১৯৮২ সালের জাতীয় ওষধনীতি প্রণয়ন করা হয়। তখন দেশে কোনো স্বাস্থ্যনীতি ছিল না। ২০০৫ সালে দ্বিতীয় ওষধনীতি প্রণয়নের সময় এমন কোনো আদর্শিক অবস্থান ছিল না।
২০০০ সালের ১০ মে, ওষুধ-প্রশাসনের অনিয়ম সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট পেশ ঃ ১৩৯টি বিদেশী ওষুধের মধ্যে ১৩৮টি বিধিবহির্ভুত।
২০০৪ সালের ১৫ জুলাই, নূরুল আলম শাহীন ঃ ঢাকা মেডিকেলে বছরে ৩৫ লাখ রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭(সাত) হাজারেরও বেশী অভিজ্ঞ চিকিৎসক তৈরী করেছেন। হাসপাতাল বেডের সংখ্যা-১,৭০০।
২০০৬ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, উমর ফারুক আলহাদী ঃ অর্ধশতাধিক কারখানা ভেজাল নিম্নমানের ওষুধ তৈরী করছে। ৫৫ হাজারের বেশী ফার্মেসীর লাইসেন্স নেই।
২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর, বাসস ঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে চাহিদার ৯৬ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদন হয়।
২০০৭ সালের ৭ ডিসেম্বর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক ৪৫,৭২৩ ও নার্সের সংখ্যা ১৪,৯৭১ জন। ৩,০১২ জনে ১ জন চিকিৎসক এবং ৬,৩৪২ জনের জন্য ১ জন নার্স। এ সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
২০০৮ সালের ১৩ জুন, হেলথ ওয়াচের গবেষণা তথ্য প্রকাশ। দেশের ৮০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা দেয় হাতুড়েরা।
২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশের বাজারে ২২ হাজার ওষুধ। গুণ-মান দেখার পরীক্ষাগার মাদ্র দুটি, সঙ্গে তীব্র জনবল-সংকট। প্রতিষ্ঠান দুটিতে কাজ করছেন ৫৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। ওষুধ প্রশাসন সূত্র জানায়, সারা দেশে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ কোম্পানি রয়েছে ২৪৬টি, ইউনানি ২৬১টি, আয়ুর্বেদিক ১৬১টি ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ কোম্পানি ৭৭টি।
২০১০ সালের ২১ জুন, প্রথম আলো ঃ সরকারি হাসপাতালগুলোয় ৬,৮৬১ চিকিৎসকের পদ শূন্য। নার্সের শূন্যপদের সংখ্যা তিন হাজার ৫৫১।
২০১০ সালের ১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণায় পাওয়া তথ্য। উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসক অনুপস্থিতির হার ৮৩ শতাংশ।
২০১১ সালের ২৬ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ৮৫ ভাগ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিয়ম মানছে না।
২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ভেষজ ওষুধের নামে প্রতারণা-আয়ুর্বেদ-ইউনানি ও হারবাল ওষুধ উৎপাদনকারী অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ৪৫০টির মতো। অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান আছে কয়েক হাজার।
২০১১ সালের ৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্য সেক্টরে এখনও ৪২ হাজার পদশূন্য-ব্যাহত হচ্ছে জনস্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা।
১৯৮৯ সালের ১৬ জুনের রিপোর্ট অনুসারে ঃ বাংলাদেশে ৩.৫৩(তিন কোটি তিপ্পান্ন লক্ষ) একর জমি আছে। এরমধ্যে ৩.২০(তিন কোটি বিশ লক্ষ) একর জমি চাষযোগ্য।
১৯৯৯ সালের ৯ জানুয়ারির তথ্য-বাংলাদেশে বছরে ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) কোটি টাকার কৃষি পণ্য বিনষ্ট হচ্ছে।
২০০০ সালের ১০ মে-বাংলাদেশে প্রতিবছর ইদুুর, পাখী ও বানর ১৫(পনের) লক্ষ টন খাদ্যশস্য খায় ও নষ্ট করে।
২০০২ সালের হিসেবমতে ঃ ঢাকা শহরের মিউনিসিপ্যালিটি এরিয়ায় প্রতি বর্গমাইলে জনবাসের সংখ্যা ২.৫(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার); বস্তির সংখ্যা ৩,৫০০(তিন হাজার পাঁচশত); বস্তির প্রতি বর্গমাইলে বসবাস করে ৮ লক্ষ মানুষ। উচ্চ বিত্তের তুলনায় বস্তিবাসীর ঘরভাড়া বেশি।
২০০৪ সালের ৭ মে, সকল চাপ উপেক্ষা করে আগামীতে কৃষিতে ১(এক) হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। দাতাদের পরামর্শে কৃষির প্রাণ যায় যায়-ইধারএফ-এর আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী এম. কে. আনোয়ার।
২০০৪ সালের ১৯ জুলাই, মোঃ শামসুল আলম খান ঃ বাংলাদেশে প্রতিবছর সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ফল, শাকসবজি, শস্যদানাসহ কৃষিজাতপণ্য উত্তোলন, যতœ ও সুষ্ঠ সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজী ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ফলের ঘাটতির পরিমাণ ৩০ লক্ষ টন। পুষ্টিমান অনুযায়ী জনপ্রতি ফলের দৈনিক চাহিদা ৬৫ গ্রাম। ফল খুবই পচনশীল দ্রব্য। আমাদের দেশে কমপক্ষে ২৫ ভাগ ফল নষ্ট হয়ে যায়।
২০০৪ সালের ২ নভেম্বর, বাসস ঃ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর রিপোর্ট-তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর, জাকারিয়া কাজল ঃ সামনে চরম খাদ্য সঙ্কট ঃ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী। দেশে খাদ্য সঙ্কটের কোন কারণ নেই ঃ খাদ্যমন্ত্রী।
২০০৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, আখতার হামিদ খান ঃ ২০৮৮ সালের মধ্যে দেশ কৃষি ভূমিশূন্য হয়ে পড়বে। প্রতিদিন গড়ে ৫২৮-একর কৃষি জমি অকৃষিখাতে চলে যাচ্ছে। ভূমি ব্যবহার নীতিমালা বাংলাদেশ গেজেট যা ২১ জুন, ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয় তা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী একটি বেসরকারী মানবাধিকার সংস্থার (এইচ.আর.ডি.সি’র) সমন্বয়কারী ও গবেষক হানিফ মাহমুদের বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় যে, কৃষি জমি হ্রাস পাওয়া ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির দ্বৈত ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৮৫-বছর পর বা ২০৮৮ সালের পর বাংলাদেশে আর কোন কৃষি জমি থাকবে না।
২০০৫ সালের ১৭ মার্চ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সেমিনারে কৃষিমন্ত্রীর তথ্যপ্রকাশ-১ কোটি ১৬ লাখ কৃষি পরিবার প্রশিক্ষণ পেলে খাদ্য উৎপাদন ৩০ লাখ টন বাড়বে। প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
২০০৫ সালের ২৮ জুন, সংসদ রিপোর্টার ঃ দেশে বর্তমানে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৪ দশমিক ৮৫ লাখ হেক্টর। এরমধ্যে সেচযোগ্য জমি ৭৫ দশমিক ৬০ লাখ হেক্টর এবং সেচের আওতাধীন জমি ৪০ দশমিক ১৮ হেক্টর। সেচযোগ্য জমির ৫৩-দশমিক ১৫ শতাংশ জমি সেচের আওতায় রয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদে মেজর (অব.) মনজুর কাদেরের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এম. কে. আনোয়ার এ কথা জানান।
২০০৫ সালের ৪ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণ ঃ বিশ্বব্যাংক। এ কথার অর্থ মিথ্যা বলা।
২০০৫ সালের ১৮ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ এদেশে কৃষি উৎপাদন বেশী করলে কৃষকের ক্ষতি হয় ঃ কৃষিমন্ত্রী এম. কে. আনোয়ার। যে কাজ করলে কৃষকের ক্ষতি হয় না সে কাজ করা হোক।
২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারি, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ধানের কাছে হেরে যাচ্ছে মাছ। জাতীয় মৎস্য সম্মেলনে সমন্বিত গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ।
২০০৬ সালের ১০ এপ্রিল, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে কৃষিতে বিপর্যয় ঘটতে পারে। বিএডিসির সেমিনারে কৃষি ও পানি বিশেষজ্ঞগণ। নব্বইয়ের দশকের শুরুতেও বাংলাদেশের কৃষিতে যেখানে সর্বমোট ২-লাখ গভীর ও অসভীর নলকুপ ব্যবহার হতো সেখানে ২০০৬ সালে কেবল অসভীর বা শ্যালো টিউবঅয়েল ব্যবহারের সংখ্যাই দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ। এতে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলন অনেক বেড়ে গেছে।
২০০৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিউটের সাফল্য। ২৬০টি উন্নতজাতসহ ৩ শতাধিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন-এখন আর মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে না। এ কথার সাথে আমি মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর) একমত নই এবং এখনও মানুষ ক্রয় ক্ষমতার অভাবে না খেয়ে মারা যাইতেছে(০৪-০১-২০১৬ তারিখ)।
২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ ধানচাষ বৃদ্ধি দেশে অপুষ্টি ও দারিদ্র্য বাড়াচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তায় অনিশ্চয়তা সৃষ্টি ঃ কৃষি বৈচিত্র্য কমছে। বাংলাদেশে ধান চাষ যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই বাড়ছে পুষ্টিহীনতা ও দারিদ্র্য। ধানের আবাদ বাড়াতে গিয়ে বর্তমানে ডাল, তেল, সবজি, ফলমূল, গম, আখ, পাট ও মসল্লা জাতীয় ফসল এবং মাছ, মাংস ও দুধের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক কমে গেছে। অথচ এসব ফসলের বেশীরভাগই হচ্ছে জনগণের পুষ্টি ও দরিদ্র কৃষকের নগদ অর্থের অন্যতম প্রধান উৎস।
২০০৭ সালের ১৪ মে, চুয়াডাঙ্গা থেকে কামাল উদ্দিন জোয়ার্দার ঃ দেশে একরে ১২৩ মণ ধান উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দাতা প্রতিনিধিদের সঙ্গে পররাষ্ট্র ও খাদ্য উপদেষ্টার বৈঠক। পাঁচ লাখ টন খাদ্য সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ। গত ৭ বছরে খাদ্যের উৎপাদন বাড়েনি। মানুষ বাড়ছে দেড় কোটি।
২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সংবাদ সম্মেলনে সি.এস.করিম-চলতি বছর চাল ঘাটতি ৩১ লাখ টন। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি ১৪ লাখ টন। সরকারি এবং বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হয়েছে ১২ লাখ টন। ঘাটতি মেটাতে আরও ১৯ লাখ টন চাল আমদানি করতে হবে আগামী ৩০-০৬-২০০৮ সালের মধ্যে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, ৫ লাখ টন চাল আনতে পারবে বাংলাদেশ-ভারত থেকে। ঝটিকা সফরে এসে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা ঃ ঘুর্ণিঝড় ও সিডরে আক্তান্ত ১০টি সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে চায় ভারত।
২০০৮ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশের মোট আবাদযোগ্য জমির শতকরা ২৫ ভাগ জমি বর্গাদারি বা ভাগচাষ প্রথায় চাষাবাদ করা হয়। জাতীয় আয়ের ১৫ ভাগ শিল্পখাতের। ৬৩টি বস্ত্র ও সুতাকল আছে, ১৭টি চিনির কল আছে, বিশ্বের ১০৭টি দেশে পণ্য রপ্তানি করে।
২০০৮ সালের ২৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ডেস্ক-খরাপ্রবণ অঞ্চলে ধানের ফলন দ্বিগুণ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক ব্যাপক নিরীক্ষা চালিয়ে জিনগুলো শনাক্ত করেন। পরীক্ষামূলকভাবে এসব জিনের বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবিত জাতের ধানে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া গেছে।
২০০৯ সালের ১৬ মে, প্রথম আলো ঃ আইসল্যান্ডে গড়ে প্রতি হাজার হেক্টর আবাদি জমির জন্য ট্রাক্টরের সংখ্যা এক হাজার ২৮৮টি। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানটি ¯েøাভেনিয়ার, গড়ে প্রতি হাজার হেক্টর আবাদি জমির জন্য ট্রাক্টরের সংখ্যা ৫৫৯টি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০তম, গড়ে প্রতি হাজার হেক্টর আবাদি জমির জন্য ট্রাক্টরের সংখ্যা .০৭টি/দশমিক শূন্য সাতটি।
২০০৯ সালের ১৬ আগষ্ট, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ২০ বছরে কৃষি জমি কমেছে প্রায় ৫০ লাখ একর। ল্যান্ড জোনিং কর্মসূচীর অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়। প্রতিদিন ২২০ হেক্টর কৃষি জমি চলে যাচ্ছে শিল্প-কারখানা স্থাপন, নগরায়ণ, বসতবাড়ি তৈরি ও রাস্তাঘাট নির্মাণের কাজে।
২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ সরাসরি ভর্তুকি দিতে এক কোটি ৪২ লাখ কৃষকের তালিকা তৈরি। বোরেতে ভর্তুকি দেওয়া হবে পরিচয়পত্র দেখে।
২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোট পরিবারের সংখ্যা দুই কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার। এরমধ্যে কৃষক পরিবারের সংখ্যা এক কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার।
২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংসদীয় কমিটির সভায় তথ্য ঃ এবার দেশে ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে।
২০১০ সালের ১৪ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশে ১ কোটি ৮২ লাখ কৃষক পরিবারকে দেয়া কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এ কার্ডের মাধ্যমে ৯২ লাখ বোরো চাষী ডিজেল ক্রয়ে ৭৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি পেয়েছেন।
২০১০ সালের ৯ আগষ্ট, জনকন্ঠ ঃ দশ টাকা দিয়ে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলেছে ৮৯ লাখ চাষী।
২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ শিল্প স্থাপনে উর্বর কৃষিজমি ব্যবহার করা যাবে না। অনুমোদনের অপেক্ষায় পাঁচ বছর মেয়াদি নতুন শিল্পনীতি। ০৬-০৯-২০১০ তারিখ জাতীয় শিল্পনীতি অনুমোদিত।
২০১০ সালের ২১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ কৃষিশুমারির প্রাথমিক তথ্য। দেশে কৃষিকাজে জড়িত দুই কোটি ৯৬ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। আর পল্লি এলাকায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার, যা মোট কৃষিজীবির ৯৯ দশমিক ৩ শতাংশ। আর শহর এলাকায় মাত্র দুই লাখ ১৮ হাজার মানুষ কৃষিকাজে জড়িত। কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা দুই কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার আর নারী ৮০ লাখ ৬৬ হাজার। মোট কৃষিজীবীদের মধ্যে ৭২ দশমিক ৮ শতাংশই পুরুষ। এছাড়া সারা দেশে এক কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার একর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এরমধ্যে কৃষিকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এক কোটি ৯০ লাখ ৭১ হাজার একর জমি, যা মোট আবাদি জমির ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ। আর অকৃষিকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ২৭ হাজার একর জমি, যা মোট আবাদি জমির দশমিক ১ শতাংশ। এখন ৯৯ লাখ ৭৯ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়। বর্তমানে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার একর জমিতে শাকসবজির চাষ হয়।
২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ পিপিআরসির গবেষণার তথ্য। হাওরে বছরে দুটি ফসলের চাষ সম্ভব। ষাটের দশকে দেশে কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৯২ লাখ হেক্টর বা ২ কোটি ৩০ লাখ একর জমি। আর বর্তমানে তা ৮২ লাখ হেক্টর বা ২ কোটি ৫ লাখ একর জমিতে নেমে এসেছে। তার পরও ধানের বর্তমান জাতগুলো দিয়ে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ এক লাখ টন খাদ্যশস্য কিনবে সরকার। ৫০ হাজার টন আতপ চাল ও ৫০ হাজার টন গম। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
২০১১ সালের ২০ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ আমনেও পড়তি দাম।
আমন ধানের বাজার
(মনপ্রতি টাকায়) ২০১১ সাল ২০১০ সাল
উৎপাদন খরচ ৫৬০ ৫০০
দাম ৫০০-৬০০ ৭০০-৮০০
রংপুরে উৎপাদন খরচই উঠছে না। ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কৃষক।
২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ চলতি অর্থ বছরে (২০১০-২০১১) সারাদেশে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ।
২০১০ সালের তথ্য ঃ বাংলাদেশে মোট জমির পরিমাণ ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার একর এবং আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার একর। চাষের জমির পরিমাণ-২৫ লক্ষ ৮০ হাজার একর। আর বন্যা কবলিত জমির পরিমাণ-১ কোটি একর। সেচ এলাকার জমির পরিমাণ-৯২ লক্ষ একর।
২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মজুদ বাড়াতে পাঁচ নিত্যপণ্য আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, চলতি বছর সরকারিভাবে চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ টন। তা বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ টন। আর গম আমদানির লক্ষ্যমাত্রা সাত লাখ ৫০ হাজার টন থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টন করা হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে চাল আনা হতে পারে।
২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ এক ধানগাছে বাববার ধান। নিজের উৎপাদিত ধানখেতের সামনে জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরীর চার বছরের গবেষণায় একফসলি ধান এখন পরিণত হলো দোফসলিতে।
২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে উৎপন্ন হবে ৫ কোটি ৪২ লাখ মেট্রিক টন। খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন-এবার ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ থাকবে সরকারের কাছে। সারের দাম বাড়বে না, প্রয়োজন হবে না চাল আমদানির।
২০১১ সালের ১৭ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করবে ওমান থেকে।
২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ কৃষিজমি কমায় বছরে ক্ষতি ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিআইডিএসের গবেষণার ফল প্রকাশ। গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের মোট আয়তনের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ জলাভূমি, ৫৩ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমি কৃষি কাজের উপযোগী। গবেষণায় দেখা গেছে, উর্বর কৃষিজমি মূলত ইটভাটা, শিল্পকারকানা স্থাপনের কাজে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। এক-মঞ্চমাংশ কৃষিজমি বর্গাচাষ ও অংশীদারির মাধ্যমে চাষ হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত এক হাজার ২০০ কিলোমিটার জমি নদীভাঙনের কবলে পড়ে হারিয়ে গেছে। লবণাক্ততার কারণে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১০ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। জলাবদ্ধতা থাকায় ১২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। আবার মাটির গুণাগুণ কমে যাওয়া ও খরার কারণে দেশের ৪৩ শতাংশ জমির উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ১৯৯১ সালে বলা হতো, দেশের কৃষি জমি এক শতাংশ হারে কমছে। বর্তমানে এই হার কমার হার এক শতাংশেরও বেশি উল্লেখ করে বিআইডিএস ও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষকেরা জানিয়েছেন।
২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠঃ বগুড়ার মাঠে কম্বাইন্ড হারভেস্টর বা ধান কাটাই মাড়াই ঝাড়াই যন্ত্রের ব্যবহার।
২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর, দেনিক জনকন্ঠ ঃ ২০১২ সালের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ম্ভর হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আরেকবার বলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালেও খাদ্যে স্বয়ম্ভর বাংলাদেশ। তা’হলে খাদ্য ঘাটতি হল কেন?? এ কথার পর আবার পর্যাপ্ত গম আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার কেন।
২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ বাংলাদেশে এখন খাদ্য ঘাটতি নেই। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। আমি এ কথার সাথে একমত নেই। উৎপাদনে সরকার সফল-বাজারে ব্যর্থ-শাইখ সিরাজ।
২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন।
২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনে উদাহরণ বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ঠিক পরে ১৯৭২ সালে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন। সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য ওই খাদ্য পর্যাপ্ত ছিল না। ৪২ বছরে এখানে মানুষ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি, আর আবাদি জমি কমেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। অথচ দেশে এখন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে তিন গুণ বেশি; ভুট্টাসহ এর পরিমাণ প্রায় চার কোটি মেট্রিক টন।
২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো : সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা বলেছেন-২০০৮ সালে খাদ্যের উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৮৩ লাখ মেট্রিক টন। সেবার ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়েছিল। এ অর্থবছরে ৩ কোটি ৮৭ লাখ মেট্রিক টনখাদ্যশস্য উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দেশের চাহিদা ২ কোটি ৯৫ লাখ মেট্রিক টন।
২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো : ধানের জন্মগত ক্রমবিন্যাস সংরক্ষণের উদ্যোগ। এই উদ্যেগের ফলে তিন হাজারের মতো ধানের প্রজাতির জন্মগত ক্রমবিন্যাস এখন থেকে এফএওর কাছে রক্ষিত থাকবে। ধান বিশ্বের অর্ধেক মানুষের প্রধান খাদ্য।
২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ১৯৭১-২০১৫ এই ৪৪ বছরে দেশের ধান চাষের জমি ১৮ শতাংশ কমেছে। জমি কমলেও চাল উৎপাদন বেড়েছে ৩.১৬ গুণ।
দানাদার ফসল উৎপাদনে অগ্রগতি ঃ উৎপাদন হিসাব লক্ষ মেট্রিক টনে
চাল উৎপাদন বেড়েছে ৩.১৬ গুণ ঃ
১৯৭০-৭১ ১০৯.৬৭ ১৯৮০-৮১ ১৫১.৬২ ১৯৯০-৯১ ১৭৮.৫২
২০০০-০১ ২৫০.৮৭ ২০০৫-০৬ ২৬৫.৩০ ২০১০-১১ ৩৩৫.৪০
২০১৪-১৫৩৪৭.১০
গম উৎপাদন বেড়েছে ১২.২৫ গুণ ঃ
১৯৭০-৭১ ১.১০ ১৯৮০-৮১ ১০.৭৫ ১৯৯০-৯১ ১০.০৪
২০০০-০১ ১৬.৭৩ ২০০৫-০৬ ৭.৩৫ ২০১০-১১ ৯.৭২
২০১৪-১৫১৩.৪৮
আলু উৎপাদন বেড়েছে ১০.৯০ গুণ ঃ
১৯৭০-৭১ ৮.৪৯ ১৯৮০-৮১ ৯.৮৩ ১৯৯০-৯১ ১২.৩৭
২০০০-০১ ৩২.১৬ ২০০৫-০৬ ৪১.৬১ ২০১০-১১ ৮৩.২৬
২০১৪-১৫৯২.৫৪
ভুট্টা উৎপাদন বেড়েছে ৭৫৭ গুণ ঃ
১৯৭০-৭১ ০.০৩ ১৯৮০-৮১ ০.০১ ১৯৯০-৯১ ০.০৩
২০০০-০১ ০.১০ ২০০৫-০৬ ৫.২২ ২০১০-১১ ১০.১৮
২০১৪-১৫২২.৭১
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ চাল উদ্বৃত্ত, তবু আমদানি চলছে। রপ্তানির চেয়ে আমদানি ৩০ গুণ বেশি। নতুন শস্য কেনা হবে ১৮ লাখ টন, গুদামে জায়গা মাত্র ৬ লাখ টন।
১৯৯০ সালে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিকেএসএফ এ যাবৎ ২০০টিরও বেশী সহযোগী সংস্থার (পার্টনার অর্গানাইজেশনস)-এর মাধ্যমে ৬০ লাখ গ্রহীতাকে ২২শ’ কোটি টাকা ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করে।
১৯৯৪ সালের ১৩ অক্টোবরের তথ্য-বাংলাদেশে বছরে ৪০(চল্লিশ হাজার) শিশু অপুষ্টির কারণে দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে।
১৯৯৮ সালের ৫ এপ্রিল, বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন রিপোর্টে অশনি সঙ্কেত-দারিদ্র জনগোষ্ঠী ক্রমাগত হারে নগর জীবন গ্রাস করছে।
১৯৯৮ সালের ১ মে’র হিসেব-বৈষম্যচিত্র ঃ ৫-বছরে শীর্ষ ৫ শতাংশের মাসিক আয় বেড়েছে ৮,০৭০(আট হাজার সত্তর) টাকা। নিম্নে ৯৫ শতাংশের আয় বেড়েছে ৮৭/-টাকা। ধনী আরও ধনী এবং গরিব আরো গরিব হয়েছে।
১৯৯৮ সালে বিশ্বশিশু পরিস্থিতি রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ২ কোটি শিশু অপুষ্টির শিকার।
১৯৯৮ সালের ৩১ অক্টোবরের তথ্যমতে ঃ গ্রামে মৌসুমি কাজও মিলিতেছেনা, শ্রমজীবি মানুষ শহরের দিকে ছূটিতেছে।
২০০০ সালের ২ এপ্রিল-লাভজনক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দেশ পিছিয়ে আছে। ৪৪.৬৮ ভাগ মানুষ আজ দারিদ্র সীমার নীচে; এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি দারিদ্র ময়মনসিংহে। আমার হিসাবমতে দেশে দরিদ্র মানুষের হার শতকরা ৯৫ ভাগ।
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে ১৫ বছর মেয়াদী বা ২০১৫ সালের মধ্যে যে কর্মসূচী গৃহীত হয়, তা যে বাস্তবায়িত হচ্ছে না অথবা হলেও হবে যৎকিঞ্চিৎ, সে সত্যটুকু ২০০৫ সালে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একই সাথে প্রমাণ করেছে উপরে আলোচিত ইতিহাসভিত্তিক সমাজবিজ্ঞানের কথা। সমাজবিজ্ঞান নির্দেশিত পথেই হবে দারিদ্রবিমোচন, দারিদ্র সৃষ্টিকারী দেশী-বিদেশী লুটেরাদের নির্দেশিত পথে নয়। বাংলাদেশের ‘দারিদ্র বিমোচন কৌশলপত্র’ দৃশ্যত মাঠে মারা যাচ্ছে। যতটুকু হবে বা হতে পারে তা হচ্ছে, দারিদ্রকে কমিয়ে একটা সহনসীমায় নিয়ে চিরস্থায়ী করা। যার ফলে দরিদ্রজন চিরদরিদ্র থেকে যাবে।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ এশিয়ার এক কোটি শিশু শ্রমিক মানবেতর জীবন-যাপন করে। আমার মনে হয় ৫(পাঁচ) কোটি শিশু শ্রমিক হবে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৮০০(আটশত) লোকের জন্য একটি বেসিন এবং ২৫০(দুইশত পঞ্চাশ) লোকের জন্য একটি শৌচাগার। বাংলাদেশের নারীরা স্বামী, ঘরসংসার, ছেলেমেয়েদের দেখাশুনা করে-দৈনিক ১৪ ঘন্টা কাজ করে এবং নারীরা ৭% বাইরের কাজে এবং ৯৩% ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকে।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ আমি জানতাম একটি সুস্থ মানুষের দৈনিক ২৬০০ ক্যালোরীর প্রয়োজন। অন্যদের কথা দৈনিক মাথাপিছু কমপক্ষে ২২৭৩ ক্যালোরী প্রয়োজন। বাংলাদেশে মাথাপিছু ক্যালোরীর পরিমাণ ১৬০০শত। কিন্তু ১৯৬২-৬৩ সালে মাথাপিছু কেলোরীর পরিমাণ ছিল ২৩০১শত। ২০১৩ সালের কথা, বাংলাদেশে মাথাপিছু ক্যালোরীর পরিমাণ ১৪৫০শত। ত’হলে আমাদের শিক্ষিত এবং যারা সুবিধাভোগী লোকেরা বলে যে, দেশ অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমি বলি যে, দেশের অগ্রগতি হয়নি-হয়েছে ৫ ভাগ লোকের। দেশের অগ্রগতি হলে-দেশের মানুষের অগ্রগতি হতো বা ৯৫ ভাগ মানুষের অগ্রগতি হতো।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে বছরে ৫০(পঞ্চাশ) হাজার শিশু অন্ধ হয় ভিটামিন’এ-এর অভাবে এবং প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়বে যদি দেশের অবস্থা এরুপ থাকে।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের ৩৫% পরিবার নদী, খাল, পুকুর ও ডোবার পানি ব্যবহার করে। বাংলাদেশে ৩০(ত্রিশ) লক্ষ আশ্রয়হীন লোক বাস করে। বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা-৪২টি এবং মোট ব্যাংকের শাখা-১০,৭০০টি। বাংলাদেশে ১ কোটি লোক ধুমপানজনিত জটিল রোগে ভূগছে। বাংলাদেশে বছরে ৩(তিন) লক্ষ শিশু ডায়রিয়ায় মারা যায়। বিশ্বে প্রতিদিন অনাহারে ৫০(পঞ্চাশ) হাজার শিশুর মৃত্যু ঘটে। বাংলাদেশে পত্রিকা পড়ে গড়ে ১০% লোক। সারা বিশ্বে দৈনিক পত্রিকা ১২(বার) হাজার প্রকার আছে এবং ৫৫(পঞ্চান্ন) হাজার রেডিও-টেলিভিশন সেন্টার আছে। বাংলাদেশে সমুদ্রসীমা রয়েছে প্রায় ৪০(চলিশ) হাজার বর্গমাইল। বাংলাদেশে প্রায় ২০(বিশ) লক্ষ অন্ধ লোক আছে। প্রতিবছর বিশ্বে ২০(বিশ) লক্ষ শিশু অপহরণ বা ভারবনিতালয়ে বিক্রয় করা হয়।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বিশ্বের ধনী ও গরীব দেশগুলোর ব্যবধান বাড়ছে এবং বাংলাদেশে ধনী ও গরীবদের মধ্যে ব্যবধান বাড়ছে।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বিশ্বে ভিটামিন ’এ’ এর অভাবে ২০(বিশ) কোটি শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২৫-০২-২০০৩ তারিখে জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ যাদের গড় আয় দৈনিক ২ ডলারের কম তারা দরিদ্র এবং যাদের গড় আয় ১ ডলারের কম তারা চরম দরিদ্র। বিশ্বব্যাংক ঃ বাংলাদেশে ২৯.১০ ভাগ লোক ১ ডলারের নিচে এবং ২ ডলারের নিচে আয় ৭৭.৮০ ভাগ লোকের কথা বলেছে বিশ্বব্যাংক।
২০০৩ সালের ২১ জুনের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশী দরিদ্র, ৩১ শতাংশেরই কোন কাজ নেই। আমার কথা-জনসংখ্যার ৯৫ ভাগ দরিদ্র।
২০০৩-এর সমীক্ষার মতে, রাজশাহী বিভাগে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশী-৬১ শতাংশ লোক দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে, এরপরই রয়েছে খুলনা বিভাগের অবস্থান-৫১ শতাংশ, চট্টগ্রামে বিভাগে রয়েছে-৪৮ শতাংশ, এছাড়া ঢাকা বিভাগে রয়েছে-৪৫ শতাংশ এবং বরিশালে ৪০ শতাংশ দারিদ্রসীমার নীচে। গ্রামীন এলাকায় দারিদ্র্যের হার-৫৩ শতাংশের উপরে এবং শহর এলাকায় এ হার ৩৭ শতাংশ। আমার কথা-জনসংখ্যার ৯০ ভাগ দরিদ্র।
২০০৩ সালের ২২ জুনের রিপোর্ট ঃ শ্রমশক্তির ৬২.৩০ শতাংশ কৃষি শ্রমিক, অথচ বাজেটে কৃষিখাতে ভর্তুকির প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র ৩০০শ কোটি টাকা। অপরদিকে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে মাত্র ৭.৪ শতাংশ শ্রমিক নিয়োজিত আছে। এ খাতের শ্রমিকরা প্রায় ১,৫০০(এক হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা লোকশান দিচ্ছে। ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরের বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী দেশে প্রায় ৬ কোটি ৩ লাখ শ্রমশক্তি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত।
২০০৪ সালের ১১ জুন, বাসস ঃ দেশে সাড়ে ৭০ লাখ শিশু অর্থনৈতিক কাজে লিপ্ত। বাংলাদেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়েসী ৫ কোটি ২০ লাখ শিশুর মধ্যে ৭০.৫(সত্তর লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) শিশু কোন না কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে।
২০০৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ পিআরএসপি দারিদ্র বাড়াবে-বাংলাদেশে ভারতের বাজার স¤প্রসারিত হবে। আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার প্রণীত ‘‘দারিদ্র বিমোচন কৌশল পত্র’ বা ‘পোভার্টি রিডাকশন স্ট্রাটেজী বিমোচন’ (পিআরএসপি) বাস্তবায়িত হলে দেশে দারিদ্র বৃদ্ধি পাবে।
২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ অর্থনীতি সমিতির সম্মেলন সমাপ্ত ঃ খলীকুজ্জামান-বারকাত পুনঃনির্বাচিত। দেশের ৫০ ভাগ মানুষ ভূমিহীন অথচ ৯০ ভাগ খাস জমি দুর্বৃত্তদের দখলে। অপরদিকে মাত্র ৬.২ ভাগ পরিবার ৪০ ভাগ জমির মালিক। আর এ জমি নিয়ে দেশের ১২ কোটি মানুষ মামলার সাথে জড়িত। দেশের মোট মামলার ৭৫ ভাগই ভূমি সংক্রান্ত। যার সংখ্যা ২৫ লাখ। দ্বিতীয় একটি সেমিনারে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের নামে শিক্ষিত শ্রেণী বিপুল পরিমাণ সম্পদ আত্মসাৎ করছে। যা সামাজিক বৈষম্য বাড়িয়েছে, সাধারণ জনগণের উপর শিক্ষিত শ্রেণীর প্রভুত্ব বাড়িয়েছে। অপর এক সেমিনারে বলা হয়েছে যে, স্বাধীনতার ৩-দশক পরও আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওদের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। এতে করে একদিকে অতি ধনী লোকের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে ছিন্নমূল গরীব মানুষের সংখ্যা।
২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর, ইনকিলাব-জাকারিয়া কাজল ঃ মঙ্গাপ্রবণ ১২টি জেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ। বহুমাত্রিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ। জামালপুর, শেরপুর, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ। এসব এলাকার শতকরা ৫৮ ভাগ মানুষের অবস্থান দারিদ্র সীমার নীচে। শতকরা ৩০ ভাগ পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ভূমিহীন, ঋণগ্রস্ত ও চরম দরিদ্র। শতকরা ৪৬ ভাগ কর্মক্ষম মানুষ পূর্ণ বেকার, অবশিষ্ট ৫৪ ভাগ কর্মজীবী হলেও তাদের ৬০ ভাগ বছরের অধিকাংশ সময় ছদ্ম বেকারত্ব বরণ করে। শতকরা ৬২ ভাগ পরিবারের কোন বাড়তি সম্পদ নেই। ৭৮ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্যের উপর নির্ভরশীল। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল হলেও শতকরা ৫০ ভাগ মানুষ কৃষি শ্রমিক হিসেবে অন্যের জমিতে কাজ করে। ৭২ ভাগ পরিবারের কোন স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নেই। এ ১২টি জেলা হলো মঙ্গাপ্রবণ এলাকা।
২০০৫ সালের ২৮ অক্টোবর, মনজুরুল আলম ঃ জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই এখনো দারিদ্র সীমার নীচে। আয় বৈষম্য হ্রাস না পেলে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য অর্জন অনিশ্চিত। আমি বলব ৯০ ভাগ দারিদ্রসীমার নিচে। আমার মনে হয় শতকরা ৯০ ভাগ দারিদ্রসীমার নিচে।
২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ সংঘাতের রাজনীতি বন্ধ না হলে দারিদ্র্য নিরসন সম্ভব নয়। পিআরএসপি নিয়ে দাতাদের সাথে সরকারের দ্বিতীয় দিনের বৈঠক।
২০০৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশের দারিদ্রবিমোচন কৌশল (পিআরএস) বাস্তবায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আগামী ৩-বছরে ১শ’ ৮০ কোটি ডলার দেবে।
২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত চার বছরে চালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ অতিরিক্ত ৭৫,৭৭৬ কোটি টাকা মূল্য সন্ত্রাসীদের কাছে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছে। এ টাকার ৬৯,৯৩৬ কোটি টাকা এসেছে দরিদ্র মানুষের পকেট থেকে। গোল টেবিলে অভিমত। ড. আবুল বারকাত তাঁর ধারণাপত্রে বলেন, দারিদ্র শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রপঞ্চ নয়। খাদ্য পরিভোগ দিয়ে মাপা ঠিক নয়। যা কিছু মানুষের পরিপূর্ণ জীবন প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করে তার সবই দারিদ্র। এটা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক নয়। দারিদ্র হতে পারে আয়ের দারিদ্র, কর্মহীনতার দারিদ্র, স্বপ্ল মজুরির দারিদ্র, অস্বচ্ছতা-উদ্ভুত দারিদ্র, মানস কাঠামোর দারিদ্র। বিশ্বদারিদ্র হ্রাস কৌশলপত্রের (পিআরএসপি) সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশের দারিদ্র প্রধানত মনুষ্যসৃষ্ট ভূমিকম্প কিংবা অলৌকিক কিছু নয়। শখ করে কেউ ভিক্ষুক হয় না।
২০০৬ সালের ৩০ জানুয়ারি, সালাউদ্দিন বাবলু ঃ দেশে দারিদ্র্যের হার নিয়ে বিভ্রান্তি। সরকার বলছে ৫০%, অর্থনীতিবিদদের মতে ৮০% ও পিএফএম-(পিপলস ফোরাম অন এমডিজিস) নামে এনজিওদের একটি নেটওয়ার্ক গ্রাম পর্যায়ে জরিপ করে বলেছে, বর্তমানে গ্রামীণ দারিদ্র্যের পরিমাণ শতকরা ৬৩%। আমি বলব শতকরা ৯০ ভাগ লোক দরিদ্র ।
২০০৬ সালের ২০ জুলাই, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালক-বিশ্বের ৫০টি লেস ডেভোলাপমেন্ট দেশ থেকে আগামী ৫০ বছরেও বের হয়ে আসতে পারবে না বাংলাদেশ। কারণ হলো প্রবৃদ্ধির হার ৬.৭০ থেকে ৮-এর উপরে উঠতে না পারলে বাংলাদেশের অবস্থা ভাল হবে না। দারিদ্র থেকে বের হয়ে আসতে হলে ৮-এর উপরে প্রবৃদ্ধির হার নিতে হবে।
২০০৬ সালের ২০ জুলাই, বাসস ঃ দেশে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ। ১৯৯০ সালে পিকেএসএফ প্রথম ঋণদান কর্মসূচী চালু করে। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে দারিদ্র বিমোচনের প্রয়াসকে সফল করতে নিরলসভাবে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করে যাচ্ছে। পিকেএসএফ-এর সহায়ক এনজিও’র সংখ্যা রয়েছে ২৩১টি। মোট ঋণ গ্রহীতার এক-তৃতীয়াংশই পিকেএসএফ থেকে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে।
২০০৭ সালের ১ মার্চ, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে শীর্ষ অর্থনীতিবিদগণ-ক্ষুদ্র ঋণের প্রভাবে দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ আরও দরিদ্র হবে। দারিদ্র দূর নয়, ক্ষুদ্রঋণের প্রভাবে আগামী ৩০ বছরে বাংলাদেশের তাবৎ মানুষই যাদুঘরে চলে যাবে। উচ্চ সুদের ক্ষুদ্রঋণ এদেশে যেভাবে চলছে এবং মানুষ একের পর এক যেভাবে এ ঋণের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ছে তাতে দারিদ্র নিরসন তো দূরের কথা, আগামী ২০/২৫ বছরে বাংলাদেশের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষই ভয়াবহ দারিদ্র্যের কবলে পড়ে একপর্যায়ে অস্তিত্ব হারাবে। ০৮-০২-২০০৭ তারিখ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণের আর্থ-সামাজিক ও ঋণগ্রস্ততা সংক্রান্ত প্রভাব’’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদরা একথা বলেছেন। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামানের সম্পাদিত এবং ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড প্রকাশিত এ গবেষণা গ্রন্থটি দেশের আড়াই হাজার ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে।
২০০৭ সালের ৭ মার্চ, ড. ইউনূস এ পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ পঁচিশ লক্ষ মানুষকে ঋণ দিয়ে শতকরা ৪২ থেকে ৪৪ ভাগ সুদ-আসলসহ আদায় করেন। যার শতকরা ৯০ ভাগই নারী। গ্রামীণ ফোন বাবদ কলচার্জ এতো বেশী রাখেন যে, মুনাফার হার দাঁড়ায় ৫০০%-এরও ওপরে। শোনা যায়, এযাবৎ গ্রামীণ ফোন বাবদ ড. ইউনূসরা যে মুনাফা করেন, তার মোট পরিমাণও নাকি দুই থেকে তিন লাখ কোটি টাকার মধ্যে। প্রতিষ্ঠানটি নরওয়ের-তাই মুনাফা নরওয়েতে চলে যায়।
২০০৭ সালের ২৭ মে, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিইআর-এর রিপোর্ট। দেশের সাড়ে ৮ কোটি মানুষ ‘খাদ্য-দরিদ্র’ বা ৬০ শতাংশ মানুষ খাদ্য-দরিদ্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (বিইআর)-এর গবেষণা রিপোর্ট। আমি বলব শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ খাদ্য-দরিদ্র।
২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে গবেষণা। নতুন করে দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে তিন কোটি মানুষ। সরকারি হিসাবে সাধারণত দৈনিক ২১২২ কিলো ক্যালরির কম খাদ্য গ্রহণকারী জনগোষ্ঠীকে দারিদ্রসীমার নিচে ধরা হয়।
২০০৮ সালের ৫ জুন, গত ১৫ মাসে দরিদ্র মানুষের আয় কমেছে ৩৮ শতাংশ। বাজেটের লক্ষ্য পূরণ হয়নি, অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মধ্যেঃ সিপিডি।
২০০৮ সালের ২ জুলাই, মূল্যস্ফীতির অভিঘাত নিয়ে সমুন্নয়ের গবেষণা-প্রায় ৬২ লাখ মানুষ বা সাড়ে ১২ লাখ পরিবার নতুন করে দরিদ্র হয়ে গেছে।
২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, আঞ্চলিক বৈষম্যে বাংলাদেশ বিভক্ত পূর্বাঞ্চল এগিয়ে, পশ্চিমাঞ্চল পিছিয়ে। যেমন-চট্টগ্রাম-৩৪, ঢাকা-৩২ ও সিলেট-৩৩.৮ শতাংশ দারিদ্রসীমার নিচে পূর্বাঞ্চল এগিয়ে আর বরিশাল-৫২, খুলনা-৪৫.৭ ও রাজশাহী-৫১.২ শতাংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে পশ্চিমাঞ্চল পিছিয়ে। আমি বলব বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে শতকরা ৯০ জন।
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, মার্কিন নাগরিকদের খাদ্যাভ্যাস এখন পর্যবেক্ষণে আছে। সারা বিশ্বে খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়া নিয়ে অনেক দেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রতিদিন না খেয়ে থাকছে বিশ্বের ৮০ কোটির বেশি লোক। এ কারণে মার্কিন নাগরিকদের খাদ্যাভ্যাসের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাব অনুযায়ী, একজন মার্কিনি প্রতিদিন গড়ে ৩,৭৭০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে। আর বাংলাদেশীরা গড়ে ১,২৫০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে।
২০০৯ সালের ২৪ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ অপুষ্টিজনিত কারণে ঘন্টায় ১০ শিশু মারা যাচ্ছে। ঘন্টায় ১০, দৈনিক ২৪০, মাসে ৭,৩০০ ও বছরে মারা যাচ্ছে ৮৭,৬০০ শিশু।
২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর, আমাদের সময় ঃ সাড়ে ৪৫ লাখ টাকার দারিদ্র্যবিরোধী অনুষ্ঠান, গরিবরা পায়নি এক পয়সাও-শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে দারিদ্র্য নির্মূলের কথা চিন্তার অসারতারই প্রমাণ ঃ স্পিকার এডভোকেট মোঃ আবদুল হামিদ। এনজিও’র নামে দোকান খুলে হাই গাইদের লাভ হচ্ছে ঃ মতিয়া চৌধুরী।
২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ইউনিসেফের গবেষণা তথ্য-দেশের ৩০ শতাংশ শিশু চরম দারিদ্র্যের শিকার।
২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার খবর ঃ ২০০৯ সাল-ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১০ কোটি।
২০১০ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ২৪ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র পরিবার ফেয়ার প্রাইস কার্ড পাবে। এখন পর্যন্ত পায়নি (১১-০১-২০১২)
২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ প্রজননস্বাস্থ্য নিয়ে প্রথম আলোর গোলটেবিল। ৪০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী তীব্র অপুষ্টির শিকার।
২০১০ সালের ৫ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আগের মেয়াদের সরকারের সময় প্রতি কেজি চালের দাম ছিল ১২ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে। এর পর থেকেই দাম ক্রমশ বেড়েছে।
গত ছয় বছরে মাথাপিছু আয় বাড়লেও আয়বৈষম্যের কারণে সীমিত আয়ের মানুষের বিপত্তি বেড়েছে।
২০০৬ সালে মোটা চালের দাম ২০ টাকা থাকলেও সেই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭.২০%। আর সেই চালের দাম গত জুলাই, ২০১০ মাসে ছিল ৩২ টাকা এবং মূল্যস্ফীতির হার ৭.২৬%।
ন্যূনতম ১৬৬২.৫০ টাকা মজুরি পেয়ে ২০০৬ সালে একজন পোশাকশ্রমিক পারিজা বা স্বর্ণা ধরনের মোটা চাল কিনতে পারতেন ৮৩ কেজি। আগামী নভেম্বর থেকে ন্যূনতম মজুরি তিন হাজার টাকা হলে একজন শ্রমিক কিনতে পারবেন ৮৭ কেজি চাল।
২০০৫ সালের বেতনকাঠামো অনুযায়ী দশম গ্রেডের একজন সরকারি কর্মচারীর ন্যূনতম বেতন পাঁচ হাজার ১০০ টাকায় মোটা চাল পাওয়া যেত ২৫৫ কেজি চাল। ২০০৯ সালে ঘোষিত বেতনকাঠামো অনুযায়ী আট হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ২৩২ কেজি চাল।
খাদ্যঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী ঃ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ২০০৯ সালে পরিচালিত বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা পরিস্থিতি নামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে দুই হাজার ২২২ ক্যালরি গ্রহণ করতে হয়। এর চেয়ে কম ক্যালরি গ্রহণ করে, এমন জনগোষ্ঠির সংখ্যা দেশে ছয় কোটি এক লাখ।
এক হাজার ৮০০ ক্যালরির কম গ্রহণ করে, এমন জনগোষ্ঠিকে হতদরিদ্র বা ‘আলট্রাপুওর’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এদের সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ। এক হাজার ৬০০ ক্যালরির কম গ্রহণ করে, এমন মানুষকে চরম দরিদ্র বা ‘হার্ডকোর পুওর’ হিসেবে উল্লেখ করে ডবিøউএফপির প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এদের সংখ্যা তিন কোটি ১০ লাখ।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ চলতি বছর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাবদ ২৬ লাখ টন চাল ও গম বরাদ্ধের জন্য বাজেট রাখা হয়েছে। সরকার টেষ্ট রিলিফ (টিআর) কর্মসূচীতে এক লাখ ১২ হাজার ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর (কাবিখা) আওতায় দুই লাখ নয় হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে তিন লাখ ২০ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিল। আমার মনে হয় শ্রমজীবী মানুষ এর কিছুই পাবে না।
২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ দারিদ্র হ্রাসের অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে বৈষম্য। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ।
২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ স্পিকার আবদুল হামিদের নেতৃত্বে এক মঞ্চে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার শপথ সরকারি ও বিরোধী দলের। ‘জাতীয় ঐক্য রুখবে দারিদ্র্য’। আমার মনে এটা একটি সরকারি ও বিরোধী দলের তামাশা মাত্র।
২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত-এ ১৮ বছরে বাংলাদেশের ২০ লাখ গরিব পরিবারের প্রায় এক কোটি মানুষের দৈনিক আয় ১ দশমিক ২৫ ডলারের সীমা ছাড়িয়েছে।
২০১১ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের হিসাবে দেড় শতাংশের বেশি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে গেছে পূরণ হয়নি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে মোকাবিলার পরামর্শ। বাজেটের আগেই গরিব মানুষের ওপর কর। মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
২০১১ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ এশিয়াটিক সোসাইটিতে আবুল বারকাত-দেশের শতকরা ৮৩ ভাগ মানুষ দারিদ্র। আবুল বারকাত আরো বলেন, ‘ক্ষমতাবানেরা এখন কালো অর্থনীতির একটি বলয় সৃষ্টি করেছেন, যেখানে বছরে ৭৫-৮০ হাজার কোটি টাকার সৃষ্টি হয়। আর এটি জাতীয় আয়ের এক-পঞ্চমাংশ।
আবুল বারকাত বলেন, ক্ষমতাবানেরা অর্থনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রে এমন এক স্থবিরতা সৃষ্টি করেছেন, যেখানে দারিদ্র বিমোচন অসম্ভব। বিশেষত তাঁরাই রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে অথবা তাকে ব্যবহার করে দারিদ্র বিমোচন কর্মকান্ড দুরহ করছেন।
বিগত সরকারের সময়ে নিত্যপণ্যের দাম কৃতিমভাবে বাড়িয়ে মূল্য-সন্ত্রাসীরা দুই লাখ ৮৬ হাজার ১১০ কোটি টাকা লুট করেছে বলে মনে করেন বারকাত। তিনি বলেন, এর মানে এই নয় যে, গত আড়াই বছরে কোনো লুট হয়নি।
আবুল বারকাত বলেন, দারিদ্র মানুষের প্রকৃত হারটি সরকারি হিসাবের মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ নয়, হবে ৮৩ শতাংশ।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাটেক্সপোর-২০১১ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-সরকার দারিদ্র্যের হার ২১ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ করছে-দেশের ৩৬ লাখ পোশাকশ্রমিকের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের স্বাস্থ্য-সচেতনতা বৃদ্ধি ও সন্তানদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি, আশুলিয়ার শ্রমিকদের আবাসনের উদ্যোগ এবং রেশনিং-ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আমি বলব তাঁর সরকার মালিকদের পক্ষে কাজ করছে এবং দারিদ্রের হার কমাবে না বরং বাড়াবে।
১৯৯১ সালে রিহ্যাব গঠিত হয় ১১ জন সদস্য নিয়ে । ১৩-০৬-২০১৬ তারিখ এ সংগঠনটির সদস্যসংখ্যা-এক হাজার ১৫১ জন। রিহাবের ১ হাজার ১৫১ সদস্যের বাইরে আরও দেড় হাজার আবাসন প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতিশ্রæতি ভঙ্গ করলে কে দায়দায়িত্ব নেবে-এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে রিহাব সভাপতি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অঅমরা একটি প্রস্তাব দিয়েছি, সব আবাসন আবাসন প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে রিহ্যাবের সদস্য হতে হবে। কারণ তাদের জন্য অনেক সময় রিহ্যাব সদস্যদের সুনাম নষ্ট হয়।
১৯৯৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশে-১.৯৪(এক কোটি চুরানব্বই লক্ষ) গৃহ প্রয়োজন।
১৯৯৭ সালের ২৭ জানুয়ারির হিসেবানুযায়ী ঃ ২০০০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বার্ষিক গৃহ ঘাটতির সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০(পঞ্চাশ) লক্ষ ইউনিট।
১৯৯৭ সালের ২৪ আগস্ট, কৃষি সুমারির প্রাথমিক রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে গৃহের সংখ্যা ১,৭৫,৯০,০০০(এক কোটি পচাত্তর লক্ষ নব্বই হাজার), কৃষক পরিবারের সংখ্যা ১,১০,১১,০০০(এক কোটি দশ লক্ষ এগার হাজার), বর্গা চাষী পরিবার ৫০,৬০,০০০(পঞ্চাশ লক্ষ ষাট হাজার), ভুমিহীন পারিবার ২০,১৮,০০০(বিশ লক্ষ আঠার হাজার) এবং খেত মজুর পরিবার ৬০,৭৩,০০০(ষাট লক্ষ তিহাত্তর হাজার)।
২০০৪ সালের ১৩ জুন, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে দেশের গৃহায়ন শিল্প-রেজিষ্ট্রেশন খরচ বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশী। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে নির্মাণ খাতে ধস নামতে পারে। একই সাথে সাড়ে ১২ লক্ষ দক্ষ-অদক্ষ শ্রমশক্তির জীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ারও আশংকা রয়েছে।
২০০৪ সালের ১৩ জুন, আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ রাজধানীতে লক্ষাধিক বাড়ী নির্মাণে বিল্ডিং কোড লংঘণ। একেবারে নকশা ছাড়া নির্মিত হয়েছে ৩৫ হাজার বাড়ী।
২০০৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাগণ-গৃহ ঋণের সুদের হার কমানো এখন সময়ের দাবী। আলোচকবৃন্দ জানান, বাংলাদেশ নগর এলাকায় বাসস্থান ইউনিটের মোট সংখ্যা প্রায় ৪০(চল্লিশ) লাখ।
২০০৬ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদে বিল পাস ঃ বিল্ডিং কোড না মানলে ৭-বছরের জেল।
২০০৭ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, রিহ্যাব ফেয়ার ২০০৬ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র-স্থান ঃ ঢাকা শেরাটন হোটেল, তারিখ-২০-২৪ ফেব্রæয়ারি-২০০৭। প্রায় গত দুই দশকেরও বেশী সময়ে রিহ্যাবের সদস্য ডেভলপাররা বড় বড় শহরে প্রায় ৬০ হাজার এপার্টমেন্টের যোগান দিয়েছে। ১৫.৫০ (পনের কোটি পঁঞ্চাশ লাখ) মানুষের দেশে এ ফ্ল্যাট নগন্যসংখ্যক। আগামী ৩ বছরে আরো ২৫ হাজার ইউনিট এপার্টমেন্ট যোগান দিতে পারবে বলে আশাবাদী। গত কয়েক বছরে সরবরাহ মাত্রা ছিল বছর প্রতি ৫-৬ হাজার ইউনিট। সূত্র জানায়, এখনও পর্যন্ত ডেভেলপার ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা মাত্র মোট জনসংখ্যার ৭ ভাগ উচ্চবিত্তের জন্যই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এ ভাবে ফ্ল্যাট তৈরী করলে কোনদিনই বাংলাদেশে বাসস্থানের সমাধান হবে না। এ খাতে প্রায় ১৫ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা নিয়োজিত আছে।
২০০৭ সালের ২৪ নভেম্বর, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) ঢাকা শেরাটন হোটেলের উইন্টার গার্ডেন ও টেনিস কোর্ট এলাকায় এ মেলার আয়োজন করেছে। এতে অংশ নিয়েছে ১৪১টি প্রতিষ্ঠান, এরমধ্যে ১৩৬টি জমি উন্নয়ন ও বাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
২০০৮ সালের ৩০ জানুয়ারি, প্রবাসীদের জন্য প্রথম আবাসন প্রকল্প চালু। মহানগরের অদূরে ২,২৫০ বিঘা জমির ওপর এ প্রকল্প গড়ে তুলছে। এ প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনাবাসীরা।
২০০৮ সালের ১০ নভেম্বর, রিহাবের পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলা আগামীকাল থেকে শুরু। এবার ১৯২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)-এর উদ্যোগে রাজধানীতে কাল ১১-১১-২০০৮ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে জমি ও ফ্ল্যাটের মেলা। শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০০৮’ শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী হবে। ১৯২টির মধ্যে ১৮৭টি জমি উন্নয়ন ও বাড়ি নির্মাতা এবং পাঁচটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায় ১৯৭০ সালের শেষ দিকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু হয়। ইসলাম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড এ ব্যবসার অগ্রপথিক। সত্তরের দশকে সারা দেশে পাঁচটিরও কম কোম্পানি ঢাকায় কাজ করত এবং বর্তমানে প্রায় এক হাজার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ১৯৯১ সালে রিহ্যাব নামে একটি অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ৩৬১ জন। রিহ্যাবের সদস্যরা(ছোট, মাঝারি ও বড় কোম্পানি) গত বিশ বছরে প্রায় ৫৬ হাজার ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ ও হস্তান্তর করেছে। তাঁরা বছরে গড়ে প্রায় ছয় হাজার ইউনিট প্লট-ফ্ল্যাট নির্মাণ ও হস্তান্তর করছে। তবে এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে ফ্ল্যাট নির্মাণ রাজধানীকেন্দিক। স¤প্রতি বন্দরনগর চট্টগ্রামে কিছু কিছু প্রকল্প শুরু হয়েছে। ঢাকার মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় ১৯৭৪ সালে এক কাঠা জমির মূল্য ছিল ৫০ হাজার টাকা আর ২০০৮ সালে তার মূল্য হয়েছে ২০০ গুণ বেড়ে এক কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ঃ উদ্বোধনী দিনেই আবাসন মেলায় উপচে পড়া ভিড়। মেলায় মোট ১৭৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ১৭৫টি জমি উন্নয়ন ও বাড়ি নির্মাতা এবং চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় রিহ্যাবের পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলা মঙ্গলবার থেকে-এবার ২৬৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
২০১০ সালের ৯ জুন, প্রথম আলো ঃ ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ঝুপড়ি-কাঁচাঘরে ৭৫% মানুষ। দেশের মাত্র ৮ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবার পাকা বাড়ি ও ফ্লাটে বসবাস করে এবং ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ আংশিক পাকা বাড়িতে বাস করে। তবে শহর ও গ্রাম মিলিয়ে দেশের ৮৩ শতাংশ পরিবারই নিজ বাড়িতে থাকে আর ১৩ শতাংশ মানুষ ভাড়া বাড়িতে থাকে। সরকারি সংস্থা বিবিএসের জরিপ ঃ কমছে না দারিদ্র্যের হার। রাতের বেলা প্রায় অর্ধেক পরিবারের আলোর ব্যবস্থা হয় এখনো কেরোসিনের প্রদীপে। বিনোদণের জন্য ৬০ শতাংশ পরিবারের কোনো রেডিও বা টেলিভিশন নেই। দারিদ্র্যের হার কমছে না। শিক্ষা-দেশে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষের হার ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ। টেলিফোনঃ ২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষের ল্যান্ডফোনের সংযোগ আছে। তবে মুঠোফোনের সংযোগ আছে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের। কমপিউটার আছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের। গ্রামে দশমিক পাঁচ আর শহরে ৬ দশমিক ৪ শতাংশের ব্যক্তিগত কমপিউটার রয়েছে।
২০১০ সালের ২৩ জুলাই, আমাদের সময় ঃ দেশে মাত্র ৪.৭ ভাগ পরিবার ধনী, ৮.৩ ভাগ পরিবার পাকা ও ফ্ল্যাট বাড়িতে বাস করে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা-২০.৫ ভাগ, আর নিæমধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা-৩৪.১ ভাগ আর ৪৪ ভাগ পরিবার দাদ্রিসীমার নিচে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো পরিচালিত মৌলিক সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। আমি মোঃ জাকির হুসেন বলি দেশে বর্তমানে ৯০ ভাগ লোক দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে।
২০১০ সালের ১৭ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বস্তি উচ্ছেদ বন্ধে আইন হচ্ছে। উচ্ছেদের আগে কমপক্ষে ৩০ দিনের নোটিশ দিতে হবে। ঢাকা শহরে প্রায় ৪০(চল্লিশ) লাখ লোক বস্তিতে বাস করে। এসব বস্তির পরিধি পাঁচ কাঠা থেকে ৮০-৯০ একর। পাঁচ থেকে ১০টি পরিবারের জন্য একটি টয়লেট রয়েছে।
২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ তিতাস গ্যাস এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (তিতাস) ১৬ লাখ গ্রাহকের ৯০ ভাগই গ্যাস সমস্যায় ভোগছে। শিল্পখাতে উৎপাদন কমেছে অর্ধেক এবং গ্যাস সংকটে ৫ হাজার ফ্ল্যাট খালি পড়ে আছে।
২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৫৬টি অনুমোদনহীন আবাসন প্রকল্পের বিরুদ্ধে জিডি। রাজউক আরও পদক্ষেপ নেবে ঃ চেয়ারম্যান।
২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ঢাকা শহরে প্রায় ৫ হাজারের ওপরে বস্তিতে মোট নগর জনসংখ্যার ১৭.৬ শতাংশ লোক বসবাস করে। প্রায় ৩.৪ মিলিয়ন লোক বস্তিতে বসবাস করে। আর বছরে ঢাকাতে ৫ লাখ মানুষ আসছে। ঢাকায় বস্তির সংখ্যা বাড়ছে। ১৯৭১ সাল থেকে ঢাকা শহরে বস্তির সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকে। নগর গবেষণা কেন্দ্রের ১৯৭৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, তখন নগর জনসংখ্যার ২,৭৫,০০০(দুই লাখ পঁচাত্তর হাজার) মানুষ বস্তিতে বসবাস করত। ১৯৯১ সালে নগর জনসংখ্যার ৭,১৮,১৪৩ জন বস্তিতে বসবাস করত। ১৯৯৬ সালে ১.৫ মিলিয়ন এবং ২০০৫ সালে ৩.৪ মিলিয়ন বস্তিতে বসবাস করত। ২০১০ সালে ১৭.৬ মিলিয়ন যার ৬০% বস্তিতে। ২০২০ সালের মধ্যে নগর জনসংখ্যার বর্তমান বস্তিবাসীর তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে বস্তিবাসীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৯.০০ মিলিয়ন। ইউএনএফপিএ-এর স¤প্রতি তথ্যে জানা যায়, ২০৫০ সালে এদেশের জনসংখ্যা হবে প্রায় ২৬ কোটি। তখন নগর জনসংখ্যা কত কোটিতে দাঁড়াবে আর শহরে বস্তির সংখ্যাই বা হবে কেমন এটিই এখন প্রশ্নের বিষয়।
২০১২ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশে ৪০০শত বেসরকারি ভূমি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান জমি ভরাট শুরু করেছে।
২০১৪ সালের ২১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রিহ্যাবের আবাসন মেলা শুর ঃ এবারের মেলায় মোট ১৫৫টি স্টল রয়েছে। ২২,৭৭২টি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি।
১৯৯৬ সালের ২৭ জানুঃ তথ্য-দুর্নীতির রাহুগ্রাস ঃ গত ২২-বছরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২৫,৪০০(পচিশ হাজার চারিশত)টি কিন্তু শাস্তির সংখ্যা মাত্র ৬(ছয়) হাজার।
১৯৯৬ সাল থেকে ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে আসছে।
১৯৯৬ সালের ১৩ এপ্রিলের তথ্য-বাংলাদেশে গত ৫(পাঁচ) বছরে ৪ লক্ষ অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, কিন্তু ২০০১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ৫(পাঁচ) বছরে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে ৫.৭৩(পাঁচ লক্ষ তেহাত্তর হাজার)।
২০০০ সালের ৪ এপ্রিল, প্যারিস বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও শ্রমিক ইউনিয়ন সর্বত্রই ব্যাপক দূর্নীতি।
২০০০ সালের ১৪ জুন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের দুর্নীতি মাথাপিছু আয়ের তুলনায় দ্বিগুন। দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন।
২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাই দুর্নীতির শীর্ষে।
১৮-১২-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ দক্ষিণ এশিয়ার ৫ দেশ স¤পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের জরিপ-দুর্নীতির শীর্ষে পুলিশ ও নিম্ন আদালত।
০৩-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা বলেছেন-দুর্নীতি ও দুঃশাসনে ৩-শতাংশ জিডিপি হ্রাস পাচ্ছে।
২০০৪ সালের ৭ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ সমাজের প্রতি স্তরেই আজ দুর্নীতি ঃ এদের ভয়ে প্রধানমন্ত্রীর চোখ বন্ধ করে রাখেন ঃ বছরে ৭০ হাজার কোটি কালো টাকা সৃষ্টি হচ্ছে ঃ মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তাদের অভিমত। গত ৩২ বছরে বাংলাদেশে সরকারীভাবে বৈদেশিক ঋণ এসেছে ২(দুই লক্ষ) কোটি টাকা-এর শতকরা ৭৫ ভাগ অর্থই লুট করেছে অর্থনীতি-রাজনীতির দুবৃত্ত গোষ্ঠি। এ দুষ্টচক্র বছরে ৭০(সত্তর হাজার) কোটি কালো টাকা সৃষ্টি করেছে যা জাতীয় আয়ের এক-তৃতীয়াংশের সমান। যেখানে ১৯৫৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মোট সংসদ সদস্যের মাত্র চার শতাংশ ছিল ব্যবসায়ী শিল্পপতি, সেখানে তা ১৯৯৬ সালে বেড়ে হয় ৭৪ শতাংশ ও ২০০১ সালে বেড়ে হয় ৮১ শতাংশ ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা।
২০০৪ সালের ২৩ এপ্রিল, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ দুর্নীতি ২৪ মন্ত্রণালয়ে ১৫,০০০ হাজার কোটি টাকা ঘুষ। রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে টিআই রিপোর্ট। মোবায়েদুর রহমান ঃ মাছের পচন ধরে মাথায়। আমাদের জাতির চরম দুর্ভাগ্য যে, আমাদের এ সমাজদেহে পচন ধরেছে মাথায়।
২০০৪ সালের ২৬ মে, দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর সরকারের অপচয় ১২(বার) হাজার কোটি টাকা। দুর্নীতি সংক্রান্ত জাতীয় সেমিনারে বক্তাবৃন্দ বলেন অপরদিকে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৬০(ষাট) হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ১৪৬টি দেশ সম্পর্কে টিআই রিপোর্ট। বাংলাদেশ ও হাইতি সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ।
২০০৪ সালের ৪ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ হাইকোর্টের নির্দেশ-বিনা বিচারে দেশের কারাগারগুলোতে ৩৬০ দিনেরও বেশী সময় ধরে আটক সাড়ে সাত হাজার আসামীর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করুন।
২০০৫ সালের ২ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ আড়াই হাজার গাড়ীর হদিস জানাতে ১৬ সচিবকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চিঠি। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য এ গাড়ীগুলো কেনা হয়েছিল। প্রকল্প শেষে ওই গাড়ীগুলোর আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
২০০৫ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ দুর্নীতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা-ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরামে মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দুর্নীতি দমন কমিশনে ৮৬৬-কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে সাংগঠনিক কাঠামোর প্রস্তাব।
২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের সাংগঠনিক কাঠামোর খসড়া চূড়ান্ত। দুর্নীতি দমন কমিশনের জনবলের সংখ্যা হবে ১,৩৬৯ জন।
২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল, ইনকিলাব ঃ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মোজাফফর আহমেদ। দেশে সবার শীর্ষে ভূমি দুর্নীতি এখন পুলিশ-কাষ্টমসকেও ছাড়িয়ে গেছে। ৯ খাতে বছরে ঘুষ লেনদেন ৬ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুলিশ, ভূমি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, নিম্ন আদালত, কর বিভাগ, স্থানীয় সরকার, ত্রাণ, পেনশন প্রভৃতি বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত জরিপে এবার শীর্ষস্থান পেয়েছে ভূমি বিভাগ। বছরে গড়ে একজন ৪শ’ ৮৫ টাকা টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
২০০৫ সালের ৩০ মে, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ দুর্নীতির বিরাট হাট-রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নই মূল উৎস ঃ যারা দুর্নীতি করে না তারা নির্বোধ। গত ৩৪ বছরে দেশে ২ লাখ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান এসেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো-এর ৭৫ ভাগই লুটপাট হয়ে গেছে বলে সেমিনারে বলা হয়। দুর্নীতি দমনের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছা। দুর্নীতি রোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্ত হাতে-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে, সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে দুর্নীতিবাজদের ওপর।
২০০৫ সালের ৪ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় শফিউল আলম ঃ চট্টগ্রাম বন্দরে বছরে ৮০১ কোটি টাকা ঘুষ বখশিশ। টিআইবির গোলটেবিলে তথ্য প্রকাশ।
২০০৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাণিজ্য-বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ। বাংলাদেশ ১১০-নম্বরে নেমে গেছে। দুর্নীতি অদক্ষ আমলাতন্ত্র, অস্থিতিশীল নীতি, সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা, অবকাঠামোর অভাব ইত্যাদি কারণে প্রতিযেগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্য-বিনিয়োগ পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গত বছরের তুলনায় ৮-ধাপ পিছিয়ে ১১০ নম্বরে নেমে গেছে। প্রতিবেশী ভারত ৫৫ থেকে ৫-ধাপ এগিয়ে ৫০-এ এবং পাকিস্তান ২২-ধাপ এগিয়ে ৯১ থেকে ৬৯-এ উঠে গেছে। বিশ্বের ১১৭টি দেশের প্রথমসারির কোম্পানীগুলোর প্রধান নির্বাহীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তুত ‘গেøাবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০০৫-২০০৬’-এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম(ডবিøউইএফ) এবং বাংলাদেশ বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)এ জরিপ পরিচালনা করে।
২০০৫ সালের ১৯ অক্টোবর, সালাউদ্দিন বাবলু ঃ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের(টিআই) জরিপ অনুযায়ী ১৫৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এ বছরও দুর্নীতিতে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে। দুর্নীতিতে ৫ম বারের মতো শীর্ষে বাংলাদেশ। খালেদা-হাসিনা পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব প্রকাশের আহবান।
২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর, ইনকিলাব-নিউজ ওয়ার্ল্ড ঃ বিশ্বের ২১২টি সংবাদ মাধ্যমে দুর্নীতির শীর্ষস্থানে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষক খবরটি প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশের সা¤প্রতিক কোন খবর নিয়ে-এর আগে পৃথিবী জুড়ে এত হৈচৈ বিদ্রুপের খবর শোনা যায়নি।
২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সম্পদের হিসাব প্রকাশে টিআইবি প্রস্তাবের প্রতি স্থাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন সম্পদের হিসাব দেয়া আছে। তারপরও আমি নিজের স্বামীর এবং সন্তানদের সম্পদের হিসাব যে কোন সময় দিতে প্র¯তুত।
২০০৫ সালের ২১ নভেম্বর, ইউএনবি ঃ দুর্নীতি দমন কমিশন প্রথম বছরে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।
২০০৬ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ টিআইবি গেøাবাল করাপশন রিপোর্ট-২০০৬। ঘুষ দুর্নীতি জালিয়াতি স্বাস্থ্য সেবাকে গ্রাস করছে।
২০০৬ সালের ১৯ মার্চ, সাঈদ আহমেদ ঃ ১৬-হাজার মামলা ও অভিযোগের ভারে ন্যূজ দুর্নীতি দমন কমিশন ঃ তদন্ত করতে সময় লাগবে ৬-বছর।
২০০৬ সালের ২৩ এপ্রিল, সাঈদ আহমেদ ঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে প্রসিকিউশন টিমের জবাবদিহিতা নেই ঃ ৫ হাজার ৫০ মামলায় রাষ্ট্রের স্বার্থ অনিশ্চিত।
২০০৬ সালের ১ আগষ্ট, স্টাফ রিপের্টার ঃ কালো টাকার মালিকরা কর আইনে মাফ পেলেও দুদক ছাড়বে না। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি সুলতান হোসেন খান বলেছেন, কালো টাকার মালিকরা কর আইনে মাফ পেলেও দুর্নীতি কমিশনের কাছে মাফ পাবে না।
২০০৬ সালের ৭ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ টিআইবি’র রিপোর্ট প্রকাশ। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় স্থানে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।
২০০৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ দুর্নীতিবাজদের কোনক্রমেই রেহাই দেয়া হবে না। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করতে চায় না ঃ সেনাপ্রধান।
২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, সাখাওয়াত হোসেন ঃ বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন। দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে কঠোর আইন। অভিযোগ প্রমাণ হলে কোন নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে না। উচ্চতর আদালত দন্ড স্থগিত বা জামিন প্রদান এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আদেশ বাতিল করতে পারবে না। আর ৭২ ঘন্টার মধ্যে হাজির না হলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত।
২০০৭ সালের ২৭ জুন, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ প্রতি বছর ২০ হাজার ৭শ কোটি টাকার কেনাকাটা হয়। সরকারী কেনাকাটায় দুর্নীতির কারণে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ঃ বিশ্বব্যাংক।
২০০৭ সালের ১১ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশে অধিকাংশ দুর্নীতি করেছে শিক্ষিত সমাজ।-সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে. আর. মোদাচ্ছির হোসেন।
২০০৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দুর্নীতিবাজদের আরো তালিকা হবে-দুদক চেয়ারম্যান। সেপ্টেম্বর থেকে সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের আর কোন তালিকা হবে না-সেনাপ্রধানের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান লে. জে. (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ২২০ জনের তালিকা করেই যদি মনে করা হয় যে দুর্নীতি শেষ হয়ে গেছে তাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সন্তুষ্টি লাভের কারণ নেই। দুর্নীতি দমন অভিযানের জন্য প্রয়োজন মনে হলে আরো তালিকা হবে। এ মাসেই শেষ হচ্ছে টাস্কফোর্সের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান।আরো ৬০ দুর্নীতিবাজের তালিকা আসছে চলতি মাসে।
২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, টি.আই. রিপোর্ট ঃ দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এবার সপ্তম। এবার অবস্থানে চার ধাপ উন্নতি, তবে স্কোর পয়েন্ট আগের জায়গাতেই।
২০০৭ সালের ৫ অক্টোবর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ এনজিওগুলো সর্ববৃহৎ দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। স্বচ্ছতা-গণতন্ত্র নেই, চলছে পূর্ণ একনায়কতন্ত্র। টিআইবি’র গবেষণা প্রতিবেদন। এনজিওগুলো প্রায় আড়াই কোটি মানুষকে ঋণের আওতায় এনেছে।
২০০৭ সালের ৭ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দুদকে জমা পড়েছে ৭০,০০০ হাজার অভিযোগপত্র। এর যাচাই-বাছাই শুরু শিগগিরই হবে।
২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরে দুদক চেয়ারম্যান-দুর্নীতির কারণে দেশে প্রতিবছর ৭,০০০ কোটি টাকা অপচয় হয়।
২০০৮ সালের ২৬ মে, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ স্বেচ্ছায় দুর্নীতি স্বীকার করলে জেলে যেতে হবে না। উপদেষ্টা পরিষদে ট্রুথ কমিশন অনুমোদন। দুর্নীতির অভিযোগ দ্রুত নিস্পত্তির লক্ষ্যে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অধ্যাদেশ-২০০৮ (ট্রুথ কমিশন) চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল রোববার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত সাপ্তাহিক সভায় অধ্যাদেশটি অনুমোদন করা হয়। শিগগিরই গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে এটি আইন হিসেবে কার্যকর হবে।
২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, এবার বাংলাদেশ দুর্নীতির সূচকে সপ্তম থেকে দশম স্থানে।
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, দুর্নীতি সূচকে সার্কে এখনো শীর্ষে বাংলাদেশ।
২০০৯ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ নীলফামারীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান লে. জেনারেল (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরী বলেছেন ঃ দেশে এমন একটা পেশাও নেই যেখানে দুর্নীতি নেই।
২০০৯ সালের ৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ টিআইবির জরিপে তথ্য ঃ সংসদ নির্বাচনে ৮৭% প্রার্থী ব্যয়ের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, দল অনুযায়ী বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা গড়ে ৫০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করেছেন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ব্যয় করেছেন গড়ে ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ৩২১ টাকা। নির্ধারিত ব্যয়ের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের ছয়জন, বিএনপির চারজন এবং স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী। প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেন জনসংযোগের পেছনে, যা গড়ে ১৮ লাখ এক হাজার ৯৮৯ টাকা।
২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সরকার সব করবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমার কথা হলো দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে তাঁর সরকার কিছুই করবে না।
২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিধান বাতিল। সরকারকে ধণ্যবাদ জানিয়েছে নোয়াব। মানহানির মামলায় সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক, কবি ও লেখকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিধান বাতিলে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদপত্র মালিক সমিতি (নোয়াব)।
২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ অর্থ পাচার ও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিচার হবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি বলি দুর্নীতিবাজদের বিচার করবে না।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দুদক চেয়ারম্যান-বছরে ১০০ মামলা নিষ্পত্তি হলে দুর্নীতি করার সাহস হবে না। আমি বলি এ সমাজব্যবস্থায় দুর্নীতি উচ্ছেদ করবে না।
২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৭৭ শতাংশ আসামিই খালাস পায়-পুলিশের বার্ষিক অপরাধ সম্মেলনে তথ্য ঃ ২০০৯ সালে দেশে এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৬৪টি মামলা হয়েছে। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৪৩০টি করে মামলা হয়েছে।
২০১০ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর। দুর্নীতির জালে বন্দী বাংলাদেশ।
২০১০ সালের ১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যাঁদের হাতে তাঁরাই দুর্নীতি করেন ঃ আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। তিনি বলেছেন, যাঁদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা রয়েছে, তাঁরাই ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। কোনো ফাইল এলে তাঁদের বিভিন্নভাবে সন্তুষ্ট না করা পর্যন্ত সে ফাইল নড়ে না। এ ধরনের দুর্নীতির কারণেই দেশের অগ্রগতি হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ কৃষক ও শ্রমিক। তাঁরা কেউ দুর্নীতি করেন না।
২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ লন্ডনে অর্থমন্ত্রী-বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রধান বাধা দুর্নীতি।
২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেনি। টিআইর প্রতিবেদন। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সোমালিয়া বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। ২০১০ সালে স্কোর ২.৪ আর অবস্থান ১২তম।
তৃতীয় সপ্তম দশম ১৩তম ১২তম
২০০৬ ২০০৭ ২০০৮ ২০০৯ ২০১০
২.০ ২.০ ২.১ ২.৪ ২.৪
২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতির শীর্ষে পুলিশ, পরে জনপ্রশাসন। টিআইবি’র সমীক্ষায় জনগণের অভিমত।
২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতির শীর্ষে বিচার বিভাগ। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ টিআইবির জরিপের প্রশ্ন ও উত্তর চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
২০১১ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ টিআইবির জরিপ ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে করা। সুপ্রিম কোর্টের মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন। বিচার বিভাগের দুর্নীতি অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
২০১২ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ বিচার প্রশাসন থেকে থানা পর্যন্ত দুর্নীনি বিস্তৃত সর্বত্র ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে দুর্নীতি আগের মতোই। টিআইয়ের ধারণা সূচকে বাংলাদেশের নম্বর ১০০-তে ২৫।
১৯৯৬ সালের ৫ নভেম্বরঃ বাংলাদেশে বিচারাধীন ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ২.৫০(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)। ২০০০ সালের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪(চার) লক্ষে পৌঁছে।
১৯৯৮ সালের ১১ মার্চ,বাংলাদেশে-৬,৭৭,০০০(ছয় লক্ষ সাতাত্তর হাজার)মামলা বিচারাধীন।
১৯৯৯ সালের ৪ মার্চের হিসেবমতে-সুপ্রীম কোর্টে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ৯৯,০০০(নিরানব্বই হাজার)।
২০০০ সালের ৬ জানুয়ারি-বাংলাদেশে ১.৫(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলের অপেক্ষায় ছিল।
২০০০ সালের ১০ এপ্রিল-বাংলাদেশে গ্রেফতারী পরওয়ানা তালিম না হওয়ায় প্রায় ১.৩(এক লক্ষ ত্রিশ হাজার) আসামী পলাতক।
২০০০ সালের ৮ অক্টোবর-বাংলাদেশে অপরাধ বৃদ্ধির হার ভয়াবহ।
২০০২ সালের ১ নভেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের আদালতগুলোতে জমে থাকা ১০(দশ) লক্ষ বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তিতে ৮৬(ছিয়াশি) বছর সময় লাগবে।
০৯-০২-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ ঢাকা কোর্টে ৬৭(সাষট্টি) হাজার মামলা জমা আছে-অথচ জেলা জজ পর্যায়ের ৮ জন বিচারকের কাজ নেই।
২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, এক একান্ত সাক্ষাতকারে ভূমিমন্ত্রী বলেন যে-বাংলাদেশে ৮০ ভাগ মামলাই ভূমি থেকে সৃষ্টি ঃ বর্তমানে ভূমি ব্যবস্থার যে সংকট সেটি ১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ, লর্ড কর্নওয়ালিসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে সৃষ্টি।
২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল, পর্যন্ত সংসদে প্রশ্নোত্তরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন ঃ বাংলাদেশে ১০,৪৫,৮৯৫(দশ লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার আটশত পঁচানব্বই)টি মামলা বিচারাধীন।
২০০৩ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রধান বিচারপতি কে. এম. হাসান বলেছেন, বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমান বিচার ব্যবস্থা ধনীদের কাছেই বেশী সহজলভ্য এবং তা গরীবদের আওতার বাইরে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আর্থিক অসচ্ছলতা, অজ্ঞতা এবং অসচেতনার কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিচারের সূফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
২০০৪ সালের ২৮ জানুয়ারি, আদালত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টের নজিরবিহীন রায় ঃ আইজিপির জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস জেল।
২০০৪ সালের ৭ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ভূমি অভাবী (ল্যান্ড হাংরী) দেশ। ভূমিজনিত মামলা মকদ্দমায় বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।
২০০৪ সালের ৭ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ভূমি অভাবী (ল্যান্ড হাংরী) দেশ। ভূমিজনিত মামলা মকদ্দমায় বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।
২০০৫ সালের ২৬ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বৃহত্তর কর কেলেঙ্কারি মামলার চার্জশীট দেয়ায় বিভিন্ন মহলে দুর্নীতি দমন কমিশন আতঙ্ক। ৫৬৮ কোটি টাকা কর ফাঁকির দুটি মামলার চার্জশীট দেয় আকিজ গ্রুপের বিরুদ্ধে।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ দেশে ৯,৯৫৮টি হত্যা মামলা বিচারাধীন-সংসদে আইনমন্ত্রী।
২০০৭ সালের ২৬ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ভাঙচুরের ঘটনায় সারাদেশে প্রায় ৮৮ হাজার লোককে আসামী করে মামলা। এরমধ্যে রাজধানীতে ৩৫ মামলায় ৮২ হাজার ৭২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
২০০৮ সালের ১২ জানুয়ারি, অপরাধ বেড়েছে, নতুন আইন চায় পুলিশ। পুলিশের বার্ষিক অপরাধ সম্মেলনের তথ্য ঃ ২০০৬ সালে দেশে মামলার সংখ্যা ছিল ১,৩০,৫৭৮টি। কিন্তু ২০০৭ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১,৫৭,২০০টি মামলা। অর্থাৎ ২০০৬ সালের তুলনায় অপরাধ বৃদ্ধি পায় ২৬,৬৬৬টি। এখন প্রতিদিন গড়ে ৪৩০টি মামলা হচ্ছে। ২০০৭ সালে দেশে খুনের মামলা হয় ৩,৭৬৯টি। ২০০৬ সালে ২২টি খুন কম হয়।
২০০৯ সালের ১৪ জুন, প্রথম আলোঃ বাংলাদেশে এখন দেড় লাখ মানুষের জন্য বিচারক একজন।
২০০৯ সালের ৯ জুলাই, আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মামলার সংখ্যা ১৮ লাখ ২৯ হাজার ১৬৫টি এরমধ্যে দেওয়ানি ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩টি, ফৌজদারি ৮ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৪টি এবং অন্যান্য ৯৬ হাজার ৬৭৬টি। ১ জানুয়ারি, ২০০৯ পর্যন্ত সরকারি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে; সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৯ হাজার ৩৭৫; সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৯০১টি। এছাড়া সকল জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ সকল প্রকার ট্রাইব্যুনালে ৮ লাখ ৭ হাজার ৭০২টি এবং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সকল সিএমএম) ৭ লাখ ১৮ হাজার ১৮৭টি মামলা রয়েছে।
২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন থেকে ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৮ পর্যন্ত সাত বছরে দায়ের করা ২২ হাজারের মতো মামলা পুনরায় পরীক্ষা করে তা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সাত বছরের মামলাগুলো পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত। আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন। বিএনপি আমলেও এভাবে ৩৫ হাজার মামলায় ৭০ হাজার আসামি মুক্তি পায়।
২০০৯ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৮ লাখ ২০ হাজার ৭৯০টি।
২০১০ সালের ৮ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশের আদালতে ১৫ লাখ ৮২ হাজার মামলা বিচারাধীন ঃ সংসদে আইনমন্ত্রী।
২০১০ সালের ২০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর সুপ্রিম কোর্টে তিন লাখ ৩০ হাজার ৮৩১টি মামলা বিচারাধীন। এরমধ্যে আপিল বিভাগে পাঁচ হাজার ২৬০টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে তিন লাখ ২৫ হাজার ৫৭১টি মালমা বিচারাধীন।
২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, প্রথম ঃ হাইকোর্টে চার মাসে ৫০ হাজার মামলা নিষ্পত্তি। প্রধান বিচারপতির উদ্যোগ। সংখ্যা কমলেও মামলাগুলো গুরুত্বপূর্ণ না-সুপ্রিম কোর্টি আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
২০১২ সালের ৬ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশের আদালতে প্রায় ৩০ লাখ মামলা বিচারধীন আছে। ম্মালা জট।
২০১৬ সালের ১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর। বিচারাধীন চোরাচালান মামলা ৩০ হাজার ৭৮৭টি।
১৯৯৭ সালের ১৭ নভেম্বরের হিসেব-পাকিস্তানের পতিতালয়ে ৪০(চল্লিশ হাজার) বাংলাদেশী নারী ও শিশু আছে।
১৯৯৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের তথ্য-পাকিস্তানে প্রায় ১৫(পনের) লক্ষ বাংলাদেশী আছে। এ লজ্জা আমাদের। আমরা বাঙ্গালীরা পাকিস্তান ভেঙ্গে ফেলছি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, আর আজ আমাদের লোকজনরা পাকিস্তানে চলে যাচ্ছে বাঁচার জন্য। তা‘হলে যে আমরা বলছি-পাকিস্তানিরা আমাদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত এবং বাংলাদেশের সম্পদ ছাড়া পাকিস্তানিরা চলতে পারবে না। অচিরেই গরীব হয়ে যাবে। আমরা বাঙ্গালীরা যা ভাবছিলাম তা সবই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের সম্পদ ছাড়া পাকিস্তান আগাচ্ছে-কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা বা বাংলাদেশীরা আগাইতে পারছি না কেন?
২০০০ সালের ২৮ নভেম্বর, পাকিস্তানী ডেপুটী হাইকমিশনারের ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি ঃ একাত্তরে আওয়ামীলীগের দুস্কৃতিকারীরাই প্রথম নৃশংসতা শুরু করে।
২০০৪ সালের ৩১ অক্টোবর, সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৩টি জেলার ৭০টি জেনেভা ক্যাম্পে অবস্থিত ‘অবাঙ্গালী”দের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে ‘আটকেপড়া” সর্বমোট ৫,৩৯,৬৬৯ জন অবাঙ্গালী বিহারী পাকিস্তানে প্রত্যাবাসনের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের কাছে ইচ্ছা ব্যক্ত করে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর ভারতের বিহার ও অন্যান্য প্রদেশ থেকে আগত এসব অবাঙ্গালী মুসলমান (মোহাজির) তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশে বসবাস করতে থাকে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ’ নির্ধারণে এরা পাকিস্তানে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের পক্ষে ইচ্ছা প্রকাশ করলে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কর্তৃক ঢাকাসহ দেশের ১৩টি জেলার ৭০টি ক্যাম্পে এ সকল ‘আটকেপড়া’ অবাঙ্গালীদের সাময়িকভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়। বতমানে বাংলাদেশে আছে ৪০,২০৮টি পরিবার। ক্যাম্প এবং ক্যাম্পের বাহিরে মিলে সর্বমোট ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪০ জন সদস্য বাংলাদেশে বসবাস করছে।
১৫-১১-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ পাকিস্তানে বসবাসকারী বাঙ্গালীদের নাগরিকত্ব প্রদানের উদ্যোগ-১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানে বসবাসকারী বাঙ্গালীদের পাকিস্তানের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য সেদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি প্রস্তাব করেছে। প্রায় ১৫-লক্ষ বাঙ্গালী পাকিস্তানে বসবাস করছে।
২০০৫ সালের ২০ নভেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ পাকিস্তানের হোম টেক্সটাইল (গৃহসজ্জা সামগ্রী) বাংলাদেশে স্থানান্তরে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ প্রকাশ।
২০০৫ সালের ২১ নভেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশের বস্ত্র খাতে পাকিস্তান ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
২০০৫ সালের ১৩ নভেম্বর, বিশেষ সংবাদদাতা ঃ প্রথম সার্ক পদক (সার্ক অ্যাওয়ার্ড-২০০৪) দেয়া হয়েছে সার্কের উদ্যোক্তা মরহুম জিয়াউর রহমানকে। সার্কের বিদায়ী চেয়ারপার্সন ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজের কাছ থেকে জিয়া পরিবারের পক্ষে প্রথম সার্ক এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা শহীদ জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে তারেক রহমান।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর, আওয়ামী লীগ সরকার এবং শান্তিবাহিনী’র অভিভাবক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ‘শান্তিচুক্তিটি’ স্বাক্ষরিত হয়।
২০০১ সালের ২৭ মে ঃ স¤প্রতি ৬৫-সদস্য বিশিষ্ট গঠিত বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের জাতীয় কমিটির আহবায়ক সন্তু লারমা বলেন-দেশের সংখ্যালঘু ৪৫টি জাতির ২০ লক্ষ আদিবাসী আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও অধিকার আদায়ের লক্ষে একত্র হওয়া প্রয়োজন।
২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ পার্বত্য চুক্তির ১৪ বছর। সরকার বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। সন্তু লারমা।
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু উদ্ধোধন করা হয়।
এক নযরে যমুনা সেতু ১৯৯৮ সালের ৪ এপ্রিলের তথ্যানুযায়ী ঃ
১. দৈর্ঘ্য ঃ ৪.৮০ কিলোমিটার
২. প্রস্থ ঃ ১৮.৫ মিটার
৩. স্পেন সংখ্যা ঃ ৪৯টি
৪. পাইল সংখ্যা ঃ ১২১টি
৫. ডেক সেগম্যান্ট সংখ্যা ঃ ১২৬৩টি
৬. পিলার সংখ্যা ঃ ৫০টি
৭. সড়ক লেন সংখ্যা ঃ ৪টি
৮. অন্যান্য সুবিধাদি ঃ যেমন-রেলপথ, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন, গ্যাস সরবরাহ লাইন ও টেলিযোগাযোগ লাইন।
৯. যমুনা সেতুর বার্ষিক আয় ঃ ১০০ কোটি টাকা।
১০. যমুনা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ঃ ৫ হাজার ৩শ’ ৯৫ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
১১. ১৯৯৮ সালের ৬ জুনের তথ্যানুযায়ী ঃ যমুনা সেতুর জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে-৫,৬৮০(পাঁচ হাজার ছয়শত আশি) একর।
১২. ১৯৯৮ সালের ১৯ জুনের তথ্য ঃ বাংলাদেশের ‘‘যমুনা সেতু” বিশ্বের এগারতম দীর্ঘ সেতু ছিল।
১৩. ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারির তথ্য ঃ বাংলাদেশের ‘‘যমুনা সেতু” বিশ্বের চৌদ্ধতম দীর্ঘ সেতু।
১৪. সেতু নির্মাণে প্রথম ব্যয় ধরা হয়েছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা এবং পড়ে ব্যয় বেড়ে হয়েছিল তিন হাজার পাঁচশত টাকাঃ কয়েক দফা বাড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত খরচ হয় তিন হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা। মোটরসাইকেলের টোল-৩০, কার-৪০০, ছোট বাস-৫৫০, বড় বাস-৮০০, হালকা মালবাহী যান-৭৫০, মাঝারি ট্রাক-১০০০ ও ভারী মালবাহী যানের টোল ১,২৫০ টাকা। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ লাখ টাকার টোল আদায় হয়।
১৫. যমুনা সেতু উদ্ভোধন করা হয় কত তারিখ ঃ ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন।
২০০৪ সালের ২৬ জুলাই, বগুড়া থেকে মহসিন রাজু ঃ যমুনা সেতুর উজানে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি হয়ে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পর্যন্ত ‘যমুনা নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের’ আওতায় খরচ করা আড়াই হাজার কোটি টাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবারের বন্যা ঠেকাতে পারলো না। ১০ বছর ধরে এ বাঁধের জন্য খরচ করা টাকার সিংহভাগ অপব্যবহার (আত্মসাৎ) হয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নকারী, প্রকৌশলী, রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসৎ কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের পকেটে উঠেছে।
২০০৬ সালের ১৬ এপ্রিল, সালাউদ্দিন বাবলু ঃ ভারতের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে যমুনা সেতুর আয়ু শেষ। সরাসরি রেল ট্রানজিট চালুর লক্ষ্যে ঢাকায় বৈঠক। ১৯৯৮ সালের জুনে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনা সেতুর আয়ু নির্ধারণ করা হয়েছিল ১শ বছর। মাত্র ৮ বছরেই যমুনা সেতুর আয়ু শেষ হয়ে যাচ্ছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়েই আজ যমুনা সেতুর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সেতু নকসাতে রেল লাইন বসানোর কথা ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার সেতুতে রেল লাইন বসানোর কারণেই সেতুর ফাটল।
২০০৮ সালের ২৫ এপ্রিল, যমুনা সেতু থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ৮১টি রেলক্রসিংয়ের ৬৪টিতেই গেট নেই। পারাপার ‘নিজ দায়িত্বে’।
২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ বঙ্গবন্ধু সেতুতে মোট সেগমেন্ট আছে এক হাজার ২৬৩টি। আর এখন প্রতিটি অংশে ফাটল বেড়ে গড়ে ১৩টি হয়েছে। সে হিসাবে পুরো সেতুতে মোট ফাটল ১৬ হাজার ৪১৯টি। মেরামতে গড়িমসি, ফাটল বেড়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুর।
২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় পাতালরেল হবে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক! সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
১৯৯৯ সালের ৩১ জানুয়ারি, সুন্দরবনে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ ফলক উদ্বোধন করা হয়।
২৮-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ সুন্দরবনের আয়তন ১৩,২০০(তের হাজার দুইশত) বর্গ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে তারিক হাসান। বাংলাদেশের ভাগে-৯(নয়) হাজার বর্গকিলোমিটার এবং ভারতের পশ্চিম বাংলার ভাগে-৪,২০০(চার হাজার দুইশত) বর্গ কিলোমিটার।
২৩-১১-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারেঃ কোষ্টগার্ডের অভিযান ৪৬-জন উদ্ধার ঃ সুন্দরবন ও সাগর দ্বীপে শত শত কিশোর ক্রীতদাস হিসাবে বন্দী-রেজাউল করিম, বাগেরহাট থেকে।
২০০৪ সালের ১০ অক্টোবর, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪১৯টি। এরমধ্যে ১২১টি পুরুষ ও ২৯৮টি স্ত্রী বাঘ রয়েছে। স্ত্রী ও পুরুষ বাঘের অনুপাত ১ ঃ ২.৫। আর বাচ্চা বাঘের সংখ্যা ২১টি। তবে বাচ্চা বাঘের সংখ্যা ৪১৯টির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত নয়। অপরদিকে ভারতের অংশে বাঘের সংখ্যা হলো ২৭৪টি।
২০০৫ সালের ১১ জুন, নাছিম উল আলম ঃ আমাদের সুন্দরবন বিশ্বে সর্ববৃহৎ লবণাম্বুজ বন। বনাঞ্চল বেড়ে সাড়ে ১৭ ভাগে উন্নীত হয়েছে। যা আজ থেকে মাত্র একদশক আগেও ১২ ভাগের মত ছিল। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ সুস্থ, সামাজিক জীবনের জন্য প্রতিটি দেশেই ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা আবশ্যক হলেও মাত্র একযুগ আগেও আমাদের দেশে মাত্র ১২ ভাগের মত ছিল। সারাদেশে এখন বন এলাকার পরিমাণ-২.৫২ মিলিয়ন হেক্টর। যা দেশের মোট ভূমির ১৭.০৮ ভাগ। ১৯৬০ সাল থেকে যে বনায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তার আওতায় ইতোমধ্যেই প্রায় ৪ লাখ একর ভূমিতে বনায়ন করা সম্ভব হয়েছে। ১৯৮০ সালে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে। ১৯৮১-৮২ সালে দেশব্যাপী থানা বনায়ন এবং নার্সারী উন্নয়ন কার্যক্রমও গ্রহণ করা হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে দেশে সর্বপ্রথম বৃক্ষমেলা এবং তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরুর সাথে বনায়নে ব্যাপক কর্মসূচীর পাশাপাশি বৃক্ষরোপণে জনসাধারনকে সম্পৃক্ত করার ফলে দেশে বনায়ন কার্যক্রম বিশেষ গতিলাভ করে।
২০০৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, দেড়শ’ বছর আগে সুন্দরবনের আয়তন ছিল-১২,০৩৪ বর্গকিলোমিটার। দেড়শ’ বছরে সুন্দরবনের আয়তন কমেছে ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার। সুন্দরবন বনাঞ্চলের ৬২ শতাংশ বাংলাদেশের ভাগে আর ভারতের ভাগে ৩৮ শতাংশ।
২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর ফরিদুন্নাহার লাইলীর প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষায় ২০১১ সালে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করেছে। ইউএনডিবি, ভারত ও বাংলাদেশ বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত বাঘশুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি। বাঘের ঘনত্ব প্রতি ১৩ থেকে ১৫ বর্গকিলোমিটারে একটি, যা বিশ্বে সর্বাধিক। বিশেযজ্ঞের মতে, সুন্দরবনে বাঘের বৃদ্ধির সুযোগ নেই।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ সুন্দরবনে ৪৪০টি বাঘ আছে। এর মধ্যে ৪১৯টি প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ২১টি বাচ্চা বাঘ রয়েছে।
১৯৯৯ সালের ৩০ জুনের তথ্যানুযায়ীঃ-বাংলাদেশে বছরে দুধের উৎপাদন ২৯.১৩ (উনএিশ লক্ষ তের হাজার) টন। প্রতিজনে বছরে গড়ে ২০.৮০ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ৫৭ গ্রাম। বাংলাদেশে বছরে ১২ লক্ষ টন মাছের উৎপাদন; বছরে গড়ে মাথাপিছু ৮.৫৭ কেজি। দৈনিক গড়ে মাথাপিছু ২৩.৪৮ গ্রাম। বর্তমানে ১৭.৫ লক্ষ টন মাছ উৎপাদন হয় বলেছে সরকার কিন্তু বাজারে মাছের আমদানী দেখে মনে হয় না উৎপাদন বেড়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ পাওনা ১,৪৮০(এক হাজার চারিশত আশি) কোটি ডলার। বাংলাদেশে বছরে ফলের উৎপাদন ১০(দশ) লক্ষ টন; বছরে গড়ে প্রতিজনে ৭.১৪ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ১৯.৫৭ গ্রাম। বাংলাদেশে বছরে শাক-সব্জির উৎপাদন ৮১ লক্ষ টন; বছরে গড়ে প্রতিজনে ৫৭.৮৫ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ১৫৮.৫১ গ্রাম। বাংলাদেশে বছরে ভোজ্যতেল উৎপাদন ৫,৭০,০০০ টন; বছরে গড়ে প্রতিজনে ৪.০৭ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ১১.১৫ গ্রাম। বাংলাদেশে বছরে ডালের উৎপাদন ১৫,৯০,০০০ টন; বছরে গড়ে প্রতিজনে ১১.৩৫ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ৩০ গ্রাম। বাংলাদেশে বছরে মাংসের উৎপাদন ৮,৮৩,০০০ টন; বছরে গড়ে মাথাপিছু ৬.৩১ কেজি এবং দৈনিক মাথাপিছু ১৭.২৭ গ্রাম। বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা-১,৮০৪(এক হাজার আটশত চার) জন এবং তাঁদের মোট পুঁজির পরিমাণ-৫,০৯৮(পাঁচ হাজার আটানব্বই) কোটি টাকা।
২০০০ সালের ২২ জানুয়ারি ঃ বাংলাদেশে ধান ও গমের উৎপাদন ২ কোটি ৬২ লক্ষ ৮ হাজার টন। ডাল ১৫.৯(পনের লক্ষ নব্বই হাজার) টন; ভোজ্যতেল ৫.০৭(পাঁচ লক্ষ সাত হাজার) টন; শাক-শবজি ৮১.৪(একাশি লক্ষ চল্লিশ হাজার) টন; ফলমূল ১০(দশ) লক্ষ টন; মাছ ১৫(পনর) লক্ষ টন; দুধ ২৯.১৩(উনত্রিশ লক্ষ তের হাজার) টন ও মাংস ৮.৮৩(আট লক্ষ ত্রিরাশি হাজার) টন হয়েছে।
২০০৪ সালের ১৮ জুন, মাসুদুর রহমান খলিলী ঃ খাদ্যের চাহিদা উৎপাদন ও আমদানীর মধ্যে কোন সমন্বয় থাকছে না। চলতি সালে ২০-লাখ টন নীট খাদ্য উদ্বৃত্তের পরও আমদানী ৩০-লাখ টন।
২০০৫ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ কৃষি জমি রক্ষায় আইন আসছে। গ্রামীণ হাউজিং কৃর্তপক্ষ গঠন করা হবে ঃ জমিচাষে অনুপস্থিত থাকলে মালিকানা থাকবে না। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে গ্রাম পর্যায়ে নতুন নতুন বাড়ীঘর স¤প্রসারণ, নগরায়ন বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য প্রতিদিন গড়ে ২২০ হেক্টর বা সাড়ে ৫শ’ একর করে বছরে ৮০ হাজার হেক্টর বা ২ লক্ষ একর জমি কৃষিচাষ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, যা সর্বমোট কৃষি জমির ১ শতাংশ। ১০০(একশত) শতকে ১(এক) একর এবং ২৫০(দুইশত পঞ্চাশ) শতকে ১(এক) হেক্টর। এ ধারা অক্ষুন্ন থাকলে আগামী ৫০ বছরেই দেশে সকল কৃষি জমি বিলুপ্ত হবে। স্বাধীনতার বিগত ৩৩ বছরে দেশের ২৫% কৃষি জমি চাষের আওতা থেকে হারিয়ে গেছে। দেশে বর্তমানে (১৩-০২-২০০৫) সালে আবাদযোগ্য মোট জমি ২ কোটি একর।
২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-সংসদ রিপোর্টার ঃ এ বছর ২২ লাখ ১৩ হাজার মেঃ টন মৎস্য উৎপাদন হতে পারে-মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান সংসদকে জানান। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে দুধের উৎপাদন বেড়ে ১৯ লাখ ৯০ হাজার মেঃ টন থেকে ২১ লাখ ৪০ হাজার মে. টনে উন্নীত হয়েছে।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ বছরে দেশে ২১ লাখ ৪০ হাজার টন দুধ উৎপাদন হচ্ছে ঃ সংসদে-মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান। ২১,৪০,০০০ হাজার টনকে গুন ১,০০০ হাজার কেজি দিয়ে=২১৪,০০০০০০০ কেজিকে গুন ১,০০০ হাজার গ্রাম দিয়ে=২,১৪,০০০,০০০০০০০ গ্রামকে ১৫,০২,৬০,০০০ কোটি মানুষ দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল হবে=১৪,২৪১ গ্রাম বছরে একজনের ভাগে এবং ৩৬৫ দিয়ে ভাগ করলে দৈনিক গড়ে একজনের ভাগে দুধ=৩৯ গ্রাম।
২০০৬ সালের ৩ জানুয়ারি, বাসস ঃ ১৯৭৫ সাল থেকে তিনদশকে চালের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। আবাদী জমির পরিমাণ ২৮-লাখ হেক্টর থেকে বেড়ে ৪০-লাখ হেক্টর হওয়াই অন্যতম কারণ।
২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, বাসস ঃ মৎস্য চাষে একটি সফল প্রকল্পের নাম জবই বিল। নওগাঁ জেলার প্রাচীনতম জবই বিলের আয়তন প্রায় ৪০৩ হেক্টর। বছরে হেক্টর প্রতি মাছের উৎপাদন ১,২০০ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। বছরে উৎপাদন হয়-৪,৮৩,৬০০কেজি বা ৪৮৩.৬ টন।
২০০৬ সালের ২০ এপ্রিল, সংসদ রিপোর্টার ঃ রেণু পোনা উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে দেশে বেসরকারী পর্যায়ে ৭৫৬টি মৎস্য হ্যাচারি ও ৭-হাজার ৫৭টি মৎস্য নার্সারি রয়েছে।
২০০৮ সালের ২২ এপ্রিল, বোরো ক্রয় ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সিপিডির সংলাপ-চাল উৎপাদনের লক্ষ্য ৩ কোটি ২০ লাখ টন করার পরামর্শ।
২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর, বাংলাদেশে প্রতি বছর শাঁক-সবজি উৎপাদন হয় ১ কোটি ২২ লক্ষ টন আর বছরে ৫০ প্রকার সবজি রফতানি করে ৭০০ কোটি টাকার। এ পর্যন্ত ৪২ প্রকার সবজির আকার বড় করেছেন।
২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক বাজারে মোটা চালের কেজি ২১ টাকা, দেশে ২৮ টাকা। আমন উঠলে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে-আমি বলি বাংলাদেশে এবারও চালের ঘাটতি হবে। ফাও থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত মার্চ-এপ্রিলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। টনপ্রতি দাম এক হাজার ডলার অকিক্রম করেছিল। গত দুই মাসে চালের দাম ব্যাপক হারে কমেছে। ভিয়েতনামে এক টন চাল ৩০০ ও পাকিস্তানে ৩৫০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে এখন। কৃমিন্ত্রণালয়ের হিসাবে বাংলাদেশে গত বোরো ও আউস মৌসুমমিলিয়ে দুই কোটি টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে এক কোটি ৩০ লাখ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বমোট উৎপাদন হবে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, দেশে প্রতিবছর দুই কোটি ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টন ধানের প্রয়োজন হয়। গবাধিপশু ও অন্যান্য খাতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চালের প্রয়োজন পড়ে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে চলতি বছর যে ধান উৎপাদন হয়েছে, তাতে দেশের চাহিদা পূরণের পরও কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ লাখ টন ধান উদ্বৃত্ত থাকবে। আমার মতামত এবারও খাদ্য ঘাটতি থাকবে। প্রতি কেজি ধান উৎপাদন করতে প্রায় ১২.৭৭ টাকা খরচ হয়েছে।
২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর, খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকার দুই লাখ টন গম কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। দরপত্র সর্বনিম্ন দর পাওয়া গেছে ১৯০ ডলার। তাতে প্রতি কেজি গমের দাম ১৩/- টাকা। একই গম চার মাস আগেও ছিল ৪১৯ ডলার।
২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে মোট ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার হেক্টর জলাভূমি ছিল। এ জলাভূমিগুলো থেকে বছরে প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র প্লাবনভূমিতে দুই কোটি ১০ লাখ হেক্টর জলাভূমি বন্যানিয়ন্ত্রণ, নিস্কাশন ও সেচখালের মতো কাঠামোর জন্য বিলীন হয়ে গেছে। উনিশ শতকের শুরুর দিকে যে চলনবিলের আয়তন ছিল এক হাজার ৮৫ বর্গকিলোকিটার, তা ১৯০৯ সালে এসে দাঁড়ায় ৩৬৮ বর্গকিলোমিটারে। বর্তমানে এর মাত্র ৮৫ বর্গকিলোমিটারে সারা বছর কমবেশি পানি থাকে। আবার কখনো কখনো চলনবিলের আয়তন ২৬ বর্গকিলোকিটারে পৌঁছায়।
২০০৯ সালের ২১ জুন, আমাদের সময় ঃ দেশে গৃহপালিত পশুপাখি ৩০ কোটি ৮ লাখ। জিডিপিতে অবদান ২.৭৯ শতাংশ। এরমধ্যে পশু চার কোটি ৮৫ লাখ এবং পাখি ২৫ কোটি ২৩ লাখ। আগের বছরের চেয়ে এ সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২০ লাখ বেড়েছে। মৎস্য ও পশুনম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২০০৮ সালের হিসেব অনুযায়ী সারাদেশে চার কোটি ৮৫ লাখ পশুর মধ্যে গরু দুই কোটি ২৯ লাখ, মহিস ১২ লাখ, ছাগল দুই কোটি ১৫ লাখ, ভেড়া ২৭ লাখ। ২৫ কোটি ২৩ লাখ পাখির মধ্যে মুরগি ২১ কোটি ২৪ লাখ এবং হাঁস ৩ কোটি ৯৮ লাখ। এসব পশুপাখি থেকে ২০০৮ সালে মোট দুধ উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ টন, মাংস উৎপাদন হয়েছে-৬ লাখ টন এবং ডিম উৎপাদন হয়েছে-৪১৮ কোটি ৮০ লাখ। আমিষের চাহিদা-পূরণের জন্য এসব পশুপাখির গুরুত্ব অপরিসীম। গত ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে দেশের জিডিপিতে পশুসম্পদ উপখাতের অবদান দুই দশমিক ৭৯ শতাংশ। সম্পাদনা ঃ জুলফিকার রাশেল।
২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিশ্ববাজারে দর কমার সুফল পাচ্ছে না ভোক্তা। আমদানিব্যয়ের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে আটা-ময়দা। গত বছর ফাও ও ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর বিশ্বে সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে ৬৮ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন গম উৎপাদিত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ১২ ভাগ বেশি।
২০০৯ সালের ২৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ খাদ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় পুষ্টি পরিস্থিতি নাজুক। দুটি গবেষণার তথ্য-দরিদ্র মানুষ মাছ-মাংস, ডিম-দুধ কিনতে না পেরে ভাতই বেশি খাচ্ছে।
২০০৯ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ধানের দাম কমছে, বড় ধরনের লোকসানের মুখে কৃষক। দামের নিম্নগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বোরোর আগাম সংগ্রহমূল্য ঘোষণা করতে হবে।
২০০৯ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত এক বছরে দেশের ৫৮ শতাংশ পরিবার পর্যাপ্ত খাবার পায়নি। ২০ লাখ শিশু তীব্র পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। ইউনিসেফ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া যায়।
২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ধান ১৪, চাল ২২ টাকা কেজি দরে কিনবে সরকার। চার মাস ধরে মোট ১২ লাখ টন খাদ্য সংগ্রহ করা হবে। ১ মে থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এ সংগ্রহ অভিযান। সংগ্রহমূল্য প্রয়োজনে পুননির্ধারণ করবে সরকার। কৃষকেরা কেউ খুশি, কেউ হতাশ।
২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ কৃষিতে অঙ্গীকার পূরণের উদ্যোগ ছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ২০১৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পুনরায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হবে। বর্তমানে দেশে চালের উৎপাদন তিন কোটি ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে।
২০১০ সালের ১২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ মাটি ছাড়াই ফুল-ফল সবজি চাষ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষ করা টমেটোগাছ।
২০১০ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৭ লাখ ৭০ হাজার এবং সামুদ্রিক মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৫ লাখ ১০ হাজার। সর্বমোট=১২ লাখ ৮০ হাজার মৎস্যজীবী আছে।
২০১১ সালের ২০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সাগর ও বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বেড়েছে। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে নদী, বিল, হ্রদ, পুকুর ও সাগর মিলিয়ে মাছের উৎপাদন ছিল ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৫ মেট্রিক টন। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে এ উৎপাদন দাঁড়ায় ২৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৮ মেট্রিক টনে। গত বছর ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ছিল ৩১ লাখ মেট্রিক টনের মতো। ১৬ কোটি মানুষ হলে প্রতিজনের মাথাপিছু মাছের ভাগ হয় ৫৩.০৮ গ্রাম।
২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাছের উৎপাদন ৩২.৬২ লাখ মেট্রিক টন। প্রতিজন মানুষের ভাগে দৈনিক মাছ-৫৫.৮৬ গ্রাম।
২০১৪ সালের ৭ নভেম্বর, প্রথম আলো: মাছ উৎপাদনে চতুর্থ বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিবেদন। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে দেশে ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার টন মাছ উদপাদিত হয়েছে এরমধ্যে চাষ করা মাছের উৎপাদন ২০ লাখ টন। ৫২ হাজার টন বেড়ে সাড়ে তিন লাখ টন হয়েছে। ১৭ কোটি মানুষের দেশে মাথাপিছু-২০ কেজি বছরে বা ৫৫.৬৮ গ্রাম মাছ ভাগে পড়ে দৈনিক। আবার বলা হয়েছে মাথাপিছু মাছের উদপাদন-১২ কেজি মাছ খায়। চট্টগ্রামের অধিবাসীরা ১৭ কেজি মাছ খায় এবং রংপুরের অধিবাসীরা সবচেয়ে কম। বাংলাদেশে প্রাণিজ আমিষের ৫৭% মাছ থেকেই মেটে। মাছ রপ্তানি বেড়েছে ১৩৫ গুণ। (মোট মাছের উদপাদন-১৯৯০ সালে-১,৯৩,০০০ টন, ২০০০ সালে ৬,৫৭,০০০ টন এবং ২০১৪ সালে ১০,০০,০০০ লক্ষ টন।)-এ লেখার অর্থ আমি বুঝিনি। সাড়ে সাত কেজি মাছ খায়। এই মাছের ৭৬% আসে পুকুর ও জলাশয় থেকে। বিশ্বে মাথাপিছু মাছ খাওয়ার পরিমাণ ২২.৪ কেজি বছরে। বিশ্বে আমরা সামুদ্রিক মাছ আহরণে ২৫তম।
২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর, প্রথম আলো : স্বাধীনতার পর পাঁচ গুণ বেড়েছে সবজি উৎপাদন। ১৯৭২ সাদে মানুষ ছিল সাড়ে সাত কোটি এখন মানুষ ১৭(সতের) কোটি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) হিসাবে, ১৯৬০ সালে যেখানে কৃষি পরিবারের সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ, তা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৬২ লাখ। এ কৃষকদের প্রায় সবাই পারিবারিকভাবেই উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। ১৯৯৪ সালে দেশে মাথাপিছু দৈনিক সবজি খাওয়া বা ভোগের পরিমাণ ছিল ৪২ গ্রাম। গেল বছর সবজির ভোগের পরিমাণ ৭০ গ্রাম। জাতিসংঘের এই সংস্থাটির হিসাবে একজন মানুষকে দৈনিক ২২৫ গ্রাম সবজি খেতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে দেশে এক কোটি ৩৮ লাখ টন সবজি উৎপাদিত হয়েছে এবং আলু উৎপাদিত হয়েছে ৯৬ লাখ টন।
২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : বø্যাক বেঙ্গল বিশ্বের সেরা। ছাগল উযৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ বাংলাদেশ। আর মাংস উৎপাদনে বিশ্বে পঞ্চম। বিশ্ববাজারে বø্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়া কুস্টিয়া গ্রেড হিসেবে পরিচিত। আমার বিশ্বাস হয় না। মো: জাকির হুসেন(আলমগীর)।
২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ মাছের দেশে মাছ আমদানি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মাছ উৎপাদন হয়েছে-৩৭,০০,০০০(সাইত্রিশ লক্ষ) টন এবং আমদানি করতে হয়েছে-৯৭,৩৮৩ টন।
১৯৯৯ সালের ২৭ মার্চের তথ্যানুযায়ী ঃ বাংলাদেশে ১০(দশ) লক্ষ টাকার বেশি আয়কর দেন মাত্র ৪১১ জন কিন্তু আয়কর দাতার সংখ্যা ২.৮(দুই লক্ষ আশি হাজার)। ২০০৩ সালের হিসেবমতে বাংলাদেশে ১৩(তের) লক্ষ লোক আয়কর দেয়। এরমধ্যে ৩(তিন) লক্ষ লোক আয়কর দেন আর ১০(দশ) লক্ষ লোকের আয়কর দেন তাদের সংস্থা মানে চাকুরিজীবীদের আয়কর অফিস দেন। ২০০৩ সালের খানাসুমারীর হিসেব অনুযায়ী-বাংলাদেশে ৫১(একান্ন) লক্ষ লোকের বাৎসরিক আয় হলো-১(এক) লক্ষ টাকার অনেক উপরে। এদেরমধ্যে মাত্র ১৩(তের) লক্ষ লোক আয়কর দেন। ২০০৬ সালের হিসেব অনুযায়ী-২০(বিশ) লক্ষ লোকের টিআইএন নম্বর আছে। ২০০৮ সালে ২৭ লক্ষ টিআইএন নম্বর আছে।
২০০৬ সালের ১০ মার্চ, সাজ্জাদ আলম খান ঃ বছরে ১০ লাখ টাকার বেশী আয় দেখিয়েছেন মাত্র ৩-হাজার ব্যক্তি। মন্ত্রী ও এমপিদের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখবে এনবিআর।
২০০৯ সালের ২৬ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ লোকবল সংকটে রাজস্ব বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না-বছরে ৪০ হাজার দোকানের ভ্যাট রেজিস্টার দেখেন একজন ইনিসপেক্টর-শুধুমাত্র ঢাকায় ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত ৪ লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এমনিভাবে আয়কর বিভাগে মোট সার্কেলের সংখ্যা ৩৪৩টি। প্রতিটি সার্কেলে কর ফাইলের সংখ্যা ৭ হাজার ৮৪টি। কিন্তু আয়কর বিভাগে ইনিসপেক্টর রয়েছেন মাত্র ৩৮০ জন। অর্থাৎ ৭ হাজার ৮৪টি আয়কর ফাইল ইনিসপেকশন করেন একজন ইনিসপেক্টর। এভাবে দীর্ঘ ২৮ বছর চলছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রম। অথচ জাতীয় বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ অর্থ সংগ্রহ করা হয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে। আয়করের প্রতি ১০০ টাকা আয়ে সরকারের ব্যয় হয় মাত্র ৭৫ পয়সা।
২০০৬ সালের ১৮ নভেম্বর, সাজ্জাত আলম খান ঃ ১১ লাখ করদাতার বাড়িতে বাড়িতে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। উৎসে কর ফাঁকিবাজদের ধরতে তৎপর এনবিআর। দেশে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ধারীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এরমধ্যে ৯ লাখ টিআইএনধারী যথাসময়ে রির্টান দাখিল করে থাকে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশে মাথাপিছু জাতীয় আয় এবং জীবনযাত্রার ব্যয় অনুসারে করযোগ্য আয় আছে এমন করদাতার সংখ্যা ২৫ লাখের বেশী।
২০০৯ সালের ১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ গত ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সাত লাথ ৪০ হাজার ৯০৬ জন ব্যক্তি-শ্রেণীর করদাতা আয়কর বিবরণী দাখিল করেন। আর টিন নাম্বারধারীর সংখ্যা ২৩(তেইশ) লাখ।
২০০৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ আইবিএফবির সেমিনার ঃ রাজস্ব আয় বাড়াতে কৃষি খাতকে করের আওতায় আনার সুপারিশ। চলতি বছরে মোট সাত লাখ ৫৭ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছে। আগের বছরের চেয়ে যা ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। কিন্তু দেশে মোট টিআইএনধারীর সংখ্যা ২২ লাখের বেশি।
২০১০ সালের ১২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর দেশে ব্যক্তিপর্যায়ে করদাতার সংখ্যা ২৫ লাখ ২০ হাজার ৫১৩ জন।
২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশের যোগ্য নাগরিকদের আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক। সাংসদদের বেতন-ভাতা করমুক্ত। দেখা যাচ্ছে, ১৯৭৩ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত এ ৩৭ বছরে সাংসদদের ভেতন-ভাতা বেড়েছে ১২ দফায়। এর মধ্যে সাতবার যুগপৎভাবে ভেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। বাকি সময়ে বিভিন্ন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের ভেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে সাতবার।
২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ এনবিআরের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতকালে-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন-অর্থনীতি চাপে নেই; এবার ৪ লক্ষাধিক লোক আয়কর দিয়েছে আর ১০ লক্ষাধিক ব্যক্তি আয়কর রির্টান জমা দিয়েছে।
২০১২ সালের ১৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংকটের মূলে রয়েছে উচ্চাভিলাষী বাজেট। টাকা ছাপিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আর ঋণ না নিতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক-তৌফিক আহমদ চৌধুরী। বছরে এক কোটি টাকা বা এর বেশি আয়কর দেন মাত্র ৪৬ জন। অথচ এ রকম আয়করদাতার সংখ্যা তো কয়েক হাজার হওয়া উচিত। এখানে বিরাট একটা ফাঁকি আছে। ঢাকা শহরে ডজন খানেক ফ্ল্যাটের মালিক হয়েও মাত্র কয়েক লাখ টাকা আয়কর দেন কেউ কেউ। আয়কর আদায় বাড়াতে হলে সরকারের শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।
২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে নিবন্ধিত করদাতাপর সংখ্যা ৫০ লাখে নিয়ে যাওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছেন জাতীয় রজস্ববোর্ড(এনবিআর)। বাংলাদেশে বছরে আয়কর দেন ৮ লক্ষ পরিবার আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়কর দেন ৫৭ ভাগ পরিবার।
২০১৩ সালেল ৮ জনিুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাড়িওয়ালাদের তালিকা সংগ্রহ করবে রাজস্ব বোর্ড। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৩৩ লাখ টিআইএনধারী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১২-১৩ লাখ টিআইএনধারী নিয়মিত আয়কর বিবরণী জমা দেন।
২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ইআরএফকে এনবিআরের চেয়ারম্যান- বাংলাদেশে ৬০ লাখ লোকের আয়কর দেওয়ার সামর্থ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১৩ লাখ কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেন। আর পাঁচ লাখ ছোট ব্যবসায়ীর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। তাঁদের মধ্যেমাত্র ৬০ হাজার জন মূসক দেন। এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে ৩৩ লাখ টিআইএনধারীর মধ্যে ২০ লাখ কার্যত সচল রয়েছে।
২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন-আয় কর দেন ব্যক্তিপর্যায়ে করদাতার সংখ্যা-১৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০৩ জন। ব্যক্তি পর্যায়ে চলতি বছরের জুন নাগাদ ৩ লাখের মতো নতুন করদাতা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
১৯৯৯ সালের ৪ এপ্রিল, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার মতে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস শূন্যের কোঠায়।
১৯৯৯ সালের ২৬ নভেম্বর-প্রতিবছর বাংলাদেশ হ’তে ২৫(পঁচিশ) হাজার শিশু ও নারী পাচার হয়।
২০০১ সালের ২৭ মে-বাংলাদেশে গত ৫-বছরে ৮৫ হাজার পুলিশের সাজা। চার মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশের অপরাধ প্রবণতা সবচেয়ে বেশী।
২০০৪ সালের ২০ জানুয়ারি, ‘‘দীর্ঘ ডিউটিতে মাথা ঠিক থাকে না’’ পুলিশ কর্মকর্তরা বললেন।
২০০৪ সালের ১৬ মের সংবাদ ঃ রাজধানী ঢাকায় থানার সংখ্যা ২২টি থেকে বৃদ্ধি করে ৫০টি করা হচ্ছে ঃ বর্তমানে দেড় কোটি নাগরিকের জন্য পুলিশ রয়েছে ২০,৯৯৮ জন। বর্তমানে দেশে ১৩০০ নাগরিকের জন্য ১ জন পুলিশ রয়েছে। এ ব্যবধান কমিয়ে অর্থাৎ পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে ১,০৭০ জনের জন্য ১ জন পুলিশ দেয়া হবে। উল্লেখ্য, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে ৬২৫ জনের জন্য ১ জন পুলিশ এবং পাকিস্তানে ৭২৮ জনের জন্য ১ জন পুলিশ রয়েছে। এছাড়াও পুলিশের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাউন্টার ইন্টিলিজেন্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সারাদেশে ৫৬৫টি পুলিশ ষ্টেশন আছে।
২০০৪ সালের ২০ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ তৌহিদুল ইসলাম-মতিঝিল শাপলা চত্বরে যানজটের জন্য দায়ী ট্রাফিক পুলিশ। প্রতিদিন ২ লাখ টাকা চাঁদা ঃ ঘুষ আদায়ই প্রধান টার্গেট ঃ কনস্টেবলদের দায়িত্ব শিকার ধরা।
২০০৫ সালের ২৯ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ‘সার্জেন্ট জুলফিকার আলী ১৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করলেও টাকা দিতে নারাজ।
২০০৫ সালের ৫ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকার আবদুর রহিম ঃ কোটিপতি ১শ’ পুলিশ সদস্য চিহিৃত-ডিএমপিতে শুদ্ধি অভিযান। ঢাকা মহানগর পুলিশে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজে নিয়োজিত কোটিপতি একশ’ পুলিশ সদস্যের তালিকা ইতিমধ্যে তৈরী করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণও শুরু হয়েছে।
২০০৫ সালের ৩০ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রমোশন বাণিজ্য এখন তুঙ্গে। পদোন্নতির নামে অলিখিতভাবে আদায় হয়েছে দেড় কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ১৪ জুন, ১৮৬১ সালে প্রণীত প্রচলিত পুলিশ আইনে জনগণের প্রতি পুলিশের কর্তব্য কি তার উল্লেখ নেই। ১,২৩,০০০(এক লাখ তেইশ হাজার) পুলিশ সদস্য আছে।
২০০৯ সালের ১৭ মার্চ, ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্য ঃ (১) সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা পেনশনভোগীসহ সর্বমোট-২১,০০,০০০(একুশ লক্ষ)। (২) পুলিশ বাহিনীর সংখ্যা-১,১৭,০০০(এক লক্ষ সতের হাজার)। (৩) বিডিআর বাহিনীর সংখ্যা-৬০,০০০(ষাট হাজার)। (৪) বিমান বাহিনীর সংখ্যা-২২,০০০(বাইশ হাজার)। (৫) নৌ বাহিনীর সংখ্যা-২৮,০০০(আটাশ হাজার)। (৬) আর্মীর সংখ্যা-২,৫০,০০০(দুই লক্ষ পঁঞ্চাশ হাজার) ও (৭) রির্জাভ আর্মীর সংখ্যা হলো-৫০,০০০(পঁঞ্চাশ হাজার)।
২০১০ সালের ১২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাত হলেই ছিনতাই। রাজধানীর প্রায় আড়াই শ স্থানে বেশি ছিনতাই হয়। মামলা হয় চুরি, প্রতারণার। দু-একটি বড় ঘটনা ঘটলেও ছিনতাই বেড়েছে বলে মনে না ঃ র্যাবের মহাপরিচালক। ছিনতাই বাড়বে-কমবে এটাই স্বাভাবিক, তবে বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ঃ ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার।
২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে পুলিশের সংখ্যা এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৭০ জন সদস্য আছেন। ভারতে প্রতি ৭২৮ জনের বিপরীতে একজন, পাকিস্তানে প্রতি ৬২৫ জনের বিপরীতে একজন, মালয়েশিয়ায় প্রতি ২৪৯ জনের বিপরীতে একজন এবং বাংলাদেশে প্রতি এক হাজার ৭৫ জনের বিপরীতে একজন পুলিশসদস্য রয়েছেন। ভারতের অনুপাতে পুলিশসদস্য নিয়োগ করলে আরো ৬৭ হাজার পুলিশসদস্য প্রয়োজন।
২০১১ সালের ২০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ৪০০ নারী ও শিশু পাচার হয়। পুলিশের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তথ্য।
২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পুলিশে দুর্নীতি বাড়ছে কমছে সেবার মান। জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তার মন্তব্যে পুলিশ সম্মেলনে উত্তাপ। থানায় গিয়ে মানুষ ভালো ব্যবহার পাচ্ছেন না, প্রতিকার পাচ্ছে না ফণীভূষণ চৌধুরী। থানায় ওসিদের বিরুদ্ধে নানা কথা শোনা যায়, এর কিছু ঠিকও হতে পারে-সাহারা খাতুন।
২০০১ সালের ২৫ এপ্রিল, ইত্তেফাকের রিপোর্ট ঃ গত ২৫-বছরে বি.এস.এফ.-এর গুলিতে নিহত হয়েছে ৪১৫ জন বে-সামরিক নাগরিক ও ১০ জন বি. ডি. আর. সদস্য।
২০০৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ৪ বছরে বিএসএফ ও ভারতীয় দুর্বৃত্তের হাতে ২৯৩ জন বাংলাদেশী খুন ঃ মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের রিপোর্ট।
২০০৫ সালের ৬ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাড়ে পাঁচ বছরে বি. এস. এফ. ও ভারতীয় ঘাতকদের হাতে ৪শ’ ৬ জন বাংলাদেশী নিহত।
২০০৫ সালের ২৬ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার খবর-বাসস ঃ ভবিষ্যতে আর কোন বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করবো না-বি.এস.এফ.।
২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ অধিকারের প্রতিবেদন-ভারতীয়দের হাতে ৪৬১ জন বাংলাদেশী নিহত। এদের মধ্যে শুধুমাত্র বিএসএফ-এর হাতে নিহত হয়েছেন-৩৬৮ জন।
২০০৬ সালের ১৩ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সীমান্তে হত্যা ও অপহরণের ঘটনায় মানবিক বিপর্যয়। ৪ বছর ১০ মাসে বিএসএফ ও ভারতীয়দের হাতে ৪৩৯ জন বাংলাদেশী নিহত।
২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর, গুলি করে ঘুমন্ত মা-শিশুসহ তিনজনকে হত্যা করেছে বিএসএফ। বিএসএফের ক্ষমা প্রার্থনা।
২০০৯ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ দিনাজপুর-চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত-বিএসএফের গুলিতে দুজন নিহত।
২০১০ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ কথা রাখেনি বিএসএফ, জৈন্তাপুরে গুলি, ১৯ বাংলাদেশি আহত।
২০১০ সালের ১৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন, জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে।
২০১০ সালের ১৫ মে, প্রথম আলো ঃ বিএসএফের গুলিতে শিশুসহ দুই বাংলাদেশি নিহত।
২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন। এক দশকে ৯০০ বাংলাদেশি খুন সাজা হয়নি কোনো বিএসএফের।
২০১১ সালের ১৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ গত ১০ বছরে বিএসএফের হাতে ৬৭১ বাংলাদেশি নিহত।
২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সীমান্তে চোরাচালান-এক বছরে বিএসএফের হাতে আটক-২০০০ হাজার বাংলাদেশী।
২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ভারতের দুঃখ প্রকাশ-সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার (২০-১২-২০১১ তারিখ) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দিনাজপুরের বিরামপুর. মেহেরপুর গাংনী ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত আটটা থেকে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ৪৬ ঘাঁটির তালিকা বিএসএফের। বাংলাদেশের মাটিতে এখনো ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তারা নতুন ৪৬টি ঘাঁটির তালিকাও দিয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডকে (বিজিবি)।
২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ আখাউড়ায় সীমান্ত পিলার ঘেঁষে রাস্তা ও দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী, সীমান্ত পিলারের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো রাস্তা বা স্থাপনা নির্মাণের নিয়ম না থাকলেও বিএসএফ তা নির্মাণ করছে।
২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ রিপোর্ট ঃ বিএসএফের নির্যাতন-ঢাকার কাছে দিলীর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত।। ভারতীয় পত্রিকার মন্তব্য।
২০১২ সালের ২৮ জুন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন-বর্তমান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত (২৭-০৬-২০১২ তারিখ পর্যন্ত) এ পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারীবাহিনী (বিএসএফের) হাতে নিহত ১৫১ জন।
২০০২ সালের ১৪ নভেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্টঃ “এডিপির আকার কমাতে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ-শওকত হোসেন মাসুম” বিশ্বব্যাংক হিসেব করে দেখিয়েছে, বর্তমানে এডিপিতে যে প্রকল্পগুলো রয়েছে সম্মিলিতভাবে তার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে-১,৭৮,৪৮১.১০ (এক লক্ষ আটাত্তর হাজার চারিশত একাশি কোটি দশ লক্ষ) টাকা। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ঃ ৪৮,৮৭৬.৪০(আটচল্লিশ হাজার আটশত ছিয়াত্তর কোটি চল্লিশ লক্ষ) টাকা। এ অর্থ মোট প্রয়োজনের মাত্র ২৭.৪ শতাংশ।
১৫-১১-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ সোনার বাংলার অর্থমন্ত্রী হতে চাই, ফকিরের বাংলার নয়, সাইফুর রহমান। অর্থ দিলে দেন, না দিলে না দেন; কম অর্থ দিয়ে বেশি কথা শোনাবেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন (সাইফুর রহমান) প্যারিসে একদিন থাকলে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়। অথচ এ টাকা দিয়ে বাংলাদেশে ৩(তিন)টি স্কুল তৈরী করা যায়। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশে আগে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৈদেশিক সাহায্যের অংশ ছিল ১০%। এখন তা নেমে এসেছে ৩%। এখন জিডিপিতে করদাতাদের অংশ হচ্ছে ১২%। বিশ্বে সবচেয়ে বেশী সাহায্য পেয়েছে ইসরাইল ও মিশর। তারা মাথাপিছু সাহায্য পেয়েছে-১০০’শ ডলার অথচ আমরা পেয়েছি এবার ৯ ডলার। রাজস্ব ব্যয় কমিশনের চেয়ারম্যান এম. হাফিজউদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা অপচয়। আর সমস্যার মূল কেন্দ্র পরিকল্পনা কমিশন। কেননা পরিকল্পনা প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কখনোই হয়নি।
১৬-১১-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ অতিরিক্ত বন্দীর চাপে কারাগার ঠাসা। লঘু অপরাধীরদের মুক্তিদানের চিন্তাভাবনা-সালেহউদ্দিন। বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে অনুমোদিত বন্দীর ধারণক্ষমতা ২৪,৫৩৮(চব্বিশ হাজার পাঁচশত আটত্রিশ) জন। সেখানে ৭৩(তেহাত্তর) হাজার বন্দী রয়েছে। ঢাকা কারাগারের বন্দীদের খাবার সরবরাহ করতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১০(দশ) হাজার বন্দীদের জন্য একসংগে ৪০টি চুলা রয়েছে। প্রায় ২৫০ জনের জন্য ১টি চুলা।
১৮-১২-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ ইউনিসেফের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ৭৭। ১২-বছরে কমেছে ৬-ভাগ।
২০০২ সালের ২৮ ডিসেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ৫৩,৭০০টি প্লোট্রি ফার্ম আছে এরমধ্যে ১০,৬৩৪টি বন্ধ।
২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারির, সংবাদ-বাংলাদেশে বছরে পোল্ট্রি খামারে ৩(তিন) লক্ষ টন মাংস ও ৫০০(পাঁচশ) কোটি ডিম উৎপাদিত হয়।
২০০৩ সালের ২৫ জুলাইর সংবাদ অনুসারে ঃ বাংলাদেশে সরকারী হিসেবমতে ছোট-বড় মিলিয়ে পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা-১.০৩(এক লক্ষ তিন হাজার)। নীতিমালা ও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এরমধ্যে হাজার হাজার পোল্ট্রি খামার বন্ধ।
২০০৮ সালের ২০ মার্চ, ঋণ ও সুদ আদায় স্থগিত করতে সার্কুলার জারি। পোলট্রি শিল্প খাতে মোট ব্যাংকঋণ রয়েছে এক হাজার কোটি টাকা।
২০১০ সালের ২ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ যে পরিবার নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম বা দুধ কিনতে পারে না, ডাল তাদের আমিষের অভাব পূরণ করতে পারে। আর অপুষ্টির প্রধান কারণ দারিদ্র ও অজ্ঞতা।
২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো : দেশের মানুষ বছরে গড়ে সাড়ে তিন কেজি মাংস খায়। বাংলাদেশের মানুষ গড়ে বছরে ৩ দশমিক ৬৩ কেজি মুরগির মাংস খায়; মার্কিনরা খায় বছওে ৫০ দশমিক ১ কেজি মাংস। এ ছাড়া জাপানের মানুষ বছরে ডিম খায় ৬০০টি, সেখানে বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ডিম খায় ৪৫ থেকে ৫০টি। ফলে প্রতিদিনই মুরগি ও ডিমের ঘাটতি যথাক্রমে ২৬ ও ২৩ গ্রাম। গবেষণার তথ্য : মাংস ও ডিমের ঘাটতির কারণে শুন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতির হচ্ছে, কম ওজনের হয় ৩৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং ক্ষীণকায় হচ্ছে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো : ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন(আইইসি)। ‘বাঙালি হবে স্বাস্থ্যবান প্রতিদিন ডিম খান’ আজ বিশ্ব ডিম দিবস। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ হাজার ৯৯ কোটি ৫১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৮টি ডিম উৎপাদিত হয়েছে। ১৭ কোটি মানুষের মাথাপিছু ৬৪.৬৮টি ডিম পড়ে। প্রতিদিন ডিম খেতে হলে-৬,২০৫(ছয় হাজার দুইশত পাঁচ) কোটি ডিম লাগবে।
২০১৪ সালে মাছ উৎপাদন হয়েছিল-৩৫ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন।
২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ মাছের দেশে মাছ আমদানি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন-৩৭,০০,০০০ লক্ষ টন। আর আমদানি করা হয়-৯৭,৩৮৩ হাজার টন।
২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ মাছ উৎপাদনে এবারও বিশ্বে ৫ম বাংলাদেশ। এক নম্বরে আছে-চীন, দ্বিতীয় নম্বরে আছে-ভারত, তৃতীয় নম্বরে আছে-মায়ানমার, ৪র্থ নম্বরে আছে-ভিয়েতনাম এবং ৫ম নম্বরে আছে-বাংলাদেশ। ১৭ কোটি মানুষের দেশে মাছ উৎপাদন করছে-৩৭ লাখ টন। দৈনিক একজনের মাথাপিছু মাছের উৎপাদন-৫৮ গ্রাম।
২০০৩ সালের ১৬ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্টঃ গ্যাস বিক্রি নয়, মজুতই দিবে ভবিষ্যতের নিরপত্তা ঃ গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ঃ জোসেফ ষ্টিগলিজ।
২০০৩ সালের ১৭ জুলাইর সর্বশেষ রিপোর্ট প্রকাশ ঃ গ্যাসের উত্তোলনযোগ্য মজুত ১৫.৪ টি.এস.এফ.।। ২০৩০ সাল পর্যন্ত লাগবে ৩১.২ টি.এস.এফ.।
২০০৪ সালের ৬ মে, পরিত্যক্ত ফেনী ফিল্ডে গ্যাসের বড় ধরনের মজুদ পাওয়া গেছে। ১৯৮১ সালে ফেনী গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কৃত হয় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড লি. কর্তৃক। প্রতিদিন ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। ১৯৯২ সালে পেট্রোবাংলা এ গ্যাস ক্ষেত্রটির উন্নয়ন করে।
২০০৪ সালের ১৪ মে, তথ্য বিবরণী ঃ দেশে গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
২০০৪ সালের ১৫ জুন, সেলিম জাহিদ ঃ সিলেটের ‘মাগুরছড়া গ্যাস দুর্ঘটনার ৭ বছরের মাথায় সরকার আন্তর্জাতিক আদালতে ইউনোকলের বিরুদ্ধে ৩,৯০০ কোটি টাকার মামলার প্রস্তুতি।
২০০৪ সালের ১৩ অক্টোবর, দিনাজপুরে উন্নতমানের কয়লা খনির সন্ধান লাভ। পুরু স্তরের কয়লার মজুদ ৪৫ কোটি টন। নতুন আবিস্কৃত এ খনিতে থাকা কয়লা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০শ’ ফুট নীচে থাকায় কুপ খনন না করে বরং উপরের পুরো মাটি সরিয়ে (ওপেন পিট) কয়লা উত্তোলন করা লাভজনক হবে বলে খনি অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন।
২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি, আজিজুল ইসলাম চৌধুরী ও এ. এফ. এম. ফারুক ঃ টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড-৬শ’ ফুট উঁচু লেলিহান শিখা।
২০০৫ সালের ১৫ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা ঃ টাটার অবাস্তব শর্ত-৩ হাজার একর জমি ও স্থির মূল্যে ৩০-বছরের জন্য ২-টিসিএফ গ্যাস চায়
২০০৫ সালের ২৫ জুন, ইনকিলাব ঃ ছাতক গ্যাসক্ষেত্রের টেংরাটিলায় আবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ। নাইকোর অদক্ষতাই দায়ী ঃ পুড়ছে কোটি কোটি টাকার গ্যাস।
২০০৫ সালের ২৬ জুন, টেংরাটিলা থেকে এম আবদুল্লাহ/আজিজুল ইসলাম চৌধুরী/এ.এফ.এম. ফারুক ঃ গ্যাস নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত টেংরাটিলা জ্বলবে। আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেই ঃ ৭-সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন।
২০০৫ সালের ২৭ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার সাখাওয়াত হোসেন বাদশার রিপোর্টঃ ভারতের ডিব্রূগড় গ্যাস ফিল্ড চালুর স্বার্থে টেংরাটিলায় আগুন লাগছে! তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। আগুনের তীব্রতা আরো বেড়েছে।
২০০৯ সালের ২৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দেশে স্থলভাগে আর কোনো বড় গ্যাসক্ষেত্র নেই। ‘সার্ক রিজিওনাল এনার্জি ট্রেড স্টাডি’র তথ্য।
২০০৯ সালের ৯ মে, প্রথম আলো ঃ গ্যাস-বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা উৎপাদন কর্মকান্ড ব্যাহত। আটকে আছে নতুন বিনিয়োগ।
২০১৪ সালের ২২ জুন, প্রথম আলো : রুপগঞ্জে আরেকটি গ্যাসস্তর পেয়েছে বাপেক্স। এটি দেশের ২৬তম গ্যাসক্ষেত্র।
২০০৪ সালের ১৩ জানুয়ারি, বেদখলকৃত সরকারী জমি পুনরুদ্ধারে শীঘ্রই অভিযান ঃ রাজধানীর আশপাশে ৩০(ত্রিশ) হাজার বিঘা জমি অবৈধ দখলে।
২০০৪ সালের ১৮ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রির্পোট ঃ এপ্রিল থেকে সরকারী জমি অবৈধ দখলমুক্ত অভিযান ঃ জেলা প্রশাসকদের পাঠানো তথ্য অনুসারে বর্তমানে ৫৩টি জেলায় খাস জমির পরিমাণ ৪০-লাখ একর। অর্পিত ও পরিত্যক্ত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫-লাখ একর। এরমধ্যে বিপুল পরিমাণ ভূমি বেদখলে রয়েছে। এর বাইরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ৫-হাজার একর এবং রেলওয়ের অধীনে ৪-হাজার একর জমি রয়েছে। জেলা প্রশাসকগণকে এ সম্পত্তির মধ্যে ঠিক কত একর অবৈধ দখলে আছে তা তৃণমূল পর্যায়ে জরিপ করে রির্পোট দেয়ার জন্য কমিটি আহবান জানিয়েছে।
২০০৪ সালের ২২ মার্চ, ভূমি জবরদখলের শাস্তি ১৪-বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
২০০৬ সালের ১৩ মার্চ, উমর ফারুক আলহাদী ঃ কল্যাণপুরে একশ’ কোটি টাকার জমি দখল করেছে বিএনপি নেতা ঃ থানায় জিডি করেও কাজ হয়নি ঃ এলাকাবসীর প্রতিরোধ চেষ্টা ব্যর্থ।
২০০৬ সালের ১ এপ্রিল, উমর ফারুক আলহাদী ঃ পনের লাখ একর সরকারী সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে ভূমিদস্যুদের দখলে-উদ্ধার করে লীজ দিলেও ৯৫ হাজার কোটি টাকা সরকারের আয় হবে অবৈধ দখলের তালিকায় রাজনৈতিক নেতা, এমপি, সরকারী আমলা। বিক্রি করলে ২.৫(দই লাখ পঞ্চাশ হাজার কোটি) টাকা।
২০০৬ সালের ২৮ এপ্রিল, সুলতান মাহমুদ ঃ অবৈধ দখলে দেশে ১৫ লাখ একর সরকারী খাস জমি। ১৬শ কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ৪ হাজার একর জমি উদ্ধার।
২০০৬ সালের ২ জুলাই-উমর ফারুক আলহাদী ঃ রাজউকের ৩৫ হাজার কোটি টাকার জমি বেদখল। চেয়ারম্যানের যোগসাজশে নির্মাণ হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা।
২০০৬ সালের ১০ আগষ্ট, সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদীয় কমিটিতে দখলদারদের তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত। দেশে ৭০ হাজার কোটি টাকার সরকারী ভূমি বেদখলে।
২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, উমর ফারুক আলহাদী ঃ গত ৩৫ বছরে ১৫ লাখ একর জমি বেদখল। গত এক মাসে ২৫ হাজার কোটি টাকার জমি উদ্ধার।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ রেলের ৬২ হাজার একর জমি ভূমিদস্যুদের দখলমুক্ত করা হবে-কমলাপুরে নতুন ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিত সেন।
২০১৪ সালের ৩০ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ আগামী দশ বছরের মধ্যে কৃষি জমি শেষ! বাংলাদেশে মোট জমি ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার একর ছিল। চাষযোগ্য জমি ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪২ হাজার ৫৩১ একর। ১৯৭২-২০০৯ সাল পর্যন্ত অকৃষি খাতে গেছে-২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৬ একর। প্রতি বছর কৃষি জমি অকৃষি খাতে যাচ্ছে ১ লাখ ৬৯ হাজার একর। *সব থেকে বেশি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগে। *কৃষি জমি কমার মূল কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন।
২০০৪ সালের ৮ মার্চ, দেশের একশ বছরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিবেচনা করে মাওয়ায় পদ্মা সেতুর সুপারিশঃ ২১ জেলার সাথে রাজধানীর দূরত্ব কমবে সর্বোচ্চ ১২৫ কিলোমিটার।
২০০৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, শামসুল ইসলাম ঃ মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে নির্মিত হবে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু। আগামী মার্চে নকশা প্রণয়ন শুরু। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় হতো ১২৬ কোটি মার্কিন ডলার এবং মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক সুবিধা এবং অন্যান্য বিষয়ের কথা বিবেচনা করে সরকার মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতু নির্মাণের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৬ কিলোমিটারেরও বেশী লম্বা এ সেতু নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৭ কেটি ডলার (৬ হাজার ৪শ’ ৫০ কোটি টাকা)। পদ্মা সেতুর বার্ষিক আয় হবে ২শ’ কোটি টাকা।
২০০৫ সালের ১ জুন, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ পদ্মা সেতুর নির্মাণ এখন শুরু হলে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা লাগবে। পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করলে আরো ১ হাজার কোটি টাকা বেশী প্রয়োজন হবে। মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু স্থাপনে যত দেরি হবে নির্মাণ খরচও তত বেড়ে যাবে। এ তথ্য উল্লেখ করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) পদ্মা সেতুর সম্ভব্যতা বিষয়ে চুড়ান্ত সমীক্ষা রিপোর্ট যোগাযোগমন্ত্রীর নিকট পেশ করেন। সময় লাগবে সাড়ে ৪(চার) বছর।
২০০৬ সালের ১০ মে, সংসদ রিপোর্টার ঃ পদ্মা সেতুতে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। সংসদে যোগাযোগমন্ত্রী। এরমধ্যে স্থানীয় মুদ্রার পরিমাণ-৩,০০৫.২৮ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ ৫,৫৮১.৭২ কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর, দেশের দীর্ঘতম পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ শুরু আগামী বছর শেষ ২০১৪-২০১৫ সালে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ১৮০ কোটি ডলার বা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ৬৫টি সেতু কাদের কারণে অসমাপ্ত রয়েছে জানতে চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। পদ্মা সেতুর কাজ আগামী বছরে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় তিন হাজার অসমাপ্ত সেতুর কাজ শেষ করতে অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০০৯ সালের ১ মে, প্রথম আলো ঃ পদ্মা সেতুর পাঁচটি বিকল্প নকশা উপস্থাপন। নকশা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় তা ২০১৩ সালের মধ্যে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সেতু তৈরিতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। সরকারের বাইরে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাপান ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন(জেবিআইসি), ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, কুয়েত ফান্ড, আবুধাবি ফান্ড অর্থায়ন করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার, প্রস্থ হবে ২৫ মিটার।
২০০৯ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থমন্ত্রী-পদ্মা সেতু নির্মাণে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ১৩০ কোটি ডলার দেবে।
২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর ওপরে মোটরযান, নিচে চলবে ট্রেন। সেতুর প্রাথমিক নকশা অনুমোদন চূড়ান্ত হবে ফেব্রæয়ারিতে।
২০০৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু। মোট ব্যয় হবে ১৬,৬৪৪(ষোল হাজার ছয়শত চুয়াল্লিশ) কোটি টাকা। হয়নি।
২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতুর উদ্ধোধন। আগামী বছরের শুরুতে বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করা হবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ২০১৩ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।
২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয়ই বড় প্রশ্নচিহ্ন। এখনো ভূতাত্তি¡ক জরিপ হয়নি। নদী শাসনের জন্য মাটি পরীক্ষার ফলাফলও হাতে আসেনি। অনেকগুলো মৌলিক সমীক্ষা এখনো বাকি রয়ে গেছে। অথচ পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাভ্য খরচ বেড়েই চলেছে। ২০০৯ সালেই এর প্রাক্কলিত ব্যয় চারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সেতু উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেছেন, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে এ বছর। আর শেষ হবে ২০১৩ সালে। সেতু তৈরি করতে সব মিলিয়ে খরচ হবে ২৬০ কোটি ডলার বা ১৭ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু চীনারা তৈরি করেছে ১৭০ কোটি ডলারে, আর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। এ অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি হলে এটিই হবে বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল সেতু। ২০০৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি(একনেক) ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ১৪৭ কোটি ২৭ লাখ ডলারে প্রথম প্রকল্পটি অনুমোদন করেছিল। বলা হয়েছিল, ২০১৫ সালের মধ্যে সেতু তৈরি হবে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম বলা হয়, পদ্মা সেতুর নির্মাণে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ডলার বা ১২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। এরপর আরও তিন দফা ব্যয়ের হিসাব ঘোষণা করা হয় এবং প্রতিবারই তা বেড়েছে। যেমন ২০০৯ সালের আগষ্ট মাসে বলা হলো, সেতু নির্মাণে ২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আরেক দফা বাড়িয়ে বলা হয় ২৪০ কোটি ডলার। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২৬০ কোটি ডলারের কথা। আন্তর্জাতিক সেতু নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্থানীয় প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত প্রতি কিলোমিটার সেতু নির্মাণে বর্তমানে ব্যয় হয় ১০ কোটি ডলার বা ৬৯০ কোটি টাকার মতো। বাংলাদেশের নদীগুলো একটু জটিল প্রকৃতির। এখারকার নদীতে পলি পড়ে বেশি, নদীর তলদেশের মাটিও (স্কাওয়ারিং) দ্রুত সরে যায়। নদীর পাড় ভাঙ্গে বেশি। তাই পদ্মা, যমুনা বা মেঘনার মতো বড় নদীতে ১০ কোটি ডলারে সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে না। এটিকে দ্বিগুণ করতে হবে এবং সঙ্গে আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ যোগ হলে এখানে কিলোমিটারপ্রতি সেতু নির্মাণে সর্বোচ্চ দেড় হাজার কোটি টাকা বা প্রায় ২২ কোটি ডলার খরচ হতে পারে। গত এক দশকে যত সেতু নির্মাণ হয়েছে তাতে গড়ে খরচ হয়েছে এক কিলোমিটারে ৬০৩ কোটি টাকা। তবে এর সঙ্গে রেলসংযোগ, মূল্যস্ফীতি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ যোগ করলে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় সর্বোচ্চ দেড় হাজার কোটি টাকা বা ২২ কোটি ডলার। প্রসঙ্গত, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৮ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা, কয়েক দফা বাড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত খরচ হয় তিন হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ঃ চীনের হাংজু উপসাগরের ওপর ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু সাড়ে তিন বছরে ১৭০ কোটি ডলার বা ১১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছর সেতুটি উন্মক্ত করে দেওয়া হয়। এখানে মোট রেল পথ আছে ১১৪ কিলোমিটার এবং এর জন্য ইয়াংকান ও লিয়াংসু নামের দুটি সেতু তৈরি করতে হয়েছে। ৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দুই সেতুসহ রেলপথ তৈরিতে খরচ হয়েছে ২০০ কোটি ডলার বা ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। কোরিয়ার ইনচিয়ন বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত ইনচিন সেতুর দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৩ কিলোমিটার। সমুদ্রের ওপর এ সেতুটি চার বছরে নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ১৪০ কোটি ডলার বা নয় হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। গত বছর ভারতের মুম্বাইতে চলাচলের জন্য উন্মক্ত করে দেওয়া হয় ৫ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ রাজীব গান্ধী সেতু। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪০ কোটি ডলার বা দুই হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। সেতুর নকশা অনুযায়ী নির্মিত হবে পদ্মা সেতু। দ্বিতল এই সেতুর ওপরে চলবে যানবাহন ও নিচে চলবে ট্রেন।
২০১০ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। উন্নয়ন-সহযোগীরা পদ্মা সেতু বাদে অন্যগুলোয় কম আগ্রহী।
২০১০ সালের ২১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর সময় ও ব্যয় দুই-ই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০১১ সালের মার্চে শুরু হবে এবং এ জন্য ব্যয় হবে ২৯০ কোটি ডলার বা ২০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪০ কোটি ডলার। এ দফায় ব্যয় বাড়ল আরও ৫০ কোটি ডলার। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে বলে জানিয়েছিল (জাইকা) আট হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা সেতু বিভাগের সচিব বলেন পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ার অন্যতম কারণ হলো এর দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার করা হয়েছে। ২০০৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ১৪৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর নির্মাণে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ডলার বা ১২ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। এরপর আরও তিন দফা ব্যয়ের হিসাব ঘোষণা করা হয় এবং প্রতিবারই তা বেড়েছে। যেমন ২০০৯ সালের আগস্টে বলা হলো, সেতু নির্মাণে ২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে আরেক দফা বাড়িয়ে বলা হয়, ২৪০ কোটি ডলার। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২৬০ কোটি ডলারের কথা। ঋণদাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে এডিবি, বিশ্বব্যাংক, জাপান ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)। পদ্মা সেতুর নির্মাণে বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে ১৫০ কোটি ডলার।
২০০৮ সালের ২ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পদ্মা সেতু জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১.২০% বাড়াবে। আঞ্চলিক বাণিজ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ঃ এডিবি। এতে আরও বলা হয়, যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে দর্শনার দূরত্ব ৪০৩ কিলোমিটার, আর বেনাপোল থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫১৮ কিলোমিটার। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মিত হলে ঢাকা থেকে বেনাপোলের দূরত্ব হবে ২০০ কিলোমিটার। ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কের মাওয়া-জাজিরায় পদ্মা নদীর ওপর পাঁচ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। সেতুর নির্মাণকাজ ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে শুরু হতে পারে। ২০১৪ সালের মধ্যে শেষ হতে পারে। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর দূরত্ব অন্তত ১০০ কিলোমিটার কমে যাবে।
২০১০ সালের ৪ ডিসেম্ব^র, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থ সংস্থান হয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী-আবুল হোসেন। সেতু নির্মাণে ২১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকা দাতাদের নিকট থেকে পাওয়া গেছে। বাকী টাকা সরকারকে অভ্যন্তরীনভাবে যোগান দিতে হবে।
২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ কাজ না করেই টাকা উত্তোলন। পদ্মা সেতু-চুক্তির পুরো টাকাই উঠিয়ে নিয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মনসেল-এইকম, এখন আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকা দাবি করছে। পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ পদ্মা সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ। ‘ঘুষ বাণিজ্যে’র প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্তদের অবরোধ।
২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের চিঠির জবাব দিয়েছে-দুর্নীতির বিষয়ে ছাড় নেই।
২০১২ সালের ৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে কানাডা-পদ্মা সেতু বিষয়ে এসএনসি-লাভালিনের ওপর বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বব্যাংক গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এসএনসি-লাভালিনকে আগাম সাময়িক বরখাস্তা (ইটিএস) করার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট কোনো প্রকল্পের ঠিকাদারি দরপত্রে অংশ নিতে পারবে না বা ঠিকাদারি দরপত্রে অংশ নিতে পারবে নাপ বা কোনো কাজ পাবে না এসএনসি-লাভালিন।
২০১২ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতির প্রমাণ দিল বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক আবারও সরকারকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ দিয়েছে। গত এপ্রিলে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দুর্নীতির নতুন তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আমরা প্রত্যাশা করি, কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনবে। অ্যালেন গোল্ডস্টেইন, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের পরিচালক।
২০১২ সালের ২০ জুন, প্রথম আলো ঃ পদ্মা সেতু নিয়ে দুদকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন। পদ্মা সেতু দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে দুদক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ। ৪৭ মিলিয়ন ডলারের কাজ পাইয়ে দিতে কানাডার এসএনসি-লাভালিনের কাছে ১০% কমিশন চান সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী, সাবেক সচিব ও প্রকল্প সচিব ও প্রকল্প পরিচালক। যেভাবে তথ্য পেল-অর্থের অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এসএনসি-লাভালিনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মমর্তা পিয়েরে দুহাইমের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে কানাডার পুলিশ। কয়েক দফা বৈঠক-এসএনসি-লাভালিনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী, সচিব ও প্রকল্প পরিচালকদের বৈঠক হয় অনেকগুলো। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা-কাজ পাইয়ে দিতে যুক্ত হন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা, নাম এসেছে হুইপের ভাইয়েরও। অর্থায়ন স্থগিত-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলার ঋণ স্থগিত রেখেছে বিশ্বব্যাংক। পদ্মা সেতু নির্মাণে পরামর্শক নিয়াগের বিষয়ে বেশ কিছু অসংগতির তথ্য রয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অনুসন্ধানের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। ১০% ঘুষ চান মন্ত্রী-সচিব। স¤প্রতি বিশ্বব্যাংক সরকারের কাছে একটি চিঠি দিয়ে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করার আহবান জানায়।
২০১২ সালের ৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতুর চুক্তি বাতিল করেছে। বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য অপমানজনক। সংসদে অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি। ঋণচুক্তি বাতিলে বিশ্বব্যাংককে সমর্থন দিল এডিবি। জাপান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে জাইকা। ২৯০ কোটি ডলার খরচ হবে পদ্মা সেতু প্রকল্পে। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ ও চার উন্নয়ন-সহযোগী বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইডিবি ছিল এই অর্থের জোগানদাতা। বিশ্বব্যাংকের চুক্তি বাতিল যথাযথ হয়নি-সংসদে অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি।
২০১২ সালের ৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘সঠিক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
২০১২ সালের ৫ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিশ্বব্যাংকের চুক্তি বাতিল বিষয়ে সংসদে আলোচনার দাবি নাচক-স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির কারণে ঋণচুক্তি বাতিল।
২০১২ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ কলকাতায় অর্থমন্ত্রী-আমার পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক অর্থ না দিলেও বিকল্পভাবে অর্থ যোগাড় করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য তিন বছর আগে ২৪ হাজার কোটি খরচ ধরা হয়েছিল। এখন এই খরচ বেড়ে ২৭-২৮ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
২০১২ সালের ২৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হলো আবুল হোসেনকে। ছুটিতে গেলেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব।
২০১২ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের শর্ত পূরণে ‘আবুল ইজ ডাউন’ ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১২ সালের ২৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পদ্মা সেতু প্রকল্প-বিশ্বব্যাংকসহ চার উন্নয়ন সহযোগীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। সেতু প্রকল্পে কোনো ধরনের দুর্নীতি হবে না ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহবান।
২০১২ সালের ৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৩৮ কোটি টাকা ঘুষ-জড়িত ১০ জন। পদ্মা সেতু প্রকল্প-দুদকের খসড়া অনুসন্ধান প্রতিবেদন।
২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১২ ডিসেম্বর, পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের মূল সেতু ও নদী শাসনকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০০৭ সালে পদ্মা সেতুর ব্যয় ছিল-১০,১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে পদ্মা সেতুর ব্যয় বেড়ে হয়-২০,৫০৭ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে পদ্মা সেতুর ব্যয় বেড়ে হয়-২৮,৭৯৩ কোটি টাকা। মূল নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হওয়ার আগেই দুই দফায় খরচ বাড়ল-২৮৩% বা শতাংশ।
২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ঢাকাবাসীকে ২০২০ সালে মেট্রোরেলে চড়াতে চায় সরকার।
২০০৪ সালের আগষ্টে সারাদেশে ৭৭৯টি হত্যাকান্ড হয়েছে।
প্রতিদিন গড়ে খুন হয়েছে ২৫ দশমিক ১২ জন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিচারপতি সুলতান হোসেন খান ও এডভোকেট সিগমা হুদা পরিচালিত বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী গতকাল (মঙ্গলবার,৩১-০৯-২০০৪) সমাপ্ত আগষ্ট মাসে ৭৭৯টি হত্যাকান্ড ঘটেছে।
২০০৪ সালের ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুাং করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ‘‘র্যাব’’।
২০০৪ সালের ৭ জুলাই, সংসদ রিপোর্টার ঃ পহেলা অক্টোবর, ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৯ হাজার ৭৩৭টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।
২০০৪ সালের ২ অক্টোবর, মোস্তাক আহমেদ, রফিকুল ইসলাম সেলিম ঃ গত বৃহস্পতিবার (৩০-০৯-২০০৪ তারিখ) র্যাবের সাথে ৬-ঘন্টার বন্দুকযুদ্ধে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী জানে আলমসহ ১০ জন নিহত হয়েছে। র্যাবের সাথে জানে আলম বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ। রাউজানে ১০ সন্ত্রাসী নিহত।
২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ডেমোক্রেসিওয়াচের প্রতিবেদন ঃ অক্টোবরে খুন হয়েছে ৩১৭ জন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩৩টি।
২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ গত বছর দেশে পৌনে চার হাজার হত্যাকান্ড ঘটেছে।
২০০৫ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ অধিকারের রিপোর্ট। জানুয়ারিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে নিহত ৫৮ জন এবং রাজনৈতিক হত্যাকান্ডে ৪১ জন নিহত।
২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ক্রসফায়ার মানবাধিকার পরিপন্থী-ইসি দূত। বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের ঘটনাকে ‘এক্সটা জুডিশিয়াল কিলিং’ হিসেবে উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ক্রসফায়ারে ২০০-এর অধিক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৫ মার্চ, র্যাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকাল। এক বছরে ৩,২৩৪ সন্ত্রাসী গ্রেফতার ঃ নিহত ৭৭ জন। র্যাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২৬ মার্চ-২০০৪-এ।
২০০৫ সালের ১২ মে’র প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত-৩৮৫ জন। অধিকাংশ ঘটনার নির্বাহী তদন্তে বলা হয়েছে গুলিবর্ষণ সঠিক ছিল।
২০০৫ সালেল ১২ মে পর্যন্ত প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্ট ঃ র্যাব ও পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ সব হত্যার নির্বাহী তদন্ত হবে-রাজনৈতিক অজুহাতে ৭২ হাজার আসামি মুক্তির দিন গুনছে এখন ভিন্ন শুর।
২০০৫ সালের ১২ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সারাদেশে ৯২৭ সন্ত্রাসীর তালিকা তৈরী করেছে। এ প্রোফাইলে প্রত্যেকের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
২০০৫ সালের ১ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশে গত ১১ মাসে ক্রসফায়ারে নিহত ৩৭৬ জন।-মানবাধিকার কমিশন।
২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ‘অধিকার’-এর প্রতিবেদন। গত বছর (২০০৫ সালে) হত্যাকান্ড ঘটেছে-৪,৫৪৫টি। রাজনৈতিক কারণে খুন ৩১০টি।
২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত বছর ৫৫ হাজার নারী নির্যাতনের শিকার। নিহত-৩,০৪৩ জন। আহত-২,৬৩৪ জন।
২০০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর, এপি, বিবিসি অনলাইন ঃ মার্কিন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট ঃ র্যাব ঘাতক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে! গত আড়াই বছরে র্যাব সন্ত্রাস দমনের নামে মোট ৩৬৭ জনকে বিনাবিচারে হত্যা করেছে।
২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, নিজস্ব প্রতিবেদক-অধিকারের প্রতিবেদনে তথ্যঃ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ১৩ মাসে ১৮৪ জনের মৃত্যু।
২০০৮ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, বিলসের জরিপ প্রতিবেদন। গত বছর (২০০৭ সালে) কর্মক্ষেত্র-সংশ্লিষ্ট ঘটনায় নিহত হয় ৪৩৫ শ্রমিক এবং আহত হয়েছে ১,১৭৬ জন শ্রমিক।
২০০৯ সালের ২৯ মে, প্রথম আলো ঃ অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন ঃ ২০০৮ সালের প্রথম ছয় মাসে র্যাবের হাতে ৫৪ জন নিহত হয়েছে।
২০০৯ সালের ২১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতেই খুনোখুনি হচ্ছে কুষ্টিয়ায়-রাজনৈতিক মদদ পাচ্ছে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা। কুষ্টিয়া ও ঈশ্বরদীতে তিন লাশ উদ্ধার।
২০০৯ সালের ২৬ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ সাজানো জবানবন্দির পর জজ মিয়াকে নিয়ে আদালতে বিরিয়ানি খান তদন্ত কর্মকর্তা। ‘তুই বাঁচতে চাস, ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট, তুই ২১ আগষ্টের বোমা হামলায় জড়িত ছিলি, এ কথা স্বীকার করবি। না হলে তোর ক্রসফায়ার হবে’।
২০০৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ক্রসফায়ারই ভরসা! গত পাঁচ মাসে ৬০, পাঁচ বছরে প্রায় দেড় হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড।
২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ যশোরে আট মাসে ৬৯ খুন নেপথ্যে টেন্ডার-চাঁদাবাজি। সন্ত্রাসী চক্রগুলোর পৃষ্ঠপোষক কোনো না কোনো রাজনৈতিক নেতা। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা।
২০০৯ সালের ১৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ নয় মাসে ২১০৭ খুন ও ১৪৭৯টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
২০০৯ সালের ৯ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্দেশে ২০০৪ সাল থেকে দেশে ক্রসফায়ারের নামে ‘বিচারবহির্র্ভত হত্যাকান্ড’ শুরু হয়। এ পর্যন্ত এ ধরনের হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে ১,০০০(এক হাজারের) বেশি লোক।
২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এ বছর নিহত ৬০ জন।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত এক বছরে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২৫ জন নিহত হয়েছেন।
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নির্বাচনী অঙ্গীকার মেনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন।
২০১০ সালের ২৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ র্যাবের মহাপরিচালকের তথ্য। ছয় বছরে ৬২২ জন ‘ক্রসফায়ার’, সব আইনের কাঠামোতে।
২০১০ সালের ৫ মে, প্রথম আলো ঃ ‘গুপ্তহত্যা’ বন্ধ করতে হবে। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ কর্মকর্তাদের তাগিদ।
২০১০ সালের ৬ মে, প্রথম আলো ঃ হত্যা করে লাশ ফেলে রাখার ঘটনা বেড়েছে।
২০১০ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ রাজধানীতে ‘ক্রসফায়ারে’ দুজন নিহত।
২০১০ সালের ৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পুলিশের হেফাজতে তিন মৃত্যু ঃ হাইকোর্টের নির্দেশ। তদন্ত কমিটি হতে হবে পুলিশ ছাড়া।
২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ র্যাবের ‘কলঙ্ক’ ক্রসফায়ার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় গেলে বিচারবহির্র্ভত হত্যাকান্ড বন্ধ করা হবে। কিন্তু ক্রসফায়ারে মৃত্যুর ঘটনা চলছেই। চলতি বছরের ১১ মাসে শুধু র্যাবের হেফাজতে নিহত হয়েছে ৬৯ জন। ছয় বছরে এ সংখ্যা ৬৯৩ জন। একই সময় পুলিশের হেফাজতে মৃতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার।
২০১০ সালের ৪ ডিসেম্ব^র, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দু’বছরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ২৭৯ জন, নেপথ্যে নির্যাতন বাণিজ্য।
২০১১ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০১০ সালের মানবাধিকার বিষয়ে আসক। ‘ক্রসফায়ার’ বন্ধ হয়নি নতুন প্রবণতা ‘গ্রপ্তহত্যা’।
২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি ঃ বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত হওয়া উচিত।
২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০১০ সালে ৫,৭৪৩ জন নারী নির্যাতিত, হত্যাকান্ডের শিকার ১,১১৮ নারী-শিশু।
২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ কুষ্টিয়া জেলায় দেড় বছরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪৮ জন নিহত।
২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। ঢাকায় অপরাধ বাড়ছে। * ছয় মাসে খুন-ডাকাতির এক হাজার আসামি ছাড়া পেয়েছে। * অনেকের মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাাহার। জানুয়ারির ১৫ দিনে শুধু রাজধানীতেই ২২টি খুন।
২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পাহাড় আবার অশান্ত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৬ জন। চার মাসে রাঙামাটিতে জেএসএসের দুই পক্ষ ও ইউপিডিএফের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১৫ জন।
২০১১ সালের ১১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ গত ১১ বছরে দেশে এসিডদগ্ধ হয়েছেন ৩১৩৫ জন।
২০১১ সালের ১৯ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা ঢাকা সাভারের আমিনবাজারে ইউনিয়নের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচর বালুমাঠে শব-ই-বরাতের শেষরাতে (সোমবার ভোরের দিকে) ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ছয় ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছে।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ গুপ্তহত্যা থামছে না, জনমনে উদ্বেগ। অপহরণ, নিখোঁজ। ২২ জন এ বছর ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে অপহরণ ও নিখোঁজ। ১০ জনের লাশ মিলেছে। এদের মধ্যে ঢাকার বাইরে সাতজন। ১০ জনের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। বাকিরা নানা পেশার। অপরাধের সময় পুলিশ বা অন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ব্যবহার করা অপরাধীদের একটা ধরন। হাসান মাহমুদ খন্দকার পুলিশের মহাপরিদর্শক।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ৩ বছরে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী দমনে সাফল্য, গুম বা গুপ্তহত্যায় প্লান।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ও ক্রসফায়ারে মারা গেছে মোট ১শ জন। র্যাবের হাতে মারা গেছেন ৩৫ জন। নতুন প্রবণতা গুপ্তহত্যার শিকার বা নিখোঁজ হয়েছে ৫১ জন।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার। শঙ্কা তৈরি করেছে রাষ্ট্রীয় বাহিনী। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা। গুপ্তহত্যা ভয়াবহ পর্যায়ে। নিখোঁজ ৫১ জন, লাশ উদ্ধার ১৫ জন। ক্রসফায়ার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিহত ১০০ জন। কারা হেফাজতে মৃত্যু ১১৬ জন।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক আমাদের সময় ঃ আসকের প্রতিবেদন-২০১১ সালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১শ, গণপিটুনিতে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে ইইউ প্রধান বিচারবহির্ভূত ও গুম-হত্যার বিচার হওয়া উচিত।
২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পুলিশের গুলিতে নিহত ৪ জন। চাঁদপুর ও লক্ষীপুরে চার দলের গণমিছিলে পুলিশের বাধা। চাঁদপুরে দুজন, লক্ষীপুরে দুজন নিহত, গুলিবিদ্ধ ১৬ জন।
২০১২ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ নরসিংদী সদর উপজেলায় গতকাল র্যাবের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’র পর ঘটনাস্থলে রক্তমাখা মাইক্রোবাস। ছবি-ফোকাস বাংলা। দিনেদুপুরে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত ৬ জন। ঢাকায় একজন নিহত।
২০০৪ সালের ২৮ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর দেশে নিবন্ধিত এনজিও’র সংখ্যা-১,৮৬৯টি। বৈদেশিক সাহায্য বিধি (স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা) অধ্যাদেশ ১৯৭৮ অনুযায়ী দেশে এনজিও ব্যুরোতে নিবন্ধিত এনজিওর সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৯টি।
২০০৪ সালের ১৮ আগষ্ট, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে এনজিওগুলো গত ৩০ বছরে বিদেশ থেকে প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা এনেছে। এ বিপুল পরিমাণ অর্থের সিংহভাগই আনা হয়েছে অনুদান ও নামমাত্র সুদে। জানা যায়, দেশী-বিদেশী মিলিয়ে প্রায় ৫৬-হাজার এনজিও রয়েছে। এরমধ্যে এনজিও ব্যুরোর নিবন্ধিত এনজিওর সংখ্যা ১৯৩৫টি। গরিবী হটানোর নামে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে ৬৬ হাজার কোটি টাকা। নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় চলছে দেশের এনজিওগুলো।
২০০৪ সালের ২৬ আগষ্ট, ইনকিলাব-সালাউদ্দিন বাবলু ঃ ৫০ লাখ টাকার ত্রাণ দিতে খরচ ৫ কোটি টাকা। এনজিওদের ত্রাণ বিতরণের নমুনা। ‘এমএসএফ হল্যান্ড’ নামে একটি এনজিও বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকার বন্যার্তদের জন্য চিকিৎসা ত্রাণ হিসেবে মাত্র ৫০ লাখ টাকার ওষুধ বিতরণের প্রস্তাব দিয়েছে এনজিও ব্যুরোতে। আর এ ৫০ লাখ টাকার ওষুধ বিতরণের জন্য তাদের সর্বমোট ব্যয় হবে ৫ কোটি টাকারও বেশী। এজন্য তারা মোট ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ছাড় করার জন্য এনজিও বুরোতে আবেদন জানিয়েছে।
২০০৪ সালের ৮ ডিসেম্বর, সুলতান মাহমুদ ঃ বাংলাদেশ ব্যাংক ৬৩৫টি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮২টি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স বাতিল। নীতি লংঘণ হুন্ডি ব্যবসা জাল মুদ্রা বেচাকেনা ঃ র্যাবের কড়া নজর।
২০০৭ সালের ৯ অক্টোবরের হিসেবমতে বাংলাদেশে প্রায় ২০(বিশ) হাজার এন.জি.ও. কাজ করছে।
২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ আড়াই হাজার এনজিওর হাল ধরে আছে বেহাল এনজিও ব্যুরো। ১২ কক্ষের দপ্তর, লোকবল ৬৭ জন।
২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ অবৈধভাবে চলছে ১৩০৯ এনজিও।
২০১০ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ২৯৩১টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল। কোনো কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে।
২০১০ সালের ৪ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ৩৩৩ এনজিওর নিবন্ধন বাতিল। তালিকায় বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট আরও ১০০ এনজিও।
২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ আরও ১৩২টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল। এর আগে বাতিল করা হয় ৩৩৪টির নিবন্ধন। এ নিয়ে চার মাসে ৪৬৬টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল হলো।
২০০৪ সালের ১১ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকায় ৫৬৭টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, বিপজ্জনক ১৬৫টি ভবন। কি করণীয় নির্ধারণে দু’টি কমিটি গঠন।
২০০৪ সালের ১০ ডিসেম্বর, সেলিম জাহিদ ঃ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙ্গা নিয়ে রাজউকেই সংশয়। ১১১টি ভবন মালিককে ৩ মাস সময়দান। বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার ২ বিমানবন্দরের আশেপাশে নির্মিত ১১১টি ভবন মালিকদের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ভেঙে ফেলতে আবারও সময় দেয়া হচ্ছে।
২০০৬ সালের ৬ মার্চ, উমর ফারুক আলহাদী ঃ রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ভবন ৪০ হাজার। যে কোন সময় ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশংকা।
২০০৬ সালের ১৮ মার্চ, মিথুন কামাল ঃ শাঁখারী বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ ৯১টি ভবন ভেঙ্গে নির্মিত হচ্ছে মডেল টাউন।
২০০৪ সালের ১১ জুলাই, যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। ফ্লাইওভার নির্মাণে সময় লাগবে তিন বছর। ৪ লেনবিশিষ্ট এ ফ্লাইওভার গুলিস্তান, দয়াগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ সড়ক, সায়েদাবাদের অতীশ দীপঙ্কর সড়ক, ডেমরা ও চিটাগাং হাইওয়েতে মিলিত হবে। এতে খরচ হবে ৬১০ কোটি টাকা এবং তা করবে একটি বেসরকারী কোম্পানী।
২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, বিশেষ সংবাদদাতা ঃ ৭-কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাবাড়ী-গুলিস্থান ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ আগামী মাসেই শুরু খরচ হবে ৬৭০(ছয়শত সত্তর) কোটি টাকা। উচ্চ পর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত।
২০০৬ সালের ৪ জুন (২১ জ্যৈষ্ঠ-১৪১৩ বঙ্গাব্দ), এক নযরে পলাশী-গুলিস্থান-যাত্রাবাড়ী-শনিআখড়া ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ঃ বেসরকারী বিনিয়োগে যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার প্রকল্প।
ক্রমিক নাম স্ইাজ
১. দৈঘ্য ৮ কিলোমিটার(র্যাম্পসহ)।
২. লেন সংখ্যা ৪টি(প্রতিটি ডিরেকশনে ২টি লেন)।
৩. স্প্যান সংখ্যা ১৫২টি।
৪. ভিত্তির ধরন আর.সি.সি.বোরড পাইল।
৫. প্ইালের ব্যাস ১৫০০ মি.মি. এবং ১২০০ মি.মি.
৬. র্যাম্প সংযুক্তি ফ্লাইওভার সংলগ্ন সকল প্রধান সড়কের সঙ্গে র্যাম্প সংযুক্ত থাকবে, যেমন-ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক, অতীশ দীপঙ্কর রোড, ডেমরা রোড, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, দয়াগঞ্জ রোড, হাটখোলা রোড এবং গুলিস্তান।
৭. সুবিধাসমূহ ওাস্তা আলোকিত করার বিজলী বাতি, চলাচলের জন্য ট্রাফিক সাইন।
৮. নির্মাণ সময়সীমা ৩ বছর।
৯. কনসেশন সময়সীমা ২৪ বছর টোল তোলার পর সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে।
১০. প্রাক্কলিত বিনিয়োগ ৬৭০ কোটি টাকা। ২০০৭ সালে এর কাজ বন্ধ আছে।
১১. ২০১০ সালে এর প্রাক্কলিত বিনিয়োগ ১৩৭০ কোটি টাকা হয়েছে।
১২. গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়ালসড়ক দৈর্ঘ্য ঃ ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার। ব্যয় ঃ দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যোগাযোগ ঃ ৩০ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সহজ হবে।
১৩. দেশের দীর্ঘতম উড়ালসড়ক চালু ঃ দেশবাসীর জন্য ঈদের উপহার ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১-১০-২০১৩ তারিখ উদ্ভোধন। মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ যাত্রাবাড়ী-গুলিস্থান উড়াল সেতু নির্মাণ। বেলহাসা একমে তিন সরকারি ব্যাংক ও আইসিবির ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ।
২০১০ সালের ১১ মে, প্রথম আলো ঃ যাত্রাবাড়ি-গুলিস্থান উড়ালসেতু বেলহাসাকে বাদ দিয়েই হচ্ছে।
২০১০ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ গুলিস্থান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ উদ্বোধন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার লেনের এ ফ্লাইওভারের ছয়টি প্রবেশপথ ও সাতটি বের হওয়ার পথ থাকবে। নির্মাণে ব্যয় হবে এক হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের অঙ্গ সংস্থা বেলহাসা-এডকম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শনির আখড়া থেকে শুরু হয়ে পলাশী পর্যন্ত যাবে। ২০১৪ সালে খরচ হয়েছে ২,৪০০ কোটি টাকা।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ফেব্রæয়ারি। উড়ালসড়কের ওঠানামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা(হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল-সংলগ্ন রাস্তা), বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড়ে লুপ বা র্যাম্প রাখা হয়েছে। বর্তমানে এই উড়ালসড়ক প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। মগবাজার-মৌচাক উড়ালসড়কের গতকাল ৩০-০৩-২০১৬ তারিখ উদ্বোধন করা অংশটি বা একাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ৮ ডিসেম্বর, আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ শীঘ্র্র শুরু হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে’র নির্মাণ কাজ। রাজধানীর চারদিকে নৌপথ ঃ জানুয়ারিতে চালূ হচ্ছে সদরঘাট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত নৌপথ। এ প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবার পথে। এর পরই শুরু হবে আশুলিয়া থেকে টঙ্গী হয়ে ডেমরা পর্যন্ত নৌপথ নির্মাণের কাজ। একই সঙ্গে শুরু হবার কথা ইস্টার্ণ বাইপাস নির্মাণের কাজও। রাজধানীর অভ্যন্তরে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণের কাজও শীঘ্র শুরু হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ প্রকল্পের টাকাগুলো লুটপাট করেছে।
২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর, জাকারিয়া কাজল ঃ রাজধানীর ক্রমবর্ধমান যানজট নিরসনে এলিভেটেড রোডওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলতি অর্থবছরেই শুরু হচ্ছে।
২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকার যানজট নিরসনে স্কাই রেল চালুর মার্কিন প্রস্তাব। একশ কোটি ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী এটিএসসি (আমেরিকা ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম কর্পোরেশন)। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা-নারায়নগঞ্জ-জয়দেবপুর-সাভারকে ঘিরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ স্কাই রেল স্থাপনে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে প্রস্তাব দিয়েছে।
২০০৬ সালের ১৬ মার্চ, লাকসাম থেকে তোফায়েল আহমেদ ঃ লাকসাম-নোয়াখালী রেল রুটে ড্রাইভিং করছেন দেশের প্রথম মহিলা ট্রেন ড্রাইভার সালমা খাতুন। বয়স-২৪ বছর।
২০০৬ সালের ২২ মার্চ, বাসস, ইউএনবি ও বিবিসি ঃ শিয়ালদহ-জয়দেবপুর ও আগরতলা আখাউড়া ট্রেন চলাচলে মতৈক্য। খালেদা-মনমোহন বৈঠকে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত। সুসম্পর্কের মাধ্যমে দু‘দেশই লাভবান হবে ঃ খালেদা, শক্তিশালী বাংলাদেশ দেখতে চাই ঃ মনমোহন।
২০০৭ সালের ৮ জুলাই, কলকাতা থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে মৈত্রী ট্রেন এখন ঢাকায় ঃ সরাসরি চলাচলে আজ দু’দেশের চূড়ান্ত বৈঠক। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ভারত-পূর্ব পাকিস্তান ট্রেন চলাচল করত। দীর্ঘ ৪২ বছর পর আবার দু’দেশের মধ্যে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ নামে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
২০০৭ সালের ৩০ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী ট্রেন যোগাযোগ-দীর্ঘ ৪২ বছর পর ঢাকা থেকে কোলকাতায় গেল ট্রেন। ১৯৬৫ সালের পর এ প্রথম বাংলাদেশের কোন ট্রেন ঢাকা থেকে সরাসরি কোলকাতায় গেল।
২০০৭ সালের ১১ আগষ্ট, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ এবার ঢাকার ট্রেন দিল্লী যাবে। পর্যায়ক্রমে পাকিস্তান, ইরান, সউদী আরব, তুরস্কসহ গোটা ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাথে বাংলাদেশের সামগ্রিক সম্পর্ককে এক নতুন ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি, ঢাকা শহরের ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনা নীতিগতভাবে অনুমোদনঃ পরিকল্পনায় পাতাল রেল ও বিআরটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১,৭০০ কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশে রেলপথের দৈর্ঘ্য ২,৭৩৩.৫১ কিলোমিটার। এরমধ্যে মিটারগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১,৮৩২.৪২ কিলোমিটার এবং ব্রডগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য ৯০১.০৯ কিলোমিটার। যমুনা নদীর পূর্বাংশে চালুকৃত রেলপথ হলো মিটারগেজ এবং খুলনা-রাজশাহী বিভাগের রেলপথ হলো ব্রডগেজ। বছরে রেলপথে কতজন যাত্রী চলাচল করে ৩ কোটি ৭১ লাখ। ট্রেনের সংখ্যা-১৩৭টি।
২০০৮ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশে রাস্তার পরিমাণ ১,৭৮,৮৫৯ কিলোমিটার। এরমধ্যে পাকা রাস্তার পরিমাণ ১১,৩৯৩ কিলোমিটার।
২০০৮ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশে মোট নৌপথের পরিমাণ ৮,৪০০ কিলোমিটার, বারোমাস ৫,৪০০ কিলোমিটার এবং বর্ষাকালে ৩০,০০০ কিলোমিটার।
২০০৮ সালের ১ মার্চ, অমর সাহা, কলকাতা ঃ জেনারেল মইনের আশাবাদ দুই মাসের মধ্যে ঢাকা কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে।
২০০৮ সালের ১২ মার্চ, ভারতীয় রেলমন্ত্রীর ঘোষণা। নয়াদিল্লী প্রতিনিধি ঃ ঢাকা-কলকাতা ট্রেন চলাচল শুরু হবে পয়লা বৈশাক। প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর থেকে দুই বাংলার মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৯ সাল থেকে ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে সরাসরি বাস চলাচল চালু রয়েছে।
২০০৮ সালের ৯ এপ্রিল, ঢাকা-কলণকাতা ট্রেন চলবে ১ বৈশাখ। ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত রেললাইনের দূরত্ব হবে ৫৩৮ কিলোমিটার। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৪১৮ কিলোমিটার। আর ভারতের অংশে ১২০ কিলোমিটার। সময় লাগবে ১৩ ঘন্টা। এর মধ্যে দর্শনায় ৫ ঘন্টা যাবে অভিবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে। এ ট্রেনে শ্রেণীভেদে ভাড়া হবে ২০, ১২ ও ৮ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও কলকাতা প্রতিনিধি ঃ মৈত্রীর জয়গান নিয়ে আজ ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন’ যাচ্ছে কলকাতায়। ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন’ ৪৯৮ জন যাত্রী নিয়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকা ছেড়ে যাবে এবং কলকাতায় পোঁছবে ভারতীয় সময় রাত নয়টায়। অনুরূপভাবে একটি ভারতীয় ট্রেন কলকাতা থেকে সকাল সাতটা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে এবং ঢাকা পৌঁছবে রাত সাড়ে আটটায়।
২০০৮ সালের ৪ জুলাই, রেলওয়ের হিসাব অনুযায়ী-১৯৬৯-৭০ সালে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ মিলে এ দেশে রেলপথ ছিল প্রায় দুই হাজার ৮৫৮ কিলোমিটার। বর্তমানে রেলপথের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুইহাজার ৮৩৫ কিলোমিটার। আবার এ পথেরও অনেক স্থানে শুধু লাইন পড়ে আছে, ট্রেন চলে না।
২০০৯ সালের ১৯ জুন, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর ছয়টি ব্যস্ত রেলক্রসিংয়ে নির্মিত হবে ওভারপাস।
২০০৯ সালের ১৯ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ‘রাজধানী ঢাকার জনপরিবহন সমস্যার সমাধান ও শহরকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ভূগর্ভস্থ রেললাইন নির্মাণ, আকাশ রেল অথবা সার্কুলার রেলপথ এবং রাজধানীকে ঘিরে নাব্য ও প্রশস্ত নৌপথ নির্মাণ করা হবে।’ প্রকল্প হয়, কথা হয়, কাজ হয় না।
২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার খবর ঃ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করেছে চীন। ঘন্টায় সাড়ে তিনশ কিলোমিটার। ১০ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়েছে মাত্র তিন ঘন্টায়।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে রেলওয়েতে আন্তদেশীয় ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসসহ মোট ৭২টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করছে। বেসরকারিভাবে পরিচালিত ট্রেনের সংখ্যা ৬৩টি। মোট ট্রেনের সংখ্যা-১৩৫।
২০১০ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার ৭৬৮ কিলোমিটার রেলপথে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য ৪৩৫টি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনমাষ্টারের পদ রয়েছে এক হাজার ১৪৪টি পদ। অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে স্টেশনমাষ্টারের ৪২৮ পদ শূন্য হয়েছে। প্রতিদিন ১৫৭টি ট্রেন চলাচল করে।
২০১০ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৬,৭০০(ছয় হাজার সাতশত) কোটি টাকার সঠিক ব্যবহার হচ্ছেনা। প্রকল্পে ঘুরপাক খাচ্ছে রেল। লোকবল সংকটে ৩৮৭ স্টেশনের ১০৬টিই বন্ধ।
২০১০ সালের ৩১ মে, প্রথম আলো ঃ রেলওয়ের হিসাব অনুয়ায়ী, ১৯৬৯-১৯৭০ অর্থবছরে রেলওয়েতে যাত্রী পরিবহন হয়েছিল সাত কোটি ২৮ লাখ জন এবং মালামাল পরিবহন হয়েছিল প্রায় ৪৯ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হলেও ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে রেলওয়ে যাত্রী পরিবহন করে সাড়ে ছয় কোটি জন এবং মালামাল পরিবহন করে ৩০ লাখ টন।
২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪২ জেলায় রেল যোগাযোগ আছে। বাকী ২২ জেলাতে রেল যোগাযোগ নেই। সরকার আরও ৭ জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় আসছে।
২০১১ সালের ২২ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বর্তমান সরকারের আড়াই বছরে সারা দেশে রেলওয়ের ৮৪টি স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে বন্ধ রেলস্টেশনের সংখ্যা ১২৫। সারা দেশে মোট স্টেশন ছিল ৩২৯টি। লোকবলের অভাবে এখন এক-তৃতীয়াংশের বেশি স্টেশন বন্ধ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে রেলের স¤প্রসারণ ও আধুনিকায়নের কথা বলা হলেও তা করা হয়নি। ঈদ উপলক্ষে বাড়তি চাপ নিতে প্র¯ত্তত নয় রেল।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ তৈরি হচ্ছে নতুন মাস্টার প্লান। খসড়া তৈরিরর কাজ করছে। পরিকল্পনা কমিশন-এটি ২০ বছরে চারটি পষ্ণবার্ষিক স্তরে ভাগ করে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জনকন্ঠকে জানিয়েছেন কমিশনের সংশ্লিষ্ট উইং এর দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা।
২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ উড়ালসড়ক নয়, দরকার রেল যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন-মতবিনিময় সভা।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ রেলের ৬২ হাজার একর জমি ভূমিদস্যূদের দখলমুক্ত করা হবে-কমলাপুরে নতুন ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিত সেন।
২০০৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত তিন বছরে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে ব্যাপক অগ্রগতি। সর্বোচ্চ বিনিয়োগ ঃ কর্মসংস্থান হয়েছে ১৬ লাখ মানুষের। ফাঁকা কথা।
২০০৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন ঢাকা, সবুজ ঢাকা গড়ে তুলতে মহানগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে ৩ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের প্রস্তাব। এ কাজও ব্যর্থ প্রমাণিত হবে।
২০০৫ সালের ৪ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ৪ হাজারের বেশী গাড়ী জমা দেয়নি ৩৫ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে গাড়ী ফেরত না দেয়ার মন্ত্রণালয়গুলোর তালিকা ও গাড়ীর সংখ্যা দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানানো হয়েছে।
২০০৫ সালের ৮ জানুয়ারি, বাংলাদেশে ১.৪(এক লাখ চল্লিশ হাজার) ওষুধের দোকানের কোন লাইসেন্স নেই।
২০০৫ সালের ১২ জানুয়ারি, রয়টার্স ঃ এতদিন ধারণা করা হত যে, বেশী ঘুমালে শরীরে চর্বি বাড়ে, মানুষ মোটা হয়ে যায়। কিন্তু সা¤প্রতিক এক সমীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বেশী ঘুমালে মানুষ মোটা হয় না।
২০০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ বাংলাদেশ-ভারত আলোচনা ব্যর্থ। তিস্তার পানি ব্রহ্মপুত্র দিয়ে আসামে ও গঙ্গা দিয়ে মালদায় নেয়া হচ্ছে।
২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি, আরব নিউজ ঃ শেখ আবদুল আজিজ আল শেখ, এ বছর হজ পালন করেছে ৩০ লাখেরও বেশী লোক। স্মরণকালের সবচেয়ে বেশী হাজী এসেছেন এবারের হজে।
২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইলে দেশের ২৪তম গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে।
২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ ২০১৫ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপিতে) শিল্প খাতের অবদান ৩৫ শতাংশ এবং এ খাতে মোট কর্মরত জনশক্তির হারও ৩৫ শতাংশে উন্নীত করার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গতকাল সংশোধিত ‘শিল্পনীতি-২০০৫’ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মোট শ্রমশক্তির শতকরা ৬৩ ভাগ এখনো কৃষিক্ষেত্রে কাজ করে।
২০০৫ সালের ২১ জানুয়ারি, খুলনা ব্যুরো ঃ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সাতক্ষীরায় কুকুরে কামড়ানোর ১ মাস ৭ দিন পর ৪ সন্তানের এক জননী ২১টি কুকুরের বাচ্চা প্রসব করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর গ্রামের ঢালিপাড়ায়।
২০০৫ সালের ২৯ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ তদন্তে ব্যর্থতাই এ ধরনের হামলাকে উৎসাহিত করেছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৮-রাষ্ট্রদূত কিবরিয়ার বাসভবনে।
২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি, সেলিম জাহিদ ঃ ঢাকা চিড়িয়াখানার ইতিহাসে এ প্রথম বাচ্চা দিয়েছে বিলুপ্তপ্রায় শকুন। শকুনগুলির বয়স প্রায় ৪০ বছর। শকুন আবদ্ধ অবস্থায় বাঁচে ১০০ বছর।
২০০৫ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ দেশে অবৈধভাবে লক্ষাধিক ভারতীয়ের বসবাস। সরকারের আশঙ্কা ঃ নাশকতার সাথে এদের কেউ কেউ জড়িত। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধারণা, এ সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
২০০৫ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি, মোবায়েদুর রহমান ঃ ১৯৯৩ ও ১৯৯৯-এর মত ভারত এবারও সার্ক নিয়ে পুতুল খেলা খেলেছে। ২০০৫ সালের ৬ ও ৭ ফেব্রæয়ারি, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বানচাল হয়ে গেল।
২০০৫ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, সংসদে পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল-২০০৫ পাশ।
২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ বাংলাদেশের জন্য এ চুক্তি দাসখত হয়ে দেখা দিতে পারে-বিতর্কিত টিফা’র খসড়া চূড়ান্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বহুল আলোচিত এবং বিতর্কিত বিশেষ ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি ‘টিফা’ (ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট)-এর খসড়া গতকাল প্রয়োজনীয় সংশোধনী ছাড়াই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, সেবা খাত ও বাজার এককভাবে দখল করার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে এ চুক্তিটি করতে চেয়েছে ঠিক সেভাবেই তারা তা আদায়ে সমর্থ হয়েছে। অপরদিকে, বাংলাদেশ তার স্বার্থ রক্ষায় চুক্তিতে যা রাখতে চেয়েছিল সেসবের একটিও মার্কিন পক্ষ গ্রহণ করেনি। তারপরও বাংলাদেশ পক্ষ প্রচন্ড চাপের মুখে কোন প্রাপ্তি ছাড়াই চুক্তিটির খসড়া অনুমোদনে বাধ্য হয়েছে।
২০০৫ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, দেশের প্রথম নিউজ ফটো এজেন্সি ফোকাস বাংলার জন্ম।
২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকায় ইব্রাহীম বিন হারুন ঃ ২৫তম বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষার পঞ্চম দিনে সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ১০০-নম্বরের ‘প্রাথমিক গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান’ আবশ্যিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস।
২০০৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, প্রতিরক্ষা রিপোর্ট ঃ গত ১৭ বছরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিহত হয়েছেন ৬২ জন বাংলাদেশী সৈনিক।
২০০৫ সালের ১ মার্চ, সংসদ রিপোর্টার ঃ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর কাছে ৪ ব্যাংকের পাওনা ১০,৬৫১(দশ হাজার ছয়শত একান্ন) কোটি টাকা। সংসদে অর্থমন্ত্রীর তথ্য প্রকাশ।
২০০৫ সালের ১৩ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ লাকসাম সফর স্থগিত ঃ আশপাশের এলাকায় আতংক। প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্মীয়মাণ সভামঞ্চ থেকে ৯ ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার।
২০০৫ সালের ১৫ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ পুঁজিবিহীন বড় ব্যবসা রাজনীতি। গোলটেবিল বৈঠকে অভিমত। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ ও নৈরাজ্যের জন্য সংবাদ মাধ্যমের একটি অংশ দায়ী।
২০০৫ সালের ১৭ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ নবীনগরে অভাবের তাড়নায় শিশু পুত্র বিক্রি। নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া) উপজেলা সংবাদদাতা। অভাবের তাড়নায় মাতা-পিতা অবশেষে তাদের প্রাণাধিক প্রিয় তিন মাস বয়সী পুত্র সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন। নবীনগর কলেজ পাড়ার এক বাড়িতে ১৪-০৩-২০০৫ সালের সোমবার দিন পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলার হরিদেবপুর গ্রামের মৃত সূনাদী গাজীর পুত্র চার সন্তানের জনক দরিদ্র মান্নান গাজী-বয়স-৩৭, বড় সংসারের পোষণে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে পাড়ি জমায় অজানার উদ্দেশ্যে। এক পর্যায়ে গত রবিবার নবীনগর এসে পৌঁছে। খাদ্যের অভাব সহ্য করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে শিশু পুত্র শাহজালালকে বিক্রি করার জন্য ক্রেতা খুঁজতে থাকে। ১৬-০৩-২০০৫ তারিখ সোমবার দুপুরে নবীনগর পশ্চিমপাড়ার নিঃসন্তান ফারুক আহমেদের কাছে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শিশু শাহজালালকে ৪(চার) হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়া হয়।
২০০৬ সালের ১০ জানুয়ারি, সিলেট ব্যুরো ঃ দরিদ্র এক মা অভাবের তাড়নায় তার দেড় বছরের শিশু কন্যাকে মাত্র এক হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন।
২০০৯ সালের ৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালায় ০৪-০৪-২০০৯ তারিখ শনিবার সকালে আতুরী বেগম নামের এক নারী অভাবের তাড়নায় তাঁর দেড় বছরের শিশুকন্যাকে মাত্র ৬০০/- টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। শিশুটি কিনে নিয়েছেন তেলিরচালা গ্রামের রিকসা গ্যারেজের মালিক মোঃ আইনাল হক। ৪০ টাকার স্ট্যাম্পে শিশুটিকে ক্রয়ের দলিল করা হয়েছে। পরে আতুরী বেগম দিনাজপুর জেলায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলে যান।
২০০৫ সালের ১৩ নভেম্বর, ইনকিলাব-মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ সাফটা ঃ সুফল পেতে যাচ্ছে দেড়শ’ কোটি মানুষ। আগামী ১ জানুয়ারি, ২০০৬ সালে দক্ষিণ এশীয় মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) কার্যকর হলে সামান্য কিছু পণ্য ব্যতীত পর্যায়ক্রমে সদস্যভুক্ত ৭টি দেশের বাজার হয়ে পড়বে উন্মুক্ত। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাজার বিস্তৃত হলে উৎপাদন ব্যয় কমে, ভোক্তারা কম দামে পণ্য পায় এবং জীবনযাত্রার মান বাড়ে। এ চুক্তির ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সময়ের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণও কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১২ শীর্ষ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ এশিয়ার চেহারা পাল্টে যেত। আমি মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর) বলি যে, মুক্তবাজার হলে ভারত ও পাকিস্তান ছাড়া বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলির অবস্থা ভাল হবে না।
২০০৫ সালের ১৩ নভেম্বর, ইনকিলাব-মনজুরুল আলম ঃ সাত জাতির সমন্বিত অর্থনীতি গড়ার অঙ্গীকার। ১ জানুয়ারি, ২০০৬ থেকে সাফটা চালু-পারস্পারিক ট্রানজিট সুবিধা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব, জ্বালানি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান, দারিদ্র্য বিমোচনে সার্ক দশক ২০০৬-২০১৫ ও ২০২০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়ন।
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ সাফটা (সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া) বাস্তবায়নে বছরে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে বাংলাদেশ।
২০০৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ডবিøউটিও’র হংকং সম্মেলন সফল হলে বাংলাদেশে খাদ্যের দাম বাড়বে।
২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, হংকং থেকে সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডবিøউটিও) ৬ দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ হংকং শীর্ষ সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাতটি ছিল ১৭-১২-২০০৫ তারিখ। ডবিøউটিও’র সদস্য ১৪৯টি দেশের ৬-হাজার প্রতিনিধি ১৭-১২-২০০৫ তারিখ সারারাত জেগে ছিলেন। ১৮ ডিসেম্বর, সন্ধ্যায় সম্মেলন শেষ হয়ে যাবার আগে রাতে তারা শেষবারের মতো বিশ্ববাণিজ্য আলোচনায় সমঝোতার চেষ্টা চালান। হংকং যেন ২০০৩ সালের কানকুন সম্মেলনের মতো আরেকটি ব্যর্থতার জন্ম না দেয় সেজন্য কিছু না কিছু হাতে নিয়ে বাড়ী ফেরার চেষ্টা চালান সবাই।
২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, হংকং থেকে সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডবিøউটিও)’র শীর্ষ সম্মেলন শেষ। বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। এলডিসির ৯৭% পণ্যকে শুল্কমুক্ত করার ঘোষণার মানে হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য তা শূন্য ভাগ(০%) কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক তালিকায় যে ১১ হাজার ৩১২টি এবং অন্যান্য উন্নত দেশেরও প্রায় সমসংখ্যক পণ্য রয়েছে তার ৩% হলো ৩৩৯টি বিভিন্ন ধরণের পণ্য। মূলত বাংলাদেশের রফতানীযোগ্য পণ্য-গার্মেন্টস, জাপানে চামড়া, ইউরোপে শাকসবজি প্রভৃতি। শুল্কমুক্ত ৯৭% পণ্য তালিকায় বাংলাদেশের রফতানীযোগ্য কিছুই নেই। যেমন-বিমান, ট্যাংক, তুলা প্রভৃতি। তাই ১০০ ভাগ পণ্যকে শুল্কমুক্ত ঘোষণা ছাড়া বাংলাদেশের কোন প্রাপ্তি নেই। ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেছেন, এ সম্মেলনে সবাই সবকিছু পেয়েছে একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া।
২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ শুধু গার্মেন্টস নয়, রফতানী পণ্যসংখ্যা বাড়াতে হবে। হংকং থেকে ফিরে বাণিজ্যমন্ত্রী-সদ্য সমাপ্ত বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার(ডাবিøউটিও) হংকং সম্মেলনে উন্নত দেশের বাজারে স্বল্পোউন্নত দেশসমূহের ১১,৩১২টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়া হলেও ৩৩৯টি পণ্য এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এলডিসির ৯৭-শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। বাকি ৩-শতাংশও বাড়াতে হবে পর্যায়ক্রমে।
২০০৯ সালের ২৫ মে, প্রথম আলো ঃ হান্নান হত্যা মামলায় খালাস, মোট মামলা ১৩৭টি। ৮৫টি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন হাজি সেলিমের।
২০০৯ সালের ২৯ মে, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় দুই হাজার ২১৮টি ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন।
২০০৯ সালের ১ জুন, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় ২,৫৫০টি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন।
২০০৯ সালের ২ জুন, প্রথম আলো ঃ সারা দেশে ৪,৩৯১টি আবেদন জমা। সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও সাজাপ্রাপ্তদের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন।
২০০৯ সালের ২২ জুন, প্রথম আলো ঃ দন্ডপ্রাপ্তদের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা চাওয়ার সিদ্ধান্ত। এদিকে ৩০ মে পর্যন্ত কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানোর শেষ সময় থাকলেও সে সময় আর বাড়ানো হয়নি। গতকাল পর্যন্ত এক হাজার ৬০০ মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এগুলোর মধ্যে বিরোধী দলের কোনো মামলা নেই। ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ আরও ৪৬ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ। এ পর্যায়ে যেসব রাজনীতিকের মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মহীউদ্দিন খান আলমগীর, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, সাঈদ খোকন, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, আবু সাইয়িদ, মির্জা আজম, শেখ হেলাল প্রমুখ। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. নাসিমের বিরুদ্ধে পাবনার শেখ শহিদুলাহ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলাও প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।
২০০৯ সালের ২ জুলাই, প্রথম আলোঃ আরও ৬৬ ‘রাজনৈতিক মামলা’ প্রত্যাহারের সুপারিশ।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১১ মাসে ১৮১৭টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে সরকার।
২০১০ সালের ৫ মে, প্রথম আলো ঃ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় আরও ৫১৬টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কমিটির ১৭তম সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এ নিয়ে মোট চার হাজার ৬৮৭টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হলো।
২০১০ সালের ৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় আরও ৪৫৭টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে সরকার।
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জামিনে ব্যাপক অনিয়ম-প্রথম আলোর সংবাদ ঃ বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ক্ষোভ।
২০১০ সালের ৩০ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ আরেকটি বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত। ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। প্রথম প্রস্তাব হচ্ছে, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল, আমিরবাড়ি, মোক্ষপুর এবং মঠবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন মৌজার দুই হাজার ৬০০ হেক্টর জমি।
২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর, দৈনিক ইত্তেফাক ঃ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু। মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার এবং ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল বিলে ২৫ হাজার একর জমি প্রস্তাবিত বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। তবে তা পরে বেড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পাড়ে। ২০১৩ সাল নাগাদ বিমানবন্দরটির নির্মাণ কাজ সমপন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আড়িয়ল বিলে ভিন্ন বাস্তবতা। বিল গেলে আমি খাব কী? আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে লেখেন, আমাদের পেটে যেন লাথি না মারে।
২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আড়িয়ল বিলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের ঘোষণায় আড়িয়ল বিলের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। ঢাকায় সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।
২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আড়িয়ল বিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল জনতার বিক্ষোভ। সহিংস বিক্ষোভ, পুলিশ নিহত। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে আট কি. মি. রণক্ষেত্র।
২০১১ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নয়। মন্ত্রিসভার বৈঠক-পদ্মার ওপারে অথবা চর এলাকায় নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ নিয়ে আলোচনা।
২০১১ সালের ৩০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নতুন বিমানবন্দর কেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-বছরে যাত্রী পরিচালনাক্ষমতা ৮০ লাখ। যাত্রী আসা-যাওয়া করে ৪০ লাখ। রানওয়ের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার ৪০%। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-বছরে যাত্রী পরিচালনাক্ষমতা ৮০ লাখ। ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার ৩০%। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-শুধু দেশীয় বিমান চলাচল। তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ৫টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর আছে। এসব বিমানবন্দরের কোনোটারই ধারণক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা হয় না।
২০০৯ সালের ১৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ কয়েকটি সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন। অর্পিত সম্পত্তির খসড়া আইনের সমালোচনা, বাতিলের দাবি। অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ মোট ৮০ লাখ বিঘা। দেশে ২৭ লাখ হিন্দুখানা বা বাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে ১২ লাখ খানা বা বাড়ি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত রয়েছে। মোট দখলদারের সংখ্যা হবে ৫ লাখ। এরমধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগ বিএনপির, শতকরা ১৩ ভাগ আওয়ামী লীগের এবং শতকরা ৯ ভাগ জামায়াতে ইসলামীর। তবে দখলদারের অধিকাংশ সময় ক্ষমতাসীন দলের হয়ে থাকেন। ১৯৬৫ সালে অর্পিত সম্পত্তি আইনটি হয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত এ আইনটি আছে। আমি আশা করেছিলাম যে-এ আইনটি বাংলাদেশ হওয়ার পর আর থাকবে না মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর)।
২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০৯ প্রত্যাখ্যান। মোট দখলদারের সংখ্যা পাঁচ লাখ। রাজনৈতিক পরিচয়ের দিক দিয়ে দখলদারদের ৬৫% শতাংশ বিএনপি, ১৩% শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং ৯% শতাংশ জামায়াতে ইসলামী।
২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন প্রত্যাহার দাবি।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সাংবাদিকদের অহেতুক হয়রানি বন্ধে সংসদে বিল উত্থাপন। অর্পিত সম্পত্তি বিল উত্থপিত হয়নি।
২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো : রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ভারত : উন্নয়ন ও বঞ্চনা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, বইয়ের লেখক ড. অমর্ত্য সেন ও সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। একক বক্ততা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান, ড. অমর্ত্য সেনের সহপাঠী অধ্যাপক রেহমান সোবহান। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান স্বাগত বক্তবো অমর্ত্য সেনের জন্ম, বেড়ে ওঠা ও অবদান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেন। ‘‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবিক প্রগতি’’ শীর্ষক উন্মুক্ত বক্ততা করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন(২৩-০২-২০১৫ তারিখ)। ‘‘অর্থনীতির সঙ্গে দরকার মানবিক প্রগতিও’’। একক বক্ততায় ড. অমর্ত্য সেন। বিশ্ববরেণ্য এই চিন্তবিদ বলেন, ‘‘মানবিক প্রগতির জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সরকারি বিনিয়োগ থাকা দরকার। সর্বশিক্ষা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা সরকারি বিনিয়োগ ছাড়া বেসরকারি বিনিয়োগে হয়েছে-পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই। এর কারণ ব্যাখা করে তিনি বলেন, ‘‘বেসরকারি খাতের মাধ্যমে দরিদ্র লোকের স্বাস্থ্য, শিক্ষা দেওয়া যাবে, তা ভীষণ দিকভ্রম। বেসরকারি খাত দিয়ে এটা করানো অর্থনৈতিক চিন্তার ভ্রম।’’
ড. সেন বলেন, মানবিক প্রগতির সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রগতির দ্ব›দ্ব রয়েছে। মানবিক প্রগতির অভাবে অর্থনৈতিক প্রগতি থেমে থাকতে পারে। আমার মনে হয়, ভারতের এখনকার সমস্যা এটাই। তবে জাতির বিশাল অংশকে স্বাস্থ্যহীন, শিক্ষাহীন রেখে অর্থনৈতিক প্রগতি নিয়ে বহুদিন ধরে টিকে আছে ভারত। বেশ কিছু উদাহরণ দিয়ে এই ড. সেন বলেন, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের মাথাপিছু আয় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। এখন ২৩-০২-২০১৫ তারিখ) তা বেড়ে ১০০ শতাংশ হয়েছে। এটা ভারতের অর্থনৈতিক প্রগতি। তবে ১৯৯০ সালে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশিদের গড় আয়ূ তিন বছর কম ছিল। এখন ভারতের চেয়ে বাংলাদেশিদের তিন বছর গড় আয়ূ বেশি। এখন ভারতের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা রাজ্য কেরালা। তবে বহু আগে থেকেই কেরালা শিক্ষায় এগিয়ে আছে।
১৮১৬ কেরালার ১৮ বছর বয়সী এক রানি শিক্ষার প্রসারে একটি প্রগতিশীল বিবৃতি দিয়েছিলেন। তখন কেরালায় বর্ণবৈষম্য ছিল। শিক্ষা দিয়ে এই পার্থক্য দূর করা যায় কি না, সেই চেষ্টা করেছে কেরালা। ১৯৬৩ সালে ভারতের ২৪টি রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় দরিদ্রতম রাজ্য ছিল কেরালা। আর এখন ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য কেরালা। কেরালার গড় আয়ু ৭৪ বছর বয়স এবং যা প্রায় চীনের গড় আয়ুর সমান। ড. সেন মনে করেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে মানবিক প্রগতির পার্থক্য রয়েছে, প্রথমেই এটা মানা উচিত। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে, আবার বঞ্চনাও রয়েছে ৮০ ভাগ লোকের। আমার মনে হয়, ৯০ ভাগ লোকের(মো: জাকির হুসেন)।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা ও দেশভাগের আগের সময়কালকে উদাহরণ হিসেবে এনেছেন এই নোবেলজয়ী ড. সেন। তাঁর মতে ১৯৪৭-এ যখন ব্রিটিশ সা¤্রাজ্য শেষ হলো, তখন এই উপমহাদেশের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। অথচ ১৭৭৬ সালেই অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিত বলে গিয়েছেন বিশ্বের ধনী দেশ কোনগুলো। এর মধ্যে ভারতকে তিনি ধরেছেন, বাংলাকেও ধরেছেন। কী কারণে বাংলা ধনী, এর বিবরণও দিয়েছেন অ্যাডাম স্মিত। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মতো নদী দিয়ে তখন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হতো।
১৯০০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ড. সেন বলেন, ভারতবর্ষে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়নি বললেই চলে। এই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, অর্থাৎ অত্যন্ত তুচ্ছ হার। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতার পর প্রথম বছর ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ১৯৪৭ সালের তুলনায় বর্তমান মাথাপিছু আয় সাত গুণ বেড়েছে। সেই তুলনায় মানুষের গড় আয়ু বাড়েনি। ভারতবর্ষে অর্থনৈতিক প্রগতি হলেও মানবিক প্রগতি হয়নি ড. সেন বলেন এবং চিকিৎসা খরচ মেটাতে যেয়ে অনেক লোক আরও গরীব হয়েছে।
ড. সেন বলেন, তবে তিনি ভারতের রপ্তানি খাতের প্রশংসা করে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ ও গাড়ির যন্ত্রাংশ (অটোপার্টস) শিল্পে যতেষ্ট ভালো করেছে ভারত। এ তিনটি জিনিসই ভারতের রপ্তানি খাতের প্রসার ভূমিকা রেখেছে। গণতন্ত্র প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, গণতন্ত্রে আলোচনা কিছু সম্ভব নয়। কিন্তু দিনে দিনে সেই আলোচনার জায়গাটি সংকুচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের গণতন্ত্র কিছুদিনের মধ্যে একেবারে পারফেক্ট হবে, এমনটি মনে করার কারণ নেই। তবে গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। কিন্তু সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, ভাবতে হবে।
বামপন্থী হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কারণে আক্রোশ বা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তেমন নয়। তবে প্রেসিডেন্সি কলেজে রাজনীতি করার কারণে জাপানে ভিসা পেতে সমস্যা হয়েছে। যদিও এখন জাপানে পড়াই।
২০০৬ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশে ধনী-দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর যাদের খাওয়া ও ভোগ্যপণ্য বাবদ মাসিক ব্যয় মাত্র ৯০০/-টাকা(শহরে) বা ৬০০/-টাকা (গ্রামে) সরকারী হিসেবে তারা দরিদ্র।
মোট জনসংখ্যা ১৯৮৪ ২০০৪ ২০০৫ বৃদ্ধি ঘটেছে
১০,৫০,০০,০০০১৪,৭৫,০০,০০০১৫,০২,৬০,০০০৪,৫২,৬০,০০০
মোট দরিদ্র ৬,৫০,০০,০০০ ৯,৭৫,০০,০০০ ১০,০০,৬০,০০০ ৩,৫০,৬০,০০০
মোট মধ্যবিত্ত ৪,০০,০০,০০০ ৫,০০,০০,০০০ ৫,০২,৬০,০০০ ১,০২,৬০,০০০
নিম্ন মধ্যবিত্ত ২,৩০,০০,০০০ ৩,০০,০০,০০০ ৩,০২,০০,০০০ ৭২,০০,০০০
মধ্য মধ্যবিত্ত ১,৬০,০০,০০০ ১,৮০,০০,০০০ ১,৮০,০৫,০০০ ২০,০৫,০০০
উচ্চ মধ্যবিত্ত ৬,০০,০০০ ১২,০০,০০০ ১২,৩৫,০০০ ৬,৩৫,০০০
ধনী ৪,০০,০০০ ৮,০০,০০০ ৮,২০,০০০ ৪,২০,০০০
২০০৬ সালের ১১ আগষ্ট, মাসুদুজ্জামান রবিন ঃ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ক্রমেই নিম্নবিত্তে পরিণত হচ্ছে-আয় সীমিত ঃ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি। ১৯৯১-৯৫ সাল পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ পরিবারের আয়ের সাথে সবচেয়ে গরীব ও ৫ শতাংশ পরিবারের আয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ১৮ গুণ। ১৯৯৫-৯৬ সালে বেড়ে ২৭ গুণ, ২০০০ সালে তা হয় ৪৬ গুণ এবং সর্বশেষ ২০০৫ সালে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ গুণ। তাতেই বোঝা যায় আয় সম্পদ একটা শ্রেণীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে দারিদ্র দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।