১৯৮১ সালের ১৭ মে, শেখ হাসিনা (১৫ আগষ্ট ১৯৭৫-এর পর) প্রথম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি, চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার সমাবেশে পুলিশের হাতে নির্বিচারে গণহত্যা সংঘটিত হয়।
১৯৮৯ সালের ২৪ নভেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট-শেখ হাসিনা বলেছেন “অধিকার আদায়ের আন্দোলনে হরতালের বিকল্প নেই’’।
১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ ঃ ১৯৯১ সালের ১৯ মার্চের পর থেকে ৩০-০৩-১৯৯৬ তারিখের আগ পর্যন্ত (খালেদা জিয়া সরকারের সময়) আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল পালন করেন।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন, শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে। তাঁদের হিসেবানুযায়ী ৪২(বিয়াল্লিশ) হাজার কোটি টাকা ব্যংক ঋণ; ৬০(ষাট) হাজার কোটি টাকা বিদেশী ঋণ; ১,০৫,০০০(এক লক্ষ পাঁচ হাজার) কোটি টাকা বাণিজ্য ঘাটতি; মোট ২.০৭(দুই লক্ষ সাত হাজার) কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে সরকারের যাত্রা শুাং করতে হবে।
১৯৯৮ সালের ১৬ নভেম্বর, স¤পাদকমন্ডলীর সাথে একমত বিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন “আওয়ামী লীগ আর হরতাল ডাকবে না’’। এ কথার সাথে আমি একমত নই।
১৯৯৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের তথ্য ঃ এরশাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-রাজপথ না লাল দালান; আপনার আচরণই আপনার ঠিকানা নির্ধারণ করবে।
১৯৯৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, পার্বত্য সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাপ্ত ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার জাতির সহিত প্রতারণার শামিল।
১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর, রাত ৮-০০টার বাংলা সংবাদ (বিটিভি)-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় ঘোষণা করেন আমরা বিরোধী দলে থাকলেও আর হরতাল করব না। ১৯৯৯ সালের কথা ২০০২ সালেই ভুলে গেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা। জনসভায় তাঁরা কথা দিয়েছিল যে, আমরা বিরোধী দলে গেলেও আমরা আর হরতাল করব না।
২০০০ সালের ২১ জানুয়ারি ঃ ১৯৪৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বিগত ৫২-বছরে ৩ বছর ২ মাস হরতাল ছিল। এ হরতালে কমপক্ষে ২৩৬ জন নিহত ও প্রায় ১৩(তের) হাজার লোক আহত হয়েছে।
২০০০ সালের ১১ মে, ডেমোক্রেসী ওয়াচ-এর জনমত জরিপ ঃ শেখ হাসিনা বিরোধীদলে গেলেও হরতাল করবেন না ৬৩% মানুষ তা বিশ্বাস করে না।
২০০০ সালের ২১ মার্চ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-৫০ বছরের আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত গ্যাস রফতানী করা হবে। আমার মতে গ্যাস রপ্তানী করলে বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী।
২০০০ সালের ১৭ মে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাসসের সহিত একান্ত সাক্ষাতকারে বলেছেন-গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান ও সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠাই আমার মিশন। তার কথা এবং কাজের সাথে মিল নেই।
২০০০ সালের ২১ মে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-দেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। তার কথা এবং কাজের সাথে মিল নেই।
২০০০ সালের ৪ জুন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী ও দলীয় এম. পিদের উদ্দেশ্যে বলেন-ছেলেদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পুলিশে সোপর্দ কারুন।
২০০০ সালের ৫ জুলাই, আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর ভাষ্যঃ প্রচলিত আইন ব্যবস্থা ধনী ও অত্যাচারিদের স্বার্থ রক্ষা করছে। এ কথা বলার পরও সে ধনী ও অত্যাচারিত স্বার্থ রক্ষাকারী সরকারের মন্ত্রী পদে বহাল থাকে এবং নতুন প্রজন্মকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা।
২০০০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্বর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-সরকার হউন আর যেই হউন দুর্নীতি করলে তার বিচার হবেই। তাঁর সরকারের লোকেরা দূর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে তার বিচার করে নাই। তাঁর কথা এবং কাজের সাথে মিল নেই।
২০০১ সালের ৯ জুন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভাষ্য-যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনঃ বিগত ৫-বছরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্দ্যোগে ৩,৭২০ কি. মি. পাকা রাস্তা; ২,১৬০ কি. মি. ইট বিছানো রাস্তা এবং ৩,৭৬৬ কি. মি. সড়কও বাঁধনির্মাণ স¤পন্ন করা হয়েছে। গত ৫-বছরে নির্মিত সেতুসমূহের মোট দৈর্ঘ্য-১৩,৮১৩(তের হাজার আটশত তের) মিটার ও বেলী সেতুর দৈর্ঘ্য-২৬,৩৭৫(ছাব্বিশ হাজার তিনশত পঁচাত্তর) মিটার। আরও বহু সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।
২০০১ সালের ২০ জুন, রিপোর্টার হাবিবুর রহমান বাদল ঃ নারায়নগঞ্জের শোক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন-আর কত রক্ত দিলে আপনার পিপাসা মিটবে? আমাদের দেশের সরকার প্রধানদের এই বক্তব্য।
২০০১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাকের রিপোর্ট ঃ শেখ হাসিনা বলেন-কোন বিশেষ দলকে খুশী করা তরাবধায়ক সরকারের দায়িত্ত¡ নয়।
২০০১ সালের ৫ অক্টোবরের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্টানুযায়ী ঃ আওয়ামীলীগ প্রতিনিধিদলের সহিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উত্তপ্ত বাক্য বিনিয়ম-“ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী’’। “ফলাফল বাতিলের প্রশ্নই উঠে না’’ সিইসি ঃ “নির্বাচন কমিশনে কেহ দলীয় সমর্থক হ’লে বøাক লিস্টেড হবেন’’। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ঃ আওয়ামীলীগ ৮ অক্টোবরের স্থগিত আসনের নির্বাচনে অংশ নিবে-আর নালিশ নয়, আঘাত আসলে প্রত্যাঘাত। লালদীঘি ময়দানে আওয়ামীলীগের জনসভায় ঘোষণা-শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে হবে। আনন্দবাজার পত্রিকার (বাসস) মন্তব্যঃ বাংলাদেশের ভোটাররা কার্যত আওয়ামীলীগকে প্রত্যাখান করেছে।
১৯-১০-২০০২ তারিখে ঐতিহাসিক পল্টনে এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা-সেনাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমরা সহযোগিতা করবো।
২১-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেন-দুর্নীতির কারণে জোট সরকারের নাম হয়েছে টুয়েন্টি পার্সেন্ট।
৩১-১০-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ প্রতিক্রিয়াশীল ও সা¤প্রদায়িক শক্তিগুলো আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে ঃ শেখ হাসিনা, ইউএনবি।
২০০২ সালের ১০ নভেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-জোট সরকার ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) হাজার সন্ত্রাসীকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে।
২৩-১১-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারেঃ প্রতিটি মৃত্যুর মামলায় হুকুমের আসামী হবেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনা বলেন। ০৭-১২-২০০২ তারিখে ঈদের পরের দিন ময়মনসিংহে বোমা হামলার জন্য সরকারই দায়ী-শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ অনুসারে ঃ সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে দাবী আদায় হবে আন্দোলনের মাধ্যমে ঃ শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ১৬ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ অনুসারে ঃ আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে সিট বাড়ানোর মুলা ঝোলানো হয়েছে ঃ শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ৩০ জানুয়ারি, সরকার ২৮ মাসে ২৭ হাজার মানুষ হত্যা করেছে ঃ শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭২-১৯৭৫ এবং ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীণ সময় বাংলাদেশের ১৫(পনের) হাজারের মত প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম ব্যক্তি ও পরিবার বিশেষের সদস্যদের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, গঠিত ‘ত্রিদলীয় ঐক্যজোট’-আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি-সিপিবি’র এবং ন্যাপ (মোজাফ্ফর) এদেরকে নিয়ে গঠিত হয়।
২০০৪ সালের ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি, এ দিনটিতে জাতীয় সংসদের মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী অধিবেশনে তখনো প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছা ও নির্দেশে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়েছিল। এ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রচলিত সংসদীয় পদ্ধতির স্থলে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বয়ং প্রসিডেন্ট হন এবং সকল রাজনৈতিক দল বাতিল করে সারাদেশে একটি মাত্র দল রাখার বিধান করা হয়। চতুর্থ সংশোধনীর ভিওিতে প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব ২৪ ফেব্রæয়ারি একমাত্র দল ‘‘বাকশাল’’ গঠন করেন এবং তার নির্দেশে তাকেই চেয়ারম্যান করে ১১৫-সদস্যবিশিষ্ট বাকশালের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয় ৬ জুন, ১৯৭৫ সালে। প্রেসিডেন্ট এবং বাকশাল চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত চারটি দৈনিক ছাড়া দেশের সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ হয়ে যায় ১৬ জুন, ১৯৭৫ সালে।
২০০৪ সালের ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পরবর্তী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃতে্যুর পর তাঁর অনুসারীদের যাত্রা শুরু হয়েছিল বাকশালকে প্রত্যাখান ও পরিত্যাগ করার মধ্য দিয়ে।
২০০৪ সালের ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭৬ সালের জুলাই মাসে ঐক্যবদ্ধ একটি দলের পরিবর্তে গঠিত হয়েছিল ৩টি পৃথক আওয়ামী লীগ। (১) আবদুল মালেক উকিল (২) মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং (৩) দেওয়ান ফরিদ গাজীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের বাইরে একই বাকশাল থেকে আগত খন্দকার মোশতাক আহমদ ও মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ গঠন করেছিলেন যথাক্রমে ডেমোক্রেটিক লীগ ও গণআজাদী লীগ। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সর্বশেষ কীর্তি বাকশাল ভেঙ্গে গঠিত হয়েছিল ৫টি পৃথক এবং পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক দল।
২০০৪ সালের ৩০ জানুয়ারি, ১৯৯১ সালের ৬ আগষ্ট, পঞ্চম জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রবর্তিত প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির পরিবর্তে সংসদীয় পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব দ্বাদশ সংশোধনী হিসেবে সর্বসম্মতিক্রকে পাস হওয়ার পরও এ প্রশ্নে গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২৩ এপ্রিল, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গতকাল নরসিংদীতে এক জনসভায় উপস্থিত জনতাকে হাত তুলে অভিবাদন জানানঃ জোট সরকারের ৭৫ ভাগ মন্ত্রী এমপি হয় ডাকাত নয় খুনী ঃ শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ৫ মে, শেখ হাসিনা বলেনঃ এক আলটিমেটামেই সরকারের ভিত নড়ে গেছে।
২০০৪ সালের ৯ মে, ইনকিলাব ঃ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে পৌঁছলে তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান। ফ্লোরিডায় শেখ হাসিনা বলেন যে, জোট সরকার আমাদের কাউকেই বাঁচতে দেবে না।
২০০৪ সালের ১০ মে, ফ্লোরিডা থেকে এনা ঃ কন্যা পুতুলের শিক্ষা সমাপনী উৎসবে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনাও একটি ডক্টরেট ডিগ্রী পেলেন। মায়ামীতে অবস্থিত ব্যারী ইউনিভার্সিটির জেমস নাইট সেন্টারে ১০ সহস্রাধিক ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকের উপস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে অনারারী ডক্টরেট অব ল’ ডিগ্রীর সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য।
২০০৪ সালের ১৭ মে, স্টাফ রিপোর্টার ঃ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, যারা দেশের মানুষকে শোষণ করছে, নির্যাতন করছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলুন।
২০০৪ সালের ১৮ মে, টঙ্গী থেকে মোঃ হেদায়েত উল্লাহ ঃ সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আহসানউল্লাহ মাষ্টার হত্যার বিচার করা না হলে রাজপথ-রেলপথ, মিল-কারখানাসহ গোটা দেশ অচল করে দেয়া হবে।
২০০৪ সালের ২১ মে, গাজীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্ট ঃ সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ ঃ খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই-শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ২ জুন, স্টাফ রিপোর্টারঃ ‘আমি হিন্দু হলে, মুসলমান কে’-শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন।
২০০৪ সালের ২১ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভায় বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, জুলুম, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার জন্য সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, এক মাঘে শীত যায় না-দিন আমাদেরও আসবে।
২০০৪ সালের ২৫ জুন, ইনকিলাব ঃ আওয়ামী লীগের ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা বলেন যে, সরকারের কর্মকান্ড দেখে আজ মনে হয় তখন ছ্যাঁচা মার দিলাম না কেন। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা-জুলুম-নির্যাতন ও পুলিশী হয়রানের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না বলেই ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় যেয়ে আমরা গণতন্ত্র ও এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করেছি। কিন্তু জোট সরকারের কর্মকান্ড দেখে আজ মনে হয়-‘তখন ভাল করে ছ্যাঁচা মার দিলাম না কেন? আজ আমাদের ওপর যে অত্যাচার চলছে, তখন যদি এর চারভাগের এক ভাগ নির্যাতন আমরা চালাতাম তাহলে বিএনপি টিকে থাকতে পারতো না। নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।’
২০০৪ সালের ২৬ জুন, বাসস ঃ জনমত জরিপ-দেশের ৭৩ ভাগ মানুষের মতে হরতালের রাজনৈতিক কার্যকারিতা নেই। দেশের ৬৪টি জেলার ৬ হাজার ৪০০ জনের মধ্যে পরিচালিত এক নমুনা জরিপ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপে দেখা যায়, সমানসংখ্যক মানুষ হরতালের রাজনীতির অবসান চায়।
২০০৪ সালের ২৯ জুন, ইনকিলাব, খুলনা ব্যুরো ঃ খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনের নগরী খুলনায় হায়াত-মউত এখন সন্ত্রাসীদের হাতে।
২০০৪ সালের ৩০ জুন-সংসদ রিপোর্টার ঃ বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভনেত্রী শেখ হাসিনা-বাজেটের উপর সমাপনী বক্ততায় বলেন জনগণ ম্যাক্রো-মাইক্রো অর্থনীতি বোঝে না তারা শান্তিতে দু’বেলা খেতে চায়। গতকাল (মঙ্গলবার) জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনার সমাপনী বক্ততায় ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে ঘোষিত বাজেটকে প্রত্যাখান করে বলেছেন, এ বাজেট ধনিক তোষণ ও গরীব মারার বাজেট। জনগণকে ধোঁকা দেয়া ও ভাঁওতাবাজির বাজেট। তারা শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে দু’বেলা খেতে চায়। তারাবোঝে দ্রব্যমূল্য কমল কিনা।
২০০৪ সালের ১২ জুলাই, সংসদ রিপোর্টার ঃ স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বাকবিতন্ডা আওয়ামী লীগের দু’দফা ওয়াক আউট। সংসদ কার্যক্রমে সাময়িক অচলাবস্থা।
২০০৪ সালের ১৩ জুলাই, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ স্বাধীনতার ঘোষক ও পুনর্মুদ্রিত দলিল নিয়ে আ’লীগ নেতৃবৃন্দ গোঁড়ামি করছেন ঃ যুবদল। তারা বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ২ লাখ ৭৬ হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। তাকে ৩ লাখের পরিবর্তে ৩ মিলিয়ন বলে বিশ্ব স¤প্রদায়ের কাছে ইতিহাস বিকৃত করে তুলে ধরেছেন স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই।
২০০৪ সালের ১৫ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ পুনঃপ্রকাশিত স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল অবিলম্বে বাতিল করুন-আওয়ামী লীগ।
২০০৪ সালের ১ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ এ স্বৈরসরকারকে তাড়িয়ে জনগণের সরকার কায়েম করতে হবে ঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। এ কথার অর্থও ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছু নয়।
২০০৪ সালের ১৭ আগষ্ট, টুঙ্গীপাড়া থেকে মোঃ অহেদুল হক ঃ জন্মদিন পালনই ১৫ আগষ্টের হত্যাকান্ডে খালেদা জিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ-শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ২২ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার(ইনকিলাব) ঃ খুনীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী এক নম্বরে ঃ শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকার কথা-শেখ হাসিনার সভায় হামলা করেছে কারা? ভারতীয় ‘র’? আইএসআই? মিলিটারী? শাসক দল? নাকি মৌলবাদীরা? হারকাতুল জিহাদ (২) বিএনপি-জামায়াত শাসকগোষ্ঠী (৩) সশস্ত্র মাওবাদী গোপন সংগঠন (৪) পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (৫) ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (৬) সামরিক বাহিনীর একশ্রেণীর উচ্চভিলাসী অফিসার। এ ছয়টির মধ্যে কোনটি হতে পারে। এ কাজটি করার জন্য এখন যারা মাঠে রয়েছে তারা হল ঃ (১) সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই) (২) জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) (৩) অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি) (৪) ডিটেনটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) (৫) স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) (৬) র্যাব (৭) বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি (৮) ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থী আইনজীবি তদন্ত কমিটি (৯) ইন্টারপোল তদন্ত টীম (১০) মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেষ্টিেেগশন বা এফবিআই তদন্ত টীম।
২০০৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার রহস্য পুলিশের আইজিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেরিয়ে আসবে ঃ শেখ হাসিনা।
২০০৪ সালের ২৭ অক্টোবর, নিউইয়র্ক থেকে এনা ঃ নিউইয়র্কে শেখ হাসিনা-বাংলাদেশে হাওয়া ভবনে চাঁদা না দিলে কোন ব্যবসা করা যায় না।
২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ আওয়ামীলীগসহ ১৪-দলের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত গণঅনাস্থা প্রাচীর কর্মসূচী। ৯শ’ কি. মি. পথে যানজটের আশংকা : মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ মিথ্যা ইতিহাস শেখানোর অপরাধে জোট সরকারের বিচার হবে-শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালের ২৯ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সরকারের একমাত্র কাজ এখন বিরোধী নেতা-কর্মী হত্যা ও নির্যাতন-শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ জোট সরকারের কত রক্ত প্রয়োজন আমি বুঝি না-শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালের ১৬ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার খবর-মন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী ঃ সাড়ে তিন বছরে ৫০ দিন হরতালঃ ১৯,৩০০(উনিশ হাজার তিনশত) কোটি টাকা ক্ষতি। সাবেক অর্থমন্ত্রী জনাব কিবরিয়া মহান জাতীয় সংসদের এক ভাষণে বলেছিলেন, বাংলাদেশে একদিনের হরতালে ৩৮৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
২০০৫ সালের ২৪ এপ্রিল, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুত্রকে দিয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করছে-বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালের ২৩ মে, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্ট ঃ গডফাদারদের সরকার ধরছে না-বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালের ২৮ মে, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পুত্র উগ্র সা¤প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বোমাবাজি করছেন-শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালের ২৮ মে, ইনকিলাব পএিকার প্রেস বিজপ্তি ঃ মাতৃত্ব দিবসে শেখ হাসিনা-গর্ভজনিত কারণে প্রতিদিন ৩০ মায়ের মৃত্যু হয় বাংলাদেশে।
২০০৫ সালের ১০ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগনকে মোয়া ধরিয়ে দেয়া হয়েছে-প্রস্তাবিত বাজেট ধোঁকাবাজির বাজেট।
২০০৫ সালের ১১ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ঃ এ বাজেট জনগণের নয় দুর্নীতি উন্নতির বাজেট-টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালের ২৫ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ আওয়ামী লীগ ও সমমনাদলগুলোর আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রতিনিধি সভায় হাইকোর্টের রায়ের কপি ছিঁড়ে প্রতিবাদ।
২০০৫ সালের ৪ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকায় বাসস ও এপি ঃ শেখ মুজিব পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাননি এক ধরনের কনফেডারেশন চেয়েছিলেন। ওয়াশিংটনে মার্কিন গোপন দলিলে তথ্য প্রকাশ।
২০০৫ সালের ৬ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার জন্য নতুন দুটি বুলেটপ্রæফ গাড়ী আনা হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-মুহাম্মদ আলম ঃ ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে দেয়া বক্তব্য থেকে সাবেক মেয়র হানিফ একটুও নড়বেন না।
২০০৫ সালের ২ অক্টোবর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করতে দেয়া হবে না-আওয়ামী লীগের ভোট কারচুপি দিবস পালন।
২০০৫ সালের ১১ অক্টোবর, ইনকিলাব-ব্যর্থ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে-দেশবাসীর উদ্দেশে-বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালের ১৮ অক্টোবর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ আওয়ামী লীগের সেমিনারে বক্তাগণ-জোট সরকার বছরে ৪৮ হাজার ২শ’ ৭১ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এ হিসেবে গত ৪-বছরে জোট সরকারের দুর্নীতির খেসারত দিতে হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩ কোটি টাকারও বেশী।
২০০৫ সালের ১৫ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ উগ্র সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠী আইনের শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা।-শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী-শেখ হাসিনা বলেছেন, সময় এসেছে, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেষ লড়াইটা করতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তি জামায়াতই যে জঙ্গীবাহিনী ও সন্ত্রাসী লালনকারী তা জাতির কাছে আজ স্পষ্ট। দেশে রাজাকারদের তালিকা করা উচিত, মুক্তিযোদ্ধাদের নয়। ১৯৭১-এর পরাজয় তারা ভুলতে পারেনি। পতিশোধ নিতে তারা এখনও হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
২০০৫ সালের ২২ ডিসেম্বর, বিবিসি-সংস্কার কর্মসূচী মানতেই হবে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ তিনিই করছেন-বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর, মুহাম্মদ আলম, রাজশাহী থেকে-দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে রাজশাহীতে ১৪-দলের মহাসমাবেশে মানুষের ঢল-প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেশদ্রোহী জনগণ তার বিচার করবে ঃ আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না, হুমকি-ধমকিতো পরোয়াই করি না-শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালের ২ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ নয়া ভোটার তালিকার উদ্দেশ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষকে বাদ দেয়া ঃ শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালের ৭ জানুয়ারি, নিউইয়র্ক থেকে এনা-তত্ত¡াবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়ার দিনই কেয়ামতের অবস্থা হবে-আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান।
২০০৬ সালের ১৬ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১ সালে ভোটের ফলাফল চুরি করেছিল। এবার তারা ভোটার তালিকা চুরি করছে।
২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ মন্ত্রী-এমপিরা টিভি চ্যানেলের যন্ত্রপাতির নামে অবৈধ অস্ত্র আনছেন ঃ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ঃ সংস্কার প্রস্তাব মানতে বিএনপি-জামায়াত জোটকে বাধ্য করা হবে-টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ধর্ষণে সেঞ্চুরী করা ছাত্রলীগ নেতাকে শেখ হাসিনা বুকে তুলে নিয়েছিলেন ঃ তারেক রহমান।
২০০৬ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ যোগদান করেই ৫০-দফা সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন করলেন-শেখ হাসিনা। সংসদ প্রাণবন্ত-উত্তপ্ত।
২০০৬ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ক্ষমতায় যেতে নয় জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এ প্রস্তাব দিয়েছি-শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সেনা পদোন্নতিতেও প্রাধান্য পাচ্ছে মামা-ভাগ্নের তালিকা। ৫১-সাবেক সামরিক কর্মকর্তার সাথে শেখ হাসিনা। গতকাল ধানমন্ডি কার্যালয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া জড়িত-শেখ হাসিনা। ২০০৬ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ বর্তমান আওয়ামী লীগ জিয়ার অবদান-মান্নান ভূঁইয়া। শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতির কথা দেশবাসী ভুলে যায়নি ঃ হাওয়া ভবন ও শহীদ মইনুল রোডের বাসা সীজ করলে কয়েকশ’ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।
২০০৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, মুহাম্মদ আলম, দিনাজপুর থেকে-আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেন ঃ জোট সরকার আবার ক্ষমতায় গেলে চালের কেজি ৪০/-টাকা হবে। ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল, জনকন্ঠ ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকলে এখন চালের মূল্য হতো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। এখনও কিছু কিছু চালের মূল্য প্রায় ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে মহাজোট সরকারের আমলে চালের দাম বেশি কেন।
২০০৬ সালের ১ মার্চ, সংসদ রিপোর্টার ঃ তদন্ত কমিটি করে দেখুন প্রধানমন্ত্রী নাকি বিরোধীদলীয় নেত্রীর পরিবার দুর্নীতিবাজ-এডভোকেট আবদুল হামিদ।
২০০৬ সালের ৫ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে-এবারের লড়াই হবে শেষ লড়াই ঃ শেখ হাসিনা। আমি মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর) বলছি এ কথাটার অর্থও ফাঁকা-যেমন বলেছিল যে আমার ৫৭-বছর হলে আমিও রাজনীতি থেকে অবসর নেব। শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, তাঁর ৫৭ বছর বয়স পূর্ণ হয়েছে ২০০৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সে টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিল যে, আমার বয়স যখন ৫৭ হবে তখন আমি অবসর নেব রাজনীতি থেকে। এখন সে অবসর জীবন-যাপন করার কথা। কিন্তু বাস্তবে তিনি রাজনীতি করছেন।
২০০৬ সালের ১৮ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ জামায়াতের সাথে সংলাপে বসা মানে শায়খ রহমান ও বাংলাভাইয়ের সঙ্গে বসা-বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালের ১৪ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ জাতীয়তাবাদী জামায়াত জোট (১০ অক্টোবর, ২০০১ থেকে ১৩-০৭-২০০৬ সাল পর্যন্ত) ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে-শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালের ২৬ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দুর্নীতিমুক্ত করার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী-দুর্নীতির মামলা তুলে নিচ্ছেন-শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালের ১১ অক্টোবর, বিরোদলীয় নেত্রীর ভাষণ থেকে নেয়া ঃ প্রধানমন্ত্রীর ছেলের হাওয়া ভবনের সিন্ডিকেট জিনিসের দাম বাড়িয়ে ৫ বছরে ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
২০০৬ সালের ১১ অক্টোবর, বিরোদলীয় নেত্রীর ভাষণ থেকে নেয়া ঃ শেখ হাসিনার কথা আমরা সরকারে থাকতে ২০,৯৭৭ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রেখে এসেছিলাম। এ সরকার ৫ বছরে এক কিলোমিটার নতুন রাস্তাও করতে পারেনি। গত ৫ বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়াতে পারেনি। প্রত্যেক পরিবারের অন্ততঃ একজন কর্মক্ষম যুবকের কর্মসংস্থানের জন্য ‘‘এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম’’ চালু করা হবে। চাকুরীর কথা বলে ক্ষমতায় যেতে চায়। এ কথার অর্থও ফাঁকা।
২০০৬ সালের ১১ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা-লুটেরাদের পাহারাদার হবেন না। সেনাবাহিনীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা-জোটনেত্রীর বাসায় তল্লাশি চালালে হীরা জহরত বস্তায় বস্তায় টাকা পাওয়া যাবে’।
২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, শামীম সিদ্দিকী ঃ দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর সুদখোরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা ঃ ১. স্বাধীনতার পর থেকে হিসাব নেয়া হোক। ২. সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলুন। ৩. সুদখোর দিয়ে দারিদ্র দূর হয় না। ৪. রাজনীতিবিদদের ঢালাও গালিগালাজ করে আবার রাজনীতিতে আসার খায়েশ। ৫. হঠাৎ গজিয়ে ওঠা রাজনীতিবিদ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
২০০৭ সালের ১৬ মার্চ, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সব কার্যক্রমের বৈধতা দেবে-সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেছেন ।
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ ওয়াশিংটন বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা-লুটেপুটে খেয়ে বিএনপি-জামায়াত দেশের অস্তিত্ব ধ্বংস করতে চেয়েছিল-শেখ হাসিনা।
২০০৭ সালের ১০ এপ্রিল, স্টাফ রিপোর্টার ঃ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩(তিন) কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা। ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় চাঁদাবাজি করে।
২০০৭ সালের ৮ জুলাই, সরকারব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ। ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টির লক্ষ্যে যা করা হবে। * স্পীকার নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় সম্পৃক্ততা থাকবে না, ডেপুটি স্পীকার হবেন বিরোধী দল থেকে। * প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে হবে, মন্ত্রী দলের সাংগঠনিক পদে থাকতে পারবেন না। * সংসদীয় কমিটির এক-তৃতীয়াংশের চেয়ারম্যান হবেন বিরোধী দল থেকে। * প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সংসদকে অবহিত করতে হবে। * জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সংসদ সদস্য দলের সিদ্ধান্তের বাইরে মত প্রকাশ করতে পারবেন।
২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দেশে চিকিৎসা নিতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার ভয় বিদেশে গেলে খরচ দেবে দল। এ হল বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার দেশপ্রেম।
২০০৮ সালের ১৪ মার্চ, আশরাফ-উল আলম-খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে দেওয়া দুদকের নোটিশ বৈধ এবং তাদেরসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধেই দুদকের মামলা চলবে।
২০০৮ সালের ১৪ জুন, বোস্টনে সাংবাদিকদের শেখ হাসিনা-দেশে আর কখনো দুর্নীতি হবে না। ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন, বোস্টন থেকে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আর কখনো দুর্নীতি হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। আমি মোঃ জাকির হুসেন-শেখ হাসিনার কথার সাথে এক মত নই এবং যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যেতে পারবে না তখনই বলবে যে দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় গেছে-দুর্নীতি করার জন্য। আমি বলি যে, এ ব্যবস্থায় কোনদিনই দুর্নীতি বন্ধ হবে না।
২০০৮ সালের ২৬ জুন, অরল্যান্ডোতে শেখ হাসিনা ঃ সবাইকে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। শেখ হাসিনা কিছুদিন পর এ কথার সাথে একমত থাকবে না।
২০০৮ সালের ৪ জুলাই, কানাডায় শেখ হাসিনা-নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। সে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে না।
২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর, সমঝোতার নতুন উদ্যোগ। খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার সঙ্গে উপদেষ্টাদের বৈঠক। নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে আলোচনা, অগ্রগতি নেই। উপদেষ্টারা বলেছেন ২৮-১২-২০০৮ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচন পেছানোর কথা বলেন। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয় মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন পেছানোর কথা বলেন। উপদেষ্টারা তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে এ বিষয়ে পরে জানাবেন বলে জানান।
২০০৮ সালের ৬ ডিসেম্বর, বাদ পড়া ৯৯ প্রার্থীর কমিশনে আপিল। শূন্য আসনে বিকল্প প্রার্থী খুঁজছে বিএনপি-আওয়ামী লীগ।
২০০৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর, কেউ কেউ নির্বাচন বানচালের ছুতা খুঁজছেন ঃ হাসিনা।
২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতি করে কামানো টাকা ভোট কেনায় ব্যবহারের চেষ্টা হচ্ছে। চট্টগ্রামে শেষ নির্বাচনী সমাবেশে শেখ হাসিনা।
২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ আওয়ামী লীগের বিশাল জয়। অভূতপূর্ব ভোট উৎসব ‘দিনবদলের’ পক্ষে জনতার রায়।
২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ নেতা-কমীদের ধৈর্য ধরতে ও শান্ত থাকতে বলেছেন হাসিনা।
২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ২৯-১২-২০০৮ তারিখের নির্বাচনে জনগণের রায় স্পষ্টতই দিনবদলের পক্ষে গেছে। আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৪৯ শতাংশ ভোট এবং সংসদে আসন পেয়েছে ২৩০টি। প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পেয়েছে ৩৩ শতাংশ ভোট, কিন্তু আসন পেয়েছে মাত্র ৩০টি। শতকরা হিসেবে যত ভোট পেয়েছে সে অনুপাতে তত আসন পায়নি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি (জেপি) ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছে ২৭টি আসনে। বিএনপির জোটভূক্ত ইসলামপন্থী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে আসন পেয়েছে মাত্র ২টি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ১৫ শতাংশ ভোটের ব্যবধান নজিরবিহীন। আগের নির্বাচনগুলোতে দুই দলের ভোটের পার্থক্য পাঁচ শতাংশের কম থেকেছে। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, তরুণ ভোটাররা দিনবদলের পক্ষে ব্যাপক ভোট দিয়েছেন।
২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আমাদের সরকার হবে সকলের ঃ শেখ হাসিনা
প্রথম কাজ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। ক্ষমতার অপব্যবহার নয়। প্রতিশোধ নয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার।
২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলকে হাসিনা। নিরপেক্ষভাবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ডিজেলের দাম কমবে-সারে ভর্তুকি বাড়বে। শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত। সন্ত্রাস ও অপরাধ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন-সব অষ্ণলের সুষম উন্নয়ন করতে চাই। কারও প্রতি বৈষম্য করা হবে না। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ছিন্নমূল মানুষকে ঘর করে দেব, দেশকে দারিদ্রমুক্ত করব। উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করব ঃ শেখ হাসিনা। হাসিনা বলেছে যা, এর কিছুই করবে না।
২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভার কলেবর বাড়ল, এলেন আরও ছয় প্রতিমন্ত্রী। এ নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা হলো ৩৮ জন। এরমধ্যে মন্ত্রী ২৪ জন ও ১৪ জন প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রয়েছেন ৬ জন। মোট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ ৪৪ জন এবং আরো দু’জন মন্ত্রী বাড়ল।
২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-জঙ্গিবাদের মূলোৎপাদনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে নন।
২০০৯ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ এনজিও ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ. এম. এ. মুহিত ঃ ৫ বছরের মধ্যে দেশ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি দূর করা হবে।
২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ তত্ত¡াবধায়ক ও জোট সরকারের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ হবে-সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কথা দিয়েছে-তাঁর কথা সে রাখবে না।
২০০৯ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ আনসার একাডেমিতে প্রধানমন্ত্রী-অঙ্গীভূত আনসারদের দৈনিক ভাতা ১১০/- টাকার পরিবর্তে ১৮০/-টাকা করা হবে।
২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বেগম রোকেয়ার নামে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেরা খাতুনের বিবৃতি-সরকারের একার পক্ষে জঙ্গি দমন সম্ভব নয়।
২০০৯ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ জার্মান প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ-সন্ত্রাস দমনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিদ্রোহী জওয়ানদের সাধারণ ক্ষমা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর অস্ত্র সমর্পণের ঘোষণা।
২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ রক্তপাত এড়িয়ে সমস্যা সমাধানে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্র্রী শেখ হাসিনা বলেন-ভাইয়ের বুকে গুলি করবেন না, আত্মঘাতী সংঘাত বন্ধ করুন।
২০০৯ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর আগে সকাল ১০টার মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত প্রায় দুই হাজার পদস্থ কর্মকর্তা বৈঠক স্থলে উপস্থিত হন। সেনাকুঞ্জে ক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সব ব্যবস্থা নেয়া হবে, কিছুই আড়াল করা হবে না’। বিডিআর সদর দপ্তরে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সেনাকুঞ্জে উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নীরবতা পালন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানান কিছূ সেনা কর্মকর্তা-সমঝোতার নামে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ও লাশ গুম করা এবং বিডিআর জওয়ানদের পালানোর সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট শাহেরা খাতুন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও হুইপ মির্জা আজমকে বরখাস্ত করার দাবী জানান তাঁরা।
২০০৯ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিদ্রোহীদের ধরতে সেনা, পুলিশ ও র্যাবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সংসদে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সালের ৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ নারী দিবসের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী-সংরক্ষিত নারী আসন ১০০-তে উন্নীত হবে।
২০০৯ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন। বুলেট আর গ্রেনেড আমাকে তাড়া করে ফিরছে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সালের ২৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ভারত থেকে এ বছর ৬০ হাজার টন গম আমদানি করতে হবে। এ বছর বলা হয়েছিল আমাদের কিছু খাদ্য রফতানি করতে হবে তখনও আমি বলেছিলাম যে এবারও আমাদের খাদ্য ঘাটতি হবে। তা-ই হয়েছে।
২০০৯ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে হবে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক এবং সরকারি-বেসরকারি বেতার-টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়।
২০০৯ সালের ২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ চেক হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী। নিহত সেনা সদস্যদের পরিবারকে বিএবির অর্থসহায়তা। ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) পিলখানায় নিহত ৫৫ জন সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারকে মাসিক ৪০ হাজার টাকা করে আগামী ১০ বছর অর্থসহায়তা দেবে।
২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ সংসদে দুই নেত্রী-দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এমন কাজ করবেন না ঃ হাসিনা।
২০০৯ সালের ১৫ মে, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের ১০৩ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ। আবেদনের শেষ সময় ৩১ মে, ২০০৯।
২০০৯ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ ইউজিসি প্রতিনিধিদলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন দ্রুত প্রণয়ন করা হবে।
২০০৯ সালের ২৮ মে, প্রথম আলো ঃ বিরোধী দলের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাই ঃ প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষ আমাদের অনেক দিয়েছে। এখন আমাদের দেবার পালা। কাজেই শাসন-বঞ্চনার হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘জনগণ যে আকাঙক্ষা নিয়ে আমাদের ভোট দিয়েছে, সেটা পূরণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্যবসা করতে আসিনি, এসেছি জনগণের জন্য কাজ করতে। আমরা ক্ষুত্র গোষ্ঠিকে বড়লোক বানাতে আসিনি। আমরা জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য এসেছি। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ ও কাজ জনকল্যাণমুখী।’ এ কথার সাথে আমি একমত।
২০০৯ সালের ১১ জুন, প্রথম আলো ঃ ৬২ মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে হাসিনাসহ তিন হাজার আসামি অব্যাহতি পাবেন।
২০০৯ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি আবার চালু হবে।
২০০৯ সালের ১১ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ছয় হাজার শূন্যপদে চিকিৎসক ও তিন হাজার নার্স নিয়োগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনার। কত বছরে নিয়োগ দেবে তা বলেনি।
২০০৯ সালের ২৮ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং তাঁদের সন্তান-সন্তনি জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। তাঁরা আজীবন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও আবাসন সুবিধা পাবেন।
২০০৯ সালের ১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ নতুনদের হাতে দল ও সরকার। নয়া মন্ত্রী ও পাঁচ প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব দিলাম, দেখি তাঁরা কী প্রতিদান দেন-প্রধানমন্ত্রী। সর্বমোট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা হলো-৪৪ জন।
২০০৯ সালের ৩ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিশ্ব মাতৃদৃগ্ধ উদ্বোধন। স্কুলে শিশুর মানসিক পরিচর্যার জন্য মনোবিজ্ঞানী থাকা দরকার ঃ প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা বলেন, ব্যাংক-বীমা, বড় শপিং মল, অফিস-আদালত, কারখানাতে শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার থাকা প্রয়োজন।
২০০৯ সালের ২১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীদের মধ্যে শেখ হাসিনা ৭৮তম। শীর্ষে অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী রয়েছেন ১৩ নম্বরে। মার্কিন ফাষ্ট লেডী মিশেল ওবামা ৪০তম। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের স্থান ৩৬ নম্বরে।
২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের বাজেটের মাত্র ৪২% জনগণের জন্য উন্মুক্ত।
২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ যত বাধা আসুক না কেন, গ্যাস উত্তোলন করবই ঃ প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ সালের ১৪ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবিত দুই মেয়ে ও তাঁদের সন্তানদের আজীবন নিরাপত্তা বিধানে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন-২০০৯’ সংসদে পাস হয়েছে।
২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। দারিদ্র্য নিরসন দিবসের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ সচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক-নদী, খাল ও জলাভূমি দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ।
২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ রাজধানীর নিখোঁজ হওয়া ৪৩টি খালের দখলকারী চিহিৃত করেছে সংসদীয় কমিটি। খাল উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবে সংসদীয় কমিটি।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ জলবায়ু পরিবর্তন সবার জন্য হুমকি ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি বলব সবার জন্য হমকি নয়-গরীব দেশগুলোর জন্য হুমকি।
২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সালের ২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ জনগণের আস্থা জীবন দিয়ে হলেও রক্ষার প্রতিশ্রুতি। সংসদে দারিদ্র বিমোচন আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সালের ৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিরোধী দল সংসদে না এসে কী সংকেত দিচ্ছে? সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন।
২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সেনাবাহিনীর ফরমেশন কমান্ডারদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রচলিত বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখুন।
২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ জোট সরকারের নির্যাতন তদন্তে কমিশন হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা।
২০০৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ যুদ্ধাপরাধের বিচার করা হবে। ডেনমার্কে শেখ হাসিনা ঃ এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছেন।
২০০৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী-সরকারের মেয়াদকালেই জাতীয় গ্রিডে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। করবে না সরকার।
২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস-বিস)-এর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সেমিনারে বক্তারা-একাত্তরের স্বপ্ন স্বাধীনতার চার দশকেও পূরণ হয়নি।
২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পরিবেশ সম্মেলন উদ্ধোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ঢাকাকে বাঁচাতে এর পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।
২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ভারতের বাজারে ঢুকতে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সমঝোতার তাগিদ দিয়েছে মেট্টো চেম্বার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফরের সময় ২৩২টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চাওয়া হবে ঃ বাণিজ্যমন্ত্রী।
২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর নেপাল এবং ভুটানকেও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশই বেশি লাভবান হবে।
২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ভারত সফর শতভাগ সফল।
২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ভারত সফর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে আঞ্চলিক যোগাযোগের কেন্দ্রে উন্নীত করতে সময় লাগবে। সরকারের এই মেয়াদেই সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পেরেছি।
২০১০ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, আমাদের সময় ঃ আড়াই কোটি সদস্যের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের অভিযান শুরু।
২০১০ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি, জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ আশা করছেন মহাজোট সরকার আগামী ২০২১ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।
২০১০ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ কৃষি-সহায়তা কর্মসূচির উদ্ভোধন-কৃষকের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না, কৃষক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচব্ েঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় দুই লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে বলেছেন সংসদে মহাজোট সরকার।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রী, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কবে ‘আইএসআই’ মুক্ত হবে? এক বছর ধরে পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে জনমনে প্রশ্ন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। কোথায় গলদ? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এনএসআই ও ডিজিএফআই পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মডেলে তৈরি।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ঢাকা বাইপাস সড়ক উদ্বোধন। বিডিআর বিদ্রোহের উসকানিদাতারা রেহাই পাবে না ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সজীব ওয়াজেদ জয় আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হলেন।
২০১০ সালের ১১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ঢাকার চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট টাউন গড়া হবে-সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-মধ্যবিত্ত ও নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য রাজধানীর তিনটি এলাকায় ৫২ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজউক। ফ্ল্যাটগুলোর আয়তন হবে ৬০০ থেকে ১২০০ বর্গফুটের।
২০১০ সালের ১২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিগত তত্ত¡বধায়ক সরকারের সমালোচনা করে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জরুরি অবস্থার সময়ে জেলখানায় আমাকে ‘¯েøা পয়জন’ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন ‘মাইনাস টু নয়, তাদের ফর্মুলা ছিল ‘মাইনাস ওয়ান’। টার্গেট ছিলাম আমি। আমার মুক্তির দাবিতে ১৫ দিনে ২৫ লাখ স্বাক্ষর জোগাড় করা হয়েছিল।
২০১০ সালের ১২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ আট দিনে শেখ হাসিনার পাঁচ মামলা বাতিল।
২০১০ সালের ১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় শান্ত থাকার অনুরোধ। দেশবাসীর কাছে সময় চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি ও বিরোধী দলের সাংসদদের সহায়তা চেয়ে মন্ত্রনালয়ের চিঠি।
২০১০ সালের ২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ পুলিশ বাহিনীতে বিভিন্ন পদে ৩২ হাজার ৩১ জনকে নতুন নিয়োগ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশে জনবল বাড়ানোর এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন।
২০১০ সালের ৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ-সমস্যা সমাধানে সক্ষম হবঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ১১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ আওয়ামী লীগ বদলালেই দেশ বদলাবে ঃ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন।
২০১০ সালের ১২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ নৌবাহিনীতে সাবমেরিন, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজন করা হবে। নৌ সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা।
২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯-০৪-২০১০ তারিখ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে থিম্পুর সার্ক ভিলেজে ইন্ডিয়া হাউসে বৈঠক করেন। দিল্লি বৈঠকের সিদ্ধান্ত দ্রæত বাস্তবায়িত হবে। ১০০ কোটি ডলারের ঋণ-সহায়তা ও ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত ও চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে ভারত।
২০১০ সালের ৭ মে, প্রথম আলো ঃ জোট সরকারের দুর্নীতির কারণে এক-এগার এসেছে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ মেঘনা নদী দখলমুক্ত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর।
২০১০ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া। হরতাল অকেজো ও মরচে পড়া প্রত্যাহার করুন।
২০১০ সালের ৩০ মে, প্রথম আলো ঃ মুন্সিগঞ্জে সৈয়দ আশরাফ। দেশকে বদলানোর আগে আওয়ামী লীগকে বদলাতে হবে।
২০১০ সালের ৩১ মে, প্রথম আলো ঃ ১৩ মামলা থেকে মুক্ত হাসিনা, দুটিতে অভিযোগপত্র হয়নি।
২০১০ সালের ১০ জুন, প্রথম আলো ঃ রতœা-সুমন, রুনা-জামিল ও আসমা-আলমগীর। তিন দম্পতি। অভিভাবক হয়ে তিন কন্যা’র বিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ০৯-০৬-২০১০ তারিখ রাতে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে হয়েছে সময়ের আলোচিত এ বিয়ে। নিমতলীর আগুনে পুরে মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্ত¡ীয়-স্বজন মারা গেছেন।
২০১০ সালের ১২ জুন, প্রথম আলো ঃ কারামুক্তি দিবসে প্রধানমন্ত্রী-বাজেট উচ্চাভিলাসী নয়, দারিদ্র্যমুক্তিই প্রধান লক্ষ্য।
২০১০ সালের ১৪ জুন, প্রথম আলো ঃ বসুন্ধরা গ্রæপের আহমেদ আকবর ছোবহান (শাহ আলমের) ঔদ্ধত্য। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ জানালেন মন্ত্রীরা।
২০১০ সালের ১৮ জুন, প্রথম আলো ঃ প্রতিশ্রæতি থেকে সরে এসেছে সরকার। মন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করার প্রতিশ্রæতি থেকে অনেকটাই সরে এসছে সরকার।
২০১০ সালের ২৪ মে, প্রথম আলো ঃ বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফখরুদ্দীন-ইয়াজউদ্দিন-মইন আপনারই আবিস্কার।
২০১০ সালের ২৭ জুন, প্রথম আলো ঃ ডেমরাঘাটে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ৭৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সুলতানা কামাল সেতু উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটির দৈর্ঘ্য এক হাজার মিটার এবং প্রস্থ ১০ মিটার। ঢাকার রাস্তার দুরবস্থার জন্য মেয়রকে দুষলেন-শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রিত্ব ছেড়ে শুল্কমুক্ত গাড়ি কেনার সুবিধা নিতে পারেন।
২০১০ সালের ১২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মন্ত্রীরা ১৮ মাসে না পারলে ১৮ বছরেও পারবেন না।
২০১০ সালের ১৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ আদালতের রায় অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন হবে। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ২৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ক্ষমতা ব্যালটের মাধ্যমেই আসে তা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।-সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ৩১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ বিশ্বের সেরা ১০ নারীনেত্রীর তালিকায় শেখ হাসিনা ৬ষ্ঠ।
২০১০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ আঞ্চলিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী। দেশে আরও ২৫টি পলিটেকনিক হচ্ছে।
২০১০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৫০%। বাজারে এখন ৩২ টাকার কমে এক কেজি চাল পাওয়া যায় না।
২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ২৮-১০-২০১১ তারিখ শেখ হাসিনার ৬৪তম জন্মদিনের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ বলেন দলীয় কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মীর কর্মকান্ডের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব অর্জন ¯øান হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
২০১০ সালের ১২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কার্যক্রম এক ধাপ এগিয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ৪,৫০১টি ইউনিয়নে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর, দেনিক জনকন্ঠ ঃ সারাদেশে ৪৫০১টি ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন সেবা নিচ্ছে ৩০ লাখ মানুষ। বদলে যাচ্ছে গ্রাম। এ কথার সাথে আমি একমত নই।
২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃতিম লেক মহামায়া সেচ প্রকল্প উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের নয় তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছে।
২০১১ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ১৩-১২-২০১০ তারিখ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সম্মাননা প্রাপকদের তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রায় ৪০০ বিদেশিকে সম্মাননা জানাবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনা যাঁরা জীবিত তাঁদের সবাইকে ঢাকায় নিয়ে আসা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের মরণোত্তর সম্মাননা জানানো হবে। রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রী এসব বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৫০ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক দেবেন। তাঁদের সম্মানসূচক বাংলাদেশের নাগরিকত্বও দেয়া হবে। তালিকায় ভারতের ২২৬ জন এবং পাকিস্তানের ৪০ জন রয়েছেন। বাকিরা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান, রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশের। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো হচ্ছে সুইস রেডক্রস, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন, সংবাদমাধ্যম বিবিসি, আকাশবাণী, জেনেভাভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিষ্টস, আইসিআরসি, অক্সফাম জিবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন।
২০১১ সালের ৫ মে, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তাড়াহুড়ার বিষয় নয়।
২০১১ সালের ১১ মে, প্রথম আলোঃ এলডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর ৮৮ কোটি মানুষকে দরিদ্র রেখে বৈশ্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ শীঘ্রই পাঁচ হাজার নার্সের নতুন পদ সৃষ্টি করা হবে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন।
২০১১ সালের ২০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ খুনিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা। আওয়ামী লীগ নেতা তাহেরের ছেলে বিপ্লবের দন্ড মওকুফ আরও দুটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন। লক্ষীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলা। অপহরণ সেপ্টেম্বর, ২০০০, মামলা ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০০, রায় ৯ ডিসেম্বর, ২০০৩, আত্মসমর্পণ ৪ এপ্রিল, ২০১১, ক্ষমা কার্যকর ১৪ জুলাই, ২০১১।
২০১১ সালের ২৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখার জন্য ২৫-০৭-২০১১ তারিখ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীকে দেওয়া ‘‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা পুরস্কার’’ গ্রহণ করেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা (মরণোত্তর) পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেটের ২০০ ভরি ওজনের স্বর্ণ দিয়ে তৈরি পদক ও তিন পৃষ্ঠার একটি মানপত্র তুলে দেন সোনিয়া গান্ধীর হাতে।
২০১১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার খরবঃ দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১১ সালের ২ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০টি বৃহৎ অর্থনীতির একটি হবে-বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। আমি মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর) বলি যে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৩০টি বৃহৎ অর্থনীতির একটি দেশ হবে। কিন্তু লোকসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম স্থানেই থাকবে।
২০১১ সালের ২ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, তত্ত¡াবধায়ক সরকার ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন-হবে হবে হবে।
২০১১ সালের ৫ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য রাজধানীর উত্তরায় ২০ হাজার ১০৭টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে রাজউক-একনেকে অনুমোদন। ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উত্তরায় ১৮ নম্বর সেক্টরে ১৬ তলাবিশিষ্ট ২৪০টি ভবন নির্মাণ করবে রাজউক। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩১ কোটি টাকা।
২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ১০০ দিনে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিল ৯,৫০০ কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা।
২০১১ সালের ২০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ দুর্নীতির টাকায় কেনা গাড়িতে ‘রোড শো’ হচ্ছে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১১ সালের ২০ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ পাটগ্রাম আর চাঁপাই থেকে-পাটগ্রামে বিশাল সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-আগুন লাগাতে দেব না।
২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন বা নেতা নির্বাচন করা হয় না। একমাত্র বাংলাদেশেই এটা সম্ভব হয়।
২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর, দৈনিক জন কন্ঠ ঃ সংসদে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি। আমার কথা হলো যে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মুজুরী নির্ধারণ করুন।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ যেভাবেই হোক পদ্মা সেতু নির্মাণ করব-জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবার বলছে পিপিপির অধীনে পদ্মা সেতু হবে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা(প্রথম আলো)।
২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ জোট মহাজোট শাসনামলের তুলনামূলক বিচার করুন-তিন বছরেই দেশ জঙ্গী ও দুর্নীতিমুক্ত-নাটোরের বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সারদায় সমাপনী কুচকাওয়াজ ঔপনিবেসিক মানসিকতা ত্যাগ করে পুলিশকে জনবান্ধন হতে হবে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১১ সালের ১৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সরকারি চাকরির বয়স দুই বছর বাড়ছে। এটা সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বর্তমান সরকারের এবারের বিজয় দিবসের উপহার। এইচ. টি. ইমাম। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। সূত্র জানায়, পাবলিক সার্ভেন্ট রিটায়মেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এ সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর। ১৯৭৪ সালে যখন এই আইন হয়, তখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ দশমিক ২ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু ৬৭ বছর। এখন গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় সরকার চাকরির বয়সসীমাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর। কেবল বাংলাদেশেই ৫৭ বছর। বাংলাদেশে বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৭ বছর এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৬৫ বছর। তাই সরকারি চাকরিজীবীদের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিকও।
২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনা বলেন-গুপ্তহত্যাসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি-জামায়াত।
২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করলে লাইসেন্স বাতিল। অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন-সরকারি চাকরির বয়স দুই বছর বাড়ল। ফলে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর হলো। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ-সংক্রান্ত ‘দ্য পাবলিক সার্ভিস (রিটায়ারমেন্ট) অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। একইভাবে ১২ লাখ অনুমোদিত পদের মধ্যে এখনো দুই লাখ পদ শূন্য অঅছে। এসব পদ দ্রুত পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সুবিধা পাবেন কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের নিয়ম অনুযায়ী ‘অবসর প্র¯ত্ততিকালীন ছুটি’ (এলপিআর) পরিবর্তন করে ‘অবসর পরবর্তী ছুটি’ (পিআরএল) করা হয়েছে। এ অনুযায়ী, যারা অবসরে গেছেন, তাঁরা চলেই গেছেন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁরা কোনো সুবিধা পাবেন না।
২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ উচ্চ মূল্যস্ফিতির জন্য অর্থনীতি চাপের মুখে-বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মশালায়-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১৮ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখ সন্ধ্যায় সভা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দেশ যে গতিতে এগুচ্ছে তাতে হতাশ হবার কোন কারণ নেই।
২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য রুখবে ১৪ দল-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত।। ঢাকায় লাখো মানুষের মিছিল।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় গত ২০১১ সালে রফতানি বেড়েছে ৪২ শতাংশ-বাণিজ্যমেলা উদ্বোধনীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ক্যাবের জরিপ-জীবনযাত্রার চাপ, গুপ্তহত্যায় উদ্বেগ। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে-১২.৯৬%, বাড়িভাড়া বেড়েছে-১৫.৮৩% ও নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে-১২.৭৭%।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ হিন্দু নেতাদের এরশাদ শুধু নৌকা দেখে ভোট দেবেন না। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে হিন্দু স¤প্রদায়ের ২১টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা ওই সভায় অংশ নেন।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রামে বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন-দেশ ঠিক পথে চলছে না।
২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ পুলিশের আইজির র্যাংক ব্যাজ ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ২৭ বছর পর অবশেষে পুলিশের আইজিপি এখন থেকে লে. জেনারেল পদ মর্যাদার থ্রি স্টার জেনারেল বলে চিহ্নিত হবেন।
২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নতুন পদ সৃষ্টি জ্যেষ্ঠ সচিব হলেন আটজন। তাদের বেতন হবে ৪২ হাজার টাকা।
২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ রাজাকারের সঙ্গে আঁতাত করে উন্নয়নে বাগড়া-খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোঘ-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সরকারী খাতে ৪ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে-যুব দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সরকারি কর্মচারীরা বিনিয়োগ করতে পারবে না-পুঁজিবাজারের জন্য আয়কর আইন সংশোধন করছে সরকার। ১৯৭৯ সালের আইনটি নতুন করে প্রচার করার নির্দেশ দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ শেখ হাসিনার অভিযোগ ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি ২১ হাজার মানুষ হত্যা করে। বেগম জিয়ার অভিযোগ ঃ জঙ্গী সৃষ্টি হয় আওয়ামী লীগ আমলে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
২০১২ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ কথায় সংযত হোন, জনগণের কাছে ক্ষমা চান-স›দ্বীপের জনসভায় বিরোধী নেত্রীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালের ৩ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার সংবাদ-মহাসমাবেশের নামে উল্টাপাল্টা করলে-খবর আছে। বিরোধী দলের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর হুঁশিয়ারি।। গণভবনে যোথসভা।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ২০১৩ সালের মধ্যে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর এখনও ৭৭ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে-এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত গালাপের জনজরিপ। ১৯ শতাংশ মানুষ তাঁর ওপর নাখোশ। আর ১৪ শতাংশ মানুষ চুপ।
২০১২ সালের ২১ মে, প্রথম আলো ঃ খালেদার দুর্নীতির বিচার না হলে অন্যদের করা যাবে না ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়। অঙ্গীকারের চেয়ে বেশি কাজ করেছি ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালের ১ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সজাগ থাকুন জঙ্গীবাদী ও দুর্নীতিবাজরা যেন আর ক্ষমতায় না আসে। -সষিড়াবাড়িতে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।। টাঙ্গাইলে ৩৮ কিলোমিটার রেলপথের ফলক উন্মোচন করা হয়।
২০১২ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ প্রয়োজনে নিজেদের অর্থেই পদ্মা সেতু।-সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালের ৯ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা-নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু। ব্যয় ২২,৫৫৪ কোটি টাকা। পদ্মা সেতু নির্মাণে উন্নয়ন বাজেট, সারচার্জ, বন্ড বিক্রি ও সরকারি-বেসরকারি কর্মসূচীর (পিপিপি) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হবে। ২০১৫-১৬ সালের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হবে। ক্ষতিপূরণ দাবি বিশ্বব্যাংকের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু নির্মাণে নিজস্ব অর্থায়নের উৎস হিসেবে মোবাইল ফোনের প্রতি কলে ২৫ পয়সা করে সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছেন স্পিকার আবদুল হামিদ।
২০১২ সালের ১১ জুলাই, প্রথম আলোঃ জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- কারও কাছে হাত পাততে চাই না, নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।
২০১২ সালের ২৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক।
২০১২ সালের ৬ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায় বিচারের অভাবে উগ্রবাদ জন্ম নেয়-৬৩ দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উদ্ভোধনীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন।
২০১২ সালের ১২ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ হাঙ্গার সম্মেলনে যোগ দিতে লন্ডন পৌঁছেছেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ টাঙ্গাইলের জনসভায় শেখ হাসিনা-বিএনপির দুই গুণ-দুর্নীতি আর মানুষ খুন।
২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের জনসভা-দুর্নীতি আর মানুষ খুন বিএনপির বড় গুণ ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দক্ষিণ এশিয়া।। পারিবারিক শাসন ও দারিদ্র। বিশ্বব্যাংকের মাথাপিছু আয় দৈনিক ২ ডলারের হিসাবে ভারতের জনসংখ্যার ৬৮.৭ শতাংশ দরিদ্র। বাংলাদেশে জনসংখ্যার ৭৬.৫৫ শতাংশ দরিদ্র। নেপাল ও পাকিস্তানে দরিদ্র যথাক্রমে ৫৭.৩ শতাংশ।
২০১৩ সালের ১৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ হত্যাকান্ডের দায় বিরোধী নেত্রীকে নিতে হবে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সভায় শেখ হাসিনা। সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়া তাঁর গুণ। তরুণ সমাজ একাত্তরের ঘাতকদের বিচার চেয়েছে বলে তিনি যা খুশি বলেছেন।
২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ আবার সুযোগ দিলে প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুত পৌঁছে দেব-বাপেক্স ভবন উদ্বোধন ও জিটিসিএল ভবনের ভিত্তিস্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৪ সালের ৩০ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ যারা যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছে-তাদেরও বিচার হবে-যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি বাঙালি’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন।
২০১৪ সালের ২৯ জুন, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশ এগিয়ে যাবেই-জঙ্গীবাদ দুর্নীতি সন্ত্রাস বন্ধ হয়েছে-সংসদে বাজেট আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নর মাথায় রেখেই বাজেট দেয়াস হয়েছে। ততীতে বাস্তবায়ন করেছে, এবারও বাস্তবায়িত হবে। ২০২১ সালের আগেই দেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে-বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৪ সালের ৭ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ২০১৯ সালে মেট্রোরেল-যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে অফিস করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু তৈরি শেষে এই এলাকায় হংকংয়ের আদলে শহর নির্মাণ করা হবে-কুনমিং পর্যন্ত সড়ক-সৈয়দপুর বিমাণবন্দর ব্যবহার করবে ভুটান।
২০১৪ সালের ২৭ জুলাই, প্রথম আলো : বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মাঠের খেলা মাঠেই হবে’। সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন-বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে থাকা উচিত-যুক্তরাজ্য সরকার ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখান করেনি।
২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট, প্রথম আলো : বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকা শহর সবচেয়ে বসবাসের অযোগ্য।
২০১৪ সালের ২১ আগস্ট, প্রথম আলো : শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৮ দেশের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে তলানির দিকে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে কোনো দেশের জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে ওঠে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর, প্রথম আলো : একটা মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখুক-খালেদা জিয়ার হুমকি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা।
২০১৫ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো : স্বাধীনতা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-কিছু মানুষের জন্য দেশের ক্ষতি গ্রহণযোগ্য নয়।
২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল, (বাংলা নববর্ষ-১৪২২)- প্রথম আলো : ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা বলেন-সরকার নামানোর কথা বলার জোর কোমরে আর হবে না।
২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-০৫-০১-২০১৫ তারিখ থেকে ০৫-০৪-২০১৫ তারিখ পর্যন্ত মোট ৯১(একানব্বই)দিন অবরোধ ও হরতালে বিএনপি ১৫৭(একশত সাতান্ন) জনকে পেট্্েরাল বোমায় মেরেছে।
২০১৫ সালের ১৮ মে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন যে-দেশে ২০১৮ সালের মধ্যে আর কোন গরীব লোক থাকবে না। আমি মো: জাকির হুসেন(আলমগীর) বলছি যে আগামী ২০১৮ সালে দেশে আরো গরীব মানুষের সংখ্যা বাড়বে এবং দেশের সমস্য বাড়বে। কিছু মানুষের উন্নয়ন হবে ঠিকই কিন্তু সমগ্র মানুষের অবস্থা আরো রসাতলে যাবে। আবুল মাল মুহিত ২০০৯ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে বলেছিল যে-দেশে ৫২(বায়ান্ন) লক্ষ ফকির আছে-আমি তাদের জন্য কিছু করতে হবে মানে তাদেরকে কাজ দিতে হবে-আমার প্রশ্ন ৫২ লক্ষ ফকিরকে কাজ দিতে পারে নাই বা চেষ্টাও করে নাই।
২০১৫ সালের ২২ মে, প্রথম আলো : এফবিসিসিআইয়ের সংবর্ধনা-২০১৮ সালে দেশে অতিদরিদ্র মানুষ থাববে না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৫ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো : বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করেছে বিএনপি-জামায়াতের কর্মকান্ড : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৫ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো : দেশ এখন ধর্ষণের রঙ্গমঞ্চ। জাতীয় সংসদ-বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনায় বিমানমন্ত্রী-রাশেদ খান মেনন-গতকাল বৃহস্পতিবার(২৫-০৬-২০১৫ তারিখ)।
২০১৫ সালের ১০ জুলাই, প্রথম আলো : দুর্নীতি না থাকলে জিডিপি ২-৩ শতাংশ বাড়ত। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ওপর আলোচনায়-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১৫ সালের ১০ জুলাই, প্রথম আলো : ‘এতদিন ধরে যা বলছি অর্থমন্ত্রী স্বীকার করলেন’- ট্রান্সপারেন্সি ইন্টান্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর, প্রথম আলো : বিদেশি হত্যায় বিএনপি ও জামায়াতের মদদ আছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে রাজনৈতিক সংকট নেই। বিদেশি রাষ্ট্রনায়কেরাও সরকারের বৈধতা কিংবা নির্বাচনের বিষয়ে প্রশ্ন করেননি। এতই যদি রাজনৈতিক সংকট থাকত, তাহলে বাংলাদেশ এলডিসির নেতৃত্ব কীভাবে পেল?
২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর, প্রথম আলো : খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-বিদেশে বসে বিদেশিদের হত্যা করে ষড়যন্ত্র করছেন।
২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর, প্রথম আলো : কলকাতার জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর মোমের প্রতিমূর্তি। মাদার ওয়াক্স মিউজিয়াম-এ বঙ্গবন্ধুর মোমের প্রতিমূর্তি।
২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় খালেদা জিয়া গুপ্তহত্যায় নেমেছেন ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৮৮ সালের ২২ মার্চ, জিয়া পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শে কবীর মুরাদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘জিয়া পরিষদ’।
১৯৯১ সালের ১৯ মার্চ, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার শপথ।
১৯৯২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনুসূত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতির রক্ষাকরে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের এক্যবদ্ধ করে অপসংস্কৃতি মুক্ত স্বনির্ভর দেশ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক আবুল হাশেম রানা প্রতিষ্ঠা করেন ‘‘জিসাস’’।
২০০০ সালের ১৯ মে, বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন-জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ কথার অর্থও ফাঁকিবাজি কথা ছাড়া আর কিছুই নয়। ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সরকার ক্ষমতায় আছে। বাস্তবে কি জনগণের সরকার? তার বিচার জনগণের উপর ছেড়ে দিলাম ভবিষ্যতের জন্য।
২০০১ সালের ৩ জুলাই-দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীগণ বলেন, চলতি ২২তম জাতীয় সংসদ অধিবেশন পর্যন্ত জনগণের নিকট ১,২৪৭টি প্রতিশ্রæতি দেয়া হলেও এ পর্যন্ত ৪১৭টি ব্যতীত বাকি ৮৩০টি বাস্তবায়ন হয়নি।
২০০১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাকের রিপোর্ট ঃ বি.এন.পি.‘র ব্রিফিং-আওয়ামীলীগের ৫ বছরের শাসনামলে ৩৭(সাইত্রিশ) হাজার খুন হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর মামলা হয়েছে-৭০(সত্তর) হাজার এবং গ্রেফতার করেছে-৩০(ত্রিশ) হাজার নিরপরাধ কর্মীকে। একই সময়ে দেশে নারী নির্যতনের ঘটনা ঘটেছে-৩,২৬৩(তিন হাজার দুইশত তেষট্টি)টি, রাজনৈতিক হত্যাকান্ড-১,৫৭১(এক হাজার পাঁচশত একাত্তর)জন, পুলিশ হেফাজতে মারা গিয়েছে-২৮৬(দুইশত ছিয়াশি) জন, বোমা ঘটনায় আহত হয়েছে-৬৪(চৌষট্টি) জন এবং সীমান্ত এলাকায় ৩২৫(তিনশত পঁচিশ) বার সংঘর্ষ হয়েছে।
২০০১ সালের ১০ অক্টোবর, বি.এন.পি., জামায়াত ও আরো দুটি দল মিলে ৪ দলীয় জোট সরকার গঠন করে।
২১-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ মেঘনাঘাট সাইট প্রিপারেশন প্রজেক্ট দুর্নীতি মামলা-৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন পেলেন শেখ হাসিনা। গতকাল জামালপুরের চরগোবিন্দতে জনসভায় বলেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া-গত সরকারের দেয়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার করতে যৌথ অভিযান। ব্যাংকে বেনামীতে কালো টাকা রাখার বিধান বাতিল হচ্ছে।
২৩-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বাড়িতে সেনা অভিযান ঃ শেখ সেলিম আটক। আমু, কিবরিয়া, জলিল, হানিফের গৃহে তল্লাশী। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলণে সেনাবাহিনীর প্রতি বক্তব্য রাখছেন শেখ হাসিনা, নিজস্ব বিবেচনায় সন্ত্রাস দমনে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপালন করুন। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী ভবনে বিভিন্ন পত্রিকার স¤পাদকগণের সাথে মতবিনিময় করেন-উপজেলা পদ্ধতির উত্তম বিকল্প খোঁজা হতে পারে। সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছেঃ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইউএনবি ও বাসস)।
২৪-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ এবার দুইশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বোর্ডের পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত-রেজানুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ একনেকের বৈঠকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এডিবির প্রকল্পে বিদেশী পরামর্শক নিষিদ্ধ করার চিন্তা-ভাবনা।
২৯-১০-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ক্ষমতার বাইরে থেকে সকলে বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসন চায়, ক্ষমতায় গেলে চায়না-তথ্যমন্ত্রী তরিকুল ইসলাম বলেছেন।
০২-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ ৫ নয়, ১০ নয় বরং ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকবে ৪-দলীয় জোট ঃ ছাত্রদলের দুই যুগ পুর্তি অনুষ্ঠানে-বেগম খালেদা জিয়া বলেন। দেশের গ্যাস পরিস্থিতি নাজুক বিবিয়ানার গ্যাসই কিনতে হবে ঃ পেট্রোবাংলা।
২৭-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারেঃ আমরা এ রাষ্ট্রপতির ভাষণে অংশ নিতে পারিনা ঃ বিরোদলীয় নেত্রী-শেখ হাসিনা।
২৭-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ সরকার এক বছরে ভর্তুকি দিয়েছে ৯০০(নয়শত) কোটি টাকা সারের পুরোটাই পানিতে গেছে ঃ অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান। বাংলাদেশে উৎপাদন ও শ্রমশক্তির আশি ভাগ অবদান ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের।
২৮-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খাদ্য সরবরাহ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে-অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান। আগামী মাসেই বাজেট সংশোধন, গরীবের টাকায় বড়লোকেরা আরো বড়লোক হবে তা’হতে পারে না। ধনী দেশগুলোই তাদের পণ্য কেনার জন্য ঘুষ দিয়ে দুর্নীতির সুযোগ করে দেয়। পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত-শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা দ্রæত পরিশোধ করা হবে।
২০০৩ সালের ১১ ডিসেম্বর, জেনেভায় ইনফরমেশন সোসাইটি শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব ঃ তথ্য প্রযুক্তি প্রসারে বিশেষ তহবিল গঠন করুন।
২০০৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে (কুমিল্লা সংবাদদাতা)-বিরোধী দল মিথ্যে তথ্য দিয়ে দেশের মর্যাদা বিদেশীদের কাছে ভূলুন্ঠিত করছে ঃ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
২০০৪ সালের ১৩ জানুয়ারি, ২১৪ জনের বিরুদ্ধে ৫৪ জন নিয়ে মাঠে নামলে পরিণতি ভাল হবে না ঃ তথ্যমন্ত্রী।
২০০৪ সালের ১৮ জানুয়ারি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৫ হাজার ২৪টি ফ্ল্যাট হচ্ছে ঃ প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন। ৩৪৭,১২,০০,০০০ টাকা ব্যয়ে ৪৮-একর জমির উপর ফ্লাটগুলি নির্মাণ হবে। ৯,০২৪টি ফ্ল্যাট বস্তিবাসীদের জন্য এবং নিম্নবিত্তদের জন্য রাখা হবে ৬ হাজার ফ্ল্যাট। ১০ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট প্রদান সাপেক্ষে ৫-বছরে ২ লক্ষ টাকা প্রদান সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর আবেদনকারী একটি ফ্ল্যাটের মালিক হবার সুযোগ পাবে। এ ফ্ল্যাট তৈরি হয়নি। তাঁর কথাও কাজের মিল নেই।
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি, মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ২২ ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর আলাদা না রাখার সুপারিশ ঃ সরকারী ব্যয় পর্যালোচনা কমিশনের রিপোর্ট পেশ-মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা বর্তমানে ৩৮ থেকে ২২-এ নামিয়ে আনুন।
২০০৪ সালের ২০ জানুয়ারি, মতিঝিলে কারপার্কিং তথা বাণিজ্যিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ঃ নগরীতে আন্ডারগ্রাউন্ড রেলপথ নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা চলছে ঃ প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবনটি ‘সিটি সেন্টার’ হিসাবে পরিচিতি হবে। ভবনের ৯ম তলা পার্কিং ফ্লোরগুলোতে একই সময় প্রায় ৫০০-গাড়ী পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে। ৩৭-তলা বিশিষ্ট কারপাকিং-কাম-বাণিজ্যিক ভবন।
২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ঃ ১৯৯৪ সালেও এক দফা দিয়েছিলেন কিন্তু একদিন আগেও ক্ষমতা ছাড়িনি-বিরোধী দলের প্রতি মান্নান ভূঁইয়া।
২০০৪ সালের ২৯ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে জেলা প্রাশসক সম্মেলনে ভাষণ দেন ঃ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কোন অজুহাত চলবে না-সরকারী আদেশ বাস্তবায়নে অবহেলা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা-ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল, বিটিভি ওয়ার্ল্ড উদ্ভোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল, তথ্য বিবরণী ঃ শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন স্থাপিত এক্স-রে ইউনিটের উদ্ভোধন করে বলেন যে, দেশে অপচয় লুটপাট বন্ধ হলে ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব। তা‘হলে আমার প্রশ্ন হলো-কারা অপচয় এবং লুটপাট করে? তাদের নাম প্রকাশ করুন।
২০০৪ সালের ২৯ এপ্রিল, বাংলাদেশে ৬ হাজার ৪০০শ’ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে-সংসদে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
২০০৪ সালের ৩ মে, ষ্টাফ রিপোর্টার ঃ বিকল্প ধারার আহবায়ক সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী গত শনিবার মে দিবসের এক আলোচনা সবায় বলেছেন, চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ১৬,০০০ হাজার কোটি টাকা স¤প্রতি গায়েব হয়ে গেছে। এর জন্য অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে। এ টাকা গোপনে কে বা কারা নিয়ে গেছে তা জন সম্মুখে প্রকাশ করার দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, এ টাকা দেশের বাহিরে চলে গেছে। অথচ এ টাকা দিয়ে দেশে কমপক্ষে ৩শ’ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়া যেতো এবং ৩ লাখ নতুন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো।
২০০৪ সালের ১৯ মে, এস. এম. আলী আহসান পান্না ঃ আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশ ফেরিমুক্ত হবে এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লালন শাহ সেতু উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন।
২০০৪ সালের ২৮ মে, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশে আইন প্রণেতারাই আইন ভঙ্গকরেন ঃ ইউএনডিপি প্রতিনিধি। লুমেকাররা টেলিফোন বিল দেন না। সংসদে ৭৯-দিন অনুপস্থিত থেকে ৯০-দিনের বেতন নিচ্ছেন। এটা খুবই বিব্রতকর।
২০০৪ সালের ১১ জুন, বাসস ঃ যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, সরকার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত ২২,৩৭৮ কিলোমিটার সুষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে রোড-ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ উদ্দেশ্যে শিগগিরই জাতীয় সংসদে রোড-ফান্ড অথরিটি বিল আনা হবে।
২০০৪ সালের ২৫ জুলাই, বগুরা থেকে মহসিন রাজু ঃ বগুড়ায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে ২৪-০৭-২০০৪ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া,দুশ্চিন্তার কিছু নেই আমরা আপনাদের পাশেই রয়েছি।
২০০৪ সালের ২৬ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ যুবলীগের আলোচনা সভা-জোট সরকার’ ২০০৬ সাল পর্যন্ত টিকে থাকলে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এ কথার অর্থও মিথ্যা প্রমান হবে।
২০০৪ সালের ১ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মনমোহন সিং-এর বৈঠক ঃ নিরাপত্তাসহ দ্বিপক্ষীয় সকল ইস্যু সমাধানে মতৈক্য-বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া ভারত নদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে না। বাসস ঃ গতকাল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সকল বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। এ আলোচনার অর্থও ফাঁকা কথা ছাড়া আর কিছু নয়।
২০০৪ সালের ৪ আগষ্ট, বাসস ঃ রাজধানী ও উপশহর রক্ষায় ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে-ডেমরায় বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ কথার অর্থও মিথ্যা প্রমাণিত হবে।
২০০৪ সালের ৬ আগষ্ট, ইকবাল হাসান নান্টু ঃ দক্ষিণ এশিয়ার সর্বাধুনিক শপিং মল ও বিনোদন কেন্দ্র বসুন্ধরা সিটির উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে ভাষন দেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। নয়নাভিরাম ‘বসুন্ধরা সিটি’র উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, আমাদের সাহসী মানুষ ধ্বংসস্তুপেই ফোটান সৃষ্টির নতুন ফুল।
২০০৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, ‘মওলানা ভাসানী নভোথিয়েটার’ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঃ ১১২(একশত বার) কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিজয় স্মরণীতে এ নভোথিয়েটার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে (২৬-০৯-২০০৪ সালে) ১২শ’টির মতো প্লানেটারিয়াম থাকলেও বাংলাদেশে এ প্রথম।
২০০৪ সালের ২৩ অক্টোবর, ইনকিলাব রিপোর্ট, পিএসসি লঙ্ঘণ ঃ প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ব্যাখ্যা চেয়েছেন-ইউনোকলকে ৬০০ কোটি টাকা ছাড়। দেশের গ্যাস উত্তোলনে বিদেশী কোম্পানীর সাথে উৎপাদন বন্টন চুক্তির(পিএসসি) লঙ্ঘণ ঘটিয়ে এ প্রথমবারের মতো ইউনোকলকে ৪% ট্যারিফ (হুইলিং চার্জ) মাফ করে কমপক্ষে ৬শ’ কোটি টাকা ছাড় দেয়া হচ্ছে।
২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ উপজেলা নির্বাচন করতেই হবে। তত্ত¡াবধায়ক সরকার না মানলে বিএনপি সরকারের অধীনে নির্বাচন-প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মহাখালীতে নির্মিত ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করেছেন। ১,০১১ দশমিক ৮০ মিটার দীর্ঘ ও ১৭ দশমিক ৯ মিটার প্রশস্ত ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০১ সালের ডিসেম্বরে এবং নির্মাণ কাজ শেষ হয় ৪ নভেম্বর ২০০৪ সালে, এতে ব্যয় হয় ১১৩ কোটি টাকা।
২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ জীবনযাত্রার ব্যয় ঃ ২০০৪ সালে বেড়েছে ৭ দশমিক ১০ ভাগ। জীবনযাত্রার ব্যয় ঃ ২০০৩ সালে বেড়েছিল ১০ দশমিক ৪৮ ভাগ। জীবনযাত্রার ব্যয় ঃ ২০০২ সালে বেড়েছিল ৮ দশমিক ৫২ ভাগ ও ৪ দশমিক ৭২ ভাগ। সে হিসাবে গত ৩-বছরে বর্তমান সরকারের আমলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ২৬ দশমিক ১০ ভাগ এবং নিত্যব্যবহার্যো পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা প্রায় ১৩ ভাগ। কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বাজার তথ্য পর্যালোচনা করে এ তথ্য দিয়েছে।
২০০৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে।-সেমিনারে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
২০০৫ সালের ৩ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সদরঘাট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত সাড়ে ২৯ কিলোমিটারব্যাপী প্রথম পর্যায়ের এ নৌপথের উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
২০০৫ সালের ২৪ মার্চ, জাকারিয়া কাজল ঃ দুই যুগে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ২৮৪.৬৯ শতাংশ। এক দশকে আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ।
২০০৫ সালের ১ এপ্রিল, বাসস ঃ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে এবং ২০২০ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্রমুক্ত করার লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার জন্য সমবায়ীসহ সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এ কথাও ফাকা কথা।
২০০৫ সালের ২৬ মে, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ওয়াশিংটনে কংগ্রেশনাল ককাসের শুনানি-বাংলাদেশে সংঘাতের জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমভাবে দায়ী। অনেক উন্নয়ন হলেও দুর্নীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
২০০৫ সালের ১৩ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ ছাত্র রাজনীতি বন্ধের উদ্যোগ-রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হবে।
২০০৫ সালের ৬ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকার সংসদ রিপোর্টার ঃ কোন মন্ত্রণালয়েই ফেরেশতা নেই-আমি প্রত্যেকটি বিভাগের নাম বলতে পারি যেখানে দুর্নীতি হয়-সংসদে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান বলেছেন, রাজস্ব বোর্ডসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি আছে, একথা সত্য।
২০০৫ সালের ৭ জুলাই, সংসদ রিপের্টার ঃ দেশে ৪ হাজারেরও বেশী ডাক্তার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে-প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬শ’ ৮৮ জন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করেছে। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩ হাজার ১শ’ ৭৬টি মেডিকেল অফিসার ও ৩ হাজার ১শ’ ৭৬টি স্বাস্থ্য সহকারীর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে আরো ৪ হাজার ১শ’ ১৭টি মেডিকেল অফিসার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এয়াড়া ২-হাজার নার্স ও ৩-হাজার স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ প্রদান করা হয়। আরো ২-হাজার স্টাফ নার্স-এর পদ সৃষ্টির বিষয় সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
২০০৫ সালের ১১ জুন, বাসসঃ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজারবাগ পুলিশ লাইনে হাইওয়ে পুলিশ ইউনিট উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের মানচিত্রের ওপর টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যস্ত বিস্তৃত হাইওয়ের গুরুত্বপূর্ণ ৭২টি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত বাতি জ্বালিয়ে এ বাহিনীর উদ্বোধন করেন। ২,০৪২ সদস্যের হাইওয়ে পুলিশ সারাদেশের ৭২টি ফাঁড়ির মাধ্যমে কাজ করবে। গত ৫ বছরে দেশের মহাসড়কগুলোতে ২২ হাজার ৩২টি দুর্ঘটনা এবং ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৭টি অপরাধ ঘটনার রেকর্ডের প্রেক্ষাপটে হাইওয়ে পুলিশ গঠন করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ১৯ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ-বাসস ঃ বেইজিংয়ে খালেদা-জিয়াবাও আনুষ্ঠানিক আলোচনা। চীন বাংলাদেশকে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সাহায্য দেবে।
২০০৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-বাসস ঃ স্বাধীনতার ৩৪-বছরেও অগ্রগতি অর্জিত হয়নি-প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ কথা বলার পরও তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল আছেন।
২০০৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ ডিসিসিআই ভিশন ২০২১-এর উদ্বোধন করলেন প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দীন আহমেদ। গভর্নেন্স দুর্নীতি ও অদক্ষতা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এ কথা জেনেও তিনি প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকেন কেন?
২০০৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-নূরুল আলম শাহীন ঃ সরকারবিরোধী প্রশাসনিক মঞ্চ তৈরীর আয়োজন। সাবেক সচিব ও বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া আমলারা উদ্যোক্তা।
২০০৫ সালের ২৮ সপ্টেম্বর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশের ১৪.৩০ কোটি ত্রিশ লাখ মানুষের মধ্যে ২ কোটি মানুষই আবাসন বঞ্চিত। যাদের আবাসন নেই তাদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করাই আমাদের সকলের অঙ্গীকার হওয়া উচিত। এ সমাজে এ কথার অর্থও ফাঁকা।
২০০৫ সালের ৯ অক্টোবর, ভারতের সায় পেলে ভূটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানী করা হবে। ভুটানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৩০(ত্রিশ) হাজার মেগাওয়াট।
২০০৫ সালের ১১ অক্টোবর, ইনকিলাব-জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী-সংবিধান অকার্যকর করার অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেবো। বিরোধী দলের কোন যুক্তিপূর্ণ প্রস্তাব আমরা উপেক্ষা করবো না।
২০০৫ সালের ২১ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দলীয়করণে সরকার বিশ্ব রেকর্ড করেছে-আওয়ামী লীগের গোলটেবিলে আলোচকগণ।
২০০৫ সালের ২৪ নভেম্বর, সংসদ রিপোর্টার ঃ ঢাকায় স্বপ্ল আয়ের মানুষের জন্য ১(এক) লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণের মালয়েশীয় প্রস্তাব রয়েছে।-সংসদে পূর্তমন্ত্রী।
২০০৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর, বিবিসি ঃ দিল্লীতে ১৯৭১-এর বিজয় অনুষ্ঠান ভারতের স্বাধীনতা দিবসকেও ¤øান করেছে। আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ দূতাবাস।
২০০৫ সালের ২২ ডিসেম্বর, বিশেষ সংবাদদাতা ঃ ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না ঃ বোমাবাজি করে সরকার হটানো যাবে না ঃ উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি। মেয়াদ শেষে বর্তমান ব্যবস্থায়ই নির্বাচন।-মহাসমাবেশে খালেদা জিয়া (২১-১২-২০০৫)।
২০০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর, মিজানুর রহমান তোতা-যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বিশাল জনসভায় খালেদা জিয়া ঃ চারদলীয় জোট ভাঙার ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
২০০৬ সালের ৩ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিএমএ’র সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন-শিগগির সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতের ৩১ হাজার ৩১৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভক্ত করবে আরো ৩-হাজার চিকিৎসক নিয়োগ হবে।
২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, সরকারী ব্যয় বৃদ্ধির নেপথ্যে ঃ অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এ হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার মাত্র ৬ মাস পর ৫০ কোটি টাকার কাজের ব্যয় দাঁড়ায় ১২০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলে দেয়া হয় তোমরা কিছু বলো না, পর্দার আড়ালে সবকিছু ঠিক করে দেয়া হয়।
২০০৬ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বি.এন.পি. দুর্নীতির টাকায় ভোট কিনতে চায়-শেখ হাসিনা।
২০০৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, এম আবদুল্লাহ ঃ ৪৩৬ দিন পর সংসদে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ-অধিবেশনের মেয়াদ বাড়তে পারে। নির্বাচনী আইন সংস্কারে সরকার রাজি হলেও তত্ত¡াবধায়ক প্রশ্নে ‘না’।
২০০৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশ ডাকাত সরকারের কবলে পড়েছে-সুপ্রীম কোর্ট বার। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে এমন অথর্ব সরকার আর আসেনি।
২০০৬ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ঃ ৬৪ লাখ অবৈধ ভোটার বাতিলের দাবী। ছাত্রদলের স্মারকলিপি।
২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ অষ্টম জাতীয় সংসদের ১,০৭৯টি প্রতিশ্রæতির মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৩২৬টি। বাস্তবায়ন হয়নি ৭৫৩টি প্রতিশ্রæতি।
২০০৬ সালের ৮ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত ৫ বছরে দেশে ৫,২১৭ জন নারী ধর্ষিত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬১৪ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ৬১ জন নারী ধর্ষণের পর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে যৌতুকের কারণে ১,০০৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ৪২০ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছে। ৫৫ জন এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছে। যৌতুকের কারণে তালাকপ্রাপ্তা হয়েছে ৮ জন। বিশ্বনারী দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত অধিকারের এক রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০০৬ সালের ১৭ মার্চ, দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যানের অভিযোগ ঃ ২০০৪ সালে প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, ১৯৯১ সালে যেখানে দুর্নীতির পরিমাণ ছিল ২৩,১৯৮ কোটি টাকা, সেখানে ২০০৪ সালে তা বেড়ে ৭০ হাজার কোটিতে দাঁড়িয়েছে। ২০০৫ সালে তা বেড়েছে, এটাই স্বাভাবিক।
২০০৬ সালের ১১ এপ্রিল, বাসস ঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কমিটির সদস্যবর্গ এবং বিশিষ্ট ও অভিজ্ঞ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত ছয়টি বিশেষ গ্রæপ গত নয় মাসে ৭৮ পৃষ্ঠার এ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর এম. আসাদুজ্জামান প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছে ২০০৫-২০২৫ মেয়াদে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং হস্তান্তর করেন। মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে ঃ প্রধানমন্ত্রী-খালেদা জিয়া।
২০০৬ সালের ২৫ এপ্রিল, সাজ্জাদ আলম খান ঃ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে ঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী দফতরের নির্দেশনা। ৪-বছরে ৭৬ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সিন্ডিকেট। সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নৈশকালীন বাজার স্থাপনের উদ্যোগ।
২০০৬ সালের ১৬ মে, বাসস ঃ ২১ মে, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি মহাসরণিতে যুক্ত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে সাবমেরিন ক্যাবল সিষ্টেমে যাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি মহাসরণিতে যুক্ত হয়নি ০৬-০২-২০০৯
২০০৬ সালের ২৯ মে, উমর ফারুক আলহাদী ঃ রাজধানীতে ৪০-গ্রæপের ৫ হাজার ক্যাডার সক্রিয়। ভাড়াটিয়া খুনীরা ঘটাচ্ছে একের পর এক হত্যাকান্ড। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জড়িতদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এ সরকারের ব্যর্থতা।
২০০৬ সালের ১ জুন, ফজলুল বারীঃ সরকারী ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি ৪ হাজার কোটি টাকা।
২০০৬ সালের ৯ জুন, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ * থোক বরাদ্দ-৪,৫৪৬ কোটি টাকা * নতুন করারোপ হয়নি *কালো টাকা সাদা করার বিধান অব্যাহত * শুল্ক নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন * সামাজিক বেষ্টনীতে বরাদ্দ বৃদ্ধি। নির্বাচনী বাজেটে থোক বরাদ্দের মহোৎসব।
২০০৬ সালের ২৮ জুন, বর্তমান সংসদের ৫৮% সদস্যই ব্যবসায়ী ঃ টিআইবি। কালো টাকার মালিকরা মনোনয়ন কিনে সংসদ-সদস্য হচ্ছেন।
২০০৬ সালের ২৯ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ হরতাল বন্ধে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় চুক্তি করতে বি.এন.পি.-আওয়ামী লীগের ঐকমত্য। আগামী তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় চুক্তি করতে ঐকমত্য পোষণ করেছেন বি.এন.পি.-আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা। এরা হচ্ছেন, বি.এন.পি. মহাসচিব এল.জি.আর.ডি. মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও বিরোধী দলীয় উপনেতা সাবেক স্পীকার এডভোকেট আবদুল হামিদ।
২০০৬ সালের ৫ জুলাই, চার দলীয় জোটের নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি আজতক বাস্তবায়িত হয়নি। ইশতেহারে অঙ্গীকার করেও এখনো বাস্তবায়িত হয়নি এমন প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে (১) দুর্নীতির মলোৎপাটন, (২) পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপানের মাধ্যমে সঙ্কট নিরসন, (৩) বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ, (৪) ন্যায়পাল নিয়োগ, (৫) প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ, (৬) রেডিও-টেলিভিশন স্বায়ত্তশাসন, (৭) গঙ্গার পানি চুক্তি পুর্নঃমূল্যায়ন, (৮) সীমান্ত সমস্যার সমাধান, (৯) উপজেলা ও জেলা পরিষদ গঠন, (১০) ঢাকায় বাইপাস, সার্কুলার রেল ও মনোরেল চালূ করে যানজট নিরসন, (১১) বন্ধ শিল্প-কারখানা আধুনিকায়ন করে চালু, (১২) নিরক্ষরতা দূর, (১৩) সকল বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ, (১৪) বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের অনুদান একশ’ ভাগে উন্নীতকরণ, (১৫) ইউনিয়ন পর্যায়ে দু’জন করে এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ, (১৬) কৃষকদের সময়মতো পর্যাপ্ত সার, বীজ, সেচ ও কীটনাশক সরবরাহ, (১৭) শ্রমিকদের মজুরি কমিশন ও ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ এবং (১৮) বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল। এ অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।
২০০৬ সালের ২০ জুলাই, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় বলেছে যে-বাংলাদেশে ২৩৭টি ওষুধ কোম্পানী আছে।
২০০৬ সালের ২৭ জুলাই, সাজ্জাদ আলম খান ঃ নির্বাচনে ৩০-হাজার কোটি কালো টাকা ব্যয় হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ওপর বিশ্বব্যাংকের চাপ। গত ০১-১০-২০০১ সালের নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। এবার ৩-গুণ ব্যবহার বাড়বে।
২০০৬ সালের ৭ আগষ্ট, বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ-গত ৫(পাঁচ) বছরে সাফল্যের সব রেকর্ড অতিক্রম। সিপিডি মিথ্যাবাদী ও ষড়যন্ত্রকারী ঃ বিওআই চেয়ারম্যান। স্বাধীনতার পর ২৮ বছরে যেখানে বাংলাদেশে সর্বমোট ৮৭ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে-সেখানে ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মাত্র ৫ বছরেই সর্বমোট ১৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে এবং আগামী ৫ বছরে সাড়ে ১০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৭৫ হাজার কোটি টাকার বিদেশী বিনিয়োগ আসবে এবং ২০১৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম সারির ধনী দেশে উন্নীত হবে। ২০১৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ থেকে মধ্যম সারির ধনী দেশে উন্নীত হবে না।
২০০৬ সালের ৯ আগষ্ট, নূরুল আলম শাহঃ আমলাদের বিদেশ সফরে এক হাজার ৪শ’ ৩৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার এক দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প নিয়েছে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়। জাতীয় প্রয়োজনে ভোটার তালিকা তৈরীর জন্য টাকা নেই, বেতনের মাত্র শতকরা ১০ ভাগ দিতে না পারায় দেশের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এক মাস রাস্তায় কাটিয়েছেন, প্রায় সারাদেশের দেড় কোটি স্কুল-কলেজ ছাত্র-ছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ থেকেছে। ঠিক এমনি অবস্থায় সরকারের বিভিন্ন শ্রেণীর আমলাদের দেশে-বিদেশে ‘ট্রেনিং ও ভ্রমণের’ জন্য-১,৪৩৩(এক হাজার চারিশত তেত্রিশ কোটি) টাকা আছে।
২০০৬ সালের ২৬ আগষ্ট, সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ দুর্নীতির দায়ে বাতিল সার কারখানা উদ্বোধনে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। জাতীয় ক্ষতি দুই হাজার কোটি টাকা।
২০০৬ সালের ২৭ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ কিছু রাজনীতিক ও আমলার মদদে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট। শীর্ষস্থানীয় ১শ’ সিন্ডিকেট সদস্যকে ক্রসফায়ারে পাঠানোর দাবী।
২০০৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর, সাজ্জাদ আলম খান-দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ। প্রতিটি বাজার এলাকায় নাগরিক কমিটি হচ্ছে। আড়তদারি ও মজুদদারির মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি অপরাধ মসজিদের ইমামগণ খুতবায় এ তথ্য প্রচার করবেন। এ কথার অর্থও ফাকা।
২০০৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য কমাতে দফায় দফায় আশ্বাস তামাশায় পর্যবসিত। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। মানুষ দিশেহারা পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে সিন্ডিকেটের নয়া কারসাজি।
২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর কে. এন. উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন এবং জনসভার পূর্বে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিতাস নদীর ওপর ২১৭ মিটার দীর্ঘ বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সেতুর উদ্বোধন করেন।
২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর, মাসুদুজ্জামান রবিন ঃ জোট সরকারের ৫-বছর। বাড়িভাড়া বেড়েছে ৯৫ শতাংশ। ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন কেতাবে আছে প্রয়োগ নেই।
২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিদায়ী বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছিল ১৩ ভাগ। গত ২০০৫ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছিল ৯.৭৭ ভাগ।
২০০৭ সালের ৬ জুন, ইনকিলাব-২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ ২৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০০৭ সালের ১৯ জুন, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ ১৯৮৪ সালের দিকে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে পরিচয় করিয়ে দেন। ১৯৮৬ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি খালেদা জিয়ার দেহরক্ষী নিযুক্ত হন। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বেগম খালেদা জিয়া নিজ ইচ্ছায় ফালুকে তাঁর একান্ত সচিব নিযুক্ত করেন। একান্ত সচিব হওয়ার কারণে ফালুর ভাগ্যের চাকা দ্রুত ঘুরতে থাকে। খালেদা জিয়া দলের যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তাঁর মতামত চাইতেন। এ কারণে দলের অনেক সিনিয়র নেতা তাকে সমীহ করতেন। মির্জা আব্বাসের হাত ধরেই ভাগ্য বদলের পালা শুরু হয় ফালুর।
২০০৭ সালের ২১ জুন, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ ফালু আরো জানালেন, ব্যাংক ঋণ ও ব্যবসার বিষয়ে জলিলসহ আরো আওয়ামী লীগ নেতার সাথে যোগাযোগ ছিল। নানাভাবে নেয়া চাঁদার টাকার ভাগ দিতে হত তারেক-কোকোকে।
২০০৭ সালের ২২ জুন, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ অধিকাংশ অর্থ পাচার করা হয়েছে কানাডা, সউদি আরব, মালয়েশিয়া ও আমেরিকায়। কোকোর আত্মীয়-স্বজনদের নামে গড়া হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক একাউন্ট ও ফ্ল্যাট। জোট সরকারের ৫ বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের বর্ণনা দিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব মোসাদ্দেক আলী ফালু।
২০০৭ সালের ২৪ জুন, বিএনপিতে সংস্কারপন্থীদের সংশয়-খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন। বেগম জিয়ার সা¤প্রতিক উদ্ধৃতি-‘দলে পরিবার তন্ত্র নেই, আমার কাছের ও চারপাশের লোকজন কোনো দুনীর্তি করেনি, আমি সংস্কারের পক্ষে এবং নিজেই কিছু সংস্কার প্রস্তাব তৈরী করেছি’-ইত্যাদিকে অসংলগ্ন কথাবার্তা হিসেবে উল্লেখ করেন সংস্কারপন্থী নেতারা।
২০০৭ সালের ২৪ জুন, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ দেশের বাইরে বিনিয়োগের পরামর্শ দিতেন খালেদা জিয়া।
২০০৭ সালের ৬ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ব্যাংক একাউন্ট জব্দকৃতরা মাসে ৫০ হাজার টাকা উঠাতে পারবেন। অতিরিক্ত অর্থের জন্য সিআইসিতে আবেদন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।
২০০৮ সালের ২২ নভেম্বর, প্রথম আলো-২১ নভেম্বর, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এটিএন বাংলার সৌজন্যে। দুই নেত্রীর দেখা হলো কথা হলো। হাসিনা-খালেদার হাস্যোজ্জ্বল ছবি আবার দেখা যাবে তো?
২০০৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই আসে না ঃ খালেদা।
২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি-দেশ পরিচালনার সুযোগ দিন। পল্টন ময়দানে বিশাল জনসমাবেশে খালেদা জিয়া।
২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৭২ আসনের ২২০টি কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনেছে বিএনপি। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে খালেদার অসন্তোষ।
২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ প্রহসনের নির্বাচন বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয় ঃ খালেদা জিয়া।
২০০৯ সালের ৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ খালেদা জিয়ার সংবাদ ব্রিফিং-সাধারণ ক্ষমা প্রত্যাহার ও সমঝোতাকারীদের ভূমিকা তদন্তের দাবি।
২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচন দেশকে আরও গভীর সংকটে ফেলেছে ঃ খালেদা।
২০০৯ সালের ৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ‘একই ব্যক্তির নামে একাধিক বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া প্রচলিত আইনের পরিপন্থী’। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের ৯-বিঘার ওপর বাড়িটির সরকারি ইজারা বাতিল করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ খালেদা জিয়াকে ১৫ দিনের মধ্যে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ। সেনানিবাসে রাজনীতি করাসহ ইজারা বাতিলের পাঁচ কারণ উল্লেখ।
২০০৯ সালের ৮ মে, প্রথম আলো ঃ খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়তে আবার নোটিশ। সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসন দপ্তর ১৫ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছে। বাড়িটি এ-১ শ্রেণীভুক্ত। সেনানিবাস ভূমি প্রশাসন আইন অনুযায়ী এ সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়া আইনবিরোধী।
২০০৯ সালের ৫ জুন, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী ক্ষমতা নিয়েই (১৬-১০-২০০১ তারিখ) বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমানের নামে মালিকানাধীন ড্যান্ডি ডায়িংয়ের নামে ১২ কোটি ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ১১৯ টাকা সুদ মওকুফ করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের আওতা থেকে মুক্ত করা হয়।
২০০৯ সালের ৬ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগপত্র খালেদা, তারেকসহ আসামি ৬ জন।
২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ সংসদ অকার্যকর, প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছে দুই দলই। বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে আছে, ৩০ কার্যদিবসের বেশি সংসদে অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট সাংসদের সদস্যপদ শূন্য হবে।
২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ আজ ১৬ বছর পর বিএনপির ৫ম কাউন্সিল। দুই হাজার ৬২২ জন কাউন্সিলর, ১২ হাজার ডেলিগেট, দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথি মিলিয়ে মহা আয়োজন। কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ নেতারা উৎকণ্ঠায়।
২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ব্যয়ের তথ্য। গত ২৯-১২-২০০৮ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করেছে বিএনপি।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিএনপি-জামায়াতের ‘কালো দিবস’ পালন। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির (এক-এগারোর) পটপরিবর্তনের জন্য দায়ীদের বিচার দাবী।
২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ প্রধানমন্ত্রী ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে এসেছেন। সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া।
২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ‘জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক’ এমন তথ্যসংবলিত সব বই-প্রকাশনা নিষিদ্ধ।
২০১০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জয়ের আওয়ামী লীগে যোগদানকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। খালেদার জন্য এসএসএফ দাবি।
২০১০ সালের ৬ মে, প্রথম আলো ঃ রাজশাহীর মহাসমাবেশে কর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া। হরতাল দিলে সফল করতে পারবেন তো?
২০১০ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ নতুন নির্বাচন দাবি খালেদার। পল্টন ময়দানে মহাসমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা। ৯ জুন ঢাকায় গণ-অবস্থান। ১৭ জুন সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ। ২৭ জুন সারা দেশে সকাল-সন্ধা হরতাল।
২০১০ সালের ১৯ জুন, প্রথম আলো ঃ বিএনপির চট্টগ্রাম জয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০১০। মনজুর আলম ভোট পেয়েছেন-৪,৭৯,১৪৫ এবং এ.বি. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী থেকে বেশি ভোট পেয়ে ৯৫,৫২৮ নির্বাচিত। ৪১ কাউন্সিলরের মধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্ধিত ২০ জন ও বিএনপি সমর্থিত ১৭ জন। কখনো ভাবিনি মেয়র হব ঃ মনজুর আলম।
২০১০ সালের ১০ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ গণমিছিল কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া-সরকার আবার গোলামি চুক্তি করেছে ভারতের সঙ্গে।
২০১০ সালের ৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া-জনসভায় ট্রানজিট ও ভারতের সঙ্গে করা ঋণচুক্তির সমালোচনা। দেশের বুকের ওপর দিয়ে বিদেশি গাড়ি চলবে না।
২০১০ সালের ১৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৬ মঈনুল রোডের বাড়িটি ছাড়তে হলো খালেদাকে। হাইকোর্টের রায়ের পর ১৩ নভেম্বর, সামরিক ভূসম্পত্তি কর্তৃপক্ষ বাড়িটির দখল বুঝে নিয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর এক দিন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ, ১৬ গাড়িতে আগুন, ৩০ গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের লাঠিপেটা, ২১ জন আটক, হরতালের ডাক, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ-উৎকন্ঠা।
২০১০ সালের ১৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে কেঁদে ফেলেন খালেদা জিয়া। ছবি ঃ প্রথম আলো। সংবাদ ব্রিফিং ঃ ‘আমি অপমানিত, লাঞ্ছিত ও লজ্জিত বোধ করছি।
২০১০ সালের ১৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ হরতালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। ভাঙচুর ও আগুন ৩০ গাড়ি। সারা দেশে আটক ২৮৬ জন। সারা দেশে আহত ১৮০ জন। হরতাল সফল বিএনপি। হরতাল প্রত্যাখ্যাত আওয়ামী লীগ।
২০১১ সালের ২০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ এরপর রোডমার্চ গ্রাম থেকে ঢাকায় আসবে ঃ বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া।
২০১১ সালের ২০ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ পাটগ্রাম আর চাঁপাই থেকে-চাঁপাইয়ে বিশাল সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া-আরেকটি যুদ্ধ চাই।
২০১১ সালের ২৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ তানবীর সোহাগ ও তৌহিদী হাসান, কুষ্টিয়া থেকে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ-দেশপ্রেমিক আওয়ামী লীগ নেতাদের দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন এবং বলেছেন আওয়ামী লীগ ছেড়ে আসুন, যোগ্য পদ দেব বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, আমাদের সময় ঃ গুম হত্যার সঙ্গে সরকারই সরাসরি জড়িতঃ বিএনপি। গত ৩ বছরে গুপ্ত হত্যা হয়েছে ৪০টি।
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। লিখিত বক্তব্যে ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ বিএনপির। যুদ্ধপরাধীদের বিচার করা যাবে না, এটা বলা হয়নি।
২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সরকার সবই তলে তলে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছে-বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাতকারে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া।
২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সরকার সবকিছু ভিন দেশের হাতে তুলে দিচ্ছে।। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। বিএনপি’র সংবর্ধনায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের ট্রেনিং কাজে লাগানোর আহবান।
২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজধানীতে গত রোববার চোরাগোপ্তা হামলা, ককটেলের বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১১টি মামলা করেছে পুলিশ সাত হাজারের বেশি আসামি। আসামিদের মধ্যে ১৩০ জনের সুনির্দিষ্ট নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই বিএনপির নেতা-কর্মী। বাকি আসামিরা অজ্ঞাতনামা। আর মতিঝিলে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত যুবকের বাবা একটি হত্যা মামলা করেছেন।
২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ভৈরব সেতু নির্মাণ-খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি দুদক।
২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ তত্ত¡াবধায়ক ছাড়া নির্বাচন মানি না। খালেদা জিয়া। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোড মার্চে পথে পথে বড় বড় সমাবেশ।। মধ্যরাতে চট্টগ্রাম উপস্থিত।
২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ হাসিনার বিচার চাই-চট্টগ্রামের মহাসমাবেশে খালেদা জিয়ার ঘোষণা-অতীতের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাই।
২০১২ সালের ৩ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার সংবাদ-খালেদা জিয়া ১২ মার্চ, সিরিজ কর্মসূচী ঘোষণা দেবেন-যদিও কর্মসূচী চুড়ান্ত হয়নি এখনও, চলছে মহাসমাবেশের ব্যাপক প্র¯ত্ততি।
২০১২ সালের ১৩ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ আওয়ামী লীগ ৪২ বছরে আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না-কাপাসিয়ার জনসভায় খালেদা জিয়া।
২০১২ সালের ২১ মে, প্রথম আলো ঃ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতিতে জড়িত বিচার হবে ঃ বিরোদীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
২০১২ সালের ৬ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সাংবাদিকদের ইফতার পার্টি। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র ঃ খালেদা জিয়া।
২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ সরকার ইমার্জেন্সি দিলে কাল হবে-পল্টনের জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া।
২০১৩ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলোঃ নয়পল্টনের সমাবেশে খালেদা জিয়া-‘গণহত্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী, বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে।
২০১৩ সালের ১৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ আন্দোলন করলে আরও কিছু প্রাণহানি হবে-মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে বিএনপির জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া। খুনি সরকারের সঙ্গে কথা বলে কোনো লাভ হবে না। এই সরকারের পতন ছাড়া কোনো সমস্যার সমাধান হবে না।
২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর, প্রখম আলো : সেবার ঢাকা পারেনি এবার পারবে-নীলফামারীর জনসভায় খালেদা জিয়া।
২০১৫ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো : ইফতার অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া-যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, সুইস ব্যাংকের টাকা তাঁদের।
২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর, প্রথম আলো : ২১ হাজার মামলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিএনপি। খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয় ১৫৮ জন নেতার বিরুদ্ধে থাকা ৪ হাজার ৩৩১ মামলা। ২রা আগষ্ট, ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্রীয়সহ সারা দেশে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২১ হাজার ৬৮০টি মামলা হয়েছে। এতে আসামির সংখ্যা-৪ লাখ ৩ হাজার ৮৭৮ জন।
২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন। ৩ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ। গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে ৩৬টি। এর ১০টিই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে।