১৯৯২ সালের ২৮ এপ্রিল, রোহিঙ্গা শরনার্থী প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ মায়ানমারের মধ্যে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৯২ সালে বনানীতে নর্থ সাউথ প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত ৭১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯২ সালের ২২ জুন, বাংলাদেশ আই. এল. ও’র সদস্য পদ লাভ করে।
১৯৯২ সাল থেকে টেলিভিশনে মিনা কার্টুনটি দেখানো হয়। ১৯৯৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, থেকে বাংলাদেশ শিশু-কিশোরদের ব্যাপক উৎসাহ উত্তীপনার মধ্য দিয়ে ২৩-০৯-২০০৫ তারিখ ‘‘মিনা দিবস-২০০৫’’ উদযাপিত হয়।
১৯৯২ সালের ১৫ জুলাই, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (সংশোধনী) আইন পাস হয়।
১৯৯২ সালের ১৬ আগষ্ট, কুষ্টিয়া শিল্পনগরীতে এম. আর. এস. ইন্ডাষ্ট্রিজ লি. প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, দেশে ‘সন্ত্রাসদমন অধ্যাদেশ’ জারি হয়।
১৯৯২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, আহসান মঞ্জিলকে জাদুঘর হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।
১৯৯২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, চট্টগ্রাম থেকে প্রথম বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়।
১৯৯২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশে কার্ড ফোন ব্যবস্থা চালু হয়।
১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জন্ম।
১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর, জাতীয় সংসদে সন্ত্রাস দমন বিল পাস হয়।
১৯৯২ সালে পরিবেশ নীতি ঘোষণা করা হয়।
১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি অথবা ৩১ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের পঞ্চম বিভাগ হিসেবে বরিশাল বিভাগের উদ্বোধন করা হয়।
১৯৯৩ সালের ১০ এপ্রিল, ঢাকা সপ্তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়।
১৯৯৩ সালের ১১ এপ্রিল, ঢাকায় সাউথ এশিয়ান প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (সাপটা) স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯৩ সালের ১৭ মে, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৩ সালের ২৩ মে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নোভেল বিজয়ী বিজ্ঞানী আবদুস সালামকে সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো প্রতিষ্ঠিত হয় ।
১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড গঠিত হয়।
১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর, ‘আপন’-এর (মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের আপনগাঁও গ্রামে অবস্থিত মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র আসক্তি পুনর্বাসন নিবাসের (আপন) ১৮তম বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে।
১৯৯৪ সালের ২১ অক্টোবরের তথ্যমতে ঃ সিরাজ-উদ-দ্দৌল্লার আমল থেকে হেস্টিংস; টিপু সুলতান থেকে শের-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের আমল পর্যন্ত ৫-লক্ষ দলীল-দস্তাবেজে ভরপুর জাতীয় আর্কাইভ।
১৯৯৪ সালে বগুড়া ও দিনাজপুর থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে।
১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর, এক টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা চালু হয়।
১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি, ঢাকায় সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৯৫ সালের জানুয়ারি, মুন্সীগঞ্জ জেলার মিরকাদিম পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৫ সাল থেকে ‘‘বেগম রোকেয়া পদক’’ প্রদান করা হয।
১৯৯৫ সালের ২১ মে, ‘‘প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড’’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৫ সালের ৪ জুলাই, ‘‘ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড’’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৫ সালের ১ আগস্ট, ৬ষ্ট বিভাগ হিসেবে ‘সিলেট বিভাগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৫ সালের ২৮ আগষ্ট, রাজা বিরেন্দ্র’র ভেঙ্গে দেয়া হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভকে পূনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষে নেপালী সুপ্রীম কোর্টের রায়।
১৯৯৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, নেপালে ন’মাসের কমিউনিষ্ট সরকারের পতন।
১৯৯৫ সালের ২ অক্টোবর, বাংলাদেশ সরকার ঝঅচঞঅ অনুমোদন করে।
১৯৯৫ সালের ৩ নভেম্বর, সোসাল ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৫ সালের ২৪ নভেম্বর, দেড় বছরাধিকাল ধরে সংসদ বয়কট আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেয়া হয়।
১৯৯৫ সালের ২৪ নভেম্বর, সোসাল ইনভেষ্টমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি, ঢাকায় প্রথম ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ উদ্বোধন হয়।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চ, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে তত্ত¡াবধায়ক সরকার আইন পাস হয়।
১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ ঃ ১৯৯১ সালের ১৯ মার্চের পর থেকে ৩০-০৩-১৯৯৬ তারিখের আগ পর্যন্ত (খালেদা জিয়া সরকারের সময়) আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল পালন করেন।
১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেয়া হয়। বিচারপতি হাবিবুর রহমান তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধান নিযুক্ত হন।
ক্রমিক রাষ্ট্রপতি-১৯৯৬ আইনজীবী আবদুর রহমান বিশ্বাস
১. প্রধান উপদেষ্টা-১৯৯৬ বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
২. উপদেষ্টামন্ডলী ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ
৩. -ঐ- ড. মুহাম্মদ ইউনুস
৪. -ঐ- অধ্যাপক শামসুল হক
৫. -ঐ- সেগুফতা বখত চৌধুরী
৬. -ঐ- এ. জেড. এম. নাসিরউদ্দিন
৭. -ঐ- মেজর জেনারেল ডাঃ আবদুর রহমান খান
৮. -ঐ- অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
৯. -ঐ- সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী
১০. -ঐ- অধ্যাপক ড. নাজমা চৌধুরী
১১. -ঐ- জামিলুর রেজা চৌধুরী
১৯৯৬ সালের ২০ মে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সেনাবাহিনী প্রধন জেনারেল নাসিম ক্ষমতাচ্যুত হয়।
১৯৯৬ সালের ৩ জুন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ সালের ৯ অক্টোবর, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন।
১৯৯৬ সালে গ্রামীণ শক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের মধ্যে ১০ লাখ পরিবারের কাছে এই বিদ্যুৎসেবা পোঁছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০ লাখ পরিবারে সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে গ্রামীণ শক্তি। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে প্রায় ৮০ লাখ লোক সুফল পাচ্ছে।
১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করা হয়।
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর, চট্টগ্রাম টিভি উপকেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়।
১৯৯৭ সালের ১৪ জানুয়ারি “জন্মভূমি” সিরিয়ালের ১ম সিরিজ ডিস এন্টেনার মাধ্যমে দেখানো শুরু করে। ২০০৩ সালের ২৮ আগষ্ট, রোজ-বৃহস্পতিবার রাত্রি ৯ ঘটিকার সময় ১৫৩৬নং সিরিয়ালের মাধ্যমে শেষ হয়। সপ্তাহে ৫ দিন করে মোট ১৫৩৬টি সিরিয়ালের মাধ্যমে প্রায় ৬(ছয়) বছর এ জনপ্রিয় জন্মভূমির সিরিয়ালটি দেখানো হয়। এ সিরিয়ালের বিষয়বস্তু ছিল ময়নাগড়ের জমিদারের চরিত্র ও কাহিনী, শেরপুর জমিদারের কাহিনী এবং ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তানের সৃষ্টি। পূর্ব-পাকিস্তান থেকে হিন্দুদের ভারতের পশ্চিম-বাংলায় চলে যাওয়ার কাহিনী এবং স্বাধীন ভারতে জমিদারদের অবস্থান কোন স্থানে আছে তা দেখানো হয়েছে। এ সিরিজে যারা অভিনয় করেছে তাঁদের প্রতি আমার অন্তর থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের অভিনয়ে আমি খুবই আনন্দ পেয়েছি-যদিও এ সিরিয়ালে শ্রেণী-সংগ্রামের কথা কোথাও নেই, তবুও আমার ভাল লেগেছে তাঁ’দের অভিনয়। আমার জীবনে এত দীর্ঘ সময় আর কোন সিরিয়াল দেখার সুযোগ হয়নি।
১৯৯৭ সালের ২৫ জানুয়ারির তথ্য-বাংলাদেশে ৮০% লোক গ্রামে বাস করে। ২০০০ সাল নাগাদ শ্রমশক্তির সংখ্যা দাঁড়াবে ১০(দশ) কোটি।
১৯৯৭ সালের ২৭ জানুয়ারি-আরব দেশসমূহে বাজেটের ৬০-ভাগ ব্যয় করে প্রতিরক্ষা খাতে।
১৯৯৭ সালের ৩১ জানুয়ারির তথ্য-২৫ বছরে পাট শিল্পে লোকসানের পরিমাণ ৩,৫০০ (তিন হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা। গত ২৫-বছরে পাট শিল্প থেকে লুটেরা লুটপাট করেছে ১২,৫০০(বার হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা।
২০১৫ সালের ২১ জুলাই, প্রথম আলো : সোনালি দিন ফেরেনি লোকসান বরং বাড়ছে। সংকটে সরকারি পাটকল। ৭৭৬ কোটি টাকা লোকসান গত তিন বছরে ২৫০ কোটি টাকা বছরে ব্যয় বাড়তি ২২ হাজার শ্রমিকের পেছনে ৭০ কোটি টাকা বছরে ক্ষতি দেরিতে পাট কেনায়। ৫,৭০০ অবসরে যাওয়া শ্রমিক-কর্মচারীর পাওনা পরিশোধ হচ্ছে না।
২০০৪ সালের ১৮ আগষ্ট, ১৯৭৩ সালে তৎকালীন পাটমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ এ প্রসঙ্গে যে উক্তিটি করেন তা এখানে উদ্ধৃত করছি। তিনি বলেন ঃ ‘এতকাল আপনারা জানতেন বিশ্বে পাট উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে বাংলাদেশের স্থানই ছিল প্রথম। স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছিল পাট উৎপাদনে সব দেশের শীর্ষে। ধস শুরু হয় এরপর থেকেই। বর্তমানে ভারতই বিশ্বে পাট উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে প্রথম। সে বছর ভারতে পাট উৎপাদন হয়েছে ৭৫ লক্ষ বেল পাট এবং বাংলাদেশে উৎপাদণ হয়েছে ৫৫ লক্ষ বেল পাট। ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে যেখানে বাংলাদেশে পাট উৎপাদিত হয়েছে ৭ লাখ ২০ হাজার টন, ভারতে সেখানে উৎপাদিত হয়েছে ১৮ লাখ ৫৮ হাজার টন, যা পৃথিবীর মোট পাট উৎপাদনের প্রায় ৫৮ শতাংশ।
১৯৯৭ সালের ৭ এপ্রিল, ঢাকায় অবয়ব নাট্যোদল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৭ সালের ১৩ এপ্রিল, আইসিসি ক্রিকেটে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়।
১৯৯৭ সালের ১৯ মে, বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকায় ভয়ানক ঘুর্ণিঝড়ে সাড়ে ৩ শতাধিক প্রাণহানি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
১৯৯৭ সালের ২৮ মে, ‘সাপ্তাহিক-২০০০’-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
১৯৯৭ সালের ১৪ জুন, সিলেটের মাগুরছড়া গ্যাসকূপে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বিস্ফোরণ ঘটে।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুলাই, এটিএন বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের জন্ম।
১৯৯৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বরের হিসেব-সরকারি গাড়ির জন্য জনপ্রতি মাসিক খরচ-২৭,০০০ (সাতাশ হাজার) টাকা।
১৯৯৭ সনের ১২ সেপ্টেম্বর, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক ড. ইউনুস বলেন-সরকারই সবচাইতে বড়  মাস্তান।
১৯৯৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, সশস্ত্র বাহিনীর উদ্যোগে ঢাকা সেনানিবাসে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর স্থাপিত হয়।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে দেউলিয়া আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৯৮ সালের ৬ জানুয়ারির তথ্যানুযায়ী ঃ ব্যবসায়ীদের তিন লক্ষ ডলার পুঁজি নিয়ে অষ্টেলিয়ায় স্থায়ী অবিভাসনের সুযোগ।
১৯৯৮ সালের ৩১ জানুয়ারি, বাংলাদেশ লোকসঙ্গীত পরিষদের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৯৮ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি, বিজ্ঞাপনী সংস্থা প্রচিত এটভার্টাইজিংয়ের জন্ম।
১৯৯৮ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, ব্র্যাক ডেনরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্ট (বিডিএফপি) স¤প্রতি তার প্রতিষ্ঠার ‘‘আড়ং দুধের দশম বর্ষপূর্তি’’ উদযাপন করে ১৭-০২-২০০৮ তারিখ।
১৯৯৮ সালের ১৯ মার্চের তথ্যমতে ঃ বাংলাদেশে শ্রমশক্তির মাত্র ৪% সংগঠিত।
১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিল, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ২৫-বছর পূর্তি।
১৯৯৮ সালের ২১ মে, সাপ্তাহিক ২০০০-এর প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৯৮ সালের ২৩ মে’র তথ্য-বাংলাদেশে প্রতিঘন্টায় ৩ জন প্রসুতি মারা যায়।
১৯৯৮ সালে ২৬ মে’র তথ্য ঃ ওয়াসার পানি ঘাটতি দৈনিক-৪৫(পয়তালি­শ) কোটি লিটার।
১৯৯৮ সালের ৫ জুলাই-বাংলাদেশে ২৫০টি চামড়া কারখানার মধ্যে চালু আছে মাত্র ৪০টি।
১৯৯৮ সালের ১৪ জুলাই, সাভারে গণবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৮ সালের ২৫ জুলাইয়ের তথ্য-সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ ঃ বাংলাদেশে মোট শ্রমশক্তি ৬(ছয়) কোটি।
১৯৯৮ সালের ২৭ জুলাই-শ্রমশক্তির ৮৮ ভাগই নিয়ন্ত্রীত মজুরী ব্যবস্থা বহির্ভূত। ১২-ভাগ নিয়ন্ত্রীত মজুরী ব্যবস্থার আওতাধীন। শ্রমিক-কর্মচারি হরতাল, ধর্মঘট ও অবরোধের মাধ্যমে তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ দাবী-দাওয়া আদায় করে নিতে সক্ষম হলেও ৮৮-ভাগ শ্রমজীবী মানুষ তা পারে না। তারা অসঙ্গগঠিত শ্রমবাজারের নিরব শ্রমিক। কেউ দিনমজুর, কেউ কৃষিখাতে নিয়োজিত শ্রমিক। তাদের শ্রমের প্রকৃত মজুরী প্রাপ্তিতে সরব কোন সংগঠন নেই।
১৯৯৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরের তথ্যানুযায়ী-বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেছেন-কেবল প্রশিক্ষণ ও দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়ে দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা যাবে না।
১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের তথ্যানুযায়ী ঃ সংসদে সকল সংশোধনী আলোচনা করলে সময় লাগবে ৩(তিন) বছর ৮(আট) মাস।
১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর, সংবাদপত্র ‘‘প্রথম আলো’’ প্রথম বাহির হয়।
১৯৯৮ সালের ১৩ নভেম্বরের তথ্য-সময় বয়ে যাচ্ছে সরকারী কার্যক্রম এখনও জরীপ পর্যায়ে দেশের ৫২টি জেলায় আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় ৫(পাঁচ) কোটি লোক হুমকির সম্মুখীন।
১৯৯৮ সালের ২৫ নভেম্বরের তথ্য-বাংলাদেশের ডগস্কোয়াডের কাজ শুরু করতে ব্যয় হ’বে ১.৩৬(এক কোটি ছত্রিশ লক্ষ) টাকা।
১৯৯৮ সালের ১ ডিসেম্বরের তথ্য-বাংলাদেশে পিয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ ও হলুদের ঘাটতি ৪(চার) লক্ষ টন।
১৯৯৮ সালের ১০ ডিসেঃ বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে মাত্র এক লক্ষ বিদেশী পর্যটক আসে।
১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল (বিডিপি) প্রতিষ্ঠা লাভ।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি, কুষ্টিয়ায় জনসভার মঞ্চে প্রকাশ্য ব্রাশফায়ারে জাসদ নেতা কাজী আরেফসহ ৫ জন নিহত।
১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণে দুই শতাধিক ব্যক্তি হতাহত হন।
১৯৯৯ সালের ১৮ এপ্রিলের হিসেব-বাংলাদেশে এক কোটি লোক উচ্চ রক্তচাপের শিকার।
১৯৯৯ সালের ১৭ মে, বাংলাদেশের প্রথম অভিষেক বিশ্ব কাপ ক্রিকেটে।
১৯৯৯ সালের ২ জুন, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড যাত্রা শুরু হয়।
১৯৯৯ সালের ৩ জুন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠা।
১৯৯৯ সালের ৩ আগস্ট, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড।
১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর, চ্যানেল আই’র প্রতিষ্ঠা দিবস।
১৯৯৯ সালের ২৮ অক্টোবর, বিশ্ববাণিজ্য ও অর্থনীতি ঃ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমাণ খাদ্য চাহিদা পূরণে জিন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিশ্বব্যাংকের আহবান।
১৯৯৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর, জাতিসংঘ  রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে বউ পেটানোর হার ৪৭%।
১৯৯৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ঃ বাংলাদেশের ৯৫% হোটেল-রেস্তোরাঁর পানি পানের অযোগ্য।
১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠা লাভ।
২০০০ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি-বাংলাদেশে ধুমপান ও চর্বিযুক্ত খাদ্য বিরোধী প্রচারে হৃদরোগ হ্রাস পাচ্ছে।
২০০০ সালের ২০ মার্চ, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন একদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন।
২০০০ সালের ২ এপ্রিল-জাতীয় আয় পরিমাপের নতুন পদ্ধতি ঃ জিডিপি’র পরিমাণ-২,৪২,৩০০ কোটি টাকা; প্রবৃদ্ধির হার-৫.৫ ভাগ; বিনিয়োগ-২২.৪ ভাগ; সঞ্চয়-২২.৬ ভাগ।
২০০০ সালের ২৮ এপ্রিল, বাংলাদেশ স¤পর্কে এশিয়ান ডেভেলোপমেন্ট আউটলোক-২০০০ ঃ প্রবৃদ্ধি  হ্রাসের কারণ দুর্নীতি, রাজনৈতিক সংঘাত ও হরতাল।
২০০০ সালের ২৪ এপ্রিল-জনৈক ব্যক্তি ১৮১ বার ব্যর্থ হয়ে ১৮২তম ইন্টারভিউ দিয়ে কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে “বেয়ারার পদে’’ একটি চাকুরি পেয়েছেন। এ তথ্যটা সঠিক নয়।
২০০০ সালের ৮ মে-শত শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি। বাংলাদেশে বছরে ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) হাজার কোটি টাকা চোরাচালান হচ্ছে।
২০০০ সালের ২৬ মে’র তথ্যানুযায়ী-বাংলাদেশে উচ্চতর আদালতে প্রথম মহিলা বিচারক নাজমুন আরাকে হাইকোর্ট ডিভিশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
২০০০ সালের ২৯ মে, ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০০ সালের ২৭ জুন-বছরে ৫০(পঞ্চাশ) হাজার বাংলাদেশী চিকিৎসার জন্য ও ৫৩(তিপান্ন হাজার) ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষার উদ্দেশ্যে ভারত যায়। হুন্ডির মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ টাকা ব্যয় করা হয়।
২০০০ সালের ২৭ জুন ঃ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০টি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে বর্তমানে ১৬২টি দলের অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। ১১৯টি দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক।
২০০০ সালের ৯ জুলাই, সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লি. প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০০ সালের ১২ জুলাইঃ বঙ্গপোসাগরের জল যদি কোন কারণে আরও ১২ মিটার উঁচু হয়ে উঠে তা’হলে হিমালয়ের পাদদেশ পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশ জলের তলায় ডুবে যাবে।
২০০০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ঃ বাংলাদেশে ৩০(ত্রিশ) হাজার এ্যাডভোকেট সদস্যভুক্ত এবং প্রাকটিস করে।
২০১২ সালের ১৮ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১৮ জুলাই, বার কাউন্সিল নির্বাচন, ভোটার ৩৯ হাজার আইনজীবী।
২০০০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রধান বিচারপতি ঃ রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, সংসদ ও বিচার বিভাগ স্ব স্ব  দায়িত্ব পালন করলে পর¯পর বিবাদের কোন সুযোগ নেই।
২০০০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, সংলাপে ইউরোপীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দল ঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ইস্যুর কথা বলেন না; পর¯পরকে দোষারোপ করেন মাত্র। আমাদের দেশ সম্পর্কে বিদেশীদের মন্তব্য-তা‘হলে আমাদের অবস্থান কোন স্থানে বিশ্বে।
২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, পপুলার লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড-এর জন্ম।
২০০০ সালের ১৬ অক্টোবর, বাংলাদেশ সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট ঃ সরকারি চাকুরিতে মহিলাদের সংখ্যা শতকরা ১২ ভাগ।
২০০০ সালের ১৯ অক্টেবর-বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বর্ণ রিজার্ভের পরিমাণ-১,৬৭৬ কেজি।  মূল্য প্রায় ৩(তিন) কোটি ডলার।
২০০০ সালের ২৬ অক্টোবর-মাত্র ৩,৫০০(তিন হাজার পাঁচশত) কোঠার আওতায় ডি.ভি.-২০০০ লটারীর মাধ্যমে আমেরিকায় ভিসা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ২৩(তেইশ) লক্ষ বাংলাদেশী আবেদন করেছিলেন।
২০০০ সালের ৩০ নভেম্বর, এ্যামনেষ্টি বলেছেন ভয়াবহ নির্যাতন ঃ বাংলাদেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো উপেক্ষা করছে।
২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর-বাংলাদেশে ভোটার আইডি কার্ড অচল; ১৯০(একশত নব্বই কোটি) টাকা গচ্ছা।
২০০০ সালের ১৭ ডিসেম্বর, টাঙ্গাইল সংবাদদাতা ঃ কাদের সিদ্দিকী বলেন-“১৯৭১ সালে যাহারা ভারতে পালাইয়া গিয়াছিল তাঁহারাই এখন ক্ষমতায়। আগে জানিলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতাম না।’’
২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড গঠিত হয়।
২০০০ সালের হিসেবমতে ঃ বাংলাদেশে ১৪ কোটি লোকের মধ্যে ৪ কোটি লোক কাজ করে বাকি ১০ কোটি লোক বসে খায়।
২০০০ সালে বাংলাদেশে জননিরাপত্তা আইন পাশ হয়।
২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন পাশ হয়।
২০০১ সালের ১ জানুয়ারি, হাইকোর্ট ফতোয়া নিষিদ্ধ করে রায় দেন।
২০০১ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি-বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সংখ্যা-২(দুই) লক্ষ।
২০০১ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি-বিশেষজ্ঞদের অভিমত ঃ কোবে অথবা গুজরাটের মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৮০ ভাগ ভবন ধসিয়া পড়বে।
২০০১ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, গত তিরিশ বছরে ১.৮(এক লক্ষ আশি হাজার) কোটি টাকা সাহায্যের ৭৫% গিয়াছে দেশী-বিদেশী সুবিধা-ভোগীদের পকেটে। ঈর্ষান্বিত বিশ্বব্যাংক কঠিন শর্ত আরোপ করিতেছে ঃ অর্থমন্ত্রী (এস. এম. এ. কিবরিয়া)।
২০০১ সালের হিসেব-বাংলাদেশে শতকরা ৭৬ জন লোক গ্রামে বাস করে এবং ১৯৯৭ সালের ২৫ জানুযায়ির তথ্যমতে এ সংখ্যা শতকরা ৮০ ভাগ ছিল। ২০০০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে শ্রমশক্তির সংখ্যা দাঁড়াবে ১০(দশ) কোটি।
২০০১ সালের হিসেবমতেঃ বাংলাদেশে ১,৩০০(এক হাজার তিনশত) সিনেমা হল আছে।
২০০১ সালের হিসেবমতে ঃ বাংলাদেশে মসজিদের সংখ্যা ২.২০(দুই লক্ষ বিশ হাজার)।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শ্রেণী বিন্যাস-কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের শ্রেণী বিন্যাস
সেনাবাহিনী বিমানবাহিনী নৌ-বাহিনী
সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পাইলট অফিসার এ্যাকটিং সাব-লেফটেন্যান্ট
লেফটেন্যান্ট ফ্লাইং অফিসার সাব-লেফটেন্যান্ট
ক্যাপ্টেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট লেফটেন্যান্ট
মেজর স্কোয়াড্রন লিডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল উইং কমান্ডার কমান্ডার
কর্ণেল গ্রুপ ক্যাপ্টেন ক্যাপ্টেন
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এয়ার কমান্ডার কমোডর
মেজর জেনারেল এয়ার ভাইস কমোডর রিয়াল এডমিরাল
লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়ার ভাই মার্শাল ভাইস এডমিরাল
জেনারেল এয়ার মার্শাল এডমিরাল
ফিল্ড মার্শাল মার্শাল অব দি এয়ার ফোর্স এডমিরাল অব দি ফ্লিট
২০০১ সালের ৪ মে ঃ আগামী দুই দশকে বিশ্বে জ্বালানীর ব্যবহার ৫৯-শতাংশ বাড়বে। তবে বাংলাদেশে জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিবে বিরাট আকারে। তার কারণ বাংলাদেশের জনগণের অঙ্গতা ও দারিদ্রতা।
২০০১ সালের ১২ মে, ২০০০-২০০১ অর্থ-বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত¡ প্রতিষ্ঠানে লোকসানের পরিমাণ ১০,৫০০(দশ হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা। ৯০-এর দশকে লোকসানের পরিমাণ ছিল ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা। ৩৩০টি শিল্পের মধ্যে ২২৩টি বন্ধঃ  রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে ঋণের পরিমাণ ১০,৫০০(দশ হাজার পাঁচশত কোটি) টাকা। ২০০২-২০০৩ অর্থবছরেও একই পরিস্থিতি দেখানো হয়েছে। যাতে রাষ্ট্রায়ত্ত খাত যেন না থাকে তার কারণ সোজা ব্যক্তিগত মালিকানায় সমস্ত দেশের শিল্প কারখানা চলে যায়। ব্যক্তিগত মালিকানার শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের চেয়ে কিছু বেশী সুযোগ-সুবিধা দিতে হয় রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের শ্রমিকদেরকে। ব্যক্তিগত শিল্প-কারখানার মালিকদের স্বার্থে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানাগুলো লুটপাট করে লোকসানের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে।
২০০১ সালের ২৩ মে, ৩১৮-বিঘা জমির উপর ৫১ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয়ে সাভার করিমপুরে এফডিসি’র “চলচ্চিত্র নগর’’ প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যোগ।
২০০১ সালের ২৭ মে-অর্থনীতিবিদগণের মূল্যায়ন ঃ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় টাকার অবমূল্যায়নে সতর্ক না হ’লে সঙ্কট আরও বাড়বে।
২০০১ সালের ৩ জুনের ইত্তেফাক রিপোর্ট ঃ ১৯৭২-২০০০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছরে দেশের মোট রাজস্ব ব্যয়-১,৫৭,০৯৩(এক লক্ষ সাতান্ন হাজার তিরানব্বই) কোটি টাকা। এরমধ্যে ১৯.৯০ শতাংশ সাধারণ প্রশাসন; ১৭.৬৪ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাত ও ১৭.৪৮ শতাংশ শিক্ষা ও ক্রীড়া খাতে ব্যয় করা হয়েছে। হিসেবমতে রাজস্ব ব্যয়ের ৩০% প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হয় বলে মনে করা যায়।
২০০১ সালের  ৮ জুন-আসন্ন জাতীয় সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের বাজেট ১৯০ কোটি টা.।
২০০১ সালের ১১ জুন ঃ সাইফুর রহমান বলেন-নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে মন্ত্রী ও এম. পিদের জন্য বাজেটে ১২(বারশত) কোটি টাকা বরাদ্দ।
২০০১ সালে মধুবন, সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০১ সালের ৮ জুলাই, ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের পার্শ্বে ৬৬-একর এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
২০০১ সালের ১২ জুলাই, টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে ‘মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০১ সালের ১২ জুলাই, পটুয়াখালী ৩৮নং আইন দ্বারা ৭২-একর জমির ওপর ‘পটুয়াখালী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০১ সালের ১৩ জুলাই, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেন।
ক্রমিক রাষ্ট্রপতি-২০০১ প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ
১. প্রধান উপদেষ্টা-২০০১ বিচারপতি লতিফুর রহমান
২. উপদেষ্টামন্ডলী-২০০১ ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ
৩. -ঐ- বিচারপতি বি. বি. ওয়াই চৌধুরী
৪. -ঐ- মেজর জেনারেল মইনুল হোসেইন চৌধুরী
৫. -ঐ- এম. হাফিজ উদ্দিন খান
৬. -ঐ- সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী
৭. -ঐ- অধ্যাপক আবদুল মালেক
৮. -ঐ- এ. এস. এম. শাহজাহান
৯. -ঐ- আবদুল মূয়ীদ চৌধুরী
১০. -ঐ- বেগম রোকেয়া আফজাল রহমান
১১. -ঐ- এ. কে. এম. আমানুল ইসলাম চৌধুরী।
২০০১ সালের ৪ আগষ্ট-১৯০(একশত নব্বই) বছরে বৃটিশদের লুটকৃত স¤পদ দিয়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হত ১৫(পনের) হাজার ডলার এবং ১৯৪৭ সাল হতে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান দ্বারা লুটকৃত স¤পদ দিয়ে মাথাপিছু আয় হত ৪০০(চারিশত) ডলারের সমান।
২০০১ সালের ১২ আগষ্ট-জোট নিরপেক্ষ সম্মেলণ কেন্দ্রের নির্মাণ ব্যয় ১৯৮.৯৪(একশত আটানব্বই কোটি চুরানব্বই লক্ষ) টাকা।
২০০১ সালের ১৩ আগষ্ট-একটি সার্ক বা হাঙ্গরের ওজন ৭ টন বা সাত হাজার কেজি। এ প্রাণীর জীবন প্রায় ৫০ বছর।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে মেডিক্যাল কলেজে  যা পড়ানো হয় তার সংখ্যা বাংলাদেশের রোগের শতকরা ২২-ভাগ এবং বাকি ৭৮-ভাগ বিদেশী রোগের পড়া। ২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বিশ্বে সামরিক বাহিনীতে ১৫-বছরের কম বয়স্ক সৈনিক সংখ্যা ২০(বিশ) লক্ষ।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বিশ্বের ৬১৪ কোটি মানুষের গড় বয়স ৩০-বছর এবং বিশ্বে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধের সংখ্যা বাড়ছে।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে খাদ্য, আশ্রয় ও কাজের সন্ধানে বহু মানুষ এখন শহরমুখী।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ৩০(ত্রিশ) লক্ষ  টেলিভিশন সেট আছে এবং রেডিও সেট আছে ৯০(নব্বই) লক্ষ।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই রয়েছে-ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ।
২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাকের রিপোর্ট ঃ ৯৫টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ। স্বতন্ত্রদের জন্য ৫৫টি সংরক্ষণ।
২০০১ সালের ১ অক্টোবর, ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২০০১ সালের ৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত ১১-১০ মিনিটে আলেমা ভাসানীর  ইন্তেকাল ঃ মজলুম জননেতা মরহুম মওলানা ভাসানীর স্ত্রী বেগম আলেমা ভাসানী ৯৬-বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্না…….রাজেউন)।
২০০১ সালে দেশে মানি লন্ডারিং আইন পাশ হয়।
২০০২ সালের ২৭ মার্চ, একুশে টেলিভিশন (ইটিবি)-এর লাইসেন্স বাতিল করে আদালতের রায় ঘোষণা।
২০০২ সালের ২৭ মার্চ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক ৬ মন্ত্রীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ৪২ কোটি টাকার দুনীর্তি মামলা দায়ের।
২০০২ সালের ২৯ জুন, জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন ঃ বাংলাদেশে প্রায় ৬০(ষাট) ধরণের বিভিন্ন জাতের ফল জন্মায়। ২০১১ সালের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশে জাতীয় ফল ৬৪ ধরণের জন্মায়।
২০০২ সালের ৪ জুলাই, বাংলাদেশ মহিলা যুব লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০২ সালের ২৭ জুলাই-ওয়াসার গ্রাহক সংখ্যা ১.৮৫(এক লক্ষ পঁচাশি হাজার)। ঢাকা শহরে দৈনিক পানির চাহিদা ১৩০(একশত ত্রিশ কোটি) লিটার থাকা সত্তে¡ও সাপ্লাই হচ্ছে মাত্র ১০৭(একশত সাত কোটি) লিটার। ঘাটতির পরিমাণ ২৩(তেইশ) কোটি লিটার।
২০০২ সালের ২৭ জুলাইর, ইত্তেফাক পত্রিকার হিসেবমতে-রাজধানীর ফুটপাত থেকে দৈনিক এক কোটি টাকা চাঁদা আদায়। রাজপথ এখন উন্মূক্ত বাজার। ভয়াবহ যানজট।
২০০২ সালের ২৭ জুলাই, আমার তথ্যানুযায়ী-ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ন্যায় ঢাকা শহরে ২৫০টি হাসপাতাল ও সমগ্র বাংলাদেশে ৩,৬৫০টি হাসপাতাল প্রয়োজন।
২০০২ সালের ১ সেপ্টেম্বর, সার্ফিং বাংলাদেশ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক জাফর আলম। সার্ফিং বাংলাদেশ ক্লাবের সদস্যসংখ্যা ৪০ জন এরমধ্যে ১৫ জন  নারী সদস্য। এখন সমুদসৈকতে অনেক পর্যটকের জীবন বাঁচান সার্ফিং ক্লাবের মেয়েরা।
০১-১০-২০০২ তারিখের জনকন্ঠ  প্রত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ
৪(চার) সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের আয় যদি বছরে  ১৮,১০৪ ডলারের(১০,৮৬,২৪০/- টাকার) নীচে হয় তা’হলে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য অনুসারে দারিদ্র সীমার নীচে।
৩(তিন) সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের আয় যদি বছরে  ১৪,১২৮ ডলারের(৮,৪৭,৬৮০/-টাকার) নীচে হয় তা’হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য অনুসারে দারিদ্রসীমার নীচে।
২(দুই) সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের আয় যদি বছরে  ১১,৫৬৯ ডলারের(৬,৯৪,১৪০/-টাকার) নিচে তা’হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য অনুসারে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে।
১(এক) ব্যক্তির ক্ষেত্রে আয় যদি বছরে ৯,০৩৯ ডলারের (৫,৪২,৩৪০/-টাকার) নিচে তা’হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য অনুসারে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে।
২০০২ সালের ১০ অক্টোবর ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট-স্কুল শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলে বেতন না দিলে প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করা যাবে না ঃ বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন।
২০-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক রিপোর্ট অনুসারে ঃ দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ সালেহউদ্দিন।
২১-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ মুম্বাই-কলকাতার যৌন কর্মীদের বিরাট অংশ বাংলাদেশী-টৈরেস বঁ­শে।
২১-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা দীর্ঘকায় ব্যক্তি-আলজেরিয়ার ২.৪৪ মিটার অর্থাৎ ৮-ফুট লম্বা ফুরার নামের লোকটি।
২৭-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ আগামীতে কোন সন্ত্রাসীকে মাথা তুলতে দেয়া হবে না-সেনা প্রধান, নাটোর সংবাদদাতা।
২৮-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ মহিলা আইনজীবী সমিতির রিপোর্ট-২০০১ সালে ২,৭৮৩-জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
২৯-১০-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ কিছু না লিখেই ৯৮(আটানব্বই) জনের ডিগ্রী  লাভ। রেজানুর রহমান-পরীক্ষায় খাতা বদলের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস এ চিত্রটি রাজশাহী কলেজের। ১০০(একশত) জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৮-জনই পরীক্ষার হলে খাতায় তেমন কিছু লেখেননি। কিন্তু তারা পাশ করেছেন। অকৃতকার্য দু’জনই কাল।
২০০২ সালের ২৯ অক্টোবর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ জমির মালিকানা নির্ধারণে চারটি ব্যবস্থা-দলিলে মালিকদের ছবি, স্কেচম্যাপ, জমি হস্তান্তরের ২০-বছরের তথ্য ও মালিকানার পারিবারিক বর্ণনা অন্তর্ভুক্তের বিধান চালু করা হবে। এতে ব্যয় হবে ঃ ৫.৫৯(পাঁচ কোটি উনষাট লক্ষ) ডলার এবং বংলাদেশী টাকায়=৩৩৫.৪(তিনশত পঁয়ত্রিশ কোটি চল্লিশ লক্ষ) টাকা স্বত্ব সম্বলিত “পত্যায়নপত্র” বাবদ খরচ।
৩০-১০-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ প্রতিযোগিতার ক্ষমতা না থাকলে বাজার ধরে রাখা অসম্ভব-অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান।
৩১-১০-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ সেনা অভিযানে যেন নিরীহ মানুষ হয়রাণির শিকার না হয় ঃ সেনা প্রধান, রাজশাহী অফিস। এশীয় ফোরাম গঠনে অর্থমন্ত্রীর   প্রস্তাবের ইতিবাচক সাড়া, শাসন-ব্যবস্থার উন্নতি ও সংস্কার ত্বরান্বিত করতে এডিবি প্রেসিডেন্টের তাগিদ। সেনাবাহিনীকে আইনের সীমারেখার মধ্যে কাজ করতে হবে-ড. কামাল হোসেন।
২০০২ সালের ১১ নভেম্বর, হাজার কোটি টাকা খরচ করেও রাস্তাঘাটের দৈন্যদশা ঘুছেনি-নাজমুল হাসান-গত ১০(দশ) বছরে ঢাকা সিটি করপোরেশন নগরীর রাস্তা-ঘাটের নর্দমা ও ফুটপাথ উন্নয়ন এবং সংস্কার বাবদ ১ হাজার ৮৮ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে।
২০০২ সালের ৩১ ডিসেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বেশীর ভাগ জজ নৈতিকতা ও মানবাধিকার বিষয়ে দায়িত্ব পালন করেন না-আইনমন্ত্রী-বাসস।
২৬-১২-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, ঢাকায় “রোজ গার্ডেনে” আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা হয়। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী-সভাপতি; শামসূল হক (টাংগাইল)-সাধারণ স¤পাদক, শেখ মুজিবুর রহমান-যুগ্ম-স¤পাদক ও ইয়ার মোহাম্মদ খান-কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। আর সমগ্র পাকিস্তানে দলের নেতৃত্ব দেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। দলের দ্বিতীয় কাউন্সিল  অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। এতে মওলানা আবদুল হামিদ খান(ভাসানী)-সভাপতি হিসেবে বহাল থাকলেও সাধারণ স¤পদক পদে নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। এ নেতৃত্ব ১৯৫৫ সালেও বহাল থাকে।
১৯৫৫ সালের ২১ অক্টোবর, কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের নাম থেকে “মুসলিম” শব্দটি বাদ দেয়া হয়। এরপর নতুন নামকরণ করা হয় “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ”। ১৯৫৭ সালে অনুষ্ঠিত কাগমারী সম্মেলণে বৈদেশিক নীতি নিয়ে দলে দ্বিধা বিভক্তি দেখা দেয়। ফলে মওলানা ভাসানী দল ত্যাগ করে এবং এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব বর্তায় মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগিশের ওপর।
১৯৬৫ সাল পর্যন্ত মওলানা তর্কবাগিশ ও শেখ মুজিবুর রহমান দলের সভাপতি ও সাধারণ স¤পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৬৬ সালে কারাগারে আটক অবস্থায় শেখ মুজিবুর রহমান পুনরুজ্জীত আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তাঁজউদ্দিন আহমদ-সাধারণ স¤পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৬৯ সালের কাউন্সিলেও এ নেতৃত্ব বহাল থাকে।
১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান-সভাপতি ও জিল্লুর রহমান-সাধারণ স¤পাদক।
১৯৭৫ সালে (বাকশাল) কাউন্সিলে শেখ মুজিব-চেয়ারম্যান ও এম. মনসুর আলী-সেক্রেটারী।
১৯৭৮ সালে আবদুল মালেক উকিল-সভাপতি ও আবদুর রাজ্জাক-সাধারণ স¤পাদক।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা-সভানেত্রী ও আবদুর রাজ্জাক-সাধারণ স¤পাদক।
১৯৮৭ সালে শেখ হাসিনা-সভানেত্রী ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী-সাধারণ স¤পাদিকা।
১৯৯২ সালে শেখ হাসিনা-সভানেত্রী ও জিল্লুর রহমান-সাধারণ স¤পাদক।
২০০০ সালে শেখা হাসিনা-সভানেত্রী ও জিল্লুর রহমান-সাধারণ স¤পাদক।
২০০২ সালে শেখা হাসিনা-সভানেত্রী ও ১৭তম-সাধারণ স¤পাদক-আবদুল জলিল।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা-সভানেত্রী ও ১৮তম-সাধারণ সম্পাদক-সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
১৯৫২ সালে ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৬ এর ৬-দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থান এবং স্বাধীনতা আন্দোলন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিল।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৪-০৮-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগের আমল ছিল।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি, পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বরের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে যেখানে কোটিপতির সংখ্যা ছিল মাত্র ৩(তিন) জন, অল্প সময়ের মধ্যে সেই সংখ্যা হাজারের ঘর ছাড়িয়ে গেল। সমাজে সৃষ্টি হলো নতুন দানব, যাদের সম্পদ অর্জিত নয়, লুন্ঠনের। এ অর্থনৈতিক ও অপরাধকর্মের মধ্য দিয়ে যাত্রা করল বাংলাদেশের অর্থনীতি। অর্থনীতিতে উৎপাদন নয়, লুটপাট, ফড়িয়াগিরি, কমিশনভোগ, চোরাচালান প্রভৃতি হয়ে উঠল আওয়ামীলীগের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি।
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ ছিল আওয়ামীলীগের সৃষ্ট কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ গেল সেই দুর্ভিক্ষে। তখনকার নেতাদের অবস্থা দেখলে মনে হতো অন্যরকম বাংলাদেশ। আজও সে ধারা বলবৎ আছে বাংলাদেশে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগেরই আরেক প্রভাবশালী নেতা খন্দকার মোস্তাক আহমেদ-এর রাজনৈতিক নেতেৃত্বে ঘটে সামরিক অভ্যূত্থান এবং ২০ আগষ্ট তিনি জারি করেন সামরিক শাসন এবং তার কার্যকাল ছিল ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, খালেদ মোশাররফ পাল্টা অভ্যূত্থান করে খন্দকার মোস্তাক আহমেদকে অপসারণ করেন। কিন্তু অভ্যূত্থানের পরপর খালেদ মোশাররফের আচরণ এবং আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের তৎপরতায় দেশের জনগণ ও সেনাবাহিনীর কাছে তিনি ভারতপন্থী আওয়ামী লীগের শাসন পুনঃপ্রবর্তনের প্রচেষ্টাকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়। গোলযোগ শুরু হয় সেনাবাহিনীতে, ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কোন সরকারই ছিল না।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা এবং সামরিক বাহিনীর পাল্টা কু‘-এর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্দা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে।
১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল, বিকেল ৫টা ৩৫মিনিটে মুক্তিযোদ্দা জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হয়। ১৯৮১ সালের ৩০ মে, পর্যন্ত ছিল তার কার্যকাল এবং বিএনপি‘র কার্যকাল ১ম বার ছিল ২৩-০৩-১৯৮২ সাল পর্যন্ত।
১৯৭৭ সালের মে মাসে হ্যাঁ-না ভোট বা রেফারেন্ডোম দেন, ১৯৭৮ সালের জুন মাসে উপহার দেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি‘র জন্ম।
১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি, ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জন্ম হয় (ছাত্রদল)।
বিএনপি ঃ আধুনিক বাংলাদেশের সূচনাপর্ব বলে-আসলে কি তাই? আমি বলবো না।
২০০৫ সালের ২১ অক্টোবর, ইনকিলাব-শাহীন রাজা ঃ ১৯৯২ সালের ১-২ সেপ্টেম্বর, বিএনপির শেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৩-বছরেও কাউন্সিল করতে পারেনি বিএনপি।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ, বিএনপি‘র নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুছ ছাত্তারকে বন্দুকের নলের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করে ক্ষমতা দখল করে তৎকালীন সেনা প্রধান লে. জে. হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ, থেকে প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কার্যকাল ছিল  ০৫-১২-১৯৯০ তারিখ পর্যন্ত।
১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রতিষ্ঠা লাভ।
এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন ১৯৯০ সালের ৫ ডিসেম্বর।
১৯৯১ সালের ৮ মার্চ, আবার দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করে বিএনপি‘র নেতৃত্বে এবং সরকারের কার্যকাল ছিল ৩১ মার্চ, ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন, ক্ষমতায় আসেন দ্বিতীয়বার আওয়ামীলীগ, তাদের কার্যকাল ছিল ২০০১ সালের ১৩ জুলাই পর্যন্ত। ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে চার দলীয় ঐক্যজোট(বিএনপি) এবং তাঁদের কার্যকাল ছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। তাদের কাছ থেকে ১১ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে জরুরী ক্ষমতা জারির মাধ্যমে সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে ১০ সদ্যেসের তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠণ করা হয়। এ সরকারই ২০০৮ সালের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে চলে যাবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, তত্ত¡াবধায়ক সরকার নির্বাচন দিয়ে চলে গেছেন ০৬-০১-২০০৯ তারিখ। ০৬-০১-২০০৯ তারিখ থেকে আওয়ামী লীগ তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে।
০২-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ দেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রযুক্তি নেই ঃ কৃষি প্রতিমন্ত্রী। ১০০(একশ) সাগর কলা ১০(দশ) টাকায়, মুলা-৫০(পয়সা) কেজি ও ৩ কেজি ওজনের ফুলকপি ৩/-টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
০৫-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ ব্যক্তি ও সংস্থার নামে বুড়িগঙ্গার সকল ভুমি রেকর্ড বাতিলের সুপারিশ।
০৫-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ আদমজী জুট মিলের স¤পদের বাজার মূল্য-৬৭৬ কোটি টাকা।
০৮-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ পরিসংখ্যান সঠিক নয়, নইলে আমদানীকৃত চাল ও চিনি কি ভুত, না ইদুরে খাচ্ছে? অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান বলেন।
০৮-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ বিদেশে যাওয়া-আসার সময় ঘোষণা ছাড়া ৩-হাজার ডলার রাখা যাবে।
০৮-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য দৈনন্দিন হাটার অভ্যাসই বেশি কার্যকর-সি.এন.এন.।
০৯-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট- বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রেই ঘুষ দিতে হয়।
০৯-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ মেম্বার পদপ্রার্থী সবচেয়ে বেঁটে প্রার্থী রহিম আলী-মোহাম্মদ আরজু, ব্রাম্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা, তার উচ্চতা-৩ ফুট ৬ ইঞ্চি।  তার নাম মোঃ  আবদুর রহমান (রহিম আলী)।
১২-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ সেনাবাহিনী ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য হবে না ঃ সিইসি।
১৩-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ “আপারেশন ক্লিনহার্ট” মানবাধিকার লংঘণ ও রাজনৈতিক নিপীড়ণের কলংকজনক অধ্যায় ঃ আওয়ামী লীগ। ভোজ্য তেলের দাম ও মাণের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই।
১৩-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ দু’ঘন্টায় একশ’ ডুব দিয়ে বাজি জিতে নিল রিনা-কেন্দুয়া, নেত্রকোনা থেকে সংবাদদাতা।
১৩-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ শত শত বাংলাদেশী নারী পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে ঃ ফরিদা ইয়াছমিন কলকাতা থেকে ফিরে।
১৩-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ মার্কিন সমরসজ্জা অব্যাহত, যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে একা হামলা করলে বৃটেন যোগ দেবে না ঃ রয়টার্স ও বিবিসি।।
২০০৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, সংসদে গ্রাম সরকার বিল পাশ হওয়ার সময় বিরোধী আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্যরা “ওয়াক আউট” করেন। তবুও সংসদে “গ্রাম সরকার বিল”, ২৬-০২-২০০৩ তারিখ পাশ হয়।
২০০৩ সালের ৭ এপ্রিলের ইত্তেফাক পত্রিকার খবর ঃ বরিশালের “অর্চনার” অভিজ্ঞতা ঃ কলকাতায় রয়েছে ১৪(চৌদ্ধ) হাজার বাংলাদেশী যৌনকর্মী। ভারতে ৫(পাঁচ) লক্ষ নারী পতিতা বৃত্তিতে নিয়োজিত। তাদের ২.৭ শতাংশ হচ্ছে (বাংলাদেশী)। হিসাবে হয় ১৩,৫০০ (তের হাজার পাঁচশত) বাংলাদেশী। এদের বেশীর ভাগই কলকাতায় অবস্থান করছেন।
২০০৩ সালের ২২ এপ্রিল-এর সংবাদ ঃ বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ঃ-সেমিনার, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ছাড়া পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে তেমন সাফল্য নেই, বলেছেন-মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর)।
২০০৩ সালের ২২ এপ্রিল-এর সংবাদ ঃ বড় পুকুরিয়া কয়লাখনীতে খরচ হবে-১,৪০০ কোটি টাকা। তাতে ১০(দশ) লক্ষ টন কয়লা উৎপাদন হবে বৎসরে। দিনাজপুর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করার জন্য ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সমপন্ন। তাতে খরচ হবে ১,৬৯৪ কোটি টাকা। ১(এক) টন কয়লার মূল্য=৬০(ষাট) ডলার।
২০০৩ সালের ৪ মে, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ অর্থমন্ত্রী এম.সাইফুর রহমান বলেছেন যে, আগে ২২ পরিবার ছিল, এখন ২২শ পরিবার হয়েছে।
২০০৩ সালের ১৯ জুনের ইত্তেফাক রিপোর্ট অনুসারে-বিবিসির জনমত জরিপ-বিশ্বশান্তির জন্য আল-কায়দার চেয়েও বড় হুমকি যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৩ সালের ২৪ জুনের ইত্তেফাক রিপোর্ট ঃ ঢাকা মহানগরীতে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে ঢাকা ওয়াসার সিষ্টেম লস ৪৯ শতাংশ।
২০০৩ সালের ২৬ জুন, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ পাটকল সংস্থার ৬(ছয়) হাজার লোকবল কমানো হচ্ছে। বাংলাদেশ পাটকল সংস্থার (বিজেএমসি) পুঞ্জীভূত লোকসান কমাতে জনবল হ্রাস করা হচ্ছে।
২০০৩ সালের ২৬ জুন, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ১৮৯৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধি আইন ও ১৯০৯ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের পূর্ণ পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০০৩ সালের ২৫ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদঃ অর্থাভাবে ইস্টার্ন বাইপাস প্রকল্প অনিশ্চিত ঃ নাজমূল হাছান ঃ ১৯৮৮ সালের মহাপ্লাবনের পর ঢাকা সমন্বিত বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্পের আওতায় লালবাগ কেল্লার মোড় থেকে টঙ্গি রেলওয়ে ব্রীজ পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণের ফলে রাজধানীর পশ্চিমাংশের ১৩৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে বন্যামুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে। ফলে ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যা সত্তে¡ও নগরীর পশ্চিমাংশ ছিল বন্যামুক্ত। রাজধানীর পূর্বাংশের ১২৪-বর্গকিলোমিটার এলাকা বন্যামুক্ত রাখার লক্ষ্যে গৃহীত ঢাকা সমন্বিত বন্যা প্রতিরোধ-কাম-ইস্টার্ন বাইপাস প্রকল্পের কাজ  অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে। ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর গৃহীত ৫ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ আগামী বছরের জুন মাসে শেষ হয়ে যাবে। বাস্তব অর্থে প্রকল্পে কোন কাজ শুরুই হয়নি। এ প্রকল্পের বাজেট ছিল প্রায় ২,৪৭৩(দুই হাজার চারিশত তিয়াত্তর কোটি) টাকা।
২০০৪ সালের ১৮ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প এবং ঢাকা সমন্বিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ-কাম-ইস্টার্ন বাইপাস জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা উচিত ঃ সাংবাদিক সম্মেলনে পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন-গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ৮,৫০০ কোটি টাকা এবং সমন্বিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ করতে ২,৪৭৫ কোটি টাকা প্রয়োজন।
২০০৪ সালের ২৭ জুলাই, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি সরকার বাস্তবায়ন করবে। চলমান বন্যায় জোট সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।
২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ ইস্টার্ন বাইপাস প্রকল্প যখন শুরু হওয়ার কথা ছিল তখন বাজেট ছিল ২,৪৭৬ কোটি টাকা এবং ২০০৬ সালে টাকা লাগবে প্রায় ৩,৫০০ কোটি টাকা।  ইস্টার্ন বাইপাস প্রকল্প নিয়ে সরকারের ভিতরে দ্ব›দ্ব। বিগত আমলেও দুর্নীতির কারণে স্থগিত হয়। ‘ঢাকা সমন্বিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম ইস্টার্ন বাইপাস সড়ক বহুমুখী প্রকল্প’ নিয়ে জোট সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়েছেন। বাঁধের ভিতরে যাদের নির্বাচনী এলাকা পড়েছে তারা চাচ্ছেন সরকার এ প্রকল্পের কাজ দ্রæতার সাথে শুরু করুক। অন্যদিকে, বাঁধ এলাকার বাইরে যারা অবস্থান করছেন তারা চাচ্ছেন না আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার এ প্রকল্পের কাজে হাত দিক।
২০০৩ সালের ১৮ আগষ্ট, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বড় ভূমিকম্পে ঢাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা। ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ৬০(ষাট) হাজার কোটি টাকার বাড়িঘর আছে এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীর শতকরা ৩০ ভাগ  বাড়ীঘর ধ্বংস্তুপে পরিণত হবে। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৮(আঠার) হাজার কোটি টাকা। আর মানুষ মারা যাবে ১.৬ ভাগ। বিশ্বের ভূমিকম্প দুর্যোগ ইনডেক্স অনুযায়ী সারা বিশ্বে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতিজনিত প্রথম ২০(বিশ)টি ঝুঁকিপূর্ণ শহরের মধ্যে ঢাকা অন্যতম। ঢাকার অধিকাংশ ভবন ভূমিকম্পে টিকে থাকার উপযোগী করে তৈরী না করায় এ শহর ঝুঁকিপূর্ণ প্রথম ২০(বিশ)টি শহরের অন্যতম হিসেবে চিহিৃত হয়েছে। ভূমিকম্প বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঢাকায় ৬ রিখটার স্কেলে এবং তীব্রতায় ভূমিকম্প হলে এ নগরীর ৭(সাত) লক্ষ বাড়িঘরের মধ্যে অন্ততঃ ২৪(চব্বিশ) হাজার পুরোপুরি, ৩৮(আটত্রিশ) হাজার ভবন ব্যাপকভাবে এবং ১৪(চৌদ্দ) হাজার ভবন আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হবে।
২০০৩ সালের ২৫ জুলাই,  ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদঃ স্বাধীনতার পর গত ৩০(ত্রিশ) বছরে ২৮(আটাশ) হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তির মধ্যে মাত্র ৪(চার) হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তির নিষ্পন্ন হয়েছে। আর ২৪ (চব্বিশ) হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তি ৩০(ত্রিশ) বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি। *সরকারী হিসাব কমিটির উদ্বেগ *সচিবরা জবাবদিহি করতে বাধ্য *মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক পর্যালোচনা  *বর্তমান সরকারের আয়-ব্যায়ের হিসাবও নেয়া হবে।
২০০৩ সালের ৩ নভেম্বর, মহাকাল ব্যান্ডের জন্ম হয়।
ইত্তেফাক পত্রিকার কিছু তথ্য ঃ
২০০৩-২০০৪ সালের বাজেটে ৩৩০টি রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২৩টি বন্ধ বা বিরাষ্ট্রীকরণের কথা বলা হয়েছে। অথচ শিল্পায়নের জন্য কোন পদক্ষেপের উল্লেখ নেই। এ বাজেটে  ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব দূর করার কোন ব্যবস্থার কথা নেই। জনগনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য কোন পদক্ষেপ নেই। দেশের ৬০ ভাগ মানুষ মৃত্যুর পূর্বে এম.বি.বি.এস. ডাক্তারের সাক্ষাত পায়না। আমার মনে হয়-দেশের ৮০ ভাগ মানুষ মৃত্যুর আগে এম. বি. বি. এস. ডাক্তারের সাক্ষাত পায়না। প্রতিবছর যে, ৬(ছয়) লক্ষ মানুষ মারা যায় তারমধ্যে প্রায় ৫০ ভাগই ৫(পাঁচ) বছরের কম বয়সের শিশু। এই ভয়াবহ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বাজেটে কিছুই নেই। সীমিত আয়ের মানুষ সকলেই দূর্দশাগ্রস্থ। তাই তারা বাজেটকে ভয় পান কারণ বাজেট এলেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
এ বাজেটও তার ব্যতিক্রম নয়। বাজেটে দাতা তোষণ করা হয়েছে। মূখে দেশজ সম্পদের উপর নির্ভরতার কথা বলা হলেও বাজেট বৈদেশিক ঋণ নির্ভর করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ঋণ-সাহায্যের জন্য জনগণের স্ব^ার্থবিরোধী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সাহায্য প্রাপ্তির জন্য তা অপরিহার্য বলা হয়েছে। অথচ বিশ্বব্যাংক নিজ গরজেই ঋণ দেয়। কারণ ব্যাংকের কাজই অর্থের লেনদেন করা। গত ৩২(বত্রিশ) বছরে প্রাপ্ত বৈদেশিক ঋণ-সাহায্যের শতকরা ৭৫% ভাগ যেভাবে লুটপাট করা হয়েছে-বর্তমানে প্রাপ্ত ঋণ-সাহায্য সেভাবে লুটপাট হবে না এ বাজেটে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই লুটপাটের অর্থনীতি অর্থাৎ অর্থনৈতিক দূর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে না। শিক্ষাখাতে ব্যয়বৃদ্ধির কথা বলা হলেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলা যায় প্রকৃতপক্ষে তা সঠিক নয়। শিক্ষার চেয়েও জনপ্রশাসন বা আমলাতন্ত্রের ব্যয়বৃদ্ধি বেশি। আর সবচেয়ে বেশি প্রতিরক্ষা খাতেরমত অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয়বৃদ্ধি বেশি।
        এ অবস্থা অপরিবর্তিত রেখে কোন বাজেটই জনগনের কল্যাণ, দেশ ও জাতির মঙ্গল সাধন করতে পারে না। এজন্য রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা সীমাহীন। শ্রমিক-কৃষক ও শ্রমজীবিদের সচেতন ও সংগঠিত উদ্যোগের সাথে দেশপ্রেমিক সামাজিক শক্তির সম্মিলণই একমাত্র ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে বলে আশা করা হয়। তাই শুধু বাজেট নিয়ে আলোচনার খুব একটা মূল্য নেই। কারণ, বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া জনগণের চাহিদা মাফিক বাজেট হবে না।
২০০৩-২০০৪ সালের বাজেট থেকে ২০০৫-২০০৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ব ১০৫টি শিল্প থেকে ১(এক) লক্ষ লোকের বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে দেয়া হবে বা তাদেরকে ছাঁটাই করা হবে। আদমজীরমত তাদেরকেও গোল্ডেন হেন্ডসেকের মাধ্যমে ছাঁটাই করা হবে। এসব মিলগুলি ব্যক্তিমালিকানায় বিক্রি করে দেয়া হবে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেকগুলি মিল-ফ্যাক্টরী বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তা‘হলে আমরা স্বাধীন হলাম কেন। যদি বিদেশীদের ফেলে যাওয়া মিল-ফ্যাক্টরীগুলি চালাতে না পারি। তা‘হলে আমরা পৃথিবীতে টিকে থাকব কি করে আমার প্রশ্ন সকলের নিকট। কৃষি, শিল্প ও যোগাযোগের উন্নয়ন না করতে পারলে, আমরা জাতি হিসাবে টিকে থাকতে পারব কি? যদি টিকেও থাকি তা‘হলে পুঙ্গ জাতি হিসেবে  টিকে থাকব।
২০০৩ সালের ১৯ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার রির্পোট ঃ দারিদ্র আর ঐশ্বর্যের নগ্ন সহাবস্থানের দেশ বাংলাদেশ-হিলারী ক্লিনটনের বই লিভিং হিস্ট্রি থেকে কিছু অংশ তুলে ধরলাম। হিলারী লিখেছেন, ঢাকা আসলে মানুষে মানুষে ঠাসা একটি নগরী। এত ঠাসাঠাসি করে লোক চলাচল করতে বিশ্বের আর কোথাও দেখিনি। রাস্তাগুলোতে লোক গিজগিজ করছে। ছোট ছোট গাড়িতে ভরে আছে রাস্তাঘাট। প্রচন্ড গরমে ঠাসাঠাসি করে হাঁটছে অসংখ্য মানুষ। অথচ এটাও এমন একটি দেশ, যে দেশ দেখার জন্য দীর্ঘকাল প্রতীক্ষা করছিলাম আমি।
সাবেক মার্কিন ফাষ্ট লেডি হিলারী রোডহ্যাম ক্লিনটন তার লিভিং হিষ্ট্রি নামক আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থে এমনই কঠিন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সম্পর্কে। স¤প্রতি প্রকাশিত এবং বহুল আলোচিত এ বইতে তিনি লিখেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে ঘন জনসংখ্যার এ দেশটির  রাজধানী ঢাকার এক হোটেল কক্ষের জানালা দিয়ে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল যেন বিশ্ব অর্থনীতির এক ঘনসন্নিবেশিত চিত্র দেখছি আমি। হোটেলের এ জানালা দিয়েই দেখা যাচ্ছিল একদিকে বিলাসবহুল এ হোটেলের সুইমিংপুল আর আমার মত পর্যটকদের অবসর কাটানোর যায়গা। কিন্তু ঠিক-এর পাশেই দেখতে পাচ্ছিলাম বিশাল আবর্জনার স্তুপ এবং-এর গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা ছোট ছোট ঘরগুলো।
২০০৩ সালের ২ আগষ্ট, গ্রাম সরকার গঠন শুরু ঃ গ্রাম সরকারের সদস্যসংখ্যা হবে ১৫(পনের) জন। এরমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্যসংখ্যা পদাধিকারবলে গ্রাম সরকারের প্রধান থাকবেন। আর নির্বাচিত মহিলা সদস্য হবেন উপদেষ্টা। বাকী ১৩(তের) জন। কর্মকর্তা থাকবেন। এ ১৩(তের) জন কর্মকর্তা মনোনীত হবেন। গ্রাম সরকার নির্বাচনের কোন বিধান রাখা হয়নি। ৪০,৩৯২টি ওয়ার্ডে ৫,২৫,০৯৬(পাঁচ লক্ষ পচিশ হাজার ছিয়ানব্বই) জন কর্মকর্তা মনোনীত হবেন। মোট ৪৫ দিন চলবে গ্রাম সরকার গঠন প্রক্রিয়া।
২০০৩ সালের ২০ আগষ্ট, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ৫৭-ভাগ মানুষ স্যানিটেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত ঃ অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহার করে শতকরা ৪৩-ভাগ মানুষ। শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে শতকরা ৬১-ভাগ এবং গ্রামাঞ্চলে শতকরা ৪১-ভাগ লোক স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। শহর ও গ্রামের শতকরা ৩০-ভাগ পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে থাকে।
২০০৩ সালের আজ ২৭ আগষ্ট, ৬০(ষাট) হাজার বছর পূর্বে নিয়ানডারথাল যুগে জোতির্মন্ডলে ঘটে যাওয়া একটি মূহুর্তের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। বাংলাদেশ সময় অপরাহ্ন ৩টা ৫১-মিনিটে (গ্রীনিচ সময় সকাল ৯টা ৫১ মিনিট) সৌরমন্ডল পৃথিবীর প্রায় কাছাকাছি সবচেয়ে কাছে আসবে। সচরাচরের গড় ৫০-মিলিয়ন মাইলের দূরত্ব ঘূচিয়ে আজ পৃথিবী ও মঙ্গলের দূরত্ব হবে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪১৮ মাইল অথবা ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৮ হাজার ০০৬ কিলোমিটার। রাতের আকাশে সকল গ্রহনক্ষত্রের ঔজ্জ্বল্যকে হার মানিয়ে উজ্জল লালচে হলুদ বর্ণে মঙ্গল আজ পৃথিবীবাসীর কাছে খালি চোখে ধরা দেবে। উজ্জ্বলতায় মঙ্গল হবে শুকতারা কিংবা শুক্রগ্রহের কাছাকাছি। অপরাহ্ন ৩টা ৫১-মিনিটে মঙ্গল পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম হলেও বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গল দৃশ্যমান হবে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। প্রতিঘন্টায় ৪৫ হাজার মাইল বেগে ঘূর্ণায়মান মঙ্গল ততক্ষণে পৃথিবী থেকে দেড় লক্ষ মাইল দূরে চলে যাবে।
২০০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ঃ ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস চালু হয়। উল্লেখ্য যে, ১৯৯৯ সালে ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস চালূ হয়।
২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদ অনুসারে ঃ রাজধানীর ঈদের বাজারে বিদেশী পণ্যের সমারোহ বেশী। একটি লেহেঙ্গার দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রাইফেল‘স স্কোয়ার মার্কেটে। আর একটি লেহেঙ্গার মূল্য ২(দুই) লক্ষ টাকা চেয়েছে এবং ১.৮(এক লক্ষ আশি হাজার) টাকায় বিক্রি হয়েছে এলিফ্যান্ট রোডের ইষ্টার্ণ প্লাজায়।
২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদ অনুসারে ঃ ১৬০ কোটি টাকার জমির মূল্য ৬৪১ কোটি টাকা পরিশোধ। দায়ী কে? রাজউক, না জেলা প্রশাসন?
ইত্তেফাক পত্রিকার গত এক বছরের সংবাদ সংক্ষেপ ঃ
২০০৩ সালের  ১ জানুয়ারি, সরকার একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বলিষ্ঠ সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বলে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষণা।
২০০৩ সালের  ১১ জানুয়ারি, প্রচন্ড শীতে এ পর্যন্ত ৩-শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু।
২০০৩ সালের  ২৬ জানুয়ারি, সীমান্তে ভারতের পুশইন ও বিডিআর-জনতার যৌথ প্রতিরোধ।
২০০৩ সালের  ২৯ জানুয়ারি, সীমান্তে ভারতীয় কমান্ডো ও মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশেীরা।
২০০৩ সালের ৬ জুন, বাবুপুরা বস্তির ৩শ’ ঘর ভস্মীভূত।
২০০৩ সালের ৭ আগষ্ট, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঢাকার কমলাপুরে বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম  উদ্বোধন করেন।
২০০৩ সালের ১৩ আগষ্ট, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রাজশাহী-ঢাকা রুটে সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু।
যুগান্তর পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ
২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি, যুগান্তর পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ প্রতিদিনি গড়ে ১১টি খুন হয়েছে ২০০৩ সালে। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার ডকুমেন্টেশন ও গবেষণা বিভাগের জরিপ অনুযায়ী-২০০৩ সালের প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত দেশে মোট ৩,৯২০টি হত্যাকান্ড ঘটেছে। এরমধ্যে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ঘটনায় নিহত হয় মাত্র ২৬১ জন। কিন্তু লক্ষণীয়ভাবে বেশি মারা যায় গণপিটুনিতে। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা গেছে আরও ২,৪৯৬ জন। বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছেন ২০৮ জন সাংবাদিক। ২০০২ সালে হত্যাকান্ডের সংখা ছিল=৩,৪৪৯ জন।
দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদমতে ঃ
২০০৪ সালের ৫ জানুয়ারি, এএফপি, বিবিসি ঃ যুক্তরাষ্ট্র তার ১১৫টি বিমানবন্দরে বিদেশীদের আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি নেয়া শুরু করেছে। চলতি সালে ২.৩০(দুই কোটি ত্রিশ লক্ষ) বিদেশী ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারে। ২৮টি দেশ ছাড়া বিশ্বের আর সব দেশ থেকে আগত বিদেশীদের ক্ষেত্রে এ আইন কার্যকর হবে। ২৮টি দেশের মধ্যে অধিকাংশই ইউরোপীয়।
২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার অর্থনৈতিক রিপোর্ট ঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ৩০ ভাগ দাম চাঁদাবাজিতে বাড়ে।
২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রতি বছর শাহজালাল(র.)-এর বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠিত হয়।
১৫-০১-২০০৪ সালের সংবাদ ঃ সংসদের আসন ৪৫০ হচ্ছে এবং চারদলীয় জোটের শীর্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত ঃ সংরক্ষিত মহিলা আসন-৫০টি আসন সাধারণ আসনে বিজয়ী সরকারী দল ও বিরোধী দলের মধ্যে সংখ্যানুপাতে বন্টন হবে।
২০০৪ সালের ১৬ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ অনুসারে ঃ অতিরিক্ত সংসদীয় আসনের জন্য এক মেয়াদে বাড়তি ব্যয় ৩৫০ কোটি টাকা।
২০০৪ সালের ১৬ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ অনুসারে ঃ গত ২ বছরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ৪০%। নতুন পে-স্কেল হয়নি।
২০০৪ সালের ১৮ জানুয়ারি, বর্তমান অর্থব্যবস্থায় ধনীরা লাভবান ঃ নয়া মডেল চাই। দু‘দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলন শুরু।
২০০৪ সালের ২০ জানুয়ারি, বিদ্যুৎখাত ঃ মুনাফালোভীদের আরেক শ্বেতহস্তী বসছে সরকারের ঘাড়ে। আমি বলব যে, শ্বেতহস্তী বসছে সরকারের ঘাড়ে নয় বরং জনগণের ঘাড়ে।
২০০৪ সালের ২০ জানুয়ারি, আই. এম. এফ.-বিশ্বব্যাংকের নীতি জনগণের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ক্ষুণœ করছে ঃ ড. স্টিগলিজ।
২০০৪ সালের ২১ জানুয়ারি, বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমারের বিশাল গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কার ঃ এপারে বাংলাদেশের বøকে কোন অনুসন্ধান হয়নি।
২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ঃ বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফ টাকা না দিলেও চলবে ঃ অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান বলেছেন।
২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ঃ সংসদে পূর্তমন্ত্রী ঃ পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩৪-হাজার প্লট দেয়া হবে।
২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ঃ বেসরকারী খাতে ৫০টি টেলিমেডিসিন সেন্টার হচ্ছে-জাইকা দেড় কোটি ডলার সাহায্য দেবে।
২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ঃ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল অনুষ্ঠিত ‘টয়োটা মোটর শোতে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক ‘‘লেক্সাস’’ গাড়ী।
২০০৪ সালের ১৬ মার্চের, হিসেব অনুযায়ী ঃ ঢাকা শহরে ছিন্নমূল বালক অর্থাৎ আমাদেরই নামকরণ উপাধিপ্রাপ্ত টোকাইর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার।
২০০৪ সালের ১৬ মার্চের, হিসেব অনুযায়ী ঃ আমলাতান্ত্রিক  জটিলতায় লক্ষাধিক ফাইল আটক।
২০০৪ সালের ২ এপ্রিল, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নীরব অগ্রগতি মাথাপিছু প্রকৃত জাতীয় আয় এখন ১৮২০ ডলার। ঢাকা প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে নয়াদিল্লীর ৪.৩ শতাংশ এবং  পাকিস্তানের ২১.৮ শতাংশ। ২০০৩ সালের অর্থ বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় মাথাপিছু জাতীয় আয় ৪০৭ ডলার হলেও এ অর্থ দিয়ে আমেরিকার ১৮৯০ ডলারের সমমূল্যের পণ্য ও সেবা পাওয়া যায় বাংলাদেশে।
২০০৪ সালের ৮ এপ্রিল-এর সংবাদ ঃ বাংলাদেশে ৪০,০০০ হাজার বর্গমাইল সমুদ্র এলাকা অরক্ষিত। মাত্র ২টি পেট্রোল বোট ঃ আগাম তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে সেকেলে গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক।
২০০৪ সালের ৯ এপ্রিল, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আমানত থেকে আসে ক্ষুদ্রঋণের ৪২ শতাংশের যোগান ঃ বড় এনজিওগুলোর আমানত-ঋণের ব্যবধান ২৩ শতাংশ।
২০০৪ সালের ১০ এপ্রিল, রাজধানীর যানবাহন ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক উন্নয়ন ঃ ভোগান্তি কমেছে বরং ভোগান্তি বেড়েছে। মেইন রোডে রিকসা বন্ধ ঃ চলবে পৃথক রাস্তায়।
২০০৪ সালের ১২ এপ্রিল, আসালং (মাটিরাঙ্গা) থেকে ফিরে এইচ. এম. প্রফুল্ল ঃ খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকা আসালং-এ (মাটিরাঙ্গা সীমান্তে) বাংলাদেশের ১,৫০০(এক হাজার পাঁচশত) একর ভূখন্ড ভারতের দখলে।
ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ
২০০৪ সালের ১৯ এপ্রিল, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ভেতর থেকে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মাসুমুর রহমান খলিলী ঃ ১৯৮৩ সাল এবং ২০০৩ সাল-এই দুই দশকের ব্যবধানে দেশের মানুষের গড় আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশী। ১৯৮৩ সালে প্রতিজন বাংলাদেশীর গড় আয় ছিল পৌঁনে ২০০শত আমেরিকান ডলার। আর ২০০৩ সালে মাথাপিছু জাতীয় আয় দাঁড়িয়েছে ৪১১ মার্কিন ডলার। ডলারের গতানুগতিক মূল্যে জাতীয় আয় বা জিএনআই হিসাবে একাধিক দেশের জনগণের প্রকৃত আয়ের তুলনা সঠিকভাবে করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এজন্য ডলারের সমানুপাতিক ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে প্রকৃত জাতীয় আয় হিসাব করা হয়। যেমন, ঢাকায় ১ ডলারে ৩ ডজন সাগর কলা পাওয়া গেলেও ওয়াশিংটনে এ কলা কিনতে ১২ ডলারের প্রয়োজন হয়। যে বাসা ঢাকা শহরে ১০০ ডলারে ভাড়া পাওয়া যায় সেই একই বাসা ভাড়ার জন্য ৮০০ ডলার লাগে ওয়াশিংনটনে। ২০০১ সালে ক্রয়ক্ষমতা বিচারে জাতীয় আয় ছিল ১৬১০ ডলার এবং ২০০৩ সালে তা ১৮২০ ডলারে উন্নীত হয়। ১৯৮৩ সালে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল-১.৫২(এক কোটি বায়ান্ন লক্ষ) টন থেকে বেড়ে ২.৬৭(দুই কোটি সাষট্টি লক্ষ) টনে উন্নীত হয়েছে। দেশের ৭৮ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে।
২০০৪ সালের ২৪ এপ্রিল, আবু রুশ্দ ঃ মানব হিমোগেøাবিনের আদি প্রোটিন আবিস্কার-বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী কৃতিত্ব। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীববিজ্ঞান (মাইক্রোবায়োলজি) বিভাগের অধ্যাপক বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম বিশ্ববিজ্ঞান জগতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। তিনি স¤প্রতি মানব হিমোগেøাবিনের পূর্বসুরী প্রোটিন আবিস্কার করেছেন যা রক্তের বিকল্প তৈরীতে সমর্থ হবে বলে ২০ এপ্রিল, ২০০৪ যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন’ প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ আবিস্কৃত প্রোটিন থেকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে কিভাবে জীবনের উদ্ভব হয়েছে তাও অনুধাবন করতে পারবেন। পৃথিবীর আদি যুগে প্রাণের যে প্রকৃতি অক্সিজেন গ্রহণ করতে শুরু করে ড. আলমের আবিস্কার তা জানাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। জানা গেছে, এ ব্যাপারে ‘ন্যাশনাল একাডেমী অফ সায়েন্সেস’ (পিএনএএস)-এর আগামী ২৭ এপ্রিল সংখ্যায় বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হবে। প্রোটিন আবিস্কারের মাধ্যমে তাতে আজ থেকে ৩৫০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর পরিবেশ কেমন ছিল তা জানা যাবে। তখন পৃথিবীতে অক্সিজেন ছিল না। প্রোটিন আমাদের এটা জানতে সাহায্য করবে যে কিভাবে প্রাণের সঞ্চার হলো ও প্রাণের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস শুরু হলো। তিনি আরো জানান যে, ‘এ প্রোটিন হচ্ছে মানব হিমোগেøাবিনের পূর্বসুরী এবং এথেকে অচিরেই রক্তের বিকল্প তৈরী করা সম্ভব হবে।’
২০০৪ সালের ২৭ এপ্রিল, সংসদ রিপোর্টারঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক গতকাল (সোমবার) বলেন যে, ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ থেকে ৮ম সংসদ পর্যন্ত। ৭৭১-জন সংসদ সদস্যদের কাছে টেলিফোন বিল বকেয়া রয়েছে ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
২০০৪ সালের ২৭ এপ্রিল, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মার্শাল আর্টকে জনপ্রিয় করেছেন যেসব তারকা ঃ প্রথমে হলিউড তারকা জ্যাকি চ্যান চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সারাবিশ্বে মার্শাল আর্টকে পৌঁছে দিয়েছেন। একজন ব্যক্তি কিভাবে একাধিক ব্যক্তির আক্রমণকে খালি হাতে প্রতিহত করতে পারে সে সম্পর্কিত বেশকিছু কৌশল রয়েছে মাশাল আর্টে। আমাদের দেশে ৭০-এর দশকের শেষের দিকে চলচ্চিত্রে মার্শল আর্ট প্রথম প্রবর্তন করেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা ‘যাদুনগর’ ছবির মাধ্যমে। তাকে মার্শাল আর্টের শিক্ষা দেন ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম। মূলত তাঁর মাধ্যমে আজ চলচ্চিত্রে মার্শাল আর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরপরে তাঁর ভাই রুবেল ১৯৮৫ সালে চলচ্চিত্রে মার্শল আর্ট লড়াকু ছবির মাধ্যমে নায়ক হিসেবে পর্দায় আসেন।
২০০৪ সালের ২৮ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬১ জেলার টিউবওয়েলের পানিতেই আর্সেনিক পাওয়া গেছে।
২০০৪ সালের ২৯ এপ্রিল, কোর্ট রিপোর্টার ঃ আদালতে প্রশিকা উপ-পরিচালকের জবানবন্দি-সরকার পতনে ঢাকায় ৩৫ লাখ লোক আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়। ৩৫ লাখ লোকের মধ্যে প্রশিকা ঋণ গ্রহীতা ২৯ লাখ এবং ৬ লাখ তাদের কর্মচারী, যাদেরকে কর্মীবাহিনী বলা হয়। আওয়ামী লীগ ঘোষিত ৩০ এপ্রিল সরকার পতনের দিন ধার্য করেছিল।
২০০৪ সালের ৬ মে, উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক উপলক্ষে সিপিডির সংলাপ-বিদেশী সাহায্য ছাড়াই এখন বাংলাদেশ চলতে সক্ষম ঃ কর্মসংস্থানবিমুখ সংস্কারে আমাদের প্রয়োজন নেই।
২০০৪ সালের ১২ মে, পাটের মন্ড থেকে কাগজ উৎপাদনের পথে বাংলাদেশ বছরে আয় করবে ৩০(ত্রিশ) হাজার কোটি টাকা। কাচাঁ পাট থেকে পাল্প (মন্ড) ও কাগজ তৈরীর সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এখন বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বর্তমানে কাগজ তৈরীর পাল্পের চাহিদা প্রায় ৪১ কোটি টন এবং প্রতি বছরই এ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ এ চাহিদার মাত্র ৩ শতাংশও যদি মেটাতে পারে তাহলে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশে এ কাগজের মন্ড তৈরী হবে কাঁচাপাট থেকে।
২০০৪ সালের ১৩ মে, চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের পুকুরে বিষ। ১০ মণ মাছের মৃত্যু ঃ আক্রান্ত দু’শতাধিক কাছিম। চট্টগ্রামের তিনশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী বায়েজিদ বোস্তামী মাজার সংলগ্ন পুকুরে দুস্কৃতকারীরা বিষ ঢেলে দিয়েছে।
২০০৪ সালের ১৪ মে, স্টাফ রিপোর্টার ঃ মল-মুত্রকে সম্পদে রূপান্তর করা হলে বাংলাদেশে বিপুল অর্থের সাশ্রয় হবে। বুয়েটে গোলটেবিল বৈঠকের অভিমত।
২০০৪ সালের ১৮ মে, সাংবাদিক সম্মেলনে নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী বলেন ঃ বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ থেমে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি দায়ী। শতকরা ৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি থেকে শতকরা ৮ থেকে ৯ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব।
২০০৪ সালের ১৮ মে, বাসসঃ নিউইয়র্কে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের (যুক্তরাষ্ট্র শাখার) আবদার-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ করতে হবে।
২০০৪ সালের ২১ মে, হারুন জামিল ঃ অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা হবে পরিত্যক্ত নগর-রাজধানীর প্রশাসনিক দফতর স্থানান্তর, ৫টি আবাসিক উপশহর স্থাপনের সুপারিশ।
২০০৪ সালের ২৪ মে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়া অনুমোদন ঃ ২০০৬ সালের ১ নভেম্বর থেকে ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে।
২০০৪ সালের ২৭ মে, ফজলুল বারী ঃ বাংলাদেশ দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য-বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ২০০ শতাংশ হারে মুনাফা তুলে নিচ্ছে।
২০০৪ সালের ২৭ মে, এম. আবদুল্লাহ ঃ সমুদ্র উপকুলে ছড়িয়ে আছে হাজার হাজার কোটি টাকার খনিজ সম্পদ-মজুদ জিরকন রুটাইল ইলমেনাইটের মূল্যই ৩৮৭(তিনশত সাতাশি লক্ষ কোটি) টাকা।
২০০৪ সালের ১ জুন, মোস্তাক আহমদ ঃ তেল ও চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামভিত্তিক ৪ সিন্ডিকেট-বছরে ব্যবসা ১০,০০০ হাজার কোটি টাকা।
গত বছর ২০০৩ সালে সশস্ত্রবাহিনীর ১,০০০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় ঃ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সমরাস্ত্র সংগ্রহে আধুনিকায়নের পথে সশস্ত্রবাহিনী।
২০০৪ সালের ৯  জুন, জেলা শহরের তুলনায় ঢাকায় পণ্য মূল্য ২২৩ ভাগ বেশী। দাম বাড়াচ্ছে চাঁদাবাজ ও মধ্যস্বত্বভোগীরা ঃ বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক।
২০০৪ সালের ১০ জুন, রাজউকের হিসাবে ৬ হাজার বাড়ী ঝুঁকিপূর্ণ ঃ গত ১৫ বছরে ১৫টি বাড়ী ধসে পড়েছে।
২০০৪ সালের ১১ জুন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ জাতীয় পার্টি (জেপি)-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (এমপি) বলেছেন-প্রচলিত রাজনীতি ও অর্থনীতি মুষ্টিমেয় লোকের পক্ষে।
২০০৪ সালের ১৫ জুন, লক্ষীপুর থেকে হোসাইন আহমদ হেলাল ঃ প্রতিদিন ২০ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাচার। প্রতিদিন সাগরে চোরাচালানীদের দাপটঃ জেলেদের নিরাপত্তা নেই।
২০০৪ সালের ১৬ জুন, ইনকিলাব ঃ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে আয়োজিত দেশীয় তাঁতবস্ত্র মেলায় লাখ টাকা দামের ‘মিরপুর বেনারসি’ শাড়ী দেখছেন ক্রেতা-দর্শকরা। যে দেশের মানুষ রাস্তায় ঘুমায়, সেদেশের মানুষ লাখ টাকা দামের ‘মিরপুর বেনারসি’ শাড়ী দেখে।
২০০৪ সালের ১৬ জুন, ইনকিলাব ঃ স্পীকারের রুলিং-সংসদে মন্ত্রীকে ‘ভাই’ ও নেত্রীকে ‘আপা’ বলার সুযোগ নেই।
২০০৪ সালের ১৬ জুন, ইনকিলাব ঃ জাটকা ধরা বন্ধ হলে বছরে ৬(ছয়) হাজার কোটি টাকার ইলিশ পাওয়া যাবে ঃ কর্মসংস্থান হবে ৫ লাখ লোকের। জাটকা ধরা বন্ধ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ঃ আগামী মৌসুমের জন্য ১০,০০০ হাজার টন চাল বরাদ্দ। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী মৌসুম থেকে ১০০টি নদ-নদীর পাশ্ববর্তী এলাকার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
২০০৪ সালের ২০ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ  অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ সস্তায় চিনি উৎপাদনে বাংলাদেশী গবেষকের সাফল্য। তাল ও খেজুর রস থেকে বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায়  ৫০ হাজার কোটি টাকার পৌনে ২ কোটি টন চিনি উৎপাদন সম্ভব। এজন্য সারাদেশে ৩৪ কোটি তাল ও খেজুর গাছ লাগাতে হবে।
২০০৪ সালের ২৫ জুন, ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর নেতৃত্বে ‘বাংলাদেশের গ্রীন পার্টির’ যাত্রা শুরু। স্টাফ রিপোর্টারঃ ‘উই আর নাইদার লেফ্ট, নর রাইট, উই আর ইন ফ্রন্ট’-এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ও রাজনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের গ্রীন পার্টি যাত্রা শুরু করেছে। বাংলাদেশের গ্রীন পার্টির আহবায়ক সাবেক বিএনপি নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী।
২০০৪ সালের ২৬ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও সর্বস্তরে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের আহবান জানিয়ে গত ২৪-০৬-২০০৪ তারিখে ‘‘জাতীয় ওলামা পার্টির ৩১-সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২৯ জুন, সংসদ রিপোর্টার ঃ অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান গতকাল (সোমবার) জাতীয় সংসদে বলেছেন, ২০০৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরে এ ঋণের সুদ বাবদ ৬৯৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২৯ জুন, ইনকিলাব ঃ ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ৫০-বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ঃ ৩০-বছর আগের তলাহীন ঝুড়ি এখন বিপুল সম্ভাবনার দেশ। ডান-বাম-চরমপন্থী সবাই মৌলবাদী।
২০০৪ সালের ৩০ জুন-সংসদ রিপোর্টার ঃ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বাজেট বড় করতে হবে ঃ আগামী বাজেট আরো বড় ও উচ্চাভিলাষী হবে-বাজেটের ওপর সমাপনী ভাষণে অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান।
২০০৪ সালের ৫ জুলাই, আবু রুশ্দ, সুলতান মাহমুদ বাদল ঃ শহীদুল আলমের অফিস থেকে ৬ হাজার গোপন নথির সিডি উদ্ধার-দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তল্লাশি অভিযান। রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভারপ্রাপ্ত সচিব এ. এইচ. এম নুরুল ইসলামের অন্যতম দোসর সাবেক শিক্ষা সচিব ও বর্তমানে বিয়ামের মহাপরিচালক শহীদুল আলম অবশেষে ফেসে গেছেন। নুুরুল ইসলাম যে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সিডি করে পাচার করেছেন এবং তার সাথে যে আমলাদের একটি প্রভাবশালী গ্রæপ জড়িত ছিল তাই এখন প্রমাণিত হতে চলেছে।
২০০৪ সালের ৬ জুলাই (ইনকিলাব) সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন বড় পাপ-ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে সেমিনারে অভিমত ঃ বিদেশী পণ্য আমদানীতে ভর্তুকি ১৮শ’ কোটি টাকা ঃ নীতি-নির্ধারকরা কাজ করেন বিদেশের কমিশন এজেন্ট হিসেবে।
২০০৪ সালের ৭ জুলাই ঃ মোঃ আজিজুল হক টুকু ঃ নাটোরে দেশীয় প্রযুক্তিতে আবর্জনা থেকে তৈরী হচ্ছে জৈব সার। অন্যান্য শহরের জন্য এটি হতে পারে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।
২০০৪ সালের ২৪ জুলাই, মনজুরুল ইসলাম ঃ নগরবাসীর প্রতি আমরা যথেষ্ট দায়িত্বশীল ঃ মেয়র খোকা। স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে কোন হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়বে না। ১৯৯০ সালের পর থেকে আর কোন হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়নি।
২০০৪ সালের ১০ জুলাই, ইনকিলাব-সাজ্জাদ আলম খান ঃ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন বিল ৩ মাস বকেয়া হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। বকেয়া আড়াই হাজার কোটি টাকা। অপচয় ও অবৈধ সংযোগ পরিহার করতে সচিবদের সতর্ক করে দিয়েছেন-অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান।
২০০৪ সালের ১০ জুলাই, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশে বছরে প্রয়োজন ৪ লাখ ব্যাগ রক্ত যোগাড় করতে হিমশিম অবস্থা। সন্ধানীর সম্মেলনে রক্তদানে সচেতনতা বৃদ্ধির আহবান।
২০০৪ সালের ১০ জুলাই, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টারঃ বিগত ৩৫ বছরে আমরা কিছুই করতে পারিনি-হাসানুল হক ইনু। ১৯৭২ সালে যে স্পীডে আন্দোলন শুরু করেছিলাম তা ধরে রাখতে পারিনি। আমাদের মধ্যে অনৈক্য-বিভাজন রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কোনদিন হয়তো ক্ষমতায় যেতে পারব না, এমনকি এমপিও হতে পারব না। তার জন্য আন্দোলন থেকে পিছপা হলেও চলবে না। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাসানুল হক ইনু সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এখন তিনি জনগণের জন্য কি কিছু করতে পেরেছেন। তিনি কিছুই করতে পারবেন না, পারবেন নিজের কিছু উপকার করতে।
২০০৪ সালের ১৪ জুলাই, সংসদ রিপোর্টার ঃ এ বছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে-অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। ‘অনেক মন্ত্রণালয় আছে অর্থ কিভাবে নিতে হয় তাও জানে না’।
২০০৪ সালের ১৯ জুলাই, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ-চামড়া শিল্প থেকে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা আয়। দেশীয় কাঁচামাল নির্ভর একশ’ ভাগ রফতানীমুখী চামড়া শিল্প থেকে বর্তমানে বছরে আয় হচ্ছে মাত্র ১,৭০০ কোটি টাকা।
২০০৪ সালের ১৯ জুলাই, শামসুল হক তারেক ঃ ভারত-মায়ানমার চোরাচালান সিন্ডিকেটের সহায়তায় দেশীয় লবণ শিল্প ধ্বংসের চেষ্টা। ৫০ বছরেও জাতীয় লবণ নীতি প্রণীত হয়নি ঃ লবণ বোর্ড গঠনের ফাইলবন্দি ৩৫-বছর ধরে ঃ আবার পারমিট কেলেংকারির পাঁয়তারা।
২০০৪ সালের ২৩ জুলাই, মোবায়েদুর রহমান ঃ ভ্যাট আদায়কে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী অসন্তোষ ধুমায়িত হচ্ছে। ছোট ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনায় বসুন ঃ ৬০ হাজার কোটি কালো টাকার দুর্গে আঘাত হানুন।
২০০৪ সালের ২৪ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মচর্চা হয় না অস্ত্রের প্রশিক্ষণ হয়। মসজিদ-মাদ্রাসাকে পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য করা হলেও উগ্রপন্থীরা মসজিদকে ব্যবহার করছে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে। তিনি বলেন, দুর্নীতি ও কালোবাজারি যত বাড়ছে, মসজিদ-মাদ্রাসাও তত বাড়ছে।-অধ্যাপক ড. হুমায়ূন আজাদ।
২০০৪ সালের ১ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ আরো বৃদ্ধি এবং স¤প্রসারণের লক্ষ্যে দুদেশের পণ্য পরিবহন দ্রুততুর করতে মায়ানমার (বার্মা) হয়ে চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ের সাথে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। এর ফলে মাত্র ১৫/১৬ ঘন্টায়ই দীর্ঘ প্রায় ১ হাজার কিলোমিটারের এ সড়ক পথ পাড়ি দিয়ে চীনের কুনমিং পৌঁছানো সম্ভব হবে।
২০০৪ সালের ৯ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ-আবু রুশদ ঃ  ২০১৫ সালে দেশে বেকারের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫ কোটি। বেকার জনশক্তি ক্রমেই বাড়ছে ঃ ১টি পদের জন্য প্রার্থী ৪০০(চারিশত) জন। সরকার কর্মসংস্থানের জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও বাংলাদেশে বেকার জনশক্তির হার বেড়েই চলেছে। সা¤প্রতিক ধারা বহমান থাকলে ২০১৫ সালে বেকারের সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে দেশী-বিদেশী বিশ্লেষকগণ আশংকা প্রকাশ করেছেন।
২০০৪ সালের ১২ আগষ্ট, বাংলাদেশে এ প্রথমবারের মত একসাথে চার সন্তান জন্মদানের বিরল ঘটনা ঘটেছে। বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা শিল্পী তিন ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম দিয়েছেন।
২০০৪ সালের ১৬ আগষ্ট, কানীজ আফরিনা ঃ ২০১০ সালের মধ্যে সেবা সংকটে অচল হয়ে পড়বে গোটা রাজধানী ঢাকা। দৈনিক চাহিদার ৬২ শতাংশ পানি সরবরাহে ব্যর্থ ওয়াসা।
২০০৪ সালের ১৭ আগষ্ট, এম, আবদুল্লাহ ঃ ৭০ লাখ চরবাসীর ভাগ্যোন্নয়নে চালু হচ্ছে ‘চর জীবিকায়ন কর্মসূচী’। ৮ বছর মেয়াদী কর্মসূচীতে ব্যয় হবে ৫শ’ কোটি টাকা। সাড়ে ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার চরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নে এ প্রথমবারের মত গৃহীত সরকারী কর্মসূচী বাস্তবায়নে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এক টাকাও ব্যয় করা হয়নি।
২০০৪ সালের ১৭ আগষ্ট, সাজ্জাদ আলম খান ঃ বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত-বেসরকারী খাতে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের নীতিমালা অনুমোদিত। এ কথার অর্থও ফাঁকা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট, প্রথম আলো : গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত-আহত কয়েক শ। হামলার ঘটনায় ৫২ জন আসামি পলাতক ১৮ জন। বিচারের অপেক্ষায় ১১ বছর।
২০০৪ সালের ২৪ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ ও নেপালকে উপেক্ষা করে        আন্তর্জাতিক নদীতে ভারত কোন স্থাপনা তৈরী করতে পারে না-সেমিনারে ভারতের খ্যাতিমান পরিবেশ সংগঠন ‘ইকোলজিক্যাল ফাউন্ডেশন’-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সুধীরেন্দ্র শর্মা বলেছেন, উজানে নেপাল এবং ভাটির বাংলাদেশের স্বার্থকে উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক নদীর উপর ভারত কোন ধরনের স্থাপনা তৈরী করতে পারে না।
২০০৪ সালের ২৭ আগষ্ট, ইনকিলাব-বাসস ঃ দুটি নতুন উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৮২ সালে প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে ২২ বছরে নতুন উপজেলার সংখ্যা ১২-তে দাঁড়িয়েছে। ১৯৮২ সালে দেশে ৪৬০টি উপজেলা ছিল। ২৭-০৮-২০০৪ সালে দেশে উপজেলার সংখ্যা হবে ৪৭২টি। ০৬-০১-২০১২ সালে দেশে উপজেলার সংখ্যা-৪৮৪টি।
২০০৪ সালের ২৭ আগষ্ট, ইনকিলাব-বাসস ঃ শীর্ষ পানি বিশেষজ্ঞ ও জাতিসংঘের সাবেক পরিবেশ পরিকল্পনাকারী ড. এস. আই. খান বলেছেন, বঙ্গোপসাগর বরাবর একটি ক্রস বাঁধ নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশ কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি পুনরুদ্ধারে সক্ষম হবে এবং বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হ্রাস পাবে। বঙ্গোপসাগর বরাবর কক্সবাজার থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত একটি ক্রস বাঁধ নির্মাণ করা হলে বন্যা ও জলোচ্ছ¡াসসহ অধিকাংশ প্রাকৃতিক সমস্যার সমাধান হবে এবং বিপুল ভূমি পুনরুদ্ধারের সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রফেসর ড. খান বলেন,   প্রস্তাবিত ২৪ মিটার উঁচু ও ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বাঁধ নির্মিত হলে আগামী ৩০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মোট আয়তনের ১৮ শতাংশের সমান ভূমি পুনরুদ্ধার হতে পারে।
২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরে ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারী কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নেতৃতৃন্দ ১৫ গ্রেডের পে-স্কেল এবং সরকারী কর্মচারীদের বেতন সর্বোচ্চ ৭৩ হাজার সর্বনিম্ন ১৪ হাজার ৬০০/-টাকা দাবী জানিয়েছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনের স্কেল এক অনুপাত পাঁচ (১ঃ৫) হারে  বাস্তবায়নের দাবী দীর্ঘদিনের। আরো বলেন একজন কর্মচারী মাসিক যাতায়াত ভাতা বাবদ পেয়ে থাকেন ৮০/-টাকা মাত্র। অপরদিকে একজন সচিবের যাতায়াতের জন্য গাড়ীর (ড্রাইভারসহ) পিছনে প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৩(তিনশত তেত্রিশ) টাকা। এছাড়া ঢালাওভাবে প্রকল্প তৈরী ও বাস্ত-বায়নের নামে একাধিক গাড়ী কেনা হয়ে থাকে এবং একজন কর্মকর্তা একাধিক গাড়ী ব্যবহার করেন। টেলিফোনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এতে রাষ্ট্রের প্রচুর অর্থের অপব্যয় হচ্ছে।
২০০৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, বাংলদেশে-১২ লাখ টনের কাছাকাছি লবণের চাহিদা। আমাদের দেশে লবণ উৎপাদন হয়-৯ লাখ ১৩ হাজার টনের মতো। আমরা লবণের চাহিদা মিট করতে পারিনা তাই এক লাখ টন লবণ আমদানীর সিদ্ধান্ত।
২০০৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ২৯ অক্টোবর শুরু হবে আখ মাড়াই মৌসুম-চিনির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পৌনে দুই লাখ মেট্রিক টন ঃ চাহিদা ১২ লাখ টন। বছরে আমাদের চিনি আমধানী করতে হয়-১০ লক্ষ টন।
সরকারী কর্মচারীরা সুন্দর পে-স্কেল পাবেন-ড. আব্দুল মঈন খান।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিজ্ঞান এবং তথ্য ও প্রযুক্তি যোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল মঈন খান, এমপি বলেছেন, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী-এ দু’টি শব্দের বিভক্তি দ্বারা শ্রমিকদের প্রকৃত অধিকার অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ বিভেদ যতোদিন বিলুপ্ত না হবে ততোদিন শ্রমিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটবে না। মোঃ সালেহউদ্দিন সেলিম বলেন, দেশের মাত্র ৫৫ হাজার সরকারী কর্মকর্তা প্রায় ১.২০(এক লাখ বিশ হাজার) যানবাহন (গাড়ী) ব্যবহার করছেন। এতে গাড়ী ও ড্রাইভারের পিছনে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। সরকারী কর্মকর্তাদেরকে গাড়ীগুলো দিয়ে দিলে সরকার এ খাত থেকে প্রায় ১২(বার) হাজার কোটি টাকা পাবে এবং তেল খরচ বাঁচবে আরো ৪(চার) হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরে ১৬(ষোল) হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় কেবলমাত্র সরকারী যানবাহন খাত থেকেই হতে পারে। অপরদিকে, ১৫.২৮(পনর লাখ আটাশ হাজার) সরকারী কর্মচারীর বেতন বাবদ ব্যয় হয় ৮(আট) হাজার কোটি টাকা। ফলে, পে-স্কেলে সর্বোচ্চ ৭৩(তেহাত্তর) হাজার এবং সর্বনিম্ন ১৪,৬০০(চৌদ্দ হাজার ছয়শত) টাকা অর্থাৎ ১ ঃ ৫ নির্ধারণ করা হলে সরকারের এ টাকা প্রদানে কোনই সমস্যা হবে না। গঠিত পে-কমিশনে সরকারী কর্মচারী প্রতিনিধি রাখার জন্য তিনি সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
২০০৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলা ও ভারত বিভক্তির জন্য হিন্দু স¤প্রদায়ই দায়ী। জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তাগণ।
২০০৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, সংসদে প্রশ্নোত্তর ঃ যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, সা¤প্রতিক বন্যায় সড়ক খাতে ক্ষতি ৮৯৩ কোটি টাকা।
২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ এ সরকারের মেয়াদকালেই মানবাদিকার কমিশন গঠিত হবে ঃ আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গতকাল ঢাকার হোটেল শেরাটনে আন্তর্জাতিক মানবাদিকার সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বলেছেন। আমাদের মতামত দিবার অধিকার অবশ্যই রয়েছে ঃ ইউএনডিপি প্রতিনিধি।
২০০৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ময়মনসিংহ থেকে মোঃ শামসুল আলম খান ঃ ময়মনসিংহে আ’লীগের সমাবেশে নেতৃবৃন্দ-আমরা ক্ষমতায় গেলে দাঁতের বদলে দাঁত চোখের বদলে চোখ তোলা হবে।
২০০৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, তামাক শিল্পের রাজস্বের চেয়ে তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় ৩ গুণ বেশী অর্থ ব্যয় হয় ঃ সমীক্ষা রির্পোট।
২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন প্রতিবেদন ঃ ঘুষ ছাড়া বাংলাদেশে ব্যবসা করা যায় না।
২০০৪ সালের ১৪ অক্টোবর, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ক্যাটারিং খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে না উঠাতে পারলে ব্রিটেনে বাংলাদেশীদের হোটেল ব্যবসা ভারতীয়দের হাতে চলে যাবে। উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ব্রিটেনে অবস্থানরত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশের লোক ব্রিটেনে হোটেল ব্যবসা শুরু করে। ১৯৬২ সালে ব্রিটেনে বাংলাদেশের হোটেল ব্যবসায়ীরা এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করে। ব্রিটেনে বাংলাদেশীদের ১২ হাজারের উপরে হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে ৮০ হাজারের বেশী বাংলাদেশী লোক কাজ করে। তাছাড়া এসব হোটেলে রয়েছে ৫ হাজারেরও বেশী বিদেশী দক্ষ কর্মী।
২০০৪ সালের ১৯ অক্টোবর, আবদুর রহিম ঃ রাজধানীতে ওয়াসার ৩৩-হাজার এবং সিটি কর্পোরেশনের ১০-হাজার মিলে মোট ম্যানহোলের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৪৩-হাজার। রাজধানীতে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলের সংখ্যা ১০-হাজার।
২০০৪ সালের ২১ অক্টোবর, জেলহত্যা মামলার রায় ঃ (অবসরপ্রাপ্ত রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ এবং এলডি মোঃ আবুল হাশেম মৃধা, এরা সবাই পলাতক রয়েছেন) এ ৩ জনের ফাঁসি। (কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান (অব.), কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ (অব.), মেজর বজলুল হুদা (অব.), কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ, মেজর (অব.) শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল (অব.) নূর চৌধুরী, কর্নেল (অব.) এম. এ. রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) এ. কে. এম. মহিউদ্দিন, মেজর (অব.) আহমেদ শরফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব.) এম. এ. মাজেদ, এ ১২ জনের যাবজ্জীবন। এদের মধ্যে তিনজন জেলখানায় বাকী সবাই পলাতক। ৫ জন বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন ঃ কে. এম. ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, নূরুল ইসলাম মঞ্জুর ও মেজর (অব.) খায়রুজ্জামান।
২০০৪ সালের ২৪ অক্টোবর, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ ভূখন্ড রক্ষার ৪ প্রকল্পের কোন অগ্রগতি নেই-সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারার ভাঙ্গনে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ভারতের দখলে চলে যাচ্ছে।
২০০৪ সালের ২৮ অক্টোবর, মিজানুর রহমান তোতা ঃ দেশে তুলা আবাদ ও উৎপাদনের সম্ভাবনা ঃ বছরে সাশ্রয় হতে পারে দেড় হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা।
২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর, রাজধানীর পান্থপথে নবনির্মিত বসুন্ধরা সিটি মলে জমে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ বিপণিবিতান বসুন্ধরা সিটি মল। বিশ্বের ১২তম সর্ববৃহৎ এ বিপণিবিতানটিতে ২,৩৩১টি দোকান রয়েছে।
২০০৪ সালের ৮ নভেম্বর, আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ রাজধানীতে কাঁচামাল পরিবহনে ৪টি রুটে ৩৯টি পয়েন্টে চাঁদাবাজি। ৭০ জন পুলিশ সার্জেন্ট চিহ্নিত ঃ প্রতিমাসে কোটি টাকা আদায়।
২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর, জাকারিয়া কাজল ঃ রাজধানীতে স্থায়ী কবরের জায়গা নেই। রাজধানীতে গড়ে প্রতি মাসে ২,০০০ হাজার লাশ দাফন করা হয়।
২০০৪ সালের ২২ নভেম্বর, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ ব্যাংকগুলোর পাওনা ৯শ’ কোটি টাকা। ১০০০ হাজার রুগ্ন শিল্প মালিক গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
২০০৪ সালের ২২ নভেম্বর, আবদুর রহিম ঃ নিউ বঙ্গবাজারে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রায় দু’হাজার দোকান। শতকোটি টাকার ক্ষতি ঃ ব্যবসায়ীরা সর্বস্বান্ত।
২০০৪ সালের ২৩ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রকাশ্যে ধূমপান ও বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞাসহ আইন অনুমোদন। প্রস্তাবিত আইনে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের (১৮-বছরের নীচে) কাছে সিগারেট বিড়ি বিক্রি করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অফিস-আদালত, বাস-ট্রেন, লঞ্চ, অডিটরিয়াম, সিনেমা প্রভৃতি জনবহুল স্থানে ধুমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২৪ নভেম্বর, ফজলুল বারী ঃ বাজারে শেয়ার সংকট ঃ বিপর্যয়ের আশংকা-পাইব লাইনে একদিনের চাহিদা পূরণের মতো শেয়ার নেই। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশীয় পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ার সংখ্যা মাত্র ১১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৯ হাজারটি। এরমধ্যে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শেয়ারই উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে। বাকি ৫০ শতাংশের একটি বড় অংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দখলে রয়েছে। ২০০৪ সালের নভেম্বরে এসে এ সংখ্যা ৭৯ হাজারে উন্নীত হয়েছে এবং প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে।
২০০৪ সালের ২৬ নভেম্বর, কানিজ আফরিনা ঃ আয়োডিন স্বল্পতায় ভূগছে দেশের অর্ধ কোটি মানুষ।
২০০৪ সালের ৩০ নভেম্বর, শিশু পার্কের বিনোদন উপকরণ ঝুঁকিপূর্ণ-১২টির মধ্যে ৮টির মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৫-বছর আগে।
২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বর, এম. আবদুল্লাহ ঃ ত্রিদেশীয় গ্যাস পাইবলাইন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত হবে শীর্ষ পর্যায়ে। বছরে ৮০০ কোটি টাকা পাবে বাংলাদেশ। বহুল আলোচিত মায়ানমার-বাংলাদেশ-ভারত ত্রিদেশীয় গ্যাস পাইবলাইন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত হবে তিন দেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে।
২০০৪ সালের ৭ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ তদন্ত রিপোর্ট ঃ গত ২১ নভেম্বর, ২০০৪ সালে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতি ৫১ কোটি টাকার ওপর। নিউ বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডের কারণ বৈদ্যুতিক গোলযোগ।
২০০৪ সালের ৮ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ আদালত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টের দন্ডাদেশ আপিল বিভাগে বহাল। আইজিপি থাকতে পারছেন না শহুদুল হক।
২০০৪ সালের ৮ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ১৯৭২ থেকে সকল এমপি, মন্ত্রী, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিচারপতিদের দুর্নীতি তদন্ত করতে হবে।-গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট।
২০০৫ সালের ১৮ মার্চ, নূরুল আলম শাহীন ঃ ২ লাখ প্রকল্প কর্মচারীর চাকরি পুনর্বহালের সরকারী উদ্যোগ। ১৯৭২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত।
২০০৫ সালের ১৯ মার্চ, ইউএনবি ঃ রূপকথার বিয়ে-শুনতে রূপকথার গল্প হলেও বাস্তবে ঘটেছে এ ঘটনা। ১৮-বছরের এক যুবক বিয়ে করেছে ৬৫-বছরের এক মহিলাকে। রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার কোনাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
২০০৫ সালের ২০ মার্চ, নিউইয়র্কে জুমার নামাজে মহিলার ইমামতি। ইমামতি করছেন আমিনা ওয়াদুদ। জুমার নামাজে কোনো মহিলার ইমামতি করার এটাই প্রথম ঘটনা। জুমার নামাজে একজন মহিলার ইমামতি নিয়ে গোটা মুসলিম বিশ্বে তীর্ব বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
২০০৫ সালের ২৬ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদঃ চলচ্চিত্রের জন্য আনন্দ সংবাদ-সারাবিশ্বে চলচ্চিত্র নির্মাণে শীর্ষ ১০-এ বাংলাদেশ। বছরে টিকিট বিক্রি ৭ বিলিয়ন ডলার।
২০০৫ সালের ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ ঃ জরিপের তথ্য-নিউইয়র্ক থেকে এনা-৫৬% আমেরিকান মহিলা স্বামীর চেয়ে কুকুরকে বেশী ভালোবাসেন।
২০০৫ সালের ১২ এপ্রিল, সাভারে ৯-তলা ভবন ধসে পড়েছে। স্বজনদের খোঁজে হাজার হাজার মানুষ ঃ ২৫টি লাশ উদ্ধার। রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় আকস্মিকভাবে ৯-তলা ভবনটি মাটির নীচে দেবে যায়। পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা বিশালাকার ৯-তলা ভবনটি মুহূর্তেই তিন তলায় পরিণত হয়। মাটির নীচে ভবনটির ৬-তলা দেবে গেছে।
২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল, ইনকিলাব ঃ মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) কুরনী গ্রামের এক গাছে ৪২টি কলার ছড়ি।
২০০৫ সালের ১০ মে, ইনকিলাব পত্রিকা থেকে নেয়া ঃ ১৯৭৩ সালে মুসলিম লীগসহ কোন ইসলামী দল নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারেনি। কারণ তারা নিষিদ্ধ ছিল। সে কারণে মোজাফ্ফর ন্যাপ, সিপিবি এবং জাসদ সম্মিলিতভাবে পেয়েছে ১৪.৮৩ শতাংশ ভোট। কিন্তু আসন পেয়েছে মাত্র ১টি। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগ এবং ইসলামী গণতন্ত্রী দল (আইডিএল) পেয়েছে ১০.৮ শতাংশ ভোট এবং জাতীয় সংসদে পেয়েছে ২০টি আসন। পক্ষান্তরে ন্যাপ, সিপিবি এবং জাসদ সম্মিলিতভাবে পেয়েছে ৭.৪৮ শতাংশ ভোট এবং আসন পেয়েছে ৯টি। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনী মঞ্চে অবতীর্ণ হয়। এ নির্বাচনে জামায়াত পায় ৪.৪৬ শতাংশ ভোট এবং আসন পায় ১০টি। আইডিএল পায় ৪টি আসন। পক্ষান্তরে বামপন্থীরা পায় ৫.০৩ শতাংশ ভোট এবং আসন পায় ১৪টি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াত পায় ১২.১৩ শতাংশ ভোট এবং আসন পায় ১৮টি। আইডিএল পায় ১টি আসন। পক্ষান্তরে বামপন্থীরা পায় ৭টি আসন এবং ভোট পায় ৩.৪৯ শতাংশ। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোট পায় ১টি আসন। কিন্তু কেয়ারটেকার সরকার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাথে যুগপৎ আন্দোলনের ফলে জামায়াত আসন কমে হয় মাত্র ৩টি এবং ভোট পায় ৮.৬১ শতাংশ। ইসলামী ঐক্যজোট পায় ১টি আসন। বামপন্থীরা ভোট পায় ০.২৩ শতাংশ এবং লাভ করে মাত্র ১টি আসন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বামপন্থীরা কোনো আসন পায়নি। জামায়াত পায় ১৭টি আসন এবং ইসলামী ঐক্যজোট পায় ২টি  আসন।
উপর্যুক্ত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ইসলামী শক্তিসমূহ যখন মাঠে থাকে তখন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির পর জনগণ ভোট দেয় ইসলামী দলসমূহকে। তখন দ্রæত ক্ষয় পেতে থাকে বামপন্থীদের শক্তি ও সমর্থন। আজ নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ করার আগে ইসলামী দলগুলোকে অনুরোধ করব, মেহেরবানী করে এসব পরিসংখ্যানের ওপর আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিন। আজ যদি ১০টি ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি মঞ্চে সমবেত হয় তাহলে তারা ১৮ থেকে ২০ শতাংশ ভোট লাভ করবে। বিএনপিও তাদের অন্তত ৩৫টি আসন দিতে বাধ্য হবে। না দিলে বিকল্প চিন্তা। সুতরাং ইসলামী দলসমূহের নেতৃবৃন্দ, আর নিজেদের পায়ে কুড়াল মারবেন না। এখনও সময় আছে এক হওয়ার।
২০০৫ সালের ১৫ মে, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ জাতীয় সংসদের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ৩০ সেট কমপিউটার বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০০৫ সালের ১৮ মে, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ ভারতের আদালতের এক রায়ে ‘পুশইন’-কে বৈধতা দেয়া হয়েছে। ভারতের দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকা থেকে জানা গেছে, দিল্লী হাইকোর্ট ১৭ মে, এ রায় দিয়েছে। রায়ে বলা হয়, যেসব বাংলাদেশী অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের জন্য আসছে তাদের দ্রæত ‘চিহ্নিত’ করতে হবে এবং ‘পুশইন’ করা যাবে। দিল্লী হাইকোর্ট এ নিয়ে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার বিষয়টিও নাকচ করে দিয়েছে।
২০০৫ সালের ১৯ মে, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ওয়াসার’র পানিতে প্রচুর ক্লোরিন ব্যবহারের ফলে ঢাকার মানুষ আগামী ১০ বছরে মাথার চুল পড়ে সব টাক হয়ে যাবে।
২০০৫ সালের ২৩ মে, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ লক্ষাধিক ভারতীয় অবৈধভাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে।
২০০৫ সালের ২৩ মে, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী-তরিকুল ইসলাম বলেছেন যে, আমাদের দেশে প্রতি বছর ভারত থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার মালামাল আমদানী হয়ে থাকে।
২০০৫ সালের ২৪ মে, বিশেষ সংবাদদাতা ঃ ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাড়ীভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে ২৪১.৭৩ ভাগ। নতুন পে-স্কেলের বেতন এখনো মেলেনি সব খাতেই বাড়ছে খরচ।
২০০৫ সালের ২৪ মে, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্টার ঃ বৃটেনে বাংলাদেশী হোটেলে ভারতীয় কাঁচামাল। বৃটেনে বাংলাদেশীদের ১২ হাজার হোটেল আছে।
২০০৫ সালের ৩০ মে, ইনকিলাব ডেস্ক ঃ ৯ দেশের কাছে মজুদ ৩০ হাজার বোমা। পরমাণু বোমার ভয়ে আতঙ্কিত বিশ্ব।
২০০৫ সালের ৩ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ আল্লাহ মেঘ দে পানি দে-৩৩ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঃ জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। ১৯৭২ সালের ১৮ মে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড  ছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গবেষণা কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ১২ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ দুর্নীতি উৎসাহদায়ী বাজেট নির্বাচনী ধান্ধার-অর্থনীতি সমিতি। এর ফলে মূল্যস্ফীতি বর্তমানের ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
২০০৫ সালের ১২ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ শুধুমাত্র সার্কভূক্ত ৫টি দেশের সাথেই বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৩-হাজার কোটি টাকা। গত এক যুগে বাংলাদেশের অর্থনীতির বুকের ওপর ঘাটতির এ বিশাল পাহাড় খাড়া হয়ে গেছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটান-এ ৫টি দেশ থেকে এ সময়ে বাংলাদেশ পণ্য আমদানী করেছে ৭০-হাজার কোটি টাকার এবং রফতানী করেছে ৭-হাজার কোটি টাকার মত পণ্য। ভারতের সাথে ঘাটতি-৫৮ হাজার কোটি টাকা, পাকিস্তানের সাথে ঘাটতি-৪ হাজার কোটি টাকা, শ্রীলংকার সাথে ঘাটতি-২২০ কোটি টাকা, নেপালের সাথে ঘাটতি-২৫৫ কোটি টাকা এবং ভূটানের সাথে ঘাটতি-২৫০ কোটি টাকা।
২০০৫ সালের ১৪ জুন, উমর ফারুক আলহাদী ঃ নীরব চাঁদাবাজি ও সম্পত্তি দখলের অভিযোগ-সিলেটের অঘোষিত মন্ত্রী আরিফুল হক চৌধুরী গত দু’বছরে অন্তত ১শ’ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। সিলেটের সকল ধরনের সরকারী কার্যক্রম থেকে শুরু করে পুরো প্রশাসনকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। সিটি করপোরেশনের কমিশনার আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নীরব চাঁদাবাজি এবং জায়গা-জমি জবরদখলের অভিযোগও রয়েছে। এলাকাবাসী বলেছেন, তিনি একজন মন্ত্রীর চেয়েও অধিক ক্ষমতাধর।
২০০৫ সালের ২০ জুন, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে চবি’র ৫৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা।
২০০৫ সালের ২৫ জুন(২৪-০৬-২০০৫) গাইবান্দা জেলা সংবাদদাতা ঃ বৃদ্ধ বয়সে তরুণীকে বিয়ে করে ভুল করেছি ঃ এরশাদ।
২০০৫ সালের ২৫ জুন, বাংলাদেশ ভারতীয় বিদ্রোহীদের আশ্রয় দিচ্ছে-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
২০০৫ সালের ২৬ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ অর্থ পাচার মামলায় বিদিশার জামিন। ৬ ব্যাংকে জমা ২৭ কোটি টাকা।
২০০৫ সালের ২৬ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ভাইয়ের পেটে জময ভাই-টিউমার সন্দেহে একটি ১৬ বছরের ছেলের পেটে অপারেশনের পর একটি বাচ্চা পাওয়া গেছে। বাচ্চা বেঁচে নেই, বিভিন্ন অঙ্গ কেটে বের করেছেন পিজি হাসপাতালের সার্জারী ইউনিট-২ এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। ছেলের পেটের মধ্যে থাকা বাচ্চার বয়সও ১৬ বছর। হাত, পা, চুল ও প্রজনন তন্ত্রের বৃদ্ধি দেখে ডাক্তার সে কথা জানিয়েছেন। তবে, পেটের ভিতরে থাকা এ বাচ্চার মাথা, মগজ ও শারীরিক বৃদ্ধি একেবারেই নেই। ১৬-বছরের আবু রায়হান নামের ছেলের পেট থেকে যে বাচ্চা বের করা হয়েছে সে তার (রায়হানেরই) জময ভাই। বিশিষ্ট অধ্যাপক ডা. এম. এ. মজিদ অপারেশন শেষে জানিয়েছেন পেটের ভিতরে সন্তানের এ অবস্থানের বৈজ্ঞানিক নাম ফিটাসিন-ফিটো বলে উল্লেখ করেন। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রথম। এ এক বিরল ঘটনা, অস্বাভাবিক অবস্থা।
২০০৫ সালের ২৭ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ সেমিনারে তথ্য প্রকাশ-চামড়া রফতানী থেকে বছরে ১,৬০০ কোটি টাকা আয়।
২০০৫ সালের ২৭ জুন, ইনকিলাব পত্রিকায় আব্দুর রহমানঃ ৮০ বছরেরও বেশী সময় পর আদালত অবমাননা আইনের সংশোধনী চুড়ান্ত। বিচার বিভাগীয় কাজের ‘নির্দোষ’ সমালোচনা করা যাবে।
২০০৫ সালের ২৮ জুন, ইনকিলাব রিপোর্টঃ বিশেষ সংবাদদাতাঃ কয়লা খনির মুখে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বাধ্যতামূলক।
২০০৫ সালের ২৮ জুন, সংসদ রিপোর্টার ঃ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর ৬৩ সদস্য নিহত এবং আহত ৫৬ জন। এ হিসাব ২১ জুন পর্যন্ত। এরমধ্যে সেনাবাহিনীর ৬০ জন নিহত, ৫৪ জন আহত, নৌবাহিনীর ১ জন নিহত এবং বিমান বাহিনীর ২ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।
২০০৫ সালের ৩০ জুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫-২০০৬ অর্থ-বছরের জন্য ৭৬ কোটি ৬৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার বাজেট অনুমোদন।
২০০৫ সালের ১ জুলাই, থেকে ভূমি রেজিস্ট্রেশনে নতুন আইন কার্যকর। ১৮৮২-ভূমি      হস্তান্তর আইন, ১৮৮৭-সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৯০৮-রেজিস্ট্রেশন আইন এবং ১৯০৮ তামাদি আইন। সংশোধিত নতুন আইনের বিধান অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোন বায়না করা হলে বায়না বলবৎ থাকা অবস্থায় উল্লিখিত জমি তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি কিংবা বায়না করা যাবে না।
২০০৫ সালের ৩ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় নুরুল ইসলাম ঃ এমপি হোস্টেলে তল্লাশির অনুমতি চেয়েছে র‌্যাব।
২০০৫ সালের ৩ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ আন্ডার ইনভয়েসিং-বছরে পাচার হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। হুমকির মুখে পড়ছে দেশীয় শিল্প। জানা যায়, চালানে কম দাম (আন্ডার ইনভয়েসিং) দেখিয়ে ঋণপত্র (এলসি) খোলার পর প্রকৃত মূল্য পরিশোধে প্রতি বছর দেশ থেকে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকার মুদ্রা পাচার হয়। এ অর্থ পরিশোধ করা হয় হুন্ডির মাধ্যমে। এছাড়া ভারত থেকে আসা অবৈধ পণ্যের মূল্য পরিশোধে কত হাজার কোটি টাকার মুদ্রা পাচার হয় তার ইয়ত্তা নেই।
২০০৫ সালের ৪ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় জাকারিয়া কাজল ঃ পানিবদ্ধতায় অচল ঢাকা-নিস্কাশন ব্যবস্থায় ব্যর্থতায় জনজীবনে দুর্ভোগ চরমে।
২০০৫ সালের ৫ জুলাই, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ডিসিসি’র (ঢাকা সিটি করপোরেশন)-এর ১,২৪৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা-বাজেটে কোন কর বাড়ানো হয়নি। ঘোষিত বাজেট গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৮৮৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা থেকে ৩৬৮  কোটি ২৭ লাখ টাকা বেশী। এতে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ওয়াসার ঃ ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।
২০০৫ সালের ৬ জুলাই, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ রাজধানীতে সহস্রাধিক ট্যাক্সিক্যাব ও সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইয়ে নিয়োজিত-মাসোহারায় বিমানবন্দর থানা শীর্ষে।
২০০৫ সালের ৬ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকার আব্দুর রহমান ঃ হরতাল, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও সংসদ সদস্যদের সংসদে অনুপস্থিতির বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ কথার অর্থ ফাঁকা।
২০০৫ সালের ৭ জুলাই, স্টাফ রিপের্টার ঃ নাইকোর সাথে চুক্তি বাতিল করে ক্ষতিপূরণ আদায় করুন ঃ আওয়ামী লীগ।
২০০৫ সালের ৭ জুলাই, সংসদ রিপের্টার ঃ সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সকল নাগরিককে পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে ঃ স্বরাষ্ট্র প্রতিমšী¿ লুৎফুজ্জামান বাবর।
২০০৫ সালের ১১ জুলাই, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের কবলে বাজার-সাড়ে ৩ বছরে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে ৫০ ভাগের বেশী।
২০০৫ সালের ১২ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় সালাউদ্দিন বাবলু ঃ দেশের রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন বেতন স্কেল পেলেও সরকারী উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের ২(দুই) লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়া পে-স্কেলে বেতন পাচ্ছে না। তারা কবে নতুন স্কেলে বর্ধিত বেতন-ভাতা পাবেন তা এখনো সুস্পষ্ট নয়।
২০০৫ সালের ১২ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় নিউজ ওয়ার্ল্ড, নিউইয়র্ক থেকে ঃ মার্কিন সরকার বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশকে যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্তপথে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ  নজরদারির তালিকাভুক্ত করেছে।
২০০৫ সালের ১৩ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট-শফিউল আলম ঃ ঘুষ ছাড়া ফাইল চলে না ঃ জাহাজও নড়ে না। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিটি আমদানী চালান ছাড়াতে গুনতে হয়-১৭,৯৩৩ টাকা।
২০০৫ সালের ১৬ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট-নিউইয়র্ক থেকে এনা ঃ সংসদের ৯০টি আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থী দিতে হবে-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
২০০৫ সালের ১৬ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট-নুরুল আলম শাহীন ঃ ডিসি ও সাব-রেজিস্ট্রার নিয়ন্ত্রণে-৪ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক জট। ৩৫ বছরেও সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
২০০৫ সালের ২২ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ শুক্রাবাদে পঁচা ডিমের আড়ত। প্রতিটি ডিম ৩০ পয়সাায় কিনে বিক্রি হয় দেড় টাকা দরে।
২০০৫ সালের ২৩ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ভারতীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট-‘২০১০ সালের মধ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করবে মৌলবাদীরা’। বাংলাদেশবিরোধী  অপপ্রচার তুঙ্গে।
২০০৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ জনসংখ্যার অর্ধেকের আয় এখনো ১ ডলারের নীচে।
২০০৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ জাতীয় প্রেস ক্লাবে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাবৃন্দ। নাগরিক পরিচয়পত্র চালু হলে দেশে অপরাধ অর্ধেক কমে যাবে।
২০০৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকায়-মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ ঃ ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৫ সালের ৩০ জুনের হিসাব-৭৯ হাজার ২৭২ কোটি টাকার বিদেশী বিনিয়োগ। কর্মসংস্থান হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার লোকের।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিশ্বব্যাংক সহায়তা দেবে-বাংলাদেশের মূলভূমি থেকে ২ লাখ পরিবার সৌর বিদ্যুৎ পাবে।
২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ নাইকোর সকল ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ হাইকোর্টের।
২০০৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, ভারতে ১২শ’ জাতের বিভিন্ন প্রকারের পাখি বসবাস করে এবং বাংলাদেশে প্রায় ৭শ’ জাতের পাখির আবাসস্থল।
২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-সংসদ রিপোর্টার ঃ খাদ্যে ভেজালের শাস্তি ৩ বছরের কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা। সংসদে পিওর ফুড (সংশোধনী) বিল পাস।
২০০৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-উমর ফারুক আলহাদী-রাজধানীতে তিন শতাধিক অবৈধ বøাড ব্যাংক।
২০০৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিলেটের শতাধিক হুন্ডি ব্যবসায়ীর তালিকা।
২০০৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, ইউনাইটেড নেশসন কনফারেন্স অন ট্রেড এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আঙ্কটাড) রিপোর্ট প্রকাশ-দেশে এক বছরে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে ৭২ শতাংশ। গতকাল প্রকাশিত বিশ্ব বিনিয়োগ রিপোর্ট-এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ১ অক্টোবর, বিশেষ সংবাদদাতা ঃ জাতীয় সরকারের প্রস্তাব ক্ষমতাসীন জোটের ‘না’।
২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর, ইনকিলাব-উমর ফারুক আল হাদী ঃ রাজধানীতে ৫-শতাধিক মেটার্নিটি ক্লিনিক। অবৈধ গর্ভপাতের রমরমা বাণিজ্য। মা ও শিশু হত্যার কসাইখানা। প্রতিমাসে খুন হয় ২০ হাজার নবজাতক।
২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর, ইনকিলাব-বিশেষ সংবাদদাতা ঃ এশিয়া এনার্জির সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ-ফুলবাড়ি খনিতে বছরে দেড় কোটি টন কয়লা পাওয়া যাবে। যদিও উত্তেলিত কয়লার মাত্র ৬ ভাগ কয়লার মালিক হবে সরকার। বাকি ৯৪ ভাগ কয়লার বিক্রিত অর্থ পাবে এশিয়া এনার্জি।
২০০৫ সালের ৫ অক্টোবর, ইনকিলাব-মহসিন রাজু, সুমন প্রমাণিক, বগুড়া থেকে ঃ গতকাল বগুড়া থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের একখন্ড ৫০০ কোটি টাকার হীরক খন্ড উদ্ধার করেছে র‌্যাব।
২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর, ইনকিলাব-আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ সরকার দেশের ৬৮ জন জেলা জজের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় গানম্যান নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০০৫ সালের ১৩ অক্টোবর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন-২০০৫। দেশে গর্ভবতী নারীর ১৪ ভাগের মৃত্যু হয় সহিংসতায়। মাতৃমৃত্যুর হারে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়।
২০০৫ সালের ১৪ অক্টোবর, ইনকিলাব-আবু রুশদ ঃ ওদের দাবী এবার ‘নতুন বাংলা’। স্বাধীন বঙ্গভূমির পর এবার উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৪ জেলার ১৪৮ থানার ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা ছেড়ে দেয়ার আবদার। বাংলাদেশের আয়তন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। তাদের দাবী-বাংলাদেশ ও তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ‘বিতাড়িত’ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিৃষ্টান ও আদিবাসী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সমন্বয়ে পৃথক আবাসভূমি হিসেবে ‘নতুন বাংলা’ গঠন করতে হবে। ৬টি জেলা নিয়ে একসময় ‘স্বাধীন বঙ্গভূমি’ গঠনের ষড়যন্ত্র পাকানো হয়েছিল সেখানে স¤প্রতি  প্রস্তাবিত সংখ্যালঘু আবাসভূমির জন্য তাদের প্রয়োজন বাংলাদেশের ২৪টি(সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, জিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা) জেলার ১৪৮টি থানা এবং বেশ কয়টি চর(চরগজারি, মৌলভীর চর, মনপুরা, চরপাতিলা, নিঝুমদ্বীপ, চর নিজাম, কুকরিমুকরি, চরদাই, বাহিরচর, চরমনতাজ, সোনারচর, চর কাসেম, রালদিয়া, সুপতিচর, জাফর পয়েন্ট ও পাটনির চর) এলাকা।  বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, নিখিল বঙ্গ নাগরিক সংঘ প্রস্তাবিত ‘নতুন বাংলা’র জন্য দাবী করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার। গত শতকের আশির দশকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, বরিশাল, যশোর, খুলনা ও পটুয়াখালী নিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ড. কালিদাস বৈদ্য ও চিত্তরঞ্জন সুতার পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘স্বাধীন বঙ্গভূমি’ গঠনের লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করেন।
২০০৫ সালের ১৭ অক্টোবর, ইনকিলাব-সাভার সংবাদদাতা ঃ এ সময়ে বাউল সম্রাজ্ঞী কাঙ্গালিনী সুফিয়া ৫৭-বছর বয়সে মা হলেন।
২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
২০০৫ সালের ২১ অক্টোবর, ইনকিলাব-সাঈদ আহমেদ ঃ বিচারবিভাগ পৃথকীকরণে সরকারের সময় প্রার্থনা। সুপ্রীম কোর্টে আবেদন খারেজ। ৯-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ১ ফেব্রুয়ারি। ৪-মাস সময় চেয়ে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ মামলায় সরকারের আবেদন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছে।
২০০৫ সালের ২১ অক্টোবর, ইনকিলাব-নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির জের। বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের মিছিলে পুলিশের গুলী ঃ নিহত ৫ জন, গুলীবিদ্ধ ৫৫ঃ ১০ পুলিশ আহত।
২০০৫ সালের ২৪ অক্টোবর, ইনকিলাব মনজুরুল আলম ঃ এশিয়ান হাইওয়ে নিয়ে দোটানায় বাংলাদেশ। ভারতের ট্রানজিট নিশ্চিত হবে।
২০০৫ সালের ২৪ অক্টোবর, ইনকিলাব-সুলতান মাহমুদ ঃ ৩৫ ভাগ ব্যবসায়ী এখনও ভ্যাটের বাইরে। বছরে শত শত কোটি টাকার ভ্যাট বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
২০০৫ সালের ২৪ অক্টোবর, ইনকিলাব-স্টালিন সরকার ঃ বৈধ ও অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণই টার্গেট। পাঁচ শতাধিক ভারতীয় ব্যবসায়ী এখন ঢাকায়।
২০০৫ সালের ২৭ অক্টোবর, ইনকিলাব-শাহীন রাজা ঃ এশিয়ান হাইওয়ে। বাংলাদেশ চুক্তি সই না করলে ভারতই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারতের বাংলাবান্ধা থেকে টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল থেকে কুষ্টিয়া ও যশোর হয়ে মংলাবন্দর এবং টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম। ভারতের বেনাপোল থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে সিলেট তামাবিল। এ হলো এশিয়ান হাইওয়ে।
২০০৫ সালের ২৮ অক্টোবর, আইএসপিআর ঃ বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় মহাকাশ সহযোগিতা সংস্থা কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে।
২০০৫ সালের ২৮ অক্টোবর, উমর ফারুক আলহাদী ঃ বনানীতে বিএনপির নেতা-মন্ত্রী এমপিদের নামে একশ’ প্লট। রাজনৈতিক চাপে উপেক্ষিত রাজউকের নীতিমালা। আইন লংঘণ করে বনানী লেকে চলছে মাটি ভরাট।
২০০৫ সালের ৩০ অক্টোবর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্তেও বাড্ডায় ৩শ’ পরিবারকে উচ্ছেদে রাজউকের পাঁয়তারা। পরে উচ্ছেদ করা হয়নি।
২০০৫ সালের ৩১ অক্টোবর, সাখাওয়াত হোসেন, উমর ফারুক আলহাদী ঃ রাজধানীসহ চারপাশে নিñিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী। ৪৫ বিদেশীর তালিকা তৈরী ঃ ২২ জনকে ঢাকা ছাড়ার নির্দেশ, ৬ দেশের ১১৮ জনের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা।
২০০৫ সালের ১ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ৬০ লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়ছে। ঈদে টিকিট না পাওয়ায় অনেকে বাড়ী যেতে পারবে না।
২০০৫ সালের ১ নভেম্বর, সাখাওয়াত হোসেন ঃ ভারতীয় কাপড়ে রাজধানীর ঈদ মার্কেট সয়লাব। এক মাসে অবৈধ পথে আসা ৮-কোটি টাকার কাপড় আটক।
২০০৫ সালের ১ নভেম্বর, সাঈদ আহমদ ঃ গ্রেফতার বিধি প্রণয়ন ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে দুর্নীতি দমন কমিশন। কার্যক্ষমতা ব্যাখ্যা করে সচিবদের কাছে চিঠি।
২০০৫ সালের ২ নভেম্বর, সাখাওয়াত হোসেন ঃ ৩৩৬-কিশোর অপরাধীর তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা। সার্ক সম্মেলনের নিরাপত্তা।
২০০৫ সালের ৭ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ এবারের ঈদে ১-লাখের বেশী ভিক্ষুক জড়ো হয়েছিল রাজধানীতে।
২০০৫ সালের ৯ নভেম্বর, ইনকিলাব-অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ দুর্নীতির বিরুদ্ধে নাগরিক ফোরাম নামে নয়া সংগঠনের আত্মপ্রকাশ। এ ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মোহসীন, সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এন. এইচ. খান এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক আতাউস সামাদ, সেক্রেটারী জেনারেল সাবেক মহা-হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক সৈয়দ ইউসুফ হোসাইন।
২০০৫ সালের ১২ নভেম্বর, সাখাওয়াত হোসেন ঃ বিদেশী স্পেশাল ফোর্সের ২শ’ সদস্য ও ৪৫ হাজার নিরাপত্তা কর্মীর বলয়ে সার্ক ভেন্যু।
২০০৫ সালের ১২ নভেম্বর, বাসস ঃ বিশ্বের বৃহত্তম কোরআন শরীফ বাংলাদেশে। রাজশাহীর শিল্পী মোহাম্মদ হামিদুজ্জামান আর্ট পেপারের ওপর কালো কালিতে এ পবিত্র কোরআনখানি লিখেছেন। এক হাজার একশ’ পৃষ্ঠা সংবলিত এ মহাগ্রন্থের ওজন হচ্ছে-৬১ কেজি, লম্বায়-০.৭৩৮ মিটার, চরড়ায়-০.৫৮৫ মিটার এবং  উচ্চতায় ০.২২৯ মিটার।
২০০৫ সালের ১৩ নভেম্বর, সাখওয়াত হোসেন ঃ সার্কের মূল ভেন্যু ও বিমানবন্দরে ৩৫ রকম অত্যাধুনিক গোয়েন্দা যন্ত্রপাতি নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে পাহারা।
২০০৫ সালের ১৬ নভেম্বর, বাসস ঃ স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সরকার ১৯৭০ সাল হতে এ পর্যন্ত চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে ১২২ কোটি টাকা ব্যয় করলেও ভাঙ্গন সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি।
২০০৫ সালের ১৯ নভেম্বর, আবদুল গাফফার মাহমুদ, সাখাওয়াত হোসেন ঃ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতার কারণেই বোমাবাজদের উত্থান। সোর্সমানি জায়েজ ও কাজ দেখাতে নিরীহ লোক ধরে আনা হয় ঃ সরকারকে দেয়া হয় বিভ্রান্তিকর তথ্য।
২০০৫ সালের ২০ নভেম্বর, এনাম সরকারঃ ঢাকায় প্রথমবার আসছে রাশিয়ান সার্কাস দল।
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ড. মোঃ ইউনূস বলেন যে, বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ব্যাংকিং সহযোগিতার বাইরে রয়েছে।
২০০৫ সালের ৪ ডিসেম্বর, ইউএনবি ঃ বিশ্বের এক নম্বর ধনী বিল গেটস ৫ ডিসেম্বর, ২০০৫ তারিখ ঢাকা সফরে আসছিলেন।
২০০৫ সালের ৫ ডিসেম্বর, স্পোর্টস রিপোর্টার ঃ আগামী ৯ ডিসেম্বর, বাংলাদেশে আসছেন ইনোকি। মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর বিপক্ষে  ১৯৭৬ সালে  অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ ম্যাচটি। এর আগেই অবশ্য তিনি ডবিøউ. ডবিøউ. এফ. চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জন করেছিলেন।
২০০৫ সালের ৬ ডিসেম্বর, সুলতান মাহমুদ ঃ এশিয়ার উইম্যান ইউনিভারর্সিটি প্রতিষ্ঠায় ১শ’ কোটি টাকা দেয়ার প্রতিশ্রæতি। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিল গেটস দম্পতির ঢাকায় কর্মব্যস্ত একদিন।
২০০৫ সালের ৭ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ নতুন ভোটার তালিকা তৈরীর ঘোষণা। ১ জানুয়ারি ২০০৬ থেকে ৩১ মে, ২০০৬ পর্যন্ত। এ কাজ করতে ৮৩ জন রেজিষ্ট্রেশন অফিসার, ৬,২৭০ জন সহকারী রেজিস্ট্রেশন অফিসার, ৫৫ হাজার ৬৮৪ জন সুপারভাইজার এবং ২ লাখ ১৬ হাজার ৭২২ জন তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োজিত করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর, বাসস ঃ বাংলাদেশে গত ১০(দশ) বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি এবং মানুষ বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর, নিউইয়র্ক থেকে এনা ঃ অর্ধলক্ষাধিক বাংলাদেশীসহ ২০ লাখ লোক বেকার হবে। অবৈধ ইমিগ্রান্টদের বিরুদ্ধে আজ মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস হচ্ছে।
২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ একমুখী শিক্ষা জাতীয় প্রতিরোধ কমিটির সংবাদ সম্মেলন। প্রস্তাবিত ‘একমুখী শিক্ষা’ জাতীয় প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একমুখী শিক্ষার নামে ৫শ’ কোটি টাকা লোপাট করে যারা পৃথিবীর সামনে আমাদের সম্মান ভূলন্ঠিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত করে দুর্নীতির স্বরুপ উদঘাটন করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
২০০৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর, সুলতান মাহমুদ-চাঁদাবাজি বন্ধে মূখ্য সচিবের কাছে বিজিএমইএ’র ৮-দফা প্রস্তাব। এনওসি’র নামে বন্দরে ৫০ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায়। এ কারণে জিনিষপত্রের দাম বাড়ে।
২০০৫ সালের ২১ ডিসেম্বর, নিউইয়র্ক থেকে এনা-ডিভি লটারী বাতিলের বিল পাস। ১৯৯০ সালে চালু ডিভি লটারিতে বাংলাদেশ থেকেই এসেছেন মোট ৩১,২০৬ জন। সারাবিশ্ব থেকে এসেছেন মোট ৫,৬৭,৬৬১ জন। যুক্তরাষ্ট্র সেনসাস ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মনসুর খন্দকার বার্তা সংস্থা এনাকে সোমবার এ তথ্য দিয়েছেন। তবে গত শুক্রবার (১৯-১২-২০০৫) তারিখ ডিভি লটারি প্রোগ্রাম বাতিলের বিলটি পাস হয়েছে, ২৭৩-১৪৮ ভোটে।
২০০৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর, মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ বিশ্বব্যাংকের অপমানজনক শর্ত। অপব্যবহার হলে ঋণের পুরো অর্থ ফেরত দিতে হবে।
২০০৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর, নূরুল আলম শাহীন ঃ ভোটারদের নির্বাচনমুখী করার পদক্ষেপ নিচ্ছে কমিশন। অনুপস্থিতির হার ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ।
২০০৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ চট্টগ্রাম সমিতির জমজমাট মেজবান উৎসব-২০০৫। ২৫-১২-২০০৫ সালের ধানমন্ডিস্থ মহিলা কমপ্লেক্সে চট্টগ্রাম সমিতির মেজবান ও চট্টগ্রাম উৎসবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম. মোর্শেদ খান ও মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানকে দেখা যাচ্ছে। মেজবানে প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী খাবার। প্রায় ২৫ হাজার লোক মেজবানের ভোজে অংশ নেন। এ জন্য ২৫টি গুরু ও ৭০টি খাসী জবাই করা হয়।
২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর, ইউএনবি ঃ ১০-বছরে দেড় শতাধিক অবৈধ এজেন্ট ৫০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। বিদেশী ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারদের দেড় শতাধিক অননুমোদিত এজেন্ট বাংলাদেশে কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে বলা হয়, ব্যাংক এ পর্যন্ত বিদেশী ফ্রেইট ফরওয়াডিং ফার্মের ২১৬-এজেন্টকে অনুমোতিপত্র ইস্যু করে।
২০০৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ নির্বাচন কমিশন গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিজ্ঞপ্তিতি বলেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা তৈরী শুরু ১ জানুয়ারি, ২০০৬-ভোটারদের সচেতন করতে ১৪ লাখ পোষ্টার।
২০০৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ আগামী মার্চ থেকে নূন্যতম ৫ লাখ টাকা তুলতে হলে তথ্য দিতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।
২০০৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর, লোহাগড়া (নড়াইল) ঃ ইতনা গ্রামের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ডা. নীহার রঞ্জন গুপ্তের পৈতৃক নিবাস গুপ্তবাড়ী। ১৯১১ সালের ৬ জুন, ডা. নীহার রঞ্জন গুপ্তের জন্ম। ১৬ বছর বয়সে তার প্রথম উপন্যাস ‘রাজকুমারীম্ব’ প্রকাশিত হয়।
‘‘২০০৫ সালে স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ধসে ৬৩ জন, ২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকান্ডে ১১৭ জন এবং ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৫ জনের নির্মম মৃত্যু হয়েছে। এগুলো মানবসৃষ্ট শিল্প দুর্ঘটনা। তাজরীনের অগ্নিকান্ড হলেও স্পেকট্রাম ও রানা প্লাজার ধসের প্রকৃতি একই ধরনের অর্থাৎ ভবন নির্মাণের ত্রæটি।’’
২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি, জাকির হুসেন আলমগীর আর্থ-সামাজিক গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত।
২০০৬ সালের ৬ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন ঢাকায় ছাপানোর প্রস্তুতি চলছে। বিশ্বের ৩১টি শহরে প্রতিদিন এ পত্রিকা ছাপা হয়।
২০০৬ সালের ৬ জানুয়ারি, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ কোরবানীর গরুর দাম ১৫ লাখ টাকা। চার বছর বয়সী দেশীয় ঐ গরুটির উচ্চতা ৫-ফুট ৭-ইঞ্চি । ব্যবসায়ীর মতে এ বছর কোরবানীর ঈদে এ গরুটি সেরা গরু। বিজ্ঞাপন দেখে চট্টগ্রাম থেকে দু’জন ধনাঢ্য ব্যক্তি এসে পৃথক পৃথকভাবে গরুটির দাম সাড়ে ১০ লাখ টাকা বলেছেন। তারপর অন্য একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি গরুটি ১১ লাখ টাকায় কিনবে বলেছে কিন্তু সে ব্যক্তি আর আসেনি। কালো রঙের গরুটি অতি যতœসহকারে গত চার বছর যাবত লালন-পালন করে আসছেন। গরুর মালিক গরুটি বাজার থেকে নিয়ে চলে গেছে, আর গরুটি বিক্রি করবে না। পারিবারিকভাবে গরুটি তারা কোরবানী দিবেন। ১১-০১-২০০৬ সালে ভেড়ামারার সেই গরুটি পারিবারিকভাবে কোরবানী দেয়া হয়েছে। গরুটির ২১ মন মাংস হয়।
২০০৬ সালের ৬ জানুয়ারি, মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ অর্থনৈতিক দিক থেকে প্রায় পরাধীন দেশের সারিতে বাংলাদেশ। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশন প্রকাশিত-২০০৬ সালের রিপোর্ট। বিশ্বের ১৬১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম।
২০০৬ সালের ৭ জানুয়ারি, তালুকদার হারুন ঃ ‘‘বাংলাদেশ ভেটেরিনারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৬ সালের ১০ জানুয়ারি, মোবায়েদুর রহমান ঃ বাংলায় ১৬টি চ্যানেল দেখা যায় তার সাথে ইনকিলাব ও একুশে টেলিভিশন যুক্ত হলে কোন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেতনা। বাংলাদেশের ৯টি চ্যানেলের মধ্যে ৮টি চ্যানেলই বাণিজ্য করতে চালানো হচ্ছে। ৭টি বাংলা চ্যানেল হলো ভারতের পশ্চিম বাংলার।
২০০৬ সালের ১৬ জানুয়ারি, মোবায়েদুর রহমান ঃ আয় বণ্টনে বৈষম্য ঃ দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী ঃ তীব্র ডলার সংকট। চীন, ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারে প্রবৃদ্ধি ৭-১২ শতাংশ, বাংলাদেশে সাড়ে ৫.৫ শতাংশ কেন।
২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, ইনকিলাব ঃ সুনামগঞ্জ জেলার লামাকাজীতে সুরমা নদী থেকে জেলেদের জালে ধরা পড়া ৪ মণ ওজনের এ বাঘাইর মাছটি গতকাল নগরীর বন্দর লালবাজারে এনে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাম হাঁকা হয়। তবে মাছটির দাম উঠেছে মাত্র ৭০,০০০ হাজার টাকা। কিন্তু বিক্রেতা দেড় লাখ টাকার কমে মাছটি বিক্রি করবে না বলে জানিয়েছে। ২০-০১-২০০৬ তারিখে এক কেজি মাছের মূল্য ১,০০০/-টাকা হিসেবে বিক্রি।
২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারি, এএফপি ঃ যৌবনের চাবিকাঠি বন্ধু ও বান্ধবী।
২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারি, এশিয়ান হাইওয়ে ঃ ভারতের কলকাতা থেকে ত্রিপুরা বা আসামের লামডিং থেকে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া স্টেশনে পৌঁছতে সময় লাগে ৫২ থেকে ৬০ ঘন্টা। অথচ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে করিডর পেলে কলকাতা থেকে ত্রিপুরা পৌঁছাতে কোনক্রমেই ১২ ঘন্টার বেশী সময় লাগতো না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, বাংলাদেশ ভারতকে করিডর দিতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে ভারতকেও নিঃশর্ত করিডর দিতে হবে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের। কিন্তু ভারত বদ্ধপরিকর থাকে যে, তারা কোন অবস্থাতেই নেপাল ও ভুটানকে অবারিত করিডর দেবে না, বাংলাদেশকেই শুধু একতরফা করিডর দিতে হবে ভারতকে।
২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি, মাদারীপুর প্রতিনিধি ঃ কালকিনিতে পড়ার খরচ না পাওয়ায় গায়ে আগুন দিয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদে সংশোধনী পাস। অশ্লীল চলচ্চিত্র প্রদর্শন করলে ৩ বছর জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
২০০৬ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ ২৪১টি দৈনিক পত্রিকার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে এ পর্যন্ত ঃ তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম।
২০০৬ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, বিশ্বসাহিত্যের প্রেক্ষিতে বাংলা সাহিত্য শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতা করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বসাহিত্যে বাংলা সাহিত্যের অবদান খুবই সামান্য।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ সরকারী হিসাব কমিটি ঃ ১৪৯টি অডিট আপত্তির ১২ হাজার ৫৮১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে। ২০০৫ সালের ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ১৫টি মন্ত্রনালয়ের বিপরীতে এসব অডিট আপত্তি উত্থাপন করা হয়। ইতোমধ্যেই আলোচনার প্রেক্ষিতে ৬৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা আদায় হয়েছে এবং ৬১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।
২০০৬ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ বর্তমান সরকারের আমলে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে মদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে-সংসদে স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী। ১৯৯৬ সালের জুলাই হতে এ পর্যন্ত ১২টি প্রতিষ্ঠানকে মদের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।
২০০৬ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ মালয়েশিয়ার ৬টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত আজিমাত কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশ সরকারকে প্রায় ৫ হাজার ৮শ’ ২৪ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে ২১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং চার লেনবিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ এখনই নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে।
২০০৬ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ ঢাকায় স্থাপিত হল পার্ল ফ্যাশন ইনিস্টিটিউট। পার্ল একাডেমী অফ ফ্যাশন (পি.এ.এফ.) স্থাপিত হয়েছিল ১৩-বছর আগে ভারতে।
২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, কানিজ আফরীন ঃ গঠনমূলক জীবনযাপনই অসুস্থতার ৮৫ ভাগ নিরাময় করতে পারে-ড. সি. ইরম্যান শেলী।
২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে ৬.৩ থেকে ৬.৯ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কৃষকদের মাঝে মোট ২,৪৭৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
২০০৬ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ দেশে ১ লাখ ৫১ হাজার ৩২৪টি সরকারী পদ শূন্য।-ব্যারিস্টার আমিনুল হক। এরমধ্যে প্রথম শ্রেণীর ৫ হাজার ৫শ’ ৬৫টি, দ্বিতীয় শ্রেণীর ১৮ হাজার ৯শ’ ৯৬টি, তৃতীয় শ্রেণীর ৮৮ হাজার ৪শ’ ৫২টি এবং চতুর্থ শ্রেণীর ৩৮ হাজার ৩শ’ ১১টি পদ শূন্য রয়েছে। মন্ত্রী সংসদে আরো জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ১ লাখ ৪৪ হাজার ২শ’ ১৩টি শূন্য পদ পূরণ করা হয়েছে। সংসদে আরো জানান যে, বর্তমানে ৩ জন সচিব ডেপুটেশনে কর্মরত রয়েছেন। একই সময়ে সরকার ১৩ লাখ ৯২ হাজার ১২৯ জন বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, গত চার বছরে জোট সরকার ১০ লাখ ৫০ হাজার ৮২৭ জনকে বিভিন্ন পেশায় বিদেশে পাঠিয়েছে। তিনি আরো বলেন, তরুণ-তরুণীদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সহজলভ্য করতে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে ৪৪৪টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (টিটিআই) স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। গত চার বছরে স্থানীয় বিনিয়োগের পরিমাণ পূর্ববর্তী সরকারের চেয়ে ৯১ শতাংশ বেশি হয়েছে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রকল্পের নিবন্ধন ও ৯৩ শতাংশ বেশী হয়েছে।
২০০৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, সাখাওয়াত হোসেন ঃ বছরে ২শ’ কোটি টাকার সার পাচার হচ্ছে। প্রতিরোধ কার্য়ক্রমের মনিটরিং কমিটি গঠন।
২০০৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, মহাশূন্যচারীদের সাথে দুই বাংলাদেশীর যোগাযোগ। ১৮ ফেব্রæয়ারি, রাত ৮টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশী সৌখিন রেডিও অপারেটর বেলায়েত হোসেন রবিনের কল-এর জবাবে মহাশূন্যচারী ম্যাক আর্থার বিল বলেন, ‘‘আপনার প্রেরিত সঙ্কেত অত্যন্ত স্পষ্ট। বাংলাদেশ থেকে আরেকটি সঙ্কেতের জবাব দেব আমরা ৯০ মিনিট পরে।’’
২০০৬ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, দেশে বড় ধরনের সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।-সিপিডির সংলাপে বক্তারা। অর্থনৈতিক রিপোর্টার। অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন যে, প্রবৃদ্ধি হার নিয়ে মাতামাতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে প্রবৃদ্ধি যে হারে বাড়ছে, তার চেয়ে বেশী হারে বাড়ছে বৈষম্য।
২০০৬ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, বাসস ঃ বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও বিহারের বাংলাভাষী প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ভাষা আন্দোলন স্মৃতি পরিষদ বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে চালু করার দাবী জানিয়েছেন।
২০০৬ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, রাজধানীতে ফিনিক্স ভবন ধসে পড়েছে ৫তলা ভবন। নিহত ১৯ ঃ আহত ৭০ ঃ আটকা পড়েছে আরো ৫০ জন। আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় উদ্ধার কাজ চলছে ঢিমেতালে।
২০০৬ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ অবশেষে সংসদে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ বিল উত্থাপন।
২০০৬ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকাস্থ ইউনিসেফ কর্মকর্তারা-দেশে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত ২ কোটি ৩৫ লাখ শিশুকে হামের টিকা দিবে।
২০০৬ সালের ২ মার্চ, মিজানুর রহমান তোতা ঃ যশোরে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে ব্যাপক সাফল্য এসেছে-৭ শতাংশ জমিতে ৬০ হাজার টাকা মুনাফা।
২০০৬ সালের ১৪ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ৩ মাসের মধ্যে তৈরী হচ্ছে কারা সংস্কার বিধি। দেশের কারাগারগুলোতে ৭১ হাজার ২২০ জন বন্দী রয়েছে। এরমধ্যে বিচারাধীন আসামী রয়েছে-৪৭ হাজার। সাজাপ্রাপ্ত বন্দী ২৩ হাজার। বিদেশী কারাবন্দী রয়েছে ৯৭৮ জন। ৪ হাজার বাংলাদেশী বন্দী রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কারাগারে। সউদীআরবে ২ হাজার।
২০০৬ সালের ১৪ মার্চ, তালুকদার হারুন ঃ এ কেমন চুরি ২০ টাকার যন্ত্রাংশ ৪,৮৫৭ টাকায় ক্রয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি।
২০০৬ সালের ১৮ মার্চ, নূরুল ইসলাম ঃ ডেমরায় ১৭০টি নকল কারখানা-মাসে ৩-লাখ টাকা মাসোহারা পায় থানা পুলিশ।
২০০৬ সালের ১৯ মার্চ, সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ ট্রানজিট পাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার বাজার হাতছাড়া হবে।
২০০৬ সালের ১৯ মার্চ, তালুকদার হারুন ঃ রাজধানীতে ওয়াসার ৫০ হাজার অবৈধ পানির সংযোগ। মহানগর জুড়ে চলছে পানির তীব্র সংকট ঃ পূর্বাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ।
২০০৬ সালের ২২ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দুই লাখ ভূমিদস্যু পরিবার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে-আলোচনা সভায় এদের প্রতিরোধ দাবী।
২০০৬ সালের ২৩ মার্চ, সাজ্জাদ আলম খান ঃ ৫০ মহিলা কোটিপতির সন্ধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওই ৫০ জন দুবাই-এ ফ্ল্যাট কেনার জন্য ঢাকায় বিক্রেতাদের স্থানীয় এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
২০০৬ সালের ২৩ মার্চ, ফজলুল বারী ঃ ৫০ কোটি টাকার ওপরে শিল্প প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক ঃ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়। মোবাইল কোম্পানী, যমুনা সেতুসহ বেশকিছু বহুজাতিক কোম্পানীর শেয়ার আসছে ২০০৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে।
২০০৬ সালের ২৩ মার্চ, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ সারাদেশে হাহাকার ঃ ৩০ ভাগ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। পানিবাহিত রোগে প্রতি বছর মারা যায় লক্ষাধিক শিশু। বিশ্ব পানি দিবস পালিত।
২০০৬ সালের ২৩ মার্চ, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে এনা ঃ ইমিগ্র্যান্ট-ননইমিগ্র্যান্ট ভিসায় গত বছর যুক্তরাষ্ট্র গেছে ২২,৭৭১ জন বাংলাদেশী।
২০০৬ সালের ১ এপ্রিল, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ এ বছর ব্যাপক বন্যার আশঙ্কা। চলছে ল-নিনো ঃ সামনে আসছে লা-নিনো। কিন্তু এবার বন্যা হয়নি।
২০০৬ সালের ২ এপ্রিল, শামসুল হক শায়েক, কক্সবাজার থেকে ঃ ‘এদেশে কিছু করতে হলে তারেক বা জয় হতে হবে’। শত কোটি টাকার বিনিয়োগ ফেলে যুক্তরাষ্ট্র চলে যাচ্ছেন হোটেল সী গালের মালিক-মাসুম ইকবাল।
২০০৬ সালের ৪ এপ্রিল, বিবিসি’র শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় প্রথম স্থানে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ বাংলা গান ‘‘আমার সোনার বাংলা’’ প্রথম স্থানে। সাগর লোহানী জানালেন এ গানের ইতিহাস। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯০৫ সালের ৭ আগষ্ট বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের এক সমাবেশে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৯ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত টানা সময়টিতে শিলাইদহ ছিলেন।
২০০৬ সালের ৫ এপ্রিল, শফিউল আলম ঃ চট্টগ্রামে হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার-ব্যয় ১৪১ কোটি টাকা ঃ বেসরকারী খাতে বৃহৎ উদ্যোগ।
২০০৬ সালের ২২ আগষ্ট, বাসস ঃ বহু প্রতীক্ষিত বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে ২৯-০৮-২০০৬ তারিখে ১২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতি ও দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বহু প্রত্যাশিত এবং প্রতীক্ষিত বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্র নির্মাণ কাজ এ মাসে শুরু হবে।
২০০৬ সালের ৬ এপ্রিল ঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির বিক্ষোভ মিছিল। কানসাট আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী ০৬-০৪-২০০৭ সালে।
২০০৬ সালের ১৩ এপ্রিল, মোঃ কামাল হোসেন, শিবগঞ্জ থেকে-কানসাটে আবারও পুলিশের গুলীঃ নিহত-৬ ঃ ৫ পুলিশসহ আহত-৩৫ ঃ রাব্বানীর ভ্রাতৃবধুসহ গ্রেফতার-২৬ জন।
২০০৬ সালের ১৩ এপ্রিল, সাজ্জাদ আলম খান ঃ অর্থ ব্যয়ই সরকারের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ। বিশ্বব্যাংক ৩-প্রকল্পের অর্থ ফেরত চেয়েছে ঃ উন্নয়ন ব্যয়ের ১৫ হাজার কোটি টাকা এখনো অব্যবহৃত ঃ ৮ মাসে এডিবি বাস্তবায়নের হার মাত্র ৩৭ শতাংশ। পরিকল্পনা কমিশন ও মন্ত্রণালয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি)’র অর্থব্যয়ের জন্য ৪৪টি মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিচ্ছে
২০০৬ সালের ১৭ এপ্রিল, তথ্য বিবরণী ঃ দেশের বাইরে সর্বপ্রথম জাপানের রাজধানী টোকিওর ইকোবুকোরো পার্কে মহান একুশের ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারের উদ্বোধন।
২০০৬ সালের ১৮ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ উন্নয়ন প্রকল্পের ১ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলনে নামছে। চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবী।
২০০৬ সালের ২১ এপ্রিল, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ সংসদ সদস্যদের সাড়ে ৪-বছরে চাল-গম টাকা বরাদ্দ সরকারী এমপি ২ কোটি টাকার এবং বিরোধী দলের এমপি সোয়া কোটি টাকার।
২০০৬ সালের ২৮ এপ্রিল, ফজলুল বারী ঃ গত বাংলা বছরে ৩৬টি মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে ২৪ শতাংশ। ১২৯ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি শুকনা মরিচের ঃ চিনির ৮৮ শতাংশ।
২০০৬ সালের ৩ মে,  ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ অকার্যকর রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ১৯তম। সুদান প্রথম, পাকিস্তানের স্থান নবম।
২০০৬ সালের ১০ মে, শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার ঃ কক্সবাজারে এবার লবণ বাম্পার উৎপাদন মানে ২০ লক্ষ টন লবণ উৎপাদন হবে।
২০০৬ সালের ১০ মে, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেড় কোটি উপকুলবাসী চরম ঝুঁকির মধ্যে। আরো আশ্রয় কেন্দ্র প্রয়োজন।
২০০৬ সালের ২৯ মে, সাজ্জাদ আলম খান ঃ বছরে পাচার হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকা। আন্ডার ইনভয়েস বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ। বছরে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানী করা হচ্ছে। আমদানীর ১৫% আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
২০০৬ সালের ১ জুন, ঋণ প্রদানের সীমা বাড়ল ঃ গৃণনির্মাণ ঋণে সুদের হার কমলো হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স কর্পোরেশন। ২০০৪-২০০৫ অর্থবছর পর্যন্ত সংস্থাটি ১ লাখ ৪৬ হাজার ২০৪টি গৃহনির্মাণ প্রকল্পের বিপরীতে ৩ হাজার ১৫১ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে আসছে।
২০০৬ সালের ৬ জুন, উমর ফারুক আলহাদী ঃ চোরাচালানের কারণে গত পাঁচ বছরে সরকার ৬-হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত।
২০০৬ সালের ৮ জুন, বাসস ঃ বাংলাদেশ রফতানী থেকে ১ হাজার কোটি ডলার আয় করবে। চীনে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৬-হাজার কোটি ডলার, ভারতে এ বছর ৫০০ কোটি, পাকিস্তানে ৩০০ কোটি এবং বাংলাদেশে ১৫০ কোটি ডলার।
২০০৬ সালের ২৫ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ শহীদ এডভোকেট আবদুল জব্বারের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন-আজকালকার রাজনীতিকদের ৯৯ ভাগই হলো চোর।
২০০৬ সালের ২৬ জুন, বাংলাদেশে ৫০(পঞ্চাশ) লাখ বিক্ষুক আছে।
২০০৬ সালের ৩ জুলাই, সাজ্জাদ আলম খান ঃ সাড়ে ১৩ হাজার কালো টাকার মালিক ধরাছোঁয়ার বাইরে। সাঁড়াশি অভিযানে নামছে এনবিআর।
২০০৬ সালের ৩ জুলাই, স্টাফ রিপের্টার ঃ আজ ০৩-০৭-২০০৬ তারিখ থেকে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন কার্যকর হচ্ছে। সব নাগরিককে দু’বছরের মধ্যে সনদ দেয়া হবে। সেই সাথে এখন থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়া কারো স্কুলে ভর্তি, পাসপোর্ট, চাকুরী, ব্যাংক একাউন্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জমি রেজিষ্ট্রি প্রভৃতি হবে না।
২০০৬ সালের ৯ জুলাই, সংসদ থেকে সরাসরি বলছে যে-বাংলাদেশে ২,৫০,০০০ হাজার মসজিদ আছে।
২০০৬ সালের ২০ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীর ৪৪ হাজার ২৪৬টি পদ রাজস্ব খাতে স্থানান্তর।
২০০৬ সালের ২৫ জুলাই, রিয়াজ চৌধুরী ঃ দেশে প্রবীণের সংখ্যা বাড়ছে ঃ পরিবারের সাথে থাকলে বেশীদিন বাঁচেন বৃদ্ধরা।
২০০৬ সালের ৩ আগষ্ট, মিথুন কামাল ঃ ক্যাবল টিভি ব্যবসায় অস্থিরতা ঃ বছরে সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকার বাজার দখলের পাঁয়তারা। সরকার ১ কোটি টাকার রাজস্ববঞ্চিতঃ কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে।
২০০৬ সালের ২৬ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশী খাবার জনপ্রিয় হচ্ছে। বৃটেনে ১০ হাজার হোটেলে দেড় লাখ বাঙ্গালী কর্মরত।
২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, বাসসঃ দেশে টেষ্টটিউব শিশুর সংখ্যা-৪৭৯ জন।
২০০৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ইসলামিক ফ্রন্ট প্রতিনিধি দলের সাথে আবদুল জলিল-আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবীর প্রতি আওয়ামী লীগের পূর্ণ সমর্থন। বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউডেশনের প্রতিষ্ঠাতা।
২০০৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ স্বাধীনতার ৩৫ বছরে আমরা শুধু ভোট দিয়ে চলেছি কিন্তু কিছু পাইনি। নতুন রাজনৈতিক দল-‘‘বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক হিন্দু পার্টি’’ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার অর্পিত (শত্রু) সম্পত্তি আইন বাতিল না করে খড়ক হিসেবে ঝুলিয়ে গেছে।
২০০৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গা পূজা শুরু। বাংলাদেশে এবার ১৯,৪০০টি পূজা মন্ডপ হবে।
২০০৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, উমর ফারুক আলহাদী ঃ উত্তরা তৃতীয় পর্ব আবাসিক প্রকল্প ঃ ক্ষমতার শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে দলীয় নেতা-কর্মীদের নামে ৫-হাজার প্লট। নীতিমালা লংঘণ। বিপাকে রাজউক কর্মকর্তারা। ক্ষতিগ্রস্তরা প্লটপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত।
২০০৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, উমর ফারুক আলহাদী ঃ সংসদ রিপোর্টার-সংসদে বিল পাস ঃ দেশে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এশিয়ার পশ্চাৎপদ নারী সমাজের বিশেষ করে এ অঞ্চলের দরিদ্র ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সকল স্তরে পেশাগত নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে একটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে এশিয়ান ইউনিভারসিটি ফর উইমেন বিল-২০০৬ পাস করা হয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী ছাত্রী লেখাপড়া করবে ২৫ ভাগ।
২০০৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, মিথুন কামাল ঃ বাংলাদেশে ৬৬টি কারাগার আছে। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে-১৮টি, রাজশাহী বিভাগে-১৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগে-১৬টি ও খুলনা বিভাগে-১৬টি কারাগার আছে।
২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর পান্থপথে ৪-একর ৩৯ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ স্বপ্নিল শহর গড়তে প্রায় ১০ লাখ শ্রমিকের সাড়ে ৫ বছর সময় লেগেছে। ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের ১২শত গাড়ি রাখার জন্য রয়েছে ৪৬ হাজার বর্গফুটের সুবিশাল কারপার্কিং। যা দেশের অন্য কোথাও নেই। বসুন্ধরা সিটিতে রয়েছে ২১টি লিফট এবং ৬৩টি এস্কেলেটর। প্রায় ২,৫০০টি শো রুম রয়েছে। প্রতিদিন ভিড় করছে ৩০/৩৫ হাজার দর্শক-ক্রেতা।
২০০৬ সালের ৩ অক্টোবর, জোট সরকারের ৫-বছর-মিথুন কামাল ঃ রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ততায় চোরাচালান অপ্রতিরোধ্য-২ লাখ কোটি টাকার মালামালের মধ্যে আটক মাত্র সাড়ে ১,১৪৯ কোটি ১৭ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩১ টাকার মালামাল আটক করে। গ্রেফতার হয়েছে ৭ হাজার ১৩৪ জন।
২০০৬ সালের ৪ অক্টোবর, ৮ম সংসদের অধিবেশন সমাপ্ত। সরকারের মেয়াদ থাকবে ২৭-১০-২০০৬ তারিখ পর্যন্ত। ৮ম জাতীয় সংসদের ৩৭৩টি কার্যদিবসে ১৮৫টি বিল পাস হয়েছে। এরমধ্যে একটি বেসরকারী বিল।
২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর, সাজ্জাদ আলম খান ঃ বিদায়ী সরকার প্রতিদিনই প্রকল্প অনুমোদন করেছে ঃ ৭০-কার্যদিবসে ৬৬-প্রকল্প অনুমোদন।
ক্রমিক একনেক বৈঠকের তারিখ পাসকৃত প্রকল্পের সংখ্যা অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়
১. ১২-০৭-২০০৬ ০৮ ৩,২৫৬ কোটি টাকা
২. ১৯-০৭-২০০৬ ০৮ ১,৫৮৯ কোটি টাকা
৩. ১৪-০৯-২০০৬ ১৬ ২,৭৪৫ কোটি টাকা
৪. ২৭-০৯-২০০৬ ১৮ ৮,৭৪৬ কোটি টাকা
৫. ০৪-১০-২০০৬ ১০ ১,৪৯০ কোটি টাকা
৬. ১৬-১০-২০০৬ ০৬ ৩,২৩৩ কোটি টাকা।
৭. মোট ৬৬ ২১,০৫৯ কোটি টাকা।
২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর, বাসস ঃ বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) এ পর্যন্ত ৩০টিরও বেশী বিভিন্ন ফসলের উন্নতজাত উদ্ভাবন করেছে।
২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ভেজাল খাদ্য খেয়ে বছরে ১৮ লাখ লোক রোগাক্রান্ত হচ্ছে। আইন প্রয়োগের দাবী জানিয়ে ক্যাবের গোলটেবিল বৈঠক।
২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর, ডি. এম. রেজা সোহাগ ঃ মংলা সমুদ্র বন্দর রুগ্ন হওয়ার নেপথ্য কারণ-শেষ কিস্তি। ২০ বছরে ১৯৭ বার ধর্মঘট ৭,৭২৬-কর্মঘন্টার অপচয়।
২০০৬ সালের ১২ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ উপ-সচিব থেকে সচিব পর্যন্ত ঃ জোট সরকার গত ৫ বছরে (২০০১-এর অক্টোবর থেকে ২০০৬-এর জুলাই পর্যন্ত) ২ হাজার ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি দিয়েছে।
২০০৬ সালের ১৪ অক্টোবর, নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস ও একই সাথে তার ৩০ বছরের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংককেও যৌথভাবে এ পুরস্কার দেয়া হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের আরেক বিশাল অর্জন। আমি বলব এ পাওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাওয়া-বাংলাদেশের নয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর, ড. ইউনূস নরওয়ের রাজধানী অসলোয় আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। সাড়ে তের লাখ ডলারের মান বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১০ কোটি টাকার সমান। শান্তির জন্য নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে বিভিন্ন অবদানের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে এ পর্যন্ত আরো ৬০টি সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করেছেন।
২০০৬ সালের ১৪ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ৯৩ বছরে মাত্র ৩ জন বাংলাভাষীকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করল সুইডিস একাডেমী। ১৯১৩ সালে কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের হাত ধরে-তার রচিত ‘গীতাঞ্জল’ নিয়ে এসেছিল নোবেল পুরস্কার। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার-১৯৯৮ সালে অধ্যাপক ড. অমর্ত্য সেন। তারপর ২০০৬ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল শান্তিপুরস্কার নিয়ে এল।
২০০৬ সালের ১৭ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ জনপ্রশাসনে উদ্বৃত্ত উপ-সচিব ৬ শতাধিক। বেতন-ভাতা নিয়ে জটিলতা হতে পারে।
২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর, প্রধানমন্ত্রীর ২০০ স্যুটকেস ও ৩০ ট্রাঙ্কে কি ছিল জনগণ জানতে চায়-শেখ হাসিনা।
২০০১ সালের ১০ অক্টোবর, থেকে ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এ সময়ে বিরোধীদলীয়রা ১২৯ দিন হরতার করেছেন।
২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর, কর্ণেল(অব.) অলি অহম্মদ বীরবিক্রমের নেতৃত্বে লিবারেল ডেমোক্রেডিক পার্টি(এলডিপির) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রথম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হন।
২০০৬ সালের ২৭, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত মনে হয় না এ দেশে কোন সরকার ছিল। নাটকের চেয়ে নাটকীয় শ্বাসরুদ্ধকর ৭২ ঘন্টা।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ২৮ অক্টোবরের খুনীদের বিচার এদেশের মাটিতেই হবে-খালেদা জিয়া। গত ২৮-১০-২০০৬ ও ২৯-১০-২০০৬ অক্টোবর রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের ১৩ জন নেতাকর্মীর পরিবারের উপস্থিত সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন।
ক্রমিক রাষ্ট্রপতি-২০০৬ অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ
১. প্রধান উপদেষ্টা-২০০৬ অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ
২. উপদেষ্টামন্ডলী-২০০৬ বিচারপতি ফজলুল হক
৩. -ঐ- ড. আকবর আলী খান
৪. -ঐ- সি.এম. শফি সামি
৫. -ঐ- লে. জে. হাসান মশহুদ চৌধুরী
৬. -ঐ- এম. আজিজুল হক
৭. -ঐ- ধীরাজ কুমার নাথ
৮. -ঐ- ইয়াসমিন মোর্শেদ
৯. -ঐ- সুফিয়া রহমান
১০. -ঐ- সুলতানা কামাল
১১. -ঐ- মাহবুবুল আলম।
২০০৬ সালের ৪ নভেম্বর, সাজ্জাদ আলম খান ঃ বিলাসবহুল গাড়ীর মালিকদের আয়ের উৎস সন্ধানে এনবিআর। টার্গেট-১,১৩৭ জন।
২০০৬ সালের ৭ নভেম্বর, স্পোর্টস রিপোর্টার ঃ ফুটবল মহানায়ক জিদান ঢাকায়।
২০০৬ সালের ১২ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ১৪-দলের অবরোধ পালনকালে ঢাকার ২২টি স্পটে পিকেটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্পটগুলো হচ্ছে-গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, ১০নং গোল চত্বর, পল্লবী বাসস্ট্যান্ড, রাসেল স্কোয়ার, আজমপুর কুড়িল রেল ক্রসিং, মহাখালী, মগবাজার, জুরাইন রেল গেট, যাত্রাবাড়ী, দয়াগঞ্জ, সদরঘাট, রায়সা বাজার মোড়, বাবুবাজার ব্রিজ, শাপলা চত্বর, শাহজাহানপুর রেল ক্রসিং, নূর হোসেন চত্বর, শাহবাগ মোড়, কমলাপুর রেল স্টেশন, কেল্লার মোড়, নবাবপুর ও নর্থ সাউথ রোড।
২০০৬ সালের ১৩ নভেম্বর, এ বছর ৪-হাজার ৬১৩ কোটি কালো টাকা সাদা হয়েছে।
২০০৬ সালের ২৬ নভেম্বর, ইউএনবি ঃ আন্তর্জাতিক জরিপ প্রতিবেদন-বিশ্বের ১৬৫টি গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম। ইকোনোমিষ্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
২০০৬ সালের ২৬ নভেম্বর, বাসস ঃ আমিষ লৌহ ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার স্পিরুলিনা।
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। নির্বাচন ২১ জানুয়ারি, ২০০৭। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১০ ডিসেম্বর, ২০০৬। বাছাই ১১ ডিসেম্বর, ২০০৬। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৯ ডিসেম্বর, ২০০৬ তারিখ।
২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত ৩০ নভেম্বর, এনেক্স ভবনের ১২নং আদালতে কয়েকটি রিট মামলার ওপর প্রধান বিচারপতির স্থগিতাদেশের বিষয়টি এটর্নি জেনারেল আদালতকে অবহিত করেন। তিন রিটের নজিরবিহীন স্থগিতাদেশ। শেষ মুহূর্তে প্রধান বিচারপতির নিষেধাজ্ঞা। আদেশ প্রদানের জন্য হাইকোর্ট যখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত তখন এটর্নি জেনারেল ‘৩টি কাগজ’ বিচারপতি আওলাদ আলীর হাতে দেন। প্রধান বিচারপতির ‘নিষেধাজ্ঞা’ সংক্রান্ত এ আদেশ পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ১৪-দলীয় আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতির কক্ষসহ এটরনী জেনারেলের অফিস ভাঙচুর ঃ আইনজীবিদের বিক্ষোভ ঃ অগ্নিসংযোগ।
২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ শাহবাগ থানায় মামলা। হাইকোর্টে ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল (বৃহস্পতিবার) শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। এটর্নি জেনারেল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ কুদ্দুস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
২০০৬ সালের ৩ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পর এবার এনডিআই ঃ বর্তমান তালিকায় ১ কোটি ২২ লাখ ভুয়া ভোটার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্স (এনডিআই)।
২০০৬ সালের ৫ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশে বার্ষিক চাহিদার মাত্র ২৬-ভাগ রক্ত সংগ্রহ করা যায় বাকিগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৭৪-ভাগ রক্ত আসে আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধব ও পেশাদার রক্ত বিক্রেতাদের মাধ্যমে যা সম্পূর্ণভাবে স্ক্যানিং করা হয়না।
২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে সংঘটিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।  গতরাতে বিচারপতি ও আইনজীবীদের প্রতি সবিনয় নিবেদন’ শিরোনামে দেয়া এক দীর্ঘ বিবৃতিতে তারা বলেন, ৩০ নভেম্বর, আইনজীবীদের আবেগের বহিঃপ্রকাশে সংঘটিত ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সজাগ থাকতে সকলের প্রতি আহবান জানাই। আমরা এ ঘটনার উন্মুক্ত তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পুনঃনির্ধারণ। নির্বাচন ২৩ জানুয়ারি, ২০০৭। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ২১ ডিসেম্বর, ২০০৬। বাছাই ২২ ডিসেম্বর, ২০০৬। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৬।
২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ০৮-১২-২০০৬ তারিখ থেকে ১৫-১২-২০০৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুরু হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ।
২০০৬ সালের ১০ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
২০০৬ সালের ১০ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সেনা নিয়োগ প্রসঙ্গে জলিল ঃ দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসী ও গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে স্বাগত জানাবো।
২০০৬ সালের ১০ ডিসেম্বর, নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২০০৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ঘরে ঘরে সংবাদপত্র পৌঁছবে ইন্টারনেটে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে সংবাদপত্র ছাপা হবে না-গোলটেবিলে বক্তারা। আমি মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর) এ কথার সাথে একমত নই।
২০০৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গতকাল ১৮-১২-২০০৬ তারিখ বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি নামে একটি ইসলামী দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
২০০৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর, কলকাতা থেকে কালীপদ দাস ঃ মূখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেবের স্বীকারোক্তি। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা চরম দুর্দশায় আছেন। সরকারী অফিসে মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ মুসলিম এবং রাজ্যের জনসংখ্যার ২৬-ভাগ মুসলিম।
২০০৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ পুনঃনির্ধারণ। নির্বাচন ২২ জানুয়ারি, ২০০৭।
২০০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পুনঃনির্ধারণ। নির্বাচন ২২ জানুয়ারি, ২০০৭। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৬। বাছাই ২৭ ডিসেম্বর, ২০০৬। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৩ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখ।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি, প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেণ এবং ১১-০১-২০০৭ তারিখ জানুয়ারির পটপরিবর্তনের মাধ্যমে সেনাবাহিনী তত্ত¡াবধায়ক প্রশাসনের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়েছে।
২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি, তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে ড. ফকরুদ্দীন আহমদ শপথ নেন।
ক্রমিক রাষ্ট্রপতি-২০০৭ অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ
১. প্রধান উপদেষ্টা-২০০৭ ড. ফকরুদ্দীন আহমদ
২. আইন ও তথ্য উপদেষ্টা,পদত্যাগ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন(০৮-০১-২০০৮)
৩. অর্থ উপদেষ্টা ড. এ. বি. মির্জা আজিজুল ইসলাম
৪. যোগাযোগ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল(অব.) এম. এ. মতিন
৫. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাদ্য বিষয়ক তপন চৌধুরী (পদত্যাগ-০৮-০১-২০০৮)
৬. সমাজকল্যাণ, বস্ত্র ও পাট, শিল্প এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী(পদত্যাগ ০৮-০১-২০০৮)
৭. স্বাস্থ্য উপদেষ্টা (পদত্যাগ ০৮-০১-২০০৮) মেজর জেনারেল (অব.) ডা. এ. এস. এম. মতিউর রহমান
৮. স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা সাবেক আইজিপি মোঃ আনোয়ারুল ইকবাল
৯. পররাষ্ট্র বিষয়ক ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী
১০. কৃষি উপদেষ্টা ড. চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম
১১. শিক্ষা উপদেষ্টা (পদত্যাগ) আইয়ুব কাদরি। ০৮-০১-২০০৮ তারিখ।
২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি, সাঈদ আহমেদ ঃ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন। ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর বিচারপতি মাইনূর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ দিয়েছিলেন (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া) এ রায়। পৃথকীকরণের ফলাফল-জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তথা (ডিসি) জেলা প্রশাসকগণ সেশন জজ তথা জেলা জজের অধীন হয়ে যাবেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭-ধারাটি সংশোধন করে এ বিধান করা হয়েছে। বিধিতে নির্বাহী ও বিচার বিভাগীয়-২ ধরনের ম্যাজিস্ট্রেটের বিধান রাখা হয়েছে। ২শ’ বছরের প্রচলিত ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ সকল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এ অধ্যাদেশে জেলা জজের অধীন করা হয়েছে। পৃথকীকরণের ফলে সকল আদালত পর্যায়ক্রমে সুপ্রিমকোর্টের অধীনে চলে আসবে।
২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি, হারুনুর রশীদ ঃ ড. ফকরুদ্দিনের সামনে অনেক পথ বিপদ সংকুলও বটে। তিনি বলেছেন যে, গত ৫ বছরে যারা আড়াই লাখ কোটি টাকারও বেশী ধনসম্পদ লুটেপুটে নিয়েছে তাদের মাঠ দাবড়ানোর সুযোগ অব্যাহত রেখে এবং তাদের লুন্ঠিত সম্পদ অক্ষত রেখে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কতোটা সম্ভবপর কিংবা আদৌ সম্ভবপর কিনা, সেটাও একটা গভীর ভাবনার বিষয় বটে।
২০০৭ সালের ১৮ জানুয়ারি, সাজ্জাদ আলম খান ঃ পণ্য মূল্যোর মাধ্যমে অশুভ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গত ৪ বছরে হাতিয়ে নিয়েছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জনগণের কাছ থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা।
২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি, মোবায়েদুর রহমান ঃ ড. ফখরুদ্দীনের ৫ দফা ঃ লন্ডন ফিনান্সিয়াল টাইমসে চাঞ্চল্যকর তথ্য গত ১৭ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলোঃ- (১) দেশের পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন যন্ত্রে (নির্বাচন কমিশন), শুদ্ধি অভিযান (২) বেসামরিক প্রশাসনে বিশেষ করে সিভিল সার্ভিসে গুণগত উৎকর্ষতা আনয়ন (৩) জাতীয় রাজনীতিতে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে রাজনীতিকে দুর্র্নীতি মুক্ত করা। (৪) বিচার বিভাগকে দলীয়করণ মুক্ত করা ও (৫) পঙ্গু বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার।
২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ যৌথ অভিযানে আ’লীগ-বিএনপি নেতাসহ গ্রেফতার-২,২৪০ জন। ১৭ আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার ঃ পল্লবীতে কমিশনার আহসান যৌথবাহিনীর হাতে আটক।
২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি, বাসস ঃ নির্দলীয় তত্ত¡বধায়ক প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ গতকাল ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দেন-কিছু লোকের দুর্নীতির কাছে জাতি জিম্মি হতে পারে না। কিছুসংখ্যক লোকের সীমাহীন লোভ-লালসা অবৈধ প্রতিপত্তি কালো টাকা পেশীশক্তি দুর্বৃত্তপনার কাছে সত্যিকার কল্যাণমুখী গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হতে পারে না।
২০০৭ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, তালুকদার হারুন ঃ ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মাহফুজুর রহমানসহ পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন ৩১-০১-২০০৭ তারিখ। বঙ্গভবনে ১২-৪০ মিনিটে যান-সেখান থেকে ফেরেন ২-৪০ মিনিটে।
২০০৭ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, ইনকিলাব ঃ অমর একুশে বইমেলা-২০০৭ উদ্ধোধনের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ বইমেলা ঘুরে দেখেন এবং বলেন কেউ কেউ জবাবদিহিতা ছাড়াই অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছে। নৈরাজ্য বৈষম্য চলতে দেয়া যায় না। কিন্তু চলছে।
২০০৭ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি, শফিউল আলম দোলন ঃ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। ২৫ বছরে লুন্ঠিত স্থাবর সম্পত্তি ৫ লাখ কোটি টাকারও বেশী। অর্থনীতিবিদদের ধারণা বিগত ৩৪ বছরে দেশে ৭০ লাখ কোটি কালো টাকা তৈরি হয়েছে ঃ যার বেশিরভাগই পাচার হয়ে গেছে।
২০০৭ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, বিশেষ রাজনৈতিক ভাষ্যকার ঃ জেনারেল মইনের ভাষণ এবং সৎ রাজনীতিকদের সন্ধান।
২০০৭ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সুদখোর মহাজন ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় বসাতে দেবে না সচেতন জনগণ। বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের বিবৃতি অব্যাহত।
২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, ট্রাভেল ব্যবসা জিম্মি করার সব আয়োজন পাকাপোক্ত করা হচ্ছে। আইএটিএ-এর একগুঁয়েমির কারণে প্রায় ১,২০০(এক হাজার দুইশত) ট্রাভেল এজেন্সি বন্ধ হয়ে পড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঝে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।
২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, বাসস ঃ ইউএনডিপি’র জরিপে তথ্য-শতকরা ৭৫ ভাগ লোক পুলিশের কাজে অসন্তুষ্ট।
২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ  উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক সেনাবাহিনীর প্রস্তাব-নির্ভুল ভোটার তালিকাসহ ও আইডি কার্ড তৈরী কয়েক মাসের মধ্যেই সম্ভব। খরচ হবে-৩০০ কোটি টাকা।
২০০৭ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ড. ইউনূসের রাজনৈতিক দলের নাম ‘‘নাগরিক শক্তি’’। এখন বলে রাজনীতি করবে না।
২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ এবার রাজধানীর দেড় হাজার পুলিশ সোর্সের বিরুদ্ধে অভিযান। রাজধানীর ৩৩টি থানার সোর্স আছে প্রায় দেড় হাজার। পুলিশের হয়ে এরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে।
২০০৭ সালের ১৩ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ তারেক জেল হাজতে-পাঁচটি দেশে রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ৫টি দেশে তারেক রহমানের কয়েক হাজার কোটি টাকা রয়েছে। এরমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও মালয়েশিয়ায় কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
২০০৭ সালের ১৪ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ-ভারত সন্ত্রাসী বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু। ভারত ফেরত দিবে ১৭০ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে-আর ভারত ফেরত চেয়েছে অনুপচেটিয়াসহ ৭৬ জন সন্ত্রাসীকে।
২০০৭ সালের ১৪ মার্চ, নিউইয়র্ক থেকে এনা ঃ নিউইয়র্কে স্বল্প আয়ের ২৪,০০০ হাজার পরিবারের বাড়ি ভাড়া দেবে ফেডারেল প্রশাসন। বাংলাদেশীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া।
২০০৭ সালের ১৫ মার্চ, ইনকিলাব ডেক্স ঃ এক বিবাহ বিচ্ছেদ-স্ত্রী ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ৭১,৫০০ কোটি টাকা। রাশিয়ার কোটিপতি ফুটবল তারকা অ্যাব্রামোভিচের বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটেছে। কোটি কোটি পাউন্ডের মালিক ফুটবল তারকা অ্যাব্রাভিচ ১৩-০৩-২০০৭ তারিখ নিজেই তার স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির কথা ঘোষণা করেন। রাশিয়ান ফুটবল তারকা অ্যাব্রামোভিচ ১,৪৩,০০০ হাজার কোটি টাকার মালিক।
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ, উমর ফারুক আলহাদী ঃ বিশ হাজার সাজাপ্রাপ্ত আসামী পলাতক।
২০০৭ সালের ১৮ মার্চ, সাঈদ আহমেদ ঃ সরকারী প্রকল্পের সাড়ে ৪ হাজার গাড়ী লাপাত্তা। ব্যবহার হচ্ছে আমলাদের বাজার করা, সন্তান স্কুলে আনা-নেয়া ও রেন্ট-এ কার হিসেবে।
২০০৭ সালের ২২ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর-সিইসি-ড. এ. টি. এম. শামসুল হুদা।জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবিসহ ভোটার তালিকা একসঙ্গে হবে।
২০০৭ সালের ২৬ মার্চ, সাখাওয়াত হোসেন ঃ ১,৬৫৮ জন অপরাধীর তালিকা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। ১০ ক্যাটাগরির মধ্যে অস্ত্রধারী-৩০৫ জন, চাঁদাবাজ-৩৮২ জন, সন্ত্রাসী-২০৪ জন, ভূমিদস্যু-১৬৬ জন, মাদক ব্যবসায়ী-২৪৯ জন, মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদার-৯৫ জন, ছিনতাইকারী-৮৩ জন, টেন্ডারবাজ-১০১ জন, হোটেলে যারা বিনা পয়সায় খায় এমনসংখ্যা-১৯ জন এবং মেয়েদের উত্ত্যক্তকারী-৫৪ জন।
২০০৭ সালের ২৯ মার্চ, মোঃ ফজলুর রহমান, হবিগঞ্জ থেকে-সেনাবাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল মঈন উ. আহমেদ বলেন-গত ৫ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
২০০৭ সালের ২৯ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ নয়া নির্বাচনী আচরণবিধি হচ্ছে-নির্বাচনবিধি লংঘন করলে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। ৩ মাস আগে থেকেই মনিটরিং করা হবে। শুধু দলীয় প্রধান প্রার্থী ও প্রতীকের ছবি ব্যবহার করা যাবে সাদা-কালো পোষ্টারে।
২০০৭ সালের ৬ এপ্রিল, মঈনুল হক চৌধুরী ঃ খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ. টি. এম. শামসুল হুদা বলেছেন-ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরীতে ১৮(আঠার) মাস সময় লাগবে। দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে না। ইসির নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল ভোটার পরিচয়পত্র তৈরী প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। তালিকার পর নির্বাচন প্রস্তুতি-সিইসি।
২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ পহেলা বৈশাক থেকে চালু হচ্ছে পাঁচতারা হোটেল ঢাকা রিজেন্সি-রাজধানীর এয়ারপোর্ট রোডের নিকুঞ্জে গড়ে তোলা হয়েছে দেশের সর্বাধুনিক পাঁচতারা হোটেল ঢাকা রিজেন্সি। ১৫-তলার ১১০-কক্ষ বিশিষ্ট এ হোটেলে সবধরণের সুব্যবস্থা রয়েছে। এ হোটেল প্রকল্পে সর্বমোট ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সর্বনিম্ন ভাড়া ১০০(একশত) ডলার।
২০০৭ সালের ১৩ এপ্রিল, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ গতকাল সন্ধ্যায় (১২-০৪-২০০৭ তারিখ) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন-২০০৮ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন। স্বাগত জানিয়েছেন রাজনীতিবিদরা এবং আওয়ামী লীগের অভিনন্দন।
২০০৭ সালের ১৩ এপ্রিল, শেখ আবদুল্লাহ-বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার-গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দেশ থেকে কোন কোন দেশে টাকা পাচার হয়েছে তার হিসাব রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে। বিদেশ থেকে টাকা ফেরত আনা যাবে না।
২০০৭ সালের ১৩ এপ্রিল, ইনকিলাব ডেক্স-উত্তরাঞ্চলের আরো ৪ জেলা সফর-সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া দুর্নীতিকে সমূলে উৎখাত করা সম্ভব হবে না-দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান লে. জেনারেল (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরী।
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল, অর্থনৈতিক রিপোর্ট ঃ সিপিডির সংলাপে বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত-আমলাতন্ত্র গত ১৫ বছর যাবত দেশের পায়ে কুড়াল মেরে চলেছে-ডবিøউটিও’র আলোচনায় এলডিসির দলনেতা হওয়া বাংলাদেশের জন্য ভুল হয়েছে।
২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ। ভোটার তালিকা ও আইডিতে সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা বরাদ্দের সুপারিশ।
২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল, রিয়াজ চৌধুরী ঃ ৩২ বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের ষোলটিই সমস্যায় কবলিত।
২০০৭ সালের ২৮ এপ্রিল, সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ জুতা স্যান্ডেলের বাজারও বিদেশীদের দখলে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে বছরে ১৪ থেকে ১৫ কোটি জোড়া জুতা-স্যান্ডেলের চাহিদা রয়েছে। বাটা কোম্পানী বছরে সাড়ে তিন কোটি জোড়া জুতা-স্যান্ডেল তৈরী করে।
২০০৭ সালের ১৫ মে, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিদেশে পাচার হওয়া ২৩৭ কোটি টাকা ফেরত আনা হয়েছে-যোগাযোগ উপদেষ্টা-মেজর জেনারেল (অব.) এম. এ. মতিন বলেছেন, দেশের বাইরে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এ পর্যন্ত ২৩৭ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
২০০৭ সালের ১৮ মে, মিথুন কামাল ঃ বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা বাড়ছে-গত ১ বছরে দাফন হয়েছে ২ হাজার ১৫৭টি।
২০০৭ সালের ২৮ মে, স্টাফ রিপোর্টার ঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩৫ লাখ প্রসব হয়ে থাকে। গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতায় প্রতি ঘন্টায় তিনজন মা মারা যায়। বছরে মারা যায় ১২ হাজার মা।
২০০৭ সালের ৬ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার শফিউল আলম দোলন-যোগাযোগ উপদেষ্টা ও গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এম. এ. মতিন বলেছেন-ফেঁসে যাচ্ছেন দুর্নীতিবাজ আমলারা। আর কাউকে টাকার বালিশে ঘুমোতে দেবে না সরকার। ঘরের সিন্দুকে হীরার খনিও বানাতে পারবে না কেউ। আমি মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর) বলি শ্রেণী-বিভক্ত সমাজে দুর্নীতি বন্ধ করতে পারবে না। এ কথার অর্থও ফাঁকা প্রমাণ হবে একদিন। যেমন বলেছিল সরকার ২০০০ সালের ভিতরে সবাইর জন্য শিক্ষা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবে সরকার কিন্তু করে নাই।
২০০৭ সালের ৭ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিদেশে রাজনৈতিক দলের শাখা থাকতে পারবে না। প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবে-ছহুল হোসাইন। নিবন্ধনের নতুন শর্ত।
২০০৭ সালের ৭ জুন, দেড় কোটি নগরবাসীর জন্য রাজধানীতে কবরের জায়গা সংকট-মাত্র ১০৯ একর জায়গা-এরমধ্যে ৩০.৪৬ একর রিজার্ভ।
২০০৭ সালের ১০ জুন, বিবিসি ঃ রাশিয়ার বর্তমান উপ-প্রধানমন্ত্রী সের্গেই ইভানভ বলেছেন, আগামী দশকের শেষ নাগাদ রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ ৫ অর্থনীতির একটি হবে।
২০০৭ সালের ১১ জুন, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার ও লক্ষীবাজারে ৬৮৮টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, উল্লেখিত এলাকায় ১৮০১ থেকে ১৮৫০ সাল পর্যন্ত নির্মিত ভবনের সংখ্যা ৩৬টি। ১৮৫১ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে-২২২টি এবং ১৯০১ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে বিল্ডিং ২৫৩টি ভবন।
২০০৭ সালের ১৩ জুন, শফিউল আলম ঃ সেনা সহায়তায় উদ্ধার অভিযান জোরদার-চট্টগ্রামে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ও ঘরবাড়ির দেয়াল ধসে সৃষ্ট স্মরণকালের ভয়াবহতম প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা ১২৯ জনে বৃদ্ধি ঃ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি।
২০০৭ সালের ১৩ জুন, চট্টগ্রাম ব্যুরো ঃ পুঞ্জীভূত অন্যায়ের মূলোৎপাটন করা হবে-চট্টগ্রামে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে সেনা প্রধান-জেনারেল মঈন উ. আহমদ। চলতি-প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় পুঞ্জীভূত অন্যায়ের মূলোৎপাটন করতে পারবে না।-মোঃ জাকির হুসেন।
২০০৭ সালের ১৪ জুন, আমাদের সময়-শাহজাহান আকন্দ শুভ ঃ বিদেশ থেকে তারেক-মামুনের ২১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে চুক্তি হচ্ছে। আনতে পারেনি টাকা।
২০০৭ সালের ১৬ জুন, ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা-অতীতে দলীয় রাজনীতির নামে মাফিয়া ব্যবসা চলেছে-ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
২০০৭ সালের ১৮ জুন, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ ৫শ’ কোটি টাকার সেই হীরক খন্ড হাওয়া ভবনের স্পর্শে হয়ে যায় কাঁচ-রিমান্ডে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের তথ্য। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ছেলে শফিউর রহমান বাবু এটি ভারতীয় চোরাচালানীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমানও জানতেন।
২০০৭ সালের ১৮ জুন, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ যুবকের কাছ থেকে ৪৭ কোটি টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন ফালু। ক্ষমতা ছাড়ার পরও বসুন্ধরার কাছ থেকে মাসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিতেন-সাবেক এমপি মোসাদ্দেক আলী ফালু।
২০০৭ সালের ১৯ জুন, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের কোটি টাকার জামা কাপড়। বাবরের ৫ শতাধিক শার্ট রয়েছে এবং প্রতিটির মূল্য সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রকল্প কোম্পানির সঙ্গে কোকোর গোপন লেনদেন হয়েছিল। রিমান্ডে বাবরের তথ্য।
২০০৭ সালের ২২ জুন, জোট সরকারের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রথম রায়-আমানের ১৩ বছর জেল এবং স্ত্রী সাবেরার ৩ বছরের কারাদন্ড-১০ কোটি টাকার সমস্ত অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত।
২০০৭ সালের ২৬ জুন, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ বনের রাজা ড. ওসমান গনি ১৪২ জনের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
২০০৭ সালের ২৭ জুন, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ রিমান্ডে ফালুর স্বীকারোক্তি। কাওরানবাজার থেকে মাসে আসতো চাঁদা ২৫ লাখ টাকা।
২০০৭ সালের ২৭ জুন, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ কাগজে-কলমে ১৬৭ পণ্য রফতানী করলেও মূল রফতানী ৫ পণ্যই সীমাবদ্ধ ঃ এফবিসিসিআই’র সেমিনার।
২০০৭ সালের ২৮ জুন, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ ৫ বছর দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে তারেক, বাবর, মামুন ও হারিছ। গত ৫ বছরে তিনটি কোম্পানীর কাছ থেকে আড়াইশ’ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন তারেক রহমান, মোসাদ্দেক আলী ফালু ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। অধিকাংশ টাকা পাচার হয়েছে বিদেশে ঃ জিজ্ঞাসাবাদে ফালু।
২০০৭ সালের ৮ জুলাই, ইনকিলাব স্টাফ রিপোর্টার ঃ স্বাধীনতার পর গত ৩৫ বছরে বাংলাদেশে যারাই মন্ত্রী ছিলেন তারা সবাই চোর।-সেমিনারে আলোচকবৃন্দ।
২০০৭ সালের ১১ জুলাই, ইনকিলাব ডেক্স ঃ দুর্নীতি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বড় হুমকি। গণতন্ত্র মানে মানুষকে বঞ্চিত রেখে শুধু নির্বাচিত সরকার নয় ঃ সাংবিধানিক কমিশন গঠন করতে হবে-মইন উ. আহমেদ।
২০০৭ সালের ১২ জুলাই, দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। গেøাবাল অর্গানাইজেশন অব পার্লামেন্টারিয়ান্স এগেইনস্ট করাপশন আয়োজিত কর্মশালায় মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ. আহমেদ। সেনাপ্রধানের ৭-দফা। *সংসদীয় ন্যায়পাল নিয়োগ। *স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা। *পুলিশ পুনর্গঠন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করা। *দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা। *দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা। *দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকলকে নৈতিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।
২০০৭ সালের ২০ জুলাই, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিদেশী বিনিয়োগ দেশের উন্নয়নে কাজে আসছে না। জাতিসংঘের রিপোর্ট নিয়ে সিপিডি’র সংবাদ সম্মেলন।
২০০৭ সালের ২১ জুলাই, ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম-বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি(বিডিপি) অথবা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি(এনডিপি)।
২০০৭ সালের ২৫ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অজ্ঞান পার্টির গুরু আজিজ গ্রেফতার-নগরীতে তার অর্ধশত সক্রিয় সদস্য।
২০০৭ সালের ২৫ জুলাই, উমর ফারুক আলহাদী ঃ এনার্জী সেভিং বাল্ব ব্যবহারে ২,৩৫২ কোটি টাকার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। সেনাবাহিনী পাইলট প্রকল্পের জরিপ। দেশে এনার্জী সেভিং বাল্ব ব্যবহার করে ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।
২০০৭ সালের ২৮ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে ঐতিহাসিক সড়ক যোগাযোগ চুক্তি স্বাক্ষর।
২০০৭ সালের ৩০ জুলাই, মাসুদুজ্জামান রবিন ঃ ৭ হাজার কোটি টাকা আদায়ের উদ্যোগ-অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) ব্যবসায়ীদের জরিমানার রেকর্ড হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এ কর্মকান্ডে সরকার বছরে রাজস্ব হারায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
২০০৭ সালের ৩১ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ যানবাহন সিএনজিতে রুপান্তর করলে ৭২% খরচ বাঁচে। নাভানার সেমিনারে বক্তারা।
২০০৭ সালের ৩ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বহুল আলোচিত ২২তলা র‌্যাংগস ভবনের ৬ তলা ব্যতীত উপরের ১৬তলা অবৈধ ঘোষণা করেছেন সুপ্রিমকোর্ট। পুলিশ, র‌্যাব, সেনা, ফায়ার সার্ভিসের সহস্রাধিক সদস্য নিয়োজিত। রাজউকের ১৪টি টিমে ৩ শতাধিক শ্রমিক কাজ করবে। ম্লাামাল সরিয়ে নিতে ১৫ দিনের সময় চেয়ে আইন উপদেষ্টাকে র‌্যাংগস ভবন কর্তৃপক্ষের চিঠি। সময় লাগবে ১২০ দিন বা ৪ মাস। র‌্যাংগস গ্রæপের ১২ হাজার চাকরিজীবীর ভাগ্য অনিশ্চিত।
২০০৭ সালের ৪ আগষ্ট, স্টালিন সরকার ঃ দেশের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে অসহায় বোধ করছি। রাজনীতির নামে চলছে ভন্ডামি ও ষড়যন্ত্র। ইনকিলাবকে ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।
২০০৭ সালের ৫ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বসুন্ধরার গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগমের নামে গুলশানের বিলাশবহুল বাড়ি ও মালামাল ক্রোক করেছে গুলশান থানার পুলিশ। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে গত ২৫ জুলাই আদালত ক্রোকের আদেশ দেন।
২০০৭ সালের ১৩ আগষ্ট, পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা ঃ হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আসন্ন মনসা পূজা উপলক্ষে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত পটিয়া থানার হাটে গত ১০ আগষ্ট শুক্রবার একটি পাঁঠা ছাগলের মূল্য হাঁকা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ক্রেতা ৯০ হাজার টাকা দাম বললেও ছাগলের মালিক ছাগলটি ছাড়ছে না।
২০০৭ সালের ১৫ আগষ্ট, মঈনুল হক চৌধুরী ঃ পনের দিনে সারাদেশে ৫৩ হাজার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এ পর্যন্ত ৪শ’ জনের মৃত্যু ঃ চর্ম রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।
২০০৭ সালের ১৬ আগষ্ট, মমিনুল হক আজাদ ঃ গত ৫ বছরে ৯০ ভাগ গাড়ীই গায়েব-প্রকল্পের জন্য কেনা হয়েছে ১৬০৩টি কাজ শেষে জমা পড়েছে মাত্র ১৬২টি। জোট সরকারের আমলে গাড়ী দুর্নীতিতে শীর্ষ পাঁচ মন্ত্রণালয় ঃ ১. পরিবেশ ও বন ২. যোগাযোগ ৩. বিদ্যুৎ ৪. মৎস্য ও পশুসম্পদ ৫. এলজিআরডি ও সমবায়।
২০০৭ সালের ১৬ আগষ্ট, মুহাম্মদ আলম, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে-চীনের দুঃখ ছিল হোয়াংহো নদী। আর বাংলাদেশের দুঃখ ব্রহ্মপুত্র নদী। ফি বছর বন্যায় ভাসায় ভাঙনে কাঁদায়। ভাত দিতে না পারি ভাতার ভাগি যায়।-রংপুরের কথা।
২০০৭ সালের ২০ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ মানুষের আয় ও ভোগ বেড়েছে এজন্য মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের মত দেশে পণ্যমূল্য সেভাবে বাড়েনি-অর্থ উপদেষ্টা এ. বি. মির্জা মোঃ আজিজুল ইসলাম। তাঁর কথায় পণ্যমূল্য আরো বাড়ার কথা-তা বাড়েনি।
২০০৭ সালের ২০ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বন্যায় ১ কোটির বেশী লোক ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৬৪ জন।
২০০৭ সালের ২০ আগষ্ট, মমিনুল হক আজাদ ঃ ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরীর প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫৮০ কোটি টাকার বেশী। একনেকে অনুমোদনের জন্য আজ প্রকল্প উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির সমাপ্তিকাল ধরা হয়েছে ২০১০ সাল পর্যন্ত।
২০০৭ সালের ২৮ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ দেশে আয় বৈষম্য প্রকট। পূর্ব-পশ্চিম ধনী-গরীব গ্রাম-শহরে বৈষম্য ঃ বিশ্বব্যাংকের কর্মশালায় অভিমত।
২০০৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, শরীয়তপুর থেকে মোঃ হাবিবুর রহমান হাবীব-পদ্মার ভাঙনে ১৩৬ বছরের প্রাচীন সুরেশ্বর দরবার শরীফ বিলীন হবার উপক্রম।
২০০৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, দুর্নীতিবাজদের তালিকা তৈরী এমাসেই শেষ হচ্ছে ঃ জেনারেল মইন। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সেনাপ্রধানের ১১-দফা প্রস্তাব। সেনাপ্রধান ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, দুর্নীতিবাজদের তালিকা তৈরীর কাজ এ মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। তালিকায় মোট ব্যক্তির সংখ্যা ২২০ জনের উপরে যাবে না। ইতিমধ্যে ১৪২ জনের তালিকা তৈরী হয়েছে। বাকি ৭৮ জনের একটি তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলতি মাসের (৩০-০৯-২০০৭ তারিখের) মধ্যেই শেষ হবে।
২০০৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেড় লাখ আটকেপড়া পাকিস্তানী আইডি ও ভোটার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে-আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত।
২০০৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, উপকুলে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা। আড়াইশ’ বছর ধরে সাগরতলে বড় ভূমিকম্পের অবস্থা সৃষ্টি ঃ আতঙ্ক নয় সচেতনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
২০০৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রীতিকর ঘটনায় দায়েরকৃত ৫৩ মামলার মধ্যে ১৩টির অভিযোগ (চার্জশীট) দাখিল করা হয়েছে। চার্জশীটভুক্ত মামলায় ৪ শিক্ষক, ৩ ছাত্রী ও ১২ ছাত্রসহ ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগ না পাওয়ায় ৩৮ মামলার চুড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ।
২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিশ্বব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট। ব্যবসা বাণিজ্যের সূচকে ১৯ ধাপ নীচে নেমে গেলো বাংলাদেশ। ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট-এ ১৭৮টি দেশ স্থান পায়। এরমধ্যে বাংলাদেশের স্থান হলো-১০৭তম। ২০০৬ সালে ছিল-৮৮তম।
২০০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার-পাচার সংক্রান্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা ঃ মধ্যপ্রাচ্য ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশী নারী ও শিশুদের খোঁজ নেবে সরকার এবং নারী ও শিশুদের জর্ডান, আরব আমিরাত ও ফিলিপাইনের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও সেক্স ইন্ডাস্ট্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে সরকার। বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাসকে চিঠি লিখবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ অর্থ উপদেষ্ট ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, বিদেশে পাচারকৃত হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনা সহজ নয়। বেশী কিছু আশা করা ভুল।
২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (০২-১০-২০০৭ তারিখ) অঘোষিত আয় বৈধ করার সময় শেষ ঃ আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। নির্বাচনী ব্যয়ের জন্যই হয়তো অনেকে টাকা জমিয়ে রেখেছেন ঃ এনবিআর চেয়ারম্যান। অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৪২,৪৫৯ জন করদাতা প্রায় ৫,২১৩ কোটি টাকার বেশি অঘোষিত বা অপ্রদর্শিত আয় করের আওতায় এনেছেন। এর মাধ্যমে মোট আয়কর আদায় হয়েছে প্রায় ৮০২ কোটি টাকা।
২০০৭ সালের ২ অক্টোবর, তালুকদার হারুন ঃ জানা গেছে চলতি ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৮ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন। বিসিআইসির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৭ লাখ টন। চাহিদার বিপরীতে ঘাটতি প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন।
২০০৭ সালের ২১ অক্টোবর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিচার বিভাগ পৃথককরণের সিদ্ধান্ত সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে  বাস্তবায়নে  উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর, বিচার বিভাগ আলাদা হচ্ছে, প্রশাসন ক্যাডারের দ্বিমত। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করবে। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান বিচার অ্যাসোসিয়েশনের। প্রশাসন ক্যাডার চায় পৃথককরণ ছয় মাস পিছিয়ে যাক।
২০০৭ সালের ১ নভেম্বর, ডবিøউইএফের প্রতিবেদন প্রকাশ। প্রতিযোগিতা সক্ষমতার সব সূচকেই পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব প্রতিযোগিতা সক্ষমতার সব কটি সূচকেই পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়েছে ১৫ ধাপ। এক বছর আগেও বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯২তম, আর এবার ১৩১টি দেশের মধ্যে হয়েছে ১০৭তম।
২০০৭ সালের ১ নভেম্বর, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ১৭৬ বছর। বিট্রিশ ও পাকিস্তান শাসনের অবসান ঘটলেও তাদের অগণতান্ত্রিক ও উৎপীড়নমূলক শাসনের ভূত বাংলাদেশের নির্বাহী বিভাগকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ১৮৩১ সাল থেকে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের কাজ চলছে। ১৭৬ বছর পর বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে গত ০১-১১-২০০৭ তা পৃথক হয়।
২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর, অরূপ দত্ত ঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৬৪ একর জায়গার মধ্যে ২৫ একর ঢাকা ক্লাবকে দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ফটক থেকে তিন নেতার মাজার পর্যন্ত এলাকা পর্যন্ত জায়গাটি ‘গলফ খেলার মাঠ’ হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
২০০৭ সালের ৭ নভেম্বর, শওকত হোসেন মাসুম ঃ অসহনীয় বাজার, এক বছরে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ২০০ শতাংশ।
২০০৭ সালের ৮ নভেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক-অর্থবছরের প্রথম চার মাস-ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ঋণ ৭,৮৬৯ কোটি টাকা।
২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর, অরুণ কর্মকার ঃ উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২১ মে, আনুষ্ঠানিকভাবে এসইএ-এমই-ডবিøউই ৪ নামের সাবমেরিন ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। ২৫ বার বিচ্ছিন্ন ফাইবার কেব্ল ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা। বিটিটিবির আরেকটি নতুন সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ। এরমধ্যে ১৪ বার বিচ্ছিন্ন হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম অংশে আর ১১ বার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অংশে। ২৫ বারের মধ্যে ১৬ বার কেব্ল বিচ্ছিন্ন হয় নাশকতামূলক কর্মকান্ডের কারণে। এরপর প্রায় ২৮ বারের মতো নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত ফাইবার অপটিক সংযোগের তার কাটা পরে(১৪-১১-২০০৭ তারিখ)।
২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর, বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ।
২০১২ সালের ১৪ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা ৬০ লাখ।
২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশে দশ বছরে নতুন ৩৪ লাখ ডায়াবেটিক রোগী শনাক্ত-২০০৩ সালে ছিল ৫০ লাখ। বাংলাদেশে ৮৪ লাখ রোগী। বিশ্বে ২০০৩ সালে ১৯ কোটি ছিল। ২০১৩ সালে ৩৭ কোটিতে।
২০১৪ সালের ১৪ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ : বাংলাদেশে ৮৪ লাখের বেশি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। প্রতিরোধে বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত।
২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর, নীলফামারী ও গাইবান্ধায় সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ ঃ ১৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে দারিদ্র্য দূর হবে। আমি সেনা প্রধানের কথার সাথে একমত-কিন্তু আমার প্রশ্ন কারা করবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যারা যায় তারা, নাকি জনগণ। এখন সময় আসছে-এ প্রশ্নের মীমাংসা হওয়া উচিত।
২০০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক-বিআইডিএসের আলোচনায় মার্কিন অর্থনীতিবিদ বলেন-‘পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য উদারীকরণ অবাস্তব’। শতভাগ উদারীকরণ একটি অবাস্তব বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বিশ্বের কোনো দেশই এ পথে হাঁটেনি।
২০০৭ সালের ৪ ডিসেম্বর, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতিকের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়। ‘পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি’ ¯েøাগান নিয়ে ‘‘বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি’’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
২০০৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর, দেশে হিমায়িত ভ্রƒণ থেকে প্রথম শিশু হলো নূর নামে একটি মেয়ে।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি, পাঁচজন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন এবং তাঁদের পরিবর্তে নতুন পাঁচজন উপদেষ্টা শপথ নেন ০৯-০১-২০০৮ তারিখ থেকে…। যে সব মন্ত্রণালয়গুলো বণ্টন করা গেল না সেগুলোর সরাসরি দায়িত্বে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি, তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে ড. ফকরুদ্দীন আহমদ শপথ নেন।
ক্রমিক রাষ্ট্রপতি-২০০৭ অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ
১. প্রধান উপদেষ্টা-২০০৭ ড. ফকরুদ্দীন আহমদ
২. স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ড. এ. এম. এম. শওকত আলী (নতুন ০৯-০১-২০০৮)
৩. অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. এ. বি. মির্জা আজিজুল ইসলাম
৪. নৌপরিবহন, ভূমি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) এম.এ. মতিন
৫. আইন,বিচার ও সংসদ এবং ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ (০৯-০১-২০০৮)
৬. প্রাথমিক ও গুশিক্ষা এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী (নতুন-০৯-০১-২০০৮)
৭. যোগাযোগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম কাদের (নতুন ০৯-০১-২০০৮)
৮. স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা সাবেক আইজিপি মোঃ আনোয়ারুল ইকবাল
৯. পররাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী
১০. কৃষি এবং পানিসম্পদ ড. চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম
১১. শিক্ষা ও বাণিজ্য(নতুন) ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ০৯-০১-২০০৮।
২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি, সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা-অর্থনীতিতে কোনো স্থবিরতা নেই এবং চলতি অর্থবছরে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া পূর্বাভাস সম্পর্কে ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, যদি বিশ্বব্যাংকের হিসাবের বাস্তব প্রতিফলন ঘটে, তাও বৈশ্বিক বিচারে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে খারাপ বলা যাবে না। প্রবৃদ্ধি অর্জনের অবস্থানে বাংলাদেশ ১৮০টি দেশের মধ্যে ২৫ থেকে ২৬তম অবস্থানে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি, সিইসি ড. এ. টি. এম. শামসুল হুদা বলেন-১২ জেলায় সংসদীয় আসন কমবে, বাড়বে ৫টিতে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা যেসব জেলায় আসন কমছে-ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বরগুনা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর ও ময়মনসিংহ। যেসব জেলায় আসন বাড়ছে-ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নেত্রকোনা। ঢাকা মহানগরে আসনসংখ্যা ছিল ১৩টি থেকে বেড়ে হবে-২০টি।
২০০৮ সালের ২৭ জানুয়ারি, চাল, ডাল, আটা ও তেলের দাম কমছে না, মানুষ দিশেহারা।
২০০৮ সালের ২৭ জানুয়ারি, দন্ডিত শিক্ষক-ছাত্ররা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের অযোগ্য-আপিলের পর নির্দোষ প্রমাণিত হলে অযোগ্যতা থাকবে না।
২০০৮ সালের ২৯ জানুয়ারি, তিতাসের ১২৬ কর্মচারী ৪০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ফেরত দেবেন-টাস্কফোর্সের কাছে অঙ্গীকার।
২০০৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, অরূপ দত্ত ঃ আবদুল কাদির মোল্লার নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার পাঁচকান্দিতে তাঁর বাড়ি। তিতাসের সাবেক এক কর্মচারী ২,১০০(দুই হাজার একশত) কোটি টাকার মালিক। তিতাসের কর্মচারী (বিক্রয় সহকারী) হিসেবে তিনি ১৯৮৫ সালে তিতাস কোম্পানীতে যোগদান করেন এবং সেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৭ সালে।
২০০৮ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর ও গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি ঃ মঙ্গাকে চিরতরে নির্বাসন দিতে চাই ঃ প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আমি মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর) প্রধান উপদেষ্টার কথার সাথে একমত নই, কারণ-এ সমাজব্যবস্থায় দুর্নীতি উচ্ছেদ করতে পারেনি-তাই মঙ্গাও চিরতরে নির্বাসন দিবে না।
২০০৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আইন উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতীয় সরকারের ধারণা সংবিধানসম্মত নয়। সংবিধানে নির্বাচিত ও তত্ত¡াবধায়ক-এ দুই ধরনের সরকারের বিধান রয়েছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. এম. জহির আইন উপদেষ্টার বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, জাতীয় সরকারের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। যাঁরা নির্বাচন করে জিততে পারবেন না, তাঁরাই হয়তো জাতীয় সরকারের বিষয়টি সামনে টেনে আনছেন।
২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, শতদল সরকার ঃ লালবাগ কেল্লায় তিনটি প্রতœব¯ত্ত ও নৃতাত্তি¡ক টুকরো মিলেছে। প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেছেন, স্থাপনাগুলো আনুমানিক ১৬০০ সালের দিকে নির্মিত।
২০০৮ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, ষষ্ঠ চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু (মুক্তারপুর সেতু) উদ্ভোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ (১৮-০২-২০০৮) মুন্সিগঞ্জবাসীর সময় ও দুর্ভোগ দুটোই কমল। সেতুর দৈর্ঘ ১.৫২ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১০ মিটার। সেতুর ব্যয় ২০৮ কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, ফারুক ওয়াসিফ ঃ বিপন্ন ভাষার কান্না আদিবাসী জনপদে, বিলুপ্ত ৪, মুমূর্ষ ৫১। আর বাংলাদেশে ৭৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৬৮টি ভাষার মধ্যে চারটি বিলুপ্ত। বাকি ৬৪টির বড় অংশই বিলোপের কিনারে। ভাষিক সংখ্যালঘুদের ৩১ দশমিক ৯ শতাংশই আজ আর নিজ ভাষায় শিক্ষা দরকার মনে করে না।
২০০৮ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, অরূপ দত্ত ঃ ব্যয় ভাগাভাগির নামে তিতাসের তিন হাজার কোটি টাকা ক্ষতি। আরও দুর্নীতি-তিতাসের ৬০০ কর্মচারীর ওভারটাইম বেতনের চেয়ে বেশি। ২০০২ সালের জুলাই থেকে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ের (ওভারটাইম) কাজ দেখিয়ে ২৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই সময়ে তাঁদের মোট বেতন ছিল ১৮ কোটি ৪ লাখ টাকা।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, কামরুল হাসান ঃ জনমত জরিপে গিয়ে আটকে গেছে পুলিশ বাহিনীর সংস্কার। পুলিশ বাহিনীকে যুগোপযোগী করতে ‘বাংলাদেশ পুলিশ অধ্যাদেশ ২০০৭’ নামে একটি নতুন আইনের খসড়া ইতিমধ্যে তৈরী হয়ে গেছে। পুলিশ সংস্কার প্রকল্পের আওতায় এ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মতামত জানতে দেশের ৬৩০টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এখন মানুষের মতামত সংগ্রহ করছেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী, নয়াদিল্লী-নয়াদিল্লীতে গতকাল (২৫-০২-২০০৮) এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ ও ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল দীপক কাপুর করমর্দন করেন-এএফপি। পাঁচ লাখ টন চাল দ্রুত পাঠাতে ভারতকে জে. মইনের অনুরোধ। প্রণব মুখার্জিসহ ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক।
২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি, নিয়াজ মোর্শেদ ঃ জন্মনিবন্ধনে সাড়া কম, প্রচার নেই, সময় বাড়ছে। সারা দেশে এখনো প্রায় নয় কোটি মানুষের জন্মনিবন্ধন হয়নি। গত আট মাসে জন্মনিবন্ধন করিয়েছে মাত্র সাড়ে চার কোটি মানুষ। কাজের অগ্রগতি আশাপ্রদ নয় বলে জাতীয় পরিচয়পত্রধারীদের আলাদা করে আবার জন্মনিবন্ধন না করানোর চিন্তা করছে সরকার। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০০৮ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।
২০০৮ সালের ৪ মার্চ, ঢাকায় যুক্তরাজ্যের সংক্রামক ব্যাধি বিশেযজ্ঞ প্রতি আট মাস অন্তর নতুন রোগ ৮০ শতাংশের উৎস পশু-পাখি ও জীব-জন্তু।
২০০৮ সালের ৪ মার্চ, শতাধিক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী বিদেশে পালিয়ে আছেন।
২০০৮ সালের ৪ মার্চ, এ বছরই উপজেলা নির্বাচনের পক্ষে সরকার ও কমিশন।
২০০৮ সালের ৯ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার থাকবে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা। সংসদের এক-তৃতীয়াংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণ এবং প্রত্যক্ষ ভোটের সুপারিশ।
২০০৮ সালের ১০ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক-মতবিনিময় সভায় আনিসুল হক। এফবিসিসিআইকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় কাজ করতে হবে। ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় আনিসুল হক বলেন, দেশের প্রায় ১৬ লক্ষ ব্যবসায়ীর অভিভাবক হলো এফবিসিসিআই।
২০০৮ সালের ১১ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক-দক্ষিণ এশিয়ার নারী শীর্ষক সেমিনারে তথ্য। দেশের মোট অর্জিত আয়ে নারীর অংশ এক-চতুর্থাংশেরও কম।
২০০৮ সালের ১১ মার্চ, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ উপজেলায় সাংসদদের কর্তৃত্ব বাতিল করে আইন সংশোধন।
২০০৮ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ডেস্ক ঃ আলু রাখার জায়গা নেই কৃষকের। ২০০৮ সালকে আন্তর্জাতিক আলুবর্ষ ঘোষণা করেছে। হিমাগারের অভাবে অনেক জায়গায় আলু রাখতে পারছে না কৃষক। কিন্তু বড় বড় শহরগুলিতে অফিস-আদালত, বাসাবাড়ি, মার্কেটগুলিতে এবং প্রাইভেট কারে এবং বাসে  এয়ারকুলার-এয়ারকন্ডিশনার লাগানো আছে। আর মৌসমের সময় আলূ-টমাটো ও মৌসমী ফল রাখার জায়গা নেই। এ হলো বাংলাদেশের অবস্থা। আর সরকার কৃষককে বলে উৎপাদনবাড়াতে। কৃষক উৎপাদন বাড়ালে কৃষকের ক্ষতি। কিছু লোকের আরাম-আয়াসের জন্য এয়ারকুলার-এয়ারকন্ডিশনার লাগানো আছে। এ দেশে উৎপাদক শ্রেণীর জন্য মানবিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেই।
২০০৮ সালের ১৬ মার্চ, ভোটার মাত্র দু’জন। ফেনীর একটি গ্রামে ভোটার মাত্র দু’জন। তাঁরা হলেন পেলু মিয়া (৫৮) ও আনোয়ারা বেগম (৪০)। জয়চাঁদপুর নামের ওই গ্রামে একটি মাত্র পরিবার বাস করে। পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের এ গ্রামটির আয়তন ১৫৮.৩৬ একর। গ্রামের তিন দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত। পেলু মিয়া ও তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা ১৫-০৩-২০০৮ তারিখ ভোটার তালিকায় নাম উঠিয়েছেন।
২০০৮ সালের ১৯ মার্চ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কল্যাণ সমিতির সেমিনারে তথ্য-প্রতিবছর ৫০ হাজার পথশিশু বাড়ছে।
২০০৮ সালের ২০ মার্চ, বাংলাদেশকে খাদ্য সহায়তা দিতে জাতিসংঘের আহবান।
২০০৮ সালের ২৬ মার্চ, ৬৪ জেলায় ৫০ হাজার নারী শ্রমিক নিয়োগের উদ্যোগ। এ আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্পের প্রত্যেক শ্রমিক প্রতিদিন পাবে নগদ ৫৪ টাকা, ব্যাংকে জমা হবে ৩৬ টাকা। পাঁচ বছর শেষে সঞ্চয় থেকে এককালীন পাবে ৭০ হাজার টাকা। তারা পাঁচ বছরে দেশের ৯৮ হাজার কিলোমিটার সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াও বৃক্ষরোপণের কাজও করবে।
২০০৮ সালের ২৭ মার্চ, বিশ্বের উঞ্চতা বাড়লে দক্ষিণ এশিয়ায় বা¯ত্তচ্যুত হবে সাড়ে ১২ কোটি মানুষ।
২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল, শ্যামল সরকার ঃ সারা দেশে ১০০ কোটি টাকার কর্মসংস্থান কর্মসূচী ঃ প্রতিটি গ্রামে হতদরিদ্র মানুষ কাজের বিনিময়ে দৈনিক দেড়’শ টাকা করে পাবে। বোরো না ওঠা পর্যন্ত কমূসূচী চলবে। এ ছাড়া ১৯৮ উপজেলাকে সর্বাধিক দারিদ্রপীড়িত এলাকা ঘোষণা। এ ১০০ কোটি টাকার কর্মসংস্থান জাতির সাথে প্রতারণা করার মত কাজ।
২০০৮ সালের ৬ এপ্রিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধসহ ২৮ সুপারিশ। আগষ্টের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গেজেট আকারে প্রকাশ। * আন্দোলনটি ছিল তত্ত¡াবধায়ক সরকারকে বিপাকে ফেলার ষড়যন্ত্র। * নাশকতার জন্য অর্থ লেনদেন হয়েছিল।
২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল, একরামূল হক বুলবুল, চট্টগ্রাম ঃ চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত ৮৫৯টি সন্ত্রাসী ও আসামি বিদেশে পলাতক।
২০০৮ সালের ৯ এপ্রিল-পত্রিকার সম্পাদকদের সাথে সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদের মতবিনিময়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ নেই। আলুর উৎপাদন প্রসঙ্গে জেনারেল মইন বলেন, দেশে মোট ৮০ লাখ মেট্রিক টন আলূ উৎপাদিত হয়েছে। গতবারের তুলনায় ৩০ লাখ টন বেশি। কিন্তু ৬০ লাখ টন গুদামজাত করার ব্যবস্থা। অবশিষ্ট আলু কৃষকের হাতেই থাকবে।
২০০৮ সালের ১০ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সার্ক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল, দীর্ঘ ৪৩ বছর পর (মানে ১৯৬৫ সালের পর) ঢাকা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস চালু হয়।
২০০৮ সালের ২১ এপ্রিল, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক-গ্রাম সরকার বাতিল।
২০০৮ সালের ২১ এপ্রিল, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক-সশস্ত্র বাহিনীর জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়।
২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল, সুনীতি বিশ্বাসঃ মাত্র ১০ টাকায় চীন থেকে চশমার ফ্রেম আমদানি করা হয়। অবিশ্বাস্য কম মূল্যে শুল্কায়নে দেশি শিল্প হুমকির মুখে।
২০০৮ সালের ১ মে, প্রথম আলোর রিপোর্টঃ ১৩৩টি সংসদীয় আসনের পুনঃর্নির্ধারিত সীমানার খসড়া বিবরণী। ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃর্নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে ১৩৩টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তিত হয়েছে। আসনভেদে এ পরিবর্তন ব্যাপক, আংশিক বা সামান্য।
২০০৮ সালের ১ মে, মিয়ানমারে আঘাত হেনেছে নার্গিস, বাংলাদেশে আশঙ্কামুক্ত। নার্গিস একটি ফুলের নাম।
২০০৮ সালের ৪ মে, খাদ্যসংকট, খাদ্যাভ্যাস ও বুশের নতুন আবিস্কার। বুশ বলেছেন,  বর্তমান খাদ্যসংকটের জন্য দায়ী ভারত। গত ৩ মে ওয়াশিংটনে তিনি বলেছেন, ভারতের বিপুলসংখ্যক মধ্যবিত্তের কারণেই বিশ্বে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। এসব মধ্যবিত্তের বিত্ত বেড়ে যাওয়ায় তারা আগের চেয়ে বেশি খাবার খচ্ছে। ভারতে এ মধ্যবিত্তের সংখ্যা এখন ৩৫ কোটির বেশি, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। বুশের মতে, আপনি যদি ধনী হতে শুরু করেন, তাহলে আপনি পুষ্টিমানসম্পন্ন বেশি ও ভালো খাদ্য চাইবেন। এ কারণেই চাহিদা বাড়ছে এবং তাতে বাড়ছে খাদ্যের দাম। কন্ডোলিৎসা রাইস ভারতের পাশাপাশি চীনকেও খাদ্যসংকটের জন্য দায়ী করেছেন। আর জাতিসংঘ বলেছেন বিশ্বের বর্তমান খাদ্যসংকটের জন্য দায়ী এ জৈব জ্বালানি। খাদ্য সংকটের জন্য দায়ী জৈব জ্বালানি বা বায়োফুয়েল। আর এ জন্য বেশি দায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৮ সালের ৫ মে, ১৫ জুনের মধ্যে শিল্প ব্যাংক ও শিল্প ঋণ সংস্থা একীভূত করার সব দলিল তৈরির নির্দেশ।
২০০৮ সালের ৭ মে, সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক-তারেক ও বাবরের বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকা ঘুষ মামলার অভিযোগপত্র। হত্যার অভিযোগ থেকে বসুন্ধরার ছেলেকে রক্ষায় ঘুষ গ্রহণ।
২০০৮ সালের ৯ মে, নিজস্ব প্রতিবেদক-১০-০৫-২০০৮ তারিখ এক কোটি ৯০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ বড়ি খাওয়ানো হবে।
২০০৮ সালের ১৩ মে, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন। জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ। ১৩-০৫-২০০৮ সাল থেকে সারা দেশে ঘরোয়া রাজনীতি উন্মুক্ত। ২২ মে থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ। জরুরি আইন যথাসময়ে স্থগিত বা শিথিল হবে। ঐমমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ’ তৈরির প্রয়োজন। গতকাল জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণের পূর্ণাঙ্গ ভাষ্য। ড. ফখরুদ্দীন আহমদঃ তত্ত¡বধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বর্তমান তত্ত¡াবধায়ক সরকার এ বছরের শেষে আর থাকবে না। কিন্তু রয়ে যাবে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। আমরা প্রবলভাবে আশাবাদী, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষের আজীবন লালিত স্বপ্ন ও আশা-আকাক্সক্ষা একটি বাস্তব রূপ পাবে। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ ঃ তত্ত¡বধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যা বলেছেন তার কিছু অংশ ছাড়া আর কোনকিছুই বাস্তবে রুপ পাবে না।
২০০৮ সালের ১৮ মে, প্রথম আলোর রিপোর্ট ঃ পৌনে তিন হাজার সেতু কোনো কাজে আসছে না। এ সেতুগুলোর অবস্থা-কোনো যায়গায় রাস্তা আছে সেতু নেই এবং কোনো যায়গায় রাস্তা নেই সেতু করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে ৬০০ সেতুর সঙ্গে সড়ক নেই, আছে দুর্ভোগ। বরিশালে ৩৩৬ সেতু কাজে আসছে না। ভোলায় বিএনপি-জামায়াতের দেড় ‘শ’ নেতা-কর্মীর বাড়ির সামনে একটি করে সেতু! কুমিল্লায় ২১০টি সড়কহীন সেতু, জনদুর্ভোগ। অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ। নদী ও পরিবেশ ধ্বংশ, নৌচলাচল বিঘিœত। মন্তব্য প্রতিবেদন-এ লুটপাট বন্ধ হবে কবে? জনগণ যেদিন বন্ধ করবে-সেদিনই এ লুটপাট বন্ধ হবে।
২০০৮ সালের ২৩ মে, দুই মন্ত্রণালয়কে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি-পৌনে তিন হাজার সেতু কাজে না আসার বিষয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন।
২০০৮ সালের ১৯ মে, কমনওয়েলথ সেরা প্রথম গ্রন্থের পুরস্কার পেল তাহমিমা আনাম ‘এ গোল্ডেন এজ’। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা এ উপন্যাস ইতিমধ্যে নানা মহলে প্রশংসিত হয়েছে। কমনওয়েলথ ফাউন্ডেশন কমনওয়েলথ লেখক পুরস্কার-২০০৮। তাহমিমা আনাম এ উপমহাদেশের স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ ও লেখক প্রয়াত আবুল মনসুর আহমদ ও বেগম আকিকুন্নেসা আহমদের নাতনি। তাঁর পিতা মাহফুজ আনাম ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক এবং মা শাহীন আনাম মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক।
২০০৮ সালের ২০ মে, ময়মনসিংহ নেত্রকেকোণায় খাদ্য উপদেষ্টা-খাদ্যের মজুদ বাড়াতে আরও ৩০০ নতুন গুদাম করা হবে।
২০০৮ সালের ২০ মে, মহানগরীতে ৩৩টি থানা আছে এবং আরও ৮টি নতুন থানা হচ্ছে।  থানাগুলির নাম-দারুস সালাম, বংশাল, কলাবাগান, চকবাজার, কদমতলা, রামপুরা, গেন্ডারিয়া ও শেরেবাংলানগর।
২০০৮ সালের ১২ জুন, বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস-বাংলাদেশের ১৩ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছে।
২০০৮ সালের ১৩ জুন, নিষিদ্ধ সংগঠনের হয়ে প্রচার চালালে সাত বছর কারাদন্ড।
২০০৮ সালের ২৬ জুন, মাদকের পেছনে বছরে খরচ ১৭ হাজার কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ২৭ জুন, সিনেটে অনুমোদন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস হিসেবে পালিত হবে ২০০৭ সালের ২৩ আগষ্ট।
২০০৮ সালের ২ জুলাই, বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ ২০% বেশি রেখে শেষ হয়েছে গত অর্থবছর।
২০০৮ সালের ১৬ জুলাই, ঢাকায় নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ওলে ড্যানবোল্ট মিয়সকে স্বাগত জানান নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
২০০৮ সালের ১৬ জুলাই, বিশ্বের ১০০টি দেশের মধ্যে শিল্প খাতে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতায় বাংলাদেশের অবস্থান ৬৭তম।-ইউএনডিপি।
২০০৮ সালের ৩০ জুলাই, ট্রুথ কমিশন (সত্য ও জবাবদিহিতা কমিশন) গঠিত হয়। যাত্রা শুরু-৩ আগস্ট-২০০৮ সাল।
২০০৮ সালের ৩১ জুলাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই লাখ চল্লিশ হাজার স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স অক্টোবরের মধ্যে চলে আসবে। মূল বাক্স ইতালিতে এবং ঢাকনা ও নিরাপত্তা সিল নির্মিত হচ্ছে ফ্রান্সে।
২০০৮ সালের ৩১ জুলাই, রাজশাহীতে জাতীয় সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা ড. ফকরুদ্দীন আহমদ-এবারের নির্বাচন একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ নির্বাচন দিয়ে জাতীয় সমস্যার সমাধান হবেনা-মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর)।
২০০৮ সালের ১০ আগষ্ট, সিপিডির সংলাপে তথ্য প্রকাশ-দেশে দাম্পত্য নির্যাতনের ব্যয় জিডিপির সাড়ে ১০ শতাংশ।
২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট, ‘সত্য ও সুন্দরের পক্ষে’ দিগন্ত টিভির জন্ম।
২০০৮ সালের ২৯ আগষ্ট, বুয়েটে আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে অভিমত-যানজটের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি।
২০১৫ সালের ১৫ জুলাই, প্রথম আলো : দেশে যানজটের কারণে বছরে ৫৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং কার্যক্রম-১ ডিসেম্বর, ২০০৯।
২০০৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ বিন নাসের আল বুসাইরির আমন্ত্রণে ০৫-০৯-২০১০ তারিখ গুলশানে তাঁর বাসায় ইফতার পার্টিতে বাঁ থেকে আমির হোসেন আমু, এইচ. এম. এরশাদ, জিল্লুর রহমান, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মোঃ নূরউদ্দিন ও মতিউর রহমান নিজামী। ছবিঃ এটিএনের সৌজন্যে।
২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, চাকরির মেয়াদ নয়, পেনশন ও গ্র্যাচুইটি বাড়ান। অপরদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্তমান পেনশন ও গ্র্যাচুইটির হার নির্ধারিত হয় ১৯৮৯ সালে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী তা খুবই সামান্য। অবিলম্বে পেনশন ও গ্র্যাচুইটির হার বৃদ্ধি করা একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, দেশের মোট রপ্তানি আয়ে ১১টি পণ্যের অবদানই ৯১ শতাংশের বেশি।
২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, কলকাতায় ব্যবসায়ী নেতারা বাংলাদেশ ২০১০ সালে ভারতে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১০০ কোটি ডলারে তুলতে চায়।
২০০৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ-সংসদ নির্বাচন ১৮ ডিসেম্বর, উপজেলা ২৪ ও ২৮ ডিসেম্বর। তাঁর কথামত নির্বাচন হবে না।
২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, দল নিবন্ধন ও ঋণ-বিলখেলাপিদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া সহজ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ড. এ. টি. এম. শামসুল হুদা।
২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় আরও ২টি নতুন থানা আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু এবং এ ২টি থানা নিয়ে ঢাকায় থানার সংখ্যা হলো-৪৩টি।
২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি-১৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি শিশু জন্ম নেয়। ডা. পবিত্র কুমার কুন্ডু জানান, শিশুটি ত্রুটিপূর্ণ ও বিকলাঙ্গ ছিল। এত ওজনের বড় শিশু এর আগে জন্ম নিয়েছে বলে আমার জানা নেই।
২০০৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, র‌্যাংগস ভবনের মালিক ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে ২৫ কোটি টাকা। আর ২২তলা ভবনটি বিক্রি হয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকায়।
২০০৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, হুজি এবার ‘আইডিপি’ মানে ইসলামী ডেমোক্রেটিক পার্টি নামে প্রকাশ্য রাজনীতি শুরু করল। এ সংগঠনের আহবায়ক মৌলানা শেখ আবদুস সালাম। প্রথমে তাঁদের সংগঠনের নাম ছিল ১৯৯২ সালে ‘হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ’ নামে। এরপর ১৯৯৮ সালে তা বিলুপ্তি ঘোষণার পর ‘ইসলামী গণ-আন্দোলন’ নামে সংগঠন।
২০০৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ বলেছেন, চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর সরকার পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ। আরো বলেছেন তিনি যে, ভবিষ্যতে সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। আমি মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর) বলি যে, এ সমাজব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন করবে না।
২০০৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, আইএমএফের নতুন প্রতিবেদন প্রকাশঃ খাদ্য ও তেলের দাম এখনো বেশি বাংলাদেশসহ ৫৮টি দেশ সংকটে।
২০০৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, হৃদরোগের ঝুঁকিসমূহ জানুনঃ ১. ধুমপান ও তামাকজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ, ২. অতিরিক্ত ওজন, ৩. শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, ৪. অধিক লবণ ও চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ, ৫. কম পরিমাণে ফলমূল ও শাকসব্জি গ্রহণ, ৬. উচ্চ রক্তচাপ, ৭. রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য ও ৮. ডায়াবেটিস। নিরাপদ থাকুন-হৃদরোগ থেকে মুক্ত থাকতে করণীয়ঃ ১. ধুমপান বর্জন করুন, ২. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান, ৩. লবণ ও চিনি কম খান, ৪. তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাদ্য পরিহার করুন, ৫. ফলমূল এবং শাকসব্জি বেশি খান, ৬. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন, ৭. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, ৮. উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন ও ৯. অতিরিক্ত মানসিক চাপ ত্যাগ করুন।
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, দেশের বৃহত্তম কাপড়ের বাজারে এবার  ঈদের বেচাকেনা তেমন জমেনি-প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে রমজান মাসের শুরুতেই বাবুরহাট প্রায় ৫০ হাজার ব্যবসায়ীর পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। বছর দুই আগেও পাইকারি ক্রেতারা প্রতি সপ্তাহে ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক মাল কিনে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কিশোগঞ্জ, খুলনা, বগুড়া, হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যেত। অথচ এখন হাটবারেও ৬০ থেকে ৭০ ট্রাকের বেশি পণ্য বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বাবুরহাটে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার দোকান রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলার উৎপাদিত কাপড়সহ বিদেশ থেকে আমদানি করা কাপড় পাইকারি বিক্রি হয় এখানে। সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রোববার তিন দিন বাজারে বেচাকেনা হয়।
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড)-এর বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন-বিনিয়োগ সম্ভাবনা সূচক পতনে বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক।
২০০৮ সালের ৯ অক্টোবর, দুই শতাধিক নতুন প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর সন্ধান।
২০০৮ সালের ১৩ অক্টোবর, গবেষণা প্রতিবেদন-বাংলাদেশে ১৮ বছরের আগেই শতকরা ৬৩ ভাগ নারীর বিয়ে হয়।
২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর, চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ঘাটতি ৩০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ৭৪টি পণ্যের শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা দাবি বাংলাদেশের।
২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর, এখনো জনসংখ্যার ৪৮ ভাগ মানুষ খোলা পায়খানা ব্যবহার করে। আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) জরিপে  দেখা যায়, এক শতাংশেরও কম মানুষ খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে যথাযথভাবে হাত ধোয়। তাই প্রতিবছর এখানে পাঁচ বছরের কমবয়সী ৩৫ হাজার শিশু ডায়রিয়ায়  মরে।
২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর, সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ গতকাল মিরপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেসনালসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর, ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য এখনই গাড়ি কেনার উদ্যোগ। ৫০টি গাড়ি  কিনতে ব্যয় হবে সাড়ে ১২ কোটি টাকা। ২০০৩ সালে কেনা ২৩টি গাড়ি পাঁচ বছরেই বিকল।
২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর, ১০৭টি দলের বেশির ভাগ নিবন্ধন নাও পেতে পারে। সূত্রমতে, সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আগামী নির্বাচনের জন্য ৪০ থেকে ৪৫টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেতে পারে। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ৯৯টি দল নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছিল। পরে সেগুলোর মধ্যে ৫৪টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়। এবার দলগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু নিবন্ধিত দলগুলোই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর, সিপিডি-এফবিসিসিআই আয়োজিত আলোচনায় অভিমত। জ্বালানি খাতের উন্নতি ছাড়া সব উন্নয়ন কর্মকান্ড মুখ থুবড়ে পড়বে। তার সাথে আমার অভিমত হল-ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় অপচয় বন্ধ করতে না পারলে জনগণের কোন উন্নতিই হবে না।
২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবর, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের ঠিকানায় আছে বাসা, করাতকল, আড়ত! সিলেট নগরের কালীঘাটের জাতীয় নাগরিক পার্টির কার্যালয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে অনুসন্ধানকারীরা সেখানে আড়ত দেখতে পান এবং সাগরদীঘিরপাড়ের এ বাড়িকে দেখানো হয়েছে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের জেলা কার্যালয়।
২০০৮ সালের ১ নভেম্বর, বরিশালে বসত ও মেসবাড়ি, দোকানে মিলল রাজনৈতিক দলের কার্যালয়। বরিশাল বি. এম. কলেজের সামনে মেসবাড়ির একটি কক্ষে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের কার্যালয়ে (বাঁয়ে)। নগরীর কাশীপুরে এ বাড়িকে দেখানো হয়েছে জাগপার কার্যালয়।
২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা-সংসদ নির্বাচন ১৮ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ১৩ নভেম্বর, বাছাই ১৬ ও ১৭ নভেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৪ নভেম্বর। উপজেলা নির্বাচন ২৮ ডিসেম্বর-মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ১৩ নভেম্বর, বাছাই ১৯ ও ২০ নভেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ নভেম্বর।
২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর, বদলে গেছে সংসদের ৮৪টি নির্বাচনী এলাকার সীমানা। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৪ বছর আগে ১৯৮৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর,  সর্বশেষ ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নিধারণ করা হয়। ঢাকায় ২০টি আসন হচ্ছেঃ লোকসংখ্যার ভিত্তিতে করায় অল্প জায়গায় আসনের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। ১৩টি বদলে এখন আসন দাঁড়াচ্ছে ২০টি। এরমধ্যে মহানগরে ১৪টি বাকী ৬টি ঢাকা জেলার ৫ উপজেলার মধ্যে।
২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর, উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য ৪৮২টি জিপ কেনা হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে গ্যাসচালিত ১৫০০ থেকে ২০০০ সিসির গাড়ি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকেরা স্বপদে থেকেই সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন। দুটি নির্বাচন একসঙ্গে না। সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত (এমপিওভুক্ত) স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরাও স্বপদে থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।  আর (এমপিওভুক্ত) স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরাও স্বপদে থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি কেউই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তাঁকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। সরকারি চাকুরেদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া বা প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেঁধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে-এ অধ্যাদেশে। একজন প্রার্থী ভোটার প্রতি ৫ টাকা হারে খরচ করতে পারবেন-তবে ব্যয়সীমা ১৫ লাখের বেশি হবে না। নির্বাচনে দলীয় ব্যয় সর্বোচ্চ দেড় কোটি থেকে চার কোটি টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দন্ডিত যুদ্ধাপরাধীকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ঋণ ও বিলখেলাপীরা নির্বাচনের অযোগ্য, তবে ক্ষুদ্র কৃষি ঋণগ্রহীতা খেলাপিরা প্রার্থী হতে পারবেন।
২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর, রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশে নিজের লাগানো তালগাছের সারি দেখাচ্ছেন নিঃস্ব গহের আলী। বিশ বছর যাবত নিঃস্ব গহের আলীর ‘তালসাম্রাজ্য’ ১২ হাজার তালগাছ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ভীমপুর ইউনিয়নজুড়ে। গহের আলীর বাড়ি এ ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামে। বয়স বলেছে প্রায় ১০৬ বছর, আমার মনে হয় ৮৬ বছর হবে। তাকে ইত্যাদির পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা দেয়া হয়।
২০০৮ সালের ৯ নভেম্বর, স্বেচ্ছা অবসরে যেতে হচ্ছে সোনালী ব্যাংকের ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায় তিনটি ব্যাংকের স্বেচ্ছা অবসর কর্মসূচীর আওতায় প্রায় ১৬ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবসরে যেতে হবে। সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের কোম্পানিতে রূপান্তুর হওয়ার জন্য।
২০০৮ সালের ১০ নভেম্বর, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা-সংসদ নির্বাচন ১৮ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ২০ নভেম্বর, বাছাই ২৩ ও ২৪ নভেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর। উপজেলা নির্বাচন ২৮ ডিসেম্বর-মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ২০ নভেম্বর, বাছাই ২৫, ২৬ ও ২৭ নভেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর।
২০০৮ সালের ১৪ নভেম্বর, ছয় বছরে জীবন বীমা করপোরেশনের অননুমোদিত খরচ ১২০ কোটি টাকা। আর করপোরেশনে ১৬ হাজারেরও বেশি বীমা দাবি অনিষ্পন্ন রয়েছে। এ ছাড়া করপোরেশনের স্বার্থ পরিপন্থী অনেক লোকসানি বীমা প্রকল্প এখনো চালু রয়েছে।
২০০৮ সালের ২২ নভেম্বর, ৩৭টি দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
২০০৮ সালের ২৪ নভেম্বর, নির্বাচনের পুনঃ তফসিল ঘোষণা-সংসদ মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাই ৩ ও ৪ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ডিসেম্বর। নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর। উপজেলা ঃ মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ১৩ ডিসেম্বর, বাছাই ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। নির্বাচন ২২ জানুয়ারি।
২০০৮ সালের ২৪ নভেম্বর, দুবাইয়ের বহুল আলোচিত আটলান্টিস পাম জুমেরিয়াহর কৃত্রিম দ্বীপ জুমেরিয়াহর বিলাশবহুল এ অবকাশযাপন কেন্দ্রের সেরা কক্ষটিতে রাত যাপনের সুযোগ পাচ্ছেন শাহরুখ খান। এক রাতের ভাড়া ১৮ লাখ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় ১২.৬০(বার কোটি ষাট লক্ষ) টাকা।
২০০৮ সালের ২৫ নভেম্বর, নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন ঃ নবম সংসদ ১০৭টি দলের আবেদনপত্র যাচাই-বাচাই শেষে নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৩৯টি দল অংশ নিতে পারবে।
২০০৮ সালের ২৮ নভেম্বর, ‘ইশারা ভাষা’ শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের সঙ্গে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম। দেশে মোট প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ। আর হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের করা জরিপে মোট জনসংখ্যার ৫.৬ শতাংশ।
২০০৮ সালের ২৮ নভেম্বর, সংসদ নির্বাচনে প্রতি ভোটকক্ষে দুজন পর্যবেক্ষক থাকবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার দেশি-বিদেশী মিলিয়ে তিন লাখ ৬০ হাজার পর্যবেক্ষক থাকবেন। মোট ভোট কেন্দ্র ৩৫ হাজার ২১৬টি এবং ভোট কক্ষ ১ লাখ ৭৭ হাজার ১০৭টি কক্ষে মোট তিন লাখ ৫৪ হাজার ২১৪ জন পর্যবেক্ষক কাজ করবেন। এর বাইরে প্রতিটি রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দুজন করে এবং প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা বা আসনে ২০ জন ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক থাকবেন।
২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর, ৪৩ বীমা কোম্পানির ৩৫০ পুনর্বীমা দাবি নিষ্পত্তির ব্যবস্থা হচ্ছে।
২০০৮ সালের ৪ ডিসেম্বর, সারা দেশে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল ২,৪৫৬ জন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রথম দিনে প্রায় ২০০ প্রার্থিতা বাতিল।
২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় অনেক আসনে দুই দলের প্রার্থী নেই। ৫৫৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল। অনেক পরিচিত মুখ প্রতিদ্ব›িদ্বতা থেকে বাদ পড়েছেন। প্রার্থিতা বহাল রইল ১১৯ জনের, হারালেন ৩ জন। ৩৪২ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার।
২০০৮ সালের ৬ ডিসেম্বর, স্বাধীনতাবিরোধী প্রার্থী দুই জোটেই। চার দলে ১৭ জন, মহাজোটে ২ জন ও স্বতন্ত্র ২ জন।
২০০৮ সালের ৭ ডিসেম্বর, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই হাজার ৪৫৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৫৫৭টি মনোনয়নপত্র বিল ও ঋণ খেলাপি এবং ভোটারদের সই জাল করার কারণে বাতিল করা হয়। গতকাল ২৬৫ জন আপিল করেন।  আপিলের শুনানি চলছে- প্রথম দিনে ৩০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।
২০০৮ সালের ৮ ডিসেম্বর, আরও ১৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করল কমিশন।
২০০৮ সালের ৮ ডিসেম্বর, মোট প্রার্থীর ৩৫ শতাংশ মানে ৮৬৫ জন আয়কর দেন না।
২০০৮ সালের ৮ ডিসেম্বর, সোনারগাঁয়ের পেরাব গ্রামে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘বাংলার তাজমহল’ (০৯-১২-২০০৮ তারিখ ঈদুল-আয-হার দিন) উন্মুক্ত হচ্ছে। সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে ১২ বিঘা জমির ওপর প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৩ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুধু আদলে নয়, আকারেও এটি মূল তাজমহলের সমান। শিল্পপতি ও চলচ্চিত্র পরিচালক আহসান উল্লাহ মনি জানান, সম্রাট শাহজাহানের অনন্য কীর্তি তাজমহল দেখতে ১৯৮০ সালে তিনি ভারতের আগ্রায় গিয়েছিলেন। তাজের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি এর আদলে নিজ দেশে একটি স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, সম্রাট শাহজাহানের সম্মানে আমি তাজমহল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই।
২০০৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর, নির্বাচনের দিন ১ লাখ ৮২ হাজার দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকবেন।
২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবির তথ্য ঃ আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ৩০০ প্রার্থী ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত। ৪৮১টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমাদানকারী মোট ৯,৯৬১ জন প্রার্থী। তঁদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪,২০১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩, ৫৪৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২,২১৪ জন প্রতিদ্ব›িদ্ব। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বা ঋণতথ্য ব্যুরোতে ৫০ হাজার টাকা বা তার চেয়ে বেশি ঋণের তথ্য থাকে।
২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর, ২৯৯টি আসনে প্রার্থীসংখ্যা ১৫ জন সহ ১,৫৫৫ জন ও নারী প্রার্থী ৫৮ জন। মোট ভোটার-৮,১০,৫৮,৬৯৮ জন, নারী ভোটার-৪,১২,৩৬,১৪৯ জন এবং পুরুষ ভোটার-৩,৯৮,২২,৫৪৯ জন। তরুণ ভোটার-১,৭০,০০,০০০ জন। মোট পর্যবেক্ষক প্রায় তিন লাখ। মোট বাজেট ১৮১ কোটি টাকা। মোট ভোটকেন্দ্র-৩৫,২১৬টি। নির্বাচনের দায়িত্বে-১০,৮৭,৯১৪ জন।
২০০৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের নেতা মোঃ সাদেকের শেষ ইচ্ছা একবার সংসদ সদস্য হওয়া। বলেন ‘সুযোগ না থাকলে মানুষের উপকার করোন যায়  না।’ তিনি ১৯৭৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্যপদে প্রথম প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন কৃষক মোঃ সাদেক। সেই নির্বাচনে জিততে পারেননি। ১৯৮১ সালে করলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দল ছাড়া নির্বাচন করে ঠিক সুবিধা করতে পারছিলেন না, তাই ১৯৮৩ সালে একটি দল গঠন করলেন। বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন। এ জীবনে ২০ জেলায় ৪৫টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি। জেলাগুলো হচ্ছে-ভোলা, কক্সবাজার, সিলেট, নেত্রকেকোণা, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, পাবনা, মেহেরপুর, খুলনা, ফরিদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, সাতক্ষীরা, গাজীপুর ও ঢাকা। রাজনীতিই তাঁর একমাত্র কাজ। বিয়ে করেননি, করবেনও না। বাপ্তায় তাঁর নিজস্ব ঘর নেই। ঢাকাতে পার্টির অফিসঘরেই থাকেন।
২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ভারতের ৬ জরিপ জাহাজ। ঢাকার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ দিল্লিকে। জানা যায়, জাহাজগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হলেও ভারতীয় পক্ষ তা মানছে না। তারা বাংলাদেশের ১৪ নম্বর বøকে তেলগ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করছে।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো-টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ঃ ভোট দেওয়া হলো না তাঁদের। টাঙ্গাইলে রডভর্তি ট্রাক উল্টে মারা গেলেন ২৫ জন মজুর।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ-সুশাসনের পথে সংসদীয় তদারকি কার্যকর হবে। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।
২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় সারা দেশে ৭০ জন আহত। সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর।
২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ প্রায় সব আসনে কারচুপি হয়েছে-অভিযোগ বিএনপির।
২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় আহত ৬০ জন। কুলিয়ারচরে বিএনপির নেতাকে কুপিয়ে জখম।
২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাধ্যতামূলকভাবে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার ব্যবহার আজ থেকে শুরু। প্রথম পর্যায়ে ছয় মহানগরে তিন হাজার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে স্থাপন।
২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট ও চার দলের প্রধান যথাক্রমে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়াসহ মোট ৫৫ জন নারী সরাসরি প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। এদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ১৭ জন।
২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ১৪ জন। সারা দেশে ৪৮১টি উপজেলায় মোট ৮,১৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে। এর আগে ১৯৮৫ সালের ১৬ ও ২০ মে এবং ১৯৯০ সালের ১৪-২৫ মার্চ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়। আর ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি তৃতীয় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং হয়।
২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০০৮ সালে জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়েছে সাড়ে নয় শতাংশ। একই বছর আগের বছরের তুলনায় পণ্যমূল্য বেড়েছে ১২.৫৪ শতাংশ। ক্যাবের জরিপে দেখা যায়, ২০০৮ সালে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চালের মূল্য, ৪০.৭০ ভাগ। আটা-ময়দার দাম বেড়েছে ১৭.১১ ভাগ, ডাল-১৯.২৪ ভাগ, ভোজ্যতেল-২৭.৩৩ ভাগ, ডিম-১৯.০৮ ভাগ, দেশীয় মসল্লা ৬.৭৮ ভাগ এবং আমদানি করা মসল্লা-১৬-৬২ ভাগ, লবণ-৪.৯১ ভাগ, চিনি ও গুড়-৪.০২ ভাগ, চা-১.৯৬ ভাগ, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য-২১.৯৯ ভাগ, ফল-৫.২২ ভাগ, পান-সুপারি-১.৮৯ ভাগ, জ্বালানি তেল-১১.৮৩ ভাগ এবং সাবানের দাম-২০.৮৯ ভাগ বেড়েছে। ২০০৭ সালে-দেশি মসুর ডাল-৭৬.৮১ টাকা ছিল। ২০০৮ সালে এর দাম-১০১ টাকা এবং ২০০৯ সালে দাম ১০৪ টাকা হল।
২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট। বেগমগঞ্জে যুবলীগ নেতার বাড়িতে আগুন।
২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ধুনটে আওয়ামী লীগের সমর্থক দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা।
২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নির্বাচিতদের মধ্যে ব্যবসায়ী ১৬৯ জন, কোটিপতি ১২৮ জন এবং পেশাদার রাজনীতিক ১০ জন। সুজনের তথ্য।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি, আমার দেশ পত্রিকা ঃ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১,৫৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯২৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত-আওয়ামী লীগের-৪ জন, বিএনপির-১৪ জন, জাপার-১২ জন, গণফোরামের-৪৪ জন ও বিকল্পধারার-৬১ জন।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি, দেশ পত্রিকা ঃ উপজেলা চেয়ারম্যানের অধীনে থাকবেন ইউএনও ও ওসি ঃ উন্নয়ন তদারকির দায়িত্বও তাদের।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি, দেশ পত্রিকা ঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯২৭ ভোট কম পেয়ে ১৮৪ আসন হারিয়েছে-৪(চার) দলীয় জোট।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ উপজেলা নির্বাচনে মহাজোট নেই।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দুই বছরে ১৪৪ অধ্যাদেশ। নবম সংসদের প্রথম অধিবেশনের ৩০ দিনের মধ্যে এসব আইনে পরিণত করতে হবে। ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সর্বশেষ ১৪৩তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ১৪৪টি অধ্যাদেশ এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে ৬৬৪টি মোট সিদ্ধান্তের ৭৭ ভাগ বা ৫১২টি বাস্তবায়িত হয়েছে ঃ ২০০৭ সালে যেসব অধ্যাদেশ পাস হয়েছে ঃ ২০০৭ সালে জারি করা অধ্যাদেশগুলোর মধ্যে রয়েছে-জরুরি ক্ষমতা অধ্যাদেশ, বিচার বিভাগ পৃথককরণসংক্রান্ত দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সংশোধিত) অধ্যাদেশ, বিশেষ ক্ষমতা (সংশোধিত) অধ্যাদেশ, দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (দ্বিতীয় সংশোধনী) অধ্যাদেশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধিত) অধ্যাদেশ, ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট (সংশোধিত) অধ্যাদেশ, দি মেম্বার্স অব পার্লামেন্ট (সংশোধিত) অধ্যাদেশ, বার কাউন্সিল(অস্থায়ী বিধান) অধ্যাদেশ, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধিত অধ্যাদেশ, ভোটার তালিকা অধ্যাদেশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দ্বিতীয় সংশোধনী) অধ্যাদেশ ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ উলে­খযোগ্য। ২০০৮ সালে যেসব অধ্যাদেশ পাস হয়েছে ঃ ২০০৮ সালের উল্লেখযোগ্য অধ্যাদেশগুলোর মধ্যে রয়েছে-নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অধ্যাদেশ, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন অধ্যাদেশ, মেম্বার্স অব পাবলিক সার্ভিস কমিশন(সংশোধিত) অধ্যাদেশ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, আদালত অবমাননা অধ্যাদেশ, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অধ্যাদেশ(সংশোধিত) অধ্যাদেশ, সরকারি অ্যাটর্নি সার্ভিস (সংশোধিত) অধ্যাদেশ ইত্যাদি। জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুও ৩০ দিনের মধ্যে এসব অধ্যাদেশ সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। সংসদ কোনো অধ্যাদেশের বৈধতা না দিলে তা বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। তবে ওই অধ্যাদেশের আওতায় ইতিপূর্বে সম্পন্ন হওয়া সব কাজ ‘পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড’ হিসেবে বৈধতা পাবে। এ ছাড়া তত্ত¡াবধায়ক সরকারের মেয়াদে ১৩৩টি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ব্যয় হয়েছে ৮৫ হাজার ২২৪ কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৮০ বছরে এমন সংকট-মন্দা দেখেনি বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০০৮ সাল গত আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে ঘটনাবহুল এবং মন্দার বছর হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ১৯৩০ সালের মহামন্দা-পরবর্তী প্রায় ৮০ বছরে বিশ্ব অর্থনীতি এত ভয়াবহ সংকট ও মন্দা দেখেনি।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি, আমার দেশ ঃ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের শেষ দিনে বাজারদর আর অর্থনীতির সূচক ঃ টিসিবির দেয়া ০৫-০১-২০০৯ তারিখের বাজারদর ঃ
(প্রতিকেজির সর্বনিম্ন মূল্য) ১. চাল মোটা-২৭/- ২. আটা-২৩/- ৩. চিনি-৩০/- ৪. সয়াবিন খোলা-৯০/- ৫. পামঅয়েল খোলা-৪৮/-, ৬. মসুর ডাল(তুরস্ক)-৭৬/- ৭. আলূ-১৮/- ৮. পিয়াজ-৩০/- ৯. রসুন-২৪/- ১০. রেমিট্যান্স(২০০৮)-৯২২ কোটি ডলার, ১১. রিজার্ভ-৫৭৮ কোটি ডলার, ১২. রফতানি আয় প্রবৃদ্ধি-২৬.৮৫ ভাগ, ১৩.  মোট রফতানি আয়-৬৫৪ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, ১৪. জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি-৯.৪২ ভাগ, ১৫. বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি-২৪.৩০ ভাগ, ১৬. মূল্যস্ফীতি-৬.১২ ভাগ, ১৭. ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ-৭,৫৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, ১৮. সরকারের বৈদেশিক ঋণ-১,৯৫০ কোটি ডলার, ১৯. জনগণের মাথাপিছু আয় (২০০৮)-৫৯৯ ডলার, ২০. বিদ্যুৎ উৎপাদন(০৫-০১-২০০৯)-৩,৮৬০ মেগাওয়াট ও ২১. গ্যাস উৎপাদন-১৮৪ কোটি ঘনফুট। মোজাহু-০৬-০১-২০০৯। ১০-০৭-২০০৯ তারিখ রাত নয়টায় ৪,১৮২ মেগাওয়াট। ১৮-০৯-২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ৪,২৯৬ মেগাওয়াট। ১৪-০৪-২০১০ তারিখ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল ৪,৬০৬ মেগাওয়াট। চাহিদা ধরা হয় ৫,৩০০ মেগাওয়াট। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন-আজ বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে হয়েছে-১৩ হাজার ২৮৬ মেগাওয়াট আর বিএনপির আমলে ছিল-৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। মানুষের গড় আয়ু ছিল-৬৬ বছর ৬ মাস আর এখন গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে-৭০ বছর ৩ মাস। ২০১৫ সালে গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে-৭১ বছর।
২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ উৎপাদন ও বিনিয়োগ বাড়ানোই কঠিন কাজ, রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা। আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে সারের। এরমধ্যে ইউরিয়ার দাম কমেছে ৭৫ ভাগ, ডিএপি সারের দর কমেছে ৪৮ ভাগ এবং টিএসপি কমেছে ১৯ ভাগ। একমাত্র এমওপি সারের দাম ১৯ ভাগ বেড়েছে। বিনিয়োগ বাড়াতে না পারলে কর্মসংস্থান হবে না বা বেকারত্ব ও দারিদ্র কমবে না।
২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি, সমকাল ঃ সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ শুরু। চাল ও ভোজ্যতেল ৫০ ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে।
২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১৩৮০ কোটি টাকা ঘুষ কোকোসহ জড়িত ১২ জন। মার্কিন কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য জানালেন আইনমন্ত্রী। জোট সরকারের মন্ত্রী ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা জড়িত।
২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ কোকোর ঘুষ গ্রহণ প্রসঙ্গ-প্রকাশিত সংবাদকে উদ্দেশ্যমূলক, মিথ্যা বলেছে বিএনপি।
২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সারের দাম কমে অর্ধেক-কেজি প্রতি চালের উৎপাদন খরচ কমবে দুই টাকার বেশি। উৎপাদন খরচ কমেনি।
ক্রমিক সার আগের দাম বর্তমান দাম
১৫-০১-২০০৯ টিএসপি ৭৫-৮০/- ৪০/-
১৫-০১-২০০৯ এমওপি ৬৫-৭৫/- ৩৫/-
১৫-০১-২০০৯ ডিএপি ৮০-৮৫/- ৪৫/-
২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি, তিব্বতে হিমবাহগুলো নিঃশেষ হচ্ছে। এশিয়ার ২০০ কোটি মানুষ পানির সংকটে পড়বে।
২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৮১ বছর বয়সী গোলসিয়ার খাতুন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাঁর সাতটি সন্তান। বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম পূবালী ব্যাংকের ডিজিএম হয়ে এরই মধ্যে অবসরও নিয়ে ফেলেছেন। অন্য ছেলেমেয়েরাও সমাজে প্রতিষ্ঠিত। গোলসিয়ার খাতুনের বাড়ি ঝিনাইদহের চাকলাপাড়ায়। ১৯৪৭ সালে ঝিনাইদহ জেলার উপজেলার খোঁচাবাড়ি গ্রামের নওফেল উদ্দিন প্রধানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের ১৩ বছর পর তিনি এসএসসি পাস করেন ১৯৬০ সালে ।
২০০৯ সালের ২৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সকালে ফাঁকা দুপুরে ভিড়। উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম। ৫ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত।
২০০৯ সালের ২৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রী-সাংসদেরা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন এমনটা আশা করিনি। কিছু কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলায় সিইসির অসন্তোষ।
২০০৯ সালের ২৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেড় শতাধিক কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ব্যালট পেপার ছিনতাই। বেলকুচিতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ।
২০০৯ সালের ২৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নড়াইল ও ফরিদপুরে তিনজন খুন। ১৮ জেলায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক।
২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নির্মল বাতাসে আয়ু বাড়ে। ব্রিংহাম ইয়াং এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষকের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ ২২ জানুয়ারি গবেষণার ওই ফলাফল প্রকাশিত হয়। বাতাসের মান উন্নয়নে যে মানুষের আয়ু বাড়ানো সম্ভব, তার তথ্যপ্রমাণ-সমৃদ্ধ এটাই প্রথম গবেষণা।
২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ বিএনপির। সংসদের শুরুতেই ওয়াকআউট ঃ হামিদ স্পিকার, শওকত ডেপুটি স্পিকার।
২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ডেপুটি স্পিকার পদ না দিয়ে আওয়ামী লীগ ওয়াদা ভঙ্গ করেছে ঃ বিএনপি।
২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বর্তমান সংসদ একটি দিনবদলের সংসদ ঃ রষ্ট্রিপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ৯ম        জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান সংসদ একটি দিনবদলের সংসদ।
২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১০ লাখ নতুন শ্রমশক্তি যুক্ত হচ্ছে। আর বর্তমানে মোট শ্রমশক্তি ৫(পাঁচ) কোটি ২০(বিশ) লাখ।
২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশীয় শিল্প রক্ষায় ভারতীয় সুতা আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার দাবি।
২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১২২টি অধ্যাদেশের মধ্যে ১১৯টির ব্যাপারে আপত্তি জানাবে বিরোধী দল।
২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংখ্যার বিচারে আসনবিন্যাস বিরোধী দলের ওয়াকআউট।
২০০৯ সালের ৩০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ইউনিসেফের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ ঃ বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ২০ হাজার শিশু মারা যায় জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে।
২০০৯ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ নতুন একটি শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন শিল্পমন্ত্রী-দিলীপ বড়–য়া। শিল্পনীতি যেন শুধু দলিল না হয়। আগের শিল্পনীতিগুলো দেয়া হলো
বাংলাদেশের শিল্পনীতিগুলো ঃ
নাম প্রণয়নকাল
শিল্প বিনিয়োগনীতি জানুয়ারি-১৯৭৩ সাল
নতুন শিল্প বিনিয়োগনীতি জুলাই-১৯৭৪ সাল
সংশোধিত বিনিয়োগনীতি ডিসেম্বর-১৯৭৫ সাল
নতুন শিল্পনীতি জুন-১৯৮২ সাল
সংশোধিত শিল্পনীতি জুলাই-১৯৮৬ সাল
শিল্পনীতি জুলাই-১৯৯১ সাল
শিল্পনীতি ১৯৯৯ সাল
শিল্পনীতি মার্চ-২০০৫ সাল।
শিল্পনীতি শিল্প স্থাপনে উর্বর কৃষিজমি ব্যবহার করা যাবে না। অনুমোদনের অপেক্ষায় পাঁচ বছর মেয়াদি নতুন শিল্পনীতি। ০৬-০৯-২০১০ তারিখ জাতীয় শিল্পনীতি অনুমোদিত।
২০০৯ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ টিপু সালতান ও বদর উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ফিরে ঃ গুয়ানতানামোয় মোবারকের বন্দিজীবন ঃ ‘‘ক্যাম্প ডেল্টা। হিম ঠান্ডা ঘর। কাপড় নেই; কম্বল নেই; খালি গা। মনে হতো ওই ঠান্ডা ঘরের চেয়ে আখের দোজখ অনেক ভালো ছিল’’। এ বর্ণনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামের মোবারক হোসেন বিন আবুল হাসেমের। কিউবার দক্ষিণ-পূর্ব পাশে ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থিত গুয়ানতানামো বে-তে যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর, আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার দুই মাসের মাথায় পাক-আফগান সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশি নাগরিক মোবারক। ২০০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর, তিনি সেখান থেকে ছাড়া পান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মানবাধিকার লঙ্ঘণের জন্য বিশ্বব্যাপী বিতর্কিত ওয়ানতানামো কারাগারটি বন্ধ করে দেন। এ খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক খুশি।
২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ প্রত্যাশা পূরণে মানুষ চায় সরকারের আন্তরিক চেষ্টা। গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা। * বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা, সর্বোপরি যুদ্ধাপরাধের বিচারের মতো মৌলিক কিছু বিষয়ের সুরাহা না হলে দিনবদল হবে না-সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
২০০৯ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ তথ্য গোপন ও আচরণবিধি লঙ্ঘণ করেও প্রার্থীরা শাস্তি পাননি। *এ পর্যন্ত অন্তত ৭৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। *পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল বা অন্য কোনো শাস্তির ব্যাপারে কয়েক দফা বৈঠক করেছে কমিশন।
২০০৯ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ শেষমেষ ২০ উপজেলার ভোট ও ফল স্থগিত। ১৪টির আংশিক স্থগিত, ৪৪৬টির গেজেট প্রকাশ হচ্ছে, ভোটের দিন ঢাকার আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি কম দেখে এবং কিছু উপজেলায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর নির্বাচন নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করা আমার ঠিক হয়নি। এটা ছিল অপরিপক্ক মন্তব্য ঃ সিইসি।
২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রাজধানী ঢাকায় এবং একই বছরের ১ মার্চ থেকে সারা দেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। নিষিদ্ধ পলিথিন সয়লাব উৎপাদন অব্যাহত।
২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ভালো ঘুম না হলে জীবনের প্রতি বিতৃঞ্চা আসতে পারে।
২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ-আলো নেই, আছে শুধু ভালোবাসা। ঝিনাইদহের রেজাউল-পারভীনা দম্পতি। তাঁরা কেউ কাউকে আজ পর্যন্ত দেখেনি।
২০০৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-উপজেলা পরিষদে উপদেষ্টা থাকতে চান সাংসদেরা। একই সঙ্গে তাঁরা তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় জারি হওয়া উপজেলা পরিষদ অধ্যাদেশের বিপক্ষেও মত দেন।  ১৯৯৮ সালে পাস হওয়া উপজেলা পরিষদ আইনে সাংসদদের উপদেষ্টা রাখা হয়। গত তত্ত¡াবধায়ক সরকার এ আইন বাতিল করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করে।
২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ভুয়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করায় বিচারপতি এম. এ. আজিজের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে তদন্ত কমিশনের মুখোমুখি হতে হবে।
২০০৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুমোদন। ‘না’ ভোটের বিধান থাকছে না। গত তত্ত¡াবধায়ক সরকার সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে এ বিধান সংযোজন করে। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (সংশোধন) অনুমোদন করা হলেও ‘না’ ভোটের বিধান বাতিল করা হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
২০০৯ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেড় বছরে আইনজীবীদের পেছনে দুদকের ব্যয় পৌনে ৮ কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে প্রতি সাড়ে তিন মিনিটে একটি করে অপরাধ হয়। ‘অপরাধ সূচী ২০০৭’-এর মোড়ক উন্মোচন।
২০০৯ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাদাম খেলে অ্যালার্জি ভালো হয়। তবে গবেষকেরা বলছেন, নির্দিষ্ট পরিমাণে বাদাম খেলেই এমন অ্যালার্জি থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
২০০৯ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানে এক মাসে ১৩৬০টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ উপজেলায় সাংসদদের কর্তৃত্ব থাকছে, চেয়ারম্যানরা ক্ষুব্ধ। মন্ত্রিসভা বৈঠকে তথ্য অধিকারসহ ২০টি আইন অনুমোদন। উপজেলা চেয়ারম্যানরা দলীয় পদে থাকতে পারবেন।
২০০৯ সালের ১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ২৮-০২-২০০৯ তারিখ ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস পালিত। দেশে আক্রান্ত রোগীর ২৫ ভাগ চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে। ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ. কে. আজাদ খান বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের ২৫ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
২০০৯ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ তাপমাত্রা বাড়ায় বৃষ্টি-বন্যা বাড়বে বাংলাদেশে।
২০০৯ সালের ৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রামে পাঁচ বছর আগে আটক ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান আদালতে প্রশাসনের সহায়তায় অস্ত্র খালাস হয়েছিল।
২০০৯ সালের ৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ কর্মশালায় তথ্য। দেশের ৭৪ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানি পায়। ৫৩ ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করে। দেশে প্রায় ৭০ লাখ নলকুপ রয়েছে। ২০০৩ সালে ৩৩ ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করত। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচারণার ফলে তা বর্তমানে ৫৩ ভাগ এসেছে।
২০০৯ সালের ৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ৫৯ ভাগ নারী কৃষিতে জড়িত। এ সংখ্যা ভারতে ৭৪ ভাগ, পাকিস্তানে ৬৪ ভাগ ও নেপালে ৮৫ ভাগ নারী কৃষিতে।
২০০৯ সালের ৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সেমিনারে তথ্য-৭৯ ভাগ নারী কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়রানির শিকার এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করে বাড়তি টাকা রোজগার করতে গিয়ে ৭৫ ভাগ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়।
২০০৯ সালের ৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রাজশাহীর বাগমারা আদর্শ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র শুকুর উদ্দিন-৮৪ বছর বয়সেও হাল ছাড়েননি তিনি। এসএসসি পাশ করার জন্য নয় বছর ধরে চলছে তাঁর সংগ্রাম।
২০০৯ সালের ১০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সাংসদদের হাতে ফিরছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব।
২০০৯ সালের ১০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ এটিএন-ইশপের যাত্রা শুরু। এ মুহূর্তে দেশি-বিদেশি প্রায় চার হাজার নামকরা ব্রান্ডের পণ্য এ ওয়েব সাইটের মাধ্যমে কেনা যাবে। ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কিনতে পারবেন।
২০০৯ সালের ১২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৫৫ হাজার বাংলাদেশির মালয়েশিয়া যাওয়া বন্ধ। জনশক্তি রপ্তানি হুমকির মুখে। ৩০ মার্চের পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস।
২০০৯ সালের ১৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ জেএমবি জড়িত ছিল ঃ বাণিজ্যমন্ত্রী  লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান। সরকার মন্তব্য করবে না ঃ আশরাফ। ২৩৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
২০০৯ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বসুন্ধরার সাতটি তলা পুড়ে ছাই। ভয়াবহ আগুন, সাতজনের মৃত্যু ঃ বিপণিবিতান অক্ষত।
২০০৯ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ আগুন নেভানোর আধুনিক সব সুবিধা বসুন্ধরায় ছিল। মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ-বসুন্ধরা সিটির অন্যতম স্থপতি।
২০০৯ সালের ১৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ আগুন ছড়িয়ে পড়ার জন্য বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।
২০০৯ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ এক পাল্লায় কনে আরেক পাল্লায় টাকার বস্তা। জামিল আহমেদ পরাগ, শিবগঞ্জ (বগুড়া)। এক পাল্লায় বিয়ের কনে, অন্য পাল্লায় টাকার বস্তা। দাঁড়িপাল্লায় যতেœর সঙ্গে ওজন দেখা হচ্ছে। কোনোভাবেই যেন কনের পাল্লাটি নিচু না থাকে। দুই পাল্লা সমানে সমান হওয়ার পর কনেকে দাঁড়িপাল্লা থেকে নামানো হলো। কনের বাবা আজিজার শেখ পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তাঁর মেয়ের ওজন হয় ৪২ কেজি ২০০ গ্রাম। আর টাকার বস্তায় ছিল পাঁচ ও এক টাকার ধাতব মুদ্রা। তবে তা গুণে দেখা হয়নি। আজিজার শেখ বলেন, মেয়ের জন্মের পর তিনি এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, মেয়ের বিয়েতে তিনি ওর ওজনের সমানটাকা দেবেন জামাইকে।
২০০৯ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্ত কঠোর করল সরকার। * ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবীরা অঙ্গ-সহযোগী থাকছে না। * ২১ জেলায় ও ১০০ উপজেলায় কার্যালয় থাকতে হবে। * প্রতি উপজেলায় ২০০ ভোটার সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক। এ শর্তগুলো পূরণ হলে-তবে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন।
২০০৯ সালের ১৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ তথ্য অধিকার আইন জুলাই থেকে কার্যকর। কাউকে তথ্য দিতে না চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্য কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। আর আইন হওয়ার অনধিক ৯০ দিনের মধ্যে তথ্য কমিশন গঠন করতে হবে। তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে।  রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাজে নিয়োজিত সংস্থার ক্ষেত্রে এ আইন প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ তারা জনগণকে তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে না।
২০০৯ সালের ১৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ১০০টি ভবনের ওপর নাগরিক সংহতির জরিপ। রাজধানীর ৯০ ভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভবন অগ্নি-ঝুকির সম্মুখীন।
২০০৯ সালের ২০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ পাঁচ বছরের মধ্যে সবার পাসপোর্ট যন্ত্রের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে।
২০০৯ সালের ২২ মার্চ, আমাদের সময় পত্রিকা ঃ ঢাকা শহরে পানির ঘাটতি দৈনিক ৯০ লাখ লিটার।
২০০৯ সালের ২৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ এবার আকাশে উড়ল গাড়ি। রাস্তায় ও আকাশে চলার উপযোগী উভচর এ যানটি তৈরী করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান তেরাফুজিয়া। এ ধরনের গাড়ি সর্বোচ্চ ১০ হাজার ফুট উড়তে পারবে। এ যানের দাম পড়বে দেড় থেকে দুই লক্ষ ডলার।
২০০৯ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের কিছু ছাত্র মিলে গ্রিন ক্রিসেন্ট নামের সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করে ১৯৯৮ সালে।
২০০৯ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ লাল মাংসে বাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি। লাল মাংস দিয়ে তৈরি বার্গার খাওয়ার আগেও একবার ভাবুন। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়। গরু, মহিষ ও খাসীর মাংস না খাওয়ার জন্য বলেছেন এবং মুরগীর মাংস খাওয়ার জন্য বলেছেন। মুরগীর মাংস সাদা-তাই খেতে বলেছে।
২০০৯ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ। ভোটার সংখ্যা ১,৮৪৪ জন। ভোট পড়েছে ১,৫৭৪টি।
২০০৯ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন-খুলনা মহানগরের ২২টি খালের অধিকাংশ জায়গা অবৈধ দখলে।
২০০৯ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ পাস। পাস হওয়া এ আইন অনুযায়ী কাউকে তথ্য দেওয়া স্থগিত করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্য কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। আর আইন হওয়ার অনধিক ৯০ দিনের মধ্যে তথ্য কমিশন গঠন করতে হবে। এ আইন আগামী ১ জুলাই, ২০০৯ থেকে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাজে নিয়োজিত সংস্থার ক্ষেত্রে এ আইন প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ তারা জনগণকে তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে না।
২০০৯ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সরকারের প্রতি ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজ। গ্যাস, কয়লা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানোর পদক্ষেপ নিন।
২০০৯ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ মহানগরের দোকান রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবি। গরিব এক লাখ দোকান কর্মচারীকে রেশন দেওয়ার আহবান।
২০০৯ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সরকারি চাকরিতে ৩০০ আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। তিন শতাধিক ‘আত্মস্বীকৃত’ দুর্নীতিবাজ এখনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এঁদের বেশির ভাগই সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বন বিভাগ, তিতাস গ্যাস কোম্পানি, ডেসা, সাব-রেজিষ্ট্রার ও সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে কর্মরত। ৫৪ জনের স্ত্রীরাও এ তালিকায় নিজেদের যুক্ত করেছেন। বেসরকারি শিক্ষক, ব্যবসায়ী, গৃহিণীসহ এ সংখ্যা মোট ৪৫২ জনের অপরাধ স্বীকার। ট্রুথ কমিশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৩৪ কোটি টাকা জমা।
২০০৯ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি মিশনে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানো হবে।
২০০৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশনকৃত এন.জি.ও.-এর সংখ্যা-৬৯,৬২৬টি।
২০০৯ সালের ১ এপ্রিল, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ জাতীয় সংসদে পাস হয়।
২০০৯ সালের ২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ সরকারে গাড়ি কেনার ধুম ব্যয় ২০৩ কোটি টাকা। মন্ত্রী-সচিবের ৯৯টি, উপজেলা চেয়ারম্যানদের ৪৭১টি ও ইউএনওদের জন্য ৯৮টি গাড়ি কেনা হচ্ছে।
২০০৯ সালের ২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ঘাগরা শাকে বিষ আছে। গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত।
২০০৯ সালের ২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে তথ্যভান্ডার গড়তে পরামর্শ পুলিশের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, থানায় নারী ওসি দেওয়া হচ্ছে।
২০০৯ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দুদক চেয়ারম্যান সাবেক সেনা প্রধান লে. জেনারেল (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরীর পদত্যাগ।
২০০৯ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ আগের নাম ফিরে পাচ্ছে অর্ধশত প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা। পুলিশের মনোগ্রাম নৌকা যুক্ত হচ্ছে। সূত্র মতে, জোট সরকার যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে আগের নাম পুনর্বহালের ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করছে।
২০০৯ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ যে সাগরে বরফ বেশি। আর্কটিক মহাসগর। উত্তর মেরু। উত্তর মেরুতে টানা ছয় মাস দিন আর ছয় মাস রাতের রাজত্ব।
২০০৯ সালের ৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ছয় হাজার ডলফিন আছে।
২০০৯ সালের ৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ অনিয়মিত ঘুমে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ে।
২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ পাঁচ দিনব্যাপী এশীয় সম্মেলন উদ্বোধন। দেশের দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষ আর্সেনিকের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। আর্সেনিকের কারণে আট হাজার গ্রাম মারাত্মক ঝুঁকিতে।
২০০৯ সালের ৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ১৮০টি খাল ভরাট-দখল, পানি পান না কৃষক। এদিকে দাকোপ ও বটিয়াঘাটার ১৮০টি খালের মধ্যে ১০৫টিই ইজারা নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিচার বিভাগ পৃথককরণ বিল সংসদে পাস।
২০০৯ সালের ৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ এবার পানিতেও চলবে বাস। ৫০ আসনবিশিষ্ট উভচর বাসটি অন্যান্য বাসের মতোই সড়কপথে চলতে পারে। এ সময় এর স্বাভাবিক গতি থাকবে ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার। স্থলভাগ থেকে পানিতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বাসটি চাকাগুলো গুটিয়ে নেয়। গোটা বাসটি তখন ভেলার মতো মনে হয়। এ সময় এর গতি দাঁড়ায় ঘন্টায় ১০ মাইল। সড়ক কিংবা নদী উভয় পথেই বাসটি ডিজেল ইঞ্জিনচালিত। প্রতিটি গাড়ীর দাম পড়বে দুই লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পানির নিচে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা থেকে রক্ষা পেতে এটি তিন হাজার ৫০০ ঘন্টা পর্যন্ত নিজের অবস্থানে টিকে থাকতে পারে। তবে কোম্পানি প্রতিবছর ১২টি করে গাড়ি নির্মাণ করবে বলে আশা করছে।
২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দন্ডপ্রাপ্ত আসামির উপহার নিয়ে প্রশ্ন। সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল বিস্মিত। এক বছরেই শাহ আলম পরিবারের সম্পদ বেড়েছে ৫৬৭ কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ সেমিনারের তথ্য-বাংলাদেশে বছরে ২৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার ফসল অপচয় হয়।
২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল, প্রথম আলোঃ ঋণের সুদ কমায় আমানতের সুদ সর্বোচ্চ ১০%।
২০০৯ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ জোট আমলে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পাওয়া ৩৫% কওমি মাদ্রাসার ছাত্র।
২০০৯ সালের ১৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ পণ্যে ভেজাল বা ওজনে কম দিলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ড। গত ১ এপ্রিল সংসদে পাস হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯।
২০০৯ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ লালবাগে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ, জড়িয়ে পড়ছেন আওয়ামী লীগ নেতারাও।
২০০৯ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ শিক্ষার মান বিচারে বিশ্বের ছয় হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এখন ৪৯২২তম। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির স্থান দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪৪তম।
২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন-মন্দায় দারিদ্র্য হার এক শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ক্রীড়া পরিষদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেনারেল মইন।
২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ সংবাদ বিশ্লেষণ-জনপ্রশাসন পরিচালনায় নীতিমালা মানা হয় না।
২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ অবৈধ ভিওআইপির ব্যবহার বাড়ছেই। প্রতিদিন পাঁচ-ছয় কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা হারাচ্ছে দেশ।
২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল, আমাদের সময়-সারাদেশে প্রায় ২৪ হাজার পোস্টমাষ্টার, পোস্টম্যান ও রানারের জন্য সম্মানী না বাড়িয়ে তাদের আয় কীভাবে বাড়ানো যায় সেই কৌশলের দিকে যাচ্ছে ডাক বিভাগ।
২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ জায়গা দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয়। আগারগাঁওয়ে জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘরের মাঠে পাশাপাশি আওয়ামী লীগ মোটরচালক লীগ ও যুবদলের কার্যালয়। সংসদ নির্বাচনের তিন দিন আগে যুবদলের কার্যালয়টি পুননির্মাণ করা হয়। মোটরচালক লীগেরটি বানানো হয় স¤প্রতি। ছবি ঃ প্রথম আলো।
২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ধান উঠছে, কৃষকের মুখে হাসি নেই। ২৬ এপ্রিল সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ, মতিয়া চৌধুরীর আশ্বাস, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
২০০৯ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সপ্তম পে-কমিশন। সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার ও সর্বনিম্ন চার হাজার টাকা বেতনের সুপারিশ। সরকারি কর্মচারীরা নিজেরা কর দিলে সর্বোচ্চ বেতন পাবেন ৪৫ হাজার টাকা-আর নিজেরা কর না দিলে সর্বোচ্চ বেতন পাবেন ৪২ হাজার টাকা। সরকারি কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৫৭ থেকে তিন বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করার সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
২০০৯ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দু-এক বছরের মধ্যেই জন্ম নেবে ক্লোন মানব?
২০০৯ সালের ২৫ এপ্রিল, আমাদের সময় ঃ মসল্লা আমদানিতে বছরে ব্যয় ৫ হাজার কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ শিল্পনীতির খসড়া প্রকাশ-রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বেসরকারি হাতে আর ছাড়া হবে না।
২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ২৭ এপ্রিল ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত। গত ১০ বছরের রেকর্ড ভাঙা তাপ।
২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ নিঃসঙ্গ প্রবীণদের সঙ্গ দেবে রোবট, শোনাবে গানও।
২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ গবেষণা প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন যৌনকর্মীদের মোটা হওয়ার ওষুধ সেবনে বাধ্য করা হচ্ছে।
২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ জনবল কমাবে সরকার। সরকারের সব দপ্তরে অপচয় রোধ অর্থাৎ কৃচ্ছু সাধনের প্রতি জোর দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রটি গতকালই পাঠিয়ে দেওয়া হয় আধা-স্বাযত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে। বিশ্বমন্দার প্রভাব প্রতিরোধে আগামী বাজেটে সরকার অনেক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র নিরসন, সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের আওতা বাড়াতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। এ অর্থের সংস্থান করতে বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছু সাধনের বিকল্প নেই। পিয়ন, মালি, ক্লিনার প্রভৃতি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সরকারিভাবে নিয়োগ না করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মন্ত্রী, সাংসদ ও সচিবালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য যানবাহন কেনায় কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। নিরুৎসাহিত করা হয়েছে যেকোনো ধরনের দামি গাড়ি কেনাকে। সরকারি প্রয়োজনে এখন থেকে দুই হাজার ৭০০ সিসি পর্যন্ত জিপ এবং এক হাজার ৬০০ সিসি পর্যন্ত সাধারণ কার কেনা যাবে। এর চেয়ে কম সিসির গাড়ি হলে সরকার ইতিবাচকভাবে দেখবে। তবে কোনোভাবেই যাতে এর চেয়ে বেশি সিসির গাড়ি কেনা না হয়। তবে খরচ কমাতে সব সরকারি গাড়িকেই সিএনজিতে রূপান্তর করতে হবে। তেলের গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না।
২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ কাজি (নিকাহ রেজিষ্ট্রার) নিয়োগ হবে ২০০০ হাজার সরগরম আইন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-সাংসদদের সুপারিশ নিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ব্যক্তি আইন সন্ত্রণালয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। এ সুযোগে সরকারি দলের পরিচয় দিয়ে একশ্রেণীর নেতা ‘নিয়োগ-বাণিজ্যে’ নেমেছেন।
২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ কর্মশালায় স্পিকার আবদুল হামিদ প্রতি উপজেলায় ২০ ভূমিহীন পরিবার খাসজমি পাবে।
২০০৯ সালের ১ মে, প্রথম আলো ঃ জনবল হ্রাস নিয়ে অর্থমন্ত্রী-পদ কমবে ১০ শতাংশ যাঁরা কাজ করবেন না তাঁদের ছাঁটাই হতে হবে।
২০০৯ সালের ৪ মে, প্রথম আলো ঃ উত্তরা ও পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে সব শ্রেণী-পেশায় লটারি হবে। আবেদনপত্র পড়েছে এক লাখ ৩০ হাজার।
২০০৯ সালের ৫ মে, প্রথম আলো ঃ জাতীয় দিবসে স্কুল খোলা হবে আলোচনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারিসহ বিশেষ জাতীয় দিবসগুলোয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকবে। তবে এসব দিনে কোনো ক্লাশ হবে না; স্বাভাবিক পাঠদান বন্ধ থাকবে। এ দিনে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সামনে সংশ্লিষ্ট দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরবেন।
২০০৯ সালের ৬ মে, প্রথম আলো ঃ শিশুদের অতিরিক্ত খাওয়ানো ঠিক নয়।
২০০৯ সালের ৭ মে, প্রথম আলো ঃ সংসদ ছিল না, তবু ওষুধ কেনায় ৫৪ লাখ টাকা, বিদেশ সফরে ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছে সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
২০০৯ সালের ৭ মে, প্রথম আলো ঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। চালুর আগেই নষ্ট ১০ কোটি টাকার ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
২০০৯ সালের ৭ মে, প্রথম আলো ঃ বাণিজ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস-চিনির কেজি ৩৫/-টাকা নির্ধারণ রমজান পর্যন্ত আর বাড়বে না।
২০০৯ সালের ৮ মে, প্রথম আলো ঃ বসুন্ধরার মালিকের আবেদনে সাংসদের সুপারিশ। ঘুষের মামলাসহ ১৩ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন।
২০০৯ সালের ৮ মে, প্রথম আলো ঃ দেশে ফিরে অর্থমন্ত্রী-মন্দা মোকাবিলায় ১৩৮০ কোটি টাকা দেবে এডিবি।
২০০৯ সালের ৮ মে, প্রথম আলো ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণকাজ। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রলীগে ক্ষোভ।
২০০৯ সালের ৮ মে, প্রথম আলো ঃ সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী-পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ হলেও সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ থাকবে।
২০০৯ সালের ৯ মে, প্রথম আলো ঃ ওয়াসার ৮০টি জেনারেটর কেনার প্রক্রিয়া। বিদ্যুৎ না থাকলে ওয়াসার অনেক পাম্প থাকে বন্ধ।
২০০৯ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ গত বছর কৃষক ধান চাষ করে ৩০ শতাংশ মুনাফা করেছিল। এবার দাম নির্ধারণের পরও লোকসান হচ্ছে। ধানের দাম কমেছে বেড়েছে চালের-কৃষকের কী হবে।
২০০৯ সালের ১১ মে, প্রথম আলো ঃ পরিবহন খাতে আবার চাঁদাবাজি পেছনে মালিক-শ্রমিক নেতারা। গত তত্ত¡বধায়ক সরকারের আমলে চাঁদা দিতে হতো না। আওয়ামী লীগ সমর্থিত মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর নামে চলছে চাঁদাবাজি। মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি আছে লাঠিবাহিনী।
২০০৯ সালের ১২ মে, প্রথম আলো ঃ জাতীয় পরিচয়পত্রের আইনি বৈধতা নেই। অথচ ব্যাংকে হিসাব খোলা, পাসপোর্ট সংগ্রহ, বিভিন্ন দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করাসহ ২২টি কাজের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা অলিখিতভাবে বাধ্যতামূলক হয়ে আছে। যে অধ্যাদেশ বলে জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে সেই অধ্যাদেশই বাতিল হয়ে গেছে। ফলে এখন এর কোনো আইনি বৈধতা নেই। এক কোটিরও বেশি মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। নানা কাজে চাওয়ায় তৈরি হচ্ছে জাল পরিচয়পত্র।
২০০৯ সালের ১২ মে, প্রথম আলো ঃ জুনের আগেই সব সাংসদ ঢাকায় কার্যালয় পাবেন। তাঁদের বেলায় বাজেটের অভাব হয় না।
২০০৯ সালের ১২ মে, প্রথম আলো ঃ জাতিসংঘে সমুদ্রসীমার দাবি-ভারত ও মিয়ানমারের দাবির বিষয়ে আপত্তি জানাবে বাংলাদেশ। দাবি পেশের জন্য বাংলাদেশ ২০১১ সালের জুলাই পর্যন্ত সময় পাবে।
২০০৯ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য ১৮০টি পাজেরো গাড়ি কেনা হচ্ছে এবার। আগামী অর্থবছরে হবে ২৪০টি। বাকি ৬১ জনকে গাড়ি দেওয়া না-দেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
২০০৯ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে চার হাজার টাকা করার দাবি।
২০০৯ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ রাস্তা ব্যাপক না খুঁড়ে ঢাকায় তিন হাজার ৩৮১ কিলোমিটার পাইপ বসবে। পরীক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন।
২০০৯ সালের ১৪ মে, প্রথম আলো ঃ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত-অপরাধ ঘটলে পুলিশকে জবাবদিহি করতে হবে।
২০০৯ সালের ১৫ মে, প্রথম আলো ঃ জ্বালানিবিহীন গাড়ি-বগুড়ার আমির হোসেন-গাড়ির নাম রেখেছেন ‘রফ-রফ তাহিয়া’ অর্থাৎ সুন্দর ও দ্রুততম যান। ২৫০ কেজি ওজনের এ গাড়ি পরিবেশ-সহায়ক, তেল-মবিল লাগে না। চালকসহ পাঁচজন আরোহী নিয়ে ঘন্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে চলবে এ গাড়ি। গাড়ির গতিশক্তির উৎস ১২ ভোল্টের পাঁচটি চার্জ্যবল ব্যাটারি আর ৬০ ভোল্ট ডিসি মোটর। এ গতিশক্তি ইলেক্ট্রনিক টারবাইন ডিজিটালপদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত হয় বলে জানালেন আমির হোসেন। অটোপুশ বটমে চাপ দিলেই ঘুরতে থাকে গিয়ার হুইল। গতি পায়-এর সঙ্গে লাগানো চাকা। চালকের সামনে থাকছে একটি মনিটর, যা দিয়ে গাড়িটি পরিচালনা ও গতি বাড়ানো-কমানো যায়। আর গাড়ির হেড লাইট, ব্রেক লাইট চলবে ব্যাটারির সাহায্যে। ২২০ ভোল্ট বিদ্যুতে দুই হাজার ওয়াটের ডিজিটাল মোটরে পাঁচ ঘন্টা চার্জ দিলেই একটানা আট ঘন্টা চলে। খরচ হয় সর্বোচ্চ ২০ টাকার বিদ্যুৎ। প্রচলিত মোটর যানের মতো জটিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফাংশন নেই বলে ‘রফ-রফ তাহিয়া’ ঝুঁকিমুক্ত। যান্ত্রিক কারণে দুঘর্টনার আশঙ্কাও নেই। আমির হোসেনের সাধ ও সাধনা থাকলেও সাধ্য সীমিত। তিনি বহু যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করলেও সরকারি সহযোগিতা মেলেনি আজও। এরই মধ্যে বগুরা শহরে গাড়িটি চালিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। গাড়িটি উদ্ভাবন করার পর কিন্তু বসে নেই আবিস্কার পাগল এ মানুষটি। আরেকটি কাজে ইতিমধ্যে নেমে পড়েছেন তিনি। এবারও গাড়ি। যাতে কোনো ইঞ্জিন বা জ্বালানির প্রয়োজন হবে না। তবে কি গাড়ি চলবে হাওয়া দিয়ে। হ্যাঁ, আক্ষরিক অর্থে তা-ই। এ গাড়ির ট্যাংকে থাকবে ঘনীভূত বাতাস। ক¤েপ্রসার দিয়ে মাত্র আট মিনিটেই ট্যাংক ভরে যাবে বাতাসে। চার ঘন্টা পর পর গাড়িতে ক¤েপ্রসারের মাধ্যমে বিকল্প পথে বাতাস ভরানোর সুযোগ থাকবে। গাড়ির কাঠামো তৈরি হবে স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে। ওজন মাত্র ২০০ কেজি। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রাখা হবে গাড়িটির দাম। আর এ গাড়িও হবে ৫ আসনের। যা দেখেন অবিকল তা-ই বানিয়ে ফেলতে জুড়ি নেই আমির হোসেনের।
২০০৯ সালের ১৮ মে, প্রথম আলো ঃ রাজউকের ৯৫ ভাগ কর্মকর্তা যাচাই-বাছাইয়ে ব্যস্ত। উত্তরার প্রতি প্লটের জন্য ৫০ জন, পূর্বাচলের জন্য ২৩ আবেদন।
২০০৯ সালের ১৮ মে, প্রথম আলো ঃ বরিশালে সন্ধা নদী ভরাট করে আবাসন প্রকল্প।
২০০৯ সালের ২১ মে, প্রথম আলো ঃ চাঁদাবাজিতে বাসভাড়া বৃদ্ধি বিপাকে দিনমজুরেরা।
২০০৯ সালের ২৮ মে, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশ প্রসব হয় বাড়িতে অদক্ষ দাইয়ের হাতে।
২০০৯ সালের ২৯ মে, প্রথম আলো ঃ ত্রাণের আশায় লাখো প্রাণ। দুর্গম এলাকা, দুর্লভ ত্রাণ। ক্ষুধার আগুন চরবাসীর পেটে।
২০০৯ সালের ৩১ মে, প্রথম আলো ঃ ক্রয়বিধি শিথিল হচ্ছে দাতাদের উদ্বেগ। দলীয় লোকজনকে সুবিধা দিতে এ উদ্যোগ?
২০০৯ সালের ৩১ মে, প্রথম আলো ঃ উপকুলের দুই কোটি মানুষ অরক্ষিত।
২০০৯ সালের ১ জুন, প্রথম আলো ঃ ১০ কোটি টাকা নগদ বরাদ্দ ঃ খাদ্যমন্ত্রী। আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ ঘরবাড়ি নির্মাণে ১১৬ কোটি টাকা প্রয়োজন।
২০০৯ সালের ২ জুন, প্রথম আলো ঃ ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা এগোবে ১৯ জুন থেকে ১২টা যখন বাজবে তখন ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা বাড়িয়ে করা একটা। ইতিহাস ঃ ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে দিনের আলো বেশিক্ষণ ব্যবহারের কথা প্রথম ভাবেন উইলিয়াম উইলেট নামের একজন ব্রিটিশ নাগরিক ১৯০৭ সালে। তিনি একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন এবং তাঁর প্রধান কাজ ছিল দিনের বেলায় এবং বহিরাঙ্গনে (আউটডোরে)। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯১৬ সালে জার্মানিতে প্রথম এ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। ১৯১৮ সালে শুরু করে যক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেখানকার কৃষকেরা এ পদ্ধতি অপছন্দ করায় বিশ্বযুদ্ধের পর তা তুলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আবার তারা এটা প্রবর্তন করে। ১৯৬৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এটা নিয়মিত করা হচ্ছে। পাকিস্তান ও ইরানে এ ব্যবস্থা কার্যকর আছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যবস্থা পৃথিবীর ৭০টির মত দেশে আছে। আমার মতামত এ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে না। বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে অফিস-আদালত, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাঠ ও খেলা-ধুলার জন্য যে এয়ার-কুলার-এয়ার-কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয় তা বন্ধ করা হলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। নতুবা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে না বরং অপচয় বাড়বে।
২০০৯ সালের ২ জুন, প্রথম আলো ঃ সাত বছরে ১৩ বার উচ্ছেদ তবু নদী দখল চলছেই।
২০০৯ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে অতিরিক্ত খরচ-৮,৪৯০ কোটি টাকা না ৩,৫০০ কোটি টাকা। জানা যায় ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে বিদ্যমান হারে রাজস্ব বাজেটভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাজেট প্রাক্কলন করা হয় ২৪ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। এর সঙ্গে অতিরিক্ত আট হাজার ৪৯০ কোটি টাকা না ৩,৫০০ কোটি টাকা যুক্ত হলে জাতীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে বছরে মোট খরচ হবে ৩২ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা না ২৮ হাজার ৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়নেরও সুপারিশ রয়েছে পে-কমিশনের প্রতিবেদনে। বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন ভাতার হার বৃদ্ধি, অবসরভোগীদের জন্য অবসর ভাতা, নিট পেনশন ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ৪ জুন, প্রথম আলো ঃ শুল্কমুক্ত নয়, সাংসদেরা সরকারি গাড়ি পাবেন। ১৯৮৮ সালের ২৪ মে সরকার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সাংসদদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ করে দেয়। অষ্টম সংসদ পর্যন্ত তা বহাল ছিল। বিগত তত্ত¡বধায়ক সরকার অধ্যাদেশ জারি করলে এ সংক্রান্ত আইনটি বাতিল করে। কিন্তু বর্তমান সরকার সংসদে অধ্যাদেশটির বৈধতা না দেওয়ায় আইনটি বহাল থেকে যায়। এ অবস্থায় সাংসদদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ থাকলেও সরকার এখন নিজস্ব ব্যবস্থায় তাঁদের গাড়ি দিচ্ছে।
২০০৯ সালের ৪ জুন, প্রথম আলোঃ চট্টগ্রামে ছিন্নমূলদের সামনে রেখে নদী ও পাহাড় দখল।
২০০৯ সালের ৪ জুন, প্রথম আলো ঃ মংলা বন্দরের ৫৯ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২৫৫টি গাড়ি আমদানি ও খালাস করা হয়।
২০০৯ সালের ৭ জুন, প্রথম আলো ঃ ‘ইংলিশ ইন স্কুল’ প্রকল্পের উদ্বোধন। ইংরেজি শেখার ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করবে সরকার।
২০০৯ সালের ৮ জুন, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রী-সাংসদদের বাড়ি উঠে গেছে আর সাধারণ মানুষ প্লটই পাচ্ছে না। ১৯৮৯ সালে উত্তরা আবাসিক প্রকল্পে বরাদ্দ পেয়ে এখনো প্লট বুঝে পায়নি অর্ধশত সাধারণ মানুষ।
২০০৯ সালের ৯ জুন, প্রথম আলো ঃ তিন লাখ করদাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নতুন বাজেটে।
২০০৯ সালের ১১ জুন, প্রথম আলো ঃ আইআরআইয়ের জরিপ-৭৫ শতাংশ মানুষের মত দেশ সঠিক পথে চলছে।
২০০৯ সালের ১১ জুন, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-রাজধানীর যানজট নিরসনে উড়াল সড়ক ও সেতু হবে। ঢাকায় পথচারীদের পারাপারের জন্য তিনটি আন্ডারপাস ও ৫২টি ফুটওভারব্রিজ আছে। পাঁচটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী দুই বছরের মধ্যে আরও ২৫টি ফুটওভারব্রিজ হবে।
২০০৯ সালের ১১ জুন, প্রথম আলো ঃ কালো টাকা আবার সাদা করার সুযোগ, গাড়ি থাকলেই কর।
২০০৯ সালের ১৩ জুন, প্রথম আলো ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মহিত স্বীকার করলেন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া রাজনৈতিক আপস। বাজেট প্রণয়নের চেয়ে বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের সরকার এ চ্যালেঞ্জ নিয়েছে।
২০০৯ সালের ১৪ জুন, প্রথম আলো ঃ কালো টাকা সাদা করলে কোনো আইনেই প্রশ্ন তোলা যাবে না।
২০০৯ সালের ১৫ জুন, প্রথম আলোঃ জেনারেল মইন উ আহমেদ সেনা প্রধান পদ থেকে বিদায়।
২০০৯ সালের ১৫ জুন, প্রথম আলো ঃ এশীয় মহাসড়কে যুক্ত হতে তিনটি বিকল্প পথের    প্রস্তাব। পথগুলো হচ্ছে ভারত-বেনাপোল-যশোর-ঢাকা-কাঁচপুর-তামাবিল-ভারতের আসাম; ভারত-বাংলাবান্ধা-হাটিকুমরুল-ঢাকা-কাঁচপুর-তামাবিল-ভারত এবং মংলা-যশোর-হাটিকুমরুল ঢাকা-কাঁচপুর-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ-মিয়ানমার। সূত্র জানায়, ১৯৫১ সালে জাতিসংঘ এশীয় প্রশান্ত মহাসাগীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএন-এসকাপ) এশীয় মহাসড়ক প্রকল্প নেয়। ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘ এশীয় সড়কের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য বলে। তারপর ১৯৯২ সালে চীনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এশীয় মহাসড়ক, ট্রান্সএশিয়া রেলওয়ে ও ল্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশনের সমন্বয়ে এশীয় পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গঠনের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়। ২০০৩ সালে ব্যাংককে এসকাপের ৫২তম সম্মেলনে এশিয়ার ৩২ দেশের মধ্যে আন্তরাষ্ট্র সমঝোতা চুক্তি হয়। এতে এ পর্যন্ত ২৮টি দেশ সই করেছে। ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনটি বিকল্প পথ নিয়ে আলোচনা হয়।
২০০৯ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ অর্থনীতি সমিতির বাজেট বিশ্লেষণ ঃ ইশতেহারে কালো টাকার বিরুদ্ধে বলে এখন কালো টাকা গ্রহণযোগ্য।
২০০৯ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ রাতে বেশিক্ষণ টিভি দেখলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
২০০৯ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে পরিবেশমন্ত্রী-ঢাকার নদীদূষণের  জন্য ৬০ ভাগ দায়ী শিল্পকারখানার বর্জ্য।
২০০৯ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশকে ৪০০ যাত্রীবাহী বাস দেবে ভারত ঃ যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।
২০০৯ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ ডাইনোসরের ওজন আগের হিসাবে ছিল ৩৮ টন। কিন্তু এখন গবেষণার পর এর ওজন পাওয়া যাচ্ছে ১৮ টনের কাছাকাছি। এএফপি।
২০০৯ সালের ২৪ জুন, প্রথম আলো ঃ এক বছরের মধ্যে কারখানায় বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের নির্দেশ। হাইকোর্টের রায়-২৮ ফেব্রæয়ারি, ২০১০ সালের মধ্যে হাজারীবাগের চামড়াশিল্প স্থানান্তর করতে হবে। দেশের সব শিল্পকারখানায় বর্জ্য শোধনাগার (ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট-ইটিপি) এবং অন্যান্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (পলুশন ফাইটিং ডিভাইস-পিএফডি) স্থাপন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য এক বছরের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো ঃ নরসিংদীতে কলেজের হাট। ১৬টি কলেজের আটটি চালু হয়েছে এবার, সাতটি কলেজে অননুমোদিত তোরণ নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের স্বাগত।
২০০৯ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের বাজেট বিশ্লেষণ-টাকা সাদা করার সুযোগ আইন ও আন্তর্জাতিক সনদের পরিপন্থি।
২০০৯ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ সরকার উপজেলা পর্যায়ে আবার আদালত চালু করবে ঃ আইনমন্ত্রী।
২০০৯ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ ঢাকার চার নদী বাঁচাতে হাইকোর্টের ১২ নির্দেশনা। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সিএস রেকর্ড অনুযায়ী চার নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ। এক হাজার একর জায়গা ফিরে পাবে নদীগুলো।
২০০৯ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ ২০১১ সালেই আসছে উড়ন্ত গাড়ি। দুই আসনের এ উড়ন্ত যানজটপ্রবণ শহরে চলাচলে বেশ সহায়ক হবে।
২০০৯ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভায় উপদেষ্টাদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন জলিলের। তিনি বলেছেন, উপদেষ্টারা রাষ্ট্রের গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নেননি। ফলে তাদের মন্ত্রিসভায় উপস্থিতি সাংবিধানিক হয় না। এই সরকার সেনাবাহিনীকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। সেনাবাহিনী গর্বের ধন। কয়েক দিন আগে তাদের যমুনা সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যেটা আন্তর্জাতিক খোলা দরপত্রের মাধ্যমে হওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী হলো রাষ্ট্রের অঙ্গ, সরকারের চাকর। তাদের আমরা ব্যাংক দিচ্ছি। সেনাবাহিনী কি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান? এর দ্বারা মূল দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হচ্ছে।
২০০৯ সালের ২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পিনাক রঞ্জন কূটনীতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর বাবার বাড়ি বিক্রমপুর।
২০০৯ সালের ২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিআরটিএর কার্যালয়ে ৮০ শতাংশ কাজ হয় দালালের মাধ্যমে।
২০০৯ সালের ৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ শিশুশ্রম নিরসন নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি এখনো। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত শিশুর সংখ্যাও অজানা।
২০০৯ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ প্রথম অধিবেশনে কোরাম সংকট অপচয় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। টিআইবির প্রতিবেদন প্রকাশ।
২০০৯ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ মাদারীপুরে বসে সারা দেশে ফোনে চাঁদাবাজি। কিছু সরকারি কর্মকর্তা চাঁদাবাজদের তথ্য দেন। তিন গ্রামের ২৫ প্রতারক জড়িত। ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী, রাজশাহী ও খুলনায় চাঁদাবাজি হয় চরমপন্থীদের নামে।
২০০৯ সালের ৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ৫০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ছাড়লে সরবরাহ বাড়বে ৭০ হাজার কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ উজাড় হচ্ছে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী-ছিল ১২৫ একর, এখন আছে ২০ একর। সীতাকুন্ডের মধ্যম সোনাইছড়ি মৌজায় গত আট মাসে শতাধিক একর উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটে ফেলেছেন শিপইয়ার্ড মালিকেরা।
২০০৯ সালের ৮ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিদেশি কোম্পানি দিয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ তুলে নেওয়ার ফন্দি। জেম গেøাবাল ইল্ড ফান্ড লিমিটেডের কাছে শেয়ার ঋণ দেওয়ার নতুন একটি অভিনব প্রস্তাব প্রচন্ড রাজনৈতিক চাপের মধ্যে স¤প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন করেছে। নতুনভাবে আবার ফন্দিফিকির করা হচ্ছে বড় ধরনের কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে অর্থ পাচারের। এ কাজে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবেক এক সদস্যকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এ কোম্পানির মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করে ১৫ কোটি টাকা দেশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রভাবশালীরা চেষ্টা করছেন শর্ত ছাড়াই কীভাবে শেয়ার ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। জেম গেøাবালের কাছে শেয়ার ঋণ দেওয়ার এ প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সশরীরে তদবিরকারীদের মধ্যে আছেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও ১৯৯৬ সালে দেশের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সময়কালীন এসইসির সদস্য ড. শাহাবুব আলম।
২০০৯ সালের ১০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ দেশে কিশোরী মাতৃত্বের হার ৩৩ শতাংশ। বাংলাদেশে নারীদের বিয়ের গড় বয়স ১৫ দশমিক ৩ বছর।
২০০৯ সালের ১৪ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ৬৬ শতাংশ মেয়ে বল্যবিবাহের শিকার। আইন বলছে, ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেয়া দন্ডনীয় অপরাধ। অথচ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে গড়ে সাড়ে ১৫ বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে।
২০০৯ সালের ১৮ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ মাতৃমৃত্যুর ১৪% ঘটে অনিরাপদ গর্ভপাতে।
২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৩৩ শতাংশ গর্ভধারণ অপরিকল্পিত গর্ভপাতের দায় শুধুই নারীর।
২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর, আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশে শিশুশ্রম আইন জোরালো নয়। বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশের বেশি বাল্য বিবাহ হয় ভারতে। ইউনিসেফ।
২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি, আমাদের সময় ঃ দেশে সক্ষম দম্পতির সংখ্যা ২ কোটি ৫০ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯ জন এরমধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করে ১ কোটি ৮৫ লাখ ২৯ হাজার ২৫৪ জন।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি, ডেসটিনি ঃ দেশে প্রতিবছর ৪০ লাখ নারীর গর্ভধারণ-শিশু জন্ম দিতে মারা যায় লাখে ৩২০ জন।
২০১০ সালের ৫ মে, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ৮৫ ভাগ শিশু ঘরেই জন্মগ্রহন করে। ১৮ ভাগ মহিলা বাচ্চা জন্মগ্রহনের সময় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতি থাকে।
২০০৯ সালের ১২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পল্লী বিদ্যুৎ বেহাল, ৭০টির মধ্যে ৬৬টি সমিতি লোকসানে।
২০০৯ সালের ১৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ হ্যাপি প্লানেট ইনডেক্স ২.০ সুখী তালিকার ১৪৩টি দেশের মধ্যে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম।
২০০৯ সালের ২৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে পঁচিশ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট অংশ নেবেন। কাউন্সিলরদের ১০০/- টাকা দিয়ে নিবন্ধন এবং ২০০ টাকা দিয়ে খাবারের কুপন নিতে হবে। জলিলের পদত্যাগ গৃহীত আশরাফ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে।
২০০৯ সালের ২৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন ঃ সরকার ও রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম বদলে দিতে চাই। আমি মো: জাকির হুসেন আলমগীর বলি আসলে এ সমাজ ব্যবস্থায় সরকার ও রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম বদলানো যাবে না।
২০০৯ সালের ২৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পিনাকের বক্তব্য সম্পর্কে ভারতীয় হাইকমিশনের ব্যাখ্যা। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বৈধ ভিসা নিয়ে ভারতে যেয়ে ২৫ হাজার বাংলাদেশি আর ফিরে আসেনি। টাউট ও দালালদের কারণে প্রকৃত আবেদনকারীদের জন্য ভিসা পাওয়া জটিল হয়ে যায়। সব মিলিয়ে ভারতীয় হাইকমিশন বছরে পাঁচ লাখের বেশি ভিসা অনুমোদন করে থাকে।
২০০৯ সালের ২৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ অর্থমন্ত্রীর আশ্বাস-দু-তিন বছরের মধ্যে গ্রাম-গঞ্জে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছানো হবে।
২০০৯ সালের ৫ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়াল। শতাধিক মাথার আনারস। টাঙ্গাইলের মধুপুরের নাওভোলা গ্রামের সুমন আহমেদ আনারসটি এনেছেন গোপালগঞ্জ শহরের ফলের বাজারে বিক্রির জন্য। তিনি জানান, পাঁচ বা ১০ মাথার আনারস মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও শতাধিক মাথার আনারস এর আগে দেখেননি। গতকাল ছবিটি তুলেছেন আমাদের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি সুব্রত সাহা বাপী।
২০০৯ সালের ৮ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ সর্পদংশন বিষয়ে প্রথম জাতীয় জরিপ। ৮৬ শতাংশ মানুষ ওঝার কাছে যায়। চিকিৎসকের কাছে যায় ৩ শতাংশ। আক্রান্ত বরিশালে বেশি, সিলেটে কম। বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৬ লাখ মানুষ সাপের কামড় খায়, মারা যায় ৬,০৪১ জন। বছরে বিশ্বে আক্রান্ত ৩০ লাখ, মারা যায় দেড় লাখ।
২০০৯ সালের ৮ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ৭ বছরে চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ। একই কারণে বা একই আইনে আগে-পরে যাঁরা চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাঁদের কী হবে-মেজর জেনারেল (অব.) মইনুল হোসেন চৌধুরী।
২০০৯ সালের ১৩ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ সিপিডির সংলাপে বক্তারা-বিনিয়োগের মন্দা না কাটলে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে। বিনিয়োগ যদি না হয়, তাহলে রাজস্ব আদায় হবে না।
২০০৯ সালের ২৬ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ চাল সরবরাহের দলীয়করণ। সরকারি গুদামে চাল দিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের পকেটে গেছে পাঁচ কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ২৭ আগষ্ট, আমাদের সময় ঃ ল্যাপটপের মাধ্যমে ৬৪ জেলা ও ৪৮৩ উপজেলা পর্যায়ে ই-গভর্নেস চালু করা হচ্ছে।
২০০৯ সালের ২৯ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ দৃশ্যত লাভ হয়নি, ঘড়ির কাঁটা এবার পেছানোর চিন্তা।
২০০৯ সালের ২৯ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ব্রাকের গবেষণা প্রতিবেদন-সরকার ও বিরোধী দল একসঙ্গে কাজ না করলে এই সংসদও ব্যর্থ হবে।
২০০৯ সালের ৩০ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রী-সাংসদদের সুপারিশে ৭১টি নদীঘাট ইজারা। সব পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। দরপত্র আহবান করা হয়নি। সাবেক নৌমন্ত্রী একাই দেন ৩০টি।
২০০৯ সালের ৩১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে ৪৭টি এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের সাত দেশের সাথে নতুন দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত।
২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ টাকা নিয়ে বসে আছে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের আগ্রহ কম। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মনে করেন, মূলধনের অভাব নয়, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও উৎসাহের অভাবই এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হক বলেন ‘বিনিয়োগ যে করব গ্যাস কই? এই সমস্যার সমাধান না হলে বিনিয়োগ হবে না।’ এর পাশাপাশি জমির প্রাপ্যতা, উচ্চ সুদহার, আইনশৃঙখলা পরিস্থিতিসহ অন্যান্য সম্যসা তো আছেই। তবে এই মুহুর্তে গ্যাসসংকটই প্রধান সমস্যা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন এফআইসিসিআইয়ের সভাপতি ওয়ালি ভূঁইয়া বলেন, গ্যাসসংকট না মিটলে নতুন বিনিয়োগ তো দূরের কথা, বিদ্যমান কলকারখানাগুলোই অচল হয়ে যাবে। সর্বশেষ হিসাবে ব্যাংকগুলোর কাছে এখন অতিরিক্ত তারল্য আছে ৩৪ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পরিমাণ অতিরিক্ত তারল্য আর কখনোই ছিল না। এর মধ্যে কিছু অর্থ রাখতে হয় দৈনদিন লেনদেনের জন্য। এটা বাদদিলেও ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিনিয়োগের সাথে কর্মসংস্থানের বিষয়টি সরাসরি জড়িত। অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হওয়ার দুই বছর আগে বিদেশে শ্রমিক রপ্তানি করেছে ১৭ লাখ। আর মন্দার দুই বছরে আট লাখ শ্রমিক যেতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের বিনিয়োগ না হলে প্রবৃদ্ধিও কমে যাবে এবং বেকারত্ত¡ও বাড়বে।
২০০৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ খুনের বিচার হয় না খুলনায়। ভাড়াটে খূনীরা ধরা পড়ে, রাঘববোয়ালেরা থাকে আড়ালে।
২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আরও দলীয় নেতা-কর্মী নিয়োগ। পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এর আগে গত সপ্তাহে ২৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আর এ দফায় দেওয়া হলো আরও দশ জনকে।
২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ প্রতি আট মাসে একটি নতুন রোগের ঝুঁকি। প্রতিরোধে দেশের প্র¯ত্ততি যতেষ্ট নয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর মানুষ নতুন সংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে। গবেষকেরা বলছেন, মনুষ্য প্রজাতি গত ২৫ বছরে ৩৫টি নতুন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি , নগরায়ণ, মানুষের অতিমাত্রায় বিশ্ব ভ্রমণের কারনে সংক্রামক ব্যাধি দ্রুত পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। রোগতত্ত¡বিদেরা বলছেন, পৃথিবীর মানুষ নতুন নতুন রোগে আক্তান্ত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মার্ক উলহাউস ২৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছেন, এ সময়ে মানুষ ৩৮টি নতুন রোগে আক্তান্ত হয়েছে। এ রোগ আগে মানুষের মধ্যে ছিল না। এসব রোগের ৭৫ শতাংশ এসেছে জীবজন্তÍু ও পশু-পাখি থেকে।
২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ কিশোরগঞ্জে স্পিকার আবদুল হামিদ ঃ সাংসদদের বিদেশে যাওয়ার হিড়িক দেখে আশ্চর্য হই।
২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ঢাকা চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রজাতির ৪২টি প্রাণীর আয়ু ফুরিয়ে গেছে।
২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ টেন্ডার-চাঁদাবাজি চলছে দ্রæত ব্যবস্থা নিন। আওয়ামী লীগের নির্বাহী সংসদের বৈঠকে দাবি।
২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ইউনিয়ন পরিষদ আইন পাস ঃ মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা দেওয়ার বিধান বাতিল এবং ঋণ ও বিলখেলাপিরা নির্বাচনের যোগ্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন) পরিষদ আইন-২০০৯ তারিখ ০৬-১০-২০০৯ সংসদে পাস হয়েছে।
২০০৯ সালের ৯ অক্টোবর, আমাদের সময় ঃ দেশে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করেছে ৬০ হাজারের বেশি এনজিও, অনুমোদন রয়েছে ৪১৮টির।
২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ অন্যের জন্যও খুন করেছেন রসু খাঁ। ক্রমিক খুনি স্ত্রীর প্রশ্ন ‘কেমনে তুমি এত কিছু করলা’। ১১টি খুনের কথা এখন পর্যন্ত স্বীকার করেছেন।
২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ দুদক দন্তহীন বাঘ এখন নখও কেটে নেওয়া হচ্ছে। দুদক চেয়ারম্যানের মতবিনিময়। * বর্তমান বিচার ব্যবস্থার কারণে দেশ থেকে দুর্নীতি কমানো সম্ভব নয়। * দুর্নীতিপরায়ণদের প্রতি বিচারকেরা খড়গহস্ত না হলে দুর্নীতি কমবে না, বাড়বে।
২০০৯ সালের ১৭ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ নিয়ন্ত্রণ সংস্কার কমিশন (রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশন বা আরআরসি) থেকে পদত্যাগ করেছেন-চেয়ারম্যান আকবর আলি খান।
২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ২৪ হাজার নার্স চাঁদাবাজির শিকার সহযোগিতায় সেবা পরিদপ্তর।
২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সরকার নার্সদের পদমর্যদা তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা হচ্ছে।
২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আড়াই লাখ সেবিকার সংকট ছয় বছর ধরে নিয়োগ বন্ধ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিøউএইচও) আদর্শ অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনজন সেবিকা (নার্স) থাকার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০০৯-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে চিকিৎসক আছেন ৪৯ হাজার ৬০৮ জন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এই সংখ্যক চিকিৎসকের বিপরীতে নিবন্ধনকৃত সেবিকা আছেন ২৩ হাজার ৭২৯ জন। প্রতি দুজন চিকিৎসকের সহযোগী হিসেবে একজন সেবিকাও নেই। আর জনসংখ্যার হিসাবে ধরলে সাড়ে সাত হাজার লোকের জন্য একজন সেবিকা রয়েছেন।
২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ক্ষুদ্রঋণ দেশে চরম দারিদ্র্যের হার কমাতে ব্যর্থ হয়েছে ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের ৬৫তম জেলা হচ্ছে ভৈরব। ভৈরবকে জেলা করতে পারেনি।
২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ প্রতিদিন নিস্ফল পুড়ছে ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস।
২০০৯ সালের ২৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ কৃষিপণ্যের ব্যবসায় লাইসেন্স প্রথা আসছে। শুরুতে ৬৯টি বাজার এর আওতায় আসবে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে দেশের নির্বাচিত ৬৩টি খুচরা বাজার ও ৬টি পাইকারি বাজারের সব কারবারিকে লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশের ৭১৭টি কৃষিপণ্যের বাজারের প্রায় ৩০ হাজার ব্যবসায়ীকে লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স ব্যবস্থার আওতায় আসছে যেসব বাজার। চট্টগ্রাম বিভাগের-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাঞ্ছারামপুর প্রতাপগঞ্জ বাজার ৬৯টি বাজারের মধ্যে একটি।
২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ জজ মিয়া গল্পের রূপকার সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এবার আসামি করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ ১৫ বছর, জালিয়াতির জন্য শাস্তি কারাদন্ড।
২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ১০টি টিভি চ্যানেলের অনুমোদনে নীতিমালা মানা হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ‘বেসরকারী মালিকানায় টেলিভিশন চ্যানেল স্থাপন ও পরিচালনা নীতি’ তৈরি করেছিল। নীতিমালার ৫নং ধারায় বলা আছে ‘বেতার, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি মালিকানায় টেলিভিশনচ্যানেল স্থাপন ও পরিচালনা আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরখাস্ত আহবান করা যেতে পারে।’ কিন্তু নতুন যেসব টিভি চ্যানেলের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হলো, সে ক্ষেত্রে কোনো দরখাস্ত আহবান করা হয়নি।
২০০৯ সালের ৩০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ প্রবৃদ্ধি হ্রাস ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা করছে আইএমএফ মনে করছে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে পাঁচ শতাংশের বেশি হবে না।  দ্বিমত অর্থমন্ত্রীর-এমনকি তা ছয় শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
২০০৯ সালের ৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংসদে আইন পাস-গঠণতন্ত্র জমা না দিলে দলের নিবন্ধন বাতিল।
২০০৯ সালের ৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। নতুন কোম্পানিকে ৪০ শতাংশ শেয়ার আইপিওতে রাখতে হবে। আইপিওতে আসার আগেই মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার বরাদ্দ না দেওয়ার প্রস্তাব।
২০০৯ সালের ৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ আবদুল গণি রোডে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল কার্যালয়ের স্থানটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু ০৮-১১-২০০৯ তারিখ থেকে।
২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সব শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সময় দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ এক বছর। এ সময়ের আগেই বার্ষিক সাধারণ সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২০০৯ সালের ১৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক আইন ও পূর্ত উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের নির্দেশে র‌্যাংগস ভবন ভাঙতে গিয়ে ১৩ জন নিরীহ শ্রমিক প্রাণ হারায়।
২০০৯ সালের ১৮ নভেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি-বার্ষিক সেমিনার-২০০৯ ঃ উপমহাদেশের প্রথম সংবাদপত্র প্রকাশের প্রয়াস বন্ধ করে দেয়া হয় এবং কোম্পানী প্রশাসন জোর করে তাঁকে ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে হিকি’স গেজেট প্রথম সংবাদপত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে অল্পকালের মধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়। বাংলা অঞ্চলের প্রথম সংবাদপত্র রংপুর বার্তাবহও শাসকবর্গের রোষানলে পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ১৯২২ সালে কবি নজরুলের সম্পাদনায় ‘ধুমকেতু’ আপামর জনসাধারণের পক্ষ নিয়ে বৃটিশ বিরোধী ভূমিকা গ্রহণ করলে উপনিবেশিক বেনিয়া শাসকরা তা বন্ধ করে দিয়ে নজরুলকে কারাগারে প্রেরণ করে।  পাকিস্তান আমল পেরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ ১০টি সংবাদপত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সা¤প্রতিক তথ্য অনুযায়ী দেশে এখন ২৫৪টি সংবাদপত্র রয়েছে। এর মধ্যে ৭৪টি ঢাকা ও ১৮০টি মফসল এলাকা থেকে প্রকাশিত হয়। টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে ১১টি আরও ১০টি অনুমোদন লাভ করেছে।
২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দীর্ঘ ২১ বছর পর মামলা, ১৩ বছর ধরে বিচার। আজ চুড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছেন সুপ্রিমকোর্ট ১২ জনের ফাঁসি বহাল। ১২ জনের মধ্যে ৫ জন কারাগারে আর ৭ জন পলাতকের মধ্যে ১ জন মারা যান। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় বহাল, ১২ আসামির মৃত্যুদন্ড।
২০০৯ সালের ২০ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলো, জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো ঃ আওয়ামী লীগ।
২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা।
২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ইউএনডিপির সমীক্ষা-মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বেশির ভাগ বাংলাদেশি নারী দৈহিক পীড়নের শিকার।
২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ঝালকাঠির কীর্তিপাশার সন্তান তপন রায় চৌধুরী বলেন, ‘এটা আমার শুধু নিজের বাড়ি ফেরা নয়, তার চেয়েও বড় কিছু। সত্যি বলছি, আমি অভিভূত। আপনাদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ আমার আর কে আছে? আত্মার আত্মীয় আপনারা। যে আদর-যতœ পেলাম, ছোটবেলার পর এমন আর পাইনি। রাতে শুয়ে চোখের জলে বালিশ ভিজে গেছে।’ সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখ করলেন ‘বাঙাল’ চরিত্রের এ বৈশিষ্ট্য। তাই তিনি নিজেকে ‘বাঙাল’ বলে মনে করেন এবং এ পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমরা আবেগপ্রবণ। আবার আবেগ বেশি হলে রামদা দিয়ে মানুষ কোপাতেও পারি।’ ইতিহাস, ধর্ম, সমাজকে এক সুতায় গাঁথলেন প্রথম আলোর কার্যালয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ তপন রায় চৌধুরী, পাশে স্ত্রী প্রতিমা রায় চৌধুরী। অক্সফোর্ডের সেন্ট অ্যান্টনিস কলেজের ইমেরিটাস ফেলো তপন রায় চৌধুরী বলেন, ‘মুঘল খানা আসলে মুঘলদের নিজস্ব নয়। সে সময় সমগ্র মধ্য এশিয়া প্রভাবিত ছিল ইরানের অর্থাৎ পারশিয়ান সংস্কৃতিতে। যখন তুর্কিরা এখানে এলেন, তাঁরা সেই সংস্কৃতিকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন।’ মোঘলাই খানার একটি উদাহরণ দিয়ে জানালেন, সে সময় মুঘল সম্রাটদের ১০০ পদের খানা পরিবেশন করা হতো এবং অন্যান্য রাজপুরুষ, অমাত্য ও অতিথিদের দেওয়া হতো ৮০ পদের খাবার। মোঘলাই খিচুড়ি তৈরী করা হতো এক পোয়া চাল, এক পোয়া ডাল ও এক পোয়া ঘি দিয়ে। এমন খাবার যতই উপাদেয় হোক, নিয়মিত খেলে খুব বেশি দিন খাওয়ার সুযোগ হবে না।
২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সাংসদদের গাড়ি কিনে দেবে সরকার। মোট খরচ ৭০০ কোটি টাকা। প্রতি মাসে দেওয়া হবে ৪০ হাজার টাকা করে।
২০০৯ সালের ২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ খুনের দায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের গণহারে জামিন! অ্যাটর্নি জেনারেল বিস্মিত, আপিলের প্রস্ততি।
২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ দেশের ৬৮ কারাগারে ৮৫ হাজার বন্দির জন্য ১৪ জন চিকিৎসক।
২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ গলে যাচ্ছে হিমালয়ের হিমবাহ। পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে ১৩০ কোটি মানুষ। ৪০ বছরের মধ্যে বেশির ভাগ হিমবাহ গলে যাবে। কোপেনহেগেন সম্মেলনে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে তাই হিমালয়ের পানির উৎসের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় নিতে হবে।
২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে আনায় যাত্রীদের সমস্যা। সারা দেশে ৩৬টি ট্রেন ছাড়ার সময় শনিবার পেছাচ্ছে।
২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজধানীতে তিন লেনে গাড়ি চলাচল শুরু। আইন অমান্য করায় ৮৩০টি মামলা, জরিমানা।
২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ভারতের পার্লামেন্টে বক্তৃতা। দারিদ্র গরিব মানুষের তৈরি নয়। আমাদের তৈরি ব্যবস্থা, ধারণা ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা থেকেই দারিদ্র্যের উদ্ভব ঃ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূস।
২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ পরিকল্পনা কমিশন হিসাব কষে দেখিয়েছে-পাঁচ বছরের মধ্যে নিজের টাকায় চলার সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। আমি বলি এ কথার অর্থও ফাঁকা হবে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেনি।
২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে সুতিয়াখালী এলাকায় একটি ধানক্ষেতে প্রায় তিন কেজি ওজনের একটি ইঁদুর পাওয়া গেছে এবং ইঁদুরটি লম্বায় আড়াই ফুট।
২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ এক দশকে অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি ব্যয় কমেছে। এই খাতে বিনিয়োগ নিম্নস্তরের দিকে বাংলাদেশ ঃ গোল্ডম্যান স্যাক্স।
২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দক্ষিণ এশিয়া শিক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন। সবার জন্য শিক্ষায় জিডিপির ৬% বরাদ্দের অঙ্গীকার।
২০০৯ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ পরিবেশবাদীদের দাবি। সম্মেলন শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ। সমঝোতার এত বেশি ফাঁক রয়েছে যে এর মধ্য দিয়ে একটি বিমান উড়ে যেতে পারবে। এখানে শুধু একটি বিষয়েই আমরা একমত হয়েছি, তা হলো বিজ্ঞান। বাকি সবকিছুই প্রতারণা।
২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৯০ লাখ বোরোচাষি ৩৫০ কোটি টাকা ডিজেল-ভর্তুকি পাচ্ছেন।
২০০৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অসংখ্য আবেদন, নানা তদবির। এ পর্যন্ত ১৫০টির মতো আবেদন পড়েছে।
২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ১৪০ কর্মচারীকে শাস্তি। বন্দীদের মাদক সরবরাহ ও ঘুষ গ্রহণ।
২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বোকা বানিয়ে বড় অঙ্কের প্রতারণা। ঢাকায় ২০ চক্র সক্রিয়, দুই চক্রের চারজন গ্রেপ্তার।
২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ গ্রামে ৫২, ঢাকার ৫৯ শতাংশ খাদ্যে ভেজাল Ÿাজারের ৯৮ শতাংশ মধু, ৮৮ শতাংশ ঘি ভেজাল।
২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাড়তি জনসংখ্যা অগ্রগতিকে ছেঁটে দিচ্ছে ঃ দেবপ্রিয়। বিদ্যামান প্রবৃদ্ধিতে ২০৪৭ সালে এলডিসি থেকে বের হবে দেশ। আমার মনে হয় এ ভাবে চললে ২০৪৭ সালে এলডিসি থেকে বের হতে পারবে না।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দ্রব্যমূল্য ৭.৪১% বেড়েছে ঃ ক্যাব। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ২০০৯ সালের বাজার তথ্য পর্যালোচনা করে এ হিসাব দিয়েছে।
২০১০সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃপ্রতিকুলতার মধ্যেও ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা উচ্চ।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আজ শুরু। এবার দেশি-বিদেশি ৪৮৬টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পরিবেশ ছাড়পত্র নিতে ৮৪টি জাহাজভাঙা ইয়ার্ডকে নোটিশ।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নতুন বছরে সরকারের দুই অগ্রাধিকার। সংবিধান সংশোধন ও যুদ্ধাপরাধের বিচার।
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিএনপির ৩৮৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা- আছেন বিতর্কিতরাও।
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ছাত্রদলের ১৭১ সদস্যের পূণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত।
২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ভুল সূচকের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। বাজারের প্রকৃত চিত্র পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। ডিএসইয়ের সর্বশেষ লেনদেন হিসাব অনুযায়ী বর্তমান সাধারণ সূচক চার হাজার ৫৩৫ পয়েন্ট হলেও আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি কোনোভাবেই তিন হাজার পয়েন্টের বেশি হবে না।
২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নগরের চারটি অঞ্চলের ১৩টি এলাকাকে সংরক্ষিত হিসেবে উল্লেখ করেছে রাজউক। একই বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকার ৯৩টি ঐতিহ্যবাহী ভবন সংরক্ষণের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তালিকা করেই দায়িত্ব শেষ?
২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিনিয়োগ নেই, শেষ সময়ে মূল্যস্ফীতির চাপ। শুরুটা ভালো থাকলেও বছর শেষ হলো মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্য দিয়ে।
২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দিনবদলের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ।
২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১০ মাসেও কার্যকর হয়নি উপজেলা। আইন সংশোধন হচ্ছে, তবে সাংসদেরা উপদেষ্টা থাকছেন।
২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি, জনকণ্ঠ পত্রিকা ঃ ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৩৬০ জন অফিসার, জেসিও এবং সৈনিক মিশনে গমণ করেছে।
২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রমৈত্রীর নেতা খুন। রাজশাহী পলিটেকনিক বন্ধ, ছাত্রলীগের সাতজনকে বহিস্কার।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথে বড় বাধা ১৪ সেতু।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগাযোগমন্ত্রী-সব মহাসড়ক পর্যায়ক্রমে চার লেন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সমুদ্র-রেল-সড়কপথ ব্যবহারে মতৈক্য। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ঘোষণা। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে ভারত।
২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বড়দৈল গ্রামের ৮০ হকারের গ্রাম। ৪৪ বছর ধরে এ পেশায় আছেন বড়দৈল গ্রামের আবদুল মান্নান ওরফে মোহন মিয়া (৫৭)। ১৯৬৬ সালের মাসে বেতন ৩৫ টাকা। আর এখন মাসে পত্রিকা বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা রোজগার করি। ১৯৭৭ সালে মালিকপক্ষ শতকরা ১৫ টাকা কমিশন দেয়। ১৯৯২ সালে সেটা ২০ ভাগ কমিশন করা হয়। সর্বশেষ ২০০১ সালে শতকরা ২৫ ভাগ কমিশন করা হয়।
২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ঐতিহ্যবাহী বোমাং রাজপুণ্যাহ শুরু ভূমিকর বাড়ানোর তাগিদ রাজার। বান্দরবানে ১৩৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী বোমাং রাজপুণ্যাহ উৎসব। ১৯০০ সালে ব্রিটিশের পার্বত্য শাসনবিধি অনুযায়ী বান্দরবনকে বোমাং সার্কেল বলা হয়। ১০৯টি মোজায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার জুমিয়া আদিবাসী পরিবার থেকে প্রতিবছর খাজনা আদায় ও উপঢৌকন নেওয়া হয়।
২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ অষ্টম জাতীয় জাম্বুরি শুরু ১৬-০১-২০১০ থেকে ২২-০১-২০১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে। ১৫ হাজার স্কাউট অংশ নিচ্ছে গাজীপুরের মৌচাকে মিলনমেলায়। দেশে স্কাউটের সংখ্যা মাত্র ১০ লাখের মতো। ২০১৩ সালের মধ্যে আমরা একে ১৫ লাখে নিয়ে যেতে চাই।
২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রাম বন্দরে সংগঠন ৩৩টি, দুটিতে নামিয়ে আনা হচ্ছে না।
২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাতেই মেলে এশিয়ান টেক্সটাইলের কাপড়। এশিয়ান টেক্সটাইলের ৪৬ হাজার ডিজাইনের কাপড়ের মধ্যে থেকে চাইলে নিজের জন্যও বেছে নিতে পারেন পছন্দসই কিছু কাপড়। এশিয়ান কাপড় সবচেয়ে খারাপ কাপড়। আমি মো: জাকির হুসেন-বলছি। এ কাপড় থেকে রং চলে যায় কিছুদিন পড়েই। সবচেয়ে খারাপ কাপড় আমার বিচাওে এশিয়ান টেক্সটাইল কাপড়।
২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বেড়িবাঁধে ৪০ হাজার দুর্গত মানুষ। দাকোপে চাষাবাদ বন্ধ, আট মাসে বাড়ি ফেরা হয়নি, খাওয়ার পানির সংকট।
২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি, আমাদের সময় ঃ রাজধানীতে নবনির্বাচিত সাড়ে ৫শ ত্রুটিপূর্ণ ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হবে। ০৫-০৮-২০১৫ তারিখ পর্যন্ত ভাঙ্গা হয়নি।
২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি, আমাদের সময় ঃ দেশ জুড়ে প্রচন্ড শৈত্যপ্রবাহ ৫৪ জনের মৃত্যু-গত এক সপ্তাহে।
২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সরকার এক বছরে ১০ সচিবসহ ২২৪ কর্মকর্তাকে ওএসডি করেছে।
২০১০ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ‘দি আনহার্ড ট্রুথ পোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ নিজ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অ্যামনেষ্টি ইন্টারনেশনালের সাবেক মহাসচিব আইরিন খান বলেছেন সরকারব্যবস্থা চালিত হচ্ছে লোভ ও দুর্নীতির ওপর ভর করে।
২০১০ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিএনপির নির্বাহী কমিটির ক্ষমতা কমেছে, বেড়েছে চেয়ারপারসনের। দন্ডিতরা সদস্য হতে পারবেন। কাউন্সিল হবে তিন বছর পর। ছাত্রদল ও শ্রমিক দল চলবে নিজেদের গঠনতন্ত্রে।
২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে ৩৮টি দল, দেয়নি ফ্রিডম পার্টি। এ ছাড়া ১২টি রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র সংবিধানপরিপন্থি হওয়ায় সেগুলো সংশোধনের জন্য শিগগির চিঠি দেওয়া হবে বলে কমিশনের আইন শাখার এক কর্মকর্তা জানান।
২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ চার বছরেই মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের। বর্তমান হারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে মাথাপিছু আয় ৯৭৬ ডলারে পৌঁছাতে বছর চারেকের বেশি লাগার কথা নয়। আর এটাই মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার অন্যতম নির্ধারক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন। আমি বলছি নি¤œ মধ্য আয়ের দেশ হয়েছে বাংলাদেশ-জুলাই ২০১৫ তারিখ।
২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মিথ্যা হলফ নামা দিয়ে উত্তরায় প্লট নিয়েছেন ১৮ জন সংসদ সদস্য। উত্তরা আবাসিক প্রকল্প-হলফনামা বদলানোর কিছু নাই।
২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ এবার কাঁচা পাটের ফলন ৫৭ লাখ বেল।
২০১০ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বেসামরিক প্রশাসনে ১২২ সামরিক কর্মকর্তা। বিএনপি জোটের সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন ৮২ জন।
২০১০ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি, আমাদের সময় ঃ ঢাকা চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২,০৯০টি পশু-পাখি আছে।
২০১০ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি, আমাদের সময় ঃ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শেষ-দর্শনার্থীর সংখ্যা-২৬ লাখ। ভালো ব্যবসা হয়েছে-প্রতিদিন গড়ে ৭০ হাজার লোক হয়েছে।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ঢাকা শিশু হাসপাতালে জোড়া লাগা মণি ও মুক্তাকে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয়।
২০১০ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি, আমাদের সময় ঃ আবেদনের সময় ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১০, আরো ৬৫৯টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ।
২০১০ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ নেদারল্যান্ডে নির্মিত বাসটি সড়কের পাশাপাশি পানিতেও স্বচ্ছন্দে চলতে সক্ষম। বাসটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে সাত লাখ পাউন্ড। এএফপি।
২০১০ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সার্কভূক্ত ৮টি দেশের খেলাধুলা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় এবং খেলার ফলাফল নিচে দেয়া হলো ঃ
ক্রমিক দেশ সোনা রূপা ব্রোঞ্জ মোট
১. ভারত ৯০ ৫৫ ২৯ ১৭৪
২. পাকিস্তান ১৯ ২৫ ৩৬ ৮০
৩. বাংলাদেশ ১৮ ২৩ ৫৬ ৯৭
৪. শ্রীলঙ্কা ১৬ ৩৫ ৫৪ ১০৫
৫. নেপাল ০৮ ০৯ ১৯ ৩৬
৬. আফগানিস্তান ০৭ ০৯ ১৬ ৩২
৭. ভুটান ০০ ০২ ০৩ ০৫
৮. মালদ্বীপ ০০ ০০ ০২ ০২
২০১০ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ খননের সরঞ্জাম নেই, দুই হাজার কিলোমিটার নৌপথ কমেছে। এক কোটি ঘনমিটার সাধারণ খনন দরকার। বিআইডবিøউটিএ মাত্র ২৬ লাখ ঘনমিটার খনন করতে পারে। বিশ্বের মোট পলির প্রায় ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বাংলাদেশের নদীগুলো দিয়ে বাহিত হয়। এ জন্য নদী দ্রুত নাব্যতা হারায়।
২০১০ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে ল্যাপটপ-মোবাইল ২ হাজার টাকায়।
২০১০ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাজশাহীতে ছাত্রলীগ কর্মী খুনের পর দেশব্যাপী অভিযান। জামায়াত-শিবিরের আরও ১২৭ জন গ্রেপ্তার। দুই দিনে মোট ২৮২ জনকে গ্রেপ্তার।
রাজশাহীতে ছাত্রলীগ কর্মী খুনের পর দেশব্যাপী অভিযান। জামায়াত-শিবিরর ১৫৫ জন গ্রেপ্তার।
২০১০ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ জামিনে ব্যাপক অনিয়ম। তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান বিচারপতির কাছে। দুই বিচারপতির স্বাক্ষরবিহীন ২৭২টি জামিনাদেশ ৩৫টি নথির হদিস নেই।
২০১০ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ইকোনমিষ্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের জরিপ। ১৪০টি শহরের মধ্যে বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়।
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্বে অছাত্ররা। ছাত্রলীগের ৮২টি জেলা কমিটির নেতারা চাকরি ও ব্যবসায় (বাংলাদেশ বাবা লীগ)। ছাত্রদলের ৮৫ জেলা কমিটির নেতারা ঘরসংসার করছেন। ছাত্রদলের কেন্দ্রী কমিটির ১৭১ সদসের মধ্যে ১০৩ জনই বিবাহিত। কেন্দ্রীয় কমিটির ১৭১ সদসের মধ্যে ১৫০ জনেরই ছাত্রত্ব নেই (জাতীয়তাবাদী আব্বা দল)। ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে থাকতে বয়স মুখ্য নয় (ইসলামী আব্বা শিবির)।
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ আট শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনে এডিপি দ্বিগুণ করবে সরকার।
সারণি ঃ অর্থনীতির প্রক্ষেপণ (জিডিপির শতকরা অংশ)
খাত ২০০৯-২০১০ ২০১০-২০১১ ২০১১-২০১২ ২০১২-২০১৩ ২০১৩-২০১৪
জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬% ৬.৭% ৭.২% ৭.৬% ৮%
রাজস্ব আয় ১১.৫% ১২.২% ১২.৭% ১৩.১% ১৩.৬%
এডিপি ৪.১% ৪.৫% ৫% ৫.৬% ৬.৬%
২০১০ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলোঃ সৌদিতে ৫০ হাজার রোহিঙ্গার হাতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।
২০১০ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশের আমদানি ও রপ্তানি দুটোই কমেছে। ২০০৮-২০০৯ ও ২০০৯-২০১০।
২০১০ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির গঙ্গারামমুখ এলাকার সড়কে শুয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা। সংঘর্ষ-গুলি, রক্তাক্ত বাঘাইছড়ি। নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি, চার না সাত?
২০১০ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের মাঠে এক লাখ মোমবাতি প্রজ্বলন করে ভাষাশহীদদের স্মরণ করা হয়।
২০১০ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ পাকিস্তান হাইকমিশনারের দাবি। ১৯৭৪-এর ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে যুদ্ধাপরাধের নিষ্পত্তি হয়েছে।
২০১০ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ আমরা ব্রাকের ৬৫,০০০ মহিলা ও পুরুষ কর্মী, ৮৬,০০০ হাজার স্বাস্থ্যসেবিকা এবং ৪০,০০০ হাজার শিক্ষিকা আমাদের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদের অর্জিত সম্মানের সমান অংশীদার।
২০১০ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সরকারি কর্মচারীদের চাকরির তথ্য কম্পিউটারে সংরক্ষণের উদ্যোগ।
২০১০ সালের ৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ফেসবুক ব্যবহার করে শেয়ারবাজারে কারসাজি ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার।
২০১০ সালের ৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সাংসদদের মারমুখী আচরণে ক্ষুব্ধ স্পিকার আবদুল হামিদ।  লড়তে চাইলে গায়ে তেল মেখে মাঠে নামুন।
২০১০ সালের ১০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ডিএমপি কমিশনার স্বীকার করলেন-রাজধানীতে ছিনতাই, ডাকাতি বেড়েছে।
২০১০ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ যশোরে কমিটি নিয়ে দ্ব›দ্ব। আওয়ামী লীগের কোন্দলে ছাত্রলীগ নেতা খুন।
২০১০ সালের ১৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রাজধানী ঢাকা শহরে আড়াই হাজার বিলবোর্ড, বৈধ ৩০০শত।
২০১০ সালের ১৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বাড়ছে জমির দাম, কমছে পুকুর। কার্ত্তিক দাস, নড়াইল।
২০১০ সালের ১৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ উপজেলা চেয়ারম্যানদের কর্তৃত্ব থাকছে না। ইউএনও এবং কর্মকর্তারা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে।
২০১০ সালের ১৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ লোডশেডিং আরও বাড়বে। ঢাকায় তিন থেকে সাতবার। আরইবি এলাকায় ১০ ঘন্টা। দক্ষিণাঞ্চলে এক ঘন্টা পর পর।
২০১০ সালের ১৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ এক লাখ টনের বেশি ধান মজুদ রাখা যাবে না। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত অহেতুক ভীতি তৈরি করবে’।
২০১০ সালের ২২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্ব পানি দিবসের আলোচনা। দেশে প্রতিবছর লক্ষাধিক শিশুর মৃত্যু হয় পানিদূষণের কারণে।
২০১০ সালের ২৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ এক-এগারোর পরবর্তী তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির এক হাজার ২৩১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৫ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
২০১০ সালের ২৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ একসঙ্গে চার-চারটি বাছুর জন্ম দিয়েছে গাভীটি। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাচুড়ী ইউনিয়নের লাংগুলি গ্রামে।
২০১০ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত। সরকারি শ্রমিকদের চাকরির বয়স তিন বছর বাড়ছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোদন ২০১০ অনুমোদন করা হয়। এখন থেকে সরকারি শ্রমিকদের চাকরির বয়স ৬০ হল।
২০১০ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ আট বছরে ২০০ কোটি টাকার ট্রান্সফরমার চুরি।
২০১০ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সব মেডিকেল কলেজ বিএসএমএমইউর(বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
২০১০ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সড়ক, রেল  ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যানরা।
২০১০ সালের ৩১ মার্চ, জনকন্ঠ ঃ রুগ্ন শিল্পের এক হাজার কোটি টাকার সুদ মওকুফ করেছে সরকার।
২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দেশে মেশিন রিডাবল পাসপোর্ট এবং মেশিন রিডাবল ভিসা চালু হয়।
২০১০ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বাঘে খেলে সরকারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা পাবে।
২০১০ সালের ৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ স্রোতস্বিনী তিতাস আজ শান্ত। তার আগ্রাসী চেহারা আজ অনেকটাই অনুপস্থিত। চলেছে নির্বিচারে তীর ভরাট। পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ায় তিতাস অনেকটাই আজ নিস্তরঙ্গ। তিতাসের এ ছবিটি বাঞ্ছারামপুরের আসাদনগর থেকে তোলা। এখানে তিতাসের ছবিটি দেয়া গেলনা। তিতাসের কান্না! এম মনিরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)। আস্তে আস্তে তিতাস নদী দখল হয়ে যাচ্ছে।
২০১০ সালের ৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বুড়িগঙ্গাসহ রাজধানীর চারপাশের চার নদীর প্রায় দুই হাজার অবৈধ স্থাপনার তালিকায় প্রভাবশালী বেসরকারি দখলদার ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাও রয়েছে। এমনকি খোদ উচ্ছেদ অভিযানকারী অন্যতম কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) মালিকাধীন ঢাকা সদরঘাট ও নারায়নগঞ্জ ঘাটের টার্মিনালও অবৈধ স্থাপনার মধ্যে স্থান পেয়েছে।
২০১০ সালের ৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ গাড়িচোরের চক্রের প্রধান বিল্লাল। ২০০ কোটি টাকার মালিক না হওয়া পর্যন্ত চুরি চালিয়ে যাব।
২০১০ সালের ৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ খেয়ালের বশে ২০০ ফুট উঁচু টাওয়ারে। নারায়নগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জে সবার অলক্ষে ২৩০ কেভি বিদ্যুতের টাওয়ারের শীর্ষে উঠে পড়েছিলেন আয়শা আক্তার (তমা) নামের এক ২২ বছর বয়সের তরুণী। পড়ে নামানো হয়।
২০১০ সালের ৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ আর্থসামাজিক কাঠামোয় দেশে আয়বৈষম্য প্রকট হচ্ছে। অর্থনীতি সমিতির সম্মেলনের প্রথম দিনের স্মারক বক্ততা।
২০১০ সালের ৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ নারীদের মুখাবরণ পরতে বাধ্য করা যাবে না। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও সৈয়দা আফসার জাহানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ একটি রিট আবেদনের রায়ে এ পর্যবেক্ষন দেন।
২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ কানাডা-প্রবাসী স্থপতি পৃথুলা প্রসুন বন্যাদুর্গত ও সমতলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ‘‘লিফট হাউস’’ নামে একটি নতুন মডেলের বাড়ি তৈরির ধারণা নিয়ে এসেছেন। দরিদ্রদের জন্য ভাসমান বাড়ি।
২০১০ সালের ২১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন। ভোটার হতে ৬৯টি চেম্বার ও ২৭০টি সমিতির আবেদন। এফবিসিসিআই সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সংগঠনের অধিভুক্ত ৭০টি চেম্বার এবং ২৭০টি সমিতি রয়েছে।
২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ পৃথিবীর ৫৮টি দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস আছে এবং দূতাবাসগুলোর করুণ দশা। প্রবাসী বেড়েছে ৩৫ গুণ, জনবল ২৮ বছর আগের। ১৯৮২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ২ লাখের মতো। আর ২০১০ সালে এসে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭০ লাখ। কিন্তু এখনো দূতাবাসগুলো ২৮ বছর আগের জনবল-কাঠামো দিয়েই চলছে।
২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ আজ শেষ। সাড়ে নয় হাজার নৌযানের জরিপকারক দুজন।
২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতিসংঘ শিশু তহবিলের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, দেশের ৪৭ ভাগ মানুষ পয়োব্যবস্থার বাইরে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার ২০১০ সালে সবার জন্য পয়োব্যবস্থার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, বছর শেষে তা অর্জিত হচ্ছে না।
২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ রাজধানীতে ৫০০ কিশোর অপরাধীর তালিকা করেছে পুলিশ। অপরাধ বাড়ছে, মাদক অন্যতম কারণ।
২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দুদকের ক্ষমতা খর্ব। মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব অনুমোদন। রাষ্ট্রপতির কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করলে অনুমতি লাগবে।
২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ কোনো সরকারি কর্মকর্তা চাকরিজীবী দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অপরাধে নি¤œ আদালতে দন্ডিত হলে আপিলে খালাস পেলেও চাকরি ফিরে  পাবেন না। বেসামরিক প্রশাসনের জন্য নতুন আইন হচ্ছে।
২০১০ সালের ৩ মে, প্রথম আলো ঃ গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় এমন প্রায় ৪০ হাজার ট্রলারের মধ্যে মাত্র সাড়ে চার হাজারের ফিটনেস ও নিবন্ধন আছে। ফিটনেস নেই ৩৫ হাজার ট্রলারের। অহরহ ঘটছে প্রাণহানি।
২০১০ সালের ৪ মে, প্রথম আলো ঃ লোডশেডিংয়ে জেনারেটর ব্যবহার-দিনে পাঁচ কোটি টাকার ডিজেল বেশি লাগছে।
২০১০ সালের ৬ মে, প্রথম আলো ঃ রাজনৈতিক তদবিরে বদলি ওসিরা কথা শোনেন না। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অভিযোগ।
২০১০ সালের ৭ মে, প্রথম আলো ঃ পুলিশে এসআই নিয়োগে রাজনৈতিক তদবির। এসআই নিয়োগ হবে-১,০০০ জন।
২০১০ সালের ৮ মে, প্রথম আলো ঃ ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুশনারা আলী। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় জন্ম নেওয়া রুশনারা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ হাউস অব কমন্সের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এ গৌরব অর্জন করলেন। ৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে-কনজারভেটিভ পার্টি-৩০৭টি আসন পেয়েছেন। লেবার পার্টি পেয়েছেন-২৫৮টি আসন। লিবারেল ডেমোক্র্যাটস পেয়েছেন-৫৭টি আসন এবং অন্যান্য দল পেয়েছেন-২৮টি আসন। কনজারভেটিভ পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটস বৈঠক। সরকার গঠনে দরকার-৩২৬টি আসন এবং স্থগিত-১। ইংল্যান্ডে বসবাসকারী বাঙালীর সংখ্যা হলো-৬ লাখ ৩৫ হাজার(বাংলাদেশ ও ভারতের বাঙালী মিলে) আর বাংলাদেশের বাঙালীর সংখ্যা হলো-৩,৩৪,০১৬ জন। ইংল্যান্ডে বসবাসকারী পাকিস্তানীর সংখ্যা হলো-৭ লাখ ৯৯ হাজার ও ইংল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয়র সংখ্যা হলো-১৬ লাখ (ভারতের বাঙালীসহ)।
২০১০ সালের ৯ মে, জনকন্ঠ ঃ দেশে সুতার দাম বাড়ায়। সুতা সংকটে ১৪ লাখ তাঁত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা।
২০১০ সালের ৯ মে, প্রথম আলো ঃ উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করবে ডিসি। আইন আবার সংশোধন করা হচ্ছে।
২০১০ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ কেসিবি অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্ররিবেশবান্ধাব উপায়ে চালের কুঁড়া থেকে ভোজ্যতেল ও পশুখাদ্য উৎপাদন।
২০১০ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ রাজধানী ঢাকা থেকে ৫০ লাখ মানুষকে নগরের বাইরে পুনর্বাসন করার সুপারিশ করেছেন ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের আশঙ্কার দিক থেকে ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ শহর।
২০১০ সালের ১২ মে, প্রথম আলো ঃ দখলের কবলে মেঘনা নদী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ সার কারখানার কাছে চারতলা এলাকায় চলছে মেঘনা নদী দখল। গতকাল ছবিটি তুলেছেন হাসান রাজা। নদীর ছবিটি এখানে দেয়া গেল না। সাংসদের আত্মীয় বলে কেউ বাধা দিতে পারছে না।
২০১০ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ উপজেলা চেয়ারম্যানদের অভিযোগ। জানাজা পড়া ও বিয়েবাড়িতে অতিথি হওয়া ছাড়া আমাদের কোন কাজ নেই।
২০১০ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রাতষ্ঠার   প্রস্তাব অনুমোদন।
২০১০ সালের ১৪ মে, প্রথম আলো ঃ সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষক-সংকট তীব্র। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অধ্যক্ষ নেই। ৩৭ শতাংশ শিক্ষকের পদ খালি।
২০১০ সালের ১৮ মে, প্রথম আলো ঃ চাঁদার জন্য কাজ বন্ধ করার অভিযোগ ঢাকা-৪ আসনের সাংসদের বিরুদ্ধে। পুলিশ পাহারায় রাস্তার কাজ।
২০১০ সালের ২২ মে, প্রথম আলো ঃ বাঞ্ছারামপুরে তরুণীকে ১০১ দোররা, গ্রেপ্তার ৪ জন। মাওলানা সাহেবরা কোরআন হাদিস ও ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী বিচারের রায় দিয়েছেন। বাঞ্ছারামপুর থানার পূর্বহাটি গ্রামের মুসলীম মেয়ে ও হিন্দু ছেলের সাথে প্রেমে পড়ে সাত মাসের বাচ্চা আসে মেয়ের পেটে।
২০১০ সালের ২৩ মে, প্রথম আলো ঃ বর্তমানে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অঞ্চল (জোন) আটটি থেকে বাড়িয়ে ১৬টি জোনে উন্নীত করা হয়েছে।
২০১০ সালের ২৪ মে, প্রথম আলো ঃ ২৩ মে, ২০১০ তারিখ এভারেস্টে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি মোহাম্মদ মুসা ইব্রাহীম। সাগরপৃষ্ঠ থেকে ২৯,০৩৫ ফুট (আট হাজার ৮৫০ মিটার) উঁচু বিশ্বের এ সর্বোচ্চ পর্বতচুড়ায় আরোহণ করে জর্ডান।
২০১০ সালের ২৭ মে, প্রথম আলো ঃ [বাংলায় ঃ- এ মর্মে প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে মাউন্ট এভারেষ্টের চোমোলংমা চূড়া অভিমুখে এক অভিযানে বাংলাদেশের মোহাম্মদ মুসা ইব্রাহিম ২০১০ সালের ২৩ মে, চীনের স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা ৫০ মিনিটে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আট হাজার ৮৪৮ দশমিক ১৩ মিটার উঁচ্চতায় পৌঁছেছেন। সিটিএমএ। স্বাক্ষর।] ১৯৯৬ সালে একজন ১৬ ঘন্টা ৪৫ মিনিট সময়ে এভারেষ্টে চূড়ায় উঠেন এবং আর একজন উঠেন ১৬ ঘন্টা ৫৬ মিনিটে।
২০১০ সালের ২৪ মে, প্রথম আলো ঃ জনস্বার্থ ছাড়া গাড়ি রিকুইজিশন না করতে হাইকোর্টের নির্দেশ।
২০১০ সালের ২৫ মে, প্রথম আলো ঃ বাঞ্ছারামপুরে দোররা-ফতোয়ার নামে বিচার বহির্র্ভূত শাস্তি কেন অবৈধ নয় ঃ হাইকোর্ট।
২০১০ সালের ২৭ মে, প্রথম আলো ঃ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ উজ্জ্বল। ছাত্রীলীগের হামলায় যুবলীগের কর্মীর ডান হাত বিচ্ছিন্ন।
২০১০ সালের ১ জুন, প্রথম আলো ঃ ‘স্বর্গীয় পাখি’ দুধরাজ। মেহেরপুরের পাহাগুন্দিয়া গ্রামের বাঁশঝাড়ে অপরুপ দুধরাজ। গড়পড়তা ১০-১২ বছরের জীবন দুধরাজের, তারপর স্বর্গের পাখি স্বর্গের দিকে যাত্রা।
২০১০ সালের ১ জুন, ‘রংপুর বিভাগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০১০ সালের ২ জুন, প্রথম আলো ঃ আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বাতিল। মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার।
২০১০ সালের ২ জুন, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর বেগুনবাড়িতে গতকাল টিনশেড বাড়ির ওপর উপড়ে পড়ে এ পাঁচতলা ভবনটি। উদ্ধার কাজ চলছে, আটকা পড়েছে কয়েক শ মানুষ। বেগুনবাড়ির উপড়ে পড়া ভবন। উদ্ধারকাজ শেষ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জন।
২০১০ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ ধসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি। ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন  অন্তত ১০ হাজার।
২০১০ সালের ৪ জুন, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় ৮০ হাজার গাড়ি চলছে ‘ফিটনেস’ ছাড়াই। পুলিশকে ১৫৪৪ পৃষ্ঠার তালিকা দিয়েছে বিআরটিএ।
২০১০ সালের ৪ জুন, প্রথম আলো ঃ ২৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশ। উত্তীর্ণ পাঁচ হাজার ১০৫ জন। কোটার কারণে ৮১৩ পদ শূন্য থাকছে। ২১৯০ জন নিয়োগ পাচ্ছেন বাকিরা নন-ক্যাডারে।
২০১০ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ঃ (০৩-০৬-২০১০ তারিখ বৃহস্পতিবার দিন রাত ন’টার মধ্যে আগুনে জ্বলছে) কাঁদছে ঢাকা, শোকার্ত দেশ। পুরান ঢাকায় ভয়াবহ আগুন, ১২৩ জনের মৃত্যু (০১-০৭-২০১০ তারিখ পর্যন্ত), দগ্ধ ৩৯ জন হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ২৫ জন এবং সিএমএইচএ ১৪ জন চিকিৎসাধীন আছে। ভয়াবহ আগুনে জ্বলছে পুরান ঢাকার কায়েতটুলীর একাধিক বাড়ি। স্বাধীনতার পর একসাথে এত লাশ দেখেনি আজিমপুর কবরস্থান। নিমতলীর ক্ষতিগ্রস্ত পবিারের সংখ্যা-৬৮। নিহত ৬ জনের কোন অভিভাবক মেলেনি। মফিজুল আঞ্জুমানের কাছে বেওয়ারিশ লাশ হস্তারণ করেছেন।
২০১০ সালের ৬ জুন, প্রথম আলো ঃ ছয় মাসে রাজধানীতে ৮১৮টি অগ্নিকান্ড। ১০ বছরে আগুন বেশি লেগেছে মোহাম্মদপুরে।
২০১০ সালের ৭ জুন, প্রথম আলো ঃ আট বাড়ি ভাঙার নির্দেশ। আজ বেগুনবাড়িতে হেলে পড়া সাততলা ভবন, বুধবার নাখালপাড়ার ভবন ভাঙা হবে।
২০১০ সালের ৯ জুন, প্রথম আলো ঃ পুরোনো ১৩ জেলার পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন করার চিন্তা।
২০১০ সালের ৯ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশে প্রথম যকৃত প্রতিস্থাপনে বারডেম হাসপাতালের সাফল্য।
২০১০ সালের ১১ জুন, প্রথম আলো ঃ যানজট কমাতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কম সিসিযুক্ত গাড়ির দাম বাড়বে।
২০১০ সালের ১২ জুন, প্রথম আলো ঃ প্রস্তাবিত বাজেট প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই না। সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী-খালেদা জিয়ার দেওয়া প্রস্তাবের ৭০ শতাংশই বাজেটে আছে। খালেদা জিয়ার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের জন্য বিরোধী দল যেসব প্রস্তাব করেছে, সেগুলোর ৭০ শতাংশই তার বক্তব্যে রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ আগে থেকেই ছিল, বাজেট বক্তৃতায় আরও ২০ শতাংশ রয়েছে। আস্তে-ধীরে বাস্তবায়ন হবে এগুলো।
২০১০ সালের ১৪ জুন, প্রথম আলো ঃ ১৬টি আবাসন প্রকল্প ও স্থাপনা অনুমোদন না করার সুপারিশ। ড্যাপ পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন। ঢাকার চারপাশের ২৭২৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে হবে। মানদন্ড অনুযায়ী পার্ক বা উন্মুক্ত স্থান রাখতে হবে।
২০১০ সালের ১৪ জুন, প্রথম আলো ঃ কিছু ভূমিদস্যু সরকারকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। সংসদে পূর্ত প্রতিমন্ত্রী-আবদুল মান্নান খান। সরকারের কিছু লোক তাদের পক্ষে কাজ করে।
২০১০ সালের ১৬ জুন, প্রথম আলো ঃ রাসায়নিক থেকেই নিমতলীর আগুন। এক কোটি ৬৮ লাখ টাকার ক্ষতি। দায়ী রাসায়নিক ব্যবসায়ী, বাড়িমালিক। ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা। দুর্ঘটনা এড়াতে ১৭ দফা সুপারিশ।
২০১০ সালের ১৬ জুন, প্রথম আলো ঃ মার্কিন প্রতিবেদন। কর্মসংস্থানের নামে বাংলাদেশ থেকে মানব পাচার হচ্ছে। ইব্রাহিম চৌধুরী, নিউইয়র্ক থেকে।
২০১০ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন। নতুন জাত উদ্ভাবন করা হলে পানিতে জাগ দেওয়ার সময় কম লাগবে আঁশ দিয়ে জৈব জ্বালানি ও ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে।
২০১০ সালের ২০ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশের ৮৩ ভাগ মানুষ থানা ও আদালত বিমুখ।
২০১০ সালের ২০ জুন, প্রথম আলো ঃ রংয়ের বিষাক্ত সীসায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ৭৭ ভাগ মানুষ।
২০১০ সালের ২১ জুন, প্রথম আলো ঃ আজ উত্তর অয়নান্ত !! সবচেয়ে বড়দিন ২২-০৬-২০১০ তারিখ এ বছরের জন্য সবচেয়ে বড়দিন হবে। জ্যোতিবিজ্ঞানীদের মতে, এ দিনের ২২-০৬-২০১০ তারিখ দিনের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় সাড়ে ১৩ ঘন্টা এবং রাতের দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১০ ঘন্টারও কম। সবচেয়ে বড়দিন হওয়ার এবং বাংলাদেশ কর্কটক্রান্তির ওপর অবস্থানের কারনে সূর্য খাড়াভাবে অবস্থান করবে।
২০১০ সালের ২১ জুন, প্রথম আলো ঃ বসুন্ধরার ৫৩টি অবৈধ ভবন ভাঙার নোটিশ। সরকার কঠোর অবস্থানে। রাজউকের চিঠি সপিং মলের অংশও ভাঙতে হবে। ভাংঙ্গেনী-১৪-০৭-১৫।
২০১০ সালের ২২ জুন, প্রথম আলো ঃ ৫ বছরে বিনিয়োগ লাগবে ২৪ হাজার কোটি টাকা। ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্ট বছরে আয় হবে সাত হাজার কোটি টাকা। ১৪টি করিডর চিহ্নিত।
২০১০ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ বিএনপির সময় ৪৬ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে গেছেন। বর্তমান সরকারের দেড় বছরে গেছেন একজন। সংসদে প্রশ্নোত্তর। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। এর মধ্যে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৩৬১ জন পুরুষ। ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৪৪ জন মহিলা।
২০১০ সালের ২৪ জুন, প্রথম আলো ঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন মালিকদের স্বার্থে। বিল চূড়ান্ত, খুশিমতো ছাত্রবেতন নির্ধারণে বাধা নেই। সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও অর্থ কমিটি মালিকদের নিয়ন্ত্রণে।
২০১০ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় পুরোনো বাস-মিনিবাস চলবে না। রাজধানী থেকে ২০ বছরের পুরোনো বাস-মিনিবাস এবং ২৫ বছরের পুরোনো ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান তুলে নিতে আগামী ১৫ জুলাই থেকে অভিযান শুরু হবে।
২০১০ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ পদ্মায় জেগে ওঠা স্থাপনাটি নীলকরদের কারখানা। রাজশাহী জেলার ১৮৫০ সালের রঙিন নকশায় দেখা গেছে, রাজাপুরে দুটি কারখানা ছিল। আর ওই সময় সেখানে নীল চাষ হতো। পদ্মার ভাঙনে স্থাপনাগুলো বিলীন হওয়ার পর ১৯১০ সালের দিকে ঢাকা ও ফরিদপুর থেকে লোকজন এসে ওই স্থানে বসতি স্থাপন করে। এ কারণে সেখানকার লোকজন ওই স্থাপনা সম্পর্কে কিছু জানত না।
২০১০ সালের ২৮ জুন, প্রথম আলো ঃ হরতালে বিক্ষিপ্তি সংঘর্ষ। ঢাকায় মির্জা আব্বাস ও সাংসদ শহীদ উদ্দীন গ্রেপ্তার, আটক ১৬৭ জন।
২০১০ সালের ২৮ জুন, প্রথম আলো ঃ বিএনপির সংবাদ সম্মেলন। ঢাকাসহ সারা দেশে আজ বিক্ষোভ।
২০১০ সালের ২৮ জুন, প্রথম আলো ঃ সাংবাদিকদের সৈয়দ আশরাফ-ছাত্রলীগ হামলা করলে দায় আওয়ামী লীগের নয়।
২০১০ সালের ২৯ জুন, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় সাত মাত্রার ভূমিকম্পে ৯০ হাজার মানুষ হতাহত হবে।
২০১০ সালের ২৯ জুন, প্রথম আলো ঃ ঢাকা ও আশপাশে ১৭৪ আবাসন প্রকল্প অবৈধ। রাজউকের অনুমোধিত প্রকল্প ২৬টি, ৫৬ প্রকল্পকে সতর্কীকরণ নোটিশ।
২০১০ সালের ৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ দেশের ৯৬ শতাংশ মানুষ জন্মনিবন্ধনের আওতায়। বিনা মূল্যে জন্মনিবন্ধনের সময় এক বছর বাড়ল।
২০১০ সালের ৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশসহ ৩৩টি স্বল্পোন্নত দেশ চীনে ৪৭৬২টি পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা পেল।
২০১০ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ দেশের ভিভিন্নস্থানে ১০ হাজার ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এসব কেন্দ্র থেকে জনসাধারণ স্বল্প খরচে বিভিন্ন বিল ও মাশুল পরিশোধ, ই-টিকিটিং, ই-কমার্স, বিমা-প্রিমিয়াম পরিশোধ, অনলাইন শেয়ার লেনদেন ইত্যাদি সেবা পাবেন।
২০১০ সালের ৯ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ফতোয়ার নামে শাস্তি দেওয়া অবৈধ। সাজা ঘোষণাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করে শাস্তি দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
২০১০ সালের ৯ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ঢাকা সিটি করপোরেশনের (২০১০-২০১১ অর্থবছরের জন্য) ২ হাজার ১৭১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা। বাজেট হওয়া উচিত ১০ হাজার কোটি টাকা কারণ ঢাকায় বাস করে দেশের এক-দশমাংশ মানুষ ঃ মেয়র খোকা।
২০১০ সালের ৯ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বগুড়ায় পটাস নামে পরিচিত আবদুল মালেক এক আজব মানুষ। ৪২ বছর ধরে সযতেœ দাড়ির দৈর্ঘ্য বানিয়েছেন নয় ফুট আর চুলের দৈর্ঘ্য আট ফুট।
২০১০ সালের ১০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ২২ বিয়ে, ৭৪ সন্তান। গোয়াইনঘাটের শতবর্ষী আরজুমন্দ আলী এখন অনুতপ্ত। তাঁর জন্ম ১৯০৮ সালে। ১৯২৯ সালে প্রথম বিয়ে করেন প্রেম করে বগুড়ায় পিয়ারুন নেছা নামের এক তরুণীকে। তারপর একের পর এক বিয়ে করতে থাকেন। ২২নং বিয়ে করেন ৭৫ বছর বয়সে নূরজাহানকে। তার তিন ছেলে দুই মেয়ে। অন্যান্য ২১ জন স্ত্রীর ৬৯ জন ছেলেমেয়ের খোজ-খবর তিনি জানেন না।
২০১০ সালের ১৮ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ভারতের বিছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফার) নেতা রঞ্জন চৌধুরী ওরফে মেজর রঞ্জন (৪৬) ও তাঁর সহযোগী প্রদীপ মারাককে (৫৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোররাতে কিশোরগঞ্জ ভৈরব উপজেলার লক্ষীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে  র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
২০১০ সালের ২২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ রাজধানীতে যানজটে বছরে ক্ষতি ১৯ হাজার কোটি টাকা। এমসিসিআইয়ের গবেষণা প্রতিবেদন।
২০১০ সালের ২৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কোনো দল নিষিদ্ধ করা হবে না।
২০১০ সালের ২৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ গবেষকদের তথ্য-দেশে ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না।
২০১০ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ নারায়নগঞ্জে পরিবেশদূষণ অপরাধে ডাইং কারখানা চৈতি কম্পোজিট লিমিটেডকে ৬৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
২০১০ সালের ২৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ শেয়ারবাজারে ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন।
২০১০ সালের ২৯ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি থাকছে না। আপিল বিভাগের রায় ঃ (১) সামরিক শাসন বেআইনি, (২) সংবিধানবহির্ভূত কর্মকান্ডকে চিরকালের জন্য বিদায়, (৩) জাতীয়তাবাদ বাঙালি-নাগরিকত্বে বাংলাদেশি ও (৪) গণভোট উঠে গেল।
২০১০ সালের ২ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ দেশের জেলা অর্থনৈতিক সুশাসন সূচক প্রকাশ। শীর্ষে ফরিদপুর, রাজশাহী সবার নিচে। বাংলাদেশের বৃহত্তর ১৯টি জেলার অর্থনৈতিক সুশাসন পরিমাপ করা হয়েছে। তিন হাজার ৮০০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর পরিচালিত জরিপে ১০টি উপসূচকের ভিত্তিতে অবস্থান মান নির্ণয় করা হয়েছে। প্রতিটি জেলার প্রধান কার্যালয়ের তিন কিলোমিটার আওতাধীন সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মধ্যে জরিপকাজ চালানো হয়েছে।
২০১০ সালের ২ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-২০১০। দূষণকারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে ক্ষতিগ্রস্তরা।
২০১০ সালের ১০ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে বড় কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানো হলেও ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত বিশ্বব্যাংক।
২০১০ সালের ১৬ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ অভ্যুত্থানের চক্রান্ত চুয়াত্তরে। ফারুক মার্কিন সরকারের সহায়তা  চেয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালের ১৩ মে থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট।
২০১০ সালের ১৯ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বাঘ মারলে ১২ বছর কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
২০১০ সালের ২৯ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ সদরঘাট-গাবতলী নৌপথে ওয়াটার বাসের যাত্রা শুরু। কিছুদিনের মধ্যেই এ ওয়াটার বাস চলা বন্ধ হয়ে যাবে।
২০১০ সালের ২৯ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রাম নগরের ওমরগনি এম ই এস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আমিন মোঃ সাইফুদ্দিন (৩৫) পুলিশ ও র‌্যাব সেজে ছিনতাই করতেন। হাতকড়া, ওয়ারলেস সেট নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে এভাবে ছিনতাই করছেন তিনি। গোয়েন্দা পুলিশ সেজে ছিনতাই ছাত্রলীগের সাবেক নেতার। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমিন নিজেই এসব তথ্য জানান।
২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ল্যান্ড ক্রুজার ও প্রাডো সাংসদদের পছন্দ। শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আনার প্রক্রিয়া শুরু। তিন কোটি টাকার গাড়ি ৫০ লাখ টাকায়।
২০১০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ আইন, ২০১০ অনুমোদন। ভুল তথ্য দিলে শাস্তির প্রস্তাব।
২০১০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর জন্য সতর্কসংকেত। ১১-০৯-২০১০ তারিখ শনিবার রাত ১১টা ২৪ মিনিটে সংঘটিত ভুমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ও মাত্রা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। দুই দিনে তিন দফা ভূমিকম্প। দুটির উৎপত্তিস্থল ঢাকার কাছে। খাল-বিল, জলাশয় ভরাট করে তৈরি ভবন বিপজ্জনক। ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।
২০১০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ আইএমএফ থেকে ১০ টন সোনা কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ নতুন শিশুনীতির খসড়া। ১৮ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলা হবে। আগের নীতিতে ১৪ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলা হতো। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে একেক আইনে শিশুর বয়স একেক রকম হওয়ায় জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের আলোকে প্রস্তাবিত নীতিতে ১৮ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলা হয়েছে। নীতি    বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় আইন, বিধি-বিধান ও নির্দেশিকা তৈরি করা হবে।
২০১০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ প্রতিযোগী দেশের তুলনায় পিছিয়ে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা প্রতিবেদন প্রকাশ। রাজনীতিবিদদের আর্থিক সততা নিয়ে আস্থা কম। এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭তম, গত বছর ছিল ১০৬তম।
২০১০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ লুই কানের নকশার ভিত্তিতে হবে আধুনিক ভবন। সচিবালয় স্থানান্তর হচ্ছে শেরেবাংলা নগরে। বাণিজ্য মেলার ৩৮ একর জমিতে নতুন এ সচিবালয় নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে এক হাজার ৩২৬ কোটি টাকা।
২০১০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ গোপালগঞ্জে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা-প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত দলীয় কর্মীদের মধ্য থেকে সাড়ে ১৩ হাজারজনকে কমিউনিটি হেলথ সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে নিয়োগ করা হবে।
২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংসদে সংবাদপত্রের প্রতি তীব্র আক্রমণ। সমকাল, আমাদের সময় ও প্রথম আলোর প্রতি ক্ষোভ।
২০১০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ অসহায় প্রশাসন বিচার চায়। পাবনায় সুধীজনের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের  বৈঠক। ‘প্রকাশ্যে তারা কর্মকর্তাদের ধাওয়া করে লাঞ্ছিত করে। আমরা চাকরি করতে এসেছি, মার খেতে আসিনি’। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এক কর্মকর্তা। গতকালের বৈঠকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিজয় ভূষণ পাল বলেন, ‘আমার ২১ বছরের চাকরিজীবনে এমন নারকীয় ঘটনা দেখিনি। ওরা সেদিন আমাকেও ধাওয়া করে মারধর করে। সরকারের কাজ করতে গিয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত হতে হলে এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে।’
২০১০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ সেমিনারে বক্তারা। মানবদেহের ৮০ শতাংশ রোগ হয় অনিরাপদ খাদ্য ও পানির কারণে।
২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ পাবনায় হামলা চালিয়ে জেলা প্রশাসনের নিয়োগ পরীক্ষা ভন্ডুল করার মামলার ২১ আসামিরা (২৬-০৯-২০১০ তারিখ) আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করেন। সেখান থেকে তাঁদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে।
২০১০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোঃ আবদুল মতিন ও বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানকে ডিঙিয়ে এ. বি. এম. খায়রুল হককে ১৯তম প্রধান বিচারপতি করার বিষয়টি ইঙ্গিত করে খন্দকার মাহবুব দাবি করেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে দুজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘটনা এটাই প্রথম।’ তিনি বলেন, বিচারপতি আবদুল মতিন আগামী ২৬ ডিসেম্বর, এবং বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান ২০১১ সালের নভেম্বরে অবসরে যাবেন।
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিনিয়োগে ঘাটতি। আগামী পাঁচ বছরের মাথায় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে উন্নীত করতে হলে পাঁচ বছরে মোট ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ বার্ষিক গড় বিনিয়োগের পরিমাণ হতে হবে তিন লাখ ছয় হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। গত ১০ বছরের বিনিয়োগ বৃদ্ধির যে প্রবণতা, তা যদি বজায় থাকে তাহলে কাঙিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রায় তিন লাখ ৪৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ঘাটতি রয়ে যাবে।
২০১০ সালের ২ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ অনুমোদন ছাড়াই ১৮ তলা। গুলশান এভিনিউয়ে নির্মাণাধীন ১৮ তলা ভবন ‘প্রিমিয়ার স্কয়ার’। সাবেক সাংসদ ইকবালের ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করতে পারেনি রাজউক, হাইকোর্টে রিট।
২০১০ সালের ৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ২৭তম আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার।
২০১০ সালের ৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ১৯৩০ সালে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে। ৭১টি দেশের ৬৭০০ অ্যাথলেট নিয়ে গেমস্টার যাত্রা করার কথা। ১৯৮২ সালে এশিয়ান গেমসের পর এত বড় আয়োজন এটিই। ১৯তম কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজন করেছেন দিল্লি।  ১৫-১০-২০১০ তারিখের পদক তালিকাঃ
ক্রমিক দেশ সোনা রুপা ব্রোঞ্জ মোট
১. অস্ট্রেলিয়া ৭৪ ৫৫ ৪৮ ১৭৭
২. ভারত ৩৮ ২৭ ৩৬ ১০১
৩. ইংল্যান্ড ৩৭ ৫৯ ৪৬ ১৪২
৪. কানাডা ২৬ ১৭ ৩২ ৭৫
৫. দক্ষিণ আফ্রিকা ১২ ১১ ১০ ৩৩
তালিকায় সেরা পাঁচ দল।
২০১০ সালের ৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ডাইভারসিটি ভিসার (ডিভি) আওতায় এ পর্যন্ত ৩৯ হাজার বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।
২০১০ সালের ৫ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে।
তিন সরকারের সময়ের তুলনামূলক চিত্রঃ
বিএনপি আমলবিএনপি আমলতত্ত¡াবধায়ক আমলতত্ত¡াবধায়ক আমলআওয়ামী আমলআওয়ামী আমল
পণ্য ২০০৫ ২০০৬ ২০০৭ ২০০৮ ২০০৯ ২০১০
মিনিকেট ২৫.৫০ ২৮.০০ ৩২.০০ ৪২.০০ ৩৬ ৪০.৫০
নাজিরশাইল ২৬.৭৫ ২৭.০০ ৩৬.০০ ৪৪.০০ ৪২.০০ ৪৫.০০
পাইজাম ২৩.০০ ২৩.০০ ২৫.০০ ৩৭.০০ ২৮.০০ ৩৬.০০
পারিজা, স্বর্ণা ১৯.০০ ২০.০০ ২৪.০০ ৩৬.০০ ২৭.০০ ৩৪.৫০
বিআর-১১ ও ৮ ১৮.০০ ১৯.০০ ২৩.০০ ৩২.০০ ২৪.০০ ৩২.৫০
আটা খোলা ১৮.০০ ২১.০০ ৩৫.০০ ৩৬.০০ ২০.০০ ২৪.০০
মসুর দেশি ৫২.০০ ৬৮.০০ ৮০.০০ ১০৮.০০ ১১৫.০০ ১০৫.০০
সয়াবিন খোলা ৫০.০০ ৫৬.০০ ৮৮.০০ ১০৬.০০ ৮২.০০ ৮৫.০০
পেঁয়াজ দেশি ৪০.৫০ ২৪.০০ ৫৮.০০ ৩০.০০ ৪৬.০০ ২৬.৭৫
চিনি ৪০.০০ ৪৪.০০ ৩২.০০ ৩৬.০০ ৫৬.০০ ৫০.০০
সূত্রঃ কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ৫ বছরের প্রতিবেদন থেকে প্র¯ত্তত।
২০১০ সালের ৮ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ বুনো পাহাড়ের বুনো খাবার। মেয়াশাক, কইদা, তিদে, ফুজি, অগছা, ইয়েরিং, বাঁশকোড়ল, টেকিশাক, সাবারাং, চকুাইপাতা, খনাগোলা, ডুমুরশিম, কচি কড়ইপাতা, তিত বেগুন, তারা ইত্যাদি। সবজিবিশারদেরা এ পর্যন্ত দেশে মোট ৮৯টি সবজিকে চাষের সবজি হিসেবে তালিকাবদ্ধ করেছেন। পাহাড়ের এসব সবজি ওই তালিকার মধ্যে নেই। এসব সবজি আদিবাসীরাও চাষ করে না। এসব সবজি দিয়ে আফ্রাইন তৈরি করে খায়। আর সেগুলো কোনো মসলা বা তেল মরিচ কিছুই দেয়া হয়না বা ছাড়াই সেদ্ধ করে রান্না করে। শুধু একটু লবণ পড়ে তাতে। ঝুমের কাঁচামরিচ পিষে আলাদা রাখা হয়। সেদ্ধ করা পানির মতো সেই সবজিকে ওরা বলে আফ্রাইন। আফ্রাইনে মাঝেমধ্যে তাতে পড়ে একমুঠো ইঁচা বা চিংড়ির শুঁটকি। বিন্নি চালের ভাত আর গরম গরম আফ্রাইন খুবই মজা লাগে খেতে। একদিন আফ্রাইন না খেলে তাঁদের পেটটাই ভরল না।
২০১০ সালের ১০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আইএমএফ উদ্বিগ্ন। এবার প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৮%, বাংলাদেশের ৬.৩%।
আইএমএফ প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ। জিডিপির বার্ষিক পরিবর্তন (%)
২০০৮২০০৯২০১০২০১১
বিশ্ব ২.৮ -০.৬ ৪.৮ ৪.২
জাপান -১.২ -৫.২ ২.৮ ১.৫
উন্নয়নশীল এশিয়া ৭.৭ ৬.৯ ৯.৪ ৮.৪
চীন ৯.৬ ৯.১ ১০.৫ ৯.৬
ভারত ৬.৪ ৫.৭ ৯.৭ ৮.৪
সূত্রঃ আইএমএফ মোজাহু ১০-১০-২০১০
২০১০ সালের ১১ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ঢাকায় গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা এক লাখ ৩২ হাজার। সারা দেশে চার লাখ। বিগত তিন বছরে গৃহকর্মে নির্যাজিত হয়ে মারা গেছে ১১৭ জন শিশু। এদের মধ্যে ৯৯ ভাগই মেয়ে শিশু। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের মধ্যে প্রায় ৯৯ ভাগের শিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই।
২০১০ সালের ১৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ সিরাজগঞ্জে ট্রেনে হামলা-আগুন, মামলা, গ্রেপ্তার ২০ জন। বিএনপির ৩৮ নেতাসহ আসামি তিন-চার হাজার।
২০১০ সালের ১৫ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ খুলনার বাসিন্দা নওশের আলীকে নিয়ে গতকাল কক্সবাজারে পাঁচ দিনব্যাপী ডুব প্রদর্শনীর আয়োজন করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। রাজশাহীতে সর্বোচ্চ টানা ৭২ ঘন্টা পানির নীচে থাকার রেকর্ড রয়েছে। গিনেস বুকে নাম লেখাতে চান জল মানব নওশের আলী।
২০১০ সালের ২১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ দেশ এখন বাজিকরদের দখলে এবং একজন সুইপারের চাকরির জন্য তিন লাখ টাকা দিতে হয়-সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সা¤প্রতিক এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মশিউর রহমান বলেন, ‘দেশপ্রেম এখন সাবেকিদের কাছে। সাবেকিরা বলছেন, এটা করা উচিত, ওটা করা উচিত নয়।’
২০১০ সালের ২৬ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ সেনা আবাসন প্রকল্প ছোট করার চিন্তা। ২৭ হাজারের বদলে প্লট হতে পারে আট হাজার।
২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ ৩৭ বিঘা জমিতে হচ্ছে ডিএসইর অবকাশকেন্দ্র।
২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ দেশে ফিরে বাণিজ্যমন্ত্রী-ভারতে ৬১টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ জামাতা-শাশুড়ির বিয়ে এবং একটি অনন্য সালিস।
২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ এক বছরে ১২৬৯ উত্ত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫২০ জন।
২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ ফরিদপুরের মধুখালীতে বখাটেদের হামলায় নিহত চাঁপা রানী ভৌমিকের স্বজনদের আহাজারি। বখাটেরা এবার নিল মায়ের প্রাণ। মধুখালীতে ক্ষোভ, প্রতিবাদ। মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিকার চাওয়ায় মা চাঁপা রানী ভৌমিককে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি ছিলেন ফরিদপুর চিনিকলের করণিক।
২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ সারের কোনো সংকট হবে না ঃ শিল্পমন্ত্রী। আমদানিতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হবে। সারের চালচিত্র। চাহিদা ঃ ইউরিয়া  ২৮ লাখ ৩১ হাজার টন। টিএসপি ৫ লাখ ৬০ হাজার টন। ডিএপি ৩ লাখ ৪০ হাজার টন। আমদানি লক্ষ্যমাত্রা (ইউরিয়া) ১৬ লাখ ৮১ হাজার টন আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৪ লাখ ৫০ হাজার টন। প্রারম্ভিক মজুদ (ইউরিয়া) ৫ লাখ ৯৪ হাজার টন আছে।
২০১০ সালের ১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ মেহেরপুরে ঐতিহাসিক আমঝুপি কুঠির নিঝুম নির্জনে। কাজলা নদীর তীরের এ আমবাগানের মধ্যে ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতির এক কুঠিবাড়ি। বাংলার ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া এক ঘটনার নীরব সাক্ষী এ বাড়ি। এখানে বসেই একদা লর্ড ক্লাইভ আর মীর জাফর আলী খান ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করেছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌল্লার বিরুদ্ধে। শোনা যায় সিরাজের কুচক্রী খালা ঘষেটি বেগম আর সুযোগসন্ধানী অভিজাত-অমাত্যদের মধ্যে জগৎ শেঠ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদও ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। লোকমুখে এখন বাড়িটির নাম ‘আমঝুপি কুঠি’। মেহেরপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার পথের ধারেই পড়ে আমঝুপি গ্রাম। গ্রামের নাম থেকেই খুঠিবাড়িটির নাম। এটি ছিল ব্রিটিশ নীলকরদের কুঠি। তবে আমবাগানটি নাকি তারও আগেকার। নবাব আলীবর্দী খান আমবাগানটি করেছিলেন এবং এখানে মাঝেমধ্যে আসতেন কাজলা নদী দিয়ে বজরায় করে। সব মিলিয়ে ১৪টি ঘর আছে।
২০১০ সালের ১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর কল্যাণপুর খালে ৩১-১০-২০১০ তারিখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় সাংসদ আসলামুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে দুজন ম্যাজিস্ট্রেটকে চলে যেতে বলেন। খাল উদ্ধারে সাংসদের বাধা। ফিরে এলেন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ। জানতে চাইলে ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘উচ্ছেদের জন্য যে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, তা ভুল ছিল। যেখানে উচ্ছেদ করার কথা সেখানে হয়নি।
২০১০ সালের ২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সাংসদ আসলামুল হক উপস্থিত থেকে কল্যাণপুর খাল উদ্ধার করবেন কাল (০৩-১১-২০১০ তারিখ)।
২০১০ সালের ২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা রিট প্রসঙ্গে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ০২-১০-২০১০ তারিখ দ্বৈত বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক রিটটি খারিজ করেন। তবে কনিষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ আবু কাওসার মোঃ দবিরুশ্বান রুল জারি করেছেন।
২০১০ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর পদে দেড় লাখ নিয়োগ হবে। শূন্যপদের ৯০ শতাংশ নিয়োগে ছাড়পত্র লাগবে না।
২০১০ সালের ৯ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ এবারের ঈদে ৪৫ লাখ পিস গরুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা।
২০১০ সালের ১১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ কাঁঠালবাগানে পড়া ভবন ভাঙার কাজ শুরু করা যায়নি। ২০০৮ সালে র‌্যাংগস ভবন ভাঙার সময় একটি তলার ছাদ ধসে ২৫ জন শ্রমিক মারা যান।
২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ জেলা জজদের প্রতি প্রধান বিচারপতি এ. বি. এম. খায়রুল হক ঃ নাজিরদের কাছ থেকে তোলা নেবেন না।
২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ চীনে ১৬তম এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু। ৪৫টি দেশের ১০ হাজারের বেশি ক্রীড়াবিদের ১৬ দিনের এ সফর।
২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ জনপ্রশাসন বর্তমানে ওএসডি ৩৭৭ জন  কর্মকর্তা। বিএনপির আমলে ছিল ১২৫৫ জন তত্ত¡াবধায়কের সময় মাত্র ৫৮ জন ছিল।
২০১০ সালের ৪ ডিসেম্ব^র, প্রথম আলো ঃ সরকারের ‘দিনবদলের’ প্রতিশ্রুতি নিষ্ঠুর রসিকতায় পরিণত ঃ সিপিবি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি সংকট, যানজট, ঘুষ-দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি-দখলবাজি, নারী নির্যাতনসহ জনজীবনের দৈনন্দিন সমস্যা-সংকট ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটি।
২০১০ সালের ৪ ডিসেম্ব^র, প্রথম আলো ঃ অনুমোদন পেতে ২০০ বিমা কোম্পানির আবেদন। অথচ বাংলাদেশে রয়েছে ৬২টি বিমা কোম্পানি। আর আমাদের পাশের দেশ ভারতে সাধারণ ও জীবন বিমা মিলিয়েও ৩০টির বেশি কোম্পানি নেই।
২০১০ সালের ৪ ডিসেম্ব^র, প্রথম আলো ঃ আন্তর্জাতিক সেমিনারে তথ্য। প্রতি ১৬ লাখ মানুষের জন্য ¯œøায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ একজন।
২০১০ সালের ৭ ডিসেম্ব^র, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বছরে দেশে ১৩ লাখ ৩০ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়। চাহিদা আরো বেশি।
২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১০০ কোটি ডলারের ঋণ পেতে বাংলাদেশকে শর্ত মানতে হবে। ৮৫% পণ্য কিনতে হবে দিল্লি থেকে আর ১৫% কিনতে হবে ভারতীয় ঠিকাদারের পরামর্শে। ভারতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা উইকিলিকস সমর্থকদের।
২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ এ সপ্তাহে নীতি চূড়ান্ত। ১৮ নয়, ১৬ বছর পর্যন্ত বয়সীরা শিশু।
২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ২০১০-এর আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন। ১৮ বছরের কম বয়সীরা শিশু।
২০১০ সালের ১৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মালয়েশিয়ায় চার লাখ বাংলাদেশি অবৈধ। ভিসা নবায়ন হচ্ছে না, পুলিশের নির্যাতন, গ্রেপ্তার-আতঙ্ক।
২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ উইকিলিকসে তথ্য ফাঁস। র‌্যাব ঃ যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষণ, যুক্তরাষ্ট্রের ‘না’। উইকিলিকসের ফাঁস করা গোপন মার্কিন কুটনৈতিক বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনে গঠিত বিশেষ বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা রাবকে যুক্তরাজ্য সরকার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লক্ষনের অভিযোগ থাকায় মার্কিন আইনের পরিপন্থিী হবে-এ যুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রশিক্ষণ দিতে সম্মত হয়নি।
২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। সংসদে উত্থাপিত অর্পিত সম্পত্তি আইন, ২০১০ প্রত্যাখান করেছে।
২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মিত্রবাহিনীর স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ হচ্ছে। এ প্রকল্পের নির্মাণ-ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা।
২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সাতক্ষীরায় ১৩ জন ভারতীয় আটক।
২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেনমোহর এক কোটি ২০ লাখ ১ টাকা, আর বিয়েতে মন্ত্রী ও সাংসদসহ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ১৫ হাজারের ওপরে। ২৬-১২-২০১০ তারিখ এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে। এত বড় বিয়ের আয়োজন হবিগঞ্জে এ প্রথম। সরকারি বিধি অনুযায়ী, ১০০-এর বেশি অতিথি আপ্যায়নের জন্য সরকারি কোষাকারে অর্থ জমা দিতে হয় আয়োজককে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। কনে আরিফা আক্তার হবিগঞ্জ সদর আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহিরের মেয়ে। কনে পেয়েছেন হীরার আংটি ও ১০০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার। বর আসেন হেলিকপ্টার চড়ে।
২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুতের দুঃসময় শুরু হবে বোরোর মৌসুম দিয়ে। ফেব্রæয়ারির শেষার্ধ থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত অবস্থা হবে দুঃসহ।
২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ
ক্রমিক পন্যের নাম ২৭-১২-২০১০ কেজিতে মূল্য ২৭-১২-২০০৯ কেজিতে মূল্য ছিল মূল্য বৃদ্ধি শতাংশে
১ মোটা চাল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ২৫ থেকে ২৭ টাকা ৩৬.৫৪%
২ মাঝারি চাল ৩৮ থেকে ৪১ টাকা ২৮ থেকে ৩২ টাকা ৩১.৬৭%
৩ সরু চাল ৩৮ থেকে ৫০ টাকা ৩১ থেকে ৪৫ টাকা ১৫.৭৯%
৪ আটা ৩২ থেকে ৩৫ টাকা ২২ থেকে ২৫ টাকা ৪২.৫৫%
৫ ময়দা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ৩০ থেকে ৩৪ টাকা ১৭.১৯%
৬ সয়াবিন ৯২ থেকে ৯৬ টাকা ৭৪ থেকে ৭৭ টাকা ২৪.৫০%
৭ পামঅয়েল ৮৫ থেকে ৮৬ টাকা ৫৭ থেকে ৫৯ টাকা ৪৭.৪১%
৮ মসুর ডাল ৭২ থেকে ১০৭ টাকা ৮৫ থেকে ১৩৫ টাকা -২০%
৯ আলু ১৪ থেকে ২০ টাকা ২৩ থেকে ২৫ টাকা -২৯%
১০ পেয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা ৩১.৯৪%
১১ শুকনা মরিচ ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা ৭.৪১%
১২ হলুদ ২৮০ থেকে ৩২৫ টাকা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা ১০১.৬৭%
১৩ আদা ৭০ থেকে ১২০ টাকা ৫০ থেকে ৮০ টাকা ৪৬.১৫%
১৪ চিনি ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা ৫১ থেকে ৫৪ টাকা ৪.৭৬%
সূত্রঃ টিসিবি-২৭-১২-২০১০ তারিখের দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকা।
২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজে প্রয়োজন হবে প্রায় এক কোটি ৩ লাখ ঘনফুট মাটি ও বালু।
২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ শিশুদের পঙ্গু করে নামানো হচ্ছে ভিক্ষায়। আট-নয় বছরের এক শিশুকে জড়সড় করে আটকে রাখা হয়েছিল অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলের ভেতর। টানা ছয় মাস। খাবার বলতে দিনে একবার সামান্য ভাত অথবা রুটি আর পানি। এতে দিনে দিনে শিশুটি হয়ে পড়ে কঙ্কালসার। এরপর তাকে ভাড়া দেয়া হয় ভিক্ষাবৃত্তিতে। এ চক্রের সদস্য শফিকুল ইসলাম ওরফে কোরবানকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিকদের সামনে এসব অপকর্মের কথা স্বীকার করেন কোরবান।
২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভায় উঠছে নতুন আইনের খসড়া। নয় বছরের কম বয়সী শিশুকে আদালতে তোলা যাবে না।
২০১১ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৫২টি দুর্ধর্ষ ডাকাতির মামলাও প্রত্যাহার।
২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ গতি পায়নি জনপ্রশাসন। মহাজোট সরকারের ২ বছর। বড় পরিবর্তন দেখছি না। অতীতে যে অনিয়ম, অব্যবস্থা ও জনহয়রানি ছিল, এখনো তা-ই আছে।
২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ হাইকোর্টের রুলঃ ভিক্ষাবৃত্তি বন্দ করতে পদক্ষেপ কেন নয়।
২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ জরিপ বিশ্লেশণ-অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। সরকারের ব্যর্থতায় হতাশা। মহাজোট সরকারের ২ বছর। বিরোধী দলের ব্যর্থতায় বিকল্পের অনুপস্থিতি।
২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে। প্রথম আলো জনমত জরিপ।
২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ স্বাধীনতার ৪০ বছর স্মারক অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহান। বৈষম্য দুটি সমাজ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের সম্মান বাড়ছে ঃ অমর্ত্য সেন।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক আমাদের সময় ঃ জনগণ নতুন সরকার দেখতে চায় ঃ এরশাদ।
২০১২ সালের ৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশ ঠিক পথে চলছে না। প্রথম আলো জনমত জরিপ-২০১১। বেশি অসšত্তষ্টি বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে, সšত্তষ্টি শিক্ষায়। দ্রব্যমূল্য নিয়ে ক্ষুব্ধ মনোভাব দেশবাসীর, বিদ্যুতে স্বস্তি। ট্রানজিট লাভজনক হবে না, তিস্তা-ব্যর্থতার জন্য দুই দেশই দায়ী।
গত তিন বছরে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পক্ষে জনমত।
আওয়ামী লীগ বিএনপি
৫৬% ২০০৯             ২৫%
       ৪৯% ২০১০                ৩৯%
৩৮% ২০১১                          ৪৩%
জনমত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের পক্ষে। বিরোধী দলের ভূমিকায় মানুষ সšত্তষ্ট নয়।
২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ সিডিপির প্রতিবেদনে বাংলাদেশ। নি¤œ বিনিয়োগ, নি¤œ অবকাঠামো ও নি¤œ বিনিয়োগ চক্রের ফাঁদে পড়ে গেছে।
২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জরিপের প্রশ্ন ও উত্তর সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়েছে টিআইবি।
২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ ১০০ বিঘার বেশি জমির মালিকদের তালিকা করার সুপারিশ।
২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ইয়াংওয়ান চট্টগ্রামে এশিয়ার বৃহত্তম জুতার কারখানা গড়ছে। দক্ষিণ কোরিয়া-ভিত্তিক ইয়াংওয়ন করপোরেশন একটি বড় শিল্প গ্রæপ-কিহাক সুং।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিনিয়োগ সম্ভাবনাময় দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে ওঠে এসেছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৮তম।
২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ অসহনীয় বাজার অসহায় মানুষ।
২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ প্রজ্ঞাপন জারি। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস।
২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ প্রতিবেশি দেশ ভারত ও নেপালের তুলনায় বাংলাদেশে দাম বেশি। পাঁচ পণ্য নিয়ে টিসিবির তথ্য।
২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে নিত্যপণ্য-বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে দাম অনেক বেশি।
২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ শতাধিক ‘রাজনৈতিক’ পৌরসভা, দেড় হাজার ভোটে মেয়র নির্বাচিত।
২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ শেকলবাঁধা জীবন থেকে ৩০ শ্রমিকের মুক্তি। ঢাকার আশুলিয়ার পাড়াগ্রামে একতা ইঁটভাটায় আটক এসব মানুষকে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার করেন র‌্যাব সদস্যরা।
২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মার্কিন গবেষকদের দাবি-হিমালয়ের বরফ গলছে না।
২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ গ্রামীণ শক্তি। ২০১০ সালে ‘‘গ্রামীণ শক্তির’’ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে সৌর বিদ্যুতায়িত বসতবাড়ির সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গেলো। একক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সৌর শক্তিতে গৃহ বিদ্যুতায়নে এটাই বিশ্বের সর্বোচ্চ রেকর্ড। ২০১১ সালে ১০ লক্ষ অতিক্রম করবে।
২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, বাজার একটি বড় এবং কেজো জিনিস। এটি লোকদের সুযোগ-সুবিধা করে দেয়। তবে এ সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে বহু জিনিসের প্রয়োজন। বাজারের সুবিধা পেতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ক্ষমতা প্রয়োজন। তা ছাড়া থাকতে হবে লোকদের ক্রয় ক্ষমতা। দারিদ্র্যকে অন্যায় বলে উল্লেখ করে অমর্ত্য সেন এ সময় আরও বলেন, দারিদ্র অন্যায়ের একটি রুপ ও পরিচায়ক। দারিদ্র্যের সঙ্গে অন্যায় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এটি যে শুধু ক্ষতিকর, তা-ই নয়; সামাজিক দিক দিয়েও তা অন্যায়ের প্রকাশ এবং এ অন্যায়কে সহ্য করাও অন্যায়। সুতরাং দারিদ্র কীভাবে বদলানো যায়, শেষ করা যায়, সেই চিন্তা করতে হবে।
২০১১ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার রিট খারিজ।
২০১১ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ মানহানির মামলা-সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সরাসরি পরোয়ানা জারির বিধান বাতিল।
২০১১ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ এনকেফালাইটিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঃ কর্তৃপক্ষ। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মৃতের সংখ্যা ১৯ জন, ভয়ে এলাকা ছাড়ছে মানুষ।
২০১১ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি, প্রথম ঃ হরতাল। বিএনপির কার্যালয় অবরুদ্ধ, সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিপেটা।
২০১১ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাজধানীতে ব্যবহার-উপযোগী গণশৌচাগার মাত্র ৪৭টি। ২,৫৫,০০০(দুই লাখ পঁঞ্চান্ন হাজার) গণশৌচাগার প্রয়োজন।
২০১১ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১২ বছরের কম বয়সীদের গৃহকর্মে নিয়োগ দেয়া যাবে না ঃ হাইকোর্ট।
২০১১ সালের ১৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ জাপানের জন্য প্রার্থনা। ১ম, ২য়, তৃতীয় পারমাণবিক চুল্লিতে বিস্ফোরণ, চতুর্থ চুল্লিও জ্বলছে।
২০১১ সালের ১৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সরকারকে অনুরোধ করব, কমপক্ষে ৪৬টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ৩০ লাখ মানুষের হৃদস্পন্দন অনুভব করার চেষ্টা করুন, দেখবেন কেউ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শব্দটিকে মন থেকে গ্রহণ করবে না। ক্ষমতায় থেকে আপনারা কেন মানুষগুলোকে এই দুঃখ দেবেন? এবার সংবিধানে ‘‘আদিবাসী’’ বা ‘‘উপজাতি’’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে না, কমিটি এদের ‘‘ক্ষুদ্র নৃতাত্তি¡ক জনগোষ্ঠী’’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করবে। দেখবেন কেউ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শব্দটিকে মন থেকে গ্রহণ করবে না।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ফরিদপুরের জুবায়েরের সৌর ও বায়ুশক্তির মোটরসাইকেল। এতে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা।
২০১১ সালের ৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে গত চার দশকে ৫৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা এনজিও নিবন্ধন নিয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে ২৫ হাজার সংস্থার এখনও কোনো কাজ নেই।
২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল, জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোট ঃ উল্লেখ্য, ভারতে বাংলাদেশের ৯৬টি ছিটমহলে প্রায় ৩০ হাজার লোক বাস করে। সেখানে রাস্তা নেই, বিদ্যুৎ নেই, পানি সরবরাহ কিংবা স্বাস্থ্য সেবার সুবিধা নেই। এদিকে বাংলাদেশে ভারতের ১২৯টি ছিটমহলে প্রায় দেড়লাখ লোক বসবাস করে। উভয় ছিটমহলবাসীর অবস্থাই করুন। তাঁরা না ভারতের না বাংলাদেশের। হাশিম আলী বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে আমরা যেন কারাগারের বাসিন্দা হয়ে আছি।
২০১১ সালের ১ মে, প্রথম আলো ঃ ৮৫ হাজার গ্রামে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প। প্রথম পর্যায়ে দুই বছর মেয়াদি ৯,৫২৭ কোটি টাকার প্রকল্প-প্রস্তাব।
২০১১ সালের ১৩ মে, প্রথম আলোঃ আপিল বিভাগের রায়। ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেয়া যাবে, তবে শাস্তি নয়।
২০১১ সালের ১৫ মে, প্রথম আলো ঃ বিচার বিভাগ হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটার মতো স্বাধীনতা পেয়েছে-প্রধান বিচারপতি এ. বি. এম. খায়রুল হক।
২০১১ সালের ১৫ মে, প্রথম আলো ঃ দুর্ভোগ নিরোসনের জন্য বিচার বিভাগ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা নেই-আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
২০১১ সালের ২১ মে, সকাল সাতটার সময় পৌঁছালাম রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে অপেক্ষা করা এভারেস্টের চূড়ায় জাতীয় পতাকা হাতে মুহিত। পুরান ঢাকার ছেলে মুহিত। এস.এস.সি. পাস করেন ১৯৮৫ সালে। এভারেস্টে জয়ী মুহিত বাংলাদেশীর মধ্যে দ্বিতীয়।
২০১১ সালের ২৮ মে, প্রথম আলো ঃ ২৭-০৫-২০১১ তারিখ ৩১তম বিসিএসের প্রাথমিক বাছাই বা প্রিলিমিনারী পরীক্ষা। সারাদেশে ১১৮টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলা এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বিসিএস পরীক্ষার ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক এক লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ পরীক্ষার্থী। প্রতি ৬৭ জনে একজন চাকুরী পাবে এবং পদের সংখ্যা ২,৪৪০টি।
২০১১ সালের ৯ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঃ সহিংসতায় সারা দেশে নিহত ৪৩ জন। প্রথম পর্যায়ে ৪ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৯ জন। সোয়া ৪ হাজার ইউপিতে ভোট গ্রহণ।
২০১১ সালের ১০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪৯ শতাংশ সরকারী দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।
২০১১ সালের ১২ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সন্ত্রাস ও মানবপাচারে সর্চোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন।
২০১১ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ২০১১-২০১২ সালের বাজেট ২,৭১৫ (দুই হাজার সাতশত পনের) কোটি টাকা।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুত প্যানেল বসছে সংসদ ভবনে।
২০১১ সালের ২০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বছরে সাড়ে চার লাখ কলেরা রোগী। আইসিডিডিআরবির অনুষ্ঠানে তথ্য প্রকাশ।
২০১১ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিদেশি বিনিয়োগ (কোটি ডলারে)। বাংলাদেশে ২০০৬ সালে ৭৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২০০৭ সালে ৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, ২০০৮ সালে ১০৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার ও ২০০৯ সালে ৭১ কোটি ৬০ ডলার বিনিয়োগ হয়েছে দেশে। ২০১০ সালে বিশ্ব বাণিজ্য বাড়বে ১০ ভাগ।
২০১১ সালের ২১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ৬৪ বছর পর বাংলাদেশ-ভারত সীমানার আইনি স্বীকৃতি লাভ। মহাপরিচালক আবদুল মান্নান জানান, এক হাজার ১৪৯টি মানচিত্রের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সেক্টরে ৬২৮টি, ত্রিপুরা সেক্টরে-২৬৯টি, আসাম সেক্টরে-৯৩টি, মেঘালয় সেক্টরে-১৩৯টি ও মিজোরাম সেক্টরে-২০টি।  এর মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের তিন হাজার ৮৩৬ কিলোমিটার সীমানা নির্ধারণের কাজটি করেছে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর। আর মিজোরাম রাজ্যের সঙ্গে ৩২০ কিলোমিটার সীমানা নির্ধারণ করেছে সার্ভে অব বাংলাদেশ। এ মানচিত্রের অর্ধেক তৈরি করেছে বাংলাদেশ আর অর্ধেক তৈরি করেছে ভারত। এ মানচিত্রের স্কেল ১৬ ইঞ্চিতে এক মাইল।
২০১১ সালের ২২ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ নারী নির্যাতনের কারণে বছরে ১৪ হাজার কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে। সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ বাংলাদেশ (স্যাপ) ও কেয়ার বাংলাদেশের গবেষণা।
২০১১ সালের ৩০ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ আনোয়ার পারভেজ, কালাই (জয়পুরহাট) ঃ কালাইয়ে কিডনি ব্যবসা। ঢাকার দালালেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগদ টাকার লোভ দেখিয়ে অভাবী মানুষদের কিডনি বিক্রিতে রাজি করান। দারিদ্রমুক্তির মোহে গরিবেরা সম্মত হন কিডনি বিক্রিতে। চুক্তি অনুযায়ী টাকা না পেয়ে, অঙ্গহানি করে বাড়ি ফেরেন অভাবীরা। শেষে তাঁদের মোহমুক্তি ঘটে। দারিদ্র্যমুক্তি আর হয় না। ২০০ অভাবীর কিডনি বিক্রি।
২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ আড়াই লাখ মার্কিন তারবার্তা ফাঁস করেছে উইকিলিকস। মার্কিন কূটনীতিকদের ভাষ্যে এসব তারবার্তায় বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ক্ষমতার অন্দরমহলের খবর। ২২-০৯-২০১১ তারিখের প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় ‘সবকিছুর’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানালেন শেখ হাসিনা। বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় পাঁচ মাস বিদেশে থাকার পর দেশে ফিরে ‘সবকিছুর জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফেরার দিনই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছিল।
২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১৮-০৯-২০১১ তারিখ হঠাৎ কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিকিমের গ্যাংটক। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। ভারত-নেপালে নিহত ১২ জন। রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকা গতকাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রায় তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল। ঢাকা শহরের রাজধানী থেকে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৯৫ কিলোমিটার ও সিকিম থেকে ৬৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূগবেভর ২০ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।
২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার খরবঃ রাজধানীতে সোয়া ৩ লাখ ভবনের মধ্যে সত্তর হাজার ভূমিকম্প ঝুঁকিতে।
২০১১ সালের ৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ স্বাস্থ্য খাতের ৬৪ শতাংশ ব্যয় রোগীরা বহন করে। আর ৩৬ শতাংশ সরকার বহন করে।
২০১১ সালের ৫ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজন ২৮০০ কোটি ডলার। এফবিসিসিআইয়ের মতবিনিময় সভা।
২০১১ সালের ৬ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ গোলটেবিলে বক্তারা-বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ যানবাহন সিএনজিচালিত।
২০১১ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ সৌদি আরবে আট বাংলাদেশির শিরচ্ছেদ। সৌদি সরকারের কাছে ক্ষমার আবেদন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান।
২০১১ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ দেশে কালোটাকা জিডিপির ৮১ শতাংশ। অর্থমন্ত্রণালয়ের সমীক্ষা-দেশে সা¤প্রতিক জমির অতি উচ্চমূল্য ও শেয়ারবাজারের তেজি ভাবের সঙ্গে কালোটাকা বৃদ্ধির যোগসূত্র রয়েছে। এতে বাড়ছে বৈষম্য-
২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিনিয়োগ স্বল্পতা দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ নিয়মিত ট্রানজিট চালু হচ্ছে আজ। বহুল আলোচিত ট্রানজিটের প্রথম নিয়মিত চালান ত্রিপুরায় যাচ্ছে আজ। আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে এ চালান আগরতলা যাচ্ছে। এ জন্য কোনো মাশুল নেওয়া হচ্ছে না। ১৯-১০-২০১১ তারিখ থেকে নিয়মিত ট্রানজিট শুরু।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো ঃ
২০১১ সালের ২০ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক মজুরি ৭০ ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব। কমিশনের রিপোর্ট পেশ। মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় সমন্বয়ের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ বাড়িয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত শ্রমিকদের জন্য মজুরি কাঠামোর সুপারিশ করেছে জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১০।
গ্রেড ২০০৫ সালের বেতন মজুরি কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত বেতন-২০১০
১. ২৪৫০-৮০-৩৮৩৯ ৪২৫০-১৯০*৭টি-৫৫৮০-ইবি-২১০*১১টি-৭৮৯০
২. ২৫০০-৯০-৪১২০ ৪৩৫০-২১০*৭টি-৫৮২০-ইবি-২৩০*১১টি-৮৩৫০
৩. ২৫৫০-১০০-৪৩৫০ ৪৪৫০-২৩০*৭টি-৬০৬০-ইবি-২৫০*১১টি-৮৮১০
৪. ২৬০০-১১০-৪৫৮০ ৪৫৫০-২৫০*৭টি-৬৩০০-ইবি-২৭০*১১টি-৯২৭০
৫. ২৬৫০-১২০-৪৮১০ ৪৬৫০-২৭০*৭টি-৬৫৪০-ইবি-২৯০*১১টি-৯৭৩০
৬. ২৭০০-১৩০-৫০৪০ ৪৭৫০-২৯০*৭টি-৬৭৮০-ইবি-৩১০*১১টি-১০১৯০
৭. ২৭৫০-১৪০-৫২৭০ ৪৮৫০-৩১০*৭টি-৭০২০-ইবি-৩৩০*১১টি-১০৬৫০
৮. ২৮০০-১৫০-৫৫০০ ৪৯৫০-৩৩০*৭টি-৭৫০০-ইবি-৩৫০*১১টি-১১১৮০
৯. ২৮৫০-১৬০-৫৭০০ ৫০৫০-৩৫০*৭টি-৭৭৩০-ইবি-৩৭০*১১টি-১১৫৭০
১০. ২৯০০-১৭০-৫৯৬০ ৫১৫০-৩৭০*৭টি-৭৭৪০-ইবি-৩৯০*১১টি-১২০৩০
১১. ২৯৫০-১৮০-৬১৯০ ৫২৫০-৩৯০*৭টি-৭৯৮০-ইবি-৪১০*১১টি-১২৪৯০
১২. ৩০০০-১৯০-৬৪২০ ৫৩৫০-৪১০*৭টি-৮২২০-ইবি-৪৩০*১১টি-১২৯৫০
১৩. ৩০৫০-২০০-৬৬৫০ ৫৪৫০-৪৩০*৭টি-৮৪৬০-ইবি-৪৫০*১১টি-১৩৪১০
১৪. ৩১০০-২১০-৬৮৮০ ৫৫৫০-৪৫০*৭টি-৮৭০০-ইবি-৪৭০*১১টি-১৩৮৭০
১৫. ৩১৫০-২২০-৭১১০ ৫৬৫০-৪৭০*৭টি-৮৯৪০-ইবি-৪৯০*১১টি-১৪৩৩০
১৬. ৩২০০-২৩০-৭৩৪০ ৫৭০০-৪৯০*৭টি-৯১৮০-ইবি-৫১০*১১টি-১৪৭৯০
২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ৩১ লাখ ২০ হাজার হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করা হবে-প্রজনন খামার প্রকল্প স¤প্রসারণের প্রস্তাব।
২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ৩০-১০-২০১১ তারিখের নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বচনে বেসরকারি ফল ঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী-১,৮০,০৪৮, শামীম ওসমান-৭৮,৭০৫ ও তৈমুর আলম খন্দকার-৭,৬১৬ ভোট। জনতার রায় আইভীর জয়। এ জয় জনতার ঃ আইভী।
২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ সাজানো নির্বাচন, আগে জানলে অংশ নিতাম না ঃ শামীম ওসমান।
২০১১ সালের ১ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ রাজধানীর ২৩৩টি মার্কেট তালিকাভুক্ত করে নিরাপত্তা জোরদার।
২০১১ সালের ২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ০১-১১-২০১১ তারিখ নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যার প্রতিবাদে নরসিংদীতে ৭২ ঘন্টা হরতালের ডাক, মহাসড়ক অবরোধ, ট্রেন চলাচল বন্ধ, শহরে ভাঙচুর।
২০১১ সালের ৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ নতুন ক্রান্তিকালে দেশের চামড়াশিল্প ঃ (১) বার্ষিক উৎপাদন-এক কোটি ৫০ লাখ বর্গফুট। (২) সারা দেশে ট্যানারি ঃ ২৪০টি। (৩) বাজার ঃ অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
২০১১ সালের ৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ভারতের সাথে ট্রানজিটে ৪৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন। আশানুরুপ পণ্য পরিবহন না হলে ও ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়বে ঃ মূল কমিটি।
২০১১ সালের ১১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বাড়ছে ধীরে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি প্রায় আট গুণ বেশি।
২০১১ সালের ১২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ মৃত্যু ও রোগ নিয়ে সরকারি তথ্য-হাসপাতালে বেশি মৃত্যু হৃদরোগে-ভর্তি বেশি ডায়রিয়া নিয়ে।
২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টর অব লজ ডিগ্রী প্রদান করেন(১৫-১১-২০১১ তারিখ)।
২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ রায়েরবাজারে পূড়ে গেছে ২৫০টি বস্তিঘর।
২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজনীতিকদের হাতে পরিবহন খাত। আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমঝোতা। নিয়ন্ত্রণ করেন মালিক কিংবা শ্রমিকনেতা। কথায় কথায় ধর্মঘট, জ্বালাও-পোড়াও।
২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ চাকরি নিয়ে বিদেশ যেতে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট লাগবে।
২০১১ সালের ১৯ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ শত্রæমুক্তির ৪০ বছর। মুকুন্দপুরে মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর আনন্দ পুনর্মিলনী আজ-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ঃ ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুরে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর আনন্দ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে এই অঞ্চলে মিত্রবাহিনীর নেতৃত্বে থাকা ভারতের ১৮ রাজপুত ব্যাটালিয়নের তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল অশোক ভার্মা ও ব্রিগেডিয়ার (অব.) অভিনচন্দ্র চুপরা সস্ত্রীক বাংলাদেশে এসেছেন। অশোক ভার্মা পরে মেজর জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দক্ষিণ এশিয়া-পানির যুদ্ধ। এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। পানি নিয়ে এ যুদ্ধ পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেবে। নদীতে পানির বদলে বয়ে যাবে রক্ত।
২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ জাতীয় সংসদে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ বিল পাস।। ৪০ বছরের বঞ্চনার অবসান হবে-হিন্দু স¤প্রদায়ের নেতারা বলছেন আইনটিতে অনেক ফাঁকফোকর রয়েই গেছে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (সংশোধণ) বিল-২০১১ সোমবার ২৮-১১-২০১১ তারিখ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর, দৈনিক জনকনঠ পত্রিকা ঃ জাতীয় সংসদে ২৯-১১-২০১১ তারিখ পাঁচ মিনিটে পাস হলো উপজেলা পরিষদ সংশোধন বিল-২০১১। উপজেলা আইন পাস। নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যানের সাংসদ উপদেষ্টা।
২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত দেবে না কানাডা।
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিশ্বজিত চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) বাইক্কা বিলে বিরল পাখি ‘বড়ঠোঁট চুটকি’। গত ১০ বছরে থাইল্যান্ডে মাত্র দুটি পাখি দেখা গেছে। বাংলাদেশে এর আগে কোথাও এ পাখি দেখা যায়নি।
২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মানব পাচারের সাজা মৃত্যুদন্ড-মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন। সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী মানব পাচারে জড়িত থাকলে প্রত্যেককে ১৪ বছর। কাউকে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করলে ১০ বছর। নবজাত শিশু চুরির দন্ড যাবজ্জীবন।
২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১৯৯০-১৯৯১ সালে ভারতের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি ছিলেন সুব্রামনিয়াম স্বামী। গত জুলাইয়ে তিনি লিখেছিলেন, ভারতে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ করতে হলে ‘অবৈধভাবে’ ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের বিতাড়ন করতে হবে। ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ অনুপাতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সিলেট থেকে খুলনা অষ্ণল পর্যন্ত এলাকা দখল করে নিয়ে সেখানে তাদের পুনর্বাসন করা যেতে পারে।
২০১১ সালের ১৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ সংবিধানসম্মত নয়। বিশেষজ্ঞ মত।
২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ অবৈধভাবে রাস্তা পার হলে দু’শ টাকা জরিমানা শুরু হবে আগামী ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে। কিন্তু আমাদের দেশে ১৪-০৪-২০১৪ তারিখ পর্যন্ত জরিমানা শুরু হয়নি।
২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডবিøউটিও) অষ্টম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শেষ হয়েছে। প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই পেল না বাংলাদেশ।
২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে বছরে এক লাখ ১৩ হাজার হিসাবে প্রতিদিন দেশে ৩০৯ জন নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে। নবজাতকের মৃত্যু হার কমাতে হলে-বিশেষজ্ঞদের অভিমত, প্রসব-পরবর্তী সেবার পরিধি বাড়ানো জরুরি।
২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ অ্যাডহক চিকিৎসকেরা গ্রাম থেকে শহরে। চাকরি ইউনিয়নে, থাকছেন জেলা-উপজেলায়।
২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১৯ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল শেষ অবধি পচতে বসেছে টিসিবির সেই মসুর ডাল।
২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিনিয়োগ হচ্ছে না অর্থসংকট তীব্র। পুঁজি, যন্ত্রপাতি এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খোলা কমে গেছে। আইএমএফের সফর শেষে বদলে গেছে সরকারের বক্তব্য। আমরা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি ঃ অর্থমন্ত্রী-আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সংশয়।
২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ পুলিশের বাধায় গণমিছিল করতে পারেনি বিএনপি। বিএনপি অভিযোগ করেছে, গতকাল কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা ৮৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করতে মহাপরিকল্পনা-স্বল্প ও মধ্যআয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য নির্মাণ করা হবে ৫০ হাজার ফ্ল্যাট। এ কথার সাথে সরকারের কাজের মিল নেই।
২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু দেশ, মৃত্যু ১০৯ জনের।
২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সমীক্ষা প্রতিবেদনে তথ্য-গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য মাঠকর্মী এক লাখ ৭৪ হাজার।
২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) সরকার থেকে এ টাকার কথা জানানো হয়েছে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের জন্য সরকারের কাছে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল।
২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ ২০১১ সালে অর্থনীতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবস্থান নির্ধারণ করেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্রিটেনকে টপকে গেল ব্রাজিল।
২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০তম জাতীয় টিকা দিবস আজ। সব শিশুকে টিকাকেন্দ্রে আনার আহবান স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ. ফ. ম. রুহুল হকের।
২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি, িৈনক জনকন্ঠ ঃ শহরমুখী জনগোষ্ঠীর চাপে ঢাকা-চট্টগ্রামে অব্যবস্থাপনা। গ্রাম ও ছোট শহরে  সুষম উন্নয়ন না হওয়ায় এই প্রবণতা ঃ কর্মশালায় বক্তারা।
২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নাম যার টাঙ্গুয়ার হাওর। বিশিষ্ট বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান স¤প্রতি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি টাঙ্গুয়ার নতুন জীববৈচিত্রের অনুসন্ধান করেন। তিনি প্রায় ৪৭ প্রজাতির জলচর পাখি বা ওয়াটারফাউলের মোট ২৮ হাজার ৮৭৬টি নমুনা দেখতে পান। ভারতীয় প্রদেশ মেঘালয়ের তুড়া পাহাড়ের পাদদেশের বাংলাদেশ সীমানার প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলায় অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর। এখানে পানিবহুল মূল হাওর ২৮ বর্গকিলোমিটার এবং বাকি অংশ গ্রামগঞ্জ ও কৃষিজমি। এখানকার ৭৬টি গ্রামে ৫০ হাজার মানুষের বাস। কেবল শীত মৌসুমে যখন পানির স্তর নেমে যায়, তখন যে দুই ডজন বিল বা হাওর আছে, তার সীমানা জেগে ওঠে এবং প্রতিটির পাড় বা কান্দা জেগে ওঠে। কেবল কান্দার ভেতরের অংশেই শীতে আদি বিল থাকে এবং এর পেছনের যে শুকনো জায়গা, সেখানে গ্রামের লোকজন রবিশস্য ও বোরো ধানের চাষ করে। এ সময় এলাকাটি একটি গোচারণ ক্ষেত্রেও পরিণত হয়। আর বর্ষায় সব হাওর এক হয়ে একটি জলসমুদ্রে রূপ নেয়। তখন প্রতিটি বাড়ি বা ছোট ছোট গ্রামকে একেকটি ভাসমান দ্বীপ মনে হয়। এ দেশে এখনো হাজারে-বিজারে পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে ভরে থাকে বিল, বাওর ও হাওর।
২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ-মানুষ শান্তিতে নেই, পরিবর্তন চায় ঃ এরশাদ। মানুষ যেমন হাসিনাকে চায় না তেমনি খালেদা জিয়াকেও চায় না বা এরশাদ সাহেব আপনাকেও চায় না।
২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফির খবর ঃ হলিউডে বছরে ৪০০শত সিনেমা তৈরি হয় আর সেখানে বলিউডে ৮০০শত সিনেমা তৈরি হয়। আর ঢাকা শহরে ৬৭০টি কমিউনিটি সেন্টার আছে (৩১-১২-২০১১ তারিখ পর্যন্ত)।
২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ গোপালগঞ্জে শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন-স্বপ্নের বাস্তবায়ন স্বাধীনতার ৪০ বছরেও হয়নি।
২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আনোয়ার দিল ও আফিয়া দিল দম্পতি       আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বই দিলেন শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হাতে।
২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে সময়ের অপচয় নিত্যদিন। কোরাম সংকট প্রতি মিনিটে গড়ে ৪২ হাজার টাকা খরচ। এই হিসাবে বর্তমান সংসদে এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় ৩২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ডাকঘরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে। ওয়েব ক্যামেরার সাহায্যে বিদেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে। আর তাৎক্ষণিকভাবে চিঠিপত্র, দলিলাদিও পৌঁছে যাবে গ্রাহকের কাছে। সাড়ে আট হাজার ডাকঘর ই-কেন্দ্রে রূপান্তরিত হবে।
২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ নোয়াখালী হাতিয়ার স্বতন্ত্র এমপি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রকৌশলী মোঃ ফজলুল আজিমের পুত্র ফারহান মোঃ আজিমের বউভাত ছিল গতকাল (২৮-০১-২০১২ তারিখ) এক উৎসব মুখর পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ লোক ভোজে অংশ নেয়। হাতিয়া দ্বীপ কলেজ মাঠসহ ১০টি ইউনিয়নে এ মেজবানের আয়োজন করা হয়। গরুর মাংস, ডিম, সবজি, সাদা ভাত খাওয়ানো হয়। চার শর ওপর গরু জবাই করা হয়। প্রতি ইউনিয়নে বাবুর্চিসহ এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী ছিল। নোয়াখালী তথা দেশের ইতিহাসে এতবড় বউভাত অনুষ্ঠান হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে জানান।
২০১২ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ থিয়েটার ফেডারেশনের জাতীয় পথনাট্যোৎসব শুরু দেশের ৪৭টি নাট্যদলের অংশগ্রহণে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবের ¯েøাগান ‘পথ নাটকের মত্ত স্্েরাতে ভেসে যাক যুদ্ধপরাধী মৌলবাদ।’
২০১২ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ টাইমের নিবন্ধ-বাংলাদেশের শেয়ারবাজার বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট।
২০১২ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ১১.৫৯%। মূল্যস্ফীতির কারণ-গত বছরের ডিসেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম দুই দফা বাড়ানোর প্রভাব। গত পাঁচ বছরে আয় বেড়েছে ৫৯.৩৮% আর গত পাঁচ বছরে ব্যয় বেড়েছে ৮২.৫৯%। ১৯৯৫ সালে ৪,৩৬৬ টাকা ও ৪,০৯০ টাকা। ২০০০ সালে ৫,৮৪২ টাকা ও ৪,৮৮৬ টাকা। ২০০৫ সালে ৭,২০৩ টাকা ও ৬,১৩৪ টাকা। ২০১০ সালে ১১,৪৮০ টাকা ও ১১,২০০ টাকা। টাকায় মাসিক খানাপ্রতি আয়-ব্যয় * সূত্র ঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
২০১০ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট শ্রমশক্তি পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ। এর মধ্যে কর্মরত শ্রমশক্তি পাঁচ কোটি ৪১ লাখ। শ্রমশক্তির জরিপ প্রকাশ করেছে বিবিএস।
২০১২ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে খাসজমি প্রায় ১৮ লাখ একর। এর মধ্যে কৃষিজমি সোয়া ১১ লাখ একর।
২০১২ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৭৬ শতাংশ মামলায় আসামি খালাস পায়। অপরাধ সবার তথ্য-পুলিশ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারছে না। বিচারিক কাজ শেষ করতে সময় বেশি লাগছে। সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার।
২০১২ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদের প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন গত তিন বছরে সরকারের ব্যাংকঋণ ৪৩ হাজার কোটি।
২০১২ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ (২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত) রাজনৈতিক সহিংসতায় তিন বছরে ৫৯৫ জন নিহত। অধিকারের প্রতিবেদন।
২০১২ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিশ্বে ৫০ হাজার বাঁধ, ৬০ ভাগ নদী ধ্বংসের পথে-৫০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
২০১২ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ আলু নিয়ে বিপদ। চার লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে। এ বছর ৮৩ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশেরবিভিন্ন জেলা থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, মাঠপর্যায়ে কৃষকেরা প্রতি কেজি আলু দুই থেকে তিন টাকা দরে বিক্রি করছেন। অথচ সেই আলু ভোক্তারা প্রতি কেজি আলু ১২ টাকা দরে কিনছেন।
২০১২ সালের ৩ মার্চ, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন-সংবাদের খবর-রাজধানীর ৩২টি পয়েন্টে ৩২ লাখ কর্মঘন্টা নষ্ট হয়। ক্ষতির পরিমাণ ১৯ হাজার কোটি টাকা।
২০১২ সালের ৪ মার্চ, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ স্বাধীনতার সিদ্ধান্ত ছিল ছাত্রলীগের ঃ জাসদ সভাপতি (জেএসডি) আ. স. ম. আব্দুর রব বলেছেন, স্বাধীনতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না, ছিল ছাত্রলীগের। সব মৌলিক ইস্যু, জাতীয় পতাকা নির্ধারণ, অঙ্কন, জাতীয় স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা গ্রহণ করেছে ছাত্রলীগ।
২০১২ সালের ৬ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠের রির্পোট ঃ এনজিওর অনুকুলে ২০০১-২০১০ ১০(দশ) বছরে ২৪ হাজার কোটি ৪৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ছাড়। ঢাকা শহরে বস্তির সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭২০টি এবং বস্তিবাসীর সংখ্যা ৪০ লাখ। সংসদে আশিকুর রহমান-১৯৭১ সালে কাদের সিদ্দিকী ব্যাংক লুট করেছেন।
২০১২ সালের ১৪ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার রির্পোট ঃ নদীমাতৃক বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে নদীসংখ্যা কমছে। ১৫ বছরের ব্যবধানে দেশের মানচিত্র থেকে ২২৭টি নদী গায়েব হয়ে গেছে। এ বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ সেন বলেছেন-জাতীয় পানিসম্পদ উপাত্ত ভান্ডার-এ ১৯৯৭ সালের স্যাটেলাইট চিত্র, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত মানচিত্র অনুযায়ী ১৯৯৭ সারা দেশে ৬৩২টি নদী ছিল।  ২০০৫ সালে একই প্রতিষ্ঠানের প্রকাশনায় ৩১০টি নদী শনাক্ত হয়। সংস্থাগুলোর বর্তমান প্রকাশনায় দেশে ৪০৫টি নদী রয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল (১৩-০৩-২০১২ তারিখ) সংসদের বৈঠকে নাছিমুল আলম চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী  এ তথ্য জানান।
২০১২ সালের ২৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ তিন বছরে ৯৫০টি মুরগির খামার বন্ধ। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, সরবরাহ কমেছে, বাড়ছে ডিমের দাম।
২০১২ সালের ১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ‘দুর্নীতির কারণে ধনীরা ধনী, গরিবেরা আরও গরিব হচ্ছে’।-শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
২০১২ সালের ১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুতের দাবিতে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি।
২০১২ সালের ২ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সেমিনারে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আজকাল দুর্নীতিবাজরা যেমন বদমাশ তেমনি বিদগ্ধ, বিচক্ষণ।
২০১২ সালের ২ এপ্রিল, প্রথম আলোঃ আর্সেনিক-ঝুঁকিতে সাত কোটি মানুষ।
২০১২ সালের ৩ এপ্রিল, দৈনিক প্রতিদিন ঃ কর দেয় না ২৫ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতায় সারাদেশে ১ লাখ ৮১ হাজার ৮৭৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত আছে।
২০১২ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিশেষ বক্ততায় ড. নিতীশ-ব্রিটিশ শাসনের আগে এ দেশে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছিল না। ১৯২৬ সালে সর্বপ্রথম দাঙ্গা হয়। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস এ দুই স¤প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪১ সালের আগে বাংলার মুসলমানদের মধ্যে মুসলিম লীগ এবং পাকিস্তান প্রসঙ্গ খুব একটা আবেদন সৃষ্টি করতে পারেনি।
২০১২ সালের ১১ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ৭০ লাখ ঘুষের টাকা। মন্ত্রীর গাড়ি আটক। জব্ধকৃত টাকাসহ আটকদের রেল মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর। সুরঞ্জিতের এপিএস ধরা পড়ল।
২০১২ সালের ১১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ অর্পিত সম্পত্তির তালিকা চূড়ান্ত। মোট সম্পত্তি সাড়ে ৬ লাখ একর। বিরোধ-নিস্পত্তিতে শিগগির ট্রাইব্যুনালের কাজ শুরু। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত যেসব নাগরিক এ দেশ থেকে ভারতে চলে যান, তাঁদের স্থাবর সম্পত্তি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার শত্রু সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে নাম পরিবর্তন করে অর্পিত সম্পত্তি করা হয়।
২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশ-১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার এর সার্বভৌম বাংলাদেশ। সমুদ্র সীমানায় ১,১১,০০০ বর্গ কিলোমিটারের আরেক নতুন বাংলাদেশ। মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারনী মামলায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়।
২০১২  সালের ২৮ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১৪-০৩-২০১২ তারিখ মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটারের ওপর বাংলাদেশ অধিকার লাভ করে। বর্তমানে আমাদের কত কিলোমিটার সাগর আছে।
২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিচ্যুত-দৈনিক জন্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট।
২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদন-চাহিদার তথ্যে বিভ্্রান্তি রয়েছে।। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ‘মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু নয়’। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের বিষয়ক ব্যবহারিক পুস্তিকার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মিজানুর রহমান।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ৯ এপ্রিল কেলেঙ্কারি।  রেলমন্ত্রীর এপিএস, রেলের পূর্বঞ্চলীয় জিএম ও কমান্ড্যাট বিপুল পরিমাণ টাকাসহ বিজিবি সদর দপ্তরে ধরা পড়েন। এ টাকা রেলমন্ত্রীর বাসায় নেওয়া হচ্ছিল অভিযোগ তুলে বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠে। মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। রাজনীতিরও যাত্রাবিরতি। ১৬ এপ্রিল পদত্যাগ। সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ব্যর্থতার দায়ভার কেবল আমারই। তাই আমি পদত্যাগ করছি।
২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ গত ৪০ বছরে সাদা হয়েছে ১২ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। কর আদায় হয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাপী কালোটাকা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে ২০ বছর ধরে কাজ করেছেন অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ফ্রেডারিক স্পাইডার। তাঁর হিসাবে বাংলাদেশে কালোটাকার হার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩৭ শতাংশ। এই হিসাবে কালোটাকার পরিমাণ হয় প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমীক্ষা মানলে বাংলাদেশে কালোটাকার হার আরও বেশি-সর্বনিম্ন ৪৬ থেকে ৮১ শতাংশ পর্যন্ত। সুতরাং দেশে খুব সামান্য কালোটাকার খোঁজই সরকার এখন পর্যন্ত পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ কালোটাকা সাদা করার সুযোগ নয় ঃ টিআইবি।
২০১২ সালের ২৫ এপ্রিল, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ গত ৪০ বছরে ১৫২ জন সংসদ সদস্যের পদত্যাগ।
২০১২ সালের ২৫ এপ্রিল, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ এমন অসভ্য সরকার জীবনে দেখিনি-কাদের সিদ্দিকী।
২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ মুন্সিগঞ্জে এরশাদ-মানুষ বাড়িতে থাকলে হয় খুন, বাইরে গেলে হয় গুম।
২০১২ সালের ১ মে, প্রথম আলো ঃ বিশাল শ্রমশক্তিই অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগই শ্রমজীবি। কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত আছেন দেশের প্রায় ৮৭ শতাংশ শ্রমশক্তি। পাঁচ বছরে ৬৭ লাখ নতুন কর্মসংস্থান। শ্রমবাজারে নারীকর্মীর প্রবেশ তুলনামূলক বেশি। পেশার দিক থেকে কৃষক, মৎস্যজীবীর সংখ্যাই বেশি। মোট পূর্ণ বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ। আবার ৮১ লাখ ব্যক্তিকে এক ধরণের বেকার বলা যায়। ২০১০ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট শ্রমশক্তি পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ। এরমধ্যে কর্মরত শ্রমশক্তি পাঁচ কোটি ৪১ লাখ। আর ২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ লাখ। হাঁসমুরগি পালন, কৃষি, মৎস্য চাষ, দিনমজুরসহ ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কারখানায়কাজ করেন সবচেয়ে বেশি-তিন কোটি ৪৮ লাখ ২৬ হাজার লোক। গেরস্থালিতে কাজ করেন এক কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার নারী-পুরুষ। আর সরকারি প্রতষ্ঠানে কাজ করেন এক কোটি ৩৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এর সংখ্যা ৮ লাখ ৮৭ হাজার। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার পর্যায়ে কাজ করেন তিন লাখ ৬৮ হাজার লোক। ৩২ লাখ ৮৪ হাজার লোক নিয়োজিত আছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। আর বিভিন্ন এনজিওতে কাজ করছেন ছয় লাখ ৮৮ হাজার লোক। আর পেশার দিক থেকে কর্মক্ষেত্রে কৃষক, মৎস্যজীবীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। দেশে দুই কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার কৃষক ও মৎস্যজীবী এই পেশায় নিয়োজিত। এর পরের স্থানই রয়েছে উৎপাদন ও পরিবহন-শ্রমিকেরা। এই খাতের শ্রমিকসংখ্যা এক কোটি ২৩ লাখ ৮৮ হাজার। আর ২৪ লাখ সাত হাজার কারিগরি পেশাজীবী, ছয় লাখ ৮৯ হাজার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ১০ লাখ নয় হাজার কেরানি, ৩০ লাখ এক হাজার সেবাদানকারী কর্মী, ৮১ লাখ ৫৯ হাজার বিক্রয়কর্মী রয়েছেন। পুরুষের চাইতে নারীকে প্রায় ১৫ গুণ বেশি সাংসারিক কাজের বোঝা বহন করতে হয়। বাংলাদেশের নারীদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের হার প্রায় ৬৭ শতাংশ। জিডিপিতে নারীর অবদান দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশ।
২০১২ সালের ৫ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ আড়াই কোটি বেকার, পদ শূন্য আড়াই লাখ।। তবুও দ্রুত নিয়োগ হচ্ছেনা। সরকারি প্রতিষ্ঠানেই পদ শূন্য রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
২০১২ সালের ১০ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশের ২১৭ উপজেলার ৭ কোটি মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকিতে-জীবন বাঁচানোর পানিই এখন জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি।
২০১২ সালের ১২ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দাম কমছে বিশ্ববাজারে-দাম বাড়ছে দেশেরবাজারে।
২০১২ সালের ১২ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ জীবিকা হারাবে চার কোটি বাংলাদেশি-জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব-
২০১২ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ রাষ্ট্র দুর্নীতির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, কালো টাকার বৈধতা দিচ্ছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, প্রতিবছর বাজেটের আগে সরকার কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়।
২০১২ সালের ১৪ মে, প্রথম আলো ঃ চ্যানেল আইয়ের বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, কৃষকদের জন্য ভর্তুকি থাকতেই হবে। তিন কোটি টন খাদ্যের উৎপাদন হয় যেখানে, সেখানে খাদ্যগুদাম আছে মাত্র ১৫ লাখ টনের। এ গুদাম বাড়ানো দরকার।
২০১২ সালের ১৪ মে, প্রথম আলো ঃ দেশে ১০ বছরে দেড় গুণ বেড়ে হয়েছে হিমাগারের সংখ্যা-৩৮৮টিতে দাঁড়িয়েছে। নির্মাণাধীন আছে আরো ১০টির মতো হিমাগার। এ হিমাগারে প্রায় ৪০ লাখ টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আট থেকে ১০ লাখ টন বীজ আলু। বাকি ৮ থেকে ১০ শতাংশ হচ্ছে সবজি ও ফল।
২০১২ সালের ১৪ মে, প্রথম আলোঃ বাংলাদেশে শহরগুলোতে চার কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস করে। নগর গবেষণ কেন্দ্রের ৪০ বছর পূর্তিতে বক্তারা।
২০১২ সালের ১৫ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ মান সম্মত শিক্ষার জন্য নিজস্ব তহবিল গঠন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন বাড়তি অর্থ নেয়া হবে না। কর্তৃপক্ষ।
২০১২ সালের ১৫ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ কেশবপুরের বাউশলা গ্রামে রবিবার রাতে(১৪-০৫-২০১২ তারিখ) সদ্য এসএসসি পাস করা এক ছাত্রীর জিহŸা কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
২০১২ সালের ১৭ মে, প্রথম আলো ঃ ১৬-০৫-২০১২ তারিখ ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোর মামলা। শীর্ষস্থানীয় ৩৩ নেতা কারাগারে।
২০১২ সালের ১৭ মে, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর শ্যামলীর কাজী অফিস বস্তিতে ১৬-০৫-২০১২ তারিখ অগ্নিকান্ডে নিঃস্ব ২৩০ পরিবার।
২০১২ সালের ১৮ মে, প্রথম আলো ঃ হরতালের সময় গতকাল যশোরে এক হরতাল-সমর্থকের গলা টিপে ধরেন পুলিশের একজন কর্মকর্তা। শহরের চিত্রা মোড় থেকে ছবিটি তুলেছেন-এহসান মিথুন।
২০১২ সালের ১৯ মে, প্রথম আলো ঃ পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের প্রায় ৭২ শতাংশ ধূমপায়ী। জরিপের ফল।
২০১২ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ এভারেস্টে বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে নিশাত মজুমদার-১৯ মে, ২০১২ সালে।
২০১২ সালের ২৫ মে, প্রথম আলো ঃ ৫ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন পরিচালকেরা। ডেসটিনির সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত।
২০১২ সালের ২৫ মে, প্রথম আলো ঃ ‘জীবন দিয়ে হলেও’ তত্ত¡াবধায়ক প্রতিহত করা হবে ঃ এরশাদ।
২০১২ সালের ২৮ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ৮৩ ভাগ প্রসবই হচ্ছে প্রতিষ্ঠানিক সেবার বাইরে।
২০১২ সালের ২৮ মে, প্রথম আলো ঃ দেশীয় উৎপাদন থেকে কাপড়ের চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশ মিটছে। দেশে উৎপাদন হচ্ছে-২২০ কোটি মিটার এবং ৮০ থেকে ৯০ কোটি মিটার রপ্তানি করা হচ্ছে। ফলে দেশীয় চাহিদা মেটাতে এখনো আমদানি করতে হয় ১৪০ কোটি মিটার। ১৯২৭ সালে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যার তীরে গড়ে ওঠে ঢাকেশ্বরী কটন মিল, যা ছিল পূর্ববাংলার প্রথম কম্পোজিট কলকারখানা। ১৯৩২ সালে লক্ষী নারায়ণ কটন মিল, ১৯৩৮ সালে চিত্তরঞ্জন কটন মিল আর ১৯৪৬ সালে আদর্শ কটন মিল চালু হয় নারায়ণগঞ্জে।   পাকিস্তান আমলেও নারায়ণগঞ্জে বেসরকারি খাতে গড়ে ওঠে মসলিন কটন মিল ও বাংলাদেশ চেক্সটাইল মিল (১৯৫৬), গাউছিয়া কটন মিল (১৯৬৩), মাওলা কটন মিল (১৯৬৯)।
২০১২ সালের ৩০ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ কোর্টের রায়ের ওপর ক্ষুব্ধ হলে জনগণ রুখে দাঁড়াতে পারে ঃ স্পীকার এডভোকেট আবদুল হামিদ।
২০১২ সালের ৩১ মে, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ‘বছরে ৪৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় চুলার ধোঁয়ায়’। কেরোসিন ও কাঠ পুড়িয়ে রান্নার ফলে চুলা থেকে তৈরি দূষিত ‘ধোয়ার কারণে এ মৃত্যু ঘটে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
২০১২ সালের ১ জুন, প্রথম আলো ঃ ব্যবসার স্বার্থে যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন দাবি। যানজটের ক্ষতি বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা।-আসিফ ইব্রাহিম, সভাপতি, ঢাকা চেম্বার।
২০১২ সালের ২ জুন, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ অবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শাহারা খাতুন দুঃখিত। সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি নির্যাতন বিষয়ে ‘মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠিত’।
২০১২ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে কালো টাকা জিডিপির ৩৭ শতাংশ। সরকারি হিসাবে আরও বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে কালোটাকা জিডিপির সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৮১ শতাংশ। এ হিসাবে বাংলাদেশের কালোটাকার পরিমাণ সর্বনিম্ন ১(এক) লাখ ৭৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩(তিন) লাখ ১০ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা।
২০১২ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ আবারও কালো টাকা আসছে টাকা সাদা করার মহোৎসব।
২০১২ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ঃ মানুষের কষ্ট বেড়েছে ঃ ঢাকা শহরে একজন মধ্যবিত্তের আয়-ব্যয়।
মাসিক আয়-২৮,৩৯৪ টাকা মাসিক ব্যয়-৩২,৬৩০ টাকা
মূল বেতন-১৯,৩০০ টাকা বাড়িভাড়া-৯,২০০ টাকা
বাড়িভাড়া-১০,৬১৫ টাকা বিদ্যুৎ-গ্যাস ও পানি-২,০৩০ টাকা
চিকিৎসা ভাতা-৭০০ টাকা খাবার-১০,০০০ টাকা
শিক্ষা ভাতা-২০০ টাকা গৃহপরিচারিকা-২,০৫০ টাকা
ঋণের কিস্তি-১০,০০০ টাকা সন্তানের শিক্ষা-৮৫০ টাকা
ভবিষ্য-তহবিল ও অন্যান্য-২,৪২১ টাকা যাতায়াত-৫,০০০ টাকা
নিট বেতন-১৮,৩৯৪ টাকা চিকিৎসা-৫০০ টাকা
সঞ্চয়পত্রে আয়-+১০,০০০ টাকা। মা-বাবা-২,৫০০ টাকা, মেহমান-৫০০।
২০১২ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ঃ অর্থনীতির তিন বছরের মধ্যে দুর্বলতম অবস্থায়। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা দরকার, আবার প্রবৃদ্ধিও বাড়ানো দরকার। তবে দেশে শান্তি না থাকলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সরকারের পক্ষে মুশকিল। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য-সিপিডির বিশেষ ফেলো।
২০১২ সালের ১০ জুন, প্রথম আলো ঃ ৩৮২ কর্মকর্তা ওএসডি, মাসে খরচ আড়াই কোটি টাকা। অকারণে অনেক ভালো কর্মকর্তাকে ওএসডি করে রাখা হচ্ছে। তাঁদের দপ্তর নেই, কাজ নেই, বেতন দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত।
২০১২ সালের ১১ জুন, প্রথম আলো ঃ ৫,০০০(পাঁচ হাজার) কোটি টাকার সবই তুলে নিয়েছে ডেসটিনি। দুদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন।
২০১২ সালের ১১ জুন, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় আজ বিকেলে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ। সারা দেশে ধরপাকড়। বরিশাল, বগুড়া থেকে লঞ্চ-বাস বন্ধ।
২০১২ সালের ১২ জুন, মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে নেমে লাশ হলো ঢাকার ৩ শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য গত ৩০ বছরে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের ওপর থেকে পড়ে ও জলপ্রপাতে সাঁতার কাটতে নেমে ২৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
২০১২ সালের ১৩ জুন, প্রথম আলো ঃ সড়ক ভবনে গুলি, আহত ৬ জন। সরকারদলীয় দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্যের লড়াই। দ্ব›েদ্বর কারণ ঃ ২৮২ কোটি টাকাার দরপত্র এবং স্থানান্তর হওয়া সওজের ঢাকা জোনের কার্যালয় নিয়ন্ত্রণ।
২০১২ সালের ১৩ জুন, প্রথম আলো ঃ দক্ষিণ এশিয়ার পুষ্টি পরিস্থিতি আফ্রিকার চেয়ে খারাপ।
২০১২ সালের ১৩ জুন, প্রথম আলো ঃ কোচিং নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ পাঁচ মাসেও বাস্তবায়িত হয়নি। এখন কোচিং নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নীতিমালা করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি খসড়া। আমি মো: জাকির হুসেন আলমগীর বলি যে, এ সমাজব্যবস্থায় কোনদিনও কোচিং ব্যবসা বন্ধ হবে না-বরং বাড়বে।
২০১২ সালের ১৯ জুন, প্রথম আলো ঃ বাড়িভাড়া বাড়ছেই, চিড়েচ্যাপটা মানুষ। দুই বছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বাড়িভাড়া। ঢাকার মোট অধিবাসীর ৯০ শতাংশই ভাড়াটে। ২২ বছরে ঢাকা শহরে বাড়িভাড়া বেড়েছে প্রায় ৩৫০ শতাংশ। ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
২০১২ সালের ১৯ জুন, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-বাংলাদেশের রাজধানীতে ৭ মাত্রার ওপর ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরে ৭২ হাজার ভবন ও ৮০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংশ হবে।
২০১২ সালের ১৯ জুন, প্রথম আলো ঃ বিচারপতির মন্তব্যে স্পিকারের রুলিং-প্রধান বিচারপতি ভেবে ব্যবস্থা নেবেন জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাহার করুন। বিচারপতি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।
২০১২ সালের ২৬ জুন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ কৌশলে চাঞ্চল্যকর মামলা প্রত্যাহারের তোড়জোড়-সাড়ে দিন বছরে সাত হাজার মামলা প্রত্যাহার। বিবেচনায় আছে আর ৭০০শত মামলা।
২০১২ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ অপুষ্টির কারণে বছরে ক্ষতি ৭ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও ইউএসআইডির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ২৫-০৬-২০১২ তারিখ রাজধানীর একটি হোটেলে এ গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
২০১২ সালের ২৮ জুন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ পাহাড়ে মৃত্যুর মিছিল ৯৪ লাশ উদ্ধার-ভুতুড়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার বিছিন্ন, বান্দরবানে হাহাকার।
২০১২ সালের ২৮ জুন, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ পথশিশুর সংখ্যা ২৭-০৬-২০১২ তারিখ পর্যন্ত ১০ লাখ।
২০১২ সালের ২৮ জুন, রংপুরকে দেশের দশম সিটি করপোরেশন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
২০১২ সালের ২৯ জুন, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর দেশে ১,২০০ সিনেমা হলের মধ্যে ৭৫০টি বন্ধ হয়ে গেছে।
২০১২ সালের ২৯ জুন, প্রথম আলো ঃ গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের মালিকানা ৯৭%। মালিকানা সরকারের হাতে গেলে গ্রামীণ ব্যাংকের লক্ষ্য প্রশ্নবিদ্ধ হবে ঃ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২০১২ সালের ৩০ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশে ৫০ শতাংশ শিশুর মৃত্যুর কারণ অপুষ্টি।
২০১২ সালের ২ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে ৩শ’ বছরের এতিহ্যবাহী আম্রবুটি মেলা, যা স্থানীয়ভাবে মেটেরি মেলা হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছরের ৭ আষাঢ় থেকে ১৫ আষাঢ় পর্যন্ত চলে।
২০১২ সালের ৭ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশের ৯১ ভাগ নারী যৌন হয়রানির শিকার।
২০১২ সালের ৭ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দুই ডিসিসির বাজেট ঘোষণা।। ১০ ভাগ হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি। বাজেট তিন হাজার ৭৪৭ দশমিক ৬৮ কোটি টাকার বাজেট। ঢাকা উত্তরের জন্য-১ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা এবং দক্ষিণের জন্য ১ হাজার ৭৮১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
২০১২ সালের ১০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ভূমি ব্যবস্থাপনার ৭৮ সমস্যা চিহ্নিত। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের এক প্রস্তাবে বলা হয়, ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুযায়ী, পরিবার সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা পর্যন্ত কৃষিজমি অর্জনের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু অকৃষিজমি অর্জনের বিষয়ে কোনো সীমা রাখা হয়নি।
২০১২ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ কৃষকের মুখে হাসি নেই। ইফতেখার মাহমুদ, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে। গ্রামের ৪৬.৪% মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল, প্রায় ৩০% পরিবার শুধু কৃষির আয়ের ওপর নির্ভর করে। যেকোনো জিনিস কিনতে গেলে দাম বেশি, কিন্তু উৎপাদিত ফসল বেচতে গেলে দাম কম।
২০১২ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বস্তির ৪৩ শতাংশ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার।
২০১২ সালের ১৫ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার সংবাদ ঃ পাকিস্তানের গোমর ফাঁস-স্বাধীনতা ঘোষণার দায়ে বঙ্গবন্ধুকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়েছিল টিক্কা খান। নারীর সম্ভ্রমহানি ও গণহত্যা করা হয় পরিকল্পিতভাবে। মেজর জেনারেল (অবঃ) খাদিম হুসেন রাজার লেখা বইয়ের মরনোত্তর গণহত্যার প্রামাণ্য তথ্য।
২০১২ সালের ১৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ কৃষিমজুরি বেড়েছে, যোগ হয়েছে সম্ভাবনা ও সংকট। পাঁচ কোটি ৪১ লাখ শ্রমশক্তির মধ্যে এক কোটি ছয় লাখ দিনমজুর। মূলত পরিবহন পেশার সঙ্গে যুক্ত দিনমজুরদের আয় বেড়েছে। কোন খাতে কত শ্রমিক ঃ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ-২০১০ অনুযায়ী, দেশের দুই কোটি ৫৭ লাখ মানুষ কৃষি, মৎস্য ও বনজ সম্পদে তাঁদের শ্রম বিক্রি করছেন। পরিবহন, সংরক্ষণ ও যোগাযোগ খাতে রয়েছেন ৪০ লাখ শ্রমিক ও নির্মাণ খাতে ২৬ লাখ শ্রমিক।
২০১২ সালের ১৮ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০০১-এর নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা-তদন্ত প্রতিবেদনে খুন ধর্ষণ অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী ৫,৫৭১টি অভিযোগ।
২০১২ সালের ২৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশ থেকে দুই লাখ কোটি টাকা পাচার।
২০১২ সালের ২৮ জুলাই, প্রথম আলো ঃ দেশে উপার্জনক্ষম মানুষ ৫৮ শতাংশ। ৪২ শতাংশ শিশু ও ষাটোর্ধ্ব মানুষ রয়েছে, যারা অন্যের ওপর নির্ভরশীল। মোট জনসংখ্যা যে হারে বাড়বে, শ্রমশক্তির আকার তার চেয়ে বেশি হারে বাড়তে থাকবে। এটিই জনসংখ্যা বিবর্তনের বাড়তি সুবিধা। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ-অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
২০১২ সালের ২৯ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশে বত্রিশ বছরে ৬৭ বাঘ হত্যা।
২০১২ সালের ১ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ ডেসটিনির শীর্ষ ২২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা। মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ, ৩২০০ কোটি টাকা সরিয়েছেন তাঁরা।
২০১২ সালের ২ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০০১-এর নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা ৫,৮৯০টি মামলা প্রত্যাহার করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেয়া হয়।
২০১২ সালের ৪ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধন।। কমিশন খতিয়ে দেখবে-৮৪ লাখই কি মালিক? গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৪ লাখ সদস্যকে মালিক হিসেবে মুনাফার লভ্যাংশ আদৌ দেয়া হতো কি না তা খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিশন।
২০১২ সালের ৫ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ মানুষ হাঁটে দুই পায়ে, গরু চার পায়ে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একটি বাছুরকে দুই পায়ে হাঁটতে দেখা গেছে। বাছুরটির সামনের দুটি পা নেই। তাই দুই পায়ে ভর করে, মাথা সামনের দিকে ঝুকে হাঁটে। এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে কৃষক রবিউল ইসলামের বাড়িতে। রবিউল বলেন, তিন মাস আগে দুটি পা নিয়েই জন্ম নেয় বাছুরটি। ভাবছিলেন বেশি দিন হয়তো বাঁচবে না। কিন্তু পশুচিকিৎসক এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান সমস্যা নেই। দুই পা নিয়ে বাঁচতে পারবে বাছুরটি। এ.বি.সফিউল আলম।
২০১২ সালের ৬ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ এবার ঈদ বাজারে লেনদেন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ধনীদের বাজেট ২০ লাখ টাকা। আড়াই কোটি সামর্থ্যবানের স্বতঃফুর্ত কেনাকাটা। সাধ ও সাধ্যের টানাপোড়েনে ৯ কোটি মানুষ। ঈদ পণ্যের মূল্য বেড়েছে অন্তত ১৫ শতাংশ।
২০১২ সালের ৬ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ প্লেনারি অধিবেশনে বক্তরা। মুক্ত শ্রমবাজার গড়ে অসাম্য দূর করা সম্ভব। আমি মো: জাকির হুসেন আলমগীর বলি এ কথার অর্থও ফাঁকা কথা।
২০১২ সালের ১১ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ খাদ্য নিরাপত্তায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে।
২০১২ সালের ১২ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিশ্বে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা এখন বাংলাদেশে বেশি-এ বছর বজ্রপাতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে। প্রতি বছর দেশে গড়ে দেড়শ’ থেকে দু’শ জনের মৃত্যু ঘটে বজ্রপাতে।
২০১২ সালের ১২ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ পুনর্বাসন ছাড়া বস্তি উচ্ছেদ নিষিদ্ব হচ্ছে। শ্রীর্ঘই সংশোধনী আসছে গৃহায়ন নীতিমালায়।
২০১২ সালের ১৪ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ঈদ বকশিশের নামে পরিবহন সেক্টরে তোলাবাজি বেপরোয়া চাঁদাবাজি-মালিকসমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন, পুলিশ থেকে শুরু করে নানান নামে টাকা উঠানো হচ্ছে সব টার্মিনালেই। পিচ্চি হেলালের জেল খরচ ও মামলা চালানোর নামে গাড়িপ্রতি ৪শ টাকা তোলা হচ্ছে।
২০১২ সালের ৩০ আগস্ট, প্রথম আলোঃ গ্রামীণ ব্যাংক ঃ কিছু প্রশ্ন ও প্রকৃত তথ্য। ৮৪ লাখ ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫৫ লাখ ঋণগ্রহীতা এ পর্যন্ত শেয়ার কিনেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা ৫৫ কোটি টাকার শেয়ার কিনে ৯৭ শতাংশ মূলধনের মালিক হয়েছেন।
২০১২ সালের ২৯ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশ থেকে শকুন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে-অভাব আবাসস্থলের।
২০১২ সালের ২৯ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ঢাকা মহানগরীতে দেড় লাখ কোটি টাকার সরকারী জমি বেহাত। মহানগর জরিপ বেদখল ভূমি উদ্ধারের নির্দেশ ডিসিকে।
২০১২ সালের ৩১ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ তেহরানের ওআইসি সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যামের মূল অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০-০৮-২০১২ তারিখ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল­াহ খামেনি ১২০ দেশের সংস্থার শীর্ষ সম্মেলণের উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা ১৬তম উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন। তিন বছর পর আবার অন্য দেশে হবে।
২০১২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি। হলমার্কের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে সংসদে উত্তাপ। কয়েকজন উপদেষ্টার নাম এসেছে। দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি না হলে দায় নিতে হবে সরকারকে।
২০১২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত একের পর এক কেলেঙ্কারি। আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নিয়েছে ২০০৯ সালের শুরুতে। এরপর চলে গেছে সাড়ে তিন বছরের সময়ের বেশি। এর মধ্যে শেয়ার কেলেঙ্কারি, পদ্মাসেতু কেলেঙ্কারি, ডেসটিনি কেলেঙ্কারি ও হলমার্ক কেলেঙ্কারি ইত্যাদি।
২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিডি ভেনচারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। সুদ ছাড়া মূলধনের জোগান দেওয়া হবে। পুঁজিবাদী সমাজে এটি একটি ভূয়া কোম্পানিতে পরিণত হবে এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কথা ফাঁকা বুলিতে প্রমাণিত হবে।
২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ রেলের এক হাজার কর্মী নিয়োগে ঘুষ-বাণিজ্য। দুদক ও মন্ত্রণালয়ের তদন্তে প্রমাণ মিললেও বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল হয়নি। রেলের তিন কমিটি পাঁচ মাসেও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
২০১২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, খুরশিদা বেগমকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। টেকনাফ থেকে ইতালি যাত্রা ও পুরস্কার গ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে ৪ মার্চ সকালে খুরশিদা তাঁর বাড়িতে বলেন নানা কথা। খুরশিদার ওয়াংগারি মাথাই পুরস্কার অর্জন। ওয়াংগারি মাথাইয়ের নামে এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে। আর প্রথম পুরস্কারটি ছিনিয়ে আনেন বাংলাদেশের খুরশিদা বেগম। কেনিয়ার নোবেলজয়ী পরিবেশবিদ ‘ওয়াংগারি মাথাই’ মারা গেছেন ২০১১ সালে। বিশ্বব্যাপী ‘সবুজবেষ্টনী গড়ে তোলা’ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। এই আন্দোলনের জন্য ২০০৪ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি।  বাংলাদেশের খুরশিদার নেতৃত্বে ২৮ নারী বনাঞ্চল রক্ষা, বন্যপ্রাণী, জীববৈচিত্র ও পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকারেখে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। টেকনাফের বনাঞ্চলঘেরা কেরনতলী গ্রামে তাঁর নিবাস।
২০১২ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ দেশে নির্মিত প্রথম যুদ্ধজাহাজ। নৌবাহিনীর জন্য এ যুদ্ধজাহাজ তৈরি করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড।
২০১২ সালের ১২ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ডেসটিনির তিন হাজার ৮০০ কোটি টাকার অনিয়ম। তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য ঃ (১) ১,৪৫৪ কোটি টাকা তছরুপ। (২) ২,৩৪৬ কোটি টাকার লেনদেন সন্দেহজনক। (৩) ডেসটিনিতে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে।
২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর,সোনালী ব্যাংক থেকে ৩,৫০০ কোটি টাকা হলমার্কের জালিয়াতি।
২০১২ সালের ২০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বিদেশ ঘোরেন দীপু মনি। ৪৬ মাসে ১৪৯ বার (৪৫২ দিন) বিদেশ সফর। দেশের প্রয়োজনেই বিদেশে গিয়েছি ঃ দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ রান্নার আগে মুরগি পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। পানি লেগে মুরগি বেকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়।
২০১২ সালের ২০ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সারাদেশে চার বছরে ৫০ হাজার অগ্নিকান্ড, মারা গেছে ১৭শ মানুষ। ক্ষতি আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি, শুষ্ক মৌসুমেই বেশি ঘটে।
২০১২ সালের ২১ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ শতাব্দী শেষে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়বে ৪ ডিগ্রী, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ।
২০১২ সালের ২৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ২১ হাজার বইয়ের সমন্বয়ে গড়ে তোলা নওগাঁর বদলগাছির ভাতশাইল প্রগতি সংঘ পাঠাগারে শিক্ষার্থীর সঙ্গে পড়ায় মগ্ন মোশাররফ হোসেন। বইয়ের লাগি বিবাগী-মোশাররফ হোসেন। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাসের পর ভর্তি হন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে। চাচাতো ভাই সাহিত্যিক তালিম হোসেন চৌধুরীর বাসায় থেকে পড়াশোনা করতেন। তালিম হোসেনের ছিল বিশাল পাবিবারিক পাঠাগার। ঢাকার নামি-দামি কবি-সাহিত্যিকেরা আসতেন তাঁর পাঠাগারে। মোশাররফকে সঙ্গে নিয়ে তালিম হোসেন যেতেন কবি-সাহিত্যিকদের বাসায়। সেই থেকে পাঠাগার গড়ার সুপ্ত বাসনাটা মাথায় ঢোকে। হাতে টাকা পেলেইকিনতেন বই, পড়তেনও প্রচুর। ১৯৫১ সালে ভাষা আন্দোলনে যোগদেন। ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে পাঠাগার তৈরির কোনো সম্পর্ক আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাঠাগার তৈরিতে অবশ্যই ভাষা আন্দোলনের অনুপেরণা রয়েছে। ওই বছরই মা মারা যাওয়ার সংবাদ পাই এবং দেশে চলে আসি আর লেখাপড়া হয়ে ওঠেনি। ওই বছরই স্থানীয় সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মোশাররফ। বই সংগ্রহের এক এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় কমিটির সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। চাকরি ছেড়ে দেন। শুরু করেন কাপড়ের ব্যবসা। বই সংগ্রহের নেশায় ব্যবসাও লাটে ওঠে। এসব নিয়ে স্ত্রী রিজিয়া খাতুনের সঙ্গে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো। মোশাররফের চাচাতো ভাই আবদুল মতিন চৌধুরী পাঠাগারের জন্য ১৫ শতাংশ জমি দেন তিনি। সে জায়গাতেই পাঠাগারটি আছে এখন। তবে আরও বৃহৎ কলেবরে। আধা পাকা ঘরটি এখন ৫০ ফুট দীর্ঘ। আছে চারটি কক্ষ, ৫২টি স্টিল ও কাঠের আলমারি। নিজের টাকা, জেলা পরিষদ ও এলাকার কয়েকজনের সহায়তায় আলমারিগুলো কিনেছেন মোশাররফ। রেজিস্টার ঘেঁটে সংখ্যাটিও বলনে, ২১ হাজার’। এর মধ্যে রয়েছে দুর্লভ কিছু পান্ডুলিপি, গল্প, কবিতা ও উপন্যাস। আরও হাতের লেখা কোরআন শরিফ, তালপাতার ওপর লেখা পুঁথি, কবিতা ও গল্পের মূল্যবান প্রায় ১৩০টি বই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও গবেষণার কাজে বই নেন এখান থেকে। ৮২ বছর বয়সেও মোশাররফ চশমা পরেন না। সকালে পাঠাগার খুলে কিছুক্ষণ ঝাড়া-মোছার কাজ করেন। তারপর একটি ছেলেকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে নিজে বেরিয়ে পড়েন। মাইলের পর মাইল গ্রামের পর গ্রাম দিনমান হাঁটেন মোশাররফ একটিমাত্র বইয়ের তরে। বইয়ের খোজে গাঁয়ের পথে মোশাররফ হোসেন চৌধুরী-প্রথম আলোঃ তাঁর ছবিটি দেয়া গেল না।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ চোর শিকারিদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা কমছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত গত চার বছরে বাঘ কমেছে ৬৯%।
২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ আশুলিয়ায় ২৪-১২-২০১২ তারিখ পোশক কাপড়খানায় ভয়াবহ আগুন ১১১ জনের, ১২৪ ও ১২৬ জনের প্রাণহানি। গার্মেন্টে আগুণ দুই দশকে ৭০০ শ্রমিক দগ্ধ।
২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট জংশনে উড়ালসড়কের (ফ্লাইওভার) তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ার পর গতকাল সোমবার (২৬-১১-২০১২ তারিখ পর্যন্ত) ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ হিমালয় থেকে উৎপত্তি সকল নদীই আর্সেনিকের মূল উৎস। বিজ্ঞানীদের গবেষণা।
২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ চাঁদা না দিলে প্রাণ যাবে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ছাত্রলীগের নেতাদের হুমকি-বাণিজ্য মেলায় চাঁদা দিয়ে বিক্রয়কেন্দ্র বানাতে হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী ও আয়োজক সংস্থা উদ্বিগ্ন।
২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ নিজস্ব প্রতিবেদক ও গাজীপুর প্রতিনিধি। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ কুমার বিশ্বাস ছাড়া পেলেন কঠোর গোপনীয়তায়। হত্যাসহ ১২ মামলার আসামি ১৫ বছর ধরে জেলে।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিকাশের মুক্তির ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন স্তম্ভিত।
২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১০ বছরে সোয়া লাখ কোটি টাকা পাচার। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির প্রতিবেদন। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে ২০০৬ সালে, এরপর ২০১০ সালে।
২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ স্বপ্নের মেট্্েরারেল প্রকল্প অনুমোদন-ব্যয় প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩৩৮তম শাখার রংপুরের পীরগঞ্জে সিঙ্গার প্লাস শপের শাখার উদ্বোধন।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ মন্ত্রিীত্ব আর নয়-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে আমি আর মন্ত্রিত্বে নেই।
২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সিলেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ঃ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে কিছুটা দুর্নীতি হচ্ছে।
২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন-১৫ শতাংশ মানুষ সংবাদপত্র পড়ে।
২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মহিলা পরিষদের তথ্য ঃ ২০১২ সালে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি নারী নির্যাতিত।
২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২৩ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত। তবু চালের দাম বাড়ছে।
২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৫৮ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড। শীতে থরথর দেশ। জনজীবন বিপর্যস্ত ২২ জনের মৃত্যু। ভারতে ১৭০ জনের মতো মৃত্যু।
২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে এক বছরে ২৪ গুম ৭০ বিচারবহির্ভূত হত্যা। অধিকারের বার্ষিক প্রতিবেদন।
২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ তদন্তে অসন্তুষ্ট বিশ্বব্যাংক। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র। দুদকের তদন্ত নিয়ে বিশেষজ্ঞ দলের চিঠি। ৪% ঘুষ দেওয়ার কথা ছিল সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে কাজ পাওয়ার পর। ১% ঘুষ পাওয়ার কথা ছিল সাবেক সেতু সচিবের।
২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১২ হাজার কোটি টাকার দুই ঋণচুক্তি সই। ক্রেমলিনে শেখ হাসিনা-পুতিন বৈঠক। সমরাস্ত্র ক্রয় ঃ ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র ক্রয় করবে বাংলাদেশ। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঃ রূপপুরে রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত হবে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। দুটি চুক্তি।
২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি, যুগান্তর ঃ অযতœ-অবহেলায় বেড়ে উঠছে ১১ লাখ পথশিশু। জড়িয়ে পড়ছে অপরাধচক্রে।
২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ গ্রামীণ চুলায় প্রচলিত জ্বালানিতে বায়ু দূষণ বেশি হয়। কমানো গেলে বেঁচে থাকার হার বাড়বে। গবেষণা প্রতিবেদন।
২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশে কিডনি নষ্ট হয়ে ঘন্টায় ৫ জনের মৃত্যু ঘটছে।
২০১৩ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঃ রাজনীতিকসহ চার বছরে ১৬,২৮৫ জন খুন।
২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ মাটির ‘সুস্বাদু’ স্যুপ ও শরবত। জাপানে পেশাগত মুষ্টিযোদ্ধা থেকে ২০ বছর বয়সে বাবুর্চির কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন তোশিও তানাবে। সে সময় টোকিওতে খুলে বসেন ফরাসি রেস্তোরাঁ।
২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২১২টি দৈনিক পত্রিকা, ৩০টি টিভি চ্যানেল।
২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ বিদেশের কারাগারে আটক পৌনে আট হাজার বাংলাদেশি।
২০১৩ সালের ১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সাঈদীর ফাঁসি, সহিংসতায় নিহত ৩৭ জন। দেশজুড়ে জামায়াত-শিবিরের তান্ডব। সাঈদীর বিরুদ্ধে খুন-ধর্ষণের আট অভিযোগ প্রমাণিত।
২০১৩ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রাজনৈতিক সহিংসতায় ফেব্রুয়ারিতে নিহত-৬২ জন।
২০১৩ সালের ৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সহিংসতা বাড়ছে, নিহত ২২ জন। থানা, ফাঁড়ি, সরকারি দপ্তরে জামায়াত-শিবিরের হামলা, আগুন।
২০১৩ সালের ৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সহিংসতা ঃ দেশজুড়ে আতঙ্ক। সরকার কিছু বলছে না প্রেসনোটও নেই।
২০১৩ সালের ৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্ব স¤প্রদায়ের উদ্বেগ সকল পক্ষকে শান্তিপূর্ণ পথ খুঁজে বের করার পরামর্শ।
৩০১৩ সালের ৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ২৮ ফেব্রæয়ারি, থেকে ৪ মার্চ। ১৮ জেলায় সহিংসতায় নিহত ৭৪ জন। ৩৮ জন সহিংসতায় জামায়াত-শিবির কর্মীর মৃত্যু। ৩০ জন সাধারণ মানুষ ও অন্য রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু। ৬ জন জামায়াত-শিবিরের হামলায় পুলিশের মৃত্যু।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৬৭ জনের মৃত্যুর দায় বিএনপি-জামায়াতের। সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি।
২০১৩ সালের ১৪ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ আড়াই মাসে বিক্ষোভ হরতালে ৬০৬টি বাস-ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত।
২০১৩ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ অন্য আলো-কুয়াকাটা সমূদ্রসৈকতের বালু খনন করে তোলা প্রাচীনকালের নৌকা। অতীতের রহস্যময় নৌকা। বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন। আনুমাণিক ১৫০ থেকে ২৫০ বছর আগের অর্থাৎ ব্রিটিশ আমলের এটি একটি অনন্য নিদর্শন।
২০১৩ সালের ২২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রাজনৈতিক সহিংসতা। কোনোভাবেই এ সমস্ত ঘটনার বিচার-প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা কাম্য নয়। মিজানুর রহমান-চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২০০০ জন আসামি গ্রেপ্তার, ১১০০ জনই জামায়াত-শিবিরের কর্মী। সারা দেশে ৩৬০ মামলা আসামি তিন লাখ।
২০১৩ সালের ২২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত-মৃতের সংখ্যা ৮২ জন। ৩৯ জন জামায়াত কর্মী। ৩৫ জন সাসারণ মানুষ ও অন্য রাজনৈতিক কর্মী। নিহত ৮ জন পুলিশ, আহত ৫০০ জন। সাড়ে চার মাপসের সহিংসতা ১২৯টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত-৩৭টি ভস্মীভূত। স্থানীয় সরকারের ৩৫ দপ্তরে আগুন, ভাঙচুর-৩০ কোটি টাকার ক্ষতি।
২০১৩ সালের ২৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ডেসটিনির প্রতারণা ৫ হাজার ১১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ। আত্মসাৎ করা অর্থের হদিস বের করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০১৩ সালের ২৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ২৪ দিনে ৩১৯টি মন্দির বাড়ি-দোকানে হামলা। ৩২ জেলায় হিন্দু স¤প্রদায়ের ওপর সহিংসতা। হামলা. ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২৬ মামলা। গ্রেফতার ১৮৯ জন।
২০১৪ সালের ২৩ জুন, জনকন্ঠ পত্রিকা : লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা। গিনেস রেকর্ড সনদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর গত ২৬ মার্চ, ২০১৪ তারিখ মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে সর্বাধিক দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত ‘সোনার বাংলা’ গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন।
২০১৩ সালের ২৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ হরতালের বলি পরিবহন খাত। পাঁচ মাসে ৪০০ বাস-ট্রাকে আগুন, ৩০০০ ভাঙচুর।
২০১৩ সালের ২৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ নাশকতাকারীদের দেখামাত্র গুলি! মহাসড়ক-রেলপথ উন্মুক্ত রাখতে কঠোর ব্যবস্থা।
২০১৩ সালের ২৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রপ্তানির পরিবর্তে এবার চাল আমদানির চুক্তি। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টন চাল ও দেড় লাখ টন গম আমদানি করা যাবে।
২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপর’ বইয়ে আলোচিত বক্তব্যের জের। রাজনৈতিক নির্দেশ ছাড়াই মুক্তিযুদ্ধ শুর। জিয়ার ঘোষণা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে ও বাইরে প্রচন্ড উদ্দীপনা। পদত্যাগের পথে পরিকল্পনা মন্ত্রী এ. কে. খন্দকার।
২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ বছরে সাড়ে চৌদ্ধ হাজার কোটি টাকা পাচার।
২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা ২০ লাখ টনে উন্নীত হচ্ছে-১৭০টি গুদাম নির্মাণ শেষ হবে চলতি বছর।
২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল, আমার জীবনের এক বিশেষ দিন। এই দিনে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক সরকার সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, বেতার উপদেষ্টা আবদুল মান্নান, দি পিপল পত্রিকার সম্পাদক আবিদুর রহমান এবং আমাকে ২৬ এপ্রিল, সকাল ৮ টায় সামরিক আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। ১৯৭১-এর এই দিনে প্রকাশিত সব পত্রিকায় আমাদের পাঁচজনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশটি সিঙ্গেল কলামে ছাপা হয়েছিল।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ অবশেষে শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। শ্রমিকদের ইউনিয়ন করাসংক্রান্ত বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে গতকাল সোমবার (২২-০৪-২০১৩ তারিখ) শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধনের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধনের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন। ৫০ জন শ্রমিক থাকলেই ইউনিয়ন। ট্রেড ইউনিয়ন করতে মালিকপক্ষের অনুমতি লাগবে না।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ পোশাক বিতর্ক-সিদ্দিকুর রহমান খান। লুঙ্গি, জাতীয় সংসদ ও বারিধারা। ১৯৯১ সালের ১ আগস্টের দৈনিক বাংলার খবরে জানা যায়, ওই সময়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি জাতিসংঘের মহাসচিব পেরেজ দ্য কুয়েলারের সঙ্গে প্রথম দিনে লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পরে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আর এখন দেশের ভিতরে বারিধারায় লুঙ্গি পড়া যাবে না বা লুঙ্গি পড়ে বারিধারা যাওয়া যাবে না।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল, সাভারের রানা প্লাজা ধসে ১১৩৫ জন শ্রমিকের প্রাণহানি। এক বছর পর (২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল) ক্ষতিপূরণের জন্য অপ্ক্ষো লজ্জার।
২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ১৯৫০ সালে রাজশাহী জেলখানার খাপড়া ওয়ার্ডে উপমহাদেশের প্রথম জেল হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমান প্রজন্ম এ হত্যাকান্ড সম্পর্কে তেমন জানে না। রাষ্ট্র তাদের খাপড়া ওয়ার্ডের ইতিহাস জানানোর উদ্যোগ নেয়নি। সভায় আলোচকেরা খাপড়া ওয়ার্ডের ইতিহাস তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, জেলখানার খাপড়া ওয়ার্ডে ৩৯ জন বিপ্লবীর মধ্যে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। আহত ৩২ জনের মধ্যে ২৪-০৪-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত মাত্র একজন বেঁচে আছেন। জেলাখানার রাজবন্ধী হিসেবে অন্য কয়েদিদের তুলনায় সুযোগ-সুবিধা বেশি পেতেন। বিপ্লবীরা জেলখানার এ বৈষম্য দূর করার সংগ্রামে নামেন।
২০১৩ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ নওগাঁ জেলার পোড়শা উপজেলাতে শতবর্ষের আতিথেয়তা ঃ দূর-দূরান্তের পথিকের রাত কাটানোর জন্য একসময় প্রচলন ছিল মুসাফিরখানার। সেখানে পথিকের জন্য থাকত থাকা আর খাওয়ার ব্যবস্থা। নওগাঁ জেলার পোরশায় এখনো টিকে আছে ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত তেমনই একটি মুসাফিরখানা। সেখানে রয়েছে বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। মুসাফিরখানার ইতিহাস জানতে চাইলে ম্যানেজার জানান, পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ জ্ঞানা হুজুর ভালো বলতে পারবেন। জ্ঞানা হুজুরের ভালো নাম শরিফ উদ্দিন শাহ। জ্ঞানী লোক বলে এলাকায় জ্ঞানা হুজুর নামেই তিনি পরিচিতি। তিনি পাশের আল জামিয়া আল-আরাবিয়া দারুল হেদায়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে মনে হলো, আমরা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকেছি। জ্ঞানা হুজুর জানান, এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ই। আল-জামিয়া মানেই বিশ্ববিদ্যালয়। এটি পরিচালনার জন্য বছরে দুই কোটি টাকার দরকার পড়ে। মাদ্রাসার এক হাজার বিঘা জমি রয়েছে। তাতে হয় না। এলাকার লোকেরা সহযোগিতা করে, তাতেই চলে। এখানে আবাসিক ছাত্রই রয়েছে এক হাজার ১০০ জন। মুসাফিরখানা ঘুরে এসে লিখেছেন-আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ। জ্ঞানা হুজুর জানান ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিার পর দীর্ঘ ৮০ বছর মুসাফিরখানাটি মাটির ঘরই ছিল। ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠানের আয় দিয়েই এখনকার ভবনটি তৈরি করা হয়। এর নিচতলায় একাংশে মার্কেট। দোতালার একাংশ স¤প্রসারণ করে ওপরে কমিউনিটি সেন্টার করেছেন, তার নিচে গাড়ি পার্কিয়ের ব্যবস্থা করেছেন; বিদেশিরা এলেও সেখানেই গাড়ি রাখেন। নওগাঁ জেলা শহর থেকে ৬৪ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং রাজশাহী থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে পোড়শা উপজেলা। ফারসি শব্দ পোরশা অর্থ পবিত্র ভূমি। খাদেম মোহাম্মদ শাহর পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য বহু বছর আগে এই গ্রামে এসেছিলেন। খাদেম মোহাম্মদ শাহর নাতির ছেলে নাজিব চৌধুরী জানান, এখানকার মাটি ও মানুষের সঙ্গে তাঁদের সখ্য হয়। তারা আর এই গ্রাম ছেড়ে যেতে পারেননি। ভালোবেসে গ্রামের নাম দেন পোরশা। গ্রামের নামে উপজেলার নাম হলেও থানা ও উপজেলা সদর এই গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে-নিতপুরে।
২০১৩ সালের ৪ জুন, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১৯৭১ সালের ৪ জুন, সাত ঘন্টায় ৪শ’ বাঙালীকে জবাই করা হয় নাটোরে। ১৯৭১ সালের ৪ জুন, মুক্তিযদ্ধের ইতিহাসে নৃশংস ও জঘন্যতম অধ্যায়টি রচিত হয় নাটোরের ছাতনি গ্রামে। এমন নৃশংস ঘটনা বিশ্বের আর কোথাও ঘটেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে নাটোরের গণমানুষের মনে। শুধু গুলি নয় হানাদার বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মাত্র সাত ঘন্টায় চারশ’ মানুষকে স্রেফ জবাই করে হত্যা করে অবাঙালীরা। সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার দিন। আজও তারা আত্মত্যাগের স্বকৃতি পায়নি, নির্মিত হয়নি স্মৃতিসোধ।
২০১৩ সালের ১৩ জুন, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশে গবাদি পশুর মধ্যে ছাগলের সংখ্যাই বেশি ঃ পাঁচ কোটি ২৮ লাখ ৩৬ হাজার। এরমধ্যে (১) গরুর সংখ্যা-২ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার। (২) মহিষের সংখ্যা-১৪ লাখ ৪২ হাজার। (৩) ছাগলের সংখ্যা-২ কোটি ৫১ লাখ ১৬ হাজার। (৪) ভেড়ার সংখ্যা-৩০ লাখ ৮২ হাজার।
২০১৩ সালের ১১ জুন, প্রথম আলো ঃ নিস্পত্তির অপেক্ষায় সাড়ে ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০টি মামলা। এক বছরে যুক্ত হয়েছে তিন লাখের বেশি মামলা। ২০১১ সালের শেষে সব আদালত মিলিয়ে নিস্পত্তির অপেক্ষায় ছিল ২১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬টি মামলা।
২০১৩ সালের ২১ জুন, প্রথম আলোর-অন্য আলো ঃ ১৯৫২ সালে অনুষ্ঠিত সভায় আফ্রিকান ও আমেরিকানদের সঙ্গে হার্লেমের বাঙালিরা। ঐ সভার ছবিটি দেয়া গেল না। ১৮৮০ সালের দিকে ইংল্যান্ড হয়ে আমেরিকায় আসতেন হাতে বোনা নানা জিনিসপত্র বিক্রি করতে। তাঁদের পরিচয় ছিল ফেরিওয়ালা। সেসব ফেরিওয়ালার কেউ কেউ দেশে ফিরে গেছেন, কিন্তু অধিকাংশই রয়ে গেছেন। নাবিক হিসেবে আসা অনেক বাঙালিও ‘জাহাজ থেকে লাফিয়ে’ ঢুকে পড়েন জনারণ্যে। হার্লেমের বাঙালি-বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁদের পূর্বপুরুষেরা মার্কিন মুলুকে গিয়েছিলেন এক শ বা সোয়া শ বছর আগে। নানা পথ ঘুরে হাজির হয়েছেন নিউইয়র্কের হার্লেমে। আজ তাঁদের অনেকে পুরোদ¯ত্তর আমেরিকান হলেও হৃদয়ে ধারণ করে আছেন। তাঁদের পূর্বপুরুষের দেশ। স¤প্রতি তাঁদের নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে একটি বই। তা নিয়ে লিখেছেন-হাসান ফেরদৌস। নিউইয়র্কে আড়াই দশক ধরে আছে, অথচ হার্লেমে এসেছি হাতে গোনা কয়েকবার। ম্যানহাটনের পশ্চিম ভাগে, আপার ওয়েস্ট সাইড ঘেঁষে একটি অংশজুড়ে এই উপশহর। একসময় হার্লেমের পরিচয় ছিল কালো মানুষদের ‘ঘেটো’ হিসেবে। টম উলফের বিখ্যাত উপন্যাস বনফায়ার অব ভ্যানিটিস, যা পরে ব্রায়ান দে পালমা ফিল্ম বানিয়েছিলেন, তাতে হার্লেম ও দক্ষিণ ব্রঙ্কস-এই উপশহরের যে ছবি রয়েছে, তা নিউইয়র্কের কালো মানুষদের ‘ঘেটো’র ব্যাপারে আমাদের ভীতিকে আরও বদ্ধমূল করেছে। সময় বদলেছে, শহরের মানচিত্র বদলেছে, কিন্তুু হার্লেম নিয়ে আমাদের মাথার ভেতরে যে বর্ণবাদী ছবিটি আঁকা আছে, তা কিন্তুু পুরোপুরি বদলায়নি। সেই হার্লেমের সমবার্গ সেন্টারে গত ছয় এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে এসে আমি হতবাক। হলভর্তি মানুষ, অধিকাংশই কালো আফ্রিকান-আমেরিকান। কিন্তু না, কালো মানুষ হলেও এরা সবাই বাঙালি। কিন্তুু আমি বলছি এমন এক সময়ের কথা, যখন সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম বা স›দ্বীপ থেকে আসা দলছুট মানুষ যে যেখানে পারে আশ্রয় নিয়েছে।  ফিলাডেলফিয়া, বালটিমোর বা নিউ অরলিন্সের সমুদ্রবন্দর পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে জনারণ্যে। পঞ্চাশ বা সত্তর বছর আমেরিকা ছিল সাদা ও কালোয় বিভক্ত এক দেশ। বাঙালিরাও কালো মানুষ, এই শহরের সাদা মানুষ তাদের স্বাগত জানাবে, তার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে সেই সব কালো মানুষ আশ্রয় পায় অন্য কালো মানুষের কাছে। কেউ ছোট খাটো দোকানদারিতে ভিড়ে যায়, কেউ কেউ গড়ে তুলে নিজের ব্যবসা। স্থানীয় কালোদের সঙ্গে মিলেমিশে তারা গড়ে তোলে নিজেদের জগৎ। হয় প্রেম, হয় বিবাহ। এখন দুই বা তিন প্রজন্ম পরে, সেই প্রথম আসা বাঙালিদের মধ্যে এখন কেউ বেঁচে নেই। রয়ে গেছে তাদের ছেলে মেয়ে, অথবা তারও পরবর্তী প্রজন্ম। ঠিক বাঙালি বলতে যা বুঝি-চেহারায়, ভাষায়, সাংস্কৃতি পরিচয়ে এদের ভেতর হঠাৎ করে বাঙালি হিসেবে সেসবের কিছু খোজ পাওয়া মুশকিল। তারপরও এরা বাঙালি। বুকের ভিতর পুষে রাখা পিতা ও পিতামোহের ছবিটি। কারো কারো পরিচয় এখনো ধরা আছে। বিবেক বলড নামের ভারতীয় বশোদ্ভুত লেখক ও অধ্যাপক স¤প্রতি আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন হার্লেম নামের গ্রন্থে। এই আলাউদ্দিনের গল্প থেকেই বিবেক বলডের গবেষণার শুরু। একজন থেকে আরেকজন, তার থেকে আরেকজন, এভাবে একের পর এক বাঙালির খোঁজ পেয়ে তাঁদের গল্পটি লিখেছেন বেঙলি হার্লেম গ্রন্থে। পুরোনো যে বাঙালি অভিবাসীর কথা লিখেছেন বিবেক, তাঁর নাম ইব্রাহিম চৌধুরী। আশির দশকের শেষ মাথায় নিউইয়র্কে আসার পর তাঁর সঙ্গে আমারও পরিচয় হয়েছিল। সে সময় তিনি পরিণত বয়সের, তার পরও বাঙালি অভিবাসীদের নানা কাজে তাঁকে সব সময় পাওয়া যেত। প্রথম প্রথম যেসব বাঙালি এ দেশে বসতি গড়ার চেষ্টা করেন, তাঁদের অনেকেই বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন। কেউ অনেক পথ ঘুরে অবশেষে হাজির হয়েছে মহানগর নিউইয়র্কে। বেঙ্গলি হার্লেম বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে হার্লেমের বাঙালিরা। প্রথম আলোর পৃষ্ঠা থেকে মানুষের ছবি দেয়া গেল না।
২০১৩ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলোর অন্য আলো ঃ দেড় শ বছর আগে বাঙালির অস্ট্রেলিয়া অভিযান। কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ওই জাহাজগুলোতে বিপুলসংখ্যক বাঙালি নাবিক যোগ দেন। সেই ১৮৬০ সাল থেকেই শুরু হয় বাঙালিদের অস্ট্রেলিয়া অভিবাসন। ১৯০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর, আজাদ উল্লাহ নামের এক বাঙালি নাবিক তাঁর সহকর্মী আবদুল্লাহর হামলায় মারা যাওয়ার ঘটনাও ওই সময়টার অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ বিভাগের নথিতে পকওয়া গেছে। ১৮৮২ সালে মেলবোর্নের রাস্তায় দরবেশ নামের একজন খুদে ব্যবসায়ী সম্পর্কেও তথ্য রয়েছে সেখানকার সিটি করপোরেশনের নথিতে। ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ কলোনি পোর্ট হের্টল্যান্ডে আবদুল আজিজ নামের একজন বাঙালি পাচকেরও খোঁজ পান সামিয়া খাতুন। খাজা মোহাম্মদ বক্সের জবানীতে পাওয়া যায়, ১৯০৪ থেকে ১৯০৫ সালের মধ্যে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানকারী ৩০ জন বাঙালি কাপড় ব্যবসায়ীর দেখা পেয়েছেন, যাঁরা জাহাজ থেকে লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাঁরা পার্থ শহরের একটি ভবনকে মসজিদ হিসেবেও ব্যবহার করতেন। ৩১ বছর বয়সে পিএইচডি ডিগ্রি পাওয়া সামিয়া খাতুন অকপটে বলেন, ‘এতদিন আমরা কোন কোন দেশের লোকেরা বাংলা অঞ্চলে এসেছিল, সেই ইতিহাস জানতাম। এখন আমরা খবর পাচ্ছি দক্ষিণ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অনেক দূরদূরান্তের দেশে বাঙালিরা দেড়-দুই শ বছর আগে থেকেই নিয়মিতভাবে যাতায়াত করত। সেই ইতিহাস ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে। বাঙালির সেই স্বর্ণময় ইতিহাসের পুরো দিক উন্মোচন করাই আমার আগমী দিনের কাজ হবে।’
২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংসদে ৩০ হাজার প্রশ্নের জবাব।
২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং শুরু হয়েছে। এখন মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক এক কোটি দুই লাখ ৩৫ হাজার জন, গত এপ্রিল মাসে যা ছিল ৫০ লাখ। ২৮টি ব্যাংককে এ সেবা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১৯টি ব্যাংক কাজ শুরু করেছে।
২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিয়ানীবাজারে শিক্ষামন্ত্রী-মন্ত্রী হয়ে বুঝেছি দুর্নীতি বন্ধ করা কত কঠিন কাজ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিএনপি সরকারের আমলে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে ৩৯ ভাগ নুর্নীতি ছিল। আমরা সেই দুর্নীতি কমিয়ে ১২ ভাগে এনেছি। তবে শূন্য ভাগে আনতে পারিনি।
২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রীর আহবান মানলেন মালিকেরা-পোশাকশ্রমিকেরা ৫,৩০০/- টাকাই মুজরি পাচ্ছেন।
২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ পটুয়াখালীতে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হচ্ছে ‘পায়রা’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন।
২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৪২ সাধারণ বিমা, ১৭টি জীবন বিমা, একটি বিদেশী জীবন বিমা নিয়ে বর্তমান বিমা খাত। ২০১৩ জুলাইয়ে প্রথম দফায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মন্ত্রী, সাংসদ ও নেতাকে ১১টি বিমা কোম্পানীর লাইসেন্স দেওয়া হয়। দু’দফায় দেয়া হয়েছিল-১৬টি মানে ১১+৫=মোট ১৬টি। আরো ৫টি বিমা কোম্পানির লাইসেন্স দেয়া হলো। এখন ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর, ৮১টি বিমা কোম্পানি আছে বাংলাদেশে।
২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিশ্বে কার্বন দূষণের জন্য ৯০ কোম্পানি দায়ী-এর  ৪০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের।
২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ গত বছর ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সংঘাতে নিহত ৫০৭ জন। চরম উদ্বেগের বছর ২০১৩।
২০১৪ সালের ৬ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১২ বছর ৪ মাসে সারাদেশে অপহরণের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। এর মেধ্য সবচেয়ে বেশি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ২০০২ সালে ১ হাজার ৪০টি। সবচেয়ে কম ২০০৬ সালে ৭০০শ ২২টি। অপহরণের দিক থেকে সবচেয়ে বিপদজ্জনক ঢাকা শহর। এই মহানগরে অপহরণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। ২০১৩ সালে দেশে অপহরণের মধ্যে ১৬৫টি রাজধানীতে।
২০১৪ সালের ১৯ মে, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকা ঃ ৬০০ কোটি ডলার প্রতিশ্রæতি আদায়ের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে-২.৮ বিলিয়ন ডলার, জাপান দিচ্ছে-১.২ বিলিয়ন ও এডিবি-১.৫ বিলিয়ন ডলার।
২০১৪ সালের ২৮ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশে বছরে ২২ লাখ নারী সন্তান সম্ভবা হন-আজ বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস।
২০১৪ সালের ৬ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বানিজ্য ১ লক্ষ কোটি টাকা। বাংলাদেশে উৎসবকেন্দ্রিক অর্থনীতি এখন দৃঢ়। এবার ঈদে বাণিজ্য হবে ৫০ হাজার কোটি টাকা। কোরবানীর ঈদে বাণিজ্য হবে ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং পয়লা বৈশাখে বাণিজ্য হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
২০১৪ সালের ৭ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশে জেলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৩ লাখ। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে জেলে আছে ৮ লাখ এবং সামুদ্রিক জেলের সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার।
২০১৪ সালের ৯ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ : বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৩শ ২ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে-১৯ হাজার ৪শ ৬৭ বর্গ কিলোমিটার। এ রায়ের পর এরমধ্যে গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর ওপর বাংলাদেশের অধিকার নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকল না। হাঁড়িভাঙ্গা নদীর মোহনা মূল সীমানা চূড়ান্ত হয়েছে। তালপট্টির বর্তমানে কোন অস্তিত্ব নেই, তবে সাগরের ওই স্থানটি পেয়েছে ভারত।
২০১৪ সালের ৯ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ : বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলের আয়তন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮০০শ ১৩ বর্গকিলোমিটার আর দেশের ভূভাগের আয়তন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০শ ৭০ বর্গকিলোমিটার।
২০১৪ সালের ১৪ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ : সম্পদের ওপর মালিকানা নেই বাংলাদেশের ৭০ ভাগ নারীর-গবেষণার তথ্য।
৪০১৪ সালের ২১ জুলাই, প্রথম আলো : মহাসড়ক যেন ছেঁড়া কাঁথা।
২০১৪ সালের ২১ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ : সরকারী কর্মচারী আইনের খসড়া চূড়ান্ত-লক্ষ দক্ষ প্রশাসন-চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল, প্রশাসন রাজনীতিমুক্ত করা, কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আসাসহ বিভিন্ন বিধান-পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির সুপারিশ-আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে না।
২০১৪ সালের ২৩ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ : ঈদে পরিবারপ্রতি খরচ বেড়েছে ৫ থেকে ২০ গুণ। শুধু ঈদ-উল-ফিতরে অর্থনৈতিক আকার দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে দেড় হাজার কোটি টাকা। ঈদে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যোগ দিচ্ছে ৫ কোটি পরিবার-হবে ৫ কোটি মানুষ। এবার খুচরা পর্যায়ে বিক্রি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ গুণ।
২০১৪ সালের ১ আগস্ট, প্রথম আলো : ২ বছরে বেড়েছে শিশু অপুষ্টি। দেশের পুষ্টি পরিস্থিতি। ২০১১ সালে তীব্র অপুষ্টির শিকার শিশু ছিল ১৬% আর ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮%। প্রাপ্তবয়স্ক একজনের পুষ্টির চাহিদা দৈনিক ২৪৩০ কিলোক্যালরি প্রয়োজন কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক একজন গ্রহণ করছেন গড়ে ২১৯০ ক্যালরি।
২০১৪ সালের ৩ আগস্ট, প্রথম আলো : প্রবাসী-আয় নিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সমীক্ষা। সংসার চালাতেই খরচ ৭৮%। ৭৮% শতাংশ প্রবাসীরই পরিবারের একমাত্র আয় রেমিট্যান্স। ২০১২ সালে দেশে আসা অর্থের পরিমাণ ৮৯,০০০/-হাজার কোটি টাকা। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করেন ৮৬ লাখ। প্রশিক্ষণছাড়াই বিদেশে যান জনশক্তির ৮৭.৬৪% শতাংশ।
২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : বুদ্ধিদীপ্ত চোখের একজন মানুষ ২২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো কার্যালয়ে এসেছিলেন। দেখা করতেই বললেন, ‘আমার মধ্যে কিছু প্রতিভা আছে। কী প্রতিভা? এরপর তার প্রতিভার কথা বললেন এবং নমুনাও দেখালেন। দেখালেন ১৬ সেকেন্ডে ৬৪ জেলার নাম বলতে পারে এবং ১ মিনিটে ২০০ দেশের নাম বলতে পারে। কুস্টিয়া সদর উপজেলার পন্মনগর গ্রামের কৃষক মোক্তার হোসেন ও আছিয়া খাতুনের চার ছেলেমেয়ের মধ্যে মো: রফিকুল ইসলাম সবার বড়।  এস.এস.সি. পরীক্ষার ফল বার হওয়ার পরের দিন থেকেই চাকরিতে ঢুকে গেলাম। কারণ, বাবার আর্থিক অবস্থা সচ্ছল ছিল না। বললেন রফিকুল। ৩২ বছরের জীবনে চাকরি করছেন ১৪ বছর ধরে। রফিকুল ইসলাম ২০০৭ সালে পাশের গ্রামের মোছা. বেবী নাজনীনকে বিয়ে করেছেন। তাঁদের একমাত্র ছেলের বয়স দেড় মাস। রফিকুল বললেন, ‘আমি নিজে লেখাপড়া বেশি করতে পারি নাই। তাই আমি চাই আমার স্ত্রী ও ছেলে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক। বেবী নাজনীন এরই মধ্যে ¯œাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন, একটা স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আর একই সঙ্গে এম.এ. শ্রেনীতে পড়ছেন।
২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর, প্রথম আলো : দায়মুক্তি পাচ্ছেন ক্ষমতাসীনেরা। ছাড় পাচ্ছেন না বিরোধী দলের রাজনীতিবিদেরা। ১,৫৯৮ জন দায়মুক্তি পান আট মাসে। আরো বলা হচ্ছে-দেশে এ বছর ১৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।
২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর, প্রথম আলো : আড়াই হাজার বছর পর লবণের ব্যবসা ছাড়ছে চীন সরকার। চীন হচ্ছে বিশ্বে ভোজ্য ও রাসায়নিক শিল্পে ব্যবহার্য লবণের বৃহত্তম ভোক্তা দেশ। ২০১২ সালের হিসেবমতে, প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের এই দেশ বিশ্বে লবণের মোট চাহিদার ২৫ শতাংশ ব্যবহার করে। লবণের বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৪৬ শতাংশ মিটিয়ে খাকে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। চীনে লবণ উৎপাদন হয়-সাত কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন, যুক্তরাষ্ট্রে-চার কোটি টন ও ভারতে-এক কোটি ৮০ লাখ টন। কোনো কোনো গবেষকের মতে, চীনে খ্রীষ্টপূর্ব ৭০০ সাল থেকেই লবণ নিয়ে চীনা সরকার একচেটিয়া ব্যবসা করে আসছে।
২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর, প্রথম আলো : বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান হারাবে সুন্দরবন। উউনেসকোর হুঁশিয়ারি, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পশুর নৌপথ ও শিল্পকারখানা স্থাপন নিয়ে আপত্তি।
২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার খবর : বছরে ১২ লাখ নারীর বিয়ে।। ১২ শতাংশই বালিকা বধু।
২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : শিশু জিহাদ মারা যাওয়ার পর রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির যে অরক্ষিত পাইপটিতে পড়ে শিশু জিহাদ মারা গেছে, সেটির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৬-১২-২০১৪ তারিখ তিনটার পর শিশুটি পানির পাইপটিতে পড়ে যায় এবং মৃত্যুবরণ করে। পাইপের ব্যস ১৭ ইঞ্চি ও পাইপের গভীরতা ২৫৬ ফুট। পাইপটি অরক্ষিত অবস্থায় না রাখলে এ শিশুটির জীবন যেত না। এর জন্য দায়ী যারা পাইপটি অরক্ষিত রেখেছে। তাদের শাস্তি হওয়া উঁচিত।
২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : রাজনৈতিক সহিংসতায় ছয় বছরে ৯০৮ জন। ছয় বছরে ২৯ জন জনপ্রতিনিধি খুন, আওয়ামী লীগের ১৮ জন। ২০১৩ সালে ৫০৭ খুন। ৬ বছরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগীদের হাতেই নিজেদের ১৭২ কর্মী খুন। দল বাঁচাতে পারেনি ২৪৬ জনকে। ছয় বছরে অভ্যন্তরীণ কোন্দল-বিএনপির ৩৪ খুন।
২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো : বিশ্বসেরা ১০০ গবেষণা সংস্থার তালিকায় বিআইডিএস। বিশ্বের আট হাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিআইডিএস-এর অবস্থান ৯৭তম।
২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো : হরতাল-অবরোধে প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতি ২,২৭৮ কোটি টাকা।
২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো : ঢাকার ৫৫ শতাংশ পথখাবারে জীবাণু। আইডিডিআরবির গবেষণা বলছে, বিক্রেতাদের সচেতন করে খাবার নিরাপদ করা সম্ভব।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো : ২০১৮ সালে দেশে দারিদ্র থাকবে না : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব-সম্পর্কিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। আমি মো: জাকির হুসেন(আলমগীর) বলি যে, আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আয়ের আরো বৈষম্য বাড়বে এবং দারিদ্র দূর হবেনা।
২০১৫ সালের ২ এপ্রিল, প্রথম আলো : ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অবরোধ ও হরতালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১ জন।
২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো : পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ। ৪৪টি দেশে গত বছর ওই জরিপ চালানো হয়। বাংলাদেশে ৩৯ শতাংশ পরিবারে সাইকেল আছে। বাংলাদেশে ৩(তিন) কোটি পরিবার বাস করে। সাইকেল আছে-১,১৭,০০,০০০(এক কোটি সতের লক্ষ) পরিবারের। আর মোটরসাইকেল আছে-১৮ শতাংশ পরিবারের মানে-৫৪,০০,০০০(চুয়ান্ন লক্ষ) ও মোটরগাড়ি আছে-২ শতাংশ পরিবারের মানে-৬,০০,০০০(ছয় লক্ষ)। ভারতে ৬২ শতাংশ পরিবার সাইকেল চালায় এবং পাকিস্তান বাইকেল চালায় ৩৬ শতাংশ। ভারতে গাড়ি-৬ শতাংশ, পাকিস্তানে গাড়ি-৩ শতাংশ। ভারতে-৪৭ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৪৩ শতাংশ মোটরসাইকেল। জরিপের সময় প্রিন্সটন সার্ভে রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশনা অনুযায়ী : বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। সবচেয়ে এগিয়ে আছে যেসব দেশগুলো মোটরগাড়ি ব্যবহার করে-ইতালি-৮৯ শতাংশ পরিবার, যুক্তরাষ্ট্র-৮৮%, জার্মানি-৮৫%, ফ্রান্স-৮৩%, দক্ষিণ কোরিয়া-৮৩%, মালয়েশিয়া-৮২% এবং জাপান-৮১%। ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশগুলো হলো-থাইল্যান্ড-৮৭%, ভিয়েতনাম-৮৬%, ইন্দোনেশিয়া-৮৫%, মালয়েশিয়া-৮৩%, চীন-৬০%, নাইজেরিয়া-৩৫%। এ তালিকায় বাংলাদেশ ১৮তম। আর সাইকেল ব্যবহারকারী দেশ হচ্ছে-জার্মানি-৮০%, জাপান-৭৮%, থাইল্যান্ড-৭৪%, পোলান্ড-৭০%, চিলি ও ভিয়েতনাম-৬৭%, চীন ও ইন্দোনেশিয়া-৬৫%, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া-৬৩%, ফ্রন্স-৫৯%। এ তালিকায় বাংলাদেশ ২৬তম।
২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল, প্রথম আলো : দেশে ৩০(ত্রিশ) লক্ষ মামলা আছে। বিচারব্যবস্থার সংস্কার ও আইন সহায়তা বৃদ্ধির সুপারিশ। অ্যাকসেস টু জাস্টিস : জুডিশিয়াল রিমিডি শীর্ষক সেমিনার। দীর্ঘকাল ধরে মামলা চলাও বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে একধরণের বঞ্চনা-সুরেন্দ্র কুমার সিনহা-প্রধান বিচারপতি।
২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলো : প্রাক-বাজেট আলোচনা-২০১৫-২০১৬। সম্পদ কর চালু করা হবে। বাংলাদেশে আর কোনো নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে না। আগামী বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাত অগ্রাধিকার পাবে। ২০১৮ সালে বাজেট হবে পাঁচ লাখ কোটি টাকার বেশি। ইআরএফের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী-আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১৫ সালের ৪ মে, প্রথম আলো : বাম্পার ফলন ফলিয়ে আবারও বিপদে কৃষক। বাজার সয়লাব শূন্য শুল্কে আমদানি করা ভারতীয় চালে, অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে বাজারে ধানের দাম কমে গেছে, উৎপাদনমূল্য পাবেন না কৃষকেরা। সারা দেশের ১৮ হাজার চালকলের মধ্যে ১৫ হাজারই এখন বন্ধ হয়েছে।
২০১৫ সালের ১০ মে, প্রথম আলো : বার কাউন্সিল নির্বাচন-২০ মে। ভোটারসংখ্যা-৪৮,৪৬৫ জন। দেশে বর্তমানে-৮১টি জেলা বার আছে এবং সারাদেশে ৭৭টি ভোটকেন্দ্র আছে।
২০১৫ সালের ১৭ মে, প্রথম আলো : বার ও বেঞ্চের ভূমিকা নিয়ে সেমিনার : আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নিয়ে সংশয়। নি¤œ আদালত থেকে সূপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ মামলা বিচারাধীন। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এত মামলা অনিস্পন্ন রেখে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় না। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৫ সালের ১৭ মে, প্রথম আলো : বড়কর্তাদের দুর্নীতি। ৫ টাকার কলম ৫০ টাকা, ২৫০ টাকার ব্যাগ ৯৫০ টাকা। অস্তিত্বহীন দোকানের নামে ভূয়া রসিদ। একটি বাড়ি একটি খামার।
২০১৫ সালের ১৯ মে, প্রথম আলো : ৪২ বছর কোমায় থাকার পর চলে গেলেন অরুণা। মুম্বাইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল  কেইএম) হাসপাতালের সেবিকা অরুণা ১৯৭৩ সালে ওই হাসপাতালেরই এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী সোহানলাল ভর্তা বাল্মীকির ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের পর কুকুর বেঁধে রাখার শিকল দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করা হয়। এর ফলে অরুণার মস্তিস্কে অক্সিজেন প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। চলে যায় দৃষ্টিশক্তিও। সম্পূর্ণ কমায় চলে যায় অরুণা। তাঁকে উদ্ধার করে কেইএম হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। এরপর সেই হাসপাতালেরই ৪ নম্বার কক্ষটি অরুণার ঠিকানা ছিল। তবে রোববার চিকিৎস কেরা বলেছিল অরুণার অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং গতকাল সোমবারই ৪৪ বছর কোমায় থাকার পর ১৮-০৫-২০১৫ তারিখ সকাল সাড়ে আটটায় মৃত ঘোষণা করে।
২০১৫ সালের ১৯ মে, প্রথম আলো : পদ্মা সেতু প্রকল্প-কাজ হয়েছে ১৮% ব্যয় বাড়ছে ৮ হাজার কোটি ৩০০ টাকা। এখন এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮,৭৯৩ কোটি টাকা।
২০১৫ সালের ২২ মে, প্রথম আলো : ধান আছে, কৃষকের মুখে হাসি নেই-প্রাচুর্যের বিড়ম্বনা নিয়ে আমরা সাময়িক অসুবিধায় আছি-মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী।
২০১৫ সালের ২৩ মে, প্রথম আলো : সমুদ্র পথে মানব পাচার : থাইল্যান্ডের বন্দিশালায় ১৫ জেলার মানুষ-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও কুষ্টিয়া-দেশান্তরি করছে অভাব।
২০১৫ সালের ১১ জুন, দৈনিক জনকন্ঠ : বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে ১৩ লাখ শিশু। প্রতিরোধে প্রধান বাধা দারিদ্র্য। বিশ্বে প্রতি ছয়জন একজন শিশুশ্রমে নিযুক্ত। দেশে প্রতিরোধী আইন আছে প্রয়োগ নেই। বাংলাদেশে ৩২ লাখ শিশু শ্রমিক আছে।
২০১৫ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো : গবাদিপশু পালনে অবদান ১০ হাজার কোটি টাকা। বিবিএসের জরিপ-(১) সারা দেশে গরু আছে-২,৮৫,৯৯,৭৯৯টি (২) সারা দেশে মহিষ আছে-৬,২৩,৩৮৩টি (৩) সারা দেশে ছাগল আছে-১,৯৪,৩৫,৬১৭টি ও (৪) সারা দেশে ভেড়া আছে-১৫,০৪,৮১১টি। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের হিসাবে।
২০১৫ সালের ১ জুলাই, প্রথম আলো : সরকারি দলের সাংসদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক জানান, বর্তমানে দেশে-(১) ২ কোটি ৩৪ হাজার গরু (২) ১৪ লাখ ৫৭ হাজার মহিষ (৩) ৩২ লাখ ভেড়া এবং (৪) ২ কোটি ৫৪ লাখ ছাগল রয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ছিল-৩৫ লাখ ৪৮ হাজার মেট্রিক টন। একই সময়ে মাছের চাহিদা ছিল-৩৮ লাখ ৭৮ হাজার টন।
২০১৫ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো : দেশে পাঁচ বছরে ইয়াবার ব্যবহার বেড়েছে ৭ গুণ। আটকের পরিমাণ বেড়েছে ৫০ গুণ।
২০১৫ সালের ২৯ জুন, প্রথম আলো : মজুত গ্যাস ১৬ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এ হার অব্যহত থাকলে মজুত গ্যাস ২০৩১ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
২০১৫ সালের ২৯ জুন, প্রথম আলো : সংবাদ বিশ্লেষণ: খেলাপি ঋণ দ্বিগুণ করার অন্য রকম এক ‘সাফল্য’। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন দেশে মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। আর ছয় বছর পরে সেই খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৪ হাজার ৬৫৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ব্যাংকে টাকা রাখলে ছয় বছরে দ্বিগুণ হয়, এটা সবার জানা। কিন্তু খেলাপি ঋণও যে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়, সে কথা আর কতজন জানেন।
২০১৫ সালের ২ জুলাই, প্রথম আলো : এলাকাভেদে বাড়িভাড়া ঠিক করবে কমিশন। ছয় মাসের  মধ্যে কমিশন গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের। স্বাগত জানালেন আন্দোলনকারীরা।
২০১৫ সালের ৬ জুলাই, প্রথম আলো :বিবিএসের জরিপ-দুই-তৃতীয়াংশ শিশুকে মারধর করেন মা-বাবা। ৭৪.৪% শিশুকে মানসিক চাপ দিয়ে শৃঙ্খলা শেখানো হয়। প্রতি তিজন মায়ের মধ্যে একজন বিশ্বাস করেন, নিয়মকানুন শেখাতে সন্তানদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।
২০১৫ সালের ১০ জুলাই, প্রথম আলো : যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদন : বাংলাদেশে ব্যবসার বড় সমস্যা ঘুষ, দুর্নীতি ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি।
২০১৫ সালের ১১ জুলাই, প্রথম আলো : বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-১১ জুলাই, ২০১৫ তারিখ। আর বাংলাদেশে জনসংখ্যা নিবন্ধন শুরুই হয়নি। ২০১১ সালে জনসংখ্যা নিবন্ধন করার কথা ছিল, এখনও কাজ শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ-কিন্তু পাশের দেশ ভারত এ কাজ শেষ করেছে। এ হল আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমাদের কথায় ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’’ আমাদের কাজে নয়।
২০১৫ সালের ১১ জুলাই, প্রথম আলো : অব্যবস্থাপনায় প্রাণ গেল ২৭ জনের। ময়মনসিংহে জাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদপিষ্ট অসংখ্য মানুষ, ছিল না নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা।
২০১৫ সালের ২১ জুলাই, প্রথম আলো : যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানী জাহিদ হাসান। আইনজীবি রহমত আলী ও গৃহিণী নাদিরা বেগমের ছেলে জাহিদ হাসান। ১৯২৪ সালে বোসন কণার অস্তিত্বের কথা ৯১ বছর আগে জানিয়েছিলেন সত্যেন বসু। এখন পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে যুক্ত হলেন আরেক বাঙালি জাহিদ হাসান। ১৯২৯ সালে হারম্যান ভাইল এই কণার অস্তিত্বের কথা প্রথম জানিয়েছিলেন। জাহিদ হাসান জানালেন,মোট তিন ধরণের ফার্মিয়নের মধ্যে ডরাক ও মারোয়ানা নামের বাকি দুই উপদলের ফার্মিয়ন বেশ আগেই আবিস্কৃত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা ভেবেছেন, নিউট্টিনোই সম্ভবত ভাইল ফার্মিয়ন। কিন্তু ১৯৯৮ সালে নিউট্টিনোর ভরের ব্যাপারটা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে আবার ভাইল ফার্মিয়নের খোঁজ শুরু হয় এবং ৮৫ বছর পর অধরা কণার খোঁজ। ভাইল ফার্মিয়নের সন্ধান পেলেন জাহিদ হাসান।
২০১৫ সালের ২১ জুলাই, প্রথম আলো : পাহাড়ধস ঠেকাতে নেই স্থায়ী উদ্যোগ। ৯ বছরে ১৯২ জন নিহত।
২০১৫ সালের ২১ জুলাই, প্রথম আলো : ৬ বছরে দেশের ৫৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে বিশ্বের ১ কোটি ৯৩ লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৪ জুলাই, প্রথম আলো : ধান সংগ্রহে জালিয়াতি। ৮৩ লাখ টাকায় ৩৭৮ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ। প্রায় সব ধান সরবরাহ করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। মৃত কৃষকের নামেও ধান গেছে গুদামে। প্রায় ৪০ লাখ টাকা পকেটে পুরেছেন নেতারা।
২০১৫ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো : মোবাইল ব্যাংকিং-নিয়ম না মানায় উদ্বিগ্ন পুলিশ। গ্রাহক ২ কোটি ৮৬ লাখ। এজেন্ট ৫ লাখ ৩৮ হাজার। প্রতিদিন লেনদেন ৪২০ থেকে ৪৩২ কোটি টাকা। এজেন্ট সরাসরি টাকা পাঠাতে পারেন না। এক মাসেই বিকাশের ৯ হাজার এজেন্সি বাতিল।
২০১৫ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো : বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক, বড় বাধা দুর্নীতি। যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিবেদন।
২০১৫ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো : গাছের অবদান ১২,৩৯০ কোটি টাকা। বিবিএসের সমীক্ষা-২১ লাখ পরিবার গাছ লাগায়। বাঁশ উৎপাদন হয়-২,৩০৭ কোটি টাকার। ৪,৬৫০ কোটি টাকার লাকড়ি উৎপাদন হয়। কাঠ পাওয়া যায়-৬,৪০৭ কোটি টাকার। ৪১৫ কোটি টাকার মজুরি ও বেতন দিতে হয় প্রতিবছর গড়ে।
২০১৫ সালের ২৮ জুলাই, প্রথম আলো : ভোক্তারা মামলা করতে পারবেন।
২০১৫ সালের ২৮ জুলাই, প্রথম আলো : ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য। চলতি অর্থ বছরের জন্য কৃষিঋণ নীতিমালা ঘোষণা।
২০১৫ সালের ২৮ জুলাই, প্রথম আলো : দূষিত রক্তের ৮৯ শতাংশে হেপাটাইটিসের জীবাণু।
২০১৫ সালের ২৮ জুলাই, প্রথম আলো : ঢাকায় বস্তিুবাসীর জন্য পানি ও পয়োনিস্কাশন বড় চ্যালেঞ্জ।
২০১৫ সালের ২৮ জুলাই, প্রথম আলো : সড়ক নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে। ছয় মাসে যথাযথ পরীক্ষা ছাড়া ৩২ হাজার পেশাদার চালকের লাইসেন্স নবায়ন। শাহজাহান খানের ফেডারেশনের তালিকা ধরে ১৯৯০ সাল থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার লাইসেন্স প্রদান।
২০১৫ সালের ২৮ জুলাই, প্রথম আলো : বাঘ গণনা জরিপ-২০১৫। সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা মাত্র-১০৬। আগের জরিপে বাঘের সংখ্যা-২০০৪ সালে-৪৪০টি। ২০০৬ সালে-২০০টি এবং ২০১০ সালে ছিল-৪০০-৪৫০টি।
২০১৫ সালের ২৮ জুলাই, প্রথম আলো : প্রথম আলো কার্যালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত-প্রতিবেশীকে নিয়ে বিকাশের নীতিতে বিশ্বাসী চীন।
২০১৫ সালের ২৯ জুলাই, প্রথম আলো : মালয়েশিয়ার বন্দিশিবির ও জেলে ৩ হাজার বাংলাদেশি।
২০১৫ সালের ১ আগস্ট, প্রথম আলো : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কুকুর ও বিড়ালের জন্য বছরে বাংলাদেশের দেড়গুণ বাজেট।
২০১৫ সালের ৩ আগষ্ট, ডিসকভারী চ্যানেলে বলেছে-বিশ্বে বর্তমানে ৪০(চল্লিশ) কোটি মানুষ ডায়াবেটিক রোগে ভুগছে।
২০১৫ সালের ৭ আগস্ট, প্রথম আলো : সাড়ে তিন বছরে ৯৬৮ জন শিশু হত্যা। শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য। শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা। ২০১২ সালে-২০৯ জন, ২০১৩ সালে-২১৮ জন, ২০১৪ সালে-৩৫০ জন ও ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত-১৯১ জন শিশু হত্যা করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ৭ আগস্ট, প্রথম আলো : সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করছেন মন্ত্রী-সাংসদ-প্রশাসন। সংবাদ সম্মেলনে হিন্দুৃ বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অভিযান।-বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন রানা দাশগুপ্ত। পাশে ঐক্য পরিষদের অন্য নেতারা।
২০১৫ সালের ৮ আগস্ট, প্রথম আলো : একের পর এক বøগার হত্যা। ৭ আগস্ট, ২০১৫ নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়-চার তরুণ ঘরে ঢুকেই কোপাতে শুরু করে। গণমাধ্যমে পাঠানো ই-মেইল বার্তায় হত্যার দায় স্বীকার আনসার আল ইসলাম নামের এক সংগঠনের। ১২ মে, ২০১৫ সালে-অনন্ত বিজয় দাশ। ৩০ মার্চ, ২০১৫ সালে-ওয়াশিকুর রহমান। ২৬ ফেব্রæয়ারি, ২০১৫ সালে-অভিজিৎ রায়। ১৫ ফেব্রæয়ারি, ২০১৩ সালে-রাজীব হায়দার।
২০১৫ সালের ৯ আগস্ট, প্রথম আলো : সেবা নিতে আসা ৮০% শিশুই ছিল ধর্ষণের শিকার।
২০১৫ সালের ২৬ আগস্ট, প্রথম আলো : প্রতিদিন ৫৫ লাখ পাঠক। বিশ্বজুড়ে পড়ছেন প্রথম আলো। দেশে ছাপা কাগজ পড়ছেন ৪৩ লাখ। ডিজিটাল মিডিয়াতে পড়ছেন ১২ লাখ। বিশ্বজুড়ে বাংলা, বিশ্বজুড়ে প্রথম আলো।
২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট, প্রথম আলো : আধুনিক গণপরিবহন ছাড়া যাত্রী দুর্ভোগ নিরসন অসম্ভব-গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, যোগাযোগমন্ত্রী সব সময় দৌড়ঝাঁপ করেন। কিন্তু কোনদিন তাঁর মুখে রাজধানীর গণপরিবহনব্যবস্থা নিয়ে কিছু শোনা যায় না। আমার ধারাণামতে এখানে যোগ করছি যে-প্রাইভেট গাড়ী বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা গেলে বা আমাদের দেশের রাস্তাগুলো তিনতলা করতে পারলে যানজটমুক্ত হবে নতুবা হবে না।
২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট, প্রথম আলো : বাংলাদেশে আইনজীবীর সংখ্যা-৪৩,৩০২ জন। তাঁরা ৭৭টি কেন্দ্রে বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোট দেয়।
২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : উন্নয়নের চাপে খাল সব নালা। চার বছরে ৭০ কোটি টাকা খরচ, জলাবদ্ধতা বেড়েছে। জিরানী ও বাসাবো খালের প্রস্থ বড়জোর ৬ থেকে ৭ মিটারে নামিয়ে আনা হয়েছে। হওয়ার কথা অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিটার। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান-বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সভায় ‘‘ময়মনসিংহ’’কে অষ্টম নতুন বিভাগ করা হয়েছে। চারটি জেলা নিয়ে-ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনার মানুষ খুশি। এ বিভাগের আয়তন-১০ হাজার ৫৮৪ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে লোকসংখ্যা হবে প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার।
২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : বাংলাদেশে ২২% শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মায়। বৈশ্বিক পুষ্টি প্রতিবেদন-২০১৫।
২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : অফিশিয়াল পাসপোর্ট ৬ মাসে ৫ শতাংশ পাসপোর্ট জাল। ১০৮টি মামলার প্রস্তুতি পাসপোর্টধারীরাই আসামি হবেন।
২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : টিআইএন থাকলেই রিটার্ন জমা দিতে হবে না।  গত করবর্ষ ২০১৪-২০১৫ থেকে টিআইএন থাকলে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কর দাতার বাসায় একটি ল্যান্ড ফোন থাকলে, ১ হাজার ৬০০ বর্গফুটের বেশি আয়তনবিশিষ্ট বহুতল ভবন থাকলে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচনের প্রার্থী হলে আয়কর বিবরণী জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এ বাধ্যবাধকতাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনার আয় করমুক্ত আয়সীমার নিচেই রয়েছে-তাহলে রিটার্ন জমা দিতে হবে না।
২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কোন ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে গুলি করা হয়েছে, তা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : সেমিনারে গবেষক জয়া চ্যাটার্জি-দেশভাগ থামিয়ে দেয় বাংলার মানুষের গতি। জয় চ্যাটার্জি ভারত বিভাগকে দেখেছেন খানিকটা ভিন্ন দৃষ্টিতে। এর কিছুটা পরিচয় পাই তাঁর বিখ্যাত বই বেঙ্গল ডিভাইডেড-এ। সহযাত্রী ইতিহাসকারেরা যখন বাংলা ভাগের জন্য মুসলমানদের দায়ী করেছেন, তখন জয়া চ্যাটার্জী তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, দায়টা বেশি ছিল বাঙালি হিন্দু মধ্যবিত্তেরই। জয়া চ্যাটার্জি বলতে চেয়েছেন, যাঁরা অনিচ্ছা সত্তেও জন্মভুমি বা আশ্রিত ভুমিতে থেকে গেছেন তাঁরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। দেশ বিভাগ তাঁদের জন্য কোনো সুসংবাদ বয়ে আনেনি বরং জীবনকে ঠেলে দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা ও দারিদ্র্যের মধ্যে। গত মঙ্গলবার জয়া ঢাকায় এসেছেন। শিলিগুড়ির মেয়ে জয়া চ্যাটার্জি ইতিহাস নিয়ে পড়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে অক্সফোর্ডে পিএইচডি। এরপর কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে অধ্যাপনা ও অব্যাহত গবেষণা। তিনি মনে করেন, ভালো শিক্ষকেরাই ভালো গবেষক হন না। ভালো গবেষক হতে হলে একটু ক্যাপাটে হতে হয়। জয়ার গবেষণা দেখলে তেমনই মনে হয়। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র দক্ষিণ এশিয়া থেকে বিশ্ব ইতিহাস। পনেরো শতকের ইউরোপ থেকে বর্তমান দক্ষিণ এশিয়া।
২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : সরকারি চাকরির আবেদনে সত্যায়ন থাকছে না। ‘শ্রেণি” না থাকায় সত্যায়ন করবেন কে?
২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন-ঢাকা বিশ্বের ২৯টি মেগাসিটির মধ্যে একটি। বিশ্ববিদ্যালয় মজুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ২০৪৬ সালে দেশের নগর ও গ্রামীণ এলাকার জনসংখ্যা প্রায় কাছাকাছি হয়ে যাবে। শহরে ১২ কোটি আর গ্রামে ১২ কোটি।
২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি পেলেন সেই জাকারিয়া। জাকারিয়া হোসাইন নীলফামারীর বাসিন্দা। ২০০৭ সালে হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি হারানোয় তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি। দৃষ্টিশক্তি ফিরে না পেলেও জাকারিয়া আবার হাতে তুলে নেন বই-খাতা। ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখাপড়া শুরু হয় তার।
২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় বাংলাদেশ ৩০তম।
২০১৫ সালের ১ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশ থেকে কেন টাকা পাচার হয়। প্রধান ছয়টি কারণ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা, দুর্নীতি, বিনিয়োগের সুযোগ কম, কালো টাকা ও কর এড়ানো।
২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর, প্রথম আলো : বিশ্ব বসতি দিবসের আলোচনা সভায় অভিযোগ। ঢাকার খোলা জায়গা দখল করছে সরকারি প্রতিষ্ঠানও। একটি শহরের অন্তত ২৫ শতাংশ খোলামেলা এলাকা থাকা প্রয়োজন, সেখানে ঢাকায় জায়গা আছে মাত্র সাড়ে ৮ শতাংশ।
২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর, প্রথম আলো : ঢাকায় নিবন্ধিত রিকশা ৮০ হাজার! আর বর্তমানে রিকশা চলে ১০ লাখেরও বেশি-বলেছে মেয়র আনিসুল হক। আমার মনে হয় চার থেকে সাড়ে চার লাখ রিকশা হতে পারে।
২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর, প্রথম আলো : জাপানি নাগরিক কুনিওর লক্ষ্য ছিল কীটনাশক ছাড়াই ধান ও আলুর চাষ। কুনিও মূলত কৃষি বিশেষজ্ঞ। তিনি কীভাবে কীটনাশক ছাড়া ফসল উৎপাদন ও ফলন বাড়ানো যায়-এ নিয়ে কাজ করতেন। রংপুরে গিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে পশুখাদ্য চাষ শুরু করেন।
২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো : গত ২৬ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখ মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ফরিদপুর ও কুমিল্লা বিভাগ গঠনের লক্ষ্যে একটি সিদ্ধান্ত হয়। সুপারিশ পেশ করে ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। কুমিল্লা বিভাগ গঠনের প্রশাসনিক কাজ শুরু এবং দপ্তরের জন্য দুটি স্থানের প্রস্তাব।
২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর, প্রথম আলোর ছুটিরদিনে : চ্যাম্পিয়ন নাদিয়া-‘দ্যা গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ’। বিবিসি আয়োজিত রান্না-বিষয়ক প্রতিযোগিতার এই টিভি অনুষ্ঠান যুক্তরাজ্যের তুমুল জনপ্রিয়। ৭ অক্টোবর, চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠান দেখেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। আর এই অনুষ্ঠানে তৈরি হয় ইতিহাস। ব্রিটিশ বেক অফ শিরোপা জেতেন নাদিয়া হোসেইন। এই প্রথম বিজয়ী হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত কোনো প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতার ধারণপর্বে উপস্থিত থেকে চ্যাম্পিয়ন নাদিয়ার গল্প শোনাচ্ছেন উজ্জল দাশ।
২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ আইএলওর বিশ্ব যুব কর্মসংস্থান প্রবণতা ২০১৫ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের চিত্র। উচ্চশিক্ষিত তরুণ তরুণীদের-২৬.১% বেকার। যুবশক্তির-১১% বেকার। যুবসমাজই দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাবে, এমন ২৮ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ। ১৫-১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের ১৬.৭% ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। ৪৩% যুবক ও ৪১% যুবতী স্থায়ী কাজ করেন না। সারা বিশ্বে যুব বেকারের হার ১৩.১%।
২০১৫ সালের ৬, ১৪ ও ২২ অক্টোবর প্রথম আলো : এএফপির পরিসংখ্যান ঃ মিনায় পদপিষ্টে নিহত হাজির সংখ্যা-২১৩৯ জন। এর মধ্যে নিহত বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা বেড়ে-১৩০ জন।
২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ময়মনসিংহ শহরে ৫ লাখ মানুষের শহরে চলার জন্য নেই বাস সার্ভিস।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ দেশে মধ্যবিত্তের সামর্থ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য-বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত আছেন জনসংখ্যার ৭ শতাংশ বা ১ কোটি ২০ লাখ। প্রতিবছর যুক্ত হচ্ছে ২০ লাখ মানুষ। ৮১% মনে করেন পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উজ্জল। ভিয়েতনামে এমন মধ্যবিত্ত আছে ২১ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৮ শতাংশ ও থাইল্যান্ডে ৫৯ শতাংশ মানুষ। আয়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ভোক্তাশ্রেণিকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটি পরিবার, যাদের মাসিক আয় ১৫০ ডলার বা তার কম, তাদের বলা হয়েছে বটম অব দ্য পিরামিডঃ ১৫১ থেকে ২৫০ ডলার আয় করা পরিবারকে এ্যাসপিরেন্ট বা আগুয়ান শ্রেণি; ২৫০ থেকে ৪০০ ডলার আয় করা পরিবারকে বিকাশমান মধ্যবিত্ত; ৪০১ থেকে ৬৫০ ডলার আয়কারী পরিবারকে স্থিতিশীল আর ৬৫০ ডলারের বেশি আয় করা পরিবারকে সচ্ছল হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে। এ গবেষণার জন্য শেষের দু’টি শ্রেণিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এ দুটি শ্রেণির নিজেদের মৌলিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আরামদায়ক ও বিলাশী পণ্য কেনার সামর্থ্য আছে।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ অবসরসুবিধা পেতেই যত অসুবিধা। বেসরকারি শিক্ষকদের ৪৭ হাজার আবেদন পড়ে আছে। নিয়মানুযায়ী বয়স ৬০ বছর অথবা চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরে যান। তবে কেউ মারা গেলেও নির্ধারিত পরিমাণ টাকা পাবেন। আবার অন্তত ১০ বছর পূর্ণ করে স্বেচ্ছায় অবসরে র  গেলে জমা হওয়া শুধু ৪ শতাংশ চাঁদার টাকা সুদসহ পাবেন। ২০০২ সালে অবসরসুবিধা বোর্ড প্রতিষ্ঠা হলেও কার্যকর হয় ২০০৫ সালে।
২০১৫ সালের ১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে রেশম কারখানা ১৪টি।
২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃপ্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের গবেষণায় তথ্য-৭৩ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে।
২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে ১ কোটি ৬০ লাখ প্রতিবন্ধী অধিকারবঞ্চিত।
২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ২৬ কোটি দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে জাািতসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা(এসডিসি) অর্জণ সম্ভব নয়। ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালের সাংসদরা সম্মেলন করেন ঢাকাতে।
২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে ২ লাখ ৩৩ হাজার শরণার্থী আছে। বিদেশে ৩৯ হাজার বাংলাদেশি শরণার্থীর অবস্থায় আছে। ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদন।
২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বয়স আরও কমছে। প্রথমে ১৫ বছর, তারপর ১৩। এবার ১২ বছর ৪ মাস করার প্রস্তাব।
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরাও নতুন স্কেলে বেতন পাবেন। (১) প্রভাষক-২২,০০০ হাজার টাকার স্কেলে (নবম গ্রেড) (২) সহকারী অধ্যাপক-৩৫,৫০০ টাকার স্কেলে (৬ষ্ঠ গ্রেড) ও (৩) অধ্যক্ষ প্রায় ৫০,০০০ হাজার টাকা। বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের (১) সহকারী শিক্ষক-১৬,০০০ হাজার টাকা(১০ম গ্রেড) ও (২) জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক-২২,০০০ হাজার টাকা (নবম গ্রেড)।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ প্রবাসী-আয়ে দশম বাংলাদেশ।
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ চাঙা হচ্ছে গ্রামের অর্থনীতি। পল্লি এলাকায় কৃষি খাতের বাইরে ছোট-বড় প্রায় ৫৬ লাখ প্রতিষ্ঠানা দেশের মোট প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৭১ শতাংশ। এক দশকের ব্যবধানে গ্রামীন এলাকায় প্রায় ৩২ লাখ ৬৭ হাজার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। বিবিএসের শুমারি অনুযায়ী, স্থায়ী, অস্থায়ী ও খান বা পরিবারভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন প্রায়-৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টি। এর মধ্যে স্থায়ী ও অস্থায়ী যথাক্রমে ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৯১টি এবং ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০৩টি। এখন এ খাতে ২ কোটি ৪৫ লাখ জনবল রয়েছে। ২০০৩ সালে ছিল ১ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার ৪২২ জন। অর্থনৈতিক শুমারির ফলাফল-গ্রামে এখন ৫৬ লাখ অর্থনৈতিক ইউনিট রয়েছে। সারা দেশে আছে ৭৮ লাখের বেশি। গ্রামের ইউনিটগুলো ভবিষ্যতের অর্থনীতির ভিত গড়ে দিচ্ছে। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ-অর্থনীতিবিদ।
২০১৬ সালের ৯ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা-খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ দিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি দায়িত্বভার নেওয়ার পর ড. সাত্তারকে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে কতজন মারা গেছেন, মুক্তিযুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা নিরূপণে কমিটি করেছিলেন। এখনো ড. সাত্তারসহ তাঁর জুনিয়র আসাফুদ্দৌলা সাহেব জীবিত আছেন। উনি তো কমিটিতে ছিলেন, জানেনসেই কমিটিতে কী হয়েছে। ওনার এটা দায়িত্ব জানানোর।
মুক্তিযুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণে ওই সময় আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল  উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু তৎকালীন পুলিশের আইজিপি রহিমের সভাপতিত্বে ১০ জনের একটি কমিটি করেছিলেন সংখ্যাটা নিরূপণের জন্য। এটা সবাই ভুলে গেছেন।
২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বড়দের মতোই কাজ করে ৮৫ শতাংশ শিশু। বিবিএসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে এখন সাড়ে ৩৪ লাখ কর্মজীবী শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ লাখ ৪৮ হাজার পূর্ণকালীন কাজ করে। বাকি ৫ লাখ ২ হাজার খন্ডকালীন কাজ করে। এরা পড়াশুনার ফাঁকে কিংবা অবসর সময়ে দৈনিক কমপক্ষে ২ ঘন্টা কাজ করে।
২০১৬ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রাম চেম্বারের শতবর্ষ পূর্তিতে যুব সম্মেলন। মাহফুজ আনাম বলেন, ‘বিশ্বের প্রথম সিলিকন ভ্যালি হয়েছে আমেরিকায়। সবার ধারনা ছিল,
দ্বিতীয় সিলিকন ভ্যালিটি আমেরিকার মতো উন্নত কোনো দেশে হবে। কিন্তু দ্বিতীয় সিলিকন ভ্যালি হয়েছে ভারতে। তৃতীয় স্যালিকন ভ্যালি কেন চট্টগ্রামে তথা বাংলাদেশে হতে পারে না।
২০১৬ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ তিস্তার পানি কমছেই দিল্লির সাড়া নেই। জানুয়ারি মাসে প্রথম ১০দিন ২৩৮৪ কিউসেক। দ্বিতীয় ১০দিন ১৭৬০ কিউসেক। শেষ ১০দিন ১১৯০ কিউসেক। দেওয়ার কথা-৭০১০, ৬০১০ ও ৫৬৬৮ কিউসেক।
২০১৬ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদ ১১ হাজারের। সম্পদের মূল্যমান নির্ধারণ ক রার কোনো পদ্ধতি না থাকায় প্রকৃত সম্পদশালী চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। সৈয়দ আমিনুল করিম, সাবেক সদস্য, এনবিআর। আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরাই বেশি সম্পদশালী। এ তালিকায় মাত্র ৩০৬ জন বড় করদাতা।
২০১৬ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৪০ ভাগ মানুষ নিজ ভাষায় পড়ার সুযোগ পায় না। ইউনেসকোর প্রতিবেদন।
২০১৬ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সফল অস্ত্রোপচারে ভারমুক্ত হলো আবুলের ডান হাত। বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে হাত-পায়ে ‘শিকড়’।
২০১৬ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৩০০ জনের জন্য এক কেজি ডাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০১৬ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি। আসলে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান সমাজ সম্পর্কে সত্যিকারের ধারণা  গড়ে তোলার বদলে সহজে নিজেদের জন্য ভোট সংগ্রহকেই মূল উদ্দেশ্য তোলায় মুসলমান সমাজের কতিপয় নেতাকে তুষ্ট রাখার মধ্যেই রাজনৈতিক দল ও সরকার নিজেদের ইতিকর্তব্য শেষ করছে। ফলে সাচার কমিশনের প্রতিবেদনের ১০ বছর পরেও প্রতীচী ট্রাষ্ট্রের প্রতিবেদন দেখে অমর্ত্য সেনকে বলতে হচ্ছে, এ রাজ্যে মুসলমানরা অবহেলিতই রয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ মুসলমান।
২০১৬ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ একক কক্ষের ৬১% অছাত্রদের দখলে। অছাত্ররা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী, বন্ধু-স্বজন, চাকরিজীবী। এসএম হলের আবাসন পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।
২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ মার্সারের জরিপ প্রতিবেদন ঃ জীবনযাত্রার মানে ঢাকা বিশ্বে ২১৪তম।
২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ  ঢাকাতে ম্যানহোলের সংখ্যা-৪০,০০০ হাজার।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে হিজড়ার সংখ্যা-৯,৮৯২ জন।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে ২০৩০ সালের মধ্যে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ১০টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।
২০১৬ সালের ১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ গ্রাম এলাকায় ১৩ হাজার ছোট সেতু হবে।
২০১৬ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন ঃ পার্বত্য চট্টগ্রামের জঙ্গলে বাঘও থাকতে পারে। এলাকাবাসীর দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামের জঙ্গলে বাঘ ঘুরে বেড়ায়। তারা সেখানে আরও দেখেছে সূর্য ভালুক, বড় বড় বুনো ষাঁড়, বুনো কুকুর, আর বিশেষ রঙের চিতা।
২০১৬ সালের ১২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ টার্কি বড় আকারের গৃহপালিত পাখি। এদের উৎপত্তি উত্তর আমেরিকায়, কিন্তু ইউরোপসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে পালন করা হয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্যতালিকায় অন্যতম উৎপাদন। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে ওঠার ছয় মাসের মধ্যে টার্কি ডিম দেয়। ছয় মাসের মধ্যে টার্কির ওজন হয় পাঁচ থেকে ছয় কেজি। আর পুরুষগুলো প্রায় আট কেজি। আমেরিকায় টার্কির রোষ্ট অভিজাত খাবার। আমাদের দেশে মুরগির মাংসের মতো করেই টার্কি রান্না করা হয়। রোষ্ট ও কাবাব করা যায়। টার্কি চাষে সফল খামারি নওগাঁর খামারি জিল্লুর রহমান চৌধুরী দুই বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি চাষ শুরু করেছেন। জিল্লুর রহমানের বাড়ি নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার সালুকা গ্রামে।
২০১৬ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ এক বছরে নারী নির্যাতন বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। ২০১৪ সালে ছিল-২৮৭৩ জন নারীকে নির্যাতনের ঘটনা আর তা বেড়ে ২০১৫ সালে হয়েছে ৫০০৮ জন নারী।
২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ নতুন নেতৃত্বে নতুন নামে সক্রিয় আনসারুল্লাহ। আনসার আল ইসলাম নামে পেয়েছে আল-কায়েদায় স্বীকৃতি। সামরিক শাখার প্রধান পলাতক সাবেক সেনা কর্মকর্তা। গত বছরের ২৫-০৫-২০১৫ সাল থেকে আনসারুল্লাহকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার।
২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ জামদানি ফজলি আম নকশিকাঁথা তুমি কার? ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধন ভারতের নামে সবে টনক নড়েছে বাংলাদেশের। খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ বছর আগে প্রচীন ভারতীয় অর্থশাস্ত্রবিদ কৌটিল্য তাঁর অর্থশাস্ত্র বইতে ঢাকাই মসলিন ও জামদানির কথা উল্লেখ করেছেন। ১৪ শতকের মুসলিম পরিব্রাজকইবনে বতুতার লেখায়ও ঢাকার অদূরে সোনারগাঁয়ে জামদানি তৈরির কথা লিপিবদ্ধ আছে।
২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিনিয়োগ এখনো স্থবির বাড়ছে না কর্মসংস্থান। পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা নিয়ে বসে আছে ব্যাংক। জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কমেছে ব্যক্তি বিনিয়োগের হার। জমির প্রাপ্যতা সংকট, পরিবহন খাতে দুর্বলতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা-এ তিনটি কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ হচ্ছে না।-মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম-সাবেক তত্ত¡বধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৮টি মার্কেটের দোকান ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েশন দোকান মালিকেরা।
২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিশ্বে ১১৬ বছরে দুর্যোগে ক্ষতি ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। ১৯০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার প্রাকৃতিক দুর্যোগের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯০০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বন্যার কারণে। মোট ক্ষতির ৪০ শতাংশ হয়েছে বন্যার কারণে। ২৫ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে ভূমিকম্পের কারণে।
২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ সংক্ষেপ-নওগাঁয় চুনাপাথরের খনির সন্ধান। উত্তরের জেলা নওগাঁয় আনুমানিক ১০ হাজার কোটি টন মজুতসমৃদ্ধ অভানীয় বিশাল আকারের একটি চুনাপাথরের খনি আবিস্কার করেছে বাংলাদেশ ভূতাত্তি¡ক জরিপ অধিদপ্তর। ভূগর্ভের ২ হাজার ২১৪ ফুট নিচে এ খনিস্তরের শুরু। তারও প্রায় ১০০ ফুট নিচে এর শেষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জিএসবি এ আবিস্কারের নিশ্চিত খবর পায়। তবে এখন পর্যন্ত যে খবর অপ্রকাশিত তা হচ্ছে চুনাপাথরের ওই খনির নিচে একটি নতুন ভূ-কাঠামোয় কয়লা রয়েছে বলে ধারণা করছেন জিএসবির বিশেষজ্ঞরা। তাই সেখানে চুনাপাথরের স্তর ভেদ করে আরও গভীর কুপ খনন করে চলেছেন তাঁরা।
২০১৬ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ আমের রাজত্ব ২২ জেলায়। আম পাকে জৈষ্ঠ মাসে। ২০০৫ সালেও বাংলাদেশে মাত্র আড়াই লাখ টন আম উৎপাদন করে বিশ্বের ১৪তম উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। বছরে সাড়ে ১১ লাখ টন আম উৎপাদন করে সপ্তম স্থানে থাকা ব্রাজিলকে ছুঁই-ছুঁই করছে এখন বাংলাদেশ-২০১৬ সালে। গত ১০ বছরে দেশে আমের উৎপাদন চার গুণ বেড়ে হয়েছে ১০ লাখ টন। বাংলাদেশ বছর খানেক যাবত ৮২১ টন আম মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করেছে। এখন বাংলাদেশ ৮ম স্থানে আছে।
২০১৬ সালের ১৪ মে, প্রথম আলো ঃ গত দুই দিনে(১২ থেকে ১৪ মে) দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ৬২ জনের মৃত্যু। এত প্রাণহানি কেন।
২০১৬ সালের ১৯ মে, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে মানসম্মত মিডওয়াইফারি সেবা-স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন-৩৭% আর এখনো বাড়িতে সন্তান প্রসব করেন-৬৩%।
২০১৬ সালের ১৯ মে, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে বছরে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টেলিভিশন বিক্রি হয়।
২০১৬ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ (১) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয় কবে-২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর। (২) সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি পাস হয়-সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে। (৩) আমেরিকান ফিমেল নভোলিষ্ট পিয়াল এস. বোক গট নোবেল ফর দি বুক-দি গুড আর্থ। (৪) চা-পাতায় কোন ভিটামিন থাকে-ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। (৫) গিøমস অফ ওয়ার্ল্ড হিসটরীর লেখক কে-জওহরলাল নেহুরু। (৬) বøাষ্ট রোগ হয় কোন ফসলের-গম। (৭) ট্রয়কা বলতে কী বুঝায়-গ্রিসকে দেওয়া ৩ বার বেইল আউট প্যাকেজ। (৮) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা কতটি-১৭টি। (৯) বাংলাদেশের সরকারি মুদ্রা কতটি-৩টি(১,২ ও ৫ টাকা)। (১০) অ্যালুমিনিয়াম সালফেটকে বাংলায় কী বলে-ফিটকিরি। (১১) টানা তৃতীয়বার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের(বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কে-কাজী সালাউদ্দিন। (১২) ১ থেকে ১০০০ স্যংার যোগফল কত-৫০০৫০০। (১৩) কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত বই কোনটি-ব্যথার দান। (১৪) বিশ্বব্যাংকের চিহ্নিত সুশাসনের সূচক কয়টি-৬টি। (১৫) ঘুর্ণিঝড়ের তীব্রতা নির্দেশক সর্বশেষ সংকেত কোনটি-১০ নম্বর বিপদসংকেত। (১৬) এল নিনো’ শব্দের অর্থ কী-বালক। (১৭) বাবোল তাবোল কার শিশুতোষ গ্রন্থ-কবি সুকুমার রায়। (১৮) বাংলা বর্ণমালার অর্ধমাত্রার বর্ণ কয়টি-৮টি; মাত্রাহীন ১০টি। (১৯) এমকেএস পদ্ধতিতে ভরের একক কোনটি-কিলোগ্রাম। (২০) কল্যাণরাষ্ট্রের ধারণা পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে-প্লেটোর রিপাবলিক গ্রন্থে। (২১) বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) গঠিত হয় কোন সালে-২০০৪ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে। (২২) স্থানীয় শাসন এবং এ-সংক্রান্তপ্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা সংবিধানের কত অনুচ্ছেদে আচে-সংবিধানের ৫৯ থেকে ৬০ অনুচ্ছেদে। (২৩) কীভাবে জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করা যায়-পানি সেচের মাধ্যমে। (২৪) ফল পাকানোর জন্য দায়ী কী-ইথিলীন ও (৫) মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গের নাম কী-ত্বক।
২০১৬ সালের ২১ মে, প্রথম আলো ঃ নাইজেরিয়ার সাবেক সৈনিক ইউসুফ মুরদিমি বুরাতাই। ব্রিটিশ সৈনিক হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কক্সবাজারের চকরিয়ায় ছিলেন। যুদ্ধ করেছেন বার্মা ফ্রন্টে। তাঁর পুত্র নাইজেরিয়ার বর্তমান সেনাপ্রধানের সফরসঙ্গী হিসেবে ৭২ বছর পর তিনি আবার ফিরে এলেন সেই স্মৃতি হাতড়াতে কক্সবাজারের চকোরিয়ায় ১২ মে, বেলা ১১টায়।
২০১৬ সালের ২৬ মে, প্রথম আলো ঃ শুরু হচ্ছে ট্রানজিট-টনপ্রতি মাশুল ১৯২ টাকা। কলকাতা থেকে আগরতলায় পণ্য নিতে ট্রানজিট প্রথম চালানে যাবে ১ হাজার টন ঢেউটিন। কোর কমিটির সুপারিশ ছিল টনপ্রতি মাশুল-১০৫৮ টাকা।
২০১৬ সালের ১ জুন, প্রথম আলো ঃ মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদন ঃ ‘আধুনিক দাসত্বের শিকার দেশের ১৫ লাখ মানুষ। গত ২০১৪ সালে এ দেশে দাসত্বের শিকার মানুষের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৮০ হাজার ৯০০ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বে দাসত্বের শিকার মানুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫৮ লাখ।
২০১৬ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ঃ ছয় ধাপে মোট নিহত-১১১ জন। ভোটের দিন নিহত (১) ২২ মার্চ, প্রথম ধাপ-১১ জন (২) ৩১ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপ-৮ জন (৩) ২৩ এপ্রিল, তৃতীয় ধাপ-১ জন (৪) ৭ মে, চতুর্থ ধাপ-৬ জন (৫) ২৮ মে, পঞ্চম ধাপ-১০ জন ও (৬) ৪ জুন, ষষ্ঠ ধাপ-৪ জন।
২০১৬ সালের ৮ জুন, প্রথম আলো ঃ গ্রামের চেয়ে রাজধানীর পরিবারের আয় তিন গুণ। গবেষণা প্রতিবেদন-একটি পরিবারের গড় আয় রাজধানীতে ৫৫,০৮৬ টাকা, গ্রামে ১৮,৩৪৯ টাকা।
২০১৬ সালের ৯ জুন, প্রথম আলো ঃ রাজধানীতে হেঁটে চলা নাগরিগ-৪০%। ২০১২ রিকসায় যাতায়াত-৪০.১% এবং ২০১৫ সালে-১৬%। ২০১২ সালে বাসে যাতায়াত-৩৯.৯% এবং ২০১৫ সালে-২৬.৪%। হেঁটে চলা-১১.৪% এবং ২০১৫ সালে-৪০.৬%। অন্যান্য মোটসাইকেল-১.৯% এবং প্রাইভেট কার-৪.৫%। সূত্র ঃ পিপিআরসি।
২০১৬ সালের ১১ জুন, প্রথম আলো ঃ সিএনবিসির বিশ্লেষণ-রাজনৈতিক টানাপোড়েনই সহিংসতার জন্য দায়ী। ২০১৫ সালের ফেব্রæয়ারি মাসের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে শিক্ষক, লেখক-প্রকাশক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনসহ ৩০ জনের(প্রকৃত সংখ্যা ৪৯) বেশি মানুষ হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে এই সন্ত্রাসী অপতৎপরতাই দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন লনস্ডনভিত্তিক বৈশ্বিক ঝুঁকি ও কৌশলগত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘কন্ট্রোল রিঙ্কস’ –এর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশ্লেষক রোমিতা দাস।
২০১৬ সালের ১২ জুন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ ইউপি নির্বাচনে-১৩৭ খুনের দায়ও কি বিএনপির।
২০১৬ সালের ১১(শনিবার), ১২(রবিবার), ১৩(সোমবার), ১৪(মঙ্গলবার) জুন, প্রথম আলো ঃ পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযান-(১) গ্রেপ্তার ৩,১৫৫ জন-জঙ্গি মাত্র ৩৭ জন। (২) দ্বিতীয় দিনে গ্রেপ্তার ২,১৩২ জন-জঙ্গি মাত্র-৪৮ জন। (৩) তৃতীয় দিনে গ্রেপ্তার ৩,২৪৫ জন-জঙ্গি-৩৪ জন। (৪) চতুর্থ দিনে ২৬ জঙ্গিসহ গ্রেপ্তার ৩ হাজার ১১৫ জন। চার দিনে গ্রেপ্তারকৃত-১১,৬৪৭ জনের মধ্যে সন্দেহভাজন জঙ্গি ১৪৫ জন।
২০১৬ সালের ১৯ জুন, প্রথম আলো ঃ ফতোয়া প্রকাশ করে মাওলানা মাসউদ বলেন, ইসলামের নামে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা হারাম অঅখ্যা দিয়ে ফতোয়া দিয়েছেন দেশের এক লাখ আলেম।
২০১৬ সালের ২০ জুন, প্রথম আলো ঃ ২০০৪ থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধে-মোট-১,৭১৫ জন নিহত।
২০১৬ সালের ২৪ জুন, প্রথম আলো ঃ গত ১০ বছরে পাচার সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা বা ৫,৫৮৭.৬০ কোটি ডলার।। যেভাবে পাচার হয়-২০১৩-২০১৫ সময়ে বাংলাদেশে আনা চালের আমদানি মূল্য ছিল টনপ্রতি মূল্য ছিল টনপ্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ ডলার। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে তা বিক্রি হয়েছে ৫০০ ডলার।
২০১৬ সালের ২৮ জুন, প্রথম আলো ঃ মহিলা পরিষদের আলোচান সভা ঃ শ্রমবাজারে নারীর অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর তাগিদ। এখনো ৩৬ মিলিয়ন নারী শ্রমবাজারের বাহিরে আছে।
২০১৬ সালের ২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ১-০৭-২০১৬ তারিখ শুক্রবারের সন্ধ্যারাত। রাজধানীর গুলশান লেকপাড়ের অভিজাত ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরা। দেশি-বিদেশী অতিথিদের সৌম্য উপস্থিতি। জিম্মি সংকট রুদ্ধশ্বাস ১২ ঘন্টা। শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ১২ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা শেষে সাঁজোয়া যান নিয়ে দেয়াল গুঁড়িয়ে রেস্তোরার ভিতরে ঢুকে পড়েন সেনা কমান্ডোরা। শুরু হয় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’। প্রচন্ড গোলাগোলিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গুলশান এলাকা। ১৩ মিনিটের মধ্যে সাত জঙ্গিকে কাবু করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন কমান্ডোরা। জীবিত উদ্ধার করেন ১৩ জিম্মিকে। ৫০ মিনিট পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। দুই পুলিশ অফিসার বাদে রাতেই ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। (১) ১ জন ভারতীয় নারী (২) ৩ জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি আমেরিকান (৩) ৭ জন জাপানি ও (৪) ৯ জন ইতালীয়। ৬ জঙ্গি নিহত, ১ সন্দেহভাজন আটক ও ১৩ জিম্মি উদ্ধার করা হয়। ১৩ মিনিটের অপারেশন থান্ডারবোল্ট।

প্রাইমারী স্কুল, উচ্চ বিদ্যালয়, ম্দ্রাাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় :

১৯৯২ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল-৩৮(আটত্রিশ) হাজার।
১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। আইন আছে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক কিন্তু বাস্তবে নেই।
২০০০ সালের ১১ জানুয়ারি-বাংলাদেশে ৬৫-হাজার(সরকারি ও বেসরকারি) প্রাইমারী স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী’র সংখ্যা ছিল-১.৮০(এক কোটি আশি লক্ষ)।
২০০০ সালের ১২ এপ্রিল, জাতীয় সংসদে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-বাংলাদেশে হাইস্কুলের সংখ্যা-১৫(পনের) হাজার; মাদ্রাসার সংখ্যা-৭(সাত) হাজার এবং কলেজের সংখ্যা-২(দুই) হাজার (ইন্টারমেডিয়েট, ডিগ্রী ও মাস্টার ডিগ্রী এবং সরকারী ও বেসরকারীসহ)।
২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঃ দেশে ২১,৯০৯(একুশ হাজার নয়শত নয়)টি বেসরকারী হাইস্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা আছে। বাংলাদেশে ২৩(তেইশ হাজার) বেসরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকের সংখ্যা-৯২(বিরানব্বই) হাজার।
২০০১ সালের হিসেব-দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রী কলেজের সংখ্যা-১,২৯৭টি, শিক্ষকের সংখ্যা-৩৫(পঁয়ত্রিশ) হাজার।
২০০১ সালের তথ্য-১.২(এক কোটি বিশ লাখ) ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা মাত্র-২৪টি; সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের সংখ্যা মাত্র-৬টি।
২০০১ সালের ২৯ জুন-সরকারি ও বেসরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা যথাক্রমে-২.৭৬ ও ১.১২। মোট ৩.৮৮(তিন লক্ষ অষ্টআশি হাজার) শিক্ষক আছে।
২০০৩ সালের ৭ মে’র সংবাদ ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৪টি স্বীকৃত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে এবং আরো ৪/৫টি বিশ্ববিদ্যালয় স্বীর্কৃতির অপেক্ষায়।
২০০৩ সালের ২১ জুনের হিসেব অনূযায়ী ঃ বাংলাদেশে নিরক্ষরতার হার ৩৫ শতাংশ। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ৪৭টি-সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন।
২০০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার খবর অনুসারে ঃ দেশে মোট বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা-৫১টি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা-২২টি। ১৯৯২ সালে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণীত হয়। ১৯৯২ সাল হতে বিএনপি ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ অনুমোদন দিয়েছে-৩টি। ১৯৯৬ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ২টি এবং ২০০১ সালের তত্ত¡াবধায়ক সরকার ২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দিয়েছে। গত ২০(বিশ) মাসে বিএনপি সরকার অনুমোদন দিয়েছে ৩০টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। ১,৩৫০টি ডিগ্রী পাস, সম্মান ও মাষ্টার ডিগ্রী কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-১০(দশ) লক্ষ এবং সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-১.৩০(এক লক্ষ ত্রিশ হাজার)।
২০০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার খবর অনুসারে ঃ গত ৩২ বছরে ৬টি শিক্ষা কমিশন হয়েছে একটিও কার্যকর হয়নি।
২০০৩ সালের ১৯ জুনের ইত্তেফাক রিপোর্ট অনুসারে-সরকারী ২৬৫টি কলেজে ৪(চার) হাজার শিক্ষকের পদ খালি আছে, বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৮,৫০০(আট হাজার পাঁচশত)।
২০০৪ সালের ১৯ মে, পর্যন্ত বাংলাদেশে এমপিওভূক্ত বেসরকারী স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার সর্বমোট সংখ্যা ছিল ২৪,৪৯৬টি। এরমধ্যে স্কুল ১৪,৭৩০টি, মাদ্রাসা (দাখিল ও আলীম) ৭,০২১টি, কলেজ ২,০৭৭টি, মাধ্যমিক ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট ৪৮১টি ও উচ্চ মাধ্যমিক ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট ১৮৭টি। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৪,৪৫,৬৬১ জন বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী বর্তমানে সরকারীভাবে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। এজন্য বছরে প্রায় ১,৭০০(এক হাজার সাতশত) কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। এর বাইরে সরকার সরাসরি তত্ত¡াবধানে যেসব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা চালায় সেজন্য বছরে ব্যয় হয় আরো প্রায় ৩০০(তিনশত) কোটি টাকা।
২০০৪ সালের ২৮ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্টঃ ইব্রাহীম বিন হারুন-পাসের হার বাড়লেও অনেক কলেজ শিক্ষার্থী পাবে না। নকল বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের মোট কলেজের সংখ্যা-২,৮০০(দুই হাজার আটশত) এবং এইস.এস-সি.তে কলেজে প্রথম বর্ষ ভর্তির আসনসংখ্যা হলো-৪.৫(চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)। গত বছর ২০০৩ সালে এইস.এস-সি.তে কলেজে প্রথম বর্ষ ভর্তি হয়েছে সারাদেশে ৪,২৭,৪৭৯ জন। এরপরও বিভিন্ন কলেজে আসন খালি ছিল। এ বছর ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৭০ জন সর্বমোট পাশ।
২০০৪ সালের ৬ জুলাই (ইনকিলাব) মোহাম্মদ আবদুর রহিম ঃ তিন হাজার নয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি নিয়ে নানা টালবাহানা। বিপুল অংকের অর্থ আদায়ের অভিযোগ।
২০০৫ সালের ২ জানুয়ারি, সরকারী স্কুলের ৮,৫৯১ আসনের বিপরীতে ৩৮,২১৮ আবেদন। রাজধানীতে আজ শুরু হচ্ছে ভর্তিযুদ্ধ।
২০০৫ সালের ২ জানুয়ারি, ইউনিসেফ ৬০০শ’ কোটি টাকা ফেরত নিয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উন্নয়নের ১০-প্রকল্প বন্ধ।
২০০৫ সালের ৪ জানুয়ারি, সুলতান মাহমুদ ঃ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীরা ফেব্রæয়ারিতে পেনশন পাচ্ছেন। প্রায় এক দশক অপেক্ষার পর আগামী ফেব্রæয়ারি মাস থেকে দেশের বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীরা পেনশনের টাকা (অবসর সুবিধা) হাতে পাবেন।
২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা ৭৫ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ পেনশন পাবেন। ১৯ জানুয়ারির পূর্বেই চেক হস্তান্তর শুরু করতে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ।
২০০৫ সালের ২৪ এপ্রিল, ৩৭,৭১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসংখ্যা-১,৬৭,১২৬ জন, রেজিষ্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-এর সংখ্যা-১৯,৫৭৫টি  এবং শিক্ষকসংখ্যা-৭৫,৭৮২ জন।
২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, ইনকিলাব ঃ ৩,৭৭৮টি কমিউনিটি স্কুল আছে বাংলাদেশে এবং ১৫ হাজারের অধিক শিক্ষক আছে। শিক্ষকের বেতন দেয়া হয় ৭৫০/-টাকা।
২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, শিক্ষাঙ্গন রিপোর্ট ঃ এবারও প্রাথমিক স্তরে ৬৩ লাখ শিক্ষার্থী বই পাচ্ছে না।
২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশে গত বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রাইমারী স্কুল ছাড়া শুধুমাত্র হাইস্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, পলিটেকনিক, ভোকেশনাল ও নার্সিংসহ বিভিন্ন প্রকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে-২৭,৫০০টি। শুধুমাত্র এ প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষার্থী দেড় কোটি। আর এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৫-লাখ। এর বাইরে আছে-২১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৪টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা মানব সম্পদ। গত অর্থবছরে ২৫-লাখ মেয়েকে শিক্ষিত করে তুলতে দেয়া হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা।
২০০৬ সালের ১৩ মার্চ, মোহাম্মদ আবদুর রহিম ঃ ৩১৭টি সরকারী স্কুলে ১,০৫০ জন শিক্ষকের পদ শূন্য। হাজার হাজার শিক্ষার্থী অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন।
২০০৬ সালের ৩০ এপ্রিল, দেশের ৮০% উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব পালন করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যাপক ড. ওয়াকিল আহমেদ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১,৬০০ কলেজের ৮(আট) লাখ ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করে।
২০০৬ সালের ৭ আগষ্ট, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ সাড়ে ২৬ হাজার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার লাগাতার এক মাস ধর্মঘটের পর গতকাল শর্ত জুড়ে দিয়ে শতভাগ বেতনের দাবী          বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়েছে-৫ লাখ বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীর মাসব্যাপী আন্দোলন। শতভাগ বেতনের প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকারের শর্তযুক্ত ঘোষণা। এজন্য সরকারের অতিরিক্ত ২৮০ কোটি টাকা লাগবে। ৫ ভাগ নগদ প্রদানে লাগবে ১৬০ কোটি টাকা। বাজেটারী সমস্যার কারণে ৫ ভাগ বন্ডের মাধ্যমে দেয়া হবে। টিউশন ফি জমা হবে সরকারী কোষাগারে। বাড়ী ভাড়ার জন্য লাগবে ১২০০ কোটি টাকা-উৎসব ভাতার জন্য লাগবে ৪০০ কোটি টাকা-চিকিৎসা ভাতার জন্য লাগবে-২০৬ কোটি টাকা। এসব দাবী নাচক। শিক্ষকদের সকল দাবী পূরণে অতিরিক্ত ২,২৩৮ কোটি টাকা প্রয়োজন। এমনিতেই নতুন জাতীয় স্কেলের পর থেকে ২,৯০০ কোটি টাকা বেতন-ভাতা বাবদ (৯০% হারে) দিতে হয়। যা জাতীয় বাজেটে মোট শিক্ষা বরাদ্দের ৬৯ ভাগ। সরকার সমর্থকদের কর্মসূচী স্থগিত। অন্যদের আন্দোলন অব্যাহত। সরকারী কলেজ শিক্ষকদের আলোচনায় বসার আহবান।
২০০৬ সালের ২৫ আগষ্ট, সুলতান মাহমুদ ঃ ডিগ্রী কলেজের নীতিমালায় ফাজিল কামিল মাদ্রাসা অধিভূক্ত করা হবে। ১,১১৮টির মধ্যে শর্তের মারপ্যাঁচে অধিভূক্তির আবেদন পর্যায়েই ছেঁটে ফেলা হবে সহস্রাধিক মাদ্রাসা। ২০০০ সালে সিন্ডিকেট কর্তৃক সংশোধিত ডিগ্রী কলেজ অধিভূক্তের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবে সেসব মাদ্রাসা কোন অবস্থাতেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভূক্ত করা হবে না। অর্থাৎ ওসব ফাজিল কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ডিগ্রী ও মাস্টার্সের মান পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
২০০৭ সালের ২২ মার্চ, শাহজাহান শুভ ঃ উচ্চ শিক্ষা স্তরে বাণিজ্য-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সার্টিফিকেট বিক্রি, শিক্ষক রাজনীতি ও আইনের লংঘন। ২১টি পাবলিক ও ৫৪টি প্রাইভেট।
২০০৭ সালের ৩১ আগষ্ট, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি বাণিজ্য। চার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার হোতারা আড়ালেই রয়ে গেলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, জোট সরকারের পাঁচ বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪ হাজার ৮৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি এমপিওভুক্ত হয়েছে ৭০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। প্রতিটি শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান থেকে দেড় লাখ থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঘোষ নিয়েছে এবং প্রতিটি শিক্ষক-কর্মচারী থেকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘোষ নিয়ে এমপিওভুক্ত করেছে।
২০০৮ সালের ৯ এপ্রিল, শরিফুজ্জামান পিন্টু ঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-পদ ১৬ হাজার ৫৯টি। প্রার্থী আট লাখ ৬১ হাজার ৯৭৪ জন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হতে চান।
২০০৮ সালের ৪ মে, শিশির মোড়ল-প্রথম আলোঃ সব মেডিকেল কলেজ বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ১৫টি সরকারি মেডিকেল কলেজ আছে এবং ৩৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।
২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর, বাংলাদেশে ১৪ হাজার গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ও জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকা উচিত ছিল।
২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষা খাতে দুর্নীতি কমানোসহ নানা চ্যালেঞ্জ। দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৬ ভাগ ছাত্র। এ হিসাবে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় তিন কোটি ৩৩ লাখ। শিক্ষক ও ছাত্র অনুপাত ভারসাম্য ঃ দেশের ৪০ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক অনুপাতে ছাত্র কম, বাকি ৬০ ভাগ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক অনুপাতে ছাত্র বেশি। ফলে একই থানায় ১৮টি কলেজ গড়ে ওঠার মতো ঘটনাও ঘটেছে। জানা যায় অধিকাংশ কলেজেই শিক্ষক অনুপাতে ছাত্র নেই।
২০০৯ সালের ৩১ মার্চ-এর তথ্য ঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা-১৯,৭৬১টি, মাদ্রাসার সংখ্যা-৯,০৫১টি, ১৩৭টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ৬৬টি ভোকেশনাল, ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়-৫৪টি।
২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ৫৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাস ছাড়াই চলছে। পাঁচ বছরের মধ্যে নিজস্ব ক্যাস্পাস প্রতিষ্ঠা না করায় বৈধতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।
২০০৯ সালের ১৫ মে, প্রথম আলো ঃ উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব শিক্ষকের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কমিমন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার এবং শিক্ষকদের জন্য ভিন্ন বেতন কমিশন হচ্ছে ঃ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম।
২০০৯ সালের ২২ মে, প্রথম আলো ঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-১৭৫০টি কলেজের ১০ লাখ শিক্ষার্থী নিয়ে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ভেঙে দেওয়া হলে শিক্ষার মান আরও নেমে যেতে পারে। ১৯৯২ সালের ২০ অক্টোবরের আগে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ৭৫০টি কলেজ ছিল। এখন সরকার চায় ৬টি বিভাগীয় শহরের অধীনে যেমন-ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৭৫০টি কলেজের ভার দেওয়া। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচাল-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১,৬৭৬ জন এবং আরও আছেন ৭৮ জন শিক্ষক। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত তহবিলের পরিমাণ প্রায় ১২০ কোটি টাকা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার নয়, ভাঙতে চায় সরকার।
২০০৯ সালের ১ মে, প্রথম আলো ঃ সভায় জানানো হয়, দেশে বর্তমানে স্কুল-কলেজের সংখ্যা ৩৩,৫৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬,৩৬০টি এমপিওভুক্ত। বাকিগুলোকেও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার জন্য আগামী অর্থবছরে ৬০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। একজন সাংসদ চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন-সংসদীয় কমিটির সুপারিশ।
২০০৯ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত সবাই বিনামূল্যে বই পাবে। মাধ্যমিকের প্রায় ১১ কোটি বই ছাপতে কাগজ সংগ্রহে দরপত্র আহবান। খরচ হবে ৩০০ কোটি টাকা। প্রাথমিকে পুরোনো বই থাকছে না।
২০০৯ সালের ৮ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশে স্কুলে যাওয়ার উপযোগী শতকরা ১০ ভাগ শিশু বিদ্যালয়ে ভতির্ হয় না। ৪৮ ভাগ শিশু প্রাথমিক স্তরে, ৬২ ভাগ মাধ্যমিক স্তরে ঝড়ে পড়ে।
২০০৯ সালের ১৪ জুন, প্রথম আলো ঃ নীতিমালা করতে কমিটি। এমপিওভুক্তিতে প্রয়োজন ৬০০ কোটি টাকা লাগবে, মিলেছে ১১২ কোটি টাকা। মোট বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫৪৫টি। এরমধ্যে ২৬ হাজার ৩৬০টি শিক্ষাপ্রকিষ্ঠান বেতন-ভাতার সরকারি অনুদান (এমপিওভুক্ত) পায়। বাকি প্রায় ৭,১৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছে।
২০০৯ সালের ৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পাল্টাচ্ছে, মৌখিক-২০। দেশের ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩১ জন শিক্ষিত বেকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হতে চান। কিন্তু প্রতি ৩৮.৩৫ জন আবেদনকারীর মধ্যে সুযোগ পাবেন মাত্র একজন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ২৫ হাজার শিক্ষক নেওয়া হবে।
২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ। এরমধ্যে ২০ লাখ ছাত্রছাত্রীর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড স্থাপনের চিন্তা-ভাবনা সরকারের। পঁঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীর জন্য একসাথে একই প্রশ্ন করে পরীক্ষা নেয়া এবং তার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি দেয়া। বর্তমানে দেশে ৭৮,৩৬৩টি সরকারি, বেসরকারি ও প্রাইভেট প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এরমধ্যে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৪০,০০০ হাজার।
২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ৩৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।
২০০৯ সালের ৩০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ মা-ও হবেন বাবার মতো অভিভাবক। এসএসসি ও এইসএসসি পরীক্ষায় নিবন্ধন (রেজিষ্ট্রেশন) করার পক্ষে মত দিয়েছে সরকার।
২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশের ১৬,১৪২ গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।
২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজশাহীতে থাকার কথা ৩৫টি কলেজ, আছে ১৫৬টি কলেজ। রাজশাহী মহানগরে চারটি সরকারি কলেজসহ মোট ৩২টি কলেজ রয়েছে। বাঘা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৮৭,৪৮৩-এখানে কলেজ থাকার কথা ৩টি আছে ১০টি।
২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বঙ্গবন্ধুর নামে ১৭টি কলেজ, জিয়াউর রহমানের নামে ১৩টি কলেজ ও ফজিলাতুন্নেসার নামে ৮টি কলেজ।
২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব, নামের মোহ এবং দুর্নীতি। সব মিলিয়ে শিক্ষাচিত্রটা বিবর্ণ। এসব নিয়ে প্রচ্ছদের প্রতিবেদনগুলো তৈরি করেছেন শরিফুজ্জামান।
বিরাট জনগোষ্ঠীর বিবর্ণ শিক্ষাচিত্র ঃ
একনজরে দেশের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঃ
প্রতিষ্ঠানের নাম সংখ্যা শিক্ষার্থী শিক্ষক শিক্ষক-শিক্ষার্থী
প্রাথমিক বিদ্যালয়(১১ ধরণ) ৭৮,৩৬৩ ১,৭৫,৬১,৮২৮ ৩,১৫,০৫৫ ১ ঃ ৫০(মূল ধারা)
মাধ্যমিক স্কুল ১৮,৭৭০ ৬৮,৪০,৫৪১ ২,১১,৬৪৯ ১ ঃ ৩২
কলেজ ৩,২৫৫ ১৯,৪৮,৪১৮ ৮৭,১৩৬ ১ ঃ ২২
মাদ্রাসা ৯,৩৭৬ ১৯,৮৪,৬২৬ ১,২৮,০০৫ ১ ঃ ১৬
কারিগরি শিক্ষপ্রতিষ্ঠান ৩,৫৯০ ৪,৫১,৮১৭ ২১,৬৬৬ ১ ঃ ২০
মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১,১৩,৩৫৪ ২,৮৭,৮৭,২৩০ ৭,৬৩,৫১১ …
তথ্যসূত্র ঃ জাতীয় শিক্ষা জরিপ (পোষ্ট-প্রাইমারি), মে ২০০৯ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত ২০০৫ সালের তথ্য, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন, ২০০৭।
দেশের স্নাতক (সম্মান), চিকিৎসা, কৃষি ও প্রকৌশল শিক্ষা দেয়-এমন ৩৭০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাবি অনুযায়ী দেশে এ ধরনের মাদ্রাসা ১৫,২৫০; শিক্ষার্থী ১৮,৫৭,৫০০ ও শিক্ষক ১,৩২,১৫০ জন। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের দাবি অনুযায়ী কিন্ডারগার্টেন, ইংরেজি-মাধ্যম স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৪০,০০০ হাজার, শিক্ষকসংখ্যা-৩,২০,০০০ এবং শিক্ষার্থী প্রায় এক কোটি।
২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর, প্রথম আলোঃ ২০ হাজার খন্ডকালীন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ।
২০০৯ সালের ৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে মোট ৩১৭টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এরমধ্যে ৭০টিতে দুই শিফট চালু আছে। দেশের ৪১টি জেলার ৮০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই শিফট চালু হবে। এ লক্ষ্যে দুই হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টির বিষয়ে অথ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে।
২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ শিক্ষকের মাসিক বেতন ১৪৯ টাকা আট আনা। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশে সংস্কৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ১১৯টি এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৯৮টি। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই থেকে তিনজন শিক্ষক বা পন্ডিত এবং একজন করে কর্মচারী রয়েছেন।
২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক ও পাঁচটি কক্ষ থাকা জরুরি।
২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ মুঞ্জরী কমিশনের রিপোর্ট ঃ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৩১টি এবং ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-২,২৯,৪৯১ জন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-১১,১৯,২৭৫ জন মোট=১৩,৪৮,৭৬৬ জন। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৫১টি ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-২,০০,৯৩৯ জন এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-২,৯০,০০৯ জন। সর্বমোট ৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা=১৮,৩৯,৭১৪ জন।
২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ এশিয়াটিক সোসাইটিতে গওহর রিজভী। বিশ্বসেরার তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। এমনকি এশিয়ার সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়ও বাংলাদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিতে পারেনি।
২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি, জনকণ্ঠ পত্রিকা ঃ বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার এবং ২ লাখ ৫০ হাজার মসজিদের প্রায় ৫ লাখ আলেম ওলামাকে  বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক শিক্ষা-কার্যক্রম।
২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জনসংখ্যার শর্ত বাদ, বদলাবে জনবল কাঠামো। শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী ও ফল বিবেচনায় এমপিওভুক্ত হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছে ৯ হাজার ১৩১টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা।
২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৩০ বছরের চাকরিজীবনে একদিনও অনুপস্থিত না থেকে নজিরহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক বাহাজ উদ্দিন ফকির বয়স ৫৩ বছর। সাড়ে ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে একদিনও প্রাপ্য ছুটি কাটাননি তিনি। বাবার সৃত্যু, স্ত্রীর অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ-কোনো কিছুই তাঁকে আটকে রাখতে পারেনি। আলো ছড়াতে ছুটি নেন না ৩০ বছর।
২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২১২টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার্থী তিন লাখ ২১ হাজার।
২০১০ সালের ১৬ জানুয়ারি, জনকণ্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ মহিলা শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ আর সর্বনিম্ন মাদ্রাসায়। তবে কোথাও ৩০ ভাগ কোটা পূরণ হয় না।
২০১০ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশের এক হাজার ৯৭২টি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।
২০১০ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি, আমাদের সময় ঃ প্রাথমিকেই ঝরে ৫০ শতাংশ, ৯ ভাগ স্কুলেই যায় না-জানালেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।
২০১০ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি, আমাদের সময় ঃ ২০১০ সালে ১৫ হাজার গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে-আর ৮২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে খুব শিগগিরই একজন করে হিসাবরক্ষক-কাম শিক্ষক ও একজন করে দফতরি নিয়োগ দেয়া হবে।
২০১০ সালের ৭ এপ্রিল,আমাদের সময় ঃ ৮ম শ্রেণীতে পড়ার বয়সসীমা ১১ থেকে ১৭ বছর।
২০১০ সালের ১০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ আরও ৩০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। এতদিন দেশের ৪৮ লাখ ১৫ হাজার ৬৩৬ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পেয়ে আসছে। শিক্ষার্থীর হার ৬২ শতাংশ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১ এপ্রিল থেকে ৭৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৭ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবে। নতুন ৩০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তি দিতে সরকারের ব্যয় হবে এক হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ১৫০০ নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে। দেশে ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরিপ অনুযায়ী দেশের ১৬ হাজার ১৪২টি গ্রামে সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। গ্রামের আয়তন ও জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনা করলে এক হাজার ৯৪৩টি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকা উচিত ছিল। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশে সরকারি-বেসরকারিসহ ১১ ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮০ হাজার ৩৯৭টি। এরমধ্যে সরকারি-৩৭,৬৭২ এবং নিবন্ধিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬৮২টি।
২০১০ সালের ৩ মে, প্রথম আলো ঃ দেশের ৩১৭টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা দাবী করে আসছিলেন। গতকাল প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় তাঁদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
২০১০ সালের ৪ মে, প্রথম আলো ঃ এক কিলোমিটারে ছয় কলেজ। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে ছয়টি কলেজ। ২০০ থেকে ৫০০ গজের মধ্যে রয়েছে একাধিক কলেজ। সরকারের আইন অনুযায়ী-৭৫ হাজার লোকসংখ্যা হতে হবে। এ ইউনিয়নে লোকসংখ্যা আছে ৫০ হাজার। একটি কলেজের যায়গায় আছে ৬টি কলেজ।
২০১০ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠাকার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
২০১০ সালের ১ জুন, প্রথম আলো ঃ শিক্ষানীতিতে যুক্ত হলো অসা¤প্রদায়িক চেতনা। খসড়া থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ। প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণী ও মাধ্যমিক দ্বাদশ পর্যন্ত। ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলে বাংলা পড়াতে হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর এখন জাতীয় শিক্ষানীতি সংসদে উত্থাপিত হবে। শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে আগামী ২০১৭-২০১৮ সাল পর্যন্ত খরচ হবে প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এমাজউদ্দীন আহমদ তাঁর ছাত্র শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন, সংবিধান পরিবর্তন না করা পর্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
২০১০ সালে দেশে মোট প্রথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হলো-৮২,২২৮টি এর মধ্যে ৩৭,৬৭২টি সরকারি এবং বেসরকারি-৪৪,৫৪৬টি।
২০১০ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ সাত হাজার যোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন করেছিল। শিক্ষা মণন্ত্রালয়ের পরিসংখানে দেখা গেছে, সর্বশেষ এমপিওভুক্ত স্কুলের সংখ্যা ছিল-১৫,৪৯০টি, কলেজের সংখ্যা ছিল-২,৩৯৭টি, মাদ্রাসা ছিল-৭,৩৪২টি, কারিগরি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল-৬৬৩টি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল-৪০৬টি। মোট এমপিওভূক্তির সংখ্যা ছিল-২৬,২৯৮টি। ০৭-০৫-২০১০ তারিখ প্রথম তালিকায় ছিল ১,০২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করেছিল শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আবার পরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাউদ্দিন দ্বিতীয় সংশোধিত তালিকায় ৩১-০৫-২০১০ তারিখে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা-১,৪৮৩টি। আবার তৃতীয় দফা তালিকা সংশোধনের দায়িত্ব পান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ১৬-০৬-২০১০ তারিখের ঘোষিত তৃতীয় তালিকায়-১,৪৮৩টি থেকে ৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম বাদ দেয় এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা-১,৪২২টি। ১৪২২টির সাথে আরও নতুন ১৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যোগ হয়ে ১,৬১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঃ (১) জুনিয়র স্কুল ৫২৯টি, (২) মাধ্যমিক স্কুল ৩৫৮টি, (৩) ইন্টামিডিয়েট কলেজ ১০৫টি, (৪) এইচএসসি(বিএম) কলেজ ১৫৫টি, (৫) স্কুল এন্ড কলেজ ২৩টি, (৬) ভোকেশনাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২৬টি, (৭) ডিগ্রি কলেজ ২৫টি, (৮) দাখিল মাদ্রাসা ২৪৮টি, (৯) আলিম মাদ্রাসা ৩১টি এবং (১০) ফাজিল মাদ্রাসা ১০টি এমপিওভূক্ত হয়েছে। মোট এমপিওভূক্তির সংখ্যা ছিল-২৬,২৯৮টি+১,৬১২টি=সর্বমোট ২৭,৯১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত (১৬-০৬-২০১০ তারিখ পর্যন্ত)। ২০-০৯-২০১০ তারিখ সংসদীয় কমিটির সভা-আরও দেড় হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার সুপারিশ। জেলাওয়ারি ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে এ তালিকা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
২০১০ সালের ১৮ জুলাই, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন স্কুলে মনস্তত্ত¡বিদ থাকা দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি স্কুলে একজন মনস্তত্ত¡বিদ শিক্ষক নিয়োগ দিন।
২০১০ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ এবার অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা দেশে ১৮০০ কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও পাস কোর্সে আসন সংখ্যা ৩,৭৫,০০০ হাজার। শিক্ষামন্ত্রনালয়, বিশ্ববিদালয় মঞ্জুরী কমিশন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে  সøাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্বাবদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি আসন রয়েছেঃ (১) ৩১টি পবিলিক বিশ্ববিদ্যালয় ঃ ৩৬ থেকে ৩৭ হাজার। (২) ৫১টি অনুমোদিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ঃ ৭০ হাজার। (৩) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩৫টি কলেজে (সম্মান)-এ প্রায় ২ লাখ এবং (৪) ১,৫৭৪টি কলেজে পাস কোর্সে আসন সংখ্যা প্রায় ২ লাখ।
২০১০ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় সরকারিভাবে নতুন (১১টি স্কুল ও ৬টি কলেজ) ১৭টি স্কুল-কলেজ হচ্ছে।
২০১০ সালের ১০ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ দেশজুড়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ১০-০৮-২০১০ তারিখ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বৈঠক। লক্ষ্য সব শিশুকে স্কুলমুখী করা। আমার বক্তব্য হলো সব শিশুকে স্কুলমুখী করবে না।
২০১০ সালের ১০ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করেছে মন্ত্রণালয়।
২০১০ সালের ১৮ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  অসন্তোষ। প্রধানমন্ত্রী সাহেবা এ সমাজব্যবস্থায় সবকিছু নিয়েই ব্যবসা করা হয়।
২০১০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন। প্রাথমিক পর্যায়ে দুই লাখ শিক্ষকের পদ তৈরির প্রয়োজন হবে।
২০১০ সালের ২১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের সাক্ষাৎ। প্রতিটি প্রথমিক বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগসহ কমপিউটার দেয়া হবে।
২০১০ সালের ২১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ দেশের সরকারি-বেসরকারি ৬১টি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির সিট সংখ্যা পাঁচ হাজার ৬৬০টি আসন। ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা দুই হাজার ৩১০টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা তিন হাজার ৩৫০টি। এবার আরো ৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে এবং মোট কলেজের সংখ্যা হবে ৬৭টি।
২০১০ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ২৩ কোটি ১৮ লাখ ২ হাজার তিন কপি বই ছাপার কর্মযজ্ঞ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে বিতরণের প্র¯ত্ততি। প্রাথমিক স্তরের জন্য এবার ছাপা হচ্ছে ১০ কোটি ৪৫ লাখ ৫১ হাজার বই। এসব বই ছাপার জন্য ৯০০ প্রেস কাজ করছে, বইয়ের মোট লট এক হাজার ২০টি। মাধ্যমিক স্তরের জন্য নয় কোটি এক লাখ ৫৭ হাজার ২০৮ কপি বই ছাপা হবে। এ ছাড়া ইবতেদায়ি স্তরের জন্য এক কোটি ৬৮ লাখ ২৫ হাজার, দাখিলের জন্য এক কোটি ৮৪ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৬ এবং কারিগরি স্তরের জন্য ১৮ লাখ ২৯ হাজার ৭০৫ কপি বই ছাপা হবে। ঝুঁকির মুখে দেড় কোটি বইঃ ৯০০ প্রেসের মধ্যে ২৮টি প্রেসের কাজের অগ্রগতি নেই।
২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১১ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮০ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হবে ৩৭,৬৭২টি। সাড়ে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে।
২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ প্রাথমিকে ভর্তি শতভাগ। প্রথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকে ভর্তি হওয়া মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটি ৯০ লাখ ২৬ হাজার। শতভাগ ভর্তির দাবির সঙ্গে বাস্তবতার অমিল।
২০১০ সালের ২১ জুন, প্রথম আলো ঃ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন। টেক্সটাইল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
২০১১ সালের ৯ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৭৫টি আবেদন। যাচাই শেস পর্যায়ে অনুমতির অপেক্ষা। গত ২৫ এপ্রিল ৪২টি আবেদন যাচাই করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয়। গতকাল ২২টি আবেদনের ওপর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। মোট ৬৪টি আবেদন যাচাই করে মন্ত্রীর কাছে জমা আছে।
২০১১ সালের ২০ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ সরকারী ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ জন করে দপ্তরি নিয়োগ হবে। এ ছাড়া পাঁচ হাজার স্বাস্থ্যসেবাকর্মী (নার্স) নিয়োগ দেওয়া হবে। ফলে সরকারের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ৪২ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার খরবঃ আড়াই বছরে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ৪৩ থেকে কমে ২১%। দেশে রেজিস্টার্ড ৩৪ হাজার স্কুল আপাতত জাতীয়করণ হচ্ছে না। গণশিক্ষামন্ত্রী।
২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রণালয় বলছে, ৩৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে এই ধারণা পাওয়া গেছে। দেশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৮১ হাজার ৫০৮টি।
২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৭ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় দেশের তিন লাখ ২১ হাজার ৩০১ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।  ৬ষ্ঠ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন দুই লাখ ৭০ হাজার। এ বছর ২৫৯ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দুই লাখ আট হাজার ৩৫৯ জন পুরুষ এবং এক লাখ ১২ হাজার ৯৪২ জন মহিলা। স্কুল-মাদ্রাসা পর্যায়ে ৪৪টি বিষয়ে দুই লাখ দুই হাজার ৮৯৯ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ৩৬টি বিষয়ে এক লাখ ১৮ হাজার ৪০২ জন পরীক্ষ দিচ্ছেন।
২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ২২ কোটি নতুন বই বিতরণ ১ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী।
২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলোঃ বরিশালের ২২৭ গ্রামের মধ্যে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। ৫৯ গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে।
২০১২ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ভবিষ্যতে এমপিওভুক্ত করা হবে সাংসদদের সুপারিশে। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে সারা দেশে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা ২৪ হাজার ৯৩১টি এবং ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। সারা দেশে ৬২ হাজার ৩৬৮টি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নিবন্ধন দিয়েছে। এ সরকারের আমলে দেড় হাজার গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। বর্তমানে ৫৬৯টি বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপনে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। বাকিগুলোর তালিকা চুড়ান্ত করার কাজ চলছে।
২০১২ সালের ৩ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সারা দেশে ৩২ হাজারেরও বেশি এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর স্বার্থে ডিজিটালাইজ হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এই দুই প্রতিষ্ঠান।
২০১২ সালের ৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ তিন বছরে ২৬টি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৭৫টি। এরমধ্যে বেসরকারি-৫৩টি এবং সরকারি ২২টি।
২০১২ সালের ১ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু, অংশ নিচ্ছে ৯ লাখ ২৬ হাজার ৮১৪ জন পরীক্ষার্থী। কেন্দ্রে প্রথম দিনেই অনুপস্থিত আট হাজার ৭৩৪ জন।
২০১২ সালের ১৬ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ শিক্ষক আন্দোলন-সরকারী হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকরা পেলেন তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা করার ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে লাঠিচার্জ, গরম পানি দেয়া।
২০১২ সালের ২৮ মে, প্রথম আলো ঃ দেশে বর্তমানে ২২ হাজার ৯৬১টি নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।  এসব বিদ্যালয়ে ৯০ হাজার শিক্ষক ও ৪১ লাখ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। নিবন্ধিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি পূরণ হচ্ছে। নীতি প্রণয়নের নির্দেশ-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
২০১২ সালের ২৯ মে, প্রথম আলো ঃ জুলাই থেকে কার্যকর শুরু খরচ ৪৮২ কোটি টাকা। বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ৪০ শতাংশ (১৯২ কোটি ৮০ লাখ) টাকা। পরের ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ৩০ শতাংশ (১৪৪ কোটি ৬০ লাখ) টাকা এবং ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৩০ শতাংশ (১৪৪ কোটি ৬০ লাখ) টাকা।
২০১২ সালের ৬ জুন, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ এমপিওভুক্ত সবশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারীর জন্য চাকরিবিধি হচ্ছে-উপকৃত হবেন দুই লাখ, কর্মক্ষেত্রে অধিকার নিশ্চিত হবে।
২০১২ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, জাতীয়করণের লক্ষ্যে মাঠপর্যায় থেকে বিদ্যালয়গুলোর তথ্য সংগ্রহের কাজও শেষ করা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, জাতীয়করণের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিভিন্ন শ্রেণীর মোট বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৬ হাজার ২৮৪টি। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক আছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৩৪৫ জন। তিন স্তরে জাতীয়করণ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে।
২০১২ সালের ৭ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর। ভয়াবহ সেশনজট। ১২ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চিত। চাকরির বয়স পেরিয়ে যায়, শিক্ষক-কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকেন রাজনীতিতে। ২০০৮ সালের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হচ্ছে এখন। অসন্তোষ ক্ষোভে রূপ নিচ্ছে।
২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৬৫০ কোটি টাকার বাণিজ্য। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি। ভর্তি ফি সরকারি কলেজগুলোর চেয়ে গড়ে ১২৫ গুণ বেশি। ফি নির্ধারিত না থাকায় কলেজগুলো ইচ্ছামতো টাকা আদায় করছে। দেশের ৫০ জন শীর্ষস্থাসীয় চিকিৎসক এ কলেজগুলির মালিক। দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ-২২টি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ-৫২টির আসনসংখ্যা পাঁচ হাজাপর ১২৫ এবং সরকারি মেডিকেল কলেজগুলির আসন সংখ্যা-তিন হাজার ৩৮৯টি।
২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ প্রাইমারী ও উচ্চ বিদ্যালয়ের চার কোটি শিক্ষার্থীর জন্য ২৭ কোটি বিনামূল্যের বই।
২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশের ৪৯ সরকারী পলিটেকনিকে কর্ম বিরতি শুরু।
১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজার ১৬৫টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন এক লাখ ৫৫ হাজার ২৩ জন শিক্ষক ছিলেন। আবার পরবর্তী সময়ে আরও ১ হাজার ৫০৭টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের সংখ্যা-৩৭,৬৭২টি ছিল।
২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১৯৯১ সাল থেকে বেসরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করে এলেও এর আগে কোনো সরকারই তা মানেনি। সে ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার ধন্যবাদ পেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ থেকে যুগান্তকারী ০৯-০১-২০১৩ তারিখ ঘোষণা দিয়েছেন-২৬ হাজার ১৯৩টি রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঐতিহাসিক চূড়ান্ত ঘোষণা। এর মাধ্যামে বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক লাখ তিন হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষককের চাকরি সরকারী হয়। তবে পুরো প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হবে তিন ধাপে। এখন থেকে ২২ হাজার ৯৮১টি বিদ্যালয়ের ৯১ হাজার ২৪ জন শিক্ষক চলতি বছরের ০১-০১-২০১৩ তারিখ থেকে, দ্বিতীয় ধাপে হবে-২ হাজার ২৫২টি বিদ্যালয়ের ৯ হাজার ২৫ জন শিক্ষক ০১-০৭-২০১৩ তারিখ থেকে এবং তৃতীয় ধাপে হবে-৯৬০টি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষককের আগামী বছরের ০১-০১-২০১৪ তারিখ থেকে জাতীয়করণের আওতায় আসবে। এতে বছরে অতিরিক্ত খরচ হবে ৬৫১ কোটি টাকা। জাতীয়করণের সর্বমোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হবে=৬৩,৭৬৫টি।
২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি, যুগান্তর পত্রিকার খবর ঃ ৭ জানুয়ারি থেকে সরকারি বেতন-ভাতা বা এমপিওর দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন দেশের সাড়ে সাতহাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। আন্দোলনরত শিক্ষকদের কর্মসূচি তিন মাসের জন্য স্থগিত।
২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ল দীর্ঘ ২৮ বছর পর। ২৬,০৪৭(ছাব্বিশ হাজার সাতচল্লিশ)টি  স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার চার লাখ উনসত্তর হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী। এরমধ্যে ২৬ হাজার ৪৭টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী চার লাখ ৫৬ হাজার ৫৯০ এবং এক হাজার ৬০০ কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ১৩ হাজার ২৫৪ জন। আর এক হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ছয় হাজার ৭৬ জন শিক্ষক বর্ধিত ভাতা পাবেন। ১৯৮৪ সালে বাড়িভাড়া ১০০/- ছিল এবং চিকিৎসা ভাতা ৬০/- টাকা ছিল। বর্তমানে ০১-০১-২০১৩ তারিখ থেকে বাড়িভাড়া-৫০০/- টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা ৩০০/-টাকা করেছে।
২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে বছরে ব্যয় হবে ৪০ হাজার ১৮৯ কোটি ৫০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। জাতীয়করণ বা সরকারীকরণ করা হলে সারাদেশের ৩৫,৩৯৬টি এমপিওভুক্ত এবং নন-এমপিও এরমধ্যে এমপিওভুক্ত-১৬ হাজার ৮৬টি উচ্চ বিদ্যালয়, কারিগরি স্কুল-৮৫৫টি, সাধারণ কলেজ ২ হাজার ৩৬৩টি ও কারিগরি কলেজ আছে-৭২৭টি এবং মাদ্রাসা আছে-৭ হাজার ৫৯৮টি ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে মাদ্রাসা আছে-১৮টি। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্কুল আছে-১,২১৬টি এবং কলেজ আছে-৮০০টি। দেশে মোট সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে-৩১৭টি।
২০১৩ সালের ১ এপ্রিল মাসের রিপোর্ট ঃ ২০১১ সালের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ৩৪ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এরমধ্যে ৩২ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা +৩টি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের-২২৫৪টি কলেজ-উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে(১২৭৬টি ডিগ্রীধারী মাদ্রাসা কলেজ, আরো কিছু মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ, ইন্সটিটিউট ও যত প্রকার ডিগ্রী পাস ও প্রতিষ্ঠান আছে তার উচ্চ ডিগ্রী প্রতিষ্ঠানসমূহ ৩৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আছে এবং ৭১টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ-২৪,৫১,৫৯৪ জন ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীরসংখ্যা-২,৮০,০০০(দুই লাখ অশি হাজার)। ২২৫৪টি কলেজে ছাত্র-ছাত্রীরসংখ্যা-১৬,৫০,৩৮৮ জন। ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে-১,৮৫,৯১০ জন। ১২৭৬টি ডিগ্রীধারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে-১,৫২,৯০৮ জন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের আসনসংখ্যা ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সসহ-৫,৯৭,৪৫৩টি। এরমধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরসংখ্যা-৫,৭২,০৪৪ জন। আসন খালী আছে-২৫,৪০৯টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পিছু মাথাপিছু খরচ হয়-বার্ষিক-৯২,৪১৪ টাকা এবং বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ জনের মাথাপিছু খরচ হয়-২,৬৪,৯২৪ টাকা।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর. প্রথম আলো ঃ দেশে আরো ১১টি মেডিকেল কলেজ অনুমোদন। বর্তমানে ২৪টি সরকারী মেডিকেল কলেজ আছে এবং ৫৪টি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ছিল আরো ১১টি=৬৫টি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ আছে। সরকারী ও বেসরকারী মিলে=৭৯টি মেডিকেল কলেজ আছে। আর সরকারি উচ্চবিদ্যায় আছে-৩২৩টি-০৭-০৩-২০১৪ তারিখ পর্যন্ত।
২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ২৫ হাজার কওমী মাদ্রাসা আছে এবং ৫০ লাখ সাধারণ শিক্ষার্থী। ধর্মব্যবসায়ীদের কারণে সনদ স্বীকৃতি বঞ্চিত ৫০ লাখ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৫৬ লাখ শিশু স্কুলের বাইরে। ইউনিসেফ ও ইউনেসকোর প্রতিবেদন। বাংলাদেশে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সংখ্যা-৩২৩টি।
২০১৪ সালের ১ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশে ৭৯টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। দেশে পাবলিক মেডিকেল কলেজ আছে-২৯টি, বেসরকারী মেডিকেল কলেজ আছে-৮৫টি মধ্যে ১৯টি ডেনটিস কলেজ আছে। ২৫-১১-২০১৪ তারিখের প্রথম আলো : আরো ছয়টি মেডিকেল কলেজের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর, প্রথম আলো : অবসরসুবিধা পেতে শিক্ষকদের চরম ভোগান্তি। সাড়ে তিন বছরে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর ৩৬ হাজার আবেদন জমা। কেউ টাকা পাচ্ছেন না।
২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর, ভোরের পাতা : আগামী ২ নভেম্বর, থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট(জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট(জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হবে এবং পরীক্ষার্থীর সংখ্যা-২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)-১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৫ জন এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট(জেডিসি)-৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭ জন।
২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর, প্রথম আলো : ২৩-১১-২০১৪ তারিখ থেকে প্রাথমিক ও ঈবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা-৩০,৯৪,২৬৫ জন। প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী-২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৪ জন এবং ঈবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী-৩,০৫,৭২১ জন।
২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর, প্রথম আলো : এমপিওর কাজ হবে আঞ্চলিক কার্যালয়ে। মাউশির অধীনে বর্তমানে পৃায় ৩৫ হাজার বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা আছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় পাঁচ লাখ। সরকারি শিক্ষক কর্মচারী আছেন আরও প্রায় ২০ হাজার। মাউশির নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয় হলো ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট।
২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : অনার্স কলেজগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিতে একমত উপাচার্যরা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কমিটি। কমছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে অধিভুক্ত ও সরকারি কলেজ আছে দুই হাজার ১৫৪টি। এগুলোতে শিক্ষার্থী প্রায় আছে ২১ লাখ। সরকারি কলেজ আছে-২৭৯টি, শিক্ষার্থী ১৩ লাখের বেশি। ¯œাতক সম্মান পড়ানো ১৮১টি সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা-প্রায় সাত লাখ ২৬ হাজার। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সম্মান পড়ানো হয় কলেজের সংখ্যা-৫৫৭টি।
২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : চাকরি-বাকরির পৃষ্ঠায় দেখুন : দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা-৬২ হাজারের বেশি, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে-১৮ হাজার ৮৮টি আর কলেজ আছে-৭২৬টি। পাবলিক বিদ্যালয় ৩৭টি, প্রাইভেট বিদ্যালয়-৮০টি, মেডিকেল কলেজ আছে-৮০টি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আছে-২৯টি।
২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি, প্রথম আলো : দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯টি। এর আগে ছিল ২৩টি এবং আরও ৫টি যোগ হয়ে=২৯টি। আর বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা আছে ৬৩টি আরো ৬টি যোগ হয়ে হল-৬৯টি। সরকারি-২৯টি এবং বেসরকারি-৬৯টি=৯৮টি মোটি মেডিকেল কলেজ সরকারি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আছে বাংলাদেশে। এবার তাতে ১০,০০০(দশ হাজার) ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হচ্ছে।
২০১৫ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো : দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ২০-০২-২০১৫ তারিখের পূর্বে ৮২টি এবং সেনাবাহিনীকে আরো ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনসহ মোট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা-৮৫টি। ১২-০১-২০১৬ তারিখ আরো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৬টি অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যেমন ঢাকাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৫০টি এবং আরো দুটি যোগ হয়ে হয়েছে এখন ৫২টি আছে ঢাকাতে। মোট বিশ্ববিদ্যালয় ৮৫+৬=৯১টি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি আছে বাংলাদেশে।
০৮-০৫-২০১৫ তারিখ প্রথম আলো : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে ‘‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ’’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৫ সালের ২২ মে, প্রথম আলো : ১৪ হাজার কওমি মাদ্রাসায় পড়ছে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। মোট মাদ্রাসার সংখ্যা-১৩ হাজার ৯০২টি কওমি মাদ্রাসা আছে। কোন বিভাগে কতটি কওমি মাদ্রাসা আছে (১) বরিশাল-১০৪০টি (২) চট্টগ্রাম-২,৯৮৪টি (৩) ঢাকা-৪,৫৯৯টি (৪) খুলনা-১,১৫৫টি (৫) রাজশাহী-১,৭০৪টি (৬) রংপুর-১,১৭৬টি ও(৭) সিলেট বিভাগে-১,২৪৬টি মাদ্রাসা আছে। এসব মাদ্রসাগুলোর মধ্যে পুরুষ মাদ্রাসার সংখ্যা-১২,৬৯৩টি এবং মহিলার মাদ্রাসার সংখ্যা-১,২০৯টি। পুরুষ ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা-১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩৬ জন এবং মেয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা-৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৬ জন পড়াশোনা করছে। শিক্ষক আছেন-৭৩,৭৩১ জন এর মধ্যে পুরুষ-৬৬,৯০২ জন এবং মহিলা-৬,৮২৯ জন। ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার আদলে ১৮০০ সালের শেষের দিকে এ দেশে কওমি মাদ্রাসার গোড়া পত্তন হয়। কওম শব্দের অর্থ জাতি। এ সব মাদ্রাসাগুলো ধর্ম ভিত্তিক শিক্ষা দেয়া হয়। ব্যানবেইসের তথ্য।
২০১৫ সালের ১৫ জুন, প্রথম আলো : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তথ্য অনুযায়ী দেশে এখন ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষক আছেন-১৫(পনের) হাজার। অধ্যাপকের সংখ্যা-৫,০০০(পাঁচ) হাজার। এর মধ্যে সিলেকশন গ্রেড পান ১,২৫০(এক হাজার দুইশত পঁঞ্চাশ) জন। ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই, প্রথম আলো : প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে-৮৩টি।
২০১৫ সালের ৩০ জুলাই, প্রথম আলো : বাংলাদেশে কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৮ হাজার ৯৩৩টির মধ্যে ১৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কেউ আবেদন করেনি।
২০১৫ সালের ১১ আগস্ট, প্রথম আলো : ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, মোট আসনের মধ্যে জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৭টি(দুটির কার্যক্রম শুরু হয়নি) ঃ (১) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসনসংখ্যা-৪২ হাজার ৯৮৪ (২) সারকারি-বেসরকারি মেডিক্যালকলেজগুলোতে আসন আছে-৯ হাজার ১১২টি (৩) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন আছে-৩৪,০০০টি (৪) ফাজিল স্তরের মাদ্রাসায় আসন আছে-৫০,০০০টি  (৫) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত ২ হাজার ১৫৪টি কলেজে ¯œাতক(সম্মান) ও ডিগ্রি পাস কোর্সে আসন আছে-৪,৪৪,২০০টি এর মধ্যে ¯œাতক সম্মানে আসন আছে-(১) দুই লাখেরও সামান্য বেশি। (৬) ৮৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন আছে-১,০০,০০০টি ও (৭) দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন আছে-৫৪৫টি। মোট আসন-৬,৮০,৮৪১টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন আছে-৭,০০২টি, জাহাঙ্গীনগরে-২,৫০০টি, রাজশ্হাী-৪,০০০টি, চট্টগ্রামে-৪,৬৫০টি, শাহজালাল-১,৪০০টি, ইসলামী-১,৪৬৫টি, খুলনা-১,০৩৭টি ও জগন্নাথে-২,৮৫০টি।
২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর, প্রথম আলো : আরো দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামে। এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পোষ্ট সৃষ্টি করতে অনুমোদন  লাগবে রাষ্ট্রপতির। সিন্ডিকেট কোন পদ সৃষ্টি করতে পারবে না।
২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর, আমাদের সময় ঃ এমপিও সুবিধাবঞ্চিত ৮ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু ১ নভেম্বর, বার্ষিক পরীক্ষার আগে শিক্ষকদের আন্দোলন-উদ্বিগ্ন ২০ লাখ শিক্ষার্থী।
২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর, প্রথম আলো : ২২-১১-২০১৫ তারিখ থেকে প্রাথমিক ও ঈবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা-৩২,৫৪,৫১৪ জন। প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী-২৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩ জন এবং ঈবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী-৩,০৫,৪৫১ জন। ২৯-১১-২০১৫ তারিখ এ পরীক্ষা শেষ হবে।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত এবতেদায়ী, দাখিল ও আলিম স্তরের মাদ্রাসার সংখ্যা ১৬ হাজার ২৮২টি। এর মধ্যে ৩টি সরকারি মাদ্রাসা আছে। চলতি বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকে মাদ্রাসা খাতে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৭৯ লাখ বরাদ্দ করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ৯২টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ৩৭টি এ সরকারের আমলে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৭ মে, প্রথম আলো ঃ বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, দেশে সর্বমোট ২৬ হাজার ৭৬টি এমপিওভুক্ত এবং ৫ হাজার ২৪২টি এমপিওভুক্তবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এমপিওভুক্তির সুপারিশ পাঁচ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানকে।
২০১৬ সালের ১৯ মে, প্রথম আলো ঃ প্রাথমিক শিক্ষা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত করা হল। গতকাল বুধবার(১৮-০৫-২০১৬ তারিখ) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত সভায় এ বিষয়ে চ’ড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানিয়ে বলেন, আজ(১৮-০৫-২০১৬ তারিখ) দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ.আ.ম.স. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বোর্ডের নাম সংশোধন করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড করার পরামর্শ দেন। প্রতি বছর সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষায় ৫০ লাখ নেয়।
২০১৬ সালের ১৯ মে, প্রথম আলো ঃ ৩৩৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সম্মেলন।
২০১৬ সালের ৮ জুন, প্রথম আলো ঃ অনুমোদন পেল আরও তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আগে ছিল ৯২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ৯২+৩=৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত। ২০০৯ সালের পূর্বে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল-৫৪টি। শিক্ষমন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
১৯৯৪ সাল থেকে স্কুলে এস. এস. সি. পরীক্ষার ফলাফল পাঠানোর পাশাপাশি এ পদ্ধতিকে আরও কীভাবে শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যায় তার চেষ্টা অব্যাহত থাকে। ২০০৪ সালে আবারও বুয়েটের সহযোগিতায় ইন্টারনেটে ফলাফল প্রকাশ শুরু হয়। এর পরের বছর থেকে যুক্ত হয় মোবাইল ফোনে ফলাফল প্রকাশ শুরু।
২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাক পরিত্রকার রিপোর্ট ঃ ৭টি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় ৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৯২৩ জন এইস.এস.সি. পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৫৮ জন। ফেলের হার শতকরা ৭৩.৮৯ ভাগ।
২০০২ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আগামীকাল মঙ্গলবার ডিগ্রী (পাস ও সাবসিডিয়ারী) পরীক্ষা শুরু ঃ এ পরীক্ষায় ৩,০৪,০০০ (তিন লক্ষ চার হাজার) পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিবে। সারাদেশে ৬১১টি কেন্দ্রে।
২০০৩ সালের ২৭ মার্চ, এস.এস.সি. পরীক্ষা শুরু। এবার পরীক্ষার্থী-১১,৩৪,০৪৯ জন।
২০০৩ সালের ২৯ মে, এইচ.এস.সি. পরীক্ষা শুরু ঃ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা-৫.৩(পাঁচ লক্ষ ত্রিশ হাজার), মোট কেন্দ্র-১,৬১৩টি এরমধ্যে ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র-১৬৭টি।
২০০৫ সালের ৯ জুলাই, এস.এস.সি. পরীক্ষার ফল প্রকাশ। গড় পাশের হার ৫৪.১০ ঃ ১৭,২৭৬ জন জিপিএ-৫,ছেলেরা এগিয়ে। ৪০৯টি স্কুল ও মাদ্রাসার একজনও পাশ করেনি।
২০০৫ সালের ২২ আগষ্ট, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ এস. এস. সি’র নম্বরপত্র আটকে রাখলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নয়া পরিপত্র।
২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ১,২৬০টি ডিগ্রি কলেজ থেকে সারাদেশে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হলো-১,৩২,৪৬৭ জন।
২০০৬ সালের ৯ মার্চ থেকে ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এস.এস.সি.পরীক্ষা শুরু। ২০০৬ সালে এস.এস.সি.পরীক্ষার্থীর সংখ্যা-১০,০০,৫৬৪ জন।
২০০৬ সালের ২৩ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ এস.এস.সি. পরীক্ষায় শতভাগ পাস ১৪শ’ স্কুলে এবং ২১৭টি স্কুলের সবাই ফেল।
২০০৭ সালের ২৭ আগষ্ট, এইচ.এস.সি. পরীক্ষায় পাসের গড় হার ৬৫.৬০ ভাগ, ১১,১৪০ জন জিপিএ-৫, শীর্ষে ঢাকা, সর্বনিম্নে বরিশাল বোর্ড। এবার পাশ করেছে-৩,৫৯,০০০ জন। ডিগ্রি ও সম্মান কোর্সে ভর্তির সুযোগ আছে-২,০৫,০০০ জন। ভর্তি হতে পারবে না-১,৫৪,০০০ জন। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হবে-১০,০০০ হাজার। বর্তমানে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে-৩১টি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে-৫৪টি। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে দেশে আরো-২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, শিক্ষার্থী কম, পাসের সংখ্যা ৪।  ১৮০০ বিদ্যালয়-মাদ্রাসাকে কারণ দর্শাতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারী হিসেব মতে এখন প্রাথমিক স্তরে ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে, মাধ্যমিক স্তরে এ হার ৪৪ শতাংশ। তবে ন্যাশনাল স্ট্রাটেজি ফর পোভার্টি রিডাকশন (এনএসপিআর) অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার ৬৬ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
২০০৮ সালের ২৯ মে, এইচ.এস.সি. ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে(২৯-০৫-২০০৮)। এ বছরের এইচএসসি, আলিম এবং এইচএসসি(ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) পরীক্ষায় দেশের ৭,১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬,২০,০২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
২০০৮ সালের ২১ জুন, বিজ্ঞানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থী কমার তুলনামূলক চিত্র ঃ এইচএসসিতে ২০০১ সালে বিজ্ঞান শাখায় পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ২৬ হাজার ৩১৫ জন, (২০০৮ সালে) এ বছর বিজ্ঞানে এ সংখ্যা ৯৭ হাজার ৫৭৬ জন। স্নাতক স্তরে ২০০১ সালে বিএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ হাজার ৯০৬ জন, ২০০৮ সালে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭৯০ জন।
২০০৮ সালের ২৭ জুন,স্মরণকালের সেরা ফল। এসএসসিতে ৪১,৯১৭ জিপিএ-৫, সাত বোর্ডে গড় পাস ৭০.৮১ শতাংশ, সর্বোচ্চ পাস ঢাকায় ৭৭.৮১, সর্বনিম্ন সিলেটে ৫৩.৮৮। আর পাসের হার সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৮২.৬ শতাংশ। এসএসসিতে যেভাবে বাড়ছে জিপিএ-৫(মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ৯ বোর্ডের চিত্র)। ২০০৪ সালে ছিল জিপিএ-৫ এর সংখ্যা-৯,৮৮৬ জন। ২০০৫ সালে ছিল জিপিএ-৫ এর সংখ্যা-১৭,২৯৪ জন। ২০০৬ সালে ছিল জিপিএ-৫ এর সংখ্যা-৩০,৪৯০ জন। ২০০৭ সালে ছিল জিপিএ-৫ এর সংখ্যা-৩২,৬৪৬ জন। ২০০৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে-৫২,৫০০ জন।
২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, দেশের ১,৩৮০টি কলেজের ২,২৪,৬০০ ছাত্র-ছাত্রী ডিগ্রি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে-২০০৭ সালে এবং ফল প্রকাশ ঃ চুড়ান্ত পরীক্ষায় পাসের হার ৫৭ শতাংশ। মোট পাস ১,৮৪,৪৯৯ জন।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, এ বছর সাত শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট চার লাখ ৯৬ হাজার ১৩৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। মোট পাস করেছে তিন লাখ ৭১ হাজার ৩৮২ জন। গড় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৪.২৭ শতাংশ। তার আগের বছর ছিল ৬৩.৯২ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়ে ১৯ হাজার ১০৮ জন। এরমধ্যে ছাত্রী আট হাজার ৩৭ জন।
২০০৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ এবার প্রথম এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে এবং দিনাজপুর নিয়ে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ৬৩ হাজার  ৪৮৪ জন ছাত্রছাত্রী সবচেয়ে বড় এ পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯২২টি।
২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল, প্রথম আলোঃ এ বছর দেশের আটটি সাধারণ এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের ছয় লাখ ১৮ হাজার ৩০৮ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেবে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ছাত্র এবং ৪৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ ছাত্রী। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ঢাকা বোর্ডে এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৯৮ জন এবং সবচেয়ে কম পরীক্ষার্থী সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ১৮ হাজার ৩৪৯ জন। এ ছাড়া রাজশাহী বোর্ড থেকে ৭৫ হাজার ৬২৯ জন, কুমিল্লা বোর্ড থেকে ৪১ হাজার ৬৪৪ জন, যশোর বোর্ড থেকে ৭৪ হাজার ৪৮৯ জন, চট্টগ্রাম বোর্ড থেকে ৪১ হাজার ৭৫৪ জন,বরিশাল বোর্ড থেকে ৩০ হাজার ১৫৯ জন এবং দিনাজপুর বোর্ড থেকে ৫৯ হাজার ৪১১ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ৫৯ হাজার ৩৫৪ জন এবং কারিগরি শিক্ষ বোর্ড থেকে ৬৪ হাজার ১২১ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। ১০টি বোর্ডে ঝরে পড়ার হার ১৯.১৯ শতাংশ। গত বছর ছিল ২৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
২০০৯ সালের ২৭ মে, প্রথম আলো ঃ আট বোর্ডে গড় পাস ৬৭.৪১ শতাংশ; সর্বোচ্চ পাস সিলেটে, সর্বনিম্ন রাজশাহীতে। জিপিএ-৫ এর নতুন নজির। ৫ বছরে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর গড় বৃদ্ধির চিত্র।  ২০০৫ সালে-১৫,৬৪৯ জন, ২০০৬ সালে-২৪,৩৮৪ জন, ২০০৭ সালে-২৫,৭৩২ জন, ২০০৮ সালে-৪১,৯১৭ ও ২০০৯ সালে-৪৫,৯৩৪ জন।
একনজরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার(২৫-০৭-২০০৯ সালের) ফলাফল ঃ
বোর্ড জিপিএ-৫ মোট পাসের হার
ঢাকা ৯৪৫০ ৭১.৫৩
রাজশাহী ২২২৯ ৭০.৪৭
কুমিল্লা ৬০১ ৬৬.৯৯
যশোর ২০৯৩ ৭৮.৭৭
চট্টগ্রাম ১৪৪৮ ৭৬.৩১
বরিশাল ৫৭৪ ৬৭.২০
সিলেট ৪৩৯ ৭৩.৯৬
দিনাজপুর ১৩৮৮ ৫৫.৯০
মাদ্রাসা বোর্ড ১৮৯৪ ৮৪.১৪
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ২০ ৮০.৭৪
মোট=১০টি বোর্র্ড ২০,১৩৬ ৭২.৭৮*
২০০৯ সালের ১২ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ পঞ্চম শ্রেণীতে সারা দেশে একযোগে সমাপনী পরীক্ষা। একই প্রশ্নে পরীক্ষা। পরীক্ষার্থী হবে ২০ লাখের বেশি। বৃত্তি পরীক্ষা থাকবে না। সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি। প্রাথমিক স্তরে পাঁচটি শ্রেণীতে সরকারি হিসাবে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ।
২০০৯ সালের ২৩ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট চার লাখ ৪২ হাজার ৩৮৯ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। উচ্চশিক্ষায় আসনসংখ্যা ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১১২ জন। মেডিকেল আসনসংখ্যা ৭ হাজার। সরকারি ১৭টি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা ২,২৫০টি।
২০০৯ সালের ৩০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮ সালের ডিগ্রি (পাস), সাবসিডিয়ারী ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষায় এক হাজার ৪১৩টি কলেজের মোট দুই লাখ ৫২ হাজার ৫২৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে এক লাখ ৬৬ হাজার ৩৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। শতকরা ৫৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ পাস করেছেন।
২০০৯ সালের ২১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ শিশুদের ‘এসএসসি পরীক্ষা’ আজ শুরু। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৯ লাখ ৮০ হাজার ১৮০ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৭০ হাজার ১৯৬ জন এবং ছাত্র ৯ লাখ ৯ হাজার ৯৮৪ জন। পঞ্চম শ্রেণীর এ পরীক্ষায় ছাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজার ২১২ জন বেশি। ফল প্রকাশ ২০ ডিসেম্বর, ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি, মূল্যায়ন ডিভিশন পদ্ধতিতে। এ ফলাফলের ভিত্তিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করা হবে। উপস্থিতির হার ৯২ শতাংশ বা ১৮,২১,৭৬৫.৬ জন। ২০০৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ৫ম শ্রেণীর মোট শিক্ষার্থী ১৮,২৩,৪৬৫ জন, উত্তীর্ণ ঃ ১৬,২০,০৫৪ জন, বৃত্তি পাবে ৫০(পঁঞ্চাশ) হাজার। প্রথম বিভাগ পেয়েছে বেশি। প্রাথমিকে ৮৮.৮৪ ভাগ পাস। ১৯৩৭টি স্কুলে কেউ পাস করেনি। ৩৭,২২৫টি বিদ্যালয়ের শত ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ। মেধা তালিকায় মেয়েরা এগিয়ে। প্রথমিকেই সাড়ে তিন লাখ ঝরে পড়ার অ্রাশোঙ্কা। ২৬-০১-২০১০ তারিখ প্রথম আলোর রিপোর্ট ঃ ৫০ হাজার ৫৩৫ শিক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পেয়েছে। এ বছর ট্যালেন্টপুলে ১৯ হাজার ৯৯৫ জন এবং সাধারণ গ্রেডে ৩০ হাজার ৫৪০ জন।
২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ এবার এস. এস. সি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৩ হাজার ৮৬৪ জন।
২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ১২ লাখ ৬ হাজার ১৯ জন (১১-০২-২০১০ তারিখ)। এদের মধ্যে ছয় লাখ ২৭ হাজার ৬৭২ জন ছাত্র ও পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪৭ জন ছাত্রী। ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২,০৪৪টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এবার ২৬ হাজার ১৯২টি স্কুলের ছাত্রছাত্রী। এবার গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৩৫ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
২০১০ সালের ৩১ মার্চ, আমাদের সময় ঃ ২০১০ সালের ১ এপ্রিল, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ৭,৩৬,৩৭৩ জন। এরমধ্যে ৪,০০,৪৬৪ জন ছাত্র এবং ৩,৩৫,৯০৯ জন ছাত্রী। ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ৭,২০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন্দ্র সংখ্যা-২,০৩৭টি।
২০১০ সালের ১৬ মে, প্রথম আলো ঃ আট বোর্ডে গড় পাস ৭৮.১৯ শতাংশ; সর্বোচ্চ পাসের হার ৮৫.৬০ রাজশাহীতে, সর্বনিম্ন সিলেটে। জিপিএ-৫ এর নতুন নজির। ৬ বছরে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর গড় বৃদ্ধির চিত্র।  ২০০৫ সালে-১৫,৬৪৯ জন, ২০০৬ সালে-২৪,৩৮৪ জন, ২০০৭ সালে-২৫,৭৩২ জন, ২০০৮ সালে-৪১,৯১৭, ২০০৯ সালে-৪৫,৯৩৪ ও ২০১০ সালে ৬২,১৩৪ জন। ২০০৯ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯১ জন আর ২০১০ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭ জন এবার ৭,১৩,৫৪৪ জন পাশ করেছেন।
২০১০ সালের ৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ২০০৯ সালের ডিগ্রি পাস পরীক্ষা ৫ জুলাই শুরু। সারা দেশের এক হাজার ৪৩৫টি ডিগ্রি কলেজের বিভিন্ন শাখার দুই লাখ ৬৪ হাজার ৯০১ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। মোট ৫৮৫টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিএ-৯৪ হাজার ৩৯৬ জন, বিএসসি-নয় হাজার ৭৩২ জন, বিএসএস-এক লাখ এক হাজার ৮৭৩ জন, বিবিএস-৫৮ হাজার ১৮৫ জন, বিমিউজ-৭৭ জন এবং স্পোটর্স-৩৯ জন।
২০১০ সালের ১৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ এইচএসসিতে এবার পাসের হার গড় ৭৪.২৮ ভাগ। মোট ২৮,৬৭১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ। সর্বোচ্চ পাস সিলেটে, সর্বন্মি দিনাজপুরে। এবার মেয়েরা এগিয়ে।
২০১০ সালের ২৫ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২৩ নভেম্বর শুরু শেষ হবে ২৯ নভেম্বর, পরীক্ষার্থী ২৫ লাখ।
২০১০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা ৪ নভেম্বর থেকে শুরু। প্রথমবারের মতো সারা দেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠেয় এ পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৫ লাখ ২০ হাজার ৭৩১ জন ভাত্রছাত্রী।
২০১০ সালের ১১ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী পাস প্রথম বর্ষ পরীক্ষা শুরু। সারা দেশে ১,৪২৬টি ডিগ্রী কলেজের মোট পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
২০১০ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ আজ শুরু হচ্ছে অস্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) ও জেডিসি (জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট) পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫ হাজার ৩৯১ জন। এরমধ্যে জেএসসি পরীক্ষা দেবে ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯১ জন। আর জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে ২ লাখ ৭২ হাজার জন। মোট ২৭ হাজার ২২১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এক হাজার ৮০৪টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা দেবে।
২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৫ম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা আজ শুরু। এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৮৮ হাজার ১৪৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এবার সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক বৃত্তির সংখ্যা আরও ৫ হাজার বাড়িয়ে ৫৫ হাজারে উন্নীত করা হচ্ছে।
২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ। পাস ৯২%, প্রথম বিভাগ বেশি। প্রথম বিভাগে-৪৭.৯৫%, ২য় বিভাগে-৪০.৫১% ও ৩য় বিভাগে ১১.৫৪%। ২১ লাখ ৫৬ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছিল। এ পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৩৩১ জন। এর মধ্যে ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৬৫১ জন বিভিন্ন বিভাগে পাস করেছে। গত বছর অকৃতকার্য ও অনুপস্থিত মিলিয়ে প্রায় ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়।
২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ জেএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ৭১% আর জেডিসি পরীক্ষায় পাস করেছে ৮১%। জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১১ লাখ ৫২ হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থী এরমধ্যে পাস করেছে ৮ লাখ ২২ হাজার ২৭৫ জন (জিপিএ-৫ পেয়েছে আট হাজার ৫২ জন)। জেডিসি পরীক্ষায়  ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৩ জন শিক্ষার্থী এরমধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭২ জন (জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০৪ জন)।
২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ১৫ হাজার। আগামী ১ ফেব্রæয়ারি, ২০১১ সাল পরীক্ষা শুরু।
২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০০৯ সালের ডিগ্রি পাস, সাবসিডিয়ারী ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষার (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষ) ফলাফল প্রকাশ। সব বর্ষে পাসের হার ৮৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। সারা দেশে দুই লাখ ৬৫ হাজার ৩৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে দুই লাখ ২০ হাজার ৩৪৭ জন পাস করেছে।
২০১১ সালের ৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ২০১১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা বোর্ড থেকে অংশ নিচ্ছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার পরীক্ষার্থী।
২০১১ সালের ১৩ মে, প্রথম আলোঃ এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৩১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে-৬২,৭৮৮ জন। গত বছর পেয়েছে-৬২,১৩৪ জন।
২০১১ সালের ২৭ জুলাই, প্রথম আলোঃ এইসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে-৩৯,৭৬৯ জন।
২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১০ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সাটিফিকেট কোর্স পরীক্ষা শুরু হবে। সারাদেশে ৬০৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় প্রায় চার লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
২০১১ সালের ১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর থেকে ডিগ্রি পরীক্ষা শুরু হবে। এ বছর চার লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিবে।
২০১১ সালের ২৯ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১ নভেম্বর, মঙ্গলবার থেকে ১৮ লাখ ৬২ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায়। যা গত বছরের তুলনায় তিন লাখ ৪১ হাজার ৫৫৪ জন বেশি।
২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ জেএসসি পরীক্ষার ফল-পাসের হার ঃ ৮২.৬৭ ভাগ। জিপিএ-৫ ঃ ২৯ হাজার ৮৩৮ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮.৭১ শতাংশ। জিপিএ-৫ মাত্র ১০১৪ জন। জেএসসিতে এবার সারা দেশের ১,৮২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৮৬৩টি। কোনো শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়নি-এমন বিদ্যালয় এবার ১০৭টি, গতবার এমন বিদ্যালয় ছিল ২৭২টি।
২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর, ছয় হাজার ১৬৮টি কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৫ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ। গতবার দুই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩২৯ জন। এবার থেকে এ পরীক্ষার ফল গ্রেড পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হবে। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর, প্রথম দিন পরীক্ষায় পৌনে দুই লাখ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত।
২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৭.২৬ শতাংশ। ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৯ জন। সারা দেশে এবার ৬৮ হাজার ৬২৯টি বিদ্যালয় থেকে শত ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। গতবার শত ভাগ পাস করা বিদ্যালয় ছিল ৫১ হাজার ৫৭৬টি। শত ভাগ পাসের বিপরীতে ৩৭১টি বিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ পারেনি। জিপিএ-৫ পেল এক লাখ ৫ হাজার ৬৭৩ জন। মনিপুর হাইস্কুল প্রথম, ভিকারুননিসা দ্বিতীয় এবং আইডিয়াল তৃতীয় স্থানে।
২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ২০১০ সালের এস.এস.সি. প্রোগ্রামের প্রথম ওদ্বিতীয় বর্ষের চুড়ান্ত ফল প্রকাশ। পাসের হার ৬২.১৪%। মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৮৯৬ জন। চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী (দ্বিতীয় বর্ষ) ৬২ হাজার ৪৫ জনের মধ্যে একজন ‘এ প্লাশ’ ৯৪৯ জন ‘এ’ পাঁচ হাজার ১৩৪ জন ‘এ’ মাইনাস ১১ হাজার ৯৬১ জন ‘বি’ ১৯ হাজার ৪৭৮ জন ‘সি’ এবং এক হাজার ৩৪ জন শিক্ষার্থী ‘ডি’ পেয়েছে।
২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১ ফেব্রæয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু-অংশগ্রহণ করবে সাড়ে ১৪ লাখ ২০ হাজর ৫৭ জন। ছাত্র-৭ লাখ ৩৫ হাজার ২২৯ জন এবং ছাত্রী-৬ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ জন। এবার দুই হাজার ১৮৮ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ২৮ ভাগ শিক্ষার্থী মানে ৩,৯৭,৬১৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে নাই।  এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ইতিহাসে সর্বোচ্ছ। গত বছর পরীক্ষ দিয়েছিল ১৩ লাখ ১৫ হাজার।
২০১২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে ৭ মে, পাসের হার ৮৬.৩২%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৫,২৫২ জন। ৩,৩৭৭টি স্কুলের শতভাগ পাশ। মাদ্রাসায় পাসের হার ৮৮.৪৭, কারিগরি বোর্ডে ৮০.৬৯%।
২০১০ সালের ডিগ্রি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৬৭.১৭ শতাংশ। পরীক্ষায় সারা দেশের ৬১৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪৮৫টি কলেজের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষ (চূড়ান্ত) এবং সার্টিফিকেট কোর্স মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭৮৯ জন। পাস করেছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৫ জন।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সারা দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নয় লাখ ১৭ হাজার ৬৭৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। পাসের হার ৭৬.৫০% আর জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৫১,৪৬৯ জন। ১০টি বোর্ডের উত্তীর্ণ হার ৭৮ দশমিক ৬৭ ভাগ।
২০১২ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ জেএসসি পরীক্ষা আজ শুরু। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে দেশের দুই হাজার ২৫০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে ১৯ লাখ ৮ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা দিচ্ছে। আর জেডিসিতে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্রী ১০ লাখ ১১ হাজার ৫০৩ জন এবং ছাত্র ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬২ জন।
২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ জেএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৬ দশমিক ১১ শতাংশ পাস করেছে। জেএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ পাস করেছে।
২০১২ সালের ২১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সারা দেশে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী আজ বুধবার (২১-১১-২০১২ তারিখ) শুরু হয়েছে। এই দুই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯৩ জন। প্রাথমিক-২৬ লাখ ৪১ হাজার ৬৭ এবং মাদ্রাসা-৩ লাখ ২৮ হাজার ৩২৬ জন। ২০০৮ সালে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল সরকারি এবং বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ২১১ জন শিশু। ৩৭,৮৯,২১১-২৯,৬৯,৩৯৩=০৮,১৯,৮১৮ জন প্রাথমিক ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী ঝড়ে গেছে। ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ প্রথমিকে বৃত্তি পেল ৫৪,৫৩০ শিক্ষার্থী। ঢাকা বিভাগে-১৬ হাজার নয়জন, চট্টগ্রামে ১১ হাজার ২১ জন, রাজশাহীতে সাত হাজার ৬৭৩ জন, খুলনায় ছয় হাজার ১৯৭ জন, রংপুরে পাঁচ হাজার ৯৮৮ জন, সিলেটে তিন হাজার ৮৩৬ জন এবং বরিশাল বিভাগে তিন হাজার ৮০৬ জন বৃত্তি পেয়েছে।
২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু ঃ এবার পরীক্ষার্থী ঝরে গেছে এক লাখ ৮৬ হাজার। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শুরু এই তিন পরীক্ষায় মোট পরীক্ষাথীর সংখ্যা ১৩ লাখ তিন হাজার ২০৩ জন, শতকরা ০.৭৭ ভাগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ। গতবার এই সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ২০ হাজার ৫৭ জন। গত বারের চেয়ে এবার এক লাখ ১৬ হাজার ৮৫৪ জন পরীক্ষার্থী কমেছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নয় লাখ ৮৯ হাজার ৮১৭ জন। দাখিল দুই লাখ ২৫ হাজার ২৬ জন ও এসএসসি ভোকেশনার ৮৮ হাজার ৩৬০ জন। ১০ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী মধ্যে ছাত্রসংখ্যা ছয় লাখ ৬৮ হাজার ২৬৮ জন এবং ছাত্রীসংখ্যা ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯৩৫ জন। ১০ বোর্ডে (২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষ) নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধন করে ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৯ জন। এর মধ্যে থেকে এবার পরীক্ষা দিচ্ছে ১০ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৬ জন। ঝরে গেছে এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৩ জন। তবে নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে মোট পরীক্ষার্থী আরো বেশি। ২০১৩ সালে পাস করেছে-১১,৬৯,২৩৪ জন। পাস করেছে-শতকরা ০.৬৯ ভাগ।
২০১৩ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ ৯ মে, ২০১৩ তারিখ ঃ স্মরণকালের সেরা ফল ঃ ৮ বোর্ডে পাস ৮৯.৭২% জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৭,৩৮১ জন।
২০১৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষাতে সাধারণ বোর্ডগুলি থেকে আট লাখ ১৪ হাজার ৪৬৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছেন পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৭ জন। ছাত্রদের পাসের হার-৭০ দশমিক ৬২ ভাগ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৭১ দশমিক ৬৪ ভাগ। পাস করা শিক্ষাথীদের মধ্যে ছাত্রী-দুই লাখ ৯০ হাজার ৯০০ ও ছাত্র-দুই লাখ ৮৮ হাজার ৩৯৭ জন।
২০১৩ সালের ১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ এইচএসসি পরীক্ষার সময়ে আন্দোলন করবে বিএনপি। উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হবে সংখ্যা ১০ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ জন এরমধ্যে ছেলে-৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬২ জন এবং মেয়ে-৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯১৯ জন। ১০টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ওই পরীক্ষা শুরু হবে ১ এপ্রিল, ২০১৩। শতকরা ০.৫৯ ভাগ।
২০১৩ সালের ৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ৩ জুলাই, এইচএসসি-২০১৩ সালের পরীক্ষার ফল প্রকাশ। আট বোর্ডে পাসের হার-৭১.১৩% এবং জিপ্এি-৫ পেয়েছে-৪৬,৭৩৬ জন। (১) ঢাকা বোর্ড পাসের হার-৭৪.০৪%, জিপিএ-৫-২২,৩৪৭ জন, (২) কুমিল­া বোর্ড পাসের হার-৬১.২৯%, জিপিএ-২,৩৯০ জন, (৩) রাজশাহী বোর্ড পাসের হার-৭৭.৬৯%, জিপিএ-৫ পেয়েছে-৭,৬৬৬ জন, (৪) যশোর বোর্ড পাসের হার-৬৭.৪৯%, জিপিএ-৫ পেয়েছেন-৪,৭৪০ জন, (৫) চট্টগ্রাম বোর্ড পাসের হার-৬১.২২%, জিপিএ-৫ পেয়েছে-২,৭৭২ জন (৬) বরিশাল বোড পাসের হার-৭১.৬৯%, জিপিএ-৫ পেয়েছে-১,৮৫৩ জন, (৭) সিলেট বোর্ড পাসের হার-৭৯.১৩%, জিপিএ-৫ পেয়েছে-১,৫৩৫ জন  ও (৮) দিনাজপুর বোর্ড পাসের হার-৭১.৯৪%, জিপিএ পেয়েছে-৩,৪৩৩ জন। সবচেয়ে খারাপ করেছে চট্টগ্রাম ও কুমিল­া বোর্ড। (৯) মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পাসের হার-৯১.৪৬%, এবং (১০) কারিগরি বোর্ড পাসের হার-৮৫%, জিপিএ-৫ পেয়েছে-৫,৪৬৫ জন। ২০১৩  সালের এইচ.এস-সি. পরীক্ষায় পাস করেছে-৭,৭৬,০০০ জন। পাস করেছে শতকরা-০.৪৬ ভাগ।
২০১৩  সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত হয় ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫ জন ছাত্রছাত্রী। তবে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৩২ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪২  জন। শতকরা ১.৪৬ ভাগ পাস করেছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেল প্রায় দুই লাখ ৪১ হাজার।
২০১৩  সালে চতুর্থবারের মতো জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৩ জন। শতকরা ০.৮২ ভাগ পাস করেছে। জেএসসি জিপিএ-৫ পেয়েছিল গতবার (২০১২ সালে) ৪৪ হাজার ১৫৮ জন। এবার ২০১৩ সালে জেএসসি জিপিএ-৫ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৯৭ জন।
২০১৪  সালের ৬  ফেব্রুয়ারি, পরীক্ষা শুরু ১০টি বোর্ড থেকে এস.এস.সি. ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে-১৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৯২৩ জন ছাত্র-ছাত্রী। শতকরা ০.৮৪ ভাগ পরীক্ষার্থী।
২০১৪ সালের ১৭ মে, এস.এস.সি. পরীক্ষায় পাসের হার ৯১.৩৪ শতাংশ। ১৪ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ তিন হাজার ৭৫৭ জন। এক বছরের ব্যবধানেই ৫১ হাজার ৫০ জন জিপিএ-৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ৬৬৬ জনে। শতকরা ০.৭৭ ভাগ পাস। বাংলাদেশের উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর শতকরা ৩০% ছাত্রী আর শতকরা ১০% ছাত্র উপবৃত্তি পান ।
২০১৪  সালের ৩ এপ্রিল, পরীক্ষা শুরু হবে-১০টি বোর্ড থেকে এইচ.এস-সি. ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে-১১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন ছাত্র-ছাত্রী। মোট দুই হাজার ৩৫২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৩ সালে ছিল-৮,১০৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এবার ২০১৪ সালে এবার ৩০১টি বেড়ে হয়েছে-৮,৪০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৬৪টি পরীক্ষা কেন্দ্র বেড়েছে। ৮টি সাধারণ বোর্ডে-৯,২৪,১৭১ জন পরীক্ষার্থী, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে-১,০৭,৫৫৭ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে-১,০৪,৯৭৭ জন পরীক্ষার্থ পরীক্ষায় অশগ্রহণ করেছে। শতকরা ০.৬৭ ভাগ পরীক্ষার্থী। এ ছাড়া ঢাকা বোর্ডের ডিআইবিএসে-চার হাজার ৯৭৭ জন। সবচেয়ে বেশি ঢাকা বোর্ডে-৩,৩৮,০০০ আর সবচেয়ে কম বরিশাল বোর্ডে-৫৫ হাজার ৭৪১ জন।
২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট, এইচ.এস-সি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। মোট পরীক্ষার্থী ১১,৪১,৩৭৪ জন। পাশের হার ৭৮.৩৩ ভাগ। মোট=৮,৯৪,০৩৮ জন পাস করেছে।
২০১৫ সালের ২২ আগস্ট, মোঃ জাকির হুসেন ওরফে আলমগীরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার ফল ঃ ২০১৫ সালে বাংলাদেশের লোকসংখ্যা ১৭(সতের) কোটি। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি প্রাইমারী স্কুল ও যত প্রকার কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে-১,১২,২২৮টি(সরকারি প্রাইমারী-৬৩,৭৬৫টি, বেসরকারি প্রাইমারী-১৮,৪৬৩টি এবং ৪০,০০০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে বাংলাদেশে) তার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-৩,০০,০০,০০০(তিন কোটি) মানে প্রাইমারী স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায়-২,০০,০০,০০০(দুই কোটি) এবং কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-১,০০,০০,০০০(এক কোটি)। ইউনিসেফ ও ইউনেসকোর প্রতিবেদন : ৫৬ লাখ শিশু স্কুলের বাইরে। জনসংখ্যার শতকরা ৩.২৯ ভাগ শিশু প্রাইমারী ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়তে যেতে পারে না। আর শতকরা ১৭.৬৫ ভাগ ছেলে-মেয়ে প্রাইমারী ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলে লেখাপড়া করে। সবাই লেখাপড়া করতে পারলে বাংলাদেশে শতকরা ২১ ভাগ বা ৩,৫৭,০০,০০০(তিন কোটি সাতান্ন লক্ষ) ছেলে-মেয়ে প্রাইমারী ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলে লেখাপড়া করত। এর বাহিরেও ১৪(চৌদ্ধ) হাজার কওমি মাদ্রাসায় ১৪(লক্ষ) ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে। বাংলাদেশে ২৯,০১২টি সরকারি-বেসরকারি, এমপিওভূক্ত-নন এমপিওভূক্ত উচ্চ বিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-১,০৭,০০,০০০(এক কোটি সাত লাখ) মানে উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে-৮০,০০,০০০(আশি লাখ), কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-৫,০০,০০০(পাঁচ লাখ) ও উচ্চ মাদ্রাসাগুলোতে-২২,০০,০০০(বাইশ লাখ) । উচ্চ বিদ্যালয় , কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উচ্চ মাদ্রাসাগুলোতে শতকরা ৬.২৯ ভাগ ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে এবং  সবাই যদি লেখাপড়া করার সুযোগ পেত তা’হলে শতকরা ২১ ভাগ বা ৩,৫৭,০০,০০০(তিন কোটি সাতান্ন লক্ষ) ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করত। প্রাইমারী ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো থেকে শতকরা ১১.৬৫ ভাগ ছেলে-মেয়ে উচ্চ বিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উচ্চ মাদ্রাসাগুলোতে পড়তে পারে না। এবং ৩.২৯ ভাগ শিশু প্রাইমারী স্কুলে পড়তে যেতে পারে না এবং শতকরা ১৪.৯৪ ভাগ বা ২.৫৫(দুই কোটি পঁঞ্চান্ন লক্ষ) ছেলে-মেয়ে ঝড়ে যায়। ২০১৪ সালে এস.এস.সি. ও সমমান পরীক্ষাথী ছিল-১৪,২৬,৯২৩ জন বা শতকরা ০.৮৪ ভাগ। ২০১৪ সালে এস.এস.সি. ও সমমান পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে-১৩,৩,৭৫৭ জন বা ০.৭৭ ভাগ। প্রায় ৫,৩৫০টি সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, এমপিওভূক্ত, নন-এমপিওভূক্ত কলেজ, মাদ্রাসা কলেজগুলো,  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রিকালচার ডিপ্লোমা, নাসিং ডিপ্লোমা ও যত প্রকার ডিপ্লোমা আছে এস.এস.সি. পাশের পর এইচ.এস-সি’র ও সমমান পড়ালেখাতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-১২,০০,০০০(বার লাখ) বা প্রথম বর্ষের আসন সংখ্যা। শতকরা ০.৭০ ভাগ লেখাপড়া করে। ২০১৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা-১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন শতকরা ০.৬৭ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী  এবং পাস করেছে-৮,৯৪,০৩৮(আট লক্ষ চুরানব্বই হাজার আটত্রিশ)-শতকরা ০.৫২ ভাগ পাস।  (১) ৩৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসনসংখ্যা-৩৬,৫০০ হাজার (২) ৭৭টি প্রইিভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন সংখ্যা-৭৫,০০০ হাজার (৩) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা-৪,২০,৯০০ (৪) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা-৫৭,৮৫৮টি=মোট=৫,৯০,২৫৮টি আসন এবং মেডিক্যাল কলেজসহ উচ্চ শিক্ষায় প্রথম বর্ষের আসন সংখ্যা-৫,৯৭,৫৪৩(পাঁচ লক্ষ সাতানব্বই হাজার পাঁচশত তেতাল্লিশ) শতকরা ০.৩৫ ভাগ ছেলে-মেয়ে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করতে পারে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। ঝড়ে যায় প্রায় দুই লাখ ছেলে-মেয়ে বা শতকরা ০.১২ ভাগ। সরকারী ও বেসরকারি ডিগ্রী কলেজ, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, এগ্রিকালচারাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে , বি.এ., বি.এস-সি., বি.কম, বিবিএ., এম.বি.এ., সি.এ., সম্মান, মাস্টার ডিগ্রী, এমবিবিএস, বি.এস-সি.(ইঞ্জিনিয়ারিং), বি.এ.জি., এম.এ.জি. ও যত প্রকার গ্র্যাজুয়েশন ও মাস্টারর্স ডিগ্রী, এম.ফিল. ও পিএইচডি ডিগ্রীসহ বাংলাদেশ মঞ্জুরী কমিশনের ২০১২ সালের বার্ষিক বিবরণীতে আছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায়-২০,০০,০০০(বিশ লাখ)।  ৪ বছরে উচ্চ শিক্ষায় ২০,০০,০০০(বিশ লক্ষ) বছরে গড়ে ৫,০০,০০০(পাঁচ) লক্ষ ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করে। এ চিত্র বাংলাদেশের লেখাপড়ার। বাংলাদেশে শিক্ষার হার শতকরা ৩০ ভাগ। এর বেশি হবে না। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানুষের জন্য এ অংশটি: ২০১৪ সালে বাংলাদেশের লোকসংখ্যার ৪৮৬ ভাগের এক ভাগ লোক বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বাস করে-৩,৫০,০০০(তিন লক্ষ পঁঞ্চাশ হাজার) মানুষ। ২০১৪ সালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৩১টি, ৪টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্ডারগার্টেন আছে-৫৩টি। প্রাইমারী এবং কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-৪৮,২০০(আটচল্লিশ হাজার দুইশত)। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কতভাগ ছেলে-মেয়ে প্রাইমারী ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলে লেখাপড়ে করে শতকরা ১৩.৭৭ ভাগ এবং স্কুলে যেতে পারে না শতকরা ৩.৩০ ভাগ ছেলে-মেয়ে। বাংলাদেশের লোকসংখ্যার হিসাবে ৪৮৬ ভাগ লোক বাঞ্ছারামপুর উপজেলার গ্রামগুলোতে বাস করে। সে হিসাবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রাইমারী ও কির্ন্ডাগাটেন স্কুলে লেখাপড়া করার কথা ছিল-৬১,৭২৮ জন বা শতকরা ১৭.৬৫ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী। বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বাংলাদেশের জাতীয় গড় থেকে কম ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করে-শতকরা ৩.৮৮ ভাগ। এ থানায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কয়টি-৩৮টি(১টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ)। বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় শিক্ষার হার শতকরা কতভাগ ২৫ ভাগ। স্বাক্ষরতার হার কতভাগ শতকরা ৬০ ভাগ। আর একটি নতুন পরিসংখ্যান দেয়া হলো : দিনাজপুর জেলায়  জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৬টি এবং ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলায়ও জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৬টি আছে। কিন্তু স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা আছে দিনাজপুর জেলায়-১,০৭৫টি এবং ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলায় আছে-৩৬৪টি। আর ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও উপজেলায়-স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা আছে-২১৭টি এবং যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায়-স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা আছে-২০৩টি। আর বাংলাদেশে এমনও উপজেলা আছে প্রায় ২৫টি গার্লস স্কুল আছে।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : সমাপনী মোট পরীক্ষার্থী ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮১ জন। পাসের হার ৯৭.৯২%। মোট পাস করেছে-২৬,৩৭,৭৫০ জন। শীর্ষে বরিশাল-৯৮.৭১% আর পিছিয়ে সিলেট-৯৪.৯৫%।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : জেএসসি মোট পরীক্ষার্থী ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৯৩১ জন। পাসের হার ৮৯.৮৫%। মোট পাস করেছে-১৫,৫৪,৩৪৩ জন। শীর্ষে বরিশাল-৯৭.৯২% আর পিছিয়ে চট্টগ্রাম-৮৪.২৯%।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯৫.৯৮%। মোট পরীক্ষার্থী ছিল-২,৬৫,৯৭৪ জন। মোট পাস-২,৫৫,২৮২ জন।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : জেডিসিতে মোট পরীক্ষার্থী ৩,১১,৫৪০ জন। পাসের হার-৯৩.৫০%। পাস করেছে-২,৯১,৩০৫ জন।
২০১৫  সালের ৫  জানুয়ারি, পরীক্ষা শুরু ১০টি বোর্ড থেকে এস.এস.সি. ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে-১৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৯২৩ জন ছাত্র-ছাত্রী।
২০১৫ সালের ৩০ মে, এস.এস.সি. ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে-পাশের হার ৮৬.৭২ ভাগ। মোট পাস করেছে-১২,৩৭,৪২৮ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে-৯৩,৬৩১ জন। ছাত্ররা পাস করেছে-৮৭.১৬ ভাগ আর ছাত্রীরা পাস করেছে-৮৬.২৮ ভাগ। সবচেয়ে বেশি রাজশাহী বোর্ড-৯৪.৯৭ ভাগ এবং সবচেয়ে কম পাসের হার-সিলেট বোর্ড-৮১.৮২ ভাগ। দাখিলে পাসের হার-৯০.২০ ভাগ আর ভোকেশনালে পাসের হার-৮৩.০১ ভাগ।
২০১৫ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো : ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ ও সমমান কোর্সে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী-১১ লাখ ৫৬ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।
২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো : জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন : উপবৃত্তির সুবিধাভোগীর সংখ্যা-৭৮ লাখ ৭০ হাজার ১২৯ জনে উন্নীত করা হয়েছে বা ৪০% ভাগ। এর সঙ্গে ৯৬টি দারিদ্রপীড়িত উপজেলার ২৯ লাখ।
২০১৫  সালের ১ এপ্রিল, পরীক্ষা শুরু হবে-১০টি বোর্ড থেকে এইচ.এস-সি. ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে-১০ লক্ষ ৬১ হাজার ৬১৪ জন ছাত্র-ছাত্রী। মোট দুই হাজার ৩৫২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সাল থেকে এবার ৬৭ হাজার ৪৯০ জন কম পরীক্ষার্থী।
২০১৫ সালের ১০ আগস্ট, বাংলাদেশ প্রতিদিন : ০৯-০৮-২০১৫ তারিখ এইচ.এস-সি. ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। ১০টি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে-১০ লক্ষ ৬১ হাজার ৬১৪ জন ছাত্র-ছাত্রী। ৬৯.৬০% পাস। পাস করেছে-৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন ছাত্র-ছাত্রী। ২০১৫ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে-৪২ হাজার ৮৯৪ জন। এইচ.এস-সি.তে পাস করেছেন-৫ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭ জন এবং এইচ.এস-সি.তে জিপিএ-৫ পেয়েছেন-৩৪,৭২১ জন। বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬,৫৫৬ জন।
২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষার ফল আজ সোমবার ২১-০৯-২০১৫ তারিখ প্রকাশ করা হবে। ১,৬৮১টি কলেজের মোট ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেন।
২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় পাস ৭১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এবার ডিগ্রির চুড়ান্ত পরীক্ষায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে প্রথম বিভাগ-৮ হাজার ৭৫১ জন, দ্বিতীয় বিভাগ-৮২ হাজার ১৮ জন এবং তৃতীয় বিভাগ-১৭ হাজার ৪৪০ জন, পাস ডিগ্রী-১৪৮ জন।
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল-২৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৩৮ জন। এদের মধ্যে পাস করেন-২৭ লাখ ৯৭ হাজার ২৭৪ জন। এদের মধ্যে ১২ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৬ জন ছাত্র এবং ১৫ লাখ ২০ হাজার ১২৮ জন ছাত্রী। গড় পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।
আবার জেএসসিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল-১৯ লাখ ২৯ হাজার ৯৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছে-১৭ লাখ ৮০ হাজার ৭৭০ জন। গড় পাসের হার ৯২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
জেডিসিতে পরীক্ষার্থী ছিল-৩ লাখ ৪৩ হাজার ১৯০ জন। পাস করেছে-৩ লাখ ১৭ হাজার ৩১২ জন। গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ প্রাথমিক বৃত্তি পেল প্রায় সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী।
২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আগামী ১ ফেব্রæয়ারি, শুরু এস.এস.সি. পরীক্ষা। এবার ৩ হাজার ২০৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী। এবার এস.এস.সি.তে ছাত্রীসংখ্যা ১৯ হাজার ২৬০ জন বেশি। এ ছাড়া বিজ্ঞানে গত বছরের চেয়ে ৫৬ হাজার ২৮৬ জন বেড়েছে। ্এবার বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯১৭ জন।
২০১৬ সালের ১২ মে,(১১-০৫-২০১৬) প্রথম আলো ঃ এস.এস.সি. পরীক্ষা পাসের হার ৮৮.৭০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৬,৭৬৯ জন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৮.২৯ ভাগ। মোট পাসের সংখ্যা-১৪,৫৮,১৩০ জন। ১০টি বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। গতবার পেয়েছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন-১২,৯৯২ জন। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসিতে পরীক্ষা দিয়েছিল-১৩ লাখ ২৮৪ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৩ জন।নস
২০১৬ সালের ৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ২০১৪ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা ২০১৬ সালের ৬ মার্চ শুরু। মোট পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৭২ জন পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৬৭৮টি কলেজের ৬৮৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নিচ্ছেন।
২০১৬ সালের ১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ এইচ.এস-সি. ও সমমানের পরীক্ষা শুরু রোববার(০৩-০৪-২০১৬ তারিখ ৮টি সাধারণ বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ মোট ১০টি শিক্ষা বোর্ড থেকে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
২০১৬ সালের ১৭ মে, প্রথম আলো ঃ আজ শুরু মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষায় ১৩১টি কলেজের ১১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬২ জন। ৩১টি বিষয়ে পরীক্ষা দিবে।

২০০৭ সালের ৭ মে, ইনকিলাব পত্রিকা থেকে ঃ

দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্তরা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থানের অভাব, আয় বৈষম্য আর মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার বিপর্যস্ত করছে জীবনযাপনের ক্ষমতাকে। মমিনুল হক আজাদ ঃ ‘‘বাংলাদেশে জিনিষের দাম ওঠানামা এতই বেশি যে এটা আমাদের অর্থনীতির অস্থায়িত্বের একটি চিহ্ন। কাজের সুযোগের অভাব ও সঞ্চয়ের অভাব একজন মধ্যবিত্তকে অতিসহজে দরিদ্র বানাইতে পারে, তখন তাহার পক্ষে আবার মধ্যবিত্ত হওয়া খুবই কঠিন। ইহাই দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র।’’ এ আশঙ্কা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে প্রকাশিত একটি গ্রন্থে কথাটি বলেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর সাবেক পরিচালক এবং পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য অর্থনীতিবিদ আবদুল্লাহ ফারুক। উচ্চবিত্ত এবং দরিদ্র্যের মাঝামাঝি এ মধ্যবিত্ত সত্ত¡াটি দেশীয় ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে অবদান রাখলেও এ শ্রেণীর মানুষের জীবন এখন সত্যিই বিপর্যস্ত। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার বর্ধিত ব্যয়, কর্মসংস্থানের অভাব আর আয় বৈষম্যের রূঢ় বাস্তবতায় তাল মেলানো সম্ভব হচ্ছে না মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার খেয়ে ফেলছে তাদের ক্রয়ক্ষমতা। কমে যাচ্ছে উৎপাদন ক্ষমতাও। প্রতিনিয়ত অসংখ্য মধ্যবিত্ত পরিবার নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে, অসংখ্য নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার দরিদ্র পরিবারে পরিণত হচ্ছে। বাস্তবতার পরিহাসে অনেকে প্রান্তিক দরিদ্র পর্যায়েও চলে গেছে। চলছে মধ্যবিত্তের ভয়াবহ ক্রান্তিকাল। হারিয়ে যাচ্ছে এদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণী। ফলে দেশের সমাজ, রাজনীতি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে এ শ্রেণী নিজস্ব ঐতিহ্য অনুসারে আর অবদান রাখতে পারছে না।
মধ্যবিত্ত থেকে দরিদ্রে পরিণতঃ গত ৩৫ বছরে বাংলাদেশে অসংখ্য মধ্যবিত্ত পরিবার দরিদ্র পরিবারে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাতের এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। ০৬-০৫-২০০৭ তারিখ তিনি ইনকিলাবকে জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল সাড়ে তিন কোটি। আর এখন সংবিধানের ২য় অনুচ্ছেদের ১৫নং ধারা অনুসারে প্রায় ১০ কোটি মানুষ দরিদ্র। এ বর্ধিত দরিদ্র কোথেকে এলো? উত্তর হচ্ছে-অসংখ্য মধ্য মধ্যবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্তে পরিণত হয়েছে। আর নিম্নমধ্যবিত্তদের একটি বড় অংশ দরিদ্র হয়েছে। তবে মধ্যবিত্ত থেকে সামান্য একটি অংশ উচ্চবিত্তে পরিণত হয়েছে।
জীবনযাত্রার বর্ধিত ব্যয়ঃ কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর হিসাব মতে, ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩০.৯৮ শতাংশ। এর আগেও ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১৭৭ ভাগ। ১৯৯০ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে ২৪৯ শতাংশ। এরমধ্যে শুধু ২০০৬ সালেই জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১৩.৫২ ভাগ। আর দ্রব্যমূল্য বেড়েছে ১৫.২২ শতাংশ। দ্রব্যমূল্য তথা সার্বিক জীবনযাত্রার ব্যয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে। জীবনযাত্রার এ বর্ধিত ব্যয়ের চাপে মধ্যবিত্তরা ক্রমেই ক্রয়ক্ষমতা কমে গিয়ে পরিণত হচ্ছে নিম্নবিত্ত বা দরিদ্র। চলতি ২০০৭ সালেও দ্রব্যমূল্য এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ে লাগামহীন উর্ধ্বগতি চলছে। কেজি প্রতি ২২-২৪ টাকার নিচে কোন চাল পাওয়া যাচ্ছে না এখন বাজারে। মূল্যস্ফীতি হার প্রায় পৌঁছেছে ৮ শতাংশের কাছাকাছি। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নয় স্বাস্থ্য-শিক্ষাখাতেও ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে ব্যাপকভাবে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মঈনুল ইসলামের এক গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৯৫ সালে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের ফি ছিল গড়ে ৫০/-টাকা। এটা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে গড়পড়তা ১৫০/-টাকায়। প্রতি পরিবার পিছু এখন স্বাস্থ্যসেবা নিতে বার্ষিক ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৮০০/-টাকা থেকে ৭,২০০/-টাকায়। অন্যদিকে শিক্ষা ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শুধু দরিদ্র নয় মধ্যবিত্ত পরিবারের অসংখ্য সন্তানকেও উচ্চশিক্ষার স্তরে যেতে যেতে ঝড়ে পড়তে হচ্ছে।
প্রকৃত আয় বাড়েনি ঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০০৬ অনুসারে, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে শহরাঞ্চলের মানুষের মাথাপিছু মাসিক আয় বেড়েছে ২৪৫/-টাকা। অথচ মাথাপিছু মাসিক ব্যয় বেড়েছে ৩৪২/-টাকা। একই সময়ে পল্লী অঞ্চলে মাথাপিছু আয় বেড়েছে মাত্র ৫৮/-টাকা। কিন্তু সাথে সাথে মাথাপিছু ব্যয় বেড়েছে ৫০/-টাকা। সরকারী হিসেবে মাথাপিছু আয়ের হিসাব প্রতিবছর বাড়লেও প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে এটি। যদিও ২০০৪-এর পর বিবিএস-এ ধরণের আর কোন হিসাব করেনি। কিন্তু ওই পরিসংখ্যানে বিষয়টি পরিস্কার যে, বর্তমানে ব্যয় বাড়ছে। কিন্তু আয় সে তুলনায় বাড়ছে না। তাই প্রকৃত আবাড়ছে না। এর ফলে মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র শ্রেণী চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রকৃত আয় না বাড়ায় মধ্যবিত্তের মধ্যে সঞ্চয়ের হারও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
আয় বৈষম্য বেড়েছে ঃ গত কয়েক দশক ধরে চলে আসা অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলশ্রুতিতে কিছু পুরাতন ও নব্য ধনিক শ্রেণীর হাতে অর্থ পুঞ্জিভূত হয়েছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। অধ্যাপক বারকাতের মতে, দেশের মাত্র ২০-৩০ লাখ উচ্চবিত্তের হাতে সম্পদের বেশীরভাগ জমা। অন্য এক গবেষণায় দেখা যায়, বন্টন ব্যবস্থার বৈষম্যের কারণে দরিদ্র হচ্ছে আরো দরিদ্র। ধনীরা আরো ধনী। ১৯৯১-৯৫ সাল পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ পরিবারের সাথে সবচেয়ে গরীব ৫ শতাংশ পরিবারের আয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ১৮ গুণ। ১৯৯৫-৯৬ সালে বেড়ে হয়েছে ২৭ গুণ, ২০০০ সালে তা হয় ৪৬ গুণ এবং ২০০৪ সালে সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায় এটা বেড়ে হয়েছে ৮৪ গুণ।
সঞ্চয় নেই ঃ জীবনযাত্রার বর্ধিত ব্যয় ও সে অনুসারে প্রকৃত ব্যয় না বাড়ায় এবং নিজস্ব উৎপাদন কমে যাওয়ায় মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। সঞ্চয়ের হার কমে যাওয়ার বিরুপ প্রভাব পড়ছে সার্বিক জীবনমানে। আর যাদের জীবনমান নিম্নগামী হচ্ছে, তাদের বড় অংশই সচ্ছল অবস্থায় ফিরতে পারছে না।
এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘটছে বিপরীত ঃ বাংলাদেশে যখন অর্থনৈতিক টানাপোড়েনসহ জীবনযাত্রার সার্বিক দুর্বিপাকে হারিয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত সমাজ, তখন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘটছে বিপরীত। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে মধ্যবিত্ত সমাজ দেশের সার্বিক অগ্রগতিতে আশা জাগানিয়া ভূমিকা রাখছে। শিল্প স্থাপন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মহারাষ্ট্র, মুম্বাই, চেন্নাই, উত্তর প্রদেশে মাঝারি আকারের পুঁজির বিকাশ ঘটছে। বিশেষ করে দ্রুত বিকাশমান আইসিটি খাত ওই এলাকার মধ্যবিত্ত শ্রেণীই পরিচালনা করছে। শ্রীলঙ্কায়ও ভূমিকা রাখছে মধ্যবিত্ত সমাজ। যদিও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কারণে সেটা এখন কিছুটা স্থিমিত। চীন, তাইওয়ানও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাত ধরে।
বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অতীত ঃ ঐতিহাসিকদের মতে, বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশ ঘটে উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি (১৮৫০ সালের পর থেকে) পর্যায়ে। শিল্পস্থাপন, পাটসহ অর্থকরী ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, শিক্ষার বিস্তার, জনসচেতনতা সৃষ্টি, অফিস আদালত স্থাপন ইত্যাদি নানা কারণে সেসময় থেকে একটি শক্তিশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশ ঘটতে থাকে। এ মধ্যবিত্ত শ্রেণীই এ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলো পালন করেছে। শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ধর্ম, উৎপাদন-শিল্প বিনির্মাণ, আন্দোলন-রাজনীতিসহ সমাজের সব ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। বিভিন্ন সময়ে সমাজ সংস্কারমূলক আন্দোলন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এমনকি ১৯৯০-এর গণআন্দোলনেও ছিল এ শ্রেণীর সর্বোচ্চ ভূমিকা। মধ্যবিত্তের সা¤প্রতিক অবস্থা নিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, মধ্যবিত্ত থেকে একটা বড় অংশ দরিদ্রে পরিণত হচ্ছে। মধ্যবিত্তদের অনেকেই এখন আর টিকে থাকতে পারছে না। তাদের জন্য টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য ছাড়াও শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে খরচ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। সরকারী চাকরিজীবিসহ যারা মধ্যবিত্ত হিসেবে পরিচিত তাদের আয় তো বাড়ছে না। এটা আমাদের জন্য অর্থনৈতিক একটা চ্যালেঞ্জ। তবে একটা নয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকায় ২০০৬-২০০৭ জাতীয় বাজেটের ওপর এক আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোটামোটি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও এ প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই পাচ্ছে না। ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছে। বক্তাগণ বলেন, দেশের ৫ শতাংশ ধনীর সাথে দরিদ্রের আয়ের ব্যবধান ১৯৯০ সালে ছিল ১৮ গুণ তা থেকে বেড়ে ২০০৪ সালে এসে দঁড়িয়েছে ৮৪ গুণ। বর্তমান কর কাঠামো বহাল থাকলে এ ব্যবধান আরও বাড়বে।
২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সাড়ে তিন কোটি মানুষ এখন মধ্যবিত্ত-বিআইডিএসের গবেষণা। ২০১৫ সালে এসে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী মোট জনগোষ্ঠীর সাড়ে ২২ শতাংশ হবে। যাঁরা দৈনিক দুই থেকে তিন ডলার (পিপিপি হিসাবে) আয় করেন, তাঁদের মধ্যবিত্ত হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এ হিসাবটি স্বীকৃত।

অনেক জানার খবর ও জমি পুনঃউদ্ধার ঃ

১৯৮২ সালের জাতীয় ওষধনীতি প্রণয়ন করা হয়। তখন দেশে কোনো স্বাস্থ্যনীতি ছিল না। ২০০৫ সালে দ্বিতীয় ওষধনীতি প্রণয়নের সময় এমন কোনো আদর্শিক অবস্থান ছিল না।
২০০০ সালের ১০ মে, ওষুধ-প্রশাসনের অনিয়ম সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট পেশ ঃ ১৩৯টি বিদেশী ওষুধের মধ্যে ১৩৮টি বিধিবহির্ভুত।
২০০৪ সালের ১৫ জুলাই, নূরুল আলম শাহীন ঃ ঢাকা মেডিকেলে বছরে ৩৫ লাখ রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭(সাত) হাজারেরও বেশী অভিজ্ঞ চিকিৎসক তৈরী করেছেন। হাসপাতাল বেডের সংখ্যা-১,৭০০।
২০০৬ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, উমর ফারুক আলহাদী ঃ অর্ধশতাধিক কারখানা ভেজাল নিম্নমানের ওষুধ তৈরী করছে। ৫৫ হাজারের বেশী ফার্মেসীর লাইসেন্স নেই।
২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর, বাসস ঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে চাহিদার ৯৬ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদন হয়।
২০০৭ সালের ৭ ডিসেম্বর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক ৪৫,৭২৩ ও নার্সের সংখ্যা ১৪,৯৭১ জন। ৩,০১২ জনে ১ জন চিকিৎসক এবং ৬,৩৪২ জনের জন্য ১ জন নার্স। এ সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
২০০৮ সালের ১৩ জুন, হেলথ ওয়াচের গবেষণা তথ্য প্রকাশ। দেশের ৮০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা দেয় হাতুড়েরা।
২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশের বাজারে ২২ হাজার ওষুধ। গুণ-মান দেখার পরীক্ষাগার মাদ্র দুটি, সঙ্গে তীব্র জনবল-সংকট। প্রতিষ্ঠান দুটিতে কাজ করছেন ৫৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। ওষুধ প্রশাসন সূত্র জানায়, সারা দেশে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ কোম্পানি রয়েছে ২৪৬টি, ইউনানি ২৬১টি, আয়ুর্বেদিক ১৬১টি ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ কোম্পানি ৭৭টি।
২০১০ সালের ২১ জুন, প্রথম আলো ঃ সরকারি হাসপাতালগুলোয় ৬,৮৬১ চিকিৎসকের পদ শূন্য। নার্সের শূন্যপদের সংখ্যা তিন হাজার ৫৫১।
২০১০ সালের ১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণায় পাওয়া তথ্য। উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসক অনুপস্থিতির হার ৮৩ শতাংশ।
২০১১ সালের ২৬ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ৮৫ ভাগ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিয়ম মানছে না।
২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ভেষজ ওষুধের নামে প্রতারণা-আয়ুর্বেদ-ইউনানি ও হারবাল ওষুধ উৎপাদনকারী অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ৪৫০টির মতো। অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান আছে কয়েক হাজার।
২০১১ সালের ৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্য সেক্টরে এখনও ৪২ হাজার পদশূন্য-ব্যাহত হচ্ছে জনস্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা।
১৯৮৯ সালের ১৬ জুনের রিপোর্ট অনুসারে ঃ বাংলাদেশে ৩.৫৩(তিন কোটি তিপ্পান্ন লক্ষ) একর জমি আছে। এরমধ্যে ৩.২০(তিন কোটি বিশ লক্ষ) একর জমি চাষযোগ্য।
১৯৯৯ সালের ৯ জানুয়ারির তথ্য-বাংলাদেশে বছরে ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) কোটি টাকার কৃষি পণ্য বিনষ্ট হচ্ছে।
২০০০ সালের ১০ মে-বাংলাদেশে প্রতিবছর ইদুুর, পাখী ও বানর ১৫(পনের) লক্ষ টন খাদ্যশস্য খায় ও নষ্ট করে।
২০০২ সালের হিসেবমতে ঃ ঢাকা শহরের মিউনিসিপ্যালিটি এরিয়ায় প্রতি বর্গমাইলে জনবাসের সংখ্যা ২.৫(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার); বস্তির সংখ্যা ৩,৫০০(তিন হাজার পাঁচশত); বস্তির প্রতি বর্গমাইলে বসবাস করে ৮ লক্ষ মানুষ। উচ্চ বিত্তের তুলনায় বস্তিবাসীর ঘরভাড়া বেশি।
২০০৪ সালের ৭ মে, সকল চাপ উপেক্ষা করে আগামীতে কৃষিতে ১(এক) হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। দাতাদের পরামর্শে কৃষির প্রাণ যায় যায়-ইধারএফ-এর আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী এম. কে. আনোয়ার।
২০০৪ সালের ১৯ জুলাই, মোঃ শামসুল আলম খান ঃ বাংলাদেশে প্রতিবছর সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ফল, শাকসবজি, শস্যদানাসহ কৃষিজাতপণ্য উত্তোলন, যতœ ও সুষ্ঠ সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজী ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ফলের ঘাটতির পরিমাণ ৩০ লক্ষ টন। পুষ্টিমান অনুযায়ী জনপ্রতি ফলের দৈনিক চাহিদা ৬৫ গ্রাম। ফল খুবই পচনশীল দ্রব্য। আমাদের দেশে কমপক্ষে ২৫ ভাগ ফল নষ্ট হয়ে যায়।
২০০৪ সালের ২ নভেম্বর, বাসস ঃ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর রিপোর্ট-তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর, জাকারিয়া কাজল ঃ সামনে চরম খাদ্য সঙ্কট ঃ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী। দেশে খাদ্য সঙ্কটের কোন কারণ নেই ঃ খাদ্যমন্ত্রী।
২০০৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, আখতার হামিদ খান ঃ ২০৮৮ সালের মধ্যে দেশ কৃষি ভূমিশূন্য হয়ে পড়বে। প্রতিদিন গড়ে ৫২৮-একর কৃষি জমি অকৃষিখাতে চলে যাচ্ছে। ভূমি ব্যবহার নীতিমালা বাংলাদেশ গেজেট যা ২১ জুন, ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয় তা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী একটি বেসরকারী মানবাধিকার সংস্থার (এইচ.আর.ডি.সি’র) সমন্বয়কারী ও গবেষক হানিফ মাহমুদের বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় যে, কৃষি জমি হ্রাস পাওয়া ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির দ্বৈত ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৮৫-বছর পর বা ২০৮৮ সালের পর বাংলাদেশে আর কোন কৃষি জমি থাকবে না।
২০০৫ সালের ১৭ মার্চ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সেমিনারে কৃষিমন্ত্রীর তথ্যপ্রকাশ-১ কোটি ১৬ লাখ কৃষি পরিবার প্রশিক্ষণ পেলে খাদ্য উৎপাদন ৩০ লাখ টন বাড়বে। প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
২০০৫ সালের ২৮ জুন, সংসদ রিপোর্টার ঃ দেশে বর্তমানে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৪ দশমিক ৮৫ লাখ হেক্টর। এরমধ্যে সেচযোগ্য জমি ৭৫ দশমিক ৬০ লাখ হেক্টর এবং সেচের আওতাধীন জমি ৪০ দশমিক ১৮ হেক্টর। সেচযোগ্য জমির ৫৩-দশমিক ১৫ শতাংশ জমি সেচের আওতায় রয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদে মেজর (অব.) মনজুর কাদেরের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এম. কে. আনোয়ার এ কথা জানান।
২০০৫ সালের ৪ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণ ঃ বিশ্বব্যাংক। এ কথার অর্থ মিথ্যা বলা।
২০০৫ সালের ১৮ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ এদেশে কৃষি উৎপাদন বেশী করলে কৃষকের ক্ষতি হয় ঃ কৃষিমন্ত্রী এম. কে. আনোয়ার। যে কাজ করলে কৃষকের ক্ষতি হয় না সে কাজ করা হোক।
২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারি, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ধানের কাছে হেরে যাচ্ছে মাছ। জাতীয় মৎস্য সম্মেলনে সমন্বিত গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ।
২০০৬ সালের ১০ এপ্রিল, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে কৃষিতে বিপর্যয় ঘটতে পারে। বিএডিসির সেমিনারে কৃষি ও পানি বিশেষজ্ঞগণ। নব্বইয়ের দশকের শুরুতেও বাংলাদেশের কৃষিতে যেখানে সর্বমোট ২-লাখ গভীর ও অসভীর নলকুপ ব্যবহার হতো সেখানে ২০০৬ সালে কেবল অসভীর বা শ্যালো টিউবঅয়েল ব্যবহারের সংখ্যাই দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ। এতে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলন অনেক বেড়ে গেছে।
২০০৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিউটের সাফল্য। ২৬০টি উন্নতজাতসহ ৩ শতাধিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন-এখন আর মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে না। এ কথার সাথে আমি মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর) একমত নই এবং এখনও মানুষ ক্রয় ক্ষমতার অভাবে না খেয়ে মারা যাইতেছে(০৪-০১-২০১৬ তারিখ)।
২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ ধানচাষ বৃদ্ধি দেশে অপুষ্টি ও দারিদ্র্য বাড়াচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তায় অনিশ্চয়তা সৃষ্টি ঃ কৃষি বৈচিত্র্য কমছে। বাংলাদেশে ধান চাষ যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই বাড়ছে পুষ্টিহীনতা ও দারিদ্র্য। ধানের আবাদ বাড়াতে গিয়ে বর্তমানে ডাল, তেল, সবজি, ফলমূল, গম, আখ, পাট ও মসল্লা জাতীয় ফসল এবং মাছ, মাংস ও দুধের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক কমে গেছে। অথচ এসব ফসলের বেশীরভাগই হচ্ছে জনগণের পুষ্টি ও দরিদ্র কৃষকের নগদ অর্থের অন্যতম প্রধান উৎস।
২০০৭ সালের ১৪ মে, চুয়াডাঙ্গা থেকে কামাল উদ্দিন জোয়ার্দার ঃ দেশে একরে ১২৩ মণ ধান উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দাতা প্রতিনিধিদের সঙ্গে পররাষ্ট্র ও খাদ্য উপদেষ্টার বৈঠক। পাঁচ লাখ টন খাদ্য সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ। গত ৭ বছরে খাদ্যের উৎপাদন বাড়েনি। মানুষ বাড়ছে দেড় কোটি।
২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সংবাদ সম্মেলনে সি.এস.করিম-চলতি বছর চাল ঘাটতি ৩১ লাখ টন। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি ১৪ লাখ টন। সরকারি এবং বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হয়েছে ১২ লাখ টন। ঘাটতি মেটাতে আরও ১৯ লাখ টন চাল আমদানি করতে হবে আগামী ৩০-০৬-২০০৮ সালের মধ্যে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, ৫ লাখ টন চাল আনতে পারবে বাংলাদেশ-ভারত থেকে। ঝটিকা সফরে এসে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা ঃ ঘুর্ণিঝড় ও সিডরে আক্তান্ত ১০টি সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে চায় ভারত।
২০০৮ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশের মোট আবাদযোগ্য জমির শতকরা ২৫ ভাগ জমি বর্গাদারি বা ভাগচাষ প্রথায় চাষাবাদ করা হয়। জাতীয় আয়ের ১৫ ভাগ শিল্পখাতের। ৬৩টি বস্ত্র ও সুতাকল আছে, ১৭টি চিনির কল আছে, বিশ্বের ১০৭টি দেশে পণ্য রপ্তানি করে।
২০০৮ সালের ২৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ডেস্ক-খরাপ্রবণ অঞ্চলে ধানের ফলন দ্বিগুণ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক ব্যাপক নিরীক্ষা চালিয়ে জিনগুলো শনাক্ত করেন। পরীক্ষামূলকভাবে এসব জিনের বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবিত জাতের ধানে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া গেছে।
২০০৯ সালের ১৬ মে, প্রথম আলো ঃ আইসল্যান্ডে গড়ে প্রতি হাজার হেক্টর আবাদি জমির জন্য ট্রাক্টরের সংখ্যা এক হাজার ২৮৮টি। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানটি ¯েøাভেনিয়ার, গড়ে প্রতি হাজার হেক্টর আবাদি জমির জন্য ট্রাক্টরের সংখ্যা ৫৫৯টি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০তম, গড়ে প্রতি হাজার হেক্টর আবাদি জমির জন্য ট্রাক্টরের সংখ্যা .০৭টি/দশমিক শূন্য সাতটি।
২০০৯ সালের ১৬ আগষ্ট, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ২০ বছরে কৃষি জমি কমেছে প্রায় ৫০ লাখ একর। ল্যান্ড জোনিং কর্মসূচীর অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়। প্রতিদিন ২২০ হেক্টর কৃষি জমি চলে যাচ্ছে শিল্প-কারখানা স্থাপন, নগরায়ণ, বসতবাড়ি তৈরি ও রাস্তাঘাট নির্মাণের কাজে।
২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ সরাসরি ভর্তুকি দিতে এক কোটি ৪২ লাখ কৃষকের তালিকা তৈরি। বোরেতে ভর্তুকি দেওয়া হবে পরিচয়পত্র দেখে।
২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোট পরিবারের সংখ্যা দুই কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার। এরমধ্যে কৃষক পরিবারের সংখ্যা এক কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার।
২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংসদীয় কমিটির সভায় তথ্য ঃ এবার দেশে ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে।
২০১০ সালের ১৪ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশে ১ কোটি ৮২ লাখ কৃষক পরিবারকে দেয়া কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এ কার্ডের মাধ্যমে ৯২ লাখ বোরো চাষী ডিজেল ক্রয়ে ৭৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি পেয়েছেন।
২০১০ সালের ৯ আগষ্ট, জনকন্ঠ ঃ দশ টাকা দিয়ে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলেছে ৮৯ লাখ চাষী।
২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ শিল্প স্থাপনে উর্বর কৃষিজমি ব্যবহার করা যাবে না। অনুমোদনের অপেক্ষায় পাঁচ বছর মেয়াদি নতুন শিল্পনীতি। ০৬-০৯-২০১০ তারিখ জাতীয় শিল্পনীতি অনুমোদিত।
২০১০ সালের ২১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ কৃষিশুমারির প্রাথমিক তথ্য। দেশে কৃষিকাজে জড়িত দুই কোটি ৯৬ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। আর পল্লি এলাকায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার, যা মোট কৃষিজীবির ৯৯ দশমিক ৩ শতাংশ। আর শহর এলাকায় মাত্র দুই লাখ ১৮ হাজার মানুষ কৃষিকাজে জড়িত। কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা দুই কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার আর নারী ৮০ লাখ ৬৬ হাজার। মোট কৃষিজীবীদের মধ্যে ৭২ দশমিক ৮ শতাংশই পুরুষ। এছাড়া সারা দেশে এক কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার একর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এরমধ্যে কৃষিকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এক কোটি ৯০ লাখ ৭১ হাজার একর জমি, যা মোট আবাদি জমির ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ। আর অকৃষিকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ২৭ হাজার একর জমি, যা মোট আবাদি জমির দশমিক ১ শতাংশ। এখন ৯৯ লাখ ৭৯ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়। বর্তমানে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার একর জমিতে শাকসবজির চাষ হয়।
২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ পিপিআরসির গবেষণার তথ্য। হাওরে বছরে দুটি ফসলের চাষ সম্ভব। ষাটের দশকে দেশে কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৯২ লাখ হেক্টর বা ২ কোটি ৩০ লাখ একর জমি। আর বর্তমানে তা ৮২ লাখ হেক্টর বা ২ কোটি ৫ লাখ একর জমিতে নেমে এসেছে। তার পরও ধানের বর্তমান জাতগুলো দিয়ে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ এক লাখ টন খাদ্যশস্য কিনবে সরকার। ৫০ হাজার টন আতপ চাল ও ৫০ হাজার টন গম। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
২০১১ সালের ২০ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ  আমনেও পড়তি দাম।
আমন ধানের বাজার
(মনপ্রতি টাকায়) ২০১১ সাল ২০১০ সাল
উৎপাদন খরচ ৫৬০ ৫০০
দাম ৫০০-৬০০ ৭০০-৮০০
রংপুরে উৎপাদন খরচই উঠছে না। ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কৃষক।
২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ চলতি অর্থ বছরে (২০১০-২০১১) সারাদেশে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ।
২০১০ সালের তথ্য ঃ বাংলাদেশে মোট জমির পরিমাণ ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার একর এবং আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার একর। চাষের জমির পরিমাণ-২৫ লক্ষ ৮০  হাজার একর। আর বন্যা কবলিত জমির পরিমাণ-১ কোটি একর। সেচ এলাকার জমির পরিমাণ-৯২ লক্ষ একর।
২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মজুদ বাড়াতে পাঁচ নিত্যপণ্য আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, চলতি বছর সরকারিভাবে চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ টন। তা বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ টন। আর গম আমদানির লক্ষ্যমাত্রা সাত লাখ ৫০ হাজার টন থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টন করা হয়েছে। ভারত,   পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে চাল আনা হতে পারে।
২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ এক ধানগাছে বাববার ধান। নিজের উৎপাদিত ধানখেতের সামনে জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরীর চার বছরের গবেষণায় একফসলি ধান এখন পরিণত হলো দোফসলিতে।
২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে উৎপন্ন হবে ৫ কোটি ৪২ লাখ মেট্রিক টন। খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন-এবার ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ থাকবে সরকারের কাছে। সারের দাম বাড়বে না, প্রয়োজন হবে না চাল আমদানির।
২০১১ সালের ১৭ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করবে ওমান থেকে।
২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ কৃষিজমি কমায় বছরে ক্ষতি ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিআইডিএসের গবেষণার ফল প্রকাশ। গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের মোট আয়তনের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ জলাভূমি, ৫৩ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমি কৃষি কাজের উপযোগী। গবেষণায় দেখা গেছে, উর্বর কৃষিজমি মূলত ইটভাটা, শিল্পকারকানা স্থাপনের কাজে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। এক-মঞ্চমাংশ কৃষিজমি বর্গাচাষ ও অংশীদারির মাধ্যমে চাষ হয়। এক গবেষণায়  দেখা গেছে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত এক হাজার ২০০ কিলোমিটার জমি নদীভাঙনের কবলে পড়ে হারিয়ে গেছে। লবণাক্ততার কারণে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১০ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। জলাবদ্ধতা থাকায় ১২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। আবার মাটির গুণাগুণ কমে যাওয়া ও খরার কারণে দেশের ৪৩ শতাংশ জমির উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ১৯৯১ সালে বলা হতো, দেশের কৃষি জমি এক শতাংশ হারে কমছে। বর্তমানে এই হার কমার হার এক শতাংশেরও বেশি উল্লেখ করে বিআইডিএস ও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষকেরা জানিয়েছেন।
২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠঃ বগুড়ার মাঠে কম্বাইন্ড হারভেস্টর বা ধান কাটাই মাড়াই ঝাড়াই যন্ত্রের ব্যবহার।
২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর, দেনিক জনকন্ঠ ঃ ২০১২ সালের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ম্ভর হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আরেকবার বলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালেও খাদ্যে স্বয়ম্ভর বাংলাদেশ। তা’হলে খাদ্য ঘাটতি হল কেন?? এ কথার পর আবার পর্যাপ্ত গম আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার কেন।
২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ বাংলাদেশে এখন খাদ্য ঘাটতি নেই। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। আমি এ কথার সাথে একমত নেই। উৎপাদনে সরকার সফল-বাজারে ব্যর্থ-শাইখ সিরাজ।
২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন।
২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনে উদাহরণ বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ঠিক পরে ১৯৭২ সালে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন। সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য ওই খাদ্য পর্যাপ্ত ছিল না। ৪২ বছরে এখানে মানুষ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি, আর আবাদি জমি কমেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। অথচ দেশে এখন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে তিন গুণ বেশি; ভুট্টাসহ এর পরিমাণ প্রায় চার কোটি মেট্রিক টন।
২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো : সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা বলেছেন-২০০৮ সালে খাদ্যের উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৮৩ লাখ মেট্রিক টন।  সেবার ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়েছিল। এ অর্থবছরে ৩ কোটি ৮৭ লাখ মেট্রিক টনখাদ্যশস্য উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দেশের চাহিদা ২ কোটি ৯৫ লাখ মেট্রিক টন।
২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো : ধানের জন্মগত ক্রমবিন্যাস সংরক্ষণের উদ্যোগ। এই উদ্যেগের ফলে তিন হাজারের মতো ধানের প্রজাতির জন্মগত ক্রমবিন্যাস এখন থেকে এফএওর কাছে রক্ষিত থাকবে। ধান বিশ্বের অর্ধেক মানুষের প্রধান খাদ্য।
২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ১৯৭১-২০১৫ এই ৪৪ বছরে দেশের ধান চাষের জমি ১৮ শতাংশ কমেছে। জমি কমলেও চাল উৎপাদন বেড়েছে ৩.১৬ গুণ।
দানাদার ফসল উৎপাদনে অগ্রগতি ঃ উৎপাদন হিসাব লক্ষ মেট্রিক টনে
চাল উৎপাদন বেড়েছে ৩.১৬ গুণ ঃ
১৯৭০-৭১ ১০৯.৬৭ ১৯৮০-৮১ ১৫১.৬২ ১৯৯০-৯১ ১৭৮.৫২
২০০০-০১ ২৫০.৮৭ ২০০৫-০৬ ২৬৫.৩০ ২০১০-১১ ৩৩৫.৪০
২০১৪-১৫৩৪৭.১০
গম উৎপাদন বেড়েছে ১২.২৫ গুণ ঃ
১৯৭০-৭১ ১.১০ ১৯৮০-৮১ ১০.৭৫ ১৯৯০-৯১ ১০.০৪
২০০০-০১ ১৬.৭৩ ২০০৫-০৬ ৭.৩৫ ২০১০-১১ ৯.৭২
২০১৪-১৫১৩.৪৮
আলু উৎপাদন বেড়েছে ১০.৯০ গুণ ঃ
১৯৭০-৭১ ৮.৪৯ ১৯৮০-৮১ ৯.৮৩ ১৯৯০-৯১ ১২.৩৭
২০০০-০১ ৩২.১৬ ২০০৫-০৬ ৪১.৬১ ২০১০-১১ ৮৩.২৬
২০১৪-১৫৯২.৫৪
ভুট্টা উৎপাদন বেড়েছে ৭৫৭ গুণ ঃ
১৯৭০-৭১ ০.০৩ ১৯৮০-৮১ ০.০১ ১৯৯০-৯১ ০.০৩
২০০০-০১ ০.১০ ২০০৫-০৬ ৫.২২ ২০১০-১১ ১০.১৮
২০১৪-১৫২২.৭১
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ চাল উদ্বৃত্ত, তবু আমদানি চলছে। রপ্তানির চেয়ে আমদানি ৩০ গুণ বেশি। নতুন শস্য কেনা হবে ১৮ লাখ টন, গুদামে জায়গা মাত্র ৬ লাখ টন।
১৯৯০ সালে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিকেএসএফ এ যাবৎ ২০০টিরও বেশী সহযোগী সংস্থার (পার্টনার অর্গানাইজেশনস)-এর মাধ্যমে ৬০ লাখ গ্রহীতাকে ২২শ’ কোটি টাকা ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করে।
১৯৯৪ সালের ১৩ অক্টোবরের তথ্য-বাংলাদেশে বছরে ৪০(চল্লিশ হাজার) শিশু অপুষ্টির কারণে দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে।
১৯৯৮ সালের ৫ এপ্রিল, বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন রিপোর্টে অশনি সঙ্কেত-দারিদ্র জনগোষ্ঠী ক্রমাগত হারে নগর জীবন গ্রাস করছে।
১৯৯৮ সালের ১ মে’র হিসেব-বৈষম্যচিত্র ঃ ৫-বছরে শীর্ষ ৫ শতাংশের মাসিক আয় বেড়েছে ৮,০৭০(আট হাজার সত্তর) টাকা। নিম্নে ৯৫ শতাংশের আয় বেড়েছে ৮৭/-টাকা। ধনী আরও ধনী এবং গরিব আরো গরিব হয়েছে।
১৯৯৮ সালে বিশ্বশিশু পরিস্থিতি রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ২ কোটি শিশু অপুষ্টির শিকার।
১৯৯৮ সালের ৩১ অক্টোবরের তথ্যমতে ঃ গ্রামে মৌসুমি কাজও মিলিতেছেনা, শ্রমজীবি মানুষ শহরের দিকে ছূটিতেছে।
২০০০ সালের ২ এপ্রিল-লাভজনক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দেশ পিছিয়ে আছে। ৪৪.৬৮ ভাগ মানুষ আজ দারিদ্র সীমার নীচে; এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি দারিদ্র ময়মনসিংহে। আমার হিসাবমতে দেশে দরিদ্র মানুষের হার শতকরা ৯৫ ভাগ।
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে ১৫ বছর মেয়াদী বা ২০১৫ সালের মধ্যে যে কর্মসূচী গৃহীত হয়, তা যে বাস্তবায়িত হচ্ছে না অথবা হলেও হবে যৎকিঞ্চিৎ, সে সত্যটুকু ২০০৫ সালে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একই সাথে প্রমাণ করেছে উপরে আলোচিত ইতিহাসভিত্তিক সমাজবিজ্ঞানের কথা। সমাজবিজ্ঞান নির্দেশিত পথেই হবে দারিদ্রবিমোচন, দারিদ্র সৃষ্টিকারী দেশী-বিদেশী লুটেরাদের নির্দেশিত পথে নয়। বাংলাদেশের ‘দারিদ্র বিমোচন কৌশলপত্র’ দৃশ্যত মাঠে মারা যাচ্ছে। যতটুকু হবে বা হতে পারে তা হচ্ছে, দারিদ্রকে কমিয়ে একটা সহনসীমায় নিয়ে চিরস্থায়ী করা। যার ফলে দরিদ্রজন চিরদরিদ্র থেকে যাবে।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ এশিয়ার এক কোটি শিশু শ্রমিক মানবেতর জীবন-যাপন করে। আমার মনে হয় ৫(পাঁচ) কোটি শিশু শ্রমিক হবে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৮০০(আটশত) লোকের জন্য একটি বেসিন এবং ২৫০(দুইশত পঞ্চাশ) লোকের জন্য একটি শৌচাগার। বাংলাদেশের নারীরা স্বামী, ঘরসংসার, ছেলেমেয়েদের দেখাশুনা করে-দৈনিক ১৪ ঘন্টা কাজ করে এবং নারীরা ৭% বাইরের কাজে এবং ৯৩% ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকে।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ আমি জানতাম একটি সুস্থ মানুষের দৈনিক ২৬০০ ক্যালোরীর প্রয়োজন। অন্যদের কথা দৈনিক মাথাপিছু কমপক্ষে ২২৭৩ ক্যালোরী প্রয়োজন। বাংলাদেশে মাথাপিছু ক্যালোরীর পরিমাণ ১৬০০শত। কিন্তু ১৯৬২-৬৩ সালে মাথাপিছু কেলোরীর পরিমাণ ছিল ২৩০১শত। ২০১৩ সালের কথা, বাংলাদেশে মাথাপিছু ক্যালোরীর পরিমাণ ১৪৫০শত। ত’হলে আমাদের শিক্ষিত এবং যারা সুবিধাভোগী লোকেরা বলে যে, দেশ অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমি বলি যে, দেশের অগ্রগতি হয়নি-হয়েছে ৫ ভাগ লোকের। দেশের অগ্রগতি হলে-দেশের মানুষের অগ্রগতি হতো বা ৯৫ ভাগ মানুষের অগ্রগতি হতো।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে বছরে ৫০(পঞ্চাশ) হাজার শিশু অন্ধ হয় ভিটামিন’এ-এর অভাবে এবং প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়বে যদি দেশের অবস্থা এরুপ থাকে।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের ৩৫% পরিবার নদী, খাল, পুকুর ও ডোবার পানি ব্যবহার করে। বাংলাদেশে ৩০(ত্রিশ) লক্ষ আশ্রয়হীন লোক বাস করে। বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা-৪২টি এবং মোট ব্যাংকের শাখা-১০,৭০০টি। বাংলাদেশে ১ কোটি লোক ধুমপানজনিত জটিল রোগে ভূগছে। বাংলাদেশে বছরে ৩(তিন) লক্ষ শিশু ডায়রিয়ায় মারা যায়। বিশ্বে প্রতিদিন অনাহারে ৫০(পঞ্চাশ) হাজার শিশুর মৃত্যু ঘটে। বাংলাদেশে পত্রিকা পড়ে গড়ে ১০% লোক। সারা বিশ্বে দৈনিক পত্রিকা ১২(বার) হাজার প্রকার আছে এবং ৫৫(পঞ্চান্ন) হাজার রেডিও-টেলিভিশন সেন্টার আছে। বাংলাদেশে সমুদ্রসীমা রয়েছে প্রায় ৪০(চলি­শ) হাজার বর্গমাইল। বাংলাদেশে প্রায় ২০(বিশ) লক্ষ অন্ধ লোক আছে। প্রতিবছর বিশ্বে ২০(বিশ) লক্ষ শিশু অপহরণ বা ভারবনিতালয়ে বিক্রয় করা হয়।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বিশ্বের ধনী ও গরীব দেশগুলোর ব্যবধান বাড়ছে এবং বাংলাদেশে ধনী ও গরীবদের মধ্যে ব্যবধান বাড়ছে।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বিশ্বে ভিটামিন ’এ’ এর অভাবে ২০(বিশ) কোটি শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২৫-০২-২০০৩ তারিখে জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ যাদের গড় আয় দৈনিক ২ ডলারের কম তারা দরিদ্র এবং যাদের গড় আয় ১ ডলারের কম তারা চরম দরিদ্র। বিশ্বব্যাংক ঃ বাংলাদেশে ২৯.১০ ভাগ লোক ১ ডলারের নিচে এবং ২ ডলারের নিচে আয় ৭৭.৮০ ভাগ লোকের কথা বলেছে বিশ্বব্যাংক।
২০০৩ সালের ২১ জুনের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশী দরিদ্র, ৩১ শতাংশেরই কোন কাজ নেই। আমার কথা-জনসংখ্যার ৯৫ ভাগ দরিদ্র।
২০০৩-এর সমীক্ষার মতে, রাজশাহী বিভাগে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশী-৬১ শতাংশ লোক দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে, এরপরই রয়েছে খুলনা বিভাগের অবস্থান-৫১ শতাংশ, চট্টগ্রামে বিভাগে রয়েছে-৪৮ শতাংশ, এছাড়া ঢাকা বিভাগে রয়েছে-৪৫ শতাংশ এবং বরিশালে ৪০ শতাংশ দারিদ্রসীমার নীচে। গ্রামীন এলাকায় দারিদ্র্যের হার-৫৩ শতাংশের উপরে এবং শহর এলাকায় এ হার ৩৭ শতাংশ। আমার কথা-জনসংখ্যার ৯০ ভাগ দরিদ্র।
২০০৩ সালের ২২ জুনের রিপোর্ট ঃ শ্রমশক্তির ৬২.৩০ শতাংশ কৃষি শ্রমিক, অথচ বাজেটে কৃষিখাতে ভর্তুকির প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র ৩০০শ কোটি টাকা। অপরদিকে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে মাত্র ৭.৪ শতাংশ শ্রমিক নিয়োজিত আছে। এ খাতের শ্রমিকরা প্রায় ১,৫০০(এক হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা লোকশান দিচ্ছে। ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরের বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী দেশে প্রায় ৬ কোটি ৩ লাখ শ্রমশক্তি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত।
২০০৪ সালের ১১ জুন, বাসস ঃ দেশে সাড়ে ৭০ লাখ শিশু অর্থনৈতিক কাজে লিপ্ত। বাংলাদেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়েসী ৫ কোটি ২০ লাখ শিশুর মধ্যে ৭০.৫(সত্তর লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) শিশু কোন না কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে।
২০০৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ পিআরএসপি দারিদ্র বাড়াবে-বাংলাদেশে ভারতের বাজার স¤প্রসারিত হবে। আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার প্রণীত ‘‘দারিদ্র বিমোচন কৌশল পত্র’ বা ‘পোভার্টি রিডাকশন স্ট্রাটেজী বিমোচন’ (পিআরএসপি) বাস্তবায়িত হলে দেশে দারিদ্র বৃদ্ধি পাবে।
২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ অর্থনীতি সমিতির সম্মেলন সমাপ্ত ঃ খলীকুজ্জামান-বারকাত পুনঃনির্বাচিত। দেশের ৫০ ভাগ মানুষ ভূমিহীন অথচ ৯০ ভাগ খাস জমি দুর্বৃত্তদের দখলে। অপরদিকে মাত্র ৬.২ ভাগ পরিবার ৪০ ভাগ জমির মালিক। আর এ জমি নিয়ে দেশের ১২ কোটি মানুষ মামলার সাথে জড়িত। দেশের মোট মামলার ৭৫ ভাগই ভূমি সংক্রান্ত। যার সংখ্যা ২৫ লাখ। দ্বিতীয় একটি সেমিনারে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের নামে শিক্ষিত শ্রেণী বিপুল পরিমাণ সম্পদ আত্মসাৎ করছে। যা সামাজিক বৈষম্য বাড়িয়েছে, সাধারণ জনগণের উপর শিক্ষিত শ্রেণীর প্রভুত্ব বাড়িয়েছে। অপর এক সেমিনারে বলা হয়েছে যে, স্বাধীনতার ৩-দশক পরও আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওদের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। এতে করে একদিকে অতি ধনী লোকের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে ছিন্নমূল গরীব মানুষের সংখ্যা।
২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর, ইনকিলাব-জাকারিয়া কাজল ঃ মঙ্গাপ্রবণ ১২টি জেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ। বহুমাত্রিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ। জামালপুর, শেরপুর, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ। এসব এলাকার শতকরা ৫৮ ভাগ মানুষের অবস্থান দারিদ্র সীমার নীচে। শতকরা ৩০ ভাগ পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ভূমিহীন, ঋণগ্রস্ত ও চরম দরিদ্র। শতকরা ৪৬ ভাগ কর্মক্ষম মানুষ পূর্ণ বেকার, অবশিষ্ট ৫৪ ভাগ কর্মজীবী হলেও তাদের ৬০ ভাগ বছরের অধিকাংশ সময় ছদ্ম বেকারত্ব বরণ করে। শতকরা ৬২ ভাগ পরিবারের কোন বাড়তি সম্পদ নেই। ৭৮ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্যের উপর নির্ভরশীল। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল হলেও শতকরা ৫০ ভাগ মানুষ কৃষি শ্রমিক হিসেবে অন্যের জমিতে কাজ করে। ৭২ ভাগ পরিবারের কোন স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নেই। এ ১২টি জেলা হলো মঙ্গাপ্রবণ এলাকা।
২০০৫ সালের ২৮ অক্টোবর, মনজুরুল আলম ঃ জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই এখনো দারিদ্র সীমার নীচে। আয় বৈষম্য  হ্রাস না পেলে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য অর্জন অনিশ্চিত। আমি বলব ৯০ ভাগ দারিদ্রসীমার নিচে। আমার মনে হয় শতকরা ৯০ ভাগ দারিদ্রসীমার নিচে।
২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ সংঘাতের রাজনীতি বন্ধ না হলে দারিদ্র্য নিরসন সম্ভব নয়। পিআরএসপি নিয়ে দাতাদের সাথে সরকারের দ্বিতীয় দিনের বৈঠক।
২০০৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশের দারিদ্রবিমোচন কৌশল (পিআরএস) বাস্তবায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আগামী ৩-বছরে ১শ’ ৮০ কোটি ডলার দেবে।
২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত চার বছরে চালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ অতিরিক্ত ৭৫,৭৭৬ কোটি টাকা মূল্য সন্ত্রাসীদের কাছে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছে। এ টাকার ৬৯,৯৩৬ কোটি টাকা এসেছে দরিদ্র মানুষের পকেট থেকে। গোল টেবিলে অভিমত। ড. আবুল বারকাত তাঁর ধারণাপত্রে বলেন, দারিদ্র শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রপঞ্চ নয়। খাদ্য পরিভোগ দিয়ে মাপা ঠিক নয়। যা কিছু মানুষের পরিপূর্ণ জীবন প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করে তার সবই দারিদ্র। এটা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক নয়। দারিদ্র হতে পারে আয়ের দারিদ্র, কর্মহীনতার দারিদ্র, স্বপ্ল মজুরির দারিদ্র, অস্বচ্ছতা-উদ্ভুত দারিদ্র, মানস কাঠামোর দারিদ্র। বিশ্বদারিদ্র  হ্রাস কৌশলপত্রের (পিআরএসপি) সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশের দারিদ্র প্রধানত মনুষ্যসৃষ্ট ভূমিকম্প কিংবা অলৌকিক কিছু নয়। শখ করে কেউ ভিক্ষুক হয় না।
২০০৬ সালের ৩০ জানুয়ারি, সালাউদ্দিন বাবলু ঃ দেশে দারিদ্র্যের হার নিয়ে বিভ্রান্তি। সরকার বলছে ৫০%, অর্থনীতিবিদদের মতে ৮০% ও পিএফএম-(পিপলস ফোরাম অন এমডিজিস) নামে এনজিওদের একটি নেটওয়ার্ক গ্রাম পর্যায়ে জরিপ করে বলেছে, বর্তমানে গ্রামীণ দারিদ্র্যের পরিমাণ শতকরা ৬৩%। আমি বলব শতকরা ৯০ ভাগ লোক দরিদ্র ।
২০০৬ সালের ২০ জুলাই, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালক-বিশ্বের ৫০টি লেস ডেভোলাপমেন্ট দেশ থেকে আগামী ৫০ বছরেও বের হয়ে আসতে পারবে না বাংলাদেশ। কারণ হলো প্রবৃদ্ধির হার ৬.৭০ থেকে ৮-এর উপরে উঠতে না পারলে বাংলাদেশের অবস্থা ভাল হবে না। দারিদ্র থেকে বের হয়ে আসতে হলে ৮-এর উপরে প্রবৃদ্ধির হার নিতে হবে।
২০০৬ সালের ২০ জুলাই, বাসস ঃ দেশে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ। ১৯৯০ সালে পিকেএসএফ প্রথম ঋণদান কর্মসূচী চালু করে। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে দারিদ্র বিমোচনের প্রয়াসকে সফল করতে নিরলসভাবে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করে যাচ্ছে। পিকেএসএফ-এর সহায়ক এনজিও’র সংখ্যা রয়েছে ২৩১টি। মোট ঋণ গ্রহীতার এক-তৃতীয়াংশই পিকেএসএফ থেকে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে।
২০০৭ সালের ১ মার্চ, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে শীর্ষ অর্থনীতিবিদগণ-ক্ষুদ্র ঋণের প্রভাবে দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ আরও দরিদ্র হবে। দারিদ্র দূর নয়, ক্ষুদ্রঋণের প্রভাবে আগামী ৩০ বছরে বাংলাদেশের তাবৎ মানুষই যাদুঘরে চলে যাবে। উচ্চ সুদের ক্ষুদ্রঋণ এদেশে যেভাবে চলছে এবং মানুষ একের পর এক যেভাবে এ ঋণের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ছে তাতে দারিদ্র নিরসন তো দূরের কথা, আগামী ২০/২৫ বছরে বাংলাদেশের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষই ভয়াবহ দারিদ্র্যের কবলে পড়ে একপর্যায়ে অস্তিত্ব হারাবে। ০৮-০২-২০০৭ তারিখ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণের আর্থ-সামাজিক ও ঋণগ্রস্ততা সংক্রান্ত প্রভাব’’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদরা একথা বলেছেন। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামানের সম্পাদিত এবং ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড প্রকাশিত এ গবেষণা গ্রন্থটি দেশের আড়াই হাজার ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে।
২০০৭ সালের ৭ মার্চ, ড. ইউনূস এ পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ পঁচিশ লক্ষ মানুষকে ঋণ দিয়ে শতকরা ৪২ থেকে ৪৪ ভাগ সুদ-আসলসহ আদায় করেন। যার শতকরা ৯০ ভাগই নারী।  গ্রামীণ ফোন বাবদ কলচার্জ এতো বেশী রাখেন যে, মুনাফার হার দাঁড়ায় ৫০০%-এরও ওপরে। শোনা যায়, এযাবৎ গ্রামীণ ফোন বাবদ ড. ইউনূসরা যে মুনাফা করেন, তার মোট পরিমাণও নাকি দুই থেকে তিন লাখ কোটি টাকার মধ্যে। প্রতিষ্ঠানটি নরওয়ের-তাই মুনাফা নরওয়েতে চলে যায়।
২০০৭ সালের ২৭ মে, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিইআর-এর রিপোর্ট। দেশের সাড়ে ৮ কোটি মানুষ ‘খাদ্য-দরিদ্র’ বা ৬০ শতাংশ মানুষ খাদ্য-দরিদ্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (বিইআর)-এর গবেষণা রিপোর্ট। আমি বলব শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ খাদ্য-দরিদ্র।
২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে গবেষণা। নতুন করে দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে তিন কোটি মানুষ। সরকারি হিসাবে সাধারণত দৈনিক ২১২২ কিলো ক্যালরির কম খাদ্য গ্রহণকারী জনগোষ্ঠীকে দারিদ্রসীমার নিচে ধরা হয়।
২০০৮ সালের ৫ জুন, গত ১৫ মাসে দরিদ্র মানুষের আয় কমেছে ৩৮ শতাংশ। বাজেটের লক্ষ্য পূরণ হয়নি, অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মধ্যেঃ সিপিডি।
২০০৮ সালের ২ জুলাই, মূল্যস্ফীতির অভিঘাত নিয়ে সমুন্নয়ের গবেষণা-প্রায় ৬২ লাখ মানুষ বা সাড়ে ১২ লাখ পরিবার নতুন করে দরিদ্র হয়ে গেছে।
২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, আঞ্চলিক বৈষম্যে বাংলাদেশ বিভক্ত পূর্বাঞ্চল এগিয়ে, পশ্চিমাঞ্চল পিছিয়ে। যেমন-চট্টগ্রাম-৩৪, ঢাকা-৩২ ও সিলেট-৩৩.৮ শতাংশ দারিদ্রসীমার নিচে পূর্বাঞ্চল এগিয়ে আর বরিশাল-৫২, খুলনা-৪৫.৭ ও রাজশাহী-৫১.২ শতাংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে পশ্চিমাঞ্চল পিছিয়ে। আমি বলব বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে শতকরা ৯০ জন।
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, মার্কিন নাগরিকদের খাদ্যাভ্যাস এখন পর্যবেক্ষণে আছে। সারা বিশ্বে খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়া নিয়ে অনেক দেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রতিদিন না খেয়ে থাকছে বিশ্বের ৮০ কোটির বেশি লোক। এ কারণে মার্কিন নাগরিকদের খাদ্যাভ্যাসের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাব অনুযায়ী, একজন মার্কিনি প্রতিদিন গড়ে ৩,৭৭০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে। আর বাংলাদেশীরা গড়ে ১,২৫০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে।
২০০৯ সালের ২৪ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ অপুষ্টিজনিত কারণে ঘন্টায় ১০ শিশু মারা যাচ্ছে। ঘন্টায় ১০, দৈনিক ২৪০, মাসে ৭,৩০০ ও বছরে মারা যাচ্ছে ৮৭,৬০০ শিশু।
২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর, আমাদের সময় ঃ সাড়ে ৪৫ লাখ টাকার দারিদ্র্যবিরোধী অনুষ্ঠান, গরিবরা পায়নি এক পয়সাও-শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে দারিদ্র্য নির্মূলের কথা চিন্তার অসারতারই প্রমাণ ঃ স্পিকার এডভোকেট মোঃ আবদুল হামিদ। এনজিও’র নামে দোকান খুলে হাই গাইদের লাভ হচ্ছে ঃ মতিয়া চৌধুরী।
২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ইউনিসেফের গবেষণা তথ্য-দেশের ৩০ শতাংশ শিশু চরম দারিদ্র্যের শিকার।
২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার খবর ঃ ২০০৯ সাল-ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১০ কোটি।
২০১০ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ২৪ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র পরিবার ফেয়ার প্রাইস কার্ড পাবে। এখন পর্যন্ত পায়নি (১১-০১-২০১২)
২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ প্রজননস্বাস্থ্য নিয়ে প্রথম আলোর গোলটেবিল। ৪০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী তীব্র অপুষ্টির শিকার।
২০১০ সালের ৫ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আগের মেয়াদের সরকারের সময় প্রতি কেজি চালের দাম ছিল ১২ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে। এর পর থেকেই দাম ক্রমশ বেড়েছে।
গত ছয় বছরে মাথাপিছু আয় বাড়লেও আয়বৈষম্যের কারণে সীমিত আয়ের মানুষের বিপত্তি বেড়েছে।
২০০৬ সালে মোটা চালের দাম ২০ টাকা থাকলেও সেই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭.২০%। আর সেই চালের দাম গত জুলাই, ২০১০ মাসে ছিল ৩২ টাকা এবং মূল্যস্ফীতির হার ৭.২৬%।
ন্যূনতম ১৬৬২.৫০ টাকা মজুরি পেয়ে ২০০৬ সালে একজন পোশাকশ্রমিক পারিজা বা স্বর্ণা ধরনের মোটা চাল কিনতে পারতেন ৮৩ কেজি। আগামী নভেম্বর থেকে ন্যূনতম মজুরি তিন হাজার টাকা হলে একজন শ্রমিক কিনতে পারবেন ৮৭ কেজি চাল।
২০০৫ সালের বেতনকাঠামো অনুযায়ী দশম গ্রেডের একজন সরকারি কর্মচারীর ন্যূনতম বেতন পাঁচ হাজার ১০০ টাকায় মোটা চাল পাওয়া যেত ২৫৫ কেজি চাল। ২০০৯ সালে ঘোষিত বেতনকাঠামো অনুযায়ী আট হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ২৩২ কেজি চাল।
খাদ্যঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী ঃ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ২০০৯ সালে পরিচালিত বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা পরিস্থিতি নামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে দুই হাজার ২২২ ক্যালরি গ্রহণ করতে হয়। এর চেয়ে কম ক্যালরি গ্রহণ করে, এমন জনগোষ্ঠির সংখ্যা দেশে ছয় কোটি এক লাখ।
এক হাজার ৮০০ ক্যালরির কম গ্রহণ করে, এমন জনগোষ্ঠিকে হতদরিদ্র বা ‘আলট্রাপুওর’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এদের সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ। এক হাজার ৬০০ ক্যালরির কম গ্রহণ করে, এমন মানুষকে চরম দরিদ্র বা ‘হার্ডকোর পুওর’ হিসেবে উল্লেখ করে ডবিøউএফপির প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এদের সংখ্যা তিন কোটি ১০ লাখ।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ চলতি বছর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাবদ ২৬ লাখ টন চাল ও গম বরাদ্ধের জন্য বাজেট রাখা হয়েছে। সরকার টেষ্ট রিলিফ (টিআর) কর্মসূচীতে এক লাখ ১২ হাজার ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর (কাবিখা) আওতায় দুই লাখ নয় হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে তিন লাখ ২০ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিল। আমার মনে হয় শ্রমজীবী মানুষ এর কিছুই পাবে না।
২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ দারিদ্র হ্রাসের অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে বৈষম্য। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ।
২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ স্পিকার আবদুল হামিদের নেতৃত্বে এক মঞ্চে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার শপথ সরকারি ও বিরোধী দলের। ‘জাতীয় ঐক্য রুখবে দারিদ্র্য’। আমার মনে এটা একটি সরকারি ও বিরোধী দলের তামাশা মাত্র।
২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত-এ ১৮ বছরে বাংলাদেশের ২০ লাখ গরিব পরিবারের প্রায় এক কোটি মানুষের দৈনিক আয় ১ দশমিক ২৫ ডলারের সীমা ছাড়িয়েছে।
২০১১ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের হিসাবে দেড় শতাংশের বেশি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে গেছে পূরণ হয়নি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে মোকাবিলার পরামর্শ। বাজেটের আগেই গরিব মানুষের ওপর কর।   মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
২০১১ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ এশিয়াটিক সোসাইটিতে আবুল বারকাত-দেশের শতকরা ৮৩ ভাগ মানুষ দারিদ্র। আবুল বারকাত আরো বলেন, ‘ক্ষমতাবানেরা এখন কালো অর্থনীতির একটি বলয় সৃষ্টি করেছেন, যেখানে বছরে ৭৫-৮০ হাজার কোটি টাকার সৃষ্টি হয়। আর এটি জাতীয় আয়ের এক-পঞ্চমাংশ।
আবুল বারকাত বলেন, ক্ষমতাবানেরা অর্থনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রে এমন এক স্থবিরতা সৃষ্টি করেছেন, যেখানে দারিদ্র বিমোচন অসম্ভব। বিশেষত তাঁরাই রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে অথবা তাকে ব্যবহার করে দারিদ্র বিমোচন কর্মকান্ড দুরহ করছেন।
বিগত সরকারের সময়ে নিত্যপণ্যের দাম কৃতিমভাবে বাড়িয়ে মূল্য-সন্ত্রাসীরা দুই লাখ ৮৬ হাজার ১১০ কোটি টাকা লুট করেছে বলে মনে করেন বারকাত। তিনি বলেন, এর মানে এই নয় যে, গত আড়াই বছরে কোনো লুট হয়নি।
আবুল বারকাত বলেন, দারিদ্র মানুষের প্রকৃত হারটি সরকারি হিসাবের মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ নয়, হবে ৮৩ শতাংশ।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাটেক্সপোর-২০১১ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-সরকার দারিদ্র্যের হার ২১ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ করছে-দেশের ৩৬ লাখ পোশাকশ্রমিকের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের স্বাস্থ্য-সচেতনতা বৃদ্ধি ও সন্তানদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি, আশুলিয়ার শ্রমিকদের আবাসনের উদ্যোগ এবং রেশনিং-ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আমি বলব তাঁর সরকার মালিকদের পক্ষে কাজ করছে এবং দারিদ্রের হার কমাবে না বরং বাড়াবে।
১৯৯১ সালে রিহ্যাব গঠিত হয় ১১ জন সদস্য নিয়ে ।  ১৩-০৬-২০১৬ তারিখ এ সংগঠনটির সদস্যসংখ্যা-এক হাজার ১৫১ জন। রিহাবের ১ হাজার ১৫১ সদস্যের বাইরে আরও দেড় হাজার আবাসন প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতিশ্রæতি ভঙ্গ করলে কে দায়দায়িত্ব নেবে-এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে রিহাব সভাপতি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অঅমরা একটি প্রস্তাব দিয়েছি, সব আবাসন আবাসন প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে রিহ্যাবের সদস্য হতে হবে।  কারণ তাদের জন্য অনেক সময় রিহ্যাব সদস্যদের সুনাম নষ্ট হয়।
১৯৯৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশে-১.৯৪(এক কোটি চুরানব্বই লক্ষ) গৃহ প্রয়োজন।
১৯৯৭ সালের ২৭ জানুয়ারির হিসেবানুযায়ী ঃ ২০০০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বার্ষিক গৃহ ঘাটতির সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০(পঞ্চাশ) লক্ষ ইউনিট।
১৯৯৭ সালের ২৪ আগস্ট, কৃষি সুমারির প্রাথমিক রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে গৃহের সংখ্যা ১,৭৫,৯০,০০০(এক কোটি পচাত্তর লক্ষ নব্বই হাজার), কৃষক পরিবারের সংখ্যা ১,১০,১১,০০০(এক কোটি দশ লক্ষ এগার হাজার), বর্গা চাষী পরিবার ৫০,৬০,০০০(পঞ্চাশ লক্ষ ষাট হাজার), ভুমিহীন পারিবার ২০,১৮,০০০(বিশ লক্ষ আঠার হাজার) এবং খেত মজুর পরিবার ৬০,৭৩,০০০(ষাট লক্ষ তিহাত্তর হাজার)।
২০০৪ সালের ১৩ জুন, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে দেশের গৃহায়ন শিল্প-রেজিষ্ট্রেশন খরচ বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশী। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে নির্মাণ খাতে ধস নামতে পারে। একই সাথে সাড়ে ১২ লক্ষ দক্ষ-অদক্ষ শ্রমশক্তির জীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ারও আশংকা রয়েছে।
২০০৪ সালের ১৩ জুন, আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ রাজধানীতে লক্ষাধিক বাড়ী নির্মাণে বিল্ডিং কোড লংঘণ। একেবারে নকশা ছাড়া নির্মিত হয়েছে ৩৫ হাজার বাড়ী।
২০০৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাগণ-গৃহ ঋণের সুদের হার কমানো এখন সময়ের দাবী। আলোচকবৃন্দ জানান, বাংলাদেশ নগর এলাকায় বাসস্থান ইউনিটের মোট সংখ্যা প্রায় ৪০(চল্লিশ) লাখ।
২০০৬ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদে বিল পাস ঃ বিল্ডিং কোড না মানলে ৭-বছরের জেল।
২০০৭ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, রিহ্যাব ফেয়ার ২০০৬ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র-স্থান ঃ ঢাকা শেরাটন হোটেল, তারিখ-২০-২৪ ফেব্রæয়ারি-২০০৭। প্রায় গত দুই দশকেরও বেশী সময়ে রিহ্যাবের সদস্য ডেভলপাররা বড় বড় শহরে প্রায় ৬০ হাজার এপার্টমেন্টের যোগান দিয়েছে। ১৫.৫০ (পনের কোটি পঁঞ্চাশ লাখ) মানুষের দেশে এ ফ্ল্যাট নগন্যসংখ্যক। আগামী ৩ বছরে আরো ২৫ হাজার ইউনিট এপার্টমেন্ট যোগান দিতে পারবে বলে আশাবাদী। গত কয়েক বছরে সরবরাহ মাত্রা ছিল বছর প্রতি ৫-৬ হাজার ইউনিট। সূত্র জানায়, এখনও পর্যন্ত ডেভেলপার ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা মাত্র মোট জনসংখ্যার ৭ ভাগ উচ্চবিত্তের জন্যই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এ ভাবে ফ্ল্যাট তৈরী করলে কোনদিনই বাংলাদেশে বাসস্থানের সমাধান হবে না। এ খাতে প্রায় ১৫ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা নিয়োজিত আছে।
২০০৭ সালের ২৪ নভেম্বর, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) ঢাকা শেরাটন হোটেলের উইন্টার গার্ডেন ও টেনিস কোর্ট এলাকায় এ মেলার আয়োজন করেছে। এতে অংশ নিয়েছে ১৪১টি প্রতিষ্ঠান, এরমধ্যে ১৩৬টি জমি উন্নয়ন ও বাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
২০০৮ সালের ৩০ জানুয়ারি, প্রবাসীদের জন্য প্রথম আবাসন প্রকল্প চালু। মহানগরের অদূরে ২,২৫০ বিঘা জমির ওপর এ প্রকল্প গড়ে তুলছে। এ প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনাবাসীরা।
২০০৮ সালের ১০ নভেম্বর, রিহাবের পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলা আগামীকাল থেকে শুরু। এবার ১৯২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)-এর উদ্যোগে রাজধানীতে কাল ১১-১১-২০০৮ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে জমি ও ফ্ল্যাটের মেলা।  শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০০৮’ শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী হবে। ১৯২টির মধ্যে ১৮৭টি জমি উন্নয়ন ও বাড়ি নির্মাতা এবং পাঁচটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায় ১৯৭০ সালের শেষ দিকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু হয়। ইসলাম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড এ ব্যবসার অগ্রপথিক। সত্তরের দশকে সারা দেশে পাঁচটিরও কম কোম্পানি ঢাকায় কাজ করত এবং বর্তমানে প্রায় এক হাজার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ১৯৯১ সালে রিহ্যাব নামে একটি অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ৩৬১ জন। রিহ্যাবের সদস্যরা(ছোট, মাঝারি ও বড় কোম্পানি) গত বিশ বছরে প্রায় ৫৬ হাজার ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ ও হস্তান্তর করেছে। তাঁরা বছরে গড়ে প্রায় ছয় হাজার ইউনিট প্লট-ফ্ল্যাট নির্মাণ ও হস্তান্তর করছে। তবে এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে ফ্ল্যাট নির্মাণ রাজধানীকেন্দিক। স¤প্রতি বন্দরনগর চট্টগ্রামে কিছু কিছু প্রকল্প শুরু হয়েছে। ঢাকার মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় ১৯৭৪ সালে এক কাঠা জমির মূল্য ছিল ৫০ হাজার টাকা আর ২০০৮ সালে তার মূল্য হয়েছে ২০০ গুণ বেড়ে এক কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ঃ উদ্বোধনী দিনেই আবাসন মেলায় উপচে পড়া ভিড়। মেলায় মোট ১৭৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ১৭৫টি জমি উন্নয়ন ও বাড়ি নির্মাতা এবং চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় রিহ্যাবের পাঁচ  দিনব্যাপী আবাসন মেলা মঙ্গলবার থেকে-এবার ২৬৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
২০১০ সালের ৯ জুন, প্রথম আলো ঃ ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ঝুপড়ি-কাঁচাঘরে ৭৫% মানুষ। দেশের মাত্র ৮ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবার পাকা বাড়ি ও ফ্লাটে বসবাস করে এবং ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ আংশিক পাকা বাড়িতে বাস করে। তবে শহর ও গ্রাম মিলিয়ে দেশের ৮৩ শতাংশ পরিবারই নিজ বাড়িতে থাকে আর ১৩ শতাংশ মানুষ ভাড়া বাড়িতে থাকে।  সরকারি সংস্থা বিবিএসের জরিপ ঃ কমছে না দারিদ্র্যের হার। রাতের বেলা প্রায় অর্ধেক পরিবারের আলোর ব্যবস্থা হয় এখনো কেরোসিনের প্রদীপে। বিনোদণের জন্য ৬০ শতাংশ পরিবারের কোনো রেডিও বা টেলিভিশন নেই। দারিদ্র্যের হার কমছে না। শিক্ষা-দেশে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষের হার ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ। টেলিফোনঃ ২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষের ল্যান্ডফোনের সংযোগ আছে। তবে মুঠোফোনের সংযোগ আছে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের। কমপিউটার আছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের। গ্রামে দশমিক পাঁচ আর শহরে ৬ দশমিক ৪ শতাংশের ব্যক্তিগত কমপিউটার রয়েছে।
২০১০ সালের ২৩ জুলাই, আমাদের সময় ঃ দেশে মাত্র ৪.৭ ভাগ পরিবার ধনী, ৮.৩ ভাগ পরিবার পাকা ও ফ্ল্যাট বাড়িতে বাস করে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা-২০.৫ ভাগ, আর নিæমধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা-৩৪.১ ভাগ আর ৪৪ ভাগ পরিবার দাদ্রিসীমার নিচে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো পরিচালিত মৌলিক সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। আমি মোঃ জাকির হুসেন বলি দেশে বর্তমানে ৯০ ভাগ লোক দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে।
২০১০ সালের ১৭ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বস্তি উচ্ছেদ বন্ধে আইন হচ্ছে। উচ্ছেদের আগে কমপক্ষে ৩০ দিনের নোটিশ দিতে হবে। ঢাকা শহরে প্রায় ৪০(চল্লিশ) লাখ লোক বস্তিতে বাস করে। এসব বস্তির পরিধি পাঁচ কাঠা থেকে ৮০-৯০ একর। পাঁচ থেকে ১০টি পরিবারের জন্য একটি টয়লেট রয়েছে।
২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ তিতাস গ্যাস এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (তিতাস) ১৬ লাখ গ্রাহকের ৯০ ভাগই গ্যাস সমস্যায় ভোগছে। শিল্পখাতে উৎপাদন কমেছে অর্ধেক এবং গ্যাস সংকটে ৫ হাজার ফ্ল্যাট খালি পড়ে আছে।
২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৫৬টি অনুমোদনহীন আবাসন প্রকল্পের বিরুদ্ধে জিডি। রাজউক আরও পদক্ষেপ নেবে ঃ চেয়ারম্যান।
২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ঢাকা শহরে প্রায় ৫ হাজারের ওপরে  বস্তিতে মোট নগর জনসংখ্যার ১৭.৬ শতাংশ লোক বসবাস করে। প্রায় ৩.৪ মিলিয়ন লোক বস্তিতে বসবাস করে। আর বছরে ঢাকাতে ৫ লাখ মানুষ আসছে। ঢাকায় বস্তির সংখ্যা বাড়ছে। ১৯৭১ সাল থেকে ঢাকা শহরে বস্তির সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকে। নগর গবেষণা কেন্দ্রের ১৯৭৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, তখন নগর জনসংখ্যার ২,৭৫,০০০(দুই লাখ পঁচাত্তর হাজার) মানুষ বস্তিতে বসবাস করত। ১৯৯১ সালে নগর জনসংখ্যার ৭,১৮,১৪৩ জন বস্তিতে বসবাস করত। ১৯৯৬ সালে ১.৫ মিলিয়ন এবং ২০০৫ সালে ৩.৪ মিলিয়ন   বস্তিতে বসবাস করত। ২০১০ সালে ১৭.৬ মিলিয়ন যার ৬০% বস্তিতে। ২০২০ সালের মধ্যে নগর জনসংখ্যার বর্তমান বস্তিবাসীর তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে  বস্তিবাসীর সংখ্যা দাঁড়াবে  ৯.০০ মিলিয়ন। ইউএনএফপিএ-এর স¤প্রতি তথ্যে জানা যায়, ২০৫০ সালে এদেশের জনসংখ্যা হবে প্রায় ২৬ কোটি। তখন নগর জনসংখ্যা কত কোটিতে দাঁড়াবে আর শহরে বস্তির সংখ্যাই বা হবে কেমন এটিই এখন প্রশ্নের বিষয়।
২০১২ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশে ৪০০শত বেসরকারি ভূমি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান জমি ভরাট শুরু করেছে।
২০১৪ সালের ২১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রিহ্যাবের আবাসন মেলা শুর ঃ এবারের মেলায় মোট ১৫৫টি স্টল রয়েছে। ২২,৭৭২টি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি।
১৯৯৬ সালের ২৭ জানুঃ তথ্য-দুর্নীতির রাহুগ্রাস ঃ গত ২২-বছরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২৫,৪০০(পচিশ হাজার চারিশত)টি কিন্তু শাস্তির সংখ্যা মাত্র ৬(ছয়) হাজার।
১৯৯৬ সাল থেকে ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে আসছে।
১৯৯৬ সালের ১৩ এপ্রিলের তথ্য-বাংলাদেশে গত ৫(পাঁচ) বছরে ৪ লক্ষ অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, কিন্তু ২০০১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ৫(পাঁচ) বছরে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে ৫.৭৩(পাঁচ লক্ষ তেহাত্তর হাজার)।
২০০০ সালের ৪ এপ্রিল, প্যারিস বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও শ্রমিক ইউনিয়ন সর্বত্রই ব্যাপক  দূর্নীতি।
২০০০ সালের ১৪ জুন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের দুর্নীতি মাথাপিছু আয়ের তুলনায় দ্বিগুন। দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন।
২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাই দুর্নীতির শীর্ষে।
১৮-১২-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ দক্ষিণ এশিয়ার ৫ দেশ স¤পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের জরিপ-দুর্নীতির শীর্ষে পুলিশ ও নিম্ন আদালত।
০৩-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা বলেছেন-দুর্নীতি ও দুঃশাসনে ৩-শতাংশ জিডিপি হ্রাস পাচ্ছে।
২০০৪ সালের ৭ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ সমাজের প্রতি স্তরেই আজ দুর্নীতি ঃ এদের ভয়ে প্রধানমন্ত্রীর চোখ বন্ধ করে রাখেন ঃ বছরে ৭০ হাজার কোটি কালো টাকা সৃষ্টি হচ্ছে ঃ মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তাদের অভিমত। গত ৩২ বছরে বাংলাদেশে সরকারীভাবে বৈদেশিক ঋণ এসেছে ২(দুই লক্ষ) কোটি টাকা-এর শতকরা ৭৫ ভাগ অর্থই লুট করেছে অর্থনীতি-রাজনীতির দুবৃত্ত গোষ্ঠি। এ দুষ্টচক্র বছরে ৭০(সত্তর হাজার) কোটি কালো টাকা সৃষ্টি করেছে যা জাতীয় আয়ের এক-তৃতীয়াংশের সমান। যেখানে ১৯৫৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মোট সংসদ সদস্যের মাত্র চার শতাংশ ছিল ব্যবসায়ী শিল্পপতি, সেখানে তা ১৯৯৬ সালে বেড়ে হয় ৭৪ শতাংশ ও ২০০১ সালে বেড়ে হয় ৮১ শতাংশ ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা।
২০০৪ সালের ২৩ এপ্রিল, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ দুর্নীতি ২৪ মন্ত্রণালয়ে ১৫,০০০ হাজার কোটি টাকা ঘুষ। রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে টিআই রিপোর্ট। মোবায়েদুর রহমান ঃ মাছের পচন ধরে মাথায়। আমাদের জাতির চরম দুর্ভাগ্য যে, আমাদের এ সমাজদেহে পচন ধরেছে মাথায়।
২০০৪ সালের ২৬ মে, দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর সরকারের অপচয় ১২(বার) হাজার কোটি টাকা। দুর্নীতি সংক্রান্ত জাতীয় সেমিনারে বক্তাবৃন্দ বলেন অপরদিকে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৬০(ষাট) হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ১৪৬টি দেশ সম্পর্কে টিআই রিপোর্ট। বাংলাদেশ ও হাইতি সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ।
২০০৪ সালের ৪ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ হাইকোর্টের নির্দেশ-বিনা বিচারে দেশের কারাগারগুলোতে ৩৬০ দিনেরও বেশী সময় ধরে আটক সাড়ে সাত হাজার আসামীর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করুন।
২০০৫ সালের ২ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ আড়াই হাজার গাড়ীর হদিস জানাতে ১৬ সচিবকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চিঠি। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য এ গাড়ীগুলো কেনা হয়েছিল। প্রকল্প শেষে ওই গাড়ীগুলোর আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
২০০৫ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ দুর্নীতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা-ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরামে মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দুর্নীতি দমন কমিশনে ৮৬৬-কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে সাংগঠনিক কাঠামোর প্রস্তাব।
২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের সাংগঠনিক কাঠামোর খসড়া চূড়ান্ত। দুর্নীতি দমন কমিশনের জনবলের সংখ্যা হবে ১,৩৬৯ জন।
২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল, ইনকিলাব ঃ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মোজাফফর আহমেদ। দেশে সবার শীর্ষে ভূমি দুর্নীতি এখন পুলিশ-কাষ্টমসকেও ছাড়িয়ে গেছে। ৯ খাতে বছরে ঘুষ লেনদেন ৬ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুলিশ, ভূমি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, নিম্ন আদালত, কর বিভাগ, স্থানীয় সরকার, ত্রাণ, পেনশন প্রভৃতি বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত জরিপে এবার শীর্ষস্থান পেয়েছে ভূমি বিভাগ। বছরে গড়ে একজন ৪শ’ ৮৫ টাকা টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
২০০৫ সালের ৩০ মে, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ দুর্নীতির বিরাট হাট-রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নই মূল উৎস ঃ যারা দুর্নীতি করে না তারা নির্বোধ। গত ৩৪ বছরে দেশে ২ লাখ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান এসেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো-এর ৭৫ ভাগই লুটপাট হয়ে গেছে বলে সেমিনারে বলা হয়। দুর্নীতি দমনের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছা। দুর্নীতি রোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্ত হাতে-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে, সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে দুর্নীতিবাজদের ওপর।
২০০৫ সালের ৪ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় শফিউল আলম ঃ চট্টগ্রাম বন্দরে বছরে ৮০১ কোটি টাকা ঘুষ বখশিশ। টিআইবির গোলটেবিলে তথ্য প্রকাশ।
২০০৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাণিজ্য-বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ। বাংলাদেশ ১১০-নম্বরে নেমে গেছে। দুর্নীতি অদক্ষ আমলাতন্ত্র, অস্থিতিশীল নীতি, সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা, অবকাঠামোর অভাব ইত্যাদি কারণে প্রতিযেগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্য-বিনিয়োগ পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গত বছরের তুলনায় ৮-ধাপ পিছিয়ে ১১০ নম্বরে নেমে গেছে। প্রতিবেশী ভারত ৫৫ থেকে ৫-ধাপ এগিয়ে ৫০-এ এবং পাকিস্তান ২২-ধাপ এগিয়ে ৯১ থেকে ৬৯-এ উঠে গেছে। বিশ্বের ১১৭টি দেশের প্রথমসারির কোম্পানীগুলোর প্রধান নির্বাহীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তুত ‘গেøাবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০০৫-২০০৬’-এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম(ডবিøউইএফ) এবং বাংলাদেশ বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)এ জরিপ পরিচালনা করে।
২০০৫ সালের ১৯ অক্টোবর, সালাউদ্দিন বাবলু ঃ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের(টিআই) জরিপ অনুযায়ী ১৫৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এ বছরও দুর্নীতিতে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে। দুর্নীতিতে ৫ম বারের মতো শীর্ষে বাংলাদেশ। খালেদা-হাসিনা পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব প্রকাশের আহবান।
২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর, ইনকিলাব-নিউজ ওয়ার্ল্ড ঃ বিশ্বের ২১২টি সংবাদ মাধ্যমে দুর্নীতির শীর্ষস্থানে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষক খবরটি প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশের সা¤প্রতিক কোন খবর নিয়ে-এর আগে পৃথিবী জুড়ে এত হৈচৈ বিদ্রুপের খবর শোনা যায়নি।
২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সম্পদের হিসাব প্রকাশে টিআইবি প্রস্তাবের প্রতি স্থাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন সম্পদের হিসাব দেয়া আছে। তারপরও আমি নিজের স্বামীর এবং সন্তানদের সম্পদের হিসাব যে কোন সময় দিতে প্র¯তুত।
২০০৫ সালের ২১ নভেম্বর, ইউএনবি ঃ দুর্নীতি দমন কমিশন প্রথম বছরে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।
২০০৬ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ টিআইবি গেøাবাল করাপশন রিপোর্ট-২০০৬। ঘুষ দুর্নীতি জালিয়াতি স্বাস্থ্য সেবাকে গ্রাস করছে।
২০০৬ সালের ১৯ মার্চ, সাঈদ আহমেদ ঃ ১৬-হাজার মামলা ও অভিযোগের ভারে ন্যূজ দুর্নীতি দমন কমিশন ঃ তদন্ত করতে সময় লাগবে ৬-বছর।
২০০৬ সালের ২৩ এপ্রিল, সাঈদ আহমেদ ঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে প্রসিকিউশন টিমের জবাবদিহিতা নেই ঃ ৫ হাজার ৫০ মামলায় রাষ্ট্রের স্বার্থ অনিশ্চিত।
২০০৬ সালের ১ আগষ্ট, স্টাফ রিপের্টার ঃ কালো টাকার মালিকরা কর আইনে মাফ পেলেও দুদক ছাড়বে না। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি সুলতান হোসেন খান বলেছেন, কালো টাকার মালিকরা কর আইনে মাফ পেলেও দুর্নীতি কমিশনের কাছে মাফ পাবে না।
২০০৬ সালের ৭ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ টিআইবি’র রিপোর্ট প্রকাশ। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় স্থানে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।
২০০৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ দুর্নীতিবাজদের কোনক্রমেই রেহাই দেয়া হবে না। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করতে চায় না ঃ সেনাপ্রধান।
২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, সাখাওয়াত হোসেন ঃ বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন। দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে কঠোর আইন। অভিযোগ প্রমাণ হলে কোন নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে না। উচ্চতর আদালত দন্ড স্থগিত বা জামিন প্রদান এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আদেশ বাতিল করতে পারবে না। আর ৭২ ঘন্টার মধ্যে হাজির না হলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত।
২০০৭ সালের ২৭ জুন, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ প্রতি বছর ২০ হাজার ৭শ কোটি টাকার কেনাকাটা হয়। সরকারী কেনাকাটায় দুর্নীতির কারণে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ঃ বিশ্বব্যাংক।
২০০৭ সালের ১১ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশে অধিকাংশ দুর্নীতি করেছে শিক্ষিত সমাজ।-সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে. আর. মোদাচ্ছির হোসেন।
২০০৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দুর্নীতিবাজদের আরো তালিকা হবে-দুদক চেয়ারম্যান। সেপ্টেম্বর থেকে সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের আর কোন তালিকা হবে না-সেনাপ্রধানের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান লে. জে. (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ২২০ জনের তালিকা করেই যদি মনে করা হয় যে দুর্নীতি শেষ হয়ে গেছে তাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সন্তুষ্টি লাভের কারণ নেই। দুর্নীতি দমন অভিযানের জন্য প্রয়োজন মনে হলে আরো তালিকা হবে। এ মাসেই শেষ হচ্ছে টাস্কফোর্সের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান।আরো ৬০ দুর্নীতিবাজের তালিকা আসছে চলতি মাসে।
২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, টি.আই. রিপোর্ট ঃ দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এবার সপ্তম। এবার অবস্থানে চার ধাপ উন্নতি, তবে স্কোর পয়েন্ট আগের জায়গাতেই।
২০০৭ সালের ৫ অক্টোবর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ এনজিওগুলো সর্ববৃহৎ দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। স্বচ্ছতা-গণতন্ত্র নেই, চলছে পূর্ণ একনায়কতন্ত্র। টিআইবি’র গবেষণা প্রতিবেদন। এনজিওগুলো প্রায় আড়াই কোটি মানুষকে ঋণের আওতায় এনেছে।
২০০৭ সালের ৭ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দুদকে জমা পড়েছে ৭০,০০০ হাজার অভিযোগপত্র। এর যাচাই-বাছাই শুরু শিগগিরই হবে।
২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি,  নোয়াখালী ও লক্ষীপুরে দুদক চেয়ারম্যান-দুর্নীতির কারণে দেশে প্রতিবছর ৭,০০০ কোটি টাকা অপচয় হয়।
২০০৮ সালের ২৬ মে, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ স্বেচ্ছায় দুর্নীতি স্বীকার করলে জেলে যেতে হবে না। উপদেষ্টা পরিষদে ট্রুথ কমিশন অনুমোদন। দুর্নীতির অভিযোগ দ্রুত নিস্পত্তির লক্ষ্যে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অধ্যাদেশ-২০০৮ (ট্রুথ কমিশন) চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল রোববার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত সাপ্তাহিক সভায় অধ্যাদেশটি অনুমোদন করা হয়। শিগগিরই গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে এটি আইন হিসেবে কার্যকর হবে।
২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, এবার বাংলাদেশ দুর্নীতির সূচকে সপ্তম থেকে দশম স্থানে।
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, দুর্নীতি সূচকে সার্কে এখনো শীর্ষে বাংলাদেশ।
২০০৯ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ নীলফামারীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান লে.  জেনারেল (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরী বলেছেন ঃ দেশে এমন একটা পেশাও নেই যেখানে দুর্নীতি নেই।
২০০৯ সালের ৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ টিআইবির জরিপে তথ্য ঃ সংসদ নির্বাচনে ৮৭% প্রার্থী ব্যয়ের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, দল অনুযায়ী বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা গড়ে ৫০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করেছেন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ব্যয় করেছেন গড়ে ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ৩২১ টাকা। নির্ধারিত ব্যয়ের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের ছয়জন, বিএনপির চারজন এবং স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী। প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেন জনসংযোগের পেছনে, যা গড়ে ১৮ লাখ এক হাজার ৯৮৯ টাকা।
২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সরকার সব করবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমার কথা হলো দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে তাঁর সরকার কিছুই করবে না।
২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিধান বাতিল। সরকারকে ধণ্যবাদ জানিয়েছে নোয়াব। মানহানির মামলায় সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক, কবি ও লেখকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিধান বাতিলে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদপত্র মালিক সমিতি (নোয়াব)।
২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ অর্থ পাচার ও দুর্নীতিতে জড়িতদের  বিচার হবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি বলি দুর্নীতিবাজদের বিচার করবে না।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দুদক চেয়ারম্যান-বছরে ১০০ মামলা নিষ্পত্তি হলে দুর্নীতি করার সাহস হবে না। আমি বলি এ সমাজব্যবস্থায় দুর্নীতি উচ্ছেদ করবে না।
২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৭৭ শতাংশ আসামিই খালাস পায়-পুলিশের বার্ষিক অপরাধ সম্মেলনে তথ্য ঃ ২০০৯ সালে দেশে এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৬৪টি মামলা হয়েছে। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৪৩০টি করে মামলা হয়েছে।
২০১০ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর। দুর্নীতির জালে বন্দী বাংলাদেশ।
২০১০ সালের ১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যাঁদের হাতে তাঁরাই দুর্নীতি করেন ঃ আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। তিনি বলেছেন, যাঁদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা রয়েছে, তাঁরাই ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। কোনো ফাইল এলে তাঁদের বিভিন্নভাবে সন্তুষ্ট না করা পর্যন্ত সে ফাইল নড়ে না। এ ধরনের দুর্নীতির কারণেই দেশের অগ্রগতি হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ কৃষক ও শ্রমিক। তাঁরা কেউ দুর্নীতি করেন না।
২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ লন্ডনে অর্থমন্ত্রী-বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রধান বাধা দুর্নীতি।
২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেনি। টিআইর প্রতিবেদন। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সোমালিয়া বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। ২০১০ সালে স্কোর ২.৪ আর অবস্থান ১২তম।
তৃতীয় সপ্তম দশম ১৩তম ১২তম
২০০৬ ২০০৭ ২০০৮ ২০০৯ ২০১০
২.০ ২.০ ২.১ ২.৪ ২.৪
২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতির শীর্ষে পুলিশ, পরে জনপ্রশাসন। টিআইবি’র সমীক্ষায় জনগণের অভিমত।
২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতির শীর্ষে বিচার বিভাগ। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ টিআইবির জরিপের প্রশ্ন ও উত্তর চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
২০১১ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ টিআইবির জরিপ ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে করা। সুপ্রিম কোর্টের মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন। বিচার বিভাগের দুর্নীতি অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
২০১২ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ বিচার প্রশাসন থেকে থানা পর্যন্ত দুর্নীনি বিস্তৃত সর্বত্র ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে দুর্নীতি আগের মতোই। টিআইয়ের ধারণা সূচকে বাংলাদেশের নম্বর ১০০-তে ২৫।
১৯৯৬ সালের ৫ নভেম্বরঃ বাংলাদেশে বিচারাধীন ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ২.৫০(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)। ২০০০ সালের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪(চার) লক্ষে পৌঁছে।
১৯৯৮ সালের ১১ মার্চ,বাংলাদেশে-৬,৭৭,০০০(ছয় লক্ষ সাতাত্তর হাজার)মামলা বিচারাধীন।
১৯৯৯ সালের ৪ মার্চের হিসেবমতে-সুপ্রীম কোর্টে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ৯৯,০০০(নিরানব্বই হাজার)।
২০০০ সালের ৬ জানুয়ারি-বাংলাদেশে ১.৫(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলের অপেক্ষায় ছিল।
২০০০ সালের ১০ এপ্রিল-বাংলাদেশে গ্রেফতারী পরওয়ানা তালিম না হওয়ায় প্রায় ১.৩(এক লক্ষ ত্রিশ হাজার) আসামী পলাতক।
২০০০ সালের ৮ অক্টোবর-বাংলাদেশে অপরাধ বৃদ্ধির হার ভয়াবহ।
২০০২ সালের ১ নভেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের আদালতগুলোতে জমে থাকা ১০(দশ) লক্ষ বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তিতে ৮৬(ছিয়াশি) বছর সময় লাগবে।
০৯-০২-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ ঢাকা কোর্টে ৬৭(সাষট্টি)  হাজার মামলা জমা আছে-অথচ জেলা জজ পর্যায়ের ৮ জন বিচারকের কাজ নেই।
২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, এক একান্ত সাক্ষাতকারে ভূমিমন্ত্রী বলেন যে-বাংলাদেশে ৮০ ভাগ মামলাই ভূমি থেকে সৃষ্টি ঃ বর্তমানে ভূমি ব্যবস্থার যে সংকট সেটি ১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ, লর্ড কর্নওয়ালিসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে সৃষ্টি।
২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল, পর্যন্ত সংসদে প্রশ্নোত্তরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন ঃ বাংলাদেশে ১০,৪৫,৮৯৫(দশ লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার আটশত পঁচানব্বই)টি মামলা বিচারাধীন।
২০০৩ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রধান বিচারপতি কে. এম. হাসান বলেছেন, বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমান বিচার ব্যবস্থা ধনীদের কাছেই বেশী সহজলভ্য এবং তা গরীবদের আওতার বাইরে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আর্থিক অসচ্ছলতা, অজ্ঞতা এবং অসচেতনার কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠী  বিচারের সূফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
২০০৪ সালের ২৮ জানুয়ারি, আদালত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টের নজিরবিহীন রায় ঃ আইজিপির জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস জেল।
২০০৪ সালের ৭ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি  ভূমি অভাবী (ল্যান্ড হাংরী) দেশ। ভূমিজনিত মামলা মকদ্দমায় বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।
২০০৪ সালের ৭ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি  ভূমি অভাবী (ল্যান্ড হাংরী) দেশ। ভূমিজনিত মামলা মকদ্দমায় বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।
২০০৫ সালের ২৬ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বৃহত্তর কর কেলেঙ্কারি মামলার চার্জশীট দেয়ায় বিভিন্ন মহলে দুর্নীতি দমন কমিশন আতঙ্ক। ৫৬৮ কোটি টাকা কর ফাঁকির দুটি মামলার চার্জশীট দেয় আকিজ গ্রুপের বিরুদ্ধে।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ দেশে ৯,৯৫৮টি হত্যা মামলা বিচারাধীন-সংসদে আইনমন্ত্রী।
২০০৭ সালের ২৬ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ভাঙচুরের ঘটনায় সারাদেশে প্রায় ৮৮ হাজার লোককে আসামী করে মামলা। এরমধ্যে রাজধানীতে ৩৫ মামলায় ৮২ হাজার ৭২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
২০০৮ সালের ১২ জানুয়ারি, অপরাধ বেড়েছে, নতুন আইন চায় পুলিশ। পুলিশের বার্ষিক অপরাধ সম্মেলনের তথ্য ঃ ২০০৬ সালে দেশে মামলার সংখ্যা ছিল ১,৩০,৫৭৮টি। কিন্তু ২০০৭ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১,৫৭,২০০টি মামলা। অর্থাৎ ২০০৬ সালের তুলনায় অপরাধ বৃদ্ধি পায় ২৬,৬৬৬টি। এখন প্রতিদিন গড়ে ৪৩০টি মামলা হচ্ছে। ২০০৭ সালে দেশে খুনের মামলা হয় ৩,৭৬৯টি। ২০০৬ সালে ২২টি খুন কম হয়।
২০০৯ সালের ১৪ জুন, প্রথম আলোঃ বাংলাদেশে এখন দেড় লাখ মানুষের জন্য বিচারক একজন।
২০০৯ সালের ৯ জুলাই, আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মামলার সংখ্যা ১৮ লাখ ২৯ হাজার ১৬৫টি এরমধ্যে দেওয়ানি ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩টি, ফৌজদারি ৮ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৪টি এবং অন্যান্য ৯৬ হাজার ৬৭৬টি। ১ জানুয়ারি, ২০০৯ পর্যন্ত সরকারি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে; সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৯ হাজার ৩৭৫; সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৯০১টি। এছাড়া সকল জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ সকল প্রকার ট্রাইব্যুনালে ৮ লাখ ৭ হাজার ৭০২টি এবং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সকল সিএমএম) ৭ লাখ ১৮ হাজার ১৮৭টি মামলা রয়েছে।
২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন থেকে ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৮ পর্যন্ত সাত বছরে দায়ের করা ২২ হাজারের মতো মামলা পুনরায় পরীক্ষা করে তা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সাত বছরের মামলাগুলো পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত। আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন। বিএনপি আমলেও এভাবে ৩৫ হাজার মামলায় ৭০ হাজার আসামি মুক্তি পায়।
২০০৯ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৮ লাখ ২০ হাজার ৭৯০টি।
২০১০ সালের ৮ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশের আদালতে ১৫ লাখ ৮২ হাজার মামলা বিচারাধীন ঃ সংসদে আইনমন্ত্রী।
২০১০ সালের ২০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর সুপ্রিম কোর্টে তিন লাখ ৩০ হাজার ৮৩১টি মামলা বিচারাধীন। এরমধ্যে আপিল বিভাগে পাঁচ হাজার ২৬০টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে তিন লাখ ২৫ হাজার ৫৭১টি মালমা বিচারাধীন।
২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, প্রথম ঃ হাইকোর্টে চার মাসে ৫০ হাজার মামলা নিষ্পত্তি। প্রধান বিচারপতির উদ্যোগ। সংখ্যা কমলেও মামলাগুলো গুরুত্বপূর্ণ না-সুপ্রিম কোর্টি আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
২০১২ সালের ৬ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশের আদালতে প্রায় ৩০ লাখ মামলা বিচারধীন আছে। ম্মালা জট।
২০১৬ সালের ১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর। বিচারাধীন চোরাচালান মামলা ৩০ হাজার ৭৮৭টি।
১৯৯৭ সালের ১৭ নভেম্বরের হিসেব-পাকিস্তানের পতিতালয়ে ৪০(চল্লিশ হাজার) বাংলাদেশী নারী ও শিশু আছে।
১৯৯৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের তথ্য-পাকিস্তানে প্রায় ১৫(পনের) লক্ষ বাংলাদেশী আছে। এ লজ্জা আমাদের। আমরা বাঙ্গালীরা পাকিস্তান ভেঙ্গে ফেলছি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, আর আজ আমাদের লোকজনরা পাকিস্তানে চলে যাচ্ছে বাঁচার জন্য। তা‘হলে যে আমরা বলছি-পাকিস্তানিরা আমাদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত এবং বাংলাদেশের সম্পদ ছাড়া       পাকিস্তানিরা চলতে পারবে না। অচিরেই গরীব হয়ে যাবে। আমরা বাঙ্গালীরা যা ভাবছিলাম তা সবই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের সম্পদ ছাড়া পাকিস্তান আগাচ্ছে-কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা বা বাংলাদেশীরা আগাইতে পারছি না কেন?
২০০০ সালের ২৮ নভেম্বর, পাকিস্তানী ডেপুটী হাইকমিশনারের ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি ঃ একাত্তরে আওয়ামীলীগের দুস্কৃতিকারীরাই প্রথম নৃশংসতা শুরু করে।
২০০৪ সালের ৩১ অক্টোবর, সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৩টি জেলার ৭০টি জেনেভা ক্যাম্পে অবস্থিত ‘অবাঙ্গালী”দের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে ‘আটকেপড়া” সর্বমোট ৫,৩৯,৬৬৯ জন অবাঙ্গালী বিহারী   পাকিস্তানে প্রত্যাবাসনের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের কাছে ইচ্ছা ব্যক্ত করে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর ভারতের বিহার ও অন্যান্য প্রদেশ থেকে আগত এসব অবাঙ্গালী মুসলমান (মোহাজির) তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশে বসবাস করতে থাকে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ’ নির্ধারণে এরা পাকিস্তানে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের পক্ষে ইচ্ছা প্রকাশ করলে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কর্তৃক ঢাকাসহ দেশের ১৩টি জেলার ৭০টি ক্যাম্পে এ সকল ‘আটকেপড়া’ অবাঙ্গালীদের সাময়িকভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়। বতমানে বাংলাদেশে আছে ৪০,২০৮টি পরিবার। ক্যাম্প এবং ক্যাম্পের বাহিরে মিলে সর্বমোট ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪০ জন সদস্য বাংলাদেশে বসবাস করছে।
১৫-১১-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ পাকিস্তানে বসবাসকারী বাঙ্গালীদের নাগরিকত্ব প্রদানের উদ্যোগ-১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানে বসবাসকারী বাঙ্গালীদের পাকিস্তানের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য সেদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি প্রস্তাব করেছে। প্রায় ১৫-লক্ষ বাঙ্গালী পাকিস্তানে বসবাস করছে।
২০০৫ সালের ২০ নভেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ পাকিস্তানের হোম টেক্সটাইল (গৃহসজ্জা সামগ্রী) বাংলাদেশে স্থানান্তরে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ প্রকাশ।
২০০৫ সালের ২১ নভেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশের বস্ত্র খাতে পাকিস্তান ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
২০০৫ সালের ১৩ নভেম্বর, বিশেষ সংবাদদাতা ঃ প্রথম সার্ক পদক (সার্ক অ্যাওয়ার্ড-২০০৪) দেয়া হয়েছে সার্কের উদ্যোক্তা মরহুম জিয়াউর রহমানকে। সার্কের বিদায়ী চেয়ারপার্সন ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজের কাছ থেকে জিয়া পরিবারের পক্ষে প্রথম সার্ক এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা শহীদ জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে তারেক রহমান।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর, আওয়ামী লীগ সরকার এবং শান্তিবাহিনী’র অভিভাবক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ‘শান্তিচুক্তিটি’ স্বাক্ষরিত হয়।
২০০১ সালের ২৭ মে ঃ স¤প্রতি ৬৫-সদস্য বিশিষ্ট গঠিত বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের জাতীয় কমিটির আহবায়ক সন্তু লারমা বলেন-দেশের সংখ্যালঘু ৪৫টি জাতির ২০ লক্ষ আদিবাসী আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও অধিকার আদায়ের লক্ষে একত্র হওয়া প্রয়োজন।
২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ পার্বত্য চুক্তির ১৪ বছর। সরকার বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। সন্তু লারমা।
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু উদ্ধোধন করা হয়।
এক নযরে যমুনা সেতু ১৯৯৮ সালের ৪ এপ্রিলের তথ্যানুযায়ী ঃ
১. দৈর্ঘ্য ঃ ৪.৮০ কিলোমিটার
২. প্রস্থ ঃ ১৮.৫ মিটার
৩. স্পেন সংখ্যা ঃ ৪৯টি
৪. পাইল সংখ্যা ঃ ১২১টি
৫. ডেক সেগম্যান্ট সংখ্যা ঃ ১২৬৩টি
৬. পিলার সংখ্যা ঃ ৫০টি
৭. সড়ক লেন সংখ্যা ঃ ৪টি
৮. অন্যান্য   সুবিধাদি ঃ যেমন-রেলপথ, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন, গ্যাস সরবরাহ লাইন ও টেলিযোগাযোগ লাইন।
৯. যমুনা সেতুর বার্ষিক আয় ঃ ১০০ কোটি টাকা।
১০. যমুনা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ঃ ৫ হাজার ৩শ’ ৯৫ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
১১. ১৯৯৮ সালের ৬ জুনের তথ্যানুযায়ী ঃ যমুনা সেতুর জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে-৫,৬৮০(পাঁচ হাজার ছয়শত আশি) একর।
১২. ১৯৯৮ সালের ১৯ জুনের তথ্য ঃ বাংলাদেশের ‘‘যমুনা সেতু” বিশ্বের এগারতম দীর্ঘ সেতু ছিল।
১৩. ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারির তথ্য ঃ বাংলাদেশের ‘‘যমুনা সেতু” বিশ্বের চৌদ্ধতম দীর্ঘ সেতু।
১৪. সেতু নির্মাণে প্রথম ব্যয় ধরা হয়েছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা এবং পড়ে ব্যয় বেড়ে হয়েছিল তিন হাজার পাঁচশত টাকাঃ কয়েক দফা বাড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত খরচ হয় তিন হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা। মোটরসাইকেলের টোল-৩০, কার-৪০০, ছোট বাস-৫৫০, বড় বাস-৮০০, হালকা মালবাহী যান-৭৫০, মাঝারি ট্রাক-১০০০ ও ভারী মালবাহী যানের টোল ১,২৫০ টাকা। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ লাখ টাকার টোল আদায় হয়।
১৫. যমুনা সেতু উদ্ভোধন করা হয় কত তারিখ ঃ ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন।
২০০৪ সালের ২৬ জুলাই, বগুড়া থেকে মহসিন রাজু ঃ যমুনা সেতুর উজানে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি হয়ে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পর্যন্ত ‘যমুনা নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের’ আওতায় খরচ করা আড়াই হাজার কোটি টাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবারের বন্যা ঠেকাতে পারলো না। ১০ বছর ধরে এ বাঁধের জন্য খরচ করা টাকার সিংহভাগ অপব্যবহার (আত্মসাৎ) হয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নকারী, প্রকৌশলী, রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসৎ কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের পকেটে উঠেছে।
২০০৬ সালের ১৬ এপ্রিল, সালাউদ্দিন বাবলু ঃ ভারতের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে যমুনা সেতুর আয়ু শেষ। সরাসরি রেল ট্রানজিট চালুর লক্ষ্যে ঢাকায় বৈঠক। ১৯৯৮ সালের জুনে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনা সেতুর আয়ু নির্ধারণ করা হয়েছিল ১শ বছর। মাত্র ৮ বছরেই যমুনা সেতুর আয়ু শেষ হয়ে যাচ্ছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়েই আজ যমুনা সেতুর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সেতু নকসাতে রেল লাইন বসানোর কথা ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার সেতুতে রেল লাইন বসানোর কারণেই সেতুর ফাটল।
২০০৮ সালের ২৫ এপ্রিল, যমুনা সেতু থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ৮১টি রেলক্রসিংয়ের ৬৪টিতেই গেট নেই। পারাপার ‘নিজ দায়িত্বে’।
২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ বঙ্গবন্ধু সেতুতে মোট সেগমেন্ট আছে এক হাজার ২৬৩টি। আর এখন প্রতিটি অংশে ফাটল বেড়ে গড়ে ১৩টি হয়েছে। সে হিসাবে পুরো সেতুতে মোট ফাটল ১৬ হাজার ৪১৯টি। মেরামতে গড়িমসি, ফাটল বেড়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুর।
২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় পাতালরেল হবে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক! সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
১৯৯৯ সালের ৩১ জানুয়ারি, সুন্দরবনে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ ফলক উদ্বোধন করা হয়।
২৮-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ সুন্দরবনের আয়তন ১৩,২০০(তের হাজার দুইশত) বর্গ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে তারিক হাসান। বাংলাদেশের ভাগে-৯(নয়) হাজার বর্গকিলোমিটার এবং ভারতের পশ্চিম বাংলার ভাগে-৪,২০০(চার হাজার দুইশত) বর্গ কিলোমিটার।
২৩-১১-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারেঃ কোষ্টগার্ডের অভিযান ৪৬-জন উদ্ধার ঃ সুন্দরবন ও সাগর দ্বীপে শত শত কিশোর ক্রীতদাস হিসাবে বন্দী-রেজাউল করিম, বাগেরহাট থেকে।
২০০৪ সালের ১০ অক্টোবর, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪১৯টি।  এরমধ্যে ১২১টি পুরুষ ও ২৯৮টি স্ত্রী বাঘ রয়েছে। স্ত্রী ও পুরুষ বাঘের অনুপাত ১ ঃ ২.৫। আর বাচ্চা বাঘের সংখ্যা ২১টি। তবে বাচ্চা বাঘের সংখ্যা ৪১৯টির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত নয়। অপরদিকে ভারতের অংশে বাঘের সংখ্যা হলো ২৭৪টি।
২০০৫ সালের ১১ জুন, নাছিম উল আলম ঃ আমাদের সুন্দরবন বিশ্বে সর্ববৃহৎ লবণাম্বুজ বন। বনাঞ্চল বেড়ে সাড়ে ১৭ ভাগে উন্নীত হয়েছে। যা আজ থেকে মাত্র একদশক আগেও ১২ ভাগের মত ছিল। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ সুস্থ, সামাজিক জীবনের জন্য প্রতিটি দেশেই ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা আবশ্যক হলেও মাত্র একযুগ আগেও আমাদের দেশে মাত্র ১২ ভাগের মত ছিল। সারাদেশে এখন বন এলাকার পরিমাণ-২.৫২ মিলিয়ন হেক্টর। যা দেশের মোট ভূমির ১৭.০৮ ভাগ। ১৯৬০ সাল থেকে যে বনায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তার আওতায় ইতোমধ্যেই প্রায় ৪ লাখ একর ভূমিতে বনায়ন করা সম্ভব হয়েছে। ১৯৮০ সালে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে। ১৯৮১-৮২ সালে দেশব্যাপী থানা বনায়ন এবং নার্সারী উন্নয়ন কার্যক্রমও গ্রহণ করা হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে দেশে সর্বপ্রথম বৃক্ষমেলা এবং তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরুর সাথে বনায়নে ব্যাপক কর্মসূচীর পাশাপাশি বৃক্ষরোপণে জনসাধারনকে সম্পৃক্ত করার ফলে দেশে বনায়ন কার্যক্রম বিশেষ গতিলাভ করে।
২০০৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, দেড়শ’ বছর আগে সুন্দরবনের আয়তন ছিল-১২,০৩৪ বর্গকিলোমিটার। দেড়শ’ বছরে সুন্দরবনের আয়তন কমেছে ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার। সুন্দরবন বনাঞ্চলের ৬২ শতাংশ বাংলাদেশের ভাগে আর ভারতের ভাগে ৩৮ শতাংশ।
২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর ফরিদুন্নাহার লাইলীর প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষায় ২০১১ সালে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করেছে। ইউএনডিবি, ভারত ও বাংলাদেশ বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত বাঘশুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি। বাঘের ঘনত্ব প্রতি ১৩ থেকে ১৫ বর্গকিলোমিটারে একটি, যা বিশ্বে সর্বাধিক। বিশেযজ্ঞের মতে, সুন্দরবনে বাঘের বৃদ্ধির সুযোগ নেই।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ সুন্দরবনে ৪৪০টি বাঘ আছে। এর মধ্যে ৪১৯টি প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ২১টি বাচ্চা বাঘ রয়েছে।
১৯৯৯ সালের ৩০ জুনের তথ্যানুযায়ীঃ-বাংলাদেশে বছরে দুধের উৎপাদন ২৯.১৩ (উনএিশ লক্ষ তের হাজার) টন। প্রতিজনে বছরে গড়ে ২০.৮০ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ৫৭ গ্রাম। বাংলাদেশে বছরে ১২ লক্ষ টন মাছের উৎপাদন; বছরে গড়ে মাথাপিছু ৮.৫৭ কেজি। দৈনিক গড়ে মাথাপিছু ২৩.৪৮ গ্রাম। বর্তমানে ১৭.৫ লক্ষ টন মাছ উৎপাদন হয় বলেছে সরকার  কিন্তু বাজারে মাছের আমদানী দেখে মনে হয় না উৎপাদন বেড়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ পাওনা ১,৪৮০(এক হাজার চারিশত আশি) কোটি ডলার। বাংলাদেশে বছরে ফলের উৎপাদন ১০(দশ) লক্ষ টন; বছরে গড়ে প্রতিজনে ৭.১৪ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ১৯.৫৭ গ্রাম। বাংলাদেশে বছরে শাক-সব্জির উৎপাদন ৮১ লক্ষ টন; বছরে গড়ে প্রতিজনে ৫৭.৮৫ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ১৫৮.৫১ গ্রাম। বাংলাদেশে বছরে ভোজ্যতেল উৎপাদন ৫,৭০,০০০ টন; বছরে গড়ে প্রতিজনে ৪.০৭ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ১১.১৫ গ্রাম। বাংলাদেশে বছরে ডালের উৎপাদন ১৫,৯০,০০০ টন; বছরে গড়ে প্রতিজনে ১১.৩৫ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ৩০ গ্রাম। বাংলাদেশে বছরে মাংসের  উৎপাদন ৮,৮৩,০০০ টন; বছরে গড়ে মাথাপিছু ৬.৩১ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ১৭.২৭ গ্রাম। বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা-১,৮০৪(এক হাজার আটশত চার) জন এবং তাঁদের মোট পুঁজির পরিমাণ-৫,০৯৮(পাঁচ হাজার আটানব্বই) কোটি টাকা।
২০০০ সালের ২২ জানুয়ারি ঃ বাংলাদেশে ধান ও গমের উৎপাদন ২ কোটি ৬২ লক্ষ ৮ হাজার টন। ডাল ১৫.৯(পনের লক্ষ নব্বই হাজার) টন; ভোজ্যতেল ৫.০৭(পাঁচ লক্ষ সাত হাজার) টন; শাক-শবজি ৮১.৪(একাশি লক্ষ চল্লিশ হাজার) টন; ফলমূল ১০(দশ) লক্ষ টন; মাছ ১৫(পনর) লক্ষ টন; দুধ ২৯.১৩(উনত্রিশ লক্ষ তের হাজার) টন ও মাংস ৮.৮৩(আট লক্ষ ত্রিরাশি হাজার) টন হয়েছে।
২০০৪ সালের ১৮ জুন, মাসুদুর রহমান খলিলী ঃ খাদ্যের চাহিদা উৎপাদন ও আমদানীর মধ্যে কোন সমন্বয় থাকছে না। চলতি সালে ২০-লাখ টন নীট খাদ্য উদ্বৃত্তের পরও আমদানী ৩০-লাখ টন।
২০০৫ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ কৃষি জমি রক্ষায় আইন আসছে। গ্রামীণ হাউজিং কৃর্তপক্ষ গঠন করা হবে ঃ জমিচাষে অনুপস্থিত থাকলে মালিকানা থাকবে না। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে গ্রাম পর্যায়ে নতুন নতুন বাড়ীঘর স¤প্রসারণ, নগরায়ন বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য প্রতিদিন গড়ে ২২০ হেক্টর বা সাড়ে ৫শ’ একর করে বছরে ৮০ হাজার হেক্টর  বা ২ লক্ষ একর জমি কৃষিচাষ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, যা সর্বমোট কৃষি জমির ১ শতাংশ। ১০০(একশত) শতকে ১(এক) একর এবং ২৫০(দুইশত পঞ্চাশ) শতকে ১(এক) হেক্টর। এ ধারা অক্ষুন্ন থাকলে আগামী ৫০ বছরেই দেশে সকল কৃষি জমি বিলুপ্ত হবে। স্বাধীনতার বিগত ৩৩ বছরে দেশের ২৫% কৃষি জমি চাষের আওতা থেকে হারিয়ে গেছে। দেশে বর্তমানে (১৩-০২-২০০৫) সালে আবাদযোগ্য মোট জমি ২ কোটি একর।
২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-সংসদ রিপোর্টার ঃ এ বছর ২২ লাখ ১৩ হাজার মেঃ টন মৎস্য উৎপাদন হতে পারে-মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান সংসদকে জানান। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে দুধের উৎপাদন বেড়ে ১৯ লাখ ৯০ হাজার মেঃ টন থেকে ২১ লাখ ৪০ হাজার মে. টনে উন্নীত হয়েছে।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ বছরে দেশে ২১ লাখ ৪০ হাজার টন দুধ উৎপাদন হচ্ছে ঃ সংসদে-মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান। ২১,৪০,০০০ হাজার টনকে গুন ১,০০০ হাজার কেজি দিয়ে=২১৪,০০০০০০০ কেজিকে গুন ১,০০০ হাজার গ্রাম দিয়ে=২,১৪,০০০,০০০০০০০ গ্রামকে ১৫,০২,৬০,০০০ কোটি মানুষ দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল হবে=১৪,২৪১ গ্রাম বছরে একজনের ভাগে এবং ৩৬৫ দিয়ে ভাগ করলে দৈনিক গড়ে একজনের ভাগে দুধ=৩৯ গ্রাম।
২০০৬ সালের ৩ জানুয়ারি, বাসস ঃ ১৯৭৫ সাল থেকে তিনদশকে চালের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। আবাদী জমির পরিমাণ ২৮-লাখ হেক্টর থেকে বেড়ে ৪০-লাখ হেক্টর হওয়াই অন্যতম কারণ।
২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, বাসস ঃ মৎস্য চাষে একটি সফল প্রকল্পের নাম জবই বিল। নওগাঁ জেলার প্রাচীনতম জবই বিলের আয়তন প্রায় ৪০৩ হেক্টর। বছরে হেক্টর প্রতি মাছের উৎপাদন ১,২০০ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। বছরে উৎপাদন হয়-৪,৮৩,৬০০কেজি বা ৪৮৩.৬ টন।
২০০৬ সালের ২০ এপ্রিল, সংসদ রিপোর্টার ঃ রেণু পোনা উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে দেশে বেসরকারী পর্যায়ে ৭৫৬টি মৎস্য হ্যাচারি ও ৭-হাজার ৫৭টি মৎস্য নার্সারি রয়েছে।
২০০৮ সালের ২২ এপ্রিল, বোরো ক্রয় ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সিপিডির সংলাপ-চাল উৎপাদনের লক্ষ্য ৩ কোটি ২০ লাখ টন করার পরামর্শ।
২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর, বাংলাদেশে প্রতি বছর শাঁক-সবজি উৎপাদন হয় ১ কোটি ২২ লক্ষ টন আর বছরে ৫০ প্রকার সবজি রফতানি করে ৭০০ কোটি টাকার। এ পর্যন্ত ৪২ প্রকার সবজির আকার বড় করেছেন।
২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক বাজারে মোটা চালের কেজি ২১ টাকা, দেশে ২৮ টাকা। আমন উঠলে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে-আমি বলি বাংলাদেশে এবারও চালের ঘাটতি হবে। ফাও থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত মার্চ-এপ্রিলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। টনপ্রতি দাম এক হাজার ডলার অকিক্রম করেছিল। গত দুই মাসে চালের দাম ব্যাপক হারে কমেছে। ভিয়েতনামে এক টন চাল ৩০০ ও পাকিস্তানে ৩৫০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে এখন। কৃমিন্ত্রণালয়ের হিসাবে বাংলাদেশে গত বোরো ও আউস মৌসুমমিলিয়ে দুই কোটি টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে এক কোটি ৩০ লাখ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বমোট উৎপাদন হবে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, দেশে প্রতিবছর দুই কোটি ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টন ধানের প্রয়োজন হয়। গবাধিপশু ও অন্যান্য খাতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চালের প্রয়োজন পড়ে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে চলতি বছর যে ধান উৎপাদন হয়েছে, তাতে দেশের চাহিদা পূরণের পরও কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ লাখ টন ধান উদ্বৃত্ত থাকবে। আমার মতামত এবারও খাদ্য ঘাটতি থাকবে। প্রতি কেজি ধান উৎপাদন করতে প্রায় ১২.৭৭ টাকা খরচ হয়েছে।
২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর, খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকার দুই লাখ টন গম কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। দরপত্র সর্বনিম্ন দর পাওয়া গেছে ১৯০ ডলার। তাতে প্রতি কেজি গমের দাম ১৩/- টাকা। একই গম চার মাস আগেও ছিল ৪১৯ ডলার।
২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে মোট ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার হেক্টর জলাভূমি ছিল। এ জলাভূমিগুলো থেকে বছরে প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র প্লাবনভূমিতে দুই কোটি ১০ লাখ হেক্টর জলাভূমি বন্যানিয়ন্ত্রণ, নিস্কাশন ও সেচখালের মতো কাঠামোর জন্য বিলীন হয়ে গেছে। উনিশ শতকের শুরুর দিকে যে চলনবিলের আয়তন ছিল এক হাজার ৮৫ বর্গকিলোকিটার, তা ১৯০৯ সালে এসে দাঁড়ায় ৩৬৮ বর্গকিলোমিটারে। বর্তমানে এর মাত্র ৮৫ বর্গকিলোমিটারে সারা বছর কমবেশি পানি থাকে। আবার কখনো কখনো চলনবিলের আয়তন ২৬ বর্গকিলোকিটারে পৌঁছায়।
২০০৯ সালের ২১ জুন, আমাদের সময় ঃ দেশে গৃহপালিত পশুপাখি ৩০ কোটি ৮ লাখ। জিডিপিতে অবদান ২.৭৯ শতাংশ।  এরমধ্যে পশু চার কোটি ৮৫ লাখ এবং পাখি ২৫ কোটি ২৩ লাখ। আগের বছরের চেয়ে এ সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২০ লাখ বেড়েছে। মৎস্য ও পশুনম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২০০৮ সালের হিসেব  অনুযায়ী সারাদেশে চার কোটি ৮৫ লাখ পশুর মধ্যে গরু দুই কোটি ২৯ লাখ, মহিস ১২ লাখ, ছাগল দুই কোটি ১৫ লাখ, ভেড়া ২৭ লাখ। ২৫ কোটি ২৩ লাখ পাখির মধ্যে মুরগি ২১ কোটি ২৪ লাখ এবং হাঁস ৩ কোটি ৯৮ লাখ। এসব পশুপাখি থেকে ২০০৮ সালে মোট দুধ উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ টন, মাংস উৎপাদন হয়েছে-৬ লাখ টন এবং ডিম উৎপাদন হয়েছে-৪১৮ কোটি ৮০ লাখ। আমিষের চাহিদা-পূরণের জন্য এসব পশুপাখির গুরুত্ব অপরিসীম। গত ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে দেশের জিডিপিতে পশুসম্পদ উপখাতের অবদান দুই দশমিক ৭৯ শতাংশ। সম্পাদনা ঃ জুলফিকার রাশেল।
২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিশ্ববাজারে দর কমার সুফল পাচ্ছে না ভোক্তা। আমদানিব্যয়ের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে আটা-ময়দা। গত বছর ফাও ও ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর বিশ্বে সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে ৬৮ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন গম উৎপাদিত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ১২ ভাগ বেশি।
২০০৯ সালের ২৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ খাদ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় পুষ্টি পরিস্থিতি নাজুক। দুটি গবেষণার তথ্য-দরিদ্র মানুষ মাছ-মাংস, ডিম-দুধ কিনতে না পেরে ভাতই বেশি খাচ্ছে।
২০০৯ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ধানের দাম কমছে, বড় ধরনের লোকসানের মুখে কৃষক। দামের নিম্নগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বোরোর আগাম সংগ্রহমূল্য ঘোষণা করতে হবে।
২০০৯ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত এক বছরে দেশের ৫৮ শতাংশ পরিবার পর্যাপ্ত খাবার পায়নি। ২০ লাখ শিশু তীব্র পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। ইউনিসেফ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া যায়।
২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ধান ১৪, চাল ২২ টাকা কেজি দরে কিনবে সরকার। চার মাস ধরে মোট ১২ লাখ টন খাদ্য সংগ্রহ করা হবে। ১ মে থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এ সংগ্রহ অভিযান। সংগ্রহমূল্য প্রয়োজনে পুননির্ধারণ করবে সরকার। কৃষকেরা কেউ খুশি, কেউ হতাশ।
২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ কৃষিতে অঙ্গীকার পূরণের উদ্যোগ ছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ২০১৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পুনরায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হবে। বর্তমানে দেশে চালের উৎপাদন তিন কোটি ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে।
২০১০ সালের ১২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ মাটি ছাড়াই ফুল-ফল সবজি চাষ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষ করা টমেটোগাছ।
২০১০ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে  অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৭ লাখ ৭০ হাজার এবং সামুদ্রিক মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৫ লাখ ১০ হাজার। সর্বমোট=১২ লাখ ৮০ হাজার মৎস্যজীবী আছে।
২০১১ সালের ২০ জুলাই,  প্রথম আলো ঃ সাগর ও বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বেড়েছে। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে নদী, বিল, হ্রদ, পুকুর ও সাগর মিলিয়ে মাছের উৎপাদন ছিল ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৫ মেট্রিক টন। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে এ উৎপাদন দাঁড়ায় ২৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৮ মেট্রিক টনে। গত বছর ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ছিল ৩১ লাখ মেট্রিক টনের মতো। ১৬ কোটি মানুষ হলে প্রতিজনের মাথাপিছু মাছের ভাগ হয় ৫৩.০৮ গ্রাম।
২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাছের উৎপাদন ৩২.৬২ লাখ মেট্রিক টন। প্রতিজন মানুষের ভাগে দৈনিক মাছ-৫৫.৮৬ গ্রাম।
২০১৪ সালের ৭ নভেম্বর, প্রথম আলো: মাছ উৎপাদনে চতুর্থ বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিবেদন। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে দেশে ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার টন মাছ উদপাদিত হয়েছে এরমধ্যে চাষ করা মাছের উৎপাদন ২০ লাখ টন। ৫২ হাজার টন বেড়ে সাড়ে তিন লাখ টন হয়েছে। ১৭ কোটি মানুষের দেশে মাথাপিছু-২০ কেজি বছরে বা ৫৫.৬৮ গ্রাম মাছ ভাগে পড়ে দৈনিক। আবার বলা হয়েছে মাথাপিছু মাছের উদপাদন-১২ কেজি মাছ খায়। চট্টগ্রামের অধিবাসীরা ১৭ কেজি মাছ খায় এবং রংপুরের অধিবাসীরা সবচেয়ে কম।  বাংলাদেশে প্রাণিজ আমিষের ৫৭% মাছ থেকেই মেটে। মাছ রপ্তানি বেড়েছে ১৩৫ গুণ। (মোট মাছের উদপাদন-১৯৯০ সালে-১,৯৩,০০০ টন, ২০০০ সালে ৬,৫৭,০০০ টন এবং ২০১৪ সালে ১০,০০,০০০ লক্ষ টন।)-এ লেখার অর্থ আমি বুঝিনি। সাড়ে সাত কেজি মাছ খায়। এই মাছের ৭৬% আসে পুকুর ও জলাশয় থেকে। বিশ্বে মাথাপিছু মাছ খাওয়ার পরিমাণ ২২.৪ কেজি বছরে। বিশ্বে আমরা সামুদ্রিক মাছ আহরণে ২৫তম।
২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর, প্রথম আলো : স্বাধীনতার পর পাঁচ গুণ বেড়েছে সবজি উৎপাদন। ১৯৭২ সাদে মানুষ ছিল সাড়ে সাত কোটি এখন মানুষ ১৭(সতের) কোটি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) হিসাবে, ১৯৬০ সালে যেখানে কৃষি পরিবারের সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ, তা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৬২ লাখ। এ কৃষকদের প্রায় সবাই পারিবারিকভাবেই উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। ১৯৯৪ সালে দেশে মাথাপিছু দৈনিক সবজি খাওয়া বা ভোগের পরিমাণ ছিল ৪২ গ্রাম। গেল বছর সবজির ভোগের পরিমাণ ৭০ গ্রাম। জাতিসংঘের এই সংস্থাটির হিসাবে একজন মানুষকে দৈনিক ২২৫ গ্রাম সবজি খেতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে দেশে এক কোটি ৩৮ লাখ টন সবজি উৎপাদিত হয়েছে এবং আলু উৎপাদিত হয়েছে ৯৬ লাখ টন।
২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : বø্যাক বেঙ্গল বিশ্বের সেরা। ছাগল উযৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ বাংলাদেশ। আর মাংস উৎপাদনে বিশ্বে পঞ্চম। বিশ্ববাজারে বø্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়া কুস্টিয়া গ্রেড হিসেবে পরিচিত। আমার বিশ্বাস হয় না। মো: জাকির হুসেন(আলমগীর)।
২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ মাছের দেশে মাছ আমদানি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মাছ উৎপাদন হয়েছে-৩৭,০০,০০০(সাইত্রিশ লক্ষ) টন এবং আমদানি করতে হয়েছে-৯৭,৩৮৩ টন।
১৯৯৯ সালের ২৭ মার্চের তথ্যানুযায়ী ঃ বাংলাদেশে ১০(দশ) লক্ষ টাকার বেশি আয়কর দেন মাত্র ৪১১ জন কিন্তু আয়কর দাতার সংখ্যা ২.৮(দুই লক্ষ আশি হাজার)। ২০০৩ সালের হিসেবমতে বাংলাদেশে ১৩(তের) লক্ষ লোক আয়কর দেয়। এরমধ্যে ৩(তিন) লক্ষ লোক আয়কর দেন আর ১০(দশ) লক্ষ লোকের আয়কর দেন তাদের সংস্থা মানে চাকুরিজীবীদের আয়কর অফিস দেন। ২০০৩ সালের খানাসুমারীর হিসেব অনুযায়ী-বাংলাদেশে ৫১(একান্ন) লক্ষ লোকের বাৎসরিক আয় হলো-১(এক) লক্ষ টাকার অনেক উপরে। এদেরমধ্যে মাত্র ১৩(তের) লক্ষ লোক আয়কর দেন। ২০০৬ সালের হিসেব অনুযায়ী-২০(বিশ) লক্ষ লোকের টিআইএন নম্বর আছে। ২০০৮ সালে ২৭ লক্ষ টিআইএন নম্বর আছে।
২০০৬ সালের ১০ মার্চ, সাজ্জাদ আলম খান ঃ বছরে ১০ লাখ টাকার বেশী আয় দেখিয়েছেন মাত্র ৩-হাজার ব্যক্তি। মন্ত্রী ও এমপিদের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখবে এনবিআর।
২০০৯ সালের ২৬ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ লোকবল সংকটে রাজস্ব বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না-বছরে ৪০ হাজার দোকানের ভ্যাট রেজিস্টার দেখেন একজন ইনিসপেক্টর-শুধুমাত্র ঢাকায় ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত ৪ লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এমনিভাবে আয়কর বিভাগে মোট সার্কেলের সংখ্যা ৩৪৩টি। প্রতিটি সার্কেলে কর ফাইলের সংখ্যা ৭ হাজার ৮৪টি। কিন্তু আয়কর বিভাগে ইনিসপেক্টর রয়েছেন মাত্র ৩৮০ জন। অর্থাৎ ৭ হাজার ৮৪টি আয়কর ফাইল ইনিসপেকশন করেন একজন ইনিসপেক্টর। এভাবে দীর্ঘ ২৮ বছর চলছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রম। অথচ জাতীয় বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ অর্থ সংগ্রহ করা হয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে। আয়করের প্রতি ১০০ টাকা আয়ে সরকারের ব্যয় হয় মাত্র ৭৫ পয়সা।
২০০৬ সালের ১৮ নভেম্বর, সাজ্জাত আলম খান ঃ ১১ লাখ করদাতার বাড়িতে বাড়িতে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। উৎসে কর ফাঁকিবাজদের ধরতে তৎপর এনবিআর। দেশে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ধারীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এরমধ্যে ৯ লাখ টিআইএনধারী যথাসময়ে রির্টান দাখিল করে থাকে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশে মাথাপিছু জাতীয় আয় এবং জীবনযাত্রার ব্যয় অনুসারে করযোগ্য আয় আছে এমন করদাতার সংখ্যা ২৫ লাখের বেশী।
২০০৯ সালের ১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ গত ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সাত লাথ ৪০ হাজার ৯০৬ জন ব্যক্তি-শ্রেণীর করদাতা আয়কর বিবরণী দাখিল করেন। আর টিন নাম্বারধারীর সংখ্যা ২৩(তেইশ) লাখ।
২০০৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ আইবিএফবির সেমিনার ঃ রাজস্ব আয় বাড়াতে কৃষি খাতকে করের আওতায় আনার সুপারিশ। চলতি বছরে মোট সাত লাখ ৫৭ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছে। আগের বছরের চেয়ে যা ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। কিন্তু দেশে মোট টিআইএনধারীর সংখ্যা ২২ লাখের বেশি।
২০১০ সালের ১২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর দেশে ব্যক্তিপর্যায়ে করদাতার সংখ্যা ২৫ লাখ ২০ হাজার ৫১৩ জন।
২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশের যোগ্য নাগরিকদের আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক। সাংসদদের বেতন-ভাতা করমুক্ত। দেখা যাচ্ছে, ১৯৭৩ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত এ ৩৭ বছরে সাংসদদের ভেতন-ভাতা বেড়েছে ১২ দফায়। এর মধ্যে সাতবার যুগপৎভাবে ভেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। বাকি সময়ে বিভিন্ন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের ভেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে সাতবার।
২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ এনবিআরের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতকালে-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন-অর্থনীতি চাপে নেই; এবার ৪ লক্ষাধিক লোক আয়কর দিয়েছে আর ১০ লক্ষাধিক ব্যক্তি আয়কর রির্টান জমা দিয়েছে।
২০১২ সালের ১৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংকটের মূলে রয়েছে উচ্চাভিলাষী বাজেট। টাকা ছাপিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আর ঋণ না নিতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির  সাধারণ সম্পাদক-তৌফিক আহমদ চৌধুরী। বছরে এক কোটি টাকা বা এর বেশি আয়কর দেন মাত্র ৪৬ জন। অথচ এ রকম আয়করদাতার সংখ্যা তো কয়েক হাজার হওয়া উচিত। এখানে বিরাট একটা ফাঁকি আছে। ঢাকা শহরে ডজন খানেক ফ্ল্যাটের মালিক হয়েও মাত্র কয়েক লাখ টাকা আয়কর দেন কেউ কেউ। আয়কর আদায় বাড়াতে হলে সরকারের শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।
২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে নিবন্ধিত করদাতাপর সংখ্যা ৫০ লাখে নিয়ে যাওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছেন জাতীয় রজস্ববোর্ড(এনবিআর)। বাংলাদেশে বছরে আয়কর দেন ৮ লক্ষ পরিবার আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়কর দেন ৫৭ ভাগ পরিবার।
২০১৩ সালেল ৮ জনিুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাড়িওয়ালাদের তালিকা সংগ্রহ করবে রাজস্ব বোর্ড। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৩৩ লাখ টিআইএনধারী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১২-১৩ লাখ টিআইএনধারী নিয়মিত আয়কর বিবরণী জমা দেন।
২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ইআরএফকে এনবিআরের চেয়ারম্যান- বাংলাদেশে ৬০ লাখ লোকের আয়কর দেওয়ার সামর্থ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১৩ লাখ কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেন। আর পাঁচ লাখ ছোট ব্যবসায়ীর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। তাঁদের মধ্যেমাত্র ৬০ হাজার জন মূসক দেন। এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে ৩৩ লাখ টিআইএনধারীর মধ্যে ২০ লাখ কার্যত সচল রয়েছে।
২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন-আয় কর দেন ব্যক্তিপর্যায়ে করদাতার সংখ্যা-১৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০৩ জন। ব্যক্তি পর্যায়ে চলতি বছরের জুন নাগাদ ৩ লাখের মতো নতুন করদাতা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
১৯৯৯ সালের ৪ এপ্রিল, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার মতে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস শূন্যের কোঠায়।
১৯৯৯ সালের ২৬ নভেম্বর-প্রতিবছর বাংলাদেশ হ’তে ২৫(পঁচিশ) হাজার শিশু ও নারী পাচার হয়।
২০০১ সালের ২৭ মে-বাংলাদেশে গত ৫-বছরে ৮৫ হাজার পুলিশের সাজা। চার মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশের অপরাধ প্রবণতা সবচেয়ে বেশী।
২০০৪ সালের ২০ জানুয়ারি, ‘‘দীর্ঘ ডিউটিতে মাথা ঠিক থাকে না’’ পুলিশ কর্মকর্তরা বললেন।
২০০৪ সালের ১৬ মের সংবাদ ঃ রাজধানী ঢাকায় থানার সংখ্যা ২২টি থেকে বৃদ্ধি করে ৫০টি করা হচ্ছে ঃ বর্তমানে দেড় কোটি নাগরিকের জন্য পুলিশ রয়েছে ২০,৯৯৮ জন। বর্তমানে দেশে ১৩০০ নাগরিকের জন্য ১ জন পুলিশ রয়েছে। এ ব্যবধান কমিয়ে অর্থাৎ পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে ১,০৭০ জনের জন্য ১ জন পুলিশ দেয়া হবে। উল্লেখ্য, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে ৬২৫ জনের জন্য ১ জন পুলিশ এবং পাকিস্তানে ৭২৮ জনের জন্য ১ জন পুলিশ রয়েছে। এছাড়াও পুলিশের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাউন্টার ইন্টিলিজেন্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সারাদেশে ৫৬৫টি পুলিশ ষ্টেশন আছে।
২০০৪ সালের ২০ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ তৌহিদুল ইসলাম-মতিঝিল শাপলা চত্বরে যানজটের জন্য দায়ী ট্রাফিক পুলিশ। প্রতিদিন ২ লাখ টাকা চাঁদা ঃ ঘুষ আদায়ই প্রধান টার্গেট ঃ কনস্টেবলদের দায়িত্ব শিকার ধরা।
২০০৫ সালের ২৯ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ‘সার্জেন্ট জুলফিকার আলী ১৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করলেও টাকা দিতে নারাজ।
২০০৫ সালের ৫ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকার আবদুর রহিম ঃ কোটিপতি ১শ’ পুলিশ সদস্য চিহিৃত-ডিএমপিতে শুদ্ধি অভিযান। ঢাকা মহানগর পুলিশে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজে নিয়োজিত কোটিপতি একশ’ পুলিশ সদস্যের তালিকা ইতিমধ্যে তৈরী করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণও শুরু হয়েছে।
২০০৫ সালের ৩০ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রমোশন বাণিজ্য এখন তুঙ্গে। পদোন্নতির নামে অলিখিতভাবে আদায় হয়েছে দেড় কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ১৪ জুন, ১৮৬১ সালে প্রণীত প্রচলিত পুলিশ আইনে জনগণের প্রতি পুলিশের কর্তব্য কি তার উল্লেখ নেই। ১,২৩,০০০(এক লাখ তেইশ হাজার) পুলিশ সদস্য আছে।
২০০৯ সালের ১৭ মার্চ, ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্য ঃ (১) সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা পেনশনভোগীসহ সর্বমোট-২১,০০,০০০(একুশ লক্ষ)। (২) পুলিশ বাহিনীর সংখ্যা-১,১৭,০০০(এক লক্ষ সতের হাজার)। (৩) বিডিআর বাহিনীর সংখ্যা-৬০,০০০(ষাট হাজার)। (৪) বিমান বাহিনীর সংখ্যা-২২,০০০(বাইশ হাজার)। (৫) নৌ বাহিনীর সংখ্যা-২৮,০০০(আটাশ হাজার)। (৬) আর্মীর সংখ্যা-২,৫০,০০০(দুই লক্ষ পঁঞ্চাশ হাজার) ও (৭) রির্জাভ আর্মীর সংখ্যা হলো-৫০,০০০(পঁঞ্চাশ হাজার)।
২০১০ সালের ১২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাত হলেই ছিনতাই। রাজধানীর প্রায় আড়াই শ স্থানে বেশি ছিনতাই হয়। মামলা হয় চুরি, প্রতারণার। দু-একটি বড় ঘটনা ঘটলেও ছিনতাই বেড়েছে বলে মনে না ঃ র‌্যাবের মহাপরিচালক। ছিনতাই বাড়বে-কমবে এটাই স্বাভাবিক, তবে বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ঃ ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার।
২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে পুলিশের সংখ্যা এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৭০ জন সদস্য আছেন। ভারতে প্রতি ৭২৮ জনের বিপরীতে একজন, পাকিস্তানে প্রতি ৬২৫ জনের বিপরীতে একজন, মালয়েশিয়ায় প্রতি ২৪৯ জনের বিপরীতে একজন এবং বাংলাদেশে প্রতি এক হাজার ৭৫ জনের বিপরীতে একজন পুলিশসদস্য রয়েছেন। ভারতের অনুপাতে পুলিশসদস্য নিয়োগ করলে আরো ৬৭ হাজার পুলিশসদস্য প্রয়োজন।
২০১১ সালের ২০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ৪০০ নারী ও  শিশু পাচার হয়। পুলিশের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তথ্য।
২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পুলিশে দুর্নীতি বাড়ছে কমছে সেবার মান। জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তার মন্তব্যে পুলিশ সম্মেলনে উত্তাপ। থানায় গিয়ে মানুষ ভালো ব্যবহার পাচ্ছেন না, প্রতিকার পাচ্ছে না ফণীভূষণ চৌধুরী। থানায় ওসিদের বিরুদ্ধে নানা কথা শোনা যায়, এর কিছু ঠিকও হতে পারে-সাহারা খাতুন।
২০০১ সালের ২৫ এপ্রিল, ইত্তেফাকের রিপোর্ট ঃ গত ২৫-বছরে বি.এস.এফ.-এর গুলিতে নিহত হয়েছে ৪১৫ জন বে-সামরিক নাগরিক ও ১০ জন বি. ডি. আর. সদস্য।
২০০৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ৪ বছরে বিএসএফ ও ভারতীয় দুর্বৃত্তের হাতে ২৯৩ জন বাংলাদেশী খুন ঃ মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের রিপোর্ট।
২০০৫ সালের ৬ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাড়ে পাঁচ বছরে বি. এস. এফ. ও ভারতীয় ঘাতকদের হাতে ৪শ’ ৬ জন বাংলাদেশী নিহত।
২০০৫ সালের ২৬ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার খবর-বাসস ঃ ভবিষ্যতে আর কোন বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করবো না-বি.এস.এফ.।
২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ অধিকারের প্রতিবেদন-ভারতীয়দের হাতে ৪৬১ জন বাংলাদেশী নিহত। এদের মধ্যে শুধুমাত্র বিএসএফ-এর হাতে নিহত হয়েছেন-৩৬৮ জন।
২০০৬ সালের ১৩ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সীমান্তে হত্যা ও অপহরণের ঘটনায় মানবিক বিপর্যয়। ৪ বছর ১০ মাসে বিএসএফ ও ভারতীয়দের হাতে ৪৩৯ জন বাংলাদেশী নিহত।
২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর, গুলি করে ঘুমন্ত মা-শিশুসহ তিনজনকে হত্যা করেছে বিএসএফ। বিএসএফের ক্ষমা প্রার্থনা।
২০০৯ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ দিনাজপুর-চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত-বিএসএফের গুলিতে দুজন নিহত।
২০১০ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ কথা রাখেনি বিএসএফ, জৈন্তাপুরে গুলি, ১৯ বাংলাদেশি আহত।
২০১০ সালের ১৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন, জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে।
২০১০ সালের ১৫ মে, প্রথম আলো ঃ বিএসএফের গুলিতে শিশুসহ দুই বাংলাদেশি নিহত।
২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন। এক দশকে ৯০০ বাংলাদেশি খুন সাজা হয়নি কোনো বিএসএফের।
২০১১ সালের ১৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ গত ১০ বছরে বিএসএফের হাতে ৬৭১ বাংলাদেশি নিহত।
২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সীমান্তে চোরাচালান-এক বছরে বিএসএফের হাতে আটক-২০০০ হাজার বাংলাদেশী।
২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ভারতের দুঃখ প্রকাশ-সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার (২০-১২-২০১১ তারিখ) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দিনাজপুরের বিরামপুর. মেহেরপুর গাংনী ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত আটটা থেকে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ৪৬ ঘাঁটির তালিকা বিএসএফের। বাংলাদেশের মাটিতে এখনো ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তারা নতুন ৪৬টি ঘাঁটির তালিকাও দিয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডকে (বিজিবি)।
২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ আখাউড়ায় সীমান্ত পিলার ঘেঁষে রাস্তা ও দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী, সীমান্ত পিলারের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো রাস্তা বা স্থাপনা নির্মাণের নিয়ম না থাকলেও বিএসএফ তা নির্মাণ করছে।
২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ রিপোর্ট ঃ বিএসএফের নির্যাতন-ঢাকার কাছে দিল­ীর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত।। ভারতীয় পত্রিকার মন্তব্য।
২০১২ সালের ২৮ জুন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন-বর্তমান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত (২৭-০৬-২০১২ তারিখ পর্যন্ত) এ পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারীবাহিনী (বিএসএফের) হাতে নিহত ১৫১ জন।
২০০২ সালের ১৪ নভেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্টঃ “এডিপির আকার কমাতে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ-শওকত হোসেন মাসুম” বিশ্বব্যাংক হিসেব করে দেখিয়েছে, বর্তমানে এডিপিতে যে প্রকল্পগুলো রয়েছে সম্মিলিতভাবে তার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে-১,৭৮,৪৮১.১০ (এক লক্ষ আটাত্তর হাজার চারিশত একাশি কোটি দশ লক্ষ) টাকা। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ঃ ৪৮,৮৭৬.৪০(আটচল্লিশ হাজার আটশত ছিয়াত্তর কোটি চল্লিশ লক্ষ) টাকা। এ অর্থ মোট প্রয়োজনের মাত্র ২৭.৪ শতাংশ।
১৫-১১-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ সোনার বাংলার অর্থমন্ত্রী হতে চাই, ফকিরের বাংলার নয়, সাইফুর রহমান। অর্থ দিলে দেন, না দিলে না দেন; কম অর্থ দিয়ে বেশি কথা শোনাবেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন (সাইফুর রহমান) প্যারিসে একদিন থাকলে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়। অথচ এ টাকা দিয়ে বাংলাদেশে ৩(তিন)টি স্কুল তৈরী করা যায়। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশে আগে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)  বৈদেশিক সাহায্যের অংশ ছিল ১০%। এখন তা নেমে এসেছে ৩%। এখন জিডিপিতে করদাতাদের অংশ হচ্ছে ১২%। বিশ্বে সবচেয়ে বেশী সাহায্য পেয়েছে ইসরাইল ও মিশর। তারা মাথাপিছু সাহায্য পেয়েছে-১০০’শ ডলার অথচ আমরা পেয়েছি এবার ৯ ডলার। রাজস্ব ব্যয় কমিশনের চেয়ারম্যান এম. হাফিজউদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা অপচয়। আর সমস্যার মূল কেন্দ্র পরিকল্পনা কমিশন। কেননা পরিকল্পনা প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কখনোই হয়নি।
১৬-১১-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ অতিরিক্ত বন্দীর চাপে কারাগার ঠাসা। লঘু অপরাধীরদের মুক্তিদানের চিন্তাভাবনা-সালেহউদ্দিন। বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে অনুমোদিত বন্দীর ধারণক্ষমতা ২৪,৫৩৮(চব্বিশ হাজার পাঁচশত আটত্রিশ) জন। সেখানে ৭৩(তেহাত্তর) হাজার বন্দী রয়েছে। ঢাকা কারাগারের বন্দীদের খাবার সরবরাহ করতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১০(দশ) হাজার বন্দীদের জন্য একসংগে ৪০টি চুলা রয়েছে। প্রায় ২৫০ জনের জন্য ১টি চুলা।
১৮-১২-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ ইউনিসেফের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ৭৭। ১২-বছরে কমেছে ৬-ভাগ।
২০০২ সালের ২৮ ডিসেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ৫৩,৭০০টি প্লোট্রি ফার্ম আছে এরমধ্যে ১০,৬৩৪টি বন্ধ।
২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারির, সংবাদ-বাংলাদেশে বছরে পোল্ট্রি খামারে ৩(তিন) লক্ষ টন মাংস ও ৫০০(পাঁচশ) কোটি ডিম উৎপাদিত হয়।
২০০৩ সালের ২৫ জুলাইর সংবাদ অনুসারে ঃ বাংলাদেশে সরকারী হিসেবমতে ছোট-বড় মিলিয়ে পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা-১.০৩(এক লক্ষ তিন হাজার)। নীতিমালা ও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এরমধ্যে হাজার হাজার পোল্ট্রি খামার বন্ধ।
২০০৮ সালের ২০ মার্চ, ঋণ ও সুদ আদায় স্থগিত করতে সার্কুলার জারি। পোলট্রি শিল্প খাতে মোট ব্যাংকঋণ রয়েছে এক হাজার কোটি টাকা।
২০১০ সালের ২ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ যে পরিবার নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম বা দুধ কিনতে পারে না, ডাল তাদের আমিষের অভাব পূরণ করতে পারে। আর অপুষ্টির প্রধান কারণ দারিদ্র ও অজ্ঞতা।
২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো : দেশের মানুষ বছরে গড়ে সাড়ে তিন কেজি মাংস খায়। বাংলাদেশের মানুষ গড়ে বছরে ৩ দশমিক ৬৩ কেজি মুরগির মাংস খায়; মার্কিনরা খায় বছওে ৫০ দশমিক ১ কেজি মাংস। এ ছাড়া জাপানের মানুষ বছরে ডিম খায় ৬০০টি, সেখানে বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ডিম খায় ৪৫ থেকে ৫০টি। ফলে প্রতিদিনই মুরগি ও ডিমের ঘাটতি যথাক্রমে ২৬ ও ২৩ গ্রাম। গবেষণার তথ্য : মাংস ও ডিমের ঘাটতির কারণে শুন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতির হচ্ছে, কম ওজনের হয় ৩৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং ক্ষীণকায় হচ্ছে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো : ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন(আইইসি)। ‘বাঙালি হবে স্বাস্থ্যবান প্রতিদিন ডিম খান’ আজ বিশ্ব ডিম দিবস। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ হাজার ৯৯ কোটি ৫১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৮টি ডিম উৎপাদিত হয়েছে। ১৭ কোটি মানুষের মাথাপিছু ৬৪.৬৮টি ডিম পড়ে। প্রতিদিন ডিম খেতে হলে-৬,২০৫(ছয় হাজার দুইশত পাঁচ) কোটি ডিম লাগবে।
২০১৪ সালে মাছ উৎপাদন হয়েছিল-৩৫ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন।
২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ মাছের দেশে মাছ আমদানি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন-৩৭,০০,০০০ লক্ষ টন। আর আমদানি করা হয়-৯৭,৩৮৩ হাজার টন।
২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ মাছ উৎপাদনে এবারও বিশ্বে ৫ম বাংলাদেশ। এক নম্বরে আছে-চীন, দ্বিতীয় নম্বরে আছে-ভারত, তৃতীয় নম্বরে আছে-মায়ানমার, ৪র্থ নম্বরে আছে-ভিয়েতনাম এবং ৫ম নম্বরে আছে-বাংলাদেশ। ১৭ কোটি মানুষের দেশে মাছ উৎপাদন করছে-৩৭ লাখ টন। দৈনিক একজনের মাথাপিছু মাছের উৎপাদন-৫৮ গ্রাম।
২০০৩ সালের ১৬ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্টঃ গ্যাস বিক্রি নয়, মজুতই দিবে ভবিষ্যতের নিরপত্তা ঃ গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ঃ জোসেফ ষ্টিগলিজ।
২০০৩ সালের ১৭ জুলাইর সর্বশেষ রিপোর্ট প্রকাশ ঃ গ্যাসের উত্তোলনযোগ্য মজুত ১৫.৪ টি.এস.এফ.।। ২০৩০ সাল পর্যন্ত লাগবে ৩১.২ টি.এস.এফ.।
২০০৪ সালের ৬ মে, পরিত্যক্ত ফেনী ফিল্ডে গ্যাসের বড় ধরনের মজুদ পাওয়া গেছে। ১৯৮১ সালে ফেনী গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কৃত হয় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড লি. কর্তৃক। প্রতিদিন ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। ১৯৯২ সালে পেট্রোবাংলা এ গ্যাস ক্ষেত্রটির উন্নয়ন করে।
২০০৪ সালের ১৪ মে, তথ্য বিবরণী ঃ দেশে গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
২০০৪ সালের ১৫ জুন, সেলিম জাহিদ ঃ সিলেটের ‘মাগুরছড়া গ্যাস দুর্ঘটনার ৭ বছরের মাথায় সরকার আন্তর্জাতিক আদালতে ইউনোকলের বিরুদ্ধে ৩,৯০০ কোটি টাকার মামলার প্রস্তুতি।
২০০৪ সালের ১৩ অক্টোবর, দিনাজপুরে উন্নতমানের কয়লা খনির সন্ধান লাভ। পুরু স্তরের কয়লার মজুদ ৪৫ কোটি টন। নতুন আবিস্কৃত এ খনিতে থাকা কয়লা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০শ’ ফুট নীচে থাকায় কুপ খনন না করে বরং উপরের পুরো মাটি সরিয়ে (ওপেন পিট) কয়লা উত্তোলন করা লাভজনক হবে বলে খনি অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন।
২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি, আজিজুল ইসলাম চৌধুরী ও এ. এফ. এম. ফারুক ঃ টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড-৬শ’ ফুট উঁচু লেলিহান শিখা।
২০০৫ সালের ১৫ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা ঃ টাটার অবাস্তব শর্ত-৩ হাজার একর জমি ও স্থির মূল্যে ৩০-বছরের জন্য ২-টিসিএফ গ্যাস চায়
২০০৫ সালের ২৫ জুন, ইনকিলাব ঃ ছাতক গ্যাসক্ষেত্রের টেংরাটিলায় আবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ। নাইকোর অদক্ষতাই দায়ী ঃ পুড়ছে কোটি কোটি টাকার গ্যাস।
২০০৫ সালের ২৬ জুন, টেংরাটিলা থেকে এম আবদুল্লাহ/আজিজুল ইসলাম চৌধুরী/এ.এফ.এম. ফারুক ঃ গ্যাস নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত টেংরাটিলা জ্বলবে। আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেই ঃ ৭-সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন।
২০০৫ সালের ২৭ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার সাখাওয়াত হোসেন বাদশার রিপোর্টঃ ভারতের ডিব্রূগড় গ্যাস ফিল্ড চালুর স্বার্থে টেংরাটিলায় আগুন লাগছে! তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। আগুনের তীব্রতা আরো বেড়েছে।
২০০৯ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দেশে স্থলভাগে আর কোনো বড় গ্যাসক্ষেত্র নেই। ‘সার্ক রিজিওনাল এনার্জি ট্রেড স্টাডি’র তথ্য।
২০০৯ সালের ৯ মে, প্রথম আলো ঃ গ্যাস-বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা উৎপাদন কর্মকান্ড ব্যাহত। আটকে আছে নতুন বিনিয়োগ।
২০১৪ সালের ২২ জুন, প্রথম আলো : রুপগঞ্জে আরেকটি গ্যাসস্তর পেয়েছে বাপেক্স। এটি দেশের ২৬তম গ্যাসক্ষেত্র।
২০০৪ সালের ১৩ জানুয়ারি, বেদখলকৃত সরকারী জমি পুনরুদ্ধারে শীঘ্রই অভিযান ঃ রাজধানীর আশপাশে ৩০(ত্রিশ) হাজার বিঘা জমি অবৈধ দখলে।
২০০৪ সালের ১৮ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রির্পোট ঃ এপ্রিল থেকে সরকারী জমি অবৈধ দখলমুক্ত অভিযান ঃ জেলা প্রশাসকদের পাঠানো তথ্য অনুসারে বর্তমানে ৫৩টি জেলায় খাস জমির পরিমাণ ৪০-লাখ একর। অর্পিত ও পরিত্যক্ত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫-লাখ একর। এরমধ্যে বিপুল পরিমাণ ভূমি বেদখলে রয়েছে। এর বাইরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ৫-হাজার একর এবং রেলওয়ের অধীনে ৪-হাজার একর জমি রয়েছে। জেলা প্রশাসকগণকে এ সম্পত্তির মধ্যে ঠিক কত একর অবৈধ দখলে আছে তা তৃণমূল পর্যায়ে জরিপ করে রির্পোট দেয়ার জন্য কমিটি আহবান জানিয়েছে।
২০০৪ সালের ২২ মার্চ, ভূমি জবরদখলের শাস্তি ১৪-বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
২০০৬ সালের ১৩ মার্চ, উমর ফারুক আলহাদী ঃ কল্যাণপুরে একশ’ কোটি টাকার জমি দখল করেছে বিএনপি নেতা ঃ থানায় জিডি করেও কাজ হয়নি ঃ এলাকাবসীর প্রতিরোধ চেষ্টা ব্যর্থ।
২০০৬ সালের ১ এপ্রিল, উমর ফারুক আলহাদী ঃ পনের লাখ একর সরকারী সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে ভূমিদস্যুদের দখলে-উদ্ধার করে লীজ দিলেও ৯৫ হাজার কোটি টাকা সরকারের আয় হবে অবৈধ দখলের তালিকায় রাজনৈতিক নেতা, এমপি, সরকারী আমলা। বিক্রি করলে ২.৫(দই লাখ পঞ্চাশ হাজার কোটি) টাকা।
২০০৬ সালের ২৮ এপ্রিল, সুলতান মাহমুদ ঃ অবৈধ দখলে দেশে ১৫ লাখ একর সরকারী  খাস জমি। ১৬শ কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ৪ হাজার একর জমি উদ্ধার।
২০০৬ সালের ২ জুলাই-উমর ফারুক আলহাদী ঃ রাজউকের ৩৫ হাজার কোটি টাকার জমি বেদখল। চেয়ারম্যানের যোগসাজশে নির্মাণ হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা।
২০০৬ সালের ১০ আগষ্ট, সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদীয় কমিটিতে দখলদারদের তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত। দেশে ৭০ হাজার কোটি টাকার সরকারী ভূমি বেদখলে।
২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, উমর ফারুক আলহাদী ঃ গত ৩৫ বছরে ১৫ লাখ একর জমি বেদখল। গত এক মাসে ২৫ হাজার কোটি টাকার জমি উদ্ধার।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ রেলের ৬২ হাজার একর জমি ভূমিদস্যুদের দখলমুক্ত করা হবে-কমলাপুরে নতুন ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিত সেন।
২০১৪  সালের ৩০ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ আগামী দশ বছরের মধ্যে কৃষি জমি শেষ! বাংলাদেশে মোট জমি ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার একর ছিল। চাষযোগ্য জমি ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪২ হাজার ৫৩১ একর। ১৯৭২-২০০৯ সাল পর্যন্ত অকৃষি খাতে গেছে-২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৬ একর। প্রতি বছর কৃষি জমি অকৃষি খাতে যাচ্ছে ১ লাখ ৬৯ হাজার একর। *সব থেকে বেশি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগে। *কৃষি জমি কমার মূল কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন।
২০০৪ সালের ৮ মার্চ, দেশের একশ বছরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিবেচনা করে মাওয়ায় পদ্মা সেতুর সুপারিশঃ ২১ জেলার সাথে রাজধানীর দূরত্ব কমবে সর্বোচ্চ ১২৫ কিলোমিটার।
২০০৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, শামসুল ইসলাম ঃ মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে নির্মিত হবে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু। আগামী মার্চে নকশা প্রণয়ন শুরু। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় হতো ১২৬ কোটি মার্কিন ডলার এবং মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক সুবিধা এবং অন্যান্য বিষয়ের কথা বিবেচনা করে সরকার মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতু নির্মাণের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৬ কিলোমিটারেরও বেশী লম্বা এ সেতু নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৭ কেটি ডলার (৬ হাজার ৪শ’ ৫০ কোটি টাকা)। পদ্মা সেতুর বার্ষিক আয় হবে ২শ’ কোটি টাকা।
২০০৫ সালের ১ জুন, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ পদ্মা সেতুর নির্মাণ এখন শুরু হলে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা লাগবে। পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করলে আরো ১ হাজার কোটি টাকা বেশী প্রয়োজন হবে। মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু স্থাপনে যত দেরি হবে নির্মাণ খরচও তত বেড়ে যাবে।  এ তথ্য উল্লেখ করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) পদ্মা সেতুর সম্ভব্যতা বিষয়ে চুড়ান্ত সমীক্ষা রিপোর্ট যোগাযোগমন্ত্রীর নিকট পেশ করেন। সময় লাগবে সাড়ে ৪(চার) বছর।
২০০৬ সালের ১০ মে, সংসদ রিপোর্টার ঃ পদ্মা সেতুতে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। সংসদে যোগাযোগমন্ত্রী। এরমধ্যে স্থানীয় মুদ্রার পরিমাণ-৩,০০৫.২৮ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ ৫,৫৮১.৭২ কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর, দেশের দীর্ঘতম পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ শুরু আগামী বছর শেষ ২০১৪-২০১৫ সালে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ১৮০ কোটি ডলার বা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ৬৫টি সেতু কাদের কারণে অসমাপ্ত রয়েছে জানতে চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। পদ্মা সেতুর কাজ আগামী বছরে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় তিন হাজার অসমাপ্ত সেতুর কাজ শেষ করতে অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০০৯ সালের ১ মে, প্রথম আলো ঃ পদ্মা সেতুর পাঁচটি বিকল্প নকশা উপস্থাপন। নকশা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় তা ২০১৩ সালের মধ্যে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সেতু তৈরিতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। সরকারের বাইরে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাপান ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন(জেবিআইসি), ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, কুয়েত ফান্ড, আবুধাবি ফান্ড অর্থায়ন করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার, প্রস্থ হবে ২৫ মিটার।
২০০৯ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থমন্ত্রী-পদ্মা সেতু নির্মাণে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ১৩০ কোটি ডলার দেবে।
২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর ওপরে মোটরযান, নিচে চলবে ট্রেন। সেতুর প্রাথমিক নকশা অনুমোদন চূড়ান্ত হবে ফেব্রæয়ারিতে।
২০০৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু। মোট ব্যয় হবে ১৬,৬৪৪(ষোল হাজার ছয়শত চুয়াল্লিশ) কোটি টাকা। হয়নি।
২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতুর উদ্ধোধন। আগামী বছরের শুরুতে বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করা হবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ২০১৩ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।
২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয়ই বড় প্রশ্নচিহ্ন। এখনো ভূতাত্তি¡ক জরিপ হয়নি। নদী শাসনের জন্য মাটি পরীক্ষার ফলাফলও হাতে আসেনি। অনেকগুলো মৌলিক সমীক্ষা এখনো বাকি রয়ে গেছে। অথচ পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাভ্য খরচ বেড়েই চলেছে। ২০০৯ সালেই এর প্রাক্কলিত ব্যয় চারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সেতু উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেছেন, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে এ বছর। আর শেষ হবে ২০১৩ সালে। সেতু তৈরি করতে সব মিলিয়ে খরচ হবে ২৬০ কোটি ডলার বা ১৭ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু চীনারা তৈরি করেছে ১৭০ কোটি ডলারে, আর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। এ অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি হলে এটিই হবে বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল সেতু। ২০০৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি(একনেক) ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ১৪৭ কোটি ২৭ লাখ ডলারে প্রথম প্রকল্পটি অনুমোদন করেছিল। বলা হয়েছিল, ২০১৫ সালের মধ্যে সেতু তৈরি হবে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম বলা হয়, পদ্মা সেতুর নির্মাণে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ডলার বা ১২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। এরপর আরও তিন দফা ব্যয়ের হিসাব ঘোষণা করা হয় এবং  প্রতিবারই তা বেড়েছে। যেমন ২০০৯ সালের আগষ্ট মাসে বলা হলো, সেতু নির্মাণে ২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আরেক দফা বাড়িয়ে বলা হয় ২৪০ কোটি ডলার। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২৬০ কোটি ডলারের কথা। আন্তর্জাতিক সেতু নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্থানীয় প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত প্রতি কিলোমিটার সেতু নির্মাণে বর্তমানে ব্যয় হয় ১০ কোটি ডলার বা ৬৯০ কোটি টাকার মতো। বাংলাদেশের নদীগুলো একটু জটিল প্রকৃতির। এখারকার নদীতে পলি পড়ে বেশি, নদীর তলদেশের মাটিও (স্কাওয়ারিং) দ্রুত সরে যায়। নদীর পাড় ভাঙ্গে বেশি। তাই পদ্মা, যমুনা বা মেঘনার মতো বড় নদীতে ১০ কোটি ডলারে সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে না। এটিকে দ্বিগুণ করতে হবে এবং সঙ্গে আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ যোগ হলে এখানে কিলোমিটারপ্রতি সেতু নির্মাণে সর্বোচ্চ দেড় হাজার কোটি টাকা বা প্রায় ২২ কোটি ডলার খরচ হতে পারে। গত এক দশকে যত সেতু নির্মাণ হয়েছে তাতে গড়ে খরচ হয়েছে এক কিলোমিটারে ৬০৩ কোটি টাকা। তবে এর সঙ্গে রেলসংযোগ, মূল্যস্ফীতি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ যোগ করলে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় সর্বোচ্চ দেড় হাজার কোটি টাকা বা ২২ কোটি ডলার। প্রসঙ্গত, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৮ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা, কয়েক দফা বাড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত খরচ হয় তিন হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ঃ চীনের হাংজু উপসাগরের ওপর ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু সাড়ে তিন বছরে ১৭০ কোটি ডলার বা ১১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছর সেতুটি উন্মক্ত করে দেওয়া হয়। এখানে মোট রেল পথ আছে ১১৪ কিলোমিটার এবং এর জন্য ইয়াংকান ও লিয়াংসু নামের দুটি সেতু তৈরি করতে হয়েছে। ৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দুই সেতুসহ রেলপথ তৈরিতে খরচ হয়েছে ২০০ কোটি ডলার বা ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। কোরিয়ার ইনচিয়ন বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত ইনচিন সেতুর দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৩ কিলোমিটার। সমুদ্রের ওপর এ সেতুটি চার বছরে নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ১৪০ কোটি ডলার বা নয় হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। গত বছর ভারতের মুম্বাইতে চলাচলের জন্য উন্মক্ত করে দেওয়া হয় ৫ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ রাজীব গান্ধী সেতু। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪০ কোটি ডলার বা দুই হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। সেতুর নকশা অনুযায়ী নির্মিত হবে পদ্মা সেতু। দ্বিতল এই সেতুর ওপরে চলবে যানবাহন ও নিচে চলবে ট্রেন।
২০১০ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। উন্নয়ন-সহযোগীরা পদ্মা সেতু বাদে অন্যগুলোয় কম আগ্রহী।
২০১০ সালের ২১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর সময় ও ব্যয় দুই-ই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০১১ সালের মার্চে শুরু হবে এবং এ জন্য ব্যয় হবে ২৯০ কোটি ডলার বা ২০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪০ কোটি ডলার। এ দফায় ব্যয় বাড়ল আরও ৫০ কোটি ডলার। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে বলে জানিয়েছিল (জাইকা) আট হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা সেতু বিভাগের সচিব বলেন পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ার অন্যতম কারণ হলো এর দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার করা হয়েছে। ২০০৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ১৪৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর নির্মাণে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ডলার বা ১২ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। এরপর আরও তিন দফা ব্যয়ের হিসাব ঘোষণা করা হয় এবং প্রতিবারই তা বেড়েছে। যেমন ২০০৯ সালের আগস্টে বলা হলো, সেতু নির্মাণে ২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে আরেক দফা বাড়িয়ে বলা হয়, ২৪০ কোটি ডলার। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২৬০ কোটি ডলারের কথা। ঋণদাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে এডিবি, বিশ্বব্যাংক, জাপান ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)। পদ্মা সেতুর নির্মাণে বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে ১৫০ কোটি ডলার।
২০০৮ সালের ২ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পদ্মা সেতু জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১.২০% বাড়াবে। আঞ্চলিক বাণিজ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ঃ এডিবি। এতে আরও বলা হয়, যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে দর্শনার দূরত্ব ৪০৩ কিলোমিটার, আর বেনাপোল থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫১৮ কিলোমিটার। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মিত হলে ঢাকা থেকে বেনাপোলের দূরত্ব হবে ২০০ কিলোমিটার। ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কের মাওয়া-জাজিরায় পদ্মা নদীর ওপর পাঁচ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। সেতুর নির্মাণকাজ ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে শুরু হতে পারে। ২০১৪ সালের মধ্যে শেষ হতে পারে। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর দূরত্ব অন্তত ১০০ কিলোমিটার কমে যাবে।
২০১০ সালের ৪ ডিসেম্ব^র, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থ সংস্থান হয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী-আবুল হোসেন। সেতু নির্মাণে ২১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকা দাতাদের নিকট থেকে পাওয়া গেছে। বাকী টাকা সরকারকে অভ্যন্তরীনভাবে যোগান দিতে হবে।
২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ কাজ না করেই টাকা উত্তোলন। পদ্মা সেতু-চুক্তির পুরো টাকাই উঠিয়ে নিয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মনসেল-এইকম, এখন আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকা দাবি করছে। পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ পদ্মা সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ। ‘ঘুষ বাণিজ্যে’র প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্তদের অবরোধ।
২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের চিঠির জবাব দিয়েছে-দুর্নীতির বিষয়ে ছাড় নেই।
২০১২ সালের ৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে কানাডা-পদ্মা সেতু বিষয়ে এসএনসি-লাভালিনের ওপর বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বব্যাংক গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এসএনসি-লাভালিনকে আগাম সাময়িক বরখাস্তা (ইটিএস) করার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট কোনো প্রকল্পের ঠিকাদারি দরপত্রে অংশ নিতে পারবে না বা ঠিকাদারি দরপত্রে অংশ নিতে পারবে নাপ বা কোনো কাজ পাবে না এসএনসি-লাভালিন।
২০১২ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতির প্রমাণ দিল বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক আবারও সরকারকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ দিয়েছে। গত এপ্রিলে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দুর্নীতির নতুন তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আমরা প্রত্যাশা করি, কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনবে। অ্যালেন গোল্ডস্টেইন, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের পরিচালক।
২০১২ সালের ২০ জুন, প্রথম আলো ঃ পদ্মা সেতু নিয়ে দুদকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন। পদ্মা সেতু দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে দুদক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ। ৪৭ মিলিয়ন ডলারের কাজ পাইয়ে দিতে কানাডার এসএনসি-লাভালিনের কাছে ১০% কমিশন চান সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী, সাবেক সচিব ও প্রকল্প সচিব ও প্রকল্প পরিচালক। যেভাবে তথ্য পেল-অর্থের অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এসএনসি-লাভালিনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মমর্তা পিয়েরে দুহাইমের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে কানাডার পুলিশ। কয়েক দফা বৈঠক-এসএনসি-লাভালিনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী, সচিব ও প্রকল্প পরিচালকদের বৈঠক হয় অনেকগুলো। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা-কাজ পাইয়ে দিতে যুক্ত হন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা, নাম এসেছে হুইপের ভাইয়েরও। অর্থায়ন স্থগিত-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলার ঋণ স্থগিত রেখেছে বিশ্বব্যাংক। পদ্মা সেতু নির্মাণে পরামর্শক নিয়াগের বিষয়ে বেশ কিছু অসংগতির তথ্য রয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অনুসন্ধানের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। ১০% ঘুষ চান মন্ত্রী-সচিব। স¤প্রতি বিশ্বব্যাংক সরকারের কাছে একটি চিঠি দিয়ে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করার আহবান জানায়।
২০১২ সালের ৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতুর চুক্তি বাতিল করেছে। বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য অপমানজনক। সংসদে অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি। ঋণচুক্তি বাতিলে বিশ্বব্যাংককে সমর্থন দিল এডিবি। জাপান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে জাইকা। ২৯০ কোটি ডলার খরচ হবে পদ্মা সেতু প্রকল্পে। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ ও চার উন্নয়ন-সহযোগী বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইডিবি ছিল এই অর্থের জোগানদাতা। বিশ্বব্যাংকের চুক্তি বাতিল যথাযথ হয়নি-সংসদে অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি।
২০১২ সালের ৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘সঠিক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
২০১২ সালের ৫ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিশ্বব্যাংকের চুক্তি বাতিল বিষয়ে সংসদে আলোচনার দাবি নাচক-স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির কারণে ঋণচুক্তি বাতিল।
২০১২ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ কলকাতায় অর্থমন্ত্রী-আমার পদত্যাগের  প্রশ্নই আসে না।  মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক অর্থ না দিলেও বিকল্পভাবে অর্থ যোগাড় করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য তিন বছর আগে ২৪ হাজার কোটি খরচ ধরা হয়েছিল। এখন এই খরচ বেড়ে ২৭-২৮ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
২০১২ সালের ২৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হলো আবুল হোসেনকে। ছুটিতে গেলেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব।
২০১২ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের শর্ত পূরণে ‘আবুল ইজ ডাউন’ ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১২ সালের ২৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পদ্মা সেতু প্রকল্প-বিশ্বব্যাংকসহ চার উন্নয়ন সহযোগীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ।  সেতু প্রকল্পে কোনো ধরনের দুর্নীতি হবে না ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহবান।
২০১২ সালের ৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৩৮ কোটি টাকা ঘুষ-জড়িত ১০ জন। পদ্মা সেতু প্রকল্প-দুদকের খসড়া অনুসন্ধান প্রতিবেদন।
২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১২ ডিসেম্বর, পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের মূল সেতু ও নদী শাসনকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০০৭ সালে পদ্মা সেতুর ব্যয় ছিল-১০,১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে পদ্মা সেতুর ব্যয় বেড়ে হয়-২০,৫০৭ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে পদ্মা সেতুর ব্যয় বেড়ে হয়-২৮,৭৯৩ কোটি টাকা। মূল নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হওয়ার আগেই দুই দফায় খরচ বাড়ল-২৮৩% বা শতাংশ।
২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ঢাকাবাসীকে ২০২০ সালে মেট্রোরেলে চড়াতে চায় সরকার।
২০০৪ সালের আগষ্টে সারাদেশে ৭৭৯টি হত্যাকান্ড হয়েছে।
প্রতিদিন গড়ে খুন হয়েছে ২৫ দশমিক ১২ জন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিচারপতি সুলতান হোসেন খান ও এডভোকেট সিগমা হুদা পরিচালিত বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী গতকাল (মঙ্গলবার,৩১-০৯-২০০৪) সমাপ্ত আগষ্ট মাসে ৭৭৯টি হত্যাকান্ড ঘটেছে।
২০০৪ সালের ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুাং করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ‘‘র‌্যাব’’।
২০০৪ সালের ৭ জুলাই, সংসদ রিপোর্টার ঃ পহেলা অক্টোবর, ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৯ হাজার ৭৩৭টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।
২০০৪ সালের ২ অক্টোবর, মোস্তাক আহমেদ, রফিকুল ইসলাম সেলিম ঃ গত বৃহস্পতিবার (৩০-০৯-২০০৪ তারিখ) র‌্যাবের সাথে ৬-ঘন্টার বন্দুকযুদ্ধে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী জানে আলমসহ ১০ জন নিহত হয়েছে। র‌্যাবের সাথে জানে আলম বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ। রাউজানে ১০ সন্ত্রাসী নিহত।
২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ডেমোক্রেসিওয়াচের প্রতিবেদন ঃ অক্টোবরে খুন হয়েছে ৩১৭ জন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩৩টি।
২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ গত বছর দেশে পৌনে চার হাজার হত্যাকান্ড ঘটেছে।
২০০৫ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ অধিকারের রিপোর্ট। জানুয়ারিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে নিহত ৫৮ জন এবং রাজনৈতিক হত্যাকান্ডে ৪১ জন নিহত।
২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ক্রসফায়ার মানবাধিকার পরিপন্থী-ইসি দূত। বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের ঘটনাকে ‘এক্সটা জুডিশিয়াল কিলিং’ হিসেবে উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ক্রসফায়ারে ২০০-এর অধিক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৫ মার্চ, র‌্যাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকাল। এক বছরে ৩,২৩৪ সন্ত্রাসী গ্রেফতার ঃ নিহত ৭৭ জন। র‌্যাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২৬ মার্চ-২০০৪-এ।
২০০৫ সালের ১২ মে’র প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত-৩৮৫ জন। অধিকাংশ ঘটনার নির্বাহী তদন্তে বলা হয়েছে গুলিবর্ষণ সঠিক ছিল।
২০০৫ সালেল ১২ মে পর্যন্ত প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্ট ঃ র‌্যাব ও পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ সব হত্যার নির্বাহী তদন্ত হবে-রাজনৈতিক অজুহাতে ৭২ হাজার আসামি মুক্তির দিন গুনছে এখন ভিন্ন শুর।
২০০৫ সালের ১২ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সারাদেশে ৯২৭ সন্ত্রাসীর তালিকা তৈরী করেছে। এ প্রোফাইলে প্রত্যেকের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
২০০৫ সালের ১ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশে গত ১১ মাসে ক্রসফায়ারে নিহত ৩৭৬ জন।-মানবাধিকার কমিশন।
২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ‘অধিকার’-এর প্রতিবেদন। গত বছর (২০০৫ সালে) হত্যাকান্ড ঘটেছে-৪,৫৪৫টি। রাজনৈতিক কারণে খুন ৩১০টি।
২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত বছর ৫৫ হাজার নারী নির্যাতনের শিকার। নিহত-৩,০৪৩ জন। আহত-২,৬৩৪ জন।
২০০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর, এপি, বিবিসি অনলাইন ঃ মার্কিন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট ঃ র‌্যাব ঘাতক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে! গত আড়াই বছরে র‌্যাব সন্ত্রাস দমনের নামে মোট ৩৬৭ জনকে বিনাবিচারে হত্যা করেছে।
২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, নিজস্ব প্রতিবেদক-অধিকারের প্রতিবেদনে তথ্যঃ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ১৩ মাসে ১৮৪ জনের মৃত্যু।
২০০৮ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, বিলসের জরিপ প্রতিবেদন। গত বছর (২০০৭ সালে) কর্মক্ষেত্র-সংশ্লিষ্ট ঘটনায় নিহত হয় ৪৩৫ শ্রমিক এবং আহত হয়েছে ১,১৭৬ জন শ্রমিক।
২০০৯ সালের ২৯ মে, প্রথম আলো ঃ অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন ঃ ২০০৮ সালের প্রথম ছয় মাসে র‌্যাবের হাতে ৫৪ জন নিহত হয়েছে।
২০০৯ সালের ২১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতেই খুনোখুনি হচ্ছে কুষ্টিয়ায়-রাজনৈতিক মদদ পাচ্ছে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা। কুষ্টিয়া ও ঈশ্বরদীতে তিন লাশ উদ্ধার।
২০০৯ সালের ২৬ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ সাজানো জবানবন্দির পর জজ মিয়াকে নিয়ে আদালতে বিরিয়ানি খান তদন্ত কর্মকর্তা। ‘তুই বাঁচতে চাস, ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট, তুই ২১ আগষ্টের বোমা হামলায় জড়িত ছিলি, এ কথা স্বীকার করবি। না হলে তোর ক্রসফায়ার হবে’।
২০০৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ক্রসফায়ারই ভরসা! গত পাঁচ মাসে ৬০, পাঁচ বছরে প্রায় দেড় হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড।
২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ যশোরে আট মাসে ৬৯ খুন নেপথ্যে টেন্ডার-চাঁদাবাজি। সন্ত্রাসী চক্রগুলোর পৃষ্ঠপোষক কোনো না কোনো রাজনৈতিক নেতা। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা।
২০০৯ সালের ১৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ নয় মাসে ২১০৭ খুন ও ১৪৭৯টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
২০০৯ সালের ৯ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্দেশে ২০০৪ সাল থেকে দেশে ক্রসফায়ারের নামে ‘বিচারবহির্র্ভত হত্যাকান্ড’ শুরু হয়। এ পর্যন্ত এ ধরনের হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে ১,০০০(এক হাজারের) বেশি লোক।
২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এ বছর নিহত ৬০ জন।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত এক বছরে র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২৫ জন নিহত হয়েছেন।
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নির্বাচনী অঙ্গীকার মেনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন।
২০১০ সালের ২৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ র‌্যাবের মহাপরিচালকের তথ্য। ছয় বছরে ৬২২ জন ‘ক্রসফায়ার’, সব আইনের কাঠামোতে।
২০১০ সালের ৫ মে, প্রথম আলো ঃ ‘গুপ্তহত্যা’ বন্ধ করতে হবে। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ কর্মকর্তাদের তাগিদ।
২০১০ সালের ৬ মে, প্রথম আলো ঃ হত্যা করে লাশ ফেলে রাখার ঘটনা বেড়েছে।
২০১০ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ রাজধানীতে ‘ক্রসফায়ারে’ দুজন নিহত।
২০১০ সালের ৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পুলিশের হেফাজতে তিন মৃত্যু ঃ হাইকোর্টের নির্দেশ। তদন্ত কমিটি হতে হবে পুলিশ ছাড়া।
২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ র‌্যাবের ‘কলঙ্ক’ ক্রসফায়ার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় গেলে বিচারবহির্র্ভত হত্যাকান্ড বন্ধ করা হবে। কিন্তু ক্রসফায়ারে মৃত্যুর ঘটনা চলছেই। চলতি বছরের ১১ মাসে শুধু র‌্যাবের হেফাজতে নিহত হয়েছে ৬৯ জন। ছয় বছরে এ সংখ্যা ৬৯৩ জন। একই সময় পুলিশের হেফাজতে মৃতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার।
২০১০ সালের ৪ ডিসেম্ব^র, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দু’বছরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ২৭৯ জন, নেপথ্যে নির্যাতন বাণিজ্য।
২০১১ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০১০ সালের মানবাধিকার বিষয়ে আসক। ‘ক্রসফায়ার’ বন্ধ হয়নি নতুন প্রবণতা ‘গ্রপ্তহত্যা’।
২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি ঃ বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত হওয়া উচিত।
২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০১০ সালে ৫,৭৪৩ জন নারী নির্যাতিত, হত্যাকান্ডের শিকার ১,১১৮ নারী-শিশু।
২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ কুষ্টিয়া জেলায় দেড় বছরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪৮ জন নিহত।
২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। ঢাকায় অপরাধ বাড়ছে। * ছয় মাসে খুন-ডাকাতির এক হাজার আসামি ছাড়া পেয়েছে। * অনেকের মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাাহার। জানুয়ারির ১৫ দিনে শুধু রাজধানীতেই ২২টি খুন।
২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পাহাড় আবার অশান্ত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৬ জন। চার মাসে রাঙামাটিতে জেএসএসের দুই পক্ষ ও ইউপিডিএফের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১৫ জন।
২০১১ সালের ১১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ গত ১১ বছরে দেশে এসিডদগ্ধ হয়েছেন ৩১৩৫ জন।
২০১১ সালের ১৯ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা ঢাকা সাভারের আমিনবাজারে ইউনিয়নের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচর বালুমাঠে শব-ই-বরাতের শেষরাতে    (সোমবার ভোরের দিকে) ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ছয় ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছে।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ গুপ্তহত্যা থামছে না, জনমনে উদ্বেগ। অপহরণ, নিখোঁজ। ২২ জন এ বছর ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে অপহরণ ও নিখোঁজ। ১০ জনের লাশ মিলেছে। এদের মধ্যে ঢাকার বাইরে সাতজন। ১০ জনের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। বাকিরা নানা পেশার। অপরাধের সময় পুলিশ বা অন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ব্যবহার করা অপরাধীদের একটা ধরন। হাসান মাহমুদ খন্দকার পুলিশের মহাপরিদর্শক।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ৩ বছরে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী দমনে সাফল্য, গুম বা গুপ্তহত্যায় প্লান।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ও ক্রসফায়ারে মারা গেছে মোট ১শ জন। র‌্যাবের হাতে মারা গেছেন ৩৫ জন। নতুন প্রবণতা গুপ্তহত্যার শিকার বা নিখোঁজ হয়েছে ৫১ জন।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার। শঙ্কা তৈরি করেছে রাষ্ট্রীয় বাহিনী। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা। গুপ্তহত্যা ভয়াবহ পর্যায়ে। নিখোঁজ ৫১ জন, লাশ উদ্ধার ১৫ জন। ক্রসফায়ার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিহত ১০০ জন। কারা হেফাজতে মৃত্যু ১১৬ জন।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক আমাদের সময় ঃ আসকের প্রতিবেদন-২০১১ সালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১শ, গণপিটুনিতে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ইইউ প্রধান বিচারবহির্ভূত ও গুম-হত্যার বিচার হওয়া উচিত।
২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পুলিশের গুলিতে নিহত ৪ জন। চাঁদপুর ও লক্ষীপুরে চার দলের গণমিছিলে পুলিশের বাধা। চাঁদপুরে দুজন, লক্ষীপুরে দুজন নিহত, গুলিবিদ্ধ ১৬ জন।
২০১২ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ নরসিংদী সদর উপজেলায় গতকাল র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’র পর ঘটনাস্থলে রক্তমাখা মাইক্রোবাস। ছবি-ফোকাস বাংলা। দিনেদুপুরে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত ৬ জন। ঢাকায় একজন নিহত।
২০০৪ সালের ২৮ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর দেশে নিবন্ধিত এনজিও’র সংখ্যা-১,৮৬৯টি। বৈদেশিক সাহায্য বিধি (স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা) অধ্যাদেশ ১৯৭৮ অনুযায়ী দেশে এনজিও ব্যুরোতে নিবন্ধিত এনজিওর সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৯টি।
২০০৪ সালের ১৮ আগষ্ট, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে এনজিওগুলো গত ৩০ বছরে বিদেশ থেকে প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা এনেছে। এ বিপুল পরিমাণ অর্থের সিংহভাগই আনা হয়েছে অনুদান ও নামমাত্র সুদে। জানা যায়, দেশী-বিদেশী মিলিয়ে প্রায় ৫৬-হাজার এনজিও রয়েছে। এরমধ্যে এনজিও ব্যুরোর নিবন্ধিত এনজিওর সংখ্যা ১৯৩৫টি। গরিবী হটানোর নামে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে ৬৬ হাজার কোটি টাকা। নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় চলছে দেশের এনজিওগুলো।
২০০৪ সালের ২৬ আগষ্ট, ইনকিলাব-সালাউদ্দিন বাবলু ঃ ৫০ লাখ টাকার ত্রাণ দিতে খরচ ৫ কোটি টাকা। এনজিওদের ত্রাণ বিতরণের নমুনা। ‘এমএসএফ  হল্যান্ড’ নামে একটি এনজিও বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকার বন্যার্তদের জন্য চিকিৎসা ত্রাণ হিসেবে মাত্র ৫০ লাখ টাকার ওষুধ বিতরণের প্রস্তাব দিয়েছে এনজিও ব্যুরোতে। আর এ ৫০ লাখ টাকার ওষুধ বিতরণের জন্য তাদের সর্বমোট ব্যয় হবে ৫ কোটি টাকারও বেশী। এজন্য তারা মোট ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ছাড় করার জন্য এনজিও বুরোতে আবেদন জানিয়েছে।
২০০৪ সালের ৮ ডিসেম্বর, সুলতান মাহমুদ ঃ বাংলাদেশ ব্যাংক ৬৩৫টি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮২টি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স বাতিল। নীতি লংঘণ হুন্ডি ব্যবসা জাল মুদ্রা বেচাকেনা ঃ র‌্যাবের কড়া নজর।
২০০৭ সালের ৯ অক্টোবরের হিসেবমতে বাংলাদেশে প্রায় ২০(বিশ) হাজার এন.জি.ও. কাজ করছে।
২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ আড়াই হাজার এনজিওর হাল ধরে আছে বেহাল এনজিও ব্যুরো। ১২ কক্ষের দপ্তর, লোকবল ৬৭ জন।
২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ অবৈধভাবে চলছে ১৩০৯ এনজিও।
২০১০ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ২৯৩১টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল। কোনো কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে।
২০১০ সালের ৪ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ৩৩৩ এনজিওর নিবন্ধন বাতিল। তালিকায় বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট আরও ১০০ এনজিও।
২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ আরও ১৩২টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল। এর আগে বাতিল করা হয় ৩৩৪টির নিবন্ধন। এ নিয়ে চার মাসে ৪৬৬টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল হলো।
২০০৪ সালের ১১ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকায় ৫৬৭টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, বিপজ্জনক ১৬৫টি ভবন। কি করণীয় নির্ধারণে দু’টি কমিটি গঠন।
২০০৪ সালের ১০ ডিসেম্বর, সেলিম জাহিদ ঃ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙ্গা নিয়ে রাজউকেই সংশয়। ১১১টি ভবন মালিককে ৩ মাস সময়দান। বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার ২ বিমানবন্দরের আশেপাশে নির্মিত ১১১টি ভবন মালিকদের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ভেঙে ফেলতে আবারও সময় দেয়া হচ্ছে।
২০০৬ সালের ৬ মার্চ, উমর ফারুক আলহাদী ঃ রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ভবন ৪০ হাজার। যে কোন সময় ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশংকা।
২০০৬ সালের ১৮ মার্চ, মিথুন কামাল ঃ শাঁখারী বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ ৯১টি ভবন ভেঙ্গে নির্মিত হচ্ছে মডেল টাউন।
২০০৪ সালের ১১ জুলাই, যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। ফ্লাইওভার নির্মাণে সময় লাগবে তিন বছর। ৪ লেনবিশিষ্ট এ ফ্লাইওভার গুলিস্তান, দয়াগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ সড়ক, সায়েদাবাদের অতীশ দীপঙ্কর সড়ক, ডেমরা ও চিটাগাং হাইওয়েতে মিলিত হবে। এতে খরচ হবে ৬১০ কোটি টাকা এবং তা করবে একটি বেসরকারী কোম্পানী।
২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, বিশেষ সংবাদদাতা ঃ ৭-কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাবাড়ী-গুলিস্থান ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ আগামী মাসেই শুরু খরচ হবে ৬৭০(ছয়শত সত্তর) কোটি টাকা। উচ্চ পর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত।
২০০৬ সালের ৪ জুন (২১ জ্যৈষ্ঠ-১৪১৩ বঙ্গাব্দ), এক নযরে পলাশী-গুলিস্থান-যাত্রাবাড়ী-শনিআখড়া ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ঃ বেসরকারী বিনিয়োগে যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার প্রকল্প।
ক্রমিক নাম স্ইাজ
১. দৈঘ্য ৮ কিলোমিটার(র‌্যাম্পসহ)।
২. লেন সংখ্যা ৪টি(প্রতিটি ডিরেকশনে ২টি লেন)।
৩. স্প্যান সংখ্যা ১৫২টি।
৪. ভিত্তির ধরন আর.সি.সি.বোরড পাইল।
৫. প্ইালের ব্যাস ১৫০০ মি.মি. এবং ১২০০ মি.মি.
৬. র‌্যাম্প সংযুক্তি ফ্লাইওভার সংলগ্ন সকল প্রধান সড়কের সঙ্গে র‌্যাম্প সংযুক্ত থাকবে, যেমন-ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক, অতীশ দীপঙ্কর রোড, ডেমরা রোড, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, দয়াগঞ্জ রোড, হাটখোলা রোড এবং গুলিস্তান।
৭. সুবিধাসমূহ ওাস্তা আলোকিত করার বিজলী বাতি, চলাচলের জন্য ট্রাফিক সাইন।
৮. নির্মাণ সময়সীমা ৩ বছর।
৯. কনসেশন সময়সীমা ২৪ বছর টোল তোলার পর সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে।
১০. প্রাক্কলিত বিনিয়োগ ৬৭০ কোটি টাকা। ২০০৭ সালে এর কাজ বন্ধ আছে।
১১. ২০১০ সালে এর প্রাক্কলিত বিনিয়োগ ১৩৭০ কোটি টাকা হয়েছে।
১২. গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়ালসড়ক দৈর্ঘ্য ঃ ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার। ব্যয় ঃ দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যোগাযোগ ঃ ৩০ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সহজ হবে।
১৩. দেশের দীর্ঘতম উড়ালসড়ক চালু ঃ দেশবাসীর জন্য ঈদের উপহার ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১-১০-২০১৩ তারিখ উদ্ভোধন। মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ যাত্রাবাড়ী-গুলিস্থান উড়াল সেতু নির্মাণ। বেলহাসা একমে তিন সরকারি ব্যাংক ও আইসিবির ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ।
২০১০ সালের ১১ মে, প্রথম আলো ঃ যাত্রাবাড়ি-গুলিস্থান উড়ালসেতু বেলহাসাকে বাদ দিয়েই হচ্ছে।
২০১০ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ গুলিস্থান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ উদ্বোধন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার লেনের এ ফ্লাইওভারের ছয়টি প্রবেশপথ ও সাতটি বের হওয়ার পথ থাকবে। নির্মাণে ব্যয় হবে এক হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের অঙ্গ সংস্থা বেলহাসা-এডকম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শনির আখড়া থেকে শুরু হয়ে পলাশী পর্যন্ত যাবে। ২০১৪ সালে খরচ হয়েছে ২,৪০০ কোটি টাকা।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ফেব্রæয়ারি। উড়ালসড়কের ওঠানামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা(হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল-সংলগ্ন রাস্তা), বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড়ে লুপ বা র‌্যাম্প রাখা হয়েছে। বর্তমানে এই উড়ালসড়ক প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। মগবাজার-মৌচাক উড়ালসড়কের    গতকাল ৩০-০৩-২০১৬ তারিখ উদ্বোধন করা অংশটি বা একাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ৮ ডিসেম্বর, আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ শীঘ্র্র শুরু হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে’র নির্মাণ কাজ। রাজধানীর চারদিকে নৌপথ ঃ জানুয়ারিতে চালূ হচ্ছে সদরঘাট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত নৌপথ। এ প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবার পথে। এর পরই শুরু হবে আশুলিয়া থেকে টঙ্গী হয়ে ডেমরা পর্যন্ত নৌপথ নির্মাণের কাজ। একই সঙ্গে শুরু হবার কথা ইস্টার্ণ বাইপাস নির্মাণের কাজও। রাজধানীর অভ্যন্তরে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণের কাজও শীঘ্র শুরু হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ প্রকল্পের টাকাগুলো লুটপাট করেছে।
২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর, জাকারিয়া কাজল ঃ রাজধানীর ক্রমবর্ধমান যানজট নিরসনে এলিভেটেড রোডওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলতি অর্থবছরেই শুরু হচ্ছে।
২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকার যানজট নিরসনে স্কাই রেল চালুর মার্কিন প্রস্তাব। একশ কোটি ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী এটিএসসি (আমেরিকা ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম কর্পোরেশন)। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা-নারায়নগঞ্জ-জয়দেবপুর-সাভারকে ঘিরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ স্কাই রেল স্থাপনে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে প্রস্তাব দিয়েছে।
২০০৬ সালের ১৬ মার্চ, লাকসাম থেকে তোফায়েল আহমেদ ঃ লাকসাম-নোয়াখালী রেল রুটে ড্রাইভিং করছেন দেশের প্রথম মহিলা ট্রেন ড্রাইভার সালমা খাতুন। বয়স-২৪ বছর।
২০০৬ সালের ২২ মার্চ, বাসস, ইউএনবি ও বিবিসি ঃ শিয়ালদহ-জয়দেবপুর ও আগরতলা আখাউড়া ট্রেন চলাচলে মতৈক্য। খালেদা-মনমোহন বৈঠকে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত। সুসম্পর্কের মাধ্যমে দু‘দেশই লাভবান হবে ঃ খালেদা, শক্তিশালী বাংলাদেশ দেখতে চাই ঃ মনমোহন।
২০০৭ সালের ৮ জুলাই, কলকাতা থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে মৈত্রী ট্রেন এখন ঢাকায় ঃ সরাসরি চলাচলে আজ দু’দেশের চূড়ান্ত বৈঠক। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ভারত-পূর্ব পাকিস্তান ট্রেন চলাচল করত। দীর্ঘ ৪২ বছর পর আবার দু’দেশের মধ্যে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ নামে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
২০০৭ সালের ৩০ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী ট্রেন যোগাযোগ-দীর্ঘ ৪২ বছর পর ঢাকা থেকে কোলকাতায় গেল ট্রেন। ১৯৬৫ সালের পর এ প্রথম বাংলাদেশের কোন ট্রেন ঢাকা থেকে সরাসরি কোলকাতায় গেল।
২০০৭ সালের ১১ আগষ্ট, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ এবার ঢাকার ট্রেন দিল্লী যাবে। পর্যায়ক্রমে পাকিস্তান, ইরান, সউদী আরব, তুরস্কসহ গোটা ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাথে বাংলাদেশের সামগ্রিক সম্পর্ককে এক নতুন ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি, ঢাকা শহরের ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনা নীতিগতভাবে অনুমোদনঃ পরিকল্পনায় পাতাল রেল ও বিআরটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১,৭০০ কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশে রেলপথের দৈর্ঘ্য ২,৭৩৩.৫১ কিলোমিটার। এরমধ্যে মিটারগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১,৮৩২.৪২ কিলোমিটার এবং ব্রডগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য ৯০১.০৯ কিলোমিটার। যমুনা নদীর পূর্বাংশে চালুকৃত রেলপথ হলো মিটারগেজ এবং খুলনা-রাজশাহী বিভাগের রেলপথ হলো ব্রডগেজ। বছরে রেলপথে কতজন যাত্রী চলাচল করে ৩ কোটি ৭১ লাখ। ট্রেনের সংখ্যা-১৩৭টি।
২০০৮ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশে রাস্তার পরিমাণ ১,৭৮,৮৫৯ কিলোমিটার। এরমধ্যে পাকা রাস্তার পরিমাণ ১১,৩৯৩ কিলোমিটার।
২০০৮ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশে মোট নৌপথের পরিমাণ ৮,৪০০ কিলোমিটার, বারোমাস ৫,৪০০ কিলোমিটার এবং বর্ষাকালে ৩০,০০০ কিলোমিটার।
২০০৮ সালের ১ মার্চ, অমর সাহা, কলকাতা ঃ জেনারেল মইনের আশাবাদ দুই মাসের মধ্যে ঢাকা কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে।
২০০৮ সালের ১২ মার্চ, ভারতীয় রেলমন্ত্রীর ঘোষণা। নয়াদিল্লী প্রতিনিধি ঃ ঢাকা-কলকাতা ট্রেন চলাচল শুরু হবে পয়লা বৈশাক। প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর থেকে দুই বাংলার মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৯ সাল থেকে ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে সরাসরি বাস চলাচল চালু রয়েছে।
২০০৮ সালের ৯ এপ্রিল, ঢাকা-কলণকাতা ট্রেন চলবে ১ বৈশাখ। ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত রেললাইনের দূরত্ব হবে ৫৩৮ কিলোমিটার। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৪১৮ কিলোমিটার। আর ভারতের অংশে ১২০ কিলোমিটার। সময় লাগবে ১৩ ঘন্টা। এর মধ্যে দর্শনায় ৫ ঘন্টা যাবে অভিবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে। এ ট্রেনে শ্রেণীভেদে ভাড়া হবে ২০, ১২ ও ৮ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও কলকাতা প্রতিনিধি ঃ মৈত্রীর জয়গান নিয়ে আজ ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন’ যাচ্ছে কলকাতায়। ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন’ ৪৯৮ জন যাত্রী নিয়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকা ছেড়ে যাবে এবং কলকাতায় পোঁছবে ভারতীয় সময় রাত নয়টায়। অনুরূপভাবে একটি ভারতীয় ট্রেন কলকাতা থেকে সকাল সাতটা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে এবং ঢাকা পৌঁছবে রাত সাড়ে আটটায়।
২০০৮ সালের ৪ জুলাই, রেলওয়ের হিসাব অনুযায়ী-১৯৬৯-৭০ সালে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ মিলে এ দেশে রেলপথ ছিল প্রায় দুই হাজার ৮৫৮ কিলোমিটার। বর্তমানে রেলপথের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুইহাজার ৮৩৫ কিলোমিটার। আবার এ পথেরও অনেক স্থানে শুধু লাইন পড়ে আছে, ট্রেন চলে না।
২০০৯ সালের ১৯ জুন, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর ছয়টি ব্যস্ত রেলক্রসিংয়ে নির্মিত হবে ওভারপাস।
২০০৯ সালের ১৯ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ‘রাজধানী ঢাকার জনপরিবহন সমস্যার সমাধান ও শহরকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ভূগর্ভস্থ রেললাইন নির্মাণ, আকাশ রেল অথবা সার্কুলার রেলপথ এবং রাজধানীকে ঘিরে নাব্য ও প্রশস্ত নৌপথ নির্মাণ করা হবে।’ প্রকল্প হয়, কথা হয়, কাজ হয় না।
২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার খবর ঃ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করেছে চীন। ঘন্টায় সাড়ে তিনশ কিলোমিটার। ১০ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়েছে মাত্র তিন ঘন্টায়।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে রেলওয়েতে আন্তদেশীয় ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসসহ মোট ৭২টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করছে। বেসরকারিভাবে পরিচালিত ট্রেনের সংখ্যা ৬৩টি। মোট ট্রেনের সংখ্যা-১৩৫।
২০১০ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার ৭৬৮ কিলোমিটার রেলপথে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য ৪৩৫টি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনমাষ্টারের পদ রয়েছে এক হাজার ১৪৪টি পদ। অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে স্টেশনমাষ্টারের ৪২৮ পদ শূন্য হয়েছে। প্রতিদিন ১৫৭টি ট্রেন চলাচল করে।
২০১০ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৬,৭০০(ছয় হাজার সাতশত) কোটি টাকার সঠিক ব্যবহার হচ্ছেনা। প্রকল্পে ঘুরপাক খাচ্ছে রেল। লোকবল সংকটে ৩৮৭ স্টেশনের ১০৬টিই বন্ধ।
২০১০ সালের ৩১ মে, প্রথম আলো ঃ রেলওয়ের হিসাব অনুয়ায়ী, ১৯৬৯-১৯৭০ অর্থবছরে রেলওয়েতে যাত্রী পরিবহন হয়েছিল সাত কোটি ২৮ লাখ জন এবং মালামাল পরিবহন হয়েছিল প্রায় ৪৯ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হলেও ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে রেলওয়ে যাত্রী পরিবহন করে সাড়ে ছয় কোটি জন এবং মালামাল পরিবহন করে ৩০ লাখ টন।
২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪২ জেলায় রেল যোগাযোগ আছে। বাকী ২২ জেলাতে রেল যোগাযোগ নেই। সরকার আরও ৭ জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় আসছে।
২০১১ সালের ২২ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বর্তমান সরকারের আড়াই বছরে সারা দেশে রেলওয়ের ৮৪টি স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে বন্ধ রেলস্টেশনের সংখ্যা ১২৫। সারা দেশে মোট স্টেশন ছিল ৩২৯টি। লোকবলের অভাবে এখন এক-তৃতীয়াংশের বেশি স্টেশন বন্ধ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে রেলের স¤প্রসারণ ও আধুনিকায়নের কথা বলা হলেও তা করা হয়নি। ঈদ উপলক্ষে বাড়তি চাপ নিতে প্র¯ত্তত নয় রেল।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ তৈরি হচ্ছে নতুন মাস্টার প্লান। খসড়া তৈরিরর কাজ করছে। পরিকল্পনা কমিশন-এটি ২০ বছরে চারটি পষ্ণবার্ষিক স্তরে ভাগ করে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জনকন্ঠকে জানিয়েছেন কমিশনের সংশ্লিষ্ট উইং এর দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা।
২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ উড়ালসড়ক নয়, দরকার রেল যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন-মতবিনিময় সভা।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ রেলের ৬২ হাজার একর জমি ভূমিদস্যূদের দখলমুক্ত করা হবে-কমলাপুরে নতুন ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিত সেন।
২০০৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত তিন বছরে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে ব্যাপক অগ্রগতি। সর্বোচ্চ বিনিয়োগ ঃ কর্মসংস্থান হয়েছে ১৬ লাখ মানুষের। ফাঁকা কথা।
২০০৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন ঢাকা, সবুজ ঢাকা গড়ে তুলতে মহানগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে ৩ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের প্রস্তাব। এ কাজও ব্যর্থ প্রমাণিত হবে।
২০০৫ সালের ৪ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ৪ হাজারের বেশী গাড়ী জমা দেয়নি ৩৫ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে গাড়ী ফেরত না দেয়ার মন্ত্রণালয়গুলোর তালিকা ও গাড়ীর সংখ্যা দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানানো হয়েছে।
২০০৫ সালের ৮ জানুয়ারি, বাংলাদেশে ১.৪(এক লাখ চল্লিশ হাজার) ওষুধের দোকানের কোন লাইসেন্স নেই।
২০০৫ সালের ১২ জানুয়ারি, রয়টার্স ঃ  এতদিন ধারণা করা হত যে, বেশী ঘুমালে শরীরে চর্বি বাড়ে, মানুষ মোটা হয়ে যায়। কিন্তু সা¤প্রতিক এক সমীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বেশী ঘুমালে মানুষ মোটা হয় না।
২০০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ বাংলাদেশ-ভারত আলোচনা ব্যর্থ। তিস্তার পানি ব্রহ্মপুত্র দিয়ে আসামে ও গঙ্গা দিয়ে মালদায় নেয়া হচ্ছে।
২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি, আরব নিউজ ঃ শেখ আবদুল আজিজ আল শেখ, এ বছর হজ পালন করেছে ৩০ লাখেরও বেশী লোক। স্মরণকালের সবচেয়ে বেশী হাজী এসেছেন এবারের হজে।
২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইলে দেশের ২৪তম গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে।
২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ ২০১৫ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপিতে) শিল্প খাতের অবদান ৩৫ শতাংশ এবং এ খাতে মোট কর্মরত জনশক্তির হারও ৩৫ শতাংশে উন্নীত করার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গতকাল সংশোধিত ‘শিল্পনীতি-২০০৫’ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মোট শ্রমশক্তির শতকরা ৬৩ ভাগ এখনো কৃষিক্ষেত্রে কাজ করে।
২০০৫ সালের ২১ জানুয়ারি, খুলনা ব্যুরো ঃ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সাতক্ষীরায় কুকুরে  কামড়ানোর ১ মাস ৭ দিন পর ৪ সন্তানের এক জননী ২১টি কুকুরের বাচ্চা প্রসব করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর গ্রামের ঢালিপাড়ায়।
২০০৫ সালের ২৯ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ তদন্তে ব্যর্থতাই এ ধরনের হামলাকে উৎসাহিত করেছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৮-রাষ্ট্রদূত কিবরিয়ার বাসভবনে।
২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি, সেলিম জাহিদ ঃ ঢাকা চিড়িয়াখানার ইতিহাসে এ প্রথম বাচ্চা দিয়েছে বিলুপ্তপ্রায় শকুন। শকুনগুলির বয়স প্রায় ৪০ বছর। শকুন আবদ্ধ অবস্থায় বাঁচে ১০০ বছর।
২০০৫ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ দেশে অবৈধভাবে লক্ষাধিক ভারতীয়ের বসবাস। সরকারের আশঙ্কা ঃ নাশকতার সাথে এদের কেউ কেউ জড়িত। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধারণা, এ সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
২০০৫ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি, মোবায়েদুর রহমান ঃ ১৯৯৩ ও ১৯৯৯-এর মত ভারত এবারও সার্ক নিয়ে পুতুল খেলা খেলেছে। ২০০৫ সালের ৬ ও ৭ ফেব্রæয়ারি, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বানচাল হয়ে গেল।
২০০৫ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, সংসদে পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল-২০০৫ পাশ।
২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ বাংলাদেশের জন্য এ চুক্তি দাসখত হয়ে দেখা দিতে পারে-বিতর্কিত টিফা’র খসড়া চূড়ান্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বহুল আলোচিত এবং বিতর্কিত বিশেষ ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি ‘টিফা’ (ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট)-এর খসড়া গতকাল প্রয়োজনীয় সংশোধনী ছাড়াই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, সেবা খাত ও বাজার এককভাবে দখল করার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে এ চুক্তিটি করতে চেয়েছে ঠিক সেভাবেই তারা তা আদায়ে সমর্থ হয়েছে। অপরদিকে, বাংলাদেশ তার স্বার্থ রক্ষায় চুক্তিতে যা রাখতে চেয়েছিল সেসবের একটিও মার্কিন পক্ষ গ্রহণ করেনি। তারপরও বাংলাদেশ পক্ষ প্রচন্ড চাপের মুখে কোন প্রাপ্তি ছাড়াই চুক্তিটির খসড়া অনুমোদনে বাধ্য হয়েছে।
২০০৫ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, দেশের প্রথম নিউজ ফটো এজেন্সি ফোকাস বাংলার জন্ম।
২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকায় ইব্রাহীম বিন হারুন ঃ ২৫তম বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষার পঞ্চম দিনে সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ১০০-নম্বরের ‘প্রাথমিক গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান’ আবশ্যিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস।
২০০৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, প্রতিরক্ষা রিপোর্ট ঃ গত ১৭ বছরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিহত হয়েছেন ৬২ জন বাংলাদেশী সৈনিক।
২০০৫ সালের ১ মার্চ, সংসদ রিপোর্টার ঃ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর কাছে ৪ ব্যাংকের পাওনা ১০,৬৫১(দশ হাজার ছয়শত একান্ন) কোটি টাকা। সংসদে অর্থমন্ত্রীর তথ্য প্রকাশ।
২০০৫ সালের ১৩ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ লাকসাম সফর স্থগিত ঃ আশপাশের এলাকায় আতংক। প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্মীয়মাণ সভামঞ্চ থেকে ৯ ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার।
২০০৫ সালের ১৫ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ পুঁজিবিহীন বড় ব্যবসা রাজনীতি। গোলটেবিল বৈঠকে অভিমত। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ ও নৈরাজ্যের জন্য সংবাদ মাধ্যমের একটি অংশ দায়ী।
২০০৫ সালের ১৭ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ নবীনগরে অভাবের তাড়নায় শিশু পুত্র বিক্রি। নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া) উপজেলা সংবাদদাতা। অভাবের তাড়নায় মাতা-পিতা অবশেষে তাদের প্রাণাধিক প্রিয় তিন মাস বয়সী পুত্র সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন। নবীনগর কলেজ পাড়ার এক বাড়িতে ১৪-০৩-২০০৫ সালের সোমবার দিন পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলার হরিদেবপুর গ্রামের মৃত সূনাদী গাজীর পুত্র চার সন্তানের জনক দরিদ্র মান্নান গাজী-বয়স-৩৭, বড় সংসারের পোষণে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে পাড়ি জমায় অজানার উদ্দেশ্যে। এক পর্যায়ে গত রবিবার নবীনগর এসে পৌঁছে। খাদ্যের অভাব সহ্য করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে শিশু পুত্র শাহজালালকে বিক্রি করার জন্য ক্রেতা খুঁজতে থাকে। ১৬-০৩-২০০৫ তারিখ সোমবার দুপুরে নবীনগর পশ্চিমপাড়ার নিঃসন্তান ফারুক আহমেদের কাছে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শিশু শাহজালালকে ৪(চার) হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়া হয়।
২০০৬ সালের ১০ জানুয়ারি, সিলেট ব্যুরো ঃ দরিদ্র এক মা অভাবের তাড়নায় তার দেড় বছরের শিশু কন্যাকে মাত্র এক হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন।
২০০৯ সালের ৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালায় ০৪-০৪-২০০৯ তারিখ শনিবার সকালে আতুরী বেগম নামের এক নারী অভাবের তাড়নায় তাঁর দেড় বছরের শিশুকন্যাকে মাত্র ৬০০/- টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। শিশুটি কিনে নিয়েছেন তেলিরচালা গ্রামের রিকসা গ্যারেজের মালিক মোঃ আইনাল হক। ৪০ টাকার স্ট্যাম্পে শিশুটিকে ক্রয়ের দলিল করা হয়েছে। পরে আতুরী বেগম দিনাজপুর জেলায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলে যান।
২০০৫ সালের ১৩ নভেম্বর, ইনকিলাব-মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ সাফটা ঃ সুফল পেতে যাচ্ছে দেড়শ’ কোটি মানুষ। আগামী ১ জানুয়ারি, ২০০৬ সালে দক্ষিণ এশীয় মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) কার্যকর হলে সামান্য কিছু পণ্য ব্যতীত পর্যায়ক্রমে সদস্যভুক্ত ৭টি দেশের বাজার হয়ে পড়বে উন্মুক্ত। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাজার বিস্তৃত হলে উৎপাদন ব্যয় কমে, ভোক্তারা কম দামে পণ্য পায় এবং জীবনযাত্রার মান বাড়ে। এ চুক্তির ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সময়ের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণও কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১২ শীর্ষ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ এশিয়ার চেহারা পাল্টে যেত। আমি মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর) বলি যে, মুক্তবাজার হলে ভারত ও পাকিস্তান ছাড়া বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলির অবস্থা ভাল হবে না।
২০০৫ সালের ১৩ নভেম্বর, ইনকিলাব-মনজুরুল আলম ঃ সাত জাতির সমন্বিত অর্থনীতি গড়ার অঙ্গীকার। ১ জানুয়ারি, ২০০৬ থেকে সাফটা চালু-পারস্পারিক ট্রানজিট সুবিধা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব, জ্বালানি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান, দারিদ্র্য বিমোচনে সার্ক দশক ২০০৬-২০১৫ ও ২০২০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়ন।
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ সাফটা (সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া) বাস্তবায়নে বছরে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে বাংলাদেশ।
২০০৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ডবিøউটিও’র হংকং সম্মেলন সফল হলে বাংলাদেশে খাদ্যের দাম বাড়বে।
২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, হংকং থেকে সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডবিøউটিও) ৬ দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ হংকং শীর্ষ সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাতটি ছিল ১৭-১২-২০০৫ তারিখ। ডবিøউটিও’র সদস্য ১৪৯টি দেশের ৬-হাজার প্রতিনিধি ১৭-১২-২০০৫ তারিখ সারারাত জেগে ছিলেন। ১৮ ডিসেম্বর, সন্ধ্যায় সম্মেলন শেষ হয়ে যাবার আগে রাতে তারা শেষবারের মতো বিশ্ববাণিজ্য আলোচনায় সমঝোতার চেষ্টা চালান। হংকং যেন ২০০৩ সালের কানকুন সম্মেলনের মতো আরেকটি ব্যর্থতার জন্ম না দেয় সেজন্য কিছু না কিছু হাতে নিয়ে বাড়ী ফেরার চেষ্টা চালান সবাই।
২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, হংকং থেকে সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডবিøউটিও)’র শীর্ষ সম্মেলন শেষ। বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। এলডিসির ৯৭% পণ্যকে শুল্কমুক্ত করার ঘোষণার মানে হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য তা শূন্য ভাগ(০%) কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক তালিকায় যে ১১ হাজার ৩১২টি এবং অন্যান্য উন্নত দেশেরও প্রায় সমসংখ্যক পণ্য রয়েছে তার ৩% হলো ৩৩৯টি বিভিন্ন ধরণের পণ্য। মূলত বাংলাদেশের রফতানীযোগ্য পণ্য-গার্মেন্টস, জাপানে চামড়া, ইউরোপে শাকসবজি প্রভৃতি। শুল্কমুক্ত ৯৭% পণ্য তালিকায় বাংলাদেশের রফতানীযোগ্য কিছুই নেই। যেমন-বিমান, ট্যাংক, তুলা প্রভৃতি। তাই ১০০ ভাগ পণ্যকে শুল্কমুক্ত ঘোষণা ছাড়া বাংলাদেশের কোন প্রাপ্তি নেই। ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেছেন, এ সম্মেলনে সবাই সবকিছু পেয়েছে একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া।
২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ শুধু গার্মেন্টস নয়, রফতানী পণ্যসংখ্যা বাড়াতে হবে। হংকং থেকে ফিরে বাণিজ্যমন্ত্রী-সদ্য সমাপ্ত বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার(ডাবিøউটিও) হংকং সম্মেলনে উন্নত দেশের বাজারে স্বল্পোউন্নত দেশসমূহের ১১,৩১২টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়া হলেও ৩৩৯টি পণ্য এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এলডিসির ৯৭-শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। বাকি ৩-শতাংশও বাড়াতে হবে পর্যায়ক্রমে।
২০০৯ সালের ২৫ মে, প্রথম আলো ঃ হান্নান হত্যা মামলায় খালাস, মোট মামলা ১৩৭টি। ৮৫টি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন হাজি সেলিমের।
২০০৯ সালের ২৯ মে, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় দুই হাজার ২১৮টি ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন।
২০০৯ সালের ১ জুন, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় ২,৫৫০টি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন।
২০০৯ সালের ২ জুন, প্রথম আলো ঃ সারা দেশে ৪,৩৯১টি আবেদন জমা। সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও সাজাপ্রাপ্তদের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন।
২০০৯ সালের ২২ জুন, প্রথম আলো ঃ দন্ডপ্রাপ্তদের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা চাওয়ার সিদ্ধান্ত। এদিকে ৩০ মে পর্যন্ত কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানোর শেষ সময় থাকলেও সে সময় আর বাড়ানো হয়নি। গতকাল পর্যন্ত এক হাজার ৬০০ মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এগুলোর মধ্যে বিরোধী দলের কোনো মামলা নেই। ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ আরও ৪৬ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ। এ পর্যায়ে যেসব রাজনীতিকের মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মহীউদ্দিন খান আলমগীর, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, সাঈদ খোকন, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, আবু সাইয়িদ, মির্জা আজম, শেখ হেলাল প্রমুখ। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. নাসিমের বিরুদ্ধে পাবনার শেখ শহিদুল­াহ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলাও প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।
২০০৯ সালের ২ জুলাই, প্রথম আলোঃ আরও ৬৬ ‘রাজনৈতিক মামলা’ প্রত্যাহারের সুপারিশ।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১১ মাসে ১৮১৭টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে সরকার।
২০১০ সালের ৫ মে, প্রথম আলো ঃ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় আরও ৫১৬টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কমিটির ১৭তম সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এ নিয়ে মোট চার হাজার ৬৮৭টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হলো।
২০১০ সালের ৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় আরও ৪৫৭টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে সরকার।
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জামিনে ব্যাপক অনিয়ম-প্রথম আলোর সংবাদ ঃ বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ক্ষোভ।
২০১০ সালের ৩০ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ আরেকটি বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত। ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। প্রথম প্রস্তাব হচ্ছে, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল, আমিরবাড়ি, মোক্ষপুর এবং মঠবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন মৌজার দুই হাজার ৬০০ হেক্টর জমি।
২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর, দৈনিক ইত্তেফাক ঃ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু। মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার এবং ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল বিলে ২৫ হাজার একর জমি প্রস্তাবিত বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। তবে তা পরে বেড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পাড়ে। ২০১৩ সাল নাগাদ বিমানবন্দরটির নির্মাণ কাজ সমপন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আড়িয়ল বিলে ভিন্ন বাস্তবতা। বিল গেলে আমি খাব কী? আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে লেখেন, আমাদের পেটে যেন লাথি না মারে।
২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আড়িয়ল বিলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের ঘোষণায় আড়িয়ল বিলের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। ঢাকায় সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।
২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আড়িয়ল বিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান    আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল জনতার বিক্ষোভ। সহিংস বিক্ষোভ, পুলিশ নিহত। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে আট কি. মি. রণক্ষেত্র।
২০১১ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নয়। মন্ত্রিসভার বৈঠক-পদ্মার ওপারে অথবা চর এলাকায় নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ নিয়ে আলোচনা।
২০১১ সালের ৩০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নতুন বিমানবন্দর কেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-বছরে যাত্রী পরিচালনাক্ষমতা ৮০ লাখ। যাত্রী আসা-যাওয়া করে ৪০ লাখ। রানওয়ের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার ৪০%। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-বছরে যাত্রী পরিচালনাক্ষমতা ৮০ লাখ। ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার ৩০%। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-শুধু দেশীয় বিমান চলাচল। তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ৫টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর আছে। এসব বিমানবন্দরের কোনোটারই ধারণক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা হয় না।
২০০৯ সালের ১৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ কয়েকটি সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন। অর্পিত সম্পত্তির খসড়া আইনের সমালোচনা, বাতিলের দাবি। অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ মোট ৮০ লাখ বিঘা। দেশে ২৭ লাখ হিন্দুখানা বা বাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে ১২ লাখ খানা বা বাড়ি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত রয়েছে। মোট দখলদারের সংখ্যা হবে ৫ লাখ। এরমধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগ বিএনপির, শতকরা ১৩ ভাগ আওয়ামী লীগের এবং শতকরা ৯ ভাগ জামায়াতে ইসলামীর। তবে দখলদারের অধিকাংশ সময় ক্ষমতাসীন দলের হয়ে থাকেন। ১৯৬৫ সালে অর্পিত সম্পত্তি আইনটি হয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত এ আইনটি আছে। আমি আশা করেছিলাম যে-এ আইনটি বাংলাদেশ হওয়ার পর আর থাকবে না মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর)।
২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০৯ প্রত্যাখ্যান। মোট দখলদারের সংখ্যা পাঁচ লাখ। রাজনৈতিক পরিচয়ের দিক দিয়ে দখলদারদের ৬৫% শতাংশ বিএনপি, ১৩% শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং ৯% শতাংশ জামায়াতে ইসলামী।
২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন প্রত্যাহার দাবি।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সাংবাদিকদের অহেতুক হয়রানি বন্ধে সংসদে বিল উত্থাপন। অর্পিত সম্পত্তি বিল উত্থপিত হয়নি।
২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো : রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ভারত : উন্নয়ন ও বঞ্চনা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, বইয়ের লেখক ড. অমর্ত্য সেন ও সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। একক বক্ততা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান, ড. অমর্ত্য সেনের সহপাঠী অধ্যাপক রেহমান সোবহান। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান স্বাগত বক্তবো অমর্ত্য সেনের জন্ম, বেড়ে ওঠা ও অবদান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেন। ‘‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবিক প্রগতি’’ শীর্ষক উন্মুক্ত বক্ততা করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন(২৩-০২-২০১৫ তারিখ)। ‘‘অর্থনীতির সঙ্গে দরকার মানবিক প্রগতিও’’। একক বক্ততায় ড. অমর্ত্য সেন। বিশ্ববরেণ্য এই চিন্তবিদ বলেন, ‘‘মানবিক প্রগতির জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সরকারি বিনিয়োগ থাকা দরকার। সর্বশিক্ষা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা সরকারি বিনিয়োগ ছাড়া বেসরকারি বিনিয়োগে হয়েছে-পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই। এর কারণ ব্যাখা করে তিনি বলেন, ‘‘বেসরকারি খাতের মাধ্যমে দরিদ্র লোকের স্বাস্থ্য, শিক্ষা দেওয়া যাবে, তা ভীষণ দিকভ্রম। বেসরকারি খাত দিয়ে এটা করানো অর্থনৈতিক চিন্তার ভ্রম।’’
ড. সেন বলেন, মানবিক প্রগতির সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রগতির দ্ব›দ্ব রয়েছে। মানবিক প্রগতির অভাবে অর্থনৈতিক প্রগতি থেমে থাকতে পারে। আমার মনে হয়, ভারতের এখনকার সমস্যা এটাই। তবে জাতির বিশাল অংশকে স্বাস্থ্যহীন, শিক্ষাহীন রেখে অর্থনৈতিক প্রগতি নিয়ে বহুদিন ধরে টিকে আছে ভারত। বেশ কিছু উদাহরণ দিয়ে এই ড. সেন বলেন, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের মাথাপিছু আয় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। এখন ২৩-০২-২০১৫ তারিখ) তা বেড়ে ১০০ শতাংশ হয়েছে। এটা ভারতের অর্থনৈতিক প্রগতি। তবে ১৯৯০ সালে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশিদের গড় আয়ূ তিন বছর কম ছিল। এখন ভারতের চেয়ে বাংলাদেশিদের তিন বছর গড় আয়ূ বেশি। এখন ভারতের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা রাজ্য কেরালা। তবে বহু আগে থেকেই কেরালা শিক্ষায় এগিয়ে আছে।
১৮১৬ কেরালার ১৮ বছর বয়সী এক রানি শিক্ষার প্রসারে একটি প্রগতিশীল বিবৃতি দিয়েছিলেন। তখন কেরালায় বর্ণবৈষম্য ছিল। শিক্ষা দিয়ে এই পার্থক্য দূর করা যায় কি না, সেই চেষ্টা করেছে কেরালা। ১৯৬৩ সালে ভারতের ২৪টি রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় দরিদ্রতম রাজ্য ছিল কেরালা। আর এখন ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য কেরালা। কেরালার গড় আয়ু ৭৪ বছর বয়স এবং যা প্রায় চীনের গড় আয়ুর সমান। ড. সেন মনে করেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে মানবিক প্রগতির পার্থক্য রয়েছে, প্রথমেই এটা মানা উচিত। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে, আবার বঞ্চনাও রয়েছে ৮০ ভাগ লোকের। আমার মনে হয়, ৯০ ভাগ লোকের(মো: জাকির হুসেন)।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা ও দেশভাগের আগের সময়কালকে উদাহরণ হিসেবে এনেছেন এই নোবেলজয়ী ড. সেন। তাঁর মতে ১৯৪৭-এ যখন ব্রিটিশ সা¤্রাজ্য শেষ হলো, তখন এই উপমহাদেশের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। অথচ ১৭৭৬ সালেই অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিত বলে গিয়েছেন বিশ্বের ধনী দেশ কোনগুলো। এর মধ্যে ভারতকে তিনি ধরেছেন, বাংলাকেও ধরেছেন। কী কারণে বাংলা ধনী, এর বিবরণও দিয়েছেন অ্যাডাম স্মিত। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মতো নদী দিয়ে তখন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হতো।
১৯০০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ড. সেন বলেন, ভারতবর্ষে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়নি বললেই চলে। এই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, অর্থাৎ অত্যন্ত তুচ্ছ হার। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতার পর প্রথম বছর ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ১৯৪৭ সালের তুলনায় বর্তমান মাথাপিছু আয় সাত গুণ বেড়েছে। সেই তুলনায় মানুষের গড় আয়ু বাড়েনি। ভারতবর্ষে অর্থনৈতিক প্রগতি হলেও মানবিক প্রগতি হয়নি ড. সেন বলেন এবং চিকিৎসা খরচ মেটাতে যেয়ে অনেক লোক আরও গরীব হয়েছে।
ড. সেন বলেন, তবে তিনি ভারতের রপ্তানি খাতের প্রশংসা করে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ ও গাড়ির যন্ত্রাংশ (অটোপার্টস) শিল্পে যতেষ্ট ভালো করেছে ভারত। এ তিনটি জিনিসই ভারতের রপ্তানি খাতের প্রসার ভূমিকা রেখেছে। গণতন্ত্র প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, গণতন্ত্রে আলোচনা কিছু সম্ভব নয়। কিন্তু দিনে দিনে সেই আলোচনার জায়গাটি সংকুচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের গণতন্ত্র কিছুদিনের মধ্যে একেবারে পারফেক্ট হবে, এমনটি মনে করার কারণ নেই। তবে গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। কিন্তু সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, ভাবতে হবে।
বামপন্থী হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কারণে আক্রোশ বা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তেমন নয়। তবে প্রেসিডেন্সি কলেজে রাজনীতি করার কারণে জাপানে ভিসা পেতে সমস্যা হয়েছে। যদিও এখন জাপানে পড়াই।
২০০৬ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশে ধনী-দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর যাদের খাওয়া ও ভোগ্যপণ্য বাবদ মাসিক ব্যয় মাত্র ৯০০/-টাকা(শহরে) বা ৬০০/-টাকা (গ্রামে) সরকারী হিসেবে তারা দরিদ্র।
 মোট জনসংখ্যা ১৯৮৪ ২০০৪ ২০০৫ বৃদ্ধি ঘটেছে
১০,৫০,০০,০০০১৪,৭৫,০০,০০০১৫,০২,৬০,০০০৪,৫২,৬০,০০০
মোট দরিদ্র ৬,৫০,০০,০০০ ৯,৭৫,০০,০০০ ১০,০০,৬০,০০০ ৩,৫০,৬০,০০০
মোট মধ্যবিত্ত ৪,০০,০০,০০০ ৫,০০,০০,০০০ ৫,০২,৬০,০০০ ১,০২,৬০,০০০
নিম্ন মধ্যবিত্ত ২,৩০,০০,০০০ ৩,০০,০০,০০০ ৩,০২,০০,০০০ ৭২,০০,০০০
মধ্য মধ্যবিত্ত ১,৬০,০০,০০০ ১,৮০,০০,০০০ ১,৮০,০৫,০০০ ২০,০৫,০০০
উচ্চ মধ্যবিত্ত ৬,০০,০০০ ১২,০০,০০০ ১২,৩৫,০০০ ৬,৩৫,০০০
ধনী ৪,০০,০০০ ৮,০০,০০০ ৮,২০,০০০ ৪,২০,০০০
২০০৬ সালের ১১ আগষ্ট, মাসুদুজ্জামান রবিন ঃ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ক্রমেই নিম্নবিত্তে পরিণত হচ্ছে-আয় সীমিত ঃ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি। ১৯৯১-৯৫ সাল পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ পরিবারের আয়ের সাথে সবচেয়ে গরীব ও ৫ শতাংশ পরিবারের আয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ১৮ গুণ। ১৯৯৫-৯৬ সালে বেড়ে ২৭ গুণ, ২০০০ সালে তা হয় ৪৬ গুণ এবং সর্বশেষ ২০০৫ সালে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ গুণ। তাতেই বোঝা যায় আয় সম্পদ একটা শ্রেণীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে দারিদ্র দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।