কিছু কথা ঃ

মহাবিশ্বের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, মহাবিশ্বের বয়স আগে যা ভাবা হতো তারচেয়ে ১০ কোটি বছর বেশি। ২০০৯ সালে মহাকাশে উৎক্ষেপিত একটি স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউরোপের একদল বিজ্ঞানী বৃহস্পতিবার(২১-০৩-২০১৩ তারিখ) এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন পর্যবেক্ষণে মহাবিশ্বের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর বলে জানা গেছে। এই গবেষণার পূর্বে মহাবিশ্বের বয়স ১৩৭০(এক হাজার তিনশত সত্তর) কোটি বছর বয়স ছিল। পৃথিবীর আনুমানিক বয়স কমপক্ষে ৪৬০(চারিশত ষাট) কোটি বছর। সুর্যের আনুমানিক বয়স ৪৬০(চারিশত ষাট) কোটি বছর। পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা তিনশত কোটি বছর আগে। বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিন নেচার-এ প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীদের এ ধারণার কথা প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি প্রায় ২০০(দুইশত) কোটি বছর আগে। জীবের সৃষ্টি প্রায় ৬০(ষাট) কোটি বছর আগে। ৩৭ কোটি বছর আগে পানিতে মাছের বিচরণ শুরু হয়। ২০(কুড়ি) কোটি বছর আগে থেকে পৃথিবীতে ডাইনোসরদের আধিপত্য চলছিল এবং পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশ একসঙ্গে আঁটা ছিল। যাকে বলে প্যানজিয়া কুড়ি কোটি বছর আগে-তার মানে সময়টা ছিল মধ্যজীবীয় অধিযুগের জুরাসিক যুগ। ১৮(আঠারো) কোটি বছর আগে প্যানজিয়ায় ভাঙ্গন ধরে। তারপরে টুকরো টুকরো অংশগুলো আলাদা হয়ে যেতে থাকে। আফ্রিকার একদিক থেকে আলাদা হয়ে যায় দক্ষিণ আমেরিকা, অন্যদিক থেকে কুমেরু। ইউরোপ থেকে আলাদা হয়ে যায় উত্তর আমেরিকা। দুই আমেরিকা আলাদা হয়ে যেতে পিছনে তৈরী হয় আটলান্টিক মহাসাগর। আর ভারতের ভূখন্ড যাত্রা শুরু করে এশিয়ার দিকে-টেথিস মহাসাগর পেরিয়ে। যেতে যেতে সামনের দিকে টেথিস মহাসাগরকে ধ্বংস করে আর পিছনের দিকে তৈরী হয় ভারত মহাসাগর। প্রায় ছয়কোটি বছর আগে ভারতের ভূখন্ড এসে এশিয়ার দক্ষিণ উপকুলে ধাক্কা মারে। তার ফলে প্রচন্ড একটা ঠেলা তৈরী হয়ে যায়। আর তারই ফলে হিমালয় পর্বতমালার সৃষ্টি এবং তার উঁচ্চতা ২৯,০৩৫ ফুট।
১৪.৭০(চৌদ্ধ কোটি সত্তর লাখ) বছর আগে এ পৃথিবীতে ডাইনোসরের মত অতিকায় প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। ডাইনোসরই ছিল পৃথিবীর প্রথম পাখি। হিমালয় হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নবীন পর্বত, ৬(ছয়) কোটি বছরও বয়স হয়নি। ১৯৭৪ সালে যে মানুষের জীবাশ্ম আবিস্কৃত হয়েছিল, ৩০(ত্রিশ) লক্ষ বছর আগে মানুষ এসেছে পৃথিবীতে, এতদিন পর্যন্ত সেটিকেই প্রাচীনতম বলে মনে করা হচ্ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের অনুমান সদ্য ২০০৪ সালে আবিস্কৃত এ প্রজাতির মানুষ দু’পায়ে সোজা হাঁটতে সক্ষম ছিল। ৩০(ত্রিশ) লক্ষ বছর আগের সে মানুষ আসলে পৃথিবীতে ৪০(চলি­শ) লক্ষ বছর আগে এসেছে। বিবিসি। জীবাশ্ম বিজ্ঞানীরা ইথিওপিয়ার মনুষ্য প্রজাতির একটি অংশের কিছু হাড়ের যে অংশ আবিস্কার করেছেন তা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ বছরের পুরানো বলে অনুমান করা হচ্ছে। আজকের মানুষ প্রায় ৭৫(পঁচাত্তর) হাজার বছর আগের।
গত ৭০,০০০(সত্তর হাজার) বছর আগে পৃথিবীর জনসংখ্যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুই হাজারে নেমেছিল এবং মানব প্রজাতির অস্তিত্ব প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিল। তবে প্রস্তরযুগের পর তা আবার বাড়তে থাকে। তবে একটি নতুন জেনেটিক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল অব হিউম্যান জেনেটিকস-এ গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। জেনোগ্রাফিক প্রকল্পের পরিচালক স্পেনসার ওয়েলস বলেন, মানব প্রজাতির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো আবিস্কারে জেনেটিকবিদ্যার অসাধারণ ক্ষমতা নতুন এ গবেষণার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আবার জনসংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১২,০০০(বার হাজার) খৃষ্টপূর্বে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-১(এক) কোটি। ১০,০০০ হাজার খৃষ্টপূর্বে পৃথিবীতে কৃষি-কাজের প্রচলন শুরু হয় এবং পৃথিবীর কৃষি নির্র্ভর আদিম জীবনের যুগ অতিবাহিত হয় ১০(দশ) হাজার বছর ধরে। ১০,০০০(দশ হাজার) বছর পূর্বে সোমালিয়া, বেবীলন, ইরাক সভ্যতা আরম্ভ। ১০,০০০ হাজার বছর আগে নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার উয়ারী বটেশ্বর-এ বাংলাদেশে প্রথম মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। ২,৫০০ হাজার বছর আগের দুর্গনগরীর সন্ধান মিলেছে উয়ারী বটেশ্বরে। ৩৫০০-৪০০০ খৃষ্টপূর্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানব বসতির প্রমাণ পাওয়া গেল। শাহীনূজ্জামানের এ আবিস্কারের ফলে নব্য প্রস্তর যুগে (৩৫০০-৪০০০ বছর আগে)। চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক যুগেও মানুষ ছিল। ২৫০০ খৃষ্টপূর্বে জয়পুরহাট জেলার মহাস্থানগড়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বসতি গড়ে উঠেছিল।
৭(সাত) হাজার বছরের ইতিহাস জানি মাত্র আমরা, যখন থেকে মানুষ তার ইতিহাস লেখে। গাছের বয়স ৭(সাত) হাজার বছর। ৫(পাঁচ) হাজার বছর পূর্বে পৃথিবীর সভ্যতা আরম্ভ। মানুষ কিসের জোরে টিকল। হাতিয়ারের জোরে পশুকে বশ করল এবং পরে আগুন আবিস্কার করে মানুষ নিজে এ আবিস্কার করেছে। সভ্যতার দিকে এগিয়ে গেল মানুষ। কাঠের চাকা আবিস্কারের ৬২০০ বছর পরে স্টীম ইঞ্জিন ও সংযুক্তিযানের যুগ শুরু হয়।
১৬৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৫৫(পঁঞ্চান্ন) কোটি, ১৮০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৯০(নব্বই) কোটি, ১৮৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-১১৭(একশত সতের) কোটি, ১৯০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-১৬০ কোটি, ১৯২৭ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-২০০(দুইশত) কোটি, ১৯৬০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৩০০(তিনশত) কোটি, ১৯৭৪ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৪০০(চারিশত) কোটি, ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৫০০(পাঁচশত) কোটি, ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল-৬০০(ছয়শত) কোটি, ২০০৫ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা-৬৫০(ছয়শত পঁঞ্চাশ) কোটি। ২০০৬ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ৬৫৮(ছয়শত আটান্ন) কোটি। ২০০৭ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ৬৬৫.৮০(ছয়শত পঁয়ষট্টি কোটি আশি লক্ষ)। ২০০৮ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৭৩.৬০(ছয়শত তেহাত্তর কোটি ষাট লক্ষ)। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি, পৃথিবীর লোকসংখ্যা-৬৭৫,১৬,৪৩,৬০০ (ছয়শত পঁচাত্তর কোটি ষোল লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার ছয়শত) এবং ২০০৯ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮০ কোটি। ২০১০ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮৭.৮০ কোটি। ২০১১ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৯৯ কোটি, ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর, পৃথিবীর জনসংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে-৭০৭ কোটি, ২০১২ সালে ৭১৫ কোটি মানুষ, ২০১৪ সালে ৭২৩ কোটি মানুষ এবং ২০১৫ সালে ৭৩১ কোটি মানুষ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হতে পারে প্রায়-৯৩০ কোটি। ২০৮৩ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হতে পারে ১,০০০(এক হাজার) কোটি। এবার বিশ্বে ৮(আট) কোটি লোক বাড়ছে। জনসংখ্যা বাড়লে পৃথিবীর কোন প্রকার সমস্যা হচ্ছে না। বাস্তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি বাংলাদেশের মত কিছু কিছু দেশের এক নম্বর সমস্যা। বিজ্ঞানীদের ধারণা ২১০০ সালের পর পৃথিবীর জনসংখ্যা আর বাড়বে বলে মনে হয় না।
বিশ্বে ২০০৮ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে-২১৬.৪০ কোটি টন, খাদ্যশস্য মজুদ থাকবে ৪০(চল্লিশ) কোটি টন। ২০১১ সালে বিশ্বে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে-২৩২ কোটি টন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, বর্তমান বিশ্বে ১,০০০(এক হাজার) কোটি মানুষের খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। ২০০৯ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮০(ছয়শত আশি কোটি)। ২০১০ সালের ১১ জুলাই, পৃথিবীর জনসংখ্যা হলো-৬৮৭.৮০ (ছয়শত সাতাশি কোটি আশি লাখ)। ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর, বিশ্বের জনসংখ্যা-৭২৫(সাতশত পঁচিশ) কোটি। বিশ্বের ৯০টি দেশে প্রায় ৩৭ কোটি আদিবাসী রয়েছে। বিশ্বের জনসংখ্যার এ হার সাড়ে পাঁচ শতাংশ। গ্রামে বাস করা অতিদরিদ্র ৯০ কোটি মানুষের মধ্যে আদিবাসীদের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশের বেশি। পৃথিবীতে গড়ে প্রতিবর্গ মাইলে বাস করে-১২৬ জন (পৃথিবীর আয়তন ৫,৭০,১৭,০০০ বর্গমাইল) আর বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবর্গ মাইলে বাস করে ২,৯৬৭ জন (বাংলাদেশের আয়তন ৫৭,২৯৫ বর্গমাইল) আর প্রতিবর্গ কিলোমিটারে বাস করে ১,১৫৬ জন (১,৪৭,০০০ বর্গকিলোমিটার)। গড়পড়তা একটি মানুষের খাদ্য দৈনিক ৫০০ গ্রাম ধরা যদি হয়, তাহলে বছরে খাদ্যশস্য লাগে ১৩১,৪০,০০,০০০ (একশত একত্রিশ কোটি চল্লিশ লক্ষ) টন আর বছরে খাদ্য জমা থাকার কথা ৯০,৩০,০০,০০০(নব্বই কোটি ত্রিশ লক্ষ) টন। তাহলে মানুষ না খেয়ে থাকার কথা নয় বা খাদ্য ঘাটতি নেই। উন্নত বিশ্বের জীব-জন্তু ও পশু-পাখিদের গড়পড়তা যা খাবার খাওয়ানো হয়-তৃতীয় বিশ্বের মানুষদের গড়পড়তা তা খাওয়ানো হয়নি। পৃথিবীতে খাদ্যশস্যের ঘাটতি নেই। ধনীদেশগুলো বা ধনীরা ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্যোর ঘাটতি সৃষ্টি করছে অতি মুনাফার জন্য। খাদ্যের সুষম বণ্টনব্যবস্থা করলে খাদ্য ঘাটতি থাকবে না বা কেউ না খেয়ে মরবে না। ধনীরা যেভাবে বিশ্ববাসীকে অনাহারের পথে ঠেলছে, খাদ্য থেকে জৈব জ্বালানি তৈরি করে তাদের গাড়ি চালানোর জ্বালানি জোগাবে। জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার কর্মকর্তার ভাষায় এটা ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, চীন, ব্রাজিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের সড়কে চলা গাড়িগুলো এভাবে জাতিসংঘের দেওয়া তালিকার মধ্যে সবচেয়ে খাদ্যঘাটতিতে পড়া নিম্ন আয়ের ৮২টি দেশের ঘাটতি মেটানোর পুরো শস্যই গাড়ির তেল হিসেবে পুড়িয়ে ফেলবে। দরিদ্রদের অনাহারে রাখার এর থেকে ভালো উপায় আর হয় না।
২০০৮ সালের ৪ জুলাই, বিশ্বব্যাংকের গোপন প্রতিবেদনঃ বিশ্বে খাদ্যোর মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী জৈব জ্বালানি। জৈব জ্বালানির কারণেই বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাংকের একটি গোপন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির এ হার আগে প্রচারিত হারের চেয়ে অনেক বেশি। লন্ডনের বিখ্যাত দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান গতকাল শুক্রবার প্রতিবেদনটি ফাঁস করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে ২০০২ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারির মধ্যে খাদ্যের দাম ১৪০ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিবেদনে হিসাব করে দেখানো হয়েছে, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য জ্বালানি ও সারের মূল্যবৃদ্ধি দায়ী মাত্র ১৫ ভাগ, যেখানে জৈব জ্বালানি দায়ী ৭৫ ভাগ। খাদ্য দিয়ে জৈব জ্বালানি তৈরী বন্ধ না করলে খাদ্যের মূল্য আরো বাড়তে থাকবে।
৩১-১০-২০১৩ তারিখ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ‘বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন-২০১৩’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর, বাংলাদেশের জনসংখ্যা-১৬(ষোল) কোটি। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো প্রবাসীসহ বাংলাদেশের জনসংখ্যা-১৬.৯৩(ষোল কোটি তিরানব্বই লক্ষ) মানুষ জন্মনিবন্ধনের আওতায় এসেছে। ২০৫০ সালে বেড়ে বাংলাদেশে জনসংখ্যা হবে ২০(বিশ) কোটি। কিন্তু আমার মনে ২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে প্রায়-২৪(চব্বিশ) কোটি। তখন বছরে জন্ম ও মৃত্যুর সংখ্যা সমান হবে। বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ শিশু বছরে জন্ম হয় এবং শিশুসহ বছরে মারা যান ১০ লক্ষ মানুষ। বাংলাদেশে বছরে ২০(বিশ) লক্ষ মানুষ বাড়ে। ২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল হবে। পৃথিবীর ৪৪ ভাগের ১ ভাগ লোক বাস করে বাংলাদেশে। প্রতি বছর পৃথিবীতে লোক বাড়ে ৮(আট) কোটি আর বাংলাদেশে বছরে লোক বাড়ে ২০(বিশ) লক্ষ। পৃথিবীর ৪৪ ভাগের ১ ভাগ লোক বাস করে বাংলাদেশে এবং পৃথিবীর হারে লোক বাড়লে বাংলাদেশে লোক বাড়ত বছরে ১৮(আঠার লক্ষ)। পৃথিবীর ২৩৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ১৯৪টি এবং জাতি ২০০টি। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম স্থানে আছে আর অর্থনীতির দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছ থেকে যায়গা পেয়েছে ৯৯৫ ভাগের ১ ভাগ ৫৭,২৯৫ বর্গমাইল আর জনসংখ্যার অনুপাতে যায়গা পাইত ১৩,০০,০০০ লক্ষ বর্গমাইল। বুর্জোয়া বিকাশ হলেও আমাদের অর্থনীতি ৭ম স্থানে থাকার কথা ছিল। আমরা বিশ্ব নাগরিক-কথায় বলা হয় কিন্তু বাস্তবে না। বিশ্ব নাগরিক হলে বিশ্বের যা কিছু আছে-তাঁর সবকিছুরই সমান ভাগ পাওয়া যেত।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভেলানগর বড়বাড়ির মোট জনসংখ্যা হলো-২,০৯২(দুই হাজার বিরানব্বই) জন, এরমধ্যে মারা গেছেন-৬৭৫ জন আর জীবীত লোকসংখ্যা-১,৪১৭ জন (তালাকপ্রাপ্ত-৮১ ও চলে গেছেন-৮ জন স্ত্রী) মোট স্ত্রীর সংখ্যা-৮৯ জন বিয়োগ করিলে=১,৩২৮ জন এবং বিবাহিতা মেয়েরা স্বামীরবাড়িতে বাস করে-২৭৫ জন বিয়োগ করলে=১,০৫৩ জন। ভেলানগর বড়বাড়ির প্রকৃত জনসংখ্যা-১,০৫৩(এক হাজার তিপান্ন) জন। বিদেশ ও শহরে বাস করে ৪৬৭ জন এরমধ্যে বিদেশে বাস করে ১৩৩ জন এবং গ্রামে বাস করে-৫৮৬ জন। ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা-১,০৫৩(এক হাজার তিপান্ন) জন থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা হবে প্রায়-১,৩৫০(্এক হাজার তিনশত পঁঞ্চাশ) জন। ২১০০ সালে ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা বেড়ে হবে প্রায়-১,৪০০(এক হাজার চারিশত) জন। ৩১-০৩-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ভেলানগর গ্রামের জীবিত ও মৃতসহ লোকসংখ্যা-১২,৯৫০ জন, মারা গেছেন-৩,৪৯০ জন, জীবিত লোকসংখ্যা-৯,৪৬০ জন, জীবিত মেয়েরা স্বামীরবাড়িতে থাকে-১,৮৯৮ জন, প্রকৃত জনসংখ্যা-৭,৫৬২(সাত হাজার পাঁচশত বাষট্টি) জন এরমধ্যে বিদেশ ও শহরে বাস করে-৩,০৫০ জন। গ্রামে বাস করে প্রায়-৪,৫১২(চার হাজার পাঁচশত বার) জন। ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা ছিল (গ্রাম, শহর এবং বিদেশে বসবাসকারীসহ) প্রায়-৭,৫৬২(সাত হাজার পাঁচশত বাষট্টি) জন, তা’ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে হবে প্রায়-৯,০৫০ হাজার পঁঞ্চাশ জন এবং ২১০০ সালে ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে হবে-৯,৫০০(নয় হাজার পাঁচশত) জন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বাস করে প্রায়-৩,০০,৯৩০(তিন লক্ষ নয়শত ত্রিশ) জন এবং শহর ও বিদেশে বাস করে-১,৬৯,০২০(এক লক্ষ উনসত্তর হাজার বিশ) জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জনসংখ্যা হলো প্রায়-৩২(বত্রিশ) লক্ষ এরমধ্যে শহর ও বিদেশে বাস করে প্রায়-১১(এগার) লক্ষ জন। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ, বাংলাদেশের জনসংখ্যা হলো ১৬(ষোল) কোটি এরমধ্যে শহর ও বিদেশে বাস করে প্রায়-৪.৫৩(চার কোটি তিপান্ন লক্ষ) জন তারমধ্যে (৩১-০৩-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত) বিদেশে বাস করে-৯০ লক্ষ মানুষ এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ-এর হিসেব অনুযায়ী, ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা হলো-ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা-৭(সাত) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক, ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের ২৮ ভাগের ১ ভাগ লোক ভেলানগর বড়বাড়ির, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জনসংখ্যার-৫৭২(পাঁচশত বাহাত্তর) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জনসংখ্যার-৪,৯০০(চার হাজার নয়শত) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক, বাংলাদেশের জনসংখ্যার-১,৬০,৩৭৭(এক লক্ষ ৬০ হাজার তিনশত সাতাত্তর) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক এবং পৃথিবীর জনসংখ্যার-৬৭.৯২(সাষট্টি লক্ষ বিরানব্বই হাজার) ভাগের ১(এক) ভাগ লোক হলো ভেলানগর বড়বাড়ির।
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের শতকরা ৩০ ভাগ লোক শহরে বসবাস করে, আগামী ২০৫০ সালে বালাদেশের শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগ লোক শহরে বসবাস করবে। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর, ভেলানগর বড়বাড়ির জনসংখ্যা বিদেশসহ শহরে বাস করে ৪২ ভাগ তা’ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে হবে প্রায় ৬৫ ভাগ। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ, ভেলানগর গ্রামের জনসংখ্যা বিদেশসহ শহরে বাস করে ৩৫ ভাগ তা’ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে হবে প্রায় ৫৫ ভাগ। ১৯০১ সালের দিকে বিশ্বে শহরবাসীর সংখ্যা ছিল শতকরা ৫ ভাগ, আর ১৯৯৯ সালে বিশ্বে শহরবাসীর সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ। ২০০৮ সালে বিশ্বের ৬৭৫ কোটি লোকের মধ্যে ৪১০ কোটি লোক বা শতকরা ৬১ ভাগ লোক শহরে বাস করে। ২০২৫ সালে (বিশ্বের লোকসংখ্যা হবে-৮০০ কোটি) শহুরে বাসিন্দার সংখ্যা ৫৫০ কোটিতে গিয়ে দাড়াবে বা শতকরা ৬৯ ভাগ লোক শহরে বাস করবে। আগামী ২০৫০ সালের দিকে বিশ্বের লোকসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ শহরবাসী হবে। তখন আমি মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর) এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকবো না।
১৯-০৩-২০১০ তারিখের প্রথম আলোর রিপোর্ট ঃ আম্বানির টাওয়ার। মুকেশ আম্বানির নয়া ভবন ঘিরে কৌতহল বাড়ছে-২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল আর শেষ হয় এ কাজ ২০১০ সালে। ১০০ কোটি ডলার ব্যয়ে এ্যান্টিলিয়া নামের ভবনটি মুকেশ আম্বানি বাড়ি বানাননি, বানিয়েছেন টাওয়ার-আন্তিলা টাওয়ার। ২৭ তলা এই টাওয়ার (প্রচলিত মাপে ৬০ তলা দালানের সমান) তৈরি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের আলতামাউন্ট রোডে চার লাখ স্কয়ার ফুটের এই ভবনটি নকশা করার অনুপ্রেরণা ছিল ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান। ভবনের কোনো এক তলার সঙ্গে আরেক তলার নকশায় মিল নেই। অনুমান করা হয়, এই টাওয়ার তৈরিতে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। সে হিসেবে আন্তিলা টাওয়ারকে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল আবাসিক ভবন বলে মানা হয়। এ ১০০ কোটি ডলার দিয়ে বাংলাদেশের মত দেশে ১,১৮,৩৩৪(এক লক্ষ আঠার হাজার তিনশত চৌত্রিশ)টি পরিবারের স্বাস্থসম্মত বাসস্থান করা যেতো। বর্তমানে মুকেশ আম্বানি পৃথিবীর ৪র্থ সম্পদশালী ধনী। এখন বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি। আল্টামাউন্ট সড়কে নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল এ বাড়িটি। ‘অ্যান্টেলিয়া’ নামে এ বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮(আট) হাজার কোটি রুপি। এ বাড়িতে ২৮-১-২০১০ তারিখ নতুন বাড়িতে পা রাখবেন মুকেশ ও তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি। আর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি মনোরম দ্বীপের নামানুসারে মুকেশ তাঁর নতুন বাড়ির নাম অ্যান্টালিয়া রেখেছেন। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির মালিক ছিলেন ভারতের অপর শিল্পপতি লক্ষী মিত্তাল। ইংলান্ডের লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেনের ওই বাড়িটি তিনি কয়েক বছর আগে ৫৬০ কোটি রুপিতে কিনেছিলেন।
মানুষ রাজনৈতিক জীব। প্রত্যেক মানুষের রাজনীতি করার অধিকার আছে। বর্তমান দুনিয়ায় বিজ্ঞানের আধিপত্য কোথায় নেই। খাদ্য-শস্য, জীবন যাপনের উপকরণ, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কার, বিশ্বাস সব কিছুতেই বিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যা করার প্রবনতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানই নির্ধারণ করে কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা। বিজ্ঞান হয়ে উঠছে সভ্যতার ধারক-বাহক। অথচ যখন দেখা যায় পৃথিবীর ২০০০ সালের হিসেব অনুসারে ২২৫(দুইশত পঁচিশ) জন ধনীতম ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ হলো আয়ের দিক থেকে নিচের দিকের ৩০০(তিনশত)কোটি মানুষের বাৎসরিক আয়ের সমান, তখন প্রশ্ন জাগে বিজ্ঞানের সর্বজনীনতা কতটুকু? ২০০৬ সালের ১১ জুলাই, বিশ্বে ৬৫৮(ছয়শত আটান্ন) কোটি মানুষ বসবাস করে। ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর, পিটিআই ঃ বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ দুই শতাংশ সেরা ধনীর কাছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলসিংকি ভিত্তিক বিশ্ব উন্নয়ন অর্থনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক রিপোর্টে বলা হয়, ২০০০ সালে সেরা ধনীদের এক শতাংশের মালিকানায় বিশ্বের ৪০ শতাংশ সম্পদ ছিল। ব্যক্তিগত সম্পদের উপর ব্যাপক পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, ১০ শতাংশ সেরা ধনীর হাতে বিশ্বের ৮৫ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। তুলনামূলকভাবে বিশ্বের প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার শেষ অর্ধেকের কাছে রয়েছে বিশ্বের সম্পদের মাত্র এক শতাংশ। ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি লোকের কাছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ডলার এবং জাপানে ১ লাখ ৮১ হাজার ডলার ছিল। রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের সেরা ধনীরা বাস করেন উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং ধনী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে। ২০০৭ সালের ১০ মার্চ, ইনকিলাব ডেস্ক ঃ ভারত ও চীনে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ। ২০১৫ সালের ০৩-০৩-২০১৫ তারিখ প্রথম আলো: বিল গেটস এখনো বিশ্বের সেরা ধনী। সূত্র ঃ ফোর্বস, বিবিসি। সম্পদের মোট মূল্য ১০০(একশত) কোটি মার্কিন ডলার বা তার চেয়ে বেশি, এমন ধনীর সংখ্যা এখন ১ হাজার ৮২৬ জন। গত বছর মানে ২০১৪ সালে ছিল-১ হাজার ৬৪৫ জন। এ নিয়ে এ তালিকায় ২১ বারের মধ্যে ১৭ বারই প্রথম হন বিল গেটস। বিল গেটসই বিশ্বের সেরা ধনী। (১) ২০১৬ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিল গেটস তাঁর নিট সম্পদের পরিমাণ হচ্ছে ৭ হাজার ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার। বিল গেটস-এর দৈনিক আয় হচ্ছে-২(দুই) কোটি ডলার। (২) স্পেনের অ্যামানসিও ওর্তেগা-৬,৭০০ কোটি ডলার (৩) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬,০০৮ কোটি ডলার, (৪) মেক্সিকোর কার্লোস ¯িøম হেলু-৫,০০০ কোটি ডলার, (৫) যুক্তরাষ্ট্র জেফ বেজোস-৪,৫২০ কোটি ডলার, (৬) যুক্তরাষ্ট্র মার্ক জাকারবার্গ-এর সম্পদের পরিমাণ দাড়িয়েছে-৪,৪৬০ কোটি ডলার (৭) যুক্তরাষ্ট্র ল্যারি অ্যালিসন-৪,৩৬০ কোটি ডলার, (৮) যুক্তরাষ্ট্র মাইকেল বøুমবার্গ-৪,০০০ কোটি ডলার, (৯) যুক্তরাষ্ট্র চার্লস কোচ-৩,৯৬০ কোটি ডলার ও (১০) যুক্তরাষ্ট্র ডেভিড কোচ-৩,৯৬০ কোটি ডলার। ১৯৮৭ সালে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ছিল-৯৮ জন, তা থেকে বেড়ে ২০০০ সালে ছিল-২২৩ জন এবং ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ-বিশ্বে এখন রেকর্ড সংখ্যক-৯৪৬ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। এটা গত বছরের তুলনায় ১৫০ জন বেশী। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর তালিকায় দেখা গেছে ভারত ও চীনে শত কোটিপতি বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ২০০৮ সালের ৭ মার্চ-বিশ্বে এখন ১,১২৫ জন বিলিয়নিয়ার আছে। গত বছরের তুলনায় ১৫৯ জন বেশী। ২০০৯ সালে বিলিয়নিয়ার ছিলেন ৭৯৩ জন। ২০১০ সালে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা-১০১১ জন। ২০০৮ সালে বিল গেটসকে টপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পল ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের সেরা ধনী এবং তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬২০০ কোটি ডলার। লেবানিজ বংশদ্বূত মেস্কিকোর অভিবাসী কার্লোস ¯িøম হেলু (২য় স্থান) এবং তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬,০০০ কোটি ডলার, বিল গেটস (৩য় স্থান) এবং তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫,৮০০ কোটি ডলার, ৪র্থ স্থান দখলকারী ভারতীয় বংশদ্ভূত ল²ীনিবাস মিত্তালের সম্পদের পরিমাণ ৪,৫০০ কোটি ডলার, ভারতের মুকেশ আম্বানি(৫ম স্থান) তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪,৩০০ কোটি ডলার। ২০০৭ সালে আমেরিকায় ধনেকুবেরের সংখ্যা ছিল-৪১৫ জন এবং ২০০৮ সালে তা থেকে হয়েছে-৪৬৯ জন। দ্রব্য উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা আর ডলারের তুলনামূলক দুর্বলতার কারণে বিলিয়নিয়ার-এর সংখ্যায় এ বৃদ্ধি ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ফোরবস-এর তালিকায় দেখা গেছে ভারত ও চীনে শত কোটিপতি বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ২০০৭ সালে ভারতের ৩৬ জন বিলিয়নিয়ার ছিল, আর ২০০৮-এ ৫৩ জন তালিকাভুক্ত হওয়ায় গত দু’দশকে এ প্রথম এশিয়ার কোন দেশ জাপানকে টপকে গেল। এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন ভারতীয় ল²ী মিত্তাল। ফোর্বস বলেন, ‘‘মানব ইতিহাসে এটা সবচেয়ে ধনাঢ্য তালিকা। এদের হাতে পুঞ্জীভূত সম্পদের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০০৮ সালের ২৭ জুন, সমকাল পত্রিকার রিপোর্টঃ বিশ্বে ১(এক) কোটি ১০(দশ) লক্ষ কোটিপতি আছে-যার সম্পদের পরিমাণ-১(এক) কোটি ডলারের উপরে। এরমধ্যে চীনে-৪(চার) লক্ষ ২২(বাইশ) হাজার, ব্রাজিলে-১(এক) লক্ষ ৩০(ত্রিশ) হাজার ও ভারতে-১(এক) লক্ষ ২৭(সাতাশ) হাজার। ২০১০ সালে বিল গেটসকে টপকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী কার্লোস ¯িøম-এর সম্পদের পরিমাণ ৫,৩৫০ কোটি ডলার। বিল গেটস দ্বিতীয় তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫,৩০০ কোটি ডলার, তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্রের পল ওয়ারেন বাফেটের সম্পদের পরিমাণ ৪,৭০০ কোটি ডলার, ভারতের খনিজ তেল-গ্যাস কোম্পানি ও রিলায়েন্স গ্রæপের মুকেশ আম্বানি (৪র্থ স্থান) তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২,৯০০ কোটি ডলার ও বিশ্বের সবচেয়ে লৌহশিল্পের প্রতিষ্ঠান (৫ম স্থান) দখলকারী ভারতীয় বংশদ্ভূত ল²ীনিবাস মিত্তালের সম্পদের পরিমাণ ২,৮৫০ কোটি ডলার। এ বছর ফোর্বস-এর তালিকায় ৯৭ জন নতুন ধনীর ৬২ জনই এশীয় এবং তাঁরা বেশির ভাগই চীনের নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে এত বেশিসংখ্যক বিলিয়নিয়ারের উত্থান এ বছরই প্রথম। ২০১৩ সালে ফোর্বসের তালিকা প্রকাশ ঃ এবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনী (১) মেক্সিকোর কার্লোস ¯িøম। তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৭৩০০ কোটি ডলার, (২) বিল গেঁটস-তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৬৭০০ কোটি ডলার (৩) আমানিকা-তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৫৭০০ কোটি ডলার ও (৪) ওয়ারেন বাফেট-তাঁর সম্পদের পরিমাণ-৫৩৫০ কোটি ডলারের মালিক। এবার ১,৪২৬ ব্যক্তি, যাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৩৫০ কোটি মানুষের সমান সম্পদের মালিক ৮৫ ধনী। বিশ্বজুড়ে অসাম্য বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ৮৫ ব্যক্তির কাছে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার সম্পদের সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে। অক্সফাম জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৮৫ জন মানুষের কাছে ১ দশমিক ৭০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। সবচেয়ে বেশি রয়েছে-মেক্সিকোর টেলিকোম ব্যবসায়ী কার্লোস ¯িøম হেলুর কাছে-৭,৩০০ কোটি ডলার, এর পরই রয়েছেন-মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস-৬,৭০০ কোটি ডলার এবং ওয়ারেন বাফেট-৫,৩০০ কোটি ডলার। ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৩৫০ কোটি মানুষের সমান সম্পদের মালিক ৮৫ ধনী। বিশ্বজুড়ে অসাম্য বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ৮৫ ব্যক্তির কাছে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার সম্পদের সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে। অক্সফাম জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৮৫ জন মানুষের কাছে ১ দশমিক ৭০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। ২০১৪ সালের ১১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্বে মোট ঋণের পরিমাণ ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার। এক লক্ষ কোটিতে এক ট্রিলিয়ন। ২০০৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৭০ ট্রিলিয়ন ডলার ছিল। অর্থাৎ মাত্র ছয় বছরে সম্মিলিত বৈশ্বিক ঋণ ৩০ ট্রিলিয়ন বা ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
আবার বিগত ১০০(একশত) বছরে উৎপাদন বেড়েছে ১৭ গুণ। আর গত ১০০(একশত) বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণেরও কম। গত ১৯০১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্তকে বলা হয়েছে। তা’হলে পর্বত চুড়ান্ত উৎপাদন কোথায় যায়? হাতে গোনা কতিপয় মানব সন্তানের কাছেই কি? ওদের দ্বারাই চিরকাল সমস্ত উৎপাদন নিয়ন্ত্রিত হবে? এযাবৎকালের ইতিহাসই শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস? আদিম সাম্যবাদী সমাজ ছাড়া। আদিম সাম্যবাদী সমাজে শোষণ ছিল না। দুনিয়ার সব মানুষের সমৃদ্ধি আর যৌথ আবেগ/প্রেম/স্নেহ/মায়া মমতার সামাজিক বিকাশ কি কোন দিনই হবেনা?
শ্রমজীবী মানুষ বুর্জোয়া সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন করতে পারলেই হবে।
যে বিজ্ঞানের বদৌলতে এ অসহনীয় বৈষম্য তা কতটা বিজ্ঞানসম্মত আর কতটা আধিপত্যবাদ? এ আধিপত্যবাদ অধিকাংশ রাষ্ট্রকে করেছে গ্লোবাল নাচের পুতুল। তা’হলে কি রাষ্ট্র নামক এ কাঠামো ভাঙ্গার প্রয়োজন নেই? এ বিদ্যমান রাষ্ট্রটি, আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত বিকাশের নিশ্চয়তা দেয় কতটুকু?
আবার বলা হচ্ছে বিজ্ঞান হলো বিশেষ জ্ঞান। বিজ্ঞান কাকে বলে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে বিজ্ঞান বলে। আর এ বিশেষ জ্ঞানের অনুশীলন হল সামাজিক গঠনাবলী ও প্রাকৃতিক নিয়মাবলীতে সু-সংগঠিত যুক্তি আর পর্যবেক্ষণের স্বচ্ছ কর্ম দ্বারা। তা’হলে কি সব জ্ঞানই বিজ্ঞান নয়? আমরা কোনটি জ্ঞান আর কোনটি বিশেষ জ্ঞান হিসেবে গ্রহণ করব? সুতরাং স্পষ্ট বলা যায় বিজ্ঞান আর সমাজের সাধারণ মানুষের মাঝে অবস্থান করে না। পাশাপাশি সমাজ আর প্রকৃতি পর্যবেক্ষণলব্ধ যুক্তি চর্চার অধিকারও চলে যায় ঐ বিশেষ মানুষের নিয়ন্ত্রণে। অথচ মানুষের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা জানি-সংগ্রহশীল কিংবা শিকার ভিত্তিক সমাজের যৌথ প্রয়াসের মধ্যে দিয়ে তাদের জীবন-যাপন অগ্রসরতা পেয়েছিল। সম্পূর্ণ বৈষয়িক ও প্রাকৃতিক ব্যবস্থাবলীর উপর গড়ে উঠছে তাদের শ্রমক্ষেত্র ও চিন্তার পদ্ধতি। অরণ্যচারী গুহাবাসী মানুষ তার অর্জিত অভিজ্ঞতাকে ক্রমান্বয়ে সঞ্চারিত করেছে নিরন্তন গোষ্ঠীলব্ধ প্রতিরোধী শক্তির অনন্যতায়। তা’হলে মানব-সমাজ বিকাশের কোন পর্যায়ে অর্জিত সেই গোষ্ঠীবদ্ধ সার্বজনিন জ্ঞান খন্ড খন্ড বিশেষ জ্ঞানে রূপ নিল? ইতিহাসের গতি পথে কখন তা মানুষের চিন্তা জগতে এসেছে? কিংবা মানুষ অর্থনৈতিকভাবে খন্ড খন্ড শ্রেণীতে ভাগ হয়ে যাওয়ার কারণেই কি বিশেষ জ্ঞান হিসেবে বিজ্ঞান বিশেষ শ্রেণীর ক্ষমতার কৌশল উপকরণে পরিণত হয়নি? আজকের পাশ্চাত্য দর্শন কিভাবে কখন আধিপত্যবাদী চরিত্রের হয়ে উঠল? আমাদের বাংলা অঞ্চলে কি কোন বিজ্ঞান দর্শন, জিজ্ঞাসা ছিল না? আমাদের বিজ্ঞান দর্শন আজ কোথায়? জিজ্ঞাসাগুলো কেন হারিয়ে গেল? আসলে আমাদের জিজ্ঞাসাগুলোই বা নিয়ন্ত্রণ করে কারা? আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় বিজ্ঞান ছিল না? বিজ্ঞান কি শুধু গবেষণাগারের ব্যাপার? এটা কি কেবল ধনীদের বিলাসের বস্তু বা অস্তিত্ব? শ্রমজীবী মানুষের কি কোন উপকারে আসে? মানবতার বিকাশে এ বিজ্ঞান কতটুকু সহায়ক?
আসুন এ প্রশ্ন উত্থাপন করি আমাদের শ্রমের মধ্যে, আমাদের চিন্তার মধ্যে। আমাদের যৌথ আর সামাজিক বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ হউক আমার/আপনার বিজ্ঞান চিন্তা। বিকশিত হউক মানবিক সাম্যের এসব দ্বা›িদ্বক প্রশ্নোত্তরের রূপায়ন আমাদের মাঝে বিজ্ঞান চেতনা বাড়িয়ে তোলে। বস্তুর প্রতিনিয়ত বিকাশ হচ্ছে। সমাজের নিয়ম হলো উৎপাদন এবং পুনঃউৎপাদন। চিরন্তন বলে কিছুই নেই। সব কিছুই পরিবর্তনশীল। আমাদের দেশের সম্পদের অপচয়, সমাজের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থা এবং অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে হবে নতুবা ততদিন বাংলাদেশের বেকারত্ব ও দারিদ্র দূর হবে না। বেকারত্ব ও দারিদ্র দূর করতে হলে-সম্পদের অপচয় রোধ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থা ও অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে হবে নতুবা বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রকৃত উন্নয়ন মানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার গ্যারান্টি সবার জন্য করতে হবে। তখনই বাংলাদেশ হবে প্রকৃতপক্ষে ‘‘সোনার বাংলা’’। নতুবা সবই কথার কথা ও ফাঁকাবুলি ছাড়া আর কিছু নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *