বাংলাদেশের অর্থনীতির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ঃ

০১-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী-লেখকঃ অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ স¤পাদক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি-
এক আত্মঘাতী লুন্ঠন প্রক্রিয়া বাংলাদেশ অর্থনীতির নিয়ামক বৈশিষ্ট রূপান্তরিত হয়েছে। আর্থ-রাজনৈতিক-সামাজিক দুবৃর্ত্তায়ন থেকে জনকল্যাণমূখী উত্তরণে রাজনৈতিক পরিবর্তন জরুরী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স প্রায় বত্রিশ বছর। অর্থনীতির বৈষম্যের যাঁতাকলে পিষ্ট মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। এ দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার গ্যারান্টি পাওয়া।
গত বত্রিশ বছরে জাতীয় আয়(মোট ও মাথাপিছু) বৃদ্ধি পেয়েছে, সরকারী হিসেবে দারিদ্র্যের আয়তন কমেছে; শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং বৃদ্ধি পেয়েছে শিশুদের টিকাদান; পরিবার পরিকল্পনা ব্যবহারকারী বেড়েছে।
গত বত্রিশ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এমন কোনও মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি যা দিয়ে বলা যাবে যে, স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়িত হয়েছে। রাষ্ট্রের হিসেবমতে মৌলিক চাহিদা হিসেব করলে দারিদ্র বিমোচনে জাতীয় ক্ষেত্রে সময় লাগবে ৩১০ বছর, আর গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনে সময় লাগবে ৯০৯ বছর। স্বাধীনতার আকাঙক্ষার ভেতর আর যাই থাক, গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনে ১,০০০(এক হাজার) বছরের কর্মসূচীর কথা ছিল না। প্রশ্নাতিত প্রশ্ন-সমস্যাটি কোথায়?
গত ৩২(বত্রিশ) বছরের বিকাশের ধারা আমাদের দেশকে সম্ভবত সু¯পষ্টভাবে দু’ভাগে বিভাজিত করেছে। প্রথমভাগে আছেন সংখ্যালঘু ক্ষমতাধর মানুষ, যাদের সংখ্যা হবে বড়জোর ১৪,৫০,০০০(চৌদ্দ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)। দ্বিতীয়ভাগে আছেন সংখ্যাগুরু ক্ষমতাহীন মানুষ, যাদের সংখ্যা হবে ১৪,৩৫,৫০,০০০(চৌদ্দ কোটি পয়ত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)। “উন্নয়ন হয়েছে তবে সেটা সংখ্যাগরিষ্টের নয়, ঐ ১৪,৫০,০০০(চৌদ্দ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) ক্ষমতাধরের। ১০(দশ) কোটি মানুষ এখনও দারিদ্র কেন? ১০(দশ) কোটি মানুষ এখনও প্রকৃত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত কেন? প্রায় ১০(দশ) কোটি মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত কেন? প্রায় ৬(ছয় কোটি) মানুষ বেকার কেন? ১২(বার) কোটি মানুষ এখনও বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত কেন? গত ত্রিরিশ বছরে সরকারীভাবে যে ১,৮০,০০০ (এক লক্ষ আশি হাজার) কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ-সাহায্য এসেছে। তার ৭৫ ভাগ লুন্ঠন করেছেন অর্থনীতি-রাজনীতির দুর্বৃত্ত গোষ্ঠি। ক্ষমতাবানরা এখন কালো অর্থনীতির একটা বলয় সৃষ্টি করেছেন, যে দুষ্টচক্রে বছরে ৬০,০০০(ষাট হাজার) কোটি কালো টাকার সৃষ্টি হয়। যা জাতীয় আয়ের এক-তৃতীয়াংশ।
স্বাধীনতার প্রাক্কালে এদেশ ছিল প্রকৃতই কৃষি প্রধান। মোট জাতীয় উৎপাদনের ৬০ ভাগ তথা দেশের ৮০ ভাগ মানুষ ছিল কৃষি নির্ভর।  তিরিশ বছর পর এখন কৃষির অবদান জাতীয় উৎপাদনের ২৫ ভাগ, আর কৃষির উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা এখন ৫০ ভাগ।
“ক্ষমতাবান ১৪,৫০,০০০ লক্ষ দর্বৃত্ত কি করে ক্ষমতাহীন ১৪,৩৫,৫০,০০০ (চৌদ্দ কোটি পয়ত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) মানুষকে ভালবাসবেন সেটা আমার অৎানা। আদৌ এ ধরণের শর্ত সৃষ্টি সম্ভব কিনা? গত বত্রিশ বছরের বিকাশ বিশ্লেষণে এ ব্যাপারেও আমি সন্দিহান”।
১৯৭৩-৭৪ সালে যেখানে মাথাপিছু চালের উৎপাদন ছিল ১৪০(একশত চল্লিশ) কেজি, তিরিশ বছর পরে এখন সেটা ১৩৮(একশত আটত্রিশ) কেজি।
শিল্পখাতে সরকারী ভূমিকা ও সামগ্রিক পরিবেশ কখনও শিল্প সহায়ক ছিল না। ১৯৮০’র দশকে যখন বলা হলো যে, বাণিজ্য ও সেবা খাতে বিনিয়োগের তুলনায় বেসরকারী শিল্পখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে ৪-গুণ, তবে বাস্তবে ঘটলো ঠিক উল্টোটি। বিকশিত হলো বাণিজ্য ও সেবা খাত।
বাণিজ্য ঘাটতি গত তিরিশ বছরে মোটামোটি অব্যাহত ছিল। বাণিজ্য বেড়েছে ১১ গুণ।
গত তিরিশ বছরে আমরা সরকারীভাবে প্রায় ১,৮০,০০০(এক লক্ষ আশি হাজার) কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান পেয়েছি। মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের দায়ভার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯৭৩-৭৪ সালের ৬.৬ ডলার থেকে ১৯৯৮-৯৯ সালে প্রায় ১৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১১৬ডলারে। ১৯৭১-৭২ অর্থবছরে যেখানে বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্যের পরিমাণ ছিল ২৭ কোটি ডলার। সেটা ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ১৫৪(একশত চুয়ান্ন কোটি) ডলারে; অর্থাৎ তিরিশ বছরে প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি।
    “গত তিরিশ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এমন কোনও মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি যা দিয়ে বলা যাবে যে, স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়িত হয়েছে। সুস্থ-সবল-চেতনাসমৃদ্ধ ভেদহীন মানুষ সৃষ্টিই ছিল স্বাধীনতার মূল আকাঙক্ষা। সেই আকাঙক্ষা ও বাস্তবতার  দূরত্ব ব্যাপক ও ক্রমবর্ধমান”।
বাংলাদেশের কোটিপতিদের পুঁজির আদিসঞ্চয়য়নও হয়েছে অবৈধ পথে, কালো টাকার মাধ্যম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, বৈধ কোটি-পতি হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। বাংলাদেশে কোটিপতি হবার পথগুলো হলো সরকারী তহবিল, ষ্টোর ও পতিত স¤পত্তি আত্মসাৎ, তহবিল তসরুপ ও জোর পূর্বক দখল করা এবং আমলাদের পক্ষ থেকে পরিতোষণ।
স্বাধীন বাংলাদেশে মানব উন্নয়ন দর্শনই হওয়া উচিত ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রিয় দর্শন।  প্রতিরক্ষাখাতে সরকারের প্রকৃত ব্যয় কত তা যেহেতু সরকার পাকিস্তান আমল থেকেই রাষ্ট্রীয়   ‘‘সিক্রেট” আখ্যায়িত করে সযতনে গোপন করে চলেছেন।
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এমন কোনও সরকার আসেনি যারা উচ্চস্বরে দাবী করেনি যে, ‘আবার আমরা শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। অথচ এটা প্রতারণাপূর্ণ ভাষ্য। ১৯৭২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ গত তিরিশ বছরে মোট রাজস্ব ব্যয় হয়েছে-১,৫৭,০৯৩ কোটি টাকা যেখানে শীর্ষ স্থানে আছে সাধারণ প্রশাসন-(১৯.৯%), দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে-প্রতিরক্ষা-(১৭.৬৪%), তৃতীয় স্থানে-শিক্ষাও ক্রীড়া-(১৭.৪৮%), ৪র্থ স্থানে ঋণ পরিশোধ-(১২.৬৩%), যে ঋণের ৭৫% জনগণের কাছে পৌঁছেনি, ৫ম স্থানে-পুলিশ ও বিচার (৮.৯%) এবং ৬ষ্ঠ স্থানে অন্যান্য-(৫.২১%) সবকিছু যোগ করলে প্রতিরক্ষা খাতে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে।
গত প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে ২৭ বছরই সাধারণ প্রশাসন ছিল রাজস্ব ব্যয়ের প্রধান খাত। ১৯৭৫ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আমলাতন্তের আয়তন দ্বিগুণ হয়েছে। স্বাধীনতা উত্তরকালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গড় হার ২ শতাংশ অথচ সাধারণ প্রশাসনের বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ৩.৫ শতাংশ। সরকারী ব্যয়ের প্রায় অর্ধেক ব্যয় হয় প্রশাসনের বেতন-ভাতা হিসাবে। আমলারা প্রকৃত অর্থে “পাবলিক সারভেন্ট নয়” বরং পাবলিকই তাদের “সারভেন্ট”।
বাংলাদেশে প্রায় ১০(দশ) কোটি লোক দরিদ্র। আর এদেশে অধিকাংশই প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
বাংলাদেশের ১৪,৩৫,৫০,০০০(চৌদ্দ কোটি পয়ত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) মানুষের প্রত্যেককে যদি প্রশ্ন করা হয় আজ থেকে বত্রিশ বছর আগে মক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে আকাঙ্খার বীজ রোপিত হয়েছিল সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে কি?
সম্ভবতঃ ১৪,৩৫,৫০,০০০(চৌদ্দ কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) ক্ষমতাহীন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বলবেন “না” হয়নি। যদি প্রশ্ন করা হয় কেন হলো না; সে ক্ষেত্রে সম্ভাব্য উত্তরের ধাচ হতে পারে নি¤œরূপ(একাধিক উত্তর) ঃ জনগণের বৃহত্তম স্বার্থের প্রতি নেতৃত্বের কমিটমেন্টের অভাব, সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, স্ব-স্বার্থ ছাড়া অন্যসব কিছুকেই বিসর্জন দেয়া। তোয়াক্কা না করা, সহজে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন, ভালমন্দ আল্লাহর হাতে। যে যায় লঙ্গায় সেই হয় রাবণ ইত্যাদি গোছের। আর যদি উত্তরের ধাচ থেকে মূল প্রবণামূলক উত্তরটি অনুসন্দান করা হয় সেক্ষেত্রে আমি নিঃসন্দিহান যে মানুষের প্রতি প্রকৃত ভালবাসার অভাব-উদ্ভুত উল্টরসমূহ প্রাধ্যন্য পাবে। ১৪,৫০,০০০(চৌদ্দ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) দূর্বৃত্ত কি করে ক্ষমতাহীন ১৪,৩৫,৫০,০০০(চৌদ্দ কোটি পয়ত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) ক্ষমতাহীন মানুষকে ভালবাসে সেটা আমার অজানা। আদৌ এ ধরণের শর্ত সৃষ্টি সম্ভব কিনা? গত বত্রিশ বছরের বিকাশ বিশ্নেষণে এ ব্যাপারেও আমি সন্দিহান। এ লেখাটির সাথে আমিও একমত।
লেখকঃ অধ্যাপক আবুল বারকাত, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ স¤পাদক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
পুঁজি কোথা থেকে পাওয়া যায় ঃ
পুঁজিবাদী উৎপাদনের প্রথম সূচনাগুলো যদিও আমরা দেখতে পাই ১৪শ কি ১৫শ শতকে, এখানে ওখানে বিক্ষিপ্তভাবে, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি শহরে, ত‘হলেও পুঁজিবাদী যুগ শুরু হয়েছে ১৬শ শতক থেকে। যেখানেই তা দেখা দিয়েছে, সেখানেই ভূমিদাসত্বের উচ্ছেদ হয়ে গেছে অনেক আগেই এবং মধ্যযুগের যা সর্বোচ্চ বিকাশ-সার্বভৌম নগরের অস্তিত্ব-তা অনেক আগে থেকেই ক্ষয় পেতে শুরু করেছে।
আদি পুঁজির উদ্ভব হয়েছে হল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে। আজ থেকে ৫০০(পাঁচশত) বৎসর পূর্বের কথা। এর পূর্বে পুঁজি বলতে পৃথিবীতে কিছুই ছিল না। পুঁজি আকাশ থেকে পড়েনি। দাস-মালিক ও সামন্ত সমাজের মধ্যেই পুঁজির জন্ম হয়েছে। পুঁজিবাদী সমাজের মূলমন্ত্র হল শোষন এবং মুনাফা। শোষনের স্বার্থেই পুঁজিবাদী সমাজকে বুর্জোয়ারা টিকিয়ে রাকতে চায়। শ্রমজীবি মানুষ আজীবন সংগ্রামের ভিতর দিয়ে তাদের জীবন ধারন করে থাকে। যেদিন বুঝতে পারবে শ্রমজীবি মানুষ যে, সমাজ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। সেদিনই শ্রমজীবি মানুষ শ্রেণী-বিভক্ত সমাজ ভেঙ্গে শ্রেণীহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, ট্রাইবাল সমাজে প্রভু-ভৃত্য বা শাসক-শাসিত সম্পর্ক সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত সম্পত্তিও সম্ভব নয়।
এ ধরণের সমাজকে বলা হয় আদিম সাম্য সমাজ।
কাজের ভাগাভাগি ঃ এ সময় থেকেই মানুষের সমাজে দুটি আলাদা শ্রেণী দেখা দিয়েছিলঃ প্রভু ও দাস, শোষক ও শোসিত। আদিম সাম্য সমাজের জায়গায় শ্রেণী-বিভক্ত সমাজ।
ব্যক্তিগত মালিকানার ফলে একটি নতুন লক্ষণ দেখা দিয়েছিল যে, যতো বেশি পণ্য তৈরী হত ততোই পণ্যের মালিকরা ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিত্তবান হয়ে উঠত, ততোই মেহনতী মানুষ বিত্তহীন হত।
তার মানে আমরা বলতে পারি, ব্যক্তিগত মালিকানা শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রের উদ্ভব ও ট্রাইবাল সমাজের বিলুপ্তি।
তবে যতোটুকু আভাস পাওয়া যাচ্ছে তারমধ্যে মানুষের কৃতিত্বের কথা এ যে মানুষ মানুষ হতে পেরেছে, আর সম্ভাবনার কথা এ যে মানুষ আরো বড়ো মানুষ হয়ে উঠবে।
       খেয়া দারিদ্রের বিরুদ্ধে একটি অভিযান। দারিদ্র কপালের লিখন নয়। কিছু লোক জনগণের উপর দারিদ্র চাপিয়ে দিয়েছে। তাই দারিদ্র মেনে নেওয়া অপরাধ। যারা দরিদ্র তারা দারিদ্র মেনে নিয়ে অপরাধ করছে। আর শিক্ষিত মানুষ যখন ব্যাপক জনগণকে দরিদ্র দেখেও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে না তখন তারা আরও বড় অপরাধী।
ব্যাপক জনগণের দারিদ্র মোচন, বেকার সমস্যার সমাধান, পরনির্ভরতার অবসান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য কিভাবে অর্জন করা সম্ভব সেটা খেয়া’র মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আমাদের আহবান নিয়মিত খেয়া পড়ূন এবং অন্যকে পড়তে দিন। খেয়া’র বক্তব্যের আলোকে সারা দেশে জনমত গড়ে তুলুন।
খেয়া একটি মাসিক পত্রিকা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশ্লœষণ খেয়ার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। এসব ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে খেয়া অবশ্যই নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করবে না। গরিব জনগণের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিটি ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা হবে। যখন কোন দেশে সমাজ গরিব-ধনীতে বিভক্ত তখন নিরপেক্ষ বলতে কিছু নেই। এক পক্ষের জন্য যা ভাল মনে হবে অন্য পক্ষের জন্য তা খারাপ মনে হবে। আমাদের দেশের শতকরা নব্বই জন মানুষই গরিব। এ দেশের গরিবদের পক্ষ নেওয়াটাই নৈতিকভাবে সঠিক বলে খেয়া মনে করে। সেটাই প্রকৃত গণতন্ত্রের দাবি।
পাকিস্তানের আমলে এ দেশে ২,২০৮টি বেতন স্কেল ছিল। ২,২০৮টি বেতন স্কেলকে ভেঙ্গে ১৯৭৩ সালে ১০(দশ)টি বেতন স্কেলে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সরকার ঃ
পাকিস্তানের আমলে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় বেতন স্কেল বলতে কিছুই ছিল না। তাই তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ২,২০৮টি বেতন স্কেল ছিল। তা’থেকে বাংলাদেশ আমলে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)-এর সরকার ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই, ১ম জাতীয় বেতন কমিশন বাস্তবায়ন করে। ১ম জাতীয় বেতন কমিশন রিপোর্ট দেয় এবং ২,২০৮টি বেতন স্কেলকে ভেঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ০১-০৭-১৯৭৩ সালে ১০টি গ্রেডে ১ম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা করে এবং ১০টি বেতন স্কেল থেকে ৬টি বাস্তবায়ন করে।
ক্রমিক ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন ঃ ১০টি গ্রেডে জাতীয় বেতন স্কেল
১. টাকা=২,০০০/- নির্ধারিত
২. টাকা=১,৪৭৫-৭৫-১,৮৫০/-
৩. টাকা=১,১৫০-৬০ঢ৭-১,৫৭০/-
৪. টাকা=৮০০-৪৫ঢ৬-১,০৭০-ইবি-৫০ঢ৫-১,২৭০/-
৫. টাকা=৪৭৫-কনফার্ম-৫১০-৩৫ঢ৫-৬৮৫-ইবি-৪০ঢ৮-১,০০৫/-
৬. টাকা=৩৭৫-কনফার্ম-৪০০-২৫ঢ৫-৫২৫-ইবি-৩০ঢ৮-৭৬৫-ইবি-৩৫ঢ৬-৯৭৫/-
৭. টাকা=৩১০-কনফার্ম-৩২৫-১৫ঢ৫-৪০০-ইবি-১৮ঢ৮-৫৪৪-ইবি-২১ঢ৬-৬৭০/-
৮. টাকা=২২০-কনফার্ম-২২৮-৮ঢ৫-২৬৮-ইবি-১০ঢ৮-৩৪৮-ইবি-১২ঢ৬-৪২০/-
৯. টাকা=১৪৫-কনফার্ম-১৫১-৬ঢ৯-২০৫-ইবি-৭ঢ১০-২৭৫/-
১০. টাকা=১৩০-কনফার্ম-১৩৫-৫ঢ৯-১৮০-ইবি-৬ঢ১০-২৪০/-
১৯৭৭ সালের ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন ঃ প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের আমলে ২য় পে-স্কেল বাস্তাবয়ন করা হয়।
ক্রমিক ১৯৭৩ সালের ১০টি গ্রেড ভেঙ্গে ১৯৭৭ সালে ২০টি গ্রেডে জাতীয় বেতন স্কেল ঃ
১. টাকা=৩,০০০/-নির্ধারিত।
২. টাকা=২,৮৫০/-নির্ধারিত।
৩. টাকা=২,৩৫০-১০০ঢ৪-২,৭৫০/-
৪. টাকা=২,১০০-১০০ঢ৫-২,৬০০/-
৫. টাকা=১,৮৫০-৭৫ঢ৭-২,৩৭৫/-
৬. টাকা=১,৪০০-৭৫ঢ১০-২,২২৫/-
৭. টাকা=১,১৫০-৬৫ঢ১০-১,৮০০/-
৮. টাকা=৯০০-৫৫ঢ৭-১,২৮৫-৬৫ঢ৫-১,৬১০/-
৯. টাকা=৭৫০-৫০ঢ৩-৯০০-ইবি-৫৫ঢ৬-১,২৩০-৬০ঢ৪-১,৪৭০/-
১০. টাকা=৬২৫-৪৫ঢ৮-৯৮৫-ইবি-৫৫ঢ৬-১,৩১৫/-
১১. টাকা=৪৭০-৩৫ঢ৫-৬৪৫-ইবি-৪৫ঢ৬-৯১৫-৫৫ঢ৪-১,১৩৫/-
১২. টাকা=৪২৫-৩০ঢ৫-৫৭৫-ইবি-৪০ঢ৪-৭৩৫-৫০ঢ৬-১,০৩৫/-
১৩. টাকা=৪০০-২৫ঢ৫-৫২৫-ইবি-৩০ঢ১০-৮২৫/-
১৪. টাকা=৩৭০-২০ঢ৫-৪৭০-ইবি-২৫ঢ১১-৭৪৫/-
১৫. টাকা=৩২৫-১৫ঢ৭-৪৩০-ইবি-২০ঢ৯-৬১০/-
১৬. টাকা=৩০০-১২ঢ৮-৩৯৬-ইবি-১৮ঢ৮-৫৪০/-
১৭. টাকা=২৭৫-১০ঢ১০-৩৭৫-ইবি-১৫ঢ৭-৪৮০/-
১৮. টাকা=২৫০-৮ঢ৪-২৮২-ইবি-১০ঢ৮-৩৬২/-
১৯. টাকা=২৪০-৭ঢ৭-২৮২-ইবি-৭ঢ৯-৩৪৫/-
২০. টাকা=২২৫-৬ঢ১৫-৩১৫/-
প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলে ১৯৮৫ সালের ১ জুন থেকে ৩য় পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা হয় ঃ
ক্রমিক ৩য় জাতীয় বেতন স্কেল ২০টি গ্রেড ঃ
১. টাকা=৬,০০০/-নির্ধারিত
২. টাকা=৫,৭০০/-নির্ধারিত
৩. টাকা=৪,৭০০-১৫০ঢ৫-৫,৫৫০/-
৪. টাকা=৪,২০০-১৫০ঢ৬-৫,২৫০/-
৫. টাকা=৩,৭০০-১২৫ঢ৬-৪,৮২৫/-
৬. টাকা=২,৮০০-১২৫ঢ১০-৪,৪২৫/-
৭. টাকা=২,৪০০-১২০ঢ১০-৩,৬০০/-
৮. টাকা=১,৮৫০-১১০ঢ৭-২,৬২০-১২০ঢ৫-৩,২২০/-
৯. টাকা=১,৬৫০-১০০ঢ৬-২,২৫০-ইবি-১১০ঢ৭-৩,০২০/-
১০. টাকা=১,৩৫০-৯০ঢ১০-২,২৫০-ইবি-১০০ঢ৭-২,৭৫০/-
১১. টাকা=১,০০০-৭০ঢ৭-১,৫৬০-ইবি-৯০ঢ৮-২,২৮০/-
১২. টাকা=৯০০-৬৫ঢ১০-১,৫৫০-ইবি-৭৫ঢ৭-২,০৭৫/-
১৩. টাকা=৮৫০-৫৫ঢ১০-১,৪০০-ইবি-৬০ঢ৬-১,৭০০/-
১৪. টাকা=৮০০-৫০ঢ১০-১,৩০০-ইবি-৫৫ঢ৬-১,৬৩০/-
১৫. টাকা=৭৫০-৪৫ঢ১০-১,২০০-ইবি-৫০ঢ৭-১,৫৫০/-
১৬. টাকা=৭০০-৪০ঢ১০-১,১০০-ইবি-৪৫ঢ৭-১,৪১৫/-
১৭. টাকা=৬৫০-৩৫ঢ১০-১,০০০-ইবি-৪০ঢ৭-১,২৮০/-
১৮. টাকা=৬০০-৩০ঢ১০-৯০০-ইবি-৩৫ঢ৬-১,১১০/-
১৯. টাকা=৫৫০-২৫ঢ৭-৭২৫-ইবি-৩০ঢ৮-৯৬৫/-
২০. টাকা=৫০০-২০ঢ১৮-৮৬০/-
ক্রমিক প্রদানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ৪র্থ জাতীয় বেতন স্কেল ১ জুলাই, ১৯৯১ঃ
১. টাকা=১০,০০০/-নির্ধারিত
২. টাকা=৮,৬০০-২২৫ঢ৪-৯,৫০০/-
৩. টাকা=৭,৮০০-২০০ঢ৬-৯,০০০/-
৪. টাকা=৭,১০০-২০০ঢ৮-৮,৭০০/-
৫. টাকা=৬,৩০০-১৭৫ঢ১০-৮,০৫০/-
৬. টাকা=৪,৮০০-১৭৫ঢ১৪-৭,২৫০/-
৭. টাকা=৪,১০০-১৫০ঢ১৬-৬,৫০০/-
৮. টাকা=৩,২০০-১৪০ঢ১৬-৫,৪৪০/-
৯. টাকা=২,৮৫০-১২৫ঢ৭-৩,৭২৫-ইবি-১৩০ঢ১১-৫,১৫৫/-
১০. টাকা=২,৩০০-১১৫ঢ৭-৩,১০৫-ইবি-১২৫ঢ১১-৪,৪৮০/-
১১. টাকা=১,৭২৫-১০৫ঢ৭-২,৪৬০-ইবি-১১৫ঢ১১-৩,৭২৫/-
১২. টাকা=১,৫৫০-১০০ঢ৭-২,২৫০-ইবি-১০৫ঢ১১-৩,৪০৫/-
১৩. টাকা=১,৪৭৫-৯০ঢ৭-২,১০৫-ইবি-৯৫ঢ১১-৩,১৫০/-
১৪. টাকা=১,৩৭৫-৮০ঢ৭-১,৯৩৫-ইবি-৮৫ঢ১১-২,৮৭০/-
১৫. টাকা=১,৩০০-৭০ঢ৭-১,৭৯০-ইবি-৭৫ঢ১১-২,৬১৫/-
১৬. টাকা=১,২০০-৬০ঢ৭-১,৬২০-ইবি-৬৫ঢ১১-২,৩৩৫/-
১৭. টাকা=১,১২৫-৫৫ঢ৭-১,৫১০-ইবি-৬০ঢ১১-২,১৭০/-
১৮. টাকা=১,০৫০-৪৫ঢ৭-১,৩৬৫-ইবি-৫০ঢ১১-১,৯১৫/-
১৯. টাকা=৯৭৫-৪০ঢ৭-১,২৫৫-ইবি-৪৫ঢ১১-১,৭৫০/-
২০. টাকা=৯০০-৩৫ঢ১৮-১৫৩০/-
ক্রমিক ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই, ৫ম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তাবায়ন ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১. টাকা=১৫,০০০/-নির্ধারিত।
২. টাকা=১২,১০০-৩৫০ঢ৪-১৪,৩০০/-
৩. টাকা=১১,৭০০-৩০০ঢ৬-১৩,৫০০/-
৪. টাকা=১০,৭০০-৩০০ঢ৮-১৩,১০০/-
৫. টাকা=৯,৫০০-২৬০ঢ১০-১২,১০০/-
৬. টাকা=৭,২০০-২৬০ঢ১৪-১০,৮০০/-
৭. টাকা=৬,১৫০-২২৫ঢ১৫-৯,৭৫০/-
৮. টাকা=৪,৮০০-২১০ঢ১৬-৮,১৬০/-
৯. টাকা=৪,৩০০-১৮৫ঢ৭-৫,৫৯৫-ইবি-১৯৫ঢ১১-৭,৭৪০/-
১০. টাকা=৩,৪০০-১৭০ঢ৭-৪,৫৯০-ইবি-১৮৫ঢ১১-৬,৬২৫/-
১১. টাকা=২,৫৫০-১৫৫ঢ৭-৩,৬৩৫-ইবি-১৭০ঢ১১-৫,৫০৫/-
১২. টাকা=২,৩৭৫-১৫০ঢ৭-৩,৪২৫-ইবি-১৫৫ঢ১১-৫,১৩০/-
১৩. টাকা=২,২৫০-১৩৫ঢ৭-৩,১৯৫-ইবি-১৪০ঢ১১-৪,৭৩৫/-
১৪. টাকা=২,১০০-১২০ঢ৭-২,৯৪০-ইবি-১২৫ঢ১১-৪,৩১৫/-
১৫. টাকা=১,৯৭৫-১০৫ঢ৭-২,৭১০-ইবি-১১০ঢ১১-৩,৯২০/-
১৬. টাকা=১,৮৭৫-৯০ঢ৭-২,৫০৫-ইবি-১০০ঢ১১-৩,৬০৫/-
১৭. টাকা=১,৭৫০-৮০ঢ৭-২,৩১০-ইবি-৯০ঢ১১-৩,৩০০/-
১৮. টাকা=১,৬২৫-৬৫ঢ৭-২,০৮০-ইবি-৭৫ঢ১১-২,৯০৫/-
১৯. টাকা=১,৫৬০-৬০ঢ৭-১,৯৮০-ইবি-৬৫ঢ১১-২,৬৯৫/-
২০. টাকা=১,৫০০-৫০ঢ১৮-২,৪০০/-
ক্রমিক বেগম খালেদা জিয়া ২০০৫ সালের ১ জুলাই, ৬ষ্ঠ নতুন জাতীয় বেতন স্কেল ঃ
১. টাকা=২৩,০০০/-নির্ধারিত।
২. টাকা=১৯,৩০০-৭০০ঢ৪-২২,১০০/-
৩. টাকা=১৬,৮০০-৬৫০ঢ৬-২০,৭০০/-
৪. টাকা=১৫,০০০-৬০০ঢ৮-১৯,৮০০/-
৫. টাকা=১৩,৭৫০-৫৫০ঢ১০-১৯,২৫০/-
৬. টাকা=১১,০০০-৪৭৫ঢ১৪-১৭,৬৫০/-
৭. টাকা=৯,০০০-৪০৫ঢ১৬-১৫,৪৮০/-
৮. টাকা=৭,৪০০-৩৬৫ঢ১৬-১৩,২৪০/-
৯. টাকা=৬,৮০০-৩২৫ঢ৭-৯,০৭৫-ইবি-৩৬৫ঢ১১-১৩,০৯০/-
১০. টাকা=৫,১০০-২৮০ঢ৭,০৬০-ইবি-৩০০ঢ১১-১০,৩৬০/-
১১. টাকা=৪,১০০-২৫০ঢ৭-৫,৮৫০-ইবি-২৭০ঢ১১-৮,৮২০/-
১২. টাকা=৩,৭০০-২৩০ঢ৭-৫,৩১০-ইবি-২৫০ঢ১১-৮,০৬০/-
১৩. টাকা=৩,৫০০-২১০ঢ৭-৪,৯৭০-ইবি-২৩০ঢ১১-৭,৫০০/-
১৪. টাকা=৩,৩০০-১৯০ঢ৭-৪,৬৩০-ইবি-২১০ঢ১১-৬,৯৪০/-
১৫. টাকা=৩,১০০-১৭০ঢ৭-৪,২৯০-ইবি-১৯০ঢ১১-৬,৩৬৮/-
১৬. টাকা=৩,০০০-১৫০ঢ৭-৪,০৫০-ইবি-১৭০ঢ১১-৫,৯২০/-
১৭. টাকা=২,৮৫০-১৩০ঢ৭-৩,৭৬০-ইবি-১৫০ঢ১১-৫,৪১০/-
১৮. টাকা=২,৬০০-১২০ঢ৭-৩,৪৪০-ইবি-১৩০ঢ১১-৪,৮৭০/-
১৯. টাকা=২,৫০০-১১০ঢ৭-৩,২৭০-ইবি-১২০ঢ১১-৪,৫৯০/-
২০. টাকা=২,৪০০-১০০ঢ৭-৩,১০০-ইবি-১১০ঢ১১-৪৩১০/-
ক্রমিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০০৯ সালের ১ জুলাই, ৭ম নতুন জাতীয় বেতন স্কেল ঃ
১. টাকা=৪০,০০০/-নির্ধারিত।
২. টাকা=৩৩,৫০০-১,২০০ঢ৫-৩৯,৫০০/-
৩. টাকা=২৯,০০০-১,১০০ঢ৬-৩৫,৬০০/-
৪. টাকা=২৫,৭৫০-১,০০০ঢ৮-৩৩,৭৫০/-
৫. টাকা=২২,২৫০-৯০০ঢ১০-৩১,২৫০/-
৬. টাকা=১৮,৫০০-৮০০ঢ১৪-২৯,৭০০/-
৭. টাকা=১৫,০০০-৭০০ঢ১৬-২৬,২০০/-
৮. টাকা=১২,০০০-৬০০ঢ১৬-২১,৬০০/-
৯. টাকা=১১,০০০-৪৯০ঢ৭-১৪,৪৩০-ইবি-৫৪০ঢ১১-২০,৩৭০/-
১০. টাকা=৮,০০০-৪৫০ঢ৭-১১,১৫০-ইবি-৪৯০ঢ১১-১৬,৫৪০/-
১১. টাকা=৬,৪০০-৪১৫ঢ৭-৯,৩০৫-ইবি-৪৫০ঢ১১-১৪,২৫৫/-
১২. টাকা=৫,৯০০-৩৮০ঢ৭-৮,৫৬০-ইবি-৪১৫ঢ১১-১৩,১২৫/-
১৩. টাকা=৫,৫০০-৩৪৫ঢ৭-৭,৯১৫-ইবি-৩৮০ঢ১১-১২,০৯৫/-
১৪. টাকা=৫,২০০-৩২০ঢ৭-৭,৪৪০-ইবি-৩৪৫ঢ১১-১১,২৩৫/-
১৫. টাকা=৪,৯০০-২৯০ঢ৭-৬,৯৩০-ইবি-৩২০ঢ১১-১০,৪৫০/-
১৬. টাকা=৪,৭০০-২৬৫ঢ৭-৬,৫৫৫-ইবি-২৯০ঢ১১-৯,৭৪৫/-
১৭. টাকা=৪,৫০০-২৪০ঢ৭-৬,১৮০-ইবি-২৬৫ঢ১১-৯,০৯৫/-
১৮. টাকা=৪,৪০০-২২০ঢ৭-৫,৯৪০-ইবি-২৪০ঢ১১-৮,৫৮০/-
১৯. টাকা=৪,২৫০-২১০ঢ৭-৫,৭২০-ইবি-২২০ঢ১১-৮,১৪০/-
২০. টাকা=৪,১০০-১৯০ঢ৭-৫,৪৩০-ইবি-২১০ঢ১১-৭,৭৪০/-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ৮ম জাতীয় পে-স্কেল হবে ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ঃ জাতীয় সংসদে নিজে ঘোষণা করেছিল যে আগামী ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দেয়া হবে, তারপর আবার বলেছিল যে, ২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারিতে দেয়া হবে। এখন মন্ত্রিসভায় পাশ করেছে ০৭-০৯-২০১৫ তারিখ যে গত ০১-০৭-২০১৫ তারিখ দেয়া হয়েছে। তার কথা এবং কাজটি ঠিক হল না।
কেবিনেট সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মূখ্যসচিবকে=৮৬,০০০(ছিয়াসি) হাজার টাকা।
সিনিয়র সচিবদের বেতন স্কেল করা হয়েছে=৮২,০০০(বিরাশি) হাজার টাকা।
১. টাকা=৭৮,০০০/-নির্ধারিত।
২. টাকা=৬৬,০০০-৭৬,৪৯০/- প্রবৃদ্ধি হবে বছরে ৩.৭৫%।
৩. টাকা=৫৬,৫০০-৭৪,৪০০/-প্রবৃদ্ধি হবে বছরে ৪%।
৪. টাকা=৫০,০০০-৭১,২০০/-
৫. টাকা=৪৩,০০০-৬৯,৮৫০/-প্রবৃদ্ধি হবে বছরে ৪.৫%।
৬. টাকা=৩৫,৫০০-৬৭,০১০/-প্রবৃদ্ধি হবে বছরে ৫%।
৭. টাকা=২৯,০০০-৬৩,৪১০/-
৮. টাকা=২৩,০০০-৫৫,৪৬০/-
৯. টাকা=২২,০০০-৫৩,০৬০/-
১০. টাকা=১৬,০০০-৩৮,৬৪০/-
১১. টাকা=১২,৫০০-৩২,২৪০/-
১২. টাকা=১১,৩০০-২৭,৩০০/-
১৩. টাকা=১১,০০০-২৬,৫৯০/-
১৪. টাকা=১০,২০০-২৪,৬৮০/-
১৫. টাকা=৯,৭০০-২৩,৪৯০/-
১৬. টাকা=৯,৩০০-২২,৪৯০/-
১৭. টাকা=৯,০০০-২১,৮০০/-
১৮. টাকা=৮,৮০০-২১,৩১০/-
১৯. টাকা=৮,৫০০-২০,৫৭০/-
২০. টাকা=৮,২৫০-২০,০১০/-প্রবৃদ্ধি হবে বছরে ৫%।
১ম জাতীয় বেতন স্কেল-১৯৭৩ ঃ সর্বোচ্চ-২,০০০/- টাকা এবং সর্বনিæ বেতন-১৩০/-টাকা প্রথম জাতীয় বেতন স্কেলের মধ্যে ৫ম গ্রেড থেকে ১০(দশম) গ্রেড পর্যন্ত কার্যকরী করা হয়। ১ম গ্রেড থেকে ৪র্থ গ্রেড পর্যন্ত কার্যকরী করা হয়নি।
১৯৭৩ ১৯৭৭ ১৯৮৫ ১৯৯১ ১৯৯৭ ২০০৫ ২০০৯ ২০১৫
০১-০১-২০০৫ সালের বেতন স্কেলে-মন্ত্রিপরিষদ সচিব/মুখ্য সচিবের বেতন-২৪,৫০০/-টাকা
০১-০৭-২০০৯ সালের বেতন স্কেলে-মন্ত্রিপরিষদ সচিব/মুখ্য সচিবের বেতন-৪৫,০০০/-টাকা
স্বাধীনতার ঠিক পরেই দেশে সর্বোচ্চ বেতনকাঠাসো নির্ধারণ করা হয়েছিল এক হাজার টাকা। এরপর ১৯৭২ সালের ১ জুলাই গঠিত বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সর্বোচ্চ বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল দুই হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন বেতন ১৩০/- টাকা।
১ম জাতীয় বেতন স্কেলের পার্থক্য-১৩০ ঃ ২,০০০=১ ঃ ১৫.৩৮, ২য়-২২৫ ঃ ৩,০০০=১ ঃ ১৩.৩৩, ৩য়-৫০০ ঃ ৬,০০০=১ ঃ ১২, ৪র্থ-৯০০ ঃ ১০,০০০ = ১ ঃ ১১.১১, ৫ম-১,৫০০ ঃ ১৫,০০০=১ ঃ ১০, ৬ষ্ঠ-২,৪০০ ঃ ২৩,০০০=১ ঃ ৯.৫৮, ৭ম-৪,১০০ ঃ ৪০,০০০=১ ঃ ৯.৭৬ এ হলো জাতীয় বেতন স্কেলের নমুনা। ৮ম-৮,২৫০ ঃ ৮৬,০০০=১ঃ১০.৪২ হবে।
১ম জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৭-১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ২,২০৮টি স্কেলকে ভেঙ্গে ১০(দশ)টি স্কেলে পরিণত করে। ১০(দশ)টি স্কেলের মধ্যে প্রথমটি ছিল-২,০০০(দুই হাজার) টাকা নির্ধারিত, ১৪৭০-১৮০০/-, ১১৫০-১৫৭০/-, ৮০০-১৪৭৫/-৪৭৫-১২৫০/-, ৩৭৫-৯৭৫/-, ৩১০-৬৭০/-, ২২০-৪২০/-, ১৪৫-২৭৫/- এবং ১০(দশম)টি ছিল ১৩০-২৪০/-টাকা পর্যন্ত।
২য় জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৭-১৯৭৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান এর সরকার ১০(দশ)টি স্কেলকে ভেঙ্গে ২০(বিশ)টি স্কেলে রূপান্তরিত করেন। ২০(বিশ)টির মধ্যে প্রথমটি হলো-৩,০০০(তিন হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-২২৫-৩১৫/-টা।
৩য় জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৬-১৯৮৫ সালে প্রেসিডেন্ট হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এর সরকার ২০(বিশ)টি স্কেলই ঠিক রেখে  বাস্তবায়ন করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের মধ্যে প্রথমটি হলো-৬,০০০(ছয় হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-৫০০-৮৬০/-টাকা পর্যন্ত।
৪র্থ জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৭-১৯৯১ সালে বি.এন.পি সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ২০(বিশ)টি স্কেলই ঠিক রেখে জাতীয় বেতন কমিশন ঘোষণা করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের প্রথমটি হলো-১০,০০০(দশ হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০ (বিশতম) স্কেলটি হলো-৯০০-১,৫৩০/-টাকা পর্যন্ত। বেগম খালেদা জিয়া ইনক্রিমেন্ট হিসাবে আরো ১০% ভাগ বেতন বৃদ্দি করে যান।
৫ম জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৭-১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ২০(বিশ)টি স্কেলই ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের প্রথমটি হলো-১৫,০০০(পনর হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-১,৫০০-২,৪০০/-টাকা পর্যন্ত। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার(০১-০৭-২০০৩) সাল থেকে ১০% ভাগ হিসেবে মহার্ঘভাতা বেতন বৃদ্দি করেন।
৬ষ্ঠ জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০১-২০০৫ সালে বি.এন.পি. সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ২০(বিশ)টি স্কেল ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের প্রথমটি হলো-২৩,০০০(তেইশ হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-২,৪০০-৪,৩১০/-টাকা।
২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে নতুন পে-স্কেলে বেতন পাবেন যারা-(১) ৮ লাখ ২৮ হাজার সরকারী, আধা-সরকারী ও সায়ত্ত¡স্বাশিত কর্মকর্তা ও কর্মচারী (২) সশস্ত্র বাহিনীর ১ লাখ ৪০ হাজার সদস্য (৩) এমপিওভুক্ত ৫ লাখ ৬০ হাজার বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং (৪) প্রায় ৩ লাখ পেনশন-ভোগী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন যারা পেনশনের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বেশী পাবেন। এরা সবাই তিন ধাপে প্রদত্ত  বর্ধিত বেতনের জন্য মোট খরচ হবে ৩ হাজার ৯শ’ ৭৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রথম ধাপের জন্য ৫শ’ ৬৭ কোটি টাকা, দ্বিতীয় ধাপে(০১-০৭-২০০৫) ১ হাজার ৬শ’ ৪৩ কোটি টাকা এবং তৃতীয় ধাপে(০১-০৭-২০০৬) ১ হাজার ৭শ’ ৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এদের মোট সংখ্যা-১৮,২৮,০০০(আঠার লক্ষ আটাশ হাজার) কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষক। নতুন বেতন স্কেল নিয়ে অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান  ‘‘খুবই সন্তুষ্ট’। তিনি বলেন, গড়ে ৫৩ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে। ‘ইট ইজ টু মাচ’। ০১-০৭-১৯৯৭ সাল থেকে ০১-০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত  সময় হলো  সাড়ে সাত বছর। সাড়ে সাত বছর সময়ে গড়ে ৫৩ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে।
৬ষ্ঠ জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০১-২০০৫ সালে বি.এন.পি. সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ২০(বিশ)টি স্কেল ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের প্রথমটি হলো-২৩,০০০(তেইশ হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-২,৪০০-৪,৩১০/-টাকা।
৭ম জাতীয় বেতন স্কেল ০১-০৭-২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ২০(বিশ)টি স্কেল ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করেন। ২০(বিশ)টি স্কেলের প্রথমটি হলো-৪০,০০০/-(চল্লিশ হাজার) টাকা নির্ধারিত এবং ২০(বিশতম) স্কেলটি হলো-৪,১০০-১৯০-৭,৭৪০/-টাকা।
২০০৯ সালের ৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বেসামরিক-সামরিক চাকুরেদের বেতন-ভাতা দুই-ই বাড়ছে বাস্তবায়িত হবে দুই বছরে। সরাসরি নিয়োগ পাওয়া দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তারা পাবেন টাইম স্কেল। প্রথম বছর অর্থাৎ চলতি জুলাই থেকে বেতনের বর্ধিত অংশ এবং আগামী ২০১০ সালের জুলাই মাস থেকে ভাতার বিভিন্ন অংশ কার্যকর হবে। প্রচলিত ২০টি গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের প্রথম ধাপের পদবিশেষ গড়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেতন এবং বিভিন্ন ধরনের ভাতা গড়ে ৩০ শতাংশ হারে বাড়ানোর বিষয়টি সচিব কমিটি অনুমোদন করেছে। জানা যায়, সচিব কমিটি প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তাদের সরকারিভাবে গাড়ি সরবরাহের পরিবর্তে ব্যক্তিগত পর্যায়ে গাড়ি কেনার জন্য ১৫ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে হবে ১২০ কিস্তিতে এবং প্রতিমাসে রক্ষণাবেক্ষণ ও চালকের বেতনসহ খরচ বাবদ ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। জানা যায়, সচিব কমিটির সুপারিশ এখন অর্থ মন্ত্রণালয় যাচাই-বাচাই করে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠাবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা কার্যকর করা হবে। ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন মন্ত্রিসভায় পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা ১১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ জন। এরমধ্যে প্রথম গ্রেডে সচিব পর্যায়ের রয়েছেন ১৪১ জন, দ্বিতীয় গ্রেডে ২৪২ জন, তৃতীয় গ্রেডে ১,৬৮১ জন, চতুর্থ গ্রেডে ৩,৪০৪ জন, চার গ্রেডে মোট কর্মকর্তা পাঁচ হাজার ৪৬৮ জন, যা মোট সরকারি কর্মকর্তার দশমিক ৪৭ শতাংশ। ৫ম গ্রেডে ৯,৬৪৮ জন, ৬ষ্ঠ গ্রেডে ১৪,০৩৩ জন, ৭ম গ্রেডে ৩১,০৩৪ জন, ৮ম গ্রেডে ২৯,৩৭২ জন, ৯ম গ্রেডে ৪১,৭৫০ জন এবং ১০ম গ্রেডে রয়েছেন ৭৯,৩০০ জন। এ ছাড়া ১১তম গ্রেডে ১,০৪,৪০০ জন, ১২তম গ্রেডে ৫২,৫০০ জন, ১৩তম গ্রেডে ১,০৩,৫০০ জন, ১৪তম গ্রেডে ১,৪০,৬০০ জন, ১৫তম গ্রেডে ১,৩১,০০০ জন, ১৬তম গ্রেডে ১,৫৭,২০০ জন, ১৭তম গ্রেডে ১,৩১,৯০০ জন, ১৮তম গ্রেডে ৬৯,৩০০ জন, ১৯তম গ্রেডে ২৯,২০০ জন ও বিংশতম গ্রেডে ৫১,২০০ জন। প্রতিরক্ষা, স্বায়ত্ত¡শাসিত ও এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ২০(বিশ) লক্ষ হবে। এ জন্য সরকারের বাড়তি খরচ হবে বছরে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চুড়ান্ত সুপারিশে বেসামরিক প্রশাসনের সচিব এবং সামরিক প্রশাসনের জেনারেলের বেতন ৪৫ হাজার টাকা নির্ধারনের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে মূখ্যসচিব ও সামরিক বাহিনীর জেনারেলের বেতন অপরাপর সচিব থেকে ৫০০ টাকার পরিবর্তে দুই হাজার পাঁচশত টাকা বেশি রাখার প্রস্তাব রয়েছে সচিব কমিটির চুড়ান্ত প্রতিবেদনে। মন্ত্রীপরিষদ সভায় ১১-১১-২০০৯ তারিখ বেতন কমিশন অনুমোদন পায়। শতকরা ৯৫ ভাগ কর্মজীবী এ বেতন স্কেলের আওতার বাহিরে-তাদের অবস্থা খারাপ হবে।
২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ চলতি ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের বাজেটে সরকার বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ রেখেছে ১৫ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। এর বাইরে নতুন বেতনকাঠামো বাস্তবায়নের জন্য থোক বরাদ্দ রাখা ছিল তিন হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। নতুন কাঠামো অনুযায়ী কেবল বেতন খাতেই বাড়তি ব্যয় হবে তিন হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। তবে ভাতা কার্যকর হবে আগামী ২০১০-২০১১ অর্থবছর থেকে। এ জন্য ব্যয় করতে হবে আরও দুই হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। সরকারের মোট রাজস্ব বাজেটের মধ্যে বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় হয় সাড়ে ১৯ শতাংশ। নতুন বেতনকাঠামোর কারণে এ হার বেড়ে ২২ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ সরকার প্রতিবছর যে অনুন্নয়ন ব্যয় করছে, তার প্রায় এক-চতুর্থাংশই ব্যয় হবে কেবল সরকারি কর্মকর্তা-কর্সচারীদের বেতন দিতে। অর্থমন্ত্রী এ. এম. এ. মুহিত বলেন প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে তুলনা করলে ঘোষিত বেতনকাঠামো অনেক কম বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। নতুন বেতন নির্ধারণ হওয়ার পর বিচার বিভাগের জন্য থাকছে আরো ৩০ শতাংশ বিশেষ ভাতা। গত চার বছরে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রায় ৩১ শতাংশ।
বি.এন.পি. এবং আওয়ামীলীগ আমলের বেতন স্কেলের তারতম্য হিসেব নিম্নে দেয়া হলো ঃ
জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড ভিত্তিক বৃদ্ধির হার ঃ
গ্রেড বি.এন.পি. ১৯৯১ আওয়ামী লীগ ১৯৯৭ গ্রেড বি.এন.পি. ১৯৯১ আওয়ামী লীগ ১৯৯৭
১ ৬৬.৬৬% ৫০% ১১ ৭২.৫০% ৪৭.৮২%
২ ৫০.৮৭% ৫০% ১২ ৭২.২২% ৫৩.২২%
৩ ৬৪.২১% ৫০% ১৩ ৭৩.৫২% ৫২.৫৪%
৪ ৬৯.০৪% ৫০% ১৪ ৭১.৮৭% ৫২.৭২%
৫ ৭০.১৭% ৫০.৭৯% ১৫ ৭৩.৩৩% ৫১.৯২%
৬ ৭১.২৪% ৫০% ১৬ ৭১.৪২% ৫৬.২৫%
৭ ৭০.৮৩% ৫০% ১৭ ৭৩.০৭% ৫৫.৫৫%
৮ ৭২.৯৭% ৫০% ১৮ ৭৫% ৫৪.৭৬%
৯ ৭৮.১২% ৫০.৮৭% ১৯ ৭৭.২৭% ৬০%
১০ ৭০.৩৭% ৪৭.৮২% ২০ ৮০% ৬৬.৬৬%
২০১০ সালের ৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীদের, প্রতিমন্ত্রীর, উপমন্ত্রীর ও সাংসদদের বেতন-ভাতা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির মূল বেতন ৩৩,৪০০ হাজার থেকে ৬১,২০০ হাজার টাকা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ৩২,০০০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫৮,৫০০ টাকা করা হয়েছে, মন্ত্রীদের ২৯,০০০ হাজার থেকে ৫৩,০৭০ টাকা করা হয়েছে, প্রতিমন্ত্রীদের ২৬,১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৭,০০০ হাজার করা হয়েছে, উপমন্ত্রীদের ২৪,৬৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫,২০০ টাকা করা হয়, স্পিকারের ৩১,২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ হাজার টাকা করা হয়, ডেপুটি স্পিকারের ২৯ হাজার থেকে ৫৩,০৭০ হাজার টাকা, সংসদ উপনেতার ২৯ হাজার থেকে ৫৩ হাজার টাকা, হুইপের ২৬ হাজার থেকে ৪৯,৪১০ টাকা কার প্রস্তাব করা হয়েছে ও বর্তমানে একজন সাংসদ মাসিক ১৫ হাজার টাকা সম্মানীসহ ৩৪,২০০ টাকা পান। প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা কার্যকর হলে সব মিলিয়ে পাবেন মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা এবং এর বাইরে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে আরও ৪০ হাজার টাকা পাবেন।
২০১৪  সালের ৩ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সরকারী কর্মকর্তাদের নতুন বেতন-স্কেল আগামী অর্থবছরে ২০১৪-২০১৫ সালের জুলাই থেকে কার্যকর হবে-প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বেতন ও চাকরি কমিশনের সুপারিশ পেলে আগামী অর্থবছরে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য নতুন বেতন-ভাতার স্কেল ঘোষণা করা সম্ভব হবে। অন্তবর্তীকালীন ব্যব্স্থা হিসেবে সরকার ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০ ভাগ মহার্ঘ ভাতা চালু করেন। ৩১-০৩-২০১৪ তারিখ সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তথ্য জানান।
২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর, প্রথম আলো : ৫০% পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ। জাতীয় চাকরি ও বেতন কমিশনের প্রস্তাব-সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিমাসুবিধার আওতায়আনার সুপারিশ। বেতন কমিশন গঠিত হয় ২৪-১২-২০১৩ তারিখ এবং ২১ ডিসেম্বর পে-কমিশনের রিপোর্ট অর্থমন্ত্রীর কাছে পেশ।  ১৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ৮৬,০০০:৮,২৫০=১০.৪২:১ ও ৮২,০০০:৮,২৫০=৯.৯৪:১ ভাগ।  ৭৮,০০০: ৮,২৫০=৯.৪৫:১ ভাগ। কেবিনেট সচিব, মূখ্য সচিব=৮৬,০০০ ও সিনিয়র সচিবদেরকে ৮২,০০০/- আরো চার হাজার টাকা ভাতা হবে সচিবদেরকে।
২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রায় ১৪ লাখ। কিছু নতুন সুপারিশ : এবারের প্রতিবেদনে নতুন কিছু সুপারিশ এসেছে। মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, অন্যতম সুপারিশ হচ্ছে শ্রেণি বাদ দেওয়া। বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবীরা কর্মকর্তা বলে পরিচিত। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা পরিচিত কর্মচারী হিসেবে। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করেছে। নতুন ব্যবস্থাটি হতে পারে পদোন্নতির মাধ্যমে। সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ১৫ বছরে দ্বিগুণ হতে হবে। স্বেচ্ছা অবসরের বয়স ২৫ বছরের পরিবর্তে ২০ বছর করা হয়েছে। বর্তমানে পিআরএল এর পরিবর্তে আবার এলপিআর পদ্ধতিতে যাওয়া যেতে পারে। তাঁদের পেনশনের পরিমাণ ৮০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশে। যারা সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁদের নীতিনির্ধারণী ও সমন্বয়ের কাজে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। এর স্বীকৃতিস্বরুপ ৫ শতাংশ হারে অর্থাৎ তাঁদের আরও চার হাজার টাকা অতিরিক্ত বেতনের সুপারিশ করা হয়।
২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : জাতীয় বেতন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর করতে গেলে সরকারের বাড়তি খরচ হবে ২১ হাজার কোটি টাকা। বেতন-ভাতা বাবদ বর্তমানের তুলনায় ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যয় বাড়বে। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ও ভাতার জন্য ২৮ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে কর্মকর্তাদের বেতন-৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা, প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের জন্য বেতন-১০ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা এবং ভাতা বাবদ বরাদ্দ ১৫ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেতন, ভাতা ও পেনশন দিতে সরকারের ৬০ হাজার কোটি টাকা সরকারকে খরচ করতে হবে।
২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : পেনশনের নতুন হার : চাকরির বয়স ৫ বছরের ক্ষেত্রে পেনশনের হার শেষ বেতনের ২০ শতাংশ সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬ বছরের ক্ষেত্রে ২৪, ৭ বছরের ক্ষেত্রে ২৮, ৮ বছরের ক্ষেত্রে ৩২, ৯ বছরের ক্ষেত্রে ৩৬, ১০ বছরের ক্ষেত্রে ৪০, ১১ বছরের ক্ষেত্রে ৪৪, ১২ বছরের ক্ষেত্রে ৪৮, ১৩ বছরের ক্ষেত্রে ৫২, ১৪ বছরের ক্ষেত্রে ৫৬, ১৫ বছরের ক্ষেত্রে ৬০, ১৬ বছরের ক্ষেত্রে ৬৪, ১৭ বছরের ক্ষেত্রে ৬৮, ১৮ বছরের ক্ষেত্রে ৭২, ১৯ বছরের ক্ষেত্রে ৭৬, ২০ বছরের ক্ষেত্রে ৮০, ২১ বছরের ক্ষেত্রে ৮২, ২২ বছরের ক্ষেত্রে ৮৪, ২৩ বছরের ক্ষেত্রে ৮৬, ২৪ বছরের ক্ষেত্রে ৮৮ এবং ২৫ বছর ও তার বেশির ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ।
নতুন সুপারিশে বাধ্যতামূলকভাবে সমর্পিত ৫০ শতাংশ পেনশনের ক্ষেত্রে আনুতোষিকের হার করা হয়েছে ৫ বছর বা তার বেশি এবং ১০ বছরের কম সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৭৫/- টাকা। ১০ বছর বা তার বেশি এবং ১৫ বছরের কম সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৬০/- টাকা। ১৫ বছর বা তার বেশি এবং ২০ বছরের কম সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৪৫/- টাকা এবং ২০ বছর বা তার বেশি সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৩০/- টাকা।
বর্তমানে ছিল : পেনশনের ৫০ শতাংশ বাধ্যতামূলক সমর্পণের ক্ষেত্রে আনুতোষিকের হার ১০ বছর বা এর বেশি এবং ১৫ বছরের কম সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৬০/- টাকা। ১৫ বছর বা এর বেশি এবং ২০ বছরের কম সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৪৫/- টাকা এবং ২০ বছর বা এর বেশি সময়ের ক্ষেত্রে প্রতি ১/- টাকায় ২৩০/- টাকা।
২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে ৮ম জাতীয় বেতন কমিশনের রিপোর্ট: গত ১লা জুলাই, ২০১৫ তারিখ থেকে কার্যকরী করেছে-হাসিনা বলেছিল সংসদে আগামী ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৮ম বেতন কমিশনে বেতন পাবেন সবাই। তারপর আবার বলেছিল সংসদে দাঁড়িয়ে ২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কার্যকরী করব। তাঁদের কথা এবং কাজ যদি ঠিক না হয় তা’হলে রাষ্ট্রের কাজ তারা কীভাবে ঠিকভাবে করবে।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : ২১ লাখ চাকরিজীবীর বেতন বাড়ল। এর মধ্যে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩০(ত্রিশ) হাজার এবং প্রায় পৌঁনে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত। ১লা জুলাই, ২০১৫ তারিখ থেকে বেতন বৃদ্ধির ফলে  চলতি অর্থবছরে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে ১৫ হাজার ৯০৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এই অর্থবছরে বেতন-ভাতা খাতে ৬০ হাজার ৩৫৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা লাগবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেতনের সাথে ভাতা যুক্ত হওয়ায় আগামী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে অতিরিক্ত খরচের পরিমাণ হবে-৯ হাজার ৮২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। তখন জাতীয় বেতন স্কেল পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে মোট খরচ হবে-৬৯ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। ২০(বিশ) থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত মূল বেতনের ৫% ০১-০৭-২০১৫ তারিখ থেকে কার্যকর হবে। ৫ম গ্রেড মূল বেতনের ৪.৫% পাবেন, তিন ও চার নম্বর গ্রেড পাবেন-৪%, ২ নম্বর গ্রেড পাবেন-৩.৭৫% ও ১ নম্বর গ্রেড প্রবৃদ্ধি হবে না। বাংলা নববর্ষে মূল বেতনের ২০% ভাতা পাবেন সবাই। এ খাতে সরকারের খরচ হবে-৫৫০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সচিব কমিটিও মনে করে, দেশের ৫ লাখ ২০ হাজার পেনশনভোগীর পেনশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অর্থ বিভাগের আওতায় একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর সৃষ্টি করা যেতে পারে। পেনশন খাতে অতিরিক্ত অর্থ লাগবে ৩ হাজার ৬৯১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। অন্যান্য ভাতা প্রসঙ্গ : কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা একই রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কর্মচারীদের বক্তব্য হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তাদের বিনা সুদে ৪৫ লাখ টাকা গাড়ি কেনার জন্যঋণ দেওয়া হয় এবং সেটি রক্ষণাবেক্ষণে তাঁরা ৪৫ হাজার টাকা পান। কিন্তু কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণ থাকছে, যা বৈষম্যমূলক। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গৃহঋণ ও গাড়ি কেনার ঋণ যেমন আছে, তেমনই থাকবে। তবে এগুলো পর্যালোচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ ১৫ সাংবিধানিক পদে বেতন প্রায় দ্বিগুণঃ নতুন বেতন-ভাতার প্রস্তাব অনুমোদন। (১) রাষ্ট্রপতি আগে পেতেন-৬১ হাজার ২০০ আর নতুন ১ লাখ ২০ হাজার। প্রধানমন্ত্রী-আগে ৫৮ হাজার ৬০০ নতুন ১ লাখ ১৫ হাজার। স্পিকার আগে-৫৭ হাজার ২০০ নতুন-১ লাখ ১২ হাজার। প্রধান বিচারপতি আগে-৫৬ হাজার নতুন ১ লাখ ১০ হাজার।
২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৮ম বেতন স্কেলে বেতন নিয়ে স্বস্তির বদলে অস্থিরতা ঃ প্রজাতন্ত্রের ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ব্যাংক, বিমা, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় ২১ লাখ। ২১ লাখের একটি বড় অংশ এখন পর্যন্ত ক্ষুব্ধ বা অসন্তুুষ্ট। তবে এদের মধ্যে এমপিওভুক্ত (বেতনের শুধু সরকারি অংশ পাওয়া) পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর অসন্তোষ কমেছে।
আন্দোলনে থাকা সরকারি ও স্বাত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংখ্যা-১২,০৪৭ জন, সরকারি কলেজের শিক্ষকের সংখ্যা-(শিক্ষা ক্যাডার) ১২ হাজার। এ ছাড়া প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসকসহ ২৬ ক্যাডারে আছেন প্রায়-১ লাখ। এর বাইরে প্রশাসন ক্যাডারে আছেন-৫ হাজার ৪৫১ জন কর্মকর্তা, যাঁদের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
স্মরণীয় বাণী ঃ
পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ২,৪০,০০০(দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) মাইল দূর।
অতএব এ পৃথিবী এবং পৃথিবীর এ মানুষ থাকছে, থাকবে।
পৃথিবীর পৃষ্ঠের মোট আয়তন ৫১,০১,০০,৫০০ বর্গকিলোমিটার।
পৃথিবী ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে।
এ সময়ে পৃথিবীর গতিবেগ থাকে প্রতি ঘন্টায় ১,০৭,২২৬ কিলোমিটার।
পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ২৩-ঘন্টা ৫৬ মিনিট একবার আবর্তন করে।
পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দুরত্ব ঃ ৪,৮৪,৪০০ কিলোমিটার।
পৃথিবীর জীবন্ত আগ্নেয়গিরির সংখ্যা-৪৮৬টি।
মুঘল শাসনামলে বাংলাসুবা ১৯টি সরকারে বিভক্ত ছিল।
মুঘল আমলে বাংলা সুবার মোট ৬৮২টি পরগনা ছিল।
ষোড়শ শতকে ইউরোপে ধনতন্ত্রের আবির্ভাব লগ্ন থেকেই শ্রমজীবী মানুষদের লড়াই করতে হয়েছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং নিজেদের অধিকারের ক্ষেত্র স¤প্রসারিত করতে।
ষোড়শ শতকে শেরশাহ তার প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে এবং ঘোড়ার ডাকের প্রচলনের সুবাদে দিল্লী (পাঞ্জাবের অধীনে ছিল) থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১,৭০০(এক হাজার সাতশত) মাইল দীর্ঘ একটি রাজপথ নির্মাণ করেছিলেন। ইতিহাসখ্যাত এ পথের নাম গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড। সোনারগাঁওয়ের আমিনপুর থেকে শুরু হয়ে মেঘনা পাড় হয়ে রাজপথ কামরুপ হয়ে দিল্লী পর্যন্ত বি¯তৃত ছিল। সোনারগাঁওয়ের আমিনপুর হয়ে মোগড়াপাড়ার সামনে দিয়ে উদ্ধবগঞ্জ বাজার থেকে বৈদ্যের বাজার পর্যন্ত কেবল এ রাস্তাটির অস্তিত্ব টিকে আছে। ক্রমাগত নদী ভাঙ্গন এবং ভূমির বিবর্তনের ফলে গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের অস্তিত্ব এখন খুঁজে পাওয়া দুস্কর। কলকাতা থেকে দিল্লী(তখন পাঞ্জাব প্রদেশের অধীনে দিল্লী ছিল) পর্যন্ত এখনও গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড চালু আছে।
পশ্চিমবাংলার নীলমনি মিত্র, প্রথম ডিগ্রীধারী বাঙালী ইঞ্জিনিয়ার। ১৮৯৪ সালের ২ আগস্ট, প্রথম বাঙালী স্থপতি নীলমনি মিত্রের মৃত্যু।
এ যাবতকালের ইতিহাসই শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস। না, আদিম সাম্যবাদী সমাজ বাদে শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস।-এঙ্গেলর্স।
আর সাধারণ শ্রেণী কি? সমাজের একাংশের শ্রমকে অপর অংশ আত্মসাৎ করতে পায় যাতে তাই হল শ্রেণী। ভ. ই. লেনিন-পৃষ্ঠা-১৮৩ রচনা সংকলন-৪র্থ খন্ড।
পৃথিবীর সকল সম্পত্তিতে সকল মানুষের অধিকার সমান।-লেনিন।
বিজ্ঞানীদের তথ্য ঃ চা পানে বার্ধক্য কমায়।
বিশ্বে সিগারেট তৈরী হয় ১২০টি দেশে।
বিশ্বের ৯টি দেশ পারমাণবিক শক্তিধর; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০(দশ) হাজার এবং ইসরাইলের ৪০০(চারিশত) পারমাণবিক অস্ত্র আছে।
ইন্দোনেশিয়া-১৩,৬৬৭(তের হাজার ছয়শত সাষস্টি) দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
রাশিয়ার স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়। ভবনটি ৩২-তলা, কক্ষ-৪০ হাজার।
বৃটেন থেকে চীনে ৭,০০০ হাজার মাইল ট্রেন যাত্রার পথ।
বিশ্বের ১০০ ভাগ পানির মধ্যে ৯৪ ভাগ সাগরের; ১ ভাগ নদীর; ২ ভাগ মাটির নীচের; ২ ভাগ হিমালয়-এর বরফ থেকে এবং বাতাস ও জলবায়ু  থেকে ১ ভাগ।
সংঘাত ও দ্ব›েদ্বর মধ্য দিয়ে প্রগতি ঘটে।-কার্ল মার্ক্স।
একটি তিমিমাছের ওজন প্রায়-১৫০ টন; লম্বা প্রায়-১০০ ফুট; বাচ্চার ওজন-১৫০ মন।
৪৩৬(চারশত ছয়ত্রিশ) বর্গফুটে ১(এক) শতক। ১০০(একশত) শতকে এক একর। ২৫০(দুইশত পঞ্চাশ) শতকে ১(এক) হেক্টর। ৬৪০(ছয়শত চল্লিশ) একরে বা ২৫৬(দুইশত ছাপ্পান্ন) হেক্টরে এক বর্গমাইল। ১০,০০০০০(দশ লক্ষে)=১(এক) মিলিয়ন, ১০০(একশত কোটিতে)=১(এক) বিলিয়ন, ১,০০,০০০(এক লক্ষ কোটিতে)=১(এক) ট্রিলিয়ন।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে; এশিয়ার ভবিষ্যৎ ভয়াবহ।
সর্বোচ্চ উচু পর্বতের নাম হিমালয়; উচ্চতা ২৯,০৩৫ ফুট।
বাংলাদেশে ৭ লক্ষ তাঁতীর মধ্যে ২০০২ সালে প্রায় ৩ লক্ষ তাঁতী আছে।
পৃথিবীতে ৪০,০০০(চল্লিশ হাজার) প্রজাতির চাল আছে!
বাংলাদেশে ১৬০-ধরণের নৌকা আছে।
বাংলা ভাষায় বর্ণের সংখ্যা-৫০টি, বাংলা ভাষায় মাত্রাহীন বর্ণ-১০টি, বাংলা ভাষায় স্বরধ্বনির সংখ্যা-১১টি, বাংলা বর্ণমালায় ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা-৩৯টি।
নদীভাঙ্গনে বাংলাদেশে বছরে ১০(দশ) লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ২০০৩ সাল পর্যন্ত ১ (এক) কোটি লোক নদীভাঙ্গনের স্বীকার।
এক মাঘে শীত যায় না।” বাংলা প্রবাদ।
‘যৌবনে ঠিক না হলে বুড়ো ভয়সে কেউ ঠিক হয় না।’ আফ্রিকান প্রবাদ।
‘কিছু না দিয়ে কিছু চেয়ো না।’ আলবেনীয় প্রবাদ।
‘সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধটি আমাকে করতে হয় স্ত্রীর সঙ্গে।-মোহাম্মদ আলী (১৯৪২-) মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা।
যদি সুখের বিয়ে করতে চাও, তাহলে সমান কাউকে বিয়ে করো। ওভিদ (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩-১৭), রোমান মহাকবি।
সহমর্মী স্ত্রীই পুরুষের শ্রেষ্ঠ সম্বল।-ইউরিপিডিস (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮৪-৪০৬), গ্রিক নাট্যকার।
যদি না জান, তাহলে নিজেকে বল যে তুমি জান না। আর যদি জান তাহলে বল যে তুমি জান-এটাই জ্ঞান।-কনফুসিয়াস (খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫১-৪৭৯)।
শরীরের ওজন বাড়লেই বিপদ?
সমাজে একটা কথা প্রচলণ আচে যে, বাঘে ছূলে ১৮(আঠার) ঘাঁ আর পুলিশে ছূলে ৩৬(ছয়ত্রিশ) ঘাঁ।
মাকড়সার কামড়ে রোগ ছড়ায় না। অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন চিকিৎসক এ তথ্য জানিয়েছেন।
যার কাছে গোপন কথা বলা হয়, আপনার স্বাধীনতাটুকু তার কাছেই গচ্ছিত থাকে।-প্রবাদ
তিনজন মিলে একটি কথা গোপন রাখতে পারে, যদি দু’জনই হয় মৃত। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন
অত্যাচারীকে অত্যাচারের প্রতিফলন ভোগ করতেই হবে।
ভদ্রলোক সেই, বড় সেই, যে সত্যের উপাসক।
বর্তমান সময়কে কাজের উপযুক্ত সময় মনে করবে। আর.জি. ইন্টার সোল।
নিজের বিপদের কথা সত্রæকে বলো না, সে মুখে দুঃখ প্রকাশ করবে আর অন্তরে উল্লাসবোধ করবে।
যা তুমি স¦য়ং করোনা বা করতে পারনা, তা অন্যকে করতে উপদেশ দিওনা। হযরত আলী রা.।
একজন ঘুমন্ত ব্যক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্র্রত করতে পারে না।-শেখ সাদী।
বাঘের উপর দয়া করা ছাগলের উপর জুলুম করার নামান্তর।-শেখ শাদী রা.।
যার ঘুম নেই তার মতো দুঃখী নেই।
বড় হতে হলে সর্বাগ্নে সময়ের মূল্য দিতে হবে।
যে কখনো কিছু পায়নি, সে বঞ্চিতদের দুঃখ বুঝবে।-রবার্ট হেনরীক।
যেখানে বিচার আছে-সেখানে স্বাধীনতা আছে।-পুটাস।
যে নিজেকে অপমানিত হতে দেয়-সে অপমানিত হওয়ার যোগ্য।-কোরনেন্ড।
যে নিজের জন্য বেশী চিন্তা করে, সে দেশের জন্য কিছুই করতে পারে না।-
যাকে শ্রদ্ধা করা যায় না, তাকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসা যায় না।- অসৎ ব্যক্তি সৎ ব্যক্তির কাজের মধ্যে কোন মহত্ব খুঁজে পায় না।-আলমগীর।
অহংকার এমন এক আচরণ যা মানুষের সকল মহত্ব আবৃত করে ফেলে।-জাহাবী।
সময় বেশী গেলেও ধৈর্য সহকারে কাজ করলে, তাহলেই প্রতিষ্ঠা পাবে।-
মনোযোগ প্রতিভার উদ্রেগ করে।-
চীনে “এক শিশু” নীতি। ১৯৮০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিল।
একটি ভাল কাজ কখনো হারিয়ে যায় না।-
দূরত্বকে অতিক্রম করার মত সাহস ও শক্তি না থাকলে, দূরত্বকে দূরত্বই মনে হবে।
প্রতারনা হচ্ছে বিষাক্ত পানিরমতো, যেদিক দিয়ে যাবে সেদিকেই ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে।
পরিবেশ মানুষকে যে শিক্ষা দেয়, পাঠ্যপুস্তক তা দিতে পারে না।-মার্ক টোয়েন।
আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি না বলে-শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না।
সাহসিকতার মধ্যেই রয়েছে মুক্তি ও স্বাধীনতা।
জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে  কী পেলাম সেটাই বড় প্রশ্ন নয় বরং কী করেছি  সেটাই মুখ্য প্রশ্ন।
আপনি কি ১০০(একশত) বছর বাচতে চান? তা’হলে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খান। অন্যকিছু দিয়ে পেট ভরাবেন না, প্রচুর ঘুমাবেন এবং সহজভাবে নেন।
প্রয়োজন মানুষকে শেখায় নতুন সংরক্ষণ কৌশল।
সেই কবে বঙ্কিম বাবু বলেছিলেন যে-“আইন সেতো তামাসা মাত্র। বড়লোকরাই পয়সা খরচ করিয়া সে তামাসা দেখিতে পারে। সেই কথা আজো সত্যি। মরেতো আমার আপনার মতো লোকেরাই।”
লিখতে গিয়ে মনে পড়ছে যে-২০০ বছরের বেশি আগে বিলেতের লর্ড চেষ্টারফীল্ড
বলেছিলেন যে, বিবাহ এবং ধর্মবিশ্বাস এ দু’টোর ব্যাপারে কাউকে পরামর্শ দিতে তিনি নারাজ
কারণ ইহজীবনে আর পরজীবনে কারোর যন্ত্রণার দায়িত্ব নিতে তিনি তৈরী নন।
মুষ্টিমেয় মানুষের উন্নতি হলে সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে বাধ্য।
যে দেশে লাখ টাকায় একখানা লেহেঙ্গা বিক্রি হয়-সে দেশের মানুষ শীতে ও না খেয়ে মরে।
ভারত বিশ্বের সর্ববৃহত স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ।
বিশ্বের অর্ধেক অনাহারী মানুষই বাস করে ভারতে।
সুস্থ হার্টের জন্য হাটুন-ক্লোনিং-এর মাধ্যমে বার্ধক্য জয়।
অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করেনা। সকলকেই সে নিজের মত ভাবে।
মন খুলে যে হাসতে পারে না, সে পৃথিবীর সবচেয়ে অসূখী ব্যক্তি।
দুর্নীতি এখন সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে-প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দিন  আহমেদ।
যে বিবেকের শাসনকে অস্বীকার করে কাজ করে, শিগগিরই সে বিবেকের কাছে নতি স্বীকার
করে।
স্বচেতন লোকের  অসংখ্য চোখ আছে-সেনেভার।
জ্ঞান উত্তম, কারণ জ্ঞান বিতরণে বাড়ে, কিন্তু স¤পদ বিতরণে কমে।
বড় হতে হলে সর্বাগ্রে সময়ের মূল্য দিতে হবে।
কেবল আইন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না-প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
শিশুর ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী তাকে শিক্ষা দেয়া উচিত। তবেই সে একদিন কালজয়ী বিশেষজ্ঞ
হবে।
স¤পদ মানুষের মধ্যে শক্রতার সৃষ্টি করে। কিন্তু জ্ঞান মানুষকে বন্ধুতে পরিণত করে।
গুন থাকলেও চেষ্টা না করলে এ জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায় না।-
প্রজাদের অবজ্ঞা করে রাজা কখনো সম্মান পেতে পারে না।
প্রাপ্যের অতিরিক্ত যে আশা করে তাকে নিরাশ হতে হয়-হযরত আলী(রা.)।
বিখ্যাত লোকদের শুধু প্রসংশাই করবে না, তাদের অনুসরণও করবে।-আলমগীর।
তিনটি বিশেষ সময়ে তিন প্রকারের লোকের বিশেষ প্রয়োজন দেখা যায়-যুদ্ধে বীর পুরুষের
প্রয়োজন, ব্যাপক সঙ্কটের সময় ধৈর্যশীল লোকের প্রয়োজন ও বিপদে ভাইয়ের মত লোকের
প্রয়োজন।
যে মানুষকে সমাদর করে, চরিত্র ও মহত্ব যার গৌরব-তিনিই উত্তম।
বিনা পরিশ্রমে যা অর্জন করা যায় তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।-
জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। তোমার সমস্ত কাজ ঠিক সময়ে শেষ করতে হবে।-
একজন জনপ্রিয় লোক ভাল মানুষ নাও হতে পারে, আর একজন ভাল মানুষ জনপ্রিয় নাও হতে পারে।-
শব্দের তীব্রতা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর।
ইউরোপের রুগ্ন ব্যক্তি তুরস্ক।
ভারতে ৭,০০০(সাত হাজারের) বেশি শহর ও ৬(ছয়) লাখ গ্রাম আছে।
আদম ও ইভের বয়সের পার্থক্য হলো-৮৪,০০০ হাজার বছর।
সরকারই সবচাইতে বড় মাস্তান।-ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন-১২-০৯-১৯৯৭ সালে।
সামরাজ্যবাদ কাকে বলে ঃ পুঁজির সর্বোচ্চ স্তরকে।
বুর্জোয়া কাকে বলে ঃ ফ্রান্সের ভাষায়, ধনীদেরকে।
রাজনীতি কাকে বলে ঃ রাষ্ট পরিচালনার যে নীতি তাকে রাজনীতি বলে এক কথায়।
রাষ্ট্র কাকে বলে ঃ রাষ্টের একটা নির্দ্দিষ্ট ভূখন্ড, একটা আমলাতন্ত্র, একটা পুলিশ বাহিনী, একটা স্ট্যান্ডিং আর্মী-এর বাহিরে রাষ্ট্রের কোন উপাদান পাওয়া যায়না।
রাষ্ট্রে একটি সরকার থাকে, সরকার যায়-আসে কিন্তু রাষ্ট্র ঠিকই থাকে।
দুর্নীতি, অপরাধ ও রাজনীতির মধ্যে রহিয়াছে যোগসূত্র।
ক্লোনিং পদ্ধতিতে মানুষের অনুরূপ মানুষ তৈরী নিষিদ্ধ করার আহবান।
চীনে মাটি ছাড়া আলু  উৎপাদনের নয়া পদ্দতি। হারবিন হইতে সিনহুয়া।
আপস এবং সমঝোতাই জীবনকে সুন্দর করে।-সিডনি স্মিত।
অতিভোজন থেকে সব সময় বিরত থাকুন। বরং পরিমাণে বারবার খাদ্য গ্রহণের চেষ্টা করুন। এটাই স্বাস্থসম্মত।
ক্রুদ্ধ অবস্থায় নেয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর না করাই শ্রেয়।-বার্নার্ড ’শ।
ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা।-টমাস ফুলার।
সেই সত্যিকারের মানুষ যে নিজের দোষত্রæটি অন্যকে দিয়ে বিচার করে।-লর্ড হ্যালিফক্স।
পাহাড়ের উপর যার অবস্থান তাকে কখনো লুকিয়ে রাখা যায় না।-ব্রনসন।
ক্ষুধার্ত মানুষ কখনো স্বাধীন মানুষ হতে পারে না।-স্টিভেনসন।
যে সব জায়গায় আছে-সে কোন জায়গায় নেই।-টমাস ফুলার।
একজন পীড়িত ব্যক্তি তার পীড়ার কথা ছাড়া কিছুই বলতে ভালোবাসে না।-স্যামুয়েল জনসন।
ধনলিপ্সা মানব মনের সুকুমার বৃত্তিগুলো নষ্ট করে দেয়।-টমসন।
যার বাড়িতে একটি লাইব্রেরী আছে, মানসিক ঐশ্বর্যের দিক দিয়ে সে অনেক বড়।-হেনরিক ইবসেন।
নিয়মানুবর্তিতা আরো দশটা কাজ বেশী করার পথ দেখায়।-অস্কার ওয়াইল্ড।
যার মাথার উপর ছাদ আছে, তার শান্তি আছে।-জনওয়েল।
প্রশ্ন থেকেই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের উৎপত্তি।-প্লেটো।
ক্ষমা এবং আপসই শান্তির পথ।-ল্যামারাস।
মাছের তেল হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যু ঝুঁকি কমায়।-স¤প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন ওয়াশংটননের চিকিৎসকরা।
তোমার কর্তব্যজ্ঞানই তোমার নেতা।-কাজী নজরুল ইসলাম।
মঙ্গলগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব খোঁজা স্পিরিটের সাধ্যের বাইরে-এ  তথ্যের পক্ষে প্রমাণ খুঁজতে গিয়ে নাসার স্পিরিট রোভার ৪৮ কোটি ৩০ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়ার পর এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন এ ধরনের প্রমাণ হয়তো পাওয়া যাবে।
ইতিহাস সব কিছুই শিক্ষা দেয়, এমনকি ভবিষ্যতও।-ল্যাসাটিন।
একজন পিতা একশ’ স্কুল শিক্ষকের চেয়ে বেশী।-জর্জ হার্বার্ট।
সবলেরা ভাগ্যকে নির্মাণ করে।-কিথ টমাস।
কোন জাতির প্রচারপত্রের নমুনা দেখে সে জাতির আদর্শের কথা বলা যেতে পারে।-ডগলাস।
মানুষকে যে আপন করতে পারে না জীবন সম্পর্কে তার ধারণা অপরিপক্ব থাকে।-ক্যাম্বেল।
মানুষকে জানো এবং তাকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে শেখ।-শেলী।
দুর্ভাগ্যের শিক্ষালয়েই নিয়মানুবর্তিতা শিখতে হয়।-মহাত্মা গান্ধী।
সুন্দর পরিবেশই মানুষকে সুখ দিতে পারে।-ফিলিপ হেনরি।
ভদ্রতার গুণেই মানুষ আপনজনদের মাঝে প্রিয় হয়ে ওঠে।-টমাস হার্ডি।
ক্ষুধার্ত ও কর্মহীন মানুষ পরাধীনতার পরিচায়ক।-ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট।
আমাদের চরিত্র হচ্ছে আমাদেরই আচার-আচরণের ফল।-অ্যারিষ্টটল।
আজকের সাথে গতকালের পার্থক্য থাকবেই।-স্মিথ।
ক্রোধ দমন বা নিয়ন্ত্রণ করা একটি মহৎ গুণ।-মেনকেন।
জ্ঞানদানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ দান আর নেই।-ডা. লুৎফর রহমান।
কর্তব্য মনে করে অপরাধমুক্ত হও, ভয়ের কারণে নয়।-ডেমোক্রিটাস।
প্রবাদ হচ্ছে সংক্ষিপ্ত বাক্যাংশ, যা খুব বড় অভিক্ষতা থেকে আহরণ করা হয়েছে।-উইলিয়াম পেন।
প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতিবেশী হলো তার মুখ দেখবার আয়নাবিশেষ।-জেমস হাওয়েল।
যে সুন্দর করে কথা বলতে পারে তার প্রতি মানুষের আকর্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয়।-জ্যাকুইন মিলার।
প্রতিভাবান লোকদের চরিত্রে কিছুটা রহস্যময়তা থাকে।-উইলিয়াম মাম।
লোকে যদি তোমাকে অভদ্র বলে তবে তোমার শিক্ষা, আভিজাত্য ও অর্থ-সম্পদ মূল্যহীন। -জি. জে. নাথান।
বার্ধক্য ঐশ্বর্যমন্ডিত হলেও তা দুঃখবহ।-জনক্লার্ক।
সৎ পরামর্শের চেয়ে কোন উপহার অধিক মূল্যবান নয়।-এমারসন।
সমাজই ধনী-গরিব সৃষ্টি করে, সৃষ্টিকর্তা নয়।-কার্ল মার্কস।
পৃথিবীতে নগ্ন হিসেবে জন্ম নিয়েছি, নগ্নই আবার ফিরে যাবো।
ভাল কাজ করলে ইহলোক ও পরলোক কোথাও তার বিনাশ হতে পারে না।
টাকা সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।-আর্থার হুগ।
টাকার প্রশ্নে সবাই এক ধর্মাবলম্বী।-ভলতেয়ার।
ইতিহাস এমন একটি বিষয় যা কখনো ঘটেনি এবং এমন লোকের দ্বারা লিখিত যে কখনো সেখানে ছিলো না।-যাযাবর।
একজন লোভী মানুষকে আমরা সবাই ঘৃণা করি।-জন রে।
দাসত্ব যদি অন্যায় না হয়, তবে পৃথিবীতে অন্যায় বলে কিছু নেই।-আব্রাহাম লিংকন।
দুশ্চিন্তা ছাড়া সুচিন্তার অবকাশ নেই।-অপ্সাত।
আইনের চেয়ে অধিকার অনেক শ্রেয়।-স্যার লিউস মরিস।
আগে কাজ করো তারপর বিশ্রাম নাও।-রাসকিন।
ধর্মীয় গোঁড়ামি সবচেয়ে মারাত্মক।-আবুল ফজল।
পরিমাপ করে খাদ্য খাও, কিন্তু পরিমাপ করে পানি পান করো না।-অলটন।
বিচ্ছেদ হঠাৎ করে হওয়াই শ্রেয়।-ডিজরেইলি।
বিশ্বাস যেখানে আছে, সেখানে কৌশল খাটানো উচিত নয়।-হুইটিয়ার।
পৃথিবীতে দুটি কাজ খুব কঠিন। একটি হচ্ছে নিজের জন্য খ্যাতি অর্জন করা এবং অন্যটি হচ্ছে সেটাকে ধরে রাখা।-রবার্ট সুম্যান।
পৃথিবীতে ধর্ম অনেকগুলো, কিন্তু নৈতিকথা একটিই।-রাসকিন।
যিনি সৎ চিন্তা করেন, তিনি স্বর্গে বাস করেন।-টমাস ব্যান্ডলক।
প্রয়োজনের তাগিদ ধৈর্য ধরতে জানে না।-চালর্স ডালমন।
মানবতাই মানুষের একমাত্র ধর্ম হওয়া উচিত।-বার্ট্রান্ড রাসেল।
মানবচিন্তার অগ্রগতিই আমার কাছে সৃষ্টিকর্তার একমাত্র অবতীর্ণ বাণী।-ফ্রাংক হ্যারিস।
মানুষের ইচ্ছাপূরণ হয় না বলেই পৃথিবীতে এতো উত্তেজনা।-শংকর।
যার শুরু খারাপ, তার শেষও কারাপ।-ইউরিপিডিস।
তোমার পাশে দেয়াল আছে, কথা সাবধানে বলো।-শেখ সাদি।
যে ন্যায়ের পক্ষে, সে সত্যের পক্ষে।-রাহুল সাংস্কত্যায়ন।
প্রত্যেক বিচ্ছেদে বা বিদায়ে মৃত্যুর প্রতিবিম্ব রয়েছে।-ইলিয়ট।
ফ্যাসন কোন হুজুগ নয়, সময়ের দাবী।-জাঁজাক রুশো।
কোনো সুসভ্য মানুষ আনন্দকে বয়কট করে না।-অস্কার ওয়াইল্ড।
চেনা পথ আঁকাবাঁকা ভালো, অচেনা পথ সোজাও ভালো নয়।-সক্রেটিস।
ওষুধ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নতুন রোগের সৃষ্টি করে।-ভার্জিল।
কৃপন যতই ধনী হোক লাঞ্ছিত হবে, দানশীল যতই গরিব হোক বাঞ্ছিত হবে।-অ্যারিস্টটল।
কাজের মধ্য দিয়ে সঙ্গি সৃষ্টি হয়।-গ্যেটে।
শত্রæ সবসময় দরোজার শেষে দাঁড়িয়ে থাকে।-ভার্জিল।
সবার সঙ্গে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে, সে ব্যক্তিত্বহীন।-মার্ক টোয়েন।
সমস্ত জীবনের জন্য একজন প্রকৃত বন্ধুই যথেষ্ট।-হেনরি অ্যাডামস।
কাজের দক্ষতা কমে যাবার একমাত্র বাস্তব কারণ হলো বিরতি।-ডেল কার্নেগী।
এমন প্রতিজ্ঞা করা উচিত নয়, যা পালন করতে পারবে না।-ডেল কার্নেগী
টাকা খরচ করতে বুদ্ধির দরকার হয় না। কিন্তু টাকা রোজগার করতে বুদ্ধির দরকার হয়।-ডেল কার্নেগী।
একজন জ্ঞানী ও ভালো মানুষ কখনো হতাশায় ভোগে না।-ফেবিয়াস ম্যাক্সিমাস।
অনেক সময় বিদ্যার চেয়ে অভিজ্ঞতাই বেশি কাজে লাগে।-জে. আর. লাওয়েল।
বিশ্বকে জানার আগে নিজেকে জানো, মানুষকে জানো।-কিপলিং।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এ পৃথিবীর মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৩-হাজার মেট্রিক টন মলত্যাগ করে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে দুই আঙ্গুলের ব্যবসা(পকেটমার) হয় সবচেয়ে বেশী।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন চট্টগ্রামের আইয়ূব আলী নামে এক তরুণ ১২০ বছর বয়সী বাতাসীকে বিয়ে করেছেন।
কোকা-কোলা কোম্পানী এ যাবত (২০০৩ সাল পর্যন্ত) ৩০০ রকম পানীয় বাজারজাত করেছে।
যে-ব্যক্তি প্রশ্ন করে কিছু জানতে চায়, সে বোকা হয় পাঁচ মিনিটের জন্য, আর যে জানার ভান করে কখনো প্রশ্নই করে না, সে বোকা থাকে সারাজীবন।-চীনা প্রবাদ।
যে-কোনো শিক্ষাই চর্চা ব্যতীত বলিষ্ঠ হয় না।-ল্যাগল্যান্ড।
কারও স্বভাব-চরিত্র জানতে হলে কোনো ব্যাপারে তার পরামর্শ চাও।-প্লেটো।
একজন মহৎ ব্যক্তিত্বই নামের জন্য বাঁচতে চায় এবং নামের জন্য মরতে চায়-জি. পি. ল্যাথরপ।
অস্ত্র হচ্ছে যুদ্ধের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, কিন্তু নির্ধারক উপাদান নয়, নির্ধারক উপাদান হচ্ছে মানুষ, বস্তু নয়। সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি অপরিহার্যরূপেই মানুষের দ্বারা পরিচালিত হয়।-মাও-সে-তুং।
শিয়ালের মতো একশো বছর জীবন ধারণ করার চাইতে সিংহের মতো একদিন বাঁচাও ভাল।-টিপু সুলতান।
পেটকে খাবার দ্বারা পূর্ণ করার ব্যাপারটি জরুরি বিষয়, আর সবই জীবনের বিলাস।-চীনা প্রবাদ।
যারা বিশ্বাস করে যে তারা জয় করতে পারে, তারাই জয় করতে পারে।-ড্রাইডেন।
একটা ছোট্ট ছিদ্র মস্ত বড় জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারে।-ফ্রাঙ্কলিন।
বিপদকে বাড়তে দিলে তা ভয়াবহ হয়ে ওঠে।-এডমন্ড বার্ক।
ভালোবেসে যা কিছু করা হয়, তা সবসময়ই ভালোমন্দের উর্ধ্বে থাকে।-নীটসে।
নিজেকে বড় বা ছোট ভাবা দোষণীয়, তাই নিজের সম্পর্কে যথাযথ ধারণা থাকা উচিত।-সার্ভেন্টিস।
বিছানাই প্রতিটি মানুষের শ্রেষ্ঠতম সুখের আশ্রয়। শান্তির কেন্দ্র।-চার্লস মেকলে।
বড় প্রতিভাবান ব্যক্তিদের আত্মজীবনী খুবই সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে।-এমারসন।
সাবধানী মানুষের ভুল কম হয়।-কনফুসিয়াস।
প্রশংসা ভালো মানুষকে আরো ভালো করে এবং খারাপ মানুষকে আরো খারাপ করে।-টমাস ফুলার।
কথায় যদি নির্বুদ্ধিতা প্রকাশ পায় তবে চুপ করে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।-চার্লস কিংসলে।
প্রত্যেক মহৎ কাজ নিজের জন্য পথ তৈরী করে নেয়।-এমারসন।
তুমি তোমার ব্যক্তিত্বকে দৃঢ় করে তোল, কেউই তোমার উপর অন্যায় আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।-জন স্টুয়ার্ট মিল।
বর্তমানকে সঠিকভাবে পাঠ করা এবং সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলাই বিচক্ষণতার পরিচায়ক।-হোমার।
প্রতিভাবানরা এমন কিছু করে থাকেন, যা সাধারণের ক্ষমতার বাইরে।-ই.ভি. লুকাস।
কাপুরুষ ছাড়া কেউই মিথ্যা কথা বলে না।-মারফি।
বেফাঁস কথা বলার চেয়ে চুপ করে থাকাই শ্রেয়।-জর্জ হার্বাট।
সময়, গতি, দূরত্ব একই জিনিষ।
অতীত দিয়ে কখনোই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা যায় না।-এডমন্ড বার্ক।
অন্ধবিশ্বাস প্রায়শই মানুষকে বিপদে ফেলে-এরিস্টটল।
দুর্বল দেহ মনকে দুর্বল করে দেয়।-রুশো।
নিন্দা সৎ লোকের, কোন ক্ষতি করতে পারে না।-শেখ সাদী(রা.)।
সচেতন ব্যক্তির জীবনে বিপদ কম আসে।-ডেল কার্নেগী।
মায়ের শিক্ষাই শিশুর ভবিষ্যতের বুনিয়াদ।-নেপোলিয়ন।
তরুণ বয়সে গড়ে ওঠা বিশ্বাসই মানুষের জীবনে সর্বাধিক স্থায়ী হয়।-ফ্রান্সিস বেকন।
অসৎ মানুষের হাসি নির্মল হয় না। উইড্রো উর্ইলসন।
বোকাদের জীবনে কোন পরিবর্তন আসে না।-ডেল কার্নেগী।
মুমূর্ষু মানুষের ঠোঁটের ডগায় সত্য উপবেশন করে।-এম আরনল্ড
স্বাস্থই সকল সুখের মূল।
সংকট মুক্তির পরই সবকিছু মধুর মনে হতে পারে।-আলেকজান্ডার স্মিত।
বাগান যত ভালই হোক, তাতে কিছু না কিছু আগাছা থাকতে পারে।-টমাস ফুলার।
চিন্তা করো, দুশ্চিন্তা করো না।-ডেভিড হিউম।
কারো জীবনেই খুব খারাপ অবস্থা বেশী দিন থাকে না। কিছুকাল পরেই আবার শুভদিন আসে।-ডেল কার্নেগী।
শ্রদ্ধা করতে জানলে অন্যের শ্রদ্ধাভাজন হওয়া যায়।-জন রে।
যে কোনদিন পরাজিত হয়নি, সে কখনো বিজয়ী হতে পারে না।-হেনরী ওয়াচ।
ভালোবেসে যা কিছু করা হয়, তা সব সময়ই ভালো-মন্দের উর্ধ্বে থাকে।-নীৎশে।
আত্মবিশ্বাস হচ্ছে বীরত্বের সৌরভ।-এমারসন।
শ্রেষ্ঠ মানুষ ধার্মিক, জ্ঞানী ও সৎ সাহসী হয়।-কনফুসিয়াস।
যে উপদেশ দাও না কেন, অল্প কথায় দাও।-হোরেস।
কোন মানুষই যা বিশ্বাস করে না, তা কখনই প্রমাণ করা যায় না।-জর্জ বার্নার্ড শ।
আদর্শবান লোকের বন্ধুর সংখ্যা কম থাকে।-ডগলাস জেরল্ড।
আত্মীয়-স্বজনরাই মানুষের শ্রেষ্ঠতম বন্ধু, সহায় ও সহায়তাকারী।-জর্জ বার্নাড শ।
সেই সত্যিকারের মানুষ, যে অন্যের দোষ-ত্রæটি নিজেকে দিয়ে বিবেচনা করে।-লর্ড হ্যালিফক্স।
প্রতারিত হওয়ার চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়া ভাল।-সাইরাস।
যে কোন বস্তুর গ্রহণযোগ্যতার উপরই তার মূল্য নির্ভর করে।-জনবার্থ।
মিতব্যয়ী হও, তাতে মনের স্বাধীনতা বেড়ে যাবে।-ডা.লুুৎফর রহমান।
ফুল যেখানেই ফুটুক সে জায়গা সব সময় পরিস্কার নাও থাকতে পারে।-মেরি ডে উইন।
কোন মানুষের  একটি কাজ দিয়ে তার দক্ষতা যাচাই করা যায় না।-টমাস ফুলার।
কোন কাজে যার নিজস্ব পরিকল্পনা নেই তার সাফল্য অনিশ্চিত।-গোল্ড স্মিথ।
যে মানুষ হিসেবে ভাল, সে নাগরিক হিসেবেও ভাল।-সুইন বার্ন।
মানুষই হলো একমাত্র প্রাণী যার লজ্জা আছে।-মার্ক টোয়েন।
ষড়যন্ত্র বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ষড়যন্ত্রকারীর সর্বনাশ ডেকে আনে।-এমিলি।
ভাল খাওয়া কোন খারাপ কাজ নয়, তেমনি অনাহারে থাকাও কোন মহৎ কাজ নয়।-টমাস ফুলার।
মানুষ গরীব হয়ে জন্মায় না, পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতাই মানুষকে গরীব করে।-শিলার।
বোকা আর ভীরুরা বলে অসম্ভব, কেবল বুদ্ধিমান ও সাহসীরাই চেষ্টা করে দেখে।-ডেল কার্নেগী।
পরামর্শ বুদ্ধিকে পরিপক্ক করে।-ড্রাইডেন।
জনগণের নিরাপত্তাই হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন।-সিসেরো।
সততাই হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।-ফ্র্যাঙ্কলিন।
কুমন্ত্রণা দ্বারা একজন বন্ধু অন্য বন্ধুর বিশেষ ক্ষতিসাধন  করতে পারে।-লিভি।
নতুন বন্ধুর জন্য পুরোনো বন্ধুকে ত্যাগ কর না।-একসেলেসটিকাস।
বিচারের দীর্ঘসূত্রতা অবিচারের নামান্তর।-ডবিøউ এস ল্যান্ডার।
রোগমুক্তির জন্য ধৈর্য ও চেষ্টার দরকার।-অ্যানন।
সকল প্রকার শিক্ষা, রুচি, নিষ্ঠা এবং দক্ষতা মনোযোগের ওপর নির্ভরশীল।-উনলটন।
যিনি তার সন্তানদের জানেন তিনি জ্ঞানী পিতা।-শেক্সপিয়ার।
জীবন-যাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা লাভই বাস্তব শিক্ষা।-ডিউই।
সভ্য আচরণগুলো মানুষকে ভদ্র করে তোলে।-শেলি।
নিস্বার্থভাবে কাজ করলে কখনোই অশান্তি বা দুঃখ আসবে না।-স্বামী বিবেকানন্দ।
মানুষকে ঠকানো যায়, তবে সীমাহীনভাবে বারবার ঠকানো যায় না।-লিভি।
ভ্রাতত্ব ও প্রেমের আসন হচ্ছে হৃদয়।-আল্লামা ইকবাল।
রোগ থেকে ভাল হবার ইচ্ছাই রোগমুক্ত হবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।-সিনেকা।
মানুষ যখন তার মর্যাদা হারিয়ে ফেলে তখন সে যেখানে ইচ্ছে যেতে পারে।-শেখ সাদী(রা.)।
শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য মানুষের চরিত্র গঠন করা।-স্পেন্সার।
বই কতো যে আনন্দ দেয় তা অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি জানেন না।-হোরেস।
মহৎ কারণে যার মৃত্যু ঘটে সে অপরাজেয়।-ভার্জিল।
শিক্ষা মানুষকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে আত্ববিশ্বাসী করে তোলে।-ফ্রান্সিস বেকন।
শিশুদের মন স্বর্গীয় ফুলের মতই সুন্দর।-এডমন্ড ওয়ালার।
যার অর্থ-সম্পদ, খাদ্য ও সন্তুষ্টির অভাব আছে তার ভাল বন্ধু নেই।-শেক্সপিয়ার।
কোন মানুষকে সন্তুষ্ট করতে চাইলে আগে তাকে বুঝতে হবে।-চার্লস রিড।
দূরত্ব প্রাকৃতিক দৃশ্যকে মনোমুগ্ধকর করে তোলে।-টমাস জ্যাম্পবেল।
আনন্দের উৎস যেমন আপনজনরা, তেমনি দুঃখের উৎস আপনজনরা।-সাইরাস।
আয় যত বৃদ্ধি পায় ব্যয় সংকুলান ততই কঠিন হয়ে পড়ে।-হোয়াইটলি।
মহানুভব হতে গেলে অবশ্যই মেধার প্রয়োজন।-উইলিয়াম কুপার।
যারা শিশু ও নারীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন করে তারা বর্বর।-গ্রীন গর্ডন।
দুুর্দশাই সত্যের প্রথম পথ।-লর্ড বায়রন।
সবার কাছে যে নাম প্রসিদ্ধি লাভ করে সে নাম খুব বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।-ভলতেয়ার।
মানুষ তখনই পশুর ন্যায় হয়ে যায় যখন লজ্জা-সঙ্কোচ বলে কিছু থাকে না।-সুইন বার্ন।
জীবন একবারের, খ্যাতি চিরকালের।-জাপানী প্রবাদ।
প্রত্যেক ব্যক্তি তার কর্মক্ষমতার উপর আস্থা থাকা উচিত।-উইলিয়াম বেøক।
তোমার বন্ধুদের ভালবাস, যদিও তারা কখনো শত্রæতাও করে থাকে।-বিয়ার্স।
আরো ভালো করতে গিয়ে প্রায়ই আমরা ভালকে নষ্ট করে ফেলি।-শেক্সপীয়ার।
বিপদ এলে আমাদেরকে তা মোকাবিলা করেই বাঁচতে হবে।-কুপার।
পীড়িত ব্যক্তিকে ত্রæত আরোগ্য লাভের অভয়বাণী শোনানো অত্যন্ত ভাল কাজ।-কার্ল স্যান্ডবার্ক।
বিরক্তি মানুষের কর্মদক্ষতা কমিয়ে দেয়।-ডেল কার্নেগী।
শুধু ইচ্ছা চরিতার্থ করার জন্যই নয়, বরং ক্ষমতা ব্যবহারের জন্যও দায়িত্বশীলতার প্রয়োজন।-হেনরি ফ্রেডরিক।
তুমি যতদিন বাঁচ না কেন, ভালভাবে বাঁচার পথ তোমাকেই জানতে হবে। উইলিয়াম মরিস।
প্রত্যেকেরই নিজের সম্পর্কে যথাযথ ধারণা থাকা উচিত।-সার্ভেন্টিস।
সমুদ্রযাত্রা, ভ্রমণ ও স্থান পরিবর্তন প্রাণশক্তি এনে দেয়।-সেনেকা।
সুখ্যাতি কখনো কখনো ঈর্ষার কারণ হলেও, কুখ্যাতি সব সময়ই লজ্জাজনক।-টমাস ফুলার।
দারিদ্র অনেক প্রতিভাকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করে দেয়।-ইঙ্গারসোল।
যে অনেক কিছু করে তার কিছু ভুল হওয়া স্বাভাবিক।-স্যামুয়েল জনসন।
যার টাকার চাহিদা বেশী তার সংসারে সব কিছুর চাহিদা বেশী।-টমাস ফুলার।
স্বর্ণের পেয়ালায় বিষ দিলেও তা বিষ ছাড়া অন্য কিছু নয়।-টমাস এডামস।
সংঘাত-সংকুল জীবনে যে শক্ত হাতে হাল ধরতে পারে, সে জয়ী হয়।-ম্যানকিন।
ন্যয়ের চেয়ে ক্ষমতাবান কোন শক্তি নেই।-নেপোলিয়ান।
পুরোনো হলেও একটি ভাল বই পড়লে মনে হবে গত শতাব্দীর মানুষের সাথে কথা বলছি।-ডেসকার্টেস।
একজন ভাল মানুষ সাধারণ জিনিসেই তৃপ্ত থাকেন।-বেন জনসন।
কারো অতীত নয়, বর্তমানকে জানো এবং সে জানাই যথার্থ।-এডিসন।
বই পড়তে যে ভালবাসে তার শত্রæ কম।-চার্লস ল্যাম্ব।
একজনের উপলব্ধির সাথে অন্য একজনের উপলব্ধির মিল নাও থাকতে পারে এবং এটাই স্বাভাবিক।-হফম্যান।
যার অল্প আছে সে দরিদ্র নয়, যে বেশী আশা করে সে দরিদ্র।-ড্যানিয়েল।
অপকর্ম করে লজ্জিত না হওয়া আরেক অপকর্ম।-উইলিয়াম মরিস।
অন্ধকারকে দোষারোপ করার চেয়ে একটা মোমবাতি জ্বালানোই উত্তম।-চীনা প্রবাদ।
বিদ্যা শিক্ষা মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধু।-লর্ড হ্যালিফক্স।
যশ বীরত্বপূর্ণ কাজের সুগন্ধিস্বরূপ।-সক্রেটিস।
দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে চাইলে আমাদের উচিত দুঃখগুলো আমলে না এনে সুখগুলোর হিসাব করা।-ডেল কার্নেগী।
যে বিড়াল নিয়ে খেলে তার গায়ে আঁচড় লাগবেই।-কার্ভেন্টিস।
প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই একটি শিল্পীমন ঘুমিয়ে থাকে।-ফ্রান্সিস বেকন।
শিক্ষা মানুষকে সর্বাবস্থায় সহনশীল হতে শেখায়।-উইলিয়াম বিরনিং।
জীবনের প্রথম লগ্নের কিছু বিফলতার অভিজ্ঞতা বাকি জীবনের জন্যে বিরাট উপকারে আসতে পারে।-টমাস হেনরি হাক্সলি।
মানুষ ঘরে ফেরার ইচ্ছে নিয়েই বাইরে পা রাখে।-টমাস মিল্টন।
বন্ধুত্ব টাকার মতো, রক্ষা করার চেয়ে স্থাপন করা সহজ।-স্যামুয়েল বাটলার।
যে নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে করে সে সবচেয়ে দুর্ভাগা ব্যক্তি।-এনজেলো প্যাটরি।
রান্নাঘরে একজন পাচক ডাক্তারের চেয়েও দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তি।-চীনা প্রবাদ।
জীবনে বৈচিত্র চাই বলেই আমাদের অন্তহীন সমস্যা।-জনসন।
জীবনের শিক্ষাকে যে নিজের ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করতে পারে না সে মস্তবড়  বোকা।-শেখ সাদী(রা.)।
মানুষই মানুষের নিকৃষ্টতম শত্রæ।-সিসেরো।
যৌবনের অপরিমেয় আনন্দকে রোধ করাই বার্ধক্যের ধর্ম।-সেন্ট লিভার।
ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা একজন বাঙালী ব্রাহ্মণ এম. এন. রায় বলেন-‘ভারতীয় দলিত এবং তাবৎ নির্যাতিত জনগোষ্ঠী ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে এ কারণে যে, ব্রাহ্মণ্যবাদী  ষড়যন্ত্র মোকাবিলার শক্তি ও সামর্থ্য একমাত্র ইসলামের মধ্যেই বিদ্যমান।
সুশিক্ষিত মানেই স্বশিক্ষিত।-প্রমথ চৌধুরী।
সৎ লোক সর্বদা পরিতৃপ্ত।-জর্জ চ্যাপম্যান।
মাতৃভূমিকে যে ভালোবাসতে পারে না তার পক্ষে অন্যকিছুকে ভালোবাসা সম্ভব নয়।-বায়রন।
তোমার কর্মই তোমাকে মহিমান্বিত করবে।-লুইস মরিস।
বইবিহীন ঘর যেন জীবনবিহীন দেহ।-জন লিলি।
তোমার যদি পরিতৃপ্ত মন থাকে তবে তুমি জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবে।-প্লুটাস।
বোকাদের মধ্যে জ্ঞানীর অবস্থান হয় অনেকটা উন্মাদের মতো।-টমাস ফুলার।
নিজেকে তখনই জানা যায় যখন সবকিছু শেষ হয়ে যায়।-গ্যেটে।
কেউ মহান হয়ে জন্মায়, কেউ মহত্ত¡ অর্জন করে আবার কারো উপর মহত্ত¡ চাপিয়ে দেয়া হয়।-শেক্সপিয়র।
পরিবর্তনের জন্য প্রচেষ্টা থাকলে জীবনে অথবা সমাজে পরিবর্তন আসবেই।-ভিনসেন্ট।
যে বই পড়ে না তার মধ্যে মর্যাদাবোধ জন্মে না।-গোল্ড স্মিথ।
ডাক্তার বা উকিলের কাছে কোন কিছু গোপন করো না।-জর্জ হার্বার্ট।
সৌন্দর্যের সুষমা বিকশিত হয় শিষ্টাচারের মাধ্যমে, ভালো পোশাকে নয়।-ইমাম গাজ্জালী(রা.)।
জীবনে যখন দুর্দশা নেমে আসে তখন সে অবস্থাকে মেনে নেয়ার মধ্য দিয়েই তাকে অতিক্রম করা যায়।-উইলিয়াম জেমস।
অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের স্বাস্থ্য ভাল।-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জরিপ।
যে কোন বস্তুর গ্রহণযোগ্যতার উপরই নির্ভর করে তার মূল্য।-জন বার্থ।
সততার কাছে দুর্নীতি কোনো দিন জয়ী হতে পারে না।-শেক্সপীয়ার।
যেখান থেকে অহঙ্কারের শেষ হয় সেখানে সম্মানের শুরু।-ইয়ং।
কাপুরুষোচিত সৌজন্যের জন্য কেউ প্রশংসিত হয় না।-এমারসান।
মানুষকে জানা বড়ই কঠিন, তার চেয়েও বেশী কঠিন মানুষকে বুঝতে পারা।-নেপোলিয়ান।
দ্বিতীয়বার ভূল করে কেউ ভাগ্যকে দোষ দিতে পারে না।-ইংরেজী প্রবাদ।
যারা ভূল কম করে তাদের উন্নতি সুনিশ্চিত।-ডেল কার্নেগী।
তুমি নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ় করে তোল, তবে কেউ তোমার ওপর অন্যায় আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।-জন স্টুয়ার্ট মিল।
দুঃখ কখনো একা আসে না, সে দল বেঁধে আসে।-সেক্সপীয়ার।
বহু লোক আছে যাদের সাহস আছে কিন্তু কাপুরুষতার জন্য তার প্রকাশই নেই।-টমাস ফুলার।
গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে শত ব্যস্ততার মাঝেও আরেকটু ভেবে নেয়া উচিত।-জন ক্লার্ক।
কাজ শুরু করে ভাবো, কাজ শেষ করে আত্মবিশ্লেষণ করো-তাতে তোমার কাজে খুব বেশী ভূল হবে না।-ডেল কার্নেগী।
অসন্তুষ্টিই একজন মানুষ বা একটি জাতির অগ্রগতির প্রথম সোপান।-অস্কার ওয়াইল্ড।
দুখের একমাত্র মৌন ভাষাই হচ্ছে অশ্রæ।-ভলতেয়ার।
তোমার জন্য যদি সম্মানজনক কোন স্থান না থাকে তাহলে তুমি সবচেয়ে ভাগ্যহীন ব্যক্তি।-টুপার।
একটি ভালো বই নিঃসন্দেহে ভালো জিনিস, তবে একজন মহৎ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা তার চেয়েও ভালো।-বেঞ্জামিন ডিজরেলি।
দুর্নীতিপরায়ণ স্বাধীন মানুষ দাসেরও অধম।-গ্যারিক।
ক্ষুদ্র ব্যক্তির চেয়ে অনেক সময় মহৎ লোকেরও বড় ভুল হয়।-ডবিøউ এস ল্যান্ডার।
একটি পিঁপড়ের গর্ত একটি বাঁধ ভাঙতে পারে।-জাপানী প্রবাদ।
যারা অপচয় করে তারা অবশ্যই শয়তানের ভাই এবং শয়তান প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।-আল-কোরআন।
অনেক মানুষ আছে যারা পশুর মতো নির্বোধ এবং পশুর মতোই গোঁয়ার।-মেরিডিথ।
সব ফুলেই মধু থাকে, কিন্তু মৌমাছিই সেই মধু বের করে আনতে পারে।-আর্থার পিটারম্যান।
সাহায্যের আশায় বসে না থেকে নিজে চেষ্টা করে দেখ।-মাইকেল ডেভিস।
যারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে চায় না তারা কখনো লাভবান হতে পারে না।-জেফারসন।
একজনের ভুল দেখিয়ে দেয়া আর তাকে সত্যের সন্ধান দেয়া-এ দুইয়ের মধ্যে অনেক ব্যবধান রয়েছে।-জন লুক।
নৈতিক জগতে নবীনদের প্রাধান্য আর প্রজ্ঞার ক্ষেত্রে প্রবীণদের।-ফ্রান্সিস বেকন।
আমরা সেই সময়ই কৃতকার্য হই, যখন আমরা ভাল কিছু করার ইচ্ছা করি।-রুশো।
দুঃখ-কষ্টকে রোমাঞ্চকর করে দেখার মধ্যে কোন স্বার্থকতা নেই।-ম্যাক্সিম গোর্কি।
কথা মার্জিতভাবে বলতে জানলে তা অপ্রিয় হলেও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না।-ইয়ং।
যখন আমরা খারাপ ব্যাপরটা গহণ করতে প্রস্তুত থাকি তখন আমাদের আর কিছু হারাবার থাকে না।-ডেল কার্নেগী।
যারা শিশু ও নারীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন করে তারা বর্বর।-গ্রীন গর্ডন।
জগতে সর্বদাই দাতার আসন গ্রহণ করো।-স্বামী বিবেকানন্দ।
মহানুভবতা সাধারণত অবমূল্যায়িত হয়।-এমারসন।
যারা শিক্ষিত, শিক্ষা তাদের পক্ষে অন্য একটি সূর্য স্বরূপ।-হেরাক্লিটাস।
প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে তুচ্ছ জিনিসের মূল্যও বেড়ে যায়।-সাইমন।
সুনাম হলো বীরত্বপূর্ণ কাজের সুগন্ধস্বরূপ।-সক্রেটিস।
অন্য লোক একজন মানুষকে যতটা ঠকায়, একজন মানুষ নিজেই নিজেকে তার চেয়ে অনেক বেশী ঠকায়।-গ্রিভিল।
ছাত্ররাই যে কোন জাতির প্রাণশক্তি, মেরুদন্ড এবং প্রকৃত ভবিষ্যৎ।-টমাস রাইট।
উপদেশ দেয়ার সময় তোমার লক্ষ্য রাখতে হবে বন্ধুকে সহায্য করা, তাকে খুশী করা নয়।-সোলোন।
প্রবাদ হলো সংক্ষিপ্ত বাক্যাংশ, যা খুব বড় রকমের অভিজ্ঞতা থেকে আহরণ করা হয়েছে।-ইউলিয়াম পেন।
হৃদয়টাকে উঞ্চ আর মাথাটাকে ঠান্ডা রাখার জন্য আমাদের সব সময়ই সচেষ্ট হওয়া উচিত।-রবার্ট ব্রাউনিং।
একজন নারী তার ভাল রান্নার গুণের কারণে অনেক লোকের হৃদয় জয় করতে পারে।-পিটার এহুারসন।
বিজয় সুনিশ্চিত-এমন যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া উচিত।-মাও সে তুং।
সতর্কতা হচ্ছে নিরাপত্তার জননী।-এডমন্ড বার্ক।
যে বোকা তার কাছে পরামর্শের জন্য যাওয়া চরম বোকামি।-সেলডন।
দক্ষতা এবং দৃঢ় বিশ্বাস হলো একজন অজেয় সৈনিকের মতো।-জর্জ হার্বার্ট।
চরিত্র গঠনের কাজ শিশুকাল থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকে।-রুজভেল্ট।
ভ্রাতৃত্ব ও প্রেমের আসন হলো হৃদয়। এর শিকড় হৃদয় জুড়ে, কাদা বা পানিতে নয়।-আল্লামা ইকবাল।
একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির সাথে একত্রে বসে কিছুক্ষণ বাক্যলাপ অনেকগুলো বই পড়ার চেয়ে ভাল।-লং ফেলো।
ক্ষুদ্র স্ফুলিঙ্গ থেকে বিশাল অগ্নি বলয়ের সৃষ্টি হতে পারে।-দান্তে।
কেবল জ্ঞানীরাই উপদেশ অনুসরণ করে উপকৃত হন।-সাইরাস।
জীবনে উন্নতির জন্য বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতা প্রয়োজন।-ডেল কার্নেগী।
তিনিই প্রকৃত বন্ধু যিনি অহঙ্কার ও স্বার্থের উর্ধ্বে থাকেন।-জোসেফ রউক্স।
প্রতিটি মানুষ বন্ধুত্বের সন্ধানে জীবন কাটিয়ে দেয়।-এমারসন।
জ্ঞানী শিশু তার পিতাকে ভালভাবেই জানে।-হোমার।
শিক্ষকের প্রভাব অনন্তকালেও শেষ হয় না।-হেনরি এ্যাডামস।
প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার কর্মক্ষমতার উপর বিশ্বাস থাকা উচিৎ।-উইলিয়াম ব্লেক।
রাগান্বিত অবস্থায় কখনো চিঠির জবাব দিতে নেই।-চীনা প্রবাদ।
রাজা হোক আর চাষাই হোক, সেই সুখী যে তার নিজের গৃহে শান্তি খুঁজে পায়।-গ্যেটে।
তোমার যা আছে তাই দিয়ে অন্যকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করো।-রাসকিন।
ন্যায় বিচারের মতো এমন মহৎ ও স্রষ্ঠাতুল্য সৎ গুণ আর নেই।-জোসেফ এডিশন।
কোন মহৎ কাজই শেষ হয়ে যায় না, বরং তারাই শেষ হয়ে যায় যারা সে কাজের বিরোধিতা করে।-বেন জনসন।
একজন মহাবিলাসী লোকের কাছে সম্পদ খুব প্রিয়।-প্লেটো।
গাছপালা যেমন পরিচর্যার মাধ্যমে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, মানুষ তেমনি শিক্ষার মাধ্যমে সৎ নাগরিকে পরিণত হয়।-জ্যাঁ জ্যাক রুশো।
একজন মানুষকে ততটা বিশ্বাস করা উচিত নয়, যতটা সে হজম করতে পারবে না।-হেক্সলক হিল।
সাহায্য করা ভাল, কিন্তু সাহায্য যেন কাউকে অলস করে না তোলে।-এস গিলবার্ট।
শুধু অনুকরণ করে কোন মানুষ কখনো বড় হতে পারে না।-স্যামুয়েল জনসন।
মানুষের শত শত রোগ, আবার সব রোগের প্রতিকারও আছে।-ফ্রান্সিস বেকন।
তাই ভাল যার দ্বারা কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।-আলেকজান্ডার।
সাহসবিহীন জীবন দাসত্বের নামান্তর।-সিনেকো।
মানুষের মধ্যে সেবা করার চেয়ে সেবা গ্রহণের মানসিকতাই প্রবল।-নাথানিয়েল লী।
যখনই কোন ব্যক্তি বা জাতি আত্মবিশ্বাস হারায়, তখনই তার বিনাশ হয়।-স্বামী বিবেকানন্দ।
চিন্তার বিশেষত্ব এক জাতি থেকে অন্য জাতিকে পৃথক করে।-এমারসন।
উত্তম স্ত্রী এবং উত্তম স্বাস্থ্য পুরুষের জীবনে শ্রেষ্ঠ সম্পদ।-জন রে।
শৈশবে লজ্জা, যৌবনে ভারসাম্য এবং বার্ধক্যে ব্যয়সঙ্কোচন ও দূরদর্শিতার প্রয়োজন।-সক্রেটিস।
প্রত্যেকের কথা ধৈর্য ধরে শোনা একটি ভাল অভ্যাস।-লুসি লারকম।
জীবনের পথে আমরা যতই অগ্রসর হই, আমরা ততই আমাদের মাত্রা জানতে পারি।-ফ্রয়েড।
মানুষ যখন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে তখন তার সম্মান বিনষ্ট হয়।-হুইটিয়ার।
যখন ভাগ্য আমাদের পক্ষে থাকে তখন জনপ্রিয়তা হয় নিত্যসঙ্গী।-সাইরাস।
ঘোড়ায় চড়ার পর পড়ে যাওয়ার চেয়ে হেঁটে যাওয়াই ভাল।-জর্জ থ্যান্ড।
সমালোচনা ভালো। সমালোচনার ফলে মানুষ আত্মরক্ষায় তৎপর হয় এবং নিজের যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারে।-ডেল কার্নেগী।
আজ হোক, কাল হোক সত্য একদিন উদঘাটিত হবেই।-টমাস ফুলার।
তুমি যদি তোমার প্রতিটি পদক্ষেপ হিসেব করে ফেলো তাহলে বহুদূর যেতে পারবে।-টমাস ফুলার।
দাঁড়িপাল্লা সোনা ও সীসায় কোন প্রকার পার্থক্য নির্দেশ করে না।-জর্জ হার্বার্ট।
শীতল নিরপেক্ষতাই একজন পক্ষপাতশূন্য বিচারকের ধর্ম।-এডমন্ড বার্ক।
যশকে বীরত্বপূর্ণ কাজের সুগন্ধ বলা যেতে পারে।-সক্রেটিস।
শিশুদের মন স্বর্গীয় ফুলের মতই সুন্দর।-এডমন্ড ওয়ালার।
তিনিই ভাল সৈনিক যিনি নিজেকে কামানের গোলার নিশানার বাইরে রাখেন।-ফ্রান্সিস বেকন।
স্মৃতি হচ্ছে এমন এক ডায়েরী যা আমরা সবাই বয়ে বেড়াই।-অস্কার ওয়াইল্ড।
একজন খারাপ লোকের পক্ষে ভাল কাজ করা সত্যি কঠিন।-ম্যারি ম্যাক কার্টা।
দারিদ্র অনেক প্রতিভাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে।-ইঙ্গারসোল।
একজন শিক্ষকের ওপরই বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে।-এইচ. জি. ওয়েলস।
সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে সঙ্কটের কাছে না যাওয়া।-হুইটিয়ার।
অন্যের সাফল্যে যারা ঈর্ষান্বিত হয় তারা কখনো সাফল্য অর্জন করতে পারবে না।-প্যাটারসন।
সদাচার মানুষকে তৈরী করে।-ডানিয়েল ডিফো।
মানব জীবনের সাফল্যের ক্ষেত্রে স্বার্থপরতাই হচ্ছে অন্যতম অন্তরায়।-গ্লাডস্টোন।
সাফল্য অনেক সময় দেরীও হতে পারে, তাই যার ধৈর্য নেই তার জীবনে সাফল্য নাও আসতে পারে।-জর্জ মেরিডিথ।
শিকল স্বর্ণনির্মিত হলেও কেউ তা গ্রহণ করতে চাইবে না।-জন হে উড।
বইয়ের মতো বন্ধুর পছন্দ করে গ্রহণ করো।-চার্লস ল্যাম্ব।
স্বদেশপ্রেম বলতে মানবতার সেবাকেই বুঝায়।-মহাত্মা গান্ধী।
সফল হতে চাইলে কাক্সিক্ষত বিষয়ে লেগে থাকতে হবে।-ডেল কার্নেগী।
মেজাজ ঠান্ডা রাখো, তাহলে সবাইকে শাসন করতে পারবে।-সেন্ট জ্যাস্ট।
সময় নিঃসন্দেহে মূল্যবান, কিন্তু সত্য সময়ের চেয়েও মূল্যবান।-ডিজরেলি।
পরিবর্তন ব্যতীত সংসারে কোন কিছুই স্থায়ী হয় না।-রজার।
বাধা অনেক সময় শিক্ষকের ভূমিকা গ্রহণ করে।-এডমন্ড বার্ক।
মানুষ প্রজাতি যেন বৃক্ষের পাতার মতো।-হোমার।
এক জরীপে জানা গেছে নারীর সবচেয়ে বেশী পছন্দ টাকা।-রঙ্গব্যঙ্গ।
তারাই সুখী যারা তাদের ভাঙ্গনের আওয়াজ পায় আর মেরামত করে নিতে পারে।-শেক্সপিয়ার
স্বাস্থ্য রক্ষার প্রথম কথাই হচ্ছে সুখী থাকা।-ফ্রান্সিস বেকন।
পারস্পারিক সেবার মনোভাব জীবনকে মহিমান্বিত করে।-হ্যাক্সলি।
বিয়ের আসরে বউ তালাক। বিয়ের আগেই তোমাকে তালাক দিলাম। এক তালাক, দুই তালাক ও তিন তালাক।-রঙ্গব্যঙ্গ।
অনেক দুঃখের মাঝেও সঙ্গীত মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারে।-জন রে।
যার অল্প আছে সে দরিদ্র নয়, যে বেশী আশা করে সে দরিদ্র।-ডানিয়েল। এ কথাটার অর্থ হল উৎপাদক শ্রেণীর সাথে বন্ডামি করা।
আইনের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষকে শক্তি দিয়ে বিরোধিতা করুন। কিন্তু পানাহার করুন বন্ধুর মত।-শেক্সপীয়ার।
একজন যোগ্য লোকের পেছনেই সর্বদা যোগ্য ব্যক্তিরা থাকেন।-চীনা প্রবাদ।
সত্যের সর্বোত্তম যুক্তি আছে।-সফোক্লিস।
অতিরিক্ত বিশ্রাম যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে।-হোমার।
মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মানুষ ক্ষুধার্ত থাকে।-জন পিয়ারসন।
অভিজ্ঞজনের পরামর্শ নেয়া ভাল।
এমন পদ্ধতিই অনুসরণ করো, যা তোমার পক্ষে সহজসাধ্য মনে হয়।-এডি ফিশার।
যারা একমুখে দু’রকম কথা বলে তারা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট।-
প্রথা সব কিছুকে সহজ করে দেয়।-জর্জ ম্যাথিউ।
সামর্থ্যরে বাইরে কোন কিছু করতে যাওয়া বোকামি।-জন ব্রাইট।
দীর্ঘজীবি হতে চাইলে সদা প্রফুল্ল থাকুন।-ডেল কার্নেগী।
সাধারণের সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ ব্যবহারের দ্বারাই মহৎ মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণীত হয়।-কারলাইল
জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখা কষ্টকর।-ডেলকার্নেগী।
ভয় করে নয়, কর্তব্য মনে করে অপরাধ মুক্ত হও।-ডেমোক্রিটাস।
মানুষের সাধুতার পরিচয় ব্যবহারে, পোশাকে নয়।-এ্যানন।
মিতব্যয়ী ব্যক্তিদের কখনো আর্থিক সংকটে পড়তে হয় না।-ডেল কার্নেগী।
বিজয়ের মুহূর্তে ক্ষতের বেদনা থাকে না।-সাইরাস।
যার জীবনে অর্থবহ ত্যাগ আছে তিনি শ্রদ্ধার পাত্র।-ভ্যান্স ল্যান্সকট।
সমুদ্রের প্রশংসা করো, কিন্তু স্থলে অবস্থান করো।-হার্বার্ট।
খ্যাতি ও যশকে সবাই ধরে রাখতে পারে না।-মেকলে।
শিল্পী তার শিল্পকর্মের মাধ্যমে সৌন্দর্য ও মাধুর্য বিতরণ করেন।-এমারসন।
কুসংস্কার মানুষের জীবনের একটি অন্ধকার দিক।-প্লেটো।
জগতে কোন সম্পর্কই স্বার্থহীন নয়।-ডি.এইচ.লরেন্স।
দক্ষতা এবং দৃঢ়বিশ্বাস হলো একজন অজেয় সৈনিকের মতো।-জর্জ হার্বার্ট।
সেই দৌড়ে নিশ্চিত বিজয়ী হতে পারে, যে নিজে দৌড়ায়।-বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।
উন্নতি চাইলে সর্বগ্রে ধৈর্যের প্রয়োজন। তারপর বুদ্ধির।-ডরোথি।
একজনের সহ্যগুণ অন্যদের জন্য অনুকরণীয়।-অলিভার হোমস।
দুর্ভাবনায় স্বাস্থ্যহানি ছাড়া মূলত কোন সমাধান আসে না।-সাইরাস।
যার মধ্যে পরোপকারের প্রবণতা নেই সে নিষ্ঠুর।-ইংরেজী প্রবাদ।
পূর্ব প্রস্তুতির উপরই সকল বিষয়ে সাফল্য নির্ভর করে।-কনফিসিয়াস।
যুদ্ধ হচ্ছে বর্বরদের ব্যবসা।-নেপোলিয়ন।
যারা স্বাধীন তাদের হুমকি দেয়া বৃথা।-সিসেরো।
হীনমন্যতা একটি দুরারোগ্য ব্যাধি।-ব্রæয়ার।
দুর্লভ কোন লক্ষ্য স্থির করার মাশুল হতাশার মাধ্যমেই শোধরাতে হয়।-গ্রাহাম গ্রীন।
আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন লোক মিথ্যা বলতে বা অন্যায় করতে পারে না।-পিথাগোরাস।
সৌজন্যের জন্য সব দরজাই খোলা।-টমাস ফুলার।
যে প্রতিবাদ করতে পারে না, তার প্রতিকার আশা করা অনুচিত।-জন এ্যাডামস।
ন্যায় বিচারের মতো সদগুণ আর নেই।-জোসেফ এডিসন।
অন্যের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কেউ জীবন পেতে পারে না।-শেক্সপীয়ার।
একটি দৃঢ় বিশ্বাস সত্যকে জড়িয়ে থাকে।-ফিনলে ডান।
জীবনে যদি অগ্রগতি না থাকে তবে সে জীবন অবাঞ্ছিত।-রোমাঁ রোলাঁ।
যে চিঠি লিখতে পারে না সে শিক্ষিত হয়েও মূর্খ।-সাইরাস।
ভেবে উত্তর দাও, নইলে পরে লজ্জিত হবে।-এরিস্টটল।
একজন সৎলোক সর্বদা তার দৃঢ়বিশ্বাসের উপর কাজ করে।-আলবেয়ার।
শিশুদের অন্ধকার ভীতি আর বড়দের মৃত্যুর ভয় একই রকম বিষয়।-ফ্রান্সিস বেকন।
নীচে নামাটা যত সহজ, উপরে উঠা তত সহজ নয়।-টমাস ফুল।
চমৎকার একটা নাম জীবনে কৃতিত্ব বহন করে না।-আব্রাহাম কাওলী।
অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু যায় পায়ে হেঁটে।-ডোনাল্ড জি. ডমচেল।
জীবন হচ্ছে মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী।-এস.টি. কোলারিজ।
কর্মদক্ষতাই মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় বন্ধু।-দাওরাণী।
সামাজিক নিরাপত্তার অভাব মানুষকে চোর বানাতে সাহায্য করে।-জন ফ্লোবেল।
যে আইন জনগণকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দান করবে সেটাই সর্বোচ্চ আইন।-এমণবুর।
আত্মোপলদ্বি হচ্ছে মানবিক সত্ত¡ার সবচেয়ে বড় দিক।-উইলিয়াম উইন্টার।
দুষ্ট লোকেরা নিজেরাই নিজেদের নরক তৈরী করে।-মিলটন।
অবিচার করার চেয়ে সহ্য করা অধিক অসম্মানজনক।-প্লেটো।
উৎকৃষ্ট বীজ থেকেই উত্তম বৃক্ষ জন্ম নেয়।-জন-রে।
সুন্দর পরিবেশই একমাত্র স্বর্গসম সুখ দিতে পারে।-ফিলিপ হেনরী।
প্রতিটা লোকই কোন না কোন বিষয়ে অজ্ঞ থাকে।-উইলিয়াম রোজারী।
সুন্দর পোষাক পরিহিত ব্যক্তিমাত্রই ভদ্রলোক নয়।-জন-রে।
পাওয়ার পদ্ধতিটা কষ্টকর হলেও এর ফল অত্যন্ত মধুর।-এরিষ্টেটল।
প্রকৃতি হচ্ছে প্রতিভাবানদের।-হল্যান্ড।
নিজের গোপন কথা রাখার অর্থ হলো, নিজেকে নিরাপদ রাখা।-জন ম্যাকি।
যে কথা কম বলে তাকে বোঝা মুশকিল।-জন সিমন্স।
আমার দেশের ইতিহাস আমার কাছে সবসময়ই গৌরবের।-শিলার।
মানুষের জন্য কাজ কর।-কাল-মার্কস।
জন্মদাতা হওয়া সহজ, কিন্তু পিতা হওয়া বড় কঠিন।-প্রবোধ কুমার স্যানাল।
ধার করা কাপড়ে শীত কাটেনা।-আরবী প্রবাদ।
সুন্দর চিন্তা-ভাবনা স্বাস্থ্য গঠনে সহায়ক।-টুপার।
বিশৃঙ্খলা আর দুর্ভাবনা মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।-ডেল কার্নেগী।
মিথ্যাবাদী সব সময় সত্যকে ভয় পায়।-রবসন।
মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুলের সৌরভের মতো।-চার্লস স্কয়ার।
শৃঙ্খলিত জীবন সৃজনশীল নয়।-শেলি।
মন্দ সাহচর্যের চেয়ে নিঃসঙ্গতা শ্রেয়।-জর্জ ওয়াশিংটন।
দুর্দিনে যারা সান্তনা দিতে এগিয়ে আসেন তারাই প্রকৃত আপনজন।-রডরিক্স।
প্রত্যেকের মধ্যেই সৌন্দর্য আছে, সবাই তা দেখতে পায় না।-কনফুসিয়াস।
আমাদের জানা নেই আমরা কি হবো।-শেক্সপিয়ার।
শিক্ষার ও প্রজ্ঞার আলো দিয়েই কুসংস্কার দূর করা সম্ভব।-ক্লিটন।
মানুষের কল্যাণের জন্য করা প্রতিটি কাজই সম্মানজনক।-উইলিয়াম ওয়াটসন।
আনন্দ এবং কাজ সময়কে সংক্ষিপ্ত করে।-শেক্সপিয়ার।
যা আজ করতে পার তা কালকের জন্য তুলে রেখ না।-চেষ্টার ফিল্ড।
অন্যের দুর্ভাগ্য দেখে সাবদান হওয়া খুব ভাল।-সাইরাস।
মহৎ লোকের অন্তর সর্বক্ষণ দগ্ধ হতে থাকে।-এডমন্ড বার্ক।
এমন লোকের বন্ধুত্বে বিশ্বাস করো না যে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে।-হযরত আলী(রা.)।
তুমি চিন্তা-ভাবনা করে নিজের সম্বন্ধে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই যথার্থ।-জিনো।
স্বল্প আয়ু হওয়া সত্তে¡ও ফুলের জীবন কত না মহিমাময়।-টমাস উইলসন।
হুকুম করার আগে সকলেরই উচিত হুকুম তামিল করতে শেখা-স্বামী বিবেকানন্দ।
সহনশীলতা এমন একটি গুণ যা থেকে সফলতা আসবেই।-জুভেনাল।
একটি ফুল দিয়ে কখনো মালা গাঁথা যায় না।-জজ হার্বার্ড।
নতুন কিছু জানার মধ্যে যেমন যন্ত্রণা আছে, তেমনি আনন্দও আছে।-ক্রিস্টোফার মরলে।
একজন অলস মানুষ স্বভাবতই খারাপ মানুষ।-এস.টি.কোলরিজ।
যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না।-হযরত আলী(রা.)।
নিজেকে দিয়ে যে অন্যকে বুঝতে পারে তার বোঝা ভুল হয় না।-জর্জ মুর।
আকাশে যেমন মেগ আছে, জীবনে তেমন সম্ভাবনাও আছে। তবে সচেষ্ট হয়ে তাকে জাগিয়ে তুলতে হয়।-মিস কারম্যান।
চিকিৎসকরা তিনটি পরামর্শ দেন-নিয়মমতো খাও,বিশ্রাম কর এবং উৎফুল্ল থাক।-ডবিøউ টি হেল সুথ।
একটি সন্দেহের নিকট একজন সৎ লোক কখনো আত্মসমর্পণ করে না।-এসটি কোল রজ।
বন্ধু থাকা ভাল কারণ প্রয়োজনে বন্ধুরাই এগিয়ে আসবে।-ফ্লেচার।
যার জ্ঞান নেই, তার শক্তি নেই।-ইমারসান।
সবাইকে খুশি রাখাটাই সবচেয়ে দুরূহ কাজ।-রবার্ট লুজেন্ট।
কারো কারো কাছে সহজ হওয়া ভাল, তবে সব কথা সবাইকে বলা যায় না।-ভার্জিল।
হাজার মাইলের ভ্রমণও একটি পদক্ষেপ দিয়ে শুরু হয়।-লিও সে।
বন্ধু হচ্ছে ছায়াদানকারী বৃহৎ বৃক্ষের ন্যায়।-এসটি কোলরিজ।
তোমার ভালোর জন্য তুমিই পথ খুঁজে বের করো।-টরেন্স।
প্রয়োজনের সময় বন্ধু এবং শত্রæ উভয়ের স্বরুপ পরিস্ফুট হয়।-ওয়াল্টার লিন্ডসে।
যে প্রতি পদে ভুল করে সে কখনো জ্ঞানী নয়।-এডমন্ড বার্ক।
যদি তোমার ভৃত্যু ভাল হয়, তবে মনিব হিসেবে তুমি নিশ্চয়ই ভাল।-রিচার্ড বাক্সটার।
একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি সাদা কাকের মতই দুর্লভ।-জুভেনাল।
পরিশ্রম করে ফলের জন্য অপেক্ষা করতে শেখ।-লং ফেলো।
তুমি নিজেকে যতটা ভাল পরামর্শ দিতে পার অন্য কেউ ততটা পারে না।-আর্থার হেল্প।
যে পরপোকার করে আনন্দ পায়, না পাওয়ার দুঃখ তার স্পর্শ করে না-স্যার উইলিয়াম।
পৃথিবীতে দেয়া প্রথম পদক্ষেপের উপরই আমাদের পরবর্তী দিনগুলি নির্ভর করে।-ভলতেয়ার
মানুষ রাগের বসবর্তী হয়ে যা বলে তা হাল্কাভাবে নাও।-মেরী কুইন।
যেখানে দুঃখ আছে তার পাশে একটি পবিত্র অঙ্গন আছে।-অস্কার ওয়াইল্ড।
কথা বলার পূর্বে চিন্তা করে দেখ সেটা বলা ঠিক হবে কিনা।-রাস্কিন।
ব্যক্তিত্ব গঠন ও মর্যাদা প্রাপ্তির সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে উদারতা।-হযরত ইমাম হোসেন(রা.)।
অস্থির মানসিকতা স্বাস্থ্য ও শান্তি দুটোতেই বিঘœ সৃষ্টি করে।-আফরাবেন।
যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিজস্ব সত্তাকে কাজে লাগায় না সে জীবনে উন্নতি করতে পারে না।-ডেবিড হিউম।
আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে কোন কাজেই কৃতিত্ব দেখানো যায় না।-থিওডোর মুর।
যে নদী গভীর বেশী তার বয়ে যাওয়ার শব্দ কম।-জন লিভগেট।
কাজ মানবজীবনের অনিবার্য পরিবেশ, মানবকল্যাণের প্রকৃত উৎস।-টলস্টয়।
ঘটনা পুরোপুরি না শুনে মন্তব্য করা উচিত নয়।-টমাস কিন।
বিদ্যার ভূষণ ধীরতা আর শক্তির ভূষণ ক্ষমা।-ইবনে আব্দুল রাব্বি।
অভিজ্ঞতা হলো দুঃখ-কষ্টের নির্যাস।-আর্থার হেল্পস।
যৌবনের সঞ্চয় বার্ধক্যের অবলম্বন।-সক্রেটিস।
সহায়-সম্বলহীন মানুষের মূল্যবান কথাও মূল্যহীন হতে দেখা যায়।-হযরত আলী(রা.)।
শিশু এবং বোকারা মিথ্যা কথা বলে না।-জন হে উড।
যে সম্মান করতে জানে না সে কিছুই জানে না।-টেনিসন।
সেই যথার্থ মানুষ, যে জীবনে পরিবর্তন দেখেছে এবং সাথে সাথে নিজেও পরিবর্তিত হয়েছে।-বায়রন।
মানুষ আঘাত পেলে তা একসময় ভুলে যেতে পারে, কিন্তু অপমানিত হলে তা সহসা ভুলতে পারে না। -লর্ড চেষ্টারফিল্ড।
স্মরণে রেখ, তোমার মাথা তোমার টুপির চেয়ে উপরে নয়।-জন লিলি।
জীবন সমুদ্রের মতো তরঙ্গ বহুল। সতর্কতার সাথে সাঁতার কাটলে সহজেই তার কূল মেলে।-জন হারভে।
মানুষের কল্যাণের জন্য করা প্রতিটি কাজই সম্মানজনক।-উইলিয়াম ওয়াটসন।
হাসি তামাশায়ও কখনো বন্ধুত্বে আঘাত দিতে নেই।-সাইরাস।
আত্মবিশ্বাসহীন পাখায় ভর করে আকাক্সক্ষা চরিতার্থ করা যায় না।-শেক্সপিয়ার।
যে কোন পরিবেশে সৎ থাকাটা একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম।-জনগে।
যাদের লজ্জা কম, তাদের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ কম।-আর. এইচ. বারহাম।
অন্যের কল্যাণ করার সময় অন্তরে বিশ্বাস রেখ, তুমি নিজেরই কল্যাণ সাধন করছো।-ফা’রাবী।
জীবনের সম্ভাবনাকে সচেষ্ট হয়ে জাগিয়ে তুলতে হয়।-মিস কারম্যান।
যদি ভুল কর, তবে তা সংশোধনের জন্য বিলম্ব বা লজ্জাবোধ করোনা।-কনফুসিয়াস।
বৃষ্টি যেমন শুস্ক জমিনকে সতেজ করে, জ্ঞানও তেমনি নির্জীব অন্তরকে সজীব করে।-লোকমান হাকিম।
অস্থিও মানসিকতা স্বাস্থ্য ও শান্তি দুটোতেই বিঘœ সৃষ্টি করে।-আফরাবেন।
একজন ভালো মানুষ, ভালো মানুষ তৈরী করতে পারে।-মেনান্ডার।
সংকীর্ণ মানসিকতা যতখানি অশান্তি আনে, ততখানি আর কিছুতে আনে না।-ফ্রাঙ্ক পুটনাম।
দূনীর্তিকে যতই প্রশ্রয় দেয়া যাবে, ততই তা বাড়বে।-স্যামুয়েল দানিয়েল।
নিরাশ হয়ো না তাতে আয়ু  হ্রাস পায়।-এরিস্টটল।
অনেক সময় ভালোকে ভালো বলার জন্য সৎসাহসের প্রয়োজন হয়।-দান্তে।
যে সৎ চিন্তায় নিমগ্ন থাকে কলুষতা তাকে স্পর্শ করতে পারে না।-জর্জ লিনলে।
ইতিহাসের অভিজ্ঞতা বলে ভাগ্য তাঁদেরই পক্ষে যায় যাঁদের নিজেদের পূর্বপ্র¯ত্ততি থাকে।-লুই পা¯ত্তর (ফরাসি বিজ্ঞানী)।
লক্ষ্য অর্জন কোনো ভাগ্যের বিষয় নয়, এটি নিশ্চিতভাবেই নিজের অর্জনের ব্যাপার।-উইলিয়াম জে ব্রায়ান (মার্কিন রাজনীতিবিদ)।
মানুষ ভাগ্যের শৃঙ্খলে বন্দী নয়, বরং সে বন্দী নিজের চিন্তা-চেতনার কাছে।-ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট)।
কোনো মহৎ প্রতিভাই কিছুটা পাগলামো ছাড়া হতে পারে না।-সেনেকা(রোমান দার্শনিক)।
নিরানব্বই ভাগ পরিশ্রম আর এক ভাগ অনুপ্রেরণার সম্মিলিত রূপই প্রতিভা।-টমাস আলভা এডিসন (মার্কিন বিজ্ঞানী)।
প্রত্যেক মানুষই প্রতিভা নিয়ে জন্মায় কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা ধরে রাখতে পারে না।-এডগার্ড ভার্জ (ফরাসি সংগীতজ্ঞ)।
কর্ম থেকে কর্তৃত্বকে যতই দূরে পাঠানো যাবে ততই মজুরির বোঝা হয়ে মানুষকে চেপে মারবে।-রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর।
এমন কোনো মানুষকে তোমার কাজের দায়িত্ব দিও না যে শুধু টাকার জন্য কাজ করবে; বরং তাকে দায়িত্ব দাও, যে ভালোবেসে কাজটি করবে।-হেনরি ডেভিড থরো (মার্কিন লেখক)।
মানুষ ভুলে যায় কত দ্রুত তুমি কাজটি করেছ, বরং মনে রাখবে কাজটি কত নিখুঁত হয়েছে।-জেমস হাওয়ার্ড (মার্কিন চলচ্চিত্রকার ও সমালোচক)।
প্রযোজনের তাগিদেই মানুষ কিছু সৃষ্টি করে।-স্টেইন ভবলেন (নরওয়েজীয় সমাজবিজ্ঞানী)।
যে ব্যক্তি শিক্ষাকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন তিনিই প্রকৃত সৃজনশীল মানুষ।-চার্লস কোঁরিং (মার্কিন প্রকৌশলী)।
ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভালো ধারণাই একজনকে নতুন কিছু করতে উদবুদ্ধ করে।-এলান কি (মার্কিন কমপিউটার বিজ্ঞানী)।
যেকোনো সাফল্যের পেছনে কারও না কারও অনুপ্রেরণা থাকে।-প্রবাদ।
অন্যের প্রেরণার চেয়ে নিজের বুদ্ধিকে বেশি গুরুত্ব দাও।-অ্যারন কপল্যান্ড(মার্কিন সংগীতজ্ঞ)
অজ্ঞতা মানুষের জীবনে অন্ধকার রাতের মতো, যে রাতের আকাশে চাঁদ কিংবা তারা কোনোটিই থাকে না।-চৈনিক দার্শনিক (কনফুসিয়াস)।
অজ্ঞতা কখনোই কোনো প্রশ্নের মীমাংসা করতে পারে না।-বেঞ্জামিন ডিজরেলি।
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর, কিন্তু তাই বলে বিদ্যাহীনতা মোটেও ভালো কথা নয়।-বব এডওয়ার্ড।
মানুষকে বিশ্বাস করো, তারা তোমাকে সততা দেখাবে; তাদেরকে মহৎ ভাবো, তারা তার প্রতিদান দেবে।-র‌্যালফ এ এমারসন (মার্কিন লেখক)।
অক্ষম ব্যক্তির শেষ আশ্রয় হিংস্রতা।-আইজাক আসিমত(মার্কিন লেখক ও বিজ্ঞানী)।
ক্রোধ নয়, হিংস্রতা নয়, অধ্যবসায় দিয়েই অম্ভবকে জয় করা সম্ভব।-প্লাটার্স(গ্রিক লেখক)।
শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে অর্জিত জয় ক্ষণস্থায়ী; তা আসলে পরাজয়েরই নামান্তর।-মহাত্মা গান্ধী।
ক্ষুদ্রের সহিত হাতাহাতি করিয়া দিন যাপনকেই জয়লাভের উপায় বলে না-তাহার চেয়ে উপরে ওঠায় জয়।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উপদেশ দেওয়া সহজ, উপায় বলিয়া দেওয়াই শক্ত।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
নিজের মনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করার মাধ্যমেই নিজের উন্নতি ঘটে।-এডওয়ার্ড গিবন।
যেকোনো বিজয়ের মুহূর্তে সতর্ক থাকা দরকার। কারণ, বিজয়ের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে পরাজয়ের বীজ।-র‌্যালফ সকম্যান (মার্কিন ধর্মতত্ত¡বিদ)।
মহৎ ব্যক্তির ওপর সহজেই আস্থা রাখা যায়।-সোলোন (গ্রিক কবি)।
যখন মানুষ কোনো কিছু আগাগোড়া অর্থহীনভাবে করে, তা অবশ্যই কোনো না কোনো মহৎ চিন্তার প্রতিফলন।-অস্কার ওয়াইল্ড (আইরিস কবি)।
শত পুস্পের বিকাশ হোক, শত মতের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা চলুক।-মাও সে তুং।
যত মত তত পথ।-প্রবাদ।
মানুষের আত্মা শাশ্বত ও অবিনশ্বর।-প্লেটো।
আত্মার অনুসন্ধান কোরো না, কারণ জীবন অবিনশ্বর।-পিনডার (গ্রিক কবি ও দার্শনিক)।
অবিনশ্বরতার প্রথম শর্তই হচ্ছে মৃত্যু।-স্ট্যালিন জে লেক (পোলিশ লেখক)।
সমালোচনা ছাড়া কেউ সফল হতে পারে না।-মার্কিন প্রবাদ।
যদি সমালোচনা এড়িয়ে চলতে চাও, তাহলে কিছুই করতে পারবে না, কিছুই বলতে পারবে না, তুমি হয়ে পড়বে অপদার্থ।-অ্যালবার্ট হাবার্ড (মার্কিন লেখক ও প্রকাশক)।
সমালোচনা শীতল বাতাস সইতে পারা স্বাস্থ্যের লক্ষণ।-মোতাহের হোসেন চৌধুরী (বাঙালি প্রাবন্ধিক)।
অন্য কোনো কিছুই অভ্যাসের মতো শক্তিশালী নয়।-ওভিড (রোমান কবি)।
কৌতূহল দমন কোনো ভালো অভ্যাস নয়।-মার্কিন প্রবাদ।
ন্যায়বিচারের তরবারিতে কোনো খাপ থাকে না।-আরব প্রবাদ।
অবিচারের একটি ঘটনার ন্যায়বিচারের জন্য হুমকিস্বরূপ।-মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র (মার্কিন বিপ্লবী)।
বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার অর্থই হচ্ছে ন্যায়বিচারকে প্রভাবিত করা।-উইলিয়াম গ্লাডস্টোন।
পাপকে ঘৃণা করো, পাপীকে নয়।-প্রবাদ।
সঠিক তথ্য না জেনেই আমরা কিছু মানুষকে ঘৃণা করি, আর ঘৃণা করি বলে তাঁদের সম্পর্কে কিছু জানতেও পারি না।-চার্লস কে কলটন (ব্রিটিশ লেখক ও সমালোচক)।
আমাদের নিজেদের অপছন্দের কোনো বৈশিষ্ট অন্যের মধ্যে থাকলেই কেবল আমরা তাঁকে ঘৃণা করতে পারি।-হারমান হেসে (নোবেলবিজয়ী জার্মান লেখক)।
কল্পনাই ডুবে বাস্তবতা এড়ানো যায় না।-প্রবাদ।
ভবিষ্যতের আশা-আকাক্সক্ষা কল্পনাকে সীমাবদ্ধ করে।-চার্লস এফ কোঁরিং(মার্কিন দার্শনিক)।
জ্ঞানের চেয়ে কল্পনাশক্তি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।-আলবার্ট আইনস্টাইন (নোবেলবিজয়ী জার্মান বিজ্ঞানী)।
তোমার জ্ঞানের পরিধির চেয়ে সম্মানকে বেশি গুরুত্ব দিয়ো না।-আরব প্রবাদ।
তরবারির আঘাতের চেয়েও মারাত্মক কুৎসাকারীর জিহŸা।-ফিলিপ সিডনি(ইংরেজ কবি)।
কুৎসা দ্রুত ছড়ায় বটে কিন্তু সত্যের মতো তা স্থায়ী হয় না।-উইল রজার(মার্কিন অভিনেতা)।
সব ভুল বোঝাবুঝির মূলেই রয়েছে ভাষা।-আঁতোয়া সাঁৎ জু পেরি।
ছোট বিষয় প্রকাশ করতে ভারী শব্দ ব্যবহার কোরো না।-শ্যামুয়ের জনসন।
চিন্তা করো জ্ঞানীর মতো কিন্তু যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করো সাধারণের ভাষা।-উইলিয়াম বি ইয়েটস।
একজন আদর্শবাদী অপরের সফলতার জন্য সহায়তার হাত বাড়ান।-হেনরি ফোর্ড।
আদর্শবাদী হিসেবে আমি জানি না, কোথায় চলেছি; কিন্তু এটা জানি যে আমি ঠিক পথে রয়েছি।-কার্ল স্যান্ডবার্গ।
বাঁধাকপির চেয়ে গোলাপের গন্ধ ভালো। কিন্তু আদর্শবাদীরা ঠিকইজানেন, বাঁধাকপিতে ভালো স্যুপ তৈরী হয়।-এইচ.এল.মেনকেল।
আমি অন্ধকারে যতটা দেখি, তার মাত্র এক শতাংশ আলোতে প্রকাশ করতে পারি।-এম.সি.অ্যাচার।
পৃথিবীতে দুই ধরনের আলো আছে-একটি আলোকিত করে, অন্যটি অন্ধকার দূরীভূত করে।-জেমস থার্বার(মার্কিন কার্টুনিষ্ট)।
সঠিক আলোয় সবকিছুই অসাধারণ।-অ্যারোন রোজ (মার্কিন চিত্রশিল্পী)।
মানুষের জীবনে দুটি বিয়োগান্ত ঘটনা বিদ্যমান ঃ হৃদয়ঘটিত প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার দুঃখ, আরেকটা হচ্ছে তা পূরণ হওয়ার যাতনা।-জর্জ বর্নার্ড শ।
মানুষ এমন এক প্রাণী, সে যত পায় তত চায়; তার প্রত্যাশা কখনো পূরণ হওয়ার নয়।-হেনরি জর্জ।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে কাজ ও প্রত্যাশা পরস্পর হাত ধরে চলে এবং এটি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
কৃতজ্ঞতা শুধু গুণই নয়, এটি মানুষের মহত্তম গুণ।-সিসেরো (গ্রিক দার্শনিক)।
কৃতজ্ঞতা হলো সৌজন্য বোধের সবচেয়ে সুন্দর প্রকাশ।-জ্যাক মারিত(ফরাসি দার্শনিক)।
কৃতজ্ঞতা হৃদয় থেকে উৎসারিত, যা অন্যের ভুল ক্ষমা করতে শেখায়।-চার্লস ই জেফারসন।
সরকার অন্যায় কাজ করলে তোমার পক্ষে ঠিক কাজ করা কঠিন।-ভলতেয়ার।
কিছু কিছু পরাজয় অনেক ক্ষেত্রে বিজয়ের চেয়েও বড় আনন্দের উপলক্ষ তৈরী করে।-মিশেল ডি মন্টি।
জীবনে প্রতিটি মানুষকেই এক বা একাধিক পরীক্ষায় হারতে হয়।-বদ্ধুদেব বসু(বাঙালি কবি)।
আত্মগর্ব মানুষের আত্মবিপর্জয় ডেকে আনে।-ঈসপ(রোমান নাট্যকার)।
মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান বাড়িয়ে চলার সাধনায় চিরদিন সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে থেকেছে আমিত্বের অহঙ্কার। আমি যেটুকু জানি সেটা জানাই যথেষ্ট-এ অহঙ্কার।-মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুধু সফল ব্যাক্তিদের আত্মগর্ব পৃথিবী মেনে নেয়, বাকিদের নয়।-জন বøাক।
পাওনাদারের চেয়ে দেনাদারের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়।-বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।
ভালোবাসার স্মৃতি সবচেয়ে মধুর।-শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়।
স্মৃতি হচ্ছে ডায়েরি, যা আমরা সব সময় বয়ে বেড়াই।-অস্কার ওয়াইল্ড(ইংরেজ কবি ও নাট্যকার)।
চোখ আলোর মধ্যেই পূর্ণ হয়। কান শব্দের মধ্যে সার্থক হয়।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রত্যেক মানুষই স্বতন্ত্র ও অদ্ভুত।-উইলিয়াম শেক্সপিয়ার(ইংরেজ নাট্যকার)।
মানুষের সামর্থ্য অফুরন্ত, কিন্তু সে তার ক্ষমতা সম্পর্কে সামান্যই জানে।-জাঁ পল সার্ত্রে।
জ্ঞানের চেয়ে কল্পনাশক্তি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।-আলবার্ট আইনস্টাইন।
বাস্তবতার বিরুদ্ধে লড়াই করার হাতিয়ার হলো কল্পনা।-জুলি দ্য গলাত।
ভবিষ্যতের আশা-আকাক্সক্ষা আমাদের কল্পনাকে সীমাবদ্ধ করে।-চার্লস এফ কোঁরিং।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে, বিরামহীন চলার মধ্যেই সাফল্য নিহিত।-আনা পাভলোভা।
মানুষ সফল হওয়ার জন্যই জন্মায়, ব্যর্থ হওয়ার জন্য নয়।-হেনরি ডেভিড থরো।
সাফল্য একটাই-নিজস্ব ধারায় জীবনযাপন করতে পারা।-ক্রিস্টোফার মোরলে।
তোমার নীরবতা, তোমার সম্মতিরই প্রকাশ।-ইউরিপিডিস(গ্রিক নাট্যকার)।
দুজন ব্যক্তি যদি সব বিষয়ে একমত হন, তাহলে এটা নিশ্চিত যে তাদের মধ্যে কেবল একজনই চিন্তার কাজটি করেছেন।-লিনডন বি. জনসন।
আমি মুখে যা বলি তার সবগুলোর সঙ্গে সব সময় যে একমত পোষণ করি, তা নয়।-মার্শাল ম্যাকলুহান।
সুস্বাস্থের জন্য শরীর ও আত্মার যুগপৎ যতœ প্রয়োজন।-ক্লিওবালাস(গ্রিক দার্শনিক)।
বিশ্বে আসলে একটিই উপাসনালয়, আর সেটি হচ্ছে মানুষের শরীর।-নোভালিস।
আত্মসচেতনতা বা আত্মরক্ষামূলক কোনো ঘটনায় মনের প্রথম পদক্ষেপটি আসে শরীর থেকে- জর্জ শিহান।
‘যত ধীরেই হোক প্রগতি অর্জন করা কাউকে নিরাশ কোরো না।’-প্লেটো (খ্রিষ্টপূর্ব ৪২৭-৩৪৭)।
‘সংঘাত ও দ্ব›েদ্বর মধ্য দিয়ে প্রগতি ঘটে।’-কার্ল মার্কস(১৮১৮-১৮৮৩), জার্মান দার্শনিক।
ভালোবাসায় ভয় পাওয়া মানে জীবনকেই ভয় পাওয়া; আর যারা জীবনকে ভয় পায়, এরই মধ্যে তারা তিনবার মরেছে। বার্টান্ড রাসেল(১৮৭২-১৯৭০), ইংরেজ দার্শনিক।
জন্ম ও মৃত্যু কারও ইচ্ছাধীন নয়, তাই মধ্যবর্তী সময়টুকু উপভোগ করাই শ্রেয়।-জর্জ সান্তানা
‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি হলো স্বাধীনতা।’ অ্যারিস্টটল (খৃষ্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২)
রাষ্ট্র থাকলে (নাগরিকদের) স্বাধীনতা থাকে না, আর স্বাধীন সমাজে রাষ্ট্র থাকতে পারে না।’-লেনিন।
মানুষের শরীরের মোট ওজনের ৬৫ শতাংশ হলো অক্সিজেন।
সোয়াজিল্যান্ডের মানুষের গড় আয়ু ৩২ বছর, যা বিশ্বগড়ের চেয়েও অর্ধেক।
আমাজান নদীর দৈর্ঘ্য ৬,২৭৫ কিলোমিটার।
লবণ কম খান, সুস্থ থাকুন।
ভারতের দিল্লি শহরের জ্ঞানেশ রিশি এক লোক আধালিটারের একটা সসের বোতল ৩৯ সেকেন্ডে নিঃশেষ করতে পারেন!
বস্ত্র ধৌতি হলো ভারতীয় যোগীদের একটা অনুশীলন। এ অনুশীলনে ২৫ ফুট দীর্ঘ এক ফালি কাপড় খাওয়া হয় পাকস্থলী ও খাদ্যনালি পরিস্কার করার জন্য।
সিংহ দিনে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায় এবং এভাবে এক বা দুই দিন না খেয়ে কাটিয়ে দেয়।
‘ডেভি ক্রকেট’ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্র পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র, যা একজন যুদ্ধবীরের নামানুসারে রাখা হয়। এখন একেবারেই অব্যবহৃত ওই অস্ত্রটির ওজন ছিল মাত্র ৭৬ পাউন্ড।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ২০ বছর ধরে বহু বিলিয়ন নগদ ডলার রেখেছে। পারমাণবিক আক্রমণের সময় যাতে সেগুলো কাজে লাগানো যায়।
প্রতি ৯৮ মিনিটে ইংরেজি ভাষায় একটি করে নতুন শব্দ যুক্ত হচ্ছে।
কমপিউটার এক অপদার্থ। সেগুলো উত্তর দেওয়া ছাড়া আর কিছু জানে না।-পাবলো পিকাসো
কমপিউটারের ভেতর আপনি যা কিছুই রাখুন না কেন, এর ওজন বা আকার তাতে বাড়বেও না, কমবেও না।-বিল গেটস।
‘বিজ্ঞান হলো সুগঠিত জ্ঞান, আর প্রজ্ঞা হলো সুগঠিত জীবন।’-ইমানুয়েল কান্ট।
পৃথিবীর এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ এক ধরনের দাসত্বে বা বলপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত।
পৃথিবী সফল লোকের দর্প সহ্য করে, অন্য কারও নয়।-জন বেøক।
গোঁড়ামির ওপরে প্রতিষ্ঠিত মতাদর্শ সব সময়ই সর্বোচ্চ সহিংসতা ডেকে আনে।-ফ্রান্সিস জেফরি।
যখন ভালো কিছু করি, তখন ভালো লাগে; যখন মন্দ কিছু করি, খারাপ লাগে। এটাই আমার ধর্ম।-আব্রাহাম লিংকন।
লোকজনকে পেটানোর বাইরেও অনেক মজার কাজ আছে।-মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।
মানুষ যখন কথা বলে, পূর্ণভাবে শোনো। বেশির ভাগ মানুষ অন্যের কথা শোনে না।-আর্নেস্ট হেমিংওয়ে(১৮৯৯-১৯৬১), মার্কিন কথাসাহিত্যিক।
আপনি কী জানেন, আর কী জানেন না, সেটা জানাই হচ্ছে জ্ঞান। কনফুসিয়াস(চীনা দার্শনিক)
জ্ঞানের মাধ্যমে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সংখ্যা দিয়ে নয়। প্লেটো (গ্রিক দার্শনিক)।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে যৌবন ও নারীর সৌন্দর্য। চাণক্য (ভারতীয় দার্শনিক ঃ খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০-২৭৫)
যেখানে হইচই আছে, সেখানে প্রকৃত জ্ঞান নেই। লেওনার্দো দা ভিঞ্চি(ইতালী শিল্পী ও বিজ্ঞানী।
এ পর্যন্ত ১১২টি মৌলিক পদার্থ বিশ্বে আবিস্কার হয়েছে। প্রসঙ্গত, নতুন মৌল আবিস্কারের পর্যায় সারণিতে এখন পর্যন্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও জার্মানির বিজ্ঞানীদেরই অবদান রয়েছে। ফক্স নিউজ। সৌরজগতের বাইরে ৭১৫টি গ্রহ আবিস্কৃত। ২৭-০২-২০১৪ তারিখে বলেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪২৩টি হাওর রয়েছে। দেশের মোট আয়তনের ৬ ভাগের ১ ভাগ জুড়ে এ হাওরাঞ্চলে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস।
বাংলাদেশে প্রায় ২১ হাজার কিলোমিটার সড়কের মধ্যে চার হাজার সাত কিলোমিটার সড়ককে জাতীয় সড়ক ও মহাসড়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চীনের ইউয়ান রাজত্বের (১২৭১-১৩৬৮) মোঙ্গলীয় শাসকেরা সর্বপ্রথম কাগজের মুদ্রার অর্থনীতি চালু করেন।
৩১-০৫-২০১০ তারিখ জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশের ১০ হাজার ৪২২ জন শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করে।
একটি গড়পড়তা আলবাট্টস পাখির পাখার দৈঘ্য প্রায় ১৪ ফুট লম্বা হয়। ইচ্ছা করলে পাখিটি কয়েক বছর একনাগাড়ে উড়ে বেড়াতে পারে। এদের একেকটি ভ্রমণ প্রায় হাজার মাইল হয়ে থাকে।
‘পরিশ্রম করুন এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিন। বিশ্রাম না নিলে কর্মস্পৃহা সৃষ্টি হয় না।
‘মানুষ জন্মগতভাবেই জ্ঞানপিয়াসী।’ অ্যারিস্টটল (খ্রীষ্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২), গ্রিক দার্শনিক।
‘যদি না জানো, তাহলে নিজেকে বলো যে তুমি জানো না। আর যদি জানো, তাহলে বলো যে তুমি জানো-এটাই জ্ঞান।’ কনফুসিয়াস (খ্রীষ্টপূর্ব ৫৫১-৪৭৯)।
‘জ্ঞানই শক্তি।’ ফ্রান্সিস বেকন (১৫৬১-১৬২৯), ব্রিটিশ দার্শনিক।
ফিনল্যান্ডের একটি যায়গা ১২ ঘন্টা রাত আর ১২ ঘন্টা দিন। আর একটি যায়গা ২২ ঘন্টা দিন আর দু ঘন্টা রাত।
২০১২ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর লোকসংখ্যা ৭০৬ কোটি। আর পৃথিবীর আয়তন ১৯,৫২,১৭,৮০০ (উনিশ কোটি বায়ান্ন লক্ষ সতের কোটি আটশত) বর্গমাইল। প্রতিবর্গমাইলে বাস করে-৩৬.১৬ জন। একজনের ভাগে সাগরসহ ১,৭৬৯.৬৮ শতক বা ১৭.৭০ একর যায়গা পায়।
৫,৭০,১৭,০০০ (পাঁচ কোটি সত্তর লক্ষ সতের হাজার) বর্গমাইল। প্রতিবর্গমাইলে বাস করে-১২৪ জন। একজনের ভাগে যায়গা পায় ৫১৭.৮৭ শতক বা ৫.১৭ একর ।
বাংলাদেশে ২৫-০৭-২০১২ তারিখের হিসেবমতে ১৭(সতের) কোটি মানুষ। ৫৭,২৯৫ (সাতান্ন হাজার দুইশত পঁচানব্বই) বর্গমাইল। প্রতিবর্গমাইলে বাস করে-২,৯৬৭ জন। একজনের ভাগে যায়গা ২২.৯২ শতাংশ।
২০১২ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশি ফল রক্ষার আহবান ঃ শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে ১৩০টির বেশি দেশি ঐতিহ্যবাহী ফল রয়েছে।
২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : বাংলাদেশে গত চার বছরে প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন আত্মহত্যা করেছেন। আত্মঘাতীদের বড় অংশের বয়স ২১ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। বেশির ভাগ নারী গলায় দড়ি, পুরুষ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
আগামীকালের কাজ ভালো করার সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি হলো আজ কাজ ভালো করে করা। এলবার্ট হাবার্ড।
বাংলাদেশের অন্তর্গত সুন্দরবনের আয়তন কত-২৪৯৯ বর্গমাইল।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প কোনটি-তিস্তা সেচ প্রকল্প।
‘‘আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে। সন্ধ্যাবেলায় দ্বীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় সলতে পাকানো।’’ এ অধ্যায় সেই ‘‘সকালবেলায় সলতে পাকানো।’’
(ইকবাল হোসেন সুমন)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *