বৃটিশ-ভারতে পৌরসভা গঠনের ইতিবৃত্ত ঃ

পৌরসভা গঠনের ইতিবৃত্ত ঃ ১৭৯৩ সালে বৃটিশ পার্লামেন্টে চার্টারের মাধ্যমে এদেশে প্রথম কলকাতা, মুম্বাই ও মাদ্রাজ শহরে পৌরসভার সূচনা হয়। এ আইনে জাস্টিস অব পীস নিয়োগ, করারোপ এবং চৌকিদার ও ঝাড়–দার নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৪২ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠান গঠনের আইন পাশ হয়। এই আইন শহরে বসবাসকারী বাড়ির প্রধানদের দুই-তৃতীয়াংশের আবেদনের প্রেক্ষিতে টাউন কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এ আইনের সুবিধা ভোগের জন্য বাসিন্দাদের মধ্যে কোন আগ্রহ ছিল না। ১৮৫০ সালে মিউনিসিপ্যাল এ্যাক্ট পৌরসভা গঠনের ইতিবৃত্ত ছিল। ১৮৬৮ সালে ডিস্ট্রিক্ট টাউন এ্যাক্টের অধীনে আরও অধিকসংখ্যক শহরে পৌরসভা গঠন করা হয়। লর্ড রিপন স্থানীয় সরকারের ব্যাপারে খুবই উৎসাহী ছিলেন। তাঁহার আমলে আগের সকল আইনকে একত্রিত করে ১৮৮৪ সালে বেঙ্গল মিউনিসিপ্যালিটির আয়ের জন্য বেশ কয়েকটি উৎস নির্ধারণ করা হয়। ১৮৯৬ সালে নূতন আইণ প্রণয়নের মাধ্যমে আগের সকল আইন একত্রিত করিয়া আবার একটি নূতন আইন পাশ করা হয়। ১৯৪৭ সালের পূর্বে ১১৮টি পৌরসভা ছিল অবিভক্ত বাংলায়, এরমধ্যে ৫২টি ছিল পূর্ব বাংলায়। বাংলাদেশে প্রথম পৌরসভা হয়-চট্টগ্রাম পৌরসভা-১৮৬৪ সালের ৫ জুলাই (১৮৬৪ সালে যাত্রা শুরু হওয়া ঢাকা পৌরসভা ঢাকা সিটি করপোরেশন পরিচয়ে ১৪৭ বছর পার করছে চলতি ২০১১ সালে। ১৪৭ বছরে ঢাকার ৪৮ প্রশাসক ও মেয়র। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকা ঃ জাতীয় সংসদে বিল পাস।। তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন নবগঠিত দুই ডিসিসিতে-আলোচিত স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধন বিল-২৯-১১-২০১১ তারিখ। আর এ বিলটি পাসের ফলে বিলুপ্ত ঘটল ঢাকা সিটি করপোরেশনের বর্তমান ঢাকা সিটি করপোরেশন এখন ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন’ এবং ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’-এ উন্নীত হল।) দ্বিতীয় পৌরসভা হয়-ঢাকা পৌরসভা গঠিত হয়-১৮৬৪ সালের ১ আগষ্ট, তৃতীয় পৌরসভা হয়-কুমিল্লা পৌরসভা ৩০ নভেম্বর ১৮৬৪ সালে,  তারপর পৌরসভা গঠিত হয় ১ আগষ্ট ১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। ১৮৭৬ সালে রাজশাহী পৌরসভা গঠিত হয়। বাংলাদেশে ৩১-০৩-২০০৯ তারিখের হিসেব অনুসারে ৩০৯(তিনশত নয়টি)টি পৌরসভা আছে এরমধ্যে ৭(সাত)টি পৌরসভা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছিল। প্রায় ৩(তিন) হাজার বছরের পুরানো জনপদ নারায়ণগঞ্জ। ১৮৭৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, নারায়ণগঞ্জকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। ১৮৮২ সালে একে মহকুমার মর্যাদা দান করা হয়। ১৮৮৫ সালে বৃটিশরা এখানে রেললাইন স্থাপন করে। কমিশন থেকে জানা গেছে সারা দেশে ৩২০টি পৌরসভা আছে(১৫-০৯-২০১৫ তারিখ পর্যন্ত)। ৩২০তম পৌরসভা পিরোজ জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার সদরকে পৌরসভা করা হয়েছে-১৪-০৯-২০১৫ তারিখ মন্ত্রীপরিষদের সভায়।  বাংলাদেশে ০৮-০১-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত টঙ্গীকে নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন-১১তম।
২০০৮ সালের ২৬ মার্চ, শরিফুজ্জামান পিন্টু ও ওয়াসেক বিল্লাহ ঃ ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীর সাজা হয়েছিল, দালাল আইন বাতিলের পর মুক্ত। মোট গ্রেপ্তার ৩৭ হাজার। সাধারণ ক্ষমায় ২৫ হাজার আর দালাল আইন বাতিলে সাজাপ্রাপ্তসহ প্রায় ১২ হাজার মুক্তি পায়।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল,(পহেলা বৈশাখ), রমনা বটমুলে বোমা হামলায় মারা গেছেন ১০ জন এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
নিঝুম দ্বীপের আয়তন-৮০ বর্গ মাইল। গ্রামের সংখ্যা-৮৭,৩৩৯টি। মোট জমির পরিমাণ-২ কোটি ৪০ লক্ষ একর। জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কতজনে ৬০ জনে। বড় থানা-শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) ও ছোট থানা-কোতয়ালী (ঢাকা)। জনসংখ্যায় বড় বিভাগ-ঢাকা ও ছোট বিভাগ-সিলেট। বড় জেলা-ঢাকা ও ছোট জেলা-বান্দরবন। বড় উপজেলা-বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) ও ছোট উপজেলা-রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি)। (১) বীর শ্রেষ্ঠ-৭ জন (২) বীর উত্তম-৬৮ জন (৩) বীর বিক্রম-১৭৫ জন ও (৪) বীর প্রতিক-৪২৬ জন।
২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি, স্বাধীনতার পর গত ৩৮ বছরে কর্ণেল তাহেরসহ ৪১১ জন দন্ডিতের ফাঁসি কার্যকর। দেশের ৬৮ কারাগারে সহস্রাধিক ফাঁসির আসামি।
২০১০ সালের ২৫ জুলাই, প্রথম আলো ঃ বিদেশি বিনিয়োগ (কোটি ডলারে)। বাংলাদেশে ২০০৬ সালে ৭৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২০০৭ সালে ৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, ২০০৮ সালে ১০৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার ও ২০০৯ সালে ৭১ কোটি ৬০ ডলার বিনিয়োগ হয়েছে দেশে। ২০১০ সালে বিশ্ব বাণিজ্য বাড়বে ১০ ভাগ।
২০১১ সালের ১১ মার্চ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি ও আদিবাসী গ্রæপ কর্তৃক প্রচারিত ঃ  বাংলাদেশের আদিবাসী-আমাদের দেশে সমতল ও পার্বত্য এলাকা মিলে মোট ৪৫টিরও অধিক আদিবাসী জাতি অধিকাংশ রয়েছে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য অঞ্চলে। বাংলাদেশের আদিবাসীরা হলেন-আসাম, বম, বানাই, বেদিয়া, ভূমিজ, বাগদি, চাকমা, চাক, ডালু, গারো, গুর্খা, হাজং, খাসি, খারিয়া, খ্যাং, খুমি, কোচ, কোল, কর্মকার, ক্ষত্রিয় বর্মন, খন্ড, লুসাই, মারমা, ম্রো, মণিপুরী, মাহাতো, মুন্ডা, মালো, মাহালি, মুড়িয়ার, মুসহর, ওরাঁও, পাংখোয়া, পাহাড়ীয়া, পাহান, পাত্র, রাখাইন, রাজুয়াড়, রাই, রাজবংশী, সাওতাল, সিং, তুরী, তঞ্চঙ্গা, ত্রিপুরা ইত্যাদি। বর্তমানে বাংলাদেশে ৯,৮৮৪টি ডাকঘর আছে।
২০১২ সালের ৬ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ইতিহাসের পথ ধরে-হরিকেল থেকে চট্টগ্রাম। কত পুরনো আজকের চট্টগ্রাম? অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, কিন্তু ইতিহাস বলছে, চৌদ্দ’শ বছরের প্রাচীন শহরের নাম চট্টগ্রাম। ‘অদম্য চট্টগ্রাম উৎসব’ শিরোনামে ডেইলি স্টার আয়োজিত প্রদর্শনী আলোকে এই রচনা। লিখেছেন বিশ্বজিৎ চৌধুরী। আমরা জানি, ৯০০ বছরের প্রবীণ নগর লন্ডন, আমাদের রাজধানী ৪০০ বছরের ইতিহাস; আর বছর কয়েক আগে ৩০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্ণময় উৎসবের আয়োজন হয়েছিল কলকাতা নগরে। চট্টগ্রামের ইতিহাস এই প্রসিদ্ধ নগরগুলোর চেয়েও দীর্ঘ। সপ্তদশ শতাব্দীতে ইৎসিঙ নামের একজন চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষু প্রথম উল্লেখ করেন ভারতের পূর্ব-দক্ষিণ অঞ্চলে হরিকেল নামে একটি রাজ্য আছে। এই ‘হরিকেল’ই যে চট্টগ্রাম, এই তথ্য উঠে আসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বিএন মুখার্জির গবেষণায়। এই খ্যাতিমান মুদ্রাবিশারদ হরিকেল রাজ্যে প্রচলিত মুদ্রা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন, সমৃদ্ধ এই রাজ্য ছিল কর্ণফুলী নদীর তীরে, যা কালক্রমে চট্টগ্রাম নামে পরিচিতি পায়। বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়ামের জার্নালে এ তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।
আরাকান, ত্রিপুরা ও মোগল-এই তিন রাজশক্তির লড়াইয়ের ক্ষেত্র ছিল চট্টগ্রাম। বহুকাল চলেছে এই দখল প্রতিষ্ঠার লড়াই। মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মুনিম খান ১৫৭৫ সালের ৩ মার্চ, আফগান শাসক দাউদ খার কররানীকে পরাজিত করলে মোঘল সাম্রাজ্যের অধিকারে আসে বাংলা। কিন্তু এরপর আরও প্রায় ৮০ বছর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে যায় অধরা। অবশেষে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ১৬৬৬ সালের ২৭ জানুয়ারি ‘কর্ণফুলীর যুদ্ধে’ মোগল নৌবাহিনী জয়লাভ করে। আসলে এই লড়াই ও জয়ের মধ্য দিয়েই বঙ্গ বা বাংলার সঙ্গে যুক্ত হয় চট্টগ্রাম। ‘কর্ণফুলীর যুদ্ধে’ মোগলদের জয় নৌ-বাণিজ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে, পাশাপাশি এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতাও প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭৬০ সালে মীর কাশিম আলী খানের কাছ থেকে এ অঞ্চলটি অধিগ্রহণ করেন ব্রিটিশরা এর নাম দেয় ‘চিটাগাং’, সাধারণের কাছে যা চট্টগ্রাম বা চাটিগাও নামে পরিচিতি পায়। ১৮৭২ সালে চট্টগ্রামে নির্মিত বেঙ্গল রেলওয়ের কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ ব্যবসায়ীরা হতাশ ক্ষুব্ধ।। একদিনের হরতালে ৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি।
২০১৪ সালের ২ মার্চ, প্রথম আলো ঃ উচ্চশিক্ষিতদের প্রায় অর্ধেকই বেকার। ৪৭% স্নাতকই বেকার বাংলাদেশে। ২২ লাখ মানুষ প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু কাজ পায় মাত্র সাত লাখ। ১৪.২% বেকারত্বের হার বাংলাদেশে।
২০১৪ সালের ৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ স্বপ্লশিক্ষিতদের হাতেই সচল অর্থনীতি। শ্রমশক্তি ৯৬% নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিত, ৩.৭% উচ্চ শিক্ষিত শ্রমশক্তির অবদান অর্থনীতিতে সামান্যই। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের শ্রমশক্তি জরিপ বিশ্লেষণ করে বলেছে, দেশে প্রায় পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ শ্রমিক রয়েছেন। এর মধ্যে দুই কোটি ৩২ লাখ বা ৪১ শতাংশের কোন শিক্ষাই নেই। আর এক কোটি ৩০ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডি পার হয়নি। বাকিদের মধ্যে মাত্র ৩.৭ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিয়ে এসেছেন। আর দশমিক ২ শতাংশ শ্রমিকের রয়েছে কারিগরী ডিপ্লোমা ডিগ্রী। মোট শ্রমিকের ৯৬ শতাংশের মাধ্যমিক শিক্ষা নেই।
২০১৪ সালের ৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত ঃ ২৬ জনের দন্ড মওকুফ রাষ্ট্রপতির।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের ৮৭ ভাগ নারী কোন না কোন সময় স্বামীর নির্যাতনের শিকার-জরিপে তথ্য।
২০১৪ সালের ১১ মার্চ, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার সংবাদ-বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত পত্রিকার সংখ্যা-১১৮৭টি। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এছাড়া ৭৫টি অনলাইন ও ৪৪টি টিভি চ্যানেল আছে।
২০১৪ সালের ১৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীগেদর নিয়ে পরিচালিত জরিপে তথ্য ঃ ৭৬ শতাংশ ছাত্রীই যৌন হয়রানির শিকার।
২০১৪ সালের ১৩ মার্চ, প্রথম আলো ঃ ৩৭ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে ঃ জরিপের তথ্য।
২০১৪ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৩ বছরে প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে জাতীয় সংগীত গাইল দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন মানুষ।
২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ চার বছরে ২৬৮ জন অপহৃত। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য। ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ২৬৮ জন অপহৃত। ৪৩ জনের লাশ উদ্ধার। ফিরে এসেছে ২৪ জন। এখনো নিখোঁজ ১৮৭ জন।
 ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ভূখন্ড তপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়া ঃ আবহাওয়া ছাড়া প্রচন্ড দাবদাহের অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ণ। ঢাকার ৬৫ শতাংশ ভূখন্ড তপ্ত। ১০০ বছরে সারা দেশে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে। ০.৬ সেলসিয়াস। রাজধানীতে বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর আটটি অঞ্চলের ২৫টি এলাকার ভূখন্ড তপ্ত হয়ে উঠছে। এখানকার গড় তাপমাত্রা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি-৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২১ বছরে ঢাকার ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন। ১৯৮৯ সালে উন্মুক্ত স্থান ছিল-২৬%, ২৩% বসতি ছিল, ৪৬% গাছপালা ছিল, ৫% জলাভূমি ছিল আর ২০১০ সালে উন্মুক্ত স্থান-৮%, বসতি-৫৭%, গাছপালা-৩১% ও জলাভূমি-৪% আছে।
২০১৪ সালের ১ মে, প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশের শ্রমশক্তি ঃ কাজের মানুষ ঃ দেশের মোট শ্রমশক্তির পরিমাণ পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ লোক। অর্থাৎ এঁরা কাজ করতে সক্ষম এবং দেশের শ্রমশক্তি হিসেবে বিবেচিত। আনুষ্ঠানিক কাজেই বেশি-আনুষ্ঠানিক কাজই করেন দেশের প্রায় ৮৭ শতাংশ শ্রমশক্তি। সংখ্যাটি চার কোটি ৭০ লাখ। বাকি ১৩ শতাংশ লোক কাজ করেন আনুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে। পুরুষ শ্রমশক্তি তিন কোটি ৯৫ লাখ এবং নারী শ্রমশক্তি এক কোটি ৭২ লাখ। বেকার কত? দেশে বেকারের সংখ্যা মাত্র ২৬ লাখ। এসব ব্যক্তি কোনো কাজেই জড়িত না কিংবা সপ্তাহে এক ঘন্টার কম কাজ করেন। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এমণ ব্যক্তিদের বেকার হিসাবে মনে করে। কেননা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা(আইএলও) স্বীকৃত পদ্ধতি অনুযায়ী সপ্তাহে এক ঘন্টা কাজ করেন এমন ব্যক্তিকে বেকার হিসাব ধরা হয় না।
সবচেয়ে কম মজুরি কৃষিশ্রমিকের। এ খাতের ৮ লাখ ৮০ হাজার মজুর সপ্তাহে ৫০০শত টাকার কম মজুরি পান। সেই হিসাবে দৈনিক গড়ে ৭১ টাকা পান। আর সবচেয়ে বেশি মজুরী পান আবাসন খাতের কর্মীরা। তাঁদের প্রতি সপ্তাহে আয় দেড় সহাজার থেকে দুই হাজার টাকা। কৃষি খাতের দিনমজুরেরা তাঁদের ৮৩ শতাংশ দিনে ৩০০ টাকার কম মজুরি পান না। সারা দেশে এমণ মজুরের সংখ্যা ৪৯ লাখ। কৃষি খাতের ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার কৃষি শ্রমিক। মজুরীবৈষম্য নারীরা।
বাংলাদেশে তিন কোটি ২৫ লাখ চাকরিজীবী আছে। এর ৯৫ শতাংশ মাসে ১২,৫০০(বার হাজার পাঁচশত) টাকা বেতন পান। আর ১৬ লাখ ২৫ হাজার চাকরিজীবী ৩৫ হাজার টাকার বেশি বেতন পান।
সাড়ে চার লাখ গৃহকর্মী ঃ সারা দেশে চার লাখ ৫৫ হাজার গৃহকমী আছেন। এর মধ্যে চার লাখ আট হাজার নারী আর পুরুষ মাত্র ৪৭ হাজার। তঁদের সিংহ ভাগই বাসাবাড়িতে কাজ করে।
২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ প্রতিদিন : দেশের ছোট বড় মাঝারি প্রায় ৮১ লক্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭১ লাখেরই আয়কর ফাইল নেই। এর মধ্যে ৪৬ লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও আয়কর ফাইল আছে মাত্র ১০ লাখের।
২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে।  দুর্নীতির ধারনা সূচকে ১০০-এর মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৫। বাংলাদেশ ১৬তম স্থান থেকে ১৪তম স্থানে এসেছে।
২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর, প্রথম আলো : বেসরকারি সচিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি নেই। দেশের বেসরকারি ক্লিনিকের সংখ্যা চার  হাজার ৬৫টি এবং রোগনির্ণয়কেন্দ্রের সংখ্যা আট হাজার ৬২১টি। এক বছরে মাত্র ২০টি ক্লিনিক পরিদর্শন করেছে অধিদপ্তর।
২০১৫ সালের ৮ মার্চ, প্রথম আলো : ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। অর্থনীতিতে নারীর অবদান বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ নারী-পুরুষ কোনো না কোনোভাবে কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন। উল্লেখ্য সপ্তাহে কমপক্ষে এক ঘন্ট কাজ করেন এমন ব্যক্তিকে বেকার হিসেবে ধরা হয় না। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে মোট কর্মজীবী নারী-২০১৩ সালে ১ কোটি ৬৮ লাখ কাজ করে: কৃষিতে-৯০ লাখ, শিল্পে-৪১ লাখ ও সেবা খাতে-৩৭ লাখ। কলকানায়-২২ লাখ, ব্যাংক-বিমা-৭০ হাজার, গৃহকর্মী-৯ লাখ, শিক্ষকতা-৬.৫ লাখ কাজ করে। নারী কারখানার মালিক-২১৭৭ জন। বাংলাদেশে ৪২ হাজারের বেশি কলকারখানা রয়েছে।
২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ ডিএসসিসির ৮৬টি বিপনিবিতান রয়েছে ঢাকাতে। ৪০টির বেশি বিপনিবিতানের জরাজীর্ণ অবস্থা। পুরোনো কিছু বিপটনিবিতান ভেঙ্গে আধুনিকায়ন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নতুন ২৭টি মার্কেট নির্মাণ করতে চায়।
ইউনিয়ন পরিষদের গঠন ও নির্বাচন ঃ
আজ (১৮৮০-২০০৩ সাল পর্যন্ত) ১২৩ বছর আগে ১৮৮০ সালে প্রবর্তন হয় ইউনিয়ন পরিষদ। বড়লাট লর্ড রিপন প্রথম স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার পত্তন করেণ। ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন আইন পাশ হয়। এ আইনে ত্রিস্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার গঠন করা হয়। গ্রাম পর্যায়ে ইউনিয়ন কমিটি, মহকুমা পর্যায়ে লোকাল বোর্ড এবং জেলা পর্যায়ে জেলা বোর্ড গঠন করা হয়। এ আইনে সে সময়ই জনপ্রতিনিধিত্তে¡র বিধান করা হয়। ১০(দশ)  হতে ১৫(পনর) কর্গমাইল এলাকা নিয়ে একটি ইউনিয়ন গঠন করা হয়। ১৯১৫ সাল পর্যন্ত এভাবেই ইউনিয়ন কমিটিগুলো কাজ করে আসছিল। ১৮৭০ সালের চৌকিদারি আইনও ১৮৮৫ সালের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন আইন করা হয়। ইউনিয়ন বোর্ডের কমিটির কার্যকালের মেয়াদ ছিল ৩(তিন) বছর।
১৯৩৬ সালে ইউনিয়ন বোর্ডের ৬(ছয়) জন সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন।         ৩(তিন) জন সদস্য সরকার মনোনয়ন দিতেন।
১৯৩৬ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত মোট ৪(চার) বার মৌখিক ভোটে ইউনিয়ন বোর্ডগুলোর নির্বাচন হয়।
১৯৩৬ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত আফিসারের সামনে ভোটারগণ পছন্দের প্রার্থীকে মৌখিকভাবে ভোট দিতেন।
১৯৪৬ সালে সরকার সদস্য মনোনয়ন প্রথা বাতিল করেন। একজন প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন। ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন বোর্ড থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচি হয় পাড়াতুলি গ্রামের মৌলভী আফসারউদ্দিন মাষ্টার এবং ভাইচ-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মধ্যনগর গ্রামের জনাব আবদুল বারিক ওরফে জুরু মাষ্টার।
১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান আমল। ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ইউনিয়ন বোর্ডের ৩(তিন) বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন বোর্ড থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় গগুলনগর  গ্রামের জনাব মোঃ মোসলেউদ্দিন আহম্মেদ ওরফে অজী দারোগা।
এরমধ্যে ১৯৫৭ সালে ইউনিয়ন বোর্ডের শেষ নির্বাচন হয়, তখন আমাদের বাঞ্ছারামপুর উপজেলাতে ৭(সাত)টি ইউনিয়ন বোর্ড ছিল। ১৯৫৭ সালে পূর্ব-পাকিস্তানে ইউনিয়ন বোর্ডের শেষ নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন বোর্ড থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়-দরিকান্দি গ্রামের জনাব রওশন আলম ওরফে কালু মাষ্টার। এ ৭(সাত)টি ইউনিয়ন বোর্ডকে ভেঙ্গে ১৯৫৯ সালে সামরিক শাসক আইয়ূব খান ৬(ছয়)টি ইউনিয়নকে পূর্ব ও পশ্চিম এবং উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে ভাগ করে ১২(বার)টি ইউনিয়ন কাউন্সিল নামে নাম করণ করা হয়। ১(এক)টি ইউনিয়ন বোর্ডকে ভাগ না করে নাম রাখা হয় সলিমাবাদ ইউনিয়ন কাউন্সিল নামে। ১৯৬০ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খানের সময়ে বি.ডি. মেম্বারের ভোটে ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়। তখন থেকেই ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বি. ডি. মেম্বারের ভোটে নির্বাচিত হয়। ১৯৬০ সালে প্রথম ছয়ফুল্লাকান্দি(পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়, বি. ডি. মেম্বারদের (মৌলিক গণতন্ত্রীদের) ভোটে জনাব মোঃ লাল মিয়া। তারপর ১৯৬৪ সালে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় আমাদের ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের বি. ডি. মেম্বারদের (মৌলিক গণতন্ত্রীদের) ভোটে ভেলানগর বড়বাড়ির জনাব মোঃ আজহারুল হক (নসু মিয়া)।
১৯৫৭ সালে প্রথম জনসাধারণের প্রত্যক্ষভোটে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ইউনিয়ন বোর্ডের একজন প্রেসিডেন্ট, একজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ৩টি ওয়ার্ড হতে ৯(নয়) জন সদস্য নির্বাচিত হয়।
১৯৫৮ সালে আইয়ূব খান কর্তৃক সামরিক আইন জারির পর সকল ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচিত কমিটি বাতিল করা হয়। একজন সরকারী কর্মকর্র্তার উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
১৯৫৯ সালের আগ পর্যন্ত পার্বত্য জেলাগুলোতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ছিলনা।
সিলেট জেলাতে সারপুঞ্জ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।
১৯৫৯ সালে সামরিক সরকার আদেশ বলে “মৌলিক গণতন্ত্র” বা বেসিক ডেমোক্রাসি নামে বহুল সমালোচিত এক ব্যবস্থার প্রবর্তন করে।
১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর, পাকিস্তান সরকার মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ জারি করে।
১৯৬০ সালে প্রথম মৌলিক গণতন্ত্রী প্রথায় ইউনিয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে চেয়ারম্যান নামকরণ করা হয়।
১৯৬৪ সালে দ্বিতীয়বার এ ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়।
১৯৬৯ সালে গণঅভ্যূত্থানকালে অনেক স্থানে বিডি মেম্বারগণ জনরোষে পড়েন।
১৯৭২ সালে দেশ স্বাধীনের পর প্রেসিডেন্টের আদেশবলে বহু সমালোচিত বিডি প্রথা বাতিল করা হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলের নাম পরিবর্তন করে “ইউনিয়ন পরিষদ” করা হয়।
১৯৭৩ সালে জনগণের সরাসরি ভোটে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস-চেয়ারম্যান ও ৯ জন মেম্বার নির্বাচিত হন।
১৯৭৬ সালে ভাইস-চেয়ারম্যান পদ বিলোপ করা হয়।
১৯৯৭ সালের নির্বাচনে ৩টি ওয়ার্ড ভেঙ্গে ৯টি ওয়ার্ড করা হয়। প্রতি ওয়ার্ড থেকে একজন করে সাধারণ সদস্য নির্বাচনের বিধান করা হয়। মনোনয়ন প্রথা বাতিল করে সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে ৩(তিন) জন মহিলা মেম্বার সরাসরি ভোটে নির্বাচনের আইন করা হয়।
২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি, প্রথম আলো ঃ দেশে মোট ৪ হাজার ৫৭১টি ইউপির মধ্যে নির্বাচন হবে ৪ হাজার ৩০০টির কিছু বেশি ইউপিতে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন(বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরাসরি ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত)।
১ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৭৩ সাল, শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে। তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-জনাব আবদুল বাতেন।
২য় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৭৭ সাল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের আমলে। তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-জনাব মোঃ লিল মিঞা।
৩য় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের আমলে তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-জনাব মোঃ আনোয়ারুল হক(আশ্রাফুল ইসলাম)।
৪র্থ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৮৮ সালে, প্রেসিডেন্ট হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদের আমলে। তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-মোঃ আনোয়ারুল হক(আশ্রাফুল ইসলাম), ২য়বার।
৫ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৯২ সালে, বি.এন.পি’র আমলে। তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-মোহাম্মদ আলী।
৬ষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-১৯৯৭ সালে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। তখন ছয়ফুল্লাকান্দি (পশ্চিম) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-মোঃ আনোয়ারুল হক(আশ্রাফুল ইসলাম), ৩য়বার।
৭ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়-২০০৩ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। বি.এন.পি’ সরকারের আমলে ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-জনাব মোঃ শাহাজান মিঞা।
৮ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়-২০১১ সালের এপ্রিল মাসে। ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-মোঃ আনোয়ারুল হক(আশ্রাফুল ইসলাম), মারা গেছেন ০৭-০৪-২০১২ রাত্রে ঢাকাতে বারডেম হাসপাতালে (৪র্থবার)।
৮ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়-(২০-০৬-২০১২ তারিখ) তার বাবা মারা য্ওায়ার পর সে প্রথমবার উপ-নির্বাচনে মোঃ আমিনুল ইসলাম (তুষাড়) ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
৯ম ইউনিয়ন পরিষদ এপ্রিল মাসের নির্বাচনে-ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন-মোঃ আমিনুল ইসলাম (তুষাড়)।
তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন(সন ও ভোটারসংখ্যা) ঃ
ক্রমিক নং নির্বাচনের সন ভোটারসংখ্যা
১. ১৯৫৪ ২,১০,০০,০০০ জন।
২. ১৯৬০ ২,৩৫,০০,০০০ জন।
৩. ১৯৬৪ ২,৬৮,০০,০০০ জন।
৪. ১৯৭০ ৩,১২,০০,০০০ জন।
৫. ১৯৭৩ ৩,৫২,০০,০০০(বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচন)
৬. ১৯৭৯ ৩,৮৪,০০,০০০(দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন) পুরুষ-২,০০,৩৪,৭১৭ ও নারী-১,৮৩,২৯,১৪১ জন।
৭. ১৯৮৬ ৪,৭৩,০০,০০০(তৃতীয় সংসদ নির্বাচন) পুরুষ ভোটার ছিল-২,৫২,২৪,৩৮৫ জন ও নারী-২,২৬,৫২,৫৯৪ জন।
৮. ১৯৮৮ ৪,৭৩,০০,০০০(৪র্থ সংসদ নির্বাচন) পুরুষ ভোটার ছিল-২,৬৩,৭৯,৯৪৪ জন ও নারী-২,৩৪,৮৩,৮৮৫ জন।
৯. ১৯৯১ ৬,১৯,০০,০০০(৫ম সংসদ নির্বাচন) নির্বাচনের আগে হালনাগাদ তালিকায় পুরুষ-৩,৩০,৪০,৭৫৭ জন ও নারী-২,৯১,৪০,৯৮৬ জন।
১০. ১৯৯৬ ৫,৬০,০০,০০০(১৫ ফেব্রæয়ারি ৬ষ্ঠ সংসদ নির্বাচন) পুরুষ ভোটার ছিল-২,৮৭,৫৯,৯৯৪ জন এবং নারী ভোটার ছিল-২,৭৯,৫৬,৯৪১ জন।
১১. ১৯৯৬ ৫,৬০,০০,০০০(১২ জুনের ৭ম সংসদ নির্বাচন) একই বছরের ১২ ফেব্রæয়ারির নির্বাচনের আগে হালনাগাদ তালিকায় পুরুষ-২,৩৭,৬৫,৭৫২ জন এবং নারী-২,৩২,৩৮,২০৪ জন।
১২. ২০০১ সালের ৩০ জুন হালানাগাদ করা- ৭,৭৪,২৭,৭৭১(০১-১০-২০০১ ৮ম সংসদ) ২০০১ সালের ৩০ জুন হালনাগাদ করা হলে ভোটারসংখ্যা। পুরুষ ভোটার ছিল-৩,৮৬,৮৪,৯৭২ জন এবং নারী ছিল-৩,৬৩,১৫,৬৮৪ জন। পুরুষ ভোটার ওই তালিকায় ২৩,৬৯,২৮৮ জন বেশি ছিল।
১৩. ০৭-০৯-২০০৬ তারিখের ভোটার তালিকা করেছিল বিএনপি ঃ ৯,৩০,৮২,৪৯৯ হাল নাগাদ দেশে ভোটার সংখ্যা। আর হাল নাগাদ বেড়েছে-১ কোটি ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার। একটি বিদেশী সংস্থা বলছে যে-১,২২,০০০০০(এক কোটি বাইশ লাখ ভোটার বেশী। বিদেশী সংস্থার মন্তব্য সঠিক প্রমাণিত।
১৪. ২০০৭ সালের জুন থেকে ১৫-১০-২০০৮ তারিখের মধ্যে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ করা হলো ২৭-১১-২০০৮ তারিখ পর্যন্ত ঃ দেশব্যাপী ছবিসহ ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন হলো-সারা দেশে মোট ৮(আট) কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৩ জন ছবি তুলেছেন ও ফরম পূরণ করেছেন। কিন্তু চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম এসেছে ৮(আট) কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৮ জন। অর্থাৎ ৭২ হাজার ২৭৫ জনের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ওঠেনি। তা ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা প্রায় ১৩ লাখ লোক এবার ভোট দিতে পারেনি। এর মধ্যে নারী-৪,১২,৩৬,১৪৯ জন, পুরুষ-৩,৯৮,২২,৫৪৯ জন, তরুণ ভোটার-১,৭০,০০,০০০ জন এবং নারী বেশি ১৪,১৩,৬০০ জন।
১৫. যোগ হয়েছে ৫০,০০,০০০ লাখ এবং মারা গেছে ২,০০০০০ লাখ ভোটার হালনাগাদের সময় ১৮-১০-২০০৯ তারিখ পর্যন্ত ছিল ৮,১১,৩০,৯৭৩ জন এর সাথে যোগ হবে আরও ৫০,০০,০০০ লক্ষ। মোট ভোটার সংখ্যা-৮,৬১,৩০,৯৭৩ জন। ঢাকা সিটি করপোরেশন-এ হালনাগাদে ভোটার বেড়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৮১ জন। ডিসিসি নির্বাচনে ভোট দেবেন ৩৭ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪ জন। চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ (০৪-০২-২০১০)।
১৬. ০১-০২-২০১৩ তারিখ প্রথম আলোর রিপোর্ট ঃ ৯ কোটি ২১ লাখ ২৯ হাজার ৮৬২ জন ভোটার। সর্বশেষ হিসাব-৪ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ৮৭১ জন পুরুষ এবং ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৮১ জন নারী।
১৭. ২৬-১১-২০১৩ তারিখের প্রথম আলো ঃ ৩০০ আসন ঃ ৯(নয়) কোটি ১৯(উনিশ) লাখ ৬৬(সিসট্টি) হাজার ২৯০(দুইশত নব্বই) জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ-৪(চার) কোটি ৬১(একসট্টি) লাখ ২৩ হাজার ৩১৮(তিনশত আঠর) জন এবং মহিলা-৪(চার) কোটি ৫৮(আঠান্ন) লাখ ৪২(বিয়াল্লিশ) হাজার ৯৭২(নয়শত বাহাত্তর) জন ভোটার।  ঢাকায় ভোটার সংখ্যা-৭২ লাখ-২০টি আসনে। ১৪৭টি আসনে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন ভোটারের ভোট হবে।
১৮. ০১-০২-২০১৬ তারিখের প্রথম আলো: হালনাগাদের পর বর্তমানে দেশের ভোটারসংখ্যা ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার ৩৬২ জন(৫০ দশমিক ৩৭ শতাংশ) ও নারী ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৯১ জন(৪৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ)। হালনাগাদ সময় ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭১ জন মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকার যাত্রা শুরু হয়। তখন দেশের ভোটারসংখ্যা ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি। নাম নতুন ভোটার হলেন ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৯২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৫ জন আর মহিলা ২১ লাখ ২৩২ জন। এর ফলে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে-৯ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ-৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার ১০ জন এবং ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৪২ জন নারী ভোটার। হালনাগাদের আগে ভোটার সংখ্যা ছিল-৯ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৫৩১ জন। হালনাগাত ভোটারসংখ্যা-১০ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ৬০৯ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *