২০১০ সালের ২৮ জুন, জনকণ্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ একদিনের হরতালেই দেশের ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ইউএনপিডির গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালের পর থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট ৪৫৯ দিন জাতীয়ভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা সিপিডির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে তিন দিন হরতাল হয়েছে। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে সাত দিন এবং ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১৭ দিন গড়ে হরতাল হয়েছে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে ৪৬ দিন করে হরতাল হয়েছে। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪৭ দিন জাতীয়ভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। এর বেশির ভাগ হরতাল হয়েছে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা থেকে শুরু করে ১৯৭০ সালের মার্চ পর্যন্ত। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় হরতাল হয়েছে মাত্র পাঁচ দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, থেকে ১৯৮২ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত দেশে ছয়টি হরতাল পালিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে হরতালের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় ১৯৮২ সালে এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর। ১৯৮২ সালের মার্চ থেকে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯০ পর্যন্ত ৭২ দিন জাতীয়ভাবে হরতার পালিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দল থাকার সময়ে দুই আমলে মোট হরতাল করেছে-২০১ দিন এবং বিএনপি হরতাল করেছে-৮৫ দিন। কেবল জাতীয়ভাবে নয়, দেশে স্থানীয়ভাবেও অনেক হরতাল পালিত হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে ধরলে স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত দেশে প্রায় এক হাজার ৭০০ দিন অর্থাৎ প্রায় সাড়ে চার বছরই হরতাল ছিল দেশে। বিএনপির ও ১৮ দলীয় জোটের জাতীয়ভাবে হরতাল-১৩-১১-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ১০দিন।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ রাজনৈতিক সহিংসতা ঃ ২২ বছরে প্রাণহানি ২৫১৯ জন মানুষ। হত্যার রাজনীতি, লাশের মিছিল। তিন সরকারের শাসনামলে নিহতের সংখ্যা-বিএনপি(১৯৯১-১৯৯৬)-১৭৪ জন, আওয়ামী লীগ(১৯৯৬-২০০১)-৭৬৭ জন, বিএনপি(২০০১-২০০৬)-৮৭২ জন, তত্ত¡াবধায়ক(২০০৭-২০০৮)-১১ জন এবং আওয়ামী লীগ(২০০৯-২০১৩)-৫৬৪ জন। ২০০১ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় মারা গেছেন ১৩১ জন মানুষ। নির্বাচনের বছরে নিহতের সংখ্যা ঃ ১৯৯১ সালে-১৮ জন, ১৯৯৬ সালে-৪৯ জন, ২০০১ সালে-৫০০ জন, ২০০৬ সালে-১২০ জন এবং ২০১৩ সালে-৩০৪ জন মারা গেছেন।
২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ এ বছর হরতালে ক্ষতি এক লাখ কোটি টাকা, প্রাণহানি ১২০ জন।
৬টি সাংবিধানিক সংস্থার নাম দেয়া হলো ঃ (১) শাসনবিভাগ (২) বিচারবিভাগ (৩) নির্বাহীবিভাগ (৪) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (৫) পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও (৬) মহাহিসাব নীরিক্ষা অফিস। বাংলাদেশে ৫৬০ কিলোমিটার সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য এবং ১৯ জাতের বাঁশ আছে। ১৮টি দেশ নিয়ে গঠিত ‘মধ্যপ্রাচ্য’।
২০১৪ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ আটকে গেছে বস্ত্রবয়ন খাত। ৫,৫০০ ছোট ও মাঝারি কারখানা দেশজুড়ে। ৩,৩৫০ কোটি টাকা নূন্যতম বিনিয়োগ। ১২৬ কোটি মিটার কাপড় বার্ষিক উৎপাদন। লুঙ্গি, গামছা থেকে শুরু করে শাড়ি কাপড়, থান কাপড়, বিছানার ছাদর, শার্ট ও প্যান্টের কাপড় ইত্যাদি তৈরি হয়। বেশির ভাগ কারখানা নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, চট্টগ্রাম, কুস্টিয়া, গাজীপুর, সাভার ও কেরানীগঞ্জে। সমস্যা-বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা। ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদ। অবৈধ বিদেশি কাপড়। সম্ভাবনা-উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে এসব কারখানাই ওভেন পোশাকের কাপড়ের উল্লেযোগ্য অংশ জোগান দিতে পারবে।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল, প্রথম আলো-অধুনা-৩ পাতায় ঃ মৃত ব্যক্তি টাকা কারা পাবেন? যদি নমিনি করে থাকেন-নমিনি টাকা তুলতে পারবেন কিন্তু গত ০৩-০৪-২০১৬ তারিখ হাইকোর্ট বিভাগ এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সঞ্চয়পত্রের অ্যাকাউন্টধারী মারা গেলে ওই অ্যাকাউন্টের টাকা নমিনীর পরিবর্তে হিসাবধারীর উত্তরাধিকারী পাবেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ।