মুগল, ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের কথা ঃ

১০,০০০ হাজার বছর আগে নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার উয়ারী বটেশ্বরে বাংলাদেশের প্রথম মানুষের বসতি গড়ে উঠে। ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) বছর আগের দুর্গনগরীর সন্ধান মিলেছে উয়ারী বটেশ্বরে।
৩৫০০-৪০০০ খৃষ্টপূর্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানব বসতির প্রমাণ পাওয়া গেল। শাহীনূজ্জামানের এ আবিস্কারের ফলে নব্য প্রস্তর যুগে (৩৫০০-৪০০০ বছর আগে)। চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক যুগেও মানুষ ছিল।
২৫০০ খৃষ্টপূর্বে জয়পুরহাট জেলার মহাস্থান গড়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বসতি গড়ে উঠেছিল।
১৫০০ খৃষ্টপূর্ব কুমিল্লার লালমাই পাহাড় থেকে প্রতœতাত্তিকের আবিস্কৃত প্রাগৈতিহাসিক মানুষের ব্যবহার করা হাতকুঠার, ছুরি, ছাঁচুনী, বাটালী প্রভৃতি প্রমাণ করে যে, এ অঞ্চলে মানুষের আগমন ঘটেছিল।
১২০০ খৃষ্টপূর্ব মহাস্থানগড়ে ফটক পাওয়া গেছে। মানে ১২০০ খৃষ্টপূর্ব আগে মহাস্থানগড়ে প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া গেছে (১০-০২-২০১০ তারিখ প্রথম আলো)। প্রতœতাত্তি¡করা ধারণা করছেন, ২০০৯ সালে এ মহাস্থানগড় খননে যে বৌদ্ধমন্দিরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে।
৬৪৮ সালে বা ৬৯ হিজরী সনে লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামে সাড়ে তেরো শ বছর আগের মসজিদ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ভুখন্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলজুড়ে যে প্রাচীন সভ্যতা খ্রিষ্টপূর্ব সময় থেকে গড়ে উঠেছিল, তার সঙ্গে প্রাচীন রোমান ও আরব-সভ্যতার সম্পর্ককে ইতিহাসের স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখেন টিম স্টিল। টিম স্টিল ওয়েলসের অধিবাসী। বাংলাদেশ টাইগার ট্যুরিজম নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনাচক্রে তিনি লালমনিরহাটের ৬৯ হিজরি সনের হারানো মসজিদ আবিস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে যান। নানা বইপত্র ঘেঁটে, যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রতœতত্ত¡ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি নিশ্চিত হন মসজিদটি ৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দের বা ৬৯ হিজরি সনে। বাংলাদেশের ওই হারানো মসজিদের ওপর আরও গবেষণা হওয়া উচিত এই আকুতি রেখে টিম স্টিল বলেন, ওই মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস খুঁজে পেলে হয়তো বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্ব সভ্যতার সম্পর্কের আরেক ইতিহাস জানার পথ খুলে যাবে। রোমান, চৈনিক, আরব আর বাংলা-এই চার অঞ্চলের প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্ক জানা গেলে হয়তো পৃথিবীর ইতিহাস অন্যভাবে লিখতে হবে। টিম স্টিলের গবেষণায় প্রতীয়মান হচ্ছে, এটি এক হাজার তিন শ চৌষট্টি বছর আগের মসজিদ। যার সূত্র ধরে পাল্টে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের আগমণের ইতিহাস। ইটের গায়ে লেখা আরবিতে হিজরি সন উল্লেখিত শিলালিপি। (১৯-১১-২০১২ তারিখ)। এ আবিস্কার সঠিক কিনা বলা যাবেনা এখনও।
১০৪০ সালের সেই দিন থেকে হিমালয়ের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক। পন্ডিত শান্তিরক্ষিতের বোন মন্দরবা তাঁর স্বামী পদ্মসম্ভবার সঙ্গে তিব্বতের সাইথউলে গিয়ে হিমালয় গমনকারী প্রথম নারীতে পরিণত হন। আধুনিক সময়ে ১৮৫০ সাল থেকে বাঙালিদের হিমালয়ে যাওয়া শুরু। ১৮৫২ সালের একদিন ৩৯ বছর বয়সী বাঙালি জরিপকর্মী রাধানাথ সিকদার আবিস্কার করলেন ম্যাপে ‘পিক-১৫’ নামে পরিচিত পর্বত চুড়াটিই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ। ১৮৫৬ সালে এর নামকরণ করা হয় মাইন্ট এভারেষ্ট। ১৯০৪ সালে এভারেষ্ট অঞ্চলে অভিযাত্রীদের আগমন ঘটে। ১৯১৩ সালে ক্যাপ্টেন নোয়েল এভারেষ্টে অভিযান চালানোর ব্যাপারে রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটিতে প্রতিবেদন জমা দেন। ১৯২১ সালে শুরু হয় অভিযান। চূড়ান্ত সাফল্য আসে ১৯৫৩ সালের ২৯ মে সকালে।
১২৮২ সালে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ-দীন ঢাকার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলার রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন।
১৩০৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর, হযরত শাহ জালাল(রহ.) ছিলেন ইয়েমেনী। তাঁর সিলেট আগমনের সাতশ’ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৭-১২-২০০৩ তারিখ থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচী ঃ হযরত শাহ জালাল(রহ.) সুরমা নদীর যে ঘাট দিয়ে সিলেট শহরে প্রবেশ করেছিলেন সেই ঐতিহ্যবাহী স্থান শেখঘাট মসজিদ থেকে দরগাহ পর্যন্ত শোভাযাত্রা হয়। হযরত শাহ জালাল (রহ.) মাত্র ৩২ বছর বয়সে ৩৬০(তিনশত ষাট) জন সঙ্গী নিয়ে সিলেটে আগমন করেন। কিন্তু ১৩৩৩ সালে ৬২ বছর বয়সে মারা গেছেন।
১৩০৫ সালের দিকে তৈরী হয় কুমিল্লার মাঝিগাছায় নন্দীর মসজিদটি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
১৩৩৮-১৩৪৯ সালে সোনারগাঁয়ের স্বাধীন সুলতান ফকরুদ্দীন মোবারক শাহের রাজত্বকালে বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে মুসলিম আধিপত্য দৃঢ় হয়েছিল।
১৪৭৯ সালে শিবগঞ্জ, রাজশাহীর দরসবাড়ী মসজিদটি নির্মিত হয় ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতান শামস উদ্দীন ইউসুফ শাহের শাসন আমলে।
১৪৮০ সালে রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা কংশ নারায়ন রায় ৯(নয়) লক্ষ টাকা ব্যয় করে একটি মন্দির তৈরী করেন। এ মন্দির ১৯৭৮ সাল থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে।
১৪৮৩ সালে মালিক কাফুর নির্মিত বাবা আদম শহীদের মসজিদ নির্মিত হয়। এ মসজিদ মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রথম মসজিদ। মালিক কাফুর ছিলেন ঐ সময়ে এ এলাকার শাসনকর্তা।
১৪৯৩ থেকে ১৫১৯ সালের মধ্যে ণির্মিত হয় দিনাজপুর ঘোড়াঘাট ঐতিহ্যবাহী সুরা মসজিদ। অযতœ-অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে এ মসজিদের অস্তিত্ব।
১৪৯৩ সাল থেকে ১৫৩৯ সাল পর্যন্ত আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে নান্দাইলের মোয়াজ্জমপুর মসজিদটি নির্মিত।
১৫১৪-১৬০৫ সালের মধ্যে পাবনার জোড়বাংলো নির্মাণ করা হয়।
১৫১২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৫শ’ বছরের মং রাজ পরিবারের ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তির পথে।
১৫১৭ সালে পর্তুগীজরা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলারোপা-বান্দুরাতে প্রথম বসতি স্থাপন করে।
১৫২৩ সালে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী বাঘা মসজিদটি গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন নুসরৎশাহ নির্মাণ করেন।
১৫২৬ সালে সুলতান হোসেন শাহের পুত্র নুশরাত শাহ কর্তৃক বৃহত্তর রাজশাহীতে বড় সোনা মসজিদ তৈরী করে।
১৫৫৫ সালে প্রাচীন বাংলার মসনদে আলা ঈসা খাঁর রাজধানীর খোঁজে যেতে হয় সোনারগাঁয়ে।

 

১৫৫৫ সালে শেরপুরে প্রায় ৪৫০ বছর আগে নবাব মীর্জা মুরাদ খানের সহযোগিতায় খেরুয়া মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ তথ্য মসজিদের শিলালিপি থেকে জানা যায়। এছাড়া বগুরা জেলার শেরপুর উপজেলা ইতিহাসে আরো একটি কারণে বিশেষ স্থান লাভ করে আছে। তাহলেও এ ছোট্ট শহরে ৩৬০ জন ওলী আওলিয়ার আগমন ঘটেছিল। ১৫৯৫ সালে রচিত আইন এ আকবরীতে এ স্থানের উল্লেখ আছে। আকবরনামাতে বহুবার ‘শেরপুর মুর্চ্ছা’ নামে এ স্থানের উল্লেখ আছে।
১৫৬৯ সালে রিকাবী বাজারের টেঙ্গর শাহী মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ মসজিদটি মুন্সীগঞ্জ জেলার দ্বিতীয় মসজিদ।
১৫৭৬ সালের ১২ জুলাই, হোসেন কুলি খান বাংলার শাসক নিযুক্ত হন।
১৫৮০ সালে (বা ৯৮৬ হিজরী সনে) মাছুম খাঁন কাবুলী পবিত্র কদমরসুল স্থাপন করলেও বহু শত বছর পূর্বে-এর সংগ্রাহক হাজী নূর মোহাম্মদ নামক এক তাপস ও সাধক পুরুষ পবিত্র পদচিহ্ন একজন আরবদেশীয় বণিকের কাছ থেকে কয়েক হাজার স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে লাভ করে নিয়ে আসেন এ গ্রামে। শীতলক্ষা নদীর পূর্ব তীরে বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকায় পবিত্র কদমরসূল দরগাহ’র অবস্থান।
১৫৮২ সালে (হিজরী-৯৮৯) কোন এক সোমবার দিন শেরপুরের ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়।

১৫৮৪ সালে বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলে হারিকেনের রুদ্র তান্ডবে ঝরে যায় প্রায় ২ লাখ তাজা প্রাণ। এরমধ্যে মানুষ, গবাদিপশু এবং অন্যান্য সব রকমের প্রাণী। এ ঝড়ের কথা আইন-ই-আকবরী ও রিয়াজ-উস-সালাতিনে পাওয়া যায় এ ঝড়টি খুলনা-বরিশাল উপকুলে প্রলঙ্করী ধবংশলীলা ঘটিয়েছিল। ১৭৯৭ সালে ঘুর্ণিঝড় চট্টগ্রাম অঞ্চলে সবকিছু মিশিয়ে দিয়ে যায় মাটির সাথে। চট্টগ্রাম বন্দরে ২টি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। ১৮২২ সালের মে মাসে বরিশাল, হাতিয়া ও নোয়াখালী জেলার ওপর বয়ে গেল ভয়ঙ্কর এক ঘুর্ণিঝড়। কালেক্টরেট রের্কড থেকে জানা যায়, ৪০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল। ১ লাখ গবাদিপশু স্রোতে ভেসে গিয়েছিল। ১৮৭৬ সালের সেই ঝড়ে ২ লাখ মানুষের জীবনদীপ নিভে যায়। ১৯৫০ সালে আবার দেখা মেলে ২০ ফুট জলোচ্ছ¡াসের। আঘাতস্থল চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালী, প্রাণহানি ১০ হাজার। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান ঘুর্ণিঝড়ে ২ বার লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় উপকলীয় এলাকা। কেড়ে নেয় ১৯,২৭৯টি তাজা প্রাণ। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, স্মরণকালের বৃহত্তম ঘুর্ণিঝড় কেড়ে নিয়েছিল ১০ লাখ লোক বা তারও বেশী মানুষের জীবন। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২২২ কিলোমিটার। ১৯৮৫ সালে ঘুর্ণিঝড়ে কেড়ে নিয়েছিল ১১,০৫৯ জন। ১৯৮৮ সালের ঘুর্ণিঝড়ে কেড়ে নিয়েছিল ৫,৭০৮ জন। ১৯৯১ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথমবারের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার অব্যাবহিত পরই ২৯ এপ্রিল রাতে ভয়াল ঘুর্ণিঝড় গোটা দক্ষিণাঞ্চল লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়। দেড় লাখ মানুষের প্রাণ জীবনপ্রদীপ নিভে যায় এক ফুৎকারে। তারপর ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৭, ১৯৯৮ এরপর এবার ২০০৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর, ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উপকুলীয় জেলাগুলো। এত অনেক মানুষের মৃত্যু হয় এবং বাড়ি-ঘর, জমির ফসল, গবাদিপশু ও চাষের মাছ-এর ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২২ লাখ মানুষকে টানা তিন মান ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ। গত চারশ’ বছরে ছোট বড় ৫০টির বেশী ঘুর্ণিঝড় হয়েছে।
১৯৮৫ সালের ১৮ জুনের, তথ্যমতে গত ২০০(দুইশত) বছরে (১৭৮৫ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত) বাংলাদেশে ৬৭ বার ঝড় ও জলোচ্ছাস হয়েছে।
সাইক্লোন, হারিকেন, টাইফুন বাংলাদেশে কখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মারা গেছে তার বর্ণনা ঃ
সন লোকসংখ্যা
১৮৭৬ ২,০০,০০০
১৮৮২ ৪০,০০০
১৮৯৭ ১,৭৫,০০০
১৯৬০ ৫,১৯৬
১৯৬১ ১১,৪৬৮
১৯৬৩ ১১,৫২০
১৯৬৫ ১৯,২৭৯
১৯৭০ ২০,০০,০০০(১২ নভেম্বর)

১৯৫৪ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে প্রলংকারী বন্যাসহ বিগত ৫০ বছরে ছোটবড় মিলে ২৯টি বন্যা বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঃ
এরমধ্যে ১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৬২, ১৯৬৮, ১৯৭০, ১৯৭৪, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৭, ১৯৮৮,১৯৯৮ এবং চলতি ২০০৪ সালের বন্যা এ তেরটি বন্যা প্রলয়ংকরী।
এসব বন্যার মধ্যে ১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৮৮, ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালের বন্যাকে মহাপ্লাবন আখ্যা দেয়া হয়েছে।
১৯৮৮ সালের মহাপ্লাবনের ফলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির যে মহাপ্রলয় ঘটেছিল সেটাকে ইতিহাসবিদ এবং ধর্মবেত্তারা হযরত নুহ(আ.)-এর মহাপ্লাবনের সাথে তুলনা করেছেন।
তারপর ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালের মহাপ্লাবন। এসব বন্যাকে এখন তুলনা করা হচ্ছে স্মরণকালের পৃথিবীতে কয়েকটি ভয়াবহ বন্যার সাথে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মিসরের দুঃখ’ বলে পরিচিতি নীলনদের ওপর আসোয়ান বাঁধ নির্মাণের আগের বন্যা। ১৬৫৮ এবং ১৯১০ সালে প্যারিসের মহাপ্লাবন, ১৮৬১ এবং ১৯৬১-তে ওয়ারসোর মহাপ্লাবন, ১৫৩০ এবং ১৫৫৭ সালের রোমের মহাপ্লাবন, ১৭৮৮ সালে পর্তুগালের লিসবনের মহাপ্লাবন এবং ১৯২৪ সালে হাওয়াই-এর মহাপ্লাবন।
২০০৪ সালের ২৪ জুলাই, শনিবার রাত পর্যন্ত যেভাবে পানি বেড়েছে, যদি পানি বৃদ্ধির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে ১৯৮৮, ১৯৯৮ এবং চলতি ২০০৪ সালের বন্যাকে গণচীনের ‘হোয়াংহো নদীর বন্যা’ রুপে আখ্যায়িত করা যাবে।
এমন একটি পরিস্থিতিতে পথ রয়েছে ৪টি। এগুলো হল ঃ (১) বাহাদুরাবাদে ব্রহ্মপুত্র বাঁধ। (২) হার্ডিজ ব্রিজে গঙ্গা বাঁধ। (৩) ভৈরব বাজারে মেঘনা বাঁধ ও (৪) নেপালে ৭টি জলাধার। এগুলোর মধ্যে নেপালে জলাধার নির্মাণের প্রস্তাব ভারত নাচক করে দিয়েছে। ফলে অবশিষ্ট রইল ৩টি বাঁধ নির্মাণ।
অব্যাহত ভাঙ্গনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত মারাত্মকভাবে বিপন্ন।
১৯৬৩ সালের ২৯ মে, ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকায় ২২ সহস্রাধিক লোক মারা যায়।
১৯৬৫ সালের ১২ মে, বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়ে ১৭ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৬৫ সালের ২ জুন, বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়ে ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, দেশে ১৩৭ মাইল বেগে সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচছাস হয়েছিল। তাতে ১০ লক্ষাধিক লোক মারা গিয়েছিল।
১৯৮৮ সালের ৫ আগষ্টের সংবাদ ঃ বাংলাদেশে বছরে নদীভাঙ্গনে প্রতিবছর ১০ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
১৯৮৮ সালের ২১ নভেম্বর (রয়টার) ঃ সিডনীর ভাষ্যানুযায়ী-বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের শতকরা ২৭ ভাগ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে যাবে।
১৯৮৮ সালের ২১ নভেম্বর (রয়টার) ঃ সিডনী’র ভাষ্যানুযায়ী-২০৩০ সালের মধ্যে প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের ছোট দ্বীপগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
১৯৮৮ সালের ২৯ নভেম্বর, এ দিনে প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় ও তীব্র জলোচ্ছাসে বিধ্বস্থ হয়েছিল দক্ষিণের জনপদ এবং দক্ষিণাঞ্চালের কয়েক লাখ মানুষের দুঃসহ স্মৃতি আর দুঃস্বপ্নের দিন।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার), দিন সংঘটিত প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় ও সর্বনাশা গোর্কির ছোবলে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও ভোলার সমুদ্র উপকুল, চর ও দ্বীপাঞ্চলে জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। প্রায় ২ লাখ নর-নারী-শিশু-বৃদ্ধ উপকুলবাসী অসহায়ভাবে মারা যায়। রাত ১১টা থেকে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় বইতে থাকে।
১৯৯৬ সালের ১৩ নভেম্বরের হিসেব-১৫৮৪ সাল হ’তে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ভোলা জেলায় ঝড় ও জলোচ্ছাসে প্রায় ৬(ছয়) লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।
১৯৯৮ সালের ৬ নভেম্বরের তথ্য-ষ্টিয়ারিং কমিটির অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠক ঃ প্রায় ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা সমন্বিত বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের কাজ চল্তি মওসুমে শুরু হবে। এ কাজ ০১-১১-২০০৮ সালেও হয়নি। এ কাজ ১১-১০-২০১১ সালেও শুরু হয়নি।
১৯৯৮ সালের ১৭ নভেম্বর, ইউ.এন.ডি.পি.’র মূল্যায়ন-বণ্যায় ক্ষতির পরিমাণ ১০(দশ) হাজার কোটি টাকা;প্রাপ্ত সাহায্য পাওয়ার পরও ঘাটতির পরিমাণ ২(দুই) হাজার কোটি টাকা।
২০০০ সালের হিসেবমতে-বাংলাদেশে ২৩০টি নদী ও ১৩ লক্ষ ১ হাজার পুকুর আছে ।
২৮-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে ২৪(চব্বিশ) হাজার কিলোমিটার নদী পথ আছে, এরমধ্যে ৬(ছয়) হাজার কিলোমিটার নদী পথ ব্যবহার হয়।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল, প্রলয়ঙ্কুরী ঘুর্নিঝড় ও জলোচ্ছাসে দেশের দক্ষিণের অনেক লোক মারা গেছেন।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ নদীভাঙ্গনে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১০ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ২০০৩ সালের রির্পোটঃ এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১(এক) কোটি লোক নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
২০০৩ সালের ৯ মার্চের খবর ঃ বাংলাদেশে ২৩০টি নদী আছে। এরমধ্যে ৮০টি নদীর মরণদশা, কারণ নদীর পলি খননের পরিকল্পনা বারবার ফাইলবন্দী হচ্ছে। (১) রাজশাহী বিভাগে-৩০টি নদী, (২) খুলনা বিভাগে-২০টি নদী, (৩) ঢাকা বিভাগে-২০টি নদী এবং (৪) সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে-১০টি নদী, মোট ৮০টি নদ-নদীর মৃত্যু দশায় পড়ে বিলুপ্ত হতে চলেছে। বাংলাদেশের ২৩০টি নদীর সাথে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী মিলেছে।
২০০৪ সালের ৩০ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বলেছেন, বাংলাদেশের বন্যায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।
২০০৪ সালের ৩১ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকা-সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ চুক্তি ভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কঠোর অবস্থান নেবে। ভারতের অসহযোগিতায় প্রতি বছর দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীকরণ চুক্তি থাকলেও ভারত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করছে না।
২০০৪ সালের ৩ আগষ্ট, সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত সারাদেশে কমপক্ষে ৭ লাখ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে এফবিসিসিআই নের্তৃবৃন্দ উল্লেখ করেছেন। এরমধ্যে ৫ হাজার শিল্প আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পেরে রুগ্ন হয়ে পড়বে।
২০০৪ সালের ৪ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বন্যায় ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব ৪২ হাজার কোটি টাকা। সরকার-দাতাদের বৈঠক ঃ আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন।
২০০৪ সালের ৮ আগষ্ট, ড. আবদুস সাত্তার সাবেক পূর্ব-পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর একজন পরিচালক ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা নিয়ে তিনি একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার নিবন্ধে তিনি প্রমাণ করেন যে, ১৭৭৩ সালের পর থেকেই বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চলে বন্যার ব্যাপকতা বাড়তে থাকে। মেজর রেনেলের ম্যাপ থেকে তিনি সূত্র গ্রহণ করে প্রমাণ করেন যে, উল্লেখিত সময় পর্যন্ত পদ্মা ও যমুনা সম্পূর্ণ পৃথকভাবে প্রবাহিত হতো। আর এ কারণেই বন্যার কোন সুযোগ ছিল না। একটি ভূমিকম্পের কারণে গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা ও যমুনা মিলে যাওয়ার ফলেই নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হলে গোটা পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়ে যায়।
২০০৪ সালের ১৩ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ইনকিলাব ঃ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র নির্বাহী পরিচালক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন-সিপিডির রিপোর্ট ঃ বন্যায় ক্ষতি ১১,৪১৮ কোটি টাকা। এনজির কার্যক্রম দেরিতে শুরু ঃ বিপর্যয় কাটানোর মত সম্পদ আমাদের আছে। বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসঙ্গের ১,২৬০ কোটি টাকা জরুরী সহায়তার আবেদন-সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়া বন্যা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ১৯৮৫ সাল থেকে গত দু’দশকে বন্যা, টর্নেডো, সাইক্লোন, কালবৈশাখী ঝড়, নদী ভাঙ্গনের মতো আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ১ কোটি মানুষ গৃহহীন। উজানে ভারতের পানি প্রত্যাহারে নতুন হুমকির মুখে বাংলাদেশ।
২০০৭ সালের ২৪ মার্চ, মাসুদুজ্জামান রবিন ঃ ঢাকার চারপাশে ৪ নদী এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাষ্টবিন। বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার তলদেশে ৬ ফুট পলিথিন ময়লা আবর্জনা ঃ এ পানিই পরিশোধন করে খাচ্ছে রাজধানীবাসী।
২০০৭ সালের ২৬ জুলাই, ১৭৬২ সালে এ এলাকায় প্রথম সংঘটিত সুনামিতে অনেক দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যায়। *অশনি সঙ্কেত ঃ উত্তর আন্দামান থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত সিসমিক গ্যাস। *সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আশপাশে ৫শ’র মতো মৃদু ও মাঝারি ভূমিকম্প হয়েছে।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর, ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ উপকুলীয় জেলাগুলো। এতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয় এবং বাড়ি-ঘর, জমির ফসল, গবাদিপশু ও চাষের মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২২ লাখ মানুষকে টানা তিন মাস ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ।
২০০৭ সালের ২৬ নভেম্বর, আরিফুর রহমান, পটুয়াখালী থেকে-দুর্যোগ-ঝুঁকিতে থাকা ৫০ লাখ মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র নেই। প্রয়োজন চার হাজার। আছে দুই হাজার। নতুন ৫০০শত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের।
২০০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালে উপদেষ্টা এম. এ. মতিন ঃ বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ৮৫ লাখ মানুষ ঘুর্ণিঝড় সিডরে আক্তান্ত হয়েছে, মারা গেছে ৩,৩০০ জন এবং ঘুর্ণিঝড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি।
২০০৭ সালের ৪ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ উপকুলে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে লাগবে ৭ হাজার কোটি টাকা। দাতা সংস্থার প্রধান ও কুটনীতিকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি সহযোগিতার আহবান।
২০০৭ সালের ৫ ডিসেম্বর, নিউইয়র্ক প্রতিনিধি ঃ জাতিষংঘের প্রতিবেদন-সিডরের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি প্রাথমিক ধারণাকে ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে ৮৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধবংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আট লাখ ৮৫ হাজার বাড়িঘর। এ ছাড়া ১২ লাখ গবাদিপশু মারা গেছে। বিন্ষ্ট হয়েছে বিশ লাখ একর জমির ফসল।
২০০৮ সালের ১৫ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক-আলোচনা সভায় বক্তাদের অভিমত। বুড়িগঙ্গা বাঁচলে ঢাকা শহর বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে।
২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবর, ঘূর্ণিঝড় ‘রেশমির’র আঘাতে বিপর্যস্থ উপকুল। উপকুলের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, ঘর ও দেয়ালচাপায় মারা গেছে সাতজন, ভেসে গেছে ঘেরের মাছ।
২০০৯ সালের ২৬ মে, প্রথম আলো ঃ “আইলা” মানে ডলফিন। আইলার ছোবলে বিধ্বস্ত উপকুল। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আড়তপট্টি এলাকার লোকজন সরে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে। লোকালয় লন্ডভন্ড, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, নিহত-২০, শতাধিক নিখোঁজ।
২০০৯ সালের ২৭ মে, প্রথম আলোঃ আইলার ভয়াবহতা স্পষ্ট হচ্ছে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৯ জন।
২০১০ সালের ২৭ মে, প্রথম আলো ঃ ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার মানচিত্র থেকে পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে গত ১৫ বছরে হারিয়ে গেছে ৫৬ গ্রাম। ১৯৮৩ সালের ১ আগষ্ট স্থাপিত এ উপজেলার মোট জমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৩২৩ হেক্টর। গত ১৫ বছরে এ উপজেলার চার হাজার ২৫৫ হেক্টর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ৫৬ গ্রামের আট হাজার ২৭২টি পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এখন ছিন্নমূল। তারা আশ্রয় নিয়েছে বেড়িবাঁধ ও পাকা সড়কে।

১৫৮৫ সালের ১০ মার্চ, সম্রাট আকবরের ফরমান জারি। আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলি সন প্রবর্তিত হয়। এই সনই বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন।
১৫৮৫ সালে সামন্ত রাজা নবরঙ্গ রায় এই মন্দিরে প্রথম শুরু করেন রথরাত্রা। কিংবদন্তিতে আছে, উড়িষ্যার জগন্নাথ, বঙ্গের গোপীনাথ। প্রাচীন বাংলার সর্ববৃহৎ রথযাত্রা ছিল গোপীনাথের রথযাত্রা। কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলায় ভোগবেতাল গ্রামে অবস্থিত জেলার অন্যতম প্রতœসম্পদ ঈশা খাঁ ও রাজা নবরঙ্গের ঐতিহাসিক হিন্দু ধর্মীয় তীর্থস্থান শ্রীশ্রী গোপীনাথ মন্দির। প্রতি বছর ২৪ জুন থেকে প্রথম রথযাত্রা এবং ২ জুলাই উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এককালে রথযাত্রা উপলক্ষে বসত ১৫ দিনব্যাপী মেলা। গোপীনাথের রথযাত্রার আদি কথা।
২০০৪ সালের ১৯ জুন, হিন্দু স¤প্রদায়ের ঐতিহাসিক রথযাত্রা শুরু হয় এবং আগামী ২৭ জুন, অনুষ্ঠিত হবে উল্টো রথযাত্রা। প্রতি বছর ১৯ জুন, রথযাত্রা শুরু হয় এবং উল্টো রথযাত্রা শেষ হয় ২৭ জুন।

১৫৯৯ সালে বারো ভূইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁনের ইন্তেকাল। নেতাসহ বারভূঁইয়া সংখ্যায় ছিল ১৩ জন। বাংলার বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ঈশা খাঁন। দেওয়ান আমিন দাদ খাঁ, মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ১৪তম প্রজন্ম এখনো বেঁচে আছে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার জঙ্গলবাড়িতে। দেওয়ান আমিন দাদ খাঁ (৮৫ বছর) এখনো বাস করে জঙ্গলবাড়িতে। তাঁরা যে ঈশা খাঁর বংশধর-যুদ্ধই তো তাদের আমৃত্যু অবলম্বন। জঙ্গলবাড়ি মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে পরিচিত। (প্রথম আলো ১৪-০৬-২০০৯ সালের)।
১৬০১ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে তাদের ব্যবসা চালাতে আসার পর ১৬১৫ সালে কর আদায় ব্যবস্থাপনার গোড়া পত্তন ঘটে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর আদায় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু করে সর্বপ্রথম বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) গোয়া ও চট্টগ্রামে। ১৭৮৭ সালে রেভিনিউ বোর্ড অব ইন্ডিয়ারপ্রথম প্রেসিডেন্ট জন শোয়েবের ছবি। ১৭৮০ সালে তিনি ছিলেন ‘ঢাকার রেভিনিউ কমিশনার। পরে তিনি ১৭৯৩ থেকে ১৭৯৭ সাল পর্যন্ত ভারতের গবর্নর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ৪০০শ বছরের কর আদায়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত অফিস সামগ্রী। (০৫-০৫-২০১৪ তারিখে দেনিক জনকন্ঠ পত্রিকার রির্পোট-চট্টগ্রামে উপমহাদেশের আর্কাইভের যাত্রা শুরু।)
১৬০১ সালে রাজা আর্যাবরের ছেলে রাজা ভগবান (গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নে ঐতিহাসিক মীরের বাগানের স্মৃতি জড়িত ভবনগুলো) যখন বর্ধন কুঠির নিকটবর্তী রামপুরে বাসুদেব মন্দির নির্মাণ করেণ তখন মহারাজা মানসিংহ বাংলার সুবাদার ছিলেন। ১৬০৯ সালে রাজা ভগবানের সময়েই সুবাদার ইসলাম খান মানসিংহের স্থলাভিষিক্ত হন।
১৬০৫-১৬২৭ খ্রিষ্টাব্দ মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে জনৈক নীলাম্বর ‘রাজা’ উপাধি লাভ করার পর সেটি পুঠিয়া রাজবাড়িরূপে পরিচিতি লাভ করে। ১৭৪৪ সালে জমিদারি ভাগ হয়। ১৮২৩ সালে রানি ভুবন মোহিনী দেবী পুঠিয়া রাজবাড়ি এলাকায় ঢোকার মুখেই একটা দিঘির পাড়ে উঁচু বেদির ওপর শিব মন্দিরটি নির্মাণ করেন। রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার পুঠিয়া রাজবাড়িটি ১৮৯৫ সালে রানি হেমন্তকুমারী দেবী তাঁর শাশুড়ি মহারানি শরৎসুন্দরী দেবীর সম্মানে নির্মাণ করেন। পুঠিয়া রাজবাড়িটি একটি দোতালা বিল্ডিং। এ দেশে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা ছিল।
১৬১০ সালের ৩১ জুলাই, ঢাকার নবনিযুক্ত সুবাদার শেখ আলাউদ্দিন ইসলাম খাঁন চিশতি কর্তৃক সোনারগাঁ থেকে বাংলা সুবার রাজধানী বর্তমান ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। এখন থেকে এর নাম হবে জাহাঙ্গীরনগর।
১৬১০ সালে ইসলাম খাঁন কর্তৃক রাজমহল থেকে ঢাকায় মোঘল রাজধানী ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু। শাহবাগ এলাকার গোড়াপত্তন হয় মোঘল শাসনামলে। তখন ঢাকা ছিল সুবা বাণিজ্যের কেন্দ্র। শাহবাগের আদি নাম ছিল বাগ-ই-বাদশাহী। এর অর্থ বাংলা রাজার বাগান। এটি ছিল বাগানবাড়ি। এরপর মোগল আমলের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে এলাকাটিও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে নবাব আবদুল গনি আবারও এই এলাকার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনেন। সেটা ১৮৬৮ সালের কথা। তখন নবাব আবদুল গনি জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব দেন পুত্র খাজা আহসানউল্লাহকে। অন্যদিকে, আবদুল গনি অবসর কাটানোর জন্য একটি বাগানবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেন। ১৮৭০ সালের দিকে তিনি বর্তমান কলাভবন এলাকাটি কেনেন। পরে ১৮৭৬-৭৭ সালে এর উত্তরাংশও কেনা হয়। ১৮৭৩ সালে শাহবাগ বাগানবাড়ির নির্মাণকাজ শুরু হয়। মোগল নাম বাগ-ই-বাদশাহী নামের সঙ্গে মিলিয়ে এবার নামকরণ করা হয় ‘শাহবাগ’। এখানকার ‘ইশরাত মঞ্জিল’ নামে দ্বিতল ভবনটি ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ইশরাত মঞ্জিল পুননির্মাণ করে পরে হোটেল শাহবাগ করা হয়, যা ঢাকার প্রথম প্রধান আন্তর্জাতিক হোটেল। বর্তমানে এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা অধিগৃহীত। শাহবাগে সে সময় একটি চিড়িয়াখানাও নির্মিত হয়েছিল। উনিশ শতকের শেষ ভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগজুড়েই শাহবাগ ছিল ঢাকার উচ্চপর্যায়ের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উৎসভূমি। এখানে ব্রিটিশ শাসকদের সংবর্ধনা দেওয়া হতো। এরপর ১৯১৫ সালে নবাব সলিমুল্লাহর মৃত্যুর পর শাহবাগের জৌলুস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এই এলাকাকে ঘিরে জাতীয় ইতিহাসের অনেক রাজনৈতিক আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে। ১৯০৬ সালে এখানে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক মুসলমান শিক্ষা সমিতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বছরই নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সমিতির অধিবেশনে মুসলিম লিগের জন্ম হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে এই অষ্ণলে আন্দোলন প্রকম্পিত হয়েছিল। শাহবাগের কাছে রমনার ময়দান থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশেকে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। আর এখানেই পাকিস্তানি সেনবাহিনী বাংলাদেশ স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মসর্মপণ করে। তখন থেকেই এই এলাকা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায়ের পর এই শাহবাগেই শুরু হয় এক গণজাগরণ। ¯েøাগানে ¯েøাগানে মুখরিত মুখরিত হয় পুরো শাহবাগ এলাকা। আন্দোলনে অংশ নিতে আসা দেশের সব বয়সী জনগণের কন্ঠে একটাই দাবি, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই। প্রতিবাদের মিছিল শাহবাগেই থেমে থাকেনি, এর স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে দেশের সব জনগণের মধ্যে। ১৯০৪ সালের শাহবাগ ছিল হরিনের বাস এবং ফ্রিটজ কাপের তোলা ছবি। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি থেকে নতুন এই শাহবাগকে এখন অনেকে ডাকছে ‘প্রজন্ম চত্বর’ বলে। অন্য আলো প্রতিবেদক।
১৬২০ সালে মগ রাজাদের বন্ধী করা হয়েছিল। এরা আরাকানী, এদেরই নামানুসারে ঢাকার মগবাজারের নামকরণ করা হয়।
১৬২৮ সালে টাঙ্গাইল এলাকার বিবির মসজিদটি নির্মাণ করেন রাজা বলরামের কন্যা।
১৬৫৩ সালে ডাচরা কাশিমবাজারে ব্যবসা শুরু করে এবং কালক্রমে সারা বাংলায় বিস্তার লাভ করে।
১৬৫৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘরে ১(এক) গম্ভুজ মসজিদ তৈরী হয়। ঐতিহাসিকদের মতে ভাদুঘরের ১(এক) গম্ভুজ মসজিদটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রথম মসজিদ।
১৬৫৯ সালে শাহ সূজা যখন বাংলার সুবেদার ছিলেন, তিনি মাদারী বোরহানা তরিকার ফকীরদের একটি সনদ প্রদান করেন।
১৬৬০ সালে ব্যবসার প্রসারের জন্য ডাচ গভর্নর ম্যাথু ভ্যান ডেন ব্রæক বাংলা ও তৎসংলগ্ন এলাকার মানচিত্র তৈরি করেন। এটি এখনো এ এলাকার অন্যতম প্রচীন মানচিত্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
১৬৬০ সালে বাঙলার ভূমি ও নদনদীর নক্শা দ্বিতীয় বলে খ্যাত তৈরী করেন ফন্ ডেন ব্রোক-কৃত।
১৬৬০ সালে সুবেদার মীর জুমলা ঢাকা নগর রক্ষার জন্য এবং মগ ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের দমন করার জন্য মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর কেল্লা নির্মাণ করেন।
১৬৬১-৬৩ সালে মীর জুমলা বাংলার সুবেদার নিযুক্ত।
১৬৬৩ সালে শায়েস্তা খাঁ বাংলার সুবেদার নিযুক্ত।
১৬৬৪ সালে ফরাসী ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী গঠিত হয় এবং বাংলায় আসে ফরাসীরা ১৬৬৮ সালে।
১৬৬৫ সালের ২৭ জানুয়ারি, শায়েস্তা খানের পুত্র উমেদ খান কর্তৃক চট্টগ্রাম বিজয়। ২(দুই) হাজার মগসেনা বন্দী। চট্টগ্রাম বঙ্গদেশের চুড়ান্ত অন্তর্ভুক্তি।
১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৩১৯টি, ইউনিয়ন-১৯৭টি।
১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খান দখল করেন ‘‘চট্টগ্রাম’’। সায়েস্তা খানের আমলে এক টাকায় আট মন চাল পাওয়া যেত।
১৬৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার হাটখলা ৩(তিন) গম্ভুজ পুরাণ মসজিদ তৈরী করেন। ঐতিহাসিকদের মতে সরাইল উপজেলার হাটখলা ৩(তিন) গম্ভুজ পুরাণ মসজিদটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দ্বিতীয় মসজিদ।
১৬৭৮ সালে ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং মাঝে কাজ বন্ধ ছিল আবার ১৬৮০ সালে নির্মাণ কাজ শুরু।
১৬৮৬ সালে ইংরেজদের প্রথমবারের মত বাংলা আক্রমণ।
১৭০২ সালে শাহী (বড়) মসজিদটি বাদশাহ আওরঙ্গজেবের শাসনামলে স্থানীয় প্রশাসক আবদুল্লাহ কর্তৃক চাঁদপুর জেলার আলীপুরের শাহী আলমগীরি মসজিদ বা জুমা মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
১৭০৪ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, অবিভক্ত বাংলায় পুলিশী ব্যবস্থার প্রচলন হয়।
১৭০৭ সালে মুর্শিদকুলি খান কর্তৃক বাংলাকে স্বাধীন ঘোষণা।
১৭০৭-৮ সালের ১১২২ হিজরী ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চাঁদগাজী ভূঁঞা মসজিদটি ৩০০ বছরের পুরনো।
১৭২৭ সালে মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পর তাঁর জামাতা সুজাউদ্দিন খাঁন বাংলার নবাব মনোনীত।
১৭৪০ সালে সরফরাজ খাঁনকে হত্যা করে আলীবর্দী খান বঙ্গ বিহার ও উড়িষ্যার নবাবী লাভ করেন।
১৭৪৮-৬০ সাল পর্যন্ত বাংলা শমসের গাজী দেশের পূর্বাঞ্চলে ত্রিপুরার রৌশনাবাদ এলাকার স্বাধীন নরপতি ছিলেন।
১৭৫২ সালে আলীবর্দী খাঁন কর্তৃক বাংলার শাসনকার্য চালানোর জন্য সিরাজ-উদ-দৌলাকে উত্তরাধিকারী নিযুক্ত।
১৭৫৬ সালে সিরাজ-উদ-দৌলা ২৯ বছর বয়সে বাংলার মসনদে আরোহণ।
১৭৫৭ সালের ২০ ডিসেম্বর, রবার্ট ক্লাইভ বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হতো-মক্তব, মাদ্রাসা, টোল ও রাজদরবারকে কেন্দ্র করে। মধ্যযুগে মুসলমানদের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ‘‘মক্তব’’। আরবি, ফারসি ও ইসলাম ধর্মের উচ্চতর শিক্ষা হতো ‘‘মাদ্রাসায়’’। ‘‘মুঘল’’ আমলে বাংলা গজল ও সুফি সাহিত্য সৃষ্টি হয়। সরকারি কাজে ফারসি ভাষা চালু করেন ‘‘টোডরমল’’।
১৭৫৮ সালে নাটোর ঃ রাণী-ভবানী কর্তৃক নির্মিত সেতু-এখন কালের সাক্ষী-রাণী-ভবানী জনসাধারণের জন্য যাতায়াতের সুবিধার জন্য নাটোর হতে বগুড়া পর্যন্ত ৩০ মাইল রাস্তা নির্মাণের নির্দেশ দেন। আড়াইশত বছরের প্রাচীন সেতু-এখন কালের সাক্ষী হিসাবে আছে।
১৭৬০ সালে চট্টগ্রাম জেলা ইস্ট-ইন্ডিয়া কো¤পানীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
১৭৬২ সালে এ এলাকায় প্রথম সংঘটিত সুনামিতে অনেক দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যায়।
১৭৬৩ কারা বাকেরগঞ্জে কোম্পানির কুঠি লুট করে একদল ফকির।
১৭৬৩ সালে ফকিররা ঢাকায় কোম্পানির ফ্যাক্টরি আক্রমণ করে।
১৭৬৪ সালের ২২ অক্টোবর, বাংলা ও বিহারে নবাবী আমলের অবসান হয় এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শুরু হয়।
১৭৬৪-৭৬ সালে বাঙলার ভূমি ও নদনদীর নক্শা তৃতীয় বলে খ্যাত তৈরী করেন মেজর রেনেল-কৃত। (জাও দ্য ব্যারোস-কৃত-১৫৫০, ফন্ ডেন ব্রোক-কৃত-১৬৬০ ও মেজর রেনেল-কৃত-১৭৬৪-৭৬ সাল) এ ৩টি মানচিত্রই বাঙলার কিন্তু ভারতবর্ষের প্রথম মানচিত্র এ ৩টিই।
১৭৬৫ সালে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা প্রথম ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে আসে।
১৭৭২ সালে ঢাকা জেলার কার্যক্রম শুরু। গ্রাম-১৮৬৩টি, ইউনিয়ন-৭৭টি।
১৭৭২ সালে রাজশাহী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৮৫৮টি, ইউনিয়ন-৭০টি।
১৭৭২ সালের ৩০ জুন, রংপুরে ফকির বিপ্লব শুরু।
১৭৭৩ সালের পর থেকেই বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চলে বন্যার ব্যাপকতা বাড়তে থাকে।
১৭৭৫ সালে সিলেট জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৩৪৯৭টি, ইউনিয়ন-১০১টি।
১৭৭৭ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার কলারোপা-বান্দুরাতে পর্তুগীজরা একটি গির্জা তৈরী করে।
১৭৮১ সালে যশোর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৮১ সালে মধুপুর জঙ্গলে মজনু শাহ আধিপত্য স্থাপন করেন।
১৭৮২ সালে ঐতিহাসিক তথ্যমতে, পলাশী যুদ্ধের ২৫ বছরের মাথায় ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম শহীদ হাদি-মাহদির চিহ্নিত কবর সংরক্ষণের উদ্যোগ। সৈয়দ হাদি ও সৈয়দ মাহদি। সিলেটে ব্রিটিশবিরোধী প্রথম যুদ্ধে শহীদ হন দুই ভাই। নগরের শাহি ঈদগাহ এলাকায় হয়েছিল সেই যুদ্ধ। আর তারা সমাহিদ হয়েছিল পাশের নয়া সড়ক এলাকায়। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী দিনটি ছিল ১০ মহরম। ইতিহাস গবেষকদের মতে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম শহীদ হিসেবে স্বীকৃত হন সৈয়দ হাদি ও সৈয়দ মাহদি। ওই সময় রবার্ট লিন্ডসে ছিলেন সিলেটের রেসিডেন্ট বা ডিস্ট্রিক কালেক্টর। লিন্ডসের সুসজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন শহরের কুমারপাড়া-সংলগ্ন ঝরনার পারের ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ পরিবারের দুই ভাই সৈয়দ হাদি ও সৈয়দ মাহদি। লিন্ডসেকে আশুরা অনুষ্ঠানের সীমানায় প্রবেশে বাধা দেন তাঁরা। আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে খোলা তরবারি হাতে অসম এক যুদ্ধ বাধে। ইংরেজ বাহিনী ধরাশায়ী হওয়ার উপক্রম হলে একপর্যায়ে তাদের পাল্টা আক্রমণ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এটিই ছিল ভারতবর্ষের স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম যুদ্ধ।
১৭৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে মাটির নবাব নূরুলউদ্দিনের নেতৃত্বে রংপুর বিদ্রোহ প্রকাশ্য রূপ নেয়। যার নায়ক কৃষক নূরুলউদ্দিন।
১৭৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে “রংপুর বিদ্রোহ’’ জোতদার ও রায়তেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৭৮৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-২৭০৯টি, ইউনিয়ন-১৪৬টি।
১৭৮৭ সালে ফকির মজনু শাহ মৃত্যুবরণ করে।
১৭৮৮ সালে তৈরি হওয়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ১৭ একর জমিতে ছিল। এখন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে ১৯৪ একরের বেশি জমিতে তৈরি হয়েছে নতুন কারাগার। এর মধ্যে ৩০ একর জমিতে বন্দীদের জন্য ভরনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। ধারণ ক্ষমতা ৪০০০ হাজার পুরুষ ও ২০০ নারী। তবে ৮ হাজারেরও বেশি পুরুষ বন্দী থাকতে পারবে এবং ২০০ নারী। ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো।
১৭৮৯ সালের ৩ জুন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় লবণ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে।
১৭৯০ সালে ব্রিটিশ ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে ত্রিপুরা জেলা (হেড কোয়াটারের নাম-কুমিল্লা), নামে যে প্রশাসনিক ইউনিট সৃষ্টি করা হয় বৃহত্তর কুমিল­া ছিল তারই অংশ। ১৯৬০ সালে কুমিল্লার নামে কুমিল্লা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৩,৬৮৭টি, ইউনিয়ন-১৭৮টি। বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলার সীমানা নিয়ে এ অংশই কুমিল্লা জেলা নামে আত্মপ্রকাশ করে।
১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ, বাংলা ও বিহারে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন।
১৭৯৫ সালের ৩ মার্চ, মাত্র ৪৮৬ জন সৈন্য নিয়ে “রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন’’ পার্বত্য এলাকায় গোড়াপত্তন হয় বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর। সপ্তদশ শতকের শেষভাগে পার্বত্য এলাকা জুড়ে লুসাই বিদ্রোহ দেখা দিলে তাদের দমন করতে ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি এ বাহিনী গঠন করে। নাম পরিবর্তন করে “ফরেন্টিয়ার গার্ডস’’ ১৮৭৯ সালে। ১৮৯১ সালে সর্বপ্রথম ঢাকায় ঘাঁটি স্থাপন করে আবার-এর নামকরণ করা হয় “¯েপশাল রিজার্ভ’ বাহিনী। ১৯০৫ সালে বাংলা বিভক্ত হওয়ার সাথে সাথে এ বাহিনীর পুনঃরায় নামকরণ করা হয় “ঢাকা মিলিটারী পুলিশ বেটেলিয়ান’’। ১৮৯৭ সালে মিল ব্রাক ক্ষতিগ্রস্থ হ’লে কথিত গেরিশনটি পিলখানায় স্থানান্তরিত করা হয়। এটাই রাইফেলস বাহিনীর বর্তমান নিবাস। ১৯১২ সালে এ বাহিনীর নতুন নামকরণ হয় “বেঙ্গল মিলিটারী পুলিশ বেটালিয়ান’’। ১৯২০ সালে ‘ঢাকা মিলিটারী পুলিশ’। আবার ১৯২০ সালে নামকরণ করা হয় “বেঙ্গল বেটালিয়ন অব ইস্টার্ণ ফরেনটিয়ার রাইফেলস’’। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এ বাহিনীর নামকরণ করা হয় “ই. পি. আর’’ (ইস্টার্ণ পাকিস্তান রাইফেলস)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পুণরায় নামকরণ করা হয় ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ, এ বাহিনীর সর্বশেষ নামকরণ “বাংলাদেশ রাইফেলস’’ বা বিডিআর-এর উৎপত্তিস্থল রামগড়। ২১০-বছরে ‘রাইফেলস স্মৃতিস্তম্ভ’ স্থাপিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ৮(আট) হাজার সৈনিকের মধ্যে ৮১৭(আটশত সতের) জন সৈনিক শহীদ হন। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিল, ২০১০ পাস। এখন থেকে বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস)-এর নাম থাকবে না। মূলমন্ত্র ‘সীমান্তে নির্ভীক প্রহরা’। দাপ্তরিক কাজ ও সীমান্তে থাকা সদস্যদের জন্য আলাদা পোশাক।
১৭৯৭ সালে বরিশাল জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১১৭৫টি, ইউনিয়ন-৮৬টি।
১৮০০ সালে ফকিররা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে।
১৮০০ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম প্রোটেস্টান্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়, এর আগে পর্তুগীজ মিশনারীরা বাংলাদেশের নানাস্থানে গির্জা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৮১৬ সালে উপমহাদেশের প্রথম ভুমি জরিপ বিদ্যাপিঠ কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টেনমেন্ট-এর নিকট ময়নামতি সার্ভে স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৪ সালের দিকে স্কুলটি ময়নামতি থেকে সরিয়ে রামমালা প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠা হয়। এখন এটি একটি পুর্ণাঙ্গ জরিপ ইনস্টিটিউটে পরিনত হয়।
১৮২১ সালে নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৯৭৮টি, ইউনিয়ন-৮৩টি।
১৮২৭ সালে পাবনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৫৪০টি, ইউনিয়ন-৭২টি।
১৮২৯ সালে ‘ঢাকা বিভাগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৩৩ সালে ৩,০০০(তিন হাজার) সশস্ত্র পাগলপন্থী ও প্রজা শেরপুর শহর আক্রমণ করে।
১৮৪০ সাল পর্যন্ত পাহাড়টি ছিলো টি গার্ডেন। স্থানীয় জমিদার রায় নিতাইনন্দ বাহাদুরের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে লিজ নিয়ে এখানে গড়ে তোলা হয় ক্লাব ভবন। ১৮৭৮ সালের ২৩ আগষ্ট বৃটিশ টি প্ল্যান্টার ক্যাম্পবল চিটাগং ক্লাব লিঃ প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯০১ সালের ২৭ মার্চ চিটাগং ক্লাব রেজিস্টার্ড ক্লাব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯০৮ সালে এ ক্লাব কোম্পানী হিসেবে রেজিস্টার্ড হয়। ১৯৪৭-৪৮ সালে ক্লাবের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বৃটিশ সদস্য মিস্টার এইচ. কলেয়ার।
১৮৪০ সালে চট্টগ্রামেই সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চা-বাগান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন ঔপনিবেশিক শাসকেরা। ১৮৫৬ সালে সিলেটে তাঁরা আবিস্কার করেন চা-গাছ। ১৮৫৮ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় প্রথম-বাগান প্রতিষ্ঠা করেন ইংরেজ সাহেব হার্ডসন।
১৮৪২ সালের ২ নভেম্বর, মৌলভীবাজারের মাধবপুরেই প্রথম শুরু হয়েছিল রাসমেলা। জানা গেছে, জগৎপতি কৃঞ্চের ১২ ধরনের রস থেকেই এ রাস শব্দের উৎপত্তি। আর এ রাসের সঙ্গে মেলা যুক্ত হয়ে ‘রাসমেলা’। রাসমেলায় গোপিনী সাজের তরুণী ও গোষ্ঠলীলার সাজ।
১৮৪৭ সালে ১ম গণ-লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয় নওগাঁ জেলায় রাজা রামমোহনের নামে।
১৮৫০ সালে বগুড়া জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-২৭০৬টি, ইউনিয়ন-১০৯টি।
১৮৫১ সালে যশোর জেলা পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মুন্সীগঞ্জ মহকুমার সৃষ্টি হয়। ১৮৪৫ সালে মুন্সীগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠত হয়।
১৮৫৪ সালে মি. লয়েল বগুড়ার উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৫ সালে ডাবলু. ডাবলু. হানটার প্রকাশিত বেঙ্গল পরিসংখ্যান থেকে যশোর গণগন্থাগার সম্পর্কে মোটামোটি ধারণা পাওয়া যায়।
১৮৫৪ সালে বরিশালে পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৪ সালে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৪ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্থাপিত হয়েছিল ‘দরিদ্রবান্ধাব লাইব্রেরী’।
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন, (তারা সংগঠিত হতে থাকে এবং ১৮১১, ১৮২০ ও ১৮৩১ সালে সাঁওতালদের অভ্যুত্থান ঘটে। কিন্তু সবচেয়ে ভয়াবহ, সুসংগঠিত ও ব্যাপক বিদ্রোহটি সংঘটিত হয় ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন এবং তা দমন করতে সরকার কয়েক দফা সামরিক অভিযান পরিচালনা করে।) দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও জেলায় ঐতিহাসিক সাঁওতাল-কৃষক বিদ্রোহ হয় সিধ মারমা, কানু, চাঁদ এবং ভৈরবের নেতেৃত্বে আদিবাসী জনপদগুলিতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সৃষ্ট জমিদার, দালাল, মহাজন গোষ্ঠির অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন-মিথ্যা মামলার হয়রানীতে অতিষ্ট হয়ে কৃষকদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এ দিনে ১০ হাজার লোকের সমাবেশ বিদ্রোহ ঘোষণা করা হয় এবং আপোষহীনভাবে ২(দুই) বছর লড়াইয়ে ২৫ হাজার নেতাকর্মী অশাতরে জীবন দান করেছিল। বাংলাদেশে আজও শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।
১৮৫৫ সালের ৭ জুলাই, ব্রিটিশবিরোধী সাঁওতাল বিদ্রোহ ব্যাপকতা ও বিস্তার লাভ করে।
১৮৫৫ সালে দই ও মিষ্টিকে কেন্দ্র করে বগুড়ার শেরপুরে দুধের বাজার গড়ে উঠেছিল।
১৮৫৬ সালে সিলেটে প্রথম চা-গাছ আবিস্কৃত হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫৮টি চা-বাগান আছে এরমধ্যে সিলেটে ১৩৪টি, বাকী ৩৪টি চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাতে। ২০০৮ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, দেশে সর্বমোট ১৫৮টি চা বাগান আছে এরমধ্যে ১৩০টি সিলেটে।
১৮৫৭ সালের ১৮ নভেম্বর, হাবিলদার রজব আলীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে ৩৪-দেশীয় পদাতিক বাহিনীর বিদ্রোহ।
১৮৫৮ সালে চট্টগ্রামে সিপাহীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৮৫৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম নাটক ‘শমিষ্ঠা’ প্রথম অভিনত হয়।
১৮৫৯ সালে জমিদার তারাপ্রসাদ রায় মৃত্যুবরণ করলে তাঁর চিতাস্থলে প্রায় ১৫০ বছর আগে ১২০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট বিক্রমপুরের মাইজপাড়ার মঠটি তৈরি করা হয়।
১৮৬০ সালের আইন দিয়ে সমাজসেভার নামে ব্যবসা বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ। ১৫০ বছরের পুরোনো সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ যুগোপযোগী ও সংশোধন হয়ে নতুন আইন হবে সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাক্ট, ২০১০।
১৮৬০ সালে নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
১৮৬১ সালে উপমহাদেশে লর্ড ক্যানিং কর্তৃক পুলিশ ব্যবস্থা চালু হয়।
১৮৬১ সালের ব্রিটিশ শাসক কর্তৃক প্রণীত পুলিশ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত হচ্ছে।
১৮৬৩ সালে কুস্টিয়া জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৯৭৮টি, ইউনিয়ন-৬৬টি।
১৮৬৪ সালে বাকল্যান্ড বাঁধ দেয়া হয় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর।
১৮৬৫ সালে রাজশাহী কালেকটোরেট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাতে অনেক বড় সংগ্রহশালা ছিল।
১৮৭০ সালে তৎকালীন আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের বৃহত্তম কারখানাটি সৈয়দপুরে গড়ে ওঠে।
১৮৭১ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি থেকে ঢাকার নারিন্দাস্থ মশুরীখোলার শাহ সাহেব শাহ আহসান উল্লাহ (র.)’র ওরশ শরীফ শুরু হয়েছিল (১৬-০২-২০০৬ তারিখ ১৩৬তম ওরশ শরীফ)।
১৮৭১-৭২ সালে বঙ্গদেশে প্রথম লোকগণনা হয় এবং এই লোকগণনার ফলে দেখা যায় বঙ্গদেশের পাঁচটি বিভাগের মধ্যে রাজশাহি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে মুসলমানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বর্ধমান ও পেসিডেন্সি বিভাগে হিন্দুদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্তে¡ও বঙ্গদেশের অধিবাসীদের ৪৮% মুসলমান।
১৮৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি, বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল গঠিত হয়।
১৮৭২ সালে চট্টগ্রামে নির্মিত বেঙ্গল রেলওয়ের কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭২ সালে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতœতাত্তি¡ক স্থানগুলো জরিপ করা শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। সোনারগাঁয়েও চালানো হয় এ জরিপ। এ সময় সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন প্রতœতাত্তি¡ক স্থানের আলোকচিত্রও তোলা হয়। পরে এটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া কালেকশন ঃ ইন্ডিয়া অফিস সিরিজ নামে প্রকাশিত হয়। সোনারগাঁয়ের এ ছবিগুলো বেশির ভাগই তুলেছেন আলোকচিত্রী ডবিøউ ব্রেন্যান্ড।
১৮৭৪ সালে আসামকে বাংলা প্রেসিডেন্সি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
১৮৭৬ সালের ১ অক্টোবর, পাবনা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর, অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন অবশেষে বাতিল ও রহিতকরণ বিল জাতীয় সংসদের ৩১-০১-২০০১ তারিখের সভায় উত্থাপিত হ’লে উহা কন্ঠভোটে পাশ হয়। অর্থাৎ বাতিল করা হয়।
১৮৭৭ সালে রংপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১৪৩১টি, ইউনিয়ন-৮৩টি।
১৮৮১ সালে বাংলাদেশে চালু হয় ভুমি হস্তান্তর ও রেজিষ্ট্রেশন প্রথা।
১৮৮১ সালের পূর্বে বঙ্গ-ভারত উপমহাদেশে কোন আইনই ছিল না-সংগঠিত শিল্প আইন।
১৮৮২ সালে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-১১০৬টি, ইউনিয়ন-৬৮টি।
১৮৮২ সালে বরিশালে বানারিপাড়া পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে মৃণালিনী দেবীর বিয়ে হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুর বেণীমাধব রায়চৌধুরী দেশভাগের বহু আগে থেকে কলকাতায় বসবাস করতেন। তাঁর একমাত্র ছেলে নগেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী ওরফে ফেলুবাবু জমিদারি দেখার জন্য মাঝেমধ্যে দক্ষিণডিহিতে আসতেন। ফেলুবাবুর ছেলেরা কেউ দক্ষিণডিহি আবার কেউ কলকাতায় বসবাস করতেন। ১৯৪০ সালে এ পরিবারের সবাই কলকাতা চলে যান। এর আগে ফেলুবাবু ও তাঁর স্ত্রী বাড়িসহ আশপাশের ৭ দশমিক ৮ একর জমি বাদে সমুদয় সম্পত্তি দক্ষিণডিহির আরেক জমিদার বিজনকৃঞ্চ দাসকে বন্তোবস্ত দেন। ১৯৬৫ সালে বিজনকৃঞ্চ দাস দেশত্যাগ করেন। বাড়িটি বেদখল হয়ে যায়। প্রশাসন ১৯৯৫ সালে বাড়িটি উদ্ধার করে। খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি গ্রামে রবীন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি। রবীন্দ্র-মৃণালিনীর স্মৃতিধন্য ভবন। (২৭-০১-২০১৫ তারিখ)।
১৮৮৪ সালে গঠিত হয় বন বিভাগ। অতি সামান্য পরিবর্তন সংস্কার করে মূলত ব্রিটিশ শাসনামলে গৃহীত আইনকানুন দ্বারা পরিচালিত হয়।
১৮৮৫ সালে চট্টগ্রামে গণ-লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৫ সালে কুমিল্লা পাবলিক লাইব্রেরি এবং টাউন হল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথটি চালু হয়। এবং ২,৮৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রেলপথ আছে-২০১০ সালের সমীক্ষা। ২০-১১-২০১২ তারিখ পর্যন্ত ৪৮টি ট্রেন চলে বাংলাদেশে।
১৮৮৭ সালে নাটোর ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল, থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপ নেয়। ১৮৮৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল, ইনকিলাব ঃ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের ব্যস্থ পোতাশ্রয়ের একটি দৃশ্য-চট্টগ্রাম সমুদ্র গতিশীল হয়ে উঠছে। আজ ১১৭ বছর পূর্তিতে ব্যাপক উদ্দীপনা। খ্রিষ্টপূর্ব ৪ সালে চট্টগ্রামে নিরাপদ পোতাশ্রয়ের গোড়াপত্তন হলেও কালক্রমে বিশেষ করে ৯শ’ থেকে ১৫শ’ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দুনিয়াজোড়া পরিচিতি পায়।
১৮৮৯ সালে জমিদার রামরতন ব্যানার্জি ৫২ বিঘা জমির উপর শীতলক্ষ্যা পাড়ের শতকক্ষের মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ীটি নির্মাণ করেন। ১৮৯৯ সালে তার বড় ছেলে বিজয় চন্দ্র ব্যানার্জি বাড়ীটির পরিধি আরো বর্ধিত করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯০৯ সালে বিজয় চন্দ্র ব্যানার্জির ছোট ভাই জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জি জমিদারের দায়িত্ব পাবার পর বাড়ীর সীমানা আরো বৃদ্ধি করে ১০০ একরে পরিণত করেন। ১৯৪৭ সালে জমিদার জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জি সপরিবারে কলকাতা চলে গেলে তৎকালীন সরকারের দখলে চলে যায় বাড়ীটি। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন সরকার বাড়ীটিতে হাসপাতাল স্থাপন করে। ১৯৬৬ সালে এখানে হাই স্কুল ও কলেজ স্থাপিত হয়। এ দোতালা জমিদার বাড়ীটিতে রয়েছে ৯৫টি কক্ষ।
১৮৯০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার উজানচর বাজারটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯০ সালে পাবনায় অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরী স্থাপিত হয়।
১৮৯১ সালে নীলফামারি পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৯৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে রেলসংযোগ ঃ ১১৮ বছর পর মাত্র ১ শতাংশ পণ্য পরিবহন। বন্দরের হিসেবমতে, গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট চার কোটি ৩৩ লাখ টন পণ্য পরিবহন করা হয়। এর মাত্র এক শতাংশের সামান্য বেশি বা চার লাখ ৫৭ হাজার টন পরিবহন করা হয় রেলপথে।  সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমদ, সচিব-চট্টগ্রাম বন্দর।
১৮৯৭ সালের ১ মে, খুলনায় উমেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরীর যাত্রা শুরু হয়।
১৮৯৮ সালের ৪ এপ্রিল, বাংলা চলচ্চিত্রের জনক হীরালাল সেন প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।
১৮৯৮ সালের পোষ্ট অফিস এ্যাক্ট অনুসারে এতদাঞ্চলে ডাক বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশে ৯,৫৪২টি পোষ্ট অফিস আছে, ১৫-১০-২০০০ তারিখের হিসেব মতে-এর কর্মচারির সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
১৮৯৮ সালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন মাওলানা আবদুস সোবহান। মাওলানা আবদুস সোবহানের নামে এলাকার নাম রাখা হয় ‘সোবহানবাগ’। জমি কিনে বাগানবাড়ি তৈরি করেন। কুমারটুলির বাসা থেকে গাড়িতে করে সোবহানবাগের বাগানবাড়িতে আসতেন তিনি। মাওলানা আবদুস সোবহান আদিল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের দাদা। ১৯৪০ সালে আবদুস সোবহান মারা যান।
১৯০০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার বালুয়াকান্দি বাজার(রূপসদী) প্রতিষ্ঠিত।
১৯০০ সালে ঢাকা বার লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০০ সালে ফজলুল হক কলকাতা হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে নথিভূক্ত হলেন।
১৯০১ সালে জগদিন্দ্রনাথ রায় প্রতিষ্ঠা করেন নাটোরের কাপুড়িয়াপট্টিতে ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরী।
১৯০১ সালে কুড়িগ্রাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০১ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ছিল-২ কোটি ৮৯ লাখ।
১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর, বৃটিশ এক নাগরিক মি. বল্টন ঢাকার নবাববাড়ি আহসান মঞ্জিলে জেনারেটর দ্বারা প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। ১৯৩০-এর দশকে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা ব্যক্তি মালিকানায় নিয়ে আসা হয় একটি স্টিল কোম্পানী (উঊঠঈঙ)’র মাধ্যমে ও বাণিঝ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য ১৯৩৭ সালে ধানমন্ডি পাওয়ার হাউজটি প্রথম স্থাপন করা হয়।
১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানে ২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। ১৯৫৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বিদ্যুৎ বিভাগকে সরকারের আওতায় নিয়ে আসে। পূর্ব-পাকিস্তানের পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ঊচডঅচউঅ স্থাপন করা হয় ১৯৫৯ সালে এবং ১৯৭২ সালে এটি পরিবর্তিত হয়ে পিডিবি নাম ধারণ করে। ১৯৫৯ সালে ওয়াপদা গঠিত হয় এবং ১৯৬০ সালে  পূর্ব পাকিস্তানে ৮৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল। ১৯৬৫ সালে ২০১ মেগাওয়াট; ১৯৭১ সালে ৭০০ মেগাওয়াট; ১৯৯৭ সালে আমাদের চাহিদার পরিমাণ ৩,০০০ মেগাওয়াট হওয়ার কারণে উৎপাদন হওয়ার কথা ২৯০০-৩০০০ মেগাওয়াট। সেক্ষেত্রে উৎপাদন হয়েেেছ মাত্র ১৬০০-২০০০ মেগাওয়াট। ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল-পল­ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড(আরবি) এযাবৎ মোট ৩২ লক্ষ ১২ হাজার ১শত ২৮টি বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেছে। যার মধ্যে বর্তমান সরকারের সময় ১৮ লক্ষ ১৩ হাজার ২শত ২টি বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। গত ৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ১০ হাজার ৫শত ২৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল, বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের পরিমাণ ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৬৪ কিলোমিটার এবং গ্রাহক সংখ্যা ৫২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৭৯টি অর্থাৎ বর্তমান সরকারের আমলে ৪৫ হাজার ৪৮৯ কিলোমিটার বিতরণ লাইন এবং ২১ লক্ষ ৬১ হাজার ৩২০টি গ্রাহক সংযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১০-১০-২০০১ সাল থেকে ১৮-০৬-২০০৫ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ গ্রাহক বেড়েছে ২৪ লাখ। গত তিন বছরে আগের গ্রাহকসংখ্যার প্রায় ৪৪ শতাংশ। ২০০১ সালের ২২ এপ্রিল, ইত্তেফাকের রিপোর্ট ঃ হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্ধোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-আগামী ২০২০ সাল নাগাদ সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। প্রকৃতপক্ষে আদৌ তা সফল হবে বলে আমার মনে হয় না, কারণ ২০০০ সালের মধ্যে সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান নিশ্চিত হওয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা-৭১(একাত্তর) লক্ষ। এরমধ্যে শহরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায়-২৪(চব্বিশ) লক্ষ এবং গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা-৪৭(সাতচল্লিশ) লক্ষ। দেশের শতকরা ৩২ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় রয়েছেন। ২০০৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ কর্মশালায় পিডিবির চেয়ারম্যান বলেন-আগামী ২০২০ সাল নাগাদ সবার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হলে ঐ সময় ১৪(চৌদ্দ) হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট(৭-টিসিএফ) গ্যাস সরবরাহ করতে হবে এবং দরকার ৭০(সত্তর) হাজার কোটি টাকার। ২০০৪ সালের ২৯ জানুয়ারি, ফেঞ্চুগঞ্জ দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণে ৫বার দরপত্র আহবান ও ঘাপলা ঃ ২০২০-এর মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ সুদূরপরাহত। কারণ স্বাধীনতার ৩২ বছরে মাত্র ৩০০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এ থেকেই বোঝা যায় যে, আমাদের গতি কত ধীর। ২০২০ সালে আমাদের চাহিদা হবে ১৭,৫০০ মেগাওয়াট, এ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আমাদের সময় লাগবে কমপক্ষে ১০০ বছর। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল, পর্যন্ত সারাদেশে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা ৬০ লাখ ২১ হাজার ৭৯৯ জন। আলহাজ সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ মন্ত্রী সংসদকে জানান।(২০০৫ সালের ২৬ জুন-এর সংসদ খবর)। ২০০৫ সালের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানানো হয়, ২০০১ সালের জুন পর্যন্ত দেশের বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ ৩০ হাজার। ২০০৪ সালের জুন মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৯ লাখ ৬০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৫ সালে চাহিদার পরিমাণ ৫,৫০০ মেগাওয়াট কিন্তু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫,০০০ মেগাওয়াট থাকা সত্বেও প্রকৃত উৎপাদন হচেছ মাত্র ৩,৭০০ মেগাওয়াট। কোন সরকারই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত করতে পারেনি। কারণ জনগনের কথা ভাবেনি। সব সরকারই লুটপাটে ব্যস্ত থাকে। ২০০৬ সালের ১১ এপ্রিল, বিশেষ সংবাদদাতা ঃ সাড়ে ৪ বছরে ৬০ শতাংশ গ্রাহক বাড়লেও উৎপাদন মাত্র ২৪ শতাংশ। সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ। ২০০১ সালে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ৩৩ মেগাওয়াট। আর গত সাড়ে ৪ বছরে নতুন বিদ্যুৎ যোগ হয়েছে ৯১৫ মেগাওয়াট। এখন সর্বোচ্চ উৎপাদন ৩ হাজার ৭৫১ মেগাওয়াট। বৃদ্ধির হার ২৪ শতাংশ। ২০০১ সালে মোট বিদ্যুৎ গ্রাহক ছিল-৫৫ লাখ ৩ হাজার। ২০০৬ সালে মোট বিদ্যুৎ গ্রাহক হল-৮৮ লাখ ৬৭ হাজার। গ্রাহক বৃদ্ধির হার ৬০ শতাংশ। এ সময়ে ৬৮ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন স¤প্রসারণ হয়েছে। ১১ হাজার ৮২৫টি নতুন গ্রাম বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় এসেছে। আগামী আগষ্ট-সেপ্টেম্বরে বার্জ মাউন্টেড উৎপাদন ইউনিটের মাধ্যমে ৩০০ থেকে ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। শতকরা ২৯.৪৯ ভাগ পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা পায়। ১৯৯৬ সালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল-৯৫ কিলোওয়াট ঘন্টা, আর ১৯৯৬ সালে সঞ্চালন লাইন ছিল-৩৪২৬-কিলোমিটার এবং বিতরণ লাইন ছিল-১ লাখ ২১ হাজার ৮১৭-কিলোমিটার। ২০০১ সালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল-১২৯-কিলোওয়াট ঘন্টা, ২০০১ সালে সঞ্চালন লাইন ছিল ৩৭৩৮ কিলোমিটার এবং বিতরণ লাইন ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৯ কিলোমিটার। ২০০৬ সালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল-১৫৮-কিলোওয়াট ঘন্টা, আর ১৮-০৪-২০০৬ সালে সঞ্চালন লাইন ছিল ৪৩৮০ কিলোমিটার  এবং বিতরণ লাইন ছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ৮৩২ কিলোমিটার। ১৯৯৬ সালে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৯০ হাজার ৮২৯ জন। ২০০১ সালে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক সংখ্যা ছিল-৫ লাখ ৩০ হাজার। ১৮-০৪-২০০৬ সালে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক সংখ্যা ছিল-৮৮ লাখ ৬৭ হাজার। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ঃ ২০০১ সাল থেকে ০১-০৪-২০০৫ সাল পর্যন্ত ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎখাত এখন পুরাপুরি বিপর্যস্ত। এখন জনগনের প্রতি ৫ জনে ১ জন বিদ্যুৎ পায়, তা-ও অনিয়মিতভাবে। তথ্য-বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫,২০০ মেগাওয়াট, উৎপাদন হয় ৩,০০০ মেগাওয়াট, পিক ডিমান্ড ৪,০০০ মেগাওয়াট, ঘাটতি ১,০০০ মেগাওয়াট। ২০২০ সালে সর্বনিম্ন চাহিদা হবে ১৫,০০০ মেগাওয়াট। সাধারণ ভোক্তা-৪৩%, শিল্প-৪২%, কৃষি-৬%, বাণিজ্যিক-৯%। বাংলাদেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ-১২০ কিলোওয়াট(২০০৭), ভারতে-৩৫০ কিলোওয়াট, মালয়েশিয়ায়-২,৪০০ কিলোওয়াট। ‘‘সবাইকে’’ বিদ্যুৎ দেয়া হবে-২০২০ সালে (সরকারী সিদ্ধান্ত)। বাংলাদেশে বিদ্যুতায়িত গ্রামের সংখ্যা-৩৬%, ভারতে-৮৬% ও    পাকিস্তানে-৫৫%। সূত্র ঃ ইউএন এসকাপ, সিপিডি, আরইবি। ২৬-১১-২০০৯ তারিখ পল্লী বিদ্যুতের দাম ১০ শতাংশ বাড়ছে। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) আওতাধীন ৭০টি সমিতির মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪৮ হাজার গ্রামে বিভিন্ন শ্রেণীর ৭৮ লাখ ৪১ হাজার ৬৫০ জন গ্রাহকের মধ্যে সরবরাহ করা হয়। মোট বিদ্যুতায়িত লাইন দুই লাখ ১৯ হাজার ৫৪১ কিলোমিটার। গ্রাহকদের মধ্যে গৃহস্থালি পর্যায়ের গ্রাহকই হচ্ছে ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০ জন। বাণিজ্যিক গ্রাহক ৭ লাখ ৮২ হাজার ৪৮ জন। শিল্প এক লাখ ২৮ হাজার ২৫৫ জন। সেচ গ্রাহক এ বছর হবে দুই লাখ ৪৬ হাজার। এ ছাড়া রয়েছে ১৪ হাজারের মতো  রাস্তার বাতির সংযোগ ও গ্রাহক। বিদ্যুৎ উৎপাদন (০৫-০১-২০০৯) ৩,৮৬০ মেগাওয়াট।
২০১০ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ। ০৮-০৯-২০১০ তারিখে চট্টগ্রামে একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ২০১৫ সালে সারা দেশে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ০২-০১-২০১১ তারিখ বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এ বছর ২৩৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে। ২০১১ সালের ৪ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড চাহিদা সম্পর্কে বিভ্রান্তি। চাহিদা ও উৎপাদন সম্পর্কে যে তথ্য সরবরাহ করে, তা বিভ্রান্তিকর। গত ১৮-০৭-২০১১ তারিখ সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল চার হাজার ৯৩৬ মেগাওয়াট। এর আগে ১২-০৬-২০১১ তারিখ রেকর্ড ছিল চার হাজার ৮৯০ মেগাওয়াট। গত মঙ্গলবার (০২-০৮-২০১১ তারিখ) দিবাগত রাত চারটায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে পাঁচ হাজার ২৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ এমন একটি শক্তি, যা চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন করা যায় না। চাহিদার চেয়ে কম উৎপাদিত হলে লোডশেডিং করা হয়। কিন্তু চাহিদার বেশি উৎপাদন করে সেটা কোথাও রাখা যায় না। বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা সাত হাজার ৫০ মেগাওয়াট আর উৎপাদন করা যায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি থাকে দুই হাজার মেগাওয়াট।
১৯৮৫ সালের ২২ আগষ্ট, বাংলাদেশে  ৬% লোক বিদ্যুৎ সুবিধা পায়।
১৯৯১ সালের ২ আগষ্ট, খনিজ ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর ভাষ্য-বাংলাদেশে ১০(দশ) হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল এবং ২০০২ সালের হিসেবে ২০(বিশ) হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ আছে।
২০০০ সালের ২৬ জানুয়ারি-নীতিমালা নির্ধারণ ঃ ২০২০ সালে সবার জন্য বিদ্যুৎ। এ কথার অর্থ ফাঁকীবাজি কথা বলা। যেমন বলা হয়েছিল যে, ২০০০ সালের মধ্যে সবার জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান,  চিকিৎসা ও শিক্ষা। বাস্তবে কি তা‘হয়েছে। না হয়নি। এখনও শ্রমজীবী মানুষকে আশার বাণী শোনায় এবং ২০২০ সালে সবার জন্য বিদ্যুৎও হবে না।
২০০০ সালের জুন-৩(তিন) কোটি পরিবারের মধ্যে দেশে ৫২-লক্ষ পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।
২০০০ সালের ২ অক্টোবর-বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষকে বিদ্যুৎবিহীন রেখে দারিদ্র বিমোচন সম্ভব নহে।
২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঃ দেশে শতকরা ১৭ ভাগ লোক বিদ্যুৎ সুবিধা পায়। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২৪ জেলায় গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জোট সরকারের আমলে মোট বরাদ্দ ছিল-১৪,০৪৬.১৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে ব্যয় হয়েছে-১৩,৫১২.৩৪ কোটি টাকা। সরকারিভাবে এ সময়ে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও-বেসরকারিভাবে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি।
৩০-১০-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ সারাদেশকে বিদ্যুতের নেটওয়ার্কে আনতে ১৫(পনের) হাজার কোটি টাকার মহাপরিকল্পনা ঘোষণা-এ পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সাল নাগাদ দেশের সকল পল্লী এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে প্রায় ২,১০,০০০(দুই লক্ষ দশ হাজার) কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ এবং ৫৪০টি বিদ্যুৎ বিতরণ উপকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৩১-০৩-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে প্রায় ৪০(চল্লিশ) হাজার গ্রামে। এ পরিসংখ্যান ঠিক নয়।
২০০৩ সালের ২৭ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ দুটি বেসরকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রির প্রস্তাব করেছে সরকার। দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা ছিল ৮১০ মেগাওয়াট।
২০০৪ সালের ২৭ জুলাই, বাসসঃ দেশে প্রতিবছর গড়ে ৮ ভাগ হারে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ছে।
২০০৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, এম. আবদুল্লাহ ঃ লোডশেডিং-এর অন্ধকারে ঢেকে যাবে সরকারের সব সাফল্য। ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ ঘাটতি ১(এক) হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। প্রতি বছর বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ৮ থেকে ১০ শতাংশ বা ৩০০(তিনশত) মেগাওয়াট হারে বৃদ্ধি পেলেও উৎপাদন সে হারে বাড়ছে না।
২০০৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকায়-সংসদ রিপোর্টার ঃ ঢাকায় নতুন বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে ডেসার শতকরা ৪০ ভাগ গ্রাহককে বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হয়। শতকরা ৬০ ভাগ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীদের হাতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। ডেসার গ্রাহক সেবার মান খুবই নিম্নমানের। শতকরা ৭৪ ভাগ মিটার রিডার কোনরকমে মিটার রিডিং ছাড়াই বিল প্রস্তুত করেন। তাদের এ আন্দাজে বিল তৈরীর কারণেও গ্রাহকরা দুর্ভোগের শিকার হন। ১৩-১২-২০০৪ জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব কমিটির বৈঠকে ডেসার দক্ষতা নিরুপন সংক্রান্ত অডিট অধিদপ্তরের পেশকৃত রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
২০০৫ সালের ৫ মে, ইনকিলাব পত্রিকার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিদ্যুতের অভাবে দেশে শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি। ডিসিসিআই’র গোলটেবিল বৈঠকে অভিমত।
২০০৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর, আমেরিকান সেন্টার ঃ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাড়ে ৩-কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছে।
২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বেসরকারী খাতে ৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। জানা গেছে, ভবিষ্যতে ৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সরকারের কাছ থেকে কোন অনুমতি নিতে হবে না।
২০০৫ সালের ৬ মে, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ দেশে বিদ্যুৎ, সার ও গ্যাস এ তিন প্রকল্পে মোট-১৪৭.৫০(একশত সাতচল্লিশ কোটি পঁঞ্চাশ লাখ) মার্কিন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্যে গতকাল(০৫-০৫-২০০৫) সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। এরমধ্যে ১৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ করবে মার্কিন কোম্পানী। সমঝোতা স্মারক সই। নিউইয়র্কের বিখ্যাত বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গেøাবাল ভলকান এনার্জি ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি (জিভিইএল), এরজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ৯০ কোটি ডলার।
২০০৫ সালের ৫ অক্টোবর, ইনকিলাব-এম আবদুল্লাহ ঃ আমলাচক্র ডুবিয়েছে বিদ্যুৎ খাত-সরকারকে ডোবাচ্ছে লোডশেডিং।
২০০৫ সালের ২৫ অক্টোবর, ইনকিলাব-বিশেষ সংবাদদাতা ঃ যুদ্ধকালে ব্যবহৃত ব্যয়বহুল ট্রেইলর মাউন্টেন্ড বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভাড়া করা হচ্ছে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় গৃহীত ‘ক্রেডিবল প্রোগ্রামে’ সহায়তা প্রস্তুত ঃ বিশ্বব্যাংক।
২০০৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ শুরুতেই বিদ্যুৎ ঘাটতি ৯শ’ মেগাওয়াট ভরা মৌসুমে ২ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে কৃষির সঙ্গে শিল্প ও জনজীবনের বিরূপ প্রভাব।
২০০৬ সালের ৩ জুলাই, সংসদ রিপোর্টার ঃ জোট সরকারের আমলে ১২৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে-সংসদে প্রতিমন্ত্রী। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার ৩,৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে।
২০০৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, এম. আবদুল্লাহ ঃ ২ হাজার ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতিতে বিপর্যস্ত সারাদেশ। এমন সংকট দেখেনি কেউ ঃ জীবনযাত্রা অর্থনীতি উৎপাদন যানবাহন অচল।
২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর, সাজ্জাদ আলম খান ঃ গত ৫ বছরে বিদ্যুৎ খাত-এ মোট বরাদ্দ ২৬,৬৬৬ কোটি টাকা ঃ উৎপাদনে-৮,৭৪৯ কোটি টাকা। সঞ্চালন খাতে বিশাল বরাদ্দের পেছনে মহল বিশেষের স্বার্থ ছিল।
ক্রমিক নং অর্থবছর অনুমোদিত প্রকল্প প্রাক্কলিত ব্যয় (কোটি টাকায়)
১. ২০০২-২০০৩ ০৯ ৩,৭৩৮
২. ২০০৩-২০০৪ ১৬ ৬,৯৬৩
৩. ২০০৪-২০০৫ ১২ ৫,৭০৭
৪. ২০০৫-২০০৬ ১৩ ৫,১৯৭
৫. ২০০৬-২০০৭ ১১ ৫,০৬১
মোট৬১২৬,৬৬৬ কোটি টাকা
২০০৬ সালের ৫ নভেম্বর, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠিই ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের হাতে-জোট সরকারের দুর্নীতি বিদ্যুৎ খাতের বিনিয়োগ গ্রাস করেছে। গত ৫ বছরে ২৭ হাজার কোটি টাকা।
২০০৭ সালের ৫ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ জ্বালানি উপদেষ্টাকে বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দ-বিদ্যুৎ খাতের লুটপাট করা ২০ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করুন।
২০০৭ সালের ২১ অক্টোবর, বিদ্যুৎ সচিব ড. এম. ফাওজুল কবির খান বলেছেন আগামী ২০১০ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে-প্রথম আলো বিশেষ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান।
২০০৭ সালের ২০ নভেম্বর, দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ খাতে ১০ বছরে ২৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি-টিআইবির তথ্যানুসন্ধানী গবেষণা প্রকাশ।
২০০৮ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ঃ চট্টগ্রাম বাণিজ্য মেলায় প্রদর্শন-জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদক ডায়নামো। আর উদ্ভাবক ঝিনাইদহের গিয়াসউদ্দিন কচি। গিয়াসউদ্দিন জানান, চট্টগ্রামে সাইনবোর্ড ও ব্যানার লিখেই তাঁর সংসার চলে। তবে প্রযুক্তির প্রতি তাঁর আকর্ষণ অনেক বেশি। তিনি অবসর সময়ে কাজ করে ১৮ বছরের চেষ্টায় এটি উদ্ভাবন করেন।
বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৭ সালে যা হওয়ার কথা এবং ২০০৮ সালের বাস্তবতা ঃ
খাত ২০০৭ ২০০৮
স্থাপিত উৎপাদনক্ষমতা(মেগাওয়াট) ৬,৭১৬ ৫,২৯৬
সর্বোচ্চ চাহিদা(মেগাওয়াট) ৫,৩৬৪ ৫,৮০০(প্রায়)
মাথাপিছু উৎপাদন(কিলোওয়াট/ঘন্টা) ১৯০ ১৬০
বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় জনসংখ্যা ৪৭% ৪০%
সঞ্চলন লাইন(কিলোমিটার) ৫,৯৬৬ ৪,০৪৪
বিতরণ লাইন(কিলোওয়াট) ২,৬৬,৯৬২ ২,৬০,০০০(প্রায়)
২০০৮ সালের ২৩ আগষ্ট, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি চিহ্নিত হয়নি। বিগত জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত বড় কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা চিহ্নিত করা যায়নি।
২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৬ শতাংশ বাড়ল, ০১-১০-২০০৮ থেকে কার্যকর। সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে আপাতত বাড়ছে না। আমার কথা হল পাইকারি দাম বাড়ার সাথে জনগণের সম্পর্ক আছে কারণ জিনিষপত্রের দাম বাড়বে।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম আলোঃ তারিখ বিদ্যুৎ উৎপাদন-৩,৮৬০ মেগাওয়াট, মোজাহু-০৬-০১-২০০৯। ১০-০৭-২০০৯ তারিখ রাত নয়টায় ৪,১৮২ মেগাওয়াট। ১৮-০৯-২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ৪,২৯৬ মেগাওয়াট। ১৪-০৪-২০১০ তারিখ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল ৪,৬০৬ মেগাওয়াট। চাহিদা ধরা হয় ৫,৩০০ মেগাওয়াট।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫২০০ মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষমতা ছিল ৩৬০০ মেগাওয়াট।
এই প্রেক্ষাপটে লোডশেডিংমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে বলা হয়েছিল, ২০১১ সালের শেষেই লোডশেডিংমুক্ত হবে। এরপর বলা হয় ২০১২ সালের কথা। এখন তা-ও সম্ভব হচ্ছে না। কবে নাগাদ ওই স্বপ্নপূরণ সম্ভব হতে পারে, জানতে চাইলে বিদ্যুৎসচিব বলেন, ২০১৩ সাল লাগবে। আমি বলব ২০১৪ সালেও লোডশেডিংমুক্ত করবেনা।
২০০৯ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর দেশের ৪৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎসুবিধার মধ্যে রয়েছে ঃ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
২০০৯ সালের ৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ দুর্বিপাকে বিদ্যুৎ খাত। ঘাটতি হবে দুই হাজার মেগাওয়াট, দৈনিক লোডশেডিং ছয়বার।
২০০৯ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ লোডশেডিংয়ের সময়সূচিও ভেঙে পড়েছে। ঢাকায় লোডশেডিংয়ের সব নির্ধারিত সময়সূচী এবং ঢাকার বাইরে অনির্ধারিত নিয়মকানুন সব ভেঙে পড়েছে। ঢাকায় যে এলাকায় পাঁচবার লোডশেডিংয়ের সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে, সেখানে হচ্ছে আট থেকে দশবার। প্রতিদিন সর্বোচ্চ চাহিদার সময় তো বটেই, মধ্যরাত, শেষরাত, এমনকি ভোরেও লোডশেডিং থেকে রেহাই পাচ্ছে না গ্রাহকেরা। ঢাকার বাহিরে লোডশেডিংয়ের নির্ধারিত সময়সূচি তৈরি করা হয়নি। তাই যেকোনো সময়, যতবার ইচ্ছা বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরে, প্রায় সব জেলা-উপজেলা সদর ও গ্রামাঞ্চলে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং জনজীবন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদন কার্যক্রম বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
২০০৯ সালের ৬ মে, আমাদের সময় ঃ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত-আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিদ্যুতের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল-৮,১৫২.২৫ কোটি টাকা এরমধ্যে ব্যয় হয়েছে-৮,০৬৮.৫৩ কোটি টাকা। এ সময় সরকারিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে-৮৪০ মেগাওয়াট এবং বেসরকারিভাবে ১২৯০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ আগামী সাড়ে চার বছরের মধ্যে (২০১৪ সাল) ৪৩০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত।
২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ সারা দেশে বিনামূল্যে দুই কোটি ৬৫ লাখ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব দেয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের ২৬৫ কোটি টাকা অনুদানসহ প্রায় ২৯৬ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৩৫০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদুৎ সাশ্রয় হবে বলে সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে। একটি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা দরকার হয় এবং এর জন্য সময়ও লাগে কয়েক বছর।
২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর, আমাদের সময় ঃ ২০১১ সালের মধ্যে লোডশেডিং মুক্ত দেশ উপহার দেয়া সম্ভব। আর ২০১৪ সালেই দেশকে বিদ্যুতে উদ্বৃত্ত করার পরিকল্পনা পিডিপির। আমার বক্তব্য হলো এ কথার অর্থও ফাঁকা হবে।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদীয় কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের তথ্য। নতুন ৩৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে এক বছরে।
২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি, জনকণ্ঠ পত্রিকা ঃ ৬ জানুয়ারি ক্ষমতাগ্রহণের সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩,৮৬০ মেগাওয়াট। গত ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সাল নাগাদ তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪,২৯৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ২০১০ সালে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৫,৫০০ মেগাওয়াট উল্লেখ করেন।
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্ভোধন করেন এবং দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ খাত পছিয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে, আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আমি বলি তাঁর সরকার এ সময়ের মধ্যে ৩২০০(তিন হাজার দুইশত) মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে না।
২০১০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ খুলনায়  বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আসবে ২০১২ সালে। যৌথভাবে একটি পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র সংস্কার করা হবে।
২০১০ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকসই। দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো স্থানে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা যাবে। ২,৬০০ মেগাওয়াট করবে।
২০১০ সালের ২৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ গভীর খাদে বিদ্যুৎ খাত। প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে চাহিদা বাড়ছে। পুরোনো কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কমছে।
২০১০ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ। সার কারখানার জন্য বরাদ্ধ গ্যাস ব্যবহার করা হতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
২০১০ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-সংকট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাংলাদেশের এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বাধা গ্যাস ও বিদ্যুৎ।
২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ চাঁদপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ আগামী ১০ বছরে মানে ২০২০ সালের মধ্যে দেশে ২০ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য পুননির্ধারণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্য সরকার পূরণ করবে না।
২০১০ সালের ১১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ নিয়ে কী হচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে সারা দেশে এক বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
২০১০ সালের ১১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ এফবিসিসিআইয়ের নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাতারাতি গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। এ সরকারও বিদ্যুৎ-গ্যাস সমস্যার সমাধান করবে না।
২০১০ সালের ১২ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবরোধ হরতাল। অনেক আবেদন নিবেদনের পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় অতিষ্ঠ মানুষ বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
২০১০ সালের ১৩ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা।
২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রামে একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ২০১৫ সালে সারা দেশে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে না।
২০১০ সালের ৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ কুমিল্লায় তিতাস উপজেলার শোলাকান্দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-৫০ মেগাওয়াট দাউদকান্দি পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং বিদ্যুতের খাম্বা বসিয়ে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে তাদের মুখে সমালোচনা মানায় না।
২০১১ সালের ৪ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড চাহিদা সম্পর্কে বিভ্রান্তি। চাহিদা ও উৎপাদন সম্পর্কে যে তথ্য সরবরাহ করে, তা বিভ্রান্তিকর। গত ১৮-০৭-২০১১ তারিখ সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল চার হাজার ৯৩৬ মেগাওয়াট। এর আগে ১২-০৬-২০১১ তারিখ রেকর্ড ছিল চার হাজার ৮৯০ মেগাওয়াট। গত মঙ্গলবার (০২-০৮-২০১১ তারিখ) দিবাগত রাত চারটায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে পাঁচ হাজার ২৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ এমন একটি শক্তি, যা চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন করা যায় না। চাহিদার চেয়ে কম উৎপাদিত হলে লোডশেডিং করা হয়। কিন্তু চাহিদার বেশি উৎপাদন করে সেটা কোথাও রাখা যায় না। বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা সাত হাজার ৫০ মেগাওয়াট আর উৎপাদন করা যায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি থাকে দুই হাজার মেগাওয়াট।
২০১১ সালের ৬ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আজ পর্যন্ত ৪৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৪৩টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। চুক্তিগুলোর মাধ্যমে মোট প্রায় সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এরই মধ্যে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে এসেছে।
২০১১ সালের ১ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশে বিদ্যুত কেন্দ্র ৭০টি, যান্ত্রিক ত্রুটিতে কম উৎপাদন ছাব্বিশটিতে আবার কোন কোনটি একেবারেই বন্ধ।। দৈনিক উৎপাদন কম ২৭শ মেগাওয়াট।। সরকার উদ্বিগ্ন।
২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০১১ সালের মধ্যেই ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা-তৌফিক ই ইলাহী।
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বড় কেন্দ্র চালু হচ্ছে না। তিন বছরে বিদ্যুৎ খাত। প্রথম বছরে পরিকল্পনা। বিদ্যুৎ-সংকট নিরসন সরকারের অগ্রাধিকার হলেও পরিকল্পনা করতেই প্রথম বছর কেটে গেছে। দ্বিতীয় বছরে চুক্তি। ৪৮টি কেন্দ্রের জন্য ৪৬টি চুক্তি। কিছু উৎপাদন বৃদ্ধি। তৃতীয় বছরে উৎপাদন-উৎপাদন বাড়লেও বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতি কমেনি। ২০০৯ সাল-সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল-৫২০০ মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ৩৬০০ মেগাওয়াট, ঘাটতি ছিল ১৬০০ মেগাওয়াট। ২০১১ সাল সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৭৫০০ মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ৫৩০০ মেগাওয়াট, ঘাটতি ছিল ১৭০০ মেগাওয়াট। বড় কেন্দ্রগুলোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার প্রয়োজনীয় দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সিপিডির বিশেষ ফেলো।
২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি, দৈনিক সমকাল ঃ সাড়ে ৪৭ হাজার কি. মি. বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করবে সরকার এবং ১৮ লাখ গ্রাহককে সংযোগ দিতে-(৩১-০১-২০১২ তারিখ) একনেকে উঠছে প্রকল্প প্রস্তাব।
২০১২ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা  সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে।
২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও সন্তোষজনক উন্নতি সম্ভব হবে না। পুরনো কেন্দ্র সংস্কার প্রয়োজন।। এবার গ্রীষ্মে লোডশেডিং হবে সর্বোচ্চ দুই হাজার মেগাওয়াট।। সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে সাত হাজার ১২৫ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে উৎপাদন আশা করা হচ্ছে ৫৩৩০ মেগাওয়াট থেকে সর্বোচ্চ মে নাগাদ ৫৯৪৫ মেগাওয়াট। এখন সর্বোচ্চ চার হাজার ৭৮০ মেগাওয়াট। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদাই এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।
২০১২ সালের ২৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ এশিয়া কাপ পাকিস্তান-বাংলাদেশ খেলার দিন রাত্রি প্রায় ৬,০৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেন।
২০১২ সালের ১২ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ছে, পরিস্থিতি উন্নতির আশা নেই।
২০১২ সালের ১৬ মে, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ নেই, তবু ৭ হাজার কিলোমিটার নতুন লাইন। নতুন নতুন বিতরণ লাইন স্থাপনের কাজ সরকারের মেয়াদ কমে আসার সঙ্গে বাড়ছে।
২০১২ সালের ১৭ মে, প্রথম আলো ঃ বিশ্লেষণ ছাড়া রেন্টাল বিদ্যুতে যাওয়া ভুল হয়েছিল ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
২০১২ সালের ১৯ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশের ৬৯ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে দিনে ৩৬টি আর সন্ধ্যায় বন্ধ রাখা হচ্ছে ২৩টি।
২০১২ সালের ১৯ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সঙ্কট।
২০১২ সালের ১৯ মে, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ মাসে ৭০ হাজার নতুন গ্রাহক, বাড়ছে না উৎপাদন।
২০১২ সালের ২৯ মে, প্রথম আলো ঃ বেশি দাম দিলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। এ ঘোষণায় আগ্রহ কম শিল্প উদ্যোক্তাদের। প্রতি ইউনিটের মূল্য পড়বে ১৪ টাকা ৯৯ পয়সা।
২০১২ সালের ৩০ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত দেয়ার প্রস্তাবকে স্বাগত শিল্পোদ্যেক্তাদের-তবে মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার দাবি।
২০১২ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুতের দাবিতে জনতার হামলা, ডিসি আহত। উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি।
২০১২ সালের ২৮ জুন, প্রথম আলো ঃ এত সস্তা বিদ্যুৎ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ যাদের আছে তারাই পাবে, অন্যরা পাবে না এ নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। গত তিন বছরে ২৫ লাখ নতুন গ্রাহক হয়েছে। অতিরিক্ত ১০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছে। দিয়ে কিঞ্চিৎ না করব বঞ্চিত-এটাই আমাদের নীতি। তেলা মাথায় তেল দিতে চাই না।’ তবু তেলা মাথায় তেল দিতে হয়-সমাজের নিয়ম।
২০১২ সালের ৯ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে সারা দেশে বিদ্যুতের বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকের মোট সংখ্যা ছিল-১ কোটি ৮ লক্ষ। আর ২০১২ সালের মে মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে-১ কোটি ৩৩ লক্ষ অর্থাৎ প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন সংযোগ দেয়া হয়েছে। (১) বিদ্যুতের সংযোগ বৃদ্ধি ২৫ লক্ষ। (২) তিন বছরে উৎপাদন বৃদ্ধি ৩৩৮০ মেগাওয়াট, চাহিদা বৃদ্ধি ২৮৮৮ মেগাওয়াট। (৩) ২০০৮-২০০৯ এ মাসিক গড় লোডশেড ১২০ ঘন্টা এবং ২০১১-২০১২ এ মাসিক গড় লোডশেড ৬০ ঘন্টা।
২০১২ সালের ২৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎসংযোগ পেতে ঘুষ আর চাঁদাবাজি। পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে সারা দেশ থেকে ঘুষ-দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ এসেছে।
২০১২ সালের ৩১ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ পল্লী বিদ্যুতের জন্য ৯২,৯৮০ খুঁটি কেনা হবে। দেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ১৮ লাখ নতুন সংযোগ দেওয়া হবে।
২০১২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ মানুষ যাতে একসময়ের কষ্ট ভুলে না যায়, সে জন্য প্রতিদিন দুই ঘন্টা লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে ০৫-০৯-২০১২ তারিখ জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-দেশে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৮৩১৫ মেগাওয়াট। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিদ্যুতের দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা আট হাজার ৩১৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা রয়েছে বেসরকারি খাতের।
২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ছয় ধাপে বিদ্যুৎ বিল ঃ
ক্রমিক বিদ্যুতের নতুন ধাপ আরইবির দাম অন্য সব বিতরণ কোম্পানির দাম
১ ০-৭৫ ইউনিট ৩.৬৬ টাকা ৩.৩৩ টাকা
২ ৭৬-২০০ ইউনিট ৪.৩৭ টাকা ৪.৭৩ টাকা
৩ ২০১-৩০০ ইউনিট ৪.১০ টাকা ৪.৮৩ টাকা
৪ ৩০১-৪০০ ইউনিট ৭.১০ টাকা ৪.৯৩ টাকা
৫ ৪০১-৬০০ ইউনিট ৭.৪০ টাকা ৭.৯৮ টাকা
৬ ৬০০ ইউনিটের উর্ধ্বে ৯.৩৮ টাকা ৯.৩৮ টাকা
 এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাতবার বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। ২০১৪ সালের ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের মূল্য ব্ড়াানো হয়েছে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দারুণ সাফল্য স্বপ্লমেয়াদী প্রকল্পে-উৎপাদন ক্ষমতা ৮,২৭৫ মেগাওয়াট।
২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ আমরা এ পর্যন্ত ৩৮৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৪টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। সর্বোচ্চ ৬৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করেছি। বিদ্যুত উৎপাদনের ক্ষমতা ৮৫২৫ মেগাওয়াট এবং ৫২৮৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ২৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে। আমার প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর নিকট তবু কেন শীতের দিনেও লোডশেডিং করতে হয়।
২০১৩ সালের ২৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ খাতে গত চার বছরে ৮০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় ৬৪,০০০(চৌসট্টি হাজার) কোটি টাকা ব্যয় করা হয়।
২০১৩ সালের ২৯ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা ঃ বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিতদের তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয়। ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০০৯ সালে ছিল-৪,৯৪২ মেগাওয়াট এবং ২০১৩ সালের ২৮ মে পর্যন্ত ৮,৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। ২৮ লাখ ৪০ হাজার নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া হয়। বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।
২০১৩ সালের ৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সরকারের তথ্য বিবরণী-চার বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ। বিদ্যুৎ খাত ৬০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ-সুবিধা প্রাপ্তির আওতায় এসেছে। মাষ্টারপ্ল্যান প্রণীত হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে ২২  হাজার ৫০০ মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৯ হাজার মেগাওয়াট।
২০১৩ সালের ১৯ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আট হাজার ৬০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতের চিত্র ঃ ৬২% ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০১৩ সাল-৯৭১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা। ৯৩২২ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন। ২০০৯ সাল-৪৭% ভাগ মানুষ এ সুবিধা পেত। ৪৯৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা। ৭৯৯১ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ছিল। সূত্র ঃ পাওয়ার সেল, বিদ্যুৎ বিভাগ।
২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সন্ধ্যা ৬.০০ মিনিট। আলোক উৎসব এবং জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ উদ্বোধন। আলোক উৎসব-১০,০০০(দশ হাজার) মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ অর্থমন্ত্রী-আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন-আগামী গ্রীস্মে কোন লোডশেডিং হবে না ২০১৪ সালে।
২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা।
২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন ১১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে।
২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ফেব্রæয়ারিতে বিদ্যুত উৎপাদন ১১ হাজার মেগাওয়াট হবে।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন ঃ আর বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বাংলাদেশের সরকার বলেছে ৬২ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
২০১৪ সালের ১৬ জুলাই, প্রথম আলো : সাড়ে ১১ লাখ নতুন গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে-একনেকে প্রকল্প পাস।
২০১৪ সালের ২৩ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ : বিদ্যুতে বিপ্লব-৬ বছরে বেড়েছে ৫ হাজার ৩শ ৯৯ মেগাওয়াট। নতুন গ্রাহক হয়েছে ৩৪ লাখ। সঞ্চালন লাইন ১ হাজার ৩শ ৩১ কিলোমিটার-।
২০১৫ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন-আজ বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে হয়েছে-১৩ হাজার ২৮৬ মেগাওয়াট আর বিএনপির আমলে ছিল-৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। মানুষের গড় আয়ু ছিল-৬৬ বছর ৬ মাস আর এখন গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে-৭০ বছর ৩ মাস।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ, বাংলাদেশ প্রতিদিন : বিদ্যুতে সুখবর নেই। ৭ হাজার ৮৭৪ মেগাওয়াট। গত সোমবার ১৬-০৩-২০১৫ তারিখ ৫ হাজার ৫৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। সে হিসাবে এপ্রিলে দেশে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবুল মাল আবদুল মুহিত সাহেব আপনি বলেছেন ৮ ফেব্রæয়ারি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে-১৩ হাজার ২৮৬ মেগাওয়াট আর বিএনপি’র আমলে ছিল-৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট।
২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট, প্রথম আলো : উৎপাদন খরচ কমলেও দাম বাড়ল বিদ্যুত ও সব ধরনের গ্যাসের দাম বাড়ছে-প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন-দুই চুলা-৪৫০/-টাকা থেকে=৬৫০/-টাকা এবং এক চুলা-৪০০/- টাকা থেকে ৬০০/- টাকা মানে ৫০ ভাগ বাড়ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখ থেকে কার্যকর।
বিদ্যুতের দাম (টাকায়) গ্যাসের দাম (টাকায়)
ইউনিট বর্তমান হার বর্ধিত হার গ্রাহক শ্রেণি বর্তমান দাম বর্ধিত দাম
১-৫০ ইউনিট ৩.৩৩ টাকা ৩.৩৩ টাকা সিএনজি ৩০ টাকা ৩৫ টাকা
১-৭৫ ৩.৫৩ টাকা ৩.৮০ টাকা গৃহস্থালি এক চুলা ৪০০ টাকা ৬০০ টাকা
৭৬-২০০ ৫.০১ টাকা ৫.১৪ টাকা দুই চুলা ৪৫০ টাকা ৬৫০ টাকা
২০১-৩০০ ৫.১৯ টাকা ৫.৩৬ টাকা ৩০১-৪০০ টাকা ৫.৪২ টাকা ৫.৬৩ টাকা
৪০১-৬০০ ৮.৫১ টাকা ৮.৭০ টাকা ৬০১ বা তার বেশি ৯.৯৩ টাকা ৯.৯৮ টাকা
২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর, প্রথম আলো : আগামী ৫ বছরের মধ্যে সারা দেশের দেড় কোটি বিদ্যুৎ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের।
২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশের শততম বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন। সব প্রকল্প সময়মতো শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র-ব্যয় হবে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা বা (১ হাজার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার) ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি হবে ফেব্রæয়ারি। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র-প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রটি নির্মাণেরজন্য ঠিকাদার নির্বাচিত হয়েছে ভারত। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রটিতে ২০১৯ সালে উৎপাদন শুরু হতে পারে। এই কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ।
২০১৬ সালের ৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বর্তমানে পল্লী বিদ্যুয়াতন বোর্ডের আওতায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩৮ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন রয়েছে। আর গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি ৩৭ লাখ। দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে হলে ৪ লাখ ৪২ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন লাগবে। কিন্তু দ্বীপ, বনভ’মি, পাহাড়ি এলাকা, জলাভ’মি ও দুর্গম এলাকার কারণে ১২ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মাত্র ৬ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎ-এর বাইরে থাকবে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।
২০১৬ সালের ৯ জুন, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ-সংকটে ব্যাহত পদ্মা সেতুর কাজ। জাজিরা প্রান্তে দিনে ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চেয়ে সেতু বিভাগের চিঠি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রমতে, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। তবে প্রকৃতউৎপাদন সর্বোচ্চ ৮ হাজার ১৭৭ মেগাওয়াট। উৎপাদিত বিদ্যুতের একটা অংশ চলে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবহার ও সঞ্চালনে সিষ্টেম লসে।
২০১৬ সালের ৩০ জুন, মহাকাল ঃ বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ হয়েছে-৯ হাজার ৩৬ মেগাওয়াট।
১৯০৩ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব সরকারিভাবে উত্থাপন করা হয়।
১৯০৪ সালে চট্টগ্রাম বাকল্যান্ড পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন সমবায় ঋণদান সমিতি আইন প্রণয়ন করেন। ইংলিশ ফ্রেন্ডলি সোসাইটিজ এ্যাক্ট-১৭৯৩ অনুযায়ী প্রণীত হয় এই আইন। গ্রামীণ দরিদ্র উৎপাদক শ্রেণীর  সঞ্চয়, আত্মনির্ভরতার। ২০০৫ সালের ৩১ মার্চ, সমবায়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশে বর্তমানে ১ লাখ ৬২ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে-যার সদস্যসংখ্যা প্রায় ৮২ লাখ। সমবায় সমিতির প্রতি সদস্যকে একটি পরিবারের প্রতিনিধি ধরে নিলে দেখা যাবে দেশের ৪ কোটির বেশি মানুষ সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষও পরোক্ষভাবে জড়িত। তারপর থেকে ১৯ নভেম্বর, ২০১১ তারিখ ৪০তম সমবায় দিবসের উদ্ভোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বাংলাদেশে ১ লাখ ৭৭ হাজার সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা হচ্ছে-৯০ লাখ।
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর, ব্রিটিশরাজ বঙ্গভঙ্গের নির্দেশ জারি করে।
১৯০৫ সালের ১৬ জুলাই, খুলনা জেলার বাগেরহাটে প্রথম ব্রিটিশ পন্যদ্রব্য বর্জন আন্দোলন শুরু হয়।
১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর, ‘বঙ্গভঙ্গ’ কার্যকর হয়। ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, ‘বঙ্গভঙ্গ’ রদ হয়।
১৯০৬ সালে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৬ সালের ১ আগষ্ট, ভারতের দিল্লীতে হাকীম আবদুল মজীদ হামদর্দ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশেও ১৯৫৩ সালে হামদর্দ প্রতিষ্ঠা করা হয়। হামদর্দ বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আধুনিক  কারখানা চালু করেছে।
১৯০৬ সালের ২৫ নভেম্বর, নিখিল ভারত মুসলিম লীগেরও জন্মের আগে কলকাতায় ৫১ ওয়েলেসলি স্ট্রীটে নবাব বাহাদুর সৈয়দ আমীর হোসেনকে সভাপতি এবং মৌলভী সিরাজুল ইসলাম খান বাহাদুরকে সাধারণ সম্পাদক করে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধবাদীদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন ও লালন করার জন্য মোহামেডাল ভিজিলেন্স এসোসিয়েশন গঠন করা হয়।
১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ’র প্রাসাদে মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে ‘‘নিখিল ভারত মুসলিম লীগ’’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ সালেই সৈয়দ আমীর আলী নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯০৭ সালে নড়াইল জেলার অন্তর্গত লোহাগড়া উপজেলা রামনারায়ন পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৭ সালে মওলানা ভাসানী দেওবন্দ যান এবং সেখানে দু’বছর ছিলেন।
১৯০৭ সালে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠি হয়।
১৯০৮ সালের ১১ এপ্রিল, খুলনার স্কুলছাত্র বিপ্লবী ইন্দুভূষণ রায়ের নিক্ষিপ্ত বোমায় চন্দননগরের মেয়র নিহত হন।
১৯০৮ সালে মুন্সিগঞ্জ হরেন্দ্রলাল পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠি হয়।
১৯০৮ সালে বিক্রমপুরের ভাগ্যকুলের কুন্ডু জমিদারদের দ্বারা হরেন্দ্রনাথ পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত।
১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন সংস্কারের উদ্দেশ্যে আইনের এ সংশোধনী আনা হয়। ২০০৪ সালের ৭ ডিসেম্বর, প্রেসিডেন্ট রেজিস্ট্রেশন (সংশোধন) আইনে স্বাক্ষর করেন। ২০০৫ সালের ১ জুলাই, থেকে সম্পত্তির উত্তরাধিকারে শরীয়া বহাল এবং রেজিস্ট্রেশন আইন কার্যকর হচ্ছে।
১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ার তুঙ্গুঙ্কা এলাকায় উল্কাপিন্ডের সবচেয়ে মারাত্মক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। এখানে বিরাট একটি উল্কাপিন্ড পতিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ফলে চারপাশের কয়েক হাজার কি. মি. এলাকাজুড়ে গাছপালা উপড়ে পড়েছিল। ১৯৩৫ সালে আমাদের বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার ত্রিপুরা এলাকায় যে উল্কাপিন্ড পাওয়া গেছে, তার ওজন ৩৭.৩৫ কেজি। বাংলাদেশে পতিত উল্কাপিন্ডের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। তাছাড়া ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি, দিনাজপুর জেলার সিংপাড়া গ্রামে একটি উল্কাপিন্ড পতিত হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে দেশ-বিদেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। এ এবড়ো-খেবড়ো গঠনের উল্কাপিন্ডটির ওজন ২.৫ কেজি, দৈর্ঘ্য ১২.৫ সে. মি. ও প্রস্থ ১০ সে. মি.। এ উল্কাপিন্ডটি প্রচন্ড বেগে পতিত হওয়ার সময় গ্রামবাসী শোঁ শোঁ শব্দ শুনতে পায়। এটা মাটিতে পড়ে ২/৩ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে, একটি বড় আকৃতির একটি উল্কাপিন্ড পৃথিবীতে এসে পড়েছিল। বর্তমানে মেক্সিকোর ইউকাটান নামক অঞ্চলে। তাতে পৃথিবীর আবহাওয়া মন্ডলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই সাথে এ পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে অতিকায় বৃহত্তম প্রাণী ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটে। বড় আকৃতির উল্কার আয়তন কয়েক শত কি. মি. ও হতে পারে। এগুলো সাধারণত মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝামাঝি এলাকায় সূর্যের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে থাকে। উল্কাপিন্ডের অজানা কথা।
১৯০৯ সালের ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল), জব্বারের বলী খেলা সুরু হয়েছিল। রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো ঃ লালদীঘি মাঠে ৯৭তম (২০০৫ সালে) আবদুল জব্বারের বলী খেলায় দিদারুল আলম ও মমসিং ত্রিপুরা আবারো যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। এ দুই খেলোয়ার প্রায় ৪৪ মিনিটব্যাপী লড়াই করে কেউ কাউকে হারাতে না পারায় উভয়কে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন।
১৯১০ সালে নওগার পেয়ারী মোহন পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১০ সালে রাজশাহী বরেন্দ্র মিউজিয়াম রিসার্চ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১০ সাল থেকে বিদ্যুৎ আইন বলবৎ থাকলেও গ্যাস খাত পরিচালনার জন্য কোনো আইন নেই।
১৯১০ সালে লর্ড হার্ডিজ ভারতের নতুন ভাইসরয় হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
১৯১০ সালে নাটোর বরেন্দ্র যাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। এ দেশের প্রথম যাদুঘর। শরৎকুমার রায়, সঙ্গে নেন অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং রমাপ্রসাদ চন্দকে। ১৯১৬ সালে এই ভবনের ভিত্তি স্থাপন করেন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে যাদুঘরটি আত্তীকৃত হয়। ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এই জাদুঘরের দু¯প্রাপ্য পুরাকীর্তির সংগ্রহ।
১৯১০ সালে আমেরিকাতে সায়মন বন্ড নামের সিনেমাতে যে সুটকেস ব্যবহার হয়েছিল, সে ধরণের সুটকেস ঢাকার গুলশানে একটি দোকানে পাওয়া যায়।
১৯১০ সাল থেকে মানিকগঞ্জের বালিয়াটিতে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১০ সালে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন কুষ্টিয়া ছিল মহকুমা শহর, নদীয়া জেলার অধীন।
১৯১১ সালের ১৯ আগষ্ট, ইংরেজরা প্রতিষ্ঠা করে ঢাকা ক্লাভ।
১৯১১ সালে লালমনিরহাট পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১১ সালে কারখানা আইন নামক একটি শিল্প আইন পরিষদে পাস হয়।
১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, বঙ্গভঙ্গ আইন রদ হয় এবং ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে স্থানান্তর করা হয়।
১৯১২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার রূপসদী খানেপাড়ায় তীর্থবাসির বিল্ডিং তৈরী হয়।
১৯১২ সালে চট্টগ্রাম সমিতি কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সমিতি এখন ঢাকাতে কার্যক্রম চালায়।
১৯১২ সালে ফজলুল হক সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মহামেডান এডুকেশনাল অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১২ সালের ৬ ডিসেম্বর, রাজশাহী জেলার সারদায় অবিভক্ত বাংলার জন্য ‘পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ একাডেমী ‘‘বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী’’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৩ সালের ৭ আগষ্ট, ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি ছোট কক্ষে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা যাদুঘর।
১৯১৩ সালে ঢাকা মিউজিয়াম গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৪ সালে ফজলুল হক বাংলার মুসলমানদের নেতার ভূমিকা গ্রহণ করেন।
১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই, শুরু হলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১২ লাখ সেনা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু চমকপ্রদ তথ্য হলো, এ যুদ্ধের মাধ্যমেই বাঙালিরা নতুনভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান। আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে ১৯১৬ সালের ৭ আগস্ট গভর্নর লর্ড কারমাইকেল ঢাকা শহরে বাঙালিদের জন্য একটি পদাতিক রেজিমেন্টই পরে পরিচিতি পেল ‘৪৯তম বেঙ্গলি রেজিমেন্ট’ বা ‘বাঙালি পল্টন’ হিসেবে। নওশেরা ও করাচিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মেসোপটেমিয়া ও কুর্দিস্তানের রণাঙ্গনে যোগ দেয় দলটি। ১৯১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় প্রথম জনাসভাটি অনুষ্ঠিত হয় বিকেলে। এ সভা থেকে আহবান জানান ঢাকার নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ তরুণদের রেজিমেন্টে যোগ দেওয়ার আহবান জানালেন তিনি। ঢাকা শহরে ভর্তির জন্য দুটি বেসরকারি কেন্দ্রের ঘোষণা হলো-একটি শ্রীশচন্দ্র চ্যাটার্জি ও অন্যটি হাকিম হাবীবুর রহমানের বাসায়। ১৯১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, থেকে ঢাকা সেনানিবাসে সরকারিভাবে শুরু হল সেনা ভর্তিও কাজ। ১৯ অক্টোবর বাঙালি পল্টনে যোগ দিতে ঢাকা থেকে কলকাতায় রওনা হলো প্রথম দলটি। ১৯১৭ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, ঢাকা সদরঘাটে মুসলমানদের এক সভায় নবাব হাবিবুল্লহ ছিলেন বাঙালি পল্টনে যোগদানের ঘোষণা। ২৬ এপ্রিল পল্টনে যোগদানের জন্য করাচির উদ্দেশ্য রওনা হলেন তিনি। সেনাদের সাহায্যার্থে ঢাকাতে মহিলা সমিতি গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন ১৯১৭ সালের ৩ জুন। ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিবদমান দু-পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল। ২৭ নভেম্বর, সারা ঢাকায় ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হলো বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি। ২৯ নভেম্বর, ঢাকা পল্টন ময়দানে হলো আনন্দ উৎসব। এ আনন্দের আকর্ষণ ছিল সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ। শুধু কি তাই, যুদ্ধ শেষের আনন্দে ৩০ নভেম্বর, বড়িগঙ্গার পাড়ে আয়োজন করা হয় কাঙালি ভোজ। ২৭ ডিসেম্বর, বিকেলে নবাব হাবিবুল্লহ রেজিমেন্ট থেকে ফিরে এলেন ঢাকায়। ১৯২০ সালের ৩০ আগস্ট বন্ধ ঘোষণা করা হলো বেঙলি রেজিমেন্ট। বেঙলি রেজিমেন্টে অবিভক্ত বাংলা থেকে ৫,৯৫২ জন যোদ্ধা এবং ২৩১ জন ফলোয়ার্স যোগ দিয়েছিলেন।
১৯১৫ সালের ৪ মার্চ, হার্ডিজ্ঞ ব্রিজ অবিভক্ত ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিজ্ঞ ব্রিজটি উদ্¦োধন করেন। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মায় ১০০(একশত) বছর আগে উযদ্বোধন করা হার্ডিজ্ঞ ব্রিজ দিয়ে রেল চলছে। ভারতীয় টাকায় তখন খরচ হয়েছিল-৩ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ১৬৪ রুপি। এ ব্রিজ কুস্টিয়া-পাবনার সংযোগ স্থাপনকারী হার্ডিজ্ঞ ব্রিজ। স্থানীয় কৌতুক আছে এ ব্রিজ বানাইতে কত টাকার লোহা লাগছে। একজন আরেকজনকে বলছে যে-পুরোটা লোহা দিয়ে বানাইছে-কত বড় পুল-কত টাকার লোহা ৫০০/- টাকার লোহা লাগছে। ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট, প্রথম আলো : পরিদর্শনে হার্ডিজ ব্রিজ আরও ২৫ বছর টিকবে। এ ব্রিজ ২০৪০ সালের পর রাখা ঠিক হবে না।
১৯১৫ সালে রাজশাহী গুরুদাসপুর পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৭ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়া মাঠে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন। কথিত আছে, কোন এক ঈদের জামাতে এখানে এক লাখ ২৫ হাজার বা ‘সোয়ালাখ’ মুসল্লীর সমাগম ঘটেছিল; সে থেকে এ মাঠের নামকরণ ‘সোয়ালাখিয়া’ থেকে হয় ‘শোলাকিয়া’। গত ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রায় তিন লক্ষাধিক মুসল্লী শোলাকিয়ায় একসাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদুল আযহার ১১-০১-২০০৬ সালে ১৭৮তম জামাত হয়।
১৯১৭ সালের ১৪ এপ্রিল ছিল বাংলা ১৩২৪ সনের পয়লা বৈশাখ। কলকাতার গণ্যমান্য বাঙালি হিন্দু স¤প্রদায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ রাজার বিজয়ের জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে এ দিনটি উদযাপনের পরিকল্পনা নেয়। উৎসব হিসেবে বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। ১৯৬৪ সালে সর্বজনীনভাবে বাংলা নববর্ষের উৎসব ছায়ানটের উদ্যোগে ঢাকার রমনা বটমুলে শুরু হয়। দেশ স্বাধীন হবার পর নববর্ষ উৎসব জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলা ও ছোট শহরেও বাংলা নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়।
১৯১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম চেম্বারের জন্ম। বিশ্ব বাণিজ্য বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার চালু করেছে চট্টগ্রাম চেম্বার। ২০১৬ সালে একশত বছর পালন করেছে।
১৯১৭ সাল থেকে প্রথম ঢাকা নগরীকে পরিকল্পিতভাবে সাজানোর বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনোটিরই পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। সব পরিকল্পনা ও মহাপরিকল্পনা খাতাপত্রেই রয়ে গেছে; বরং সেটা করতে গিয়ে শত শত কোটি টাকা জলে গেছে। খ্যাতনামা নগরবিদ ড. নজরুল ইসলাম বলেন ১৯১৭ সালে প্রণীত স্যার প্যাট্রিক গেড্ডেসের নগর পরিকল্পনার কোনো কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানান। তাঁর সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে ঢাকা হয়ে উঠত সুন্দর সমৃদ্ধ এক শহর। এরপর ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনাও জোড়াতালি দিয়ে শেষ করা হয়। তবে প্রখ্যাত স্থপতি লুই কান ১৯৭৩ সালে দুই হাজার একর জমিজুড়ে দ্বিতীয় রাজধানীর পরিকল্পনা নেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হলে সে পরিকল্পনারও মৃত্যু ঘটে। ১৯৮০ সালে ঢাকার আরেকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও এর কোনো সুফল পায়নি ঢাকাবাসী। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে ২০ বছর মেয়াদি ঢাকা আরবান স্ট্রাকচার প্লান এবং ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা আরবান এরিয়া প্ল্যান হাতে নেয়া হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি এ মহাপকিল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫৯০ বর্গমাইল এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আমার মনে হয় এ প্রকল্পের কাজও শেষ হবে না।
১৯২৩ সালে মহানগরের পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থা চালুর পর গত প্রায় ৮৮ বছরে ঢাকায় স্থাপিত হয়েছে মাত্র ৬৩১ কিলোমিটার পয়োলাইন। অথচ নব্বইয়ের দশকের শুরুতে মেট্রোপলিটন এলাকা স¤প্রসারিত হওয়ার পর প্রায় তিন হাজার ১৫৫ কিলোমিটার পয়োলাইন স্থাপনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালে যতটুকু পয়োলাইন ছিল, এক যুগ পরও তাই রয়ে গেছে। সূত্র জানায়, এক যুক আগেও রাজধানীর মাত্র ৩০ শতাংশ অঞ্চলের পয়োবর্জ্য পাগলা শোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার লাইন ছিল। ঢাকা ওয়াসার হিসাবে এখনো তাই রয়েছে। ৭০ শতাংশ এলাকায় এখনো পয়োনিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই।
১৯৫৩ সালের দি টাউন ইমপ্রুভমেন্ট এ্যাক্টের ভিত্তিতে ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি)। তখন এর আয়তন ছিল ২২০ বর্গমাইল। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজধানী হিসেবে ঢাকার আয়তন বাড়ানো হয়।
১৯৬৩ সালের ৫ নভেম্বর, ঢাকা ওয়াসা যাত্রা শুরু করে ৩৩টি গভীর নলকুপ নিয়ে। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার নলকুপের সংখ্যা ৭০০-এর বেশি। বেসরকারি ও অন্যান্য মিলিয়ে আরও এক হাজার বা তারও বেশি নলকুপ রয়েছে। কয়েক বছর আগেও ২০০ ফুট গভীরতায় নলকুপে পানি পাওয়া যেত। এখন ৩৫০-৪৫০ ফুট গভীরতায় নলকুপও বাতিল করতে হচ্ছে। নতুল নলকুপ স্থাপিত হচ্ছে ৯০০-১০০০ ফুট গভীরতায়। এত গভীরে নলকুপ স্থাপনের অর্থ এ নয় যে বিরতিহীনভাবে অনন্তকাল ধরে গভীরতর স্তরে পানি পাওয়া যাবে। ইতিপূর্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ১৯৪৯ থেকে ঢাকা ওয়াসা দায়িত্ব নেওয়ার সময় পর্যন্ত ঢাকার পানি সরবরাহ করত। সেই ১৮৭৮ সাল থেকে ঢাকায় পরিস্ত্রু পানীয় জলের সরবরাহ যাত্রা শুরু করলেও তা চাহিদার সঙ্গে আজও পেরে ওঠেনি। ১৮৮১ সালে ঢাকায় যে ভয়াবহ কলেরা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে ঢাকার এক-চতুর্থাংশ লোকের মৃত্যু হয়েছিল। বাংলা লোক সংস্কৃতির অন্যতম পথিকৎ দীনেশ চন্দ্র সেনের লেখায় উল্লেখ আছে-বিশুদ্ধ জলের অভাবে ঢাকায় বারোমাস কলেরা লেগে থাকার কথা। খাওয়ার পানি ক্রমেই ব্যয়বহুল হবে।
২০০৩ সালের ৭ আগষ্টের রিপোর্ট ঃ গত ২৫(পঁচিশ) বছরে রাজধানী ঢাকায় পানির স্তর নেমেছে ৫৫(পঞ্চান্ন) ফুট নীচে। ১৯৬৬ সালে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ২৫(পঁচিশ) মিটার গভীর থেকে নলকুপে পানি উঠানো যেত। এখন সে স্তর নেমে প্রায় ১০০(একশত) মিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে ৪০০(চারিশত)-এর অধিক গভীর নলকুপ এবং ৪টি পানি শোধনাগারের মাধ্যমে প্রতিদিন ১.৫ দেড় কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে আসছে।
২০০৪ সালের ১২ এপ্রিল, নগরীতে পানি সংকট ঃ কার্যকর উদ্যোগ নেই। এছাড়া দৈনিক ২০০ কোটি লিটার পানি চাহিদার মুখে ওয়াসা বর্তমানে ১৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। ৫০ কোটি লিটার পানির ঘাটতির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
২০০৪ সালের ১২ এপ্রিল, ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশী জনসংখ্যা নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ঃ রাজধানীর বর্তমান লোকসংখ্যা ১.৪(এক কোটি চল্লিশ লাখ)। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকা মহানগরী। অথচ সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ লাখ লোকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এ রাজধানী শহরের। প্রতিদিন বাইরে থেকে ঢাকায় আসা যাওয়া করে প্রায় ৫ থেকে ১০ লাখ মানুষ। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা এ শহরের জনসংখ্যা ১৯৭১-এর স্বাধীনতার পরেও ছিল মাত্র ১২/১৩ লাখ। বর্তমানে যে হারে লোকসংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী ২০২০ সালে ঢাকার জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়ে ২.৫ আড়াই কোটি থেকে ৩ কোটিতে পৌঁছুবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একটি শহরের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ রাস্তাঘাট থাকা প্রয়োজন সেখানে আছে মাত্র ৮-ভাগ রাস্তা। ফলে যানজট এ শহরের নিত্যসঙ্গী। ঢাকার জনসংখ্যা অনুযায়ী ২০(বিশ) হাজারের স্থানে আছে মাত্র ৬/৭ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং প্রয়োজনীয় সাড়ে ৬০০শত গাড়ীর স্থলে মাত্র ১৫০টি গাড়ী  আছে। বাংলাদেশের যানবাহনের শতকরা প্রায় ৫৬ শতাংশ চলাচল করে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকায়। রাজধানীর নাগরিক সমস্যার এ জটিল চিত্র নিয়ে নাগরিক সুবিধা প্রদানের এক অসমযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন।
২০০৬ সালের ১ এপ্রিল, মিথুন কামাল ঃ রাজধানীতে পানির সমস্যা প্রকট ঃ ঘাটতির পরিমাণ ১শ’ কোটি লিটার।
২০০৬ সালের ৩ আগষ্ট, বিপর্যস্ত স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা ঃ ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে যেখানে স্যুয়ারেজ লাইন ছিল ৬৪০ কিলোমিটার সেখানে ২০০৪ সালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৮৯ কিলোমিটার। স্যুয়ারেজ সংযোগ ৬-বছরে বেড়েছে মাত্র ৪-হাজার ৯৯৭টি। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯৮ সালে ৪৪ হাজার, ২০০৩ সালে ৪৮ হাজার ৭৭৭ এবং ২০০৫ সালে পূর্বের ন্যায় সচল থাকে। প্রতিদিন নগরীতে ১০ লাখ ঘন মিটার পয়ঃ বর্জ্য উৎপাদিত হলেও পরিশোধন  করা সম্ভব মাত্র ৫০ হাজার ঘন মিটার। বর্তমানে বস্তি এলাকায় পয়ঃ নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নগরীতে দ্রুত গতিতে লোকসংখ্যা বাড়লেও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেই।
২০০৭ সালের ১২ মার্চ, রাজধানীতে খাবার পানির জন্য ২০ বছরে ব্যয় হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, অরূপ দত্তঃ শীতলক্ষ্যার পানি শোধনের অযোগ্য। রাজধানীর বিস্তীর্ণ এলাকায় পানিতে দুর্গন্ধ, ব্যবহারের অনুপযোগী, ছড়াচ্ছে পেটের পীড়া ও চর্মরোগ।
২০১০ সালের ২২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ নলকুপ ও দূষিত নদীর পানি একাকার। ঢাকা ওয়াসার মাত্র ১৩% নদীর পানি। ৮৭% নলকূপের। সমস্যা অভিন্ন সরবরাহ লাইন। তরল মৃত্যুফাঁদ। দূষণে দূষণে বুড়িগঙ্গার পানির রং পর্যন্ত বদলে গেছে। শোধনের অনুপযোগী সেই পানিই ওয়াসার পাইপ গলেপৌঁছে যাচ্ছে পাকস্থলীতে। বিপন্ন করে তুলছে মানুষের জীবন। কিছু মানুষের কারণে পুরো প্রাণিকুলের জন্য পানি হয়ে উঠছে তরল মৃত্যুফাঁদ।
২০১০ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় ওয়াসার পানিতে ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব। ২২ নমুনার মধ্যে ১৫ স্থানের পানিই বিএসটিআইয়ের মানদন্ডে উত্তীর্ণ হয়নি।
২০১১ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর তিন-চতুথাংশ পয়োনিস্কাশনের বাইরে। পয়োনিস্কাশন-ব্যবস্থা এক যুগ আগের অবস্থায়।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন ঃ উন্নত পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থাপনার সুবিধা পায় ৫৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী। আর ৮৩ শতাংশ জনগণের কাছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ পানির দাম বাড়াল ঢাকা ওয়াসা। ঢাকা ওয়াসা সূত্র জানায়, আগে বাসাবাড়িতে ব্যবহার করা প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ছিল ৭ টাকা ৭১ পয়সা। এখন তা করা হয়েছে ০১-০৯-২০১৫ তারিখ থেকে ৮ টাকা ৯০ পয়সা। বাসাবাড়িতে বাড়ানো হয়েছে ১.১৯ পূড়ণ ২=২.৩৮ পয়সা। আর কলকারখানা ও হোটেলসহ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ২৫ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৬ টাকা ৯৪ পয়সা করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে-১.২৮ পয়সা। রাজধানীর প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য প্রতিদিন ২৩০ কোটি লিটার পানির চাহিদা থাকলেও ঢাকা ওয়াসার উৎপাদন ক্ষমতা ২১০ কোটি লিটারের মতো। এর ৭৮ শতাংশ তোলা হয় গভীর নলকুপ দিয়ে, বাকিটা নদীর পানি।
২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ নতুন পানি শোধনাগার প্রকল্পের উদ্বোধন। ঢিল ছুড়ে উন্নয়নের গতি রোধ করা যাবে না ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-চীনের আর্থিক সহায়তায় ৩ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার যশলদিয়ায় পদ্মা পানি শোধন প্রকল্প(প্রথম পর্যায়) নির্মিত হবে। এখানে দৈনিক-৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহের জন্য প্রকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রকল্প শেষ হবে। উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন-আরও তিনটি ওয়াটার ট্র্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে।
১৯১৮ সালে ভাষার বিষযে রবীন্দ্রনাথ শান্তি নিকেতনে এক আলোচনা সভা ডাকেন। সভায় রবীন্দ্রনাথের ভাষা-চিন্তার বিপরীতে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঘোষণা করেন, বাঙলা, উর্দু ও হিন্দী তিনটি ভাষারই ভারতের জাতীয় ভাষা হবার যোগ্যতা রয়েছে।
১৯১৯ সালে মওলানা ভাসানী ৩৪ বছর বয়সে প্রকৃত রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
১৯২০ সালে ফজলুল হক হলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী। ১৯৩৭ সালে বাংলার তিনি প্রধানমন্ত্রী।
১৯২১ সালে কলকাতা শহরে নোয়াখালী সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। সমিতি এখন কার্যক্রম চালায় ঢাকাতে।
১৯২১ সালের ১০ মার্চ, নারায়নগঞ্জ শহরে প্রতিষ্ঠিত এই বোস কেবিনটি এখনো ৯ সনাতন পাল লেনে টিকে আছে। বোস কেবিনের সূচনা করেন-প্রতিষ্ঠাতা নৃপেন চন্দ্র বসু ওরফে ভুলু বাবু। ভুলু বাবুর বয়স তখন ২০ বছর যখন বোস কেবিন প্রতিষ্ঠা করেন। মারা যান ১৯৯৩ সালে। ১৯৩১ সালের ৭ নভেম্বর, গোয়ালনন্দ থেকে স্টিমারে করে নারায়নগঞ্জ নদীবন্দরে এসে নামলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। বোস কেবিন চা-পান করার জন্য তখন সেখানেই নেতাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। নেতাজি বললেন বোস কেবিনের চা পান করে যে, এমন চা জীবনে খুব কমই খেয়েছেন। এ বোস কেবিনে অনেক নামী-দামী ব্যক্তিরা চ-নাস্তা পান করেছেন এবং বোস কেবিনের সেই আড্ডাটা আজও আছে (১৩-০২-২০১২)।
১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ-বাংলার জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক মি. সি. এ. বেন্টলী তাঁর ‘ফেয়ারস এন্ড ফেস্টিভাল ইন বেঙ্গল’ গ্রন্থে (১৯২১) লিখেছিলেন, তখনই বাংলাদেশে ৭ হাজারের বেশি মেলা হতো যাতে ৫০০ থেকে ৫ লাখ লোকেরও সমাবেশ হতো এবং গ্রামবাংলায় নববর্ষের এ অন্যতম আকর্ষণ ছিল পল্লীমেলা। এসব মেলায় কত যে হস্তশিল্প, কারুশিল্প এবং কুটির শিল্প আসতো সে সম্বন্ধে ১৯২১ সালের মন্ত্যেবে।
১৯২১ সালের ১ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের ১ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-৯১ প্রতিষ্ঠার বছর। নারীর ক্ষমতায়নে উচ্চশিক্ষা এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উনার লেখার একটু অংশ এখানে তুলে ধরা হল-ইতিহাসে দেখা যায়, বাঙালি নারীরাও কখনো কখনো উচ্চশিক্ষা লাভ করে পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় আঠারো-উনিশ শতকের এমন তিনজন বিদুষী মহিলার কথা জানা যাচ্ছে। এঁদের মধ্যে হটু বিদ্যালঙ্কার (মৃত্যু-১৮১০) ও হটু বিদ্যালঙ্কার (১৭৭৫-১৮৭৫) সমধিক প্রসিদ্ধ। হটু ছিলেন বর্ধমানের এক পন্ডিতের কণ্যা। বিয়ের পরেও তিনি পিতৃগৃহে বাস করতেন, অল্পবয়সেই বিধবা হন। প্রথমে পিতার কাছে, পরে কাশীর পন্ডিতদের কাছে, ব্যাকরণ, স্মৃতি ও ন্যন্যায়ের শিক্ষা গ্রহণ শেষে তিনি নিজেই চতুস্পাঠী স্থাপন করে অধ্যাপনায় প্রবৃত্ত হন। কাশীতেও তিনি চতুস্পাঠী স্থাপন করে বহু ছাত্রকে পড়িয়েছিলেন। পুরুষ পন্ডিতদের মতো তিনিও দক্ষিণা নিতেন এবং পন্ডিতসভায় প্রকাশ্যে যোগ দিয়ে তর্কবিতর্কে অংশ নিতেন। হটুও বর্ধমানের মেয়ে, তবে চিরকুমারী। তাঁর প্রকৃত নাম রূপমঞ্জরী। ষোলো-সতেরো বছর বয়সে তিনি গুরুগৃহে বাস করে টোলের ছাত্রদের সঙ্গে পড়াশোনা করতেন। ব্যাকরণ, সাহিত্য ও চিকিৎসাশাস্ত্রে তাঁর ব্যুৎপত্তি ছিল। কাশীতে গিয়ে তিনি দন্ডীদের কাছে নানা শাস্ত্র অধ্যয়ন করেছিলেন। দেশে ফিরে তিনি মূলত চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষা দিতেন। তিনি পুরুষের মতো বেশভুষা করতেন, উত্তরীয় পরতেন এবং ব্রাহ্মণ পুরুষের মতো মুন্ডিতমস্তকে শিখা ধারণ করতেন। তৃতীয়জন দ্রবময়ী। তিনি কৃঞ্চনগরের সন্নিহিত এলাকার সন্তান এবং বাল্যবিধবা। পিতার টোলে তিনি ব্যাকরণ ও অভিধান অধ্যয়ন শেষ করে কাব্যালঙ্কার ও ন্যায়শাস্ত্র পড়েন। চোদ্দ বছর বয়সেই তিনি গভীর পান্ডিত্য অর্জন করেন এবং পিতার টোলে পুরুষ ছাত্রদের শিক্ষা দিতে শুরু করেন। তিনিও তর্কসভায় বিচার করতেন এবং অনর্গল সংস্কৃত বলতে পারতেন। উনিশ শতকের মধ্যভাগেও তিনি জীবিত ছিলেন।
১৯২২ সালের ৫ জানুয়ারি, কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশিত।
১৯২২ সালের ১৬ জানুয়ারি, বৃটিশ রাজরোষের ফলশ্রæতিতে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কুমিল্লায় গ্রেফতার হন।
১৯২২ সালের ২৫ জানুয়ারি, ফ্যাক্টরী আইন সংশোধন করে সপ্তাহে একদিন ছূটিসহ কাজের সময় ৬০-ঘন্টা নির্ধারণ।
১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারির, এ দিনে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা হাটে এক রক্তাক্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর স্বাধীনতা সংগ্রামে এ উপমহাদেশে এত লোক আর মারা য়ায়নি। এ সংগ্রামে কয়েক শ মানুষ ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে মারা যায়। মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশের নেতৃত্বে ঘটে। তাকে বলা হয় ঐতিহাসিক সলঙ্গা দিবস। আবার পত্রিকার খবর-দৈনিক জনকন্ঠ (২৭-১১-২০১২ তারিখ বলেছে-সরকারী হিসেবে সাড়ে চার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে।
১৯২২ সালের ১ মার্চ, পিরোজপুর, স্বরূপকাঠি, ইকুশগ্রাম সাম্মিলনী পাবলিক ইন্সটিটিউশন।
১৯২২ সালে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বই “যুগবানী’’ বৃটিশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯২২ সালে কাজী নজরুল ইসলাম ‘‘কারার ওই লৌহ কপাট’’  গানটি রচনা করেছিলেন।
১৯২২ সালের ২৩ নভেম্বর,রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন।
১৯২২ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চলে প্রথম কর আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। ফলে সেখানে করদাতাদের হয়রানির নানা বিষয় ছিল। পরবর্তী সময়ে তা ব্যাপক সংশোধন করে ১৯৮৪ সালে আয়কর আইন প্রণয়ন করা হয়। এরপর প্রতিবছরই আয়কর আইন সংশোধন হচ্ছে।
১৯২৩ সালের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট বা দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইনটি অন্যতম। এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল ঔপনিবেশিক শাসকদের শাসন-শোষণকাজের সুবিধার জন্য; করা হয়েছিল এমন এক যুগে, যখন জনগণকে মনে করা হতো প্রজা, রাষ্ট্রের মালিক নয়; যখন জনসাধারণের কাছে শাসকদের জবাবদিহির কোনো বালাই ছিল না। তারপর ভারত ভেঙ্গে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলো ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট, তারপর পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব অংশ (পূর্ব-পাকিস্তান)কে  ৯ মাসের মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কথায় ৩০(ত্রিশ) লক্ষ মা-বোনের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন-সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে সেই ঔপনিবেশিক যুগের গণবিরোধী আইনটি অবিকল একইভাবে বহাল রয়েছে। ৩০-০৬-২০০৯ তারিখ পর্যন্ত।
১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বরাজ দল গঠন করলে মওলানা ভাসানী কংগ্রেসের  ভেতর থেকে এ দলের পক্ষে জনমত তৈরীর কাজ করেন।
১৯২৩ সালে বেঙ্গল প্যাক্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯২৩ সালে শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন প্রণীত হয়।
১৯২৪ সালে মওলানা ভাসানী আসামের ভাসানচরে এক বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন।
১৯২৪ সালে নির্মিত বিশ্বখ্যাত রোলস রয়েস কোম্পানির একটি গাড়ী আগ্রহভরে দেখছেন ২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, গুলশান মাঠে অনুষ্ঠিত এফওয়ান অটো ফেয়ারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে. টমাস জুনিয়র। উল্লেখ্য, এ গাড়ীটির মালিক বিশিষ্ট শিল্পপতি আজিজ মুহাম্মদ ভাই। ২০০৪ সালে ফেয়ারে গাড়ীটির মূল্য ৩০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল।
১৯২৪-২৫ সাল থেকে নির্বাচন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ১৯৯০ সালের ৬ জুনের পর আর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি ০৯-১২-২০১১ তারিখ পর্যন্ত।
১৯২৪-২৫ সাল থেকেই মওলানা ভাসানী অধিকার আদায়ের জন্যে কৃষকদের সচেতন ও সংগঠিত করার কাজ শুরু করেন।
১৯২৫ সালে চট্টগ্রামে রেলওয়ের পানি সংকট নিরসনে ফয়’স লেকটি তৈরী করা হয়।
১৯২৫ সালে সি. আর. দাশের মৃত্যু হলে মওলানা ভাসানী কৃষক-প্রজা সাধারণের জমিদার-মহাজন বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে থাকেন।
১৯২৭ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঢাকা বিশ্বঃ জগন্নাথ হলে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
১৯২৮ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বিতাড়িত মওলানা ভাসানী আসামের বাঘমারার জঙ্গলে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
১৯২৮ সাল থেকে একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জ ও বোয়ালমারী সংবাদদাতা ঃ আরব দেশসমূহের সাথে সঙ্গতি রেখে চাঁদপুর ও ফরিদপুর জেলার ৪১টি গ্রামের মানুষ ও হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের প্রায় লক্ষাধিক অনুসারী । দীর্ঘ ৮৩ বছর যাবত তারা দেশের নিয়মের একদিন আগে ঈদ উদযাপন প্রথা চালু রেখেছে।
১৯২৯ সালে ভাসানচরের এক কৃষক-প্রজা সম্মেলন থেকে মওলানা জন্মভূমির বদলে কর্মভূমির পরিচয়ে ‘ভাসানী’ নামে খ্যাত হন।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল, ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে সূর্য সেনের নেতৃত্বে (সংখ্যায় ৬৪ জন) বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে। তাঁদের আন্দোলনে পুরো ভারতবর্ষ সাড়া ফেলে দেয়। বাংলায় সশস্ত্র সংগ্রাম তাঁদের মাধ্যমে শুরু হয়।
১৯৩০ সালে ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ী ছিল; রিক্সা ছিল না। ১৯৩৬-৩৭ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় প্রথম রিক্সা আনা হয়। গলির শেষ মাথায় লাগানো ছিল কেরোসিন বাতির ল্যা¤প পোষ্ট।
১৯৩০ সালে ঢাকা গেটের সামনে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
১৯৩১ সালের ১৪ আগস্ট, ইলা সেন ও মীরা দেবী নামে কুমিল্লার অস্টম শ্রেণীর দুই ছাত্রী ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী তৎপরতার অংশ হিসেবে কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট সিজি স্টিভেন্সকে গুলি করে হত্যা করে।
১৯৩১ সালে বড় ফকির আবিস্কৃত বিখ্যাত মহাস্থান ফলকটিকে কেউ কেউ আদি বাংলার ‘প্রাচীনতম’ নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।
১৯৩১ সালে ‘মাতুয়াইল পল্লী মঙ্গল সমিতি’ গঠিত হয়। মুষ্টিচালে মাতুয়াইলের মঙ্গল করা হত।
১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের মহানায়ক মাস্টার দ্য সূর্যসেনের ফাঁসি হয়।
২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের নায়ক ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাস্টারদা সূর্যসেনকে নিয়ে আশুতোষ গোয়াড়িকরের ছবি ‘খেলে হাম জি জান সে’। ছবির প্লট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার থেকে জালালাবাদের যুদ্ধে মাস্টারদা সূর্যসেন ও তাঁর নির্ভীক যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কাহিনী নিয়েই আমার এ ছবি।’ আশুতোষ শুরুতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশেই ছবির শুটিং করতে। তবে ১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম এবং ২০১০ সালের চট্টগ্রামের মধ্যে তো আকাশ-পাতাল ফারাক। তাই গোয়াতেই চট্টগ্রামের আবহ তৈরি করে কাজ করেন। যদিও ১৯৩০ সালের গ্রামের চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য আশুতোষ তাঁর দল নিয়ে কলকাতার গ্রাম, এমনকি বাংলাদেশেও ভ্রমণ করে গিয়েছিলেন। আবহসংগীতের জন্য স্টিফেন গোমেজকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের গ্রামের নানা রকম শব্দ (পাখি, বাঁশি, ফোক গান ইত্যাদি) ধারণ করে নিয়ে গেছেন। তবে সে আমলের গাড়ি, বন্দুক ও পোশাক খুঁজে পেতে ঘাম ঝরে গিয়েছিল পুরো ইউনিটের। এমনকি সূর্যসেনেরও তেমন কোনো ছবি পাননি আশুতোষের দল। যা দু-একটি পেয়েছিলেন, তাও সূর্যসেন গ্রেপ্তারের পর। সূর্যসেনকে নিয়ে বলিউডে সিনেমা।
১৯৩৪ সালে হবিগঞ্জ জেলার নাগুড়াতে উপমহাদেশের প্রথম গভীর পানির ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৩৬ সনে অনুষ্ঠিত এক সভায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট জেলায়।
১৯৩৬ সালে ভাওয়াল সন্নাসী মামলার রায় ঘোষণা।
১৯৩৬ সালে মুসলমানের জন্য বাংলা ভাষায় প্রথম দৈনিক পত্রিকা “আজাদ’’ প্রকাশিত হয়।
১৯৩৬ সালের মজুরি আইন বাংলাদেশে বর্তমানে বলবৎ আছে।
১৯৩৭ সালের ১৪ আগষ্ট, মিনিষ্ট্র অব ক্যালকাটার অধীনে ‘রাজশাহী ওয়াটার ওয়ার্কস’ নামে পানি সরবরাহ ও বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছিল দুই লাখ ৫৭ হাজার ২৮৫ টাকা। মহারানি হেমন্তকুমারী একাই ৬৫ হাজার টাকা দেন।
১৯৩৭ সালের ৬ ডিসেম্বর, মেঘনা নদীর উপর কিং ষষ্ঠ জর্জ ব্রীজ আশুগঞ্জ ও ভৈরব বাজারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
১৯৩৭ সালে ভারতবর্ষে প্রথম প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারপর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট ভারবর্ষ ভাগ হয়ে পাকিস্তান নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালে, তারপর ১৯৬২ সালের ২৮ এপ্রিল, তারপর ১৯৬৪ সালে এবং পূর্ব ও পশ্চিম মিলে যে পাকিস্তান নাম ছিল তার সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর। এ নির্বাচনে ৩১৩টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ১৬৭টি আসন আর পাকিস্তান পিপল’স পার্টি পায় ৮১টি আসন। পাকিস্তান সামরিক সরকার আওয়ামী লীগের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে তালবাহানা করতে লাগে। পাকিস্তান সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, রাত ১১টার সময় (অপারেশন সারচ্ছ লাইট) পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ জনতার ওপর আক্রমণ শুরু করে এবং অনেক নিরীহমানুষকে হত্যা করে। বাংলাদেশের আমলে বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ, প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, তৃতীয়বার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালের ৭ মে, ৪র্থবার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ, ৫ম বার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ৬ষ্ঠবার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রæয়ারি, ৭মবার অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ৮মবার অনুষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, ৯মবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। আর ১০মবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি।
১৯৩৮ সালের বীমা আইন অনুযায়ী বীমা শিল্পে দীর্ঘদিন ধরে ১৫ ও ১০ শতাংশ হারে এজেন্সি কমিশন প্রচলিত ছিল।
১৯৩৯ সালে জিন্নাহ তাঁর বিতর্কিত দ্বি-জাতি তত্ত¡ ঘোষণা করেন।
১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ বেতার স্থাপন করা হয়।
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ কায়েদে-এ-আযমের সভাপতিত্বে আয়োজিত মুসলিম লিগের অধিবেশনে ঐতিহাসিক পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করেন।
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, মুসলিম লীগের পাকিস্তান প্রস্তাব ভারতের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা নিয়ে একাধিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য শেরে-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক কর্তৃক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব গৃহীত।
১৯৪০ সালের ২৫ মার্চ, শেরে-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব মুসলিম লীগের সভায় গৃহীত হয়।
১৯৪০ সালের ১৯ জুলাই, প্রথম মোটরগাড়ি প্রদর্শনী হয় রমনার রেসকোর্সে নানা রঙে-ঢঙে সজ্জিত গাড়ি জড়ো হতে লাগল। লেডি হার্বাট এসে শো উদ্ভোধন করলেন। ঢাকার গণ্যমান্য যাঁদের গাড়ি আছে, তাঁদের অনেকেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। প্রায় কুড়িটি গাড়ি তাতে অংশ নেয়। লেডি হার্বাট ঘুরে দেখলেন সজ্জিত গাড়িগুলো। কিন্তু পুরান ঢাকার মির্জা আবদুল কাদের সর্দারের (একটি নতুন অস্টিন গাড়ি ছিল) গাড়িটিকেই তিনি বেছে নিলেন প্রথম পুরস্কারের জন্য।
১৯৪০ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ত্রিপুরার রাজা ধর্মমাণিক্য বাহাদুরের স্ত্রীর অবকাশকালীন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে কুমিল্লা শহরের ছোটরা মৌজায় তৎকাকালীন আধুনিক নির্মাণশৈলী নির্ভর এ বাড়িটি নির্মাণ করেন। স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজা ধর্মমাণিক্য রানীর কুঠিরের পাশে তার নামে ধর্মসাগর খনন করেন।
১৯৪০ সালের আইন এখনো ওষুধ প্রশাসনে বহাল রয়েছে। এ আইনে শাস্তি ও জরিমানা খুবই সীমিত। পরে ১৯৮২ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। তবে জাতীয় সংসদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অইনটি পাস হয়।
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনের সিদ্ধান্তে (রেজুলেশন) ভারতবিভক্তির কথা ছিল না। এই রেজুলেশনে ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিমপ্রধান এলাকা নিয়ে মুসলমানদের স্বাধীন বাসভূমি অখন্ড ভারতের মাঝে হওয়ার কথা বলা হয়েছে।’ যার মুখ্য রচয়িতা মুহম্মদ আলী জিন্নাহ হলেও মুসলিম লীগের সভায় উত্তাপক ছিলেন শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক। সে প্রস্তাবের মুল দাবি ছিল-ভারতের উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। ১৯৪০ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেছিলেন, ‘টাইম অ্যান্ড টাইড’ পত্রিকায় ১৯ জানুয়ারি,  ১৯৪৬ সালে এই সাক্ষাৎকারটি ছাপে। কনফেডারেশন নিয়ে পুরনো কাসুন্দি : পাক-বাংলা-ভারত উপমহাদেশের ‘কনফেডারেশন’ বিষয়টি এমন একটি ঢেঁকুর। অবশ্য এ আলোচনা গত ৬৮ বছর ধরেই চলছে। শ্রী কুলকার্নি প্রশ্ন করেছেন, ‘কেন ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান হলো? পরবর্তীকালে বাংলাদেশ কেন পাকিস্তান ছাড়ল? এমন বহু প্রশ্ন আর এর জবাব ও দিয়েছেন তিনি।
একটি সত্য তিনি বলেছেন, ‘ভারতবিভক্তির জন্য শুধু কায়েদে আযম দায়ী নন; বরং দায়ী জওহরলাল নেহরু ও বল্লভভাই প্যাটেল। আর মহাত্মা গান্ধী তাদের সমর্থন করেছেন।’ কেন জিন্নাহ শেষের দিকে পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য অনড় হলেন তার দ্বিজাতিতত্তে¡র মাঝ দিয়ে? ‘অথচ তিনি সারা জীবন অখন্ড ভারতের পক্ষে ছিলেন। তিনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ, যিনি মুসলিম লীগ ও ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি একসাথে ছিলেন এবং হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের দূতহিসেবে পরিগণিত হতেন।’ সরোজিনি নাইডু এ উপাধি তাকে দিয়েছিলেন।
কুলকার্নি কেন মনে করলেন, জিন্নাহ অখন্ড ভারত এবং কনফেডারেশনের পক্ষে ছিলেন? নিজের বক্তব্যে এর জবাব তিনি উল্লেখ করেছেন-১৯৪০ সালের মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনের সিদ্ধান্তে(রেজুলেশন) ভারতবিভক্তির কথা ছিল না। এই রেজুলেশনে ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিমপ্রধান এলাকা নিয়ে মুসলমানদের স্বাধীন বাসভূমি অখন্ড ভারতের মাঝে হওয়ার কথা বলা হয়েছে।’ কুলকার্নি দাবি করেছেন, জিন্নাহ এই রেজুলেশন পাসের দুই মাস আগেও হিন্দু-মুসলমানের সাধারণ(কমন) মাতৃভূমি বলে লন্ডনের ‘টাইম অ্যান্ড টাইড’ পত্রিকায় ১৯ জানুয়ারি, ১৯৪০ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেছিলেন।
জিন্নাহ ভারতবিভক্তি চাননি, জিন্নাহ মনে করেন, স্বাধীন পাকিস্তান ভারতের কনফেডারেশনের অংশ হবে।’ এবং এ বক্তব্যকে ‘ক্যারিকেচার করে হিন্দু সংবাদমাধ্যম লীগের দাবিকে ভারত বিভাগ বলে প্রচার করত।
কুলকার্নি বলেন, ‘জিন্নাহকে তার দাবি(দ্বিজাতিতত্তে¡র ভিত্তিতে মুসলমানদের স্বতন্ত্র স্বাধীন এলাকা) থেকে সরে আসার জন্য গান্ধী ১৯৪৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, ও ২৭ সেপ্টেম্বরের মাঝে ১৪ বার দেখা করেন এবং ২৪টি পত্র দেন। সেখানে ভারত বিভক্ত আন্দোলন না করে প্রথমে বিদেশী শক্তিকে তাড়ানোর ওপর জোর দেন।’ কুলকার্নি গান্ধীর অনেক চিঠির কিছু অংশের উদ্ধৃতি দিলেও জিন্নাহর জবাবের মাত্র একটি উদ্ধাতাংশ দেন। সেখানে জিন্নাহ বলেছেন, ‘বিদেশী তাড়ানোর আন্দোলনের আগে হিন্দু-মুসলমান সামস্যার সমাধান করতে হবে, যদি স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে হয়। কুলকার্নি গান্ধীর সাথে সুর মিলিয়ে লেখেন, ‘এটা একটা অ্যাবসার্ড দাবি। দ্বিজাতিতত্তে¡র নিন্দা করে গান্ধীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘জিন্নাহ যদি মনে করেন হিন্দু ও মুসলমানেরা দু’টি জাতি, তাহলে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রে হিন্দু জাতির কী হবে?’’ তিনি ভারতে মুসলমানদের কী অবস্থা হবে তা নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
জিন্নাহ কেন পাকিস্তান চাইলেন? টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রশ্নের জবাবে এর বিশ্লেষণ তিনি দেন। টাইম ১৯৪৬ সালে এই সাক্ষাৎকারটি ছাপে। টাইম ম্যাগাজিন জিজ্ঞেস করে-আপনি(জিন্নাহ) খাঁটি মুসলমান নন(কেননা তিনি মদ খেতেন, দাড়ি রাখেননি), তবে কেন মুসলমানের জন্য পৃথক বাসভূমি চাইছেন? জিন্নাহ জবাবে গান্ধী-নেহরু-প্যাটেলের সাথেএক ভোজন অনুষ্ঠানের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি তাদের (গান্ধী-নেহরু-প্যাটেল) জিজ্ঞেস করলাম, মুসলমানদের শাসনব্যবস্থায় কেমন অংশীদারিত্ব থাকবে। ইংরেজরা মুসলমানদের কাছ থেকেই এ দেশের শাসনব্যবস্থা কেড়ে নেয়। এ ছাড়া মুসলমানেরা দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যা-তারা এর জবাবে নিশ্চুপ থাকলেন। একই প্রশ্ন তিনবার পূনরাবৃত্তি করলেও তারা নিশ্চুপ রইলেন। তখনই বুঝতে পারলাম, তারা মুসলমানদের ক্ষমতার কোনো অংশ দিতে রাজি নয়। মুসলমানেরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হওয়ার কারণে কোনো দিনইএই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতার অংশ পাবে না। আমি তখনই পাকিস্তান দাবির সাথে একাত্মতা অনুভব করলাম।’ পাকিস্তান দাবির আসল জনক কবি ইকবাল। জিন্নাহর পাকিস্তান দাবিতে অনড় হওয়ার জন্য এটি একটি চমৎকার বিশ্লেষণ। বিশেষ করে বিভিন্ন আলোচনায় জিন্নাহ ছাড় দিলেও নেহরু তাঁর নীতিতে ছিলেন অটল।
নেহরু ছিলেন কেন্দ্রে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পক্ষে। কিন্তু জিন্নাহ ফেডারেল ব্যবস্থায় বিশ্বাসী ছিলেন। কেন্দ্রীয় ক্ষমতার বলয়ে মুসলমানেরা তথাকথিত গণতান্ত্রিক পন্থায় কোনো দিনই ঢুকতে পারত না। কারণ, তারা সংখ্যালঘিষ্ঠ। ‘ভারত বিভক্তির জন্য ভারতীয় নেতা ও পত্রপত্রিকা জিন্নাহকে পুরোপুরি দোষারোপ করলেও-এটা সত্য নয়।’ দি সার্চ ফর দি ভিলেন অব পার্টিশন ডিভাইডস ইন্ডিয়া’ প্রবন্ধে(লন্ডনের গার্ডিয়ানে ১৮ আগষ্ট, ২০০৯ প্রকাশিত) অ্যান্ডু বানকমবে এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, এর দায়িত্ব প্রধানত নেহরু ও প্যাটেলের। তারা যদি ক্যাবিনেট মিশনের প্রথম ফর্মুলা মেনে নিতেন, তাহলে ভারত বিভক্তির প্রয়োজন হতো না। ১৯৪৬ সালের ১৬ মে, ক্যাবিনেট মিশন অষন্ড ভারতে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ ঠিক করার একটি ফর্মুলা দেয়। এতে লুজ কনফেডারেশনের ইঈিত থাকে। জিন্নাহ এই প্রস্তাব মানলেও, নেহরু তা প্রত্যাখান করেন। এরপর ১৬ জুন ক্যাবিনেট মিশন ভারত বিভক্তির প্রস্তাব দেয়। জিন্নাহ দু’টি প্রস্তাব মেনে নেন এ জন্য যে, এতে মুসলমানদের স্বার্থরক্ষার বিষয় ছিল। কংগ্রেস প্রথম প্রস্তাবের প্রদেশগুলোর স্বায়ত্তশাসন অধিকার বাদ দিয়ে কেন্দ্রশাসিত ভারতের দাবি তোলে এবং ‘‘কুইট ইন্ডিয়া’’ নামে হিংসাত্মক আন্দোলনের সূত্রপাত করে।
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ যশোবন্ত সিং তার ‘‘জিন্নাহ :ইন্ডিয়া-পার্টিশন-ইন্ডিপেন্ডেন্স’’ বইতে বলেছেন ‘নেহরু-প্যাটেল যদি ক্যাবিনেট মিশনের প্রথমপ্রস্তাব মেনে নিতেন তাহলে ভারত বিভক্ত হতো না। কিন্তু তাঁরা ছিলেন অনমনীয়।’
‘ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম’ বইতে মওলানা আবুল কালাম আজাদও (ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী) একই মন্তব্য করেছেন। তিনি নেহরু প্যাটেলকে দেশ বিভাজনের জন্য দায়ী করেন।
ভারত-পাকিস্তান স্বাধীনতার প্রাক্কালে (১৯৪৭) যে দাঙ্গা ও রক্তবন্যা বইয়ে দেয়া হয়, তা-ও ছিল নেহরু-প্যাটেলের অনমনীয় দাবির ফসল। এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মূলত কেন্দ্রীভ’ত ছিল পাঞ্জাব ও বাংলায়। জিন্নাহর পাকিস্তান দাবীতে এ দুটি প্রদেশ বিভক্ত করারা বিরোধিতা করা হয়। যদি এ বিভক্তি না হতো, তাহলে যে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়, সামান্য ঘটনাগুলো থেকে তা হতো না এবং অন্তত ১০ লাল মানুষের জীবন বেঁচে যেত। দেড় কোটি লোক গৃহহীন হতো না। নেহরু-মাউন্টব্যাটেন এ দুটি প্রদেশকে ভাঙার কাজটি করেন। এর ফলে ইতিহাসের সর্ববৃহত দেশান্তর ঘটে এবং সাথে সাথে ঘটে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা।
আসলে সত্য কথা কেউ বলতে পারছে না। যেমন সামান্য সত্য বলার জন্য যশোবন্ত সিংকে বিজেপি থেকে বের করে দেয়া হয়। আবার ভিজিটর বইতে এল কে আদভানি ‘জিন্নাহ হিন্দু-মুসলিম’ মিলনের দূত’ বলার জন্য পার্টিও পদ হারান। ভারত বিভাগ ও নেহরুর অনেক ইচ্ছার রূপায়ণে যে নারীর সবচেয়ে বেশি অবদান, তিনি হলেনতৎকালীন ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের স্ত্রী এডউইনা। নিশিদ হাজারি তার বইতেও এর রেফারেন্স দিয়েছেন। অবশ্য মাউন্টব্যাটেনের কন্যা পামেলা পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার মায়ের সাথে নেহরুর গভীর সখ্য ছিল, তবে তা ছিল নিস্কাম ভালোবাসা। অবশ্য অনেক গবেষক এ বক্তব্য মানতে চাননি। মাউন্টব্যাটেন-এডউইনার স্কুলবন্ধু ছিলেন নেহরু। ফলে তাদের রাজনৈতিক মূল্যায়নেও এর প্রভাব পড়ে। যখন কাশ্মির পাকিস্তান প্রায় দখল করে নিচ্ছিল, তখন নেহরুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাউন্টব্যাটেন তাকে জাতিসংঘে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আর পাকিস্তানকে সৈন্য পাঠানো থেকে বিরত রাখেন, যদিও নেহরু সেখানে সৈন্য পাঠিয়েছিলেন। এ ধারণাটি দিয়েছিলেন এডউইনা। অথচ তখন দেয়া গণভোটের প্রস্তাব জাতিসংঘের দপ্তরে ৬৭ বছর পর এখনো ঝুলে আছে।
হাজারি এবং বহু লেখক প্রায়ই একই কথা বলেছেন, কনফেডরেশন হলে লাভবান হবে ভারত। তাহলে কেন বিভক্তির জন্য তারা সাড়া দিয়েছিল? একটি একটি জবাব হলো, তৎকালীন প্রাদেশিক নির্বাচনগুলোতে (যা ছিল সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ) মুসলমানদের স্বতন্ত বাসভূমির প্রতি যে ইচ্ছা তার সম্যক প্রকাশ ঘটে। আর অন্য পক্ষের উসকানিতে রক্তক্ষয় হওয়ার কারণে তাদের স্বার্থের জন্য কী করণীয় তা স্পষ্টত প্রকাশ পায়। যেমন হিন্দু মহাসভার নেতা শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি (যার সাথে ফজলুল হক মন্ত্রিসভাও গঠন করেছিলেন) পাকিস্তানের তীব্র নিন্দা করে হুমকি দিয়েছিলেন-হিন্দুরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে এর বিরোদিতা করবে। এরপরই দাঙ্গা শুরু হয়।
সম্প্রতি পাকিস্তান ও ভারতের কয়েকটি টিভি টকশোতে এই কনফেডারেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বভাবতই দুই দেশের বক্তব্য দুই রকম হয়েছে। ভারতীয় টকশোর মূল বক্তব্য হলো, ‘এটা (কনফেডারেশন) হলে জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে।’ পাকিস্তানের টকশোতে ভারতের বিরামহীন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার হিসাব তুলে ধরা হয় (প্রতিদিন অন্তত একটি) এবং মুসলমানেরা (২৫% হওয়া সত্তে¡ও) কোনো অংশদারিত্বে নেই, বরং কৌশলে সব সুবিধা নিয়ে নিচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এর মাঝে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারত অন্তত চারটি পথ দিয়ে পূর্বাঞ্চলে যাওয়ার অনুমতি পেলেও বাংলাদেশ তেমন কোনো সুবিধা পায়নি। টকশোতে বলা হয়, জিন্নাহ একটি করিডোর দাবি করেছিলেন, কিন্তু নেহরু তা নাচক করে দেন।
১৯৪১ সালে ভারতবর্ষের আদমশুমারি অনুযায়ী পাঞ্জাব আর বাংলার মুসলিম গরিষ্ঠ জেলাসমূহ ঃ মৌলানা আবুল কালাম আজাদ-ভারত স্বাধীন হল ঃ এ বইয়ে ১৮৬ পৃষ্ঠায় দেখা যেতে পারে ঃ ১. পাঞ্জাব ঃ লাহোর বিভাগ-গুজরানওয়ালা, গুরুদাসপুর, লাহোর, শেখপুরা ও শিয়ালকোট।
রাওয়ালপিন্ডি বিভাগ ঃ আটক, গুজরাট, ঝিলাম, মিয়াঁওয়ালী, রাওয়ালপিন্ডি, শালপুর।
মুলতান বিভাগ ঃ ডেরা গাজী খাঁ, ঝং, লায়ালপুর, মন্টগোমারি, মুলতান, মুজফফর গড়।
(২) বাংলা ঃ চট্টগ্রাম বিভাগ-চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, ত্রিপুরা।
ঢাকা বিভাগ-বাখরগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ।
প্রেসিডেন্সি বিভাগ-যশোর, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া।
রাজশাহী বিভাগ-বগুড়া, দিনাজপুর, মালদহ, পাবনা, রাজশাহী, রংপুর।
১৯৪১ সালে প্রথম ইজতেমা দিল্লির নিজামউদ্দীন মসজিদের ছোট এলাকা মেওয়াতের নুহ মাদ্রাসায় আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় ২৫ হাজার তাবলিগ দ্বীনদার মুসলমান অংশ নেন। এভাবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে মেওয়াতের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কিছু মানুষের কাছে দ্বীনের কথা প্রচারের মধ্য দিয়ে তাবলিগ জামাতের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে ঢাকার পার্কসংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামে, ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৬ সালে ইজতেমা টঙ্গীর পাগার গ্রামের খোলা মাঠে আয়োজন করা হয়। ১৯৬৭ সাল থেকে বর্তমান অবধি (২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে) ‘বিশ্ব ইজতেমা’ টঙ্গীর শহর দরিয়াখ্যাত তুরাগ নদের উত্তর-পূর্ব তীরসংলগ্ন ডোবা-নালা, উঁচু-নিচু মিলিয়ে রাজউকের হুকুমদখলকৃত ১৬০ একর জায়গার বিশাল খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সরকার রাজউকের ১৬০-একর ভূমি বিশ্ব ইজতেমার জন্য অস্থায়ীভাবে বরাদ্দ করলে এটি স্থায়ী ইজতেমার মাঠে রূপ নেয়। বিশ্বের ৫০ থেকে ৫৫টি দেশের লোক আসে। প্রতিবছর এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৭০০ জামাত বিশ্ব ইজতেমা থেকে দেশে-বিদেশে এক চিল্লা-৪০ দিন, তিন চিল্লা-চার মাস, ছয় মাস ও এক বছরের জন্য আল্লাহর দ্বীনের তাবলিগ ও দাওয়াতের জন্য বের হয়। (১৮৮৫ সালে বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও সাধক হজরত মাওলানা ইলিয়াস আখতার কান্ধলভির জন্ম, মৃত্যু-১৯৪৪ সালে। দাওয়াতে তাবলিগ জামাতের পুনর্জাগরণ করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী দিল্লির দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এক জনবিরল নীরব অঞ্চল ‘মেওয়াত’। চারিত্রিক বিপর্যস্ত ধর্মকর্মহীন, অশিক্ষিত ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন নামেমাত্র মুসলমান  ‘মেও’ জনগোষ্ঠীকে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস, ধর্মেও পূণাঙ্গ অনুশীলন ও কালেমার দাওয়াতি মর্ম শিক্ষাদান এবং বিভ্রান্তির কবল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে হজরত মাওলানা ইলিয়াস(রা.) তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম শুরু করেন।)
১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর, সপ্তাহে ১৫ মিনিটের বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারের মধ্য দিয়ে বিবিসি বাংলা বিভাগের অভিযাত্রা শুরু হয়। বিবিসি বর্তমানে ১১ অক্টোবর, ২০১১ সালে এক কোটি ৩০ লাখ নিয়মিত শ্রোতা সকালে প্রভাতি ও প্রত্যুষা এবং সন্ধ্যায় প্রবাহ ও রাতে পরিক্রমা-বিবিসি বাংলার এই চারটি অধিবেশনে।
১৯৪২ সালের ১০ জুলাই, দুরারোগ্য ব্যাধিতে কাজী নজরুল ইসলাম বাকরুদ্ধ হন।
১৯৪২ সালে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আসামের বাঙ্গালিরা লাইন প্রথা ভঙ্গ করে।
১৯৪২ সালে কিশোরগঞ্জ শহরে জামে মসজিদের সম্মুখে হিন্দুদের পুজা উৎসবে গানবাজনাকে কেন্দ্র করে যে দাঙ্গা হয় তাতে পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজনের মৃত্যু হয়।
১৯৪৩ সনের দুর্ভিক্ষে সোনার বাংলার ত্রিশ/চল্লিশ লাখ লোক নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলো। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এর আগে ১১৭৬ সনের (বাংলা ক্যালেন্ডার) দুর্ভিক্ষে বাংলার অর্ধেক কৃষক মারা যায়। মানুষের ভয়ে মানুষ বনে জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। তবু পাকিস্তান আমলে এদেশের ব্যাপক মানুষের এই বিশ্বাস ছিলো যে পাকিস্তানে সম্পদ পাচার হতো বলেই  বৈষম্য ও সম্পদ পাচার মিথ্যা ছিলোনা। বৈষম্য বিরোধী ৬-দফা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সূচনা। অতঃপর ১৯৭১ সনের ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পরাজয় ও আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। এখন ফলে অতীতের বৈষম্য প্রচন্ড প্রতাপে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। বৈষম্য সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন ‘দেশের জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ মানুষ পঁচানব্বই ভাগ সম্পদের মালিক আর পঁচানব্বই শতাংশ মানুষ মাত্র পাঁচ ভাগ সম্পদের মালিক। এই বৈষম্যের এক প্রান্তের পঁচানব্বই শতাংশ হলেন শ্রমিক-মজুর-কৃষকসহ শ্রমজীবী কর্মজীবী জনসাধারণ।
১৯৪৭ সালের ২৭ এপ্রিল, সোহরাওয়ার্দী অখন্ড স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা পেশ করেন।
১৯৪৭ সালে যখন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাস করে, তখন জাতিসংঘের মোট সদস্য রাষ্ট্র ছিল ৫১টি।
১৯৪৭ সালের ৭ জুলাই, পাকিস্তান ইস্যুর উপর সিলেটে দু’দিনব্যাপী গণভোট শেষ হয়।
১৯৪৭ সালের আগষ্ট, মওলানা ভাসানী গ্রেফতার হন এবং পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসেও তিনি আসামের কারাগারে ছিলেন।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট, পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সালের ১৬ আগষ্ট, কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক দেশ’ পত্রিকায় ‘স্বাধীন ভারত’ সংখ্যায় লেখা হয়েছিল ঃ ১৫ আগষ্টের উৎসব আমাদিগকে সেই আশাতেই উদ্দীপ্ত করিয়াছে যে, ভারত আবার এক হবে। …আমরা পারস্পরিক মিলনের সেই শুভদিন গুনিতে থাকব। নতুবা আমাদের শান্তি নাই, তৃপ্তি নাই এবং নিবৃত্তি নাই। অখন্ড ভারতের আদর্শ আমরা ভুলিতে পারি না, তাহা আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়াইয়া গিয়েছে। সে আদর্শ ভুলিলে আমরা বাঁচিব না। চব্বিশ পরগনার একটি মেয়ে, কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এম. এ. ক্লাশের ছাত্রী রাজিয়া সুলতানা। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ১৯৮২ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি, তারিখ শুক্রবারের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার একটা খবর দেখিয়েছিলেন। খবরটা এই যে, ১৯৬৫ সালের ১৬ জুন, তারিখ বুধবার ভারত সরকারের যে এক গোপন সরকারী নির্দেশ জারি করা হল-সে অনুসারে পূর্ব-পাকিস্তানের সমস্ত সংখ্যালঘুকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। (২০০৪ সালের ১১ নভেম্বরের ইনকিলাব পত্রিকার বৃহস্পতিবার, ঢাকা, ঈদ সংখ্যা-২০০৪-থেকে লেখা)।
১৯৪৭ সালের ১৭ আগষ্ট, পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর ‘ইস্কান্দার মির্জা’ ছিলেন।
১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর, প্রতিষ্ঠিত হয় এ অঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিস’। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ নামে একটি  পুস্তিকা প্রকাশ করে। এতে যাদের লেখা ছিল তারা হলেন-অধ্যক্ষ আবুল কাসেম, প্রফেসর কাজী মোতাহার হোসেন ও সাহিত্যিক সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ।
১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশ করে বাংলা ভাষার দাবীতে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
১৯৪৭ সালে ঢাকা হাইকোর্ট জাজেস গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সালের আগ পর্যন্ত পূর্ব বাংলায় ৩৩৫টি বেসরকারি গণগ্রন্থাগার লক্ষ করা যায়।
১৯৪৭ সালে রাজশাহী বিভাগীয় অফিস গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ১৮টি বিশেষ গ্রন্থাগার দেখতে পাওয়া যায়।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পূর্ব-বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশে) বেকার লোকের সংখ্যা ছিল ২.৯৫(দুই লক্ষ পঁচানব্বই হাজার)। ১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাইয়ের তথ্য-বর্তমানে বাংলাদেশে ৪.৫(চার কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) লোক কোন না কোনভাবে বেকার। ২০০৭ সালের রিপোর্ট হলো-বাংলাদেশে প্রায় ৫.৫(সাড়ে পাঁচ কোটি) লোক কোন না কোনভাবে বেকার।
১৯৪৭ সালে বাংলাদেশের ২৪ ভাগ বনাঞ্চল ছিল এবং তা থেকে কমে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ১৬ ভাগ বনের পরিমাণ ছিল। ২০০৭ সালে আছে মাত্র ৯ ভাগ কিন্তু প্রয়োজন শতকরা ২৫ ভাগ। বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর স্থলভাগের শতকরা ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন।
১৯৬২ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান মধুপুর বনকে জাতীয় উদ্যানে পরিণত করেন।
২০০৪ সালের ৩১ মে, বৃক্ষমেলা উদ্ভোধনকালে ২০১৫ সালের মধ্যে বনাঞ্চল ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে। বনমন্ত্রী-তরিকুল ইসলাম বলেছেন। আমি বলি বনাঞ্চল ১০ ভাগে উন্নীত করবে না।
২০০৬ সালের ৫ জুলাই, সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদে মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম দেশে সংরক্ষিত বন এলাকা ৯১,৩৮১ একর। এরমধ্যে কৃষি উপযোগী কোন জমি নেই। এ বনভূমি চট্টগ্রামের কুমিরা, পাহাড়তলী, সাতকানিয়া, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী, কক্সবাজার, নোয়াখালী, নীলফামারী, নওগাঁ জেলায় রয়েছে। সমগ্র দেশে বিভিন্ন শ্রেণীর বনাঞ্চলের পরিমাণ ২.৫৩ মিলিয়ন হেক্টর যা দেশের মোট আয়তনের শতকরা ১৭.৫০ ভাগ। এরমধ্যে বন বিভাগের সরাসরি আওতায় বনভূমির পরিমাণ ১.৫২ মিলিয়ন হেক্টর। যা মোট বনভমির পরিমাণ ১০.৩০ ভাগ।
২০১০ সালের ১৮ মে, প্রথম আলো ঃ ২৭ জেলার ১৫ লাখ একর বনভূমিকে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের বন আইনের ২০ ধারার বিধানমতে দ্রুত গেজেট নোটিফিকেশন জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৭ জেলার নাম-ঢাকা, গাজীপুর, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়।
১৯৯৫ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫-এর আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পলিথিন ব্যাগ যখন নিষিদ্ধ হয় ঃ পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে সরকার ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে  রাজধানী ঢাকায় এবং একই বছরের ১ মার্চ থেকে সারা দেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
১৯৯৫ সালে প্রথম জলবায়ু সম্মেলন (বার্লিন, জার্মানি, ১৯৯৫)। এবার জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন-২০০৯, স্থান ঃ কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক (১৫তম সম্মেলন)।
২০১০ সালের ৫ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ নোয়াখালীর উপকূলীয় বন নিশ্চিহ্ন। প্রভাবশালীদের দখলে দুই হাজার একর খাসজমি। ৭০ জনের মধ্যে ১৯ জন আওয়ামী লীগের, ১৩ জন বিএনপির ও জাতীয় পার্টির একজন।
২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর অদূরে বন বিভাগের গাজীপুরের শ্রীপুর রেঞ্জের আওতাধীন  রাথুরা মৌজায় তিন হাজার ৮১০ একর জমির ওপর পার্কটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০১৩ সালের মধ্যে পার্কটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে মন্ত্রণালয় আশা করছে।
২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি খাত। কর্মশালায় অভিমত প্রায় ৮০ ভাগ উৎপাদন কমে যাবে।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ কাওসার রহমান, ডারবাণ, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রাতভর নাটকীয়তা শেষে জলবায়ু সম্মেলণে সমঝোতা।(১৭তম সম্মেলন)
২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর, বাংলাদেশে মোট বনভূমির পরিমাণ-২৫ লক্ষ হেক্টর বা ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার(প্রায়)।
১৯৪৭ সালে ঢাকা শহরে যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা ছিল-২৮৪টি। পাকিস্তানের ২৪ বছরে যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা ছিল-৩৮(আটএিশ) হাজার; বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গত ১৫ বছরে যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা ঢাকা শহরে-১(এক) লক্ষ; ২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর, পর্যন্ত ঢাকা শহরে যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা ৩(তিন) লক্ষ)। ২০০৪ সালে ঢাকা শহরে যন্তচালিত গাড়ির সংখ্যা ৪(চার) লক্ষ। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এক হিসাবে ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা দুইলাখ ১৬ হাজার। (৩০-০৪-২০১০) ঢাকায় নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ৫ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।  এসব গাড়ির মধ্যে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার প্রায় তিন লাখের ওপর। অন্য যেসব যান নিবন্ধন নিয়েছে সেগুলো হচ্ছে-বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকসা, ট্যাক্সিক্যাব, হিউম্যান হলার। এছাড়া মাইক্রোবাসেরও একটি বড় অংশ বাণিজ্যিক যান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সারা বাংলাদেশে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরের হিসেব অনুসারে সাড়ে ১২ লাখ গাড়ী আছে। ৩১-১২-২০০৯ তারিখের সমকাল পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ পর্যন্ত রাজধানীতে রেজিস্ট্রেশনকৃত যানবাহন ঃ (১) প্রাইভেটকার-২,১৬,০০০টি। (২) মাইক্রোবাস-৫৮,৬০৯টি। (৩) ট্যাকসিক্যাব-১০,৬৮২টি। (৪) বাস-৮,২১০টি। (৫) মিনিবাস-৮,৩১৭টি। (৬) ট্রাক-৩০,০১৫টি। (৭)  (৫) অটোরিকসা ও অটোটেমপু-১৪,৮২০টি ও (১০) মোটর সাইকেল-২,১৯,৪৪৩টি। + মোট=৫,২৭,০০০টি যানবাহন আছে। ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণাকেন্দ্রের তথ্য। সারা দেশে যানবাহনের সংখ্যা সাড়ে ১৩ লাখ। এসব গাড়ির জন্য লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা সাড়ে নয় লাখ। সাড়ে চার লাখ অদক্ষ-অপ্রশিক্ষিত চালকের কারনেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
১৯৬১ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তন সরকারের ৭-নম্বর অধ্যাদেশ বলে   ‘পূর্ব-পাকিস্তান রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন ইপিআরটিসি’ গঠিত হয়েছিল। ঐ বছরই ৮ মার্চ, মতিঝিল বাস ডিপো হতে মাত্র ৪টি বাস নিয়ে তৎকালীন ইপিআরটিসি যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে-এর বহরে ৬৩টি ট্রাক যুক্ত হয়। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, বিআরটিসির গাড়ীর সংখ্যা ৭৯৭টি। এরমধ্যে চলমান একতলা বাস ৪৫৪টি, দ্বিতল বাস ১৭৭টি। অত্যাধুনিক ভলভো দ্বিতল বাস আছে ৫০টি। খুব শিগগিরই ৩০টি সিএনজি ও ২১টি নন-সিএনজি বাস চলাচলের জন্য বহরে যুক্ত হবে। বিআরটিসি’র বাসের সংখ্যা হবে-৮৪১টি এবং ট্রাকেরসংখ্যা হবে-১,০১৫টি। আরো ৯৫টি দ্বিতল বাস খুব শিগগিরই বিআরটিসির বহরে যুক্ত হবে। এছাড়াও ৫০০টি সিএনজি বাস, ০০টি দ্বিতল বাস ও ৫০০টি ট্রাক সংগ্রহের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে।
২০০৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদ অনুসারে ঃ বাংলাদেশে নৌযানের সংখ্যা ১.১৬(এক লক্ষ ষোল হাজার)। আর ১৯৮৩ সালে নৌযানের সংখ্যা ছিল ১,২০০(এক হাজার দুইশত)। নৌযানের সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন কাজে জনবলের অভাব।
২০০৪ সালের ১০ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ ঢাকায় ৪শ’ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ মাত্র ১(এক) জন। সোয়া কোটি জনঅধ্যুষিত রাজধানী নগরী ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে মাত্র ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) ট্রাফিক পুলিশ। অর্থাৎ প্রতি ৫(পাঁচ)  হাজার নাগরিকের জন্য মাত্র ১(এক) জন ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। ট্রাফিক বিভাগের হিসাব অনুযায়ী ঢাকার রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ১০-লক্ষাধিক বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, বেবী টেক্সি, ভ্যান, মোটর সাইকেল, সাইকেল ও রিকসাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। সেই হিসাবে গড়ে ৪শ’টি যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ১(এক) জন করে ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে।
২০০৯ সালের ৩১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ঢাকার রাস্তা থেকে ৭০ হাজার যানবাহন তুলে নেওয়া হচ্ছে। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত-২০ বছরের পুরোনো বাস-সিনিবাস-ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলবে না। মেয়াদ থাকলেও লক্কড়ঝক্কড় ট্যাক্সিক্যাব তুলে নেওয়া হবে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০০৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা উত্তর (মিরপুর) ও ঢাকা দক্ষিণ (উকুরিয়া) বিআরটিএর কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নেওয়া গাড়ির সংখ্যা চার লাখ ৪৯ হাজার ৪৮২টি। প্রতিবছর গড়ে আরও প্রায় ৪৫ হাজার যানবাহন নিবন্ধন পাচ্ছে। বর্তমানে ঢাকায় নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এসব গাড়ির মধ্যে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার প্রায় তিন লাখের ওপর। অন্য যেসব যান নিবন্ধন নিয়েছে সেগুলো হচ্ছে-বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকসা, ট্যাক্সিক্যাব, হিউম্যান হলার। এছাড়া মাইক্রোবাসেরও একটি বড় অংশ বাণিজ্যিক যান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় রাস্তার তুলনায় দুই লাখ ৮৪ হাজার বেশি যান চলছে। এ শহরে প্রতিদিন গড়ে ২৩০টি গাড়ি রাস্তায় নামছে। ঢাকা শহরের মোট আয়তন ৮১৫ দশমিক ৮৫ বর্গকিলোমিটার। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী ২০৪ কিলোমিটার রাস্তার প্রয়োজন হলেও ঢাকা শহরে প্রধান রাস্তার পরিমাণ ৮৮ কিলোমিটার। সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, বর্তমানে ৮৮ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় পাঁচ লাখ যানবাহন চলাচল করছে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, ঢাকার প্রধান রাস্তাগুলোতে দুই লাখ ১৬ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারে।
২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর, পর্যন্ত হিসেব (ইন্টারনেট) ঃ সূত্র-বি.আর.টি.এর রেকর্ডে ইঞ্জিচালিত মোটনযানের সংখ্যা-২২,০৭৬০৮টি। এরমধ্যে (১) হেভী মোটনযান(বাস, ট্রাক ও লরীর) সংখ্যা-৮,০১,৩৭৮টি (২) লাইট হেভীযানের (কাভার্ড ভ্যান ও তিন টন পিকআপ) সংখ্যা-৩,৯৬,৬৭০টি (৩) মিডিয়াম লাইট যানের (প্রাইভেটকার, জীপ ও পাজেরু) সংখ্যা-৯,১৬,৭৬০টি (৪) মোটরযান, সিএনজি (থ্রী হুইলার) সংখ্যা-২৩,৪৫২টি ও (৫) মোটর সাইকেল (টু হুইলার) সংখ্যা-৬৯,৩৪৮টি। নিবন্ধন বাতিল-১৮,৬০১টি। (১) ১৮,৫০০ হাজার স্বালোইঞ্জিলচালিত নৌকা আছে (২)  ৩৮,০০০ হাজার স্ব্যালোইঞ্জিচালিত পাম্প আছে।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ বিআরটিএর হিসাব-দেশে বাণিজ্যিক যানের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ। এর এক লাখ অনুপযুক্ত। মোট বাণিজ্যিক যানের ১৮% অনুপযুক্ত। যোগাযোগমন্ত্রী বলেন-১০টি স্থানে উপস্থিত থেকে যানবাহন পরীক্ষা করেছি। এর মধ্যে ৮০% অনুপযুক্ত ও কাগজপত্র ভুয়া।
২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সারাদেশে ১১ হাজার ৮০৬ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। এসব মহাসড়কে ২শটির অধিক দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান রয়েছে। সারাদেশের সড়ক মহাসড়কগুলোতে প্রায় ১৫ লাখ রেজিস্ট্রেশনকৃত যানবাহন চলাচল করে। যদিও বেসরকারী হিসেবে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। সারাদেশে ৮০ হাজারের ওপর ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করে। পনের লাখ বৈধ যানের ৯ লাখ চালক বৈধ। বাকি অবৈধ। গতিসীমা অমান্যকারী চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। লক্ষ ঃ সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস।
২০১২ সালের ১ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ ১ কোটি ২৫ লাখ জনসংখ্যার ঢাকা শহরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বাস-মিনিবাস, ১৩ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকসা ও ২ হাজার হিউম্যান হলার। বাস-মিনিবাসের ৮০% লক্কড়-ঝক্কড় ও চলাচলের অনুপযোগী। ৩,৩৫৮ ঃ জনশক্তির ট্রাফিক বিভাগকে সামলাতে হয় ২ হাজার ২৭৪ কিলোমিটার সড়ক। এসব সড়কে ৬৫০ ক্রসিং থাকলেও সংকেতবাতি রয়েছে মাত্র ৭০টি। ৩০% রাস্তা অব্যবহৃত থাকে যত্রতত্র গাড়ি রাখার কারণে। ফুটপাত উদ্ধারেও কোনো ব্যবস্থা নেই। যানজটে ক্ষতি ঃ ২০ হাজার ৮০ কোটি টাকা বছরে ক্ষতি হচ্ছে। অতিরিক্ত জ্বালানির খরচ ৫৭৫ কোটি, সময় অপচয়ের কারণে ১২,৫৭৫ কোটি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ২৯৩০ কোটি এবং দেরিতে পণ্য পরিবহনে ক্ষতি আরও ২০০০ কোটি টাকা। গণপরিবহনে গণনৈরাজ্য।
২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাজনীতিকেরাই নিয়ন্ত্রক-রাজধানীর গণপরিবহনঃ ৪২% মানুষ যাতায়াতের জন্য যান্ত্রিক বাহন ব্যবহার করে। যান্ত্রিক যানের মধ্যে বাস ও অটোরিকশার ব্যবহার-৮৭%। ব্যক্তিগত গাড়ি বা কারে যাতায়াত হয়-৫%। একটি কারে গড়ে ২.২ জন যাত্রী চড়ে। বাসে গড়ে ৪৪ জন। অথচ দুটি কার একটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। আর ৫৮% মানুষ হেঁটে বা রিকশায় চলাচল করে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, (১৯-০২-২০১৪ তারিখ) ঢাকায় চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪০৭টি।
২০১৪ সালের ১২ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সড়ক তৈরিতে আসছে পরিবর্তন-১(এক) লাখ কিলোমিটারের বেশি সড়ক কংক্রিটের ব্যবহারের আওতায় আনতে হবে ঃ (১) মোট সড়ক ঃ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে-বাংলাদেশ জাতীয় সড়ক আছে ঃ (১) তিন হাজার ৫৪৪ কিলোমিটার। (২) আঞ্চলিক মহাসড়ক চার হাজার ২৭৮ কিলোমিটার ও জেলা সড়ক রয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৯ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সড়ক ও জনপথের  রাস্তার পরিমাণ ২১ হাজার ৪৮১ কিলোমিটার। (৩) ব্রিজের সংখ্যা-৭ হাজার ৭৪১টি (৪) কালবার্ট-এর সংখ্যা-১৩ হাজার ৭৫১টি। স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডি সূত্র জানায়, বর্তমানে সারাদেশে এলজিইডির ৮০ হাজার ১১৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত-পরিবহনের সংখ্যা-১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৮০২টি। এরমধ্যে অটোরিকসার সংখ্যা-এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৫টি, অটোটেম্পুর সংখ্যা-১৫ হাজার ৪৭২টি, বাস-৩২ হাজার ১৪৭টি, কার্গো-ভেন-৫ হাজার ১২২টি, কাভার্ড ভেন-১১ হাজার ৯৬০টি, হিউমেন হলার-আট হাজার ৭৮১টি, মাইক্রোবাস-৭৬ হাজার ২৬৬টি, মিনিবাস-২৬ হাজার ৩২৯টি, মোটর সাইকেল-১০ লাখ ৭০ হাজার ২২৫টি, প্রাইভেট পেসেঞ্জার কার-দুই লাখ ২৩ হাজার ৩৬৯টি, পেসেঞ্জার ভেহিকেল-সাত হাজার ২৪৫টি, টেক্সিক্যাব-৪৪ হাজার ৬৮৫টি, ট্রাক্টর-৩১ হাজার ২৩৩টি ও ট্রাকের সংখ্যা-এক লাখের বেশি। এ ছাড়াও অন্য যান্ত্রিক পরিবহনের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এক সিএফটি পাথরের দাম-১৪০/- টাকা থেকে ১৫০/- টাকা আর এক সিএফটি ইটের খোয়ার বাজার মূল্য ৮০/- টাকা। বাংলাদেশে-১,০০০(এক হাজার) মানুষের জন্য ১.৬ কিলোমিটার সড়ক আছে, ভারতের-১,০০০(এক হাজার) মানুষের জন্য ৩.৬ কিলোমিটার সড়ক আছে এবং ভ‚টানে-১,০০০(এক হাজার) মানুষের জন্য ৯.৭ কিলোমিটার সড়ক আছে।
২০১৫ সালের ৯ আগস্ট, প্রথম আলো : সারা দেশে বাস-মিনিবাসের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ৬১ হাজার ৫৮৯টি। এর মধ্যে ৪০ হাজার ৮২২টি বাস-মিনিবাস ১০ বছরের পুরোনো। ২০ বছরের পুরোনো বাস-মিনিবাসের সংখ্যা ১৮ হাজার ৫৪টি। বিআরটিএর আরেক হিসাবে দেখা যায়, ১৯৯৫ সালের পর থেকে সারা দেশে বাস-মিনিবাসের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৩৫টি। অথচ এই সময়ে অটোরিকশা ও টেম্পোর নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে-২ লাখ ১৩ হাজার ১৬২টি। কিন্তু সারা দেশে বৈধ-অবৈধ অটোরিকশা, নছিমন, করিমন, ভটভটি ও ইজিবাইক রয়েছে ১৩ লাখের বেশি।
২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : ঢাকায় প্রতিদিন ৩১৭টি যানবাহনের নিবন্ধন।
২০১৬ সালের ৩০ জুন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ রাজধানীতে ৭ লাখ ৫১ হাজার ৭৩০টি যানবাহন চলাচল করে। ৭ লাখ ২৯ হাজার ৯৫৯টি এবং গণপরিবহন ২১ হাজার ৭৭১টি। এর মধ্যে মটর সাইকেল ৪ লাখ ৩ হাজার ৪২টি।
১৯৪৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিফোনের সংখ্যা ছিল ১,৫০০(এক হাজার পাঁচশত); তন্মধ্যে ঢাকায় ছিল মাত্র ৩০০(তিনশত)। ৩০-৬-২০০২ তারিখের হিসেবমতে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারী সংযোগসহ টেলিফোন-এর সংখ্যা পনের লক্ষ (এনালগ, ডিজিটাল ও মোবাইলসহ)। ২০০০ সালের ২ এপ্রিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-২০০২ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে একটি করে টেলিফোন সংযোগ দেয়া হবে। ২০০২ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে টেলিফোন সংযোগ দেয়া হয়নি-কিন্তু সভায় এ কথা বলে সকলের হাততালি নিয়েছে। এভাবেই সরকার প্রধানরা বা সরকারের মন্ত্রীরা মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। আমার জীবনে তাদের কথা এবং কাজের প্রতিফলিত হতে দেখিনি আর বাকী জীবনও দেখবো না। কারণ এ সমাজ ব্যবস্থায় বাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না। যে সমাজে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোট করে-সে সমাজে মানুষ ভাল কিছু আসা করতে পারে না। ২০০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী টেলিফোনের সংখ্যা হলো-১(এক) কোটি। বিশ্বে টেলিফোনের সংখ্যা ১৮০(একশত আশি) কোটি। গড়ে ৩.৬১ জনে একটি। বাংলাদেশে ৬.৬৫%;   পাকিস্তানে ১৩.৫% ও ভারতে ১৯.৫% লোকের টেলিফোন আছে। ২০০৬ সালের ২৭ জুলাই, মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার তার মেয়াদকালের মাত্র ৪ বছরে টিএন্ডটির ফিস্কড ফোনের সংযোগ ৬ লাখ থেকে ১২ লাখে উন্নীত করেছে। সেই সাথে মোবাইল ফোনের সংযোগ ৫ লাখ থেকে ১(এক) কোটি ৪০(চল্লিশ) লাখে উন্নীত হয়েছে। ২০০১ সালের ১৭ মে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ঃ বাংলাদেশে প্রতি একশত জনে ১টি টেলিফোন। এ হিসেবে মোট ১৪,৫০,০০০(চৌদ্দ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টেলিফোন আছে। ২০০৩ সালের হিসেব অনুযায়ী-বাংলাদেশে(এনালগ, ডিজিটাল ও মোবাইলসহ) ২২,৫০,০০০(বাইশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টেলিফোন আছে। ২০০৫ সালের হিসেব অনুসারে-বাংলাদেশে(এনালগ, ডিজিটাল ও মোবাইলসহ) ১(এক) কোটি টেলিফোন আছে। ২০০৭ সালের হিসেব অনুযায়ী-বাংলাদেশে(এনালগ, ডিজিটাল ও মোবাইলসহ) ২(দুই) কোটি টেলিফোন আছে। ২০০৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ থেকে এনা ঃ জেনেভাস্থ জাতিসংঘ টেলিকম্যুনিকেশন এজেন্সি ৪ সেপ্টেম্বর-এ খবর দিয়েছে-বিশ্বে ৪শ’ কোটি টেলিফোন আছে-এরমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম্যুনিকেশন ইউনিয়নের হিসাব অনুযায়ী ১শ ২৭ কোটি হচ্ছে আবাশিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ এবং ২শ ৬৮ কোটি হচ্ছে মোবাইল ফোন। ৩০-০৫-২০০৯ তারিখের হিসেব অনুসারে-বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের সংখ্যা হলো-প্রায় সাড়ে চার কোটি। ২০০৯ সালের ২৭ মে মাসের হিসেব অনুযায়ী পৃথিবীতে ৪৫০ কোটি টেলিফোন অরছে। ১১-০৬-২০১০ তারিখ টেলিফোন ঃ ২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষের ল্যান্ডফোনের সংযোগ আছে। তবে মুঠোফোনের সংযোগ আছে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের।
১৯৯৭ সালের ২৪ মার্চ, গ্রামীণফোন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০০৯-২০১০ থেকে গ্রামীণফোন দেশে সর্বোচ্চ মাসিক আয়কর দিয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোন জাতীয় কোষাগারে মোট ১৪ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা।
১৯৯৭ সালে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক ৩ জেলায় ছিল। ২০০০ সালে ছিল ৩০ জেলায়। ২০০২ সালে ৫০ জেলায় ছিল এবং ২০০৪ সালে ছিল ৬১ জেলায় আর বর্তমানে ২০১৪ সালে ৬৪ জেলায় আছে-১১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৩ হাজার।
২০০৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান বলেছেন, ‘মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে। এসব কোম্পানীর সেবাও ভাল নয়। গ্রাহকরা মোবাইল কোম্পানীগুলোর সেবায় সন্তুষ্ট নয়। মোবাইলের কলচার্জ কমানোর জন্য যাতে ব্যবস্থা নেয়া হয় সেজন্য বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানকে বলেছি। এরপরও যদি কলচার্জ না কমায় তাহলে আমি নিজেই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলব।’
২০০৫ সালের ৭ ডিসেম্বর, জাকারিয়া কাজল ঃ মোবাইল ফোন কোম্পানি হিসেবে ধাবি’র ওয়ারিদ টেলিকম অনুমতি পেল-বিটিআরসি মুখ খুলেনি। বাংলাদেশে ৬ষ্ঠ মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে ওয়ারিদ-টেলিকমকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গ্রামীণফোনের ৬০ লাখ গ্রাহক অর্জন উপলক্ষে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ কর্মসূচী। ২০০৫ সালে প্রায় ৩০ লাখ নতুন গ্রাহক অর্জন করে এবং গত নভেম্বর মাসেই-এর গ্রাহক সংখ্যা ৫০ লাখে পৌঁছেছিল।
২০০৬ সালের ২৯ এপ্রিল, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ বিদেশে কথা হবে ৩/-টাকা মিনিট ঃ ইন্টারনেট চার্জ ৫ পয়সা। সাবমেরিন ক্যাবল চালু হচ্ছে আগামী মাসের প্রথমার্ধে মানে ১৫-০৫-২০০৬ তারিখ।  এ চ্যানেল সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ২১ হাজারে। বাংলাদেশে ৪ থেকে ৫ লাখের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। বিটিটিবির সাড়ে ৪.৫ হাজার         আন্তর্জাতিক চ্যানেল রয়েছে। আর মোবাইলসহ টেলিফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১.২৫ কোটি। ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা-১৫ লাখে উন্নীত হয়েছে।
২০০৬ সালের ২৮ মে, তালুকদার হারুন ঃ বিটিটিবি পানির দামে বিক্রির তোড়জোড়। দেড় লাখ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের দাম ধরা হয়েছে মাত্র সাড়ে ৭-হাজার কোটি টাকা।
২০০৬ সালের ১ জুন, তালুকদার হারুন ঃ বিটিটিবির সিদ্ধান্ত-প্রতি মিনিট ৩-পয়সায় ছাত্র-ছাত্রীরা ইন্টারনেট সুবিধা পাবে। ছাত্ররা ০৬-০২-২০০৯ সাল পর্যন্ত এ সুযোগ পায়নি।
২০০৬ সালের ৫ জুলাই, ৩০ জুন, ২০০৬-এ গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা এখন ৮৫ লাখ।
২০০৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, যেকোন জিপি নম্বরে কল করুন মাত্র ২.৫০ টাকা প্রতি মিনিটে। ৯০ লক্ষেরও বেশি জিপি গ্রাহক কথা বলুন নিশ্চিন্তে।
২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, এখন মন খুলে কথা বলুন সকল মোবাইল ও টি.এন্ড.টি. নাম্বারে (বাংলালিংক মোবাইলে ১ কোটি ৬০ লক্ষের ও বেশি গ্রাহকের সাথে ২.৫০ টাকা মিনিটে)।
২০০৬ সালের ৬ নভেম্বর, গ্রামীণফোন-এক দশকে-এক কোটি সদস্যের পরিবার।
২০০৭ সালের ১৫ জানুয়ারি, দেশে এ যাবৎ সিম বিক্রির হিসেব অনুযায়ী ২ কোটি মোবাইল ফোন রয়েছে। তবে সক্রিয় মোবাইল ফোনের সংখ্যা ১ কোটিরও কম হবে বলে টেলিফোন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সময় অনুযায়ী কলরেটের বিভিন্নতার কারণে অধিকাংশ গ্রাহকই একাধিক, এমনকি অনেকে দুটি করেও মোবাইল ফোন বা সিম ব্যবহার করেন। গ্রামীণের-১ কোটি, একটেলের-৫০ লাখ, বাংলালিংকের-৩০ লাখ, সিটিসেলের-১৫ লাখ ও টেলিটকের প্রায় ৫ লাখ মোবাইল ফোনের গ্রাহক রয়েছে। আর টিএন্ডটির ল্যান্ড ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১০ লাখ এবং এর বার্ষিক আয় ২ হাজার কোটি টাকা।
২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দেড় কোটিরও বেশী এবং ১৯৯৭ সালের মার্চে কার্যক্রম শুরু কারার পর দেশে বৃহত্তম মোবাইল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। সারাদেশে ৫,০০০টিরও বেশী স্থানে প্রতিষ্ঠানটির বেস স্টেশন আছে।
২০০৭ সালের ২৭ মে, বাংলাদেশে শতকরা ১৮ ভাগ লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯৩ জন। আরো বলেছে যে-২০০৯ সালে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা হবে প্রায় ৫ কোটি লোক।
২০০৮ সালের ১৩ মার্চ, ২০০৭ সালে বাংলালিংকের ব্যবসায় সাফল্য। গ্রাহকসংখ্যা ও আয় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৬ সালে যেখানে কোম্পানির গ্রাহকসংখ্যা ছিল ৩৩ লাখ এবং আয় ছিল ৬৫৫ কোটি টাকা, সেখানে ২০০৭ সালে তা বেড়ে ৭১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং আয় বেড়েছে ১,৩৪০ কোটি টাকা; দেশের মোবাইল ফোনের মোট বাজারের ২০.৬০ শতাংশ। মোট মোবাইলের সংখ্যা হলো-৩.৬০(তিন কোটি ষাট লাখ)।
২০০৮ সালের ৩০ মার্চ, দেশে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার মোবাইল ফোন গ্রাহক আছে। নানা সূত্র অনুযায়ী দেশে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মোবাইল ফোন সেট আছে।
২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিবেদক-সাংবাদিকদের বিটিআরসির চেয়ারম্যান-২০১১ সালের মধ্যে মোবাইল ফোনের গ্রাহক ৭ কোটিতে উন্নীত হবে।
২০০৮ সালের ৬ মে, তিন পার্বত্য জেলায় এক মাসের মধ্যে মোবাইল ফোন চালু হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির ১৪ লাখ লোক টেলিযোগাযোগের আওতায় এল।
২০০৮ সালের ১৫ মে, আনুষ্ঠানিকভাবে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে পার্বত্য জেলা-রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন।
২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবর, আমাদের সময়-সংসদে তথ্য-ছয় মোবাইল কোম্পানির গ্রাহক  ৪ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার মোবাইল আছে। মোবাইল ব্যবহারকীর সংখ্যা-৩ কোটি।
২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ গ্রামীণফোনের গ্রাহক এখন দুই কোটি ৩৩ লাখ।
২০০৯ সালের ১১ মে, প্রথম আলো ঃ মোবাইল ফোনের গ্রাহকসংখ্যা এখন চার কোটি ৫৭ লাখ। (১) গ্রামীণফোন লিমিটেডকে সরকার লাইসেন্স দেয়-১৯৯৬ সালের নভেম্বরে। মোবাইল ফোনের-৪৬% ভাগ (২) বাংলালিংক ঃ ২০০৫ সালে চালু হওয়ার পর। মোবাইল ফোনের-২৪% ভাগ (৩) একটেল ঃ ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে। মোবাইল ফোনের-১৯% ভাগ (৪) ওয়ারিদ ঃ ২০০৫ সালে সরকারের লাইসেন্স পায়। মোবাইল ফোনের-৫% ভাগ (৫) সিটিসেল ঃ ১৯৮৯ সালের জুলাইয়ে অনুমোদন পায়। মোবাইল ফোনের-৪% ভাগ (৬) টেলিটক ঃ ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে অনুমোদন পায়। মোবাইল ফোনের-২% ভাগ। দক্ষিণ এশিয়ায় মোবাইল ফোন সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানে গ্রাহকের সংখ্যা সাড়ে নয় কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বাজার ধরার হার ৫৮ শতাংশ। ভারতে ৩৫ শতাংশ( প্রায় ৩৭ কোটি)।
২০১০ সালের ১৮ জুলাই, দেশে মুঠোফোনের গ্রাহক ছয় কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
২০১০ সালের নভেম্বর শেষে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৬৬ লাখ ২১ হাজার। ২০১০ সালের নভেম্বর শেষে মুঠোফোনের গ্রাহক ৬ কোটি ৬৬ লাখ ২১ হাজার।
২০১১ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুঠোফোনের গ্রাহক ৭ কোটি ৪০ হাজারে উন্নীত হয়েছে।
২০১২ সালের ১ জানুয়ারি, দৈনিক আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দুই কোটি পঁঞ্চাশ লাখ। এটা ভুল লেখা হয়েছে পত্রিকায়। ২০০৮ সালে ছিল ৪০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক আমাদের সময় ঃ ৩১-১২-২০১১ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহক ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৬ হাজার।
২০১২ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ গ্রামীণফোনের সংবাদ সম্মেলন-২০২০ সালে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক হবে প্রায় দুই কোটি।
২০১২ সালের মে মাসের তথ্যঃ দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা-৯ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার যার মধ্যে ৭ কোটি সংযোগ চালু আছে (তথ্য উৎস ঃবিটিআরসি, মে ২০১২ তারিখ ভিত্তিক রিপোর্ট।)
২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ আইটিইউর প্রতিবেদন। বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ইন্টারনেটের আওতায়। আর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইন্টারনেটের আওতায় আছে ২০ শতাংশের বেশি পরিবার। তবে বাংলাদেশে এই হার মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশ্বে মোট ৫৯৭ কোটি মুঠোফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে ইন্টারনেটের সংযোগ আছে ১০৯ কোটি ব্যবহারকারীর। আল জাজিরা। জাতিসংঘের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উল্লেখ।
২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি, শামীম চৌধুরীর কথা ঃ বাংলাদেশে প্রায় ১০ কোটি ২০ লাখ মোবাইল ফোন গ্রাহক। এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা-১০ কোটি মোবাইল সিম বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে ১১-০১-২০১৩ তারিখ।
২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি, শামীম চৌধুরীর কথা ঃ বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চার কোটি ২১ লাখ এবং প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কথা-ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা-৪ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। আমার মনে হয় ৩১-১২-২০১২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর শতকরা হার ১০% মানে এক কোটি ষাট লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাংলাদেশে।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন ঃ বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে ৫৮ জন মুঠোফোন কিংবা ল্যান্ডফোন সুবিধায় পায়।
২০১৪ সালের ১০ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ : বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের গ্রহক সংখ্যা ১১ কোটি ছাড়িয়েছে।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক চার কোটি ছাড়াল। কিন্তু দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই কোটি হতে পারে।
(১) গ্রামীণ ফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি(১৫-১০-২০১৪ তারিখ পর্যন্ত) । (২) বাংলা লিংক গ্রাহক ২ কোটি ৯০ লাখ(২৪-০২-২০১৪) । (৩) রবির গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি(০৬-০৯-২০১২) । (৪) এয়ারটেলের ৩৭ লাখ ৯৭ হাজার। (৫) সিটিসেল ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ও (৬) টেলিটক ১২ লাখ ৪ হাজার। দেশীয় মুঠোফোনের কোম্পানি টেলিটকের গ্রাহক কমেছে ২০ হাজার।
২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : সারা বিশ্বে বর্তমানে ব্যবহারকারী ১৬০ কোটি মানুষ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে যুক্ত রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১৩৫ কোটি মাসে অন্তত একবার ফেসবুক ব্যবহার করে। তার্ ামিলে মাসে ৩০ কোটি ছবি আপলোড করে এবং একবার ঢুকলে প্রায় ২০ মিনিট সেখানেই থাকে। প্রতি সেকেন্ড গড়ে পাঁচটি নতুন প্রোফাইল খোলা হয়। বাংলাদেশে মোট ব্যবহারকারী ১ কোটি ৮ লাখ। দেশে ২০০৯ সালে ৯৬ হাজার থেকে ২০১০ সালে ১৩ লাখ, ২০১১ সালে ২৩ লাখ, ২০১২ সালে ৩৩.৫২ লাখ, ২০১৩ সালে ৬৮ লাখ ২০১৪ সালে ১.০৮ লাখ। দেশে আট সেকেন্ডে যুক্ত হচ্ছে একজন।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : নভেম্বরে ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে প্রায় ১১ লাখ। অক্টোবর মাসে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল-৪ কোটি ৪০ লাখ ৮২ হাজার, যা নভেম্বরে দাঁড়ায় ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৭ জনে।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো : গ্রামীণ ফোনের গ্রহকসংখ্যা-৫ কোটি ১৫ লাখ (২) বাংলালিংকের গ্রাহকসংখ্যা-৩ কোটি ৯ লাখ (৩) রবির গ্রাহকসংখ্যা-২ কোটি ৫২ লাখ (৪) এয়ার টেলের গ্রহকসংখ্যা-৭৫ লাখ ১০ হাজার (৫) টেলিটকের গ্রহকসংখ্যা-৩৮ লাখ ৬০ হাজার ও (৬) সিটিসেলের গ্রহকসংখ্যা-১২ লাখ ৯৩ হাজার। মুঠোফোনের গ্রহক এখন ১২ কোটি দুই লাখ ৬৩ হাজার। শতকরা ৭০ শতাংশ। সাড়ে আট কোটি মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করে। আমার মনে শতকরা ৫০ মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করে।
২০১৫ সালের ১ জুলাই, প্রথম আলো : ১২ কোটি ৪৭ লাখ মুঠোফোন গ্রাহক। জুন মাসে ১২ লাখ বেড়ে ১ জুলাই গ্রাহকসংখ্যা-১২ কোটি ৫৯ লাখ। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা-৪ কোটি ৫৬ লাখ আর জুন মাসে ১৮ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়ে হয়েছে-৪ কোটি ৭৪  লাখ।
২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট, প্রথম আলো : দেশে মুঠোফোনের একক ব্যবহারকারী ৬ কোটি ৭০ লাখ। দেশে লোকসংখ্যা হলো-১৬ কোটি বা ১৭ কোটি। ৪১.৮৭ ভাগ বা ৩৯.৪১ ভাগ।
২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : বাংলাদেশে ইন্টারনেট গ্রাহক পাঁচ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজার। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার আর আইএসপি ও পিএসটিএন ১২ লাখ ৯৩ হাজার এবং ওয়াইম্যাক্স গ্রাহক ১ লাখ ৭৪ হাজার।
২০১৫ সালের ২ অক্টোবর, প্রথম আলো : ১৩ কোটি ছাড়াল মুঠোফোন গ্রাহক। ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে ১৫ লাখ। ইনটারনেট গ্রাহকসংখ্যা-৫ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার। এর মধ্যে মোবাইল ইনটারনেট গ্রাহক সংখ্যা-৫ কোটি ৭ লাখ ৪৩ হাজার।
২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কত? সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ বা ৫ কোটি ২২ লাখ মানুষ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কিন্তু জাতিসংঘের দুটি সংস্থা বলছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বা দেড় কোটির কিছু বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থান ১৬২তম।
২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশে ১ কোটি ৭০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি।
২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ এয়ারটেল গ্রাহক এক কোটি ছাড়াল।
২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৮৭ শতাংশ পরিবারেই মুঠোফোন আছে। বিবিএসের জরিপ। মুঠোফোন শহরে-৯৩.১% পরিবারে, গ্রামে আছে ৮৫% পরিবারে। ৩,১৩,৮৫,১৯৬ পরিবারের অন্তত একজন সদস্যের মুঠোফোন আছে। গ্রামে ১৫ বছরের বেশি বয়সী প্রতি চারজন নারীর মধ্যে তিনজনই মুঠোফোন ব্যবহার করেন। ৯১,৫৮,০০০ ব্যক্তি একবার হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন। ৭৬,৭০,০০০ ব্যক্তি একবার হলেও কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন। জরিপ অনুযায়ী দেশে-৩ কোটি ৫৭ লাখ ৮৭ হাজার পরিবার রয়েছে। ৮৭ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারের মুঠোফোন আছে। আর টেলিভিশন আছে-৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারের ও রেডিও আছে ১৪ শতাংশ বা ৫০ লাখ পরিবারের। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫ দশমিক ২ শতাংশ বা ১৭ লাখ। আর ৯১ লাখ ৫৮ হাজার ব্যক্তি একবার হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন। তবে কমপিউটার ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি বা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ব্যক্তি জীবদ্দশায় একবার হলেও কমপিউটার ব্যবহার করেছেন। দেশে প্রায় ১৩ কোটির বেশি সিম বিক্রি হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এক কোটি ২০ লাখ। ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন ঃ বিশ্বে মুঠোফোনে কম খরচে কথা বলায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ডিজিটাল জ্ঞানের অভাব বাংলাদেশে বড় বাধা। বিশ্ব অর্থনীতিতে মুঠোফোনের অবদান। বর্তমান বিশ্বে মুঠোফোন ব্যবহার করেন মোট জনসংখ্যার ৬৪%। বাংলাদেশে মুঠোফোন ব্যবহার করেন মোট জনসংখ্যার ৪৪%। একক মুঠোফোন  ব্যবহারকারী-বিশ্বে ঃ৪৭০ কোটি। বাংলাদেশে ঃ ৭ কোটি। বিশ্বে মুঠোফোন ও টেলিযোগাযোগ খাতের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ। সরকারের আয় বিশ্বে ঃ৪৩০ বিলিয়ন ডলার আর বাংলাদেশে ঃ ১২,০০০ হাজার কোটি টাকা।
২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ আঙুলের ছাপ ও তথ্য না মেলায় নিবন্ধিত হয়নি ১ কোটি সিম। বিটিআরসির অগ্রগতি প্রতিবেদন। ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত আঙুলের ছাপ পদ্ধতিট ৩৪ লাখ ৬০ হাজার সিম সফলভাবে নিবন্ধিত হয়েছে, যা বর্তমানে চালু থাকা মোট ১৩ কোটি ৮ লাখ সিমের ৪৮ শতাংশ।
২০১৬ সালের ১৭ মে, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন-বাংলাদেশে ইন্টারনেট পায় না প্রায় ১৫ কোটি মানুষ। বাংলাদেশে প্রায় ১৪ কোটি ৮০ লাখ লোক ইন্টারনেট সুবিধা পান না। ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। বিশ্বব্যাংকের ভাষায় এ বিপুলসংখ্যক মানুষকে ‘অফলাইন’ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ‘‘ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট-২০১৬ ঃ ডিজিটাল ডিভিডেন্ডস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১ জুন, প্রথম আলো ঃ চালু থাকা সিম-১৩ কোটি ১৯ লাখ সিমের ৮৬ শতাংশ পুনর্নিববন্ধিত। ৩১-০৫-২০১৬ তারিখ ১১ কোটির ওপরে সিম পুনর্নিববন্ধিত হয়েছে। ২,১৯,০০০০০ সিম নিবন্ধিত হয়নি। (১) গ্রামীণফোনের-৫ কোটি (২) বাংলালিংকের-২ কোটি ৭২ লাখ (৩) রবি আজিয়াটার-২ কোটি ১০ লাখ (৪) এয়ারটেলের-৭২ লাখ (৫) টেলিটকের-২৩ লাখ ও (৬) সিটিসেলের-২ লাক ৫ হাজার।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট থেকে ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান আমল ছিল (২৪ বছর ৪ মাস ৩ তিন) পূর্ব-পাকিস্তানে ছিল পাকিস্তানী শাসন-শোষণ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ১৬-১২-১৯৭১ তারিখ বিজয় অর্জন করেন।
১৯৪৭ সালে ২০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে করাচীতে প্রথম পাকিস্তানের রাজধানী স্থাপিত হয়। পরে ২০০ কোটি টাকা উন্নয়ন খরচ নির্ধারণ করে আইয়ূব খান রাওয়ালপিন্ডিতে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। পুণরায় ইসলামাবাদে রাজধানী স্থানান্তরিত করে উন্নয়ন খরচ নির্ধারণ করা হয় ১০০ কোটি টাকা। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাজধানী বলে খ্যাত ঢাকার উন্নয়নের জন্য খরচ করে মাত্র ২ কোটি টাকা। ১৯৬৮ সালে এহেন বৈষম্যমূলক আচরণে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ঘোষণা করেন-প্রয়োজনে খাজনা, ট্যাক্স প্রদান বন্ধ করা হবে। সভাশেষে তাঁর নেতৃত্তে¡ বিক্ষোভ মিছিল এবং গভর্ণর হাউস ঘেরাও। পুলিশের বাঁধা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মওলানা ভাসানী কর্তৃক পরদিন ঢাকায় হরতাল।
১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে ৫টি চিনির কল ছিল, ২০০৭ সালের মধ্যে ১৭টি চিনির কল আছে।
শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কারাবরণ ঃ
১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তান তমুদ্দিন মজলিস গঠিত হয় যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম এবং নুরুল হক ভূঁইয়া। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে সময় শেখ মুজিব ছিলেন ঢাকার বাহিরে গোপালগঞ্জ শহরে।
১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের ধর্মঘটে সমর্থন দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২৪ এপ্রিল কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা  গ্রহণ করলে ছাত্ররা আন্দোলন গড়ে তোলে। ২৫ এপ্রিল, ১৯৪৮ দেশব্যাপী হরতাল আহবান করা হয় ঠিক তার পূর্বে ১৯ এপ্রিল গ্রেফতার  হয়ে কারাগারে নীত হন শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা। এ পার্টি গঠনকালেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ১৯৪৯ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকা এলে আওয়ামী মুসলিম লীগ জনসভা ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে ও গভর্নর হাউসের দিকে মিছিল পরিচালনা করা হয়। উক্ত ঘটনার রেশ ধরে ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারী শেখ মুজিব গ্রেফতার হন।
১৯৪৯ সালের শেষের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীদের দাবী ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সূচনা হয়। সে সময় কেবল ১/-টাকা বেতন বৃদ্ধি ও সংগঠন করার দাবীতে আন্দোলনরত প্রায় ৫০ জন চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীকে তদানীন্তন মুসলিম লীগ সরকারের নির্দেশে একতরফা চাকুরীচ্যুত করা হয়। ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীদের এই দাবীকে সমর্থন ও সাহায্য করার অভিযোগে তৎকালীন ছাত্র নেতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ জন ছাত্র নেতাকে বহিস্কার করা হয়। যতদূর শুনা যায় শেখ মুজিবের প্রথম কারাবরণের শুরু হয়। ১৯৪৯ সালের পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীগণ সমিতি গঠনের জন্য উদ্যোগ নিলেও সফল হয়নি। ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়ন গঠন করা হয়।
১৯৫৪ সালের ১৫ মে আদমজীতে বাঙ্গালী-বিহারী পরিকল্পিত দাঙ্গায় সৃষ্ট ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার ৩০ মে ৯২(ক) ধারাজারী করে পূর্ব পাকিস্তানে শেরে-বাংলা মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসন জারী করে। সে সময় আন্দোলনের স্বার্থে আত্মগোপন করার জন্য অন্যান্য নেতারা পরামর্শ দিলেও তিনি শেখ মুজিবুর রহমান বাসায় বসে গ্রেফতার হন।
১৯৫৬ সালে চীন ভ্রমণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৬ সালে মাও সেতুংয়ের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুর বাংলাপ্রীতি-এ. এফ. জি. মহিউদ্দিন(প্রথম আলো-১৩-১১-২০১২ তারিখ)। গণচীনে ৩য় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পাশাপাশি আয়োজিত শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এই বক্তৃতা শুনে ভারতবর্ষের বাঙালী ডেলিগেটরা কি খুশি। ভারত থেকে মনোজ বসু বাংলায় বক্তৃতা করেছেন। পূর্ব বাংলার ছাত্ররা জীবন দিয়েছে মাতৃভাষার জন্য-১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। বাংলা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু লোকের ভাষা। আমার বক্তৃতার পরে মনোজ বসু ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন-‘‘ভাই মুজিব, আজ আমরা দুই দেশের লোক, কিন্তু আমাদের ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। আর পারবেও না। তোমরা বাংলা ভাষাকে জাতীয় মর্যাদা দিতে যে ত্যাগ স্বীকার করেছ-আমরা বাংলা ভাষা ভারতবর্ষের লোকেরাও তার জন্য গর্ব অনুভব করি। বক্তৃতার পর খন্দকার ইলিয়াস তো আমার গলাই ‘ছাড়ে না।
১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারী হলে শেখ মুজিব আন্দোলনের ঝামেলা এড়াবার লক্ষ্যে ১২ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে গ্রেফতার বরণ করেন। আউয়ুব খান ১৯৬২ সালের ৩০ জানুয়ারি, শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেফতার করে। উক্ত গ্রেফতার-এর প্রতিবাদে ১ ফেব্রæয়ারি, ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট ও ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্ট না করে শেখ মুজিব ৭ ফেব্রæয়ারি গ্রেফতার বরণ করেন।
১৯৬৫ সালে দেশের পাটকল শ্রমিকসহ সকল শ্রমিক সমাজ আপোষহীন আন্দোলনের সূচনা করে। এমন সময়ে শেখ মুজিব ৮ মে, স্বীয় বাসভবনে গ্রেফতার বরণ করেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রেতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হানাদার পাক বাহিনীর হামলার খবর পূর্বাহ্নে জ্ঞাত হয়েও নিজ বাসভবনে অবস্থান করে স্বেচ্ছায় গ্রেফতার বরণ করেন। ২৫ মার্চ রাতে হামলার খবর বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান পূর্বেই অবগত হয়ে তার বাড়ীর দুধের গাভীটি পর্যন্ত অন্যত্র সরিয়ে দেন। তার পরিবার পরিজন (স্ত্রী, কন্যা শেখ হাসিনাসহ) যাতে কোন সমস্যায় না পড়েন পাকিস্তানী শিল্পপতি ইউসুফ হারুন-এর মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা করে যান। ফলশ্রুতিতে বেগম মুজিব পুরো সংগ্রামের সময় ১,৫০০/-টাকা হারে মাসিক ভাতা গ্রহণ করেন ও পাক বাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে জীবনযাপন করেছেন। এমনকি ওই সময় শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান নির্বিঘেœ ভূমিষ্ট হয়।(ইনকিলাব পত্রিকা থেকে-১০-০৭-২০০৪ সালে)।
২০১০ সালের ১৫ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ১৯৪৯ সালে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে আরও কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে ছাত্রত্ব হারিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকেসহ পাঁচজনকে শর্তসাপেক্ষে ছাত্রত্ব রাখার সুযোগ দিয়েছিল। তবে অনমনীয় তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান ওই শর্ত মানেননি। জরুরী সিন্ডিকিট সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ. আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এক ঘন্টা ১০ মিনিট আলোচনার পর কর্তৃপক্ষ বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তকে আজকের সিন্ডিকেট অগণতান্তিক ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হিসেবে গণ্য করে। সভা মনে করে, কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন ও নেত্রত্বদান ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ দূরদর্শী ও জ্ঞানদীপ্ত গণতান্তিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। এ সভা মনে করে, এ বহিস্কারাদেশ বহু আগেই প্রত্যাহার করা উচিত ছিল। কেটে গেছে ৬১টি বছর। বঙ্গবন্ধু উপাদি পাওয়ার ৪১ বছর পর আর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকীর একদিন আগে ১৪-০৮-২০১০ তারিখ বঙ্গবন্ধুর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সতেরো বার জেলে যেতে হয়েছে।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি, ফজলুল হক মুসলিম হলে পূর্ববাংলা মুসলিম ছাত্রলীগ গঠিত হয়।
১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, পাকিস্তানের গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী উত্থাপন ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের।
১৯৪৮ সালের ২ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ, পূর্ববঙ্গ কমিউনিষ্ট পার্টি’র জন্ম।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে প্রতিদিন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে ঢাকায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মিছিল হতে থাকে।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ, পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাভাষাকে সরকারী ভাষার মর্যাদা না দেয়ায় পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ, বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে সারা পূর্ববাংলায় ছাত্র ধর্মঘট ও প্রচন্ড বিক্ষোভ হয়। সমগ্র পূর্ববাংলায় সর্বপ্রথম সফল সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ, দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গে প্রথম হরতাল। ১১ মার্চের এ ধর্মঘট ভাষা আন্দোলনকে সংহত করেছিল।
১৯৪৮ সালের ১৪ মার্চ, মূলত ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
১৯৪৮ সালের ১৫ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন সকল দাবীদাওয়া মেনে নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ, কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র পূর্ববঙ্গ সফর।
১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ, রমনার রেসকোর্স ময়দানে কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে বলেছিলেন “উর্দু, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’’ শ্রোতাদের লক্ষ কন্ঠে সাথে সাথে ধ্বনিত হ’ল ‘না- না- না’।
১৯৪৮ সালের মার্চে জিন্নাহ ঢাকা সফরে এসে ২১ মার্চ, জনসভায় এবং ২৪ মার্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন উৎসবে প্রদত্ত ভাষণে উর্দুকে পাকিস্তানের এক মাত্র রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা করেন।
১৯৪৮ সালের এপ্রিল, পূর্ববাংলা ব্যবস্থাপক সভায় প্রাদেশিক সরকারের কাজে বাংলাভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৯৪৮ সালের ৭ মে, গঠন করা হয় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স পাকিস্তান পরে নাম বদলে রাখা হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মাসের পর “ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ’’।
১৯৪৮ সালে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়। দ্বিতীয়বার ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়। তৃতীয়বার ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর, আবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে যুদ্ধ হয় ভারত-পাকিস্তানের এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয় অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৪৯ সালের ১১ মার্চ, বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ববাংলায়  রাষ্ট্রভাষা দিবস পালিত হয়।
১৯৪৯ সালের ১১ মার্চ, নোয়াখালীর হামিদুল হক চৌধুরী ‘‘পাকিস্তান অবজারভার’’ (পরে বাংলাদেশ অবজারভার) ইংরেজী পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ, বিচারপতি এ. এস. এম. আকরাম পূর্ব বাংলার ভারপ্রাপ্ত গভর্নর নিযুক্ত হন।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোয়িশনের প্রতিষ্ঠাকাল।
১৯৪৯ সালের ১৩ অক্টোবর, মওলানা ভাসানী জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হলেন।
১৯৪৯ সালে মওলানা ভাসানী পূর্ব-বাংলা রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগের (ইপরেল) সভাপতি।
১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি, ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচোল কৃষক বিদ্রোহের সূচনা হয়।
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডের ভয়াবহ হত্যাকান্ডে ৭ জন রাজবন্দী শহীদ হলেন এবং ৪০ জন রাজবন্দী আহত হলেন। (ভূমিহীন কৃষকদের ভূমির দাবিতে ‘লাঙল যার, জমি তার’ আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, বিপ্লবী কৃষক নেত্রী ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচোল কৃষক বিদ্রোহ, শ্রমিক আন্দোলন ইত্যাদি সমগ্র দেশে ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে।)
১৯৫০ সালের ৩০ নভেম্বর, বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেণী সরকারী কর্মচারী সমিতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৫০ সালে মাছ আমাদের অন্যতম সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে তৈরী হয়েছে ‘দি প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট’।
১৯৫১ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলা ভাষাকে ‘জাতীয় ভাষা’ করার দাবিতে সারা পূর্ববাংলায় ‘জাতীয় ভাষা দিবস’ পালিত হয়।
১৯৫১ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলাভাষাকে ‘জাতীয় ভাষা’ করার দাবীতে পূর্ব বাংলায় ‘জাতীয় ভাষা দিবস’ পালিত হয়।
১৯৫১ সালে ‘‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’’(এ. বি. আর.) গঠিত হওয়ার পর ৫৬ বছরের ইতিহাসে এটিই প্রথম মামলা এবং রায়। লবির ৮ বছর জেল ও অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত-২৫ লাখ টাকা জরিমানা।
১৯৫১ সালে নারায়নগঞ্জ জেলায় ‘‘আদমজী পাটকল’’ প্রথম স্থাপিত হয়।
১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবরের পর খাজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৫১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম ছিল। ???
১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি, খাজা নাজিমউদ্দিন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে বলে ঘোষণা দেন।
১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি, পূর্ব-বাংলায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের সভাপতি হিসাবে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, বিকেলে সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ ¯েøাগানে উচ্চকিত সেই দিনে বিকেল তিনটা ২০ থেকে তিনটা ৫০ মিনিট বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। সেই ‘‘দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিট’’।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের দাবীতে পুলিশের গুলিতে নিহত। ২১ ফেব্রæয়ারিকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন এ. কে. ফজলুল হক।
১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে শোক মিছিলে পুলিশ গুলী চালায়।
১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়।
১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল, পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) ছাত্র ইউনিয়নের জন্ম।
১৯৫২ সালের ২ মে, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৫২ সালে বাংলাদেশে প্রথম গৃহ ঋণদানের অগ্রপথিক বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের যাত্রা শুরু।
১৯৫৩ সালের ১৭ জানুয়ারি, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুনীর চৌধুরী ‘কবর’ নাটক রচনা শেষ করেন।
১৯৫৩ সালের ১ মে, ‘আদমজী জুট মিলস মজদুর ইউনিয়ন’ গঠিত হয়।
১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই, ২৯৮.২০ হেক্টর জমিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয প্রতিষ্ঠিত হয়।  বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৮ জন নিহত হয়েছে ছাত্র-শিক্ষক। নব্বইয়ের পরে নিহত ১৪ শিক্ষার্থীর নয়জনই শিবিরের শিকার।
১৯৫৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৩ সালে সেচ্ছাসেবক ভিত্তিতে তদানীন্তন পূর্ব-বাংলায় পরিবার পরিকল্পনা সমিতি এদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু করে।  তারও একযুগ পরে ১৯৬৫ সালে প্রথম এদেশে সরকারীভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ১৯৭৬ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই প্রথমবারের মতো জনসংখ্যাকে দেশের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি প্রনয়ণ করেন। এ সময়ই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ করার জন্য পূর্ণকালীন মাঠকর্মী নিয়োগ করা হয়। ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট, প্রথম আলো: পাশে অঅছি তাই, ৮ কোটিরও অধিক দম্পতি অপরিকল্পিত গর্ভধারণ থেকে পেয়েছে সুরক্ষা। বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীদের প্রতি তিন জনের একজন এস.এম.সি-ও পরিকল্পনা পণ্য ব্যবহার করছে। গত ৪১ বছর না গত ৩৯ বছর ধরে পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী সরবরাহ করে এসএমসি ৮ কোটি ২৬ লক্ষেরও অধিক দম্পতিকে সুরক্ষা দিয়েছে। দেশজুড়ে গড়েছে অসংখ্য ছোট ছোট সুখী পরিবার। দিয়েছে সুস্থ ও সুন্দর জীবন।
১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর, যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।
১৯৫৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম চন্দ্রঘোনা কাগজকল স্থাপিত হয়।
১৯৫৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯৫৪ সালে মুসলিমলীগ পূর্ব-বাংলায় বিলম্বিত সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করে।
১৯৫৪ সালে ২১-দফার ভিত্তিতে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন করে। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের টিকেট প্রদান নিয়ে ফজলুল হক-সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে মওলানা ভাসানীর বিরোধ প্রকট হয়ে ওঠে।
১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ, পূর্ববঙ্গ পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট মুসলিম লীগকে পরাজিত করে।
১৯৫৪ সালের ৮ থেকে ১২ মার্চ, পূর্ব বাংলায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুসলিম লীগ ৯টি আসনে এবং যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে বিজয় অর্জন করে।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনের মধ্যেদিয়ে মওলানা সাহেব কমিউনিস্টদের নিবিড় সান্নিধ্যে আসেন।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর মন্ত্রিসভা গঠন করে।
১৯৫৪ সালের ১৪ মে, আদমজী পাটকলে বাঙালী ও অবাঙালী শ্রমিকদের মধ্যে দাঙ্গা সংঘটিত হয়। এ দাঙ্গায় সরকারী হিসাবে ৪০০ জন ও বেসরকারী হিসাবে ৬০০ জন নিহত।
১৯৫৪ সালের ৩০ মে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব বাংলায় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বাতিল করে ও ৯২(ক) ধারা জারি করে।
১৯৫৪ সালের ৩০ মে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক পূর্ব-বাংলায় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বাতিল।
১৯৫৪ সালে রহিমআফরোজ ব্যাটারিজের গোড়াপত্তন হয়।
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর, পাকিস্তানের গণপরিষদ বাতিল করা হয়।
১৯৫৪ সালের নভেম্বরে, স্টকহোমে বিশ্বশান্তি সম্মেলনের এক বিশেষ অধিবেশনে মওলানা ভাসানী আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দেন।
১৯৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, কুমিল্লায় বেসরকারী কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন ‘কলেজ শিক্ষক সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ইসলামিক একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে পুনর্গঠিত হয় সমিতি। ১৯৫৪ থেকে ২০০৪ঃ কলেজ শিক্ষক সমিতির ৫০ বছর।
১৯৫৪ সালে নাবিস্কো গøুকোজ বিস্কুটের জন্ম।
১৯৫৫ সালের ১২ মে, সিলেটের হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়।
১৯৫৫ সালের ২২ মে, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (বাফার) প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৫ সালের ১৭ জুন এবং ১৯৫৬ সালের ১৫ জানুয়ারি, মওলানা ভাসানী প্রথম ‘স্বাধীন পূর্ব-পাকিস্তান’ গঠনের কথা উল্লেখ করেন।
১৯৫৫ সালের ২৪ অক্টোবর, আওয়ামী মুসলিম লীগের নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ রাখা হয়।
১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে, বাংলা একাডেমী অর্ডার ১৯৭২ জারি। ২০০৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারীর, সংবাদ অনুসারে ঃ একুশে বইমেলা ঃ একাডেমী প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৮ সাল থেকে বইমেলা শুরু হয়। এর আগে ১৯৭২ সালে প্রথম একুশে উপলক্ষে একাডেমীর নিজস্ব বই বিক্রি শুরু হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে বাংলা একাডেমীর একুশের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে একটি বেসরকারী প্রকাশনা সংস্থা প্রথম একাডেমীর বটতলায় চাদর পেতে বই বিক্রি শুরু করে। অনেকেই বলেছেন, ওই প্রতিষ্ঠানটি ছিল মুক্তধারা। পরের বছর থেকে প্রকাশনা সংস্থা বাড়তে থাকে। তাই ১৯৭৮ সালে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ মেলায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৭৮ সালেই বাংলা একাডেমী আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার আয়োজন করে আসছে। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি মেলা আয়োজনে সহযোগী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমীর নীতিমালা প্রণয়নকালে এ মেলার নামকরণ করা হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। ১৯৯২ সালে একুশের বইমেলা একাডেমীর দেয়ালের বাইরে গিয়ে অবস্থান নেয়।  স্টলের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১৯৯৭ সালে ৫২০টিতে গিয়ে দাঁড়ায়। ১৯৯৮ সাল থেকে আবার মেলা একাডেমীর চার দেয়ালের ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেয়। ২০০৪ সালে মেলায় ৪৫৭টি স্টল থাকছে। বাংলা একাডেমী এ পর্যন্ত ৪,৪০০ বিভিন্ন বিষয়ের বই প্রকাশ করেছে।
১৯৫৬ সাল থেকে আমি মোঃ জাকির হুসেন ওরফে আলমগীর প্রাইমারী স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বিড়ি-সিগারেট পান করতে থাকি এবং ১৯৮৬ সালের ১৮ জুলাই, মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর) সিগারেট পান করা বন্ধ করি। এরপর থেকে আমি বলি যে, আমি যদি সিগারেট পান করি তা’হলে আমি আমার পস্রাব পান করি। এ কথা তিনবার বলার পর আর পান করিনি। ০৪-১০-২০১৫ তারিখ পর্যন্ত সিগারেট আর পান করিনি।
১৯৫৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, মওলানা ভাসানী, মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ও শহীদ বরকতের মা  যৌথভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তি স্থাপন করেন।
১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার সেগুনবাগিচায় ‘বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৬ সালে সমিতির কার্যক্রম শাহবাগে স্থানান্তরিত হয়।
১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গণপরিষদে গৃহীত হয়।
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ, পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান কার্যকর হয়। এ সংবিধানে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
১৯৫৬ সালে ‘‘পূর্ববাংলার’’ নাম  ‘‘পূর্ব পাকিস্তান’’ রাখা হয়।
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ, পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়।
১৯৫৬ সালের ২৪ মার্চ,শের-ই-বাংলা এ.কে.ফজলুল হক পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্ণর নিযুক্ত হন।
১৯৫৬ সালের ২২ জুলাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোং লিমিটেডের জন্ম।
১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়-মোহাম্মদ সিদ্দিক খানের নের্তৃত্বে বাংলাদেশের গ্রন্থাগার সমিতি।
১৯৫৬ সালের ৩ আগষ্ট, পূর্ব-পাকিস্তানের নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ মুক্তি লাভ করে।
১৯৫৬ সালের ২৯ আগস্ট, খাদ্যের দাবিতে ঢাকায় ‘ভুখা মিছিল’ হয়।
১৯৫৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, আবদুল জব্বার পরিচালিত  ঢাকার প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ মুক্তি লাভ করে।
১৯৫৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলে, ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৫৬ সালে দুটো উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। প্রথমটি আওয়ামী ‘মুসলিম’ লীগ নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি প্রত্যাহার;দ্বিতীয়তঃ ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ, দেশের প্রথম সংবিধান ঘোষণা।
১৯৫৬ সালেই সর্বপ্রথম গণ-পরিষদে সাংবিধানিক প্রশ্ন নিয়ে তুমুল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫৬ সালে ‘পূর্ব-পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি’র কলকাতায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, কমিউনিষ্টরা আওয়ামী লীগের মধ্যে কাজ করবেন।
১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর, প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কচি-কাঁচার মেলা। প্রতিষ্ঠাদের মধ্যে ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল, কবি জসিমউদ্দিন, ড. কুদরত-এ-খুদা, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, ড. আবদুল্লাহ আলমুতী শরফুদ্দীন ও অধ্যাপক অজিত গুহ প্রমুখ। এখন তাঁদের কেউ বেঁচে নেই (০৬-১০-২০১১)।
১৯৫৬-৫৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, গভর্ণর শের-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, আতাউর রহমান খাঁনকে পূর্ব-পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ মন্ত্রীসভা গঠনের দায়িত্ব দেন।
১৯৫৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি, ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানীর কন্ঠে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার আহবান।
১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলনে লেনিন, গান্ধী প্রমুখ নেতার ছবি সম্বলিত তোরণ, ভারত থেকে তারাশঙ্কর, প্রবোধ কুমার সান্যাল প্রভৃতি সাহিত্যিকদের আমন্ত্রণ, দেশী-বিদেশী সংস্কৃতি চেতনাসম্পন্ন পন্ডিত ব্যক্তিদের আলোচনার মধ্যদিয়ে বাঙালির জাতীয় অনুসন্ধান সাধনের কথা আজ ভাবতেও অবাক লাগে।
১৯৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে কাগমারী সম্মেলন শুরু।
১৯৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, ঐতিহাসিক কাগমারীতে দু’দিনব্যাপী ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক সম্মেলন।
১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল, তৎকালীন পাকিস্তানের প্রাদেসিক পরিষদে শিল্পমন্ত্রী হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এফ.ডি.সি. বিল উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৫৭ সালে প্রথম ১৫ জন লোক নিয়ে এফ. ডি. সি.’র কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৮ সালে এ প্রতিষ্ঠানে ৫(পাঁচ) হাজার লোক কাজ করে। ২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের তথ্যানুযায়ী-এফ. ডি. সি-তে ১০(দশ) হাজার লোক কাজ করে। আর এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা করেছে বর্তমান সরকার মানে আওয়ামী লীগ। আর. এ. ঐতিহাসিক দিনেই এবার দেয়া হলো ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১০’।
১৯৫৭ সালের ৩০ মে, ‘পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন’ (ইপসিক) প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২ সালে নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন’ (বিসিক)।
১৯৫৭ সালের ২৪ জুলাই, মওলানা ভাসানী আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৫৭ সালের ২৫ জুলাই, মাওলানা ভাসানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করে।
১৯৫৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তানের করাচিতে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ নামে আজকের ‘‘বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান’’ (বিআইডিএস)-প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৭ সালের ১১ অক্টোবর, প্রেসিডেন্টের অভিপ্রায় অনুসারে সোহরাওয়ার্দী পদত্যাগ করেন।
১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানী এবং সোহরাওয়ার্দী সাহেবের বিরোধ আরো তীব্র হয়ে ওঠে।
১৯৫৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।
১৯৫৮ সালের ৮ মার্চ, ঢাকা মুসলিম চেম্বার এবং ইউনাইটেড চেম্বার একত্রকরণের মাধ্যমে ‘‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির’’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
১৯৫৮ সালে ঢাকায় শিক্ষা স¤প্রসারণ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৮ সালের শুরুতে মওলানা ভাসানী কৃষক সমিতি গঠন করেন।
১৯৫৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রেক্ষিতে সরকার বরিশালের মেরিন ওয়ার্কশপটি তাদের কাছে হস্তান্তর করে।
১৯৫৮ সালের ১৮ আগষ্ট, বাঙলাদেশের সাঁতারু ব্রজেন দাসের ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম। বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেন।
১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা পাকিস্তানে সামরিক আইন জারী করে ৮ অক্টোবর, প্রধান সেনাপতি আইয়ূব খানকে দেশে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধান সামরিক প্রশাসক নিযুক্ত করেন।
১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে জেনারেল আইয়ূব খান পাকিস্তানের স্বনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন।
১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবর, ‘ঢাকা বণিক ও শিল্প সমিতির’ (ডিসিসিআই)-এর প্রতিষ্ঠা। ৩১-১০-২০০৮ সালে (ডিসিসিআই)-এর ৫০ বছর বা সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেন।
১৯৫৮ সালে গাজীপুর ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেলের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত ক্যাডেট কলেজের মাদ্যমে ক্যাডেট কলেজ সংক্রান্ত ধারণা বিকাশ লাভ করতে থাকে।
১৯৫৯ সালের ২৭ মে, আই. সি. এস. অফিসার আখতার হামিদ খান-কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড)’র প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৫৯ সালের ১৯ মে, পূর্ব-পাকিস্তানে বর্তমান বাংলাদেশে বাঙ্গালী উদ্যোগে শুরু হয়েছিল ব্যাংকিং-এর এক নতুন অধ্যায় তৎকালীন ‘‘হাবিব ব্যাংক লিমিটেড’’ বর্তমানে ‘‘পূবালী ব্যাংক লিমিটেড’’ এ ব্যাংকই প্রথম ব্যাংক বাঙ্গালীদের।
১৯৫৯ সালের ১২ আগষ্ট, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ)’র প্রতিষ্ঠা।
১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর, পাকিস্তান সরকার মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ জারি করে। মৌলিক গণতন্ত্রের প্রবর্তক ছিলেন আইয়ূব খান।
১৯৫৯ সালের ২৭ অক্টোবর, পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খান তাঁর বিল্পব ঘোষণা করেন।
১৯৬০ সালে খুলনা-বাগেরহাটের মংলা সমুদ্রবন্দরের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৬০ সালে বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙাশিল্পের যাত্রা শুরু হয়।
১৯৬০ সালের ২০ জুন, মহাখালীতে পাক-সিয়াটো কলেরা  গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৬০ সালের ১৩ জুলাই, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ইরির ৫০ বছর উপলক্ষে ১৩-০৭-২০১০ তারিখ ধানমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৬১ সালে আইয়ূব খান পূর্ব-পাকিস্তান সফর করেন; তখন যদিও রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ছিল তবুও ঐ বছরের শেষ দিকে পূর্ব-পাকিস্তানে সর্বপ্রথম সামরিক আইন বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।
১৯৬১ সালের ১৮ আগষ্ট, ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে ৩-কিলোমিটার দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে প্রায় ১২৩০ একর জমি জুড়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে সার কারখানা স্থাপিত হয়।
১৯৬২ সালের ৩১ জানুয়ারি, করাচিতে আকস্মিকভাবে সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৬২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, শেখ মুজিবুর রহমান আগরতলা গিয়েছিলেন এবং আগরতলা একদিন ছিলেন তার পরের দিন ১৯৬২ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আবার কেউ কেউ বলেন ১৯৬৩ সালে আগরতলা গিয়েছিলেন তিনি এবং ১৫ দিন ছিলেন আগরতলা এবং কেউ কেউ বলেন একদিন ছিলেন আগরতলাতে। কোনটি সঠিক তা আমার জানা নেই।
১৯৬২ সালের ১ মার্চ, আইয়ূব খান তাঁর ‘মৌলিক গণতন্ত্র’ পরিকল্পিত শাসনতন্ত্র ঘোষণা করেন। এ শাসনতন্ত্রের লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিল শাসন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টের চিরস্থায়িত্ব।
১৯৬২ সালের ১ এপ্রিল, থেকে তিতাস গ্যাস উত্তোলন শুরু।
১৯৬২ সালের ২৮ এপ্রিল, আইয়ূব খান পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদের নির্বাচন ঘোষণা করেন।
১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প সির্মাণ করা হয়।
১৯৬২ সালের ৮ জুন, আইয়ূব খান নির্বাচনের কিছুদিন পর সামরিক শাসন রহিত ঘোষণা করেন।
১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বর, ছাত্ররা গণমুখী ও বিজ্ঞান ভিত্তিক গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার দাবীতে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, গণবিরোধী হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্র আন্দোলন ও হরতাল পালিত হয়।
১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, পুলিশ গুলি চালালে বাবুল, মোস্তফা, ওয়াজিউল্লাহসহ অনেকে শহীদ হন। শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের নামানুসারে ‘শরিফ কমিশনের’ বিরুদ্ধে আন্দোলনে এরা শহীন হন।
১৯৬২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ২১৫ একর জমির উপর করা হয়, ১৯৭ কোটি টাকা ব্যয়, ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি এবং প্রথম অধিবেশন বসে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ সালে।
১৯৬২ সালে ফুটবলার জহিরুল হকের হাতে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার তুলে দেয়ার মধ্যে দিয়ে যে শুরু সেরাদের স্কীকৃতি দেয়া, তা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি।
১৯৬২ সালের ১৫ ডিসেম্বর, সনদপ্রাপ্ত হিসাব নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান (সিএ ফার্ম) রহমান রহমান হকের জন্ম। ১৯৬২ সালে হিসাববিদ রেজাউর রহমান, সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও তৎকালীন পাকিস্তানের হিসাববিদ তাফসিন আই. হক এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৬৩ সালে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে ১৫ ভাগের মতো স্বাক্ষরতার হার ছিল।
১৯৯৭ সালের ২৭ জানুযারির তথ্যানুযায়ী ঃ বাংলাদেশে নিরক্ষর লোকের সংখ্যা ৭(সাত) কোটি ২২(বাইশ) লক্ষ।
২০০৩ সালের ১০ মে, সিরাজগঞ্জকে নিরক্ষরমুক্ত জেলা ঘোষণা। এ কথার অর্থ মিথ্যা বলা।
২০০৫ সালের ১৩ অক্টোবর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন-২০০৫। বাংলাদেশ শিক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে।
২০০৯ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ শিক্ষিত। শিক্ষিত হিসাবে গণ্য করার আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী শিক্ষার এ হার নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ১১ বছর বয়স্কদের শিক্ষার গড় হার এখন ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ১৫ বছরের অধিক বয়স্কদের বেলায় ওই হার ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ‘লিটারেসি অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে-২০০৮’ শিরোনামে প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী শিক্ষার হার গ্রাম ও শহরের মোট ১২,০৯৬ জন উত্তরদাতা জরিপে অংশ নিয়েছে। জরিপে দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় নারীর শিক্ষার হার বেশি। পুরুষের শিক্ষার হার ৪৮ দশমিক ৬ এবং নারীদের শিক্ষার হার ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ। বয়স্ক (১৫+) শিক্ষার হার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং সিলেটে সর্বনিম্ন ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ। তারা লিখতে, পড়তে ও গুনতে পারে। তবে সরকারি হিসাবে সাক্ষরতার হার এখন ৬৫ শতাংশ বলে দাবি করা হয়। যারা নাম সই করতে পারে তাদেরই সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন বলে ধরে নেওয়া হয়। বিবিএস শিক্ষার হারের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সাক্ষরতার নয়।
২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার খবর ঃ ২৪ ঘন্টা শিক্ষা বিষয়ক নতুন টিভি চ্যানেল হচ্ছে-আগামী এক বছরের মধ্যে দেশে স্বক্ষরতার হার শতকরা ১০০ ভাগে উন্নীত করতে চায় সরকার।
২০১০ সালের ২১ জুলাই, আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরো প্রকাশিত স্টাটিস্টিক্যাল ইয়ারবুক অব বাংলাদেশ-২০০৮-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে শিক্ষার গড় হার ৬১.৩ ভাগ।
২০১২ সালের ১৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পুরুষের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ আর নারীর মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৪৯ দশমিক ৪ জন। বর্তমানে শিক্ষার হার ২৫ ভাগ মানুষ। লিখতে পড়তে পারে তাকে শিক্ষিত বলা হয়। বাংলাদেশে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ শিক্ষিত এবং লিখতে-পড়তে পারে। আর স্বাক্ষরতার হার কত ভাগ। আমার মনে হয় ৫২ ভাগ মানুষ স্বাক্ষর করতে পারে।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : সাক্ষরতার হার ৬১% আর নিরক্ষরতার ৩৯%। নিরক্ষরতার আর্থিক মূল্য আট হাজার কোটি টাকা।
১৯৬৪ সালের ২৯ মার্চ, প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের দাবিতে হরতাল পালিত। পল্টন ময়দানে বিশাল গণসমাবেশে মওলানা ভাসানী ও মাওলানা তর্কবাগীশ বক্ততা করেন।
১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল, সর্বজনীনভাবে বাংলা নববর্ষের উৎসব ছায়ানটের উদ্যোগে ঢাকার রমনা বটমুলে শুরু হয়। উৎসব হিসেবে বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়।  দেশ স্বাধীন হবার পর নববর্ষ উৎসব জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলা ও ছোট শহরেও বাংলা নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়।
১৯৬৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে বিরোধী দলসমূহের সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬(ছয়) দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
১৯৬৫ সালে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬৫ সালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটিকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়।
১৯৬৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম রবার চাষ করা হয় চট্টগ্রাম অঞ্চলে।
১৯৬৫ সালের প্রণীত কারখানা আইন এখনো বাংলাদেশে বলবৎ আছে।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার শত্রæ সম্পত্তি আইন জারি করে। পাকিস্তান সরকার দেশ আইন হিসেবে ৯ সেপ্টেম্বর, ‘ডিফেন্স অব পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স’ জারি করে। তাতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর দিন থেকে ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারির মধ্যে পাকিস্তানের যেসব নাগরিক শত্রæ রাষ্ট্র ভারতে অবস্থান করেছে, তাদের সম্পত্তি(বাড়ি-ঘর, জমি, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান) শত্রæ সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে এবং সরকারের হেফাজতে চলে যাবে।
১৯৬৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর, বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়ে ১০ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, লাহোরে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমানের  ঐতিহাসিক ‘৬-ছয় দফা’ কর্মসূচী উপস্থাপন।
১৯৬৬ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, বিরোধীদলের সম্মেলনে ৬-দফা উত্থাপন করেন।
১৯৬৬ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ (ছয়) দফা কর্মসূচী  অনুমোদিত হয়।
১৯৬৬ সালের ১ মার্চ, শেখ মুজবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৬ সালের ১৬ মার্চ, ছয় দফাকে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের নীল নকশা বলে অভিহিত করেন আইয়ূব খান। তিনি অস্্েরর ভাষা প্রয়োগের হুমকি দেন।
১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ, প্রথম ৬ দফার জনসভাটি হয়েছিল-আমীর হোসেন আমু বলেছেন-দৈনিক জনকন্ঠের ইডিটরিয়েল কলামে লিখেছেন ২৩ জুন, ২০১৩ সালে।
১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ, শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠাণিকভাবে ৬-দফা পেশ করেন।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন, লাহোরে ছয় দফার ঘোষণা দেন শেখ মুজিবুর রহমান। ছয় দফা প্রস্তাবে ছিলঃ-(১) শাসনতান্ত্রিক গ্যারান্টির আওতায় পাকিস্তানের ফেডারেল রাষ্ট্র কাঠামোর প্রতিষ্ঠা, যার ভিত্তি হবে ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব, সরকার হবে পার্লামেন্টারি পদ্ধতির, থাকবে সর্বজনীন ভোটাধিকার ও সার্বভৌম আইন পরিষদ; (২) ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়, অবশিষ্ট বিষয়গুলো ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর হাতে থাকবে; (৩) দুটি পরস্পর বিনিয়োগযোগ্য মুদ্রা বা পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং ব্যবস্থাসহ একটি মুদ্রাব্যবস্থা। আর থাকবে পূর্ব থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন প্রবাহ রোধের শাসনতান্ত্রিক বিধান প্রভৃতি। (৪)  পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন; দেশরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি ও মুদ্রাঃ-মাত্র এই তিনটি ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রাখিয়া বাকি সকল ক্ষমতা পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান আঞ্চলিক সরকারদ্বয়ের হাতে ন্যস্ত থাকিবে। (৫) ফেডারেল ও পার্লামেন্টারি শাসন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। (৬) সকল রাজবন্দীর মুক্তি, হুলিয়া প্রত্যাহার, জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করা, দমনমূলক সকল বিধি-নিষেধ বাতিল করা।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন, ছয় দফার সমর্থন ও পূর্ন আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পূর্ব বাংলায় হরতাল পালিত হয় (টঙ্গী, ঢাকা ও ও নারায়ণগঞ্জে) পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক, শামসুল হক, মুজিবুল হকমহ বেশ কয়েকজন মানুষ শহীদ হন। পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিহত ও শত শত আহত হয়।
১৯৬৭ সালের ৩০ এপ্রিল, পাকিস্তান ডেমোক্রাটিক মুভমেন্টের ৮ দফা কর্মসূচী পেশ করা হয়।
১৯৬৭ সালের ২৪ জুন, পাকিস্তান সরকার রেডিও ও টেলিভিশনে রবীন্দ্রসঙ্গীত বন্দের নির্দেশ দেন।
১৯৬৭ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে প্রথম লৌহ ও ইস্পাত কারখানা স্থাপিত হয়।
১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আইয়ূব-মোনেম চক্র পূর্ব-পাকিস্তানে কয়েকজন সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তান স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে  মামলা করেন।
১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামি করে মোটি ৩৫ বাঙালি সেনা ও সিএসপি অফিসারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসাবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে।
১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি, সদ্য কারামুক্ত শেখ মুজিবকে পুণরায় গ্রেফতার করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।
১৯৬৮ সালের ১১ এপ্রিল, আইয়ূব-মোনেম চক্র এক সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে পাকিস্তান সরকার একটি মামলা দায়ের করেন “আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’’। মামলায় ৩৫ জন বাঙ্গালী সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও রাজনীতিককে আসামী করে গ্রেফতার। তাঁদের মধ্যে মর্তমানে মাত্র ১০ জন জীবীত আছেন (২৫-১০-২০১০ তারিখ)। প্রকৃতপক্ষে ৬-দফা আন্দোলন নস্যাৎ করাই ছিল এ মামলার উদ্দেশ্য। ১৯৬৮ সালের স্টেট ভার্সেস শেখ মুজিব এন্ড আদার্স শিরোনামে মামলা যা সংবাদপত্রের কল্যাণে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ হিসেবে পরিচিত তা একশতভাগ সত্য ছিল। ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ ডেপুটি স্পিকার কর্ণেল শওকত আলী বললেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা একশতভাগ সত্য ছিল।
১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্তরুপে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলিতে সার্জেন্ট জহুরুল হকের মৃত্যু।
১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের রিডার ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন।
১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, শেখ মুজিবসহ আগরতলা মামলার সকল আসামী এবং কমিউনিষ্টরাসহ অপরাপর রাজবন্দীদের মুক্তিলাভ করে।
১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা তুলে নেয়া হয়।
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি’ দেয়।
১৯৬৯ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, গোলটেবিল বৈঠকে যোগদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঢাকা ত্যাগ।
১৯৬৯ সালের ৮ মার্চ, পশ্চিম-পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে মওলানা ভাসানী কর্তৃক পুনরায় গোলটেবিল বৈঠকের বিরোধিতা এবং চলমান আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার আহবান।
১৯৬৯ সালের ১০ মার্চ, রাওয়ালপিন্ডিতে সর্বদলীয় গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গোলটেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ। আওয়ামীলীগের ৬-দফা ও ছাত্রদের ১১-দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের দাবি।
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর, পূর্ব-পাকিস্তান টেলিভিশন ঢাকার ডি.আই,টি. ভবনে স্থাপিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পর থেকে ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’ নামকরণ করা হয়।
১৯৬৮ সালে টাঙ্গাইল জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-২৫১৬টি, ইউনিয়ন-১০৮টি।
১৯৬৮ সালের ১৭ অক্টোবর, ‘বিটপীর ৪০ বছর মানে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনশিল্পেরই ৪০ বছর’ (১৭-১০-২০০৮ সালে) পালিত হয়। বিটপী অর্থ চারা গাছ।
১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৯ অক্টোবর, ২০০৮ সালে উদীচীর ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। উদীচীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগ্রামী সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্তসহ কয়েকজন প্রগতিশীল মানুষ।
১৯৬৮ সালের ৬ ডিসেম্বর, মওলানা ভাসানীর ঘোষিত “জুলুম প্রতিরোধ দিবস’’ পালিত। বিকেলে পল্টন ময়দানে জনসভায় মওলানা ভাসানীর ঘোষণাপূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন, প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটারাধিকার, রাজবন্দীদের মুক্তি এবং আঞ্চলিক বৈষম্যের অবসানের দাবিতে প্রয়োজনে খাজনা, ট্যাক্স প্রদান বন্ধ করা হবে। সভা শেষে তাঁর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল; গভর্ণর হাউস (বঙ্গভবন) ঘেরাও। ভাসানীর সংঙ্গে পাঞ্জাবী পরিহিত কমিউনিস্ট নেতা আব্দুল হক। পুলিশের বাঁধা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মওলানা ভাসানী কর্তৃক পর দিন ঢাকায় হরতাল আহবান।
১৯৬৮ সালের ৭ ডিসেম্বর, আইয়ূব খাঁনের কুশ-পুত্তলিকা দাহ।
১৯৬৮ সালের ৮ ডিসেম্বর, মওলানা ভাসানীর ডাকে প্রদেশব্যাপী হরতাল। ব্যপক পুলিশী নির্যাতন, গ্রেফতার ও অসংখ্য আহত, প্রদেশব্যপী প্রচন্ড বিক্ষোভ।
১৯৬৮ সালের ১২ ডিসেম্বর, মওলানা ভাসানীর আহবানে পূর্ব-পাকিস্তানে হরতাল। জুময়’ার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম  প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাযা ঠেকানোর জন্য পুলিশ ও ই. পি. আর. এর অবরোধ।
১৯৬৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর, ভাসানী ন্যাপের পক্ষ থেকে ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারা প্রদেশে ঘেরাও আন্দোলন’’ কর্মসূচী শুরু করার ঘোষণা।
১৯৬৮ সালে আইয়ূব খাঁন তার স্বৈরাচারী শাসনের দশ বছর পুর্তি অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং আইয়ূব খাঁন তাঁর ১টি বইয়ের নাম দেন “প্রভু নয় বন্ধু”।
১৯৬৮ সালের শেষের দিকে এবং ১৯৬৯ সালের প্রথম ভাগেই আন্দোলন ব্যাপক ও তীব্র আকার ধারণ করে এবং শেষ পর্যন্ত গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
১৯৬৮ সালে আমি (আতাউর রহমান) এবং জিয়া হায়দার মিলে নাগরিক নাট্যস¤প্রদায় গঠন করি।
১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি, গ্রামাঞ্চলে ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচী সর্বাত্মক ও সার্থক করার পাশাপাশি সারা দেশে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য মওলানা ভাসাীর আহবান।
১৯৬৯ সালের ৮ জানুয়ারি, পূর্ব পাকিস্তানের ৮টি রাজনৈতিক প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা এবং আইয়ূব মোনায়েম খানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরোধী ছিল। ডাক ভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল নেজামে ইসলাম, কাউনসিল মুসলিম লীগ, জামাতে ওলামায়ে ইসলাম, আওয়ামী লীগ (পি. ডি. এম. পন্থী), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, জামাতে ইসলাম, এন. ডি. এফ. ও আওলামী লীগ ছিল।
১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি, ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন), ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) এবং ছাত্রলীগের সমন্বয়ে “ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’’ গঠন এবং ডাকসু কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ১১-দফা কর্মসূচী ঘোষণা।
১৯৬৯ সালের ১৪ জানুয়ারি, পূর্ব বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ১১-দফা কর্মসূচী গ্রহণ।
১৯৬৯ সালের ১৮ জানুয়ারি, আটক আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামী ঘোষণা।
১৯৬৯ সালের ১৮ জানুয়ারি, ১১ দফার দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক বটতলায় ছাত্র সমাবেশের পর মিছিল। ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশের কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ।
১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি, ই. পি. আর.-এর গুলিতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ আহত।
১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি, ছাত্র মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ।
১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি, আসাদুজ্জামান শহীদ হওয়ার সংবাদে মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটে প্রবেশের মূল ফটকের নামকরণ করা হয় “আসাদ গেট’’।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি, হরতাল।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি, আইয়ূবি শাসনের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান ঘটে এবং নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মতিউর পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। ছাত্র-জনতার মিছিল।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি গণ-অভ্যুত্থান। সামনের সারিতে তৎকালীন ছাত্রনেতা মাহবুব-উল্লাহ।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি, প্রেস ট্রাস্টের পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তানে অগ্নি সংযোগ।
১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, ছাত্রসমাজের ১১-দফা দাবী অনুযায়ী সরকার কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবসের ছূটি ঘোষণা।
১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, সেনাবাহিনীর গুলিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা নিহতের সংবাদে ঢাকায় প্রচন্ড বিক্ষোভ। সান্ধ্য আইন উপেক্ষিত অসংখ্য ছাত্র-জনতা আহত ও গ্রেফতার। শেখ মুজিব সংক্রান্ত গুজব অব্যাহত।
১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা তুলে নেয়া হয়।
১৯৬৯ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খানের জরুরী গোলটেবিল বৈঠক শুরু।
১৯৬৯ সালের ৩ মার্চ, ঢাকায় পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত। প্রাক্তন পুলিশ অফিসারদের বিক্ষোভ মিছিল।
১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ, প্রাদেশিক গভর্ণরের পদ থেকে মোনায়েম খানের অপসারণ; গোপনে স্বপরিবারে ঢাকা ত্যাগ। প্রদেশের অর্থমন্ত্রী ড. এম. এন. হুদা নতুন গভর্ণর হিসেবে নিযুক্ত। শেখ মুজিবসহ বিরোধী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গভর্ণর হুদার ঘরোয়া আলোচনা।
১৯৬৯ সালের ২৪ মার্চ, পশ্চিম-পাকিস্তান থেকে মওলানা ভাসানী ফিরছেন। তেঁজগা বিমান বন্দরে অপেক্ষা করছেন জনতা।
১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খান ক্ষমতাচ্যুত হন। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা গ্রহণ। সারা পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি এবং সকল রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ, বিভ্রান্তির মধ্যে হরতাল পালিত। পুলিশের গুলিতে ১ জন নিহত ও ৩ জন আহত।
১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম-৫৬০টি, ইউনিয়ন-৬৭টি।
১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কায়তোল্লা গ্রামে ২২(বাইশ) জন গরু চোরকে গ্রাম্য সালিশীর ভিত্তিতে হত্যা করা হয়।
১৯৬৯ সালের ৮ নভেম্বর, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৯ সালে দেশের প্রাচীন ও প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লি.-এর সদস্যসংখ্যা-২৩০ জন এ উন্নীত করা হয়। ২০-০৫-২০০৫-এর পূর্বে সদস্যসংখ্যা ছিল-১৯৫ জন। ২০০৫ সালের ৩ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় মোঃ আসাদুজ্জামান ঃ ৬২,৬৭৪টি ভুয়া বেনিফিশিয়ারী ওনার্স (বিও) একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’র নির্দেশ ডিপিরা (ডিপোজেটরি পার্টিসিপেন্ট) এসব ভুয়া বিও একাউন্ট বন্ধ করেছে। ভুয়া একাউন্ট বন্ধ করার পর বর্তমানে ডিপিগুলোতে বিও একাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬০৩টি। ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, ফজলুল বারী ঃ শেয়ার বাজারে আবারো ধস। বিনিয়োগকারীরা রাজপথে ঃ মাত্র ১৪ মাসে মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। সিএসই কর্মকর্তারা ভূয়া ‘বিও’ একাউন্টে শেয়ার ব্যবসা করছে।-অর্থনৈতিক রিপোর্টার। ২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই)-এর বাজার মূলধন-১,০২,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ২০০৯ সালের ১২ আগষ্ট, আমাদের সময় ঃ বৃহত্তর শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূলধন এখন জাতীয় বাজেটের (২০০৯-২০১০) চেয়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ বাজার মূলধন বেড়ে ১,২৮,০০০(এক লাখ আটাশ হাজার) কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। ২০০৯ সালের ১৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সব মিলিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) মোট বাজার মূলধন ছিল এক লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার ঘরে। আমাদের সময় ১২-০৫-২০১০ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) মোট বাজার মূলধন দুই লাখ বিয়ালি­শ হাজার কোটি দাড়িয়েছে।  ১৮-০২-২০১০ তারিখ শেয়ারের তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুসারে, বর্তমানে বিনিফিশনারী অনার্স একাউন্ট (বিও) হিসাবের সংখ্যা ২১ লাখ ৭০ হাজার। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ২৪-০৫-২০১০ তারিখ ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছয় হাজার ছিয়ানব্বই পয়েন্টের মাইলফলক। ১৪-০৬-২০১০ তারিখ ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছয় হাজার তিনশত চব্বিশ পয়েন্টের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। ০৯-১০-২০১০ তারিখ ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৮০৮৩.০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ২৮-১০-২০১০ তারিখ ডিএসইর ২,৯৪৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং সিএসইর ৩৪০ কোটি ৪৭ লাখ টাকার রেকর্ড লেনদেন হয়েছে। ডিএসই + সিএসই= সম্মিলিত লেনদেন হয়েছে তিন হাজার দুইশত ছিয়াছি কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ৩১-১০-২০১০ তারিখ ডিএসইর ৩,২০৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং সিএসইর ৩৪০ কোটি ৪৭ লাখ টাকার রেকর্ড লেনদেন হয়েছে। ডিএসই + সিএসই=সম্মিলিত লেনদেন হয়েছে তিন হাজার পাঁচশত উনপঁঞ্চাশ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আমাদের সময় ০৫-১২-২০১০ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) মোট বাজার মূলধন তিন লাখ ৬৮ হাজার কোটি ৪১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। ১১ মাসে দ্বিগুন ডিএসইর বাজার মূলধন। ২০,২১৬ কোটি টাকার শেয়ারের দাম এখন দৈনিক জনকন্ঠ ১৮-১০-২০১০ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) মোট বাজার মূলধন তিন লাখ ২৫ হাজার ৯২৭ কোটি ৭৬ লাখ ৩ হাজার টাকার মাইলফলক ছাড়াল। পুঁজি বাজারে ইস্যুকৃত এসব শেয়ারের মূলধনের তুলনায় বাজার মূলধনের পরিমাণ ১৬ গুনেরও বেশি। ১৭-১১-২০০৯ তারিখে ডিএসইতে তালিকাভূক্ত সকল শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ডের বাজার মূল্য ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬১৯ কোটি ৭০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। বর্তমানে ১৪-১০-২০১০ তারিখে বাজার মূলধনের পরিমাণ ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯২৭ কোটি ৭৬ লাখ ৩ হাজার টাকা। চলতি বছরের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা। ২৪-১০-২০১০ তারিখ পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের আওতাধীন বিও হিসাবের সংখ্যা ৩০ লাখ ১৮ হাজার ১২২টি। এরমধ্যে সক্রিয় হিসাবগুলোর মধ্যে ২২ লাখ ২১ হাজার ৬৭৪টি পুরুষ বিনিয়োগকারীর এবং ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৪টি নারী বিনিয়োগকারীর। এছাড়া বাকি ৭ হাজার ৯১৪টি বিও হিসাব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে চালু আছে। অন্যদিকেপ্রবাসী বাংলাদেশীদের নামে চালু থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ৪০৪টি। গত বছর বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬৭টি। মাদ্র এক বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৩৯টি। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে জানা যায় গতকাল রবিবার (২৪-১০-২০১০ তারিখ  পর্যন্ত) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের আওতাধীন বিও একাউন্ট নং-৩০ লাখ ১৮ হাজার ১২২টি। ২২-১১-২০১০ তারিখ সূচক ও বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড। ডিএসইর সূচক ৮,৫৯৮ পয়েন্টে উন্নীত এবং বাজার মূলধন হয়েছে ডিএসই ও সিএসইর বাজার তিন লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। ডিএসই বাজার মূলধন তিন লাখ কোটি টাকা। ৩১-১২-২০১০ তারিখ বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৮ জনে দাড়িয়েছে। সেই হিসাবে এক বছরে পুঁজিবাজারে নতুন প্রায় ১৯ লাখ ৪২ হাজার বিনিয়োগকারী যুক্ত হয়েছে। ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(ডিএসই) বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশের শেয়ারবাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে(ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ৫৫২ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে। দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে এক দিনে এত বেশি পতনের ঘটনা এটাই প্রথম। আর ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর, তা ৮৪ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে তিন লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। জিডিপির অনুপাতে ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অতি চাহিদার কারণে মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ শেয়ারবাজারে ধস ঠেকাতে আবারও লেনদেন বন্ধ। সব শেয়ারের অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা। ২০১১ সালের ২০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ শেয়ারবাজারের  ডিএসই সার্বিক সূচক ঃ ৫৭৩৯ এবং ডিএসই সাধারণ সূচক ঃ ৬৯১৩। মোট লেনদেন ৫৩৭.৪০ কোটি টাকা। ২০১১ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ শেয়ারবাজারের  ডিএসই সার্বিক সূচক ঃ ৫২৬৩ এবং ডিএসই সাধারণ সূচক ঃ ৬৩২৬। মোট লেনদেন ৬৮ কোটি টাকা। সিএসই মোট লেনদেন ১২ কোটি টাকা। ক্রেতা নেই, বাজার বন্ধ। ২৪-০১-২০১১ তারিখ রোববারও শেয়ারবাজার বন্ধ, ৬ ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন এক মাস স্থগিত, বুক বিল্ডিং পদ্ধতি বন্ধ। ১৯৯৬ সালে কয়েক হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে গুটি কয়েকজন নিয়েছিল এবারও (ডিসেম্বর, ২০১০ ও জানুয়ারি, ২০১১) ৬৪ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে নিয়ে গেছে। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ এসইসির চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টের তিরস্কার। শেয়ারবাজারের ঘটনা রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ০৮-০২-২০১১ তারিখে প্রথম আলো ঃ শেয়ারের দরপতন চলছেই দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। ১৩-০৭-২০১১ তারিখে আবার বাজার মূলধন ৩(তিন) লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। ৩৪ লক্ষ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজারে ব্যবসা করছিলেন তারমধ্যে ৫ লক্ষ বিনিয়োগকারী ব্যবসা থেকে আউট। আর ১৯ লক্ষ বিনিয়োগবারী ৩৩% ভাগ শেয়ার প্রতিদিন বাধ্যতামূলক বিক্রির কারণে তাঁদের পুঁজি হারিয়েছে। আর বর্তমানে ১০ লক্ষ বিনিয়োগকারী শেয়ার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পতন ঠেকাতে প্রণোদনা। ২০১১ সালের ৩ আগস্ট, ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল-তিন লাখ ৮৫৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ১ অক্টোবর, ২০১১ সালে ডিএসই সাধারণ সূচক-৫,৯০২ ছিল। ১৭ অক্টোবর, ২০১১ সালে ডিএসই সাধারণ সূচক-৫,৪২৪ হয়েছে। ২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ডিএসইর সূচক পাঁচ হাজারের নিচে। ১৪-১১-২০১১ তারিখ সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় চার হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল, তিন লাখ দুইশত পঁয়ত্রিশ হাজার কোটি লক্ষ সাতানব্বই হাজার আটশত একসট্টি টাকা।
১৯৯৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারির তথ্য-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের শেয়ার বাজার হ’তে ৫২৮(পাঁচশত আটাশ) কোটি  টাকা নিয়ে গেছে।
২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংবাদ সম্মেলনে ২০০৯ সালের জন্য ডিএসইর লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশ। পুঁজিবাজারের মূলধন দুই হাজার কোটি ডলার করা হবে।
২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১৯৯৬-এর শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলা নিষ্পত্তি হয়নি এক যুগেও।
২০০৯ সালের ২ নভেম্বর, আমাদের সময় ঃ ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ঢাকার পুঁজিবাজারের মূলধন।
২০০৯ সালের ১৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ গ্রামীণফোনের লেনদেন শুরু, ডিএসইর সূচকে রেকর্ড। শেয়ার লেনদেন শুরুর এক দিনেই গ্রামীণফোনের জন্য ডিএসইর বাজার মূলধন ২৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা বেড়েছে। সব মিলিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) মোট বাজার মূলধন ছিল এক লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার ঘরে। বিক্রয়যোগ্য তিন লাখ ৪৭ হাজার ১৯৭ জন শেয়ারধারী প্রত্যেকেই যেহেতু একটি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে এক লট অর্থাৎ ২০০ শেয়ার পেয়েছেন ফলে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২০০ শেয়ার বিক্রি হয়। গ্রামীণফোনের ৪৮৬ কোটি টাকারও বেশি মূল্যমানের ছয় কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০টি শেয়ার লেনদেনযোগ্য হয়েছে। এ শেয়ারগুলো আইপিওর লটারির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পান। গ্রামীণফোনসহ ২৩০টি কোম্পানীর শেয়ার লেনদেন হয়। প্রথম দিনেই ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৭৬৫ পয়েন্ট বেড়েছে। সব মিলিয়ে সাধারণ মূল্যসূচক চার হাজার ১৪৮ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। তবে সিএসইর সূচকে গ্রামীণ ফোনের শেয়ার লেনদেনের কোনো প্রভাব পড়েনি। সিএসইর সার্বিক সূচক ২০০ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৮৩৬ পয়েন্ট। ১৬-১১-২০০৯ তারিখ মোট লেনদেন হয়েছে ৭৩৮ কোটি।
২০১০ সালের ২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ইন্টারপোলের দুই ফেরারি আসামি শেয়ারবাজার থেকে নিয়ে গেছে ২৫০ কোটি টাকা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক রাফাত আলী রিজভি ও মিসরীয় বংশোদ্ভুত সৌদি নাগরিক হিশাম আল ওয়াররাখকে প্রতারণার দায়ে ধরিয়ে দিতে ২০০৯ সালে ‘রেড এলার্ট’ জারি করেছে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল। বিভিন্ন দেশে তাঁদের বেশ কিছু ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখা হয়েছে। অথচ তাঁদের মালিকানাধীন ফাষ্ট এশিয়া হোল্ডিংস নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে ৫৭ লাখ শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে এর সিংহভাগ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় নিয়ে গেছে। ডিএসইর একটি সূত্র বলছে, এ কোম্পানিতে তাঁদের পাঁচ কোটি টাকার বেশি লগ্নি ছিল না। ডিএসইসির সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, কীভাবে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা ঢুকছে এবং বের হচ্ছে, সেটি দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। ১৯৯৬ সালেও বাংলাদেশ থেকে বিদেশীরা ৫০০ কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে নিয়ে গেছে।
২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ শেয়ারবাজার সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী। অনেক সময় ঠিকমতো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা এখন শনাক্ত করার চেষ্টা করছি কোথায় কোথায় ভুল করলাম। নিয়ন্ত্রকদের ভুল আছে, আমারও ভুল হয়েছে।
২০১১ সালের ২৪ মে, প্রথম আলো ঃ আওয়ামী নামধারীরাই দায়ী, ব্যবস্থা নিন। শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে সংসদ উত্তপ্ত। সমালোচনায় মুখর সরকারি দলের সাংসদেরাই।
২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২৯-০১-২০১২ তারিখের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসই সাধারণ সূচকের অবস্থান ছিল ৫৩৫১ পয়েন্টে। এরপর এ মাসের ২০টি কার্যদিবসের ১৪ দিনই বাজারে দরপতন হয়েছে। এতে ডিএসই সাধারণ সূচক ১১৬৮ পয়েন্ট কমে রবিবার ৪১৮৩.০৭ পয়েন্টে ঠেকেছে। সূচকের এই অবস্থান ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বরের পর সর্বনিম্ন মূল্য আয় অনুপাত নেমেছে ২০০৫ সালের নিচে।
২০১২ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ০১-০২-২০১২ তারিখের কার্যদিবসে ডিএসই সাধারণ সূচকের অবস্থান ছিল ৪০০০ হাজার পয়েন্টের নিচে।
২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আস্থা নেই শেয়ারবাজারে। লেনদেন-২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএসইতে লেনদেন উঠেছিল ৩,২৫০ কোটি টাকা। ৩০ এপ্রিল, ২০১৩ ও ২৪ জানুয়ারি-২০১৬ তারিখ-২০১৫ সাল শেষে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন নেমে আসে ৪২২ কোটিতে। এ দুই আমলই ছিল আওয়ামী লীগের আমল।
১৯৬৯ সালে পাকশীতে নর্থবেঙ্গল পেপার মিল স্থাপিত হয়।
১৯৬৯ সাল থেকে খেদার সাহায্যে হাতি ধরা নিষেধ হয়ে গেছে।
১৯৬৯ সালে শ্রমিক সম্পর্ক অধ্যাদেশ প্রণীত হয়।
১৯৭০ সালের ১ জানুয়ারি, পাকিস্তানে  রাজনৈতিক কার্যকলাপ যখন শুরু হলো তখন মওলানা ভাসানীর সাথে কমিউনিষ্টদের মিলিত কাজের সুযোগ তেমন  ছিলো না।
১৯৭০ সালের ২৮ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’ নীতির ভিত্তিতে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
১৯৭০ সাল পর্যন্ত আমরা ১২১টি বিশেষ গ্রন্থাগার দেখতে পাই।
১৯৭০ সালের ৩০ মার্চ, নির্বাচনের ভিত্তি এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পাকিস্তানের সংবিধান রচনার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আইনগত কাঠামো আদেশ জারি করেন।
১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর, জয়দেবপুর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়।
১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবাল ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে দশ থেকে পনের লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।
১৯৭০ সালের ১৩ নভেম্বর, ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াসে পূর্ব পকিস্তানে পাঁচ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৭০ সালের ২৫ নভেম্বর, মওলানা ভাসানী প্রথম ‘স্বাধীন পূর্ব-পাকিস্তান’ ঘোষণা করেছিলেন।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এবং ১৭ ডিসেম্বর, প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ঘোষণানুযায়ী। এ নির্বাচনে ৩১৩টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ কয়টি আসন পায় ১৬৭টি। সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচছাসের কারণে ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ৯ জানুয়ারি, মওলানা ভাসানীর আহবানে স্বাধীনতা সংগ্রামের পন্থা ও কর্মসূচী নির্ধারণের জন্য টাঙ্গাইলের সন্তোষে সর্বদলীয় সম্মেলন এবং লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ৫-দফা কর্মসূচী ঘোষণা।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ, বডি বিল্ডার খসরু ভাই পাকিস্তানের পতাকাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগ থেকে নিয়ে সহিদ মিনারে পতাকাটি পুড়ানো হয়।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ, ১৯৭১ সালের এ দিনে ১৯৬২ সালে স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার রূপকার সিরাজুল আলম খানের অনুপ্রেরণায় তৎকালীন ডাকসুর সহ-সভাপতি আ. স. ম. আব্দুর রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ, তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের দৃশ্যপট বদলে যায়।
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু।
১৯৭১ সালের ৪ মার্চ, সারা বাংলায় সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়।
১৯৭১ সালের ৫ মার্চ, গণপ্রতিরোধের মুখে সেনাবাহিনীকে রাজপথ থেকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
১৯৭১ সালের ৬ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করেন। অপর এক ঘোষণায় তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে জেনারেল টিক্কা খানকে নিয়োগের কথা জানান। কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে ৩০০ জন বন্দি। কারা বিদ্রোহ ঠেকাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে ৭ জন বন্দি নিহত হয়।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, ‘‘রেসকোর্স ময়দানে’’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি দেন।
১৯৭১ সালের ৮ মার্চ, দেশব্যাপী আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়। বাংলার গভর্ণর হিসেবে কুখ্যাত টিক্কা খাঁন তার কাজ শুরু করেন।
১৯৭১ সালের ৯ মার্চ, জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করাতে প্রাদেশিক প্রধান বিচারপতির অস্বীকৃতি।
১৯৭১ সালের ১০ মার্চ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো শপথ নিতে ব্যর্থ হন।
১৯৭১ সালের ১৩ মার্চ, শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষুদ্ধ শিল্পী সমাজের প্রথম মিছিল।
১৯৭১ সালের ১৩ মার্চ, এক সামরিক আইন আদেশ বলে পূর্ব-পাকিস্তানের সকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিজ নিজ কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১৪ মার্চ, করাচীর বিশাল সমাবেশে জুলফিকার আলী ভুট্টো পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানকে দু’টি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবী উত্থাপন করেন।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, জয়দেবপুরের ঘটনাই ছিল প্রথম বিদ্রোহ। ১৮৫৭ সালের পর ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চের মতো ঘটনার নজির বিরল। এটাই ছিল প্রথম বিদ্রোহ। সেনার বিরুদ্ধে জনতার এ বিদ্রোহ একটি বড় ঘটনা। কিন্তু এ নিয়ে খুব প্রচার নেই।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, ঢাকায় জয়দেবপুরে সেনাবিদ্রোহ।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ, তৎকালীন ‘পূর্ব-পাকিস্তান’ অঘোষিতভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশে পরিণত হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত ২৩ মার্চকে প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করার ডাক দিয়েছিল স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস হিসেবে পালন করার দিন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ, সেই ইতিহাস বদলে গেল। ঘরে ঘরে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা। ঢাকার পল্টন ময়দানে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে মার্চ পাস্ট।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ, যশোর ইপিআর সদর দফতরে জোয়ানদের বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন।
১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ, স্বাধীনতার আকাক্সক্ষায় উন্মুখ ছাত্র-জনতার আন্দোলন চুড়ান্ত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিল। আগের দিন দেশের সর্বত্র স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানোর খবর প্রকাশিত হয়েছিল সবক‘টি দৈনিকে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে কোন বৃহৎ রাজনৈতিক দল স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেছে বলে আমার জানা নেই। একমাত্র সিরাজ শিকদার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করার পক্ষে তত্ত¡ উপস্থাপন করে ছিলেন এবং সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন-আনোয়ার জাহিদ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, পূর্ব-পাকিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে তৎকালিন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞকে ‘সিলেকটিভ জেনোসাইড’বলে বর্ণনা করেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, ‘‘পুলিশের প্রথম প্রতিরোধ দিবস পালন’’-৩৬ জনকে সংবর্ধনা।
ঢাকা শহরের কিছু জানা তথ্য ঃ আয়তন-৫০০ বর্গকিলোমিটার বা ৩১২.৫ বর্গমাইল-২০১৩ সালে বলেছিল ঃ দ্বিগুণ হচ্ছে দুই সিটি করপোরেশনের আয়তন-ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-বর্তমান আয়তনঃ ছিল-৮২.৬৩৮ বর্গ কিলোমিটার এবং হবে-১৬০.৭৬৮ বর্গ কিলোমিটার(প্রস্তাবিত নতুন এলাকা-(১) বেরাইদ (২) বাড্ডা (৩) ভাটারা (৪) সাতারকুল (৫) হরিরামপুর (৬) উত্তরখান (৭) দক্ষিণখান (৮) ডুমনি ও (৯) খিলক্ষেত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-বর্তমান আয়তন ঃ ছিল-৪৫ বর্গ কিলোমিটার হবে-১০৯.১৯ বর্গ কিলোমিটার (প্রস্তাবিত নতুন এলাকা-(১) শ্যামপুর (২) দনিয়া (৩) মাতুয়াইল (৪) সারুলিয়া (৫) ডেমরা (৬) মান্ডা (৭) দক্ষিণগাঁও ও (৮) নাসিরাবাদ।(০৯-০৫-২০১৬ তারিখ প্রথম আলো)২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, নতুন নয়টি ইউনিয়ন উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হলে মোট জনসংখ্যা হবে-১ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ১৭ জন। অন্যদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ৮টি ইউনিয়ন যুক্ত হওয়ার পর জনসংখ্যা হবে-৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ২৫ জন।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। শহর হিসেবে এর বয়স ৪০০ হলেও সেই সপ্তম শতাব্দী মানে ১৩০০ বছর আগেও কিন্তু এই জনপদটির অস্থিত্ব ছিল। তখন এ অঞ্চলটি ছিল কামরূপ নামের বৌদ্ধ রাজ্যের অধীনে। এ রাজ্যটি সেই সময় বিস্তৃত ছিল আসাম, উত্তরবঙ্গ, ঢাকা ও ময়মনসিংহ নিয়ে। পরবর্তীতে এখানে আসে পাল রাজবংশ। নবম শতাব্দীতে ঢাকা চলে যায় হিন্দু সেন রাজবংশের অধীনে। এ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হেমন্ত সেন পাল রাজবংশেরই অংশ ছিলেন। পাল রাজাদের দুর্বলতার সুযোগে তিনি ধীরে ধীরে ক্ষমতা দখল করেন। রাজা বল্লাল সেন ঢাকায় ১২০০ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠা করেন ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দির, যা বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির হিসেবে সুপরিচিত।
৯ম শতকের পূর্বে ঢাকাতে মানুষের বসবাস গড়ে উঠেনি।
ইতিহাসবিদদের চোখে-সেদিনের ‘ডবাক’ই আজকের ঢাকা। বাসস ঃ সাড়ে পাঁচশ’ বছরের প্রাচীন জনপদ ‘ঢাকা’ আজ এক বিশাল নগরী। ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থল থেকে ১৩-কিলোমিটার উত্তরে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত এ মহানগরীর উত্থানের পেছনেও রয়েছে বিস্তৃত ইতিহাস।
১২২০ সালের মধ্যে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মন্দির। প্রায় ৮০০ বছর আগে রাজা বল­াল সেন এ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত করেন। এর বেশ কয়েক শ বছর পর রাজা মানসিংহ যখন ঢাকায় এসে ঘাঁটি স্থাপন করেন, তখন তিনি মন্দিরটি পুননির্মাণ ও অষ্টধাতুর দশভুজা বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত করেন। একই সঙ্গে এখানে চারটি শিবমন্দিরও প্রতিষ্ঠিত করেন। কালের আবর্তে মূল মন্দিরের স্থাপনা বিনষ্ট হয়। বর্তমান মন্দির নির্মিত হয় প্রায় ২৫০ বছর আগে, ব্রিটিশ শাসনামলে। পরবর্তীকালে ভাওয়ালের রাজপরিবার ঢাকেশ্বরী মন্দির আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১৯০৮ সালে ২০ বিঘা জমি দেবোত্তর হিসেবে দান করে। ঢাকেশ্বরী মন্দির শুধু ঐতিহ্যবাহী মন্দিরই নয়, ধর্ম, সমাজ সচেতনতা, শিল্প ও সংস্কৃতিচর্চার কেন্দ্র হিসেবেও এটি কালের সীমানা অতিক্রম করেছে। এতক্ষণ গল্পোচ্ছলে এসব কথা জানালেন তপন ভট্টাচার্য।
১৪৩৩ সালে প্রথম ঢাকা মান্দা এলাকায় গণেসের ছেলে জালালউদ্দিন মোহাম্মদ শাহ-এর কর্মচারী শিকদার এ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এ মসজিদটি ঢাকার প্রথম মসজিদ।
১৪৫৬ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয় ‘নারিন্দায় বিনাত বিবি মসজিদ’’। তাঁর নাম মুসাম্মৎ বখত বিন। ১৪৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার নারিন্দায় এ মসজিদটি মরহামত কন্যা নির্মাণ করেন। বিনাত বিবির মসজিদের আগে ঢাকায় কোন মসজিদ নির্মাণ করা হয়নি।
১৪৫৬ সালে নারিন্দায় বিনত বিবির মসজিদ নির্মাণের পূর্ব থেকেই মুসলমানরা ঢাকা নগরীতে বসতি স্থাপন করেন। যতীন্দ্রমোহন রায়ের লেখা ‘ঢাকার ইতিহাস’ বৃহত্তর ঢাকা জেলা গেজেটিয়ার থেকে জানা যায়, ঢাকা নগরীতে অন্তত ১৪৫৬ খ্রির্ষ্টাব্দের আগে থেকেই মুসলমানগণ বসতি স্থাপন করেছেন। ২০০৬ সালে ঢাকা সাড়ে ৫০০শ’ বছরে পা দিয়েছে। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় ১৬০৫-২৭ ষষ্ঠ শিখগুরু হরগোবিন্দ সিং প্রেরিত শিখ পুরোহিত আলমাস্তের প্রচেষ্টায় এ উপাসনালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে কথিত আছে। গুরু নানক প্রবর্তিত ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৬৬৫ সালে ঢাকায় আসেন। তার আগে ১৪৯৯ সালে গুরু নানক নিজ ধর্মমত প্রচারের জন্য ফরিদপুর হয়ে ঢাকায় আসেন। ১৯১৫ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত শ্রীচন্দ্র জ্যোতি নামে এক শিখসাধু দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালের পর থেকে ষাট দশক পর্যন্ত উপাসনালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংস্কার করে এর বর্তমান রূপ দেয়া হয়। বর্তমানে ভাই পিয়ারা সিং প্রধান গ্রন্থির দায়িত্ব পালন করছেন। গুরুদুয়ারায় কারও প্রবেশে বাধা নেই, জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সব বয়সী নারী ও পুরুষ এখানে প্রবেশ, প্রার্থনায় অংশগ্রহন এবং প্রসাদ পেতে পারেন।
১৬০৮ সালে ইসলাম খান চিশতী বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন।
১৬১০ সালের ১৬ জুলাই, ইসলাম খাঁ কর্তৃক সোনারগাঁ থেকে রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তরিত। ১৬১০ সালে মুঘল সুবাদার ইসলাম খান চিশতী কর্তৃক ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপন এবং ‘জাহাঙ্গীরনগর’ নামকরণ। ঢাকা মোঘল রাজধানী ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু।
মোগল আমলে ঢাকাকে রাজধানীর মর্যাদা দেওয়ার কৃতিত্ব মোগলদের। সম্রাট জাহাঙ্গীরের সেনাপতি সুবাদার ইসলাম খান দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এখানে এসে রাজধানীর পত্তন করেছিলেন ১৬১০ সালে।
ওলন্দাজরা-ইউপোরে তখন ভারতের মসলা সোনার চেয়েও দামি। সেই মসলার জন্যই পর্তুগিজদের দেখানো জলরেখা ধরে ভারতে যে দ্বিতীয় ইউরোপীয়দের আগমন, তারা হলান্ডবাসী। ঢাকায় তাদের আগমনের তারিখও অজানা। তারা কুঠি স্থাপন করেছিল মিটফোর্ড হাসপাতালের কাছে, ১৬৬৩ সালে। তেঁজগাওয়ে তাদের একটি বাগানবাড়িও ছিল। ওলন্দাজরা ব্যবসা-বাণিজ্যে সফল হতে পারেনি। টেলর উলে­খ করেন ১৭৮৩ সালে ঢাকায় ৩২টি ওলন্দাজ পরিবার ছিল। ইংরেজদের কাছে তারা সহায়-সম্পত্তি তুলে দিয়ে ঢাকার পাঠ চুকিয়ে ফেলেন। নারিন্দায় খ্রিষ্টান কবরস্থানে ১৭৭৫ সালের কুঠিপ্রধান ডি ল্যাংহিটের কবরটিই এখন ঢাকায় একমাত্র স্মৃতিচিহৃ হিসেবে টিকে আছে।
ফরাসিরা-ঢাকায় ফরাসিদের স্মৃতি বহন করছে পুরান ঢাকার ফরাসগঞ্জ এলাকাটি। ঢাকার নায়েম নাজিম নওয়াজিশ খান ১৭২৬ সালে ফরাসিদের গঞ্জ বসানোর অনুমতি দিলে তারা একটি আবাসন গড়ে তোলে ফ্রেঞ্চগঞ্জ নামে। পরে লোকমুখে এর নাম ফরাসগঞ্জ। তবে এর আগেই ফরাসিদের ঢাকায় আবির্ভাব। প্রধানত মসলিন বস্ত্রের ব্যবসা করত তারা। তবে তারা ইংরেজদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। পলাশীর যুদ্ধের পর এখান থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যায়।
পর্তুগিজরা-ইউরোপীয়দের মধ্যে ঢাকায় প্রথম এসেছিল পর্তুগিজরা। ভারতে আসার জলপথ আবিস্কারের কৃতিত্ব তাদেরই। ভাস্কো-দা-গামা কালিকট বন্দরে তাঁর জাহাজ ভিড়িয়েছিলেন ১৪৯৮ সালে। উদ্দেশ্য, ভারতের মসলা হাসিল করা। সেই পথ ধরে পরে ইউরোপের আরও অনেকের আগমন। ১৮৩২ সালে  ঢাকায় পর্তুগিজদের বাড়ি ছিল ৪১টি। ইসলামপুর, শরাফতগঞ্জ ও নবাবপুরে ছিল তাদের বসবাস ছিল।
ব্রিটিশরা ভারতে এসেছিল ১৬০০ সালে। ইংরেজ আমলে-ঢাকায় উপস্থিতি সম্ভবত ১৬৫৮ সালের দিকে বলেই ঐতিহাসিকরা মনে করেন। তাঁদের বাণিজ্যকুঠি স্থাপিত হয় শহরতলিতে, বর্তমানের তেজগাঁওয়ের খামারবাড়ি এলাকায়। টেলর উলে­খ করেছেন, ঢাকায় প্রথম ১৬৬৬ সালে ইংরেজদের ফ্যাক্টরি স্থাপিত হয়েছিল। ব্রিটিশরা চেষ্টা করে সুবাদারের কাছাকাছি থাকতে। কয়েক বছরের মধ্যেই তারা বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুঠি স্থানান্তর করে এবং ১৬৭৮ সালে তাঁরা নবাবকে নানা উপঢৌকন দেয়ার মাধ্যমে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার অনুমতি লাভে সমর্থ হয়। এর পরের ইতিহাস তো সবারই জানা।
গ্রিকরা-লবণ ও পাটের কারবার করে বেশ টাকাকড়ি করেছিল গ্রিকরা। ঐতিহাসিকদের মতে, ইউরোপীয়দের মধ্যে তারাই ঢাকায় এসেছিল সবার পরে। জেমস টেলর উলে­খ করেছেন, কলকাতার গ্রিক স¤প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা আরগিরি ঢাকায় বসবাস করতেন এবং ১৭৭৭ সালে তিনি পরলোকগমন করেন। তাঁর পরে অনেকেই আসে। তবে ১৮৩২ সালে ঢাকায় ২১টি পরিবার ছিল। রেসকোর্সের পার্শ্বে ছিল তাদের কবরস্থান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে একটি গ্রিক কবর তাদের স্মৃতিবাহী। ঢাকা ছাড়া নারায়নগঞ্জেও গ্রিকদের বস বাস ছিল। সেখানে ১৯৫৬ সালে র‌্যালি ব্রাদার্স নামের একটি পাটকল চালূ করেছিল র‌্যালি ভাইয়েরা।
আর্মেনিয়ানরা-যেমন ফরাশগঞ্জ, তেমনি আরমানিটোলা এবং সেকানকার প্রাচীন গির্জা, পোগজ স্কুল, রুপলাল হাউস ঢাকায় আর্মেনীয়নের স্বর্ণযুগের সাক্ষী দেয়। ঢাকায় গোড়ার গাড়ী চালুর কৃতিত্বও তাদের। আরমানিটোলার গির্জাটি নির্মিত হয়েছিল ১৭৮১ সালে। উনিশ শতকের শেষ দিকে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দেয়। অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলে যায়।
কাশ্মীরিরা-ঢাকায় যেসব কাশ্মীরি ধনে-মানে খ্যাতি ও প্রতিপত্তি অর্জন করেছিল, তাদের মধ্যে ঢাকার নবাব পরিবার অন্যতম। এই পরিবারের আদি পুরুষ আবদাল হাকিম নবাব আলীবর্দী খানের সময়ে প্রথমে বসতি স্থাপন করেছিলেন সিলেটে। পরে তাঁরা ঢাকায় আসেন। লবণ ও চামড়ার কারবারে প্রভূত ধনসম্পদ অর্জন করেন। আবদাল হাকিমের ভাই আবদুল্লাহ সিলেট থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তাঁর পুত্র হাফিজুল্লাহ আর্মেনীয়দের সঙ্গে যৌথ কারবার করে বিত্তবৈভব বাড়িয়ে তোলেন এবং ১৮১২ সালে বাকেরগঞ্জে জমিদারি ক্রয় করেন। নিঃসন্তান হাফিজুল্লাহর পর উত্তরাধিকারী হন তাঁর ভাই খাজা আলিমুল্লাহ। তার পুত্র আবদুল গনি। তার পুত্র নবাব আহসানউল্লাহ। তার পুত্র নবাব সলিমুল্লাহ।
চীনা ও অন্যান্যারা ঢাকায় যখন আসে-চীনারা ঢাকায় জুতার ব্যবসায় বেশ অগ্রগতি লাভ করেছিল। মিডফোর্ড এলাকায় ছিল তাদের কারখানা। এ ছাড়া তারা লন্ড্রির ব্যবসায়ও নিয়োজিত ছিল। ইরানিরা ঢাকায় আসেন সপ্তদশ শতকে। ইরাকিরা এখানে এসেছিল প্রধানত দিল্লি থেকে। তারা মূলত শিয়া স¤প্রদায়ের। হোসনি দালান। ইমামবাড়াকেন্দ্রিক তাদের স¤প্রদায়ের কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। ঢাকার বেনারসি কারিগরদের পূর্বপুরুষ এসেছিল ভারতের বেনারস থেকে। মিরপুরে তাদের প্রধান বসতি। তেলেগু স¤প্রদায়ের ঢাকা আগমন উনিশ শতকে। সায়েদাবাদ এলাকায় এখনো তাদের বংশধরদের বসবাস। রাজধানী হিসেবে ৪০০ বছরের মাইলফলক পেরিয়ে গেল এই শহর। ঢাকার প্রথম সেশন জজ শেরম্যান বার্ড।
১৬১৫ সালে আকা বাকের (তুর্কি মুসলমান)-এর জন্ম, ঢাকায় মৃত্যু-১৭০১ সালে। আকা বাকর-এর নামে ঢাকায় বাকরখানী রুটির নামকরণ করা হয়।
১৬২০ সালে মগরাজাদের বন্দী করা হয়। এরা আরাকানী। এদের নামানুসারেই নামকরণ করা হয় “মগবাজার”।
১৬২৬ সালে মিডফোর্ড হাসপাতালের লেডিজ হোস্টেলের নিকট বুড়িগঙ্গা নদীর পারে ঢাকা শহরের ২য় মসজিদ তৈরী হয়।
১৬২৬ সালে “ছোটকাটারা” ও “বড়কাটারা”র প্রাসাদ তৈরী করা হয় বাদশা জাহাঙ্গীরের ঢাকা আগমণ উপলক্ষে।
১৬৩৯ সালে সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র শাহ সূজা ঢাকায় বাংলার সুবাদার নিযুক্ত।
১৬৪১ সালের ১৬ মার্চ, বঙ্গের সুবাদার শাহজাদা সুজা ঢাকায় ‘বড়কাটারা’ নামে বিশাল সরাইখানা নির্মাণ করেন।
১৬৪২ সালে ঢাকায় হোসনী দালান তৈরী করা হয় (শাহ শুজার নৌ-সেনাপতি মীর মুরাদ নামক এক ব্যক্তি এ ইমারত তৈরী করেছিলেন।
১৬৪২ সাল থেকে ঢাকায় মহরমের তাজিয়া মিছিল মোঘল সুবাদার শাহ সুজার শাসনামলে-সুবাদারের নৌবাহিনীর তত্ত¡াবধায়ক শিয়া দরবেশ হিসেবে পরিচিতি সৈয়দ মির মুরাদ হজরত ইমাম হোসেন(রা.)-এর স্মৃতিস্মারক হিসেবে পুরান ঢাকায় নির্মাণ করেন হোসেনি দালান এবং এ হোসেনি দালানকে কেন্দ্র করেই শুরু করেন শোক পালন অনুষ্ঠান ও ইমাম হোসেনের প্রতীকী শরাধার অর্থাৎ তাজিয়া-সহযোগে শোভাযাত্রার। ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত হয় ইরান থেকে ধর্মপ্রচারার্থে আগত মুসলমানদের মাধ্যমে।
১৬৪২ সালে (বাংলা ১০৪৯ সালে) শ্যামপুরের ফরিদাবাদ এলাকার ৫৬ নম্বর পশ্চিম জুরাইনে মন্দিরটি অবস্থিত।
১৬৪৩-৪৪ সালে বড় কাটরা নির্মাণ করেছিলেন সুবাদার সুলতান মুহম্মদ সুজার প্রধান স্থপতি আবুল কাশিম। মোগল আমলে ঢাকার রাজধানী হলে যে স্থাপনাটি সবার দৃষ্টি কাড়ে, তার অন্যতম বুড়িগঙ্গার তীরের বড় কাটরা। ব্রিটিশ লাইব্রেরির ওয়েবসাইটে ১৮৭০ সালের বড় কাটরার একটি ছবিও পাওয়া গেল। জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ায় বলা হয়েছে, মধ্য এশিয়ার ক্যারাভান সরাই-এর ঐতিহ্য অনুসরণে নির্মিত হয়েছিল বড় কাটরা। মোগল রাজকীয় স্থাপত্য-রীতির সব বৈশিষ্ট্য এতে ছিল। বড় কাটরায় ফারসি ছন্দোবদ্ধ পঙতিযুক্ত দুটি শিলালিপি আছে। তবে অনিন্দাসুন্দর এই ভবনটিতে সুলতান সুজা না থেকেসরাইখানা হিসেবে ব্যবহারের জন্য আবুল কাশিমকে দান করেন। অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক তখন এর স্থাপত্যশৈলী দেখে মুগ্ধ হতেন। তাঁদের অনেকের লেখাতেই এই কাটরার কথা আছে। সুজা ঢাকায় এলে কাটরার উত্তর অংশে থাকতেন। নওয়াব সায়েস্তা খাঁ ও মীর জুমলা এখান থেকেই দেশ শাসন করতেন। ১৭৬৫ সালে নিমতলী প্রাসাদ নির্মাণের আগ পর্যন্ত এই কাটরাতেই দরবার চলত। ঐতিহাসিক এসব বর্ণনা পড়ে কেউ যদি এখন চকবাজারে বড় কাটরা দেখতে যান, তিনি যথেষ্ট হতাশ হবেন। মুল ফটকটি ছাড়া প্রায় পুরোটাই ধ্বংসের পথে। কাটরার বিশাল অংশজুড়ে এখন একটি মাদ্রাসা। ছাদে নতুন করে ঘরও তোলা হয়েছে। এ ছাড়া মালের আড়ত, ঝালাই কারখানাসহ নানা রকমের দোকানও রয়েছে সেখানে। তবে দোকানদার ও এলাকাবাসী বলছেন, তাঁরাও চান মোগল স্থাপত্যের এই নিদর্শন সংরক্ষণ করা হোক।
১৬৬৪ সালের ১৯ মার্চ, শায়েস্তা খাঁ বঙ্গের সুবাদার হিসেবে ঢাকায় আসেন।
১৬৬৭ সালে লালবাগ দুর্গ তৈরী করা হয়।
১৬৬৮ সালে ইংরেজ কুঠি স্থাপিত।
১৬৭১ সালে ছোট কাটরা প্রাসাদ নির্মিত।
১৬৭৫/১৬৭৬ সালে ঢাকার চকবাজার মসজিদ তৈরী করা হয়।
১৬৭৮ সালে শাহজাদা মোহাম্মদ আজম কর্তৃক লালবাগ দুর্গের নির্মাণ শুরু।
১৬৭৮-৭৯ সালে যুবরাজ মুহম্মদ আজম ঢাকায় প্রথম পাকা রাস্তা নির্মাণ করেন।
১৬৮০ সালে মোহাম্মদপুর এলাকায় সাত গম্বুজ মসজিদ তৈরী করা হয়।
১৬৯৭ সালে ঢাকার নীলক্ষেত এলাকায় ‘মরিয়ম-সালেহা’ মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
১৭০০-১৭০৪ সালে নির্মিত হয় বেগমবাজার মসজিদ।
১৭০০ সালে ঢাকা থেকে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে নিয়ে যায়।
১৭৪০-এর দশকে ঢাকায় ঘুড়ি উড়ানোর রেওয়াজ নায়েব-ই-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের আমলে শুরু হয়।
১৭৪২ সালে ঢাকা শহরে ফরাসিরা প্রথম ফরাসগঞ্জ বাজার প্রতিষ্ঠা করেন।
১৭৪৯ সালে ওয়ারেন হেস্টিংসের নিজ হাতে লেখা চাকরির জন্য দরখাস্ত রয়েছে জাতীয় আরকাইভসের প্রদর্শনী কক্ষে।
১৭৫৪ সালে ঢাকায় আগা সাদেক ময়দানের উত্তর পার্শ্বের একটি সমাধিতে আগা বাকের সমাহিত আছেন।
১৭৫৬ সালে ঢাকা শহরের সোয়ারীঘাটে বাজার প্রতিষ্ঠা করে। এ বাজারে মাছের আরত।
১৭৬৩ সালে ফকির সন্ন্যাসীদের আক্রমণ এবং ঢাকা ফ্যাক্টরি দখল।
১৭৬৫ সালে ব্রিটিশ আমলে তৈরি ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ভারত উপমহাদেগশের অন্যতম পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের এ কারাগারটি-এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় সরিয়ে নেয়া হবে। ১৭৬৫ সালে ১০টি ওয়ার্ড সির্মাণ করে সাধারণ বন্দীদের রাখা হতো। এরপর ১৭৮৮ সালে এই ওয়ার্ডগুলোতে বড় অপরাধীদের রাখা শুরু হয়। সেই থেকেই শুরু হয় ঢাকা কারাগারের যাত্রা। ১৯০২ সালে ৩৯ একর জমি নিয়ে বৃহৎ পরিসরে যাত্রা শুরু করে বর্তমান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি। ১১২ বছরের বেশি সময় ধরে এই কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হচ্ছে বন্দীদের। পাকিস্তান আমলে এই কারাগারের অনেক জমি বেদখল হয়ে যায়। এখন সব মিলিয়ে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ একর জমি রয়েছে। ১৯৮০ সালে আশপাশে বড় ভবন হওয়ার কারনে কারাগারটি সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৯৯৪ সাল থেকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে এবং ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চলে যাবে নাজিমউদ্দীন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারটি।
১৭৭০ সালে বাংলায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ।
১৭৭৭ সালে তৎকালীন ঢাকার জমিদার গোলাম নবী টিলার উপরে সুরম্য একতলা ইমারত নির্মান করেন।
১৭৮০ সালে ঢাকায় প্রথম আলিয়া-ই-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৮১ সালে নির্মিত পুরান ঢাকার আরমানিটোলার আর্মেনি গির্জা।  সাড়ে সাত শ ফুট লম্বা চারটি দরজা ও ২৭টি জানালার এ গির্জা কালের প্রহারে আজ কিছুটা মলিন ও জীর্ণ। ওয়াইজের গ্রন্থ থেকে আরও জানা যায়, ১৮৭২ সালে সারা বাংলায় বসবাসরত ৮৭৫ জন আর্মেনীয়র ৭১০ জন কলকাতায় এবং ১১৩ জন ঢাকায় বাস করত। ১৮৭০ সালে আই.জি.এন. পোগোজের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার আর্মেনীয়দের সংখ্যা ছিল ১০৭, যাদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী ও ৪৮ জন শিশু। ২০০৮ সালের ১৪ আগষ্ট, ঢাকার শেষ আর্মেনীয়-মিখাইল মার্টিরোসেন-এর জন্ম ঢাকায়। পড়াশুনা করেছে ক্যালকাটা আর বোম্বাইয়ে। এ দেশটা চোখের সামনে কত বদলায়ে গেল।
১৮০৯ সাল থেকে দুর্গাপুজা শুরু করে। পুরান ঢাকার ২৫ নম্বর শাঁখারীবাজারে বাড়িটির অবস্থান। নাম দুর্গাবাড়ি। প্রায় ২০০ বছর ধরে এ বাড়িতে দুর্গা পুজা হচ্ছে।
১৮১৬ সালের এপ্রিলে, ছোট কাটরায় স্থাপিত লিওনার্দোর স্কুল।
১৮১৯ সালে তৈরি হয় ঢাকার জনসন রোডে সাধু থোমার ক্যাথেড্রাল গির্জা। ১৮৫৩ সালে ‘বিগ বেন’ ঘড়িটি তৈরি হয়েছিল লন্ডন শহরে। আর সাধু থোমার ক্যাথেড্রালের ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছিল ১৮৬৩ সালে। মজা করে কেউ কেউ ক্যাথেড্রালের ঘড়িটিকে ‘ইয়ংগার ব্রাদার অব বিগ বেন’ বলে ডাকেন। মানে বড় বেনের ছোট ভাই আরকি। ঘড়িটি নিয়ে ১৯০৮ সালে দি ইম্পেরিয়াল গ্যাজেট অব ইন্ডিয়া-এর জুলাই সংস্করণে লেখা হয়, ‘‘চার্চের জুড়ায় ঘড়িটি ১৮৬৩ সালে বসানো হয়েছিল, যা কিনা লন্ডনের বিখ্যাত ‘বিগ বেন’-এর কারিগরদের দ্বারা প্র¯ত্ততকৃত।’’  ঘড়িটি নষ্ট অনেক বছরের বেশি সময় ধরে।
১৮২৪ সালের ৪ জুনের ঘটনা লর্ড বিশপ রেজিল্যান্ড হেবার নৌকায় করে সুদূর কলকাতা থেকে ঢাকায় বেড়াতে এসেছেন। ঢাকায় নেমেই হাতির ডাক শুনে চমকে গেলেন এক বিদেশি অতিথি। ডায়েরিতে ঢাকায় বেড়ানোর স্মৃতি লিখতে গিয়ে হাতির কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি। বিশপ হেবার বেশ কদিন ছিলেন ঢাকায়। সদরঘাট হাতির ডাকে উচ্চকিত থাকত। কারণ বুড়িগঙ্গায় গোসল করাতে আনা হতো হাতির পাল।
১৮২৫ সালে ঢাকা জেলের কয়েদিদের লাগিয়ে তিন মাসের পরিশ্রমে রমনার জঙ্গল পরিস্কার করে স্থাপন করা হয় রেসকোর্স ময়দান। এ রেসকোর্সের প্রবেশপথে ডস দুটি স্তম্ভ তৈরী করেছিলেন। এ গেটকে বলা হতো ‘রমনা গেট’। এ গেটঁটি এখনো অঁটুট অবস্থায় ঢাকার দোয়েল চত্বরের সামনে দেখা যায়। ১৮৭০ সালে রমনা রেসকোর্স গেট তৈরী হয়। রমনার কালীবাড়িটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তুানী সেনারা ডিনামাইট দিয়ে ধ্বংস করে দেয়।
১৮২৫ থেকে ১৮৩০ সাল পর্যন্ত ঢাকায় ছিলেন মি. ওয়াল্টার সাহেব ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর আমলে লোহারপুল তৈরী কাজ শুরু হয়েছিল ১৮২৮ সালে। দুই বছর লেগেছিল শেষ হতে। পুল তৈরির জন্য নির্মাণসমগ্রী এনেছিল ইংল্যান্ড থেকে। লোহারপুলের খ্যাতি কর্ণেল ডেভিডসন ১৮৪০ সালে ঢাকায় এসে লোহারপুল দেখতে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন পুল ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সৌন্দর্যে।
১৮৩৫ সালের ১৫ জুলাই, মিস্টার রিজ নামের এক ইংরেজ কলেজিয়েট স্কুলটি ঢাকার প্রথম সরকারি বিদ্যালয়।
১৮৪০ সালে জেমস টেলরের মতে, এ দেশের বস্ত্রশিল্প যখন ধ্বংসের মুখে, তখনো ৩৬ রকম কাপড় বুনন হতো ঢাকায়। এরমধ্যে বেনারসি অবশ্যই ছিল। তবে তা এশবারেই স্বল্প পরিসরে। ১৯৪৩ সালে পুরান ঢাকার মালিটোলা, দক্ষিণ মুহসেন্দি, ভজহরি সাহা স্ট্রিটের অল্পকিছু পরিবারই শুধু যুক্ত ছিল বেনারসি বুননের সঙ্গে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারতের বেনারস থেকে ব্যাপকসংখ্যক মুসলিম মোহাজের ঢাকায় এসে যখন বসতি স্থাপন করে, প্রধানত মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে।
১৮৪০ সালে ঢাকা মিউনিসিপাল কমিটি। ১৮৬৪-এর দিকে-এর প্রথম চেয়ারম্যান হন এডওয়ার্ড ড্রামন। ‘বাবা ড্রামনের’ হাত ধরে আজ আমরা উপনীত হয়েছি সিটি কর্পোরেশন-এর মেয়র।
১৮৪০ সালে কলকাতা থেকে ডেভিডসন ঢাকায় বেড়াতে এসেছিলেন। লিখেছেন ‘ঢাকার সবুজ এবং সুন্দর রেজিমেন্টের সব অফিসারের মধ্যে একজন বা দু’জন থাকেন সেনানিবাসের ভেতরে। বাকীরা জ্বরে ভুগে বা জ্বরের ভয়ে থাকেন শহরে। সেনানিবাসের পাশে আছে বেশ বড় এক জলাভূমি যা মারাত্মক ম্যালেরিয়ার উৎস।’ পল্টনে আরও বেশ কটি বড় পুকুর ছিল বলে তিনি উলে­খ করেছেন।  ১৮৪০ সালের দিকে জনস্বার্থে সেনানিবাস পুরানা ও নয়াপল্টন থেকে (পর্যায়ক্রমে রমনা থেকে লালবাগ ও মিরপুরে সেনানিবাসটি স্থানান্তর করা হয়েছিল বলে ঐতিহাসিককেরা উল্লেখ করেছেন)  সরিয়ে নেওয়া হলেও এর নাম পল্টন থেকে যায়। ১৮৬০ সালে ঢাকা এসে জর্জ গ্রাহাম নামের এক সিভিলিয়ান পল্টনকে দেখেছেন একটা ‘ম্যালেরিয়া পরিত্যক্ত সেনানিবাস’ হিসেবে। এরপর এলাকাটি ঢাকা পৌরসভার অধীনে চলে আসে। মুনতাসীর মামুনের বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৮৭৪ সালে ঢাকায় নওয়াব খাজা আহছান উল­াহ ৮০ বিঘা জমি পত্তন নিয়ে বাগান করেন, যা দিলকুশা হিসেবে নতুন নামকরণ হয়।  কোম্পানি বাগিচা থেকে সেগুনবাগিচা বলে, তার আদি পরিচয় ছিল ‘কোম্পানি বাগিচা’ নামে। এ খালি মাঠটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। একসময় ফুটবল খেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠলে মাঠটিতে খেলাধুলা শুরু হয়। পাকিস্তান আমলে সেখানে একটি স্টেডিয়াম গড়ে তোলে সরকার। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে এবং ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময় মওলানা ভাসানীর বিখ্যাত জনসভাগুলোর স্থান হিসেবে পল্টন ময়দান বাঙালির রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে পল্টন ময়দান গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকা ভরাট করে তিনি বিরাট মাঠ নির্মাণ করেন। কোম্পানি বাগান থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। সবুজ পল্টন এখন দূর অতীতের স্মৃতিমাত্র।
১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর, ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠিত।
১৮৫০ সালের আগে এলাকাবাসীর পানির সমস্যা সমাধানের জন্য বংশালের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও জমিদার হাজি বদরুদ্দীন ভুট্টো নিজ জমিতে পুকুর খনন করেন ৬-বিঘা জমির ওপর। এ কারণে পুকুরটি ভুট্টো হাজির পুকুর হিসেবেও পরিচিত। এখনো পুকুরটি টিকে আছে
১৮৫৬ সালের ১৮ এপ্রিল, সাপ্তাহিক ‘ঢাকা নিউজ’-এর প্রকাশনা শুরু।
১৮৫৭ সালের ২২ নভেম্বর,ঢাকার লালবাগ দূর্গে বিপ্লবী সিপাহী ও ইংরেজদের মধ্যে যুদ্ধ।
১৮৫৮ সালের ১ মে, পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গার পারে মিডফোর্ড হাসপাতাল পূর্ববঙ্গের প্রথম আধুনিক চিকিৎসানির্ভর হাসপাতাল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৮৫৪ সালের শুকনো মৌসুমে হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। মাত্র ১৮,৫৩৬ টাকায় ১৮৫৮ সালের মধ্যে ঠিকাদার কোম্পানি একটি প্রধান হাসপাতাল তৈরী করেন। ১৮৭২ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ, হাওড়া হাসপাতাল এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে যত ‘মেজর’ অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার মধ্যে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী মৃতের হার মিটফোর্ড হাসপাতালেই সবচেয়ে কম। ১৮৭৫ সালের ১৫ জুন, মিটফোর্ড হাসপাতালের বলয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম মেডিকেল স্কুল, যা পর্যায়ক্রমে আজকের স্যার সলিমূল্লাহ মেডিকেল কলেজ। ১৯২০ সালের ১ এপ্রিল, সরকারি হাসপাতালে পরিণত হয় মিটফোর্ড হাসপাতাল। বর্তমানে ৬০০ শয্যায় উন্নীত হয় মিটফোর্ড হাসপাতালটি। রবার্ট মিটফোর্ড ছিলেন ঢাকা জেলার প্রাদেশিক আপিল ও সার্কিট আদালতের দ্বিতীয় বিচারক। লন্ডনে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে ১৭৯৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ‘রাইটার’-এর চাকরি নিয়ে ভারতবর্ষে আসেন রবার্ট। ১৮১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কালেক্টর হিসেবে ঢাকায় আসেন মিটফোর্ড। রাজনৈতিক ক্ষমতা, ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়ে ঢাকা তখন এক গুরুত্বহীন শহর। এ শহরেই ১২টি বছর কাটিয়ে দেন রবার্ট মিটফোর্ড। ঢাকার চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ১৮২৮ সালে ইংল্যান্ডে ফিরে যান। সেখানে আট বছরের মত বেঁচে ছিলেন রবার্ট মিটফোর্ড। ১৮৩৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারিসে বেড়াতে যান মিটফোর্ড, সেখানেই মারা যান। জীবনের শেষ সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
১৮৫৯ সালের ঢাকা শহরের মানচিত্র রয়েছে জাতীয় আরকাইভসের প্রদর্শনী কক্ষে।
১৮৬০ সালে ঢাকায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রথমে ‘‘কস্যচিৎ পথিকস্য’’ ছদ্মনামে প্রকাশিত হয় ‘‘নীলদর্পণ’’।
১৮৬১ সালের দিকে থিয়েটার ঢাকার প্রথম থিয়েটার সম্ভত পূর্ববঙ্গ রঙ্গভূমি। প্রতিষ্ঠাকাল নিয়ে মতভেদ থাকলেও ধারণা করা হয় ১৮৬১ সাল। যাত্রাপালা সম্ভবত ‘সীতার বনবাস’ যাত্রাপালাটি ঢাকায় প্রদর্শিত প্রথম যাত্রা।
১৮৬১ সালের ৭ মার্চ, ঢাকা শহরের প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ‘ঢাকা প্রকাশ’-এর প্রকাশনা শুরু।
১৮৬৪ সালের ১ আগষ্ট, ঢাকা শহরকে পৌরসভা করা হয়।
১৮৬৪ সালে বুড়িগঙ্গার উত্তর পাশ দিয়ে একটি বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ঢাকার কমিশনার সিটি বাকল্যান্ড।
১৮৬৯ সালের ২২ আগস্ট, বাংলাদেশ ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাকালে পাটুয়াটুলীতে ‘রামমোহন রায় পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭১ সালে পাঠাগার নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়।
১৮৭১ সালে সাধারণ ঢাকাবাসীর চাঁদায় শহরে সর্বপ্রথম ১০০টি লাম্পপোস্ট আর তেলের বাতি চালু করা হয়।
১৮৭২ সালের ১৩ নভেম্বর, সাপ্তাহিক ‘সমাজ দর্পন’ প্রকাশিত হয়।
১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘‘নীলদর্পণ’’ নাটক প্রযোজনা হয়।
১৮৭২ সালে  ঢাকার নবাব বাড়ির ‘‘আহসান মঞ্জিল’’ তৈরী করা হয়।
১৮৭৩ সালে ব্রাহ্মসমাজের উদ্যেগে ফরাশগঞ্জের একটি বাইড়তে মাত্র দুজন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকার প্রথম বালিকা বিদ্যালয়।
১৮৭৪ সালের দিকে বংশাল বড় মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকার ধনাঢ্য চামড়া ব্যবসায়ী ও ওহাবি আন্দোলনের নেতা হাজি বদরুদ্দীন। তিনি স্থানীয়ভাবে ভুট্টো হাজি নামে পরিচিতি ছিলেন।
১৮৭৫ সালে মিটফোর্ড হাসপাতালে মেডিকেল স্কুল স্থাপিত।
১৮৭৬ সালে ঢাকায় প্রথম সার্ভে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৭৮ সালে ঢাকার প্রথম নিযুক্ত হন মি. ডানকানসান।
১৮০৩ সালে ঢাকার প্রথম হাসপাতাল কলকাতার দেশীয় হাসপাতালের শাখা  হিসেবে ১৮০৩ সালে প্রথম হাসপাতাল স্থাপিত হয়।
১৮৬০ সালে আজিমপুর কবরস্থানে প্রথম কবর দেয়া হয়। আজীমপুর কবরস্থানের জমির পরিমাণ ৩৬ একর বা ১২০ বিঘা। একটা কবর ১৮৮৯ সালে, বাংলা-১২৯৬ সালে।
১৮৬৪ সালের আগস্ট মাসে, ঢাকায় প্রথম পৌরসভা প্রতিষ্ঠি হয়।
১৮৮০ সালের পূর্বে ঢাকা শহরে ঘোড়ারগাড়ী ছিলা না।
১৮৮১ সালের জানুয়ারি, ঢাকার প্রথম বিজ্ঞান পত্রিকা ভিষক প্রকাশিত হয়।
১৮৮২ সালে ঢাকার পুরনো নাখাসে মিউনিসিপিলিটির তত্ত¡াবধানে প্রথম কবরস্থান স্থাপন করা হয়। আদি ঢাকায় যত্রতত্র কবর দেওয়ার রেওয়াজ ছিল।
১৮৮৩ সালে ঢাকায় মুসলমান সুহৃদয় সমিতি গঠিত হয়।-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন ঢাকা কলেজের আবদুল মজিদ। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হতো বাংলা উর্দুতে। লেখক জানিয়েছেন, প্রথমে শহর ঢাকা, কলকাতা, বরিশাল, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ থেকে ৩২ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ১৯০৫ সালে মোহামেডান প্রভিন্সিয়াল ইউনিয়ন গঠিত হলে সুহৃদয় সম্মিলনীয় বিলুপ্তি ঘটে। ১৯২৯ সালে ঢাকায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দি লাস্ট কিস’-এর নির্মাণ, এর নায়ক চিত্রগ্রাহক খাজা আজমল ও নায়িকা লোলিটা ওরপে বাদামতলীর বুড়িকে নিয়ে আলোচনা চলচ্চিত্রমোদীদের কৌতূহল মেটাবে। ১৮৮৫-১৯২৩ সাল পর্যন্ত ঢাকার প্রথম মুসলমান মহিলা শিল্পী নবাব আহসানউল্লাহর কন্যা মেহেরবানু খানমের নাম আজকজন মনে রেখেছে? তাঁর আঁকা একটি ছবি ১৯২০ সালে মোসলেম ভারত পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।
১৮৮৫ সালে ঢাকা কোর্টের জন্ম।
১৮৮৯ সালে একটা কবর আছে ইংরেজী এবং বাংলা সন লেখা আছে-১২৯৬ সাল। আজিমপুর কবরস্থানের জন্ম সাল কবে কেউ বলে বিট্রিশ আমলে আবার কেউ বলে পাকিস্তানের আমলে আবার রেকর্ডপত্রে দেখা যায় ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘‘আজিমপুর কবরস্থান’’।
১৮৯০ সালে তৎকালীন বৃটিশ সরকার প্রথম ঢাকা নগরীর আধুনিক অভিজাত আবাসিক এলাকা ওয়ারীকে গঠন করে।
১৮৯২ সালের ১৬ মার্চ, ঢাকায় তথা বাংলাদেশে যিনি প্রথম আকাশ জয় করেছিলেন, তিনি একজন আমেরিকান নারী, যাঁর নাম জিনেট ভানতাসেল। বিষয়টি আমরা জানতে পারি সিলেটের বিখ্যাত হাসন রাজার ছেলে গনিউর রাজার ডায়েরি থেকে। তিনি সে সময় ঢাকায় ছিলেন ও ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। ১৯৮৯ সালে ঘটনাক্রমে একটি পুরোনো আলোকচিত্র পাওয়ার কারণে ঢাকায় যে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। জিনেট ভানতাসেল ও তাঁর স্বামী পি.এ. ভানতাসেলকে কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে বেলুনে চড়ার জন্য নবাব আহসানউল্লাহ চুক্তিবদ্ধ করেন। ১৮৯২ সালের ১০ মার্চ তাঁরা ঢাকায় আসেন এবং ১৬ মার্চ জিনেট বেলুনে করে বিকেলে বুড়িগঙ্গার ওপার থেকে আকাশে উড়েন এবং কথা ছিল বেলুন ছয় হাজার ফুটের ওপরে ওঠারপর প্যারাসুট নিয়ে ঝাঁপ দেবেন নবাববাড়ির ছাদে নামার উদ্দেশে। কিন্তু বাতাসের তীব্র বেগের কারণে বেলুন ভাসতে ভাসতে শাহবাগে নবাবের বাগানবাড়ির একটি ঝাউগাছে আটকে যায় এবং জিনেট ১৫ থেকে ২০ ফুট ওপরে প্যারাসুটের সঙ্গে ঝুলতে থাকেন। এ সময় ঢাকার এক ইংরেজ পুলিশ কর্মকর্তা তিনটি বাঁশ বেঁধে তার সাহায্যে জিনেটের নেমে আসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু নিচে নেমে আসার সময় বাঁশের বাঁধন আলগা হয়ে গেলে জিনেট নিচে পড়ে আঘাত পান। প্রায় অচেতন জিনেট এরপর প্রচন্ড জ্বরে ভুগে ১৮ মার্চ দুপুর একটায় মৃত্যুবরণ করেন। বিকেল চারটায় জিনেটকে ঢাকার নারিন্দায় খ্রিষ্টান গোরস্থানে সমাহিত করা হয়। ঢাকার আকাশে বেলুনে উড্ডয়নের দু-একদিন আগে থেকেই ঢোল পিটিয়ে ঢাকাবাসীকে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ঢাকার প্রথম আকাশচারী।
১৮৯৮ সালে প্রথম বায়োস্কোপ-নবাব আহসানউল্লাহ কলকাতা থেকে বায়োস্কোপ এনে পরিবার ও ঢাকাবাসীকে দেখানোর ব্যবস্থা করে।
১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর, আহসান মঞ্জিলে জেনারেটর দ্বারা বিদ্যুতের বাতি জ্বালানো হয়।
১৯০২ সালে ইংরেজরা ঢাকায় প্রথম জগন্নাথ কলেজে সিনেমা দেখায়।
১৯০২ সালের ১০ এপ্রিল, সাপ্তাহিক বার্তাবহ পত্রিকায় প্রকাশিত এডুকেশন গেজেট রয়েছে জাতীয় আরকাইভসের প্রদর্শনী কক্ষে।
১৯০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন ঢাকায় ‘কার্জন হলের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের নামে কার্জন হল তৈরী করা হয়।
১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত গভর্নমেন্ট হাউস আজকের বঙ্গভবনে রুপান্তরিত হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সালে ‘বঙ্গভবনের শতবর্ষ’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটিশরাজের অধীনে সদ্য সৃষ্ট পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার নতুন প্রদেশের প্রথম শাসক হিসেবে তার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করতে ঠিক এ হলে (বঙ্গভবন-দরবার হল) প্রবেশ করেন।
১৯০৫ সালে প্রথম বঙ্গ-ভঙ্গের সময় ঢাকাকে ‘আসাম ও পূর্ববাংলার’ রাজধানী করা হয়।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় ঢাকার মধ্যবর্তী অঞ্চলে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে নয়াবাজার হিসেবে পরিচিতি পায়।
১৯০৫ সালে ঢাকায় প্রভিন্সিয়াল মোহামেডান এসোসিয়েশন গঠিত হয়।
১৯০৫ সালে ঢাকায় প্রথম মোটরগাড়ি চালু করেন নবাব সলিমুল্লাহ।
১৯০৬ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় উর্দু সংবাদপত্র আল শাশরিক।
১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র প্রাসাদে মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে “নিখিল ভারত মুসলিম লীগ’’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯০৬ সালে লায়ন থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৭ সালের দিকে মির্জা আবদুল কাদের সরদার (জন্ম-০১-১১-১৮৮১ এবং মৃত্যু-২৭-০৮-১৯৬৩) লায়ন থিয়েটারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় লায়ন সিনেমা হল। ১৯২৭ সালের শুরুতে এ হলে নির্বাক সিনেমা প্রর্দশন করা হতো। ১৯৩৩ সালে সবাক চলচ্চিত্র প্রর্দশন শুরু হয়। বর্তমান মালিক মির্জা আবদুল খালেক। লায়ন সিনেমা হল ভেঙ্গে এখন সুপার মার্কেট নির্মাণ করা হবে।
১৯০৯ সালে ঢাকায় সলিমুল­াহ এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
১৯০৯ সালে ঢাকার ওয়ারীতে বলধা গার্ডেন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১০ সালে স্থাপিত হয় মুক্তাঙ্গনের উত্তর পাশে বিদেশিদের একটি সংগঠন ফ্রি ম্যাসন্স ক্লাব। স্থানীয়ভাবে তা ইহুদিদের ক্লাব হিসেবে পরিচিত।
১৯১০ সালে মালেকা খাতুন নবাবের বাগমিরপুর এলাকায় সুন্দর একটি মসজিদ নির্মাণ করেন।
১৯১০ সালে ১৬ নম্বর নবাবপুর রোডে আর সি দাস অ্যান্ড সন্স নামে ঢাকায় প্রথম ফটোগ্রাফিক স্টুডিও প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১১ সালের ১৯ আগষ্ট, ঢাকা ক্লাব প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, বঙ্গ-ভঙ্গ রদ করা হয়। ঢাকা থেকে রাজধানী বাতিল করা হয়।
১৯১৩ সালে ঢাকা যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯১৩ সালে ঢাকায় প্রথম পাবলিক মার্কেট স্থাপন করেন।
১৯১৪ সালে সিনেমা হল ঢাকার পিকচার হাউস নাট্যমঞ্চটি (শাবিস্তান হল) সিনেমা হলে রূপান্তরিত হয়।
১৯১৬ সালে ঢাকায় সর্বপ্রথম নওয়াব ইউসুফ-এর প্রচেষ্টায় পাবলিক মার্কেট নির্মাণ করা হয়। নওয়াব ইফসুফ ছিলেন ঢাকা পৌরসভার চেয়ারম্যান। নয়াবাজারে নওয়াব ইউসুফ রোড নামে একটি সড়ক রয়েছে।
১৯১৮ সালে মুনশি লাল মিয়া প্রতিষ্ঠা করেন গাবতলী গবাদিপশুর হাট। ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুনশি লাল মিয়া ওয়াকফ এস্টেট। এ এস্টেটের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল গবাদিপশুর হাট। ১৯৭৩ সালে হাটটি সরকার জাতীয়করণ করে। তখন থেকে প্রতিদিন হাট বসতে শুরু করে। ১৯৭৩ সালে এ হাট পরিচালনার ভার পায় মিরপুর ইউনিয়ন। ১৯৭৬ সালে মিরপুরকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মিরপুর পৌরসভার আওতায় পরিচালিত হয় হাটটি। ১৯৮৬ সালে ডিসিসির উদ্যোগে বর্তমান জায়গায় গবাদিপশুর হাটের কার্যক্রম শুরু হয়। এ হাট ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। প্রতিদিন গবাদিপশু বিক্রি হয়, এমন হাট দেশে আরেকটা আছে চট্টগ্রামে। তবে গাবতলী হাট দেশের গবাদিপশুর সবচেয়ে বড় হাট।
১৯১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, নির্বাচনে ঢাকায় প্রথম ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হয়।
১৯২০ সালের ডিসেম্বর মাসে, আহসান মঞ্জিলে নবাব সলিমুল্লাহর জ্যেষ্ঠ খাজা হাবিবুল্লাহর উদ্যোগে ঢাকা খেলাফত কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯২১ সালের ১ জুলাই, ৩টি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৩টি আবাসিক হল নিয়ে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯২১ সালের সি.এস. রেকর্ড অনুযায়ী ২০০৬-এর রাজধানী শহরের ৩৫টি খালের উল্লেখ রয়েছে তা খুঁজে বের করতে হলে এখন সেটা দস্তুরমতো গবেষণা করেই দেখতে হবে।
১৯২৩ সালের ২৩ মার্চ, ঢাকায় প্রথম ডিপার্টমেন্টাল স্টোর খোলেন। ঢাকার নবাব পরিবারের খাজা নাজিমউদ্দিন ও খাজা শাহাবউদ্দিন।
১৯২৫ সালে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা আসেন।
১৯২৭ সালে কাজী নজরুল ইসলাম ঢাকা আসেন।
১৯২৮ সালে ঢাকা শহরের প্রথম আজাদ সিনেমা হলটি প্রতিষ্ঠা করেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার মুড়াপাড়ার বিখ্যাত জমিদার মুকুলচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢাকা পিকচার্স প্যালেস নামেও তাঁর একটি চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান ছিল। এ হলটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
১৯৩০ সালে ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ী ছিল; রিক্সা ছিল না। গলির শেষ মাথায় লাগানো ছিল কেরোসিন বাতির ল্যা¤প পোষ্ট।
১৯৩১ সালে নির্মিত ঢাকার প্রথম পূণাঙ্গ নির্বাক চলচ্চিত্র দি লাস্ট কিস।
১৯৩৩ সালে প্রথম ঢাকায় সিনেমা হল তৈরী করা হয়।
১৯৩৫ সালে প্রথম মুড়াপাড়ার জমিদার ঢাকায় মটরগাড়ী আনে।
১৯৩৬ সালে ‘নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সঙ্গ’ প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর, ১৯৩৯ সালের ৭ ডিসেম্বর, ঢাকায় স্থাপিত হয় প্রগতি লেখক সঙ্গের শাখা।
১৯৩৬-৩৭ সালে ঢাকার মৌলভীবাজারের দুই ব্যক্তি ব্যবসায়িক উদ্দেশে কলকাতার চন্দননগর থেকে ১৮০/- টাকায় দুটি সাইকেল রিকশা আমদানি করেন।
১৯৩৮ সালে নুরবানু ঢাকার নিউইস্কাটন এলাকায় ‘নিউইস্কাটন ছোট মসজিদ’ নির্মাণ করেন।
১৯৩৮ সালে রাহেলা খাতুন দক্ষিণ শাহাজাহানপুর মসজিদ নির্মাণ করেন।
১৯৩৯ সালে(লেখা আছে ১৮৩৯ সাল পত্রিকায়) ঢাকা-আরিচা সড়ক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এ প্রবেশদ্বারের যাত্রা শুরু হয়। ওই সময় তুরাগ নদীর ওপর তৈরি হয় লোহার ব্রিজ। যানবাহন চলাচল সহজ করার জন্য ১৩৮১ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ চালু হয় বর্তমান পাকা সেতুটি, যা মিরপুর ব্রিজ নামে পরিচিতি। বিট্রিশ আমলেই যানবাহন রাখার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয় গাবতলী এলাকা। ১৯৭৬ সালে মিরপুরকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। পরে তা ডিসিসির আওতাভূক্ত হয়। ১৯৮৫ সালে ৫ একর যায়গা নিয়ে মিরপুর আন্তজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়।
১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর নাজিমউদ্দিন রোডে খান বাহাদুর নাজির উদ্দিন সাহেবের ভাড়া বাড়িতে দুটি  স্টুডিও নিয়ে অল ইন্ডিয়া রেডিও “ঢাকা বেতার কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ।
১৯৪৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকা ছিল একটি জেলা শহরই মাত্র।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট, পূর্ব-পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় স্থাপিত হয়।
১৯৪৭ সালে ঢাকা শহরে ৩০০শত টেলিফোন ছিল।
১৯৪৭ সালের পর সেই সব শহীদদের স্মরণে ওখানে নির্মিত হয় শহীদ স্মৃতিসৌধ ১৮৫৭-এর স্মরণে’’। আজকের বাহাদুর শাহ পার্কের ঐ স্থানটি ছিলো আন্টাঘর ময়দান। ইংরেজ প্রশাসন পরে ভিক্টোরিয়া পার্ক নামকরণ করে।
১৯৪৭ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার।
১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে প্রথম হরতাল। হরতাল গুজরাতী শব্দ।
১৯৪৮ সালের ১ জুলাই, বেগম বদরুনন্নেসা সরকারী মহিলা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৮ সালে প্রথম মুড়ির টিনমার্কা বাস চলাচল করে সদরঘাট থেকে চকবাজার হয়ে ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত।
১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রথম ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়।
১৯৪৮ সালে ঢাকা ফ্লাইং ক্লাব (বেসামরিক পাইলট তৈরির) প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৯ সালের মার্চে, ঢাকার পল্টন ময়দানে পূর্ব-পাকিস্তান রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগের এক অধিবেশন বসে।
১৯৪৮ সালের ৭ মে, ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, পাকিস্তান’ নামে প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টি হয়।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, ঢাকায় “রোজ গার্ডেনে” মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৯ সালের জুলাই, ঢাকা বারলাইব্রেরীতে এক ঘরোয়া সভায় ইত্তেফাক নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশের কথা ঘোষণা দেন এবং ওই সভাতে উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে চারশত টাকার একটি তহবিল গঠন করেন। তা দিয়ে ১৫ আগষ্ট, ইত্তেফাক-এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। প্রথম অফিস ছিল ৭৭, মালিটোলায় এবং পরে ৯৪, নবাবপুর রোডের আওয়ামী মুসলিম লীগ কার্যালয়ে।
১৯৪৯ সালের ৩ নভেম্বর, ঢাকা ‘নটর ডেম কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫০ সালের ২ জুন, ঢাকায় ‘দৈনিক সংবাদ’-এর প্রতিষ্ঠা।
১৯৫০ সালে ঢাকায় প্রথম সরকারীভাবে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আজিমপুরে ‘আজিমপুর সরকারী  কোয়ার্টার’ নির্মাণ করা হয়।
১৯৫০ সালে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ছিল তিন লাখ ১৭ হাজার। তখন জনসংখ্যায় বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা শহরের অবস্থান ছিল ২৪০তম। ২০১০ সালে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২৫ লাখ ১৯ হাজার এবং ঢাকা বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহরের স্থান দখল করে। অর্থাৎ ৫০ বছরের ব্যবধানে ঢাকা জনসংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে ২৩১টি শহরকে অতিক্রম করেছে। বলা হচ্ছে বর্তমানে (২০১৪ সালে) ঢাকার জনসংখ্যা ১ কোটি ৫০ লাখ থেকে ২০২০ সালে জনসংখ্যা হবে ২ কোটি ৪০ লাখ।
১৯৫১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯শ’ ২৮ জন। (১৯৫১ সালে আয়তন ছিল-৬০ বর্গকিলোমিটার বা ৩৭.৫০ বর্গমাইল)।
১৯৫২ সালের ৩ জানুয়ারি, ঢাকায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ২২ জানুয়ারি ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে ছাত্র সমাবেশের উপর পুলিশের গুলি বর্ষণ। জাতীয় আরকাইভসের প্রদর্শনী কক্ষে রয়েছে।
১৯৫২ সালের ২৮ জানুয়ারি, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কাজী গোলাম মাহবুবকে আহবায়ক করে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন।
১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি, খাজা নাজিমউদ্দিন পূর্ব-পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী  হওয়ার পর ঢাকার এক জনসভায় বলেন-“উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’’।
১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি, পূর্ব-বাংলায় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠন করা হয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি, বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষারদাবীতে আন্দোলণরত জনতার উপর পুলিশের গুলিতে কয়েকজন শহীদ হয়। এদের মধ্যে ৫(পাঁচ) জনের নাম জানা আছেঃ বরকত, সালাম, জব্বার, রফিক ও অহিউল্লাহ। বরকত ছিলেন ছাত্র, সালাম ছিলেন সচিবালয়ের পিয়ন, জব্বার ছিলেন ছোট চাকুরে, রফিক ছিলেন প্রেসের কর্মচারী আর অহিউল্লাহ ছিলেন কিশোর বালক। পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই ছিলেন সাধারণ মানুষ, দরিদ্র কর্মচারী বা ছোট ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষার জন্য তাঁরা প্রাণ দিলেন, তাঁদের রক্তের ওপর দিয়ে দেশ স্বাধীন হল; কত লোকের ভাগ্য খুলে গেল, কিন্তু বাংলা ভাষার মধ্যে পরিবর্তন এলনা। বাংলা ভাষায় বড়লোক-ছোটলোকের তারতম্য রয়ে গেল।
১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত শোক মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণ।
১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়।
১৯৫২ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, ভাষা আন্দোলনকারী জনতার উপর গুলীর প্রতিবাদে ‘‘দৈনিক আজাদ’ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিনের প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগ।
১৯৫২ সালের ২৯ মার্চ, ঢাকা বার এসাসিয়েশনে সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জন্ম।
১৯৫২ সালের ২ মে, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৫৩ সালের ২০ মার্চ, ‘ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক পেট্রল পাম্প’ হলো বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম পেট্্রল পাম্প।
১৯৫৩ সালে মুসলিম লীগের স্বৈরাচারী আচরণ মোকাবিলার জন্য, ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর ভাসানী এবং ফজলুল হক আলোচনা করে মুসলিম লীগ বিরোধী একটা ফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেন এবং পত্রিকায় বিবৃতি প্রদান করে “ঐতিহাসিক ২১-দফার’’ ভিত্তিতে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।
১৯৫৩ সালে ঢাকায় নটরডেম ডিবেটিং ক্লাব গঠিত হয়।
১৯৫৩ সালে টাউন ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘‘আজিমপুর কবরস্থান’’। ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ, শুক্রবার রায়েরবাজারের কবস্থানটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম দেশের বৃহত্তম কবরস্থানটি চালু হয়। রায়েরবাজারের কবরস্থানটি নির্মার্মে ব্যয় ৫২২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ কবরস্থানের মোট জমির পরিমাণ ৯৬ দশমিক ২৩ একর।
১৯৫৪ সালে ঢাকা স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়।
১৯৫৪ সালে ঢাকার রাজারবাগ ২৫০ শয্যার পুলিশ হাসপাতার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪ সালের ১০ মে, পল্টন ময়দানে আওয়ামী মুসলিম লীগের আহবানে এক বিরাট জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ফজলুল হক সভায় ঘোষণা দেন যে, তিনি ভাসানীর নির্দেশেই শাসনকার্য পরিচলনা করবেন। ৩০ মে, ফজলুল হকের মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন। অজুহাত দেখান যে, কমিউনিষ্টরা বিশৃঙ্খলা করে-দমনে হক-মন্ত্রিসভা ব্যর্থ। ১৯৩৫ সালের ‘ভারত শাসন আইন’-এর ৯২-ক ধারায় পূর্ববাংলায় গভর্নরের শাসন জারি করেন।
১৯৫৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় প্রথম অপ্রাতিষ্ঠানিক বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্র নটরডেম বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪ সালে ঢাকায় প্রথম নিউমার্কেট তৈরী করা হয়।
১৯৫৪ সালের ২৮ জুন, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৫৬ সালের দিকে ডাকঘরের পরিধি আরও বাড়ে। তখন সদরঘাটে প্রধান ডাকঘর থাকলেও পোষ্টমাষ্টার জেনারেল (পিএমজি) অফিস, বৈদেশিক ডাকঘর বায়তুল মোকাররমের পাশের যায়গায় ডাকঘরকে জেনারেল পোষ্ট অফিস (জিপিও) হিসেবে গঠন করেন। ১৯৬৩ সালের ১০ মার্চ জিপিওর আনুষ্ঠানিক সূচনা করে এ ভবনে এর সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৬৫ সালে সদরঘাটের অফিসটিকে ঢাকা সদর হেড পোষ্ট অফিস হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
১৯৫৬ সালের দিকে আবাসিক এলাকা ধানমন্ডির প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৫৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়। ২০০৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ৫০ বছর পুর্তি অনুষ্ঠান।
১৯৫৬ সালের ১৩ আগস্ট, ঢাকা শহরে বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র “মুখ ও মুখোশ’’ মুক্তি পায়; নির্মাতা মরহুম আব্দুল জব্বার খান।
১৯৫৬ সালে ঢাকায় ‘‘ইঞ্জিনিয়ার্স  ইনস্টিটিউশন’’ ভবনটি তৈরী করা হয়।
১৯৫৬ সালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৫৬ সালে আজিমপুর লেডিস ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৭ সালে ঢাকায় ১৫ জন লোক নিয়ে এফ.ডি.সি‘র কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৫৮ সালের ৮ মার্চ, ঢাকা মুসলিম চেম্বার এবং ইউনাইটেড চেম্বার একত্রকরণের মাধ্যমে ‘‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির’’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
১৯৫৮ সালের ২৩ জুন, ঢাকায় প্রথম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৫৮ সালে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট-এর মাস্টার প্ল্যান ১৯৫৯ সালে প্রণীত হয়। তখন ঢাকার আশে পাশে ৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য এ মহাপরিকল্পনায় জনসংখ্যার বৃদ্ধির যে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়, তা সম্পূর্ণভাবে ভূল প্রমাণিত হয়। ১৯৯৫ সালে ডিএমডিপি নামে প্রণীত হয় এবং ১৯৯৭ সালে অনুমোদিত হয়। এ পরিকল্পনায় মোট ৫৯০ বর্গমাইল বা ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বি¯তৃত। উত্তরে গাজীপুর পৌরসভার উত্তর সীমানা, দক্ষিণে ধলেশ্বরী নদী, পশ্চিমে বংশী ও ধলেশ্বরী নদী, পূর্বে শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা নদী এবং সোনারগাঁও উপজেলার কিয়দংশ। ২০১০ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর ২১ শতাংশ জায়গা থাকবে জলাশয়-জলাভূমি। ঢাকা মহানগরের বিশদ অব্জল পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাস্তবায়নে গেজেট প্রকাশ। এটি বাস্তবায়িত না হলে রাজধানী পানিতে তলিয়ে যাবে ঃ পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান বলেন। এর ফলে পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ৫৯০ বর্গমাইল (১৫২৮ বর্গকিলোমিটার) বি¯তৃত ঢাকা মহানগরের ২১ শতাংশ জায়গা জলাশয় ও জলাভূমি হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে।
১৯৫৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের শাখা খোলা হয়। স্বাধীনতার পর ঢাকায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের পূণাঙ্গ শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি, তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ জাতীয় মসজিদটি ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ৮.৩০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালের দিকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বায়তুল মোকাররম মসজিদকে জাতীয় মসজিদ হিসেবে ঘোষণা দেন।
১৯৬০ সালে আজীমপুর এস্টেট জনকল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল ২৪-০৪-২০১৪ তারিখ বৃহস্পতিবার ঢাকায় তাপমাত্রা পৌঁছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই তাপমাত্রাকে ৫৪ বছরের মধ্যে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এপ্রিলের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ দিনে গড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৭৩ বছরের মানে ১৯৪১ সাল থেকে তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরে।
১৯৬১ সালে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান প্রতিষ্ঠিত হয়। ফোন-৮০৩৩২৯২।
১৯৬১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার ১শ’ ৪৩ জন।
১৯৬১ সালের ৮ মার্চ, মতিঝিল বাস ডিপো হতে মাত্র ৪টি বাস নিয়ে তৎকালীন ইপিআরটিসি যাত্রা শুরু করে। এবং বাংলাদেশে কাচা ও পাকা রাস্তা মিলিয়ে মোট সড়ক পথের দৈর্ঘ্য-২,৪১,২৮৬ কিলোমিটার (সূত্র-অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০০৯)।
১৯৬২ সালে ঢাকা শহরে প্রথম ফুটপাত তৈরী হয়।
১৯৬৪ সালে আনবিক শক্তি কমিশনের মাধ্যমে পূর্ব-পাকিস্তানে প্রথম যে কমপিউটারের যাত্রা শুরু সেই কমপিউটার আজ বাংলাদেশের মানুষের জীবনের একটি অন্যতম অংশ হয়ে যাচ্ছে।
১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশে পার্সোনাল কমপিউটারের জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। এরপর ১৯৯৮ সালে সরকার যখন কমপিউটার এবং অন্যান্য আইসিটি এক্সেসরিজের উপর থেকে ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয় তখন থেকে এটি প্রচন্ডভাবে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের ইন্টারনেট যুগে প্রবেশের ঘটনা আইসিটি খাতে একটি বিরাট মাইলস্টোন ছিলো। ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৫-সদস্যের একটি শক্তিশালী আইসিটি টাস্কফোর্স গঠন করে।
১৯৬৪ সালে সমিরুননেছা ও নূরজাহান খাতুন চিড়িয়াখানা জামে মসজিদ নির্মাণ করেন।
১৯৬৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর,সাবেক পূর্ব-পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় টেলিভিশন দেখা শুরু।
১৯৬৪ সালে ঢাকা সদরঘাটে ভাসমান জেটিতে লঞ্চ ভিড়ে।
১৯৬৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সমিতি গড়ে ওঠে ঢাকার পঞ্চায়েত সরদার আব্দুল মাজেদের প্রচেষ্টায়। ঢাকা সমিতির স্মরণিকা থেকে জানা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ঢাকায় পঞ্চায়েত প্রথা বিলুপ্ত হয়ে গেল। সমিতির প্রথম আহবায়ক হন মাজেদ সরদার। মাজেদ সরদার ১৯৬৫ সালে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ঢাকার নাগরিক কমিটির ব্যানারে এক সভা আহবান করেন। ১৯১২ সালে প্রণীত সিএস (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে) অনুযায়ী যারা ঢাকার বাসিন্দা, শুধু তারাই ঢাকা সমিতির সদস্য হতে পারে। সে অনুযায়ী আদি ঢাকাইয়াদের সংগঠন হলো এ সমিতি। সবাই একত্র হওয়া, ঢাকাইয়াদের সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা, সামাজিক ও কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্যই-এ সমিতি গড়ে ওঠে।
১৯৬৬ সালে প্রথম ঢাকায় ফাইভ স্টার “শেরাটন হোটেল” প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৬৯ সালের ৬ জানুয়ারি, ছাত্র ইউনিয়ন(মেনন), ছাত্র ইউনিয়ন(মতিয়া) এবং ছাত্রলীগ-এর সমন্বয়ে “ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’’ গঠন এবং ডাকসু কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ১১-দফা কর্মসূচী ঘোষণা।
১৯৬৯ সালের ১৮ জানুয়ারি, ১১ দফার দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক বটতলায় ছাত্র সমাবেশের পর মিছিল। ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশের কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ।
১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি, ই.পি.আর.-এর গুলিতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ আহত।
১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি, ছাত্র মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ।
১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি, আসাদুজ্জামান শহীদ হওয়ার সংবাদে মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটে প্রবেশের মূল ফটকের নামকরণ করা হয় “আসাদ গেট’’।
১৯৬৯ সালে ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশন চালু হয়।
১৯৬৯ সালে ঢাকায় প্রথম ‘দোতালা বাস’ চালু হয়।
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ, পল্টন ময়দানের এক বিশাল জনসভায় বিভিন্ন নেতা অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। সারা দেশে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, রমনা রেস কোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাসন দেন।
১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ,শেষবারের মতো ঢাকা সফরে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান।
১৯৭১ সালের ১৬ মার্চ, পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের আলোচনা বৈঠক শুরু হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহানের আলোচনা।
১৯৭১ সালের ২০ মার্চ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবুর রহমান-এর মধ্যে প্রায় সোয়া দু‘ঘন্টাব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ২২ মার্চ, ছিল এক বিভ্রান্তিপূর্ণ দিন। প্রেসিডেন্ট হাউজে ভুট্টোর সঙ্গে শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকার ছিল ২২ মার্চের এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, পূর্ব-পাকিস্তানে গণহত্যর নির্দেশ দিয়ে আকস্মিকভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া  খান করাচির পথে ঢাকা ত্যাগ করেন। পাক-বাহিনী রাতে ঢাকায় শুরু করে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নিরস্ত্র জনগণের উপর অমানসিক নির্যাতন শুরু।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রী পরিষদ মুজিবনগর থেকে ঢাকায়।
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিরুর রহমান জাতীয় স্মৃতিশোধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং স্মৃতিশোধের কাজ শেষ হয় ১৯৮২ সালে। স্মৃতিশোধের সর্বোচ্চ উচ্চতা ১৫০ ফুট। ঢাকা শহর থেকে ২২ মাইল দূরে সাভারে ৪-একর জমির উপর নির্মিত হয় স্মৃতিশোধ। এর পার্শ্ববর্তী আরো ৪২-একর জমি স্মৃতিসোধের পরিবেশ রক্ষণের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়।
১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর, মিল্ক ভিটার (বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড) প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে মিল্ক ভিটা দেশের ২৬টি জেলার ১০৫টি উপজেলায় কাজ করছে। সমবায়ের ভিত্তিতে প্রায় দুই লাখ কৃষক মিল্ক ভিটার সঙ্গে যুক্ত এবং ১০ লাখ লোক সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে।
১৯৭৪ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ১৬ লাখ। (আয়তন ছিল-২৮০  বর্গকিলোমিটার বা ১৭৫ বর্গমাইল)।
১৯৭৪ সালের ১৪ এপ্রিল, মিরপুর ব্রিজ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যাকান্ডে নিহত জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজারুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান।  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দিনকে জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে।
১৯৭৬ সালে কাঁচপুর ব্রিজ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
১৯৭৮ সালে ঢাকা পৌরসভাকে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়।
১৯৭৮ সালে ওরিয়েন্ট স্পোটিং ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৯ সালের ৩০ জানুয়ারি, ঢাকার পরীবাগে ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৯ সালে শহীদ জিয়া শিশুপার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮০ সালে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা(সার্ক)-এর সূচনা ঃ সার্ক আণুষ্ঠানিক-ভাবে উহার যাত্রা শুরু করে ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়।
১৯৮১ সালের ৫ জুলাই, লোক নাট্যদল প্রতিষ্ঠিত হয়।(লিয়াকত আলী লাকী গ্রুপ)।
১৯৮১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ১শ’ ৪৭ জন।
১৯৮২ সালে ঢাকার কাওরান বাজার সংলগ্ন ২য় পাঁচতারা সোনারগাঁও হোটেল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮২ সালের ৪ অক্টোবর, সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের মাধ্যমে ঢাকার বর্তমান বানান (উযধশধ) করা হয় এবং ৬ অক্টোবর বুধবার বাসস সূত্রে দৈনিক সংবাদের প্রথম পাতায় এ খবর ছাপা হয। তাতে উলে­খ করা হয়, এখন থেকে ইংরেজীতে ঢাকার বানান উধপপধ-এর পরিবর্তে উযধশধ লিখতে হবে। প্রধান সামরিক প্রশাসক লে. জে. এইচ. এম. এরশাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১৯৮৩ সালের ১৭ নভেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৩ সালে ঢাকা আহসানিয়া মিশন এতিম শিশু সদন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৫ সালের ৪ নভেম্বর, আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা হয় (১৯৯২ সালে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়)। ফোন-৭৩৯১১২২, ৭৩৯৩৮৬৬।
১৯৮৯ সালে রাজধানীর মহাখালীতে ইরাক সরকারের আর্থিক অনুদানে প্রতিষ্ঠিত করেন মাওলানা এম. এ. মান্নান আর এক অমর কীর্তি মসজিদে গাউছুল আযম ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কমপ্লেক্স।
১৯৯০ সালে ঢাকাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়।
১৯৯১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ‘‘দি ডেইলি স্টার’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৯৯১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ৬৮ লাখ ৪৪ হাজার ১শ’ ৩১ জন।
১৯৯১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ঃ ৬৪ লঅ ৮৭ হাজার। ২০০১ সালে ৯৬ লাখ ৭২ হাজার। ২০১১ সালে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার। ২০১৪ সালে ১ কোটি ৬৯ লাখ। দিনে ঢাকায় বাড়ছে ১৫০০ জন। বছরে বাড়ছে ৫,৭০,৫৭০ জন। মানুষের সঙ্গে বাড়ছে যানবাহনও। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকায় নিবন্ধিত যানবাহন সাত লাখ ৯৭ হাজার ১৮৪টি। প্রতিদিন রাস্তায় ১৮০টি নতুন যান। ৩৫ ভাগ মানুষ বস্তিতে বাস করে।
১৯৯৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘নগরভবন’’ উদ্বোধন করেন।
১৯৯৮ সালের ২৪ অক্টোবর, ঢাকায় মিনি বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু হয়।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর, একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকো। ২০০০ সাল থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
২০০১ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল-৯৬ লাখ ৭২ হাজার (আয়তন ছিল-৩৫৩ বর্গমাইল)।
ঢাকার সেই খালগুলো এখন কেবল স্মৃতিচিহ্ন ঃ একদিন এ রাজধানী ঢাকায় ছিল ‘বাইশখাল’। এ খালগুলোর দু‘তীর জুড়ে ছিল গ্রামীণ আবহ। সুখী ঢাকাবাসী আয়োজন করতো নৌকা বাইচের। আদি ঢাকার গৌরব মিশে ছিলো অন্যান্য খাল ও ধোলাইখালের প্রবাহ ছন্দে। জনসংখ্যার চাপে ‘তিলোত্তমা’ ঢাকা গড়ার নামে হরণ করা হয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে।
২০০৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ভাসানী নভোথিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৪ সালের ৮ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া ২৬টি খাল অবিলম্বে পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত। ২৬টি খালের সর্বমোট দৈর্ঘ্য ছিল-২৫৬ কিলোমিটার। এ সভায় জানানো হয়েছে যে, ৬০-এর দশকে ঢাকা নগরীতে প্রায় ৫০টি খাল ছিল।  এ জন্য কোন খালের এলাকার মধ্যে যদি ২০-তলা ভবনও থাকে তবে তা ভেঙ্গে ফেলা হবে। ঢাকার আশপাশের সকল জলাভূমি ও নীচু ভূমি অধিগ্রহণ করারও সুপারিশ করা হয়।
২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি, আমাদের সময় ঃ রাজধানীর ৪৩ খালের ১৭টি এখন         অস্তিত্বহীন। নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আসছে ঢাকা ওয়াসা। ২৬টি খাল উদ্ধার করেছে ওয়াসা। ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সংসদীয় কমিটিকে মন্ত্রণালয়-রাজধানীর ৪৩টি খাল ‘নিখোজ’। ধোলাইখালসহ রাজধানীর ৪৩টি খাল বাস্তবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
২০০৪ সালের ১৫ অক্টোবরের রিপোর্ট ঃ ঢাকার ৩৫টি খাল উদ্ধারে সংসদীয় কমিটি গঠন।
২০০৪ সালের ১৫ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকায় ৮ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলে ৪২ ভাগ ঘরবাড়ী ধ্বংস হবে ঃ ঢাকার মেয়র।
২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর, মহাখালীতে ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উন্মক্ত করা হয়।
২০০৫ সালে ঢাকায় লোকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ। ১৯৫১ সালে ঢাকার আয়তন ছিল ২৮ বর্গমাইল যা ১৯৮৯ সালে ৫ গুন বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৫৫ বর্গমাইল। ১৯৯১ সালে ঢাকার আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে ৫২২ বর্গমাইল দাঁড়িয়েছে। ২০০৫ সালে ঢাকা মহানগরীর আয়তন ১,৫৫০ বর্গকিলোমিটার।
২০০৬ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী, নগরে বস্তির সংখ্যা চার হাজার ৯৬৬টি। এসব বস্তিতে ৩৪ লাখ লোক বাস করে। এদের শতকরা ২৫ জন সেপটিক ট্যাংক ও পয়োনিস্কাশন সুবিধা পায়। ২০১৩ সালের মধ্যে সবার জন্য নগরে শত ভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা কঠিন হবে বলে তিনি জানান। আমি বলি সরকারের কথা এবং কাজের মাঝে মিল পাওয়া যায়নি।
২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ঢাকা সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা শহরে হোল্ডিং নম্বর আছে প্রায় দুই লাখ ৩১ হাজার ৫৮০টি। হোল্ডিং নম্বর নেই এমন বাড়ির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।
২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর নিখোঁজ ৪৩টি খালগুলোর মধ্যে ২৬টির খোঁজ মিলেছে।
২০১০ সালের ২১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন-৩৯ খালের দখলদার। এক হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
২০১০ সালে মোট ঢাকা শহরের হোল্ডিংসংখ্যা হচ্ছে-এক লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৬। আর ঢাকা শহরের জনসংখ্যা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। নগরবিদ অধ্যাপক নজরংল ইসলামের হিসাবমতে, এ জনসংখ্যা ৮৫ লাখ। কিন্তু লোকজনের ধারণা, এ জনসংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ বা তারও বেশি। দি ওয়ার্ল্ড এলমেনাক এন্ড বুক অব ফেক্টসের ২০১১ সালের তথ্য অনুসারে ঢাকার লোকসংখ্যা-১(এক) কোটি ৪২(বিয়াল্লিশ) লাখ।
২০১২ সালের ৫ জুন ঃ ঢাকা শহরের লোকসংখ্যা-১ কোটি ৫৮ লাখ। (ঢাকার শহরের আয়তন-৫০০ বর্গকিলোমিটার বা ৩১২.৫ বর্গমাইল)। সারাদেশে ছোট-বড় মিলিয়ে শহর ৬২৫টি। পুরোনো শহরগুলোকে অবহেলায় রেখে নতুন উপশহর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী-অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নগরবিদ।
ঢাকা মহনগরের ৩৫৩ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মাত্র ৩৫ বর্গকিলোমিটার, আর জলাভূমির পরিমাণ ৭০ বর্গকিলোমিটার। জলাজয় কমছে আশঙ্কাজনক হারে। সবুজ হারিয়ে ক্রমশ ধূসর হয়ে উঠছে ঢাকা। এ চিত্র পাওয়া গেছে একটি সমীক্ষা থেকে। জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা ও বিসিএএস পরিচালিত এ সমীক্ষা থেকে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ইফতেখার মাহমুদ। কমছে সবুজ-এক যুগ আগেও ঢাকার আশপাশে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জমি ছিল সবুজে ঢাকা। নগরায়ণের নামে এলাকাগুলো ধূসর হয়ে উঠছে। বাড়ছে তাপমাত্রা-নিম্নভূমি ও জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক কংক্রিটের ভবন ও পিচঢালা পথ নির্মাণের ফলে শহরে তাপমাত্রাও বাড়ছে। এক যুগে ৯০ শতাংশ জলাভূমি ভরাট।
২০১২ সালের ৫ এপ্রিল, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ ঢাকাই জামদানি প্রায় ৪০০ বছর ধরে প্রতি শুক্রবার ভোর থেকে তাঁতিরা তাদের বোনা এ কাপড় বিক্রি করতে আসেন ডেমরার হাটে। গবেষক ড. আবদুল করিম তাঁর ‘ঢাকাই মসলিন’ গ্রন্থে যে ডেমরার আড়ংয়ের কথা বলেছেন সেটিই বর্তমানে ডেমরার হাট। দেশ থেকে অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও ডেমরার আড়ংটি রয়ে গেছে। এই আড়ং থেকে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের জন্য উৎকৃষ্ট জামদানি কেনা হতো। ওইসব জামদানির প্রতিটির দাম ছিল ৪০০ টাকা। ১৭৭৭ সালে মুর্শিদাবাদের নবাবদের জন্য এখান থেকে একখন্ড জামদানি কেনা হয়েছিল ৫৬০ টাকায়। ঢাকার নায়েব-ই-নাজিম মোহাপম্মদ রেজা খাঁ প্রতিটি জামদানির দাম পরিশোধ করতেন ৪৫০ টাকা করে। ১৯০৭ সালে ২০০ টাকা করে এ কাপড় কেনা হতো ত্রিপুরার মহারাজাদের জন্য। ১৯০৩ সালে দিল্লীতে ভারত শিল্প প্রদর্শনীতে ডেমরার জামদানি প্রথম হয়ে ৫০০ টাকা পুরস্কার লাভ করে। তবে ডেমরার আড়ংয়ে এখন আর মসলিন পাওয়া যায় না। শুধু পাওয়া যায় মসলিনের মোটা ফর্ম জামদানি।
২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাজধানীতে বস্তির সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এতে ৪০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস, যার অর্ধেকের বেশি শিশু। বস্তির নোংরা ঘিঞ্জি পরিবেশে বাস করা মেয়েশিশুরা কেমন আছে? তাদের নিয়েই ইউনিসেফের সহযোগিতায় প্রথম আলোর বিশেষ মাসিক দুই পৃষ্ঠার আয়োজন। সবার আগে শিশু-প্রকাশিত হলো আজ। তা থেকে কিছু কথা বলার ছিল, তা বলতে পারিনি।
২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল, প্রথম আলোর অন্য আলো ঃ নতুন করে লিখতে হবে ঢাকার ইতিহাস। সতেরো শতকের অজানা ঢাকা সম্পর্কে অজস্র তথ্য ছড়িয়ে আছে ওলন্দাজ বণিকদের ভ্রমণ বিবরণী, ডায়েরি, বার্ষিক প্রতিবেদন, লেজার বুকসহ নানান চিঠিপত্রে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত জাতীয় মহাফেজখানায় সংরক্ষিত এসব নথির কারণে নতুন করে লিখতে হবে ঢাকার ইতিহাস। লিখেছেন-আজিজুল ইসলাম। তথ্যের স্বপ্লতার কারণে সতেরো শতকের ঢাকার ইতিহাস রচনা করতে ইতিহাসবিদদের বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়। ১৬০২ সালে ওলন্দাজরা গঠন করেছিল ফেরেনগডি ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি বা ভিওসি, ইংরেজিতে যাকে আমরা ডাস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নামে চিনি। কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর এক দশকের মধ্যেই পর্তুগিজদের হটিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ায় কোম্পানি তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে এই নথিপত্রগুলো সংরক্ষিত আছে হেগ শহরে অবস্থিত জাতীয় মহাফেজখানায়। ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় কারখানা স্থাপন করে-১৬৩০-এর দশকে। তবে ঢাকায় ওলন্দাজরা কারখানা প্রতিষ্ঠা করে আরও অনেক বছর পর। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত ন্যাশনাল আর্কাইভ। বর্তমান বৃহত্তম নোয়াখালী জেলা একসময় ভুলুয়া নামে পরিচিত ছিল। শুধু ফানদের হেইডেনের ভ্রমণ বিবরণীই নয়, এই মহাফেজখানায় রক্ষিত আছে আরও অনেক ভ্রমণ বিবরণী, ঢাকা ডায়েরি, কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন, লেজার বুক, মানচিত্র এবং চিঠিপত্রে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ঢাকা এবং পূর্বভঙ্গ সম্পর্কে অনেক বিচিত্র এবং প্রয়োজনীয় তথ্য। এর সবই সতেরো শতকের পূর্বভঙ্গ তথা বাংলাদেশ এবং ঢাকার ইতিহাস পুনর্গঠনে ঠিক সোনার খনির মতোই। ঢাকার নারিন্দায় অবস্থিত আঠারো শতকের ওলন্দাজ বণিক উইলিয়াম কের্কমানের সমাধি। রাজশাহীর পদ্মার তীরে অবস্থিত ওলন্দাজ কুঠি।
৩১-১০-২০১৩ তারিখের ঢাকা ঃ এক নজরে আজকের ঢাকা ঃ (১) আয়তন ১,৪৬৩.৬০ বর্গকিলোমিটার (২) মোট জনসংখ্যা-১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন (৩) পুরুষ-৬৮,১৩,৪৬৩ ও (৪) ৫৭,০৩,৯০৮ জন (৫) শিক্ষার হার-৭০.৫০% (৬) খানা-২৭,৮৬,১৩৩টি (৭) জনসংখ্যার ঘনত্ব-৮,২২৯ জন (৮) জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার-৩.৪৮(প্রতিবছর) (৯) শহরায়ন-%ঃ৭৭.৩৬ (১০) উপজেলার সংখ্যা-৫টি, (১১) মেট্রো পলিটন থানার সংখ্যা-৪৮, (১২) সিটি করপোশেনের সংখ্যা-২টি, (১৩) পৌরসভার সংখ্যা-৩টি, (১৪) ইউনিয়নের সংখ্যা-৮৬টি, (১৫) মৌজার সংখ্যা-৯৭৪টি, (১৬) গ্রাম সংখ্যা-১ হাজার ৯৯৯টি, (১৭) সিটি ওয়ার্ড-৯২টি, (১৮) সিটি মহল্লা-১৩৩টি, (১৯) সংসদীয় আসন সংখ্যা-২০টি, (২০) উন্নয়ন সার্কেল-১টি, (২১) কলেজের সংখ্যা-১৬৭টি, (২২) উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা-৪৭৯টি, (২৩) মাদ্রাসার সংখ্যা-৬৮৯ (২৪) মসজিদের সংখ্যা-৩,০৮৮টি, (২৫) মন্দিরের সংখ্যা-৮০৮টি, (২৬) গির্জার সংখ্যা-৩৩টি, (২৭) মো আবাদি জমির পরিমাণ-১,০৯,১২৯ হেক্টর (২৮) অর্থকরী ফসল-পাট, তুলা ও আখ (২৯) রাস্তার মোট সংখ্যা-১,৫৯৮টি (৩০) রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য-৪,১০৭ কি.মি. (৩১) কাঁচা রাস্তা-৩,১৪৬ কি.মি. (৩২) আধা পাকা রাস্তা-৫৪৬ কি.মি. (৩৩) ই্টপাকা-৩৯৯ কি.মি. (৩৪)শক্ত আরসিসি রাস্তা-১৬ কি.মি. (৩৫) খাদ্য গুদামের সংখ্যা-৭টি, ধারণক্ষমতা-৪৬,২৫০ মেট্রিক টন (৩৬) জলাভূমি সংখ্যা-১২টি(বিশ একরের উর্ধ্বে) (৩৭) মোট মৌজার সংখ্যা-১,০৯৬টি। (১) মোগল আমল-১৬০৮-১৭৬৫ (২) ব্রিটিশ আমল-১৭৬৫-১৯৪৭ ও (৩) পাকিস্তান আমল-১৯৪৭-১৯৭১ (৪) বাংলাদেশ আমল-১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে-
১৯৫৩ সালে নবাবপুর এক্সল মোটর ওয়ার্কশপই সম্ভবত ঢাকার প্রথম মোটর ওয়ার্কশপ। শ্মশান ঃ আদিতে ঢাকার নদী ও খালপাড়ে মরদেহ পোড়ানো হতো। ঢাকার আদি স্বীকৃত শ্মশানের মধ্যে দয়াগঞ্জ শ্মশানঘাট, পোস্তগলা ও লালবাগ শ্মশানের কথা জানা যায়। ডক্টরেট-পি-এইচডি ঃ নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় বাংলার যাত্রাপালা নিয়ে গবেষণা করে সুইজারল্যান্ড থেকে প্রথম ঢাকাবাসী হিসেবে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। নায়েব নাজিম ছিলেন-ঢাকার প্রথম নায়েব নাজিম মুহম্মদ আলী খান। মুসলমান গ্র্যাজুয়েট ঃ ঢাকার প্রথম গ্র্যাজুয়েট আদিনাথ সেনের মতে, ঢাকার প্রথম মুসলমান গ্র্যাজুয়েট খাজা মুহম্মদ আসগর। নারী চিত্রশিল্পী ঃ নবাব পরিবারের মেহেরবানু খানমই সম্ভবত ঢাকার প্রথম নারী চিত্রশিল্পী।
২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখ ডিসি-১০ বিমানের শেষ যাত্রা। শরীরে বার্ধক্র, জড়িয়েছে বিতর্কেও। বিদায় বেলায় নাম উঠেছে বিশ্ব উড্ডয়ন ইতিহাসের পাতায়। শেষ যাত্রীবাহী সফরের দিনে ঘুরে এসে লিখেছেন-ইকবাল হোসাইন চৌধুরী।
২০১৪ সালের ১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ হাজার বছর আগের পরিকল্পিত জনপদ ঃ মুন্সিগঞ্জে প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও মন্দিরের সন্ধান। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামে একটি বিশালাকৃতির টিবিতে প্রতœতাত্তি¡ক খননে পাওয়া গেছে প্রাচীন বৌদ্ধমন্দির। খননে মাটির তলা থেকে যেসব স্থাপনা বেরিয়ে আসছে, তাতে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত জনপদের চিত্রই গবেষকদের সামনে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। এটি প্রায় ১১শ বছর আগের। আধুনিক যুগে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন রূপ হলো বৌদ্ধবিহার, যেখানে ধর্মশাস্ত্রের পাশাপাশি জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা করা হতো। আর স্তুত হলো বৌদ্ধদের ধমীয় আচার-অনুষ্ঠানের বিশেষ স্থান। এই জনপদ ছিল বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারক ও পন্ডিত শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত মন্দিরটির বেশির ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেলেও পশ্চিম-দক্ষিণ কোনার প্রায় পৌনে দুই মিটার প্রশস্থ রয়েছে। প্রায় আড়াই মিটার উঁচু দেয়ালের ভিত্তিমূলে ব্যবহার করা হয়েছে “ঝামা ইট”, যা ভবনকে আর্দ্রতায় দুর্বল হওয়া থেকে সুরক্ষা দিত।  গতকাল (২৮-০২-২০১৪ তারিখ) তোলা ছবি।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সংসদে পূর্তমন্ত্রী-ঢাকায় অবৈধ ভবন চার হাজার ৯৭টি।
২০১৪ সালের ১৩ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১৭৮ দেশের মধ্যে দূষিত বায়ু সেবন বাংলাদেশে সর্বাধিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *