১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, চট্টগ্রাম কালুরঘাটস্থিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল, মেহেরপুরে (মুজিব নগরে) বাংলাদেশের স্বাধীনতা সনদ ঘোষিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল শহীদ হন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। মুজিবনগরকে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী করা হয়।
১৯৭১ সলের ১৭ এপ্রিল, কুষ্টিয়া জেলার মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে প্রথম বিপ্লবী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ শপথ গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের ১১টি সেক্টর ঃ

ক্রমিক সেক্টর দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার এলাকা

১. ১নং সেক্টর মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন), মেজর রফিক(জুন-ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ফেনী নদী পর্যন্ত।
২. ২নং সেক্টর মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর), মেজর এটিএম হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) নেয়াখালী, কুমিল্লা, আখাউড়া-ভৈরব এবং ঢাকা জেলার ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।

৩. ৩নং সেক্টর মেজর শফিউল্লা(এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, মেজর নুরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্ব দিকে কুমিল্লা জেলার অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ।

৪. ৪নং সেক্টর মেজর সি. আর. দত্ত সিলেটের পূর্বঞ্চাল, খোয়াই- সায়েস্তাগঞ্জ, রেললাইন থেকে পূর্ব-উত্তর দিকে সিলেট-ডাউকি সড়ক।
৫. ৫নং সেক্টর মেজর মীর শওকত আলী সিলেটের পশ্চিম এলাকা, সিলেট-ডাউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ, এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
৬. ৬নং সেক্টর উইং কমান্ডার আবুল বাশার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অঞ্চল ব্যতীত সমগ্র রংপুর জেলা ও ঠাকুরগাঁও।
৭. ৭নং সেক্টর মেজর কাজী নুরুজ্জামান সমগ্র রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও ছাড়া দিনাজপুরের অবশিষ্ট অংশ এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকা ব্যতীত সমগ্র বগুড়া ও পাবনা জেলা।

৮. ৮নং সেক্টর মেজর আর ওসমান চৌধুরী (এপ্রিল-আগষ্ট) মেজর এম.এ. মঞ্জুর (আগষ্ট-ডিসেম্বর) সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা, ফরিদপুরের অংশবিশেষ এবং দৌলতপুর-সাতক্ষিরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলার এলাকা।
৯. ৯নং সেক্টর মেজর আব্দুল জলিল (এপ্রিল-ডিসেম্বর) মেজর এম.এ. মঞ্জুর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাতক্ষীরা-দৌলতপুর সড়কসহ খুলনা জেলার সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল এবং বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা।
১০. ১০নং সেক্টর মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নৌ-কমান্ডারগণ অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্র উপকুলীয় অঞ্চল-চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর।
১১. ১১নং সেক্টর মেজর আবু তাহের (এপ্রিল-৩ নভেম্বর) ফ্লাইট লে.এম. হামিদুল্লা (৩ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) কিশোরগঞ্জ ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ।
১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল, প্রবাসে প্রথম বাঙালি বিদ্রোহী দল (১) আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী (২) বদিউল আলম (৩) আহসানউল্লাহ (৪) আবদুল রকিব মিয়া (৫) আবিদুর রহমান (৬) মোঃ রহমতউল্লাহ (৭) সৈয়দ মোশাররফ হোসেন ও (৮) আমিনউল্লাহ শেখ। এ আটজন ফরাসি থেকে পাকিস্তানি ডিজেল ইলেকট্রিক চালিত সাবমেরিন ১৯৭১। এ আটজনের বিদ্রোহী দলটি ফরাসি থেকে পালিয়ে বোম্বে আসার বিমানটিতে উঠে বোম্বে বিমানবন্দরের মাটিতে পা রাখে। তাঁদের মধ্যে আবদুল রকিব মিয়া শত্রæর জাহাজে মাইন লাগাতে যেয়ে মারা যান অক্টোবরে। পরবর্তীতে গড়ে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের নৌকমান্ডোর দল।
১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল, সখীপুর উপজেলার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন, সা’দত কলেজের তিনজন ও সখীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের চারজন ছাত্র প্রথম মুক্তিবাহিনী গঠন করে যুদ্ধে জাঁপিয়ে পড়েন।
১৯৭১ সালের ২০ মে, পূর্ব-পাকিস্তানের অফিস-আদালতের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে যোগদানের নির্দেশ।
১৯৭১ সালের ২৫ মে, মুজিবনগর থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান স¯প্রচার শুরু।
১৯৭১ সালে পাক বাহিনী মওলানা ভাসানীর সন্তোষের বাড়ি পুড়িয়ে দিলে তিনি একটি নৌকা করে নদীপথে ভারতে চলে গেলেন।
১৯৭১ সালের ১ জুন, প্রবাসী সরকার ও ১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ৮-সদস্যবিশিষ্ট ‘সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটি’ গঠন করে।
১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই, প্রশাসনের সুবিধার্থে মুজিবনগর সরকার সমগ্র দেশকে ৯টি অঞ্চলে ভাগ করে।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থনে নিউইয়র্ক শহরে ‘দি কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৩ আগস্ট, নওগাঁর সীমান্তবর্তী ধামইরহাট উপজেলার কুলফৎপুর গ্রামে পাকিস্তানি হানাদারের তান্ডবে নিরীহ ১৪ কৃষক হত্যা দিবস।
১৯৭১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, কিশোগঞ্জের নিকলী উপজেলার কেন্দ্রীয় শ্মশানঘাটে পালিত হলো গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঐদিন ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। নিকলী শহীদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে গতকাল ৪৪ বছর পর ২১-০৯-২০১৫ তারিখ সকাল আটটার দিকে সোইয়জনী নদীর পাড়ে শ্মশানঘাটের শহীদ স্মৃতি নামফলককে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, ভারতের নাগাল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকা ডিমাপুর। উঁচু পাহাড়ঘেরা এ জায়গায় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ব্যবহৃত একটি রানওয়ে পড়ে ছিল। তিন দিকে পাহাড়ঘেরা দুর্গম এই নির্জন জায়গায় জড়ো হয়েছিলেন বাংলাদেশের কিছু মুক্তিপাগল মানুষ। এ রানওয়েতে দাঁড়িয়ে সেদিন তাঁরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি বিমানবাহিনীর। ভারত থেকে উপহার পাওয়া তিনটি বিমান। তিনটি বিমানের একটি ছিল ডাকোটা বিমান (ডিসি-৩)। আরেকটি ছিল অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার। ঢাকা-চট্টগ্রামের কয়েকটি ফ্লাইট চালানোর পর একটি ট্রেনিং ফ্লাইটে গিয়ে ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় ডাকোটা বিমানটি। অটার বিমানটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। অ্যালুয়েট হেলিকপ্টারটিকে ডাকোটা বিমানেরই পরিনতি বরণ করতে হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর, বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য সারা বিশ্বের কাছে আবেদন জানান।
১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হল থেকে রসায়ন বিভাগের ছাত্র বর্তমানে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ড. হুমায়ূন আহমেদসহ দু’জন ছাত্রকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর, বিলোনিয়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রথম আত্মসমর্পণ। বিলোনিয়া এলাকাটি ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায়। ওপারে ভারতের ত্রিপুরা। বর্তমানে এটি একটি স্থলবন্দর। ওপারের জায়গাটির নামও বিলোনিয়া। ৫ নভেম্বর এ যুদ্ধ হওয়া কথা ছিল কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ৪ঠা নভেম্বর যুদ্ধ বেধে যায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২০০ জন হতাহত হয়। দুজন অফিসারসহ ৭২ পাকিস্তানি সৈনিক আত্মসমর্পণ করে মুক্তিবাহিনীর কাছে। এ যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর ১৩৭ জনশহীদ হন।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর, এ দিনকে ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালন করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর, মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাত্র দু’সপ্তাহ আগে তৎকালীন ঢাকা জেলার নারায়নগঞ্জ মহকুমার বক্তাবলী পরগনায় পাক হানাদার বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে একদিনে প্রায় ১৩৯(একশত উনচল্লিশ) জন নিরস্ত্র মানুষ প্রাণ হারায়। জ্বালিয়ে দেয় ২২টি গ্রাম।
১৯৭১-এর নভেম্বর মাসে ভারত সরকারের কাছ থেকে শরণার্থী সংক্রান্ত সর্বশেষ হিসাবটি থেকে দেখা যায়, শিবিরে আশ্রিত কিংবা বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের কাছে আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিল এমন মোট ৯৫,৮৭,৮৯৭ জন শরণার্থী ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিল।
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করে।
১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কমান্ড গঠন করে ‘মিত্র বাহিনী’ নাম রাখা হয়।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর, স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭ম নৌ-বহর পাকিস্তানের পক্ষে বে-অফ-বেঙ্গলে পাঠানোর জন্য তৈরী হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আলবদর বাহিনী তাদের নীলনকশা অনুযায়ী অগণিত বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। শহীদ হন এ দেশের বুদ্ধিজীবীরা। তাই এদিনটিকে প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, সারাদেশে বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয় ঃ (১) শিক্ষক-৯৯১ জন, (২) সাংবাদিক-১৩ জন, (৩) চিকিৎসক-৪৯ জন, (৪) আইনজীবী-৪২ জন এবং (৫) লেখক-১৬ জন। (আমাদের সময় পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ১৫-১২-২০১০ তারিখ)।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, মহানন্দা নদীর চরে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর শহীদ হন।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা করার স্থান তথা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করতে সারা দেশে ১৭৬টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত (০৮-১০-২০১০ তারিখ)। ২০১৩ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। এ তারিখে জেনারেল নিয়াজি ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে ‘রেসকোর্স ময়দানে’ জেনারেল অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। (পরিসংখ্যানে মুক্তিযুদ্ধ ঃ মুক্তিবাহিনীর সদস্য এক লাখ ৭৫ হাজার, ভারতীয় বাহিনীর সদস্য দুই লাখ ৫০ হাজার, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ৯০ হাজার-পাকিস্তানী আধা-সামরিক বাহিনী-দুই লাখ ৫০ হাজার। মৃত্যু ও ক্ষতি ঃ বাংলাদেশি যোদ্ধা-৩০ হাজার, বাংলাদেশি নিরস্ত্র মানুষ-৩০ লাখ, ভারতীয় সৈনিক-(পত্রিকায় দেয়া আছে ১,৪২৫ জন) হবে ১১ হাজার ৪২৫, পাকিস্তানি সৈনিক-৮ হাজার, যুদ্ধবন্দী-পাকিস্তানি সৈনিক ও নাগরিক মোট ৯১ হাজার। শরণার্তী-ভারতে গমন প্রায় এক কোটি, ফেরত-৯০ লাখ (ভারতের দাবি)। তথ্যসূত্র ঃ বাংলাপিডিয়া ও উইকিপিডিয়া।
১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ।
১৯৭২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালে সরকার মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে। এ সময় তাদের ২২টি লাভজনক প্রতিষ্ঠান দেয়া হয়েছিল। পরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২টিতে। ১৯৭২ থেকে ২৮-১২-২০১০ তারিখ পর্যন্ত ৩৯ বছরে ৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চালু আছে তিনটি। এর মধ্যে লাভজনক একটি।
১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই, মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল আবু তাহেরের ফাঁসি কার্যকর।
২০০৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর, ঠাকুরগাঁও থেকে জেলা সংবাদদাতা ঃ স্বাধীনতার ৩৪-বছর পর শুক্রবার সকালে ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবসের দিন ঠাকুরগাঁওয়ের একজন মুক্তিযোদ্ধার শরীরের মেরুদন্ডে পাকসেনার একটি বুলেটের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে।
২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল, সংসদ রিপোর্টার ঃ মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরীতে জাতীয় কমিটি এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৯ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম অনুমোদন।
২০০৬ সালের ৮ মে, সংসদ রিপের্টার ঃ দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ৩-লাখ ৮২ হাজার ৭৭০ জন। এমধ্যে ১ লাখ ৯৩ হাজারের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। বাকি ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৭০ জনের গেজেট প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। মোট মুক্তিযোদ্ধারদের মধ্যে ৭০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা দেয়া হচ্ছে।
২০০৮ সালের ২৯ মার্চ, সাংবাদিকদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক লে. জেনারেল জে. এফ. আর. জ্যাকব বলেছেন, জেনারেল নিয়াজির ঘোর আপত্তি সত্তে¡ও ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বাংলাদেশে সফররত জ্যাকব স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতের ১০ জেনারেলের একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ১৯৭১ সালে ‘আত্মসমর্পণের দলিল’-এর খসড়া তৈরি করেন এবং বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত তৎকালীন ‘রেসকোর্স ময়দানে’ পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
২০০৯ সালের ১৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৪৮ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হচ্ছে। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধদের মাসিক ভাতা ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ভাতা মাসে ১৫০০ টাকা করা হচ্ছে। ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আরও ৫০ হাজার বাড়িয়ে দেড় লাখ করারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলাম ০৩-০৪-২০০৯ তারিখ শুক্রবার মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধে সব স্থানে রাজাকাররা খারাপ কাজ করেনি। আমার গফরগাঁওয়ে আমি যখন ব্রিজ ভাঙি, তখন রাজাকাররা আমাকে সহযোগিতা করেছে। সে ক্ষেত্রে অনেক স্থানে রাজাকাররা যেমন মুক্তিযুদ্ধে দেশবিরোধী কাজে জড়িত ছিল, তেমনি অনেক রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতাও করেছে। আসলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে।
২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলামের নির্দেশে মেহেরপুরের মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে নির্মিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
২০০৯ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ষষ্ঠবারের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হচ্ছে। আগের পাঁচ তালিকায় পাঁচ ধরনের সংখ্যা। জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো তালিকা করা হয়নি। ১৯৮৬ সালে করা জাতীয় তালিকা অনুসারে দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৮৮ সালে মুকিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের করা তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৬৯ হাজার ৮৩৩ জন। বিএনপি সরকারের সময় ১৯৯৪ সালে ভোটারসূচক তালিকা অনুসারে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৮৬ হাজার। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পাঁচ বছর ধরে প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হয় এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার বেড়ে হয় দুই লাখ ১০ হাজার ৫৮১ জন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ. বি. তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময় নোংরা দলীয়করণ হয়েছে। অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে একাত্তরে দেশেই ছিলেন না এমন লোককেও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তালিকাভুক্ত, বঙ্গবন্ধুর সই করা সনদ আছে-এমন ব্যক্তিকেও বিএনপি সরকার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। এ কারণেই এবার নতুন করে তালিকা করার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ক্যাপ্টেন তাজের ওপর সাংসদের বাজ! যেহেতু ওই সময় যুদ্ধটা সামরিক বাহিনীর দ্বারাই পরিচালিত হয়েছে…। ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের হুকুমে …. আরও জোরে হইচই। আমাকে শেষ করতে দেন। কিন্তু তিনি আর শেষ করতে পারেননি। বসে পড়তে হলো মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এ. বি. তাজুল ইসলাম (তরু)। প্রতিমন্ত্রী ফ্লোর নিয়ে তাঁর আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে। এটি ছিল একটি রাজনৈতিক যুদ্ধ।’ দেশে ১৬২ জন নারী মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
২০০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, আমাদের সময় ঃ খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত ১৬১৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সচিবালয়ে ঢোকার অস্থায়ী পাস দেয়া হচ্ছে-খেতাবপ্রাপ্ত-১৪৪ মুক্তিযোদ্ধাও ১৪৭৫ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানাতে তাদেরকে সচিবালয়ে ঢোকার অস্থায়ী পাস দেয়া হচ্ছে।
২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর করা হচ্ছে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২,৬৫৯ জন। এরমধ্যে নিয়মিত চাকরিতে আছেন ২,৫৩৯ জন, আর এলপিআরে আছেন ১২০ জন। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অবঃ এ. বি. তাজুল ইসলাম এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন।
২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত। মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স দুই বছর বাড়ল। মুক্তিযোদ্ধারা ৫৯ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন।
২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মিত্রবাহিনীর সদস্যদের স্মরণে স্মৃতি কমপ্লেক্স গড়ার দাবি। মিত্রবাহিনীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য শহীদ হন। পঙ্গু হয়ে যান আরও ৪,০৮৬ জন।
২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ অবসরের বয়সসীমা বাড়ল মুক্তিযোদ্ধা চাকরিজীবীদের। গণকর্মচারী অবসর আইন সংশোধনী অধ্যাদেশ জারি ১৪ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সুবিধা পাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে এলপিআরে আছেন এমন ৮৩৪ জন কর্মকর্তাও এই সুবিধা পাবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের প্রত্যায়নপত্র নিতে হবে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে। মুক্তিযোদ্ধা চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা হবে ৫৯ বছর।
২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত? এ পর্যন্ত পাঁচটি তালিকা হয়েছে। জোট আমলের তালিকায় দুই লাখ নাম। এখন যাচাই-বাছাই চলছে। আরও ৫৫ হাজার আবেদন পড়েছে। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, এ রকম অন্তত ৬০ হাজার নামের ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে।
২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর, আমাদের সময় পত্রিকার সংবাদ ঃ দেশে ৬২ হাজার ৫শত ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া গেছে ঃ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলাম।
২০১০ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা-জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী এ.বি.তাজুল ইসলাম জানান, গেজেট অনুযায়ী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ২৯৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। আর মন্ত্রণালয়ের গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধারসংখ্যা এক লাখ ৮৯ হাজার ৮৯৯ জন, মুক্তিবার্তা অনুযায়ী এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৪৬ হাজার ৭২৬ জন।
২০১০ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন উপজেলাওয়ারি রাজাকারদের নাম তালিকা করে টাঙানো হবে।
২০১০ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ ভারতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের নথিপত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
২০১০ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো ঃ ভোটার তালিকা ঃ নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, মুক্তিবার্তার তালিকা বা গেজেট যাঁদের নাম আছে, তারা সবাই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। দুই তালিকা মিলিয়ে মোট ভোটারসংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার ৩৫৫ জন। ২২-০৭-২০১০ তারিখ আমাদের সময় ঃ গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯০৫ জন। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ১ লাখ ২৫ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এক হাজার পাঁচশত টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়েছে। আর ২০১০-২০১১ অর্থবছরে এ ভাতার পরিমাণ প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা এবং সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে।
২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১৫-০৯-২০১০ তারিখ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলামের কাছ থেকে প্রয়াত শেখ কামাল ও শেখ জামালের বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দুই ভাইয়ের মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সাংসদ ফজলে নূর তাপস তাঁর বাবা শেখ ফজলুল হক মনির এবং শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল তাঁর বাবা শেখ আবু নাসেরের মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেন। তাঁদের মৃত্যুর ৩৫ বছর ১ মাস পর এ সনদ গ্রহণ করেন।
২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী। মুক্তিযোদ্ধাদের সচ্ছলতা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাভোগীদের সংখ্যা এক লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ করা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। যুদ্ধাহত ও মুক্তিযোদ্ধা সাত হাজার ৮৩৮টি পরিবারের সদস্যদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য পরিত্যক্ত বাড়ি দেয়া হচ্ছে। চাকরি ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ২০০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সারা দেশে এসব স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত। মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল এক লাখ ৫৪ হাজারের কিছু বেশি। জোট সরকারের আমলে গঠিত জাতীয় কমিটির অনুমোদিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৫৮১ জন।
২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর, দৈনিক আমাদের সময় ঃ আমাকে বেঁধে যুদ্ধাপরাধীরা আমার বোনকে ধর্ষণ করে-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী-নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একাত্তরে যুদ্ধাপরাধীরা আমাকে বেঁধে আমার সামনে আমার বোনকে ধর্ষণ করেছিল। তাই আমিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রার্থী। বর্তমান সরকারও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রæত করতে বদ্ধপরিকর। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গতকাল (৩০-১২-২০১১ তারিখ) প্রজন্ম একাত্তর আয়োজিত ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ. বি. এম. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
২০১২ সালের ২৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ শহীদ যোদ্ধাদের ৫৭১টি কবর সংরক্ষণ হচ্ছে।
২০১২ সালের ২৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ২,৯৪৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ভাতা দেওয়ার দাবি।
২০১২ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ. বি. তাজুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা গেজেট আকারে সরকারের কাছে সংরক্ষিত আছে। কিন্তু রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। খুলনায় রাজাকারদের যে সদর ছিল, সেখান থেকে পাওয়া তালিকা থেকে ৩০ হাজারের বেশি রাজাকার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যভান্ডার উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এক লাখ ৭৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম ওয়েবসাইটে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে এক লাখ ৭৬ হাজার ৪৩ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করতে যাচ্ছে। এই তথ্যভান্ডার (ডেটাবেইস) উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। মহা বিজয় দিবসের আগে বা পরে যেকোনো দিন এটি উদ্বোধন করা হবে।
২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিজয়ের মাসে হরতালকারীরা দেশদ্রোহী ঃ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন(অব.) এ.বি. তাজুল ইসলাস বলেছেন, যারা বিজয়ের মাসে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দেয়; তারা দেশদ্রোহী। তাঁরা মুক্তযুদ্ধের বিজয়ে বিশ্বাস করে না। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করে বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জনকের হত্যার দিন একজন নেত্রী জন্মদিন পালন করেন এবং বিজয় দিবসে হরতালের কর্মসূচি দেন।
২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সরকার পরিবর্তন হলেই বেড়ে যায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা! স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা দুই লাখ চার হাজার ৮০০ জন। নতুন আবেদন আছে আরও এক লাখ ৪০ হাজার।
২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, চূড়ান্ত তালিকা এপ্রিলে। সরকার এক লাখ ৭৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধার খসড়া তালিকার ডেটাবেইস তৈরি করেছে। এ তালিকা আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত সংশোধন করা যাবে। এপ্রিল মাসে চূড়ান্ত ডেটাবেইস প্রকাশ করা হবে।
২০১৩ সালের ১২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ অনেক পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৭০ হাজার, ৮০ হাজার, এক লাখ ২০ হাজার, দেড় লাখ বলে উল্লেখ করা হয়। এ পর্যন্ত দুই লাখ চার হাজার ৮০০ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। আর এক লাখ ৪০ হাজার জন তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন। নতুন আবেদনের বেশির ভাগই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। যাচাই-বাচাই করলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা তিন লাখের মধ্যে থাকবে।
২০১৪ সালের ৯ মে, প্রথম আলো ঃ ক্রেস্টের স্বর্ণের ১২ আনাই মিছে! সাবেক প্রতিমন্ত্রী দুই সচিবসহ ১৩ জন দায়ী। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন। দুই সরবরাহকারীর একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলামের ভাগনে। তিনি সরবরাহ করেছেন ৬০টি ক্রেস্ট।
২০১৪ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ। মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা স্মারক হিসেবে ৩৪৪টি ক্রেস্টে স্বর্ণ ও রুপা না দিয়ে মোট সাত কোটি তিন লাখ ৪৬ হাজার ২৮০ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। সম্মাননা ক্রেস্টের কাঠেও জালিয়াতি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রি এ.বি. তাজুল ইসলাম, সাবেক সচিব মিজানুর রহমান এবং বর্তমান সচিব কে.এইচ. মাসুদ সিদ্দিককে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।
২০১৪ সালের ২৮ মে, প্রথম আলো ঃ তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হচ্ছে।
২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : চার সচিবের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের নথিতে সই। আরও ২৩৬৭ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল।

১৯৭১ সাল থেকে এ যাবত যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঃ
ক্রমিক নাম মেয়াদকাল

১. জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী(কমান্ডার ইন-চীফ)১৯৭১-১৯৭২
২. কর্ণেল এম. এ. রব ১৯৭১ সালের জুলাই-এপ্রিল, ১৯৭২
৩. মেজর জেনারেল সফিউল্লাহ এপ্রিল, ১৯৭২-আগস্ট, ১৯৭৫
৪. লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান আগস্ট, ১৯৭৫-নভেম্বর, ১৯৭৫
৫. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫-৭ নভেম্বর, ১৯৭৫
৬. লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর, ১৯৭৫-ডিসেম্বর, ১৯৭৮
৭. লে. জেনারেল এইচ.এম. এরশাদ ডিসেম্বর, ১৯৭৮-অক্টোবর, ১৯৮৬
৮. লে. জেনারেল আতিকুর রহমান ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬-নভেম্বর, ১৯৯০
৯. লে. জেনারেল নূর উদ্দিন খান নভেম্বর, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪
১০. লে. জেনারেল আবু সালেহ মুহাম্মদ নাসিম ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬
১১. লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান ১৯৯৬ থেকে ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৭
১২. জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৭-২৪ ডিসেম্বর,২০০০
১৩. লে. জেনারেল হারুণ-উর-রশিদ ২৪ ডিসেম্বর,২০০০-১৬ জুন, ২০০২
১৪. লে. জেনারেল হাসান মশহুদ চৌধুরী ১৬ জুন, ২০০২-১৫ জুন, ২০০৫
১৫. জেনারেল মউন উ আহমেদ ১৫ জুন, ২০০৫-১৫ জুন, ২০০৯
১৬. জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন চৌধুরী ১৫ জুন, ২০০৯-২৫ জুন, ২০১২
১৭. জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া ২৬-০৬-২০১২ থেকে ২৫-০৬-২০১৫
১৮. জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ২৫-০৬-২০১৫ থেকে
২০০৫ সালের ১১ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন মেজর জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে স্থাপিত বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী থেকে কমিশন প্রাপ্ত প্রথম কর্মকর্তা হিসাবে তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের পদ অলংকৃত করেছেন। যেদিন করবেন সেদিন থেকে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতিও পাচ্ছেন। এ যাবত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যে ক’জন সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়েছেন তাদের সকলেই ছিলেন পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমী-কাকুল থেকে পাক সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। জেনারেল মইনের নিয়োগ নিঃসন্দেহে সেই ধারাবাহিকতার অবসান ঘটিয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী’র যুগ। বলা যায় বিএমএ থেকে কমিশন প্রাপ্ত সকল অফিসারের জন্যই এটি একটি বড় ঘটনা।

১৯৭১ সালে সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জেরায় মাহবুবউদ্দিন।
১৯৭১ সালের ১৫ মে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়।
২০০৯ সালের ৭ মে, প্রথম আলো ঃ হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ-৬৬ ‘রাজাকারের’ বিরুদ্ধে মামলা।
২০০৯ সালের ১২ মে, প্রথম আলো ঃ ‘যুদ্ধাপরাধী’ ঘোষণার দাবিতে মামলা। গোলাম আযম, নিজামী, সাকা চৌধুরীসহ ৩৬ জনকে আগামী ২০ জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের ১২ মে, প্রথম আলো ঃ একাত্তরে হত্যাহজ্ঞের অভিযোগ-সাত জেলায় ১১৬ ‘রাজাকারের’ বিরুদ্ধে মামলা।
২০০৯ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ একাত্তরে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ-নাটোর, বাগেরহাট ও কিশোরগঞ্জে ৩৯ ‘রাজাকারের’ বিরুদ্ধে মামলা।
২০১০ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু। স্বাধীনতার ৩৯তম বার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ। ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল ও তদন্ত সংস্থা গঠন।
২০১০ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বেশির ভাগ জামায়াতের, দুজন বিএনপির। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রাথমিকভাবে ২৫ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটিকে সহায়তা করতেই মাসখানেক ধরে গোয়েন্দারা ওই সন্দেহভাজনদের অপরাধের ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছেন।
২০১০ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার। তথ্য-উপাত্ত পেশ, তালিকায় নিজামী মুজাহিদ, সাকাসহ ১৭৭৫ জন।
২০১০ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ মানবতাবিরোধী অপরাধ। তদন্ত কার্যক্রম শুরু চুকনগর থেকে। ডুমুরিয়া-উপজেলা (খুলনা) প্রতিনিধি।
২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে এর কার্যক্রম অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ট্রাইব্যুনালের ঐতিহাসিক আদেশ-গোলাম আযম গ্রেফতার।
২০১২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর, পর্যন্ত এই অধ্যাদেশ বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ৩৭,৪৭১ জনকে। মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল ২,৮৪৮ জনের। দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছিল ৭৫২ জন।

১৯৭২ সালের ৫ জানুয়ারি, বাংলাদেশ বিমানের যাত্রা শুরু হয় এবং প্রথম আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ঢাকা-চট্টগ্রাম।
১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ বিমান সংস্থা গঠিত হয় এবং বাংলাদেম বিমানের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করে। ১৯৭৩ সালে ৮টি বিমান ছিল, ২০০৭ সালে বিমানের সংখ্যা হলো ১০টি।
১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, ব্রিটেনসহ দশটি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদান করে।
১৯৭২ সালের ৫ মার্চ, বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হয় ঢাকা-লন্ডন-ঢাকা।
১৯৯৭ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থার যাত্রী বহন শুরু।
২০০১ সালের ৩ জুন, অর্থনীতি সমিতির বাজেট সেমিনারের বক্তব্য ঃ মিগ কেনা না হলে ২০ শতাংশ ফসল বেশি উৎপাদন করা যেত।
২০০৪ সালের ১০ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ আকাশে শ্বাসরুদ্ধকর ২৭ মিনিট-জংলী বিড়ালের আক্রমণে পাইলট আহত=ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা। বাংলাদেশ বিমানের ইতিহাসে তো নয়ই, বিশ্বের কোথাও এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। গতকাল ০৯-০৩-২০০৪ তারিখ(মঙ্গলবার) সকাল ৯টা ২৪-মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে ৮৫ জন যাত্রী নিয়ে।
২০০৪ সালের ৯ অক্টোবর, এ.টি.এম. হায়দার/সিরাজুল ইসলাম ঃ সিলেটে এফ-২৮ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে খালে-৮২ জন যাত্রীর সবাই কম-বেশী আহত।
২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, উমর ফারুক আলহাদী ঃ ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানের জন্য ১৩টি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব চূড়ান্ত-কোটি কোটি টাকা লুটপাটের আয়োজন।
২০০৬ সালের ১৪ অক্টোবর, উমর ফারুক আলহাদী ঃ জোট সরকারের ৫ বছর। বিমানে লুটপাট ঃ লোকসান আড়াই হাজার কোটি টাকা। মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে পাওনা ৫৪ কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ১৬ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক-বিমানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রয়। আটটি নতুন উড়োজাহাজ কিনতে বোয়িংয়ের সঙ্গে সমঝোতা সই। আটটি উড়োজাহাজের মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইধার এবং চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ সিরিজের। এর চারটি ২০১৩ সালে এবং চারটি ২০১৭ সালে বিমানবহরে যুক্ত হবে। মূল্য ৮,৮৫৫ কোটি টাকায় এ উড়োজাহাজ কেনা হবে।
২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে বিমানে ১২৮ কোটি টাকার অনিয়ম।
২০০৯ সালের ৭ মে, প্রথম আলো ঃ সংসদীয় কমিটির সভার তথ্য-৩৮ বছরে বিমানের লোকসান ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ৯ অক্টোবর, সংসদীয় উপকমিটির সভায় তথ্য ঃ উড়োজাহাজ কেনা ও মেরামতের নামে ১৭ বছরে ৭০০ কোটি টাকা অপচয় হয়।
২০১০ সালের ১৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বোয়িংয়ের তথ্য ঃ ২০২৯ সালের মধ্যে বিশ্বে ৪০ হাজার বিমান দরকার হবে।
২০১২ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ হাবিবুর মোল্লার জবাবে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, বিগত ৪০ বছরের মধ্যে বিমান ১৭ বছর লাভ করেছে, লোকসান দিয়েছে ২৩ বছর।

পুলিশের আইজিবৃন্দের নাম ও কার্যকাল ঃ
ক্রমিক নাম মেয়াদকাল
১. এম. এ. খালেক ১৬.১২.১৯৭১-২৩.,০৪.১৯৭৩
২. এ. রহিম ২৩.০৪.১৯৭৩-৩১.১২.১৯৭৩
৩. এ. এইচ. নুরুল ইসলাম ৩১.১২.১৯৭৩-২১.১১.১৯৭৫
৪. হুসাইন আহমেদ ২১.১২.১৯৭৫-২৬.০৮.১৯৭৮
৫. এ.বি.এম.জি. কিবরিয়া ২৬.০৮.১৯৭৮-০৭.০২.১৯৮২
৬. এম.এম. আর. খান ০৮.০২.১৯৮২-৩১.০১.১৯৮৪
৭. ই.এ. চৌধুরী ০১০.০২.১৯৮২-৩০.১২.১৯৮৫
৮. মোঃ হাবিবুর রহমান ৩০.১২.১৯৮৫-০৯.০১.১৯৮৬
৯. এ. আর. খন্দকার ০৯.০১.১৯৮৬-২৮.০২.১৯৯০
১০. তৈয়ব উদ্দিন আহমদ ২৮.০২.১৯৯০-২৮.০২.১৯৯১
১১. এ. এম. চৌধুরী ২৮.০২.১৯৯১-২০.০৭.১৯৯১
১২. তৈয়ব উদ্দিন আহমদ ২০.০৭.১৯৯১-১৬.১০.১৯৯১
১৩. এম. এনামুল হক ১৬.১০.১৯৯১-০৮.০৭.১৯৯২
১৪. এ.এস.এম. শাহজাহান ০৮.০৭.১৯৯২-২২.০৪.১৯৯৬
১৫. মোঃ আজিজুর রহমান ২২.০৪.১৯৯৬-১২.১১.১৯৯৭
১৬. ইসমাইল হোসেন ১৩.১১.১৯৯৭-২৭.০১.১৯৯৮
১৭. এ. ওয়াই. বি. আই. সিদ্দিকী ২৭.০১.১৯৯৮-০৬.০৬.২০০০
১৮. মুহাম্মদ নুরুল হুদা ০৭.০৬.২০০০-০৫.১১.২০০১
১৯. মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী ০৫.১১.২০০১-২২.০৪.২০০৪
২০. শহুদুল হক ২২.০৪.২০০৪-১৫.১২.২০০৪
২১. মোঃ আশরাফুল হুদা ১৫.১২.২০০৪-০৭.০৪.২০০৫
২২. মোঃ হাদিস যউদ্দিন ০৭.০৪.২০০৫-০৭.০৫.২০০৫
২৩. আবদুল কাইয়ুম ০৭.০৫.২০০৫-০৫.০৭.২০০৫
২৪. আনোয়ারুল ইকবাল ০৬.০৭.২০০৫-০২.১১.২০০৬
২৫. মোহাম্মদ খোদা বকস চৌধুরী ০২.১১.২০০৬-৩০.০১.২০০৭
২৬. নূর মোহাম্মদ ৩০.০১.২০০৭-০১.১০.২০১০
২৭. হাসান মাহমুদ খন্দকার ০১.১০.২০১০-৩১-১২-২০১৪
২৮. এ. কে. এম. শহীদুল হক ৩১-১২-২০১৫-বর্তমান

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসমুহের নাম ঃ

১. আ. ন. ম. হামিদুল্লাহ ১৮.০১.১৯৭২-১৭.১১.১৯৭৪
২. এ. কে. এম. আহমেদ ১৮.১১.১৯৭৪-১৩.০৭.১৯৭৬
৩. এম. নুরুল ইসলাম ১৪.০৭.১৯৭৬-১২.০৪.১৯৮৭
৪. শেগুফতা বখত চৌধুরী ১৩.০৪.১৯৮৭-১৯.১২.১৯৯২
৫. মোঃ খোরশেদ আলম ২০.১২.১৯৯২-২০.১১.১৯৯৬
৬. লুৎফর রহমান সরকার ২১.১১.১৯৯৬-০৯.১১.১৯৯৮
৭. ড. ফরাসউদ্দীন ২২.১১.১৯৯৮-নভেম্বর, ২০০১
৮. ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ নভেম্বর, ২০০১-৩০.০৪.২০০৫
৯. ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ০২.০৫.২০০৫-৩০.০৪.২০০৯
১০. ড. আতিউর রহমান ০১.০৫.২০০৯-১৫-০৩-২০১৬
১১. মোঃ ফজলে কবির(সাবেক সচিব) ২০-০৩-২০১৬ তারিখ থেকে

 

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, চট্টগ্রাম কালুরঘাটস্থিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল, মেহেরপুরে (মুজিব নগরে) বাংলাদেশের স্বাধীনতা সনদ ঘোষিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল শহীদ হন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। মুজিবনগরকে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী করা হয়।
১৯৭১ সলের ১৭ এপ্রিল, কুষ্টিয়া জেলার মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে প্রথম বিপ্লবী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ শপথ গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের ১১টি সেক্টর ঃ

ক্রমিক সেক্টর দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার এলাকা

১. ১নং সেক্টর মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন), মেজর রফিক(জুন-ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ফেনী নদী পর্যন্ত।
২. ২নং সেক্টর মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর), মেজর এটিএম হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) নেয়াখালী, কুমিল্লা, আখাউড়া-ভৈরব এবং ঢাকা জেলার ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।

৩. ৩নং সেক্টর মেজর শফিউল্লা(এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, মেজর নুরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্ব দিকে কুমিল্লা জেলার অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ।

৪. ৪নং সেক্টর মেজর সি. আর. দত্ত সিলেটের পূর্বঞ্চাল, খোয়াই- সায়েস্তাগঞ্জ, রেললাইন থেকে পূর্ব-উত্তর দিকে সিলেট-ডাউকি সড়ক।
৫. ৫নং সেক্টর মেজর মীর শওকত আলী সিলেটের পশ্চিম এলাকা, সিলেট-ডাউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ, এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
৬. ৬নং সেক্টর উইং কমান্ডার আবুল বাশার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অঞ্চল ব্যতীত সমগ্র রংপুর জেলা ও ঠাকুরগাঁও।
৭. ৭নং সেক্টর মেজর কাজী নুরুজ্জামান সমগ্র রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও ছাড়া দিনাজপুরের অবশিষ্ট অংশ এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকা ব্যতীত সমগ্র বগুড়া ও পাবনা জেলা।

৮. ৮নং সেক্টর মেজর আর ওসমান চৌধুরী (এপ্রিল-আগষ্ট) মেজর এম.এ. মঞ্জুর (আগষ্ট-ডিসেম্বর) সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা, ফরিদপুরের অংশবিশেষ এবং দৌলতপুর-সাতক্ষিরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলার এলাকা।
৯. ৯নং সেক্টর মেজর আব্দুল জলিল (এপ্রিল-ডিসেম্বর) মেজর এম.এ. মঞ্জুর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাতক্ষীরা-দৌলতপুর সড়কসহ খুলনা জেলার সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল এবং বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা।
১০. ১০নং সেক্টর মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নৌ-কমান্ডারগণ অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্র উপকুলীয় অঞ্চল-চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর।
১১. ১১নং সেক্টর মেজর আবু তাহের (এপ্রিল-৩ নভেম্বর) ফ্লাইট লে.এম. হামিদুল্লা (৩ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) কিশোরগঞ্জ ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ।
১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল, প্রবাসে প্রথম বাঙালি বিদ্রোহী দল (১) আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী (২) বদিউল আলম (৩) আহসানউল্লাহ (৪) আবদুল রকিব মিয়া (৫) আবিদুর রহমান (৬) মোঃ রহমতউল্লাহ (৭) সৈয়দ মোশাররফ হোসেন ও (৮) আমিনউল্লাহ শেখ। এ আটজন ফরাসি থেকে পাকিস্তানি ডিজেল ইলেকট্রিক চালিত সাবমেরিন ১৯৭১। এ আটজনের বিদ্রোহী দলটি ফরাসি থেকে পালিয়ে বোম্বে আসার বিমানটিতে উঠে বোম্বে বিমানবন্দরের মাটিতে পা রাখে। তাঁদের মধ্যে আবদুল রকিব মিয়া শত্রæর জাহাজে মাইন লাগাতে যেয়ে মারা যান অক্টোবরে। পরবর্তীতে গড়ে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের নৌকমান্ডোর দল।
১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল, সখীপুর উপজেলার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন, সা’দত কলেজের তিনজন ও সখীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের চারজন ছাত্র প্রথম মুক্তিবাহিনী গঠন করে যুদ্ধে জাঁপিয়ে পড়েন।
১৯৭১ সালের ২০ মে, পূর্ব-পাকিস্তানের অফিস-আদালতের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে যোগদানের নির্দেশ।
১৯৭১ সালের ২৫ মে, মুজিবনগর থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান স¯প্রচার শুরু।
১৯৭১ সালে পাক বাহিনী মওলানা ভাসানীর সন্তোষের বাড়ি পুড়িয়ে দিলে তিনি একটি নৌকা করে নদীপথে ভারতে চলে গেলেন।
১৯৭১ সালের ১ জুন, প্রবাসী সরকার ও ১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ৮-সদস্যবিশিষ্ট ‘সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটি’ গঠন করে।
১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই, প্রশাসনের সুবিধার্থে মুজিবনগর সরকার সমগ্র দেশকে ৯টি অঞ্চলে ভাগ করে।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থনে নিউইয়র্ক শহরে ‘দি কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৩ আগস্ট, নওগাঁর সীমান্তবর্তী ধামইরহাট উপজেলার কুলফৎপুর গ্রামে পাকিস্তানি হানাদারের তান্ডবে নিরীহ ১৪ কৃষক হত্যা দিবস।
১৯৭১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, কিশোগঞ্জের নিকলী উপজেলার কেন্দ্রীয় শ্মশানঘাটে পালিত হলো গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঐদিন ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। নিকলী শহীদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে গতকাল ৪৪ বছর পর ২১-০৯-২০১৫ তারিখ সকাল আটটার দিকে সোইয়জনী নদীর পাড়ে শ্মশানঘাটের শহীদ স্মৃতি নামফলককে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, ভারতের নাগাল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকা ডিমাপুর। উঁচু পাহাড়ঘেরা এ জায়গায় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ব্যবহৃত একটি রানওয়ে পড়ে ছিল। তিন দিকে পাহাড়ঘেরা দুর্গম এই নির্জন জায়গায় জড়ো হয়েছিলেন বাংলাদেশের কিছু মুক্তিপাগল মানুষ। এ রানওয়েতে দাঁড়িয়ে সেদিন তাঁরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি বিমানবাহিনীর। ভারত থেকে উপহার পাওয়া তিনটি বিমান। তিনটি বিমানের একটি ছিল ডাকোটা বিমান (ডিসি-৩)। আরেকটি ছিল অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার। ঢাকা-চট্টগ্রামের কয়েকটি ফ্লাইট চালানোর পর একটি ট্রেনিং ফ্লাইটে গিয়ে ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় ডাকোটা বিমানটি। অটার বিমানটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। অ্যালুয়েট হেলিকপ্টারটিকে ডাকোটা বিমানেরই পরিনতি বরণ করতে হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর, বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য সারা বিশ্বের কাছে আবেদন জানান।
১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হল থেকে রসায়ন বিভাগের ছাত্র বর্তমানে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ড. হুমায়ূন আহমেদসহ দু’জন ছাত্রকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর, বিলোনিয়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রথম আত্মসমর্পণ। বিলোনিয়া এলাকাটি ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায়। ওপারে ভারতের ত্রিপুরা। বর্তমানে এটি একটি স্থলবন্দর। ওপারের জায়গাটির নামও বিলোনিয়া। ৫ নভেম্বর এ যুদ্ধ হওয়া কথা ছিল কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ৪ঠা নভেম্বর যুদ্ধ বেধে যায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২০০ জন হতাহত হয়। দুজন অফিসারসহ ৭২ পাকিস্তানি সৈনিক আত্মসমর্পণ করে মুক্তিবাহিনীর কাছে। এ যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর ১৩৭ জনশহীদ হন।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর, এ দিনকে ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালন করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর, মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাত্র দু’সপ্তাহ আগে তৎকালীন ঢাকা জেলার নারায়নগঞ্জ মহকুমার বক্তাবলী পরগনায় পাক হানাদার বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে একদিনে প্রায় ১৩৯(একশত উনচল্লিশ) জন নিরস্ত্র মানুষ প্রাণ হারায়। জ্বালিয়ে দেয় ২২টি গ্রাম।
১৯৭১-এর নভেম্বর মাসে ভারত সরকারের কাছ থেকে শরণার্থী সংক্রান্ত সর্বশেষ হিসাবটি থেকে দেখা যায়, শিবিরে আশ্রিত কিংবা বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের কাছে আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিল এমন মোট ৯৫,৮৭,৮৯৭ জন শরণার্থী ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিল।
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করে।
১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কমান্ড গঠন করে ‘মিত্র বাহিনী’ নাম রাখা হয়।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর, স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭ম নৌ-বহর পাকিস্তানের পক্ষে বে-অফ-বেঙ্গলে পাঠানোর জন্য তৈরী হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আলবদর বাহিনী তাদের নীলনকশা অনুযায়ী অগণিত বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। শহীদ হন এ দেশের বুদ্ধিজীবীরা। তাই এদিনটিকে প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, সারাদেশে বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয় ঃ (১) শিক্ষক-৯৯১ জন, (২) সাংবাদিক-১৩ জন, (৩) চিকিৎসক-৪৯ জন, (৪) আইনজীবী-৪২ জন এবং (৫) লেখক-১৬ জন। (আমাদের সময় পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ১৫-১২-২০১০ তারিখ)।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, মহানন্দা নদীর চরে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর শহীদ হন।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা করার স্থান তথা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করতে সারা দেশে ১৭৬টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত (০৮-১০-২০১০ তারিখ)। ২০১৩ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। এ তারিখে জেনারেল নিয়াজি ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে ‘রেসকোর্স ময়দানে’ জেনারেল অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। (পরিসংখ্যানে মুক্তিযুদ্ধ ঃ মুক্তিবাহিনীর সদস্য এক লাখ ৭৫ হাজার, ভারতীয় বাহিনীর সদস্য দুই লাখ ৫০ হাজার, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ৯০ হাজার-পাকিস্তানী আধা-সামরিক বাহিনী-দুই লাখ ৫০ হাজার। মৃত্যু ও ক্ষতি ঃ বাংলাদেশি যোদ্ধা-৩০ হাজার, বাংলাদেশি নিরস্ত্র মানুষ-৩০ লাখ, ভারতীয় সৈনিক-(পত্রিকায় দেয়া আছে ১,৪২৫ জন) হবে ১১ হাজার ৪২৫, পাকিস্তানি সৈনিক-৮ হাজার, যুদ্ধবন্দী-পাকিস্তানি সৈনিক ও নাগরিক মোট ৯১ হাজার। শরণার্তী-ভারতে গমন প্রায় এক কোটি, ফেরত-৯০ লাখ (ভারতের দাবি)। তথ্যসূত্র ঃ বাংলাপিডিয়া ও উইকিপিডিয়া।
১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ।
১৯৭২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালে সরকার মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে। এ সময় তাদের ২২টি লাভজনক প্রতিষ্ঠান দেয়া হয়েছিল। পরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২টিতে। ১৯৭২ থেকে ২৮-১২-২০১০ তারিখ পর্যন্ত ৩৯ বছরে ৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চালু আছে তিনটি। এর মধ্যে লাভজনক একটি।
১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই, মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল আবু তাহেরের ফাঁসি কার্যকর।
২০০৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর, ঠাকুরগাঁও থেকে জেলা সংবাদদাতা ঃ স্বাধীনতার ৩৪-বছর পর শুক্রবার সকালে ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবসের দিন ঠাকুরগাঁওয়ের একজন মুক্তিযোদ্ধার শরীরের মেরুদন্ডে পাকসেনার একটি বুলেটের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে।
২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল, সংসদ রিপোর্টার ঃ মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরীতে জাতীয় কমিটি এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৯ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম অনুমোদন।
২০০৬ সালের ৮ মে, সংসদ রিপের্টার ঃ দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ৩-লাখ ৮২ হাজার ৭৭০ জন। এমধ্যে ১ লাখ ৯৩ হাজারের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। বাকি ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৭০ জনের গেজেট প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। মোট মুক্তিযোদ্ধারদের মধ্যে ৭০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা দেয়া হচ্ছে।
২০০৮ সালের ২৯ মার্চ, সাংবাদিকদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক লে. জেনারেল জে. এফ. আর. জ্যাকব বলেছেন, জেনারেল নিয়াজির ঘোর আপত্তি সত্তে¡ও ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বাংলাদেশে সফররত জ্যাকব স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতের ১০ জেনারেলের একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ১৯৭১ সালে ‘আত্মসমর্পণের দলিল’-এর খসড়া তৈরি করেন এবং বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত তৎকালীন ‘রেসকোর্স ময়দানে’ পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
২০০৯ সালের ১৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৪৮ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হচ্ছে। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধদের মাসিক ভাতা ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ভাতা মাসে ১৫০০ টাকা করা হচ্ছে। ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আরও ৫০ হাজার বাড়িয়ে দেড় লাখ করারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলাম ০৩-০৪-২০০৯ তারিখ শুক্রবার মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধে সব স্থানে রাজাকাররা খারাপ কাজ করেনি। আমার গফরগাঁওয়ে আমি যখন ব্রিজ ভাঙি, তখন রাজাকাররা আমাকে সহযোগিতা করেছে। সে ক্ষেত্রে অনেক স্থানে রাজাকাররা যেমন মুক্তিযুদ্ধে দেশবিরোধী কাজে জড়িত ছিল, তেমনি অনেক রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতাও করেছে। আসলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে।
২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলামের নির্দেশে মেহেরপুরের মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে নির্মিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
২০০৯ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ষষ্ঠবারের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হচ্ছে। আগের পাঁচ তালিকায় পাঁচ ধরনের সংখ্যা। জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো তালিকা করা হয়নি। ১৯৮৬ সালে করা জাতীয় তালিকা অনুসারে দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৮৮ সালে মুকিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের করা তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৬৯ হাজার ৮৩৩ জন। বিএনপি সরকারের সময় ১৯৯৪ সালে ভোটারসূচক তালিকা অনুসারে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৮৬ হাজার। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পাঁচ বছর ধরে প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হয় এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার বেড়ে হয় দুই লাখ ১০ হাজার ৫৮১ জন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ. বি. তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময় নোংরা দলীয়করণ হয়েছে। অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে একাত্তরে দেশেই ছিলেন না এমন লোককেও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তালিকাভুক্ত, বঙ্গবন্ধুর সই করা সনদ আছে-এমন ব্যক্তিকেও বিএনপি সরকার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। এ কারণেই এবার নতুন করে তালিকা করার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ক্যাপ্টেন তাজের ওপর সাংসদের বাজ! যেহেতু ওই সময় যুদ্ধটা সামরিক বাহিনীর দ্বারাই পরিচালিত হয়েছে…। ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের হুকুমে …. আরও জোরে হইচই। আমাকে শেষ করতে দেন। কিন্তু তিনি আর শেষ করতে পারেননি। বসে পড়তে হলো মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এ. বি. তাজুল ইসলাম (তরু)। প্রতিমন্ত্রী ফ্লোর নিয়ে তাঁর আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে। এটি ছিল একটি রাজনৈতিক যুদ্ধ।’ দেশে ১৬২ জন নারী মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
২০০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, আমাদের সময় ঃ খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত ১৬১৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সচিবালয়ে ঢোকার অস্থায়ী পাস দেয়া হচ্ছে-খেতাবপ্রাপ্ত-১৪৪ মুক্তিযোদ্ধাও ১৪৭৫ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানাতে তাদেরকে সচিবালয়ে ঢোকার অস্থায়ী পাস দেয়া হচ্ছে।
২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর করা হচ্ছে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২,৬৫৯ জন। এরমধ্যে নিয়মিত চাকরিতে আছেন ২,৫৩৯ জন, আর এলপিআরে আছেন ১২০ জন। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অবঃ এ. বি. তাজুল ইসলাম এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন।
২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত। মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স দুই বছর বাড়ল। মুক্তিযোদ্ধারা ৫৯ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন।
২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মিত্রবাহিনীর সদস্যদের স্মরণে স্মৃতি কমপ্লেক্স গড়ার দাবি। মিত্রবাহিনীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য শহীদ হন। পঙ্গু হয়ে যান আরও ৪,০৮৬ জন।
২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ অবসরের বয়সসীমা বাড়ল মুক্তিযোদ্ধা চাকরিজীবীদের। গণকর্মচারী অবসর আইন সংশোধনী অধ্যাদেশ জারি ১৪ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সুবিধা পাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে এলপিআরে আছেন এমন ৮৩৪ জন কর্মকর্তাও এই সুবিধা পাবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের প্রত্যায়নপত্র নিতে হবে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে। মুক্তিযোদ্ধা চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা হবে ৫৯ বছর।
২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত? এ পর্যন্ত পাঁচটি তালিকা হয়েছে। জোট আমলের তালিকায় দুই লাখ নাম। এখন যাচাই-বাছাই চলছে। আরও ৫৫ হাজার আবেদন পড়েছে। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, এ রকম অন্তত ৬০ হাজার নামের ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে।
২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর, আমাদের সময় পত্রিকার সংবাদ ঃ দেশে ৬২ হাজার ৫শত ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া গেছে ঃ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলাম।
২০১০ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা-জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী এ.বি.তাজুল ইসলাম জানান, গেজেট অনুযায়ী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ২৯৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। আর মন্ত্রণালয়ের গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধারসংখ্যা এক লাখ ৮৯ হাজার ৮৯৯ জন, মুক্তিবার্তা অনুযায়ী এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৪৬ হাজার ৭২৬ জন।
২০১০ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন উপজেলাওয়ারি রাজাকারদের নাম তালিকা করে টাঙানো হবে।
২০১০ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ ভারতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের নথিপত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
২০১০ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো ঃ ভোটার তালিকা ঃ নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, মুক্তিবার্তার তালিকা বা গেজেট যাঁদের নাম আছে, তারা সবাই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। দুই তালিকা মিলিয়ে মোট ভোটারসংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার ৩৫৫ জন। ২২-০৭-২০১০ তারিখ আমাদের সময় ঃ গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯০৫ জন। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ১ লাখ ২৫ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এক হাজার পাঁচশত টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়েছে। আর ২০১০-২০১১ অর্থবছরে এ ভাতার পরিমাণ প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা এবং সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে।
২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১৫-০৯-২০১০ তারিখ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ. বি. তাজুল ইসলামের কাছ থেকে প্রয়াত শেখ কামাল ও শেখ জামালের বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দুই ভাইয়ের মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সাংসদ ফজলে নূর তাপস তাঁর বাবা শেখ ফজলুল হক মনির এবং শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল তাঁর বাবা শেখ আবু নাসেরের মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেন। তাঁদের মৃত্যুর ৩৫ বছর ১ মাস পর এ সনদ গ্রহণ করেন।
২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী। মুক্তিযোদ্ধাদের সচ্ছলতা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাভোগীদের সংখ্যা এক লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ করা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। যুদ্ধাহত ও মুক্তিযোদ্ধা সাত হাজার ৮৩৮টি পরিবারের সদস্যদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য পরিত্যক্ত বাড়ি দেয়া হচ্ছে। চাকরি ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ২০০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সারা দেশে এসব স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত। মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল এক লাখ ৫৪ হাজারের কিছু বেশি। জোট সরকারের আমলে গঠিত জাতীয় কমিটির অনুমোদিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৫৮১ জন।
২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর, দৈনিক আমাদের সময় ঃ আমাকে বেঁধে যুদ্ধাপরাধীরা আমার বোনকে ধর্ষণ করে-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী-নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একাত্তরে যুদ্ধাপরাধীরা আমাকে বেঁধে আমার সামনে আমার বোনকে ধর্ষণ করেছিল। তাই আমিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রার্থী। বর্তমান সরকারও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রæত করতে বদ্ধপরিকর। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গতকাল (৩০-১২-২০১১ তারিখ) প্রজন্ম একাত্তর আয়োজিত ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ. বি. এম. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
২০১২ সালের ২৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ শহীদ যোদ্ধাদের ৫৭১টি কবর সংরক্ষণ হচ্ছে।
২০১২ সালের ২৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ২,৯৪৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ভাতা দেওয়ার দাবি।
২০১২ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ. বি. তাজুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা গেজেট আকারে সরকারের কাছে সংরক্ষিত আছে। কিন্তু রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। খুলনায় রাজাকারদের যে সদর ছিল, সেখান থেকে পাওয়া তালিকা থেকে ৩০ হাজারের বেশি রাজাকার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যভান্ডার উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এক লাখ ৭৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম ওয়েবসাইটে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে এক লাখ ৭৬ হাজার ৪৩ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করতে যাচ্ছে। এই তথ্যভান্ডার (ডেটাবেইস) উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। মহা বিজয় দিবসের আগে বা পরে যেকোনো দিন এটি উদ্বোধন করা হবে।
২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিজয়ের মাসে হরতালকারীরা দেশদ্রোহী ঃ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন(অব.) এ.বি. তাজুল ইসলাস বলেছেন, যারা বিজয়ের মাসে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দেয়; তারা দেশদ্রোহী। তাঁরা মুক্তযুদ্ধের বিজয়ে বিশ্বাস করে না। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করে বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জনকের হত্যার দিন একজন নেত্রী জন্মদিন পালন করেন এবং বিজয় দিবসে হরতালের কর্মসূচি দেন।
২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সরকার পরিবর্তন হলেই বেড়ে যায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা! স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা দুই লাখ চার হাজার ৮০০ জন। নতুন আবেদন আছে আরও এক লাখ ৪০ হাজার।
২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, চূড়ান্ত তালিকা এপ্রিলে। সরকার এক লাখ ৭৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধার খসড়া তালিকার ডেটাবেইস তৈরি করেছে। এ তালিকা আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত সংশোধন করা যাবে। এপ্রিল মাসে চূড়ান্ত ডেটাবেইস প্রকাশ করা হবে।
২০১৩ সালের ১২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ অনেক পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৭০ হাজার, ৮০ হাজার, এক লাখ ২০ হাজার, দেড় লাখ বলে উল্লেখ করা হয়। এ পর্যন্ত দুই লাখ চার হাজার ৮০০ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। আর এক লাখ ৪০ হাজার জন তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন। নতুন আবেদনের বেশির ভাগই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। যাচাই-বাচাই করলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা তিন লাখের মধ্যে থাকবে।
২০১৪ সালের ৯ মে, প্রথম আলো ঃ ক্রেস্টের স্বর্ণের ১২ আনাই মিছে! সাবেক প্রতিমন্ত্রী দুই সচিবসহ ১৩ জন দায়ী। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন। দুই সরবরাহকারীর একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলামের ভাগনে। তিনি সরবরাহ করেছেন ৬০টি ক্রেস্ট।
২০১৪ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ। মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা স্মারক হিসেবে ৩৪৪টি ক্রেস্টে স্বর্ণ ও রুপা না দিয়ে মোট সাত কোটি তিন লাখ ৪৬ হাজার ২৮০ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। সম্মাননা ক্রেস্টের কাঠেও জালিয়াতি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রি এ.বি. তাজুল ইসলাম, সাবেক সচিব মিজানুর রহমান এবং বর্তমান সচিব কে.এইচ. মাসুদ সিদ্দিককে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।
২০১৪ সালের ২৮ মে, প্রথম আলো ঃ তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হচ্ছে।
২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : চার সচিবের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের নথিতে সই। আরও ২৩৬৭ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল।

১৯৭১ সাল থেকে এ যাবত যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঃ
ক্রমিক নাম মেয়াদকাল

১. জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী(কমান্ডার ইন-চীফ)১৯৭১-১৯৭২
২. কর্ণেল এম. এ. রব ১৯৭১ সালের জুলাই-এপ্রিল, ১৯৭২
৩. মেজর জেনারেল সফিউল্লাহ এপ্রিল, ১৯৭২-আগস্ট, ১৯৭৫
৪. লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান আগস্ট, ১৯৭৫-নভেম্বর, ১৯৭৫
৫. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫-৭ নভেম্বর, ১৯৭৫
৬. লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর, ১৯৭৫-ডিসেম্বর, ১৯৭৮
৭. লে. জেনারেল এইচ.এম. এরশাদ ডিসেম্বর, ১৯৭৮-অক্টোবর, ১৯৮৬
৮. লে. জেনারেল আতিকুর রহমান ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬-নভেম্বর, ১৯৯০
৯. লে. জেনারেল নূর উদ্দিন খান নভেম্বর, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪
১০. লে. জেনারেল আবু সালেহ মুহাম্মদ নাসিম ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬
১১. লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান ১৯৯৬ থেকে ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৭
১২. জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৭-২৪ ডিসেম্বর,২০০০
১৩. লে. জেনারেল হারুণ-উর-রশিদ ২৪ ডিসেম্বর,২০০০-১৬ জুন, ২০০২
১৪. লে. জেনারেল হাসান মশহুদ চৌধুরী ১৬ জুন, ২০০২-১৫ জুন, ২০০৫
১৫. জেনারেল মউন উ আহমেদ ১৫ জুন, ২০০৫-১৫ জুন, ২০০৯
১৬. জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন চৌধুরী ১৫ জুন, ২০০৯-২৫ জুন, ২০১২
১৭. জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া ২৬-০৬-২০১২ থেকে ২৫-০৬-২০১৫
১৮. জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ২৫-০৬-২০১৫ থেকে
২০০৫ সালের ১১ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন মেজর জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে স্থাপিত বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী থেকে কমিশন প্রাপ্ত প্রথম কর্মকর্তা হিসাবে তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের পদ অলংকৃত করেছেন। যেদিন করবেন সেদিন থেকে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতিও পাচ্ছেন। এ যাবত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যে ক’জন সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়েছেন তাদের সকলেই ছিলেন পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমী-কাকুল থেকে পাক সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। জেনারেল মইনের নিয়োগ নিঃসন্দেহে সেই ধারাবাহিকতার অবসান ঘটিয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী’র যুগ। বলা যায় বিএমএ থেকে কমিশন প্রাপ্ত সকল অফিসারের জন্যই এটি একটি বড় ঘটনা।

১৯৭১ সালে সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জেরায় মাহবুবউদ্দিন।
১৯৭১ সালের ১৫ মে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়।
২০০৯ সালের ৭ মে, প্রথম আলো ঃ হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ-৬৬ ‘রাজাকারের’ বিরুদ্ধে মামলা।
২০০৯ সালের ১২ মে, প্রথম আলো ঃ ‘যুদ্ধাপরাধী’ ঘোষণার দাবিতে মামলা। গোলাম আযম, নিজামী, সাকা চৌধুরীসহ ৩৬ জনকে আগামী ২০ জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের ১২ মে, প্রথম আলো ঃ একাত্তরে হত্যাহজ্ঞের অভিযোগ-সাত জেলায় ১১৬ ‘রাজাকারের’ বিরুদ্ধে মামলা।
২০০৯ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ একাত্তরে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ-নাটোর, বাগেরহাট ও কিশোরগঞ্জে ৩৯ ‘রাজাকারের’ বিরুদ্ধে মামলা।
২০১০ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু। স্বাধীনতার ৩৯তম বার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ। ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল ও তদন্ত সংস্থা গঠন।
২০১০ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বেশির ভাগ জামায়াতের, দুজন বিএনপির। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রাথমিকভাবে ২৫ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটিকে সহায়তা করতেই মাসখানেক ধরে গোয়েন্দারা ওই সন্দেহভাজনদের অপরাধের ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছেন।
২০১০ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার। তথ্য-উপাত্ত পেশ, তালিকায় নিজামী মুজাহিদ, সাকাসহ ১৭৭৫ জন।
২০১০ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ মানবতাবিরোধী অপরাধ। তদন্ত কার্যক্রম শুরু চুকনগর থেকে। ডুমুরিয়া-উপজেলা (খুলনা) প্রতিনিধি।
২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে এর কার্যক্রম অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ট্রাইব্যুনালের ঐতিহাসিক আদেশ-গোলাম আযম গ্রেফতার।
২০১২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর, পর্যন্ত এই অধ্যাদেশ বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ৩৭,৪৭১ জনকে। মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল ২,৮৪৮ জনের। দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছিল ৭৫২ জন।

১৯৭২ সালের ৫ জানুয়ারি, বাংলাদেশ বিমানের যাত্রা শুরু হয় এবং প্রথম আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ঢাকা-চট্টগ্রাম।
১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশ বিমান সংস্থা গঠিত হয় এবং বাংলাদেম বিমানের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করে। ১৯৭৩ সালে ৮টি বিমান ছিল, ২০০৭ সালে বিমানের সংখ্যা হলো ১০টি।
১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, ব্রিটেনসহ দশটি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদান করে।
১৯৭২ সালের ৫ মার্চ, বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হয় ঢাকা-লন্ডন-ঢাকা।
১৯৯৭ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থার যাত্রী বহন শুরু।
২০০১ সালের ৩ জুন, অর্থনীতি সমিতির বাজেট সেমিনারের বক্তব্য ঃ মিগ কেনা না হলে ২০ শতাংশ ফসল বেশি উৎপাদন করা যেত।
২০০৪ সালের ১০ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ আকাশে শ্বাসরুদ্ধকর ২৭ মিনিট-জংলী বিড়ালের আক্রমণে পাইলট আহত=ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা। বাংলাদেশ বিমানের ইতিহাসে তো নয়ই, বিশ্বের কোথাও এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। গতকাল ০৯-০৩-২০০৪ তারিখ(মঙ্গলবার) সকাল ৯টা ২৪-মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে ৮৫ জন যাত্রী নিয়ে।
২০০৪ সালের ৯ অক্টোবর, এ.টি.এম. হায়দার/সিরাজুল ইসলাম ঃ সিলেটে এফ-২৮ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে খালে-৮২ জন যাত্রীর সবাই কম-বেশী আহত।
২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি, উমর ফারুক আলহাদী ঃ ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানের জন্য ১৩টি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব চূড়ান্ত-কোটি কোটি টাকা লুটপাটের আয়োজন।
২০০৬ সালের ১৪ অক্টোবর, উমর ফারুক আলহাদী ঃ জোট সরকারের ৫ বছর। বিমানে লুটপাট ঃ লোকসান আড়াই হাজার কোটি টাকা। মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে পাওনা ৫৪ কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ১৬ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক-বিমানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রয়। আটটি নতুন উড়োজাহাজ কিনতে বোয়িংয়ের সঙ্গে সমঝোতা সই। আটটি উড়োজাহাজের মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইধার এবং চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ সিরিজের। এর চারটি ২০১৩ সালে এবং চারটি ২০১৭ সালে বিমানবহরে যুক্ত হবে। মূল্য ৮,৮৫৫ কোটি টাকায় এ উড়োজাহাজ কেনা হবে।
২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে বিমানে ১২৮ কোটি টাকার অনিয়ম।
২০০৯ সালের ৭ মে, প্রথম আলো ঃ সংসদীয় কমিটির সভার তথ্য-৩৮ বছরে বিমানের লোকসান ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ৯ অক্টোবর, সংসদীয় উপকমিটির সভায় তথ্য ঃ উড়োজাহাজ কেনা ও মেরামতের নামে ১৭ বছরে ৭০০ কোটি টাকা অপচয় হয়।
২০১০ সালের ১৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বোয়িংয়ের তথ্য ঃ ২০২৯ সালের মধ্যে বিশ্বে ৪০ হাজার বিমান দরকার হবে।
২০১২ সালের ২৬ জুন, প্রথম আলো ঃ হাবিবুর মোল্লার জবাবে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, বিগত ৪০ বছরের মধ্যে বিমান ১৭ বছর লাভ করেছে, লোকসান দিয়েছে ২৩ বছর।

পুলিশের আইজিবৃন্দের নাম ও কার্যকাল ঃ
ক্রমিক নাম মেয়াদকাল
১. এম. এ. খালেক ১৬.১২.১৯৭১-২৩.,০৪.১৯৭৩
২. এ. রহিম ২৩.০৪.১৯৭৩-৩১.১২.১৯৭৩
৩. এ. এইচ. নুরুল ইসলাম ৩১.১২.১৯৭৩-২১.১১.১৯৭৫
৪. হুসাইন আহমেদ ২১.১২.১৯৭৫-২৬.০৮.১৯৭৮
৫. এ.বি.এম.জি. কিবরিয়া ২৬.০৮.১৯৭৮-০৭.০২.১৯৮২
৬. এম.এম. আর. খান ০৮.০২.১৯৮২-৩১.০১.১৯৮৪
৭. ই.এ. চৌধুরী ০১০.০২.১৯৮২-৩০.১২.১৯৮৫
৮. মোঃ হাবিবুর রহমান ৩০.১২.১৯৮৫-০৯.০১.১৯৮৬
৯. এ. আর. খন্দকার ০৯.০১.১৯৮৬-২৮.০২.১৯৯০
১০. তৈয়ব উদ্দিন আহমদ ২৮.০২.১৯৯০-২৮.০২.১৯৯১
১১. এ. এম. চৌধুরী ২৮.০২.১৯৯১-২০.০৭.১৯৯১
১২. তৈয়ব উদ্দিন আহমদ ২০.০৭.১৯৯১-১৬.১০.১৯৯১
১৩. এম. এনামুল হক ১৬.১০.১৯৯১-০৮.০৭.১৯৯২
১৪. এ.এস.এম. শাহজাহান ০৮.০৭.১৯৯২-২২.০৪.১৯৯৬
১৫. মোঃ আজিজুর রহমান ২২.০৪.১৯৯৬-১২.১১.১৯৯৭
১৬. ইসমাইল হোসেন ১৩.১১.১৯৯৭-২৭.০১.১৯৯৮
১৭. এ. ওয়াই. বি. আই. সিদ্দিকী ২৭.০১.১৯৯৮-০৬.০৬.২০০০
১৮. মুহাম্মদ নুরুল হুদা ০৭.০৬.২০০০-০৫.১১.২০০১
১৯. মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী ০৫.১১.২০০১-২২.০৪.২০০৪
২০. শহুদুল হক ২২.০৪.২০০৪-১৫.১২.২০০৪
২১. মোঃ আশরাফুল হুদা ১৫.১২.২০০৪-০৭.০৪.২০০৫
২২. মোঃ হাদিস যউদ্দিন ০৭.০৪.২০০৫-০৭.০৫.২০০৫
২৩. আবদুল কাইয়ুম ০৭.০৫.২০০৫-০৫.০৭.২০০৫
২৪. আনোয়ারুল ইকবাল ০৬.০৭.২০০৫-০২.১১.২০০৬
২৫. মোহাম্মদ খোদা বকস চৌধুরী ০২.১১.২০০৬-৩০.০১.২০০৭
২৬. নূর মোহাম্মদ ৩০.০১.২০০৭-০১.১০.২০১০
২৭. হাসান মাহমুদ খন্দকার ০১.১০.২০১০-৩১-১২-২০১৪
২৮. এ. কে. এম. শহীদুল হক ৩১-১২-২০১৫-বর্তমান

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসমুহের নাম ঃ

১. আ. ন. ম. হামিদুল্লাহ ১৮.০১.১৯৭২-১৭.১১.১৯৭৪
২. এ. কে. এম. আহমেদ ১৮.১১.১৯৭৪-১৩.০৭.১৯৭৬
৩. এম. নুরুল ইসলাম ১৪.০৭.১৯৭৬-১২.০৪.১৯৮৭
৪. শেগুফতা বখত চৌধুরী ১৩.০৪.১৯৮৭-১৯.১২.১৯৯২
৫. মোঃ খোরশেদ আলম ২০.১২.১৯৯২-২০.১১.১৯৯৬
৬. লুৎফর রহমান সরকার ২১.১১.১৯৯৬-০৯.১১.১৯৯৮
৭. ড. ফরাসউদ্দীন ২২.১১.১৯৯৮-নভেম্বর, ২০০১
৮. ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ নভেম্বর, ২০০১-৩০.০৪.২০০৫
৯. ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ০২.০৫.২০০৫-৩০.০৪.২০০৯
১০. ড. আতিউর রহমান ০১.০৫.২০০৯-১৫-০৩-২০১৬
১১. মোঃ ফজলে কবির(সাবেক সচিব) ২০-০৩-২০১৬ তারিখ থেকে

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিগণ ঃ ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে–

ক্রমিক নাম মেয়াদকাল

১. আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ১২.০১.১৯৭২-০৬.১১.১৯৭৫
২. সৈয়দ এ.বি. মাহমুদ হোসেন ০৭.১১.১৯৭৫-০১.০২.১৯৭৮
৩. কামালউদ্দিন হোসেন ০২.০২.১৯৭৮-১২.০৪.১৯৮২
৪. এফ. কে. এম. আব্দুল মুনীব ১৩.০৪.১৯৮২-৩০.১১.১৯৮৯
৫. বদরুল হায়দার চৌধুরী ০১.১২.১৯৮৯-৩১.১২.১৯৮৯
৬. শাহাবুদ্দিন আহমদ ১৪.০১.১৯৯০-০১.০২.১৯৯৫
৭. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ০১.০২.১৯৯৫-৩০.০৪.১৯৯৫
৮. এ. টি. এম. আফজাল ০১.০৫.১৯৯৫-০১.০৬.১৯৯৯
৯. মুস্তফা কামাল ০১.০৬.১৯৯৯-৩১.১২.১৯৯৯
১০. লতিফুর রহমান ০১.০১.২০০০-২৮.০২.২০০১
১১. মাহমুদুল আমিন চৌধুরী ২৮.০২.২০০১-১৮.০৬.২০০২
১২. মাইনুর রেজা চৌধুরী ১৯.০৬.২০০২-২২.০৬.২০০৩
১৩. খন্দকার মাহমুদুর হাসান ২৩.০৬.২০০৩-২৬.০১.২০০৪
১৪. সৈয়দ জে. আর. মোদাচ্ছির হোসেন ২৭.০১.২০০৪-২৮.০২.২০০৭
১৫. মোঃ রুহুল আমিন ০১.০৩.২০০৭-৩১.০৫.২০০৮
১৬. এম.এম. রুহুল আমিন ০১.০৬.২০০৮-২২.১২.২০০৯
১৭. মোঃ তাফাজ্জাল ইসলাম ২৩.১২.২০০৯-০৭.০২.২০১০
১৮. মোঃ ফজলুল করিম ০৮.০২.২০১০-১৮.০৫.২০১০
১৯. এ. বি. এম. খায়রুল হক ১৮.০৫.২০১০-১৮-০৫-২০১১
২০. মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ১৮.০৫.২০১১-১৭.০১.২০১৫
২১. সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ১৭-০১-২০১৫-৩১-০১-২০১৮

 

বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধানগণ ঃ
ক্রমিক নাম মেয়াদকাল

১. ক্যাপ্টেন নুরুল হক ৬ নভেম্বর, ১৯৭৩
২. রিয়ার এ্যাডসিরাল মোশাররফ হোসেন খান ৭ নভেমম্বর,১৯৭৩-৩ নভেম্বর, ১৯৭৯
৩. রিয়ার এ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান ৪ নভেম্বর, ১৯৭৯-৬ আগস্ট, ১৯৮৪
৪. রিয়ার এ্যাডমিরাল সুলতান আহমেদ ৬ আগস্ট, ১৯৮৪-১৪ আগস্ট, ১৯৯০
৫. রিয়ার এ্যাডমিরাল আমির আহমেদ মোস্তফা ১৫ আগস্ট, ১৯৯০-২ মে, ১৯৯১
৬. রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম ৪ জুন, ১৯৯১-৩ জুন, ১৯৯৫
৭. রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ৪ জুন, ১৯৯৫-৩ জুন, ১৯৯৯
৮. রিয়ার এ্যাডমিরাল আবু তাহের ৪ জুন, ১৯৯৯-৩ জুন, ২০০২
৯. রিয়ার এ্যাডমিরাল শাহ ইকবাল মুজতবা ৪ জুন, ২০০২-৯ জানুয়ারি, ২০০৫
১০. রিয়ার এ্যাডমিরাল এম.হাসান আলী খান ১০ জানু., ২০০৫-৯ ফেব্র“.,২০০৭
১১. রিয়ার এ্যাডমিরাল সারওয়ার জাহান নিজাম ১০ ফেব্রæ.,২০০৭-২৮ জানু.,২০০৯
১২. ভাইস এ্যাডমিরাল জহির উদ্দিন আহমেদ ২৯ জানু.,২০০৯-২৮ জানু.,২০১৩
১৩. এ্যাডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব ২৮ জানু.,২০১৩-২৭ জানু.,২০১৬
১৪. এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ ২৭ জানু.,২০১৬-২৬ জানু., ২০১৯

১৯৭২ সালের মার্চ মাসে, পিলখানায় বিডিআর জওয়ানরা বিদ্রোহ করে।
২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২৫-০২-২০০৯ তারিখ রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিডিআর জওয়ানদের বিদ্রোহ। ক্ষুব্ধ জরয়ানদের দাবি ও নানা অভিযোগ। সেনা কর্তৃত্বের অবসান, রেশন ও বেতনবৈষম্য দূর করাসহ ২২-দফা দাবিতে বিডিআর জরয়াননেরা সশস্ত্র বিদ্রোহ করেছেন। ২৫-০২-২০০৯ তারিখ দুপুরে বিডিআর জওয়াননেরা বিদ্রোহের সময় এক সেনা কর্মকর্তার নিহতের তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রায় দেড় শতাধিক সেনা কর্মকর্তাকে তাঁরা আটকে রেখেছেন। তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্যই তাঁদের বন্দী করা হয়েছে। তাঁদের ২২-দফা দাবীর মধ্যে প্রথম দাবী হলো সেনা কর্তৃত্বের অবসান।
২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া-এ বিদ্রোহ পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, তবে কাম্য নয়। বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক (১৯৯৬-১৯৯৯) মেজর জেনারেল (অব.) আজিজুর রহমান, বীর উত্তম।
২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদকে বিডিআরের ঘটনা না জানানোর সমালোচনা। তবে রাত নয়টায় কোনো বিবৃতি ছাড়াই সংসদের অধিবেশন মূলতবি হয়ে যায়।
২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ অবশেষে আত্মসমর্পণ। আলোচনার মাধ্যমে বিডিআরের ৩৩ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর বিদ্রোহের অবসান। ২৬-০২-২০০৯ তারিখ বিকেল থেকে বিডিআরের বিদ্রোহীরা অস্ত্র জমা দিতে শুরু করে এবং অস্ত্র সমর্পণ প্রক্রিয়া শেষ হতে রাত সাড়ে নয়টা বেজে যায়।
২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ঘটনা সম্পর্কে মুক্তি পাওয়া মেজর জায়েদি-ডাল-ভাত কর্মসূচী নিয়ে ডিজিকে কৈফিয়ত তলব বাইরে থেকে গুলি শুরু।
২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ এ পর্যন্ত বিডিআরের ডি. জি. মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদসহ ৬০ জনের লাশ উদ্ধার।
২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, টেলিভিশনের খবরে ঃ আরো ১০টি লাশ গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ আরো এক সেনা কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার, ৭১ জন সেনা কর্মকর্তা এখনো নিখোজ এবং ৩১ সেনা কর্মকর্তা আত্মরক্ষা করতে পেরেছেন।
২০০৯ সালের ১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ হানাহানি নয়, শান্তিতে থাকতে চাই-অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ ১৯৪৮ সালে পুলিশ, ১৯৭২ সালে বিডিআর, ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের সময় বিমান বাহিনী এবং এরপর আনাসার বিদ্রোহ ঘটেছে। আর ২৫-০২-২০০৯ ও ২৬-০২-২০০৯ তারিখের বিডিআর বিদ্রোহের মত এতবড় বিদ্রোহ আর হয়নি।
২০০৯ সালের ১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ড. আকবর আলি খান-পঞ্চদশ শতকে হাবসি বিদ্রোহের পর বাংলাদেশের গত ৬০০ বছরের ইতিহাসে এমন বিদ্রোহ হয়নি।
২০০৯ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ২৫ ও ২৬ ফেব্রæয়ারি, বিডিআরে হত্যা-লুন্ঠনের ঘটনায় মামলা। বিচারে আইনের নানা দিক খতিয়ে দেখছে সরকার।
২০০৯ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৫৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ সাত, ৭২ নয়।
সেনা সদরের ব্রিফিং ঃ আজ থেকে সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্ত শুরু, গুজবে কান না দেওয়ার আহবান। ৫৬টি মৃতদেহের মধ্যে তিনটি শনাক্ত করা যায়নি।
২০০৯ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিডিআর বিদ্রোহ ঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
২০০৯ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ গোয়েন্দাদের বাসভবন এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধার। বিডিআর সদর দপ্তরে ‘অচেনা’ বেল্ট, দুরবিন।
২০০৯ সালের ৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সেনাসদরের ব্রিফিং-বিদ্রোহীদের আটক করা হবে, নিরপরাধ জওয়ানদের নয়।
২০০৯ সালের ৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিডিআরে বিদ্রোহের মামলা-প্রধান আসামি ডিএডি তৌহিদসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার, সেনা তদন্ত শুরু।
২০০৯ সালের ৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ আরও একজন সেনা কর্মকর্তার লাশ শনাক্ত। মোট নিহতের সংখ্যা ৭৩ জন। ০৪-০৩-২০০৯ তারিখ পর্যন্ত মোট ৫৮ জন সেনা কর্মকর্তা, একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, দুই গৃহকর্মী ও ছয়জন বিডিআর জরয়ানের লাশ শনাক্ত হলো এবং ওই দিনের ঘটনায় তিন পথচারী ও এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
২০০৯ সালের ৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকান্ড-প্রাথমিকভাবে ১০০ জন জড়িত বলে শনাক্ত।
২০০৯ সালের ১২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিডিআর হত্যাকান্ড ‘কোর্ট মার্শাল করে বিচারের সিদ্ধান্ত। ২৫ ও ২৬ ফেব্রæয়ারির ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা এবং ১০ জন বিডিআর জওয়ান ও ৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
২০০৯ সালের ১৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান এবার বললেন-হত্যাযজ্ঞ ঘটাতে জঙ্গিরা বিডিআরকে ব্যবহার করেছে।
২০০৯ সালের ২০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিডিআরে বিদ্রোহীদের সেনা আইনে বিচার না করার আহবান। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সংবাদ সম্মেলন।
২০০৯ সালের ২০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিডিআরে হত্যাকান্ড-জড়িতদের সেনা আইনে বিচারের প্রস্তাব অনুমোদন।
২০০৯ সালের ২৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ভিডিও দেখে ও অডিও শুনে কয়েকজন জওয়ানকে গ্রেপ্তার। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৬৯৪ বিডিআর সদস্য, রিমান্ডে ২৩ জন। ২৫ ফেব্রæয়ারি সদর দপ্তরে সাত হাজারের বেশি বিডিআর সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক হাজার ৮০০ জন এখনো বাহিনীতে যোগ দেননি। বিডিআর কর্মকর্তারা জানান, সদর দপ্তরে ছোট-বড় ২৪টি অস্ত্রাগার রয়েছে। বিডিআর সদর দপ্তরের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, একজন সেনাসদস্য, সাতজন বিডিআর সদস্যসহ ৭৫ জন নিহত হন।
২০০৯ সালের ৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ আদালতে একসঙ্গে হাজির করা হলো ৭৯৬ জন বিডিআর জওয়ানকে।
২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ পলাতক জোয়ানদের ধরতে সব থানায় তালিকা যাচ্ছে। আরও পাঁচজনের জবানবন্দি ২৫ রিমান্ডে। মন্ত্রী বলেন, পিলখানার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ পলাতক বিডিআর জওয়ানের সংখ্যা এখন ২০২।
২০০৯ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিবিসির সংলাপে আলোচকদের মত বিডিআর সদস্যদের মৃত্যু নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। বিডিআর সদস্যদের আত্মহত্যা বা হার্টঅ্যাটাক-জনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ১২-এর বেশি।
২০০৯ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিডিআর নাম-পোশাক পরিবর্তনের বিরোধিতায় বিএনপি-জামায়াত নেতারা। তাঁরা বলেছেন, বিডিআরের হত্যাযজ্ঞ ১৮ এপ্রিল, ২০০১ সালে বড়াইবাড়ীতে বিডিআরের কাছে বিএসএফের পরাজয়ের প্রতিশোধ। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘১৮ এপ্রিল সীমান্ত প্রতিরক্ষা দিবস’ হিসেবে পালনের দাবি জানান। গোলটেবিলে বিএনপির নেতা মওদুদ আহমদ বলেন, বিডিআরের নাম কিংবা পোশাক পরিবর্তন করতে হবে কেন? প্রতিষ্ঠান তো কোনো দোষ করেনি। দোষী বিডিআর সদস্যদের শাস্তি হোক। বিডিআর বিলুপ্ত করে নতুন করে ৩৫ হাজার সদস্য নিয়োগ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ বিদ্রোহের আগে চার দফা বৈঠক করে জওয়ানেরা। প্রথম বৈঠক করেন ১৬ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায়। এ বৈঠক হয় পিলখানার ভেতরে সদর রাইফেল ব্যাটালিয়নের বাস্কেট বল মাঠে। আড্ডার ছলে তাঁরা এ বৈঠক করেন।
২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ পিলখানা থেকে ২০৯ গ্রেনেড, ৪১ হাজার গুলি খোয়া গেছে।
২০০৯ সালের ১৩ মে, প্রথম আলো ঃ দুই হাজার ৮৮৮ বিডিআর জওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদে এখন পর্যন্ত ৪৭৭ জওয়ান নির্দোষ বলে চিহ্নিত।
২০০৯ সালের ১৪ মে, প্রথম আলো ঃ বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ‘ডাল-ভাত’সহ সাত কারণ। অপারেশন ডাল-ভাতই বিডিআর বিদ্রোহের অন্যতম প্রধান কারণ। সেনাবাহিনীর তদন্ত আদালতের ২০০ পাতার প্রতিবেদনে বিডিআর কর্তৃপক্ষ ও গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতাকেও দায়ী করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, দুজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, একজন সেনা সদস্য, নয়জন বিডিআর সদস্যসহ ৭৪ জন নিহত হন। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা-বিডিআর সদস্যরা আইন ভঙ্গ করে দলীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। এতে বলা হয়, সুবেদার তোরাব আলী(আওয়ামী লীগ নেতা), তাঁর ছেলে লেদার লিটন ও জওয়ান কাঞ্চনের ছেলে জাকির জরয়ানদের সঙ্গে বৈঠক করে বিদ্রোহে ইন্ধন দিয়েছে। তোরাব আলীর ফোন পরীক্ষা করে দেখা যায়, বিদ্রোহের সময় তিনি অনেকবার বিদেশে কথা বলেছেন। বিডিআরের অস্ত্র পাওয়ার জন্য লেদার লিটন বিদ্রোহে জড়িত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২২ মে, প্রথম আলো ঃ বিডিআর বিদ্রোহে বাইরের কারও সম্পৃক্ততা পায়নি তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন জমা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। বিডিআর হত্যাকান্ড-বাস্তবের ওপর ভিত্তি করে আমরা এই প্রতিবেদন তৈরি করেছি। আমরা যা দেখেছি, আমরা যা শুনেছি, আমরা যা অনুধাবন করেছি, তথ্য-উপাত্ত যেগুলো আমরা বিশ্বাস করেছি, তারই ভিত্তিতে আমরা প্রতিবেদন দিয়েছি।-আনিস উজ জামান খান। ডাল-ভাত কর্মসূচিসহ বিডিআর সদস্যদের নিজস্ব দাবি-দাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বিদ্রোহের প্রাথমিক কারণ মনে করা হলেও এর সুনির্দিষ্ট কারণ বের করতে পারেনি। এ জন্য আলাদা একটি বিশেযজ্ঞ কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সেনা আইনে দ্রুত বিচারসহ ১২ দফা সুপারিশ করা হয়। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনটি ৩০৯ পৃষ্ঠার। এরমধ্যে ৫৭ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন। বাকি বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। বিদ্রোহের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যাকান্ডে জড়িত ৪০ জন ঘাতকের অর্ধেক এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। গত ১৯-০৫-২০০৯ তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১,৩৯৪ জন আর ঢাকার বাইরে ২৯টি জেলায় বিদ্রোহের ঘটনায় আরও ১,৫৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৯ সালের ২৯ মে, প্রথম আলো ঃ স্বজনপ্রীতি ও দলীয় বিবেচনায় সাত বছরে বিডিআরে নিয়োগ পান ১৩ হাজার জওয়ান।
২০০৯ মালের ১৮ জুন, প্রথম আলো ঃ বিদ্রোহের ইঙ্গিত পেয়েও ব্যবস্থা নেননি বিডিআর কর্মকর্তারা। নিহত কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনের কথোপকথন, এসএমএস এবং বেঁচে যাওয়া কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সদর দপ্তর, সেক্টর, ব্যাটিালিয়ন ও সীমান্ত চৌকিতে দায়িত্ব পালনকারী অসামরিক বিডিআর কর্মকর্তা-সৈনিক ও কর্মচারীর সংখ্যা কমবেশি ৭৬ হাজার।
২০০৯ মালের ১৮ জুন, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রধানমন্ত্রী-বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থা আগাম তথ্য জানাতে পারেনি।
২০০৯ সালের ১৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিডিআর-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক। ঢাকা ১২২৭ ও দিল্লি ৭৭ সন্ত্রাসীকে ফেরত চেয়েছে।
২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ভবিষ্যতে বিদ্রোহ হলে সেনা আইনে বিচার। এবার হবে দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিডিআর আইনে। আসামি আড়াই হাজার, ছয় মাসেও তদন্ত শেষ হয়নি। দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার হবে কি না বিএনপির সংশয়।
২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সিডিআই সূত্র জানায়, বিডিআর বিদ্রোহের দিন পিলখানায় সাত হাজার ৭৯৪ জন বিডিআর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগ ওই দিন সরাসরি বিদ্রোহে অংশ নেন। তাঁদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই হাজার ১১৪ জনকে। তাঁদের মধ্যে বিডিআর সদস্য ছাড়াও সাধারণ নাগরিক রয়েছেন ৪৩১ জন, বিডিআরে কর্মরত সাধারণ সদস্য আছেন ৩১১ জন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, এ পর্যন্ত দুই হাজার ১০৯ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ১৬৪ ধারায় স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৪৭৮ জন। এ মামলার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে দুই হাজার ৯৬৪টি। ঘটনার সময় পিলখানায় উপস্থিত ছিলেন এমন লোকদের মধ্যে ১৩৯ জনের জবানবন্দি পুলিশ সংগ্রহ করেছে। সদর দপ্তরের মামলার পাশাপাশি ঢাকার বাইরে বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা ৪০টি মামলায় এক হাজার ৭২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১২-১১-২০০৯ তারিখ পর্যন্ত বিডিআর সদস্য মারা গেছেন ৪৮ জন।
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ অধিকারের প্রতিবেদনের তথ্য। ২০০৯ সালে ১৫৪টি বিচারবহির্ভূত। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিআর বিদ্রোহের পর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬৯ জন বিডিআর সদস্যের মৃত্যু হয়।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ইন্ধনদাতার সন্ধান পায়নি সিআইডি। পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে বিডিআর বিদ্রোহ ঃ তদন্তে পাওয়া তথ্য।
২০১০ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ নির্যাতনে দুই বিডিআর নিহত। বিদ্রোহের পর মারা গেছে ৭০ জন। ঢাকার বাইরে ২৬টি স্থানে বিদ্রোহ।
২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ সীমান্তের ওপারে ৩২টি ফেনসিডিল কারখানা। বিএসএফকে সুনির্দিষ্ট তালিকা দিয়েছে বিডিআর।
২০১০ সালের ১৬ মে, আমাদের সময় ঃ প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিডিআর ৭৮তম ব্যাচে দুই ধাপে লোক নিয়োগ।
২০১০ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে বিত্রোহ। পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযোগপত্র। পিন্টু, তোরাব আলীসহ আসামি ৮২৪ জন। বাইরের কোনো ইন্ধনদাতার সন্ধান পায়নি সিআইডি। বর্ডার গার্ড আইন, ২০১০-এর খসড়া অনুমোদন। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
২০১০ সালের ৮ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ ২৫ ফেব্রুয়ারি (২০০৯) বিদ্রোহের দিন বিডিআরের কেন্দ্রীয় কোয়ার্টার গার্ডের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা লে. কর্নেল রিয়াজুল করিম এভাবেই সেদিনের অস্ত্র লুটের বিবরণ দেন। এক ঘন্টার মধ্যে লুট হয় সাড়ে তিন হাজার অস্ত্র। পিল খানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ৬৬৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা।
২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিল, ২০১০ পাস। এখন থেকে বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস)-এর নাম থাকবে না।
২০১২ সালের ৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিডিআর বিদ্রোহের বিচার স্থগিত ও র‌্যাব ভেঙ্গে দেওয়ার দাবি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন।
২০১২ সালের ২১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ পাঁচ হাজার ৯২৬ জওয়ানের সাজা। বিডিআর বিদ্রোহের মামলার বিচার শেষ। বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ মামলা। ১১ আদালতে বিচার কার্যক্রম। ৮৭০ জনের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদন্ড। বিচারের মুখোমুখি হন ৬০৪৬ জওয়ান। দন্ডিতদের কারাদন্ডের পাশাপাশি ১০০ টাকা করে জরিমানা। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ নেই।
২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ আসামি-৮৫০ জন। ১৫২ জনের ফাঁসি, যাবজ্জীবন ১৬১ জনের। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ৫৬৯ জনের। বিচার চলাকালে মারা গেছেন চারজন। পিলখানা হত্যা মামলার রায়। বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

বাংলাদেশের বিমানবাহিনী প্রধানগণ ঃ
ক্রমিক নাম মেয়াদকাল

১. এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার ০৭.০৪.১৯৭২-১৫.১০.১৯৭৫
২. এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ গোলাম তোয়াব ১৬.১০.১৯৭৫-৩০.০৪.১৯৭৬
৩. এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ খাদেমুল বাশার ০১.০৫.১৯৭৬-০১.০৯.১৯৭৬
৪. এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল গফুর মাহমুদ ০৫.০৯.১৯৭৬-০৮.১০-১৯৭৭
৫. এয়ার ভাইস মার্শাল সদরুদ্দিন ০৯.১০.১৯৭৭-২২.০৭.১৯৮১
৬. এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ ২৩.০৭.১৯৮১-২২.০৭.১৯৮৭
৭. এয়ার ভাইস মার্শাল মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ২৩.০৭.১৯৮৭-০৪.০৬.১৯৯১
৮. এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী ০৪.০৬.১৯৯১-০৩.০৬.২০০১
৯. এয়ার ভাইস মার্শাল জামালউদ্দিন আহমেদ ০৪.০৬.২০০১-০৪.০৪.২০০২
১০. এয়ার ভাইস মার্শাল রফিকুল ইসলাম ০৪.০৪.২০০২-০৪.০৪.২০০৩
১১. এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল আজম ০৪.০৪.২০০৩-০৭.০৪.২০০৭
১২. এয়ার মার্শাল শাহ মোহাম্মদ জিয়াউল রহমান ০৭.০৪.২০০৭-১৭-০১-২০১৬
১৩. এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার ১৭-০১-২০১৬ তারিখ থেকে

১৯৭২ সালের ১৫ মে, পি. এস. সি.’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পিএসসিতে নিয়োগের কোনো আইনই হয়নি গত ৩৬ বছরে।
ক্রমিক নাম মেয়াদকাল

১. ড. এ.কিউ.এম. বজলুল করিম(প্রথম কমিশন) ১৫.০৫.১৯৭২-১৫.১২.১৯৭৭
২. মহিউদ্দিন আহমদ ১৫.০৫.১৯৭২-১৫.১২.১৯৭৭
৩. এম. মঈনুল ইসলাম ২২.১২.১৯৭৭-২১.১২.১৯৮২
৪. ফয়েজ উদ্দিন আহমদ ১২.১২.১৯৮২-৩১.০৬.১৯৮৬
৫. এস.এম. আল হোসায়নী ০১.০৬.১৯৮৬-০১.০৫.১৯৯১
৬. অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দীন আহম্মেদ ১৪.০৯.১৯৯১-৩১.০১-১৯৯৩
৭. মোঃ আমিন মিয়া চৌধুরী(ভারপ্রাপ্ত) ০১.০২.১৯৯৩-০৬.০৩.১৯৯৩
৮. এস. এম. এ. ফায়েজ ০৭.০৩.১৯৯৩-০৫.০৩.১৯৯৮
৯. প্রফেসর ড. মো. মোস্তফা চৌধুরী ২৫.০৩.১৯৯৮-এপ্রিল, ২০০২
১০. অধ্যাপিকা জিন্নাতুননেছা তাহমিদা বেগম ০৬.০৫.২০০২-০৮.০৫.২০০৭
১১. ড. সা’দাত হুসাইন ০৮.০৫.২০০৭-২৩-০৮-২০১১
১২. এ. টি. আহমেদুল হক চৌধুরী ২৪-০৮-২০১১ থেকে
১৩. ইকরাম আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ১৩-০৪-২০১৬ তারিখ শেষ
১৪. ড. মোহাম্মদ সাদিক(সচিব ছিলেন) নতুন চেয়ারম্যান
১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশে ক্যাডার সার্ভিস চালু হয়।
২০০০ সালের ১ নভেম্বর-বি. সি. এস পরীক্ষা দলীয়করণের অভিযোগ।
২০০২ সালের ১০ নভেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা ঃ পদেরসংখ্যা হলো-৪,৫৪৩টি, পদের বিপরীতে সর্বমোট-১.৮০(এক লক্ষ আশি হাজার) ফরম জমা পড়েছে (পিএসসি)।
২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ পিএসসির ১২তম চেয়ারম্যান জনাব সা’দত হুসাইন আজ বিদায় নিচ্ছেন। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) ১৩তম নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন কমিশনের বর্তমান সদস্য এ. টি. আহমেদুল হক চৌধুরী।
২০১২ সালের ১০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারছেন না সাড়ে ১১ হাজার প্রার্থী, কারিগরি জটিলতা। নির্ধারিত সময়ে এক লাখ ৮৩ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী যথাযথভাবে আবেদন করেছেন।
২০১২ সালের ৮ অক্টোবর, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস-পিএসসির আঙুল বিজিপ্রেসের দিকে বিজি প্রেসের ‘না’। আমাদের দেশে অন্ততঃ এ পর্যন্ত ৭০ বার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু বিচার হয়নি বা শাস্তিও হয়নি।

১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সদস্য হতে হলে ৫২ মিলিয়ন ডলার চাঁদা দেওয়ার শর্ত ছিল। তবে বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে বাংলাদেশ আইএমএফের সদস্য হতে পারছিল না। তখন কানাডার দেওয়া কিছু স্বর্ণমুদ্রা উপহার হিসেবে পেয়ে বাংলাদেশ এ সংস্থার সদস্য হয়েছিল।
১৯৭২ সালে কোটিপতি ছিল ২ জন এবং ১৯৭৫ সালে ছিল ৪৭ জন কোটিপতি।
১৯৯৪ সালের হিসেব অনুযায়ী ঃ ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা ব্যাংকে রাখা ব্যক্তির সংখ্যা ছিলো-৪৩৫ জন। সেখানে ১৯৯৮ সালে এ পরিমাণ টাকার মালিক অর্থাৎ কোটিপতির সংখ্যা ছিলো-১,৫০৭ জন।
২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সেন্টার ফর ল’ রিসার্চ এন্ড সাপোর্ট আয়োজিত শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন-‘মুক্তবাজার অর্থনীতি মুক্তির পথ নয়’ এবং দুর্নীতি ও দৈত্যায়নের রাজনীতিতে ১২ লাখ দুর্বৃত্ত কোটিপতি হয়েছে।
২০০৮ সালের ১৪ মার্চ, সমকাল পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ১৩ হাজার কোটিপতি আছে। ঢাকা শহরে মাত্র ৬৯টি পাবলিক টয়লেট আছে ও ঢাকা শহর পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা শহর।
২০০৮ সালের ১৬ জুন, আমার দেশ পত্রিকার খবর-দেশে এখন ৩৩ হাজার কোটিপতি আছে-বলেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ।
২০১০ সালের ১৪ আগষ্ট, আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেব অনুসারে-২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর, বাংলাদেশে ২৩,১৩০ জন কোটিপতি আছে। তাঁদের পুঁজির পরিমাণ ১,০০,৫৪৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা কত ২০০০ সালের ৪ জুনের তথ্যানুযায়ী ঃ

ক্রমিক নং তারিখ কত জনের নিকট কত কোটি টাকা

১. ৩১-১২-১৯৭৫ মাএ ৫ জনের নিকট ১২ কোটি টাকা
২. ৩১-১২-১৯৮১ ২৭ জনের নিকট ৫৪ কোটি টাকা
৩. ৩১-১২-১৯৮৫ ১৫০ জনের নিকট ৩২৭ কোটি টাকা
৪. ৩১-১২-১৯৯০ ২২৫ জনের নিকট ৭৩০ কোটি টাকা
৫. ৩০-১২-১৯৯৬ ১২১২ জনের নিকট ৪,৪৫৫ কোটি টাকা
৬. ৩০-০৬-১৯৯৯ ১৮০৪ জনের নিকট ৫,০৯৮ কোটি টাকা
১০ কোটি টাকার বেশী অংকের বেসরকারী একাউন্ট এবং অর্থ জমা ঃ

৭. ৩১-১২-১৯৮৪ ২ জনের নিকট ছিল ১০১ কোটি টাকা
৮. ৩১-১২-১৯৮৭ ৬ জনের নিকট ছিল ১২৩ কোটি টাকা
৯. ৩১-১২-১৯৯০ ১৩ জনের নিকট ছিল ২০৯ কোটি টাকা
১০. ০৩-০৬-১৯৯৩ ১৫ জনের নিকট ছিল ২৯৪ কোটি টাকা
১১. ৩১-১২-১৯৯৬ ৬২ জনের নিকট ছিল ১,৭৭৭ কোটি টাকা
১২. ৩১-১২-১৯৯৮ ৫৮ জনের নিকট ছিল ১,৩০৭ কোটি টাকা
১৩. ৩০-০৬-১৯৯৯ ৫৪ জনের নিকট ছিল ১,১৬৫ কোটি টাকা
১৪. ১৯৭৫ সালে কোটি টাকার বেশি অর্থ আছে এমন ব্যাংক হিসাব ৪৭টি।
১৫. ২০০১ সালে কোটি টাকার বেশি অর্থ আছে পাঁচ হাজার ৭৯৯টি।
১৬. ২০১২ সালে কোটি টাকার বেশি অর্থ আছে ২৭ হাজার লোকের কাছে।
১৭. ০৩-০৬-২০১২ দুই কোটি টাকার মালিক চার হাজার সাষষ্টি জন।
১৮. ২০১৪ সালে এক কোটি টাকার মালিক আছে ৫১,৫৫০ জন ব্যক্তি
১৯. ২০১৫ সালে এক কোটি টাকার মালিক আছে ৫৭,৫১৬ জন ব্যক্তি।
সূএঃ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত সিডিউল্ড ব্যাংক স্ট্যাটিসটিকস।
দেশে কোটি টাকার হিসাবধারী ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ জন।
১. ১ ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত ৫ বছরে বেড়েছে ৩৬ হাজার ১১৫ জন
২. ২ ২০১১ সালে কোটি টাকার ছিলেন ৭৮ হাজার ১৫০ জন
৩. ২০১২ সালে কোটি টাকার ছিলেন ৯০ হাজার ৬৫৫ জন
৪. ২০১৩ সালে কোটি টাকার ছিলেন ৯৮ হাজার ৫৯১ জন এবং
৫. ২০১৪ সালে কোটি টাকার ছিলেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৭৪
৬. ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ জন হিসেবধারী
সংসদে প্রশ্নোত্তর-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন এসব তথ্য।

১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হন, ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
ক্রমিক নাম মেয়াদকাল
১. বিচারপতি এম ইদ্রিস ০৭.০৭.১৯৭২-০৮.০৭.১৯৭৭
২. বিচারপতি এ. কে. এম. নুরুল ইসলাম ০৮.০৭.১৯৭৭-১৭.০২.১৯৮৫
৩. বিচারপতি এ.টি.এম. মাসুদ ১৭.০২.১৯৮৫-১৭.০২.১৯৯০
৪. বিচারপতি সুলতান হোসেন খান ১৭.০২.১৯৯০-২৪.১২.১৯৯০
৫. বিচারপতি এম. এ. রউফ ২৫.১২.১৯৯০-১৮.০৪.১৯৯৫
৬. বিচারপতি এ.কে.এম. সাদেক ২৭.০৪.১৯৯৫-০৬.০৪.১৯৯৬
৭. সচিব মোহাম্মদ আবু হেনা ০৯.০৪.১৯৯৬-০৮.০৫.২০০০
৮. সচিব এম.এ. সাঈদ ২২.০৫.২০০০-২১.০৫.২০০৫
৯. বিচারপতি এম.এ. আজিজ ২৩.০৫.২০০৫-২১.০১.২০০৭
১০. সচিব ড. এ. টি. এম. শামসুল হুদা ০৫.০২.২০০৭-০৭.০২.২০১২
১১. সচিব কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ ০৮.০২.২০১২.থেকে
২০০৫ সালের ২২ মে, ৬-দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে সিইসি সাঈদের বিদায়। অষ্টম সিইসি হিসেবে ২০০০ সালের ২৩ মে, ৫ বছর আগে চ্যালেঞ্জ দিয়ে শুরু আক্ষেপ দিয়ে শেষ। ৬-দফা সংস্কার প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-(১) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন প্রবর্তন, (২) ইলেকট্রনিক ভোটার রোলের আইনি বিধান, (৩) পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের বিধান, (৪) পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেকটোরাল ইনকুয়ারী কমিটি গঠনের বিধান, (৫) সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বিসিএস নির্বাচন ক্যাডার প্রতিষ্ঠা এবং (৬) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করে কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রাখা। সিইসি প্রেসিডেন্টকে জানান, এ প্রস্তাবগুলো পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন।
২০১২ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিদায়ী সিইসি ড. এ. টি. এম. শামসুল হুদার এ বক্তব্যকে যথার্থ বললেন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

১৯৭২ সাল থেকে ২০০৬ সালের ১৯ আগষ্ট পর্যন্ত, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১.৫(এক লক্ষ পঞ্চাশ) হাজার মানুষ এবং আহত হয়েছে ৫(পাঁচ) লক্ষাধিক। ট্রাফিক পুলিশের কর্তব্যে অবহেলা ঃ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ২০০৬ সালের ২০ আগষ্ট, মিথুন কামাল।
১৯৮২ সালে তদানীন্তন সরকার এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ড্রাইভারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪-বছরের জেল এবং তাদের জামিনের অযোগ্য ঘোষণা করে বিধান প্রণয়ন করেছিলেন। কিন্তু ড্রাইভার ও বাস মালিকরা এতে ভয়ানক বিক্ষুব্ধ হলে এ শাস্তি শিথিল করে দেয়া হয়।
১৯৯৭ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি-যানজটে বছরে লোকসানের পরিমাণ ২০০(দুইশত)কোটি টাকা।
১৯৯৮ সালের ১১ নভেম্বর, অর্থমন্ত্রী বলেন-বণ্যাওোর পুণর্বাসন কমসূচী বিঘিœত হচ্ছে; হরতালে ক্ষতির পরিমাণ ৩৮৬(তিনশত ছিয়াশি) কোটি টাকা।
১৯৯৭ সালের ২৩ নভেম্বরের তথ্যানুযায়ী ঃ জাপান ও বৃটেনের তুলনায় বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০ গুন বেশি প্রাণহানি ঘটে ।
২০-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক রিপোর্ট অনুসারে ঃ ২০০১ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩,৩০৪ জনের প্রাণহানি ঘটিয়াছে। পংঙ্গুত্ববরণ করিয়াছে প্রায় ৪(চার) হাজার মানুষ।
৩১-১০-২০০২ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন-বাংলাদেশে ৬০% থেকে ৭০% ড্রাইভিং লাইসেন্স ভূয়া।
২০০৩ সালের ১৩ এপ্রিল, প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে কিশোরগঞ্জের নাগচিনি নদীতে দু‘শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি শরীয়তপুর নামক দ্বিতল লঞ্চডুবি ২১টি লাশ উদ্ধার।
২০০৩ সালের ২১ এপ্রিল, বুড়িগঙ্গা ও মেঘনায় ঘুর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে দু‘টি লঞ্চ ডুবে দেড় শতাধিক যাত্রীর প্রাণহানি। ঝড় ও বজ্রপাতে দেশের বিভিন্নস্থানে ২৭-জন নিহত।
২০০৩ সালের ৮ জুলাই, স্মরণকালের ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে রাতে চাঁদপুরের কাছে মেঘনার মোহনায় এমভি নাসরিন-২ নামের একটি লঞ্চ ডুবে গেলে নিহত হন ৬০০(ছয়শত) যাত্রী। বাংলাদেশের ইতিহাসে-এর চেয়ে বড় দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এটিই সর্ব্বোচসংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা।
২০০৩ সালের ২৩ ডিসেম্বরের সংবাদ অনুসারে ঃ প্রতি বছর নদীগর্ভে বিলীন হয় ১০ হাজার হেক্টর জমি।। নিঃস্ব ও গৃহহীন হয় ৬০ হাজার মানুষ।
২০০৪ সালের ২৪ মে, চাঁদপুরে ঝড়ের কবলে উল্টে গেছে যাত্রীবাহী লঞ্চ ঃ তলা কেটে ৭ জনকে জীবিত উদ্ধার ঃ ডুবে গেছে আরেক লঞ্চ ‘দিগন্ত’। দুই শতাধিক যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা।
২০০৪ সালের ২৫ মে, বি.এম. হান্নান, চাঁদপুর থেকে ঃ চাঁদপুরে গত ১০ বছরে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত দেড় হাজার এবং নিখোঁজ হয়েছে সহস্রাধিক।
২০০৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, চট্টগ্রামে বরযাত্রীবাহী মিনিবাস-ট্রাক সংঘর্ষ। নিহত ২৫ জন ঃ আহত ৫০ জন।
২০০৫ সালের ১৫ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর ৪(চার) হাজার মানুষ প্রাণ হারায়, ৭.৫(সাড়ে সাত হাজার) মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করে এবং ১৫(পনর) হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।
২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল, আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ বাংলাদেশে বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়-১০(দশ) হাজার মানুষের। আর্থিক ক্ষতি হয় ৪(চার) হাজার কোটি টাকা। ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ৫-বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬,১৯৪(ষোল হাজার একশত চুরানব্বই) জনের মৃত্যুর রেকর্ড সংশ্লিষ্ট সরকারী দফতরে রয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছে ১১,৭৫৭ জন।
২০০৫ সালের ১২ মে’র প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ঢাকা মহানগরীতে ৪৭টি রুটে ৩,৯৪১টি বাস-মিনিবাস চলাচল করে। এ ছাড়া শহরতলির বাইরের ১৫টি রুটে ৮২৯টি বাস-মিনিবাস চলাচল করে।
২০০৫ সালের ২৩ মে, প্রথম আলোর রিপোর্ট ঃ নৌদুর্ঘটনা রোধ হচ্ছে না লাশ উদ্ধারেও ব্যর্থতা-বাংলাদেশে লঞ্চ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার যাত্রী নিহত হয়েছেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীনে বর্তমান চারদলীয় জোট সরকারের সাড়ে তিন বছরেই ৩ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন।
২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি, উমর ফারুক আলহাদী ঃ সারা দেশে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা গত ৫ বছরে ২০ হাজারের বেশী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৫ হাজার এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজারের বেশী। মাত্র সাড়ে ৩-হাজার মামলা হয়েছে। ৮২ ভাগ মামলা আলোর মুখ দেখেনি। দুর্বল ধারার মামলা। অপরাধীদের সাজা হয় না। ভিকটিম ক্ষতি পূরণের কানাকড়িও পায় না।
২০০৬ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ রাজধানীতে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৭৮টি গাড়ীর ফিটনেস নেই-যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
২০০৬ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, এম. আবদুল্লাঃ এক দশকে ২৫টি ভবন দুর্ঘটনায় মারা গেছে দেড় শতাধিক। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন কয়টি তা কেউ জানে না ধসে পড়লেই সাময়িক তোড়জোড়।
২০০৬ সালের ২০ জুলাই, নিউইয়র্ক থেকে এনা ঃ নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত-বাংলাদেশী শিশু ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে ৪৬ কোটি টাকা। ভারতীয় এক মহিলা কর্র্তৃক গাড়ী দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশী শিশু মোহাম্মদ ইমতিয়াজউদ্দিন(১১)।
২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি, ইনকিলাব ডেস্ক ঃ কুমিল্লায় বাস উল্টে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মহিলা ও শিশুসহ নিহত-৭০ জন।
২০০৭ সালের ৯ জুন, নূরুল ইসলাম ঃ ঝুঁকি নিয়ে চলছে ফিটনেসবিহীন ছয় হাজার যাত্রীবাহী লঞ্চ। যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
২০০৭ সালের ১২ জুলাই, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস-ময়মনসিংহে ট্রেনের নীচে লাফিয়ে পড়ে একই পরিবারের ১০ জনের গণআত্মহত্যা।
২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি, গতকাল ২৮-০২-২০০৮ তারিখ বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি। ০২-০৩-২০০৮ তারিখ পর্যন্ত ৪৬ লাশ উদ্ধার।
২০০৮ সালের ২১ এপ্রিল, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। ১০ বছরে দুর্ঘটনায় নিহত দেড় হাজার, দুর্ঘটনা রোধে পুলিশের কর্মসূচী শুরু।
২০০৮ সালের ১৪ মে, নিকলীতে দেড়’শ যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় লাশ পাওয়া গেল ৪৪টি। নিকলীতে ৩৯ লাশ উদ্ধার, অভিযান পরিত্যক্ত।
২০০৮ সালের ১২ জুলাই, সারা দেশে লঞ্চ রুটের সংখ্যা দুই শতাধিক। সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যায় ১০৫টি, আসে ১০৫টি।
২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর, সেমিনারে তথ্য প্রকাশ ঃ প্রতিবছর সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
২০০৮ সালের ৯ নভেম্বর, পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদ বলেন-গত বছর সড়ক দুঘটনায় মারা গেছে প্রায় ৪ হাজার মানুষ এবং ক্ষতি ৪ হাজার কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ২০০৮ সালে ১,৭৯৩ জন শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এবং ২,৬৮৪ জন আহত হয়েছেন।
২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ নরসিংদীর শিবপুরের এ মহাসড়ক এখন যেন মৃত্যুফাঁদ। প্রতিনিয়তই এখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। নরসিংদীতে এক কিলোমিটার অংশ যেন মৃত্যুফাঁদ। মহাসড়ক পার হতে দেড় বছরে প্রাণ গেছে এক কারখানার ২৭ শ্রমিকের।
২০০৯ সালের ৯ মে, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রাম বন্দরে স্বাধীনতার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত ছোট-বড় মোট ৩১টি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত ১৩টি জাহাজ কিংবা জাহাজের ধবংশাবশেষ তুলে আনা সম্ভব হয়। বাকি ১৮টি জাহাজ এখনো পানির নিচে।
২০০৯ মালের ১৮ জুন, প্রথম আলো ঃ বিকেল পাঁচটার সময় মগবাজার রেললাইনের ওপর বাসটি আটকে যায় এবং যাত্রীরা তারাতারি করে বাস থেকে নেমে যায়। লাইনে উঠে পড়া বাসকে উড়িয়ে চার গাড়ির ওপর ফেলল ট্রেন বাসটিকে।
২০০৯ সালের ১১ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ সামান্য চেষ্টায় ২৫% সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। বছরে মারা যায় চার হাজার লোক।
২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ ৪০০ লঞ্চের নকশার ত্রæটি খুঁজতেই লাগবে ১৮ কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে প্রায় ২১ হাজার কিলোমিটার সড়কের মধ্যে চার হাজার সাত কিলোমিটার সড়ককে জাতীয় সড়ক ও মহাসড়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসব সড়কের নিরাপত্তা দেখভালের জন্য চারদলীয় জোট সরকারের আমলে পৃথক হাইওয়ে পুলিশ করা হয়।
২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ লাখ। বৈধ চালক আট লাখ। শ্রমিক ইউনিয়নের তালিকা ধরে লাইসেন্স দেওয়া হয়।
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ গাছে ধাক্কা খেয়ে কয়েক টুকরো হয়ে গেল বাস, নিহত ১৭ জন।
২০১০ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ কমলাপুর-জয়দেবপুর-নারায়নগঞ্জ। ট্রেনে কাটা পড়ে এক বছরে ৩০০ মৃত্যু।
২০০৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর, ইউরোপে দুই হাজার ১৭২ পুরোনো ও বিষাক্ত জাহাজ। প্রধান ক্রেতা বাংলাদেশ। কার্বন নিঃসরণ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে ২০১২ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো তাদের দুই হাজার ১৭২টি মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিষাক্ত জাহাজ বিক্রি করে দেবে। ২০ বছরে ৪০০ শ্রমিকের মৃত্যু। শিপইয়ার্ড বিধিমালা হয়নি।
২০১০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ সড়ক দুর্ঘটনায় শুধু ঢাকা শহরেই এক বছরে ৩২৪ জনের মৃত্যু। এক বছরে ৬১৭ মামালা, সাজা পায়নি কেউই।
২০১০ সালের ১৬ মে, প্রথম আলো ঃ চালকদের সচেতনতা বাড়াতে সম্মেলন। সারা দেশে দৈনিক গড়ে ১৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। বছরে ৫,১১০ জন মারা যান।
২০১০ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ বাসচালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ১৬ প্রাণের মৃত্যু।
২০১০ সালের ২০ মে, প্রথম আলো ঃ কিশোরগঞ্জে চলছে ৫০০ নিবন্ধনহীন ট্রলার। গত পাঁচ বছরে হাওরে সতাধিক ট্রলারডুবিতে পাঁচ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
২০১০ সালের ১৬ জুন, প্রথম আলো ঃ পাহাড়ধসে ৫৪ জনের মৃত্যু। পাঁচ সেনাসদস্যোর লাশ উদ্ধার, নিখোজ ১। ঘটনাস্থল কক্সবাজারের কয়েকটি স্থান ও নাইক্ষ্যংছড়ি।
২০১০ সালের ১৯ জুন, প্রথম আলো ঃ জরিপের তথ্য ঃ শুধু ২০০৯ সালেই ঢাকা শহরে এক হাজার ৩৮৪টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
২০১০ সালের ৩ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন মানুষ মারা যায়। সম্পদের ক্ষতি হয় বছরে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
২০১০ সালের ২ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ দুর্ঘটনা-সক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এআরআইয়ের গবেষণা প্রতিবেদন। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর ১২,০০০ হাজার মানুষ নিহত হয়। নিহত ৮০ শতাংশের বয়স পাঁচ থেকে ৪৫ বছর। নিহত ব্যক্তিদের ৫৩ শতাংশই পথচারী, যাদের ২১ শতাংশের বয়স ১৬ বছরের নিচে।
২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষ। নরসিংদীতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই চালকসহ অন্তত ১৩ জন নিহত, আহত কমপক্ষে ১৫০ জন।
২০১০ সালের ১৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সুনামগঞ্জে নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৭ জনের মৃত্যু।
২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ নরসিংদীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এক উপপরিদর্শকসহ পুলিশের ১০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
২০১১ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ৬১ ভাগ সড়কই নাজুক। মানে ৫৫ হাজার কিলোমিটার সড়ক নষ্ট। আমার এলাকার রাস্তাও খারাপ। আমরা পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাইনি। তবে ছয় মাসের মধ্যে সর রাস্তা মেরামত হয়ে যাবে ঃ যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। সারা দেশে পাকা সড়ক আছে ৯০ হাজার ২১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) অধীন ১৮ হাজার ২১০ কিলোমিটার এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ৭২ হাজার কিলোমিটার। রাজধানী ঢাকার অবস্থা আরও খারাপ। রাজধানীতে এক হাজার ৮৩৫ কিলোমিটার সড়ক আছে।
২০১১ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ গত দুই বছরে সড়ক উন্নয়নে কোনো কাজ হয়নি। তোফায়েলের বক্তব্যকে সমর্থন জানাল সংসদ।
২০১১ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন সড়ক দুর্ঘনায় মারা যাচ্ছে। বছরে ক্ষতি হয় সাত হাজার কোটি টাকার মতো। দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হলে তিন বছরের ক্ষতির টাকা দিয়েই একটি পদ্মা সেতু তৈরি করা সম্ভব।
২০১১ সালের ২২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল মেঘনা নদীর মোহনায় লঞ্চডুবিতে ২৮ জনের মৃত্যু।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ প্রতিবছর দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে ১২ হাজার মানুষ।
২০১১ সালের ১৯ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ পরীক্ষা ছাড়া লাইসেন্স পেয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার চালক। এবার আরও ২৮ হাজারের জন্য আবেদন করেছেন নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান।
২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ গত ১০ বছরে ৫৩,০৩৩ সড়ক দুর্ঘটনা। নিহত-২৭,৫৯৫ জন, আহত-২৫,৪৩৮ জন।
২০১১ সালের ৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ৮ জনের মৃত্যু।
২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রামে বিআরটিএর সেমিনার-সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মারা যায় নয় হাজার মানুষ।
২০১১ সালের ২৯ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২৬ জন।
২০১১ সালের ১২ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ চট্টগ্রামের মীরেরসরাইতে ট্রাক উল্টে ৪৪ শিশু-কিশোরের মৃত্যু, আহত ২০। ফুটবল খেলাশেষে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা। স্মরণকালের ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা।
২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন জানান-সড়ক মুর্ঘটনায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে সাত হাজার ৭৪৪ জন নিহত হয়েছে। এ সময়ে সড়ক দুঘটনা হয়েছে প্রায় সাড়ে আট হাজার।
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রামের মীরেরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪ জন ছাত্রছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাকচালক মফিজের পাঁচ বছর কারাদন্ড।
২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃসিলেটে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, ঝরে গেল নয়টি প্রাণ। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে।
২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ রাজধানীতে ৫১ মৃত্যু ফাঁদ, দাবঢ়ে বেড়াচ্ছে এক লাখ অবৈধ চালক। সারাদেশে ২০৯টি এসব স্পটেই ঘটছে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা। মুহূর্তেই নিভে যাচ্ছে মানুষের জীবন প্রদীপ। পুঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকে।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাস্তায় সোয়া লাখ অনুপযুক্ত যান। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার দুর্ভোগ বাড়ছে। ক্ষতি ৩২০ কোটি টাকা। বছরে চার ধরনের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত সরকার। দুর্ঘটনা, দুর্ভোগ শুধু বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় পাঁচ বছরে ছোট-বড় ১৫৯টি দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যায় ৬২৪ জন। বিআরটিএর হিসাব-দেশে বাণিজ্যিক যানের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ। এর এক লাখ অনুপযুক্ত। মোট বাণিজ্যিক যানের ১৮% অনুপযুক্ত। যোগাযোগমন্ত্রী বলেন-১০টি স্থানে উপস্থিত থেকে যানবাহন পরীক্ষা করেছি। এর মধ্যে ৮০% অনুপযুক্ত ও কাগজপত্র ভুয়া।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পাহাড়ি সড়ক থেকে গভীর খাদে বাস, নিহত ১৭ জন।
২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সেমিনারে বক্তারা ঃ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর আর্থিক ক্ষতি বিশ হাজার কোটি টাকা।
২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ পরিবহন খাতের ৯৩২ সংগঠনের মধ্যে ৬৮৬টিই অবৈধ।
২০১২ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সিলেটে অটোরিকস্-াট্রাক সংঘর্ষে পিতাপুত্রসহ নিহত ৬ জন।
২০১২ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ মেঘনায় লাশের সারি। লঞ্চডুবি, ৩৬ লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ দুই শতাধিক। শরীয়তপুর থেকে ঢাকাগামী শরীয়তপুর-১ লঞ্চটি গতকাল মুন্সিগঞ্জের চররমজান বেগ এলাকায় মেঘনা নদীতে মালবাহী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।
২০১২ সালের ২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ১৯৭৬ সালে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ (আইএসও) প্রণীত হয়। দেশে ওই সময় থেকেই নৌ-দুর্ঘটনার বিষয়ে হিসাব রাখার ব্যবস্থা হয়। অধিদপ্তর তখন থেকে মোট ২১টি পরিসংখ্যান পুস্তক বের করেছে। পরিসংখ্যান ও বাস্তবের ফারাক ঃ সরকারি পরিসংখ্যাসংক্রান্ত প্রকাশনা থেকে জানা যায়, ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সাত বছরে লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে ২৮৫টি। এর মধ্যে ২০০৩ সালে ৩১টি দুর্ঘটনায় মারা যায় ৪৬৪ জন, ২০০৪ সালে ৪১টি দুর্ঘটনায় ২৮৪ জন, ২০০৬ সালে ২৩টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন, ২০০৭ সালে ১১টি দুর্ঘটনায় মারা যায় ২ জন, ২০০৮ সালে ২২টি দুর্ঘটনায় মারা যায় ১২০ জন, ২০০৯ সালে ৩৪টি দুর্ঘটনায় মারা যায় ২৬০ জন, এবং ২০১০ সালে ২৮টি দুর্ঘটনায় মারা যায় ৫৪ জন। মৃতের সংখ্যা এক হাজার ২৩৫ জন। এতে বলা হয়, ওই সব দুর্ঘটনায় আহত ৩৫৫ এবং নিখোঁজ ২৪১ জন। বাস্তবে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা গেছে চার হাজার ৩২২ জন যাত্রী। এর মধ্যে ২০০০ সালে প্রাণ হারায় ৪৩৯ জন। ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ঈদুল আজহার রাতে চাঁদপুরের মতলবে এমভি জলকপোত ও এমভি রাজহংসীর মধ্যে সংঘর্ষে মারা যায় ৩০২ জন যাত্রী। লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হিসাবে বিরাট অসঙ্গতি।
২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ এগারো জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন এবং আহত ৭০ জন।
২০১২ সালের ২৭ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ নয় লাখ ভুয়া চালকের হাতে স্টিয়ারিং, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সারাদেশে ১০ দুর্ঘটনায় নিহত ৫, আহত ১৩ জন।
২০১২ সালের ৩১ মে, প্রথম আলো ঃ বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ। একই পরিবারের ৯ জন ঝরে গেল ১২ প্রাণ। রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের কদমপুর এলাকায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩০-০৫-২০১২ তারিখ ১২ জন নিহত হয়েছেন।
২০১২ সালের ৬ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ঢাকা-সিলেট রোডে সকার ৭টার দিকে সিলেটের অংশে বাস ও মাইক্রোবাসের মধ্যে সংঘর্ষে একই পরিবারের ৮ জনসহ ১৩ জন মাইক্রোবাসের যাত্রী মারা যান। বাসের একজনও মারা যাননি। বাস ড্রাইবার রংদিকে বাস চালাইতেছিল। যেমন বাস ড্রাইভার তার বামদিকে আসবে, তা না করে সে তার ডান দিকে বাস চালাইতে ছিল।
২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ০২-০২-২০১৩ তারিখ মানিকগঞ্জে বাস-টেম্পোর মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৭ জন।
২০১৩ সালের ১৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ গতকাল দুপুরে ১৬-০৩-২০১৩ তারিখ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট স্কুলভ্যান। আট শিশু হারিয়ে স্তব্ধ হাতিমারা গ্রাম।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন ঃ অবকাঠামো বিনির্মাণে বছরে ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১ হাজার কোটি ডলার দরকার। তবে সড়ক সুবিধার হিসাব দিতে গিয়ে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের প্রতি এক হাজার ব্যক্তির জন্য-১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে এবং ৬২৫ জনের জন্য এক কিলোমিটার সড়ক আছে। ভারতীয় ১০০০(এক হাজার) ব্যক্তির জন্য-৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে এবং ভারতে ২৮৬ জনের জন্য এক কিলোমিটার সড়ক আছে আর সবচেয়ে বেশি সড়ক রয়েছে-৯ দশমিক ৭ কিলোমিটার প্রতি হাজার ভুটানবাসীর জন্য। ভুটানবাসীর-১০৩ জনের জন্য এক কিলোমিটার সড়ক আছে।
২০১৪ সালের ৪ আগস্ট, প্রখম আলো : অব্যবস্থাপনার বলি নিরীহ যাত্রীরা। ৩০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবি, দুজনের লাশ উদ্ধার নিখোঁজ-১২৫ জন। দুই দশকে নিখোঁজ ও মৃত্যুর খতিয়ান। যখন বড় কোনো দুর্ঘটনা হয়, তখন সরকারের মধ্যে নড়াচড়া শুরু হলেও তা একসময় থেমে যায়। কেউই শাস্তি পায় না। এরপর আবার দুর্ঘটনা বাড়ে, মৃত্যুর মিছিলও বাড়ে। ১৯৯৪-২০১৪ সালে সরকারের হিসেবে-৩৮৯ দুর্ঘটনা আর বেসরকারি হিসেবে-৬৫৮ দুর্ঘটনা। সরকারের হিসেবে মৃত্যু-২৯০০ আর বেসরকারি হিসেবে-৫৫০০ জন। সরকারের হিসেবে নিখোঁজ ৬০০ আর বেসরকারি হিসেবে-১৫০০ জন। ২০ বছরে মৃত্যু-৫,৫০০ জন এবং নিখোঁজ ১,৫০০ জন।
২০১৪ সালের ৯ আগস্ট, প্রথম আলো : ঝুঁকি নিয়ে দেড় হাজার লঞ্চ চলছে সারা দেশে। সমন্বয় নেই নৌ সংস্থাগুলোর।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর, প্রথম আলো : ওভারটেক করতে গিয়ে দুটি বাস মুখোমুখি। ২০-১০-২০১৪ তারিখ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রেজির মোড়ে নাটোর-ঢাকা মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং ২২ জন আহত হয়েছেন।
২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর, প্রথম আলো : বেপরোয়া গতি, চালকের জন্যই ৯১% দুর্ঘটনা। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মারা যায় পথচারী। সড়ক দুর্ঘটনার কারণ-অতিরিক্ত গতি ৫৩.২৮%, বেপরোয়া চালক ৩৭.৩৮%, পথচারীদের ভুল ৩.৫৬% ও অন্যন্য ৫.৭৮%। ১৪ বছরে প্রাণহানি ৪২ হাজার ৫২৬ জন। সূত্র : এআরআই, বুয়েট।
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো : গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৬ হাজার ৫৮২ জনের। আহত হয়েছে-১০ হাজার ৭৭০ জন। ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ২ হাজার ৭১৩ জন। আবার ২০১৩ সালে দুর্ঘটনা ৭৫০টি।
২০১৫ সালের ২২ জুলাই, প্রথম আলো : বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়ক। প্রাণঘাতী ২২ কি.মি. ৭ মাসে নিহত ৭১ জন। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কে দুর্ঘটনা। ১৭ বছরে-মোট প্রাণ হারিয়েছে-৪২৮ জন।
২০১৫ সালের ২৪ জুলাই, প্রথম আলো : সড়ক দুর্ঘটনা কমছে না। এক দশক ধরে শুধুই সিদ্ধান্ত প্রয়োগ নেই। মহাসড়কে অটোরিকশা, নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধ হয়নি।
২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট, প্রথম আলো : ১৭৫২ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হবে : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী-ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট, প্রথম আলো : সড়ক দুর্ঘটনা-চালকের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা করা যাবে না। এ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড-এখন শাস্তি সর্বোচ্চ তিন বছর।
২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : ১৪ শতাংশ সড়ক ভাঙা।
২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ৪৪ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন লাখ প্রাণহানি।
২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ডবিøউএইচওর প্রতিবেদন-বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মৃত্যু ২১ হাজার। সড়ক দুঘটনার ক্ষতি মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৬ শতাংশের সমান।
২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ সড়ক দুর্ঘটনার ৫৯% মামলা মাটিচাপা।

১৯৭৩ সালের ১৪ এপ্রিল, প্রথম সংবিধানের সংশোধনী বিল-১৯৭৩ (১) ১ম সংসদে ৪টি সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়। ১৯৭৩ সালের (জুলাই মাসে) ১৪ এপ্রিল, ১ম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যাজনিত অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী বিচারের বিষয়টি ছিল। ১৯৭৩ সালের (২২ সেপ্টেম্বর) ২০ সেপ্টেম্বর, ২য় সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-এ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে জরুরী অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা দেয়া হয়। ১৯৭৪ সালের (২৮ নভেম্বর) ২৩ নভেম্বর, তৃতীয় সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-এতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলসমূহের বিভাজন ও ছিটমহলগুলোর ব্যবহার সংক্রান্ত মুজিব-ইন্দিরা দিল্লী চুক্তি কার্যকর করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি, ৪র্থ সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-এর মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পরিবর্তে একদলীয় বাকশাল কায়েম এবং সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে প্রেসিডেন্ট শাসিত পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান আপনাআপনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবির্ভূত হন। (২) দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে ৫ম ও ৬ষ্ঠ-এ দুটি সংশোধনী আনা হয়। ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল, ৫ম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-এতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক শাসনের অধীনে গৃহীত সকল পদক্ষেপের বৈধতা দেয়া হয়। এ সংশোধনীতে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ সংযোজন করা হয়। ১৯৮১ সালের (১০ জুলাই) ৮ জুলাই, ৬ষ্ঠ সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিচারপতি আবদুস সাত্তার এ সংশোধনী পাস করেন।
(৩) তৃতীয় জাতীয় সংসদে ৭ম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়। ১৯৮৬ সালের (১১ নভেম্বর) ১০ নভেম্বর, ৭ম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-এ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত এরশাদের সামরিক শাসনামলে জারিকৃত সকল ফরমান, আদেশ-নির্দেশ, বিধি এবং কৃত অন্যান্য কর্মকান্ডকে বৈধতা দেয়া হয়। (৪) ৪র্থ জাতীয় সংসদে ৮ম, ৯ম ও ১০ম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়। ১৯৮৮ সালের (৯ জুন) ৭ জুন, ৮ম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-এ সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ১৯৮৯ সালের (১১ জুলাই) ১০ জুলাই, ৯ম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-এর মাধ্যমে নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ সৃষ্টি এবং একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান করা হয়েছিল। ১৯৯০ সালের ১২ জুন, ১০ম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-এ সংশোধনীর মাধ্যমে মহিলাদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষণ এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কিত সংবিধানের বাংলা ভাষা সংশোধন করা হয়। (৫) ৫ম জাতীয় সংসদে ১১তম ও ১২তম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়। ১৯৯১ সালের ৬ আগষ্ট, ১১তম ও ১২তম সংবিধানের সংশোধনী একই দিনে পাস হয়। ১১তম সংশোধনীতে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নিয়োগ, ক্ষমতা প্রয়োগ এবং গৃহীত সকল পদক্ষেপ বৈধ করতে সংবিধানের একাদশ সংশোধনী পাস করা হয়। তারপর ঐতিহাসিক ১২তম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পূনঃপ্রবর্তন করা হয়। (৬) ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে ১৩তম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়। ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ, ১৩তম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-ভোররাতে পাসকৃত ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান করা হয়েছে। (৭) ৭ম জাতীয় সংসদে সংবিধানের কোন প্রকার সংশোধনী পাস হয়নি কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে কিন্তু আওয়ামী লীগের দুই তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য ছিল না বলে সংবিধানের সংশোধন আনতে পারেনি। (৮) ৮ম জাতীয় সংসদে ১৪তম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়। ২০০৪ সালের ১৬ মে, ১৪তম সংবিধানের সংশোধনী পাস হয়-এতে সংযোজন করা হয় জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩০ থেকে ৪৫টিতে উন্নীত করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে বন্টন ব্যবস্থা করা হয়। (৯) ৯ম জাতীয় সংসদের ২০১১ সালের ৩০ জুন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পাস হয় বহুল আলোচিত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল। এ বিলটির মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে থাকা তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই অর্থাৎ পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন পূর্বেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি পুনঃপ্রবর্তন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ থাকলেও ধর্মনিরপেক্ষতা ও সকল ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত ক রা হয়। নির্বাচন কমিশনে দু’জন কমিশনারও বাড়ানো হয়। ২০০৫ সালের ৩০ আগষ্ট, ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার ঃ সংবিধানের ৫ম সংশোধনী অবৈধ ঃ হাইকোর্ট। মোস্তাক, সায়েম ও জিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ বেআইনী। সুপ্রিম কোর্টের-আপীল বিভাগে স্থগিত। ৫ম সশোধনী বাতিল হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেবে-বিচারপতি আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী। ৫ম সংশোধনী বাতিল হলে ওলট-পালট হয়ে যাবে গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থা। আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া-জজ সাহেবদের ভাল পদক্ষেপ। স্বাধীন বাংলাদেশের ৩২ বছরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ১৪টি সংশোধনী হলেও ৫ম সংশোধনীর মত এত ব্যাপকতর সংশোধন-সংযোজন-বিয়োজন কমই হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী পাস করে বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার কায়েম। সংসদে কোনো আলোচনা ছাড়াই বিলটি উত্থাপনের মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই তা পাশ হয়।
১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রচলিত সকল রাজনৈতিক দল বাতিল ও বেআইনী ঘোষণা করে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’(বাকশাল) নামে একটি জাতীয় দল গঠন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৬ জুন সংবাদপত্রের ‘কালো দিবস’। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার মাত্র ৪টি সংবাদপত্র সরকারী মালিকানায় নিয়ে দেশের অন্য সব সংবাদপত্র ও সাময়িকী বন্ধ করে দেয়। সেই থেকে সাংবাদিকরা ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর, বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ম সংশোধনী গৃহীত হয়। এতে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
১৯৮৯ সালের ১০ জুলাই,বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংবিধানের ৯(নবম) সংশোধনী পাশ।
২০০৪ সালের ১৬ মে, জাতীয় সংসদে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী বিল পাস ঃ আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত * পক্ষে ২২৬ ভোট * বিপক্ষে ১। আগামী ১০ বছরের জন্য মহিলা আসন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা অনুসারে হবে। মহিলা সংরক্ষণ করা হয়েছে ৪৫টি। সংবিধান সংশোধনী আনা হয়েছে শেখ মুজিবের আমলে ৪(চার) বার মানে ৪র্থ সংশোধনী পর্যন্ত। এরশাদের আমলে সংবিধানের সংশোধনী আনা হয়েছে ৪(চার)বার মানে ৮ম সংশোধনী পর্যন্ত। জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার আমলে সংবিধান সংশোধনী আনা হয়েছে ৬(ছয়) বার।
২০০৫ সালের ৩০ আগষ্ট, ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার ঃ সংবিধানের ৫ম সংশোধনী অবৈধ ঃ হাইকোর্ট (২৯-০৮-২০০৫ তারিখ)। মোস্তাক, সায়েম ও জিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ বেআইনী। সুপ্রিম কোর্টের-আপীল বিভাগে স্থগিত। ৫ম সশোধনী বাতিল হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেবে-বিচারপতি আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী। ৫ম সংশোধনী বাতিল হলে ওলট-পালট হয়ে যাবে গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থা। আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া-জজ সাহেবদের ভাল পদক্ষেপ। স্বাধীন বাংলাদেশের ৩২ বছরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ১৪টি সংশোধনী হলেও ৫ম সংশোধনীর মত এত ব্যাপকতর সংশোধন-সংযোজন-বিয়োজন কমই হয়েছে।
২০০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ হাইকোর্ট সীমা লংঘণ করেছে-এর্টনি জেনারেল। ৫ম সংশোধীর রায় ২ মাস স্থগিত।
২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-শাহীন রাজা ঃ বিরোধীদলের আন্দোলনে নতুন মাত্রা-সংবিধানের ৫ম সংশোধনী। স¤প্রতি হাইকোর্টের রায়ে সংবিধানের ৫ম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা ও সুপ্রিম কোর্টে তা স্থগিত হওয়ার পর সরকারবিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হতে যাচ্ছে। এ রায়কে পুঁজি করে আওয়ামী লীগসহ ১৪-দল সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সারাদেশে প্রচার চালাবে।
২০০৫ সালের ৪ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টারঃ মাইনরিটি ল’ইয়ার্স এসোসিয়েশন কনভেনশনে বক্তরা-এ সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনরুদ্ধার করতে হবে।
২০১০ সালের ২৮ আগষ্ট, জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোর্টঃ ২০০৫ সালের ২৯ আগষ্ট, বিচারপতি এ. বি. এম. খায়রুল হক এবং বিচারপতি এ. টি. এম. ফজলে কবীর সংবিধানের ৫ম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেন। ২০১০ সালের ২ ফেব্রæয়ারি, সংবিধানের ৫ম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে আপীল বিভাগ রায় ঘোষণা করে; তৎকালীণ প্রধান বিচারপতি মোঃ তাফাজ্জাল ইসলাম পিন পতন নীরবতার মধ্যে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। ২৭-০৭-২০১০ তারিখ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ ৫ম সংশোধনী মামলার পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। আবার ২০১০ সালের ২৬ আগষ্ট, বিচারপতি এ. এইচ. এ. শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি মোঃ জাকির হোসেন ৭ম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর পরই রিটকারীর আইনজীবী আপীল করার জন্য সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহ করেছেন। এখন বিষয়টি আপীল বিভাগে গিয়ে নির্ধারিত হবে।
২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : ১৭ সেপ্টেম্বর, সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংসশোধনী বিল পাস হয়। এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউনসিলের কাছ থেকে সংসদের কাছে ন্যস্ত হয়েছে। বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ৩২৭টি। বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে সংসদের কাছে সর্বময় ক্ষমতা হস্তান্তর। বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেবে সংসদ। তিনশত সাতাশ জন সংসদ সদস্য সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭৪ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারী শুরু।
(১) ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল-৭ কোটি ১৪ লাখ।
১৯৮১ সালে দেশে দ্বিতীয় আদমশুমারি শুরু হয়।
(২) ১৯৮১ সালে ছিল-৮ কোটি ৭১ লাখ।
(৩) ১৯৯১ সালে ছিল-১০ কোটি ৬৩ লাখ।
(৪) ২০০১ সালে ছিল-১৩ কোটি। (১) পুরুষ ৬.৭১ ও (২) ৬.২৯ কোটি নারী এবং বৃদ্ধির হার ১.৫৮%।
(৫) ২০১১ সালে ১৪ কোটি ৯৮ লাখ। সালে বৃদ্ধির হার ছিল ১.৩৭%।
(৬) ২০১২ সালের ১৬ জুলাই, ১৫ কোটি ২৫ লাখ ১৮ হাজার ০১৫ জন। (১) ৭.৬৪ কোটি পুরুষ ও ৭.৬২ কোটি নারী।
১৯৭৫ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, ডিএমপি প্রতিষ্ঠার সময় রাজধানীর জনসংখ্যা ছিল ৩২ লাাখ।
২০০৪ সালের ২৭ মে, অর্থনৈতিক রিপোর্টারঃ ২০০১ সালের শুমারি অনুসারে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ পরিবারের চাষযোগ্য কোন জমি নেই। দারিদ্র্য বিমোচন সংলাপে তথ্যপ্রকাশ।
২০০৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ইউএনএফপিএ’র রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যা-১৫ কোটি ঃ ৪০ ভাগই দারিদ্র সীমার নীচে। সারাবিশ্বে জন্মহার ১.২ হলেও বাংলাদেশের জন্মহার ২। এ হারে জনসংখ্যা বাড়লে ২০৫০ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে ২৬ কোটি ৫৪ লাখ। বর্তমানে বিশ্বের মোট প্রজনন হার ২.৬৯ এবং বাংলাদেশের ৩.৪৬। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫ বছরের নীচে নারী শিক্ষার হার ৬৯ ভাগ এবং পুরুষ ৫০ ভাগ। বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা-৬শ’ ৩৭ কোটি ৭৬ লাখ। ২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা-৯৩০(নয়শত ত্রিশ) কোটি বা ১,০০০ কোটি । পৃথিবীর ২শ’ ৮০ কোটি লোক অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রতি ৫ জনের ২ জন এখনও দৈনিক মাথাপিছু ২-ডলারের কমে জীবন-যাপন করে।
২০০৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশে বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ খৃষ্টান আছে।
২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ২০৩০ সালে দেশের ৪টি মহানগরীর জনসংখ্যা হবে-১০ কোটি। বিশ্ব ব্যাংকের উন্নয়ন ডাটাবেজ সূচকে এ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর, বাসস ঃ ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে বৃদ্ধ লোকের সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখে দাঁড়াবে।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার রাবিতা আল-আলম আল-ইসলামের তথ্যানুযায়ী উর্দুভাষী বাংলাদেশীদের মোট সংখ্যা হলো-২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩০ জন। এরমধ্যে ক্যাম্পে থাকে-১ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ জন। ক্যাম্পের বাইরে থাকে-১ লাখ ১১ হাজার ১৮২ জন।
২০০৬ সালের ২৭ এপ্রিল, বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ঃ ২০২৫ সাল নাগাদ জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে মুসলমানরা থাকবে শীর্ষে। ইউনিভারর্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি চিটাগাং-এর জনসেবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাতীয় অধ্যাপক ও ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ড. নুরুল ইসলাস ওয়েবসাইট থেকে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন। প্রতি বছর বিশ্বের মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.৩%। আর মুসলমানের বৃদ্ধির হার বিশ্বজনসংখ্যার ২.৯%। ১৯০০ সাল থেকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জনসংখ্যার খ্রিস্টান অপরদিকে মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়া যায়। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৯০০ সালে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৬.৯% ছিল খ্রিস্টান অপরদিকে মুসলমানের সংখ্যা ছিল ১২.৪%। ১৯৮০ সলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩০% ছিল খ্রিস্টান অন্যদিকে ১৬.৫% ছিল মুসলমান জনসংখ্যা। ২০০০ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৯.৯% ছিল খ্রিস্টান আর মুসলমানের সংখ্যা ছিল ১৯.২%। বিশ্বে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানের বৃদ্ধির হার খ্রিস্টানদের চেয়ে বেশী। এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী ২০২৫ সালে বিশ্বজনসংখ্যার ২৫% হবে খ্রিস্টান আর ৩০% হবে মুসলমান।
২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি, বাংলাদেশে বছরে জনসংখ্যা বাড়ছে ২০/২৫ লাখ করে। ২০৩৭ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে-২১ কোটি এবং ২০৫১ সালে হবে-২৮ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ উর্ধ্বগতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। বৃদ্ধির এ গতি রোধ করা না গেলে দেশের সব উন্নয়ন পরিকল্পনাই ভেস্তে যেতে পারে।
২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার না কমালে সমস্যা বাড়বে প্রতি ক্ষেত্রে।
২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ এক সন্তানের দম্পতি রাষ্ট্রের কাছে বিশেষ সুবিধা পাবেন। এক সন্তানের দম্পতিকে চাকরি, ঋণ, সরকারি সহায়তা, সন্তানদের স্কুলে ভর্তিসহ নানা ক্ষেত্রে সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে মানুষ সন্তান কম নিতে উৎসাহী হবেন। এখন নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। খসড়া নীতিমালায় ২০১৫ সালে এনএনআর-১ অর্জনের কথা বলা হচ্ছে। সেই প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০৭০ সালে দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল হবে। তখন জনসংখ্যা হবে ২৫ কোটি। আমার কথা জনসংখ্যা হবে-২৮ কোটি।
২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় মানুষ আর মানুষ। প্রতিদিন ২১৩৬ জন রাজধানীতে ঢুকছে। প্রতিদিন শতাধিক নতুন গাড়ি রাস্তায় নামছে। বংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাজধানীতে নিবন্ধনকৃত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৫৪ হাজার। ২০০৯ সালে হবে-১১ লাখ। এরমধ্যে আছে মোটরগাড়ি, জিপ, মাইক্রোবাস, বাস, মিনিবাস, ট্রাক, অটোরিকসা, মোটরসাইকেল ইত্যাদি। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে-সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৮২টি, এরমধ্যে ৬০টি ঢাকা শহরে। ৩৮টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৩২টি ঢাকায়। তথ্য অনুযায়ী ছয়টি বিভাগে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় এক কোটি সাত লাখ ৭৩ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০ লাখ ৩০ হাজার (২৮ শতাংশ) ঢাকা বিভাগে। দেখা যায় সবচেয়ে বেশি স্কুল চট্টগ্রাম বিভাগে (৭০৬)টি, আর ঢাকা বিভাগে ৫৮৫টি। পোশাকশিল্পের ১৮ লাখ শ্রমিক, ১০ লাখ নির্মাণ শ্রমিক ও ৫ লাখ রিকসাশ্রমিক বাস করছে। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৪ শতাংশ আর ঢাকা শহরে বৃদ্ধির হার চার শতাংশ। নাগরিক সমস্যা গভীরতর হচ্ছে। দিন দিন ঢাকা শহরে পানির সমস্যা প্রকট হচ্ছে। এ শহরের মানুষের জন্য প্রতিদিন ২ দশমিক ১ বিলিয়ন লিটার পানির প্রয়োজন। ওয়াসা ৪০০ গভীর নলকুপের মাধ্যমে ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ করে। বর্তমানে ৪৬ মিটার নিচ থেকে পানি উত্তোলন করতে হচ্ছে। আট বছর আগে ২৬ মিটার নিচে পানি পাওয়া যেত। আর ৩০ বছর আগে মাটির ১১ মিটার নিচ থেকে পানি পাওয়া যেত। ঢাকা শহরের মানুষ গ্যাসের সমস্যায় ভুগছে, দিন দিন এই সমস্যা প্রকট হচ্ছে। একই সমস্যা বিদ্যুৎ নিয়ে। সারা দেশে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, এর ৪০ শতাংশ ব্যবহার করে ঢাকাবাসী মানে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
২০১০ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরে দেশে বসতভিটাহীন পরিবারের সংখ্যা ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৫৫টি। আর শুধু বসতভিটা আছে এমন পরিবারের সংখ্যা ২১ লাখ ৬২ হাজার ৮০৩টি। বসতভিটাসহ পাঁচ শতাংশের কম ভূমি রয়েছে এমন পরিবারের সংখ্যা ৪০ লাখ ৬ হাজার ১৩৭টি।
২০১০ সালের ৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ দেশে প্রজনন হার ২ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০১ সালে ছিল ৩ শতাংশ। সত্তরের দশকে ছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
২০১০ সালের ২১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ জনসংখ্যা ঃ গতকাল বুধবার (২০-১-২০১০ তারিখ) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০১০’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।
২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির জনসংখ্যা ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৩২৪ জন। এরমধ্যে মুসলমান পাঁচ লাখ ৬২ হাজার ৯৪৭ জন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ৩৭৬ জন, হিন্দু এক লাখ ২৪ হাজার ৯১ জন, খ্রিষ্টান ৩১ হাজার ৭২ জন এবং অন্যান্য ধর্মের রয়েছে আট হাজার ১৩৮ জন। এ তিন জেলায় ৯০৭টি মসজিদ, ৮১১টি মন্দির, ৩৭৫টি গির্জা এবং ৫২৬টি প্যাগোডা বা বৌদ্ধবিহার রয়েছে।
২০১১ সালের ১৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ দেশে ৫ম আদমশুমারি শুরু হয়েছে। দেশে সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে আদমশুমারি হয়। এরপর ১৯৮১, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে আদমশুমারি ও গৃহগণনা হয়। এতে ৪ লাখ লোক গণনার কাজে নিয়োজিত ছিল এবং বাজেট ছিল ২৫২ কোটি টাকা। আর ১৫-০৩-২০১১ তারিখ থেকে ১৯-০৩-২০১১ তারিখ পর্যন্ত গণনার কাজ চলবে।
২০১১ সালের ১৯ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ফের সংবাদ সম্মেলন ঃ দেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটিতে পৌঁছতে পারে।। বিবিএস ডিজি। ১৬ জুলাই দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ঘোষণা করার একদিন পর ১৭ জুলাই তা ১৫ কোটিতে পৌঁছতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিবিএসের মহাপরিচালক শাহজাহান আলী মোল্লা। আর পঞ্চম আদমশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন ২০১২ সালের মার্চ মাসে প্রকাশ করার ঘোষণা দেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সিআই বলছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৮৬ লাখ আর মিডিয়া বলছে ১৬ কোটি।
২০১১ সালের ২০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পঞ্চম আদমশুমারির ফলাফল। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আপত্তি। বিবিএসের হিসাবে ২০১০-২০১১ সালে দেশে মোট চালের উৎপাদন হয়েছে তিন কোটি ৩৩ লাখ টন। আর কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে মোট উৎপাদন তিন কোটি ৪০ লাখ টন। সব মিলিয়ে জনসংখ্যা ১৬ কোটি হতে পারে।
২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে প্রতিবছরে ২২ লাখ মা গর্ভধারণ করেন। তাঁদের ৫৪ শতাংশ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর (চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী, দাই) কাছে প্রসব-পূর্ব সেবা পান। ২৭ শতাংশ মা সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর সেবা পান। আর প্রসব-পরবর্তী সেবা পান ২৩ শতাংশ।
২০১২ সালের ১০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৮০ লাখ। প্রায় ৪% মানুষ গণনা থেকে বাদ পড়েছিল। প্রাথমিক ফলাফলে দেশের জনসংখা ছিল ১৪ কোটি ২৩ লাখ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৪ শতাংশ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ৯৬৪ জন। ২০১১ সালের ১৯ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৮০ লাখ। ঢাকা সিটি নির্বাচন ২৪ মে, মোট ভোটার ঢাকা উত্তরে ভোটার ২১ লাখ ৭২ হাজার ৪২৭ জন। দক্ষিণের ভোটার ১৬ লাখ ৮০ হাজার ৪৯৯ জন।
২০১২ সালের ১৫ জুলাই, জনসংখ্যা প্রায়-১৫ কোটি। গত দশ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৪৫ লাখ। সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করছে ঢাকা শহরে এক কোটি ৫০ লাখ। প্রতি বছর মানুষ বাড়ে ২৫ লক্ষ করে।
২০১২ সালের ১৭ জুলাই, (বিদেশে প্রায় ৮০ লাখ লোক আছে)। ২০১২ সালের ১৭ জুলাই, জনসংখ্যা প্রায়-১৬ কোটি। গত দশ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৪৫ লাখ। সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করছে ঢাকা শহরে এক কোটি ৫০ লাখ। দেশে আদিবাসী জনসংখ্যা ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৪১ জন। আদমশুমারি অনুযায়ী দেশে খানার সংখ্যা তিন কোটি ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৬। পরিবারের গড় ৪.৪ জন। ১০০ নারীর বিপরীতে ১০৩ জন পুরুষ। সবচেয়ে মানুষ বাস করে ঢাকা জেলায় এক কোটি বিশ লাখ ৪৩ হাজার ৯৭৭ জন। প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে আট হাজার ২২৯ জন। সবচেয়ে কম মানুষের বাস বান্দরবন জেলায় তিন লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৫ জন। এই জেলায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ৮৭ জন। পুরুষের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ আর নারীর মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৪৯ দশমিক ৪ জন। আর আমার বিশ্বাস লিখতে-পড়তে পারে ২৫ শতাংশ মানুষ।
১০ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা ৯ লাখ কমেছে ঃ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় অভাববোধ বাস্তাব ও অনুমিত। সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে কিছু লোক নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু নেতা বা রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে স্থানীয় পর্যায়ে সেই প্রতিশ্রুতি পালিত হয় না। ড. আনিসুজ্জামান-ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তুলনামূলক তথ্য সারণি (আদমশুমারি অনুযায়ী)
শতকরা ১৯৫১ ১৯৬১ ১৯৭৪ ১৯৮১ ১৯৯১ ২০০১ ২০১১
মুসলিম ৭৬.৯ ৮০.৪ ৮৫.৪ ৮৬.৭ ৮৮.৩ ৮৯.৭ ৯০.৪
হিন্দু ২২.০ ১৮.৫ ১৩.৫ ১২.১ ১০.৫ ৯.২ ৮.৫
বৌদ্ধ ০.৭ ০.৭ ০.৬ ০.৬ ০.৬ ০.৭ ০.৬
খ্রিষ্টান ০.৩ ০.৩ ০.৩ ০.৩ ০.৩ ০.৩ ০.৩
অন্যান্য ০.১ ০.১ ০.২ ০.৩ ০.৩ ০.২ ০.১
২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ সূত্র ঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
২০১২ সালেল ১৫ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যা রিপোর্ট জাতিসংঘ-১৫ কোটি ২৪ লাখ। আর বাহিরে আছে ৭৬ লাখ বাংলাদেশী।
২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বছরে সাড়ে ছয় লাখ নারী গর্ভপাত করান।
‘‘২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ বাল্যবিবাহ জনসংখ্যার জন্য হুমকি। ২০৫০ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে ২২ কোটি বা ২৪ কোটি। তখন বছরে জন্ম ও মৃত্যুর সংখ্যা সমান হবে। ৩০ লাখ শিশুর জন্ম হচ্ছে প্রতিবছর। মারা যাচ্ছে শিশুসহ ১০ লাখ লোক। ৪০ বছর পর দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল হবে। জনসংখ্যা ২০ বা ২৪ কোটিতে পৌঁছে স্থিতিশীল হবে। বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা কিশোরী মায়েরা। ৬৬% নারীর বিয়ে হয় কিশোরী বয়সে। এশিয়ায় কিশোরী গর্ভধারণের হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে।’’
২০১৬ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ বিবিএসের(বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর) প্রতিবেদন ঃ গড় আয়ু এখন ৭০ বছর ১০ মাস ২৪ দিন। তবে নারীরা পুরুষের চেয়ে আড়াই বছর বেশি বাঁচেন। গড়ে নারীরা-৭২ বছর এবং পুরুষরা গড়ে ৬৯ দশমিক ৪ বছর বাঁচেন।
২০১৬ সালের ২৩ জুন, প্রথম আলো ঃ ঃ বিবিএসের(বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর) প্রতিবেদন ঃ এক বছরের ব্যবধানে দেশে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪ সালে ছিল হিন্দু জনসংখ্যা-৯ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৫ সালে বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। এখন হিন্দু জনসংখ্যা বেড়ে মহয়েছে-১ কোটি ৭০ লাখ। এক বছরের ব্যবধানে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে-১৫ লাখ। মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ১ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং বৌদ্ধ।
২০১৬ সালের ১ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে অবস্থানকারী বৈধ বিদেশি নাগরিক ১ লাখ ১১ হাজার ৫৭৫ জন। ৯১০ জন বিদেশি নাগরিকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ২০,৬৫৬(বিশ হাজার ছয়শত ছাপ্পান্ন) জন ভারতীয় নাগরিক অবস্থান করে।

১৯৭৬ সালের ১৮ এপ্রিল, মওলানা ভাসানী ফারাক্কা বাঁধের জন্য মিসেস ইন্দিরা গান্ধীকে এ বিষয়ে একটি পত্র দেন।
১৯৭৬ সালের ১৬ মে, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ করে রাজশাহী থেকে কানসার্ট পর্যন্ত মিছিল পরিচালনার কর্মসূচী ঘোষণা ও কার্যকর করেন।
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর, ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত গঙ্গার পানিবল্টন চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি পাচ্ছে না। ১ জানুয়ারি, থেকে শুরু হওয়া শুকনো মওসুমের প্রথম ১০ দিনে বাংলাদেশের পানি পাওয়ার কথা-৬৭,৫১৬ কিউসেক। পেয়েছে ৩৭,৯৬৬ কিউসেক। দ্বিতীয় ১০দিনে পাওয়ার কথা-৫৬,৬৭৩ কিউসেক। পেয়েছে ৩৫,০০০ কিউসেকের মতো। সবমিলে বাংলাদেশ প্রথম ২০দিনে পানি কম পেয়েছে ৫২,২২৩ কিউসেক। গঙ্গার পানিবল্টন চুক্তি কার্যকর হয় ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। এ ১০ বছরের কোন বছরই বাংলাদেশ চুক্তির সিডিউল অনুযায়ী পানি পায়নি।
২০০৩ সালের ২৫ জুনের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্টঃ গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ব্যয় হবে ৬(ছয়) হাজার কোটি টাকা। ফারাক্কা বাঁধের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের আংশিক এলাকায়। এ নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ প্রয়োজন।
২০০৪ সালের ১৩ জানুয়ারি, ভারতে আন্তঃনদী সংযোগ সৃষ্টি করবে জীবনমরণ সমস্যা ঃ আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটিতে অভিমত-আন্তর্জাতিক নদী গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা নদীর উজানে পানি প্রত্যাহার ও এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে যেমন মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তেমনি কৃষি, পরিবেশসহ সমগ্র সমাজ জীবনেই-এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে।
২০০৪ সালের ১৮ জানুয়ারি, প্রমাণিত হল গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তির অন্তঃসার শূন্যতা-১৭১ বছর পর হলদিয়া-পাটনা নৌপথ চালু হয়েছে গত ১৫-০১-২০০৪ সাল থেকে। শুস্ক মৌসুমে বাংলাদেশ যখন গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরছে, তখন এ প্রাক শুস্ক মৌসুমে হলদিয়া-পাটনা নৌচলাচল শুরু হওয়ার ঘটনাটি বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হাসিনা-দেবগৌড়া পানি চুক্তিটি একটি শুভংকরের ফাঁকি ছাড়া আর কিছুই না? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত বেশী মাত্রায় পানি প্রত্যাহার করে ঐ নৌপথটি চালু রাখার ব্যবস্থা করেছে।
২০০৪ সালের ১৮ জানুয়ারি, সাম্রাজ্যবাদীরা পানি নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে ঃ আর্সেনিক আতংক ছড়াচ্ছে। মুম্বাইয়ে বিশ্ব সামাজিক ফোরামের সমাবেশে অভিমত।
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি, ভবিষ্যতে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশকে বার্ষিক ভিত্তিতে গঙ্গার পানি কিনতে হবে। মুম্বাইয়ে বিশ্বায়ন বিরোধী সমাবেশে ভারতীয় নদী বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
২০০৪ সালের ২১ জানুয়ারি, চলতি শতাব্দীতেই পানি নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ হতে পারে ঃ মুম্বাইয়ে সেমিনারে ভারতীয় বিশেষজ্ঞগণ-ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অত্যন্ত দুর্বল প্রতিবাদের তীর্ব সমালোচনা করেছেন খোদ ভারতেরই পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞগণ।
২০০৪ সালের ৮ মে, ভারত বড় বড় নদীতে বাঁধ দিলে এদেশ দুর্ভিক্ষের দেশে পরিণত হবে। ‘আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প’ গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাগণ-আন্তর্জাতিক সকল রীতিনীতি লংঘণ করে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে পনের বছর মেয়াদে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভারত সরকার এ প্রকল্প গ্রহণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো এখন তার সাথে সে দেশের সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যমত্য পোষণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশকে চিরতরে দুর্ভিক্ষের দেশে পরিণত করার ভারতীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ ফারাক্কাসহ ৮টি বাঁধের অশুভ প্রভাব। হারিয়ে গেছে বাংলাদেশের শতাধিক নদী।
২০০৫ সালের ১৩ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ফারাক্কার ২৯ বছর পর ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত হলো টিপাইমুখ বাঁধ বিরোধী লংমার্চ। জকিগঞ্জ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভারতের টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক লংমার্চ।
২০০৫ সালের ২০ মার্চ, আবু রূশদ ঃ ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট-বাংলাদেশকে ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া। ভারত সীমান্তের ৬৩টি পয়েন্টে জিরো লাইনের ১৫০ গজের ভেতর বেড়া নির্মাণ করেছে।
২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ ভারত উজানে গঙ্গার পানি সরিয়ে নিচ্ছে। এজন্য ফারাক্কার উজানে ভারত ভূখন্ডে গঙ্গা অববাহিকায় ৩’শটি ছোট, মাঝারি ও বড় স্টোরেজ রিজার্ভার ও ব্যারাজসহ প্রায় ১৮টি ডাইভার্সন স্ট্রাকচার নির্মাণ করা হয়েছে। এসবের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে শুস্ক মৌসুমে বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করা এবং বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশকে পানিতে ভাসানো।
২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল, বাসস ঃ বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের সীমান্ত নীতিমালার পক্ষপাতী-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে অভিন্ন সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোন কাঠামো নির্মাণের অনুমতি না দেয়ার ব্যাপারে ১৯৭৪ সালে সীমান্ত নীতিমালা অনুসরণ করার পক্ষে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান গতকাল বিকেলে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অচিহ্নিত ৬.৫ কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিতকরণ এবং ভারতের অধীনে থাকা ভূমি ও ছিটমহলগুলোর সমাধান চায়।
২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলোর রিপোর্ট ঃ চর পড়ে মৃত প্রায় কালীগঙ্গা নদী। অথচ একসময় এ নদীতে নিয়মিতই চলত লঞ্চ-স্টিমার। কমছে নৌপথ বাড়ছে বিপদ-২৪০টি নদ-নদীতে ২৪,১৬০(চব্বিশ হাজার একশত ষাট) কিলোমিটার নৌপথ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬(ছয়) হাজার কিলোমিটার নৌপথ, তাও বর্ষায়।
২০০৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ মুন্সির-মুন্সিয়ানায় তিস্তা প্রকল্পের বেহাল অবস্থা। ভারত তিস্তা থেকে ২৫-হাজার কিউসেক পানি সরিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ আলোচনার টেবিলে একবারও সাহস করে বলতে পারেনি-ভারত অন্যায়ভাবে তিস্তা থেকে ২৫-হাজার কিউসেক পানি ব্রহ্মপুত্র বেসিন দিয়ে আসামে এবং গঙ্গা বেসিন দিয়ে মালদায় সরিয়ে নিচ্ছে। ফলে শুস্ক মৌসুমে তিস্তা নদীতে যেখানে ৩০-হাজার কিউসেক পানি থাকার কথা সেখানে থাকছে মাত্র ৫-হাজার কিউসেক পানি।
২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর, ইনকিলাব ডেস্ক ঃ ঢাকায় আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞবৃন্দ ঃ টিপাইমুখ বাঁধ বাংলাদেশে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।
২০০৬ সালের ১৭ মার্চ, রেজাউল করিম রাজু ঃ ফারাক্কা মেরে ফেলেছে পদ্মাকে-চুক্তিমত পানি পায়নি বাংলাদেশ। বিপর্যয়ের মুখে ৫ কোটি মানুষ। পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত-এ ফারাক্কা চালুর আগ পর্যন্ত শুকনো মৌশুমে পদ্মার হার্ডিজ পয়েন্টে পানির গড় প্রবাহ ছিল এক লাখ কিউসেকের ওপরে। কিন্তু ১৯৭৫-৭৬ সালের শুকনো মৌসুমে এ প্রবাহ নেমে আসে ৭৪ হাজার কিউসেকে। ফারাক্কা বাধ চালুর কারণে এ পানির প্রবাহ কমে যায়। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার গঙ্গা চুক্তি স্বাক্ষর করলে মানুষ আশান্বিত হয়েছিল মরা পদ্মায় বান ডাকবে। চুক্তি মোতাবেক পানি পাওয়ার কথা ৩৯,১০১ কিউসেক পানি সেখানে ১২-হাজার কিউসেক পানি কম পেয়েছে। পদ্মাকেন্দ্রিক সেচ চালু করা যাচ্ছেনা পানির অভাবে।
২০০৬ সালের ১৮ মার্চ, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ প্রধানমন্ত্রী কি বিষয়টি মনমোহনকে অবহিত করছেন। বাংলাদেশের ভেতর ভারতের ৩০ কি. মি. পাকা রাস্তা ঃ ভারতীয় সেনাবাহিনীর টহল।
২০০৬ সালের ২২ মার্চ, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ঃ দিল্লীর আন্তরিকতাই পানি সমস্যার সমাধান করবে। ছয় কোটি মানুষের আর্সেনিক ঝুঁকির তথ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এখন ভারতে।
২০০৬ সালের ২২ মার্চ, যশোর ব্যুরো ঃ ভারত ৫৪টি নদীতে বাঁধ দিয়ে এদেশকে মরুভূমি বানাচ্ছে-বাসদ আহবায়ক-মোঃ খালেকুজ্জামান।
২০০৬ সালের ৩ মে, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ বৈঠকে ভারতের সুস্পষ্ট বক্তব্যঃ উজানে গঙ্গার পানি নেয়া যাবে না এমন কথা চুক্তিতে নেই।
২০০৬ সালের ২৮ জুলাই, সাজ্জাদ আলম খান ঃ নৌপথের নাব্যতা রক্ষায় ভারতের সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। নাব্য্যতা হারিয়ে তা এখন এসে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮শ কিলোমিটারে। অর্থাৎ ৮৪ শতাংশ নৌপথ ইতোমধ্যেই নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে প্রবাহমান ২৩০টি নদীর মধ্যে ইতোমধ্যে শুকিয়ে পড়েছে ২৫টি নদী। সূত্রমতে, ভারতের অব্যাহত অসহযোগিতার কারণে প্রতিনিয়ত নৌপথের নব্যতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
২০০৯ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ঢাকায় যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক। ফারাক্কায় পানিপ্রবাহ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ।
২০০৯ মালের ১৮ জুন, প্রথম আলো ঃ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বন্ধের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধন। ভারতের মণিপুর রাজ্যের বরাক নদীতে নির্মিত টিপাইমুখ বহুমুখী জল বিদ্যুৎ প্রকল্প’ অর্থাৎ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বন্ধে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি।
২০০৯ সালের ৬ নভেম্বর, প্রথম আলোর শুক্রবারের ক্রোড়পত্র ঃ এক নজরে-হিমালয় ঃ সংস্কৃত শব্দ ‘হিম’ থেকে হিমালয়। উজানে ভারত, নেপাল, তিব্বত, চীন, পাকিস্তান, মিয়ানমার, আফগানিস্তান আর ভুটান। আর ভাটিতে বাংলাদেশ। জমাট পানি ঃ ১৫ হাজার হিমবাহ পাঁচ লাখ বর্গ কিলোমিটার পর্বতকে ঢেকে রেখেছে। সব মিলে আনুমানিক ১২ হাজার কিউবিক কিলোমিটার জমাট পানি আছে এখানে। নদী ঃ হিমালয়ের হিমবাহ গলা পানি দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গঙ্গা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর ৮০ শতাংশ পানির উৎস হিমালয়। চিত্র ২০৩০ ঃ জাতিসংঘের আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন- সংক্রান্ত প্যানেল-আইপিসিসি বলছে, পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ হিমবাহ গলে যাবে। হিমবাহ কেন গলছে ঃ উন্নত দেশগুলোর শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে যে কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে তার কারণেই ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। বাড়ছে বন্যার প্রকোপ ও ব্যপকতা। ধংশ হচ্ছে জীব-বৈচিত্র, পাল্টে যাচ্ছে প্রতিবেশ। বিপন্ন হয়ে উঠছে দক্ষিণ এশিয়ার ১০০ কোটি মানুষের জীবন।
২০১১ সালের ১৯ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে নিয়ন্ত্রণের জন্য বরাক নদে জলাধার তৈরি হবে। বিশেষজ্ঞ অভিমত-যৌথ সমীক্ষা ছাড়া ভারত এটা করতে পারে না।
২০১১ সালের ২০ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ চুক্তি-উদ্বেগ জানায়নি বাংলাদেশ। টিপাইমুখ প্রকল্পের ব্যাপারে আমরা ভারতের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছি। তারেক এ করিম, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
২০১১ সালের ২০ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ চুক্তি সই।। তীব্র প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশে মেঘনা অববাহিকার ৩ কোটি মানুষসহ জীববৈচিত্র পড়বে ভয়াবহ সঙ্কটে।
২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক-টিপাইমুখ নিয়ে একই
আশ্বাস ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহনের।
২০১১ সালেল ৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলোঃ মনমোহন সিং বললেন-বরাক নদে টিপাইমুখ বাঁধ হবেই।
২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ‘‘টিপাই ইস্যু’’ সিলেট অভিমুখে জাতীয় পার্টির লংমার্চ ১০ ডিসেম্বর।
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মনমোহন প্রতিশ্রুতি ভেঙেছেন ঃ হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। প্রতিবাদে জাপার লংমার্চ কাল।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে বক্তব্য রাখেন জাপা চেয়ারম্যান এইচ. এম. এরশাদ-টিপাই বাঁধ প্রতিহত করতে প্রয়োজনে জীবন দেব।। আজ টিপাইমুখী লংমার্চ।
২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ সিপিবি-বাম মোর্চার বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা-টিপাইমুখ হবে মরণফাঁদ।
২০১৪ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ তিস্তা লংমার্চ বগুড়ায়-তিস্তা চুক্তি বাদ দিয়ে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়।

১৯৭৬ সাল থেকে ২১-০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে পেট্রোবাংলার অধীনে সংস্থা বাপেক্স তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ১৬টি কুপ খনন করেছে এবং ১০টি গ্যাসক্ষেত্র ও একটি তেলক্ষেত্র আবিস্কার করেছে।
১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ভূতাত্তিক জরিপ বিভাগ দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়ায় এ কয়লা খনি আবিস্কার করে। খনি এলাকার দৈর্ঘ ৫.২৫ বর্গকিলোমিটার। ভূগর্ভের ১১৯ থেকে ৫০৬ মিটার গভীরতায় ৬টি স্তরে কয়লা সাজানো আছে এ খনিতে। প্রাথমিক হিসেবে ৩০৬ মিলিয়ন টন কয়লা এখানে মজুদ আছে।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, এম, আবদুল্লাহ ঃ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। বিএনপি-আ’লীগ সমানে সমান। বিএনপি সাড়ে ১৪ বছরে ৭ বার বাড়িয়ে ২ বার কমিয়েছে-আ’লীগ ৬ বার বাড়ালেও কমায়নি একবারও। ১৯৭২ সাল থেকে সর্বশেষ গত ২২ ডিসেম্বর, ২০০৪ সাল পর্যন্ত মোট কুড়ি-দফা জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পাচাররোধ।
২০০৫ সালের ২৫ মে, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ সাড়ে ৩-বছরে ৪-বার এবং ৩৪-বছরে ১৭-বার বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম।
২০০৫ সালের ৯ জুলাই, এম. আবদুল্লাহ ঃ নাইকোর অজ্ঞতা ও বিলম্বে রিলিফ কূপ খননই বিস্ফোরণের কারণ-বিশেষ সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. রফিকুল ইসলাম।
২০০৫ সালের ৬ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ গত অর্থবছরে সার্বিক আমদানী বৃদ্ধি শতকরা ২২ ভাগ। জ্বালানি খাতে ব্যয় বেড়েছে ৩-হাজার ৭শ’ কোটি টাকা।
২০০৫ সালের ২৮ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকায় জাকারিয়া কাজলের রিপোর্ট ঃ তেলের দাম বাড়াতে হবে ঃ অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। চ্যালেঞ্জের মুখে অর্থনীতি। বিপিসির লোকসান সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন করার চিন্তা-ভাবনা। এবার জ্বালানি মূল্য পরিশোধে ব্যয় হবে ২শ’ কোটি ডলার।
২০০৬ সালের ১৭ অক্টোবর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বকেয়ার ভূত এবার জ্বালানি খাতে-তেল কয়লা ও গ্যাসের ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বকেয়া রেখেই বিদায় নেবেন উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান।
২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আগামী বছরের জন্য ১২ লাখ টন জ্বালানি তেল কেনা হবে। এর জন্য খরচ হবে ৭,৩৩৫ কোটি টাকা। জানা গেছে, দেশে বছরে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৩৮ লাখ টন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধনের মাধ্যমে মেটানো হয়।
২০০৭ সালের ১ ডিসেম্বর, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক-খসড়া কয়লানীতি চুড়ান্ত করার লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির গতকালের সভায় বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে-দেশে কয়লাসম্পদের পরিমাণ তিন হাজার ৩০০ মিলিয়ন(৩৩০ কোটি) মেট্রিক টন। অর্থাৎ এ পর্যন্ত আবিস্কৃত খনিগুলোতে এ পরিমাণ কয়লা রয়েছে। কিন্তু কয়লার মজুদ ধরা হবে ২২৪ কোটি ৭০ লাখ (দুই হাজার ২৪৭ মিলিয়ন) টন। কারণ খনিতে থাকলেও যে কয়লা খনির গভীরতা ও প্রযুক্তিগত কারণে তোলা যাবে না, তাকে মজুদ বলা যাবে না।
২০০৮ সালের ২৬ এপ্রিল, অদ্য ২৫-০৪-২০০৮ তারিখ হতে সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি ঘন মিটার গ্যাসের মূল্য ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর পূর্ব ২০০৪ সালের জুলাই মাসে সিএনজির প্রতি ঘনমিটার-এর মূল্য ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। তখন প্রতি লিটার অকটেনের দাম ছিল ৩৫ টাকা এখন এক লিটার অকটেনের মূল্য ৬৭ টাকা।
২০০৮ সালের ২৪ মে, জ্বালানি তেলের রেকর্ড পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধি। বিপিসির লোকসান মাসে ১,৪০০ কোটি টাকা। বছরে লোকসান ১৬,৮০০ কোটি টাকা।
২০০৮ সালের ১ জুলাই, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লঃ ১(এক) লিটার অকটেন(৩০-০৬-২০০৮ পর্যন্ত ছিল ৬৭.০০ টাকা) আর (০১-০৭-২০০৮ তারিখ থেকে মূল্য নির্ধারণ করা হলো ৯০.০০ টাকা)। পেট্রল-এর মূল্য ছিল ৬৫.০০ টাকা আর এখন ৮৭.০০ টাকা, ডিজেল-এর মূল্য ছিল ৪০.০০ টাকা আর এখন ৫৫.০০ টাকা, কেরোসিন-এর মূল্য ছিল ৪০.০০ টাকা আর এখন ৫৫.০০ টাকা, ফার্নেস অয়েল-এর মূল্য ছিল ২০.০০ টাকা আর এখন ৩০.০০ টাকা এবং এলপিজি গ্যাস-এর মূল্য ছিল ৬০০.০০ টাকা(প্রতি সিলিন্ডার) আর ০১-০৭-২০০৮ তারিখ থেকে প্রতি সিলিন্ডার-এর মূল্য ১০০০.০০ টাকা।
২০০৮ সালের ২৭ অক্টোবর, জ্বালানি তেলের দাম কমেছেঃ ১(এক) লিটার অকটেন(০১-০৭-২০০৮ তারিখ থেকে মূল্য নির্ধারণ করা হলো-৯০.০০ টাকা এবং ২৭-১০-২০০৮ তারিখে দাম নির্ধারণ করা হলো-৮০ টাকা)। পেট্রল-এর মূল্য ছিল ৮৭.০০ টাকা আর এখন ৭৮.০০ টাকা, ডিজেল-এর মূল্য ছিল ৫৫.০০ টাকা আর এখন ৪৮.০০ টাকা, কেরোসিন-এর মূল্য ছিল ৫৫.০০ টাকা আর এখন ৪৮.০০ টাকা, ফার্নেস অয়েল-এর মূল্য ছিল ৩০.০০ টাকা আর এখন ৩০.০০ টাকা এবং এলপিজি গ্যাস-এর মূল্য ছিল ১,০০০.০০ টাকা (প্রতি সিলিন্ডার) আর ২৭-১০-২০০৮ তারিখ থেকে প্রতি সিলিন্ডার-এর মূল্য ১০০০.০০ টাকা। ০১-০৭-২০০৮ সালে গড় বৃদ্ধির হার ছিল ৩৫ ভাগ আর ২৭-১০-২০০৮ তারিখ কমানোর গড় হার ১১.৭৩ শতাংশ এবং আজ থেকে বাসের ভাড়াও কমছে।
২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর, জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ঃ ১(এক) লিটার অকটেন (০১-০৭-২০০৮ তারিখ থেকে মূল্য নির্ধারণ করা হলো-৯০.০০ টাকা, ২৭-১০-২০০৮ তারিখে দাম নির্ধারণ করা হলো-৮০ টাকা এবং ২৪-১২-২০০৮ তারিখে দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো-৭৭ টাকা)। পেট্রল-এর মূল্য ছিল ৮৭.০০ টাকা আর এখন ৭৮.০০ টাকা এবং ২৪-১২-২০০৮ তারিখে দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো-৭৪ টাকা, ডিজেল-এর মূল্য ছিল ৫৫.০০ টাকা আর এখন ৪৮.০০ টাকা এবং ২৪-১২-২০০৮ তারিখে ডিজেলের দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো-৪৬ টাকা (১২-০১-২০০৯ তারিখ পুনঃনির্দারণ করা হলো-৪৪ টাকা)। কেরোসিন-এর মূল্য ছিল ৫৫.০০ টাকা আর এখন ৪৮.০০ টাকা এবং ২৪-১২-২০০৮ তারিখে দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো-৪৬ টাকা (১২-০১-২০০৯ তারিখ কেরোসিন-এর মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হলো-৪৪ টাকা)। ফার্নেস অয়েল-এর মূল্য ছিল ৩০.০০ টাকা আর এখন ৩০.০০ টাকা এবং এলপিজি গ্যাস-এর মূল্য ছিল ১,০০০.০০ টাকা (প্রতি সিলিন্ডার) আর ২৭-১০-২০০৮ তারিখ থেকে প্রতি সিলিন্ডার-এর মূল্য ১০০০.০০ টাকা। ০১-০৭-২০০৮ সালে গড় বৃদ্ধির হার ছিল ৩৫ ভাগ আর ২৭-১০-২০০৮ তারিখ কমানোর গড় হার ১১.৭৩ শতাংশ এবং বাসের ভাড়াও কমছে। জ্বালানি তেলের দাম আর একটু কমল এবং ২৪-১২-২০০৮ তারিখ থেকে বাস ও মিনিবাসের ভাড়াও কমছে। এক পয়সাও ভাড়া কমেনি। গত জুলাই মাসে (এক বেরেল-১১৭.৩৫ লিটার) তেলের দাম উঠেছিল ১৪৭ ডলার এবং ১৩-০১-২০০৯ তারিখে কমে হয়েছে ৩৯ ডলার।
২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি, প্রথম আলোঃ কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ১৫৫কিমি। বর্তমানে বাংলাদেশে ৭৮টি পাটকল আছে। ১৭টি চিনির কল আছে। বাংলাদেশের মোট জ্বালানির ১৬ ভাগ প্রাকৃতিক গ্যাস। এ পর্যন্ত ২২টি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে। আর ১২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্যাসক্ষেত্রটি সবচেয়ে বড়। বাংলাদেশের উৎপাদিত মোট চায়ের ২৫ ভাগ দেশে ব্যবহৃত হয়।
২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১৩ লাখ টন জ্বালানি তেল ও দেড় লাখ টন ইউরিয়া আমদানি হবে।
২০০৯ সালের ১৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ জ্বালানি তেল বেঁচে বিপিসির মাসে লাভ ৩৫০ কোটি টাকা। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক হিসাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে আরও ২৫০ কোটি টাকা। ২০০৮ সালের নভেম্বর থেকে এ অবস্থা চলছে।
২০০৯ সালের ৯ মে, প্রথম আলো ঃ তেলের দাম তিন দফা কমলেও বাসভাড়া কমাননি মালিকেরা। সরকারি ঘোষণার বাস্তবায়ন নেই। বড় বাসে কিলোমিটার প্রতি ৯৪ পয়সা এবং ছোট বাসে ৯৭ পয়সা।
২০০৯ সালের ২ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ গ্যাসের দাম বেড়েছে। ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি সর্বশেষ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। একটি চুলার মূল্য ছিল-৩৫০/-টাকা তা থেকে বাড়ানো হয়েছে-৪০০/- টাকা। দুইটি চুলার মূল্য ছিল-৪০০/- টাকা তা থেকে বাড়ানো হয়েছে-৪৫০/- টাকা।
২০১০ সালের ১ জুন, প্রথম আলো ঃ জ্বালানির অভাবে বাড়ছে না দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।
২০১০ সালের ৪ জুন, প্রথম আলো ঃ ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে গ্যাস সংযোগ পাবে দুই লাখ পরিবার ও ১৪০০ বাণিজ্যিক কারখানা।
২০১০ সালের ৭ জুন, প্রথম আলো ঃ কাতার থেকে বছরে ৩৯ লাখ টন এলএনজি কেনার উদ্যোগ। পাইবলাইন বসানোর জরিপ শেষ। দেশের গ্যাস সংকট মোকাবিলা বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের তীব্র গ্যাস ঘাটতি পূরণে এলএনজি (লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানির উদ্যোগ জোরদার করা হয়েছে।
২০১০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল রাখার জায়গা নেই। তেল পরিবহন নিয়েও সংকট। রেললাইন সংস্কার ও নৌপথ খনন করতে হবে।
২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ জ্বালানিসংকট সারা দেশে। গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ। এলপিজির দাম বাড়ছে, সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই।
২০১১ সালের ১২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ জ্বালানির ভর্তুকি তুলে দিতে চায় সরকার। ভর্তুকি না দিলে ডিজেল হবে ৭২ টাকা, অকটেন-পেট্টোলে লাভ করছে সরকার বিদ্যুতে চাহিদা বৃদ্ধি ৩০ লাখ মেট্রিক টন। ২০১১ সালে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ঃ দেশে চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানির মোট চাহিদা ৬৮ লাখ মেট্রিক টন।
২০১১ সালে লিটারপ্রতি (টাকায়) মে, ২০১১ সেপ্টেম্বর, ২০১১ নভেম্বর, ২০১১
২০১১ সালে অকটেন ৭৯ ৮৪ ৮৯
২০১১ সালে পেট্টল ৭৬ ৮১ ৮৬
২০১১ সালে ডিজেল/কেরোসিন ৪৬ ৫১ ৫৬
২০১১ সালে ফার্নেস তেল ৪২ ৫০ ৫৫
২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ জ্বালানি তেলের দাম আবারও ৫ টাকা বাড়ল।
২৯-১২-২০১১ তারিখ লিটারপ্রতি (টাকায়) অকটেন ৯৪ টাকা
২৯-১২-২০১১ তারিখ লিটারপ্রতি (টাকায়) পেট্টল ৯১ টাকা
ডিজেল/কেরোসিন ৬১ টাকা ফার্নেস তেল ৬০ টাকা
২০১৪ সালের ১৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিলম্বের কারণে অনেক গ্যাস বেহাত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্স কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইলে নতুন ২৫তম গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কার করেছে।
২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জ্বালানি তেলের দাম আবাড়ও লিটার প্রতি ৫/-বাড়ল।
০৪-০১-২০১৩ তারিখ লিটারপ্রতি (টাকায়) অকটেন ৯৯ টাকা
০৪-০১-২০১৩ তারিখ লিটারপ্রতি (টাকায়) পেট্টল ৯৬ টাকা
ডিজেল/কেরোসিন ৬৮ টাকা ফার্নেস তেল ৬০ টাকা
২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ তেলের দাম-বিএনপি বাড়িয়েছিল ১৩৬% এবং আওয়ামী লীগ বাড়িয়েছে ৩৮%। সংবাদ সম্মেলনে ড. হাসান মাহমুদ-পরিবেশ ও বনমন্ত্রী।
২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিশ্ববাজারে আর কত কমলে দেশে দাম কমবে? ২০০৪ সালের পর জ্বালানি তেলের দাম সর্বনি¤œ। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি মাত্র ৩৬ ডলার ৫ সেন্টে নেমে গেছে। এটি ২০০৪ সাল পরবর্তী গত ১১ বছরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সর্বনি¤œ দাম।
২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে ব্যারেল প্রতি ২৭ ডলার ৬৭ সেন্টে নেমে গেছে। গত ১৩ বছরে এটা সবচেয়ে কম।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ থেকে ১৫০ ডলা র পর্যন্ত উন্নীত হয়েছিল, সেটা এখন ২২ ডলারে ঠেকেছে।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ১৩ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। সৌদি আরব থেকে আনা হচ্ছে-৭ লাখ টন এবং আবুধাবি থেকে ৬ লাখ টন জ্বালানি তেল।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ এবার ১ কোপি ১২ লাখ ব্যারেল তেল কেনা হবে।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ১০/- এবং ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩/- করে কমানো হয়েছে।
০৪-০১-২০১৩ তারিখ লিটারপ্রতি (টাকায়) অকটেন ৯৯ টাকা
০৪-০১-২০১৩ তারিখ লিটারপ্রতি (টাকায়) পেট্টল ৯৬ টাকা
ডিজেল/কেরোসিন ৬৮ টাকা ফার্নেস তেল ৪২ টাকা(৩১ মার্চ)
২৫-০৪-২০১৬ তারিখ লিটার প্রতি টাকায় অকটেন ৮৯ টাকা
২৫-০৪-২০১৬ তারিখ লিটার প্রতি টাকায় পেট্টল ৮৬ টাকা
২৫-০৪-২০১৬ তারিখ ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৬৫ টাকা

১৯৭৬ সাল থেকে শ্রমজীবি মানুষের বিদেশে যাওয়া শুরু হয়।
১৯৯৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, প্রবাসী বাংলাদেশীরা ১৮-বছরে ৩১,৫০০(একত্রিশ হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছে কিস্তু উৎপাদনশীল খাতের ব্যবহার খুবই কম।
২০০২ সালের হিসাব অনূযায়ী ঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে বাংলাদেশের ২৬,৯৭,৩৩৪ (ছাব্বিশ লক্ষ সাতানব্বই হাজার তিনশত চৌত্রিশ) জন কর্মরত আছেন।
২০০৩ সালের ৩০ জুনের রিপোর্ট ঃ ১৯৮০ সাল থেকে ৩০ জুন ২০০৩ সাল পর্যন্ত বিদেশে গত ২৩(তেইশ) বছরে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৩৫(পঁয়ত্রিশ) লক্ষ।
২০০৪ সালের হিসেব-(১) বাংলাদেশের প্রতি বছর শ্রমিক হিসেবে বিদেশে যাচ্ছে-৩ লাখ। (২) প্রবাসীর সংখ্যা-৪০ লাখ। (৩) আর দেশের ভিতরে প্রায় ১৫ লক্ষ লোক শ্রমবাজারে আসে চাকরি খোঁজার জন্য। এদের জন্য প্রতি বছর প্রয়োজন পোশাক শিল্পের মত একটি নতুন শিল্পখাত সৃষ্টি। এ চাহিদা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।
২০০৪ সালের ৯ জানুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ ঃ যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষাধিক বাংলাদেশীসহ সোয়া কোটি বিদেশী ওয়ার্ক পারমিট পাবেন।
২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি, পৃথিবীর ৩৮টি দেশের জেলখানায় বাংলাদেশের ৫,৫৮৫ জন আটক রয়েছে। এরমধ্যে ১৫১ জন ভারতের কারাগারে আটক রয়েছে।
২০০৪ সালের ২০ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ শামসুল ইসলাম-ভিসার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ ঃ বহু শ্রমিক নিয়মিত বেতন পান না। সউদী আরবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মজুরি আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস। বর্তমানে সউদী আরবে বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মরত রয়েছে প্রায় ১৪ লাখ।
২০০৪ সালের ১৩ জুলাই, শামসুল ইসলাম ঃ জনশক্তি রফতানী হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭শ’। প্রবাসীরা এক বছরে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৯,০০০ হাজার ৮০০শ’ ২৪ কোটি টাকা।
২০০৪ সালের ২৭ জুলাই, স্টাফ রিপোর্টার ঃ ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জনশক্তি রফতানী হয়েছে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ জন। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অভিবাসী হয়েছেন আরো প্রায় ১২ লাখ মানুষ। অভিবাসীদের অর্থ ব্যাপক ভূমিকা রাখছে অর্থনীতিতে-রেমিটেন্সের পরিমাণ মোট অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার ২৬.৫ ভাগ। এদের মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। বিশ্বে বর্তমানে ১৭৫ মিলিয়ন মানুষ নিজ জন্মভূমির বাইরে কাজে নিয়োজিত রয়েছেন, যার শতকরা ৮০ ভাগই হচ্ছে শ্রম অভিবাসী।
২০০৪ সালের ২৮ জুলাই, সাজ্জাদ আলম খান, মালয়েশিয়া থেকে ঃ মালয়েশিয়া থেকে ১ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ৩শ’ শ্রমিক কারাগারে ঃ দুতাবাস নির্বিকার।
২০০৫ সালের ১৩ জুলাই, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট-বাসস ও বিবিসি ঃ বিশ্বের বিভিন্ন কারাগারে ৫ হাজার বাংলাদেশী বন্দী।
২০০৫ সালের ১৬ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার খবর-গ্রামীণ ব্যংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনুস অতিস¤প্রতি এক সমাবেশে বলেছেন, ২০৩৫ সালে বাংলাদেশে আসতে বিদেশীদের গ্রীণ কার্ড লাগবে। বিদেশ থেকে এ দেশে আসবে কাজের সন্ধানে। আমি মোঃ জাকির হুসেন (আলমগীর) তাঁর এ মন্তব্যের সাথে এক মত নই এবং এ কথার অর্থও ফাঁকা।
২০০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর, তালুকদার হারুণ-দেশের জনশক্তি রফতানীকারক ৭০০(সাত শতাধিক) রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে বর্তমানে ছয় শতাধিক রিক্রুটিং এজেন্সির কোন কাজ নেই। জনশক্তি রফতানীর বাজার সংকুচিত।
২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক-বিদেশের জেলে ১০ হাজার ৭৬০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। এর মধ্যে ১,৯৩০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও হয়েছে। বাকি ৮,৮৩০ জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এসব শ্রমিকের বেশির ভাগকেই কাজ দেওয়ার নাম করে বিদেশের মাটিতে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের ২৯ জুন, প্রবাসী-আয় এখন ৭৫০ কোটি ডলার।
২০০৮ সালের ১১ আগষ্ট, বিশ্বজুড়ে প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ বাড়ছে ভারত শীর্ষে, বাংলাদেশ ১১তম স্থানে। প্রবাসী আয় ভারত-২,৭০০ কোটি ডলার এবং বাংলাদেশ-৬৪০ কোটি ডলার।
২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ৬২,২১,৫১৬ জন বাংলাদেশী কর্মী বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান লাভ করেছে। এখন বাংলাদেশ থেকে ১০০টিরও বেশী দেশে কর্মসংস্থান লাভ করছে। ২০০৭ সালে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ৮,৩২,৬০৯ জন ছাড়পত্র গ্রহণ করেছে।
২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিদেশে জনশক্তির বাজার নিয়ে শুরুতেই দুশ্চিন্তায় সরকার। * সৌদি আরব নতুন করে ভিসা দিচ্ছে না * কুয়েতে তিন বছর ধরে ভিসা দেয়া বন্ধ * বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতারে শ্রমিক নিয়োগ প্রায় বন্ধের পথে। গত ২০০৭ ও ২০০৮ সালে প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। এরমধ্যে ২০০৮ সালে প্রায় ৯ লাখ শ্রমিককে বিদেশে পাঠানো হয়। প্রবাসীদের পাঠানো আয়(রেমিট্যান্স) হয়েছিল ৯০০ কোটি ডলার।
২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা ৭৭৫টি।
২০০৯ সালের ২২ মার্চ, আমাদের সময় পত্রিকা ঃ কুমিল্লা থেকে জনশক্তি রফতানি হয় সবচেয়ে বেশি। এ পর্যন্ত ৫৬ লাখ (২১-০৩-২০০৯ তারিখ)। এরমধ্যে শুধু কুমিল্লা থেকে জনশক্তি রফতানি হয়েছে-মোট জনশক্তি রফতানির ১৫ ভাগ। প্রায় ৮,৫০,০০০ হাজার কুমিল্লা থেকে বিদেশে গেছে। পরের অবস্থান চট্টগ্রামের। সেখান থেকে ১২ ভাগ মানে ৬,৭২,০০০ হাজার। তৃতীয় স্থানে আছে ঢাকা ৮ ভাগ মানে ৪,৪৮,০০০ হাজার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জনশক্তি রফতানি হয়েছে মোট রফতানির ৭ ভাগ মানে ৩,৯২,০০০ হাজার। চাঁদপুর ও টাঙ্গাইল থেকে ৬ ভাগ মানে ৩,৩৬,০০০ হাজার। নোয়াখালী থেকে ৫ ভাগ ২,৮০,০০০ হাজার। সিলেট থেকে ৪ ভাগ ২,২৪,০০০ হাজার। মৌলভীবাজার ও লক্ষীপুর থেকে মোট রফতানির ৩ ভাগ মানে ১,৬৮,০০০ হাজার। সবচেয়ে কম হয়েছে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল ও ফরিদপুর এলাকা থেকে ২ ভাগ মানে ১,১২,০০০।
২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল, প্রথম আলোঃ বিদেশ থেকে তিন মাসে লাশ হয়ে ফিরেছেন ৬৩৫ বাংলাদেশি কর্মী। গড়ে দিনে লাশ এসেছে সাতটি, মৃত্যুর কারণ বলা হয় হৃদরোগ ও দুর্ঘটনা।
২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ আলোচনা সভায় বক্তাদের অভিমত-প্রবাসীদের আয় পোশাকশিল্পের তুলনায় দ্বিগুণ, তবু অবহেলিত।
২০০৯ সালের ৯ মে, প্রথম আলো ঃ আরও ৬৪ বাংলাদেশি কর্মীর লাশ এসেছে। এরা দরিদ্র বলে বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারকেরা আমলে নিচ্ছেন না। এক দিনেই এসেছে ১২ লাশ।
২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন-বিদেশে যাওয়ার জন্য এ দেশের শ্রমিকদের চড়া মূল্য দিতে হয়। বাংলাদেশের একজন শ্রমিককে বিদেশে যাওয়ার জন্য দুই হাজার ৩০০শত মার্কিন ডলার (এক লাখ ৬০ হাজার টাকা) অর্থ খরচ করতে হয়। এই টাকা একজন শ্রমিকের বিদেশে চাকরির ১৮ মাসের বেতনের সমান।
২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো ঃ জনশক্তি রপ্তানি অর্ধেকে নেমেছে। সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া লোক নিচ্ছে না বিকল্প বাজার খোঁজার উদ্যোগ নেই।
২০০৯ সালের ৭ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ মালয়েশিয়ার জেল ও শিবিরে বন্দী দেড় হাজার বাংলাদেশি। আর কুয়েতে বকেয়া বেতনের দাবিতে চার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের কর্মবিরতি।
২০০৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ প্রবাসী কর্মীরা রাষ্ট্রকে শুধু দিচ্ছেন, পাচ্ছেন না কিছুই।
পাঁচ বছরে জনশক্তি রপ্তানির চিত্র ঃ
১. সাল মোট জনশক্তি রপ্তানি মোট রেমিট্যান্স কোটি টাকায়
২. ২০০৫ ২,৫২,৭০২ জন ২৭,৩০৪,৩৩,০০,০০০ টাকা
৩. ২০০৬ ৩,৮১,৫১৬ জন ৩৮,৩৬৬,৫৬,০০,০০০ টাকা
৪. ২০০৭ ৮,৩২,৬০৯ জন ৪৫,৭২৪,৪৪,০০,০০০ টাকা
৫. ২০০৮ ৮,৭৫,০৫৫ জন ৬২,২১০,৪২,০০,০০০ টাকা
৬. ২০০৯ ৪,৪১,১১২ জন ৬৭,৯৭১,৮২,০০,০০০ টাকা
২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ (১৯৯৬-২০০৯) গত ১৪ বছরে তিন লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। ১৯৭৬-২০০৯ পর্যন্ত ৬৭ লাখ ৪১ হাজার ১৮৭ জন বাংলাদেশী কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০১০ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক নারীকর্মীসহ ৬৭ লক্ষাধিক মানুষ বিদেশে গেছেন।
২০১০ সালের ১৬ মে, প্রথম আলো ঃ কানাডাতে বাংলাদেশের বাঙালীর সংখ্যা হলো প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজারের মতো।
২০১০ সালের ২৪ মে, প্রথম আলো ঃ জনশক্তি রপ্তানি ঃ বেশি যান কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের লোক, পিছিয়ে উত্তরাঞ্চল।
২০১০ সালের ২৭ জুন, প্রথম আলো ঃ বিভিন্ন দেশের কারাগারে আটক ২,০৬১ বাংলাদেশি।
২০১০ সালের ৬ জুলাই, আমাদের সময় ঃ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রায় ৭০ লাখ বাংলাদেশির জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) তৈরি করতে তিন বছর সময় লাগবে।
২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ পশ্চিমবঙ্গে আড়াই হাজারের বেশি বাংলাদেশি কারাবন্দী।
২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের ৬৮ লাখ শ্রমিক বিদেশে কর্মরত। এশিয়ার জনশক্তি রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ খরচের টাকা তুলতেই হিমশিম। জানা যায়, এশিয়ায় বৃহত্তম অভিবাসী শ্রমিক গ্রহণকারী দেশ মালয়েশিয়ায় এ মহাদেশের ১৬টি দেশের প্রায় ২৫ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চার থেকে সাত গুণ টাকা খরচ করে আসতে হয় বাংলাদেশি শ্রমিকদের।
২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মরিশাসে নিহত ১১ জন বাংলাদেশি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাতজনের লাশ দাফন।
২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর জনশক্তি রপ্তানি এক লাখের নিচে ছিল। ১৯৮৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বছরে দেড় থেকে দুই লাখ কর্মী গড়ে বিদেশে গেছেন। ২০০৬ সালে গেছেন তিন লাখ ৮১ হাজার ৫১৬ জন। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে আট লাখ করে কর্মী বিদেশে গেছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে চার লাখ ৭৫ হাজার ২৭৮ জন ও ২০১০ সালে তিন লাখ ৯০ হাজার ৭০২ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। ২০১১ সালে-এ ১১ মাসে জনশক্তি রপ্তানি পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে।
২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বছরে এক লাখ লোক অবৈধভাবে বিদেশ যান। ছাত্র, পর্যটক, ওমরাহ পালন ও ধর্মীয় পবিত্র স্থান দেখা ও জিয়ারতের নামে বিদেশে পাঠায় দালালেরা। অভিবাসী দিবস আজ (১৮-১২-২০১১ তারিখ)। অবৈধভাবে বিদেশে গমন ঃ পথে পথে গ্রেপ্তার মৃত্যু হয়রানি।
২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ থেকে ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫১ জন বিদেশে গেছেন। তাঁদের ৯০ শতাংশই গেছেন একক ভিসায়।
২০১২ সালের ২৫ মে, প্রথম আলো ঃ ৩ বছরে ৮ হাজার প্রবাসীর লাশ। মন্ত্রণালয় ও শাহজালাল বিমানবন্দরের তথ্য। ইউরোপ-৪২১ জন। এশিয়া-৬,৫৮৩ জন। আমেরিকা-৩১১ জন। আফ্রিকা-২৯৬ জন। অস্ট্রেলিয়া-২৬ জন। ২০০৩-২০১২=৯ বছরে ১৫,৭০০ জন বাংলাদেশির লাশ এসেছে। শীর্ষ পাঁচ দেশে ৩ বছরে মৃত্যু। সৌদি আরব-২,৩৩৯ জন। মালয়েশিয়া-১,২৯৮ জন। আরব আমিরাত-৮৩৮ জন। কুয়েত-৫০৬ জন। ও ওমান-২৯৬ জন। মৃত্যুর কারণ-অধিকাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ বলা হয় হৃদরোগ। ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অজানা।
২০১২ সালের ৩ জুলাই, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ ০৩-০৭-২০১২ তারিখ সংসদে শ্রমমন্ত্রী বলেন গত বছর (২০১১ সালে) ২ হাজার ৬১৮ জন বাংলাদেশি কর্মীর মৃতদেহসদেশে ফেরত এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আর ২০১১ সালে মোট ৩৯ হাজার ৪০১ জন বাংলাদেশি কর্মী বিদেশ থেকে ফিরে এসেছে।
২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-গত চার বছরে ২০ লাখ ৪০ হাজার জনশক্তি বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে।
২০১৩ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর ঃ ১৫৭ দেশে ৮৫ লাখ বাংলাদেশী কাজ করছেন। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই রয়েছে ৬৪ লাখ কর্মী। আগে ৭৫ দেশে বাংলাদেশী কর্মীরা কাজ করতেন। এ সরকারের চার বছরে ৪১ হাজার ৮৪০ জন কর্মী বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আর বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত এসেছে ১ লাখ ৭৩ হাজার। এছাড়া হংকংয়ে ৮০ হাজার নারী শ্রমিক পাঠানোর সা¤প্রতিক চুক্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান দেশটি নারীদের জন্য সুরক্ষিত ও নিরাপদ।
২০১৬ সালের ১৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের মোট প্রবাসীর ১১ শতাংশই কুমিল্লা জেলার বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তিনি কোটবাড়িতে কুমিল্লা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় বলেন, কুমিল্লার প্রবাসীর সংখ্যা ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৩৯০ জন। বাংলাদেশে ৩০০শত সংসদসদস্য আসন আছে এর মধ্যে কুমিল্লাতে আছে ১১জন। বাংলাদেশের ৩.৬৬ শতাংশ আসনসংখ্যা কুমিল্লা জেলার। আর কুমিল্লা জেলার প্রবাসীর সংখ্য হলো ১১ শতাংশ। অন্যান্য জেলা থেকে প্রায় ৩ গুণেরও বেশি লোক প্রবাসী।

১৯৭৬ সালে বাংলাদেশে কয়েকটি গার্মেন্টস কারখানা দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ১(এক) লাখ টাকার পোশাক রপ্তানি করে। ২০০৫ সালের ১ জুন, ৪৩০০-রফতানীমুখী তৈরী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ১৯০০-ফ্যাক্টরি বন্ধ বা রুগ্ন হয়ে পড়েছে। অথচ চীন, ভারত ও ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশে এ শিল্প বেড়েই চলেছে কর্কটের মতো। ২০০৫ সালে কোটাপ্রথার উচ্ছেদ ঘটানো হলে বাংলাদেশও মুক্তবাজার অর্থনীতির খোলা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে পড়ে। আর ২০০৭ সালে পোশাক শিল্প পোশাক রপ্তানি করে ৫০০ কোটি ডলার বা প্রায় ৩৫,০০০ হাজার কোটি।
১৯৯০ সালের ২৭ ডিসেম্বর, (২৮-১২-২০১১ তারিখের প্রথম আলো) ঢাকার মিরপুরে সারাকা গার্মেন্টসে ভয়াবহ আগুনে নিহত হন ২৭ শ্রমিক। দিনটি ২৭-১২-১৯৯০ তারিখ স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কালো পতাকা হাতে শোকযাত্রা বের করে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।
১৯৯৯ সালের ১১ নভেম্বরের তথ্যানুযায়ী-বাংলাদেশে বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার ৬০ শতাংশের স্টক লটের হদিস নেই।
২০০১ সালের ১০ জুলাই ঃ বাংলাদেশে ৩,৫০০(তিন হাজার পাঁচশত) পোষাক শিল্প আছে। কিন্তু ১৯৭৮ সালে ১৯টি পোষাক শিল্প দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল।
২০০৩ সালের ৩ জুনের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ২০০৫ সালে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প খাত থেকে ১০(দশ) লক্ষ লোক চাকরি হারাবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান(ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রদ্ত্ত কোটা এবং জিএসপি সুবিধা উঠে গেলে এ খাতটি বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে ইউএনডিপি মত প্রকাশ করেছে। রপ্তানি আয়ের ৭৬-শতাংশ অর্জনকারী এ খাতটি থেকে বছরে ৫৬ বিলিয়ন ডলার আয় হয়। ইউএনডিপির মতে, ২০০৫ সালে মাল্টিফাইবার এগ্রিমেন্ট (এমএফএ)-এর মেয়াদ শেষ হবার পর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে-বাসস।
২০০৩ সালের ২৭ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ আগামী ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে কোটা প্রথা উঠে গেলে বাংলাদেশে পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে লাভবান হবে চীন, ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের ব্যাপক প্রস্তুতি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় ৬০০(ছয়শত) কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের মধ্যে পোশাক খাতের অংশই হচ্ছে ৪৫০(চারিশত পঞ্চাশ) কোটি ডলারের বেশী। পোকাশ শিল্পে কর্মরত রয়েছে ১৫(পনের) লক্ষ্যের বেশী শ্রমিক। এদের অধিকাংশই নারী শ্রমিক।
২০০৪ সালের ২৬ জুন, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক আবুল বারাকাত-বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে দারিদ্র সৃষ্টির কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, দেশের ২০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক বছরে ২০ কোটি মাইল পায়ে হেঁটে ৭৪ কোটি ঘন্টা শ্রম দেন। প্রতি সাড়ে তিন ঘন্টা শ্রমের জন্য তাদেরকে এক ঘন্টা হাঁটতে হয়। ডবিøউটির এবং এমএফএ সেই শ্রমিকের রুটি রুজির দরজা বন্ধ করার কে? আমাদের টেক্সাটাইল শিল্প মহাবিপদে পড়বে। ২০ লাখ শ্রমিকের মধ্যে ১০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। তিনি বলেন বাংলাদেশ টিকে থাকতে হলে ৩শ’ কোটি মিটার কাপড় বানাতে হবে। এরজন্য প্রয়োজন ৩০ হাজার কোটি টাকা। অথচ ঘুষ, দুনীতি, হুন্ডির মাধ্যমে বছরে ১.২ (এক লাখ বিশ হাজার) কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। তিনি বলেন, একই কায়দায় স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে আসা ২(দুই) লাখ কোটি টাকা বৈদেশিক সাহায্যের ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। সবই লুটপাট হয়ে যাবে।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ২০০৪ সালের পর থেকে কোটামুক্ত বিশ্ব বাজার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করলেও বাংলাদেশ নীটওয়ার ম্যানুফ্যকঢ়ারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নেতৃবৃন্দ ওই সব সংস্থার আশংকা প্রত্যাখান করে বলেছেন, কোটামুক্ত বিশ্ব ব্যবস্থায় আমাদের দেশের নীটওয়্যার শিল্পের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হবে। জানুয়ারী থেকে কোটামুক্ত বিশ্ব বাজার ব্যবস্থায় প্রবেশের পর চলতি অর্থ বছরে এ খাতে রফতানী প্রবৃদ্ধি আরো ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পাবে।
২০০৫ সালের ৮ জানুয়ারি, নারায়ণগঞ্জ থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান মিন্টু ঃ সিদ্ধিরগঞ্জে সান নিটিং গার্মেন্টস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। ২২-শ্রমিক পুড়ে ছাই অনেক নিখোঁজ।
২০০৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ ৪(চার) হাজার গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে ১(এক) হাজার গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ এবং ৮০০ কারখানা রুগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে ৬(ছয়) লাখ শ্রমিক-কর্মচারী, যার ৮৫ শতাংশ নারী শ্রমিক।
২০০৫ সালের ৬ জুন, সংসদ রিপোর্টার ঃ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ-নির্মাণ ত্রুটির কারণেই সাভারের স্পেকট্রাম সোয়েটার গার্মেন্টস ভবন ধসে পড়েছে।
২০০৫ সালের ২৫ অক্টোবর, ইনকিলাব-অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিদেশী টাকায় দেশীয় শিল্পে হামলা। যারা গার্মেন্টস খাত ধ্বংসের আশংকা করেছিল তারাও জড়িত-বিজিএমইএ।
২০০৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ শিশুশ্রম বন্ধ না করলে তৈরী পোশাক আমদানী বন্ধ।-ওয়াল মার্টের হুঁশিয়ারি।
২০০৬ সালের ৩ জানুয়ারি, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ১৮ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৫ম আন্তর্জাতিক গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল প্রযুক্তি ও বাণিজ্য প্রদর্শনী বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আয়োজন ‘গার্মেনটেক ২০০৬’। ৩০টি দেশের ৫০০ কোম্পানী মেলায় অংশ নিচ্ছে। ৪র্থ সম্মেলনে প্রায় ১২(বার) হাজার প্রতিনিধি তাদের প্রযুক্তি ও পণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নেন।
২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ গার্মেন্টেসে ন্যূনতম মজুরী ১,৬৬২/- টাকা পুননির্ধারণ। মেনে নিয়েছে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ।
২০০৬ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি, কালুরঘাটে টেক্সটাইল মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড-৫৫ লাশ উদ্ধার ঃ ২৯ জনের অবস্থা আশংকাজনক ঃ আরো মৃত্যুর আশংকা। ‘আগুন লাগার পরই দুটি গেটে তালা লাগিয়ে দেয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে’।
২০০৬ সালের ২৮ মার্চ, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ ১৯৮০’র দশকে বাংলাদেশে রফতানীমুখী তৈরী পোশাক (গার্মেন্টস) উৎপাদন খাতের যাত্রা শুরুর পর গত ২০ বছরের এটি শিল্পের ভিত্তি পায়নি। বছরে ৪৫ হাজার কোটি টাকা রফতানী আয়ের এ সর্ববৃহৎ সেক্টরটি এখনো চলছে এডহক ভিত্তিতে অর্থাৎ সাময়িক শিল্প হিসেবে।
২০০৬ সালের ৩০ মার্চ, সালাহউদ্দীন বাবলু ঃ গার্মেন্টস ঢাকার বাইরে গেলে ৪০ লাখ লোকের চাপ কমবে।
২০০৬ সালের ৫ মে, স্টাফ রিপোর্টার ঃ রাজধানীতে মাঝারি আকারের ভূমিকম্প হলে-২৮ ভাগ বাড়ী ও ৮০ ভাগ গার্মেন্টস ধসে পড়বে। তাৎক্ষণিক ৯৬-হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটবে। আহত হবে ১ লাখ ২৭ হাজার মানুষ। দেখা দেবে মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়।
২০০৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঃ সালাহউদ্দীন বাবলু-এ বছর ১,৬০৪/-টাকা, আগামী বছর ১,৮৯০/- ও পরের বছর ২,১১৭/-টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ বেতন মালিক পক্ষ মেনে নেয়নি।
২০০৭ সালের ৯ অক্টোবর, নিজস্ব প্রতিবেদক-পুঁজির আধুনিকায়ন হলেও শ্রমের হয়নি ঃ সিপিডি। গত সাত বছরে পোশাক খাতের প্রকৃত আয় বেড়েছে আড়াই গুণ।
২০০৯ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ দেশের ১৭টি গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি করেছে।
২০০৯ সালের ১২ মে, প্রথম আলো ঃ ফতুল্লায় ১৩ পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের হামলা, সাভারেও সংঘর্ষ।
২০০৯ সালের ১৪ মে, প্রথম আলো ঃ সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া তথ্য ঃ সাত বছরে ১২ হাজার ৩০৭ জন শ্রমিকের লাশ দেশে ফিরেছে। হৃদরোগ ও দুর্ঘটনাজনিত কারণে বেশির ভাগ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
২০০৯ সালের ১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ পুলিশ-পোশাকশ্রমিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত-আহত শতাধিক। টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
২০০৯ সালের ২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ টঙ্গীর রাজমিস্ত্রী তাজুল ইসলামের ছবি ছাপা হয়েছে পত্রিকায়। পুলিশের ভ্যানে আধশোয়া-রক্তাক্ত। ১-১১-২০০৯ তারিখ সারা দিন তাঁর কোনো খবর না পেয়ে স্ত্রী-সন্তানেরা কেবল কেঁদেছে। সন্ধায় সেই তাজুল মারা গেলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাজুলের তিন মেয়ে-ওদের সান্তনা দেওয়ার কেউ নেই।
২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ মজুরি নিতে এসে লাঠিপেটার শিকার নিপ্পনের শ্রমিকেরা। ১৫ দিনের মধ্যে পাওনা পরিশোধের আশ্বাস।
২০১০ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ গাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন ২১ শ্রমিকের মৃত্যু।
২০১০ সালের ২২ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-পোশাকশ্রমিকদের বেতন শুধু অপ্রতুলই নয়, অমানবিক। ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে তা ঘোষণা করা হবে।
২০১০ সালের ৩০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পোশাকশ্রমিকদের মাসিক নূনতম মজুরি।
ক্র গ্রেড নতুন মূল বেতন নতুন মোট বেতন বর্তমান মোট বেতন বৃদ্ধির হার
১. ১ম ৬,৫০০.০০ ৯,৩০০.০০ ৫,১৪০.০০ ৮১%
২. ২য় ৫,০০০.০০ ৭,২০০.০০ ৩,৮৪০.০০ ৮৭.৫০%
৩. ৩য় ২,৮০০.০০ ৪,১২০.০০ ২,৪৪৯.০০ ৬৮.৩০%
৪. ৪র্থ ২,৫৪৫.০০ ৩,৭৬৩.০০ ২,২৫০.১০ ৬৭.৩০%
৫. ৫ম ২,৩২৫.০০ ৩,৪৫৫.০০ ২,০৪৬.০০ ৬৮.৯০%
৬. ৬ষ্ঠ ২,১৫০.০০ ৩,২১০.০০ ১,৮৫১.০০ ৭৩.৪০%
৭. ৭ম ২,০০০.০০ ৩,০০০.০০ ১,৬৬২.৫০ ৮০.৪৫%
পোশাকশ্রমিকদের নতুন মজুরি নভেম্বর-২০১০ থেকে কার্যকর হবে। ভবিষ্যতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে পুনরায় মজুরি নির্ধারণ করা হবে।
২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ আশুলিয়ায় ১৪-১২-২০১০ তারিখ হা-মীম গ্রæপের পোশাক কারখানায় আগুনে প্রাণ গেল ২৬ শ্রমিকের।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল, সমকাল পত্রিকার রিপোর্টঃ বাংলাদেশে ৩৬ লক্ষ লোক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে কাজ করে এবং আরো ৮ লাখ নারী-পুরুষের কাজ দেয়ার চাহিদা আছে। বিদেশী ১৮ হাজার দক্ষ লোক কাজ করছে।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৬ লাখ পোশাকশ্রমিক আছে।
২০১২ সালের ২৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ পোশাকশ্রমিক, প্রবাসী শ্রমিক ও কৃষক। তাঁরাই বাংলাদেশের প্রাণ।
(১) পোশাক খাত-প্রায় ৩৬ লাখের বেশি শ্রমিক এবং নারী ৩০ লাখের বেশি। রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। গত অর্থবছরে (২০১১-২০১২) আয় প্রায় দুই হাজার কোটি ডলার।
(২) প্রবাসী শ্রমিক-দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত। ৬৭ লাখের বেশি কর্মী। গত অর্থবছরে (২০১১-২০১২) আয় এক হাজার ৮৪ কোটি ডলার।
(৩) কৃষক-এক কোটি ২০ লাখ কৃষক গত অর্থবছরে(২০১১-২০১২) খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল তিন কোটি ৪৭ লাখ টন।
২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন।
২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ গত চার বছরে দেশে ও বিদেশে ৮২ লাখ ৪০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃস্টি হয়েছে। আর বিদেশ থেকে কত লক্ষ লোক আসছে গত চার বছরে তা বলেনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশে ৮৫ লক্ষ লোক আছে বিদেশে। আবার ২০১৪ সালে এসে বলা হচ্ছে বিদেশে বাংলাদেশের ৯০(নব্বই) লক্ষ লোক আছে।
২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ পরিকল্পনা কমিশনের অর্থনীতি বিভাগের প্রতিবেদনে ঃ গত চার বছরে ৮২ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। বিদেশে ২০ লাখ এবং দেশে ৬২ লাখ ৭০ হাজার।
২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : বাংলাদেশে ১০০২টি ম্যান পাওয়ার বা রিক্রুটিং এজেন্ট আছে, তারদেরকে সরকার থেকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে কারণ তারা বৈধ ব্যবসা করে।
২০১৫ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো : বাংলাদেশে বর্তমানে ৩ হাজার ৫০৮টি পোশাক কারখানার মধ্যে এখন পরিদর্শন শেষ করেছে ২,৯০৪টি কারখানা এবং বাকি আছে-৬০৪টি কারখানা পরিদর্শনের বাকি আইএলও।

 

১৯৮০ সালের ২৩ মে থেকে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত (বোমা ও গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুবরণ করেছে-১৪৩ জন এবং আহত অনেক।
২০০৪ সালের ২৪ আগষ্ট, মফিজুর রহমান ঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৮০ সালের ২৩ মে, সাবেক প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমদের জনসভায় প্রথম গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে একই যায়গায় মোশতাক সাহেবের জনসভায় বোমা হামলা হয়। তারপর দীর্ঘ ১৫ বছর বিরতি দিয়ে জনসমাবেশে ভয়ংকর বোমাবাজির ঘটনা আবার ঘটতে শুরু করে বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোরে উদীচী অনুষ্ঠান থেকে বোমা হামলা। ঐ বছরই অক্টোবর মাসে খুলনায় আহমদিয়া মসজিদে দ্বিতীয় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি, ঢাকায় পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ঐ সালের ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখের রমনা মেলা অনুষ্ঠানে হৃদয়বিদারক বোমা বিস্ফোরণের বীভৎস দৃশ্যের অবতারণা হয় টিভি ক্যামেরার চোখের সামনে। ঐ সালের জুন মাসে আরও দুটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ জুন, ২০০১ গোপালগঞ্জের বানিয়ার চর গীর্জ্জায় ভয়ানক বোমা হামলা ঘটে। তারপর আরও মারাত্মক বোমা বিস্ফোরণ ঘটে নারায়নগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের আওয়ামী লীগের দপ্তরে। কেয়ারটেকার সরকারের আমলেও গুপ্ত বোমা হামলা চলতে থাকে। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সমাবেশে আবার বড় ধরনের বোমাবাজি ঘটে। তার এক বছর পর ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম সিমেনা হলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরায়। ঐ বছর ডিসেম্বরের-৬ তারিখ ঈদের ছুটিতে যুগপথ চারটি সিমেনা হলে মর্মান্তিক বোমা হামলা ঘটেছে। তারপর ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি, টাঙ্গাইলের ফাইলা পীর সাহেবের দরগায় একটা বিকট বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এক বছর পর ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি, অনুরুপ বিস্ফোরণ ঘটানো হয় সিলেটে শাহজালালের মাজারে। এ বছরই খুলনায় ২৯ ফেব্রুয়ারি, সিটি মেয়র বিএনপি নেতা শেখ তৈয়বুর রহমানের গাড়ী লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। ৫ মার্চ, ঐ শহরেই একটা হোটেলের সামনে টহলদার পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়ে। ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল, খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার একটা ইটের ভাঁটি থেকে যৌথ বাহিনী একটা গ্রেনেড উদ্ধার করে। তার আগে ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে যৌথ বাহিনী আটক করে একটা গ্রেনেডসহ চারজনকে। ২০০৪ সালের ২১ মে, সিলেটে শাহ জালালের মাজারে বৃটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা হয়। ২৩ মে, খুলনার রূপসা উপজেলায় আইচগাতি যৌথ বাহিনীর ক্যাম্পে বাম চরমপন্থীরা গ্রেনেড হামলা চালায়। এ গ্রেনেডটি ছিল ‘আরজেস ১৯৮৪ মডেলের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী যেটা ব্যবহার করে। এ বছরই ৫ আগষ্ট, সিলেটে দুটো সিনেমা হলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে, একটিতে বিস্ফোরণ ঘটেনি। সিলেটের গুলশান হোটেলের চত্বরে আওয়ামী লীগ সমাবেশের কাছে গাড়ী রাখার জায়গায় ৭ আগষ্ট, একটা গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছিল বলে সংবাদ। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট, শনিবার বিকেলে গুলিস্থান, বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ, ঢাকায় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২২(বাইশ) জনের মৃত্যু এবং ৩০০(তিন শতাধিক) মানুষ আহত হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট, ঢাকার গ্রেনেডগুলিও ‘আরজেস ১৯৮৪ মডেলের। ২৮ জানুয়ারি, ইনকিলাব রিপোর্ট-হবিগঞ্জে বোমা হামলায় কিবরিয়াসহ নিহত ৪ জন। বোমা হামলার ঘটনায় এ যাবৎ ১৪২-ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজারের মত। কিন্তু এ যাবৎকালের কোন বোমা বা গ্রেনেড হামলা ঘটনার উৎসের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তদন্ত রিপোর্টও বাহির হয়নি।
১৯৯৯ থেকে ২০০৫ এবার যুক্ত হয়েছে উদ্বেগজনক আত্মঘাতী বোমা হামলা
বাংলাদেশে এমন পরিকল্পিত বোমা হামলার শুরু ১৯৯৯ সালের মার্চে যশোরে উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় নিহত-১০ জন, ৮ অক্টোবর খুলনায় আহমদীয়া মসজিদেবোমা হামলায় নিহত হন-৮ জন, একই মাসে ফরিদপুর এক দরবার শরীফে বোমা হামলায় ৪ জন নিহত হন।
২০০১ সালের ২১ জানুয়ারি, পল্টনে সিপিবির সমাবেশে বোমায় নিহত হন-৭ জন, ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাক নববর্ষ উৎসবে রমনা বটমুলে বোমা হামলায় ১০ জন, ৩ জুন গোপালগঞ্জে বানিয়ারচর গীর্জায় বোমা হামলায় মারা যান-১০ জন ১৫ জুন নারায়নগঞ্জে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণে মারা যান ২২ জন, ২৩ সেপ্টেম্বর, বাগেরহাটের মোল্লারহাটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৮ জন, ২৬ সেপ্টেম্বর, সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৪জন। দলীয় একজন সংসদ সদস্যের বাসায় বোমা বানানোর সময়, মারা যায় ২ জন। সংসদ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, সাতক্ষীরার একটি সিনেমা হলে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান কয়েকজন, ৬ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহের ৪টি সিনেমা হলে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ২৮ জন।
২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি, টাঙ্গাইলে একটি মেলায় বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৭ জন।
২০০৪ সালের ২১ মে, সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে বোমা হামলায় প্রাণ হারান ৩ জন, আহত ২৯ জন এবং আহত হন ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, ২১ আগষ্ট, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বোমা হামলায় নিহত হন কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ জন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি, হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারান সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ ৩ জন, ১২ ও ১৪ আগষ্ট, ব্রাম্মণবাড়িয়ায় মেলা ও পীরকল্লা শহীদের মাজারে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১ জন।
গত ১৭ আগষ্ট, ২০০৫ সালে ৬৩ জেলার ৫৫০টি স্থানে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, ১৪ নভেম্বর, ঝালকাঠিতে বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ২ বিচারককে, ২৯ নভেম্বর, গাজীপুর ও চট্রগ্রামে আদালত ভবনে চালানো হয় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীসহ নিহত হয় ৯ জন, ২ ডিসেম্বর, আবারো গাজীপুরে হামলায় ঘটনাস্থলে ১ জন নিহত হয়, সর্বশেষ গতকাল নওগাঁয় ১ জন এবং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নেত্রকোনায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৮ জন।
শায়খ রহমান, বাংলাভাই, ড. গালিব ও মুফতি হান্নান ঃ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঝড় তোলা চার চরিত্র। ২০০৬ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ(জেএমবি)’র বোমা হামলায় এ পর্যন্ত নিহত-৩৫, আহত সহস্রাধিক।
১৭-০৮-২০০৭ আজ সেই অভিশপ্ত দিন ঃ সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা। আড়ালেই রয়ে গেল মদদদাতারা। একনজরে ঘটনাপ্রবাহ ঃ বিভিন্ন সময় বোমা ও আত্মঘাতী হামলায় মারা যায় ৩৫ জন। মোট মামলার সংখ্যা ২৭৬টি। অদ্যাবধি চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে ২২৪টি। চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হয়েছে ১টি। তদন্তাধীন মামলা ৪২টি। বিচারাধীন মামলা ১৫১টি। বিচার শেষ হয়েছে ৪৪টি। ৩৫ জনের মৃত্যুদন্ড হয়েছে । ৭০ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে। ৯৭ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামির সংখ্যা ৭৪০ জন। চার্জশীটে সোপর্দকৃত আসামির সংখ্যা ৬৭৫ জন। খালাস পেয়েছেন ৪১ জন।
২০০১ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি, (১৬-০২-২০১০ তারিখের প্রথম আলোর রিপোর্ট) ঃ ডা. এইচ. বি. এম. ইকবালের নেতৃত্বাধীন একটি মিছিল থেকে বিএনপির মিছিলে গুলিকরা হয়। ঐদিন পিস্তলের গুলিতে চারজন নিহত হয়। মালিবাগ হত্যা মামলা। ইকবাল, ভোলা-৩ আসনের বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ২৩ আসামির নাম প্রত্যাহারের আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি। ২৬-০৮-২০১০ তারিখ ইকবাল, শাওনসহ খালাস ১৪ জন।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল(বাংলা-১৪০৮-সালের প্রথম দিন রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণের সেই দুঃসহ স্মৃতি-ফাইল ছবি)।
২০০১ সালের ৪ জুন-গত দুই বছরে ১০টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫৯-জনের প্রাণহাণি। নেপথ্যে কারা? আজ পর্যন্ত কারা এসবের সাথে জড়িত তা‘দের কেন ধরা গেলনা। সত্য কোনদিন চাপা থাকবে না।
২০০১ সালের ১৭ জুন-রহস্য উদ্ঘাটিত হচ্ছে না। এ বছরেই ৪ বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮ জন। মনে হয় সরকারের বিপক্ষে যাবে বলে রহস্য উদঘাটন করছে না।
২০০৪ সালের ২৫ মে, সিলেটে হযরত শাহজালালের (রহ.) দরগায় বোমা বিস্ফোরণ (ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী আহত হয়ে সিএমএইচ-এ ভর্তি হন) ঘটনার তদন্তেসহযোগিতায় নেমেছে তিন বৃটিশ পুলিশ ঃ ৩২-বছরের ইতিহাসে প্রথম।
২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট, শনিবার বিকেলে গুলিস্থান, বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ, ঢাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল পূর্ব-সমাবেশে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে গ্রেনেড হামলায় কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪(চব্বিশ) জনের মৃত্যু এবং ৩০০(তিন শতাধিক) মানুষ আহত হয়েছে।
২০০৪ সালের ২৬ আগষ্ট, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে-মুসলিম মিল্লাত পার্টি।
২০০৪ সালের ৩ অক্টোবর, (ইনকিলাব ঃ ১৬২ পৃষ্ঠার রিপোর্ট হাতে বিচার বিভাগীয় কমিশনের প্রধান বিচারপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন) গ্রেনেড হামলার বিচার বিভাগীয় কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট ঃ ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সাথে-বিদেশী শক্তি জড়িত।
২০০৫ সালের ২৭ জুন, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট-সৈয়দ আহমেদ গাজী ঃ সুব্রত বাইন, জয় ও মোল্লা মাসুদ ২১ আগষ্ট, ২০০৪-এর গ্রেনেড হামলার মূল হোতা-জর্জের স্বীকারোক্তি ঃ মঞ্চ নিরাপদ রাখা ছিল পরিকল্পিত।
২০০৫ সালের ১৮ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ-১৭ আগষ্ট, সারাদেশে নজিরবিহীন বোমা হামলা। একযোগে ৫ শতাধিক বিস্ফোরণ ঃ স্তম্ভিত দেশবাসী। নিহত ২, আহত প্রায় ২শ’ ঃ গ্রেফতার অর্ধশতাধিক। রাজধানীতে ৩৫টি স্থানে একই সময়ে বিস্ফোরণ।
২০০৫ সালের ১৮ আগষ্ট, উমর ফারুক আলহাদী ঃ ৯ বছরে ২১টি গ্রেনেড ও বোমা হামলা মুখ থুবরে পড়েছে তদন্ত রিপোর্ট।
২০০৫ সালের ৩০ আগষ্ট, আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ সারাদেশে নজিরবিহীন বোমা বিস্ফোরণ। ১৩ দিনে গ্রেফতার ১৬৯ ঃ স্বীকারোক্তি ৬ জনের ঃ অভিযান চলছে।
২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকায় রিপোর্ট ঃ রাজধানীতে বোমাবাজদের শক্ত ঘাঁটি। শায়খ আবদুর রহমানের ভাই গ্রেফতার ঃ বোমা তৈরীর কারখানা আবিস্কার ঃ প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার। ১৭ আগষ্ট বোমা হামলার আগেই দ্বিতীয় দফা হামলার পরিকল্পনা হয়।
২০০৫ সালের ১৫ নভেম্বর, নূরুল ইসলাম ঃ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা ঃ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে না। ১০-বছরে বোমা ও গ্রেনেড হামলায় ১৯৫ জন নিহত।
২০০৫ সালের ১৬ নভেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ আহত মামুনের বক্তব্য-আল্লাহর আইন কায়েমে শহীদ হতে কষ্ট নেই।
২০০৫ সালের ৩০ নভেম্বর, সাখাওয়াত হোসেন, শফিউল আলম, রফিকুল ইসলাম, আবদুস সামাদ ঃ আবারও বোমায় রক্তাক্ত আদালত। গাজীপুর ও চট্টগ্রামে নিহত-৯ জন ঃ আহত শতাধিক ঃ উত্তপ্ত সারাদেশ।
২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর, সাখাওয়াত হোসেন, আব্দুস সামাদ ঃ দাগ না শুকাতেই গাজীপুর আবার রক্তাক্ত। নিহত-১ জন ঃ সাংবাদিক আইনজীবি পুলিশসহ আহত ৩০ ঃ বোমাসহ আত্মঘাতী হামলাকারী গ্রেফতার।
২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলী, গ্রেনেড, বোমা তৈরীর সরঞ্জাম ও কথিত জেহাদী বই উদ্ধার। জেমমবি’র সামরিক কমান্ডার সানিসহ গ্রেফতার-১১ জন।
২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সুইসাইড স্কোয়াডের ১ সদস্যের পেছনে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয়-এটা বড় শক্তিরই কাজ। ইসলামী পত্রিকা পরিষদের গোলটেবিলে মাওলানা হোসাম উদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।
২০০৬ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদে ড. মোশাররফ হোসেন-বোমা ও সন্ত্রাসী ঘটনা, ২৪১ মামলাঃ গ্রেফতার ৫৯৭ জন ঃ চার্জশীট ১২১ জনের বিচার শুরু ৩১টির।
২০০৬ সালের ১ মার্চ, সিলেটের টিলাগড়ের শাপলাবাগ এলাকায় সূর্যদীঘল বাড়ীটিকে র‌্যাব ও পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। স্ত্রী, পুত্র, কন্যাসহ ৯ জন আটক।
২০০৬ সালের ২ মার্চ, সকাল ৭-৩০মিনিটের সময় জেমমবি’র শীর্ষ জঙ্গী নেতা শায়খ আবদুর রহমান দু’জন সহযোগী সাথে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
২০০৬ সালের ৩ মার্চ, সাখাওয়াত হোসেন ঃ জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেমমবি) যাত্রা শুরু ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সালে পুরোপুরি একটি জঙ্গী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ৮ বছরে দেশের ভেতর সংগঠিত হয় জেমমবি। সহস্রাধিক গ্রেফতার ও বিস্ফোরক উদ্ধার হলেও উৎস বন্ধ হয়নি।
২০০৬ সালের ৬ মার্চ, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার দুর্গম পল্লী রামপুর থেকে বন্ধুকযুদ্ধ শেষে গুরুতর আহত অবস্থায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জাগ্রত মুসলিম জনতার প্রধান মোস্টওয়ানটেড জঙ্গী নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাইকে সকাল ৭-৩০মিনিটের সময় গ্রেফতার করা হয়।
২০০৬ সালের ১৩ মার্চ, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ জঙ্গী অর্থ লেনদেনে সম্পৃক্ততার অভিযোগ-ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০০৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, শাহজাহান শুভ ঃ স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ে ৭১ জন হত্যাকান্ড ঃ বিচার হয়েছে মাত্র ১টির। ড. আফতাব হত্যাকান্ডের বিচার হবে তো?
২০০৫ সালের ৮ জুলাই ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ-নিউজ ওয়ার্ল্ড, নিউইর্য়ক থেকে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট ঃ ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ২১টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে।
২০০৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকা-৩৪ বছরে অর্ধশত অভিযান ফলাফল বিগ জিরো। গত ৩৪-বছরে মাওবাদী সশস্ত্র সর্বহারা পার্টির হাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২৫-হাজার মানুষ খুন হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৫-হাজার সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদী খুন হয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে। এ তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, মানবাধিকার সংগঠন ও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া গেছে।
২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব-নিউইর্য়ক থেকে মোবায়েদুর রহমান ঃ ১৯৭২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাস ছিল সন্ত্রাস আছে। সব সন্ত্রাসের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
২০০৫ সালের ২ অক্টোবর, ইনকিলাব-স্টাফ রিপোর্টার ঃ মানবাধিকার কমিশনের রিপোট ঃ তিন মাসে সারাদেশে ৯৪৫ জন খুন হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৯৪৫টি হত্যাকান্ড ঘটেছে। এরমধ্যে সামাজিক সহিংসতার কারণে খুন হয়েছে ৬৫৫ জন। ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে ২০ জনকে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৬ জন। যার মধ্যে ৭৩ জন নারী এবং ২৪ জন শিশু।
২০০৬ সালের ৯ অক্টোবর, সাখাওয়াত হোসেন ঃ জোট সরকার ৫-বছরে জঙ্গী দমনে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ শীর্ষ সন্ত্রাসী দমনে।
২০০৭ সালের ৩১ মার্চ, ইনকিলাব রিপোর্ট ঃ ৩০ মার্চ রাত ৬-শীর্ষ জঙ্গীর ফাঁসি।
২০০৪ সালের ৩ এপ্রিল, দশ ট্রাক আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক ঃ চট্টগ্রামে অবৈধ সর্ববৃহৎ চালানে রয়েছে রকেট লাঞ্চার একে-৪৭ এন্টি ট্যাংক রাইফেলসহ ১০(দশ) ধরনের ভয়ঙ্কর আগ্নেয়াস্ত্র।
০২-০৪-২০০৪ তারিখ চট্টগ্রামে আটক ১০(দশ) ট্রাক অস্রের সবগুলোই বাংলাদেশে অপ্রচলিত। অত্যাধুনিক এসব অস্রশস্রের মধ্যে রয়েছে-৭.৬২ এম.এম.টি.-৫৬.১ ও ২ এসএমজি, রকেটসহ ৪০ এসএম রকেট ল্যাঞ্চার, ৯ এম.এম. সেমি অটোমেটিক স্পট রাইফেল, টমিগান, লাঞ্চি গ্রেনেড ইত্যাদি। গতকাল সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের আগে এসব অস্র প্রদর্শন করা হয়। ৫,০০০ হাজার আগ্নেয়াস্র ২৫,০০০ হাজার গ্রেনেড সাড়ে ১১ লাখ গুলীসহ সকল অস্র সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর। আটক ট্রলার থেকে আরো অস্র উদ্ধারঃ গ্রেফতারকৃত ৫ জন রিমান্ডে।
২০০৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর, আবদুল গাফফার মাহমুদ ঃ ১০-হাজার বৈধ অস্ত্রের হদিস নেই।
২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশে ছোট অস্ত্র রয়েছে ৪ লাখ। নির্বাচনে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২ গুণ। এ সব অস্ত্রের ২৫ ভাগ এসেছে ভারত থেকে। দেশে অন্তত ৮০ হাজার অস্ত্র আসে বিভিন্নপথে।
২০০৬ সালের ৪ নভেম্বর, মিথুন কামাল ঃ দেশে অবৈধ অস্ত্র ৪-লাখ ঃ অস্ত্র ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬-লাখ ঃ ২৫-হাজার বৈধ অস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে শিগগিরই শুরু হচ্ছে বিশেষ অভিযান।
২০০৭ সালের ২৫ আগষ্ট, সাখাওয়াত হোসেন ঃ সাত মাসে ৪ হাজার অবৈধ অস্ত্র ২৮শ’ রাউন্ড গুলী উদ্ধার। গ্রেফতার ৪১ হাজার।
২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ এবার বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারা গেছে দুই লক্ষ বিশ হাজার লোক।
২০০৯ সালের ১৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ দেশে ৩১ সংগঠনের নামে জঙ্গিদের গোপন তৎপরতা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেশে ১২টি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় বলা হলেও দেশে ধর্মভিত্তিক অন্তুত ৩১টি জঙ্গি সংগঠন বিভিন্ন সময়ে তৎপরতা চালিয়েছে। তবে কোনো কোনো জঙ্গি সংগঠন কৌশলগত কারণে একাধিক নামেও তৎপরতা চালায়। এসব উগ্র গোষ্ঠী সদস্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ, প্রচারণা ও নাশকতাসহ যাবতীয় কার্যক্রমে ‘আফগানিস্তানের তালেবানি কায়দায় ইসলামী রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ভোলায় মাদ্রাসার আড়ালে জঙ্গি ঘাঁটি, অস্ত্র উদ্ধার। গ্রামবাসীর কাছে বাড়িটি ছিল রহস্যময়।
২০০৯ সালের ১ জুলাই, প্রথম আলো ঃ রণকৌশল নিয়ে বিরোধ, জেএমবি ভেঙে নতুন জঙ্গি সংগঠন। বোমার বদলে ছোট অস্ত্র ব্যবহার। বোমা হামলার বদলে গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর একাংশে ‘মুক্তাঞ্চল’ গড়া। তহবিল সংগ্রহে অস্ত্র ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট উপজেলা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হওয়া জেমমবির চার আঞ্চলিক কমান্ডার। বৃহত্তর রাজশাহীতে পাকিস্তানের মতো একটি ‘মুক্তাঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা তাদের লক্ষ্য।
২০০৯ সালের ৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ মালদহে জেমমবির বৈদেশিক শাখা সংগঠিত করেন ইসলাম ও মুসলিমের শীর্ষ জঙ্গি শাহাদাত। তাঁর দাবি, তাঁদের চেষ্টায় ভারতের ওই অঞ্চলে জেমমবির দুই হাজারের মতো সক্রিয় কর্মী-সমর্থক রয়েছে। নতুন দল ইসলাম ও মুসলিমের শর্ষি নেতাসহ চার জঙ্গি গ্রেপ্তার। জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ(জেমমবি) ভেঙে গড়ে ওঠা নতুন সংগঠনের শীর্ষ নেতা আব্দুর রহিম ওরফে শাহাদাতসহ চার জঙ্গি ধরা পড়েছেন।
২০০৯ সালের ১৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। রাজধানীতে মে মাসে ২১ জন, জুনে ২৯ জন খুন হয়েছে। ১০টি ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার। অস্ত্র উদ্ধারে বড় ধরনের অভিযান নেই। মে মাসে ৩৪টি ও জুনে ৪৪টি ছিনতাইয়ের ঘটনা থানায় নথিভুক্ত। বাস্তবে ছিনতাইয়ের ঘটনা অনেক বেশি।
২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ বছরে ৭৪টি হত্যাকান্ড, মাত্র একটির সাজা জরিমানা ১০ টাকা।
২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ বছরে ৪০ সংঘর্ষ ১১টি হত্যাকান্ডের একটিরও বিচার হয়নি।
২০০৯ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র। শিবিরের সাধারণ সম্পাদক নিহত, আহত শতাধিক। ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ।
২০০৯ সালের ১৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-স্বাধীনতার পর ৫৮টি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ২৭ জন।
২০১০ সালের ৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ আবার বেপরোয়া। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ-গুলি আহত ৩৫, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৭ ছাত্র বহিস্কৃত।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ হিযবুত তাহরীরের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ। সংগঠনের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমদ বাধ্যতামূলক ছুটিতে।
২০০২ সালের ১৩ নভেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১,৮৫,৮৪১টি লাইসেন্সধারী অস্্র আছে।
২০১০ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ মুহুর্মুহু গুলি-বোমা বিস্ফোরণের পর যশোরে ছাত্রলীগের সম্মেলন পন্ডু।
২০১০ সালের ১৮ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ঢাকা কলেজে ৫৮ গ্রেপ্তার, ৫২ গুলি উদ্ধার। ছাত্রলীগের সংঘর্ষের নেপথ্যে সিট দখল ও চাঁদা-বাণিজ্য। প্রান্ত থেকে কেন্দ্র একই অবস্থায় ছাত্রলীগ।
২০১০ সালের ৩ মে, প্রথম আলো ঃ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা থেকে ব্যাগ-কার্টনে ভরা ৭২৬২টি তাজা গুলি উদ্ধার।
২০১০ সালের ৮ মে, প্রথম আলো ঃ বরুড়ায় আবার কার্টনে ভরা ৭২০টি গুলি উদ্ধার।
২০১০ সালের ১৮ মে, প্রথম আলো ঃ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি গ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ তাজা গুলি উদ্ধারের পর সেগুলো থানায় রাখা হয়। বরুড়ায় ১৭ দিনে ১০ হাজার গুলি উদ্ধার।
২০১০ সালের ১৯ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ শেরপুরের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৪ হাজার তাজা গুলি উদ্ধার।

১৯৮১ সালে পৃথিবীতে প্রথম এইড্স বা এইচ. আই. ভি-এর জীবানু ধরা পড়ে।
১৯৮৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট-দেশে মৃগী রোগীর সংখ্যা ৫(পাঁচ) লক্ষ এবং ২০০২ সালে দেশে মৃগী রোগীর সংখ্যা ৭(সাত) লক্ষ।
১৯৮৮ সালের ১৯ মার্চের রিপোর্ট-বাংলাদেশে বছরে ২.৩(দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার) লোক ধনুষ্টঙ্কারে মারা যায়। ২০০২ সালের রিপোর্ট-বাংলাদেশে বছরে ২.৫(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) লোক ধনুষ্টঙ্কারে মারা যায়।
১৯৯৭ সালের ২৪ জুনের হিসেবানুযায়ী ঃ বাংলাদেশে প্রতি বছর ২(দুই) লক্ষ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
১৯৯৭ সালের ৭ নভেম্বরের হিসেব-বাংলাদেশে ধনুষ্টঙ্কার ও হামে বছরে ৪০(চল্লিশ হাজার) নবজাতক শিশু মারা যায়।
১৯৯৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর-বাংলাদেশে-৫৫(পঁঞ্চান্ন) হাজার কুষ্ঠ রোগী আছে।
১৯৯৮ সালের ১৪ মার্চ, বাংলাদেশে ৯৫-ভাগ কিডনী রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।
১৯৯৮ সালের ২৬ নভেম্বরের তথ্য-বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ লিভার রোগী চিকিৎসা সঙ্কটে; কারোর মাথা ব্যাথা নেই।
১৯৯৯ সালের ৩ মার্চ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ-বাংলাদেশে ২৫(পঁচিশ) লক্ষাধিক মানুষ নেশাগ্রস্থ এবং ১০(দশ) লক্ষ লোকের কর্মক্ষমতা লোপ।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ করে।
২০০০ সালের ১১ জানুয়ারি-বাংলাদেশে ১৯(উনিশ) লক্ষ লোকের জন্য ১(এক) জন মানসিক চিকিৎসক আছে বলেছে ঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
২০০০ সালের ২০ অক্টোবর-বাংলাদেশের প্রায় ১.২৫(এক কোটি পঁচিশ লক্ষ) লোক হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত; ২৯ ভাগ পেশাদার রক্তদাতা-এর বাহক।
২০০০ সালের ৩০ অক্টোবর-ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে শাকশব্জি ও ফলমুলের গুরুত্ব অনেক।
২০০১ সালের ৭ জুন-দেশের জনসংখ্যার ১০-ভাগ অর্থাৎ ১ কোটি ৪০-লক্ষ লোক প্রতিবন্ধী।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বুকের দুধ শিশুর জন্য দেহে ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বিশ্বে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৬০(ষাট) কোটি।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ৫৫(পঞ্চান্ন) লক্ষ মানসিক রোগি আছে এবং ডায়বেটিক রোগির সংখ্যা ৫০(পঞ্চাশ লক্ষ)।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ পৃথিবীতে ৪ কোটি লোক অন্ধ।
২০০২ সালের ২৭ জুলাইর, ইত্তেফাক পত্রিকার হিসেবমতে-বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১০-ভাগ মারিজোয়ানা সেবন করে। অর্থাৎ ৬১.৭৫(একষট্টি কোটি পঁচাত্তর লক্ষ) মানুষ।
২৮-১০-২০০২ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ৭০(সত্তর) লক্ষ হাঁপানী রোগী আছে, এরমধ্যে ৪০(চল্লিশ) লক্ষ শিশু রোগী রয়েছে।
২০০২ সালের ২০ ডিসেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে দেড় কোটি লোক ঘাতক ব্যাধি হেপাটাইটিসে আক্রান্ত।
২০০৩ সালের ২০ ডিসেম্বরের হিসেব অনুযায়ী ঃ বাংলাদেশে ৪০ লাখ শিশু হাঁপানী রোগে (শ্বাসকষ্টে) আক্রান্ত।
২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি, সংসদে প্রশ্নোত্তর ঃ দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা-৫৭ জন। এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা সর্বমোট ৩৬৩ জন। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা সর্বমোট ১৩(তের) হাজার বলে উল্লেখ করেছে।
২০০৪ সালের ১২ মে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাসের আগে সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতকে নিতে হবে-সরকারের প্রতি বৃটিশ-আমেরিকান টোব্যাক্যে কোম্পানী। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০০২ সালে এ প্রতিষ্ঠানের কর প্রদানের পরিমাণ ছিল ১,৬৯৪ কোটি টাকা এবং ২০০৩ সালে বিএটি ১৭৭৮ কোটি টাকা কর দিয়েছে।
২০০৪ সালের ৬ মে, বাংলাদেশে এ্যাজমা রোগী ৭০ লাখ ঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
২০০৪ সালের ৬ মে, বাংলাদেশে বিভিন্ন রোগের কারণে ২০% লোক কানে কম শোনে ঃ স্বস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
২০০৪ সালের ২৩ মে, মফিজুর রহমান ঃ বিমানের টয়লেটে লুকিয়ে থাকা ৫ ভারতীয় যুবক গ্রেফতার। সর্বোচ্চ মহলে তোলপাড় ঃ জিয়া বিমানবন্দরে আতঙ্ক।
২০০৪ সালের ২৩ অক্টোবর, আসমা আখতার সাথী ঃ বাংলাদেশে হেপাটাইটিস-বি. ভাইরাসে বছরে ৩০(ত্রিশ) হাজার লোক মারা যায়।
২০০৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশে এইডস রোগী ১৩ হাজার। এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
২০০৫ সালের ২৬ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদঃ কর্মশালায় বক্তারা-দেশে বছরে ৩ লাখ লোক য²ায় আক্রান্ত ও ৭০ হাজার মারা যাচ্ছে।
২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ঃ বছরে ৯০-হাজার শিশু ক্যান্সারে মারা যায়। বিশ্বব্যাপী লড়াই শরু।
২০০৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, ধুমপানের কারণে বছরে এক লাখ মানুষ মারা যায়।-সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশের অর্ধেকেরও বেশী লোকের এইডস সম্পর্কে ধারণা নেই।-স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এইডস হয়েছে এমন রোগীর সংখ্যা বাংলাদেশে ৮৭ জন, মারা গেছে ৪৪ জন এবং বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ জন।
২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, ইনকিলাব ঃ নাছিম উল আলম-কিডনি চিকিৎসায় কাঁটা নটে শাক।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ য²ারোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫ম স্থানে।
২০০৬ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ। বাংলাদেশে প্রতিছর দুই লাখ মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। আর প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় দুই লাখ।
২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, মনজুরুল আলম ঃ এইডস মহামারীর দিকে এগুচ্ছে ভারত। ঝুঁকির মধ্যে বাংলাদেশ।
২০০৬ সালের ৯ মার্চ, নিউইয়র্ক থেকে নিউজ ওয়ার্ল্ড ঃ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের রিপোর্ট-বাংলাদেশে ২০ লাখ লোক মাদকাসক্ত। শতকরা ১.৩৩ ভাগ লোক মাদকাসক্ত।
২০০৬ সালের ৯ মে, স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশে ১ কোটি লোক থ্যালাসেমিয়া রোগের জিন বহন করছে।
২০০৬ সালের ৩০ মে, বাসস ঃ তামাক সেবনে ৮৫ শতাংশ ফুসফুস ক্যান্সার হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ ক্যান্সার রোগী আছে এবং বছরে আড়াই লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি কিডনী রোগী আছে-প্রতি ঘন্টায় ১ জন মারা যায়।
২০০৭ সালের ১১ মার্চ, স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশের ৯৫% মানুষ জানেন না তারা কিডনী রোগে ভুগছেন। বাংলাদেশে ৬০ লাখের বেশী কিডনী রোগী রয়েছে। এখন বিশ্বের ১০ কোটি কিডনী রোগীর জন্য এ সংবাদ পোঁছানো যে-এখন বাংলাদেশে কিডনী রোগের ঔষধ আবিস্কার হয়েছে, এটা বাংলাদেশের গর্ব। এ সংবাদ ঠিক নয় ০৬-০২-২০০৯ তারিখ পর্যন্ত।
২০০৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, রিয়াজ চৌধুরী ঃ উন্নত বিশ্বে ক্যান্সার আক্রান্তের হার কমলেও বাংলাদেশে বাড়ছে। দেশে বছরে প্রায় আড়াই লাখ লোক ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছে।
২০০৭ সালের ৭ অক্টোবর, গত ৬ সেপ্টেম্বর ইউএনএফপিএ ও প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে ‘এইডসের ঝুঁকি ও নিরাপদ সম্পর্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ঃ এইডসের ঝুঁকি ও নিরাপদ সম্পর্ক। আমরা যখন দেখি বাংলাদেশে বিষয়টি কেন এত ঝুঁকিপূর্ণ, তাহলে দেখব যে হোটেলের যৌনকর্মীরা সপ্তাহে প্রতিজন প্রায় ৪৪ জন খদ্দেরের সঙ্গে মিলিত হয়। এরমধ্যে মাত্র চার ভাগ কনডম ব্যবহার করে।-রেবেকা সুলতানা।
২০০৭ সালের ১২ ডিসেম্বর, নিজস্ব প্রতিবেদক-মানসিক স্বাস্থ্য জরিপের ফল প্রকাশ। দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ১৬ শতাংশ মানসিক রোগী। জরিফের ফলাফলে বলা হচ্ছে, দেশে ১৯ শতাংশ নারী এবং ১২.৯ শতাংশ পুরুষ।
২০০৮ সালের ১৪ মার্চ, নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত-বাংলাদেশে এক কোটি মানুষ কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত।
২০০৮ সালের ৩০ মে, সিম্পোজিয়ামে বিশেষজ্ঞদের তথ্য-দেশে এক কোটি ১০ লাখ লোক শ্রবণজনিত অসুস্থতায় ভুগছে।
২০০৮ সালের ১৪ আগষ্ট, দেশের ১৮ শতাংশ মানুষ কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত। কিডনি রোগে আক্রান্ত ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ রোগী চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারে না বলে মারা যায়।
২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর, দেশে ৩০ বছরের বেশি বয়সী সাড়ে সাত লাখ মানুষ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী।
২০০৯ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর দুই লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
২০০৯ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ৭০ লাখ। বায়ুদূষণে বছরে মারা যাচ্ছে ২৫ হাজার মানুষ।
২০০৯ সালের ১২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ দেশে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষ কিডনির রোগে ভুগছে। প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে কিডনির রোগে আক্রান্তদের ৯৫ শতাংশের চিকিৎসার সামর্থ্য নেই।
২০০৯ সালের ১২ এপ্রিল, আমাদের সময় পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের শতকরা ৪৮ ভাগ পুরুষ এবং ২৫ ভাগ নারী তামাক ব্যবহার করে।
২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ধূমপানজনিত কারণে দেশে বছরে ৭০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।
২০০৯ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ দেশে হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ।
২০০৯ সালের ২১ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশে তামাকের কারণে প্রতিবছর ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায়।
২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ দেশে নিউমোনিয়ায় প্রতিবছর ৭০ হাজার শিশু মারা যাচ্ছে।
২০০৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ মোট জিডিপির এক শতাংশ ব্যয় হয় ধুমপানের পেছনে। দেশের দুই কোটি ১৯ লাখ মানুষ ধুমপান করছে। ধুমপানে খরচ হয় প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। দেশে দুই কোটি ৫৯ লাখ মানুষ অন্যান্য জর্দা, সাদা পাতার মতো তামাক গ্রহণ করছে। এসব তামাক ব্যবহারকারীদের প্রায় ২৮ ভাগ নারী। এসব তামাক বেশি গ্রহণ করছে গ্রামের মানুষ।
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ এইডসে আরেকজনের মৃত্যু, এক বছরে মারা গেছে ৪৩ জন।
২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি, আমাদের সময় ঃ বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানসিক রোগীর সংখ্যা এক কোটি ২৮ লাখ।
২০১০ সালের ২৪ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সমাপ্ত। দেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৮.৩৫ শতাংশ শিশু মানসিক রোগে আক্রান্ত।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ বিড়ি সেবন বন্ধ হলে ৭২ লাখ শিশু দিনে এক গøাস দুধ পাবে। প্রতিদিন আট কোটি টাকা হিসেবে বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বিড়ির পেছনে ব্যয় করে তারা। কিন্তু এ টাকা দিয়ে ৭২ লাখ অপুষ্ট শিশুকে দিনে এক গøাস দুধ এবং ৫৩ লাখ শিশুকে দিনে এক গøাস দুধসহ একটি ডিম খেতে দেওয়া সম্ভব। তামাকের কারণে বছরে ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায় এবং তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে।
২০১০ সালের ১১ মার্চ, প্রথম আলো ঃ দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত ১ কোটি ৮০ লাখ।
২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ সেমিনারের তথ্য-দেশের এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যায় ভুগছে।
২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ গবেষণায় তথ্য প্রকাশ। ধূমপানে অকালে মারা যাবে ১৪ থেকে ২১ শতাংশ মানুষ। দেশের চার কোটি ১১ লাখ মানুষ ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে। দেশে গত পাঁচ বছরে ২৫ লাখ ধূমপায়ী বেড়েছে।
২০১০ সালের ২৭ জুন, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা চার কোটি ১৩ লাখ। এরমধ্যে নারী ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
২০১০ সালের ৮ জুলাই, প্রথম আলো ঃ জাতীয় জরিপের ফল প্রকাশ-লাখে ৭৯ জন যক্ষায় আক্রান্ত।
২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর, প্রথম আলোঃ দেশে যকৃতের রোগে আক্রান্ত তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি মানুষ। সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে দেড় কোটি মানুষ যকৃতের দীর্ঘস্থায়ী রোগ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস এবং আট লাখ হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশই জীবনে কোনো না কোনো সময় হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
২০১০ সালের ১২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ সংবাদ সম্মেলনের তথ্য ঃ নিউমোনিয়ায় দিনে ১৩৭ শিশু মারা যাচ্ছে।
২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর, প্রথম আলোঃ হৃদরোগে মৃত্যু বেশি। এরপর জন্মকালীন শ্বাসকস্ট ও নিউমেনিয়ায় মারা যায়।
২০১১ সালের ১১ অক্টোবর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দেশে সাতজনে একজন মানসিক রোগে ভুগছে। সমস্যা মোকাবেলায় এই খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি।
২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর, দৈনিক জনকনঠ পত্রিকা ঃ প্রাপ্ত বয়স্ক ৫০ ভাগ মানুষ যক্ষায় সংক্রমিত।
২০১২ সালের ২৮ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ হেপাটাইটিস রোগে বিশ্বে বছরে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ ৮ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে ডেঙ্গু। রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ২০০৬ সালে-২২০০, ২০০৭ সালে-৪৬৬, ২০০৮ সালে-১১৫৩, ২০০৯ সালে-৪৭৪, ২০১০ সালে-৪০৯, ২০১১ সালে-১৩৫৯, ২০১২ সালে-৬৭১, ২০১৩ সালে-১৭৪৯, ২০১৪ সালে-৩৭৫ এবং ২০১৫ সালে-২৬০১ জন। সূত্র-আইইডিসিআর।
২০১৩ সালের ২১ জুন, প্রথম আলো ঃ বিদায়ী চেয়ারম্যানের হতাশা। ‘নখদন্তহীন’ দুদক দিয়ে দুর্নীতি দূর হবে না। দুর্নীতি কমিশনের(দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালন করার পর নিজেকে সফল হিসেবে বিবেচনা করতে পারছেন না গোলাম রহমান।
দুদকের চেয়ারম্যানগণ ঃ
ক্রমিক নাম মেয়াদবাল
১. বিচারপতি সুলতান হোসেন খান ২২.১১.২০০৪-০৭.০২.২০০৭
২. লে. জেনারেল (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরী ২২.০২.২০০৭-০২.০৪.২০০৯
৩. গোলাম রহমান, সচিব(অব.) ০২.০৪.২০০৯-২৩-০৬-২০১৩
৪. মো. বদিউজ্জামান(ভারপ্রাপ্ত) ২৩-০৬-২০১৩ থেকে
২০১৫ সালের ১ আগস্ট, প্রথম আলো : প্রাণী পুষতে এত্ত ব্যয়! মার্কিনদের কুকুর-বিড়ালপ্রীতি, বছরে খরচ বাংলাদেশের বাজেটের দেড় গুণ। ২০১৪ সালে এদের পেছনে খরচ-৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বা ৪ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। দৈনিক খরচ-১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের জাতীয় দিবসগুলির নাম দেয়া হলো ঃ
১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি থেকে এ দেশে ২১ ফেব্রæয়ারির দিবসটি পালিত হচ্ছে।
১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, ‘মহান শিক্ষা দিবস’ পালিত হয়।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ হন এ দেশের বুদ্ধিজীবীরা। তাই এদিনটিকে প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর, ‘সংবিধান দিবস’ পালিত হয়।
১৯৭২ সালের ৬ নভেম্বর, জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়।
১৯৯৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর, প্রথম জাতীয় টিকা দিবস পালিত হয়।
১৯৯৮ সালের ৬ এপ্রিল থেকে প্রথম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়।
২০০০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, জাতীয় কন্যা দিবস পালিত হয়।
বাংলাদেশে প্রতিবছর ২২ অক্টোবর জাতীয় সড়ক নিরাপদ দিবস পালন করা হয়।
১৯৮৩ সালের ২৩ অক্টোবর, উপজেলা দিবস হিসেবে পালিত হয় জাতীয় পার্টির উদ্যেগে।
৮ ডিসেম্বর, জাতীয় যুব দিবস।
৯ ডিসেম্বর, বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়।
২০০৭ সালের ৩ জুলাই, বাংলাদেশ সরকার ‘জন্মনিবন্ধন দিবস’ হিসেবে পালন করে।
২০০৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রতিবছর জাতীয় আয়কর দিবস পালন করা হয়। দেড় কোটি লোকের বিবরণী দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে-জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান-মোহাম্মদ আবদুল মজিদ।
২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর, বাংলাদেশে ‘প্রথম জাতীয় কৃষি দিবস’ পালন করে।
২০০৯ সালের ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়।
২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর থেকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত হয়।
২০০৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ দিবস পালিত হয়।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি থেকে পিলখানা হত্যা দিবস পালন করা হবে।
২০১০ সালের ২ জুলাই, জন্মনিবন্ধন দিবস পালিত হয়।
২০১০ সালের ৯ আগষ্ট, জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস পালিত হয়।
২০১০ সালের ১৬ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল, জাতীয় ফুল শাপলা, জাতীয় মাছ ইলিশ, জাতীয় পাখি দোয়েল, জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আছে জাতীয় উদ্যানও। কিন্তু স্বাধীনতার ৩৯ বছরেও আমাদের কোনো জাতীয় বৃক্ষ ছিল না। এখন ১৫-১১-২০১০ তারিখ থেকে জাতীয় বৃক্ষ আমগাছ।
১ ডিসেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হয়।
৭ ফেব্রুয়ারি, ইশারা ভাষা দিবস পালনের দাবি।
২০১১ সালের ১৫ অক্টোবর, ৬৪ জেলায় গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি, যুব দিবস পালিত করা হয়।
পয়লা অগ্রাহায়ণ নবান্ন উৎসব পালিত হয়।
১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়।
২০১২ সালের ১০ জুলাই, জাতীয় মূসক দিবস পালিত হয়।
১৯ জানুয়ারি, জাতীয় শিক্ষক দিবস।
২ মার্চ, জাতীয় পতাকা দিবস।
১৭ মার্চ, শিশু দিবস।
১৭ এপ্রিল, মুজিবনগর দিবস।
৩ জুলাই, জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস।
১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস।
৭ নভেম্বর, জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস।
২১ নভেম্বর, সশস্ত্র বাহিনী দিবস।
১ ডিসেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা দিবস।
১ অগ্রহায়ণ, জাতীয় কৃষি দিবস।
অন্যান্য দিবসসমূহ ঃ
১০ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
২০ জানুয়ারি, শহীত আসাদ দিবস।
২৪ জানুয়ারি, গণঅভ্যুত্থান দিবস।
২৮ জানুয়ারি, সলঙ্গা দিবস।
১ ফেব্রæয়ারি, জাতীয় কবিতা উৎসব দিবস।
২ ফেব্রæয়ারি, জনসংখ্যা দিবস।
২২ ফেব্রæয়ারি, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার দিবস।
২৮ ফেব্রæয়ারি, ডায়াবেটিক দিবস।
৭ মার্চ, ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস।
১১ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা দিবস।
২৩ মার্চ, ছয় দফা দিবস।
২৫ মার্চ, কালোরাত্রি দিবস।
৫ এপ্রিল, প্রতিবন্ধী দিবস।
১৬ মে, ফারাক্কা লং মার্চ দিবস।
২৮ মে, নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস।
২৩ জুন, পলাশী দিবস।
১ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।
১১ আগস্ট, ডেঙ্গু প্রতিরোধ দিবস।
২৪ আগস্ট, নারী নির্যাতন দিবস(ইয়াসমিন হত্যার কালো দিবস)।
১৫ সেপ্টেম্বর, আয়কর দিবস।
২৪ সেপ্টেম্বর, মীনা দিবস।
৩০ সেপ্টেম্বর, কন্যা শিশু দিবস।
১৫ অক্টোবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস।
৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস।
৪ নভেম্বর, সংবিধান দিবস।
১০ নভেম্বর, শহীদ নুর হোসেন দিবস।
১ ডিসেম্বর, জাতীয় যুব দিবস।
৬ ডিসেম্বর, স্বৈরাচার পতন দিবস।
৯ ডিসেম্বর, বেগম রোকেয়া দিবস।
১ বৈশাখ, বই উপহার দিবস।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলে অবস্থিত এক হাজার ১৩০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার বিদেশি ব্যাংক ছাড়া পূর্ব পাকিস্তানে কার্যরত সব ব্যাংকই অধিগ্রহণ করে। এ পর্যায়ে ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশবলে বাংলাদেশি মালিকানাধীন দুটি ব্যাংকসহ মোট ১২টি ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হয়। এ ১২টি ব্যাংককে তখন বাংলাদেশ ব্যাংকস (জাতীয়করণ) আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী ছয়টি ব্যাংকে পূনর্গঠন করা হয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ঘোষণা করা হয়। ১৯৭২ সালে ৫০০(পাঁচশত) কোটি টাকা আমানত লইয়া দেশের ব্যাংকিং খাত যাত্রা শুরু করিয়াছিল, ০১-০২-২০০২ সালে আমানত প্রায় ৮৫,০০০(পঁচাশি হাজার) কোটি টাকা এবং যা গত (৩০-১২-২০০৬) ডিসেম্বর মাস শেষে ছিল-১,৭৬,০০০) কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত (২৩-০২-২০০৭) ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিশেষায়িত ব্যাংক ছাড়া অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে-১,৭৮,০০০(এক লাখ আটাত্তর হাজার) কোটি টাকা। ২০০৭ সালের ২৩ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ খেলাপী ঋণের পরিমাণ ২২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। ৩০-১২-২০০৮ সালে ব্যাংকগুলোতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে-২,২৯,০০০(দুই লাখ উনত্রিশ হাজার) কোটি টাকা। আর ঋণ দিয়েছেন ২,০৮,০০০(দুই লক্ষ আট হাজার) কোটি টাকা এবং স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৩২,০০০(বত্রিশ হাজার) কোটি টাকা সুদ-আসলে অবলোপন করেছেন। খেলাপি ঋণ কমে এখন ১০ শতাংশের নিচে। এতে দেশের ৪৮টি ব্যংকের তথ্য সন্নিবেশন করা হয়। ২০০৯ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে বিতরণ করা ব্যাংক ঋণের পরিমাণ দাড়িয়েছে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের পরিমাণ হলো-২৪,৩৯৭.৮০ কোটি টাকা। ১১-০৩-২০১০ সালের হিসেব অনুযায়ী-দেশে(ডেসটিনি পত্রিকা ৩১-১২-২০০৯ তারিখ পর্যন্ত) ৩৮ বছরে এক লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এবং যৌথ বিনিয়োগ হয়েছে ৫৭৪২৫৫ দশমিক ৭০৫ মিলিয়ন টাকা বা ৫৭,৪২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০১০ সালের মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্র¯ত্তত ঋণ ও প্রভিশনিং প্রতিবেদনে এ তথ্য মিলেছে। মার্চ পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলো দুই লাখ ৫০ হাজার ৬১০ কোটি টাকার ঋণ ভিতরণ করে। ২০২০ সালের মধ্যে ১০০ কোটি মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১১টি টেকসই ব্যাংকের সমন্বয়ে গঠিত ব্যাংকগুলোর জোট ‘গেøাবাল এলায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুজ’র (জিএবিভি)র দ্বিতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে। ০৭-০৪-২০১০ তারিখ পর্যন্ত বকেয়া ঋণ ২ লাখ ১৬ হাজার ২৪৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ও তদুর্ধ্ব পরিমাণ ঋণ খেলাপিদের মোট ৬৯৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৩ হাজার ৬৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার সুদ মওকুফ করা হয়েছে। যা তাঁদের মোট ঋণের ১.৬৯ শতাংশ। তবে এ সময় কোনো মূল ঋণ পরিশোধ করা হয়নি। ২০০৮ সালের ২৫ জানুয়ারির তথ্য-বিদেশী ব্যাংকসহ বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৫৪টি। ২০১০ সালের জুন শেষে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৬৯ হাজার ৫২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। (১৭-০৮-২০১১ তারিখর প্রথম আলোর রিপোর্ট ) ২০১১ সালের জুন শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ হয়েছে ২৪ হাজার ৩৮৪ কোটি নয় লাখ টাকা। তবে এ সময় মোট ঋণের পরিমাণ হয়েছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৬২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। খেলাপি ঋণ শতকরা হিসেবে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল, প্রথম আলোর তথ্য অনুসারে-বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা-৫০টি আর পাকিস্তানে ব্যাংকের সংখ্যা-৪৫টি। বাংলাদেশে ব্যাংকের শাখার সংখ্যা-৭,৭০০(সাত হাজার সাতশত) আর পাকিস্তানে ব্যাংকের শাখার সংখ্যা-৮,৩৪৩(আট হাজার তিনশত তেতাল্লিশ)।
১৯৭২ সালে ৫০ কোটি টাকার মূলধন নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ১১ জন এবং ২০০৭ সালে ১০৫০টি শাখা ছিল।
১৯৭২ সালে ২০০ কোটি টাকার মূলধন নিয়ে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ৯ জন এবং শাখা আছে ১৫টি।
১৯৭২ সাল থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বীমা কোম্পানি রাষ্ট্রায়াত্ত করা হয়।
১৯৭২ সালে পাকিস্তান আমলের চারটি ব্যাংককে রাষ্ট্রয়ীকরণ করা হয়। ব্যাংকগুলোর নাম (১) ন্যাশনাল ব্যাংক লি.-এর বাংলা নাম হলো-সোনালী ব্যাংক লি. (২) ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক লি.-এর নাম হলো-জনতা ব্যাংক লি. (৩) ইর্স্টান কমার্সিয়াল ব্যাংক লি.-এর নাম হলো-রূপালী ব্যাংক লি. ও (৪) হাবিব ব্যাংক লি.-এর নাম হলো-পূবালী ব্যাংক লি.।
১৯৯৪ সালের ১ নভেম্বর-বাংলাদেশে বার্ষিক ১১.৫ শতাংশ হারে বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৯৯৭ সালের ২১ মার্চ, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণরের বক্তব্য ঃ ১৫৬(একশত ছাপ্পান্ন) ব্যক্তির নিকট ব্যাংক ঋণ-৫(পাঁচ) হাজার কোটি টাকা।
১৯৯৭ সালের ২১ জুলাই’র তথ্যানুযায়ী ঃ বাংলাদেশে গত ১৬-বছরে ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ ৪,৭১৭(চার হাজার সাতশত সতর) কোটি টাকা। ধনীদের স্বার্থে ঋণের সুদ মওফুফ করেছে। কৃষকের কৃষি ঋণের সুদ কোনদিনও মওকুফ করেনি, কারণ তারা যে গরীব মানুষ। এ সমাজে গরীবের স্বার্থে কোন কিছুইত হবেনা।
১৯৯৭ সালের ২৩ এপ্রিলের হিসেব-গত ২১-বছরে রাষ্ট্রায়াত্ত¡ লোকসানী শিল্পে যোগান দিতে হয়েছে ৪২(বিয়াল্লিশ) হাজার কোটি টাকা। এ টাকা কোথা থেকে আনা হয়েছে তা‘বলা হয়নি, কৃষি থেকে এনে শিল্পে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
১৯৯৮ সালের ৫ জানুয়ারির তথ্যানুযায়ী ঃ বাংলাদেশে ৪৩-জন ব্যাংক পরিচালক ২০০ (দুইশত) কোটি টাকার ঋণ খেলাপী।
১৯৯৮ সালের ২০ মার্চ, প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন-বাংলাদেশে ঋণখেলাপী ও দুর্নীতিবাজদের সমাজে বয়কট করতে হবে। কিন্তু তিনি জেনেশুনেও ঋণখেলাপী ও দুনীর্তিবাজ সমাজের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১৯৯৮ সালের ২ এপিলের তথ্য-বাংলাদেশে চামড়া খাতে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ৭(সাত হাজার) কোটি টাকা।
১৯৯৮ সালের ২৯ নভেবর, উন্নয়ন বাজেটের এক ষষ্ঠাংশ ব্যয় হচ্ছে বিদেশী ঋণ পরিশোধে।
১৯৯৮ সালে জাতীয় সংসদে বক্তব্য-দেশে ২,১১৭(দুই হাজার একশত সতের) জন ঋণ খেলাপীর তালিকা প্রকাশ। তাদের নাম পত্রিকায় দেয়া হয়েছিল। এখানে নাম দেয়া গেলনা। ১৯৯৮ সালের তথ্য-২০০২ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন-২০.৭৫(বিশ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টনে উন্নীত করার কর্মসূচী। বাস্তবে তা কার্যকরী হয়নি বরং আগের চেয়ে মাছের উৎপাদন কম।
১৯৯৮ সালের ২৫ জুলাইয়ের তথ্য-বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রায় ১,৫০২(এক হাজার পাঁচশত দুই) কোটি ডলার।
১৯৯৯ সালের ৩ জানুঃ-বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে ৮৭টি পরিবার জিম্মি করে রেখেছে।
১৯৯৯ সালের ১৫ জানুয়ারির খবর ঃ ব্যাংকগুলিতে শ্রেণীবিন্যাসকৃত ঋণের পরিমাণ ২.১(দুই লক্ষ দশ হাজার) কোটি টাকা।
১৯৯৯ সালের ৩০ জুনের রিপোর্টানুযায়ী ঃ ১,৪৮০ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণের প্রেক্ষিতে ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে বার্ষিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৭৭.৩০(সাতাত্তর কোটি ত্রিশ লক্ষ) ডলার। প্রতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হয়।
১৯৯৯ সালের ১২ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ রাজনৈতিক দল যেমন মাস্তান ছাড়া চলে না, তেমনি ঋণ খেলাপী ছাড়াও চলে না-প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
১৯৯৯ সালের ৬ ডিসেম্বর-গরীব মানুষ ঋণ খেলাপী নয় বরং বিত্ত¡বানরাই ঋণ খেলাপী।
২০০০ সালের ১১ জানুয়ারি-বাংলাদেশে মোট খেলাপী ঋণের পরিমাণ ২৪,০২৭.৬ (চব্বিশ হাজার সাতাশ কোটি ষাট লক্ষ) টাকা। যাহা মোট ঋণের ৩৯.৭০ শতাংশ। ২০০০ সালের ৩০ জুন-দেশের ব্যাংকিং খাতের ৬১,১৪৫(একষট্টি হাজার একশত পয়তাল্লিশ) কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ২৪,২৭৪(চব্বিশ হাজার দুইশত চুয়াত্তর) কোটি টাকা ঋণ খেলাপী। শীর্ষ ৩০ খেলাপীর কাছে পাওনা ১১ হাজার কোটি টাকা। দেশকে খেলাপী ঋণের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার উদ্যোগ।
২০০০ সালের ২৪ এপ্রিল-বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ। তবু তারা বাংলাদেশকে ঋণ দেয়, আমরা যেমন মুরগীকে খাবার খাইয়ে তাজা করি তার মাংস খাওয়ার জন্য-তেমনি বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ঋণ দেয় রক্ত চোষার জন্য। একগুণ দেয় ১০(দশ) গুণ নিয়ে নেয়, অসম বিনিময়ের মাধ্যমে।
২০০০ সালের ৮ মে’র তথ্যঃ হাউজ বিল্ডিং কর্পোরেশন গৃহ-নির্মাণ ঋণ মঞ্জুরী বাবদ দেশের ৬২ হাজার লোককে মোট ২,৩৬০(দুই হাজার তিনশত ষাট কোটি) টাকা মঞ্জুরী দিয়েছে। এর ফলে ১.৩১(এক লক্ষ একত্রিশ হাজার) বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। এ ঋণগ্রহীতাগণের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করেছেন ১৬-হাজার ও ঋণ খেলাপী হয়েছেন ১১-হাজার লোক।
২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন ঃ ১৯৮০ সাল পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ তামাদি হিসেবে গণ্য করার সুপারিশ। ধনীদের স্বার্থে এ প্রস্তাব পাশ করার জন্য বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর বলবে যে, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ তামাদি করার প্রস্তাব আসবে। তারপর বলবে যে, ২০০০ সাল পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ তামাদি করার জন্য প্রেসার দিবে এবং তা পাশ করিয়ে নিবে। কারণ হিসেবে বলবে যে, বিংশ শতাব্দীর যত ঋণ আছে তা‘কু ঋণ। তামাদি করে ২১(একুশ) শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা তৈরী। ২০০০ সালের ২৪ নভেম্বর ঃ বাংলাদেশে ঋণ খেলাপী ১২,৮৩৮(বার হাজার আটশত আটত্রিশ) জন।
২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর-বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ মওকুফ সুবিধা হ’তে বাংলাদেশ বঞ্চিত।
২০০০ সালের ২৯ মে, পি. আই. বি. এম সেমিনারের তথ্য ঃ বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ ঋণই দেয়া হয়েছে মতিঝিলে ।
২০০০ সালের ৩১ মে, বেসরকারী ঋণের ৮০ শতাংশই দেয়া হয়েছে মন্ত্রী, এম. পি ও শ্রমিক নেতাদের তদবীরে।
২০০০ সালের ১৩ জুন-এনজিও ঋণের আওতায় কতজন? ৮৭(সাতাশি) লক্ষ লোক এ ঋণের সুবিধা নিচ্ছে।
২০০০ সালের ১৫ অক্টোবর ঃ বিশ্বব্যাংক ও আই. এল. ও.-এর ঋণ মওকুফ তালিকায় ৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম নেই।
২০০০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশী জনগণের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৬(ছয়) হাজার টাকা।
২০০০ সালের ৫ নভেম্বর-২৩টি ব্যাংকের পরিচালক হয়ে নিজ নিজ ব্যাংক হ’তে ১৪৩ জন পরিচালক মাত্র ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ৭৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন।
২০০০ সালের ১৯ নভেম্বর, বিশ্বব্যাংক সূত্রে-বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল হ’তে গত ২৭-বছরে বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণ মোট ৩,৪৮০(তিন হাজার চারিশত আশি) কোটি ডলার।
২০০০ সালের ১৮ ডিসেম্বর-বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়াত্ত¡ খাতে ৪টি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৯৩০(নয়শত ত্রিশ) কোটি টাকা। প্রভিশন ঘাটতি ৪,০৪১(চার হাজার একচল্লিশ) কোটি টাকা। ঋণ আদায় মামলার পরিমাণ ৫৭,৪৩৫(সাতান্ন হাজার চারিশত পয়ত্রিশ)টি।
২০০১ সালের ২৪ মে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ঃ বাংলাদেশ সুদ-আসলসহ প্রতিবছর ৬৫ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করছে; ২০১৭ সাল নাগাদ বছরে সুদ-আসলে পরিশোধের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫০(একশত পঞ্চাশ কোটি) ডলার।
২০০১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট ঃ স্বাধীনতার প্রতিফলন ঘটে নাই। ফলে ২২(বাইশ) পরিবার হইয়াছে-২,২০০(দুই হাজার দুইশত) পরিবার, মাত্র ২,১৩৭ জনের কাছেই রহিয়াছে-১২(বার) হাজার কোটি টাকা খেলাপী ঋণ।
০৯-০১-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. ইউনুস বলেন যে, দেশে প্রায় ১(এক) কোটি পরিবার ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা পাচ্ছে।
২০০৩ সালের ২১ জুনের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ এন.জি.ও.‘র ঋণ নিয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ নারী ও ১৮ লাখ পুরুষ। বাংলাদেশে এনজিওর সংখ্যা-১,৬৭৫টি। এরমধ্যে প্রায় ৬৮০টি সারা দেশে প্রায় ১.২৭(এক কোটি সাতাশ লাখ) সদস্যের মধ্যে ১৮,৭৩৫ (আঠার হাজার সাতশত পয়ত্রিশ) কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। তাদের ঋণ আদায়ের হার শতকরা ৯৭.১৭ ভাগ। বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি(ব্র্যাক) গঠিত হয়-১৯৭২ সালে ত্রাণ ক্রার্যক্রমের জন্য। প্রশিকা ১৯৭৬ সাল থেকে বহুমূখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আশা দেশে-১৯৯২ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
২০০৩ সালের ২৫ জুনের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্টঃ ১০(দশ) কোটি টাকার ঊর্দ্ধের ঋণ খেলাপীর সংখ্যা ৩২৫ জন। তাদের কাছে মোট পাওনা ১০,১২৬(দশ হাজার একশত ছাব্বিশ) কোটি টাকা।
২০০২ সালের ১১ নভেম্বর, ব্যাংকারদের বৈঠক ঃ ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য ৩৮-দফা আচরণবিধি। মদ, জুয়া ও রেশ খেলতে পারবে না। মন্ত্রীসভার বৈঠক ঃ সংশোধনী উত্থাপন করা হবে-ছয় বিভাগীয় সদরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন। ক্ষমতা ছাড়ার পর জামানতবিহীন ঋণ প্রথা চালুর জন্য জেহাদ ঘোষণা করব ঃ এম. সাইফুর রহমান-আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়ন হোমিওপ্যাথির বদলে এ্যালোপ্যাথিক এতে কাজ হচ্ছে।
২৮-০২-২০০৩ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসমূহ ৩৬৮টি শাখা লোকসানী। এরমধ্যে সোনালী ব্যাংকের-১০৪টি, জনতা ব্যাংকের-১১০টি, অগ্রণী ব্যাংকের ৯৫টি এবং রুপালী ব্যাংকের ৫৯টি শাখা লোকসানী।
২০০৩ সালের ২৫ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদঃ হাজার হাজার কোটি টাকার ধনী ঋণখেলাপীদের দিকে নজর নেইঃ ১০(দশ) হাজার টাকার কৃষি ঋণ আদায়ে মামলা। তবে বড় বড় ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি আজ পর্যন্ত। তাঁদের নিকট পাওনা ২৫(পঁচিশ) হাজার কোটি টাকা।
২০০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদ ঃ ১৬-১২-১৯৭১ থেকে ১৯-০৯-২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে দাতাদেশ ও সংস্থাগুলো মোট ৫,২০৭ কোটি ১০ লক্ষ ডলার ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যবহার করতে পেরেছে ৪,০৪৬ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার। বাংলাদেশ বিদেশী সাহায্যের ১,১৬০ কোটি ডলার ব্যবহার করতে পারেনি। কারণ হিসেবে বলেছে যে, সাহায্য ব্যবহার করতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে খরচের দক্ষতা কম থাকা। দাতাদের বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে না পারার কারণেও অনেক অনুদান ও ঋণ চলে গেছে। অনুদানের প্রতিশ্রুতি পায়-২,০৯৯ কোটি ৯০ লক্ষ ডলারের বেশী, হাতে পাওয়া গেছে-১,৮৪৫ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল-২,৫৯৪ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার এরমধ্যে পাওয়া গেছে-২,০৬৯ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার।
২০০৪ সালের ৪ জানুয়ারি, গত ১(এক) বছরে বেসরকারী ব্যাংকগুলোর মুনাফা বেড়েছে ২২.৪০ শতাংশ। ২০০৩ সালে ৩০(ত্রিশ) ব্যাংকের ১,৭৪০ কোটি টাকা লাভ।
২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি, ২(দুই) লক্ষ কোটি টাকার বিদেশী সাহায্যের অধিকাংশ কালো টাকায় পরিণতঃ রাজস্ব সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন। একই সাথে ব্যাংকিং খাতের ৩০ হাজার কোটি টাকার খেলাপী ঋণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশও কালো টাকার প্রবাহে মিশে গেছে।
২০০৪ সালের ২২ মার্চ, বাসস ঃ জাপান সরকার বাংলাদেশের ৮ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করবে। এ ব্যাপারে (রবিবার) উভয় পক্ষের মধ্যে একটি নোট স্বাক্ষরিত হয়।
২০০৪ সালের ২৩ মার্চ, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে ঃ খেলাপী ঋণ পরিস্থিতির তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঃ নীট শ্রেণীকৃত ঋণ ১৮.০৭ শতাংশ *কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি বৃদ্ধি।
২০০৪ সালের ১৮ মে, ইনকিলাব পত্রিকার রিপোর্ট ঃ অর্থনৈতিক রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের তাগিদ সত্তে¡ও ঋণের সুদের হার বরং কমছে না-২৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিচ্ছে কোন কোন ব্যাংক।
২০০৪ সালের ৬ জুলাই (ইনকিলাব) অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান বড় বড় ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ। এই কথার অর্থ ফাকা কথা।
২০০৫ সালের ১৫ মার্চ, সরকার ব্যাংক থেকে ৫,৮১৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে-সংসদে অর্থমন্ত্রী। ২০০০-২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত।
২০০৫ সালের ১৮ মে, সংসদ রিপোর্টার ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে অর্থমন্ত্রী মোঃ সাইফুর রহমান বলেন-কিছু এনজিও দরিদ্রদের শোষণ করছে এবং দেশে খেলাপী ঋণের পরিমাণ-৩০(ত্রিশ হাজার) কোটি টাকা। ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩ হাজার ৩০৪ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে। এরমধ্যে আসলের পরিমাণ ২ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা এবং সুদের পরিমাণ ৯৬০ কোটি টাকা।
২০০৫ সালের ৩১ মে, প্রথম আলোর সংবাদ-বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. সালেউদ্দিন আহমেদ মতবিনিময় সভায় বলেন, ২০০৪ সালের মার্চ শেষে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ ছিল-২৬,৬৮১ কোটি ১০ লাখ টাকা। কিন্তু ২০০৫ সালের মার্চ, শেষে তা এসে দাড়িয়েছে-৩০,৬৩৫ কোটি টাকা। সরকারের ঋণ ও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর।
২০০৫ সালের ৩১ মে, প্রথম আলোর সংবাদ-বেসরকারী ৩০ ব্যাংকের মধ্যে ২৮ ব্যাংকের উদ্বৃত্ত মূলধন রয়েছে।
২০০৫ সালের ৩০ জুন, পর্যন্ত তথ্য প্রকাশ-২৮টি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা মুনাফা-১,২৬৭(বারশত সাষট্রি) কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ৩৫.৪০ শতাংশ।
২০০৫ সালের ৬ আগষ্ট, ইনকিলাব পত্রিকার জাকারিয়া কাজল ঃ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ ভাটার আশংকা। ঋণনির্ভর হয়ে পড়ছে সরকার। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এ পর্যন্ত ঋণ নিয়েছে ২৫ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা। এ প্রবণতায় মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি ও বেসরকারী বিনিয়োগ ভাটা-দুই আশংকাই প্রবল হচ্ছে।
২০০৫ সালের ১৪ আগষ্ট, সরকারের ব্যাংক ঋণ ৪৫-হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, জাকারিয়া কাজল ঃ অর্ধশত আবেদন ঃ রাজনৈতিক চাপ। নয়া ব্যাংকের অনুমোদন হলে অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী। এরশাদ সরকারের আমলে ৭টি, বিএনপি সরকারের আমলে ৭টি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১২টি নতুন ব্যাংকের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে এবার বাস্তবতা বিবেচনায় নতুন ব্যাংকের অনুমতি না দেয়ার পক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০০৬ সালের ৩০ জানুয়ারি, সংসদ রিপোর্টার ঃ কৃষি ও শিল্প খাতে অনাদায়ী ঋণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। সংসদে প্রশ্নোত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
২০০৬ সালের ২০ মার্চ, সাজ্জাদ আলম খান ঃ নগদ সহায়তার অর্থ লোপাট ঃ ৪৩টি ব্যাংকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। ১৩টি ব্যাংক এনবিআরের কাছে তথ্য পাঠিয়েছে। তথ্য দিতে ৩০ ব্যাংকের গড়িমসিতে ক্ষুব্ধ এনবিআর।
২০০৬ সালের ২৩ এপ্রিল, মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ দেশে ১৮ হাজার ৭২৬ কোটি টাকার খেলাপী ঋণ। অচিরেই মাস্টার সার্কুলার জারি হচ্ছে।
২০০৬ সালের ২২ আগষ্ট, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ বাংলাদেশ ব্যাংক মুনাফা করেছে ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরের ২০ আগষ্ট পর্যন্ত-২,২৯০.৭২ কোটি টাকা।
২০০৬ সালের ২৫ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিএফটিআইর গোলটেবিলে বাণিজ্য বিশেষজ্ঞগণ। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশে পরিণত করেছে। বিশ্বব্যাংকের কারণে গত ৩০ বছরে বিশ্বে দরিদ্র দেশের (এলডিসি) সংখ্যা ২৬টি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৫০টিতে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বিশ্বব্যাংকের প্রভাব ও কর্তৃত্ব এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৫০ বছরে দরিদ্র দেশের সংখ্যা হবে ১০০টি।
২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, দারিদ্র্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আসন্ন সিঙ্গাপুর সম্মেলনকে সামনে রেখে গত ০৪-০৯-২০০৬ তারিখ এক সেমিনারে বক্তারা দারিদ্র্য বিমোচনে এ দু’টি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার ভূমিকা ও কর্মকান্ডের কঠোর সমালোচনা করেন।
২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, স্টাফ রিপোর্টার ঃ সেমিনারে অভিমত-বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করে। স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অসম চুক্তি স্বাক্ষরে চাপ দিচ্ছে।
২০০৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১৩,৫০০/- টাকা।
২০০৬ সালের ২৩ আগষ্ট, অর্থনৈতিক রিপোর্টারঃ এফবিসিসিআই-স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এসএমই পুরস্কার ঘোষণা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে এনজিওরা নিচ্ছে ৩৫% সুদ বাণিজ্যিক ব্যাংক ১৬% সুদ নিচ্ছে।
২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর, শেখ আবদুল্লাহ ঃ খেলাপী ঋণ আদায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দিকনির্দেশনা। সারাদেশে ১,২৮০ জন শীর্ষ ঋণ খেলাপীকে চিহ্নিত করা হবে।
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল, ইনকিলাব-শেখ আবদল্লাহ ঃ বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ৪৮টি ব্যাংকের সর্বশেষ ঘোষিত সুদ হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- ব্যাংকগুলোতে আমানতের সুদের হার কমছে ঃ বাড়ছে ঋণের সুদ।
২০০৭ সালের ২১ নভেম্বর, মনজুর আহমদ ঃ গত নয় মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ তিন হাজার কোটি টাকা বেড়ে, ঋণ খেলাপির পরিমাণ ২৩,২৫৪ কোটি টাকা, শতকরা ১৪.০৪ ভাগ।
২০০৮ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ২০০৬ সাল শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৯৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। যা সেই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা এক লাখ ৫২ হাজার ৮৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ছিল। গত এক বছরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। মোট পরিমাণ ২২,৬২৪ কোটি টাকা, শতকরা হারে ১৩.২৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরী সর্বশেষ খেলাপি ঋণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিত সংরক্ষণসংক্রান্ত ডিসেম্বর-২০০৭ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ রয়েছে ২২,৬২৪ কোটি ৯ লাখ টাকা। যা ওই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা এক লাখ ৭১ হাজার ৪৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। তবে অবলোপন করা ঋণের স্থিতি যোগ করলে ব্যাংকিং খাতে প্রকৃত খেলাপি ঋণ হতো ৩৫ হাজার ৪১ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা গত ডিসেম্বর(২০০৭) পর্যন্ত বিতরণ করা এক লাখ ৭১ হাজার ৪৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মইনুল আরও বলেন, বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা হবে। হিসাব কষে তিনি দেখান, অবলোপন করা ১২ হাজার কোটি টাকার ওপর সুদ আয়কে হিসাবে নেওয়া হচ্ছে না। এ সুদ আয়কে ধরলে মোট খেলাপি ঋণ ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বাংলার অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক আশির দশকের শেষভাগে এসে লিখেছিলেন, ‘ধনিকগোষ্ঠির লুটপাটের কাহিনী’। এ বইয়ে আরও অনেক তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে কিছু তারকা খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এদের অনেকেই আবার আশির দশকে এসে বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েই তখন অনেকে ব্যাংক স্থাপন করেছেন বলে ধনিকগোষ্ঠির লুটপাটের কাহিনীতে বলা হয়। সে সময়কার খেলাপিদের অনেকে এখনো খেলাপি। অবলোপনের সুযোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত দেশে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৩০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ২০০২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৪৪৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সে সময় ঋণ বিতরণ ছিল ৭৯ হাজার ৭৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার মধ্যে ৩১ দশমিক ৯০ শতাংশ ঋণই ছিল খেলাপি। তবে শতকরা হার বিবেচনায় দেশের ব্যাংক খাতে সর্বোচ্চ খেলাপি হয় ১৯৯৯ সালের ৩০ জুন। এ সময় ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের হার দাড়ায় ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ। আর পরিমাণে তা ছিল ১৯ হাজার ৭৩৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ সময় বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৫ হাজার ৫১ কোটি ৬ লাখ টাকা। তবে বিশ্বব্যাপী হিসাববিজ্ঞানে অবলোপনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আর তার জন্য গ্রাহক নিস্কৃতি পান না বা মুক্ত হন না। বাংলাদেশেও খেলাপি ঋণ অবলোপন গ্রাহক মুক্তি পান না। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে খেলাপি ঋণের জন্য গ্রাহককে দেউলিয়া করা হয়। তবে সম্পদ নিলামে তোলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এমন ঘটনা বিরল। ১৯৯৭ সালে দেশে দেউলিয়া আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু তার অগ্রগতি তেমন হয়নি।
২০০৮ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো-মনজুর আহমদঃ বছরের পর বছর শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকায় তারা। বেক্সিমকোর তিন কোম্পানির খেলাপি ঋণই ৩২১ কোটি টাকা। সালমান এফ রহমান এখন কারাগারে আটক এবং সোহেল এফ রহমান বিদেশে পলাতক। তাঁদের বেক্সিমকো গ্রæপ গোটা বিশেক কোম্পানি ব্যাংকিং খাত থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকে বেক্সিমকোর আরও একাধিক প্রতিষ্ঠান খেলাপি হয়ে আছে। এ নিয়ে বেক্সিমকোর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কোম্পানির অন্যতম পরিচালক ও কে চৌধুরীও দেশে নেই। বেক্সিমকোর গণযোগাযোগের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেও মতামত পাওয়া যায়নি। ২০০৭ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের মার্চভিত্তিক এক প্রতিবেদনে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
২০০৮ সালের ২২ মে, ব্যাংক খাতে তিন মাসে খেলাপি ঋণ ১,২০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট ঋণের পরিমাণ ২৩,৮৩৮ কোটি টাকা, শতকরা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩.১৫। সূত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর, দেশের ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার ঋণের মধ্যে ১৩.২৩ শতাংশ খেলাপি ঋণ। আবার আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ।
২০০৮ সালের ২৪ নভেম্বর, বিদেশি সাহায্য বা ঋণ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পেয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার। তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের মোট ঋণ ছিল ৩৪০ কোটি ডলার। ১৯৯০ সালে সেটি হয় ১০৬ কোটি ডলার, ১৯৯৭ সালে ১৫০ কোটি ডলার এবং ২০০৬ সালে দাঁড়িয়েছে ১৮৯ কোটি ডলার।
২০০৯ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ রাষ্ট্রের মালিকানাধীন ব্যাংকে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি। মোট পরিমাণে ২২,৪৮১ কোটি টাকা, শতকরা হারে ১০.৭৯%।
২০০৯ সালের ৩০ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৩১-১২-২০০৮ সালে সব ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ছিল ২,২৯,০০০ কোটি টাকা। সেখান থেকে ব্যাংক ৮২ শতাংশ হারে ঋণ দিতে পারত ১,৮৮,০০০ কোটি টাকা। সেখানে ঋণ দাঁড়িয়েছে আমানতের ৯১ শতাংশ, যা ২,০৮,০০০ কোটি টাকা। স্বধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। এ অবলোপনের ফলে খেলাপি ঋণের হার কমলেও তা প্রকৃত অর্থে কোনো সাফল্য বয়ে আনে না।
২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের সুদ সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশে নির্ধারণ করে দিল। ব্যাংকার্স বৈঠক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও ২১ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। ২৪-০৪-২০০৯ তারিখ প্রথম আলো ঃ আমানতের সুদের হার কমল, সর্বোচ্চ ১০ শতাংশে র্নিধারণ।
২০০৯ সালের ১৭ জুন, প্রথম আলো ঃ ২০১২ সালের মধ্যে বিদেশি ঋণ জিডিপির সাড়ে ২১ শতাংশে নামানোর পরিকল্পনা। বর্তমানে ২৪.৭০ শতাংশ।
২০০৯ সালের ৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ঋণখেলাপির সংখ্যা দুই হাজার ১৯৬ জন, ব্যাংকের পাওনা ১৫ হাজার ৪৫১ কোটি দুই লাখ টাকা। এ টাকার মধ্যে আসল টাকা হলো ৫ হাজার কোটি টাকা। সংসদে তালিকা ঃ শীর্ষ ১০ খেলাপি। (১) বেক্সিমকো টেক্সটাইলস লি. (২) পদ্মা টেক্সটাইল মিলস লি. (৩) বিজেএমসি (৪) বিটিএমসি (৫) এসডিএস ইন্টারন্যাশনাল লি. (৬) সাইনপুকুর হোল্ডিংস লি. (৭) মাগুরা পেপার মিলস লি. (৮) আদমজী জুট মিলস লি. (৯) ফেয়ার এক্সপো ওয়েভিং মিলস ও (১০) বেক্সিমকো নিটিং লি.। বেক্সিমকোর খেলাপি ঋণ প্রায় হাজার কোটি টাকা। এছাড়া মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ হলো ৩৮ হাজার কোটি টাকা।
২০০৯ সালের ১৪ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ১০ মাসে দেশে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। ২০০৮ সালের জুন শেষে মুদ্রা সরবরাহের মোট স্থিতি ছিল ২,৪৮,৭৯৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে ২০০৯ সালের এপ্রিল শেষে মুদ্রা সরবরাহের মোট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২,৮১,৯০১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
২০০৯ সালের ৩০ অক্টোবর, প্রথম আলো ঃ আট বছরে ৩,৬৪৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ। বিএনপি-আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরাও এ সুবিধা নিয়েছেন।
২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ তিন মাসে দেশের বেসরকারি ব্যাংগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪১৬ কোটি টাকা। মোট ২,৪২,৫১৭.২৪ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৩,৪০৯ কোটি টাকা, শতকরা হার ১০.৩৬।
২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, জনকন্ঠ ঃ ৩৮ হাজার কোটি টাকা খেলাপী ঋণ-মামলা ৯(নয়) লাখ।
২০১০ সালের ২৮ জুন, প্রথম আলো ঃ দেড় বছরে এক হাজার ৬৬২ কোটি টাকার সুদ মওকুফ। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেন। আগের সাত বছরে সুদ মওকুফের পরিমাণ তিন হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। এ সময়ে সুদ মওকুফ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯২৫ জন। তবে মন্ত্রী সুদ মওকুফ করা গ্রহীতাদের পরিচয় জানাননি।
২০১০ সালের ১৩ আগষ্ট, প্রথম আলো ঃ ১৯৭১-১৯৭২ থেকে ২০০৮-২০০৯ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ সবমিলিয়ে ৬,১৪৭ কোটি ৭৭ লাখ ৩৯ হাজার ডলার ঋণ হিসেবে পেয়েছে। বর্তমান বাজারমূল্যে তা ৪,২৪,১৯৬,৩৯,৯১। সোয়া চার লাখ কোটি টাকা ঋণ কোথায় গেল? যেসব প্রতিষ্ঠান বা দেশ ঋণ দিয়েছে ঃ (১) বিশ্বব্যাংক-১,১৫০.২ কোটি (২) এডিবি-৭০৯.৮৮ কোটি (৩) জাপান-৬৯৫.৯৫ কোটি (৪) যুক্তরাষ্ট্র-৩৫৫ কোটি (৫) জাতিসংঘ-২৫৯.২৫ কোটি (৬) কানাডা-২০৭.১ কোটি (৭) যুক্তরাজ্য-২০০ কোটি (৮) জার্মানি-১৬৪.৯৬ কোটি (৯) ইইউ-১৫৩.২৪ কোটি (১০) নেদারল্যান্ডস-১১৪.৯ কোটি (১১) সৌদি আরব-৯০.২ কোটি (১২) ইউনিসেফ-৮৪.৪৮ কোটি (১৩) সুইডেন-৮১.১৮ কোটি (১৪) ডেনমার্ক-৮০.৫৬ কোটি (১৫) নরওয়ে-৭১.২৫ কোটি (১৬) ফ্রান্স-৫৮.১ কোটি (১৭) আইডিবি-৫২.৫৯ কোটি (১৮) অস্ট্রেলিয়া-৪৩.৭৩ (১৯) ভারত-৪৪.৭৩ কোটি ও (২০) রাশিয়া-৩৯.৪ কোটি ডলার। মোট-৬,১৪৭,৭৭,৩৯,০০০(ছয় হাজার একশত সাতচল্লিশ কোটি সাতাত্তর লাখ উনচল্লিশ হাজার ডলার) ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। কতটুকু উন্নতি হয়েছে দেশের? কারা বেশি লাভবান হলো?
২০১০ সালের ৯ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকসংখ্যা ১০ লাখ অতিক্রম করেছে। দেশের মাত্র ১৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখন ব্যাংকিং-সুবিধার আওতায় রয়েছে। বাকি জনগোষ্ঠিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০১১ সালের ৩০ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশে বর্তমানে দেশীয় ব্যাংকের সংখ্যা-৪৯টি এবং বিদেশী ব্যাংকের সংখ্যা-১২টি মোট ব্যাংকের সংখ্যা-৬১টি। দেশে বর্তমানে ৬২টি ইনসুরেন্স কোম্পানি আছে। এ সরকার আরো ব্যাংক এবং ইনসুরেন্স কোম্পানি খোলার লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১১ সালের ২০ জুলাই, প্রথম আলো ঃ পাঁচ সেকেন্ডেই পাওয়া যাবে ব্যাংক গ্রাহকের ঋণের তথ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআইবি এখন অনলাইনে।
২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ গত মার্চ মাস শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৭৫১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বা বিতরণ করা ঋণের ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ (১) ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ১২০৩তম শাখার উদ্ভোধন করা হয়। ইর্স্টান কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের নাম হলো-রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন (২) ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ৫৩৪তম শাখা (৩) ১৯৯৯ সালে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড ১০২তম শাখা, (৪) ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ৩০০তম শাখা (৫) বেসিক ব্যাংক লিমিটেড ৬৫তম শাখা-চলতি বছরের মধ্যে ৭৫টি শাখায় উন্নীত করা হবে (৬) ১৯৯৯ সালের ২ জুন, (বাংলার ব্যাংক) মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড ১০১তম শাখা (৭) ২০০১ সালের ১০ মে, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ৯২তম শাখা (৮) ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ১০৬তম শাখা, (৯) ২০০১ সালের ৩ জুন, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড ১০২ তম শাখা (১০) ১৯৯৩ সালের ১৭ মে, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড ১০৪তম শাখা (১১) ১৯৯২ আগস্ট, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) ৭৯তম শাখা (১২) ১৯৮৩ সালের ২৭ মার্চ, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড ১১১তম শাখা (১৩) ১৯৯৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ১২৮তম শাখা (১৪) ১৯৯৫ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড ১৪৫তম শাখা (১৫) ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড-এর-৩৪তম শাখা (১৬) ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ১১০তম শাখা (১৭) ১৯৯৬ সালের ৩ জুন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ১৫০তম শাখা (১৮) ১৯৯৯ সালের ২৭ নভেম্বর, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড ১০৫তম শাখা (১৯) ১৯৮৩ সালের ২৩ মার্চ, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ১৮৯তম শাখা (২০) ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ৪৪০তম শাখা (২১) ১৯৯৯ সালের ২৬ অক্টোবর, দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ৯৬তম শাখা (২২) ১৯৮২ সালের ১২ এপ্রিল, এবি ব্যাংক লিমিটেড ৮৯তম শাখা (২৩) ১৯৮৩ সালের ২৯ মার্চ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড ১৫৭তম শাখা (২৪) ১৯৯৫ সালের ২২ নভেম্বর, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ১২১তম শাখা (২৫) ১৯৭২ সালে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড ৯৩২তম শাখা (২৬) ১৯৭২ সালে জনতা ব্যাংক লিমিটেড ৮৯৪তম শাখা (২৭) ১৯৭২ সালে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড ২২৭তম শাখা (২৮) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ১০২৬তম শাখা (২৯) আনসার ও ভিডিপি-ব্যাংক লিমিটেড ১৫৭তম শাখা (৩০) ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ২,৫৬৫তম শাখা (৩১) প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লিমিটেড শাখা ৪তম শাখা। (৩২) ১৯৯৯ সালের ৩ আগস্ট, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড(এক্সিম ব্যাংকের) ১০৫তম শাখা (৩৩) ১৯৯৫ সালের ৫ জুলাই, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ৭৪তম শাখা (৩৪) আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড ১০৬তম শাখা (৩৫) ১৯৯৫ সালের ২৫ মে, সাউথ-ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড ১২১তম শাখা (৩৬) ১৯৯৫ সালে সোসাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (এইচএসবিসি ব্যাংক লিমিটেড) (৩৭) ২০০১ সালের ৪ জুলাই, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এর শাখা কয়টি (৩৮) ১৯৯৯ সালের ২৯ নভেম্বর, দি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ৭৯তম শাখা (৩৯) ১৯৯৯ জুলাই, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড (৪০) ১৯৯৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড ৪২তম শাখা (৪১) রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেড(রাকাব) ৩৭৫তম শাখা (৪২) ১৯৮৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড(আইএফআইসি)-১১০তম শাখা (৪৩) আইসিবি ইসলামিক ব্য্ংাক বাংলাদেশ লিমিটেড-২৮২তম শাখা (৪৪) কর্মসংস্থান ব্যাংক লিমিটেড (৪৫) এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেড-২৪তম শাখা (৪৭) ইউনিয়ন ব্যাংক(এইচ এম এরশাদ) ২০-০৫-২০১৩ তারিখ ‘‘ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড’’ ১৫তম শাখা। (৪৮) মধুমতি ব্যাংক(ফজলে নুর তাপস)-১২তম শাখা(৩১-১২-২০১৪ তারিখ) (৪৯) দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড(মহীউদ্দীন খান আলমগীর)-৪১তম শাখা (৫০) মেঘনা ব্যাংক(আশিকুর রহমান)-২৭তম শাখা (৫১) মিডল্যান্ড ব্যাংক(এম মনিরুজ্জামান খন্দকার)-১৯তম শাখা (৫২) ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক(এসবিএসির) লিমিটেডের ৪৭তম শাখা(এ এম আমজাদ হোসেন) (৫৩) বাংলাদেশ ডেভোলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত। (৫৫) নরসিংদীর চিনিশপুরে এনআরবি ব্যাংক ১৭তম(চকবাজার) শাখা ও (৫৬) বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০তম শাখা উদ্বোধন হলো ময়মনসিংহে। আরও তিনটি প্রবাসী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬-২০০১ সময়ে ১৩টি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয় সরকার এবং ২০০৯-২০১৪ মধ্যে ৯টি ব্যাংক দিয়েছে। অন্যদিকে ২০০১-২০০৬ এর মধ্যে বিএনপি একটিও ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়নি। ২০১৫ সালের ২৮ জুন, প্রথম আলো : খেলাপি ঋণ-সংসদে প্রশ্নোত্তর দেশের রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাঁচটি, বিশেষায়িত ৩টিসহ দেশের ৫৬টি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ=৫৪ হাজার ৬৫৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
(১) বিদেশী বেসরকারি ব্যাংক-২০০৩ সালের ৬ নভেম্বর, কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলোন লিমিটেড (২) ১৯৯৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, উরি ব্যাংক লিমিটেড-এর ৫ম শাখা (৩) ১৯৭৬ সালের ৯ জুলাই, পাকিস্তানের হাবিব ব্য্ংাক লিমিটেড (৪) ২০০৫ সালের ১৬ মে, সৌদি আরবের ব্যাংক অব ফারাহ লিমিটেড (৫) ১৯০৫ সালে আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক (৬) ১৯৯৪ সালের ৩১ আগস্ট, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (৭) ১৯৭৫ সালের ৫ মে, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (৮) ১৯৯৫ সালের ২৪ জুন, সিটি ব্যাংক এন. এ. (৯) ১৯৯৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর, দা হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড।
২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চাপের মুখে।। অর্থমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি-আমার বক্তব্যকে অনেকে অতিকথন বলে, আমি বলি এটি প্রয়োজনীয়।। সংসদে অর্থমন্ত্রী-আবুল মাল আব্দুল মুহিত। গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৭৯ লাখ। সেই হিসেবে স¤প্রতি মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১৬০ মার্কিন ডলার যা ১১ হাজার ৮৪০ টাকার সমপরিমাণ।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দেশে বর্তমানে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা-৪৭টি + ০৯টি=৫৬টি এবং বিদেশী ব্যাংকের সংখ্যা-১২টি মোট ব্যাংকের সংখ্যা-৬৮টি। দেশে বর্তমানে ৬২টি ইনসুরেন্স কোম্পানি আছে। এ সরকার আরো ইনসুরেন্স কোম্পানি খোলার লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১২ সালের ৩০ মে, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ দুই কোটি পরিবার ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে জড়িত ঃ সিডিএফ।
২০১২ সালের ৩১ মে, প্রথম আলো ঃ ঋণগ্রহীতা তিন কোটি ও ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
২০১২ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশে ১ লাখ ২২ হাজার ৪৩৭ জন ঋণ খেলাপি। মোট মামলা ৩২ হাজার ৪৪০টি।
২০১২ সালের ২৬ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ব্যাংকিং সেবার বাইরে ৫০ শতাংশ মানুষ। ৪৭ তফসিলি ব্যাংকের অধিকাংশেরই কার্যক্রম শহরভিত্তিক, বিস্তৃত সেবাও দিতে পারছে না-মার্চ-২০০৯ এ দেশে মোট ব্যাংক শাখার সংখ্যা ছিল-৬৯০০টি। যা ২০১২ সালের একই সময়ে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯৯৮টি। আরও মোট ৯টি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
২০১২ সালের ৩০ জুলাই, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে ব্যাংকিং খাতের আমানত-দেশে প্রথম। ব্যাংকিং খাতের সর্বোচ্চ দেশীয় ব্যাংকব্যবস্থায় বিভিন্ন মেয়াদী ও নামের প্রচলিত ১৬ ধরণের আমানত হিসাবে এ পরিমাণ অর্থ স্থিতি রয়েছে। ওই সময়ে ব্যাংকিং খাতে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা।
২০১২ সালের ১৫ আগস্ট, প্রথম আলোঃ খেলাপি ঋণ কিছুটা বেড়েছে ঃ ২৮ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা-এটি মোট বিতরণকৃত ঋণের ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। চারটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা, যা তাদের মোট বিতরণকৃত ঋণের ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর বেসরকারি ৩০টি ব্যাংকে এ সময় সামগ্রিকভাবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা এবং হার ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বিদেশি ৯টি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৩২ কোটি টাকা এবং হার ছিল ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ।
২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর, বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকুরীজীবীর কথা ঃ সার্কুলেশন টাকা-৭৩,৭৩৪ কোটি ৫১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা।
২০১২ সালের ২১ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে ঋণখেলাপীর হার ঋণের ৭%। মোট টাকার পরিমাণ ২৯ হাজার কোটি টাকা।
২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ খেলাপি ঋণ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। এ বছরে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২০ হাজার ৮১ কোটি টাকা।
২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো ঃ ১১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে দেশ থেকে লাপাত্তা। বিসমিল­াহ গ্রুপের দায়-দেনা। জনতা ব্যাংকে ৩৯২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। প্রাইম ব্যাংকে এক শাখাতেই ৩০৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। যমুনা ব্যাংকে ১৬৩ কোটি টাকা ৭৯ লাখ টাকা। শাহজালাল ব্যাংকে ১৪৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। প্রিমিয়ার ব্যাংকে ৬২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ কৃষকের ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব ৯৬ লাখে উন্নীত হয়েছে।
২০১৩ সালের ৭ জুলাই, প্রথম আলো ঃ ১০ টাকার এক কোটি ৩২ লাখ ব্যাংক হিসাব আছে।
২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট, প্রথম আলো ঃ কৃষকের ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব। ৩৯ হাজার ২১৩ জনের হিসাব অলস পড়ে আছে।
২০১৩ সালের ৩ জুলাই, প্রথম আলো ঃ সংসদে অর্থমন্ত্রী-দেশে খেলাপি ঋণ এখন ২৪ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। আর গত চার বছরে ৪,৬৮১ কোটি টাকার সুদ মওকফ।
২০১৩ সালের ৩ জুলাই, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ দেশে এক লাখ ঋণখেলাপি চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত। বাংলাদেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা ৯৯ হাজার ৬৭৮ জন। এর মেধ্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ২৩ হাজার ৩৪৭ জন। বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় এ সংখ্যা ৭৬ হাজার ৩৩১ জন। গতকাল(০২-০৭-২০১৩ তারিখের জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন-অর্থসন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
২০১৩ সালের ৬ জুলাই, প্রথম আলো ঃ জুন শেষে খেলাপি ঋণ কিছুটা বেড়েছে। মোট বিতরণ করা ঋণের ১১.৯১% খেলাপি। মোট বিতরণ করা ঋণ ৪,২৮,৬৯৩.২৮(চার লাখ ২৮ হাজার ৬৯৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ঋণের ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ। ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৫২ হাজার ৩০৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ।
২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর, অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা এক লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ জন।
২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি, বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ-৬,০০০(ছয় হাজার) কোটি ডলার। মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ-২৮,২৩৫(আটাশ হাজার দুইশত পয়ত্রিশ) টাকা।
২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ খেলাপি কমলে সুদ কমবে। সামগ্রিক ব্যাংক খাতে এটা তুলনা করলে দাঁড়ায়, গত বছরের ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যস্ত-৪,৪৩,৪৭২(চার লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার চারিশত বাহাত্তর কোটি) টাকা বা ডলারে ৫,৫৪৪(পাঁচ হাজার পাঁচশত চৌচল্লিশ) কোটি ডলার । ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল-৫৬ হাজার ৭২০ কোটি টাকা বা ৭১০(সাতশত দশ) কোটি ডলার যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বাংলাদেশে প্রায় ১৩ শতাংশ খেলাপি ঋণ হলেও প্রতিযোগী ভারত, চীন, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ শতাংশের মতো।
২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট, প্রথম আলো : বাংলাদেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এখন মানে ১৬-০৮-২০১৪ তারিখ ৮(আট) কোটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।
২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট, দৈনিক জনকন্ঠ : বাংলাদেশে কালো টাকা ৭ লাখ কোটি আছে।
২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো : দুরবস্থায় পাঁচ রাষ্ট্রীয় ব্যাংক। গত ৬ বছরে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির হার-জনতা-৮৫%, সোনালী-৬৫%, অগ্রণী-৪০% ও রূপালী ব্যাংক-১৭%। ৪ ব্যাংকের মোট খেলাপি ১৯ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে দলীয় বিবেচনায় লোক নিয়োগ করা ঠিক হয়নি : অর্থমন্ত্রী। আমরা ব্যর্থ হয়েছি। পাঁচ বছর পর অর্থমন্ত্রী স্বীকার করলেন, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০০৯ সালে এক দফা ও পরে ২০১২ সালে আরেক দফায় ৭০ জনকে নিয়োগ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। রূপালী ব্যাংক বাদে বাকি সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে গত পাঁচ বছরে নিয়োগ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের আওয়ামী লীগের সমর্থিত নীল দল’ এর শিক্ষক। আবার সরকারের বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংকে ঋণের নামে আত্মসাৎ-৪,৫০০ কোটি টাকা।
২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর, প্রথম আলো : বাংলাদেশে সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখ ব্যাংক ঋণের পরিমাণ-৪ চার লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত জুন শেষে ছিল-৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। বর্তমানে খেলাপি ঋণ ৫৭ হাজার কোটি টাকা বা ১১.৫৬%। ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ঠিকমতো আদায় করা গেলে দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করে আরও কিছু উন্নয়ন কাজ করা যায়। সর্বশেষ হিসাবে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৭ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা তিন মাস আগে ছিল ৫১ হাজার কোটি টাকা। ১৬-১২-২০১৪ তারিখের প্রথম আলো : এস কে সুর চৌধুরী, ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : বড় বাধা এখন বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ঋণ ৪ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা। দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ২৯১ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১.৬০ শতাংশ। প্রতিযোগী দেশ ভারত, চীন, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট ঋণের ৩ শতাংশের মতো। বড় ঋণখেলাপিদের জন্য ঋণ পুনর্গঠন হচ্ছে।
২০১৫ সালের ১১ মে, প্রথম আলো : গত ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত-২৬,০০০(ছাব্বিছ হাজার) কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমল।
২০১৫ সালের ২ অক্টোবর, প্রথম আলো : দেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা এখন পৌনে দুই লাখ। ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮১ জন ঋণ খেলাপি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ সেপ্টেম্বর, জাতীয় সংসদে এ তথ্য দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে-গত জুন ২০১৫ সালে দেশে মোট খেলাটি ঋণ ছিল-৫২ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা। এর বাইরে আরো ৩৭ হাজার কোটি টাকা রাইট অফ বা অবলোপন করা হয়েছে। ২০০২ সালে এ ঋণ অবলোপন পদ্ধতি চালু চালু হয়েছিল। রাঘববোয়াল ঋণ খেলাপি আড়াই হাজারের বেশি হবে না। আগেরবার খেলাপি ছিল ২ হাজার ১১৭ জন। মইনুল ইসলাম-অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
২০১৬ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ(ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত অনুদান ও ঋণ মিলিয়ে=৯ হাজার ২১৫ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে দাতারা। টাকার মূল্যে এর পরিমাণ ৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। এর প্রায় ২৯ শতাংশ অর্থই বাংলাদেশ ব্যবহার করতে পারেনি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ সাহায্য ব্যবহার করতে পেরেছে ৬ হাজার ৫৪৩ কোটি ডলার বা প্রায় ৫ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। আর ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি প্রায় ২ হাজার ৬৭২ কোটি ডলার। এর মধ্যে দুনীর্তিসহ নানা কারণে দাতা সংস্থা ও দেশগুলো সাহায্য বাতিল করেছে প্রায় ৮০৩ কোটি ডলার। আর বাকি ১ হাজার ৮৬৯ কোটি ডলার (১ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এখন পাইপ লাইলে পড়ে আছে।
২০১৬ সালের ১০ মে, প্রথম আলো ঃ ব্যাংক খাতে যতটাই খেলাপি প্রায় ততটাই ঋণ অবলোপন। (১) ৫১ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা খেলাপি। (২) অবলোপন করা ঋণের পরিমাণ ৪০ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। (৩) অবলোপন করা ঋণকে আড়ালে রেখে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে-মইনুল ইসলাম। সাবেক সভাপতি, অর্থনীতি সমিতি। ১৯৭২ থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাড়িয়েছে-৯২,০০০ হাজার কোটি টাকা।
মইনুল ইসলামের হিসাবে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অবলোপন করা ঋণ বেশির ভাগ রাষ্ট্রমালিকাধীন চার ব্যাংকের। এ চার ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ-১৮,১৬২ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে ২০০৩ সাল থেকে ব্যাংক ঋণ অবলোপনের সুযোগ তৈরি হয়।
২০১৬ সালের ১৮ মে, প্রথম আলো ঃ খেলাপি ঋণ ১ লাখ কোটি টাকা। নিয়মিত খেলাপি ঋণের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংক। (১) সোনালী ব্যাংক-৮ হাজার ২৭১ কোটি (২) বেসিক ব্যাংক-৬ হাজার ৮২৪ কোটি (৩) জনতা ব্যাংক-৫ হাজার ৪০ কোটি (৪) অগ্রণী ব্যাংক-৪ হাজার ৮১৫ কেটি ও (৫) বিকেবি-৪ হাজার ৭০ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সময় ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। আর দুই সময় অবলোপন করা ঋণ ছিল আরও ১৫ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে খেলাপি ঋণ ছিল ৩৮ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। ০৬-০১-২০০৯ তারিখ থেকে ২০১৬ সালের ১৫ মে তারিখ পর্যন্ত এই হিসাবে ৮ বছরে প্রকৃত খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার প্রায় ১৬৪ শতাংশ। এর বাইরে আরও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ১৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *