১৯৫৪ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে পূর্ব-পাকিস্তানে যুক্তফ্রন্ট।
১৯৬০ সালে সামরিক প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খানকে হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে তাঁর পক্ষে রায়।
১৯৬২ সালে “মৌলিক গণতন্ত্র” নামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় (আইয়ূব খানের অধীনে), মুসলিম লীগ সরকার গঠন করে।
১৯৬৪ সালে পুনরায় “মৌলিক গণতন্ত্র” নামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় (আইয়ূব খানের অধীনে),
মুসলিম লীগ সরকার গঠন করে। ১৯৬৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে
পাকিস্তানের জাতির পিতা মরহুম কায়েদে-আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ এর ছোট বোন
ফাতেমা জিন্নাহ্কে পরাজিত করে ফিল্ড মার্শাল মোঃ আইয়ূব খান দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা-৩১৩টি। পূর্ব-পাকিস্তানে-১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন লাভ করে, পিডিপি-১টি ও স্বতন্ত্র-১টি আসন লাভ করে এবং পশ্চিম-পাকিস্তানে-১৪৪টি আসনের মধ্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টি-৮১টি আসন লাভ করে, জামাতে ইসলামী-৪টি আসন লাভ করে, স্বতন্ত্র-১৩টি ও অন্যান্য ৬টি দল-৩৯টি আসন লাভ করে। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করায় পাকিস্তানে সকরার গঠন করার অধিকার একমাত্র আওয়ামী লীগের। কিন্তু পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টোর ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের যোগসাজসে ১ মার্চ ১৯৭১ সালে জাতীয় সংসদের সভা বাতিল ঘোষণা করে। ঘোষণার পরপরই সাধারণ জনগন পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসন লাভ করে আওয়ামী লীগ।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি বলেন-সরকারী কর্মচারিরা ২৮ মার্চ তারিখে বেতন নিয়ে আসবেন। ১৬ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ সকাল পর্যন্ত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আলোচনার নামে প্রহসন চালিয়ে অতঃপর ২৫ মার্চ রাত ৮-০০ টায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টো সামরিক বিমানে পাকিস্তান চলে যাওয়ার পূর্বে পূর্ব-পাকিস্তানে সামরিক অভিযান পরিচালনার হুকুম দিয়ে যায়। তখনই রাত ১১টার সময় শুরু হয় বাঙ্গালীর উপর নির্যাতন।