বাংলাদেশের বাজেট সম্পর্কিত ১৬-১২-১৯৭১ সাল থেকে ২০১৫-২০১৬ সাল পর্যন্ত

১. ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আয়-৪৮.৫২(আটচল্লিশ কোটি বায়ান্ন লক্ষ) টাকা, রাজস্ব ব্যয় ৯৯.১৩(নিরানব্বই কোটি তের লক্ষ) টাকা, রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৫০.৬১(পঞ্চাশ কোটি একষট্টি লক্ষ) টাকা এবং উন্নয়ন বাজেট ১৫৮.৭৭(একশত আটান্ন কোটি সাতাত্তর লক্ষ) টাকা। রাজস্ব এবং উন্নয়ন বাজেট মিলিয়ে মোট ২৫৭.৯০(দুইশত সাতান্ন কোটি নব্বই লক্ষ) টাকা মাত্র। সামগ্রিক ঘাটতি ২০৯.৩৮(দইশত নয় কোটি আটত্রিশ লক্ষ) টাকা  নিয়ে স্বাধীন দেশের যাত্রা শুরু। ১৯৭১ সালে মাথাপিছু আয় ছিল-১২৯(একশত উনত্রিশ) মার্কিন ডলার। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধনীর কাতারে ঃ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, হাসিনার সরকার বলেছিল-২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু সে লক্ষ্যমাত্রা ২০১৮ সালের মধ্যেই পূরণ হবে। এখন সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছে। এসব কথা বলে জনগণকে প্রতারণা করছে।
২. ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা, রাজস্ব আয়-২৮৫.৩৮(দুইশত পঁচাশি কোটি আটত্রিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২১৮.৪৩(দুইশত আঠার কোটি তেতাল্লিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৬৬.৯৫(সিষট্টি কোটি পঁচানব্বই লক্ষ) টাকা, উন্নয়ন বাজেট-৫০০.৯৮(পাঁচশত কোটি আটানব্বই লক্ষ) টাকা। রাজস্ব এবং উন্নয়ন বাজেট=৭৮৬.৩৬(সাতশত ছিয়াশি কোটি ছয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৫০০.৯৮(পাঁচশত কোটি আটানব্বই লক্ষ) টাকা। কৃষি উন্নয়ন খাতে ১০৩(একশত তিন কোটি) টাকা, সামরিক খাতে-৪৫(পঁয়তাল্লিশ কোটি) টাকা ও শিক্ষাখাতে-৪৩.৭২(তেতাল্লিশ কোটি বাহাত্তর লক্ষ) টাকা।
৩. ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরের বাজেট ঃ রাজস্ব আয়-৪১১.৩১(চারিশত এগার কোটি একত্রিশ লক্ষ) টাকা,  রাজস্ব ব্যয়-২৯৫.৩০(দুইশত পঁচানব্বই কোটি ত্রিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১১৬.০১(একশত ষোল কোটি এক লক্ষ) টাকা। সংশোদিত বাজেটে রাজস্ব আয়-৩৭৭.৩৬(তিনশত সাতাত্তর কোটি ছয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৩৬৪.৩৯(তিনশত চৌষট্রি কোটি উনচল্লিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১২.৯৭(বার কোটি সাতানব্বই লক্ষ) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৪৬৩.৬০(চারিশত চৌষট্রি কোটি ষাট লক্ষ) টাকা। রাজস্ব ব্যয়+উন্নয়ন বাজেট=৮৪০.৯৬(আটশত চল্লিশ কোটি ষাট লক্ষ) টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি-৪৬৬.২৪(চারিশত সিষট্টি কোটি চব্বিশ লক্ষ) টাকা। ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছর থেকে শুরু করে বিদায় ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট বৈদেশিক ঋণের দায় হিসেবে ৫২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে মোট ঋণের সুদ এবং আসল হিসেবে ফেরৎ দেয়া হয় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ওই সময়ে এক ডলারের মূল্যমান ছিল ৭.৯৬ টাকা।
৪. ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরের বাজেট ঃ (১৯-০৬-১৯৭৪) রাজস্ব আয়-৪৭০.২৩(চারিশত সত্তর কোটি তেইশ লক্ষ) টাকা, প্রকৃত রাজস্ব ব্যয়-৩৬৪.৩৯(তিনশত চৌষট্টি কোটি উনচল্লিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১০৫.৮৪(একশত পাঁচ কোটি চুরাশি লক্ষ) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৫২৫(পাঁচশত পচিশ কোটি) টাকা। মোট বাজেট-১,০৮৪.৩৭(এক হাজার চুরাশি কোটি সাইত্রিশ লক্ষ) টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি-৬১৪.১৪(ছয়শত চৌদ্দ কোটি চৌদ্ধ লক্ষ) টাকা।
৫. ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরের বাজেট(২৩-০৬-১৯৭৫) রাজস্ব আয়-৭৫৫.৩৮(সাতশত পঁঞ্চান্ন কোটি আটত্রিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৫৯১.১৯(পাঁচশত একানব্বই কোটি উনিশ লক্ষ) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১৫৬.১৯(একশত ছাপ্পান্ন কোটি উনিশ লক্ষ) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৮৮৩(আটশত তিরাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৬৮৪(ছয়শত চৌরৈাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১৯৯(একশত নিরানব্বই কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৯৫০(নয়শত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১,৬৩৪ (এক হাজার ছযশত চৌত্রিশ কোটি) টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি-৭৫১(সাতশত একান্ন কোটি) টাকা।
৬. ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরের বাজেট(২৬-০৬-১৯৭৬) রাজস্ব আয়-৯৬৬(নয়শত ছিষট্রি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৭৬৮(সাতশত আষট্রি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১৯৮(একশত আটানব্বই কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-৯৬৬(নয়শত ছিষট্রি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৮২২(আটশত বাইশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১৪৪(একশত চৌচল্লিশ কোটি) টাকা। উন্ননয়ন বাজেট-১,১৪০(এক হাজার একশত চল্লিশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১,৯৬২(এক হাজার নয়শত বাষস্টি কোটি) টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি-৯৯৬(নয়শত ছিয়ানব্বই কোটি) টাকা।
৭. ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরের বাজেট ঃ (২১-০৬-১৯৭৭) রাজস্ব আয়-১,১৫৬(এক হাজার একশত ছাপ্পান্ন কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৯০৬(নয়শত ছয় কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২৫০(দুইশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-১,২৪৫(বারশত পয়তাল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,০৩৬(এক হাজার ছয়ত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২০৯(দুইশত নয় কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১,২০৩(বারশত তিন) কোটি টাকা, মোট বাজেট-২,২৩৯(বাইশশত উনচল্লিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৯৯৪(নয়শত চুরানব্বই কোটি) টাকা।
৮. ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৭৮) রাজস্ব আয়-১,৩৭৬(তেরশত ছিয়াত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,০৫৩(এক হাজার তিপ্পান্ন  কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বত্ত-৩২৩(তিনশত তেইশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১,৪৪৬(এক হাজার চারিশত ছয়চলি­শ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-২,৪৯৯(দুই হাজার চারিশত নিরানব্বই কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১,১২৩(একহাজার একশত তেইশ কোটি) টাকা।
৯. ১৯৭৯-৮০ অর্থবছরের বাজেট ঃ (১৩-০৬-১৯৭৯) রাজস্ব আয় ধরা হয়েছিল-১,৪২৪(এক হাজার চারিশত চব্বিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,১৯৪(এক হাজার একশত চুরানব্বই কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৬১৮(ছয়শত আঠার কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১,৪০৭(চৌদ্ধশত সাত কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,৩৪২(একহাজার তিনশত বিয়াল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৬৫(পঁয়ষট্টি কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-২,৩৩০(তেইশশত ত্রিশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৩,৬৭২(তিন হাজার ছয়শত বাহাত্তর কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-২,২৬৫(দুই হাজার দুইশত পঁয়ষট্টি কোটি) টাকা। ১৯৮০ সালে মাথাপিছু আয়-২২০ মার্কিন ডলার।১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮০ সালে মানে গত দশ বছরে ৭১ শতাংশ পরিবর্তন।
১০. ১৯৮০-৮১ অর্থবছরের বাজেট ঃ (১৪-০৬-১৯৮০) রাজস্ব আয়-২,১৯৩(দুই হাজার একশত তিরানব্বই কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,৪০৮(চৌদ্দশত আট কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৭৮৫(সাতশত পঁচাশি কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-২,৩৪৩(তেইশশত তেতাল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,৪৮২(এক হাজার চারিশত বিরাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৮৬১(আটশত একষট্টি কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-২,৩৬৯(দুই হাজার তিনশত উনসত্তর কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৪,৩০০(চার হাজার তিনশত কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১,৯৫৭(এক হাজার নয়শত সাতান্ন কোটি) টাকা।
১১. ১৯৮১-৮২ অর্থবছরের বাজেট ঃ (১৪-০৬-১৯৮১) রাজস্ব আয়-২,৭৬৭(দুই হাজার সাতশত ষাষট্টি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১,৬৬২(এক হাজার ছয়শত বাষট্টি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১,১০৫(এক হাজার একশত পাঁচ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-২,৭১৫(দুই হাজার সাতশত পনর কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৪,৬৭৭(চার হাজার ছয়শত সাতাত্তর কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১,৯১০(এক হাজার নয়শত দশ কোটি) টাকা।
১২. ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮২) রাজস্ব আয়-২,৭৬৮(দুই হাজার সাতশত আষট্টি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২,০৩৮(দুই হাজার আটত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৭৩০(সাতশত ত্রিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-২,৭১১(দুই হাজার সাতশত এসার কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২,১৪৭(দুই হাজার একশত সাতচল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫৬৪(পাঁচশত চৌষট্টি কোটি) টাকা।  উন্নয়ন বাজেট-৩,১২৬ কোটি টাকা, মোট বাজেট-৫,৯৭৩(পাঁচ হাজার নয়শত তেহাত্তর কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৩,২৬২(তিন হাজার দুইশত বাষট্টি কোটি) টাকা। ১৯৮৩ সালে মাথাপিছু আয় ১৭৫(একশত পঁচাত্তর) ডলার।
১৩. ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮৩) রাজস্ব আয়-৩,৩৯৬(তিন হাজার তিনশত ছিয়ানব্বই কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২,৪১৩(দুই হাজার চারিশত তের  কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৯৮৩(নয়শত তিরাশি কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৩,০৩৩(তিন হাজার তেত্রিশ কোটি) টাকা, প্রকৃত রাজস্ব ব্যয়-২,৫০৩(দুই হাজার পাঁচশত তিন কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫৩০(পাঁচশত ত্রিশ কোটি) টাকা, অন্যান্য আয়-৯০০(নয়শত কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৩,৫৮৫(তিন হাজার পাঁচশত পঁচাশি কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৬,০৮৮(ছয় হাজার অষ্টআশি কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৩,০৫৫(তিন হাজার পঁঞ্চান্ন কোটি) টাকা।
১৪. ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরের বাজেট ঃ (২৭-০৬-১৯৮৪) রাজস্ব আয়-৩,৩৭১(তিন হাজার তিনশত একাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২,৬০৫(দুই হাজার ছয়শত পাঁচ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৭৬৬(সাতশত সিষট্টি কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৩,৪৭৭(তিন হাজার চারিশত সাতাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২,৯৩০(দুই হাজার নয়শত ত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫৪৭(পাঁচশত সাতচল্লিশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৩,৩০৭(তিন হাজার তিনশত সাত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৬,২৩৭(ছয় হাজার দুইশত সাতত্রিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-২,৭৬০(দুই হাজার সাতশত ষাট কোটি) টাকা। ১৯৮৪-৮৫ অর্থ বছরে জীবন যাত্রার ব্যয়ভার শতকরা ১২ ভাগ বেড়েছিল। ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৩.৮০ শতাংশ ও লোকসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.০৮ শতাংশ।
১৫. ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮৫) রাজস্ব আয়-৩,৯৫১(তিন হাজার নয়শত একান্ন কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৩,৩১৩(তিন হাজার তিনশত তের কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪৪১(চারিশত একচল্লিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৪,০৭৩(চারি হাজার তেহাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৩,৪২১(তিন হাজার চারিশত একুশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৬৫২(ছয়শত বায়ান্ন কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৩,৭১৭(তিন হাজার সাতশত সতের কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৭,১৩৮(সাত হাজার একশত আটত্রিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৩,০৬৫(তিন হাজার পঁয়ষট্টি  কোটি) টাকা।
১৬. ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮৬) রাজস্ব আয়-৪,৮৪০(চার হাজার আটশত চল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৩,৭৪০(তিন হাজার সাতশত চল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১,১০০(এক হাজার একশত কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব বাজেটে আয় কমে দাড়ায়-৪,৭১৭(চারি হাজার সাতশত সতর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয় বেড়ে দাড়ায়-৩,৯৫৬(তিন হাজার নয়শত ছাপ্পান্ন কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৭৬১(সাতশত একষট্টি কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৪,৭৬৪(চারি হাজার সাতশত চৌসট্টি কোটি) টাকা এবং সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট-৪,৫১৩(চারি হাজার পাঁচশত তের কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৮,৪৬৯(আট হাজার চারিশত উনসত্তর কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৩,৭৫২(তিন হাজার সাতশত বায়ান্ন কোটি) টাকা।
১৭. ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮৭) রাজস্ব আয়-৪,৯১৫(চার হাজার নয়শত পনর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৪,৪৮১(চার হাজার চারিশত একাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪৩৪(চারিশত চৌত্রিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৫,১৪৬(পাঁচ হাজার একশত ছয়চল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৪,৭৩০(চার হাজার সাতশত ত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪১৬(চারিশত ষোল কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৪,৬৫১(চারি হাজার ছয়শত একান্ন কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৯,৩৮১(নয় হাজার তিনশত একাশি কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৪,২৩৫(চার হাজার দুইশত পঁয়ত্রিশ কোটি) টাকা।
১৮. ১৯৮৮-৮৯ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৮৮) রাজস্ব আয়-৬,১৭২(ছয় হাজার একশত বাহাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৫,২৫০(পাঁচ হাজার দুইশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৯২২(নয়শত বাইশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৫,৮২২(পাঁচ হাজার আটশত বাইশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৬,১৭০ (ছয় হাজার একশত সত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে-(-) ৩৪৮(তিনশত আটচল্লিশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৫,৩১৫(পাঁচ হাজার তিনশত পনের কোটি) টাকা। সংশোধিত এডিপিতে-৪,৫৯৫(চার হাজার পাঁচশত পঁচানব্বই কোটি) টাকা। মোট বাজেট-১০,৭৬৫(দশ হাজার সাতশত পঁয়সট্টি কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৪,৯৪৩(চার হাজার নয়শত তেতাল্লিশ কোটি) টাকা।
১৯. ১৯৮৯-৯০ অর্থবছরের বাজেট ঃ (১৬-০৬-১৯৮৯) রাজস্ব আয়-৭,৯০৪(সাত হাজার নয়শত চার কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৬,৯০০(ছয় হাজার নয়শত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১,০০৪(এক হাজার চার কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৬,৭৭৮(ছয় হাজার সাতশত আটাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৬,৭৪০(ছয় হাজার সাতশত চলি­শ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩৮(আটত্রিশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৫,৮০৩(পাঁচ হাজার আটশত তিন কোটি) টাকা। সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়ায়-৫,১০২(পাঁচ হাজার একশত দুই কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১১,৮৪২(এগার হাজার আটশত বিয়াল্লিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৫,০৬৪(পাঁচ হাজার ছেষট্টি কোটি) টাকা। ১৯৯০ সালে ২৮১ মার্কিন ডলার।১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মানে গত দশ বছরে ২৮ শতাংশ পরিবর্তন।
২০. ১৯৯০-৯১ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯০) রাজস্ব আয়-৮,০৫০(আট হাজার পঞ্চাশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৭,৩০০(সাত হাজার তিনশত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৭৫০(সাতশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৭,৮২২(সাত হাজার আটশত বাইশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৭,৩১০(সাত হাজার তিনশত দশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫১১(পাঁচশত এসার কোটি) টাকা।  উন্নয়ন বাজেট-৬,১২৬(ছয় হাজার একশত ছাব্বিশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১৩,৪৩৬ (তের হাজার চারিশত ছয়ত্রিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৫,৬১৪(পাঁচ হাজার ছয়শত চৌদ্ধ কোটি) টাকা।
২১. ১৯৯১-৯২ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯১) রাজস্ব আয়-৮,৫০৩(আট হাজার পাঁচশত তিন  কোটি)টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৮,০৮৩(আট হাজার তিরাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪১৯(চারিশত উনিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৯,৫১৭(নয় হাজার পাঁচশত সতর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৭,৯০০(সাত হাজার নয়শত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-১,৬১৭(এক হাজার ছয়শত সতর কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৭,৫০০(সাত হাজার পাঁচশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১৫,৪০০(পনর হাজার চারিশত কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৫,৮৮৩(পাঁচ হাজার আটশত তিরাশি কোটি) টাকা।
২২. ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯২) রাজস্ব আয়-১০,৫৫৪(দশ হাজার পাঁচশত চুয়ান্ন কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৮,৫৫০(আট হাজার পাঁচশত পঞ্চাশ) কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২,০০৪(দুই হাজার চার কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১১,০৬০(এগার হাজার ষাট কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৮,৫১০ (আট হাজার পাঁচশত দশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২,৫৫০(দুই হাজার পাঁচশত পঁঞ্চাশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৮,১২১(আট হাজার একশত একুশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১৬,৬৩১(ষোল হাজার ছয়শত একত্রিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৫,৫৭১(পাঁচ হাজার পাঁচশত একাত্তর কোটি) টাকা।
২৩. ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৩) রাজস্ব আয়-১২,৩৩৫(বার হাজার তিনশত পঁয়ত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৯,৩০০(নয় হাজার তিনশত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩,০৩৫(তিন হাজার পয়ত্রিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১২,২৮০(বার হাজার দুইশত আশি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৯,১৫০ (নয় হাজার একশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩,১৩০(তিন হাজার একশত ত্রিশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-৯,৭৫০(নয় হাজার সাতশত পঞ্চাশ কোটি)টাকা। সংশোধিত এডিপি’র আকার-৯,৬০০(নয় হাজার ছয়শত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-১৮,৭৫০(আঠার হাজার সাতশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৬,৪৭০(ছয় হাজার চারিশত সত্তর কোটি) টাকা।
২৪. ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৪) রাজস্ব আয়-১৩,৬৩৭(তের হাজার ছয়শত সাইত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-৯,৯৪৮(নয় হাজার নয়শত আটচল্লিশ) কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩,৬৮৯(তিন হাজার ছয়শত উনানব্বই কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১৪,২১০(চৌদ্ধ হাজার দুইশত দশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১০,৩০০(দশ হাজার তিনশত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩,৯১০(তিন হাজার নয়শত দশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১১,০০০(এগার হাজার কোটি) টাকা। সংশোধিত এডিপি ছিল-১১,১৫০(এগার হাজার একশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-২১,৪৫০(একুশ হাজার চারিশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৭,২৪০(সাত হাজার দুইশত চল্লিশ কোটি) টাকা।
২৫. ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৫) রাজস্ব আয়-১৫,৪৫০(পনর হাজার চারিশত পঞ্চাশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১১,০৭০(এগার হাজার সত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,৩৮০(চার হাজার তিনশত আশি কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১৪,৫১২(চৌদ্ধ হাজার পাঁচশত বার কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১১,৮১৪(এসার হাজার আটশত চৌদ্ধ কোটি) টাকা,  রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২,৬৯৮(দুই হাজার ছয়শত আটানব্বই কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১২,১০০(বার হাজার একশত কোটি) টাকা এবং সংশোধিত এডিপি হল-১০,৪৪৭(দশ হাজার চারিশত সাতচল্লিশ কোটি) টাকা, মোট বাজেট-২২,২৬১(বাইশ হাজার দুইশত কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৭,৭৪৯(সাত হাজার সাতশত উনপঞ্চাশ কোটি) টাকা।
২৬. ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৬) রাজস্ব আয়-১৭,১২০(সতের হাজার একশত বিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১২,১০৩(বার হাজার একশত তিন কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫,০১৭(পাঁচ হাজার সতের কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১৭,১৪৫(সতের হাজার একশত পয়তাল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১২,৫৩৫(বার হাজার পাঁচশত পয়ত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,৬১০(চার হাজার ছয়শত দশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১১,৭০০(এসার হাজার সাতশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-২৪,২৩৫(চব্বিশ হাজার দুইশত পঁয়ত্রিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৭,০৯০(সাত হাজার নব্বই কোটি) টাকা।
২৭. ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৭) রাজস্ব আয়-১৯,৬২৪(উনিশ হাজার ছয়শত চব্বিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৪,৫৪৪(চৌদ্ধ হাজার পাঁচশত চুয়াল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫,০৮০(পাঁচ হাজার আশি কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১৮,৭৭৭(আঠার হাজার সাতশত সাতাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৪,৫০০(চৌদ্ধ হাজার পাঁচশত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,২৭৭ (চার হাজার দুইশত সাতাত্তর কোটি) টাকা।  উন্নয়ন বাজেট-১২,২০০(বার হাজার দুইশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-২৬,৭০০(ছাব্বিশ হাজার সাতশত কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-৭,৯২৩(সাত হাজার নয়শত তেইশ কোটি) টাকা। ১৯৯৮ সালের ১৪ মার্চে’র তথ্যানুযায়ীঃ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২৮৩ ডলার।
২৮. ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৮) রাজস্ব আয়-২০,৭৭৬(বিশ হাজার সাতশত ছিয়াত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৫,৯৩৭(পনের হাজার নয়শত সাইত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,৮৩৯(চার হাজার আটশত উনচল্লিশ কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেট, রাজস্ব আয়-১৯,৭০০(উনিশ হাজার সাতশত কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৬,৭৬৫(ষোল হাজার সাতশত পঁয়ষট্টি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২,৯৩৫(দুই হাজার নয়শত পঁয়ত্রিশ কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১৪,০০০(চৌদ্ধ হাজার কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৩০,৭৬৫(ত্রিশ হাজার সাতশত পঁয়ষট্টি কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১১,০৬৫(এগার হাজার পঁয়ষট্টি কোটি) টাকা। ১৯৯৮ সালের ৪ অক্টোবর, আঙ্কটাড রিপোর্ট-১৯৯৮ সালে প্রকাশিত ঃ বাংলাদেশে বাৎসরিক গড় পাথাপিছু আয় ৩২৮ ডলার।
২৯. ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-১৯৯৯) রাজস্ব আয়-২৪,১৫১ (চব্বিশ হাজার একশত একান্ন কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৭,৮০০(সতর হাজার আটশত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৬,৩৫১(ছয় হাজার তিনশত একান্ন কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-২১,৩৪৫(একুশ হাজার তিনশত পঁয়তাল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৮,৪৪৪(আঠার হাজার চারিশত চুয়াল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-২,৯০১(দুই হাজার নয়শত এক কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১৬,৫০০(ষোল হাজার পাঁচশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৩৪,৯৪৪(চৌত্রিশ হাজার নয়শত চুয়াল্লিশ কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১৩,,৫৯৯(তের হাজার পাঁচশত  নিরানব্বই কোটি) টাকা। ২০০০ সালে মাথাপিছু আয় ৩৫৬ মার্কিন ডলার। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালে ২৭ শতাংশ পরিবর্তন।
৩০. ২০০০-২০০১ অর্থবছরের বাজেট ঃ (৩০-৬-২০০০) রাজস্ব আয়-২৪,১৯৮(চব্বিশ হাজার একশত আটানব্বই কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-১৯,৬৩৩(উনিশ হাজার ছয়শত তেত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,৫৬৫(চার হাজার পাঁচশত পঁয়ষট্টি কোটি)  টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-২৪,১৭৩(চব্বিশ হাজার একশত তিয়াত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২০,৬৬২(বিশ হাজার ছয়শত বাষট্রি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৩,৫১১(তিন হাজার পাঁচশত এসার কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১৮,২০০(আঠার হাজার দুইশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৩৮,৮৬২(আটত্রিশ হাজার আটশত বাষট্টি কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১৪,৬৮৯(চৌদ্ধ হাজার ছয়শত উনানব্বই কোটি) টাকা। মাথাপিছু আয়-৩৭৭ ডলার
৩১. ২০০১-২০০২ বছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-২০০১) রাজস্ব আয়-২৭,২৩৯(সাতাশ হাজার দুইশত উনচল্লিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২২,০৩৮(বাইশ হাজার আটত্রিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫,২০১(পাঁচ হাজার দুইশত এক কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-২৭,৬৭০(সাতাশ হাজার ছয়শত সত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২২,৬৯২(বাইশ হাজার ছয়শত বিরানব্বই কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৪,৯৭৮(চার হাজার নয়শত আটাত্তর কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১৬,০০০ (ষোল হাজার কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৩৯,৪৯৫(উনচল্লিশ হাজার চারিশত পঁচানব্বই কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১১,৮২৫(এগার হাজার আটশত পঁচিশ কোটি) টাকা।
৩২. ২০০২-২০০৩ বছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-২০০২) রাজস্ব আয়-৩৩,০৮৪(তেত্রিশ হাজার চুরাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২৩,৯৭২(তেইশ হাজার নয়শত বাহাত্তর কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৯,১১২(নয় হাজার একশত বার কোটি) টাকা। সংশোধিত বাজেটে, রাজস্ব আয়-৩১,১২০(একত্রিশ হাজার একশত বিশ কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয় ২৫,৩০৭(পচিশ হাজার তিনশত সাত কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৫,৮১৩(পাঁচ হাজার আটশত তের কোটি) টাকা, অন্যান্য বাবদ আয়-১,৪৯৭(এক হাজার চারিশত সাতানব্বই কোটি) টাকা। উন্নয়ন বাজেট-১৭,১০০(সতর হাজার একশত কোটি) টাকা, মোট বাজেট ৪৩,৯০৪(তেতাল্লিশ হাজার নয়শত চার কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১২,৭৮৪(বার হাজার সাতশত চুরাশি কোটি) টাকা। (সংশোধিত বাজেট)। সংশোধিত বাজেট-৪৯,৩৬৭ কোটি। ২০০৩ সালের ১৯ জুনের ইত্তেফাক রিপোর্ট অনুসারে-দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০(দুইশত) কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। ২০০২ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৮.৫২ ভাগ। ২০০৩ সালে-মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৪১১ মার্কিন ডলার।
৩৩. ২০০৩-২০০৪ অর্থ-বছরের বাজেট ঃ (৩০-০৬-২০০৩), রাজস্ব আয়-৩৮,০৬৩ (আটত্রিশ হাজার চারিশত কোটি) টাকা, রাজস্ব ব্যয়-২৯,৭৮২(উনত্রিশ হাজার সাতশত বিরাশি কোটি) টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্ত-৮,২৮১(সাত হাজার ছয়শত ছিয়ানব্বই কোটি)  টাকা, উন্নয়ন বাজেট-১৯,৫৮৫(উনিশ হাজার কোটি) টাকা, মোট বাজেট-৪৯,৩৬৭ (উনপঁঞ্চাশ হাজার তিনশত সাষট্টি কোটি) টাকা এবং ব্যাংক ঋণ-১,৩০০(দুই হাজার ছয়শত তিন কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১১,৩০৪(এগার হাজার তিনশত চার কোটি) টাকা। ২০০৩ সালের ১২ জুন, সংসদে ৫১,৯৮০ কোটি টাকার বাজেট পেশ এবং আওয়ামীলীগের হরতাল পালন। সংশোধিত বাজেট-৪৯,৩৬৭ কোটি টাকা। ২০০৩ সালের ১৭ জুলাই, ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ঃ ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ-৭৪৯(সাতশত উনপঞ্চাশ) কোটি ডলার। ২০০৪ সালে রির্জাভ ছিল-২ হাজার ৭০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৩৪. ২০০৪-২০০৫ অর্থ-বছরে সংশোধিত বাজেটে সর্বসাকুল্যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫,৬৩২ কোটি টাকা। বাজেট(৩০-০৬-২০০৪) ঘোষণা। প্রস্তাবিত বাজেট মোট রাজস্বপ্রাপ্তি ধরা হয়েছিল-৪১,৩০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ২১শ’ কোটি টাকা কম। এরমধ্যে বৈদেশিক অনুদান ১,৮৮৯ কোটি টাকা এবং রাজস্ব আদায় ৩৯,২০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০,৫১৮ কোটি টাকা। রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ ১০,৭৮২ কোটি টাকা। তবে সামগ্রিকভাবে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ অনুদান বাদে ১৪,০৫৯ কোটি টাকা। এ ঘাটতি যোগান দেয়া হবে বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ে। প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেট-২২,০০০(বাইশ হাজার কোটি) টাকা। সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট-২০,৫০০/- কোটি টাকা। মোট বাজেট-৫৫,৩৬৬(পঁঞ্চান্ন হাজার তিনশত সিসট্টি কোটি) টাকা। এবং ব্যাংক ঋণ-২,৪৭০(দুই হাজার চারিশত সত্তর কোটি) টাকা, সামগ্রিক ঘাটতি-১৪,০৫৯(চৌদ্দ হাজার উনষাট কোটি) টাকা। ২০০৩-২০০৪ অর্থ-বছরের তুলনায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী ২০০৪-২০০৫ অর্থ-বছরে প্রায় ১৬ শতাংশ বেশী। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর ৫৫.৫ শতাংশ আসবে নিজস্ব সম্পদ থেকে, বাকি ৪৪.৫ শতাংশ পাওয়া যাবে বৈদেশিক সাহায্য বা ঋণ হিসেবে। প্রবৃদ্ধি হবে-৫.৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৬.৩২ ভাগ। এ বিল পাসের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ ২০০৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য ৭২ হাজার ৭শ’ ৫২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যায়ের অনুমোদন দেয়। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫.৯৬ ভাগ। ২০০৪ সালের ১ জুলাই, জাতীয় সংসদে ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরের বাজেট পাস-সংসদ রিপোর্টার ঃ এ বিল পাসের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ ২০০৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য ৭২ হাজার ৭শ’ ৫২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যায়ের অনুমোদন দেয়। ২০০৪ সালের ২ জুলাই, সাজ্জাদ আলম খান ঃ ২০০৪-২০০৫ নতুন অর্থবছরে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি-৮৫৬ কোটি ডলার রফতানী আয় প্রাক্কলন। মিশনগুলোকে বেঁধে দেয়া হবে লক্ষ্যমাত্রা ঃ ব্যর্থ কর্মকর্তা হবেন তিরস্কৃত। ২০০৪ সালের ১৬ আগষ্ট, সুলতান মাহমুদ ঃ বন্যার পরও দেশের অর্থনীতি আপন শক্তিতে গতিশীল-রিজার্ভ ৮ বছরের মধ্যে শীর্ষে ৩০৪ কোটি ডলার, রফতানী আয় ১৬ শতাংশ ও রেমিট্যান্স ১০ শতাংশ বৃদ্ধি। ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকায়-মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ ২০০৪-২০০৫ সালের অর্থবছরে ভারত ও চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ২০ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। ২০০৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, ইনকিলাব পত্রিকায় মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঃ ১১-শতাংশ বাড়িয়ে রফতানী লক্ষ্যমাত্রা ৯৫৯ কোটি ৯২ লাখ ডলার করা হচ্ছে-তালিকায়  অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কিছু নতুন পণ্য। মাথাপিছু আয় ২৮,৪৩০ টাকা বা ৪৭০ ডলার।
৩৫. ২০০৫-২০০৬ অর্থ-বছরের জন্য রাজস্ব আয়-৪৫,৭২২ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ সময়ে সংশোধনী এনে করা হয় ৪৪,৮৬৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব ব্যয়-৩৪,৪৫৬ হাজার কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ-৭,৬৪০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেট-২৪,৫০০ হাজার  কোটি টাকা। সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট-২১,৫০০ কোটি টাকা। মোট বাজেট এর পরিমাণ-৫৯,৫০১ কোটি টাকা বাজেট থেকে ৪,৮৮২ কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। সামগ্রিক ঘাটতি-১৬,৮৬০ কোটি টাকা। মাথাপিছু আয়-৫৪৩ ডলার। সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষাখাতে-৯,৬৮৬ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষাখাতে-৪,১৬৮ কোটি টাকা। এডিপি’র ৫২ ভাগ স্থানীয় অর্থে। সামাজিক বেষ্টনী বিস্তৃত। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য  ৬.৯ শতাংশের বেশী ধরা হয়েছে। বাজেটের চেয়েও কালো টাকা বেশী-৮০ হাজার কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ১ বছরের জন্য বহাল। করের আওতা বৃদ্ধি। উচ্চাভিলাষী রাজস্ব লক্ষ। ২০০৫-২০০৬ অর্থ-বছরের সব কার্য নির্বাহের(১ জুলাই, ২০০৫ হতে ৩০ জুন, ২০০৬ পর্যন্ত সময়ের) জন্য-৭৬,৫৪৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্ধের জন্য ৩০ জুন, ২০০৬ পর্যন্ত জাতীয় সংসদ সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে। এবার ১৫ লক্ষ লোক বয়স্ক ভাতা পাবেন। একজন মাসিক-১৮০/-টাকা করে বছরে পাবেন-২,১৬০/-টাকা মাত্র। আর ১৫ লক্ষ লোক পাবেন বছরে-৩২৪ কোটি টাকা। দায়মুক্ত ব্যয় বরাদ্ধ করা হয় ৪টি সাংবিধানিক খাতে। এসব হচ্ছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রীম কোর্ট। এ চারটি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৯০ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। মঞ্জুরি বাবদ রাখা হয়েছে-৬৮ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬.৬৩ ভাগ। ২০০৫ সালের ২৮ জুন, ইনকিলাব রিপোর্টঃ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়েও রাজনীতি। ডলার সংকটে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ বিলিয়ন ডলারের উপরে রাখাই যেন নির্দেশ। ২০০৬ সালের ৩ জুন, সালাহউদ্দিন বাবলু ঃ বাজেটে রাজস্ব ব্যয় বাড়লেও উন্নয়ন ব্যয় বাড়েনি। গত ১০ বছরে মাথাপিছু ঋণের বোঝা দ্বিগুণ হয়েছে। ১৯৯৬-৯৭ সালে মাথাপিছু রাষ্ট্রের ঋণ যেখানে ছিল-৬২১.৫৩ টাকা, সেখানে চলতি (২০০৫-২০০৬ সালের অর্থবছরে) মাথাপিছু ঋণ-১,১৬৪.২৩ টাকা। ২০০৬ সালের ১৮ আগষ্ট, চলতি ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে রফতানী আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮৭ হাজার ৫শ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের প্রকৃত রফতানী আয় থেকে প্রায় ২০০ কোটি ডলার বা ১৮.৭৫% বেশী।
৩৬. ২০০৬-২০০৭ অর্থ-বছরের জন্য প্রস্তাবিত রাজস্ব আয়-৫২,৫৪২ কোটি টাকা (সংশোধিত রাজস্ব আয় হলো-৪৯,৪৭২ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় বেড়ে-৪৪,৫০৪ কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ-৪,৯৬৮ কোটি টাকা।) এরমধ্যে রাজস্ব ব্যয়-৪২,২৮৬ হাজার কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ-৫,১৬৬ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেট-২৬,০০০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদের পরিমাণ ১৪ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে ২১,৬০০(একুশ হাজার ছয়শত) কোটি টাকা। কিন্তু সাংবিধানিক বিভিন্ন দফতরের ব্যয়, বৈদেশিক ও  অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গৃহীত ঋণের মূল অংশ এবং খাদ্য হিসাবের ফেরতযোগ্য ব্যয় মিলিয়ে মূল বাজেটের তুলনায় নির্দিষ্টকরণ বিলের আকার ১,৮৯৯,২৭,৩৬,০০০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সামগ্রিক ঘাটতি-১৭,১৯৯ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষাখাতে-১০,৯০০ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষাখাতে-৪,৯০০ কোটি টাকা। এডিপি’র ৫২ ভাগ স্থানীয় অর্থে। সামাজিক বেষ্টনী বিস্তৃত। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৭ শতাংশের বেশী ধরা হয়েছে। বাজেটের চেয়েও কালো টাকা বেশী-৯০ হাজার কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ১ বছরের জন্য বহাল। করের আওতা বৃদ্ধি। উচ্চাভিলাষী রাজস্ব লক্ষ। ২০০৬-২০০৭ অর্থ-বছরের সব কার্য নির্বাহের(১লা জুলাই, ২০০৬ হতে ৩০ জুন, ২০০৭ পর্যন্ত সময়ের) জাতীয় সংসদ সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে ৩০ জুন, ২০০৭ পর্যন্ত সময়ের জন্য সর্বমোট-৮৮,৭৩২ কোটি ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমোদন। এবার ১৫ লক্ষ লোক বয়স্ক ভাতা পাবেন। একজন মাসিক-১৮০/-টাকা করে বছরে পাবেন-২,১৬০/-টাকা মাত্র। আর ১৫ লক্ষ লোক পাবেন বছরে-৩২৪ কোটি টাকা। দায়মুক্ত ব্যয় বরাদ্ধ করা হয় ৪টি সাংবিধানিক খাতে। এসব হচ্ছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রীম কোর্ট। এ চারটি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৪৪৬ কোটি ৯০ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। মঞ্জুরি বাবদ রাখা হয়েছে-৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। প্রতি বছর জাতীয় বাজেটের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ টাকাই চলে যাচ্ছে এ বিদেশী ঋণ পরিশোধ করতে। অথচ এ ঋণের টাকা লুটপাট ও অপচয় ছাড়া সাধারণ মানুষ-এর বিপরীতে কিছুই পায়নি। বাজেট ২০০৬-২০০৭ সালে এনবিআর রাজস্ব-৪১,০৫৫ কোটি টাকা+নন এনবিআর রাজস্ব-১,৮৬০ কোটি টাকা+নন ট্যাক্স রেভিনিউ-৯,৬২৭ কোটি টাকা। মোট বাজেট ধরা হয়েছিল-৫২,৫৪২ কোটি টাকা। সম্ভাব্য সংশোধিত বাজেট-৩৭,৮৪৪ কোটি টাকা+নন এনবিআর রাজস্ব-১,৭৪৬ কোটি টাকা+নন ট্যাক্স রেভিনিউ-৯,২৬৭ কোটি টাকা। মোট সংধোধিত বাজেট-৪৯,২১৭ কোটি টাকা। বাজেট থেকে কাটা হচ্ছে-৩,৩২৫ কোটি টাকা। ২০০৬-২০০৭ সালে প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৬ শতাংশ। জিডিপি-৪,৬৭,৫০০ কোটি টাকা হয়েছে-২০০৬-২০০৭ সালে। চলতি অর্থবছরে রফতানী আয় ধরা হয়েছিল-৯,৯৯০ মিলিয়ন ডলার বাস্তবে আয় হয়েছে-৯,৯১২ মিলিয়ন ডলার। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে আমদানির ঋণপত্র স্থাপন করা হয়েছিল ১,৭১৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিলঃ ৫২৩ ডলার এবং মোট উৎপাদন ছিলঃ ৪,৭২,৪৭,০০০০০০০ টাকা। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬.৪৩ ভাগ। ২০০৭ সালের ১৭ অক্টোবর, চলতি অর্থবছরের রপ্তানির লক্ষ্য ১,৪৫০ কোটি ডলার।
৩৭. ২০০৭-২০০৮ অর্থ-বছরের জন্য প্রস্তাবিত রাজস্ব আয় ধরা হয়েছিল-৬১,৫৫৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাজস্ব ব্যয়-৪৮,৩৮৯ হাজার কোটি টাকা, রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ-৮,৯১২ কোটি টাকা। সংশোধিত রাজস্ব আয় হয়েছে-৬৪,৯২৭ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেট-২৬,৫০০ হাজার কোটি টাকা ও এডিপিবহির্ভূত কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী বাবদ-৪৬৪ কোটি টাকাসহ উন্নয়ন বাজেট হলো-২৬,৯৬৪ কোটি টাকার মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৯১২ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা এবং ব্যাংক ঋণ-৭,২৫৩ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপি ২২,৫০০ কোটি টাকা। মোট বাজেট অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন-৭৯,৬১৪ কোটি টাকা। সরকারের উপর অর্পিত দায়(বিপিসি থেকে উদ্ভুত)-৭,৫২৩ কোটি টাকাসহ(৩০ জুন, ২০০৭ সাল হতে সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে ৩০ জুন, ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য সর্বমোট-৮৭,১৩৭ কোটি টাকার বাজেট ব্যয়ের অনুমোদন)। মোট ঘাটতি ২২,৩১৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণ-এর সুদ গুণতে হবে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। কর ব্যতীত প্রাপ্তি-বৈদেশিক অনুদান/১ (বিবরণী-৫)-৪,২৫৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়-৫৭,৩০১+৪,২৫৫=৬১,৫৫৬। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ শতাংশ। শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ-১২,১৪০ কোটি টাকা। ইসি সচিবালয়ের বরাদ্দ ৫৩৬ কোটি সাড়ে ৫৭ লাখ টাকা। ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা নির্বাচনী প্রস্তুতি ও ইসি ভবন খাত। বাজেটে অর্থনৈতিক ৭টি চ্যালেঞ্জ-যেমন ঃ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিমীলতা বজায় রাখা, প্রবৃদ্ধির গতিধারাকে ত্বরান্বিত করা, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, ব্যক্তিখাত চালিত প্রবৃদ্ধির বাধাগুলোকে দূর করা, দারিদ্র কমিয়ে আনা, অঞ্চল ও শ্রেণীভিত্তিক আয় সমতা তৈরী করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তোলা। করমুক্ত আয়ের সীমা দেড় লাখ টাকা। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে-৩,৮৩২ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ-৯,৪৬৪ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণের সুদ-১,৩২১ কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ-৪,০৯৮ কোটি টাকা। জিডিপি-৫,৩০,৩০০ কোটি টাকা হবে ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে। গত বছরের তুলনায় অনুন্নয়ন ব্যয় ১৭ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হলেও উন্নয়ন ব্যয় বেড়েছে মাত্র-৫০০ কোটি টাকা। গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় ২০ হাজার ৩০১ কোটি টাকার বেশী বাজেট যথেষ্ট মাত্রায় উচ্চ প্রস্তাবনা। সরকার কর্মসংস্থান খাতে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মসূচী দেয়নি। দেশের ৬৫ ভাগ মানুষের এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই অথচ বলা হচ্ছে ‘২০২০ সালে সবার জন্য বিদ্যুৎ’। বাজেট বাংলাদেশের-বিজয় বিশ্বব্যাংকের। শুল্ক কাঠামোর ওপর-নীচ দুদিক থেকেই লাভবান বিশ্বব্যাংক। মাত্র ২০ কোটি ডলার বা ১,৪০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে (ডিএসসি-ফোর ক্রেডিট) বিশ্বব্যাংক এবারের বাজেট থেকে নগদ ৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক, ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ যেসব উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের কোম্পানিগুলোর স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে। সরকার এবারের বাজেটে যেখানে গরিব কৃষকের জন্য ২২শ’ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেখানে বিদেশী ধনিক গোষ্ঠীর জন্য এর প্রায় আড়াইগুণ মানে ৫ হাজার কোটি টাকা নগদ ভর্তুকি দিচ্ছে। এরজন্য আমরা মুদির দোকানদার ও দর্জির দোকানদারে পরিণত হব এবং আমাদের মিল-ফ্যাক্টরীগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের অভ্যন্তরীণ দেনার স্থিতি আগামী বছর দাঁড়াবে লক্ষ কোটি টাকা।  ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে সরকারের ঋণ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে গত ১১ জুন, ২০০৭ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণ স্থিতি ৩৩ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে কমপক্ষে ৪৩ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে ঘাটতি মোকাবিলা করে। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে বাজেটে ব্যাংক থেকে ১৯,২৭৬ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।  ১২৭টি পণ্য পাচ্ছে শূন্য শুল্ক সুবিধা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরের যাত্রা শুরু হলো অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৫০৬ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার নিয়ে। অর্থনীতিতে বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব নিয়ে সমুন্নয়ের পূর্বাভাস। প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের পরিবর্তে ৬.২ শতাংশ। ২০০৭-২০০৮ সালের সংশোধিত বাজেট-৯৩,৬০৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এবং ঘাটতি হয়েছে ২৫,৫৪৬ কোটি টাকা। তবে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫.৬৩ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬.১৮ শতাংশে দাঁড়ায়। জিডিপি ২০০৭-২০০৮ সালে ধরা হয়েছিল ৫,৩০,৩০০ কোটি টাকা কিন্তু হয়েছে ৫,৪১,৯১৮ কোটি টাকা এবং মাথাপিছু আয় হল-৫৯৯ ডলার। মহিলারা ঘরে-বাইরে যে কাজ করে তাঁরা উৎপাদন করে বছরে ৯,১০০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস এবার ৫.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে বেশি। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে আমদানি ব্যয প্রায় ২ হাজার ১৬২ কোটি ডলার। বাণিজ্য ঘাটতি বড় আকার ধারণ করেছে এবং বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৪.৬৩%। ঘাটতির পরিমাণ-২৫ হাজার ৭৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকগুলোয় মোট ১,৪৪০ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের আমদানি ঋণপত্র স্থাপন করা হয়েছিল। গত অর্থবছরে রপ্তানি আয় ধরা হয়েছিল-১,৪৫০ কোটি ডলার, প্রকৃত রপ্তানি আয় হয়েছে-১,৪১১ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি ১৬%। লক্ষমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম, শীর্ষে রয়েছে নিট পোশাক। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬.১৯%। ২০০৭-২০০৮ সালে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৬১১ কোটি ৬২ লাখ ডলার।
২০০৮ সালের ৩০ এপ্রিল, ৫২,৮৮১(বায়ান্ন হাজার আটশত একাশি) কোটি ৮১(একাশি) লক্ষ ২৯(উনত্রিশ) হাজার ৩৯৫(তিনশত পঁচানব্বই) টাকার কাগুজি নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসু করেছে। এরমধ্যে ৩১,৯৪৯(একত্রিশ হাজার নয়শত উনপঁঞ্চাশ) কোটি ২০(বিশ) লক্ষ ৯৫(পঁচানব্বই) হাজার ২৭৫(দুইশত পঁচাত্তর) টাকার কাগুজি নোট বাজারে চালু আছে। ১ টাকার কয়েন চালু আছে ৮০(আশি) কোটি টাকার, ২ টাকার কয়েন চালু আছে ২০(বিশ) কোটি টাকার এবং ৫ টাকার কয়েন চালু আছে ৫৫(পঁঞ্চান্ন) কোটি টাকার।
৩৮. ২০০৮-২০০৯ অর্থ-বছরের বাজেটে মোট কর রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-৬৯,৩৮২ কোটি টাকা এবং মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-৭৫,৭২৮ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে-৬৬,৭৫৩ কোটি টাকা। রাজস্ব উদ্ধৃত্ত-৮,৯৭৫ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে-২৫,৬০০ কোটি টাকা। মোট খরচ হবে-৯৯,৯৬২ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেট ৯৪,১৪০ হাজার একশত চল্লিশ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাজস্ব আয়-৭৪,১০৯ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় ৬৭,১২৫ হাজার একশত পঁচিশ কোটি টাকা এবং সংশোধিত উন্নয়ন ব্যয় ২৩,০০০(তেইশ হাজার) কোটি টাকা। ২০০৮-২০০৯ সালে জিডিপি ধরা হয়েছিল-৬,১৩,১১১ কোটি টাকা এবং সংশোধিত জিডিপি-৬,১৪,৯৪৩ কোটি টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ঃ (জিডিপির শতকরা হার ৪ শতাংশ)। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সংশোধিত ঘাটতি বাজেট ২৪,৯৬০ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে ১৭ লাখ টন আমদানি ও ১৫ লাখ টন খাদ্যশস্য অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা থাকবে। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন করার জন্য ৫৪৮ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে। কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ ১৬.৪%। জাতীয় বাজেট ২০০৮-২০০৯-এর টাকা আসবে কোথা থেকেঃ জাতীয় রাজস্ব-বোর্ড নির্ধারিত কর-৫৪.৫%, বৈদেশিক অনুদান-৬.৪%, বৈদেশিক ঋণ-৭.২%, অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন-১৭.০%, কর ব্যতীত প্রাপ্তি-১২.৬% ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-বহির্ভূত-২.৩%। বাজেটের হিসাব-নিকাশঃ ব্যয় হবে কোথায়-সুদ-১২.৬%, শিক্ষা ও প্রযুক্তি-১২.৩%, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-১১.৩%, কৃষি-৯.১%, জন প্রশাসন-৯.১%, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ-৮.২%, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-৭.৩%, প্রতিরক্ষা সার্ভিস-৬.৪%, পরিবহন ও যোগাযোগ-৬.১%, স্বাস্থ্য-৫.৯%, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-৫.৬%, কতিপয় অনুন্নয়ন বিনিয়োগ-০.৯% এবং অন্যান্য-৫.২%। সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২০% মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা। আগামী অর্থবছরে সাড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য। প্রতিরক্ষা খাতে ৭,৯৬৭ কোটি টাকা বরাদ্ধ এবং সংশোধিত বরাদ্দ-৮,১৯৬ কোটি টাকা। বছরে ১০০ দিন কর্মসংস্থান হবে ২০ লাখ লোকের। চলতি অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১৬৪০ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি ১৬.৫%। গত অর্থবছরের চেয়ে ১৫% বেশি পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত হয়েছে ১,৬২৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার (২০০৮-২০০৯) অর্থবছরে নির্ধারণ করা হয়েছে। করমুক্ত আয় ছিল ১,৬৫,০০০ টাকা। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫.৯ ভাগ। বিবিএস চলতি অর্থবছর মাথাপিছু জিডিপি প্রাক্কলন করেছে ৪২ হাজার ৬৩৮ টাকা বা ৬২১ ডলার। আর মাথাপিছু আয়(জিএনআই) হয়েছে ৪৪ হাজার ৮৬ টাকা বা ৬৯০ ডলার। ২০০৮-২০০৯ অর্থ-বছরে সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট-২৩,০০০ কোটি টাকার ৮৬% বাস্তবায়ন করা হয়েছে মানে ১৯,৬৬৮ কোটি টাকা। দেশে বিনিয়োগযোগ্য সঞ্চয় কত-সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে চলতি মূল্যে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পরিমাণ ছয় লাখ ১৪ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। আর একই সময়ে জাতীয় সঞ্চয়ের হার জিডিপির ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ হিসাবে জাতীয় সঞ্চয়ের পরিমাণ এক লাখ ৯৯ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে মোট বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ বিনিয়োগের পরিমাণ এক লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মধ্যে এখনো ৫০ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা বিনিয়োগযোগ্য সঞ্চয় পড়ে আছে। এ অর্থ বিনিযোগে আনা যাচ্ছে না। ০৭-০৯-০৯ ও ২০০৮ সালের ৬ মে, বাজেট ও বাণিজ্য ঘাটতিতে রেকর্ড সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৮৭,১৩৭ কোটি টাকা। ঘাটতি হবে প্রায় ১৬,০০০ হাজার কোটি টাকা এবং আগামী ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ১,০৩,০০০ কোটি টাকার মত। ২০০৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫৯০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালের ২২ জুলাই, সমকাল পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশের নারীরা বছরে গৃহে ৯,১০০ কোটি ডলারের শ্রম দেয়। আর বাংলাদেশের জাতীয় আয় ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে ৭,৯৭০ কোটি ডলার।
৩৯. নির্বাচনী ইশতেহার মাথায় রেখে আসছে বাজেট। ২০০৯-২০১০ অর্থ-বছরের বাজেটে মোট কর রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-৮৪,৫৯১ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে-৮৩,৩১৯ কোটি টাকা তা থেকে কমিয়ে ৮২,০২৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে-৩০,৫০০ কোটি টাকা। সংশোধীত এডিপি ২৮,৫০০ কোটি টাকা হতে পারে। মোট উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যা-১,০৫৮টি। (মোট খরচ হবে-১,১৩,৮১৯ কোটি টাকা বা ১,৬৭৪ কোটি ডলার এবং মোট ঘাটতি হবে-৩৪,৩৫৮ কোটি টাকা বা বাজেটের ২৬.৬৭ ভাগ ঘাটতি।) সংশোধিত বাজেট ১,১০,৫২৩ কোটি টাকা (যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৬ শতাংশ) আর সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ৩১,০৩৯ কোটি টাকা। বাজেটে এবার বিদেশী ঋণ শোধ করা হবে ৫,৯৫০ কোটি টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ঃ (জিডিপির শতকরা হার ৪.৫ শতাংশ)। করমুক্ত আয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। কালো টাকা সাদা করা চালু রাখার প্রস্তাব তিন বছরের জন্য (২০০৯ সালের জুলাই থেকে ৩০ জুন ২০১২ সাল পর্যন্ত)। বৈধ টাকা অবৈধ দেখালেই লাভ। বৈধ ৫০ লাখ টাকা হলে কর দিতে হবে-১২.৫০ সাড়ে বার লক্ষ টাকা আর অবৈধ ৫০ লাখ দিয়ে ১০০ বর্গমিটারের একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনলে প্রতি বর্গমিটার ৮০০ টাকা হারে কর দিলেই তা বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়া হবে। এ পর্যন্ত ৩৮টি বাজেট ঘোষিত হয়েছে এবং কালো টাকা সাদা করার ৮(আট) বার সুযোগ দিয়েছে। নতুন সংযোজন পিপিপিঃ প্রতিবারই তা ছিল দুই ভাগে বিভক্ত-রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেট। প্রথমবারের মতো আগামী বাজেট হচ্ছে তিন পর্যায়ে-রাজস্ব, উন্নয়ন ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) বাজেট। প্রবৃদ্ধির হার ৫.৮ শতাংশের বেশি হবে না (অর্থমন্ত্রী) কিন্তু প্রবৃদ্ধি হয়েছে-৫.৫৪ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার থাকবে ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে না মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। * বিনিয়োগ ঘাটতি পূরণে পিপিপি বরাদ্দ থাকছে ২৫০০ কোটি টাকা। * ৭৮ উপজেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীতে থাকবে ১১৭৬ কোটি টাকা। * কৃষি গবেষণায় ২৩৮ কোটি ও সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। * মন্দা মোকাবিলায় বরাদ্দ থাকছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের জন্য পণ্য ও সেবা মিলিয়ে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬,৮৬,৭৩০ কোটি টাকা কিন্তু জিডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে বাজেটে ঘাটতি থাকবে জিডিপির পাঁচ শতাংশ। বাজেট ২০০৯-২০১০ টাকা আসবে কোথা থেকে-বৈদেশিক অনুদান-৪.৫ ভাগ, বৈদেশিক ঋণ-৭.৬ ভাগ, অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন-১৮.১ ভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর-৫৩.৬ ভাগ, কর ব্যতীত প্রাপ্তি-১৩.৬ ভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-বহির্ভূত কর-২.৬ ভাগ। ব্যয় হবে কোথায় ঃ ব্যাংকের সুদ দিতে হবে-১৩.৯ ভাগ, প্রতিরক্ষা ব্যয় হবে কত-৫.৩ ভাগ (৮,৩৮২ কোটি টাকা) + জনপ্রশাসন-১৩.৬ ভাগ + পেনশন-৩.২ ভাগ (২২.১ ভাগ বাজেটের শতাংশ বা ২৪ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা লাগবে বেতন ও পেনশন বাবদ), শিক্ষা ও প্রযুক্তি-১১.৯ ভাগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-৩.৮ ভাগ, কৃষি-৪.৫ ভাগ, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ-৭.৩ ভাগ, ভর্তুকি-৬.১ ভাগ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-৭.৬ ভাগ, পরিবহন ও যোগাযোগ-৬.৩ ভাগ, স্বাস্থ-৫.৯ ভাগ, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-৪.৯ ভাগ, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম-০.৮ ভাগ, গৃহায়ণ-১.১ ভাগ, শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস-০.৭ ভাগ ও বিবিধ ব্যয়-৩.১ ভাগ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ-১৪,৪৭১ কোটি টাকা দিতে হবে এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ দিতে হবে-১,৩৩৭ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল বাবদ দিতে হবে-৪,৫৪২ কোটি টাকা। এমপিও খাতে ১১২ কোটি টাকা-মাধ্যমিকে বিনামূল্যে বই, প্রাথমিকে সবার জন্য নতুন বই। বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত গতিশীল হবে-বিদ্যুতের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ ২০১১ সালে। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানোর প্রস্তাব। ২০১২ সালের মধ্যে দেশে দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ শুরু করেছে। বয়স্ক ভাতা বর্তমানে মাথাপিছু ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা এবং ভাতাভোগীর সংখ্যা বর্তমান ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২২ লাখ ৫০ হাজার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ জন্য টাকা লাগবে ৮১০ কোটি টাকা। গত বছর বরাদ্দ ছিল ৬০০ কোটি টাকা। দুস্থ মহিলা ভাতার হারও হবে ৩০০ টাকা। এ জন্য বরাদ্দ বর্তমানের ৬১ কোটি ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার হার বর্তমানে ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ২৫ হাজারে উন্নীত করার প্রস্থাব করা হয়েছে। এ খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা, যা গত বছর ছিল ১১৭ কোটি টাকা। খোলাবাজারে কম দামে খাদ্য বিক্রিসহ কাজের বিনিময়ে খাদ্য, ভিজিএফ, ভিজিডি, টিআর(খাদ্য), জিআর(খাদ্য) এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে খাদ্য সহায়তা বাবদ বাজেটে পাঁচ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের ২২ শতাংশ কৃষি খাত থেকে আসে এবং মোট শ্রমশক্তির ৪৮ শতাংশ এ খাতে নিয়োজিত। এ কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় ২০১২ সালের মধ্যে খাদ্যে দেশের স্বয়সম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এবারের বাজেটে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ, গড়াই নদীসহ ২৩টি নদী খননের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হবে। কৃষি খাতে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাবদ বাজেটে পাঁচ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বেতন কমিশনের সুপারিশ বিদ্যমান সম্পদ পরিস্থিতির আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ করে আগামী ১ জুলাই থেকে তা পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে। সামাজিক নিরাপত্তায় ২৬ লাখ টন খাদ্য বরাদ্দ। বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ১,১২৪ কোটি ডলার (০২-০৩-২০১০)। দেশে এবার প্রবাসী-আয় প্রায় ১,০০০ কোটি ডলার হবে। ৩০ জুন-৭৪৭.০৯, ৩১ জুলাই-৭৭৪.১৪, ৩১ আগষ্ট-৯১৫.৫৭ ও ৩০ সেপ্টেম্বর-৯৩৬.২৫ কোটি ডলার ছিল। এডিপির আশঙ্কা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশে নেমে আসবে। আইএমএফের চাপে এবার সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমাতে যাচ্ছে সরকার। কমিটি গঠন, জুলাই থেকে হ্রাসকৃত হার কার্যকর হতে পারে। ০৪-০৩-২০১০ তারিখ সংসদে প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী-স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছরে বিদেশি সাহায্য এসেছে তিন লাখ ৬১ হাজার ২০০ কোটি টাকা (৫,১৬০ কোটি) ডলার। এরমধ্যে ২৯ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ২১ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার অনুদান। ডলার-৭০ হিসাবে ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে জিডিপির মোট ২৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ অর্থমূল্যে যার পরিমাণ ১,৬৮,২০০(এক লাখ আসট্টি হাজার দুইশত) কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। আবার নির্বাচনী ইশতেহারেও আওয়ামী লীগ বলেছে, ‘রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরের ঘুষ, দুর্নীতি উচ্ছেদ, অনুপার্জিত আয়, ঋণখেলাপি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কালো টাকা এবং পেশিশক্তি প্রতিরোধ ও নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত বছর ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১,৫০০ কোটি টাকা। ঋণ বিতরণ হয়েছিল ১১,১১৭ কোটি টাকার অর্থাৎ ৯৭ ভাগ। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ২৭(সাতাশ) লক্ষ টিআইএন নম্বর ছিল। আর ট্যাক্স প্রদান করেছিলেন ৮,১৫,০০০(আট লাখ পনের) হাজার জন। ২০১০ সালের ২৫ জুন, প্রথম আলো ঃ সংসদে প্রশ্নোত্তর-চলতি অর্থবছরে (২০০৯-২০১০) খাদ্যশস্যের চাহিদা ২ কোটি ৬৭ লাখ টন ছিল। ২০১০ সালে মাথাপিছু আয় ছিল-৭৬৩ মার্কিন ডলার। ২০০০ থেকে ২০১০ সালে মানে দশ বছরে ১১৪ শতাংশ পরিবর্তন।
৪০. নির্বাচনী ইশতেহার মাথায় রেখে আসছে বাজেট। প্রাক-বাজেট সভায় অর্থমন্ত্রী বড় বাজেট হলেও নতুন উদ্যোগ তেমন থাকবে না। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে মোট খরচ হবে-১,১০,৫২৩ কোটি টাকা। তা থেকে ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে ২০১০-২০১১ অর্থ-বছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে-১,৩২,১৭০ কোটি টাকা। গণমানুষের ওপর চাপ বাড়বে।  অবকাঠামোয় গুরুত্ব। বাজেট জিডিপির ১৬.৯ ভাগ এবং ভবিষ্যতে ২০ ভাগ করার পরিকল্পনা আছে। রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-৯২,৮৪৭ কোটি টাকা (যা জিডিপির ১১.৯%), রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে-৯৩,৬৭০ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে-৩৮,৫০০ কোটি(গত বছর থেকে এবার উন্নয়ন ব্যয় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে) টাকার মধ্যে ২১ হাজার ৯৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আসবে আভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ৩৯,৩২৩ কোটি টাকা (যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) ৫ শতাংশ। জাপানি সুদ মওকুফ তহবিল (জেডিসিএফ) থেকে ধরা হয়েছে ২ হাজার  ১০৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। এ দুই উৎস মিলে দাঁড়ায় ২৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বাকি ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য বা সুদ হিসেবে।  নতুন এডিপিতে সবচেয়ে বেশি পরিবহন খাতে ছয় হাজার ৯০৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। চার হাজার ৯১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা শিক্ষা ও ধর্ম খাতে। বিদ্যুৎ খাতে থাকছে চার হাজার ৯০৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আর পল্লী উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠান খাতের জন্য চার হাজার ৩৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ভৌত পরিকল্পনা ও পানি সরবরাহে রাখা হচ্ছে তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা এর বাইরে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণে তিন হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা এবং কৃষি খাতে এক হাজার ৯৮১ কোটি টাকা আর সবচেয়ে কম ৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা থাকছে শ্রম ও কর্মসংস্থান খাতে। আর ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌসরভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া বিশেষ এলাকার উন্নয়ন, নদী খনন এবং বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা ইত্যাদি ১০টি খাতের জন্য বরাদ্ধ তিন হাজার ৪১১ কোটি টাতা। এ আয়ের ২২ ভাগ ব্যয় হবে বেতন-ভাতা খাতে আর ২০ ভাগ ব্যয় হবে সুদ পরিশোধ খাতে। প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৭ আর (বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস বাংলাদেশে এ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.১ থেকে ৬.৩ শতাংশ) মুল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে (কিন্তু বাস্তবে মুল্যস্ফীতির হার হবে প্রায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ)। ১০-০৬-২০১০ তারিখ বাজেট ঘোষণা হবে। জিডিপির প্রক্কলন করা হয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। বোস্টন ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং ইকোনমিকসের সভাপতি ও বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ইমেরিটাস অধ্যাপক গুস্তাভ এফ পাপানেক গত ১০-০৫-২০১০ তারিখ বাংলাদেশ সফর করেন এবং বলেন যে ‘বছরে ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করতে হবে’। প্রধানমন্ত্রীর কিছু দক্ষ ও ক্ষমতাবান রাজনৈতিক কর্মকর্তা (স্টাফ) প্রয়োজন, যাঁরা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন, কাজের বাস্তবায়ন ঠিকমতো তদারক করতে পারবেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ার জটিলতা কমাতে পারবেন। ২০১০-২০১১ বাজেট টাকা আসবে কোথা থেকে। বৈদেশিক ঋণ-৮.২%, বৈদেশিক অনুদান-৩.৬%, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-নিয়ন্ত্রিত কর-৫৪.৯%, অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন-১৭.৯%, কর ব্যতীত প্রাপ্তি-১২.৭% ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বহির্ভুত কর-২.৬%। বাজেট ২০১০-২০১১ সাল-ব্যয় হবে কোথায় ঃ শিক্ষা ও প্রযুক্তি-১৩.২%, সুদ-১১.১%, পরিবহন ও যোগাযোগ-৬.৩%, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-৪.৬%, কৃষি-৫.৪%, জনপ্রশাসন-৭.১%, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-৪.৬%, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম-১.২%, পেনসন-৩.১%, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-৮.১%, স্বাস্থ্য-৬.০%, প্রতিরক্ষা-৬.১%, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ-৭.০%, গৃহায়ণ-০.৯%, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সার্ভিস-১.১%, ভর্তুকি-৫.৮% ও বিবিধ ব্যয়-৮.২%। অনুন্নয়ন ব্যয় ঃ অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ (%) কতিপয় অনুন্নয়ন বিনিয়োগ-১১.৪%, অপ্রত্যাশিত ব্যয় ও অন্যান্য থোক-১.৬%, ভর্তুকী-৮.৩%, পেনসন-৪.৪%, সম্পদ সংগ্রহ-৩.৪%, পন্য সেবা-১১.৩%, বেতন-ভাতা-২২.০%, সুদ-১৫.৯%, সাহায্য মঞ্জুরী-১৯.৪% ও বিবিধ-২.২%। এবারও ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছেন। কৃষিতে বরাদ্দের হার ও ভর্তুকি কমেছে। পিপিপিতে বরাদ্দ তিন হাজার কোটি টাকা। এদিকে চলতি অর্থবছরে বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরণের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট এক লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা নির্দিষ্টকরণ বিল জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। নতুন কৃষিঋণ নীতিমালা ঘোষণা। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষমাত্রা ১২,৬১৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ১,৮৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার  প্রস্তাব। চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) মোটি ৯১৬টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ১২৭টি প্রকল্পের মেয়াদই শেষ হয়ে গেছে। বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আইএমএফ উদ্বিগ্ন। এবার বিশ্ব প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৮%, বাংলাদেশের ৬.৩%। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ২৮(আটাশ) লক্ষ টিআইএনধারীর মধ্যে ট্যাক্স প্রদান করেছেন মাত্র ৮(আট লাখ) রির্টান জমা দিয়েছেন। আর ২০(বিশ) লাখ টিআইএনধারী ট্যাক্স প্রদান করেননি। ২৭-১২-২০১০ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ সর্বকালের রেকর্ড, ১১০০ কোটি ডলার। ২০১০ সালের ২ জুন, জনকন্ঠ পত্রিকা ঃ দশ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ৫৭২ কোটি মার্কিন ডলার। আমদানি খাতে ব্যয় ১,৮৬৬ কোটি ডলার, আর রফতানি খাতে আয় ১,২৯৪ কোটি ডলার। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৭১। মাথাপিছু আয়-৭৫৫ ডলার প্রক্কলন করা হলেও তা কিছুটা কমে ৭৪৮ ডলার চূড়ান্ত হয়েছে।
৪১. ২০১০-২০১১ অর্থ-বছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে-১,৩২,১৭০ কোটি টাকা। মোট জিডিপির প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ২৯০ কোটি টাকা, আর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে-৬.৬৬% বা ৬.৩% এবং মাথাপিছু আয় হয়েছে-৮২৮ ডলার। এবার ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে-১,৬৩,৫৮৯ কোটি টাকা। জিডিপির আকার ধরা হয়েছে-৮,৫৮,৯৫২ কোটি টাকা। আর জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে-৭%। প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৫% ঃ আইএমএফ। (সম্পদ ব্যবহারে সরকারের কিছু অব্যবস্থাপনা রয়েছে। রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-১,২৩,৩২৩ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে-৪৫,২০৮ কোটি টাকা। ২০১১-২০১২ অর্থবছরের বাজেট কাঠামো ঃ (১) রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে-১,১৮,৩৮৫ কোটি টাকা এবং জিডিপির শতকরা ১৩.২ শতাংশ। (২) এনবিআর কর রাজস্ব-৯১,৮৭০ কোটি টাকা এবং জিডিপির ১০.২ শতাংশ। (৩) এনবিআর-বহির্ভূত কর রাজস্ব-৩,৯১৫ কোটি টাকা এবং জিডিপির ০.৪ শতাংশ। (৪) করবহির্ভূত রাজস্ব-২২,৬০০ কোটি টাকা এবং জিডিপির ২.৫ শতাংশ। (৫) সরকারি ব্যয়-১,৬৩,৫৮৯ কোটি টাকা এবং জিডিপির ১৮.২ শতাংশ। (৬) অনুন্নয়ন ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয়-১,১৭,৫৮৯ কোটি টাকা এবং জিডিপির ১৩.১ শতাংশ। (৭) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-৪৬,০০০ কোটি টাকা এবং জিডিপির ৫.১ শতাংশ এবং সংশোধিত এডিপি চূড়ান্ত ৪১,০০০ কোটি টাকা। (৮) বাজেট ঘাটতি-৪৫,২০৮ কোটি টাকা এবং জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি অর্থায়ন কোথা থেকে আসবে ঃ (১) অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে-২৭,২০৮ কোটি টাকা মানে ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা আর সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে পাওয়া যাবে ৬ হাজার কোটি টাকা (২) বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ১৭,৯৯৬ কোটি টাকা মানে বৈদেশিক ঋণ থেকে। রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বেশি অর্থ আসবে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে আসবে ৩৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা, যা মোট রাজস্ব আয়ের ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ছাড়া আমদানি শুল্ক থেকে ১২ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আয়কর থেকে ২৭ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা বা ৩০ শতাংশ এবং সম্পূরক শুল্ক খাতে ১৬ হাজার ২২০ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ রাজস্ব আসবে। ৩৯ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকার উন্নয়ন ব্যয়ের বাইরে অনুন্নয়ন বা রাজস্ব ব্যয়ের সবচেয়ে বড় অংশ যাবে বেতন-ভাতা খাতে। এ খাতে ব্যয় হবে মোট রাজস্ব ব্যয়ের ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বা ২১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সুদ পরিশোধ খাতে ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা যা উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটের ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বাজেটের টাকা আসবে কোথা থেকে ঃ অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন-১৬.৬%, বৈদেশিক ঋণ থেকে-৮.০%, বৈদেশিক অনুদান থেকে-৩.০%, এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর থেকে-৫৬.২%, কর ব্যতীত-১৩.৮% এবং এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আসবে-২.৪%। সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর উৎসে কর কর্তনের হার ১০% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ছিল ১৯ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা, যা উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটের ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। করমুক্ত আয়ের সীমা এক লাখ ৬৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা করা হয়েছে, মহিলা ও ৬৫ বছর বয়স্কদের করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ও প্রতিবন্ধীদের ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারীদের করের ওপর ১০ শতাংশ সারচার্জ। সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া আয়কর ফেরত দেবে না সরকার। ০৯-০৬-২০১১ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ সর্বকালের রেকর্ড ১,১৬০ কোটি ডলার। ১৩-০৭-২০১১ তারিখ বাণিজ্যমন্ত্রী রপ্তানির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ২,৬৩৬ কোটি ডলার এবং আমদানির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেন নাই। আমার মনে হয় এবার (২০১১-২০১২ অর্থ-বছরে) আমদানি হবে-৩,৫৩০ কোটি ডলার। এবার বাণিজ্য ঘাটতি হবে ৯০০ বা ৬৫০ কোটি ডলার। ২০-০৮-২০১১ তারিখের প্রথম আলো ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব মতে, ০৭-০৮-২০১১ তারিখ পর্যন্ত সরকারের বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৭৫ হাজার ১৮৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদন-ব্যয় ১৩ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। এ পর্যন্ত বিভিন্ন কর অফিস থেকে প্রায় ৩০ লাখ টিআইএন ইস্যু করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ৩০ লাখ টিআইএনধারীর লোক রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। শতকরা এক-তৃতীয়াংশ তাঁদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেন। চলতি ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বাজেটে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী বিভিন্ন কর্মসূচীতে ১৭শ ৬০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বিতরণের ঘোষণা প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরমধ্যে বয়স্ক ভাতা (১) ২৪ লাখ ৭৫ হাজার জনকে-এ খাতে বরাদ্দ ৮৯১ কোটি টাকা। (২) এছাড়া বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের জন্য দুস্থ ভাতা দেয়া হচ্ছে-৯ লাখ ২০ হাজার মহিলাকে-এ খাতে বরাদ্দ ৩৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা। (৩) দুই লাখ ৮৬ হাজার হচ্ছে প্রতিবন্ধিকে ভাতা দেয়া হচ্ছে ১০২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।  (৪) দরিদ্র মাতৃকালীন ভাতা-৯২ হাজার জনকে দেয়া হচ্ছে-৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবং (৫) কর্মজীবি দরিদ্র মায়ের মাতৃকালীন ভাতা ৭৭ হাজার ৬শ জনকে  ৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এছাড়া দেড় লাখ মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা দেয়া হচ্ছে-৩৬০ কোটি টাকা। আগে এ ভাতার টাকা লাইন ধরে গিয়ে ভাতার টাকা গ্রহণ করতে হয়েছে। এ ৪০ লাখ সুবিধাভোগীকে ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতা প্রদানের নির্দেশ-দিয়েছেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারী ব্যাংকে হিসাব খোলা যাবে ১০ টাকার বিনিময়ে। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্তি ৪১ কোটি ডলার পাওয়া গেছে আর ঋণ পরিশোধ করা হয় ৪০ কোটি ডলার (দৈনিক জনকন্ঠ ২০-১২-২০১১ তারিখ)। ১০-০১-২০১২ তারিখের দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার রিপোর্ট ঃ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, দৈনিক জনকন্ঠ ঃ এডিবি কমল সাড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা। পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি ৬৫০ কোটি ডলার ছাড়াল। বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৩.৫%। চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু জিডিপি ৭৭২ মার্কিন ডলারে(চলতি মূল্যে) উন্নীত হবে বলে মনে করছে বিবিএস এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবার ৬.৩২%। সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল-৭%। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬ দশমিক ২ শতাংশ আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। আর চলতি মূল্যে এর আয়তন ৯(নয়) লাখ ১৪ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। বিনিয়োগ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে-সাবেক তত্ত¡াবধায়ক অর্থমন্ত্রী মির্জা আজিজ। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে দুই হাজার ৪২৯ কোটি ডলার। তার মানে পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৬৯ কোটি ডলার বেশি হয়েছে। পাকিস্তানের আয় হয়েছে দুই হাজার ৩৬০ কোটি ডলার।
৪২. (বাজেট ২০১২-২০১৩) এক লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। বাজেটের আকার বাড়ছে ১৮.১%। রাজস্ব আয়ের আহরণের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। বার্ষিক ব্যয়-১,৯১,৭৩৮ কোটি টাকার স্থলে সংশোধিত বাজেটের আকার দুই হাজার কোটি টাকা কমিয়ে এক লাখ ৮৯ হাজার কোটি করা হচ্ছে। বার্ষিক ঘাটতি-৫২,০৬৮ কোটি টাকা জিডিপির ৫ শতাংশ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) আয়তন হবে ৫৫ হাজার কোটি টাকা (০৯-০৩-২০১৩ তারিখের বাংলাদেশ প্রতিদিন সংশোধিত এডিপি হচ্ছে ৫০ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা) এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ আর মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নিয়ন্ত্রনে রাখাই অর্থমন্ত্রীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। টাকা আসবে কোথা থেকে-এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর ৫৮.৫%, এনবিআর বহির্ভূত কর-২.৪%, অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন-১৭.৫%, কর ব্যতীত-১১.৯%, বৈদেশিক ঋণ-৬.৫% এবং বৈদেশিক অনুদান-৩.২%। আরেক হিসাবে ৪২তম বাজেট বলা যায়। বেশি বরাদ্দ পল্লী উয়ন্ননে। মুহিতের সভাপতিত্বে বৈঠকে সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে বৈদেশিক সহায়তা ধরা হয়েছে-২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং সরকারি তহবিলের ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বিদ্যুতে-৭,৯১১ কোটি ১৬ লাখ, পরিবহনে-৭,৭৬৩ কোটি ৯৭ লাখ এবং শিক্ষা ও ধর্মখাতে ৬,৩৩৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। বড় আয়, বড় ব্যয়ের বাজেট আজ। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ২৩ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি সাহায্য কমে হবে ১২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বাজেট ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা থেকে এবার ১৮% শতাংশ, অর্থাৎ ২৮ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ঘোষিত হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব বা অনুন্নয়ন বাজেট ধরা হচ্ছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এর বাইরে অনুদান বাবদ ৬ হাজার ৫০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে সরকার ধরে নিচ্ছে। সব মিলিয়ে আগামীবার সরকারের প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। প্রতিশ্রুতি পূরণ, না চাপ সামলানো? কালো টাকা ঃ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কালোটাকাকে আমি কালো বলি না, বলি অপ্রদর্শিত আয়। এ টাকা অবশ্যই বিনিয়োগের মধ্যে আনতে হবে।’ এ সময় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪৮ থেকে ৮২ শতাংশ অপ্রদর্শিত আয়ের অঙ্কের কথা উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। ৫ ভাগ মানুষের এ বাজেট ধনীদের সুযোগ বাড়াবে আর ৯৫ ভাগ সাধারণ মানুষের কষ্ট আরো বাড়াবে। প্রথম আলো বাজেট সংলাপ ২০১২-২০১৩ বাজেটে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে প্রবৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ হবে। করমুক্ত আয়ের সীমা দুই লাখ টাকা। নির্দিষ্টকরণ বিল পাস ঃ আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট দুই লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল জাতীয় সংসদে কন্ঠভোটে ২৮-০৬-২০১২ তারিখ পাস করা হয়েছে। এর মধ্যে সাংসদদের ভোটে গৃহীত অর্থের পরিমাণ এক লাখ ৭৮ হাজার ৮৭০ কোটি ১৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় এক লাখ চার হাজার টাকা ৭২৯ কোটি ৫১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। গত ২০১১-২০১২ অর্থবছরে দেশে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১২ সালের জুন মাস শেষে মুদ্রা সরবরাহের স্থিতি দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ১১০ কোটি টাকা। আর ২০১১ সালের জুন শেষে স্থিতি ছিল চার লাখ ৪০ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে মুদ্রা সরবরাহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। মাথাপিছু আয়-১,০৪০ মার্কিন ডলার। ০৬-০৩-২০১৩ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংকে বিদেশী মুদ্রার রির্জাভ ১৪শ ২৭ কোটি ডলার।
৪৩. (বাজেট ২০১৩-২০১৪) বাজেটের আকার দুই লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। তা কমে হয়েছে ২,১৫,০০০(দুই লক্ষ পনের হাজার) কোটি টাকা। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৯ কোটি এবং অনুধান-৬,৬৭০ কোটি টাকা সহ। বিভিন্ন খাত থেকে আসবে মানে আয় ১ হাজার ৭৪ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। আর ব্যয় ২,২২,৪৯১ কোটি টাকা=২,৮৫২(দুই হাজার আটশত বায়ান্ন কোটি) ডলার। ঘাটতি ৪৮,৩৬২ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে ২৩ হাজার ৭২৯ কোটি টাকার ঋণ পাওয়া যাবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। মূল বাজেট ২,২২,৪৯১ কোটি টাকা, তা থেকে ১১.৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে মানে ২৫,৩৬৪ কোটি টাকা। ১,৯৭,১২৫ কোটি টাকার বাজেট।  (১) কৃষিতে-১৭,৪৭৭ কোটি টাকা, (২) শিক্ষা ও প্রযুক্তি-২৬,১১৩ কোটি টাকা, (৩) স্বাস্থ্য-৯,৪৯৪ কোটি টাকা, (৪) জনপ্রশাসন-৭৮,২৩৮ কোটি টাকা, (৫) জনশৃঙখলা ও নিরাপত্তা-১০,৫৪৭ কোটি টাকা (৬) প্রতিরক্ষা-১৪,৪৭৫ কোটি টাকা, (৭) সামাজিক নিরাপত্তা-১২,৬৩৫ কোটি টাকা, (৮) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-১১,৩৫১ কোটি টাকা, (৯) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-১৪,৮০৩ কোািাট টাকা ও (১০) পরিবহন ও যোগাযোগ-২০,৬২৪ কোটি টাকা। ব্যক্তি আয় কর (১) ২,২০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত শূন্য, (২) নারী ও পুরুষ ৬৫ বছরের ওপরে-২,৫০,০০০ হাজার শুনাকা পর্যন্ত শূন্য, (৩) প্রতিবন্ধী করদাতা-৩,০০,০০০ লাখ টাকা পর্যন্ত শূন্য। স্থায়ী বেতন ও চাকরি কমিশন গঠিত হবে। কৃষি খাতে ভর্তুকি কিছুটা কমেছে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আরও কমল।  টাকা কোথা থেকে আসবে এনবিআর কর্তৃক (১) মুনাফা ও আয়ের ওপর কর-৪৮,২৯৭ কোটি টাকা, + (২) আমদানি শুল্ক-১৪,৬২৯ কোটি টাকা + (৩) রপ্তানি শুল্ক-৪৫ কোটি টাকা + (৪) অন্যান্য-১,০০০ কোটি টাকা + (৫) সম্পূরক শুল্ক-২০,৮৫৩ কোটি টাকা + (৬) মূসক-৪৯,৯৫৬ কোটি টাকা + (৭) আবগারি শুল্ক-১,৩১০ কোটি টাকা। মোট আয়-১,৭৪,১২৯ কোটি টাকা (১) বৈদেশিক অনুদান-৬,৬৭০ কোটি টাকা +এনবিআর বহির্ভূত (১) ৫,১২৯ কোটি টাকা-আসবে কোথায় থেকে-স্ট্যাম্প বিক্রয়(১) ৩,২৬৪ কোটি টাকা + (২) ভূমিরাজস্ব থেকে-৬৪০ কোটি টাকা + (৩) মাদক থেকে-৭০ কোটি টাকা + (৪) যানবাহন কর-১,১৫৫ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত আয়-২৬,২৪০ কোটি টাকা=(১) প্রতিরক্ষা বাবদ প্রাপ্তি-২,৫১৮ কোটি টাকা (২) লভ্যাংশ ও মুনাফা-৪,৬৯৩ কোটি টাকা + (৩) প্রশাসনিক ফি-৪,৩৭৪ কোটি টাকা + (৪) কর ব্যতীত অন্যান্য রাজস্ব ও প্রাপ্তি-৯,৯৭৩ কোটি টাকা + (৫) অন্যান্য-৪,৬৮২ কোটি টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি-৪৮,৩৬২ কোটি টাকা=(১) বৈদেশিক ঋণ-১৪,৩৯৮ কোটি টাকা + (২) অভ্যন্তরীণ ঋণ-৩৩,৯৬৪ কোটি টাকা।  মোট ব্যয় কোথায় হবে=(১) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-১৪,৮০৩ কোটি টাকা + (২) প্রতিরক্ষা-১৪,১০২ কোটি টাকা + (৩) জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-৯,৯৫৫ কোটি টাকা + (৪) জনপ্রশাসন-৪৫,৭৯৫ কোটি টাকা + (৫)  গৃহায়ণ-১,৭৮১ কোটি টাকা + (৬) শিক্ষা ও প্রযুক্ত-২৬,১১৩ কোটি টাকা + (৭) স্বাস্থ্য-৯,৪৯৪ কোটি টাকা + (৮) সুদ-২৭,৭৪৩ কোটি টাকা + (৯) ভর্তুকি-১৫,৪৪৩ কোটি টাকা + (১০) সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ-১১,৮৭৪ কোটি টাকা + (১১) বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম-১,৭৪৭ কোটি টাকা + (১২) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-১১,৩৫১ কোটি টাকা + (১৩) কৃষি-৮,৪৭৭ কোটি টাকা + (১৪) শিল্প ও অর্থনৈতিক-৩,২০৬ কোটি টাকা + (১৫) পরিবহন ও যোগাযোগ-৩,২০৬ কোটি টাকা=মোট ব্যয়=অনুন্নয়ন-১,৩৪,৪৪৯ কোটি টাকা + উন্নয়নমূলক ব্যয়-৭২,২৭৫ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপির আকার ৬৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা থেকে ০৩-০৪-২০১৪ তারিখ সংশোদিত ৬০,০০০ কোটি টাকা বাস্তবায়িত হচ্ছে। খাদ্য হিসাব-২৬৩ কোটি টাকা এবং ঋণ ও অগ্রিম-১৫,৪০৪ কোটি টাকা=২,২২,৪৯১ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ সূত্র জানায় আগমী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির  (জিডিপি) হার ধরা হচ্ছে চলতি অর্থ বছরের সমান অর্থাৎ ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এর থেকে ২২ শতাংশ কাটছাঁট হচ্ছে। ওই অর্থ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে উন্নয়ন বাজেট করা হয়েছে-৫৫ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ৪৮ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে আগামী অর্থবছরে সরকার ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। গত অর্থবছরে ২৩ হাজার কোটি। এ ছাড়া আগামী বাজেটে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে ৭ শতাংশ। বাজেটে ঘাটতি রাখা হতে পারে ৪ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাজেট ঘাটতি ৪ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিলেও সরকারের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। স¤প্রসারণমূলক অর্থনীতির সমর্থনে অর্থমন্ত্রী নিজেই বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের ওপরে রাখার পক্ষে।  সর্বোচ্চ বরাদ্দ স্থানীয় সরকার খাতে। সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকবে পরিবহনে এবং বিদ্যুতে। পদ্মা সেতুর জন্য ৬,৮৫২ কোটি টাকা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। পাঁচ বছরে বাজেটের আকার দ্বিগুণ। ৩ সরকারের শাসনামল (২০০১-২০১৩)। প্রবৃদ্ধি বাড়লেও মূল্যস্ফীতির কারণে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে সীমিত আয়ের মানুষের। গড় প্রবৃদ্ধি বিএনপি-৫.৭, তত্ত¡াবধায়ক-৫.৯৬ এবং আওয়ামী লীগ-৬.১৫। গড় মূল্যস্ফীতি বিএনপি-৫.৩, তত্ত¡বধায়ক-৮.৫৫ এবং আওয়ামী লীগ-৮.৪৫ শতাংশ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো গড় প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি। প্রথম অগ্রধিকারেই বড় ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। এ প্রতিশ্রুতি পূরণে নেই কোনো সাফল্য। আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ। ইসির জন্য বরাদ্দ দেড়হাজার কোটি টাকা। নির্দিষ্টকরণ বিল পাস ঃ আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট তিন লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৯ কোটি ১১ হাজার টাকা। এর মধ্যে সংসদদের ভোটে গৃহীত অর্থের পরিমাণ দুই লাখ চার হাজার ৩১০ কোটি ৫২  লাখ ১৮ হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় এক লাখ ৪০ হাজার ২৩৯ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ধরা হয়েছে-৩,০৫০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর আমদানি ব্যয় ধরা হয়েছে-৪,০০০ কোটি ডলার। কমে গেছে আমদানি ব্যয়, তেমন চাহিদা নেই ডলারের।  সংসদে প্রশ্নোত্তর-গত পাঁচ বছরে সরকারের ঋণ দুই লাখ ৩২ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।  পরিশোধ করেছে-১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। ১১-১১-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত সরকারের নিকট পাওনা ঋণ ৮৭ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা ও বয়স্ক ভাতা মাসিক ৩০০/- টাকা। পায় ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ। গত বারের চেয়ে এবার রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশ। ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল-১,০০০ কোটি ডলার, ৮ জুলাই, ২০১০ সালে-১,১০০, কোটি, ১৮ অক্টোবর, ২০১২  সালে-১,২০০ কোটি, ৭ জানুয়ারি, ২০১৩ সালে-১,৩০০ কোটি, ৫ মার্চ, ২০১৩ সালে-১,৪০০ কোটি, ৭ মে, ২০১৩ সালে-১,৫০০ কোটি, ১৩ আগস্ট, ২০১৩ সালে-১,৬০০ কোটি, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩ সালে-১,৭০০ কোটি ও ১৯ ডিসেম্বর, ১,৮০০ কোটি ডলারের রির্জাভ ঃ গভর্নর। ১০-০৪-২০১৪ তারিখে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ নতুন উচ্চতায় ২০০০ কোটি ডলার। ভারতের রিজার্ভ ২৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার এবং পাকিস্তানের রিজার্ভ এক হাজার ২০০ কোটি ডলার। ১১-০৩-২০১৪ তারিখ বাংলাদেশে ৬,০০০ হাজার কোটি ডলারের ঋণ আছে এবং টাকায় মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ হলো-২৮,২৩৫ টাকা। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ থেকে নেমে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এখন বলা হচ্ছে প্রবৃদ্ধি হবে-৬.৪ শতাংশ। রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩.১৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ১০ মাস। আয় ২,৪৬৫ কোটি ডলার। বিশ্বে প্রবাসী-আয় প্রাপ্তির তালিকায় বাংলাদেশ অস্টম। প্রথম স্থান ভারতের এবং দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। বিশ্ব ব্যাংকের তালিকায় আছে তৃতীয় ও ৪র্থ স্থানে ফিলিপিনো ও মেক্সিকো। আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া ও মিসরযথাক্রমে ৫ম ও ৬ষ্ঠ স্থানে আছে। পাকিস্তান আছে ৭ম এবং বাংদেশের স্থান ৮ম। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়-২,৭০২ কোটি ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১১.২২% ভাগ ছিল। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয়-৩,০১৭ কোটি ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১১.৬৫%। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখীই থাকল ৬.৭৮%  এবং ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭.৩৫% উর্ধ্বমুখীই থাকল। মাথাপিছু আয়-১,১৯০ মার্কিন ডলার। প্রাথমিক হিসাবে, ওই বছর চলতি মূল্যে জিডিপির আকার ছিল-১৩ লাখ ৫০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা বা ১৭,৩২০ কোটি ডলার। ঘরে ১০ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকার কাজ করেন নারী-সিপিডির গকেষণা।
৪৪. ০৫-০৬-২০১৪ তারিখ ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার হবে দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। বাজেটের আকার ছোট করা হয়েছে-দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আর উন্নয়ন বাজেট হবে-৮০,৩১৫ হাজার কোটি টাকা। ২,৪৭৯ হাজার কোটি টাকা কমছে এডিপি। সংশোধিত এডিপি হচ্ছে ৭৭,৮৩৬ হাজার কোটি টাকা। শুরুতে তোড়জোড় থাকলেও পুরোনো পথেই হাঁটলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। আয়-১,৮৯,১৬০ মোট টাকা, ব্যয়-২,৫০,৫০৬ কোটি টাকা এবং ঘাটতি-৬১,৩৪৬ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হবে-৭.৩ শতাংশ। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়-৩,৩২০ কোটি ডলার ধরা হয়েছেছিল-রপ্তানি আয় হয়েছে-৩,১২০ কোটি মার্কিন ডলার। জনপ্রশাসন বৃদ্ধি-৪২%, সামাজিক নিরাপত্তা ও ত্রাণ বৃদ্ধি-২৩%, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বৃদ্ধি-১৭%, শিক্ষা ও প্রযুক্তি বৃদ্ধি-১৬%, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বৃদ্ধি-১৫%, স্বাস্থ্য বৃদ্ধি-১২%, প্রতিরক্ষা বৃদ্ধি-০৮%, কৃষি বৃদ্ধি-০৮% ও জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি-০৪%। শিক্ষায় ব্যয় বৃদ্ধি-প্রাথমিক শিক্ষা হবে অস্টম শ্রেণি পর্যন্ত। বাজেটের সুদ-৩১,০৪৩ কোটি টাকা। ব্যয়ের খতিয়ান কোটি টাকায়।  অনুন্নয়ন রাজস্ব ব্যয়-১,২৮,২৩১ কোটি টাকা, অনুন্নয়ন মূলধন ব্যয়-২৬,০১০ কোটি টাকা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-৮০,৩১৫ কোটি টাকা, এডিপিবহির্ভূত ব্যয়-৩,৪৬৯ কোটি টাকা, অন্যান্য ব্যয়-২,৫৬১ কোটি টাকা, খাদ্য হিসাব-৩০৯ কোটি টাকা ও ঋণ ও অগ্রিম-৯,৬১১ কোটি টাকা=২,৫০,৫০৬ কোটি টাকা। সারচার্জে নাকাল হবেন ধনীরা। দেশে মাত্র পাঁচ হাজার ৬৬২ জন দুই কোটি টাকার সম্পদের মালিক। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন আগামী ২০১৯ সালে বাজেট হবে-৬ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। ০৮-০৮-২০১৪ তারিখ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২০০ কোটি ডলার। ২২-০৭-২০১৪ রপ্তানি লক্ষ এবার ৩,৩২০ কোটি ডলার। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, জীবনযাত্রার ব্যয় ৬.৩১% বৃদ্ধি বা কেউ কেউ বলছে যে ৭% বৃদ্ধি। ক্যাবের পর্যবেক্ষণে ২০১৪ সাল। এক বছরে বাড়িভাড়া বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গণবরিবহনে এখনো বিশৃঙখলা চলছে। চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্য ১০০০(এক হাজার) কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ৩০-০৪-২০১৫ তারিখ রিজার্ভ বেড়ে ২৪০০ কোটি ডলার। বিবিএসের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, স্থিরমূল্যে চলতি অর্থবছরের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা। গত জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত। আর চলতি মূল্যে এ বছর জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা।  জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৫১%, মাথাপিছু আয় ১৩১৪ মার্কিন ডলার। অর্থমন্ত্রীকে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ নোবেলবিজয়ী কৈলাসের-চলতি অর্থ বছরে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ ২৯ হাজার ২২৫ কোটি টাকা; যা বাজেটের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ ও জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশের সমান। শিক্ষা খাতের মোট ১৯ হাজার কোটি টাকাই চলে যায় অনুন্নয়ন খাতে অর্থাৎ শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাবদ। আর উন্নয়ন খাতে ৯ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। শিক্ষা খাতে বরাদ্দের আন্তজার্তিক মান হলো জিডিপির ৭ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ। জানা গেছে প্রতিবেশী দেশগুলোর বাজেটে শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বরাদ্দ। যেমন শিক্ষা খাতে ভারতের জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, নেপালে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ও পাকিস্তানে ২ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দ। মাথাপিছু আয়-২০০০-২০০১ অর্থবছরে-৩৭৭ মার্কিন ডলার, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে-৫৪৩ ডলার, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে-৯২৮ ডলার ও ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে-১৩১৪ মার্কি ডলার। অর্থনীতির সামগ্রিক চেহারাটা দাঁড়াচ্ছে এ রকম-১৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা চলতি মূল্যে জিডিপি এবং স্থির মূল্যে-৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৩২ টাকা। ২০১৫ সালের ১০ জুন, প্রথম আলো : ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে-২,৫০,৫০৬ টাকার বাজেট থেকে ১০,৮৩৮ কোটি টাকা কমে সংসদে সম্পূরক বাজেট সংশোধিত আকারে পাস হয়েছে-২,৩৯,৬৬৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০১৫ সালে ৪৪তম স্থান দখল করেছে এবং জিডিপির ৬% এর ওপরে¦ হওয়ায় বিশ্বে ৩৩তম স্থান দখল করেছে। মানুষের দিক দিয়ে বিশ্বে আমরা ৭তম স্থানে আছি। ২৬-০৬-২০১৫ তারিখ রিজার্ভ ২,৫০২(দুই হাজার পাঁচশত দুই কোটি) ডলার। ২০০৪ সালে রির্জাভ ছিল-২ হাজার ৭০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪ সালে মাথাপিছু আয়-১৩১৪ মার্কিন ডলার। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মানে গত ৫ বছরে পরিবর্তন ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়-১৩১৬ মার্কিন ডলার । মাথাপিছু ঋণ-১৩ হাজার ১৬০ টাকা।
৪৫. ০৪-০৬-২০১৫ তারিখ ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার-২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেট কমে হয়েছে-২,৬৪,৫৬৫ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। বাংলাদেশের এ বাজেট ৪৫তম। আয় হবে-২,১৪,২৪৩ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন বাজেট-১,৯৯৭,০০০(এক নয়শত সাতানব্বই) হাজার কোটি টাকা। গত মাসে এডিপি কাটছাট করে সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট হবে-৯৩,৮৯৫(তিরানব্বই হাজার আটশত পঁচানব্বই) টাকায় নামিয়ে আনা হয়। বাজেট ঘাটতি হবে-৮০,৮৫৭ কোটি টাকা। ১,৭৬,৩৭০(এক লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার তিনশত সত্তর) কোটি টাকা এনবিআর আদায় করতে হবে। এখন ১১-০৪-২০১৬ তারিখ প্রথম আলোর পত্রিকায় দেখি, বাজেট কমে ২ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। কোথায় যাবে আপনার দেওয়া কর-(১) বেতন-ভাতা-২৩ ভাগ (২) ঋণের সুদ-১৭.৯ ভাগ (৩) ভর্তুকি ও প্রণোদনা-৮ ভাগ (৪) পেনশন-৫.৯০ ভাগ (৫) সম্পদ সংগ্রহ-৪.১০ ভাগ (৬) সাহায্য মঞ্জুরি-১৮.৭ ভাগ (৭) পণ্য ও সেবা-৯.১০ ভাগ (৮) অনুন্নয়ন বিনিযোগ-৬.৪০ ভাগ (৯) বিবিধ ব্যয়-৫.৭০ ভাগ ও (১০) অপ্রত্যাশিত ব্যয়-১.২০ ভাগ টাকা। কোথা থেকে টাকা আসবে, কোথায় যাবে এবং খাতওয়ারি বরাদ্দ (১) জনপ্রশাসন-৫৭,২৫০ কোটি টাকা (২) সুদ-৩৫,১০৯/- (৩) শিক্ষা ও প্রযুক্ত-২৯,৮৮৮/- (৪) পরিবহন ও যোগাযোগ-২৭,৯৪৯/- (৫) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-২০,৭৯৬/- (৬) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-১৮,৫৩১/- (৭) সামাজিক কল্যাণ ও নিরাপত্তা-১৫,৭৯৫/- (৮) ভর্তুকি ও প্রণোদনা-১৫,৭৭২/- (৯) প্রতিরক্ষা-১৫,৫৪৪/- (১০) জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-১২,৩৮৩/- (১১) স্বাস্থ্য-১২,০৬০/- (১২) পেনশন ও গ্র্যাচুইটি-১১,৫৮৪/- (১৩) কৃষি-১০,৩৯৮/- ও (১৪) অন্যান্য-১২,০৪১ কোটি টাকা। আয়-(১) আয় ও মুনাফা থেকে কর-৬৪,৯৭১ কোটি টাকা (২) মূল্য সংযোজন কর-৬৪,২৬৩/- (৩) সম্পূরক শুল্ক-২৫,৮৭৫/- (৪) আমদানি শুল্ক-১৮,৭৫৩/- (৫) এনবিআরের অন্যান্য আদায়-২,৫০৮/- (৬) এনবিআরের বাইরের কর-৫,৮৭৪/- (৭) বিদেশি অনুদান-৫,৮০০/- ও (৮) কর ব্যতীত রাজস্ব-২৬,১৯৯ কোটি টাকা। বাড়বে করের বোঝা-স্বপ্নপূরণে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে-৩০.৬২ শতাংশ। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ৩০ জুন, ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত নতুন বছরে বেশি দিতে হবে কর-৪৫,০৭২ কোটি টাকার। বাজেট বক্তৃতারই সংস্কার প্রয়োজন। বলা হয়ে থাকে, ইতিহাসে দীর্ঘতম বাজেট বক্তৃতাটি দিয়েছিলেন সাবেক ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী উইলিয়াম গোল্ডষ্টোন, ১৮৫৩ সালের ১৮ এপ্রিল। ওই বক্তৃতাটি ছিল ৪(চার) ঘন্টা ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) মিনিটব্যাপী। এর প্রায় ১৬২ বছর পর দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতাদাতা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় আমাদের অর্থমন্ত্রী স্থান পাবেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়। আমরা অনেককিছুই সংস্কার করতে বলি। এখন সময় এসেছে বাজেট বক্তৃতার সংস্কারের। কাজটি কি অর্থমন্ত্রী করবের? তাহলে কি বাজেটে নতুন কিছুই নেই? আছে তো। এবারের বাজেট বক্তৃতার বইটির প্রচ্ছদ সবুজ, আগের সবগুলোই ছিল সাদা-কালো। সওকত হোসেন : সাংবাদিক। বিশ্বব্যংকের পূর্বাভাস বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে-৬.৩%। আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদন। আইএমএফ- বলছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে-৫ দশমিক ১ শতাংশ। আর আগামী বছর তা বেড়ে হবে-৬ দশমিক ২ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।  রপ্তানি লক্ষ্য ধরা হয়েছে-৩,৩৫০(তিন হাজার তিনশত পঁঞ্চাশ) কোটি মার্কিন ডলার, প্রবৃদ্ধি ৭.৩৮%। ০৯-০৬-২০১৬ তারিখ রপ্তানি আয় হয়েছে- ৩,০৬৬(তিন হাজার সিষস্টি) কোটি ডলার যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন-চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে-৬.৫ শতংশ। এবার প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৭ শতাংশ। এখন মানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় হবে-১,৪৬৬ মার্কিন ডলার। (জিডিপির) প্রবৃদ্ধি হবে-৭.০৫%। বিবিএসের এ হিসাব গ্রহণযোগ্য নয়-এ. বি. মির্জা আজিজুল ইসলাম। এ প্রবৃদ্ধি বেতন বৃদ্ধির কারণে-ড. জাহিদ হোসেন। এবার প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৭ শতাংশ। ১৪-০৬-২০১৬ তারিখ গত পাঁচ বছরে সর্বনি¤œ এডিপি বাস্তবায়ন।
২০১৫ সালের ২৪ জুলাই, প্রথম আলো :  ঈদে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বিরুপাক্ক পাল জানান, ৫ জুলাই ব্যাংকব্যবস্থার বাইরে মুদ্রা বা টাকার সরবরাহ ছিল ৯৬,০০০(ছিয়ানব্বই হাজার) কোটি টাকা। আর ১৫ জুলাই, সেটি বেড়ে হয়েছে ১(এক) লাখ ১২(বার) হাজার কোটি টাকার কাগুজি নোট চালু আছে। অর্থাৎ ১০ দিনের ব্যবধানে টাকার সরবরাহ বেড়েছে প্রায় ১৬,০০০(ষোল হাজার) কোটি টাকা। ঈদের কারণেই মানুষের মাঝে টাকার চাহিদা বেড়েছে।  ৩০-১২-২০১৫ তারিখ রিজার্ভ-২,৭৩৫ কোটি ডলার-এ ৮ মাসের আমদানী ব্যয় মেটানো সম্ভব। মূল্যস্ফীতি-৬.২ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য-বাজেটে ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য। হতাশা স্থবির বিনিয়োগ। বিপদ-সরকারি ব্যাংক আরও নাজুক জনগণের করের টাকা দিয়ে মূলধন জোগাতে হয়েছে। আস্থাহীনতা শেয়ারবাজার। ক্ষতি ৭৬ হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার বাড়ায় তালিকায় ৫১তম স্থান থেকে বাংলাদেশ চলে এসেছে ২৬তম স্থানে। জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭-৮ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগের দরকার পড়বে জিডিপির বর্তমান হার ২৮ শতাংশ থেকে বেড়ে অন্তত ৩৪ শতাংশ হতে হবে। আর ২০-২১ বছরে আয়বৈষম্য দ্বিগুণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনই নীতি-পদক্ষেপ না নিলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। ২৬-০২-২০১৬ তারিখ-২,৮০০(দুই হাজার আটশত) কোটি ডলার রিজার্ভ। ২৫-০৪-২০১৬ তারিখ ২,৯০০(দুই হাজার নয়শত) কোটি ডলার রিজার্ভ।
৪৬. ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে মোট বাজেট হবে প্রায়-(১) ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। (২) আয়-২,৪৮,২৬৮ কোটি টাকা। (৩) উন্নয়ন বাজেট-১,১০,৭০০(এক লক্ষ দশ হাজার সাতশত) কোটি টাকা (৪) জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা-৭ দশমিক ২ শতাংশ ।  বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন-৬.৩ শতাংশ। (৫) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ১৯,৬১,০১৭(১৯ লাখ একসষ্টি হাজার সতের) কোটি টাকা আর ডলার হিসেবে হবে-২৫,১৪০(পঁচিশ হাজার একশত চল্লিশ) কোটি ডলার। (৬) বাজেট জিডিপির ১৭.৩৭%। (৭) বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৫.৮ ভাগ। (৮) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। (৯) এনবিআর নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। (১০) বাজেট ঘাটতি ৯২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ও (১১) ব্যাংক ঋণ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। (১২) জনগণ এ বছর বাড়তি কর দিতে হবে-৬৫,৩৫২ কোটি টাকা। গত বছর থেকে এবার জনগণ ৪৫ হাজার কোটি টাকা বেশি কর দিতে হবে। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এ প্রাক্কলন একটু উচ্চাভিলাষী। বাংলাদেশের বাজেট হচ্ছে বিশ্বের ছোট বাজেট-এ কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেটের আকার জিডিপির ১৭ থেকে ৩৭ শতাংশ। আর প্রতিবেশি নেপালের বাজেট জিডিপির ২৮ শতাংশ, পাকিস্তানের বাজেট জিডিপির ২৭ শতাংশ ও ভারতের বাজেট জিডিপির ৩৪ শতাংশ। পুরুষ-৩,০০,০০০(তিন লক্ষ) টাকা এবং মহিলা-৩,৫০,০০০(চার লক্ষ) টাকা করমুক্ত। দেশে কর দেবার ক্ষমতা আছে প্রায় ৩,০০,০০,০০০(তিন) কোটি মানুষ বা ৭৫,০০,০০০(পঁচাত্তর লক্ষ) পরিবার। আর কর দেয় ১১ লক্ষ পরিবার নিয়মিত। খাতভিত্তিক ব্যয় ঃ (১) শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে-৫০,০১৭ কোটি টাকা (২) জনপ্রশাসন-৪৭,৭৬১ কোটি+(৩) পেনশন ও গ্র্যাচুইটি-১৬,৯১৬ কোটি টাকা=মোট=৬৪,৬৭৭ কোটি টাকা-বাজেটের-২৯.৬০% (৪) সুদ-৩৯,৯৫১ কোটি টাকা-১৭.৫% (৫) পরিবহন ও যোগাযোগ-৩৫,৯৫১ কোটি টাকা (৬) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন-২৩,২৫৮ কোটি টাকা (৭) জনশৃঙখলা ও নিরাপত্তা-১৯,১০০ কোটি টাকা (৮) প্রতিরক্ষা-২২,০০০ কোটি টাকা (৯) সামাজিক কল্যাণ ও নিরাপত্তা-১৮,৩৩৯ কোটি টাকা (১০) ভর্তুকি ও প্রণোদনা-১৭,৭২৯ কোটি টাকা (১১) স্বাস্থ্য-১৫,৮৮৩ কোটি টাকা (১২) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-১৫,০১৪ কোটি টাকা (১৩) কৃষি-১৩,০০৩ কোটি টাকা ও (১৪) অন্যান্য-৮,১০৫ কোটি টাকা। খাত ভিত্তিক আয় (১) আয় ও মুনাফা থেকে কর-৭১,৯৪০ কোটি টাকা (২) মূল্য সংযোজন কর-৭২,৭৬৪ কোটি টাকা (৩) আমদানি শুল্ক-২২,৪৫০ কোটি টাকা (৪) সম্পূরক শুল্ক-৩০,০৭৫ কোটি টাকা (৫) এনবিআরের অন্যান্য আদায়-৫,৯২৩ কোটি টাকা (৬) এনবিআরের বাইরের কর-৭,২৫০ কোটি টাকা (৭) কর ব্যতীত রাজস্ব-৩২,৩৫০ কোটি টাকা ও (৮) বিদেশী অনুদান-৫,৫১৬ কোটি টাকা। বাজেট ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্বস্তির চেয়ে অস্বস্তি বেশি। মোট বাজেটের ৭১.৩ শতাংশ অর্থই আসবে জনগণের কাছ থেকে। বাকিটা ঋণ থেকে-
৪৭. ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ৮ লাখ ৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট অর্থনীতি সমিতির। বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও ‘রেন্ট সিকারদের দ্বারা, রেন্ট সিকারদের জন্য ও রেন্ট সিকারদের’ অর্থনীতি বলা যায়। এই ব্যয়ের ৭২ শতাংশ হবে উন্নয়ন ব্যয়। বর্তমান বাজেটের উন্নয়ন ব্যয় মোট বাজেটের মাত্র ৩৫ শতাংশ। সমিতির পস্তাব অনুযায়ী, বাজেটের মোট ব্যয়ের ৮০ শতাংশ, অর্থাৎ ৬ লাখ ৩৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকা আসবে রাজস্য আয় থেকে। এর ৪ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে জাতীয় রাস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা আসবে আয়কর থেকে, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্য সংযোজন কর এবং ৫০ হাজার কোটি টাকা আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক থেকে আদায় করা হবে। এনবিআরের বাইরের উৎস থেকে ৩৭ হাজার কোটি টাকার কর ও কর ব্যতীত প্রাপ্তি থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা আদায়ের কথা বলেছে সমিতি। আর বাকি ২০ শতাংশ ঘাটতি মেটাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব(পিপিপি), প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে বন্ড বিক্রি, সঞ্চয়পত্র ও দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে। অর্থনীতি সমিতি এ দেশে কর্মরত নাগরিকদের ওপর কর আরোপ, সম্পদ কর, সেবা কর, বিমান পরিবহন ও ভ্রমণ করসহ ১৩টি নতুন ক্ষেত্রে কর আরোপের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কথা বলেছে।   আবুল বারকাত, সাবেক সভাপতি, অর্থনীতি সমিতি।
৪৮. ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ, প্রথম আলো ঃ সাত বছরে আত্মসাৎ ৩০(ত্রিশ) হাজার কোটি টাকা। (১) ২০১০ সালে শেয়ারবাজার থেকে ১৫,০০০(পনের হাজার) কোটি টাকা(কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি(মামলা নেই)। (২) ডেসটিনি ২০০৬-২০১২ সালে ৪,১১৯(চার হাজার একশত উনিশ) কোটি টাকা-রফিকুল আমীন(সাজা হয়নি, বিচারাধীন)। (৩) ২০১১-২০১২ সালে বিসমিল্লাহ ১১০০(এক হাজার একশত) কোটি টাকা খাঁজা সোলায়মান, নওরীন হাসিব(সাজা হয়নি, বিচারাধীন)। (৪) হল মার্ক ২০১২ সালে ৪,৫০০(চার হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা তানভীর মাহমুদ, জেসমিন ইসলাম(সাজা হয়নি, বিচারাধীন)। (৫) বেসিক ব্যাংক ২০১২-২০১৩ সালে ৪,৫০০(চারিশত পাঁচশত) কোটি টাকা-শেখ আবদুল হাই বাচ্চু(মামলায় নেই)। ও (৬) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ২০১৬ সালে ৪ ফেব্রæয়ারি, ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার ৮০০(আটশত) কোটি টাকা-চিহ্নিত হয়নি(মামলা হয়েছে)। আর্থিক কেলেঙ্কারি ঃ কেউ শাস্তি পায়নি, একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। ব্যাংকিং খাতে সাগরচুরি হয়েছে ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছে ০৮-০৬-২০১৬ তারিখ প্রথম আলো।
৪৯. আগামী তিন বছর পর বাজেট ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা! ২০১৬-১৭ অর্থবছর বাজেট হবে-৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ বাজেট হবে-৪ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেট হবে-৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশে যে বিদেশীদের বেতন-ভাতা বাবদ দিতে হয় বছরে ৩২,০০০ হাজার কোটি টাকা বা ৪০০ কোটি ডলার। আমাদের জাতীয় বাজেটের ১০ শতাংশ চলে যায় এবং প্রবাসী আয়ের ৩৫ শতাংশ আয় চলে যায় বিদেশিদের বেতন-ভাতাবাবদ।
৫০. ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি, প্রথম আলো : দক্ষিণ কোরিয়াকে টপকে গেল বাংলাদেশ : অর্থনীতিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে পেছনে ফেলল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার এখন ৩৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি ৩২ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের। গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এতটা উন্নতি হয়েছে ব্যাপক শিল্পায়ন ও কৃষিতে উন্নয়নের ফলে। বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এটিকে একটি ‘বিস্ময়কর ঘটনা’ হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি একটি রম্য রচনা। বাংলাদেশ পরিস্থিতি : এখন (২০১৩-২০১৪) : মাথাপিছু আয়-১১৯০ ডলার, স্থির মূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার-৬.১২%, মোট দেশজ সঞ্চয় জিডিপির-২৩.৪৫%, জাতীয় সঞ্চয় জিডিপির-৩০.৫৪%, মোট বিনিয়োগ জিডিপির-২৮.৬৯%, দারিদ্র হার-৩১.৫০%। ০১-০১-২০১৫ তারিখ নি¤œ আয় কমপক্ষে ১০৪৫ ডলার, নি¤œ মধ্যম আয়-১,০৪৬ ডলার থেকে ৪,১২৫ ডলার, উচ্চ মধ্যম আয়-৪,১২৬ ডলার থেকে ১২,৭৪৫ ডলার, উচ্চ আয়-১২,৭৪৬ ডলারের বেশি।
সর্বশেষ গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশকে পাঁচ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার দিয়েছে দাতারা। আর ৮,১০৩ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল দাতারা। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ১৮০% বৃদ্ধি-সিপিডির গবেষণা।
২০১৫ সালের ২ জুলাই, প্রথম আলো : বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। আয় অনুযায়ী মধ্যম আয়ের দেশকে দুই ভাগে ভাগ করে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ থাকবে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায়। ভারত এবং পাকিস্তানও এ তালিকায়। (১) নি¤œ আয়ের দেশ-৩১টি (২) নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ-৫১টি ও (৩) উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ-৮০টি। নির্ধারণের পদ্ধতি : মূলত ১ হাজার ৪৬ ডলার থেকে শুরু করে যেসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১২ হাজার ৭৩৬ ডলার, তারা মধ্যম আয়ের দেশে অন্তর্ভুক্ত। (১) ১ হাজার ৪৬ ডলার থেকে শুরু করে ৪ হাজার ১২৫ ডলার পর্যন্ত তা হবে নি¤œ মধ্যম আয় (২) ৪ হাজার ১২৬ ডলার থেকে শুরু করে ১২ হাজার ৭৩৬ ডলার হলে দেশগুলোকে বলা হয় মধ্যম আয়ের দেশ ও (৩) ১২ হাজার ৭৩৬ ডলারের বেশি জাতীয় আয় হলে সেই দেশগুলোকে বলা হয় উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ। জিডিপির সঙ্গে বাড়ছে বৈষম্যও। ১৯৬৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ূব খান তাঁর ডায়রিতে ‘‘পূর্ব পাকিস্তান’ সম্পর্কে ‘পশ্চিম পাকিস্তান’ ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব ব্যক্ত করতে গিয়ে লেখেন, ইষ্ট পাকিস্তান ইজ এ বটমলেস পিট’ (পূর্ব পাকিস্তান হলো একটা তলাবিহীন পাত্র)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭১ সালেই বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এ দেশকে একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস’ বলেছিলেন। আমাদের গণমাধ্যমে লেখা হলো তলাবিহীন ঝুড়ি (বটমলেস বাস্কেট)। এ কথাটা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিল মনে হয় ১৯৭৪ সালে। ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর, প্রথম আলো ঃ ২০৫০ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে ২৩তম এবং আকার হবে ৩,৩৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪ সালে ৩১তম আর ডলারে হবে-৫৩৬ বিলিয়ন ডলার। ২০৩০ সালে হবে ২৯তম আর অর্থনীতির আকার হবে-১,২৯১ বিলিয়ন ডলার। ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার ভিত্তিতে। ২০১৪-২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে মাত্র তিনটি দেশের জিডিপিতে গড় প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে। এর একটি বাংলাদেশ। ২৩তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ! প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারসের গবেষণা।
বিশ্বে গাছের সংখ্যা কত=গোটা বিশ্বে গাছের সংখ্যা এখন তিন ট্রিলিয়নের কিছু বেশি। এক ট্রিলিয়ন হচ্ছে ১ লক্ষ কোটি। নতুন একটি গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় এ গবেষণা করেছে। পৃথিবীতে মোট গাছের সংখ্যা নিয়ে আগেও অনেকগুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে। তবে কোনো হিসাবেই সংখ্যা ৪০০ বিলিয়নের (১ বিলিয়ন ১০০ কোটিতে) বেশি ওঠেনি। নতুন এই মূল্যায়নে সে ধারণার চেয়ে আট গুণ বেশি গাছ আছে বলে জানা গেল। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ধমাস ক্রোদার ও তাঁর সহযোগীরা স্যাটেলাইট চিত্রের সাহায্য নিয়ে বিরাট পরিসরে একটি ভূমি জরিপ চালান। বিবিসি।
আয়-ব্যয় ও আশাবাদ=নতুন বাজেটে আয়ের বিশাল পরিকল্পনা আছে, ব্যয়েরও নানা উৎসের কথা বলা আছে। বাজেট কিছু মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে, অনেক মানুষকে হতাশও করেছে। আছে অসৎ মানুষের জন্য নানা সুবিধা। আছে নানা চমকও। আয়-১,৭৪.১২৯ কোটি টাকা, ব্যয়-২,২২,৪৯১ কোটি টাকা। ঘাটতি-৪৮,৩৬২ কোটি টাকা। ‘অশোভনীয় আশাবাদের’ বাজেট। বিনিয়োগে হতাশা ঃ  বেসরকারি বিনিয়োগ আরও এক দফা কমেছে। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ছিল জিডিপির ২০.০৪%, পরের অর্থবছরে তা কমে হয়েছে-১৮.৯৯%। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়তো আরও কমবে।
৫১. ২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল, প্রথম আলো ঃ নিম্ন বিনিয়োগের ফাঁদে আটক বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের যে মাথাপিছু আয়, সে অনুযায়ী এ দেশে বিনিয়োগের হার হওয়া উচিত ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ। বিনিয়োগ ঘাটতির পরিমাণ ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এই বিনিয়োগ-ফাঁদ থেকে উত্তরণ ঘটানোই দেশের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
২০১৩ সালের ৩ জুন, প্রথম আলো ঃ বিনিয়োগশূন্য প্রবৃদ্ধির ফাঁদে দেশ। ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ জাতীয় সঞ্চয়ের হার। ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ বিনিয়োগের হার। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের যে মাথাপিছু আয়, সে অনুযায়ী এ দেশে বিনিয়োগের হার হওয়া উচিত মোট দেশজ উৎপাদনের ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ। অথচ দেশে বিনিয়োগের হার ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ বড় ধরনের বিনিয়োগ ঘাটতির মধ্যে আছে দেশ। তবে অর্থনীতিবিদেরা একে বলছেন বিনিয়োগশূন্য প্রবৃদ্ধি। শ্রীলঙ্কায় বিনিয়োগের হার ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ, জাতীয় সঞ্চয় ২৪ শতাংশ। আবার ভারতে বিনিয়োগের হার ৩৫ দশমিক ১ শতাংশ, সঞ্চয়ের হার ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বিনিয়োগ-সঞ্চয়ের সম্পর্কটা এ রকম উল্টোটাই কেবল বাংলাদেশে। শ্রমশক্তি জরিপ ২০১০ অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে শ্রমশক্তির পরিমাণ পাঁচকোটি ৬৭ লাখ। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ৪১ লাখ মানুষের কাজ আছে। এর অর্থ, মাত্র ২৬ লাখ মানুষ বেকার। তবে এই পরিসংখ্যানে কৌশল রয়েছে। কারণ, জরিপেই বলা আছে যে পরিবারের মধ্যে কাজ করেন কিন্তুু কোনো মজুরি পান না। এমন মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১১ লাখ। এ ছাড়া আছেন আরও এক কোটি ছয় লাখ দিনমজুর। বিশ্বব্যাংক মনে করে, বাংলাদেশে প্রকৃত পক্ষে বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এর ওপর এখন প্রতিবছর নতুন করে ১৩ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে যোগ হচ্ছেন। সুতরাং নতুন বিনিয়োগের বিকল্প নেই। অথচ বিনিয়োগ বাড়ানো যাচ্ছে না।
        অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, স্বাধীনতার ৪০ বছর সময়ের মধ্যে ৩৪ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৫০০ ডলার। আর গত ছয় বছরে তা দ্বিগুণ বেড়ে এক হাজার ৪৪ ডলার ছাড়িয়েছে। ১৯৭২-৭৩ সাল থেকে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে তা দাঁড়ায় মাত্র ৫২৩ ডলারে। আর ২০০৭-২০০৮ অর্থবছর থেকে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে তা দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৪ ডলারে। ভারতীয়দের ক্রয়ক্ষমতা আমাদের দ্বিগুণ এবং শ্রীলঙ্কার ক্রয়ক্ষমতা তিনগুণ। জিডিপির তুলনায় বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৭০  ভাগ ও সঞ্চয় ৩০ দশমিক ৮৫ ভাগ। নতুন ভিত্তি বছরের কৃষি খাতের উপখাতে ২৪টি নতুন শস্যসহ সর্বমোট ১২৪টি শস্যের উৎপাদন তথ্য অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। নতুন রেকর্ড-পাঁচ বছরে গার্মেন্টস রফতানি বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০০৮-২০০৯  অর্থবছরে ১২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০-০৯-২০০৮ অর্থবছরে ছিল ৪,৯২৫টি এবং ২০-১২-২০১২ অর্থবছরে পোশাক কারখানা ৫,৬০০টিতে দাঁড়িয়েছে। ০৯-০৯-২০১৩ সামস্টিক অর্থনীতি ঃ ২০০৯-২০১০  থেকে ২০১২-২০১৩ তারিখ পর্যন্ত অর্জন ঃ চার বছরে গড়ে বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৩০%। ৮২ লাখ ৬০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান। রাজস্ব আয় বেড়েছে ৩.১১ গুণ। সরকারি বিনিয়োগ বড় ধরণের উল্লস্ফন। মূল্যস্ফীতির তির নিম্নমুখী। কর শনাক্তকারী নম্বর নেই ৭৩ হাজার বাড়িওয়ালার। প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ সপ্তম। ১৫০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসবে এ বছর। ১২১% বেশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তুলনায়। ৭,১০০ কোটি ডলার নিয়ে ভারত এবারও শীর্ষে থাকবে।
৫২. ২০০১ ও ২০০৩ এর শুমারিতে ছিল-৩৭ লাখ ৮ হ্জাার ১৪৪টি অর্থনৈতিক ইউনিট। ২০১৩ সালের শুমারিতে ৮০ লাখ ৭৫ হাজার ৭০৪টি অর্থনৈতিক ইউনিট পাওয়া গেছে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক ইউনিটের বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১১৮ শতাংশ। শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ-(১) সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে-২৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৭২টি (২) চট্টগ্রাম বিভাগে-১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৭টি (৩) রাজশাহী বিভাগে-১২ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৩টি (৪) রংপুর বিভাগে-১০ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৫টি (৫) খুলনা বিভাগে-১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৮১টি (৬) বরিশাল বিভাগে-৩ লাখ ৮৫২ হাজার ২৩৩টি ও (৭) সিলেট বিভাগে-৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭৩টি অর্থনৈতিক ইউনিট রয়েছে। ২০৩০ সালে একজন দরিদ্রলোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না-ওই সময়ের মধ্যে দেশকে দারিদ্রমুক্ত করার লক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী-আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল(২৩-০২-২০১৪ তারিখের দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার কথা)। এই কথার উত্তরে আমি মোঃ জাকির হুসেন(আলমগীর) বলি যে-এই ব্যবস্থায় শেখ হাসিনার সরকার বা খালেদা জিয়ার সরকার দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে পারবে না।
৫৩. ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর, প্রথম আলো : আগামী চার বছরের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্রমুক্ত হবে। আমি মো: জাকির হুসেন(আলমগীর) বলছি যে আগামী চার বছর পর মানে আগামী ২০১৮ সালে বাংলাদেশে আরো দারিদ্র পরিবার বাড়বে এবং দেশ রসাতলে যাবে। এ ব্যবস্থায় দেশ আগাবে না বা আগামী ২০৫০ সালেও দেশের গরীব বা দারিদ্রমুক্ত হবে না।
৫৪. ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই, প্রথম আলো : বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ, মূসক বিবরণী দেয় ৬০,০০০(ষাট হাজার) লোক। দেশের কম-বেশি চার কোটি লোক আয় করেন। এর মধ্যে মাত্র ১১ লাখ লোক কর দেন। গতকাল অর্থমন্ত্রী-আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন-এ কথা। দেশের ১৮ লাখ লোক কর শনাক্তকারী নম্বর(টিআইএন) রয়েছে। কর এবং মূসক দেন জনগণ। এফবিসিসিআইর সভাপতি মাতলুব আহমদ বলেন-নতুন মূসক আইন অনুযায়ী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীরা ১৫ শতাংশ হারে মূসক দিতে পারবেন না। এ ছাড়া ২৪ লাখের পরিবর্তে ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক লেনদেনে মূসক অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি। ৮০ লাখ টাকার পরিবর্তে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত ৩ শতাংশ টার্নওভার করারোপের প্রস্তাবও করেন তিনি।
৫৫. ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ, প্রথম আলো ঃ জেনেও বিপৎসংকেত দেওয়া হয়নি। রিজার্ভের অর্থ চুরি। এ ঘটনা না জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৪ ফেব্রæয়ারি, বৃহস্পতিবার, দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফটের বার্তা বা সংকেত ব্যবহার করে, ৩৫টি অর্থ স্থানান্তরের পরামর্শ বা অ্যাডভাইস পাঠানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রির্জাভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে। বাংলাদেশ ব্যাংকে সুইফট পদ্ধতি ব্যবহারের ব্যাক অফিসে কর্মরত অঅট কর্মকর্তা ৫ ফেব্রæয়ারি শুক্রবারও কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য এসেছিলেন। ওই কার্যালয়ে এসে তাঁরা কমপিউটার খুলতে পারেননি। কমপিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত প্রিন্টারগুলোও অকেজো দেখতে পান। কিন্তু তাঁরা উর্ধ্বতন মহলের কাছে এই বিপদসংকেতটি পৌঁছাননি। আর এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৮০০(আটশত) কোটি টাকা চুরি হয়ে চলে যায় শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনে। ১৭-০৩-২০১৬  তারিখ ঘটনা দ্রæত প্রকাশ হলে অর্থ আটকানো যেত? ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোকে অর্থ পাচারে সহযোগিতার জন্য দায়ী করা হয়েছে। মায়া নিজের গাড়িতে ২ কোটি পেসো সরিয়েছেন ৫ ফেব্রæয়ারি কাগজের ব্যাগে করে আমি নিজে দেখেছি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাক্ষাৎকার(১৭-০৩-২০১৬ তারিখ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত। ১৯-০৩-২০১৬ তারিখ প্রথম আলোতে অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা-প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য মনে করি না।  আবার ম ুহিত বলেছে যে-০৮-০৬-২০৬ তারিখ ব্যাকিং খাতে সাগরচুরি হয়েছে-অর্থমন্ত্রী-আবুল মাল আবদুল মুহিত।
৫৬. ২০১৬ সালের ৯ জুন, প্রথম আলো ঃ দেশের মোট আয়ের অর্ধেকই যাচ্ছে ধনীর পকেটে। পিপিআরসির গবেষণা ঃ মাথাপিছু গড় আয়। (১) সবচেয়ে ধনী-১০ শতাংশ-৪,৯৬২ ডলার (২) সবচেয়ে গরীব-৪০ শতাংশ-৩৫৯ ডলার (৩) মাঝামাঝি-৪০ শতাংশ-৮৬৭ ডলার (৪) রাজধানীর ধনী-১০ শতাংশ ১১,৭৯১ ডলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *