১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে আজ (৩০-০৬-২০১৬ তারিখ পর্যন্ত কতজন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এবং টাকার মান কি ছিল :

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ১৭(সতের) জন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, এ ১৭ জনের মধ্যে ৩ জন দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এবং স্পিকার এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ২০তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ২০-০৩-২০১৩ তারিখ ক্রমানুসারে তাঁদের নামের তালিকাগুলো নিম্নে দেয়া হলো ঃ

ক্রমিক নং নাম মেয়াদকাল

১. মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১মবার ১৭-০৪-১৯৭১-১২-০১-১৯৭২
২. মরহুম সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) ১৭-০৪-১৯৭১-০৯-০১-১৯৭২
৩. মরহুম বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১২-০১-১৯৭২-২৪-১২-১৯৭৩
৪. মরহুম মোহাম্মদ উল্লাহ ২৪-১২-১৯৭৩-২৫-০১-১৯৭৫
৫. মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-২য়বার ২৫-০১-১৯৭৫-০৬-০৮-১৯৭৫
৬. মরহুম খন্দকার মুশতাক আহমেদ ১৬-০৮-১৯৭৫-০৬-১১-১৯৭৫
৭. মরহুম বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ০৬-১১-১৯৭৫-২১-০৪-১৯৭৭
৮. মরহুম লেঃ জেনারেল জিয়াউর রহমান ২১-০৪-১৯৭৭-৩০-০৫-১৯৮১
৯. মরহুম বিচারপতি আবদুস সাত্তার(অস্থায়ী) ৩০-০৫-১৯৮১-১৯-১১-১৯৮১
১০. মরহুম বিচারপতি আবদুস সাত্তার ২০-১১-১৯৮১-২৩-০৩-১৯৮২
১১. মরহুম এ. এফ. এম. আহসান উদ্দিন চৌধুরী ২৪-০৩-১৯৮২-১০-১২-১৯৮৩
১২. লে. জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ১০-১২-১৯৮৩-০৬-১২-১৯৯০
১৩. বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ ০৬-১২-১৯৯০-০৯-১০-১৯৯০
১৪. আইনজীবি আবদুর রহমান বিশ্বাস ০৯-১০-১৯৯০-০৯-১০-১৯৯৬
১৫. বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ-২য় বার ০৯-১০-১৯৯৬-১৪-১১-২০০১
১৬. ডা. এ. কি. এম. বদরোজদৌজা চৌধুরী ১৪-১১-২০০১-২১-০৬-২০০২
১৭. ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার(অস্থায়ী) ২১-০৬-২০০২-০৬-০৯-২০০২
১৮. মরহুম প্র্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহমদ ০৬-০৯-২০০২-১২-০২-২০০৯
১৯. মরহুম এ্যাডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমান ১২-০২-২০০৯-২০-০৩-২০১৩

২০. এ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল হামিদ ২০-০৩-২০১৩ ও ২৪-০৪-২০১৩ তারিখ থেকে

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ১০ জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, ১০ জনের মধ্যে ২ জন তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, ২ জন হয়েছেন ৩য়বার এবং শেখ হাসিনা ১৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন (্ক্রমানুসারে তাঁদের নামের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো) ঃ

ক্রমিক নং নাম মেয়াদকাল

১. মরহুম তাজউদ্দিন আহমেদ ১০.০৪.১৯৭১-১২.০১.১৯৭২
২. মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১২.০১.১৯৭২-২৫.০১.১৯৭৫
৩. মরহুম মনসুর আলী ২৫.০১.১৯৭৫-১৫.০৮.১৯৭৫
৪. মরহুম শাহ আজিজুর রহমান ১৫.০৪.১৯৭৯-২৪.০৩.১৯৮২
৫. মরহুম আতাউর রহমান খান ৩০.০৩.১৯৮৪-১৫.০১.১৯৮৫
৬. মরহুম মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী ০৯.০৭.১৯৮৬-২৭.০৩.১৯৮৮
৭. ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ২৮.০৩.১৯৮৮-১২.০৮.১৯৮৯
৮. মরহুম কাজী জাফর আহমেদ(বিপ্লবী) ১২.০৮.১৯৮৯-০৬.১২.১৯৯০
৯. বেগম খালেদা জিয়া ২০.০৩.১৯৯১-১৪.০২.১৯৯৬
১০. বেগম খালেদা জিয়া ১৭.০২.১৯৯৬-২০.০৩.১৯৯৬
১১. শেখ হাসিনা ২৩.০৬.১৯৯৬-১৫.০৭.২০০১
১২. বেগম খালেদা জিয়া ১০.১০.২০০১-২৯.১০.২০০৬
১৩. শেখ হাসিনা ০৬.০১.২০০৯-১২-০১-২০১৪
১৪. শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে

মুদ্রাবাজার ১৯৭২ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত পঁচিশ বছরে টাকার মূল্য ১০ পয়সায় পরিণত হয়েছে এবং ২২-০১-২০১১ থেকে ২৪-০৭-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে টাকার দর। ১-ডলারে টাকার সমপরিমাণ (বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত হিসেবে)
ক্রমিক নং সন টাকার পরিমাণ(১ ডলারের বিপরীতে)

১. ১৯৬৪-৬৫ ৪.৭৫
২. ১৯৭১-৭২ ৭.৩০
৩. ১৯৭২-৭৩ ৭.৮৭
৪. ১৯৭৩-৭৪ ৭.৯৬
৫. ১৯৭৪-৭৫ ৮.৮৭
৬. ১৯৭৫-৭৬ ১৫.০৫
৭. ১৯৭৭-৭৮ ১৫.১২
৮. ১৯৭৮-৭৯ ১৫.২২
৯. ১৯৭৯-৮০ ১৫.৪৯
১০. ১৯৮০-৮১ ১৬.২৬
১১. ১৯৮১-৮২ ২০.০৭
১২. ১৯৮২-৮৩ ২৩.৮০
১৩. ১৯৮৩-৮৪ ২৪.৯৪
১৪. ১৯৮৪-৮৫ ২৫.৯৬
১৫. ১৯৮৫-৮৬ ২৯.৮৯
১৬. ১৯৮৬-৮৭ ৩০.৬৩
১৭. ১৯৮৭-৮৮ ৩১.২৪
১৮. ১৯৮৮-৮৯ ৩২.১৪
১৯. ১৯৯০-৯১ ৩৫.৬৮
২০. ১৯৯১-৯২ ৩৫.৬৮
২১. ১৯৯২-৯৩ ৩৯.১৫
২২. ১৯৯৩-৯৪ ৪০.০০
২৩. ১৯৯৪-৯৫ ৪০.২০
২৪. ১৯৯৫-৯৬ ৪০.৮৪
২৫. ১৯৯৬-৯৭ ৪২.৪৩
২৬. ১৯৯৭-৯৮ ৪৪.৭১
২৭. ১৯৯৮-৯৯ ৪৪.৭১
২৮. ১৯৯৯-২০০০ ৪৯.৫০
২৯. ২০০০-২০০১ ৫৩.৮৫
৩০. ২০০১-২০০২ ৫৬.৫০ থেকে ৫৭.৫০
৩১. ২০০২ তারিখের হিসেব ৫৭.৭০ থেকে ৫৮.৮০ টাকা।
৩২. ২০০৫ তারিখের হিসেব ৬৭ টাকা থেকে ৬৮ টাকা।(৩০-০৯-২০০৫)

৩৩. ২৫-০১-২০০৬ তারিখের হিসেব ৬৮.৯০ টাকা।
৩৪. ২০-০২-২০০৬ তারিখের হিসেব ৭০.৭৫ টাকা।
৩৫. ২৯-০৩-২০০৬ তারিখের হিসেব ৭২.০০ টাকা।
৩৬. ১৯-১১-২০০৬ তারিখের হিসেব ৭২.৯৫ টাকা।
৩৭. ১৭-১২-২০০৭ তারিখের হিসেব ৬৯.২০ টাকা।
৩৮. ২২-১২-২০১০ তারিখের হিসেব ৭০.৬০৯২ টাকা
৩৯. ৩১-১২-২০১০ তারিখের হিসেব ৭২.৭৩ টাকা।
৪০. ২২-০১-২০১১ তারিখের হিসেব ৭১.২৩১৮ টাকা
৪১. ২২-০৩-২০১১ তারিখের হিসেব ৭১.২৩১৮ টাকা
৪২. ২২-০৬-২০১১ তারিখের হিসেব ৭৪.২৫২১ টাকা
৪৩. ২২-০৮-২০১১ তারিখের হিসেব ৭৪.৮৬৯২ টাকা
৪৪. ২২-১০-২০১১ তারিখের হিসেব ৭৫.৭৬২১ টাকা।
৪৫. ০৪-১২-২০১১ তারিখের হিসেব ৭৭ টাকা।
৪৬. ০৮-১২-২০১১ তারিখর হিসেব ৮০ টাকা(দৈনিক জনকন্ঠ)
৪৭. ০৯-১২-২০১১ তারিখের হিসেব ৮১ টাকা(দৈনিক জনকন্ঠ)
৪৮. ১৫-১২-২০১১ তারিখের হিসেব ৮০.৮০ টাকা(দৈনিক জনকন্ঠ)
৪৯. ২২-১২-২০১১ তারিখের হিসেব ৮১.১৯৯৯ টাকা(প্রথম আলো)
৫০. ০৪-০১-২০১২ তারিখের হিসেব ৮৩.৬০ টাকা আমদানির জন্য ঘোষিত দর
৫১. ০৪-০১-২০১২ তারিখের হিসেব ৮৬.০০ টাকা অঘোষিত দর
৫২. ২১-০৬-২০১২ তারিখের হিসেব ৮১.৩৫ ক্রয়, ৮২.৩৫ বিক্রয় অঘোষিত
৫৩. ১৬-০১-২০১৩ তারিখের হিসেব ডলার=ক্রয়-৭৯.৩৩ ও বিক্রয়-৮০.৫৫
৫৪. ২৪-০৭-২০১৩ তারিখের হিসাব ডলার=ক্রয়-৭৭.১৩ ও বিক্রয়=৭৮.৩৫
৫৫. ২৭-১০-২০১৫ তারিখের হিসাব ডলার=ক্রয়-৭৭.২৫ ও বিক্রয়-৭৮.২৫

 

২০০২ সালের হিসেবমতে ঃ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে একশতবার টাকার মান (ডলারের সাথে) কমানো হয়েছে।

হরতালে ক্ষতির পরিমাণ ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল, ইত্তেফাকের রির্পোট ঃ গত ৫৩ বছরে (১৯৪৭ থেকে ২০০০) বাংলাদেশে ৩ বছর ৪ মাস ৪ দিন হরতাল ছিল।
বিবরণ ক্ষতির পরিমাণ
২৪-৩-১৯৮২ থেকে ৬-১২-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ২৭,১৮৪ কোটি টাকা
২৭-২-১৯৯১ থেকে ৩০-৩-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ৩১,৫০০ কোটি টাকা
২৩-৬-১৯৯৬ থেকে ৩০-৪-২০০১ সাল পর্যন্ত ২৫,৫০০ কোটি টাকা
বাংলাদেশে মোট= ৩(তিন) বছর ৪(চার) মাস ৪(চার) দিন হরতালে ক্ষতির পরিমাণ-৮৪,১৪৮(চুরাশি হাজার একশত আটচল্লিশ কোটি) টাকা। সর্বমোট=৮৪,১৪৮(চুরাশি হাজার একশত আটচল্লিশ) কোটি টাকা।
২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি, প্রথম আলো ঃ ‘দাস-শ্রমের পণ্য’ নেবে না যক্তরাষ্ট্র। ট্যারিফ আইন ষংশোধন। ১৯৩০ সালের ট্যারিফ আইন সংশোধন করেছে দেশটি। গত বুধবার এই আইন সংশোধনের বিলে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে অন্তত ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষকে এ রকম জোর করে কাজ করানো হয়। এই অবৈধ শিল্প থেকে মুনাফা আসে বছরে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে ১ কোটি ৬২ লাখ নারী কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে বৈষম্য চলছে। সরকারি খাতে কর্মজীবী মায়েরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পাচ্ছেন ছয় মাস। বেসরকারি খাতে মাতৃত্বকালীন ছুটি মালিক বা কর্তাব্যক্তিদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তৈরি পোশাকশিল্পে আইন অনুযায়ী মায়েদের চার মাস ছুটি পাওয়ার কথা। অভিযোগ আছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মায়েরা এ ছুটি পাচ্ছেন না।
২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর, প্রথম আলো ঃ দেশে ২০১০ সালের লেবার ফোর্স সার্ভে অনুযায়ী গৃহশ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ লাখ। ২০১৫ সালে এসে মনে হয় ২০(বিশ) লাখের বেশি। গৃহকর্মী সুরক্ষায় নতুন নীতিমালা।
২০১৬ সালের ১৩ মার্চ, বাংলাদেশ প্রতিদিন ঃ বাংলাদেশে ২ কোটি ২৫ লাখের বেশি মানসিক রোগী আছে।
২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দুই বছরে কর্মসংস্থান মাত্র ৬ লাখ। বিবিএসের (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) গবেষণা সম্প্রতি জনশক্তি জরিপ ২০১৫ জুলাই-সেপ্টেম্বর রিপোর্টের কাজ শেষ করেছে। বেকারের সংখ্যা এখন দেড় দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, বেকারদের মধ্যে ৭৪ শতাংশই তরুণ-তরুণী। শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে কর্মরত এমন লোকের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৭ লাখ। এর মধ্যে ৭২ লাখ ৮৭ হাজার জন গৃহস্থালির কাজে পরিবারকে সহায়তা করেন, মজুরি পান না। ২০১৩ সালের জরিপ অনুযায়ী, কর্মরত মানুষের সংখ্যা ছিল-৫ কোটি ৮১ লাখ।
বর্তমানে শ্রমশক্তিতে ৬ কোটি ১৪ লাখ নারী-পুরুষ আছেন। এর মধ্যে পুরুষ-৪ কোটি ৩১ লাখ এবং নারী-১ কোটি ৮৩ লাখ। দেশের কৃষি খাত এখনো কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় এ খাতে ২ কোটি ৫৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে, যা মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৪৩ শতাংশ। এর পরের স্থানে থাকা সেবা খাতে কাজ করেন ২ কোটি ১৪ লাখ। আর শিল্প খাতে ১ কোটি ১৪ লাখ লোক কাজ করেন।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ তরুণদের দেশ বাংলাদেশ। ইউএনডিপির আঞ্চলিক মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন। মোট জনসংখ্যার মধ্যে ২৪ বছর বা তার নিচে মানুষের সংখ্যা ৪৯%। কর্মক্ষম জনসংখ্যা-২০১৫ সালে ১০ কোটি ৫৬ লাখ মোট জনসংখ্যার-৬৬%। ২০৩০ সালে ১২ কোটি ৯৮ লাখ মোট জনসংখ্যার-৭০% এবং ২০৫০ সালে ১৩ কোটি ৬০ লাখ মোট জনসংখ্যার-৬৭%।
২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ দেশে ৮০% কর্মজীবীর দিনে আয় ৩১৩ টাকা। ইউএনডিপির আঞ্চলিক মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশ। এই অঞ্চলে শ্রমিকদের দক্ষতা কম বলে তাঁরা স্বপ্ল মজুরিতে কাজ করেন। দক্ষিণ এশিয়ায় ২৪ শতাংশ কর্মজীবী দিনে সোয়া ডলারের কম আয় করেন। তাঁরা শোচনীয় দারিদ্রোর ফাঁদে আটকা পড়ছেন। বাংলাদেশে শ্রমজীবীর সংখ্যা ৫ কোটি। শ্রমজীবীর মেলে না নূন্যতম বেতন। প্রতি মন্ত্রী বলেন, দেশে আনুষ্ঠানিক ৪২টি খাত রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত খাত পাঁচ বছর পর কমিশন গঠন করে। এর বাইরে অন্য খাতগুলো চাহিদা জানালে তা নি¤œতম মজুরি বোর্ডে পাঠানো হয়। বোর্ড শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতা সাপেক্ষে মজুরি নির্ধারণ করে।
২০১৬ সালের ৩ মে, প্রথম আলো ঃ নারীর গড় মজুরি কমেছে। বিবিএসের জরিপ। পুরুষের মাসিক গড় মজুরি-১১,৭৩৩ টাকা আর নারীর মাসিক গড় মজুরি ১০,৮১৭ টাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) সর্বশেষ ২০১৫ সালের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এ তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ২ কোটি ৩১ লাখ নারী-পুরুষ মজুরি বা বেতন পান। দুই বছর আগে এমন কর্মজীবীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার। বর্তমান মানে ২০১৫ সালে শ্রমশক্তিতে ৬ কোটি ১৪ লাখ নারী-পুরুষ আছেন। এর মধ্যে কোনো না কোনোভাবে কাজে সম্পৃক্ত আছেন ৫ কোটি ৮৭ লাখ। যাঁরা সপ্তাহে কমপক্ষে এক ঘন্টা ক্াজ করেন, তাঁদের কর্মজীবী হিসেবে ধরা হয়। শ্রমশক্তিতে থাকা বাকিরা সবাই বেকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *